অষ্টম অধ্যায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
গণতন্ত্রের ধারণা : আমেরিকার বিখ্যাত প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতন্ত্রের সংজ্ঞা দিয়েছেন এভাবে “গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের, জনগণের জন্য ও জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা।” অধ্যাপক গেটেলের মতে, “যে শাসন ব্যবস্থায় জনগণ সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগে অংশ নেয়ার অধিকারী তাই গণতন্ত্র।”
গণতন্ত্রের প্রকারভেদ : গণতন্ত্র সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে কার্যকর হয়। যথা : ১. প্রত্যক্ষ বা বিশুদ্ধ গণতন্ত্র ও ২. পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র : গণতন্ত্র সফল করার উপায় ও গণতান্ত্রিক আচরণ : যে শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতা রাষ্ট্রের সকল সদস্য তথা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে তাকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলে।
গণতন্ত্র বর্তমান যুগে প্রচলিত শাসনব্যবস্থাগুলোর মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট এবং সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য শাসনব্যবস্থা। কিন্তু এর চর্চা বা বাস্তবায়নের পথে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করে গণতন্ত্রের সাফল্যের জন্য প্রয়োজন শিক্ষিত ও সচেতন জনগোষ্ঠী, অর্থনৈতিক সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা, দক্ষ প্রশাসন এবং উপযুক্ত নেতৃত্ব।
রাজনৈতিক দল : রাজনৈতিক দল হচ্ছে একটি দেশের জনগোষ্ঠীর সেই অংশ, যারা একটি আদর্শ বা কিছু নীতি বা কর্মসূচির ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় সমস্যা সমাধানে সংগঠিত হয়। রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতায় গিয়ে দলের নীতি ও আদর্শ অনুযায়ী দেশ পরিচালনা এবং নির্বাচনি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা।
গণতন্ত্রের বিকাশে রাজনৈতিক দল : গণতন্ত্র মানেই হচ্ছে রাজনৈতিক দলের উপস্থিতি। গণতন্ত্রের সফলতার জন্য রাজনৈতিক দলের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা রাজনৈতিক দলই জনগণের মতামতকে সুসংগঠিত করে এবং জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটায়।
নির্বাচন : নির্বাচন হচ্ছে জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের পদ্ধতি। স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় ভোটাধিকার প্রাপ্ত সকল নাগরিক ভোট দিয়ে প্রতিনিধি বাছাই করে। প্রতিনিধি বাছাইয়ের প্রক্রিয়াকে নির্বাচন বলে। যারা ভোট দেয়, তাদের নির্বাচক বা ভোটার বলে।
নির্বাচন কমিশন : গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের পূর্ব শর্ত হচ্ছে কার্যকর নির্বাচনব্যবস্থা। আর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য সরকারব্যবস্থা কোনটি?
উত্তর : বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য সরকারব্যবস্থা হলো গণতন্ত্র।
প্রশ্ন \ ২ \ গণতন্ত্রে কী প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : গণতন্ত্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ কোথায় প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র চালু আছে?
উত্তর : সুইজারল্যান্ডে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র চালু আছে।
প্রশ্ন \ ৪ \ গণতন্ত্র সর্বপ্রথম কোথায় প্রচলিত হয়?
উত্তর : গণতন্ত্র সর্বপ্রথম গ্রিসে প্রচলিত হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ পাকিস্তান গণপরিষদের সংবিধান প্রণয়নে কত বছর লাগে?
উত্তর : পাকিস্তান গণপরিষদের সংবিধান প্রণয়নে ৯ বছর লাগে।
প্রশ্ন \ ৬ \ কে গণতন্ত্রকে অযোগ্য শাসনব্যবস্থা বলেছেন?
উত্তর : প্রখ্যাত দার্শনিক প্লেটো ও এরিস্টটল গণতন্ত্রকে অযোগ্য শাসনব্যবস্থা বলেছেন ।
প্রশ্ন \ ৭ \ কত সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতাযুদ্ধ হয়েছিল?
উত্তর : ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতাযুদ্ধ হয়েছিল।
প্রশ্ন \ ৮ \ কার নেতৃত্বে প্রথম তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠিত হয়?
উত্তর : বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহাম্মদের নেতৃত্বে প্রথম তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ ১৯৯১ সালে সরকার গঠন করে কোন দল?
উত্তর : ১৯৯১ সালে সরকার গঠন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
প্রশ্ন \ ১০ \ নতুন রাষ্ট্র হিসেবে কতটি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান করে।
উত্তর : নতুন রাষ্ট্র হিসেবে ১৪০টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান করে।
প্রশ্ন \ ১১ \ বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ন করা হয় কত সালে?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ন করা হয় ১৯৭২ সালে।
প্রশ্ন \ ১২ \ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় কত সালে?
উত্তর : নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০০৮ সালে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ কোন সংস্থা নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করে?
উত্তর : নির্বাচন কমিশন নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ কে নির্বাচন কমিশনের সভাপতি হিসেবে কাজ করেন?
উত্তর : প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন কমিশনের সভাপতি হিসেবে কাজ করেন।
প্রশ্ন \ ১৫ \ নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ কত বছর?
উত্তর : নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ৫ বছর।
প্রশ্ন \ ১৬ \ মনোনয়নপত্র বাছাই করার দায়িত্ব কার?
উত্তর : মনোনয়নপত্র বাছাই করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।
প্রশ্ন \ ১৭ \ নির্বাচনি অপরাধের জন্য কমপক্ষে কত বছর সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে?
উত্তর : নির্বাচনি অপরাধের জন্য কমপক্ষে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে।
প্রশ্ন \ ১৮ \ বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য সরকারব্যবস্থা কোনটি?
উত্তর : বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য সরকারব্যবস্থা হলো গণতন্ত্র।
প্রশ্ন \ ১৯ \ গণতন্ত্র কাকে বলে?
উত্তর : যে শাসনব্যবস্থায় শাসন ক্ষমতা মুষ্টিমেয় লোকের হাতে না থেকে রাষ্ট্রের সব জনসাধারণের ওপর ন্যস্ত থাকে এবং জনগণই তাদের সরকারকে গঠন করে তাকে গণতন্ত্র বলে।
প্রশ্ন \ ২০ \ বাংলাদেশে কী ধরনের সরকারব্যবস্থা বিদ্যমান?
উত্তর : বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা বিদ্যমান।
প্রশ্ন \ ২১ \ আব্রাহাম লিংকন প্রদত্ত গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটি লেখ।
উত্তর : আব্রাহাম লিংকনের মতে, ‘গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের, জনগণের জন্য ‘জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকারব্যবস্থা’।
প্রশ্ন \ ২২ \ বর্তমানে সরকার পরিচালনায় সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা হিসেবে কোনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
উত্তর : বর্তমানে সরকার পরিচালনায় সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রশ্ন \ ২৩ \ প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র কাকে বলে?
উত্তর : যে শাসনব্যবস্থায় নাগরিকগণ প্রত্যক্ষ বা সরাসরিভাবে শাসনকার্য পরিচালনায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় তাকে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলে।
প্রশ্ন \ ২৪ \ পরোক্ষ গণতন্ত্রে কারা আইন প্রণয়নসহ শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন?
উত্তর : পরোক্ষ গণতন্ত্রে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আইন প্রণয়নসহ শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন।
প্রশ্ন \ ২৫ \ আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কোন ধরনের গণতন্ত্র প্রচলিত রয়েছে?
উত্তর : আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র প্রচলিত রয়েছে।
প্রশ্ন \ ২৬ \ দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা কোনটি?
উত্তর : গণতন্ত্র হলো দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা।
প্রশ্ন \ ২৭ \ কোন শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়?
উত্তর : গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
প্রশ্ন \ ২৮ \ সংসদীয় ব্যবস্থায় বিকল্প সরকার কোনটি?
উত্তর : সংসদীয় ব্যবস্থায় বিকল্প সরকার হলো বিরোধী দল।
প্রশ্ন \ ২৯ \ কোনটি ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চিন্তা করা যায় না?
উত্তর : নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চিন্তা করা যায় না।
প্রশ্ন \ ৩০ \ কোনটির মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রয়োগ ঘটে?
উত্তর : নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রয়োগ ঘটে।
প্রশ্ন \ ৩১ \ রাজনৈতিক দলের অন্যতম কাজ কী?
উত্তর : রাজনৈতিক দলের অন্যতম কাজ হচ্ছে নির্বাচনে জয়লাভের পর সরকার গঠন করা।
প্রশ্ন \ ৩২ \ কত সালে পাকিস্তানে পার্লামেন্টারি শাসনব্যবস্থা গৃহীত হয়?
উত্তর : ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানে পার্লামেন্টারি শাসনব্যবস্থা গৃহীত হয়।
প্রশ্ন \ ৩৩ \ জেনারেল আইয়ুব খান কত সালে পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি করেন?
উত্তর : জেনারেল আইয়ুব খান ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি করেন।
প্রশ্ন \ ৩৪ \ স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক দল বিচারে বাংলাদেশে কয়টি রাজনৈতিক প্রশাসন এসেছে?
উত্তর : স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক দল বিচারে বাংলাদেশে তিনটি রাজনৈতিক প্রশাসন এসেছে।
প্রশ্ন \ ৩৫ \ স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের কোন দল প্রথম সরকার গঠন করে?
উত্তর : স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রথম সরকার গঠন করে।
প্রশ্ন \ ৩৬ \ নতুন সংবিধান অনুসারে কবে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর : নতুন সংবিধান অনুসারে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ৩৭ \ ৭৫-পরবর্তী কত বছর দেশ সেনা শাসনের অধীনে ছিল?
উত্তর : ’৭৫ পরবর্তী ১৫ বছর দেশ সেনা শাসনের অধীনে ছিল।
প্রশ্ন \ ৩৮ \ ১৯৯১ সালের নির্বাচনে কোন দল জয়লাভ করে সরকার গঠন করে?
উত্তর : ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জয়লাভ করে সরকার গঠন করে।
প্রশ্ন \ ৩৯ \ সংবিধানের কততম সংশোধনীর মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তিত হয়?
উত্তর : সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তিত হয়।
প্রশ্ন \ ৪০ \ কখন বাংলাদেশে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তিত হয়?
উত্তর : ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট বাংলাদেশে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তিত হয়।
প্রশ্ন \ ৪১ \ ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে?
উত্তর : ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে।
প্রশ্ন \ ৪২ \ কখন নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়?
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ নির্বাচনি আচরণ লঙ্ঘনের দণ্ড সম্পর্কে লেখ।
উত্তর : যে কোনো নির্বাচনি আচরণ লঙ্ঘন করলে জরিমানাসহ ক্ষেত্র বিশেষে সর্বোচ্চ ১০ বছর এবং কমপক্ষে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে। এসব নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধের জন্য উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করা যাবে।
প্রশ্ন \ ২ \ রাজনৈতিক দলের দুটি উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : রাজনৈতিক দলের কতগুলো উদ্দেশ্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে দুটি উদ্দেশ্য হলো :
১. রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে আদর্শগতভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কর্মসূচি ও নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করা।
২. রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কিছু নীতি ও পরিকল্পনা জনগণের নিকট পেশ করে জনসমর্থন সৃষ্টি করা।
প্রশ্ন \ ৩ \ জনসমর্থন সৃষ্টি রাজনৈতিক দলের অন্যতম কাজÑ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জনসমর্থন সৃষ্টি রাজনৈতিক দলের অন্যতম কাজ। দলের নীতি ও পরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণকে জানানোর জন্য রাজনৈতিক দল সভা-সমিতি, টকশো এবং পত্রপত্রিকায় মতামত ব্যক্ত করার মাধ্যমে তাদের নীতি ও কর্মসূচি প্রচার করে এবং জনসমর্থন সৃষ্টি করে। এটি প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই অন্যতম কাজ।
প্রশ্ন \ ৪ \ গণতন্ত্রের ভালো দিকগুলো সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : গণতন্ত্রে আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এই ব্যবস্থায় জনগণের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা স্বীকৃত। ফলে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার সৃষ্টি হয়। এ ব্যবস্থায় ব্যক্তি তার আত্মবিকাশের সর্বাধিক সুবিধা ভোগ করে। গণতন্ত্র হচ্ছে কল্যাণমুখী সরকার। এর মূল উদ্দেশ্যই হলো জনকল্যাণ সাধন।
প্রশ্ন \ ৫ \ বর্তমানে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র চর্চার উপায় নেই- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যে শাসনব্যবস্থায় নাগরিকগণ প্রত্যক্ষ বা সরাসরিভাবে শাসনকাজ পরিচালনায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় তাকে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলে। বর্তমানে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র চর্চার উপায় নেই। কারণ আধুনিক রাষ্ট্রের আয়তন বিশাল। তাই রাষ্ট্রের সকল নাগরিক আইন প্রণয়ন, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ, কর ধার্য, বিচার কাজ পরিচালনাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারে না।
প্রশ্ন \ ৬ \ রাজনৈতিক দল সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : রাজনৈতিক দল এমন একটি সংগঠন যার সদস্যগণ রাষ্ট্রের সমস্যা সম্পর্কে ঐকমত্য পোষণ করে এবং নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট হয়। আধুনিক রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থায় রাজনৈতিক দল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। রাজনৈতিক দলকে কেন্দ্র করেই জনমত গঠন, দলীয় আদর্শের প্রচার, সমর্থকগোষ্ঠী এবং রাজনৈতিক সচেতন নাগরিক সমাজ গড়ে ওঠে।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ পরোক্ষ নির্বাচন
মিতুলদের ক্লাবে অধিকাংশ সদস্যই সাধারণ সম্পাদক হতে চায়। কেউ কাউকে ছাড় দিতে না চাওয়ায় অবশেষে সবাই মিলে কয়েকজনকে ক্ষমতা অর্পণ করে একজন সম্পাদক বাছাই করার জন্য। উক্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ পরবর্তীতে তাদের ক্লাবের একজন সাধারণ সম্পাদক বাছাই করে। নতুন সম্পাদক সবার আস্থা অর্জনের জন্য চেষ্টা করলেও পরবর্তীতে তার দূরদর্শিতার অভাব এবং তার কাছের কিছু ব্যক্তির স্বার্থ রক্ষার জন্য তিনি বিতর্কিত হয়ে পড়েন এবং সম্পাদক বাছাই প্রক্রিয়াটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
ক. রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ম্যাকাইভার প্রদত্ত রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞাটি লিখ।
খ. নির্বাচন কমিশন কী?
