প্রাণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কবি পরিচিতি :
নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মে, ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ।
জন্মস্থান : কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার।
পারিবারিক পরিচয় পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
সাহিত্যিক পরিচয় রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভাধর ব্যক্তি। তিনি একাধারে কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, সুরকার, চিত্রকর, অভিনেতা, নাট্য প্রযোজক ইত্যাদি নানা পরিচয়ে পরিচিত।সাহিত্যের বিচিত্র ক্ষেত্রে তাঁর ছিল বিস্ময়কর পদচারণ। কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটক, পত্রসাহিত্য, ভ্রমণসাহিত্য ইত্যাদি সাহিত্যের সকল শাখা এবং সংগীত, চিত্রকলা ইত্যাদি শিল্পমাধ্যম তাঁর অবদানে সমৃদ্ধ হয়েছে।
প্রথম প্রকাশ প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বনফুল’। এ গ্রন্থটি মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রকাশিত হয়।
উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্য : মানসী, সোনার তরী, চিত্রা, কল্পনা, ক্ষণিকা, গীতাঞ্জলি, বলাকা।
ছোটগল্প : গল্পগুচ্ছ (চার খণ্ড)।
উপন্যাস : চোখের বালি, গোরা, ঘরে বাইরে, যোগাযোগ, শেষের কবিতা।
নাটক : বিসর্জন, ডাকঘর, রক্তকরবী।
পুরস্কার ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ ।
মৃত্যু ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই আগস্ট, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ, কলকাতায়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১. কবি কোথায় অমর আলয় রচনা করতে চেয়েছেন? ঝ
ক. স্বর্গে খ. পৃথিবীতে
গ. পুষ্পিত কাননে ঘ. মানুষের মাঝে
২. কবি মানব হৃদয়ে কীভাবে ঠাঁই পেতে চেয়েছেন? ছ
ক. ভালোবেসে খ. সৃষ্টির মাধ্যমে
গ. ফুল ফুটিয়ে ঘ. সংগীতের সাহায্যে
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে Ñ এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় Ñ হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল ছায়ায়;
৩. উদ্দীপকের বক্তব্যের সাথে ‘প্রাণ’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য রয়েছে যে বাক্যে, তা হলো Ñ চ
র. মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে,
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই
রর. মানবের সুখে-দুঃখে গাঁথিয়া সংগীত
যদি গো রচিতে পারি অমর আলয় !
ররর. হাসি মুখে নিয়ে ফুল, তার পরে হায়
ফেলে দিয়ো ফুল, যদি সে ফুল শুকায় \
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. র খ. ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র ও ররর
৪. এরূপ সাদৃশ্যের কারণ কী? ঝ
ক. জীবনের প্রতি আসক্তি
খ. অকৃত্রিম মানবপ্রেম
গ. জাগতিক সুখ ভোগ
ঘ. সৃষ্টির আনন্দ উপভোগ
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ
খুঁজিতে যাই না আর, অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে
চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে বসে আছে
ভোরের দোয়েল পাখিÑ চারদিকে চেয়ে দেখি পল−বের স্তূপ
জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশ্বত্থের করে আছে চুপ।
ক. কবি কাদের মাঝে বাঁচতে চান? ১
খ. এ পৃথিবীতে কবি অমর আলয় রচনা করতে চান কেন? ২
গ. উদ্দীপকে প্রত্যাশিত বিষয়টি ‘প্রাণ’ কবিতার ভাবের সাথে কীভাবে মিশে আছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিকভাব মাত্র, পূর্ণরূপ নয়। যুক্তিসহকারে বুঝিয়ে লেখো। ৪
১ এর ক নং প্র. উ.
ক্ষ কবি মানবের মাঝে বাঁচতে চান।
১ এর খ নং প্র. উ.
ক্ষ পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে থাকার জন্য কবি অমর আলয় রচনা করতে চান।
নরনারীর সুখ-দুঃখ-বিরহ কবি তাঁর রচনায় সঠিকভাবে চিত্রিত করতে চান। আর এই রচনা যদি মানুষের মনজয়ী হয় তবে এই অমর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে কবি পৃথিবীর মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এভাবেই কবি তাঁর অমর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তিনি গোটা পৃথিবীকে অমর আলয় হিসেবে গড়ে তুলতে চান।
১ এর গ নং প্র. উ.
ক্ষ জগতের সৌন্দর্য বিমোহিত হওয়ার দিকটি উদ্দীপকে প্রকাশ পাওয়ায় উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার সাথে সম্পর্কযুক্ত।
‘প্রাণ’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, এই পৃথিবী সুন্দর ও আকর্ষণীয়। মানুষের হাসি-কান্না, প্রেম-ভালোবাসা, মান-অভিমানে পূর্ণ। কবি এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে চান না। সৃষ্টিশীল কাজ করে তিনি পৃথিবীর বুকে অমর হয়ে থাকার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করেছেন।
উদ্দীপকের কবিতাংশে বর্ণিত হয়েছে গ্রামবাংলার এক অনুপম চিত্র। উদ্দীপকের কবি বাংলার রূপে মুগ্ধ। বাংলার রূপ দেখার পর তাঁর আর পৃথিবীর রূপ দেখার সাধ নেই। ভোরের দোয়েল পাখি কীভাবে ছাতার মতো ডুমুরের পাতার নিচে বসে আছে, কবি তা মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়েছেন। সেখানে জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশ্বত্থের পত্র-পল্লবের স্তূপ যেন স্থির হয়ে আছে। প্রাণ কবিতায়ও অনুরূপভাবে রবীন্দ্রনাথ পৃথিবীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে চিরকাল বেঁচে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
১ এর ঘ নং প্র. উ.
