অষ্টম অধ্যায় মিশ্রণ
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
কোনো তরল পদার্থ থেকে অদ্রবণীয় পদার্থ বা ভাসমান কঠিন পদার্থকে ছেঁকে পৃথক করার প্রণালিকে পরিস্রাবণ বলে।
কোনো তরল পদার্থকে তাপের সাহায্যে বাষ্পে পরিণত করাকেই বাষ্পীভবন বলে।
যে দ্রাবক প্রায় সব রকমের পদার্থকে দ্রবীভ‚ত করতে পারে তাকে সার্বজনীন দ্রাবক বলে।
জলীয়বাষ্প অথবা অন্য বায়বীয় পদার্থকে যথেষ্ট পরিমাণে ঠাÐা করে তরল অবস্থায় পরিণত করার পদ্ধতিকে ঘনীভবন বলে।
সাধারণত কলয়েডে বিদ্যমান ভাসমান কণাগুলোর আকার ১-১০০০ ন্যানোমিটার হয়ে থাকে। আর যদি কণাগুলোর আকার ১ মাইক্রোমিটার বা তার বেশি হয়, তখন এটি আর কলয়েড না হয়ে সাসপেনসনে পরিণত হয়।
দুধ পানি ও চর্বি দিয়ে তৈরি বলে একে কলয়েড বলা হয়।
সম্পৃক্ত দ্রবণে সামান্য পরিমাণে দ্রব যোগ করে অনেক নাড়লেও দ্রব আর দ্রবীভ‚ত হয় না, পক্ষান্তরে অসম্পৃক্ত দ্রবণে দ্রব যোগ করে নাড়া দিলে দ্রবণটি সম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত দ্রব দ্রবীভ‚ত হতেই থাকে।
কোমল পানীয়, নদ-নদী, খাল-বিল বা প্রাকৃতিক জলাশয়ের পানি, ফরমালিন প্রভৃতি হলো তরল-গ্যাস দ্রবণ।
১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানি ফুটতে শুরু করে ও বাষ্পে পরিণত হয়।
বাষ্প তরলে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ঘনীভবন বলা হয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ পাঠ ১-২ : মিশ্রণ ও দ্রবণ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. নিচের কোনটি পানিতে দ্রবণীয়? (অনুধাবন)
চিনি খ মাটি গ চকের গুঁড়া ঘ বালি
২. কোন পদার্থের উপাদানগুলো সমসত্ত¡ ধর্ম বিশিষ্ট? (অনুধাবন)
ক ধুলাযুক্ত পানি খ বিশুদ্ধ পানি
লবণ ও পানির মিশ্রণ ঘ লবণ ও বালির মিশ্রণ
৩. কোনটি সমস্বত্ব মিশ্রণ?
লবণ পানি খ ময়লা পানি গ আটা পানি ঘ শ্যাওলা পানি
৪. একের অধিক পদার্থের সংমিশ্রণে কী পাওয়া যায়? (জ্ঞান)
ক কলয়েড খ দ্রবণ মিশ্রণ ঘ দ্রাবক
৫. যে মিশ্রণে উপাদানসমূহ সুষমভাবে বণ্টিত থাকে তাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
দ্রবণ খ দ্রাবক গ মিশ্রণ ঘ কলয়েড
৬. উপাদানের অনুপাত একই থাকে কোনটিতে? (অনুধাবন)
ক অসমস্বত্ব মিশ্রণে খ অতিপৃক্ত মিশ্রণে
গ কলয়েডে সমস্বত্ব মিশ্রণে
৭. মিশ্রণ কত প্রকার?
২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
৮. চিনির শরবতে চিনির কণাগুলো কীভাবে থাকে? (অনুধাবন)
ক এক এক ভাগে এক এক রকম হয়
পানির সবখানে সুষমভাবে বিন্যস্ত থাকে
গ উপরের ভাগে বেশি ঘন হয়
ঘ নিচের দিকে বেশি ঘন হয়
৯. উপাদান সহজে আলাদা করা যায় কোনটি থেকে? (অনুধাবন)
ক দ্রবণ খ সমস্বত্ব মিশ্রণ
গ অতিসম্পৃক্ত মিশ্রণ অসমস্বত্ব মিশ্রণ
১০. কোনটি পানিতে অদ্রবণীয়? (অনুধাবন)
ক চিনি খ লবণ গ গøুকোজ ময়দা
১১. পানিতে গুঁড়ো দুধ দিলে কোন মিশ্রণটি উৎপন্ন হবে?
ক সমস্বত্ব খ অসমস্বত্ব দ্রবণ ঘ সুষম মিশ্রণ
১২. পানিতে ফলের রস যোগ করলে কী প্রস্তুত হবে? (প্রয়োগ)
সমস্বত্ব মিশ্রণ খ অসমস্বত্ব মিশ্রণ
গ অসম্পৃক্ত মিশ্রণ ঘ সাসপেনসন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩. চিনির শরবত হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দ্রবণ রর. সমস্বত্ব মিশ্রণ
ররর. অসমস্বত্ব মিশ্রণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর র ও রর
১৪. সমস্বত্ব মিশ্রণ হলো
র. পানি ও গøুকোজের মিশ্রণ রর. পানি ও তুঁতের মিশ্রণ
ররর. বালি ও চিনির মিশ্রণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫. অসমস্বত্ব মিশ্রণ
র. ঝালমুড়ি
রর. চানাচুর
ররর. খিচুড়ি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চিত্র দেখে ১৬ ও ১৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
১৬. ১নং এর মধ্যে ২নং এর এক চামচ যোগ করলে কী প্রস্তুত হবে?(প্রয়োগ)
দ্রবণ খ দ্রাবক গ দ্রব ঘ মিশ্রণ
১৭. চিত্রের পদ্ধতির দ্বারা মিশ্রণ প্রস্তুত হলে কী হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক একটি সাসপেনসন তৈরি হবে খ কম অংশের ঘনত্ব বেশি হবে
প্রতিটি অংশের ঘনত্ব একই থাকবে ঘ একটি কলয়েড তৈরি হবে
ন্ধ পাঠ ৩-৪ : দ্রব ও দ্রাবক
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৮. দ্রবণে কোনটি বেশি পরিমাণে থাকে?
ক দ্রব দ্রাবক গ দ্রাব্যতা ঘ কলয়েড
১৯. দ্রবণ = + দ্রাবক। এখানে শূন্যস্থানে কী বসবে? (অনুধাবন)
ক দ্রাব্যতা খ তরল দ্রব ঘ পানি
২০. দ্রবণে যা দ্রবীভ‚ত হয় সেটি কী?
ক দ্রাবক খ চিনি দ্রব ঘ মিশ্রণ
২১. ৪, ৬, ৮, ১০ গ্রাম লবণ ১, ২, ৩ ও ৪ নং পাত্রের সমান আয়তনের পানিতে মেশালে কোন দ্রবণের ঘনমাত্রা কম হবে? (প্রয়োগ)
১নং খ ২নং গ ৩নং ঘ ৪নং
২২. দ্রবণে কোনটি কম পরিমাণে থাকে? (জ্ঞান)
দ্রব খ দ্রাবক গ দ্রাব্যতা ঘ দ্রবণীয়তা
২৩. যে দ্রবণে পানি দ্রাবক হিসেবে ব্যবহৃত হয় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক পাতলা দ্রবণ খ ঘন দ্রবণ
জলীয় দ্রবণ ঘ দ্রবণীয়তা
২৪. একটি দ্রবণ পাতলা বা ঘন হয় কিসের ওপর নির্ভর করে? (জ্ঞান)
ক আয়তন খ ভর গ গভীরতা ঘনমাত্রা
২৫. একটি দ্রবণ পাতলা না ঘন বোঝা যায় না কোন ক্ষেত্রে? (অনুধাবন)
ক রঙিন জলীয় দ্রবণ খ ঘন জলীয় দ্রবণ
গ পাতলা জলীয় দ্রবণ স্বচ্ছ জলীয় দ্রবণ
২৬. পাতলা ডাল নিচের কোনটি? (অনুধাবন)
ক দ্রবণ খ সমস্বত্ব মিশ্রণ
অসমস্বত্ব মিশ্রণ ঘ দ্রাবক
২৭. চিনির শরবতে কে কাকে দ্রবীভূত করে? (প্রয়োগ)
ক চিনি পানিকে দ্রবীভ‚ত করে
খ চিনি ও পানি উভয় উভয়কে দ্রবীভ‚ত করে
পানি চিনিকে দ্রবীভ‚ত করে
ঘ পানিতে থাকা হাইড্রোজেন চিনিকে দ্রবীভ‚ত করে
২৮. চিনির শরবতে দ্রব কোনটি? (অনুধাবন)
ক শরবত খ পানির অণু চিনি ঘ হাইড্রোজেন
২৯. রাসায়নিক পদার্থের স্বাদ পরীক্ষা করা উচিত নয় কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক এতে দুই বা ততোধিক মৌল থাকে বলে
এটি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলে
গ বিজ্ঞানাগারে প্রস্তুত হয় বলে
ঘ জটিল অণু বা পরমাণু দিয়ে গঠিত বলে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩০. দ্রবণের উদাহরণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. চিনির শরবত রর. গøুকোজের পানি ররর. ঘন ডাল
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১. দ্রাবক হিসেবে ব্যবহার করা যায় (প্রয়োগ)
র. পানি ও এসিটোন রর. চিনি ও লবণ
ররর. স্পিরিট ও ইথার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চিত্রটি দেখে ৩২ ও ৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৩২. প্রথম চিত্রে দ্রবণের প্রকৃতি কেমন? (প্রয়োগ)
ক গ্যাসীয় জলীয় গ এসিডীয় ঘ ক্ষারীয়
৩৩. দ্বিতীয় চিত্রের ক্ষেত্রেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পানি দ্রাবক রর. সমসত্ত¡ মিশ্রণ
ররর. লবণ দ্রব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ র ও ররর র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৫-৭ : সম্পৃক্ত দ্রবণ ও অসম্পৃক্ত দ্রবণ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৪. কোনটি তরল-তরল দ্রবণ?
