তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম প্রথম অধ্যায় ইমান ও আকাইদ পোস্টে ৩য় শ্রেণির ইসলামের ১ম অধ্যায়ের অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর সহ অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত ও সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর দেওয়া আছে।
১ম অধ্যায় ইমান ও আকাইদ
⇒ অধ্যায়টির মূলভাব জেনে নিই
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো শরিক নেই। তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা। তিনি পরম দয়ালু। তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। মানবজাতিকে তাঁর পথে ডাকার জন্য আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন। এর সাথে তিনি অবতীর্ণ করেছেন আসমানি কিতাব। যারা নবি-রাসুলদের ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁদের পথে চলেছেন তারা পরকালে জান্নাতের অধিকারী হবেন।
ইমান ও আকাইদ অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১। সঠিক উত্তরে টিক (√) চিহ্ন দাও।
ক) খালিক শব্দের অর্থ কী?
১. দয়ালু √ ২. স্রষ্টা
৩. পবিত্র ৪. পালনকারী
খ) সবচেয়ে দয়ালু কে?
১. মাতা ২. পিতা
√ ৩. আল্লাহ ৪. ফেরেশতা
গ) প্রথম নবির নাম কী?
১. হযরত নুহ (আ)
২. হযরত ইবরাহীম (আ)
৩. হযরত ইসমাঈল (আ)
√ ৪. হযরত আদম (আ)
ঘ) বড় আসমানি কিতাব কয়খানা?
১. দুই খানা ২. তিন খানা
√ ৩. চার খানা ৪. পাঁচ খানা
ঙ) তাওরাত কিতাব কোন নবির ওপর নাজেল হয়েছিল?
১. হযরত আদম (আ) √ ২. হযরত মূসা (আ)
৩. হযরত ঈসা (আ) ৪. হযরত দাউদ (আ)
চ) আকিদার বহুবচন কোনটি?
১. ইবাদত ২. ইমান
√ ৩. আকাইদ ৪. আখিরাত
ছ) কালেমা তায়্যিবা অর্থ কী?
১. বাণী ২. আমল
৩. ইবাদত √ ৪. পবিত্র বাণী
জ) কালেমা তায়্যিবার কয়টি অংশ আছে?
√ ১. দুইটি ২. তিনটি
৩. চারটি ৪. পাঁচটি
২। শূন্যস্থান পূরণ কর :
ক. মুহাম্মদ (স) সর্বশেষ ______।
খ. ______ অর্থ পালনকারী।
গ. আখিরাত অর্থ হলো ______ ।
ঘ. কুরআন মজিদ আসমানি ______।
ঙ. ______ কোনো শরিক নাই।
উত্তর : ক. নবি ও রাসুল খ. রব গ. পরকাল ঘ. কিতাব ঙ. মহান আল্লাহর।
৩। রেখা টেনে মিল কর :
ক. রিজিক অর্থ —–খাদ্য
খ. রহমান অর্থ —–পরম দয়ালু
গ. আমরা আখিরাতে ——-বিশ্বাস করব
ঘ. রাসুল অর্থ ——প্রেরিত পুরুষ
ঙ. আল্লাহ সব কিছুর—— স্রষ্টা
৪। সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন :
ক. আল্লাহ তায়ালার চারটি গুণের নাম লেখ।
উত্তর : আল্লাহ তায়ালার চারটি গুণবাচক নাম হচ্ছে-
১. আল্লাহু খালিকুন – অর্থ আল্লাহ স্রষ্টা।
২. আল্লাহু রাব্বুন – অর্থ আল্লাহ পালনকারী।
৩. আল্লাহু রাজ্জাকুন – অর্থ আল্লাহ রিজিকদাতা।
৪. আল্লাহু রাহমান – অর্থ আল্লাহ দয়ালু।
খ. মহান আল্লাহর পাঁচটি সৃষ্টির নাম লেখ।
উত্তর : মহান আল্লাহর পাঁচটি সৃষ্টির নাম হচ্ছে
১) মানুষ ২) জিন ৩) ফেরেশতা ৪) পাহাড় ৫) সমুদ্র।
গ. ইমান কাকে বলে?
উত্তর : ইমান হলো বিশ্বাস। অর্থাৎ মহান আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়; তাঁর কোনো শরিক নেই। হযরত মুহাম্মদ (স) আল্লাহপাকের শেষ নবি ও রাসুল। তাঁর পর আর কোনো নবি ও রাসুল আসবেন না। এই কথাগুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করাকেই ইমান বলে।
ঘ. ‘আল্লাহ খালিকুন’ অর্থ কী?
