মানুষ জাতি
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ কবি পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৮৮১ ১৮৮২
গ ১৮৮৩ ঘ ১৮৮৪
২. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের গ্রামের নাম কোনটি? (জ্ঞান)
নিমতা খ দহগ্রাম
গ বাঁশখালী ঘ কুমারখালী
৩. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কত বছর বয়সে মারা যান? (জ্ঞান)
চলিশ খ পঞ্চাশ
গ ত্রিশ ঘ ষাট
৪. বাংলা কবিতার ক্ষেত্রে ‘ছন্দের জাদুকর’ কাকে বলা হয়?
ক জসীমউদ্দীনকে খ কামিনী রায়কে
গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকে
৫. জীবনের শুরুতে সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কোন পেশায় জড়িত ছিলেন? (জ্ঞান)
ক ওকালতি ব্যবসা
গ সাংবাদিকতা ঘ সরকারি চাকুরে
৬. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ব্যবসা ছেড়ে কীসে আত্মনিয়োগ করেন? (জ্ঞান)
সাহিত্য সাধনায় খ সাংবাদিকতায়
গ গবেষণায় ঘ ব্যক্তিগত কাজে
৭. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত সমধিক পরিচিত কীসে? (জ্ঞান)
ক নাটকে খ উপন্যাসে
গ প্রবন্ধে কবিতায়
৮. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের সম্পর্ক আছে কোন কাব্য গ্রন্থের? [কুমিল্লা জিলা স্কুল]
ক বনলতা সেন বেণু ও বীণা
গ গীতাঞ্জলি ঘ অগ্নি-বীণা
৯. ‘মানুষ জাতি’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত? (জ্ঞান)
অভ্র আবীর খ কুহু ও কেকা
গ বেণু ও বীণা ঘ জলের লিখন
১০. ‘মানুষ জাতি’ কবিতাটির মূল নাম কী ছিল? (জ্ঞান)
জাতির পাঁতি খ মানব জাতি
গ জাতের ভেদ ঘ বর্ণবাদ
১১. ‘বেণু ও বীণা’ কোন ধরনের সাহিত্যকর্ম? [সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, নওগাঁ]
ক উপন্যাস কাব্যগ্রন্থ
গ নাটক ঘ প্রবন্ধ
১২. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ‘ছন্দের জাদুকর’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন কেন? (অনুধাবন)
বৈচিত্র্যপূর্ণ ছন্দের কবিতা লেখার জন্য
খ বৈচিত্র্যপূর্ণ ছন্দে প্রণয়ন করার জন্য
গ সর্বপ্রথম ছন্দের কবিতা লেখার জন্য
ঘ তার সব কবিতা ছন্দপূর্ণ হওয়ার জন্য
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার বৈশিষ্ট্য- (অনুধাবন)
র. ছন্দ বৈচিত্র্য রর. আরবি ফারসি শব্দের ব্যবহার
ররর. বাংলা ছন্দের সুদক্ষ কারিগর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৪. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত সম্পর্কিত সঠিক তথ্য হলো (অনুধাবন)
র. তিনি একজন অনুবাদক রর. তিনি একজন ঔপন্যাসিক
ররর. তিনি ছন্দের জাদুকর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৬২
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫. ‘মানুষ জাতি’ কবিতায় কীসের জন্য যুঝির বা সংগ্রাম করার কথা বলা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক দেশের জন্য খ খাদ্যের জন্য
বাঁচার জন্য ঘ মানুষের জন্য
১৬. ‘মানুষ জাতি’ কবিতার কবির নাম কী? (জ্ঞান)
ক সত্যেন সেন সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
গ সুকুমার রায় ঘ অমর্ত্য সেন
১৭. মানুষে মানুষে কৃত্রিম ভেদাভেদ কী হয়? (জ্ঞান) [কুষ্টিয়া জিলা স্কুল]
ক টিকেট থাকে খ স্থায়ী হয়
গ শেষ হয়ে যায় ধুলায় লোটে
১৮. বেঁচে থাকার জন্য আমরা কী বাঁধি? (জ্ঞান)
ক দোসর বাসর
গ জল ঘ ডাঙ্গা
১৯. জলে ডোবার সময় কী পেলে আমরা বেঁচে যাই? (জ্ঞান)
ক খড়কুটো খ বন্ধু
ডাঙা ঘ খাবার
২০. কালো আর ধলো মানুষের কোথাকার রং? (জ্ঞান)
ক ভিতরের বাইরের
গ মনের ঘ মুখের
২১. বামুন, শূদ্র, বৃহৎ, ক্ষুদ্র এগুলো কী ধরনের জাতিভেদ? (জ্ঞান)
ক প্রধান খ আসল
গ অকৃত্রিম কৃত্রিম
২২. দুনিয়া সব মানুষেরই কী? (জ্ঞান)
ক বাসস্থান খ অধিকার
জনম-বেদি ঘ মরণ-বেদি
২৩. ‘জলে ডুবি, বাঁচি পাইলে ডাঙা’- কবি এখানে ‘বাঁচি’ শব্দটির মাধ্যমে কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
ক বেঁচে থাকা স্বস্তি পাওয়া
গ শান্তি পাওয়া ঘ নতুন আশায় বুক বাঁধা
২৪. ‘ভিতরে সবার সমান রাঙা’ – এখানে কবি ‘রাঙা’ শব্দটি দ্বারা কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
সবার রক্তই লাল
খ সবার মনে একই রং
গ সবার মনে একই সৌন্দর্য
ঘ সবার ভেতরেই রঙের ছড়াছড়ি
২৫. ‘বাহিরের ছোপ আঁচড়ে সে লোপ’- কবি এখানে ‘বাহিরের ছোপ’ শব্দটি কেন ব্যবহার করেছেন? (অনুধাবন)
ক মানুষের বাহ্যিক রূপ বোঝাতে
মানুষের শরীরের রঙের পার্থক্য বোঝাতে
গ মানুষের মুখোশ বোঝাতে
ঘ মানুষের চেহারা বোঝাতে
২৬. ‘বামুন, শূদ্র, বৃহৎ, ক্ষুদ্র’ এসবের মধ্যে ভেদ না থাকার কারণ কী? (অনুধাবন)
ক সব মানুষের ধর্ম এক
জগৎজুড়ে মানুষের একটাই জাতি
গ পৃথিবীতে সব মানুষের অবস্থান এক
ঘ সব মানুষের মানসিকতা এক
২৭. ‘কৃত্রিম ভেদ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
ক পৃথিবীতে মানুষের তৈরি বর্ণপ্রথা
খ পৃথিবীতে মানুষের অবস্থান
গ মানুষে মানুষে সাবলীল ভেদ
মানুষের সঙ্গে মানুষের তৈরি পার্থক্য
২৮. বামুন কোন ধর্মের জাত? (জ্ঞান)
ক মুসলিম খ বৌদ্ধ গ খ্রিষ্টান সনাতন
২৯. ‘কালো আর ধলো বাহিরে কেবল’ উক্তিটির তাৎপর্য কী?