ক্ষ ‘প্রাণ’ কবিতার মাত্র একটি দিক-পৃথিবীর রূপ-বৈচিত্র্যে মুগ্ধতার বিষয়টি উদ্দীপকে উল্লিখিত। তাই উদ্দীপকটিতে ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিক ভাব প্রকাশিত হয়েছে।
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনবদ্য সৃষ্টি প্রাণ কবিতায় তিনি বলেছেন, পুষ্পিত কাননরূপী এই সুন্দর পৃথিবী তাঁকে মুগ্ধ, বিমোহিত করেছে। হাসি-কান্না, মান-অভিমান, আবেগ-ভালোবাসায় পূর্ণ এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে কবি যেতে চান না। তিনি মানুষের মনজয়ী রচনা সৃষ্টি করে স্মরণীয় ও বরণীয় হতে চান। তাঁর এই অমর সৃষ্টিতে নর-নারীর হৃদয় রহস্য- সুখ-দুঃখ-বিরহ যেন সঠিকভাবে স্থান পায়, সেই প্রত্যাশা করেছেন।
উদ্দীপকে প্রকৃতির এক অপরূপ চিত্রের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন কোনো কিছুই যেন কবির চোখ এড়ায়নি। মুগ্ধ দৃষ্টিতে তিনি দেখেছেন ডুমুরের পাতার নিচে দোয়েলটিকে। দোয়েলের মতোই যেন চুপ করে আছে বিভিন্ন গাছের পত্রপল্লবের স্তূপ। বাংলার এমন সৌন্দর্য দেখে তিনি আর পৃথিবীর রূপ খুঁজতে চান না। কবি যেন পরিপূর্ণভাবে পরিতৃপ্ত।
আলোচ্য ‘প্রাণ’ কবিতা ও উদ্দীপক পর্যালোচনা করলে আমরা লক্ষ করি উদ্দীপকে পৃথিবীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়ার যে বর্ণনা করা হয়েছে তা প্রাণ কবিতায় একটি খণ্ডিত ভাবমাত্র। কবিতায় এছাড়াও রয়েছে কবি মনের অমরত্ব লাভের বাসনার স্বরুপ। কবি অমর হতে চান মানুষের হাসি-কান্না, বিরহ বেদনা তাঁর রচনায় প্রকাশ করার মাধ্যমে। অমর আলয় সৃষ্টি করে তিনি বরণীয় হতে চেয়েছেন। কিন্তু উদ্দীপক কবিতাংশে তেমন কোনো চেতনার উল্লেখ নেই। সেদিক থেকে উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিকভাব মাত্র, পূর্ণরূপ নয়।
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
নিখিলের এত শোভা, এত রূপ, এত হাসি-গান,
ছাড়িয়া মরিতে মোর কভু নাহি চাহে মন-প্রাণ।
এ বিশ্বের সবি আমি প্রাণ দিয়ে বাসিয়াছি ভাল-
আকাশ বাতাস জল, রবি-শশী, তারকার আলো।
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিসের মাধ্যমে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান? ১
খ. ‘মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে’Ñ চরণটি বুঝিয়ে লেখো। ২
গ. উদ্দীপকে বিষয়টি ‘প্রাণ’ কবিতার ভাবের সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিক প্রতিফলন মাত্র। যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো। ৪
২ নং প্র. উ.
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান।
খ. ‘প্রাণ’ কবিতায় আলোচ্য চরণটির মাধ্যমে কবি মনের অমরত্ব লাভের প্রত্যাশা প্রকাশিত হয়েছে।
এই পৃথিবী সুন্দর ও আকর্ষণীয়। মানুষের হাসি-কান্না, মান-অভিমান, আবেগ ভালোবাসায় এটি পরিপূর্ণ। এই সবকিছুর প্রতি কবি গভীর টান অনুভব করেন। তিনি জগতের মায়া ত্যাগ করে অন্য কিছুর আহŸানে সাড়া দিতে চান না। পৃথিবীর বুকে তিনি অমর হতে চান। চরণটির মাধ্যমে কবির মর্ত্যপ্রীতির বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়।
গ. উদ্দীপকে ‘প্রাণ’ কবিতায় বর্ণিত এই সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার গভীর আর্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেদিক দিয়ে ‘প্রাণ’ কবিতায় ভাবের সাথে উদ্দীপকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘প্রাণ’ কবিতায় বলা হয়েছে, এ জগৎ বড়ই সুন্দর ও আকর্ষণীয়। এ পৃথিবী মানুষের মায়া-মমতা, হাসি-কান্না, মান-অভিমানে পরিপূর্ণ। এই জগতের মায়া-মমতা ত্যাগ করে কবি মরে যেতে চান না। পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শে কবি আপ্লুত। প্রকৃতির রূপে মুগ্ধ কবি চান তাঁর রচনায় পৃথিবীর তাবৎ সৌন্দর্যকে তুলে ধরতে।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, পৃথিবীর নান্দনিক রূপ-সৌন্দর্যের কথা। এই পৃথিবীর আকাশ বাতাস জল, চাঁদ, সূর্য তারার আলো সবকিছুকে কবি হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছেন। হাসি-গানে ভরা এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে কবি মরে যেতে চান না। এই বিশ্ব-প্রকৃতির মাঝে কবি বেঁচে থাকতে চান। ‘প্রাণ’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও একই বাসনা ব্যক্ত করেছেন।
ঘ. উদ্দীপকে ‘প্রাণ’ কবিতার কেবল একটি দিক-পৃথিবীকে ভালোবাসা এবং পৃথিবীকে ছেড়ে না যাওয়ার কামনা ব্যক্ত হয়েছে। তাই উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিক প্রতিফলন মাত্র।
‘প্রাণ’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মায়া-মমতা, হাসি-কান্নায় ভরপুর এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে চান না। বরং জীবিত থেকে পৃথিবীর মানুষের জন্য নতুন নতুন গান কবিতা লিখতে চান। পৃথিবীকে ভালোবেসে এক মহতী প্রেরণায় তিনি অসামান্য অবদান রাখতে চান। আর এভাবেই তিনি স্মরণীয়-বরণীয় হতে চান।
উদ্দীপকের কবি পৃথিবীর রূপ-শোভা দেখে আপ্লুত। পৃথিবীর হাসি-গান, আকাশ-বাতাস, নদ-নদী, জল, চাঁদ-সুরুজ, তারার আলো এসব কিছু ছেড়ে কিছুতেই তিনি চলে যেতে চান না। উদ্দীপক কবিতাংশের কবির এমন মর্ত্যপ্রীতির প্রকাশ ঘটেছে ‘প্রাণ’ কবিতায়ও। কিন্তু কবিতার ভাবটি আরো বিস্তৃত।
‘প্রাণ’ কবিতার কবি ও উদ্দীপকের কবি উভয়েই এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে যেতে চান না। কিন্তু ‘প্রাণ’ কবিতায় কবি আরো অনেক আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি নরনারীর হাসি-কান্না বিরহ-মিলনকে আশ্রয় করে বহু গান-কবিতা লিখে যেতে চান। মরণজয়ী রচনা সৃজনের মাধ্যমে স্মরণীয়-বরণীয় হতে চান। আর প্রকৃতির রূপে মুগ্ধ উদ্দীপক কবিতাংশের কবি কেবল এই পৃথিবী ছেড়ে না যাওয়ার গভীর কামনা ব্যক্ত করেছেন। নিজের সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে মানবমনে চিরকালের জন্য ঠাঁই পাওয়ার বাসনা তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ নেই, যেটি ‘প্রাণ’ কবিতার মূল ভাবনা। ‘প্রাণ’ কবিতার বিষয় বিবেচনা করলে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিক প্রতিফলন মাত্র।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন আমাদের সৃষ্টিশীলতা ও ঐতিহ্যের অহংকার। মানবজীবনের বিভিন্ন অনুষঙ্গ তুলির আঁচড়ে তিনি যেভাবে জীবন্ত করে তুলেছেন, তা অবিশ্বাস্য। দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন। কাদায় আটকে যাওয়া গরুর গাড়ির ছবিসহ নানামাত্রিক চিত্রকর্ম তাঁকে বিরাট খ্যাতি এনে দিয়েছে।
ক. ‘প্রাণ’ কবিতার কবি কী রচনা করতে চান? ১
খ. ‘প্রাণ’ কবিতার কবি মানুষের মনজয়ী রচনা সৃজন করতে চান কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘প্রাণ’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিক চিত্র মাত্র- প্রমাণ করো। ৪
৩ নং প্র. উ.
