প্রথম অধ্যায় আকাইদ
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১
সমাজপতি রাজা মিয়ার ভয়ে মানুষ তটস্থ থাকে। তিনি মানুষকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং তিনি যা বলেন তাই করতে বাধ্য করেন। তার প্রকল্পে কর্মরত জনাব ফরিদ উদ্দিনকে নামায পড়তে নিষেধ করে বলেন, নামায আবার কিসের জন্য, কাজ কর তাহলেই সুখ পাবে। কিন্তু ফরিদ উদ্দিন নিয়মিত নামায আদায় করেন এবং তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। অবশেষে কর্তৃপক্ষ ফরিদ উদ্দিনের দায়িত্বশীলতায় খুশি হয় এবং তাকে পদোন্নতি দেয়।
ক. তাওহিদ শব্দের অর্থ কী?
খ. আখিরাত বলতে কী বোঝায়?
গ. নামাযের প্রতি রাজা মিয়ার মনোভাব ইসলামের দৃষ্টিতে কিসের শামিল? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.যে মূল বিশ্বাসের ফলে ফরিদ উদ্দিন নামাযে দৃঢ় ও দায়িত্বশীল-তা বিশ্লেষণ কর।
ক তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ।
খ আখিরাত অর্থ পরকাল। পরকাল হলো ইহকালের বা দুনিয়ার জীবনের পরের জীবন। দুনিয়ার জীবনই মানুষের শেষ জীবন নয়। বরং মানুষের জন্য আরও একটি জীবন রয়েছে। সে জীবনই পরকালীন জীবন বা আখিরাত। আখিরাতের জীবন অনন্ত। এ জীবনের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই।
গ নামাযের প্রতি উদ্দীপকের রাজা মিয়ার মনোভাব ইসলামের দৃষ্টিতে কুফরের শামিল। ইসলামের মৌলিক ও ফরয ইবাদত অস্বীকার করা কুফর। উদ্দীপকে আমরা দেখি যে, রাজা মিয়া নিজে তো নামায আদায় করেই না বরং তার প্রকল্পে কর্মরত জনাব ফরিদ উদ্দিনকে নামায পড়তে নিষেধ করে বলেন, নামায আবার কিসের জন্য কাজ কর তাহলেই সুখ পাবে। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, নামাযের প্রতি রাজা মিয়ার মনোভাব ইসলামের দৃষ্টিতে কুফরের শামিল।
ঘ যে মূল বিশ্বাসের ফলে ফরিদ উদ্দিন নামাযে দৃঢ় ও দায়িত্বশীল, তা হলো তাওহিদ বা একত্ববাদে বিশ্বাস। আলাহ তাআলা এক। তার কোনো অংশীদার নেই। তিনিই আমাদের রক্ষক, সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা ও রিযিকদাতা। তাওহিদে বিশ্বাসের মাধ্যমেই মানুষ ইসলামে প্রবেশ করে এবং একমাত্র সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করে। সকল প্রশংসা ও ইবাদত একমাত্র তাঁরই প্রাপ্য। তাওহিদে বিশ্বাসীগণ শুধু আলাহ তাআলার সামনে মাথা নত করে। অন্য কারো সামনে মাথা নত করে না। উদ্দীপক পাঠেও আমরা তাই জানতে পারি যে, ফরিদ উদ্দিন নিয়মিত নামায আদায় করেন এবং তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, তাওহিদ বা একত্ববাদে বিশ্বাসের ফলে ফরিদউদ্দিন নামাযে দৃঢ় ও দায়িত্বশীল।
প্রশ্ন- ২
বিজ্ঞ বিচারক জাকারিয়া সাহেব ন্যায়বিচার করেন। এতে ঘুষ লেনদেনকারী দালাল গোষ্ঠী তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এমনকি তাকে বদলি করানোর জন্য লেগে যায়। বিচারক সাহেব এটা জানার পরেও ঠাণ্ডা মাথায় ধৈর্যধারণ করেন। আসমাউল হুসনার বিষয়গুলো নিজের জীবনে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেন এবং আলাহর ভয়ে সবসময় ভীত থাকেন। বিচারকের এমন মহৎ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দেখে অবশেষে দালাল গোষ্ঠী তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়।
ক. আসমাউল হুসনার অর্থ কী?
খ. আসমাউল হুসনা সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান থাকা আবশ্যক কেন? বুঝিয়ে লিখ।
গ. আলাহর যে গুণের ভয়ে বিচারপতি ভীত থাকেন তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ.‘আলাহ সাবুরুন’ গুণের সাথে বিচারকের গুণের সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর।
ক আসমাউল হুসনা অর্থ সুন্দরতম নামসমূহ।
খ মানবজীবনে আসমাউল হুসনা তথা আলাহ তাআলার গুণবাচক নামসমূহের জ্ঞান থাকা অতি জরুরী। কেননা এসব গুণবাচক নামসমূহ মানবজীবনে প্রভাব বিস্তার করে। এসব নামের দ্বারা আমরা আলাহ তাআলাকে চিনতে পারি। তাঁর ক্ষমতা ও গুণাবলির পরিচয় পাই।
গ উদ্দীপকের বিচারক জাকারিয়া ‘আল্লাহু খাবিরুন’ এ গুণবাচক নামের ভয়ে ভীত থাকেন। ‘আল্লাহ খাবিরুন’ অর্থ আল্লাহ তাআলা সবকিছু সম্যক অবহিত, সবকিছু জানেন। পবিত্র কুরআনের সুরা আল-হুজুরাতের ১৩নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু জানেন, সকল খবর রাখেন। উদ্দীপকেও আমরা দেখতে পাই যে, বিজ্ঞ বিচারক জাকারিয়া সাহেব ন্যায়বিচার করেন। এতে ঘুষ লেনদেনকারী দালাল গোষ্ঠী তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এমনকি তাকে বদলি করানোর জন্য লেগে যায়। বিচারক সাহেব এটা জানার পরেও ঠাণ্ডা মাথায় ধৈর্যধারণ করেন। আসমাউল হুসনার বিষয়গুলো নিজের জীবনে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেন এবং আলাহর ভয়ে সবসময় ভীত থাকেন। সুতরাং উপরিউক্ত গুণবাচক নামের প্রভাবেই আল্লাহর ভয়ে উদ্দীপকের বিচারপতি ভীত থাকেন।
ঘ ‘আল্লাহু সাবুরুন’ গুণের সাথে বিচারকের সংশ্লিষ্ট গুণের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। আলাহু সাবুরুন অর্থ আলাহ মহাধৈর্যশীল। আলাহ তাআলা সবচেয়ে বড় ধৈর্যশীল। আলাহ তাআলা মানুষকে রিযিক দেন, লালনপালন করেন, ক্ষুধায়-তৃষ্ণায় খাদ্য, পানীয় দেন, ভয়ভীতিতে নিরাপত্তা দেন। আলো, বাতাস, চন্দ্র, সূর্য সবকিছু তাঁরই দান। এতকিছুর পরও মানুষ তাঁকে অস্বীকার করে। তাঁর ইবাদত করে না। আলাহ তাআলা এসব ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ করেন। নিয়ামত বন্ধ করে দেন না। বরং তিনি সুযোগ দেন। উদ্দীপকেও আমরা দেখি যে জাকারিয়া সাহেব একজন বিজ্ঞ বিচারক। ন্যায়বিচার করার কারণে ঘুষ লেনদেনকারী দালাল গোষ্ঠী তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এমনকি তাঁকে বদলি করানোর জন্য লেগে যায়। বিচারক সাহেব এটা জানা সত্তে¡ও ঠাণ্ডা মাথায় তার বিচারকার্য চালিয়ে যান এবং ধৈর্যধারণ করেন। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ‘আলাহু সাবুরুন’ গুণের সাথে বিচারকের সংশ্লিষ্ট গুণের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।
প্রশ্ন- ১
আকরাম সাহেব একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসায় উন্নতির জন্য তিনি এক পীরের মাজারে দোয়া করতে গেলেন। একপর্যায়ে তিনি মাজারে সিজদা করেন। বিষয়টি একজন বিজ্ঞ আলেম দেখে আকরাম সাহেবকে ডেকে বললেন, মাজারে সিজদা করা জঘন্য অপরাধ।
ক. তাওহিদের বিপরীত কী? ১
খ. শিরককে চরম যুলুম বলা হয় কেন? ২
গ. আকরাম সাহেবের কর্মকাণ্ড ইসলামের দৃষ্টিতে কীসের শামিল? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.আকরাম সাহেবের কর্মকাণ্ডের পরিণতি পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক।
খ শিরক হলো চরম যুলুম। কেননা শিরকের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহ তাআলার সাথে অন্যায় আচরণ করে। আল্লাহ তাআলাই মানুষের একমাত্র স্রষ্টা। সকল ইবাদত ও প্রশংসা লাভের হকদারও তিনিই। শিরকের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুর ইবাদত করে। ফলে আল্লাহর সাথে চরম অন্যায় করা হয়। আর এ কারণে শিরককে চরম যুলুম বলা হয়।
গ উদ্দীপকের আকরাম সাহেবের কর্মকাণ্ড ইসলামের দৃষ্টিতে শিরকের শামিল। কেননা আল্লাহ তাআলার সাথে কোনো কিছুকে অংশীদার করা কিংবা কাউকে আল্লাহর সমপর্যায়ের মনে করাই হলো শিরক। বিভিন্নভাবে শিরক হয়। এ হিসেবে মূর্তিপূজা করা, মাজারে সিজদা করা প্রকাশ্য শিরক। উদ্দীপকেও দেখা যায়, আকরাম সাহেব ব্যবসায় উন্নতির জন্য পীরের মাজারে সিজদাহ করেন। উপরিউক্ত আলোচনায় এটাই প্রতীয়মান হয় যে, আকরাম সাহেবের কর্মকাণ্ড ইসলামের দৃষ্টিতে শিরকের শামিল।
ঘ আকরাম সাহেবের কর্মকাণ্ডের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত না করে অন্য কারো ইবাদত করা যেমন অগ্নি ও মূর্তিপূজা করা, কারো মাজারে সিজদা করা ইত্যাদি শিরকের অন্তর্ভুক্ত। শিরক এর পরিণতি এতই ভয়াবহ যে, আল্লাহ তাআলা এ অপরাধ ক্ষমা করেন না। সূরা আন-নিসায় বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। তা ব্যতীত সবকিছু যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন।’ আর আল্লাহ তাআলা ক্ষমা না করার অর্থই হলো জাহান্নামের কঠিন ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। উদ্দীপকে আকরাম সাহেব ব্যবসায় উন্নতির জন্য পীরের মাজারকে সিজদাহ করেন। কাজেই বলা যায় যে, শিরক করার কারণে আকরাম সাহেবের ক্ষমা নেই। তার পরিণতি ভয়াবহ জাহান্নাম।
প্রশ্ন- ২