ক ফরমালিন খ কোমল পানীয়
ভিনেগার ঘ নদনদীর পানি
৩৫. সম্পৃক্ত দ্রবণে আরও দ্রব মেশালে কী হবে? (অনুধাবন)
ক দ্রবণটি আরও সম্পৃক্ত হবে
খ দ্রবণটি অসম্পৃক্ত হবে
দ্রব তলানি হিসেবে তলায় জমা হবে
ঘ কোনো পরিবর্তন হবে না
৩৬. অসম্পৃক্ত দ্রবণে আরও দ্রব মেশালে কী হবে? (অনুধাবন)
দ্রবণটি আরও সম্পৃক্ত হবে
খ দ্রবণটি অসম্পৃক্ত হবে
গ তলানি হিসেবে তলায় জমা হবে
ঘ কোনো পরিবর্তন হবে না
৩৭. এসিটিক এসিডে পানি দিলে কী তৈরি হয়? (অনুধাবন)
ক তরল-কঠিন দ্রবণ খ কঠিন-তরল দ্রবণ
গ তরল-গ্যাস দ্রবণ তরল-তরল দ্রবণ
৩৮. দ্রবণের তাপমাত্রা বাড়ালে দ্রাবকে দ্রবীভ‚ত করার ক্ষমতা কী হয়?
ক কমে যায় খ অপরিবর্তিত থাকে
বেড়ে যায় ঘ প্রথমে বাড়ে পরে কমে
৩৯. একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রাবক সর্বোচ্চ পরিমাণ দ্রব দ্রবীভূত করলে তাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
সম্পৃক্ত দ্রবণ খ অসম্পৃক্ত দ্রবণ
গ অতিপৃক্ত দ্রবণ ঘ ঘন দ্রবণ
৪০. একটি দ্রবণ যে পরিমাণ দ্রব দ্রবীভূত করতে পারে তার চেয়ে কম দ্রবীভূত থাকলে, সেই দ্রবণকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক সম্পৃক্ত দ্রবণ অসম্পৃক্ত দ্রবণ
গ অতিপৃক্ত দ্রবণ ঘ পাতলা দ্রবণ
৪১. একটি লবণ সম্পৃক্ত হওয়ার আগের সকল অবস্থাতেই (জ্ঞান)
ক ঘন খ পাতলা গ অতিপৃক্ত অসম্পৃক্ত
৪২. তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে দ্রবণীয়তা কমে যায় কোনটির?
সিরিয়াম সালফেট ও ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড
খ স্পিরিট ও এসিটোন
গ এসিটিক এসিড ও সিলিকা
ঘ সালফার ও হাইড্রোজেন
৪৩. যেসব দ্রবণে দ্রাবক হিসেবে তরল পদার্থ আর দ্রব হিসেবে কঠিন পদার্থ ব্যবহৃত হয়, সে দ্রবণকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক তরল-তরল দ্রবণ খ তরল-গ্যাস দ্রবণ
তরল-কঠিন দ্রবণ ঘ কঠিন-তরল দ্রবণ
৪৪. কত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১০০ গ্রাম পানি সর্বোচ্চ ৩৬ গ্রাম লবণকে দ্রবীভ‚ত করতে পারে?
ক ০ সে. খ ৫০ সে. ২৫ সে. ঘ ১০০ সে.
৪৫. ২৫ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানিতে চিনির দ্রবণীয়তা কত?
ক ২৫ গ্রাম খ ১০০ গ্রাম গ ৩৬ গ্রাম ২১১.৪ গ্রাম
৪৬. পানিতে ফরমালাডিহাইড নামক গ্যাসের দ্রবণ কোনটি? [
ফরমালিন খ ফসপকসিন গ ফরসেন্স ঘ ফসফেট
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৭. অসম্পৃক্ত দ্রবণে দ্রাবকের চেয়ে কম দ্রবীভ‚ত থাকে
র. দ্রব রর. দ্রাব ররর. দ্রবণ
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮. তরল-গ্যাস দ্রবণের উদাহরণÑ
র. পানিতে এসিটিক এসিডের দ্রবণ রর. পানিতে কার্বন ডাইঅক্সাইডের দ্রবণ
ররর. পানিতে ফরমালডিহাইডের দ্রবণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৯. তরল-তরল দ্রবণের উদাহরণÑ (প্রয়োগ)
র. পানি ও আমের রসের দ্রবণ রর. পানি ও ভিনেগারের দ্রবণ
ররর. পানি ও অক্সিজেনের দ্রবণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫০ ও ৫১ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মিশা বাজার থেকে কিনে আনা লবণে বালু দেখতে পেল। এখন সে লবণ থেকে বালু পৃথক করতে তৎপর হয়ে উঠল। [কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হাই স্কুল, ময়মনসিংহ]
৫০. মিশা এক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করবে?
ক পাতন খ বাষ্পীভবন গ থিতান পরিস্রাবণ
৫১. মিশার পৃথকীকরণে
র. ছাঁকনির মধ্যে অবশেষ জমা হবে রর. বিকারে তরল জমা হবে
ররর. তাপের প্রয়োজন নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫২ ও ৫৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৫০০ সিসি আয়তনের একটি বিকারে ২৫০ মিলি পানি নিয়ে ১০ গ্রাম লবণ দ্রবীভূত করে একটি সম্পৃক্ত দ্রবণ তৈরি করা হলো। এরপর বিকারের দ্রবণে সামান্য পরিমাণ লবণ যোগ করা হলো।
৫২. দ্রবণে তাপ প্রয়োগ করা হলে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. লবণ বিকারের তলায় জমা হবে
রর. যোগ করা লবণ দ্রবীভূত হবে
ররর. দ্রবণটির কোনো পরিবর্তন হবে না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৩. উদ্দীপকের উপাদান দুটিকে কোন পদ্ধতিতে আলাদা করা যায়? (প্রয়োগ)
ক ছাঁকন পরি¯্রাবণ পাতন ঘ বাষ্পীভবন
ন্ধ পাঠ ৮-৯ : সার্বজনীন দ্রাবক º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা : ৬৫-৬৭
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৪. সার্বজনীন দ্রাবক কোনটি? [বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
পানি খ স্পিরিট গ এসিটোন ঘ ভিনেগার
৫৫. কিছু দ্রাবক, যা সব রকমের পদার্থকে দ্রবীভ‚ত করতে পারে, তাকে কী বলে? [ধানমন্ডি গভ. বয়েজ স্কুল, ঢাকা]
ক দ্রবণ সার্বজনীন দ্রাবক গ দ্রব ঘ মিশ্রণ
৫৬. তরল পদার্থকে বাষ্পে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক ঘনীভবন খ পাতন গ পরিস্রাবণ বাষ্পীভবন
৫৭. কোন পদ্ধতির সাহায্যে দ্রবণ থেকে দ্রব ফেরত পাওয়া যায়? (জ্ঞান)
ক ঘনীভবন খ আস্রাবণ বাষ্পীভবন ঘ পরিস্রাবণ
৫৮. তরল ও কঠিন পদার্থের মিশ্রণ থেকে কঠিন পদার্থকে কোন পদ্ধতির সাহায্যে আলাদা করা যায়? (জ্ঞান)
পরিস্রাবণ খ আস্রাবণ গ ছাঁকন ঘ ঘনীভবন
৫৯. গøুকোজকে পানি থেকে আলাদা করা যায় কোন প্রক্রিয়ায়?
বাষ্পীভবন খ ঘনীভবন গ মিশ্রণ ঘ ঊর্ধ্বপাতন
৬০. এসিটোন কী?