গ. মিতুলদের ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাছাইয়ের প্রক্রিয়াটি তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘বাছাই প্রক্রিয়ার দুর্বলতা নিরসন করতে পারলেই সম্পাদক বাছাই প্রক্রিয়াটি সর্বোত্তম হবে’Ñ মূল্যায়ন কর।
ক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ম্যাকাইভার প্রদত্ত রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞাটি হলোÑ ‘যারা কতকগুলো সুনির্দিষ্ট নীতির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং সাংবিধানিক উপায়ে সরকার গঠন করতে চেষ্টা করে, সেই জনসমষ্টিকে রাজনৈতিক দল বলা হয়’।
খ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে যে সংস্থা তা হলো নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কয়েকজন নির্বাচন কমিশনার নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগদান করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কমিশনের সভাপতি হিসেবে কাজ করেন। কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর।
গ মিতুলদের ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাছাইয়ের প্রক্রিয়াটি হচ্ছে পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতি। পরোক্ষ নির্বাচন বলতে সাধারণত ঐ নির্বাচন পদ্ধতিকে বোঝায় যেখানে ভোটারগণ ভোট দিয়ে সরাসরি প্রতিনিধি নির্বাচন করে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচনী সংস্থা তৈরি করে, যা ইলেক্ট্ররাল কলেজ বা নির্বাচকমণ্ডলী নামে পরিচিত। আর সেই নির্বাচনি সংস্থা চ‚ড়ান্তভাবে প্রতিনিধি নির্বাচন করে। যেমন : আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি এ পদ্ধতিতে নির্বাচিত হন।উদ্দীপকে দেখা যায়, মিতুলদের ক্লাবে অধিকাংশ সদস্যই সাধারণ সম্পাদক হতে চায়। এক্ষেত্রে কেউ কাউকে ছাড় দিতে না চাওয়ায় অবশেষে সবাই মিলে কয়েকজনকে ক্ষমতা অর্পণ করে একজন সাধারণ সম্পাদক বাছাই করার জন্য। উক্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ পরবর্তীতে তাদের ক্লাবের একজন সাধারণ সম্পাদক বাছাই করে। এভাবে মিতুলদের ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে নির্বাচিত হন।
ঘ বাছাই প্রক্রিয়ার দুর্বলতা অনেক সময় বাছাই প্রক্রিয়াকে ব্যর্থ করে দেয়। যেটি উদ্দীপকে বর্ণিত মিতুলদের ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাছাইয়ের প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও দেখা যায়। এজন্য কোনো রাষ্ট্রের যেকোনো নির্বাচনে বাছাই প্রক্রিয়ার দুর্বলতা নিরসনে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। এক্ষেত্রে নিম্নলিখিত উপায় অবলম্বন করা উচিতÑ
১. ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্র প্রদান করতে হবে।
২. নিরপেক্ষভাবে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে হবে।
৩. পরমতসহিষ্ণুতার নীতির প্রসার ঘটাতে হবে।
৪. স্বাধীন বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে হবে।
৫. নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে।
৬. সৎ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গড়ে তুলতে হবে।
৭. জনগণকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে।
৮. জনগণকে রাজনীতি সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে।
৯. সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল গড়ে তুলতে হবে।
১০. গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য গড়ে তুলতে হবে।
এভাবে উপরের পদক্ষেপ গ্রহণপূর্বক বাছাই প্রক্রিয়ার দুর্বলতা নিরসন করতে পারলেই বাছাই প্রক্রিয়া সর্বোত্তম হবে। উদ্দীপকের সম্পাদক বাছাই যদিও রাষ্ট্রের কোনো পর্যায়ের নির্বাচন নয়, তথাপি সেখানেও প্রযোজ্য পদক্ষেপ গ্রহণপূর্বক বাছাই প্রক্রিয়ায় দুর্বলতা নিরসন করতে পারলে সম্পাদক বাছাই প্রক্রিয়াটি সর্বোত্তম হবে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ গণতন্ত্রের ধারণা তুমি কীভাবে সংজ্ঞায়িত করবে?
উত্তর : সাধারণ অর্থে, গণতন্ত্র হচ্ছে মূলত সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বার্থে গঠিত ও পরিচালিত সরকার। এর অর্থ এই নয় যে, গণতন্ত্র সংখ্যালঘুর মতামত ও স্বার্থকে উপেক্ষা করবে, বরং গণতন্ত্রে আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। সুতরাং গণতন্ত্র বিশ শতকের একটি জনপ্রিয় ধারণা, যা বর্তমানে সরকার পরিচালনায় সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রশ্ন \ ২ \ নির্বাচনি আচরণবিধি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের সঠিক আচরণের জন্য নির্বাচন কমিশন যে আচরণবিধি প্রণয়ন করেছে তাই নির্বাচনি আচরণবিধি। নির্বাচনি আচরণবিধি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্যতম পূর্বশর্ত।
প্রশ্ন \ ৩ \ প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : গণতন্ত্র সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে কার্যকর হয়। তার মধ্যে প্রত্যক্ষ বা বিশুদ্ধ গণতন্ত্র একটি। যে শাসন ব্যবস্থায় নাগরিকগণ প্রত্যক্ষ বা সরাসরিভাবে শাসনকার্য পরিচালনায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় তাকে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলা হয়। প্রাচীন গ্রিসের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগর রাষ্ট্রগুলোতে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ রাজনৈতিক দল বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : রাজনৈতিক দল বলতে একটি সংগঠিত নাগরিক সমষ্টিকে বোঝায়, যারা দলীয় আদর্শ প্রচারের মাধ্যমে জনমত গঠনের মধ্য দিয়ে বৈধ উপায়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে। রাজনৈতিক দল সাধারণত একক কিংবা একদল বিশিষ্ট বা সৃজনশীল নেতৃত্বের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে।সুতরাং এ দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, রাজনৈতিক নেতৃবর্গের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যাকে চিহ্নিত করে সেই সমস্যাগুলো সমাধানে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থায় জনমত গঠন এবং বৈধ উপায়ে সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে নিয়োজিত সংঘবদ্ধ একটি জনসমষ্টি হলো রাজনৈতিক দল। জাতীয় স্বার্থের সংরক্ষণ এবং উন্নতির পাশাপাশি সাংগঠনিক দৃঢ়তা এবং দলীয় সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণে রাজনৈতিক দল তৎপরতা প্রদর্শন করে।
প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন প্রক্রিয়া বর্ণনা কর।
উত্তর : বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংসদ নির্বাচনের সুবিধার জন্য সমগ্র বাংলাদেশকে ৩০০টি নির্বাচনি এলাকায় বিভক্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন এবং একই সাথে ‘নির্বাচনি তফসিল’ ঘোষণা করেন। নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে প্রার্থীরা প্রাথমিকভাবে মনোনীত হন। প্রধানত রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন নিয়েই প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতার সুযোগ পান। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পরই নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয় অর্থাৎ নির্বাচন অনুষ্ঠান সংক্রান্ত কাজকর্ম শুরু হয়। এই কাজের তালিকার মধ্যে আছে ভোটার তালিকা প্রণয়ন, নির্বাচনি এলাকা নির্ধারণ, রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ, মনোনয়নপত্র বিতরণ, মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাছাই। প্রার্থীদের প্রতীক বণ্টন, ব্যালট পেপার ছাপানো, বিতরণ করা, ভোটগ্রহণ, ভোট শেষে ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণা অর্থাৎ নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ। নির্বাচন কমিশনের তত্ত¡াবধানে এবং নিয়ন্ত্রণে এসব কাজ সম্পাদিত হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ কী আচরণ করলে নির্বাচনি আচরণ লঙ্ঘন হয়? আলোচনা কর।
উত্তর : যেসব আচরণ করলে নির্বাচনি আচরণ লঙ্ঘন করা হয় তা নিচে আলোচনা করা হলো :
১. নির্বাচনে অসঙ্গত প্রভাব খাটানো, জোরজবরদস্তি করে ভোট আদায় করা বা ভোট দানে বাধা সৃষ্টি করা।
২. জালভোট দেওয়া বা ছদ্মনামে ভোট দেওয়া।
৩. ঘুষ গ্রহণ করা।
৪. নির্ধারিত নির্বাচনি ব্যয়ের বিধান লঙ্ঘন করা।
৫. ভোট কেন্দ্রের কোনো ভোটারকে ভোট না দিয়ে যেতে বাধ্য করা।
৬. কোনো প্রার্থীকে সমর্থন বা বিরোধিতার জন্য যানবাহন দিয়ে সাহায্য করা।
৭. জাতি, ধর্ম, বর্ণ ইত্যাদি কারণে কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে ভোটদান সম্পর্কে বলা।
৮. প্রার্থী বা তার আত্মীয়স্বজনের চরিত্র সম্পর্কে মিথ্যা বলা।
৯. কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার সম্পর্কে মিথ্যা বলা
গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. গণতন্ত্রের মৌলিক বিষয় কী?
ক জনগণ খ ভোটার নির্বাচন ঘ রাজনৈতিক দল
২. মি. ঢ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা কাজে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন সদস্য। তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে চাইলে কার নিকট পদত্যাগপত্র জমা দেবেন?
রাষ্ট্রপতি খ প্রধানমন্ত্রী
গ স্পিকার ঘ প্রধান নির্বাচন কমিশনার
৩. গণতন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য কোনটি?
ক বিচার বিভাগের স্বাধীনতা জনকল্যাণ সাধন
গ জনসচেতনতা সৃষ্টি ঘ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন
৪. গণতন্ত্র কোন শতকের একটি জনপ্রিয় ধারণা?
ক সপ্তদশ শতকের খ অষ্টাদশ শতকের
গ ঊনিশ শতকের বিশ শতকের
৫. “গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের, জনগণের জন্য ও জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা” উক্তিটি কার?
ক অধ্যাপক গেটেল খ এরিস্টটল
আব্রাহাম লিংকন ঘ মর্গেম থাও
৬. বিরোধীদল কীভাবে সংসদকে কার্যকর করে?
ক সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত থেকে খ মিছিল-মিটিং করে
সংসদে বিতর্ক সৃষ্টি করে ঘ নিজেদের সমালোচনা করে
৭. রাষ্ট্রের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কর্মসূচি ও নীতিমালা প্রণয়ন করে কে?
ক প্রধানমন্ত্রী খ রাষ্ট্রপতি
রাজনৈতিক দল ঘ সংসদ সদস্য
৮. সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় কত তারিখে?
১৯৯৬ সালের ১২ জুন খ ১৯৯৩ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি
গ ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট ঘ ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি
৯. রহিমপুর ও নাজিরপুর পাশাপাশি দুটি ইউনিয়ন। এদের মধ্যে সীমানা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। এই সমস্যা সমাধান করার দায়িত্ব কার?
নির্বাচন কমিশনের খ ইলেকট্ররাল কমিটির
গ রাজনৈতিক দলগুলোর ঘ নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের
১০. গণতন্ত্র প্রধানত কয়টি পদ্ধতিতে কার্যকর?
ক ১ ২ গ ৩ ঘ ৫
১১. নির্বাচনি অপরাধের দণ্ড কীরূপ?
ক সর্বোচ্চ ১০ বছর ও সর্বনিম্ন ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড
খ শুধুমাত্র জরিমানা
জরিমানাসহ সর্বোচ্চ ১০ বছর ও সর্বনিম্ন ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড
ঘ সর্বোচ্চ ১০ বছর ও সর্বনিম্ন ১ বছর কারাদণ্ড
১২. কোনটি রাজনৈতিক দলের কাজ?
গঠনমূলক বিরোধিতা খ আইনের প্রয়োগ
গ আইনের ব্যাখ্যা ঘ সংবিধান রচনা করা
১৩. গণতন্ত্রে সকল ক্ষমতার উৎস কে?
ক সরকার খ রাষ্ট্রপতি গ প্রধানমন্ত্রী জনগণ
১৪. রাজনৈতিক দলের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছেÑ
ক বৈধভাবে রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করা
বৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের শাসনভার গ্রহণ করা
গ সরকারের সংগে জোটভুক্ত হওয়া
ঘ যে কোনোভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া
১৫. ব্রিটেনের আইন সভার নাম হলোÑ
ক কংগ্রেস পার্লামেন্ট গ মজলিশ ঘ কেবিনেট
১৬. নিচের কোনটি নির্বাচনের কাজ?
জনপ্রতিনিধি বাছাই খ সরকারি কর্মচারী বাছাই
গ রাজনৈতিক দল গঠন ঘ রাজনৈতিক দলের সদস্য বাছাই
১৭. গণতন্ত্র সর্বপ্রথম প্রচলিত হয়
ক যুক্তরাজ্যে খ আমেরিকায় গ্রিসে ঘ প্যারিসে
১৮. নির্বাচন কমিশনের কমিশনারগণ কার নিকট স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র পেশ করতে পারেন?