উত্তর : ‘আল্লাহ খালিকুন’ অর্থ আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টিকর্তা। তিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।
ঙ. হাত, পা না থাকলে আমাদের কী অসুবিধা হতো?
উত্তর : হাত-পা না থাকলে আমাদের অনেক অসুবিধা হতো। হাত না থাকলে আমরা কোনো জিনিস খেতে, ধরতে বা লিখতে পারতাম না। আর পা না থাকলে হাঁটতে পারতাম না।
চ. ‘রাজ্জাক’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘রাজ্জাক’ শব্দের অর্থ হলো রিজিকদাতা। আল্লাহ তাঁর সব সৃষ্টিকে রিজিক বা খাদ্য দান করেন।
ছ. ‘রব’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘রব’ শব্দের অর্থ হচ্ছে পালনকারী। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে লালন-পালন করেন।
৫। বর্ণনামূলক প্রশ্ন :
ক. আল্লাহ তায়ালা আমাদের কীভাবে লালনপালন করেন?
উত্তর : মহান আল্লাহ আমাদের লালনপালন করেন। তিনি আমাদের রব। ‘রব’ অর্থ পালনকারী।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের আলো, বাতাস, পানি দিয়ে লালন পালন করেন। তিনি আমাদের নানারকম ফলমূল, ফসল, শাকসবজি দিয়েছেন। এসব খেয়ে আমরা বেঁচে থাকি। শিশুর জন্মের আগেই মহান আল্লাহ মায়ের বুকে দুধের ব্যবস্থা করে রেখেছেন।
এছাড়া মহান আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি। আমরা এগুলো থেকে ডিম, দুধ, গোশত ইত্যাদি পাই। আল্লাহ তায়ালা নদীনালা, খালবিল সৃষ্টি করেছেন। এসবে আছে অনেক মাছ। এভাবেই বিভিন্ন নিয়ামতের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের লালন-পালন করেন।
খ. আল্লাহ তায়ালা শিশুর জন্য কী ব্যবস্থা করেছেন?
উত্তর : আল্লাহ তায়ালা পরম দয়ালু। তিনি শিশুর জন্য মায়ের বুকে দুধের ব্যবস্থা করেছেন। মায়ের দুধের সাথে কোনো খাদ্যের তুলনা হয় না। এ দুধ মহান আল্লাহপাকের দেওয়া সরাসরি দান বা নেয়ামত।
এছাড়া মায়ের দুধ অন্য খাদ্য অপেক্ষা বহুগুণ পুষ্টিকর। বিশেষ করে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য এর বিকল্প নেই।
গ. ‘রাব্বুল আলামীন’ অর্থ কী?
উত্তর : ‘আল্লাহ রাব্বুন’ অর্থ আল্লাহ পালনকারী। ‘আলামীন’ শব্দের অর্থ বিশ্বজগৎ বা সকল সৃষ্টি। ‘রাব্বুল আলামীন’ অর্থ হচ্ছে সকল সৃষ্টির যিনি পালনকারী। আল্লাহ তায়ালাই যে এ বিশ্ব জগতের একমাত্র পালনকারী ‘রাব্বুল আলামীন’ কথাটির দ্বারা তার ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘ. গাছপালা, শাকসবজি কী থেকে খাদ্য গ্রহণ করে?
উত্তর : আল্লাহ পাক তাঁর সব সৃষ্টির জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করেছেন। গাছপালা, শাকসবজি খাদ্য গ্রহণ করে আলো-বাতাস ও মাটি থেকে। গাছপালা বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে। আর মাটি থেকে পায় পানি ও খনিজ লবণ। এভাবেই আল্লাহর দেয়া রিজিক গ্রহণ করে গাছপালা ও শাকসবজি বেঁচে থাকে।
ঙ. আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করেছেন কেন?
উত্তর : আল্লাহ তায়ালার মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য হলো একমাত্র তাঁর গোলামি ও দাসত্ব করা। এই দুনিয়াতে মানুষ আল্লাহপাকের হুকুম-আহকাম মেনে জীবন-যাপন করবে- এটাই মহান আল্লাহর মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য। মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন, ‘আমি মানুষ ও জিন জাতিকে শুধু আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি’।
চ. আমাদের নবির নাম নিলে কী বলতে হয়?
