কতদিকে কত কারিগর
সৈয়দ শামসুল হক
লেখক পরিচিতি
নাম সৈয়দ শামসুল হক।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : কুড়িগ্রাম শহর, কুড়িগ্রাম।
শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক : ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল; উচ্চ মাধ্যমিক : জগন্নাথ কলেজ; উচ্চতর শিক্ষা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে কর্মজীবনে ঢুকে পড়েন।
কর্মজীবন/পেশা সাংবাদিকতা ও লেখালেখি।
সাহিত্য সাধনা কাব্যগ্রন্থ : একদা এক রাজ্যে, বৈশাখে রচিত পঙ্ক্তিমালা, অগ্নি ও জলের কবিতা; গল্প : শীত বিকেল, রক্তগোলাপ, আনন্দের মৃত্যু, জলেশ্বরীর গল্পগুলো; উপন্যাস : বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ; নাটক : পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, নূরলদীনের সারাজীবন, ঈর্ষা; শিশুতোষ রচনা : সীমান্তের সিংহাসন, অনু বড় হয়, হডসনের বন্দুক।
খেতাব ও সম্মাননা পুরস্কার : বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার।
জীবনাবসান ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ (ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।)
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ লেখক পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. সৈয়দ শামসুল হক কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯২৫ খ ১৯৩০
১৯৩৫ ঘ ১৯৪০
২. সৈয়দ শামসুল হকের ‘নূরলদীনের সারাজীবন’ কোন ধরনের রচনা?
[ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক গল্প নাটক
গ উপন্যাস ঘ কাব্য
৩. সৈয়দ শামসুল হক বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন কোন বিষয়ে অবদানের জন্য? [মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাব. ইনস্টিটিউট, ঢাকা]
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে খ বাংলা ছোট গল্প ও উপন্যাসে
গ বাংলা রূপকথা ও লোকগল্পে ঘ বাংলা সংগীত ও কাব্যে
৪. সৈয়দ শামসুল হক কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
ক ২০১২ খ ২০১৪
গ ২০১৫ ২০১৬
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫. সৈয়দ শামসুল হক রচনা করেন (অনুধাবন)
র. কবিতা
রর. গল্প
ররর. নাটক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬. সৈয়দ শামসুল হকের কাব্য (অনুধাবন)
র. একদা এক রাজ্যে
রর. অগ্নি ও জলের কবিতা
ররর. পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭. শামসুল হকের লেখা গল্প (অনুধাবন)
র. রক্তগোলাপ
রর. শীত বিকেল
ররর. আনন্দের মৃত্যু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৪২
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮. নদীর ওপাড়ে কাদের গ্রাম? (জ্ঞান)
ক লেখকের কুমোরদের গ বঙ্গবন্ধুর ঘ জয়নুলের
৯. লেখক বেশি কৌত‚হল নিয়ে কীসের কাজ দেখেছেন? (জ্ঞান)
ক বেতের কাজ পাটার কাজ
গ পালমশাইয়ের কাজ ঘ পাতিলের কাজ
১০. মাটির কাজ করা পাটা কী কাজে ব্যবহৃত হয়? (জ্ঞান)
দেয়াল সাজাবার জন্য খ খেলনার জন্য
গ আসবাবপত্র হিসেবে ঘ তৈজসপত্র হিসেবে
১১. পাটাগুলো কোথায় পোড়ানো হয়? (জ্ঞান)
ক চুলায় ভাঁটিতে গ ইটভাটায় ঘ রোদে
১২. কার মাথায় মুকুট লাগানো? (জ্ঞান)
ক পালমশাইয়ের খ লেখকের
গ রবীন্দ্রনাথের চাঁন্দ সওদাগরের
১৩. কার দাড়ির ছায়াও বাংলার সকলে চেনে? (জ্ঞান)
ক লালনের রবীন্দ্রনাথের
গ মওলানা ভাসানীর ঘ নজরুলের
১৪. ‘কতদিকে কত কারিগর’ প্রবন্ধে কার মাথায় টাক আছে? (জ্ঞান)
ক রবীন্দ্রনাথের খ লেখকের
পালমশাইয়ের ঘ কারিগরের
১৫. কার দাড়িতে সূ² আঁচড় কেটে চলেন পালমশাই? (জ্ঞান)
রবীন্দ্রনাথের খ লালনের
গ মওলানা ভাসানীর ঘ জয়নুল আবেদিনের
১৬. কুমোরদের তদারক করছিল কে? (জ্ঞান)
ক এক কিশোর খ দুজন যুবক পালমশাই ঘ এক কারিগর
১৭. পালমশাই কীসের উপর বসে কাজের তদারকি করছিলেন? (জ্ঞান)
ক সোফায় খ কাঠের চেয়ারে
গ টুলের উপরে উঁচু পিঁড়ির উপর
১৮. কোন নকশা খুব চলছে? (জ্ঞান)
ক দুর্ভিক্ষের ছবির নকশা
খ মা ও শিশুর ছবির নকশা
গরুর গাড়ির চাকা ঠেলে তোলার ছবির নকশা
ঘ বিভিন্ন ফুলের নকশা
১৯. বৃদ্ধ পালমশাই বঙ্গবন্ধুকে কোথায় স্থান দিয়েছেন? (জ্ঞান)
সবার উপরে খ সবার নিচে
গ সকলের মধ্যে ঘ সকলের পাশে
২০. ‘বঙ্গবন্ধু’ কার উপাধি? (জ্ঞান)
ক নজরুলের খ জয়নুলের
শেখ মুজিবুরের ঘ রবীন্দ্রনাথের
২১. কার চোখ দুটি ঝাপসা হয়ে এলো? (জ্ঞান)
ক পালমশাইয়ের লেখকের
গ বঙ্গবন্ধুর ঘ কারিগরদের
২২. কুমোরদের গ্রামে সারাদিন মাটির কাজ কে দেখছেন? (জ্ঞান)
ক পালমশাই খ কারিগর
লেখক ঘ বেণিবন্ধনরত যুবতি
২৩. ‘কতদিকে কত কারিগর’ প্রবন্ধে নজরুল কোথায় চোখ বুজে বাঁশি বাজাচ্ছেন? (জ্ঞান)
ক নদীর পাড়ে খ কুমোরপাড়ায়
পাটার চিত্রে ঘ ঘরের দেয়ালে
২৪. বাঁশবনে আচ্ছন্ন কুমোরদের গ্রাম কীসে ঘেরা? (জ্ঞান)
সবুজে খ অন্ধকারে গ শেওলায় ঘ পাটায়
২৫. ‘মানুষ চাকা ঠেইলা তোলে’এটা কার আঁকা ছবি? (জ্ঞান)
ক কবি নজরুলের জয়নুল আবেদিনের