ক. ‘প্রাণ’ কবিতার কবি অমর আলয় রচনা করতে চান।
খ. মানুষের মনে স্থায়ী আসন লাভ করার জন্য প্রাণ কবিতার কবি মানুষের মনজয়ী রচনা সৃজন করতে চান।
প্রাণ কবিতার কবির সৃষ্টিকর্মের প্রেরণা মানুষের আবেগ-অনুভ‚তি। তঁাঁর সমস্ত সৃষ্টির মূল লক্ষ্যও মানুষ। তাঁর মতে ও পৃথিবীর নরনারীর সুখ-দুঃখ-বিরহের আখ্যান তাঁর সৃষ্টিতে ঠিকভাবে ঠাঁই পেলে তবেই তিনি মানুষের মাঝে অমর হতে পারবেন। এ কারণেই তিনি এমন রচনা সৃজন করতে চান, যা সকলের কাছে সমাদৃত হবে।
গ. উদ্দীপকে ‘প্রাণ’ কবিতায় বর্ণিত অমর-আলয় বা অমর সৃষ্টি রচনার মধ্য দিয়ে স্মরণীয় হওয়ার দিকটি ফুটে উঠেছে।
‘প্রাণ’ কবিতার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আকাক্সক্ষা অনন্তকাল বেঁচে থাকার ও জীবনকে উপভোগ করার । মানুষের বিরহ-মিলন, হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ নিয়ে তিনি রচনা করতে চান অসংখ্য সংগীত। কবির প্রত্যাশা তাঁকে ভালোবেসে মানুষ সে গানগুলো কণ্ঠে ধারণ করবে। এভাবেই তিনি মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান, স্মরণীয় বরণীয় হতে চান।
উদ্দীপকে বর্ণিত শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন অপরিসীম দক্ষতায় একের পর এক ছবি এঁকেছেন। তুলির আঁচড়ে মানুষের জীবনচিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সময় ক্ষুধাপীড়িত কঙ্কালসার মানুষের ছবি এঁকেছেন। কতই না আবেদন সৃষ্টি করেছে তাঁর আঁকা কাদায় আটকে যাওয়া গরুর গাড়ির ছবি। এই অসামান্য প্রতিভার কারণে তিনি অমর হয়ে আছেন। ‘প্রাণ’ কবিতায়ও একইভাবে কবি মানুষের জীবনের হাসি-কান্না রূপায়িত করে অমর সংগীত রচনায় মধ্য দিয়ে অমর হতে চেয়েছেন।
ঘ. উদ্দীপকে শুধু অমর সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়ে জগতে স্মরণীয় হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ‘প্রাণ’ কবিতায় বর্ণিত মর্ত্যপ্রীতি এখানে অনুপস্থিত।
‘প্রাণ’ কবিতার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পৃথিবীর মানুষ, প্রকৃতি সবকিছুকেই অন্তর দিয়ে ভালোবেসেছেন। এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে তিনি মরে যেতে চান না। মানুষের বিরহ-মিলন, হাসি-কান্না রূপায়িত করে অসংখ্য সংগীত রচনার মধ্য দিয়ে তিনি অমরত্ব লাভ করতে চান। মানুষের কণ্ঠে তার গান অনুরণিত হবে বলে তিনি নতুন নতুন গান রচনা করতে চান। ভালোবাসা মায়া মমতায় পরিপূর্ণ এ পৃথিবীতে তিনি সৎ ও শুভকর্ম করে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান।
উদ্দীপকের অমর চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীন দুর্ভিক্ষের ক্ষুধাপীড়িত মানুষের ছবিসহ বিভিন্ন জীবনঘনিষ্ঠ ছবি এঁকে খ্যাতিমান ও স্মরণীয় হয়েছেন। তাঁর চিত্রকর্মের মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে অমর হয়ে আছেন। মহৎ কর্মের মাধ্যমে অমর হওয়ার এ বিষয়টি ‘প্রাণ কবিতায়ও এসেছে। কিন্তু পৃথিবীর রূপ সৌন্দর্যের প্রতি কবিতার কবির মুগ্ধতার বিষয়টি উদ্দীপকে অনুপস্থিত।
উদ্দীপকে জয়নুল আবেদীন তাঁর শিল্পকর্মের মধ্য দিয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকার কথাটি বলা হয়েছে। এখানে আর কোনো বিষয় আলোচিত হয়নি। ‘প্রাণ’ কবিতায় কবির অমরত্ব লাভের বাসনার পাশাপাশি জগতের প্রতি গভীর টান প্রকাশ পেয়েছে। পৃথিবীর মায়াময় কোল ছেড়ে তিনি চলে যেতে চান না। সে ভাবনা থেকেই তিনি সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে অমর হওয়ার প্রসঙ্গটি এনেছেন। কিন্তু উদ্দীপকে এমন ভাবনার পরিচয় মেলে না। সেদিক থেকে উদ্দীপকটি প্রাণ কবিতার আংশিক প্রতিফলন মাত্র।
বাদশা বাবর কাঁদিয়া ফিরিছে, নিদ নাহি চোখে তাঁরÑ
পুত্র তাঁহার হুমায়ুন বুঝি বাঁচে না এবার আর!
চারিধারে তাঁর ঘনায়ে আসিছে মরণ-অন্ধকার।
* * *
কহিল কাঁদিয়াÑ ‘হে দয়াল খোদা, হে রহিম রহমান,
মোর জীবনের সবচেয়ে প্রিয় আমারি আপন প্রাণ,
তাই নিয়ে প্রভু পুত্রের প্রাণ কর মোরে প্রতিদান।’
* * *
সেইদিন হতে রোগ-লক্ষণ দেখা দিল বাবরের,
হৃষ্টচিত্তে গ্রহণ করিল শয্যা সে মরণের,
নতুন জীবনে হুমায়ুন ধীরে বাঁচিয়া উঠিল ফের।
* * *
মরিয়া বাবর অমর হয়েছে, নাহি তার কোনো ক্ষয়,
পিতৃস্নেহের কাছে হইয়াছে মরণের পরাজয়।
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিসের মাধ্যমে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান? ১
খ. ‘ফেলে দিয়ো ফুল, যদি সে ফুল শুকায়।’Ñ চরণটির মাধ্যমে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. ‘প্রাণ’ কবিতার কবির আকাক্সক্ষার সাথে উদ্দীপকের বাবরের আকাক্সক্ষার বৈসাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘প্রাণ’ কবিতায় উল্লিখিত চূড়ান্ত লক্ষ্য পূরণের বিবেচনায় উদ্দীপকের বাদশা বাবর সফলÑ উক্তিটি বিশ্লেষণ করো। ৪
৪নং প্র. উ.
