ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা সুখ

সুখ
কামিনী রায়
 কবি পরিচিতি
নাম প্রকৃত নাম : কামিনী রায়; ছদ্মনাম : জনৈক বঙ্গমহিলা।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দ; জন্মস্থান : বাখরগঞ্জ (বর্তমান বরিশাল) জেলার বাসণ্ডা গ্রাম।
পিতৃপরিচয় পিতা : চণ্ডীচরণ।
শিক্ষা জীবন ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বেথুন কলেজ থেকে সংস্কৃত অনার্সসহ বিএ পাস করেন।
পেশা/কর্মজীবন কলকাতার বেথুন কলেজে অধ্যাপনা করেন।
সাহিত্য সাধনা কাব্যগ্রন্থ : আলো ও ছায়া, নির্মাল্য, পৌরাণিকী, গুঞ্জন, অশোক-সংগীত, দীপ ও ধূপ এবং জীবনপথে।
পুরস্কার ও সম্মাননা সাহিত্য সাধনার স্বীকৃতি হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘জগত্তারিণী’ পদকে সম্মানিত হন।
জীবনাবসান ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দ কলকাতায়।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ কবি পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কামিনী রায় কোন শতকের কবি? (জ্ঞান)
 উনিশ খ বিশ গ একুশ ঘ একবিংশ
২. কামিনী রায় কত বছর আগে সাহিত্যচর্চা করে গেছেন? (জ্ঞান)
 প্রায় ১০০ বছর খ প্রায় ৫০ বছর
গ প্রায় ৭০ বছর ঘ প্রায় ১৫০ বছর
৩. কামিনী রায় কোন ছদ্মনামে লিখতেন? (জ্ঞান)
ক কবি শেখর খ কবিকঙ্কণ
 জনৈক বঙ্গমহিলা ঘ জনৈক ভদ্রমহিলা
৪. কামিনী রায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী? (জ্ঞান)
 আলো ও ছায়া খ কুহু ও কেকা
গ মেঘ ও রৌদ্র ঘ পুতুলের বিয়ে
৫. ‘সুখ’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত? (জ্ঞান)
ক কড়ি ও কোমল  আলো ও ছায়া
গ পুতুলের বিয়ে ঘ কুহু ও কেকা
৬. কামিনী রায়ের কত বছর বয়সে ‘আলো ও ছায়া’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়? (জ্ঞান)
ক ৯  ১৫ গ ২৫ ঘ ৩০
৭. ‘নির্মাল্য’ কাব্যটি কে লিখেছেন? (জ্ঞান)
ক সুফিয়া কামাল খ বেগম রোকেয়া
 কামিনী রায় ঘ ফজিলাতুন্নেছা
৮. কামিনী রায় কোন পদক লাভ করেন? (জ্ঞান)
ক বাংলা একাডেমি পদক  জগত্তারিণী পদক
গ একুশে পদক ঘ আদমজি পদক
৯. কোন বিশ্ববিদ্যালয় কামিনী রায়কে জগত্তারিণী পদক প্রদান করে? (জ্ঞান)
ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
খ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
 কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
ঘ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়
১০. কামিনী রায় কোন বিষয়ে জগত্তারিণী পদক লাভ করেন? (জ্ঞান)
ক সংগীত সাধনায় খ নাট্যচর্চায়
 সাহিত্য সাধনায় ঘ শিল্পকলায়
১১. কামিনী রায়ের জন্ম কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
 ১৮৬৪ খ ১৮৬৫
গ ১৮৬৬ ঘ ১৮৬৭
১২. কামিনী রায় বর্তমান কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
 বরিশাল খ নোয়াখালী
গ ফেনী ঘ গোপালগঞ্জ
১৩. কামিনী রায়ের গ্রামের নাম কী ছিল? (জ্ঞান)
ক বাঁশখালি খ বাঁশদাহ
 বাসণ্ডা ঘ সোনারং
১৪. ‘দীপ ও ধূপ’ কাব্যটি কার লেখা? (জ্ঞান)
 কামিনী রায়ের খ সুফিয়া কামালের
গ বেগম রোকেয়ার ঘ জাহানারা ইমামের
১৫. কামিনী রায় কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
 ১৯৩৩ খ ১৯৪৩
গ ১৯৫৩ ঘ ১৯৬৬
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬. কামিনী রায়ের কবিতায় যে পরিচয় পাওয়া যায় (অনুধাবন)
র. জীবনের মহৎ আদর্শের রর. মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্যের
ররর. উপদেশের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭. কামিনী রায়ের কবিতা (প্রয়োগ)
র. সহজ-সরল রর. সাবলীল ররর. প্রাঞ্জল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৮. কবি কোন বেশে রণে যেতে বলেছেন? (জ্ঞান)
 বীরবেশে খ রুদ্র বেশে
গ সাহসী বেশে ঘ ছদ্মবেশে
১৯. কবি পরের কারণে কী করতে বলেছেন? (জ্ঞান)
ক জীবন দিতে  স্বার্থ বলি দিতে
গ সাহায্য করতে ঘ ঐশ্বর্য দান করতে
২০. কবি মানুষকে কার কথা ভুলে যেতে বলেছেন? (জ্ঞান)
 আপনার খ পরের
গ বিধির ঘ আত্মীয়স্বজনের
২১. কার কারণে মরণেও সুখ? (জ্ঞান)
ক নিজের ˜ পরের
গ বিধির ঘ আত্মীয়-স্বজনের
২২. কবি মানুষকে ‘সুখ’ ‘সুখ’ করে কী করতে বারণ করেছেন? (জ্ঞান)
ক আনন্দ করতে  কাঁদতে
গ আশা করতে ঘ চিন্তা করতে
২৩. কবির ভাষায় মানুষ কী করলে হৃদয়ের ভার বাড়বে? (জ্ঞান)
 কাঁদলে খ হাসলে
গ কষ্ট পেলে ঘ সুখ পেলে
২৪. কবির ভাষায় প্রত্যেকে মোরা কার তরে? (জ্ঞান)
ক প্রত্যেকের  পরের
গ আপনার ঘ বিধাতার
২৫. ‘যে জিনিবে সুখ লভিবে সে-ই’Ñ এখানে কীসে জিনিবে? (অনুধাবন)
ক সশস্ত্র সংগ্রামে  জীবন সংগ্রামে
গ যুদ্ধ ময়দানে ঘ কঠিন পরীক্ষায়
২৬. ‘না সৃজিলা বিধি কাঁদাতে নরে’এ কথাটির দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? (অনুধাবন)
 বিধাতা শুধু দুঃখ দেয়ার জন্য মানুষ সৃষ্টি করেননি
খ বিধাতা শুধু হাসানোর জন্য মানুষ সৃষ্টি করেননি
গ বিধাতা শুধু কাঁদানোর জন্য মানুষ সৃষ্টি করেননি
ঘ বিধাতা শুধু সুখ দেয়ার জন্য মানুষ সৃষ্টি করেননি
২৭. ‘যাতনে জ্বলিয়া কাঁদিয়া মরিতে’ কথাটির দ্বারা কবি মানুষের কোন অবস্থাকে বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
ক স্বাভাবিক অবস্থা
খ অস্বাভাবিক অবস্থা
 অত্যন্ত দুঃখময় অবস্থা
ঘ অপ্রত্যাশিত অবস্থা
২৮. ‘না-,না-,না-, মানবের তরে আছে উচ্চ লক্ষ্য’ উক্তিটির দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
ক জীবনের পথ অনেক বিস্তৃত ও মহৎ
˜ জীবন শুধু দুঃখময় নয় সুখও আছে
গ জীবনে সুখ দুঃখ পাশাপাশি অবস্থান করে
ঘ জীবনে সুখ পেতে হলে উচ্চ লক্ষ্য থাকতে হবে
২৯. ‘কার্যক্ষেত্র ঐ প্রশস্ত পড়িয়া’‘প্রশস্ত পড়িয়া’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
ক জীবনের কাজের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত
 জীবনের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য অনেক বিস্তৃত
গ জীবনের হিসাব সহজ নয়
ঘ পৃথিবীটা একটা বিরাট কার্যক্ষেত্র
৩০. সংসারকে কবি ‘সমর-অঙ্গন’ বলেছেন কেন? (অনুধাবন)
ক সংসারে অনেক কিছু ছাড় দিতে হয়
খ সংসার জীবন পাড়ি দেয়া অনেক কঠিন বলে
 প্রতি পদে মানুষকে সংকট মোকাবিলা করতে হয় বলে
ঘ সংসারে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে বলে
৩১. ‘যাও বীরবেশে কর গিয়া রণ’ এই ‘রণ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
 সংসারের সংকট মোকাবিলা
খ সংসারের যুদ্ধ মোকাবিলা
গ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
ঘ ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ
৩২. নিচের কোনটিকে কবি ‘বিষাদময়’ বলে ভেবেছেন? (জ্ঞান)
ক বিশ্বজগৎ খ ইহকাল
 ধরা ঘ পরকাল
৩৩. ‘স্বার্থ দিয়া বলি’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
 নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা খ অপরের স্বার্থ দেখা
