নবম – দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সপ্তম অধ্যায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ ও প্রশাসন ব্যবস্থা

সপ্তম অধ্যায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ ও প্রশাসন ব্যবস্থা
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি

 বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ : পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সরকারব্যবস্থার মতো বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগ আছে। সেগুলো হচ্ছে : ১. শাসন বিভাগ ২. আইন বিভাগ ও ৩. বিচার বিভাগ।
 শাসন বিভাগ : শাসন বিভাগকে নির্বাহী বিভাগও বলা হয়ে থাকে। রাষ্ট্রের শাসনকার্য তথা নিত্যদিনকার প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং রাষ্ট্রের সার্বিক সিদ্ধান্ত এবং সুবিধাসমূহ বাস্তবায়ন করে যে বিভাগ তাকে শাসন বিভাগ বলে।
 বাংলাদেশের বিচার বিভাগ : বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগের মধ্যে বিচার বিভাগ অন্যতম। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। সরকারের যে বিভাগ আইন অনুসারে বিচার কাজ পরিচালনা। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সুপ্রিম কোর্ট, অধস্তন আদালত এবং প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল নিয়ে গঠিত।
 রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলি : সংসদীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি নিয়মতান্ত্রিক প্রধান। প্রজাতন্ত্রের সকল কাজ তার নামে পরিচালিত হয়। তার হাতে কোনো নির্বাহী ক্ষমতা নেই। কিন্তু তবু দেশের সরকার গঠন, শাসন পরিচালনা, আইন প্রণয়ন, অর্থ সংক্রান্ত, বিচার, প্রতিরক্ষা ও ক‚টনীতি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কাজ তিনি সম্পাদন করেন।
 প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলি : প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে ১. শাসন বিষয়ক ও নির্বাহী ক্ষমতা, ২. আইন সংক্রান্ত ক্ষমতা, ৩. সংসদ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, ৪. অর্থবিষয়ক ক্ষমতা, ৫. রাষ্ট্রীয় কাজের সমন্বয়ে প্রধানমন্ত্রী, ৬. জাতির মুখপাত্র হিসেবে প্রধানমন্ত্রী, ৭. দলের নেতা হিসেবে।
 আইন বিভাগ : সরকারের তিনটি বিভাগের একটি হচ্ছে আইন বিভাগ। আইন বিভাগ আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োজনবোধে প্রচলিত আইনের সংশোধন বা রদবদল করে থাকে। আইন বিভাগের একটি অংশ হলো আইনসভা বা পার্লামেন্ট। আইনসভা আইন প্রণয়ন করে। আইনসভা নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের নিয়ে কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে মনোনীত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়। আইনসভা প্রণীত আইন রাষ্ট্রপ্রধানের সম্মতি লাভের পর কার্যকর হয়। প্রত্যেক রাষ্ট্রের আইনসভা রয়েছে এবং এসব আইনসভা বিভিন্ন নামে পরিচিত। বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশের আইনসভা এক কক্ষ বিশিষ্ট।
 বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো : বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো স্তরভিত্তিক। এর দুটি প্রধান স্তর আছে। প্রথম স্তরটি হলো কেন্দ্রীয় প্রশাসন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের দ্বিতীয় স্তরটি হলো মাঠ প্রশাসন। মাঠ প্রশাসনের প্রথম ধাপ হলো বিভাগীয় প্রশাসন। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার পর আছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত।
 কেন্দ্রীয় প্রশাসন : সেক্রেটারীয়েট বা সচিবালয় বাংলাদেশ প্রশাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রে অবস্থিত যা শাসন ব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র স্বরূপ। সরকারি যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম সচিবালয়ে গৃহীত হয়। সাধারণত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তার বিভাগসমূহের অফিসগুলোকে যৌথভাবে সচিবালয় বলে। প্রধামন্ত্রীর পছন্দানুযায়ী প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে একজন মন্ত্রী নিযুক্ত হন। মন্ত্রী হলেন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও মন্ত্রণালয়ের প্রধান। মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন একজন সচিব।
 স্থানীয় প্রশাসন : স্থানীয় শাসন বলতে স্থানীয় পর্যায়ের বিভাগীয়/জেলা এবং উপজেলা শাসন ব্যবস্থাকে বোঝায়। প্রশাসনের সুবিধার্থে এর সৃষ্টি। এ প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় শাসন ও নিয়ন্ত্রণকে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, রাজস্ব আদায় ও সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নই এর মুখ্য উদ্দেশ্য। এ ব্যবস্থায় স্থানীয় শাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিবৃন্দ সরকারের এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য। যেমন : আমাদের দেশে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসক এবং থানা/উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
 বিভাগীয় প্রশাসন : কেন্দ্রের পরেই বাংলাদেশে বিভাগীয় প্রশাসনের স্থান। বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সমগ্র বাংলাদেশকে ৭টি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ১. ঢাকা বিভাগ, ২. চট্টগ্রাম বিভাগ, ৩. রাজশাহী বিভাগ, ৪. খুলনা ভিাগ, ৫. বরিশাল বিভাগ, ৬. সিলেট বিভাগ ও ৭. রংপুর বিভাগ। বিভাগীয় প্রশাসনের শীর্ষে অবস্থান করেন বিভাগীয় কমিশনার। একজন অতিরিক্ত কমিশনার এবং কমিশনারের ব্যক্তিগত সহকারীসহ বহুসংখ্যক কর্মচারী বিভাগীয় প্রশাসনে কর্মরত থাকেন।
 সিটি কর্পোরেশন : মহানগর এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং উন্নয়নের জন্য সিটি কর্পোরেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। প্রত্যেক সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত সংখ্যক ওয়ার্ডে বিভক্ত থাকে। একজন মেয়র, নির্ধারিত ওয়ার্ডের সমানসংখ্যক কাউন্সিলর এবং নির্ধারিত ওয়ার্ডের এক-তৃতীয়াংশ সংখ্যক সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর নিয়ে সিটি কর্পোরেশন গঠিত হয়।
 ইউনিয়ন পরিষদ : গড়ে ১০-১৫টি গ্রাম নিয়ে একটি ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত। এর একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান, নয়জন নির্বাচিত সাধারণ সদস্য ও তিনজন নির্বাচিত মহিলা সদস্য (সংরক্ষিত আসনে) রয়েছেন। একটি ইউনিয়ন ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত। প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে একজন করে ৯টি ওয়ার্ড থেকে ৯ জন সাধারণ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন।
 উপজেলা পরিষদ : আমাদের দেশে থানা/উপজেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক স্তর। একজন চেয়ারম্যান, দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান (এদের মধ্যে একজন হবেন মহিলা) এবং উপজেলার আওতাধীন ইউনিয়ন পরিষদসমূহের চেয়ারম্যানবৃন্দ, পৌরসভার (যদি থাকে) মেয়র এবং তিনজন মহিলা সদস্যের সমন্বয়ে উপজেলা পরিষদ গঠিত হয়।
 জেলা পরিষদ : ২০০০ সালের জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী জেলা পরিষদ গঠিত হবে একজন চেয়ারম্যান, পনেরোজন সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনে ৫ জন মহিলা সদস্যদেরকে নিয়ে। এরা সবাই পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হবেন একটি নির্দিষ্ট জেলার অধীনে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কমিশনারবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের ভোটে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।

 বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 
১. এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা আছে এমন দেশের উদাহরণ নিচের কোনটি?
ক যুক্তরাষ্ট্র খ যুক্তরাজ্য গ ভারত  বাংলাদেশ
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২ ও ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
হৃদয় তার প্রবাসী বন্ধুকে জানায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সরকারি বিলের পৃষ্ঠপোষকতা, অর্থবিষয়ক কাজ, দলের নেতা, সংসদবিষয়ক ক্ষমতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগ করেন।
২. জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে হৃদয় প্রদত্ত কোন তথ্যটি সঠিক?
র. সরকারি বিলের পৃষ্ঠপোষকতা করা
রর. বার্ষিক বাজেট অনুমোদন
ররর. সংসদ সদস্যদের অধিকার সংরক্ষণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর  র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩. উপরোক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বলা হয়-
 সরকার প্রধান খ নির্বাহী প্রধান গ সংসদ প্রধান ঘ দলীয় প্রধান