গ রবীন্দ্রনাথের ঘ লালনের
২৬. ‘জ্যাঠা’ বলে কাকে সম্বোধন করা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক লেখককে পালমশাইকে
গ যুবককে ঘ জনৈক ব্যক্তিকে
২৭. ছোকরার হাত থেকে পালমশাই খপ করে কী টেনে নিয়েছিলেন? (জ্ঞান)
ক লাল রঙের মূর্তি বাঁশের চিকন কলম
গ মাটির তৈরি হাঁড়ি ঘ পোড়ানো সানকি
২৮. কুমোরদের গ্রামটি কীসে আচ্ছন্ন ছিল? (জ্ঞান)
ক ঝোঁপ-জঙ্গলে খ গোলবনে
বাঁশবনে ঘ বেতবনে
২৯. পালমশাই কাজের তদারক করছিলেন কোথায় বসে? (জ্ঞান)
ক খাটের ওপর বসে খ মাটির পাটার ওপর
উঁচু পিঁড়ির ওপর বসে ঘ গাছের ওপর বসে
৩০. পালমশাই কাকে ‘দামড়া’ বলে সম্বোধন করলেন? (জ্ঞান)
ক কারিগরদের একজন কারিগর ছোকরাকে
গ দুজন যুবককে ঘ লেখককে
৩১. লেখকের দেখা কারিগরদের মধ্যে কাদের সংখ্যা বেশি? (জ্ঞান)
কিশোরদের খ যুবকদের
গ বৃদ্ধদের ঘ পালমশাইদের
৩২. মাটির পাটার নকশা দেয়া হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
কাঠের উপর খোদাই নকশা দিয়ে খ মার্বেল পাথরের নকশা দিয়ে
গ সিমেন্টের নকশা দিয়ে ঘ বালির নকশা দিয়ে
৩৩. মাটির নকশা তৈরি হয় কী দিয়ে? (অনুধাবন)
ক বালি দিয়ে কাদার তাল দিয়ে
গ কাঠ দিয়ে ঘ বেত দিয়ে
৩৪. ‘ব্যাটার খ্যাল নাই’ উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
কারিগরের অসচেতনতা খ কারিগরের অপটুতা
গ কারিগরের নিপুণতা ঘ কারিগরের হেঁয়ালিপনা
৩৫. ‘খালি ছায়া দিয়াই বুঝান যায়’Ñ কীসের ছায়া দিয়ে বোঝান যায়? (জ্ঞান)
ক রবীন্দ্রনাথের ছায়া রবীন্দ্রনাথের দাড়ির ছায়া
গ লালন ফকিরের ছায়া ঘ মওলানা ভাসানীর ছায়া
৩৬. ‘আজকাল এগুলোর বিক্রি ভালো’কোনগুলোর বিক্রি ভালো? (অনুধাবন)
ক মাটির হাঁড়ির মাটির পাটার বা ফলকের নকশা
গ স্বর্ণালঙ্কারের ঘ পাটের তৈরি বিভিন্ন জিনিস
৩৭. “কাঠের ছাঁচে সব টানটোন, ছোপছাপ ঠিক ওঠে না”- কেন? (অনুধাবন)
সূ² কাজ বলে খ কারিগররা অদক্ষ বলে
গ পালমশাই করেন না বলে ঘ কারিগররা অমনোযোগী বলে
৩৮. জয়নুলের আঁকা ছবির কথা শুনে পালমশাই নিরাসক্ত ছিলেন কেন? (অনুধাবন)
জয়নুলকে চেনেন না বলে খ জয়নুলের নাম শোনেননি বলে
গ জয়নুলের প্রতি তাচ্ছিল্য থেকে ঘ জয়নুলকে দেখেননি বলে
৩৯. ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার পালমশাই (অনুধাবন)
ক তাঁতি কুমোর গ কামার ঘ জেলে
৪০. ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনাটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্র কোনটি? (অনুধাবন)
ক লেখক খ বঙ্গবন্ধু গ রবীন্দ্রনাথ পালমশাই
৪১. পালমশাইয়ের শিল্পপণ্যের কারুকাজের মাঝে প্রকাশিত হয় কোন বিষয়টি? (উচ্চতর দক্ষতা)
দক্ষতা খ পরিশ্রম গ সাধনা ঘ ঐতিহ্য
৪২. ‘সানকি’ কীসের তৈরি? (জ্ঞান)
ক পিতলের মাটির গ বাঁশের ঘ বেতের
৪৩. ‘ফটোগ্রাফ’ কী? (জ্ঞান)
ছবি খ গ্রাফ গ বাঁশি ঘ ফটোকপি
৪৪. মাটির পাটাগুলোর সর্বশেষ কাজ কী? (অনুধাবন)
ক কাঠে নকশা তোলা খ কলমে সংশোধন করা
গ রোদে রাখা ভাঁটিতে পোড়ানো
৪৫. ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনায় কার নাম প্রথমে এসেছে? (জ্ঞান)
রবীন্দ্রনাথ খ নজরুল
গ মওলানা ভাসানী ঘ জয়নুল আবেদিন
৪৬. ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনায় কত জন কবির কথা উলেখ আছে? (জ্ঞান)
২ জন খ ৩ জন গ ৪ জন ঘ ৫ জন
৪৭. পালমশাইয়ের ‘উঁহুহু’ শব্দটি কোন ভাবের বহিঃপ্রকাশ? (জ্ঞান)
ক রাগের খ ভয়ের উদ্বেগের ঘ মনোযোগের
৪৮. ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনায় পালমশাইয়ের কয় পুরুষের প্রসঙ্গ এসেছে? (জ্ঞান)
ক এক পুরুষ দুই পুরুষ গ তিন পুরুষ ঘ চার পুরুষ
৪৯. লালন ফকির বিখ্যাত কেন? (অনুধাবন)
বাউল সম্রাট বলে খ বিখ্যাত গীতিকার বলে
গ সুফিতত্তে¡র পুরোধা বলে ঘ বিখ্যাত কবি বলে
৫০. রবীন্দ্রনাথের দাঁড়ি কীরূপ? (অনুধাবন)
ক কালো ঢেউ খেলানো গ সোজা ঘ খাটো
৫১. পালমশাইয়ের কবি, সাহিত্যিকদের নিয়ে কাজ করার মাঝে কী ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
সুপ্রাচীনকাল থেকে বাংলার লোকশিল্পের চর্চা
খ সুপ্রাচীনকাল থেকে বাংলার কারুশিল্পের চর্চা
গ সুপ্রাচীনকাল থেকে বাংলার চিত্রশিল্পের চর্চা
ঘ সুপ্রাচীনকাল থেকে বাংলার লোকগীতির চর্চা
৫২. “বরুণ তার কর্মশালায় ছাত্রদের বিভিন্ন দোষত্রæটি দেখিয়ে দিচ্ছেন।” বরুণের কর্মকাণ্ডের সাথে ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার কোন চরিত্রের কর্মকাণ্ডের সাদৃশ্য আছে? (প্রয়োগ)
ক লেখক পালমশাই
গ কারিগর ঘ কারিগর ছোকরা
৫৩. কুমোরদের নিখুঁত কাজকর্মে প্রকাশ পেয়েছে কোন বিষয়টি? (অনুধাবন)
তাদের অসাধারণ শিল্পীমন খ তাদের কাজের ধরন
গ তাদের কাজের প্রতিভা ঘ তাদের জীবনযাত্রা
৫৪. পালমশাইয়ের তৈজসপত্র ছেড়ে মূর্তি বানানোর কারণ কী? (অনুধাবন)
সময়ের সঙ্গে চাহিদার পরিবর্তন খ মূর্তি দেখতে ভালো হয়
গ পূর্ব কাজের কদর কমে যাওয়া ঘ পূর্ব কাজে আগ্রহী না হওয়া
৫৫. পাল মশাইয়ের বিভিন্ন শিল্পীদের অবয়র তৈরির ক্ষেত্রে কোন চেতনার প্রকাশ ঘটেছে? (অনুধাবন)
