মাদার তেরেসা
সন্জীদা খাতুন
লেখক পরিচিতি
নাম সন্জীদা খাতুন।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে। জন্মস্থান : ঢাকা।
শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক : কামরুন্নেসা গার্লস স্কুল, ঢাকা, ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দ। উচ্চ মাধ্যমিক : ইডেন কলেজ, ঢাকা, ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দ; উচ্চতর শিক্ষা : বিএ অনার্স, ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দ। এমএ (বাংলা) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দ এবং পিএইচডি, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত, ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দ।
পেশা/কর্মজীবন অধ্যাপনা : বাংলা (ঢাবি), রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী।
সাহিত্য সাধনা ‘সত্যেন্দ্র-কাব্য পরিচয়’, ‘রবীন্দ্রসংগীতের ভাবসম্পদ’, ‘ধ্বনি থেকে কবিতা’, ‘অতীত দিনের স্মৃতি’ ইত্যাদি।
পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি পুরস্কার; পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রবীন্দ্র সংগীত পুরস্কার; একুশে পদক।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী
ন্ধ লেখক পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. সন্জীদা খাতুন কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯৪৪ ১৯৩৩ গ ১৯৩৮ ঘ ১৯৪২
২. সন্জীদা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন? (জ্ঞান)
ক ইংরেজি খ ভ‚গোল বাংলা ঘ ইতিহাস
৩. কোন বিষয়ে অসামান্য অবদানের জন্য সন্জীদা খাতুন একুশে পদক পান? (জ্ঞান)
ক সাহিত্যের ক্ষেত্রে সংস্কৃতি ক্ষেত্রে
গ গবেষণার ক্ষেত্রে ঘ প্রবন্ধের ক্ষেত্রে
৪. নিচের কোনটি সন্জীদা খাতুনের রচিত গ্রন্থ? (জ্ঞান)
ধ্বনি থেকে কবিতা খ শব্দ থেকে কবিতা
গ সাগরের রহস্যপুরী ঘ জানা অজানার দেশে
৫. ‘মাদার তেরেসা’ রচনার লেখকের নাম কী? (জ্ঞান)
ক বেগম সুফিয়া কামাল খ কাজী নজরুল ইসলাম
গ মাহবুবুল ইসলাম সন্জীদা খাতুন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬. সন্জীদা খাতুন প্রধানত ছিলেন (অনুধাবন)
র. প্রবন্ধকার রর. গবেষক ররর. বৈজ্ঞানিক
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭. সাহিত্য ও গবেষণাকর্মের জন্য সন্জীদা খাতুনের প্রাপ্ত পুরস্কার হচ্ছে (অনুধাবন)
র. বাংলা একাডেমি রর. রবীন্দ্র পুরস্কার ররর. আদমজি পুরস্কার
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮. ‘মাদার তেরেসা’ রচনার বিষয়বস্তু কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক স্বাধীনতা মানবসেবা গ নারীমুক্তি ঘ অন্যায়ের প্রতিবাদ
৯. ‘ভালোবাসা দিয়ে তারা জয় করে নেন দুনিয়া’ উক্তিটির দ্বারা লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
মানবপ্রেমের মাধ্যমে অমরত্ব লাভ খ মানুষের সেবা
গ মানুষকে ভালোবাসা ঘ কিছু কিছু মানুষের দীর্ঘজীবন লাভ
১০. মাদার তেরেসার পারিবারিক পদবি কী? (জ্ঞান)
ক নিকোলাস খ তেরেসা বোজাঝিউ ঘ বার্নাই
১১. মাদার তেরেসার জন্ম কোন দেশে? (জ্ঞান)
আলবেনিয়া খ ভারত গ ইতালি ঘ স্পেন
১২. মাদার তেরেসার জন্ম কত সালে?
[ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারীপুর]
১৯১০ খ ১৯১১ গ ১৯১২ ঘ ১৯১৩
১৩. ‘লরেটো সিস্টার্স’-এ মাদার তেরেসা কত বছর প্রশিক্ষণ নেন? (জ্ঞান)
ক ২ ৩ গ ৪ ঘ ৫
১৪. ‘লরেটো সিস্টার্স’ কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
দার্জিলিং-এ খ লন্ডনে গ কলকাতায় ঘ মেলবোর্নে
১৫. মাদার তেরেসা কাদের টিফিনের পয়সা দরিদ্র শিশুদের জন্য খরচ করতে বলেছিলেন? (জ্ঞান)
ক স্কুলের চাকরদের খ স্কুলের ছাত্রীদের
স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ঘ স্কুলের শিক্ষকগণের
১৬. মাদার তেরেসা গাউন ছেড়ে কী পরলেন? (জ্ঞান)
ক সালোয়ার কামিজ খ ম্যাক্সি
শাড়ি ঘ প্যান্টশার্ট
১৭. মাদার তেরেসার কয়টি শাড়ি ছিল? (জ্ঞান)
ক দুইটি তিনটি
গ চারটি ঘ পাঁচটি
১৮. মাদার তেরেসা কোথায় প্রথম স্কুল খোলেন?
ক ঢাকায় খ দিল্লিতে
কলকাতায় ঘ আলবেনিয়ায়
১৯. কীসে দাগ কেটে মাদার তেরেসা শিশুদের বর্ণমালা শেখাতেন? (জ্ঞান)
ক দেয়ালে খ খাতায় গ চামড়ায় মাটিতে
২০. নিচের কোনটি মাদার তেরেসার গঠিত সংঘ? (জ্ঞান)
ক লরেটো সিস্টার্স খ সেন্ট মেরি’জ
‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ ঘ সেন্ট জোসেফ
২১. কত সালে মাদার তেরেসা ‘নির্মল হৃদয়’ প্রতিষ্ঠা করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯৫১ ১৯৫২ গ ১৯৫৩ ঘ ১৯৫৪
২২. ‘নির্মল হৃদয়’ ভবনটি কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক দার্জিলিং-এ খ দিল্লিতে
কলকাতায় ঘ চেন্নাইয়ে
২৩. মাদার তেরেসা শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কী তৈরি করেন? (জ্ঞান)
ক শিশুভবন খ নির্মল হৃদয়
নবজীবন আবাস ঘ শিশুমেলা
২৪. মাদার তেরেসার প্রতিষ্ঠিত কুষ্ঠরোগীদের আবাসনের নাম কী? (জ্ঞান)
ক নির্মল হৃদয় খ নবজীবন আবাস
গ কুষ্ঠনিবাস প্রেমনিবাস
২৫. প্রেমনিবাস আবাসন কোথায়? (জ্ঞান)
ক ভারতের কলকাতায় খ ভারতের দার্জিলিং-এ
গ ভারতের কালীঘাটে ভারতের টিটাগড়ে
২৬. মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের কত লোক ভারতে আশ্রয় নেয়? (জ্ঞান)
প্রায় এক কোটি খ প্রায় দুই কোটি
গ প্রায় তিন কোটি ঘ প্রায় চার কোটি
২৭. শরণার্থী শিবিরে মানুষের সেবা করেন কে? (জ্ঞান)
ক জয়ললিতা খ সূচিত্রা সেন
মাদার তেরেসা ঘ মমতা ব্যানার্জি
২৮. মাদার তেরেসা প্রথম কত সালে ঢাকায় আসেন?
১৯৭২ খ ১৯৭৪ গ ১৯৭৬ ঘ ১৯৭৮
২৯. প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কখন শুরু হয়? [মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটজি ইনস্টিটিউট]
ক ১৯১০ সালে খ ১৯১২ সালে
১৯১৪ সালে ঘ ১৯১৭ সালে
৩০. মাদার তেরেসা নোবেল পুরস্কারের অর্থ ব্যয় করেছেন
ক নিজের জন্য খ পরিবারের সবার জন্য
গ আত্মীয়স্বজনের জন্য দুঃখীজনের জন্য
৩১. মাদার তেরেসার পিতার নাম কী?
