পাখির কাছে ফুলের কাছে
আল মাহমুদ
কবি পরিচিতি
নাম আল মাহমুদ। প্রকৃত নাম : মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে। জন্মস্থান : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রাম।
পিতৃ ও মাতৃপরিচয় পিতার নাম : মীর আব্দুর রউফ। মাতার নাম : মীর রওশনারা বেগম।
শিক্ষাজীবন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জর্জ সিক্সথ স্কুল থেকে তিনি প্রবেশিকা পাস করেন।
পেশা/কর্মজীবন সাংবাদিকতা, পত্রিকার সম্পাদক (গণকণ্ঠ, কর্ণফুলী), শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ (১৯৯৫)।
সাহিত্য সাধনা কাব্যগ্রন্থ : লোক-লোকান্তর, কালের কলস, সোনালী কাবিন, মায়াবী পর্দা দুলে উঠো, মিথ্যেবাদী রাখাল, একচক্ষু হরিণ, আরব্য রজনীর রাজহাঁস, পাখির কাছে ফুলের কাছে ইত্যাদি। গল্পগ্রন্থ : পানকৌড়ির রক্ত, সৌরভের কাছে পরাজিত, ময়ূরীর মুখ ইত্যাদি। উপন্যাস : ডাহুকী, আগুনের মেয়ে, উপমহাদেশ, আগন্তুক প্রভৃতি।
পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদকসহ বহু পুরস্কারে ভ‚ষিত হন।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ কবি পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতাটির রচয়িতা কে? (জ্ঞান)
ক কাজী নজরুল ইসলাম আল মাহমুদ
গ জসীমউদ্দীন ঘ হুমায়ুন আজাদ
২. ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতাটি কবি আল মাহমুদের কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে? (জ্ঞান)
ক কালের কলস
খ সোনালী কাবিন
গ মায়াবী পর্দা দুলে উঠো
পাখির কাছে ফুলের কাছে
৩. কবি আল মাহমুদ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
[জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ]
ক ১৯৩৩ খ ১৯৩৪ গ ১৯৩৫ ১৯৩৬
৪. কবি আল মাহমুদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
মোড়াইল খ ফুলবাড়িয়া
গ তাম্বুলখানা ঘ চুরুলিয়া
৫. কবি আল মাহমুদ কত সালে শিল্পকলা একাডেমি থেকে অবসর গ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯৯৪ ১৯৯৫
গ ১৯৯৬ ঘ ১৯৯৭
৬. কবি আল মাহমুদ সাহিত্যে অবদানের জন্য নিচের কোন পুরস্কারে ভ‚ষিত হন? (জ্ঞান)
ক স্বাধীনতা দিবস একুশে পদক
গ বিশ্বসাহিত্য ঘ মেরিল প্রথম আলো
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭. কবি আল মাহমুদের পেশা ছিল- (অনুধাবন)
র. সাংবাদিকতা
রর. চাকরি
ররর. ব্যবসা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮. কবি আল মাহমুদ যে পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন- (অনুধাবন)
র. গণকণ্ঠ
রর. কর্ণফুলী
ররর. জনকণ্ঠ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯. কবি আল মাহমুদ রচিত উপন্যাস হলো (অনুধাবন)
র. উপমহাদেশ
রর. আকাশ নীলের হাতছানি
ররর. আগুনের মেয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০. পাখির কাছে, ফুলের কাছে কবি কী বলেন? [ যশোর জিলা স্কুল ]
ক গান মনের কথা
গ ছড়া ঘ কবিতা
১১. পাহাড়টিতে হাত বুলিয়ে কবি কোথায় গেলেন?
লালদিঘির পাড়ে খ নারকেল তলায়
গ পাথরঘাটায় ঘ দরগাতলায়
১২. ঝিমধরা মস্ত শহর কাঁপছিল কেমন করে? (জ্ঞান)
থরথর করে খ হুর হুর করে
গ মরমর করে ঘ পড় পড় করে
১৩. ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় কোন জায়গায় গির্জার উলেখ আছে? (জ্ঞান)
ক মাধবকুণ্ড খ পরীবাগ
গ গলাচিপা পাথরঘাটা
১৪. ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় কোন স্থানের উলেখ আছে? (জ্ঞান)
ক কদমতলা খ কলাতলী
দরগাতলা ঘ আমতলী
১৫. ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় কবিকে কে ডাক দিয়েছিল?
[জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ]
ক পাখি উটকো পাহাড়
গ পরী ঘ শিশু
১৬. কবিতায় কাদের দরবার বসেছে? (জ্ঞান)
জোনাকিদের খ বাচ্চাদের
গ মৌমাছির ঘ ফুলেদের
১৭. লালদিঘির-জল কেমন? (জ্ঞান)
কালো খ সাদা
গ সবুজ ঘ লাল
১৮. কাব্য রচনার কথা শুনে কারা কলরব শুরু করল? (জ্ঞান)
ক ভিক্ষুকরা খ বাচ্চারা
ফুল পাখিরা সব ঘ কাকেরা
১৯. দিঘির জল কেমন শব্দে নেচে উঠল? (জ্ঞান)
কলকলিয়ে খ ছলছলিয়ে
গ ঢলঢল করে ঘ দ্রুত গতিতে
২০. কার কথায় ফুল পাখিরা সব হেসে উঠল? (জ্ঞান)
ক কবির কথায় খ পাখির কথায়
গ গাছের কথায় দিঘির কথায়
২১. কবি কীসের মাথায় হঠাৎ চাঁদ দেখলেন? (জ্ঞান)
ক পাহাড়ের খ গির্জার
নারকেলের ঘ মিনারের
২২. কবির কাছে চাঁদটাকে কীসের মতো মনে হয়েছে? (জ্ঞান)
ডাবের মতো খ নারকেলের মতো
গ ডিমের মতো ঘ থালার মতো
২৩. কবির দেখা চাঁদটা কেমন ছিল? (জ্ঞান)
ক ঠান্ডা ও চ্যাপ্টা ঠান্ডা ও গোলগাল
গ ঠান্ডা ও বাঁকা ঘ ঠান্ডা ও গভীর
২৪. কবি চাঁদ দেখে কী খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন? (জ্ঞান)
ছিটকিনি খ জানালা
গ দরজা ঘ কড়িকাঠ
২৫. কবি কীসের গায়ে হাত বুলিয়ে দিলেন? (জ্ঞান)
ক পাথরের খ লালদিঘির
গ জোনাকিদের পাহাড়ের
২৬. ‘দিঘির কালো জল’-কবিসহ সবাইকে কীসের দল বলে অভিহিত করল? (জ্ঞান)
ক না কাঁদার খ না হাসার
না ঘুমানোর ঘ না খেলার
২৭. দিঘির কালো জল-কবিকে কী লেখার ভাঁজ খুলতে বলল? (জ্ঞান)
পদ্য খ প্রবন্ধ গ উপন্যাস ঘ গল্প
২৮. কীসের কাছে আজ কাব্য হবে বলল দিঘির জল? (জ্ঞান)
ক লালদিঘির রক্তজবার ঝোপের
গ দিঘির কালো জলের ঘ উটকো পাহাড়ের
২৯. কবি পকেট থেকে কীসের বই বের করলেন? (জ্ঞান)
ছড়ার বই খ গানের বই
গ গল্পের বই ঘ রান্নার বই
৩০. কবি কাদের কাছে তার মনের কথা বলতে চেয়েছেন? (জ্ঞান)
ক মিনুর কাছে
খ রাজুর কাছে
গ কোকিলের কাছে
পাখির কাছে ফুলের কাছে
৩১. রাতের নিস্তব্ধ শহরকে কবি কোন বিষয়ের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ মনে করেছেন? (জ্ঞান)
ক চঞ্চলা শহর ঝিমধরা শহর
গ ঠান্ডা শহর ঘ লাল শহর
৩২. কবি ছিটকিনি খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন কেন? (অনুধাবন)
ক রাতের আকাশ দেখতে খ চাঁদ দেখতে
গ রাতের শহর দেখতে প্রকৃতির ডাকে
৩৩. ‘ঝিমধরা এই মস্ত শহর কাঁপছিল থরথর’Ñ চরণটির দ্বারা কবির কোন অনুভ‚তি প্রকাশ পেয়েছে? (অনুধাবন)
আবেগ খ রাত সচেতনতা
গ শহর সম্পর্কে ভাবনা ঘ প্রকৃতি ও পরিবেশ ভাবনা
৩৪. ‘জোনাকিদের দরবার’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
ক জোনাকিদের শলাপরামর্শ খ জোনাকিদের বিচার কার্যক্রম
গ জোনাকিদের রাজসভা জোনাকিদের আনন্দ আসর
৩৫. ‘প্রকৃতি মানুষের পরম আত্মীয়’ তোমার পাঠ্য কোন কবিতা এ বক্তব্য সমর্থন করে? (প্রয়োগ)
ক ঝিঙে ফুল খ মানুষ জাতি
গ সভা পাখির কাছে ফুলের কাছে
৩৬. ‘দিঘির কথায় উঠল হেসে ফুল পাখিরা সব’এর মধ্য দিয়ে কী ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জড় ও জীবপ্রকৃতির বৈষম্য
জড় ও জীবপ্রকৃতির সম্পর্ক
গ জড় ও জীবের তিক্ত সম্পকর্
ঘ জড় ও জীবের ভালোবাসা
৩৭. উটকো পাহাড়ের কবিকে ডাক দেয়ার মাঝে কী ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মানুষের প্রতি প্রকৃতির মমতা
খ মানুষের প্রতি প্রকৃতির দুর্বলতা
মানুষের প্রতি প্রকৃতির আহŸান
ঘ মানুষকে ভয় দেখানো
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৮. না ঘুমানোর দলের মধ্যে রয়েছে (অনুধাবন)
র. জোনাকিরা রর. দিঘির কালো জল
ররর. কবি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৯. ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় যে স্থানের নাম উল্লেখ আছে- (অনুধাবন)
র. পাথরঘাটা রর. দরগাতলা
ররর. শ্যামলতলা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪০. কবি যার কাছে মনের কথা বলেছেন- (অনুধাবন)
র. পাখি রর. ফুল
ররর. শহর
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪১. ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় কবি চাঁদকে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন (অনুধাবন)
র. ডাবের মতো
রর. ঠান্ডা
ররর. গোলগাল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪২ ও ৪৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
“বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওইÑ
মাগো, আমার শোলক-বলা কাজলা-দিদি কই?