ক নতুন কাজে আগ্রহ খ নতুন বিষয় বেছে নেয়া
গ নতুন কারিগরের আগমন চাহিদার পরিবর্তন
৫৬. রবীন্দ্রনাথের অবয়ব কুমোররা কেন বেশি তৈরি করে? (অনুধাবন)
ক দায়িত্ববোধ থেকে খ লোকশিল্পের খাতিরে
গ শ্রদ্ধাবোধ থেকে ভালো বিক্রি হয় বলে
৫৭. পালমশাইয়ের অবিশ্বাস্য দক্ষতায় নকশা আঁকার কারণ কী? (অনুধাবন)
ক নিজের ব্যবসা বলে খ কাজে আন্তরিক বলে
কাজে দক্ষ বলে ঘ অর্থের জন্য
৫৮. পালমশাইকে ‘জ্যাঠা’ বলে ডাকার পর সবাই মাথা নিচু করে বসে ছিল কেন? (অনুধাবন)
ক জ্যাঠা বলে ডাকার কারণে
রবীন্দ্রনাথের দাড়ি তৈরির কাজ না পারার কারণে
গ পালমশাই বিরক্ত বলে
ঘ রবীন্দ্রনাথকে লালন বানানোর কারণে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৯. কুমোরদের গ্রামটি (অনুধাবন)
র. শীতল রর. ঝিম ধরা ররর. লোকশূন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬০. পালমশাইয়ের বাবা পেশায় ছিলেনÑ (অনুধাবন)
র. আর্টিস্ট রর. কুমোর ররর. কামার
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬১. নিচের যে মূর্তিটি পালমশাই সংশোধন করেন
[সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর]
র. রবীন্দ্রনাথের রর. চান্দ সওদাগরের
ররর. নজরুলের
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬২ ও ৬৩নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সোনিয়া বাবা-মায়ের সঙ্গে গ্রামে খালার বাড়িতে বেড়াতে যায়। খালার ঘরের দেয়ালে টাঙানো শিল্পকর্ম সোনিয়াকে মুগ্ধ করে। দেয়ালে ঝোলানো নানারকম জিনিসের মধ্যে সে মাটির তৈরি একটি মানুষের প্রতিকৃতি তার খুব বেশি পছন্দ হয়।
৬২. সোনিয়ার মধ্যে ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার কোন ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
লোকশিল্পের প্রতি আকর্ষণ খ লোকশিল্পের প্রতি সম্মান প্রদর্শন
গ ঘর সাজানোর আকাক্সক্ষা ঘ লোকশিল্প সম্পর্কে কৌত‚হল
৬৩. সোনিয়ার সাথে ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার কোন চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক পালমশাইয়ের লেখকের
গ কারিগরের ঘ জনৈক ছোকরার
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৪ ও ৬৫নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে শফিকদের স্কুলে ‘বঙ্গবন্ধুর গল্প শোন’ নামক একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শফিক সকালবেলা স্কুলে গিয়ে সকল বন্ধুদের সাথে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তারপর স্কুলের শিক্ষকরা একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর বাল্য জীবনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। শফিক বিস্মিত ও মুগ্ধ হয়।
৬৪. অনুচ্ছেদের শফিক ও পাল মশাইয়ের মাঝে কোন বিষয়ের মিল খুঁজে পাওয়া যায়? (প্রয়োগ)
ক নিষ্ঠাবোধ খ দায়িত্ববোধ শ্রদ্ধাবোধ ঘ জ্ঞানবোধ
৬৫. শফিক মুগ্ধ ও বিস্মিত হয় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি দেখে রর. বঙ্গবন্ধুর অবদান বিষয়ে অবগত হয়ে
ররর. বঙ্গবন্ধু বাল্য জীবন সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৪৪
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৬. ‘ভাঁটি’ শব্দটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? (জ্ঞান)
ক উজানের বিপরীত মৃৎপাত্র পোড়ানোর চুল্লি
গ বেঁটে লোক ঘ লম্বা মানুষ
৬৭. ‘কুমোর’ কাদের বলা হয়? (অনুধাবন)
ক মাটি দিয়ে ঘর তৈরি করে যারা
খ যারা কাঠ দিয়ে বাড়িঘর তৈরি করে
গ যারা লোহার কাজ করেন
যারা মাটি দিয়ে জিনিসপত্র তৈরি করে
৬৮. ‘পালমশাই’ শব্দের মধ্যকার ‘পাল’ শব্দটি কাদের উপাধি? (জ্ঞান)
ক বাংলার গায়কদের খ বাংলার চিত্রশিল্পীদের
বাংলার মৃৎশিল্পীদের ঘ বিশেষ বংশধর
৬৯. ‘দামড়া’ শব্দটি ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনায় কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? (জ্ঞান)
ক গরু খ অপরিপক্ব গ ভেড়া অপটু
৭০. ‘শ্যেন চোখ’ কথাটি দ্বারা বোঝানো হয়েছেÑ (অনুধাবন)
তীক্ষè নজর খ শূন্য চোখ
গ বিস্ময়ভরা ঘ সূ² চোখ
৭১. ‘সন্দিগ্ধ চোখে’ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক বড় বড় চোখে খ বিস্মিত চোখে
গ করুণ চোখে সন্দেহের চোখে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭২. মওলানা ভাসানী ছিলেন- (অনুধাবন)
র. রাজনীতিবিদ
রর. কৃষক নেতা
ররর. সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৭৩. ‘আর্টের কাম’ শব্দটি দ্বারা বোঝায়- (অনুধাবন)
র. কারু ও চারুকলার কাজ
রর. ছবি আঁকার কাজ
ররর. লোকশিল্প তৈরির কাজ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৭৪. ‘আর্টিস্ট’ বলতে বোঝায়- (অনুধাবন)
র. শিল্পী রর. চিত্রশিল্পী ররর. কারুশিল্পী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৪৫
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৫. কখন থেকে এদেশের গ্রামে গ্রামে লোকশিল্পের চর্চা হয়ে এসেছে?
[মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাব. ইনস্টিটিউট, ঢাকা]
প্রাচীনকাল থেকে খ মধ্যযুগ থেকে
গ আদিম কাল থেকে ঘ আধুনিককাল থেকে
৭৬. বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন কীসে সমৃদ্ধ? (জ্ঞান)
ক গোলাভরা ধান ও পুকুর ভরা মাছে
খ কামার-কুমোর জেলেদের সহজ-সরল জীবনে
গ আউলবাউল, জারি-সারি গানে
লোকশিল্প ও লোকসংস্কৃতিতে
৭৭. বাংলাদেশের লোকশিল্পের মধ্যে কোনটি সমধিক পরিচিত ও প্রসিদ্ধ? (জ্ঞান)
ক কাষ্ঠ শিল্প খ কুটির শিল্প গ পাট শিল্প মৃৎশিল্প
৭৮. ‘কতদিকে কত কারিগর’ শীর্ষক রচনায় কোন বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে? (জ্ঞান)
কুমোরদের শিল্পকর্মের পরিচয় খ কবিগণের কৃতিত্ব
গ গ্রামীণ শিল্পীদের কৃতিত্ব ঘ পালমশাইয়ের দক্ষতা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৯. ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার মূলভাব হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরা
রর. লোক-সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরা
ররর. কামার পেশা তুলে ধরা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮০. বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন সমৃদ্ধ (অনুধাবন)
র. লোকশিল্পে
রর. লোক সংস্কৃতিতে
ররর. শহরে সংস্কৃতিতে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর গ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮১. লেখক গ্রামীণ কুমোর শিল্পীদের যে পরিচয় তুলে ধরেছেনÑ (অনুধাবন)
র. নিষ্ঠা
রর. সততা
ররর. দক্ষতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮২. ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পাবে
[মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাব. ইনস্টিটিউট, ঢাকা]
র. বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য
রর. বাংলার লোকসংস্কৃতি
ররর. বাংলার চারুশিল্প
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
মিসেস মৌসুমি সূচিকর্মে বেশ নিপুণ। রঙিন সুতা দিয়ে তিনি কাপড়ে সুন্দর সুন্দর জিনিস আর্ট করেন। ফুলের নকশা করা কাপড় দিয়ে তিনি বালিশের কভার বানিয়েছেন। সুন্দর লেখা সমৃদ্ধ কাপড় দিয়ে টিভি ঢাকার পর্দা বানিয়েছেন। রুমালেও নকশা আঁকতে পটু তিনি। শহিদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি আঁকা কাপড় বাঁধাই করে দেয়ালে টাঙিয়েছেন। তিনি বলেন সম্মানের জিনিসকে তো উপরেই রাখতে হয়। মিসেস মৌসুমির হাতের নিপুণ কাজের প্রশংসা সবাই করেন।
ক. লেখক সারাদিন কোথায় সময় কাটিয়েছেন? ১
খ. লেখক বেশি কৌত‚হল নিয়ে মাটির পাটার কাজ দেখেছেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের সূচিকর্মের সঙ্গে মৃৎশিল্পের সাদৃশ্য তুলে ধর। ৩
ঘ.“কতদিকে কত কারিগর’ রচনার পালমশাইয়ের শ্রদ্ধারই প্রকাশ ঘটেছে উদ্দীপকের মৌসুমির মধ্যে” মতটির পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক লেখক নদীর ওপাড়ে কুমোরদের গ্রামে সারাদিন সময় কাটিয়েছেন।
খ বিখ্যাত ব্যক্তিদের প্রতিকৃতি এবং তাদের শিল্পকর্মের চিত্র মাটির পাটায় কাজ করা বলে লেখক বেশি কৌত‚হল নিয়ে মাটির পাটার কাজ দেখেছেন।
মাটির পাটাগুলোতে কুমোররা বিভিন্ন শিল্পকর্মের চিত্রের হুবহু নকল করে নকশা করছেন। সেখানে ফুলের নকশা, রবীন্দ্রনাথ, লালন, বেণিবন্ধনরত যুবতি, উড়ন্ত পরি, ময়ূরপঙ্খি নৌকা প্রভৃতির চিত্র আছে। নজরুলের চোখ বুজে বাঁশি বাজানোর চিত্র, জয়নুলের আঁকা গাড়ির চাকা ঠেলার চিত্র মাটির পাটার নকশায় ফুটে উঠেছে। বিখ্যাত এসব ব্যক্তির চিত্র, তাদের আঁকা চিত্রের নকশা প্রভৃতি লেখককে মুগ্ধ করেছে। তাই লেখক মাটির পাটার কাজ বেশি কৌত‚হল নিয়ে দেখেছেন।
গ উদ্দীপকের সূচিকর্মের সাথে মৃত শিল্পের বিষয়গত সাদৃশ্য রয়েছে।
কতদিকে কত কারিগর, রচনায় কুমোরদের তৈরি মৃৎশিল্প লোকশিল্পের অন্যতম উপাদান তুলে ধরেছেন। তাদের আঁকা মাটির পাটায় ফুলের নকশা, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের চিত্র, জয়নুলের আঁকা চিত্র, বেণিবন্ধনরত যুবতীর চিত্র, উড়ন্ত পরি, ময়ূরপঙ্খি প্রভৃতি লোকশিল্প ও লোকসংস্কৃতির অংশ। উদ্দীপকেও আমরা দেখি, লোকশিল্পের অন্যতম উৎস সূচিকর্মের কাজ। মিসেস মৌসুমি রঙিন সুতা দিয়ে কাপড়ে সুন্দর আর্টের কাজ করছেন। বালিশের কভারে তিনি ফুলের নকশা করেছেন, টিভির পর্দায় সুন্দর লেখা সমৃদ্ধ কাপড় দিয়ে আচ্ছাদিত করেছেন। মূলত এসব লোকশিল্পের অন্যতম উদাহরণ। আলোচ্য রচনায় আমরা যেমন বিভিন্ন ব্যক্তির প্রতিকৃতির চিত্র দেখি তেমনি শহিদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধের চিত্র অঙ্কন দেখি।
উদ্দীপকে মূলত লোকশিল্প ও লোকসংস্কৃতির উপাদানকেই তুলে ধরা হয়েছে। যার ফলে আমরা বলতে পারি, সূচিকর্ম ও মৃৎশিল্প উভয়ের মধ্যে সাদৃশ্য বর্তমান।
ঘ “কতদিকে কত কারিগর’ রচনার পালমশাইয়ের শ্রদ্ধারই প্রকাশ ঘটেছে উদ্দীপকের মৌসুমির মধ্যে” মন্তব্যটি যথার্থ।
পালমশাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিত্রকে সবার উপর স্থান দিয়েছেন। তার বক্তব্য বঙ্গবন্ধুর ছবি তো নিচে বা মধ্যে রাখা যায় না। তাকে উপরেই স্থান দিতে হবে। জাতির মুক্তির জন্য যে ব্যক্তি সারাটা জীবন ব্যয় করেছেন, দেশের স্বাধীনতা অর্জনে যার ভ‚মিকা অদ্বিতীয়, সেই মহান নেতাকে সম্মান জানাতে গিয়ে পালমশাইয়ের মতো একজন কুমোরও তাঁকে তার হৃদয়ে যেমন উচ্চাসন দিয়েছেন, তেমনি তাঁর ছবি সবার ছবির উপরে স্থান করে দিয়েছেন।
উদ্দীপকেও আমরা দেখি, মিসেস মৌসুমি অন্যান্য সূচিকর্মকে ঘরের বিভিন্ন কাজে লাগালেও শহিদ মিনার ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের চিত্রকে দেয়ালে বাঁধাই করে টাঙিয়ে রেখেছেন। তিনি সম্মানের জিনিস উপরেই রাখতে চান, যেমনটি পালমশাই চেয়েছেন।
তাই আলোচনার প্রেক্ষিতে উদ্দীপকের মৌসুমি এবং আলোচ্য রচনার পালমশাই সম্মান প্রদর্শনের জায়গা থেকে একই ভ‚মিকায় অবতীর্ণ।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ
কামাল তার বাবার সঙ্গে বৈশাখী মেলা দেখতে গেল। মেলায় গিয়ে কামাল অনেক খেলনা কিনল। বাঁশের বাঁশি, নকশা করা হাতপাখা, মাটির তৈরি ব্যাংক, ঘোড়া, হাতি প্রভৃতি কেনার পর কামালের বাবা বলল, ‘গ্রামবাংলার ঐতিহ্য এসব লোকশিল্পের মাঝেই, অথচ নতুন প্রজন্ম আজ গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ভুলতে বসেছে।’
ক. গরুর গাড়ির চাকা ঠেলা ছবিটি কার আঁকা? ১
খ. জয়নুল আবেদিনের আর্ট সম্পর্কে পালমশাইয়ের কোনো ধারণা নেই কেন? ২
গ. উদ্দীপকের ও রচনায় বর্ণিত লোকশিল্পের উপাদানগুলোর সাদৃশ্য নির্ণয় কর। ৩
ঘ. ‘গ্রামবাংলার ঐতিহ্য এসব লোকশিল্পের মধ্যেই বিদ্যমান’ উক্তিটি রচনার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক গরুর গাড়ির চাকা ঠেলা ছবিটি জয়নুল আবেদিনের আঁকা।
খ পালমশাই ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে লোকশিল্প তৈরি করেন বলে জয়নুল আবেদিনের আর্ট সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই।
মৃৎশিল্প তৈরি করেই পালমশাই জীবিকা নির্বাহ করেন। এটাই তার পেশা। তাই কুমোর পালমশাই মৃৎশিল্প তৈরি করেন ব্যবসার উদ্দেশ্যে, কোনটা কার চিত্র এ খবর রাখার প্রয়োজনবোধ করেন না তিনি। পালমশাইয়ের মতে, ‘কতদিকে কত কারিগর’ আছে কার খবর কে রাখে। কে কোন জিনিস আর্ট করল, কে বড় শিল্পী তা মনে রাখে কয়জন।
গ উদ্দীপকের মাটির তৈরি লোকশিল্পের সাথে ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার মাটির তৈরি লোকশিল্পের উপাদানগুলোর সাদৃশ্য রয়েছে।
‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনায় বর্ণিত হাঁড়ি, পাতিল, সরা, সানকি, বিখ্যাত ব্যক্তিদের চিত্র, নকশা প্রভৃতি যেমন লোকশিল্পের নিদর্শন তেমনি উদ্দীপকের হাতি, ঘোড়া, বাঁশের বাঁশি, হাতপাখা প্রভৃতিও লোকশিল্পের নিদর্শন।
উদ্দীপকেও আমরা দেখি, লোকশিল্পের অন্যতম উপাদান বাঁশের বাঁশি, নকশা করা হাতপাখা প্রভৃতি। খেলার জন্য হাতি, ঘোড়া কিংবা টাকা জমানোর জন্য মাটির ব্যাংক এসব মূলত লোকশিল্পের অন্যতম উপাদান। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের ও আলোচ্য রচনায় বর্ণিত লোকশিল্পের উপাদানগুলো সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ “গ্রামবাংলার ঐতিহ্য এসব লোকশিল্পের মধ্যেই বিদ্যমান।” উক্তিটি রচনার আলোকে যথার্থ।
গ্রামীণ জীবনের সাধারণ চিত্র লোকশিল্পের মাধ্যমে উঠে এসেছে। লোকশিল্পের বিভিন্ন উপাদানের মধ্যেই গ্রামবাংলার ঐতিহ্য বিদ্যমান। আর এ ঐতিহ্য ধরে রাখা আমাদের কর্তব্য।
‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনায় আমরা দেখি, কুমোরপাড়ার কুমোররা মাটি দিয়ে যা তৈরি করেন, তা মূলত গ্রামীণ জীবনের নানা উপাদানে সমৃদ্ধ। বর্তমান কালের কুমোরগণ শুধু তৈজসপত্রই তৈরি করেন না; তারা মাটি দিয়ে নানা নকশা তৈরি করেন বিখ্যাত ব্যক্তিদের প্রতিচ্ছবি, যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জয়নুল আবেদিন, কাজী নজরুল ইসলাম। তাদের আঁকা চিত্র মাটির পাটায় ফুটিয়ে তোলেন। এসব মূলত লোকশিল্পের অপরিহার্য অঙ্গ। উদ্দীপকেও আমরা দেখি, কামাল তার বাবার সঙ্গে বৈশাখী মেলাতে গিয়ে নানা জিনিস কিনেছে। বাঁশের বাঁশি, নকশা করা হাতপাখা, মাটির তৈরি ব্যাংক, হাতি, ঘোড়া প্রভৃতি মূলত গ্রামবাংলার ঐতিহ্য তথা লোকশিল্পের অপরিহার্য উপাদান।
তাই তো কামালের বাবা বলেছেন এসব জিনিসের মধ্যেই গ্রামবাংলার ঐতিহ্য বিদ্যমান।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনাটি কে লিখেছেন? ১
খ. বর্তমান সময়ের কুমোরদের শিল্পকর্মের বর্ণনা দাও। ২
গ. উদ্দীপকের চিত্রের সঙ্গে ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনাটির সাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ.উদ্দীপকে ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার মূল বিষয় উঠে এসেছে মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪
ক ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনাটি সৈয়দ শামসুল হক লিখেছেন।