নিকোলাস বোজাঝিউ খ ফস্টার
গ নিকোলাস জর্জ ঘ ফ্রেডারিক
৩২. বাংলাদেশের কোথায় মিশনারিজ অব চ্যারিটির প্রথম শাখা স্থাপন করা হয়? (জ্ঞান)
ঢাকার ইসলামপুরে খ ঢাকার সেগুনবাগিচায়
গ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ঘ কুলাউড়াতে
৩৩. মাদার তেরেসা কেন সেবামূলক কাজে নেমেছিলেন? (অনুধাবন)
ক স্বার্থের জন্য বিশ্বমানবতার কল্যাণের কাজে
গ ইতিহাসের কথা ভেবে ঘ পারিবারিক কারণে
৩৪. মাদার তেরেসা নোবেল পুরস্কার পান কীসের জন্য? (জ্ঞান)
ক শিক্ষার জন্য শান্তির জন্য
গ অর্থনীতির জন্য ঘ সাহিত্যের জন্য
৩৫. মাদার তেরেসা ‘শিশুভবন’ প্রতিষ্ঠা করেন কেন? (জ্ঞান)
অনাথ শিশুদের আশ্রয় দেয়ার জন্য
খ কুষ্ঠরোগীদের আবাসনের ব্যবস্থার জন্য
গ প্রতিবন্ধী শিশুদের কল্যাণের জন্য
ঘ এতিম শিশুদের আশ্রয় দেয়ার জন্য
৩৬. মাদার তেরেসার নাম ‘মাদার’ হয়েছে কেন? (অনুধাবন)
ক বিবাহ না করার জন্য
সন্ন্যাস গ্রহণের জন্য
গ মানুষকে সেবা-শুশ্রƒষার জন্য
ঘ পারিবারিক নিয়মের জন্য
৩৭. মাদার তেরেসার পরিবারে বিপর্যয় ঘটেছিল কেন? (অনুধাবন)
ক পিতাকে খুব ভালোবাসতেন বলে
খ সড়ক দুর্ঘটনার কারণে
পিতার মৃত্যুতে
ঘ পিতার সব টাকা দান করেছেন বলে
৩৮. মাদার তেরেসা বাংলা ভাষা শিখেছেন কেন? (অনুধাবন)
ক বাঙালিদের বাড়িতে আশ্রয় পাওয়ার জন্য
খ বাঙালিদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর জন্য
গ বাঙালিদের শিক্ষা দেয়ার জন্য
বাঙালিদের মধ্যে কাজ করার জন্য
৩৯. বাংলার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা মাদার তেরেসাকে বিচলিত করে কেন? (অনুধাবন)
ক শিক্ষিকা বলে খ সন্ন্যাসিনী বলে
মানবদরদি বলে ঘ সাহায্য করে বলে
৪০. মাদার তেরেসা গাউন ছেড়ে শাড়ি পরলেন কেন? (অনুধাবন)
ক বাঙালিদের ভালোবাসেন বলে
খ বাঙালিদের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য
গ বাঙালিরা শাড়ি পছন্দ করে বলে
বাঙালিদের কাছের মানুষ হওয়ার জন্য
৪১. মাদার তেরেসা নিজের জন্য তিনটির বেশি শাড়ি কখনো রাখেননি। এর মধ্যদিয়ে তার কোন গুণটি প্রকাশ পেয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ধৈর্যশীলতা মিতব্যয়িতা
গ পরোপকারিতা ঘ মানবসেবা
৪২. মাদার তেরেসা মাটিতে দাগ কেটে শিশুদের বর্ণমালা শেখাতেন কেন? (অনুধাবন)
ক মাটির সঠিক ব্যবহার করতে
খাতা-কলম কেনার পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কারণে
গ শিশুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে
ঘ মিতব্যায়িতার অভ্যাস করতে
৪৩. মাদার তেরেসা ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ গঠন করেছেন কেন? (অনুধাবন)
গরিবদের সেবার উদ্দেশ্যে
খ কুষ্ঠরোগীদের সেবার উদ্দেশ্যে
গ বস্তিতে ঘর তোলার উদ্দেশ্যে
ঘ ক্ষুধার্তদের খাদ্য জোগাতে
৪৪. কুষ্ঠরোগীর কাছ থেকে সবাই দূরে থাকে কেন? (অনুধাবন)
ক কুষ্ঠরোগীদের শরীর অপরিষ্কার বলে
খ কুষ্ঠরোগীর জীবন খুব কষ্টের বলে
কুষ্ঠরোগীর শরীরের ঘা দুর্গন্ধময় বলে
ঘ কুষ্ঠরোগীর মুখে দুর্গন্ধ বলে
৪৫. মাদার তেরেসা কোমল মনে খুব আঘাত পেয়েছিলেন কেন? (অনুধাবন)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে
খ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে
গ ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা দেখে
ঘ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে
৪৬. ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এ কথার বাস্তবায়ন আমরা কার জীবনে দেখতে পাই? (প্রয়োগ)
ক সুফিয়া কামালের মাদার তেরেসার
গ সেলিনা হোসেনের ঘ কামিনী রায়ের
৪৭. ‘আয়শা খাতুন একজন সেবাপরায়ণা মহিলা। তিনি তার আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীদেরও মানুষের সেবা করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেন।’ আয়শা খাতুনের সঙ্গে মাদার তেরেসার কোন কাজের মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মানুষের প্রতি ভালোবাসা
স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেবার আগ্রহ সৃষ্টি
গ সন্ন্যাস ব্রত গ্রহণ
ঘ মিশনারিতে যোগদান
৪৮. ‘কবির সাহেব অতি বৃদ্ধ দুস্থ লোকদের জন্য তার এলাকায় একটি বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।’ তার এ কাজের সঙ্গে মাদার তেরেসার কোন কাজের মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক ‘লরেটো সিস্টার্স’-এ যোগদান
খ ‘মিশনারিজ অব চ্যারটি’ প্রতিষ্ঠা
‘নির্মল হৃদয়’ প্রতিষ্ঠা
ঘ ‘নবজীবন আবাস’ প্রতিষ্ঠা
৪৯. ‘ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল ভয়ঙ্কর কালাজ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সেবা করেছেন।’ তার এ কাজের সঙ্গে মাদার তেরেসার কোন কাজের সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মৃত্যুপথযাত্রীদের সেবা
খ প্রতিবন্ধীদের সেবা
কুষ্ঠ রোগীদের সেবা
ঘ অনাথ শিশুদের আশ্রয়
৫০. ‘২০০৪ সালের বন্যার সময় মোস্তফা কামাল সাহেব অসুস্থ অবস্থায় ছুটে যান বন্যা দুর্গতদের সাহায্যের জন্য’ তার সঙ্গে মাদার তেরেসার জীবনের কোন কাজের মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক ১৯৭১ সালের বাঙালি শরণার্থীদের সেবা
খ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আহতদের সেবা
গ আলবেনিয়া থেকে বাংলাদেশে আসা
১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর একাশি বছর বয়সে বাংলাদেশে আসা
৫১. ‘জমিরউদ্দীন সাহেব তার লটারিতে প্রাপ্ত চল্লিশ লাখ টাকা গরিবদের জন্য দান করেছেন’তার সঙ্গে মাদার তেরেসার জীবনের কোন কাজের মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক নোবেল কমিটির ভোজসভা বাতিল
খ নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি
নোবেল পুরস্কারের অর্থ দুঃখীদের জন্য দান
ঘ নোবেল পুরস্কারসহ আরো অনেক পুরস্কার লাভ
৫২. ‘বাঙালিদের মধ্যে কাজ করার জন্য বাংলা ভাষাও রপ্ত করেন’ উক্তিটির মাধ্যমে মাদার তেরেসার চরিত্রের কোন দিকটি উন্মোচিত হয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
মানুষের সেবা করার অদম্য আগ্রহ
খ মানবপ্রেমের মহিমা
গ দুঃখী মানুষের প্রতি টান
ঘ দুঃখকষ্টকে জয় করার কৌশল
৫৩. স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সেবার আগ্রহ জাগানোর চেষ্টার মাধ্যমে মাদার তেরেসার চরিত্রের কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সবাইকে সহযোগিতা করা
খ বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হওয়া
সবার মনে মানবপ্রেম জাগ্রত করা
ঘ দুর্দশাগ্রস্তদের প্রতি সহমর্মিতা
৫৪. ‘তিনটির বেশি শাড়ি তার কখনো ছিল না’এ উক্তিটির মাধ্যমে লেখক মাদার তেরেসার জীবনের কোন দিকটি তুলে ধরেছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক গরিবদের দুঃখ অনুভবের চেষ্টা
খ খরচ কমানোর প্রবণতা
গ খরচ কমানোর প্রবণতা
অতি সাধারণ জীবনযাপন
৫৫. মাদার তেরেসা কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
১৯৯৭ খ ১৯৯৮ গ ১৯৯৯ ঘ ২০০০
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৬. মাদার তেরেসা প্রতিষ্ঠা করেন (অনুধাবন)
র. নবজীবন আবাস রর. শিশুভবন ররর. প্রেমনিবাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫৭. ‘লরেটো সিস্টার্স’Ñএ যারা কাজ করত তারা হচ্ছেÑ (অনুধাবন)
র. খ্রিষ্টান রর. সন্ন্যাসী
ররর. দেশপ্রেমিক
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৮. মাদার তেরেসার বাংলা ভাষা শেখার উদ্দেশ্য ছিল মূলতÑ (অনুধাবন)