ক দ্রবণ খ দ্রব দ্রাবক ঘ দ্রব্য
৬১. যে প্রক্রিয়ায় তাপ দিয়ে পানি শুকানো হয় তার নাম কী? (অনুধাবন)
বাষ্পীভবন খ ছাঁকন গ আস্রাবণ ঘ পরিস্রাবণ
৬২. চায়ের কেটলি থেকে চা ঢালার পদ্ধতি কোনটি?
ক বাষ্পীভবন ছাঁকন গ শীতলীকরণ ঘ ব্যাপন
৬৩. পানি ও মাটির মিশ্রণ থেকে মাটি পৃথক করা যায় কোন পদ্ধতির সাহায্যে? (অনুধাবন)
ক গলন খ ঘনীভবন পরিস্রাবণ ঘ পাতন
৬৪. ময়লাযুক্ত লবণের দ্রবণ থেকে ময়লা পৃথক করার পদ্ধতি কোনটি? (প্রয়োগ)
পরিস্রাবণ খ পাতন গ বাষ্পীভবন ঘ ঘনীভবন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৫. দ্রাবক পদার্থের উদাহরণÑ (প্রয়োগ)
র. স্পিরিট, এসিটোন রর. পানি, এসিটিক এসিড
ররর. তেল, চর্বি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৬. মিশ্রণ থেকে অদ্রবণীয় পদার্থ দূর করা যায়Ñ (অনুধাবন)
র. ছাঁকন পদ্ধতির সাহায্যে রর. ফিল্টার কাগজের সাহায্যে
ররর. স্ফুটন পদ্ধতির সাহায্যে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৭ ও ৬৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
লবণ চাষি রহিম তার জমিতে সমুদ্রের পানি আটকে রেখে লবণ উৎপাদন করেন। তিনি এ লবণ পরিশোধন করে বাজারে বিক্রি করেন।
৬৭. রহিম লবণ উৎপাদনে কোন প্রক্রিয়ার সাহায্য নেন? (প্রয়োগ)
বাষ্পীভবন খ বাষ্পীকরণ গ ঊর্ধ্বপাতন ঘ ছাঁকন
৬৮. তিনি লবণ পরিশোধন করেন (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পরিস্রাবণ প্রক্রিয়ায় রর. থিতানো প্রক্রিয়ায়
ররর. ঘনীভবন প্রক্রিয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ১০-১২ : লবণাক্ত পানি হতে লবণের স্ফটিক প্রস্তুতকরণ
º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা : ৬৭-৭০
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৯. পানি কত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ফুটতে শুরু করে?
[বিএএফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক ৫০ঈ খ ৭০ঈ ১০০ঈ ঘ ১১০ঈ
৭০. বিশুদ্ধ পানি পেতে তুমি নিচের কোন প্রক্রিয়ার সাহায্যে নিবে? (অনুধাবন)
ক বাষ্পীভবন পাতন গ আস্রাবণ ঘ পরিস্রাবণ
৭১. বাষ্প তরলে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক বাষ্পীভবন খ বাষ্পীকরণ ঘনীভবন ঘ ঊর্ধ্বপাতন
৭২. সমুদ্রের পানি থেকে কী পদ্ধতির সাহায্যে বিশুদ্ধ পানি প্রস্তুত করা যায়? (জ্ঞান)
ক ঊর্ধ্বপাতন খ ঘনীভবন
গ বাষ্পীভবন বাষ্পীভবন ও ঘনীভবন
৭৩. মিশ্রণ কিছুক্ষণ রেখে দিলে যদি তলানি পড়ে তাকে কী বলে?
ক সম্পৃক্ত দ্রবণ খ অসম্পৃক্ত দ্রবণ
সাসপেনসন ঘ কলয়েড
৭৪. কোন ক্ষেত্রে তলানি জমা হয়?
ক দ্রাবক খ পানি সাসপেনসন ঘ কলয়েড
৭৫. কলয়েডের মধ্যে প্রধান উপাদান হিসেবে কী থাকে? (অনুধাবন)
ক ডিসপারসড ফেজ অবিচ্ছিন্ন ফেজ
গ বিচ্ছিন্ন ফেজ ঘ কালায়েড ফেজ
৭৬. দ্রবণ থেকে দ্রাবক ও দ্রব কোন পদ্ধতির সাহায্যে ফেরত পাওয়া যায়? (অনুধাবন)
ক ঊর্ধ্বপাতন খ পরিস্রাবণ গ ঘনীভবন পাতন
৭৭. পাতন = বাষ্পীভবন + । এখানে বক্স চিিহ্নত স্থানে কী বসবে?(অনুধাবন)
ঘনীভবন খ ঊর্ধ্বপাতন গ আস্রাবণ ঘ ছাঁকন
৭৮. কতটি দশা নিয়ে সাসপেনসন গঠিত? (জ্ঞান)
২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
৭৯. কলয়েড-এর উদাহরণ কোনটি?
ক পানি দুধ গ এসিড ঘ কোমল পানীয়
৮০. কলয়েডে বিদ্যমান ভাসমান কণাগুলোর আকার? (জ্ঞান)
১-১০০০ ন্যানোমিটার খ ১ মাইক্রোমিটার
গ ১-১০০ ন্যানোমিটার ঘ ১০ মাইক্রোমিটার
৮১. লবণাক্ত পানি থেকে কোন পদ্ধতির সাহায্যে দানাদার লবণ প্রস্তুত করা যায়? (প্রয়োগ)
ক ঘনীভবন খ পাতন স্ফটিকীকরণ ঘ ঊর্ধ্বপাতন
৮২. পানিতে আটার মিশ্রণ কোনটি? (প্রয়োগ)
ক কলয়েড খ সমস্বত্ব মিশ্রণ
গ অসমস্বত্ব মিশ্রণ সাসপেনসন
৮৩. কুয়াশার পানির কণার বাতাসে অবস্থান কোনটি? (অনুধাবন)
ক সাসপেনসন খ দ্রবণ গ সমস্বত্ব মিশ্রণ কলয়েড
৮৪. স্ফটিকীকরণ প্রক্রিয়ায় দুই এক দানা লবণ যোগ করা হয় কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক এই লবণ তাপ সহনীয় করতে ভ‚মিকা রাখে বলে
এই লবণকে ঘিরে দ্রæত দানাদার লবণ জমা হতে থাকে বলে
গ এই লবণ অন্যান্য কণাকে দানাদার করতে সাহায্য করে বলে
ঘ এই লবণ তাপ শোষণে ভ‚মিকা রাখে বলে
৮৫. অ্যারোসল কী? (জ্ঞান)
কলয়েড খ সাসপেনসন গ মিশ্রণ ঘ দ্রবণ
৮৬. ওষুধ সেবনের পূর্বে বোতল ঝাঁকিয়ে নিতে হয় কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক তাপ উৎপাদনের জন্য খ অসুষম বণ্টনের জন্য
সুষম মিশ্রণের জন্য ঘ একে অপরের মধ্যে প্রবেশের জন্য
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৭. কলয়েড উপাদান [খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ]
র. একটি আরেকটিতে দ্রবীভ‚ত হয় না
রর. ছড়িয়ে থাকে
ররর. বেশি থাকলে তাকে ডিসপারসড ফেজ বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৮. চকের গুঁড়া ও পানির মিশ্রণ [ধানমÐি গভ. বয়েজ স্কুল, ঢাকা]
র. সাসপেনসন রর. অসমস্বত্ব
ররর. সমস্বত্ব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৯. সাসপেনসনের উদাহরণÑ (প্রয়োগ)
র. চকের গুঁড়া ও পানির মিশ্রণ রর. বোতলে ওষুধের মিশ্রণ
ররর. গøুকোজ ও পানির মিশ্রণ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯০. তলানি জমে না (অনুধাবন)
র. দ্রবণে রর. সাসপেনসনে
ররর. কলয়েডে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯১ ও ৯২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
পরীক্ষাগারে শিক্ষক একটি বোতলে লবণাক্ত পানি থেকে বিশুদ্ধ পানি প্রস্তুত করেন। এতে তিনি দুটি প্রণালি ব্যবহার করেন। [বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
৯১. শিক্ষকের লবণাক্ত পানি কী ধরনের মিশ্রণ?
ক যৌগিক খ অসমস্বত্ব সমস্বত্ব ঘ মৌলিক
৯২. লবণাক্ত পানি থেকে বিশুদ্ধ পানি প্রস্তুত করতে শিক্ষক কোন প্রণালি দুটি ব্যবহার করেছেন?
