গরবিনী মা-জননী
সিকান্দার আবু জাফর
লেখক পরিচিতি
নাম সিকান্দার আবু জাফর।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : সাতক্ষীরা।
পিতৃ-মাতৃপরিচয় পিতার নাম : সৈয়দ মঈনুদ্দীন হাশেমী।
শিক্ষাজীবন তালা বি.দে ইন্সটিটিউশন থেকে ১৯৩৬ সালে ম্যাট্রিক পাস। কিছু কাল কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে অধ্যয়ন।
পেশা/কর্মজীবন সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে প্রথম দিকে কলকাতায় ‘দৈনিক নবযুগ’-এ সাংবাদিকতা। দেশভাগের পর ১৯৫৩-তে ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এর সহযোগী সম্পাদক, ১৯৫৪-তে ‘দৈনিক মিল্লাত’-এর প্রধান সম্পাদক, ১৯৫৭-১৯৭০ পর্যন্ত মাসিক ‘সমকাল’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। ১৯৫৮-তে ‘সমকাল মুদ্রায়ণ’ নামে একটি ছাপাখানা ও ‘সমকাল’ প্রকাশনী’ নামে একটি প্রকাশনালয় স্থাপন।
সাহিত্য সাধনা কাব্যগ্রন্থ : প্রসন্ন প্রহর, বৈরীবৃষ্টিতে, তিমিরান্তিক, কবিতা, বৃশ্চিক লগ্ন, বাঙলা ছাড়ো। নাটক : শকুন্ত উপাখ্যান, সিরাজউদ্দৌলা, মহাকবি আলাওল। উপন্যাস : মাটি আর অশ্রæ, পূরবী, নতুন সকাল । গল্পগ্রন্থ : মতি আর অশ্রæ। কিশোর উপন্যাস : জয়ের পথে, নবী কাহিনী (জীবনী, । অনুবাদ : রুবাইয়াৎ ওমর খৈয়াম, সেন্ট লুইয়ের সেতু, বারনাড মালামুডের যাদুর কলস, সিংয়ের নাটক । গান : মালব কৌশিক।
পুরস্কার ও সম্মাননা ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ
জীবনাবসান ৫ আগস্ট, ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দ।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
মা দিবসে রতœগর্ভা স্বীকৃত মায়েদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাহেদা বেগমের বড় ছেলে সাজিদ অনুভ‚তি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন- আমাদের মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা। আমরা পিঠাপিঠি পাঁচ ভাই-বোন যখন খুব ছোট, তখনই বাবাকে হারালাম। মাকে কখনো ভেঙে পড়তে দেখিনি। দুঃখ-দারিদ্র্য-অভাব আমাদের নিত্য সঙ্গী ছিল। মা সব সময় আমাদেরকে খুশি রেখে, পড়াশুনা শিখিয়ে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তোমাকে শত সালাম ‘মা’। তোমার মুখের হাসির জন্য আমরা যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।
ক. সন্ধ্যা দুপুর মার পায়ে কী বাজে?
খ. ‘রক্তে ধোওয়া সরোজিনী’- বলতে কি বোঝানো হয়েছে?
গ. সাজিদের মাধ্যমে ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার কোন বিশেষ দিকটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ.“প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপক ও ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার বক্তব্য একই ধারায় প্রবাহিত”- বিশ্লেষণ কর।
ক সন্ধ্যা দুপুর মায়ের পায়ে ধুলার নূপুর বাজে।
খ ‘রক্তে ধোওয়া সরোজিনী’ বলতে বাংলা মাকে রক্তের জলে ¯œান করা পদ্ম ফুলের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে বাংলা মাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। বর্গিদের হামলা ও কায়েমিগোষ্ঠীদের হামলায় বারবার নদীমাতৃক এ বাংলার স্বচ্ছ জল টকটকে লাল হয়েছে। তাই কবি বাংলা মাকে বীরদের রক্তের জলে ¯œান করা সরোজিনী বলে অভিহিত করেছেন।
গ সাজিদের বক্তব্যের মাধ্যমে ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় দেশমাতৃকার রক্ষার প্রয়োজনে বাংলার সূর্য সন্তানরা যে আত্মত্যাগ করতে পিছপা হয় না- সে বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় আমরা পুণ্যবতী বাংলা মাকে দেখি। যিনি বীর সন্তান প্রসবের গরবে গরবিনী। আর বাংলা মা কেনইবা গরবিনী হবে না- কারণ তার প্রিয় ছেলেরাতো কোনো শাসন কারা, কোনো মরণ মারের দণ্ডকে পরোয়া করে না। যেকোনো প্রয়োজনে বাংলার বীর সন্তানরা আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত।
উদ্দীপকের সাজিদের বক্তব্যের মধ্যেও ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় আত্মত্যাগের সুর ধ্বনিত হয়েছে। বাংলা মা আর নিজের মা কোনো আলাদা সত্তা নয়। দুইয়ের ¯েœহ ছায়ায় আমরা বেড়ে উঠি। তাই বাংলা মা হোক আর রক্ত সম্পর্কের মা হোক, মায়ের সুখের জন্য যেকোনো সন্তানই আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত। মূলত ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতা ও উদ্দীপকে বাংলা মায়ের সন্তানদের যেকোনো প্রয়োজনে আত্মত্যাগের বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
ঘ “প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপক ও ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার বক্তব্য একই ধারায় প্রবাহিত”- উক্তিটি যথাযথ।
‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় আমরা দেখি বাংলা মায়ের হাজার হাজার বীর ছেলে আছে। যারা বাংলা মায়ের নামে পাগল। মায়ের নামে ভয়ঙ্করের দুর্বিপাকে ঝাঁপিয়ে পড়তে তারা দ্বিতীয় বার ভাবে না। দুখের ধূপে সুখকে পুড়িয়ে তারা বাংলা মায়ের মুখ উজ্জ্বল রাখে।
উদ্দীপকের সাজিদ ও তার রক্ত সম্পর্কের মায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে। সে রোজ একটু একটু করে বড় হয়েছে হয়েছে আর সাহসী মায়ের আত্মত্যাগকে অবলোকন করেছে। আজ সাজিদ যৌবনের মধ্য গগনে দাঁড়িয়ে, শক্তি আর তারুণ্যে ভরপুর। আজ সে মায়ের একটু সুখের জন্য নিজের সকল সুখভোগকে বিসর্জন দিতে পারে। যেকোনো আত্মত্যাগের জন্য সাজিদ প্রস্তুত।
তাই এ কথা নির্দ্বিধায় বলা চলে উদ্দীপকে ও কবিতায় দুই মায়ে মায়ের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। একজন বাংলা মা অন্যজন নিজ মা। কিন্তু প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উভয়ক্ষেত্রে চেতনার ভিত্তি ভ‚মি এক এবং একই ভাবধারায় প্রবাহিত।