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রতন একদিন তার সহপাঠী মুরাদকে বলল, সৃষ্টিকর্তা দেব-দেবীদেরকে অনেক ক্ষমতা প্রদান করেছেন। তাই তাদের কাছে বিদ্যা, ধন-সম্পদ এবং বিপদ মুক্তির জন্য প্রার্থনা করলে তারা তা দিয়ে থাকেন। এ কথা শুনে মুরাদ বলল, তোমার কথা সঠিক নয়। মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় সত্তা। তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই। সকল ক্ষমতা একমাত্র তাঁরই।
ক. তাওহিদ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. তাওহিদে বিশ্বাস করতে হবে কেন? ২
গ. রতনের বক্তব্য ইসলামের কোন বিশ্বাসের পরিপন্থী? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.মুরাদের বক্তব্যের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর। ৪
ক তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ।
খ তাওহিদে বিশ্বাস করা একান্ত অপরিহার্য। মহান আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে বিশ্বাস করার নামই তাওহিদ। কেননা তাওহিদে বিশ্বাসের মাধ্যমেই মানুষ ইমান ও ইসলামে প্রবেশ করে। তাওহিদে বিশ্বাস মানুষকে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা এনে দেয়। তাওহিদে বিশ্বাস না করলে মানুষ বিপথগামী হয়ে যায়। তাওহিদে বিশ্বাস ছাড়া কোনো ইবাদতই আল্লাহর দরবারে গৃহীত হবে না। সুতরাং তাওহিদে বিশ্বাস করতে হবে।
গ রতনের বক্তব্য তাওহিদে বিশ্বাসের পরিপন্থী। কারণ তাওহিদের মূল কথাই হলো, আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি যেমন তার সত্তায় এক ও অদ্বিতীয় তেমনি তিনি তার গুণাবলিতেও এক ও অদ্বিতীয়। উদ্দীপকের রতন বলে বিদ্যা, ধন-সম্পদ এবং বিপদমুক্তির জন্য দেব-দেবীর নিকট প্রার্থনা করলে তারা তা দিয়ে থাকেন। সুতরাং রতনের বক্তব্য তাওহিদে বিশ্বাসের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
ঘ মুরাদের বক্তব্য সম্পূর্ণ সঠিক ও যৌক্তিক। কারণ, মহান আল্লাহ যেমন তার সত্তায় একক, তেমনি তাঁর গুণাবলিতেও একক। তিনিই আমাদের রক্ষক, সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা ও রিযিকদাতা। সকল মানুষকে রিযিক, জ্ঞান, বিপদমুক্তি এমনকি সকল প্রয়োজনে একমাত্র তাঁরই নিকট প্রার্থনা করতে হবে। উদ্দীপকের মুরাদের সহপাঠী রতন দেব-দেবীদেরকে বিভিন্ন প্রয়োজন পূরণে ক্ষমতাবান মনে করলে মুরাদ তার প্রতি বিরোধিতা করে তাওহিদের মহান শিক্ষা তুলে ধরে। সুতরাং মুরাদের বক্তব্য সঠিক ও যৌক্তিক।
প্রশ্ন- ৩
সুলতানা রাজিয়া আস্তিকবাদী। তিনি আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলিতে বিশ্বাসী। এ বিশ্বাস তাঁকে মর্যাদাশীল করে তোলে। এ বিশ্বাসের কারণে তিনি আল্লাহর ইবাদত করেন।
ক. আকাইদ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. নৈতিকতার পরিচয় দাও। ২
গ. সুলতানা রাজিয়ার কর্মকাণ্ডে ইমানের কোন মৌলিক বিষয়ের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.সুলতানা রাজিয়া মর্যাদাশীল- বিশ্লেষণ কর। ৪
ক আকাইদ অর্থ বিশ্বাসমালা।
খ নৈতিকতা হলো নীতিমূলক, নীতিসম্বন্ধীয়। অর্থাৎ কথাবার্তা, আচার-আচরণে নীতির অনুসরণ করাকেই নৈতিকতা বলা হয়।
গ সুলতানা রাজিয়ার কর্মকাণ্ডে তাওহিদে বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটেছে। আল্লাহ তাআলা তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে এক ও অদ্বিতীয় এ বিশ্বাসকে তাওহিদ বলে। তাওহিদে বিশ্বাস আমাদের আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের শিক্ষা দেয়। উদ্দীপকেও আমরা দেখতে পাই যে, সুলতানা রাজিয়া আল্লাহ তাআলার একক সত্তা ও গুণাবলিতে বিশ্বাসী। অর্থাৎ তিনি তাওহিদে বিশ্বাসী। আর এ বিশ্বাসই তাকে আল্লাহ তাআলার ইবাদত বন্দেগীতে উৎসাহিত করেছে। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার দ্বারা বলা যায় যে, সুলতানা রাজিয়ার কর্মকাণ্ডে তাওহিদে বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটেছে।
ঘ সুলতানা রাজিয়া মর্যাদাশীল- উক্তিটি যথার্থ। কেননা তাওহিদে বিশ্বাস মানুষকে মর্যাদাশীল হিসেবে গড়ে তোলে। উদ্দীপকে সুলতানা রাজিয়াও এ বিশ্বাসের ফলে আত্মমর্যাদাশীল। মহান আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে বিশ্বাস করার নামই হলো তাওহিদ। তাওহিদ আমাদের আল্লাহ তাআলার নানা গুণের পরিচয় দান করে। তবে মানুষ নিজ জীবনে এসব গুণের চর্চা করে উত্তম চরিত্রবান হতে পারে। আর মানুষ যখন এসব গুণ অনুশীলন করে তখন তার সকল কাজ নীতি ও আদর্শ অনুযায়ী হয়। আবার তাওহিদে বিশ্বাসীগণ শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার ইবাদত করেন। ফলে তার আত্মমর্যাদা বিনষ্ট হয় না বরং বাড়ে। এভাবে তাওহিদে বিশ্বাস মানুষের মধ্যে আত্মসম্মান ও আত্মসচেতনতা জাগিয়ে তোলে। তাকে আত্মমর্যাদাশীল করে।
প্রশ্ন- ৪
আনোয়ার সাহেব চাকরিজীবী। তিনি ইমানের মৌলিক বিষয়গুলো অস্বীকার করেন। তিনি ঘুষ ও সুদের সাথেও জড়িত আছেন। বিষয়টি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু নাসির সাহেব জানতে পেরে অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করেন এবং আনোয়ার সাহেবকে এর কুফল ও পরিণতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা দেন। [সাতক্ষিরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. কুফর শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ইমানের মৌলিক বিষয় বলতে কী বোঝায়? ২
গ. আনোয়ার সাহেবের কর্মকাণ্ড ইসলামের দৃষ্টিতে কীসের শামিল? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর এরূপ কাজের ফলে আনোয়ার সাহেবের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে? মতামত দাও। ৪
ক কুফর শব্দের অর্থ অস্বীকার করা, অবিশ্বাস করা।
খ যে বিষয়গুলোর প্রতি বিশ্বাস করা অপরিহার্য, অবিশ্বাস করলে ইমানের অস্তিত্ব থাকে না, সেগুলোই ইমানের মৌলিক বিষয়। অর্থাৎ ইমান মুফাস্সালের সাতটি বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস করাই ইমানের মৌলিক বিষয়।
গ আনোয়ার সাহেবের কর্মকাণ্ড ইসলামের দৃষ্টিতে কুফরের শামিল।
ইমানের মৌলিক বিশ্বাসকে অস্বীকার করা অর্থাৎ নবি-রাসুল, আসমানি কিতাব, ফেরেশতা, পরকাল, পুনরুত্থান, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদিকে অবিশ্বাস করা কুফর। তেমনিভাবে হালাল জিনিসকে হারাম মনে করা, আবার হারাম বস্তুকে হালাল ধারণা করাও কুফরের অন্তর্ভুক্ত। উদ্দীপকের আনোয়ার সাহেবের চরিত্রে আমরা এ ধরনের বৈশিষ্ট্য লক্ষ করি। তিনি একদিকে ইমানের মৌলিক বিষয়গুলো অস্বীকার করেন, আবার অন্যদিকে ঘুষ ও সুদের সাথেও জড়িত আছেন, যা কুফরের পর্যায়ে পড়ে। সুতরাং বলা যায়, আনোয়ার সাহেবের কর্মকাণ্ড ইসলামের দৃষ্টিতে কুফরের শামিল।
ঘ আমি মনে করি এরূপ কাজের ফলে আনোয়ার সাহেবের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে। কেননা ইমানের মৌলিক বিশ্বাসকে অস্বীকার করা এবং হারাম জিনিসকে হালাল মনে করা কুফরের অন্তর্ভুক্ত। উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই যে, আনোয়ার সাহেব চাকরিজীবী। তিনি ইমানের মৌলিক বিষয়গুলো অস্বীকার করেন। তিনি ঘুষ ও সুদের সাথেও জড়িত আছেন। সুতরাং উপরিউক্ত পর্যালোচনায় প্রমাণিত হয় যে, কুফরি কর্মকাণ্ডের কারণে আনোয়ার সাহেবের পরিণতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। আখিরাতে তিনি জাহান্নামের কঠিন ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি চিরকাল ভোগ করতে থাকবেন এ কথার সাথে আমি একমত পোষণ করি।
প্রশ্ন- ৫
আবদুল কাদির আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করে, কিন্তু আখিরাতে বিশ্বাস করে না। বিষয়টি জানতে পেরে ইমাম সাহেব বলেন, ‘এ রকম বিশ্বাস নিয়ে কেউ মুমিন হতে পারে না। মুমিন হতে হলে ইমানের সাতটি বিষয়ের প্রতিই বিশ্বাস রাখতে হবে। কেননা সাতটি বিষয়ের সমষ্টি হচ্ছে ইমান।
ক. ইমান শব্দের অর্থ কী? ১
খ. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বলতে কী বোঝ? ২
গ. আবদুল কাদিরের মনোভাব ইসলামের দৃষ্টিতে কীসের শামিল? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.মুমিন হওয়া প্রসঙ্গে উদ্দীপকে ইমাম সাহেবের উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ইমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস।
খ ইমানের সর্বপ্রথম বিষয় হলো মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আল্লাহ তাআলা তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে একক, অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়। তাঁর সমকক্ষ বা সমতুল্য কেউ নেই। তিনিই একমাত্র মাবুদ। তিনি ব্যতীত অন্য কেউ ইবাদতের যোগ্য নয়। আল্লাহ তাআলার প্রতি বিশ্বাস বলতে এটাই বোঝায়। আর এ বিশ্বাসই ইমানের মূল।