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান।
খ. কবির তাঁর সৃষ্টিকর্মের প্রতি যথার্থ প্রতিক্রিয়া প্রদর্শনের আহŸান জানিয়েছেন আলোচ্য চরণটির মাধ্যমে।
‘প্রাণ’ কবিতার কবির লক্ষ্য মানুষের হৃদয়ে স্থায়ীভাবে ঠাঁই লাভ করা। তাই মানুষের জন্য তিনি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃষ্টির অবতারণা করেন। কবিতায় তাঁর সৃষ্টিকর্মের সাধনাকে তিনি তুলনা করেছেন সংগীতের ফুল ফোটানোর সঙ্গে। সে ফুলগুলোকে সবাই যেন ভালোবেসে গ্রহণ করেÑএটিই কবির প্রার্থনা। আর যদি ফুল শুকিয়ে যায়, অর্থাৎ সকলের মন জয় করার উপযোগী না হয় তবে সে ফুল তথা সৃষ্টিকর্মকে বর্জনের কথা বলেছেন কবি।
গ. ‘প্রাণ’ কবিতায় কবি এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করেছেন। আর উদ্দীপকে বাদাশাহ বাবর নিজের জীবনের বিনিময়ে সন্তানকে বাঁচাবার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করেছেন।
ক্ষ ‘প্রাণ’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, এই পৃথিবী সুন্দর ও আকর্ষণীয়। হাসি-কান্না, মায়া-মমতা আবেগ-ভালোবাসায় পরিপূর্ণ এ পৃথিবী ছেড়ে তিনি মৃত্যুবরণ করতে চান না। কবি তাঁর অমর সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের মন জয় করতে চান। অর্থাৎ, শুভকর্মের মধ্য দিয়ে তিনি অমর হতে চান।
ক্ষ উদ্দীপকে আমরা লক্ষ করি বাদশাহ বাবরের পুত্র হুমায়ুন রোগশয্যায় মৃত্যুর প্রহর গুনছিল। পুত্রকে হারানোর চিন্তায় ব্যাকুল বাবরের চোখে ঘুম ছিল না। এমনি অবস্থায় বাবর খোদার কাছে প্রার্থনা জানান তাঁর জীবনের বিনিময়ে খোদা যেন পুত্রকে সুস্থ করে দেন। ‘প্রাণ’ কবিতায় কবি নিজে বেঁচে থেকে পৃথিবীর রূপ-সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান আর উদ্দীপকে বাদশাহ বাবর নিজের জীবনের বিনিময়ে পুত্রকে সুস্থ করে তুলতে চান। তাই আকাক্সক্ষার দিক থেকে দুজনের মধ্যে বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ. ‘প্রাণ’ কবিতার কবির চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে শুভকর্মের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে অমর হওয়া। উদ্দীপকের বাদশাহ বাবরও পিতৃস্নেহের অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে অমর হয়েছেন ।
ক্ষ ‘প্রাণ’ কবিতায় কবি এই সুন্দর মায়াময় পৃথিবীতে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করেছেন। কবি সুখ-দুঃখ আনন্দ-বেদনা, বিরহ-মিলন, চিত্রায়িত করে অমর সংগীত রচনা করে স্মরণীয় ও বরণীয় হতে চান। মরণজয়ী রচনা সৃজনের মাধ্যমে তিনি মানুষের কাছে আদৃত হতে চান। অর্থাৎ, কবির চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে শুভকর্মের মধ্য দিয়ে মানুষের মনে ঠাঁই পাওয়া।
ক্ষ উদ্দীপকে বাদশাহ বাবর পিতৃস্নেহের যে দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন তা অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী। সন্তানকে তিনি এতটাই ভালোবাসতেন যে নিজের জীবনের বিনিময়ে তাকে সুস্থ করে তুলতে চেয়েছেন। সন্তানবাৎসল্যের এমন দৃষ্টান্ত বিরল। তিনি স্রষ্টার কাছে নিজের জীবনের বিনিময়ে হুমায়ুনকে বাঁচানোর আকুতি প্রকাশ করলে অলৌকিকভাবে হুমায়ুন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। আর বাদশাহ বাবর প্রাণত্যাগ করে পান অমরত্ব।
ক্ষ ‘প্রাণ’ কবিতায় কবি তার অমর সৃষ্টির মাধ্যমে পৃথিবীতে স্মরণীয় ও বরণীয় হতে চান। আর উদ্দীপকে বর্ণিত বাদশাহ বাবর যে পিতৃস্নেহের পরিচয় তুলে ধরলেন তাতে তিনি মরেও অমর হয়ে রইলেন। বাবরের পিতৃস্নেহের কাছেও যেন মরণের পরাজয় ঘটল। ‘প্রাণ’ কবিতার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষের মনে ঠাঁই করে নিয়েছেন তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়ে। চিরকাল এভাবেই তাঁর কালজয়ী রচনাগুলো মানুষকে আনন্দ দিয়ে যাবে। উদ্দীপক কবিতাংশে বর্ণিত বাদশাহ বাবরও একইভাবে অমরত্ব লাভে সফল। পুত্রের জীবনরক্ষায় তিনি অনুপম ত্যাগ স্বীকার করেছেন। সেই কীর্তিই তাঁর স্মৃতিকে উজ্জ্বল করে রেখেছে মানুষের মনে।
দুষ্টু ছেলেরা পাখি, ফড়িং অথবা প্রজাপতির ডানা ভেঙে দিলে তাদের করুণ অবস্থা সহজেই চোখে পড়ে। তারা উড়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করতে থাকে। গরু, ছাগল অথবা হাঁস-মুরগি জবাই করার সময় দেখা যায় সর্বশক্তি দিয়ে বাঁচার কী নিদারুণ চেষ্টা! পানিতে পড়ে গেেল খড় বা ভাসমান কিছু পেলে তাতে আশ্রয় নিয়ে বাঁচার প্রাণান্তকর চেষ্টা দেখা যায় পিঁপড়ার মধ্যে। প্রকৃতপক্ষে প্রাণিজগতের সব প্রাণীর কাছে তাদের প্রাণই সবচেয়ে মূল্যবান। তাই প্রতিটি জীব শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বেঁচে থাকতে চায়।
ক. ‘প্রাণ’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে? ১
খ. কবি নব নব সংগীতের কুসুম ফোটান কেন? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার কোন দিকটিকে তুলে ধরেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার কবির মনের ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরতে সফল হয়েছে কী? মতামত দাও। ৪
৫ নং প্র. উ.