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ প্রশাসন পরিচালনা কয় ধরনের?
উত্তর : প্রশাসন পরিচালনা দুই ধরনের।
প্রশ্ন \ ২ \ আইনসভা কাদের নিয়ে গঠিত?
উত্তর : নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আইনসভা গঠিত।
প্রশ্ন \ ৩ \ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নাম কী?
উত্তর : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নাম হচ্ছে কংগ্রেস।
প্রশ্ন \ ৪ \ প্রধানমন্ত্রীকে নিযুক্ত করেন কে?
উত্তর : প্রধানমন্ত্রীকে নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রশ্ন \ ৫ \ কার অধ্যাদেশ জারি করার ক্ষমতা রয়েছে?
উত্তর : রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করার ক্ষমতা রয়েছে।
প্রশ্ন \ ৬ \ কার ভাষণের ওপর সংসদ আলোচনা করে?
উত্তর : রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সংসদ আলোচনা করে।
প্রশ্ন \ ৭ \ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রশ্ন \ ৮ \ বাংলাদেশের সরকার প্রধান কে?
উত্তর : বাংলাদেশের সরকার প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রশ্ন \ ৯ \ সংসদীয় ব্যবস্থায় কে মন্ত্রীদের নিয়োগ ও তাদের দপ্তর বণ্টন করেন?
উত্তর : সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের নিয়োগ ও তাদের দপ্তর বণ্টন করেন।
প্রশ্ন \ ১০ \ সংসদীয় ব্যবস্থায় কাকে কেন্দ্র করে শাসন বিভাগ পরিচালিত হয়?
উত্তর : সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীকে কেন্দ্র করে শাসন বিভাগ পরিচালিত হয়।
প্রশ্ন \ ১১ \ দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলার জন্য কোনটি প্রয়োজন?
উত্তর : দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলার জন্য সুষ্ঠু প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রয়োজন।
প্রশ্ন \ ১২ \ জাতীয় সংসদের কতটি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত?
উত্তর : জাতীয় সংসদের ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।
প্রশ্ন \ ১৩ \ বাংলাদেশ কখন স্বাধীনতা অর্জন করে?
উত্তর : বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জন করে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ রাষ্ট্রীয় সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে কোন বিভাগ কাজ করে?
উত্তর : রাষ্ট্রীয় সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে বিচার বিভাগ কাজ করে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় ভার কার ওপর ন্যস্ত?
উত্তর : মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় ভার সচিবের ওপর ন্যস্ত।
প্রশ্ন \ ১৬ \ সরকারের যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম কোথায় গৃহীত হয়?
উত্তর : সরকারের যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম সচিবালয়ে গৃহীত হয়।
প্রশ্ন \ ১৭ \ প্রশাসনিক কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে?
উত্তর : প্রশাসনিক কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হচ্ছেন সহকারী সচিব।
প্রশ্ন \ ১৮ \ কোনটি শাসন ব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র স্বরূপ?
উত্তর : সচিবালয় শাসন ব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র স্বরূপ।
প্রশ্ন \ ১৯ \ বর্তমানে বাংলাদেশে কতটি বিভাগ রয়েছে?
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশে ৭টি বিভাগ রয়েছে।
প্রশ্ন \ ২০ \ কেন্দ্রের পরেই কোনটির স্থান?
উত্তর : কেন্দ্রের পরই বিভাগীয় প্রশাসনের স্থান।
প্রশ্ন \ ২১ \ বাংলাদেশে সরকারের রাজস্ব বিষয়ক কর্মকর্তা কে?
উত্তর : বাংলাদেশে সরকারের রাজস্ব বিষয়ক কর্মকর্তা হলেন বিভাগীয় কমিশনার।
প্রশ্ন \ ২২ \ বর্তমানে বাংলাদেশে উপজেলা কতটি?
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশে উপজেলা ৪৮৬টি।
প্রশ্ন \ ২৩ \ বর্তমানে বাংলাদেশে জেলার সংখ্যা কতটি?
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশে জেলার সংখ্যা ৬৪টি।
প্রশ্ন \ ২৪ \ একটি ইউনিয়নে কতটি ওয়ার্ড থাকে?
উত্তর : একটি ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ড থাকে।
প্রশ্ন \ ২৫ \ বর্তমানে বাংলাদেশে কতটি পৌরসভা আছে?
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশে ৩১৬টি পৌরসভা আছে।
প্রশ্ন \ ২৬ \ বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ।
প্রশ্ন \ ২৭ \ ইউনিয়ন বোর্ড কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : ইউনিয়ন বোর্ড ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ২৮ \ সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদের কথা আছে?
উত্তর : সংবিধানের ৬৫ নং অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদের কথা আছে।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ নির্বাহী বা শাসন বিভাগ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : রাষ্ট্রের শাসনকার্য তথা নিত্যদিনকার প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং রাষ্ট্রের সার্বিক সিদ্ধান্ত ও সুবিধাসমূহ বাস্তবায়ন করে যে বিভাগ তাকে শাসন বিভাগ বলে। বিস্তৃত অর্থে রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভা, আমলা, নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক‚টনৈতিক, দাপ্তরিক কর্মকর্তা এমনকি গ্রাম্য চৌকিদারসহ সকল প্রশাসনিক কর্মচারীদের নিয়ে নির্বাহী বা শাসন বিভাগ গঠিত।
প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশের আইন বিভাগ সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : সরকারের তিনটি বিভাগের একটি হচ্ছে আইন বিভাগ। আইন বিভাগ আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োজনবোধে প্রচলিত আইনের সংশোধন বা রদবদল করে থাকে। আইনসভা নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের নিয়ে কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে মনোনীত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়। আইনসভা প্রণীত আইন রাষ্ট্রপ্রধানের সম্মতি লাভের পর কার্যকর হয়। বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ।
প্রশ্ন \ ৩ \ বিচার বিভাগ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : সরকারের যে বিভাগ আইন অনুসারে বিচার কাজ পরিচালনা করে থাকে তাকে বিচার বিভাগ বলে। আইন ভঙ্গকারীকে শাস্তি প্রদান, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার রক্ষা বহুলাংশে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। রাষ্ট্রের সকল আদালত এবং বিচারপতিদের নিয়ে বিচার বিভাগ গঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ৪ \ দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী সরকারি দলের নেতা। তিনি সংসদ ও সংসদের বাইরে দলের নীতি-নির্ধারণ ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখেন। দলীয় নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ভ‚মিকা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিরোধী দলের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন \ ৫ \ জাতীয় সংসদ কীভাবে গঠিত হয়?
উত্তর : সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদ মোট ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। এদের মধ্যে ৩০০ জন্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যেমে নির্বাচিত হবেন। ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তারা সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন। সংরক্ষিত আসন ছাড়াও মহিলারা সাধারণ আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে পারবেন। সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে সদস্যদের ভোটে একজন স্পিকার ও একজন ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হবেন।
প্রশ্ন \ ৬ \ উপজেলা প্রশাসন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : আমাদের দেশে উপজেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক স্তর। উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। যিনি জেলা প্রশাসক এবং জেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রেরিত আদেশ এবং অন্যান্য কাজের সমন্বয় করে থাকেন। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন সদস্য। উপজেলার সকল উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কাজ তদারকি করা তাঁর দায়িত্ব।
প্রশ্ন \ ৭ \ উপজেলা পরিষদ কীভাবে গঠিত হবে?
উত্তর : আইনের বিধান অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ গঠিত হবে নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়েÑ
ক. চেয়ারম্যান;
খ. ২ জন ভাইস চেয়ারম্যান, যার মধ্যে একজন নারী;
গ. উপজেলার এলাকাভুক্ত প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান;
ঘ. উপজেলার এলাকাভুক্ত পৌরসভার মেয়র;
ঙ. সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত মহিলা সদস্যগণ।
প্রশ্ন \ ৮ \ পৌরসভার গঠন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশে ছোট বড় মোট ৩১৬টি পৌরসভা আছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একজন চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ডভিত্তিক কয়েকজন নির্বাচিত সদস্য নিয়ে পৌরসভা গঠিত হয়। সদস্যগণ কমিশনার নামে পরিচিত। দেশের সকল পৌরসভার সদস্য-সংখ্যা সমান নয়। পৌর এলাকার আয়তন ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে সদস্য সংখ্যা কমবেশি হতে পারে। পৌরসভার কার্যকাল পাঁচ বছর।
প্রশ্ন \ ৯ \ রাষ্ট্রপতির সংসদ আইন বিষয়ক ক্ষমতা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : রাষ্ট্রপতি সংসদ আহŸান করেন। প্রতিটি নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনে ও প্রতি নতুন বছরের অধিবেশনের সূচনায় রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণদান করেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সংসদ আলোচনা করে। সময়ে সময়ে তিনি সংসদে বাণীও প্রেরণ করেন। তিনি সংসদ মুলতবি রাখতে পারেন এবং প্রধানমন্ত্রী লিখিত পরামর্শে ভেঙে দিতে পারেন।
প্রশ্ন \ ১০ \ জাতীয় সংসদের অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা কিরূপ?
উত্তর : রাষ্ট্রের অর্থ কীভাবে ব্যয়িত হবে তার ওপর সংসদ দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখে। সংসদের অনুমোদন ও কর্তৃত্ব ব্যতীত কোনো প্রকার ব্যয় করা যায় না। আবার কোনো কর আরোপ বা কর সংগ্রহ করতেও সংসদের অনুমতি নিতে হয়। প্রত্যেক অর্থবছর সরকার সংসদে বাজেট উপস্থাপন করে। সংসদ অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ী সরকারকে চলতে হয়। মোটকথা রাষ্ট্রীয় ও সরকারি সকল ব্যয় সংসদের সম্মতির ভিত্তিতে করতে হয়।
প্রশ্ন \ ১১ \ জেলা পরিষদের গঠন প্রণালি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলাদেশ সরকার ৬ই জুলাই ২০০০ সালে জেলা পরিষদ আইনÑ ২০০০ প্রবর্তন করে। আইনের বিধান অনুযায়ী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা ও বান্দরবান পার্বত্য জেলাসমূহ ব্যতীত অন্য জেলায় জেলা পরিষদ গঠনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনের পাঁচজন মহিলা সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠিত। একটি নবগঠিত জেলা পরিষদের মেয়াদ বা কার্যকাল থাকবে পাঁচ বছর।

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন- ১  জেলা প্রশাসকের কার্যাবলি

সাইক্লোনে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি জেলার তিনটি গ্রামের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বহুলোক আহত হয়। জেলা প্রশাসক ‘ক’ ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য নগদ অর্থ ও আহতদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তিনি তাঁর জেলার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সরকারি নীতি বাস্তবায়ন এবং রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত কাজ সুষ্ঠুভাবে পালন করছেন বলে জেলার জনগণের কাছে তাঁর সুনাম রয়েছে।
ক. ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম কতো বছর?
খ. অভিশংসন কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ ‘ক’-এর কোন ধরনের কাজের অন্তর্ভুক্ত- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘জেলা প্রশাসক হলেন জেলার একজন বন্ধু’ -উক্তিটি বর্ণিত অনুচ্ছেদের এবং পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে মূল্যায়ন কর।

ক ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম ৫ বছর।
খ অভিশংসনের আভিধানিক অর্থ প্রকাশ্যে দোষারোপ। ব্যবহারিক অর্থে দেশের রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের প্রক্রিয়াকে অভিশংসন বলা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন বা অপসারণ করতে পারে। সংবিধান লঙ্ঘন, গুরুতর অপরাধ, দৈহিক ও মানসিক অসুস্থতা ও অক্ষমতার জন্য সংসদ রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে। প্রয়োজনে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও ন্যায়পালকে অপসারণ করার ক্ষমতাও সংসদের রয়েছে।
গ সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ ‘ক’-এর মানবতামূলক কাজের অন্তর্ভুক্ত।একটি জেলা পরিচালনায় জেলা প্রশাসকের ভ‚মিকা অনেক। ডেপুটি কমিশনার বা জেলা প্রশাসক মানবতার সেবামূলক ভ‚মিকায়ও অবতীর্ণ হন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে জনগণের জন্য সেবামূলক কাজের দ্বারা তাদের দুঃখদুর্দশা দূর করতে সচেষ্ট হন। এ সময় কেন্দ্রীয়ভাবে বরাদ্দকৃত অর্থ, কাপড় ও ওষুধ জেলার জনগণের মধ্যে বিতরণ করেন। উদ্দীপকেও বলা হয়েছে, সাইক্লোনে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি জেলার তিনটি গ্রামের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বহুলোক আহত হয়। জেলা প্রশাসক ‘ক’ ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য নগদ অর্থ ও আহতদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ধরনের কাজ জেলা প্রশাসকের মানবতামূলক কাজ।
ঘ জেলা প্রশাসককে কেন্দ্র করে জেলার সমগ্র শাসন আবর্তিত হয়। জেলা প্রশাসক তার কাজের জন্যই জেলার একজন বন্ধু হিসেবে পরিগণিত হন। তার বেশ কিছু কার্যাবলি তা স্পষ্ট করে তোলে। বাংলাদেশ সচিবালয়ে গৃহীত শাসন সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করা তথা সুষ্ঠুভাবে শাসনকার্য পরিচালনায় সরকারকে সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করা জেলা প্রশাসনের শাসন সংক্রান্ত কাজ। জেলা প্রশাসক প্রধান কালেক্টর হিসেবে জেলার ভ‚মি রাজস্ব ও অন্যান্য কর ধার্য ও আদায় করেন।তিনি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেখাশোনা করেন। জেলার আওতাধীন উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে তত্ত¡াবধায়কের ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হন।আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে জনগণের জন্য সেবামূলক কাজের দ্বারা তাদের দুঃখদুর্দশা দূর করতে সচেষ্ট হন যেটি উদ্দীপকেও বর্ণিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক জেলার বিচারকও বটে। তিনি একজন প্রথম শ্রেণির বিচারক হিসেবে ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি করেন।এছাড়াও জেলার পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় নিজ জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করেন। এছাড়া জেলা প্রশাসক জেলার প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে বহুবিধ দায়দায়িত্ব পালন করেন।কাজেই বলা যায়, জেলা প্রশাসক হলেন জেলার একজন বন্ধু Ñ উক্তিটি সঠিক।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ ইউনিয়ন পরিষদ