ক শীতলীকরণ ও ঘনীভবন বাষ্পীভবন ও ঘনীভবন
গ পরিস্রাবণ ও ঘনীভবন ঘ পরিস্রাবণ ও ছাঁকন
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ দ্রবণ ও কলয়েড
বিকালে খেলাধুলা করে বাড়িতে ফিরে পড়তে বসলে সন্ধ্যায় রাতুলের মা তাকে চিনির শরবত পান করতে দেয়। পড়া শেষ করে রাতের খাওয়া-দাওযা সেরে ঘুমাতে যাওয়ার সময় তাকে এক গøাস গরম দুধ পান করতে হয়।
ক. কলয়েড কী? ১
খ. তরল-তরল দ্রবণ কীভাবে তৈরি করা যায়? ২
গ. উদ্দীপকে রাতুলের সন্ধ্যায় খাওয়া চিনির শরবত কোন ধরনের মিশ্রণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত মিশ্রণদ্বয়ের তুলনামূলক বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর। ৪
ক কলয়েড হলো এমন এক ধরনের মিশ্রণ যেখানে কণাগুলো সবসময়ই ভাসমান বা সাসপেন্ডেড অবস্থায় থাকে।
খ যেসব দ্রবণে দ্রব ও দ্রাবক উভয়েই তরল পদার্থ হয় তাদেরকে তরল-তরল দ্রবণ বলা হয়। এক গøাস পানি নিয়ে তাতে এক চামচ লেবুর রস যোগ করে নাড়া দিলে একটি তরল তরল- দ্রবণ পাওয়া যায়।
গ যে সমস্ত মিশ্রণে উপাদানগুলো সুষমভাবে বণ্টিত থাকে এবং একটি উপাদান থেকে আরেকটিকে সহজে আলাদা করা যায় না তাদেরকে সমস্বত্ব মিশ্রণ বলা হয়। চিনির শরবত হলো পানিতে চিনির দ্রবণ। দ্রবণসমূহ এক বিশেষ ধরনের মিশ্রণ। চিনির শরবতে চিনির কণাগুলো পানির সবখানে সুষমভাবে বা সমানভাবে বিন্যস্ত থাকে। অর্থাৎ, এটি একটি সমস্বত্ব মিশ্রণ।
সুতরাং, বলা যায় যে, উদ্দীপকে রাতুলের খাওয়া চিনির শরবত একটি সমস্বত্ব মিশ্রণ।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত মিশ্রণ দুইটি হলো যথাক্রমে চিনির শরবত এবং দুধ। এরা যথাক্রমে দ্রবণ ও কলয়েড। এদের তুলনামূলক বৈশিষ্ট্যসমূহ নিচে আলোচনা করা হলো
চিনির শরবত হলো এক ধরনের সমসত্ব মিশ্রণ। চিনির শরবতে চিনির কণাগুলো পানিতে দ্রবীভ‚ত থাকে, ছড়িয়ে থাকে না। এ মিশ্রণে অবিচ্ছিন্ন ও ডিসপারসড দশা অনুপস্থিত। চিনির শরবতে উপাদানগুলো সুষমভাবে বণ্টিত হয় এবং একটি উপাদান হতে আরেকটিকে পৃথক করা যায় না।
দুধ একটি কলয়েড জাতীয় মিশ্রণ। এতে বিদ্যমান উপাদানগুলো একটি আরেকটিতে দ্রবীভ‚ত হয় না, কিন্তু ছড়িয়ে থাকে। যা খালি চোখে দেখা যায় না, কিন্তু অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায়।
প্রশ্ন- ২ পরি¯্রাবণ, বাষ্পীভবন
ক. বিকারের রক্ষিত পদার্থসমূহকে একত্রে কী বলা হয়? ১
খ. বিকারে পানি ঢাললে কী হবে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের মিশ্রিত উপাদানগুলো কীভাবে পৃথক করা যায়? ৩ ৩
ঘ. দৈনন্দিন জীবনে এ ধরনের পৃথকীকরণের উদাহরণ ব্যাখ্যা কর। ৪
ক বিকারের রক্ষিত পদার্থসমূহকে একত্রে মিশ্রণ বলে।
খ বিকারে পানি ঢাললে চিনির কণাগুলো পানিতে দ্রবীভ‚ত হয়ে যাবে। ফলে চিনির একটি দ্রবণ তৈরি হবে। এতে টিন খÐ ও বালি অমিশ্রিত অবস্থায় থাকবে।
গ উদ্দীপকে টিন খÐ, বালি ও চিনির একটি মিশ্রণ তৈরি হয়েছে। নিম্নলিখিত উপায়ে এগুলো পৃথক করা যায়Ñ
টিন খÐ পৃথকীকরণ : মিশ্রণকে একটি ছাঁকনির উপর দিয়ে চালনা করে টিন খÐ আলাদা করা যায়। ছাঁকনির ছিদ্র এমন হওয়া উচিত যেন এর মধ্য দিয়ে বালি যেতে পারে কিন্তু বালির চেয়ে বড় আকারের বস্তু যেতে না পারে।
বালি পৃথকীকরণ : পরিস্রাবণ পদ্ধতির সাহায্যে বালিসহ চিনির দ্রবণ থেকে বালিকে আলাদা করা যাবে। বালির কণাগুলো ফিল্টার কাগজের মধ্যে আটকে থাকবে আর চিনির দ্রবণ বিকারে জমা হবে।
চিনি পৃথকীকরণ : চিনির দ্রবণকে তাপ দিতে থাকলে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাবে এবং নিচে চিনির কণা পড়ে থাকবে। এভাবে বাষ্পীভবন পদ্ধতির সাহায্যে চিনিকে পৃথক করা যাবে।
ঘ উদ্দীপকের মতো দৈনন্দিন জীবনেও আমরা ছাঁকন, পরিস্রাবণ, বাষ্পীভবন ইত্যাদি পদ্ধতির সাহায্যে নানা ধরনের পৃথকীকরণের কাজ করে থাকি।
আমরা বাড়িতে চা বানাই। চায়ের পাতা পানিতে দ্রবীভ‚ত হয় না। চায়ের পাতার অদ্রবণীয় অংশ চায়ের লিকার থেকে ছাঁকন পদ্ধতিতে পৃথক করা হয়। ফিল্টার কাগজ দিয়ে মিশ্রণ থেকে উপাদান আলাদা করার প্রক্রিয়ার নাম হলো পরিস্রাবণ। এ প্রক্রিয়ায় চিনি ও লবণের মিশ্রণ থেকে লবণ ও চিনি পৃথক করা যায়। গ্রীষ্মকালে সূর্যের তাপে খাল, বিল, পুকুর শুকিয়ে যায়। ভেজা কাপড় রোদে রাখলে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। ফলে কাপড় শুকিয়ে যায়। এভাবে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাওয়াকে বাষ্পীভবন বলে।
প্রশ্ন- ৩ স্ফটিকীকরণ ও বাষ্পীভবন
[বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।]
ক. সাসপেনসন কী? ১
খ. কোন ক্ষেত্রে বেশি দ্রব দ্রবীভূত হবে তা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. অধিক তাপ প্রয়োগ করলে ‘ই’-এর ক্ষেত্রে কী ঘটবে? ৩
ঘ. ‘অ’ ও ‘ই’-এর মধ্যে কোনটি থেকে দ্রব দ্রæত ফেরত পাওয়া যাবে, মতামত দাও। ৪
ক যে মিশ্রণ রেখে দিলে এর উপাদানসমূহ আংশিক আলাদা হয়ে যায়, তাকে সাসপেনসন বলে।
খ অ চিত্রে দ্রব হচ্ছে লবণ এবং ই চিত্রে দ্রব হচ্ছে চিনি। আমরা জানি, ২৫ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১০০ মিলি পানি সর্বোচ্চ ৩৬ গ্রাম লবণকে দ্রবীভ‚ত করতে পারে। আর চিনি দ্রবীভ‚ত করতে পারে ২১১৪ গ্রাম। চিনির দ্রবণীয়তা বেশি বলে লবণ অপেক্ষা চিনি দ্রæত দ্রবীভ‚ত হবে। তাই ই চিত্রের ক্ষেত্রে বেশি দ্রব দ্রবীভ‚ত হবে।
গ ই চিত্রে পানি ও চিনির একটি দ্রবণ দেখানো হয়েছে।
আমরা জানি, তাপ দিলে অধিকাংশ দ্রাবকের দ্রবণীয়তা বাড়ে। সুতরাং অধিক তাপ প্রয়োগে ই দ্রবণে চিনির দ্রবণীয়তা বাড়বে। একসময় বিকারের পানি বাষ্পাকারে উড়ে যাবে এবং বিকারের তলায় চিনির দানা জমা হবে। এ প্রক্রিয়াকে বলে বাষ্পীভবন। এভাবে চিনির দ্রবণ থেকে দ্রব (চিনি) আলাদা করা যাবে।
ঘ দ্রব পৃথকীকরণে অ-এর ক্ষেত্রে স্ফটিকীকরণ পদ্ধতি এবং ই-এর ক্ষেত্রে বাষ্পীভবন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
অ এর ক্ষেত্রে দ্রবণটিকে বিকারসহ উত্তপ্ত করা হয়। ফলে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যেতে থাকে। দ্রবণ শুকিয়ে অর্ধেক হলে তাপ দেওয়া বন্ধ করা হয়। এবার দ্রবণটিকে ঠাÐায় রেখে দেওয়া হলে দ্রব অর্থাৎ লবণ কেলাসাকারে নিচে জমা হয়। ই এর ক্ষেত্রে বিকারটিকে তাপ দিলে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যেতে থাকে এবং দ্রব অর্থাৎ চিনির দানা বিকারের তলায় জমা পড়ে।