গ আবদুল কাদিরের মনোভাব ইসলামের দৃষ্টিতে কুফরের শামিল। আল্লাহ, ফেরেশতা, আসমানি কিতাব, নবি-রাসুল, আখিরাত, তাকদির ও মৃতুর পর পুনরুত্থান ইমানের এ সাতটি বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা জরুরি। এগুলোর প্রত্যেকটির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করলে কেউ পূর্ণাঙ্গ মুমিন হতে পারে না। মুমিনের পরিচয় তুলে ধরে আল্লাহ বলেন, ‘তারা আখিরাতেও দৃঢ় বিশ্বাস রাখে।’ উদ্দীপকেও আমরা দেখি যে, আবদুল কাদির আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করলেও আখিরাতে বিশ্বাস করে না। আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস থাকলেও আখিরাতের প্রতি নেতিবাচক মনোভাবের কারণে আবদুল কাদির মুমিন নয়, বরং তার মনোভাব কুফরের শামিল।
ঘ ‘সাতটি বিষয়ের সমষ্টি হচ্ছে ইমান’ ইমাম সাহেবের এ উক্তিটি যথার্থ। ইমানদার হতে হলে সাতটি মৌলিক বিষয়ের সবক’টির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা জরুরি। এগুলোর কোনোটির প্রতি অবিশ্বাস রেখে মুমিন হওয়া যায় না। আল্লাহ তাআলাকে এক ও অদ্বিতীয় সত্তা, সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা হিসেবে মনোপ্রাণে বিশ্বাস করা। ফেরেশতাগণ যে আল্লাহর এক বিশেষ সৃষ্টি, নূরের তৈরি এ কথা বিশ্বাস করা। আল্লাহ তাঁর বাণী সম্বলিত বহু আসমানি কিতাব রাসুলগণের মাধ্যমে মানুষের নিকট পাঠিয়েছেন এ কথা বিশ্বাস করা। মানব জাতির হিদায়াতের জন্য আল্লাহ যুগে যুগে অসংখ্য নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন এ কথা বিশ্বাস করা। আখিরাত হলো দুনিয়ার কাজের ফল ভোগের স্থান এ কথা বিশ্বাস করা। তাকদির বা ভাগ্যের নিয়ন্ত্রক মহান আল্লাহ এ কথা বিশ্বাস করা। মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হতে হবে এ কথা বিশ্বাস করা। পরিশেষে বলা যায়, মুমিন হতে হলে উপরিউক্ত সাতটি বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য। সুতরাং ইমাম সাহেবের উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৬
মাকছুদুর রহমান একটি নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত। ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে অনেক চাহিদা ও সমস্যা থাকা সত্তে¡ও তিনি অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে সব সমস্যা মোকাবিলা করেন। কর্মক্ষেত্রেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং জনগণের চাপ সহ্য করেন। অনেকেই তার জীবনাচারের প্রশংসা করলে তিনি আলাহ তাআলার গুণবাচক নাম উলেখ করে বলেন, আলাহ তাআলার এসকল গুণাবলি বান্দা যদি নিজ জীবনে ধারণ করে তাহলে তার জীবনাচার সুন্দর ও সার্থক হবে।
ক. ইমান মুফাস্সালের ভেতর কয়টি বিষয় আছে? ১
খ. কোনো কিছুই তাঁর সদৃশ নয়’-ব্যাখ্যা কর। ২
গ. জনাব মাকছুদুর রহমান এর জীবনাচারে আলাহ তাআলার কোন গুণের প্রভাব লক্ষণীয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের আলোকে মানবজীবনে আলাহর গুণবাচক নামসমূহের প্রভাব বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ইমান মুফাসসালের ভেতর সাতটি বিষয় আছে।
খ ‘কোনো কিছুই তাঁর সদৃশ নয়’। আলাহ তাআলা তাঁর গুণাবলিতে একক। আলাহ রহমান, রহিম, কারিম, গাফফার, রযযাক, খালিক, মালিক, রব ইত্যাদি। এসমস্ত গুণের ক্ষেত্রে আলাহ তাআলা একক। তিনি সকল গুণে অতুলনীয়। কেউই তাঁর সমকক্ষ নয়। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা ও সর্বশক্তিমান। তাই কোনো কিছুই তাঁর সদৃশ নয়।
গ জনাব মাকছুদুর রহমান এর জীবনাচারে আলাহ তাআলার ‘সাবুরুন’ গুণের প্রভাব লক্ষণীয়। আলাহ তাআলা মানুষকে রিযিক দেন, লালনপালন করেন, ভয় ভীতিতে নিরাপত্তা দেন। এ সুন্দর পৃথিবীর সবকিছুই তিনি মানুষের কল্যাণে দান করেছেন। এত কিছুর পরও অনেক মানুষ তাঁর নাফরমানি করে। এতে তিনি মানুষকে সাথে সাথে শাস্তি দেন না। আলাহ তাআলা সবক্ষেত্রেই ধৈর্য ধারণ করেন। উদ্দীপকের মাকছুদুর রহমান একটি নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত। ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে অনেক চাহিদা ও সমস্যা থাকলেও তিনি অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে সব সমস্যা মোকাবিলা করেন। কর্মক্ষেত্রেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং জনগণের চাপ সহ্য করেন। সুতরাং জনাব মাকছুদুর রহমান এর জীবনাচারে আলাহ তাআলার ‘সাবুরুন’ গুণের প্রভাব লক্ষ করা যায়।
ঘ মানবজীবনে আলাহর গুণবাচক নামসমূহের প্রভাব অপরিসীম। আলাহর গুণবাচক নামসমূহ দ্বারা আমরা আলাহ তাআলাকে ভালোভাবে চিনতে পারি। ফলে তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা সহজ হয়। যদি আলাহ তাআলার এসব গুণ আমরা অনুশীলন করি তাহলে আমাদের চরিত্র সুন্দর হবে। সকলেই আমাদের ভালোবাসবে। আলাহ তাআলাও আমাদের ভালোবাসবেন। উদ্দীপকের মাকছুদুর রহমান ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে অনেক চাহিদা ও সমস্যা থাকলেও তিনি অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে তা মোকাবিলা করেন। কর্মক্ষেত্রেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং জনগণের চাপ সহ্য করেন। অনেকেই তার জীবনাচারের প্রশংসা করলে তিনি আলাহ তাআলার গুণবাচক নাম উলেখ করে বলেন, আলাহ তাআলার এসকল গুণাবলি বান্দা যদি নিজ জীবনে ধারণ করে তাহলে তার জীবনাচার সুন্দর ও সার্থক হবে।
প্রশ্ন- ৭
মাজেদা একজন ধার্মিক মহিলা। তিনি তাওহিদ ও রিসালাতসহ ইমানের সব মৌলিক বিষয়গুলোর প্রতি বিশ্বাস রাখেন। কিন্তু তার প্রতিবেশী মালেকা মনে করেন, তাওহিদে বিশ্বাস করাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। রিসালাতে বিশ্বাসের প্রয়োজন নেই। বিষয়টি তাদের ধর্মীয় শিক্ষককে জানালে শিক্ষক মালেকাকে বললেন, রিসালাতে বিশ্বাস ছাড়া তাওহিদে বিশ্বাস সম্ভব নয়। সুতরাং তুমি রিসালাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর।
ক. রিসালাত শব্দের অর্থ কী? ১
খ. রিসালাতে বিশ্বাস করা প্রয়োজন কেন? ২
গ. মালেকার বিশ্বাসটি ইসলামের দৃষ্টিতে কীরূপ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে ধর্মীয শিক্ষকের বক্তব্য অনুযায়ী রিসালাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪
ক রিসালাত শব্দের অর্থ বার্তা, সংবাদবহন, চিঠি, খবর পৌঁছানো ইত্যাদি।
খ রিসালাতে বিশ্বাস না করলে আলাহর বাণীকে অবিশ্বাস করা হয়। আল্লাহ মানুষকে সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন। আল্লাহর বাণী মানুষের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন। রিসালাতে বিশ্বাস না করলে আল্লাহর বাণীকে অবিশ্বাস করা হয়। সুতরাং রিসালাতে বিশ্বাস করা প্রয়োজন।
গ মালেকা বিশ্বাসটি ইসলামের দৃষ্টিতে কুফরের শামিল। কারণ মুমিন হতে হলে আল্লাহ , ফেরেশতা, আসমানি কিতাব, নবি-রাসুল, আখিরাত, তাকদির, মৃত্যুর পর পুনরুত্থান এ সাতটি মৌলিক বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা জরুরি। এগুলোর একটির প্রতিও অবিশ্বাস থাকলে কাউকে মুমিন বলা যাবে না। নবি-রাসুল তথা রিসালাতের প্রতি অবিশ্বাস করলে আল্লাহর প্রতিই অবিশ্বাস করা হয়। উদ্দীপকের মালেকা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে তাঁর বিধান পালন করাকেই যথেষ্ট মনে করেন। রিসালাতে বিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা তিনি উপলব্ধি করেন না। সুতরাং মালেকার বিশ্বাসটি ইসলামের দৃষ্টিতে কুফরের শামিল।
ঘ উদ্দীপকে ধর্মীয় শিক্ষকের বক্তব্য সঠিক ও যুক্তিযুক্ত। কারণ রিসালাতে বিশ্বাস ছাড়া তাওহিদে বিশ্বাস সম্ভব নয়। আমরা আল্লাহর একত্ব, তার অস্তিত্ব এবং পরিচয় নবি-রাসুলগণের মাধ্যমেই জানতে পারি। নবি-রাসুল তথা রিসালাতের প্রতি অবিশ্বাস করলে আল্লাহর প্রতিই অবিশ্বাস করা হয়। তাই আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের পাশাপাশি রিসালাতের প্রতিও বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। কালিমা তায়্যিবার শেষাংশে ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ দ্বারা রিসালাতের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সুতরাং রিসালাতের প্রতি ইমান আনা তাওহিদের প্রতি ইমান আনার মতোই অপরিহার্য। আর এ উপলব্ধি থেকেই উদ্দীপকের ধর্মীয় শিক্ষক শিক্ষার্থী মালেকার ভ্রান্ত ধারণা ও বিশ্বাস পরিহার করে রিসালাতে বিশ্বাসের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে উক্তিটি করেন। সুতরাং শিক্ষকের উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৮
