নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান একাদশ অধ্যায় জীব প্রযুক্তি

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান একাদশ অধ্যায় জীব প্রযুক্তি

পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বংশপরম্পরায় স্থানান্তরের কৌশল : বংশগত ধারা পরিবহনে ক্রোমোজোম, ডিএনএ ও আরএনএ-এর গুরুত্ব অপরিসীম। ক্রোমোজোমের প্রধান উপাদান ডিএনএ। ডিএনএ-ই জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রকৃত ধারক, যাকে জিন বলা হয়। আরএনএ জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করতে ডিএনএ-কে সাহায্য করে। ক্রোমোজোম ডিএনএ ও আরএনএ-কে ধারণ করে বাহক হিসেবে। ক্রোমোজোম ডিএনএ ও আরএনএ-কে সরাসরি বহন করে পিতামাতা থেকে তাদের পরবর্তী বংশধরে নিয়ে যায়। কোষ বিভাজনের মায়োটিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বংশগতির এ ধারা অব্যাহত থাকে।
ডিএনএ : একটি ডিএনএ অণু দ্বিসূত্র বিশিষ্ট লম্বা শৃঙ্খলার পলিনিউক্লিওটাইড। কারণ এটি অনেকগুলো নিউক্লিওটাইড নিয়ে গঠিত। ডিএনএ অণুতে চার ধরনের ক্ষারক থাকে যথা : এডিনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও থাইমিন। এগুলোর মধ্যে এডিনিন থাইমিনের সাথে এবং সাইটোসিন গুয়ানিনের সাথে জোড় বেঁধে সিঁড়ির ধাপগুলো তৈরি করে।
 ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজনীয়তা : সন্তানের পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে, বা কেউ যদি অন্যের সন্তানকে তার নিজের সন্তান হিসেবে দাবি করে, তখন ডিএনএ টেস্ট দ্বারা এ ধরনের বিবাদ বর্তমানে নিষ্পত্তি করা যায়। বর্তমানে অপরাধী শনাক্তে ডিএনএ টেস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
 জেনেটিক বিঘœতার কারণ ও ফলাফল : জেনেটিক বিঘœতা ঘটে যেসব কারণে তা হলো-
১. পয়েন্ট মিউটেশন বা জিনের ভেতর পরিবর্তনের জন্য, ২. ক্রোমোজোম সংখ্যার হ্রাস বা বৃদ্ধির জন্য, ৩. ক্রোমোজোমের কোনো অংশের হ্রাস বা বৃদ্ধির জন্য, ৪. মায়োসিস কোষ বিভাজনের সময় হোমোলগাস ক্রোমোজোমের বিচ্ছিন্নকরণ না ঘটার জন্য।
এসব বিঘœতার ফলে মানুষের বংশগত কতগুলো রোগ হয়। এ রোগগুলো হলোÑ ১. সিকিল সেল রোগ, ২. হানটিংটন’স রোগ, ৩. ডাউন’স সিনড্রোম রোগ, ৪. ক্লিনিফেলটার’স সিনড্রোম রোগ, ৫. টার্নার’স সিনড্রোম রোগ ইত্যাদি।
 জীব প্রযুক্তি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং : জীব প্রযুক্তি বলতে বোঝায় মানবকল্যাণের উদ্দেশ্যে জীবজ প্রতিনিধিদের, যেমন : অণুজীব বা জীবকোষের কোষীয় উপাদানের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার। দই, সিরকা, পাউরুটি, মদ, পনির ইত্যাদি উৎপাদন জীব প্রযুক্তির ফসল। এসব জীব প্রযুক্তিকে পুরনো জীব প্রযুক্তি বলে আখ্যায়িত করা হয়। স¤প্রতি আণবিক জীববিজ্ঞানের গবেষণার দ্বারা জীব প্রযুক্তির যে প্রসার ঘটেছে, তাকে বলা হয় নতুন জীব প্রযুক্তি। বাস্তবিক অর্থে, আধুনিক জীব প্রযুক্তি তিনটি বিষয়ের সমন্বয়। যথা : ১. অণুজীব বিজ্ঞান, ২. টিস্যু কালচার ও ৩. জিন প্রকৌশল। বর্ণিত এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা জীববিজ্ঞানের অত্যাধুনিক এই শাখাটি মানবসভ্যতার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