স্ফটিকীকরণ প্রক্রিয়ায় বিকারে তাপ প্রদান করলেও বিকার ঠাÐা হলে দ্রব ফেরত পাওয়া যায়। বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ায় পানি বাষ্পীভ‚ত হয়ে উড়ে গেলেই দ্রব ফেরত পাওয়া যায়। সুতরাং ই থেকে দ্রæত দ্রব ফেরত পাওয়া যাবে।
প্রশ্ন- ৪ দ্রবণের বৈশিষ্ট্য, সম্পৃক্ত দ্রবণ
রাবেয়া প্রতিদিন ইফতারের পূর্বে শরবত তৈরি করে। শরবত তৈরিতে সে চিনি, পানি ও লেবুর রস ব্যবহার করে।
[ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সৈয়দপুর]
ক. দ্রবণ কাকে বলে? ১
খ. উদ্দীপক থেকে দ্রব ও দ্রাবক পৃথক করে লেখ। ২
গ. রাবেয়া কীভাবে অসম্পৃক্ত দ্রবণকে সম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত করতে পারবে? ৩
ঘ. রাবেয়ার প্রস্তুতকৃত পানীয়টি কি একটি দ্রবণ? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও। ৪
ক যেসব মিশ্রণে উপাদানসমূহ সুষমভাবে বণ্টিত থাকে এবং একটি উপাদান থেকে অন্যটিকে সহজে আলাদা করা যায় না, তাদেরকে দ্রবণ বলে।
খ দ্রবণে বেশি পরিমাণে থাকে দ্রাবক এবং কম পরিমাণে থাকে দ্রব। উদ্দীপকের শরবতে পানির পরিমাণ বেশি বলে পানি হলো দ্রাবক। আর চিনি ও লেবুর রস হলো দ্রব।
গ রাবেয়া অসম্পৃক্ত দ্রবণে আরও দ্রব যোগ করে সম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত করতে পারবে।
একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রাবক সর্বোচ্চ যে পরিমাণ দ্রব দ্রবীভ‚ত করতে পারে সেই পরিমাণ দ্রব দ্রবীভ‚ত থাকলে প্রাপ্ত দ্রবণকে সম্পৃক্ত দ্রবণ বলে। আবার কোনো দ্রবণে যদি ওই সর্বোচ্চ পরিমাণের চেয়ে কম পরিমাণের দ্রব দ্রবীভ‚ত থাকে, তাকে অসম্পৃক্ত দ্রবণ বলে।
উদ্দীপকের রাবেয়াকে সম্পৃক্ত দ্রবণ তৈরি করতে হলে নি¤œবর্ণিত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত তাকে একটি বিকার, মাপচোঙ ও নাড়ানি নিতে হবে। এরপর পরিষ্কার বিকারে মাপচোঙ দিয়ে মেপে পরিমাণমতো পানি নিতে হবে। এরপর পানিতে অল্প অল্প করে চিনি ও লেবুর রস মিশাতে হবে। এভাবে যতক্ষণ পর্যন্ত চিনি ও লেবুর রস পানিতে দ্রবীভ‚ত হতে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দ্রবণটি হবে অসম্পৃক্ত দ্রবণ। এক পর্যায়ে দেখা যাবে দ্রবগুলো অর্থাৎ চিনি, ট্যাং ও লেবুর রস আর পানিতে দ্রবীভ‚ত হবে না। তখনই দ্রবণটি হবে সম্পৃক্ত দ্রবণ।
ঘ রাবেয়ার প্রস্তুতকৃত পানীয়টি হচ্ছে চিনি, পানি ও লেবুর রসের শরবত যা একটি দ্রবণ। এক্ষেত্রে একের অধিক বিভিন্ন পদার্থের সংমিশ্রণ ঘটেছে বলে একে স্বাভাবিকভাবে মিশ্রণ বলা যায়। তবে এ মিশ্রণটি হলো সমস্বত্ব মিশ্রণ বা দ্রবণ। পানীয়টি লক্ষ করলে দেখা যাবে এতে চিনি ও লেবুর রস দ্রবীভ‚ত হয়ে যায়। কারণ শরবতে এদের আলাদা অস্তিত্ব দেখা যায় না। এমনকি শরবতের প্রতি অংশের স্বাদ একই রকম থাকবে। এক্ষেত্রে চিনি ও লেবুর রস পানির সবখানে সুষমভাবে বা সমানভাবে বিন্যস্ত থাকবে। ফলে একটি উপাদান থেকে অন্যটিকে সহজে আলাদা করা যাবে না।
যে সব মিশ্রণে উপাদানসমূহ সুষমভাবে বণ্টিত থাকে এবং একটি উপাদান থেকে অন্যটিকে সহজে আলাদা করা যায় না তাদেরকেই দ্রবণ বলা হয়। অতএব, রাবেয়ার প্রস্তুতকৃত পানীয়টি একটি দ্রবণ।
প্রশ্ন- ৫ পরি¯্রাবণ, বাষ্পীভবন
রিক্তা একটি বিকারে দুটি ভিন্ন ধরনের কঠিন পদার্থ মিশ্রিত করল। পদার্থদ্বয়ের মধ্যে একটি (অ) পানিতে দ্রবণীয় হলেও অপরটি (ই) পানিতে অদ্রবীভ‚ত অবস্থায় ভাসতে থাকে। [বিএল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জ]
ক. পরিস্রাবণ কী? ১
খ. কীভাবে ছাঁকন কাগজকে ভাঁজ করা হয়? ২
গ. রিক্তা কীভাবে ই পদার্থটি পৃথক করবে বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উল্লিখিত ই পৃথকীকরণের পর, অবশিষ্ট হতে অ-এর পৃথকীকরণ কতটুকু সম্ভব? আলোচনা কর। ৪
ক ভাসমান কঠিন অদ্রবণীয় পদার্থকে তরল পদার্থ থেকে ছেঁকে পৃথক করার পদ্ধতিকে পরিস্রাবণ বলে।
খ প্রথমে ছাঁকন কাগজকে সমান দু’ভাঁজ করা হয়, তারপর পুনরায় দু’ভাঁজ করা হয়। এবার একদিকে তিন ভাঁজ এবং অন্যদিকে এক ভাঁজ রেখে ছাঁকন কাগজটিকে কলার মোচার আকার করা হয়। এভাবে ছাঁকন কাগজ ভাঁজ করা হয়।
গ রিক্তা পরিস্রাবণ পদ্ধতিতে বিকার থেকে ই-কে পৃথক করবে।
প্রথমে সে ছাঁকন কাগজের মোচাকে একটি ফানেলের মধ্যে বসিয়ে কয়েক ফোঁটা পানি দিয়ে এমনভাবে ভিজিয়ে দিবে যেন কাগজটি ফানেলের গায়ে আটকে থাকে। এরপর অ ও ই মিশ্রিত পানি ফানেলের ছাঁকন কাগজের তিন ভাঁজের উপর অল্প অল্প করে ঢালবে। যেহেতু অ পানিতে দ্রবীভ‚ত হয় এবং ই পানিতে দ্রবীভ‚ত হয় না। তাই অ পানির সাথে ছাঁকন কাগজ ভেদ করে নিচের বিকারে জমা হবে। আর ই ছাঁকন কাগজের উপরে জমা হবে। এভাবে রিক্তা ছাঁকন কাগজের সাহায্যে পরিস্রাবণ পদ্ধতিতে ই কে পৃথক করবে।
ঘ মিশ্রণ থেকে ই পৃথকীকরণের পর অবশিষ্ট হতে অ এর পৃথকীকরণ সম্ভব বাষ্পীভবন পদ্ধতিতে।
ই পৃথকীকরণের পর বিকারে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার দ্রবণ পাওয়া যাবে। পরিষ্কার স্বচ্ছ দ্রবণে অ দ্রবীভ‚ত অবস্থায় রয়েছে। বিকার থেকে যদি কোনোভাবে পানিকে দূর করা যায় তবে অ কে পুনরুদ্ধার করা যাবে। বাষ্পীকরণ পদ্ধতিতে অ কে পৃথক করা যায়। এ পদ্ধতিতে বিকারের দ্রবণকে একটি স্পিরিট ল্যাম্পের সাহায্যে তাপ দিলে এক সময়ে পানি বাষ্পাকারে উড়ে যেতে থাকবে। এভাবে তাপ দেওয়া অব্যাহত থাকলে সম্পূর্ণ পানি বাষ্পাকারে উড়ে যাবে। অবশেষে বিকারের তলায় কঠিন পদার্থ অ রয়ে যাবে। এভাবে অবশিষ্ট থেকে অ কে পুনরুদ্ধার করা যায়।
প্রশ্ন- ৬ বাষ্পীভবন ও পরি¯্রাবণ
ক. ঘন দ্রবণ কাকে বলে? ১
খ. দ্রবণ, সাসপেনসন ও অসমস্বত্ব মিশ্রণের মূল পার্থক্য কী? ২ ২
গ. কীভাবে ‘অ’ ও ‘ই’ গøাসের উপাদানগুলো পৃথক করবে? ৩
ঘ. পানি দ্বারা উদ্দীপকের উভয় মিশ্রণ তৈরি করা হয়েছে তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক যে দ্রবণে দ্রবের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশি বা দ্রাবকের পরিমাণ কম থাকে, সে দ্রবণকে ঘন দ্রবণ বলে।