পুকুর ধারে, নেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনাই জ্বলে,
নেবুর গন্ধে ঘুম আসে নাÑ তাইতো জেগে রই।”
৪২. অনুচ্ছেদের প্রসঙ্গগুলোতে কোন ভাবটি ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক প্রকৃতির আহŸান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
গ প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ঘ প্রকৃতির খেয়াল
৪৩. অনুচ্ছেদে ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার যেসব প্রসঙ্গ এসেছে (প্রয়োগ)
র. চাঁদ রর. জোনাই
ররর. লালদিঘি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৪ ও ৪৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
“নদীর ধারে হাঁটতে গিয়ে দেখি চোখ তুলে
পুব আকাশের মেঘগুলো সব পথ গেছে যে ভুলে
আমি বলি ওগো মেঘ চলো আমার সঙ্গে
অজানা পথ পাড়ি দিয়ে যাব দুজন মিলে।”
৪৪. ‘পাখির কাছে ফুলে কাছে’ কবিতার উটকো পাহাড়ের ডাক অনুচ্ছেদের কোনটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
ক নদীর ডাক খ পুব আকাশ]
মেঘ ঘ উদ্দীপকের কবি
৪৫. অনুচ্ছেদ ও ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় প্রতিফলন ঘটেছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. প্রকৃতির আহŸান রর.কবি সৌন্দর্যপিপাসা
ররর. কবির আবেগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৬. ‘উটকো’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক প্রয়োজনীয় খ ব্যবহৃত
গ কামনার বস্তু অপ্রত্যাশিত
৪৭. ‘মিনার’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
মসজিদের উঁচু স্তম্ভ খ তালগাছ
গ দালানকোঠা ঘ বাড়িঘর
৪৮. ‘দরবার’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক খেলাধুলা খ মিলাদ-মাহফিল
আনন্দ-আসর ঘ মাছধরা
৪৯. কেঁপে ওঠার ভাব বোঝাতে কোন শব্দটি ব্যবহৃত হয়? (জ্ঞান)
ক হিসহিস থরথর
গ জরজর ঘ মিউমিউ
৫০. খ্রিষ্টানদের উপাসনালয়কে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক মসজিদ খ প্যাগোডা
গ মন্দির গির্জা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫১. মিনার বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. মসজিদের উঁচু স্তম্ভ
রর. গম্বুজযুক্ত দালান
ররর. খ্রিষ্টানদের উপাসনালয়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫২. ‘চৌকিদার’ বোঝাতে যে শব্দ ব্যবহৃত হয়- (অনুধাবন)
র. দারোয়ান
রর. নিশাচর
ররর. প্রহরী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৩. ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা প্রকৃতিপ্রেম
গ শিক্ষার বিকাশ ঘ ধর্মপ্রাণ হওয়া
৫৪. ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কী ধরনের কবিতা? (অনুধাবন)
প্রকৃতিবিষয়ক খ প্রেমবিষয়ক
গ সংস্কৃতিবিষয়ক ঘ জাদুবিষয়ক
৫৫. ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় কবি শিক্ষার্থীর মধ্যে কোন অনুভ‚তি জাগ্রত করতে চেয়েছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
নিসর্গপ্রীতি খ রহস্যময়তা
গ নৈতিকতা ঘ মানবপ্রেম
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৬. ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় চিত্রিত হয়েছে-
[ রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ]
র. পল্লির স্নিগ্ধ-শ্যামল রূপ
রর. প্রকৃতির প্রতি কবির গভীর মমত্ববোধ
ররর. শেকড় সন্ধানী চেতনা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৭. প্রকৃতি হলো মানুষেরÑ
র. পরম আত্মীয় রর. সখা
ররর. শত্র“
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৮. কবি আল মাহমুদের কবিতার প্রাণ হলো-
[ রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ]
র. বাংলাদেশের লোকজ জীবন রর. পল্লিপ্রকৃতি
ররর. গ্রামের মানুষের জীবনধারা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ প্রকৃতির সৌন্দর্য
১. “নারকেলের ঐ লম্বা মাথায় হঠাৎ দেখি কাল
ডাবের মতো চাঁদ উঠেছে ঠান্ডা ও গোলগাল।
ছিটকিনিটা আস্তে খুলে পেরিয়ে গেলাম ঘর
ঝিমধরা এই মস্ত শহর কাঁপছিলো থরথর।”
২. “হাটে-মাঠে-গঞ্জে-ঘাটে সুদূর গাঁয়ের পথে
নদীর তীরে, বালুর চরে, সমুদ্র সৈকতে
ছড়িয়ে আছে জীবন যেন আনন্দে আটখানা
তুমিই যে তার ভাগ নিবে না তোমার শুধু মানা।”
ক. কবি কার কাছে মনের কথা বলেছেন? ১
