একাদশ অধ্যায়
বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন
বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। ১৯৭২ সালের ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্যপদ লাভ করে। ১৯৭৪ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ ওআইসির সদস্যপদ পায়। শিক্ষার্থীরা যা জানবে
সার্কের গঠন, উদ্দেশ্য এবং বাংলাদেশের সাথে এর সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে পারবে।
জাতিসংঘের গঠন ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে পারবে।
জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বর্ণনা করতে পারবে।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
কমনওয়েলথের গঠন, উদ্দেশ্য এবং বাংলাদেশের সাথে এর সম্পর্ক বর্ণনা করতে পারবে।
ওআইসির গঠন, উদ্দেশ্য এবং বাংলাদেশের সাথে এর সম্পর্ক বর্ণনা করতে পারবে।
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
সার্ক (ঝঅঅজঈ) : সার্কের পুরো নাম দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (ঝড়ঁঃয অংরধহ অংংড়পরধঃরড়হ ভড়ৎ জবমরড়হধষ ঈড়ড়ঢ়বৎধঃরড়হ)। শুরুতে এটি দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত হয়। পরবর্তীকালে আফগানিস্তান এর সদস্যভুক্ত হয়।
সার্কের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক : সার্কের সাথে বাংলাদেশের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। সার্কের উদ্যোক্তা হিসেবে বাংলাদেশ সার্কের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বলিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। সার্কের সদস্য হিসেবে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের স¤প্রসারণ ও ভারসাম্য রক্ষা, আঞ্চলিক বিরোধ নিষ্পত্তি এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সংকট সমাধানে বাংলাদেশ অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘ : তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্টের উদ্যোগে এবং বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের সাথে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার ফলশ্রæতিতে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো শহরে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। শুরুতে জাতিসংঘের সদস্যসংখ্যা ছিল ৫০। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৯৩। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এর সদর দপ্তর অবস্থিত।
জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক : বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ জাতিসংঘের নীতি ও আদর্শের প্রতি আস্থাশীল রয়েছে। বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে তার নানা সমস্যা মোকাবিলায় জাতিসংঘের সহযোগিতা পেয়েছে। আবার জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে আসছে।
বিশ্ব শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের ভ‚মিকা : বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর অন্যতম সদস্য দেশ। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ২৫টি দেশে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষাকারী মিশনে অংশগ্রহণ করেছে। জাতিসংঘ
শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবস্থান খুবই গৌরবের। এ পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সেনাসদস্য প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষস্থান দখল করে আছে।
কমনওয়েলথ : কমনওয়েলথ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। ১৯৪৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটেন এটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। ব্রিটেন ও এর পূর্বতন অধীনস্ত দেশসমূহ এর সদস্য। এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫৩।
বাংলাদেশ ও কমনওয়েলথ : স্বাধীনতা লাভের পরপরই ১৯৭২ সালের ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্যপদ লাভ করে। বাংলাদেশ সৃষ্টির শুরু থেকেই কমনওয়েলথের সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়।
বাংলাদেশ কমনওয়েলথের একনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে এর প্রতিটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। এর ফলে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়।
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) : বিশ্বের মুসলিম প্রধান দেশগুলোর একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন হচ্ছে ওআইসি। এর পুরো নাম ঙৎমধহরুধঃরড়হ ড়ভ ওংষধসরপ ঈড়-ড়ঢ়বৎধঃরড়হ (ঙওঈ)। বাংলায় একে বলা হয় ‘ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা’।
বাংলাদেশ ও ইসলামি সম্মেলন সংস্থা : বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে ওআইসির সদস্যপদ পায়। এই সদস্যপদ লাভের মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওআইসির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের প্রতি সংহতি প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে যথাসম্ভব সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। যেমনÑ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামকে অব্যাহত সমর্থন জানিয়ে আসছে। ইরান-ইরাক যুদ্ধ বন্ধে প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আফগানিস্তানে রাশিয়ার আগ্রাসনকে নিন্দা জানিয়েছে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. ঙওঈ গঠিত হয় কত সালে?
ক ১৯৩৯ খ ১৯৪৯ ১৯৬৯ ঘ ১৯৭২
২. জাতিসংঘের কোন পরিষদটি সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে পারে?
ক সাধারণ পরিষদ নিরাপত্তা পরিষদ
গ অছি পরিষদ ঘ আন্তর্জাতিক আদালত
৩. আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসায় কাজ করেÑ
র. নিরাপত্তা পরিষদ
রর. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
ররর. আন্তর্জাতিক আদালত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর
গ র ও রর র ও ররর
ডায়াগ্রামটির আলোকে ৪ ও ৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৪. ‘?’ চিহ্নের সাথে সম্পৃক্ত সংস্থা কোনটি?
সাধারণ পরিষদ খ নিরাপত্তা পরিষদ গ কমনওয়েলথ ঘ সার্ক
৫. উক্ত সংস্থাটি-
র. প্রত্যেক বছর একজন সভাপতি নির্বাচিত করে
রর. ২ বছর পর পর একজন সভাপতি নির্বাচন করে
ররর. নতুন সদস্য রাষ্ট্র গ্রহণের অধিকার রাখে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও রর র ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ জাতিসংঘ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা
হাসান সাহেব ও হাকিম সাহেব তাদের গ্রাম সূর্যনগরে দুইটি ভিন্ন সংস্থা গঠন করেন।
হাসান সাহেবের সংস্থাটির নাম ‘শান্তি সংস্থা’। এর গঠন, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হাকিম সাহেবের সংস্থাটির নাম ‘বাগমারা সমবায় সমিতি’। এর গঠন, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
১. হাসান সাহেব সংস্থার মহাসচিব। তাঁর সংস্থার প্রাথমিক সদস্য ২৩। ১. হাকিম সাহেব সমিতির মহাসচিব। তাঁর সংস্থার প্রাথমিক সদস্য ৫০।
২. এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়ন করা এবং সা¤প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স¤প্রদায়ের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখা। ২. গ্রামের বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণের লোক সমিতির সদস্য।
৩. অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে গ্রামের শান্তিশৃঙ্খলার উন্নয়নসহ পাঠাগার, খেলাধুলার ক্লাব গড়ে তোলা।
ক. ঝঅঅজঈ এর পূর্ণরূপ কী?
খ. ‘অছি এলাকা’ কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. হাসান সাহেবের ‘শান্তি সংস্থার’ সাথে কোন আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্দেশ্যের মিল রয়েছে Ñ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. হাকিম সাহেবের সংস্থার সাথে জাতিসংঘের উদ্দেশ্যের অনেক প্রতিফলন লক্ষ করা যায় Ñ এর সত্যতা নিরূপণ কর।
ক ঝঅঅজঈ-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ঝড়ঁঃয অংরধহ অংংড়পরধঃরড়হ ভড়ৎ জবমরড়হধষ ঈড়-ড়ঢ়বৎধঃরড়হ।
খ বিশ্বের যেসব জনপদের পৃথক সত্তা আছে কিন্তু স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নেই এবং অন্য রাষ্ট্রের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত হয়, তাকে অছি এলাকা বলে। এসব এলাকার তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব জাতিসংঘের অছি পরিষদের।
গ উদ্দীপকের হাসান সাহেবের শান্তি সংস্থার সাথে ইসলামি সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) উদ্দ্যেশের মিল রয়েছে। উদ্দীপকে উল্লিখিত হাসান সাহেবের শান্তি সংস্থার প্রাথমিক সদস্য ২৩। তদ্রƒপ শুরুতে ২৩ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করা ওআইসির প্রাথমিক লক্ষ্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রেখে শত্র“র কবল থেকে ইসলামি স্থানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও বহিঃশত্রæর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এছাড়া ওআইসির আরও কিছু উদ্দেশ্য আছে। যেমন : ইসলামি ভ্রাতৃত্ব ও সংহতি জোরদার করা; ইসলামি পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তা বিধান করা; মুসলমানদের মর্যাদা রক্ষা করা; অনুরূপভাবে উদ্দীপকে হাসান সাহেবের সংস্থাটিও মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়নে কাজ করে। আবার সংস্থাটি সা¤প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং শান্তি ও সদ্ভাব বজায় রাখে। ওআইসির উদ্দেশ্যের মাঝেও আমরা দেখি, বর্ণবৈষম্যবাদ বিলোপ করা; আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে সমর্থন করা; সংস্থাভুক্ত সকল দেশ ও অন্যান্য দেশের সাথে সৌহার্দ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, উদ্দীপকের হাসান সাহেবের শান্তি সংস্থার সাথে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওআইসির উদ্দেশ্যের মিল রয়েছে।
ঘ হাকিম সাহেবের সংস্থার নাম বাগমারা সমবায় সমিতি। হাকিম সাহেব সমিতির মহাসচিব। তার সংস্থার প্রাথমিক সদস্য ৫০। গ্রামের বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণের লোক সমিতির সদস্য। এই সংস্থার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে গ্রামের শান্তিশৃঙ্খলার উন্নয়নসহ পাঠাগার, খেলাধুলার ক্লাব গড়ে তোলা। এর মধ্যে জাতিসংঘের উদ্দেশ্যের অনেক প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। বিশ্বশান্তি ও সহযোগিতার মহান লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘের উদ্দেশ্যগুলো হলো :
১. শান্তির প্রতি হুমকি ও আক্রমণাত্মক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করে বিশ্বশান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
২. সকল মানুষের সমান অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে স¤প্রীতি ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করা।
৩. অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবসেবামূলক সমস্যার সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গড়ে তোলা।
৪. জাতি-ধর্ম-বর্ণ, ভাষা ও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তোলা।
৫. আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে আন্তর্জাতিক বিবাদের মীমাংসা করা।
সুতরাং হাকিম সাহেবের সংস্থার মধ্যে জাতিসংঘের উদ্দেশ্যের অনেক প্রতিফলন লক্ষ করা যায়।
প্রশ্ন- ২ সার্ক ও কমনওয়েলথ
ক. জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন কয়টি?
খ. বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার মূল দায়িত্ব জাতিসংঘের কোন শাখারÑব্যাখ্যা কর।
গ. ডায়াগ্রামটিতে ‘অ’ কোন আঞ্চলিক সংস্থার প্রতিচ্ছবি- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘ই’ আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ- উক্তিটির সপক্ষে যুক্তি দেখাও।
ক জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ছয়টি।
খ বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার মূল দায়িত্ব নিরাপত্তা পরিষদের। এ পরিষদ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করে। আগ্রাসী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও ক‚টনৈতিক অবরোধ আরোপ করতে পারে। এ চেষ্টা ব্যর্থ হলে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করার ক্ষমতা রাখে। তাছাড়া নিরাপত্তা পরিষদ শান্তিপ্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধ বন্ধের জন্য কোথাও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করতে পারে।
গ ডায়াগ্রামটিতে ‘অ’ আঞ্চলিক সংস্থা সার্কের প্রতিচ্ছবি। সার্কের পুরো নাম দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (ঝড়ঁঃয অংরধহ অংংড়পরধঃরড়হ ভড়ৎ জবমরড়হধষ ঈড়-ড়ঢ়বৎধঃরড়হ)। শুরুতে এটি দক্ষিণ এশিয়ার ৭টি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত হয়। বর্তমানে এর সদস্যসংখ্যা ৮ পরবর্তীতে আফগানিস্তান এর সদস্যভুক্ত হলে উদ্দীপকের ‘অ’ সংস্থাটিরও সদস্য রাষ্ট্র ৮। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রগুলোর সমস্যা দূরীকরণ ও পারস্পরিক উন্নয়নের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে সার্ক গঠিত হয়। এছাড়াও সার্ক গঠনের আরও কতকগুলো সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য আছে। যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপন; অন্যান্য আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করে সার্কের লক্ষ্য বাস্তবায়নে উদ্যোগী হওয়া; যেমন : উদ্দীপকে ‘অ’ সংস্থার ক্ষেত্রে উল্লিখিত হয়েছে, টঘঙ, ঙওঈ সহ বিভিন্ন সংস্থার সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন। আবার সার্কের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে অন্যদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা যা উদ্দীপকের ‘অ’ সংস্থারও উদ্দেশ্য। সুতরাং নির্দ্বিধায় বলা যায়, ‘অ’ আঞ্চলিক সংস্থা সার্কের প্রতিচ্ছবি
ঘ ‘ই’ ডায়াগ্রামটিতে বর্ণিত তথ্য থেকে আমরা বুঝি, এটি আন্তর্জাতিক সংস্থা কমনওয়েলথকেই নির্দেশ করছে। কেননা, কমনওয়েলথের উদ্দেশ্য ও গঠনের সাথে ই ডায়াগ্রামটির বর্ণনা মিলে যায়। স্বাধীনতা লাভের পর পরই ১৯৭২ সালের ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্যপদ লাভ করে। বাংলাদেশ সৃষ্টির শুরু থেকেই কমনওয়েলথের সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের প্রচার মাধ্যমগুলো বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করেছিল। সেখানে গঠন করা হয়েছিল বাংলাদেশের জন্য সাহায্য তহবিল। কমনওয়েলথভুক্ত আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি লোককে আশ্রয় ও খাদ্য দিয়েছে। অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্র ওষুধ, খাদ্য, বস্ত্র ইত্যাদি দিয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে। বাংলাদেশের প্রতি উদার মনোভাব ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে। বাংলাদেশ কমনওয়েলথের একনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে এর প্রতিটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। কমনওয়েলথের নীতি ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করে। এর ফলে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পান। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সাথে কমনওয়েলথের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, বাংলাদেশের সাথে কমনওয়েলথের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. সার্কের সদস্য দেশের সংখ্যা কত? [স. বো. ’১৬]
ক পাঁচ খ ছয় গ সাত আট
২. বাংলাদেশ ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে কত সালে? [স. বো. ’১৬]
ক ১৯৭২ ১৯৭৪ গ ১৯৭৬ ঘ ১৯৮০
৩. বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংগঠন কোনটি? [স. বো. ’১৬]
ক জাতিসংঘ ওআইসি গ সার্ক ঘ কমনওয়েলথ
৪. জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন? [স. বো. ’১৬]
ক যুক্তরাজ্যের খ যুক্তরাষ্ট্রের গ দক্ষিণ কোরিয়ার নরওয়ের
৫. বাংলাদেশ সর্বপ্রথম কোন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে?
[সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক জাতিসংঘ কমনওয়েলথ গ ওআইসি ঘ সার্ক
৬. সার্কের সাথে বাংলাদেশের কেমন সম্পর্ক রয়েছে?
[বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক দা-কুমড়া নিবিড় গ তিক্ত ঘ হ-য-ব-র-ল
৭. ওআইসি গঠিত হয় কখন? [চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আন্তঃবিদ্যালয়]
ক ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯ খ ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯
২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯ ঘ ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯
৮. ফেব্রæয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেয় কখন? [গ্রিন ভিউ উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ]
ক ১৯৯৮ সালে ১৯৯৯ সালে
গ ১৯৭৩ সালে ঘ ১৯৭৪ সালে
৯. কোন সম্পর্কের ভিত্তিতে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা গঠিত হয়? [হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর]
ক আঞ্চলিক সম্পর্ক পারস্পরিক সহযোগিতা
গ পারস্পরিক প্রতিযোগিতা ঘ পারস্পরিক লেনদেন
১০. সার্ক গঠনের মূল লক্ষ্য কী ছিল? [বরগুনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
সদস্য দেশগুলোর সার্বিক সহযোগিতা প্রদান
খ আন্তর্জাতিক আইনের বাস্তবায়ন
গ বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠাকরণ
ঘ মুসলিম দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়ন
১১. জাতিসংঘের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে?
[বরগুনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক জাতিসংঘের প্রধান বিচারপতি
খ নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান
জাতিসংঘের মহাসচিব
ঘ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট
১২.
‘?’ স্থানে কী হবে?[শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরপুর]
জাতিসংঘ খ আসিয়ান গ সাফটা ঘ সাপটা
১৩. মহাসচিব নিয়োগ, বাজেট পাস, নতুন সদস্য গ্রহণ জাতিসংঘের কোন শাখার কাজ? [সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি এন্ড কলেজ, টঙ্গী, গাজীপুর]
ক অছি পরিষদের সাধারণ পরিষদের
গ নিরাপত্তা পরিষদের ঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের
১৪. বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার মূল দায়িত্ব কোন প্রতিষ্ঠানের?
[দি বাডস্ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, মৌলভীবাজার]
ক ওআইসি জাতিসংঘ
গ আন্তর্জাতিক আদালত ঘ ইউরোপীয় ইউনিয়ন
১৫. বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কোন প্রতিষ্ঠানকে তুমি উপযুক্ত মনে করবে?
[সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ]
জাতিসংঘকে খ কমনওয়েলথকে
গ ওআইসিকে ঘ ইইউকে
১৬. বাংলাদেশ ১৯৭৯-৮০ সালে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য পদ লাভ করে। কিন্তু বাংলাদেশ সেখানে ব্রিটেন, ফ্রান্স বা যুক্তরাষ্ট্রের ন্যায় ভ‚মিকা রাখতে পারেনি কেন? [সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, পটুয়াখালী]
ক বাংলাদেশ একটি দরিদ্র দেশ বলে
খ বাংলাদেশ সার্কের সদস্য বলে
গ বাংলাদেশে শিক্ষার হার কম বলে
বাংলাদেশ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য বলে
১৭. বাংলাদেশের জাতিসংঘের সদস্যপদ অর্জন সার্থক হয়েছে কেন?
[আল হেরা একাডেমি, পাবনা]
আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা প্রাপ্তির জন্য
খ চাঁদার পরিমাণ কম দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টির জন্য
গ অতর্কিত হামলা থেকে রেহাই পাওয়া
ঘ বিশ্বের নিকট পরিচিতি লাভ করার জন্য
১৮. বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কোন দিক দিয়ে প্রথম স্থান দখল করে আছে? [বিএএফ শাহী কলেজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা]
ক সেনাবাহিনীর কৌশলের দিক দিয়ে
খ সেনাবাহিনীর ব্যর্থতার দিক দিয়ে
সেনাবাহিনীর সংখ্যার দিক দিয়ে
ঘ সেনাবাহিনীর ব্যয়ভারের দিক দিয়ে
১৯. ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত অঞ্চলগুলো একের পর এক স্বাধীন হতে থাকে কেন? [আল আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ, চাঁদপুর]
ক ব্রিটিশদের ইচ্ছা
খ যুদ্ধবিগ্রহের ফলে
গ ব্রিটিশদের ক্ষমতা কমে যাওয়ায়
শাসিত অঞ্চলে জাতীয়তাবাদী চেতনা সৃষ্টির ফলে
২০. কার ওপর কমনওয়েলথের পরিচালনার দায়িত্ব ন্যস্ত?
[শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ব্রিটেনের রানি মহাসচিব
গ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঘ ব্রিটিশ পার্লামেন্ট
২১. ওআইসি বিশ্বের কোন দেশগুলোর একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন?
[খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ইহুদিপ্রধান খ হিন্দুপ্রধান গ খ্রিষ্টানপ্রধান মুসলিমপ্রধান
২২.
‘?’ স্থানে কী হবে? [সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, পটুয়াখালী]
ক জাতিসংঘ
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন
গ কমনওয়েলথ
ঘ সার্ক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৩. সার্কের সদস্য দেশÑ [সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
র. নেপাল রর. তাইওয়ান
ররর. ভুটান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৪. সার্কের স্তরে রয়েছেÑ [বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা]
র. পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন রর. স্ট্যান্ডিং কমিটি
ররর. সার্ক সচিবালয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২৫. সার্ক সম্মেলনের মধ্যে রয়েছে [আল হেরা একাডেমি, পাবনা]
র. অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলন
রর. পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন
ররর. রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সম্মেলন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৬. জাতিসংঘের উদ্দেশ্যÑ [নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. বিশ্ব শান্তি রক্ষা করা
রর. আন্তর্জাতিক বিবাদের মীমাংসা করা
ররর. ধর্ম প্রচার করা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৭. জাতিসংঘের শাখাÑ [সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, পটুয়াখালী]
র. সাধারণ পরিষদ রর. ওআইসি
ররর. অছি পরিষদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৮. আন্তর্জাতিক আদালতÑ [সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
র. ১৫ জন বিচারক নিয়ে গঠিত
রর. বিচারকের কাজের মেয়াদকাল ৯ বছর
ররর. সাধারণ ও নিরাপত্তা পরিষদ বিচারকদের নির্বাচিত করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২৯. বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্যরাষ্ট্র। এটি উন্নয়নশীল দেশগুলোর লক্ষ্যে কাজ করে [ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল ও কলেজ, কুমিল্লা সেনানিবাস]
র. কৃষিক্ষেত্রে রর. শিক্ষার ক্ষেত্রে
ররর. প্রযুক্তির ক্ষেত্রে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩০. কমনওয়েলথ-এর বৈশিষ্ট্য হলো [সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ, গাংনী মেহেরপুর]
র. এটি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা
রর. এর সদর দপ্তর প্যারিসে
ররর. এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩১ ও ৩২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মায়ানমার বাংলাদেশের একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র। সমুদ্রসীমা নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে বিরোধ চলছিল। স¤প্রতি বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে সমুদ্র সীমানাসংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে। [স. বো. ’১৫]
৩১. বাংলাদেশ কোন আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে উদ্দীপকে উল্লিখিত সমস্যার সমাধান করে?
ক সাধারণ পরিষদ খ নিরাপত্তা পরিষদ
আন্তর্জাতিক আদালত ঘ অছি পরিষদ
৩২. উক্ত সংস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলোÑ
র. বিশ্বশান্তি রক্ষায় সহায়ক
রর. আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসা করে
ররর. আইনের ব্যাখ্যা দান করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের ডায়াগ্রামটির আলোকে ৩৩ ও ৩৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৩৩. “?” চিিহ্নত স্থানে কোনটি বসবে? [স. বো. ’১৫]
ক সার্ক খ ওআইসি কমনওয়েলথ ঘ জাতিসংঘ
৩৪. উক্ত সংস্থাটি ভ‚মিকা রাখেÑ
র. বর্ণবৈষম্য দূরীকরণে রর. শিক্ষা ও প্রযুক্তির উন্নয়নে
ররর. আর্থসামাজিক উন্নয়নে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৫ ও ৩৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘ক’ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এটি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। এর ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ শাখা একইভাবে বিশ্ববাসীর উন্নয়নে অবদান রাখে।
[আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ, চাঁদপুর]
৩৫. উদ্দীপকে যে সংস্থার কথা বলা হয়েছে সেটি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
ক ১৯৩৯ খ ১৯৪১ ১৯৪৫ ঘ ১৯৫১
৩৬. উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থা যেসব মৌলিক বিষয়ে ভ‚মিকা পালন করে
র. বিভিন্ন রাষ্ট্রের পারস্পরিক বিরোধ নিষ্পত্তি
রর. আগ্রাসী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
ররর. বিভিন্ন রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা দান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ভ‚মিকা বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১২১
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৭. পৃথিবী কীসের নাম? (অনুধাবন)
ক উপগ্রহ গ্রহ গ ভ‚ত্বক ঘ স্থলভাগ
৩৮. মহাদেশ কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৫ খ ৬ ৭ ঘ ৮
৩৯. বিশ্বে বিভিন্ন সহযোগিতামূলক সংগঠন গড়ে উঠেছে কেন? (প্রয়োগ)
বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনে
খ বিভিন্ন দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতার প্রয়োজনে
গ বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যের প্রয়োজনে
ঘ বিভিন্ন দেশের মধ্যে যুদ্ধের প্রয়োজনে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪০. বিশ্বের দেশগুলো (অনুধাবন)
র. স্বাধীন রর. একা চলে
ররর. সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪১. বিশ্বের সহযোগিতামূলক সংগঠন (অনুধাবন)
র. সার্ক রর. কমনওয়েলথ
ররর. জাতিসংঘ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪২. স্বাধীন ও সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হলেও বিশ্বের দেশগুলোর প্রয়োজন (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বন্ধুত্ব রর. স¤প্রীতি ররর. পারস্পরিক সহযোগিতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
সার্ক বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১২২
¡ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা হলো সার্ক।
¡ সার্ক গঠিত হয় দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র নিয়ে।
¡ সার্কের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৮টি।
¡ সার্ক সচিবালয় অবস্থিত নেপালের রাজধানী কাঠমুণ্ডুতে।
¡ সার্কের প্রধানকে বলা হয় সেক্রেটারি জেনারেল।
¡ ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে সার্কের কাজ শুরু হয় ১৯৮৫ সালে।
¡ প্রথম সার্ক গঠনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমান।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৩. সার্কের পুরো নাম কী? (জ্ঞান)
ক দক্ষিণ এশীয় অর্থনৈতিক সংস্থা
খ দক্ষিণ এশীয় রাজনৈতিক বাণিজ্য
গ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক বাণিজ্য
দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা
৪৪. ঝঅঅজঈ-এর পূর্ণরূপ কী? (জ্ঞান)
ঝড়ঁঃয অংরধহ অংংড়পরধঃরড়হ ভড়ৎ জবমরড়হধষ ঈড়ড়ঢ়বৎধঃরড়হ
খ ঝড়ঁঃয অংরধহ অমৎরপঁষঃঁৎব ভড়ৎ জবমরড়হধষ ঈড়ড়ঢ়বৎধঃরড়হ
গ ঝড়ঁঃয অংরধহ অমৎরপঁষঃঁৎব ভড়ৎ জবংঃৎরপঃবফ পড়ড়ঢ়বৎধঃরড়হ
ঘ ঝড়ঁঃয অংরধহ অংংড়পরধঃরড়হ ভড়ৎ জধহফড়স পড়ড়ঢ়বৎধঃরড়হ