ক প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাষ্ট্রপতি
গ প্রধানমন্ত্রী ঘ স্পিকার
১৯. নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ কত বছর?
ক দুই খ তিন গ চার পাঁচ
২০. ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মিঃ সেন্টু তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর প্রতীক সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে এবং তার কর্মীরা ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে। মিঃ সেন্টুর আচরণ কী ধরনের অপরাধ?
ক মালপত্র চুরির অপরাধ নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন
গ ফৌজদারি অপরাধ ঘ দুর্নীতিমূলক অপরাধ
২১. গণতন্ত্র সাধারণত কয় পদ্ধতিতে কার্যকর হয়?
২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
২২. গণতন্ত্র সর্বপ্রথম প্রচলিত হয় কোথায়?
এথেন্সে খ যুক্তরাষ্ট্রে গ ফ্রান্সে ঘ ইংল্যান্ডে
২৩. ‘আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসন কার্যত রাজনৈতিক দলের শাসন’সংজ্ঞাটি কে দিয়েছেন?
ক ম্যাকাইভার খ গ্রাহাম সামনার
গ অধ্যাপক গেটেল অধ্যাপক ফাইনার
২৪. নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত অপরাধের জন্য জরিমানাসহ ক্ষেত্রবিশেষে সর্বোচ্চ কত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে?
ক ৫ খ ৮ ১০ ঘ ১২
২৫. কোন সরকারব্যবস্থা জনমতের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়?
ক একনায়কতন্ত্র গণতন্ত্র
গ রাজতন্ত্র ঘ অভিজাততন্ত্র
২৬. নির্বাচনি আচরণ লঙ্ঘন করার জন্য জরিমানাসহ কমপক্ষে কত বছর কারাদণ্ড হতে পারে?
ক ১ ২ গ ৪ ঘ ৫
২৭. আব্রাহাম লিংকন কোন দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন?
আমেরিকার খ ইউরোপের গ রাশিয়ার ঘ কানাডার
২৮. গণতন্ত্র সর্বপ্রথম প্রচলিত হয় কোন দেশে?
গ্রিসে খ ইউরোপে গ আমেরিকায় ঘ ফ্রান্সে
২৯. গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় কোনটি রক্ষিত হয়?
ক ব্যক্তিস্বাধীনতা খ বাকস্বাধীনতা
গ অযোগ্যের শাসন ব্যক্তিস্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা
৩০. কারা গণতন্ত্রকে মূর্খের ও অযোগ্যের শাসনব্যবস্থা বলে অভিহিত করেছেন?
প্লেটো ও এরিস্টটল খ প্লেটো ও কার্লমার্কস
গ এরিস্টটল ও কার্লমার্কস ঘ ম্যাকাইভার ও কার্লমার্কস
৩১. সংবিধানে কততম সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে সংসদীয় সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়?
ক একাদশ দ্বাদশ গ ত্রয়োদশ ঘ পঞ্চদশ
৩২. ২০০১ সালে কততম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়?
ক ৬ষ্ঠ খ ৭ম ৮ম ঘ ৯ম
৩৩. রাজনৈতিক দলের অন্যতম কাজ কোনটি?
সরকার গঠন খ প্রার্থী মনোনয়ন
গ দলীয় প্রচার কাজ ঘ কর্মসূচি বাস্তবায়ন
৩৪. বিরোধী দল কাদের সামনে সরকারের পাশাপাশি বিকল্প কর্মসূচি তুলে ধরে?
ক সমাজের জনগণের গ রাষ্ট্রের ঘ পরিবারের
৩৫. গণতন্ত্রের মৌলিক বিষয় কোনটি?
নির্বাচন খ প্রতিনিধি গ গণসচেতনতা ঘ জনবল
৩৬. প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করা হয় কোন শাসনব্যবস্থায়?
ক প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রে খ স্বৈরতন্ত্রে
গ রাজতন্ত্রে পরোক্ষ গণতন্ত্রে
৩৭. ‘ইলেক্ট্ররাল কলেজ’ অর্থ কী?
ক শাসক খ প্রতিনিধি গ সরকার নির্বাচকমণ্ডলী
৩৮. আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কোন ধরনের নির্বাচন?
ক প্রত্যক্ষ খ সরাসরি পরোক্ষ ঘ উত্তম
৩৯. জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশকে কয়টি নির্বাচনি এলাকায় বিভক্ত করা হয়?
৩০০ খ ৩৩০ গ ৩৪৫ ঘ ৩৫০
৪০. বাংলাদেশের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব কোন সংস্থার ওপর ন্যস্ত?
ক জাতীয় সংসদের খ সচিবালয়ের
নির্বাচন কমিশনের ঘ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের
৪১. নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণের দায়িত্ব কোন প্রতিষ্ঠানের?
ক প্রতিরক্ষা বিভাগ নির্বাচন কমিশন
গ ভ‚মি মন্ত্রণালয় ঘ ভ‚মি জরিপ বিভাগ
৪২. কত সালের আদেশ অনুযায়ী নির্বাচনি অপরাধ ও তার দণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে?
ক ১৯৭০ খ ১৯৭১ ১৯৭২ ঘ ১৯৭৩
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৩. গণতন্ত্রকে মুখের ও অযোগ্যের শাসনব্যবস্থা বলে অভিহিত করেছেন-
র. ম্যাকাইভার
রর. প্লেটো
ররর. এরিস্টটল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৪. গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় কেন বিরোধী দলের প্রয়োজন রয়েছে?
র. সংসদকে কার্যকর করার জন্য
রর. সুনির্দিষ্ট কর্মসূচিগ্রহণের জন্য
ররর. বিকল্প কর্মসূচি তুলে ধরার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর ও ররর র ও ররর ঘ রর ও ররর
৪৫. নির্বাচন কমিশন
র. প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কয়েকজন নির্বাচন কমিশনার নিয়ে গঠিত
রর. নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সকল নির্বাচন পরিচালনা করে
ররর. ৫ বছর মেয়াদি একটি প্রতিষ্ঠান
নিচের কোনটি সঠিক?
র, রর ও ররর খ র ও রর গ রর ও ররর ঘ র ও ররর
৪৬. রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্দেশ্য হলোÑ
র. জনপ্রতিনিধি নির্বাচন
রর. পেশিশক্তি প্রদর্শন
ররর. সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৭. গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী নির্বাচনি অপরাধ
র. ঘুষ গ্রহণ করা
রর. সময়মত ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত না থাকা
ররর. জাল ভোট দেয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮. বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র জনপ্রিয় হওয়ার যথার্থ কারণ হলো-
র. দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা
রর. জনগণের সার্বভৌমত্ব
ররর. স্বৈরাচারী পন্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৯. গণতন্ত্র বলতে বোঝায়Ñ
র. জনগণের শাসন
রর. প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার
ররর. কল্যাণমূলক শাসনব্যবস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫০. গণতান্ত্রিক সরকারের গ্রহণযোগ্যতার কারণ হলো-
র. সরকারের কাজের জবাবদিহিতার জন্য
রর. স্বৈরাচারী ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য
ররর. ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার স্বীকৃতির জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫১. গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের স্বীকৃত বিষয়গুলো হলো-
র. আইন প্রণয়ন
রর. ব্যক্তিস্বাধীনতা
ররর. বাক স্বাধীনতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫২. নির্বাচন অনুষ্ঠান সংক্রান্ত কাজ হলো
র. ভোটার তালিকা প্রণয়ন রর. নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা
ররর. মনোনয়ন পত্র বিতরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৫৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৫৩. উদ্দীপকের খালি অংশটির সাথে সম্পর্কযুক্ত
র. নির্বাচন কর্মকর্তা রর. দলীয় এজেন্ট
ররর. নিরাপত্তা কর্মী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ ররর ঘ র ও ররর
অতিরিক্ত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ভ‚মিকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৪. বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য সরকার ব্যবস্থা (জ্ঞান)
গণতন্ত্র খ রাজতন্ত্র গ সমাজতন্ত্র ঘ একনায়কতন্ত্র
৫৫. বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে কোন ধরনের শাসন ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে? (জ্ঞান)
ক সমাজতন্ত্র খ একনায়কতন্ত্র গ রাজতন্ত্র গণতন্ত্র
৫৬. গণতন্ত্রে সরকার গঠন করে কে? (জ্ঞান)
ক প্রধান বিচারপতি খ নির্বাচিত প্রার্থী
গ তত্ত¡াবধায়ক সরকার জনগণ
৫৭. রাশিদা গণতান্ত্রিক দেশে বাস করে। নিচের কোনটির সাথে তার দেশের সাদৃশ্য আছে? (প্রয়োগ)
বাংলাদেশ খ চীন গ উত্তর কোরিয়া ঘ কিউবা
৫৮. বাংলাদেশ সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কী গঠন করেছে? (জ্ঞান)
ক বিচার বিভাগ খ আইন বিভাগ
নির্বাচন কমিশন ঘ শাসন বিভাগ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৯. গণতন্ত্র হলো এমন এক রাজনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে-
র. মেয়াদ শেষ ও সরকার পরিবর্তনের রীতি রয়েছে
রর. সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা রয়েছে
ররর. প্রাপ্তবয়স্কদের সার্বজনীন ভোটাধিকার রয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
ন্ধ গণতন্ত্রের ধারণা
¡ গণতন্ত্র হচ্ছে- সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বার্থে গঠিত ও পরিচালিত সরকার।
¡ ‘গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের, জনগণের জন্য ও জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা’- আব্রাহাম লিংকন।
¡ আব্রাহাম লিংকন ছিলেন- আমেরিকার বিখ্যাত প্রেসিডেন্ট।
¡ বিশ শতকের একটি জনপ্রিয় ধারণা হলো- গণতন্ত্র।
¡ সরকার ব্যবস্থা হিসেবে একটি ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার ফল- গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা।
¡ গণতন্ত্র সর্বপ্রথম প্রচলিত হয়- প্রাচীন গ্রিসের এথেন্সে।
¡ গণতন্ত্র সাধারণত কার্যকর হয়- দুটি পদ্ধতিতে।
¡ নাগরিকগণের সরাসরি রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণ করাই হলো- প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র।
¡ অষ্টাদশ শতকের গণতান্ত্রিক ভাবধারার উৎসমূল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়- ইংল্যান্ডকে।
¡ গণতান্ত্রিক সভ্যতায় পরিণত হয়েছে- আধুনিক সভ্যতা।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬০. ‘গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের, জনগণের জন্য ও জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকারব্যবস্থা’ Ñ উক্তিটি কার? (জ্ঞান)
ক ট্রুম্যানের খ রুজভেল্টের
আব্রাহাম লিংকনের ঘ চার্চিলের
৬১. আব্রাহাম লিংকনের মতে, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার কাদের জন্য? (জ্ঞান)
ক আমলা জনগণ গ বিচারক ঘ শিক্ষক
৬২. যে শাসনব্যবস্থায় জনগণ সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগে অংশ নেয়ার অধিকারী তাই গণতন্ত্র।” উক্তিটি কার? (জ্ঞান)
গেটেলের খ রুশোর
গ ভল্টেয়ারের ঘ আব্রাহাম লিংকনের
৬৩. জনগণই তাদের সরকার গঠন করে। এই কথাটির তাৎপর্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জনগণের কল্যাণ বৃদ্ধি
জনগণ ভোট দিয়ে সরকার গঠন করে
গ জনগণের স্বাধীনতা সংরক্ষণ
ঘ জনগণ শাসন কাজ পরিচালনা করে
৬৪. আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান। কথাটি দ্বারা কী প্রমাণ করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সমাজতন্ত্র গণতন্ত্র গ প্রজাতন্ত্র ঘ রাজতন্ত্র
৬৫. কোন শাসন ব্যবস্থায় আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান? (জ্ঞান)
ক রাজতান্ত্রিক খ একনায়কতান্ত্রিক
গ সমাজতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক
৬৬. গণতন্ত্র কোন সময়ের একটি জনপ্রিয় ধারণা ? (জ্ঞান)
বিশ শতক খ উনিশ শতক
গ অষ্টাদশ শতক ঘ ষোড়শ শতক
৬৭. জনাব মুহিম সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক। তিনি শ্রেণিকক্ষে বললেন যে, ‘অ’ নামক শাসনব্যবস্থা বিংশ শতকের একটি জনপ্রিয় ধারণা। জনাব মুহিম কোন শাসনব্যবস্থার কথা বললেন? (প্রয়োগ)
ক রাজতন্ত্র খ ধনতন্ত্র
গ সমাজতন্ত্র গণতন্ত্র
৬৮. অধ্যয়নযোগ্য বিষয়াবলির মধ্যে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ? (জ্ঞান)
ক রাজতন্ত্র খ ধনতন্ত্র গণতন্ত্র ঘ সমাজতান্ত্র
৬৯. সরকার ব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কোন প্রক্রিয়ার ফল? (অনুধাবন)
ক দৈবিক খ সামাজিক চুক্তি
ঐতিহাসিক ঘ স্বাভাবিক
৭০. মধ্যযুগের পর পুনরায় গণতন্ত্রের পুনর্জন্ম ঘটে কোথায়? (জ্ঞান)
ক এশিয়ায় ইউরোপে গ আমেরিকায় ঘ আফ্রিকায়
৭১. সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীতে কোথায় গণতন্ত্রের পুনর্জন্ম ঘটে? (জ্ঞান)
ক এশিয়া খ আফ্রিকা ইউরোপ ঘ আমেরিকা
৭২. পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র ব্যবস্থার প্রচলন দেখা যায় কোন সময়ে? (জ্ঞান)
১৯ ও ২০ শতকে খ ১৮ ও ১৯ শতকে
গ ১৭ ও ১৮ শতকে ঘ ১৬ ও ১৭ শতকে
৭৩. অষ্টাদশ শতকের গণতান্ত্রিক ভাবধারার উৎসমূল হিসেবে ‘ক’ দেশকে চিহ্নিত করা হয়। ‘ক’ দেশের সাথে মিল রয়েছে নিচের কোন দেশের? (প্রয়োগ)
ক ভারত খ গ্রিস গ মিশর ইংল্যান্ড
৭৪. অষ্টাদশ শতকের গণতান্ত্রিক ভাবধারার উৎসমূল হিসেবে কোন দেশকে চিহ্নিত করা হয়? (জ্ঞান)
ক গ্রিস খ জাপান ইংল্যান্ড ঘ ভারত
৭৫. গণতন্ত্র সাধারণত কয়টি পদ্ধতিতে কার্যকর হয়? (জ্ঞান)
২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
৭৬. প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের অপর নাম কী? (জ্ঞান)
ক পরোক্ষ গণতন্ত্র খ প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র
বিশুদ্ধ গণতন্ত্র ঘ স্বৈরতন্ত্র
৭৭. পরোক্ষ গণতন্ত্রের অপর নাম কী? (জ্ঞান)
ক স্বৈরতন্ত্র প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র
গ বিশুদ্ধ গণতন্ত্র ঘ প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র
৭৮. গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সরকার কীভাবে নির্বাচিত হয়? (অনুধাবন)
ক আইনজীবীদের পরোক্ষ ভোটে খ রাজনীতিবিদদের ভোটে
জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ঘ জনগণের পরোক্ষ ভোটে
৭৯. যে শাসন ব্যবস্থায় নাগরিকগণ সরাসরি শাসনকার্য পরিচালনায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র খ পরোক্ষ গণতন্ত্র
গ প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র ঘ সামন্ততন্ত্র
৮০. প্রাচীন গ্রিসের কোথায় প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল? (জ্ঞান)
ক ক্ষুদ্র গ্রামগুলোতে খ বৃহৎ নগরগুলোতে
ক্ষুদ্র নগররাষ্ট্রগুলোতে ঘ বৃহৎ গ্রামগুলোতে
৮১. বিশাল আয়তন ও বিপুল জনসংখ্যা সমৃদ্ধ রাষ্ট্র কোন শাসনব্যবস্থার প্রতিবন্ধক? (জ্ঞান)
প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র খ পরোক্ষ গণতন্ত্র
গ প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র ঘ স্বৈরতন্ত্র
৮২. রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিস্তৃতির কারণে কোন ধরনের গণতন্ত্র প্রচলন প্রায় অসম্ভব? (অনুধাবন)
