সপ্তম শ্রেণির ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় কুরআন ও হাদিস শিক্ষা

তৃতীয় অধ্যায় কুরআন ও হাদিস শিক্ষা

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন- ১ 
নাবিহা প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করে। মেয়ের তিলাওয়াত শোনার জন্য বাবা মাওলানা আহমাদ সাহেব নাবিহার কাছে বসলেন। নাবিহা তিলাওয়াত শুরু করল। এবার তিলাওয়াতের সময়ে م (মিম) চিহ্নে বিরতি দেয় নি, (ফিহা) তিলাওয়াতের সময়ে ف বর্ণ এবং ﮪ বর্ণ দীর্ঘ করে পড়েনি। মেয়েকে উদ্দেশ্য করে নাবিহার বাবা বললেন, কুরআন মজিদ সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ আসমানি গ্রন্থ। এর সংরক্ষণ ও সংকলন নির্ভুল ও সন্দেহাতীত পন্থায় হয়েছে। তাই এর তিলাওয়াতও নির্ভুল হওয়া আবশ্যক।
ক. ‘মাখরাজ’ শব্দের অর্থ কী?
খ. তাজবিদ বলতে কী বোঝায়?
গ. নাবিহা দ্বিতীয় পর্যায়ে কোন বিষয়টি ত্যাগ করেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.মাওলানা আহমাদ সাহেব মেয়ে নাবিহাকে যে বিষয়টির প্রতি তাগিদ দিয়েছেন তার গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।

ক মাখরাজ শব্দের অর্থ বের হওয়ার স্থান।
খ তাজবিদ আরবি শব্দ। এর অর্থ সুন্দর করা, বিন্যস্ত করা, সুন্দর করে সাজানো ইত্যাদি। আর ইসলামি পরিভাষায় আল-কুরআনকে শুব্ধভাবে, সুন্দর সুরে পাঠ করাকে তাজবিদ বলা হয়।
গ উদ্দীপকের নাবিহা তার তিলাওয়াতের দ্বিতীয় পর্যায়ে মাদ্দকে ত্যাগ করেছে। মাদ্দের হরফের ডান দিকের হরকতযুক্ত হরফ লম্বা করে পড়াকে মাদ্দ বলা হয়। তিলাওয়াতের সময় মাদ্দÐএর হরফে দীর্ঘ করে না পড়লে অর্থের পরিবর্তন হয়ে যাবে। এতে গুনাহ হবে। উদ্দীপকের নাবিহা, (ফিহা) তিলাওয়াতের সময়ে ف বর্ণ এবং ﮪ বর্ণ দীর্ঘ করে পড়েনি। তাই তার তিলাওয়াতও শুদ্ধ হয়নি। শুদ্ধ হওয়ার জন্য এ দুটি বর্ণে যে মাদ্দÐএর হরফ ‘ﺍ’ (আলিফ) ও ‘ﻯ’ (ইয়া) ছিল তা দীর্ঘ করে পড়লে তিলাওয়াত শুদ্ধ হতো। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনায় নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, উদ্দীপকের নাবিহা তার তিলাওয়াতের দ্বিতীয় পর্যায়ে মাদ্দকে ত্যাগ করেছে।
ঘ উদ্দীপকের মাওলানা আহমাদ সাহেব মেয়ে নাবিহাকে তাজবিদ অনুযায়ী শুদ্ধ ও সুন্দরভাবে কুরআন তিলাওয়াতের প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। কুরআন শুদ্ধ ও সুন্দরভাবে তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনেক ফযিলত লাভ করা যায়। এজন্য তাজবিদ অনুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত করা অত্যাবশ্যক। তাজবিদ সহকারে কুরআন পড়া আল্লাহ তাআলার নির্দেশ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেছেন, ‘আপনি কুরআন আবৃত্তি করুন ধীরে ধীরে ও সুস্পষ্টভাবে।’ তাজবিদ না জেনে কুরআন পাঠ করলে তা শুদ্ধ হয় না। আর কুরআন পাঠ শুদ্ধ না হলে নামাযও সঠিকভাবে আদায় হয় না। তাছাড়া এরূপ তিলাওয়াতকারী কোনো সাওয়াব লাভ করবে না বরং গুনাহগার হবে। তাই উদ্দীপকের মাওলানা আহমাদ সাহেব মেয়ে নাবিহাকে তাজবিদ অনুযায়ী শুদ্ধ ও সুন্দরভাবে কুরআন তিলাওয়াতের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।
প্রশ্ন- ২ 
আকরাম সাহেব একজন বিশিষ্ট সমাজপতি। একদিন তাঁর অসুস্থ প্রতিবেশী মনির মিয়া চিকিৎসার জন্য কিছু সাহায্য চাইলে তিনি তাকে তাড়িয়ে দেন। অপরদিকে আকরাম সাহেবের বন্ধু আফজাল সাহেব তার অসহায় ফুফার মেয়ের বিবাহের যাবতীয় খরচ বহন করেন।
ক. বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ কয়টি?
খ. ‘মানবপ্রেম একটি মহৎগুণ’ ব্যাখ্যা কর।
গ. সাহায্যপ্রার্থী মনির মিয়ার প্রতি আকরাম সাহেবের আচরণে কী লঙ্ঘিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.‘আফজাল সাহেব তাঁর কাজের জন্য জান্নাত লাভ করতে পারেন’ বিশ্লেষণ কর।

ক বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ ছয়টি।
খ ধনী, গরিব, সাদা, কালো, সুস্থ, অসুস্থ, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সব রকমের লোকদের নিয়েই আমাদের সমাজ। সকলের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা না থাকলে কোনো সমাজ উন্নতি লাভ করতে পারে না। আর এজন্য প্রয়োজন মানুষের প্রতি প্রীতি, দয়ামায়া ও ভালোবাসা। মানুষের প্রতি এ প্রেম একটি মহৎ গুণ।
গ সাহায্যপ্রার্থী মনির মিয়ার প্রতি আকরাম সাহেবের আচরণে প্রতিবেশীর হক বা অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। প্রতিবেশীর সাথে উত্তম ব্যবহার করা, অসুখেবিসুখে তাদের খোঁজখবর নেয়া, তাদের মঙ্গল কামনা করা, দোষত্র“টি খুঁজে না বেড়ানো একজন সৎ প্রতিবেশীর অবশ্য কর্তব্য। উদ্দীপকেও আমরা দেখতে পাই যে, আকরাম সাহেব একজন বিশিষ্ট সমাজপতি। একদিন তাঁর অসুস্থ প্রতিবেশী মনির মিয়া চিকিৎসার জন্য কিছু সাহায্য চাইলে তিনি তাকে তাড়িয়ে দেন। উপরোলি­খিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, উদ্দীপকের সাহায্যপ্রার্থী মনির মিয়ার প্রতি আকরাম সাহেবের আচরণে প্রতিবেশীর হক বা অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
ঘ ‘আফজাল সাহেব তার কাজের জন্য জান্নাত লাভ করতে পারেন।’ আমরা জানি, পরোপকার আল­াহ তাআলার একটি বড় গুণ। যে ব্যক্তি পরোপকার করে আল­াহ তাআলা তাকে ভালোবাসেন। পরোপকারী ব্যক্তি আল­াহর রহমত লাভ করেন। আল­াহ বলেন, তোমরা সৎকর্ম ও পরোপকার কর। নিশ্চয়ই আল­াহ সৎকর্মশীল ও পরোপকারীদের ভালোবাসেন। মহানবি (স) বলেন, “যারা পৃথিবীতে আছে, তাদের প্রতি তোমরা দয়া কর। তাহলে যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।” উদ্দীপকে দেখা যায়, আকরাম সাহেবের প্রকৃত বন্ধু আফজাল সাহেব তার অসহায় ফুফার মেয়ের বিবাহের যাবতীয় খরচ বহন করেছেন। অতএব একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, আফজাল সাহেব তার কাজের জন্য পরকালে জান্নাত লাভ করতে পারেন।
প্রশ্ন- ১ 

ওআইসি সম্মেলনে ডক্টর আলি জুমা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, মানুষের হিদায়াতের মূল সনদ আল্লাহর পাঠানো একটি কিতাব। এটি অপরিবর্তনীয় অবস্থায় রয়েছে। কারণ এটির সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহই নিয়েছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুর বর্ণনা এটিতে সন্নিবেশিত হয়েছে। এজন্য এটি সর্বশ্রেষ্ঠ। অতঃপর ডক্টর আলী জুমা তার বক্তব্য শেষ করেন।
ক. কে পবিত্র কুরআনের সংরক্ষক? ১
খ. হযরত উসমান (রা.) কে ‘জামিউল কুরআন’ বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ডক্টর আলি জুমা কোন কিতাব সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.পবিত্র কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কিত ডক্টর আলী জুমার বক্তব্যটিকে তুমি কি সমর্থন কর? মতামত দাও। ৪

ক আল্লাহ তাআলা স্বয়ং পবিত্র কুরআনের সংরক্ষক।
খ হযরত উসমান (রা.)-এর খিলাফতকালে ইসলামি সাম্রাজ্যের বিশাল বিস্তৃতির ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে কুরআনের পাঠরীতি নিয়ে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দেয়। এমতাবস্থায় হযরত উসমান (রা.) বিশিষ্ট সাহাবিগণের সাথে পরামর্শ করে আল-কুরআনের একক ও প্রামান্য পাঠরীতি প্রচারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ অসামান্য অবদানের জন্য হযরত উসমান (রা.)-কে ‘জামিউল কুরআন’ কুরআন একত্রকারী বলা হয়।
গ উদ্দীপকে ডক্টর আলি জুমা আল্লাহর কিতাব পবিত্র কুরআন সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছেন। পবিত্র কুরআন এটি দীর্ঘ তেইশ বছরে অল্প অল্প করে অবস্থার আলোকে প্রয়োজন ও ঘটনার প্রেক্ষিতে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর ওপর নাযিল হয়। উদ্দীপকেও আমরা দেখতে পাই যে, ওআইসি সম্মেলনে ডক্টর আলি জুমা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, মানুষের হিদায়াতের মূল সনদ আল্লাহর পাঠানো একটি কিতাব। এটি অপরিবর্তনীয় অবস্থায় রয়েছে। কারণ এটির সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহই নিয়েছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুর বর্ণনা এটিতে সন্নিবেশিত হয়েছে। এজন্য এটি সর্বশ্রেষ্ঠ। অতঃপর ডক্টর আলি জুমা তার বক্তব্য শেষ করেন। সুতরাং, একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, উদ্দীপকে ডক্টর আলি জুমা আল্লাহর কিতাব পবিত্র কুরআন সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছেন।
ঘ পবিত্র কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কিত ডক্টর আলি জুমার বক্তব্যটিকে আমি সমর্থন করি। কারণ আমার মতে আল-কুরআন নাযিল হয় সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর ওপর। তাই আল-কুরআন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি গ্রন্থ। কারণ কিয়ামত পর্যন্ত সমগ্র মানব জাতির জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার সবকিছুর বর্ণনা কুরআনে রয়েছে। আর তাই কুরআন সর্বজনীন গ্রন্থ। অন্যদিকে কুরআন নাযিল হওয়ার পর থেকে এর একটি হরকত বা নুকতারও পরিবর্তন হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবার সুযোগ নেই। উদ্দীপক পাঠেও ডক্টর আলি জুমা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, এতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুর বর্ণনা এটিতে সন্নিবেশিত হয়েছে। এজন্য এটি সর্বশ্রেষ্ঠ। সুতরাং পবিত্র কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কিত ডক্টর আলি জুমার বক্তব্যটি সঠিক ও যুক্তিসম্মত বলে আমি মনে করি।
প্রশ্ন- ২ 
শফিক ও করিম দুই বন্ধু। দুজনেই নিয়মিত নামায আদায় ও কুরআন তিলাওয়াত করে। একদিন শফিক করিমের তিলাওয়াত শুনে বলল, তোমার তিলাওয়াত শুদ্ধ নয়। শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করলে প্রতি হরফে দশ নেকি পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “কুরআন আবৃত্তি করুন ধীরে ধীরে ও সুস্পষ্টভাবে।”
ক. তাজবিদ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. কুরআন শরিফ কেন তাজবিদসহ পাঠ করতে হয়? ২
গ. উদ্দীপকে শফিক কোন বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত আয়াতটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪

ক তাজবিদ অর্থ বিন্যাস করা, সাজানো ও সুন্দর করা।
খ কুরআন শরিফ তাজবিদসহ পাঠ করা ফরয। কেননা তাজবিদের সঙ্গে কুরআন পাঠ করা আল­াহর নির্দেশ। তাছাড়া কুরআন শরিফ তাজবিদসহ পাঠ না করলে অর্থের বিকৃতি ঘটে এবং গুনাহগার হতে হবে। তাই কুরআন শরিফ তাজবিদসহ পাঠ করতে হবে।
গ উদ্দীপকে শফিক তাজবিদ অনুযায়ী কুরআন তিলাওয়াতের প্রতি ইঙ্গিত করেছে। আমরা জানি, তাজবিদ অনুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত করা ফরয। আর কুরআন পাঠ শুদ্ধ না হলে নামায সঠিকভাবে আদায় হয় না। এরূপ তিলাওয়াতকারীকে গুনাহগার হতে হয়। উদ্দীপকে আমরা দেখি যে, একদিন শফিক করিমের তিলাওয়াত শুনে বলল, তোমার তিলাওয়াত শুদ্ধ নয়। শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করলে প্রতি হরফে দশ নেকি পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “কুরআন আবৃত্তি করুন ধীরে ধীরে ও সুস্পষ্টভাবে।” সুতরাং উদ্দীপকে শফিক করিমকে তাজবিদ সহকারে কুরআন তিলাওয়াতের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।
ঘ ‘আপনি কুরআন আবৃত্তি করুন ধীরে ধীরে ও স্পষ্টভাবে।’ উদ্দীপকে উল্লিখিত আয়াতটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা শুদ্ধ ও সুন্দরভাবে কুরআন তিলাওয়াত না করলে ফযিলত লাভ করা যায় না। তাজবিদ না জেনে কুরআন পাঠ করলে তা শুদ্ধ হয় না। আল-কুরআন পাঠ শুদ্ধ না হলে নামায যেমন সঠিকভাবে আদায় হয় না, তেমনি এরূপ তিলাওয়াতকারী কোনো সাওয়াব লাভ করবে না বরং গোনাহগার হবে। উদ্দীপকে আমরা দেখি, একদিন শফিক করিমের তিলাওয়াত শুনে বলল, তোমার তিলাওয়াত শুদ্ধ নয়। শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করলে প্রতি হরফে দশ নেকি পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “কুরআন আবৃত্তি করুন ধীরে ধীরে ও সুস্পষ্টভাবে।” কাজেই পরিশেষে বলা যায়, নিঃসন্দেহে এ আয়াতটি তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রশ্ন- ৩ 
রাজিব ইমাম সাহেবকে কুরআন তিলাওয়াত করে শুনাচ্ছিলেন। তার তিলাওয়াত শুদ্ধ ও সুন্দর না হওয়ায় ইমাম সাহেব তাকে বললেন, কুরআন শরিফ তিলাওয়াতের সময় কখনো কম টেনে আবার কখনো বেশি টেনে পড়তে হয়। নির্দিষ্ট জায়গায় থামতে হয়। এসব নিয়ম মেনে কুরআন তিলাওয়াত করলে তিলাওয়াত শুদ্ধ হয়।
ক. মাদ্দ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. আইয়ামে জাহেলিয়া বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ইমাম সাহেব রাজিবকে কোন বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর ইমাম সাহেব রাজিবকে যে বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম? মতামত দাও। ৪

ক মাদ্দ শব্দের অর্থ দীর্ঘ করা, লম্বা করা।
খ আইয়ামে জাহেলিয়া অর্থ অজ্ঞতার যুগ। মহানবি (স.)-এর জন্মের সময় গোটা আরব ছিল অজ্ঞতা ও বর্বরতায় আচ্ছন্ন। আরবরা নানা মূর্তির পূজা করত। নানারূপ অন্যায় ও অশ্লীল কাজ করত। এজন্য ঐতিহাসিকগণ সে সময়কে ‘আইয়ামে জাহেলিয়া’ নামে আখ্যায়িত করেন।
গ ইমাম সাহেব রাজিবকে মাদ্দের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। তাজবিদের পরিভাষায় মাদ্দের হরফের ডানদিকের হরকতযুক্ত হরফ লম্বা করে পড়াকে মাদ্দ বলা হয়। আরবি হরফ আলিফ (١) এর পূর্বের হরফ যবর ( ) থাকলে, ওয়াও ( )-এর ওপর জযম ( ) এবং তার ডান পাশের হরফে পেশ ( ) থাকলে, ইয়া (ۑ) -এর ওপর জযম ( ) এবং এর ডান পাশের অক্ষরে যের ( ) থাকলে এ তিনটি হরফ মাদ্দের হরফ হিসেবে গণ্য হয়। ফলে এর পূর্বের অক্ষর এক আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হয়। এটাই তাজবিদের নিয়ম। এ নিয়ম মেনে কুরআন তিলাওয়াত করলে তিলাওয়াত শুদ্ধ ও সুন্দর হয়। উদ্দীপকেও দেখা যায়, ইমাম সাহেব রাজিবকে বললেন, কুরআন শরিফ তিলাওয়াতের সময় কখনো কম টেনে আবার কখনো বেশি টেনে পড়তে হয়। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, ইমাম সাহেব জনাব রাজিবকে মাদ্দের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।
ঘ আমি মনে করি ইমাম সাহেব রাজিবকে যে বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমরা জানি মাদ্দের নিয়ম অনুসরণ করার কারণে কুরআন শরিফ কখনো কম টেনে আবার কখনো বেশি টেনে পড়তে হয়। টেনে না পড়লে পাঠ শুদ্ধ হয়না, আর শুদ্ধ না হলে নামায সঠিকভাবে আদায় হয় না। এবং গুনাহগার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। উদ্দীপকে দেখা যায় যে, ইমাম সাহেব রাজিবকে বললেন, কুরআন শরিফ তিলাওয়াতের সময় কখনো কম টেনে আবার কখনো বেশি টেনে পড়তে হয়। নির্দিষ্ট জায়গায় থামতে হয়। এসব নিয়ম মেনে কুরআন তিলাওয়াত করলে তিলাওয়াত শুদ্ধ হয়। সুতরাং আমি মনে করি ইমাম সাহেব রাজিবকে যে বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
প্রশ্ন- ৪ 
জেসমিনের তিলাওয়াত শোনার জন্য তার বাবা তার কাছে বসলেন। জেসমিন তিলাওয়াত শুরু করল। সে তিলাওয়াতের সময়ে ‘ﻢ’ মিম চিহ্নে বিরতি দেয়নি। এ সময় তার বাবা বললেন, তিলাওয়াতের সময় প্রয়োজন অনুসারে বিরতি দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ক. মাদ্দ প্রধানত কয় প্রকার? ১
খ. নাযিরা তিলাওয়াত বলতে কী বোঝায়? ২
গ. জেসমিনের কুরআন তিলাওয়াতে কোনটি লঙ্ঘিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.জেসমিনের তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে জেসমিনের পিতার দিক নির্দেশনার গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪

ক মাদ্দ প্রধানত দুই প্রকার।
খ পবিত্র কুরআন মুখস্থ তিলাওয়াত করা যায়। আবার দেখেও পাঠ করা যায়। দেখে দেখে তিলাওয়াত করাকে নাযিরা তিলাওয়াত বলে। নাযিরা তিলাওয়াত একটি উত্তম ইবাদত।
গ জেসমিনের কুরআন তিলাওয়াতে ‘ওয়াক্ফ লাযিম’ লঙ্ঘিত হয়েছে। তিলাওয়াতের সময়ও একশ্বাসে পুরো তিলাওয়াত করা সম্ভব নয়। এজন্য আয়াতের মধ্যে থামতে হয়। আয়াতের মধ্যে এরূপ বিরতি নেওয়াই ওয়াক্ফ। আর এজন্য আল-কুরআনে ওয়াকফের নানা রকম চিহ্ন দেওয়া আছে। আল-কুরআনে م (মীম) চিহ্নিত স্থানে ওয়াকফ করা অত্যাবশ্যক। একে ওয়াকফে লাযিম বলে। এতে ওয়াকফ না করলে আয়াতের অর্থ বিকৃত হয়ে যেতে পারে। উদ্দীপকে আমরা দেখি, জেসমিন তিলাওয়াতের সময়ে ‘ﻢ’ মিম চিহ্নে বিরতি দেয়নি। সুতরাং বলা যায়, জেসমিনের কুরআন তিলাওয়াতে ওয়াকফে লাযিম লঙ্ঘিত হয়েছে।
ঘ “তিলাওয়াতের সময় প্রয়োজন অনুসারে বিরতি দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ”Ñ উদ্দীপকে জেসমিনের পিতা তাকে এই দিক নির্দেশনা দেন। তিলাওয়াতের সময়ও একশ্বাসে পুরো তিলাওয়াত করা সম্ভব নয়। এজন্য আয়াতের মধ্যে থামতে হয়। আয়াতের মধ্যে এরূপ বিরতি নেওয়াই ওয়াকফ। তবে তিলাওয়াতকালে যেখানে ইচ্ছা সেখানে থামা যাবে না। তাতে একদিকে যেমন কুরআন তিলাওয়াতের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। তেমনি অনেক সময় অর্থেরও পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই নির্ধারিত স্থানে ওয়াক্ফ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদ্দীপকেও আমরা দেখি, জেসমিনের তিলাওয়াত শোনার জন্য তার বাবা তার কাছে বসলেন। জেসমিনের তিলাওয়াত শুরু করল। সে তিলাওয়াতের সময়ে ‘ﻢ’ মিম চিহ্নে বিরতি দেয়নি। সুতরাং উপরিউক্ত পর্যালোচনার শেষে বলা যায় যে, জেসমিনের পিতার দিক নির্দেশনাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন- ৫ 
নকিব সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ধর্মীয় শিক্ষক সোলায়মান সাহেব ক্লাসে কুরআন পাঠ শিখান। নকিব কুরআন মাজিদ শুদ্ধভাবে পড়তে পারে। শিক্ষক বলেন, কুরআন পাঠ হলো উত্তম ইবাদত। তাই নকিব প্রতিদিন সকালে দেখে দেখে কুরআন পাঠ করে।
ক. আল-কুরআন সম্পূর্ণ অবতীর্ণ হতে কত বছর সময় লাগে? ১
খ. ওয়াক্ফ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. নকিবের এরূপ তিলাওয়াত কীসের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.নকিবের এরূপ তিলাওয়াতের ফলে অসংখ্য ফযিলত লাভ করবে- মতামত দাও। ৪