জনাব আবিদের ইমামতিতে আসিফ মাগরিবের নামায আদায় করছিলেন। আবিদ হঠাৎ করে নামাযে হাদিস পড়তে লাগলেন। আসিফ নামায শেষে বললেন, আপনার নামায শুদ্ধ হবে না। এ কথা শুনে আবিদ রেগে গিয়ে বললেন, এতো জ্ঞান আপনি কোথায় পেলেন? প্রতি উত্তরে আসিফ বললেন, আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত জ্ঞানই আমাদের এসব কথা বলে দেয়।
ক. সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাবের নাম কী? ১
খ. ‘আল্লাহু হায়্যুন’ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে আসিফ কোন জ্ঞানের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.ইসলামের আলোকে উক্ত জ্ঞানের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪
ক সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাবের নাম আল-কুরআন।
খ ‘আল্লাহু হায়্যুন’ অর্থ আল্লাহ চিরঞ্জীব। অর্থাৎ আল্লাহ চিরকাল ধরে আছেন এবং থাকবেন। যখন কোনো কিছুই ছিল না, তখনও তিনি ছিলেন। আবার কিয়ামতে যখন সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে, তখনও তিনিই থাকবেন।
গ উদ্দীপকে আসিফ ওহির জ্ঞানের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। আমরা জানি, মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নবি-রাসুলগণের নিকট প্রেরিত সংবাদ বা বাণীকে ওহি বলা হয়। আর এ ওহি দু’প্রকার। যথা : ক. ওহি মাতলু। অর্থাৎ যে ওহি সালাতে তিলাওয়াত করা হয়। যেমন : কুরআন মাজিদ। খ. ওহি গায়র মাতলু : অর্থাৎ যে ওহি সালাতে তিলাওয়াত করা হয় না। যেমন : হাদিস শরিফ। উদ্দীপকেও আমরা দেখি যে, আবিদ যখন রেগে গিয়ে আসিফকে জিজ্ঞাসা করেন, এতো জ্ঞান আপনি কোথায় পেলেন? তখন প্রতি উত্তরে আসিফ বলেছিলেন, আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত জ্ঞানই আমাদের এসব কথা বলে দেয়। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার দ্বারা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, উদ্দীপকে আসিফ ওহির জ্ঞানের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।
ঘ ইসলামের আলোকে উক্ত জ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম। ওহির জ্ঞান হলো কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান। এ দুটোই ওহির মাধ্যমে প্রাপ্ত। ওহি সরাসরি আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হয় বলে এটা অকাট্য জ্ঞান। এতে কোনোরূপ ভুলত্রæটি নেই। ওহির সংবাদ সকল প্রকার সন্দেহের ঊর্ধ্বে। ওহি সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস। ওহির মাধ্যমে আল্লাহ মানবজাতিকে সকল প্রকার জ্ঞান দান করেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতারিত বলে এ জ্ঞান পূর্ণাঙ্গ ও অতুলনীয়। কুরআন ও হাদিসের মাধ্যমে আমরা ইসলামের সকল বিধিবিধান জানতে পারি। তাওহিদ, রিসালাত, আখিরাত, জান্নাত-জাহান্নাম ইত্যাদির জ্ঞানও আমরা এগুলো থেকেই লাভ করি। এগুলো না থাকলে আমরা কিছুই জানতে পারতাম না। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, ইসলামের আলোকে ওহির জ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন- ৯
ধনুমিয়া বল্গাহীন জীবনযাপন করে। মসজিদের ইমাম সাহেব তাকে বলেন, একদিন তোমাকে কৃতকর্মের জবাব দিতে হবে। এতে ধনুমিয়া বলে, মানুষের দুনিয়ার জীবনই শেষ। এ কথা শুনে ইমাম সাহেব বলেন, দুনিয়ার জীবনই শেষ নয় বরং ‘দুনিয়া হলো আখিরাতের শস্যক্ষেত্রে’।
ক. আখিরাত অর্থ কী? ১
খ. মিযান কাকে বলে? বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. উদ্দীপকের ধনুমিয়ার মনোভাব ইসলামের দৃষ্টিতে কীসের শামিল? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.ধনুমিয়ার কথার প্রেক্ষিতে ইমাম সাহেবের উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪
ক আখিরাত অর্থ পরকাল।
খ যে পরিমাপক যন্ত্রের দ্বারা কিয়ামতের দিন মানুষের পাপ-পুণ্যকে ওজন করা হবে তাকে মিযান বলে। মিযান আখিরাতের একটি পর্যায়। মিযান একটি মানদণ্ড। যার দুটি পাল্লা হবে। একটিতে থাকবে পাপ, অন্যটিতে থাকবে পুণ্য। যার পুণ্য বেশি হবে সে জান্নাতে যাবে। আর যার পাপ বেশি হবে সে জাহান্নামে যাবে।
গ ধনুমিয়ার মনোভাব ইসলামের দৃষ্টিতে কুফরের শামিল। কারণ সে আখিরাতকে অস্বীকার করেছে। পরকাল হলো ইহকালের পরের জীবন। প্রকৃতপক্ষে দুনিয়ার জীবনই মানুষের শেষ জীবন নয়। বরং মানুষের জন্য আর একটি জীবন রয়েছে। সে জীবনই আখিরাতের অনন্ত জীবন। মানুষ সেখানে দুনিয়ার ভালো কাজের জন্য জান্নাত লাভ করবে এবং মন্দ কাজের জন্য জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ভোগ করবে। উদ্দীপকে ধনুমিয়া আখিরাতে বিশ্বাস করে না। সে মনে করে, মানুষের দুনিয়ার জীবনই শেষ। সুতরাং বলা যায়, ইমানের অন্যতম মৌলিক বিষয় আখিরাতকে অস্বীকার করার কারণে ধনুমিয়া মুমিন নয়। বরং তার এরূপ মনোভাব ইসলামের দৃষ্টিতে কুফরের শামিল।
ঘ ‘দুনিয়ার জীবনই শেষ নয় বরং দুনিয়া হলো আখিরাতের শস্যক্ষেত্র’ ইমাম সাহেবের এ উক্তিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দুনিয়ার জীবনই মানুষের জন্য শেষ জীবন নয়। দুনিয়াতে মানুষ যেরূপ আমল করেছে সেরূপ ফল ভোগ করবে। কৃষক শস্যক্ষেত্রে যেরূপ চাষাবাদ করে, সেরূপই ফল লাভ করে। জমিতে ধান লাগালে ফসল হিসেবে ধানই পাওয়া যায়। আর কেউ যদি জমিতে কাঁটা গাছ রোপণ করে তবে সে শুধু কাঁটাই লাভ করবে। দুনিয়ার জীবনও তদ্রæপ। দুনিয়াতে যে ব্যক্তি ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে সে আখিরাতে সম্মান ও মর্যাদা লাভ করবে। তার আবাসস্থল হবে চিরশান্তির স্থান জান্নাত। অন্যদিকে যে ব্যক্তি ইমান আনবে না এবং অন্যায় ও খারাপ কাজ করবে, আখিরাতে সে শাস্তি ভোগ করবে। তার ঠিকানা হবে শাস্তি ভোগের স্থান জাহান্নাম। কাজেই দুনিয়া হলো আখিরাতের শস্যক্ষেত্র।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ১০ আকাইদ
শবে কদরে সাদমান মসজিদে বয়ান শুনছিল। ইমাম সাহেব বলছিলেন, তাওহিদ, রিসালাত, কিয়ামত, মিযান, হাশর, সিরাত ইত্যাদির প্রতি ইমান আনা প্রসঙ্গে।
ক. ‘আকাইদ’ শব্দের একবচন কী? ১
খ. আকাইদ বলতে কী বোঝ? ২
গ. সাদমান কোন বিষয়ের আলোচনা শুনছিল? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. একজন মুসলমানের জীবনে উক্ত বিষয়ের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪
ক আকাইদ শব্দের একবচন হলো আকিদাহ।
খ আকাইদ শব্দটি বহুবচন। এর একবচন হলো আকিদাহ। আকিদাহ অর্থ বিশ্বাস। আর আকাইদ শব্দের অর্থ বিশ্বাসমালা। ইসলামের সর্বপ্রথম বিষয় হলো আকাইদ। ইসলামের মূল বিষয়গুলোর ওপর মনে প্রাণে বিশ্বাস করাকেই আকাইদ বলা হয়।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ আকাইদের বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা কর।
ঘ আদর্শ জীবন গঠনে আকাইদের বিষয়বস্তুর গুরুত্ব অপরিসীম- বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ১১
শ¤ভুপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক জনাব তওহিদুল ইসলাম শিক্ষার্থীদেরকে ওহি সম্পর্কে পড়াচ্ছিলেন। তিনি বললেন, যুগে যুগে বিভ্রান্ত মানুষকে সঠিক পথে আনার জন্য আল্লাহ পৃথিবীতে অনেক নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন।
ক. ওহি অর্থ কী? ১
খ. ওহির প্রকারভেদ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের বিভ্রান্ত মানুষ কারা- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ঐসব বিভ্রান্ত মানুষকে হেদায়াতের রাস্তা দেখাতে আল্লাহর অনুগ্রহ উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ওহি অর্থ ইশারা, ইঙ্গিত, গোপন কথা ইত্যাদি।
খ ওহি প্রধানত দুই প্রকার। যথা-
১. ওহি মাতলু : অর্থাৎ যে ওহি তিলাওয়াত করা হয়। যেমন- কুরআন মাজিদ। কুরআন মাজিদ সালাতে তিলাওয়াত করা হয় বলে একে ওহি মাতলু বলা হয়।
২. ওহি গায়র মাতলু : অর্থাৎ যে ওহি তিলাওয়াত করা হয় না। যেমন- হাদিস শরিফ। হাদিস শরিফ সালাতে তিলাওয়াত করা হয় না। এ জন্য একে ওহি গায়র মাতলু বলে।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ ইসলাম থেকে বিমুখ মানুষদের পরিচিতি ব্যাখ্যা কর।
ঘ নবি রাসুলদের আগমনের কারণ বিশ্লেষণ কর।
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ আকাইদ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : আকাইদ শব্দের অর্থ বিশ্বাসমালা।
প্রশ্ন \ ২ \ তাওহিদ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ।
প্রশ্ন \ ৩ \ শিরক অর্থ কী?