উত্তর : আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে অনেক নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নবি ও রাসুল হলেন আমাদের নবি হযরত মুহাম্মদ (স)। তাঁর প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য তাঁর নাম নিলে ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বলতে হয়।
ছ. আসমানি কিতাব কাকে বলে?
উত্তর : কিতাব অর্থ বই বা পুস্তক। আল্লাহর বাণীর সমষ্টিকে কিতাব বলে। মানুষকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য আল্লাহ তায়ালা নবি-রাসুলদের কাছে কিতাব পাঠিয়েছেন। এই কিতাবগুলোকে বলে আসমানি কিতাব। যেমন- কুরআন মজিদ।
জ. সহিফা কাকে বলে?
উত্তর : আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য ১০৪ খানা আসমানি কিতাব নাজেল করেছেন। এর মধ্যে ৪ খানা হলো পরিপূর্ণ বা বড় কিতাব। আর বাকি ১০০ খানা হলো ছোট কিতাব। এই ১০০ খানা ছোট কিতাবকে বলা হয় সহিফা।
ঝ. আখিরাত কাকে বলে?
উত্তর : ‘আখিরাত’ শব্দের অর্থ হলো পরকাল। মানুষের মৃত্যুর পরের জীবনকে বলে আখিরাত। আখিরাতের শুরু আছে, শেষ নেই। দুনিয়াতে মানুষের সব ভালো-মন্দ কাজের বিচার হবে আখিরাতে। ভালো কাজের জন্য থাকবে পুরস্কার আর মন্দ কাজের জন্য রয়েছে শাস্তি ।
তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ১ম অধ্যায় অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর
⇒ শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয়
ক) আল্লাহ সব কিছু জানেন, শোনেন ও দেখেন।
খ) আলো-বাতাস-পানি এসব কিছু আল্লাহর দান।
গ) মৃত্যুর পরের জীবনকে বলে ইহকাল।
ঘ) পা না থাকলে আমরা ধরতে পারতাম না।
ঙ) রাজ্জাকুন শব্দের অর্থ ‘সৃষ্টিকর্তা’।
চ) আখিরাতে ভালোমন্দের বিচার হবে।
ছ) কুরআন মজিদ সর্বশেষ কিতাব।
উত্তর : ক) ‘শু’ খ) ‘শু’ গ) ‘অ’ ঘ) ‘অ’ ঙ) ‘অ’ চ) ‘শু’ ছ) ‘শু’।
⇒ বাম অংশের সাথে ডান অংশ মিলকরণ
বাম ডান
১) আমরা আসমানি কিতাবে আল্লাহর দান।
২) যে ব্যক্তি আখিরাতে বিশ্বাস করে তার চরিত্র বিশ্বাস করব।
৩) নবি-রাসুলগণ মানুষকে সুন্দর হয়।
৪) আখিরাতের শুরু আছে ভালো পথের দিকে ডাকতেন।
৫) আলো-বাতাস, মাটি শেষ নেই।
উত্তর :
১) আমরা আসমানি কিতাবে বিশ্বাস করব।
২) যে ব্যক্তি আখিরাতে বিশ্বাস করে তার চরিত্র সুন্দর হয়।
৩) নবি-রাসুলগণ মানুষকে ভালো পথের দিকে ডাকতেন।
৪) আখিরাতের শুরু আছে শেষ নেই।
৫) আলো-বাতাস, মাটি আল্লাহর দান।
⇒ শূন্যস্থান পূরণ
ক) আমরা ______ আল্লাহকে বিশ্বাস করব।
খ) শিশুর জন্মের আগেই মহান আল্লাহ ______ দুধের ব্যবস্থা করে রেখেছেন।
গ) শাকসবজি ইত্যাদিও ______ গ্রহণ করে।
ঘ) আল্লাহর দেওয়া রিজিক হতে ______ দান করব।
ঙ) নবি-রাসুলগণের ব্যবহার ছিল ______।
চ) আল্লাহর ______ সমষ্টিকে কিতাব বলে।
ছ) পরম সুখের স্থান ______ ।
উত্তর : ক) এক খ) মায়ের বুকে গ) খাদ্য ঘ) গরিবদের ঙ) সুন্দর চ) বাণীর ছ) জান্নাত।
৩য় শ্রেণির ইসলাম ১ম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. এই সুন্দর পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছেন?