বেল্লাল হোসেন তাঁর এলাকার ভোটার কর্তৃক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তাঁর দপ্তরে আরও ১২ জন প্রতিনিধি রয়েছে। বেল্লাল হোসেন তাঁর এলাকায় ৩টি নলক‚প স্থাপন, টয়লেট (পায়খানা) স্থাপনের জন্য ৫টি রিং ¯øাব সরবরাহ এবং কৃষকদের কাছে সার বিতরণ করেন।
ক. সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদের সদস্য সংখ্যা কতো?
খ. স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে কী বোঝায়?
গ. বেল্লাল হোসেন কোন স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অনুচ্ছেদে উল্লেখিত বেল্লাল হোসেনের কাজ উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট কী? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।

ক সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদের সদস্য সংখ্যা ৩৫০ জন।
খ স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক জনগণের স্বশাসনকে বোঝায়। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা তা পরিচালিত হয় এবং ঐ জনগণের নিকট তা দায়িত্বশীল থাকে। এ শাসনব্যবস্থা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা, যা সরকার পরিচালনা পদ্ধতির পরিশীলিত রূপ।
গ বেল­াল হোসেন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান। ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধিত আইনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ গঠনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। এ আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদে একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ৯ জন নির্বাচিত সাধারণ সদস্য ও তিনজন নির্বাচিত মহিলা সদস্য (সংরক্ষিত আসনে) থাকবে। পূর্বে একটি ইউনিয়ন তিনটি ওয়ার্ডে বিভক্ত ছিল। সংশোধিত আইনে ওয়ার্ড সংখ্যা ৯টিতে উন্নীত করা হয়েছে। প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে একজন করে ৯টি ওয়ার্ড থেকে ৯ জন সাধারণ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন। মহিলা সদস্যগণ প্রতি ৩ ওয়ার্ডে ১ জন এই ভিত্তিতে পুরুষ ও মহিলা সকলের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। উদ্দীপকে বর্ণিত বেল­াল হোসেন এলাকার ভোটার কর্তৃক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং তার দপ্তরে আরও ১২ জন প্রতিনিধি রয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান।
ঘ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত বেল্লাল হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান। তিনি তার এলাকায় ৩টি নলক‚প স্থাপন, টয়লেট (পায়খানা) স্থাপনের জন্য ৫টি রিং সøাব সরবরাহ এবং কৃষকদের কাছে সার বিতরণ করেন। তার এ কাজ উক্ত প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদের জন্য যথেষ্ট নয়।ইউনিয়ন পরিষদের এ কাজগুলো ছাড়া আরও অনেক কাজ রয়েছে যা ইউনিয়ন পরিষদ প্রধানের তত্ত¡াবধানে সম্পন্ন করতে হয়। ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : প্রধান কার্যাবলি ও ঐচ্ছিক কার্যাবলি। ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান কার্যাবলির মধ্যে রয়েছেÑ
জনশৃঙ্খলা রক্ষা : গ্রামে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।
জনকল্যাণমূলক কাজ ও সেবা : ইউনিয়নে অবস্থিত কৃষি, স্বাস্থ্য, মৎস্য, পশুপালন ও শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থার সেবা ও কার্যক্রম জনগণকে অবহিত করা।
স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন : এলাকার কৃষি উন্নয়নের জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, গ্রামীণ শিল্পের উন্নয়ন সাধন, বাজার সৃষ্টি, মৎস্যচাষ ও পশু পালনের উন্নত পদ্ধতি সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করা।
প্রশাসনিক কাজ : সচিব, গ্রাম পুলিশ ও পরিষদের অন্য কর্মচারীদের পরিচালনা, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন ইত্যাদিও ইউনিয়ন পরিষদ করে থাকে।
এছাড়া ঐচ্ছিক কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে জনপথ ও রাজপথের ব্যবস্থা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা, বিধবা, এতিম, গরিব ও দুস্থ ব্যক্তিদের সাহায্যকরণ, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবস্থাকরণ, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার তদারকি এবং ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া, পরিবেশ সংরক্ষণ ও বনায়ন, ইউনিয়নের পরিচ্ছন্নতা রক্ষা, পাঠাগার স্থাপন, উদ্যান ও খেলার মাঠের ব্যবস্থা, দুস্থ ব্যক্তির তালিকা প্রণয়ন, সকল প্রকার শুমারি পরিচালনার দায়িত্ব পালন, সরকারি সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ, পল্লি বিদ্যুতায়নের উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি। সুতরাং বলা যায়, অনুচ্ছেদে উল্লিখিত বেল্লাল হোসেনের কাজ ইউনিয়ন পরিষদের জন্য মোটেও যথেষ্ট নয়।

 গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. পুরো শাসন ব্যবস্থার কার্যকর নেতৃত্বে প্রদান করেন কে?
ক রাষ্ট্রপতি  প্রধানমন্ত্রী গ সচিব ঘ জাতীয় সংসদ
২. পৃথিবীর সকল দেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার ভিন্নতার কারণ কোনটি?
 রাজনৈতিক সংস্কৃতির ভিন্নতা খ বিচিত্র স্বাধীনতার ইতিহাস
গ কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পার্থক্য ঘ দেশের আয়তনের ভিন্নতা
৩. সংসদ প্রণীত আইনে রাষ্ট্রপতি কতদিনের মধ্যে সম্মতি দান করেন? [
ক ১০  ১৫ গ ২০ ঘ ২৫
৪. শহর এলাকায় স্থানীয় সংস্থাটি হলো
ক ইউনিয়ন পরিষদ খ উপজেলা পরিষদ
 পৌরসভা ঘ জেলা পরিষদ
৫. বর্তমানে বাংলাদেশে কতটি জেলা আছে?
ক ৬২ খ ৬৩  ৬৪ ঘ ৬৫
৬. সচিবালয়ের পদসোপান অনুযায়ী নিচের কোনটি সঠিক?
 সচিব  অতিরিক্ত সচিব  যুগ্ম সচিব
খ সচিব  উপসচিব  অতিরিক্ত সচিব
গ উপসচিব  সহকারী সচিব  যুগ্ম সচিব
ঘ সচিব  যুগ্ম সচিব  অতিরিক্ত সচিব
৭. জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত?
ক ৫ জন খ ৯ জন গ ১৩ জন  ২১ জন
৮. কোন কাজটি দ্বারা বোঝা যায় জাতীয় সংসদ শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে?
ক বাজেট পাস  নিন্দা প্রস্তাব
গ রাষ্ট্রপতি নিয়োগ ঘ প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ
৯. মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে?
 সচিব খ মন্ত্রী গ সহকারী সচিব ঘ উপমন্ত্রী
১০. বিচার বিভাগের কার্যাবলি কোনটি?
ক শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করা  আইন প্রণয়ন করা
গ মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করা ঘ সংবিধান সংশোধন করা
১১. রাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা কে জারি করতে পারেন?
ক প্রধানমন্ত্রী খ স্পিকার
গ ডেপুটি স্পিকার  প্রেসিডেন্ট
১২. ইউনিয়ন পরিষদের কাজ কোনটি?
 জনশৃঙ্খলা রক্ষা
খ সাধারণ পাঠাগারের ব্যবস্থাপকরণ
গ জেলার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পর্যালোচনা
ঘ জননিরাপত্তামূলক কার্যক্রম
১৩. বাংলাদেশ সরকারের প্রধান কে?
 রাষ্ট্রপতি খ স্পিকার গ প্রধানমন্ত্রী ঘ ডেপুটি স্পিকার
১৪. কে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেন?
ক প্রধানমন্ত্রী খ স্পিকার  রাষ্ট্রপতি ঘ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১৫. আদালত কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ডকে মওকুফ করতে পারেনÑ
 রাষ্ট্রপতি খ প্রধানমন্ত্রী
গ প্রধান বিচারপতি ঘ স্পিকার
১৬. জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন কয়টি?
ক ৪০টি খ ৪২টি গ ৪৫টি  ৫০টি
১৭. সচিবালয়কে সরকারি কার্যকলাপের মূল উৎস বলা হয় কেন?
ক সবচেয়ে ক্ষমতাধর বিভাগ
 সরকারি যাবতীয় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এখানে
গ রাষ্ট্র নির্ভরশীল
ঘ প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়ের ক্ষমতা ন্যস্ত
১৮. হোস্টেল নির্মাণ পৌরসভার কোন ধরনের কাজ?
ক সমাজকল্যাণ সংক্রান্ত খ জননিরাপত্তামূলক
গ বাসস্থান সংক্রান্ত  শিক্ষা সংক্রান্ত
১৯. প্রধান বিচারপতি ও উচ্চ আদালতের বিচারপতিগণের নিয়োগ সাধারণত কোন বিভাগের উপর ন্যস্ত থকে?
ক জনসাধারণের উপর খ আইন সভার উপর
 শাসন বিভাগের উপর ঘ বিচার বিভাগের উপর
২০. নিচের কোন ব্যক্তি বাংলাদেশ সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন?
ক অতিরিক্ত কমিশনার খ জেলা প্রশাসক
গ যুগ্মসচিব  বিভাগীয় কমিশনার
২১. বিচার, অর্থ, পররাষ্ট্র বিষয়ক সকল কাজ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ও মতামত অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এটি প্রধানমন্ত্রীর কোন ক্ষমতা ও কার্যাবলিকে নির্দেশ করে?
 নির্বাহী ক্ষমতা খ আইন সংক্রান্ত ক্ষমতা
গ অর্থবিষয়ক ক্ষমতা ঘ রাষ্ট্রীয় কাজের সমন্বয়
২২. রাষ্ট্রপতি সংসদ আহŸান করলেও সংবিধান লঙ্ঘন ও গুরুতর অপরাধের কারণে সংসদ রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে। এক্ষেত্রে নিম্নের কোনটি পরিলক্ষিত হয়?
ক আইন বিভাগের উপর শাসন বিভাগের ক্ষমতা
 শাসন বিভাগের উপর আইন বিভাগের ক্ষমতা
গ আইন বিভাগের উপর বিচার বিভাগের ক্ষমতা
ঘ আইন বিভাগের উপর বিচার বিভাগের ক্ষমতা
২৩. গ্রাম এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করার জন্য চৌকিদার পঞ্চায়েত আইন প্রবর্তিত হয় কত সালে?
 ১৮৭০ সালে খ ১৮৮৫ সালে গ ১৮৯০ সালে ঘ ১৯১৯ সালে
২৪. সরকারের কয়টি বিভাগ রয়েছে?
ক ২টি  ৩টি গ ৪টি ঘ ৫টি
২৫. প্রয়োজনে রাষ্ট্রের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন কে?
ক প্রধানমন্ত্রী  রাষ্ট্রপতি
গ প্রধান বিচারপতি ঘ সামরিক বাহিনীর প্রধান
২৬. জাতীয় সংসদের নেতা কে?
ক স্পিকার  প্রধানমন্ত্রী
গ বিরোধীদলের প্রধান ঘ চিফ হুইপ
২৭. কার পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রণয়ন করেন?
ক রাষ্ট্রপতি খ স্পিকার
 প্রধানমন্ত্রী ঘ রাজনৈতিক দল
২৮. প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাহী প্রধান বলার কারণ তিনি
ক বাজেট প্রণয়ন ও উপস্থাপন করেন
খ আইন প্রণয়ন ও পরিবর্তন করেন
গ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নেতৃত্ব প্রদান করেন
 পুরো শাসন ব্যবস্থার নেতৃত্ব প্রদান করেন
২৯. বাংলাদেশের বিচার বিভাগ
ক পরাধীন  স্বতন্ত্র ও স্বাধীন
গ জাতীয় সংসদের নির্দেশে চলে ঘ মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশে চলে
৩০. সংসদের নেতা কে?
ক রাষ্ট্রপতি  প্রধানমন্ত্রী
গ স্পিকার ঘ বিরোধীদলীয় নেতা
৩১. কত সালে ইউনিয়ন বোর্ড নামে একটিমাত্র স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়?
ক ১৯১৭ খ ১৯১৮  ১৯১৯ ঘ ১৯২০
৩২. বাংলাদেশের আইনসভার নাম কী?
ক পার্লামেন্ট  জাতীয় সংসদ গ কংগ্রেস ঘ মজলিশ
৩৩. জাতীয় সংসদের মেয়াদ কত?
ক ৩ বৎসর খ ৪ বৎসর  ৫ বৎসর ঘ ৬ বৎসর
৩৪. বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের নাম কী?
 ইউনিয়ন খ উপজেলা গ জেলা ঘ বিভাগ
৩৫. সামগ্রিকভাবে সরকারের কয়টি বিভাগ রয়েছে?
ক দুইটি  তিনটি গ চারটি ঘ পাঁচটি
৩৬. শাসন বিভাগের অপর নাম কী?
ক প্রশাসনিক বিভাগ  নির্বাহী বিভাগ
গ প্রধান বিভাগ ঘ আন্তঃপ্রধান বিভাগ
৩৭. বাংলাদেশের আইনসভার নাম কী?
 জাতীয় সংসদ খ পার্লামেন্ট গ কংগ্রেস ঘ মজলিস
৩৮. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নাম কী?
ক পার্লামেন্ট খ মজলিশ  কংগ্রেস ঘ জাতীয় সংসদ
৩৯. অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রের আইনসভা কী নামে পরিচিত?
ক পার্লামেন্ট  মজলিস গ কংগ্রেস ঘ জাতীয় সংসদ
৪০. নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা কোন বিভাগের কাজ?
ক আইন বিভাগ খ শাসন বিভাগ
 বিচার বিভাগ ঘ প্রতিরক্ষা বিভাগ
৪১. সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের প্রধান কে?
ক প্রধানমন্ত্রী  রাষ্ট্রপতি
গ প্রধান বিচারপতি ঘ স্পিকার
৪২. আমাদের দেশে সংসদীয় ব্যবস্থায় নিয়মতান্ত্রিক প্রধান কে?
 রাষ্ট্রপতি খ প্রধানমন্ত্রী গ স্পিকার ঘ অর্থমন্ত্রী
৪৩. সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যানকে কে নিয়োগ দান করেন? (জ্ঞান)
ক প্রধানমন্ত্রী  রাষ্ট্রপতি গ জাতীয় সংসদ ঘ ন্যায়পাল
৪৪. সংসদ আহŸান করেন কে?
˜ রাষ্ট্রপতি খ প্রধানমন্ত্রী গ স্পিকার ঘ বিচারপতি
৪৫. সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কে নিয়োগ করেন?
ক প্রধানমন্ত্রী খ আইনমন্ত্রী  রাষ্ট্রপতি ঘ স্পিকার
৪৬. যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রয়েছে কার?
ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খ প্রধানমন্ত্রীর গ স্পিকারের  রাষ্ট্রপতির
৪৭. বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে?
 প্রধানমন্ত্রী খ রাষ্ট্রপতি গ জেলা প্রশাসক ঘ সচিব
৪৮. কার অনুমোদন ও কর্তৃত্ব ব্যতীত কোনো প্রকার ব্যয় করা যায় না?
 প্রধানমন্ত্রী খ স্পিকার গ অর্থমন্ত্রী ঘ রাষ্ট্রপতি
৪৯. কততম সংবিধানের সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তিত হয়েছে?
ক চতুর্থ সংশোধনী খ অষ্টম সংশোধনী
গ দশম সংশোধনী  দ্বাদশ সংশোধনী
৫০. জনাব ‘ক’ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। সংসদ প্রণীত আইনে তিনি কত দিনের মধ্যে সম্মতি দান করবেন?
ক ৭ খ ১৪  ১৫ ঘ ৯০
৫১. সংসদ প্রণীত আইনে রাষ্ট্রপতি কত দিনের মধ্যে সম্মতি দান করেন?
ক ১০ খ ১২  ১৫ ঘ ২০
৫২. রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করতে পারে কে?
ক প্রধানমন্ত্রী খ মন্ত্রিপরিষদ
 জাতীয় সংসদ ঘ প্রধান বিচারপতি
৫৩. নিচের কোনটি জাতীয় সংসদের নির্বাচনমূলক কাজ?
ক প্রধান বিচারপতি খ নির্বাচন কমিশনার
 ন্যায়পাল ঘ মহাহিসাবরক্ষক
৫৪. জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের দায়িত্ব কার ওপর ন্যস্ত?
ক সংবিধানের  আদালতের গ সংসদের ঘ পুলিশের
৫৫. ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষা করে কোন বিভাগ?
ক নির্বাহী বিভাগ  বিচার বিভাগ
গ শাসন বিভাগ ঘ আইন বিভাগ
৫৬. অধিদপ্তরের প্রধান কে?
ক মন্ত্রী খ সচিব  মহাপরিচালক ঘ উপসচিব
৫৭. কোনটি শাসনব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র স্বরূপ?
ক মন্ত্রণালয়  সচিবালয় গ জেলা ঘ বিভাগ
৫৮. মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে?
ক মন্ত্রী  সচিব গ বিচারপতি ঘ প্রধানমন্ত্রী
৫৯. প্রশাসনিক কাঠামোর পদসোপান অনুযায়ী সর্বনি¤œ স্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে?
ক বিভাগীয় কমিশনার  সহকারী সচিব
গ জেলা প্রশাসক ঘ অতিরিক্ত সচিব
৬০. বিভাগীয় কমিশনার কার সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তা?
 যুগ্ম সচিবের খ অতিরিক্ত সচিবের
গ উপসচিবের ঘ সহকারী সচিবের
৬১. জেলা প্রশাসক তার কাজের জন্য কার কাছে দায়ী?
ক সংসদের  বিভাগীয় কমিশনারের
গ সচিবের ঘ সরকারের
৬২. জেলা প্রকাশনা সংবাদপত্র বিভাগের প্রধান নিয়ন্ত্রক কে?
ক জেলা পুলিশ সুপার  জেলা প্রশাসক
গ জেলার প্রধান সংবাদদাতা ঘ বিভাগীয় কমিশনারের
৬৩. কোনটি এদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান?
ক উপজেলা পরিষদ খ জেলা পরিষদ
গ পৌরসভা ˜ ইউনিয়ন পরিষদ
৬৪. চৌকিদার পঞ্চায়েত আইন কত সালে প্রবর্তিত হয়?
ক ১৮৫০ খ ১৮৬০  ১৮৭০ ঘ ১৮৯০
৬৫. বঙ্গীয় স্থানীয় আইন কত সালে পাস হয়?
ক ১৮৭০ ˜ ১৮৮৫ গ ১৯১৯ ঘ ১৯৭৬
৬৬. কোন সালে বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চালু হয়?
ক ১৯৭৫  ১৯৭৬ গ ১৯৭৮ ঘ ১৯৮০
৬৭. স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ অনুযায়ী কয়স্তর বিশিষ্ট স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়?
ক ২  ৩ গ ৪ ঘ ৫
৬৮. একটি ওয়ার্ডে কয়জন সাধারণ সদস্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন?
 ১ খ ২ গ ৩ ঘ ৪
৬৯. বাংলাদেশ সরকার কত সালে জেলা পরিষদ আইন প্রবর্তন করে?
 ২০০০ খ ২০০১ গ ২০০২ ঘ ২০০৩
৭০. নিচের কোনটি জেলা পরিষদের আবশ্যিক কাজ?
 জনপথ উন্নয়ন খ বাঁধ নির্মাণ
গ কৃষি খামার স্থাপন ঘ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ
৭১. বর্তমানে বাংলাদেশে মোট কতটি পৌরসভা আছে?
ক ৩১৪  ৩১৬ গ ৩৮৫ ঘ ৪৮৫
৭২. পৌরসভার সদস্যগণ কী নামে পরিচিত?
ক মেয়র খ মেম্বার  কমিশনার ঘ চেয়ারম্যান
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৩. স্থানীয় সরকারের প্রয়োজন হয়
র. নেতৃত্বের বিকাশে
রর. স্থানীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণে
ররর. গণতন্ত্র নিশ্চিতকরণে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৭৪. নিচের কোন বিষয়গুলো ইউনিয়ন পরিষদের সংগে সম্পৃক্ত?
র. ওয়ার্ডের সংখ্যা ৯টি
রর. দফাদার নিয়োগ করা
ররর. সদস্যরা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৫. জাতীয় সংসদ পারে
র. আইন সংশোধন
রর. আইন পরিবর্তন
ররর. আইন উন্নয়ন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও রররৎ
৭৬. জরুরি অবস্থা চলাকালে স্থগিত থাকে সংবিধানেরÑ
র. কিছু বিধান
রর. মৌলিক অধিকারসমূহ
ররর. সকল বিধিবিধান
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৭. আদালত মানুষের আশ্রয়স্থল
র. ন্যায়বিচার লাভের জন্য
রর. অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য
ররর. আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৮ ও ৭৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জনাব রহিম উল্লাহ শহর এলাকার একটি স্থানীয় সরকারের প্রধান। তিনি সর্বদা কমিশনারদের সাথে পরামর্শের ভিত্তিতে তাঁর এলাকার উন্নয়ন ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন।
৭৮. জনাব রহিম উল্লাহ কোন স্থানীয় সরকারের প্রধান?
ক ইউনিয়ন পরিষদ  পৌরসভা
গ উপজেলা পরিষদ ঘ জেলা পরিষদ
৭৯. উক্ত স্থানীয় সরকারের কাজের বিশেষত্ব হলো
র. বসবাসের অযোগ্য বাড়ি ঘর ভেঙে ফেলার নির্দেশ প্রদান
রর. অশিক্ষিত বয়স্ক নারী-পুরুষের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করা
ররর.১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়ানি মামলা পরিচালনা করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  রর গ র ও রর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮০ ও ৮১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
গত বছরের বন্যায় কক্সবাজার জেলার লোকজনের প্রচুর ক্ষতি হয়। নদী ভাঙন ও জলাবদ্ধতার কারণে অনেক মানুষ গৃহহীন ও বেকার হয়ে পড়েন। জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে নানারকম ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।
৮০. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত কাজটি জেলা প্রশাসকের কোন ধরনের কাজ?
ক শান্তিরক্ষামূলক খ সমন্বয় সংক্রান্ত
 মানবতামূলক ঘ প্রশাসন সংক্রান্ত
৮১. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত মানুষের এ ধরনের কষ্ট থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকারের উচিত
র. বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা
রর. নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা
ররর. ফারাক্কা সমস্যার সমাধান করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮২ ও ৮৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সীমা একটি যৌথ পরিবারে বাস করে। পরিবারে তাঁর দাদা-দাদি, মা-বাবা, চাচা-চাচি, ভাই-বোন বসবাস করে। সীমার বাবাই পরিবারে সব কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সীমার দাদা শুধু তাতে সম্মতি প্রকাশ করেন মাত্র।
৮২. অনুচ্ছেদের আলোকে সীমার বাবার কাজের সাথে মিল রয়েছে কার?
ক রাষ্ট্রপতি  প্রধানমন্ত্রী
গ প্রধান বিচারপতির ঘ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের
৮৩. অনুচ্ছেদের সীমার দাদার ভ‚মিকা হলোÑ
র. নিয়মতান্ত্রিক প্রধান
রর. সরকার প্রধান
ররর. রাষ্ট্রপ্রধান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৪ ও ৮৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জমির মিয়া মানুষ হত্যার দায়ে মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
৮৪. জমির মিয়াকে রক্ষা করার ক্ষমতা একমাত্র কার আছে?
ক আইনমন্ত্রীর খ প্রধানমন্ত্রীর  রাষ্ট্রপতির ঘ বিচারপতির
৮৫. উক্ত ব্যক্তি আর যে ক্ষমতা রাখেনÑ
র. অধ্যাদেশ জারি
রর. অর্থসংক্রান্ত
ররর. আইনবিষয়ক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

