তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় আখলাক

You are currently viewing তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় আখলাক
তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় আখলাক

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় আখলাক এর অনুশীলনীর সকল প্রশ্নউত্তর সহ অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত ও কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নউত্তর নিচে দেওয়া হলো।

৩য় শ্রেণির ইসলাম ৩য় অধ্যায় আখলাক

⇒ অধ্যায়টির মূলভাব জেনে নিই
এ পৃথিবীতে আব্বা-আম্মা আমাদের সবচেয়ে আপনজন। অনেক কষ্ট করে তাঁরা আমাদের লালন-পালন করেন। তাঁদের আদেশ-নিষেধ মেনে চলা আমাদের কর্তব্য। আমরা সবার সাথেই ভালো ব্যবহার করব। মানুষের বিপদে আপদে এগিয়ে যাব। বাড়ির সবাইকে সালাম দেব। গুরুজনদের সম্মান করব। মেহমানের সেবাযতœ করব। পশু-পাখিদের কষ্ট দেব না। সকল জীবের প্রতি দয়া দেখাব। সত্য বলা একটি মহৎ গুণ। আমরা সর্বদা সত্য কথা বলব। এভাবে আমরা সুন্দর চরিত্র গঠন করব।

৩য় শ্রেণির ইসলাম ৩য় অধ্যায় অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১। সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দাও।
ক) মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের কী?
১. খুশি ২. জাহান্নাম
√ ৩. জান্নাত ৪. স্থান
খ) সহপাঠী অর্থ কী?
√ ১. পড়ার সাথী ২. বই
৩. আত্মীয় ৪. প্রতিবেশী
গ) সহপাঠী বিপদে পড়লে কী করব?
১. খেলা করব ২. বেড়াতে যাব
৩. বলে দেব √ ৪. সাহায্য করব
ঘ) কোনো মুসলিমের সাথে দেখা হলে প্রথমে কী করব?
১. বসতে দেব √ ২. সালাম দেব
৩. নাস্তা দেব ৪. কথা বলব
ঙ) যারা আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন তারা কে?
১. আব্বা-আম্মা ২. দাদা-দাদি
√ ৩. মেহমান ৪. মেজবান
চ) আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে সবার সেরা কে?
√ ১. মানুষ ২. পশু
৩. পাখি ৪. জিন
ছ) এক বুড়ি প্রতিদিন মহানবি (স)-এর চলার পথে কী দিত?
১. বিছানা দিত ২. পাথর দিত
√ ৩. কাঁটা দিত ৪. ইট দিত
জ) সকল জীবের প্রতি কে দয়া দেখান?
১. মানুষ ২. জিন
৩. ফেরেশতা √ ৪. আল্লাহ

২। শূন্যস্থান পূরণ কর :
ক) আমরা আব্বা-আম্মার ___ শুনব।
খ) পিতার সন্তুষ্টিতে ___ সন্তুষ্টি।
গ) যে আগে সালাম দেবে সে বেশি ___ পাবে।
ঘ) মানুষের সেবা করা আল্লাহর ___।
ঙ) পশুপাখি কাউকে ___ দিতে নেই।
চ) সত্য মানুষকে ___ দেয়।
উত্তর : ক) কথা খ) আল্লাহর গ) সওয়াব ঘ) ইবাদত ঙ) কষ্ট চ) মুক্তি।

৩। বাম পাশের কথাগুলোর সাথে ডান পাশের কথাগুলো মিল কর :
ক) আমরা আব্বা-আম্মার সাথে খুশি হন
খ) আমরা সকলে একে অপরের মহাপাপ
গ) সালাম দিলে আল্লাহ ভাই
ঘ) পড়ার সাথী ঝগড়া করব না
ঙ) মিথ্যা বলা সহপাঠী
উত্তর :
ক) আমরা আব্বা-আম্মার সাথে ঝগড়া করব না।
খ) আমরা সকলে একে অপরের ভাই।
গ) সালাম দিলে আল্লাহ খুশি হন।
ঘ) পড়ার সাথী সহপাঠী।
ঙ) মিথ্যা বলা মহাপাপ।

৪। সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
ক) আব্বা-আম্মা খুশি থাকলে কী লাভ হয়?
উত্তর : আব্বা-আম্মা খুশি থাকলে আল্লাহ আমাদের ওপর খুশি ও সন্তুষ্ট থাকবেন। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে পারলে আমরা জান্নাত পাব।
খ) সহপাঠীর অসুখ হলে কী করব?
উত্তর : সহপাঠীর বিপদে-আপদে আমরা এগিয়ে যাব। অসুখ হলে দেখতে যাব। তার সেবা করব। তাকে সান্ত¡না দেব।
গ) সালাম বিনিময়ের বাক্যটি আরবিতে লেখ।
উত্তর : সালাম বিনিময়ের বাক্যটি আরবিতে নিচে দেওয়া হলো-