ক মানুষের চেহারা আলাদা
খ মানুষের মুখের রং ভিন্ন
গ মানুষের গায়ের রং কালো ও ফরসা
মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যটাই মূল কথা নয়
৩০. “দুনিয়ার সাথে গাঁথা বুনিয়াদ দুনিয়া সবারি জনম-বেদি” এ কথাটির দ্বারা লেখক কী বুঝিয়েছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মানুষ সবাই সমান
সব মানুষেরই জš§ক্ষেত্র পৃথিবী
গ মানুষের মধ্যে ভ্রাত্বত্ববোধ প্রতিষ্ঠিত
ঘ মানুষ পৃথিবীর সবার সেরা
৩১. “বামুন, শূদ্র, বৃহৎ, ক্ষুদ্র কৃত্রিম ভেদ ধুলায় লোটে” উক্তিটির মাধ্যমে কোন ভাব ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মানুষে মানুষে ভেদাভেদ চিরস্থায়ী
খ মানুষে মানুষে সম্পর্ক চিরস্থায়ী
মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ক্ষণস্থায়ী
ঘ মানুষে মানুষে সম্পর্ক ক্ষণস্থায়ী
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩২. পৃথিবীর সব মানুষ যা সমান ভাবে উপলব্ধি করতে পারে তা বুঝাতে প্রযোজ্য (অনুধাবন)
র. শীত ও তাপ রর. ক্ষুধার জ্বালা ররর. তৃষ্ণার জ্বালা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৩. সবার ভিতরে একই রকম ‘রাঙা’ বলতে কবি বুঝিয়েছেন (অনুধাবন)
র. সবাই লাল রং পছন্দ করে রর. সকলের রক্তের রং লাল
ররর. মানুষের অভ্যন্তরীন মাঝে কোনো ভেদাভেদ নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৪. বাইরে কালো আর ধলো হলেও সব মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ভেতরে সবারই সমান রঙিন রর. ভিতরের রং পলকে ফোটে
ররর. কৃত্রিম ভেদ ধুলায় লোটে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৫. মানুষে মানুষে কৃত্রিম ভেদাভেদ সৃষ্টি হয়- (অনুধাবন)
র. ধর্মের ভিন্নতায় রর. বর্ণের পার্থক্য ররর. রক্তের পার্থক্য
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬. ‘এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত’ বলতে কবি প্রকৃতপক্ষে যে ধারণা দিয়েছেন- (অনুধাবন)
র. একই পৃথিবীর স্নেহ ছায়ায় প্রতিপালিত হওয়া
রর. একই জগতের আলো-বাতাসে বেড়ে ওঠা
ররর. একই মায়ের দুধ পান করে বেড়ে ওঠা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৭. যাদেরকে মানবজাতির সাথি বলা হয়েছে- (অনুধাবন)
র. একই বরি রর. একই শশী ররর. একই পৃথিবী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩৮ ও ৩৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
পল্লিকবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য সাধনার কাজে দেশ-বিদেশ ঘুরেছেন। বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে মিশতে গিয়ে তিনি তার অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার পূর্ণ করেছেন। তিনি দেখেছেন মানুষ জাতির অভিন্ন চিত্র। বাহ্যিক ভিন্নতা থাকলেও পৃথিবীর সব মানুষের মাঝে এক নিবিড় সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন তিনি। তাই তিনি বলেছেনÑ
‘নানান বরণ গাভীরে ভাই একই বরণ দুধ’
জগৎ ভরিয়া দেখিলাম সব একই মায়ের পুত।’
৩৮. অনুচ্ছেদের ভাববস্তুর সঙ্গে তোমার পঠিত কোন কবিতার মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক সুখ মানুষ জাতি
গ জন্মভূমি ঘ প্রার্থনা
৩৯. উলিখিত কবিতার চরণ দুটির উক্ত কবিতার যে ভাব ধারণ করে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কালো আর ধলো বাহিরে কেবল/ভিতরে সবাই সমান রাঙা
রর. এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত/একই রবি শশী মোদের সাথী
ররর. বামুন, শূদ্র, বৃহৎ, ক্ষুদ্র/কৃত্রিম ভেদ ধুলায় লোটে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪০ ও ৪১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রনি তার বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে খেলছিল। হঠাৎ সে দেখল একটি টোকাই ছেলে রাস্তার উপর পড়ে গিয়েছে। তার হাঁটুর কাছে কেটে গিয়ে রক্ত ঝরছে। রনি অবাক হয়ে দেখল রাস্তার ওই ছেলেটির রক্ত তারই মতো লাল।
৪০. ‘মানুষ জাতি’ কবিতার যে বিষয়টি এখানে প্রাসঙ্গিক তা হচ্ছে – (প্রয়োগ)
র. সব মানুষের অভ্যন্তরীণ গঠন এক রর. পৃথিবীর সবার সমান অধিকার
ররর. জাতিভেদ, বর্ণভেদ কৃত্রিম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ ররর
৪১. ‘মানুষ জাতি’ কবিতায় উক্ত বিষয় ধারণকৃত চরণ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই
কালো আর ধলো বাহিরে কেবল, ভিতরে সবারই সমান রাঙা
গ বর্ণে বর্ণে নাইরে বিশেষ নিখিল জগৎ ব্রহ্মময়
ঘ গর্তে গেলে ক‚পজল কয় গঙ্গায় গেলে গঙ্গাজল হয়
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪২ ও ৪৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
কেউ মালা কেউ তসবি গলায়, তাইতো কী জাত ভিন্ন বলায়, যাওয়া কিংবা আসার বেলায় জেতের চিহ্ন রয় কারে। [সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন, যশোর]
৪২. উদ্ধৃতাংশের বক্তব্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ কবিতা কোনটি? (প্রয়োগ)
ক জš§ভ‚মি খ সুখ
মানুষ জাতি ঘ বাঁচতে দাও
৪৩. উদ্ধৃতাংশের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ চরণ হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কচি কাঁচাগুলি ডাঁটো করে তুলি, বাঁচিবার তরে সমান যুঝি
খ দোসর খুঁজি ও বাসর বাঁধি গো, জলে ডুবি, বাঁচি পাইলে ডাঙা
ব্রাহ্মণ, শূদ্র, বৃহৎ, ক্ষুদ্র, কৃত্রিম ভেদ ধুলায় লোটে
ঘ রাগে অনুরাগে নিদ্রিত জাগে, আসল মানুষ প্রকট হয়
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৬৩
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৪. ‘জনম-বেদি’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
জন্মস্থান খ জন্ম পর্যন্ত
গ জন্মের পূর্বে ঘ জন্ম-মৃত্যু
৪৫. ‘দোসর’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক দুই বন্ধু
গ দুই মুখ যার ঘ ভিন্ন স্বর
৪৬. ‘বাঁচিবার তরে সমান যুঝি’Ñ এখানে কবি ‘যুঝি’ শব্দটি দ্বারা কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
ক পুষ্ট করি খ চেষ্টা করি
লড়াই করি ঘ প্রতিক‚লতা মোকাবিলা করি
৪৭. ‘রবি শশী’ শব্দের অর্থ কী?
[বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভেড়ামারা কুষ্টিয়া]
ক পৃথিবী ও সূর্য খ পৃথিবীর ও চাঁদ
সূর্য ও চাঁদ ঘ পৃথিবী, সূর্য ও চাঁদ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৮. ‘দোসর’ শব্দটি যে অর্থে ব্যবহৃত হয়- (অনুধাবন)
র. সহপাঠী রর. বন্ধু ররর. সঙ্গী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৬৪
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৯. ‘মানুষ জাতি’ কবিতায় কাদের বন্দনা করা হয়েছে? (জ্ঞান)
মানুষের খ ধর্মের গ জাতের ঘ বর্ণের
৫০. মানুষ জাতি কয়টি পৃথিবীর স্তন্যে লালিত? (জ্ঞান)
এক খ একাধিক গ অসংখ্য ঘ দুইটি
৫১. মানুষে মানুষে কৃত্রিম ভেদাভেদে কী হয়? (জ্ঞান)
ক পৃথিবী ধ্বংস হয় মনষ্যত্ব ধুলায় লোটে
গ মানুষের মৃত্যু হয় ঘ শিক্ষায় ছেদ ঘটে
৫২. কীসের সঙ্গে মানুষের বুনিয়াদ গাঁথা? (জ্ঞান)
ক মানুষের খ বংশের
দুনিয়ার ঘ ইহকালের
৫৩. সমাজে মানুষের ভেদাভেদগুলো কোন ধরনের? (অনুধাবন)
কৃত্রিম খ প্রাকৃতিক
গ দৈনিক ঘ অর্পিত
৫৪. মানুষের ভেতরের রং কখন ফুটে ওঠে? (অনুধাবন)
ক শরীরে রোদ লাগলে শরীরে আঁচড় লাগলে
গ মারা গেলে ঘ ঘুমিয়ে গেলে
৫৫. ‘শিখার তিন ধর্মাবলম্বী তিন জন বান্ধবী আছে। শিখা তিন জনকেই সমান ভালোবাসে। শিখার মধ্যে ‘মানুষ জাতি’ কবিতার কোন ভাবটির প্রতিফলন ঘটেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই সমান
খ বাঁচার জন্য সংগ্রাম
গ কৃত্রিম ভেদ ধুলায় লোটে
ঘ নিখিল জগৎ ব্রহ্মময়
৫৬. মানুষের পার্থক্যটা কোথায়? (জ্ঞান)
বাইরে খ ভেতরে
গ সংস্কৃতিতে ঘ ধর্মে
৫৭. ‘মানুষ জাতি’ কবিতার মূল সুর কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধ
খ স্বজনপ্রীতি
মানুষের ভেদাভেদহীনত
া ঘ সা¤প্রদায়িকতা
৫৮. মানুষের কোনটি সবার এক রকম? (জ্ঞান)
ক শরীরের গঠন খ চেহারা
গ মানসিকতা রক্ত
৫৯. লালন ফকির জাতকে গুরুত্বপূর্ণ মনে না করে মনুষ্য ধর্মকেই মূল বলে বিবেচনা করেন। তার এ মতবাদ তোমার পাঠ্য কোন কবিতার সাথে সাদৃস্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক ঝিঙে ফুল খ সভা
মানুষ জাতি ঘ বাঁচতে দাও
৬০. মানুষ সব সময় কী খুঁজে বেড়ায়? (জ্ঞান)
ক শত্রæ খ অর্থ
দোসর ঘ গল্প
৬১. কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত মনে করেন, পৃথিবীতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র পরিচয়ের ঊর্ধ্বে মানবসমাজ। এতে তার কোন ধরনের মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে? (উচ্চতর দক্ষতা)
অসা¤প্রদায়িক খ পরোপকারী
গ ধৈর্যশীল ঘ ন্যায়পরায়ণ
৬২. ‘শশী’ শব্দটির অর্থ কী? (অনুধাবন)
ক ভানু চাঁদ
গ সূর্য ঘ তারা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৩. মানুষের যেসব অনুভ‚তি এক তা হলোÑ (অনুধাবন)
র. শীতলতা ও উষ্ণতায় রর. ক্ষুধা ও তৃষ্ণার
ররর. ভালো ও মন্দের
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৪. ‘মানুষ জাতি’ কবিতাটি পাঠের উদ্দেশ্য হলো (অনুধাবন)
র. সকলের প্রতি সংবেদনশীল হওয়া
রর. সকলের প্রতি সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা
ররর. মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬৫. নেলসন ম্যান্ডেলা কালো আর সাদার ভেদাভেদ দূর করার জন্য দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেন। তার মধ্যে ‘মানুষ জাতি’ কবিতার যে বিষয় লক্ষণীয় (প্রয়োগ)
র. সব মানুষের অভ্যন্তরীণ গঠন এক রর. পৃথিবী সবার জš§ক্ষেত্র
ররর. মানুষে মানুষে বর্ণভেদ কৃত্রিম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ শ্রেণিবৈষম্য
রাকিবুল হাসান একদিন ক্লাসে এসে দেখলেন, সামনের টেবিলে বসা নিয়ে ছেলেরা খুব হইচই করছে। তারা কিছুতেই রহিমকে সামনের টেবিলে বসতে দেবে না। কারণ, তার পোশাক পুরাতন এবং সে স্কুলের মালি রহমতের ছেলে। বিষয়টি বুঝতে পেরে রাকিব স্যার বললেন, মানুষ যখন মানবিক গুণ হারিয়ে ফেলে এবং তাদের ভেতরে জাতি-ধর্ম ও বর্ণভেদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তখন সমাজ থেকে শান্তি চলে যায়। আমাদেরকে ভুলে গেলে চলবে না যে, আমরা সবাই এক জাতি আর তা হলো মানুষ জাতি।’ তখন তিনি চণ্ডীদাসের বিখ্যাত কবিতাটি শোনালেনÑ
“শুনহো মানুষ ভাই,
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই”
ক. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের উপাধি কী? ১
খ. কবি বর্ণে বর্ণে পার্থক্য করেন না কেন? ২
গ. উদ্দীপকের রহিমকে সামনের টেবিলে বসতে না দেয়ার বিষয়টিতে ‘মানুষ জাতি’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে- বর্ণনা কর। ৩
ঘ.‘সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত চণ্ডীদাসের মতোই মানুষের জয়গান গেয়েছেন’Ñ উক্তিটি ‘মানুষ জাতি’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের উপাধি ‘ছন্দের জাদুকর’।
খ কবির কাছে মানুষের একমাত্র পরিচয় সবাই মানুষ জাতি- তাই তিনি বর্ণে বর্ণে পার্থক্য করেনা।
মানুষে মানুষে জন্মসূত্রকেই কবি সবচেয়ে বড় করে দেখেছেন। রাগ, অভিমান, দুঃখ, কষ্টে সব মানুষ একসূত্রে গাঁথা। তাই কবি বর্ণে বর্ণে পার্থক্য করেন না।
