প্রথম অধ্যায়
অর্থনীতি পরিচয়
অর্থনীতি একটি স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে স্বীকৃতি পায় যখন ইংরেজ অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ ১৭৭৬ সালে তার বিখ্যাত বই “অহ ওহয়ঁরৎু রহঃড় ঃযব ঘধঃঁৎব ধহফ ঈধঁংবং ড়ভ ঃযব ডবধষঃয ড়ভ ঘধঃরড়হং” রচনা করেন। আজকের অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলো স্মিথের এ বই। শিখনফল
অর্থনীতির উৎপত্তি ও এর বিকাশ
দু®প্রাপ্যতা ও অসীম অভাবের পারস্পরিক সম্পর্ক
অর্থনীতির ধারণা
অর্থনীতির প্রধান দশটি নীতি
বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিচয়
বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার তুলনামূলক সুবিধা ও অসুবিধা
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
অর্থনীতির উৎপত্তি ও বিকাশ : অর্থনীতি একটি স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে স্বীকৃতি পায় যখন ইংরেজ অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ ১৭৭৬ সালে তার বিখ্যাত বই “অহ ওহয়ঁরৎু রহঃড় ঃযব ঘধঃঁৎব ধহফ ঈধঁংবং ড়ভ ঃযব ডবধষঃয ড়ভ ঘধঃরড়হং” রচনা করেন। আজকের অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলো স্মিথের এ বই।
দুষ্প্রাপ্যতা ও অসীম অভাব দুটি মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা : চাওয়া অনুযায়ী সবকিছু না পাওয়াই মানুষের মূল সমস্যা। যেকোনো দ্রব্য (যেমন : বই) বা সেবাসামগ্রী (চিকিৎসা সেবা) উৎপাদন করতে সম্পদ দরকার হয়। কিন্তু “সম্পদ সীমিত”। সীমিত সম্পদ দিয়ে সীমিত দ্রব্য বা সেবা পাওয়া সম্ভব। সেজন্যই সীমিত সম্পদ দিয়ে মানুষের সব অভাব পূরণ হয় না। দু®প্রাপ্যতার কারণ এটাই। সম্পদ অসীম হলে দু®প্রাপ্যতার সৃষ্টি হতো না।
অর্থনীতির ধারণা : জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে অর্থনীতি বিষয়ের পরিধিও অনেক বেড়েছে। অতীত ও বর্তমান অর্থনীতি বিষয়ের সমন্বয়ে অর্থনীতি বিষয় এখন অনেক উন্নত বা সমৃদ্ধ। প্রথমে যারা অর্থনীতি বিষয়ে উপস্থাপন করেছেন এদের মধ্যে অ্যাডাম স্মিথ, ডেভিড রিকার্ডো, জন স্টুয়ার্ট মিল অর্থনীতিকে সম্পদের বিজ্ঞান বলে মনে করেন। এদের মধ্যে অ্যাডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয়।
অর্থনীতির দশটি নীতি : আমাদের সমাজে সম্পদ স্বল্পতার প্রেক্ষিতে অসীম অভাব মোকাবিলা করতে হয়। অর্থনীতিবিদ গ্রেগরি
ম্যানকিউর মতে অর্থনীতির বিভিন্ন ধারণাসমূহের আলোচনার পূর্বে অর্থনীতির দশটি মৌলিক নীতি জানা প্রয়োজন। এগুলো হলো : ১. মানুষ দেওয়া-নেওয়া করে; ২. সুযোগ ব্যয়; ৩. মানুষ প্রান্তিক পর্যায়ে চিন্তা করে; ৪. মানুষ প্রণোদনায় সাড়া দেয়; ৫. বাণিজ্যে সবাই উপকৃত হয়; ৬. অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংগঠিত করার জন্য বাজার একটি উত্তম পন্থা; ৭. সরকার কখনো কখনো বাজার নির্ধারিত ফলাফলের উৎকর্ষ সাধন করতে পারে; ৮. একটি দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান নির্ভর করে সে দেশের দ্রব্য ও সেবা উৎপাদন ক্ষমতার ওপর; ৯. যখন সরকার অতি মাত্রায় মুদ্রা ছাপায় তখন দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়; ১০. সমাজ মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের মধ্যে স্বল্পকালীন দেওয়া-নেওয়ার মুখোমুখি হয়।
আয়ের বৃত্তাকার প্রবাহ (দুটিখাত) : একটি সরল অর্থনীতিতে দুই ধরনের প্রতিনিধি থাকে। ভোক্তা বা পরিবার এবং উৎপাদক বা ফার্ম। এ ধরনের প্রতিনিধির মধ্যে আয়-ব্যয় চক্রাকারে প্রবাহিত হয়।
বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা : অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান করে দেশের কল্যাণ বাড়ানো বিশ্বের সব দেশেরই কাম্য। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলতে যে অর্থনৈতিক বিধি-বিধান, দর্শন, নিয়ম-কানুন ও যে পরিবেশে অর্থনৈতিক কার্য-কলাপ পরিচালিত হয় তাকে বোঝায়। পৃথিবীতে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। যেমন : ক. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা, খ. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা, গ. মিশ্র অর্থব্যবস্থা এবং ঘ. ইসলামি অর্থব্যবস্থা।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. অর্থনীতির জনক কে?
ক ডেভিড রিকার্ডো খ এরিস্টটল
অ্যাডাম স্মিথ ঘ এল. রবিন্স
২. অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংগঠিত করার জন্য বাজার একটি উত্তম পন্থা। কেননা এতেÑ
র. দর কষাকষি করা যায়
রর. সস্তায় ভোগ্যদ্রব্য ক্রয় করা যায়
ররর. চাহিদা অনুযায়ী দ্রব্য উৎপাদন করা যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
নাবিল বাজারে চিনি কিনতে যেয়ে দেখলেন, চিনির দাম অনেক বেশি। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ক্রেতা বলল, রাস্তার ওপারে এই চিনি সরকারি বিক্রয় কেন্দ্রে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
৩. নাবিলের দেশে কোন ধরনের অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান?
ক ইসলামি মিশ্র
গ ধনতান্ত্রিক ঘ সমাজতান্ত্রিক
৪. নাবিলের দেশের অর্থব্যবস্থায়
ক আয় বৈষম্য দেখা দেয়
খ সুদবিহীন ঋণের লেনদেন হয়
মূল্যের স্থিতিশীলতা বজায় থাকে
ঘ ব্যক্তিগত উদ্যোগের স্বাধীনতা থাকে না
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
রুমি ও তার প্রবাসী বন্ধুর টেলিফোনে কথোপকথন-
রুমি : প্রতিমাসে চালের খরচ বেড়েই চলেছে।
সুমি : আমার মাসিক খরচ সবসময় একই থাকে।
রুমি : তোমাদের দেশে এটি কীভাবে সম্ভব?
সুমি : কেউ ইচ্ছে করলেই এ দেশের দ্রব্যের দাম বাড়াতে পারে না।
ক. ভ‚মিবাদীদের মতে উৎপাদনশীল খাত কোনটি?
খ. দুষ্প্রাপ্যতা বলতে কী বোঝায়?
গ. সুমির দেশে কোন অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সুমির দেশের অর্থব্যবস্থার সাথে মিশ্র অর্থব্যবস্থার পার্থক্য বিশ্লেষণ কর।
ক ভ‚মিবাদীদের মতে কৃষি, (খনিজ ও মৎস্যক্ষেত্রসহ) খাতই হলো উৎপাদনশীল খাত।
খ অর্থনীতিতে ‘দুষ্প্রাপ্যতা’ বলতে সম্পদের স্বল্পতা বা অপ্রাচুর্যতাকে বোঝায়।
দৈনন্দিন জীবনে মানুষের অভাব পূরণের জন্য প্রয়োজন হলো পর্যাপ্ত সম্পদ। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় সম্পদ খুবই সীমিত। এই সীমিত সম্পদ দিয়ে মানুষের পক্ষে সকল অভাব পূরণ করা সম্ভব হয় না। তাই স্বল্পতার সমস্যা দেখা দেয়। সম্পদের এই স্বল্পতা বা অভাব পূরণের উপকরণের সীমাবদ্ধতাকেই দু®প্রাপ্যতা বলা হয়।
গ সুমির দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সম্পদের রাষ্ট্রীয় মালিকানা বিদ্যমান। এ অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণের ওপর কোনো ব্যক্তিগত মালিকানা থাকে না। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে দেশের সকল কলকারখানা, খনি, জমি প্রভৃতি সামাজিক সম্পত্তি হিসেবে পরিগণিত হয়। এখানে ব্যক্তিগত মুনাফার কোনো সুযোগ নেই। দেশের জনগণ বা রাষ্ট্রই এসব সম্পদের মালিক। সম্পদের ব্যক্তিগত মালিকানা না থাকায় ব্যক্তিগত মুনাফার কোনো সুযোগ নেই। এখানে স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থা অনুপস্থিত। অন্যান্য অর্থব্যবস্থার মতো এ অর্থব্যবস্থায় চাহিদা ও যোগানের ঘাত-প্রতিঘাত দ্বারা দাম নির্ধারণ হয় না। বরং কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা দ্বারা দাম নির্ধারিত হয়। এ কারণে কোনো উৎপাদক বেশি মুনাফা লাভের আশায় কোনো দ্রব্যের দাম বাড়াতে পারে না। উদ্দীপকে সুমির দেশেও কেউ ইচ্ছে করলেই এদেশের দ্রব্যের দাম বাড়াতে পারে না। সুতরাং বলা যায়, সুমির দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান।
ঘ সুমির দেশের অর্থব্যবস্থা হলো সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা। এ অর্থব্যবস্থার সাথে মিশ্র অর্থব্যবস্থার বেশ কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে অধিকাংশ সম্পদ উৎপাদনের উপাদানগুলোর মালিক হলো সরকার। এতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভোক্তারা সরকার নির্ধারিত উৎপাদিত দ্রব্যাদি ভোগ করে থাকে। কোনো ভোক্তা ইচ্ছাকৃত অর্থ ব্যয় করে কোনো কিছু ভোগ করতে পারে না। সরকার নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় বহুসংখ্যক বেসরকারি উদ্যোক্তার অবাধ প্রতিযোগিতা থাকে না। এখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে না। কৃষি, শিল্প, ব্যবসায়-বাণিজ্য সবই সরকারের অধীনে থাকে বলে ব্যক্তিগত মুনাফা থাকে না। অপরপক্ষে, মিশ্র অর্থব্যবস্থায় বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তিমালিকানায় অর্থব্যবস্থা পরিচালিত হয়ে থাকে। এখানে উৎপাদন, ব্যবসায়-বাণিজ্য, বণ্টন ও ভোগসহ অধিকাংশ অর্থনৈতিক কার্যাবলি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংগঠিত ও পরিচালিত হয়। মিশ্র অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতে ব্যাপক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। এ ব্যবস্থায় ভোক্তা সাধারণ দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও ভোগের ক্ষেত্রে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে। এতে চাহিদা ও যোগানের স্বয়ংক্রিয় ঘাত-প্রতিঘাতের দ্বারা দাম নির্ধারিত হয়। এসব দিক দিয়ে মিশ্র ও সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
প্রশ্ন- ২ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা
আসাদ দীর্ঘদিন ‘অ’ দেশে বাস করেন। স¤প্রতি তিনি দেশে বেড়াতে এসে ছোট ভাইকে তার প্রবাসী জীবনের অভিজ্ঞতার কথা শোনান। সেখানকার মানুষের মাথাপিছু আয় অত্যন্ত বেশি। সেখানে তিনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তার মালিককে কারখানা প্রতিষ্ঠার আগে সরকারের অনুমতি নিতে হয়নি। আবার সে তার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো দ্রব্য ভোগ করতে পারে।
ক. অ্যাডাম স্মিথের প্রদত্ত অর্থনীতির সংজ্ঞাটি লেখ।
খ. অর্থনীতিতে প্রণোদনার গুরুত্ব বর্ণনা কর।
গ. ‘অ’ দেশে প্রচলিত অর্থব্যবস্থার স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘অ’ দেশের অর্থব্যবস্থার সাথে বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থার পার্থক্য বিশ্লেষণ কর।
ক অ্যাডাম স্মিথ প্রদত্ত অর্থনীতির সংজ্ঞা হলো- অর্থনীতি এমন একটি বিজ্ঞান, যা জাতিসমূহের সম্পদের ধরন ও কারণ অনুসন্ধান করে।
খ অর্থনীতিতে প্রণোদনার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষ প্রণোদনা পায় বলে যেকোনো কাজ যতেœর সাথে করে। তার মধ্যে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। অর্থনীতির ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য। শ্রমিক অধিক প্রণোদনা পেলে অধিক উৎপাদনে সমর্থ হবে। এতে অর্থনীতির উন্নতি ঘটবে। তাই অর্থনীতিতে প্রণোদনার গুরুত্ব অপরিসীম।
গ উদ্দীপকে বর্ণিত ‘অ’ দেশে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান। ধনতান্ত্রিক অর্থনীতিতে সমাজের অধিকাংশ সম্পদ বা উৎপাদনের উপকরণগুলো ব্যক্তিমালিকানায় থাকে। ব্যক্তি এগুলো হস্তান্তর ও ভোগ করে থাকে। ধনতন্ত্রে অধিকাংশ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন : উৎপাদন, বিনিময়, বণ্টন, ভোগ প্রভৃতি ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত হয়। এসব উদ্যোগে সরকারের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। এ ব্যবস্থায় দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনে অনেক ফার্ম অবাধে প্রতিযোগিতা করে। ফলে দ্রব্যের দাম কম হয় এবং নতুন নতুন আবিষ্কার সম্ভব হয়। ধনতন্ত্রে বাজারের চাহিদা ও যোগান স্বয়ংক্রিয়ভাবে দ্রব্যের দাম নির্ধারণ করে। আসাদ যে দেশে বাস করেন সেখানকার মানুষের মাথাপিছু আয় অত্যন্ত বেশি। সেখানে তিনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তার মালিককে কারখানা প্রতিষ্ঠার আগে সরকারের অনুমতি নিতে হয়নি। আবার তিনি তার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো দ্রব্য ভোগ করতে পারেন। এতে বোঝা যায়, আসাদের দেশটি অর্থাৎ ‘অ’ দেশের অর্থব্যবস্থা ধনতান্ত্রিক।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যের আলোকে ‘অ’ দেশের অর্থব্যবস্থা হলো ধনতান্ত্রিক, যার সাথে বাংলাদেশে বিদ্যমান মিশ্র অর্থব্যবস্থার বেশ কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। যে অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং প্রধানত বেসরকারি উদ্যোগে, সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থার মাধ্যমে যাবতীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় তাকে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বলে। অন্যদিকে, যে অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি মালিকানাধীন ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ ও নিয়ন্ত্রণ বিরাজ করে তাকে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বলে। ধনতান্ত্রিক এবং মিশ্র অর্থব্যবস্থার উল্লিখিত সংজ্ঞার মধ্যেই এদের মধ্যে বিদ্যমান কিছু পার্থক্য সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়ে ওঠে। যেমন, ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সম্পত্তি ব্যক্তিমালিকানায় থাকে। কিন্তু মিশ্র অর্থনীতিতে সম্পত্তির মালিকানা ব্যক্তিগত এবং সরকারি হতে পারে। আবার ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদন, বণ্টন, ভোগ প্রভৃতি অর্থনৈতিক কার্যাবলি সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হয়। কিন্তু মিশ্র অর্থব্যবস্থায় এসব ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগও পরিলক্ষিত হয়। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় বিত্তবান ও সাধারণ জনগণের মধ্যে আয়-বৈষম্য বেশি থাকে। কিন্তু মিশ্র অর্থব্যবস্থায় সীমিত আকারে এ ধরনের বৈষম্য চোখে পড়ে। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, ‘অ’ দেশের অর্থাৎ ধনতান্ত্রিক ও বাংলাদেশে বিদ্যমান মিশ্র ব্যবস্থা অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দুটি দিক হলেও এদের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে।
বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. গ্রিক সভ্যতার বিখ্যাত দুইজন চিন্তাবিদ- [স. বো. ’১৬]
ক প্লেটো ও সক্রেটিস প্লেটো ও এরিস্টটল
গ প্লেটো ও আলেকজান্ডার ঘ সক্রেটিস ও আলেকজান্ডার
২. ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে? [স. বো. ’১৬]
ক এরিস্টটল খ প্লেটো কৌটিল্য ঘ অমর্ত্য সেন
৩. বাংলাদেশে কোন ধনের অর্থব্যবস্থা চালু আছে? [স. বো. ’১৬]
মিশ্র খ ধনতান্ত্রিক
গ মুক্তবাজার ঘ ইসলামি
৪. উন্নত অর্থব্যবস্থা হিসেবে কোনটিকে গণ্য করা হয়? [স. বো. ’১৫]
ক ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা খ সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা
গ ইসলামি অর্থব্যবস্থা মিশ্র অর্থব্যবস্থা
৫. গ্রিক সভ্যতার ইতিহাসে কাকে প্রথম অর্থনীতিবিদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়? [স. বো. ’১৫]
ক সক্রেটিস এরিস্টটল গ প্লেটো ঘ অ্যাডাম স্মিথ
৬. ‘অর্থনীতি এমন একটি বিজ্ঞান যা অসীম অভাব এবং বিকল্প ব্যবহারযোগ্য দু®প্রাপ্য সম্পদের মধ্যে সমন্বয় সাধন সংক্রান্ত মানবীয় আচরণ বিশ্লেষণ করে’ উক্তিটি কার?
[মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল; সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক অধ্যাপক মার্শাল খ কেয়ার্নক্রস
গ অ্যাডাম স্মিথ এল. রবিন্স
৭. আদিম সমাজে মানুষের জীবনযাপন কেমন ছিল?
[বি কে জি সি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হবিগঞ্জ]
ক ব্যয়বহুল সহজ-সরল গ কঠিন ঘ ভীতিকর
৮. এরিস্টটল কে ছিলেন? [সেন্ট প্লাসিডস হাইস্কুল, চট্টগ্রাম; যশোর জিলা স্কুল]
ক বিজ্ঞানী গ্রিক দার্শনিক
গ সমাজবিজ্ঞানী ঘ ইংরেজ অর্থনীতিবিদ
৯. প্রথম কোথায় ভ‚মির ওপর ব্যক্তি মালিকানার ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়?
[কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক ইতালি গ্রিসে গ ফ্রান্সে ঘ ভারতে
১০. গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটলের সময়ে নিচের কোন ঘটনাটি ঘটে?
[মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক দাসপ্রথার সৃষ্টি হয়
খ মহামন্দা দেখা দেয়
ভ‚মির ওপর ব্যক্তিমালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়
ঘ ভ‚মিবাদীদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
১১. যদি গ্রিক সভ্যতার ইতিহাসে এরিস্টটলকে প্রথম অর্থনীতিবিদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় তাহলে অর্থনীতির চর্চা প্রথম কোথায় শুরু হয়?
[দি বাডস রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, শ্রীমঙ্গল]
ক প্রাচীন ইংল্যান্ডে খ প্রাচীন ভারতে
গ প্রাচীন রোমে প্রাচীন গ্রিসে
১২. গ্রিক কীরূপ সভ্যতা ছিল? [বি কে জি সি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হবিগঞ্জ]
ক বহু রাষ্ট্রভিত্তিক নগর রাষ্ট্রভিত্তিক
গ দাসভিত্তিক ঘ এক রাষ্ট্রভিত্তিক
১৩. ঙরশড়হড়সরধ কোন দেশি শব্দ? [পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজ, বগুড়া]
ক আমেরিকা গ্রিক গ জার্মানি ঘ রাশিয়া
১৪. অর্থনীতিকে গৃহপরিচালনার বিজ্ঞান হিসেবে অভিহিত করেন কে?
[প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, মুন্সীগঞ্জ]
এরিস্টটল খ স্যামুয়েলসন
গ মার্শাল ঘ এল. রবিনস
১৫. কখন ইংল্যান্ড, ইতালি ও ফ্রান্সে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার ঘটে?
[বিএএফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক ১৫০০-১৬০০ খ ১৫৫০-১৭৫০
গ ১৬৯০-১৭৬০ ১৫৯০-১৭৮০
১৬. অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের যে প্রসার ঘটে তাকে কী বলা হয়? [সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]
বাণিজ্যবাদ খ ভ‚মিবাদ গ সামন্তবাদ ঘ পুঁজিবাদ
১৭. কোন দেশের উৎপাদিত পণ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে মূল্যবান ধাতু আমদানি করত? [জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ইংল্যান্ডের খ ফ্রান্সের
গ ইতালির ঘ প্রাচীন ভারতের
১৮. ফরাসিরা কোন সময়ে ভ‚মিবাদ মতবাদ প্রচার করে?
[বীণাপাণি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ]
ক ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগে খ সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে
অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ঘ ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে
১৯. ফরাসিরা কোন দেশের বাণিজ্যবাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভ‚মিবাদ মতবাদ প্রচার করেছিল? [নোয়াখালি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ইতালির খ ফ্রান্সের গ গ্রিসের ইংল্যান্ডের
২০. ইংল্যান্ডে বাণিজ্যবাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভ‚মিবাদ মতবাদ কোন দেশে প্রচার করা হয়? [মনিরামপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর]
ফ্রান্সে খ ইংল্যান্ডে গ আমেরিকায় ঘ জার্মানিতে
২১. ভ‚মিবাদীদের মতে উৎপাদনশীল খাত বলতে কোন খাতকে বোঝায়?
[আমেনা বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল হাইস্কুল, দিনাজপুর]
কৃষি খ শিল্প গ বাণিজ্য ঘ রপ্তানি
২২. কোন খাতকে ভ‚মিবাদীরা অনুৎপাদনশীল খাত বলে মন করত?
[পুলিশ লাইন হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বগুড়া]
শিল্প ও বাণিজ্য খ কৃষি
গ মৎস্য ক্ষেত্র ঘ খনিজ
২৩. ডবধষঃয ড়ভ ঘধঃরড়হং গ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
[বি, এ এফ শাহীন কলেজ চট্টগ্রাম]
ক ১৭০০ খ ১৭৭৫ ১৭৭৬ ঘ ১৮০০
২৪. অহ ওহয়ঁরৎু রহঃড় ঃযব ঘধঃঁৎব ধহফ ঈধঁংবং ড়ভ ঃযব ডবধষঃয ড়ভ ঘধঃরড়হং- গ্রন্থটি কার রচনা?
[কামরুননেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]
অ্যাডাম স্মিথ খ মার্শাল গ স্যামুয়েলসন ঘ এল. রবিন্স
২৫. সামরিক এবং সফল রাষ্ট্র পরিচালক হিসেবে কারা পরিচিত ছিল?
[সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঝালকাঠি]
রোমানরা খ গ্রিকরা
গ মিশরীয়রা ঘ ইউরোপীয়রা
২৬. একজন ব্যক্তির একই সাথে রঙিন টিভি, মোবাইল, শার্ট এবং ঘড়ির প্রয়োজন। এমতাবস্থায় সে কোনটি আগে কিনবে?
[ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইনস্টিটিউট, ঢাকা]
ক টেলিভিশন শার্ট গ ঘড়ি ঘ মোবাইল
২৭. সুমি তার মামার বাসায় গিয়েছিল। তার মামা একটি বই পড়ছিল। বইটিতে অর্থসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বইটি কোন বিষয়ের ছিল? [সেন্ট ফ্রান্সিস হাই স্কুল, ঢাকা]
ক পারিবারিক হিসাব অর্থনীতি
গ শেয়ার বাজার ঘ সমাজবিজ্ঞান
২৮. ‘অর্থনীতি এমন একটি বিজ্ঞান যা অসীম অভাব এবং বিকল্প ব্যবহারযোগ্য দু®প্রাপ্য সম্পদের মধ্যে সমন্বয় সাধন সংক্রান্ত মানবীয় আচরণ বিশ্লেষণ করে’ উক্তিটি কার? (জ্ঞান)
[মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল; সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক অধ্যাপক মার্শাল খ কেয়ার্নক্রস
গ অ্যাডাম স্মিথ এল. রবিন্স
২৯. কোন ধারার অর্থনীতিবিদরা অর্থনীতিকে সম্পদের বিজ্ঞান বলে মনে করেন? [দি বাডস রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, শ্রীমঙ্গল]
ক্লাসিক্যাল খ নয়া ক্লাসিক্যাল
গ আধুনিক ঘ প্রাচীন
৩০. ‘অর্থনীতি এমন একটি বিজ্ঞান যা জাতিসমূহের সম্পদের ধরন ও কারণ সম্পর্কে অনুসন্ধান করে’- উক্তিটি কার? [ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক অধ্যাপক মার্শাল খ কেয়ার্নক্রস
অ্যাডাম স্মিথ ঘ এল. রবিন্স
৩১. ‘অর্থনীতি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ কার্যাবলি আলোচনা করে’ উক্তিটি কার? [দি বাডস রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, শ্রীমঙ্গল]
ক এল. রবিন্স খ স্যামুয়েলসন মার্শাল ঘ জনলক
৩২. অর্থনীতির সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞাটি কে দিয়েছেন?
[সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঝালকাঠি]
ক রিকার্ডো খ অ্যাডাম স্মিথ
অধ্যাপক এল. রবিন্স ঘ অধ্যাপক মার্শাল
৩৩. অর্থনীতির মৌলিক নীতিমালা কয়টি? [পুলিশ লাইন্স হাইস্কুল এন্ড কলেজ, বগুড়া]
ক ২ খ ৪ গ ৫ ১০
৩৪. অর্থনীতির মৌলিক নীতিমালা দেওয়া-নেওয়ার ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
[বিএএফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রাম]
ঞৎধফব-ড়ভভং খ ইবঃঃবৎ-ড়ভভং
গ ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু ড়ভভং ঘ জবংঢ়ড়হফ-ড়ভভং
৩৫. অর্থনীতির ভাষায় মানুষ সাধারণত কোন পর্যায়ের চিন্তা করে?
[দি বাডস রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, শ্রীমঙ্গল]
ক প্রারম্ভিক পর্যায়ের খ মধ্যম পর্যায়ের
প্রান্তিক পর্যায়ের ঘ বৃহৎ পর্যায়ের
৩৬. বিশ্ববিখ্যাত টয়োটা কোম্পানি কোন দেশের? [বিএএফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক চীন জাপান গ জার্মানি ঘ ইংল্যান্ড
৩৭. মুদ্রাস্ফীতি ঘটলে কী হয়? [দি বাডস রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, শ্রীমঙ্গল;
সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঝালকাঠি]
অর্থের মান কমে খ দ্রব্যমূল্য কমে
গ অর্থমূল্য বাড়ে ঘ অর্থমূল্য অপরিবর্তিত থাকে
৩৮. দ্রব্যমূল্য দ্রæত বেড়ে যাওয়ার নাম কী? [বিএএফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রাম]
মুদ্রাস্ফীতি খ মূল্যস্ফীতি
গ সংকটাপন্ন অবস্থা ঘ পণ্য সংকট
৩৯. একটি সরল অর্থনীতিতে কয় ধরনের প্রতিনিধি থাকে?
[সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঝালকাঠি]
দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
৪০. অর্থনীতিতে ফার্মের যা ব্যয় পরিবারের তা কী?
সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ঝালকাঠি
আয় খ সঞ্চয় গ মূলধন ঘ বিনিয়োগ
৪১. জাতীয় আয় ও জাতীয় ব্যয়ের মধ্যে কী বিদ্যমান থাকে?
চক্রাকার প্রবাহ খ আয়তকার প্রবাহ
গ বর্গাকার প্রবাহ ঘ নিট আয়
৪২. পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য কোনটি? [শিশুকুঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ, ঝিনাইদহ]
ক সীমিত প্রতিযোগিতা স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি
গ সম্পদের রাষ্ট্রীয় মালিকানা ঘ স্বল্পসংখ্যক
৪৩. কোন বিপ্লবের মধ্য দিয়ে পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটে?
[বি কে জি সি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হবিগঞ্জ]
ফরাসি বিপ্লবের খ মে দিবসের
গ শ্রমিক বিপ্লবের ঘ শিল্প বিপ্লবের
৪৪. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার প্রথম প্রচলন হয় কোথায়?
[দি বাডস রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, শ্রীমঙ্গল]
ক আমেরিকায় খ চীনে
ইউরোপে ঘ অস্ট্রেলিয়ায়
৪৫. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদন, বিনিময় ও ভোগসহ সম্পদের সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় কীভাবে?
[কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে খ রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তির উদ্যোগে
ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঘ সাধারণ মানুষের উদ্যোগে
৪৬. কীভাবে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় অর্থনৈতিক কার্যাবলি পরিচালিত হয়? [ইকবালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা]
ক স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থার দ্বারা খ সরকারি-বেসরকারি উদ্যোক্তা দ্বারা
রাষ্ট্রীয় মালিকানা দ্বারা ঘ ভোগকারীর স্বাধীন ইচ্ছা দ্বারা
৪৭. কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় জমি, কারখানা, খনি ও অন্যান্য সম্পদের ওপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা বজায় থাকে? [ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ]
ক ধনতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক
গ মিশ্র ঘ ইসলামি
৪৮. সমাজতন্ত্রে ভোক্তার স্বাধীনতা কেমন? [মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক অসীম খ বেশি গ মুক্ত সীমাবদ্ধ
৪৯. উইলিয়ামসের দেশে সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ সাধন। এটি কোন অর্থব্যবস্থা নির্দেশ করে?
[জগদীশ সরস্বতী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ]
ক ধনতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক
গ মিশ্র ঘ ইসলামি
৫০. কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত মালিকানা অনুপস্থিত?
[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ]
ক ধনতান্ত্রিক খ মিশ্র অর্থনীতি
সমাজতান্ত্রিক ঘ ইসলামি অর্থনীতি
৫১. মিশ্র অর্থনীতিতে দাম ব্যবস্থা কোন ব্যবস্থার অনুরূপ?
[কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল, সাতক্ষীরা]
ক সমাজতন্ত্রের অনুরূপ ধনতন্ত্রের অনুরূপ
গ মিশ্র ব্যবস্থার অনুরূপ ঘ ইসলামি ব্যবস্থার অনুরূপ
৫২. কোন ধরনের অর্থব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে দ্রব্য উৎপাদন ও দাম নিয়ন্ত্রণ হয়? [পিএন সরকারি বালিচা উচ্চ বিদ্যালয়, রাজশাহী]
ক সমাজতান্ত্রিক খ ধনতান্ত্রিক
গ ইসলামি মিশ্র
৫৩. কোনটি মিশ্র অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য নয়? [বিএএফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রাম]
কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা খ সরকারি উদ্যোগ
গ দাম ব্যবস্থা ঘ ভোক্তার স্বাধীনতা
৫৪. কোন ব্যবস্থায় আল্লাহর বিধান অনুযায়ী যাবতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পাদিত হয়? [গভ. মডেল গার্লস হাইস্কুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া]
ক ধনতান্ত্রিক খ সমাজতান্ত্রিক গ মিশ্র ইসলামি
৫৫. কোন অর্থব্যবস্থায় ব্যাংক ব্যবস্থায় সুদমুক্ত আমানতের কথা বলা হয়েছে?