খ বর্তমান সময়ে কুমোরগণ শুধু মাটির তৈজসপত্রই তৈরি করেন না, তারা এখন বিখ্যাত ব্যক্তিদের প্রতিকৃতি, নানা রকম ছবির নকশা পাটায় অঙ্কন করেন।
বর্তমান সময়ের শিল্পীগণ মাটির তৈরি নানা রকম শিল্পকর্ম নিয়ে ব্যস্ত। তারা মাটির পাটায় ফুলের নকশা, নানা রকম ছবি, নানা জিনিসের প্রতিকৃতি অঙ্কন করেন। তাদের বহুমুখী কাজের মধ্যে চিত্রের পাশাপাশি নকশারও কাজ থাকে। বিখ্যাত ব্যক্তিদের প্রতিকৃতি অঙ্কন, তাদের আঁকা চিত্রের অঙ্কন বর্তমান সময়ের কুমোরদের শিল্পকর্মের অন্যতম উপাদান।
গ উদ্দীপকের চিত্রে ও ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনায় কুমোরদের তৈরি মাটির শিল্পকর্মের সাদৃশ্য রয়েছে।
‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনায় কুমোররা মাটি দিয়ে হাঁড়ি, পাতিল, সরা, সানকি ইত্যাদি তৈরি করছে। এছাড়া মাটির ফলকে ফুলের নকশা, রবীন্দ্রনাথ, উড়ন্ত পরি, নজরুল, জয়নুল আবেদিন ও ময়ূরপঙ্খি নৌকাসহ বিভিন্ন ছবি আঁকছে।
উদ্দীপকের চিত্রেও এ বিষয়টির সুস্পষ্ট প্রতিফলন ঘটেছে। উদ্দীপকে দেখা যাচ্ছে, এক কুমোর চাকায় মাটির তাল লাগিয়ে টিপে টিপে হাঁড়ি, পাতিল, কলসিসহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করছে। কুমোরকে সহযোগিতা করছে অন্য এক যুবক। সুতরাং আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, উদ্দীপক ও ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার সাদৃশ্য হচ্ছে কুমোরদের তৈরি শিল্পকর্মের পরিচয় তুলে ধরা।
ঘ “উদ্দীপকে ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার মূল বিষয় উঠে এসেছে” মন্তব্যটি যথার্থ।
‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার মূল বিষয় হলো বাংলাদেশের লোকশিল্পের পরিচয় তুলে ধরা। এতে কুমোররা মাটি দিয়ে হাঁড়ি, পাতিল, সরা, সানকি প্রভৃতি তৈরি করছে। এছাড়া মাটির ফলকে মহান সব ব্যক্তির ছবিও রয়েছে। মাটির তৈরি জিনিসগুলোকে ভাঁটিতে পোড়াবার জন্য এক জায়গায় জমা করা হচ্ছে। কয়েকজন কিশোর এবং দুজন যুবক কাজ করছে। বৃদ্ধ পালমশাই তাদের কাজের তদারকি করছেন, যাতে ভুল না হয় এবং কাজে ফাঁকি না দেয়। কুমোরদের এসব কাজ লোকশিল্প পরিচায়ক।
উদ্দীপকেও কুমোরপাড়ার উপর্যুক্ত বর্ণনার যথার্থ প্রতিফলন লক্ষণীয়। দেখা যাচ্ছে, এক কুমোর চাকায় মাটির তাল নিয়ে টিপে টিপে মাটির জিনিস বানাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে, হাঁড়ি, পাতিল, কলসিসহ বিভিন্ন জিনিস। কুমোরকে কাজে সহযোগিতা করছে অন্য এক যুবক। মাটির তৈরি জিনিসগুলোকে ভাঁটিতে পোড়ানোর জন্য রোদে শুকানো হচ্ছে।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকে কুমোরপাড়ার যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা যেন ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার মূল বিষয়কে ধারণ করেছে।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
জীবন চৌধুরী একজন কম্পিউটার প্রশিক্ষক। তিনি বেশ কয়েকটি ব্যাচে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেন। এ কাজটি তিনি অত্যন্ত দরদ ও দক্ষতার সাথে করে থাকেন। একটা ছেলেকে বারবার শিখিয়ে দেওয়া সত্তে¡ও সে যখন কিছুই পারছিল না তখন তিনি বলেন, আরে বোকা! এটা কী এমন কঠিন কাজ যে এখনো শিখলে না। মনে রেখো ভবিষ্যতে কম্পিউটারই বিশ্ব শাসন করবে।
ক. ‘সানকি’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. পাল মশাইয়ের দৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় কীভাবে উঠে এসেছে? ২
গ. উদ্দীপকের জীবন চৌধুরীর সঙ্গে ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার কার সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের শেষোক্ত মন্তব্যটি ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনায় লোকশিল্পের ক্ষেত্রে কতটুকু প্রযোজ্য? তোমার মতামত দাও। ৪
ক মাটির তৈরি ছোট থালাকে সানকি বলা হয়।
খ পালমশাইয়ের দৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথ বাঙালির হৃদয় জুড়ে আছে, যাঁর ছায়া দেখলেই চেনা যায়।
‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার লেখক কুমোরপাড়ার পালমশাই এর মাটির পাটার কাজ পরিদর্শন করেন। সেখানে রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিও ছিল। রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে পালমশাই লেখককে জানান যে, রবীন্দ্রনাথের দাড়ি দেখেই সবাই তাঁকে চিনতে পারে। প্রতিকৃতি নির্মাণে তাঁর দাড়িও যেন যথাযথ হয়, তাই তাঁকে খেয়াল রাখতে হয় এ বিষয়ে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কুমোর সর্দার পালমশাইয়ের দৃষ্টিতে এভাবেই উচ্চ আসন লাভ করেছেন।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ উদ্দীপকের জীবন চৌধুরীর সাথে পাঠ্যপুস্তকের পাল মশাইয়ের চরিত্রের সাদৃশ্য তুলে ধরতে হবে।
ঘ কম্পিউটার ও লোকশিল্পের প্রায়োগিক দিক সম্পর্কে গঠনমূলক আলোচনা করতে হবে।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ কুমোরদের কারিগরি দক্ষতা