গ উদ্দীপকের রহিমকে সামনের টেবিলে বসতে না দেয়ার বিষয়টিতে ‘মানুষ জাতি’ কবিতার শ্রেণিবৈষম্যের দিকটি ফুটে উঠেছে।
‘মানুষ জাতি’ কবিতায় মানুষের মধ্যে শ্রেণিবৈষম্যের বিষয়টি বর্ণনা করে মানুষের পরিচয়কে সবচেয়ে বড় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। পৃথিবীর সব মানুষকে নিয়েই গড়ে উঠেছে মানুষ জাতি। এ মানুষ জাতি সব সৃষ্টির সেরা। এদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। মানুষ জন্মগতভাবেই এক ও অভিন্ন। কিন্তু মানুষ আজ জাতিভেদ, বর্ণভেদ ও বংশকৌলীন্য ইত্যাদি কৃত্রিম পরিচয়ে নিজেদের পরিচয়কে সংকীর্ণ ও গণ্ডিবদ্ধ করেছে।
উদ্দীপকের রহিমকেও সামাজিক মর্যাদার কারণে তার সহপাঠীরা অবহেলায় পেছনে ঠেলেদিয়েছে। সে মালির ছেলে বলে শ্রেণিবৈষম্যের শিকার হয়ে সামনের টেবিলে বসার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সমাজের শ্রেণিবৈষম্যই মানুষকে তার আসল পরিচয় থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। অর্থাৎ ‘মানুষ জাতি’ কবিতার এ শ্রেণিবৈষম্যের দিকটিই উদ্দীপকের রহিমের মধ্যে ফুটে উঠেছে।
ঘ ‘সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত চন্ডীদাসের মতোই মানুষের জয়গান গেয়েছে’- উক্তিটি যথার্থ।
‘মানুষ জাতি’ কবিতায় তিনি মানুষের জয়গান গেয়েছেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ গোত্র সবকিছুর উপরে মানুষকে স্থান দিয়েছেন। দেশে দেশে ধর্ম ও বর্ণের পার্থক্য সৃষ্টি করে মানুষে মানুষে যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে, কবি মানুষকে তার চেয়ে উপরে আসন দিয়েছেন।
‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।’
কবি চণ্ডীদাসের এ কথার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করলেন ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। তার ‘মানুষ জাতি’ কবিতার বিষয়বস্তুর সঙ্গে চণ্ডীদাসের এ বিখ্যাত বাণীটির মিল পাওয়া যায়।
‘মানুষ জাতি’ কবিতায় সব মানুষের প্রতি সংবেদনশীলতা ও সমমর্যাদার কথা বলা হয়েছে। আর উদ্দীপকে চণ্ডীদাসের কবিতায়ও একই সুর ধ্বনিত। তাই আলোচনীয় পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত চণ্ডীদাসের মতোই মানুষের জয়গান গেয়েছেন।’
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ সমগ্র বিশ্বের মানুষকে মানুষ পরিচয়ে আবদ্ধ
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন অসা¤প্রদায়িক কবি। জাতি-ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে তিনি মানুষকে স্থান দিয়েছেন। তার কবিতায় ধনী-গরিব উঁচুনিচু। হিন্দুমুসলমান সব মানুষকে একই দৃষ্টিতে দেখেছেন। মানুষের বড় পরিচয় হচ্ছে সে মানুষ এ সত্যই নজরুলের কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে। [সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নওগাঁ]
ক. মানুষের ভেতরের রং কেমন? ১
খ. ‘দোসর খুঁজি ও বাসর বাঁধি গো’Ñ পঙ্ক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকে ‘মানুষ জাতি’ কবিতার যে ভাবটি প্রকাশিত হয়েছে তার বর্ণনা দাও। ৩
ঘ.“মানুষের সব থেকে বড় পরিচয় হচ্ছে সে মানুষ” উদ্দীপক ও ‘মানুষ জাতি’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক মানুষের ভেতরের রং রাঙা।
খ ‘দোসর খুঁজি ও বাসর বাঁধি গো’- পঙ্ক্তিটি দ্বারা প্রতিটি মানুষ তার সঙ্গীর সঙ্গে বাসর বেঁধে জীবনকে সুখের করতে চায় সেকথাই বলা হয়েছে।
পৃথিবীতে মানুষ একা চলতে পারে না। তাই সে সঙ্গী চায়। এ দোসরের সঙ্গে বাসর বেঁধে ইহকালীন জীবন সুখের করতে চায়। তাই মানুষ একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে জীবনকে সুখের করতে চায়। ‘দোসর খুঁজি ও বাসর বাঁধি গো’ পঙ্ক্তিটি দ্বারা এ কথাই বোঝানো হয়েছে।
গ উদ্দীপকে ‘মানুষ জাতি’ কবিতায় সমগ্র বিশ্বের মানুষকে এক বড় পরিচয়ে আবদ্ধ করতে চেয়েছেন, এ ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে।
পৃথিবীতে বিভিন্ন ধর্ম গোত্রের মানুষ বাস করলেও সব পরিচয়ের ঊর্ধ্বে আমরা সবাই মানুষ। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষেরই বাসভ‚মি আমাদের এ পৃথিবী। বাইরের চেহেরার মধ্যে সাদা কালো ব্যবধান থাকলেও সব মানুষের ভেতরের রং এক অভিন্ন। সারা পৃথিবীতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ গোত্র পরিচয়ের উর্ধ্বে যে সমগ্র মানব সমাজ কবি এ কবিতায় সেই পরিচয়কে তুলে ধরেছেন।
উদ্দীপকেও মানব জাতি ও মানবতার জয়গান গাওয়া হয়েছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রিষ্টান আমরা সবাই মানুষ। সকল ধর্মের সেরা ধর্ম মানবধর্ম। উদ্দীপকে পৃথিবীর মানুষের কৃত্রিম পরিচয় ছেড়ে তার আসল ও বড় পরিচয় গ্রহণ করার আহŸান জানানো হয়েছে যা ‘মানুষ জাতি’ কবিতার ভাবকেই ধারণ করে।
ঘ “মানুষের সব থেকে বড় পরিচয় হচ্ছে সে মানুষ” -এ মন্তব্যটি যথার্থ।
পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণের লোক থাকলেও আমাদের সবারই রয়েছে এক ও অভিন্ন পরিচয়। সে পরিচয় হচ্ছে আমরা সবাই মানুষ। উদ্দীপক ও ‘মানুষ জাতি’ কবিতায় একই ভাব প্রকাশিত হয়েছে।