খ. ‘ঝিমধরা এই মস্ত শহর কাঁপছিল থরথর’ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. কবিতাংশ দুটিতে ভাবের বৈপরীত্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘ছড়িয়ে আছে জীবন যেন আনন্দে আটখানা’Ñ উদ্দীপকের এ জীবন ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় কবি কীভাবে উপভোগ করেছেনÑ বিশ্লেষণ কর। ৪
ক কবি পাখির কাছে, ফুলের কাছে মনের কথা বলেছেন।
খ “ঝিমধরা এই মস্ত শহর কাঁপছিল থরথর” চরণটি দ্বারা কবির আবেগ মেশানো নিশুতি রাতের সৌন্দর্য বোঝানো হয়েছে।
চারপাশে পূর্ণিমার রাতে কবি ঘর থেকে বেরিয়েছেন। নিশুতি রাত জনমানবহীন। প্রকৃতি আর কবি যেন মিলেমিশে একাকার। কথা হয়, ভাববিনিময় হয়। এ অবস্থায় আধো ছায়া আধো আলোতে ঝিমধরা চির পরিচিত শহরটাকে অন্যরকম মনে হয়, অচেনা লাগে। মনে হয় যেন শহরটা থরথর করে কাঁপছে।
গ উদ্দীপকের কবিতাংশ দুটির একটিতে জীবনের স্বাধীন, মুক্তসত্তা ও অন্যটিতে বন্দিসত্তার পরিচয় পাওয়া যায়, যা বিপরীতধর্মী।
উদ্দীপকের প্রথম কবিতাংশে দেখি, কবি প্রকৃতির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ঘর থেকে বের হয়েছেন প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসার জন্য। প্রকৃতিকে আপন করে নিয়ে কবি ফুলের কাছে, পাখির কাছে গিয়ে মনের কথা খুলে বলেছেন।
দ্বিতীয় কবিতাংশেও প্রকৃতির সর্বত্রই জীবনের আনন্দ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। হাটে, মাঠে, ঘাটে, গাঁয়ের পথে, নদীর তীরে, বালুর চরে, সমুদ্র সৈকতে সর্বত্রই জীবনের জয়গান। তবে তা উপভোগ করতে নানা বাধা আসে কবির সামনে। সুতরাং বলা যায়, মুক্তসত্তা ও বন্দিসত্তার দিক দিয়ে উদ্দীপকের কবিতাংশ দুটি বিপরীতধর্মী।
ঘ ‘ছড়িয়ে আছে জীবন যেন আনন্দে আটখানা’- উদ্দীপকের এ আনন্দপূর্ণ জীবন কবি আন্তরিকতার সাথে উপভোগ করেছেন কবিতায়।
‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় প্রকৃতির মাঝে ছড়িয়ে থাকা আনন্দকে উপভোগ করতে কবি লালদিঘির পাড়ে এসে উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে জোনাকিদের আসর বসেছে, দিঘির কালোজল কবিকে সাদরে আহŸান জানিয়েছে। কবি রক্তজবার ঝোপের কাছে বসে পাখির কাছে ফুলের কাছে মনের কথা খুলে বলার জন্য কাব্য নিয়ে বসেছেন।
উদ্দীপকের দ্বিতীয় কবিতাংশে ও কবি জীবনের সৌন্দর্যের কথা বলেছেন। জীবনের সৌন্দর্য যে প্রকৃতার্থে প্রকৃতির মাঝে ছড়িয়ে আছে, তা কবি এ কবিতাংশে উলেখ করেছেন। গ্রামের হাটে-মাঠে-গঞ্জে কিংবা সুদূর গাঁয়ের পথেই প্রকৃত জীবনের আনন্দ ছড়িয়ে আছে। নদীর তীরে, বালুর চরে, সমুদ্রসৈকতে সর্বত্রই আনন্দের বার্তা নিয়ে ছড়িয়ে আছে। তবে তা উপভোগে নানা বাধা-নিষেধ রয়েছে।
‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় প্রকৃতির মাঝে পাখির সাথে ফুলের সাথে কথা বলে আনন্দপূর্ণ জীবন উপভোগ করেছে। উদ্দীপকের কবিও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করে আনন্দে আটখানা হয়েছেন।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকে উল্লিখিত আনন্দপূর্ণ জীবনকে কবি প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে উপভোগ করেছেন।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ প্রকৃতির হাতছানি
“আমার বাড়ির গাঁয়ের পথে সবুজ মাঠের ধারে
অদূর বনের হাতছানি ভাই মন যে সদায় কাড়ে।
সকাল সাঁঝে আপন কাজে রাখাল গেয়ে যায়Ñ
হাওয়ায় দুলি ধানের শিষে ডাক দিয়ে বলে আয়।”
ক. পাথরঘাটার গির্জেটাকে কবির কেমন মনে হয়? ১
খ. কবি কীভাবে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে গেছেন? ২
গ. উদ্দীপকের প্রকৃতির ডাকের সঙ্গে ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার প্রকৃতির ডাকের সাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ. মানুষ বারবার প্রকৃতির কাছে ফিরে যাওয়ার কারণ উদ্দীপক ও ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক পাথরঘাটার গির্জেটাকে কবির কাছে লাল পাথরের ঢেউ মনে হয়।
খ গভীর মমতায় কবি প্রকৃতির সঙ্গে মিশে গেছেন।
কবি এদেশের লোকজীবন ও প্রকৃতিকে হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছিলেন। তার নিসর্গপ্রেমের প্রগাঢ় পরিচয় রয়েছে কবিতাটিতে। তিনি প্রকৃতির বিচিত্র সৌন্দর্যে উপভোগের পাশাপাশি মিলেমিশে একাকার হয়ে যান। জড়প্রকৃতি আর জীবপ্রকৃতির নিবিড় সম্পর্কের মাঝে আনন্দ অনুভব করেন।
গ উদ্দীপকের গাঁয়ের পথে সবুজ মাঠের ধারের বন কবিকে হাতছানি দিয়ে সদাই ডাকে ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার প্রকৃতির ডাকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় কবি যখন ঘর থেকে বের হয়ে আসেন তখন কবিকে কোত্থেকে এক উটকো পাহাড় ডাক দেয়। কবি তার ডাককে অভিবাদন জানিয়ে সামনে এগিয়ে যান। সেখানে কবিকে লালদিঘির কালো জল অভ্যর্থনা জানায়।