এদেশে মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল বানায় কুমোররা। চাকায় মাটির দলা লাগিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নানাসব মাটির জিনিস গড়ে। তারপর তুলি দিয়ে তার গায়ে এঁকে দেয় ফুল, পাতা, হাতি, ঘোড়া আরো কত রঙের ছবি। কুমোররা না থাকলে ওইসব মাটির জিনিস আজ আর পাওয়া যেত না। এজন্য কুমোরের কারিগরি দক্ষতা প্রশংসনীয়।
ক. কারিগররা সবার উপরে স্থান দেয় কাকে? ১
খ. পাল মশাইয়ের কাজের মধ্যে কীভাবে বাংলা লোকসাহিত্যের বিষয় স্থান পেয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকে তোমার পঠিত কোন রচনার বিষয় উঠে এসেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. কুমোরদের কারিগরি দক্ষতা প্রশংসনীয় উদ্দীপক ও ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক কারিগররা সবার উপরে স্থান দেয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানকে।
খ মাটির পাটায় বাংলার লোককাহিনির নায়ক চান্দ সওদাগরের প্রতিকৃতি নির্মাণ করেছেন পালমশাই।
পূর্বের দিন আর এখন নেই। এখন কুমোররা মাটির তৈজসপত্রই শুধু বানায় না, পাশাপাশি ইতিহাস-ঐতিহ্যের নানা বিষয় ঠাঁই দেয় তাদের কাজে। মাটির পাটায় বিভিন্ন মহৎ ব্যক্তির প্রতিকৃতি নির্মাণ করেন। এভাবে বাংলা লোকসাহিত্যের নায়ক চান্দ সওদাগরের প্রতিকৃতিও তাঁরা নির্মাণ করেন। তাই চিরজীবী এসব লোকসাহিত্যের বিষয় নির্বাচন করে কুমোররা তাদের কাজের চাহিদা বাড়ায়।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ উদ্দীপকের কুমোরদের কর্মের সাথে ‘কতদিকে কত কারিগর’ গল্পের সাদৃশ্যপূর্ণ আলোচনা করতে হবে।
ঘ লোকশিল্পের ঐতিহ্য রক্ষায় কারিগরদের দক্ষতার বিষয়টি উদ্দীপক ও ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ করতে হবে।
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
ক. কোথায় অবিশ্বাস্য ঝিমধরা নীরবতা বিরাজ করে? ১
খ. মাটির পাটার কাজ ভালো বিক্রি হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের দুজন ব্যক্তি প্রসঙ্গ তোমার পাঠ্য কোন রচনায় বর্ণিত হয়েছে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. শেখ মুজিবের ছবি সবার উপরে স্থান দেয়ার কারণ উক্ত রচনার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক কুমোরপাড়ায় অবিশ্বাস্য ঝিমধরা নীরবতা বিরাজ করে।
খ সহজলভ্য হওয়ায় মাটির পাটার কাজ ভালো বিক্রি হয়।
কুমোররা হাঁড়ি, পাতিল, সরা, শানকি তৈরি করার পাশাপাশি করে মাটির পাটার কাজ। এসব কাজে ফুটে ওঠে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গ। মহৎ ব্যক্তিদের প্রতিকৃতি তৈরিও হয় অনেক সময়। তবে এ কাজগুলো দামে খুবই সস্তা। এ কারণে মানুষ সস্তায় ঘর সাজাবার জন্য এগুলো ক্রয় করে। এ কাজের চাহিদা থাকায় বিক্রিও তাই ভালো হয়।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘কতদিকে কত কারিগর’ রচনায় বঙ্গবন্ধু ও লালন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সে বিষয়টি তুলে ধরতে হবে।
ঘ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির জনক হওয়ায় তাঁর ছবি উপরে রাখা হয়েছে সে বিষয়টি আলোচনার মধ্যে দিয়ে তুলে ধরতে হবে
।
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ বেশি কৌত‚হল নিয়ে লেখক কীসের কাজ দেখেছেন?
উত্তর : বেশি কৌত‚হল নিয়ে লেখক পাটার কাজ দেখেছেন।
প্রশ্ন \ ২ \ কাঠের ওপর কী খোদাই করা আছে?
উত্তর : কাঠের ওপর খোদাই করা নকশা আছে।
প্রশ্ন \ ৩ \ কুমোররা কী টিপে টিপে পাখা তৈরি করছে?
উত্তর : কুমোররা কাদার তাল টিপে টিপে পাখা তৈরি করছে।
প্রশ্ন \ ৪ \ কুমোরদের কাজ তদারকি করছেন কে?
উত্তর : কুমোরদের কাজ তদারকি করছেন বৃদ্ধ পালমশাই।
প্রশ্ন \ ৫ \ ‘সানকি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : সানকি শব্দের অর্থ মাটির তৈরি ছোট থালা।
প্রশ্ন \ ৬ \ কারা হাঁড়ি, পাতিল, সানকি তৈরি করছে?
উত্তর : কুমোররা হাঁড়ি, পাতিল, সানকি তৈরি করছে।
প্রশ্ন \ ৭ \ আজকাল কীসের বিক্রি ভালো?
উত্তর : আজকাল মাটির পাটার বিক্রি ভালো।
প্রশ্ন \ ৮ \ ময়ূরপঙ্খি নৌকায় বসা মূর্তিটা কী ধরনের?
উত্তর : ময়ূরপঙ্খি নৌকায় বসা মূর্তিটি মহারাজ ধরনের।
প্রশ্ন \ ৯ \ খালি কী দিয়ে রবীন্দ্রনাথকে বোঝানো যায়?
উত্তর : খালি ছায়া দিয়েই রবীন্দ্রনাথকে বোঝানো যায়।
প্রশ্ন \ ১০ \ পালমশাইয়ের বাবা কী ছিলেন?
উত্তর : পালমশাইয়ের বাবা বড় আর্টিস্ট ছিলেন।
প্রশ্ন \ ১১ \ কাকে মধ্যে বা নিচে রাখা যায় না?
উত্তর : বঙ্গবন্ধুকে মধ্যে বা নিচে রাখা যায় না।
প্রশ্ন \ ১২ \ পালমশায় বঙ্গবন্ধুকে কোথায় স্থান দিয়েছেন?
উত্তর : পালমশায় বঙ্গবন্ধুকে সবার উপরে স্থান দিয়েছেন।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ‘বেণী’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘বেণী’ শব্দের অর্থ বিনুনি করা চুল।
প্রশ্ন \ ১৪ \ ময়ূরের মতো নৌকাকে কী বলে?
উত্তর : ময়ূরের মতো নৌকাকে ময়ূরপঙ্খি নৌকা বলে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ ‘যা বিশ্বাস করা যায় না’-এর এককথায় প্রকাশ কী?