উত্তর : এই সুন্দর পৃথিবী মহান আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন।
২. ‘খালিকুন’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘খালিকুন’ শব্দের অর্থ হচ্ছে স্রষ্টা।
৩. হাত-পা, চোখ-মুখ, নাক-কান সবকিছু কার দান?
উত্তর : হাত-পা, চোখ-মুখ, নাক-কান সবকিছুই মহান আল্লাহর দান।
৪. আমরা কার সৃষ্টিকে ভালোবাসব?
উত্তর : আমরা আল্লাহর সৃষ্টিকে ভালোবাসব।
৫. আমরা কার ইবাদত করব?
উত্তর : আমরা শুধু মহান আল্লাহর ইবাদত করব।
৬. রিজিক বলতে আমরা কী বুঝি?
উত্তর : রিজিক মানে খাদ্য। বেঁচে থাকার জন্য আমাদের ও অন্যান্য জীবদের যা যা দরকার সবই রিজিক। মহান আল্লাহ সকল প্রাণীর রিজিকের ব্যবস্থা করেন।
৭. আল্লাহর দেওয়া রিজিক হতে আমরা কাদের দান করব?
উত্তর : আল্লাহর দেওয়া রিজিক হতে আমরা গরিবদের দান করব।
৮. ‘আল্লাহু রাহমান’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘আল্লাহু রাহমান’ শব্দের অর্থ হলো আল্লাহ দয়ালু।
৯. কার দান থেকে আমরা বঞ্চিত হই না?
উত্তর : আল্লাহর দান থেকে আমরা বঞ্চিত হই না।
১০. আল্লাহর কাছে আমরা ক্ষমা চাইলে তিনি কী করবেন।
উত্তর : আল্লাহপাকের কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।
১১. আল্লাহ নবি-রাসুল কেন পাঠিয়েছেন?
উত্তর : পথভোলা মানুষকে পথ দেখানোর জন্য, আল্লাহর পথে ডাকার জন্য আল্লাহপাক নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন।
১২. আমরা কার দেখানো পথে চলব?
উত্তর : আমরা মুহাম্মদ (স)-এর দেখানো পথে চলব।
১৩. আল্লাহ আসমানি কিতাব কেন পাঠিয়েছেন?
উত্তর : মানুষকে পথ দেখানোর জন্য আল্লাহ আসমানি কিতাব পাঠিয়েছেন।
১৪. কিতাব অর্থ কী?
উত্তর : কিতাব অর্থ বই বা পুস্তক।
১৫. আল্লাহর বাণীর সমষ্টিকে কী বলে?
উত্তর : আল্লাহর বাণীর সমষ্টিকে কিতাব বলে।
১৬. আসমানি কিতাব কয়খানা?
উত্তর : আসমানি কিতাব ১০৪ খানা।
১৭. হযরত দাউদ (আ)-এর ওপর কোন কিতাব নাজেল হয়?
উত্তর : হযরত দাউদ (আ)-এর ওপর যাবূর কিতাব নাজেল হয়।
১৮. তাওরাত কিতাব নাজেল হয় কোন নবির ওপর?
উত্তর : তাওরাত কিতাব নাজেল হয় হযরত মূসা (আ)-এর ওপর।
১৯. প্রথম ও শেষ নবির নাম কী?
উত্তর : প্রথম নবির নাম হচ্ছে হযরত আদম (আ), আর শেষ নবির নাম হচ্ছে হযরত মুহাম্মদ (স)।
২০. কুরআন মজিদ পড়তে হলে কোন ভাষা শেখা লাগবে?
উত্তর : কুরআন মজিদ পড়তে হলে আরবি ভাষা শেখা লাগবে।
২১. কোন জীবনের শুরু আছে, শেষ নেই?
উত্তর : আখিরাত জীবনের শুরু আছে, শেষ নেই।
২২. আখিরাত জীবনের স্তরগুলোর নাম লেখ।
উত্তর : আখিরাত জীবনের স্তরগুলো হলো- কবর, কিয়ামত, হাশর, বিচার, জান্নাত ও জাহান্নাম।
২৩. ‘ইমান’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর : ‘ইমান’ আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে দৃঢ় বিশ্বাস।
২৪. আকাইদ কী?