র. বাংলা ভাষা সহজ বলে
রর. বাঙালির সঙ্গে একেবারে মিশে যাওয়া
ররর. বাঙালিকে আন্তরিক সেবা প্রদান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৯. অল্পবয়সেই মাদার তেরেসার মানুষের সেবা করার ইচ্ছা জাগার কারণ হচ্ছেÑ (অনুধাবন)
র. প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মানুষের দুর্দশাগ্রস্ততা দেখে মনে প্রাপ্ত আঘাত
রর. নিজে দুঃখ-দুর্দশার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা
ররর. পিতার মৃত্যু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬০. মাদার তেরেসা যে বিষয়টি বিবেচনায় আনেননি
[আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
র. দেশের ভিন্নতা রর. জাতির পার্থক্য ররর. ধর্মের ভেদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬১. মাদার তেরেসা ‘নবজীবন আবাস’ স্থাপন করেন
[ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইনস্টিটিউট, ঢাকা]
র. শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য
রর. মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য
ররর. অনাথ শিশুদের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬২ ও ৬৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক জনাব ফজলুর রহমান জীবনে যত পুরস্কার পেয়েছেন তার সমস্ত অর্থই দান করেছেন গরিব-দুঃখীদের জন্য। মানুষকে ভালোবেসে তিনি নিজেও ভালোবাসার পাত্র হয়েছেন।
৬২. জনাব ফজলুর রহমানের সাথে কোন মহান ব্যক্তির সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক বেগম রোকেয়া খ সুফিয়া কামাল
মাদার তেরেসা ঘ নূরজাহান বেগম
৬৩. জনাব ফজলুর রহমানের সাথে উক্ত মহান ব্যক্তির সাদৃশ্যের কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মানবদরদি রর. ধৈর্যশীলতা ররর. মানবসেবা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৪ ও ৬৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মিসেস হালিমা খাতুন গ্রামের নিরক্ষর মহিলাদের অক্ষরজ্ঞান দিতে শুরু করেন। ঈদের কেনাকাটা থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে তিনি মহিলাদের বই কিনে দেন।
৬৪. অনুচ্ছেদটির সঙ্গে কোন প্রবন্ধের ভাবগত মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
মাদার তেরেসা খ জীবন জীবনের জন্য
গ মানুষের সেবা ঘ কতকাল ধরে
৬৫. হালিমা খাতুনের টাকা বাঁচানোয় মাদার তেরেসার কোন ঘটনার প্রতিফলন রয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে গরিবদের সাহায্য করতে বলা
খ সকল পুরস্কারের অর্থ গরিবদের কল্যাণে ব্যয় করা
গ বস্তিতে নিজ উদ্যোগে স্কুল খোলা
ঘ কুষ্ঠরোগীদের সেবা
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৬ ও ৬৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আব্দুর রাজ্জাক গ্রামের এক স্কুলের শিক্ষক। তিনি নিজ উদ্যোগে এবং অন্য লোকদের সহায়তায় একটি ফান্ড গঠন করেন। ফান্ড গঠনের উদ্দেশ্য গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা।
৬৬. অনুচ্ছেদটির সঙ্গে মাদার তেরেসার কোন কাজটির মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
বস্তিতে স্কুল প্রতিষ্ঠা খ ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ প্রতিষ্ঠা
গ ‘নির্মল হৃদয়’ প্রতিষ্ঠা ঘ সেবাসংঘ প্রতিষ্ঠা
৬৭. আব্দুর রাজ্জাকের কাজটি এবং মাদার তেরেসার কাজটির ফলাফল (উচ্চতর দক্ষতা)
ক শিক্ষার প্রসারে ভ‚মিকা খ শিক্ষার উদ্দেশ্য পূরণ
গরিব, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি
ঘ শিক্ষার জন্য জীবন দান
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৮ ও ৬৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
প্রজাদের অবস্থা জানার জন্য হযরত উমর (রা.) রাতের আঁধারে একা ঘুরে বেড়াতেন। এক অভাগা মায়ের শিশুদের ক্ষুধা নিবারণের জন্য নিজের মাথায় বস্তা নিয়ে বিধবাকে চাল-আটা দান করেন। মানবতার সেবাই ছিল এ মনীষীর লক্ষ্য। [মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাব. ইনস্টিটিউট, ঢাকা]
৬৮. উদ্দীপকটি কোন রচনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
ক একসূত্রে খ জীবনের জন্য
মাদার তেরেসা ঘ সততার পুরস্কার
৬৯. উদ্দীপকে রচনাটির যে ভাব প্রকাশ পায় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সেবাই ধর্ম রর. মানুষ মানুষের জন্য ররর. সচেতনতাই জীবন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭০. ‘গাউন’ অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক পুরুষের পোশাক মহিলাদের পোশাক
গ শীতের পোশাক ঘ উভয়ের পোশাক
৭১. ‘প্রশিক্ষণ’ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক উত্তমরূপে শিক্ষা লাভ করা হাতে-কলমে বিশেষ শিক্ষা
গ অভ্যাসের সাহায্যে আয়ত্ত করা ঘ সংসার জীবন ত্যাগ করে তপস্যা
৭২. ‘সম্মাননা’ অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক অসম্মান দেখানো সম্মান দেখানো
গ সালাম দেয়া ঘ শ্রদ্ধা করা
৭৩. সৎকাজ করার জন্য কঠিন সাধনা ও ত্যাগ করাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ব্রত খ শিষ্টাচার গ উপাসনা ঘ যোগব্যায়াম
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৪. ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ বলতে যেটি বোঝায় সেটি হচ্ছেÑ (অনুধাবন)
র. মানবসেবা সংঘ
রর. অপরের সেবার জন্য পরিচালিত প্রতিষ্ঠান
ররর. ইহুদি কর্তৃক পরিচালিত সেবাসংঘ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৫. যে কাজটি মাদার তেরেসা তার জীবদ্দশায় সম্পন্ন করেছেন(উচ্চতর দক্ষতা)
র. কুষ্ঠরোগীদের আবাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন
রর. অনাথ শিশুদের জন্য শিশুভবন প্রতিষ্ঠা করেছেন
ররর. দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৬. মাদার তেরেসার সারা জীবনের ব্রত কী ছিল? (জ্ঞান)
সেবা খ ধর্মচর্চা গ অর্থোপার্জন ঘ সাহিত্য রচনা
৭৭. মাদার তেরেসা কীভাবে বাঙালির জীবনকে শান্তিতে ভরে তুলতে চেয়েছেন? (অনুধাবন)
ক অর্থ সাহায্য প্রদান করে বহু প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে
গ শিক্ষা বিস্তার করে ঘ ধর্ম প্রচার করে
৭৮. মাদার তেরেসা সম্পর্কে কোন বাক্যটি সঠিক? (অনুধাবন)
তিনি একজন অসাধারণ মানবসেবী
খ কুষ্ঠরোগীদের জন্য গড়ে তোলেন নির্মল হৃদয়
গ ঢাকার ইসলামপুরে গড়ে তোলেন শিশুভবনের প্রথম শাখা
ঘ ভারতেই তাঁর সেবাকর্ম সীমাবদ্ধ ছিল
৭৯. মাদার তেরেসা যে পুরস্কারে ভ‚ষিত হন (অনুধাবন)
নোবেল খ অস্কার
গ বাংলা একাডেমি ঘ একুশে পদক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮০. মাদার তেরেসা যেখানে সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন- (অনুধাবন)
র. প্রাকৃতিক দুর্যোগে রর. অসহায়ত্বে ররর. দুঃখ-দারিদ্র্যে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে যারা মানুষের সেবায় নিজের ব্যক্তিগত সুখ বিসর্জন দেন। এমনই একজন মানুষ আমাদের বুলু আপা। মানুষ সুখে-দুঃখে সবসময় তাকে কাছে পায়। কোথাও যদি যৌতুক নিয়ে বিয়ের খবর পান তো তিনি হাজির, বাল্যবিবাহের সংবাদ পেলেও তাই। এসিড নিক্ষেপের বিপক্ষে তিনি সমাজে জোর প্রচারণা চালান। প্রখ্যাত পিতা মুহম্মদ আকরম খাঁর মেয়ে হয়েও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে জীবন কাটিয়েছেন। গ্রামের অসহায়, অসুস্থ মানুষদের তিনি চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতেন। তার স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও তিনি সেবা কাজে আগ্রহী করে তোলেন। শিক্ষার্থীদের দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে তিনি গ্রামের রাস্তাঘাট মেরামত করাতেনÑ বুলু আপার সেবার ছোঁয়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটেছিল।