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
শাহেদ মেধাবী ছাত্র। বাবা মারা গেছে ছোট বেলায়। তার মা অনেক কষ্টে তাকে বড় করে। অনেক কষ্টে মা তার লেখাপড়ার খরচ চালায় এবং মায়ের ঐকান্তিক চেষ্টায় সে ডাক্তার হয়েছে। পাস করার পর সে মাকে বলে,- “আমার চেয়ে ভাগ্যবান পৃর্থিবীতে আর কেউ নেই। কারণ আমি তোমার সন্তান।”
ক. উজল কোন শব্দের কোমল রূপ? ১
খ. ‘তোর মত আর পুণ্যবতী, ভাগ্যবতী বল মা কে?’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের শাহেদের মায়ের সাথে ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার সাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ. ‘আমার চেয়ে ভাগ্যবান পৃথিবীতে আর কেউ নেই। কারণ আমি তোমার সন্তান।’- কথাটি ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার মূল ভাষ্যটি ধারণ করেছে। – বিশ্লেষণ কর। ৪
ক উজল ‘উজ্জ্বল’ শব্দের কোমল রূপ।
খ ‘তোমার মত আর পুণ্যবতী ভাগ্যবতী বল মা কে।’- চরণটি দ্বারা বাংলা মা তথা বাংলাদেশের প্রশস্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের মাটি লক্ষ লক্ষ শহিদের রক্তে ভেজা। এ মাটির জন্য এদেশের সন্তানেরা অকাতরে প্রাণ দিয়েছে। তাছাড়া এদেশের মাটিতে দেহ রেখেছেন জ্ঞানী, গুণি, শিল্পী, সাহিত্যিক, গবেষক কতো মানুষ। দেশের বীর সন্তানদের আত্মত্যাগের জন্য বাংলা মাকে পুণ্যবতী, ভাগ্যবতী বলা হয়েছে।
গ আলোচ্য উদ্দীপকের শাহেদের মায়ের সাথে কবি সিকান্দার-আবু জাফর রচিত ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
উদ্দীপকে আমরা দেখি মেধাবী ছাত্র শাহেদ তার মায়ের কষ্ট দেখে বড় হয়। মায়ের আপ্রাণ চেষ্টায় সে ডাক্তার হয়। মায়ের প্রতি শাহেদের অসামান্য ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশিত হয়েছে এই উদ্দীপকের মধ্যে।
গরবিনী-মা-জননী কবিতায় আমরা দেখি কবি জন্মভ‚মি বাংলার মাহাত্ম্য কীর্তন করেছেন এবং সর্বক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ বাঙালি সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য দেশকে ভাগ্যবতী মা জননী হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। দেশ মাকে বাঁচাতে এদেশের হাজারো সন্তানের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে কবি দেশকে ভাগ্যবতী বলেছেন। তাই বলা যায় উদ্দীপক এবং কবিতার মধ্যে সমভাব প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ ‘আমার চেয়ে ভাগ্যবান পৃথিবীতে আর কেউ নেই। কারণ আমি তোমার সন্তান’ শাহেদের এরূপ মন্তব্যটির মধ্যদিয়ে আমরা ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার মূল বক্তব্যের সাদৃশ্য দেখতে পাই।
উদ্দীপকের শাহেদ তার মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা থেকে বলেছে আমার মতো ভাগ্যবান পৃথিবীতে আর কেউ নেই। কারণ মায়ের অসামান্য ত্যাগের বিনিময়ে সে ডাক্তার হয়েছে । তার এই উক্তি আসলে নিজের মায়ের প্রতি অসামান্য কৃতজ্ঞতাবোধের প্রকাশ।
আমরা ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় দেখি, কবি দেশ মাকে ভাগ্যবতী, গর্বিত মা হিসাবে ব্যক্ত করেছেন। কারণ এদেশের সন্তানেরা দেশ মাকে রক্ষা করতে অকাতরে প্রাণ দিয়েছে। এদেশ যেমন রূপসী, তেমনি এর সন্তানেরা অদম্য সাহসী। এদেশের সব শ্রেণি পেশার মানুষ নিজের অবস্থান থেকে দেশ রক্ষার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এদেশের বীর কন্যারা দেশের জন্য তাদের সম্ভ্রম বিসর্জন দিয়েছে। আবার দেশ মা তার সন্তানকে সর্বস্ব দিয়ে আগলে রেখেছে। দেশের জন্য তাই আমরা কৃতজ্ঞ।
একই কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশিত হতে দেখি উদ্দীপকের শাহেদের কথার মধ্যেও। প্রকৃতপক্ষে শাহেদের বলা শেষ উক্তিটি ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার সামগ্রিক ভাব ধারণ করে।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ
“মাগো ভাবনা কেন?
আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে
তবু শত্রæ এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা আমরা।
প্রতিবাদ করতে জানি।”
ক. কীসের বিলাপে বাংলা মায়ের তন্দ্রা ভেজে? ১
খ. মরণ-মারের দণ্ড বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকটি ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করেনি।” – কথাটি যুক্তিসহ উপস্থাপন কর। ৪
ক ক্লান্ত ঘুঘুর বিলাপে বাংলা মায়ের তন্দ্রা ভেজে।
খ ‘মরণ মারের দণ্ড- উক্তিটির দ্বারা মরণের আঘাত থেকে প্রাপ্ত শাস্তির কথা বুঝানো হয়েছে।
বাংলা মায়ের সন্তানেরা দুর্বার। নিজের জীবন উৎসর্গ করে তারা দেশমাতৃকার গর্ব ধরে রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর তাই মরণের ঝুঁকি তুচ্ছ করে যেকোনো দণ্ড মেনো নিতে প্রস্তুত। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য সন্তানের ত্যাগের জন্য দেশ ধন্য। এদেশের সন্তানেরাই তো মুক্তির জন্য মাইন বুকে বেঁধেছে। নিজের জীবনকে তুচ্ছ ভেবেছে। ত্যাগের মহিমাই এই কবিতার মূল কথা।
গ উদ্দীপকে কবিতাংশের সাথে ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার ভাব ও বিষয়গত সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।
‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় আমরা দেখি, কবি দেশ মায়ের সন্তানদের পরিচয় যেমন তুলে ধরেছেন। তেমনি দেশের জন্য তাদের ত্যাগ স্বীকারের বর্ণনাও দিয়েছেন। কবি বলেছেন, বাংলা মায়ের সন্তানেরা নিজের ও দেশের জন্য মরণকে বরণ করে নিতেও প্রস্তুত। তাই, যেকোনো দুর্বিপাকে, যেকোনো ঝঞ্জা বিক্ষুব্ধ সময়ে অত্যাচারির বুলেট বুক পেতে সহ্য করতে সদা প্রস্তুত।