৪৫. সার্কের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদেশ কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৫ খ ৬ ৭ ঘ ৮
৪৬. কোনটি আঞ্চলিক উন্নয়ন সংস্থা? (অনুধাবন)
সার্ক খ জাতিসংঘ
গ কমনওয়েলথ ঘ ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা
৪৭. সার্কের প্রথম সম্মেলন কত সালে হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৮৪ ১৯৮৫ গ ১৯৮৬ ঘ ১৯৮৭
৪৮. সার্ক কখন গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ৮ নভেম্বর ১৯৮৩ খ ৮ ডিসেম্বর ১৯৮৪
৮ ডিসেম্বর ১৯৮৫ ঘ ৮ মার্চ ১৯৮৬
৪৯. সার্কের প্রথম সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক দিলিতে ঢাকায়
গ কাঠমুন্ডুতে ঘ মালেতে
৫০. সার্ক সনদ স্বাক্ষরিত হয় কোথায়? (জ্ঞান)
ক ভারতে ঢাকায় গ নেপালে ঘ পাকিস্তানে
৫১. বর্তমানে সার্কের সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৬ খ ৭ ৮ ঘ ৯
৫২. সার্কের অন্তর্ভুক্ত দেশ কোনটি? (জ্ঞান)
ক চীন খ মায়ানমার ভুটান ঘ জাপান
৫৩. কোন দেশটি সার্কের সদস্য নয়? (অনুধাবন)
চীন খ নেপাল গ ভুটান ঘ বাংলাদেশ
৫৪. বর্তমানে কোন দেশটি সার্কের নতুন সদস্য? (জ্ঞান)
আফগানিস্তান খ ভুটান গ নেপাল ঘ চীন
৫৫. সার্কের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে কয়টি স্তর রয়েছে? (জ্ঞান)
ক ৩ খ ৭ ৫ ঘ ৬
৫৬. মিলনকে যদি সার্কের সচিবালয় যেতে হয় তাহলে তাকে কোথায় যেতে হবে? (প্রয়োগ)
নেপালে খ ভারতে গ ভুটানে ঘ বাংলাদেশে
৫৭. নেপালের রাজধানীর নাম কী? (জ্ঞান)
কাঠমুন্ডু খ ইসলামাবাদ গ থিম্পু ঘ হায়দারাবাদ
৫৮. সার্ক সচিবালয় কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক থিম্পুতে খ মালেতে
কাঠমুন্ডুতে ঘ দিলিতে
৫৯. সার্ক সচিবালয়ের প্রধানকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক চেয়ারম্যান খ কমিশনার
সেক্রেটারি জেনারেল ঘ রিজোনাল সেক্রেটারি জেনারেল
৬০. কত বছর পরপর সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়? (অনুধাবন)
এক বছর খ দুই বছর গ তিন বছর ঘ চার বছর
৬১. ‘ক’ একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক সংস্থা হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রায় ১৫০ কোটি জনগণের আশা আকাক্সক্ষার প্রতীক। সংস্থাটির নাম কী? (প্রয়োগ)
সার্ক খ জাতিসংঘ
গ কমনওয়েলথ ঘ ইসলামি সম্মেলন সংস্থা
৬২. সার্ক দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রায় কত কোটি জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক? (জ্ঞান)
ক ১২০ খ ১৩০ গ ১৪০ ১৫০
৬৩. দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো কোন ধরনের? (জ্ঞান)
ক অউন্নয়নশীল উন্নয়নশীল
গ উন্নত ঘ অনুন্নত
৬৪. সার্কের মূল লক্ষ্য কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সংস্কৃতির বিকাশ খ আন্তর্জাতিক বিবাদের মীমাংসা
গ রাজনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন সদস্য দেশগুলোর পারস্পরিক উন্নয়ন
৬৫. জনজীবনের মানোন্নয়ন, আস্থা ও সমঝোতা বৃদ্ধি, যৌথ কার্যক্রমের সূচনা, সহযোগিতা ইত্যাদি নিচের কোন প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য? (অনুধাবন)
ক আসিয়ান খ সাপটা গ সাফটা সার্ক
৬৬. কয়টি লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে সার্কের জন্ম ও অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে?(জ্ঞান)
ক ৬ খ ৭ গ ৮ ৯
৬৭. সার্কের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সম্পৃক্ত কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা জনজীবনের মান উন্নয়ন
গ উপনিবেশবাদ বিলোপ করা ঘ আন্তর্জাতিক বিরোধের নিষ্পত্তি
৬৮. দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে জাতীয়ভাবে আত্মনির্ভরশীল করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদেক্ষপ গ্রহণ করে কোনটি? (অনুধাবন)
সার্ক খ জাতিসংঘ
গ কমনওয়েলথ ঘ ইসলামি সম্মেলন সংস্থা
৬৯. কোন সংস্থাটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে? (জ্ঞান)
ক কমনওয়েলথ খ জাতিসংঘ
গ ওআইসি সার্ক
৭০. সার্কের জন্ম হয় কোন দেশে? (জ্ঞান)
ক ভারতে খ পাকিস্তানে
বাংলাদেশে ঘ আফগানিস্তানে
৭১. কে প্রথম সার্ক গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক কামাল হোসেন খ মুহাম্মদ এরশাদ
জিয়াউর রহমান ঘ শেখ মুজিবুর রহমান
৭২. সার্কের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ কেন? (অনুধাবন)
ক সার্ক দক্ষিণ এশিয় সংস্থা বলে
সার্ক গঠনের উদ্যোক্তা দেশ বলে
গ সর্বোচ্চ সাহায্যকারী সংস্থা বলে
ঘ সার্কের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান বলে
৭৩. কোন সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সার্কের কাজ শুরু হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৮১ খ ১৯৮২ গ ১৯৮৪ ১৯৮৫
৭৪. ১৯৮৫ সালে কার উদ্যোগে ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে সার্কের কার্যক্রম শুরু হয়? (জ্ঞান)
ক জিয়াউর রহমান খ শেখ মুজিবুর রহমান
গ এইচ.এম. সায়েম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
৭৫. সার্কের উদ্যোক্তা হিসেবে কোন দেশ সার্কের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বলিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে? (জ্ঞান)
ক নেপাল খ শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশ ঘ আফগানিস্তান
৭৬. সার্ক গঠনে কোন দেশের অবদান সবচেয়ে বেশি? (অনুধাবন)
ক ভারত খ নেপাল গ পাকিস্তান বাংলাদেশ
৭৭. সার্কের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করার জন্য কোন দেশ সব ধরনের সহযোগতিা করে যাচ্ছে? (জ্ঞান)
ক ভারত খ মালদ্বীপ গ পাকিস্তান বাংলাদেশ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৮. ‘১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর’ দিনটি উল্লেখযোগ্য হওয়ার কারণ- (অনুধাবন)
র. ঢাকায় সার্ক সনদ স্বাক্ষরের মাধ্যমে ‘সার্কের’ জন্ম হয়
রর. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওআইসির লাহোর সম্মেলনে যোগদান করেন
ররর. বাংলাদেশ ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৯. সার্ক একটিÑ (অনুধাবন)
র. দক্ষিণ এশিয়ার সংস্থা রর. আঞ্চলিক সংস্থা
ররর. আন্তর্জাতিক সংস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮০. সার্কের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্র (অনুধাবন)
র. অত্যন্ত নিবিড় রর. ভিত্তিভ‚মি
ররর. কেবল সদস্য হিসেবে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮১. সার্ক গঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার (অনুধাবন)
র. জনজীবনের মানোন্নয়ন
রর. আস্থা ও সমঝোতা বৃদ্ধি
ররর. যৌথ কার্যক্রমের সূচনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮২. সার্কের সদস্যরাষ্ট্রগুলো হলো (অনুধাবন)
র. ভুটান, ভারত রর. নেপাল, মালদ্বীপ
ররর. চীন, আফগানিস্তান
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৩. সার্কের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তথ্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আঞ্চলিক সংস্থা রর. দক্ষিণ এশীয় সংস্থা
ররর. সহযোগিতামূলক সংস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮৪. সার্কের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর স্তরগুলো হলো (অনুধাবন)
র. সার্ক সচিবালয়
রর. পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন
ররর. রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮৫. সার্কের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে যেসব কমিটি রয়েছে (অনুধাবন)
র. স্ট্যান্ডিং কমিটি রর. রিজিওনাল কমিটি
ররর. টেকনিক্যাল কমিটি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৬. সার্কের উদ্দেশ্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন
রর. পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি
ররর. অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮৭. সার্কের উদ্যোক্তা দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ তা হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সন্ত্রাস দমন রর. মানবপাচার রোধ
ররর. যোগাযোগ ও প্রযুক্তির উন্নয়ন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চিত্রটি দেখে ৮৮ ও ৮৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৮৮. চিত্রে কোন সহযোগিতামূলক সংস্থার সদর দপ্তর দেখা যাচ্ছে? (প্রয়োগ)
সার্ক খ জাতিসংঘ
গ ওআইসি ঘ কমনওয়েলথ
৮৯. উক্ত সংস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. এর উদ্যোক্তা বাংলাদেশ রর. বর্তমানে সদস্য দেশ ৮টি
ররর. এর সচিবালয় নেপালে অবস্থিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
জাতিসংঘ বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১২৩
¡ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ১৯১৪ সালে।
¡ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ১৯৩৯ সালে।
¡ যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো শহরে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর।
¡ জাতিসংঘের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৯৩টি।
¡ জাতিসংঘের সদর দপ্তর অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক।
¡ জাতিসংঘের মোট শাখা আছে ছয়টি।
¡ জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র সাধারণ পরিষদের সদস্য।
¡ জাতিসংঘ বিশ্বের অনুন্নত অঞ্চলের তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব নেয় অছি পরিষদের মাধ্যমে।
¡ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদর দপ্তর অবস্থিত নেদারল্যান্ডের দি হেগ শহরে।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯০. কত বছরের ব্যবধানে পৃথিবীতে দুটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে? (জ্ঞান)
ক ২২ ২৫ গ ২৬ ঘ ৩০
৯১. কোনটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের স্থায়িত্বকাল? (জ্ঞান)
ক ১৯১৩-১৯১৫ সাল পর্যন্ত ১৯১৪-১৯১৮ সাল পর্যন্ত
গ ১৯১৫-১৯১৮ সাল পর্যন্ত ঘ ১৯১৬-১৯৪৬ সাল পর্যন্ত
৯২. কোনটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্থায়িত্বকাল? (জ্ঞান)
ক ১৯৩৮-১৯৪১ সাল পর্যন্ত ১৯৩৯-১৯৪৫ সাল পর্যন্ত
গ ১৯৪০-১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ঘ ১৯৪১-১৯৪২ সাল পর্যন্ত
৯৩. জাতিপুঞ্জ গঠনের উদ্দেশ্য কী ছিল? (অনুধাবন)
ক বিশ্বকে স্বাধীনতা দেওয়া খ বিশ্বের মানুষকে শিক্ষিত করা
বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা ঘ বিশ্বকে দারিদ্র্যমুক্ত করা
৯৪. জাতিপুঞ্জ কখন গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯১৯ সালে ১৯২০ সালে
গ ১৯২১ সালে ঘ ১৯২২ সালে
৯৫. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় কত সালে? (জ্ঞান)
১৯৩৯ খ ১৯৪০ গ ১৯৪১ ঘ ১৯৪২
৯৬. ‘জাতিপুঞ্জ’-এর ইংরেজি প্রতিশব্দ কোনটি? (জ্ঞান)
ক লিগ অব অর্গানাইজেশন লিগ অব নেশনস
গ লিগ অব জাসটিস ঘ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন
৯৭. কোন যুদ্ধে জাপানে আণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়? (জ্ঞান)
ক প্রথম বিশ্বযুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
গ রুশ জাপান যুদ্ধ ঘ চীন-জাপান যুদ্ধ
৯৮. “হিরোশিমা ও নাগাসাকি” শহর দুটি কোন দেশে অবস্থিত? (অনুধাবন)
ক রাশিয়া খ যুক্তরাষ্ট্র গ যুক্তরাজ্য জাপান
৯৯. কত সালে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা হাতে নেয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৩৯ খ ১৯৪০ ১৯৪১ ঘ ১৯৪২
১০০. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন? (জ্ঞান)
উইনস্টন চার্চিল খ ন্যাভেলী চেম্বারলেন
গ ডেভিড লয়েড জর্জ ঘ রবার্ট ওয়ালপল
১০১. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক ক্যালভিন কোলিজ খ হার্বাট ক্লার্ক হোভার
রুজভেল্ট ঘ হ্যারি এস ট্রুম্যান
১০২. কত সালে জাতিসংঘ গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৪২ খ ১৯৪৩ ১৯৪৫ ঘ ১৯৪৬
১০৩. জাতিসংঘের জন্ম হয় কখন? (জ্ঞান)
ক ১৯৩৯ সালের ২৪ অক্টোবর খ ১৯৪১ সালের ২৪ অক্টোবর
গ ১৯৪৩ সালের ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর
১০৪. যুক্তরাষ্ট্রের কোন শহরে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে? (জ্ঞান)
ক ক্যালিফোর্নিয়া সানফ্রান্সিসকো
গ হাওয়াই ঘ লুইসয়ানা