মানুষ পৃথক কোনো জাতিসত্তা নয় বরং গোটা পৃথিবীর মানুষ অভিন্ন জাতি, তাদের প্রধান পরিচয় তারা ‘মানুষ জাতি’। সারা পৃথিবীতে জাতি ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র পরিচয়ের ঊর্ধ্বে যে সমগ্র মানব সমাজ কবি এ কবিতায় মানুষের সেই পরিচয়কেই তুলে ধরেছেন।
অসা¤প্রদায়িকতার প্রতীক কবি কাজী নজরুল ইসলাম জাতি, ধর্ম বর্ণ নিবিশেষে নজরুল মানুষ ও মানবতার জয়গান করেছেন। ছোট বড় সাদা কালো ধর্ম বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠাই নজরুলের মূল চেতনা।
উপরিউক্ত আলোচনার সারসংক্ষেপ বলা যায়, মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে মানুষ যা মানুষ জাতি কবিতা ও উদ্দীপকের মূলভাবকে ধারণ করে।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ পারস্পরিক স¤প্রীতি
“কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক মানুষেতেই সুরাসুর
রিপুর তাড়নে যখনি মোদের বিবেক পায় গো লয়
আত্মগ্লানির নরক অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদের কুঁড়েঘরে।”
ক. কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? ১
খ. ‘একই পৃথিবীর স্তন্যে লালিত’- বলতে কী বুঝিয়েছেন? ২
গ. ‘মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক’Ñ চরণটিতে ‘মানুষ জাতি’ কবিতার কোন দিকটির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকের শেষ দুই চরণ ‘মানুষ জাতি’ কবিতার মূলভাব ফুটে উঠেছে”Ñ উক্তিটির সত্যাসত্য বিচার কর। ৪
ক কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
খ “একই পৃথিবীর স্তন্যে লালিত” -এ চরণটিতে ‘স্তন্যে’ দ্বারা পৃথিবী থেকে আমরা বেঁচে থাকার যে সমস্ত উপকরণ গ্রহণ করি, তাই বোঝানো হয়েছে।
বেঁচে থাকার জন্য পৃথিবী থেকে আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি, খাদ্য গ্রহণ করি, আলো-বাতাস গ্রহণ করি। বেঁচে থাকার জন্য পৃথিবীর সব মানুষ পৃথিবীর উপকরণসমূহই গ্রহণ করে। পৃথিবীর বাইরে থেকে কিছু গ্রহণ করতে পারে না। আলোচ্য চরণে ‘স্তন্য’ দ্বারা এটাই বোঝানো হয়েছে।
গ ‘মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক’চরণটিতে ‘মানুষ জাতি’ কবিতায় বর্ণিত প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দিকটি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
‘মানুষ জাতি’ কবিতায় বলা হয়েছে এ পৃথিবী সকল মানুষের আবাসস্থল। নানা বর্ণ ও গোত্রের মানুষ পৃথিবীতে বসবাস করছে হাজার বছর ধরে। স¤প্রদায় ও বর্ণভেদ পৃথিবীতে দিন দিন প্রকট হয়ে উঠছে। আবার বিভিন্ন জাতিভেদ মানুষের মাঝে ক্রমান্বয়ে দূরত্ব সৃষ্টি করছে। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে মানুষের মাঝে এ দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। যখন প্রতিটি মানুষ একে অপরের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবে, ধর্ম-বর্ণের ব্যবধানের ওপর মানবতাকে প্রাধান্য দেবে তবেই পৃথিবীতে শান্তির বিরাজ করবে।
মানুষ যখন ভেদাভেদ ভুলে পরস্পর পরস্পরকে প্রীতিডোরে আবদ্ধ করে তখন স্বর্গের সুখ সৃষ্টি হয়। বর্ণভেদ, ধর্মভেদ যখন সমাজে বড় করে দেখা দেয় তখন সমাজ হয়ে ওঠে অশান্ত। এটাই নরক যন্ত্রণা। সুতরাং মানুষ যখন পরস্পরকে প্রীতিডোরে আবদ্ধ করবে, জাতি-ধর্মের ভেদ ভুলে যাবে তখন সে স্বর্গের সুখ লাভ করবে।
ঘ “উদ্দীপকের শেষ দুই চরণ ‘মানুষ জাতি’ কবিতার মূল সুর ধারণ করেছে”Ñ উক্তিটি যথার্থ।
‘মানুষ জাতি’ কবিতার মূলভাব হলো- শুধু বংশগত শ্রেণিভেদ নয়, বর্ণগত শ্রেণিভেদও সমাজে এখন প্রকট আকার ধারণ করছে। শ্বেতাঙ্গরা কৃষ্ণাঙ্গদের সমানভাবে গ্রহণ করতে পারছে না। তার মূল কারণ হলো মানুষ তার জন্ম পরিচয় ভুলে গেছে। তারা তাদের নিজের পরিচয় সংকীর্ণ ও গণ্ডিবদ্ধ করেছে। মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো তারা মানুষ। সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে শুধু মানুষ বলতে একটি জাতিকেই সৃষ্টি করেছেন। মানুষের মাঝে আকৃতিগত পার্থক্য থাকলেও প্রকৃতিগত কোনো পার্থক্য নেই।
উদ্দীপকের শেষের চরণ দুটির ভাবার্থ হলো প্রতিটি মানুষ যখন ধর্ম-বর্ণের বেড়াজাল ছিন্ন করে প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হবে তখন সমাজে শান্তির সুবাতাস প্রবাহিত হবে। পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রথম শর্ত হচ্ছে মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টি করা। প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যখন মানুষ পরস্পর পরস্পরকে বেঁধে ফেলবে তখন পৃথিবীতে স্বর্গের সুখ বিরাজ করবে। তাই বলা যায়, পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রধান চালিকাশক্তি হলো পারস্পরিক স¤প্রীতি। আর উদ্দীপকের শেষ দুই চরণ ‘মানুষ জাতি’ কবিতার এ ভাবটিই ধারণ করেছে।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ বর্ণ প্রথা
পৃথিবীর অন্যতম একটি দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে জাতি বা বর্ণপ্রথা কঠিন আকারে বিদ্যমান। সেখানে বাস্তবেই কালো ও শ্বেতদের মাঝে বিভেদ লক্ষ করা যায়। নেলসন মেন্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা। যার কল্যাণে সে দেশের কালো মানুষ দাসত্ব ও বর্ণবাদ থেকে মুক্ত হয়েছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।