উত্তর : ‘যা বিশ্বাস করা যায় না’-এর এককথায় প্রকাশ অবিশ্বাস্য।
প্রশ্ন \ ১৬ \ ‘দামড়া’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘দামড়া’ শব্দের অর্থ ষাঁড়।
প্রশ্ন \ ১৭ \ ‘সূ²’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘সূ²’ শব্দের অর্থ মিহি।
প্রশ্ন \ ১৮ \ গরুর গাড়ির তোলার ছবিটি কার আঁকা?
উত্তর : গরুর গাড়ির তোলার ছবিটি জয়নুল আবেদিনের আঁকা।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ “সার দিয়ে সাজানো রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জয়নুল।”Ñ বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : ‘সার দিয়ে সাজানো রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জয়নুল’Ñবলতে লেখক কুমোরদের তৈরি মাটির পাটার কথা বুঝিয়েছেন।
কুমোররা নানা রকম মাটির পাটা তৈরি করে। সেই মাটির পাটায় আঁকা থাকে ফুলের নকশা, রবীন্দ্রনাথ, বেণীবন্ধনরত যুবতির চিত্র, জয়নুলের আঁকা গরুর গাড়ির চাকা ঠেলে তোলার প্রতিলিপি, উড়ন্ত পরি, ময়ূরপঙ্খি নৌকার চিত্র, চোখ বুজে নজরুল যে বাঁশি বাজাচ্ছেন সেই চিত্র। লেখক কুমোরদের এ কাজকে বোঝানোর জন্য আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
প্রশ্ন \ ২ \ পালমশাই কেন কারিগর ছেলেটির হাত থেকে বাঁশের চিকন কলমটা খপ করে টেনে নিলেন?
উত্তর : কারিগর ছেলেটির তৈরি পাটাটি ঠিক করার জন্য পালমশাই তার হাত থেকে বাঁশের চিকন কলমটি খপ করে টেনে নিলেন।
পালমশাই কারিগরদের কাজ তদারকি করছেন। কারো ভুল হলে দেখিয়ে দিচ্ছেন। একজন কারিগরের তৈরি পাটায় চান্দ সওদাগরের মুকুট ছাঁচে ওঠেনি। তাই পালমশাই ওই কারিগরের পাটাটি ঠিক করার জন্য ছেলেটির হাত থেকে বাঁশের চিকন কলমটি খপ করে টেনে নিলেন।
প্রশ্ন \ ৩ \ পালমশাই কেন বিরক্ত হয়ে ঘুরে তাকালেন?
উত্তর : কোনো একজন কারিগর পেছন থেকে ডাক দেয়ায় পালমশাই বিরক্ত হয়ে ঘুরে তাকালেন।
পালমশাই একজন কারিগরের কাজ ঠিক করে দিচ্ছেন। এ সময় আর একজন কারিগর তাকে পেছন থেকে জ্যাঠা বলে ডাক দেয়। কারণ সে রবীন্দ্রনাথের দাড়িতে ঢেউ খেলানো ঠিক করতে পারছিল না। পালমশাই তাকে অনেকবার দেখিয়ে দিয়েছেন কিন্তু তারপরও সে পারছিল না। এজন্য পালমশাই বিরক্ত হয়ে ঘুরে তাকালেন।
প্রশ্ন \ ৪ \ পালমশাই কেন শেখ মুজিবের ছবি সবার উপরে স্থান দিয়েছেন?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা থেকেই পালমশাই শেখ মুজিবের ছবি সবার উপরে স্থান দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির জনক। তাঁর ডাকে বাংলার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধে নেমেছিল এবং ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন তিনি থাকবেন প্রতিটি বাঙালির অন্তরে। তিনি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। এজন্য পালমশাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সবার উপরে স্থান দেন।
প্রশ্ন \ ৫ \ ‘আমরা যে আর্টের কাম করি, আমাগো চেনে কয়জন?’ বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : ‘আমরা যে আর্টের কাম করি, আমাগো চেনে কয়জন?’ চরণটি দ্বারা পালমশাই মনের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কারণ সমাজে তাঁর বা তাদের পরিচিতি নেই।
পালমশাই ও তার কারিগররা মৃৎশিল্পের স্রষ্টা। মাটি দিয়ে তারা বিভিন্ন দৃশ্য তৈরি করেন। অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের মূর্তি বানান। কিন্তু এই শিল্পীদের পরিচয় আমাদের সমাজে নেই। সমাজের কেউ তাদের চেনে না, কদর করে না, আলোচ্য চরণটি দ্বারা এ বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৬ \ ‘তয়, এই নকশাটা খুব চলছে’ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘তয়, এই নকশাটা খুব চলছে’ এ উক্তিটি পালমশাইয়ের। জয়নুলের আঁকা গরুর গাড়ির চাকা ঠেলে তোলার ছবিকে উদ্দেশ্য করে তিনি এ উক্তিটি করেছিলেন। গরুর গাড়ির চাকা ঠেলে তোলার দৃশ্যটি এঁকেছেন জয়নুল, যা আমাদের অতি পরিচিত একটি ছবি। কাঠের মাঝে
এই ছবির নকল ফর্মা তৈরি করে তাতে মাটি দিয়ে হুবহু একই প্রতিকৃতি তৈরি করেন পালমশায়। আর এই ছবিটা মানুষ অনেক কেনে, আলোচ্য কথাটি দ্বারা এটাই বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৭ \ লেখকের চোখ পানিতে ঝাপসা হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : পালমশায়ের সাজানো ছবির মধ্যে সবার উপরে বঙ্গবন্ধুর স্থান দেখে আনন্দে লেখকের চোখ পানিতে ঝাপসা হয়ে গেছে।
মাটির পাটা তৈরির কারখানায় অনেক মানুষের প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়। সবার ছবি দেখলেও লেখক বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখলেন না। যখন লেখক পালমশায়কে বঙ্গবন্ধুর কথা জিজ্ঞেস করল, তখন পালমশায় বলল যে, বঙ্গবন্ধুকে কারো মধ্যে বা নিচে রাখা যায় না। সবার উপরে তাঁকে স্থান দিতে হয়। এ জন্যই লেখকের চোখ পানিতে ঝাপসা হয়ে এল।
প্রশ্ন \ ৮ \ পালমশাই তার কারিগরদের ওপর তীক্ষè নজর রাখেন কেন?
উত্তর : কাজে ভুল হওয়ার আশঙ্কায় পালমশাই কারিগরদের ওপর তীক্ষè নজর রাখেন।
মাটির কাজ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করতে হয়। কারণ এ কাজে একটু ভুল হলে শিল্প নষ্ট হয়। সেটি বিক্রি না হলে পয়সা নষ্ট। তাই খুব সতর্ক থাকতে হয় কাজ করার সময়। পালমশাই কুমোরদের প্রধান। কাজে যাতে ভুল না হয় সে কারণে তিনি তীক্ষè নজর রাখেন।
দারুণ