উত্তর : শিরক অর্থ অংশীদার করা, সমকক্ষ মনে করা ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ৪ \ ইমান শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ইমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস।
প্রশ্ন \ ৫ \ আল-আসমাউল হুসনা অর্থ কী?
উত্তর : আল-আসমাউল হুসনা অর্থ সুন্দর নামসমূহ।
প্রশ্ন \ ৬ \ রিসালাত কাকে বলে?
উত্তর : আল্লাহ তাআলার বাণী ও পরিচয় মানুষের নিকট পৌঁছানোর দায়িত্বকে রিসালাত বলে।
প্রশ্ন \ ৭ \ ওহি শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ওহি অর্থ ইঙ্গিত, ইশারা, গোপন কথা ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ৮ \ আখিরাত শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : আখিরাত শব্দের অর্থ পরকাল।
প্রশ্ন \ ৯ \ সিরাত শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : সিরাত শব্দের অর্থ পথ, রাস্তা, পুল, পদ্ধতি ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ১০ \ মিযান শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : মিযান অর্থ দাঁড়িপাল্লা, মানদণ্ড, পরিমাপক যন্ত্র।
প্রশ্ন \ ১১ \ নৈতিকতা কী?
উত্তর : কথাবার্তা, আচার-আচরণে নীতির অনুসরণ করাই নৈতিকতা।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ তাওহিদ কাকে বলে?
উত্তর : তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ। মহান আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে বিশ্বাস করার নামই হলো তাওহিদ। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা এক। তাঁর কোনো শরিক নেই। তিনি স্বয়ংসম্পূর্ণ।
প্রশ্ন \ ২ \ রিসালাতে বিশ্বাস করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর : তাওহিদের প্রতি বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে রিসালাতে বিশ্বাস স্থাপন করা ফরয। তা না হলে ইমান অপূর্ণাঙ্গ থেকে যাবে। যারা নবিগণের প্রতি ইমান আনেনি তাদের সবাই ধ্বংস হয়েছে। তাই রিসালাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা প্রয়োজন।
প্রশ্ন \ ৩ \ ওহি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : ওহি আরবি শব্দ। এর অর্থ ইশারা, ইঙ্গিত, গোপন কথা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায়, মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নবি-রাসুলগণের নিকট প্রেরিত সংবাদ বা বাণীকে ওহি বলা হয়। আল-কুরআন একপ্রকার ওহি।
প্রশ্ন \ ৪ \ “দুনিয়া আখিরাতের শস্যক্ষেত্র” বলতে কী বোঝ?
উত্তর : দুনিয়া আখিরাতের তুলনায় অতি নগণ্য। পরকালের পুঁজি গঠনের একমাত্র স্থান হলো দুনিয়া। হাদিসে আছে, নেক আমলের ওপর ভিত্তি করে জান্নাতের স্তর নির্ধারিত হবে। কাজেই দুনিয়াই হলো আখিরাতের নেক আমল করার স্থান।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ পাঠ ১ : তাওহিদ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. আকাইদ শব্দের একবচন কী? (জ্ঞান)
আকিদাহ খ আকায়েদ
গ আকিদুন ঘ উকদাতুন
২. আকাইদ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক বিশ্বাস বিশ্বাসমালা
গ ইমান ঘ আন্তরিক বিশ্বাস
৩. তাওহিদের বিশ্বাসের ক্ষেত্রে কত জন ইলাহর কথা বলা হয়েছে?
এক খ দুই গ তিন ঘ চার
৪. তাওহিদ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক বিশ্বাস খ পালনকর্তা
একত্ববাদ ঘ সৃষ্টিকর্তা
৫. নবি-রাসুলগণ মানুষকে কী শিক্ষা দিয়েছেন? (জ্ঞান)
তাওহিদ খ ইলম গ রিসালাত ঘ হিকমাত
৬. “লা ইলাহা ইলালাহু” কীসের মূলবাণী? (অনুধাবন)
একত্ববাদের খ রিসালাতের গ পুনরুত্থানের ঘ আখিরাতের
৭. দুনিয়াতে নবি-রাসুল আগমন করেছিলেন কেন?
ক জিহাদ করার জন্য খ নামায প্রতিষ্ঠা করার জন্য
গ বেহেশতের সুসংবাদ দেওয়ার জন্য মানবজাতির হিদায়াতের জন্য
৮. লিটন তথাকথিত এক পীরের মাজারকে সিজদা করেন এবং তার কাছে সাহায্য চান। তার এরূপ কাজ ইসলামের কোন বিশ্বাসের পরিপন্থী? (প্রয়োগ)
ক রিসালাতের তাওহিদের গ আখিরাতের ঘ তাকদিরের
৯. জনাব হালিম আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করেন এবং সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করেন। তার এরূপ আমল ইসলামের কোন বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত? (প্রয়োগ)
ক রিসালাতের খ আখিরাতের তাওহিদের ঘ তাকওয়ার
১০. মান্নান সাহেব আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে বিশ্বাস করেন এবং তার সাথে কাউকে শরিক করেন না। এর ফলে তিনি কী লাভ করবেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক প্রচুর ধন-সম্পদ খ সামাজিক মর্যাদা
আখিরাতে সফলতা ঘ পারিবারিক শান্তি
১১. “যদি পৃথিবী ও আকাশমণ্ডলীতে আলাহ ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহ থাকত তবে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত।” এ আয়াতটি কী প্রমাণ করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক রিসালাত তাওহিদ গ আখিরাত ঘ নবুওয়াত
১২. ইসলামে প্রবেশকারীকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
মুসলিম খ ফেরেশতা গ মুফতি ঘ মুহাদ্দিস
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩. আকাইদ বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. পীর, মাশায়েখ ও ওলিদের ওপর বিশ্বাস
রর. তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতের ওপর বিশ্বাস
ররর. তাকদির ও কিতাবের ওপর বিশ্বাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪. পৃথিবী ও আকাশমণ্ডলীতে আলাহ ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহ থাকলেÑ (অনুধাবন)
র. পৃথিবী ও আকাশমণ্ডলী ধ্বংস হয়ে যেত
রর. একে অপরের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করত
ররর. প্রত্যেক ইলাহ স্বীয় সৃষ্টি নিয়ে পৃথক হয়ে যেত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৫ ও ১৬ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সোহেল গাছপালা, পশু-পাখি, চন্দ্র-সূর্য ইত্যাদির নিকট মাথা নত করে। মূর্তিপূজাও করে। সে বলে পৃথিবীতে যে যাই করুক না কেন সবই আল্লাহর হুকুমে করে থাকে।
১৫. সোহেলের কর্মকাণ্ড কীসের পরিপন্থী? (প্রয়োগ)
ক রিসালাত খ আখিরাত গ জান্নাত তাওহিদ
১৬. এরূপ কাজের ফলে সোহেল (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বিপথগামী হবে
রর. সফলতা লাভ করবে
ররর. শান্তি লাভ করবে
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ২ : তাওহিদ ও নৈতিকতা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৭. তাওহিদ সম্পর্কে কোন সূরা নাযিল হয়? (জ্ঞান)
ক সূরা নাস খ সূরা ফালাক সূরা ইখলাস ঘ সূরা ফাতিহা
১৮. নৈতিকতা কী? (জ্ঞান)
ক নীতিহীনতা খ নীতিবান নীতিমূলক ঘ নীতিভ্রষ্ট
১৯. তাওহিদ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক ইসলামের মূল বিষয়ের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস
মহান আল্লাহর একত্ববাদের স্বীকারোক্তি
গ মহান আল্লাহর অস্তিত্বের প্রতি বিশ্বাস
ঘ আল্লাহ ও রাসুলের (স) প্রতি বিশ্বাস
২০. মানুষকে আত্মমর্যাদাশীল করে তোলে কোনটি? (জ্ঞান)
ক রিসালাত খ ওহি তাওহিদ ঘ আখিরাত
২১. আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন কেন? (অনুধাবন)
ক পৃথিবীতে প্রেরণের জন্য তাঁর ইবাদত করার জন্য
গ ফেরেশতাদের সন্তুষ্ট করার জন্য ঘ আদম (আ.) কে সৃষ্টি করেছেন বলে
২২. ফারিহা আল্লাহ তাআলাকে একক সত্তা হিসেবে বিশ্বাস করেন। পাশাপাশি আল্লাহ তাঁর গুণাবলিতেও যে একক এ বিশ্বাসও রাখেন। তার এরূপ বিশ্বাস কীসের অন্তর্গত? (প্রয়োগ)
ক তাকওয়ার খ রিসালাতের তাওহিদের ঘ তাকদিরের
২৩. রাহুল আল্লাহ তাআলাকে এক বলে স্বীকার করেন না। বরং তিনি একাধিক খোদায় বিশ্বাসী। এরূপ বিশ্বাসের ফলে আখিরাতে তার স্থান কোথায় হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জান্নাতে জাহান্নামে গ আরাফে ঘ বারযাখে
২৪. নৈতিকতার সর্বোত্তম স্তর কী? (জ্ঞান)
ক রাসুলগণের গুণাবলি খ মানুষের গুণাবলি
গ ফেরেশতাগণের গুণাবলি আল্লাহর গুণাবলি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৫. আল্লাহ জিন এবং মানুষ সৃষ্টি করেছেনÑ (অনুধাবন)
র. ইবাদতের জন্য
রর. পৃথিবীতে পাঠানোর জন্য
ররর. পরীক্ষা করার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৬. ইবাদত করলে আল্লাহÑ (অনুধাবন)
র. খুশি হন রর. রহমত দেন ররর. ধন-সম্পদ দেন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৩ : কুফর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৭. কুফর শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক অংশীবাদ অস্বীকার করা গ কপটতা ঘ অনুতপ্ত হওয়া
২৮. আলাহকে অবিশ্বাস করাকে কী বলে? (জ্ঞান)
কুফর খ ইবাদত গ ইমান ঘ তাওহিদ
২৯. যে ব্যক্তি কুফরে লিপ্ত হয় তাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক শিরক খ মুমিন গ বিশ্বাসী কাফির
৩০. কুফর কীসের বিপরীত? (জ্ঞান)
ক তাওহিদের খ আকাইদের ইমানের ঘ শিরকের
৩১. কাফির চরম অকৃতজ্ঞ কেন? (অনুধাবন)
ক চরম ব্যর্থ ও হতাশাগ্রস্ত বলে
খ অত্যন্ত লোভী ও পাপাচারী বলে
আল্লাহর নিয়ামত অস্বীকারকারী বলে
ঘ আল্লাহর নির্দেশ অমান্যকারী বলে
৩২. কুফর বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক আল্লাহকে অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে বিশ্বাস করা
আল্লাহ তাআলা ও ইসলামের মৌলিক বিষয় অবিশ্বাস করা
গ আল্লাহর সাথে অন্য কিছুকে অংশীদার করা