উদ্দীপকে আমরা দেখি দেশের জন্য, দেশমাতার জন্য তার সন্তানেরা উদ্গ্রীব। দেশের যেকোনো দুর্বিপাকে তারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে অঙ্গিকারবদ্ধ। সময়ের প্রয়োজনে সব কিছু ফেলে তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সর্বদা প্রস্তুত।
এভাবে উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতার মধ্যে আমরা দেখি অভিন্ন বিষয় ও ভাব প্রকাশিত হয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই দেশের জন্য ভালোবাসা ও সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়েছে।
ঘ উদ্দীপকটি ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার সম্পূর্ণ ভাব ধারণে ব্যর্থ হয়েছে। – কথাটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। উদ্দীপকটি গরবিনী মা-জননী কবিতার ভাব ও বিষয়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। তবে কবিতার একটি বিষয় উদ্দীপকটিতে প্রতিফলিত হয়নি।
‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় আমরা দেখি কবি মাতৃভ‚মিকে মা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। মাতৃভ‚মির রূপ বর্ণনায় মুখর হয়েছেন। এরপর মাতৃভূমির জন্য তার সূর্য সন্তানদের ত্যাগের মহিমা ব্যক্ত করেছেন এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাংলা মায়ের সন্তানদের বিভিন্ন কাজের বর্ণনা দিয়েছেন। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই বাংলা মায়ের সম্মান রক্ষার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আর এই কারণে বাংলা মা ভাগ্যবতী ও গর্বিত।
উদ্দীপকে আমরা দেখি, দেশের প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা থেকে দেশ মাতাকে সবার উপরে স্থান দেওয়া হয়েছে। দেশের মঙ্গলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত হয়েছে। অর্থাৎ দেশপ্রেম ও স্বদেশ বন্দনার বিষয় ও ভাব উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে।
এভাবে উদ্দীপকে ও কবিতায় আমরা সমানভাবে একটি অভিন্ন ভাব ও বিষয়ের প্রকাশ দেখি। শুধুমাত্র মাতৃভ‚মির রূপ বর্ণনার বিষয়টি উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলা যায় উদ্দীপকের বক্তব্যটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
“জন্মভ‚মি তুমিই মা
তোমার কোনো নাই তুলনা।
আলো-বাতাস শস্য দানা।
তোমার কাছে পাই।
জীবনে মরণে তোমার পরশে
অঙ্গ জুড়াতে চাই।”
ক. বাংলা মায়ের আঁচল কেমন? ১
খ. ‘মেয়েরা কান্না ফুলের নকশা বোনে’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের মধ্যে ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে- উপস্থাপন কর। ৩
ঘ.“জীবনে মরণে তোমার পরশে অঙ্গ জুড়াতে চাই”- কথাটির মধ্যে প্রকাশিত প্রত্যাশা মূলত ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার অন্তর্নিহিত প্রত্যাশার সমার্থক। – কথাটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বাংলা মায়ের আঁচল সবুজ তৃণের।
খ ‘মেয়েরা কান্না ফুলের নকশা বোনে’- কথাটি দিয়ে বাংলার মায়ের বীর কন্যাদের ত্যাগের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলা মা অনেক ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন। লক্ষ লক্ষ সন্তানের রক্তের বিনিময়ে এ মাটির সম্মান অক্ষুণœ আছে। বাংলার মাটিতে শুয়ে আছে অসংখ্য জ্ঞানী-গুণি মানুষ। এ মাটির সন্তান মেয়েরাও পিছিয়ে নেই। নিজের সম্ভ্রমের বিনিময়ে তারা দেশের সম্মান বাঁচিয়েছে। নিজেদের সম্মান হারানোর শোক তারা প্রকাশ করেছে প্রতিদিনের কাজের মধ্যদিয়ে। তাদের শিল্পীত মনের সূচিকর্মের মধ্যদিয়ে। মূলত মেয়েদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত দেশের সম্মানকে মহিমান্বিত করতে আলোচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।
গ উদ্দীপকে কবিতাংশের মধ্যে ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার মাতৃভ‚মির বর্ণনা তথা মহত্তে¡র দিকটি প্রকাশিত হয়েছে।
‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় আমরা দেখি কবি মাতৃভ‚মিকে ভাগ্যবতী হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। কবির কাছে স্বদেশ মা-জননী, নদীর জল এর তার চোখের কাজল, পথের ধুলা, তার পায়ের নূপুর, সবুজ ঘাসের প্রান্তর তার বুকের আঁচল ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে কবি অভিভ‚ত দেশমাতৃকার রূপে।
উদ্দীপকে আমরা দেখি জন্মভ‚মিকে মা হিসাবে সম্বোধন করা হয়েছে। দেশ মায়ের আলো বাতাস, ফুল-ফসল নিয়ে বাঁচার কথাও বলা হয়েছে। আর তাই, এই দেশেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আশাবাদ ব্যক্ত হয়েছে।
অর্থাৎ উদ্দীপকে বর্ণিত বর্ণনা কবিতার মূলভাব ও বিষয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
ঘ “জীবনে মরণে তোমার পরশে অঙ্গ জুড়াতে চাই”।- কথাটির মধ্যে দেশের প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ও দেশমাতৃকার জন্য হৃদয়ের গভীর থেকে শ্রদ্ধা নিবেদিত হয়েছে। এটি ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার অন্তর্নিহিত প্রত্যাশার সাথে বিশেষভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ।
আমরা ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় দেখি, কবি দেশমাতাকে ভাগ্যবতী বলেছেন। দেশের নদী, সবুজ মাঠ, পথের ধুলা, ভোরের শিশির – এসব কিছুই কবির কাছে মনে হয়েছে দেশ মায়ের অপরূপ শোভাবর্ধনকারী উপাদান। আবার দেশের জন্য বীর সন্তানের সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমা বর্ণিত হয়েছে। দেশের সম্মানের জন্য এদেশের সন্তানেরা নিজের জীবন বাজি রাখতে এবং বীর কন্যারা নিজের সম্মান বিসর্জন দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