গ নিজের স্বার্থ রক্ষা করা ঘ অপরের স্বার্থ বিসর্জন দেয়া
৩৪. “এ জীবন মন সকলি দাও” বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
 পরের জন্য জীবনের সব স্বার্থ ত্যাগ করা
খ নিজের স্বার্থে নিজেকে বিসর্জন দেয়া
গ আত্মকেন্দ্রিক হওয়া
ঘ অপরের স্বার্থের প্রতি লক্ষ রাখা
৩৫. “মানুষ মানুষের জন্য” এ উক্তিটির সঙ্গে ‘সুখ’ কবিতার কোন উক্তিটির মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
 সকলের তরে সকলে আমরা
খ না সৃজিলা বিধি কাঁদাতে নরে
গ পরের কারণে মরণেও সুখ
ঘ আপনার কথা ভুলিয়া যাও
৩৬. ‘আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী’ ‘পরে’‘সুখ’ কবিতার এ উক্তিটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ উক্তি কোনটি? (প্রয়োগ)
ক সবার উপরে মানুষ সত্য
খ মানুষ মানুষের জন্য
গ মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই
 পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না
৩৭. ইমরানের ধারণা, ‘অপরের কল্যাণ সাধনের মাঝেই প্রকৃত সুখ’এ ধারণার সঙ্গে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন কবিতার ভাবগত মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মানুষ জাতি  সুখ
গ ফাগুন মাস ঘ পাখির কাছে ফুলের কাছে
৩৮. “আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে (উচ্চতর দক্ষতা)
আসে নাই কেহ অবনী’ পরে”উক্তিটির মূলভাব কী?
ক নিজেকে নিয়ে বিরক্ত হওয়া
খ অপরের কথা ভাবা
 স্বার্থপরতা কাম্য নয়
ঘ অপরের কল্যাণ সাধন
৩৯. ‘সকলের তরে সকলে আমরা’ উক্তিটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক দায়িত্বশীলতা
খ সবার স্বার্থচিন্তা
গ সবার সুখ কামনা
 মানুষ মানুষের জন্য
৪০. ‘মানবের তরে আছে উচ্চ লক্ষ্য’Ñ উক্তিটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মানুষ মানুষের জন্য
 জীবনের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য অনেক বিস্তৃত ও মহৎ
গ পরোপকার করাই জীবনের লক্ষ্য
ঘ নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকাই জীবনের লক্ষ্য নয়
৪১. ‘কার্যক্ষেত্র ঐ প্রশস্ত পড়িয়া’Ñ উক্তিটির মাধ্যমে কবি কোন ভাবটি প্রকাশ করেছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
 জীবন চলার পথ অনেক বিস্তৃত
খ জীবনের লক্ষ্য অনেক বিস্তৃত
গ জীবনের তাৎপর্য অনেক মহৎ
ঘ সুখ পেতে হলে অনেক কাজ করতে হবে
৪২. ‘যে জিনিবে সুখ লভিবে সে-ই’Ñ উক্তিটির মাধ্যমে কবি কোন ভাবটিকে তুলে ধরেছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
 দুঃখকষ্ট ও সংকটকে পরাস্ত মোকাবিলা মাধ্যমেই সুখ আসে
খ শিক্ষাক্ষেত্রে জয়লাভ করলেই সুখী হওয়া যায়
গ বীরবেশে যুদ্ধ করলেই সুখ পাওয়া যায়
ঘ সম্পদের মাধ্যমেই সুখ আসে
৪৩. ‘যাও বীরবেশে কর গিয়া রণ’ এই ‘বীরবেশে’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
ক যুদ্ধসাজে খ প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে
 সাহসের সঙ্গে ঘ যুদ্ধ করতে
৪৪. মনের কষ্ট বৃদ্ধি পায় [জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুল, সিলেট]
 সুখের জন্য কাঁদলে খ সুখ নিয়ে ভাবলে
গ নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকলে ঘ পরের তরে কাজ করলে
৪৫. অন্যের দুঃখে সকলের কোনটি করা উচিত?
[রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক পিছিয়ে থাকা  এগিয়ে যাওয়া
গ বসে থাকা ঘ চিন্তায় মগ্ন হওয়া
৪৬. ‘সুখ’ কবিতার বাহন কোনটি? [বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
 জীবনে সুখের প্রকৃত স্বরূপ
খ উচ্চাকাক্সক্ষা
গ পাহাড়ি জীবন
ঘ সামাজিক জীবন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৭. যাদের দৃষ্টিতে এ ধরা বিষাদময় (অনুধাবন)
র.যারা সুখ খোঁজে রর. যারা যন্ত্রণায় জ্বলে
ররর. যারা সুখ না পেয়ে হতাশ হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮. সাধনা রানি সর্বদা পরের কল্যাণ করে সুখ লাভ করতে চায়। কারণ সুখ হচ্ছে (অনুধাবন)
র. আত্মার প্রশান্তি রর. মনের প্রশান্তি ররর. আধ্যাত্মিক তৃপ্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৯. কবি যেভাবে মানুষের উচ্চ লক্ষ্য ও উচ্চ সুখের কথা বলতে বলেছেন (অনুধাবন)
র. ছিন্ন বীণে রর. ভিন্ন কথায় ররর. উচ্চস্বরে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫০. যে কাজের মাধ্যমে হৃদয়ে সুখ অনুভ‚ত হয়- (অনুধাবন)
র. পরের জন্য আত্মোৎসর্গ করলে রর. পরের স্বার্থে ত্যাগ করলে
ররর. নিজের স্বার্থে আত্মমগ্ন থাকলে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫১. সুখ লাভের জন্য আমাদের করণীয় হচ্ছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আত্মকেন্দ্রিক হওয়া রর. অপরের সুখ-দুঃখে অংশীদার হওয়া
ররর. নিজ স্বার্থ ত্যাগ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫২. যে চেতনা বুকে ধারণ করে প্রকৃত সুখের সন্ধান পাওয়া যায় তা হলো- (জ্ঞান)
র. জীবনের জন্য জীবনের রর. মানুষের জন্য মানুষের
ররর. আত্ম সুখের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫৩-৫৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
যাতনা যাতনা কিসেরি যাতনা?
বিষাদ এতই কিসেরি তরে?
যদিই বা থাকে, যখন তখন কি কাজ জানায়ে জগৎ ভরে?
[যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ]
৫৩. কবিতাংশটুকুর বক্তব্যের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে নিচের কোন কবিতার? (প্রয়োগ)
ক জš§ভ‚মি  সুখ গ মানুষ জাতি ঘ বাঁচতে দাও
৫৪. উভয় কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বিষাদ-যন্ত্রণার স্বরূপ
 বিষাদ জয়ের প্রেরণা
গ সুখ লাভের উপায়
ঘ প্রকৃত সুখের স্বরূপ
৫৫. উক্ত ভাবের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ চরণ হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
কযাও বীরবেশে কর গিয়া রণ;
যে জিনিবে সুখ লভিবে সে-ই।
খ কার্যক্ষেত্র ঐ প্রশস্ত পড়িয়া
সমর-অঙ্গন সংসার এই,
 যাতনে জ্বলিয়া কাঁদিয়া মরিতে
কেবলি কি নর জনম লয়?
ঘ সকলের তরে সকলে আমরা,
প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫৬ ও ৫৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আলম ও তুহিন দুই বন্ধু। আলম বিদেশে গিয়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে বাড়ি-গাড়ি করেছে। অন্যদিকে তুহিন উপার্জন করে নিজের সংসার চালানোর পাশাপাশি অশিক্ষিত বয়স্ক লোকদের জন্য একটি নৈশ পাঠশালা খুলেছে।
৫৬. তুহিনের কাজের সঙ্গে ‘সুখ’ কবিতার কোন চরণটির সাদৃশ্য পাওয়া যায়? (প্রয়োগ)
ক যাও বীরবেশে কর গিয়া রণ খ না সৃজিলা বিধি কাঁদাতে নরে
গ ‘সুখ’ ‘সুখ’ করি কেঁদো না আর  সকলের তরে সকলে আমরা
৫৭. উদ্দীপকে ‘সুখ’ কবিতার যে বিষয়টি ফুটে উঠেছে সেটি হচ্ছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অপরের কল্যাণ সাধন রর. জীবনের সংকট মোচন
ররর. নিজের স্বার্থ ত্যাগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র, রর  র, ররর গ রর, ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫৮ ও ৫৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
হিমেল স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। হঠাৎ সে দেখল একজন বৃদ্ধ লোক রাস্তা পার হচ্ছে। কিন্তু বিপরীত দিক থেকে একটি রিকশা এসে লোকটাকে প্রায় ধাক্কা দেয়ার মতো অবস্থা। হিমেল নিজের জীবন বিপন্ন করে লোকটিকে নিয়ে রাস্তার পাশে দ্রæত সরে এলো।
৫৮. অনুচ্ছেদে হিমেলের মধ্যে ‘সুখ’ কবিতার যেসব চরণের প্রয়োগ হয়েছে- (প্রয়োগ)
র. পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি এ জীবন মন সকলি দাও
রর. পরের কারণে মরণেও সুখ
ররর. যাও বীরবেশে কর গিয়া রণ
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৯. অনুচ্ছেদের হিমেলের আচরণ ও ‘সুখ’ কবিতার তাৎপর্য হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা
 অপরের কল্যাণ সাধন
গ দুঃখময় জীবনই প্রকৃত জীবন
ঘ সংসার জীবন সংকটময়
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৬০ ও ৬১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ইতির চাচা জামাল হক অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং ধনী। কিন্তু কাউকে তিনি একটি টাকা দান করতে নারাজ। তিনি সবসময় নিজের ছেলেমেয়ের সুখের কথা চিন্তা করেই সম্পদ উপার্জন করেন।
৬০. ইতির চাচার চিন্তা-চেতনার সঙ্গে তোমার পঠিত কোন রচনাটির ভাবগত বৈসাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মানুষ জাতি  সুখ গ বাঁচতে দাও ঘ ফাগুন মাস
৬১. উক্ত রচনা অনুসারে অনুচ্ছেদের জামাল হকের যথার্থ বৈশিষ্ট্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আত্মকেন্দ্রিক রর. স্বার্থপর ররর. প্রকৃত সুখী
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬২. ‘বলি’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক কথা খ বলা গ হত্যা করা  উৎসর্গ
৬৩. ‘বিধি’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
 বিধাতা খ নিয়ম গ বিধান ঘ আইন
৬৪. ‘বিব্রত’ শব্দের অর্থ কী? [যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ]
ক হতাশ  দিশাহারা
গ বুদ্ধিহারা ঘ রুগ্ণ
৬৫. ‘সমর-অঙ্গন’ শব্দেটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? (জ্ঞান)
 যুদ্ধক্ষেত্র খ বাড়ির আঙিনা
গ কর্মক্ষেত্র ঘ বিশাল মাঠ
৬৬. ‘অবনী’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক আকাশ  পৃথিবী
গ বাতাস ঘ সাগর
৬৭. ‘বিষাদময়’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
 দুঃখময় খ কষ্টময়
গ কঠিন ক্ষণ ঘ সুখময়
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৮. ‘উচ্চঃস্বরে’ শব্দটির দ্বারা বোঝানো হয়েছে- (জ্ঞান)
র. চড়া গলায় রর. বলিষ্ঠ কণ্ঠে ররর. দৃঢ় কণ্ঠে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬৯. ‘রণ’ শব্দটির অর্থ হলো- (জ্ঞান)
র. যুদ্ধ রর. সন্ধি ররর. লড়াই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭০. ‘সুখ’ কবিতায় কবি কীসের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন? (অনুধাবন)
 সুখ খ দুঃখ গ আনন্দ ঘ বেদনা
৭১. কে সুখ লাভ করবে? [জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুল, সিলেট]
ক যে যুদ্ধ করবে
খ যে জীবন সংগ্রামে মরবে
 যে জীবন সংগ্রামে জয়ী হবে
ঘ যে পালিয়ে যাবে
৭২. পারস্পরিক ত্যাগের মধ্য দিয়ে কী গড়ে ওঠে? (জ্ঞান)
ক সহানুভ‚তি খ সৌহার্দ
 মানবসমাজ ঘ সভ্যতা
৭৩. পরের কারণে কবি স্বার্থকে বলি দিতে বলেছেন কেন? (অনুধাবন)
ক পরবর্তীতে বড় স্বার্থ লাভের জন্য খ সুনাম অর্জনের জন্য
 প্রকৃত সুখ লাভের জন্য ঘ নিজেকে নিয়ে ভাবার জন্য
৭৪. কামিনী রায়ের ‘সুখ’ কবিতাটিÑ (অনুধাবন)
 উপদেশমূলক খ জ্ঞানমূলক গ রোমাঞ্চকর ঘ দেশাত্মবোধক
৭৫. ‘সুখ’ কবিতা পাঠ্যভুক্ত করার উদ্দেশ্য হলোÑ (অনুধাবন)
ক আত্মকেন্দ্রিক করা  মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা
গ স্বার্থপর হওয়া ঘ জাগ্রত করা
৭৬. ‘ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল নিজের জীবন বিপন্ন করেও মানুষের সেবা করতেন। এজন্যই সারা পৃথিবীর মানুষ তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।’ তার মধ্যে তোমার পাঠ্য কোন কবিতার ভাবের প্রতিফলন ঘটৈছে? (প্রয়োগ)
ক জš§ভ‚মি খ মানুষ জাতি
 সুখ ঘ মুজিব
৭৭. ‘সুখ’ কবিতার মূল বিষয়বস্তু কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কীভাবে ভালো মানুষ হওয়া যায়
খ কীভাবে জ্ঞানী হওয়া যায়
 কীভাবে প্রকৃত সুখ পাওয়া যায়
ঘ কীভাবে প্রচুর সম্পদের মালিক হওয়া যায়
৭৮. ‘সুখ’ কবিতাটির মূল উদ্দেশ্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
 মানুষকে প্রকৃত সুখের সন্ধান দেয়া
খ মানুষকে জ্ঞানী করে তোলা
গ মানুষকে অফুরন্ত সুখ উপহার দেয়া
ঘ মানুষকে পরোপকারী করে তোলা
৭৯. “পরের কারণে মরণেও সুখ” উক্তিটির তাৎপর্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পরের জন্য জীবন দিলে সুখ পাওয়া যায়
খ পরের জন্য জীবন বিপন্ন করাই সুখ
 অপরের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার মাঝেও সুখ আছে
ঘ অপরের হিতার্থে মৃত্যুবরণ করলে সুখ আসে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮০. ‘সুখ’ কবিতা পাঠের উদ্দেশ্য হলোÑ (অনুধাবন)
র. আত্মকেন্দ্রিকতা ত্যাগ করা রর. মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়া
ররর. মানুষের গুণগান গাওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮১. প্রকৃত সুখী তারা (অনুধাবন)
র. যারা নিজের জন্য পরিশ্রম করে রর. যারা অপরের কল্যাণে কাজ করে
ররর. যারা অন্যের মঙ্গলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮২. যে শ্রেণির মানুষ সমাজের কোনো উপকারে আসে না (অনুধাবন)
র. আত্মকেন্দ্রিক মানুষ রর. স্বার্থপর মানুষ
ররর. সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন মানুষ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৮৩. সমাজ গড়ে ওঠে যেভাবে (অনুধাবন)
র. মানুষের মিলিত অবস্থানে রর. পারস্পরিক ত্যাগের মাধ্যমে
ররর. কতগুলো গ্রাম নিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৪. যাদের মতে জীবন নিরর্থক (অনুধাবন)
র. যারা কেবল সুখ খোঁজেন রর. যারা দুঃখ দেখে হতাশ হন
ররর. যারা পরোপকারী
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৫. জীবনে সুখ আসতে পারে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পারস্পরিক ত্যাগের মাধ্যমে রর. নিজ স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে
ররর. নিজের জন্য কিছু করার মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

 

প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ পরোপকারী মানসিকতা

“সবার সুখে হাসব আমি, কাঁদব সবার দুখে
নিজের খাবার বিলিয়ে দেব, অনাহারীর মুখে
আমার বাড়ির ফুলবাগিচা ফুল সকলের হবে
আমার বাড়ির মাটির প্রদীপ, আলোক নিবে সবে।”
ক. ‘সুখ’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত? ১
খ. ‘পরের কারণে মরণেও সুখ’Ñ কেন? ২
গ. ‘সবার সুখে হাসব আমি/কাঁদব সবার দুখে’Ñ চরণ দুটিতে ‘সুখ’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? বর্ণনা কর। ৩
ঘ.‘নিজেকে সবার মাঝে বিলিয়ে দেয়ার মধ্যেই প্রকৃত সুখ নিহিত উদ্দীপক ও ‘সুখ’ কবিতার আলোকে উক্তিটির সত্যতা বিচার কর। ৪

ক ‘সুখ’ কবিতাটি কবি কামিনী রায়ের ‘আলো ও ছায়া’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
খ পরের কারণে আত্মত্যাগের মাধ্যমেই প্রকৃত সুখ অর্জন করা যায় বলে কবি ‘পরের কারণে মরণেও সুখ’ কথাটি বলেছেন।
মানুষ তখনই প্রকৃত সুখ লাভ করবে যখন সে নিজের চাওয়া-পাওয়াগুলোকে পেছনে রেখে অন্যের চাওয়া-পাওয়াকে প্রাধান্য দেবে। মানুষ যখন নিজের সুখের কথা না ভেবে অন্যের সুখের কথা ভাববে, তখনই সে প্রকৃত সুখ লাভ করবে। একজন মানুষ যখন অপরের জন্য নিজের প্রাণ বিলিয়ে দেবে তখন তার জন্য এ মরণটা সুখের মরণ হবে। পরের জন্য কিছু করার মধ্যে বড় ধরনের আত্মতৃপ্তি থাকে।
গ ‘সবার সুখে হাসব আমি, কাঁদব সবার দুখে’- চরণ দুটিতে ‘সুখ’ কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা হলো অপরের দুঃখে সমব্যথী হওয়া এবং অপরের সুখে সুখী হওয়া।
‘সুখ’ কবিতার কবির মতে, পৃথিবীতে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে একে অপরের মঙ্গলের জন্য। অন্যকে আপন ভেবে, অন্যের সুখ-দুঃখের অংশীদার হয়ে প্রীতি, ভালোবাসা, সেবা ও কল্যাণের মাধ্যমে যে অন্যের মঙ্গলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে সেই প্রকৃত সুখী।
‘সবার সুখে হাসব আমি/কাঁদব সবার দুখে’Ñ উদ্দীপকের এই চরণ দুটিতে ‘সুখ’ কবিতার উলি­খিত ভাবটিই ফুটে উঠেছে। অপরের সুখ-দুঃখে নিজেকে বিলিয়ে দেয়াই প্রকৃত মানুষের কাজ। পরহিতে আত্মোৎসর্গকারী মানুষ যুগে যুগে মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা লাভ করে। পরের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করাই জগতের মহৎ কর্মÑ ‘সুখ’ কবিতার এ বিষয়টি প্রশ্নের উলি­খিত চরণে প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ ‘নিজেকে সবার মাঝে বিলিয়ে দেয়ার মধ্যেই প্রকৃত সুখ নিহিত’Ñ উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘সুখ’ কবিতার আলোকে যথার্থ।
উদ্দীপকের কবি সবার সুখে সুখী এবং সবার দুঃখে দুঃখী হওয়ার কথা বলেছেন, অনাহারীর মুখে নিজের খাবার বিলিয়ে দেয়ার কথা বলেছেন। নিজের বাড়ির ফুল ও আলো অন্য সবার জন্য বিলানোর কথা বলেছেন। এখানে পরার্থে আত্মত্যাগের বিষয়টিই ফুটে উঠেছে। আর এই বিষয়টি ‘সুখ’ কবিতায়ও ব্যক্ত হয়েছে।
‘সুখ’ কবিতায় বলা হয়েছে, পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে একে অপরের মঙ্গলের জন্য। কিন্তু সমাজের অন্য সবার কথা ভুলে কেউ যদি কেবল নিজের স্বার্থ দেখে সে হয় আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন। আর সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন মানুষ প্রকৃত সুখ লাভ করতে পারে না। অন্যকে আপন ভেবে, অন্যের সুখ দুঃখের অংশীদার হয়ে প্রীতি, ভালোবাসা, সেবা ও কল্যাণের মাধ্যমে যে অন্যের মঙ্গলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে সেই প্রকৃত মানুষ। সত্যিকারের সুখ শুধু সেই লাভ করতে পারে। মূলত নিজেকে সবার মাঝে বিলিয়ে দেয়ার মধ্যেই প্রকৃত সুখ নিহিত।
সুতরাং বলা যায়, প্রশ্নে উলি­খিত উক্তিটি উদ্দীপকের কবিতাংশ ও ‘সুখ’ কবিতার আলোকে যথার্থ।
প্রশ্ন-২ ল্ফল্ফ পরহিতে আপন সুখ নিহিত

কবির চৌধুরী উত্তরাধিকার সূত্রে বহু সম্পত্তির মালিক ছিলেন। গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার বিশেষ খাতির ছিল। গ্রামের যেসব কৃষক তার জমি চাষ করত তিনি তাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করতেন। ফসল কম হলে তিনি তার নিজের ভাগটা ছেড়ে দিতেন। গ্রামের দরিদ্র মানুষরা তার কাছে এসে কখনো খালি হাতে ফেরেনি। তিনি নিজের কথা না ভেবে সমাজের অসহায় মানুষদের কথা ভাবতেন। অসহায় ও অসুস্থ মানুষদেরকে তিনি টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করতেন। তিনি প্রায় বলতেন, প্রাচুর্যের মাঝে সুখ নেই, মানুষের জন্য কিছু করতে পারাটাই প্রকৃত সুখ।
ক. ‘বলি’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে’- বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. কবির চৌধুরীর চরিত্রে ‘সুখ’ কবিতার যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তার বর্ণনা দাও। ৩
ঘ.“উদ্দীপকটি ‘সুখ’ কবিতার সামগ্রিক ভাব ধারণ করে না।” মতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪

ক ‘বলি’ শব্দের অর্থ উৎসর্গ।
খ উদ্ধৃত উক্তিটির মাধ্যমে সমাজের মানুষের পারস্পরিক নির্ভরশীলতার কথা বোঝানো হয়েছে।
পারস্পরিক ত্যাগের মাধ্যমেই মানবসমাজ গড়ে ওঠে। অন্যকে বাদ দিয়ে এ সমাজে কেউ একলা বেঁচে থাকতে পারে না। তাই নিজেকে সবার মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে প্রকৃত সুখের স্বাদ লাভ করতে হবে।
গ কবির চৌধুরীর চরিত্রে ‘সুখ’ কবিতার যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তা হলো পরের কারণে নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা।
‘সুখ’ কবিতায় বলা হয়েছে সুখী হওয়ার সবচেয়ে বড় উপায় হলো অন্যের জন্য কিছু করা। কিন্তু সমাজে অন্য সবার কথা ভুলে কেউ যদি কেবল নিজের স্বার্থ দেখে, সে হয়ে যায় আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন। আর সমাজ বিচ্ছিন্ন মানুষ প্রকৃত সুখ লাভ করতে পারে না।
উদ্দীপকের কবির চৌধুরী বহু সম্পদের মালিক হয়েও ছিলেন সর্বজনীন। তিনি তার সম্পদ থেকে অসহায় মানুষদের সাহায্য করতেন। নিজের কথা না ভেবে সমাজের অসহায় মানুষের কথা ভাবতেন। জমিতে ফসল কম হলে বর্গা চাষিদের কাছ থেকে তিনি তার নিজের অংশ নিতেন না। তিনি নিজের স্বার্থ অপরের মঙ্গলের জন্য বিলিয়ে দিতেন। তাই বলা যায়, ‘সুখ’ কবিতায় বর্ণিত পরের কারণে স্বার্থ বলি দেয়ার বিষয়টি কবির চৌধুরীর মধ্যে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে।
ঘ “উদ্দীপকটি ‘সুখ’ কবিতার সামগ্রিক ভাব ধারণ করে না।” এ মন্তব্যটি যথার্থ।
সুখ জীবনে কীভাবে আসবে এ সম্পর্কে ‘সুখ’ কবিতায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কেউ যদি সমাজের কথা ভুলে গিয়ে কেবল নিজের কথা ভাবে, সে হয়ে যায় আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থপর। আর স্বার্থপর লোক কখনো প্রকৃত সুখ লাভ করতে পারে না। যারা অন্যকে আপন ভেবে, অন্যের দুঃখে দুঃখী হয়ে সেবা ও কল্যাণের মাধ্যমে অন্যের মঙ্গল কামনা করে তারাই প্রকৃত সুখী।
উদ্দীপকের কবির চৌধুরীর মধ্যে ‘সুখ’ কবিতার অন্যের উপকারে কাজ করার দিকটির প্রকাশ ঘটেছে। বহু ধনসম্পদের মালিক হয়েও তিনি সমাজের সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলতেন। সাধারণ মানুষের সুখের জন্য তিনি তার নিজের সম্পদ বিলিয়ে দিতেন। উদ্দীপকের এ বিষয়টিই ‘সুখ’ কবিতার একমাত্র বিষয় নয়। এছাড়াও এ কবিতায় বলা হয়েছে- যারা সারাজীবন শুধু সুখের পেছনে ছোটে তারা জীবনে দুঃখকষ্ট দেখে জীবনকে নিরর্থক মনে করে। কিন্তু তাদের এ ধারণা সত্য নয়। তারা জীবনের তাৎপর্য বুঝতে পারে না। বিধাতা মানুষকে শুধু কষ্ট সহ্য করার জন্য পৃথিবীতে পাঠাননি।
কবিতায় বর্ণিত বিষয়টি উদ্দীপকে অনুপস্থিত, তাই বলা যায় উদ্দীপকটি ‘সুখ’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করে না।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ পরহিতে আত্মস্বার্থ বিসর্জন

“পুুষ্প আপনার জন্য ফোটে না;
পরের জন্য তোমার হৃদয় কুসুমকে প্রস্ফুটিত করিও।”
ক. কামিনী রায় কোন ছদ্মনামে লিখতেন? ১
খ. ‘যাও বীরবেশে কর গিয়া রণ’Ñ কবি এখানে কোন রণের কথা বলেছেন- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের মূলভাবে ‘সুখ’ কবিতার কোন দিকটি উপস্থাপিত হয়েছে তার বর্ণনা দাও। ৩
ঘ.উদ্দীপকের আলোকে ‘সুখ’ কবিতাটি মূল্যায়ন কর। ৪
ক কামিনী রায় ‘জনৈক বঙ্গমহিলা’ ছদ্মনামে লিখতেন।
খ ‘যাও বীরবেশে কর গিয়া রণ’ কবি এখানে রণ বলতে জীবন সংগ্রামের কথা বলেছেন।
জীবন পুষ্পশয্যা নয়। প্রতিক‚লতার বেড়াজালে আবদ্ধ সংসারের চারদিক। সংসারে বসবাসকারী মানুষগুলোকে প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কষ্ট দেখে যারা ভয় পায় তারা জীবনে সুখ লাভ করতে পারে না। বীরযোদ্ধার মতো যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে সব হতাশা ও কষ্ট জয় করে নিতে হবে। ‘যাও বীরবেশে কর গিয়া রণ’Ñ পঙ্ক্তিটিতে কবি এই জীবনসংগ্রামের কথাই বলেছেন।
গ উদ্দীপকের মূলভাব হচ্ছে অপরের কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ‘সুখ’ কবিতায়ও এ দিকটি উপস্থাপিত হয়েছে।
‘সুখ’ কবিতায় কবি বলেছেন, দুঃখ, যন্ত্রণা সয়ে সব সংকট মোকাবিলা করে জীবনসংগ্রামে সফলতার মাধ্যমেই অর্জিত হয় সুখ। যারা শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবে তারা স্বার্থপর এবং সমাজ বিচ্ছিন্ন। এরা কখনো প্রকৃত সুখী হতে পারে না। অপরদিকে, যে অপরের কল্যাণের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে সে-ই প্রকৃত সুুখী।
উদ্দীপকের মূলভাবে ‘সুখ’ কবিতার যে বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে তা হলো মানুষ শুধু নিজের সুখের জন্য পৃথিবীতে আসেনি। মহৎ ব্যক্তি সবসময় অপরের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যান। ফুল কখনো নিজেকে খুশি করার জন্য ফোটে না, অন্যকে মুগ্ধ করাই ফুলের কাজ। মানুষ হিসেবে আমাদেরও অপরের মঙ্গলের জন্য সদা নিয়োজিত থাকা উচিত।
তাই বলা যায়, সুখ কবিতায় বর্ণিত পরার্থে আত্মত্যাগের বিষয়টিই উদ্দীপকের মূলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
ঘ উদ্দীপক ও ‘সুখ’ কবিতায় যে বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে তাহলো নিজ স্বার্থ ত্যাগ করে অন্যকে ভালোবেসে, সাহায্য করে ও স্নেহ দিয়ে জীবন ফুলের মতো সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে।
সব সংকট মোকাবিলা করে জীবনসংগ্রামে সফলতার বিনিময়েই অর্জিত হয় সুখ। যে শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবে সে কখনো সুখী হতে পারে না। অপরদিকে, যে অপরের কল্যাণে নিজেকে যুক্ত করে সেই প্রকৃত সুখী। মূলত ভোগে সুখ নেই ত্যাগেই প্রকৃত সুখ নিহিত।
উদ্দীপকে ত্যাগের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। ফুল তার নিজের সৌন্দর্যের জন্য ফোটে না, অপরকে মুগ্ধ করাই ফুলের ধর্ম। জগতে যারা মহান তারাও সবসময় অপরের কল্যাণের জন্য কাজ করে যান। ফুলের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাইকে মানবকল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে। বস্তুত মানুষ সামাজিক জীব। পারস্পরিক ত্যাগের মাধ্যমেই গড়ে ওঠে মানবসমাজ। এ সমাজে প্রতিটি মানুষ একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। তাই অন্যকে বাদ দিয়ে এ সমাজে একা বাঁচার কথা কেউ ভাবতে পারে না। আর সুখীও হতে পারে না।
তাই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, উদ্দীপকে এবং ‘সুখ’ কবিতায় এ বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে এবং এটি মানবজীবনের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ কষ্ট ছাড়া সুখ অর্জিত হয় না

কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ পথ,
উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ,
কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে?
ক. কবি কোন বেশে রণ করতে বলেছেন? ১
খ. ‘আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে।’ একথাটি বলেছেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের শেষের দুই চরণে ‘সুখ’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে- নির্ণয় কর। ৩
ঘ.‘উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ’Ñ উক্তিটি ‘সুখ’ কবিতার প্রথম স্তবকের ভাব প্রকাশ করে’ মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪

ক কবি বীরবেশে রণ করতে বলেছেন।
খ মানুষ সামাজিক জীব। তাই শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য পৃথিবীতে আসেনি।
সমাজে বাস করতে গিয়ে মানুষ একে অপরের সহযোগিতা অনুভব করে। মানুষের একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়। তাই একের সুখে-দুঃখে অন্যকে এগিয়ে আসতে হয়। অপরের কল্যাণ করার মধ্যেই প্রকৃত সুখ নিহিত থাকে। মানুষ শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবলে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যায়। তখন সে অপরের কল্যাণের কথা ভাবতে পারে না। পারস্পরিক ত্যাগের মধ্য দিয়েই গড়ে উঠেছে মানবসমাজ। তাই বলা হয়েছে, “আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে।”
গ সব বাধাবিপত্তি ও দুঃখকষ্ট অতিক্রম করে সুখ অর্জন করতে হবে- ‘সুখ’ কবিতার এই দিকটি উদ্দীপকের শেষ দুই চরণে প্রকাশ পেয়েছে।
যারা সারাজীবন ‘সুখ’ ‘সুখ’ করে কেঁদে বেড়ায় তারা জীবনে কষ্ট দেখলে মানবজীবনকে ব্যর্থ মনে করে। তাদের এ ধারণা ভুল। জীবনের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য আরো বিস্তৃত ও মহৎ। দুঃখযন্ত্রণা সয়ে, সব সংকট মোকাবিলা করে জীবনসংগ্রামে সফলতার মাধ্যমেই সুখ অর্জিত হয়।
উদ্দীপকের শেষ দুই চরণেও ‘সুখ’ কবিতার উলি­খিত ভাবটিই ফুটে উঠেছে। বিধাতা মানুষকে শুধুই কাঁদার জন্য সৃষ্টি করেননি। মানুষের কর্মের পরিধি বিশাল। এই সংসার একটা রণক্ষেত্র। এখানে বীরবেশে সংগ্রাম করে সুখ পাখিকে ছিনিয়ে আনতে হবে। যে কাঁটা দেখে গোলাপ তুলতে অসম্মত হয় সে কখনো গোলাপ ফুল হাতে পায় না। সাধনা ও ধৈর্যের মাধ্যমে সুখ অর্জন করতে হয়। ‘সুখ’ কবিতায় উলি­খিত এ দিকটি উদ্দীপকের শেষ দুই চরণে প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ ‘উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ’ উক্তিটি ‘সুখ’ কবিতার প্রথম স্তবকের ভাব প্রকাশ করে”Ñ মন্তব্যটি যথার্থ।
‘সুখ’ কবিতায় বলা হয়েছে, জগতে যারা সুখ খোঁজে তারা জীবনে দুঃখ-যন্ত্রণা দেখে ভাবে মানুষের জীবন নিরর্থক। এ যুদ্ধক্ষেত্রে টিকে থাকতে হলে তাকে অবশ্যই সংগ্রাম করতে হবে। কঠোর তপস্যা আর সাধনার মাধ্যমে লাভ করতে হবে কাক্সিক্ষত সাফল্য।
‘উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ’Ñ উক্তিটিতেও আমরা সেই বিষয়টিই লক্ষ করি। জীবনে হতাশা আসবে, ব্যর্থতা আসবে, তাই বলে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। সুখ পেতে হলে কষ্ট সহ্য করতে হবে। গোলাপ ফুল তুলতে গেলে অবশ্যই কাঁটার আঘাত সহ্য করতে হবে।
ব্যর্থতার মাঝেই সফলতার বীজ লুক্কায়িত। ব্যর্থতা ও সফলতা পাশাপাশি অবস্থান করে। ব্যর্থতা এলে মনোবল না হারিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলে ব্যর্থতা জয় করা যাবে। ‘সুখ’ কবিতার প্রথম স্তবকের এ বিষয়টি উদ্দীপকের আলোচ্য চরণে ফুটে উঠেছে।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ ত্যাগেই প্রকৃত সুখ

ছাত্তার সাহেব গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি। তিনি গ্রামের কারোর বিপদের কথা শুনলে দ্রæত ছুটে যান। নিজের সুখ-দুঃখের কথা চিন্তা না করে অন্যের কল্যাণ ও মঙ্গলের কথা ভাবেন। তিনি বলেন, ‘যারা আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর, লোভী তারা প্রকৃত সুখী নয়। অন্যের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের মাধ্যমে তিনি আত্মসুখ খুঁজে পান। তিনি ভাবেন ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।
ক. কামিনী রায়ের ছদ্মনাম কী? ১
খ. প্রকৃত সুখী কারা- বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. উদ্দীপকের ছাত্তার সাহেবের আচরণে ‘সুখ’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘ত্যাগেই প্রকৃত সুখ’ উদ্দীপকের এ উক্তির তাৎপর্য তোমার পঠিত ‘সুখ’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক কামিনী রায়ের ছদ্মনাম ‘জনৈক বঙ্গমহিলা’।
খ এ পৃথিবীর সমর-অঙ্গনে যারা বীরের মতো সংগ্রাম করে জয়ী হয় তারা এবং পরের কল্যাণকে যারা নিজ জীবনে ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেন তারা প্রকৃত সুখী।
যারা নিজের কথা ভাবে না পরের দুঃখে যারা দুঃখী হয়, পরের কারণে যারা মরতেও প্রস্তুত এমন নিঃস্বার্থ পরোপকারীরাই প্রকৃত সুখী।
গ ‘সুখ’ কবিতায় কামিনী রায় ছাত্তার সাহেবের মতো আচরণকারী ব্যক্তিকে প্রকৃত সুখী বলে উল্লেখ করেছেন।
কবি কামিনী রায় তার ‘সুখ’ নামক কবিতায় প্রকৃত সুখ পাওয়ার উপায় এবং কে প্রকৃত সুখী এ বিষয়ে সুন্দরভাবে আলোকপাত করেছেন। যারা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে, তারা কখনই প্রকৃত সুখী নয়। পরের জন্য যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন, তাঁরাই প্রকৃত সুখ অনুভব ও ভোগ করতে পারেন।
একজন জনদরদি, পরোপকারী মানুষের সকল বৈশিষ্ট্য উদ্দীপকের সাত্তার সাহেবের চরিত্রে লক্ষ করা যায়। গ্রামের কারো বিপদের কথা শুনলে তিনি ছুটে যান, তিনি আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপর লোভী নন। অন্যের দুঃখকষ্ট লাঘবের মাধ্যমে তিনি সুখ খুঁজে পান। তাঁর আচরণে ‘সুখ’ কবিতার মূলভাবটি ফুটে উঠেছে। উদ্দীপকের ছাত্তার সাহেব যেন কবির কল্পিত প্রকৃত সুখী মানুষ।
ঘ ‘সুখ’ কবিতায় কামিনী রায় প্রকৃত সুখী ব্যক্তির স্বরূপ এবং সুখ অর্জনের মোক্ষম উপায় সম্পর্কে যুগপৎ বর্ণনা করেছেন।
এ পৃথিবীর সব মানুষই সুখের জন্য লালায়িত। কিন্তু প্রকৃত সুখ অর্জনের জন্য মানুষ সঠিক পন্থা অবলম্বন করে না। ভোগে সুখ নেই, নিজের স্বার্থে কাজ করার মধ্যে সুখ নেই। যারা নিজের স্বার্থে অন্ধ, যারা পরের জন্য সাহায্যের হাত বাড়ায় না তারা প্রকৃত সুখী নয়। প্রকৃত সুখী সেই ব্যক্তি যে নিজের কথা ভাবে না, পরের জন্য যার প্রাণ কাঁদে, অন্যের বিপদে যে স্থির থাকতে পারে না, সেই নিজের স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে খাঁটি সুখের স্বাদ লাভ করতে পারে।
‘ত্যাগেই প্রকৃত সুখ’ উদ্দীপকের ছাত্তার সাহেব এ বক্তব্যকে প্রমাণ করেছেন। বস্তুত সমাজের অন্য সবার কথা ভুলে কেউ যদি কেবল নিজের স্বার্থ দেখে, সে হয়ে যায় আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন। আর সমাজবিচ্ছিন্ন মানুষ প্রকৃত সুখ লাভ করতে পারে না। পক্ষান্তরে অন্যকে আপন ভেবে সুখ-দুঃখের অংশীদার হয়ে প্রীতি, ভালোবাসা, সেবা ও কল্যাণের মাধ্যমে যে অন্যের মঙ্গলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে সেই প্রকৃত সুখী। প্রশ্নোল্লিখিত উক্তিটি তাই যথাযথ।
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ জীবনের সার্থকতা পরহিত ব্রতে