[সেন্ট জোসেফ হাই স্কুল, খুলনা]
ক ধনতান্ত্রিক খ সমাজতান্ত্রিক গ মিশ্র ইসলামি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৬. হিব্রু সভ্যতার ধর্মগ্রন্থে বা দর্শনশাস্ত্রে আলোচিত হতো
[নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. অর্থনীতি রর. আয়
ররর. নৈতিকতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫৭. অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার ঘটে-
[কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. ইংল্যান্ডে রর. ইতালিতে
ররর. ফ্রান্সে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫৮. গ্রিক সভ্যতায় অর্থনীতির যেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হতো
[নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. ব্যবসায়
রর. অর্থের ব্যবহার
ররর. শ্রম বিভাজন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫৯. যেসব লক্ষ্য অর্জনের জন্য ইংল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা বেশি রপ্তানি করত এবং খুব সামান্যই আমদানি করত- [ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. দেশের ধনসম্পদ বৃদ্ধি রর. রাষ্ট্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি
ররর. বাণিজ্য উদ্বৃত্তকরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬০. অর্থনীতির প্রধান সমস্যা হলো- [পিরোজপুর জিলা স্কুল]
র. অসীম অভাব রর. সসীম অভাব
ররর. সম্পদের দুষ্প্রাপ্যতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬১. অর্থনীতিকে সম্পদের বিজ্ঞান বলে মনে করেনÑ
[বি কে জি সি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হবিগঞ্জ]
র. অ্যাডাম স্মিথ রর. জন স্টুয়ার্ট মিল
ররর. এল. রবিন্স
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬২. এল. রবিন্সের সংজ্ঞাটির সমালোচনার দিক হলো
[গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. অর্থনীতির সামাজিক অবস্থা
রর. অর্থনৈতিক উন্নয়ন
ররর. সম্পদ স্বল্পতার সমস্যা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৩. ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় একটি অদৃশ্য শক্তি দ্বারা এই অদৃশ্য শক্তি হলোÑ [নাটোর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়]
র. দাম ব্যবস্থা রর. চাহিদা
ররর. অভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ র ও রর ঘ র, রর ও ররর
৬৪. রফিক একজন ভোক্তা। ভোগের ক্ষেত্রে সে কোন দ্রব্য কতটুকু ভোগ করবে তা স্থির হবে তার- [আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
র. নিজস্ব ইচ্ছা অনুযায়ী রর. পছন্দ ও রুচি অনুযায়ী
ররর. সামর্থ্য অনুযায়ী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬৫. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সরকারের অধীনে থাকেÑ
[আল হেরা একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ, পাবনা]
র. কৃষি
রর. শিল্প
ররর. বাণিজ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬৬. ইসলামি অর্থনীতির শরিয়তের ভিত্তি হলো [ইক্ষু গবেষণা উচ্চ বিদ্যালয়, ঈশ্বরদী, পাবনা]
র. পবিত্র কুরআনের নির্দেশ
রর. রাসুল (স) এর হাদিস
ররর. খলিফার নির্দেশ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৭ ও ৬৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সাকিব ‘ক’ দেশে বসবাস করে। সেখানে উৎপাদন, ভোগ, বণ্টন কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিচালিত হয়। [স. বো. ’১৬]
৬৭. ‘ক’ দেশের অর্থনীতিতে কোন ধরনের অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান?
ক ধনতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক
গ মিশ্র ঘ ইসলামি
৬৮. সাকিবের দেশের অর্থব্যবস্থায়-
ক বেসরকারি উদ্যোক্তা থাকে না
স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থা বিদ্যমান
গ সম্পদের রাষ্ট্রীয় মালিকানা থাকে না
ঘ ভোক্তার অবাধ স্বাধীনতা থাকে
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৯ ও ৭০ নং উত্তর প্রশ্নের দাও :
রাজিব স¤প্রতি সরকারের প্রশাসনিক বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পেয়েছেন। কিন্তু আন্তরিক ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও তিনি জাতীয় আয়, দাম ব্যবস্থা, বিনিয়োগ ইত্যাদি বিষয়গুলোতে যথেষ্ট দক্ষতা দেখাতে পারছেন না। তার সহকর্মী রফিক তাকে সম্পদের বিজ্ঞানের ওপর জ্ঞান অর্জনের পরামর্শ দেন।
[লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ]
৬৯. রফিক সাহেব সম্পদের বিজ্ঞান বলতে কোন বিষয়কে বুঝিয়েছেন?
ক সমাজবিজ্ঞান অর্থনীতি গ রাষ্ট্রবিজ্ঞান ঘ সমাজকল্যাণ
৭০. রফিক সাহেবের পরামর্শ কীভাবে রাজিব সাহেবকে দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করবে-
র. অর্থনীতির জ্ঞান অর্জন করে
রর. অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলো জেনে
ররর. অর্থনীতির সমালোচনা করে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদ পড়ে ৭১ ও ৭২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ঢ চীন দেশের নাগরিক। তিনি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তার কাছে ব্যবসায় পরিচালনা করার মতো অর্থ থাকলেও করতে পারছেন না। কেননা সেখানে সবকিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন।
[মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল]
৭১. ঢ-এর দেশে কোন অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান?
সমাজতান্ত্রিক খ ধনতান্ত্রিক গ ইসলামি ঘ মিশ্র
৭২. কোন অর্থব্যবস্থায় কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাত রাষ্ট্রীয় মালিকানায় পরিচালিত হয়? [আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান স্কুল, বগুড়া]
ক সমাজতান্ত্রিক খ ইসলামি গ ধনতান্ত্রিক মিশ্র
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৩ ও ৭৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মাসুম সাহেবের দুইটি সন্তান। প্রথম সন্তানকে একটি সরকারি স্কুলে ভর্তি করাতে পেরেছেন। কিন্তু অন্য সন্তানটি সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ না পাওয়াতে তাকে বেসরকারি একটি স্কুলে ভর্তি করাতে বাধ্য হন। কিন্তু বেসরকারি স্কুলের বেতন অনেক বেশি। [পঞ্চগড় বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
৭৩. অনুচ্ছেদটি কোন অর্থব্যবস্থার কর্মকাণ্ডের দিকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে?
ক ধনতান্ত্রিক খ সমাজতন্ত্র
মিশ্র ঘ সরকারি উদ্যোগ
৭৪. উক্ত অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-
র. ভোক্তার স্বাধীনতা
রর. ব্যক্তিগত উদ্যোগ
ররর. সরকারি উদ্যোগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৫ ও ৭৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মোহাম্মদ আলী স্যার বলেছেন, এমন একটি অর্থব্যবস্থা আছে যেখানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থব্যবস্থার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা হয়। এ অর্থব্যবস্থায় বেসরকারি উদ্যোগকে উৎসাহিত করা হয়। আবার সরকারি নিয়ন্ত্রণও বিদ্যমান।
[স্বরূপকাঠি কলেজিয়েট একাডেমি]
৭৫. মোহাম্মদ আলী স্যার যে অর্থব্যবস্থার দিকে ইঙ্গিত করেছেন সেটি কোন অর্থব্যবস্থা?
ক ধনতান্ত্রিক মিশ্র গ ইসলামি ঘ সমাজতন্ত্র
৭৬. মোহাম্মদ আলী স্যার যে অর্থব্যবস্থার কথা বলেছেন তার মধ্যে দেখা যায়Ñ
র. উৎপাদনের উপকরণসমূহ ব্যক্তিগত ও সরকারি মালিকানায় থাকে
রর. উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগের ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা থাকে
ররর. উৎপাদনকারীর লক্ষ্য হলো মুনাফা অর্জন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৭ ও ৭৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
উৎপাদনের একটি অন্যতম উপাদান হলো মূলধন। সাধারণত মূলধন প্রদানকারীকে সুদ প্রদান করা হয়। কিন্তু একটি বিশেষ অর্থব্যবস্থায় তা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। [মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
৭৭. উল্লিখিত অংশে কোন অর্থব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে?
ক সমাজতন্ত্র খ মিশ্র ইসলামি ঘ ধনতন্ত্র
৭৮. এ ধরনের অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হলো-
র. শোষণমুক্ত উৎপাদন প্রক্রিয়া
রর. মজুরি প্রদানের ন্যায় ও সাম্যনীতি
ররর. অবদানের ভিত্তিতে পাওনা পরিশোধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ভ‚মিকা : বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ০১
৭৯. মানুষ বেঁচে থাকার জন্য কী করে? (জ্ঞান)
সংগ্রাম খ কাজ গ সম্পর্ক ঘ অর্থ উপার্জন
৮০. সমাজ ও দেশের সমৃদ্ধিতে কীসের ভ‚মিকা রয়েছে? (অনুধাবন)
ক সমাজ বিজ্ঞানের খ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের
অর্থনীতির ঘ বিজ্ঞানের
পাঠ-১.১ : অর্থনীতির উৎপত্তি ও বিকাশ
বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ০২
ভ‚মির উপর প্রথম ব্যক্তিমালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় গ্রিসে।
ব্যক্তিমালিকানার ধারণাটি প্রথম গ্রহণ করেন এরিস্টটল।
গ্রিক সভ্যতার দুই চিন্তাবিদ হলেন প্লেটো ও এরিস্টটল।
কৃষিকে সম্মানজনক পেশা মনে করা হতো রোমান সমাজে।
ভ‚মিবাদ মতবাদ প্রচার করেন ফরাসিরা।
‘বাণিজ্যবাদ’ এর প্রসার ঘটে ১৫৯০-১৭৮০ সালে।
আজকের অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলো স্মিথের বই।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮১. আদিম অর্থনীতিতে দ্রব্যসামগ্রী বিনিময় রীতি কেমন ছিল? (অনুধাবন)
খুব সীমিত খ প্রচুর গ অসংখ্য ঘ দৈনন্দিন
৮২. আদিম সমাজে উৎপাদনের মূল উপকরণ কী ছিল? (জ্ঞান)
ক পশুশ্রম কায়িক পরিশ্রম গ শস্যবীজ ঘ হাতিয়ার
৮৩. হিব্রæ সভ্যতার সময়কাল কোনটি? (জ্ঞান)
ক ২২০০ খ্রিষ্টপূর্ব খ ২৩০০ খ্রিষ্টপূর্ব
২৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব ঘ ২৭০০ খ্রিষ্টপূর্ব
৮৪. কোন সভ্যতার যুগে ধর্মগ্রন্থ ও দর্শনের বইয়ে অর্থনীতির কিছু আলোচনা পাওয়া যায়? (জ্ঞান)
ক সিন্ধু হিব্রæ গ মিসরীয় ঘ গ্রিক
৮৫. কখন অর্থনীতি বিষয়ে আলাদা কোনো অস্তিত্ব ছিল না? (জ্ঞান)
ক খ্রিষ্টপূর্ব ২১০০ খ খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০
গ খ্রিষ্টপূর্ব ২২০০ খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০
৮৬. কোনটি বর্তমান ইউরোপীয় সভ্যতার মূল ভিত্তি? (জ্ঞান)
ক ভারতীয় সভ্যতা খ ব্যাবিলনীয় সভ্যতা
গ্রিক সভ্যতা ঘ হিব্রæ সভ্যতা
৮৭. কোন ধর্মকে বর্তমান ইউরোপীয় সভ্যতার মূলভিত্তি হিসেবে ধরা হয়? (অনুধাবন)
ক ইসলাম খ হিন্দু খ্রিষ্ট ঘ বৌদ্ধ
৮৮. ব্যক্তিমালিকানার ধারণাটি প্রথম গ্রহণ করেন কে? (জ্ঞান)
ক অ্যাডাম স্মিথ খ এল. রবিন্স গ মার্শাল এরিস্টটল
৮৯. কোনটি গ্রিক সভ্যতার স্বীকৃত বিষয় ছিল? (জ্ঞান)
ক শ্রমবিভাজন দাসপ্রথা
গ জমিদার প্রথা ঘ সুদপ্রথা
৯০. অর্থনীতির ইংরেজি প্রতিশব্দ কোনটি? (জ্ঞান)
ক ঊপড়হড়সু খ ঊপড়হড়সরপ
গ ঊপড়ষড়মু ঊপড়হড়সরপং
৯১. ঊপড়হড়সরপ শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে? (জ্ঞান)
ক ঊপড়হড়সরপ খ ঙরশড়হরসরপ
ঙরশড়হড়সরধ ঘ ঊপড়হড়
৯২. ঙরশড়হড়সরধ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
গৃহস্থালির ব্যবস্থাপনা খ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড
গ অর্থনীতি ঘ অর্থনৈতিক সহযোগিতা
৯৩. অর্থনীতির কোন মৌলিক বিষয় নিয়ে দুই গ্রিক চিন্তাবিদ আলোচনা করেছেন? (জ্ঞান)
ক উপযোগ শ্রমিকের মজুরি
গ সম্পদের দুষ্প্রাপ্যতা ঘ অভাব
৯৪. কারা গ্রিকদের দেওয়া অর্থনৈতিক চিন্তাধারাকে নিজের করে নেয়? (জ্ঞান)
ক ডাচ্রা খ পর্তুগিজরা রোমানরা ঘ ইংরেজরা
৯৫. কৃষিকে মহৎ পেশা হিসেবে গ্রহণ করা হতো কোন সমাজে? (জ্ঞান)
রোমান খ হিব্রæ গ মিসরীয় ঘ গ্রিক
৯৬. কারা অর্থলগ্নি করা বা সুদকে খুনের সমান অপরাধ বলে মনে করতেন? (জ্ঞান)
ক গ্রিক দার্শনিকরা খ ফরাসি দার্শনিকরা
গ ল্যাটিন দার্শনিকরা রোমান দার্শনিকরা
৯৭. ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থটি কার রচনা? (জ্ঞান)
ক এরিস্টটল কৌটিল্য
গ প্লেটো ঘ ইবনে খালদুন
৯৮. কারা রাষ্ট্রের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বেশি রপ্তানি করত? (অনুধাবন)
ক রোমান ব্যবসায়িরা খ গ্রিক ব্যবসায়িরা
গ ফরাসি ব্যবসায়িরা ব্রিটিশ ব্যবসায়িরা
৯৯. ইংল্যান্ডে উৎপাদিত পণ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে তারা কী সংগ্রহ করত? (অনুধাবন)
ক কৃষি উপকরণ খ মূল্যবান শিল্পসামগ্রী
গ শ্রমিক মূল্যবান ধাতু
১০০. ইংল্যান্ডে বাণিজ্যবাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভ‚মিবাদ মতবাদ কোন দেশে প্রচার করা হয়? (অনুধাবন)
ফ্রান্সে খ গ্রিসে গ আমেরিকায় ঘ ইতালিতে
১০১. কে সর্বপ্রথম অর্থনীতিকে একটি স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে রূপদান করেন? (জ্ঞান)
ক মার্শাল অ্যাডাম স্মিথ
গ এল. রবিন্স ঘ স্যামুয়েলসন
১০২. কোন অর্থনীতিবিদের বই আজকের অর্থনীতির মূল ভিত্তি? (জ্ঞান)
ক প্লেটো খ এরিস্টটল
অ্যাডাম স্মিথ ঘ ম্যালথাস
১০৩. অ্যাডাম স্মিথ কোন দেশের অর্থনীতিবিদ? (জ্ঞান)
ক আমেরিকার ইংল্যান্ডের গ ফরাসির ঘ ইতালির
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৪. আদিম সমাজে মানুষের মৌলিক চাহিদা ছিল (অনুধাবন)
র. চিকিৎসা
রর. খাবার-দাবার
ররর. বাসস্থান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৫. বর্তমান ইউরোপীয় সভ্যতার মূল ভিত্তি হলো (অনুধাবন)
র. খ্রিষ্টধর্ম
রর. গ্রিক চিন্তাবিদদের চিন্তা-ভাবনা
ররর. রোমান আইন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৬. রোমান সমাজে কৃষিকে মনে করা হতো (অনুধাবন)
র. সম্মানজনক পেশা
রর. সর্বোৎকৃষ্ট পেশা
ররর. মহৎ পেশা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৭. ফরাসিরা ভ‚মিবাদ মতবাদ প্রচার করেন যেসবের বিপক্ষে তা হলো (অনুধাবন)
র. অতিরিক্ত করারোপ
রর. ধনী মানুষের বিলাসী জীবনযাপন
ররর. ইংল্যান্ডের বাণিজ্যবাদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৮. প্রাচীন ভারতে চতুর্থ খ্রিষ্টপূর্বে কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্রে’ যেসব বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয় তা হলো (অনুধাবন)
র. রাজনীতি
রর. অর্থনীতি
ররর. সামরিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৯. ভ‚মিবাদীদের মতে অনুৎপাদনশীল খাত ছিলÑ (অনুধাবন)
র. শিল্পখাত রর. বাণিজ্যখাত
ররর. কৃষিখাত
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১০. খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ অব্দে অর্থনীতির সাথে আলোচিত হতোÑ (অনুধাবন)
র. ধর্ম ও নৈতিকতা রর. আয়
ররর. দর্শন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১১১. রাজনীতি, সমাজ, অর্থনীতি ও সামরিক বিষয়ের ওপর আলোচনা ছিলÑ (অনুধাবন)
র. কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্রে’
রর. প্রাচীন ভারতে
ররর. হিব্রæ সভ্যতার ধর্মগ্রন্থে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ক র, রর ও ররর