উদ্দীপকে পলিপ্রকৃতিতে রাখাল বালককে ধানের শিষ দুলতে দুলতে ডাক দেয়। পলিপ্রকৃতি যেন আমাদের সর্বদা ডাক দিয়ে যায়। বনের হাতছানি কবির মন কেড়ে নেয়। পলিপ্রকৃতিতে বন-বনানীর হাতছানি আমাদের মুগ্ধ করে। তাই আমরা বনে ছুটে যাই প্রকৃতির ডাকে। ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় কবি প্রকৃতির ডাককে প্রত্যাখ্যান করতে পারেননি। তাই তিনি ছিটকিনি খুলে বেরিয়ে পড়েছেন।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকে এবং আলোচ্য কবিতায় প্রকৃতির ডাকের মধ্যে সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।
ঘ মানুষ প্রকৃতিরই সন্তান, প্রকৃতি সবসময় মানুষের মন কাড়ে, তাই মানুষ বারবার প্রকৃতির কাছে ফিরে যায়।
‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় আমরা দেখি নিশুতি রাতে প্রকৃতিকে কাছ থেকে অবলোকন করে কবির মনে পুলক জাগে। প্রকৃতির সঙ্গে কবি সখ্য গড়েন। প্রকৃতি কবিকে যেমন আপন করে নেন, তেমনি কবিও প্রকৃতির কাছে আপন মনের কথা খুলে বলেন। প্রকৃতি মানুষকে এমন একটা নির্মল আনন্দ দান করে যে মানুষ প্রকৃতির বন্ধনে জড়িয়ে যায় আর তখন প্রকৃতি তাকে হাতছানি দিয়ে কাছে টেনে ধরে।
কবিতায় কবিকে যেমন দিঘির কালো জল আহŸান করছে উদ্দীপকেও তেমনি হাওয়ায় দুলে ধানের শিষ কবিকে ডাক দিয়ে আসার আহŸান জানাচ্ছে। উদ্দীপকে ও কবিতায় প্রকৃতির আহŸান যেন একসূত্রে গাঁথা।
অতএব উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, মানুষ প্রকৃতিরই সন্তান। প্রকৃতি সবসময় মানুষের মন কাড়ে তাই প্রকৃতির মাঝেই মানুষ প্রশান্তি খুঁজে পায়। মানুষ প্রকৃতির মাঝে নিজেকে সঁপে দিতে পছন্দ করে, মনের কথা খুলে বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাই মানুষ বারবার প্রকৃতির কাছে ফিরে যায়।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ শহুরে মনোভাব
মাসুদ ঢাকা শহরে বড় হয়েছে। সে গ্রামে যেতে চায় না। ঢাকা শহর তার অনেক পছন্দ। ঢাকাতে পড়াশোনা করা, শপিং করা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়া অনেক মজার। কম্পিউটার গেমস খেলায় তার মনোযোগ বেশি। বাবা মাসুদকে নিয়ে গ্রামে যেতে চাইলে মাসুদ বলে গ্রামে কি কেউ যায়? মাসুদের বাবা প্রত্যুত্তর করে, ‘গ্রামেই প্রকৃতি তার ডানা অবারিত করে রেখেছে, গ্রামেই মানুষের প্রকৃত বিকাশ।’
ক. কোথায় জোনাকিদের দরবার বসেছে? ১
খ. কবি পাহাড়কে উটকো পাহাড় বলেছেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের মাসুদের সঙ্গে ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার কবির বৈপরীত্য কোথায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘গ্রামেই প্রকৃতি তার ডানা অবারিত করে রেখেছে’- ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক লালদিঘির পাড়ে জোনাকিদের দরবার বসেছে।
খ অপ্রত্যাশিত পাহাড়কে কবি উটকো পাহাড় বলেছেন।
মমত্বের অনুভ‚তি বোঝাতে পাহাড়ের ক্ষেত্রে কবি উটকো শব্দটি ব্যবহার করেছেন। কবির গভীর মমতার উচ্চারণ, পাহাড় তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। তিনি পাহাড়ের গায়ে হাত বুলিয়ে আদর করেন।
গ পল্লি-প্রকৃতিতে ভালোবাসার ক্ষেত্রে উদ্দীপকের মাসুদের সঙ্গে কবির বৈপরীত্য বিদ্যমান।
কবি প্রকৃতিকে ভালোবেসে আপন করে নিয়েছেন। কবিচিত্তে প্রকৃতির আকর্ষণ দুর্বার। তাই নারকেলের লম্বা মাথায় ঠান্ডা ও গোলগাল চাঁদ ওঠা দেখে কবি ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। তারপর লালদিঘির পাড়ে গিয়ে ফুল-পাখি আর দিঘির জলের সঙ্গে মিতালি গড়ে তুলেছেন। জোনাকি, পাহাড়, সবার সাথেই কবির নিবিড় সখ্যতা।
পক্ষান্তরে উদ্দীপকে আমরা দেখি, মাসুদের প্রকৃতির প্রতি তেমন আর্কষণ নেই। গ্রাম তাকে মুগ্ধ করতে পারেনি। গ্রামের অপার রূপ যেন মাসুদের অচেনা। প্রকৃতি নয় বরং কৃত্রিম পরিবেশের সঙ্গে তার সখ্য। তাই আমরা বলতে পারি, পলিপ্রকৃতির প্রতি কবির যে আকর্ষণ, মাসুদের তা নেই, এই দিক দিয়েই মাসুদের সঙ্গে কবির বৈপরীত্য।
ঘ “গ্রামেই প্রকৃতি তার ডানা অবারিত করে রেখেছে” এ লাইনটিতে পল্লিপ্রকৃতির অসীম-অনাবিল স্নিগ্ধ-শ্যামল রূপের তাৎপর্য রয়েছে।