১০৫. বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কোন সংস্থাটি কার্যকর ভ‚মিকা পালন করছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ওআইসি জাতিসংঘ
গ কমনওয়েলথ ঘ সার্ক
১০৬. জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা কত ছিল? (জ্ঞান)
৫০ খ ৫১ গ ৫২ ঘ ৫৩
১০৭. ‘ক’ একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক সংস্থা শুরুতে যার সদস্য সংখ্যা ছিল ৫০। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৯৩। সংস্থাটির নাম কী? (প্রয়োগ)
জাতিসংঘ খ আসিয়ান
গ কমনওয়েলথ ঘ ওআইসি
১০৮. বর্তমানে কতটি দেশ জাতিসংঘের সদস্য? (জ্ঞান)
ক ১৫৮ ১৯৩ গ ১৯৪ ঘ ১৯৯
১০৯. জাতিসংঘের সদরদপ্তর কোন দেশে অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক ব্রিটেনে যুক্তরাষ্ট্রে গ ফ্রান্সে ঘ রাশিয়ায়
১১০. জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায়? (জ্ঞান)
ক ঢাকায় খ ওয়াশিংটনে গ ম্যানিলায় নিউইয়র্কে
১১১. জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন? (জ্ঞান)
ক ডেনমার্ক খ আমেরিকা গ ইংল্যান্ড নরওয়ে
১১২. জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক উথান্ট খ দ্যাগ হ্যামারসোল্ড
গ কুর্ট ওয়ার্ল্ড হেইম ট্রিগভেলি
১১৩. বর্তমান জাতিসংঘের মহাসচিবের নাম কী? (জ্ঞান)
ক বুট্টোস ঘালি বান কি মুন
গ হামিদ আল ওয়ালিদ ঘ কফি আনান
১১৪. জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব কোন দেশের অধিবাসী? (জ্ঞান)
ক উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়া
গ ঘানা ঘ মিশর
১১৫. জাতিসংঘের পতাকাটি কোন রঙের? (অনুধাবন)
ক লাল নীল গ সবুজ ঘ হলুদ
১১৬. জাতিসংঘের উদ্দেশ্য কয়টি? (অনুধাবন)
ক ৩ খ ৪ ৫ ঘ ৬
১১৭. জাতিসংঘের শাখা কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৩ খ ৫ ৬ ঘ ৭
১১৮. কোনটি জাতিসংঘের আইনসভা স্বরূপ? (অনুধাবন)
ক নিরাপত্তা পরিষদ সাধারণ পরিষদ
গ অছি পরিষদ ঘ অর্থনৈতিক পরিষদ
১১৯. বিশ্বশান্তি ও সহযোগিতাসংক্রান্ত যাবতীয় কাজ জাতিসংঘের কোন শাখার মাধ্যমে সম্পাদিত হয়? (অনুধাবন)
সাধারণ পরিষদ খ নিরাপত্তা পরিষদ
গ জাতিসংঘ সচিবালয় ঘ অছি পরিষদ
১২০. জাতিসংঘের সকল সদস্যরাষ্ট্রের প্রতিনিধি নিয়ে কোন পরিষদ গঠিত? (জ্ঞান)
ক নিরাপত্তা পরিষদ খ অছি পরিষদ
গ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ সাধারণ পরিষদ
১২১. জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র কোনটির সদস্য? (জ্ঞান)
ক নিরাপত্তা পরিষদ খ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
গ অছি পরিষদ সাধারণ পরিষদ
১২২. জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বছরে কয়বার অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
১ খ ২ গ ৩ ঘ ৪
১২৩. সাধারণ পরিষদের প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্র কয়টি ভোটদানের অধিকার রাখে? (অনুধাবন)
১ খ ২ গ ৩ ঘ ৪
১২৪. জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী? (অনুধাবন)
ক যুদ্ধ বন্ধ করা
আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
গ আন্তর্জাতিক অর্থনীতি জোরদার করা
ঘ খাদ্য সমস্যার সমাধান করা
১২৫. জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল নিয়োগ করার দায়িত্ব কার ওপর? (অনুধাবন)
ক নিরাপত্তা পরিষদ খ অছি পরিষদ
গ আন্তর্জাতিক আদালত সাধারণ পরিষদ
১২৬. জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মূল কাজ কোনটি? (অনুধাবন)
সদস্য রাষ্ট্রের বার্ষিক চাঁদার হার নির্ধারণ
খ বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষাকরণ
গ জনসাধারণের উন্নয়নের জন্য প্রশ্নমালা প্রণয়ন
ঘ সদস্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিচার করা
১২৭. জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদের কাজ কোনটি? (অনুধাবন)
ক বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা খ বেকার সমস্যার সমাধান
বিভিন্ন সংস্থার সদস্য নির্বাচন ঘ চিকিৎসা ও পুনর্বাসন
১২৮. আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক নির্বাচন কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ? (জ্ঞান)
ক নিরাপত্তা পরিষদের সাধারণ পরিষদের
গ অর্থনৈতিক পরিষদের ঘ সামাজিক পরিষদের
১২৯. জাতিসংঘের কোন শাখাটি নির্বাচনসংক্রান্ত কাজ পরিচালনা করে? (জ্ঞান)
সাধারণ পরিষদ খ নিরাপত্তা পরিষদ
গ অছি পরিষদ ঘ আন্তর্জাতিক আদালত
১৩০. জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী শাখা কোনটি? (অনুধাবন)
ক অছি পরিষদ খ আন্তর্জাতিক আদালত
গ সাধারণ পরিষদ নিরাপত্তা পরিষদ
১৩১. কোনটি জাতিসংঘের শাসন বিভাগস্বরূপ? (জ্ঞান)
ক সাধারণ পরিষদ নিরাপত্তা পরিষদ
গ অছি পরিষদ ঘ সেক্রেটারিয়েট
১৩২. জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মোট কতটি সদস্য নিয়ে গঠিত? (জ্ঞান)
ক ১০ খ ১২ ১৫ ঘ ১৮
১৩৩. নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৪ ৫ গ ৬ ঘ ৭
১৩৪. নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যসংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ৬ খ ৭
গ ৯ ১০
১৩৫. নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য কত বছরের জন্য নির্ধারিত হয়? (জ্ঞান)
ক এক দুই
গ তিন ঘ পাঁচ
১৩৬. বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার মূল দায়িত্ব কোনটির ওপর ন্যস্ত? (জ্ঞান)
ক সাধারণ পরিষদের নিরাপত্তা পরিষদের
গ আন্তর্জাতিক আদালতের ঘ অছি পরিষদের
১৩৭. জাতিসংঘের কোন বিভাগ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে? (অনুধাবন)
ক অছি পরিষদ খ সাধারণ পরিষদ
নিরাপত্তা পরিষদ ঘ আন্তর্জাতিক আদালত
১৩৮. আন্তর্জাতিক শান্তি ও স¤প্রীতি রক্ষার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল কাজ জাতিসংঘের কোন শাখাটি করে থাকে? (জ্ঞান)
ক সাধারণ পরিষদ খ অছি পরিষদ
নিরাপত্তা পরিষদ ঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
১৩৯. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্যসংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ৪৪ খ ৫২
৫৪ ঘ ৫৮
১৪০. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের অধিবেশন বছরে কমপক্ষে কত বার অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ২ ৩
গ ৪ ঘ ৫
১৪১. কোনটি জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কাজ? (জ্ঞান)
ক বিচারসংক্রান্ত কাজ খ কর আদায়সংক্রান্ত কাজ
চিকিৎসা ও পুনর্বাসনসংক্রান্ত কাজ ঘ বাজেটসংক্রান্ত কাজ
১৪২. জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল রাষ্ট্রের মৌলিক মানবিক অধিকার রক্ষার দায়িত্ব জাতিসংঘের কোন অঙ্গ সংগঠনের? (জ্ঞান)
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ খ নিরাপত্তা পরিষদ
খ অছি পরিষদ ঘ সাধারণ পরিষদ
১৪৩. বিশ্বের যে জনপদগুলোর পৃথক সত্তা আছে কিন্তু স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নেই। এসব এলাকার তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব জাতিসংঘের কোন পরিষদের? (অনুধাবন)
ক সাধারণ পরিষদের খ নিরাপত্তা পরিষদের
অছি পরিষদের ঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের
১৪৪. জাতিসংঘের কোন পরিষদের সদস্য সংখ্যা অনির্দিষ্ট? (জ্ঞান)
ক সাধারণ পরিষদ অছি পরিষদ
গ নিরাপত্তা পরিষদ ঘ সেক্রেটারিয়েট
১৪৫. অছি পরিষদের মূল কাজ কোনটি? (অনুধাবন)
ক অছি এলাকার জনসাধারণের শিক্ষা ও স্বাধীনতা বৃদ্ধি করা
অছি এলাকার উন্নয়ন ও তত্ত¡াবধান করা
গ অছি এলাকার রিপোর্ট তৈরি করা
ঘ অছি এলাকার জনগণের উন্নয়নের জন্য প্রশ্নমালা তৈরি করা
১৪৬. কোনো অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার জন্য জাতিসংঘের কোন শাখা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে? (অনুধাবন)
ক নিরাপত্তা পরিষদ খ সাধারণ পরিষদ
গ আন্তর্জাতিক আদালত অছি পরিষদ
১৪৭. বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কোন প্রতিষ্ঠানকে তুমি উপযুক্ত মনে করবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ইউরোপীয় ইউনিয়ন খ আফ্রিকান ইউনিয়ন
আন্তর্জাতিক আদালত ঘ জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন
১৪৮. আন্তর্জাতিক আদালত গঠনের উদ্দেশ্য কোনটি? (অনুধাবন)
আন্তর্জাতিক বিবাদ মীমাংসা খ জাতীয় বিবাদ মীমাংসা
গ সদস্য রাষ্ট্রের স¤প্রীতি রক্ষা ঘ সদস্য রাষ্ট্রের বিবাদ মীমাংসা
১৪৯. আন্তর্জাতিক আদালত কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
নেদারল্যান্ডে খ বেলজিয়ামে
গ ফ্রান্সে ঘ জার্মানিতে
১৫০. আন্তর্জাতিক আদালতের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
দি হেগ শহরে খ নিউইয়র্কে
গ ওয়াশিংটনে ঘ লন্ডনে
১৫১. আন্তর্জাতিক আদালত কতজন বিচারক নিয়ে গঠিত? (জ্ঞান)
ক ১৪ ১৫ গ ১৭ ঘ ২০
১৫২. আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারকের মেয়াদ কত বছর? (জ্ঞান)
ক ৫ ৯ গ ১০ ঘ ২০
১৫৩. আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে আন্তর্জাতিক বিবাদের মীমাংসা করা কোন প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য? (অনুধাবন)
জাতিসংঘ খ সাপটা
গ কমনওয়েলথ ঘ সাফটা
১৫৪. জাতিসংঘকে অধিক কার্যকর করতে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত? (উচ্চতর দক্ষতা)
নিরপেক্ষ অবস্থান নিশ্চিতকরণ
খ বেশি চাঁদা প্রদানকারী দেশের প্রতি সহানুভ‚তি প্রদর্শন
গ প্রশাসনিক সংস্কার সাধন
ঘ মহাসচিবের ক্ষমতা হ্রাসকরণ
১৫৫. গঙ্গার পানি বণ্টন বিষয়টি সুরাহার জন্য বাংলাদেশ কোথায় মামলা দাখিল করতে পারবে? (প্রয়োগ)
ক হাইকোর্টে আন্তর্জাতিক আদালতে
গ সুপ্রিমকোর্টে ঘ ভারতের আদালতে
১৫৬. সেক্রেটারিয়েট জাতিসংঘের কোন ধরনের বিভাগ? (জ্ঞান)
ক আইনানুগ প্রশাসনিক
গ নিরাপত্তা বিধান ঘ আশ্রয়দান
১৫৭. জাতিসংঘের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদবি কী? (জ্ঞান)
ক সচিব খ উপমহাসচিব
মহাসচিব ঘ সভাপতি
১৫৮. জাতিসংঘের মহাসচিব কত বছরের জন্য নির্বাচিত হন? (অনুধাবন)
ক ৩ খ ৪
৫ ঘ ৬
১৫৯. কোন শাখাটি ব্যতীত জাতিসংঘ সচিবালয়ের মহাসচিব জাতিসংঘের সকল শাখায় লোক নিয়োগ করতে পারে? (অনুধাবন)
ক নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক আদালত
গ অছি পরিষদ ঘ সাধারণ পরিষদ
১৬০. জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশন বসতে পারে কোন পরিষদের অনুরোধে? (জ্ঞান)
ক আন্তর্জাতিক আদালতের খ অছি পরিষদের
নিরাপত্তা পরিষদের ঘ জাতিসংঘ সচিবালয়ের
১৬১. জাতিসংঘের অন্যতম সাফল্য কোনটি? (অনুধাবন)
ক পৃথিবীকে সংঘাতমুক্ত করতে পেরেছে
খ পৃথিবীকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে পেরেছে
পৃথিবীকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হাত থেকে বাঁচিয়েছে
ঘ মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬২. পৃথিবী নামক গ্রহে বিশ্বযুদ্ধ হয়Ñ (অনুধাবন)
র. ১৯১৪ সালে
রর. ১৯৩৯ সালে
ররর. ১৯৭০ সালে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৩. জাতিসংঘের ক্ষেত্রে বলা যায়Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৯৩
রর. শুরুতে সদস্য সংখ্যা ছিল ৫০
ররর. প্রথম মহাসচিব নরওয়ের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৬৪. জাতিসংঘেরÑ (অনুধাবন)
র. বর্তমান মহাসচিব বান কি মুন
রর. প্রথম মহাসচিব নরওয়ের
ররর. পতাকা হালকা নীল রঙের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৬৫. জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের কাজÑ (অনুধাবন)
র. মহাসচিব নিয়োগ
রর. নতুন সদস্য গ্রহণ
ররর. বাজেট পাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৬৬. নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র হলোÑ (অনুধাবন)
র. রাশিয়া
রর. ফ্রান্স
ররর. চীন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ
জনাব নাসির উদ্দিন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একজন কর্মকর্তা। তিনি জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখার অধীনে সিয়েরালিওনে শান্তি রক্ষার কাজে নিয়োজিত। তিনি সেখানকার বিবদমান দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সশস্ত্র সংঘর্ষ বন্ধ করতে সক্ষম হন।
[স. বো. ’১৬]
ক. ঙওঈ-এর পূর্ণরূপ লেখ। ১
খ. সার্কের গঠনপ্রণালী বর্ণনা কর। ২
গ. জনাব নাসির উদ্দিন উদ্দীপকে উল্লিখিত জাতিসংঘের কোন শাখার অধীনে কর্মরত? শাখাটির কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থাটির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ঙওঈ-এর পূর্ণরূপ ঙৎমধহরুধঃরড়হ ড়ভ ওংষধসরপ ঈড়-ঙঢ়বৎধঃরড়হ.