আবার উদ্দীপকেও আমরা দেখি, দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশিত হয়েছে। দেশের মাটিতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের প্রত্যাশা ব্যক্ত হয়েছে। অর্থাৎ দেশ মায়ের কোলে শেষ আশ্রয় খোঁজার ব্যাকুলতা আমরা উদ্দীপকে পাই।
এভাবে দেখা যায় আলোচ্য ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার অন্তর্নিহিত প্রত্যাশাটির মধ্যে যে ভাব ব্যক্ত করেছে উদ্দীপকের মমার্থের মধ্যেও সে ভাব প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং দুটো ভাবধারাই সমার্থক।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
২৬ শে মার্চ পাকিস্তানের সৈন্যরা হায়নার মতো এদেশের মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। নিরীহ মানুষকে তারা নির্বিচারে হত্যা করে। মা-বোনের সম্মান নষ্ট করে। তাদের অত্যাচারের জবাব দিতে যুদ্ধ শুরু করে এদেশের যুব সমাজ। দেশের স্বাধীনতার জন্য তারা বুকে মাইন বেঁধে পাকিস্তানি ট্যাংকের নিচে ঝাঁপ দেয়। দেশকে মুক্ত করতে তারা নিজের জীবন বাজি রাখে।
ক. ‘সরোজ’ মানে কী? ১
খ. ‘দুখের ধূপে সুখ পুড়ানো’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত দেশপ্রেম ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ -ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“মা ও মাতৃভ‚মি সমার্থক।” কথাটি উদ্দীপক ও ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ‘সরোজ’ মানে হচ্ছে পদ্ম।
খ ‘দুঃখের ধূপে সুখ পুড়ানো’ কথাটি ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার বিশেষ চরণ। এখানে দেশের জন্য নিজেকে বিসর্জন দেওয়ার কথাটি ব্যক্ত হয়েছে।
‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় আমরা দেখি, কবি দেশকে মা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। দেশের প্রতি অসম্ভব ভালোবাসায় আসক্ত কবি দেশ মায়ের জন্য সন্তানদের ত্যাগের বর্ণনা দিয়েছেন। তাই আমরা দেখি দেশ মাতাকে বাঁচাতে বুলেট বুকে ধারণ করতে পিছপা হয় না বাংলায় বীর সন্তানেরা। আবার দেশের জন্য ফাঁসির দড়ি গলায় পড়তেও তারা কুণ্ঠিত নয়।
এসব কারণেই কবি বলেছেন এদেশের সূর্য সন্তানরা দুঃখের ধূপে সুখ পুড়াতে পারে। অর্থাৎ নিজের সুখ বিলিয়ে দিয়ে দেশের কল্যাণ করতে পারে।
গ উদ্দীপকে স্বদেশের প্রতি অসামান্য ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে। এই দেশপ্রেমের প্রকাশ আমরা ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতাতেও দেখতে পাই।
‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় কবি সিকান্দার আবু জাফর দেখিয়েছেন। দেশের জন্য, মাতৃভ‚মির জন্য মা-বোনেরা তাঁদের সম্ভ্রম বিসর্জন দিয়েছেন। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ যুদ্ধে নেমেছে। মায়ের আঁচল রক্তে রাঙা করে ছেলেরা নিজের জীবন দিয়েছে। তাছাড়া সমস্ত দণ্ড-অত্যাচারের ভয় উপেক্ষা করে বাংলা মায়ের সন্তানেরা দেশকে রক্ষা করেছে। তাই কবি এই কবিতায় স্বদেশকে গর্বিত মা হিসাবে; ভাগ্যবতী জননী হিসাবে বিশেষিত করেছেন।
উদ্দীপকেও আমরা দেখি, দেশের স্বাধীনতার জন্য এদেশের মানুষের আত্মত্যাগের কথা বর্ণিত হয়েছে। আমরা দেখি দেশের ও দেশের মানুষের সম্মান বাঁচাতে বুকে মাইন বেঁধে পাকিস্তানি ট্যাংকের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাংলার দামাল ছেলেরা।
আর তাই উদ্দীপকে বর্ণিত স্বদেশপ্রেমের ঘটনা। ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় কবি সিকান্দার আবু জাফর এর বর্ণিত ক্যাবিক সুষমার সাথে একই চেতনার সাদৃশ্য এঁকে দেয়।
ঘ ‘মা ও মাতৃভ‚মি সমার্থক।’
‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় আলোকে উক্তিটি যথার্থ। মা-মানুষকে জন্ম দেয়। নিজের জীবনের বিনিময়েও মা সন্তানকে রক্ষা করে। নিজের স্তন দিয়ে বাচ্চাকে জীবিত রাখে। সীমাহীন কষ্ট সহ্য করে মা সন্তানের জীবন গড়ে দেয়। আবার মাতৃভ‚মি বিশিষ্ট অর্থে মা। দেশমাতৃকার বুকে আমরা জীবন ধারণ করি। দেশের আলো, বাতাস, মাটি, জল আমরা গ্রহণ করি। দেশের মাটিতে শস্য ফলিয়েই আমাদের বেঁচে থাকা। দেশ মানুষের জাতি সত্তার পরিচয় সৃষ্টি করে। তাই দেশ ও মা একই সুতোয় গাঁথা।
উপরের ভাবাদর্শ আমরা উদ্দীপকে ও ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় প্রস্ফুটিত হতে দেখি। উদ্দীপকে দেশ মাকে ভালোবেসে নিজের জীবন উৎসর্গের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। দেশ যে মায়ের মতো সন্মানিত তা বর্ণিত হয়েছে কবিতায়ও। আমরা দেখি দেশ মাকে ভালোবেসে সন্তানেরা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। দেশের সম্মান বাঁচাতে বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছে। ফাঁসির রশি গলায় পরেছে নির্দ্বিধায়। কবির ভাষায় তাই দেশকে গর্বিত জননী হিসাবে আখ্যায়িত করতে দেখি। এখানে দেশ ও মা এই দুই সত্তা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে তাই বলা যায়- মা জন্মদাত্রি। আর দেশ পরিচয়দায়িনী। সুতরাং দুইই মা। দুইই সমার্থক।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ
“এরকম বাংলাদেশ কখনো দেখনি তুমি।
মুহ‚র্তে সবুজ ঘাস পুড়ে যায়;
ত্রাসের আগুন লেগে লাল হয়ে জ্বলে উঠে চাঁদ।
নরোম নদীর চর হা করা কবর হয়ে
গ্রাস করে পরম শত্রæকে;
মিত্রকে জয়ের চিহ্ন, পদতলে প্রেম,
ললাটে ধুনোর টিপ এঁকে দেয় মায়ের মতন;
এরকম বাংলাদেশ কখনো দেখনি তুমি
নদীর জলের সঙ্গে মানুষের রক্ত মিশে আছে।”
ক. মা-নাম জানা পাগল ছেলে কারা? ১
খ. ‘যুগ চেতনার চিত্তভ‚মি’- কথাটি দিয়ে কী বুঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের মূলভাবের সাথে ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার মূল ভাবের সাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ.“বাংলার মাটি ত্রিশ লক্ষ মানুষের দীর্ঘশ্বাসময়”- কথাটি উদ্দীপক ও ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক মা নাম জানা পাগল ছেলে হচ্ছে- মুক্তিকামী, বিদ্রোহী তরুণ যুবকেরা।