উত্তর : আকাইদ আরবি শব্দ। এটি আকিদার বহুবচন। ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস করাকে আকাইদ বলে।
৩য় শ্রেণির ইসলাম ১ম অধ্যায় কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
১. মহান আল্লাহ যুগে যুগে মানবজাতির হেদায়াতের জন্য কাদের পাঠিয়েছেন? এদের মধ্যে প্রথম ও সর্বশেষ কে এসেছেন?
উত্তর : মহান আল্লাহ সৃষ্টির শুরু থেকেই মানবজাতির হেদায়াতের জন্য নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন। প্রত্যেক নবি-রাসুল দুনিয়াতে এসে মানবজাতিকে আল্লাহর পথে ডেকেছেন। হযরত আদম (আ) ছিলেন প্রথম নবি আর শেষ নবি হলেন হযরত মুহাম্মদ (স)।
২. কালিমায়ে তায়্যিবার কয়টি অংশ ও কী কী?
উত্তর : কালিমায়ে তায়্যিবার দুইটি অংশ । প্রথম অংশ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, দ্বিতীয় অংশ ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’।
অর্থাৎ প্রথম অংশ হলো তাওহিদের সাক্ষ্য, আর দ্বিতীয় অংশে রিসালাতের সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে।
৩. বড় চারখানা আসমানি কিতাবের নাম লেখ। এগুলো কাদের ওপর নাজেল হয়েছিল?
উত্তর : চারখানা বড় আসমানি কিতাব হলো- ১. তাওরাত, ২. ইনজীল, ৩. যাবূর ও ৪. কুরআন। চারখানা বড় আসমানি কিতাব চারজন নবির ওপর নাজেল হয়েছিল।
১. তাওরাত নাজেল হয়েছিল হযরত মূসা (আ)-এর ওপর।
২. যাবুর নাজেল হয়েছিল হযরত দাউদ (আ)-এর ওপর।
৩. ইনজীল নাজেল হয়েছিল হযরত ঈসা (আ)-এর ওপর।
৪. কুরআন নাজেল হয়েছিল হযরত মুহাম্মদ (স)-এর ওপর।
যোগ্যতাভিত্তিক
৪. নবি-রাসুলগণ মানুষকে কীভাবে আল্লাহর পথে ডেকেছেন? তাঁদেরকে উত্তম চরিত্রের অধিকারী বলা হয়েছে কেন? তা পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : নবি-রাসুলগণ মানুষকে সত্যের পথে ডাকতেন। তাঁরা নিজেরা আল্লাহর হুকুম পালন করতেন এবং মানুষকে হাতে-কলমে দ্বীনের শিক্ষা দিতেন। কীভাবে আল্লাহকে ডাকতে হয়, তাঁকে কীভাবে খুশি করতে হয় তার উপায় মানুষকে শেখাতেন নবি-রাসুলগণ।
নবি-রাসুলগণকে উত্তম চরিত্রের অধিকারী বলা হয়েছে কেননা-
১। নবি-রাসুলগণের ব্যবহার ছিল সুন্দর।
২। তাঁরা সবসময় সত্য কথা বলতেন।
৩। তাঁরা কখনও লোভ করতেন না।
৪। তাঁরা পাপের কাজ করতেন না।
৫। তাঁরা মানুষকে ভালোবাসতেন।
৫. মৃত্যুর পরের জীবনের নাম কী? সে জীবনের স্তর কয়টি ও কী কী?
উত্তর : মৃত্যুর পরের জীবনের নাম আখিরাত। আখিরাতের শুরু আছে, শেষ নেই।
আখিরাতের স্তর প্রধানত পাঁচটি। আখিরাতের স্তরগুলো হলো- ১. কবর, ২. কিয়ামত, ৩. হাশর, ৪. বিচার, ৫. জান্নাত ও জাহান্নাম।
৬. আসমানি কিতাবের সংখ্যা কত? আসমানি কিতাব ও সহিফার মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ?
উত্তর : আসমানি কিতাবের সংখ্যা হলো ১০৪ খানা। এর মধ্যে বড় হলো ৪ খানা। ছোট হলো ১০০ খানা।
আসমানি কিতাব ও সহিফার মধ্যে পার্থক্য হলো-
আসমানি কিতাব সহিফা
র) বড় ৪ খানা কিতাবকে বলে আসমানি কিতাব। র) ছোট ১০০ খানা কিতাবকে বলে সহিফা।
রর) এগুলো হলো পরিপূর্ণ কিতাব। রর) সহিফা হলো খÐ কিতাব।