ক আল-কুরআন সম্পূর্ণ অবতীর্ণ হতে ২৩ বছর সময় লাগে।
খ ওয়াকফ আরবি শব্দ। এর অর্থ বিরতি দেওয়া, থামা, স্থগিত রাখা ইত্যাদি। তাজবিদের পরিভাষায় তিলাওয়াতের মধ্যে প্রয়োজন অনুসারে বিরতি দেওয়াকে ওয়াক্ফ বলে।
গ নকিবের কুরআন তিলাওয়াত নাযিরা তিলাওয়াতের অন্তর্ভুক্ত। আল-কুরআন দেখে দেখে তিলাওয়াত করাকে নাযিরা তিলাওয়াত বলে। কুরআন মজিদ মুখস্থ তিলাওয়াত করা যায়। আবার দেখেও তিলাওয়াত করা যায়। তবে মুখস্থের চেয়ে দেখে তিলাওয়াতে অধিক সাওয়াব অর্জিত হয়। আর দেখে তিলাওয়াতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে। উদ্দীপকে নকিব শিক্ষকের কাছ থেকে শুদ্ধভাবে কুরআন পাঠ শিখে প্রতিদিন সকালে দেখে দেখে তিলাওয়াত করে, যা নাযিরা তিলাওয়াতের অন্তভর্‚ক্ত।
ঘ আমি মনে করি নকিবের এরূপ তিলাওয়াতের ফলে অসংখ্য ফযিলত লাভ করবে। কেননা কুরআন তিলাওয়াতের ফযিলত অনেক। মহানবি (স.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে নিজে কুরআন শিখে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়।’ আল­াহ রাব্বুল আলামিন কুরআন তিলাওয়াতকারীকে আখিরাতে অত্যধিক সম্মান ও মর্যাদা দান করবেন। উদ্দীপকের ধর্মীয় শিক্ষক বলেন, কুরআন পাঠ হলো উত্তম ইবাদত। তাই নকিব প্রতিদিন সকালে দেখে দেখে কুরআন পাঠ করে। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায়, নফল ইবাদতের মধ্যে কুরআন তিলাওয়াত হলো সর্বোত্তম ইবাদত। আর নকিবের এরূপ তিলাওয়াতের ফলে অসংখ্য ফযিলত লাভ করবে বলে আমি মনে করি।
প্রশ্ন- ৬ 
আঃ বাকী ও আঃ হাই ক্বারী সাহেবের কাছে কুরআন শিক্ষা করে। ক্বারী সাহেব তাদের অর্থসহ সূরা শেখান। আজ তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা প্রসঙ্গে বললেন, বর্বর আরব সমাজ আল­াহর প্রতি বড়ই অকৃতজ্ঞ ছিল। দুনিয়ার ধনসম্পদের প্রতি তারা প্রবলভাবে আসক্ত ছিল। তাদের সতর্ক করে এ সূরায় আল­াহ বলেন, ‘কবর থেকে সবাইকে উত্থিত হতে হবে।’
ক. ‘শাদীদুন’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. সকল অন্যায় ত্যাগ করে সৎপথে জীবনযাপন করা উচিত কেন? ২
গ. উদ্দীপকের ক্বারী সাহেব কোন গুরুত্বপূর্ণ সূরাটির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত আয়াতের আলোকে আখিরাতের পুনরুত্থান বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘শাদীদুন’ শব্দের অর্থ কঠোর, কঠিন, প্রবল।
খ আমাদের সকলকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে। অতঃপর কিয়ামতের দিন হাশরের ময়দানে আমাদের দুনিয়াবি সকল কাজের হিসাব দিতে হবে। বিচারের পর সকল অন্যায় অপকর্মের জন্য আমাদেরকে শাস্তি পেতে হবে। এজন্যই সকল অন্যায় ত্যাগ করে আমাদের সৎপথে জীবনযাপন করা উচিত।
গ উদ্দীপকে ক্বারী সাহেব পবিত্র কুরআনের সূরা আল-আদিয়াতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। সূরা আল-আদিয়াত পবিত্র কুরআনের ১০০ তম সূরা। গুরুত্বপূর্ণ এ সূরাটি তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত। উদ্দীপকে আমরা দেখি যে, আঃ বাকী ও আঃ হাই ক্বারী সাহেবের কাছে কুরআন শিক্ষা করে। আজ তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা প্রসঙ্গে বললেন, বর্বর আরব সমাজ আল­াহর প্রতি বড়ই অকৃতজ্ঞ ছিল। দুনিয়ার ধনসম্পদের প্রতি তারা প্রবলভাবে আসক্ত ছিল। তাদের সতর্ক করে এ সূরায় আল­াহ বলেন, কবর থেকে সবাইকে উত্থিত হতে হবে । কাজেই বলা যায় যে, উদ্দীপকের ক্বারী সাহেব পবিত্র কুরআনের সূরা আল-আদিয়াতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন।
ঘ ‘কবরে যা আছে উত্থিত হবে’ Ñ উদ্দীপকে উল্লিখিত আয়াতটি আখিরাতের পুনরুত্থান সম্পর্কে অত্যন্ত যথাযথ। আমরা জানি, মৃত্যুর পর আল­াহ তাআলা অবশ্যই মানুষদের জীবিত অবস্থায় কবর থেকে উত্থিত করবেন। প্রত্যেককে নিজ নিজ কর্মের জন্য প্রতিদান দিবেন। উদ্দীপকে আমরা দেখি, আঃ বাকী ও আঃ হাই ক্বারী সাহেবের কাছে কুরআন শিক্ষা করে। ক্বারী সাহেব তাদের অর্থসহ সূরা শেখান। আজ তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা প্রসঙ্গে বললেন, বর্বর আরব সমাজ আল­াহর প্রতি বড়ই অকৃতজ্ঞ ছিল। দুনিয়ার ধনসম্পদের প্রতি তারা প্রবলভাবে আসক্ত ছিল। তাদের সতর্ক করে এ সূরায় আল­াহ বলেন, কবর থেকে সবাইকে উত্থিত হতে হবে। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, কবরে যা আছে উত্থিত হবে । উক্তটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৭ 
রতন ও রফিক একই বিদ্যালয়ে পড়ে। একদিন তারা পৃথিবীর সৃষ্টি ও ধ্বংস নিয়ে আলোচনা করছিল। এক পর্যায়ে রতন বলল, পৃথিবী কোনোদিন ধ্বংস হবে না। কিন্তু রফিক তার কথা মেনে নিতে পারল না। অবশেষে তারা উভয়ই ধর্মীয় শিক্ষকের নিকট গিয়ে এ বিষয়ে সঠিক তথ্যটি জানতে চাইলে শিক্ষক বললেন, ‘একদিন আল্লাহ তাআলা সমগ্র পৃথিবী ধ্বংস করে দিবেন। সেদিন শুধুমাত্র আল্লাহই অবশিষ্ট থাকবেন।’ কিন্তু শিক্ষকের বক্তব্যের ওপর রতন বিশ্বাস রাখতে পারেনি।
ক. ‘নারুন’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. সূরা আল-কারিআহর এরূপ নামকরণ করা হয়েছে কেন? ২
গ. রতনের মনোভাব পবিত্র কুরআনের কোন সূরার শিক্ষার পরিপন্থী? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘সেদিন শুধুমাত্র আল্লাহই অবশিষ্ট থাকবেন’Ñ শিক্ষকের এ উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪

ক ‘নারুন’ শব্দের অর্থ আগুন।
খ কারিআহ অর্থ সজোরে আঘাতকারী। কিয়ামত বা মহাপ্রলয় পৃথিবীকে সজোরে আঘাত করবে বলে একে কারিআহ বলা হয়। এ সূরায় কিয়ামতের নানা অবস্থার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এজন্য এ সূরার নামকরণ করা হয়েছে আল-কারিআহ বা মহাপ্রলয়।
গ রতনের মনোভাব পবিত্র কুরআনের সূরা আল্-কারিআহর শিক্ষার পরিপন্থী।
এ দুনিয়ার জীবন ও দুনিয়া উভয়ই ক্ষণস্থায়ী। মহাপ্রলয়ের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা গোটা দুনিয়া ও সৃষ্টিজগৎ ধ্বংস করে দেবেন। সেদিন আল্লাহ ব্যতীত পৃথিবীর কোনো কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, রতন বলল, পৃথিবী কোনোদিন ধ্বংস হবে না। কিন্তু রফিক তার কথাটি মেনে নিতে পারল না। অবশেষে তারা উভয়ই ধর্মীয় শিক্ষকের নিকট গিয়ে এ বিষয়ে সঠিক তথ্যটি জানতে চাইলে শিক্ষক বললেন, ‘একদিন আল্লাহ তাআলা সমগ্র পৃথিবী ধ্বংস করে দিবেন। সেদিন শুধুমাত্র আল্লাহই অবশিষ্ট থাকবেন’। কিন্তু শিক্ষকের বক্তব্যের ওপর রতন বিশ্বাস রাখতে পারে নি। সুতরাং নির্দ্ধিধায় বলা যায় যে, রতনের মনোভাব পবিত্র কুরআনের সূরা আল্ কারিআহর শিক্ষার পরিপন্থী।
ঘ ‘সেদিন শুধুমাত্র আল্লাহই অবশিষ্ট থাকবেন’Ñ উল্লিখিত শিক্ষকের এ উক্তিটি যথার্থ। কারণ কিয়ামতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা সমগ্র পৃথিবী ধ্বংস করবেন। সেদিন এ পৃথিবীর কোনো কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। বড় বড় পাহাড় পর্বত সেদিন ধুনিত পশমের ন্যায় উড়তে থাকবে। মানুষ কীটপতঙ্গের ন্যায় বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে। আসমান, জমিন, সাগর, নদী, বন-জঙ্গল সবকিছুই সেদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। সেদিন শুধু আল্লাহ তাআলা থাকবেন। তিনি ব্যতীত সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে। উদ্দীপকের ধর্মীয় শিক্ষক বলেন, একদিন আল্লাহ তাআলা সমস্ত পৃথিবী ধ্বংস করে দিবেন। সেদিন শুধুমাত্র আল্লাহই অবশিষ্ট থাকবেন। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার আলোকে বলা যায়, শিক্ষকের উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৮ 
আঃ রশিদ মণ্ডলের তিন ছেলে ধনসম্পদ ও টাকা-পয়সার প্রতি অত্যন্ত লোভী। তারা প্রাচুর্য লাভের জন্য পরস্পর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। তাদের এ কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে ইমাম সাহেব কুরআনের এ আয়াতটি পড়ে শোনান- ‘অতঃপর অবশ্যই সেদিন তোমাদের নিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে’।
ক. ‘আল-মাক্বাবির’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. আল্লাহ তাআলা সূরা আত-তাকাসুর নাযিল করেন কেন? ২
গ. আঃ রশিদ মণ্ডলের ছেলেদের কর্মকাণ্ড কোন সূরার শিক্ষার পরিপন্থী? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.পাঠ্য পুস্তকের আলোকে উদ্দীপকে উল্লিখিত আয়াতটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘আল-মাকাবির’ শব্দের অর্থ কবরসমূহ।
খ কুরাইশের শাখাগোত্র ছিল বনু আবাদি মানাফ, বনু কুসাই ও বনু সাহম। এদের প্রত্যেক গোত্র অপর গোত্রকে লক্ষ্য করে বলত, নেতৃত্ব, ক্ষমতা কিংবা জনসংখ্যা সবদিক থেকেই আমরা তোমাদের ওপরে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মহান আল্লাহ সূরা আত-তাকাসুর নাযিল করেন।
গ আঃ রশিদ মণ্ডলের ছেলেদের কর্মকাণ্ড পবিত্র কুরআনের সূরা আত-তাকাসুরের শিক্ষার পরিপন্থী। কেননা সম্পদের প্রাচুর্যের প্রতি মোহাচ্ছন্ন থাকা উচিত নয়। এটি মানুষকে আখিরাতকে ভুলিয়ে দেয়। অন্যায়ভাবে ধনসম্পদ উপার্জনকারী জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। আখিরাতে সকল কাজের হিসাব নেওয়া হবে। উদ্দীপকেও আমরা দেখি, আঃ রশিদ মণ্ডলের তিন ছেলেই ধনসম্পদের প্রতি অত্যন্ত লোভী। তারা প্রাচুর্য লাভের জন্য পরস্পর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। সম্পদের প্রতি তারা এতটাই মোহাচ্ছন্ন যে মৃত্যুর পরবর্তী জীবন তথা আখিরাতের জন্য কোনো প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগই পায় না।
ঘ “অতঃপর অবশ্যই সেদিন তোমাদের নিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে-” উদ্দীপকে উল্লিখিত আয়াতটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা আল­াহ তাআলা মানুষকে শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি, মেধা, বুদ্ধিসহ অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন। পরকালে এসব নিয়ামতের ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করা হবে। কাজেই শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বৈধ উপায়ে ব্যবহার করা একান্ত জরুরি। উদ্দীপকের আঃ রশিদ মণ্ডলের তিন ছেলে ধন-সম্পদ ও টাকা-পয়সার প্রতি অত্যন্ত লোভী। তারা প্রাচুর্য লাভের জন্য পরস্পর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। তাদের এ কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে ইমাম সাহেব কুরআনের এ আয়াতটি পড়ে শোনান- ‘অতঃপর অবশ্যই সেদিন তোমাদের নিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে’। অর্থাৎ তারা যেন সতর্ক হয়ে যায় এবং পরকালীন কল্যাণ লাভ করে। সুতরাং প্রমাণিত হয় যে, অতঃপর অবশ্যই সেদিন তোমাদের নিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৯ 
জিলানী একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি। তিনি আল্লাহর একত্ববাদ প্রচার করছেন। এতে অন্য ধর্মের কিছু লোক তার হাতে ইসলাম গ্রহণ করে। একদিন একটি মাঠে জিলানী সমকালীন বিপদ বলে ডাক দিলে তার বংশের সব লোক উপস্থিত হয় তাকে সহযোগিতা করতে। এখন তিনি বলেন তোমরা এক আল্লাহকে স্বীকার কর। এতে তোমাদের মুক্তি হবে। এতে তার চাচা সবুজ তাকে তিরস্কার করে পাথর মারে।
ক. ‘হাবলুন’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ‘তার গলায় পাকানো রশি’Ñ দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের জিলানীর জীবনী কার জীবনের অনুসরণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.জিলানীর চাচার পরিণতি আবু লাহাবের মতো হবে- মতামত দাও। ৪