ঘ) সালামের জওয়াবে কী বলতে হয়?
উত্তর : সালামের জওয়াবে বলতে হয়-
ওয়া আলাইকুমুস সালাম।
অর্থ : আপনার ওপরও শান্তি বর্ষিত হোক।
ঙ) মেহমানের সাথে ভালো ব্যবহার করলে কী উপকার হয়?
উত্তর : মেহমানের সাথে ভালো ব্যবহার করলে মেহমান খুশি হয়। মেজবানের সুনাম বাড়ে। উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এতে আল্লাহ খুশি হন।
চ) জীবে দয়া করলে আল্লাহ কী হন?
উত্তর : জীবে দয়া করলে আল্লাহ খুশি হন। আল্লাহর দয়া ও সাহায্য পাওয়া যায়।
ছ) মিথ্যা বলার ক্ষতি কী?
উত্তর : মিথ্যা বলা মহাপাপ। যে মিথ্যা বলে তাকে কেউ ভালোবাসে না। বিশ্বাস করে না। আদর ও সম্মান করে না। তার বিপদে কেউ এগিয়ে আসে না। মিথ্যাবাদীর স্থান হবে জাহান্নাম।

৫। বর্ণনামূলক প্রশ্ন :
ক) আব্বা-আম্মার সাথে কিরূপ ব্যবহার করব?
উত্তর : আব্বা-আম্মার সাথে সব সময় ভালো ব্যবহার করব। তাঁদের সালাম দেব। সম্মান করব। বিনয়ের সাথে কথা বলব। তাঁরা যখন ডাকেন তখনই হাজির হব এবং ‘জি’ বলে উত্তর দেব। তাঁদের সেবা করব। তাঁদের কথা শুনব ও মানব। সবসময় তাঁদেরকে খুশি এবং সন্তুষ্ট রাখব। তাঁদের মনে কষ্ট দেব না।
খ) সহপাঠীদের সাথে ভালো ব্যবহারের উপকারিতা কী কী?
উত্তর : সহপাঠী অর্থ পড়ার সাথী। সহপাঠীদের সাথে ভালো ব্যবহারের অনেক উপকারিতা রয়েছে।
সহপাঠীদের সাথে ভালো ব্যবহার করলেÑ
১. আব্বা-আম্মা খুশি থাকবেন।
২. শিক্ষকগণ খুশি হবেন।
৩. আল্লাহ খুশি হবেন।
৪. পরিবেশ সুন্দর হবে।
৫. সকলে ভালোবাসবেন, আদর করবেন। সর্বোপরি, সহপাঠীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
গ) সালাম দেওয়া-নেওয়ার নিয়ম লিখ।
উত্তর : সালাম হলো শান্তির জন্য দোয়া করা। নিচে সালাম দেওয়া-নেওয়ার নিয়ম উল্লেখ করা হলো-
একজন মুসলমান অপর মুসলমানের সাথে দেখা হলে প্রথমে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সালাম দেবে। সালাম শুনলে সালামের জওয়াব দিতে হয়। সালামের জওয়াবে বলতে হয়- ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম’।
চেনা-অচেনা সকল মুসলিমকে সালাম দিতে হয়।
ঘ) মেহমানের সাথে ভালো ব্যবহার সম্পর্কে মহানবি (স) কী বলেছেন?
উত্তর : আমাদের বাড়িতে যারা বেড়াতে আসেন তাঁরাই আমাদের মেহমান। মহানবি (স) মেহমানের সাথে সুন্দর ব্যবহার করতেন। নিজেই তাদের সেবা-যতœ করতেন। মেহমানের সাথে ভালো ব্যবহার সম্পর্কে মহানবি (স) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতে ইমান রাখে সে যেন মেহমানকে সম্মান করে।”
ঙ) আমরা জীবের প্রতি কীভাবে দয়া দেখাব?
উত্তর : আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সকল জীবের প্রতি দয়া দেখাতে বলেছেন। আল্লাহর সৃষ্ট সকল জীবকে আমরা ভালোবাসব। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, বিড়াল-কুকুর এদের আমরা কষ্ট দেব না। আঘাত করব না। আমরা এদের আদর করব। যতœ নেব।
ফড়িংয়ের পায়ে সুতা বেঁধে খেলা করব না। পাখির বাচ্চা চুরি করে আনব না। গরু-মহিষের গাড়িতে বেশি বোঝা দেব না। হাটবাজার থেকে হাঁস-মুরগি কিনলে এদের ডানাগুলো আস্তে করে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসব। এভাবে আমরা সকল জীবের প্রতি দয়া দেখাব।
চ) সত্য কথা বলার একটি ঘটনা উল্লেখ কর।
উত্তর : সত্য কথা বলার একটি ঘটনা : একদিন একজন লোক মহানবি (স)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর নবি! আমি চুরি করি। মিথ্যা কথা বলি। আরও অনেক অন্যায় করি। এখন আমি এ অন্যায় কাজগুলো কীভাবে ছেড়ে দেব?
মহানবি (স) বললেন, “প্রথমে মিথ্যা বলা ছেড়ে দাও”। লোকটি মিথ্যা কথা বলা ছেড়ে দিল। সব সময় সত্য কথা বলতে থাকল। এরপর আস্তে আস্তে সব অন্যায় ছেড়ে দিল। এভাবে সে অন্যায় থেকে বাঁচল। পাপমুক্ত হলো।