আলোচ্য কবিতায় কবি ঘর থেকে বের হয়েছেন প্রকৃতির আহŸানে। গ্রামীণ প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে কবি মনের কথা খুলে বলছেন। গ্রামীণ প্রকৃতির অপরিহার্য অনুষঙ্গ ফুল, পাখি, দিঘির জল, জোনাকি প্রভৃতি গ্রামীণ জীবনে যেভাবে তার ডানা অবারিত করে রেখেছে তাতে গ্রামকেই প্রকৃতি ও মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু বলে মনে হয়।
উদ্দীপকে মাসুদের বাবা বলেছেন, ‘গ্রামেই প্রকৃতি তার ডানা অবারিত করে রেখেছে। সেখানেই মানুষের প্রকৃত বিকাশ।’ গ্রামীণ জীবনেই প্রকৃতির অকৃত্রিম ছোঁয়া লক্ষ করা যায়। প্রকৃতির ছোঁয়া, প্রকৃতির ডাক যে অলঙ্ঘনীয়, কবিতায় তা দেখা যায়।
গ্রাম যে মানুষের আসল ঠিকানা তা যেমন মাসুদের বাবার উক্তি থেকে পাই, তেমনি কবিতায় কবির কর্মকাণ্ড থেকেও পাই। গ্রামেই মানুষ তার মনের আনন্দ খুঁজে পায়। প্রকৃতির মাঝেই মানুষ নিজেকে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারে। গ্রামীণ জীবনের প্রতিটি অনুষঙ্গই প্রকৃতির দান। তাই বলা যায়, গ্রামেই প্রকৃতি তার ডানা অবারিত করে রেখেছে।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ ঝরনার রূপ-সৌন্দর্য
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে গিয়ে শান্ত বিমোহিত হয়ে যায়। প্রকৃতির এত সৌন্দর্য সে আগে কখনো দেখেনি। ঝরনার যে অসাধারণ সৌন্দর্য, নিপুণ ছন্দে গড়িয়ে পড়ার যে গতি ও ছন্দ তা শান্তকে আরও উতলা করে দেয়। প্রকৃতির এ অপরূপ সৌন্দর্য দেখে সে মিশে যেতে চায় প্রকৃতির সঙ্গে।
ক. নারিকেল গাছের মাথাটা কেমন ছিল? ১
খ. আমরা সবাই ‘না ঘুমানোর দল’ কেন বলা হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের সৌন্দর্য বর্ণনার সঙ্গে ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার সৌন্দর্যের মিল তুলে ধর। ৩
ঘ. ‘প্রকৃতির এ অপরূপ সৌন্দর্য দেখে সে মিশে যেতে চায় প্রকৃতির সঙ্গে।’উক্তিটি ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার আলোকে মূল্যায়ন কর। ৪
ক নারিকেল গাছের মাথাটা লম্বা ছিল।
খ ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় প্রকৃতির জেগে থাকাকে বোঝাতে ‘আমরা সবাই না-ঘুমানোর দল’ উক্তিটি করা হয়েছে।
কবি প্রকৃতির টানে রাতে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। শহরের বিভিন্ন স্থান হয়ে তিনি লালদিঘির পাড়ে যান। সেখানে জোনাকিদের মেলা বসেছে। কবির মনে হলো লালদিঘির জল যেন তাকে বলছে এসো, আমরা সবাই রাত-জাগাদের দলে। অনেক ক্ষেত্রে প্রকৃতি নিশ্চুপ থেকেও যেন অনেক কথা বলে। এখানে তারই প্রতিফলন দেখা যায়।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতা অনুসারে প্রকৃতির রূপ বর্ণনা কর।
ঘ ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় প্রকৃতির সাথে কবির ভাববিনিময়ের বিষয়টি মূল্যায়ন কর।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ গ্রামবাংলার সৌন্দর্য
রাহাত বলে, গ্রামবাংলার প্রকৃতি অসীম সৌন্দর্যের আধার। ছায়াঢাকা, পাখি ডাকা গ্রামবাংলার প্রকৃতি। প্রকৃতি যেন অকৃত্রিমভাবে সাজিয়েছে গ্রামবাংলাকে। গ্রাম্য কিশোর নদীতে ছোট নৌকায় এপার ওপার করে। গ্রামবাংলায় সন্ধ্যা প্রকৃতি অন্যরূপ ধারণ করে। সন্ধ্যা হলে পাখিরা নীড়ে ফেরে। একসময় রাত নেমে নিস্তব্ধ হয়ে যায় গ্রাম্য প্রকৃতি।
ক. কারা দিঘির কথায় হেসে উঠল? ১
খ. দিঘির কথায় ফুল, পাখিরা হেসে উঠল কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার কোন রূপটি ফুটে উঠেছে? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার প্রাণ” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক পাখিরা দিঘির কথায় হেসে উঠল।
খ আল মাহমুদ রচিত ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় দিঘির জলের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতেই ফুল-পাখিরা হেসে উঠল।
কবি প্রকৃতিকে ভালোবেসে তাদের মাঝে যান। আর প্রকৃতিও তাঁকে আপন করে নেয়। তাইতো দিঘির জল কবিকে রাত জাগতে আহŸান জানায়। আর কবিতায় খাতা খুলতে বলে। ফুল পাখিরা তাতে সায় দেয়। কারণ তারাও কবির কবিতা শুনতে পাবে। অর্থাৎ কবির সাথে প্রকৃতি যেন মিলেমিশে একাকার।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় উল্লিখিত প্রকৃতির রূপ ব্যাখ্যা কর।
ঘ ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ কর।
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার চাঁদকে কীসের মতো বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় চাঁদকে ডাবের মতো বলা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ২ \ চাঁদ দেখতে কী রকম?