ক. প্রাণ কবিতাটি ‘কড়ি ও কোমল’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে।
খ. নিজের সৃষ্টিকর্মের রূপ-রস-গন্ধ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কবি নব নব সংগীতের কুসুম ফোটান।
কবি মানুষের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি প্রতিনিয়তই নতুন নতুন কীর্তি গড়ে চলেন। তাঁর সৃষ্টিকর্মের মূলভিত্তি হলো মানুষের বিচিত্র অনুভব-অনুভ‚তি, ভাব-ভাবনা ও কর্মকাণ্ড। কবি চান মানুষ যেন স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে তাঁর সৃষ্টিকর্মের সান্নিধ্য লাভ করতে পারে। ‘প্রাণ’ কবিতায় কবির সৃষ্টিকর্মকেই ‘সংগীতের কুসুম বলে’ অভিহিত করা হয়েছে। মানুষের কাছে নিজের সৃষ্টিকে প্রাণময় করে তোলার জন্য কবি নব নব সংগীতের কুসুম ফোটান।
গ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতায় বর্ণিত কবির মর্ত্যপ্রীতির দিকটি তুলে ধরেছে।
এই জগৎ সুন্দর ও আকর্ষণীয়। হাসি, কান্না, আবেগ-ভালোবাসা, মান-অভিমান প্রভৃতিতে পরিপূর্ণ। এই জগতের মায়া ত্যাগ করে ‘প্রাণ’ কবিতার কবি মরতে চান না। এই জগতের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি বেঁচে থাকতে চান। পৃথিবীর অপরূপ সৌন্দর্যে কবি মুগ্ধ হয়েছেন। কবির এই মুগ্ধতা তাঁর নিজের জীবনের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করেছে। তাই তিনি এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে চান না।
উদ্দীপকে ‘প্রাণ’ কবিতার কবির মতো মর্ত্যপ্রীতির বেশ কিছু নিদর্শনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সকল প্রাণীর কাছে নিজের প্রাণ অনেক মূল্যবান। কোনো প্রাণীই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে মরতে চায় না। বেঁচে থাকার জন্য সকলেই শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে। উদ্দীপকে ফড়িং, প্রজাপতি, হাঁস-মুরগি সকলের ক্ষেত্রেই তা সহজেই প্রতীয়মান হয়। আর উদ্দীপকের প্রাণীগুলোর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষার সাথে ‘প্রাণ’ কবিতার কবির বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা তুলনীয়।
ঘ. ‘প্রাণ’ কবিতায় কবি সৎ ও শুভকর্ম করে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার অভিলাষ ব্যক্ত করলেও উদ্দীপকে তার ইঙ্গিত না থাকায় সেটি কবির মনের ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরতে পারেনি।
এই পৃথিবী অপরূপ সৌন্দর্যে সৌন্দর্যমণ্ডিত। মানুষের হাসি, কান্না, আবেগ, ভালোবাসা পৃথিবীকে পরিপূর্ণ করে রেখেছে। এই সুন্দর পৃথিবীতে ‘প্রাণ’ কবিতার কবি অনন্তকাল বেঁচে থাকতে চান। কিন্তু বাস্তবে অনন্তকাল বেঁচে থাকা সম্ভব নয় বলে তিনি নিজের কর্মের দ্বারা মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান। মানুষের মনজয়ী রচনা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের কাছে আদৃত হতে চান।
উদ্দীপকে বিভিন্ন প্রাণীর বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি জীবই যে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বেঁচে থাকতে চায়, তা উদ্দীপকে তুলে ধরা হয়েছে। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য এই আকাক্সক্ষা প্রতিটি জীবের স্বভাবজাত বিষয়। উদ্দীপকের এসব প্রাণীর মতো ‘প্রাণ’ কবিতার কবিও বেঁচে থাকতে চান। তবে সেটা মানুষের জন্য সৎ ও শুভকাজের মাধ্যমে।
পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য ‘প্রাণ’ কবিতার কবির ভাবনা আর উদ্দীপকে বর্ণিত প্রাণীগুলোর চেষ্টা এক নয়। কবি পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন তাঁর কর্মের মাধ্যমে। সৃষ্টিশীল রচনার মাধ্যমে তিনি ঠাঁই করে নিতে চেয়েছেন মানুষের মনে। এভাবে মানুষের মাঝে অমর হয়ে তিনি বেঁচে থাকতে চেয়েছেন। কিন্তু উদ্দীপকে কবির এসকল আকাক্সক্ষার কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার কবির মনের ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরতে সফল হয়নি।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. ‘প্রাণ’ কবিতার কবি কে?
উত্তর : প্রাণ কবিতার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
২. রবীন্দ্রনাথ বাংলা কোন তারিখে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ বাংলা ২৫শে বৈশাখ ১২৬৮ সনে জন্মগ্রহণ করেন।
৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ব্যারিস্টারি পড়ানোর জন্য কোথায় পাঠানো হয়েছিল?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ব্যারিস্টারি পড়ানোর জন্য ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়েছিল।
৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম ‘বনফুল’।
৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কত বছর বয়সে ‘বনফুল’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫ বছর বয়সে ‘বনফুল’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়?
৬. ‘কোন কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তর : ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
৯. ধরায় কিসের খেলা চিরতরঙ্গিত?
উত্তর : ধরায় প্রাণের খেলা চিরতরঙ্গিত।
১০. ‘প্রাণ’ কবিতার কবি মানবের সুখ-দুঃখের সমন্বয়ে কী গাঁথতে চান?
উত্তর : প্রাণ কবিতার কবি মানবের সুখ-দুঃখের সমন্বয়ে সংগীত গাঁথতে চান।
১১. ‘চিরতরঙ্গিত’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : চিরতরঙ্গিত বলতে বোঝায় চির কল্লোলিত।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. বিরহ মিলন কত হাসি-অশ্রæময়Ñ কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : পৃথিবীতে মানবজীবনের বৈচিত্র্য তুলে ধরতেই আলোচ্য কথাটি বলেছেন প্রাণ কবিতার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
পৃথিবীতে মানুষের জীবনযাত্রা অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এখানে নেই নিরবচ্ছিন্ন সুখ বা দুঃখ। বরং সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, বিরহ-মিলনের মিশেলেই জীবন বয়ে চলে। মানবজীবনের এই উত্থান-পতনের বিশেষ দিকটিই প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য চরণে।
২. ‘তোমাদেরি মাঝখানে লভি যেন ঠাঁই’- কবি এ কথা বলেছেন কেন?