সা¤প্রতিক বন্যায় কুড়িগ্রাম, বগুড়া ও চাঁদপুর জেলায় ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। এতে হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জিনিসপত্র উদ্ধার ও ত্রাণ দেয়ার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে একটি স্বেচ্ছাসেবক দল। তারা বিশ্বাস করে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে অন্যের কল্যাণে কাজ করাই মানবজীবনের প্রকৃত সার্থকতা এবং এতেই সুখ নিহিত।
ক. ‘আলো ও ছায়া’ কাব্যগ্রন্থটি রচয়িতা কে? ১
খ. ‘এ ধরা কি শুধু বিষাদময়’-এ চরণটি দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকের স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধার কর্মীদের আচারণ ‘সুখ’ কবিতার কোন দিকটি ইঙ্গিত করেছে? ৩
ঘ.উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘সুখ’ কবিতার মূল বক্তব্যকে সমর্থন করে কি? যুক্তিসহ তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘আলো ও ছায়া’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কামিনী রায়।
খ ‘এ ধরা কি শুধু বিষাদময়?’-এ চরণটি দ্বারা সুখ-সন্ধানী মানুষকে উদ্দেশ্য করে কবি উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন।
জগতে সুখসন্ধানী মানুষেরা অল্প দুঃখ যন্ত্রণা দেখে জীবনকে নিরর্থক মনে করে। নিজের দুঃখের কথা ভেবে ভেবে শুধু মনের কষ্টই বাড়ায়। তাদের এ ভাবনাটিকেই কবি উদ্ধৃত উক্তিটির মাধ্যমে ধরিয়ে দিতে চেয়েছেন।
গ উদ্দীপকের সেচ্ছাসেবক উদ্ধারকর্মীদের আচরণ ‘সুখ’ কবিতার অন্যের বিপদের সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার দিকটি প্রকাশ করেছেন।
‘সুখ’ কবিতার কবি পারস্পরিক নির্ভরশীলতার দিকটাই ফুটিয়ে তুলেছেন। অন্যকে আপন ভেবে, অন্যের সুখ-দুঃখের অংশীদার হয়ে প্রীতি, ভালোবাসা, সেবা কল্যাণের মাধ্যমে সুখ লাভ করা যায়, কবির মতে, আমরা শুধু স্বীয়স্বার্থ রক্ষার জন্যই পৃথিবীতে আসিনি। আমরা সকলের কল্যাণ সাধনের জন্য পৃথিবীতে এসেছি।
‘সুখ’ কবিতার এ অনুভ‚তি উদ্দীপকের মধ্যেও প্রতিফলিত হয়েছে। বন্যায় কুড়িগ্রাম, বগুড়া, চাঁদপুর অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুঃখ দুর্দশা। একদল স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। এতে অনেকের দুঃখ লাঘব হয়েছে। অর্থাৎ উদ্দীপকে সেচ্ছাসেবক উদ্ধার কর্মীদের আচরণ ‘সুখ’ কবিতার অন্যেয় বিপদের সময় সহযোগিতার দিকটির প্রকটিত হয়েছে।
ঘ উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘সুখ’ কবিতার মূল বিষয়কে সমর্থন করে বলে আমি মনে করি।
‘সুখ’ কবিতায় কবি ব্যক্ত করেছেন সুখের জন্য কান্নাকাটি করে কোনো লাভ নেই। বরং অন্যকে সাহায্য করার মাধ্যমেই প্রকৃত সুখ লাভ করা যায়।
উদ্দীপকেও স্বেচ্ছাসেবক দল বিপদাপন্নদের সাহায্য করার মাধ্যমে তাদের দুঃখ লাঘব করেছে। পাশাপাশি তারা অনেক মানসিক স্বস্তি পেয়েছে। ‘সুখ’ কবিতার কবিও মনে করেন, পরের সাহায্যে এগিয়ে এসে যদি মৃত্যুও হয়, তবে তা সুখের। কারণ সকলেই সকলের তরে।
সুতরাং আমি মনে করি যে, উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘সুখ’ কবিতার মূলভাবকে সমর্থন করে।
 অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ পরহিতে আপন সুখ

হাসান ও কামাল দুই বন্ধু। হাসান পরোপকারী মানসিকতার অধিকারী। সে নিজের স্বার্থ বড় করে না দেখে অপরের স্বার্থ বড় করে দেখে। কিন্তু কামাল সবসময় নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। পরের কথা চিন্তা করার সময় তার নেই। এজন্য সে সব সময় হীনম্মন্যতায় ভোগে, কোনো কাজে সুখ খুঁজে পায় না।
ক. কামিনী রায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? ১
খ. ‘যে জিনিবে সুখ লভিবে সে-ই’ এখানে ‘জিনিবে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের হাসানের মধ্যে ‘সুখ’ কবিতার কোন অংশটি ফুটে উঠেছে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের কামাল ‘সুখ’ কবিতার কবির আদর্শের প্রতীক নয় বিশ্লেষণ কর। ৪

ক কামিনী রায় বাখরগঞ্জ (বর্তমান বরিশাল) জেলার বাসন্ডা গ্রামে।
খ ‘যে জিনিবে সুখ লভিবে সে-ই’ উদ্ধৃত উক্তিতে ‘জিনিবে’ দ্বারা জীবন সংগ্রামের জয় করাকে বোঝানো হয়েছে।
কবি কামিনী রায় সংসারকে একটি যুদ্ধক্ষেত্র মনে করেন। এখানে ত্যাগ ও তিতিক্ষা ছাড়া কোনো অর্জনই সম্ভব নয়। সংসার হলো রণাঙ্গন, এখানে যে বীরবেশে যুদ্ধ করে জয় লাভ করবে সেই সুখের সন্ধান পাবে।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ উদ্দীপকে হাসানের মধ্যে ‘সুখ’ কবিতার পরের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার বিষয়টি ব্যাখ্যা কর।
ঘ কামিনী রায়ের ‘সুখ’ কবিতায় উল্লেখিত আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর লোক যে প্রকৃত সুখী হতে পারে না- এ বিষয়টির আলোকে উদ্দীপকের কামাল ‘সুখ’ কবিতার কবির আদর্শের প্রতীক নয়-বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ৮ ল্ফল্ফ পরহিতে স্বীয় কষ্ট গোপন

সকলের মুখ হাসি ভরা দেখে
পার না মুছিতে নয়ন ধার?
পরহিত ব্রতে পার না রাখিতে
চাপিয়া আপন বিষাদ ভার।
ক. কামিনী রায় কত বছর আগে সাহিত্যচর্চা করে গেছেন? ১
খ. কবি অন্যের জন্য জীবন মন উৎসর্গ করতে বলেছেন কেন? ২
গ. উদ্দীপক ও ‘সুখ’ কবিতাটি কোন বিষয়ের দিক থেকে সংগতিপূর্ণ? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব ‘সুখ’ কবিতাটির কতটুকু প্রতিনিধিত্ব করছে। পর্যালোচনা কর। ৪

ক কামিনী রায় তিরাশি বছর আগে সাহিত্যচর্চা করে গেছেন।
খ অন্যের জন্য নিজের জীবন মন দেয়ার মধ্যেই সুখ নিহিত তাই কবি একথা বলেছেন।
পৃথিবীতে মানুষ শুধু সুখের সন্ধান করে। তাই কবি ‘সুখ’ কবিতায় সুখ পাওয়ার উৎসের কথা বলেছেন। কবি বলেছেন যে, ব্যক্তিস্বার্থ ত্যাগ করে অন্যের জন্য জীবন, মন বিলিয়ে দেওয়ার মাঝেই সুখ নিহিত। অর্থাৎ ব্যক্তিস্বার্থ নয় বরং অন্যের স্বার্থ রক্ষার মধ্যেই সুখ পাওয়া যায়।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘সুখ’ কবিতায় উল্লিখিত স্বার্থত্যাগ ও মানব প্রেমের স্বরূপ তুলে ধর।
ঘ ‘সুখ’ কবিতার মূলভাবটি মূল্যায়ন কর।
প্রশ্ন- ৯ ল্ফল্ফ পরের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতেই প্রকৃত সুখ
(র) ভোগে সুখ নাই
ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।
(রর) সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।
ক. ‘অবনী’ শব্দটির অর্থ কী? ১
খ. ‘না-,না-,না-, মানবের তরে আছে উচ্চ লক্ষ্য’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. (রর) নং কবিতাংশের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “(র) নং কবিতাংশের মূলভাবের সঙ্গে ‘সুখ’ কবিতার মূলভাব যেন একই সূত্রে গাঁথা।” বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘অবনী’ শব্দটির অংশ পৃথিবী।
খ মানুষের জন্ম শুধু দুঃখ ভোগের জন্যই নয়।
সুখ লাভের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে কবির মনে প্রশ্ন জাগে, এ পৃথিবী কি শুধু বিষাদময়? আবার এর উত্তরে কবি নিজেই বলেন, মানবজীবন কেবল দুঃখ ভোগের জন্য নয়। জীবনে চেষ্টা সাহসের দ্বারা যারা সকল বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করতে পারবে তারাই প্রকৃত সুখ লাভ করতে পারবে। এ বিষয়টিকে বোঝানোর জন্য কবি আলোচ্য চরণদ্বয়ের উল্লেখ করেছেন।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ সুখ কবিতার ত্যাগের মাধ্যমে প্রকৃত সুখ লাভ করার যে আদর্শ- ব্যাখ্যা কর।
ঘ সুখ কবিতার মূলভাব বিশ্লেষণ কর।

জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ কামিনী রায়ের কবিতায় কীসের আবেদন পাওয়া যায়?
উত্তর : কামিনী রায়ের কবিতায় মানবিক আবেদন পাওয়া যায়।
প্রশ্ন \ ২ \ কামিনী রায়ের কবিতার ভাষা কোন ধরনের?
উত্তর : কামিনী রায়ের কবিতার ভাষা সহজ-সরল ও সাবলীল।
প্রশ্ন \ ৩ \ কে সুখ লাভ করবে?
উত্তর : যে জীবনসংগ্রামে জয়ী হবে সেই সুখ লাভ করবে।
প্রশ্ন \ ৪ \ মনের কষ্ট বৃদ্ধি পায় কখন?
উত্তর : মানুষ যখন সুখের জন্য কাঁদে এবং নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে তখন মনের কষ্ট বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন \ ৫ \ এ জগৎ সংসার কেমন?
উত্তর : এ জগৎ সংসার সমর-অঙ্গন।
প্রশ্ন \ ৬ \ বিধাতা কী করতে মানুষকে সৃষ্টি করেননি?
উত্তর : বিধাতা কাঁদতে মানুষকে সৃষ্টি করেননি।
প্রশ্ন \ ৭ \ কবি বীরবেশ ধারণ করে কী বলেছেন।
উত্তর : কবি বীরবেশ ধারণ করে যুদ্ধ করতে বলেছেন।
প্রশ্ন \ ৮ \ কার কারণে স্বার্থ বলি দিতে হবে?
উত্তর : পরের কারণে স্বার্থ বলি দিতে হবে।
প্রশ্ন \ ৯ \ কবি কার কথা ভুলে যেতে বলেছেন?
উত্তর : কবি নিজের কথা ভুলে যেতে বলেছেন।
প্রশ্ন \ ১০ \ সুখের জন্য কবি কী করতে মানা করেছেন?
উত্তর : সুখের জন্য কবি কাঁদতে মানা করেছেন।
প্রশ্ন \ ১১ \ আমরা কী করতে অবনীতে আসিনি?
উত্তর : নিজেদের নিয়ে বিব্রত থাকতে আমরা অবনীতে আসিনি।
প্রশ্ন \ ১২ \ প্রত্যেকে আমরা কার তরে?
উত্তর : প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ কার তরে উচ্চতর সুখ আছে?
উত্তর : মানবের তরে উচ্চতর সুখ আছে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ সুখের জন্য কাঁদলে কী হয়?
উত্তর : সুখের জন্য কাঁদলে হৃদয়ের ভার বাড়ে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ কীভাবে মানবসমাজ গড়ে উঠেছে?
উত্তর : পারস্পরিক ত্যাগের মধ্য দিয়েই মানবসমাজ গড়ে উঠেছে।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ কবি পরের কারণে কেন স্বার্থ বলি দিতে বলেছেন?
উত্তর : কবি পরের কারণে স্বার্থ বলি দিতে বলার কারণ হলো পরের কারণে স্বার্থ ত্যাগের দ্বারা পরম সুখ পাওয়া যায়।
নিজের সুখ আহরণ করার মাঝে রয়েছে অতৃপ্তি আর হাহাকার। পরের স্বার্থসিদ্ধি করতে গেলে মহানুভবতার সুখ পাওয়া যায়। আর সুখ সমস্ত দুঃখকে ভুলিয়ে দিতে পারে। এ কারণেই কবি পরের কারণে স্বার্থ বলি দিতে বলেছেন।
প্রশ্ন \ ২ \ মানবের তরে কী আছে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মানবের তরে আছে উচ্চ লক্ষ্য এবং উচ্চতর সুুখ।
কারণ মানুষের জীবন শুধু হতাশা আর যন্ত্রণার নয়। বিধাতা আমাদেরকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে। আমাদের উচিত পৃথিবীতে মহৎ কিছু করা। আমাদের জীবনের সার্থকতার প্রমাণ দেয়া। শুধু যন্ত্রণার ঘোরে অস্থির হয়ে থাকার জন্য আমাদের জীবন নয়। আমাদের জীবন মহৎ উদ্দেশ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘না সৃজিলা বিধি কাঁদাতে নরে।’ পঙ্ক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : ‘না সৃজিলা বিধি কাঁদাতে নরে।’ পঙ্ক্তিটি দ্বারা কবি বোঝাতে চেয়েছেন বিধাতা নরকে পৃথিবীতে কাঁদার জন্য সৃষ্টি করেননি।
বিধাতা এ পৃথিবীতে আমাদেরকে মহৎ উদ্দেশ্য দিয়ে প্রেরণ করেছেন, পৃথিবীর বিশাল কার্যক্ষেত্র আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আমাদের উচিত পৃথিবীর কার্যক্ষেত্রে নিজেদের প্রমাণের মাধ্যমে আত্মিক সুখ আহরণ করা। কারণ বিধাতা শুধু কান্নার জন্যই আমাদের সৃষ্টি করেননি।
প্রশ্ন \ ৪ \ ‘পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি’- কবি এখানে কোন ধরনের স্বার্থ বলি দেয়ার কথা বলেছেন?
উত্তর : ‘পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি’Ñ এখানে কবি নিজের স্বার্থ বলি দেয়ার কথা বলেছেন।
মানুষ মাত্রই সুখের সন্ধানে ব্যস্ত। কিন্তু কীভাবে জীবনে ‘সুখ’ আসতে পারে ‘সুখ’ কবিতায় সে সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে। স্বার্থ বা অধিকার মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। প্রতিটি মানুষই এ দিক থেকে সচেতন। সুখী হওয়ার জন্য মানুষ নিজের স্বার্থ প্রাধান্য দিয়ে থাকে। কিন্তু নিজের স্বার্থ প্রাধান্য দিতে গিয়ে অনেক সময় মানুষ অপরের কথা ভুলে যায়।
প্রশ্ন \ ৫ \ কারা মানুষের জীবন নিরর্থক মনে করে এবং কেন?
উত্তর : হতাশাবাদী মানুষ জীবন নিরর্থক মনে করে।
জগতে অনেক মানুষই আছে যারা সারাজীবন কেবল সুখের পেছনে ছুটে বেড়ায়। সুখের পেছনে ছুটতে ছুটতে তারা কখনো দুঃখ বরণ করতে চায় না। তারা বুঝতে পারে না যে, মানুষের জীবন সুখ-দুঃখের সমন্বয়ে গঠিত। জগতে যারা কেবল সুখ খোঁজে তারা জীবনে দুঃখ-যন্ত্রণা দেখে ভাবে মানুষের জীবন নিরর্থক।
প্রশ্ন \ ৬ \ ‘সুখ’ কবিতায় প্রকৃত সুখী বলা হয়েছে কাদের? বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : আত্মকেন্দ্রিকতা ও স্বার্থপরতা ত্যাগ করে যারা মানবপ্রেমে উদ্বুুদ্ধ হতে পারে তারাই প্রকৃত সুখী।
সৃষ্টির আদিকাল থেকেই মানুষ দলবদ্ধভাবে বসবাস করে আসছে। পারস্পরিক ত্যাগের মধ্য দিয়েই গড়ে উঠেছে মানবসমাজ। এ সমাজের প্রতিটি মানুষ একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। তাই অন্যকে বাদ দিয়ে এ সমাজে একলা বাঁচার কথা কেউ ভাবতে পারে না। তাই মানুষকে সুখী হতে হলে পরের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

 

Leave a Reply