ক ‘হাবলুন’ শব্দের অর্থ রশি।
খ ‘তার গলায় পাকানো রশি’Ñ কথাটি সূরা আল-লাহাবের সর্বশেষ আয়াত। পাকানো রশির অর্থ কেউ কেউ খেজুরের রশি বলেছেন। আবার হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, লোহার তার পাকানো মোটা দড়ি। আবু লাহাবের ন্যায় তার স্ত্রী ও জাহান্নামে যাবে। আর জাহান্নামে তার গলায় লোহার তার পাকানো বেড়ী পরানো হবে।
গ উদ্দীপকের জিলানীর জীবনী মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর জীবনের অনুসরণ। মহানবি (স.) সাফা পর্বতের পাদদেশে সমবেত কুরাইশদের প্রতি তাওহিদের দাওয়াত পেশ করলে তাঁরই চাচা আবু লাহাব বলে ওঠে, তোমার ধ্বংস হোক। এজন্যই কি তুমি আমাদের একত্র করেছ? অতঃপর আবু লাহাব রাসুল (স.)-কে পাথর মারতে উদ্যত হয়। উদ্দীপকেও আমরা দেখি যে, জিলানী একজন ধর্মগুরু। তিনি আল্লাহর একত্ববাদ প্রচার করছেন। এতে অন্য ধর্মের কিছু লোক তার হাতে ইসলাম গ্রহণ করে। একদিন একটি মাঠে জিলানী সমকালীন বিপদ বলে ডাক দিলে তার বংশের সব লোক উপস্থিত হয় তাকে সহযোগিতা করতে। এখন তিনি বলেন তোমরা এক আল্লাহকে স্বীকার কর। এতে তোমাদের মুক্তি হবে। এতে তার চাচা সবুজ তাকে তিরস্কার করে পাথর মারে।
ঘ জিলানীর চাচার পরিণতি আবু লাহাবের মতো হবে। আবু লাহাব ছিল ইসলাম ও নবি করিম (স.)-এর শত্রæ। সে সর্বদাই ইসলামের শত্রæতায় লিপ্ত ছিল। মক্কা নগরীতে সে প্রভ‚ত সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী ছিল। সে প্রচুর ধনসম্পদেরও মালিক ছিল। কিন্তু এত কিছুও তার কোনো কাজে আসেনি। বরং দুনিয়াতে সে ধ্বংস হয়, আখিরাতেও সে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে। উদ্দীপকে জিলানীর চাচা আবু লাহাবের মতোই তার ধর্ম প্রচারের কাজে বাধা দেয়। তাকে তিরষ্কার করে পাথর মারে। এ প্রেক্ষিতে বলা যায়, জিলানীর চাচার পরিণতি আবু লাহাবের মতো হবে। এ কথার সাথে আমিও একমত পোষণ করি।
প্রশ্ন- ১০ 
মাদরাসা কর্তৃক আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলে বক্তা সাহেব আলোচনার একপর্যায়ে বললেন, আল­াহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি কাউকে জন্ম দেননি। তিনিও কারো থেকে জন্ম নেননি।
ক. ‘আহাদুন’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. পবিত্র কুরআনের ১১২তম সূরার নাম ইখলাস রাখা হয়েছে কেন? ২
গ. ইমাম সাহেব কোন সূরার তাফসির করছিলেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপক সংশ্লিষ্ট সূরাটির আলোকে আল­াহর পরিচয় বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘আহাদুন’ শব্দের অর্থ একক, এক ও অদ্বিতীয়।
খ কুরআনের ১১২তম সূরাটি হলো সূরা আল-ইখলাস। ইখলাস অর্থ একনিষ্ঠতা। এ সূরায় একনিষ্ঠ ও নির্ভেজাল তাওহিদের বিবরণ আছে। এ কারণে সূরাটির নামকরণ করা হয়েছে ইখলাস।
গ ইমাম সাহেব সূরা ইখলাসের তাফসির করছিলেন। আমরা জানি সূরা ইখলাসের মধ্যে আল­াহ তাআলা তাঁর একত্ববাদের পরিচয় দিয়েছেন। উদ্দীপকেও আমরা দেখি, মাদরাসা কর্তৃক আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলে বক্তা সাহেব আলোচনার এক পর্যায়ে বলেন আল­াহ এক। তিনি অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারো থেকে জন্মাননি। উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এতে প্রতীয়মান হয় যে, বক্তা সাহেব সূরা ইখলাসের তাফসির করছিলেন।
ঘ সংশ্লিষ্ট সূরাটি আল্লাহর পরিচয় প্রমাণ করতে যথেষ্ট। কেননা সূরা ইখলাস তাওহিদ বা একত্ববাদের সুপ্রসিদ্ধ প্রমাণ। মুশরিকরা রাসুলুল্ল¬াহ (স.)-এর কাছে আল­াহ তাআলার বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, যার জওয়াবে এই সূরা নাযিল হয়। আল­াহ তাআলা এ সূরার মধ্যে তাঁর পরিচয় তুলে ধরে বলেন- বলুন, তিনি আল­াহ এক। আল­াহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাঁকে জন্ম দেয়নি। এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই। সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী, তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। উপরিউক্ত আলোচনার দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর পরিচয় প্রদানে উক্ত সূরা ইখলাস যথেষ্ট।
প্রশ্ন- ১১ 
মানিক আসরের সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে যায়। ইমাম সাহেব সালাত আদায়ের পর মুসল্লিদের দিকে ফিরে উপর দিকে দুই হাত তুলে মুসল্লিদের নিয়ে কিছু দোয়া পাঠ করলেন। এতে মুসল্লিগণ কেঁদে আকুল হন। এ বিষয়ে ইমাম সাহেবকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনÑ কুরআনে এমনকিছু দোয়া রয়েছে যা পাঠ করলে আল­াহ বান্দার ওপর সন্তুষ্ট হন। আর এর দ্বারা বান্দার মাগফিরাত ত্বরান্বিত করে।
ক. আমাদের রব কে? ১
খ. মুনাজাতমূলক আয়াত কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? ২
গ. উদ্দীপকের ইমাম সাহেব দুই হাত তুলে কী পাঠ করেছিলেনÑ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.মুনাজাত বান্দার মাগফিরাত ত্বরান্বিত করেÑ উদ্দীপকের প্রসঙ্গটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪

ক আমাদের রব আল্লাহ তাআলা।
খ আমরা অনেক সময় অজ্ঞতাবশত এবং শয়তানের প্ররোচনায় অনেক পাপ ও অন্যায় কাজ করে ফেলি। এজন্য আমাদের অনুতপ্ত হয়ে তাঁর নিকট ক্ষমা চেয়ে মুনাজাত করলে তিনি আমাদের মাফ করে দেবেন বলে আশা করা যায়। এজন্যই মুনাজাতমূলত আয়াত গুরুত্বপূর্ণ।
গ উদ্দীপকের ইমাম সাহেব দুই হাত তুলে মুনাজাতমূলক আয়াত পাঠ করেছিলেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের রব। তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিযিকদাতা ও রক্ষক। পার্থিব জীবনে আমাদের যা কিছু প্রয়োজন তাও তিনি দান করেন। আল্লাহ তাআলার নিকট কিছু চাওয়ার মাধ্যম হলো মুনাজাত। উদ্দীপকেও আমরা দেখতে পাই যে, সালাতের পর ইমাম সাহেব মুসল্লিদের দিকে ফিরে দুই হাত উপর দিকে তুলে কিছু দোয়া করলেন। এতে মুসল্লিগণ কেঁদে আকুল হন। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনÑ কুরআনে এমন কিছু দোয়া রয়েছে যা পাঠ করলে আল্লাহ বান্দার ওপর সন্তুষ্ট হন। সুতরাং উদ্দীপকের ইমাম সাহেব দুই হাত তুলে মুনাজাতমূলক আয়াত পাঠ করেছিলেন।
ঘ মুনাজাত বান্দার মাগফিরাত ত্বরান্বিত করে Ñ উদ্দীপকের এ প্রসঙ্গটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা অনেক সময় ভুলবশত এবং শয়তানের ধোঁকায় পড়ে অন্যায় ও পাপ কর্মে জড়িয়ে পড়ি। এজন্য আমাদের অনুতপ্ত হয়ে আল­াহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা জরুরি। আল­াহর কাছে ক্ষমা চেয়ে মুনাজাত করলে তিনি সবাইকে মাফ করে দেবেন। আল­াহর কাছে মুনাজাত করলে তিনি সন্তুষ্ট হন। উদ্দীপকে আমরা দেখি যে, ইমাম সাহেব বলেনÑ কুরআনে এমন কিছু দোয়া রয়েছে যা পাঠ করলে আল­াহ বান্দার ওপর সন্তুষ্ট হন। আর এর দ্বারা বান্দার মাগফিরাত ত্বরান্বিত করে। উপরিউক্ত পর্যালোচনার আলোকে বোঝা যায় যে, মুনাজাত বান্দার মাগফিরাত ত্বরান্বিত করে- প্রসঙ্গটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ১২ 
ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক শ্রেণিতে আলোচনাকালে বললেন, হাদিস ইসলামি জীবনব্যবস্থার দ্বিতীয় উৎস। সিহাহ সিত্তার হাদিস গ্রন্থগুলো সবচেয়ে বিশুদ্ধ। সুতরাং আমাদের উচিত এগুলোর শিক্ষা অনুসারে জীবন পরিচালনা করা। কেননা ইসলামকে সঠিকভাবে অনুধাবনের জন্য কুরআনের সাথে হাদিসের গুরুত্বও অপরিসীম।
ক. হাদিস শব্দের অর্থ কী? ১
খ. হাদিসকে আল-কুরআনের ব্যাখ্যা বলা হয় কেন? ২
গ. বিশুদ্ধ বলতে শিক্ষক কোন হাদিসগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করেছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.শিক্ষকের বক্তব্যের আলোকে হাদিসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ কর। ৪

ক হাদিস শব্দের অর্থ কথা বা বাণী।
খ আল-কুরআনে আল্লাহ তাআলা বহু নির্দেশনা প্রদান করেছেন। মহানবি (স.) সেগুলো আমাদের সামনে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি সেসব বিধান সাহাবিগণকে হাতেকলমে শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস জানার মাধ্যমেই আমরা সেগুলো জানতে পারি। এজন্য হাদিসকে আল-কুরআনের ব্যাখ্যা বলা হয়।
গ বিশুদ্ধ বলতে শিক্ষক সিহাহ সিত্তাহর ছয়টি হাদিসগ্রন্থের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। আমরা জানি, বিশুদ্ধ ছয়টি হাদিসগ্রন্থকে একত্রে সিহাহ সিত্তাহ বলা হয়। সিহাহ সিত্তার অন্তর্ভুক্ত হাদিসগ্রন্থগুলো হলো- সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, জামি তিরমিযি, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে নাসাই, সুনানে ইবন মাজাহ। উদ্দীপক পাঠে জানা যায় যে, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক শ্রেণিতে আলোচনাকালে বললেন, হাদিস ইসলামি জীবনব্যবস্থার দ্বিতীয় উৎস। সিহাহ সিত্তার হাদিস গ্রন্থগুলো সবচেয়ে বিশুদ্ধ।
ঘ হাদিসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। হাদিস না থাকলে আমরা ভালো-মন্দ, ন্যায় ও অন্যায়, পাপ-পুণ্য সম্পর্কে এবং ইবাদত বন্দেগির বিস্তারিত নিয়মকানুন জানতে পারতাম না। সুতরাং পুণ্য ও ন্যায়ের পথে চলার জন্য হাদিসের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তাছাড়া হাদিস ইসলামি জীবনব্যবস্থার দ্বিতীয় উৎস। এটি আল-কুরআনের ব্যাখ্যাস্বরূপ। উদ্দীপকেও আমরা দেখি যে, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক শ্রেণিতে আলোচনাকালে বললেন, হাদিস ইসলামি জীবনব্যবস্থার দ্বিতীয় উৎস। কেননা ইসলামকে সঠিকভাবে অনুধাবনের জন্য কুরআনের সাথে হাদিসের গুরুত্বও অপরিসীম।
 অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ১৩  নাযিরা তেলাওয়াত

রাশেদ সকালবেলা কুরআন তিলাওয়াত করতে বসল। তার বড় ভাই পাশে গিয়ে বসলেন। দেখলেন রাশেদ না দেখে মুখস্থ আয়াতগুলো তিলাওয়াত করছে। বড় ভাই তাকে বললেন, এভাবে নয় এতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দেখে দেখে শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত কর। এতে অধিক সাওয়াব পাবে।
ক. হাদিস কী? ১
খ. ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. রাশেদের বড় ভাই রাশেদকে যেভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে বললেন ইসলামের পরিভাষায় তাকে কী বলা হয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে কুরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪

ক রাসুল (স.)-এর কথা, কাজ এবং মৌন সম্মতিই হলো হাদিস।
খ ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’-এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাদিস। কোনো অবস্থাতেই আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবে না। মা-বাবা, ভাই-বোন, চাচা-মামা, নানা-নানি, দাদা-দাদি তারা আমাদের একান্ত আপনজন। তাদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করা জরুরি।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ তাজবিদের ধারণা ব্যাখ্যা কর।
ঘ কুরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।

জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব কী?
উত্তর : পবিত্র কুরআন মাজিদ সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব।
প্রশ্ন \ ২ \ বড় ৪ খানা আসমানি কিতাব কী কী?
উত্তর : বড় ৪ খানা আসমানি কিতাব হলো ১. কুরআন, ২. তাওরাত ৩. যাবূর ও ৪. ইঞ্জিল।
প্রশ্ন \ ৩ \ কাকে জামিউল কুরআন বলা হয়?
উত্তর : হযরত উসমান (রা.) কে জামিউল কুরআন বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৪ \ তাজবিদ অর্থ কী?
উত্তর : তাজবিদ অর্থ বিন্যাস করা, সাজানো ও সুন্দর করা।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ হযরত উসমান (রা.) কুরআন সংকলনের প্রয়োজন অনুভব করলেন কেন?
উত্তর : ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান (রা.)-এর সময়ে আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে আঞ্চলিক ভাষায় কুরআনের পঠনরীতি নিয়ে মারাত্মক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। এর ফলে মুসলিম ঐক্য বিপন্ন হওয়ার উপক্রম হয়। এ অবস্থায় হযরত উসমান (রা.) কুরআন সংকলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।
প্রশ্ন \ ২ \ তাজবিদ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : তাজবিদ অর্থ সুন্দর করা, বিন্যস্ত করা, সুন্দর করে সাজানো ইত্যাদি। আর ইসলামি পরিভাষায় কুরআন মজিদ পড়ার নিয়ম-কানুন সহকারে অর্থাৎ মাখরাজ, সিফাত, মাদ্দ, ওয়াকফ, গুন্নাহ ইত্যাদির নিয়ম সম্পর্কে অবগত হয়ে শুদ্ধরূপে কুরআন তিলাওয়াত করাকেই তাজবিদ বলা হয়।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ পাঠ ১ : কুরআন মাজিদ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কুরআন মাজিদ কার জন্য অবতীর্ণ হয়েছে? (জ্ঞান)
ক মুসলমানদের খ মক্কাবাসীর  সমগ্র মানবজাতির ঘ আরব জাতির
২. কুরআন মাজিদ প্রথমে কোথায় সংরক্ষিত ছিল? (জ্ঞান)
ক হাফিযগণের অন্তরে খ হযরত আবুবকর (রা.)-এর কাছে
 লাওহে মাহফুজে ঘ হযরত উসমান (রা.)-এর কাছে
৩. কুরআন মাজিদ একসঙ্গে কোথায় অবতীর্ণ হয়? (জ্ঞান)
 বায়তুল ইযযাহে খ বায়তুল মুকাদ্দাসে গ বায়তুল্লাহ শরিফে ঘ প্রথম আসমানে
৪. হযরত মুহাম্মদ (স.) নবুয়ত প্রাপ্তির পূর্বে কোথায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন? (জ্ঞান)
ক নিজগৃহে খ বায়তুল্লাহ শরিফে
 হেরা গুহায় ঘ মসজিদে নববিতে
৫. প্রথম অবতীর্ণ আয়াত কোন সূরার? (জ্ঞান)
ক সূরা বাকারা খ সূরা ফাতিহা গ সূরা মুযাম্মিল  সূরা আলাক
৬. কত বছর বয়সে মহানবি (স.) নবুয়তপ্রাপ্ত হন? (জ্ঞান)
ক ত্রিশ খ পঁয়ত্রিশ  চল্লিশ ঘ পঁয়তাল্লিশ
৭. কত বছরে সমগ্র কুরআন অবতরণ সম্পন্ন হয়েছিল? (জ্ঞান)
ক পনের খ বিশ গ একুশ  তেইশ
৮. প্রধান ওহি লেখক কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক হযরত উমর (রা.)  হযরত যায়দ ইবন সাবিত (রা.)
গ হযরত আবু বকর (রা.) ঘ হযরত আলি (রা.)
৯. কোন খলিফার খিলাফতকালে ইয়ামামার যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক হযরত উমর (রা.)  হযরত আবু বকর (রা.)
গ হযরত আলী (রা.) ঘ হযরত উসমান (রা.)
১০. জামিউল কুরআন কাকে বলা হয়? (জ্ঞান)
ক হযরত আবু বকর (রা.) কে খ হযরত আলি (রা.) কে
 হযরত উসমান (রা.) কে ঘ হযরত যায়দ (রা.) কে
১১. বহুসংখ্যক কুরআনে হাফিয শহিদ হন কোন যুদ্ধে? (জ্ঞান)
 ইয়ামামার খ বদরের গ ওহুদের ঘ খন্দকের
১২. কোন নবির ওপর কুরআন মাজিদ নাযিল হয়েছিল? (জ্ঞান)
 হযরত মুহাম্মদ (স.)খ ঈসা (আ.) গ মুসা (আ.) ঘ ইসমাঈল (আ.)
১৩. আজ পর্যন্ত আল-কুরআনের কোনোরূপ পরিবর্তন হয়নি কেন? (অনুধাবন)
ক মহানবি (স.)-এর ওপর আল-কুরআন নাযিল হয়েছে বলে
 আল-কুরআনের সংরক্ষক স্বয়ং আল্লাহ বলে
গ আল-কুরআনে কোনোরূপ সন্দেহ নেই বলে
ঘ আল-কুরআন লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত ছিল বলে
১৪. ইয়ামামার যুদ্ধের উদ্দেশ্য কী ছিল? (অনুধাবন)
ক ইসলামি শাসন কায়েম খ ইসলাম প্রতিষ্ঠা
গ কাফিরদের পরাজিত করা  ভণ্ড নবিদের দমন
১৫. সাহিন সাহেব দুনিয়াতে শান্তি ও আখিরাতে মুক্তি পেতে চান। এজন্য তাকে কীসের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে? (প্রয়োগ)
ক সামাজিক নির্দেশনা খ রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা
 আল-কুরআনের নির্দেশনা ঘ উসুলে ফিকহের নির্দেশনা
১৬. ইমাম সাহেব বললেন, হযরত উমর (রা.)-এর পরামর্শে হযরত আবু বকর (রা.) কুরআন সংকলনের জন্য প্রধান ওহি লেখক সাহাবিকে নির্দেশ দেন। ইমাম সাহেব প্রধান ওহি লেখক বলতে কাকে বুঝিয়েছেন? (প্রয়োগ)
ক হযরত উসমান (রা.) খ হযরত আবু হুরায়রা (রা.)
গ হযরত বেলাল (রা.)  হযরত যায়দ ইবন সাবিত (রা.)
১৭. আল-কুরআনের সংরক্ষক স্বয়ং মহান আল্লাহ। এজন্য আজ পর্যন্ত এটির কোনোরূপ পরিবর্তন হয়নি। এর ফলে আমরা কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক এটি সকল মানুষের জন্য অবতারিত খ এটি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ
 এটি কিয়ামত পর্যন্ত অবিকৃত থাকবে ঘ এটি সর্বশ্রেষ্ঠ নবির ওপর অবতীর্ণ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৮. মহাগ্রন্থ আল-কুরআন প্রথমে সংরক্ষিত ছিলÑ (অনুধাবন)
র. হাফিযগণের অন্তরে রর. হযরত উসমান (রা)-এর নিকট
ররর. লাওহে মাহফুজে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯. সাহাবিগণ পবিত্র কুরআন সংরক্ষণ করতেনÑ (অনুধাবন)
র. মুখস্থের মাধ্যমে রর. তিলাওয়াতের মাধ্যমে ররর. লিখে রাখার মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২০. কাগজের অভাবে আল-কুরআন লিখে রাখা হতোÑ (অনুধাবন)
র. খেজুর গাছের ডালে রর. মাটির পাত্রে ররর. পশুর হাড় ও চামড়ায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২১ ও ২২নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মাওলানা সাহেব বলেন, আল-কুরআন মহান আল্লাহর বাণী। এর সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তাআলা গ্রহণ করায় আজ পর্যন্ত এটির কোনোরূপ পরিবর্তন হয়নি। আর ভবিষ্যতেও হবে না। মহানবি (স.)-এর ইন্তিকালের পর একটি যুদ্ধে বহুসংখ্যক হাফিযে কুরআন শহিদ হওয়ায় কুরআন সংকলনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
২১. অনুচ্ছেদের মাওলানা সাহেব কোন যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন? (প্রয়োগ)
ক বদর যুদ্ধ খ ওহুদ যুদ্ধ  ইয়ামামার যুদ্ধ ঘ খন্দকের যুদ্ধ
২২. উক্ত বক্তব্যের ফলে মুসল্লিরা জানতে পারবেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কুরআন সকল প্রকার পরিবর্তন হতে মুক্ত
রর. কুরআন তিলাওয়াতের ফযিলত অনেক
ররর. কুরআন সর্বদা অবিকৃত থাকবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র ও ররর
ন্ধ পাঠ ২ : তাজবিদ º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৫০
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৩. মাখরাজ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
 উচ্চারণস্থল খ বের করা গ পড়ার স্থান ঘ সুন্দর উচ্চারণ
২৪. কুরআনের প্রত্যেকটি অক্ষর পাঠের বিনিময়ে কয়টি নেকি হয়? (জ্ঞান)
 দশ খ পনেরো গ বারো ঘ বিশ
২৫. কোন ইবাদতটি নফল ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম? (জ্ঞান)
ক নামায খ রোযা  কুরআন পাঠ ঘ তাসবিহ
২৬. বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমÑএর মধ্যে কয়টি বর্ণ রয়েছে? (জ্ঞান)
ক ১৫ খ ১৭  ১৯ ঘ ২১
২৭. বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমÑ তিলাওয়াত করলে কতটি নেকি পাওয়া যাবে? (জ্ঞান)
ক ১০০ খ ১১০ গ ১৭০  ১৯০
২৮. ‘আপনি কুরআন আবৃত্তি করুন ধীরে ধীরে ও সুস্পষ্টভাবে’Ñ এটি কোন সূরার আয়াত? (জ্ঞান)
ক সূরা আল-বাকারা খ সূরা আল-নিসা
গ সূরা ইয়া-সীন  সূরা আল-মুয্যাম্মিল
২৯. ‘তোমরা কুরআন পাঠ কর। কেননা কিয়ামতের দিন তা পাঠকারীদের পক্ষে সুপারিশ করবে।’Ñ এটি কার বাণী? (জ্ঞান)
ক আল্লাহর  মহানবি (স)-এর
গ হযরত উসমান (রা)-এর ঘ ইমাম আবু হানিফা (রা)-এর
৩০. তাজবিদ বলতে কী বুঝায়? (অনুধাবন)
 কুরআনকে শুদ্ধভাবে পাঠ করা
খ কুরআনকে ইচ্ছামতো পাঠ করা
গ কুরআনকে দেখে দেখে পাঠ করা
ঘ কুরআনকে না দেখে পাঠ করা
৩১. তাজবিদ অনুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত করা অত্যন্ত জরুরি কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
 তাজবিদ অনুযায়ী পাঠ করা আল্লাহর নির্দেশ
খ তাজবিদ অনুযায়ী পাঠ করা মহানবি (স.)-এর নির্দেশ
গ তাজবিদ অনুযায়ী পাঠ করা মনীষীগণের নির্দেশ
ঘ তাজবিদ অনুযায়ী পাঠ করা সাহাবিগণের নির্দেশ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩২. তাজবিদ শব্দের অর্থ হলোÑ (অনুধাবন)
র. বিন্যস্ত করা রর. সাজানো ররর. সুন্দর করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর  র, রর ও রর
৩৩. আমরা কুরআন মাজিদ পাঠ করবÑ (অনুধাবন)
র. শুদ্ধরূপে রর. গানের সুরে ররর. সুন্দরভাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৪ ও ৩৫ প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
“আপনি কুরআন আবৃত্তি করুন ধীরে ধীরে ও সুস্পষ্টভাবে।”
৩৪. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত আয়াতটিতে আল­াহ তাআলা কীসের নির্দেশ দিয়েছেন? (প্রয়োগ)
ক মর্যাদা অনুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত করার
 তাজবিদসহ কুরআন তিলাওয়াত করার
গ সালাতের মধ্যে কুরআন তিলাওয়াত করার
ঘ গানের সুরে কুরআন তিলাওয়াত করার
৩৫. উক্ত নির্দেশ অনুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত না করার ফলাফল- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. গুনাহ রর. দুর্ঘটনা ররর. জাহান্নাম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৩ : মাদ্দ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৬. মাদ্দ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক সুন্দর করা খ পাঠ করা  দীর্ঘ করা ঘ ভঙ্গ করা
৩৭. মাদ্দে আসলিকে কতটুকু দীর্ঘ করে পড়তে হয়? (জ্ঞান)
 এক আলিফ খ দুই আলিফ গ তিন আলিফ ঘ চার আলিফ
৩৮. মাদ্দে ফারঈ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক যে মাদ্দ দুই আলিফ দীর্ঘ হয়  মাদ্দে আসলি থেকে যে মাদ্দ বের হয়
গ যে মাদ্দ এক আলিফ দীর্ঘ হয় ঘ যে মাদ্দ দীর্ঘ হয় না
৩৯. আরিফ কুরআন পাঠের সময় কয়েকটি অক্ষর টেনে পড়ল। টেনে পড়া অক্ষর কয়টি? (প্রয়োগ)
ক ২  ৩ গ ৪ ঘ ৫
৪০. মাদ্দ প্রধানত কয় প্রকার? (জ্ঞান)
 ২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
৪১. মাদ্দ কীভাবে পড়তে হয়? (জ্ঞান)
ক ধীরে ধীরে খ আস্তে আস্তে  লম্বা করে ঘ দ্রæত পড়তে হয়
৪২. খাড়া যবর, খাড়া যের এবং উল্টা পেশ কীভাবে পড়তে হবে? (অনুধাবন)
ক তিন আলিফ পরিমাণ দীর্ঘ করে পড়তে হবে
খ দুই আলিফ পরিমাণ দীর্ঘ করে পড়তে হবে
 এক আলিফ পরিমাণ দীর্ঘ করে পড়তে হবে
ঘ চার আলিফ পরিমাণ দীর্ঘ করে পড়তে হবে
৪৩. এ শব্দে ﮬ (হা) হরফের নিচে খাড়া যের রয়েছে। আমরা এ স্থানে হা-কে পড়ব কীভাবে? (অনুধাবন)
ক খাঁটো করে  দীর্ঘ করে গ সোজা করে ঘ বেটে করে
৪৪. মাদ্দের হরফের পরে জযম বা হামযা বা তাশদিদ থাকলে সেসব স্থানে দীর্ঘ করে পড়তে হয় কেন? (অনুধাবন)
ক মাদ্দে মুত্তাসিল হওয়ার কারণে খ মাদ্দে মুনফাসিল হওয়ার কারণে
 মাদ্দে ফারঈ হওয়ার কারণে ঘ মাদ্দে আসলি হওয়ার কারণে
৪৫. ইশার নামাযের পর আকরাম কুরআন তিলাওয়াত করছিল। এক পর্যায়ে সে (জাআ) শব্দটি তিলাওয়াতের সময় ج (জীম) বর্ণকে টেনে পড়েনি। আকরাম এক্ষেত্রে কী ত্যাগ করেছে? (প্রয়োগ)
ক ওয়াক্ফ খ মাখরাজ গ সিফাত  মাদ্দ
৪৬. আকবর কুরআন তিলাওয়াতের সময় যে সকল হরফের ওপর খাড়া যবর ( ), নিচে খাড়া যের ( ) এবং ওপরে উল্টো পেশ ( ) রয়েছে সে সকল হরফকে টেনে পড়ে না। এর ফলে তার তিলাওয়াত কী হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক শুদ্ধ হবে  শুদ্ধ হবে না
গ আংশিক শুদ্ধ হবে ঘ মোটামুটি শ্দ্ধু হবে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৭. প্রধান দুই প্রকারের মাদ্দ হলোÑ (অনুধাবন)
র. মাদ্দে আসলি রর. মাদ্দে ফারঈ ররর. মাদ্দে লাযিম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  র ও রর ঘ র, রর ও ররর
৪৮. মাদ্দের হরফ হলোÑ (অনুধাবন)
র. আলিফ রর. ওয়াও ররর. কাফ
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৯ ও ৫০ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কারিমা তিলাওয়াতের সময় যবরের বাম পাশে খালি আলিফ, যেরের বাম পাশে জযমওয়ালা ইয়া এবং পেশের বাম পাশে জযমওয়ালা ওয়াও আসলে দীর্ঘ করে পড়ে না।
৪৯. কারিমা তিলাওয়াতে কী ত্যাগ করেছে? (প্রয়োগ)
ক মাখরাজ খ সিফাত গ ওয়াক্ফ  মাদ্দ
৫০. কারিমার এ ধরনের তিলাওয়াতের ফলেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সালাত শুদ্ধ হবে না
রর. অর্থ পরিবর্তন হয়ে যাবে