উত্তর : মানুষের মনে অমরত্বের আসন লাভের আকাক্সক্ষা থেকে কবি আলোচ্য কথাটি বলেছেন।
ধরার আকর্ষণীয় জীবন ছেড়ে কবি মৃত্যুর স্বাদ নিতে চান না। কিন্তু বাস্তবতাকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না। কবি জানেন, পৃথিবীতে কেউ চিরকাল বেঁচে থাকে না। তাই দেহের মৃত্যু ঘটলেও কবি চান তাঁর স্মৃতি বেঁচে থাকুক মানুষের মাঝে। ভালোবেসে মানুষ তাঁকে তাদের মনের কোন ঠাঁই দিক।
৩. ‘মানুষের সুখে দুঃখে গাাঁথিয়া সংগীত’ – চরণটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : মানুষের আনন্দ-বিরহ নিয়ে রচিত সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে কবি ধরার বুকে অমর হতে চান-আলোচ্য চরণে এটিই প্রকাশ পেয়েছে।
‘প্রাণ’ কবিতার কবির লক্ষ্য পৃথিবীতে অমরত্ব লাভ। আর সেটি সম্ভব সৎ ও শুভকর্মের মাধ্যমেই। কবি জানেন এই পৃথিবীর জীবন মূলত মানুষের নিত্যদিনের হাসি-কান্না, অনন্দ-বেদনার সমষ্টি। তাই তাঁর সৃষ্টিকর্মে সেগুুলো যথাযথভাবে ঠাঁই পেলেই তা মানুষের মনজয়ী হয়ে উঠবে। এ কারণেই কবি মানবের অনুভ‚তিগুলোকে তাঁর রচনার উপজীব্য করার কথা বলেছেন।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি
১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম তারিখ কোনটি? ছ
ক ২২শে বৈশাখ ১২৬৮ খ ২৫শে বৈশাখ ১২৬৮
গ ২২শে শ্রাবণ ঘ ২৫শে শ্রাবণ ১২৬৮
২. রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান কোনটি? ছ
ক বীরভ‚ম খ কলকাতা
গ মালদহ ঘ ত্রিপুরা
৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নাম কী? চ
ক দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর খ দ্বারকানাথ ঠাকুর
গ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪. কখন রবীন্দ্রনাথের কাব্য প্রতিভার উন্মেষ ঘটে? চ
ক বাল্যকালে খ কৈশোরে
গ যৌবনে ঘ বৃদ্ধ বয়সে
৫. প্রিন্স দ্বারকনাথ ঠাকুর সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কী ছিলেন? জ
ক পিতা খ ভ্রাতা
গ পিতামহ ঘ এ-পিতামহ
৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত কাব্যের নাম কী? ঝ
ক সোনার তরী খ ক্ষণিকা
গ গীতাঞ্জলি ঘ বনফুল
৭. ‘বনফুল’ কাব্য প্রকাশের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স কত ছিল? জ
ক ১০ খ ১২
গ ১৫ ঘ ১৮
৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন? জ
ক ১৯১১ খ ১৯১২
গ ১৯১৩ ঘ ১৯১৪
৯. কোন রচনার জন্য রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পান? ছ
ক বনফুল খ গীতাঞ্জলি
গ রক্তকরবী ঘ বলাকা
১০. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গাব্দের কোন তারিখে মৃত্যুবরণ করেন? ঝ
ক ২৫শে বৈশাখ ১২৪৮ খ ২২শে শ্রাবণ ১২৪৮
গ ২৫শে বৈশাখ ১৩৪৮ ঘ ২২শে শ্রাবণ ১৩৪৮
১১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু কত সালে? চ
ক ১৯৪১ সালে খ ১৯৪৪ সালে
গ ১৯৪৭ সালে ঘ ১৯৪৮ সালে
১২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোথায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন? ছ
ক প্যারিসে খ কলকাতায়
গ ঢাকায় ঘ লন্ডনে
১৩. কত বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথকে ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়? ছ
ক পনেরো বছর খ সতেরো বছর
গ বিশ বছর ঘ বাইশ বছর
১৪. ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য রবীন্দ্রনাথকে কোথায় পাঠানো হয়? জ
ক আমেরিকায় খ ফ্রান্সে
গ ইংল্যান্ডে ঘ রাশিয়ায়
১৫. ইংল্যান্ডে ব্যারিস্টারি পড়তে পাঠানোর কত বছরের মাথায় রবীন্দ্রনাথ দেশে ফিরে আসেন? ছ
ক এক বছর খ দেড় বছর
গ দুই বছর ঘ আড়াই বছর
১৬. ‘প্রাণ’ কবিতায় কবি কোনটি প্রত্যাশা করেন না? ছ
ক জন্ম খ মৃত্যু
গ পুনর্জন্ম ঘ সৎকার
১৭. ‘প্রাণ’ কবিতার কবির চোখে এ ভুবন কেমন? জ
ক কুৎসিত খ ব্যস্ত
গ সুন্দর ঘ অলস
১৮. রবীন্দ্রনাথ কাদের মাঝে বাঁচতে চান? ঝ
ক শিশুদের মাঝে খ কবিদের মাঝে
গ মৃতদের মাঝে ঘ সব মানুষের মাঝে
১৯. কোথায় প্রাণের খেলা চিরতরঙ্গিত? জ
ক চাঁদের বুকে খ শ্মশানে
গ পৃথিবীর বুকে ঘ মহাবিশ্বে
২০. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী কোন দিনটিতে পালিত হয়? ছ
ক ৭ই মার্চ খ ৭ই মে
গ ৭ই জুন ঘ ৭ই আগস্ট
২১. রবীন্দ্রনাথের পরিবারের নাম কী? ছ
ক ভট্টাচার্য খ ঠাকুর
গ গাঙ্গুলী ঘ চৌধুরী
২২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নামের আগে কোন বিশেষণটি রয়েছে? চ
ক প্রিন্স খ স্যার
গ মহর্ষি ঘ রাজর্ষি
২৩. কোন গ্রন্থের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথের কবিপ্রতিভার প্রথম উন্মেষ ঘটে? জ
ক গীতাঞ্জলি খ সোনার তরী
গ বনফুল ঘ বলাকা
২৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ক্ষেত্রে কোনটি প্রযোজ্য? জ
ক বিশ্বের প্রথম নোবেল বিজয়ী
খ এশীয়দের মধ্যে প্রথম নোবেল বিজয়ী
গ এশীয়দের মধ্যে প্রথম সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী
ঘ বিশ্বের প্রথম সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী
২৫. ‘প্রাণ’ কবিতার কবি কী রচনা করতে চান? ছ
ক মৃতের নিবাস খ অমর আলয়
গ পুষ্পিত কানন ঘ বিরহের গান
২৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোথায় অমর আলয় নির্মাণ করতে চান? জ
ক ধরার বুকে খ স্বর্গে
গ মানবের মনে ঘ শ্মশানে
২৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষের সুখে দুঃখে কী করতে চান? ছ
ক মালা গাঁথতে চান খ সংগীত রচনা করতে চান
গ দূরে থাকতে চান ঘ নির্বিকার থাকতে চান
২৮. ‘প্রাণ’ কবিতায় অমরত্বের আকাক্সক্ষা প্রকাশিত হয়েছে কোন চরণে? চ
ক তোমাদেরি মাঝখানে লভি যেন ঠাঁই
খ নবনব সংগীতের কুসুম ফুটাই
গ ধরায় প্রাণের খেলা চিরতরঙ্গিত
ঘ হাসি মুখে নিয়ো ফুল, তার পরে হায়
২৯. মানুষের জন্য ‘প্রাণ’ কবিতার কবি সকাল-বিকাল কী ফোটান? ঝ
ক বেদনার কুসুম খ স্বপ্নের কুসুম
গ ইচ্ছের কুসুম ঘ সংগীতের কুসুম
৩০. রবীন্দ্রনাথ তাঁর ফোটানো সংগীতের ফুল কীভাবে নিতে বলেছেন? ছ
ক বিষণœ মনে খ প্রসন্ন মনে
গ বিরক্ত হয়ে ঘ নির্বিকার চিত্তে
৩১. ‘প্রাণ’ কবিতায় শুকিয়ে যাওয়া ফুলকে কী করতে বলা হয়েছে? ঝ
ক খোঁপায় গাঁথতে বলা হয়েছে
খ বইয়ের ভাঁজে রাখতে বলা হয়েছে
গ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে বলা হয়েছে
ঘ ফেলে দিতে বলা হয়েছে
৩২. পৃথিবীতে প্রাণের খেলা কেমন? ছ
ক চিরনিস্তব্ধ খ চিরতরঙ্গিত
গ চিরঅশ্রæহীন ঘ চিরঅশ্রæময়
৩৩. ‘জন্মিলে মরিতে হবে
অমর কে কোথা কবে।’
কবিতাংশটির বিপরীত ভাব রয়েছে কোন কবিতায়? জ
ক সেইদিন এই মাঠ খ আমার পরিচয়
গ প্রাণ ঘ আমার সন্তান
৩৪. ‘প্রাণ’ কবিতার কবি কী দিয়ে অমর আলয় রচনা করতে চান? জ
ক স্বপ্ন খ ইট-পাথর
গ সৃষ্টিকর্ম ঘ মৃত্যু
৩৫. ‘প্রাণ’ কবিতায় কবি কখন ফুল ফেলে দিতে বলেছেন? ঝ
ক পরিপূর্ণরূপে ফুটলে খ সুবাস না ছড়ালে
গ সুবাস ছড়ালে ঘ শুকিয়ে গেলে
৩৬. ‘প্রাণ’ কবিতার কবির প্রত্যাশা কী? ছ
ক শান্তিতে থাকা
খ মানুষের মনে স্থান পাওয়া
গ সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা
ঘ জ্ঞানের আলো ছড়ানো
৩৭. ‘প্রাণ’ কবিতায় পৃথিবীকে কোন বিশেষণে অভিহিত করা হয়েছে? ছ
কঅমর আলয় খ পুষ্পিত কানন
গসংগীতের কুসুম ঘ জীবন্ত হৃদয়
৩৮. ‘প্রাণ’ কবিতায় কোনটি লক্ষণীয়? চ
ক অমরত্বের আকাক্সক্ষা খ স্বর্গের বাসনা
গ নরকের ভীতি ঘ মর্ত্যরে ভীতি
৩৯. ‘প্রাণ’ কবিতায় ‘ফুল’ বলতে কোনটিকে নির্দেশ করা হয়েছে? জ
ক সদিচ্ছা খ দোষ-ত্রæটি
গ সৃষ্টিকর্ম ঘ জীবন
৪০. ‘প্রাণ’ কবিতার কবির সৃষ্টিকর্ম কাদের জন্য? ঝ
ক জ্ঞানীদের জন্য খ শিশুদের জন্য
গ কবিদের জন্য ঘ সকল মানুষের জন্য
৪১. ‘প্রাণ’ কবিতার কবির সংগীত রচনার উদ্দেশ্য কী? ছ
ক জাগতিক শান্তি লাভ করা
খ মানবমনে অমরত্ব লাভ করা
গ স্বর্গসুখ লাভ করা
ঘ শিশুদের সংগীতের প্রতি আগ্রহী করা
৪২. ‘প্রাণ’ কবিতার কবি কেমন হৃদয়ে স্থান পেতে চান? ছ
কমৃত হৃদয় খ জীবন্ত হৃদয়
গকলুষিত হৃদয় ঘ বিষণœ হৃদয়
৪৩. ‘আমায় ডেকো নাÑ ফেরানো যাবে না’Ñ এর বিপরীত ভাবপ্রকাশক বাক্য কোনটি? ঝ
ক অন্ধ গেলে কী আর হবে বোন?
খ আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে
গ আর কি হবে দেখা?
ঘ তোমাদেরি মাঝখানে লভি যেন ঠাঁই
৪৪. ‘মরিতে চাহিনা আমি’Ñ কবির এ বাসনার কারণ কী? ছ
ক মৃত্যুকে ভয় পান বলে
খ পৃথিবীকে ভালোবাসেন বলে
গ অমৃতের সন্ধান পেয়েছেন বলে
ঘ পুনর্জন্মে বিশ্বাসী নন বলে
৪৫. ‘মরণরে তুঁহু মম শ্যাম সমান’Ñ উদ্ধৃত অংশটির বিপরীত ভাব ধারণ করেছে কোন কবিতাটি? জ
কসেইদিন এই মাঠ খ মানুষ
গপ্রাণ ঘ জীবন-সঙ্গীত
৪৬. ‘তোমরা তুলিবে বলে সকাল বিকাল’Ñ বাক্যটিতে কিসের প্রত্যাশা প্রকাশিত হয়েছে? ছ
ক অমরত্ব লাভের
খ সৃষ্টিকর্মের সমাদর লাভের
গ মানুষের শ্রদ্ধা লাভের
ঘ অর্থনৈতিক লাভের
৪৭. ‘সূর্য করে’ শব্দটির অর্থ কী? ছ
ক সূর্যের বাহুতে খ সূর্যের আলোতে
গ সূর্যের স্নেহে ঘ সূর্যের উত্তাপে
৪৮. ‘চিরতরঙ্গিত’ শব্দের অর্থ কী? চ
ক সদা বহমান খ সদা ক্রন্দনরত
গ সদা হাস্যোজ্জ্বল ঘ সদা উৎসবমুখর
৪৯. ‘লভি’ বলতে ‘প্রাণ’ কবিতায় কী নির্দেশ করা হয়েছে? ছ
ক বঞ্চিত হই খ লভি কার
গ লাঞ্ছিত হই ঘ সংকল্পবদ্ধ হই
৫০. ‘অমর আলয়’Ñ কথাটি ‘প্রাণ’ কবিতায় কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? জ
ক অমর নিবাস অর্থে খ অমর জীবন অর্থে
গ অমর সৃষ্টি অর্থে ঘ অমর বিরহ অর্থে
৫১. রবীন্দ্রনাথ মানুষের বিচিত্র অনুভবকে কিসের মাঝে প্রাণময় করে তুলতে চেয়েছেন? ছ
ক তাঁর জীবনের মাঝে খ তাঁর সৃষ্টির মাঝে
গ তাঁর বেদনার মাঝে ঘ তাঁর মরণের মাঝে
৫২. রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্মগুলোকে তিনি ‘প্রাণ’ কবিতায় কী বলে অভিহিত করেছেন? চ
ক কুসুম খ অমৃত
গ সূর্যকর ঘ কানন
৫৩. ‘প্রাণ’ কবিতার কবি কিসের মায়ায় আকৃষ্ট? ছ
ক অর্থের মায়ায় খ পৃথিবীর মায়ায়
গ স্বর্গের মায়ায় ঘ সুখের মায়ায়
৫৪. ‘প্রাণ’ কবিতার কবি সকলের মনজয়ী রচনা সৃষ্টি করতে চান কেন? ছ
ক আর্থিক লাভের আশায়
খ সবার মনে ঠাঁই পেতে
গ নোবেল পুরস্কার লাভ করতে
ঘ মানসিক প্রশান্তি লাভ করতে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক
৫৫. রবীন্দ্রনাথের প্রতিভার স্বাক্ষর মেলেÑ
র. সাহিত্যে
রর. দর্শনে
ররর. সংগীতে
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৬. ‘প্রাণ’ কবিতার কবির প্রত্যাশাÑ