বিশুদ্ধ গণতন্ত্র খ পরোক্ষ গণতন্ত্র
গ প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র ঘ জনমতের গণতন্ত্র
৮৩. কোন দেশের কয়েকটি রাজ্যে এখনও প্রত্যেক্ষ গণতন্ত্র ব্যবস্থা চালু আছে? (জ্ঞান)
ক রাশিয়া সুইজারল্যান্ড
গ গ্রিস ঘ জার্মানি
৮৪. প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করার পদ্ধতিকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র পরোক্ষ গণতন্ত্র
গ বিশুদ্ধ গণতন্ত্র ঘ রাজতন্ত্র
৮৫. নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই আইন প্রণয়নসহ শাসনকার্য পরিচালনা করে কোন শাসন ব্যবস্থায়? (জ্ঞান)
ক প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রে খ স্বৈরতন্ত্রে
গ রাজতন্ত্রে পরোক্ষ গণতন্ত্রে
৮৬. বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য সরকার ব্যবস্থা কোনটি? (জ্ঞান)
ক রাজতন্ত্র খ একনায়কতন্ত্র গণতন্ত্র ঘ সমাজতন্ত্র
৮৭. আধুনিক রাষ্ট্রসমূহে কোন ধরনের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি প্রচলিত আছে? (জ্ঞান)
প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র খ রাজতন্ত্র
গ প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র ঘ স্বৈরতন্ত্র
৮৮. বাংলাদেশে কোন ধরনের সরকারব্যবস্থা প্রচলিত? (জ্ঞান)
গণতান্ত্রিক খ যুক্তরাষ্ট্রীয়
গ একনায়কতান্ত্রিক ঘ রাষ্ট্রপতি শাসিত
৮৯. একাধিক রাজনৈতিক দল থাকে কোন শাসনব্যবস্থায়? (জ্ঞান)
গণতান্ত্রিক খ সমাজতান্ত্রিক
গ স্বৈরতান্ত্রিক ঘ যুক্তরাষ্ট্রীয়
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯০. আধুনিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে
র. আয়তনে বিশাল
রর. আয়তনে ক্ষুদ্র
ররর. জনসংখ্যা বিপুল
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯১. মধ্যযুগে ইউরোপে অনেকটা সময় কেটে গেছে
র. ধর্ম ও রাজার দ্বৈত শাসনে
রর. স্বৈরতান্ত্রিক শাসনে
ররর. সামন্ততান্ত্রিক শাসনে
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৯২. প্রাচীন গ্রিসে রাষ্ট্রের সকল নাগরিক সরাসরি অংশগ্রহণ করত
র. আইন প্রণয়নে
রর. বিচারকার্য পরিচালনায়
ররর. রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে
নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯৩ ও ৯৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সরকারব্যবস্থা বিদ্যমান থাকলেও একটি সরকার ব্যবস্থা সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য। বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটি দেশেই এ সরকারব্যবস্থা ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
৯৩. অনুচ্ছেদে কোন সরকারব্যবস্থার কথা বরা হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক ধনতন্ত্র গণতন্ত্র গ সমাজতন্ত্র ঘ রাজতন্ত্র
৯৪. উক্ত সরকারব্যবস্থায়
র. জনগণের প্রাধান্য থাকে
রর. সার্বজনীন ভোটাধিকার থাকে
ররর. একটিমাত্র রাজনৈতিক দল থাকে
নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
গণতন্ত্রের দোষ গুণ
গণতন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত হয় আইনের অনুশাসন।
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা হলো জনমত দ্বারা পরিচালিত সরকার।
গণতন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ সাধন।
আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রচলিত রয়েছে পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র।
দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা হলো গণতন্ত্র।
গণতন্ত্রকে মূর্খের ও অযোগ্যের শাসনব্যবস্থা বলে অভিহিত করেছেন প্লেটো ও এরিস্টটল।
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা হলো জনমত দ্বারা পরিচালিত সরকার।
বেশ ব্যয়বহুল শাসনব্যবস্থা গণতন্ত্র।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৫. কোন শাসনব্যবস্থায় আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক সমাজতন্ত্রে খ একনায়কতন্ত্রে
গ রাজতন্ত্রে গণতন্ত্রে
৯৬. গণতন্ত্র কোন ধরনের শাসনব্যবস্থা? (জ্ঞান)
ক পরিকল্পনাহীন খ দায়িত্বহীন
দায়িত্বশীল ঘ স্বৈরাচারী
৯৭. গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার কার কাছে দায়িত্বশীল থাকে? (জ্ঞান)
জনগণ খ দেশের গ বিচার বিভাগ ঘ শাসন বিভাগ
৯৮. গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কীভাবে পরিচালিত হয়? (জ্ঞান)
ক আইনজীবীদের দ্বারা খ বিচার বিভাগ দ্বারা
জনমত দ্বারা ঘ আইন বিভাগ দ্বারা
৯৯. কোনটি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গণতন্ত্রে জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়? (জ্ঞান)
ক রাষ্ট্রীয় তহবিল সংগ্রহ রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণ
গ রাষ্ট্রীয় প্রচার কার্যক্রম ঘ রাষ্ট্রীয় সীমানা নির্ধারণ
১০০. কোন শাসনব্যবস্থায় জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়? (জ্ঞান)
ক রাজতান্ত্রিক খ প্রজাতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ঘ সমাজতান্ত্রিক
১০১. জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতার সৃষ্টি হয় কোন শাসনব্যবস্থায়? (জ্ঞান)
ক রাজতন্ত্র খ সমাজতন্ত্র গ স্বৈরতন্ত্র গণতন্ত্র
১০২. জনগণের আস্থা হারালে টিকে থাকে না কোন ধরনের সরকার? (জ্ঞান)
গণতান্ত্রিক খ সমাজতান্ত্রিক
গ রাজতান্ত্রিক ঘ স্বৈরতান্ত্রিক
১০৩. গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ব্যক্তি কোনটির ক্ষেত্রে সর্বাধিক সুবিধা ভোগ করে? (জ্ঞান)
আত্মবিকাশের ক্ষেত্রে খ আচরণের ক্ষেত্রে
গ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ঘ সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে
১০৪. গণতন্ত্র কোন ধরনের সরকার? (জ্ঞান)
জনকল্যাণমূলক খ দমনমূলক
গ স্বৈরাচারী ঘ সমাজতান্ত্রিক
১০৫. গণতন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য কী? (জ্ঞান)
ক বিরোধী শক্তি দমন জনকল্যাণ সাধন
গ সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ঘ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা
১০৬. গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে অজ্ঞ, অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিও শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার কারণ কী? (অনুধাবন)
ক নাগরিকের অসচেতনতা খ সংখ্যালঘিষ্ঠের শাসন
সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন ঘ নাগরিকের অজ্ঞতা
১০৭. মোজাম্মেল হোসেন একজন অযোগ্য, অদক্ষ, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি হওয়া সত্তে¡ও নির্বাচনের মাধ্যমে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। এই শাসনব্যবস্থা নিচের কোনটিকে নির্দেশ করে? (প্রয়োগ)
ক প্রজাতন্ত্র গণতন্ত্র গ রাজতন্ত্র ঘ সমাজতন্ত্র
১০৮. গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সংখ্যালঘুরা আইনসভায় তাদের প্রতিনিধি প্রেরণ করতে না পারার কারণ কী? (অনুধাবন)
সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন খ দুর্বল শাসনব্যবস্থা
গ সংখ্যালঘিষ্ঠের শাসন ঘ অযোগ্যদের শাসনব্যবস্থা
১০৯. সংখ্যালঘুদের অভাব-অভিযোগ সম্পর্কে সরকার উদাসীন থাকে কেন? (অনুধাবন)
ক পরস্পর বিরোধী মত ও ধারণা দেখা যায় বলে
খ সরকার অযোগ্য বলে
গ একনায়কতান্ত্রিক হওয়ার ফলে
আইনসভায় তাদের প্রতিনিধি প্রেরণ করতে পারে না বলে
১১০. গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় কিরূপ দেশে সরকারি দল নিজ দলের স্বার্থের প্রতি লক্ষ্য রেখে শাসনকাজ পরিচালনা করে? (জ্ঞান)
অনুন্নত খ উন্নত
গ উন্নয়নশীল ঘ মধ্য আয়ের
১১১. অনুন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে সরকারি দল নিজ দলের স্বার্থকে সামনে রেখে শাসনকার্য পরিচালনা করার ফলে কী হয়? (জ্ঞান)
ক সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষিত হয় খ সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়
গ ধর্মগুরুদের স্বার্থ রক্ষিত হয় নিরপেক্ষতা নষ্ট হয়
১১২. গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নিরপেক্ষতা নষ্ট হলে কী দেখা দেয়? (জ্ঞান)
ক নৈরাজ্য গণঅসন্তোষ
গ বিশৃঙ্খলা ঘ সামাজিক সমস্যা
১১৩. অর্থের দিক থেকে গণতন্ত্র কিরূপ শাসনব্যবস্থা? (জ্ঞান)
ক স্বল্প মিতব্যয়ী খ মিতব্যয়ী
বেশ ব্যয়বহুল ঘ স্বল্প ব্যয়বহুল
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৪. গণতন্ত্রের ভালো দিক হলো (অনুধাবন)
র. সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়
রর. আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়
ররর. এটি একটি দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১১৫. গণতন্ত্রে বহু পরস্পরবিরোধী মত ও ধারণা দেখা যায়। ফলে সৃষ্টি হয় (অনুধাবন)
র. জাতীয় অসংহতি
রর. মতপার্থক্য
ররর. সংঘর্ষ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১১৬. গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর ব্যাপক অর্থ ব্যয় হয়Ñ (অনুধাবন)
র. জনমত গঠনে
রর. ব্যাপক প্রচারকার্যে
ররর. ঘন ঘন নির্বাচনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১১৭. রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হলে- (অনুধাবন)
র. জাতি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে
রর. গণতন্ত্র অকার্যকর রূপ নেয়
ররর. দলগুলো বিলুপ্ত হতে থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৮. গণতান্ত্রিক সরকারের গ্রহণযোগ্যতার যথার্থ কারণ হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সরকারের কাজের জবাবদিহিতা
রর. স্বৈরাচারী পন্থায় নিয়ন্ত্রণ
ররর. ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার স্বীকৃতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১৯ ও ১২০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
দিহানের বসবাসরত দেশের সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়। উক্ত দেশের সরকার জাতীয় ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়ে জনগণের মতামত যাচাই করে।
১১৯. দিহানের বসবাসরত দেশে কিরূপ শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান? (প্রয়োগ)
ক সমাজতান্ত্রিক খ একনায়কতান্ত্রিক
গ ধনতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক
১২০. উক্ত শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তথ্যসমূহ হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আইনের শাসন বিঘিœত হয়
রর. ব্যক্তিস্বাধীনতা স্বীকৃত হয়
ররর. জনগণের স্বার্থ প্রাধান্য পায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
বাংলাদেশের গণতন্ত্র
পাকিস্তানে পার্লামেন্টারী শাসন ব্যবস্থা গৃহীত হয় ১৯৪৭ সালে।
পাকিস্তান গণপরিষদে দেশের সংবিধান প্রণয়ন করতে সময় লাগে ৯ বছর।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের এসেছে তিনটি রাজনৈতিক প্রশাসন।
’৭৫ পরবর্তী ১৫ বছর দেশ ছিল সেনা শাসনের অধীনে।
১৯৯১ সালের ৬ই আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তিত হয় দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে।
৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ স্থায়ী হয় ৪ দিন।
সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৯৬ সালের ১২ জুন।
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর।
ড. ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন সেনা সমর্থিত সরকার ক্ষমতাসীন থাকে ২ বছর।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২১. কোন শাসনের অবসানের পর পাকিস্তানে পার্লামেন্টারি শাসনব্যবস্থা গৃহীত হয়? (জ্ঞান)
ক মুঘল খ পাঠান ব্রিটিশ ঘ সুলতানি
১২২. দেশের সংবিধান প্রণয়ন করতে পাকিস্তান গণপরিষদের কত বছর সময় লেগেছিল? (জ্ঞান)
ক ৫ খ ৭ ৯ ঘ ১০
১২৩. তৎকালীন পাকিস্তানে পার্লামেন্টারি শাসনের নামে কারা দেশ শাসন করত? (অনুধাবন)
গভর্নর জেনারেল খ প্রধানমন্ত্রী
গ রাষ্ট্রপতি ঘ সামরিক প্রধান
১২৪. পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের কত বছরের মাথায় আইয়ুব খান সামরিক আইন জারি করেন? (জ্ঞান)
ক পাঁচ খ চার গ তিন আড়াই
১২৫. জেনারেল আইয়ুব খান কত সালে সামরিক শাসন জারি করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯৫৫ খ ১৯৫৭ ১৯৫৮ ঘ ১৯৬০
১২৬. কীভাবে পাকিস্তানের ভঙ্গুর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান ঘটে? (অনুধাবন)
১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে
খ ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে
গ ১৯৭০-এর জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে
ঘ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মাধ্যমে
১২৭. পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর জাতীয় পরিষদের একমাত্র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯৬০ খ ১৯৬৫ ১৯৭০ ঘ ১৯৭১
১২৮. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে কোন দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে? (জ্ঞান)
আওয়ামী লীগ খ মুসলিম লীগ
গ যুক্তফ্রন্ট ঘ নেজামে ইসলামী
১২৯. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কত মাস স্থায়ী হয়ে ছিল? (জ্ঞান)
ক ১২ খ ১০ ৯ ঘ ৬
১৩০. স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক দল বিচারে বাংলাদেশে কয়টি রাজনৈতিক দল প্রশাসনে এসেছে? (জ্ঞান)
ক ২ ৩ গ ৪ ঘ ৫
১৩১. পাকিস্তানি অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালি সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক এ. কে. ফজলুল হক খ মওলানা ভাসানী
শেখ মুজিবুর রহমান ঘ হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী
১৩২. নতুন রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ কয়টি দেশের স্বীকৃতি লাভ করে? (জ্ঞান)
ক ১২০ খ ১৩০ ১৪০ ঘ ১৫০
১৩৩. সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের সর্বপ্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭২ ১৯৭৩ গ ১৯৭৪ ঘ ১৯৭৫
১৩৪. বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে কবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৫-এর ১৪ আগস্ট ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট
গ ১৯৭৫-এর ১৬ আগস্ট ঘ ১৯৭৫-এর ১৭ মার্চ
১৩৫. বাংলাদেশের গণতন্ত্রের উল্টোপথে যাত্রা অব্যাহত ছিল কোন সময় পর্যন্ত?