খ ‘যুগ চেতনার চিত্তভ‚মি’- কথাটি কবি সিকান্দার আবু জাফর রচিত ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার বিশিষ্ট উক্তি। এই কথাটির আলোচ্য উক্তিটির মধ্যদিয়ে মাতৃভ‚মি তথা বাংলাদেশের চিরন্তন সময় আকাক্সক্ষা প্রকাশ পেয়েছে।
‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় কবি মাতৃভ‚মি বাংলাদেশের রূপ বর্ণনার পাশাপাশি দেশের বীর সন্তানদের অসামান্য দেশপ্রেমের বর্ণনা দিয়েছেন। দেশের আত্মত্যাগি যুবকদের সার্বিক স্বদেশ চেতনা প্রকাশিত হয়েছে। তাই আমরা দেখি বাংলার সমগ্র মানুষ দেশের জন্য উদ্গ্রীব। এই ভালোবাসা দেশকে ‘গর্বিত মা-জননীতে’ রূপান্তরিত করেছে। যা যুগে যুগে প্রবাহিত হয়ে চলেছে। একেই যুগ চেতনার চিত্তভ‚মি হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
গ উদ্দীপকে কবিতাংশের মূলভাবের সাথে ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার মূলভাবের সাদৃশ্য রয়েছে।
উদ্দীপকের কবিতাংশে একটি ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বর্ণিত হয়েছে। যেখানে গোটা দেশ রক্ত¯œাত। নদী, মাঠ, ঘাট রক্তে রঞ্জিত। ত্রাসের রাজ্যে অত্যাচারীর আগুনে যেনো আকাশে আগুনের চাঁদ উঠেছে। মানুষের রক্ত মিশে গেছে মাটি ও নদীর জলের সাথে। দেশের জন্য, মাতৃভ‚মির জন্য দেশের মানুষের আত্মত্যাগের নিদর্শনের বর্ণনা এখানে আমরা পাই।
আবার ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় আমরা একটি স্বাধীন স্বদেশ গড়ে তুলতে মানুষের আত্মত্যাগের বর্ণনা পাই। দেশের সম্মান বাঁচাতে যুবকরা ফাঁসির দড়ি গলায় পড়েছে। বুক পেতে দিয়েছে শত্রæর বুলেটের সামনে। দেশের মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে মাতৃভ‚মির আঁচল। দেশের মাটি। এমনকি দেশের জন্য মা-বোনেরাও তাঁদের আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়েছেন। এভাবে দেখা যায় উদ্দীপক ও ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় একটি অভিন্ন ভাব প্রকাশিত হয়েছে।
উভয় ক্ষেত্রেই আমরা স্বদেশের জন্য ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত মানুষের পরম মমতার কথা প্রকাশিত হতে দেখি। এ কারণেই কবিতা ও উদ্দীপকের ভাবার্থ সমার্থক ও সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ ‘বাংলার মাটি ত্রিশ লক্ষ মানুষের দীর্ঘশ্বাসময়’ কথাটি- উদ্দীপক ও আলোচ্য ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় ভাবার্থের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। অর্থাৎ এই দুটির মূলভাবকে ধারণ করে।
উদ্দীপকে আমরা পাই গোটাদশ রক্ত¯œাত। দেশের মানুষের জন্য দেশের সন্তানেরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে। ফলে দেশের মাঠ, ঘাট, নদী, মাটি সব কিছু রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। দেশমাতৃকার প্রতি অসামান্য ভালোবাসাবোধ মানুষকে আত্মত্যাগে উজ্জীবিত করেছে। ফলে দেশের পবিত্র চাঁদের রং মনে হয় রক্ত রঙিন।
দেশের মানুষ যেনো এক এক জন মুক্তিসেনা। তাদের কপালে বিজয়ের রক্তটিপ এঁকে দেয়দেশ মাতৃকা।
উদ্দিষ্ট কবিতায় আমরা দেখি সমগ্র দেশের মানুষ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বেশেেেষ মুক্তিপাগল। নিজের মা তথা দেশের সম্মান রক্ষার জন্য সন্তানেরা সব ধরনের আত্মত্যাগে প্রস্তুত। সময় আর যুগের চেতনাকে সমুন্নত রেখে সামগ্রিক মাতৃভক্তি ধারণ করে একটি স্বাধীন দেশ গঠন করাই সবার লক্ষ্য। তাই কবির কথায় দেশ বড় ভাগ্যবতী।
এভাবে দেখা যায় উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতায় একইভাবে দেশের মানুষের ত্যাগের নিদর্শন বর্ণিত হয়েছে। এদেশের মাটি যেনো মানুষের ত্যাগের দীর্ঘশ্বাসে ভরা।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
“আমি জন্মেছি বাংলায়, আমি বাংলায় কথা বলি
আমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি।
চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।
তেরোশত নদী শুধায় আমাকে, ‘কোথা থেকে তুমি এলে?’
পরিচয়ে আমি বাঙালি, আমার আছে ইতিহাস গর্বের-
কখনোই ভয় করি নাকো আমি উদ্যত কোনো খড়্গের।
শত্রæর সাথে লড়াই করেছি, স্বপ্নের সাথে বাস,
অস্ত্রেও শাণ দিয়েছি যেমন শস্য করেছি চাষ;
একই হাসিমুখে বাজিয়েছি বাঁশি, গলায় পরেছি ফাঁস;
আপোষ করিনি কখনোই আমি এই হলো ইতিহাস।
ক. সিকান্দার আবু জাফর মৃত্যুবরণ করেন কত খ্রিষ্টাব্দে? ১
খ. ‘ধুলোয় নূপুর’ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপক ও ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার বাঙালির আত্মানুসন্ধান প্রকাশিত হয়েছে- কথাটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে সিকান্দার আবু জাফর মৃত্যুবরণ করেন।
খ কবি ‘ধুলোর নূপুর’ শব্দটি দ্বারা বাংলার ধুলিকণাকে এক অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছেন।
নূপুর নারীর পায়ের শোভা বর্ধন করে। কবি শোভা বর্ধনকারী এ বস্তুটির উপর ধুলোর আস্তরণ কল্পনা করেছেন। কারণ মা-মাটি দুই-ই সমান পবিত্র। তাই ধুলো এবং নূপুর দুই-ই কবির সৃষ্ট পঙ্ক্তিতে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় বাংলাদেশের রূপ-প্রকৃতি, ঐতিহ্য ও ইতিহাসের সাদৃশ্য তুলে ধরতে হবে।
ঘ ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় বাঙালির ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় তুলে পাশাপাশি আত্ম অনুসন্ধানের বিষয়টিও ফুটে উঠেছে। সে বিষয়টি আলোচনা করতে হবে।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ
“মাগো, ওরা বলে,
সবার কথা কেড়ে নেবে
তোমার কোলে শুয়ে
গল্প শুনতে দেবে না।
বলো মা, তাই কি হয়?