ররর. গুনাহ হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৪ : ওয়াক্ফ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫১. ওয়াক্ফ কোন ভাষার শব্দ? (জ্ঞান)
ক উর্দু  আরবি গ ফার্সি ঘ হিন্দি
৫২. ওয়াক্ফ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক সুন্দর করা খ বিন্যস্ত করা  বিরতি দেওয়া ঘ সাজানো
৫৩. ‘ঙ’ চি‎হ্নকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক ওয়াক্ফে লাজিম  ওয়াক্ফে তাম
গ ওয়াক্ফে জায়িয ঘ ওয়াকফে মুতলাক
৫৪. ‘ م’ চি‎হ্নকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক ওয়াক্ফে মুতলাক  ওয়াক্ফে লাযিম
গ ওয়াক্ফে জায়িয ঘ ওয়াক্ফে তাম
৫৫. দুই নিঃশ্বাসের মধ্যবর্তী বিরতির সময়কে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
 ওয়াক্ফ খ সাকতাহ গ তাজবিদ ঘ মাদ্দ
৫৬. ওয়াক্ফ গুফরানে থামতে হবে কেন? (অনুধাবন)
ক বরকত লাভ করার জন্য খ নবি করিম (স.) থেমেছিলেন বলে
 গুনাহ মাফ হওয়ার আশায় ঘ থামার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে
৫৭. আতাউর কুরআন তিলাওয়াতের সময় ‘م’ চিহ্নিত স্থানে ওয়াক্ফ করল না। এর ফলে কী হতে পারে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক তার গুনাহ মাফ হতে পারে খ বরকত লাভ হতে পারে
 আয়াতের অর্থ বিকৃত হতে পারে ঘরাসুলের (স) শাফাআত পেতে পারে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৮. আল-কুরআনে না থামার নির্দেশ প্রকাশ পায়- (অনুধাবন)
র. قف চি‎হ্ন দ্বারা রর. لا চি‎হ্ন দ্বারা ররর. ن চি‎হ্ন দ্বারা
নিচের কোনটি সঠিক ?
ক র  রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৯. আয়াতের বা শব্দের ডানে এবং বামে ش (তিন বিন্দু) অথবা مع চি‎‎হ্ন থাকলে তিলাওয়াতকালেÑ (অনুধাবন)
র. এক স্থানে থামতে হয় রর. অপর স্থানে মিলিয়ে পড়তে হয়
ররর. বিরতি দিলে বরকত লাভ হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬০ ও ৬১ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মেহরীন প্রতিদিন সকালে কুরআন তিলাওয়াত করে। আজ তার খালু তার পাশে বসে তিলাওয়াত শুনছেন। তিলাওয়াতের এক পর্যায়ে মেহরীন কুরআনের ‘م’ চিহ্নিত স্থানে থামল না। এতে তার খালু বললেন, কুরআন সুন্দর ও শুদ্ধরূপে তিলাওয়াত করতে হবে।
৬০. মেহরীন তার তিলাওয়াতে কোনটি ত্যাগ করেছে? (প্রয়োগ)
ক মাদ্দ  ওয়াক্ফ গ সিকাত ঘ মাখরাজ
৬১. এরূপ তিলাওয়াতের ফলেÑ (অনুধাবন)
র. সালাত শুদ্ধ হবে না রর. অর্থ বিকৃত হতে পারে ররর. গুনাহ হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৫ : নাযিরা তিলাওয়াত
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬২. নাযিরা তিলাওয়াত কী? (জ্ঞান)
 দেখে দেখে তিলাওয়াত করা খ নামাযে তিলাওয়াত করা
গ বেশি বেশি তিলাওয়াত করা ঘ অর্থ বুঝে তিলাওয়াত করা
৬৩. নাযিরা তিলাওয়াত কেমন ইবাদত? (জ্ঞান)
ক সর্বোৎকৃষ্ট খ উন্নত
গ সর্বোচ্চ  উত্তম
৬৪. সমস্ত নফল ইবাদতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ কোনটি? (জ্ঞান)
ক সাদকাহ করা খ নফল নামায পড়া
 কুরআন তিলাওয়াত করা ঘ যিকির-আযকার করা
৬৫. কুরআন তিলাওয়াতের সময় পূর্ণরুপে ওযু করে পাকপবিত্র জায়গায় বসতে হয় কেন? (অনুধাবন)
 এটি তিলাওয়াতের আদব খ ওযু করলে তিলাওয়াত ভালো হয়
গ ওযু করলে লোকে ভালো বলবে ঘ কুরআন শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ বলে
৬৬. ওযু করে পাকপবিত্র না হয়েই মোজাহার কুরআন তিলাওয়াত শুরু করল। মোজাহারের এরূপ কাজে কী লঙ্ঘিত হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক তাজবিদের বিধান  কুরআন তিলাওয়াতের আদব
গ নাযিরা তিলাওয়াত ঘ কুরআন তিলাওয়াতের ফযিলত
৬৭. আলতাফ প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর পবিত্র কুরআন দেখে দেখে শুদ্ধরূপে তিলাওয়াত করেন। এর ফলে তিনি কী লাভ করবেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সামাজিক সম্মান ও মর্যাদা  আখিরাতে অত্যধিক সম্মান ও মর্যাদা
গ দুনিয়াতে অধিক ধনসম্পদ ঘ আখিরাতে রাসুলের (স) শাফাআত
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৮. কুরআন তিলাওয়াতের আদব হলোÑ (অনুধাবন)
র. পূর্ণরূপে ওযু করা রর. পবিত্র জায়গায় বসা
ররর. মুখস্থ তিলাওয়াত করা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৯ ও ৭০নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শহিদ প্রতিদিন ফজরের সালাত আদায় করে কুরআন তিলাওয়াত করে। তিলাওয়াতের পূর্বে পূর্ণরূপে ওযু করে পবিত্র জায়গায় বসে। কুরআন শরিফ উঁচু স্থানে রেখে মনোযোগ সহকারে, তাজবিদ অনুযায়ী আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য তিলাওয়াত করে।
৬৯. শহিদের তিলাওয়াতে কুরআনের কী রক্ষা হয়েছে? (প্রয়োগ)
 আদব খ তাজবিদ গ ওয়াক্ফ ঘ মাদ্দ
৭০. এরূপ তিলাওয়াতের ফলে শহিদÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আখিরাতে সম্মান লাভ করবে রর. আখিরাতে মর্যাদা লাভ করবে
ররর. দুনিয়াতে সম্পদ লাভ করবে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৬ : সূরা আল-আদিয়াত
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭১. সূরা আল-আদিয়াত কোথায় অবতীর্ণ হয়? (জ্ঞান)
ক মদিনায় খ জেদ্দায়  মক্কায় ঘ তায়িফে
৭২. সূরা আল-আদিয়াতের আয়াত সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক দশ  এগারো গ বারো ঘ তেরো
৭৩. আল-আদিয়াত শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক হামলাকারী খ আলো বিচ্ছুরণকারী  ধাবমান অশ্বরাজি ঘ অভিযানকারী
৭৪. সূরা আল-আদিয়াত পবিত্র কুরআনের কততম সূরা? (জ্ঞান)
 ১০০ খ ১০১ গ ১০২ ঘ ১০৩
৭৫. সূরা আল-আদিয়াত কয়টি পর্যায়ে বিভক্ত? (জ্ঞান)
ক দুই  তিন গ চার ঘ পাঁচ
৭৬. সূরা আল-আদিয়াতের প্রথম পাঁচ আয়াতে আল্লাহ তাআলা কী বর্ণনা করেছেন? (অনুধাবন)
ক স্রষ্টার প্রতি অকৃতজ্ঞতা  সামরিক অশ্বের নানা গুণ
গ সম্পদের প্রতি লোভ-লালসা ঘ মানুষের চূড়ান্ত ফায়সালা
৭৭. আনোয়ার সাহেব অনেক অর্থসম্পদের মালিক হয়েও আল্লাহ তাআলার প্রতি অকৃতজ্ঞ। তাছাড়া ধনসম্পদের প্রতি তার প্রবল আসক্তিও রয়েছে। আনোয়ার সাহেবের মধ্যে কোন সূরার শিক্ষার অভাব রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক সূরা আল-কারিআহ  সূরা আল-আদিয়াত
গ সূরা আত্-তাকাসুর ঘ সূরা আল-লাহাব
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৮. সূরা আল-আদিয়াতে বর্ণিত মানুষের স্বভাব হলো- (অনুধাবন)
র. স্রষ্টার প্রতি অকৃতজ্ঞতা রর. মানুষের প্রতি ভালোবাসা
ররর. সম্পদের প্রতি লোভলালসা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৯ ও ৮০ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
হাকিম সাহেব নিয়মিত সালাত আদায় করেন না। সম্পদের প্রতি তার যথেষ্ট লোভ রয়েছে।
৭৯. হাকিম সাহেব কোন ধরনের লোক? (প্রয়োগ)
ক অসৎ খ সৎ গ বিনয়ী  অকৃতজ্ঞ
৮০. এরূপ কর্মকাণ্ডের ফলে হাকিম সাহেব পরকালে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বিচারের মুখোমুখি হবেন রর. আরাফে যাবেন
ররর. ক্ষমা লাভ করবেন
নিচের কোনটি সঠিক?
 র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৭ : সূরা আল-কারিআহ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮১. আল-কারিআহ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক গ্রামবাসী  মহাপ্রলয় গ গভীর গর্ত ঘ জ্বলন্ত
৮২. আল-জিবালু শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক জীবিকা খ গর্ত গ উঁচুস্থান  পর্বতসমূহ
৮৩. সূরা আল-কারিআহ কোথায় অবতীর্ণ হয়? (জ্ঞান)
ক মদিনায় খ তায়েফে গ জেদ্দায়  মক্কায়
৮৪. সূরা আল-কারিআহ পবিত্র কুরআনের কততম সূরা? (জ্ঞান)
ক ১০০  ১০১ গ ১০২ ঘ ১০৩
৮৫. সূরা আল-কারিআহ-এর আয়াত সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ৭ খ ৯  ১১ ঘ ১৩
৮৬. ‘নারুন’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক দিন খ জীবন গ পর্বত  আগুন
৮৭. কিয়ামতকে কারিআহ বলা হয়েছে কেন? (অনুধাবন)
ক কিয়ামতের দিন অতি নিকটবর্তী বলে
 কিয়ামত পৃথিবীকে সজোরে আঘাত করবে বলে
গ কিয়ামতে কোনো কিছু অবশিষ্ট থাকবে না বলে
ঘ গোটা দুনিয়া ও সৃষ্টিজগৎ ধ্বংস হবে বলে
৮৮. সূরাটির নাম ‘আল-কারিআহ’ রাখা হয়েছে কেন? (অনুধাবন)
ক আখিরাতের বর্ণনা রয়েছে বলে  কিয়ামতের অবস্থার বর্ণনা রয়েছে বলে
গ কবরের বর্ণনা রয়েছে বলে ঘ হাশরের বর্ণনা রয়েছে বলে
৮৯. সাহাজুল পবিত্র কুরআন থেকে কিয়ামতের নানা অবস্থার বিবরণ জানতে চায়। এজন্য তাকে কোন সূরাটি অধ্যয়ন করতে হবে? (প্রয়োগ)
ক সূরা আল-আদিয়াত  সূরা আল-কারিআহ
গ সূরা আত্-তাকাসুর ঘ সূরা আল-লাহাব
৯০. ওজিয়ার একজন অসৎ ব্যক্তি। সে সর্বদা বিভিন্ন পাপ কাজে লিপ্ত থাকায় তার পাপের পাল্লা ভারী হবে। এর ফলে আখিরাতে তার স্থান কোথায় হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক আরাফে  হাবিয়ায় গ সাকারে ঘ ফিরদাউসে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯১. হাবিয়া হলোÑ (অনুধাবন)
র. গভীর স্থান রর. উত্তপ্ত আগুন ররর. শান্তির স্থান
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৮ : সূরা আত-তাকাসুর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯২. সূরা আত-তাকাসুর-এর আয়াত সংখ্যা কয়টি? (জ্ঞান)
ক সাত  আট গ নয় ঘ দশ
৯৩. তাকাসুর শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
 প্রাচুর্য খ সম্পদ গ জাহান্নাম ঘ অসীম
৯৪. আল-মাকাবির শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক কবরবাসী খ সাক্ষাতকারী  কবরসমূহ ঘ উপস্থিত হওয়া
৯৫. আন-নাঈম শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক জ্ঞান  নিয়ামত গ কৌশল ঘ বিজয়
৯৬. সূরা আত-তাকাসুর কুরআন শরিফের কততম সূরা? (জ্ঞান)
 ১০২ খ ১০৩ গ ১০৪ ঘ ১০৫
৯৭. সূরা আত-তাকাসুর অবতীর্ণ হয় কোথায়? (জ্ঞান)
ক হারাম শরিফে  মক্কায় গ মদিনায় ঘ আরাফায়
৯৮. মানুষ পরস্পর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকে কেন? (অনুধবান)
ক বিজয় লাভের জন্য  প্রাচুর্য লাভের জন্য
গ সম্মান লাভের জন্য ঘ প্রথম হওয়ার জন্য
৯৯. সম্পদের প্রাচুর্যের প্রতি মোহাচ্ছন্ন থাকা উচিত নয় কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
 এটি মানুষের আখিরাত ভুলিয়ে দেয় বলে
খ ধনসম্পদ ক্ষণস্থায়ী বিষয় বলে
গ সকল সম্পদের হিসাব নেওয়া হবে বলে
ঘ অবৈধ সম্পদের অর্জনকারী জাহান্নামী হবে বলে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০০. কুরাইশের শাখাগোত্র ছিলÑ (অনুধাবন)
র. আবদি মানাফ রর. বনু কুসাই ররর. বনু জুরহাম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর  র ও রর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১০১ ও ১০২নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মাওলানা হোসাইন ছাত্রদের বললেন, পবিত্র কুরআনের এমন একটি সূরার উল্লেখ রয়েছে যা একবার পাঠ করলেই এক হাজার আয়াত তিলাওয়াতের সাওয়াব পাওয়া যায়।
১০১. মাওলানা সাহেব কুরআনের কোন সূরাটির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন? (প্রয়োগ)
ক সূরা ইখলাছ  সূরা আত-তাকাসুর গ সূরা কাউসার ঘ সূরা ফাতিহা
১০২. উক্ত সূরাটি অধ্যয়নের ফলে ছাত্ররা জানতে পারবেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সম্পদের প্রাচুর্যের প্রতি মোহাচ্ছন্ন থাকা উচিত নয়
রর. সম্পদের মোহ মানুষকে আখিরাত ভুলিয়ে দেয়
ররর. মানুষ তার প্রতিপালকের প্রতি অকৃতজ্ঞ
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৯ : সূরা আল-লাহাব
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৩. সূরা আল-লাহাব কোথায় অবতীর্ণ হয়? (জ্ঞান)
ক মদিনায় খ জেদ্দায়  মক্কায় ঘ তায়েফে
১০৪. হাবলুন শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
 রশি খ খুঁটি গ পাকানো ঘ তুলা
১০৫. আবু লাহাব রাসুল (স.)-এর কী ছিলেন? (জ্ঞান)
ক দাদা খ ভাই গ ভাইয়ের ছেলে  আপন চাচা
১০৬. সূরা আল-লাহাব এর আয়াত সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ৩  ৫ গ ৯ ঘ ৯
১০৭. সূরা আল-লাহাব আল-কুরআনের কততম সূরা? (জ্ঞান)
ক ১০০ খ ১০১  ১১১ ঘ ১১৩
১০৮. আবু লাহাবের স্ত্রী রাসুল (স.)-এর চলার পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখত কেন? (অনুধাবন)
ক রাসুল (স.) কে দাওয়াত থেকে বিরত রাখার জন্য
 রাসুল (স.) কে কষ্ট দেওয়ার জন্য
গ আবু লাহাবের নির্দেশ পালনের জন্য ঘ ওই পথ ব্যবহার না করার জন্য
১০৯. আবু লাহাবের স্ত্রী মহানবি (স.)-এর চলার পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখত। এর ফলে তার স্থান কোথায় হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জান্নাত  জাহান্নাম গ আরাফ ঘ ফিরদাউস
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১০. সূরা লাহাবে বর্ণিত ইসলামের শত্রæ হলো- (অনুধাবন)