ঘ আল্লাহর বাণী ও পরিচয় মানুষের নিকট পৌঁছানো
৩৩. আনিস সালাত আদায় করলেও যাকাত দিতে অস্বীকার করেন। তার এরূপ আচরণ কীসের শামিল? (প্রয়োগ)
ক নিফাকের খ ফিসকের কুফরের ঘ শিরকের
৩৪. মোজাহার নিয়মিত সালাত আদায় করলেও সুদ-ঘুষকে হালাল মনে করে। এরূপ মনোভাবের কারণে তাকে কী বলা যাবে? (প্রয়োগ)
ক মুশরিক কাফির গ ফাসিক ঘ মুনাফিক
৩৫. বিপ্লব ঘুষকে হালাল মনে করে। ইসলামের দৃষ্টিতে বিপ্লবকে কী বলা হবে? (প্রয়োগ)
ক মুশরিক খ জাহিল কাফির ঘ ফাসিক
৩৬. আবু জেহেল একজন কাফির। পরকালে তার স্থান কোথায় হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জান্নাতে খ পুলসিরাতে জাহান্নামে ঘ আরাফে
৩৭. পাঠ্যবইয়ে কুফরের কুফল ও পরিণতি বোঝাতে আল-কুরআনের কোন সূরার আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে? (জ্ঞান)
আল-বাকারা খ আল-মায়েদাহ গ আল-ইয়াসিন ঘ আর-রহমান
৩৮. কাফিররা জাহান্নামে কত সময় থাকবে? (জ্ঞান)
ক ৭০ হাজার বছর খ ৭০ লক্ষ বছর
গ ৭০ কোটি বছর চিরকাল
৩৯. নৈতিকতা ও মানবিক আদর্শের বিপরীত কোনটি? (জ্ঞান)
কুফর খ শিরক গ বিদয়াত ঘ নিফাক
৪০. রফিক একজন মুসলমান। তিনি গলায় ক্রুশ পরিধান করলেন। তার কাজটি কীসের অন্তর্ভুক্ত ? (জ্ঞান)
ক শিরকের কুফরের গ মুনাফিকির ঘ নাফরমানির
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪১. কুফর বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. আল্লাহ তাআলাকে অস্বীকার করা
রর. ইসলামের মৌলিক ইবাদতকে অস্বীকার করা
ররর. হারাম জিনিসকে হালাল মনে করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪২. জনাব মাহবুব নিয়মিত নামায আদায় করলেও অফিসে বিভিন্ন কাজের বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণ করেন। এরূপ কাজের ফলে তিনি (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সম্মানিত হবেন রর. জাহান্নামি হবেন
ররর. শাস্তি ভোগ করবেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৩ ও ৪৪ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সোহেলের সহপাঠী মিঠু নবি-রাসুল, আসমানি কিতাব, ফেরেশতা, পরকাল ইত্যাদি বিশ্বাস করে না। সোহেল মিঠুকে এর কুফল ও পরিণতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বোঝায়।
৪৩. মিঠুকে কী বলা যায়? (প্রয়োগ)
ক ফাসিক খ জাহিল গ মুনাফিক কাফির
৪৪. মিঠুর এরূপ অবিশ্বাসের ফলে সে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কাফির হয়ে যাবে রর. জাহান্নামের অধিবাসী হবে
ররর. মুনাফিক হয়ে যাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর র ও রর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৪ : শিরক
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৫. শিরক শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
অংশীদার করা খ অবিশ্বাস করা গ অকৃতজ্ঞ হওয়া ঘ অবাধ্য হওয়া
৪৬. যে ব্যক্তি শিরক করে তাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক কাফির খ মুনাফিক মুশরিক ঘ ফাসিক
৪৭. আল্লাহর সাথে অন্যের তুলনা করাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক কুফর খ নিফাক শিরক ঘ বিদআত
৪৮. শিরক প্রধানত কয় প্রকার? (জ্ঞান)
ক দুই তিন গ চার ঘ পাঁচ
৪৯. জঘন্যতম অপরাধ কোনটি? (জ্ঞান)
ক হত্যা করা খ চুরি করা শিরক করা ঘ ডাকাতি করা
৫০. আল-কুরআনের ভাষ্যমতে চরম যুলুম কোনটি? (জ্ঞান)
ক নিফাক খ ফিসক গ কুফর শিরক
৫১. ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ কাকে বলা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক ফেরেশতাদেরকে খ জিনদেরকে
গ নবি-রাসুলদেরকে মানুষকে
৫২. সকল প্রশংসা লাভের প্রকৃত হকদার কে? (জ্ঞান)
ক পিতামাতা খ শিক্ষক আল্লাহ তাআলা ঘ নবি-রাসুল
৫৩. তাওহিদের বিপরীত কী? [পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল]
ক কুফর খ নিফাক শিরক ঘ খিয়ানত
৫৪. ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ কোনটি? (জ্ঞান)
ক হত্যা করা শিরক করা গ মিথ্যা বলা ঘ ব্যভিচার করা
৫৫. আলাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন কেন? (অনুধাবন)
তাঁর ইবাদতের জন্য খ রাজ্য শাসন করার জন্য
গ জীবিকা নির্বাহের জন্য ঘ পৃথিবী আবাদ করার জন্য
৫৬. সুমন ঈসা (আ.)-কে আল্লাহর পুত্র মনে করে। সুমনের এই বিশ্বাসকে কী বলা যায়? (প্রয়োগ)
ক কুফর শিরক গ নিফাক ঘ কিযব
৫৭. লুকমান কবিরাজ অগ্নিপূজা করে। ইসলামের দৃষ্টিতে তাকে কী বলা হবে? (প্রয়োগ)
ক কাফির খ মুমিন মুশরিক ঘ ফাসিক
৫৮. শাহেদ পীরের মাজারকে সিজদা করে। এরূপ কাজের ফলে তার স্থান কোথায় হবে? (উচ্চতর দক্ষতা))
ক জান্নাতে খ বেহেশতে গ আরাফে জাহান্নামে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৯. মহান আল্লাহর সাথে শরিক করা হচ্ছে (অনুধাবন)
র. অকৃতজ্ঞতা রর. জঘন্য অপরাধ
ররর. চরম যুলুম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬০. ইদ্রিস তার পীর সাহেবকে সিজদা করেন। এরূপ কাজের দ্বারা তিনি শিরক করেছেন (প্রয়োগ)
র. আল্লাহর সত্তায় রর. আল্লাহর গুণাবলিতে
ররর. আল্লাহর ইবাদতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬১. নিঃসন্তান জুয়েল পীরের মাজারে গিয়ে সন্তান প্রার্থনা করেন। তার এরূপ কাজের পরিণতি (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জাহান্নামের আগুন রর. জান্নাতের সুখ-শান্তি
ররর. যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬২ ও ৬৩ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নকিব বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল লাভের জন্য গোলাপ শাহের মাজারে যায়। সেখানে সে মাজারকে স্পর্শ করে প্রার্থনা করে। শাহীন বিষয়টি জেনে আপত্তি করল।
৬২. নকিবের কাজটিতে কী ফুটে উঠেছে? (প্রয়োগ)
ক কুফর খ ফিসক গ নিফাক শিরক
৬৩. এরূপ কাজের ফলে নকিব (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পরকালে কঠিন শাস্তি পাবে
রর. পরীক্ষায় ভালো ফলাফল লাভ করবে
ররর. আল্লাহর অসন্তুষ্টি লাভ করবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৫ : ইমান মুফাস্সাল
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৪. ইমানের সর্বপ্রথম বিষয় কী? [ছোলমাইদা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]
আলাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস খ রাসুলের প্রতি বিশ্বাস
গ ইসলামের অনুশাসন মেনে চলা ঘ কিতাবের প্রতি বিশ্বাস
৬৫. ইমান শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
বিশ্বাস খ বিস্তারিত গ মেনে নেয়া ঘ আনুগত্য করা
৬৬. মানবজাতির জন্য আলোকস্বরূপ কোনটি? (জ্ঞান)
ক বিদ্যুৎ খ জোৎস্না গ সূর্য আসমানি কিতাব
৬৭. নবি-রাসুলগণ সকলেই কী প্রচার করতেন? (জ্ঞান)
ক রিসালাত তাওহিদ গ হিকমাত ঘ ইলম
৬৮. পুনরুত্থানের প্রতি বিশ্বাসস্থাপন করা কী? (জ্ঞান)
ইমানের অংশ খ ইসলামের অংশ গ ইবাদতের অংশ ঘ একত্ববাদের অংশ
৬৯. মুফাস্সাল শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক বিশ্বাস বিস্তারিত গ সংক্ষিপ্ত ঘ অদ্বিতীয়
৭০. ইমান মুফাস্সালে কয়টি বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপনের কথা বলা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক তিন খ পাঁচ সাত ঘ নয়
৭১. আল্লাহ, রাসুল, ফেরেশতা, কিতাব ইত্যাদি বিষয়ে বিশ্বাস করাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক তাকওয়া খ ইসলাম গ ইহসান ইমান
৭২. আমরা নবি-রাসুলগণকে কী কারণে বিশ্বাস করব? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক তারা শাফায়াত করবেন বলে খ তারা শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন বলে
তাদের অস্বীকার করলে ইমানের সকল বিষয় অস্বীকার করা হয় বলে
ঘ তারা পথপ্রদর্শক ছিলে বলে
৭৩. ফেরেশতাগণ কীসের তৈরি? (জ্ঞান)
ক আগুনের খ মাটির নূরের ঘ বাতাসের
৭৪. কারা সর্বদা আল্লাহ তাআলার যিকির ও তাসবিহ পাঠে রত থাকেন? (জ্ঞান)
ক ওলি খ সাহাবি গ নবি-রাসুল ফেরেশতা
৭৫. সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ আসমানি কিতাব কোনটি? (জ্ঞান)
ক তাওরাত খ যাবুর আল-কুরআন ঘ ইনজিল
৭৬. তাকদির অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক পুরষ্কার খ প্রতিফল গ প্রতিদান ভাগ্য
৭৭. আখিরাত অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক ধ্বংস খ মৃত্যু পরকাল ঘ বিচার
৭৮. ফেরেশতাদের প্রতি আমাদের ইমান আনতে হবে কেন? (অনুধাবন)
ক তারা নূরের তৈরি বলে খ তাদের সংখ্যা অগণিত বলে
এটি ইমানের অঙ্গ বলে ঘ তারা অত্যন্ত সম্মানিত বলে
৭৯. মৃত্যুর পর জীবের পুনরুত্থান হবে কেন? (অনুধাবন)
বিচারের জন্য খ পুরস্কারের জন্য
গ শাস্তি প্রদানের জন্য ঘ সুখ-শান্তি প্রদানের জন্য
৮০. জনাব শফি ইমানের সবক’টি বিষয়ের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করেছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে তিনি কী? (প্রয়োগ)
ক মুত্তাকি খ মুজাহিদ মুমিন ঘ মুহসিন
৮১. জনাব হালিম একজন মুমিন। ইসলামের সকল বিধিবিধান তিনি সঠিকভাবে পালন করেন। এর ফলে তিনি কী লাভ করবেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ধন-সম্পদ খ দীর্ঘায়ু গ সম্মান জান্নাত
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮২. নবি-রাসুলগণ মানুষকে (অনুধাবন)
র. আল্লাহর পরিচয় দান করেছেন রর. শুধুমাত্র নামায শিখিয়েছেন