খ বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান এই আটটি রাষ্ট্র নিয়ে সার্ক গঠিত। সার্কের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে পাঁচটি স্তর আছে। এগুলো হলো ১. রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন, ২. পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন, ৩. স্ট্যান্ডিং কমিটি, ৪. টেকনিক্যাল কমিটি এবং ৫. সার্ক সচিবালয়। এগুলোর মাধ্যমে সার্কের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পাদন করা হয়ে থাকে।
গ উদ্দীপকের জনাব নাসির উদ্দিন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ শাখার অধীনে কর্মরত। বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার মূল দায়িত্ব নিরাপত্তা পরিষদের। এ পরিষদ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করে। আগ্রাসী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও ক‚টনৈতিক অবরোধ আরোপ করতে পারে। এ চেষ্টা ব্যর্থ হলে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করার ক্ষমতা রাখে। তাছাড়া নিরাপত্তা পরিষদ শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধ বন্ধের জন্য কোথাও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করতে পারে। মোটকথা, আন্তর্জাতিক শান্তি ও স¤প্রীতি রক্ষার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল কাজ এ সংস্থাটি করে থাকে।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থা তথা জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশের গভীর ও হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে তার নানা সমস্যা মোকাবেলায় জাতিসংঘের সহযোগিতা পেয়েছে। আবার জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে আসছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাগুলো বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে অকৃত্রিম বন্ধুর মতো কাজ করে যাচ্ছে। এসব সংস্থা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও পুষ্টি, যোগাযোগ, শিশু মৃত্যু হ্রাস, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন, বিজ্ঞান, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির উন্নয়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রগতি অর্জনে যথেষ্ট সাহায্য করছে। জাতিসংঘ আমাদের ‘ভাষা ও শহিদ’ দিবস ২১ ফেব্রæয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে বাংলা ভাষাকে সর্বোচ্চ মর্যাদার আসনে উন্নীত করেছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ ছিল, যা নিয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে। ফলশ্রæতিতে এ বিরোধের সুষ্ঠু পরিসমাপ্তি ঘটে। এভাবে জাতিসংঘ বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে আমাদের দেশকে সাহায্য করে যাচ্ছে। জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘ সেনাবাহিনীতে সেনাসদস্য পাঠিয়ে বিশ্বশান্তি রক্ষায় সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করছে।
প্রশ্ন- ২ সার্ক
[হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর]
ক. সার্কের সদস্য দেশ কতটি? ১
খ. আঞ্চলিক সংস্থা হিসেবে সার্ক ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ছকে নির্দেশিত সংস্থাটির গঠন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত সংস্থার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর। ৪
ক সার্কের সদস্য দেশ আটটি।
খ সার্কের পুরো নাম দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (ঝড়ঁঃয অংরধহ অংংড়পরধঃরড়হ ভড়ৎ জবমরড়হধষ ঈড়ড়ঢ়বৎধঃরড়হ)। শুরুতে এটি দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত হয়। পরবর্তীকালে আফগানিস্তান এর সদস্যভুক্ত হয়। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতি সাধনের লক্ষ্যে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বস্তুত সার্ক একটি আঞ্চলিক উন্নয়ন সংস্থা।
গ ছকে নির্দেশিত সংস্থাটি সার্ক। ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর তারিখে ঢাকায় সার্কের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এর সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা আটটি। রাষ্ট্রগুলো হলো : বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। ছকে তা উল্লিখিত হয়েছে। সার্কের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে পাঁচটি স্তর আছে। এগুলো হলো : ১. রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন ২. পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন ৩. স্ট্যান্ডিং কমিটি ৪. টেকনিক্যাল কমিটি ৫. সার্ক সচিবালয়। এগুলোর মাধ্যমে সার্কের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পাদন করা হয়ে থাকে। সার্ক সচিবালয় নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে অবস্থিত। এর প্রধানকে বলা হয় সেক্রেটারি জেনারেল। প্রতিবছর সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রধানদের নিয়ে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সার্ক দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রায় ১৫০ কোটি জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক।
ঘ সার্কের সাথে বাংলাদেশের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। বাংলাদেশের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান প্রথম সার্ক গঠনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু তার জীবদ্দশায় তা বাস্তবায়িত হয়নি। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উদ্যোগে ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে সার্কের কাজ শুরু হয়। সার্কের উদ্যোক্তা হিসেবে বাংলাদেশ সার্কের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বলিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। সার্কের সদস্য হিসেবে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসায়-বাণিজ্যের স¤প্রসারণ ও ভারসাম্য রক্ষা, আঞ্চলিক বিরোধ নিষ্পত্তি এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সংকট সমাধানে বাংলাদেশ অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সদস্য দেশগুলোতে মানবপাচার রোধ, সন্ত্রাস দমন, পরিবেশ সংরক্ষণ, যোগাযোগ ও প্রযুক্তির উন্নয়ন, রোগ-ব্যাধি ও দারিদ্র্য দূরীকরণ ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ। এসব ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য নানা ধরনের যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে সার্কের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করার জন্য বাংলাদেশ সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
প্রশ্ন- ৩ জাতিসংঘ
আফ্রিকার সুদান ও দারফুরের মধ্যে দীর্ঘদিন বিবাদ ও সংঘর্ষ চলে আসছিল। বিবাদ মীমাংসায় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এগিয়ে আসে। বিভিন্ন শাখার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ব সংস্থাটি বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। [সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. বিবিসি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের কী নামে আখ্যায়িত করেছে? ১
খ. সাধারণ পরিষদের গঠন সম্পর্কে লেখ। ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিবাদ মীমাংসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাটির কোন শাখা কাজ করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থাটি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ভ‚মিকা রেখে যাচ্ছে বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বিবিসি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ‘ঞযব পৎবধস ড়ভ টঘ ঢ়বধপবশববঢ়বৎং’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
খ জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র সাধারণ পরিষদের সদস্য। সাধারণত বছরে একবার এ পরিষদের অধিবেশন বসে। তবে নিরাপত্তা পরিষদের অনুরোধে বিশেষ অধিবেশনও বসতে পারে। প্রত্যেক অধিবেশনের শুরুতে সদস্যদের ভোটে পরিষদের একজন সভাপতি নির্বাচিত হন। সাধারণ পরিষদে প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের একটিমাত্র ভোটদানের অধিকার আছে।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত আফ্রিকার সুদান ও দারফুরের মধ্যে বিবাদ মীমাংসায় জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালত কাজ করে। জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আর জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালত বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিবাদ মীমাংসার কাজ করে। আন্তর্জাতিক আদালত জাতিসংঘের বিচারালয়। এর সদর দপ্তর নেদারল্যান্ডের দি হেগ শহরে অবস্থিত। পনেরোজন বিচারক নিয়ে এ আদালত গঠিত। বিচারকদের কার্যকাল নয় বছর। জাতিসংঘের যেকোনো সদস্য রাষ্ট্র অন্য কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বিরোধ মীমাংসার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার প্রার্থনা করতে পারে। আদালত তার বিচারকার্য দ্বারা বিশ্বশান্তি রক্ষা করে। জাতিসংঘ সনদের অন্তর্ভুক্ত কোনো বিষয় নিয়ে মামলা হলে এবং জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সম্পাদিত কোনো চুক্তি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলেও আন্তর্জাতিক আদালত তা মীমাংসা করে।
ঘ বিশ্বশান্তি রক্ষায় জাতিসংঘ প্রশংসনীয় ভ‚মিকা পালন করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা অনুধাবন করে বিশ্বব্যাপী শান্তি আনয়নের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতিসংঘ। ৫০টি দেশ নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত হয়েছিল। এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো আন্তর্জাতিক শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিশ্বের সকল বিরোধ নিষ্পত্তি করা। বিশ্বের কোথাও যুদ্ধ বা সামরিক সংঘাত বাধলে জাতিসংঘ তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। কখনো কখনো যুদ্ধ বন্ধে বা যুদ্ধের পর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য জাতিসংঘ তার শান্তিরক্ষী বাহিনীকেও সংঘাতপূর্ণ এলাকায় পাঠায়। এছাড়া বিশ্ব থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা দূর করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ দূষণজনিত সমস্যা মোকাবিলা, জনসংখ্যা বিস্ফোরণরোধ, নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমেও জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে।
মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৪ জাতিসংঘ গঠনের পটভ‚মি
প্রেক্ষাপট-১ : ১৯১৪-১৯১৮ সময়কালবিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ
প্রেক্ষাপট-২ : ১৯৩৯-১৯৪৫ সময়কালবিশ্বশান্তির অšে¦ষণে আন্তর্জাতিক সংস্থার সৃষ্টি।
ক. কত বছরের ব্যবধানে পৃথিবীতে দুটি বিশ্বযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে? ১
খ. সার্কের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ব্যাখ্যা কর। ২
গ. প্রেক্ষাপট-১-এ উল্লিখিত বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ স্থায়িত্ব লাভ করেনি কেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. প্রেক্ষাপট-২-এ উল্লিখিত সংস্থার সৃষ্টির পটভ‚মি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক মাত্র ২৫ বছরের ব্যবধানে পৃথিবীতে দুটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।
খ সার্কের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে পাঁচটি স্তর আছে। এগুলো হলো : ১. রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন, ২. পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন, ৩. স্ট্যান্ডিং কমিটি, ৪. টেকনিক্যাল কমিটি এবং ৫. সার্ক সচিবালয়। এগুলোর মাধ্যমে সার্কের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পাদন করা হয়ে থাকে।
গ প্রেক্ষাপট-১ এ উল্লিখিত প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জাতিপুঞ্জ গঠনের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বিশ্ব নেতৃত্বের স্বার্থপরতার কারণে স্থায়িত্ব লাভ করেনি। ১৯১৪-১৯১৮ সাল পর্যন্ত প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জড়িয়ে পড়েছিল। বিশ্বযুদ্ধ ছিল মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় বিরাট বাধা। সেজন্য যুদ্ধের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী চলেছে শান্তি স্থাপনের প্রচেষ্টা। তাই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯২০ সালে গঠিত হয়েছিল জাতিপুঞ্জ বা লিগ অব নেশনস। কিন্তু বিভিন্ন দেশের স্বার্থের সংঘাতের কারণে এ সংস্থাটি স্থায়িত্ব লাভ করেনি। এ স্বার্থপরতার ফলেই ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পৃথিবীকে গ্রাস করে। এ যুদ্ধে বিভিন্ন দেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আণবিক বোমার আঘাতে জাপানের দুটি শহর (হিরোশিমা ও নাগাসাকি) সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। মারা যায় কয়েক কোটি মানুষ। জাতিপুঞ্জের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়।
ঘ প্রেক্ষাপট-২ এ ১৯৩৯-১৯৪৫ পর্যন্ত সংঘটিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভ‚মিতে জাতিসংঘের সৃষ্টি নির্দেশিত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা দেখে বিশ্ববাসী শংকিত ও হতবাক হয়ে যায়। তাদের মনে বিভিন্ন দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার আকাক্সক্ষা দানা বাঁধে। এছাড়া তারা অনুভব করে, মানবকল্যাণের জন্য যুদ্ধকে পরিহার করতে হবে। দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসতে হবে। ফলে ১৯৪১ সাল থেকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা হাতে নেয়। তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্টের উদ্যোগে এবং বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের সাথে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার ফলশ্রæতিতে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো শহরে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা-পরবর্তী বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশায় জাতিসংঘের জন্ম।
প্রশ্ন- ৫ সার্ক
শরিফার বড় মামা এমন একটি আঞ্চলিক সংস্থার কর্মকর্তা যে সংস্থাটির উদ্যোক্তা বাংলাদেশ আর প্রাথমিক যাত্রা শুরু হয় ঢাকা থেকে। শরিফা ইতিকে বলছেÑ বড় মামা প্রতি বছরই এ সংস্থাটির শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজনে ব্যস্ত থাকেন। তিনি কাঠমুন্ডুতে কর্মরত।
ক. জাতিসংঘের বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত? ১
খ. জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদান কতটুকু? ২
গ. শরিফার মামা কোন সংস্থায় কর্মরত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের সংস্থাটি তার লক্ষ্যপূরণে কতটুকু সফল তা মূল্যায়ন কর। ৪
ক জাতিসংঘের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৯৩।
খ জাতিসংঘের নীতি ও কর্মকাণ্ডের প্রতি বাংলাদেশের রয়েছে এক অপূর্ব আনুগত্য। তাই জাতিসংঘের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক উলেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তা ও জোয়ান আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এমনকি পূর্ব ইউরোপের কসোভো-বসনিয়ার মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত জনপদে শান্তি রক্ষার দায়িত্ব পালন করে চলেছে। বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম।
গ শরিফার মামা সার্কের সচিবালয়ে কর্মরত। উদ্দীপকে দেখা যায়, শরিফার মামা যে সংস্থায় কর্মরত তার উদ্যোক্তা বাংলাদেশ। উদ্যোক্তা হিসেবে আঞ্চলিক সংস্থা সার্কের সাথে বাংলাদেশের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। বাংলাদেশের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান প্রথম সার্ক গঠনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু তার জীবদ্দশায় তা বাস্তবায়িত হয়নি। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উদ্যোগে ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে সার্কের কাজ শুরু হয়। আবার সার্কের শীর্ষ সম্মেলন প্রতিবছর সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রধানদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। যদিও নানা কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে। উদ্দীপকের শরিফার মামা প্রতিবছরই এ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকেন এবং তিনি কাঠমুন্ডুতে কর্মরত। এ তথ্য থেকে এ সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, তিনি সার্ক সচিবালয়ে কর্মরত যা নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে অবস্থিত।