র. আবু জাহল রর. আবু লাহাব ররর. আবু লাহাবের স্ত্রী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও ররর  রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ১০ : সূরা আল-ইখলাস
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১১. সূরা আল-ইখলাস আল-কুরআনের কততম সূরা? (জ্ঞান)
ক ১১০ খ ১১১  ১১২ ঘ ১১৩
১১২. আস-সামাদ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক মুখাপেক্ষী খ সমতুল্য গ অংশীদার  অমুখাপেক্ষী
১১৩. সূরা আল-ইখলাস কোথায় অবতীর্ণ হয়? (জ্ঞান)
 মক্কায় খ মদিনায় গ জেদ্দায় ঘ আরাফায়
১১৪. সূরা আল-ইখলাসের আয়াতের সংখ্যা কয়টি? (জ্ঞান)
ক তিন  চার গ পাঁচ ঘ ছয়
১১৫. সূরা আল-ইখলাসের আলোচ্য বিষয় কী? (জ্ঞান)
 আল­াহর পরিচয় খ জান্নাতের শান্তি গ জাহান্নামের শাস্তি ঘ মানব সৃষ্টির রহস্য
১১৬. সূরা আল-ইখলাস কীসের সুপ্রসিদ্ধ প্রমাণ? (জ্ঞান)
 তাওহিদের খ রিসালাতের গ ইসলামের ঘ আখিরাতের
১১৭. কোন সূরাটি কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান? (জ্ঞান)
ক সূরা আল-বাকারা খ সূরা আল-ফাতিহা
 সূরা আল-ইখলাস ঘ সূরা ইয়া-সীন
১১৮. আল্লাহ তাআলা সূরা আল-ইখলাস নাযিল করেন কেন? (অনুধাবন)
ক মানুষকে আখিরাতের জবাবদিহিতা সম্পর্কে জানাতে
খ মানুষকে কবরের জীবনের কথা মনে করিয়ে দিতে
গ মানুষকে সৎপথে জীবনযাপনে উৎসাহিত করতে
 আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে মুশরিকদের জিজ্ঞাসার জবাবে
১১৯. ‘লাম ইয়ালিদ’ বলতে কী বোঝ? (অনুধাবন)
ক আল্লাহকে জন্ম দেওয়া হয়নি  আল্লাহ কাউকে জন্ম দেননি
গ আল্লাহর সমকক্ষ কেউ নেই ঘ আল্লাহ তাআলা একক সত্তা
১২০. ‘লাম ইউলাদ’ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক আল্লাহ কাউকে জন্ম দেননি খ আল্লাহর সমতুল্য কেউ নেই
গ আল্লাহই একমাত্র মাবুদ  আল্লাহকে জন্ম দেওয়া হয়নি
১২১. কাজিম আল্লাহ তাআলার পরিচয় জানতে চায়। এজন্য তাকে কোন সূরাটি অধ্যয়ন করতে হবে? (প্রয়োগ)
ক সূরা আল-ফীল খ সূরা আল-লাহাব  সূরা আল-ইখলাস ঘ সূরা আল-কারিআহ
১২২. তালহা আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে বিশ্বাস করে না। এরূপ বিশ্বাস কুরআনের কোন সূরার শিক্ষার পরিপন্থী? (প্রয়োগ)
ক সূরা আল-ফীল  সূরা আল-ইখলাস
গ সূরা আল-বাকারা ঘ সূরা আল-লাহাব
১২৩. বিকাশ বিশ্বাস করে আল্লাহর স্ত্রী, পুত্র, কন্যা রয়েছে। এরূপ বিশ্বাসের ফলে বিকাশ কী ভোগ করবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক দুনিয়ার সুখ-শান্তি খ জান্নাতের নিয়ামত
জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ঘ আরাফের ধনসম্পদ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২৪. সূরা আল-ইখলাসে বলা হয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. আল­াহ এক ও অদ্বিতীয় রর. মানুষ আল্লাহকে স্মরণ করে
ররর. তাঁর সমতুল্য কেউ নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১২৫ ও ১২৬ প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জাহিদুর রহমান শিক্ষককে বললেন, খ্রিষ্টানগণ বিশ্বাস করেন ঈসা (আ.) আল­াহর সন্তান। এদের বিশ্বাসকে কীভাবে খণ্ডন করা যায়? জবাবে শিক্ষক সূরা আল-ইখলাস অর্থসহ শোনালেন।
১২৫. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সূরায় কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে? (প্রয়োগ)
ক রিসালাতের গুরুত্ব  আল­াহর একত্ববাদ
গ মানুষের স্বভাব ঘ খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস
১২৬. অনুচ্ছেদের উল্লিখিত বিশ্বাসের ফলে খ্রিষ্টানগণÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মুশরিক বলে গণ্য হবে রর. পরকালে শাস্তি পাবে
ররর. আখিরাতে মুক্তি পাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ১১ : মুনাজাতমূলক আয়াত
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২৭. আমাদের রব কে? (জ্ঞান)
 মহান আল্লাহ খ মুহাম্মদ (স.) গ আবু হানিফা (র.) ঘ পিতামাতা
১২৮. হযরত আদম (আ.) কে? (জ্ঞান)
ক প্রথম জিন  প্রথম মানুষ গ প্রথম ফেরেশতা ঘ প্রথম মাখলুক
১২৯. আল্লাহ তাআলার নিকট কিছু চাওয়ার মাধ্যম কী? (জ্ঞান)
 মুনাজাত খ রোযা গ ইবাদত ঘ যাকাত
১৩০. হযরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) প্রথমে কোথায় বসবাস করতেন? (জ্ঞান)
ক আরশে খ দুনিয়ায়  জান্নাতে ঘ বায়তুল মুকাদ্দাসে
১৩১. আসহাবে কাহাফের কয়েকজন যুবক পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নেন কেন? (অনুধাবন)
ক আবরাহা বাদশার অত্যাচারে  দাকইয়ানুস বাদশার অত্যাচারে
গ ইয়াযিদের অত্যাচারে ঘ ফিরআউনের অত্যাচারে
১৩২. মানুষ পাপ কাজ করে কেন? (অনুধাবন)
ক নিজের ইচ্ছায়  অজ্ঞতাবশত এবং শয়তানের প্ররোচনায়
গ আল­াহর ইচ্ছায় ঘ অন্যের প্ররোচনায়
১৩৩. দাকইয়ানুস বাদশাহর আমলে যুবকগণ গুহায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল কেন? (অনুধাবন)
ক পাহাড়ের পরিবেশ তাঁদের আকৃষ্ট করেছিল
খ গুহায় বসবাস করা তাঁদের শখ হয়েছিল
 বাদশাহর অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য
ঘ ঘূর্ণিঝড় আসার ভয়ে
১৩৪. হযরত ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নিকট মুনাজাত করেছিলেন কেন? (অনুধাবন)
ক আখিরাতে জান্নাত লাভের জন্য
 কাফিরদের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য
গ নিজের কাওমদের হিদায়াতের জন্য
ঘ প্রাকৃতিক দুযোর্গ থেকে বাঁচার জন্য
১৩৫. কাউসার সারাজীবনের কৃত অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে। এমতাবস্থায় তার করণীয় কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বেশি বেশি নফল ইবাদত করা
খ বায়তুল্লাহ শরিফ যিয়ারত করা
 মুনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা
ঘ দাওয়াতি কাজে সময় ব্যয় করা
১৩৬. মিনহাজ তার ব্যক্তিগত প্রয়োজন পূরণের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে না। হাদিসের ভাষ্য মতে এর ফলে কী হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক আল্লাহ তার প্রতি খুশি হবেন
 আল্লাহ তার প্রতি রুষ্ট হবেন
গ আল্লাহ তার প্রতি দয়া করবেন
ঘ আল্লাহর তার প্রতি রহম করবেন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৭. আল­াহর নিকট মুনাজাত করতে হয়Ñ (অনুধাবন)
র. মুনাজাত সালাতের অংশ বলে রর. এতে গুনাহ মাফ হয় বলে
ররর. মুনাজাত করলে আল্লাহ খুশি হন বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও রর  রর ও ররর
১৩৮. আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) কে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়েছিলÑ (অনুধাবন)
র. তাঁরা আল­াহর হুকুম অমান্য করেছিলেন বলে
রর. তাঁরা দুনিয়ায় আসতে ইচ্ছুক ছিলেন বলে
ররর. তাঁরা নিষিদ্ধ গাছের ফল ভক্ষণ করেছিলেন বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও রর  র ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩৯ ও ১৪০নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শাহেদ প্রতি নামাযের পর বিভিন্ন প্রয়োজনে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে মুনাজাত করে কাঁদেন। এতে তার বিপদ-আপদ দূর হয় এবং প্রয়োজন পূর্ণ হয়।
১৩৯. শাহেদের এরূপ হাত তুলে মুনাজাত করার কারণ কী? (প্রয়োগ)
ক এটি সালাতের অংশ  এটি মুনাজাতের আদব
গ এটি ইবাদতের নিয়ম ঘ এটির মাধ্যমে নামায কবুল হয়
১৪০. এরূপ কাজের ফলে শাহেদ Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবেন রর. দুনিয়ায় প্রাচুর্য লাভ করবেন
ররর. আল্লাহর দয়া ও ক্ষমা লাভ করবেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ১২ : হাদিস শরিফ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪১. হাদিস অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক উপদেশ  বাণী গ গ্রন্থ ঘ পাঠ
১৪২. প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থ কয়টি? (জ্ঞান)
ক পাঁচ  ছয় গ সাত ঘ আট
১৪৩. হাদিস ইসলামি শরিয়তের কততম উৎস? (জ্ঞান)
ক প্রথম  দ্বিতীয় গ তৃতীয় ঘ চতুর্থ
১৪৪. পবিত্র কুরআন মাজিদের ব্যাখ্যা স্বরূপ কোনটি? (জ্ঞান)
 হাদিস খ ফিকহ গ ইজমা ঘ কিয়াস
১৪৫. বিশুদ্ধ ছয়টি হাদিস গ্রন্থকে একত্রে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক সহিহাঈন খ হাদিসের কিতাব গ বিশুদ্ধ গ্রন্থ  সিহাহ সিত্তাহ
১৪৬. হাদিস গ্রন্থসমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ কোনটি? (জ্ঞান)
 সহিহ বুখারি খ সহিহ মুসলিম গ জামি তিরমিযি ঘ সুনানে আবু দাউদ
১৪৭. কুরআন মাজিদের পরে সর্বাপেক্ষা বিশুদ্ধ গ্রন্থ কোনটি? (জ্ঞান)
ক বাইবেল  সহিহ বুখারি গ সহিহ মুসলিম ঘ ইঞ্জিল শরিফ
১৪৮. মুনাজাতের মাধ্যমে আমরা কী প্রকাশ করি? (জ্ঞান)
 দুর্বলতা খ ক্ষমতা গ বড়ত্ব ঘ উচ্চত্ত¡¡
১৪৯. ইমাম বুখারি কয় লক্ষ হাদিস থেকে যাচাই বাছাই করে তাঁর কিতাব সংকলন করেন? (অনুধাবন)
ক চার খ পাঁচ  ছয় ঘ সাত
১৫০. আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন কেন? (অনুধাবন)
ক শয়তানকে ধ্বংস করার জন্য খ মানুষকে লেখাপড়া শেখানোর জন্য
 মানবজাতির হিদায়াতের জন্য ঘ জিহাদ করার জন্য
১৫১. মেহনাজ সালাত আদায়ের নিয়মাবলি সম্পর্কে জানতে চায়। এজন্য তাকে কী অধ্যয়ন করতে হবে? (প্রয়োগ)
ক কুরআন মাজিদ  হাদিস শরিফ গ তাফসির শাস্ত্র ঘ রিজাল শাস্ত্র
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫২. মুনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের (প্রয়োগ)
র. ক্ষমা করেন রর. দয়া করেন ররর. রহমত করেন
নিচের কোনটি সঠিক ?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৫৩. সহিহ বুখারি হলোÑ (অনুধাবন)
র. সহিহ হাদিসের একমাত্র কিতাব
রর. হাদিস গ্রন্থসমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ গ্রন্থ
ররর পবিত্র কুরআনের পর সর্বাধিক বিশুদ্ধ গ্রন্থ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ র ও ররর  রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৫৪ ও ১৫৫নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আবুল কাশেম শিক্ষার্থীদের সিহাহ সিত্তাহ বিষয়ে পাঠদান করাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, সিহাহ সিত্তাহর অন্তর্গত এমন একটি হাদিসগ্রন্থ রয়েছে যা কুরআন মজিদের পর সর্বাধিক বিশুদ্ধ গ্রন্থ।
১৫৪. কুরআনের পর সর্বাধিক বিশুদ্ধ গ্রন্থ বলে আবুল কাশেম সাহেব কোন গ্রন্থের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন? (প্রয়োগ)
ক মুসলিম খ তিরমিযি  বুখারি ঘ আবু দাউদ
১৫৫. আবুল কাশেম সাহেবের কাছ থেকে পাঠ গ্রহণের ফলে শিক্ষার্থীগণ জ্ঞান লাভ করবেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মহানবি (স.)-এর বাণী সম্পর্কে রর. মহানবি (স.)-এর কর্ম সম্পর্কে
ররর. ইমাম আবু হানিফা (র.) এর বাণী সম্পর্কে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ১৩ : মুনাজাতমূলক তিনটি হাদিস
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫৬. কে সাহায্য চায়? (জ্ঞান)
 দুর্বল খ সবল গ বাদশাহ ঘ মহাজন
১৫৭. সাহায্যকারী কেমন? (জ্ঞান)
ক দুর্বল  ক্ষমতাবান গ গরিব ঘ ক্ষমাশীল
১৫৮. মুনাজাত করলে কে খুশি হন? (জ্ঞান)
ক মহানবি (স.) খ আবু বকর (রা.) গ পিতামাতা  আল্লাহ
১৫৯. মুনাজাত করা প্রয়োজন কেন? (অনুধাবন)
 সাহায্যের জন্য খ সম্পদের জন্য
গ পৃথিবী অর্জনের জন্য ঘ দুর্বলতা প্রকাশের জন্য
১৬০. আয়মান মুনাজাত করার ফলে আখিরাতে কী লাভ করবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জাহান্নাম খ আরাফ  জান্নাত ঘ হুর
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬১. প্রার্থনা করলেÑ (অনুধাবন)
র. আল্লাহ খুশি হবেন রর. আল্লাহ ক্ষমা করবেন
ররর. নবিগণ সুপারিশ করবেন
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬২. হাবিব আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করবেÑ (প্রয়োগ)
র. তাকওয়ার জন্য রর. পরহেযগারির জন্য ররর. হিদায়াতের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৬৩ ও ১৬৪ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শাকিলা সালাত আদায়ের পর দুই হাত তুলে আল্লাহর নিকট বলেÑ “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট হিদায়াত, তাকওয়া, পবিত্রতা ও অভাব থেকে মুক্তি কামনা করছি।” এরপর দেখা গেল তার চোখ অশ্রæসিক্ত।
১৬৩. শাকিলার কাজের দ্বারা কোনটি প্রকাশ পেয়েছে? (প্রয়োগ)
 মুনাজাত খ হেদায়াত গ পরহেযগারিতা ঘ বিনয়
১৬৪. এরূপ কাজের ফলে সে লাভ করবেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সাওয়াব রর. সম্পদ ররর. জান্নাত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ১৪ : নৈতিক গুণাবলি বিষয়ক তিনটি হাদিস

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬৫. মানবপ্রেম কী? (জ্ঞান)
 মহৎগুণ খ আল্লাহর গুণ গ মহানবি (স.)-এর গুণ ঘ গৌরব
১৬৬. আত্মীয়-অনাত্মীয় সবার প্রতি সদ্ব্যবহার করা কার নির্দেশ? (জ্ঞান)
ক আবু বকর (রা.)-এর নির্দেশ  মহানবি (স.)-এর নির্দেশ
গ উমর (রা.)-এর নির্দেশ ঘ উসমান (রা.)-এর নির্দেশ
১৬৭. কিয়ামতের দিন কে সুপারিশ করবেন? (জ্ঞান)
ক আদম (আ.)  মুহম্মদ (স.) গ মুসা (আ.) ঘ দাউদ (আ.)
১৬৮. পৃথিবীর সকল মানুষ কার সৃষ্টি? (জ্ঞান)
ক পিতামাতার খ ফেরেশতাদের  মহান আল্লাহর ঘ মহানবি (স.)-এর
১৬৯. আত্মীয়স্বজনের সাথে কী রক্ষা করতে হবে? (জ্ঞান)
 সম্পর্ক খ দায়িত্ব গ সম্মান ঘ মর্যাদা
১৭০. রফিক আত্মীয়স্বজনের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে চলে না। এরূপ আচরণের ফলে তার কী হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জান্নাতে প্রবেশ করবে  জান্নাতে প্রবেশ করবে না
গ আরাফ লাভ করবে ঘ জাহান্নাম অবধারিত
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৭১. আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখলেÑ (অনুধাবন)
র. মানুষ সম্পদশালী হয়ে ওঠে রর. আত্মীয়রা খুশি থাকেন
ররর. আল­াহর কাছেও পুরস্কার পাওয়া যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর  রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৭২ ও ১৭৩ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ইয়াসিন নিয়মিত সালাত আদায় করলেও আত্মীয়তার সম্পর্ককে গুরুত্ব দেন না।
১৭২. ইসলামের দৃষ্টিতে ইয়াসিনের কাজটি কেমন? (প্রয়োগ)
ক প্রশংসনীয় খ নিন্দনীয়  অপরাধমূলক ঘ আকর্ষণীয়
১৭৩. ইয়াসিনের এরূপ আচরণের ফলেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আল্লাহ অসন্তুষ্ট হবেন রর. আত্মীয়স্বজনরা অসন্তুষ্ট হবে
ররর. তিনি প্রচুর সম্পদের মালিক হবেন
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

Leave a Reply