একটি জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন বহনকারী ডিএনএ খণ্ড পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবে স্থানান্তরের কৌশলকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জিন প্রকৌশল বলে। এই জিন যে কৌশলগুলোর মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয় তাদের একত্রে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ কৌশল বলে। রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ কৌশল অবলম্বন করে একটি ডিএনএ অণুর কাক্সিক্ষত অংশ কেটে আলাদা করে অন্য একটি ডিএনএ অণুতে প্রতিস্থাপনের ফলে যে নতুন ডিএনএ অণুর সৃষ্টি হয়, তাকে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ বলে। রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ তৈরির প্রক্রিয়াকে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ প্রযুক্তি বা জিন ক্লোনিং বলা হয়।
 প্রাণী ও উদ্ভিদে ক্লোনিং : একটি কোষ বা একগুচ্ছ কোষ যখন একটিমাত্র কোষ থেকে উৎপত্তি হয় এবং সেগুলোর প্রকৃতি মাতৃকোষের মতো হয় তখন তাকে ক্লোন বলে। প্রাণী ক্লোনিং উদ্ভব হয় একই প্রাণীর দেহকোষ থেকে সম্পূর্ণ নিউক্লিয়াস বের করে সেই প্রাণীর নিষেককৃত ডিম্বাণুতে ইনজেক্ট করে নিউক্লিয়াস স্থাপন করা হয়। ডিম্বাণুতে দেহকোষের নিউক্লিয়াস স্থাপন করার পূর্বে নিষেককৃত ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াসকে অপসারণ করা হয়। এই ডিম্বাণু থেকে যে প্রাণী সৃষ্টি হয় তা হুবহু তার মাতার মতো হয়। আর উদ্ভিদ ক্লোনিং উদ্ভব ঘটে অযৌন অঙ্গজ জননের দ্বারা। এগুলোর আকৃতি হয় একদম মাতৃজীবের মতো।
 ক্লোনিং-এর সামাজিক প্রভাব : উদ্ভিদ বা প্রাণীর ক্লোনিং নিয়ে তেমন কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু মানুষের ক্লোনিং বিষয়ে এর নৈতিকতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এখন পর্যন্ত মানুষ বা মানবগোষ্ঠীর সফল ক্লোনিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। ক্লোনিং জাত শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ হবে, এমনটি বলা যাচ্ছে না। বরং প্রতিবন্ধী বা বিকলাঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। মানব ক্লোনিং হবে প্রকৃতির ওপর এক বড় ধরনের হস্তক্ষেপ। সাধারণ মানুষের একাংশের মতে, ধর্ম আর বিজ্ঞান এক নয়। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা উচিত।
 জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজির ব্যবহার :
১. এ পদ্ধতিতে উদ্ভিদের বর্ধনশীল অঙ্গসমূহ থেকে অসংখ্য অণুচারা উৎপন্ন হয়। অল্প জায়গায় নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বাণিজ্যিকভাবে লাখ লাখ কাক্সিক্ষত চারা করা সম্ভব হচ্ছে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
২. এর ফলে জিনের গঠন বা বিন্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়ে উন্নত জাতের উদ্ভিদ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে। এভাবে ধান, গম, তেলবীজসহ অনেক শস্যের অধিক ফলনশীল উন্নত জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।
৩. জীব প্রযুক্তি প্রয়োগ করে প্রাণী ও উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদির গঠন, বর্ণ, পুষ্টিগুণ, স্বাদ ইত্যাদির উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে।
৪. জীব প্রযুক্তির দ্বারা শাকসবজি, ফল ও শুঁটকির ক্ষতিকর পতঙ্গ, মশা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক উদ্ভাবন করে পতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
৫. জীব প্রযুক্তির মাধ্যমে সুইডেনের বিজ্ঞানীরা সুপার রাইস বা গোল্ডেন রাইস নামক এক ধরনের ধান উদ্ভাবন করেছেন। এটি ভিটামিন অ সমৃদ্ধ।

অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১. সেক্স ক্রোমোজোমের সংখ্যা কতটি?