উত্তর : চাঁদ দেখতে গোলগাল।
প্রশ্ন \ ৩ \ কী থরথর করে কাঁপছিল?
উত্তর : ঝিমধরা শহরটা থরথর করে কাঁপছিল।
প্রশ্ন \ ৪ \ মিনার দেখে কবির কী মনে হলো?
উত্তর : মিনার দেখে কবির মনে হলো যেন কেউ দাঁড়িয়ে আছে।
প্রশ্ন \ ৫ \ কে কবিকে ডাক দিল?
উত্তর : এক উটকো পাহাড় কবিকে ডাক দিল।
প্রশ্ন \ ৬ \ লাল দিঘির পাড়ে কাদের দরবার বসেছে?
উত্তর : লাল দিঘির পাড়ে জোনাকিদের দরবার বসেছে।
প্রশ্ন \ ৭ \ কবিকে দেখে কী কলকলিয়ে উঠল?
উত্তর : কবিকে দেখে দিঘির কালো জল কলকলিয়ে উঠল।
প্রশ্ন \ ৮ \ কবিকে পকেট থেকে কী খুলতে বলা হয়েছে?
উত্তর : কবিকে পকেট থেকে পদ্য লেখার ভাঁজ করা খাতা খুলতে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৯ \ দিঘির কথায় কারা হেসে উঠল?
উত্তর : দিঘির কথায় ফুল-পাখিরা হেসে উঠল।
প্রশ্ন \ ১০ \ ফুল পাখিরা কী হবে বলে কলরব করল?
উত্তর : ফুল পাখিরা ‘কাব্য হবে’ বলে কলরব করল।
প্রশ্ন \ ১১ \ কবি পকেট থেকে কী খুললেন?
উত্তর : কবি পকেট থেকে ছড়ার বই খুললেন।
প্রশ্ন \ ১২ \ কবি কাদের কাছে মনের কথা বললেন?
উত্তর : কবি পাখির কাছে আর ফুলের কাছে মনের কথা বললেন।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ‘চৌকিদার’ কাকে বলা হয়?
উত্তর : দারোয়ান বা প্রহরীকে চৌকিদার বলা হয়।
প্রশ্ন \ ১৪ \ ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে?
উত্তর : ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় কবির নিসর্গপ্রেম ফুটে উঠেছে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ কোন বিষয়টি কবি আল মাহমুদের কবিতায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে ফুটে উঠেছে?
উত্তর : পল্লির স্নিগ্ধ-শ্যামল রূপ কবি আল মাহমুদের কবিতায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে ফুটে উঠেছে।
প্রশ্ন \ ১৬ \ ‘উটকো’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘উটকো’ শব্দের অর্থ অপ্রয়োজনীয়।
প্রশ্ন \ ১৭ \ ‘সোনালী কাবিন’ কাব্যগ্রন্থটি কে রচনা করেছেন?
উত্তর : ‘সোনালী কাবিন’ কাব্যগ্রন্থটি কবি আল মাহমুদ রচনা করেছেন।
প্রশ্ন \ ১৮ \ ‘আগুনের মেয়ে’ আল মাহমুদের কী ধরনের গ্রন্থ?
উত্তর : ‘আগুনের মেয়ে’ আল মাহমুদের উপন্যাস।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ মিনারটিকে দেখছি যেন দাঁড়িয়ে আছেন কেউ? চরণটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : চরণটিতে বোঝানো হয়েছে অন্ধকারে স্তব্ধ হয়ে থাকা মিনারকে কবি মানুষ ভেবে ভুল করেছেন।
প্রকৃতির অফুরন্ত সৌন্দর্য কবি আল মাহমুদকে আকর্ষণ করে অবিরাম।
সৌন্দর্যময় সেই প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যেতে কবি ঘর থেকে বের হয়ে পড়েন। চাঁদনি রাতে নিস্তব্ধ শহরের পথে হাঁটতে গিয়ে পরিচিত অনেক জিনিসকে অন্যরকম মনে হয়। মিনারটিকে কবির কাছে মানুষ বলে মনে হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় কবি প্রকৃতির বিচিত্র সৌন্দর্যের কাছে যেতে চেয়েছেন কেন?
উত্তর : প্রকৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসার কারণে ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় কবি প্রকৃতির বিচিত্র সৌন্দর্যের কাছে যেতে চেয়েছেন।
বাংলাদেশের লোকজন জীবন ও পল্লিপ্রকৃতি আল মাহমুদের কবিতার প্রাণ। পল্লিপ্রকৃতি ব্যাপকভাবে ফুটে ওঠে তাঁর কবিতায়। প্রকৃতির প্রতি প্রচণ্ড টান থাকায় কবি প্রকৃতির সৌন্দর্যে বিমোহিত হন। তাই কবিতায় কবি যেতে চান সেই প্রকৃতির বিচিত্র সৌন্দর্যের কাছে।
প্রশ্ন \ ৩ \ আল মাহমুদ তাঁর ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় ‘থরথর’ শব্দটি দ্বারা কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর : আল মাহমুদ তার ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার থরথর শব্দটি দ্বারা সৌন্দর্য ও আবেগে কেঁপে ওঠার কথা বোঝাতে চেয়েছেন।
‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় আল মাহমুদের বিশুদ্ধ প্রকৃতিপ্রেমের পরিচয় ফুটে উঠেছে। প্রকৃতির প্রতি আল মাহমুদের ছিল প্রবল ভালোবাসা। প্রকৃতির সৌন্দর্য আহরণে এবং উপভোগ করতে কবি ছুটে যেতেন প্রকৃতির বিচিত্র সৌন্দর্যের কাছে। সৌন্দর্য ও আবেগ ফুটিয়ে তুলতে কবি ‘থরথর’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
প্রশ্ন \ ৪ \ কবিকে দেখে দিঘির জল কলকলিয়ে ওঠে কেন?