৩য় শ্রেণির ইসলাম ৩য় অধ্যায় অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

⇒ শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয়
১) পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি।
২) এক সাথে একই শ্রেণিতে যারা পড়ে তাদেরকে সহপাঠী বলা হয়।
৩) যে আগে সালাম দেবে সে বেশি সওয়াব পাবে।
৪) মহানবি (স) সব সময় মানুষের সেবা করতেন না।
৫) সত্য মানুষকে পুণ্যের পথে নিয়ে যায়।
উত্তর : ১) ‘শু’ ২) ‘শু’ ৩) ‘শু’ ৪) ‘অ’ ৫) ‘শু’।
⇒ বাম অংশের সাথে ডান অংশ মিলকরণ
বাম ডান
১) পিতার অসন্তুষ্টিতে সালাম দিতে হয়।
২) মায়ের পায়ের নিচে পড়ার সাথী।
৩) সহপাঠী অর্থ সন্তানের জান্নাত।
৪) কোনো মুসলিমের সাথে দেখা হলে কষ্ট দিতে নেই।
৫) পশুপাখি কাউকে কষ্ট আল্লাহর অসন্তুষ্টি।
উত্তর :
১) পিতার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি।
২) মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত।
৩) সহপাঠী অর্থ পড়ার সাথী।
৪) কোনো মুসলিমের সাথে দেখা হলে সালাম দিতে হয়।
৫) পশুপাখি কাউকে কষ্ট দিতে নেই।
⇒ শূন্যস্থান পূরণ
১) আব্বা-আম্মা ডাকলে ___ বলে উত্তর দেব।
২) মহানবি (স) বলেছেন, ___ নিচে সন্তানের জান্নাত।
৩) প্রিয় নবি (স) __ দেখে উঠে দাঁড়ালেন।
৪) আমরা সকলে একে অপরের ___।
৫) সহপাঠীদের সাথে দেখা হলে ___ দেব।
৬) কোনো মুসলিমের সাথে দেখা হলে ___ দিতে হয়।
৭) মেহমানের সাথে ___ ব্যবহার করব।
৮) মানুষের সেবা করা ___ ইবাদত।
৯) জীবে দয়া করলে ___ খুশি হন।
১০) মিথ্যা মানুষকে ___ করে।
১১) সত্য মানুষকে ___ দেয়।
উত্তর : ১) জি ২) মায়ের পায়ের ৩) বৃদ্ধাকে ৪) সহপাঠী ৫) সালাম ৬) সালাম ৭) সুন্দর ৮) আল্লাহর ৯) আল্লাহ ১০) ধ্বংস ১১) মুক্তি।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

১. আমাদের সবচেয়ে আপনজন কারা?
উত্তর : আব্বা-আম্মা আমাদের সবচেয়ে আপনজন।
২. কারা সন্তুষ্ট থাকলে আমরা জান্নাত পাব।
উত্তর : আব্বা-আম্মা সন্তুষ্ট থাকলে আমরা জান্নাত পাব।
৩. আল্লাহ তায়ালা আব্বা-আম্মার জন্য যে দোয়াটি করতে বলেছেন সেই দোয়াটি কী?
উত্তর : আল্লাহ তায়ালা আব্বা-আম্মার জন্য যে দোয়াটি করতে বলেছেন সে দোয়াটি হলো- “রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানী সাগীরা।”
৪. সহপাঠী কথাটির অর্থ কী?
উত্তর : সহপাঠী কথাটির অর্থ হচ্ছে পড়ার সাথী।
৫. সহপাঠীদের সাথে কেমন আচরণ করলে আব্বা-আম্মা ও শিক্ষকগণ খুশি হবেন?
উত্তর : সহপাঠীরা এক সাথে মিলে-মিশে থাকলে আব্বা-আম্মা ও শিক্ষকগণ খুশি হবেন।
৬. কারো সাথে দেখা হলে প্রথমে আমরা কী করব?
উত্তর : কারো সাথে দেখা হলে প্রথমে আমরা সালাম দেব।
৭. টেলিফোনে কথা বলার সময় প্রথমে কী বলব?
উত্তর : টেলিফোনে কথা বলার সময় প্রথমে সালাম দেব।

কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

১. ‘আল-আমীন’ অর্থ কী? সত্য কথা বলা সম্পর্কে মহানবি (স) আমাদেরকে কী শিক্ষা দিয়েছেন?
উত্তর : আল-আমীন অর্থ ‘বিশ্বাসী’। সত্য কথা বলা সম্পর্কে মহানবি (স) বলেছেন, “সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে”। তিনি আরও বলেছেন, “সত্য মানুষকে পুণ্যের পথে নিয়ে যায়।” সত্য কথা বললে জীবনে জয় লাভ করা যায়। ছোটবেলা থেকেই আমাদের নবি (স) সত্য কথা বলতেন।
২. জীবে দয়া করার একটি বিশেষ ঘটনা উল্লেখ কর।
উত্তর : একদিন এক মহিলা দেখলেন যে, পথের পাশে একটি কুকুর পিপাসায় খুব কাতর। এখনই মরে যাবে এমন অবস্থা। মহিলার মনে খুব দয়া হলো। কাছেই একটি পানির কূপ ছিল। তিনি ঐ কূপ থেকে পানি উঠিয়ে আনলেন। কুকুরের সামনে ধরলেন। পানি পান করে কুকুরটি আরাম পেল। প্রাণে বেঁচে গেল।
মহিলা এভাবে জীবের প্রতি দয়া দেখালেন। আল্লাহর সৃষ্টির ওপর দয়া দেখালেন। এজন্য আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হলেন। তাঁর সব গুনাহ ক্ষমা করে দিলেন। তাঁকে জান্নাত দান করলেন।
৩. মা-বাবার সাথে আচরণ সম্পর্কে মহানবি (স)-এর শিক্ষা বর্ণনা কর।
উত্তর : মা-বাবা সম্পর্কে মহানবি (স) অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। মা সম্পর্কে মহানবি (স) বলেছেন, “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত”।
বাবা সম্পর্কে তিনি বলেছেন, “পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি। পিতার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি।
এছাড়াও মহানবি (স) মা-বাবাকে সম্মান, সালাম, ভক্তি, আদর-যতœ করতে বলেছেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের পরেই মা-বাবার হক। মা-বাবার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে আমরা জান্নাত পেতে পারি।
৪. মানুষের সেবা করা সম্পর্কে মহানবি (স)-এর শিক্ষা উল্লেখ কর।
উত্তর : মানুষের সেবা করা আল্লাহর ইবাদত। আমাদের দয়াল নবি (স) বলেছেন, “ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, রোগীর সেবা কর, বন্দিকে মুক্ত করে দাও।” তিনি সবসময় মানুষের সেবা করতেন। মানুষের সুখ দুঃখের খোঁজ-খবর নিতেন। সবার উপকার করতেন। মুসলিম, অমুসলিম সবাইকে সেবা করতেন। ভীষণ শত্রæকেও সাহায্য ও সেবা করতেন। তাঁর মতো আমরাও মানব দরদি হব।
 যোগ্যতাভিত্তিক
৫. আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে মানুষ সবার সেরা। আমরা একে অপরকে কীভাবে সাহায্য করব তা পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : আমরা একে অপরকে নিম্নলিখিতভাবে সাহায্য করতে পারি-
১. গরিব হলে টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করব।
২. অসুস্থ হলে সেবা করব, চিকিৎসা করাব।
৩. ক্ষুধার্তকে খাদ্য দেব, তৃষ্ণার্তকে পানি পান করাব।
৪. কেউ বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করব।
৫. গরিব, দুঃখী ও ইয়াতিমদের ভালোবাসব।
৬. মহান আল্লাহ সব কিছু মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করেছেন। প্রাণীদের ওপর দয়া করলে কে খুশি হন? আমরা কীভাবে জীবে দয়া করতে পারি তার ৪টি উপায় লেখ।
উত্তর : প্রাণীদের ওপর দয়া করলে মহান আল্লাহ খুশি হন। আমরা নিচে উল্লেখিত উপায়ে প্রাণীদের ওপর দয়া করতে পারি-
১. আমরা তাদের কষ্ট দেব না।
২. তাদের দিকে ঢিল-পাথর ছুড়ব না।
৩. গরু-মহিষের গাড়িতে বেশি বোঝা দেব না।
৪. হাঁস-মুরগি কিনলে ডানাগুলো আস্তে করে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসব।

 

Share to help others:

Leave a Reply