তাইতো আমার দেরি হচ্ছে।
তোমার জন্য কথার ঝুড়ি নিয়ে
তবেই না বাড়ি ফিরবো।
ল²ী মা রাগ করো না।
মাত্র তো আর কটা দিন।”
[কোনো এক মা’কে : আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ]
ক. ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় কোন বিষয়টি অন্বেষণ করা হয়েছে? ১
খ. ‘ক্লান্ত ঘুঘুর বিলাপ’- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার বিষয়গত সাদৃশ্য নির্ণয় কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের কবিতাংশ বিষয়গত দিকে ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও সম্পূর্ণ কবিতাটির ভাব ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে- বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় পুণ্যবতী, ভাগ্যবতী দেশমাতায় গর্বিত হয়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
খ ‘ক্লান্ত ঘুঘুর বিলাপ’ পঙ্ক্তিটি দ্বারা কবি চিরায়ত বাংলার অমঙ্গল বা দুর্দশার চিত্রকে সম্যকরূপে ফুটিয়ে তুলেছেন।
চিরন্তন সৌন্দর্যের এ বাংলাকে জড়িয়ে আছে নানা কিছু। এর মধ্যে কিছু উপাদানকে শুভ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং কিছু অশুভ। ক্লান্ত ঘুঘুর বিলাপকে রূপগরবিনী এ বাংলায় অশুভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ বীরপ্রসূ বাংলা মায়ের সন্তানদের ফিরে আসার জন্য অপেক্ষার বিষয়টি উদ্দীপক ও কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হিসেবে আলোচনা করতে হবে।
ঘ ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার পটভ‚মি বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও রূপসৌন্দর্য অন্যদিকে উদ্দীপকে শুধুমাত্র সন্তানের চিঠি ও মায়ের অপেক্ষায় বিষয়টি ফুটে উঠেছে। তাই ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতাটি উদ্দীপকের আংশিক ভাব ধারণ করে সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করে না। এ বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ কবি কাকে পুণ্যবতী ও ভাগ্যবতী বলেছেন?
উত্তর : কবি জননী বাংলা মাকে পুণ্যবতী ও ভাগ্যবতী বলেছেন।
প্রশ্ন \ ২ \ বাংলা মায়ের বুকের আঁচল কী রঙের?
উত্তর : বাংলা মায়ের বুকের আঁচল সবুজ রঙের।
প্রশ্ন \ ৩ \ কার চোখের জল নদীর কাজল?
উত্তর : মায়ের চোখের জল নদীর কাজল।
প্রশ্ন \ ৪ \ বাংলা মা রোজ ভোরে তার খোঁপায় কী গোঁজে?
উত্তর : বাংলা মা রোজ ভোরে তার খোঁপায় ভোরের শিশির গোঁজে।
প্রশ্ন \ ৫ \ বাংলা মায়ের পায়ের নূপুরে কী মাখা?
উত্তর : বাংলা মায়ের পায়ের নূপুরে ধুলা মাখা।
প্রশ্ন \ ৬ \ বাংলা মা কী ফুলের গন্ধ মাখে?
উত্তর : বাংলা মা বকুল এবং যুঁথী ফুলের গন্ধ মাখে।
প্রশ্ন \ ৭ \ মরণ মারের দণ্ড গোণে কারা?
উত্তর : বাংলা মায়ের সাহসী ছেলেরা মরণ মারের দণ্ড গোনে।
প্রশ্ন \ ৮ \ কান্না ফুলের নকশা বোনে কারা?
উত্তর : বাংলা মায়ের দুর্ভাগিনী মেয়েরা কান্না ফুলের নকশা বোনে।
প্রশ্ন \ ৯ \ কারা ভয়ঙ্করের দুর্বিপাকে ঝাঁপিয়ে পড়ে?
উত্তর : মা নাম ডাকা পাগল ছেলেরা ভয়ঙ্করের দুর্বিপাকে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
প্রশ্ন \ ১০ \ বাংলা মায়ের ছেলেরা কী উপড়ে ফেলে?
উত্তর : বাংলা মায়ের ছেলেরা বুলেট ফাঁসির শাসন কারা উপড়ে ফেলে।
প্রশ্ন \ ১১ \ দুখের ধূপে সুখ পোড়ায় কারা?
উত্তর : দুখের ধূপে সুখ পোড়ায় বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা।
প্রশ্ন \ ১২ \ কবি কাকে রক্তে ধোওয়া সরোজিনী বলে অভিহিত করেছেন?
উত্তর : কবি বাংলা মাকে রক্তে ধোওয়া সরোজিনী বলে অভিহিত করেছেন।
প্রশ্ন \ ১৩ \ বাংলাদেশ কাদের জন্য গর্বিত?
উত্তর : যে সন্তানরা সাহসের সাথে সংগ্রামের পথ বেছে নেয় বাংলাদেশ তাদের জন্য গর্বিত।
প্রশ্ন \ ১৪ \ ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তর : ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতাটি ‘বাঙলা ছাড়ো’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
প্রশ্ন \ ১৫ \ ‘প্রসন্ন প্রহর’ ও ‘তিমিরান্তিক’ কাব্যগ্রন্থদ্বয়ের রচয়িতা কে?
উত্তর : সিকান্দার আবু জাফর ‘প্রসন্ন প্রহর’ ও ‘তিমিরান্তিক’ কাব্যগ্রন্থদ্বয়ের রচয়িতা।
প্রশ্ন \ ১৬ \ সিকান্দার আবু জাফর মৃত্যুবরণ করেন কত খ্রিষ্টাব্দে?
উত্তর : সিকান্দার আবু জাফর মৃত্যুবরণ করেন ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ ‘চোখে মা নদীর কাজল’ বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
উত্তর : বাংলা মায়ের চোখের জলের গভীরতাকে আলোচ্য পঙ্ক্তিতে রূপকের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। জালের মতো ছড়িয়ে আছে শত শত গভীর-অগভীর নদী। এ সকল কাজল কালো নদী বাংলাকে করেছে শস্য-শ্যামলা। তাই কবি বাংলা মায়ের চোখকে সোন্দর্যের প্রতীকের অন্তরালে কল্পনা করেছেন।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘কামার কুমোর জেলে চাষী-বাউল মাঝি ঘর-উদাসী’ – অর্থ কী?
উত্তর : আলোচ্য পঙ্ক্তি দ্বারা চিরায়ত বাংলার অসা¤প্রদায়িক চেতনার উন্মেষ ঘটেছে।
সকল পেশা ও বর্ণের মানুষের সম্মিলনই হচ্ছে আমাদের এ উদাসী বাংলা। ভালোবাসার সুরে গান গাওয়া এ বাংলা কখনো কোনো উচ-নীচ জীবিকার মানুষকে আলাদা চোখে দেখেনি। তাই সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে কবি এক ঘরে ঢুকিয়ে অসা¤প্রদায়িক বাংলার পরিচয় তুলে ধরেছেন।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘ছেলের বুকের খুন ছোপানো কোন জননীর আঁচল কোণে- অর্থ কী?