ক. ‘ব্রহ্ম’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ‘শীতাতপ ক্ষুধা তৃষ্ণার জ্বালা
সবাই আমরা সমান বুঝি’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. নেলসন মেন্ডেলার কর্মকাণ্ডে ‘মানুষ জাতি’ কবিতার কোন দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকে ‘মানুষ জাতি’ কবিতার সমগ্র ভাবের প্রতিফলন ঘটেনি”- মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪
ক ‘ব্রহ্ম’ শব্দের অর্থ পরমেশ্বর।
খ শীতাতপ, ক্ষুধা, তৃষ্ণার জ্বালা আমরা সবাই সমান বোঝার কারণ হলো আমাদের সবার সমান অনুভ‚তি রয়েছে।
পৃথিবীর সব মানুষই পাঁচটা ইন্দ্রিয়ের অধিকারী। ব্যক্তি, জাতি বা দেশভেদে ইন্দ্রিয়ের আধিক্য নেই। ক্ষুধার জ্বালা যেভাবে আমরা সবাই অনুধাবন করি, শীত আর গরমের জ্বালাও সেভাবে অনুভব করি।
মানুষে মানুষে ভেদাভেদ যা আছে তা বাহ্যিক। কিন্তু ভেতরটা সবারই সমান।
গ নেলসন মেন্ডেলার কর্মকাণ্ডে মানুষ জাতি কবিতার সাম্যবাদী দিকটি ফুটে ওঠেছে।
‘মানুষ জাতি’ কবিতায় কবি সকল ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে মানুষকে স্থান দিয়েছেন। যারা পৃথিবীতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র পরিচয়ের ঊর্ধ্বে যে সমগ্র মানবসমাজ কবি এ কবিতায় মানুষের সেই পরিচয়কেই তুলে ধরেছেন। কবি মনে করেন গোটা দুনিয়ার সঙ্গে মানুষের যে জš§সম্পর্ক, সেই বিচারে মানুষ সবার উপরে এবং তার আসল পরিচয় হলো মানুষ। এই বিষয়টিরই প্রতিফলন ঘটেছে নেলসন মেন্ডেলার কর্মকাণ্ডে। নেলসন মেন্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ প্রথা বিলোপের জন্য সংগ্রাম করেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় কালো আর ধলোর বিভেদ অনেক দিনের। কালো রঙের মানুষের চেয়ে শ্বেত বা সাদা রঙের মানুষ উঁচু স্থানের, সম্মান ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নিজ প্রচেষ্টায় এ বর্ণবাদ প্রথা দূর করে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করেছেন। তার এ কর্মকাণ্ডে ‘মানুষ জাতি’ কবিতার সাম্যবাদী বিষয়বস্তুরই প্রতিফলন ঘটেছে।
ঘ উদ্দীপকে ‘মানুষ জাতি’ কবিতার সমগ্র ভাবের প্রতিফলন ঘটেনি- মন্তব্যটি যথার্থ।
‘মানুষ জাতি’ কবিতার শুধু বর্ণভেদ প্রথা দূরীকরণের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। কবিতার বিষয় এতে অনুপস্থিত। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের মানুষ জাতি কবিতার সমগ্র ভাবের প্রতিফলন ঘটেনি। নেলসন মেন্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার কালো মানুষদের দাসত্ব ও বর্ণবাদ থেকে মুক্ত করেছেন। তবে এ বিষয়টিই আলোচ্য কবিতার একমাত্র বিষয় নয়। এছাড়াও এ কবিতায় বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।
‘মানুষ জাতি’ কবিতায় কবি বলেছেন এই ধরণীর স্নেহচ্ছায়ায় এবং একই সূর্য ও চাঁদের আলোতে লালিতপালিত হচ্ছে সব মানুষ। গোটা দুনিয়ার সঙ্গে মানুষের যে জš§সম্পর্ক সেই বিচারে মানুষের আসল পরিচয় হচ্ছে সে মানুষ। পৃথিবীর সব মানুষকে নিয়েই গড়ে উঠেছে মানুষ জাতি। এই বিষয়গুলো উদ্দীপকে অনুপস্থিত।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘মানুষ জাতি’ কবিতার সামগ্রিক ভাবের ধারক নয়।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ সবাইকে সমদৃষ্টিতে দেখার আহŸান
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘মমতাদি’ গল্পটিতে মমতাদি দরিদ্রতার কারণে অন্যের বাসায় কাজ নেয়। মমতার গৃহকর্ত্রী স্ত্রী তাকে কাজের মানুষ বিবেচনা না করে নিজের পরিবারের একজন মনে করেন। কারণ তিনি মনে করেন মানুষের মধ্যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও অবস্থাগত পার্থক্য থাকলেও সকল মানুষ সমান।
ক. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকে কোন ধরনের কবি বলা হয়? ১
খ. ‘বাঁচিবার তরে সমান যুঝি’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. মমতাদির গল্পের মালিকের স্ত্রীর মানসিকতায় ‘মানবজাতি’ কবিতার কোন ভাবের প্রকাশ ঘটেছে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত কবিতা ও উদ্দীপকের মূলভাব তুমি সমর্থন কর কি? মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪
ক সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকে ছান্দসিক কবি বলা হয়।
খ ‘বাঁচিবার তরে সমান যুঝি।’- চরণটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে, পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য আমরা সমানভাবে যুদ্ধ করি।
পৃথিবীতে সকলে বেঁচে থাকতে চায়। আয়ুর সবটুকু ভোগ করে আরো বেশি বেঁচে থাকতে চায়। যদি মৃত্যু কখনো হাতছানি দেয়, তবে বেঁচে থাকার জন্য আমরা সবাই সমান সংগ্রাম করি। আলোচ্য চরণ দ্বারা এটিই বোঝানো হয়েছে।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘মমতাদির’ গল্পের গৃহকর্ত্রীর মানসিকতা ‘মানুষ জাতি’ কবিতার জাতিভেদ ভুলে সকল মানুষকে সম্মানের দৃষ্টিভঙ্গির দিকটি তুলে ধর।
ঘ ‘মানুষ জাতি’ কবিতার মূলভাব বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ মানুষ জাতি এক ও অভিন্ন