ক. পারিবারিক পদবি অনুসারে মাদার তেরেসার নাম কী? ১
খ. মাদার তেরেসা ‘প্রেমনিবাস’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কেন? বুঝিয়ে দা ২
গ. সেবামূলক কার্যক্রমে বুলু আপার সঙ্গে মাদার তেরেসার কী ধরনের দ্ব›দ্ব দেখা যায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘বুলু আপা ও মাদার তেরেসা দুজনই অসহায়, গরিব, দুঃখী ও সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন’Ñ মন্তব্যটি মাদার তেরেসা প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক পারিবারিক পদবি অনুসারে মাদার তেরেসার নাম হলো অ্যাগনেস গোনজা বোজাঝিউ।
খ মাদার তেরেসা কুষ্ঠরোগীদের আবাসনের জন্য ‘প্রেমনিবাস’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
কুষ্ঠরোগীদের শরীরে দগদগে দুর্গন্ধময় ঘা হয় বলে সমাজের অনেকে এ ধরনের রোগীকে এড়িয়ে চলে। অসুখটা ছোঁয়াচে ভেবে অনেকে রোগীর কাছ থেকে দূরে থাকে। ফলে কুষ্ঠরোগীদের জীবন হয়ে ওঠে কষ্টকর। তাই মরণাপন্ন এসব মানুষের আবাসন ও সেবার জন্য তিনি ‘প্রেমনিবাস’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নিজের হাতে কুষ্ঠরোগীদের দগদগে ঘা পরিষ্কার করে গোসল করিয়ে দিতেন। পরম যতেœ তিনি তাদের সেবা করতেন।
গ সেবামূলক কার্যক্রমে বুলু আপার সঙ্গে মাদার তেরেসার আংশিক ধরনগত দ্ব›দ্ব দেখা যায়।
উদ্দীপকের বুলু আপা সেবার প্রচণ্ড মানসিকতা নিয়ে মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। গ্রামের যেখানে বাল্যবিবাহ হতো সেখানে তিনি বাধার সৃষ্টি করতেন। যৌতুক দেওয়া-নেওয়া বন্ধ করার জন্য তিনি বর-কনে উভয় পক্ষকেই বোঝাতেন। এসিড নিক্ষেপের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে তিনি সমাজে গণসচেতনতার সৃষ্টি করেছেন। রুগ্ণদের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করে দিতেন। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে তিনি স্বেচ্ছাশ্রমে গ্রামের রাস্তাঘাট মেরামত করাতেন। তার এসব কার্যক্রম ছিল সমাজ সচেতনতামূলক মানবসেবা।
মাদার তেরেসাও একজন মানবতাবাদী ও মানবসেবী। সাধারণ মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়ে তিনি ১৮ বছর বয়সে ঘর ছেড়েছেন। স্কুলে শিক্ষকতাকালে তিনিও ছাত্রছাত্রীদের মাঝে সেবার আগ্রহ জাগাতে চেষ্টা করতেন। তিনি অসুস্থদের জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র খুুললেন। সেখানে তিনি নিজের হাতে অসুস্থদের সেবা করতেন। কুষ্ঠরোগীদের দগদগে ঘা নিজের হাতে পরিষ্কার করতেন তিনি। তাই বলা যায়, মাদার তেরেসার সব কাজই ছিল শারীরিক ও আর্থিক সেবামূলক। কিন্তু উদ্দীপকের বুলু আপা মানুষের শারীরিক ও আর্থিক সেবার পাশাপাশি সমাজ সচেতনতামূলক সেবা কাজ পরিচালনা করেছিলেন। এখানেই বুলু আপার ও মাদার তেরেসার সেবামূলক কাজের দ্ব›দ্ব দেখা যায়।
ঘ ‘বুলু আপা ও মাদার তেরেসা দুজনেই অসহায়, গরিব, দুঃখী ও সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন’-মন্তব্যটি যথার্থ।
মমতাময়ী মাদার তেরেসা মানবসেবার ব্রত নিয়েই মাত্র ১৮ বছর বয়সে ঘর ছেড়েছিলেন। অসুস্থ মানুষের জন্য তিনি বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করলেন। সেখানে তিনি নিজের হাতে অসুস্থদের সেবা করতেনÑ মৃত্যুমুখী অসহায় মানুষদের জন্য তিনি ‘নির্মল হৃদয়’ নামে এক ভবন প্রতিষ্ঠা করলেন। কুষ্ঠরোগীদের জন্য তিনি প্রেমনিবাস’ প্রতিষ্ঠা করেন। মাদার তেরেসা কুষ্ঠরোগীদের তুলে এনে প্রেমনিবাসে আশ্রয় দেন। মাদার তেরেসার মমতার পরশে কুষ্ঠরোগীদের মুখে হাসি ফোটে।
উদ্দীপকের বুলু আপাও একজন সমাজসেবী। সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি সারাজীবন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো বিতরণ করেছেন। গ্রামের অসহায় মানুষদের তিনি আর্থিক সাহায্য করতেন। রুগ্ণদের পাশে থেকে তিনি তাদের সেবা করতেন। অসহায়দের সাহায্য করে তিনি তাদের মুখে হাসি ফোটাতেন।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, প্রশ্নোল্লিখিত মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ
আমেরিকার কাছ দিয়ে সমুদ্রপথে একটি যাত্রীবাহী জাহাজে এক ইংরেজ পরিবার যাচ্ছিলেন। ছেলেমেয়েদের মধ্যে বড় মেয়েটির বয়স আঠারো বছর। দূরে একটি জাহাজের বিপদসংকেত শুনে জাহাজটি সেদিকে গেল। জাহাজটি প্রায় জনমানবশূন্য। জাহাজটিতে কালাজ্বরে সবাই মারা গেছে। যারা বেঁচে আছে তারা মৃতপ্রায়। তাদের দেখার কেউ নেই, কালাজ্বরের ভয়ে কেউ যেতে চাইল না। কিন্তু আঠারো বছরের মেয়েটি মা-বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে জাহাজে উঠল। মেয়েটি তার সেবা ও ভালোবাসা দিয়ে বিপন্ন জাহাজের যাত্রীদের ভালো করে তুলল। মেয়েটি মানবসেবায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।
ক. কোন প্রতিষ্ঠানের দ্বারা কুষ্ঠরোগীর সেবা করা হতো? ১
খ. মাদার তেরেসা ভোজসভা বাতিল করেছিলেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের আঠারো বছরের মেয়েটির সাথে পাঠ্যবইয়ের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে- বণ ৩
ঘ.‘মেয়েটি মানবসেবায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে’ উদ্দীপক ও ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ‘প্রেমনিবাস’ প্রতিষ্ঠানের দ্বারা কুষ্ঠরোগীদের সেবা করা হতো।
খ ভোজসভার টাকা ক্ষুধার্ত মানুষকে দেয়ার জন্য মাদার তেরেসা নোবেল কমিটির ভোজসভা বাতিল করেছিলেন।
মাদার তেরেসা মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। সেবা দ্বারা সারাবিশ্বকে তিনি জয় করেছেন। এ সেবামূলক কাজের জন্য তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেল পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে ভোজসভার আয়োজন করা হয়। মাদার তেরেসা ভোজসভা বাতিল করে সেই অর্থ গরিব-দুঃখীদের দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
গ উদ্দীপকের আঠারো বছরের মেঘেটির সাথে পাঠ্যবইয়ের মাদার তেরেসার সাদৃশ্য রয়েছে।
উদ্দীপকে বিপন্ন জাহাজের প্রায় যাত্রীই কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। যারা বেঁচে ছিল তারাও মৃতপ্রায়। কেউ বিপন্ন জাহাজটিতে যেতে চাইল না। ইংরেজ পরিবারের ১৮ বছরের মেয়েটি রাজি হলো এবং বাবা-মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তাদের সেবা করার জন্য জাহাজে উঠল। সে তার সেবাযতœ ও ভালোবাসা দিয়ে অসুস্থ মানুষগুলোকে সুস্থ করে তুলেছিল। একাকী এ মেয়েটি নিজের জীবনের কথা ভাবেনি।
তেমনি মাদার তেরেসাও কুষ্ঠরোগীদের সেবা করার জন্য ‘প্রেমনিবাস’ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি আন্তরিক সেবা ও ভালোবাসা দিয়ে কুষ্ঠরোগীদের ভালো করে তোলার চেষ্টা করেন। তাদের গা ধুইয়ে স্নান করিয়ে দিতেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের মেয়েটির সাথে মাদার তেরেসার সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ উদ্দীপকে ইংরেজ পরিবারের ১৮ বছর বয়সের মেয়েটির সেবাকর্মের কথাই বলা হয়েছে।
অষ্টাদশী মেয়েটি নিজের জীবন বিপন্ন করে কালাজ্বরে আক্রান্ত মানুষের সেবা করেছে। সে ভালোবাসা ও সেবা দিয়ে অসুস্থ মানুষদের সুস্থ করে তোলে। কোনো বাধা, কারো নিষেধ সে মানেনি। সে মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েই এ কাজ করেছে।
‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধেও এ সেবাকর্মের প্রমাণ মেলে। মাদার তেরেসাও কুষ্ঠরোগীর সেবা করেছেন, প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন; যা তার সেবার হাতকে আরও প্রসারিত করেছিল।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায় যে, মানবসেবার মাধ্যমেই জীবনকে স্মরণীয় করে রাখা যায়। যা করেছিল ১৮ বছরের মেয়েটি ও মাদার তেরেসা। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল ছিলেন মানবতার সেবায় নিবেদিত একজন ইংরেজি নার্স। তার জš§ ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে। তিনি অভিভাবকের আপত্তির মুখে অবিবাহিত থেকে আর্তপীড়িতদের সেবায় জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। ১৮৫৩ সালে ক্রিমিয়ার যুদ্ধ শুরু হলে যুদ্ধাহত সেনাদের সুচিকিৎসা ও শুশ্রƒষার কাজে তিনি এগিয়ে যান। ৩৮ জন নার্স নিয়ে স্কুটারি হাসপাতালে সেবাকাজে যোগ দেন। দৈনিক প্রায় ২০ ঘণ্টা পরিশ্রম করে সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ‘আলো হাতে মহিলা’ নামে পরিচিত হন।
ক. ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ কী? ১
খ. বাংলাদেশের মানুষের জন্য মাদার তেরেসার সেবামূলক কাজের ব্যাখ্যা দাও। ২
গ. উদ্দীপকটি ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ৩
ঘ.‘উদ্দীপকের ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল এবং ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের মাদার তেরেসা দুজনই মানবতার সেবায় নিবেদিতপ্রাণ।’ মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
ক ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ হলো মানবসেবা সংঘ।
খ বাংলার মানুষের দুঃখদুর্দশা মাদার তেরেসাকে খুব বিচলিত করেছিল। তাই তিনি এসব মানুষের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সেবার হাত।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে এক কোটির বেশি লোক ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল। সেই সময়ে শরণার্থী শিবিরের দুর্গত মানুষের সেবার কাজ করেন মাদার তেরেসা। ১৯৭২ সালে তিনি প্রথম ঢাকায় আসেন। বাংলাদেশে শুরু করেন তাঁর ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটির সেবা কাজ। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে তাঁর সেবাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৯১ সালের প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের পর একাশি বছর বয়সি মাদার তেরেসা বাংলাদেশে ছুটে আসেন। উদ্দেশ্য নিজ হাতে দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণের কাজ করা।
গ উদ্দীপকটি ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের মাদার তেরেসার সেবাধর্মী কাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
উদ্দীপকে উল্লিখিত ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল একজন ইংরেজ নার্স। মানবতার মূর্তপ্রতীক এই নারী যুদ্ধাহত, মৃতপ্রায় মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে জগতে কীর্তি স্থাপন করেছেন। মানুষ তার সেবায় খুশি হয়ে তাকে তাদের একান্ত আপন মানুষ ভেবে ‘আলো হাতে মহিলা’ বলে অভিহিত করেছেন।
উদ্দীপকের এই সেবাব্রতীর সাথে মাদার তেরেসার সাদৃশ্য রয়েছে। মাদার তেরেসাও তার জীবনের সব সুখ ত্যাগ করে মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। তাদেরকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে উপার্জিত সব অর্থ দিয়ে সেবাশ্রম খুলেছেন। এমনকি নোবেল পুরস্কারের অর্থ তুলে দিয়েছেন অসহায় মানুষদের সেবার জন্য। মহৎ মানবের নিঃস্বার্থ সেবাধর্মিতার দিক থেকে উদ্দীপকটি ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ “উদ্দীপকের ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল এবং ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের মাদার তেরেসা দুজনই মানবতার সেবায় নিবেদিতপ্রাণ” মন্তব্যটি যথার্থ।
উদ্দীপকের ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল একজন ইংরেজ তরুণী। পরিবারের আপত্তি থাকা সত্তে¡ও তিনি সেবাধর্মে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। সারাজীবন অবিবাহিত থেকে নার্সিং-এ আত্মনিয়োগ করে মানবতার কল্যাণে কাজ করেছেন। তার এ মনোভাবের প্রতিফলন লক্ষ করা যায় মাদার তেরেসা প্রবন্ধের মাদার তেরেসার মধ্যে। মাদার তেরেসাও জীবনের সবই নিয়োগ করেছিলেন রুগণ মানুষের মুক্তির জন্য, শান্তির জন্য, কল্যাণের জন্য। তিনি সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করে, মানুষের সেবায় নিয়োজিত হন।
উদ্দীপকের ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল ১৮৫৩ সালে ক্রিমিয়ার যুদ্ধে আহত সৈনিকদের, হাসপাতালে মৃতপ্রায় অসহায় ব্যক্তিদের সেবায় এগিয়ে আসেন। ৩৮ জন নার্স নিয়ে স্কুটারি হাসপাতাল পরিচালনা করেন। প্রতিদিন প্রায় ২০ ঘণ্টা করে পরিশ্রম করে তাদের সুস্থ করে তোলেন। ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের মাদার তেরেসাও ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত চলা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অসংখ্য মানুষের মৃত্যুতে মানসিকভাবে আহত হন। মৃত্যুমুখী মানুষের সেবায় ১৯৫২ সালে কলকাতার কালিঘাটে ‘নির্মল হৃদয়’ ভবন নির্মাণ করেন। ১৯৭১ সালে ভারতে আশ্রিত বাংলাদেশি শরণার্থী শিবিরে মানুষের সেবায় এগিয়ে আসেন। তিনি ‘নির্মল হৃদয়’, ‘প্রেমনিবাস’, ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠা করে মানবতার সেবায় স্বীয় জীবন উৎসর্গ করেছেন।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, মন্তব্যটিকে যথার্থ হিসেবে প্রতিপন্ন করা যায়।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
হেনরি ডুনান্টের আহŸানে সাড়া দিয়ে জেনেভায় পাবলিক ওয়েলফেয়ার সোসাইটি পাঁচজন সদস্য নিয়ে গঠন করে কমিটি অব ফাইভ। এর পর পরই বিশ্বের ১৬টি দেশের প্রতিনিধি নিয়ে জেনেভায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন বসে ১৮৬৩ সালের ২৬শে অক্টোবর। এ সম্মেলনেই প্রতিষ্ঠা লাভ করে বিশ্বের আর্তমানুষের সেবায় নিবেদিত সংস্থা রেডক্রস। বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে রেডক্রসের সেবা কার্যক্রম।
ক. মাদার তেরেসা ‘নির্মল হৃদয়’ ভবন প্রতিষ্ঠা করেন কোথায়? ১
খ. “মরণাপন্ন এসব মানুষকে বুকে তুলে নেন মাদার তেরেসা।” ব্যাখ্যা কর। ২
গ. হেনরি ডুনান্টের ‘রেডক্রস’ সেবা প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে মাদার তেরেসার কোন প্রতিষ্ঠানের চিত্র ফুটে ওঠে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের ‘রেডক্রস’ ও ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ মূলত একই ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত। মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
ক মাদার তেরেসা কলকাতার কালিঘাটে ‘নির্মল হৃদয়’ ভবন প্রতিষ্ঠা করেন।
খ ‘মরণাপন্ন এসব মানুষকে বুকে তুলে নেন মাদার তেরেসা।’ লাইনটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে মুমূর্ষুদের সেবাযতেœ মাদার তেরেসা সর্বোচ্চ আত্মনিয়োগ করতেন।
বাংলার মানুষের দুঃখদুর্দশা মাদার তেরেসাকে খুব বিচলিত করেছিল। আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন স্থানে তিনি সেবাকেন্দ্র খোলেন। মৃত্যুমুখী অসহায় মানুষের সেবার জন্য তিনি কলকাতার কালিঘাটে নির্মল হৃদয় নামে একটি ভবন প্রতিষ্ঠা করেন। সহায়-সম্বলহীন মরণাপন্ন মানুষদের তিনি এখানে এনে মমতাময়ী মা কিংবা বোনের মতো সেবা করতে থাকেন।
গ হেনরি ডুনান্টের ‘রেডক্রস’ সেবা প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে মাদার তেরেসার ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ নামক সেবা প্রতিষ্ঠানিটির চিত্র ফুটে উঠেছে।
১৮ বছর বয়সে মাদার তেরেসা ‘লরেটো সিস্টার্স’ নামে খ্রিষ্টান মিশনারি দলে যোগ দেন। এরপর মানুষের সেবায় আরও কাজ করার জন্য যখন তাগিদ অনুভব করলেন তখন মিশনারিজ থেকে বিদায় নিলেন। শুরু করলেন একেবারে গরিবদের সেবার কাজ। কলকাতার নোংরা বস্তিতে তিনি প্রথম স্কুল খুললেন। অসুস্থদের সেবার জন্য খুললেন চিকিৎসাকেন্দ্র। খুললেন মিশনারিজ অব চ্যারিটি।
মাদার তেরেসার সেবার কাজ কোনো দেশ বা সমাজে সীমাবদ্ধ ছিল না। তাঁর সেবাপ্রতিষ্ঠান আছে বিশ্বব্যাপী। উদ্দীপকের হেনরি ডুনান্ট গড়ে তোলেন জেনেভার ‘পাবলিক ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’। বিশ্বের ১৬টি দেশ নিয়ে জেনেভায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন বসে। তাই বলা যায়, হেনরি ডুনান্টের ‘রেডক্রস’ প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে ফুটে ওঠে মাদার তেরেসার ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ সেবা প্রতিষ্ঠানটির চিত্র।
ঘ উদ্দীপকের রেডক্রস ও মিশনারিজ অব চ্যারিটি মূলত একই ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত। এ মন্তব্যটি যথার্থ।
কলকাতার নোংরা বস্তিতে সেবার ব্রত নিয়ে মাদার তেরেসা প্রথম খুললেন একটি স্কুল। মাটিতে দাগ কেটে শেখাতে লাগলেন বর্ণমালা। অসুস্থদের সেবার জন্য খুললেন চিকিৎসাকেন্দ্র। ধীরে ধীরে সাহায্যের হাত বাড়ালেন অনেক মানুষ। তার সঙ্গে যোগ দিলেন অনেক সন্ন্যাসিনী। তাদের নিয়ে গড়লেন তিনি মানবসেবার সংঘ ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’। মাদার তেরেসার কাজের পরিধি ক্রমাগত বেড়ে চলল।
উদ্দীপকে হেনরি ডুনান্টের আহŸানে সাড়া দেয় জেনেভার পাবলিক ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। ১৮৬৩ সালে তিনি গড়ে তোলেন আর্তমানবতার সেবাপ্রতিষ্ঠান ‘রেডক্রস’। বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে রেডক্রসের সেবাকার্যক্রম। এ দুটি সেবা সংঘেরই উদ্দেশ্য হলো এক আর তা হলো মানবসেবা।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায় যে, উদ্দীপকে রেডক্রস ও মিশনারিজ অব চ্যারিটি মূলত একই ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ
বøু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা সপ্তাহে একদিন টিফিনের টাকা দিয়ে অসহায় শিশুদের সাহায্য করে। বস্তি ও রাস্তার পাশে থাকা শিশুদের খাবার পোশাক, বই, খাতা কিনে দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তাদের এই মহৎ কাজে অনুপ্রাণিত হয় অন্য বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।
ক. মাদার তেরেসার পুরো নাম কী? ১
খ. মাদার তেরেসা বাংলাদেশে ছুটে আসেন কেন? ২
গ. বস্তিবাসীদের জন্য তোমার পঠিত প্রবন্ধের ‘মাদার তেরেসা’ ও উদ্দীপকের ছাত্রদের কাজের সাদৃশ্য তুলে ধর। ৩
ঘ.অনাথ শিশুদের তিনি ছিলেন আশ্রয়দাতা-উদ্দীপক ও তোমার পঠিত ‘মাদার তেরেসা’ রচনার আলোকে বিচার কর। ৪
ক মাদার তেরেসার পুরো নাম অ্যাগনেস গোনজা বোজাঝিউ।
খ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য করার জন্য মাদার তেরেসা বাংলাদেশে ছুটে আসেন।
মানবদরদি মাদার তেরেসা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে এসেছেন কিন্তু ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় হয়। এ সময় মাদার তেরেসা বাঙালিদের সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশে আসেন। ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এবং নিজ হাতে দুর্গত মানুষের ত্রাণের কাজ করার জন্য তিনি বাংলাদেশে ছুটে আসেন।
গ মাদার তেরেসা বস্তিবাসীদের জন্য যেভাবে সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে বøু বার্ড স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরাও বস্তিবাসীর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
মাদার তেরেসা ছিলেন এক অসাধারণ মানবসেবী। তিনি যখন কলকাতার সেন্ট মেরিজ স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, তখন ছাত্রদের মানবতাবাদী হওয়ার শিক্ষা দিতেন। ছাত্রদেরকে অন্যকে সেবা করার আগ্রহ জাগাতেন। আর এ কারণে ছাত্রদের সপ্তাহের একদিনের টিফিনের টাকা বস্তির দরিদ্র শিশুদের জন্য খরচ করতে উৎসাহ দিতেন।
প্রবন্ধের মাদার তেরেসার মতো উদ্দীপকের ছাত্ররাও মানবদরদি। বøু বার্ড স্কুলের ছাত্রদের মাঝে সেবা করার মানসিকতা আছে। এ কারণেই তারা একদিনের টিফিনের টাকা দিয়ে বস্তি ও পথশিশুদের নানাভাবে সাহায্য করে। আর বøু বার্ড স্কুলের ছাত্রদের মহৎ কাজ দেখে অনেকের মাঝে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়। সুতরাং গরিব, অসহায় শিশুদের নানাভাবে সেবা করার মানসিকতার দিক থেকে মাদার তেরেসা এবং উদ্দীপকের ছাত্রদের সঙ্গে সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ মাদার তেরেসা এবং উদ্দীপকের ছাত্ররা নানাভাবে অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
মাদার তেরেসা ছিলেন এক অনন্য মানবদরদি। শিশুদের তিনি বেশি ভালোবাসতেন। তাইতো শিক্ষিকা থাকাকালীন সময়ে ছাত্রদেরকে দরিদ্র শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর উৎসাহ দিতেন; এমনকি শিশুদের উন্নতির জন্য তিনি কলকাতার নোংরা বস্তিতেও স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে শিশুদের পড়ালেখা করানোর মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ কিছুই ছিল না, তবুও তিনি মাটিতে দাগ কেটে শিশুদের অক্ষরজ্ঞান দিতেন। এভাবে অনাথ ও অসহায় শিশুদের তিনি নানাভাবে সাহায্য করতেন।
উদ্দীপকের বøু বার্ড স্কুলের ছাত্ররাও অসহায় শিশুদের নানাভাবে সাহায্য করে। ছাত্ররা তাদের টিফিনের টাকা দিয়ে বস্তি ও পথশিশুদের খাবার, জামাকাপড় এমনকি বইখাতা দিয়েও সাহায্য করে। এটা ছাত্রদের একটা মহৎ উদ্যোগ। আর ছাত্রদের এ উদ্যোগ দেখে আরো অনেক ছাত্র উৎসাহিত হয়েছে গরিব শিশুদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য।
প্রবন্ধ এবং উদ্দীপকের আলোচনা থেকে দেখা যায়, অনাথ শিশুদেরকে নানাভাবে সাহায্য করে মাদার তেরেসা এবং ছাত্ররা এক মহৎ মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ মহানুভবতার পরিচয়
এরফান আলী য²া রোগে আক্রান্ত । প্রচণ্ড কাশি হয়, সঙ্গে আবার রক্তও পড়ে। এসব দেখে পরিবার এবং আত্মীয়স্বজন সবাই তাকে পরিত্যাগ করেছে। য²া রোগটি ছোঁয়াচে ভেবে সবাই তাকে একঘরে করে রেখেছে। কিন্তু স্কুল শিক্ষক ফজলুল হক তার এ শোচনীয় অবস্থা দেখে কষ্ট পান। তিনি এরফান আলীকে ‘য²া নিরাময় কেন্দ্রে’ নিয়ে যান এবং ঠিকমতো ওষুধ ও সেবা দিয়ে তাকে সুস্থ করে তোলেন।
ক. যুদ্ধে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু কার কোমল মনে খুব আঘাত করেছিল?
খ. মাদার তেরেসা পুরস্কারের অর্থ নিজের জন্য রাখেননি কেন? ২
গ. উদ্দীপকের ফজলুল হক মাদার তেরেসার কোন গুণটি ধারণ করে আছেন- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “সাদৃশ্য থাকলেও ফজলুল হক পুরোপুরি মাদার তেরেসা হয়ে উঠতে পারেননি” মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিচার কর।
ক যুদ্ধে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু মাদার তেরেসার কোমল মনে খুব আঘাত লেগেছিল।
খ দুঃখী মানুষের সেবার জন্য পুরস্কারের সব অর্থ ব্যয় করেছেন মাদার তেরেসা। তাই নিজের জন্য কোনো অর্থ রাখেননি।
মানুষের সেবা করাই ছিল মাদার তেরেসার একমাত্র উদ্দেশ্য। নিজের আয়েশি জীবন ত্যাগ করে তিনি নেমে এসেছিলেন দুস্থ মানুষের স্তরে, সুস্থদের সেবা করার জন্য নিজে কখনই বিলাসী জীবনযাপন করতেন না। ব্যক্তিগতভাবে মাদার তেরেসা তিনটির বেশি শাড়ি ব্যবহার করতেন না। জীবনের সব অর্থ তিনি অসহায় মানুষের কাজে ব্যয় করেছেন। এমনকি নোবেল পুরস্কারের মতো বড় অঙ্কের অর্থও তিনি দুস্থ মানুষের সেবায় ব্যয় করেন।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ মাদার তেরেসার মানবপ্রেমের স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
ঘ মাদার তেরেসা রচনায় মূলবক্তব্য মানবসেবা এ বিষয়টি বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো
খালেদা আক্তার একজন জনদরদি মানুষ। যেখানেই তিনি মানুষকে অসহায় অবস্থায় দেখেন সেখানে তিনি ছুটে যান। তিনি অসহায় ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ান। তাঁর কাছ থেকে কেউ কষ্ট পাননি। তিনি তাঁর সাধ্যমতো চেষ্টা করেন মানুষকে সেবাযতœ করার জন্য। তিনি গ্রামের মহিলাদের শিক্ষিত করার জন্য একটি নৈশবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে নিজে সেখানে বয়স্ক নারীদের শিক্ষা দিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, অসুস্থ ও দুস্থ ব্যক্তির সেবায়ও তিনি এগিয়ে আসেন।
ক. মাদার তেরেসা কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? ১
খ. মাদার তেরেসা খ্রিষ্টান মিশনারিতে যোগ দিলেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের খালেদা আক্তার ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের কার প্রতিচ্ছবি? নিরূপণ কর।
ঘ. ‘কিছু সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকের খালেদা আক্তার পুরোপুরি মাদার তেরেসা নয়’ বিশ্লেষণ কর।
ক মাদার তেরেসার জন্ম আলবেনিয়ায়।
খ মাদার তেরেসা মানুষের সেবার উদ্দেশ্যে সন্ন্যাসিনী হয়ে খ্রিষ্টান মিশনারি দলে যোগ দেন।
১৯২৮ সালে ১৮ বছর বয়সের তরুণী মাদার তেরেসা ‘লরেটো সিস্টার্স’ নামে খ্রিষ্টান মিশনারি দলে যোগ দেন। ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতে এরা কাজ করত। এই দল থেকে সন্ন্যাসিনী হওয়ার প্রশিক্ষণ নেন তিনি। বাঙালিদের মধ্যে কাজ করতে বাংলা ভাষা রপ্ত করেন। এরপর কলকাতার সেন্ট মেরি’জ স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পান। ১৭ বছর সে স্কুলে চাকরি করেন। স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেবার আগ্রহ জাগাতে চেষ্টা করেন তেরেসা। সপ্তাহে একদিন তাদের টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে বস্তির শিশুদের জন্য খরচ করতে উৎসাহ দেন।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ মাদার তেরেসার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধর।
ঘ মাদার তেরেসার সামাজিক দিক মূল্যায়ন কর।
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ কত সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়?
উত্তর : ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ কত সালে মাদার তেরেসার বাবা মারা যান?
উত্তর : ১৯১৭ সালে মাদার তেরেসার বাবা মারা যান।
প্রশ্ন \ ৩ \ মাদার তেরেসা কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : মাদার তেরেসা ১৯১০ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন \ ৪ \ মাদার তেরেসার মায়ের নাম কী?
উত্তর : মাদার তেরেসার মায়ের নাম দ্রানাফিল বার্নাই।
প্রশ্ন \ ৫ \ মাদার তেরেসার বাবার পেশা কী ছিল?
উত্তর : মাদার তেরেসার বাবা ছিলেন বাড়িঘর তৈরির কারবারি।
প্রশ্ন \ ৬ \ মাদার তেরেসার জন্ম কোন দেশে?
উত্তর : মাদার তেরেসার জন্ম আলবেনিয়ায়।
প্রশ্ন \ ৭ \ কত সালে মাদার তেরেসা লরেটো সিস্টার্সে যোগ দেন?
উত্তর : ১৯২৮ সালে ১৮ বছর বয়সে তিনি লরেটো সিস্টার্সে যোগ দেন।
প্রশ্ন \ ৮ \ মাদার তেরেসা কোন স্কুলে শিক্ষকতা করেন?
উত্তর : মাদার তেরেসা ‘সেন্ট মেরি’জ স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
প্রশ্ন \ ৯ \ মাদার তেরেসা কত বছর সেন্ট মেরি’জ স্কুলে শিক্ষকতা করেন?
উত্তর : মাদার তেরেসা ১৭ বছর সেন্ট মেরি’জ স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
প্রশ্ন \ ১০ \ মাদার তেরেসা কত সালে লরেটো থেকে বিদায় নেন?
উত্তর : মাদার তেরেসা ১৯৪৮ সালে লরেটো থেকে বিদায় নেন।
প্রশ্ন \ ১১ \ ‘গাউন’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : গাউন হলোÑ মহিলাদের বিশেষ পোশাক।
প্রশ্ন \ ১২ \ মাদার তেরেসার সেবা সংঘের নাম কী?
উত্তর : মাদার তেরেসার সেবাসংঘের নাম ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’।
প্রশ্ন \ ১৩ \ মৃত্যুমুখী অসহায় মানুষের জন্য তিনি কী প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর : মৃত্যুমুখী অসহায় মানুষের জন্য মাদার তেরেসা ‘নির্মল হৃদয়’ নামে এক ভবন প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রশ্ন \ ১৪ \ কত সালে ‘নির্মল হৃদয়’ প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : ১৯৫২ সালে ‘নির্মল হৃদয়’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ১৫ \ ‘শিশুভবন’ প্রতিষ্ঠিত হয় কাদের জন্য?
উত্তর : ‘শিশুভবন’ প্রতিষ্ঠিত হয় অনাথ শিশুদের জন্য।
প্রশ্ন \ ১৬ \ প্রতিবন্ধীদের জন্য মাদার তেরেসা কী প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর : প্রতিবন্ধীদের জন্য মাদার তেরেসা ‘নবজীবন আবাস’ প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রশ্ন \ ১৭ \ মাদার তেরেসা কর্তৃক কুষ্ঠরোগীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত আবাসনের নাম কী?
উত্তর : মাদার তেরেসা কর্তৃক কুষ্ঠরোগীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত আবাসনের নাম হলো ‘প্রেমনিবাস’।
প্রশ্ন \ ১৮ \ কোথায় ‘প্রেমনিবাস’ প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : ভারতের টিটাগড়ে প্রথম ‘প্রেমনিবাস’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ১৯ \ মাদার তেরেসা প্রথম কখন বাংলাদেশে আসেন?
উত্তর : স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে মাদার তেরেসা প্রথম বাংলাদেশে আসেন।
প্রশ্ন \ ২০ \ মাদার তেরেসার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার কোনটি?
উত্তর : মাদার তেরেসার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার হলো নোবেল পুরস্কার।
প্রশ্ন \ ২১ \ নোবেল কমিটির ভোজসভার অর্থ মাদার তেরেসা কাদের দিয়েছিলেন?
উত্তর : নোবেল কমিটির ভোজসভার অর্থ মাদার তেরেসা ক্ষুধার্ত মানুষদের দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন \ ২২ \ মাদার তেরেসা কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : মাদার তেরেসা ১৯৯৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ ‘মাদার তেরেসা’ নাম কীভাবে হলো?
উত্তর : সন্ন্যাসব্রত গ্রহণের সময় মাদার তেরেসা নাম হলো।
মাদার তেরেসা জš§গ্রহণ করেন আলবেনিয়ার স্কপিয়েতে। পারিবারিক পদবি অনুসারে তাঁর নাম ছিল অ্যাগনেস গোনজা বোজাঝিউ। কিন্তু সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করার সময় তার নাম হয় মাদার তেরেসা।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘তিনটির বেশি শাড়ি তাঁর কখনো ছিল না’ কেন?
উত্তর : সাধারণ মানুষকে ভালোবেসে, সাধারণের মতো জীবন যাপনের লক্ষ্যে মাদার তেরেসা ৩টির বেশি শাড়ি কখনই রাখতেন না।
গরিব-দুঃখী মানুষের সেবায় মাদার তেরেসা সব রকমের বিলাসিতা ত্যাগ করেছিলেন। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কোনো বাড়তি কাপড় মাদার তেরেসা ব্যবহার করতেন না। তার টাকাপয়সাও খুব বেশি ছিল না। এই সহজ-সরল জীবনযাপন করতেন বলেই তেরেসার তিনটির বেশি শাড়ি ছিল না।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘তাই সব দেশের সব ধর্মের মানুষের ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন’ কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : মাদার তেরেসা জাতি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সবার সেবায় ব্রতী ছিলেন বলে সবার ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন।
ভালোবাসা দিয়ে মানুষের জীবনকে শান্তিময় করার জন্য কাজ করে গেছেন মাদার তেরেসা। দেশ, ধর্ম, জাতির মধ্যে পার্থক্য না করে সেবাকাজে তিনি মানুষকেই সবচেয়ে বড় করে দেখেছিলেন। তাই তিনি সবার ভালোবাসা পেয়েছিলেন।
প্রশ্ন \ ৪ \ মানুষের মনে মাদার তেরেসা চিরকাল বেঁচে থাকবেন কেন?
উত্তর : মানবসেবার কারণেই মাদার তেরেসা মানুষের মনে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
মানুষ মানুষকে ভালোবাসেÑ এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পৃথিবীতে সবসময় এটি দৃষ্টিগোচর হয় না। আবার কালেভদ্রে এমন মানুষও পৃথিবীতে আসে, যারা মানুষের সেবাতেই তাদের সারা জীবন উৎসর্গ করে। মাদার তেরেসা ছিলেন তেমনি একজন মানবদরদি ও মানবসেবী। মানুষের শান্তির জন্য নিরলস কাজ করে মাদার তেরেসা পৃথিবীর মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। তাঁর সারাজীবন মানবসেবায় উৎসর্গ করেছেন বলেই মানুষের মনে তিনি চির অম্লান হয়ে থাকবেন।
প্রশ্ন \ ৫ \ ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ কীভাবে গঠিত হয়?
উত্তর : অনেক সন্ন্যাসিনী নিয়ে মাদার তেরেসা মানবসেবা সংঘ ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ গঠন করেন।
মানুষের সেবা করার জন্য মাদার তেরেসা ছোটবেলা থেকেই তৎপর ছিলেন। মানবসেবার লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। ধীরে ধীরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল অনেক মানুষ। মাদার তেরেসার কাজের পরিধি ক্রমাগত বাড়তে লাগল। তার সেবা কাজ দেখে যোগ দিল আরও অনেক সন্ন্যাসিনী। তাদের নিয়ে তিনি গড়লেন মানবসেবা সংঘ ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’।
প্রশ্ন \ ৭ \ অসহায় শিশুদের জন্য মাদার তেরেসার ভ‚মিকা কেমন ছিল?
উত্তর : মাদার তেরেসার মানবসেবায় শিশুরা ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুদের তিনি বেশি ভালোবাসতেন। বস্তির শিশুদের পড়াশোনার জন্য কলকাতার নোংরা বস্তিতে তিনি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। রাস্তা থেকে তুলে আনা অনাথ শিশুদের আশ্রয় দিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘শিশুভবন’। ‘শিশুভবনে’ এনে এসব শিশুকে তিনি মাতৃস্নেহে লালনপালন করতেন। শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্যও মাদার তেরেসার মমতার কমতি ছিল না। তিনি তাদের পুনর্বাসনের জন্য স্থাপন করলেন ‘নবজীবন আবাস’। সেখানে প্রতিবন্ধী শিশুদের লেখাপড়া ও লালনপালনের ব্যবস্থা করা হয়।
প্রশ্ন \ ৮ \ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মাদার তেরেসার ভ‚মিকা কেমন ছিল?
উত্তর : ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মাদার তেরেসার ভ‚মিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মমতাময়ী মাদার তেরেসার মমতার ছোঁয়া ভারতের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশেও এসে পৌঁছেছিল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নেয়। সেই সময় দুর্গত মানুষের সেবা করার জন্য মাদার তেরেসা ছুটে আসেন শরণার্থী শিবিরে। তাদের পাশে থেকে খাদ্য, পানীয় ও ওষুধ সরবরাহ করে মাদার তেরেসা শরণার্থী শিবিরে সেবার কাজ চালান। এভাবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেন।
প্রশ্ন \ ৯ \ মাদার তেরেসা কুষ্ঠরোগীদের জন্য আবাসনব্যবস্থা করেছিলেন কেন?
উত্তর : কুষ্ঠরোগকে ছোঁয়াচে মনে করে এ রোগীকে সবাই ঘৃণা করত। এ কারণে মাদার তেরেসা তাদের পৃথক আবাসনব্যবস্থা করেন।
মাদার তেরেসা কুষ্ঠরোগীদের জন্য পৃথক আবাসনব্যবস্থা করেন। মাদার তেরেসা ভারতের টিটাগড়ে কুষ্ঠরোগীদের জন্য আবাসন ‘প্রেমনিবাস’ প্রতিষ্ঠা করেন। কুষ্ঠরোগীদের শরীরে থাকত দুর্গন্ধময় দগদগে ঘা থাকার ফলে সমাজের মানুষ তাদের ঘৃণা ও পরিত্যাগ করত। অসুখটা ছোঁয়াচে ভেবে রোগীর কাছ থেকে দূরে থাকত। যার কারণে কুষ্ঠরোগীদের জীবন হয়ে ওঠে খুব কষ্টের। মাদার তেরেসা এ কারণে তাদের পৃথক আবাসনের ব্যবস্থা করে সেবাদান করেন।