১১২. প্লেটো ও এরিস্টটল অর্থনীতির যেসব মৌলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেনÑ (অনুধাবন)
র. শ্রমিকের মজুরি
রর. দাসপ্রথা ও সুদপ্রথা
ররর. ভ‚মি ও কৃষিকাজ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ক র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১৩ ও ১১৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রমলা সেন একটি সমাজ সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে বলেন, এ সমাজের মানুষ গ্রিকদের দেয়া অর্থনৈতিক চিন্তাধারাকে ধারণ করে। এ সমাজে কৃষিকে অত্যন্ত মহৎ এবং সম্মানজনক পেশা মনে করা হতো। রমলার ধারণাকে সমর্থন করে দীপা বলল, এ সমাজের দার্শনিকরা টাকা সুদে খাটানোকে খুনের সমান অপরাধ বলে মনে করে।
১১৩. রমলা সেন এবং দীপা কোন সমাজ সম্পর্কে ইঙ্গিত প্রদান করেছে? (প্রয়োগ)
ক হিব্রæ রোমান গ সিন্ধু ঘ গ্রিক
১১৪. উক্ত সমাজের মানুষ যে হিসেবে অধিক পরিচিত (অনুধাবন)
র. সামরিক দক্ষতাসম্পন্ন
রর. সফল রাষ্ট্রপরিচালক
ররর. বাণিজ্যিক দক্ষতাসম্পন্ন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-১.২ : দুটি মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা : দু®প্রাপ্যতা ও অসীম অভাব বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ০৩
মানুষের না পাওয়ার নাম অভাব।
মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা দু®প্রাপ্যতা ও অসীম অভাব।
অর্থনীতিতে প্রয়োজনের তুলনায় সম্পদ কম থাকাকে সম্পদের দু®প্রাপ্যতা বলে।
সীমিত সম্পদ দ্বারা অভাব পূরণ করা সম্ভব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে।
মানুষের কিছু অভাব পূরণ করে অভাবের গুরুত্ব বিবেচনা করে।
সম্পদ অসীম হলে দু®প্রাপ্যতার সৃষ্টি হতো না।
চাহিদা অনেক হলেও দু®প্রাপ্য নয় সূর্যের আলো, বাতাস ইত্যাদি।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৫. মানুষের জীবনে কোনটির শেষ নেই? (জ্ঞান)
ক তৃপ্তির খ অর্থের অভাবের ঘ সম্পত্তির
১১৬. অর্থনীতিতে প্রয়োজনের তুলনায় সম্পদ কম থাকাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক সম্পদের প্রাচুর্যতা খ অবাধলভ্য
গ অসীম অভাব সম্পদের দু®প্রাপ্যতা
১১৭. অসীম অভাব অথচ সীমিত সম্পদ এ পরিস্থিতিতে কীভাবে অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
অসীম অভাবের মধ্যে কোনটি বেশি প্রয়োজন তা বাছাই করা
খ সমাজে মর্যাদা বাড়বে এমন প্রয়োজনটি পূরণ করে
গ বাজারে যে পণ্যটি সস্তা তা ক্রয় করে
ঘ যে অভাব পূরণে দেশীয় পণ্য ব্যবহার সম্ভব তা বাছাই করে
১১৮. মানুষ কোন মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হয়? (জ্ঞান)
অভাব নির্বাচনের সমস্যা খ অর্থনৈতিক পরিকল্পনার সমস্যা
গ সুষ্ঠু জ্ঞানের অভাব ঘ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের সমস্যা
১১৯. অর্থনীতিতে যেকোনো দ্রব্য বা সেবা সামগ্রী উৎপাদন করতে কী দরকার হয়? (জ্ঞান)
সম্পদ খ বুদ্ধি
গ নদীর পানি ঘ সূর্যের আলো
১২০. কী দ্বারা মানুষ অসীম অভাব পূরণের জন্য প্রচেষ্টা চালায়? (জ্ঞান)
সীমিত সম্পদ খ কৌশল গ শিক্ষা ঘ অলংকার
১২১. কী কারণে অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হয়? (অনুধাবন)
ক সসীম অভাব খ অসীম অভাব
সম্পদের স্বল্পতা ঘ অধিক উৎপাদন
১২২. মানুষের অভাব কেমন? (অনুধাবন)
অসীম খ সসীম গ সম্পূরক ঘ তুলনাহীন
১২৩. ‘সম্পদ সীমিত বলেই সমাজে সম্পদের সবচেয়ে ভালোভাবে ব্যবহারের প্রশ্নটি গুরুত্ব পায়’ উক্তিটি কার? (জ্ঞান)
ক এরিস্টটলের খ অ্যাডাম স্মিথের
স্যামুয়েলসনের ঘ মার্শালের
১২৪. মানুষ অর্থ উপার্জন করে কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সুখে থাকার জন্য অভাব পূরণের জন্য
গ ধনী হওয়ার জন্য ঘ দান-খয়রাত করার জন্য
১২৫. সীমিত সম্পদ দ্বারা কীভাবে অভাব পূরণ করা সম্ভব? (অনুধাবন)
ক ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে খ রাষ্ট্রের অর্থব্যবস্থার ভিত্তিতে
গ বৈধ উপার্জনের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে
১২৬. মানুষ কীভাবে তার প্রয়োজনীয় অভাব পূরণ করে? (অনুধাবন)
অভাব নির্বাচনের মাধ্যমে খ ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে
গ অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে ঘ অর্থনীতির পাঠের মাধ্যমে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২৭. অপ্রতুল সম্পদ দ্বারা অসীম অভাব পূরণ করতে গিয়ে মানুষ যেসব মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হয় তা হলোÑ (অনুধাবন)
র. উৎপাদন কৌশলের সমস্যা
রর. অভাব নির্বাচনের সমস্যা
ররর. সম্পদের স্বল্পতার সমস্যা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৮. অর্থনীতিবিদ স্যামুয়েলসনের সংজ্ঞায় ফুটে উঠেছে (অনুধাবন)
র. সম্পদের সঠিক ব্যবহার
রর. অসীম অভাব
ররর. সম্পদের সঠিক বণ্টন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৯. দুষ্প্রাপ্যতার কারণ হলো (অনুধাবন)
র. অসীম অভাব
রর. সীমিত সম্পদ
ররর. পণ্যের অপ্রতুলতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৩০. মিলন সাহেব প্রতিনিয়ত অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছেন। তিনি যে ধরনের সমস্যায় ভুগছেনÑ (প্রয়োগ)
র. সম্পদের স্বল্পতা
রর. জমির স্বল্পতা
ররর. উৎপাদনের স্বল্পতা
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩১ ও ১৩২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জনাব রায়হান ৫০০০ টাকা বেতন পেয়ে প্রথমে ঘরের ফার্নিচার কেনার ইচ্ছা পোষণ করলেন। পরে অনেক ভেবে সেই টাকা দিয়ে পরিবারের সবার জন্য খাদ্য সামগ্রী কিনলেন।
১৩১. জনাব রায়হান অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে অর্থনীতির কোন ধারণাটির প্রয়োগ করেছেন? (প্রয়োগ)
ক আয় খ সঞ্চয়
অভাব নির্বাচন ঘ বিনিয়োগ
১৩২. জনাব রায়হানের পরিস্থিতি কোনটি সৃষ্টির জন্য দায়ী? (প্রয়োগ)
সম্পদের দু®প্রাপ্যতা খ মিশ্র অর্থব্যবস্থা
গ সুযোগ ব্যয় ঘ দ্রব্যের উচ্চমূল্য
পাঠ-১.৩ : অর্থনীতির ধারণা বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ০৩
জন স্টুয়ার্ট মিল অর্থনীতিকে মনে করেন সম্পদের বিজ্ঞান।
অর্থনীতির জনক হলেন এডাম স্মিথ।
মানুষ তার প্রয়োজনীয় অভাব পূরণ করে নির্বাচনের মাধ্যমে।
অর্থনৈতিক কার্যাবলির মূল উদ্দেশ্য হলো সম্পদ আহরণ।
অর্থনীতির মূল আলোচ্য বিষয় হলো অর্থ উপার্জন এবং অর্থ ব্যয়।
অর্থনীতির মূল সমস্যা হলো স্বল্পতার সমস্যা।
অর্থনীতির গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা প্রদান করেছেন অধ্যাপক এল. রবিন্স।
অধ্যাপক এল. রবিন্স প্রদত্ত অর্থনীতির সংজ্ঞার বৈশিষ্ট্য ৫টি।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৩. কখন থেকে অর্থনীতির বিষয়বস্তু ও পরিধির প্রসার ঘটেছে? (অনুধাবন)
জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে
খ আধুনিকতার সাথে সাথে
গ জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে
ঘ অভাব বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে
১৩৪. অর্থনীতির জনক অ্যাডাম স্মিথের মতে, ‘অর্থনীতি এমন একটি বিজ্ঞান যা জাতিসমূহের সম্পদের Ñ সম্পর্কে অনুসন্ধান করে।’ (অনুধাবন)
ক প্রকৃতি ও পরিমাণ ধরন ও কারণ
গ চাহিদা ও যোগান ঘ উপযোগ ও উৎপাদন
১৩৫. অর্থনীতিকে ‘সম্পদের বিজ্ঞান’ বলেছেন কোন অর্থনীতিবিদ? (জ্ঞান)
অ্যাডাম স্মিথ খ মার্শাল গ এল. রবিন্স ঘ এরিস্টটল
১৩৬. অ্যাডাম স্মিথ, ডেভিড রিকার্ডো, জন স্টুয়ার্ট মিল প্রমুখ কোন ধারার অর্থনীতিবিদ? (জ্ঞান)
ক্লাসিক্যাল খ নিউ ক্লাসিক্যাল
গ আধুনিক ঘ প্রাচীন
১৩৭. মানুষের অর্থনৈতিক কার্যাবলির মূল উদ্দেশ্য কী? (জ্ঞান)
সম্পদ আহরণ খ সম্পদ ব্যবহার
গ টাকা-পয়সা উপার্জন ঘ ব্যবসায়-বাণিজ্য
১৩৮. অ্যাডাম স্মিথের সংজ্ঞায় কয়টি দুর্বলতা দেখা যায়? (জ্ঞান)
ক ২ খ ৩ ৪ ঘ ৫
১৩৯. অ্যাডাম স্মিথের সংজ্ঞায় কোন বিষয় সম্পর্কে কোনো কিছুই বলা হয়নি? (জ্ঞান)
ক সম্পদ আহরণ খ অসীম অভাব
সেবা খাত ঘ দ্রব্যসামগ্রী
১৪০. অর্থনৈতিক কার্যাবলির মূল লক্ষ্য কোনটি? (অনুধাবন)
সম্পদ আহরণ
খ দ্রব্যসামগ্রী ভোগের মাধ্যমে অভাব পূরণ
গ সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন
ঘ কৃষিতে বিপ্লব ঘটানো
১৪১. অধ্যাপক মার্শালের মতে, অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য কী? (অনুধাবন)
ক অভাব পূরণ খ সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য
গ টাকা উপার্জন মানবকল্যাণ
১৪২. দৈনন্দিন জীবনে মানুষকে কোন ধরনের অভাবের সম্মুখীন হতে হয়? (জ্ঞান)
বহুমুখী খ একমুখী
গ প্রতিযোগিতামূলক ঘ সসীম
১৪৩. বর্তমানে অর্থনীতির মূল সমস্যা কী? (জ্ঞান)
ক চাহিদা নিরূপণ খ যোগান দেওয়া
স্বল্পতার সমস্যা ঘ সম্পদ আহরণ
১৪৪. অর্থনীতির অধিকতর গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা দিয়েছেন কে? (জ্ঞান)
ক ডেভিড রিকার্ডো খ অ্যাডাম স্মিথ
অধ্যাপক এল. রবিন্স ঘ অধ্যাপক মার্শাল
১৪৫. অধ্যাপক এল. রবিন্সের সংজ্ঞায় কয়টি সমালোচনার দিক রয়েছে? (জ্ঞান)
ক ৩ খ ৪ গ ৫ ৬
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৬. ‘অর্থনীতি এমন একটি বিজ্ঞান, যা জাতিসমূহের সম্পদের ধরন ও কারণ অনুসন্ধান করে’ উক্তিটি বিশ্লেষণ করলে যে দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. এতে সম্পদের ওপর অধিক জোর দেয়া হয়েছে
রর. এতে মানুষের কাজ কর্মকে অবহেলা করা হয়েছে
ররর. এতে সম্পদ জোগাড় করার উপায় অনুক্ত রয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৪৭. অধ্যাপক মার্শালের মতে, অর্থনীতির মূল আলোচ্য বিষয় হলো- (অনুধাবন)
র. অর্থ উপার্জন
রর. অর্থের শ্রেণিবিভাগ
ররর. অভাব মোচনের জন্য উপার্জিত অর্থ ব্যয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৮. অ্যাডাম স্মিথের অর্থনীতির সংজ্ঞায় দুর্বলতা হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সম্পদ আহরণের উপায় সম্পর্কে বলা হয়নি
রর. সম্পদ বলতে শুধু দ্রব্য ও সেবাকে বোঝানো হয়েছে
ররর. সীমিত সম্পদের সাহায্যে অসীম অভাব পূরণের ব্যাপারে উল্লেখ নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৯. প্রারম্ভিক পর্যায়ে অর্থনীতির উপস্থাপক হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়েছেনÑ (অনুধাবন)
র. অ্যাডাম স্মিথ
রর. স্যামুয়েলসন
ররর. রিকার্ডো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
মি. শফিক ‘অ’ দেশের একটি বেসরকারি কলেজ শিক্ষক। বড় ছেলে সরকারি মেডিকেল কলেজে অধ্যয়ন করছে। ছোট ছেলেকে ‘ই’ দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। সে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। সেই দেশের সকলেই সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করে। কেননা এখানে বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। সকল সিদ্ধান্ত সরকারিভাবে গৃহীত হয়। [স. বো. ’১৬]
ক. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা কী? ১
খ. সম্পদের দু®প্রাপ্যতা বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ‘অ’ দেশে কোন ধরনের অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান? বিশ্লেষণ কর। ৩
ঘ. তুমি কি ‘ই’ দেশের অর্থব্যবস্থাকে সমর্থন কর? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক যে অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং প্রধানত বেসরকারি উদ্যোগে, সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থার মাধ্যমে যাবতীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় তাকে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বলে।
খ অর্থনীতিতে ‘সম্পদের দুষ্প্রাপ্যতা’ বলতে সম্পদের স্বল্পতা বা অপ্রাচুর্যকে বোঝায়। দৈনন্দিন জীবনে মানুষের অভাব পূরণের জন্য প্রয়োজন হলো পর্যাপ্ত সম্পদ। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় সম্পদ খুবই সীমিত। এই সীমিত সম্পদ দিয়ে মানুষের পক্ষে সকল অভাব পূরণ করা সম্ভব হয় না। তাই স্বল্পতার সমস্যা দেখা দেয়। সম্পদের এই স্বল্পতা বা অভাব পূরণের উপকরণের সীমাবদ্ধতাকেই দু®প্রাপ্যতা বলা হয়।
গ উদ্দীপকে বর্ণিত ‘অ’ দেশে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান। যে অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি মালিকানা ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ ও নিয়ন্ত্রণ বিরাজ করে তাকে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বলে। অর্থাৎ এ অর্থব্যবস্থার ব্যক্তিগত ও সরকারি উদ্যোগ সম্মিলিত ভ‚মিকা পালন করে। উদ্দীপকে ‘অ’ দেশের মি. শফিক একটি বেসরকারি কলেজ শিক্ষক। তার বড় ছেলে আবার সরকারি মেডিকেল কলেজে অধ্যয়ন করে। অর্থাৎ এখানে দেখা যাচ্ছে, ‘অ’ দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ পাশাপাশি বিদ্যমান। আবার মি. শফিক ছোট ছেলেকে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। এ স্বাধীনতাও মিশ্র অর্থব্যবস্থার একটি বৈশিষ্ট্য। সুতরাং উদ্দীপকে বর্ণিত ‘অ’ দেশে মিশ্র অর্থব্যবস্থাই বিদ্যমান।
ঘ না আমি ‘ই’ দেশের অর্থব্যবস্থাকে সমর্থন করি না। ‘ই’ দেশের অর্থব্যবস্থা হচ্ছে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা। ‘ই’ দেশে বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান নেই এবং সকল সিদ্ধান্ত সরকারিভাবে গৃহীত হয়। এ দুইটি বৈশিষ্ট্য সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার ভিত্তি। সমাজতন্ত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভোক্তারা সরকার-নির্ধারিত উৎপাদিত দ্রব্যাদি ভোগ করে থাকে। কোনো ভোক্তা ইচ্ছাকৃত অর্থ ব্যয় করে কোনো কিছু ভোগ করতে পারে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগে উৎপাদন পরিচালিত হওয়ায় সেখানে বহু সংখ্যক বেসরকারি উদ্যোক্তার অবাধ প্রতিযোগিতা থাকে না। সমাজতন্ত্রে ব্যক্তিগত মুনাফার পরিবর্তে জাতীয় চাহিদা ও সামগ্রিক কল্যাণের জন্য উৎপাদন পরিচালিত হয়ে থাকে। ফলে এখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে না। কৃষি, শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্য সবই সরকারের অধীনে থাকে বলে ব্যক্তিগত মুনাফা থাকে না।
বস্তুত সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় পরিকল্পনায় সবকিছু সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। আমি মনে করি এতে মানবসত্তা বিকশিত হয় না এবং জনগণ তাদের কর্মদক্ষতা এবং যোগ্যতাকে পরিপূর্ণ এবং যথার্থরূপে কাজে লাগাতে পারে না। এর অনিবার্য ফল হয়ে দাঁড়ায় জাতীয় উন্নতির স্থবিরতা, সামাজিক জীবনের অসাড়তা এবং ব্যক্তি জীবনের নিশ্চল অবস্থা। এসব বিবেচনায় আমি সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা সমর্থন করি না।
প্রশ্ন- ২ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা
লিমন উচ্চ শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে ‘ক’ দেশে যায়। সেখানে সে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি কারখানায় খণ্ডকালীন চাকরি পায়। তার মালিককে কারখানাটি স্থাপনের জন্য সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হয়নি। এখানে সে তার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো দ্রব্য ভোগ করতে পারে। [স. বো. ’১৫]
ক. অধ্যাপক মার্শাল প্রদত্ত অর্থনীতির সংজ্ঞাটি লেখ। ১