ঘ সার্ক অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে প্রায় ২২ বছর অতিক্রম করেছে। সার্কের সাফল্য ও ব্যর্থতা সম্পর্কে চ‚ড়ান্ত মন্তব্য করার সময় এখনও হয়নি। তবে সার্কের সাফল্য তুলনামূলকভাবে অনেক কম। যে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সার্ক গঠিত হয় তার অধিকাংশ সফল হয়নি। তবে ইতোমধ্যে সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা কার্যক্রম, কৃষি ও বনজসম্পদ, আবহাওয়া, ডাক যোগাযোগ ও পলি উন্নয়ন, মাদকদ্রব্যের চোরাচালান ও এর অপব্যবহার প্রতিরোধ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ক্রীড়া, শিল্প ও সংস্কৃতি, টেলিযোগাযোগ, পর্যটন, পরিবহন, উন্নয়নে নারীসমাজ এবং সাপটার আওতায় বাণিজ্য উদারীকরণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে চিহ্নিত হয়েছে। শুধু সহযোগিতা স¤প্রসারণই নয়, সদস্য দেশের সরকারপ্রধানদের এক টেবিলে বসার পরিবেশও সার্কের জন্য সৃষ্টি হয়েছে। পরিশেষে বলা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতি অর্জনের উদ্দেশ্যে সার্ক গঠিত। সার্ক তার লক্ষ্য অর্জনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে আলোর পথ দেখিয়েছে।
প্রশ্ন- ৬ জাতিসংঘের গঠন
ক. শুরুতে জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা কত ছিল? ১
খ. জাতিসংঘের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তার পরিচয় ব্যাখ্যা কর। ২
গ. চিত্রের প্রতীকটি কোন সংস্থাকে নির্দেশ করে এবং তা কোথায় বিশেষভাবে অঙ্কিত থাকে; পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত সংস্থার গঠন আলোচনা কর। ৪
ক শুরুতে জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা ছিল ৫০।
খ বর্তমানে জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা ১৯৩। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এর সদর দপ্তর অবস্থিত। আর জাতিসংঘের মহাসচিব হচ্ছেন এর প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা। নরওয়ের অধিবাসী ট্রিগভেলি ছিলেন জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব। বর্তমান মহাসচিবের নাম বান কি মুন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার অধিবাসী। মহাসচিবের নেতৃত্বেই জাতিসংঘের সকল কার্যাবলি সম্পন্ন হয়।
গ চিত্রে জাতিসংঘের প্রতীক প্রদর্শিত হয়েছে। জাতিসংঘের এ প্রতীকটি বিশেষভাবে জাতিসংঘের পতাকায় অঙ্কিত থাকে। পাঠ্যপুস্তকের বর্ণনায় তাই পাওয়া যায়। জাতিসংঘের পতাকাটি হালকা নীল রঙের। মাঝখানে সাদা জমিনের মধ্যে বিশ্বের বৃত্তাকার মানচিত্র রয়েছে। এর দুপাশ দুটি জলপাই পাতার ঝাড় দিয়ে বেষ্টিত।
ঘ জাতিসংঘের মোট ছয়টি সংস্থা বা শাখা আছে। এগুলো হলো :
১. সাধারণ পরিষদ : সাধারণ পরিষদ জাতিসংঘের আইনসভার মতো। বিশ্বশান্তি ও সহযোগিতা রক্ষায় এর ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ।
২. নিরাপত্তা পরিষদ : জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী শাখা হচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদ। এটি জাতিসংঘের শাসনবিভাগস্বরূপ।
৩. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ : বিশ্বকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ পরিষদ গঠিত হয়েছে। বিশ্বের উন্নয়নে এর ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ।
৪. অছি পরিষদ : বিশ্বের যেসব জনপদের পৃথক সত্তা আছে কিন্তু স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নেই এবং অন্য রাষ্ট্রের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত হয়, তাকে অছি এলাকা বলে। এসব এলাকার তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব জাতিসংঘের অছি পরিষদের।
৫. আন্তর্জাতিক আদালত : বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিবাদ মীমাংসার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আদালত গঠন করা হয়েছে। এর সদর দপ্তর নেদারল্যান্ডের দি হেগ শহরে অবস্থিত।
৬. জাতিসংঘ সচিবালয় : সচিবালয় জাতিসংঘের প্রশাসনিক বিভাগ। বিশ্বশান্তি, সহযোগিতা ও যোগাযোগসংক্রান্ত যাবতীয় কাজ এ শাখার মাধ্যমে সম্পাদিত হয়।
এছাড়া জাতিসংঘের রয়েছে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সংস্থা। জাতিসংঘের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সংস্থার মধ্যে ইউনিসেফ, ইউনেস্কো, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা, বিশ্বখাদ্য সংস্থা, বিশ্ব মানবাধিকার কমিশন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
প্রশ্ন- ৭ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ
‘ক’ চিিহ্নত জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখার কার্যাবলির তালিকা দেওয়া হলো :
‘ক’ শাখা
১. মহাসচিব নিয়োগ
২. নতুন সদস্য গ্রহণ
ক. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন? ১
খ. জাতিসংঘের উন্নয়নমূলক কয়েকটি সংস্থা উল্লেখ কর। ২
গ. ‘ক’ শাখাটির পরিচয় প্রদানপূর্বক গঠন বর্ণনা কর। ৩
ঘ. ‘ক’ শাখাটির কার্যাবলি বিস্তারিত আলোচনা কর। ৪
ক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন থিওডর রুজভেল্ট।
খ জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক সংস্থা রয়েছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সংস্থার মধ্যে ইউনিসেফ, ইউনেস্কো, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা, বিশ্ব খাদ্যসংস্থা, বিশ্ব মানবাধিকার কমিশন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
গ ‘ক’ শাখাটি হচ্ছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদই পাঁচ বছরের জন্য মহাসচিব নিয়োগ করে এবং নতুন সদস্য গ্রহণ করে। উদ্দীপককে যা ‘ক’ শাখাটিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ হিসেবে সাব্যস্ত করে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ গঠিত হয় সকল সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে। অর্থাৎ জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র সাধারণ পরিষদের সদস্য। সাধারণত বছরে একবার এ পরিষদের অধিবেশন বসে। তবে নিরাপত্তা পরিষদের অনুরোধে বিশেষ অধিবেশন বসতে পারে। প্রত্যেক অধিবেশনের শুরুতে সদস্যদের ভোটে পরিষদের একজন সভাপতি নির্বাচিত হন। সাধারণ পরিষদে প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের একটিমাত্র ভোট দানের অধিকার আছে।
ঘ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বিতর্ক সভা হিসেবে বিশ্ব মতামত প্রকাশ করতে পারে। বিশ্বশান্তি এবং নিরাপত্তা রক্ষা করাও সাধারণ পরিষদের কাজ। তাই যে-কোন রাষ্ট্র বা সদস্য রাষ্ট্র কর্তৃক শান্তি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত যেকোন বিষয়ক সাধারণ পরিষদে প্রেরণ করা যায়। আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়ন করতে পারে সাধারণ পরিষদ। এমনকি বিভিন্ন রাষ্ট্রের আচার-আচরণ অনুসন্ধান ও পর্যালোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনের প্রসার ঘটাতে পারে। জাতিসংঘের অন্যান্য শাখার কার্য্যরে অনুসন্ধান ও নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যান্য শাখাগুলো সাধারণ পরিষদের নিকট বার্ষিক প্রতিবেদন প্রদান করে। সাধারণ পরিষদ উক্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশক্রমে যেকোন রাষ্ট্রকে নতুন সদস্যরূপে গ্রহণ করতে পারে। পাশাপাশি পুরাতন যেকোন সদস্য রাষ্ট্রকে সাময়িক কিংবা স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে পারে। পরিষদটি কিছু কিছু অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করে। জাতিসংঘের বাজেট পাস করা এর অন্যতম কাজ। এছাড়াও, সংস্থার বাজেট পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ অনুমোদন করে। পাশাপাশি সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রসমূহের বার্ষিক চাঁদার পরিমাণ স্থির করে। নির্বাচন সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড সম্পাদন করাও প্রধান কার্যসমূহের একটি। জাতিসংঘের মহাসচিব, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জন্য ১০ জন অস্থায়ী সদস্য, আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্য এবং অছি পরিষদের কতিপয় সদস্য নির্বাচন করা এর অন্যতম দায়িত্ব। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক স¤প্রীতি ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার লক্ষ্যে সাধারণ পরিষদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে থাকে। পারস্পরিক স¤প্রীতি ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পক ছিন্ন হলে সংস্থাটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করে।
প্রশ্ন- ৮ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থির পরিস্থিতিতে আমরা প্রায়ই দেখি ইসরাইল গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা করে। এতে অসংখ্য বেসামরিক লোক, নারী ও শিশু নিহত হয়। জাতিসংঘ ইসরাইলের এই হামলা বন্ধের আহŸান জানায়। ইসরাইল হামলা বন্ধ না করলে জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও ক‚টনৈতিক অবরোধ আরোপের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেওয়ায় প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়।
ক. ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন? ১
খ. কমনওয়েলথ বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধে কীভাবে সহায়তা করেছিল? ২
গ. অনুচ্ছেদে জাতিসংঘের কোন সংস্থার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত সংস্থার গঠন পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
খ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্র ওষুধ, খাদ্য, বস্ত্র ইত্যাদি দিয়ে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে। ব্রিটেনের প্রচারমাধ্যমগুলো বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করেছিল। সেখানে গঠন করা হয়েছিল বাংলাদেশের জন্য সাহায্য তহবিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কমনওয়েলথভুক্ত অন্যান্য দেশও বিভিন্নভাবে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে। কমনওয়েলথভুক্ত আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি লোককে আশ্রয় ও খাদ্য দিয়েছে।
গ অনুচ্ছেদে জাতিসংঘের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ শাখা নিরাপত্তা পরিষদকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। অনুচ্ছেদে গাজায় ইসরাইলের চালানো নৃশংস বিমান হামলা বন্ধে জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ভেটো দ্বারা তা বাতিল হওয়ার মধ্যে জাতিসংঘের শাসন বিভাগস্বরূপ নিরাপত্তা পরিষদের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত রয়েছে। বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মুখ্য দায়িত্ব এ সংস্থাটির ওপর ন্যস্ত রয়েছে বলে একে নিরাপত্তা পরিষদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী সভা হিসেবে নিরাপত্তা পরিষদ প্রথমে আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করে। সমঝোতা বিধানে ব্যর্থ হলে নিরাপত্তা পরিষদ অনুচ্ছেদে গাজায় মানবিকতা বর্জিত বিমান হামলা পরিচালনাকারী ইসরাইলের অনুরূপ বিশ্বের আগ্রাসী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও ক‚টনৈতিক অবরোধ আরোপ করতে পারে। সুতরাং বলা যায়, অনুচ্ছেদে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নামক শাসন বিভাগকেই সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
ঘ ভেটো ক্ষমতাপ্রাপ্ত ৫টি স্থায়ী এবং ১০টি অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে অনুচ্ছেদে ইঙ্গিতকৃত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নামক সংস্থাটি গঠিত। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নামক সংস্থাটি জাতিসংঘ সনদের ২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স ও চীন এই পাঁচটি হলো স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র। আর অন্য ১০টি হলো অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র, যারা দু’বছরের জন্য সাধারণ পরিষদ কর্তৃক দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে নির্বাচিত হয়। তবে বিদায়ী সদস্য পুনরায় নির্বাচিত হতে পারে না। নিরাপত্তা পরিষদের উক্ত পাঁচটি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের প্রত্যেকের ‘ভেটো’ বা কোনো প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে। এই ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেই অনুচ্ছেদে ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলের সা¤প্রতিক নৃশংস বিমান হামলা বন্ধে জাতিসংঘের উত্থাপিত প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্র বাতিল করেছে। ভেটো ক্ষমতার অধিকারী নিরাপত্তা পরিষদের উক্ত পাঁচটি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রকে বৃহৎ পঞ্চশক্তি নামেও অভিহিত করা হয়। কেননা এদের সমর্থন ব্যতীত কোনো প্রস্তাবই নিরাপত্তা পরিষদে পাস হতে পারে না। পরিশেষে বলা যায় যে, নিরাপত্তা পরিষদ হলো জাতিসংঘের প্রাণস্বরূপ। সনদ অনুযায়ী যা উক্ত সুনির্দিষ্ট কাঠামোর ওপর প্রতিষ্ঠিত। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় একটি কার্যনির্বাহক সংস্থা হিসেবে এ পরিষদ সার্বক্ষণিক কর্মরত থাকে।
প্রশ্ন- ৯ জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
সাদেকুল দেশের এক প্রত্যন্ত অঞ্চল হোসেনাবাদের বাসিন্দা। স্বাধীনতার পর থেকে এখানে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। এলাকার নিরক্ষর মানুষগুলো খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। স¤প্রতি জাতিসংঘ এলাকাটির মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের কাজ শুরু করে। সেখানে কৃষি ও শিক্ষার প্রসার, চিকিৎসা ও মৌলিক মানবাধিকার কার্যকর করতে জাতিসংঘ পর্যাপ্ত অর্থ সাহায্য দেয়। সাদেকুল তাই শেষ বয়সে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখে।
ক. সার্ক দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর কত কোটি জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক? ১
খ. জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের মর্যাদা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. সাদেকুলের এলাকার উল্লিখিত কর্মকাণ্ডে জাতিসংঘের কোন পরিষদের কার্যাবলির প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত পরিষদের গঠন পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক সার্ক দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ১৫০ কোটি জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক।
খ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবস্থান খুবই গৌরবের। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতেও কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটি বাংলাদেশের ভ‚মিকার আরেকটি স্বীকৃতি, যা দেশের মর্যাদা অনেক বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশের এ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিবিসি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ‘ঞযব ঈৎবধস ড়ভ টঘ চবধপবশববঢ়বৎং’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
গ সাদেকুলের এলাকার উল্লিখিত কর্মকাণ্ডে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কার্যাবলির প্রতিফলন ঘটেছে। জাতিসংঘের ছয়টি মূল সংস্থার মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ অন্যতম। এ পরিষদ জাতিসংঘের রাষ্ট্রগুলোর মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে থাকে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধনই হলো এই পরিষদের কাজ। অনুচ্ছেদে উল্লিখিত হোসেনাবাদ নামক এলাকাটির মতো সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বেকার সমস্যার সমাধান, খাদ্য, কৃষি ও শিক্ষার প্রসার, চিকিৎসা ও পুনর্বাসন, মৌলিক মানবাধিকার কার্যকর করা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কল্যাণমূলক কাজ জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ বিশ্বব্যাপী সম্পাদন করে থাকে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। তাই একথা সন্দেহাতী ভাবে বলা যায় যে, সাদেকুলের এলাকায় উল্লিখিত কর্মকাণ্ডে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কার্যাবলির-ই যথার্থ প্রতিফলন ঘটেছে।
ঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, সাধারণ পরিষদ কর্তৃক তিন বছরের জন্য নির্বাচিত ৫৪টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী এই সংস্থাটি একটি সুনির্দিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ওপর প্রতিষ্ঠিত। সাধারণ পরিষদের সদস্যদের সরাসরি ভোটে ৩ বছরের জন্য এ পরিষদের সদস্যরা নির্বাচিত হন। বছরে অন্তত তিনবার এর অধিবেশন বসে। প্রত্যেক সদস্যের একটি করে ভোট দানের অধিকার আছে। প্রয়োজনবোধে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটে এ পরিষদের যেকোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে থাকে। ১৫টি বিশেষ সংস্থার ১২টি কমিশন ও ৫টি সাব কমিশনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ ব্যাপক কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। পরিশেষে বলা যায় যে, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্য থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক নির্বাচিত সদস্যের সমন্বয়ে জাতিসংঘের উক্ত পরিষদটি তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
প্রশ্ন- ১০ জাতিসংঘের অছি পরিষদ
দীর্ঘদিন ধরে ‘ঢ’ ভ‚খণ্ড নিজেদের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু তারা স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে রূপলাভ করতে পারেনি। ‘ঢ’ ভ‚খণ্ডের সরকার তাদের স্বাধীনতার দাবি কার্যকর করতে জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করে। জাতিসংঘ এলাকাটিকে স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার উপযোগী করতে একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়।
ক. প্রতিবছর কাদের নিয়ে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়? ১
খ. অছি পরিষদ বলতে কী বোঝ? ২
গ. ‘ঢ’ ভ‚খণ্ডটিকে স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার উপযুক্ত করতে জাতিসংঘের কোন সংস্থা কাজ করছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলকে স্বাধীনতার উপযোগী করে গড়ে তোলাই জাতিসংঘের একমাত্র কাজ? পাঠ্যবইয়ের আলোকে তোমার মত দাও। ৪
ক প্রতিবছর সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রধানদের নিয়ে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
খ বিশ্বের যেসব জনপদের পৃথক সত্তা আছে কিন্তু স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নেই এবং অন্য রাষ্ট্রের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত হয়, তাকে অছি এলাকা বলে। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বহীন এলাকার তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব জাতিসংঘের অছি পরিষদের। অছি এলাকার ওপর শাসনক্ষমতার অধিকারী জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ও নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে অছি পরিষদ গঠিত। এর কোনো সুনির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। অছি এলাকার সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে এর সদস্যসংখ্যা নির্ধারিত হয়।
গ উদ্দীপকের ‘ঢ’ ভ‚খণ্ডটিকে স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার উপযোগী করে তুলতে জাতিসংঘের অছি পরিষদ নামক সংস্থাটি কাজ করছে। জাতিসংঘের অছি পরিষদ এক বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনে নিয়োজিত সংস্থা বা পরিষদ। বিশ্বের যেসব জনপদের পৃথক সত্তা আছে কিন্তু স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নেই এবং অন্য রাষ্ট্রের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত হয়, জাতিসংঘ সনদে তাদেরকেই অছি এলাকা বলা হয়েছে। উদ্দীপকের উল্লিখিত ‘ঢ’ অছি এলাকা। অছিভুক্ত অঞ্চলের উন্নতি এবং জনগণকে শিক্ষা প্রদান ও সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করে তুলতে জাতিসংঘের এ সংস্থাটি নিরলসভাবে কাজ করছে। এছাড়া অছিভুক্ত এলাকার শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অছি এলাকার জনগণের আবেদন ও অভিযোগ পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া এবং অছি এলাকা পরিদর্শনের মাধ্যমে বাস্তব অবস্থা দেখা ও প্রতিবেদন পেশ করাও অছি পরিষদের দায়িত্বের আওতাভুক্ত। তাই, একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, উদ্দীপকের ‘ঢ’ ভ‚খণ্ডটিকে স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার উপযোগী করতে জাতিসংঘের অছি পরিষদ কাজ করছে।
ঘ আমি মনে করি, উদ্দীপকে উল্লিখিত কাজটি জাতিসংঘের একমাত্র কাজ নয়। স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের একটি অদ্বিতীয় সংগঠন হিসেবে জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা-পরবর্তী বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশায় জন্ম নেয়া এই আন্তর্জাতিক সংগঠনটি পাঁচটি প্রধান অঙ্গ ও একটি সেক্রেটারিয়েট নিয়ে গঠিত। এই ছয়টি সংস্থা বা শাখার মধ্যে অছি পরিষদ একটি অন্যতম শাখা। উদ্দীপকে উল্লিখিত কাজটি ছাড়াও বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা এবং দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে জাতিসংঘ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে থাকে। আইনসভা নামে পরিচিত সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাসহ মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করে। আর শাসন বিভাগ স্বরূপ নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক শান্তি ও স¤প্রীতি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাজ করে থাকে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করে দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদটি বিভিন্ন ধরনের কল্যাণমূলক কাজ করছে। পাশাপাশি ‘ঢ’ ভ‚খণ্ডের অনুরূপ বিশ্বে অছি এলাকাগুলোকে স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে জাতিসংঘের অছি পরিষদ কর্মরত। পরিশেষে বলা যায় যে, বিশ্বের অছি অঞ্চলগুলোকে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জনের জন্য উপযোগী করে তোলা হলো জাতিসংঘের সামগ্রিক কার্যাবলির অংশবিশেষ। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও বিশ্বকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জাতিসংঘ আরও অনেক কার্য সম্পাদন করে থাকে।
প্রশ্ন- ১১ আন্তর্জাতিক আদালত
স¤প্রতি বাংলাদেশ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা জয় করে বিরাট সাফল্য অর্জন করে। মিয়ানমার বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমায় প্রবেশ করে তা নিজেদের বলে দাবি করে। বাংলাদেশ তাদের প্রাপ্য অঞ্চল ফিরে পাওয়ার জন্য নেদারল্যান্ডের দি হেগ-এ জাতিসংঘ কর্তৃক পরিচালিত একটি সংস্থায় আবেদন করে। সংস্থাটি উভয় পক্ষের যুক্তি শুনে বাংলাদেশকে তার প্রাপ্য অঞ্চল ফেরত দেওয়ার পক্ষে রায় দেয়।
ক. বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংগঠন কোনটি? ১
খ. সার্ক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে বাংলাদেশের ভ‚মিকা কী? ২
গ. বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের বিবাদ মীমাংসায় জাতিসংঘের কোন পরিষদ কাজ করেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বিশ্বশান্তি রক্ষায় উক্ত সংস্থার ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংগঠন হলো কমনওয়েলথ।
খ সার্ক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে বাংলাদেশের ভ‚মিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বাংলাদেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমান প্রথম সার্ক গঠনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু তার জীবদ্দশায় তা বাস্তবায়িত হয়নি। পরবর্তীকালে ১৯৮৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উদ্যোগে ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে সার্কের কাজ শুরু হয়।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত বিবাদের স্থায়ী ও সুষ্ঠু সমাধানে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালত নামক পরিষদটি কাজ করেছে। পৃথিবীর সর্বোচ্চ বিচারালয় খ্যাত আন্তর্জাতিক আদালত হলো জাতিসংঘের এমন একটি শাখা বা পরিষদ, যা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বিবদমান বিষয়ের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা করে থাকে। ৯ বছরের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ১৫ জন বিচারক নিয়ে গঠিত জাতিসংঘের এই সংস্থাটির সদর দপ্তর নেদারল্যান্ডের দি হেগ শহরে অবস্থিত। উদ্দীপকে দেখা যায়, মিয়ানমার বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে তা নিজেদের বলে দাবি করে। এ নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এভাবে দুই বা ততোধিক রাষ্ট্র কোনো বিষয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়লে আবেদনের প্রেক্ষিতে এর সুষ্ঠু মীমাংসা করা হয় আন্তর্জাতিক আদালতে। এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ বিচারালয়, যেখানে জাতিসংঘের যেকোনো সদস্যরাষ্ট্র অন্য কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বিরোধ মীমাংসার জন্য বিচার প্রার্থনা করতে পারে। আর এই জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী বাংলাদেশ তার প্রাপ্য সমুদ্রসীমা ফেরত পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে। আদালত উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে আন্তর্জাতিক আইনের যথার্থ প্রয়োগ ঘটিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে রায় দেয়। তাই একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার বিবাদ মীমাংসায় জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালত নামক পরিষদটি কাজ করেছে।
ঘ বিশ্বশান্তি রক্ষায় আন্তর্জাতিক আদালতের ভ‚মিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রসীমা নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের দীর্ঘদিনের বিরোধ আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে মীমাংসা হয়। এভাবে আন্তর্জাতিক আদালত বিশ্বে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স¤প্রীতি রক্ষায় বলিষ্ঠ ভ‚মিকা পালন করছে। কেননা, আন্তর্জাতিক আদালত যদি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মতো বিশ্বের বিবদমান রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিরোধপূর্ণ বিষয়ের সুষ্ঠু ও স্থায়ী সমাধান না করত, তাহলে রাষ্ট্রগুলো কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ বা ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত হতো। এছাড়াও জাতিসংঘ সনদের অন্তর্ভুক্ত কোনো বিষয় নিয়ে মামলা হলে এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে আন্তর্জাতিক আদালত তার মীমাংসা প্রদান করে। উক্ত কার্যাবলি সম্পাদনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আদালত বর্তমানে বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের শেষ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। পরিশেষে বলা যায় যে, বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক আদালতের ভ‚মিকা অনস্বীকার্য। অনুচ্ছেদে উল্লিখিত বাংলাদেশ-মিয়ানমার বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান জাতিসংঘের এই সংস্থাটির অপরিহার্যতাকেই নির্দেশ করে।
প্রশ্ন- ১২ জাতিসংঘ
দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক বান কি মুন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত। উক্ত সংস্থা কর্তৃক পাঁচ বছরের জন্য তাকে নিযুক্ত করা হয়। এরূপ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান নির্বাহী নিযুক্ত হওয়ায় তার দেশ তাকে সংবর্ধনা দেয়।
ক. ওআইসির সদর দপ্তর কোথায়? ১
খ. সার্কভুক্ত দেশ হিসেবে সার্কের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন? ২
গ. উদ্দীপকে আলোচিত প্রধান নির্বাহীর কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থাটির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ওআইসির সদর দপ্তর সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত।
খ সার্কের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। বাংলাদেশই সার্কের উদ্যোক্তা। বাংলাদেশের উদ্যোগেই ১৯৮৫ সালে ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে সার্কের কাজ শুরু হয়। সার্কের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সার্কের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ বলিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসার স¤প্রসারণ ও ভারসাম্য রক্ষা, আঞ্চলিক বিরোধ নিষ্পত্তি এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সংকট সমাধানে বাংলাদেশ অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরূপ আরো বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সার্কের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করার জন্য বাংলাদেশ সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
গ উদ্দীপকের আন্তর্জাতিক সংস্থা হচ্ছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব তথা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক বান কি মুন জাতিসংঘের সকল প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করেন। জাতিসংঘ সচিবালয় হলো জাতিসংঘের প্রধান প্রশাসনিক শাখা বা বিভাগ। মহাসচিব, কয়েকজন উপসচিব, অধস্তন সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে গঠিত এ বিভাগটির প্রধান কর্মকর্তা হলেন মহাসচিব। আর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি জাতিসংঘের সমস্ত প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। সচিবালয়ের যাবতীয় কাজ তাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। তিনি সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ এবং অছি পরিষদেরও প্রধান হিসেবে কাজ করেন। আন্তর্জাতিক আদালত ছাড়া সকল শাখায় লোক নিয়োগ ও সকল শাখার অধিবেশন অনুষ্ঠানের দায়িত্বও তার। তাছাড়া জাতিসংঘের বাজেট তৈরি, অছি এলাকার রিপোর্ট তৈরি, সদস্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে চাঁদা আদায় ইত্যাদি কাজ তার নির্দেশনায় হয়ে থাকে। সাধারণ ও নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার দায়িত্বও তার ওপর ন্যস্ত। সর্বোপরি, জাতিসংঘের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সচিবালয়ের অন্যান্যদের সহযোগিতায় মহাসচিব জাতিসংঘের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্পাদন করে থাকেন।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশের অত্যন্ত গভীর ও হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদলাভ করে। জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ জাতিসংঘের নীতি ও আদর্শের প্রতি আস্থাশীল রয়েছে। বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে তার নানা সমস্যা মোকাবিলায় জাতিসংঘের সহযোগিতা পেয়েছে। আবার জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নেও বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে আসছে। ফলে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে আশ্রয়গ্রহণকারী শরণার্থীদের সাহায্য প্রদান, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে সাহায্য প্রদান, ২১ ফেব্রæয়ারিকে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা, ১৯৯১ সালে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমারের শরণার্থী সমস্যার সমাধান এবং ২০১২ সালে বাংলাদেশ-মায়ানমার সমুদ্রসীমার বিরোধ মীমাংসা উভয়ের মধ্যকার সম্পর্ককে আরো জোরদার করেছে। পরিশেষে বলা যায় যে, জাতিসংঘের সাথে বংলাদেশের সম্পর্কের বীজ অত্যন্ত গভীরে প্রোথিত। এ পর্যন্ত দুই বার অস্থায়ী পরিষদের সদস্যপদ লাভ, জাতিসংঘের ৪ জন মহাসচিবের ৫ বার বাংলাদেশ সফর এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে সেনাসদস্য প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের শীর্ষস্থান দখল-জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্কের মাত্রাকেই নির্দেশ করে।
প্রশ্ন- ১৩ জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক
বিশ্বের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থাটির সনদ অনুযায়ী প্রতিটি সদস্য দেশের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে বিশ্ব নিরাপত্তায় কাজ করা। বিশ্বকে নিরাপদ বসবাসের উপযোগী করা। এ লক্ষ্যে বর্তমান বিশ্বের চারটি মহাদেশে ১৫টি দেশের ১৬টি মিশনে এক লক্ষাধিক শান্তিরক্ষী নিয়োজিত আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ।
ক. জাতিসংঘের কোন শাখা শাসন বিভাগস্বরূপ? ১
খ. জাতিসংঘ সচিবালয়ের গঠন উল্লেখ কর। ২
গ. উদ্দীপকে আন্তর্জাতিক সংস্থাটির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর বাংলাদেশ উক্ত সংস্থায় শুধু অবদানই রেখে যাচ্ছে? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ শাসন বিভাগস্বরূপ।