খ অসমস্বত্ব মিশ্রণে উপকরণগুলো সহজে চিিহ্নত করা যায় ও আলাদা করা যায়। সাসপেনসনের ক্ষেত্রে উপকরণগুলো চিিহ্নত করা গেলেও সহজে আলাদা করা যায় না আর দ্রবণের ক্ষেত্রে উপকরণগুলো চিিহ্নতও করা যায় না, আলাদাও করা যায় না।
গ ‘অ’ গøাসের মিশ্রণ সমস্বত্ব, যার উপাদান বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ায় এবং ‘ই’ গøাসের মিশ্রণ অসমস্বত্ব, যার উপাদান পরিস্রাবণ প্রক্রিয়ায় পৃথক করা সম্ভব।
‘অ’ গøাসের উপাদানগুলোকে একটি পাত্রে নিয়ে তাপ প্রদান করলে একসময় পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাবে এবং চিনির দানাগুলো পাত্রের তলায় জমা থাকবে। ‘ই’ গøাসের উপাদানগুলোকে পৃথক করার জন্য প্রথমে একটি ফিল্টার কাগজ নিয়ে সমান চার ভাঁজ করে একদিকে তিন ভাঁজ ও অন্যদিকে এক ভাঁজ রেখে একটি ফানেলের ভেতর বসিয়ে দিতে হবে। ফিল্টার কাগজটি পরিষ্কার পানি দিয়ে অল্প করে ভিজিয়ে দিতে হবে। এরপর ফানেলটি একটি স্ট্যান্ডের সাথে যুক্ত রিঙের উপর বসিয়ে ফানেলের নিচে একটি বিকার রাখতে হবে। অতঃপর ‘ই’ গøাসের উপাদানগুলো ফিল্টার পেপারের উপর আস্তে আস্তে ঢেলে দিতে হবে। ফলে দেখা যাবে যে, বিকারটিতে পানি জমা হয়েছে এবং বালির কণাগুলো ফিল্টার কাগজের উপর আটকে থাকবে।
ঘ পানি একটি সার্বজনীন দ্রাবক, যা বিভিন্ন ধরনের পদার্থকে দ্রবীভ‚ত করতে পারে।
পানি বিভিন্ন ধরনের জৈব, অজৈব এবং গ্যাসীয় পদার্থকে দ্রবীভ‚ত করতে পারে। সে জন্যই উদ্দীপকের ‘অ’ গøাসের চিনির সাথে পানি এবং ‘ই’ গøাসের বালির সাথেও পানি দ্রাবক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। চিনি জৈব যৌগ যা পানিতে দ্রবণীয়। এক্ষেত্রে চিনি ও পানির সমস্বত্ব মিশ্রণ বা দ্রবণ তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে বালি পানিতে দ্রবীভ‚ত হয় না। এক্ষেত্রে চিনি ও বালির অসমস্বত্ব মিশ্রণ তৈরি হয়, যা দ্রবণ নয়। সুতরাং, পানি দ্বারা উদ্দীপকের উভয় মিশ্রণ তৈরি করা হয়েছে, এ কথা যথার্থ এবং যুক্তিযুক্ত।
প্রশ্ন- ৭ সম্পৃক্ত দ্রবণ প্রস্তুতি, বাষ্পীভবন
[ধানমন্ডি গভ. বয়েজ স্কুল, ঢাকা]
ক. স্ফটিকীকরণ কী? ১
খ. সম্পৃক্ত ও অসম্পৃক্ত দ্রবণের মধ্যে ২টি পার্থক্য লেখ। ২
গ. ‘অ’ ও ‘ই’-এর সমন্বয়ে কীভাবে সম্পৃক্ত দ্রবণ প্রস্তুত করবে বর্ণনা কর। ৩
ঘ. ঈ চিিহ্নত দ্রবণে উপস্থিত দ্রব ও দ্রাবককে বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ায় পুরোপুরিভাবে ফেরত পাওয়া যাবে কিনা মতামত দাও। ৪
ক অদানাদার লবণের দ্রবণ থেকে ওই লবণের স্ফটিক তৈরির পদ্ধতিকে বলে স্ফটিকীকরণ।
খ সম্পৃক্ত ও অসম্পৃক্ত দ্রবণের মধ্যে ২টি পার্থক্য হলো :
সম্পৃক্ত দ্রবণ অসম্পৃক্ত দ্রবণ
১. সম্পৃক্ত দ্রবণে অতিরিক্ত দ্রব দ্রবীভ‚ত হতে পারে না।
২. দ্রাবক সাধারণত তরল পদার্থ ১. অসম্পৃক্ত দ্রবণে অতিরিক্ত দ্রব দ্রবীভ‚ত হতে পারে।
২. দ্রব কঠিন তরল ও গ্যাসীয় পদার্থ হতে পারে।
গ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের দ্রাবক সর্বোচ্চ যে পরিমাণ দ্রব দ্রবীভ‚ত করতে পারে, সেই পরিমাণ দ্রব দ্রবীভ‚ত থাকলে প্রাপ্ত দ্রবণকে সম্পৃক্ত দ্রবণ বলে। অ বিকারে চিনি আর ই বিকারে পানি আছে। এবার ঈ বিকারে ই বিকারের পানি নিয়ে অল্প অল্প করে অ বিকারের চিনি যোগ করে নাড়তে থাকি। ক্রমাগত চিনি যোগ করতে থাকলে এক পর্যায়ে চিনি যোগ করে অনেক বেশি নাড়লেও চিনি আর দ্রবীভ‚ত হয় না। এর কারণ হলো চিনি যোগ করতে করতে দ্রবণটি সম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত হয়েছে যখন দ্রাবক (পানি) আর দ্রবকে (চিনিকে) দ্রবীভ‚ত করতে পারছে না। এভাবে অ ও ই এর সমন্বয়ে সম্পৃক্ত দ্রবণ প্রস্তুত হলো।
ঘ ঈ চিিহ্নত দ্রবণে পানি চিনিকে দ্রবীভ‚ত করেছে। চিনির শরবতে দ্রাবক হলো পানি আর দ্রব হলো চিনি।
যে প্রক্রিয়ায় তাপ দিয়ে পানি শুকিয়ে ফেলা হয়, তা হলো বাষ্পীভবন। বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ায় কোনো দ্রবণে দ্রবীভ‚ত দ্রবকে ফিরে পাওয়া যায় কিন্তু দ্রাবক ফিরে পাওয়া যায় না। ঈ শরবতকে তাপ দিলে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাবে। আর বিকারের তলায় চিনি জমা হবে। দ্রাবক অর্থাৎ পানি ফেরত পাওয়া যাবে না। দ্রাবক ফেরত পেতে হলে পাতন প্রক্রিয়ার সাহায্য নিতে হয়। পাতন প্রক্রিয়ায় বাষ্পীভবন ও ঘনীভবন উভয় পদ্ধতি একত্রে ব্যবহার করে দ্রব ও দ্রাবক দুটিই ফেরত পাওয়া যায়।
সুতরাং ঈ চিিহ্নত দ্রবণে বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ায় দ্রব অর্থাৎ চিনি ফেরত পাওয়া যাবে কিন্তু দ্রাবক অর্থাৎ পানি ফেরত পাওয়া যাবে না।
প্রশ্ন- ৮ পাতন যন্ত্র ও পাতন পদ্ধতি
[রংপুর জিলা স্কুল]
ক. উদ্দীপকের যন্ত্রটির নাম কী? ১
খ. দ্রাবক ও দ্রবের মধ্যে ২টি পার্থক্য লেখ। ২
গ. উদ্দীপকের যন্ত্রটির গঠন বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের যন্ত্রটি দ্বারা লবণাক্ত পানি হতে বিশুদ্ধ পানি প্রস্তুত করার উপায় লেখ। ৪
ক উদ্দীপকের যন্ত্রটির নাম পাতন যন্ত্র।
খ দ্রাবক ও দ্রবের মধ্যে ২টি পার্থক্য হলো :
দ্রাবক দ্রব
১. দ্রবণে যেটি বেশি পরিমাণে থাকে, তাকে বলে দ্রাবক।
২. দ্রাবক সাধারণত তরল পদার্থ ১. দ্রবণে যেটি কম পরিমাণে থাকে, তাকে বলে দ্রব।
২. দ্রব কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থ হতে পারে।
গ উদ্দীপকের যন্ত্রটি হলো পাতন যন্ত্র।
পাতন যন্ত্রটির বামপাশে রয়েছে পরীক্ষাধীন লবণাক্ত পানি নেওয়ার জন্য একটি গোলতলী ফ্লাস্ক। এর সাথে সংযুক্ত আছে একটি শীতক। যার ভেতরে একটি সরু কাচের নল বসানো আছে এবং ওই নলের চারপাশে ঠাÐা পানির প্রবাহের জন্য একটি প্রবেশ নল ও একটি নির্গমন নল আছে। আর ডান পাশে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করার জন্য আছে আরেকটি গোলতলী ফ্লাস্ক। এছাড়া পানিতে তাপ দেওয়ার জন্য একটি বৈদ্যুতিক হিটার আর তাপমাত্রা মাপার জন্য বাম পাশের ফ্লাস্কের উপরে থার্মোমিটার বসানোর জন্য ও শীতকের সাথে যুক্ত করার জন্য একটি কাচের এডাপটার রয়েছে। এছাড়া ফ্লাস্ক দুটি ও শীতককে সঠিকভাবে ধরে রাখার জন্য স্ট্যান্ড ও ক্ল্যাম্প রয়েছে। এভাবে পাতন যন্ত্রটি গঠিত হয়।