ররর. সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখিয়েছেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৩. আবুল খায়ের তাকদিরে বিশ্বাস করেন না। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি একজন (প্রয়োগ)
র. কাফির রর. মুনাফিক ররর. মুশরিক
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৪. আহাদ সাহেব আখিরাতে বিশ্বাস করেন না। আর এজন্য তিনি কোনো ইবাদত এবং সৎকর্মও করেন না। তার স্থান হবে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দোযখে রর. আরাফে ররর. জাহান্নামে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর ররর ঘ র ও রর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৫ ও ৮৬ প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন তাকদিরের প্রতি বিশ্বাস করেন না। তিনি মনে করেন, মানুষ পরিশ্রমের দ্বারা সকল কিছু অর্জন করে থাকে।
৮৫. আকাইদের দৃষ্টিকোণ থেকে আমজাদ হোসেনের ধারণাটি কী? (প্রয়োগ)
ক ফিসক খ যুলুম কুফর ঘ বদী
৮৬. পরিপূর্ণ মুমিন হওয়ার জন্য আমজাদ সাহেবকে বিশ্বাস করতে হবেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. তাকদিরের ভালোমন্দ আলাহর পক্ষ থেকে হয়
রর. মানুষের ভালোমন্দ সহজাত হয়ে থাকে
ররর. মানুষ যা পরিশ্রম করে তাই সে পায়
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৬ : আল-আসমাউল হুসনা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৭. হায়্যুন শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক চিরস্থায়ী চিরঞ্জীব গ মহাপরাক্রমশালী ঘ মহাজ্ঞানী
৮৮. ‘কায়্যুমুন’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
চিরস্থায়ী খ চিরস্মরণীয় গ চিরসজীব ঘ চিরকর্মময়
৮৯. আসমান ও জমিনের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন কে? (জ্ঞান)
ক ফেরেশতা আলাহ তাআলা
গ মানুষ ঘ নিজে নিজে নিয়ন্ত্রিত হয়
৯০. ‘আযিযুন’ অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক প্রিয় খ ক্ষমাশীল মহাপরাক্রমশালী ঘ মহাক্ষমতাশালী
৯১. ‘খাবিরুন’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক জ্ঞানী সম্যক অবহিত গ সংবাদদাতা ঘ প্রচারক
৯২. ‘সাবুরুন’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক হিসাবগ্রহণকারী মহাধৈর্যশীল
গ মহাক্ষমতাশালী ঘ রক্ষাকারী
৯৩. আল-আসমাউল হুসনা বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক মানুষের গুণসমূহকে আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহকে
গ ফেরেশতাদের গুণসমূূহকে ঘ নবি-রাসুলগণের গুণসমূহকে
৯৪. নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলগণের সাথে রয়েছেন কোন সূরার আয়াত? (জ্ঞান)
বাকারার খ ইমরানের গ নিসার ঘ মায়িদার
৯৫. আল্লাহ তাআলা পাপীকে তাৎক্ষণিক শাস্তি দেন না কেন? (অনুধাবন)
তাওবার সুযোগ দেন খ ক্ষমা করে দেন
গ পাপ করার সুযোগ করে দেন ঘ ইবাদত করার সুযোগ দেন
৯৬. মামুন জানেন, আল্লাহ সকল ক্ষমতার উৎস ও মালিক। বিষয়টি আল্লাহর কোন গুণবাচক নামের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
ক আল্লাহু কায়্যুমুন খ আল্লাহু হায়্যুন
আল্লাহু আযিযুন ঘ আল্লাহু খাবিরুন
৯৭. মাসুম ধর্মীয় শিক্ষকের কাছ থেকে আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহ জেনেছে। এতে সেকী অর্জনে উৎসাহী হবে ? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পড়ালেখা খ সামাজিক মর্যাদা
গ নেকি উত্তম গুণাবলি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৮. আসমাউল হুসনা বলতে বোঝায়Ñ (অনুধাবন)
র. নবি-রাসুলগণের মুজিযা রর. আলাহর গুণবাচক নামসমূহ
ররর. আলাহর সুন্দর সুন্দর নামসমূহ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৯. আলাহর গুণবাচক নাম হলোÑ [নড়াইল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. রহমান, রাহিম রর. লাতিফ, খাবির
ররর. হায়্যুন, কায়্যুম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর র, রর ও ররর
১০০. আল-আসমাউল হুসনা দ্বারা আমরা (অনুধাবন)
র. আল্লাহ তাআলাকে চিনতে পারি রর. রাসুল (স.) কে চিনতে পারি
ররর. আল্লাহর গুণাবলির পরিচয় পাই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০১. ‘আল্লাহু কায়্যুমুন’ বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. আল্লাহ চিরস্থায়ী রর. আল্লাহ চিরঞ্জীব
ররর. আল্লাহ চিরবিদ্যমান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১০২ ও ১০৩ প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ফজরের নামাযের পর আজ মেহনাজ পবিত্র কুরআনের সূরা আল ইমরানের ৪নং আয়াতটি তিলাওয়াত করল। যেখানে বলা হয়েছে ‘আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, দণ্ডদানকারী।
১০২. মেহনাজের তিলাওয়াতকৃত আয়াতে মহান আল্লাহর কোন গুণবাচক নামের মিল পাওয়া যায়? (প্রয়োগ)
ক আল্লাহু কায়্যুমুন আল্লাহু আযিযুন গ আল্লাহু খাবিরুন ঘ আল্লাহু সাবুরুন
১০৩. অনুচ্ছেদে মেহনাজ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আল্লাহ তাআলাকে চিনতে পারবে রর. রাসুল (স.) কে জানতে পারবে
ররর. আল্লাহর ক্ষমতা ও গুণাবলির পরিচয় পাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৭ : রিসালাত
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৪. ‘রিসালাত’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
সংবাদবহন খ প্রেরণ
গ পৌঁছানো ঘ দূত
১০৫. আসমানি কিতাব প্রাপ্তদেরকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
রাসুল খ নবি গ ওলি ঘ ফেরেশতা
১০৬. আল্লাহ তাআলার মনোনীত বান্দা কারা? (জ্ঞান)
ক পীর-মাশায়েখ খ ফেরেশতা গ আলিম নবি-রাসুল
১০৭. পৃথিবীর সকল মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কারা? (জ্ঞান)
ক ওলিগণ খ আলিমগণ গ মুজাহিদগণ নবি-রাসুলগণ
১০৮. যিনি রিসালাতের দায়িত্ব পালন করেন তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক আলিম খ মাশায়েখ রাসুল ঘ ইমাম
১০৯. মহান আল্লাহ সকল জাতির নিকট নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন কেন? (অনুধাবন)
ক নামায প্রতিষ্ঠার জন্য খ যাকাত আদায় করার জন্য
সৎপথ প্রদর্শনের জন্য ঘ জিহাদ করার জন্য
১১০. রিসালাত বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক আল্লাহকে অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে বিশ্বাস করাকে
খ আল্লাহ তাআলার সাথে অন্য কিছু অংশীদার করাকে
আল্লাহর বাণী ও পরিচয় মানুষের নিকট পৌঁছানোর দায়িত্বকে
ঘ আল্লাহর পক্ষ থেকে নবি-রাসুলগণের নিকট প্রেরিত বাণীকে
১১১. নবি-রাসুলগণকে আল্লাহর মনোনীত বান্দা বলা হয় কেন? (অনুধাবন)
ক আল্লাহ তাঁদের পুরস্কৃত করেছেন বলে
আল্লাহ তাঁদের নির্বাচিত করেছেন বলে
গ তাঁরা নিষ্পাপ ছিলেন বলে
ঘ তাঁরা সম্মানিত ছিলেন বলে
১১২. ফরিদ আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করলেও রিসালাতে বিশ্বাস করে না। তার এরূপ মনোভাব কীসের পরিপন্থী? (প্রয়োগ)
ক তাওহিদের ইমানের গ আখিরাতের ঘ ইহসানের
১১৩. মোতাহার নবি-রাসুলগণকে নিষ্পাপ হিসেবে স্বীকার করেন না। তাঁর এরূপ আচরণ কীসের অন্তর্ভুক্ত? (প্রয়োগ)
ক শিরকের খ যুলুমের কুফরের ঘ নিফাকের
১১৪. কবির আল্লাহ তাআলাকে বিশ্বাস করলেও রিসালাতকে বিশ্বাস করে না। এর ফলে সে কী হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মুনাফিক হিসেবে খ মুশরিক হিসেবে
কাফির হিসেবে ঘ যালিম হিসেবে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৫. নবি-রাসুলগণ হলেন (অনুধাবন)
র. আল্লাহর মনোনীত বান্দা রর. সকল মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ
ররর. নূরের তৈরি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৬. নবি-রাসুলগণের ওপর বিশ্বাস করা অপরিহার্য। কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. তাঁরা আমাদের নিকট আল্লাহর বাণী নিয়ে এসেছেন
রর. আল্লাহর আদেশ-নিষেধ, বিধিবিধান বর্ণনা করেছেন
ররর. তাঁরা সর্বদা আল্লাহ তাআলার যিকির ও তাসবিহ পাঠে রত থাকেন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৭. সিরাজ আল্লাহকে বিশ্বাস করে, কিন্তু রিসালাতে বিশ্বাস করে না। তার এরূপ বিশ্বাস (প্রয়োগ)
র. ইমানের পরিপন্থী রর. আখিরাতের পরিপন্থী
ররর. তাওহিদের পরিপন্থী
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৮. বশির রিসালাতে বিশ্বাস করে না। এর ফলে সে বিবেচিত হবে একজন (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কাফিররূপে রর. মুনাফিকরূপে ররর. মুশরিকরূপে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১৯ ও ১২০ প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জাহাঙ্গীর সাহেব একজন সৎ লোক। তিনি তাওহিদে বিশ্বাসের সাথে সাথে রিসালাতেও বিশ্বাস করেন। তিনি মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণ করে চলেন।
১১৯. ইসলামের দৃষ্টিতে জাহাঙ্গীর সাহেব কীসের অন্তর্ভুক্ত? (প্রয়োগ)
ক মুনাফিকের খ মুশরিকের মুমিনের ঘ মুহসিনের
১২০. এরূপ বিশ্বাস ও কর্মের ফলে তিনি লাভ করবেন (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আল্লাহর সন্তুষ্টি রর. পিতামাতার সন্তুষ্টি
ররর. পরকালীন মুক্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৮ : ওহি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২১. ‘ওহি’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
গোপন কথা খ প্রেরণকারী গ চিঠি ঘ অবতীর্ণ
১২২. ওহি বহনকারী ফেরেশতার নাম কী? (জ্ঞান)
জিবরাইল (আ.) খ আযরাইল (আ.)