খ জাতিসংঘের সচিবালয় জাতিসংঘের প্রশাসনিক বিভাগ। মহাসচিব, কয়েকজন উপসচিব, অধস্তন সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে এ বিভাগ গঠিত। এর প্রধান কর্মকর্তা হলেন মহাসচিব। তিনি জাতিসংঘেরও মহাসচিব। সাধারণ পরিষদ কর্তৃক তিনি পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
গ উদ্দীপকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা হলো জাতিসংঘে বাংলাদেশের অবদান। উদ্দীপকে দেখা যায় বিশ্বনিরাপত্তার লক্ষ্যে বর্তমান বিশ্বের চারটি মহাদেশে ১৫টি দেশের ১৬টি মিশনে এক লক্ষাধিক শান্তিরক্ষী নিয়োজিত আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। এ বিষয়টি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশ জাতিসংঘে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সেনাসদস্য প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষস্থান দখল করে আছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে প্রায় ১১,০০০ সেনাসদস্য পাঠিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ১২টি দেশে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর অবস্থান খুবই গৌরবের। এ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের এ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিবিসি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ‘ঞযব ঈৎবধহ ড়ভ টঘ চবধপবশববঢ়বৎং’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
ঘ উক্ত আন্তর্জাতিক সংস্থায় অর্থাৎ বাংলাদেশ যে জাতিসংঘে শুধু অবদানই রেখে যাচ্ছে তা নয়; বাংলাদেশ জাতিসংঘের নিকট থেকে অনেক কিছু অর্জনও করেছে। জাতিসংঘের নিকট থেকে বাংলাদেশের অর্জনগুলো উল্লেখ করা হলো : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘ ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারী প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি শরণার্থীকে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ইত্যাদি মানবিক সাহায্য প্রদান করে। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের পুনর্গঠনেও জাতিসংঘ সাহায্য-সহযোগিতা করেছিল। ১৯৯১ সালে মিয়ানমারের লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তাদের অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান প্রদান এবং তাদের নিজ দেশে ফিরে যাবার অনুক‚ল পরিবেশ তৈরি করতে জাতিসংঘ বিশেষভাবে সহায়তা প্রদান করে। জাতিসংঘ ‘ভাষা ও শহিদ’ দিবস ২১ ফেব্রæয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাগুলো শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও পুষ্টি, যোগাযোগ, শিশুমৃত্যু হ্রাস, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি অর্জনে যথেষ্ট সাহায্য করেছে।
প্রশ্ন- ১৪ কমনওয়েলথ
আগে মাহমুদপুর, খাগকান্দা, উচিতপুরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন উচিতপুর নামে পরিচিত ছিল। একজন মাত্র চেয়ারম্যান পুরো এলাকা শাসন করত। পরবর্তীতে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে তারা নির্দিষ্ট এলাকায় নিজস্ব নামে ভাগ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এসব ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য উচিতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সকলকে একত্রিত করে একটি সহযোগী সংগঠন করেন। আর্থসামাজিক স্বার্থরক্ষা এ সংঘের মূল লক্ষ্য।
ক. কখন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ জন্মলাভ করে? ১
খ. জাতিসংঘ সচিবালয়ের গঠন উল্লেখ কর। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে উদ্দেশ্যগত দিক দিয়ে যে আন্তর্জাতিক সংস্থাটির মিল রয়েছে তার স্বরূপ উপস্থাপন কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশের সাথে উক্ত সংস্থার সম্পর্ক মূল্যায়ন কর। ৪
ক ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ জন্মলাভ করে।
খ জাতিসংঘ সচিবালয় জাতিসংঘের প্রশাসনিক বিভাগ। মহাসচিব, কয়েকজন উপসচিব, অধস্তন সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে এ বিভাগ গঠিত। এর প্রধান কর্মকর্তা হলেন মহাসচিব। তিনি জাতিসংঘেরও মহাসচিব। সাধারণ পরিষদ কর্তৃক তিনি পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
গ উদ্দীপকের সাথে উদ্দেশ্যগত দিক দিয়ে কমনওয়েলথের মিল রয়েছে। এক সময় প্রায় সারাবিশ্বে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল। ব্রিটিশরা সে সময় দোর্দণ্ড প্রতাপে প্রায় সমগ্র পৃথিবীতে রাজত্ব করেছে। কিন্তু পরবর্তীকালে শাসিত অঞ্চলগুলোতে জাতীয়তাবাদী চেতনার সৃষ্টি হয় এবং সেসব অঞ্চল বা দেশ একের পর এক স্বাধীন হতে থাকে। তখন ব্রিটেন ও তার অধীনতা থেকে মুক্ত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন ধরে রাখার উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠে কমনওয়েলথ। ব্রিটেন এটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। ব্রিটেন ও এর পূর্বতন অধীনস্থ দেশসমূহ এর সদস্য। তবে কোনো রাষ্ট্র ইচ্ছে করলে কমনওয়েলথের সদস্য নাও হতে পারে। উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, মাহমুদপুর, খাগকান্দা, উচিতপুরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন উচিতপুর নামে পরিচিত ছিল। একজন মাত্র চেয়ারম্যান পুরো এলাকা শাসন করত। পরবর্তীতে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে তারা নিজস্ব নামে ভাগ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এসব ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য উচিতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সকলকে একত্রিত করে একটি সহযোগী সংগঠন করেন, যা কমনওয়েলথের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ কমনওয়েলথের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের প্রচার মাধ্যমগুলো বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কমনওয়েলথভুক্ত অন্যান্য দেশও বিভিন্নভাবে বাংলাদেশকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছিল। কমনওয়েলথভুক্ত আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি লোককে আশ্রয় ও খাদ্য দিয়েছে। অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্র ওষুধ, খাদ্য, বস্ত্র ইত্যাদি দিয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে। বাংলাদেশের প্রতি উদার মনোভাব ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে স্বাধীনতার পর পর বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্যপদ পায়। কমনওয়েলথ ও এর সদস্য দেশগুলোর সহায়তায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি দ্রæত কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশ কমনওয়েলথের একনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে এর প্রতিটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। কমনওয়েলথের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ কলম্বো পরিকল্পনার সদস্য। এর ফলে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ বিশ্বে মহাদেশের সংখ্যা কয়টি?
উত্তর : বিশ্বে মহাদেশের সংখ্যা ৭টি।
প্রশ্ন \ ২ \ পৃথিবীতে দেশ কয়টি?
উত্তর : পৃথিবীতে দেশ ১৯৫টি।
প্রশ্ন \ ৩ \ সার্কের বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত?
উত্তর : সার্কের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৮।
প্রশ্ন \ ৪ \ সার্ক সচিবালয় কোন দেশে অবস্থিত?
উত্তর : সার্ক সচিবালয় নেপালে অবস্থিত।
প্রশ্ন \ ৫ \ সার্কের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয় কখন?
উত্তর : সার্কের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয় ১৯৮৫ সালে।
প্রশ্ন \ ৬ \ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হয় কত সালে?
উত্তর : প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হয় ১৯১৪ সালে।
প্রশ্ন \ ৭ \ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয় কত সালে?
উত্তর : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয় ১৯৩৯ সালে।
প্রশ্ন \ ৮ \ জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে?
উত্তর : জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৫ সালে।
প্রশ্ন \ ৯ \ জাতিসংঘের পতাকার রং কী রকম?
উত্তর : জাতিসংঘের পতাকার রং হালকা নীল।
প্রশ্ন \ ১০ \ ওআইসি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : ওআইসি ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ১১ \ কমনওয়েলথ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : কমনওয়েলথ ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ জাতিসংঘের গঠন বর্ণনা কর।
উত্তর : জাতিসংঘ ৬টি পরিষদের সমন্বয়ে গঠিত। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হলো সাধারণ পরিষদ। জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার মৌলিক দায়িত্ব পালন করে নিরাপত্তা পরিষদ। নিরাপত্তা পরিষদ ৫টি স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী মোট ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। এছাড়া রয়েছে অছি পরিষদ, ১৫ জন বিচারকের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক আদালত, কার্যনির্বাহী সংস্থা বা সচিবালয় এবং ৫৪ সদস্যবিশিষ্ট অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ। বর্তমানে জাতিসংঘের সদস্য দেশের সংখ্যা ১৯৩। এর সদর দপ্তর নিউইয়র্কে অবস্থিত।
প্রশ্ন \ ২ \ মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমাসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আদালতের রায় বাংলাদেশের জন্য কী সুফল নিয়ে আসবে?
উত্তর : দীর্ঘদিন ধরে মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ ছিল, যা নিয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে। ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক আদালতের এক রায়ে এ বিরোধের নিষ্পত্তি হয় এবং এক বিশাল সমুদ্রসীমার ওপর বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ফলে উক্ত অঞ্চলে শান্তি বিরাজ করবে এবং ঐ এলাকার প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ বাংলাদেশের মালিকানায় ও ভোগে আসবে। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে তা ভ‚মিকা রাখবে।
প্রশ্ন \ ৩ \ কমনওয়েলথ গঠনের উদ্দেশ্য বর্ণনা কর।
উত্তর : কমনওয়েলথ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। ১৯৪৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫৩। ব্রিটেন ও এর স্বাধীন উপনিবেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক ধরে রাখার মাধ্যমে রাষ্ট্রগুলোর আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং দেশগুলোর পরস্পরের মধ্যে শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আদান-প্রদানে সহায়তা করার মাধ্যমে দেশগুলোর অগ্রগতি সাধন করাই এটি গঠনের মূল উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন \ ৪ \ সার্কের গঠন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর তারিখে ঢাকায় সার্কের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এর সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা আটটি। রাষ্ট্রগুলো হলো : বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান।
সার্কের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে পাঁচটি স্তর আছে। এগুলো হলো : ১. রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন, ২. পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন, ৩. স্ট্যান্ডিং কমিটি, ৪. টেকনিক্যাল কমিটি, ৫. সার্ক সচিবালয়। এগুলোর মাধ্যমে সার্কের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পাদন করা হয়ে থাকে।
সার্ক সচিবালয় নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে অবস্থিত। এর প্রধানকে বলা হয় সেক্রেটারি জেনারেল। প্রতিবছর সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রধানদের নিয়ে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সার্ক দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রায় ১৫০ কোটি জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক।
প্রশ্ন \ ৫ \ জাতিসংঘের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বিশ্বশান্তি ও সহযোগিতার মহান লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘের উদ্দেশ্যগুলো হলো :
১. শান্তির প্রতি হুমকি ও আক্রমণাত্মক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করে বিশ্বশান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
২. সকল মানুষের সমান অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে স¤প্রীতি ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করা।
৩. অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবসেবামূলক সমস্যার সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গড়ে তোলা।
৪. জাতি-ধর্ম-বর্ণ, ভাষা ও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তোলা এবং
৫. আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে আন্তর্জাতিক বিবাদের মীমাংসা করা।
প্রশ্ন \ ৬ \ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গঠন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র সাধারণ পরিষদের সদস্য। সাধারণত বছরে একবার এ পরিষদের অধিবেশন বসে। তবে নিরাপত্তা পরিষদের অনুরোধে বিশেষ অধিবেশন বসতে পারে। প্রত্যেক অধিবেশনের শুরুতে সদস্যদের ভোটে পরিষদের একজন সভাপতি নির্বাচিত হন। সাধারণ পরিষদে প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের একটিমাত্র ভোটদানের অধিকার আছে।
প্রশ্ন \ ৭ \ জাতিসংঘ সচিবালয়ের কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সচিবালয় জাতিসংঘের প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করে। সচিবালয়ের মহাসচিবকে কেন্দ্র করে এর যাবতীয় কাজ আবর্তিত হয়ে থাকে। তিনি সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ এবং অছি পরিষদের মহাসচিব হিসেবে কাজ করেন। আন্তর্জাতিক আদালত ছাড়া সকল শাখায় লোক নিয়োগের দায়িত্বও তার। সকল শাখার অধিবেশন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব তার। এছাড়া জাতিসংঘের বাজেট তৈরি, সদস্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, বিভিন্ন শাখার সভা আহŸান, বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা ও প্রতিবেদন তৈরি, অছি এলাকার রিপোর্ট তৈরি ইত্যাদি কাজ তার নির্দেশনায় সম্পাদিত হয়ে থাকে। সাধারণ ও নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার দায়িত্ব তার। জাতিসংঘের নির্দেশ অমান্যকারী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তিনি যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করতে পারেন। মহাসচিব আসলে জাতিসংঘের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। সচিবালয়ের অন্যদের সহযোগিতায় তিনি এ ব্যাপক কর্মকাণ্ড সম্পাদন করে থাকেন।
প্রশ্ন \ ৮ \ কমনওয়েলথের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য লেখ।
উত্তর : কমনওয়েলথের প্রধান লক্ষ্য হলো ব্রিটেন ও এর স্বাধীন উপনিবেশগুলোর মধ্যে ন্যূনতম সম্পর্ক রক্ষা। এই সম্পর্ক ধরে রাখার মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং দেশগুলোর পরস্পরের মধ্যে শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আদান প্রদানে সহায়তা করার মাধ্যমে দেশগুলোর অগ্রগতি সাধন করাই এর উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন \ ৯ \ ওআইসির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা কর।
উত্তর : সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রেখে শত্র“র কবল থেকে ইসলামি স্থানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও বহিঃশত্র“র ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা ওআইসির প্রাথমিক লক্ষ্য। এছাড়া ওআইসির আরও কিছু উদ্দেশ্য আছে।
১. ইসলামি ভ্রাতৃত্ব ও সংহতি জোরদার করা।
২. সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ড ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
৩. বর্ণবৈষম্যবাদ ও উপনিবেশবাদ বিলোপ করা।
৪. ইসলামি পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তা বিধান করা, পবিত্র ভ‚মিকে মুক্ত করা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামকে সমর্থন করা।
৫. মুসলমানদের মর্যাদা রক্ষা এবং মুসলিম জাতির সংগ্রামকে জোরদার করার জন্য সাহায্য করা।
৬. আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে সমর্থন করা।
৭. সংস্থাভুক্ত সকল দেশ ও অন্যান্য দেশের সাথে সৌহার্দ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
৮. দেশসমূহের স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো এবং
৯. কোনো সংঘর্ষ দেখা দিলে আলাপ-আলোচনা, মধ্যস্থতা, আপস প্রভৃতির মাধ্যমে এর শান্তিপূর্ণ সমাধান।