ঘ পাতন প্রণালি দ্বারা লবণাক্ত পানি থেকে বিশুদ্ধ পানি প্রস্তুত করা যায়। এক্ষেত্রে লবণাক্ত পানিকে পাতন যন্ত্রের বামপাশের গোলতলী ফ্লাস্কে নিয়ে বৈদ্যুতিক হিটারে তাপ দেয়া হয়। এতে থার্মোমিটারের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পানি ফুটতে শুরু করে ও বাষ্পে পরিণত হয়। উক্ত বাষ্প শীতকে প্রবেশ করলে প্রবাহিত ঠাÐা পানির সংস্পর্শে তা তরলে পরিণত হয়। বাষ্প তরলে পরিণত হওয়ার এ প্রক্রিয়াকে ঘনীভবন বলে। ঘনীভ‚ত পানি ফোঁটায় ফোঁটায় গ্রাহক ফ্লাস্কে জমা হয়। এই জমা হওয়া পানিই বিশুদ্ধ পানি।
সুতরাং লবণাক্ত পানি থেকে বিশুদ্ধ পানি প্রস্তুত করতে আমাদের দুটি প্রক্রিয়া প্রয়োগ করতে হয়। একটি হলো বাষ্পীভবন আর অন্যটি ঘনীভবন।
প্রশ্ন- ৯ দ্রবণ, কলয়েড, সাসপেনসন
দ্রবণ কলয়েড সাসপেনসন
ক. কলয়েড কী? ১
খ. কলয়েডের দশা বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকের মিশ্রণের কণাগুলোর আকার ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মাটি-পানির মিশ্রণ ও চিনি-পানির মিশ্রণ উদ্দীপকের কণার বৈশিষ্ট্যের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৪
ক কলয়েড এক ধরনের মিশ্রণ, যেখানে একটি উপাদানের ক্ষুদ্র কণা অন্য উপাদানে ছড়িয়ে থাকে।
খ দুটি দশা নিয়ে কলয়েড গঠিত। অবিচ্ছিন্ন ফেজ ও ডিসপারসড ফেজ। এদেরকে কলয়েডের দশা বলে। কলয়েডে যেটি প্রধান উপাদান তাকে বলে অবিচ্ছিন্ন ফেজ আর যেটি কম পরিমাণে থাকে তাকে বলে ডিসপারসড ফেজ।
গ উদ্দীপকের মিশ্রণে ভাসমান কণাগুলো সুষমভাবে বণ্টিত থাকে এবং একটি উপাদান থেকে আরেকটিকে সহজে আলাদা করা যায় না। কলয়েডে ভাসমান কণাগুলোর আকার ১-১০০০ ন্যানোমিটার। আর যদি কণাগুলোর আকার ১ মাইক্রোমিটার বা তার বেশি হয় তখন এটি আর কলয়েড না হয়ে সাসপেনসনে পরিণত হয়।
ঘ মাটি-পানির মিশ্রণ তৈরি করে রেখে দিলে মিশ্রণে মাটির কণাগুলো তলানিরূপে জমা হয়। এটি হলো সাসপেনসন।
চিনি-পানির মিশ্রণ হলো দ্রবণ। মাটি-পানির মিশ্রণে অর্থাৎ সাসপেনসনে ভাসমান কণাগুলোর আলাদা অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়। চিনি-পানির মিশ্রণে অর্থাৎ দ্রবণে কণাগুলোর অস্তিত্ব লক্ষ করা যায় না। সাসপেনসনে কণাগুলো পাত্রের তলদেশে জমা হলেও দ্রবণে জমা হয় না। এক্ষেত্রে কণাগুলো মিশ্রণে সুষমভাবে ছড়িয়ে থাকে।
প্রশ্ন- ১০ পরি¯্রাবণ, পাতন, অসমস্বত্ব মিশ্রণ
হিরা বাজার থেকে লবণ কিনে ফেরার পথে প্যাকেট ফেটে মাটিতে পড়ে গেল। সে ময়লা পরিষ্কার করার জন্য লবণ পানির দ্রবণ তৈরি করল। কিন্তু পাত্রের নিচে লবণ জমা হলো। [গভ. ল্যাবরেটরি স্কুল, খুলনা]
ক. অসমস্বত্ব মিশ্রণ কী? ১
খ. পানিকে সার্বজনীন দ্রবক বলা হয় কেন? ২
গ. হিরা কীভাবে উপাদানগুলো পৃথক করবে? ৩
ঘ. হিরার দ্রবণটি যে ধরনের তা বিশ্লেষণ কর। ৪
ক যেসব মিশ্রণে উপাদানসমূহ সুষমভাবে বণ্টিত থাকে না এবং একটিকে অন্যটি থেকে সহজে আলাদা করা যায়, তাই অসমস্বত্ব মিশ্রণ।
খ সার্বজনীন দ্রাবক বলতে এমন দ্রাবককে বোঝায় যে প্রায় সব রকমের পদার্থকে দ্রবীভ‚ত করতে পারে।
পানি এমন একটি দ্রাবক যা অনেক রকমের পদার্থকে দ্রবীভ‚ত করতে পারে। পানি একদিকে যেমন অসংখ্য অজৈব পদার্থকে (ক্যালসিয়াম কার্বনেট, সিলিকা ইত্যাদি ছাড়া) দ্রবীভ‚ত করতে পারে তেমনি অন্যদিকে অনেক জৈব যৌগ (স্পিরিট, এসিটোন, এসিটিক এসিড) ও গ্যাসীয় পদার্থকে দ্রবীভ‚ত করতে পারে, তাই পানিকে সার্বজনীন দ্রাবক বলে।
গ হিরা পরিস্রাবণ ও পাতন পদ্ধতিতে উপাদানগুলো পৃথক করতে পারবে।
দ্রবণটি নিয়ে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে, লবণের কণাগুলো পানিতে দ্রবীভ‚ত হয়ে গেছে আর ময়লার ভারি কণাগুলো বিকারের তলায় জমতে শুরু করেছে। অন্যদিকে হালকা ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণাগুলো পানিতে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। এবার পরি¯্রাবণ পদ্ধতিতে ফানেলে রাখা ফিল্টার কাগজের মাধ্যমে অদ্রবীভ‚ত উপাদানগুলোকে পৃথক করা সম্ভব। এতে ফিল্টার কাগজে অদ্রবীভ‚ত উপাদানগুলো জমা হবে। ফানেলের নিচে প্রাপ্ত পরি¯্রুত দ্রবণ থেকে পাতন প্রক্রিয়ায় পানি ও লবণকে আলাদা করা সম্ভব।
ঘ উদ্দীপকে হিরার তৈরি দ্রবণটি এক ধরনের অসমস্বত্ব মিশ্রণ। অপরিষ্কার লবণ ও পানির দ্রবণে লবণের কণাগুলো পানিতে দ্রবীভ‚ত হয়ে যায় আর ময়লার ভারি কণাগুলো পানিতে সুষমভাবে বিন্যস্ত হচ্ছে না। সুতরাং, এটি নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয় যে, ময়লা লবণ ও পানির মিশ্রণটি অসমস্বত্ব প্রকৃতির। উদ্দীপকের হিরা বাজার থেকে ফেরার পথে লবণের প্যাকেট মাটিতে পড়ে যাওয়ায় লবণের সাথে ময়লা মিশে যায়। পরবর্তীতে, সে যখন লবণ পানিতে মেশায় তখন একটি অসমস্বত্ব মিশ্রণ তৈরি হয়।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ১১ কলয়েড ও সাসপেনসন
মিরোলা ম্যাডাম শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সাসপেনসন ও কলয়েড সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য পাশাপাশি দুইটি বোতলের একটিতে ঘোলা পানি ও অপরটিতে বালি মিশ্রিত পানি নিয়ে নেড়ে দেখালেন।
ক. তরল-গ্যাস দ্রবণ কী? ১
খ. দ্রব ও দ্রাবকের মধ্যে পার্থক্য কী কী? ২
গ. উদ্দীপকের প্রথম বোতলের মিশ্রণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের বোতলদ্বয়ের মিশ্রণ প্রকৃতির ভিন্নতার কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪
ক যে দ্রবণে দ্রাবক তরল পদার্থ ও দ্রব গ্যাসীয় পদার্থ তাকে তরল গ্যাস দ্রবণ বলে।
খ সম্পৃক্ত ও অসম্পৃক্ত দ্রবণের মধ্যে ২টি পার্থক্য হলো :
সম্পৃক্ত দ্রবণ অসম্পৃক্ত দ্রবণ
১. সম্পৃক্ত দ্রবণে অতিরিক্ত দ্রব দ্রবীভ‚ত হতে পারে না।
২. দ্রাবক সাধারণত তরল পদার্থ ১. অসম্পৃক্ত দ্রবণে অতিরিক্ত দ্রব দ্রবীভ‚ত হতে পারে।
২. দ্রব কঠিন তরল ও গ্যাসীয় পদার্থ হতে পারে।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ কলয়েডের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।
ঘ কলয়েড ও সাসপেনসনের ভিন্নতার কারণ বিশ্লেষণ কর।
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ ফলের রস কোন প্রকারের মিশ্রণ?