খ. সুযোগ ব্যয় বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘ক’ দেশে কোন অর্থব্যবস্থা প্রচলিত? তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর, ‘ক’ দেশের ভোক্তারা পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক অধ্যাপক মার্শাল প্রদত্ত অর্থনীতির সংজ্ঞা : “অর্থনীতি মানবজীবনের সাধারণ কার্যাবলি আলোচনা করে।”
খ কোনো একটি কাজের জন্য একটি কাজের সুযোগ হাতছাড়া করে ঐ কাজটি করাকে সুযোগ ব্যয় বলে। অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো সুযোগ ব্যয়। এ নীতিটি ব্যাখ্যার জন্য বলা যায়, একজন ছাত্র পড়াশোনার জন্য বাড়িতে উৎপাদন কাজে সময় প্রদান করতে পারছে না। এখানে লেখাপড়া করার জন্য বাড়িতে কাজ করতে না পারা হলো লেখাপড়ার সুযোগ ব্যয়।
গ ‘ক’ দেশে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা প্রচলিত। পাঠ্যবইয়ে বিবৃত রয়েছে, ধনতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং প্রধানত বেসরকারি উদ্যোগে, সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থার মাধ্যমে যাবতীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে সম্পদের ব্যক্তিমালিকানা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ। ধনতান্ত্রিক অর্থনীতিতে সমাজের অধিকাংশ সম্পদ বা উৎপাদনের উপকরণগুলো ব্যক্তিমালিকানায় থাকে। ব্যক্তি এগুলো হস্তান্তর ও ভোগ করে থাকে। উপরন্তু ধনতন্ত্রে অধিকাংশ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন : উৎপাদন, বিনিময়, বণ্টন, ভোগ প্রভৃতি ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত হয়। এসব উদ্যোগে সরকারের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। উদ্দীপকে দেখা যায় ‘ক’ দেশে লিমন একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন কারখানায় খণ্ডকালীন চাকরি করে। তার মালিকের কারখানা স্থাপনে সরকারের অনুমতি প্রয়োজন হয়নি। অর্থাৎ লিমন ও তার মালিকের কার্যক্রম ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা নির্দেশ করে। সুতরাং, বৈশিষ্ট্যের নিরিখে, নিঃসন্দেহে বলা যায়, ‘ক’ দেশে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা প্রচলিত।
ঘ আমি মনে করি, ‘ক’ দেশের ভোক্তারা পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে। ‘ক’ দেশটি একটি ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার দেশ। এ জাতীয় অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যই যে, ভোক্তারা পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে। যদিও ভোক্তার পূর্ণ স্বাধীনতা বর্তমানে বিশ্বের কোনো অর্থব্যবস্থায়ই দেখা যায় না। বরং দেখা যায় মিশ্র অর্থব্যবস্থার আওতাধীন ভোক্তা নিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতা পায়। কিন্তু পূর্ণ স্বাধীনতা পায় না। কেননা, ক্ষতিকর পণ্যের দামের ওপর সরকার প্রভাব বিস্তার করে এবং প্রয়োজন অনুসারে দ্রব্যের উৎপাদন ও ভোগ নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন : আমাদের দেশে ধূমপান, মাদকদ্রব্য ইত্যাদি উৎপাদন ও ভোগ। কিন্তু ‘ক’ দেশটি মিশ্র অর্থব্যবস্থার এমন কোনো ইঙ্গিত উদ্দীপকে নেই। তাই যে বৈশিষ্ট্যগুলো উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে তার নিরিখে কেবল ‘ক’ দেশের অর্থব্যবস্থাকে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা রূপেই চিহ্নিত করা যায়। তাই, যুক্তির বিচারে মেনে নিতেই হয়, আর আমিও তাই মনে করি ‘ক’ দেশের ভোক্তারা দ্রব্য ক্রয় ও ভোগে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে।
প্রশ্ন- ৩ অসীম অভাব ও সম্পদের স্বল্পতা
দুলাল মিয়ার তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার। তিনি সরকারি চাকুরে। অভাব তার নিত্যসঙ্গী। অল্পস্বল্প বেতন এবং দুই এক টুকরো জমি চাষ করে তিনি সকল অভাব পূরণ করতে পারেন না। ছেলেমেয়েদের স্কুলের বেতন দেয় তো, তাদের পোশাক কেনার সামর্থ্য থাকে না। এভাবেই কষ্ট করে চলে তার সাংসারিক জীবন। [ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ঢাকা]
ক. ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থটি কার লেখা? ১
খ. মিশ্র অর্থব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. অভাব পূরণের ক্ষেত্রে দুলাল মিয়ার কী কী সমস্যা দেখা দেয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘দুলাল মিয়ার মতো অন্য সকলের অভাবের শেষ নেই’ বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থটি প্রাচীন লেখক কৌটিল্যের লেখা।
খ মিশ্র অর্থব্যবস্থা বলতে ব্যক্তিমালিকানা ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ ও নিয়ন্ত্রণে পারিচালিত অর্থব্যবস্থাকে বোঝায়। মিশ্র অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত ও সরকারি উদ্যোগ সম্মিলিত ভ‚মিকা পালন করে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ যেমন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, বাংলাদেশ প্রভৃতি দেশে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান।
গ অভাব পূরণের ক্ষেত্রে দুলাল মিয়ার সম্পদের স্বল্পতা এবং সীমাহীন অভাবের সমস্যাগুলো দেখা দেয়। মানুষের অভাব অসীম। কিন্তু সম্পদ সীমিত। সম্পদের দুষ্প্রাপ্যতা মানুষের সীমাহীন অভাব পূরণে বাধা সৃষ্টি করে। তাই অভাবের গুরুত্ব অনুযায়ী মানুষ সীমিত সম্পদ ব্যয় করে থাকে। উদ্দীপকে দুলাল স্বল্প বেতনভোগী একজন চাকরিজীবী। তার সংসারের সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় অভাবগুলোও বহুমাত্রিক। তাই সীমিত সম্পদ দিয়ে সবার অভাব সমানভাবে পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে তিনি ছেলেমেয়েদের অভাবগুলো পূরণ করতে পারছেন না। অর্থাৎ সীমিত সম্পদ এবং অভাবের বহুমাত্রিকতার কারণেই দুলাল তার পরিবারের সদস্যদের সব অভাব মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
ঘ মানুষের জীবনে অভাব সীমাহীন। এটি দুলাল মিয়ার মতো অন্য সবার জীবনেও সমানভাবে প্রযোজ্য। তাই প্রশ্নোক্ত বক্তব্যটি সঠিক। মানুষের চাওয়া পূরণ না হওয়াই হলো অভাব। পৃথিবীতে মানুষের সকল অভাব পূরণ না হওয়ার পেছনে রয়েছে সম্পদের সীমাবদ্ধতা। সীমাবদ্ধ সম্পদ থাকায় মানুষ তাদের হাজারো অভাব পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। উদ্দীপকে আমরা দুলাল মিয়ার সংসারে অভাবের বহুমাত্রিকতা দেখতে পাই। স্বল্প আয়ের মানুষ বলে তিনি সন্তানদের পড়াশোনা বা পোশাক-আশাকের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। একটি পূরণ হলেও অন্যটি অপূর্ণ থেকে যায়। এরকম প্রতিটি মানুষেরই রয়েছে অভাবের সীমাহীনতা। অর্থাৎ মানুষের অভাবের কোনো শেষ নেই। যেমন, একজন শিক্ষার্থীর কাছে এক হাজার টাকা রয়েছে। কিন্তু তার বইপুস্তক ছাড়াও শার্ট, প্যান্ট, জুতা ক্রয় করা দরকার। এখন এক হাজার টাকা দিয়ে একসাথে এতগুলো অভাব পূরণ করা সম্ভব নয়। এভাবে প্রত্যেকটি মানুষের জীবনেই অভাবের অসীমতা লক্ষ করা যায়। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি, দুলালের মতো প্রত্যেক মানুষের জীবনে অভাব রয়েছে।
প্রশ্ন- ৪ অসীম অভাব ও সম্পদের দু®প্রাপ্যতা
অধ্যাপক আনিসুর রহমান এমন একটি বিষয় নিয়ে বক্তব্য পেশ করলেন যেটি একটি গতিশীল বিজ্ঞান। সমাজব্যবস্থা ও সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের সাথে সাথে এর বিষয়বস্তু ও পরিধির প্রসার ঘটেছে। অসীম অভাবকে কীভাবে সীমিত সম্পদ দ্বারা সমন্বয় সাধন করা যায়, এ বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে আলোচনা করে। এ বিষয়টি সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব মতামত প্রদান করেছেন। তবে এ বিষয়ে এল. রবিন্সের দেয়া সংজ্ঞা বা মতটিকে আনিসুর রহমান সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন। [পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ, বগুড়া]
ক. অর্থনীতির আলোচ্য বিষয় কী? ১
খ. ‘অসীম অভাব’ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. অধ্যাপক আনিসুর রহমান কোন বিষয় সম্পর্কে বক্তব্য পেশ করেছেন? ৩
ঘ. উক্ত বিষয় সম্পর্কে আনিসুর রহমান এল. রবিন্সের সংজ্ঞাটিকে গ্রহণযোগ্য মনে করার যৌক্তিকতা তুলে ধর। ৪
ক সীমাবদ্ধ সম্পদ এবং অসীম অভাবের মধ্যে সমন্বয় সাধন সম্পর্কীয় আলোচনাই হলো অর্থনীতির আলোচ্য বিষয়।
খ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অভাবের সীমাহীনতাকেই অসীম অভাব বলা হয়। কোনো একটি দ্রব্যের অভাব পূরণ হলে আবার নতুন অভাবের জন্ম হয়। যেমন জীবনধারণের জন্য প্রয়োজন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ইত্যাদি অভাব পূরণ হলে মানুষ উন্নতমানের জীবনযাপনের জন্য পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাদ্য, সুন্দর ও আরামদায়ক পোশাক, সুরম্য বাসভবন, উন্নতমানের চিকিৎসা ইত্যাদি অনেক দ্রব্য ও সেবার অভাব অনুভব করে। অসীম অভাব বলতে অভাবের এরকম সংখ্যাধিক্যতাকেই বোঝায়।
গ অধ্যাপক আনিসুর রহমান অর্থনীতি সম্পর্কে বক্তব্য পেশ করেছেন। অর্থনীতি একটি গতিশীল বিষয়। সমাজ ও সভ্যতার অগ্রগতির সাথে মানুষ নতুন নতুন অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকে। এর ফলে অর্থনীতির পরিধি ও বিষয়বস্তুও বিস্তৃত হতে থাকে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে অর্থনীতি বিষয়ের পরিধিও বেড়ে চলেছে। অতীত ও বর্তমান অর্থনীতি বিষয়ের সমন্বয়ে অর্থনীতি বিষয় এখন অনেক উন্নত ও সমৃদ্ধ। মানুষের অসীম অভাবকে সীমিত সম্পদ দ্বারা সমন্বয় সাধন করার সব ধরনের পদ্ধতি অর্থনীতির মাধ্যমে জানা যায়। উদ্দীপকে আনিসুর রহমানও যে বিষয় সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছেন সেটিও গতিশীল একটি বিষয়। সমাজব্যবস্থা ও সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের সাথে সাথে এর বিষয়বস্তু ও পরিধির প্রসার ঘটছে। অসীম অভাবকে সীমিত সম্পদ দ্বারা কীভাবে সমন্বয় সাধন করা যায় এ বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে আলোচনা করে। সুতরাং দেখা যায়, আনিসুর রহমানের বক্তব্যের বিষয়গুলো অর্থনীতির প্রকৃতিগত দিককেই তুলে ধরে।
ঘ অর্থনীতি সম্পর্কে অধ্যাপক আনিসুর রহমান এল. রবিন্সের সংজ্ঞাটিকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মনে করেছেন। তার এ ধারণাটি অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। অধ্যাপক এল. রবিন্সের মতে, অর্থনীতি হলো এমন একটি বিজ্ঞান যা মানুষের অসীম অভাব এবং বিকল্প ব্যবহারযোগ্য দু®প্রাপ্য উপকরণসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধনকারী কার্যাবলি আলোচনা করে। মানুষের অভাব অসীম এবং অভাবের প্রকৃতি ও পরিমাণ বিভিন্ন রকমের। অভাব পূরণকারী সম্পদ ও সময় খুবই সীমিত। অসীম অভাবকে কীভাবে সীমিত সম্পদ দ্বারা সমন্বয় সাধন করা যায় তা অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়। সম্পদের যোগান সীমিত বলে একই সম্পদ দ্বারা আমাদের বিভিন্ন অভাব পূরণের চেষ্টা করা হয়। অভাবের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তা পূরণ করতে হয়। চাওয়া অনুযায়ী সবকিছু না পাওয়াই মানুষের মূল সমস্যা। যে কোনো দ্রব্য বা সেবা সামগ্রী উৎপাদন করতে সম্পদ দরকার হয়। কিন্তু সম্পদ সীমিত। এমতাবস্থায় এল. রবিন্স মনে করেন। অর্থনীতি এ অসীম অভাব এবং দু®প্রাপ্য উপকরণসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করার কাজগুলো আলোচনা করে। এসব কারণে এল. রবিন্সের সংজ্ঞাটিই অর্থনীতির সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা। তাই উদ্দীপকের অধ্যাপক আনিসুর রহমানের ধারণাটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৫ সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা
অ দেশটির অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণের ওপর কোনো ব্যক্তিগত মালিকানা থাকে না। অ দেশের কলকারখানা, খনি, জমি প্রভৃতি সামাজিক সম্পত্তি হিসেবে পরিগণিত হয়। দেশের জনগণ বা রাষ্ট্রই এসব সম্পদের মালিক। এ অর্থনীতিতে ব্যক্তিগত মুনাফার কোনো সুযোগ নেই। দেশের উৎপাদন, বণ্টন, বিনিময় ও ভোগ প্রভৃতি সবকিছুই কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত।
[কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক. মুদ্রা ছাপানোর ক্ষমতা কার হাতে থাকে? ১
খ. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার একটি বৈশিষ্ট্যের ব্যাখ্যা দাও। ২
গ. অ দেশটির অর্থব্যবস্থা কীভাবে সমাজের সার্বিক কল্যাণ সাধন করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “শোষণহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে অ দেশটির অর্থব্যবস্থার বিকল্প নেই” মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪
ক মুদ্রা ছাপানোর ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে থাকে।
খ সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো জাতীয় আয়ের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা। এ অর্থব্যবস্থার মূলনীতি হলো প্রত্যেক ব্যক্তি তার যোগ্যতা অনুযায়ী আয় করবে এবং কাজ অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাবে। এরূপ বণ্টননীতির ফলে সমাজের আয় ও সুষম বণ্টন নিশ্চিত হয়। দেশের যাবতীয় সম্পদের বণ্টন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী রাষ্ট্র কর্তৃক বণ্টিত হয়ে থাকে। তাই সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে জাতীয় আয়ের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা হয়।
গ অ দেশটিতে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান যেদেশের অর্থব্যবস্থায় সম্পদের ওপর এবং উৎপাদনের উপকরণের ওপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা বজায় থাকে। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা হলো এমন এক ধরনের অর্থব্যবস্থা, যেখানে জনগণের সর্বাধিক কল্যাণের কথা চিন্তা করে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন ও বণ্টন প্রক্রিয়া তথা সামগ্রিক অর্থব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হয়। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় দেশের উৎপাদন ও বণ্টনব্যবস্থা সামাজিক কল্যাণের দিকে লক্ষ রেখেই পরিচালিত হয়। এতে দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে জনগণের আয় এবং সঞ্চয় বাড়ে। জনগণের অধিক মূলধন গঠন সচেষ্ট থাকে। মূলধনের বৃদ্ধি ঘটার সাথে সাথে দেশের উৎপাদন, বিনিময়, ভোগ বণ্টন অর্থাৎ যাবতীয় অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের কল্যাণ সাধিত হয়। সম্পদের ব্যক্তিগত মালিকানা না থাকায় কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের দ্বারা সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন সাধিত হয়। এতে সমাজের সার্বিক কল্যাণ সাধন হয়। সুতরাং বলা যায়, সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টনের মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা সমাজের সার্বিক কল্যাণ সাধন করে।
ঘ শোষণহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে অ দেশের অর্থব্যবস্থার অর্থাৎ সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার বিকল্প নেই- মন্তব্যটি যথার্থ। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় দেশের যাবতীয় সম্পদ ও উৎপাদনের উপকরণের ওপর সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠিত। দেশের যাবতীয় সম্পদ এবং উৎপাদনের উপকরণের ওপর ব্যক্তিগত মালিকানা বা উদ্যোগ অনুপস্থিত বিধায় এসবের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত হয়ে থাকে। এতে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং জনগণের আয় বাড়ে। জাতীয় ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়। ফলে জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান বাড়ে। সম্পদের এবং জাতীয় আয়ের সুষম বণ্টনের ফলে দেশের জনগণের আয়বৈষম্য অনেকাংশে হ্রাস পায়। ধনী-দরিদ্রের মাঝে বৈষম্য কমে গিয়ে একই সমতায় চলে আসার প্রবণতা থাকে। মুষ্টিমেয় লোক নিজের ভাগ্যগুণে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে অন্যদের সুযোগ-সুবিধাকে নস্যাৎ করে দিতে পারে না। এ ব্যবস্থায় উৎপাদন, বিনিময়, ভোগ, বণ্টন ইত্যাদি সব কিছুই কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হয়। এজন্য এ অর্থব্যবস্থাকে পরিকল্পিত অর্থব্যবস্থা বলা হয়। পরিকল্পিত অর্থব্যবস্থায় শ্রমিক শোষণের কোনো সুযোগ থাকে না। পরিশেষে বলা যায়, শোষণহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার বিকল্প নেই।
প্রশ্ন- ৬ ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা
রেজার দেশটি বর্তমানে একটি উন্নত দেশ। দেশটির অর্থনৈতিক কাজকর্মের ওপর সরকার কোনোরকম হস্তক্ষেপ করে না। দেশের উৎপাদনকারীরা স্বাধীন এবং বেসরকারি উদ্যোগের ক্ষেত্রেও কোনো সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেই। কিন্তু ইতোপূর্বে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা একরকম ছিল না। তখন জমিজমা, কলকারখানা এবং অন্যান্য সম্পদের ওপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা ছিল এবং উৎপাদন, বণ্টন, ব্যবসায় বাণিজ্য সবই সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হতো।
[মর্গান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ]
ক. বিশ্বে কত ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলিত আছে? ১
খ. মিশ্র অর্থব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. বর্তমানে রেজার দেশে প্রচলিত অর্থব্যবস্থার স্বরূপ বর্ণনা কর। ৩
ঘ. ‘জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণে দেশটির পূর্বের অর্থব্যবস্থা অধিকতর শ্রেয় ছিল’ মতটির পক্ষে তোমার যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪
ক বিশ্বে চার ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে।
খ যে অর্থব্যবস্থায় সম্পদের রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত মালিকানা এবং সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ পাশাপাশি বিরাজ করে তাকে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বলে। এ ব্যবস্থায় ধনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করে। এখানে ধনতন্ত্রের ন্যায় সম্পত্তির ব্যক্তিগত মালিকানা, মুনাফা অর্জন ও ব্যক্তি উদ্যোগের স্বাধীনতা থাকে। কিন্তু বেসরকারি পর্যায়ে অর্থনৈতিক কার্যাবলির ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণও বজায় থাকে।
গ রেজার দেশে বর্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা প্রচলিত আছে। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সমাজের অধিকাংশ সম্পদ বা উৎপাদনের উপকরণসমূহের ওপর ব্যক্তিমালিকানার প্রাধান্য থাকে। এ অর্থব্যবস্থায় উৎপাদন, বিনিময়, বণ্টন ও ভোগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগের উপস্থিতি থাকে। উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, রেজার দেশের অর্থব্যবস্থায় সরকার কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করে না। দেশের উৎপাদনকারীরা স্বাধীনভাবে উৎপাদন করে। তাই এ অর্থব্যবস্থা হলো ধনতান্ত্রিক। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় যাবতীয় অর্থনৈতিক কাজ স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এখানে চাহিদা ও যোগানের দ্বারা দাম নির্ধারিত হয় এবং তার ভিত্তিতেই উৎপাদন ও ভোগ কার্য পরিচালিত হয়। এ অর্থব্যবস্থায় প্রত্যেক ভোক্তা তার নিজস্ব পছন্দ, ইচ্ছা ও রুচি অনুসারে যেকোনো দ্রব্য, যেকোনো পরিমাণে অবাধে ক্রয় ও ভোগ করতে পারে। এ অর্থনীতিতে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্রব্যের উৎপাদন ও বিক্রয়ের ব্যাপারে অবাধ প্রতিযোগিতা বিদ্যমান থাকে। এ অর্থনীতিতে সর্বাধিক বেশি মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে উৎপাদন কাজ পরিচালিত হয়।
ঘ উদ্দীপকটিতে প্রদত্ত বক্তব্য থেকে বলা যায়, রেজার দেশটিতে বর্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা প্রচলিত আছে যদিও সেখানে পূর্বে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা চালু ছিল। জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে বলা যায়, ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার চেয়ে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা অধিক কার্যকর। কারণ- সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সরকারের নির্দেশ অনুসারে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ সকল উৎপাদন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। এক্ষেত্রে সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে, জনগণের প্রাথমিক প্রয়োজনগুলো পূরণ করা। এককথায়, প্রতিটি লোকের জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং জীবনের সাধারণ ঝুঁকির বিপক্ষে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদানের চেষ্টা করা সমাজতান্ত্রিক দেশের সরকারের প্রধান দায়িত্ব। ব্যক্তির দ্বারা ব্যক্তির শোষণ মৌলিক অধিকারবিরোধী। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে ব্যক্তি পর্যায়ে মুনাফাভিত্তিক উৎপাদন হয় না। এজন্য এখানে ধনতন্ত্রের মতো পুঁজিপতিদের দ্বারা শ্রমিকদের কম মজুরি প্রদান ও শোষণ করার কোনো সুযোগ থাকে না। তাই এখানে জনসাধারণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত হয়। তাছাড়া সমাজতন্ত্রে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সকল সক্ষম ব্যক্তির জন্য কাজের ব্যবস্থা করা হয়। ফলে এখানে বেকার থাকার কোনো আশঙ্কা থাকে না। আবার সমাজতন্ত্রে ব্যক্তিগতভাবে মুনাফা আহরণের কোনো সুযোগ না থাকায় এ ব্যবস্থায় আয়ের বণ্টনও সুষম হয়ে থাকে। পরিশেষে বলা যায়, রেজার দেশটিতে যখন সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা প্রচলিত ছিল তখন সেখানে জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণ হতো। কিন্তু ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় মৌলিক অধিকার পরিপূর্ণভাবে পূরণ হচ্ছে না।
প্রশ্ন- ৭ মিশ্র অর্থব্যবস্থা ও তার গ্রহণযোগ্যতা
বাংলাদেশের একটি মোবাইল অপারেটর বাজারে একটি বিশেষ প্যাকেজ ছাড়ে। এ প্যাকেজের আওতায় রাত ১২টার পর থেকে সকাল পর্যন্ত প্রথম মিনিটের পর বিনা টাকায় কথা বলা যেত। এ প্যাকেজ উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের বেশি আকৃষ্ট করে। ফলে তারা রাত জেগে পড়াশোনার পরিবর্তে মোবাইল ফোনে বেশি সময় দিতে থাকে। এ ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে সরকার মোবাইল অপারেটরকে এ প্যাকেজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
[চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়; ইস্পাহানি স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক. অর্থনীতির ইংরেজি প্রতিশব্দ কী? ১
খ. ইসলামি অর্থব্যবস্থার একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর। ২
গ. কোন অর্থব্যবস্থা চালু থাকার কারণে বাংলাদেশের সরকার মোবাইলের বিশেষ প্যাকেজ বন্ধ করতে পেরেছেন? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের এ ধরনের হস্তক্ষেপের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্লেষণ কর। ৪
ক অর্থনীতির ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ঊপড়হড়সরপং।
খ ইসলামি অর্থব্যবস্থার একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- আল্লাহর দেওয়া বিধান অনুযায়ী সমগ্র অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হওয়া। ইসলামি বিধান মতে সবরকম মৌলিক সম্পদের মালিক আল্লাহ। এই সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষ নিজেকে স্রষ্টার আমানতদার মনে করে। এজন্যই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি মানুষের চরিত্রে দুর্নীতি ও অহংকার সৃষ্টি করে না।
গ মিশ্র অর্থব্যবস্থা চালু থাকার কারণে বাংলাদেশ সরকার মোবাইলের বিশেষ প্যাকেজ বন্ধ করতে পেরেছিল। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এদেশে মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। এ অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বেসরকারি বিনিয়োগের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে। এক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনবোধে বেসরকারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপের ফলে যেন দেশের মানুষের কোনোরূপ ক্ষতি সাধিত না হয় এবং সামাজিক, সংস্কৃতিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়; এ বিষয় সরকার সর্বদা সতর্ক দৃষ্টি রাখে। বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটর কোম্পানি যে বিশেষ প্যাকেজ ছাড়ে, তা উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায় এবং তাদের মধ্যে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দেয়। ফলে সরকার জনসাধারণের বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে বিশেষ প্যাকেজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। বাংলাদেশে মিশ্র অর্থনীতি ব্যবস্থা চালু থাকা তথা বেসরকারি বিনিয়োগের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার ব্যবস্থা থাকায় সরকার প্যাকেজটি বন্ধ করতে পেরেছিল।
ঘ জনস্বার্থে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের উদ্দীপকে বর্ণিত হস্তক্ষেপ পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য। বাংলাদেশে বহুসংখ্যক বড় কারখানা এবং কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বেসরকারি মালিকানায় পরিচালিত হয়। এসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সরকারের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। উদ্দীপকে বর্ণিত একটি মোবাইল অপারেটর বিশেষ প্যাকেজ বাজারে ছাড়ে। এ প্যাকেজ রাত ১২টা থেকে সকাল পর্যন্ত প্রথম মিনিটের পর ফ্রি কথা বলার সুযোগ দেয়। ফলে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা রাতে পড়াশোনা বা বিশ্রাম গ্রহণের পরিবর্তে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এ অবস্থায় সরকার প্যাকেজটি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। আমার দৃষ্টিতে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকারের এ ধরনের হস্তক্ষেপ পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য। কারণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা ও অভ্যন্তরীণ ব্যবসায়-বাণিজ্যগুলো জনসাধারণের ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত হয় এবং এসব ক্ষেত্রে সরকার বিনিয়োগের উচ্চসীমাও নির্ধারণ করে দেয়। মূলত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকারের পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে। পরিশেষে বলা যায়, জনসাধারণের সমুদয় ক্ষতির কথা চিন্তা করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে বিধায় উদ্দীপকে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকারের এ ধরনের হস্তক্ষেপ পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য।
মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৮ মানুষের প্রান্তিক চিন্তাধারা ও তার নীতিমালা
মনিকা এসএসসি পরীক্ষায় ‘অ’ গ্রেড পেয়েছে। রেজাল্ট পাওয়ার পর চিন্তা করল যদি একটু ভালো করে পড়তাম তবে আরও দুটি বিষয়ে আমার ‘অ+’ আসত এবং আমি ‘অ+’ পেতাম।
ক. অর্থনীতির অধিক গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা প্রদান করেছেন কে? ১
খ. সুযোগ ব্যয় বলতে কী বোঝ? ২
গ. মনিকার রেজাল্টের যে প্রত্যাশা তা অর্থনীতির কোন নীতির মধ্যে পড়ে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মনিকার চিন্তাধারার মতো আর কোন কোন নীতিমালা অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে? ব্যাখ্যা কর। ৪
ক অর্থনীতির অধিক গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা প্রদান করেছেন এল. রবিন্স।
খ কোনো একটি কাজের জন্য অন্য একটি কাজের সুযোগ হাতছাড়া করে ঐ কাজটি করাকে সুযোগ ব্যয় বলে। অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো সুযোগ ব্যয়। এ নীতিটি ব্যাখ্যার জন্য বলা যায়, একজন ছাত্র পড়াশোনার জন্য বাড়িতে উৎপাদন কাজে সময় প্রদান করতে পারছে না। এখানে লেখাপড়া করার জন্য বাড়িতে কাজ করতে না পারা হলো লেখাপড়ার সুযোগ ব্যয়।
গ মনিকার রেজাল্টের প্রত্যাশা অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ নীতি মানুষের প্রান্তিক পর্যায়ে চিন্তা করার মধ্যে পড়ে। আমাদের সমাজে সম্পদের স্বল্পতার প্রেক্ষিতে অসীম অভাব মোকাবিলা করতে হয়। এসব অভাব মোকাবিলা করতে গিয়ে মানুষ নানা ধরনের ধারণা করে থাকে। এসব ধারণার প্রেক্ষিতে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ কিছু নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে চিন্তা করা হলো কাজের শেষে ফলাফলের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া। অর্থাৎ কোন কাজটি করলে সর্বাধিক ভালো হতো সে বিষয়ে চিন্তা করা। উদ্দীপকের মনিকা এসএসসি পরীক্ষায় ‘অ’ গ্রেড পেয়েছে। এ ফলাফলের প্রেক্ষিতে তার কাছে মনে হচ্ছে আর একটু ভালো করে পড়লে হয়তো সে ‘অ+’ পেতে পারত। এই যে চিন্তাটি মনিকার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে এটিই হলো প্রান্তিক চিন্তা। আর এটি অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি।
ঘ মনিকার চিন্তাধারার মতো আরও কিছু নীতিমালা রয়েছে, যা অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণকারী অন্যান্য নীতিমালাগুলো হলো- মানুষের দেওয়া-নেওয়া অর্থাৎ একটি পেতে গেলে মানুষকে অন্য একটি অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে। আবার সুযোগ ব্যয়, যেমন, পড়াশোনার জন্য বাড়িতে উৎপাদন কাজে সময় দিতে না পারার বিষয়টিও অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। আবার প্রণোদনায় সাড়া দেওয়ার বিষয়টিও অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন, শ্রমিক বেশি পারিশ্রমিকের নিশ্চয়তা পেলে কাজের গতি বৃদ্ধি করে দেয়। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কোম্পানি লাভবান হয়। এমন একটি নীতিমালাও অর্থনৈতিক কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে। বাজারকে উত্তম পন্থা হিসেবে মনে করা, সরকারি উদ্যোগে বাজার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ফলাফলের উৎকর্ষ সাধন করা, দ্রব্য ও সেবার ওপর মানুষের জীবনযাত্রার মান নির্ভর করা, মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব মুখোমুখি অবস্থান নেওয়া, অতিরিক্ত মুদ্রার আধিক্যে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়া প্রভৃতি ধারণাগুলো অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। পরিশেষে বলা যায়, অর্থনীতি এমন একটি বিজ্ঞান, যা মানুষের সীমিত সম্পদ দিয়ে অসীম অভাব পূরণের প্রচেষ্টা চালায়। এসব অসীম অভাব পূরণের ক্ষেত্রে মানুষের কিছু মৌলিক চিন্তা অর্থনৈতিক কার্যাবলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এসব চিন্তাধারাই হলো অর্থনীতির নীতিমালা।
প্রশ্ন- ৯ রাষ্ট্রীয় অর্থব্যবস্থা
‘ক’ রাষ্ট্রটিতে দাসপ্রথা একটি স্বীকৃত বিষয় হিসেবে বিবেচিত ছিল। এ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রচিন্তাবিদরাই সর্বপ্রথম ব্যক্তিমালিকানার ধারণা দেন। আর ‘খ’ রাষ্ট্রটি আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি করে তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত। তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধকরণ।
ক. একটি সরল অর্থনীতিতে কয় ধরনের প্রতিনিধি থাকে? ১
খ. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থাকে অবাধ বা মুক্ত অর্থনীতি বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের ‘ক’ রাষ্ট্রটির সাথে কোন রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক চিন্তাধারার সাদৃশ্য রয়েছে? তার স্বরূপ তুলে ধর। ৩
ঘ. ‘খ’ রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ধারণা থেকেই বর্তমানে পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ধারণার উৎপত্তি হয়েছে-তুমি কি বক্তব্যটি সমর্থন কর? মতামত দাও। ৪
ক একটি সরল অর্থনীতিতে দুই ধরনের প্রতিনিধি থাকে।
খ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদন, বিনিময় বণ্টন ও ভোগসহ সমাজের সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত হয়। উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ী নিজ ইচ্ছানুযায়ী এ মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন ও ক্রয়-বিক্রয় করে। ভোগের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ভোক্তা পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে। এ অর্থব্যবস্থায় এসব ক্ষেত্রে প্রকৃতপক্ষে কোনো সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাই এ অর্থব্যবস্থাকে অবাধ বা মুক্ত অর্থনীতি বলে।
গ উদ্দীপকের ‘ক’ রাষ্ট্রটির সাথে প্রাচীন গ্রিসের নগররাষ্ট্রের সাদৃশ্য রয়েছে।
উদ্দীপকের ‘ক’ রাষ্ট্রটিতে দাসপ্রথা একটি স্বীকৃত বিষয় হিসেবে সবাই দাসপ্রথাকে মেনে নিয়েছে। আর এ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রচিন্তাবিদগণই সর্বপ্রথম ব্যক্তিমালিকানা ধারণার জন্ম দেন। গ্রিক সভ্যতা ছিল মূলত নগররাষ্ট্রভিত্তিক সভ্যতা। এ সভ্যতায় গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটলসহ অন্যরা ব্যক্তিমালিকানার ধারণাটি গ্রহণ করেন এবং ভ‚মির ওপর ব্যক্তিমালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়। শ্রমবিভাজন, ব্যবসায় এবং অর্থের ব্যবহারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় গ্রিসের নগররাষ্ট্রসমূহে। দাসপ্রথা ছিল এ যুগের একটি স্বীকৃত বিষয়। শহরের অধিবাসীরা ছিল মূলত ব্যবসায়ী ও মিস্ত্রি। এছাড়া প্লেটো ও এরিস্টটল এ দুজন চিন্তাবিদ ব্যক্তিগত সম্পত্তি শ্রমিকের মজুরি, দাসপ্রথা ও সুদসহ অর্থনীতির অনেক মৌলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। আর এভাবেই ব্যক্তিমালিকানা ধারণাটির উদ্ভব ঘটে।
ঘ হ্যাঁ, উদ্দীপকের ‘খ’ রাষ্ট্রটির ন্যায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসারের কারণেই পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি মনে করি। উদ্দীপকের ‘খ’ রাষ্ট্রটি আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি করে তাদের অর্থনৈতিক কার্যাবলি পরিচালনা করত। তাদের এসব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধকরণ। এসব বিষয় পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালিতে যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবাদের প্রসার ঘটেছিল তার সাথে উদ্দীপকের ‘খ’ রাষ্ট্রটির অর্থনৈতিক কার্যাবলি সাদৃশ্যপূর্ণ। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ফরাসি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সমগ্র ইউরোপে ধনতান্ত্রিক বা পুঁজিবাদী অর্থনীতির সূত্রপাত ঘটে। দেশের ধনসম্পদ বৃদ্ধি, রাষ্ট্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে ইংল্যান্ড উৎপাদিত পণ্য বিভিন্ন দেশে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি করে মূল্যবান ধাতু আমদানি করত। এ সময় মানুষের জীবনযাপনও বিলাসবহুল ছিল এবং সম্পদের ওপর ব্যক্তিগত মালিকানা বজায় ছিল। সুতরাং সূ² দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে বোঝা যায়, পুরোপুরি না হলেও ‘খ’ রাষ্ট্রটিতেই পুঁজিবাদের ধারণার বীজ বপিত হয়েছিল।
প্রশ্ন- ১০ মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যাসমূহ
জয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তার বাবা তাকে প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা দেন খরচের জন্য। কিন্তু সে অনেক কিছুর অভাববোধ করে। যে কারণে সে মনে করে তার এ টাকা যথেষ্ট নয়। তবুও সে তার বাবার কাছে দ্বিতীয়বার টাকা চাইতে পারে না।
ক. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের মূল লক্ষ্য কী? ১
খ. ইসলামি অর্থব্যবস্থায় শ্রমকে কেন অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে? ২
গ. জয়া তার বাবার নিকট থেকে টাকা পাওয়ার পরও তার অভাব মেটাতে না পারা কোনটি প্রমাণ করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. জয়ার অনেক কিছুর অভাব সীমিত টাকা দিয়ে কি পূরণ করা সম্ভব? মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪
ক ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের মূল লক্ষ্য হলো সর্বাধিক মুনাফা অর্জন করা।
খ ইসলামি অর্থব্যবস্থা কুরআন ও সুন্নাহর নিয়মানুসারে পরিচালিত হয়। এখানে যে উৎপাদন কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয় তাতে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে শ্রমকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ অর্থব্যবস্থায় সাধারণ শ্রম ছাড়া ভোগ কিংবা কোনো অর্থনৈতিক অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। মহানবি (স.) শ্রমের গুরুত্ব বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘নিজ হাতে উপার্জিত খাদ্যের চেয়ে উত্তম খাদ্য কেউ কোনো দিন খায়নি’ (বুখারি)। তাই ইসলামি অর্থব্যবস্থায় যেকোনো ভোগ শ্রমলব্ধ আয়ের দ্বারা সম্পন্ন করার গুরুত্ব দেওয়া হয়।
গ মানুষের অভাব অসীম কিন্তু সম্পদ সীমিত। উদ্দীপকের জয়ার পরিস্থিতি এ ধারণাই প্রমাণ করে। উদ্দীপকে জয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। তার বাবা তাকে প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা দেন খরচের জন্য। কিন্তু এ টাকা দিয়ে সে তার সব চাহিদা পূরণ করতে পারে না। এ থেকে প্রমাণ হয় যে, মানুষের অভাব অসীম কিন্তু অভাব পূরণের সম্পদ সীমিত। মানুষের সব অর্থনৈতিক সমস্যার মূলে রয়েছে সম্পদের স্বল্পতা। দৈনন্দিন জীবনে মানুষকে অগণিত অভাবের সম্মুখীত হতে হয়। কিন্তু মানুষের অভাব পূরণের উপকরণ বা উপায় সীমিত। মানুষের অভাব যেমন অসীম তেমনি অভাব পূরণের উপকরণগুলোও যদি অসীম হতো তাহলে কোনো অর্থনৈতিক সমস্যার উদ্ভব হতো না। কিন্তু বাস্তবে মানুষের অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে প্রাপ্ত সম্পদ অত্যন্ত সীমিত এবং অপর্যাপ্ত। এ কারণে উদ্দীপকে জয়া তার সব অভাব এক সাথে পূরণ করতে পারে না।
ঘ জয়ার অনেক অভাব সীমিত টাকা দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়। উদ্দীপকে জয়া একজন ছাত্রী। তার বাবা তাকে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা দেন খরচ করার জন্য। কিন্তু সে একই সাথে অনেক কিছুর অভাববোধ করে। ফলে সে মনে করে এ টাকা তার জন্য যথেষ্ট নয়। এটিই হলো অর্থনীতির মূল সমস্যা। মানুষের অভাব অসীম কিন্তু অভাব পূরণের সম্পদ সীমিত। সীমাহীন অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে দু®প্রাপ্য সম্পদের নিয়োগ বিন্যাসই অর্থনীতির প্রধান সমস্যা। মানুষের অভাব পূরণের উপায়গুলো প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্প এবং বিকল্প ব্যবহারযোগ্য বলে পছন্দ বা নির্বাচনের সমস্যার উৎপত্তি হয়েছে। মানুষের সব অভাবের গুরুত্ব একরকম নয়। কোনোটির গুরুত্ব বেশি আবার কোনোটির গুরুত্ব কম। কোনো উপকরণ দ্বারা একটি উদ্দেশ্য পূরণ করতে গেলে অন্য উদ্দেশ্য ত্যাগ করতে হয়। এমতাবস্থায় যে উপকরণগুলোর প্রয়োজন অত্যধিক সে অনুযায়ী অভাব পূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে সীমিত সম্পদের সাহায্যে অসীম অভাব পূরণ সম্ভব হবে। অর্থাৎ সমস্যাটির একটি সুরাহা হবে এভাবেই উদ্দীপকের জয়া তার অভাব পূরণ করতে পারবে।
প্রশ্ন- ১১ ইসলামিক অর্থব্যবস্থা
হাজী মোহাম্মদ সেলিমের একমাত্র মেয়ে আয়েশার বিয়ের পর তার স্বামী তাকে অন্য একটি দেশে নিয়ে যায়। সেদেশের অর্থব্যবস্থা অন্যান্য রাষ্ট্র থেকে একটু ভিন্ন। এখানে সম্পত্তির ব্যক্তিমালিকানা স্বীকৃত। তবে তা নিয়মতান্ত্রিক। বৈধ উপার্জনের ওপর রাষ্ট্রীয় কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। মানবকল্যাণের জন্য এ অর্থব্যবস্থায় সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হয়। আর সম্পদ বণ্টনের মূল লক্ষ্য হলো ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা।
ক. যুক্তরাষ্ট্রে কোন ধরনের অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান? ১
খ. অধ্যাপক মার্শাল অর্থনীতি সম্পর্কে কী বলেছেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. আয়েশাকে যেদেশে নিয়ে যাওয়া হয় সেদেশে কোন ধরনের অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যাণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা উক্ত অর্থব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য’- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪
ক যুক্তরাষ্ট্রে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান।
খ অধ্যাপক মার্শাল সম্পদের চেয়ে মানবকল্যাণের ওপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, অর্থনীতি মানবজীবনের সাধারণ কার্যাবলি আলোচনা করে। অর্থনীতির মূল আলোচ্য বিষয় মানুষের অর্থ উপার্জন এবং অভাব মোচনের জন্য সেই অর্থের ব্যয় অর্থাৎ অর্থনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের কল্যাণ সাধন।
গ আয়েশাকে যেদেশে নিয়ে যাওয়া হয় সেদেশে ইসলামি অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান। ইসলাম সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর ইসলামি অর্থনীতি হলো এ পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থারই একটি অপরিহার্য অংশ। কীভাবে একের জীবিকা অর্জনে অন্যের সাহায্য ও সম্পর্ক থাকবে, কীভাবে জাতীয় উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগব্যবস্থা পরিচালিত হবে সে সম্পর্কে ইসলামে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। আর এ দিকনির্দেশনার ভিত্তিতেই ইসলামি অর্থব্যবস্থা পরিচালিত হয়। অর্থাৎ পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ তথা ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তাকেই ইসলামি অর্থনীতি বলা হয়। এ অর্থব্যবস্থায় সম্পত্তির ব্যক্তিমালিকানা স্বীকৃত। মানবকল্যাণের জন্য এ অর্থব্যবস্থায় সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হয়। উদ্দীপকে আয়েশাকে যে দেশে নিয়ে যাওয়া হয় সেদেশের অর্থব্যবস্থায়ও এসব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। সেখানে সম্পত্তির নিয়মতান্ত্রিক ব্যক্তিমালিকানা স্বীকৃত। বৈধ উপার্জনের ওপর রাষ্ট্রীয় কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আর সম্পদ বণ্টনের মূল লক্ষ্য হলো ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা। তাই বলা যায়, আয়েশাকে যেদেশে নিয়ে যাওয়া হয় সে দেশে ইসলামি অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান।
ঘ আয়েশাকে যেদেশে নিয়ে যাওয়া হয় সেদেশের অর্থব্যবস্থা বিশ্লেষণ করলে প্রতীয়মান হয় যে, এটি একটি ইসলামি অর্থব্যবস্থায় পরিচালিত দেশ। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যাণ ও ন্যায়ভিত্তিক সাম্য প্রতিষ্ঠাই ইসলামি অর্থব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য। কারণ সমাজে প্রচলিত যেকোনো অর্থব্যবস্থার তুলনায় ইসলামি অর্থব্যবস্থা অনেক বেশি ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণমুখী অর্থব্যবস্থা। পুঁজিবাদে রাজনৈতিক বা ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে; কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তি সেখানে নেই। আবার সমাজতন্ত্রে অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলা হয়েছে কিন্তু রাজনৈতিক ও আত্মিক স্বাধীনতা নেই। জনৈক অর্থনীতিবিদের ভাষায়, ধনতন্ত্র মানুষকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু রুটি কেড়ে নিয়েছে। অন্যদিকে, সমাজতন্ত্রে মানুষ রুটি পেল কিন্তু আত্মাকে হারিয়ে ফেলল। একমাত্র ইসলামি অর্থব্যবস্থাই এ দুয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধনে সক্ষম। ব্যক্তিস্বাধীনতা বিকাশের স্বার্থে ইসলাম যেমন ব্যক্তিসত্তা স্বীকার করে নিয়েছে। তেমনি সমাজের বৃহত্তর কল্যাণ ও ন্যায়নীতির স্বার্থে ব্যক্তির ওপর কিছু কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। সুতরাং একমাত্র ইসলামি অর্থব্যবস্থার মৌলিক নীতিসমূহ বাস্তবায়নের মূল উদ্দেশ্য কেবল সমাজে নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যাণ সাধন এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ অর্থনৈতিক কার্যাবলির মূল লক্ষ্য কী?
উত্তর : অর্থনৈতিক কার্যাবলির মূল লক্ষ্য হলো দ্রব্যসামগ্রী ভোগের মাধ্যমে অভাব পূরণ করা।
প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশ কী ধরনের দেশ?
উত্তর : বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল ও কৃষিপ্রধান দেশ।
প্রশ্ন \ ৩ \ অর্থনীতির চর্চা প্রথম শুরু হয় কোন দেশে?
উত্তর : অর্থনীতির চর্চা প্রথম শুরু হয় প্রাচীন গ্রিস দেশে।
প্রশ্ন \ ৪ \ ‘ঙরশড়হড়সরধ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘ঙরশড়হড়সরধ’ শব্দের অর্থ ‘গৃহ ব্যবস্থাপনা’।
প্রশ্ন \ ৫ \ অর্থনীতিকে ‘গৃহ পরিচালনার বিজ্ঞান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন কে?
উত্তর : অর্থনীতিকে ‘গৃহ পরিচালনার বিজ্ঞান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল।
প্রশ্ন \ ৬ \ কে অর্থনীতিকে ‘অপ্রাচুর্যের বিজ্ঞান’ বলেছেন?
উত্তর : অধ্যাপক এল. রবিন্স অর্থনীতিকে ‘অপ্রাচুর্যের বিজ্ঞান’ বলেছেন।
প্রশ্ন \ ৭ \ অর্থনীতিকে সর্বপ্রথম একটি স্বতন্ত্র ও বিশিষ্ট শাস্ত্রে রূপদান করেন কে?
উত্তর : অর্থনীতিকে সর্বপ্রথম একটি স্বতন্ত্র ও বিশিষ্ট শাস্ত্রে রূপদান করেন অ্যাডাম স্মিথ।
প্রশ্ন \ ৮ \ অর্থনীতির জ্ঞান থেকে আমরা কী শিখতে পারি?
উত্তর : অর্থনীতির জ্ঞান থেকে আমরা সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার শিখতে পারি।
প্রশ্ন \ ৯ \ সর্বাধিক তৃপ্তি লাভের জন্য কী প্রয়োজন?
উত্তর : সর্বাধিক তৃপ্তি লাভের জন্য প্রয়োজন সীমিত সম্পদকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা।
প্রশ্ন \ ১০ \ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় অর্থনৈতিক কার্যাবলি কীভাবে পরিচালিত হয়?
উত্তর : ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় অর্থনৈতিক কার্যাবলি পরিচালিত হয় স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থার মধ্যমে।
প্রশ্ন \ ১১ \ ধনতন্ত্রে মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা কীভাবে সমাধান হয়?
উত্তর : ধনতন্ত্রে মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা দাম ব্যবস্থা দ্বারা সমাধান হয়।
প্রশ্ন \ ১২ \ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার অপর নাম কী?
উত্তর : ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার অপর নাম হলো মুক্ত বা অবাধ অর্থনীতি।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ধনতন্ত্রে উৎপাদনকারীদের মধ্যে কী দেখা যায়?
উত্তর : ধনতন্ত্রে উৎপাদনকারীদের মধ্যে অবাধ প্রতিযোগিতা দেখা যায়।
প্রশ্ন \ ১৪ \ ধনতন্ত্রে বাজারে একটি দ্রব্যের চাহিদা ও যোগানের যৌথ শক্তি দ্বারা দাম নির্ধারিত হওয়াকে কী বলে?
উত্তর : ধনতন্ত্রে বাজারে একটি দ্রব্যের চাহিদা ও যোগানের যৌথ শক্তি দ্বারা দাম নির্ধারিত হওয়াকে স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থা বলে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ প্রকৃত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাবতীয় কর্মকাণ্ড কার নির্দেশে পরিচালিত হয়?
উত্তর : প্রকৃত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাবতীয় কর্মকাণ্ড কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরিচালিত হয়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ কোন অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের সুযোগ থাকে না?
উত্তর : সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের সুযোগ থাকে না।
প্রশ্ন \ ১৭ \ ইসলামি অর্থব্যবস্থায় সম্পদ ও সঞ্চিত আয়ের ওপর কত হারে যাকাত প্রদান বাধ্যতামূলক?
উত্তর : ইসলামি অর্থব্যবস্থায় সম্পদ ও সঞ্চিত আয়ের ওপর ২.৫ টাকা হারে যাকাত প্রদান বাধ্যতামূলক।
প্রশ্ন \ ১৮ \ কোন অর্থব্যবস্থায় প্রতিটি মানুষকে মর্যাদা ও জীবিকা অর্জনের অধিকার দেওয়া হয়?
উত্তর : ইসলামি অর্থব্যবস্থায় প্রতিটি মানুষকে মর্যাদা ও জীবিকা অর্জনের অধিকার দেওয়া হয়।
প্রশ্ন \ ১৯ \ রোমান দার্শনিকরা কোনটিকে খুনের সমান অপরাধ বলে গণ্য করত?
উত্তর : রোমান দার্শনিকরা টাকা সুদে খাটানোকে খুনের সমান অপরাধ বলে গণ্য করত।
প্রশ্ন \ ২০ \ ভ‚মিবাদ মতবাদ প্রচার করেন কারা?
উত্তর : ভ‚মিবাদ মতবাদ প্রচার করেন ফরাসিরা।
প্রশ্ন \ ২১ \ ভ‚মিবাদীদের মতে উৎপাদনশীল খাত কী?
উত্তর : ভ‚মিবাদীদের মতে উৎপাদনশীল খাত হলো কৃষি।
প্রশ্ন \ ২২ \ ‘অহ ওহয়ঁরৎু রহঃড় ঃযব ঘধঃঁৎব ধহফ ঈধঁংবং ড়ভ ঃযব ডবধষঃয ড়ভ ঘধঃরড়হং’ বইটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘অহ ওহয়ঁরৎু রহঃড় ঃযব ঘধঃঁৎব ধহফ ঈধঁংবং ড়ভ ঃযব ডবধষঃয ড়ভ ঘধঃরড়হং’ বইটির রচয়িতা হলেন এ্যাডাম স্মিথ।
প্রশ্ন \ ২৩ \ মানুষের মূল সমস্যা কী?
উত্তর : মানুষের মূল সমস্যা হলো চাহিদা অনুযায়ী সবকিছু না পাওয়া।
প্রশ্ন \ ২৪ \ সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির অপর নাম কী?
উত্তর : সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির অপর নাম হলো নির্দেশমূলক অর্থনীতি।
প্রশ্ন \ ২৫ \ কোন ধর্ম বর্তমান ইউরোপীয় সভ্যতার মূল ভিত্তি?
উত্তর : বর্তমান ইউরোপীয় সভ্যতার মূল ভিত্তি হলো খ্রিষ্টধম
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ অর্থনীতি বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : অর্থনীতি বলতে মানুষের দৈনন্দিন অর্থনৈতিক কার্যাবলি এবং সীমিত সম্পদ ও অসীম অভাবের সমন্বয়-সাধন সম্পর্কিত বিজ্ঞানকে বোঝায়। অর্থনীতির ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘ঊপড়হড়সরপং’ গ্রিক শব্দ ‘ঙরশড়হড়সরধ’ শব্দ থেকে উদ্ভূত। গ্রিক শব্দ ‘ঙরশড়ং’ শব্দের অর্থ গৃহ। অন্যদিকে ‘ঘবসবরহ’ শব্দের অর্থ ব্যবস্থাপনা। এই দুই মিলে হয় গৃহ ব্যবস্থাপনা। সুতরাং উৎপত্তিগত অর্থে অর্থনীতি হলো গৃহস্থালি বিষয়াদির ব্যবস্থাপনা। গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল অর্থনীতিকে ‘গৃহ পরিচালনার বিজ্ঞান’ হিসেবে অভিহিত করেন।
প্রশ্ন \ ২ \ সীমিত সম্পদ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : সীমিত সম্পদ বলতে মানুষের সম্পদের অপ্রাচুর্যতাকে বোঝায়। সমাজে প্রত্যেক মানুষের কাছে অভাব পূরণের উপকরণ বা সম্পদ সীমিত। অর্থাৎ অসংখ্য অভাব পূরণের জন্য যে পর্যাপ্ত পরিমাণ সম্পদ দরকার তা মানুষ পায় না। ফলে সীমিত সম্পদ দ্বারা যখন অসীম অভাব পূরণের চেষ্টা করা হয় তখন দুষ্প্রাপ্যতার সমস্যা সৃষ্টি হয়। মানুষের অভাব যেমন অসীম, তেমনি সম্পদের পরিমাণও যদি অসীম হতো তবে দুষ্প্রাপ্যতার সমস্যা থাকত না। এমনকি কোনো অর্থনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি হতো না।
প্রশ্ন \ ৩ \ অর্থনীতি সম্পর্কে এ্যাডাম স্মিথের বক্তব্য কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে প্রখ্যাত ইংরেজ অর্থনীতিবিদ এ্যাডাম স্মিথ অর্থনীতিকে সম্পদের বিজ্ঞান নামে আখ্যায়িত করেন। তার মতে অর্থনীতি এমন এটি বিজ্ঞান যা, জাতিসমূহের সম্পদের প্রকৃতি ও কারণ সম্পর্কে অনুসন্ধান করে। অর্থাৎ সমাজে কীভাবে সম্পদ উৎপাদন হয় এবং কীভাবে তা ব্যবহৃত হয় তাই অর্থনীতির প্রকৃত আলোচ্য বিষয়। এ্যাডাম স্মিথই সর্বপ্রথম অর্থনীতিকে একটি স্বতন্ত্র ও বিশিষ্ট শাস্ত্রের রূপ দান করেন।
প্রশ্ন \ ৪ \ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার বলতে কী বোঝ?
উত্তর : সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার বলতে সীমিত সম্পদ দ্বারা সর্বোচ্চ অভাব পূরণের প্রচেষ্টা বোঝায়। মানুষের সম্পদ সীমিত, কিন্তু অভাব অসীম। এ সীমিত সম্পদ দিয়েই মানুষ তার অসীম অভাব পূরণ করতে চায়। এক্ষেত্রে সীমিত সম্পদকে এমনভাবে ব্যবহার করা উচিত যাতে নিজের ও সমাজের সর্বাধিক অর্থনৈতিক কল্যাণ হয়। উৎপাদন ক্ষেত্রে এমনভাবে সম্পদ নিয়োগ করা প্রয়োজন যাতে স্বল্পতম ব্যয়ের মাধ্যমে সর্বাধিক পরিমাণ উৎপাদন এবং সেবা নিশ্চিত করা যায়। অর্থনীতির পরিভাষায় একেই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার বলে।
প্রশ্ন \ ৫ \ কোন ব্যবস্থা ধনতন্ত্রে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে পরিচালিত করে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ধনতন্ত্রে দাম ব্যবস্থা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে পরিচালিত করে। ধনতন্ত্রে উৎপাদনকারী মুনাফার জন্য উৎপাদন করে। কাজেই উৎপাদনের পরিমাণ দ্রব্যের দামের ওপর নির্ভর করে। আবার ভোক্তার ভোগের পরিমাণও দ্রব্যের দামের ওপর নির্ভর করে। কোনো দ্রব্যের দাম কমলে ভোক্তা দ্রব্যটি বেশি পরিমাণ ভোগ করে। দাম বাড়লে কম পরিমাণ ভোগ করবে। এভাবে দাম ব্যবস্থা ধনতন্ত্রে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে পরিচালনা করে থাকে।
প্রশ্ন \ ৬ \ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : যে ব্যবস্থায় সম্পদের ওপর ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দামব্যবস্থা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্রত্যেক ব্যক্তিই অবাধে উৎপাদন ও ভোগ করতে পারে তাকেই ধনতান্ত্রিক বা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা বলে। এ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ব্যক্তিগত উদ্যোগের অবাধ স্বাধীনতা এবং দামব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান। উৎপাদন বণ্টন ও ভোগের ক্ষেত্রে কোনো সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাই এ ধরনের অর্থব্যবস্থাকে অবাধ বা মুক্ত অর্থনীতিও বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বলতে কী বোঝ?
উত্তর : সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বলতে উৎপাদনের উপকরণের ওপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা বজায় থাকাকে বোঝায়। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় দেশে কোন দ্রব্য কী পরিমাণ উৎপাদন হবে এবং কীভাবে বণ্টিত হবে এসবই কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা দ্বারা নির্ধারিত হয়। সার্বিক সামাজিক চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হয়। কাল মার্কস এবং এঙ্গেলস সমাজতন্ত্রের প্রধান প্রবক্তা। পৃথিবীর সব দেশে সমাজতন্ত্রের রূপ এক রকম না হলেও এর সাধারণ কতগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন : সম্পদের রাষ্ট্রীয় মালিকানা, ব্যক্তিগত উদ্যোগের অনুপস্থিতি, কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা, ভোক্তার স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ৮ \ মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : যে অর্থব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ পাশাপাশি বিরাজ করে তাকে মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে। এ ব্যবস্থায় ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা হয়। এরূপ অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিস্বাধীনতা অবাধ না হয়ে আংশিকভাবে সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। তাছাড়া কিছু কিছু বৃহৎ ও মৌলিক শিল্পকারখানা এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়-বাণিজ্য সরকারি খাতে পরিচালিত হয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ ইসলামি অর্থব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : আল্লাহ প্রদত্ত কুরআন ও হাসিদের বিধান অনুসারে সমুদয় জাগতিক সম্পদের সামগ্রিক ও কল্যাণমুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করাকে ইসলামি অর্থব্যবস্থা বলে। মানুষের কল্যাণের জন্য সম্পদের সামগ্রিক ও কল্যাণমুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করাকে ইসলামি অর্থব্যবস্থা বলে। মানুষের কল্যাণের জন্য সম্পদের সর্বাধিক উৎপাদন, সুষ্ঠু বণ্টন ও ন্যায়সংগত ভোগ নিশ্চিত করাই ইসলামি অর্থব্যবস্থার মূল লক্ষ্য।
প্রশ্ন \ ১০ \ মানুষ কীভাবে অভাব নির্বাচন ও বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে?
উত্তর : মানুষের অভাব অসীম, কিন্তু সম্পদ সীমিত। তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভাবটি প্রথমে নির্বাচন করে মানুষ অভাব মেটানোর চেষ্টা করে। এভাবে অভাবের গুরুত্বানুযায়ী অভাব নির্বাচন করে সীমিত সম্পদ দ্বারা মানুষ অভাব পূরণের চেষ্টা করে।
প্রশ্ন \ ১১ \ মানুষ প্রান্তিক পর্যায়ে চিন্তা করে কেন?
উত্তর : ভোগের পর মানুষের মধ্যে ভালো-মন্দ উপলব্ধি সৃষ্টি হয় বলে মানুষ প্রান্তিক পর্যায়ে চিন্তা করে। যুক্তিবাদী সবসময় ভালো-মন্দ বিচার করে সামনে এগিয়ে যায়। তাই কোনো কাজ করার পর ফলাফলের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে কী করা উচিত বা কী করা অনুচিত সে সম্পর্কে ধারণা সৃষ্টি হয়। এ ধারণার প্রেক্ষিতেই মানুষ ফলপ্রসূ কিছু চিন্তা করে।
প্রশ্ন \ ১২ \ অর্থনৈতিক সমস্যা কেন সৃষ্টি হয়?
উত্তর : অসীম অভাব এবং সম্পদের স্বল্পতার জন্যই অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। মানুষের অভাবের শেষ নেই। কিন্তু অভাব পূরণের সম্পদ সীমিত। তাই সীমিত সম্পদ দ্বারা কীভাবে অসীম অভাব পূরণ করা যায় এ সম্পর্কিত চিন্তা থেকেই অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন \ ১৩ \ বাছাই বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : বাছাই বলতে অনেকগুলো জিনিস থেকে প্রয়োজনীয় ও পছন্দনীয় জিনিসটি নির্বাচন করাকে বোঝায়। অর্থনীতিতে বাছাই হলো- অভাবের গুরুত্ব নির্বাচন করা। মানুষের অসীম অভাব থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভাবগুলো নির্বাচন করে তা পূরণের ব্যবস্থা করাই হলো বাছাই।
প্রশ্ন \ ১৪ \ যাকাত ও ফিতরা কীভাবে ধনবৈষম্য হ্রাসে সহায়তা করে?
উত্তর : যাকাত ও ফিতরা ব্যবস্থায় ন্যায়বিচারভিত্তিক বণ্টন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। এ লক্ষ্যে যাকাত ও ফিতরার মাধ্যমে ধনীদের নিকট থেকে অর্থ গ্রহণ করে সমাজের দরিদ্র, দুস্থ ও কর্মে অক্ষম লোকদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য তাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এর ফলে একদিকে এ শ্রেণির লোকদের আয় বাড়ে; আবার অন্যদিকে তারা প্রাপ্ত এ আয় সাংসারিক প্রয়োজনে ব্যয় করে জীবনযাত্রার মান উন্নত করে। এজন্য বলা যায়, যাকাত ও ফেতরা কিছুটা হলেও সমাজে বিদ্যমান আয় বৈষম্য কমায় এবং সমাজের অপেক্ষাকৃত দুর্বল লোকদের সামাজিক অবস্থান দৃঢ় করে।