 

 গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলি

রাশেদ সাহেব বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন প্রতিষ্ঠানের একজন নির্বাচিত সদস্য । তিনি ছাড়া সেখানে আরও ১২ জন সদস্য আছেন। তিনি তার এলাকায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিরসন, কৃষি উপকরণ বিতরণ ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করেন।
ক. জেলা প্রশাসন বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর কততম স্তর? ১
খ. স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. রাশেদ সাহেব বাংলাদেশের যে সথানীয় প্রতিষ্ঠানের সদস্য তার গঠন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. রাশেদ সাহেবের কাজগুলো উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট বলে মনে কর কি? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪

ক জেলা প্রশাসন বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর তৃতীয় স্তর।
খ স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক জনগণের স্বশাসনকে বোঝায়। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা তা পরিচালিত হয় এবং ঐ জনগণের নিকট তা দায়িত্বশীল থাকে। এ ধরনের শাসনব্যবস্থা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা, যা সরকার পরিচালনা পদ্ধতির পরিশীলিত রূপ।
গ রাশেদ সাহেব বাংলাদেশের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। প্রতিষ্ঠানটি এদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান। উদ্দীপকে এ তথ্যটির নির্দেশ রয়েছে। উপরন্তু উক্ত প্রতিষ্ঠানে তিনি ছাড়া আরও ১২ জনের সদস্য আছেন যা ইউনিয়ন পরিষদের বৈশিষ্ট্য। ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধিত আইনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ গঠনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। গড়ে ১০-১৫টি গ্রাম নিয়ে একটি ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত। এর একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান, নয়জন নির্বাচিত সাধারণ সদস্য ও তিনজন নির্বাচিত মহিলা সদস্য (সংরক্ষিত আসনে) থাকবেন। সংশোধিত আইনে ওয়ার্ড সংখ্যা ৯টিতে উন্নীত করা হয়েছে। প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে ১ জন করে ৯টি ওয়ার্ড থেকে ৯ জন সাধারণ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন। মহিলা সদস্যগণ প্রতি ৩ ওয়ার্ডে ১ জন এই ভিত্তিতে পুরুষ ও মহিলা সকলের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। ইউনিয়ন পরিষদের কার্যকাল ৫ বছর।
ঘ উদ্দীপকের রাশেদ সাহেব ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে তার এলাকায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিরসন, কৃষি উপকরণ বিতরণ ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করেন। ইউনিয়ন পরিষদের জন্য এ কাজগুলো যথেষ্ট নয়। তার এ কাজগুলো জনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনকল্যাণমূলক। যদিও জনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও জনকল্যাণমূলক কাজের সবগুলো উদ্দীপকে রাশেদ সাহেবের কাজে নির্দেশিত হয়নি। উপরন্তু ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করে। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রমও ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করে। যেমন, সচিব, গ্রাম পুলিশ ও পরিষদের অন্যান্য কর্মচারীদের পরিচালনা, তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করা। ইউনিয়ন পরিষদের ঐচ্ছিক কার্যাবলির পরিবর্তিত কম বিস্তৃত নয়। বরং ইউনিয়নের সার্বিক, টেকসই উন্নয়নে ঐচ্ছিক কাজগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। আর স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল উদ্দেশ্যও তাই। সুতরাং আলোচিত যুক্তিমালার আলোকে আমি মনে করি, রাশেদ সাহেবের কাজগুলো ইউনিয়ন পরিষদের জন্য যথেষ্ঠ নয়।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ জেলা প্রশাসন ও তার কার্যাবলি

স¤প্রতি ‘কোমেন’ নামে একটি ঘূর্ণিঝড় উপক‚লীয় জেলার উপরে আঘাত হানে। তাতে ঐ অঞ্চলের অনেক ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপক‚লীয় জেলায় নিয়োজিত জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের মধ্যে নানা ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা দেন এবং বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। কারণ তিনি নিজেকে উক্ত জেলার জনগণের বন্ধু ও পথপ্রদর্শক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান।
ক. ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত? ১
খ. অভিশংসন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কোমেনে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সাহায্য-সহযোগিতা জেলা প্রশাসকের কোন ধরনের কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত বিশ্লেষণ কর। ৩
ঘ. উক্ত জেলা প্রশাসককে জনগণের প্রকৃত বন্ধু ও পথপ্রদর্শক হতে হলে যে সমস্ত কাজ করা উচিত, তা সংক্ষেপে আলোচনা কর। ৪

ক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১৩ জন।
খ অভিশংসন-এর আভিধানিক অর্থ প্রকাশ্যে দোষারোপ। ব্যবহারিক অর্থে দেশের রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের প্রক্রিয়াকে অভিশংসন বলা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন বা অপসারণ করতে পারে। সংবিধান লঙ্ঘন, গুরুতর অপরাধ, দৈহিক ও মানসিক অসুস্থতা ও অক্ষমতার জন্য সংসদ রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে। প্রয়োজনে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও ন্যায়পালকে অপসারণ করার ক্ষমতাও সংসদের রয়েছে।
গ উদ্দীপকে বর্ণিত কোমেন-এ ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সাহায্য-সহাযোগিতা জেলা প্রশাসকের মানবতামূলক কাজের বহিঃপ্রকাশ। দুর্যোগকালীন মুহ‚র্তে জেলা প্রশাসক মানবতার সেবামূলক ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হন। এ সময় তিনি জেলার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং বাজার যেন জনগণের নাগালের বাইরে চলে না যায় সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। দুর্যোগকালীন মুহ‚র্ত যেমন : বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ¡াস, টনের্ডো, ভ‚মিকম্প, অনাবৃষ্টি ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনগণের জন্য সেবামূলক কাজের দ্বারা তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করতে সচেষ্ট হন। এ সময় তিনি কেন্দ্রীয়ভাবে বরাদ্দকৃত অর্থ, কাপড়, ওষুধ উক্ত এলাকায় বিতরণ করেন।
ঘ জেলা প্রশাসককে কেন্দ্র করে জেলার সমগ্র শাসন আবর্তিত হয়। জেলা প্রশাসক তার কাজের জন্যই জেলার একজন বন্ধু হিসেবে পরিগণিত হন। জেলা প্রশাসককে জনগণের প্রকৃত বন্ধুও পথপ্রদর্মক হতে হলে বহুবিধ কাজ করা উচিত। বাংলাদেশ সচিবালয়ে গৃহীত শাসন সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজ তদারক করা ইত্যাদি জেলা প্রশাসনের শাসন সংক্রান্ত কাজ। আবার জেলা প্রশাসক প্রধান কালেক্টর হিসেবে জেলার ভ‚মি রাজস্ব ও অন্যান্য কর ধার্য ও আদায় করেন। জেলার অভ্যন্তরে অবস্থিত সরকারি সকল দপ্তরের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করেন এবং জেলা প্রশাসক স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেখাশুনা করেন। তিনি এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে জনগণের জন্য সেবামূলক কাজের দ্বারা তাদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে সচেষ্ট হন যেটি উদ্দীপকেও বর্ণিত হয়েছে। কার্যক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক একজন প্রথম শ্রেণির বিচারক হিসেবে ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি করেন। জেলার শিক্ষা বিষয়ক সকল প্রকার তত্ত¡াবধান এবং জাতীয় দিবসসহ উদযাপন ও বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। জেলার পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় নিজ জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করেন। উপরিউক্ত সকল কাজ সমূহ যদি উদ্দীপকে উল্লিখিত জেলা প্রশাসক যথাযথভাবে করতে পারেন তবেই তিনি ঐ জেলার জনগণের প্রকৃত বন্ধু ও পথপ্রদর্শক হতে পারবেন বলে আমি মনে করি। অর্থাৎ উপরিউক্ত কার্যাবলিই ঐ জেলাপ্রশাসকের করা উচিত।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ জেলা প্রশাসকের কার্যাবলি

ক. কে সংসদীয় পদ্ধতিতে মন্ত্রিসভার মূল স্তম্ভ? ১
খ. উপজেলা পরিষদের গঠন ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘?’ চিহ্নিত স্থানের ব্যক্তিটি কে? তার কার্যাবলি বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. উক্ত ব্যক্তির সঠিক ব্যবস্থাপনাই ঐ অঞ্চলের সার্বিক উন্নতি নির্ভরশীলবিশ্লেষণ কর। ৪

ক প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় পদ্ধতিতে মন্ত্রীসভার মূল স্তম্ভ।
খ আইনের বিধান অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ গঠিত হবে চেয়ারম্যান, ২ জন ভাইস চেয়ারম্যান, যার মধ্যে একজন নারী, উপজেলার এলাকাভুক্ত প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান; উপজেলার এলাকাভুক্ত পৌরসভার মেয়র এবং সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত মহিলা সদস্যগণের।
গ ‘?’ চিহ্নিত স্থানের ব্যক্তিটি হলেন জেলা প্রশাসক। কেননা প্রদত্ত ছকে যে কাজের ধারা উল্লেখ করা হয়েছে তা জেলা প্রশাসকের কাজের বৈশিষ্ট্যকেই উপস্থাপন করে। বাংলাদেশ সচিবালয়ে গৃহীত শাসনসংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজ তদারক করা, সরকারি নীতি নির্ধারণ এবং সুষ্ঠুভাবে শাসনকার্য পরিচালনায় সরকারকে সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা জেলা প্রশাসনের শাসন সংক্রান্ত কাজ। জেলা প্রশাসক প্রধান কালেক্টর হিসেবে জেলার ভ‚মি রাজস্ব ও অন্যান্য কর ধার্য ও আদায় করেন। সমন্বয় সাধন সংক্রান্ত বিষয় জেলা প্রশাসকের ভ‚মিকা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি জেলার অভ্যন্তরে অবস্থিত সরকারি সকল দপ্তরের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করেন। তিনি জেলার শিক্ষাবিষয়ক সকল প্রকার তত্ত¡াবধান এবং জাতীয় দিবস উদযাপন ও বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডও পরিচালনা করেন। এছাড়াও তিনি উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত¡াবধায়ক হিসেবে কাজ করেন। প্রথম শ্রেণির বিচারক হিসেবে ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি ও রাজস্ব সংক্রান্ত বিবাদের সমাধান করে থাকেন। জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ান। আগ্নেয়াস্ত্র, স্পিরিট ও বিষ প্রভৃতি লাইসেন্স প্রদানের দায়িত্ব তাঁর ওপরই ন্যস্ত। আর জেলা প্রশাসক তার কাজের জন্য বিভাগীয় কমিশনারের নিকট জবাবদিহি করেন।
ঘ ছকচিত্রে উক্ত ব্যক্তি তথা জেলা প্রশাসকের সঠিক ব্যবস্থাপনাই জেলার সার্বিক উন্নতি নিশ্চিত করতে পারে। জেলা প্রশাসক হলেন জেলার মধ্যমণি। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন অভিজ্ঞ সদস্য ও প্রশাসনের প্রধান কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনারের পরই তার স্থান। তাকে কেন্দ্র করে জেলার সমগ্র শাসনব্যবস্থা আবর্তিত হয়। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কেন্দ্রের যোগসূত্র বিদ্যমান। বাংলাদেশ সচিবালয়ে জেলা সংক্রান্ত গৃহীত যাবতীয় সিদ্ধান্ত সরাসরি জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরিত হয়। জেলা প্রশাসক কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলা প্রশাসন পরিচালনা করেন। আর জেলা প্রশাসকদের কেন্দ্র করেই জেলার প্রশাসন পরিচালিত ও আবর্তিত। জেলা প্রশাসক তার কাজের জন্য বিভগীয় কমিশনারের কাছে দায়ী। বিভাগীয় কমিশনার আবার যাবতীয় কার্যাবলির জন্য কেন্দ্রের নিকট দায়ী। বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে জেলা ও কেন্দ্রের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি হয়। সুতরাং জেলা প্রশাসকের কার্যাবলি ব্যাপক। আর তাই বলা যায়, জেলা প্রশাসকের সঠিক ব্যবস্থাপনাই ঐ জেলার সার্বিক উন্নতি নির্ভরশীল।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা

অ জাতির মুখপাত্র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
ই পদমর্যাদায় সবার উপরে, নিয়মতান্ত্রিক প্রধান
ছক : নির্বাহী বিভাগের দুজনের ক্ষমতার পার্থক্য
ক. অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রের আইনসভা কী নামে পরিচিত? ১
খ. কেন্দ্রীয় প্রশাসন কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ছকে উল্লিখিত ‘ই’ ব্যক্তির দণ্ড মার্জনা করার ক্ষমতা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের ‘অ’ ব্যক্তি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেও প্রজাতন্ত্রের সকল কাজ ‘ই’ ব্যক্তির নামেই পরিচালিত হয়। উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ৪

ক অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রের আইনসভা মজলিশ নামে পরিচিত।
খ বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা এককেন্দ্রিক। বিশ্বের অন্যান্য দেশের এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার মতো বাংলাদেশেও সচিবালয় প্রশাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রে অবস্থিত যা শাসনব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র স্বরূপ। সরকারি যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম সচিবালয়ে গৃহীত হয়। এই গৃহীত সিদ্ধান্ত ধাপে ধাপে নিচের স্তরে প্রেরিত হয়। তাই সচিবালয় কেন্দ্রিক এদেশের প্রশাসনকে কেন্দ্রীয় প্রশাসন বলে।
গ ছকে উল্লিখিত ‘ই’ ব্যক্তি হচ্ছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। ছকের তথ্য অনুসারে পদমর্যাদায় সবার উপরে। নিয়মতান্ত্রিক প্রধান দেশের রাষ্ট্রপতিরই মর্যাদার প্রতিফলন। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান। সবার উর্ধ্বে তিনি স্থান লাভ করেন। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তাকে প্রদত্ত সকল দায়িত্ব ও ক্ষমতা তিনি প্রয়োগ করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফের ক্ষমতা রয়েছে। তার ক্ষমতা রয়েছে যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার। কোনো আদালত, ট্রাইবুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত যেকোনো দণ্ড তিনি মার্জনা করতে পারেন।
ঘ উদ্দীপকের ‘অ’ ব্যক্তি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যিনি জাতির মুখপাত্র এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে প্রজাতন্ত্রের সকল কাজ ‘ই’ ব্যক্তি তথা রাষ্ট্রপতির নামেই পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা বিদ্যমান। আর সংসদীয় ব্যবস্থার অধীনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা অনেক উপরে। তিনি শাসনব্যবস্থার কার্যকর নেতৃত্ব দান করেন। কিন্তু সংসদীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি নিয়মতান্ত্রিক প্রধান। সংবিধান অনুযায়ী তিনি রাষ্ট্রের প্রধান। পদমর্যাদায় তিনি সবার উপরে। তার হাতে কানো নির্বাহী ক্ষমতা নেই। কিন্তু সংবিধান ও আইন অনুযায়ী প্রদত্ত সকল দায়িত্ব ও ক্ষমতা তিনি প্রয়োগ করেন। প্রজাতন্ত্রের সকল কাজ তাঁর নামেই পরিচালিত হয়। এ কারণেই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ সত্য বলে বিবেচিত হয়।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলি

মিসেস সোফিয়া ও তার চেয়ারম্যান ভাইয়ের কথোপকথন :
মিসেস সোফিয়া : ভাইয়া তোমার পরিষদের সবাইকে ঈদের দাওয়াত দাওনি? মাত্র তো বারজন এলেন।
চেয়ারম্যান : কেন সবাই এসেছেন। সারা দেশেই তো এ ধরনের পরিষদের সদস্য সংখ্যা একই।
মিসেস সোফিয়া : তুমি নাকি এলাকায় বিধবা ভাতা, উন্নত বীজ, সার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে ভালোই সুনাম করেছ?
চেয়াম্যান : চেষ্টা তো করছি। তবে গ্রামে চোরের উপদ্রব বেড়ে গেছে।
ক. কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সর্ব নিম্নস্তরের কর্মকর্তা কে? ১
খ. জাতীয় সংসদ কীভাবে বিচার বিষয়ক ক্ষমতা প্রয়োগ করে? ২
গ. মিসেস সোফিয়ার ভাই যে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তার প্রশাসনিক কাজ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি কতটুকু সফল তা মূল্যায়ন কর। ৪

ক কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সর্ব নিম্নস্তরের কর্মকর্তা হলেন সহকারী সচিব।
খ সংসদ সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করতে পারে। সংবিধান লঙ্ঘন গুরুতর অপরাধ, দৈহিক ও মানসিক অসুস্থতা ও অক্ষমতার জন্য সংসদ রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে। প্রয়োজনে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও ন্যায়পালকে অপসারণ করার ক্ষমতাও সংসদের রয়েছে। এ জাতীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিচার সংক্রান্ত কাজ সংসদ পরিচালনা করে।
গ মিসেস সোফিয়ার ভাই স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। কেননা ইউনিয়ন পরিষদে একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও বারজন সাধারণ সদস্য থাকে। উদ্দীপকে যা উল্লিখিত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন। তার প্রশাসনিক কাজগুলোও অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি প্রশাসনিক কাজ হিসেবে সচিব, গ্রামপুলিশ ও পরিষদের অন্যান্য কর্মচারীদের পরিচালনা, তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করেন। এছাড়াও তিনি সকল সভা আহŸান, বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রণয়ন ও প্রেরণ করা, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন ইত্যাদি করে থাকেন।
ঘ উদ্দীপকের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তার দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট সজাগ ও সচেতন। উদ্দীপকে এর ইঙ্গিত রয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেব বেশ সুনামের সাথে তার এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিধবা ভাতা, উন্নত বীজ, সার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছেন। এর দ্বারা বোঝা যায় তিনি জনকল্যাণমূলক কাজ ও সেবামূলক কাজে বেশ সফল হয়েছেনে। চোরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় জনশৃঙ্খলা রক্ষায় তার ইউনিয়নে সমস্যা দেখা দিয়েছে যা তার দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে। তাই তিনি তা বন্ধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সুতরাং উপরিউক্ত বর্ণনা অনুসারে বলা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছেন।
প্রশ্ন- ৬  আইন ও শাসন বিভাগ

কানিজের পিতা সরকারের একটি শাখার সদস্য। তিনি তার এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম তদারকিসহ আইন প্রণয়নে সরকারকে সহযোগিতা করেন। তিনি সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা এবং মন্দ কাজের সমালোচনা করেন।
ক. প্রাচীন গ্রিসে নগররাষ্ট্রগুলোতে কী ধরনের গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল? ১
খ. স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে কী বোঝ? ২
গ. কানিজের পিতা সরকারের যে শাখার সদস্য তার গঠন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. কানিজের পিতার শেষোক্ত কাজটির মাধ্যমে কি প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪

ক প্রাচীন গ্রিসে নগররাষ্ট্রগুলোতে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল।
খ ১নং সৃজনশীল প্রশ্নে খ এর উত্তর দ্রষ্টব্য।
গ কানিজের পিতা সরকারের শাখা আইন বিভাগের সদস্য। উদ্দীপকে দেখা যায়, তিনি এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম তদারকিসহ আইন প্রণয়নে সরকারকে সহযোগিতা করেন। সরকারের তিনটি বিভাগের একটি আইন বিভাগ। আইন বিভাগের প্রধান কাজ হলো দেশের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন ও পুরনো আইন পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধন করা। আইন বিভাগের একটি অংশ হলো আইনসভা। আইনসভা নির্বাচিত এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে মনোনীত সদস্যদের নিয়ে গঠিত। এটি আইন প্রণয়ন করে। আইনসভা কর্তৃক প্রণীত আইন রাষ্ট্রপ্রধানের সম্মতি লাভের পর কার্যকর হয়। বাংলাদেশের আইনসভার নাম ‘জাতীয় সংসদ’। জাতীয় সংসদ আইন বিভাগের একটি প্রধান প্রতিষ্ঠান। সংসদ প্রণীত আইন রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভের পর কার্যকর হয়। আইন বিভাগ সরকারের একটি অংশ। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদ মোট ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। এদের মধ্যে ৩০০ জন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তারা সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন। সংরক্ষিত আসন ছাড়াও মহিলারা সাধারণ আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে পারবেন। সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে সদস্যদের ভোটে একজন স্পীকার ও একজন ডেপুটি স্পীকার নির্বাাচিত হবেন। সংসদের মেয়াদ ৫ বছর।
ঘ কানিজের পিতার শেষোক্ত কাজটির মাধ্যমে প্রশাসনকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত এবং এই নিয়ন্ত্রণটি আইন বিভাগের দ্বারা কার্যকর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রীসভাকে শাসন সংক্রান্ত সকল কাজের জন্য সংসদের কাছে দায়ী থাকতে হয়। সকার সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। সংসদ সরকারের যে কোনো ভালো কাজের যেমন প্রশংসা করতে পারে তেমনি সরকারের যে কোনো মন্দ কাজের সমালোচনাও করতে পারে। উদ্দীপকে কানিজের বাবাও সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা এবং মন্দ কাজের সমালোচনা করেন। ফলে সরকারকে সকল শাসন সংক্রান্ত কাজের জন্য সংসদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের প্রতি মনোযোগ দিতে হয়। সংসদীয় ব্যবস্থায় সরকারের উপর সংসদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। কিন্তু প্রশাসনকে শুধু এর দ্বারাই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না বরং সংসদ মূলতবি প্রস্তাব, নিন্দা প্রস্তাব, প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীদের প্রতি প্রশ্ন বা অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে শাসন বিভাগের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। সংসদ সদস্যের আস্থা হারালে যে কোনো মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীও পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ অর্থ হলো, সম্পূর্ণ মন্ত্রীসভার পদত্যাগ। ঐ অবস্থা হলে দেশে আবার নতুন করে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ আইন, শাসন ও বিচার বিভাগ

বিভাগ কাজ
ঢ আইন প্রণয়ন করে।
ণ শাসনকার্য পরিচালনা করে।
ত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে।

ক. নাগরিকের প্রধান কর্তব্য কোনটি? ১
খ. আইনের অনুশাসন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. বাংলাদেশের ‘ত’ বিভাগটির গঠন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “বাংলাদেশে ‘ণ’ বিভাগটি ‘ঢ’ বিভাগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তুমি কি এ বক্তব্যের সাথে একমত? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪

ক নাগরিকের প্রধান কর্তব্য রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা।
খ রাষ্ট্রে আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সকল নাগরিক সমানভাবে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা পেতে পারে। কেউ কারও অধিকার ক্ষুণœ করতে পারে না। সাধারণভাবে আইনের অনুশাসন দুইটি ধারণা প্রকাশ করে। যথা : (ক) আইনের প্রাধান্য ও (খ) আইনের দৃষ্টিতে সকলের সাম্য। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনের অনুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গ বাংলাদেশে ‘ু’ বিভাগটি হচ্ছে বিচারবিভাগ। এ বিভাগ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে। বিচার বিভাগের স্বাতন্ত্র্য এবং স্বাধীনতা বাংলাদেশ সংবিধানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ন্যায় ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সুসংগঠিত ও সুপরিচালিত। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ উচ্চ আদালত (হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট) এবং অধস্তন আদালত সমন্বয়ে গঠিত। বাংলাদেশ সংবিধানে বিচারকদের নিয়োগ সংক্রান্ত যোগ্যতার শর্তাবলি উল্লেখ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি নিয়োগের শর্তাবলি পূরণ সাপেক্ষে প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে বিচারকদের নিয়োগ করে। এটাই হলো এদেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বর্তমানে অধিকাংশ রাষ্ট্রই সাধারণত শাসন বিভাগের প্রধান কর্তৃক বিচারপতি নিয়োগ করে থাকে। প্রধান বিচারপতি ও উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের নিয়োগ সাধারণত রাষ্ট্রপতি দিয়ে থাকেন। তবে অধ:স্তন আদালতসমূহের বিচারকগণ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। আর এসব বিচারকদের নিয়েই বিচার বিভাগ গঠিত।
ঘ বাংলাদেশে ‘ু’ বিভাগটি হচ্ছে শাসন বিভাগ এবং ‘ী’ বিভাগটি হচ্ছে আইন বিভাগ। বাংলাদেশে শাসন বিভাগ আইন বিভাগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আমি এ বক্তব্যের সাথে একমত। বস্তুত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত এবং এই নিয়ন্ত্রণটি আইন বিভাগের দ্বারা কার্যকর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রীসভাকে শাসন সংক্রান্ত সকল কাজের জন্য সংসদের কাছে দায়ী থাকতে হয়। সরকার সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। সংসদ সরকারের যে কোনো ভালো কাজের যেমন প্রশংসা করতে পারে তেমনি সরকারের যে কোনো মন্দ কাজের সমালোচনাও করতে পারে।সরকারকে সকল শাসন সংক্রান্ত কাজের জন্য সংসদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের প্রতি মনোযোগ দিতে হয়। সংসদীয় ব্যবস্থায় সরকারের উপর সংসদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। সংসদ মূলতবি প্রস্তাব, নিন্দা প্রস্তাব, প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীদের প্রতি প্রশ্ন বা অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে শাসন বিভাগের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। সংসদ সদস্যের আস্থা হারালে যে কোনো মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীও পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ অর্থ হলো, সম্পূর্ণ মন্ত্রীসভার পদত্যাগ। ঐ অবস্থা হলে দেশে আবার নতুন করে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ আলোচনার প্রেক্ষিতে সুস্পষ্ট হয় যে, বাংলাদেশেও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে শাসন বিভাগ আইন বিভাগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
প্রশ্ন- ৮ ল্ফল্ফ স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন

সংস্থা কাজ
ঈ জনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনকল্যাণমূলক কাজ ও সেবা প্রশাসনিক কাজ
উ পরিকল্পনামূলক, জননিরাপত্তামূলক বাসস্থান সংক্রান্ত

ক. গণতন্ত্র কত প্রকার? ১
খ. জাতিসংঘের যে কোনো একটি উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘ঈ’ সংস্থাটির সাথে বাংলাদেশের কোন স্থানীয় সরকারের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “গণতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে উক্ত সংস্থাগুলোর ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ”Ñ উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪

ক গণতন্ত্র দুই প্রকার।
খ জাতিসংঘের উদ্দেশ্যসমূহের মধ্যে একটি হচ্ছে স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর বিবাদ ও সংঘর্ষ রোধ করা।এক রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের ওপর যাতে হস্তক্ষেপ করতে না পারে সে লক্ষ্যে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এরপরও বিশ্বের স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিবাদ পরিলক্ষিত হয়। এর ফলে বিশ্বশান্তি বিনষ্ট হয়। তাই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে বিবাদ মীমাংসায় আন্তর্জাতিক আদালত গঠন করা হয়।
গ প্রশ্নে উল্লেখিত ‘ঈ’ সহংস্থাটির সাথে বাংলাদেশের ইউনিয়ন পরিষদের মিল রয়েছে। উদ্দীপকে প্রতিষ্ঠানটির কাজ জনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনকল্যাণমূলক কাজ ও সেবা, প্রশাসনিক কাজ ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান কার্যাবলি নির্দেশ করে।
জনশৃঙ্খলা রক্ষা : গ্রামে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে কিছু চৌকিদার ও দফাদার নিয়োগ করা, অপরাধ, বিশৃঙ্খলা ও চোরাচালান বন্ধের জন্য ব্যবস্থা করে।
জনকল্যাণমূলক কাজ ও সেবা : ইউনিয়নে অবস্থিত কৃষি, স্বাস্থ্য, মৎস্য, পশুপালন ও শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থার সেবা ও কার্যক্রম জনগণকে অবহিতকরণ এবং গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্থার কর্মসূচির অধীনে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ ও পয়:নিষ্কাশন, আত্মকর্মসংস্থান ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা ইউনিয়ন পরিষদের প্রধানতম কার্যাবলির মধ্যে পড়ে।
প্রশাসনিক কাজ : সচিব, গ্রাম পুলিশ ও পরিষদের অন্যান্য কর্মচারীদের পরিচালনা, তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করা, সকল সভা আহŸান, বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রণয়ন ও প্রেরণ করা, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন ইত্যাদিও ইউনিয়ন পরিষদ করে থাকে।
ঘ উদ্দীপকে ‘ঈ’ বলতে ইউনিয়ন পরিষদ এবং ‘উ’ বলতে পৌরসভাকে বুঝানো হয়েছে। গণতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার মতো স্থানীয় সরকার ব্যাপক ভূমিকা রাখে। আধুনিক কালে রাষ্ট্র পরিচারনার ক্ষেত্রে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের গুরুত্ব যে কত বেশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমানে রাষ্ট্রের আয়তন ও জনসংখ্যা বিশাল। রাজধানীতে বসে কেন্দ্রীয় সরকারের একার পক্ষে দেশের সর্বত্র সুষ্ঠুভাবে শাসন কার্য পরিচালনা, নানা বিষয়ে দৈনন্দিন নজর রাখা, স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কার্যকর ও সঠিক সময়ে পদক্ষেপ গ্রহণ, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত এবং অঞ্চল নির্বিশেষে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা দ্বারা তা সম্ভবপর হয়। স্থানীয় শাসনের শ্রেষ্ঠত্ব হলো এই যে, এর ফলে কেন্দ্রের মুখাপেক্ষিতা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা মুক্ত থেকে স্থানীয় পর্যায়ে এলাকা ভেদে বিশেষ প্রয়োজন, বৈচিত্র্য ও বাস্তবতার আলোকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও স্থানীয় উন্নয়নে ত্বরিত উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব হয়। এ ব্যবস্থা স্থানীয় শাসন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশগ্রহণ, তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে গণতন্ত্রের ভিত্তি বা বুনিয়াদকে সুদৃঢ় করতে সহায়ক হয়।
প্রশ্ন- ৯ ল্ফল্ফ জেলা প্রশাসকের কার্যাবলি

অনন্তপুর ইউনিয়নের বিলাসবাড়ি গ্রামে অতি বৃষ্টির কারণে বন্যা সৃষ্টি হওয়ায় সেখানকার অধিবাসীরা দুর্যোগে পতিত হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক দুর্গতদের সাহায্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
ক. সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদের সদস্য সংখ্যা কত? ১
খ. স্থানীয় প্রশাসন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে বন্যায় দুর্গতদের জন্য ব্যবস্থাগ্রহণ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কোন ধরনের কাজের অন্তর্ভুক্ত? Ñব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “জেলা প্রশাসক হলেন জেলার মধ্যমণি” Ñমূল্যায়ন কর। ৪

ক সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদের সদস্য ৩৫০ জন।
খ স্থানীয় প্রশাসন বলতে স্থানীয় পর্যায়ের বিভাগীয়/জেলা এবং উপজেলা শাসন ব্যবস্থাকে বুঝায়। প্রশাসনের সুবিধার্থে এর সৃষ্টি। এ প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় শাসন ও নিয়ন্ত্রণকে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, রাজস্ব আদায় ও সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নই এর মুখ্য উদ্দেশ্য। এ ব্যবস্থায় স্থানীয় শাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিবৃন্দ সরকারের এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য। যেমন আমাদের দেশে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসক এবং থানা/উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
গ উদ্দীপকে বন্যায় দুর্গতদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মানবতামূলক কাজ। জেলা প্রশাসক জেলার প্রধান কর্মকর্তা হিসাবে বহুবিধ দায়-দায়িত্ব পালন করেন। ডেপুটি কমিশনার বা জেলা প্রশাসক মানবতার সেবামূলক ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হন। তিনি জেলার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে জনগণের জন্য সেবামূলক কাজের দ্বারা তাদের দু:খ দুর্দশা দূর করতে সচেষ্ট হন। তিনি জনককল্যাণমূলক কাজের জন্য বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ান। এসময় কেন্দ্রীয়ভাবে বরাদ্দকৃত অর্থ, কাপড় ও ঔষধ জেলার জনগণের মধ্যে বিতরণ করেন।
ঘ জেলা প্রশাসককে কেন্দ্র করে জেলার সমগ্র শাসন আবর্তিত হয়। জেলা প্রশাসক তার কাজের জন্যই জেলার মধ্যমণি হিসেবে পরিগণিত হন। তার বেশ কিছু কার্যাবলি তা স্পষ্ট করে তোলে। যেমন :
প্রশাসন সংক্রান্ত কাজ : বাংলাদেশ সচিবালয়ে গৃহীত শাসন সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করা তথা সুষ্ঠুভাবে শাসনকার্য পরিচালনায় সরকারকে সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করা জেলা প্রশাসনের শাসন সংক্রান্ত কাজ।
রাজস্ব সংক্রান্ত কাজ : জেলা প্রশাসক প্রধান কালেক্টর হিসেবে জেলার ভূমি রাজস্ব ও অন্যান্য কর ধার্য ও আদায় করেন।
স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত কাজ : তিনি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেখাশোনা করেন। জেলার আওতাধীন উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে তত্ত¡াবধায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
মানবতামূলক কাজ : প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে জনগণের জন্য সেবামূলক কাজের দ্বারা তাদের দু:খদুর্দশা দূর করতে সচেষ্ট হন যেটি উদ্দীপকেও বর্ণিত হয়েছে।
বিচার সংক্রান্ত কাজ : জেলা প্রশাসক জেলার বিচারকও বটে। তিনি একজন প্রথম শ্রেণির বিচারক হিসেবে ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি করেন।
শান্তি রক্ষামূলক কাজ : জেলার পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় নিজ জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করেন।
এছাড়া জেলা প্রশাসক জেলার প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে বহুবিধ দায়দায়িত্ব পালন করেন।
কাজেই বলা যায়, “জেলা প্রশাসক হলেন জেলার মধ্যমণি” উক্তিটি সঠিক।
প্রশ্ন- ১০ ল্ফল্ফ ইউনিয়ন পরিষদ

রফিক সাহেব ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি স্থানীয় স্বায়ত্তশঅসিত প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি তার সদস্যদের সাথে আলোচনা ও মতামত নিয়ে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক ও সেবাধর্মী কাজ করেন। এলাকার কৃষি, গ্রামীণ শিল্পের বিকাশ, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করে থাকেন।
ক. বাংলাদেশের আইনসভার নাম কী? ১
খ. জেলা পরিষদের গঠন বর্ণনা কর। ২
গ. রফিক সাহেব যে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘জনশৃঙ্খলা রক্ষা করা রফিক সাহেবের প্রতিষ্ঠানের একটি অন্যতম কাজ’তুমি কি এ বক্তব্যের সাথে একমত? বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বাংলাদেশের আইনসভার জাতীয় সংসদ।
খ বাংলাদেশ সরকার ৬ই জুলাই ২০০০ সালে জেলা পরিষদ আইনÑ ২০০০ প্রবর্তন করে। আইনের বিধান অনুযায়ী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা ও বান্দরবান পার্বত্য জেলাসমূহ ব্যতীত অন্য জেলায় জেলা পরিষদ গঠনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনের পাঁচজন মহিলা সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠিত। একটি নবগঠিত জেলা পরিষদের মেয়াদ বা কার্যকাল থাকবে পাঁচ বছর।
গ রফিক সাহেব ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। কেননা উদ্দীপকে উল্লেখ রয়েছে রফিক সাহেব ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি স্থানীয় স্বায়ত্তশঅসিত প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। ইউনিয়ন পরিষদ আমাদের দেশে গ্রাম সমাজে উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। এ লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলিকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা ১. প্রধান কার্যাবলি ও ২. ঐচ্ছিক কার্যাবলি। ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান কাজগুলো হচ্ছে (র) জনশৃঙ্খলা রক্ষা (রর) জনকল্যাণমূলক কাজ ও সেবা করা (ররর) স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন (রা) প্রশাসনিক কাজ করা। এছাড়া ঐচ্ছিক কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে; জনপথ ও রাজপথের ব্যবস্থা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা, বিধবা, এতিম গরিব ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের সাহায্যকরণ, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবস্থাকরণ, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার তদারকি এবং ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া, পরিষদ সংরক্ষণ ও বনায়ন, ইউনিয়নের পরিচ্ছন্নতা রক্ষা, পাঠাগার স্থাপন, উদ্যান ও খেলার মাঠের ব্যবস্থা, গণসংযোগ, সনদ প্রদান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণকার্য সম্পাদন, দুঃস্থ ব্যক্তির তালিকা প্রুণয়ন, সকল প্রকার শুমারি পরিচালনার দায়িত্ব পালন, সরকারি সম্পত্তি যেমন সড়ক, সেতু, খাল, বাঁধ, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ লাইন রক্ষণাবেক্ষণ, পল্লি বিদ্যুতায়নের উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি। সুতরাং ইউনিয়ন পরিষদ গ্রামীণ স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
ঘ উদ্দীপকে জনশৃঙ্খলা রক্ষা করা রফিক সাহেবের প্রতিষ্ঠানের একটি অন্যতম কাজ এ বক্তব্যের সাথে আমি একমত। কেননা ইউনিয়ন পরিষদের একটি প্রধান কাজ হলো জনশৃৃঙ্খলা রক্ষা করা। গ্রামে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ইউনিয়নে কিছু চৌকিদার ও দফাদার নিয়োগ করা, অপরাধ, বিশৃঙ্খলা ও চোরাচালান বন্ধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ, ঝগড়া-বিবাদ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিরসনে ভূমিকা পালন, গ্রাম আদালত সম্পর্কিত দায়িত্ব সম্পাদন, পারিবারিক বিরোধের আপোষ-মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্ন- ১১ ল্ফল্ফ পৌরসভা

ক. মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে? ১
খ. স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ছকে প্রশ্নবোধক (?) চি‎ি‎হ্নত স্থানে কোন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে ইঙ্গিত করা হয়েছে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উক্ত প্রতিষ্ঠানটি কেবলমাত্র জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রমে সক্রিয়” Ñতুমি কি একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪

ক মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেন সচিব।
খ ১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের খ এর উত্তর দ্রষ্টেব্য।
গ উদ্দীপকের ছকে প্রশ্নবোধক চিহ্নিত স্থানে পৌরসভা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একজন চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ডভিত্তিক কয়েকজন নির্বাচিত সদস্য নিয়ে পৌরসভা গঠিত হয়। সদস্যগণ কমিশনার নামে পরিচিত। দেশের সকল পৌরসভার সদস্য-সংখ্যা সমান নয়। পৌর এলাকার আয়তন ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে সদস্য সংখ্যা কমবেশি হতে পারে। বাংলাদেশে পৌরসভার সংখ্যা ছোট বড় মিলিয়ে ৩১৬টি। উদ্দীপকে এসব তথ্য সন্নিবেশতি হয়েছে। পৌরসভার কার্যকাল পাঁচ বছর। এছাড়া উদ্দীপকে প্রতিষ্ঠানটির কাজের ধারায় পানীয় জলের ব্যবস্থা, আবর্জনা অপসারণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পৌরসভার জনস্বাস্থ্যবিষয়ক কাজ নির্দেশ করে। সুতরাং ছকের (?) চিহ্নিত স্থানে পৌরসভাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
ঘ উক্ত প্রতিষ্ঠান তথা পৌরসভা কেবলমাত্র জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রমে সক্রিয় এই বিষয়ে পামি একমত না। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পৌরসভার কাজ হচ্ছে সরকারি রাস্তা, পায়খানা, ডাস্টবিন, পয়ঃপ্রণালির ময়লা ও আবর্জনা অপসারণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ। তাছাড়া চিকিৎসা কেন্দ্র, মাতৃসদন, শিশু সদন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকার, দূষিত ও ভেজাল খাদ্য ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা ইত্যাদি পৌরসভার জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাজ। এছাড়া পৌরসভা শহর এলাকার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও উন্নয়নকল্পে বহুবিধ কাজ করে থাকে। যেমন : পরিকল্পনামূলক অনেক কাজ করে, জননিরাপত্তামূলক কাজ করে, বাসস্থান সংক্রান্ত কাজ, শিক্ষা সংক্রান্ত কাজ, রাস্তাঘাটের উন্নয়নমূলক কাজ, সমাজকল্যাণ সংক্রান্ত কাজ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, সালিশী কার্যক্রম পরিচালনা ইত্যাদি। সুতরাং পৌরসভা কেবলমাত্র জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রমে সক্রিয়Ñ কথাটি ঠিক নয়।
প্রশ্ন- ১২ ল্ফল্ফ ইউনিয়ন পরিষদ

জমির মিয়া একজন গ্রামের জনপ্রতিনিধি। তার কাজের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হােলা দারিদ্র্য বিমোচন, স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ, আত্মকর্মসংস্থান ও আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তিনি ঐ সমস্ত কাজের পাশাপাশি সমাজের মারামারি, জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ, মেয়েদের ওপর অবিচার ইত্যাদি বিষয়গুলোর বিচারকার্যও তিনি সম্পন্ন করে থাকেন।
ক. মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে? ১
খ. স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উল্লিখিত জমির মিয়া কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছেন? সেটি সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত প্রতিনিধির বর্তমানে করা কাজের নিরপেক্ষতা সম্পর্কে তোমার ধারণা ব্যক্ত কর। ৪

ক মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেন সচিব।
খ ১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের খ এর উত্তর দ্রষ্টব্য।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত জমির মিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। উদ্দীপকের জমির মিয়া দারিদ্র্য বিমোচন, স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ, আত্মকর্মসংস্থান ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন ইত্যাদি কাজগুলো করে থাকেন। এগুলো ইউনিয়ন পরিষদের কাজ। তাছাড়া জনপথ ও রাজপথের ব্যবস্থা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা, বিধবা, এতিম গরিব ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের সাহায্যকরণ, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবস্থাকরণ, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার তদারকি এবং ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া, পরিষদ সংরক্ষণ ও বনায়ন, ইউনিয়নের পরিচ্ছন্নতা রক্ষা, পাঠাগার স্থাপন, উদ্যান ও খেলার মাঠের ব্যবস্থা, গণসংযোগ, সনদ প্রদান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণকার্য সম্পাদন, দুঃস্থ ব্যক্তির তালিকা প্রুণয়ন, সকল প্রকার শুমারি পরিচালনার দায়িত্ব পালন, সরকারি সম্পত্তি যেমন সড়ক, সেতু, খাল, বাঁধ, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ লাইন রক্ষণাবেক্ষণ, পল্লি বিদ্যুতায়নের উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি কার্যে ইউনিয়ন পরিষদ ভূমিকা রাখে। ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধিত আইনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ গঠনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। গড়ে ১০-১৫টি গ্রাম নিয়ে একটি ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত। এর একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ন’জন নির্বাচিত সাধারণ সদস্য ও তিন জন নির্বাািচত মহিলা সদস্য (সংরক্ষিত আসনে)।
ঘ জমির মিয়া মারামারি, জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ, মেয়েদের ওপর অবিচার ইত্যাদি বিষয়গুলোর বিচারকার্যও বর্তমান প্রতিনিধি হিসেবে সম্পন্ন করেন। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে আশা করা যায়, তিনি নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে স্বাধীন ও নিরপেক্ষতার বিচারকার্য সম্পন্ন করে থাকেন। এলাকায় যেকোনো মারামারি ও জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ দেখা দিলে তিনি নিরপেক্ষতার সাথে মীমাংসা করেন। বিশেষ করে মেয়েদের প্রতি নানা রকম অপরাধ দেখা দেয় যথা মেয়েদের উত্তাক্ত করা, যৌতুক, পারিবারিক নির্যাতন ইত্যাদি বিষয়ে নিরপেক্ষতার সাথে সমাধান করেন। প্রকৃতপক্ষে এসব কাজ নিরপেক্ষতার সাথে করা তার দায়িত্ব। জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে তাই আশা করে। বস্তুত ইউনিয়ন পরিষদ ঝগড়া -বিবাদ, দাঙ্গা

 

Leave a Reply