উত্তর : ফলের রস সমস্বত্ব মিশ্রণ।
প্রশ্ন \ ২ \ একটি দ্রবণে কয়টি অংশ থাকে?
উত্তর : একটি দ্রবণের দুটি অংশ থাকেÑ দ্রব এবং দ্রাবক।
প্রশ্ন \ ৩ \ জলীয় দ্রবণ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব ক্ষেত্রে পানি দ্রাবক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তাদেরকে জলীয় দ্রবণ বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৪ \ পরিস্রাবণ কী?
উত্তর : কোনো তরল পদার্থ থেকে অদ্রবণীয় পদার্থ বা ভাসমান কঠিন পদার্থকে ছেঁকে পৃথক করার প্রণালিকে পরিস্রাবণ বলে।
প্রশ্ন \ ৫ \ বাষ্পীভবন কী?
উত্তর : কোনো তরল পদার্থকে তাপের সাহায্যে বাষ্পে পরিণত করাকেই বাষ্পীভবন বলে।
প্রশ্ন \ ৬ \ ছাঁকন কাকে বলে?
উত্তর : যে পদ্ধতিতে কোনো তরল পদার্থ থেকে অদ্রবণীয় কঠিন পদার্থকে পৃথক করা হয় তাকে ছাঁকন বলে।
প্রশ্ন \ ৭ \ সার্বজনীন দ্রাবক কাকে বলে?
উত্তর : যে দ্রাবক প্রায় সব রকমের পদার্থকে দ্রবীভ‚ত করতে পারে তাকে সার্বজনীন দ্রাবক বলে।
প্রশ্ন \ ৮ \ ঘনীভবন কাকে বলে?
উত্তর : জলীয়বাষ্প অথবা অন্য বায়বীয় পদার্থকে যথেষ্ট পরিমাণে ঠাÐা করে তরল অবস্থায় পরিণত করার পদ্ধতিকে ঘনীভবন বলে।
প্রশ্ন \ ৯ \ বাষ্পীভবন ও ঘনীভবন পদ্ধতি একত্রে ব্যবহার করাকে কী বলে?
উত্তর : বাষ্পীভবন ও ঘনীভবন পদ্ধতি একত্রে ব্যবহার করাকে পাতন বলে।
প্রশ্ন \ ১০ \ দুধে চর্বির কণাগুলো কোন দশায় আছে?
উত্তর : দুধে চর্বির কণাগুলো ডিসপারসড ফেজ রূপে থাকে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ পানিতে চিনির মিশ্রণ এবং পানিতে বালির মিশ্রণ একনয় কেন?
উত্তর : পানিতে চিনি যোগ করে নাড়তে থাকলে চিনি পানিতে দ্রবীভূত হয়ে সমস্বত্ব মিশ্রণ তৈরি করে। এ অবস্থায় পানি-চিনির একটি দ্রবণ তৈরি হয়। এর বিভিন্ন অংশের উপাদান, গঠন ও ধর্ম একই থাকে।
পানিতে বালি যোগ করে নাড়তে থাকলে বালি পানিতে দ্রবীভ‚ত না হয়ে পাত্রের তলায় তলানি হিসেবে জমতে থাকে। এতে অসমস্বত্ব মিশ্রণ তৈরি হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ ঘন ও পাতলা দ্রবণ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : সমান আয়তনের দ্রবণের ক্ষেত্রে যেটিতে দ্রবের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকে সেটি ঘন দ্রবণ, আর যেটিতে তুলনামূলকভাবে দ্রবের পরিমাণ কম থাকে সেটি হলো পাতলা দ্রবণ।
প্রশ্ন \ ৩ \ লবণ ও পানির দ্রবণে দ্রব এবং দ্রাবকের নাম লেখ।
উত্তর : দ্রবণের মধ্যে খাবার লবণ কম পরিমাণে থাকে আর পানি বেশি পরিমাণে থাকে। তাই খাবার লবণ হলো দ্রব আর পানি হলো দ্রাবক।
প্রশ্ন \ ৪ \ রাসায়নিক পদার্থের স্বাদ গ্রহণ করা উচিত নয় কেন?
উত্তর : বেশিরভাগ রাসায়নিক পদার্থই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। তাই কোনো দ্রবণ বা রাসায়নিক পদার্থ সম্পর্কে পুরোপুরি না জেনে এটি খেয়ে স্বাদ পরীক্ষা করা কোনো মতেই উচিত নয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ একটি লবণের দ্রবণ সম্পৃক্ত না অসম্পৃক্ত কীভাবে শনাক্ত করবে?
উত্তর : একটি লবণের দ্রবণ সম্পৃক্ত না অসম্পৃক্ত জানতে হলে দ্রবণকে একটি টেস্টটিউবে নিয়ে এর মধ্যে আর কিছু দ্রব যোগ করে ভালো করে ঝাঁকানো হয় :
র. দ্রব যদি দ্রবীভূত না হয়ে টেস্টটিউবের তলায় থিতিয়ে পড়ে এবং দ্রবণের গাঢ়ত্ব একই থাকে, তাহলে বুঝতে হবে ঐ দ্রবণটি সম্পৃক্ত।
রর. দ্রব যদি আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভূত হয় এবং দ্রবণের গাঢ়ত্ব বৃদ্ধি পায় তাহলে বুঝতে হবে ঐ দ্রবণটি অসম্পৃক্ত।
প্রশ্ন \ ৬ \ চিনির দ্রবণীয়তা লবণের চেয়ে বেশি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ তরল পদার্থে সকল বস্তু সমান পরিমাণে দ্রবীভ‚ত হয় না। ১০০ সিসি পানিতে যে পরিমাণ চিনি দ্রবীভ‚ত হয় সেই একই পরিমাণ পানিতে সমপরিমাণ লবণ দ্রবীভ‚ত হয় না। লবণের চেয়ে চিনি পানিতে অনেক বেশি পরিমাণে দ্রবীভ‚ত হয়। সাধারণ তাপমাত্রায় চিনি লবণের চেয়ে ৬ গুণ বেশি দ্রবীভ‚ত হয়। সুতরাং চিনির দ্রবণীয়তা লবণের চেয়ে অনেক বেশি।
প্রশ্ন \ ৭ \ বালি ও পানির মিশ্রণকে দ্রবণ বলা যায় না কেন?
উত্তর : বালি ভারী অদ্রবণীয় পদার্থ। যে ভারী অদ্রবণীয় পদার্থ পাত্রের তলায় জমা হয় তাকে তলানি বলে। কোনো মিশ্রণে তলানি পড়লে তাকে দ্রবণ বলা যায় না। তাই বালি ও পানির মিশ্রণকে দ্রবণ বলা যায় না।