(র) জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা
————
আসবার কালে কি জাত ছিলে
এসে তুমি কি জাত নিলে।
ক. এ পৃথিবীতে মানুষ কী খোঁজে? ১
খ. ‘দোসর খুঁজি ও বাসর বাঁধি গো’ চরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. “উদ্দীপকের ভাবগত আবহের সঙ্গে ‘মানুষ জাতি’ কবিতায় সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের অন্তর্নিহিত তাৎপর্যের সাথে তুমি একমত পোষণ কর কি? ‘মানুষ জাতি’ কবিতার আলোকে মতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক এ পৃথিবীতে মানুষ দোসর খোঁজে।
খ দোসর খুঁজি বাসর বাঁধি গো- বলতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে বসবাস করার কথা বলা হয়েছে।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ‘মানুষ জাতি’ কবিতায় সামাজিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য মানুষের কৃত কর্মের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এই পৃথিবীর বিপদ সংযুক্ত পথ পাড়ি দেয়ার জন্য মানুষের বন্ধুর প্রয়োজন। বন্ধুত্বের আশ্রয়ে থাকলে যেকোনো বাধা বিঘœ অতিক্রম করা যায়। তাই দোসর অর্থাৎ বন্ধু খুঁজে বাসর বাঁধার কথা বলা হয়েছে।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘মানুষ জাতি’ কবিতার জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র পরিচয়ের ঊর্ধ্বে মানুষের পরিচয়-এ অভিন্ন বিষয়টি তুলে ধর।
ঘ ‘মানুষ জাতি’ কবিতার মূলবক্তব্য মূল্যায়ন কর।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ সমমর্যাদার মনোভাব সৃষ্টি
(১) ‘জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে
সে জাতির নাম মানুষ জাতি
এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত
একই রবি শশী মোদের সাথী।’
(২) ‘কেউ মালা, কেউ তস্বি গলায়
তাইতে কি জাত ভিন্ন বলায়
যাওয়া কিংবা আসার বেলায়
জেতের চিহ্ন রয় কার রে।’
ক. বেঁচে থাকার জন্য আমরা কী বাঁধি? ১
খ. “বর্ণে বর্ণে নাই রে বিশেষ
নিখিল জগৎ ব্রহ্মময়।” চরণ দুটির ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের দুটি স্তবকের সাথে ‘মানুষ জাতি’ কবিতায় সাদৃশ্য- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকের দুটি স্তবকের মূলভাব ‘মানুষ জাতি’ কবিতার সামগ্রিক ভাবধারণ করে কী? মতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক বেঁচে থাকার জন্য আমরা বাসর বাঁধি।
খ বর্ণের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। সমগ্র পৃথিবীটাই বিধাতার, পরমেশ্বরের।
পৃথিবীতে নানা বর্ণের লোক আছে, কিন্তু এর মাঝে সৃষ্টিগতভাবে কোনো পার্থক্য নেই। যিনি নিখিল জগতের স্রষ্টা তাঁর ক্ষমতা সমগ্র পৃথিবীময়। এখানে বর্ণবিশেষের মাঝে তেমন পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। কবি মানুষের মধ্যে বর্ণ গোত্রকে পরিহার করতে বলেছেন। সমগ্র পৃথিবীটাই বিশ্ব বিধাতার। তাঁর কাছে সবাই সমান। তাই তিনি বর্ণবিশেষের মাঝে পার্থক্য মানেন না, উদ্ধৃতিটিতে সেকথাই বোঝানো হয়েছে।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘মানুষ জাতি’ কবিতায় মানুষের অভ্যন্তরীণ গঠনের অভিন্নতার বিষয়টি ব্যাখ্যা কর।
ঘ ‘মানুষ জাতি’ কবিতার বিশ্বমানবকে সমদৃষ্টি দেখার দিকটি বিশ্লেষণ কর।
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ ‘মানুষ জাতি’ কবিতার কবি কে?
উত্তর : ‘মানুষ জাতি’ কবিতার কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘মানুষ জাতি’ কবিতায় কার জয়গান গাওয়া হয়েছে?
উত্তর : ‘মানুষ জাতি’ কবিতায় মানুষের জয়গান গাওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৩ \ কবি মানুষকে কীসের উপরে স্থান দিয়েছেন?
উত্তর : কবি মানুষকে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবকিছুর উপরে স্থান দিয়েছেন।
প্রশ্ন \ ৪ \ মানুষ জাতি কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
উত্তর : অভ্র আবীর।
প্রশ্ন \ ৫ \ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কর্মজীবন শুরু করেছিলেন কী দিয়ে?
উত্তর : সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ব্যবসা দিয়ে।
প্রশ্ন \ ৬ \ ‘মানুষ জাতি’ কবিতার মূল কবিতার নাম কী?
উত্তর : ‘মানুষ জাতি’ কবিতার মূল কবিতার নাম ‘জাতির পাঁতি’।
প্রশ্ন \ ৭ \ মানুষ কীসের স্তন্যে লালিত?
উত্তর : মানুষ একই পৃথিবীর স্তন্যে লালিত।
প্রশ্ন \ ৮ \ ‘বনেদি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘বনেদি’ শব্দের অর্থ প্রাচীন বা সম্ভ্রান্ত।
প্রশ্ন \ ৯ \ মানুষ কীসের বিরুদ্ধে একসঙ্গে সংগ্রাম করে?
উত্তর : মানুষ প্রকৃতির প্রতিক‚লতার বিরুদ্ধে একসঙ্গে সংগ্রাম করে।
প্রশ্ন \ ১০ \ আমরা সবাই কীসের জ্বালা সমান বুঝি?
উত্তর : আমরা সবাই শীতাতপ ক্ষুধা-তৃষ্ণার জ্বালা সমান বুঝি।
প্রশ্ন \ ১১ \ আমাদের সবার ভেতরের রং কী?
উত্তর : আমাদের সবার ভেতরের রং হলো এক (লাল)।
প্রশ্ন \ ১২ \ কৃত্রিম ভেদ কোথায় লোটে?
উত্তর : কৃত্রিম ভেদ ধুলায় লোটে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ আমাদের বুনিয়াদ কার সঙ্গে গাঁথা?