ক ১টি  ২টি
গ ২২টি ঘ ৪৪টি
২. ক্রোমোজোমে যে মৌলিক পদার্থ থাকে তা হলোÑ
র. ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম
রর. লৌহ ও ম্যাগনেসিয়াম
ররর. ক্যালসিয়াম ও অ্যালুমিনিয়াম
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ রর ও ররর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর

নিচের চিত্রটি থেকে ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৩. ওপরের চিত্রটি কিসের?
ক উঘঅ খ জঘঅ  ক্রোমোজোম ঘ নিউক্লিওলাস
৪. চিত্রের কোন অংশটি সেন্ট্রোমিয়ার?
ক অ খ ই  ঈ ঘ উ

গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৫.

চিত্রে অ অংশটির নাম নিচের কোনটি?
 ফসফেট খ নাইট্রোজেন গ সালফেট ঘ কার্বনেট
৬.

চিত্রের অ চি‎িহ্নত অংশটির নাম কী?
ক ক্রোমাটিন খ নিউক্লিয়াস
 নিউক্লিওলাস ঘ নিউক্লিওপ্লাজম
৭. মানবদেহের প্রতিটি দেহকোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা কত?
ক ৪০টি খ ৪২টি গ ৪৪টি  ৪৬টি
৮. মানবদেহের রক্তকণিকায় কোন রোগটি পয়েন্ট মিউটেশনের জন্য হয়ে থাকে?
ক হানটিংটন’স রোগ  সিকিলসেল রোগ
গ ডাউন’স সিনড্রোম ঘ টার্নার’স সিনড্রোম
৯. ক্লোনিং কত প্রকার?
ক পাঁচ খ চার  তিন ঘ দুই
১০. পনির তৈরিতে নিচের কোনটি ব্যবহৃত হয়?
ক ভাইরাস খ শৈবাল
 ছত্রাক ঘ মিউকর
১১. ট্রান্সজেনিক টমেটোর বৈশিষ্ট্য কোনটি?
ক করোনারী থ্রম্বোসিস প্রতিরোধ  শর্করার পরিমাণ বেশি
গ এন্টিবডি তৈরিতে সক্ষম ঘ বারোমাসী ফসল
১২. ক্রোমোজোমের প্রধান উপাদান কোনটি?
ক আর.এন.এ  ডি.এন.এ গ জিন ঘ সেন্ট্রোমিয়ার
১৩. কোন সমস্যার কারণে ১০ বছর বয়সের শিশুর চলন শক্তি লোপ পায়?
ক জুভেনাইল গøুকোমা খ অপটিক অ্যাট্রিফি
 মাসকুলার ডিসট্রপি ঘ হোয়াইট ফোরলক
১৪. সন্তানের পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তি হয় কোনটির মাধ্যমে?
ক মূত্র পরীক্ষা  উঘঅ টেস্ট
গ মল পরীক্ষা ঘ বøাড পরীক্ষা
১৫. ক্রোমোজোমে কয় ধরনের প্রোটিন থাকে?
 দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
১৬. পুরুষ দেহের সেক্স ক্রোমোজোম হলো-
র. ঢঢ রর. ণণ
ররর. ঢণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  ররর ঘ র ও রর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৭ ও ১৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বিজ্ঞান শিক্ষক শ্রেণিতে জেনেটিক বিশৃঙ্খলাজনিত কারণে সৃষ্ট রোগসমূহ পড়াতে গিয়ে বললেন যে, পুরুষের সেক্স ক্রোমোজোমের ডিসজাংশনের কারণে একটি রোগ হয়ে থাকে।
১৭. উল্লিখিত রোগটির নাম নিচের কোনটি?
ক হানটিংটন’স রোগ খ টার্নার’স সিনড্রোম
গ ডাউন’স সিনড্রোম  ক্লিনিফেল্টার’স সিনড্রোম
১৮. এই রোগে আক্রান্ত একজন পুরুষ-
র. ঢণ ক্রোমোজোম বিশিষ্ট
রর. ঢঢণ ক্রোমোজোম বিশিষ্ট
ররর. বন্ধ্যা ও কর্কশ কণ্ঠস্বর বিশিষ্ট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের প্রবাহ চিত্র থেকে ১৯ ও ২০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

১৯. প্রবাহ চিত্রটি কিসের?
ক হিউম্যান জিনোম প্রজেক্ট  ফরেনসিক টেস্ট
গ উঘঅ টেস্ট ঘ জিন থেরাপি
২০. অ স্থানে অপরাধীর করা হয়-
র. লালা পরীক্ষা
রর. চুল পরীক্ষা
ররর. রক্ত পরীক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২১ ও ২২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বিজ্ঞানের শিক্ষক কোষ বিভাজন পড়াতে গিয়ে বোর্ডে নিউক্লিয়াসের চিত্রে কিছু লম্বা সরু সুতার মতো অঙ্গাণু আঁকলেন।
২১. উদ্দীপকে চিত্রে অঙ্কিত সরু সুতার মতো অঙ্গাণুগুলোর নাম কী?
ক ডি.এন.এ  ক্রোমোজোম
গ আর.এন.এ ঘ নিউক্লিওটাইড
২২. শিক্ষকের অঙ্কিত সরু সুতার মতো অঙ্গাণুগুলো-
র. লিঙ্গ নির্ধারণ করে
রর. উঘঅ ও জঘঅ ধারণ করে
ররর. কোষ বিভাজনে অংশগ্রহণ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর  র, রর ও ররর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন \ ১ \ ক্রোমোসোম কী?
উত্তর : প্রকৃত কোষ বিশিষ্ট জীবের নিউক্লিয়াসের নিউক্লিওপ্লাজমে অবস্থিত সুতার মতো বস্তুগুলো কোষ বিভাজনের সময় স্পষ্ট হয়ে ক্রোমোসোমে পরিণত হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ জিন কাকে বলে?
উত্তর : জীবের বংশগতির একককে জিন বলে।
প্রশ্ন \ ৩ \ বর্তমানে কোন ক্ষেত্রে প্লাজমিডের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর : বর্তমানে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষণায় এবং ট্রান্সজেনিক জীব সৃষ্টিতে প্লাজমিডের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন \ ৪ \ ক্লোনিং কাকে বলে?
উত্তর : যে পদ্ধতিতে একটি কোষ থেকে একই রকম জিনগত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অনেক কোষ সৃষ্টি করা হয় তাকে ক্লোনিং বলে।
প্রশ্ন \ ৫ \ ক্লোনিং কয় প্রকার।
উত্তর : ক্লোনিং তিন প্রকার।
প্রশ্ন \ ৬ \ ক্লোনিং-এর প্রকারভেদগুলো কী কী?
উত্তর : ক্লোনিং-এর প্রকারভেদগুলো হলো : ১. জিন ক্লোনিং; ২. সেল ক্লোনিং; ৩. জীব ক্লোনিং।
প্রশ্ন \ ৭ \ জীব ক্লোনিং-এর একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর : প্রকৃতিতে উদ্ভিদের ক্ষেত্রে অঙ্গজ জননের ফলে উৎপন্ন উদ্ভিদ একটি ক্লোন। মনোজাইগোটিক যমজ একে অপরের ক্লোন।
প্রশ্ন \ ৮ \ জীব ক্লোনিং-এর জন্য কোন কোষ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : জীব ক্লোনিং-এর জন্য দেহকোষ থেকে নিউক্লিয়াসকে বের করে নিয়ে সেই কোষকে ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ একটি ট্রান্সজেনিক ব্যাকটেরিয়ার উদাহরণ দাও।
উত্তর : রিকম্বিনেন্ট প্লাজমিডকে ট্রান্সফরমেশনের ফলে সৃষ্ট নতুন জিন নিয়ে ঊংপযবৎবঃরধ পড়ষর ব্যাকটেরিয়া একটি ট্রান্সজেনিক ব্যাকটেরিয়া।
প্রশ্ন \ ১০ \ ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ কী?
উত্তর : জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে জিনের স্থানান্তর ঘটিয়ে যেসব উদ্ভিদ সৃষ্টি করা হয় সেগুলোকে ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ বলে।
প্রশ্ন \ ১১ \ ট্রান্সজেনিক প্রাণী কী?
উত্তর : জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে প্রাণিদেহে বহিরাগত জিনের স্থানান্তর ঘটিয়ে যেসব প্রাণী সৃষ্টি করা হয়, সেগুলোকে ট্রান্সজেনিক প্রাণী বলে।
প্রশ্ন \ ১২ \ কোন পদ্ধতির সাহায্যে জিন ক্লোনিং ঘটানো হয়?
উত্তর : জিন ক্লোনিং রিকম্বিন্যান্ট ডিএনএ টেকনোলজির সাহায্যে ঘটানো হয়।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ঝওঞ-এর পূর্ণনাম কী?
উত্তর : ঝওঞ-এর পূর্ণনাম স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক।

 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন \ ১ \ ক্রোমোসোমকে বংশগতির বাহক বলা হয় কেন?
উত্তর : ক্রোমোসোমের প্রধান উপাদান ডিএনএ। ডিএনএ-ই জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রকৃত ধারক, যাকে জিন বলা হয়। ক্রোমোসোমের গায়েই সন্নিবেশিত থাকে অসংখ্য জিন বা বংশগতির একক। ক্রোমোসোম ডিএনএ অর্থাৎ জিনকে ধারণ করে বাহক হিসেবে। ক্রোমোসোম জিনকে সরাসরি বহন করে পিতামাতা থেকে তাদের পরবর্তী বংশধরে নিয়ে যায়। কোষ বিভাজনের মায়োটিক প্রক্রিয়ায় ক্রোমোসোমের মাধ্যমে বংশগতির এ ধারা অব্যাহত থাকে। এ কারণে ক্রোমোসোমকে বংশগতির বাহক এবং ভৌত ভিত্তি বলে আখ্যায়িত করা হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ প্রকৃত কোষের ক্রোমোসোমের রাসায়নিক গঠন কী?
উত্তর : প্রকৃত কোষের ক্রোমোসোমের রাসায়নিক গঠনে দেখা যায় এটি নিউক্লিক এসিড, প্রোটিন ও অন্যান্য উপাদান নিয়ে গঠিত। নিউক্লিক এসিড দুই ধরনের হয়। যথা : ডি অক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) এবং রাইবোনিউক্লিক এসিড (আরএনএ)।
প্রশ্ন \ ৩ \ ক্রোমোসোমের গুরুত্ব উলে­খ কর।
উত্তর : ক্রোমোসোমের গুরুত্বগুলো হলো :
১. ক্রোমোসোম বংশগতির ধারক জিন ধারণ ও বহন করে।
২. ক্রোমোসোম প্রজাতির বংশগত বৈশিষ্ট্যগুলোকে পুরুষাণুক্রমে বহন করে।
৩. কোষ বিভাজনের সময় ক্রোমোসোমের পরিবর্তনের ফলে জিনের বিন্যাসের কারণে প্রকরণ ঘটে এবং অভিব্যক্তির ধারা বজায় রাখে।
৪. জৈব রাসায়নিক ও শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রশ্ন \ ৪ \ ক্লিনিফেলটারস সিনড্রোম বলতে কী বুঝ?
উত্তর : ক্লিনিফেলটারস সিনড্রোম রোগটি পুরুষ মানুষের সেক্স ক্রোমোসোমের ডিসজাংশনের কারণে সৃষ্টি হয়। ফলে পুরুষটির কোষে ঢণ ক্রোমোসোম ছাড়াও অতিরিক্ত আর একটি ঢ ক্রোমোসোম সংযুক্ত হয় এবং পুরুষটি হয় ঢঢণ ক্রোমোসোম বিশিষ্ট। ক্লিনিফেলটারস সিনড্রোম বিশিষ্ট বালকদের মধ্যে একজন স্বাভাবিক পুরুষের যে বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যগুলো থাকা দরকার তা থাকে না। এদের কণ্ঠস্বর খুব কর্কশ হয় এবং স্তনগুলো বড় আকারের হয়। এদের বৃদ্ধি কম এবং বন্ধ্যা হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ নৈতিকতার দিক দিয়ে মানুষের ক্লোনিং করাটা কি ঠিক হবে? উত্তরের স্বপক্ষে ব্যাখ্যাসহ লেখ।
উত্তর : পশুদের ক্লোনিং নিয়ে তেমন কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি তবে এর মধ্যে মানুষের ক্লোনিংয়ের চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এখন এর নৈতিকতা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। নৈতিকতা প্রশ্নগুলোর মধ্যেÑ
প্রথমত, ক্লোনিং হয়ে ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুটি যখন বড় হবে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, ব্যক্তিত্ব ওই ক্লোন হতে চাওয়া ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের মতো হবে, নাকি অন্যরকম হবে। দ্বিতীয়ত, এভাবে ক্লোন হয়ে সৃষ্টি হওয়ায় শিশুটির উপর সামাজিক চাপ প্রবল হবে। ক্লোনিং জাত শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ হবে, এমনতো বলা যাচ্ছেই না বরং উল্টো প্রতিবন্ধী বা বিকলাঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। মানব ক্লোনিং হবে প্রকৃতির ওপর এক বড় ধরনের হস্তক্ষেপ। সাধারণ মানুষের একাংশের মতে, ধর্ম আর বিজ্ঞান এক নয়। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা উচিত।
প্রশ্ন \ ৬ \ জীব প্রযুক্তি প্রয়োগ করে কীভাবে অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়?
উত্তর : জীব প্রযুক্তি প্রয়োগ করে রক্ত, বীর্যরস, মূত্র, অশ্রæ, লালা ইত্যাদির ডিএনএ অথবা অ্যান্টিবডি থেকে ফরেনসিক টেস্ট দ্বারা অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়।

অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন -১ ল্ফ নিচের চিত্রটি দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. জঘঅ এর পুরো নাম লিখ।
খ. উঘঅ টেস্ট কী? বুঝিয়ে লিখ।
গ. আদিকোষের ক্ষেত্রে ওপরের চিত্ররূপটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অ এবং ঈ এর মধ্যে কোনটি লিঙ্গ নির্ধারণে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ কর।
 ১নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. জঘঅ এর পুরো নাম রাইবোনিউক্লিক এসিড (জরনড়হঁপষবরপ ধপরফ)।
খ. উঘঅ টেস্ট হচ্ছে পিতামাতা ও সন্তানের মুখ গহŸর থেকে কটন ‘বার্ড’ এর মতো বিশেষ এক ধরনের ব্যবস্থার দ্বারা মিউকাস পর্দা নেওয়া হয়। গবেষণাগারে মিউকাস পর্দা থেকে পিতামাতা ও সন্তানের ডিএনএ এর একটি চিত্র বা প্রোফাইল প্রস্তুত করা হয় নানা ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার দ্বারা। এরপর সন্তানের ডিএনএ-এর চিত্রের সাথে পিতামাতার ডিএনএ-এর চিত্র মিলানো হয় এবং যদি ৯৯.৯% মিল পাওয়া যায়, তাহলে সে ব্যক্তিকে সেই সন্তানের জৈব পিতামাতা অর্থাৎ প্রকৃত পিতামাতা হিসেবে গণ্য করা হয়।
গ. ওপরের চিত্রটি হলো প্রকৃত কোষের নিউক্লিয়াস।
নিউক্লিয়াসটি নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা আবৃত এবং এর ভেতরে নিউক্লিওপ্লাজম ক্রোমাটিন ফাইবার ও নিউক্লিওলাস বর্তমান। কিন্তু আদিকোষে কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না।
আদি কোষে নিউক্লিয়াস, নিউক্লিয়ার পর্দা, ক্রোমাটিন ফাইবার ও নিউক্লিওলাসবিহীন শুধু নিউক্লিওয়েড নামে একটি বস্তু দেখা যায়। নিউক্লিওয়েড একটি দীর্ঘ প্যাঁচানো উঘঅ দিয়ে গঠিত।
ঘ. অ এবং ঈ এর মধ্যে ঈ লিঙ্গ নির্ধারণে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
চিত্রে অ চিহ্নিত অংশটি নিউক্লিয়াসের নিউক্লিয়ার পর্দা বা ঝিলি­। এর প্রধান কাজ হচ্ছে নিউক্লিয়াসকে রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিওলাস ও ক্রোমোজোমকে সাইটোপ্লাজম থেকে পৃথক করে রাখা। লিঙ্গ নির্ধারণের সঙ্গে এর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
কিন্তু চিত্রে ঈ অংশটি নিউক্লিয়ার জালিকা, যা ক্রোমাটিন ফাইবার দ্বারা গঠিত। কোষ বিভাজনের সময় ক্রোমাটিন ফাইবারের জালিকা ভেঙে যায় এবং ক্রোমোজোমে পরিণত হয়। উচ্চশ্রেণির প্রাণী ও উদ্ভিদ কোষে যতগুলো ক্রোমোজোম থাকে তাদের মধ্যে এক জোড়া ক্রোমোজোম অন্যান্য ক্রোমোজোম থেকে ভিন্নধর্মী। এই এক জোড়া ভিন্নধর্মী ক্রোমোজোম লিঙ্গ নির্ধারণ করে।
সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, চিত্রের ‘ঈ’ অংশটি লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং অ অংশটি লিঙ্গ নির্ধারণে কোনো ভূমিকাই রাখে না।
প্রশ্ন -২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ফারিহা তার আব্বুর সাথে কৃষি খামারে বেড়াতে যায়। সেখানে সে টমেটো, তামাক, ভুট্টা, পেঁপেসহ অনেক প্রজাতির উদ্ভিদ দেখতে পায়, যা বেশ সতেজ ও রোগজীবাণুমুক্ত। কিন্তু বাড়িতে লাগানো উদ্ভিদগুলো রোগাক্রান্ত। সে তার আব্বুর নিকট এর কারণ জানতে চাইলÑ আব্বু বললেন, “খামারের উদ্ভিদে জিন বিনিময় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।”
ক. নিউক্লিয়াস কাকে বলে?