(জ্ঞান)
নব্বই এর গণঅভ্যুত্থান খ পঁচাত্তরের সামরিক অভ্যুত্থান
গ চার নেতার হত্যাকাণ্ড ঘ জাতির জনকের হত্যাকাণ্ড
১৩৬. ’৭৫ পরবর্তী কত বছর বাংলাদেশ সেনা শাসনের অধীনে ছিল? (অনুধাবন)
ক ৮ খ ১০ গ ১২ ১৫
১৩৭. নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর কার নেতৃত্বে তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক বিচারপতি হাবিবুর রহমান খ বিচারপতি আব্দুর রব
বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহাম্মদ ঘ ইয়াজউদ্দিন আহমদ
১৩৮. ১৯৯১ সালের নির্বাচনে কোন দলটি সরকার গঠন করে? (জ্ঞান)
ক জাতীয় পার্টি খ আওয়ামী লীগ
গ জামায়াতে ইসলামী বিএনপি
১৩৯. কখন মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন আইন পর্যন্ত পাস হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৯২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর খ ১৯৯১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর
গ ১৯৯২ সালের ৬ আগস্ট ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট
১৪০. ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ চলাকালে কতজন সদস্য জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৪০ খ ১৪৫ ১৪৭ ঘ ১৫০
১৪১. ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ কতদিন স্থায়ী ছিল? (জ্ঞান)
ক ৩ ৪ গ ৫ ঘ ৬
১৪২. তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রবর্তিত হয় কততম সংসদে? (জ্ঞান)
ক ৫ম ৬ষ্ঠ গ ৭ম গ ৮ম
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ গণতন্ত্র ও তার দোষগুণ
জেমস স্টিফেন এমন একটি দেশের নাগরিক যেখানে দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা প্রবর্তিত। সেখানকার সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত এবং জনগণের কাছেই দায়িত্বশীল থাকে। এমনকি রাষ্ট্রীয় নীতি-নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে নির্বাচিত বলে এই সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বার্থে গঠিত ও পরিচালিত হয়।
ক. পাকিস্তানে কতবার জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল (সময়কাল ১৯৪৭-১৯৭১ ইং)? ১
খ. ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. মি. জেমস স্টিফেন-এর রাষ্ট্রে কোন ধরনের সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তিত আছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর উক্ত সরকারব্যবস্থা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ দ্বারা গঠিত বলে, সংখ্যালঘুদের মতামত ও স্বার্থ উপেক্ষিত হয়? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি প্রদর্শন কর। ৪
ক পাকিস্তানে মাত্র ১ বার জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল (সময়কাল ১৯৪১-১৯৭১ইং)।
খ পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে ভোটারগণ ভোট দিয়ে সরাসরি প্রতিনিধি নির্বাচন করে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন সংস্থা তৈরি করে, যা ইলেকটোরাল কলেজ বা নির্বাচকমণ্ডলী নামে পরিচিত। আর সেই নির্বাচনি সংস্থা চ‚ড়ান্তভাবে প্রতিনিধি বা রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচন করে। যেমন- আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি ইলেকটোরাল কলেজের মাধ্যমে নির্বাচিত হন।
গ মি. জেমস স্টিফেন-এর রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তিত আছে। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রে আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। গণতন্ত্র হলো দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা। এ শাসনব্যবস্থায় সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয় এবং জনগণের কাছে দায়িত্বশীল থাকে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা হলো জনমত দ্বারা পরিচালিত সরকার। স্বৈরাচারি পন্থায় নিয়ন্ত্রণ, দমন, নিপীড়নমূলক আচরণ ও শাসনব্যবস্থায় কাম্য নয়। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। উদ্দীপকের জেমস স্টিফেন-এর দেশেও অনুরূপ সরকারব্যবস্থার সকল বৈশিষ্ট্যাবলি লক্ষ করা যায়। অর্থাৎ সেখানে গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তিত।
ঘ আমি মনে করি, উক্ত সরকারব্যবস্থা তথা গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনকল্যাণ দ্বারা গঠিত বলে সংখ্যালঘুদের মতামত ও স্বার্থ উপেক্ষিত হয়। বস্তুত উত্তম সরকারব্যবস্থা হলেও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা বা ত্রæটিও রয়েছে। প্রাচীনকালে প্রখ্যাত মনীষী ও দার্শনিকগণ যেমন, প্লেটো ও এরিস্টটল গণতন্ত্রকে মূর্খের ও অযোগ্যের শাসনব্যবস্থা বলে অবিহিত করেছেন। কেননা, সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন হিসেবে গণতন্ত্রে নির্বাচনের মাধ্যমে অজ্ঞ, অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিও শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারে। ফলে উপযুক্ত লোকের অভাবে গণতন্ত্রের উদ্দেশ্য অর্জিত হয় না এবং শাসনকার্য পরিচালনায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বাস্তবে গণতন্ত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসনে পরিণত হয়। সংখ্যালঘুরা আইনসভায় তাদের প্রতিনিধি প্রেরণ করতে পারে না। ফলে তাদের অভাব অভিযোগ সম্পর্কে সরকার উদাসীন থাকে। এভাবে গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থায় সংখ্যালঘুদের মতামত ও স্বার্থ উপেক্ষিত হয়।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ গণতন্ত্র ও তার দোষগুণ
‘ক’ রাষ্ট্রের সরকারপ্রধান জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত। তিনি তার কাজের জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকেন। জনগণের কল্যাণ করাই তার মূল উদ্দেশ্য। তারপরও ‘ক’ রাষ্ট্রে সংখ্যালঘুরা উপেক্ষিত হতে পারে বলে অনেকে সমালোচনা করেন।
ক. অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন সালে অনুষ্ঠিত হয়? ১
খ. নির্বাচনি আচরণবিধি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের ‘ক’ রাষ্ট্রে কোন ধরনের সরকারব্যবস্থা বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উক্ত সরকারব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হলেও বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে”Ñ মূল্যায়ন কর। ৪
ক অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
খ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের সঠিক আচরণের জন্য নির্বাচন কমিশন যে আচরণবিধি প্রণয়ন করেছে তাই নির্বাচনি আচরণবিধি। নির্বাচনি আচরণবিধি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্যতম পূর্বশর্ত।
গ উদ্দীপকে ‘ক’ রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা বিদ্যমান। গণতন্ত্র হলো দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা। এ শাসনব্যবস্থায় সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয় এবং জনগণের কাছে দায়িত্বশীল থাকে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা হলো জনমত দ্বারা পরিচালিত সরকার। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এ ব্যবস্থায় সরকার জনগণের সরকার হিসেবে বিবেচিত। সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকেন। জনগণের আস্থা হারালে এ সরকার টিকে থাকতে পারে না। তদুপরি গণতন্ত্র হচ্ছে জনকল্যাণকামী সরকার। এর মূল উদ্দেশ্যই হলো জনকল্যাণ সাধন। উদ্দীপকে দেখা যায়, ‘ক’ রাষ্ট্রের সরকারপ্রধান জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত। তিনি তার কাজের জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকেন। জনগণের কল্যাণ করাই তার মূল উদ্দেশ্য। সুতরাং স্পষ্টত ‘ক’ রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা বিদ্যমান।
ঘ উক্ত সরকারব্যবস্থা তথা গণতন্ত্র হচ্ছে মূলত সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বার্থে গঠিত ও পরিচালিত সরকার। গণতন্ত্রে আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান। সুতরাং গণতন্ত্র বিশ শতকের একটি জনপ্রিয় ধারণা, যা বর্তমানে সরকার পরিচালনার সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু অস্বীকার করার উপায় নেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা বা ত্রæটিও রয়েছে। প্রাচীনকালের প্রখ্যাত মনীষী ও দার্শনিকগণ যেমন, প্লেটো ও এরিস্টটল গণতন্ত্রকে মূর্খের ও অযোগ্যের শাসনব্যবস্থা বলে অভিহিত করেছেন। কেননা, সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন হিসেবে গণতন্ত্রে নির্বাচনের মাধ্যমে অজ্ঞ, অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিও শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারে। ফলে উপযুক্ত লোকের অভাবে গণতন্ত্রের উদ্দেশ্য অর্জিত হয় না এবং শাসনকার্য পরিচালনায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বাস্তবে গণতন্ত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসনে পরিণত হয়। সংখ্যালঘুরা আইনসভায় তাদের প্রতিনিধি প্রেরণ করতে পারে না। ফলে তাদের অভাব অভিযোগ সম্পর্কে সরকার উদাসীন থাকে। গণতন্ত্রে বহু পরস্পর বিরোধী মত ও ধারণা দেখা যায়। এতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মতপার্থক্য ও সংঘর্ষের সৃষ্টি হয় এবং জাতীয় সংহতি বিনষ্ট হয়। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হলে জাতি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে এবং গণতন্ত্র অকার্যকর রূপ নেয়। অনুন্নত দেশগুলোতে সরকারি দল নিজ দলের স্বার্থের প্রতি লক্ষ রেখে শাসনকার্য পরিচালনা করে থাকে। ফলে নিরপেক্ষতা নষ্ট হয়। এতে করে গণঅসন্তোষ দেখা দেয়। তদুপরি গণতন্ত্র বেশ ব্যয়বহুল শাসনব্যবস্থা। ঘন ঘন নির্বাচনের ব্যবস্থা, জনমত গঠন, ব্যাপক প্রচারকার্য ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে সরকার, রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদেরকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে স্পষ্ট যে, গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হলেও বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, উক্তিটি সর্বোতভাবে যথার্থ।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ নির্বাচনি আচরণ বিধি
আকমল সাহেব গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি নির্বাচনি প্রচারকার্যে অনেক অর্থ ব্যয় করেন। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তার কর্মীরা অন্য প্রার্থীদের ব্যানার, পোস্টার নষ্ট এবং সভা-সমাবেশ পণ্ড করে। তিনি ভোটদান চলাকালে অবৈধভাবে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ এবং ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিজ প্রতীকে সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ভরেন।
ক. অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হয়? ১
খ. গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের সম্পর্কের একটি দিক ব্যাখ্যা কর। ২
গ. আকমল সাহেব কর্তৃক নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিকার কীভাবে করা সম্ভব? ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ. ‘আকমল সাহেবের কর্মকাণ্ড যোগ্য ও উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রতিবন্ধক’- মূল্যায়ন কর। ৪
ক অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
খ আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং ভোটদানের মাধ্যমেই জনগণ তার এই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে। এ প্রক্রিয়ায় জনগণ তাদের দৃষ্টিতে সৎ ও যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন করে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত উপযুক্ত প্রতিনিধিদের দ্বারাই সরকার গঠন ও সরকার পরিচালিত হয়। সুতরাং নির্বাচিত ব্যবস্থার সাথে বৈধ কর্তৃপক্ষ নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের সম্পর্ক রয়েছে।
গ আকমল সাহেব নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ ঘটাতে হবে এবং অপরাধের দণ্ড প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুযায়ী আকমল সাহেবের নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন মূলত নির্বাচনি অপরাধ। এ জাতীয় অপরাধের জন্য জরিমানাসহ ক্ষেত্রবিশেষে সর্বোচ্চ ১০ বছর এবং কমপক্ষে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে। এ সকল নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধের জন্য উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করা যায়। উপরন্তু এ জাতীয় অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত আইন সম্পর্কে সচেতনতা এবং এর যথার্থ প্রয়োগ নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিকারে যথেষ্ঠ কার্যকর। আর এভাবেই আকমল সাহেব কর্তৃক নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিকার করা সম্ভব।
ঘ আকমল সাহেবের কর্মকাণ্ড যোগ্য ও উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রতিবন্ধক। কেননা, গণতন্ত্রের একটি মৌলিক বিষয় হলো নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চিন্তা করা যায় না। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে শাসন পরিচালনার জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। রাষ্ট্র ও সরকারের বিভিন্ন স্তরে জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং ভোটদানের মাধ্যমেই জনগণ তার এই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে। এ প্রক্রিয়ায় জনগণ তাদের দৃষ্টিতে সৎ ও যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন করে। কিন্তু এজন্য চাই জনগণের অবাধ ভোটাধিকার। এক্ষেত্রে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার লক্ষ্যে প্রত্যেক দেশেই নির্বাচন কমিশন কিছু আচরণবিধি প্রণয়ন করে। যেমন : প্রতিপক্ষের কোনো সভা, শোভাযাত্রা ও প্রচারে কোনোরূপ বাধা দেওয়া যাবে না। অথচ উদ্দীপকের আকমল সাহেব এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তার কর্মীরা অন্য প্রার্থীদের ব্যানার, পোস্টার নষ্ট এবং সভা-সমাবেশ পণ্ড করে। উপরন্তু তার আচরণ গুরুতর নির্বাচনি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। তিনি ভোটদান চলাকালে অবৈধভাবে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ এবং ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিজ প্রতীকে সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ভরেন। সুতরাং নিঃসন্দেহে বলা যায়, আকমল সাহেবের কর্মকাণ্ড যোগ্য ও উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রতিবন্ধক।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলের ভ‚মিকা
ক. অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয় কত সালে? ১
খ. জাতিসংঘের বিতর্কসভা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ‘ক’ চিহ্নিত ছকটি যে সরকার ব্যবস্থাকে নির্দেশ করছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর, উক্ত সরকার ব্যবস্থায় ‘খ’ চিহ্নিত প্রতিষ্ঠানটির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয় ১৯৭০ সালে।
খ জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত। একে ‘বিতর্ক সভা’ বলে অভিহিত করা যায়। অর্থাৎ জাতিসংঘের বিতর্কসভা বলতে সাধারণ পরিষদকে বোঝায়।
গ ‘ক’ চিহ্নিত ছকটি গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থাকে নির্দেশ করছে। গণতন্ত্র হলো এমন এক রাজনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে সরকার গঠিত হয়। এই গণতান্ত্রিক সরকার মূলত সংখ্যাগরিষ্ঠ্যের স্বার্থে গঠিত ও পরিচালিত সরকার। তবে এর অর্থ এই নয় যে, গণতন্ত্র সংখ্যালঘুর মতামত ও স্বার্থকে উপেক্ষা করবে। বরং গণতন্ত্রে আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান। এখানে আইনের অনুশাসন বিদ্যমান। উপরন্তু গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এই ব্যবস্থায় জনগণের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা স্বীকৃত। এর মূল উদ্দেশ্য হলো- জনকল্যাণ সাধন। উদ্দীপকে সরকারব্যবস্থার ছকে উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যের নিরিখে তাই নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ‘ক’ চিহ্নিত ছকটি গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা নির্দেশ করছে।
ঘ হ্যাঁ, আমি মনে করি গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য ‘খ’ চিহ্নিত প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে রাজনৈতিক দল। কেননা রাজনৈতিক দল সংগঠিত একটি দলকে বোঝায় যারা ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে বৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করতে এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে চায়। সংগঠিত কর্মসূচি প্রদান ও ক্ষমতা অর্জন রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য। গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। শক্তিশালী ও সুসংগঠিত রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাফল্যের প্রধান শর্ত। রাজনৈতিক দলের অন্যতম কাজ হচ্ছে নির্বাচনে জয়লাভের পর সরকার গঠন করা। সাধারণত নির্বাচনে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তারাই সরকার গঠন করে থাকে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দলের ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে যে সকল দল বা দলসমূহ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে না তারাই বিরোধী দলের ভ‚মিকা পালন করে। বিরোধী দল পার্লামেন্টে বিতর্ক, সরকারের নীতির সমালোচনা, মূলতবী প্রস্তাব উপস্থাপন এবং বিভিন্ন বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করে সংসদকে কার্যকর করে। সংসদের বাইরেও বক্তব্য, বিবৃতি ও সমালোচনার মাধ্যমে সরকারকে আইনের মধ্যে রাখতে বাধ্য করে। এছাড়া বিরোধী দল জনগণের সামনে সরকারের পাশাপাশি বিকল্প কর্মসূচি তুলে ধরে। তাই গঠনমূলক সমালোচনা এবং কার্যকর ভ‚মিকা রাখা বিরোধীদলের অন্যতম দায়িত্ব। সুতরাং, গণতান্ত্রিক সরকারব্যস্থায় রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য তা সন্দেহতীত ভাবেই প্রমাণিত হয়।
প্রশ্ন- ৫ রাজনৈতিক দলের ভূমিকা
মি. কামাল ও তাঁর কয়েকজন অনুসারী প্রতিদিন সন্ধ্যায় একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি উপলব্ধি করলেন যে, এভাবে উদ্দশ্যহীনভাবে আলাপ-আলোচনা না করে কতকগুলো সুনির্দিষ্ট সমস্যা চিহ্নিত করে ঐক্যবদ্ধভাবে বৈধ ও নিয়মমাফিক নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের শাসনভার গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে কাজ করতে হবে।
ক. আব্রাহাম লিংকন প্রদত্ত গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটি লেখ। ১
খ. পরোক্ষ গণতন্ত্র বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে মি. কামাল কী ধরনের সংগঠন প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় উক্ত সংগঠনের বিকল্প নেই”Ñ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক আব্রাহাম লিংকন প্রদত্ত গণতন্ত্রের সংজ্ঞা : গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের, জনগণের জন্য ও জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা।
খ পরোক্ষ গণতন্ত্র বলতে সাধারণত নাগরিকগণ সরাসরি অংশগ্রহণ না করে প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে শাসন কার্য পরিচালনা করার পদ্ধতিকেই বোঝায়। পরোক্ষ গণতন্ত্রে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই আইন প্রণয়নসহ শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রই প্রচলিত রয়েছে।
গ উদ্দীপকে মি. কামাল রাজনৈতিকদল প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। রাজনৈতিক দল ব্যতীত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কথা কল্পনা করা যায় না। রাজনৈতিক দলকে কেন্দ্র করেই জনমত গঠন, দলীয় আদর্শের প্রচার, সমর্থকগোষ্ঠী এবং রাজনৈতিক সচেতন নাগরিক সমাজ গড়ে উঠে। রাজনৈতিক দল সাধারণত একক কিংবা একদল বিশিষ্ট বা সৃজনশীল নেতৃত্বের সমন্বয়ে গড়ে উঠে। সুতরাং এ দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, রাজনৈতিক নেতৃবর্গের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যাকে চিহ্নিত করে, সেই সমস্যাগুলো সমাধানের সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থায় জনমত গঠন এবং বৈধ উপায়ে সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে নিয়োজিত সংঘবদ্ধ একটি জনসমষ্টি হলো রাজনৈতিক দল। জাতীয় স্বার্থের সংরক্ষণ এবং উন্নতির পাশাপাশি সাংগঠনিক দৃঢ়তা এবং দলীয় সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণে রাজনৈতিক দল তৎপরতা প্রদর্শন করে। রাজনৈতিক দল এমন একটি জনসংগঠন যার সদস্যগণ রাষ্ট্রের সমস্যা সম্পর্কে ঐক্যমত পোষণ করে এবং নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে গৃহীত কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট হয়। উদ্দীপকে কামাল সাহেবের ইচ্ছায় এর প্রতিফলন দেখা যায়। সুতরাং মি. কামাল রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
ঘ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলের বিকল্প নেই। কেননা রাজনৈতিক দল ব্যতীত গণতন্ত্র আশা করা যায় না।শক্তিশালী ও সুসংগঠিত রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সাফল্যের প্রধান শর্ত। অধ্যাপক ফাইনার (ঋরহবৎ) বলেছেন, “আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসন কার্যত রাজনৈতিক দলের শাসন”। একটি রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক, একনায়কতান্ত্রিক বা সমাজতান্ত্রিক যে ধরনের সরকার ব্যবস্থাই বিদ্যমান থাকুক না কেন, সব ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক দলের গুরুত্ব স্বীকৃত। তবে নিঃসন্দেহে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সর্বাধিক।রাজনৈতিক দলের সদস্যরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় জনগণের মাঝে মিশে থাকে এবং সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্তসমূহ মানুষের কাছে তুলে ধর। আবার, জনগণ তাদের মতামত, অভিযোগ সরকারের নিকট উত্থাপন করে এবং সরকারের করণীয় দাবি করে। দল সরকার ও জনগণ উভয়ের মধ্যে যোগাযোগ বা সেতুবন্ধন রচনা করে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক দলের ভ‚মিকা অপরিহার্য। জনগণের অভাব, অভিযোগ, দুঃখ-দুর্দশাকে চিহ্নিত করে তার সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে কর্মসূচি প্রণয়ন করে। এছাড়া সংসদীয় ব্যবস্থায় বিরোধী দল হলো বিকল্প সরকার। কেননা, সরকার সমর্থন হারালে বা কোনো কারণে পতন হলে বিরোধী দলের ক্ষমতা লাভ ও সরকার গঠনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সুতরাং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দল একান্ত প্রয়োজন।
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ রাজনৈতিক দলের ভ‚মিকা
ইমু ও সাজ্জাদ একটি শক্তিশালী ও সুসংগঠিত সংগঠনের সদস্য। তাদের সংগঠনটি কতগুলো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত একটি বিশেষ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে। বৈধ ও নিয়মমাফিক নির্বাচনের মাধ্যমে তারা রাষ্ট্রের শাসনভার গ্রহণ করে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
ক. প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র কাকে বলে? ১
খ. নির্বাচন কমিশন কী ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সংগঠনটি কী ধরনের সংগঠন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় এ ধরনের সংগঠনের ভ‚মিকা অনেক- কথাটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক যে শাসন ব্যবস্থায় নাগরিকগণ প্রত্যক্ষ বা সরাসরিভাবে শাসনকার্য পরিচালনায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় তাকে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলে।
খ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কয়েকজন নির্বাচন কমিশনার নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগ করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কমিশনের সভাপতি হিসেবে কাজ করেন। কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত সংগঠনটি হলো রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক দল হলো একটি সংগঠিত নাগরিক সমষ্টি, যারা দলীয় আদর্শ প্রচারের মাধ্যমে, জনমত গঠনের মধ্যদিয়ে বৈধ উপায়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে। সংগঠন, কর্মসূচি প্রদান ও ক্ষমতা অর্জন রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য। রাজনৈতিক দল সাধারণত একক কিংবা একদল বিশিষ্ট সৃজনশীল নেতৃত্বের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে। সুতরাং সে দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, রাজনৈতিক নেতৃবর্গের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যাকে চিিহ্নত করে, সেই সমস্যাগুলো সমাধানে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা ও নীতিমালা জনসাধারণের নিকট পেশ করে জনমত গঠন এবং বৈধ উপায়ে সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে নিয়োজিত সংঘবদ্ধ একটি জনসমষ্টি হলো রাজনৈতিক দল। উদ্দীপকে উল্লিখিত ইমু ও সাজ্জাদ একটি শক্তিশালী ও সুসংগঠিত সংগঠনের সদস্য। তাদের সংগঠনটি কতকগুলো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত। একটি বিশেষ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে তারা কাজ করছে। বৈধ ও নিয়মমাফিক নির্বাচনের মাধ্যমে তারা রাষ্ট্রের শাসনভার গ্রহণ করে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায় যা রাজনৈতিক দলের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ উদ্দীপকে বর্ণিত সংগঠনটি হলো রাজনৈতিক দল। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় এ ধরনের সংগঠনের অর্থাৎ রাজনৈতিক দলের ভ‚মিকা অনেক। এ সম্পর্কিত বিশ্লেষণ নিচে দেওয়া হলো :
১. দলীয় নীতিমালা নির্ধারণ ও কর্মসূচি গ্রহণ : দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বিভিন্ন সমস্যা চিিহ্নত করে তার আলোকে প্রতিটি রাজনৈতিক দল দলীয় নীতিমালা ও সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করে। এই নীতিমালা ও কর্মসূচি সাধারণত রাজনৈতিক দলের মেনিফেস্টোতে উল্লেখ থাকে।
২. জনসমর্থন সৃষ্টি : রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন সভা-সমিতি, টকশো এবং পত্র-পত্রিকায় মতামত ব্যক্ত করার মাধ্যমে তাদের নীতি ও কর্মসূচি প্রচার করে এবং জনসমর্থন সৃষ্টি করে।
৩. দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন ও নির্বাচনি প্রচার : দেশের জাতীয় নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনয়ন এবং তার পক্ষে দলীয় প্রচারকার্য চালানো রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
৪. সরকার গঠন : রাজনৈতিক দল নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করে থাকে।
এছাড়াও রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক চেতনা ও শিক্ষার প্রসার, বিরোধী দলের ভ‚মিকা পালন, ব্যক্তি ও সরকারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন, আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনা করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুসংহত করতে ব্যাপক ভ‚মিকা পালন করে।
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৭ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা
এক দশক যাবত ‘ক’ দেশে জনমতকে উপেক্ষা করে সরকারি দল অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। দেশটির গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বিরোধী দলীয় নেতা সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি দলের পতনের মাধ্যমে এ দেশে এমন এক ধরনের সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের ভোটাধিকার থাকবে, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা শাসনকার্য পরিচালনা করবে এবং মেয়াদ শেষে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ক. নির্বাচন কী? ১
খ. সরকার গঠন রাজনৈতিক দলের অন্যতম কাজ- কথাটি বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্যে যে শাসনব্যবস্থার প্রতিফলন ঘটেছে তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ. উক্ত শাসনব্যবস্থা কার্যকরের রয়েছে দুটি পদ্ধতি- তুমি কি বক্তব্যটি সমর্থন কর? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় তাকে নির্বাচন বলে।