গ মিকাইল (আ.) ঘ ইসরাফিল (আ.)
১২৩. কোন পর্বতে গিয়ে মুসা (আ.) আলাহর সঙ্গে কথা বলেছিলেন?
ক সাঙ্গ পর্বতে খ মারওয়া পর্বতে
তুর পর্বতে ঘ হেরা পর্বতে
১২৪. ওহি প্রধানত কয় প্রকার? (জ্ঞান)
দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
১২৫. ওহির ওপর বিশ্বাসস্থাপন করা কী? (জ্ঞান)
ফরয খ ওয়াজিব গ সুন্নাত ঘ মুস্তাহাব
১২৬. ‘আর তিনি হযরত মুহাম্মদ (স.) মনগড়া কোনো কিছু বলেন না। বরং এটা তো ওহি, যা তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ হয়।’ অনূদিত আয়াতটি কোন সুরার? (জ্ঞান)
ক সূরা লোকমান খ সূরা নাযিয়াত গ সূরা মায়িদা সূরা নাজম
১২৭. মহানবি (স.)-এর বাণী, কাজ ও অনুমোদনকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ফিক্হ খ তাফসির গ শরিয়ত হাদিস
১২৮. ওহি মাতলু বলতে কাকে বোঝায়? (অনুধাবন)
ক হাদিসকে কুরআনকে গ ফিকহকে ঘ উসুলকে
১২৯. ওহি গায়র মাতলু বলতে কাকে বোঝায়? (অনুধাবন)
ক ফিকহকে খ উসুলকে গ কুরআনকে হাদিসকে
১৩০. ওহির জ্ঞান পূর্ণাঙ্গ ও অতুলনীয় কেন? (অনুধাবন)
ক মহানবি (স.)-এর ওপর অবতীর্ণ বলে
আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতারিত বলে
গ ফেরেশতার মাধ্যমে অবতারিত বলে
ঘ সকল মানুষের জন্য অবতীর্ণ বলে
১৩১. মারুফ ইসলামের সকল বিধিবিধানের মূলনীতি জানতে চায়। এজন্য তাকে পাঠ করতে হবেÑ (প্রয়োগ)
কুরআন খ হাদিস গ ফিকহ ঘ উসুল
১৩২. জনাব আহাদ শুধুমাত্র কুরআনকে ওহি বলে বিশ্বাস করেন এবং হাদিসকে অস্বীকার করেন। এর ফলে তিনি কী হিসেবে গণ্য হবেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পূর্ণ ইমানদার খ হিদায়াত প্রাপ্ত
গ মুমিন কাফির
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৩. হাদিস বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. আল্লাহর বাণী
রর. মহানবি (স.)-এর বাণী
ররর. মহানবি (স.)-এর কাজ ও অনুমোদন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর গ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৪. আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে অবতারিত ওহির জ্ঞান (অনুধাবন)
র. পূর্ণাঙ্গ রর. অসম্পূর্ণ ররর. অতুলনীয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩৫ ও ১৩৬ প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নাহিদ তার শ্রেণি শিক্ষকের নিকট ওহি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ওহি মাতলু ও গায়র মাতলু সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝিয়ে দেন।
১৩৫. অনুচ্ছেদে শিক্ষক ওহি গায়র মাতলু বলতে কোনটির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন? (প্রয়োগ)
ক কুরআন হাদিস গ ইজমা ঘ কিয়াস
১৩৬. উক্ত বিষয় পাঠের ফলে নাহিদ লাভ করবে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতের জ্ঞান
রর. আল্লাহর সন্তুষ্টি ও অশেষ নেকি
ররর. সামাজিক মর্যাদা ও খ্যাতি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৯ : আখিরাত
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৭. আখিরাতের ওপর বিশ্বাস রাখা কী? (জ্ঞান)
ক ওয়াজিব খ সুন্নাত গ মুস্তাহাব ফরয
১৩৮. সিরাত অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক সঠিক রাস্তা গ চেহারা ঘ মতামত
১৩৯. মিযান অর্থ কী? (জ্ঞান)
দাড়িপালা খ আরশ গ পরিমাপ করা ঘ ওজন করা
১৪০. আখিরাত অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক ইহকাল পরকাল গ দোযখ ঘ পৃথিবী
১৪১. ফল ভোগের স্থান কোনটি? (জ্ঞান)
ক জাহান্নাম খ জান্নাত আখিরাত ঘ সিরাত
১৪২. সিরাত স্থাপিত হবে কোথায়? (জ্ঞান)
ক জান্নাতের ওপর জাহান্নামের ওপর
গ সাগরের ওপর ঘ শূন্যের ওপর
১৪৩. ‘জাহান্নামের ওপর সিরাত স্থাপিত হবে।’’-অনূদিত হাদিসটি কোন হাদিস গ্রন্থের? (জ্ঞান)
মুসনাদে আহমাদ খ দারেমি
গ মুয়াত্তা মালেক ঘ বুখারি
১৪৪. মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক কিয়ামত খ হাশর গ বারযাখ আখিরাত
১৪৫. কারা আখিরাতে দৃঢ় বিশ্বাস রাখে? (জ্ঞান)
ক মুমিনগণ খ মুসলিমগণ মুত্তাকিগণ ঘ মুজাহিদগণ
১৪৬. আখিরাতের জীবন কীরূপ? (অনুধাবন)
ক ক্ষণস্থায়ী খ নির্দিষ্টকালের অনন্তকালের ঘ দীর্ঘমেয়াদি
১৪৭. আখিরাতকে অনন্তকালের জীবন বলা হয় কেন? (অনুধাবন)
ক শুরু আছে শেষ আছে শুরু আছে শেষ নেই
গ শেষ আছে শুরু নেই ঘ শুরু নেই শেষও নেই
১৪৮. আমরা দুনিয়ায় নেক আমল করব কেন? (অনুধাবন)
ক দুনিয়ার শান্তি ও সফলতার জন্য আখিরাতের শান্তি ও সফলতার জন্য
গ ফেরেশতাদের সন্তুষ্ট করার জন্য ঘ নবি-রাসুলদের সন্তুষ্ট করার জন্য
১৪৯. জনাব হোসেন মনে করেন, দুনিয়ার জীবনই শেষ জীবন। এরপর আর কোনো জীবন নেই। তার এ মনোভাব ইসলামের দৃষ্টিতে কীরূপ? (প্রয়োগ)
ক শিরক কুফর গ ফিসক ঘ নিফাক
১৫০. জনাব জাহাঙ্গীর আখিরাতে বিশ্বাস করেন এবং নেক আমল করেন। এর ফলে তিনি কী লাভ করবেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সিরাত খ বারযাখ জান্নাত ঘ আরাফ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫১. আখিরাতের স্তর হলো- (অনুধাবন)
র. কবর রর. হাশর ররর. সিরাত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৫২. আখিরাতে বিশ্বাস করলে মানুষÑ (অনুধাবন)
র. ভালো কাজ করতে উৎসাহী হয় রর. খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে
ররর. নিজের ইচ্ছামতো কাজ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫৩. কিয়ামতের দিন আলাহ তাআলা ন্যায়বিচারের মানদণ্ড কায়েম করবেনÑ (অনুধাবন)
র. দান-সাদকার মালকে পরিমাপ করতে
রর. যাকাতের মালকে পরিমাপ করতে
ররর. মুমিন ব্যক্তির আমলকে পরিমাপ করতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৫৪ ও ১৫৫ প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মৃত্যুর পর কবরে তিনটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হবে। তারপর হাশরের ময়দানে তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে। এরপর পুলসিরাত পার হতে হবে।
১৫৪. অনুচ্ছেদের সর্বশেষ স্তরটি কেমন হবে? (প্রয়োগ)
সূ² খ পুরান গ আলোকিত ঘ আরামদায়ক
১৫৫. উক্ত স্তর পার হলে মানুষ লাভ করবে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. চিরস্থায়ী জান্নাত রর. বারযাখের সুখ ররর. অশেষ নিয়ামত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর