নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল অধ্যায় ৮ মানব বসতি

অষ্টম অধ্যায়
 মানব বসতি

ছবি সংক্রান্ত তথ্য শিখনফল
 বসতি স্থাপনের নিয়ামকসমূহ ব্যাখ্যা করতে পারবে।
 বসতির ধরন বর্ণনা করতে পারবে।
 গ্রামীণ বসতির ধরন ও বিন্যাস বর্ণনা করতে পারবে।
 নগরায়ণ ও নগরের শ্রেণিবিভাগ ব্যাখ্যা করতে পারবে।
 নগরায়ণের প্রভাব ব্যাখ্যা করতে পারবে।
 অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে সৃষ্ট সমস্যা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
 বসতি স্থাপনের নিয়ামক : বসতি স্থাপনের পেছনে নানাবিধ প্রাকৃতিক ও সামাজিক কারণ কাজ করে। যেমন : ১. ভ‚প্রকৃতি, ২. পানীয় জলের সহজলভ্যতা, ৩. মাটি, ৪. প্রতিরক্ষা, ৫. পশুচারণ, ৬. যোগাযোগ ইত্যাদি।
 গ্রামীণ বসতি : গ্রামীণ বসতি অঞ্চলের জনগণ প্রধানত কৃষি পেশায় নিয়োজিত থাকে। গ্রামীণ জনপদের জীবনযাত্রার মান শহরের মানুষের চেয়ে অনুন্নত। গ্রামীণ জনপদের রাস্তাগুলো সোজা না হয়ে আঁকা-বাঁকা ও অনুন্নত হয়। জনপদগুলো বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত ও গোষ্ঠীবদ্ধ হতে পারে। গ্রামীণ জনপদের মানুষ সহজ, সরল ও আন্তরিক হয়ে থাকে।
 নগর বসতি : যে বসতি অঞ্চলের জনগণ কৃষিপেশায় নিয়োজিত না থেকে অকৃষিকার্য যেমন : ব্যবসা-বাণিজ্য, পরিবহন, অধিবাসীদের উৎপাদিত দ্রব্যাদির শিল্পজাতকরণ, শিল্প ও শ্রমভিত্তিক ও প্রশাসনিক পেশায় নিয়োজিত থাকে, তাকে নগর বসতি বলে। নগরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, নার্সিংহোম, আমোদ-প্রমোদের জন্য বহুপ্রকার সংস্থা, পার্ক ইত্যাদি থাকে।
 গোষ্ঠীবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ বসতি : কোনো নির্দিষ্ট স্থানে একত্রে বেশ কয়েকটি পরিবার বহু বাড়িঘর নিয়ে যে বসতি গড়ে তোলে তাকে গোষ্ঠীবদ্ধ বসতি বলে।
 বিক্ষিপ্ত বসতি : এ ধরনের বসতিতে একটি পরিবার অন্যান্য পরিবার থেকে ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় বসবাস করে। পৃথিবীর অধিকাংশ বিক্ষিপ্ত বসতি বন্ধুর ভ‚প্রাকৃতিক অঞ্চলে গড়ে উঠেছে।
 রৈখিক বসতি : নদী তীরবর্তী উঁচু স্থান, খালের কিনারা এবং রাস্তার পাশে যে বসতিগুলো গড়ে ওঠে তাকে রৈখিক বসতি বলে। এই ধরনের বসতিতে বাড়িগুলো একই সরলরেখায় গড়ে ওঠে।
 নগরায়ণ ও নগরসভ্যতা : অনেকের মতে নগরায়ণ বিকাশের ধারাক্রম হচ্ছে সংগ্রহ ও শিকার, কৃষি এবং নগরায়ণ। নগরের উৎপত্তি লগ্নে অর্থনৈতিক কারণগুলোই প্রাধান্য পায়। নীলনদের অববাহিকায় মেমফিস, থেবস, সিন্ধু অববাহিকায় মহেঞ্জদাড়ো, হরাপ্পা প্রভৃতিতে নগরের উৎপত্তি ঘটে। এগুলো নগর সভ্যতার সূতিকাগার।
 নগরের শ্রেণিবিভাগ : বিভিন্ন শহর ও নগরের মধ্যে সাদৃশ্যের চেয়ে বৈসাদৃশ্যই বেশি চোখে পড়ে। এর মধ্যে আয়তন, গঠন, জনসমষ্টির বৈশিষ্ট্য, ক্রিয়াকলাপ ইত্যাদিতে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। ক্রিয়াকলাপের প্রকৃতি ভেদে নগর বসতিগুলোকে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়, যথা : ১. সামরিক ক্রিয়াকলাপ ভিত্তিক নগর, ২. প্রশাসনিক নগর, ৩. শিল্পভিত্তিক নগর, ৪. বাণিজ্যভিত্তিক নগর, ৫. সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপ ভিত্তিক নগর, ৬. স্বাস্থ্য নিবাস ও বিনোদনের কেন্দ্র ইত্যাদি।
 নগরায়ণের প্রভাব : নগরায়ণ ও নগর কাঠামো গড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় কিছু প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। যেমন : ১. জনসংখ্যার আকার ও ঘনত্ব, ২. বসত-বাড়ির ধরন, ৩. যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা, ৪. পরিবার, ৫. চালচলন, ৬. খাদ্যাভ্যাস ও পোশাক পরিচ্ছদ, ৭. অর্থনীতি, ৮. সেবা সুবিধা, ৯. শিক্ষা ও চিকিৎসা, ১০. বিনোদন ব্যবস্থা, ১১. অপরাধ বৃত্তি, ১২. রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ইত্যাদি।
 অপরিকল্পিত নগরায়ণে সৃষ্ট সমস্যা : বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ শহরে বসবাস করে। তুলনামূলকভাবে যদিও শহরবাসীর সংখ্যা বাংলাদেশে কম। কিন্তু বর্তমান সময়ে এ হার দিন দিন বাড়ছেই। অপরিকল্পিত নগরায়ণের সাথে সাথে প্রত্যক্ষ পরিবেশগত সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষি জমি কমে যাওয়া, খাবার পানি ও উপযুক্ত পয়ঃনিষ্কাশনের সংকট, বর্জ্য অপসারণ সমস্যা, পরিবহন ও যানজট সংকট, বাসস্থানের অভাব ও বস্তির সৃষ্টি, পানি, বায়ু, মাটি ও শব্দ দূষণ, খোলা জায়গা ও বিনোদন ব্যবস্থার অভাব ইত্যাদি।

 

 বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 
১. মধুপুর বনে কোন ধরনের বসতি গড়ে উঠেছে?
ক পুঞ্জীভ‚ত  বিক্ষিপ্ত
গ সংঘবদ্ধ ঘ রৈখিক
২. পরিবেশের সঙ্গে মানুষের অভিযোজনের প্রথম পদক্ষেপ কোনটি?
 বসতি স্থাপন খ পরিবার গঠন
গ পেশা নির্বাচন ঘ শিক্ষা গ্রহণ
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
সাদিয়া এমন একটি জায়গায় বসবাস করে যেখান থেকে সহজেই বাংলাদেশের সব জায়গায় যাতায়াত করা যায়। বর্তমানে এলাকাটিতে রৈখিক বসতি গড়ে উঠেছে। ফলে এখানে প্রশস্ত সড়ক, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও পয়ঃপ্রণালির ব্যবস্থা আছে।
৩. সাদিয়ার এলাকাটির প্রকৃতি কিরূপ?
ক পাহাড়ি  সমভ‚মি
গ নদীর তীর ঘ বনাঞ্চল
৪. সাদিয়ার এলাকায় কোন পর্যায়ের সুবিধা রয়েছে?
র. নাগরিক সুবিধা
রর. শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সুবিধা
ররর. কর্মকাণ্ডের সুবিধা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও র খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন- ১  নগরের শ্রেণিবিভাগ

বাদল ও শুভ দুজনেই শহরে বাস করে। তবে শুভর শহরটি একটি প্রশাসনিক শহর। অন্যদিকে বাদল যে শহরে বাস করে সেটি আগে গ্রাম হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু কয়েক বছর আগে সেখানে একটি ইপিজেড প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তা এখন শহর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
ক. কোন সভ্যতায় নগরায়ণের প্রসার ঘটে?
খ. মাটি কীভাবে বসতি স্থাপনে সহায়তা করে?
গ. বাদলের শহরটি গড়ে ওঠার পিছনে ইপিজেড-এর ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শুভর শহরটি বাদলের শহর থেকে ভিন্ন প্রকৃতির-যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।

ক নীল নদের অববাহিকায় মেম্ফিস, থেবস (৩০০০ খ্রিষ্টপূর্ব), সিন্ধু অববাহিকায় মহেঞ্জদাড়ো, হরাপ্পা (২৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব) সভ্যতায় নগরায়ণের প্রসার ঘটে।
খ বসতি গড়ে ওঠার পেছনে মাটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। মাটির উর্বরা শক্তির ওপর নির্ভর করে বসতি স্থাপিত হয়। উর্বর মাটিতে পুঞ্জীভ‚ত জনবসতি গড়ে ওঠে, কিন্তু মাটি অনুর্বর হলে বিক্ষিপ্ত জনবসতি গড়ে ওঠে। মাটির প্রভাবে জার্মানি, পোল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন প্রভৃতি দেশে বিক্ষিপ্ত জনবসতি সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উর্বরা জমিতে পুঞ্জীভ‚ত জনবসতি গড়ে উঠেছে।
গ বাদল যে শহরে এখন বসবাস করছে সেটি আগে গ্রাম ছিল। ইপিজেড প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ফলে এখন স্থানটি শহরে পরিণত হয়েছে। বস্তুত নগর গড়ে উঠার ক্ষেত্রে শিল্পভিত্তিক ক্রিয়াকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। ইপিজেড প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখানে জনবসতি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ইপিজেডকে কেন্দ্র করে রাস্তাঘাট, দোকানপাট ইত্যাদি নানারকম অবকাঠামো গড়ে ওঠে। দূর-দূরান্তের মানুষ ইপিজেডে কাজ করার ফলে এখানে নানা ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়। গ্রামের বহু কৃষি জমি ইপিজেডের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এখানকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ভিন্নরূপ ধারণ করেছে। বহু মানুষের কর্মক্ষেত্র এই ইপিজেডকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হওয়ায় মানুষ কৃষিজমি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করতে শুরু করে। ইপিজেডের গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকার কারণে বাদলের গ্রামটি এখন শহরে পরিণত হয়েছে।
ঘ শুভর শহরটি একটি প্রশাসনিক শহর। অন্যদিকে বাদলের শহরটি ইপিজেডের কল্যাণে গ্রাম থেকে শহরে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে বাদলের শহরটি একটি শিল্পভিত্তিক শহর। শুভর শহরটিতে বিভিন্ন অফিস, আদালত, হাসপাতাল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদি গড়ে উঠেছে। প্রশাসনিক শহর হিসেবে শুভর বাস করা শহরে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। এছাড়া সারাবছর ধরেই বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো নানা ধরনের সাংস্কৃতিক ও লোক ঐতিহ্যের মেলার আয়োজন করে থাকে। শহরবাসীর জন্য নানা রকমের চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। অন্যদিকে বাদলের শহরের কর্মকাণ্ড শুভর শহরের থেকে ভিন্নতর। বাদলের শহরটি একটি নতুন জেগে ওঠা শিল্পভিত্তিক শহর। এখানে মানুষের কর্মকাণ্ড শিল্পভিত্তিক। চিত্তবিনোদনের তেমন ব্যবস্থা নেই। তাই শুভর শহরটি বাদলের শহর থেকে ভিন্ন প্রকৃতির।

প্রশ্ন- ২  বসতির ধরন ও বিন্যাস

ক. গ্রামীণ বসতি কাকে বলে?
খ. বসতি কীভাবে গড়ে ওঠে?
গ. ১ নম্বর চিত্রে বসতি গড়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ২ নম্বর চিত্রের বসতির গঠন প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ কর।

ক যে বসতির সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী জীবিকা অর্জনের জন্য প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষত কৃষির ওপর নির্ভরশীল সেই বসতিকে সাধারণভাবে গ্রামীণ বসতি বলে।
খ পরিবেশের সাথে মানুষের অভিযোজনের প্রথম পদক্ষেপ হলো বসতি স্থাপন। মানুষ প্রাকৃতিক অনুক‚ল অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে আত্মরক্ষা বা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বসতি গড়ে তোলে। প্রকৃতিগত সুবিধা, পানীয় জলের সহজলভ্যতা, মাটির উর্বরা শক্তি, পশুচারণ, যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে বসতি গড়ে ওঠে।
গ ১ নম্বর চিত্রের বসতি গড়ে ওঠার মূল কারণ হলো প্রাকৃতিক। তবে এর সাথে কিছু সামাজিক কারণও জড়িত রয়েছে। ১নং চিত্রের বসতিতে বাড়িগুলো একই সরলরেখায় গড়ে ওঠে। নদীর প্রাকৃতিক বাঁধ, খালের বা রাস্তার কিনারা প্রভৃতি স্থানে এই ধরনের বসতি গড়ে ওঠে। এ ধরনের বসতিগুলোর মধ্যে কিছুটা ফাঁকা থাকে। এই ফাঁকা স্থানটুকু ব্যবহৃত হয় খামার হিসেবে। বন্যামুক্ত সমস্ত উচ্চভ‚মি এই ধরনের বসতির জন্য সুবিধাজনক। তবে ধরনটি সবসময় সোজা হয় না। যা উপরিউক্ত চিত্রে দেখা যায়। ১নং চিত্রের রৈখিক ধরনের বসতির উদাহরণ হলো অপরিণত বদ্বীপ অঞ্চল, পরিণত বদ্বীপের নিম্নাঞ্চল এবং সক্রিয় বদ্বীপ অঞ্চল। এ ধরনের বসতি ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা অথবা যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বেশ সুবিধাজনক। এ ধরনের বসতি বাংলাদেশের মহানন্দা, তিস্তা, যমুনা, গঙ্গা ও মেঘনা নদীর বরাবর সমভ‚মি অঞ্চল, নদী অববাহিকা ও হাওর এলাকায় দেখা যায়।
ঘ ২ নম্বর চিত্রে একাধিক রাস্তার সংযোগস্থলে বর্ধিষ্ণু বসতি কালক্রমে শহর বা নগরে রূপান্তরিত হয়েছে। এই ধরনের বসতি গোষ্ঠীবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ বসতি। এই ধরনের বসতিতে কোনো একস্থানে বেশ কয়েকটি পরিবার একত্রিত হয়ে বসবাস করে। এই ধরনের বসতি আয়তনে ছোট গ্রাম হতে পারে, আবার পৌরও হতে পারে। এই ধরনের বসতির যে লক্ষণ চোখে পড়ে তাহলো এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ির দূরত্ব কম ও বাসগৃহের একত্রে সমাবেশ। সামাজিক বন্ধন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্যই বাসগৃহগুলো পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। যদি স্থানটি অর্থনৈতিক দিক দিয়ে উন্নত হয়, তবে সেখানে আরও বসতি ও রাস্তা গড়ে ওঠে। সমাজবদ্ধ জীব হিসেবে মানুষ তার নিজস্ব প্রয়োজনে এবং নিরাপত্তার জন্য এভাবে একত্রে বসবাস করতে চায়। সুতরাং, ২নং চিত্রে চৌরাস্তার সংযোগস্থলে বর্ধিষ্ণু বসতিটি গঠনপ্রক্রিয়ায় গোষ্ঠীবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ বসতি।

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. বৃষ্টির সময় ঢাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এর কারণ [স. বো.’১৬]
ক ভ‚মিকম্প খ অপরিকল্পিত নগরায়ণ
গ ভৌগোলিক অবস্থান ঘ নদীর গভীরতা হ্রাস
২. পরিবেশের সঙ্গে মানুষের অভিযোজনের প্রথম পদক্ষেপ কোনটি? [স. বো.’১৬]
ক বসতি স্থাপন খ পরিবার গঠন
গ পেশা নির্বাচন ঘ শিক্ষা গ্রহণ
৩. কোনটি প্রশাসনিক নগর নয়? [স. বো.’১৬]
ক ঢাকা খ নয়াদিল্লি
গ চট্টগ্রাম ঘ ক্যানবেরা
৫. গ্রাম্য বসতি কোনটির উপর নির্ভরশীল? [স. বা. ’১৫]
ক ব্যবসা খ শিল্প
 কৃষি ঘ পেশাজীবী
৬. মানুষ বসতি গড়ে তোলে কেন? [ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
ক খাদ্য উৎপাদনের জন্য
খ শিল্প কারখানা গড়ে তোলার জন্য
 প্রতিক‚ল পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য
ঘ পশুপালনের জন্য
৭. কী কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের বসতি গড়ে উঠেছে?
[অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক অর্থনৈতিক খ রাজনৈতিক
 প্রাকৃতিক ঘ বনভ‚মির সান্নিধ্য
৮. জনবসতি গড়ে ওঠার পেছনে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে নিচের কোন নিয়ামক? [গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আন্তঃ উচ্চ বিদ্যালয়]
ক প্রতিরক্ষা খ পশুচারণ  ভ‚প্রকৃতি ঘ মাটি
৯. প্রাচীনকালে পুঞ্জীভ‚ত বসতি স্থাপনে নিচের কোন নিয়ামকটি প্রভাব বিস্তার করে? [খিলগাঁও গার্লস স্কুল এনড কলেজ, ঢাকা]
 প্রতিরক্ষা খ ভ‚প্রকৃতি
গ পানীয় জল ঘ মাটি
১০. গ্রামীণ বসতি বিক্ষিপ্ত, বিচ্ছিন্ন বা গোষ্ঠীবদ্ধÑ কারণ কী?
[ভিকারুণ নিসা নূন স্কুল ও কলেজ, ঢাকা]
ক প্রচুর লোক থাকে খ কৃষির উপর নির্ভরশীলতা
 জমির প্রাচুর্যতা ঘ দোচালা ও চৌচালা বসতি থাকে
১১. গ্রাম প্রধানত কী ধরনের অঞ্চল হিসেবে পরিচিত?
[ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল ও কলেজ, কুমিল্লা]
ক ভোক্তা খ মধ্যস্বত্বভোগীদের
 খাদ্য উৎপাদক ঘ সেবা প্রদানকারী
১২. বিক্ষিপ্ত জনবসতি কোন ধরনের ভ‚প্রাকৃতিক অঞ্চলে গড়ে ওঠে?
[জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক সমতল  পার্বত্য
গ শীতপ্রধান ঘ গ্রীষ্মপ্রধান
১৩. প্রাচীনকালে কোন নগর সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ছিল?
[নৌ বাহিনী স্কুল ও কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক লন্ডন খ আলেকজান্দ্রিয়া
 রোম ঘ ব্যাবিলন
১৪. সামরিক ক্রিয়াকলাপভিত্তিক নগর কোনটি?
[চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আন্তঃ বিদ্যালয়]
ক অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা খ যুক্তরাজ্যের নিউ ক্যাসল
 ফ্রান্সের লা-হাভার ঘ রাশিয়ার ডোনেৎস
১৫. বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে কোন নগর গড়ে উঠেছে?
[গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আন্তঃউচ্চ বিদ্যালয়]
ক ভারতের কলকাতা ও বাংলাদেশের ঢাকা
খ সৌদি আরবের মক্কা ও ইতালির রোম
গ রাশিয়ার পিটার্সবার্গ ও জাপানের টোকিও
 ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও ইতালির পিসা
১৬. চালচলনে গতিময়তা খুব প্রবল
[ব্রা‏‏‏‏‏হ্মণন্দী মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নরসিংদী]
ক গ্রামীণ জীবনে খ পারিবারিক জীবনে
 শহর জীবনে ঘ চাকরি ক্ষেত্রে
১৭. গ্রামের মানুষের সামাজিক অবস্থা কী দ্বারা নির্ধারিত হয়?
[ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
 জন্ম সূত্রে খ আয়ের পার্থক্যে
গ লেখাপড়ায় ঘ জমির দ্বারা
১৮. বিশ্বের জনসংখ্যার কত শতাংশ শহরে বাস করে?
[কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক ২০ খ ৩০
 ৪০ ঘ ৫০
১৯. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী একজন মানুষের গড়ে দৈনিক কত গ্যালন পানি প্রয়োজন? [লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর]
ক ৩ খ ৫
 ৭ ঘ ৯
২০. বসতি স্থাপনের নিয়ামক [ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ]
র. ভ‚প্রকৃতি
রর. পানীয় জলের সহজলভ্যতা
ররর. বনাঞ্চল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর
 র ও রর ঘ র, রর ও ররর
২১. অপরিকল্পিত নগরায়ণের প্রভাবÑ [আজিমপুর গভঃ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
র. যানজট
রর. পরিবেশ দূষণ
ররর. বিনোদন ব্যবস্থার অভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
 ভ‚মিকা  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ০০
১.

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২২. বরফের ঘরে কারা বাস করে? (জ্ঞান)
ক নিগ্রোরা খ শ্বেতাঙ্গরা  এস্কিমোরা ঘ আদিবাসীরা
২৩. অট্টালিকা তৈরি হয় কী ধরনের বসতিতে? (জ্ঞান)
 শহুরে খ গ্রামীণ গ বিচ্ছিন্ন ঘ ঘন
২৪. বসতিতে মানুষের বসবাসের প্রকৃতি কীরূপ? (উচ্চতর দক্ষতা)
 স্থায়ী খ সুখী গ সামাজিক ঘ রাজনৈতিক
২৫. প্রকৃতির সঙ্গে নিজেকে উপযোগী করে চলার প্রথম অবস্থা কোনটি?
(অনুধাবন)
ক কৃষি  বসতি গ বাণিজ্য ঘ চাকা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৬. জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বসতি বৃদ্ধি ঘটে –
র. শহরে
রর. গ্রামে
ররর. পৈতৃক জমিতে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 বসতি স্থাপনের নিয়ামক ও বসতির ধরন  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১১১
¡ কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানে মানুষ একত্রিত হয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করলে তাকে- মানববসতি বলে।
¡ পরিবেশের সাথে মানুষের অভিযোজনের প্রথম অভিক্ষেপ হলো- বসতি।
¡ জনবসতি গড়ে উঠার পেছনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে- ভ‚পৃকৃতি।
¡ পানীয় জলের প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে- আর্দ্র অঞ্চলের বসতি।
¡ মানুষ পুঞ্জিভ‚ত বসতি স্থাপন করে- প্রতিরক্ষা সুবিধার জন্য।
¡ গ্রামীণ বসতি প্রাথমিক উৎপাদন অর্থাৎ কৃষির উপর নির্ভরশীল।
¡ গ্রাম প্রধানত খাদ্য উৎপাদক অঞ্চল বলে- পথঘাটের প্রাধান্য কম থাকে।
¡ গ্রামীণ বসতি- বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত ও গোষ্ঠীবদ্ধ হতে পারে।
¡ ঘরবাড়ির কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য, নির্মাণ উপকরণ, বাড়ির নকশা দেখে- গ্রামীণ বসতি সহজে চেনা যায়।
¡ যে বসতি অঞ্চলে অধিকাংশ অধিবাসী বিভিন্ন অকৃষিকার্য সম্পদন করে তাকে বলে- নগর বসতি।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৭. একটি নির্দিষ্ট স্থানে মানুষের একত্রিত হয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
 মানব বসতি খ নির্দিষ্ট ভ‚খণ্ড
গ অভিবাসন ঘ বাসস্থান
২৮. প্রকৃতির সঙ্গে একজন ব্যক্তির নিজেকে উপযোগী করে চলার প্রথম অবস্থাকে কী বলা যায়? (জ্ঞান)
ক গ্রামীণ বসতি  মানব বসতি
গ নগর বসতি ঘ প্রাকৃতিক পরিবেশ
২৯. মেরুদেশীয় জলবায়ু অঞ্চলের বরফের ঘরে কাদের বসতি গড়ে উঠেছে? (অনুধাবন)
ক নরডিক খ মেস্ট্রিজ গ বেদুইন  এস্কিমো
৩০. কোন বসতি অঞ্চলে কৃষিকাজ সহজে করা যায়? (অনুধাবন)
 সমতল ভ‚মিতে খ উপক‚লীয় ভ‚মিতে
গ পার্বত্য ভ‚মিতে ঘ মালভ‚মিতে
৩১. কৃষিজমির কাছে জনবসতি গড়ে ওঠার কারণ কী? (অনুধাবন)
ক সমতল ভ‚মি খ উৎপাদনে সুবিধা
 যাতায়াতে সুবিধা ঘ পানিপ্রাপ্তির সহজলভ্যতা
৩২. বাংলাদেশের এ অঞ্চলে বসতির ঘনত্ব সমতল ভ‚মির তুলনায় কম। অঞ্চলটি কোথায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক রাজশাহীতে খ খুলনায়
গ ঢাকায়  পার্বত্য চট্টগ্রামে
৩৩. বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসতির ঘনত্ব সমতল ভ‚মির তুলনায় কম কেন? (অনুধাবন)
ক অনুর্বর ভ‚মির জন্য  যাতায়াতের অসুবিধার জন্য
গ পানীয় জলের অপ্রাপ্যতার জন্য ঘ সামাজিক ভিন্নতার জন্য
৩৪. নিচের কোন এলাকায় বসতি ঘন? (অনুধাবন)
ক মরুময় খ পশুচারণ  সমতল ঘ উপক‚লবর্তী
৩৫. জীবনধারণের জন্য মানুষের প্রথম ও প্রধান চাহিদা কী? (জ্ঞান)
ক বিশুদ্ধ বায়ু খ অর্থ  বিশুদ্ধ পানীয় জল ঘ জমি
৩৬. মরুময় অঞ্চলে ঝরনা বা ক‚পের ধারে মানুষ কীভাবে বসতি স্থাপন করে? (অনুধাবন)
ক পুঞ্জীভ‚ত হয়ে খ বিক্ষিপ্তভাবে
 সংঘবদ্ধ হয়ে ঘ ছড়িয়ে ছিটিয়ে
৩৭. পানীয় জলের প্রাপ্যতার ওপর গড়ে ওঠা বসতিকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক পানি সমৃদ্ধ অঞ্চলের বসতি খ বৃষ্টিবহুল অঞ্চলের বসতি
গ উর্বর অঞ্চলের বসতি  আর্দ্র অঞ্চলের বসতি
৩৮. সাধারণত ছড়ানো বসতি দেখা যায় কোন এলাকায়? (অনুধাবন)
ক নদীর ধারে খ রাস্তার ধারে
 পশুচারণ এলাকায় ঘ কৃষি এলাকায়
৩৯. কী কারণে নদী তীরবর্তী স্থানে পুঞ্জীভ‚ত বসতি গড়ে ওঠে? (অনুধাবন)
ক যাতায়াত খ পানীয় জলের সহজলভ্যতা
 নৌ-চলাচলের সুবিধা ঘ ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা
৪০. ভালো যোগাযোগ সুবিধার জন্য মিসরের আলেকজান্দ্রিয়ায় কোন নগরের উৎপত্তি হয়েছে? (জ্ঞান)
ক তাসখন্দ খ বুখা গ প্যালেস্টাইন  সমরকন্দ
৪১. কোন বসতির অধিবাসীরা সাধারণত প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকে? (জ্ঞান)
ক নগর  গ্রামীণ গ সংঘবদ্ধ ঘ বিক্ষিপ্ত
৪২. গ্রামীণ বসতি কেমন হতে পারে? (অনুধাবন)
ক বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত খ বিচ্ছিন্ন ও গোষ্ঠীবদ্ধ
গ বিক্ষিপ্ত ও গোষ্ঠীবদ্ধ  বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত ও গোষ্ঠীবদ্ধ
৪৩. গোলাবাড়ি, গোয়ালবাড়ি, উঠান এসব দৃশ্য কোন ধরনের বসতিতে দেখা যায়? (অনুধাবন)
ক নগর খ শহরাঞ্চলের  গ্রামীণ ঘ রৈখিক
৪৪. গ্রামীণ বসতি প্রাথমিক উৎপাদন ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল। এর উদাহরণ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মুদির দোকান দেওয়া খ কাঁচা সড়ক পথ
 গবাদি পশু পালন ঘ কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠা
৪৫. যে বসতি অঞ্চলে অধিকাংশ অধিবাসী অকৃষিকাজ সংক্রান্ত পেশায় নিয়োজিত থাকে, তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
 নগর বসতি খ গ্রামীণ বসতি
গ বিচ্ছিন্ন বসতি ঘ বিক্ষিপ্ত বসতি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৬. প্রাচীনকালে মানুষ পুঞ্জীভ‚ত বসতি স্থাপন করে  (উচ্চতর দক্ষতা)
র. প্রতিরক্ষা সুবিধার জন্য
রর. বহিরাগত শত্রæর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য
ররর. বন্যজন্তুর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৪৭. পুঞ্জীভ‚ত বসতি গড়ে ওঠে (অনুধাবন)
র. উর্বর মাটি এলাকায়
রর. সমতল ভ‚মিতে
ররর. নদী তীরবর্তী অঞ্চলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৪৮. বিক্ষিপ্ত জনবসতি গড়ে ওঠে (অনুধাবন)
র. অনুর্বর ভ‚মিতে
রর. পশুচারণ এলাকায়
ররর. নদী তীরবর্তী অঞ্চলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৯. বিক্ষিপ্ত জনবসতির সৃষ্টি হয়েছে (অনুধাবন)
র. ইরাক ও ইরানে
রর. জার্মানি ও পোল্যান্ডে
ররর. নরওয়ে ও সুইডেনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫০. গ্রামীণ বসতি ও নগর বসতির মধ্যে পার্থক্য থাকে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ঘরবাড়ির কাঠামোগত বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে
রর. বাড়ির নকশা ও নির্মাণ উপকরণে
ররর. যাতায়াত ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চিত্রটি দেখে ৩৫ ও ৩৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৫১. চিত্রটি কোন ধরনের বসতি নির্দেশ করছে? (প্রয়োগ)
ক নগর  গ্রামীণ গ বিচ্ছিন্ন ঘ জনাকীর্ণ
৫২. চিত্রের বসতি অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শোবার ঘর, রান্নাঘর, গোয়ালঘর আলাদাভাবে গড়ে ওঠে
রর. প্রধানত খাদ্য উৎপাদক অঞ্চল
ররর. বসতি বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত ও গোষ্ঠীবদ্ধ হতে পারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের চিত্রটি দেখে ৩৭ ও ৩৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৫৩. চিত্রের বসতিটি কোন ধরনের? (প্রয়োগ)
ক গ্রামীণ খ বিচ্ছিন্ন  নগর ঘ গোষ্ঠীবদ্ধ
৫৪. চিত্রের বসতি অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অকৃষিকাজ জাতীয় পেশার প্রাধান্য বেশি
রর. অনেক লোক বস্তিতে থাকে
ররর. খোলামেলা জায়গায় বাড়ি তৈরি হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 গ্রামীণ বসতির ধরন ও বিন্যাস  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১১২
¡ গ্রামীণ বসতিকে তিনভাগে ভাগ করা যায় যথা- সংঘবসতি বসতিম বিক্ষিপ্ত বসতি ও রৈখিক বসতি।
¡ গোষ্ঠীবদ্ধ বসতি -ভ‚প্রকৃতি, উর্বর মাটি ও জলের উৎসের ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে।
¡ কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রের খামার বসতি ও অস্ট্রেলিয়ার মেষপালন কেন্দ্র- বিচ্ছিন্ন বসতি।
¡ সমাজবদ্ধ মানুষ তার নিজের প্রয়োজনে একত্রে বসবাস করতে চায়।
¡ বিক্ষিপ্ত বসতি গড়ে ওঠার পেছনে- প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক কারণ কাজ করে।
¡ নদীর প্রাকৃতিক বাঁধ, নদীর কিনারা, রাস্তার কিনারা প্রভৃতি স্থানে- রৈখিক বসতি গড়ে ওঠে।
¡ বন্যামুক্ত উচ্চভ‚মি-রৈখিক বসতির জন্য সুবিধাজনক।
¡ গ্রামীণ বসতিতে উঠানের চারপাশ ঘিরে- শোবার ঘর, রান্নার ঘর, গোয়াল ঘর থাকে।
¡ আরামদায়ক এবং প্রাকৃতিক বায়ুপ্রবাহের সহজ প্রবেশই- আলাদাভাবে বসতি গড়ে ওঠার প্রধান কারণ।
¡ বীজতলা তৈরি, চারা রোপন, ফসল কাটার জন্য সহযোগিতার প্রয়োজন থেকে- গ্রামবাসীদের মধ্যে সহজ সরল আন্তরিকতা দেখা যায়।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৫. কোন ধরনের বসতি অঞ্চলে বেশ কয়েকটি পরিবার একত্রিত হয়ে বসবাস করে? (জ্ঞান)
ক বিক্ষিপ্ত খ বিচ্ছিন্ন  সংঘবদ্ধ ঘ রৈখিক
৫৬. গোষ্ঠীবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ বসতির বৈশিষ্ট্য কোনটি? (অনুধাবন)
 অনেক বাসগৃহের একত্রে সমাবেশ
খ দুটি বাসগৃহের মধ্যে অনেক দূরত্বে
গ ক্ষয়িত ভ‚মিভাগ
ঘ বন্যামুক্ত উচ্চভ‚মি
৫৭. গোষ্ঠীবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ বসতির বাসগৃহের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে কিসের ভিত্তিতে? (অনুধাবন)
 সামাজিক বন্ধন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড
খ পানীয় জলের সহজলভ্যতা
গ যোগাযোগ ব্যবস্থা
ঘ জীবিকা অর্জনের কাঠামো
৫৮. গ্রামবাসীদের মধ্যে আন্তরিকপূর্ণ আচরণ দেখা যায় কেন? (অনুধাবন)
ক বসতির বিস্তার একটু দূরে থাকে বলে
 বিভিন্ন কাজে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজন হয় বলে
গ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন দৃঢ় বলে
ঘ শিক্ষা-দীক্ষায় অনগ্রসর বলে
৫৯. একাধিক রাস্তার সংযোগস্থলের বর্ধিষ্ণু বসতি কালক্রমে কিসে রূপান্তরিত হয়? (অনুধাবন)
ক বস্তিতে  শহর বা নগরে
গ ক্ষয়িষ্ণু নগরে ঘ বিক্ষিপ্ত বসতিতে
৬০. মানুষ একত্রে বসবাস করতে চায় কী জন্য? (অনুধাবন)
ক নিরাপত্তা খ পরিবার গঠন
 সমাজবদ্ধতা ঘ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড
৬১. কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের খামার বসতি কোন ধরনের বসতির উদাহরণ? (জ্ঞান)
 বিক্ষিপ্ত খ রৈখিক গ গোষ্ঠীবদ্ধ ঘ সংঘবদ্ধ
৬২. বিক্ষিপ্ত বসতির উদাহরণ কোনটি? (অনুধাবন)
ক তুন্দ্রা অঞ্চলের এস্কিমো খ মধ্যপ্রাচ্যের বেদুঈন
গ সমতল অঞ্চলের হুন  অস্ট্রেলিয়ার মেষ পালন কেন্দ্র
৬৩. হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলের বসতি কোন ধরনের বসতির অন্তর্ভুক্ত? (জ্ঞান)
ক রৈখিক  বিক্ষিপ্ত গ গোষ্ঠীবদ্ধ ঘ সংঘবদ্ধ
৬৪. অতি ক্ষুদ্র পরিবারভুক্ত বসতি কোনটি? (অনুধাবন)
ক রৈখিক  বিক্ষিপ্ত গ গোষ্ঠীবদ্ধ ঘ সংঘবদ্ধ
৬৫. কোন বসতিতে অধিবাসীদের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা বিরাজ করে? (অনুধাবন)
ক রৈখিক খ গোষ্ঠীবদ্ধ  বিক্ষিপ্ত ঘ সংঘবদ্ধ
৬৬. বন্ধুর ভ‚প্রাকৃতিক অঞ্চলে কী ধরনের বসতি গড়ে ওঠে? (অনুধাবন)
ক রৈখিক খ গোষ্ঠীবদ্ধ গ সংঘবদ্ধ  বিক্ষিপ্ত
৬৭. কোন বসতি অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা কষ্টসাধ্য? (জ্ঞান)
 বিচ্ছিন্ন খ রৈখিক গ গোষ্ঠীবদ্ধ ঘ সংঘবদ্ধ
৬৮. যে বসতিতে বাড়িগুলো একই সরলরেখায় গড়ে ওঠে তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক বিক্ষিপ্ত বসতি  রৈখিক বসতি
গ বিচ্ছিন্ন বসতি ঘ গোষ্ঠীবদ্ধ বসতি
৬৯. নদী ও রাস্তার কিনারায় কোন ধরনের বসতি গড়ে ওঠে? (জ্ঞান)
ক গোষ্ঠীবদ্ধ খ সংঘবদ্ধ  রৈখিক ঘ বিক্ষিপ্ত
৭০. রৈখিক বসতিতে বিদ্যমান ফাঁকাস্থান কী হিসেবে ব্যবহৃত হয়? (জ্ঞান)
ক বাগানবাড়ি খ উঠান গ রান্নাঘর  খামার
৭১. বন্যামুক্ত উচ্চভ‚মি কোন ধরনের বসতির জন্য সুবিধাজনক? (জ্ঞান)
 রৈখিক খ গোষ্ঠীবদ্ধ গ সংঘবদ্ধ ঘ বিক্ষিপ্ত
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭২. গোষ্ঠীবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ বসতির বৈশিষ্ট্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. প্রাকৃতিক কারণে ঘরবাড়ি গড়ে ওঠে
রর. এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ির দূরত্ব কম
ররর. বাসগৃহসমূহের একত্রে সমাবেশ থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৩. গোষ্ঠীবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ বসতি যেসব নিয়ামকের ওপর নির্ভর করে তার অন্যতম (অনুধাবন)
র. ভ‚প্রকৃতি
রর. উর্বর মাটি
ররর. পানীয় জলের উৎস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৭৪. একটি পরিবার অন্য পরিবার থেকে বহুদূরে বাস করে (অনুধাবন)
র. বিক্ষিপ্ত বসতিতে
রর. বিচ্ছিন্ন বসতিতে
ররর. রৈখিক বসতিতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৫. বিক্ষিপ্ত বসতির বৈশিষ্ট্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. রাস্তার কিনারায় বসতির বিস্তার
রর. অতি ক্ষুদ্র পরিবারভুক্ত বসতি
ররর. দুটি বসতির মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৬. বিক্ষিপ্ত বসতি গড়ে ওঠার অন্যতম কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পানীয় জলের অভাব
রর. ক্ষয়িত ভ‚মিভাগ
ররর. জলাভ‚মি ও বিল অঞ্চল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬১ ও ৬২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ভ‚প্রকৃতির বিন্যাস, উর্বর ও অনুর্বর মাটি, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পানীয় জলের উৎসের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের বসতি গড়ে ওঠে।
৭৭. অনুচ্ছেদের অনুক‚ল পরিস্থিতিতে কী ধরনের বসতি গড়ে ওঠে? (প্রয়োগ)
ক রৈখিক খ বিক্ষিপ্ত গ বিচ্ছিন্ন  গোষ্ঠীবদ্ধ
৭৮. অনুচ্ছেদের প্রতিক‚ল পরিস্থিতিতে গড়ে ওঠে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বিক্ষিপ্ত বসতি
রর. বিচ্ছিন্ন বসতি
ররর. সংঘবদ্ধ বসতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৩ ও ৬৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
হিমালয়ের বন্ধুর পার্বত্য অঞ্চলে এমন কিছু বসতি (অ) আছে যেখানে এক অঞ্চলের উপত্যকার অধিবাসীদের সঙ্গে অন্যদিকের উপত্যকাবাসীদের সারাজীবনেও দেখা সাক্ষাৎ হয় না।
৭৯. অ-তে কোন ধরনের বসতির কথা উল্লিখিত হয়েছে? (প্রয়োগ)
 বিক্ষিপ্ত খ গোষ্ঠীবদ্ধ গ সংঘবদ্ধ ঘ রৈখিক
৮০. অ ধরনের বসতির বৈশিষ্ট্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দুটি বসতির মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান
রর. অধিবাসীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা
ররর. জলাভ‚মি ও বিল অঞ্চলেও গড়ে উঠতে দেখা যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 নগরায়ণ  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১১৪
¡ কাজের প্রকৃতি ও বসতির ধরন অনুসারে পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যেমন- গ্রামীণ ও নগর।
¡ নগরায়ণ বিকাশের ধারাক্রম হলো – সংগ্রহ ও শিকার, কৃষি ও নগরায়ণ।
¡ স্থায়ী বসতি গড়ে উঠল- খাদ্য সরবরাহের নিয়ন্ত্রণ মানুষের আয়ত্তে আসার পর।
¡ অনেকের ধারণা মতে নগরের উৎপত্তি লগ্নে- অর্থনৈতিক কারণগুলোই প্রাধান্য পেয়েছিল।
¡ নীলনদের অববাহিকায়- মেমফিস, থেবস, সিন্ধু অববাহিকায় হরাপ্পা নগরের উৎপত্তি ঘটে।
¡ প্রাচীনকালে সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী নগরী ছিল- রোম।
¡ ‘অন্ধকার যুগ’ হলো- রোমের পতনের পর কযেক শতাব্দী পর্যন্ত নগর প্রবৃদ্ধির স্তিমিত অবস্থা।
¡ প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল কেন্দ্র হলো- নগর।
¡ শিল্প বিপ্লবের পর- নগরায়ণে নতুন মাত্রা ও গতি পায়।
¡ বিভিন্নভাবে শহর ও নগরের শ্রেণিবিভাগ করার চেষ্টা করেছেন- ভ‚গোলবিদরা।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮১. কাজের প্রকৃতি ও বসতির ধরন অনুসারে পৃথিবীর মানুষকে কয়টি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়? (জ্ঞান)
 দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
৮২. শিকারের উপর নির্ভরকালীন সময়ে মানুষের জীবনযাপন প্রণালি কেমন ছিল? (অনুধাবন)
ক বন্যপশুর মতো  যাযাবরের মতো
গ শিকারির মতো ঘ জানোয়ারের মতো
৮৩. নগরায়ণ বিকাশের ধারাক্রম কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পশুশিকার  খাদ্য সংগ্রহ  কৃষি  নগরায়ণ
খ খাদ্য সংগ্রহ  কৃষি  পশুশিকার  নগরায়ণ
 খাদ্য সংগ্রহ  পশুশিকার  কৃষি  নগরায়ণ
ঘ পশুশিকার  কৃষি  খাদ্য সংগ্রহ  নগরায়ণ
৮৪. নীলনদের অববাহিকায় কোন নগর গড়ে ওঠে? (জ্ঞান)
ক মেমফিস ও ব্যাবিলন  মেম্ফিস ও থেবস
গ মহেঞ্জদাড়ো ও হরাপ্পা ঘ হরাপ্পা ও থেবস
৮৫. মহেঞ্জদাড়ো ও হরাপ্পা নগর উৎপত্তিলগ্নে কোন নদীর অববাহিকায় গড়ে ওঠে? (জ্ঞান)
 সিন্ধু খ গঙ্গা গ নীল ঘ হোয়াংহো
৮৬. সিন্ধু অববাহিকায় কখন নগর গড়ে ওঠে? (জ্ঞান)
 ২৫০০ খ্রিষ্টপূর্বে খ ২০০০ খ্রিষ্টপূর্বে
গ ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বে ঘ ৩৫০০ খ্রিষ্টপূর্বে
৮৭. রোম নগরের পতনের পর কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত নগর প্রবৃদ্ধির গতি স্তিমিত ছিল; ইতিহাসে এ সময়টি কী নামে পরিচিত? (প্রয়োগ)
 অন্ধকার যুগ খ মাৎস্যন্যায় যুগ
গ নতুন চেতনার যুগ ঘ জেগে ওঠার যুগ
৮৮. মধ্যপ্রাচ্য থেকে ভারতীয় উপমহাদেশ পর্যন্ত স্থানে নতুন নতুন শহর ও নগর গড়ে উঠতে থাকে কখন? (অনুধাবন)
ক গৌতম বুদ্ধ ও অশোকের ধর্মপ্রচারের পর
 অষ্টম শতকে মুসলমানদের রাজ্য বিস্তারের পর
গ দশম শতকে নদী তীরবর্তী অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের পর
ঘ দ্বাদশ শতকে ব্যবসা-বাণিজ্যের স¤প্রসারণের পর
৮৯. মুসলমানদের সাম্রাজ্য বিস্তারকালে নিচের কোন শহরটি শিক্ষা ও সংস্কৃতির শ্রেষ্ঠ পাদপীঠে পরিণত হয়? (অনুধাবন)
ক মোম্বাসা খ মালাক্কা  কর্ডোভা ঘ বালটিমোর
৯০. ইউরোপীয়দের পৃথিবীব্যাপী উপনিবেশকালে যেসব নগর গড়ে ওঠে তার সাথে নিচের কোন সেট অসঙ্গতি প্রকাশ করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মোম্বাসা ও মালাক্কা খ সায়গন ও বালটিমোর
গ কুইবেক ও মন্ট্রিয়াল  টলিডো ও সেভিল
৯১. নগরায়ণে নতুন মাত্রা ও গতি কখন বৃদ্ধি পায়? (অনুধাবন)
 শিল্প বিপ্লবের পর খ শিল্প বিপ্লবের আগে
গ মধ্য যুগে ঘ প্রাক মধ্য যুগে
৯২. ইউরোপে শিল্প বিপ্লবোত্তরকালে শিল্পকারখানাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা শহরকে কী বলা হয়? (অনুধাবন)
ক খনি শহর  প্রস্তুতকারী শহর
গ বণ্টনকারী শহর ঘ বাণিজ্যিক শহর
৯৩. নগরের উৎপত্তিতে নিচের কোন কারণটি অধিক প্রভাব বিস্তার করে? (জ্ঞান)
ক সামাজিক দিক খ সাংস্কৃতিক দিক
 অর্থনৈতিক দিক ঘ ভ‚প্রাকৃতিক বিষয়
৯৪. অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ কেন নগরে বসবাস করবে? (অনুধাবন)
ক কর্মক্ষেত্রের সুবিধার জন্য খ যাতায়াতের সুবিধার জন্য
 নগরায়ণের ফলে ঘ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ফলে
৯৫. নগরায়ণ কয়টি সম্পর্কযুক্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত? (জ্ঞান)
 দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
৯৬. নগর বসতিগুলোকে বিভিন্ন শ্রেণিতে কী ভেদে ভাগ করা সুবিধাজনক? (জ্ঞান)
ক মানুষের অর্থনৈতিক কার্যভেদে
 মানুষের ক্রিয়াকলাপের প্রকৃতিভেদে
গ মানুষের সাংস্কৃতিক কর্মভেদে
ঘ মানুষের আচার-আচরণ ভেদে
৯৭. জিব্রাল্টার কোন নগর হিসেবে প্রসিদ্ধ? (জ্ঞান)
ক শিল্প খ প্রশাসনিক
গ সাংস্কৃতিক  সামরিক
৯৮. বাংলাদেশের ঢাকা কী ধরনের নগর? (জ্ঞান)
ক সাংস্কৃতিক খ বাণিজ্যভিত্তিক
গ শিল্পভিত্তিক  প্রশাসনিক
৯৯. যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল নগর কী কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে? (অনুধাবন)
ক নৌঘাটি খ বাণিজ্য
 শিল্প ঘ বিনোদন
১০০. কয়লা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে নিচের কোন নগরটি গড়ে উঠেছে? (অনুধাবন)
 যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া খ পাকিস্তানের ইসলামাবাদ
গ রাশিয়ার পিটার্সবার্গ ঘ স্কটল্যান্ডের এডিনবরা
১০১. মহাদেশীয় স্থলপথকে অবলম্বন করে প্রাচীনকালে কোন শহর গড়ে ওঠে? (অনুধাবন)
ক ভারতের বারানসী  মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া
গ পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ঘ ¯েপনের জিব্রাল্টার
১০২. মক্কা, জেরুজালেম, বারানসী প্রভৃতি কী ধরনের শহর? (জ্ঞান)
 ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপভিত্তিক খ অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপভিত্তিক
গ সামাজিক ক্রিয়াকলাপভিত্তিক ঘ রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপভিত্তিক
১০৩. সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপের উপর ভিত্তি করে কোন নগর গড়ে উঠেছে? (অনুধাবন)
ক ভারতের পুরী  ফ্রান্সের প্যারিস
গ সিরিয়ার আলেপ্পো ঘ যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামী
১০৪. মুম্বাই ও হলিউড কিসের জন্য বিখ্যাত? (জ্ঞান)
ক ভারী শিল্প খ ব্যবসা-বাণিজ্য
 চলচ্চিত্র শিল্প ঘ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
১০৫. স্বাস্থ্য নিবাস ও বিনোদনের নগর কোনটি? (অনুধাবন)
ক ভারতের আজমীর  ভারতের পুরী
গ যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল ঘ স্কটল্যান্ডের এডিনবরা
১০৬. মিয়ামী ও হনলুলু কী ধরনের কেন্দ্র? (জ্ঞান)
ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক নগর
খ শিল্প-কারখানা ভিত্তিক নগর
গ রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু
 সমুদ্র সৈকত কেন্দ্রিক বিনোদন কেন্দ্র
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৭. স্থায়ী বসতি বা গ্রাম গড়ে ওঠে (অনুধাবন)
র. খাদ্য সরবরাহের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে
রর. জনগোষ্ঠী স্থিতিশীল কাঠামোর উপর দাঁড়ালে
ররর. নগর বা শহরের ভিত্তি রচিত হলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  র ও রর ঘ র, রর ও ররর
১০৮. মুসলমান শাসনামলে শিক্ষা ও সংস্কৃতির শ্রেষ্ঠ পাদপীঠে পরিণত হয় (অনুধাবন)
র. টলিডো ও কর্ডোভা
রর. সেভিল
ররর. কলকাতা ও গোয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৯. ইউরোপীয়দের সাম্রাজ্য বিস্তারকালে গড়ে ওঠে (অনুধাবন)
র. মোম্বাসা, দারেসসালাম, মালাক্কা, গোয়া
রর. কলকাতা, সায়গন, জাকার্তা, বালটিমোর
ররর. ফিলাডেলফিয়া, বোস্টন, কুইবেক, মন্ট্রিয়াল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১১০. শিল্প বিপ্লবের পর গড়ে ওঠে (অনুধাবন)
র. খনি শহর
রর. প্রাথমিক উৎপাদন কেন্দ্র
ররর. গ্রামীণ বসতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১১. শিল্পভিত্তিক নগরের উদাহরণ (অনুধাবন)
র. পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ও অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা
রর. যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল ও ভারতের রানীগঞ্জ
ররর. যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া ও রাশিয়ার ডোনেৎস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯৬ ও ৯৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের পর খনিজ সামগ্রী উত্তোলন স্থলে, শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠিত অঞ্চলে ও উৎপাদিত শিল্পপণ্য বিক্রি ও রপ্তানিস্থলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম অগ্রসর হওয়ায় নগর ও শহর বিকাশ লাভ করতে থাকে।
১১২. অনুচ্ছেদে নির্দেশিত সময়ে শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠিত অঞ্চলে কোন পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো? (অনুধাবন)
ক প্রাথমিক  দ্বিতীয় গ প্রাথমিক ও দ্বিতীয় ঘ তৃতীয়
১১৩. উক্ত সময়ে সর্বশেষ পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিবেচিত হতো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শিল্পপণ্য ভোক্তার কাছে বিক্রি
রর. শিল্পপণ্য বিভিন্ন দেশে রপ্তানি
ররর. কাঁচামাল শিল্প-কারখানায় পাঠানো
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের ছকটি দেখে ৯৮ ও ৯৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

১১৪. ছকে প্রদত্ত নগরের শ্রেণিবিভাগের ভিত্তি হিসেবে কোনটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক আয়তন খ জনসমষ্টি গ গঠন  ক্রিয়াকলাপ
১১৫. অ জাতীয় নগরের উদাহরণ (প্রয়োগ)
র. ভারতের নয়াদিল্লি
রর. অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা
ররর. স্পেনের জিব্রাল্টার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 নগরায়ণের প্রভাব  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১১৬
¡ বৃহৎ জনসংখ্যাবিশিষ্ট্য এবং ঘনবসতিপূর্ণ হয়ে থাকে- শহর।
¡ বাংলাদেশে কোনো বসতিকে শহর হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য- কমপক্ষে ৫,০০০ জনসংখ্যার বসবাস থাকতে হবে।
¡ অভিবাসনের কারণে- শহরের জনসংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
¡ শহরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো- সস্তা ও সহজ পরিবহন ব্যবস্থা।
¡ শহরের মানুষ- দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
¡ বাংলাদেশে অপরিকল্পিত নগরায়ণ- পরিবেশের ওপর নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি করছে।
¡ বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ – শহরে বসবাস করে।
¡ বাংলাদেশে জনপ্রতি কৃষিজমির পরিমাণ মাত্র ০.০৫ একর।
¡ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে- একজন মানুষের গড়ে দৈনিক ৭ গ্যালন পানি দরকার।
¡ বাসস্থানের তীব্র সংকট সৃষ্টি করে- অপরিকল্পিত নগরায়ণ।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৬. বাংলাদেশের কোনো বসতিকে শহর হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য জনসংখ্যার আকার কত থাকতে হয়? (জ্ঞান)
 ৫,০০০ খ ১০,০০০ গ ১৫,০০০ ঘ ২০,০০০
১১৭. কী কারণে শহরে জনসংখ্যার ঘনত্ব ক্রমেই বৃদ্ধি পায়? (অনুধাবন)
ক অর্থনৈতিক সুবিধা  অভিবাসন
গ কাজের বৈচিত্র্য ঘ সাংস্কৃতিক নৈকট্য
১১৮. শহরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ কী? (অনুধাবন)
ক বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা খ পার্ক ও কৃত্রিম লেকের সৌন্দর্য
 সস্তা ও সহজ পরিবহন ব্যবস্থা ঘ বিভিন্ন পেশাজীবীর সহচার্য
১১৯. মানুষের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সামাজিক প্রতিষ্ঠান কী? (জ্ঞান)
ক রাষ্ট্র ব্যবস্থা খ পাঠাগার
গ বিনোদন কেন্দ্র  পরিবার
১২০. শহর জীবনে সচরাচর কী ধরনের পরিবার কাঠামো লক্ষ করা যায়? (জ্ঞান)
 একক খ যৌথ গ একান্নবর্তী ঘ মাতৃতান্ত্রিক
১২১. শহরের লোকেরা নিজ নিজ পরিমণ্ডলের লোকদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক বজায় রাখতে অসুবিধার সম্মুখীন হয় কেন? (অনুধাবন)
ক জীবনযাত্রা অত্যন্ত ব্যয়বহুল বলে
 প্রায় অবসরহীন জীবনযাপন করেন বলে
গ আত্ম অহমিকায় ভোগেন বলে
ঘ সামাজিক রীতিনীতিতে পার্থক্য থাকে বলে
১২২. শহর জীবনে সামাজিক মর্যাদা কী দ্বারা নির্ধারিত হয়? (জ্ঞান)
ক পেশা খ বংশ পরিচয়
গ শিক্ষা-দীক্ষা  আয়
১২৩. শহরের মানুষ পোশাক পরিচ্ছদে কিসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থাকে। (অনুধাবন)
ক দেশীয় সংস্কৃতির  আধুনিক ফ্যাশনের
গ পাশ্চাত্য ফ্যাশনের ঘ ঐতিহ্যের
১২৪. দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত থাকেন? (অনুধাবন)
ক গ্রামের মানুষ খ নিরক্ষর মানুষ
 শহরের মানুষ ঘ শিক্ষিত মানুষ
১২৫. নগরে কর্মক্লান্ত মানুষের চিত্তবিনোদনের সুবিধা অনেক। বিনোদনের জন্য এখানে কী দেখা যায়? (প্রয়োগ)
ক যাত্রাপালা খ বায়োস্কোপ
 সিনেমা ঘ নৌকাবাইচ
১২৬. শহরের নাগরিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে কোনটি? (অনুধাবন)
 অপরাধের ঘটনা খ সড়ক দুর্ঘটনা
গ নিঃসঙ্গতা ঘ পারিবারিক কলহ
১২৭. নাগরিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলো খুব সক্রিয় থাকে কোথায়? (অনুধাবন)
ক গ্রামে  শহরে
গ বাজারে ঘ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
১২৮. বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে নিচের কোনটি ঘটে? (উচ্চতর দক্ষতা)
 পরিবেশের ওপর নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হয়
খ প্রকৃতিতে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়
গ খাবার উপযোগী পানির অভাব হয়
ঘ কৃষিজমি অনুর্বর হয়
১২৯. বাংলাদেশ শিল্পায়নের কোন পর্যায়ে রয়েছে? (জ্ঞান)
ক দ্বিতীয় খ তৃতীয় গ আধুনিক  প্রাথমিক
১৩০. অপরিকল্পিত নগরায়ণ সৃষ্টির কারণ কোনটি? (অনুধাবন)
ক সম্পদের অপ্রতুলতা  শহরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি
গ জীবিকার অভাব ঘ জীবন ধারণে সুযোগের অভাব
১৩১. বাংলাদেশের শহর এলাকায় জনবসতির অনুপাত গত দশ বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে; কোন কারণে এরূপ বৃদ্ধি ঘটেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক শহর এলাকায় বাসস্থানের সহজলভ্যতা
 অনেক লোকজন গ্রাম থেকে শহরে স্থানান্তরিত হচ্ছে
গ শহর এলাকায় জন্মহার গ্রামের চেয়ে বেশি
ঘ শহর এলাকায় কমমূল্যে প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায়
১৩২. অপরিকল্পিত নগরায়ণের পরিণাম কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক খাদ্য সমস্যার সমাধান খ রাজনৈতিক অবস্থার উন্নতি
 পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট ঘ ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ
১৩৩. অপরিকল্পিত নগরায়ণের পরিবেশগত প্রভাব কোনটি? (অনুধাবন)
 পানি, বায়ু ও মাটি দূষণ খ বিনোদন ব্যবস্থার অভাব
গ কর্মসংস্থানের অভাব ঘ জীবনযাত্রার মান হ্রাস
১৩৪. বাংলাদেশে জনপ্রতি কৃষিজমির পরিমাণ কত? (জ্ঞান)
ক ০.০১ একর খ ০.০৩ একর
 ০.০৫ একর ঘ ০.০৭ একর
১৩৫. বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার মতে দশ লাখ অধিবাসী অধ্যুষিত একটি শহরে প্রতিদিন কত পানির প্রয়োজন? (জ্ঞান)
ক ৫০,০০০ মেট্রিক টন খ ৫৬,৪০০ মেট্রিক টন
 ৬২,৫০০ মেট্রিক টন ঘ ৬৫,০০০ মেট্রিক টন
১৩৬. ঢাকা মহানগরীতে বর্তমানে প্রতিদিন কত কোটি গ্যালন পানির প্রয়োজন? (জ্ঞান)
ক ২৪.৫  ২৮.৫ গ ২৯.৫ ঘ ৩০
১৩৭. ঢাকা মহানগরীতে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের পানি সরবরাহের ক্ষমতা কত? (জ্ঞান)
ক ১০ কোটি গ্যালন খ ১৪ কোটি গ্যালন
 ১৮ কোটি গ্যালন ঘ ২০ কোটি গ্যালন
১৩৮. ঢাকায় দৈনিক পানির জোগানের ঘাটতি কত? (জ্ঞান)
ক ১৪ কোটি গ্যালনের উপর  ১৫ কোটি গ্যালনের উপর
গ ১৬ কোটি গ্যালনের উপর ঘ ১৭ কোটি গ্যালনের উপর
১৩৯. শিল্প-কারখানার বর্জ্যে বাংলাদেশের কোন নদী একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে? (জ্ঞান)
ক শীতলক্ষ্যা  বুড়িগঙ্গা গ ব্র‏হ্মপুত্র ঘ ধলেশ্বরী
১৪০. ঢাকা শহরে দিনে গড়পড়তা কত টন বর্জ্য শহরের নিচু খোলা জায়গায় ফেলা হয়? (জ্ঞান)
ক ৫০০ খ ৭০০  ৯০০ ঘ ১১০০
১৪১. দূষিত পানি নিচের কোন রোগটি ছড়ায়? (অনুধাবন)
ক ডিপথেরিয়া খ এইডস
গ ক্যান্সার  টাইফয়েড
১৪২. কলেরা, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগ কী কারণে হয়? (জ্ঞান)
 দূষিত পানি পানে খ দূষিত বায়ু সেবনে
গ দূষিত পরিবেশে বসবাসে ঘ দূষিত মাটিতে চলাচলে

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১  বসতি

তাসিন তার ফুফুর বাড়ি শিবপুর গ্রামে বেড়াতে যায়। সে দেখল এখানকার বাড়িগুলো নদীর ধার ঘেঁষে প্রায় এক লাইনে গড়ে উঠেছে। অথচ তার নিজ বাসস্থলে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি অনেক দূরে অবস্থিত এবং সেখানকার ভ‚প্রকৃতিও বন্ধুর। [স. বো. ’১৫]
ক. প্রাচীনকালে কোন সুবিধার জন্য মানুষ পুঞ্জীভ‚ত বসত স্থাপন করে। ১
খ. নগর বসতি কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. তাসিনের ফুফুদের গ্রামে যে ধরনের বসতি গড়ে উঠেছে তার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তাসিনের নিজ বাসস্থলের বসতিগুলো গড়ে ওঠার পিছনে শুধুমাত্র ভ‚প্রকৃতির বন্ধুরতাই কি দায়ী যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক প্রাচীনকালে প্রতিরক্ষার সুবিধার জন্য মানুষ পুঞ্জীভ‚ত বসত স্থাপন করে।
খ যে বসতি অঞ্চলে অধিকাংশ অধিবাসী প্রত্যক্ষ ভ‚মি ব্যবহার ব্যতীত অন্যান্য অকৃষিকার্য যেমনÑ গ্রামীণ অধিবাসীদের উৎপাদিত দ্রব্যাদির শিল্পজাতকরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, প্রশাসন, শিক্ষা-সংক্রান্ত কার্য প্রভৃতি পেশায় নিয়োজিত থাকে, তাকে নগর বসতি বলে। বাহ্যিক দিক দিয়ে বিচার করলে দেখা যায়, শহরে অনেক রাস্তাঘাট ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিশাল বিশাল আকাশচুম্বী অট্টালিকা (ঝশুংপৎধঢ়ঢ়বৎ) রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, নার্সিংহোম, আমোদ-প্রমোদের জন্য বহুপ্রকার সংস্থা, পার্ক ইত্যাদি থাকে।
গ তাসিনের ফুফুদের গ্রামে রৈখিক বসতি গড়ে উঠেছে। অবস্থানের প্রেক্ষিতে ও বাসগৃহসমূহের পরস্পরের ব্যবধানের ভিত্তিতে গ্রামীণ বসতিকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। এর মধ্যে রৈখিক বসতি অন্যতম। রৈখিক বসতিতে বাড়িগুলো একই সরলরেখায় গড়ে ওঠে।

প্রধানত প্রাকৃতিক এবং কিছু ক্ষেত্রে সামাজিক কারণ এ ধরনের বসতি গড়ে উঠতে সাহায্য করে। নদীর প্রাকৃতিক বাঁধ, নদীর কিনারা, রাস্তার কিনারা প্রভৃতি স্থানে এই ধরনের বসতি গড়ে ওঠে। উদ্দীপকে তাসিনের ফুফুর বাড়ি শিবপুর গ্রামে নদীর ধার ঘেঁষে এক লাইনে রৈখিক বসতি গড়ে ওঠে। এই অবস্থায় গড়ে ওঠা পুঞ্জীভ‚ত রৈখিক ধরনের বসতিগুলোর মধ্যে কিছুটা ফাঁকা থাকে। এই ফাঁকা স্থানটুকু ব্যবহৃত হয় খামার হিসেবে। বন্যামুক্ত সমস্ত উচ্চভ‚মি এই ধরনের বসতির জন্য সুবিধাজনক।
ঘ তাসিনের নিজ বাসস্থানের বসতিগুলো বিক্ষিপ্ত বসতির উদাহরণ, যা গড়ে ওঠার পিছনে শুধু ভ‚প্রকৃতির বন্ধুরতাই দায়ী নয়।
বিক্ষিপ্ত বসতি : এ ধরনের বসতিতে একটি পরিবার অন্যান্য পরিবার থেকে ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় বসবাস করে।

চিত্র : বিক্ষিপ্ত বসতি
কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রের খামার বসতি ও অস্ট্রেলিয়ার মেষপালন কেন্দ্র এ ধরনের বসতির উদাহরণ। কখনো কখনো দুটি বা তিনটি পরিবার একত্রে বসবাস করে। তবে এক্ষেত্রেও এদের অতি ক্ষুদ্র বসতি অপর ক্ষুদ্র বসতি থেকে দূরে অবস্থান করে।
বিক্ষিপ্ত বসতির বৈশিষ্ট্য হচ্ছেÑ
ক. দুটি বাসগৃহ বা বসতির মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান।
খ. অতি ক্ষুদ্র পরিবারভুক্ত বসতি।
গ. অধিবাসীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা।
এসব বৈশিষ্ট্যের নিরিখে বলা যায়, বিক্ষিপ্ত বসতি গড়ে ওঠার পেছনে কতগুলো প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক কারণ কাজ করে। পৃথিবীর অধিকাংশ বিক্ষিপ্ত বসতি বন্ধুর ভ‚প্রাকৃতিক অঞ্চলে গড়ে উঠেছে। বন্ধুর ভ‚প্রকৃতিতে যেমন কৃষিকাজের জন্য সমতলভ‚মি পাওয়া যায় না, তেমনি এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলাও কষ্টসাধ্য। বিক্ষিপ্ত বসতি গড়ে ওঠার অন্যতম কারণ জলাভাব, জলাভ‚মি ও বিল অঞ্চল, ক্ষয়িত ভ‚মিভাগ, বনভ‚মি, অনুর্বর মাটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিক্ষিপ্ত বসতির জন্ম দেয়। সুতরাং বিক্ষিপ্ত ধরনের বসতি গড়ে ওঠার পিছনে শুধু ভ‚প্রকৃতির বন্ধুরতাই দায়ী নয়।

 মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ২  বসতির ধরন

কাজল ও সজল দুই ভাই। কাজল শহরে চাকরি করে। আর সজল গ্রামে বাস করে। সে কৃষি কাজের সাথে জড়িত। সম্প্রতি কাজল শহরে একটি আধুনিক বাড়ি নির্মাণ করেছে। সজল গ্রামে মাটির বাড়িতে বাস করে।
ক. মানব বসতি কী? ১
খ. গ্রামীণ বসতির অধিবাসীরা কী কী পেশার সাথে সম্পৃক্ত? ২
গ. সজল ও কাজলের বসবাসরত স্থানের ধরন ও কর্মকাণ্ডের মধ্যে পার্থক্য বর্ণনা কর। ৩
ঘ. কাজল যে বসতিতে বাস করে সেখানকার বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর। ৪

ক কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানে মানুষ একত্রিত হয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করলে তাকে মানব বসতি বলে।
খ গ্রামীণ বসতির অধিবাসীরা প্রাথমিক উৎপাদন অর্থাৎ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া গ্রামীণ বসতিতে কৃষি ছাড়াও অন্যান্য প্রাথমিক উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী দেখা যায়। যেমন : মাছ ধরা, মাটির জিনিস তৈরি করা, লোহাজাত সামগ্রী উৎপাদন করা ইত্যাদি। গ্রামের একই পেশার মানুষ একত্রে বসবাস করে এক একটি পাড়া বা গ্রাম গড়ে তোলে। যেমন জীবিকার প্রধান উৎস অনুসারে জেলে গ্রাম, মৃৎশিল্পের কুমারপাড়া, লৌহজাত দ্রব্য তৈরির কামারপাড়া ইত্যাদি। অর্থাৎ গ্রামে, কৃষক, কামার, কুমার, জেলে ইত্যাদি পেশার লোক দেখা যায়।
গ কাজল বাস করে শহরে আর সজল বাস করে গ্রামে। উভয়ের বসতির মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। সজলের বসতি অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষত কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কাজলের বসতি অঞ্চলে অধিকাংশ অধিবাসী প্রত্যক্ষ ভ‚মি ব্যবহার ব্যতীত অন্যান্য অকৃষিকার্য পেশায় নিয়োজিত। গ্রামীণ বসতিতে গ্রামবাসীরা খোলা জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করেন। গ্রামের স্থাপনাগুলো সাধারণত মাটি ও কাঠের তৈরি। নগর বসতিতে লোকজন স্বল্প জায়গায় বাড়ি করেন। শহরের স্থাপনাগুলো সাধারণত ইট, সিমেন্টের তৈরি। গ্রামীণবসতি বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত ও গোষ্ঠীবদ্ধ এর যে কোনোটি হতে পারে। জীবিকার প্রধান উৎস অনুসারে এ বসতিগুলোকে জেলে গ্রাম, কুমারপাড়া, কামারপাড়া ইত্যাদি নামে চিহ্নিত করা হয়। নগর বসতি প্রশাসনিক নগর, বাণিজ্যিক নগর, শিল্পভিত্তিক নগর ইত্যাদি নানা ধরনের হতে পারে।
ঘ কাজল বাস করে শহরে অর্থাৎ সে নগরে বসতিতে বাস করে। যে বসতি অঞ্চলে অধিকাংশ অধিবাসী প্রত্যক্ষ ভ‚মি ব্যবহার ব্যতীত অন্যান্য অকৃষিকার্য যেমন : গ্রামীণ অধিবাসীদের উৎপাদিত দ্রব্যাদির শিল্পজাতকরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, প্রশাসন, শিক্ষা-সংক্রান্ত কার্য প্রভৃতি পেশায় নিয়োজিত থাকে, তাকে নগর বসতি বলে। বাহ্যিক দিক দিয়ে বিচার করলে দেখা যায়, শহরে অনেক রাস্তাঘাট ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিশাল বিশাল আকাশচুম্বী অট্টালিকা (ঝশুংপৎধঢ়ঢ়বৎ) রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, নার্সিংহোম, আমোদ-প্রমোদের জন্য বহুপ্রকার সংস্থা, পার্ক ইত্যাদি থাকে। বড় বড় শহরের বিভিন্ন অংশে নানা ধরনের কর্মকাণ্ড চলে। যেমন- উদ্দীপকের কাজল শহরে একটি আধুনিক বাড়ি নির্মাণ করেছে।

প্রশ্ন- ৩  নগরায়ন এবং এর ফলে সৃষ্ট সমস্যাসমূহ

এইচএসসি পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির উদ্দেশ্যে ইমরুল ঢাকায় রওনা হলো। ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে সে দেখতে পেল রেললাইন ঘেঁষে অসংখ্য ছোট ছোট বস্তি গড়ে উঠেছে, যেখানে জীবনযাত্রার মান অত্যন্ত নিম্ন। কিন্তু ঢাকায় কিছুদিন থাকার পর, এর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেখে ইমরুল এ শহরে থেকে যেতে উৎসাহী হলো।
ক. গ্রামীণ বসতি কী ধরনের হতে পারে? ১
খ. শহুরে বসতির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ইমরুল কেন ঢাকায় থেকে যেতে উৎসাহী হলো? ৩
ঘ. ইমরুল রেললাইন ঘেঁষে যা দেখল তা গড়ে ওঠার কারণ ও প্রভাব বিশ্লেষণ কর। ৪

ক গ্রামীণ বসতি বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত ও গোষ্ঠীবদ্ধ এর যে কোনোটি হতে পারে।
খ শহুরে বসতির অধিবাসীরা অকৃষিকার্য পেশায় নিয়োজিত থাকে। এর মধ্যে আছে গ্রামীণ অধিবাসীদের উৎপাদিত দ্রব্যাদির শিল্পজাতকরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি। এগুলো ছাড়াও শহুরে বসতির অধিবাসীরা বিভিন্ন সেবা কর্মসম্পর্কিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথেও নিয়োজিত; যেমন প্রশাসন, শিক্ষা সংক্রান্ত কার্য ইত্যাদি।
গ ইমরুল বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কারণে ঢাকা শহরে থেকে যেতে উৎসাহী হলো। এ শহরে যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তা হলো :
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা : ঢাকা শহরে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত। ফলে বিভিন্ন স্থানের সাথে যোগাযোগ করা সহজ। এখান থেকে অন্য শহরে যাতায়াতও অনেক সহজ।
পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও সহজলভ্য পানীয় : গ্রাম অপেক্ষা ঢাকা শহরে বিশুদ্ধ পানীয়জলের সহজলভ্যতা আছে। ওয়াসা থেকে এখানে পানি সরবরাহ করা হয়। এছাড়া পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রাম অপেক্ষা উন্নত।
শিক্ষা ও চিকিৎসা : ঢাকা শহরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো গ্রামীণ বসতি অপেক্ষা অধিক সুযোগ-সুবিধা দেয়। এখানে অনেক হাসপাতাল, নার্সিং হোম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানকার চিকিৎসাসেবা হাতের নাগালের মধ্যে থাকে। চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোও গ্রাম অপেক্ষা অনেক বেশি কাছাকাছি থাকে।
বিনোদন কেন্দ্র : ঢাকা শহরের লোকদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন আমোদ-প্রমোদ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এছাড়াও আছে পার্ক, সিনেমা হল ইত্যাদি যা গ্রামে অনুপস্থিত।
উপরিউক্ত সুযোগ সুবিধার কারণে ইমরুল ঢাকায় থাকতে উৎসাহী হলো।
ঘ ইমরুল কমলাপুর রেললাইন ঘেঁষে যে বসতিগুলো দেখল তা হলো বস্তি। ঢাকা শহরে যত্রতত্র বস্তি গড়ে উঠেছে। ঢাকা শহরে লোকসংখ্যা যত বাড়ছে, বসতির ওপর চাপও তত বাড়ছে। গ্রাম অপেক্ষা ঢাকা শহরে অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন মানুষকে এ শহরের প্রতি আকর্ষণ করে তুলছে। ফলে শহরে ধারণক্ষমতা অপেক্ষা অধিক লোক আসায় বস্তি গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ এলাকায় আবাদি জমি কমে যাওয়ায় এবং কৃষিকাজের প্রতি লোকদের অনীহা থেকে গ্রাম কর্মসংস্থানের অভাব দেখা দেয়। গ্রাম থেকে দরিদ্র মানুষ শহরে ছুটে আসে। শহরের মধ্যে তারা স্থান না পেয়ে বস্তিতে আশ্রয় নেয়। এসব কারণে ঢাকা শহরে বস্তি গড়ে উঠছে। এসব বস্তি শহরে নানা ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ঢাকা শহরে যত্রতত্র বস্তি গড়ে ওঠায় শহরের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। যথাযথ পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা, যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা, অতিরিক্ত লোকের জন্য পানীয় জলের সরবরাহ না থাকায় বস্তিতে এসব মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সম্পদের ওপর। বস্তিগুলোতে নানা রকম অসামাজিক কার্যকলাপ যেমন মাদক সেবনের প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়াও বস্তি এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দেখা যায়।

প্রশ্ন- ৪  বসতি স্থাপনের নিয়ামক

রফিক সাহেব একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কাজে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এক প্রত্যন্ত এলাকায় আছেন। এ এলাকার বসতি দেখে তার উপলব্ধি হয় যে, ভ‚প্রকৃতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা বসতি স্থাপনের অন্তরায়।
ক. পুঞ্জীভ‚ত বসতি কাকে বলে? ১
খ. প্রাচীনকালে কেন পুঞ্জীভ‚ত বসতি স্থাপিত হয়েছিল? ২
গ. বসতি স্থাপনের যে নিয়ামক দুইটি রফিক সাহেবের উপলব্ধিতে আসে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর উক্ত নিয়ামকদ্বয় ছাড়াও বসতি স্থাপনের আরও নিয়ামক রয়েছে? বিশ্লেষণ কর। ৪

ক কোনো এক স্থানে বেশ কয়েকটি পরিবার একত্রিত হয়ে বসবাস করাকে পুঞ্জীভ‚ত বসতি বলে।
খ প্রাচীনকালে প্রতিরক্ষার সুবিধার জন্যই মানুষ পুঞ্জীভ‚ত বসতি স্থাপন করে। বহিরাগত শত্রæর আক্রমণ বা বন্যজন্তুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষ একত্রে বসবাস করত। কারণ প্রাচীনকালে আত্মরক্ষার জন্য কোনো আধুনিক অস্ত্রের প্রচলন ছিল না।
গ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এনজিওতে কর্মরত রফিক সাহেবের উপলব্ধি হয় যে, ভ‚প্রকৃতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা বসতি স্থাপনের অন্তরায়। অর্থাৎ বসতি স্থাপনের নিয়ামক হিসেবে তিনি ভ‚প্রকৃতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উপলব্ধি করেন। কোনো স্থানে বসতি গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ভ‚প্রকৃতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনবসতি গড়ে ওঠার পেছনে ভ‚প্রকৃতি ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। সমতল ভ‚মিতে কৃষিকাজ সহজে করা যায়। কিন্তু পাহাড়ি এলাকার ভ‚মি অসমতল হওয়ায় কৃষিকাজ করা তেমন সম্ভব হয় না। যাতায়াত সুবিধার কারণে মূলত কৃষি জমির নিকট জনবসতি তৈরি হয়। এ কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসতির ঘনত্ব সমতল ভ‚মির তুলনায় কম। উদ্দীপকে রফিক সাহেব এমনই এক এলাকায় কর্মরত। প্রাচীনকাল থেকে যাতায়াত ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে বসতি গড়ে উঠেছে। যেমন : নদী তীরবর্তী স্থানে নৌ চলাচলের এবং সমতল ভ‚মিতে যাতায়াতের সুবিধা থাকায় এরূপ স্থানে পুঞ্জীভ‚ত বসতি গড়ে উঠেছে।
ঘ আমি মনে করি উক্ত নিয়মকদ্বয় তথা ভ‚প্রকৃতি ও যোগাযোগ ছাড়াও বসতি স্থাপনের আরও নিয়ামক রয়েছে। যেমন :
১. পানীয় জলের সহজলভ্যতা : জীবন ধারণের জন্য মানুষের প্রথম ও প্রধান চাহিদা হলো বিশুদ্ধ পানীয় জল। এজন্যই নির্দিষ্ট জলপ্রাপ্যতার স্থানে মানুষ বসতি গড়ে তোলে। মরুময় এবং উপমরুময় অঞ্চলে ঝরনা অথবা প্রাকৃতিক ক‚পের চারদিকে মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে বসতি স্থাপন করে। পানীয় জলের প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠা এই সমস্ত বসতিকে আর্দ্র অঞ্চলের বসতি বলে।
২. মাটি : মাটির উর্বরা শক্তির উপর নির্ভর করে বসতি স্থাপন করা হয়। উর্বর মাটিতে পুঞ্জীভ‚ত জনবসতি গড়ে ওঠে, কিন্তু মাটি অনুর্বর হলে বিক্ষিপ্ত জনবসতি গড়ে ওঠে। মাটির প্রভাবে জার্মানি, পোল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন প্রভৃতি দেশে বিক্ষিপ্ত জনবসতির সৃষ্টি হয়েছে।
৩. প্রতিরক্ষা : প্রাচীনকালে প্রতিরক্ষার সুবিধার জন্যই মানুষ পুঞ্জীভ‚ত বসতি স্থাপন করে। বহিরাগত শত্রæর আক্রমণ বা বন্যজন্তুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষ একত্রে বসবাস করত। কারণ প্রাচীনকালে আত্মরক্ষার জন্য কোনো আধুনিক অস্ত্রের প্রচলন ছিল না।
৪. পশুচারণ : পশুচারণ এলাকায় সাধারণত ছড়ানো বসতি দেখা যায়। পশুচারণের জন্য বড় বড় এলাকার দরকার হয়। ফলে নিজেদের সুবিধার জন্য তারা বিক্ষিপ্তভাবে বসতি স্থাপন করে থাকে।

প্রশ্ন- ৫  নগরায়ন

‘ঢ’ শহরটি প্রাচীনকালে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র ছিল। পরবর্তীতে এ রাষ্ট্রের পতনের পর কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত এর গতি স্তিমিত ছিল। বর্তমানে এ রাষ্ট্রটি একটি আধুনিক নগরী হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
ক. রৈখিক বসতি কী? ১
খ. প্রাচীনকালে কোথায় নগরসভ্যতার বিকাশ ঘটে? ২
গ. ‘ঢ’ নগরীর সাথে আধুনিক নগর বসতির বৈশিষ্ট্য তুলনা কর। ৩
ঘ. ‘ঢ’ নগরের পতনের পর শিল্পবিপ্লবের পূর্ব পর্যন্ত নগরায়ণের ক্রমবিকাশ আলোচনা কর। ৪

ক যে বসতিতে বাড়িগুলো একই সরলরেখায় গড়ে ওঠে তাকে রৈখিক বসতি বলে।
খ প্রাচীনকালে নগরের উৎপত্তি ঘটে মূলত অর্থনৈতিক কারণে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, প্রাচীন মিসরের নগরসমূহ রাজশক্তি বা পুরোহিত শক্তির কেন্দ্ররূপে বিকশিত হয়েছিল। নীলনদের অববাহিকায় মেমফিস, থেবস (৩০০০ খ্রিষ্টপূর্ব), সিন্ধু অববাহিকায় মহেঞ্জদাড়ো, হরাপ্পা (২৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব) প্রভৃতি নগরের উৎপত্তি ঘটে। এগুলো নগর সভ্যতার সূতিকাগার। প্রাচীনকালে রোম ছিল সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী নগরী।
গ ‘ঢ’ নগরীটি হলো রোম শহর। প্রাচীনকালে রোম নগরী ছিল সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী নগর রাষ্ট্র। উদ্দীপকে তা উল্লিখিত হয়েছে। প্রাচীন ‘ঢ’ নগরী তথা রোম নগরীতে প্রতিরক্ষার জন্য দুর্গ গড়ে তোলা হতো। নগরের কেন্দ্রস্থলে প্রশাসনিক ভবন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। আধুনিক নগর বসতিতে প্রাচীর ও দুর্গ প্রতিরক্ষামূলক নগর ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটে। প্রাচীন রোম নগরে শাসনকার্যের সাথে জড়িত শ্রেণি পুরোহিতদের প্রাধান্য ছিল। নগর কেন্দ্রের নিকটস্থ প্রশস্ত রাজপথ এলাকায় উচ্চ শ্রেণির আবাসিক এলাকা ছিল। নগর প্রাচীরের বাইরে নিম্ন আয়ের লোকজন বসবাস করত। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক নগর আকার ও আয়তনে ব্যাপকতা লাভ করেছে। এখানে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপকহারে প্রসার লাভ করেছে। অভ্যন্তরীণ পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বিস্তৃতি ও আধুনিকায়ন ঘটেছে। প্রশাসনিক কার্যকলাপ ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ড থাকলেও তা গণতান্ত্রিক ও প্রজাতান্ত্রিক, শাসকদের কুক্ষিগত নয়। এছাড়া বর্তমান নগরে প্রাচীন ‘ঢ’ তথা রোম নগরের মতো শ্রেণিবিভাজন নয় বরং ব্যাপক শ্রম বিভাজন দেখা যায়।
ঘ ‘ঢ’ নগরটি হলো প্রাচীন রোম নগর। প্রাচীনকালে রোম ছিল সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী নগরী। রোমের পতনের কারণে কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত নগর প্রবৃদ্ধির গতি স্তিমিত ছিল। ইতিহাসে এ সময়টি ‘অন্ধকার যুগ’ নামে খ্যাত। অষ্টম শতাব্দী থেকে মুসলমানদের রাজ্য বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আরম্ভ করে ভারতীয় উপমহাদেশ পর্যন্ত নতুন নতুন শহর ও নগর গড়ে উঠতে থাকে। মুসলমানদের শাসন ইউরোপে স্পেন পর্যন্ত প্রসার লাভ করে এবং টলিডো, কর্ডোভা ও সেভিল শিক্ষা ও সংস্কৃতির শ্রেষ্ঠ পাদপীঠে পরিণত হয়। ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগে ইউরোপীয়গণ বাণিজ্য, বসতি, উপনিবেশ ও সাম্রাজ্য বিস্তারের উদ্দেশে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়লে মোম্বাসা, দারেসসালাম, মালাক্কা, গোয়া, কলকাতা, সায়গন, জাকার্তা, বালটিমোর, ফিলাডেলফিয়া, বোস্টন, কুইবেক ও মন্ট্রিয়াল প্রভৃতি শহর ও নগর গড়ে ওঠে। শিল্প বিপ্লবের পর নগরায়ণে নতুন মাত্রা ও গতি পায়।

প্রশ্ন- ৬  নগরের শ্রেণিবিভাগ

সুপ্তির বড় মামা অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় একটি অফিসে কর্মরত আছেন। ছোট মামা ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন।
ক. নগর বিকাশের ধারাক্রমের আরম্ভ পর্যায়ের একটি নগরের নাম লিখ। ১
খ. নগর বিকাশের ধারাক্রম ব্যাখ্যা কর। ২
গ. সুপ্তির বড় মামার কর্মরত শহর নগর শ্রেণিবিভাগের কোন ধরনে পড়ে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. সুপ্তির ছোট মামা যে শহরে পড়ছেন সেরূপ শহর কী কী কারণে গড়ে ওঠে? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বর্ণনা কর। ৪

ক নগর বিকাশের ধারাক্রমের আরম্ভ পর্যায়ের একটি নগর হলো মেমফিস যা ৩০০০ খ্রিষ্টপূর্বে নীলনদের অববাহিকায় গড়ে উঠেছিল।
খ মানুষ যখন তার খাদ্যের জন্য সংগ্রহ এবং শিকারের ওপর নির্ভর করত, তখন মানুষ ছিল যাযাবরের মতো। কিন্তু যখন খাদ্য সরবরাহের নিয়ন্ত্রণ খানিকটা তার আয়ত্তে এলো, তখন সে স্থিতিশীল জনগোষ্ঠীতে পরিণত হতে আরম্ভ করল। গড়ে উঠল স্থায়ী বসতি বা গ্রাম। অনেকের মতে নগরায়ণ বিকাশের ধারাক্রম হচ্ছে- সংগ্রহ ও শিকার, কৃষি এবং নগরায়ণ।
গ সুপ্তির বড় মামার কর্মরত শহর হলো অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা হলো প্রশাসনিক নগর। নগরের শ্রেণিবিভাজন কীসের ভিত্তিতে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য হতে পারে, সে ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে। অধুনা ভ‚গোলবিদগণ ক্রিয়াকলাপের ভিত্তিতে নগরের শ্রেণিবিন্যাস করেন। শ্রেণিবিন্যাসের এ ধরন অনুযায়ী ক্যানবেরা প্রশাসনিক নগর। নগরটি অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী এবং প্রশাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এখান থেকে পরিচালিত হয়। শাসন ব্যবস্থার প্রয়োজনে এ শহরকে রাজধানীর রূপ দেয়া হয় এবং সেখানে পৌর বসতির বিস্তার ঘটে। তাই এ নগরটি হলো প্রশাসনিক নগর।
ঘ সুপ্তির ছোট মামা ব্রিটেনের অক্সফোর্ড শহরে পিএইচডি করছেন। অধিকাংশ শহরই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য, আলাদা ধরন ও ক্রিয়াকলাপের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ শহরটির গড়ে ওঠার কারণের মধ্যেও ভিন্নতা আছে। বিশ্ববিখ্যাত বিদ্যাপীঠকে ঘিরে ব্রিটেনের অক্সফোর্ডে একটি স্থায়ী পৌরবসতির বিকাশ ঘটেছে। পাঠ্যপুস্তকে নগরের ক্রিয়াকলাপের প্রকৃতিভেদে নগরের যে শ্রেণিবিভাগ সে অনুযায়ী অক্সফোর্ড হচ্ছে সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপভিত্তিক নগর। এরূপ নগর শুধু অক্সফোর্ডের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ঘিরেই নয় বরং আরও নানা কারণে গড়ে ওঠে। যেমন- ধর্মীয় কারণে শহর বা নগরের পত্তন দেখা যায়। কোনো মহাপুরুষের জš§স্থান, কর্মভ‚মি বা সমাধি স্থানকে অবলম্বন করে একটি স্থায়ী পৌর বসতির বিকাশ ঘটতে পারে। মক্কা, মদিনা, জেরুজালেম, গয়া, বারানসী প্রভৃতি এরূপ ক্রিয়াকলাপভিত্তিক শহর। আর উদ্দীপকের মতো বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান প্রভৃতি কোনো স্থানে স্থাপিত হলেও সেখানে পৌর বসতির বিকাশ ঘটে। প্রাচীন ভারতের নালন্দা, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজ, ইতালির পিসা নগরী প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নগর।

প্রশ্ন- ৭  নগরায়নের প্রভাব এবং এর ফলে সৃষ্ট সমস্যাসমূহ

ঢাকার মুহিত, চট্টগ্রামের শিবু ও খুলনার দিপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলো। শিবু এবং দিপু দেখে খুলনা ও চট্টগ্রামের নগর ঢাকা থেকে ভিন্ন এবং ঢাকার পরিবেশ প্রমাণ করে নগরটি অপরিকল্পিত।
ক. হরাপপ্া নগরটি কখন গড়ে ওঠে? ১
খ. কক্সবাজারে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে কেন? ২
গ. শিবু ও দিপুর এলাকার বিভাগীয় শহরের নগর কাঠামো ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. কোন কোন বিষয়দৃষ্টে শিবু ও দিপুর মনে হলো ঢাকা শহর অপরিকল্পিত? আলোচনা কর। ৪

ক হরাপপ্া নগরটি খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ অব্দে গড়ে ওঠে।
খ কর্মক্লান্ত মানুষের ক্লান্তি দূর ও অবসর বিনোদনের জন্য সাধারণত শহর বা নগরের কোলাহলের বাইরে সমুদ্র সৈকত বা শৈল নিবাসে স্বাস্থ্য ও প্রমোদ কেন্দ্র গড়ে ওঠে। তাই বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।
গ শিবু ও দিপু যথাক্রমে চট্টগ্রাম ও খুলনার ছেলে। বিভাগীয় শহর খুলনা ও চট্টগ্রামে নগর কাঠামো দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরের মতোই যেমনÑ
১. জনসংখ্যার আকার ও ঘনত্ব : বাংলাদেশ কোনো বসতিকে শহর হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য কমপক্ষে ৫,০০০ জনসংখ্যা এবং প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১,৫০০ জনের বসবাস থাকতে হয়। খুলনা ও চট্টগ্রাম নগরের জনসংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ ও ৪০ লাখ এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রায় ৩,০০০ জন।
২. বসত বাড়ির ধরন : শহরে সাধারণত বহুতল বিশিষ্ট বাড়ির সংখ্যা অধিক। প্রশস্ত রাজপথ, পার্ক, কৃত্রিম লেক প্রভৃতি শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। জীবনধারণের জন্য আধুনিক প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন : বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ পাওয়া যায়। খুলনা ও চট্টগ্রাম শহরে এসব নিয়ামকের প্রায় সব কয়টি উপাদান বিদ্যমান।
৩. চালচলন : খুলনা ও চট্টগ্রাম নগরে বিভিন্ন প্রকার পেশা গ্রহণের সুযোগ থাকায় অনেক সময় পেশা পরিবর্তন করে উন্নততর সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা যায়।
৪. অর্থনীতি : খুলনা ও চট্টগ্রাম শহরের মানুষ দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
৫. শিক্ষা ও চিকিৎসা : খুলনা ও চট্টগ্রাম নগরে মানুষ শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যাপারে সর্বপ্রকার সুবিধা ভোগ করে।
৬. বিনোদন ব্যবস্থা : সিনেমা, থিয়েটার, খেলাধুলা প্রভৃতি বিনোদনমূলক কার্যকলাপ খুলনা ও চট্টগ্রাম নগরের মানুষকে প্রভাবিত করে।
সুতরাং খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহরের নগর কাঠামো আধুনিক নগরের প্রতিরূপ।
ঘ শিবু ও দিপু দেখে ঢাকা নগর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। ঢাকা শহরের পরিবেশ দৃষ্টে তাদের মনে এ ধারণা জšে§। এ প্রেক্ষাপটে অপরিকল্পিত নগরায়ণের উ™ভ‚ত নানা পরিবেশগত সমস্যা উল্লেখ করা যায়। ঢাকার অপরিকল্পিত নগরায়ণের প্রত্যক্ষ পরিবেশগত সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষি জমি কমে যাওয়া, খাবার পানি ও উপযুক্ত পয়ঃনিষ্কাশনের সংকট, বর্জ্য অপসারণ সমস্যা, পরিবহন ও যানজট সংকট, বাসস্থানের অভাব ও বস্তির সৃষ্টি, পানি, বায়ু, মাটি ও শব্দ দূষণ, খোলা জায়গা ও বিনোদন ব্যবস্থার অভাব। ঢাকা উর্বরা কৃষি জমির ওপর গড়ে ওঠায় আবাদি জমি হারিয়ে গেছে এবং পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী বিভিন্ন কাজের জন্য একজন মানুষের গড়ে দৈনিক ৭ গ্যালন পানি প্রয়োজন, কিন্তু ঢাকাবাসী এর অর্ধেকও পায় না। ঢাকা শহরে দিনে গড়পড়তা ৯০০ টন বর্জ্য শহরের নিচু খোলা জায়গায় ফেলা হয়। এসব বর্জ্যরে তীব্র দুর্গন্ধ ও চোয়ানি ভ‚গর্ভস্থ ও ভ‚পৃষ্ঠস্থ পানিকে দূষিত করে চলেছে। ক্রমবর্ধমান যানবাহন ঢাকা নগরে লক্ষণীয়। যানবাহনের ধোঁয়ার সঙ্গে অবাধে পলিনিউক্লিয়ার হাইড্রোকার্বন, সিসা, অ্যাসবেসটস, পারদ, নিকেল, সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড প্রভৃতি বিষাক্ত পদার্থ ভেসে বেড়ায়। যার কারণে হাঁপানি, সর্দি, কাশি ও অন্যান্য এলার্জিজনিত রোগের মাত্রা বেড়ে গেছে। গ্রাম থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষের আগমনে ঢাকা শহরে সৃষ্টি হচ্ছে বস্তি। যার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে দূষিত পরিবেশ এবং ক্রমান্বয়ে ব্যাপক এলাকার পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ছে। ঢাকা শহরকে বাঁচাতে আমাদের আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

প্রশ্ন- ৮  অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে সৃষ্ট সমস্যা

নগর পরিকল্পনা ও নগর উন্নয়নের ওপর ডিগ্রিধারী জনাব আবুল কালাম মনে করেন ঢাকা শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সর্বোত্তম হলেও যথেষ্ট নয়। এ প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “অপরিকল্পিত নগর সমস্যার নামান্তর।”
ক. বিশ্বের জনসংখ্যার কত শতাংশ শহরে বাস করে? ১
খ. “শহুরে জীবনে অবসর নেই” ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ঢাকা শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্পর্কে জনাব আবুল কালামের ধারণা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত প্রেক্ষাপটে আবুল কালামের উক্তিটি পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বিশ্বের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ লোক শহরে বাস করে।
খ শহর জীবনে অবসর নেই। এখানে গতিময়তা খুব প্রবল। এখানে আয় দ্বারা সামাজিক মর্যাদা নির্ধারিত হয়ে থাকে। আয় উপার্জনের লক্ষ্যে শহর জীবনে গতি বেশি হয়। বিভিন্ন প্রকার পেশা গ্রহণের সুযোগ থাকায় শহরের মানুষ অনেক সময় পেশা পরিবর্তন করে উন্নততর সুযোগ-সুবিধা গ্রহণে ব্রতী হয়। বিভিন্ন ধরনের পেশা ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে শহরের লোকেরা প্রায় অবসরহীন জীবনযাপন করে।
গ ঢাকা শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্পর্কে উদ্দীপকের জনাব আবুল কালাম মনে করেন তা সর্বোত্তম হলেও যথেষ্ট নয়। ঢাকা শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সর্বোত্তম বিবেচিত হলেও ময়লা আবর্জনার ভারে আজ বুড়িগঙ্গা বিপর্যস্ত এবং ওয়াসা এ নদীর পানি চাদনীঘাট থেকে আহরণ করে পরিশোধন ও বিতরণ করে থাকে। এক্ষেত্রে মেঘনা ও যমুনা নদীর পানির ব্যবহার জরুরি। ঢাকা শহরে দিনে গড়পড়তা ৯০০ টন বর্জ্য শহরের নিচু খোলা জায়গায় ফেলা হয়। এসব বর্জ্যরে তীব্র দুর্গন্ধ ও চোয়ানি ভ‚গর্ভস্থ ও ভ‚পৃষ্ঠস্থ পানিকে দূষিত করে থাকে। অনেক বস্তি এলাকার লোকজন এসব পানি ব্যবহার করে থাকে, যার কারণে চর্ম রোগসহ কলেরা, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে।
ঘ উক্ত প্রেক্ষাপট তথা ঢাকা শহরের অপর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে আবুল কালামের উক্তি- “অপরিকল্পিত নগর, সমস্যার নামান্তর।” উক্তিটি যথার্থ। নগরায়ণ সঠিকভাবে না হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার উদ্ভব হয়। অপরিকল্পিত নগরায়ণে কৃষি জমির ওপর চাপ পড়ে। অনেক সময় ভ‚গর্ভস্থ ও ভ‚পৃষ্ঠস্থ পানি দূষিত হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত লোকজনের আগমনে বস্তি এলাকার সৃষ্টি হয়। অনেক বস্তি এলাকার লোকজন দূষিত পানি পানে বাধ্য হয়। যার কারণে চর্মরোগসহ কলেরা, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। যানবাহনের ধোঁয়ার সঙ্গে বায়ুমণ্ডলে পলিনিউক্লিয়ার, হাইড্রোকার্বন, সিসা, অ্যাসবেসটস, পারদ, নিকেল, সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড প্রভৃতি বিষাক্ত পদার্থ ভেসে বেড়ায়। যার কারণে হাঁপানি, সর্দি, কাশি ও অন্যান্য এলার্জিজনিত রোগের মাত্রা বেড়ে যায়। অপরিকল্পিত নগরায়ণ বাসস্থানের তীব্র সংকট সৃষ্টি করে। ব্যাপক এলাকার পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ে। রাস্তাঘাট, শিক্ষা, চিকিৎসা, চিত্তবিনোদন ব্যবস্থা, সহজলভ্য জ্বালানি, হাটবাজার ইত্যাদি নগরায়ণের আবশ্যকীয় উপাদান। অপরিকল্পিতভাবে নগর গড়ে উঠলে এসবের ব্যবস্থা করা দুরূহ হয়ে পড়ে। এছাড়া এর ফলে পরিবেশের ব্যাপক অবক্ষয় ঘটে। সুতরাং জনাব আবুল কালামের মতো বলা যায়, অপরিকল্পিত নগর সমস্যায় পরিপূর্ণ।

প্রশ্ন- ৯  নগরের শ্রেণিবিন্যাস

যুক্তরাষ্ট্রের হনলুলু (অ) রাশিয়ার পিটার্সবার্গ (ই) ভারতের নয়াদিল্লি (ঈ) মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া (উ) সৌদি আরবের মক্কা (ঊ)

ক. কী কারণে সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপভিত্তিক নগরের পত্তন দেখা যায়? ১
খ. নগরায়ণ কী কী সম্পর্কযুক্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত? ২
গ. অ ও ই নগরের শ্রেণিবিন্যাসের কোন পর্যায়ে পড়ে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ঈ, উ ও ঊ গড়ে ওঠার কারণ বর্ণনা কর। ৪
[সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ]

ক ধর্মীয় বা শিক্ষাবিস্তারের কারণে সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপভিত্তিক নগরের পত্তন দেখা যায়।
খ নগরায়ণ দুটি সম্পর্কযুক্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত :
১. গ্রামীণ এলাকা থেকে পৌর এলাকায় মানুষের আগমন এবং এর ফলে গ্রামীণ এলাকা অপেক্ষা পৌর এলাকায় বসবাসকারী জনসংখ্যার অনুপাত বৃদ্ধি পাওয়া;
২. নগরের সঙ্গে জড়িত সংস্কৃতির কতিপয় ধরনসহ গ্রামীণ এলাকায় পৌর প্রভাবের বিস্তার এবং এই প্রভাব প্রসার লাভ করার ফলে অতিমাত্রায় নগরায়িত সমাজে গ্রামীণ ও পৌর জনসংখ্যার মধ্যে সাংস্কৃতিক পার্থক্য হ্রাস পায়।
গ অ হলো যুক্তরাষ্ট্রের হনলুলু। এটি সমুদ্র সৈকত কেন্দ্রিক বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। ই হলো রাশিয়ার পিটার্সবার্গ। এটি সামরিক কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। কর্মক্লান্ত মানুষের ক্লান্তি দূর ও অবসর বিনোদনের জন্য সাধারণত শহর বা নগরের কোলাহলের বাইরে সমুদ্র সৈকত বা শৈল নিবাসে স্বাস্থ্য ও প্রমোদ কেন্দ্র গড়ে ওঠে। এমনই একটি শহর হলো যুক্তরাষ্ট্রের হনলুলু। স্বাস্থ্যনিবাস ও আমোদ প্রমোদকে কেন্দ্র করেই এ শহরটি বিস্তার লাভ করেছে। প্রতিরক্ষার প্রয়োজনে প্রতিটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে সামরিক ও নৌঘাঁটির দুর্গসমূহ গড়ে ওঠে। এসব স্থানকে আশ্রয় করে কালক্রমে নগর বিকাশ লাভ করে। রাশিয়ার পিটার্সবার্গ এই ধরনের একটি নগর।
ঘ ঈ, উ ও ঊ হলো যথাক্রমে ভারতের নয়াদিল্লি, মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া ও সৌদি আরবের মক্কা নগর। ভারতের নয়াদিল্লি হলো প্রশাসনিক নগর। মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া বাণিজ্যভিত্তিক নগর। আর সৌদি আরবের মক্কা সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপভিত্তিক নগর। সাধারণত মানুষের ক্রিয়াকলাপের প্রকৃতিভেদে নগর বসতিগুলো গড়ে ওঠে। এক্ষেত্রে জনসমষ্টির বৈশিষ্ট্য, মানুষের চালচলন, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি ক্ষেত্রে পার্থক্য দেখা দেয়। ঈ হলো ভারতের নয়াদিল্লি। ভারতের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল কেন্দ্র হলো এ শহর। শাসন ব্যবস্থার প্রয়োজনে এ শহরকে রাজধানীর রূপ দেওয়া হয় এবং এখানে পৌর বসতির প্রসার ঘটে। নগর কাঠামো গড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় যেসব প্রভাবক ভ‚মিকা রাখে, সেগুলো এখানে বিদ্যমান। উ হলো মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া। পণ্য বিনিময়কে কেন্দ্র করে বাণিজ্যভিত্তিক এ নগরটি গড়ে উঠেছে। মহাদেশীয় স্থলপথকে কেন্দ্র করে পণ্য বিনিময়ের মিলনস্থল হিসেবে এ নগর গড়ে উঠেছে। নগর কাঠামো গড়ে ওঠার সকল প্রভাবক এখানে সক্রিয়। ঊ হলো সৌদি আরবের মক্কা। হযরত মুহম্মদ (স) -এর কর্মভ‚মিকে কেন্দ্র করে এ শহরটি বিকশিত হয়েছে। এটি একটি সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপভিত্তিক নগর। নগর কাঠামো গড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় যেসব প্রভাবক ভ‚মিকা রাখে, এগুলো এ শহরে বিদ্যমান।

 অনুশীলনমূলক কাজের আলোকে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১০  গ্রামীণ বসতির ধরন ও বিন্যাস

‘ঢ’ স্থানের জমি উর্বর বলে কিছু পরিবার সেখানে বসতি গড়ে তুলেছে, যারা কৃষিকাজ করে। ‘ণ’ স্থানে একটি পরিবার মেষপালন করে জীবিকা নির্বাহ করে। ‘ত’ স্থানে রাস্তার কিনারার ধারে কয়েকটি পরিবার বসবাস করে।
ক. যুক্তরাষ্ট্রের খামার বসতি কোন ধরনের বসতির উদাহরণ? ১
খ. শহর বসতিতে পথঘাটের প্রাধান্য দেখা যায় কেন? ২
গ. ‘ঢ’ ও ‘ণ’ স্থানের বসতির ধরন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি গ্রামে নদীর তীরে বাস কর। ‘ঢ’, ‘ণ’ ও ত’-এর নিরিখে তোমার বসতির বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর। ৪

ক যুক্তরাষ্ট্রের খামার বসতি বিক্ষিপ্ত বসতির উদাহরণ।
খ শহরে বড় বড় অট্টালিকা গড়ে ওঠে। এছাড়া শহরে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, পার্ক ইত্যাদি গড়ে ওঠে। এসব জায়গায় প্রতিদিন অসংখ্য লোকজন চলাচল করে। এসব লোকের চলাচলে প্রয়োজন পড়ে অসংখ্য যানবাহনের। এছাড়াও শহরের অনেক লোকের নিজস্ব যানবাহন রয়েছে। প্রতিদিন অন্যান্য জেলা ও আশপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন কাজে বহু লোক শহরে ভিড় জমায়। তাই লোকজন এবং যানবাহন চলাচলের জন্য শহর বসতিতে পথঘাটের প্রাধান্য দেখা যায়।
গ ‘ঢ’ স্থানের জমি উর্বর বলে কৃষির ফলন ভালো হয়। তাই এখানে গোষ্ঠীবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ বসতি গড়ে ওঠে। এসব বসতির লোকজন কৃষিকাজের সাথে জড়িত। উদ্দীপকে তা নির্দেশিত হয়েছে। এরূপ বসতিতে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ির দূরত্ব কম। সামাজিক বন্ধন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্যই বাসগৃহগুলোর মধ্যে পরস্পরের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। সমাজবদ্ধ জীব হিসেবে নিজস্ব প্রয়োজনে এবং নিরাপত্তার জন্য তারা একত্রে বসবাস করে। ভ‚প্রকৃতি, উর্বর মাটি ও জলের উৎসের ওপর নির্ভর করে এ ধরনের বসতি গড়ে ওঠে। অন্যদিকে ‘ণ’ স্থানে যে ধরনের বসতি গড়ে উঠেছে তা হলো বিক্ষিপ্ত বসতি। এ ধরনের বসতিতে একটি পরিবার অন্য পরিবার থেকে বহুদূরে বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করে। এগুলো অতি ক্ষুদ্র পরিবারভুক্ত বসতি। অধিবাসীদের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা বিরাজ করে। এ ধরনের বসতি বন্ধুর ভ‚প্রাকৃতিক অঞ্চলে গড়ে ওঠে। অস্ট্রেলিয়ার মেষপালন কেন্দ্র এ ধরনের বসতির উদাহরণ। উদ্দীপকে এর ইঙ্গিত রয়েছে। এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা কষ্টসাধ্য। এ ধরনের বসতি গড়ে ওঠার অন্যতম কারণ জলাভাব, জলাভ‚মি ও বিল অঞ্চল, ক্ষয়িত ভ‚মিভাগ, বনভ‚মি, অনুর্বর মাটি ইত্যাদি।
ঘ ‘ঢ’ স্থানের বসতির ধরন হলো গোষ্ঠীবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ বসতি, ‘ণ’ স্থানের বসতির ধরন হলো বিক্ষিপ্ত বসতি। ‘ত’ স্থানের বসতির ধরন হলো রৈখিক বসতি যা রাস্তার কিনারে গড়ে উঠেছে। আমি গ্রামে নদীর তীরে বাস করি। আমাদের গ্রামের সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী জীবিকা অর্জনের জন্য প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষত কৃষির ওপর নির্ভরশীল। গ্রামে প্রচুর কৃষি জমি আছে। এখানে বেশ কয়েকটি পরিবার একত্রিত হয়ে বাস করছে। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ির দূরত্ব কম ও বাসগৃহগুলো প্রায় ক্ষেত্রেই একত্রে সন্নিবেশিত হয়েছে এবং বাড়িগুলো রৈখিক আকৃতিকে নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অর্থাৎ এখানে বসতির ‘ত’ ধরন রয়েছে। সামাজিক বন্ধন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য আমাদের গ্রামে বাসগৃহগুলোর মধ্যে পরস্পরের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। পানীয়জলের ঘাটতি গ্রামে নেই। গ্রামের মানুষ তার নিজের প্রয়োজনে এবং নিরাপত্তার জন্য একত্রে বসবাস করছে। গ্রামের বাড়িগুলোর সাথে যোগাযোগের জন্য রাস্তা গড়ে উঠছে। এ ধরনের বসতি হলো গোষ্ঠীবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ বসতি যা ‘ঢ’ বসতি নির্দেশ করে। সুতরাং এ কথা বলা যায় আমি ‘ঢ’ ধরনের বসতিতে বাস করছি যার আকৃতি ‘ত’ বসতির।

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ জীবন ধারণের জন্য মানুষের প্রথম ও প্রধান চাহিদা কী?
উত্তর : জীবন ধারণের জন্য মানুষের প্রথম ও প্রধান চাহিদা হলো বিশুদ্ধ পানীয় জল।
প্রশ্ন \ ২ \ নীল নদের অববাহিকায় কোন নগর গড়ে উঠে?
উত্তর : নীল নদের অববাহিকায় মেমফিস ও থেবস নগর গড়ে ওঠে।
প্রশ্ন \ ৩ \ মহেঞ্জদাড়ো, হরাপ্পা নগর কোন নদীর অববাহিকায় গড়ে ওঠে?
উত্তর : মহেঞ্জদাড়ো, হরাপ্পা নগর সিন্ধু নদীর অববাহিকায় গড়ে ওঠে।
প্রশ্ন \ ৪ \ প্রাচীনকালে কোন শহর সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ছিল?
উত্তর : প্রাচীনকালে রোম শহর সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ছিল।
প্রশ্ন \ ৫ \ মুম্বাই ও হলিউড কিসের জন্য বিখ্যাত?
উত্তর : মুম্বাই ও হলিউড চলচ্চিত্রের জন্য বিখ্যাত।
প্রশ্ন \ ৬ \ দুটি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নগরের নাম লেখ।
উত্তর : দুটি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নগরের নাম হলোÑ ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও ইতালির পিসা।
প্রশ্ন \ ৭ \ মক্কা, জেরুজালেম, বারানসী প্রভৃতি কী ধরনের শহর?
উত্তর : মক্কা, জেরুজালেম, বারানসী প্রভৃতি সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপভিত্তিক ধরনের শহর।
প্রশ্ন \ ৮ \ মিয়ামী ও হনলুলু কী ধরনের কেন্দ্র?
উত্তর : মিয়ামী ও হনলুলু স্বাস্থ্য নিবাস ও বিনোদনের কেন্দ্র।
প্রশ্ন \ ৯ \ বিশ্বের জনসংখ্যার কত ভাগ শহরে বাস করে?
উত্তর : বিশ্বের জনসংখ্যার শতকরা ৪০ ভাগ শহরে বসবাস করে।
প্রশ্ন \ ১০ \ বাংলাদেশে জনপ্রতি কৃষিজমির পরিমাণ কত?
উত্তর : বাংলাদেশে জনপ্রতি কৃষি জমির পরিমাণ ০.০৫ একর।
প্রশ্ন \ ১১ \ ঢাকা নগরীতে বর্তমানে প্রতিদিন কত কোটি গ্যালন পানি প্রয়োজন?
উত্তর : ঢাকা নগরীতে বর্তমানে প্রতিদিন ২৮.৫ কোটি গ্যালন পানি প্রয়োজন।
প্রশ্ন \ ১২ \ স্বাস্থ্যসংস্থার হিসাব অনুযায়ী একজন মানুষের গড়ে দৈনিক কত গ্যালন পানি প্রয়োজন?
উত্তর : স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী একজন মানুষের গড়ে দৈনিক ৭ গ্যালন পানি প্রয়োজন।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ঢাকা শহরে দিনে গড় পড়তা কত টন বর্জ্য শহরের নিচু খোলা জায়গায় ফেলা হয়?
উত্তর : ঢাকা শহরে দিনে গড়পড়তা ৯০০ টন বর্জ্য শহরের নিচু খোলা জায়গায় ফেলা হয়।

 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ গ্রামীণ বসতি কাকে বলে?
উত্তর : যে বসতির সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী জীবিকার্জনের জন্য প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষত কৃষির ওপর নির্ভরশীল সেই বসতিকে সাধারণভাবে গ্রামীণ বসতি বলে।
প্রশ্ন \ ২ \ নগর বসতি কাকে বলে?
উত্তর : যে বসতি অঞ্চলে অধিকাংশ অধিবাসী প্রত্যক্ষ ভ‚মি ব্যবহার ব্যতীত অন্যান্য অকৃষিকার্য যেমন গ্রামীণ অধিবাসীদের উৎপাদিত দ্রব্যাদির শিল্পজাতকরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, প্রশাসন, শিক্ষা-সংক্রান্ত কার্য প্রভৃতি পেশায় নিয়োজিত থাকে, তাকে নগর বসতি বলে।
প্রশ্ন \ ৩ \ গ্রামীণ বসতি বিচ্ছিন্নভাবে গড়ে ওঠে কেন?
উত্তর : গ্রামীণ বসতি বিচ্ছিন্নভাবে গড়ে ওঠার কারণ হলো গ্রামে প্রচুর জমি থাকে। স্বভাবতই, গ্রামবাসীরা খোলামেলা জায়গায় বাড়ি তৈরি করতে পারেন। তাই গ্রামীণ বসতি বিচ্ছিন্নভাবে গড়ে ওঠে।
প্রশ্ন \ ৪ \ গ্রামীণ বসতি ও শহর বসতির ঘরবাড়ির কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য কেমন?
উত্তর : ঘরবাড়ির কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য, নির্মাণ উপকরণ, বাড়ির নকশা ইত্যাদির বিচারে গ্রামীণ বসতি সহজেই চিনে নেওয়া যায়। শহরের ইট-সিমেন্টের নির্মাণ স্থাপনা থেকে গ্রামের মাটির, কাঠের, পাথরের বাড়িকে সহজেই আলাদা করা যায়। কৃষি প্রধান গ্রামে গোলাবড়ি, গোয়ালবাড়ি, ঘরের ভিতরে উঠান এসব অতি পরিচিত দৃশ্য। গ্রামে উঠানের চারপাশ ঘিরে শোবার ঘর, রান্নার ঘর, গোয়ালঘর তৈরি করা হয়। উঠানে গৃহস্থদের ধান সেদ্ধ করা, শুকানো এবং ধান ভাঙ্গা ছাড়াও নানান কাজ করে থাকে। গ্রামে শোবার ঘর, রান্না ঘর, গোয়ালঘর আলাদাভাবে গড়ে উঠে যা শহরে হয় না।
প্রশ্ন \ ৫ \ গ্রামবাসীদের মধ্যে সহজ ও সরল আন্তরিকতা দেখা যায় কেন?
উত্তর : গ্রাম প্রধানত খাদ্য উৎপাদক অঞ্চল। কৃষিকাজের বিভিন্ন অবস্থায় অর্থাৎ বীজতলা তৈরি, চারা রোপণ, ফসল কাটা ও গোলাজাত করা ইত্যাদি ব্যাপারে পরস্পরের সহযোগিতার প্রয়োজন হয় বলে গ্রামবাসীদের মধ্যে একটি সহজ ও সরল আন্তরিকতা দেখা দেয়।
প্রশ্ন \ ৬ \ গ্রামীণ জনপদের মানুষের পেশা কী?
উত্তর : গ্রামীণ বসতি প্রাথমিক উৎপাদন অর্থাৎ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই গ্রামীণ জনপদের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী। কিছু গ্রামীণ বসতি আছে যেগুলো কৃষি ছাড়াও অন্যান্য প্রাথমিক উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল। জীবিকার প্রধান উৎস অনুসারে এগুলোকে জেলে গ্রাম, মৃৎশিল্পের কুমোরপাড়া, লৌহজাত দ্রব্য তৈরির কামারপাড়া ইত্যাদি নামে চিহ্নিত করা যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় এ ধরনের অনেক গ্রাম রয়েছে।
প্রশ্ন \ ৭ \ বড় বড় শহরে বস্তি গড়ে উঠছে কেন?
উত্তর : মূলত কাজের সন্ধানে এবং অন্যান্য কারণে বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ইত্যাদি শহরে দলে দলে গ্রাম থেকে মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। গ্রাম থেকে যারা শহরে ছুটে আসছে তাদের বেশিরভাগই দরিদ্র শ্রেণির। শহরের আবাসিক এলাকার মধ্যে তারা স্থান না পেয়ে বস্তি গড়ে তুলছে।
প্রশ্ন \ ৮ \ কৃষি জমির নিকট জনবসতি গড়ে ওঠে কেন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জনবসতি গড়ে ওঠার পেছনে ভ‚প্রকৃতি ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। সমতল ভ‚মিতে কৃষিকাজ সহজে করা যায়, কিন্তু পাহাড়ি এলাকার ভ‚মি অসমতল হওয়ায় কৃষি কাজ করা তেমন সম্ভব হয় না। উপরন্তু যাতায়াতের সুবিধার জন্য কৃষি জমির নিকটে জনবসতি তৈরি হয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ বাংলাদেশের বনাঞ্চলে জনবসতি ছড়ানো কেন?
উত্তর : বনাঞ্চলে সাধারণত ছড়ানো জনবসতি বেশি দেখা যায়। বন যত বেশি গভীর জনবসতিও তত বেশি ছড়ানো থাকে। যেমন : বাংলাদেশের সুন্দরবন, মধুপুর ও ভাওয়ালের বনে জনবসতি ছড়ানো।
প্রশ্ন \ ১০ \ পশুচারণ এলাকায় বিক্ষিপ্ত জনবসতি গড়ে ওঠে কেন?
উত্তর : পশুচারণ এলাকায় সাধারণত ছড়ানো বসতি দেখা যায়। পশুচারণের জন্য বড় বড় এলাকার দরকার হয়। ফলে নিজেদের সুবিধার জন্য তারা বিক্ষিপ্তভাবে বসতি স্থাপন করে থাকে।
প্রশ্ন \ ১১ \ শহরের তুলনায় গ্রামে উচ্চ জন্মহার ও মৃত্যুহারের কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : শহরে জন্মহার ও মৃত্যুহার গ্রামের মতো উচ্চ নয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধিরোধকল্পে শহরের লোকেরা কোনো না কোনো নিয়ন্ত্রণমূলক পদ্ধতি অবলম্বন করে। গ্রামের লোক পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতন নয়। কিন্তু শহরের লোকেরা দেশের জনাধিক্য সমস্যা সম্পর্কে অপেক্ষাকৃত সচেতন থাকে। এছাড়া নিরক্ষরতা, কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি, বিনোদনের সুযোগ-সুবিধার অভাব প্রভৃতি গ্রামীণ অধিবাসীদের উচ্চ জন্মহার ও মৃত্যুহারের জন্য দায়ী।
প্রশ্ন \ ১২ \ ঢাকা শহরবাসী পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় কেন?
উত্তর : ঢাকা শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সর্বোত্তম বিবেচিত হলেও ময়লা আবর্জনার ভারে আজ বুড়িগঙ্গা বিপর্যস্ত এবং ওয়াসা এ নদীর পানি চাঁদনিঘাট থেকে আহরণ করে পরিশোধন ও বিতরণ করে থাকে। সতর্কতা সত্তে¡ও দেখা যায় অনেক বস্তি এলাকার লোকজন এসব পানি ব্যবহার করে এবং চর্মরোগসহ কলেরা, টাইফেয়ড, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয়।
প্রশ্ন \ ১৩ \ বায়ুবাহিত রোগের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তর : জনসংখ্যার বৃদ্ধিজনিত কারণে যানবাহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। এসব যানবহনের ধোঁয়ার সাথে অবাধে পলিনিউক্লিয়ার হাইড্রোকার্বন, সিসা, অ্যাসবেসটস, পারদ, নিকেল, সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড প্রভৃতি বিষাক্ত পদার্থ ভেসে বেড়ায়। যার কারণে হাঁপানি, সর্দি, কাশি ও অন্যান্য এলার্জিজনিত রোগের মাত্রা বেড়ে যায়।
প্রশ্ন \ ১৪ \ নগরে কীভাবে পরিবেশের অবক্ষয় ঘটছে?
উত্তর : নগরে পরিকল্পনার অভাবে পরিবেশের অবক্ষয় ঘটে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ বাসস্থানের তীব্র সংকট সৃষ্টি করে। গ্রাম থেকে আগত মানুষ সৃষ্টি করে বস্তি। যার কারণে সৃষ্টি হয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং ক্রমান্বয়ে ব্যাপক এলাকার পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ে। এছাড়া রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, চিত্তবিনোদন ব্যবস্থা, সহজলভ্য জ্বালানি, হাট-বাজার ইত্যাদি নগরায়ণের আবশ্যকীয় উপাদান। ক্রমবর্ধমান নগরবাসীর জন্য তাৎক্ষণিক ভিত্তিতে এসবের ব্যবস্থা করা দুরূহ ব্যাপার। তাছাড়া পরিকল্পনাহীন ব্যবস্থাপনা ও দুর্বল অর্থনীতির কারণে পরিকল্পিত নগরায়ণ গড়ে তোলা আরও কঠিন। যার ফলে ঘটছে পরিবেশ অবক্ষয়।

 

 

Leave a Reply