খ একটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম কাজ হচ্ছে নির্বাচনে জয়লাভের পর সরকার গঠন করা। সাধারণত নির্বাচনে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তারাই সরকার গঠন করে থাকে। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে রাজনৈতিক দল তার দলীয় নীতিমালা ও কর্মসূচি ভিত্তিতে শাসনকার্য পরিচালনা করে থাকে।
গ বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্যে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতিফলন ঘটেছে। বিরোধী দলীয় নেতা সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি দলের পতনের মাধ্যমে ‘ক’ দেশে এমন এক ধরনের সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের ভোটাধিকার থাকবে, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা শাসনকার্য পরিচালনা করবে এবং মেয়াদ শেষে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিরোধী দলীয় নেতার এসব কথা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে নির্দেশ করে। বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য সরকারব্যবস্থা হলো গণতন্ত্র। সাধারণভাবে গণতন্ত্র বলতে বোঝায়, যে শাসনব্যবস্থায় শাসন ক্ষমতা মুষ্টিমেয় লোকের হাতে না থেকে রাষ্ট্রের সব জনসাধারণের ওপর ন্যস্ত থাকে এবং জনগণই তাদের সরকার গঠন করে। গণতন্ত্র হলো এমন এক রাজনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে মেয়াদ শেষে সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ও প্রাপ্ত বয়স্কদের সার্বজনীন ভোটাধিকার, একাধিক রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জনগণের মাধ্যমে তাদের স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও কল্যাণ বৃদ্ধির ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থাও একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা।
ঘ উক্ত শাসনব্যবস্থা হলো গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কার্যকরের রয়েছে দুটি পদ্ধতি- বক্তব্যটি আমি সমর্থন করি। গণতন্ত্র সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে কার্যকর করা হয়। যথা : ১. প্রত্যক্ষ বা বিশুদ্ধ গণতন্ত্র এবং ২. পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র।
প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র : যে শাসনব্যবস্থায় নাগরিকগণ প্রত্যক্ষ বা সরাসরিভাবে শাসনকাজ পরিচালনায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় তাকে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলা হয়ে থাকে। প্রাচীন গ্রিসের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগর রাষ্ট্রগুলোতে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকগণ আইন প্রণয়ন, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে মতামত, কর ধার্য, বিচারকাজ পরিচালনাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সরাসরি অংশগ্রহণ করত। কিন্তু আধুনিক রাষ্ট্র আয়তনে বিশাল। এর জনসংখ্যাও বেশি, তাই প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র চর্চা করার উপায় নেই। তবে সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি অঞ্চলে আংশিকভাবে এখনো প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র ব্যবস্থা চালু আছে।
পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র : পরোক্ষ গণতন্ত্র বলতে সাধারণত নাগরিকগণ সরাসরি অংশগ্রহণ না করে প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করার পদ্ধতিকে বোঝায়। পরোক্ষ গণতন্ত্রে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই আইন প্রণয়নসহ শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রই প্রচলিত রয়েছে।
প্রশ্ন- ৮ ল্ফল্ফ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সংসদ নির্বাচন প্রত্রিয়া
স্বাধীনতা লাভের পর ‘ক’ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসে তা বাধাগ্রস্ত হয়। ’৭৫ পরবর্তী ১৫ বছর দেশটি সেনা শাসনের অধীনে ছিল। এ সময় জনগণের কোনো ভোটাধিকার ছিল না। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো ঠিকই, তবে তা ছিল সিট ভাগাভাগির আয়োজন মাত্র। তবে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটিতে পুনরায় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়।
ক. কে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করেন? ১
খ. নির্বাচন ব্যবস্থার সাথে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের সম্পর্ক রয়েছে- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে কোন দেশের গণতন্ত্রের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া আলোচনা কর। ৪
ক রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করেন।
খ আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং ভোটদানের মাধ্যমেই জনগণ তার এই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে। এ প্রক্রিয়ায় জনগণ তাদের দৃষ্টিতে সৎ ও যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন করে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত উপযুক্ত প্রতিনিধিদের দ্বারাই সরকার গঠন ও সরকার পরিচালিত হয়।
গ উদ্দীপকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা সদস্যদের হাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে গণতন্ত্রের চর্চা বাধাপ্রাপ্ত হয়। এরপর ১৫ বছর বাংলাদেশে সেনা শাসন চলে। এ সময় জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়। বিভিন্ন দল ভেঙে বা নেতাদের ভাগিয়ে এনে সেনা সমর্থক দল গঠন করা হয়। নির্বাচনের নামে ক্ষমতাসীন কর্তৃক সিট ভাগাভাগি করা হয়। তবে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহাম্মদের নেতৃত্বে তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠন ও ২৭ ফেব্রæয়ারি, ১৯৯১ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিবর্তন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়ের সূচনা করে। উদ্দীপকেও দেখা যায়, ‘ক’ দেশে স্বাধীনতা লাভের পর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসে তা বাধাগ্রস্ত হয়। ’৭৫ পরবর্তী ১৫ বছর দেশটি সেনা শাসনের অধীনে ছিল। এ সময় জনগণের কোনো ভোটাধিকার ছিল না। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও তা ছিল মূলত সিট ভাগাভাগির আয়োজন। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটিতে পুনরায় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়।
ঘ উক্ত দেশ হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতি চালু রয়েছে। সংসদ নির্বাচনের সুবিধার জন্য সমগ্র বাংলাদেশকে ৩০০টি নির্বাচনি এলাকায় বিভক্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন এবং একই সাথে “নির্বাচনি তফসিল” ঘোষণা করেন। নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে প্রার্থীরা প্রাথমিকভাবে মনোনীত হন। প্রধানত রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন নিয়েই প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতার সুযোগ পান। এছাড়াও মহিলাদের জন্য জাতীয় সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে যা নির্বাচিত আসনের আনুপাতিক হারে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পরই নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয় অর্থাৎ নির্বাচন অনুষ্ঠান সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হয়। এই কাজের তালিকার মধ্যে আছেÑ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, নির্বাচনি এলাকা নির্ধারণ, রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ, মনোনয়নপত্র বিতরণ, মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাছাই। প্রার্থীদের প্রতীক বণ্টন, ব্যালট পেপার ছাপানো, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনা করা, প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ করা, ব্যালট বাক্স বিতরণ করা, ভোট গ্রহণ, ভোট শেষে ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণা অর্থাৎ নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ। নির্বাচন কমিশনের তত্ত¡াবধানে এবং নিয়ন্ত্রণে এসব কাজ সম্পাদিত হয়।
প্রশ্ন- ৯ ল্ফল্ফ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা এবং এর ত্রæটি ও সীমাবদ্ধতা
মীম টিভিতে একটি দেশের প্রামাণ্য চিত্র দেখছিল। দেশটি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। দেশটিতে একসময় একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। বর্তমানে দেশটির নাগরিকগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশের শাসনকার্য পরিচালনা করছেন। জনগণের ব্যক্তি স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা স্বীকৃত হয়েছে। তবে দেশটির জনগণ যে আশায় এই সরকারব্যবস্থা চালু করেছিল, তা পরিপূর্ণভাবে সফলতা অর্জন করতে পারেনি।
ক. কত সালে অবিভক্ত পাকিস্তান রাষ্ট্রে প্রথম জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়? ১
খ. নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্বাচকমণ্ডলীর ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত দেশটিতে বিদ্যমান শাসনব্যবস্থার সুন্দর দিকগুলো বর্ণনা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর উদ্দীপকে বর্ণিত দেশটিতে প্রতিষ্ঠিত শাসনব্যবস্থার বেশকিছু ত্রæটি ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক ১৯৭০ সালে অবিভক্ত পাকিস্তান রাষ্ট্রে প্রথম জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
খ নির্বাচকমণ্ডলী ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। ভোটদান ক্ষমতার অধিকারী নির্বাচকমণ্ডলী যোগ্য ও উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন করার মাধ্যমে সরকার গঠন করে এবং জনমত গঠন করে। তাই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্বাচকমণ্ডলীর ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ।
গ উদ্দীপকে বর্ণিত দেশটিতে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান। তার কারণ দেশটিতে জনগণের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা স্বীকৃত হয়েছে এবং দেশটির নাগরিকগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশের শাসনকার্য পরিচালনা করছেন যা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সুন্দর দিকগুলো বর্ণনা করা হলো :
গণতন্ত্রে আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। গণতন্ত্র হলো দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা। এ শাসনব্যবস্থায় সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয় এবং জনগণের কাছে দায়িত্বশীল থাকে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এই ব্যবস্থায় জনগণের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা স্বীকৃত। এর ফলে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা সৃষ্টি হয়। এ ব্যবস্থায় সরকার জনগণের সরকার হিসেবে বিবেচিত। জনগণের আস্থা হারালে এ সরকার টিকে থাকতে পারে না। এ ব্যবস্থায় ব্যক্তি তার আত্মবিকাশের সর্বাধিক সুবিধা ভোগ করে। তদুপরি গণতন্ত্র হচ্ছে কল্যাণকামী সরকার। এর মূল উদ্দেশ্যেই হলো জনকল্যাণ সাধন করা।
ঘ উদ্দীপকে বর্ণিত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বলা যায়, দেশটিতে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার বেশকিছু ত্রæটি ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে আমি মনে করি।
সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন হিসেবে গণতন্ত্রে নির্বাচনের মাধ্যমে অজ্ঞ, অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিও শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ফলে উপযুক্ত লোকের অভাবে গণতন্ত্রের উদ্দেশ্য অর্জিত হয় না এবং শাসনকার্য পরিচালনায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বাস্তবে গণতন্ত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসনে পরিণত হয়। সংখ্যালঘুরা আইনসভায় তাদের প্রতিনিধি প্রেরণ করতে পারে না। ফলে তাদের অভাব অভিযোগ সম্পর্কে সরকার উদাসীন থাকে। গণতন্ত্রে বহু পরস্পরবিরোধী মত ও ধারণা দেখা যায়। এতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মতপার্থক্য ও সংঘর্ষের সৃষ্টি হয় এবং জাতীয় সংহতি বিনষ্ট হয়। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হলে জাতি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে এবং গণতন্ত্র অকার্যকর রূপ নেয়। অনুন্নত দেশগুলোতে সরকারি দল নিজ দলের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে শাসনকার্য পরিচালনা করে থাকে। ফলে নিরপেক্ষতা নষ্ট হয়। এতে করে গণঅসন্তোষ দেখা দেয়। এছাড়া গণতন্ত্র বেশ ব্যবহুল শাসনব্যবস্থা। ঘন ঘন নির্বাচনের ব্যবস্থা, জনমত গঠন, ব্যাপক প্রচারকার্য ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে সরকার, রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়।
প্রশ্ন- ১০ ল্ফল্ফ রাজনৈতিক দল ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র
মি. খান এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট প্রদান করেন। তাদের এলাকা থেকে বিভিন্ন দলের ‘ঢ’ দলটি সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এভাবে সমগ্র দেশ থেকে ৩০০ জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। তাদের মধ্য থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল সরকার গঠন করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শাসনকার্য পরিচালনা করেন।
ক. গণতন্ত্র সাধারণত কয়টি পদ্ধতিতে কার্যকর হয়? ১
খ. প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলতে কী বোঝ? ২
গ. ‘ঢ’ দল বলতে কীরূপ দল বোঝানো হয়েছেÑ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. প্রাচীন গ্রিসের গণতন্ত্র ছিল মি. খানের দেশের গণতন্ত্রের চেয়ে ভিন্নÑ বক্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪
ক গণতন্ত্র সাধারণত দুইটি পদ্ধতিতে কার্যকর হয়।
খ যে শাসনব্যবস্থায় নাগরিকগণ প্রত্যক্ষ বা সরাসরিভাবে শাসনকার্য পরিচালনায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় তাকে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলা হয়ে থাকে। প্রাচীন গ্রিসের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগর রাষ্ট্রগুলোতে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল। রাষ্ট্রের সকল নাগরিক আইন প্রণয়ন, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ, কর ধার্য, বিচারকার্য পরিচালনাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সরাসরি অংশগ্রহণ করত। সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি অঞ্চলে আংশিকভাবে এখনও প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের ব্যবস্থা চালু আছে।
গ ‘ঢ’ দল বলতে রাজনৈতিক দলকে বোঝানো হয়েছে। উদ্দীপকে বর্ণিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ঢ’ দল মি. খানের এলাকা থেকে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন যা রাজনৈতিক দলকে নির্দেশ করে। আধুনিক রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থায় রাজনৈতিক দল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। রাজনৈতিক দল বলতে একটি সংগঠিত নাগরিক সমষ্টিকে বোঝায় যারা দলীয় আদর্শ প্রচারের মাধ্যমে জনমত গঠনের মধ্য দিয়ে বৈধ উপায়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে। রাজনৈতিক নেতৃবর্গের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধানে সুনির্দিষ্ট পন্থা ও নীতিমালা জনগণের নিকট পেশ করে জনমত গঠন এবং বৈধ উপায়ে সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে নিয়োজিত ও সংঘবদ্ধ একটি জনসমষ্টি হলো রাজনৈতিক দল। জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ ও উন্নতির পাশাপাশি সাংগঠনিক দৃঢ়তা এবং দলীয় সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণে রাজনৈতিক দল তৎপরতা প্রদর্শন করে।
ঘ প্রাচীন গ্রিসের গণতন্ত্র ছিল মি. খানের দেশের গণতন্ত্রের চেয়ে ভিন্ন। যে শাসনব্যবস্থায় নাগরিকগণ প্রত্যক্ষ বা সরাসরিভাবে শাসন কাজ পরিচালনায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় তাকে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলা হয়। প্রাচীন গ্রিসের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগর রাষ্ট্রগুলোতে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল। রাষ্ট্রের সকল নাগরিক আইন প্রণয়ন, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ, কর ধার্য, বিচার কাজ পরিচালনাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সরাসরি অংশগ্রহণ করত। তবে সে সময় নাগরিকের ধারণা সীমাবদ্ধ ছিল, রাষ্ট্রের সকলেই নাগরিকত্বের সম্মান পেত না। তবে আধুনিক রাষ্ট্র আয়তনে বিশাল। এর জনসংখ্যাও বেশি। তাই সরাসরি রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণ করার উপায় এখন নেই। বর্তমানে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে নেতা নির্বাচিত হয়। প্রত্যেক ব্যক্তি ভোট প্রদান করে প্রার্থী নির্বাচন করেন। জনগণের পছন্দেই সরকার নির্বাচিত করা হয়। এ ব্যবস্থায় জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটে। যেমনটি উদ্দীপকে বর্ণিত মি. খানের দেশে দেখা যায়। উপরিউক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, প্রাচীন গ্রিসের গণতন্ত্র ছিল মি. খানের দেশের গণতন্ত্রের চেয়ে ভিন্ন বক্তব্যটি সঠিক।
প্রশ্ন- ১১ ল্ফল্ফ নির্বাচন কমিশন ও গণতন্ত্র
ঘটনা-১ : আশরাফ সাহেব দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল কাজে তার গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা ছিল।
ঘটনা-২ : নাহিদের বসবাসরত দেশের জনগণ সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে। এসব প্রতিনিধিরাই সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করে।
ক. গণতন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য কী? ১
খ. প্রত্যক্ষ নির্বাচন বলতে কী বোঝ? ২
গ. আশরাফ সাহেব যে প্রতিষ্ঠানের সদস্য তার গঠন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. নাহিদের দেশে বিদ্যমান সরকার ব্যবস্থার সাথে নির্বাচনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ- মতামত দাও। ৪
ক গণতন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের কল্যাণ সাধন।
খ প্রত্যক্ষ নির্বাচন হচ্ছে সেই ব্যবস্থা যেখানে ভোটারগণ সরাসরি ভোট প্রদান করে প্রতিনিধি বাছাই করতে পারে। এখানে মধ্যবর্তী কোনো নির্বাচক সংস্থা থাকে না। প্রত্যক্ষ নির্বাচন খুবই জনপ্রিয় এবং গণতান্ত্রিক।
গ আশরাফ সাহেব নির্বাচন কমিশনের সদস্য। আশরাফ সাহেব দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়া নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল কাজে তার গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা ছিল যা নির্বাচন কমিশনের কাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। নির্বাচন কমিশনের গঠন নিচে ব্যাখ্যা করা হলো : প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কয়েকজন নির্বাচন কমিশনার নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দান করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কমিশনের সভাপতি হিসেবে কাজ করেন। কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর। কমিশনাররা রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র পেশ করতে পারেন। অসদাচরণ ও অসামর্থ্যরে কারণে কমিশনাররা দায়িত্ব থেকে অপসারিত হতে পারেন।
ঘ নাহিদের বসবাসরত দেশের জনগণ সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে। এসব প্রতিনিধিরাই সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করে। এ থেকে বোঝা যায়, নাহিদের দেশে বিদ্যমান সরকারব্যবস্থা হলো গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের একটি মৌলিক বিষয় হলো নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চিন্তা করা যায় না। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে শাসন পরিচালনার জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। রাষ্ট্র ও সরকারের বিভিন্ন স্তরে জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত উপযুক্ত প্রতিনিধিদের দ্বারাই সরকার গঠন ও সরকার পরিচালিত হয়। সুতরাং নির্বাচন ব্যবস্থার সাথে বৈধ কর্তৃপক্ষ নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের সম্পর্ক রয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই জনগণ চাইলে পূর্ববর্তী সরকার এবং দলকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে। যে সরকার বা দল জনগণের স্বার্থ বা জনমতের বিরোধিতা করে তার বা তাদের প্রতি জনগণের আস্থা থাকে না। নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ তাদের জবাব প্রদান করে। গণতন্ত্র জনগণের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়। জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রয়োগ ঘটে নির্বাচনের মাধ্যমে।সুতরাং বলা যায়, গণতন্ত্রের সাথে নির্বাচনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
প্রশ্ন- ১২ ল্ফল্ফ নির্বাচনি আচরণবিধি ও অপরাধ
কিছুদিন পর উলাইল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মকবুল সাহেব উক্ত নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। এজন্য তিনি তার নির্বাচনি এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছেন। এলাকার মানুষের সাথে এই বিষয়ে তিনি অনেক সভা-সমাবেশে মিলিত হচ্ছেন। তার ইচ্ছা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা।
ক. নির্বাচনের সুবিধার জন্য সমগ্র বাংলাদেশকে কতটি নির্বাচনি এলাকায় বিভক্ত করা হয়েছে? ১
খ. পরোক্ষ গণতন্ত্র বলতে কী বোঝ? ২
গ. মকবুল সাহেবকে উদ্দীপকে উল্লিখিত কাজের জন্য যে নিয়মগুলো মানতে হবে তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর মকবুল সাহেব উক্ত নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কিছু নিয়ম লঙ্ঘন করলে রাষ্ট্রীয় আইনে দণ্ডিত হবেন? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক নির্বাচনের সুবিধার জন্য সমগ্র বাংলাদেশকে ৩০০টি নির্বাচনি এলাকায় বিভক্ত করা হয়েছে।
খ পরোক্ষ গণতন্ত্র বলতে সাধারণত নাগরিকগণ সরাসরি অংশগ্রহণ না করে প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করার পদ্ধতিকেই বোঝায়। পরোক্ষ গণতন্ত্রে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই আইন প্রণয়নসহ শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রই প্রচলিত রয়েছে।
গ মকবুল সাহেবের উদ্দীপকে উল্লিখিত কাজ হলো নির্বাচনি প্রচারণা। মকবুল সাহেব উলাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে মকবুল সাহেবকে কতগুলো নিয়ম মানতে হবে। যেমন :
১. রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী প্রচারণার ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে। এজন্য প্রতিপক্ষের কোনো সভা, শোভাযাত্রা ও প্রচারে কোনোরূপ বাধা দেওয়া যাবে না।
২. কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো সড়ক বা মহাসড়কে জনসাধারণের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করে জনসভা করা যাবে না।
৩. সরকারি কোনো স্থাপনা নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যবহার করতে পারবে না।
৪. অন্য কোনো প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিলের ওপর লিফলেট ও হ্যান্ডবিল লাগাতে পারবে না।
৫. সকল প্রকার দেয়াল লিখন হতে বিরত থাকতে হবে।
৬. রাস্তা বা সড়কের ওপর নির্বাচনি ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবে না।
৭. ধর্মানুভ‚তিতে আঘাত লাগে এবং উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য দিতে পারবে না ইত্যাদি।
ঘ উক্ত নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কিছু নিয়ম লঙ্ঘন হলো নির্বাচনি অপরাধ। আর নির্বাচনি অপরাধের জন্য মকবুল সাহেব রাষ্ট্রীয় আইনে দণ্ডিত হবেন। কারণ বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুযায়ী নির্বাচনি অপরাধ ও তার দণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। সংক্ষেপে অপরাধসমূহ ও তার দণ্ড নিচে দেওয়া হলো :
নির্বাচনি অপরাধ :
১. নির্ধারিত নির্বাচনি ব্যয় এর বিধান লঙ্ঘন করা।
৩. অন্য প্রার্থী বা তার আত্মীয়স্বজন সম্পর্কে মিথ্যা বলা।
৪. কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার সম্পর্কে মিথ্যা বলা।
৫. জাল ভোট দেওয়া বা ছদ্মনামে ভোট দেওয়া।
৬. কোনো প্রার্থীর প্রতীক সম্পর্কে মিথ্যা বলা।
৭. জাতি, ধর্ম, বর্ণ ইত্যাদি কারণে কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে ভোটদান সম্পর্কে বলা।
৮. সভা ও মিছিলের ওপর আরোপিত নিষেধ লঙ্ঘন করা।
উদ্দীপকে মকবুল সাহেবও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কিছু নিয়ম লঙ্ঘন করলে রাষ্ট্রীয় আইনে দণ্ডিত হবেন। উপরিউক্ত যেকোনো অপরাধের জন্য জরিমানাসহ ক্ষেত্রবিশেষে সর্বোচ্চ ১০ বছর এবং কমপক্ষে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে। এসব নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধের জন্য উপযুক্ত আদালতে মামলা করা যায়।
প্রশ্ন- ১৩ ল্ফল্ফ নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা ও কার্যাবলি
শাকিলদের এলাকায় কিছুদিন পর ইউপি নির্বাচন। একটি স্বতন্ত্র, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান এ নির্বাচন পরিচালনা করবে। নির্বাচন উপলক্ষে দুজন প্রার্থী জনাব আবদুর রহমান ও টুকু মিঞা নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। জনাব আবদুর রহমান শিক্ষিত ও সমাজ সচেতন মানুষ। আর টুকু মিঞা চোরাকারবারী করে টাকা কামিয়ে সাধারণ মানুষকে ঘুষ দিয়ে ধোঁকায় ফেলার চেষ্টা করছেন।
ক. কে নির্বাচন পরিচালনার জন্য পোলিং অফিসার নিয়োগ করে? ১
খ. যোগ্য ও উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন করা প্রয়োজন কেন? ২
গ. নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী জনাব টুকু মিঞার অপরাধের দণ্ড বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা ও কাজ তুলে ধর। ৪
ক নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনার জন্য পোলিং অফিসার নিয়োগ করে।
খ নাগরিকরা নির্বাচনের মাধ্যমে যেসব প্রতিনিধি নির্বাচন করে তারা দেশের শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করে। প্রতিনিধিরা যোগ্য ও উপযুক্ত হলে শাসনব্যবস্থা উন্নত হয়। আর এসব কারণেই নির্বাচকমণ্ডলীর যোগ্য ও উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন করা প্রয়োজন।
গ নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী জনাব টুকু মিঞার অপরাধ গুরুতর নির্বাচনি অপরাধ। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন কিছু নির্বাচনি আচরণবিধি নির্ধারণ করে থাকে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুযায়ী নির্বাচনি অপরাধ ও তার দণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন ঘুষ দিয়ে ভোট ক্রয় করা বা ঘুষ গ্রহণ করা। ঘুষ গ্রহণ বা প্রদানের কারণে ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী অপরাধী যে দণ্ড ভোগ করবে তা হলো জরিমানাসহ ক্ষেত্র বিশেষে সর্বোচ্চ ১০ বছর এবং কমপক্ষে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড। উদ্দীপকে বর্ণিত ইউপি নির্বাচন প্রার্থী চোরাকারবারী জনাব টুকু মিয়া সাধারণ মানুষকে ঘুষ দিয়ে ধোঁকায় ফেলার চেষ্টা করছেন। তাই, নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী তার ওপরে বর্ণিত দণ্ড হতে পারে।
ঘ উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটি হলো নির্বাচন কমিশন। উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটি স্বতন্ত্র, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ এবং প্রতিষ্ঠানটি শাকিলদের এলাকায় ইউপি নির্বাচন পরিচালনা করবে যা নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ করে। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা ও কাজ তুলে ধরা হলো :
নির্বাচন কমিশন স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের সকল নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও তত্ত¡াবধায়ন করে। ভোটার তালিকা বিষয়ক কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হলে কমিশন এর নিষ্পত্তিমূলক সিদ্ধান্ত দেয়। কমিশন ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌর কর্পোরেশন, পৌরসভা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করে।