খ. সিকিল সেল রোগ বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে উলি­খিত প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উলি­খিত প্রযুক্তি কৃষির উন্নতি সাধনে কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে? বিশ্লেষণ কর।
 ২নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. প্রকৃত কোষের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত সবচেয়ে গাঢ় অস্বচ্ছ, পর্দাবেষ্টিত গোলাকার সজীব অংশটিকে নিউক্লিয়াস বলে।
খ. পয়েন্ট মিউটেশনের ফলে মানুষের রক্তকণিকায় যে রোগ হয় তাকে সিকিল সেল রোগ বলে।
মানুষের স্বাভাবিক লোহিত রক্তকণিকাগুলোর আকৃতি চ্যাপ্টা। কিন্তু সিকিল সেলের ক্ষেত্রে লোহিত কণিকাগুলোর আকৃতি কতকটা কাস্তের মতো মনে হয়। সিকিল সেলগুলো সূ² রক্তনালিগুলোতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং দেহের সেই স্থানে তীব্র ব্যথা অনুভ‚ত হয়। এছাড়া দেহে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। কারণ, এই রক্তকণিকাগুলো যত দ্রæত ভেঙে যায় তত দ্রæত লোহিত রক্তকণিকা উৎপন্ন হয় না।
গ. উদ্দীপকে উলি­খিত প্রযুক্তিটি হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জিন প্রকৌশল।একটি জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিনের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য বহনকারী ডিএনএ পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবে স্থানান্তরের কৌশলকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। এই জিন যে কৌশলের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয় তাদের একত্রে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ কৌশল বলে। রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ কৌশল অবলম্বন করে একটি ডিএনএ অণুর কাক্সিক্ষত অংশ কেটে আলাদা করে অন্য একটি ডিএনএ অণুতে প্রতিস্থাপনের ফলে যে নতুন ডিএনএ অণুর সৃষ্টি হয়, তাকে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ বলে এবং প্রক্রিয়াটিকে জিন ক্লোনিং বলে। এখানে জিনের বাহক হিসেবে ব্যাকটেরিয়ার প্লাজমিডকে ব্যবহার করা হয়।
অতএব দেখা যাচ্ছে যে, উদ্দীপকে উল্লিখিত রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ প্রযুক্তি কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন করা হয়।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রযুক্তিটি জীব প্রযুক্তি বা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং যা কৃষি উন্নয়নে যেভাবে ব্যবহৃত করা হচ্ছে নিচে সেগুলো আলোচনা করা হলো:
১. টিস্যু কালচার : এ পদ্ধতিতে উদ্ভিদের বর্ধনশীল অঙ্গের ক্ষুদ্র অংশ থেকে অসংখ্য অণুচারা উৎপন্ন করা হয়। অল্প জায়গায় নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বাণিজ্যিকভাবে লাখ লাখ কাক্সিক্ষত চারা করা সম্ভব হচ্ছে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
২. অধিক ফলনশীল উদ্ভিদের জাত সৃষ্টি : কোনো বন্য উদ্ভিদের উৎকৃষ্ট জিন ফসলি উদ্ভিদে প্রতিস্থাপন করে উন্নত জাতের উদ্ভিদ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে। এভাবে ধান, গম, তেলবীজসহ অনেক শস্যের অধিক ফলনশীল উন্নত জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।
৩. গুণগত মান উন্নয়ন : জিন প্রযুক্তি প্রয়োগ করে উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদির গঠন, বর্ণ, পুষ্টিগুণ, স্বাদ ইত্যাদির উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে।
৪. সুপার রাইস সৃষ্টি : জীব প্রযুক্তির মাধ্যমে সুইডেনের বিজ্ঞানী সুপার রাইস বা গোল্ডেন রাইস নামক এক ধরনের ভিটামিন অ সমৃদ্ধ ধান উদ্ভাবন করেছেন।
৫. ভিটামিনসমৃদ্ধ ভুট্টার জাত সৃষ্টি : স¤প্রতি ভিটামিন ‘সি’, বিটা ক্যারোটিন ও ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ভুট্টা উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে ।
৬. স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক : এই পদ্ধতির উদ্ভাবন করে পতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ দ্বারা ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।
৭. ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ : রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ কৌশল প্রয়োগ করে অনেক প্রজাতির ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ উদ্ভাবন করা হয়েছে।
উপরের আলোচনা থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, কৃষি উন্নয়নে উদ্দীপকের প্রযুক্তির অবদান অনস্বীকার্য।

 

Leave a Reply