উত্তর : আমাদের বুনিয়াদ দুনিয়ার সঙ্গে গাঁথা।
প্রশ্ন \ ১৪ \ সবার ভেতরের রং কেমন?
উত্তর : সবার ভেতরের রং লাল।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ বংশে বংশে মানুষের কোনো তফাত নাই কেন?
উত্তর : পৃথিবীতে মানুষের বড় পরিচয় সে মানুষ। এ কারণেই বংশে বংশে কোনো মানুষের তফাত নেই।
পৃথিবীর পার্থক্য সব মানুষ নিয়েই গড়ে উঠেছে মানুষ জাতি। ‘মানুষ জাতি’ কবিতায় কবি মানুষের জাতি ধর্ম, বর্ণ, গোত্র পরিচয়ের ঊর্ধ্বে মানুষের পরিচয়কেই বড় করে দেখেছেন। তাই এখানে কোনো বংশে বংশে পার্থক্য নাই।
প্রশ্ন \ ২ \ কবি মানুষের সৃষ্ট ভেদাভেদকে কৃত্রিম ভেদ বলেছেন কেন?
উত্তর : একই পৃথিবীতে জš§গ্রহণকারী সকল মানুষ অনুভ‚তির দিক থেকে এক হওয়ায় কবি মানুষের সৃষ্ট ভেদাভেদকে কৃত্রিম ভেদ বলেছেন।
‘মানুষ জাতি’ কবিতায় কবি মানুষকে সবার উপরে স্থান দিয়েছেন। পৃথিবীর আলো-বাতাস, শীতলতা, ক্ষুধার অনুভ‚তি সকল মানুষের সমান। বাইরের ভেদাভেদ মানুষেরই সৃষ্টি। এ কারণে কবি বাহ্যিক সে ভেদাভেদকে কৃত্রিম ভেদ বলেছেন।
প্রশ্ন \ ৩ \ পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের শক্ত ভিত্তি থাকার কারণ কী?
উত্তর : পৃথিবী সকল মানুষের জš§স্থান। তাই পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের শক্ত ভিত্তি বিদ্যমান।
পৃথিবীতে সবকিছুর উপরে মানুষ জাতির অবস্থান। একই পৃথিবীর আলো-বাতাসে মানুষ লালিত হয়। বাঁচার জন্য সব মানুষ পৃথিবীতে সমানভাবে সংগ্রাম করে। পৃথিবীই তাদের প্রকৃত ভিত্তি। পৃথিবী সব মানুষকেই আগলে রাখে আজীবন।
প্রশ্ন \ ৪ \ ‘বাঁচিবার তরে সমান যুঝি’Ñ এ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘বাঁচিবার তরে সমান যুঝি’Ñ এ কথাটি দ্বারা সব মানুষের একই রকম বেঁচে থাকার সংগ্রামের কথা বোঝানো হয়েছে।
এ পৃথিবী সব মানুষের আবাসস্থল। এ পৃথিবীতে নানা বর্ণের মানুষ পাশাপাশি অবস্থান করে। প্রাকৃতিক প্রতিক‚লতার বিরুদ্ধে বেঁচে থাকার জন্য মানুষের সংগ্রাম সামগ্রিক। জীবনসংগ্রামে প্রতিটি মানুষ একে অপরের সহযোদ্ধা। এ কথাটিই প্রশ্নে উলিখিত বাক্যে বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৫ \ ‘সবাই আমরা সমান বুঝি’-এ কথা দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘সবাই আমরা সমান বুঝি’ একথা দ্বারা অনুভ‚তির ক্ষেত্রে সব মানুষের অভিন্নতার বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।
পৃথিবীর সব মানুষের গঠন উপাদান একই ধরনের। আকৃতিতে মানুষের মধ্যে ভিন্নতা থাকলেও প্রকৃতিতে মানুষ অভিন্ন। প্রতিটি মানুষ জন্মসূত্রে একে অপরের আত্মীয়। ক্ষুধা-তৃষ্ণার জ্বালাও আমরা সমানভাবে অনুভব করি। তাহলে কেন মানুষের মাঝে এই বিভেদ? অনুভ‚তির ক্ষমতা প্রতিটি মানুষেরই সমান। তেতো জিনিস সবার কাছেই তেতো। আবার মিষ্টি জিনিসকে পৃথিবীর কোনো জাতির মানুষই তেঁতো বলতে পারবে না। অর্থাৎ অনুভ‚তির ক্ষেত্রে সব মানুষই অভিন্ন।
প্রশ্ন \ ৬ \ ‘ভেতরে সবাই সমান রাঙা’ পঙ্ক্তিটি দ্বারা কোন ভাব প্রকাশ পেয়েছে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘ভেতরে সবাই সমান রাঙা।’ পঙ্ক্তিটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে, পৃথিবীর সব মানুষের শরীরের ভেতরে এক রং তথা এক রঙের রক্ত প্রবাহিত।
আমাদের কারো শরীর কালো, কারো শরীর সাদা। আমরা সুন্দর আর অসুন্দরের পার্থক্য করি। কিন্তু আমাদের সবার রক্ত সমান রাঙা। এতে কোনো তারতম্য নেই। মূলত এর দ্বারা মানুষের বর্ণবৈষম্য দূর করা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৭ \ বামুন, শূদ্র, বৃহৎ, ক্ষুদ্র এসবের মধ্যে ভেদ নেই কেন?
উত্তর : ভিতরে সবারই সমান রাস্তা বলে বামুন, শূদ্র, বৃহৎ, ক্ষুদ্র এসবের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই।
মানুষে মানুষে আকৃতিগত দিক থেকে পার্থক্য থাকলেও গঠন-উপাদান একই ধরনের। বিধাতা পৃথিবীতে একটি জাতি সৃষ্টি করেছেন, তা হলো মানুষ জাতি। এখানে বামুন, শূদ্র, বৃহৎ, ক্ষুদ্র এসবের মধ্যে কোনো ভেদ নেই।
প্রশ্ন \ ৮ \ কবি মানুষের মাঝে কোনো ভেদাভেদ খুঁজে পান না কেন?
উত্তর : কবির ছিল জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের প্রতি সংবেদনশীল ও সমমর্যাদার মনোভাব। এ জন্যই তিনি মানুষের মাঝে ভেদাভেদ খুঁজে পান না।
আমাদের পৃথিবী সব মানুষের আবাসস্থল। এখানে নানা ধর্মের বর্ণের মানুষ বাস করে। এসব ভিন্নতা সত্তে¡ও তারা একে অন্যকে বন্ধু ভাবলে এ পৃথিবী আরও সুন্দর হয়ে উঠবে। কবিও এই ভাবনা হৃদয়ে ধারণ করেছেন। তাই তিনি মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ খুঁজে পান না।