র. অমরত্ব
রর. পাঠক সমাদর
ররর. সহজ মৃত্যু
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৭. ‘প্রাণ’ কবিতার কবি রচনা করতে চানÑ
র. অমর আলয় রর. সুখের স্বর্গ
ররর. নব নব সংগীত
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৮. ‘প্রাণ’ কবিতার কবির মাঝে লক্ষ করা যায়Ñ
র. বিত্তবান হওয়ার আকাক্সক্ষা রর. মর্ত্যপ্রীতি
ররর. কীর্তিমান হওয়ার বাসনা
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৯. প্রাণ কবিতার কবি এমন রচনা সৃষ্টি করতে চান যা হবেÑ
র. মানুষের বিচিত্র অনুভ‚তির প্রতিচ্ছবি
রর. মানুষের মনজয়ী ররর. কালজয়ী
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬০. পৃথিবীর মানুষের সুখ-দুঃখ যার সৃষ্টিতে ঠিকভাবে ঠাঁই পায় তিনি হনÑ
র. পাঠকের মনে অমর রর. পাঠকের মনজয়ী
ররর. পাঠকের কাছে অনাদৃত
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬১. পৃথিবীতে প্রাণের খেলাÑ
র. হাসি-কান্নার সমষ্টি রর. সাময়িক
ররর. চির প্রবহমান
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬২. তা যদি না পারি, তবে বাঁচি যত কাল
তোমাদেরি মাঝখানে লভি যেন ঠাঁই,
কবিতাংশে প্রকাশ পেয়েছেÑ
র. সংশয় রর. অমরত্বের আকাক্সক্ষা
ররর. পাঠকপ্রিয়তার বাসনা
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৩. ‘প্রাণ’ কবিতার কবির অমরত্বের প্রত্যাশার কারণÑ
র. পৃথিবীর সৌন্দর্যের প্রতি মুগ্ধতা
রর. পাঠকের হৃদয়ে স্থায়ী আসন গড়ার আকাক্সক্ষা
ররর. পুনর্জন্মের প্রতি অবিশ্বাস
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৪. ‘প্রাণ’ কবিতার বিপরীত ভাব ধারণকারী চরণ হলোÑ
র. জন্মিলে মরিতে হবে
রর. মরণরে তুঁহু মম শ্যাম সমান
ররর. রেখো মা দাসেরে মনে
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬৫ ও ৬৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
‘মরণরে তুঁহু মম শ্যাম সমান’
৬৫. উদ্দীপক কবিতাংশটির বিপরীত ভাব প্রকাশ পেয়েছে ‘প্রাণ’ কবিতার যে চরণেÑ
র. মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে
রর. ধরায় প্রাণের খেলা চিরতরঙ্গিত
ররর. মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৬. উদ্দীপকের ‘চরণ’ এবং ‘প্রাণ’ কবিতার ভাবগত অমিল কিসে? ছ
কপ্রকৃতিপ্রেমে খ মর্ত্যপ্রীতিতে
গঈশ্বরভক্তিতে ঘ দেশবন্দনায়
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬৭-৬৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
হাজী মুহম্মদ মহসীন একজন মহান হৃদয়ের অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন। প্রচুর অর্থ বিত্তের মালিক হলেও নিজের সুখের জন্য সেগুলো ব্যয় করেননি তিনি। বরং মানবসেবায় সমস্তই বিলিয়ে দিয়েছেন অকাতরে। এ কারণেই তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
৬৭. উদ্দীপকের বক্তব্য নিচের কোন রচনার বক্তব্যকে সমর্থন করে? ঝ
কআমার সন্তান খ সেইদিন এই মাঠ
গসাহসী জননী বাংলা ঘ প্রাণ
৬৮. উক্ত কবিতার কবির সাথে উদ্দীপকের হাজী মুহম্মদ মহসীনের মিলÑ
র. মর্ত্যপ্রীতিতে
রর. মহৎ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণে
ররর. শুভকর্মে আত্মনিয়োগে
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৯. হাজী মুহম্মদ মহসীনের কীর্তি ‘প্রাণ’ কবিতায় উল্লিখিত যেটির সাথে তুলনীয়Ñ
র. পুষ্পিত কানন
রর. সংগীত
ররর. কুসুম
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭০ ও ৭১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
অবৈধ ব্যবসার কারণে শিকদার চৌধুরীর ছিল অনেক শত্রæ। নিজের জীবনকে নিরাপদ রাখার জন্য সে অনেক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আজও বড়লিয়া গ্রামের মানুষজন তার নাম শুনে আঁতকে ওঠে।
৭০. ‘প্রাণ’ কবিতায় উল্লিখিত কোন বিষয়টি উদ্দীপকে পাওয়া যায়? চ
কমর্ত্যপ্রীতি খ অমরত্বের বাসনা
গমহৎ চেতনা ঘ অমরত্বের সাধনা
৭১. উদ্দীপকের শিকদার চৌধুরী এবং ‘প্রাণ’ কবিতার কবি দুজনকেই মানুষ মনের রাখলেও তফাৎ হলোÑ
র. সৃষ্টিকর্মে
রর. চেতনায়
ররর. মানুষের প্রতিক্রিয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭২ ও ৭৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
চিত্রকলার ইতিহাসে মাইকেল এঞ্জেলো মহান একজন ব্যক্তিত্ব। অসম্ভব প্রতিভাবান ও সৃষ্টিশীল মানুষ হলেও জীবদ্দশায় তিনি তাঁর ছবির জন্য মানুষের কাছে যথাযোগ্য সমাদর পাননি। বর্তমানে তিনি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী হিসেবে গণ্য।
৭২. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়টি ‘প্রাণ’ কবিতার কোন চরণটির বিপরীত ভাব প্রকাশক? ছ
কমরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে
খতোমাদেরি মাঝখানে লভি যেন ঠাঁই
গফেলে দিয়ো ফুল, যদি সে ফুল শুকায়
ঘ যদি গো রচিতে পারি অমর আলয়
৭৩. ‘প্রাণ’ কবিতার কবির সাথে উদ্দীপকের মাইকেল এঞ্জেলোর মিলÑ
র. অমরত্ব লাভে
রর. মহৎ সৃষ্টিকর্মের উদ্যোগে
ররর. পৃথিবীর মায়ার প্রতি আকর্ষণে
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর