নবম-দশম শ্রেণির অর্থনীতি অধ্যায় ৭ অর্থ ও ব্যাংক ব্যবস্থা

সপ্তম অধ্যায়
 অর্থ ও ব্যাংক ব্যবস্থা

আধুনিক অর্থনীতিতে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে অর্থ সর্বজনস্বীকৃত ও গৃহীত। আমাদের দেশের মুদ্রা ব্যবস্থার তথা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে এবং সরকারের ব্যাংক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর জনসাধারণের আমানত গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ঋণ প্রদান করে মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ। শিখনফল
 অর্থের ধারণা এবং অর্থের প্রকারভেদ
 অর্থের কার্যাবলি ব্যাখ্যা
 বাণিজ্যিক ব্যাংকের ধারণা এবং প্রধান কার্যাবলি
 ব্যাংক হিসাব খোলা ও পরিচালনার নিয়মাবলি
 কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যাবলি
 বাণিজ্যিক ব্যাংকের সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তুলনা
 কৃষি উন্নয়ন, শিল্পায়ন ও আত্মকর্মসংস্থানে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকসমূহের ভ‚মিকা
 চার্ট অঙ্কন করে বাংলাদেশের ব্যাংকব্যবস্থা প্রদর্শন
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি

 অর্থ : আধুনিক অর্থনীতিতে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে অর্থ সর্বজনস্বীকৃত ও গৃহীত। অর্থ বিনিময়ের মাধ্যম, দ্রব্য ও সেবার মূল্যের পরিমাপক এবং সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে কাজ করে।
 অর্থের প্রকারভেদ : তৈরির উপকরণের দিক থেকে অর্থকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা : ১. ধাতব মুদ্রা ও ২. কাগজি নোট।
 বিহিত অর্থ : যে অর্থ সরকারি আইন দ্বারা প্রচলিত তাকে বিহিত অর্থ বলে। বিহিত অর্থকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা : ১. অসীম বিহিত অর্থ ও ২. সসীম বিহিত অর্থ।
 ব্যাংক সৃষ্ট অর্থ : বর্তমানে ব্যবসায়িক লেনদেন ও দেনা-পাওনা পরিশোধ করতে ব্যাংক হিসাব বা ব্যাংকসৃষ্ট অর্থ প্রচলিত রয়েছে।
 বাণিজ্যিক ব্যাংক : যে ব্যাংক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অর্থ আমানত হিসেবে জমা রাখে এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ঋণ প্রদান করে, তাকে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জন।
 কেন্দ্রীয় ব্যাংক : কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা ব্যাংক ব্যবস্থার শীর্ষে অবস্থান করে সমগ্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে এবং

মুদ্রাবাজারের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে। এটি সরকারের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণে থেকে নোট ও মুদ্রা প্রচলন, ঋণ নিয়ন্ত্রণ, মুদ্রার মান সংরক্ষণ, মুদ্রা বাজার সংগঠন ও পরিচালনা এবং সরকারের আর্থিক উপদেষ্টা ও ব্যাংকার হিসেবে কাজ করে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এটি সরকার কর্তৃক সর্বোচ্চ ক্ষমতাপ্রাপ্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তাই এর প্রধান উদ্দেশ্য মুনাফা সর্বোচ্চকরণ নয় বরং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা, উন্নয়ন ও জনকল্যাণ সর্বোচ্চকরণ।
 বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা : আমাদের দেশের মুদ্রা ব্যবস্থার তথা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে এবং সরকারের ব্যাংক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর জনসাধারণের আমানত গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ঋণ প্রদান করে মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ। অন্যদিকে বিশেষ খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি দারিদ্র্যবিমোচনের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে বিশেষায়িত ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ।

 বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 
১. বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রথম ও প্রধান কাজ কোনটি?
ক ঋণদান  আমানত গ্রহণ
গ অর্থ স্থানান্তর করা ঘ বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি
২. নিচের কোন মুদ্রা যেকোনো পরিমাণে লেনদেন করা যায়?
ক ২ টাকার কয়েন খ ২ টাকার কাগজি মুদ্রা
গ ৫ টাকার কয়েন  ৫ টাকার কাগজি মুদ্রা
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
আরিফ তার সঞ্চিত অর্থ একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রাখে। বছর শেষে সে তার জমাকৃত অর্থ অতিরিক্ত অর্থসহ উত্তোলন করে।
৩. আরিফের লেনদেনকৃত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নাম কী?
ক বাংলাদেশ ব্যাংক খ সমবায় ব্যাংক
 সোনালী ব্যাংক ঘ গ্রামীণ ব্যাংক
৪. দেশের অর্থনীতিতে উক্ত প্রতিষ্ঠানের অবদান হচ্ছে
র. পুঁজি গঠন করা
রর. মুদ্রার মান সংরক্ষণ
ররর. অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর  র ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন- ১  ব্যাংক ব্যবস্থা

রতœা একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তার প্রতিষ্ঠান জনগণকে ঋণ দিতে পারে না। কিন্তু অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিচালনার ক্ষেত্রে পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে তার বান্ধবীও অন্য একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। এটি জনগণের সঞ্চিত অর্থ জমা রাখে এবং এর বিপরীতে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করে।
ক. বিনিময় প্রথা কী?
খ. সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে অর্থের কার্যাবলি বর্ণনা কর।
গ. রতœার প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. রতœার প্রতিষ্ঠানের সাথে তার বান্ধবীর প্রতিষ্ঠানের পার্থক্য বিশ্লেষণ কর।

ক এক দ্রব্যের পরিবর্তে অন্য একটি দ্রব্য বিনিময়ের মাধ্যমে মানুষের অভাব পূরণ করার ব্যবস্থাই হলো বিনিময় প্রথা।
খ সঞ্চয়ের বাহনরূপে কাজ করে থাকে অর্থ। মানুষ তার আয়ের কিছু অংশ ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে চায়। কিন্তু দ্রব্য পচনশীল হওয়ায় তা জমিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। তবে অর্থের কোনো ক্ষয় নেই বলে এটি সঞ্চয় করা নিরাপদ ও সুবিধাজনক। এজন্য মানুষ তার উদ্বৃত্ত পণ্যসামগ্রী বিক্রয় করে অর্থ সঞ্চয় করে। এভাবে অর্থ সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে কাজ করে থাকে।
গ প্রাতিষ্ঠানিক কার্যের প্রকৃতিগত দিক বিশ্লেষণে রতœার কর্মরত প্রতিষ্ঠানটিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। একটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবদান অপরিসীম। একটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা মূলত ওই দেশের দ্রব্য ও সেবার দামস্তরের স্থিতিশীলতার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দামস্তর, মুদ্রাস্ফীতি ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। দামস্তরের হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা বাজারে টাকার যোগান বাড়াতে বা কমাতে পারে। রতœার কর্মরত প্রতিষ্ঠানটি তথা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে অর্থের যোগানের হ্রাস, বৃদ্ধি করতে পারে। মূলধন গঠন উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এভাবে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে যা উদ্দীপকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য দেশের অর্থনেতিক উন্নয়ন এবং জনকল্যাণ সর্বোচ্চকরণ। সুতরাং বলা যায়, রতœার কর্মরত প্রতিষ্ঠানটি দেশের সমগ্র আর্থিক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান তথা কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ঘ কার্যের প্রকৃতিগত দিক বিশ্লেষণে রতœার বান্ধবীর কর্মরত প্রতিষ্ঠানটি হলো বাণিজ্যিক ব্যাংক, যার সাথে রতœার কর্মরত প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং বাণিজ্যিক ব্যাংক উভয়ই আর্থিক প্রতিষ্ঠান। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাকা সচল করতে উভয়ের রয়েছে নানামুখী ভ‚মিকা। তবে কেন্দ্রীয় ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাজের উদ্দেশ্য, প্রকৃতি এবং পরিধিগত দিক বিশ্লেষণে উভয়ের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। রতœা যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে তা দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান তথা কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং তার বান্ধবী যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করে তা একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এ দুটি ব্যাংকের মধ্যে পার্থক্য অনেক। বাণিজ্যিক ব্যাংক মূলত মুনাফাকে প্রাধান্য দেয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্দেশ্য জনগণের সার্বিক উন্নয়ন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের আর্থিক উপদেষ্টা, ক্লিয়ারিং হাউস, নোট প্রচলনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যাবলি সম্পন্ন করে থাকে। দেশের অন্যান্য বাণিজ্য ব্যাংকগুলোর ঋণদান নিয়ন্ত্রণসহ সরকারের ব্যাংক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের কাজকর্ম পরিচালনা করে থাকে। অন্যদিকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান কাজ হলো জনগণের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ এবং ঋণ প্রদান। উপরিউক্ত আলোচনায় দেখা যাচ্ছে, রতœার প্রতিষ্ঠানের সাথে তার বান্ধবীর প্রতিষ্ঠানের বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। তা সত্তে¡ও এ দুটি ব্যাংক-ই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে একে অপরের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে।
প্রশ্ন- ২  বিনিময় প্রথা ও অর্থ

হারুনের স্ত্রীর একটি শাড়ির খুবই প্রয়োজন। কিন্তু তার কাছে একটি ছাগল ছাড়া কিছুই নেই। হারুন তার ছাগল নিয়ে তাঁতির কাছে গেলে তাঁতি একটি শাড়ির বদলে ছাগল নিতে চায়। কিন্তু হারুন একটি শাড়ির বদলে ছাগলটি দিতে রাজি হয়নি। পরে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি দ্রব্য আবিষ্কৃত হওয়ায় এ অসুবিধা দূর হয়।
ক. বিহিত অর্থ কাকে বলে?
খ. নিকাশঘর বলতে কী বোঝায়?
গ. হারুন তাঁতির কাছে গিয়ে শাড়ি কিনতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সবার কাছে গ্রহণযোগ্য দ্রব্যটির ভ‚মিকা তোমার পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

ক যে অর্থ সরকারি আইন দ্বারা প্রচলিত তাকে বিহিত অর্থ বলে।
খ নিকাশঘর বলতে ব্যাংকের বার্ষিক দেনা-পাওনার হিসাব নিষ্পত্তিকারী প্রতিষ্ঠানকে বোঝায়। দৈনন্দিন ব্যবসায়-বাণিজ্য ও লেনদেনের ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে চেক, ব্যাংক ড্রাফট ও পোস্টাল অর্ডারের আদান-প্রদান হয়। ফলে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংকের কাছে পাওনাদার বা দেনাদার হয়। এক ব্যাংক অন্য ব্যাংকের কাছে কত পাওনা বা কত দেনা তার সর্বশেষ হিসাব সংরক্ষণকে নিকাশ বলা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ কাজটি নিষ্পত্তি করে বলে একে নিকাশঘর বলা হয়। অর্থাৎ নিকাশঘর হলো দেনা-পাওনা নিষ্পত্তিকারী প্রতিষ্ঠান।
গ দ্রব্য বিনিময় প্রথার অন্যতম অসুবিধা দ্রব্য বিভাজনজনিত সমস্যা এবং মূল্যগত কারণে হারুন তাঁতির কাছে গিয়ে শাড়ি কিনতে পারেনি। দ্রব্য বিনিময় প্রথা হলো মানুষের অভাব পূরণের জন্য এক দ্রব্যের পরিবর্তে অন্য দ্রব্যের বিনিময় করা। এ প্রথায় লেনদেন করতে গিয়ে মানুষকে নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। দ্রব্য বিভাজন সমস্যা এসব সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি, যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে উদ্দীপকের হারুন। উদ্দীপকে দেখা যায়, হারুনের স্ত্রীর একটি শাড়ির প্রয়োজন। তাই সে তার একমাত্র সম্বল ছাগলটি নিয়ে তাঁতির কাছে যায়। কিন্তু তাঁতি কেবল একটি শাড়ির বিনিময়েই ছাগলটি নিতে চায়। হারুন একটি শাড়ির বিনিময়ে ছাগলটি দিতে রাজি হয় না। কারণ শাড়ির মূল্যের তুলনায় ছাগলের মূল্য অনেক বেশি। তাই হারুন শাড়ির মূল্যের বিনিময়ে ছাগলটিকে বিভাজন করতে পারবে না। মূলত দ্রব্য বিভাজনে অসুবিধা থাকায় হারুন তাঁতির প্রস্তাবটি মেনে নিতে রাজি হয়নি। সুতরাং দেখা যাচ্ছে এ দ্রব্য বিভাজনে অসুবিধা এবং দ্রব্যের মূল্যের অসামঞ্জস্যতার কারণে হারুন তাঁতির কাছে গিয়ে শাড়ি কিনতে ব্যর্থ হয়।
ঘ উদ্দীপকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য যে দ্রব্যটি আবিষ্কৃত হওয়ার কথা বলা হয়েছে তা হলো অর্থ; যা আধুনিক উৎপাদন ব্যবস্থা এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবনে গতিশীলতা সৃষ্টিতে অনন্য ভ‚মিকা পালন করছে। অর্থ আধুনিক জীবনে লেনদেনের প্রধান মাধ্যম হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত একটি বাহন। এটি দেশের সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত, যা মূল্যের পরিমাপক, দেনাপাওনা মেটানোর উপায়, সঞ্চয়ের বাহন এবং ঋণের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। বিনিময়ের সর্বোৎকৃষ্ট বাহন হিসেবে অর্থ সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটি উপায়। উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত দ্রব্য বিনিময় প্রথার অসুবিধা দূরীকরণের প্রেক্ষিতে অর্থের উদ্ভব হয়েছে। দ্রব্যের অসামঞ্জস্যতা, অভাবের অমিল, মূল্যজনিত সমস্যার কারণে দ্রব্য বিনিময় প্রথা অর্থনৈতিক গতিশীলতা সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়েছে। আর এ প্রেক্ষিতে উদ্ভব হয়েছে অর্থের, যা আধুনিক উৎপাদন ব্যবস্থায় পরিধি বৃদ্ধি করেছে। দ্রব্যের লেনদেনে অর্থকে বিনিময়ের সাধারণ মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করার ফলে সব ধরনের দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকাজের মূল্য পরিমাপ করা সহজতর হয়েছে। আধুনিককালে অর্থ সমন্বয়ের বাহন হিসেবে সহজ ও নিরাপদ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। এ সঞ্চয় থেকেই মূলধন সাধিত হয়, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভ‚মিকা পালন করে। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, অর্থনৈতিক ও সামাজিক গতিশীলতা সৃষ্টিতে অর্থের ভ‚মিকা অপরিসীম। কারণ, অর্থ মূল্য স্থানান্তর, তারল্যের মান, সামাজিক মর্যাদার প্রতীক হিসেবে ভ‚মিকা পালন করে।

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক কোনটি? [স. বো. ’১৬]
ক সোনালী ব্যাংক খ জনতা ব্যাংক
গ রূপালী ব্যঅংক  সবগুলো
২. ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে কোন ব্যাংক? [স. বো. ’১৬]
ক কৃষি ব্যাংক খ জনতা ব্যাংক গ গ্রামীণ ব্যাংক  কেন্দ্রীয় ব্যাংক
৩. মুদ্রা বাজারের অভিভাবক কোন ব্যাংক? [স. বো. ’১৫]
ক বাণিজ্যেক ব্যাংক খ গ্রামীণ ব্যাংক
গ বেসরকারি ব্যাংক  কেন্দ্রীয় ব্যাংক
৪. বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য কী? [স. বো. ’১৫]
ক ঋণ নিয়ন্ত্রণ খ নোট তৈরি
গ আমানত গ্রহণ  মুনাফা অর্জন
৫. সমবায় ব্যাংকের উদ্দেশ্য কোনটি? [স. বো. ’১৫]
 দারিদ্র্য বিমোচন খ ঋণ নিয়ন্ত্রণ
গ মুদ্রা প্রচলন ঘ বিনিময় হার নির্ধারণ
৬. বিনিময়ের সবচেয়ে সহজ ও সুবিধাজনক মাধ্যম কোনটি? [স. বো. ’১৫]
ক প্রাইজ বন্ড খ শেয়ার
 অর্থ ঘ দ্রব্য
৭. জনাব শফিক একজন ব্যাংকার। তিনি যে ব্যাংকে কর্মরত আছেন, সেই ব্যাংক আমানতকারীকে কম সুদ দেয় এবং ঋণ গ্রহণকারীর নিকট থেকে বেশি সুদ আদায় করে। জনাব শফিকের ব্যাংকের মূল লক্ষ্য কী? [স. বো. ’১৫]
ক ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা খ নোট ইস্যু করা
 মুনাফা অর্জন করা ঘ মুদ্রা বাজার নিয়ন্ত্রণ করা
৮. গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে? [পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজ, বগুড়া]
ক ১৯৭২ খ ১৯৮৫  ১৯৮৩ ঘ ১৯৭৩
৯. জনাব নোমান তার অতিরিক্ত চালের বিনিময়ে জনাব আরিফের কাছ থেকে আলু নিতে চান। কিন্তু আরিফের চালের প্রয়োজন না থাকায় চাল এবং আলু বিনিময় সম্ভব নয়। এ ঘটনায় দ্রব্য বিনিময় প্রথার কোন ত্রæটিটি প্রকাশ পেয়েছে। [ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক দ্রব্যের স্থানান্তর সমস্যা খ দ্রব্যের মূল্য পরিমাপের সমস্যা
 অভাবের অমিল ঘ দ্রব্য বণ্টনের সমস্যা
১০. আধুনিক অর্থনীতিতে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত কোনটি?
[হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ঢাকা]
 অর্থ খ দ্রব্য গ স্বর্ণ ঘ রৌপ্য
১১. অর্থের প্রথম ও প্রধান কাজ কী? [হলিক্রস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]
 বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া
খ দ্রব্য ভাগের অসুবিধা দূর করা
গ সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া
ঘ মূল্যের পরিমাপক হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া
১২. অর্থের প্রধান বৈশিষ্ট্য কোনটি? [কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, নাটোর]
ক ব্যবহারগত সুবিধা খ সঞ্চয়ের মাধ্যম
গ উৎপাদনগত সুবিধা  দেনা-পাওনা মেটানোর উপায়
১৩. কিসের প্রচলনের ফলে ঋণগ্রহণ ও পরিশোধ সহজলভ্য হয়েছে?
[বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক মুদ্রা  অর্থ গ দ্রব্য ঘ ডলার
১৪. সঞ্চয়ের নিরাপদ মাধ্যম কোনটি? [ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কলেজ]
ক দ্রব্য  অর্থ গ স্বর্ণ ঘ রৌপ্য
১৫. ডলার কোন দেশের মুদ্রা? [ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কলেজ]
ক বাংলাদেশ  আমেরিকা গ ভারত ঘ পাকিস্তান
১৬. ১০০ টাকার একটি প্রাইজবন্ড কোন ধরনের মুদ্রা?
[ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
 ব্যাংক হিসাবি খ কাগজি গ প্রামাণিক ঘ প্রতীক
১৭. ৫০০ টাকার নোট কোন ধরনের কাগজি মুদ্রা? [পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক বিহিত খ হিসাবি
গ অরূপান্তরযোগ্য  রূপান্তরযোগ্য
১৮. বাংলাদেশের ১ ও ২ টাকার নোট কোন ধরনের মুদ্রা?
[হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক অসীম খ প্রতীক  রূপান্তর অযোগ্য ঘ ব্যাংক
১৯. রূপান্তর অযোগ্য কাগজি মুদ্রা কোনটি? [খিলগাঁও গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
 ২ টাকা খ ৫ টাকা গ ১০ টাকা ঘ ২০ টাকা
২০. গ্রহণের বাধ্যবাধকতার দিক দিয়ে অর্থকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
[হলিক্রস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]
 দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
২১. যে অর্থ সরকারি আইন দ্বারা প্রচলিত তাকে কী বলে?
[ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কলেজ]
 বিহিত অর্থ খ ধাতব মুদ্রা
গ প্রতীক মুদ্রা ঘ কাগজি মুদ্রা
২২. কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কাজ কোনটি? [নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ঋণ দান  মুদ্রা প্রচলন
গ বৈদেশিক বাণিজ্য ঘ মুনাফা অর্জন
২৩. দেশের বর্তমান অর্থের যোগান ও তার মূল্য কিসের ওপর নির্ভর করে?
[ইউনিভারসিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক বাণিজ্যিক ব্যাংকের নীতির খ সরকারের নীতির
 কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির ঘ বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নীতির
২৪. বাংলাদেশ ব্যাংক কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে?
[পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজ, বগুড়া]
ক ১৯৭১  ১৯৭২ গ ১৯৭৫ ঘ ১৯৭৮
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৫. অর্থ হলো- [কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, নাটোর]
র. ঋণের ভিত্তি
রর. সঞ্চয়ের বাহন
ররর. অভাব পূরণের মাধ্যম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
২৬. বাংলাদেশে প্রচলিত ১ ও ২ টাকার নোট হলো- [অগ্রণী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
র. রুপার অযোগ্য কাগজি মুদ্রা
রর. বিহিত মুদ্রা
ররর. প্রতীকী ধাতব মুদ্রা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৭. ব্যাংক ড্রাফট কী? [বিএএফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক মুদ্রা খ টাকা
 ঐচ্ছিক মুদ্রা ঘ অসীম বিহিত মুদ্রা
২৮. বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হলো [বিএএফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রাম]
র. মুনাফা অর্জন
রর. জনসেবা
ররর. অর্থকে নিরাপদ রাখা
নিচের কেনাটি সঠিক?
 র খ রর গ ররর ঘ র ও ররর
২৯. আধুনিক অর্থনীতিতে অর্থ হলো- [ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
র. বিনিময়ের মাধ্যম
রর. মূল্য পরিমাপক
ররর. উৎপাদিত দ্রব্যের পরিমাণ
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩০ ও ৩১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মনির একটি ব্যাংকে চাকরি করে, যে ব্যাংক জনগণের অর্থ জমা রাখে না অথচ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করে। [স. বো. ’১৬]
৩০. মনির চাকরিরত ব্যাংকটি
ক সোনালী ব্যাংক খ রূপালী ব্যাংক
গ অগ্রণী ব্যাংক  বাংলাদেশ ব্যাংক
৩১. দেশের অর্থনীতিতে উক্ত ব্যাংকের অবদান
র. ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা
রর. সঞ্চয় বৃদ্ধি করা
ররর. বিনিময় হার ঠিক রাখা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩২ ও ৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
খুকুমনি ব্যাংকে একটি হিসাব খুললেন। তার হিসাবে প্রতিদিন টাকা লেনদেন করা যায় কিন্তু জমা টাকায় সুদ পাওয়া যায় না। [স. বো. ’১৬]
৩২. খুকুমনি ব্যাংকে কী ধরনের হিসাব খুললেন?
র. সঞ্চয়ী
রর. চলতি
ররর. স্থায়ী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর ঘ র ও ররর
৩৩. খুকুমনিকে জমা টাকার সুদ পেতে হলে ব্যাংকে কোন ধরনের হিসাব খুলতে হবে?
র. চলতি
রর. সঞ্চয়ী
ররর. স্থায়ী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর ঘ রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৪ ও ৩৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রহমান সাহেবের ব্যাংকে যে হিসাবটি রয়েছে, সে হিসাবে তিনি সপ্তাহে দুবারের বেশি টাকা তুলতে পারেন না। অন্যদিকে তার ছেলে যে ব্যাংকে চাকরি করেন, সেখানে কেউ সাধারণ মানুষ হিসাব খুলতে পারে না।
[হলিক্রস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]
৩৪. রহমান সাহেবের ব্যাংক হিসাবটি কোন ধরনের?
 চলতি খ স্থায়ী গ সঞ্চয়ী ঘ স্বল্পমেয়াদি
৩৫. রহমান সাহেবের ছেলের কর্মরত ব্যাংকটির বৈশিষ্ট্য হলো
র. নোট প্রচলন
রর. ঋণ নিয়ন্ত্রণ
ররর. সঞ্চয় বৃদ্ধি
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৬ ও ৩৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আয়শা বেগম একজন গৃহিণী। স্বামীর সামান্য আয় দিয়ে সংসারের ব্যয়ভার বহন করা কষ্টসাধ্য বলে সে স্থানীয় একটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে হাঁস-মুরগির খামার গড়ে তোলে। হাঁস-মুরগির ডিম বিক্রি করে আজ সে স্বাবলম্বী।
[আন্তঃক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুল, বগুড়া]
৩৬. আয়শা বেগম কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেয়?
ক সোনালী ব্যাংক  গ্রামীণ ব্যাংক
গ কর্মসংস্থান ব্যাংক ঘ বাংলাদেশ ব্যাংক
৩৭. আয়শা বেগমকে ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানটি
র. মুদ্রার যোগান নিয়ন্ত্রণ করে
রর. দারিদ্র্যবিমোচনে কাজ করে
ররর. বেকারত্ব দূরীকরণে সাহায্য করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
 ৭.১ : অর্থ ও অর্থের প্রকারভেদ  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৬৯
 দ্রব্যের বিনিময়ে দ্রব্য প্রাপ্তিকে বলা হয় বিনিময় প্রথা।
 আধুনিক অর্থনীতিতে সর্বজন স্বীকৃত বিনিময় মাধ্যম হলো অর্থ।
 ধাতব মুদ্রাকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়।
 কাগজি মুদ্রাকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়।
 সরকারি আইন দ্বারা প্রচলিত অর্থকে বলে বিহিত মুদ্রা।
 ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক ড্রাফট ইত্যাদি ব্যাংক সৃষ্ট মুদ্রা।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৮. অর্থ ও ঋণের ব্যবসা কিসের মাধ্যমে হয়ে থাকে? (জ্ঞান)
ক দ্রব্যের খ স্বর্ণের  আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঘ শিল্পের
৩৯. জমির কৃষক তার উৎপাদিত চালের বিনিময়ে ছমির মাঝির কাছ থেকে মাছ সংগ্রহ করল। এ বিষয়টি নিচের কোন ব্যবস্থাটির ইঙ্গিত দেয়? (প্রয়োগ)
 বিনিময় খ অর্থ গ উৎপাদন ঘ আমদানি
৪০. বিনিময় প্রথা বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
 দ্রব্যের সাথে দ্রব্যের বিনিময়
খ টাকার বিনিময়ে টাকা প্রাপ্তি
গ দ্রব্যের মূল্য হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহার
ঘ সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে টাকার ব্যবহার
৪১. দ্রব্য বিনিময় প্রথায় কিসের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করতে হয়? (অনুধাবন)
ক অর্থের খ শ্রমের  দ্রব্যের ঘ চেকের
৪২. কৃষক তার ধানের বিনিময়ে তাঁতির কাছ থেকে কাপড় এবং জেলে তার মাছের বিনিময়ে কুমারের নিকট থেকে হাঁড়ি-পাতিল সংগ্রহ করত। এভাবে লেনদেনের মাধ্যমে অভাব পূরণের নাম কী? (প্রয়োগ)
ক অর্থ বিনিময় খ বিনিময় প্রথা
গ অর্থব্যবস্থা  দ্রব্য বিনিময় প্রথা
৪৩. এক দ্রব্যের পরিবর্তে অন্য দ্রব্য বিনিময় করে অভাব পূরণ করার ব্যবস্থাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক অর্থব্যবস্থা  বিনিময়ব্যবস্থা
গ দ্রব্যব্যবস্থা ঘ ব্যাংকব্যবস্থা
৪৪. কোনটি বিনিময় প্রথার ইংরেজি শব্দ? (জ্ঞান)
 ইধৎঃবৎ ংুংঃবস খ ইধৎঃঃবৎ ংুংঃবস
গ ইবৎঃধৎ ংুংঃবস ঘ ইড়ঁঃবৎ ংুংঃবস
৪৫. কোন সময় পর্যন্ত দ্রব্য বিনিময় প্রথা চালু ছিল? (জ্ঞান)
 অর্থ আবিষ্কারের পূর্ব খ মধ্যযুগ
গ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ঘ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
৪৬. অর্থের আবির্ভাব ঘটে কেন? (অনুধাবন)
 বিনিময় প্রথার অসুবিধা দূরীকরণে
খ আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার সাথে তাল মিলানোর জন্য
গ মানুষের অভাব পূরণের জন্য
ঘ মানুষের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য
৪৭. বিনিময় প্রথার অসুবিধা দূর করতে কিসের আবির্ভাব ঘটেছে? (জ্ঞান)
 অর্থের খ ব্যবসা-বাণিজ্যের
গ শিল্পের ঘ কৃষির
৪৮. যে বস্তু দ্বারা মানুষ পণ্যসামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করে তাকে অর্থ বলে। এক্ষেত্রে অর্থের প্রধান বৈশিষ্ট্য কোনটি? (প্রয়োগ)
ক অর্থ সঞ্চয়ের বাহন  অর্থ বিনিময়ের মাধ্যম
গ অর্থ মূল্যের পরিমাপক ঘ অর্থ ঋণের ভিত্তি
৪৯. অর্থ কীভাবে সঞ্চয়ের কাজ করে? (অনুধাবন)
ক বাহক হিসেবে  বাহন হিসেবে
গ পরিমাপক হিসেবে ঘ চাহিদার একক হিসেবে
৫০. কোনো ব্যক্তি দশ টাকা দিয়ে একটি কলা কিনল। এখানে দশ টাকা কী হিসেবে পরিগণিত? (প্রয়োগ)
 দ্রব্যের মূল্যের পরিমাপক খ বিনিময় মূল্য
গ চাহিদার একক ঘ দ্রব্যের দাম
৫১. বাংলাদেশের অর্থ কী নামে পরিচিত? (জ্ঞান)
ক ডলার খ ইউরো গ পাউন্ড  টাকা
৫২. মিজান আমেরিকা গিয়ে যে অর্থ ব্যয় করবে তা কী নামে পরিচিতি পাবে? (প্রয়োগ)
 ডলার খ ইউরো গ পাউন্ড ঘ টাকা
৫৩. ইউরোপের অধিকাংশ দেশের অর্থের নাম কী? (জ্ঞান)
 ইউরো খ ডলার গ রুপি ঘ দিনার
৫৪. তৈরির উপকরণের দিক দিয়ে অর্থকে কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে? (জ্ঞান)
 দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
৫৫. ধাতব মুদ্রা কী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে? (জ্ঞান)
 ধাতব খণ্ড খ কাগজ গ পাথর ঘ মাটি
৫৬. ধাতব খণ্ড দ্বারা তৈরি যে মুদ্রার মাধ্যমে মানুষ প্রাত্যহিক জীবনের লেনদেন করে তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
 ধাতব মুদ্রা খ অর্থ
গ বিহিত মুদ্রা ঘ প্রামাণিক মুদ্রা
৫৭. ধাতব খণ্ড দ্বারা তৈরি যে মুদ্রার মাধ্যমে মানুষ প্রাত্যহিক জীবনের লেনদেন করে তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
 ধাতব মুদ্রা খ অর্থ গ বিহিত মুদ্রা ঘ প্রামাণিক মুদ্রা
৫৮. ধাতব মুদ্রাকে বস্তুগত মূল্যমানের দিক দিয়ে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
 দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
৫৯. যে মুদ্রা গলানোর মাধ্যমে ধাতু হিসেবে বিক্রি করলে দৃশ্যমান মূল্যের সমপরিমাণ মূল্য পাওয়া যায় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক বিহিত মুদ্রা  প্রামাণিক মুদ্রা
গ প্রতীক মুদ্রা ঘ কাগজি মুদ্রা
৬০. যে মুদ্রার ধাতব মূল্য তার দৃশ্যমান মূল্যের চেয়ে কম থাকে তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ধাতব মুদ্রা  প্রতীক মুদ্রা গ বিহিত মুদ্রা ঘ প্রামাণিক মুদ্রা
৬১. সাধারণত ধাতব মুদ্রা কার দ্বারা প্রচলিত হয়? (জ্ঞান)
 সরকার খ জনগণ
গ ব্যবসায়ী শ্রেণি ঘ শিল্পপতি
৬২. যেসব মুদ্রা কাগজ দ্বারা তৈরি তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
 কাগজি মুদ্রা খ প্রামাণিক মুদ্রা
গ প্রতীক মুদ্রা ঘ বিহিত মুদ্রা
৬৩. বিশ্বের প্রায় সকল দেশে কোন ধরনের মুদ্রা প্রচলন দেখা যায়? (জ্ঞান)
 কাগজি খ প্রামাণিক গ ব্যাংক হিসাব ঘ রূপান্তরযোগ্য
৬৪. সরকারি নির্দেশে কোন ব্যাংক কর্তৃক কাগজি মুদ্রা প্রচলিত হয়? (জ্ঞান)
 কেন্দ্রীয় ব্যাংক খ রূপালী ব্যাংক
গ কৃষি ব্যাংক ঘ সোনালী ব্যাংক
৬৫. বাংলাদেশের ১০০০ টাকার নোট হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
 কাগজি মুদ্রা খ প্রামাণিক মুদ্রা গ প্রতীক মুদ্রা ঘ ধাতব মুদ্রা
৬৬. কাগজি মুদ্রাকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
 দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
৬৭. কোন মুদ্রার পরিবর্তে চাওয়ামাত্র সরকারের সমমূল্যের দেশীয় মুদ্রা দিতে বাধ্য থাকে? (জ্ঞান)
 রূপান্তরযোগ্য খ প্রতীক
গ কাগজি ঘ বিহিত
৬৮. কোন টাকার বিনিময়ে সরকারের কাছ থেকে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা বা সোনা, রুপা পাওয়া যায় না? (জ্ঞান)
 রূপান্তর অযোগ্য মুদ্রা খ রূপান্তরযোগ্য মুদ্রা
গ প্রামাণিক মুদ্রা ঘ প্রতীক মুদ্রা
৬৯. যে কাগজি মুদ্রার পরিবর্তে সরকারের কাছ থেকে কোনো ধাতব মুদ্রা বা সোনা, রুপা পাওয়া যায় না তাকে রূপান্তর অযোগ্য মুদ্রা বলে। কেবল সরকারের আদেশে এ রকম কাগজি নোট বাজারে চালু থাকে। এ প্রেক্ষিতে কোনগুলো জাতীয় মুদ্রা? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ১০ ও ২০ টাকার নোট খ ৫০ পয়সা
গ ১০০ টাকার নোট  ১ টাকা ও ২ টাকার নোট
৭০. বিহিত অর্থকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
 দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
৭১. কোন মুদ্রা সরকারি আইনানুযায়ী যে কোনো পরিমাণ আদায় প্রদান করা যায়? (জ্ঞান)
ক সসীম বিহিত  অসীম বিহিত
গ কাগজি ঘ ধাতব
৭২. কোনটি অসীম বিহিত মুদ্রা? (জ্ঞান)
ক ১ টাকার নোট খ ২ টাকার নোট
 ৫০ টাকার নোট ঘ ৫ টাকার ধাতব মুদ্রা
৭৩. বাংলাদেশের ৫ টাকার ও ১০ টাকার নোট কোন শ্রেণির? (অনুধাবন)
ক অসীম মুদ্রা  অসীম বিহিত মুদ্রা
গ সসীম মুদ্রা ঘ সসীম বিহিত মুদ্রা
৭৪. কোনটি সসীম বিহিত মুদ্রা? (অনুধাবন)
ক ৫০ টাকার নোট খ ১০০ টাকার নোট
গ ২০ টাকার নোট ঘ ৫ টাকার নোট
৭৫. নিচের কোনটিকে চি‎িহ্নত মুদ্রা বলে? (জ্ঞান)
ক বিদেশে প্রচলিত মুদ্রা  দেশে প্রচলিত মুদ্রা
গ গ্রহণযোগ্য মুদ্রা ঘ হিসাবি মুদ্রা
৭৬. কোন মুদ্রা দ্বারা একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত লেনদেন করা যায়? (জ্ঞান)
 সসীম বিহিত খ অসীম বিহিত
গ কাগজি ঘ ধাতব
৭৭. কোন মুদ্রা গ্রহণে কাউকে বাধ্য করা যায় না? (জ্ঞান)
 ব্যাংক হিসাব খ বিহিত
গ কাগজি ঘ হিসাবি
৭৮. কোনটি ব্যাংক সৃষ্ট অর্থ? (জ্ঞান)
ক ডলার খ টাকা
গ পাউন্ড  ব্যাংক ড্রাফট
৭৯. নিচের কোনটি ব্যাংক অর্থ? (জ্ঞান)
ক ১ টাকার নোট খ ১০ টাকার নোট
গ ১০০০ টাকার নোট  চেক
৮০. চেক, ব্যাংক ড্রাফট, প্রাইজবন্ড কী ধরনের মুদ্রা? (জ্ঞান)
 ব্যাংক সৃষ্ট অর্থ খ বিহিত
গ কাগজি ঘ হিসাবি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮১. বিনিময় প্রথায় মানুষকে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়Ñ (অনুধাবন)
র. দ্রব্য বিভাজনে অসুবিধা
রর. অভাব পূরণে অক্ষমতা
ররর. অভাবের অমিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮২. অর্থ প্রচলনের মাধ্যমে দ্রব্য বিনিময় প্রথার অসুবিধা দূরীভ‚ত হয়। কারণ এর ফলে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দ্রব্য বিভাজনজনিত সমস্যায় পড়তে হয় না
রর. যেকোনো স্থানে অর্থ সহজে বহন করা যায়
ররর. যেকোনো বস্তুর মূল্য সহজে প্রকাশ করা যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৮৩. ৫০ পয়সার মুদ্রাকে বলে- (প্রয়োগ)
র. অসীম বিহিত মুদ্রা
রর. সসীম বিহিত মুদ্রা
ররর. মুদ্রা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  রর গ ররর ঘ র ও ররর
৮৪. প্রাইজবন্ডকে বলা হয়- (প্রয়োগ)
র. বিহিত মুদ্রা
রর. হিসাবি মুদ্রা
ররর. ঐচ্ছিক মুদ্রা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  ররর ঘ র ও রর
৮৫. দ্রব্য বিনিময়ের শর্ত হলো- (অনুধাবন)
র. অভাবের মিল থাকতে হবে
রর. দ্রব্য বিনিময়ের মানসিকতা থাকতে হবে
ররর. দ্রব্য থাকতে হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৬. মানব সভ্যতার ইতিহাসে যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত-(উচ্চতর দক্ষতা)
র. বিনিময় প্রথার প্রচলন
রর. অর্থের উদ্ভাবন
ররর. আগুনের আবিষ্কার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৭. অর্থের প্রচলনের ফলে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দ্রব্যের মূল্য বিনষ্টের ঝুঁকি দূর হয়েছে
রর. মানুষের অর্থনৈতিক জীবনে গতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে
ররর. মানুষের সব অভাব মেটানো সম্ভব হয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৮. সাম্মীর কাছে দুটি কাপড় আছে। একটি কাপড়ের বিনিময়ে সে উর্মির কাছ থেকে চাল নিতে চাচ্ছে। কিন্তু উর্মির কাপড়ের প্রয়োজন নেই। এখানে দ্রব্য বিনিময়ের যেসব ধরনের সমস্যা পরিলক্ষিত হচ্ছে (প্রয়োগ)
র. অভাবের অমিল
রর. দ্রব্যের মূল্যের অসামঞ্জ্যতা
ররর. দ্রব্য স্থানান্তরে সমস্যা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৯. দ্রব্য বিনিময় প্রথায় ঋণ পরিশোধ করতে গেলে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দ্রব্য ভাগজনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়
রর. অভাবের অমিল দেখা দেয়
ররর. সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯০. প্রাচীনকালে দ্রব্য বিনিময় প্রথা চালু হয়েছিলÑ (অনুধাবন)
র. বিভিন্ন ধরনের অভাব দেখা দেওয়ায়
রর. স্বাবলম্বন মানসিকতাকে কেন্দ্র করে
ররর. দ্রব্যের প্রয়োজনীয়তার উপলব্ধি থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯১. অর্থকে বিবেচনা করা হয়- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সামাজিক মর্যাদার প্রতীক হিসেবে
রর. দ্রব্যের মূল্যের পরিমাপক হিসেবে
ররর. ঋণ ও সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৯২. ধাতব মুদ্রা বলতে বোঝায়- (অনুধাবন)
র. সরকার প্রবর্তিত মুদ্রাকে
রর. ধাতব খণ্ড দ্বারা তৈরি মুদ্রাকে
ররর. কাগজ দ্বারা তৈরি মুদ্রাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৩. বাংলাদেশের বিহিত অর্থ- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সরকার কর্তৃক প্রচলিত
রর. কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক প্রচলিত
ররর. শিল্প ব্যাংক কর্তৃক প্রচলিত
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৪. অসীম বিহিত মুদ্রা- (অনুধাবন)
র. আইনগতভাবে যেকোনো পরিমাণ লেনদেন করা যায়
রর. দেনা-পাওনা পরিশোধ করলে পাওনাদার তা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকে
ররর. একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত লেনদেন করা যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৫. আমাদের দেশের বিহিত অর্থ- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ধাতব মুদ্রা দ্বারা গঠিত
রর. স্বর্ণ-রৌপ্য নির্মিত
ররর. কাগজি নোট দিয়ে তৈরি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৬. সসীম বিহিত অর্থ- (অনুধাবন)
র. জনগণের ইচ্ছানুযায়ী গ্রহণ করা হয়
রর. একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত লেনদেন করা যায়
ররর. যেকোনো পরিমাণ লেনদেন করা যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৭. আমাদের দেশের ব্যাংক সৃষ্ট অর্থ হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. চলতি হিসাবে আমানত
রর. সঞ্চয়ী হিসাবে আমানত
ররর. ব্যবসায়িক আমানত
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯৮ ও ৯৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শরীফুল ইসলাম একজন কৃষক। তার উৎপাদিত চাল এবং আলুর বিনিময়ে সে বন্ধু জমির আলীর কাছ থেকে মাছ নিতে চাচ্ছে। কিন্তু জমির আলীর পর্যাপ্ত মাছ না থাকায় এবং চালের প্রয়োজন না হওয়ায় শরীফুল ইসলাম তার কাজটি করতে সক্ষম হননি।
৯৮. অনুচ্ছেদে নিচের কোন ব্যবস্থাটির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? (প্রয়োগ)
 দ্রব্য বিনিময় প্রথা খ অর্থ ব্যবস্থা
গ উৎপাদন ব্যবস্থা ঘ আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থা
৯৯. অনুচ্ছেদে ইঙ্গিতকৃত বিষয় সফল না হওয়ার কারণ- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দ্রব্য স্থানান্তরে অসুবিধা
রর. চাহিদার অমিল থাকা
ররর. দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণজনিত সমস্যা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১০০ ও ১০১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ইসমাম জামান ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন ধরনের কয়েন জমিয়ে একটি মাটির ব্যাংকে জমা রাখে। এসব কয়েনের মধ্যে ৫ টাকা, ২ টাকা প্রভৃতি মূল্যের কয়েন ছিল। কিছুদিন পর ইসমামের বাবা কয়েনগুলোর বিনিময়ে তাকে সমপরিমাণ টাকা দেন। যা পেয়ে ইসমাম খুব খুশি হয়।
১০০. ইসলামের জমাকৃত কয়েনগুলোকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
 ধাতব মুদ্রা খ স্বর্ণ মুদ্রা
গ রৌপ্য মুদ্রা ঘ তাম্র মুদ্রা
১০১. ইসলামের বাবার দেওয়া টাকাগুলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সরকারি নির্দেশে তৈরি করা হয়
রর. জনসাধারণের ইচ্ছার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়
ররর. কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক প্রচলিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১০২ ও ১০৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জমির শেখ তার গ্রামের আমবাগানের বিনিময়ে ব্যবসায়ী সুলতান আলীর কাছ থেকে শহরে একটি বাড়ি ক্রয় করে। বাড়িটির তুলনায় আমবাগানের দাম বেশি হওয়া সত্তে¡ও প্রয়োজনের তাগিদে জমির শেখ কাজটি করতে বাধ্য হয়।
১০২. অনুচ্ছেদে বিনিময় প্রথার কোন সমস্যাটি ফুটে উঠেছে? (প্রয়োগ)
ক স্থানান্তরের অসুবিধা খ চাহিদার অমিল
 মূল্যের ভিন্নতা ঘ পছন্দের অমিল
১০৩. এ ধরনের সমস্যা উত্তরণে কোনটি উদ্ভব ঘটেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
 অর্থ ব্যবস্থার খ শিল্প ব্যবস্থার
গ ব্যবসা-বাণিজ্যের ঘ আমদানি-রপ্তানির

 ৭.২ : অর্থের কার্যাবলি  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৭১
 অর্থের প্রধান কাজ ৪টি।
 স্থগিত লেনদেনের মান রক্ষা করে অর্থ।
 সমাজের মানুষের মর্যাদা নির্ধারিত হয় অর্থের মাধ্যমে।
 অর্থ হলো তরল সম্পদ।
 অর্থের সামগ্রিক কার্যাবলির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ সুগম হয়।
 দৈনন্দিন কার্যক্রমকে সহজতর করেছে অর্থ।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৪. ‘যাহা করে বিনিময় ও মূল্য পরিমাপ
ঋণ পরিশোধ আর সঞ্চয় সাধন
অর্থ বলি গণ্য তারে করে সর্বজন’Ñকে বলেছেন? (অনুধাবন)
 জনৈক কবি খ অধ্যাপক এল. রবিন্স
গ জি. ডি. এইচ কোল ঘ আর. পি. কেন্ট
১০৫. কোনটি অর্থের কাজ? (জ্ঞান)
ক সঞ্চয় বৃদ্ধি  মূল্যের পরিমাপক
গ ঋণদান করা ঘ বিনিময় হার ঠিক রাখা
১০৬. বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে নিচের কোনটি সর্বজন স্বীকৃত? (জ্ঞান)
ক স্বর্ণ  অর্থ গ দ্রব্য ঘ তাম্র
১০৭. সাধারণত অর্থের কাজ কয় ধরনের হয়ে থাকে? (জ্ঞান)
ক দুই খ তিন  চার ঘ পাঁচ
১০৮. অর্থ কীভাবে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
 সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য হয়ে খ মানুষের সঞ্চয় বৃদ্ধি করে
গ উৎপাদনে ভ‚মিকা রেখে ঘ তারল্যের মান নির্দেশ করে
১০৯. অর্থের মাধ্যমে লেনদেন সহজ ও গতিশীল হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক বেশি মুনাফা অর্জিত হওয়ায়
 যেকোনো সময় যেকোনো পরিমাণ পণ্য ক্রয়-বিক্রয় সম্ভব হওয়ায়
গ পণ্যের মান বৃদ্ধি পাওয়ায়
ঘ অর্থের মূল্য বেশি হওয়ায়
১১০. অর্থের বিনিময়ে লেনদেন হয় কেন? (অনুধাবন)
 অর্থ সবার নিকট গ্রহণযোগ্য বলে খ অর্থের মূল্য বেশি বলে
গ অর্থের বাজার ব্যবসায় বেশি মুনাফা হয় বলে
ঘ অর্থ চাহিদা পূরণ করে বলে
১১১. বিনিময়ের সবচেয়ে সহজ ও সুবিধাজনক মাধ্যম কোনটি? (জ্ঞান)
 অর্থ খ দ্রব্য গ শ্রম ঘ সম্পত্তি
১১২. দৈর্ঘ্যরে একক কোনটি? (জ্ঞান)
 মিটার খ পাউন্ড গ কিলোগ্রাম ঘ সেকেন্ড
১১৩. ওজনের পরিমাপক কোনটি? (জ্ঞান)
ক মিটার  কিলোগ্রাম গ সেকেন্ড ঘ শক্তি
১১৪. পণ্য ও সেবার মূল্যের পরিমাপক কোনটি? (জ্ঞান)
ক কিলোগ্রাম খ মিটার গ পাউন্ড  অর্থ
১১৫. আমির আলী ৫০ টাকা দিয়ে একটি বই ক্রয় করল। এখানে ৫০ টাকা কী হিসাবে কাজ করে? (প্রয়োগ)
 মূল্যের পরিমাপক খ চাহিদার একক
গ বিনিময়ের মাধ্যম ঘ সঞ্চয়ের বাহন
১১৬. এক ব্যক্তি দশ টাকা দামে একটি দ্রব্য ক্রয় করে। এক্ষেত্রে দশ টাকা ঐ দ্রব্যের কী? (অনুধাবন)
ক দৈর্ঘ্যরে পরিমাপক খ ওজনের পরিমাপক
 মূল্যের পরিমাপক ঘ ওজনের একক
১১৭. রহিম ৫০ টাকা কেজি দরে ১০ কেজি ডাল কিনল। এখানে ৫০ টাকা অর্থের কোন কার্যাবলিকে নির্দেশ করে? (প্রয়োগ)
ক ঋণের ভিত্তি খ তারল্যের মান
 মূল্যের পরিমাপক ঘ সঞ্চয়ের বাহন
১১৮. মূল্যের পরিমাপক হিসেবে কাজ করে নিচের কোনটি? (জ্ঞান)
 অর্থ খ স্বর্ণ গ রৌপ্য ঘ শিল্প
১১৯. অর্থ কিরূপে সঞ্চয়ের কাজ করে? (জ্ঞান)
 বাহন হিসেবে খ পরিবহন হিসেবে
গ টাকা গচ্ছিত রেখে ঘ সঞ্চালন হিসেবে
১২০. দ্রব্যসামগ্রীর মাধ্যমে সঞ্চয় করা যায় না কেন? (অনুধাবন)
 দ্রব্যসামগ্রী পচনশীল তাই খ দ্রব্যসামগ্রী মূল্যহীন তাই
গ দ্রব্যসামগ্রীর প্রতি মানুষের আকর্ষণ কম তাই
ঘ দ্রব্যসামগ্রী পরিমাপ করা যায় না তাই
১২১. সেবা কী ধরনের উপকরণ? (অনুধাবন)
 জীবন্ত খ চিরন্তন গ মূল্যহীন ঘ আদি
১২২. শ্রম ও সেবা সঞ্চয় করে রাখা যায় না কেন? (অনুধাবন)
 জীবন্ত উপকরণ তাই খ মূল্যহীন উপকরণ বলে
গ মানুষের সাথে সম্পর্কিত বলে ঘ বিনিময় করা যায় না বলে
১২৩. আধুনিক অর্থনীতিতে সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
 অর্থ খ দ্রব্য গ শিল্প উপকরণ ঘ স্বর্ণ
১২৪. মানুষের উৎপাদিত আয় থেকে ভোগ বাদ দিয়ে যা উদ্বৃত্ত থাকে তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
 সঞ্চয় খ মুনাফা গ যোগান ঘ ব্যয়
১২৫. জনাব রিহান অনেক বেশি নিরাপদ ও তুলনামূলক স্থায়ী পদ্ধতিতে সম্পদ সংরক্ষণ করতে চান। তিনি কোন পদ্ধতিতে এটি করতে পারেন? (প্রয়োগ)
ক দ্রব্য বিনিময় প্রথার মাধ্যমে খ শ্রম বিনিময়ের মাধ্যমে
 অর্থের মাধ্যমে ঘ শিল্পায়নের মাধ্যমে
১২৬. স্থগিত লেনদেন কী নির্দেশ করে? (অনুধাবন)
ক স্থায়ী সঞ্চয়  ভবিষ্যৎ দেনা-পাওনা
গ উৎপাদিত পণ্যের মূল্য ঘ ব্যাংক ড্রাফট
১২৭. ভবিষ্যৎ দেনা-পাওনার হিসাব-নিকাশ কিসের মাধ্যমে করা হয়? (অনুধাবন)
 অর্থের খ শ্রমের গ দ্রব্যের ঘ সেবার
১২৮. বর্তমান সময়ে অধিকাংশ লেনদেন চেক, ব্যাংক ড্রাফট, বিনিময় বিল ইত্যাদির মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। এগুলোকে কী হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক নগদ অর্থ  মুদ্রার সমতুল্য
গ বিহিত মুদ্রা ঘ চি‎িহ্নত মুদ্রা
১২৯. চাকরির জন্য আবেদন করতে জনাব নোমানকে ৩০০ টাকার একটি ব্যাংক ড্রাফট করতে হলো। এ ব্যাংক ড্রাফটি কী ধরনের অর্থ? (প্রয়োগ)
ক কাগজি নোট  ব্যাংক হিসাব
গ বিহিত ঘ রূপান্তর অযোগ্য
১৩০. ব্যাংক রক্ষিত নগদ অর্থের ভিত্তিতে ব্যাংক বিভিন্ন ঋণপত্র প্রচলন করে। এ প্রেক্ষিতে অর্থকে গণ্য করা যায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মূল্যের পরিমাপক খ তারল্যের মান
গ সঞ্চয়ের বাহন  ঋণের ভিত্তি
১৩১. ব্যাংক কিসের ভিত্তিতে ঋণপত্র প্রচলন করে? (জ্ঞান)
ক গ্রাহক সংখ্যার  আমানত হিসেবে রক্ষিত নগদ অর্থের
গ মানুষের চাহিদার ঘ ব্যাংকের মূলধনের
১৩২. চেক কী?
ক মুনাফা খ পুঁজি  ঋণের ভিত্তি ঘ ঋণ
১৩৩. সমাজের মানুষের মর্যাদা কিসের প্রেক্ষিতে নির্ণীত হয়? (অনুধাবন)
 অর্থের খ প্রতিপত্তির গ ভ‚সম্পত্তির ঘ সম্মান
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৪. রহিম তার আয়ের কিছু অংশ বাড়িতে সঞ্চয় করতে চায়। কারণÑ (অনুধাবন)
র. অর্থ সঞ্চয় করা নিরাপদ
রর. অর্থ সঞ্চয় করা সুবিধাজনক
ররর. অর্থ সঞ্চয় করা মর্যাদাপূর্ণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৩৫. অর্থের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মূল্যের পরিমাপক
রর. মূল্য স্থানান্তরের সুবিধা
ররর. বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৬. আব্দুর রহিম সাহেব তার মাসিক খরচ থেকে ১০০০ টাকা জমা রাখেন। দ্রব্য জমা না রেখে অর্থ জমা রাখার কারণ হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সুবিধাজনক
রর. নিরাপদ
ররর. অধিক মুনাফা লাভ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর  র ও রর
১৩৭. অর্থকে বিনিময়ের সহজ ও সুবিধাজনক মাধ্যম বলা হয়। কারণ- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. এর মাধ্যমে লেনদেন সহজ ও গতিশীল হয়
রর. যেকোনো সময়ে যে কোনো পরিমাণ পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা যায়
ররর. ব্যবসায়িকভাবে বেশি লাভবান হওয়া যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৮. অর্থের কাজ হলো- (অনুধাবন)
র. সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে কাজ করা
রর. দ্রব্যের মূল্য পরিমাপক হিসেবে কাজ করা
ররর. মানুষের চাহিদা বৃদ্ধি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৯. অর্থের মাধ্যমে দ্রব্য ও সেবা সংরক্ষণ করা যায়। কারণ- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অর্থ নষ্ট হওয়ার নয়
রর. অর্থ দ্বারা সবকিছু বিনিময় করা সম্ভব
ররর. অর্থ ভোগকে সংকুচিত করে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪০. অর্থ বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. মূল্যের পরিমাপককে
রর. বিনিময়ের মাধ্যমকে
ররর. উৎপাদনের একককে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪১. জিসান ৫০০ টাকা দিয়ে এক জোড়া জুতা ক্রয় করল। এখানে ৫০০ টাকা হলো- (প্রয়োগ)
র. জুতার মূল্য
রর. উৎপাদন খরচ
ররর. মূল্যের পরিমাপক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪২. অর্থকে প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সামাজিক মর্যাদার
রর. তারল্যের মানের
ররর. সামাজিক স্থিতিশীলতার
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৩. সমাজে অর্থের প্রচলনের ফলে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সমাজজীবনে গতিশীলতা এসেছে
রর. মানুষের সঞ্চয় বৃদ্ধি পেয়েছে
ররর. ভোগ প্রবণতা কমেছে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪৪ ও ১৪৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সরকারি চাকরিজীবী রিদওয়ান সাহেব মাসিক ২০,০০০ টাকা বেতন পান। সব টাকা পরিবারের প্রয়োজনে ব্যয় না হওয়ায় ৫০০ করে ব্যাংকে জমা রাখেন। এভাবে অনেক টাকা জমা হওয়ায় তিনি ব্যাংক থেকে ৬% সুদে আরও ঋণ নিয়ে একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করেন।
১৪৪. অনুচ্ছেদে নিচের কোনটির কার্যকারিতার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক ব্যবসার খ শিল্পের গ ঋণের  অর্থের
১৪৫. অনুচ্ছেদে এই বিষয়টি কাজ করেছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে
রর. মূল্যের পরিমাপক হিসেবে
ররর. ঋণের ভিত্তি হিসেবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 ৭.৩ : বাণিজ্যিক ব্যাংক  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৭২
 কম সুদে আমানত সংগ্রহ করে বেশি সুদে ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানকে বলে বাণিজ্যিক ব্যাংক।
 বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জন।
 বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রথম ও প্রধান কাজ আমানত গ্রহণ।
 বাণিজ্যিক ব্যাংক তিনভাবে অর্থ আমানত হিসেবে গ্রহণ করে।
 বাণিজ্যিক ব্যাংক বেশি সুদ দেয় স্থায়ী আমানতে।
 বিনিময় মাধ্যম হিসেবে বহুল ব্যবহৃত হয় চেক।
 গ্রাহকদের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে বাণিজ্যিক ব্যাংক।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৬. কোন ব্যাংক আমানত রাখে ও ঋণ দেয়? (প্রয়োগ)
ক শিল্প ব্যাংক খ বাংলাদেশ ব্যাংক
গ গ্রামীণ ব্যাংক  বাণিজ্যিক ব্যাংক
১৪৭. বাণিজ্যিক ব্যাংক গ্রাহকদের ঋণ প্রদান কর কেন? (অনুধাবন)
 মুনাফা অর্জনের জন্য
খ গ্রাহকদের চাহিদা পূরণের জন্য
গ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য
ঘ ব্যাংকের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য
১৪৮. আনিস সাহেব একজন ব্যবসায়ী। তিনি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে থাকেন। অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকের উদ্দেশ্য হলোÑ (প্রয়োগ)
ক অর্থের নিরাপত্তা প্রদান খ জনসেবা প্রদান
গ বিনিময় প্রথা কার্যকর  মুনাফা লাভ
১৪৯. ব্যাংক আমানতকারীর জমাকৃত অর্থের ওপর কেমন সুদ দেয়? (জ্ঞান)
 কম খ বেশি গ অর্ধেক ঘ সমপরিমাণ
১৫০. ব্যাংক আমানতকারীর জমাকৃত অর্থের ওপর কমহারে সুদ দেয় এবং ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে বেশি হারে সুদ আদায় করে। এ উভয় সুদের পার্থক্যকে কী বলে? (উচ্চতর দক্ষতা)
 ব্যাংকের মুনাফা খ ব্যাংকের মূলধন
গ ব্যাংকের বিনিয়োগ ঘ ব্যাংক ঋণ
১৫১. বাণিজ্যিক ব্যাংকের স্বল্পমেয়াদি ঋণের ব্যবসায়ী বলা হয় কেন? (অনুধাবন)
 ব্যাংক তার তহবিল থেকে স্বল্পকালের জন্য ঋণ দেয় বলে
খ ব্যাংকে অর্থ জমা রাখা যায় বলে
গ কম সুদে ঋণ দেয় বলে
ঘ কম সময়ে অধিক মুনাফা অর্জন করে বলে
১৫২. উর্মি ইসলাম সোনালী ব্যাংকের একজন সিনিয়র অফিসার হিসেবে কাজ করে। উর্মি ইসলামের কর্মরত ব্যাংকটি কোন ধরনের? (প্রয়োগ)
 বাণিজ্যিক খ বিশেষায়িত গ প্রাইভেট ঘ বিদেশি
১৫৩. নিচের কোনটি বাণিজ্যিক ব্যাংক? (অনুধাবন)
ক বাংলাদেশ ব্যাংক খ কৃষি ব্যাংক
 আরব বাংলাদেশ ব্যাংক ঘ গ্রামীণ ব্যাংক
১৫৪. বনি আদম ঢাকাস্থ সিটি ব্যাংকের প্রধান শাখায় কিছু টাকা জমা রাখতে চাইলে ব্যাংক চলতি হিসাবে তার টাকা জমা রাখে। এটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কোন ধরনের কাজ? (জ্ঞান)
 আমানত সংগ্রহ খ বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি
গ অর্থের নিরাপত্তা প্রদান ঘ ঋণ দান
১৫৫. বাণিজ্যিক ব্যাংকে কয় ধরনের হিসাব খোলা যায়? (জ্ঞান)
 ৩ খ ৪ গ ৫ ঘ ৬
১৫৬. রহিম কোনো প্রকার সুদ পাওয়ার নিশ্চয়তা ছাড়া ব্যাংকে টাকা জমা রাখে, যা সে যেকোনো সময় তুলতে পারে। রহিমের আমানতটি কী ধরনের? (প্রয়োগ)
ক স্থায়ী  চলতি গ সঞ্চয়ী ঘ বার্ষিক
১৫৭. কোন ধরনের আমানতের ওপর ব্যাংক কোনো সুদ দেয় না? (জ্ঞান)
ক স্থায়ী খ অস্থায়ী  চলতি ঘ সঞ্চয়ী

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১  বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক

তমিজ মিয়া একজন কৃষক। নিজের ৯০ শতাংশ জমির সাথে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আমনের ধান চাষ করেন। চলতি বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ায় তিনি অসহায় হয়ে পড়েন। লোক মুখে শুনতে পায় শুধু কৃষি খাতের গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য সরকার একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি এ ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে পুনরায় ধান চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটান। [স. বো. ’১৬]
ক. ব্যাংক কী? ১
খ. কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকাশ ঘর বলতে কী বোঝ? ২
গ. তমিজ মিয়া যে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিল তার স্বরূপ বিশ্লেষণ কর। ৩
ঘ. এ ধরনের ব্যাংক কি দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটায়? মূল্যায়ন কর। ৪

ক ব্যাংক হচ্ছে এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা জনগণের কাছ থেকে সুদের বিনিময়ে আমানত সংগ্রহ করে এবং মুনাফা অর্জনের নিমিত্তে বিনিয়োগ করে এবং চাহিবামাত্র অথবা নির্দিষ্ট সময়ান্তে সঞ্চয়কারীর কাছে ফেরত দিতে বাধ্য থাকে।
খ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকাশ ঘর মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের নিকাশঘর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। দৈনন্দিন ব্যবসায় বাণিজ্য ও লেনদেনের ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে চেক, ব্যাংক ড্রাফট ও পেঅর্ডার আদান-প্রদান হয়। ফলে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংকের কাছে পাওনাদার বা দেনাদার হয়। কোনো ব্যাংক অন্য ব্যাংকের কাছে কত পাওনা বা কত দেনা তার সর্বশেষ হিসাব সংরক্ষণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের যে অর্থ বা তহবিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা থাকে তা থেকে এরকম দেনা-পাওনার নিষ্পত্তি করে। আর এটিই হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকাশঘর।
গ তমিজ মিয়া বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিল। উদ্দীপকে তমিজ মিয়া লোক মুখে শুনতে পায় শুধু কৃষি খাতের গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য সরকার একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে। যা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংককে নির্দেশ করে। কৃষি খাতের গতিশীলতা বৃদ্ধি, কৃষি স্বনির্ভরতা অর্জন এবং সার্বিক কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষক দরিদ্র। তাই কৃষকের ছোটখাটো প্রয়োজন মেটানোর জন্য এ ব্যাংক স্বল্পমেয়াদী ঋণ প্রদান করে। এ ঋণ সাধারণত ১৮ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। তাছাড়াও জমি সমতল করা, অগভীর নলক‚প স্থাপন, চাষের জন্য গবাদি পশু এবং হালকা কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় করা প্রভৃতি কাজের জন্য এ ব্যাংক কৃষককে মধ্যম মেয়াদি ঋণ প্রদান করে। এ ঋণ সাধারণত ১৮ মাস থেকে ৫ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। জমি ও ভারী যন্ত্রপাতি ক্রয়, গভীর নলক‚প স্থাপন, গুদামঘর নির্মাণ, হিমাগার নির্মাণ, পানি সেচের উদ্দেশ্যে খাল খনন, চা বাগানের উন্নয়ন এসব কাজের জন্য কৃষি ব্যাংক কৃষককে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিয়ে থাকে। এ ঋণ ৫ বছর থেকে ২০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়।
ঘ এ ধরনের ব্যাংক অর্থাৎ বাংলাদেশ কৃষি বাংকের মতো বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটায়। বাংলাদেশ কৃষিব্যাংক কৃষির উন্নয়নে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ছাড়াও কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প স্থাপনে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকে। এ ব্যাংক হাঁস মুরগি ও পশুপালন, মৌমাছি ও গুটিপোকার চাষ, মৎস্য খামার তৈরি প্রভৃতি কাজের জন্য ঋণ দিয়ে থাকে, যা নিয়ে আমাদের বেকার যুবকরা তাদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পায়। বিভিন্ন বিশেষায়িত ব্যাংকের এ ধরনের কার্যক্রম দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। আর গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিতই হয়েছে গ্রামের অতি স্বল্প জমির মালিক, ভ‚মিহীন এবং অন্যান্য অতি দরিদ্র নারী-পুরুষের মাঝে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। এ ব্যাংক গ্রামের ভ‚মিহীন দরিদ্র কৃষকদেরকে সহজ শর্তে ও জামানত ছাড়া ঋণ প্রদান করে। কৃষি খাতের উন্নয়নের জন্য এ ব্যাংক শাকসবজি চাষ, গাভি পালন, মৎস্য চাষ, হাঁস-মুরগি পালন ও জমি চাষাবাদ ইত্যাদি খাতে ঋণ প্রদান করে। দেশের অবহেলিত জনসাধারণকে শিল্প খাতে সম্পৃক্ত করার জন্য গ্রামীণ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ঋণ প্রদান সহ উপকরণ সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে। ফলে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তা ব্যাপক অবদান রাখছে। এমনিভাবে সমবায় ব্যাংক ব্যবসায়ীদের কল্যাণ সাধন ছাড়াও গ্রামীণ যুব ও যুব মহিলাদের কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম গ্রহণ করে। এছাড়া দেশের আত্মকর্মসংস্থানের বিভিন্ন উপায়, যেমন মাছ চাষ, পশুপালন, হাঁস-মুরগি পালন এবং উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ প্রক্রিয়াজাতকরণে সমবায় ব্যাংক অর্থায়ন করে থাকে। যার ফলে দেশের বেকারত্ব লাঘবের পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচনে এ ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে।

প্রশ্ন- ২  অর্থ ও অর্থের প্রকারভেদ

মুনিয়া গত এক বছর ধরে ১ টাকা, ২ টাকা, ৫ টাকা ও ১০ টাকার নোট ব্যক্তিগত মাটির ব্যাংকে জমা করে। পার্শ্ববর্তী দেশে ভ্রমণের জন্য টাকাগুলো নিয়ে ব্যাংকে রূপান্তর করতে গেল। কিন্তু ব্যাংক কর্মকর্তা তার কিছু টাকা ফেরত দিলেন এবং বাকি টাকার সমপরিমাণ ডলার প্রদান করলেন। [স. বো. ’১৫]
ক. কাগজি নোট কাকে বলে? ১
খ. স্থায়ী আমানত বলতে কী বোঝায়? ২
গ. মুনিয়া যে টাকাগুলো রূপান্তর করতে পারল না, তা কোন প্রকার মুদ্রার অন্তর্গত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মুনিয়া যে টাকাগুলো রূপান্তর করতে পারল পাঠ্যবইয়ের আলোকে তার প্রকৃতি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক যেসব মুদ্রা কাগজ দ্বারা তৈরি করা হয় তাকে কাগজি মুদ্রা বা নোট বলে।
খ বাণিজ্যিক ব্যাংক যে তিন ধরনের আমানত গ্রহণ করে তার মধ্যে একটি হচ্ছে স্থায়ী আমানত। স্থায়ী আমানত নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য করা হয়। যেমন : ৩ মাস, ৬ মাস, ১ বছর, ৩ বছর, ৫ বছর ইত্যাদি। ব্যাংক এ ধরনের আমানতের ওপর অধিক হারে সুদ প্রদান করে থাকে। এ আমানতের অর্থ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেও তোলা যায়। এক্ষেত্রে কিছু বিধিবিধান অনুসরণ করতে কম হারে সুদ প্রদান করা হয়।
গ মুনিয়া যে টাকাগুলো রূপান্তর করতে পারল না তা রূপান্তর অযোগ্য মুদ্রার অন্তর্গত। উদ্দীপকে মুনিয়া তার জমানো ১ টাকা, ২ টাকা, ৫ টাকা ও ১০ টাকার নোট নিয়ে ব্যাংকে রূপান্তর করতে যায়। তার মধ্যে সে ১ টাকা ও ২ টাকার নোট রূপান্তর করতে পারে নি। মূলত কাগজি মুদ্রাকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা : (১) রূপান্তরযোগ্য মুদ্রা (২) রূপান্তর অযোগ্য মুদ্রা। রূপান্তর অযোগ্য মুদ্রা বলতে বোঝায় যে কাগজি নোটের পরিবর্তে সরকারের কাছ থেকে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা, রূপা পাওয়া যায় না। বাংলাদেশে রূপান্তর অযোগ্য কাগজি নোট হলো ১ টাকা ও ২ টাকার নোট। সুতরাং মুনিয়া ১ টাকা ও ২ টাকার নোট রূপান্তর করতে পারেনি। অর্থাৎ তার এ মুদ্রাগুলো ছিল ‘রূপান্তর অযোগ্য মুদ্রা’।
ঘ মুনিয়া যে টাকাগুলো রূপান্তর করতে পারল পাঠ্যবইয়ের আলোকে তার প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে প্রথমেই বলতে হয় তার এ মুদ্রাগুলো ছিল কাগজি মুদ্রা। যেসব মুদ্রা কাগজ দ্বারা তৈরি করা হয় তাকে কাগজি মুদ্রা বা নোট বলে। নোটের উপর লিখিত মূল্যই তার মূল্যের নির্দেশক যা সাধারণত অভ্যন্তরীণ মূল্য অপেক্ষা অধিক হয়। প্রায় সব দেশেই কাগজি মুদ্রা বা নোট সরকারি নির্দেশে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক প্রচলিত হয়। বাংলাদেশের কাগজি মুদ্রা হলো ১ টাকা, ২ টাকা, ৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট। মুনিয়া তার মাঝে ৫ টাকা ও ২ টাকার নোট ব্যাংকে গিয়ে ডলারে রূপান্তর করে নেয়। তৈরির উপকরণের দিক থেকে মুনিয়ার রূপান্তরযোগ্য মুদ্রাগুলো কাগজি মুদ্রা। আবার গ্রহণে বাধ্যবাধকতার দিক থেকে এই ৫ টাকা ও ১০ টাকার নোট হচ্ছে বিহিত মুদ্রা। মুনিয়ার ৫ টাকা ও ১০ টাকার নোট বিহিত কাগজি মুদ্রা। বিহিত অর্থকে আবার দুভাগে ভাগ করা যায়- ১. অসীম বিহিত অর্থ ২. সসীম বিহিত অর্থ। অসীম বিহিত অর্থ বলতে বোঝায় যে বিহিত অর্থ দ্বারা আইনগত যেকোনো পরিমাণ লেনদেন করা যায় এবং দেনা পাওনা পরিশোধ করলে পাওনাদার তা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকে। সুতরাং প্রকৃতি বিচারে মুনয়িার রূপান্তরযোগ্য ৫ টাকা ও ১০ টাকার নোট কাগজি মুদ্রা হচ্ছে অসীম বিহিত অর্থ।

প্রশ্ন- ৩  গ্রামীণ ব্যাংক

হাঁস-মুরগি পালন আর মৎস্যচাষ করে গ্রামের ভ‚মিহীন আয়েশা আর মিলন দম্পতি আজ স্বাবলম্বী। গ্রাম্য মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে এক সময়ের নিঃস্ব হওয়া দম্পতি আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিনা জামানতে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আর নিজেদের শ্রমকে কাজে লাগিয়ে তারা নিজেরা যেমন স্বাবলম্বী হয়েছে, তেমনি দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভ‚মিকা রাখছে। তাদের অবস্থার পরিবর্তন গ্রাম্য মহাজনদের দৌরাত্ম্য কমাতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছে। [হলিক্রস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক. কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী? ১
খ. কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সর্বশেষ ঋণদাতা বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে কোন ব্যাংকের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে এ ধরনের ব্যাংকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সম্পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছে কি? মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪

ক কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা ব্যাংক ব্যবস্থার শীর্ষে অবস্থান করে সমগ্র ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে এবং মুদ্রা বাজারের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে।
খ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ কখনো আর্থিক সংকটে পড়লে এবং অন্য কোথাও থেকে অর্থ সংগ্রহে ব্যর্থ হলে সর্বশেষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণদান করে আর্থিক বিপদ থেকে রক্ষা করে। তাই এ ব্যাংককে সর্বশেষ ঋণদাতা বলা হয়।

উদ্দীপকে বিশেষ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত গ্রামীণ ব্যাংকের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। গ্রামের অতি অল্প জমির মালিক, ভ‚মিহীন এবং অন্যান্য অতি দরিদ্র নারী-পুরুষের মাঝে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান হলো গ্রামীণ ব্যাংক। এ ব্যাংক গ্রামের ভ‚মিহীন দরিদ্রদের সহজ শর্তে বিনা জামানতে ঋণ প্রদান করে। উদ্দীপকে দেখা যায়, আয়েশা ও মিলন দম্পতি ভ‚মিহীন। তারা জামানতবিহীন ঋণ গ্রহণ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। হাঁস-মুরগি ও মৎস্য চাষের জন্য ঋণ গ্রহণ করে তারা স্বাবলম্বী হয়েছে। তাদের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করলে গ্রামীণ ব্যাংকের স্বরূপই উšে§াচিত হয়। কারণ এ ব্যাংক ভ‚মিহীনদের ভাগ্য পরিবর্তন করে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে গ্রামীণ ব্যাংকেরই স্বরূপ তুলে ধরা হয়েছে।
ঘ উদ্দীপকে গ্রামীণ ব্যাংকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সম্পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছে বলে আমি মনে করি। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে সহায়তা এবং গ্রাম্য মহাজনদের দৌরাত্ম্য থেকে রক্ষা করে গ্রামীণ ভ‚মিহীন দরিদ্র নারী-পুরুষদের জামানতবিহীন ঋণ দান করে তাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার মহৎ লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সহজ ও স্বল্প সুদে সহজ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য এ ঋণ দরিদ্রদের ভাগ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল করতে অনন্য সাধারণ ভ‚মিকা পালন করছে। উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, গ্রাম্য মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে নিঃস্ব হওয়া দম্পতি আয়েশা-মিলন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে জামানতবিহীন ঋণ নিয়ে ভাগ্য পরিবর্তনে সক্ষম হয়েছে। এটি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য। অন্যদিকে ভ‚মিহীনদের ভাগ্য পরিবর্তন এবং দেশের অর্থনীতিকে সচল করাও গ্রামীণ ব্যাংকের লক্ষ্য। উদ্দীপকে এ লক্ষ্যেরও প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। কারণ আয়েশা এবং মিলনও ভ‚মিহীন দরিদ্র। তারা যে খাতে ঋণ নিয়েছে তা গ্রামীণ ব্যাংকেরই ঋণ দান ক্ষেত্র। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে তাই একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, উদ্দীপকে গ্রামীণ গ্রামের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের সম্পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছে।

প্রশ্ন- ৪  বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবলি

সাজুর বাবা সাজুকে ঢাকায় ব্যাংকের মাধ্যমে ১০,০০০ টাকা পাঠাবেন। সাজু উক্ত টাকা পেয়ে নিজের, ছোট ভাই-বোনের এবং মায়ের জন্য ঈদের কেনাকাটা করে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায় ফেরে।
[সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম কী? ১
খ. ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় ইন্টারনেটের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. সাজুর বাবা কুষ্টিয়া থেকে যে টাকা পাঠিয়েছেন তা ব্যাংকের কোন ধরনের কাজের আওতাভুক্ত বর্ণনা কর। ৩
ঘ. সাজুর কেনাকাটায় অর্থের ভ‚মিকা বর্ণনা কর। ৪

ক বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম বাংলাদেশ ব্যাংক।
খ বর্তমানে প্রায় সব ব্যাংকেই কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। তাই আমানতকারী কোন কোন তারিখে কত টাকা তুলল এবং কত টাকা জমা দিল তার বিবরণী ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে পারে (এমনকি ইচ্ছা করলে তার হিসাব বন্ধ করে দিতে পারে)। ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী আমানতকারী বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারে।
গ উদ্দীপকে সাজুর বাবা কুষ্টিয়া থেকে যে টাকা পাঠিয়েছেন তা ব্যাংকের অর্থ স্থানান্তর কাজের আওতাভুক্ত। ব্যাংক হচ্ছে অর্থ জমা, তোলা এবং ঋণ দেয়ার একটি নিরাপদ প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকের অন্যতম কাজ হলো অর্থ স্থানান্তর। এ কাজের আওতায় ব্যাংক গ্রাহকের পক্ষ হয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে, দেশে বা বিদেশেও অর্থ প্রেরণ করে। উদ্দীপকে সাজুর বাবা কুষ্টিয়া এবং সাজু ঢাকায় থাকে। সাজুর বাবা সাজুকে ঢাকায় ব্যাংকের মাধ্যমে ১০,০০০ টাকা পাঠালেন। অর্থাৎ সাজুর বাবার হিসাব থেকে সাজুর ব্যাংক হিসাবে অথবা নগদ টাকা সাজুর হিসাবে তার বাবা কুষ্টিয়া থেকে জমা দেন। এর ফলে সাজু ঢাকা থেকে সহজেই ১০,০০০ টাকা উত্তোলন করতে পেরেছে, যা অর্থ স্থানান্তর কাজের আওতাভুক্ত।
ঘ উদ্দীপকে সাজুর কেনাকাটায় অর্থের ভ‚মিকা তাৎপর্যপর্ণ। অর্থ একটি বিনিমেয়র মাধ্যমে যা সবার নিকট গ্রহণীয় এবং যা মূল্যের পরিমাপক ও সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে কাজ করে। মানবসভ্যতা সৃষ্টি ও স¤প্রসারণের সাথে সাথে মুদ্রার গুরুত্বও বৃদ্ধি পেয়েছে। সাজুর বাবা সাজুকে ব্যাংকের মাধ্যমে ১০,০০০ টাকা পাঠিয়েছেন। এ টাকার মাধ্যমে সাজু ছোট ভাই-বোনের এবং মায়ের জন্য ঈদের কেনাকাটা করে। এখানে সাজুর বাবার প্রেরিত অর্থ বা মুদ্রা বিনিময়ের মাধ্যমে হিসেবে কাজ করেছে। কারণ যে কোনো লেনদেন করার জন্য মুদ্রার ব্যবহার করা হয়। আবার সাজু যে কেনাকাটা করেছে তার জন্যও তাকে অর্থ বিনিময় করতে হয়েছে। সাজুর কেনাকাটায় অর্থ মূল্যের পরিমাপক হিসেবেও ভ‚মিকা রেখেছে। কারণ সাজুর ক্রয়কৃত শাড়ি বা অন্যান্য সামগ্রীর নির্দিষ্ট মূল্য রয়েছে এবং সে হিসেবে সাজু মূল্য পরিশোধ করেছে। পরিশেষে বলা যায়, সাজুর কেনাকাটায় মুদ্রা উপরিউক্তভাবে ভ‚মিকা রেখেছে।

প্রশ্ন- ৫  ব্যাংক হিসাবের প্রকারভেদ

আঁখি ও শিরিন দুইজন বান্ধবী। আঁখি পড়ালেখা করে এবং পড়ালেখার ফাঁকে টিউশনি করে। শিরিন একজন ব্যবসায়ী। প্রতিদিন তার অনেক টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হয় ও ওঠাতে হয়। তারা দুই জনই ব্যাংকে হিসাব খুলতে আগ্রহী। [মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. ব্যাংক কত ধরনের হিসাব খোলার সুযোগ দেয়? ১
খ. ব্যাংক হিসাব থেকে কীভাবে টাকা জমা দেওয়া ও তোলা যায়? ২
গ. আঁখি ও শিরিন এ দুজন কোন ধরনের হিসাব খুলবে? ৩
ঘ. আঁখি ও শিরিনের হিসাবের মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ব্যাংক গ্রাহকদের তিন ধরনের হিসাব খোলার সুযোগ প্রদান করে।
খ ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা বই দ্বারা ইচ্ছামতো নগদ অর্থ, চেক, ব্যাংক ড্রাফট জমা দেওয়া যায় (এছাড়া অনলাইনে দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে হিসাব নম্বরে টাকা জমা দেওয়া যায়)। জমাকৃত টাকা থেকে চেকের মাধ্যমে ও এটিএম কার্ডের মাধ্যমে (যেখানে এটিএম বুথ আছে) ব্যাংকের নিয়মের ভিত্তিতে টাকা তোলা যায়।
গ চাহিদা ও অর্থের উৎস অনুযায়ী আঁখি সঞ্চয়ী হিসাব এবং শিরিন চলতি হিসাব খুলবে। যে হিসাবের মাধ্যমে প্রতিদিন বা সপ্তাহে যতবার খুশি টাকা জমা রাখা যায়, কিন্তু সপ্তাহে দুইবার বা নিয়ম অনুযায়ী টাকা উত্তোলন করা যায় তাকে সঞ্চয়ী হিসাব বলে। সাধারণত অব্যবসায়ী নির্দিষ্ট আয়ের জনগণ সঞ্চয়ের উদ্দেশ্য এ হিসাব খুলে থাকে। আবার যে হিসাবের মাধ্যমে প্রতিদিন বা সপ্তাহে যতবার খুশি টাকা জমা রাখা যায় এবং প্রয়োজনমতো চাহিবামাত্র যতবার খুশি টাকা উত্তোলন করা যায় তাকে চলতি হিসাব বলে। ব্যবসায়ীদের জন্য এ হিসাব সুবিধাজনক। উদ্দীপকের আঁখি সঞ্চয়ী হিসাব এবং শিরিন চলতি হিসাব খুলতে পারে। কারণ উভয়ের হিসাব ভিন্ন ভিন্ন ধরন হলেও উভয়ই সপ্তাহে যতবার ইচ্ছা টাকা জমা দিতে পারবে। তবে উত্তোলনের ক্ষেত্রে শিরিন যেকোনো সময় উত্তোলনের সুযোগ পেলেও আঁখি সপ্তাহে দুইবারের বেশি অর্থ উত্তোলন করতে পারবে না। আঁখির হিসাবটি খুলতে প্রাথমিক প্রয়োজন সর্বনিম্ন ১,০০০ টাকা। কিন্তু শিরিনের চলতি হিসাবের প্রাথমিক আমানত প্রয়োজন ৫,০০০ টাকা। শিরিনের হিসাবের মোট জমার কোনো সীমা নেই এবং সে জমাতিরিক্ত ঋণ গ্রহণের সুবিধা পাবে। অপরদিকে আঁখির হিসাবে মোট জমার সীমা নির্ধারণ করা আছে এবং সে জমাতিরিক্ত ঋণ সুবিধা পাবে না। অর্থাৎ প্রয়োজন অনুসারে আঁখি এবং শিরিন উভয়ের জন্য উভয়ের হিসাব কার্যকরি।
ঘ কিছু বিশেষ কারণে আঁখির সঞ্চয়ী হিসাব শিরিনের চলতি হিসাব থেকে স্বতন্ত্র। চলতি হিসাব খোলা হয় বড় বড় লেনদেনের জন্য অন্যদিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লেনদেনের জন্য সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হয়। চলতি হিসাবে যত খুশি লেনদেন করা যায় কিন্তু সঞ্চয়ী হিসাবে সপ্তাহে মাত্র দুই বার টাকা তোলা গেলেও যত খুশি ততবার জমা দেয়া যায়। সঞ্চয়ী হিসাবে সুদ দেয়া হয় কিন্তু চলতি হিসাবের কোনো সুদ নেই। এ জন্য চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাব পরস্পর থেকে পৃথক। উদ্দীপকে আঁখি ও শিরিন দুই বান্ধবী। তারা দুজন দুই ধরনের ব্যাংক হিসাব খুলবে। আঁখি সঞ্চয়ী হিসাব খুলবে। কারণ সে লেখাপড়ার মাঝে টিউশনি করে। সে অর্থ ব্যাংকে জমা রাখতে চায় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী উত্তোলন করতে চায়। তাছাড়া আঁখি একজন ছাত্রী হওয়ায় তাকে অধিক হারে লেনদেন করতে হয় না। তাই আঁখির জন্য সঞ্চয়ী হিসাব খোলা উপযোগী। অপরদিকে শিরিন একজন ব্যবসায়ী। তাকে ব্যবসায়িক কাজে প্রতিদিন অনেক টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হয় এবং অনেক টাকা ব্যাংক থেকে তুলতে হয়, যা সঞ্চয়ী ও স্থায়ী হিসাবের মাধ্যমে প্রতিদিন অর্থ উত্তোলন করা যায় না। একজন ব্যবসায়ীকে জমার অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলন, ঋণ সুবিধা গ্রহণ ও বৈদেশিক লেনদেন সম্পাদন করতে হয়। এসব কাজ সম্পাদন করার জন্য চলতি হিসাবের বিকল্প নেই। তাই শিরিনের জন্য চলতি হিসাব খোলা অধিক উপযোগী। এছাড়া শিরিনকে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে অধিকবার টাকা উত্তোলন করতে হয় যেটি চলতি হিসাব ছাড়া অন্য কোনো হিসাবে করতে দেয়া হয় না। আর আঁখির সঞ্চয়ী হিসাব থেকে সুদ পাবেন, যা তার আয় বাড়াতে সহায়তা করবে। সুতরাং বলা যায়, আঁখি ও শিরিনের লেনদেনের প্রকৃতি অনুযায়ী তাদের ব্যাংক হিসাবের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
 মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৬  অর্থের কার্যাবলি

শিল্পপতি আনিসুর রহমানের অনেক দিনের প্রত্যাশা গ্রামের সবুজ প্রকৃতির এক খণ্ড জমিতে একটি আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা। এজন্য তিনি গ্রামের বন্ধু জমির কৃষকের দুটি আম বাগান দাবি করেন। বিনিময়ে তিনি জমিরকে শহরের একটি বাড়ি প্রদান করার প্রতিশ্রæতি দেন। কৃষক জমিরের বাড়িটি প্রয়োজন থাকায় মূল্য গত ব্যাপক পার্থক্য থাকা সত্তে¡ও অসন্তুষ্টচিত্তে শহরের বাড়িটির বিনিময়ে তিনি আমবাগান দুটি বন্ধুকে ছেড়ে দেন।
ক. ধাতব মুদ্রা কী? ১
খ. কাগজি নোট বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে লেনদেনের কোন মাধ্যমটির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. জমির কৃষকের প্রত্যাশা পূরণে অর্থ কার্যকর ভ‚মিকা পালন করতে সক্ষম-তুমি কি বক্তব্যটি সমর্থন কর? যুক্তি দাও। ৪

ক ধাতব খণ্ড দ্বারা তৈরি যে মুদ্রার সাহায্যে মানুষ প্রাত্যহিক জীবনের লেনদেন সম্পন্ন করে তাই ধাতব মুদ্রা।
খ কাগজি নোট বলতে কাগজ দ্বারা তৈরি অর্থকে বোঝায়, যা মানুষের প্রাত্যহিক লেনদেনের কাজে ব্যবহৃত হয়। সরকারি নির্দেশে আর্থিক লেনদেনের সুবিধার্থে প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাগজ দ্বারা তৈরি নোট প্রচলন করে। এ কাগজ দ্বারা তৈরি নোটের ওপর লিখিত মূল্যই তার মূল্যের নির্দেশক, যা সাধারণত অভ্যন্তরীণ মূল্য অপেক্ষা অধিক হয়।
গ উদ্দীপকে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রচলিত লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত দ্রব্য বিনিময় প্রথার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। মানুষের অভাব পূরণের জন্য এক দ্রব্যের বিনিময়ে অন্য দ্রব্যের বিনিময় করাকে দ্রব্য বিনিময় ব্যবস্থা বা ইধৎঃবৎ ংুংঃবস বলা হয়। যেমন : কৃষকের ধানের বিনিময়ে তাঁতির কাছ থেকে কাপড় সংগ্রহ করা। এ প্রথায় লেনদেন করতে গিয়ে মানুষকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। যেমনটি আমরা উদ্দীপকে লক্ষ করছি। উদ্দীপকে দেখা যায়, শিল্পপতি আনিসুর রহমান গ্রামের সবুজ প্রকৃতিতে একটি আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলার জন্য বন্ধু জমির কৃষকের কাছে দুটি আমবাগানের জমি দাবি করেন। বিনিময়ে তিনি জমিরকে শহরে একটি বাড়ি দিতে চান। জমির কৃষকের বাড়ির প্রয়োজন থাকায় মূল্যগত পার্থক্য থাকা সত্তে¡ও বাড়ির বিনিময়ে আমবাগানের জমি খণ্ড তিনি বন্ধুকে ছেড়ে দেন। এটিই মূলত দ্রব্য বিনিময় প্রথা। কারণ এখানে দ্রব্যের বিনিময়ে লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের লেনদেনে আমরা দ্রব্য বিনিময় প্রথা বা ইধৎঃবৎ ংুংঃবস এরই ইঙ্গিত পাই।
ঘ মূল্যের পরিমাপক হিসেবে কাজ করায় আমি মনে করি অর্থ জমির কৃষকের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর ভ‚মিকা পালন করতে পারে। দৈনন্দিন অর্থনৈতিক কার্যাবলি সম্পন্ন এবং মানুষের অভাব পূরণের এক সহজ এবং সর্বজনস্বীকৃত মাধ্যম হচ্ছে অর্থ। দ্রব্য বিনিময় প্রথার সার্বিক অসুবিধা দূরীকরণে উদ্ভব হয়েছে অর্থের, যা বিনিময়ের মাধ্যম, দ্রব্য ও সেবামূল্যের পরিমাপক এবং সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে কাজ করে। তাই উদ্দীপকের জমির কৃষকের দ্রব্যের মূল্যগত পার্থক্য থেকে সৃষ্টি হওয়া অসন্তুষ্টি দূরীকরণে অর্থই পারে কার্যকর ভ‚মিকা রাখতে। উদ্দীপকে দেখা যায়, জমির কৃষক এবং শিল্পপতি আনিসুর রহমানের মধ্যে দ্রব্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে দ্রব্যের মূল্যগত ব্যাপক পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রয়োজনের তাগিদে নিজে ক্ষতির ভাগটি স্বীকার করে নিয়ে জমির কৃষক দ্রব্য বিনিময় করে। কিন্তু তিনি যদি অর্থের মাধ্যমে লেনদেন করেন, তবে তাকে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীনও হতে হবে না এবং ক্ষতিতেও পড়তে হবে না। কারণ অর্থ দ্রব্য ও সেবার মূল্য পরিমাপক হিসেবে ভ‚মিকা পালন করে। অর্থের মাধ্যমে লেনদেন হলে কাউকে ঠকতে হয় না। দ্রব্যের নির্ধারিত মূল্যের ভিত্তিতে ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হয়। তাই কারো মধ্যে অসন্তুষ্টির প্রশ্নই আসে না। উদ্দীপকের আনিসুর রহমান যদি বাগান দুটির প্রকৃত মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ জমিরকে প্রদান করেন, তাহলে জমির সন্তুষ্ট থাকতে পারতেন। উপর্যুক্ত আলোচনায় দেখা যাচ্ছে, উদ্দীপকে বর্ণিত সমস্যার সমাধানে একমাত্র অর্থই কার্যকর ভ‚মিকা পালন করতে সক্ষম। কারণ, লেনদেনের সহজ ও গতিশীল মাধ্যম হিসেবে অর্থই জমির কৃষককে সর্বাধিক তৃপ্তি দিতে পারে বলে আমি মনে করি।

প্রশ্ন- ৭  অর্থের প্রকারভেদ

দিল্লি সালতানাতের মুসলিম শাসক সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন তার সাম্রাজ্যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে কিছু অর্থের প্রচলন করেন। যার বাহ্যিক মূল্য অপেক্ষা অন্তর্নিহিত মূল্য বেশি ছিল। তাই এসব অর্থ অল্প সময়ে বাজার থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলে তিনি অন্য এক প্রকার অর্থের প্রচলন করেন যার দৃশ্যমান মূল্য অন্তর্নিহিত মূল্য অপেক্ষা বেশি ছিল।
ক. দ্রব্য বিনিময় প্রথা কী? ১
খ. অর্থ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে অর্থের কোন প্রকারটির ইঙ্গিত রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. অর্থকে কার্যকরভাবে উপস্থাপন করতে উদ্দীপকটির বর্ণনা যথেষ্ট নয়-মন্তব্যটি প্রতিষ্ঠা কর। ৪

ক অভাব পূরণের জন্য মানুষের এক দ্রব্যের পরিবর্তে অন্য দ্রব্য বিনিময় করাই হলো দ্রব্য বিনিময় প্রথা।
খ অর্থ বলতে বিনিময়ের এমন একটি মাধ্যম বোঝায়, যা মূল্যের পরিমাপক, দেনাপাওনা মেটানোর উপায় হিসেবে সর্বত্র গ্রহণযোগ্য ও স্বীকৃত। দ্রব্য বিনিময় ব্যবস্থার অসুবিধা দূরীকরণে অর্থ নামক বস্থুটির উদ্ভব ঘটেছে, যা দেশের সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত। সুতরাং সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত যে বস্তু মূল্যের পরিমাপক সঞ্চয়ের বাহন ও ঋণের ভিত্তি হিসেবে স্বীকৃত, তাকে অর্থ বলে।
গ উদ্দীপকে অর্থ তৈরির উপকরণের দিক দিয়ে শ্রেণিবিভাগকৃত ধাতব মুদ্রা নামক অর্থের ইঙ্গিত রয়েছে। দৈনন্দিন লেনদেনের সহজতর মাধ্যম অর্থ সর্বাধিক জনপ্রিয় ও সর্বজনস্বীকৃত। তৈরি উপকরণের দিক দিয়ে অর্থকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা- ধাতবমুদ্রা এবং কাগজি নোট। উদ্দীপকের বর্ণনায় আমরা ধাতব মুদ্রা সম্পর্কে একটি ধারণা পাই। উদ্দীপকে দেখা যায়, সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন অর্থ হিসেবে কিছু মুদ্রার প্রচলন করেন। যা ধাতব মুদ্রারই অনুরূপ। সাধারণত ধাতব খণ্ড দ্বারা তৈরি যে মুদ্রার মাধ্যমে মানুষ প্রাত্যহিক জীবনের লেনদেন সম্পন্ন করে, তাকে ধাতব মুদ্রা বলে। যেকোনো প্রকার ধাতু দ্বারা নির্মিত এসব মুদ্রাকে প্রামাণিক এবং প্রতীক মুদ্রা ভাগ করা হয়েছে। প্রামাণিক মুদ্রা হচ্ছে ওই প্রকারের মুদ্রা যার দৃশ্যমান মূল্য অন্তর্নিহিত মূল্য অপেক্ষা কম ছিল। এসব মুদ্রা মূলত প্রামাণিক মুদ্রা। প্রামাণিক মুদ্রা গলিয়ে ধাতু হিসেবে বিক্রয় করলে দৃশ্যমান মূল্যের সমপরিমাণ মূল্য পাওয়া যায়। এসব মুদ্রা বাজার থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলে সুলতান আবার এক প্রকার মুদ্রার প্রচলন করেন। যা প্রতীকী মুদ্রার ইঙ্গিত দেয়। প্রতীক মুদ্রার দৃশ্যমান মূল্য অন্তর্নিহিত মূল্যের থেকে বেশি হয়ে থাকে। যেমনটি উদ্দীপক থেকে জানা যায়। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপক থেকে আমরা ধাতব মুদ্রাসম্পর্কিত স্পষ্ট ধারণা পাই।
ঘ অর্থের বিভিন্ন ধরনের প্রকারভেদ থাকায় শুধু ধাতব মুদ্রার বর্ণনা সম্পর্কিত উদ্দীপকটি অর্থকে কার্যকরভাবে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিনিময়ের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম অর্থের শ্রেণিবিভাগ করা হয়েছে। তৈরির উপকরণ কিংবা গ্রহণের বাধ্যবাধকতার দিক দিয়ে সাধারণত এসব শ্রেণিবিভাগ করা হয়েছে। উদ্দীপকে আমরা অর্থ তৈরির উপকরণগত একটি শ্রেণির বর্ণনা লক্ষ করি। উদ্দীপকে উল্লিখিত ধাতব মুদ্রা সম্পর্কিত বর্ণনা অর্থের অন্যতম একটি দিক। এছাড়াও অর্থের নানা প্রকারভেদ রয়েছে। যেমন কাগজি নোট। কাগজি নোট সাধারণত কাগজ দ্বারা তৈরি। এসব নোটের উপর লিখিত মূল্যই তার মূল্যের নির্দেশক, যা সাধারণত অভ্যন্তরীণ মূল্য অপেক্ষা অধিক হয়। কাগজি নোট রূপান্তরযোগ্য এবং রূপান্তর অযোগ্য হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট রূপান্তরযোগ্য নোট অন্যদিকে ১ টাকা ও ২ টাকা হলো রূপান্তর অযোগ্য নোট। আবার বাধ্যবাধকতার দিক দিয়ে অর্থ দু’প্রকার। যেমন : বিহিত অর্থ এবং ব্যাংক হিসাব। বিহিত অর্থ ধাতব মুদ্রা ও কাগজি নোট দ্বারা তৈরি এবং সরকারি আইন দ্বারা প্রচলিত। এগুলো আবার সসীম বিহিত অর্থ এবং অসীম বিহিত অর্থ নামে পরিচিত। অন্যদিকে ব্যাংক হিসাব হচ্ছে ব্যাংক কর্তৃক সৃষ্ট লেনদেনের মাধ্যম। যেমন চেক, ব্যাংক ড্রাফট প্রভৃতি। উদ্দীপকে আমরা অর্থের উল্লিখিত প্রকারগুলোর কোনো বর্ণনা দেখতে পাই না। উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে তাই একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, অর্থকে কার্যকরভাবে উপস্থাপন করতে উদ্দীপকেটির বর্ণনা যথেষ্ট নয়।

প্রশ্ন- ৮  বিনিময় প্রথা

পাথরঘাটার মহীপুরের মাছ ব্যবসায়ী দেলোয়ার তার মাছের বিনিময়ে মুদি দোকানদার সেলিম শেখের কাছ থেকে চাল এবং তেল ক্রয় করতে চান। কিন্তু ঐ সময়ে সেলিম শেখের মাছের প্রয়োজন না থাকায় তিনি দেলোয়ারকে ফিরিয়ে দেন। দেলোয়ারের প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাছ থাকা সত্তে¡ও তিনি দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হন।
ক. অর্থ কী? ১
খ. ধাতব মুদ্রা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে দ্রব্য বিনিময় ব্যবস্থার কোন অসুবিধাটির ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর শুধু এই সমস্যার কারণেই অর্থের উদ্ভব ঘটেছে? মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪

ক অর্থ হচ্ছে দেশের সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত এমন একটি বস্তু যা মূল্যের পরিমাপক, বিনিময়ের মাধ্যম, সঞ্চয়ের বাহন এবং ঋণের ভিত্তি হিসেবে সর্বজন গ্রহণযোগ্য এবং স্বীকৃত।
খ ধাতব মুদ্রা বলতে ধাতব খণ্ড দ্বারা তৈরি মুদ্রা বোঝায়, যা মানুষের প্রাত্যহিক লেনদেনের কাজে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের প্রামাণিক এবং প্রতীক মুদ্রা নামে দুই প্রকারের ধাতব মুদ্রা প্রচলিত রয়েছে। এদেরকে বস্তুগত মূল্যমানের দিক দিয়ে ভাগ করা হয়েছে। ৫ টাকা, ২ টাকা, ৫০ পয়সা ইত্যাদি বাংলাদেশে প্রচলিত ধাতব মুদ্রা।
গ উদ্দীপকে দ্রব্য বিনিময় প্রথার অন্যতম ও প্রধান সমস্যা অভাবের অমিল বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। দ্রব্য বিনিময়ের মাধ্যমে অভাব পূরণের ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতাকে নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। অভাব বা চাহিদার অমিল এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে বিবেচিত। যেটি উদ্দীপকের ক্ষেত্রেও লক্ষণীয়। উদ্দীপকে দেখা যায়, মাছ ব্যবসায়ী দেলোয়ার তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাছের বিনিময়ে চাল এবং তেল পেতে আগ্রহী। কিন্তু মুদি দোকানদার সেলিম শেখের ওই সময়ে মাছের প্রয়োজন না হওয়ায় দেলোয়ার তার অভাব পূরণ করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হন। অভাবগত পার্থক্য থাকার কারণেই তাদের মধ্যে দ্রব্য বিনিময় করা সম্ভব হয়নি। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে দ্রব্য বিনিময় প্রথার অভাবের অমিলগত সমস্যাটিই প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ না, দ্রব্য বিনিময় প্রথায় দেখা দেওয়া শুধু চাহিদা বা অভাবের অমিলের কারণেই অর্থের উদ্ভব ঘটেনি। অর্থ উদ্ভবের পেছনে আরও বহু কারণ রয়েছে বলে আমি মনে করি। দ্রব্যের বিনিময়ে মানুষের অভাব পূরণ করার ব্যবস্থাকে দ্রব্য বিনিময় প্রথা হয়। এ ব্যবস্থায় অভাব পূরণ বা লেনদেন করতে গিয়ে মানুষকে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত অভাবের অমিলগত সমস্যাটির এসব অসুবিধার মধ্যে অন্যতম একটি। সাধারণত দ্রব্য বিনিময় প্রথার অসুবিধাজনিত কারণেই অর্থের উদ্ভব ঘটেছে। অর্থাৎ দ্রব্য বিনিময়ে লেনদেনে যেসব সমস্যা দেখা দিত, সেসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অর্থের মাধ্যমে লেনদেন শুরু হয়। দ্রব্য বিনিময় প্রথায় সাধারণত যেসব সমস্যা দেখা দিত তা হলো-দ্রব্যের মূল্যগত পার্থক্য, অর্থাৎ বিনিময়কৃত দ্রব্য দুটির মূল্যের মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকত। দ্রব্য বিভাজনজনিত সমস্যার কারণে দ্রব্য বিনিময়ে সমস্যা সৃষ্টি হতো। যেমন : এখন অনেক দ্রব্য রয়েছে, যা বিভাজন করা সম্ভব নয়। আর তা করা হলেও দ্রব্যের উপযোগিতা নষ্ট হয়ে যায়। এসব দ্রব্য বিনিময় করতে গিয়ে সমমান নির্ধারণে সমস্যা সৃষ্টি হতো। উদ্দীপকে আমরা শুধু চাহিদার অমিল সমস্যাটি লক্ষ করি। কিন্তু অর্থের প্রচলনের পেছনে শুধু চাহিদার অমিল সমস্যাটিই প্রধান বিষয় ছিল না; উক্ত সমস্যাগুলো সংশ্লিষ্ট ছিল। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, লেনদেনে সহজবোধ্যতা ও গতিশীলতা সৃষ্টিতে অর্থের প্রচলন করা হয়েছে। বিনিময় প্রথার উল্লিখিত সব ধরনের সমস্যার প্রেক্ষিতেই অর্থের সৃষ্টি হয়েছে। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটির সাথে আমি একমত নই।

প্রশ্ন- ৯  অর্থের প্রকারভেদ

ঢাকার মগবাজারে অবস্থিত আড়ং-এর বিক্রয় কেন্দ্রে শপিং করতে এসে মধুমিতা এবং তার বান্ধবী স্বর্ণালি ১০০০ টাকা মূল্যের দুটি বিছানার চাদর ক্রয় করে। মধুমিতা বিক্রেতাকে চাদরের মূল্য বাবদ ১০০০ টাকার একটি নোট প্রদান করে যা বিক্রেতা সহজেই গ্রহণ করে। অন্যদিকে স্বর্ণালি চাদরের মূল্য বাবদ ১০০০ টাকার সই করা একটি ব্যাংক চেকের পাতা প্রদান করলে বিক্রেতা তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে স্বর্ণালি চাদরটি ক্রয় করতে ব্যর্থ হয়।
ক. অঞগ-এর পূর্ণরূপ লেখ। ১
খ. অর্থকে মূল্যের পরিমাপক বলা হয় কেন? ২
গ. মধুমিতার প্রদেয় অর্থটি কোন প্রকার অর্থের ধারণা দেয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. গ্রহণযোগ্যতাগত পার্থক্য থাকার কারণেই সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করেও স্বর্ণালি পছন্দের পণ্যটি কিনতে ব্যর্থ হয়Ñ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক অঞগ-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে অঁঃড়সধঃবফ ঞবষষবৎ গধপযরহব।
খ অর্থের সাহায্যে আমরা সহজেই পণ্য ও সেবার মূল্য পরিমাপ করে অতীত ও ভবিষ্যতের পণ্য ও সেবার মূল্য সম্বন্ধে তুলনামূলক আলোচনা করতে পারি। তাই অর্থকে মূল্যের পরিমাপক বলা হয়। অর্থ পণ্য ও সেবার মূল্যের পরিমাপের মাপকাঠি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়-মিশু একটি বই ক্রয় করে ৫০ টাকা দিয়ে। এক্ষেত্রে এই ৫০ টাকা হলো উক্ত বইটির মূল্যের পরিমাপক। একমাত্র অর্থের মাধ্যমেই বইটির মূল্য বোঝা সম্ভব হয়েছে। এ কারণেই অর্থকে মূল্যের পরিমাপক বলা হয়।
গ মধুমিতার প্রদেয় অর্থটি অর্থের অন্যতম একটি প্রকার কাগজি নোটের ধারণা দেয়। কাগজি নোট হলো কাগজ দ্বারা তৈরি অর্থ। নোটের ওপর লিখিত মূল্যই তার মূল্যের নির্দেশক, যা সাধারণত অভ্যন্তরীণ মূল্য অপেক্ষা অধিক হয়। উদ্দীপকের মধুমিতা বিছানার চাদর বাবদ দোকানিকে ১০০০ টাকার একটি নোট প্রদান করে। যা দোকানি সহজেই গ্রহণ করে। কারণ দোকানি নোটের উপর অঙ্ক দেখেই বুঝতে পেরেছে এটি ১০০০ টাকার নোট। প্রায় সকল দেশেই কাগজি মুদ্রা বা নোট সরকারি নির্দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক প্রচলিত হয়। বাংলাদেশে এ ধরনের অনেক নোট রয়েছে, ১০০০ টাকার কাগজি নোটটি তার মধ্যে একটি। সুতরাং বলা যায়, মধুমিতার প্রদেয় অর্থ অর্থাৎ ১০০০ টাকার নোটটি কাগজি নোটের ধারণা দেয়।
ঘ কাগজি নোট এবং চেকের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতার দিক দিয়ে পার্থক্য রয়েছে বলেই স্বর্ণালি চেকের মাধ্যমে সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করেও পছন্দের জিনিসটি কিনতে ব্যর্থ হয়। কাগজি নোট হলো এক ধরনের বিহিত অর্থ। এটি সরকারি আইন দ্বারা প্রচলিত। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক এ ধরনের অর্থ প্রচলিত হয় বলে সবার কাছে এর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। অন্যদিকে ব্যাংক সৃষ্ট অর্থ বিনিময় মাধ্যম হিসেবে মানুষ গ্রহণ করলেও কাউকে এ অর্থ গ্রহণে বাধ্য করা যায় না। উদ্দীপকের দোকানি স্বর্ণালি এবং মধুমিতার কাছে বিক্রিত চাদরের বিনিময় মূল্য হিসেবে মধুমিতার দেয়া ১০০০ টাকার নোটটি স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রহণ করলেও স্বর্ণালির দেওয়া ১০০০ টাকার চেকটি গ্রহণ করেনি। কারণ ১০০০ টাকার চেকটি হলো ব্যাংক কর্তৃক সৃষ্ট অর্থ। এটি ব্যবসায়িক লেনদেন ও দেনাপাওনা পরিশোধ করতে বিনিময়ের মাধ্যমে হিসেবে ব্যাংক কর্তৃক সৃষ্টি হয়ে থাকে। এটি গ্রহণের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু মধুমিতার দেওয়া কাগজি নোট সরকার কর্তৃক প্রচলিত। বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে এটি সর্বজন স্বীকৃত। তাই এটি গ্রহণে সবাই বাধ্য। উপরিউক্ত আলোচনায় দেখা যায়, ব্যাংক চেক কোনো বিহিত মুদ্রা নয়। এ জন্য এটি গ্রহণের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তাই দোকানি স্বর্ণালির দেওয়া চেক গ্রহণ করেনি। ফলে স্বর্ণালি তার পছন্দের জিনিসটি কিনতে ব্যর্থ হয়েছে।

প্রশ্ন- ১০  আমানত গ্রহণ পদ্ধতি

বরিশালের হারুন মিয়া ঢাকা শহরে রিকশা চালিয়ে দৈনিক ৫০০ টাকা আয় করে। রিকশার ভাড়া ও খাওয়া বাবদ তার দৈনিক ৩০০ টাকা খরচ হয়। বাকি ২০০ টাকা করে সঞ্চিত টাকা জমা রাখার জন্য গ্যারেজ মালিকের পরামর্শে সে ইসলামী ব্যাংকে একটি হিসাব খোলে। পাঁচ বছর পর অর্থ তুলতে পারবে এমন শর্তের ভিত্তিতে হারুন মিয়া প্রতি মাসে তার হিসাবে অর্থ জমা করে।
ক. ব্যাংকের মুনাফা কী? ১
খ. বাণিজ্যিক ব্যাংক বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের হারুন মিয়ার খোলা ব্যাংক হিসাবটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত ব্যাংক হিসাবটিই ব্যাংকে অর্থ জমা করার একমাত্র উপায় নয়-মন্তব্যটি প্রতিষ্ঠা কর। ৪

ক ব্যাংকে আমানতকৃত টাকার ওপর ধার্যকৃত সুদের তুলনায় গ্রাহকদের দেয়া ঋণের ওপর ধার্যকৃত সুদের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এই উভয় সুদের পার্থক্যই হলো ব্যাংকের মুনাফা।
খ বাণিজ্যিক ব্যাংক বলতে এমন এক ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বোঝায়। যা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অর্থ জমা রাখে এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ঋণ প্রদান করে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জন করা। এ উদ্দেশ্য পূরণে এ ব্যাংকসমূহ স্বল্প সুদে গ্রাহকদের অর্থ আমানত রাখে এবং তুলনামূলক বেশি সুদে গ্রাহকদের ঋণ প্রদান করে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, বার্ণিজ্যিক ব্যাংক হলো স্বল্পমেয়াদি ঋণের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।
গ উদ্দীপকের হারুন মিয়ার খোলা ব্যাংক হিসাবটি হলো স্থায়ী আমানত। বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান ও প্রথম কাজ হলো ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে আমানত সংগ্রহ করা। এ ব্যাংকসমূহ সাধারণত তিন ধরনের আমানত সংগ্রহ করে থাকে। চলতি, সঞ্চয়ী এবং স্থায়ী আমানত। উদ্দীপকের বর্ণনায় স্থায়ী আমানতের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। উদ্দীপকে দেখা যায়, হারুন মিয়া সঞ্চিত অর্থ জমা রাখার জন্য ইসলামী ব্যাংকে একটি হিসাব খোলে। প্রতি মাসে তিনি তার হিসাবে ২০০ টাকা করে জমা রাখেন। পাঁচ বছর মেয়াদে করা এ হিসাবটি একটি স্থায়ী আমানত। কারণ স্থায়ী আমানত নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য করা হয়। যেমন- ৩ মাস, ৬ মাস, ১ বছর, ৩ বছর, ৫ বছর ইত্যাদি। এ ধরনের আমানত করা অধিক লাভজনক। কারণ মেয়াদ শেষ হলে এক সাথে অনেক টাকা পাওয়া যায়। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেও টাকা তোলা যায়। তবে এক্ষেত্রে কিছু বিধিবিধান মেনে টাকা তুলতে হয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, উদ্দীপকের হারুন মিয়া তার উপার্জিত টাকা গচ্ছিত রাখার জন্য ইসলামী ব্যাংকের একটি শাখায় স্থায়ী আমানত খুলেছেন।
ঘ বাণিজ্যিক ব্যাংকে টাকা বা অর্থ জমা রাখার তিনটি উপায় রয়েছে। যার একটি উপায় সম্পর্কে উদ্দীপকে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি সঠিক। বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মুনাফা অর্জন করা। এ উদ্দেশ্যে পূরণে এসব ব্যাংকসমূহ নানাবিধ কর্মসম্পাদন করে। আমানত সংগ্রহ হচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান কাজ। বাণিজ্যিক ব্যাংক সাধারণত তিন ধরনের আমানত সংগ্রহ করে থাকে। যেমন- চলতি, সঞ্চয়ী এবং স্থায়ী আমানত। এর মধ্যে স্থায়ী আমানত সম্পর্কিত কিছু ইঙ্গিত আমরা উদ্দীপকে লক্ষ করি। উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত স্থায়ী আমানত ছাড়াও চলতি ও সঞ্চয়ী আমানতের মাধ্যমে ব্যাংকে অর্থ জমা করা যায়। মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা সহজ ও নিরাপদ করার জন্য ব্যাংক এসব আমানতের ব্যবস্থা করেছে। চলতি আমানত হলো অর্থ সঞ্চয়ের এমন একটি উপায় যেখানে সঞ্চয়কারী ব্যক্তি যে কোনো সময় টাকা তুলতে পারেন। এক্ষেত্রে আমানতকারীকে কোনো সুদ প্রদান করা হয় না। অন্যদিকে সঞ্চয়ী আমানতের অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময় মেয়াদে সপ্তাহে দু’বার তোলা যায়। এ আমানতের ওপর ব্যাংক কিছু সুদ দেয়। উদ্দীপকে আমরা স্থায়ী আমানতের ইঙ্গিত পেলেও চলতি ও সঞ্চয়ী আমানতের কোনো ইঙ্গিত পাই না। ব্যাংকে অর্থ জমা করার ক্ষেত্রে এ দুটি উপায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।

প্রশ্ন- ১১  অর্থের কার্যাবলি

জরিনা ও শামীম দম্পতি নিজেদের সম্পদ আর কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। নানাজাতের সবজির চাষ করে তারা আজ স্বাবলম্বী। তাদের বাগানে কাজ করে প্রতিবেশীরা নিজেদের অভাব পূরণ করছে। তবে জরিনা তাদের সম্পদ কিছুটা সঞ্চয় করতে চাচ্ছেন। কারণ তাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য কিছু সম্পদ রেখে দেয়া জরুরি বলে তিনি মনে করেন। তাই বাগানে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে প্রতি মাসে জরিনা কিছু অর্থ জমা করে রাখেন।
ক. অর্থ কী? ১
খ. বিহিত অর্থ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে অর্থের কোন ধরনের কাজের ইঙ্গিত পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. অর্থের কার্যাবলি সম্পূর্ণভাবে উপস্থাপনে উদ্দীপকটি ব্যর্থÑ মন্তব্যটি প্রতিষ্ঠা কর। ৪

ক সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত যে বস্তু মূল্যের পরিমাপক, দেনা-পাওনা মেটানোর উপায় হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত, সঞ্চয়ের বাহন ও ঋণের ভিত্তি হিসেবে স্বীকৃত, তাই অর্থ।
খ বিহিত অর্থ বলতে সরকারি আইন দ্বারা প্রচলিত অর্থকে বোঝায়। বিহিত অর্থ সাধারণত সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক প্রচলিত ধাতব মুদ্রা ও কাগজি নোট নিয়ে গঠিত। বাংলাদেশে ৫০ পয়সা, ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার ধাতব মুদ্রা হলো বিহিত অর্থ, যা সসীম বিহিত অর্থ নামে পরিচিত। অন্যদিকে ৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার কাগজি নোট অসীম বিহিত অর্থ নামে পরিচিত।
গ উদ্দীপকে অর্থ সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে কাজ করেছে। আধুনিক উৎপাদন ব্যবস্থায় এবং সমাজ জীবনে অর্থ নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে থাকে। সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে অর্থ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে থাকে। দ্রব্যসামগ্রী পচনশীল বলে তা সঞ্চয় করে রাখা যায় না। অর্থের মাধ্যমে অতি সহজেই সঞ্চয় করা সম্ভব। উদ্দীপকে দেখা যায়, জরিনা এবং শামীম দম্পতি সবজির চাষ করে আত্মনির্ভরশীল হয়েছেন। তাদের উৎপাদিত ফসল সঞ্চয় করে রাখা সম্ভব নয়। কারণ দ্রব্যসামগ্রী পচনশীল। তাই তারা এসব পণ্য বাজারে বিক্রি করে মূল্য বাবদ প্রাপ্ত অর্থ ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রাখছেন। অর্থের মাধ্যমে দ্রব্যসামগ্রী ও সেবার মূল্য সংরক্ষণ করা সম্ভব বলেই তারা সঞ্চয় করতে পারছেন। বর্তমানে মানুষ তার উৎপাদিত আয় থেকে ভোগ ব্যয় বাদ দিয়ে যা উদ্বৃত্ত থাকে তা অর্থের মাধ্যমে সঞ্চয় করতে পারে। কারণ অর্থের মাধ্যমে সঞ্চয় অনেক বেশি নিরাপদ ও তুলনামূলক স্থায়ী। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে অর্থের ভ‚মিকাই তুলে ধরা হয়েছে।
ঘ দৈনন্দিন জীবনে অর্থ নানাবিধ কার্য সম্পাদন করে থাকে। উদ্দীপকে আমরা অর্থকে সঞ্চয়ের বাহন হিসেবেই দেখতে পাই। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি সঠিক। উৎপাদন ব্যবস্থায় এবং দৈনন্দিন জীবনে অর্থ সাধারণত চারটি প্রদান কাজ সম্পাদন করে থাকে। যেমন : বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে মূল্যের পরিমাপক। সঞ্চয়ের বাহন এবং ঋণের ভিত্তি হিসেবে ভ‚মিকা পালন। উদ্দীপকে আমরা অর্থকে শুধু সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে ভ‚মিকা পালন করতে দেখি। উদ্দীপকে অর্থ নামক বস্তুটি জরিনা ও শামীম দম্পতির সম্পদ সংরক্ষরণের উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়াও অর্থের নানাবিধ ভ‚মিকা রয়েছে। যেমন : বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ভ‚মিকা পালন। বিক্রেতা কোনো দ্রব্যের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করে আবার ক্রেতাও অর্থের বিনিময়ে দ্রব্যসামগ্রী গ্রহণ করে। এভাবে অর্থের মাধ্যমে যেকোনো সময় যেকোনো পরিমাণ পণ্য ও সেবা ক্রয়-বিক্রয় করা যায়। ফলে লেনদেন সহজ ও গতিশীল হয়। আবার অর্থ মূল্যের পরিমাপক হিসেবে ভ‚মিকা পালন করে। যেমন : মিশুর একটি বই ক্রয় করে বিক্রেতাকে ১০০ টাকা প্রদান করল। এখানে ১০০ টাকা হলো উক্ত বইটির মূল্যের পরিমাপক। আবার অর্থ স্থগিত লেনদেন অর্থাৎ ভবিষ্যৎ দেনা-পাওনার মান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এসব দেনা-পাওনার হিসাবনিকাশ করা হয় অর্থের মাধ্যমে। অর্থের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ এবং পরিশোধ উভয়ই সহজ। ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা সৃষ্টি হয়। উদ্দীপকে আমরা অর্থের উক্ত কার্যাবলির কোনো ইঙ্গিত পাই না। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, অর্থের কার্যাবলির পরিপূর্ণ ধারণা প্রদানে উদ্দীপকটি সম্পূর্ণভাবেই ব্যর্থ।

প্রশ্ন- ১২  বাণিজ্যিক ব্যাংক

মাছুম চৌধুরী একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। তিনি তার পরিবারের সবাইকে তার ব্যাংকে অর্থ আমানতের পরামর্শ দেন। অন্যদিকে তার বড় ভাই শাহনেওয়াজ করিম ব্যবসায় দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনি তার ব্যাংক থেকে বাড়ির দলিলের বিপরীতে ঋণ নেওয়ার পরামর্শ দেন। ভাই এর পরামর্শমতো কাজ করে শাহনেওয়াজ নতুনভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে লাভবান হন।
ক. বিহিত অর্থ কী? ১
খ. অর্থকে ঋণের ভিত্তি বলা হয় কেন? ২
গ. মাছুম চৌধুরীর কর্মরত ব্যাংকের ধরন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে এ ধরনের ব্যাংকের কর্মকাণ্ডের সামগ্রিকতা প্রকাশ পেয়েছে কি? মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪

ক সরকারি আইন দ্বারা প্রচলিত অর্থই হলো বিহিত অর্থ।
খ অর্থের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ পরিশোধ এবং ব্যাংকের আমানত হিসেবে নগদ অর্থ গ্রহণের সুবিধার্থে অর্থকে ঋণের ভিত্তি বলা হয়। অর্থ ভবিষ্যৎ দেনা-পাওনা বা স্থগিত লেনদেনের হিসাবনিকাশ করে থাকে। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ব্যবসায়িক লেনদেন চেক, ব্যাংক ড্রাফট, বিনিময় বিল প্রভৃতি ঋণপত্রের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। ব্যাংকে আমানত হিসেবে রক্ষিত নগদ অর্থের ভিত্তিতে ব্যাংক এসব ঋণপত্র প্রচলন কর। তাই অর্থকে ঋণের ভিত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়।
গ মাছুম চৌধুরীর কর্মরত ব্যাংকটি হলো বাণিজ্যিক ব্যাংক। যে ব্যাংক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অর্থ আমানত হিসেবে জমা রাখে এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ঋণ প্রদান করে তাকে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মুনাফা অর্জন। উদ্দীপকে দেখা যায়, জনাব মাছুম তার পরিবারের সবাইকে তার কর্মরত ব্যাংকে আমানত রাখার বা অর্থ সঞ্চয় করার পরামর্শ দেন। এ ব্যাংকটিই বাণিজ্যিক ব্যাংক। কারণ বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান এবং প্রথম কাজ হচ্ছে জনগণের সঞ্চয় বৃদ্ধির জন্য অর্থ আমানত রাখা। এ উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংক জনগণের কাছ থেকে তিনটি উপায়ে আমানত সংগ্রহ করে। যেমন- চলতি আমানত, সঞ্চয়ী আমানত এবং স্থায়ী আমানত। অন্যদিকে জনাব মাছুম তার ভাইয়ের আপদকালীন তাকে ব্যাংক ঋণ প্রদান করে ব্যবসায়ে সহায়তা করেন। এটিও বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাজের অন্তর্ভুক্ত। বাণিজ্যিক ব্যাংক জনগণকে লাভজনক ক্ষেত্রে ঋণ প্রদান করে সুদের বিনিময়ে মুনাফা অর্জন করে থাকে। সুতরাং আমরা বলতে পারি, জনাব মাছুম চৌধুরীর কর্মরত ব্যাংকটি নিঃসন্দেহে বাণিজ্যিক ব্যাংক।
ঘ উদ্দীপকে বার্ণিজ্যিক ব্যাংকের কাজের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তা উক্ত ব্যাংকের কর্মপরিধির সামগ্রিকতা প্রকাশ করে না বলে আমি মনে করি। আধুনিককালে বাণিজ্যিক ব্যাংক দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল ও গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। ব্যাংকে এসব কাজের জন্যই রাষ্ট্রের একটি অপরিহার্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংক জায়গা করে নিয়েছে। উদ্দীপকে আমরা বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাজের দুটি দিক লক্ষ করি। যেমন আমানত সংগ্রহ এবং জনগণের চাহিদামাফিক ঋণ প্রদান করা। বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মপরিধি এ দুটি কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংক বিনিময়ের মাধ্যমে যেমনÑ চেক, ব্যাংক ড্রাফট, ই-মেইল, হুন্ডি, ই-পেমেন্ট ইত্যাদি সৃষ্টি করে। উন্নত দেশের অধিকাংশ লেনদেন চেকের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়ে থাকে। আবার বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাণিজ্যে সহায়তায় ব্যবসায়ীদের অর্থ যোগান দেয় এবং পরামর্শ প্রদান করে। বিনিময় বিলে স্বীকৃতি দান, বিল বাট্টাকরণ আমদানি ও রপ্তানিকারকদের ঋণ প্রদান প্রভৃতি কাজ সম্পাদন করে। মক্কেলদের প্রয়োজনে ব্যাংক কখনো কখনো অর্থ স্থানান্তর করে থাকে। আবার রেমিটেন্স তথা বিদেশে কর্মরত জনগণের আয় সংগ্রহ করে দেশীয় মালিকদের হস্তান্তরে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ভ‚মিকা অনন্য। এছাড়া সঞ্চয় বৃদ্ধি, মূল্যবান দ্রব্যসামগ্রী সংরক্ষণ, শেয়ার ডিবেঞ্জার ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি কাজে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ভ‚মিকা অতুলনীয়। পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকে আমরা বাণিজ্যিক ব্যাংকের উল্লিখিত কাজের কোনো ইঙ্গিত পাই না। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাজের সামগ্রিকতা প্রকাশ পায়নি।

প্রশ্ন- ১৩  গ্রামীণ ব্যাংক

বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকার ব্যাংক রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কোনোটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ও ব্যবসার জন্য ঋণ প্রদান করে। আবার কোনোটি দরিদ্রদের জন্য বিশেষ সেবা প্রদান করে থাকে। এরকম একটি ব্যাংক থেকে দরিদ্র মহিলা জামিলা বিনা জামানতে ১০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করে। এ ঋণের টাকা দিয়ে সে সাবলম্বী হওয়ার সাথে সাথে ঋণও পরিশোধ করতে থাকে। সাপ্তাহিক কিস্তির মাধ্যমে টাকা পরিশোধের সুযোগ পাওয়ায় তার মধ্যে কর্মস্পৃহা বেড়ে যায়।
ক. বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম কী? ১
খ. বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ঋণ দিয়ে থাকে কেন? ২
গ. জামিলা বেগম উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত ব্যাংক থেকে কী ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকে Ñব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. দরিদ্র মানুষের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ ব্যাংকের ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম বাংলাদেশ ব্যাংক।
খ একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জন করা। আর এই জন্য বাণিজ্য ব্যাংকগুলো জনগণের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ এবং তা পরবর্তীতে ঋণ হিসেবে দিয়ে থাকে। সুতরাং বলা যায় মুনাফা অর্জনের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে।
গ জামিলা বেগম ব্যাংক থেকে যে ঋণ পেয়েছে তা হচ্ছে এক ধরনের বিশেষ ব্যাংক তথা গ্রামীণ ব্যাংক। গ্রামীণ ব্যাংক এক ধরনের বিশেষ ব্যাংক ব্যবস্থা, যা দরিদ্র মানুষের বিশেষ সেবা দিয়ে থাকে। এ ব্যাংকের একটি বিশেষ সুবিধা হলো এ ঋণ পেতে কোনো জামানতের প্রয়োজন হয় না। এ ব্যাংক দরিদ্র মানুষের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে থাকে। অনেকগুলো কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করা যায় বিধায় দরিদ্র জনগণ ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য কোনো বোঝা অনুভব করে না। এছাড়া ঋণ পরিশোধের জন্য ঋণ গ্রহীতাকে ব্যাংকে আসতে হয় না বরং ব্যাংকের লোকজন ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে কিস্তির উদ্দীপকে উল্লিখিত জামিলা বেগম এ ব্যাংক থেকেই ঋণ নিয়েছে এবং উল্লিখিত সুবিধা ভোগের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে।
ঘ জামিলা বেগম যে ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা পেয়েছে তা হলো ক্ষুদ্র ঋণের পথিকৃৎ গ্রামীণ ব্যাংক। এটি এমন এক ব্যাংকিং ব্যবস্থা যা শুধু দরিদ্রদের জন্য ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামীণ দরিদ্র ও ভ‚মিহীন মানুষদের ভাগ্য উন্নয়নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে। গৃহঋণ, শিক্ষাঋণ মোবাইল ঋণ, ভিক্ষুক ঋণ প্রভৃতি। এসব ঋণ গ্রামের বেকার জনগোষ্ঠীর আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। গ্রামাঞ্চলে অনেক দরিদ্র লোকজন রয়েছে যারা সামান্য মূলধনের জন্য কোনো কর্মে যুক্ত হতে পারছে না। এসব লোকের কর্মের সাথে যুক্ত করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থার প্রচলন করেছে। এ ব্যাংক দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ঋণ সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রথমে তাদের কেন্দ্রভিত্তিক সংগঠিত করে। অতঃপর আত্মকর্মসংস্থানের প্রাথমিক ধারণাপূর্বক ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে। এ ধরনের ঋণ সুবিধা পাওয়ার ফলে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে কর্মপন্থা বেড়ে যায়। তারা নিজেদের নানা উৎপাদনশীল কর্মের সাথে নিজেদের স¤পৃক্ত করতে পারে এবং নিজেদের যোগ্য ও মর্যাদাশীল ভাবতে থাকে। এছাড়া গ্রামীণ মহাজনদের শোষণ ও অত্যাচার থেকে দরিদ্র মানুষদের সহায়তা করে। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ভাগ্য পরিবর্তন এবং আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গ্রামীণ ব্যাংকের ভ‚মিকা অপরিসীম।

প্রশ্ন- ১৪  কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও যখন হাহাকার সৃষ্টি হয়, তখন সরকার দেশের মুদ্রা বাজার শেয়ার ব্যবসা সবকিছুর ওপর কঠিন নজরদারির নির্দেশ দেয়। বিশ্ব মন্দার প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি যাতে বিপর্যস্ত হয়ে না পড়ে সে কারণে প্রয়োজনে নতুন অর্থ সৃষ্টির ঘোষণা দেয় সরকার। কালোবাজারি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি সবকিছু কঠিন হস্তে দমন করে দেশের ঋণ ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক রেখে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করে সরকার।
ক. বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য কী? ১
খ. বাণিজ্যিক ব্যাংক কীভাবে সঞ্চয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কার্যাবলি সম্পাদনে কোন প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত কার্যাবলি সম্পাদন করাই এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান কাজ নয়Ñমন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মুনাফা অর্জন।
খ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে আমানত হিসেবে সংগ্রহ করে বাণিজ্যিক ব্যাংক জনগণের সঞ্চয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান ও প্রথম কাজ হলো আমানত সংগ্রহ করা। দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আমানত সংগ্রহ করে ব্যাংক সঞ্চিত অর্থ ব্যবসায় ও উৎপাদন ক্ষেত্রে ঋণ দিয়ে পুঁজি গঠনে সহায়তা করে। এভাবে বাণিজ্যিক ব্যাংক জনগণের সঞ্চয় বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে।
গ উদ্দীপকে বর্ণিত কার্যাবলি সম্পাদনে দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গড়ে তোলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা ব্যাংক ব্যবস্থার শীর্ষে অবস্থান করে সমগ্র ব্যাংক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং মুদ্রা বাজারের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে। এর প্রধান উদ্দেশ্য দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং উন্নয়ন ও জনকল্যাণ সর্বোচ্চকরণ। বাংলাদেশে এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানটি হলো বাংলাদেশ ব্যাংক। উদ্দীপকে আমরা যে ধরনের কাজের বর্ণনা পাই সরকারের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। যেমন : উদ্দীপকে মুদ্রা বাজার এবং শেয়ার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজের অন্তর্ভুক্ত। দেশের মুদ্রাস্ফীতি এবং মুদ্রা সংকোচন রোধকল্পে কেন্দ্রীয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তথা বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণদান ব্যবস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে। এছাড়া দেশের সংকটকালীন প্রয়োজনে নতুন অর্থ ছাপানো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কাজ, যার ইঙ্গিত উদ্দীপকে রয়েছে। সুতরাং এটি নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, উদ্দীপকের কার্যাবলি সম্পাদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গড়ে তোলা হয়েছে।
ঘ উদ্দীপকে বর্ণিত কার্যাবলি সম্পাদনই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কাজ নয় মন্তব্যটি যথার্থ। দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নানা ধরনের কার্যাবলি সম্পাদন করতে হয়। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং জনগণের সার্বিক কল্যাণ সাধনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভ‚মিকা সর্বাধিক। এক্ষেত্রে এ ব্যাংকের কার্যাবলিও বহুমুখী যার কিছু বর্ণনা আমরা উদ্দীপকে লক্ষ করি। উদ্দীপকে বর্ণিত মুদ্রা বাজার নিয়ন্ত্রণ, শেয়ারবাজারে নজরদারি, দেশের সংকটকালীন নতুন নোট ছাপানো ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ, সর্বশেষ ঋণদাতা, বিনিময় হার নির্ধারণ, নিকাশঘর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যাংক প্রাইভেট বা সরকারি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। তাছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহের আর্থিক সংকটকালীন প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ঋণ দিয়ে সহায়তা করে। বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য স্থাপন ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশীয় মুদ্রার সাথে বিদেশি মুদ্রার হার নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের দেনা-পাওনার নিষ্পত্তিকারীর ভ‚মিকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবস্থান করে। ব্যাংকসমূহের জনশক্তির মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মপদ্ধতি যাচাই, পরামর্শ দান, ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ, সরকারের আর্থিক নীতি প্রণয়নে সহায়তা প্রদান প্রভৃতি কাজ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্পাদন করে, যার কোনো ইঙ্গিত উদ্দীপকে পাওয়া যায় না। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে তাই বলা যায়, শুধু উদ্দীপকে নির্দেশিত কার্যাবলি সম্পাদনই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কাজ নয়।

প্রশ্ন- ১৫  অর্থের ভ‚মিকা

মকবুল একজন নির্মাণ শ্রমিক। তার দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা। কিন্তু একই সময়ে কাজ করে তার সহকারী নিয়ামতের মজুরি ৩০০ টাকা। আবার ১ কেজি বাসমতি চাল ১৫০ টাকা হলেও ১ কেজি নাজির শাইল চাল ৪০ টাকা। একই সময় বা একই পণ্য হলেও এদের বিনিময়ে তারতম্য দেখা যায়। এ তারতম্যতা অনুধাবনের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেনগুলো বোধগম্য হয়।
ক. মুদ্রা কী? ১
খ. বাংলাদেশের ধাতব মুদ্রাগুলো উল্লেখ কর। ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত লেনদেনে অর্থ কী হিসেবে কাজ করেছে? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে অর্থের ভ‚মিকা অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপে কী কোনো প্রভাব ফেলেছে? তোমার মতামত দাও। ৪

ক মুদ্রা একটি বিনিময় মাধ্যম।
খ ধাতব খণ্ড দ্বারা তৈরি যে মুদ্রার মাধ্যমে মানুষ প্রাত্যহিক জীবনের লেনদেন করে, তাকে ধাতব মুদ্রা বলে। বাংলাদেশে ৫ টাকা, ২ টাকা, ১ টাকা, ৫০ পয়সা ইত্যাদি ধাতব মুদ্রা আছে।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত লেনদেনে অর্থ বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে। অর্থ এমন একটি বিনিময় মাধ্যম, যা সবার নিকট গ্রহণীয় এবং যা মূল্যের পরিমাপক ও সঞ্চয়ে বাহন হিসাবে কাজ করে। অর্থ বিভিন্ন ধরনের কার্য সম্পাদনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। উদ্দীপকে নির্মাণ শ্রমিক মকবুল ও তার সহকারী নিয়ামত তাদের শ্রমের বিনিময়ে অর্থ পেয়ে থাকে। এছাড়া চাল ক্রয় করার মাধ্যম হিসেবেও অর্থ ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে সহজে বিনিময় সম্ভব হয়। অর্থাৎ যেকোনো লেনদেন করতে অর্থ ব্যবহার করা হয়। কোনো কিছু ক্রয় করতে, বিক্রয় করতে, কোনো বস্তু বা সেবার আদান-প্রদানেও অর্থ ব্যবহার করা হয়। মূলত অর্থ ব্যতীত অন্য কোনো কিছুর দ্বারা বস্তু বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় সম্ভব নয়।
ঘ উদ্দীপকে অর্থের ভ‚মিকা অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে বলে আমি মনে করি। বিনিময়ের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মাধ্যম হলো অর্থ। বিনিময়ের মাধ্যম ছাড়াও সঞ্চয়ের ভাণ্ডার এবং মূল্যের পরিমাপক হিসাবে অর্থের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। মকবুল ও নিয়ামতের মজুরির ভিন্নতা, বাসমতি ও নাজির শাইল চালের মূল্যের তারতম্য, ব্যবসায়িক লেনদেন প্রভৃতি সহজেই মূল্যায়িত করা হয় অর্থের মাধ্যমে। অর্থাৎ প্রতিটি অর্থনৈতিক কাজে অর্থের ব্যবহার আবশ্যক। অর্থের আলোকেই একই প্রকার এবং যাবতীয় অর্থনৈতিক কাজের মূল্য নির্ধারিত হয়। অর্থের প্রচলনের সাথে সাথে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পায়। এর ফলে লেনদেন এবং বিনিময়ের কর্মকাণ্ডও বৃদ্ধি পায়। উদ্দীপকে মকবুল ও নিয়ামতের ব্যবসায়িক লেনদেন সহজেই মূল্যায়িত করা হয় অর্থের মাধ্যমে। অর্থাৎ বর্তমানে সকল প্রকার পণ্য ও সেবার মূল্য অর্থের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। অর্থ মূল্য পরিমাপের একটি সাধারণ মানদণ্ড। অর্থের অস্তিত্ব আছে বলে শ্রমিকের মজুরি, সেবামূলক পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা যায়। এতে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ সহজসাধ্য হয়ে থাকে। সুতরাং বলা যায়, মকবুল ও নিয়ামতের ব্যবসায়িক লেনদেনে মূল্যের পরিমাপক হিসেবে অর্থ বিনিময় প্রথার নানান সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভ‚মিকা রেখেছে।

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ মুদ্রা কয় প্রকার?
উত্তর : মুদ্রা ২ প্রকার।
প্রশ্ন \ ২ \ ধাতব মুদ্রাকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : ধাতব মুদ্রাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রশ্ন \ ৩ \ প্রামাণিক মুদ্রা কী?
উত্তর : যে মুদ্রা গলানোর পরে ধাতু হিসেবে বিক্রি করলে দৃশ্যমান মূল্যের সমপরিমাণ মূল্য পাওয়া যায়, তাই প্রামাণিক মুদ্রা।
প্রশ্ন \ ৪ \ প্রতীক মুদ্রা কাকে বলে?
উত্তর : যে মুদ্রার ধাতব মূল্য তার দৃশ্যমান মূল্যের চেয়ে কম তাকে প্রতীক মুদ্রা বলে।
প্রশ্ন \ ৫ \ মুদ্রা প্রচলন করে কে?
উত্তর : মুদ্রা প্রচলন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রশ্ন \ ৬ \ কাগজি মুদ্রাকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : কাগজি মুদ্রাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রশ্ন \ ৭ \ রূপান্তরযোগ্য মুদ্রা কাকে বলে?
উত্তর : যে কাগজি নোটের পরিবর্তে চাওয়া মাত্র সরকার সমমূল্যের দেশীয় মুদ্রা দিতে বাধ্য থাকে তাকে রূপান্তরযোগ্য মুদ্রা বলে।
প্রশ্ন \ ৮ \ ৫ টাকা কী মুদ্রা?
উত্তর : ৫ টাকা রূপান্তরযোগ্য মুদ্রা।
প্রশ্ন \ ৯ \ রূপান্তর অযোগ্য মুদ্রা কাকে বলে?
উত্তর : যে কাগজি নোটের পরিবর্তে সরকারের কাছ থেকে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা, রুপা পাওয়া যায় না তাকে রূপান্তর অযোগ্য মুদ্রা বলে।
প্রশ্ন \ ১০ \ গ্রহণের বাধ্যবাধকতার দিক থেকে অর্থকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : গ্রহণের বাধ্যবাধকতার দিক থেকে অর্থকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রশ্ন \ ১১ \ অসীম বিহিত অর্থ কী?
উত্তর : যে বিহিত মুদ্রা দ্বারা আইনগতভাবে যেকোনো পরিমাণ লেনদেন করা যায়, তাই অসীম বিহিত মুদ্রা।
প্রশ্ন \ ১২ \ সসীম বিহিত অর্থ কী?
উত্তর : যে অর্থ দ্বারা একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত লেনদেন করা যায় তাই সসীম বিহিত অর্থ বলে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ বাণিজ্যিক ব্যাংক কয় ধরনের আমানত গ্রহণ করে?
উত্তর : বাণিজ্যিক ব্যাংক তিন ধরনের আমানত গ্রহণ করে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অভিভাবক কে?
উত্তর : বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অভিভাবক কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রশ্ন \ ১৫ \ মুদ্রা প্রচলন করে কোন ব্যাংক?
উত্তর : মুদ্রা প্রচলন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রশ্ন \ ১৬ \ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম কী?
উত্তর : যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম।
প্রশ্ন \ ১৭ \ যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম কী?
উত্তর : যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম ব্যাংক অব ইংল্যান্ড।
প্রশ্ন \ ১৮ \ সরকারের ব্যাংক হিসেবে কোন ব্যাংক কাজ করে?
উত্তর : সরকারের ব্যাংক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করে।
প্রশ্ন \ ১৯ \ ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে কোন ব্যাংক?
উত্তর : ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রশ্ন \ ২০ \ নিকাশঘর কে পরিচালনা করে?
উত্তর : নিকাশঘর কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা করে।
প্রশ্ন \ ২১ \ বাংলাদেশ ব্যাংক কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ২২ \ কৃষি ব্যাংক কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : কৃষি ব্যাংক ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ২৩ \ কৃষি ব্যাংক কতটি মেয়াদে ঋণ দিয়ে থাকে?
উত্তর : কৃষি ব্যাংক তিনটি মেয়াদে ঋণ দিয়ে থাকে।
প্রশ্ন \ ২৪ \ কৃষি ব্যাংকের মধ্য মেয়াদি ঋণের সময়কাল কত?
উত্তর : কৃষি ব্যাংকের মধ্য মেয়াদি ঋণের সময়কাল ১৮ মাস থেকে ৫ বছর।
প্রশ্ন \ ২৫ \ কৃষি ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি ঋণের মেয়াদকাল কত?
উত্তর : কৃষি ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি ঋণের মেয়াদকাল ৫ বছর থেকে ২০ বছর।
প্রশ্ন \ ২৬ \ গ্রামীণ ব্যাংক কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : গ্রামীণ ব্যাংক ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ২৭ \ গ্রামীণ ব্যাংক কাদেরকে ঋণ দেয়?
উত্তর : গ্রামীণ ব্যাংক ভ‚মিহীন দরিদ্রদের ঋণ দেয়।
প্রশ্ন \ ২৮ \ ক্ষুদ্র ঋণের পথিকৃত কোন ব্যাংক?
উত্তর : ক্ষুদ্র ঋণের পথিকৃত গ্রামীণ ব্যাংক।
প্রশ্ন \ ২৯ \ সমবায় ব্যাংকের শতকরা কত অংশ সরকারের?
উত্তর : সমবায় ব্যাংকের শতকরা ১৪% সরকারের।
প্রশ্ন \ ৩০ \ কোন ধরনের মুদ্রার নিজস্ব কোনো মূল্য নেই?
উত্তর : কাগজি মুদ্রার নিজস্ব কোনো মূল্য নেই।
প্রশ্ন \ ৩১ \ ব্যাংককে অন্য ভাষায় কী বলা হয়?
উত্তর : ব্যাংককে অন্য ভাষায় ঋণের কারবার বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৩২ \ ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম কী?
উত্তর : ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
প্রশ্ন \ ৩৩ \ দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোন ব্যাংক?
উত্তর : দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রশ্ন \ ৩৪ \ সঞ্চয়ী হিসাব থেকে সাধারণত সপ্তাহে কয় বার টাকা তোলা যায়?
উত্তর : সঞ্চয়ী হিসাব থেকে সাধারণত সপ্তাহে দুই বার টাকা তোলা যায়।
প্রশ্ন \ ৩৫ \ ব্যাংক হিসাব খোলার সময় আবেদনকারীকে কমপক্ষে কত টাকা জমা দিতে হয়?
উত্তর : ব্যাংক হিসাব খোলার সময় আবেদনকারীকে কমপক্ষে ৫০০ টাকা জমা দিতে হয়?
প্রশ্ন \ ৩৬ \ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কোন ধরনের ব্যাংক?
উত্তর : বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিশেষ ঋণদানকারী ব্যাংক।

 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ ধাতব মুদ্রা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : ধাতব মুদ্রা বলতে ধাতব খণ্ড দ্বারা তৈরি মুদ্রা বোঝায়, যা মানুষের প্রাত্যহিক লেনদেনের কাজে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের প্রামাণিক এবং প্রতীক মুদ্রা নামে দুই প্রকারের ধাতব মুদ্রা প্রচলিত রয়েছে। এদেরকে বস্তুগত মূল্যমানের দিক দিয়ে ভাগ করা হয়েছে। ৫ টাকা, ২ টাকা, ৫০ পয়সা ইত্যাদি বাংলাদেশে প্রচলিত ধাতব মুদ্রা।
প্রশ্ন \ ২ \ প্রামাণিক মুদ্রা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : প্রামাণিক মুদ্রা বলতে বোঝায় এমন মুদ্রা, যা গলানোর মাধ্যমে ধাতু বিক্রি করলে দৃশ্যমান মূল্যের সমপরিমাণ মূল্য পাওয়া যায়। প্রামাণিক মুদ্রা হলো ধাতব মুদ্রা, যে ধাতব মুদ্রা গলানোর পরও সমান পরিমাণ মূল্য বজায় থাকে, তাই প্রামাণিক মুদ্রা।
প্রশ্ন \ ৩ \ আমানত বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : জনগণের আয়ের উদ্বৃত্ত অংশ ভবিষ্যতের জন্য ব্যাংক হিসাবে জমা রাখাকে আমানত বলে। বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহে জনগণ তাদের উদ্বৃত্ত অর্থ সঞ্চয় করে রাখতে পারে। ব্যাংকে সাধারণত তিনটি হিসাব খোলার মাধ্যমে জনগণ অর্থ আমানত করতে পারে। যেমন চলতি, সঞ্চয়ী এবং স্থায়ী। এ হিসাব অনুযায়ী জনগণের কাছ থেকে ব্যাংকের অর্থ সংগ্রহকে আমানত বলে।
প্রশ্ন \ ৪ \ কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরকারের ব্যাংক বলা হয় কেন?
উত্তর : কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের আর্থিক সংকট মোকাবিলাসহ গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক কার্যাবলি সম্পাদন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয় বলে একে সরকারের ব্যাংক বলা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের রাজস্ব পাওনা সরকারের হিসাবে জমা রাখে এবং সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন খাতে প্রদান করে। সরকারকে প্রয়োজনীয় ঋণ প্রদান করে এ ব্যাংক। সরকারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নীতিনির্ধারণে প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরামর্শ প্রদান করে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরকারের ব্যাংক বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক গড়ে তোলা হয়েছে কেন?
উত্তর : শিল্প উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক এবং বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা দুটি একীভ‚ত হয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন ও স¤প্রসারণ, কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ, নারীকে আত্মনির্ভরশীল করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এ ব্যাংক যাত্রা শুরু করে।
প্রশ্ন \ ৬ \ মানবসম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংক কীভাবে কাজ করে?
উত্তর : মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক দেশের অবহেলিত জনসাধারণকে সংগঠিত করে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ঋণ প্রদানসহ উপকরণ সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে। গ্রামীণ ব্যাংক বেকার জনগোষ্ঠীকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় এনে সংঘবদ্ধ করে প্রশিক্ষণ প্রদান করে আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলতে ঋণ দান করে। ভিক্ষুকদের সুদবিহীন ঋণ দান করে তাদেরকে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ করে এ ব্যাংক। তাছাড়া নারীদের কর্মে উদ্বুদ্ধকরণ ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে গ্রামীণ ব্যাংক নানাভাবে সহায়তা করে। এভাবে গ্রামীণ ব্যাংক মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করে।
প্রশ্ন \ ৭ \ সমবায় ব্যাংক কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সমবায়ের নীতিমালার ভিত্তিতে গঠিত এবং পরিচালিত ব্যাংকই হলো সমবায় ব্যাংক। পারস্পরিক সহায়তার ভিত্তিতে স্বল্পসুদে ঋণ দানের উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা হয়েছে সমবায় ব্যাংক, সরকার ও দেশের সমবায়ীদের যৌথ মালিকানায় এ ব্যাংকটি পরিচালিত হচ্ছে। ব্যাংকটির শেয়ারের ৮৬% মালিক সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলো এবং ১৪% সরকারের মালিকানায়। দারিদ্র্যবিমোচন, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঋণ দান করে এ ব্যাংকটি।
প্রশ্ন \ ৮ \ বাণিজ্যিক ব্যাংককে স্বল্পমেয়াদি ঋণের ব্যবসায়ী বলা হয় কেন?
উত্তর : বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ জমাদানকারীকে তার জমাকৃত অর্থ চাওয়ামাত্র ফেরত দিতে বাধ্য থাকে বলে ব্যাংক তার তহবিল থেকে স্বল্পকালের জন্য ঋণদান করে। তাই এ ব্যাংককে স্বল্পমেয়াদি ঋণের ব্যবসায়ী বলা হয়। বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ জনগণের সঞ্চয় বৃদ্ধির জন্য আমানত জমা রাখে, আবার ব্যাংকের মুনাফা বৃদ্ধির জন্য জনগণকে ঋণ দান করে জনগণের আমানত চাওয়ামাত্র ফেরত দিতে হয় বলে ব্যাংক স্বল্পকালের জন্য জনগণকে ঋণ দিয়ে থাকে।
প্রশ্ন \ ৯ \ রেমিট্যান্স বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : রেমিট্যান্স বলতে প্রবাসে কর্মরত সকল জনসাধারণের আয় বোঝায়। বাংলাদেশের শ্রমিকের একটি বিরাট অংশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত। তারা তাদের বৈদেশিক অর্থ দেশের প্রেরণ করলে সরকার এ আয়ের ওপর একটা নির্র্দিষ্ট অংশ ধার্য করে সরকারি আয় বৃদ্ধি করে।
প্রশ্ন \ ১০ \ সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে অর্থের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : অধিকাংশ দ্রব্যসামগ্রী পচনশীল বলে দ্রব্যসামগ্রীর মাধ্যমে সঞ্চয় করা সম্ভব নয়। তাছাড়া সেবা জীবন্ত উপকরণ। তাই শ্রম ও সেবা সঞ্চয় করা যায় না। কিন্তু অর্থ দ্বারা সবকিছু বিনিময় করা যায় বলে এরূপ দ্রব্যসামগ্রী ও সেবার মূল্য অর্থের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা সম্ভব। বর্তমানে মানুষ তার উৎপাদিত আর থেকে ভোগ ব্যয় বাদ দিয়ে যা উদ্বৃত্ত থাকে তা অর্থের মাধ্যমে সঞ্চয় করতে পারে। কারণ, অর্থের মাধ্যমে সঞ্চয় অনেক বেশি নিরাপদ ও তুলনামূলক স্থায়ী। অতএব সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে অর্থের ভ‚মিকা রয়েছে।
প্রশ্ন \ ১১ \ বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে অর্থের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : অর্থ সবার নিকট গ্রহণযোগ্য বলে অর্থের বিনিময়ে লেনদেন সম্পন্ন হয়। বিক্রেতা কোনো দ্রব্যের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করে। আবার ক্রেতাও অর্থের বিনিময়ে দ্রব্যসামগ্রী গ্রহণ করে। এভাবে অর্থের দ্বারা যেকোনো সময় যেকোনো পরিমাণ পণ্য ও সেবা ক্রয়-বিক্রয় করা যায়। ফলে লেনদেন সহজ ও গতিশীল হয়। তাই বলা হয়, অর্থ বিনিময়ে সবচেয়ে সহজ ও সুবিধাজনক মাধ্যম।
প্রশ্ন \ ১২ \ দ্রব্য বিনিময় প্রথা কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মানুষের এক দ্রব্যের পরিবর্তে অন্য দ্রব্য বিনিময় করে অভাব পূরণ করার ব্যবস্থাই হলো দ্রব্য বিনিময় প্রথা বা ইধৎঃবৎ ঝুংঃবস। অর্থ আবিষ্কারের পূর্বে মানুষ দ্রব্য বিনিময় করে অভাব পূরণ করত। গ্রামাঞ্চলে এখনও এক দ্রব্যের বিনিময়ে অন্য দ্রব্য গ্রহণ করার প্রচলন রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা পরিলক্ষিত হয়, যার প্রেক্ষিতে অর্থের উদ্ভব ঘটে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ গ্রামীণ ব্যাংক কেন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে?
উত্তর : গ্রামীণ ভ‚মিহীনদের ভাগ্য উন্নয়ন এবং মহাজনদের দৌরাত্ম্য থেকে তাদেরকে রক্ষার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক আত্মপ্রকাশ করে। দরিদ্র ও ভ‚মিহীনদেরকে গ্রাম্য মহাজনদের দেওয়া সুদের চক্রাকার গণ্ডি থেকে রক্ষা করতে গ্রামীণ ব্যাংক, বিমার জামানতে স্বল্প সুদে ঋণ দান প্রক্রিয়া শুরু করে। এর ফলে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে। অর্থাৎ গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্য পরিবর্তনই গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মূল কারণ।

 

 

Leave a Reply