উত্তর : কবিকে দেখে কবির কাছে কবিতা শোনার জন্য দিঘির জল কলকলিয়ে ওঠে।
প্রকৃতির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কবি আল মাহমুদ প্রকৃতিকে দু’চোখ ভরে পর্যবেক্ষণ করতেন। প্রকৃতির কাছে যাওয়ায় প্রকৃতি ও কবি মিলেমিশে একাকার হয়ে যেতেন। দিঘির কালো জল কলকলিয়ে কবির কাছে কাব্য শুনতে চায়। কবির সঙ্গে প্রকৃতির সেই সম্পর্ক বোঝানো হয়েছে উদ্ধৃত বাক্যে।
প্রশ্ন \ ৫ \ ফুল পাখিদের কলরব করার কারণ কী?
উত্তর : কবির কবিতা শোনার আসর বসবে বলে, আনন্দে ফুল-পাখিরা কলরব জুড়ে দেয়।
প্রকৃতির সঙ্গে আল মাহমুদের আত্মিক সম্পর্ক। প্রকৃতিকে তিনি ভালোবেসেছেন অন্তর দিয়ে। প্রকৃতিও তাঁর সঙ্গে মিশে যেত সহজেই। কবিও প্রকৃতির সেই সৌন্দর্যকে কবিতায় ফুটিয়ে তুলে ধরেছেন। প্রকৃতির অনুরোধে কবি কবিতার আসর জমাতে চাইলে ফুল-পাখিরা আনন্দে কলরব জুড়ে দেয়।
প্রশ্ন \ ৬ \ ‘জোনাকিদের দরবার’ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘জোনাকিদের দরবার’ দ্বারা জোনাকিদের সম্মিলিত ওড়াকে বোঝানো হয়েছে।
রাতের বেলা অনেক জোনাকি একত্রে ওড়াউড়ি করে। কবি নিস্তব্ধ রাতে ঘর থেকে বেরিয়ে লালদিঘির পাড়ে এসে দেখলেন যে অনেক জোনাকিপোকা একত্রে আলোর খেলা খেলছে। ‘জোনাকিদের দরবার’ দ্বারা কবি এটাই বুঝিয়েছেন।
প্রশ্ন \ ৭ \ কখন উটকো পাহাড় কবিকে ডাক দিল?
উত্তর : কবি যখন দরগাতলা পেরিয়ে বাম দিকে মোড় ফিরেছেন তখনই উটকো পাহাড় তাঁকে ডাকল।
‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় কবি রাতের প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসেন। সেখানে তিনি শহরের বিভিন্ন স্থান পার হয়ে যখন দরগাতলা আসেন তখন বামে মোড় ঘুরেই দেখতে পান একটি পাহাড়কে। যাকে কবি কিছুটা ঝামেলা মনে করেছিলেন। কারণ কবির মনে হচ্ছিল পাহাড়টি যেন তাকে কাছে ডাকছে।
প্রশ্ন \ ৮ \ ‘দিঘির কথায় উঠল হেসে ফুল পাখিরা সব’। চরণটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘দিঘির কথায় উঠল হেসে ফুল পাখিরা সব।’ এ লাইন দ্বারা কবি প্রকৃতির আনন্দ-অনুভ‚তির কথা ফুটিয়ে তুলেছেন।
কবিকে দেখে দিঘির কালো জল কবিতা বের করতে অনুরোধ করল। ঝোপের কাছে কাব্যচর্চা হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করছে। এ কথা শুনে ফুল পাখিরা সব হেসে উঠল। এখানে প্রকৃতির নিসর্গপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
প্রশ্ন \ ৯ \ কবি চাঁদকে ডাবের মতো বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ডাব যেমন গোলগাল, চাঁদও তেমনি গোলগাল। চাঁদের আলো যেমন ঠাণ্ডা, ডাবের পানিও তেমন ঠান্ডা। এ কারণে কবি চাঁদকে ডাবের মতো বলেছেন।
কবি রাতে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখলেন, নারকেল গাছের মাথায় চাঁদ উঠেছে। কবির কাছে পূর্ণিমার রাতের চাঁদ দেখে ডাবের মতো মনে হয়েছে। উপমাটি অত্যন্ত চমৎকার।
প্রশ্ন \ ১০ \ কবি কিভাবে মনের কথা ব্যক্ত করেন?
উত্তর : কবি মূলত তাঁর ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় সর্বত্রই প্রকৃতি নিয়ে নানা কথা ব্যক্ত করেছেন।
কবিতার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কবি প্রকৃতির বৈচিত্র্য আর প্রকৃতির প্রতি তাঁর যে টান তা তুলে ধরেছেন। কখনো চাঁদকে ডাবের মতো বলেছেন। আবার গির্জাকে লাল পাথরের ঢেউ বলেছেন। প্রকৃতিকে যেন তাঁর কল্পনার চোখ দিয়ে দেখছেন। আবার প্রকৃতির সাথে যেন তিনি কথা বলে যাচ্ছেন। দিঘির জলের সাথে কিংবা ফুল-পাখিদের সাথে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক। তাইতো প্রকৃতি তাঁকে আপন করে নিয়েছে।