উত্তর : ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্ত বাংলা মায়ের শাড়ির আঁচলে লেগে আছে -এ বিষয়টিই কবি আলোচ্য চরণে তুলে ধরেছেন।
বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা ধারাবাহিকভাবে রক্তের হোলি খেলেই ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীনতার লাল সূর্যকে। নানা রক্ত সংগ্রামের পিচ্ছিল দিয়ে বাংলা মা তার প্রিয় বুকের ধনকে অনেকবার হারিয়েছে। তাই কবির সহজ সরল স্বীকারোক্তি রক্তঝড়া বহু সংগ্রামের স্মৃতিতে ভাস্বর বাংলা মায়ের শাড়ির আঁচল কোণে রক্তের দাগ লেগে আছে।
প্রশ্ন \ ৪ \ ভয়ঙ্করের দুর্বিপাক বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
উত্তর : বাংলার দামাল ছেলেরা কোনো প্রকার পিছটান না রেখেই ভয়ঙ্করের দুর্বিপাকে নির্দ্বিধার ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
এ শ্যামল বাংলায় বার বার আঘাত হেনেছে আধিপত্যবাদী নানা পরাশক্তি। বাংলার বীর সন্তানেরা তখন ঘরের কোণে চুপটি করে বসে থাকতে পারেনি। কঠিন সময়ে তারা অসীম সাহসে সকল ভয়ঙ্করের বিরুদ্ধে বুক টান করে দাঁড়িয়েছে। তাই কবি আলোচ্য পঙ্ক্তি দ্বারা বাংলা মায়ের দামাল সন্তানদের যেকোনো পরিস্থিতিতে তাদের সাহসী মোকাবিলাকে তুলে ধরেছেন।
প্রশ্ন \ ৫ \ ‘বুলেট ফাঁসির শাসন কারা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশের স্বাধীনচেতা বীরেরা কোনো স্বৈরাচারী অপশক্তির রক্তচক্ষুকে পরোয়া করেনি। এ বিষয়টি আলোচ্য পঙ্ক্তিতে উঠে এসেছে।
এ বাংলায় বার বার আঘাত হেনেছে বিদেশি বর্গিরা। মুক্তিকামী দামাল সন্তানদের তারা বেয়নেটের মুখে দাঁড় করিয়ে স্বাধীনতার অগ্নিমন্ত্রকে ভুলতে বলেছে, পায়ে পরাতে চেয়েছে পরাধীনতায় পাষাণ শৃঙ্খল। বাংলার সূর্য সন্তানরা মৃত্যু, কারাভোগ, শোষণের নামে শাসন কোনো কিছুকেই পরোয়া করেনি। বুক বাড়িয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে তারা।
প্রশ্ন \ ৬ \ বাংলা মাকে গরবিনী বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : সুজল-সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলা যুগে যুগে প্রসব করেছে অনেক বীর সন্তান; তাই বাংলা মাকে কবি গরবিনী বলে অভিহিত করেছেন।
সময়ের প্রয়োজনে এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে শ্যামল ধরিত্রীর বুক থেকে অনেক বীর সন্তানের উদ্ভব হয়েছে। যারা দেশমাতৃকা স্বাধীন করার পাশাপাশি ইতিহাসের সোনালি পাতায় কালো অক্ষরে অমরত্ব লাভ করেন। তাই বীর সন্তানপ্রসূ বাংলা মা তো গরবিনী হতেই পারে।
প্রশ্ন \ ৭ \ বাংলাকে পুণ্যবতী বলার কারণ কী?
উত্তর : বাংলার ধমণী দিয়ে বয়ে চলা পবিত্র নদী আর বীর সন্তানদের জন্মভ‚মি হওয়ার সুবাদে কবি বাংলাকে পুণ্যবতী বলে অভিহিত করেছেন।
নদীমার্তৃক এদেশের শোণিতধারা হিসেবে বইছে নানা নদ-নদী। যা বাংলা মায়ের ললাটে এঁকে দিয়েছে বিজয় তিলক। আর পুণ্যতার মোড়কে মোড়া পলিমাটি বিধৌত জনপদ বীরসন্তানদের জন্মভ‚মি। তাই কবি বাংলা মাকে পুণ্যবতী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ কবি পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কবি সিকান্দার আবু জাফর কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
ক ১৯১৬ খ ১৯১৭ গ ১৯১৮ ১৯১৯
২. সিকান্দার আবু জাফর কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক যশোর খ বরিশাল গ ঢাকা সাতক্ষীরা
৩. পাকিস্তানি শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে কে সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করেন?
সিকান্দার আবু জাফর খ হুমায়ুন আজাদ
গ মহাদেব সাহা ঘ আহসান হাবীব
৪. ‘প্রসন্ন প্রহর’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ কাজী নজরুল ইসলাম
সিকান্দার আবু জাফর ঘ মহাদেব সাহা
৫. সিকান্দার আবু জাফরের ‘বাঙলা ছাড়ো’ কোন শ্রেণির রচনা?
ক নাটক খ ছোট গল্প কাব্যগ্রন্থ ঘ প্রবন্ধ
৬. কোনটি সিকান্দার আবু জাফরের কাব্যগ্রন্থ?
ক রাত্রি শেষে খ আশায় বসতি
তিমিরান্তিক ঘ বলাকা
৭. সিকান্দার আবু জাফরের নাটক কোনটি?
ক বিসর্জন খ কৃষ্ণকুমারী
সিরাজউদ্দৌলা ঘ রক্তাক্ত প্রান্তর
৮. সিকান্দার আবু জাফর কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন?
ক ১৯৭২ খ ১৯৭৩ ১৯৭৫ ঘ ১৯৭৭
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯. সিকান্দার আবু জাফর বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট- (অনুধাবন)
র. নাট্যকার রর. সুরকার
ররর. সাংবাদিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০. সিকান্দার আবু জাফরের কাব্যগ্রন্থ হলো- (অনুধাবন)
র. রাত্রি শেষে রর. প্রসন্ন প্রহর
ররর. বাঙলা ছাড়ো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১. ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় ‘ওরে আমার মা-জননী’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
ক গর্ভধারিণী মাকে জন্মভ‚মি বাংলা মাকে
গ বাংলা ভাষাকে ঘ বাংলার প্রকৃতিকে
১২. কবি জন্মভ‚মিকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করেছেন কেন? (অনুধাবন)
ক জন্মভ‚মিতে লালিত পালিত হয়েছে বলে
খ জন্মভ‚মিকে মা ডাকতে ভালো লাগে বলে
গ জন্মভ‚মিতে জন্ম নিয়েছে বলে
জন্মভ‚মির সাথে মায়ের মিল রয়েছে বলে
১৩. ‘বকুল যুঁথীর গন্ধ মাখে’ এ চরণটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ চরণ কোনটি? (প্রয়োগ)
গন্ধে এমন আকুল করে
খ কোন বনেতে জানিনে ফুল
গ জানিনে তোর ধন রতন
ঘ ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে
১৪. “ওরে আমার মা-জননী জন্মভ‚মি বাঙলারে” এ উক্তিটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ চরণ কোনটি? (প্রয়োগ)
ক সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে
খ জানিনে তোর ধন রতন
গ মুদব নয়ন শেষে
নমঃ নমঃ নমঃ সুন্দরী মম জননী জন্মভ‚মি
১৫. গরবিনী মা জননী চোখে কীসের কাজল পরে?
ক সবুজের নদীর গ পাখির পালকের ঘ মেঘের
১৬. জন্মভ‚মির বুকে কীসের আঁচল?
সবুজ তৃণের খ নীল মেঘের গ হরিণের ঘ নদীর
১৭. ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় কার পায়ে ধুলোর নূপুর পড়া?
জন্মভ‚মির খ মায়ের গ বধূর ঘ শিল্পীর
১৮. ‘কার ছেলে মা উপড়ে ফ্যালে’ এ চরণটিতে কোন ভাব ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
সংগ্রামী চেতনার খ মুক্ত চেতনায়
গ স্বদেশ ভাবনায় ঘ আত্ম ভাবনায়
১৯. ক্লান্ত দুপুর বেলা কে বিলাপ করে?
ক কাক ঘুঘু গ দোয়েল ঘ শালিক
২০. বকুল যুঁথী ফুলের গন্ধ কে মাখে?
জন্মভ‚মি মা খ গর্ভধারিণী মা
গ নববধূ ঘ পথচারী
২১. সন্ধ্যা দুপুর কী বেজেই চলে?
ধুলোর নূপুর খ ফুলের নূপুর
গ জলের নূপুর ঘ মেঘের নূপুর
২২. ‘মায়ের নামে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভয়ঙ্করের দুর্বিপাকে’ -উক্তিটিতে যাদের কথা ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
বাংলার মুক্তিকামী বিদ্রোহীদের
খ বাংলার সর্ব সাধারণের
গ বাংলার সাধারণ মানুষের
ঘ বাংলার স্বাধীনচেতা মানুষের
২৩. ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
স্বদেশপ্রেমের চেতনা খ স্বাধীনতার চেতনায়
গ ভাষা আন্দোলনের চেতনা ঘ বাংলার নৈসর্গিক প্রকৃতি চেতনা
২৪. ‘গরবিনী মা-জননী, কবিতায় কাকে ‘গরবিনী’ বলা হয়েছে? (প্রয়োগ)
জন্মভ‚মিকে খ মাকে গ বধূকে ঘ ভগ্নিকে
২৫. ‘যুগ চেতনার চিত্তভ‚মি’ চরণটিতে কোন ভাব ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
যুগের আকাক্সক্ষা খ যুগের চেতনা
গ যুগের ভাবনা ঘ যুগের আবহাওয়া
২৬. কান্না ফুলের নকশা বোনে কারা? (জ্ঞান)
বাংলার মেয়েরা খ পাহাড়ি মেয়েরা
গ গ্রামের মেয়েরা ঘ ভারতীয় মেয়েরা
২৭. কোন দেশকে চেতনার চিত্তভ‚মি বলা হয়? (জ্ঞান)
বাংলাদেশ খ ভারত গ পাকিস্তান ঘ নেপাল
২৮. মায়ের নামে ঝাঁপিয়ে পড়ে কারা? (জ্ঞান)
বাংলার দামাল ছেলেরা খ পাক বাহিনীরা
গ বাংলার বনিতারা ঘ বাংলার কৃষকরা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৯. ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় ‘পাগল ছেলে’ বলে বোঝায়Ñ (অনুধাবন)
র. বাংলার মুক্তিকামী বিদ্রোহীদের
রর. বাংলার তরুণ যুবকদের
ররর. নির্ভয়ে যারা যুদ্ধ সংগ্রামে লিপ্ত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩০. ‘ভয়ঙ্করের দুর্বিপাকে’ শব্দ দ্বারা বোঝানো হয়েছে- (অনুধাবন)
র. ভীতিকর দুর্যোগ রর. রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ
ররর. ভয়ঙ্কর রূপ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১. ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় যে ফুলের উল্লেখ করা হয়েছেÑ
র. শিউলি রর. বকুল
ররর. যুঁথীর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩২. ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় সৌন্দর্যের উৎস হিসেবে কবি তুলে ধরেছেন-
র. ভোরের শিশির রর. নদীর কাজল
ররর. ধুলোর নূপুর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৩. ‘জন্মভ‚মি বাঙলারে’ বলে সম্বোধন করা হয়েছেÑ
র. পুণ্যবতী মাকে রর. ভাগ্যবতী মাকে
ররর. গুণবতী মাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৪. রোজ ভোরে গরবিনী মা- জননী শিশির খোঁপায় গুঁজে –
র. বকুল ফুলের গন্ধ রর. যুঁথী ফুলের গন্ধ
ররর. শিউলি ফুলের গন্ধ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৫. ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় যাদের কথা উল্লেখ আছেÑ
র. কামার কুমার রর. বাউল মাঝি
ররর. জেলে চাষি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৬. ‘মা-নাম ডাকা পাগল ছেলে’ এ চরণটিকে ‘পাগল ছেলে’ দ্বারা বোঝানো হয়েছে- (প্রয়োগ)
র. বাংলার মুক্তিকামীদের রর. তরুণ যুবকদের
ররর. যারা নির্ভয়ে যুদ্ধ সংগ্রামে লিপ্ত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৭. ‘রক্তে ধোওয়া সরোজিনী’ এ পঙ্ক্তিতে ‘সরোজিনী’ শব্দটি যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে- (প্রয়োগ)
র. দেশমাতৃকা বাংলাকে কমনীয় পদ্ম অর্থে
রর. দেশমাতৃকা বাংলাকে কমনীয় শাপলা অর্থে
ররর. দেশমাতৃকা বাংলাকে কমনীয় গোলাপ অর্থে
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৮. ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে- (প্রয়োগ)
র. গভীর দেশপ্রেম
রর. স্বদেশ চেতনা
ররর. সাংস্কৃতিক জীবনের সাথে পরিবেশ প্রকৃতির সম্পর্ক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪০ ও ৪১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
“চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা, কোথায় উজল এমন ধারা
কোথার এমন খেলে তড়িৎ কালো মেঘের।”
৩৯. অনুচ্ছেদের কবিতাংশের অনুভ‚তি তোমার পাঠ্য বইয়ের কোন কবিতায় সাদৃশ্য রয়েছে?
ক আমার বাড়ি গরবিনী মা-জননী
গ নতুন দেশ ঘ এই অক্ষরে
৪০. অনুচ্ছেদে উক্ত কবিতায় যে বিষয়বস্তু প্রতিফলিত হয়েছে-
র. স্বদেশপ্রেমের চেতনা
রর. দেশের প্রতি কবির গভীর অনুরাগের
ররর. জন্মভ‚মির নৈসর্গিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪১ ও ৪২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নিলিমা শিক্ষা সফরে কক্সবাজারে বেড়াতে যায়। সেখানকার প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য সাগর, পাহাড় দেখে নিলিমা মুগ্ধ। সূর্যাস্তের দৃশ্য নিলিমার কাছে মনে হয় যেন তার দেশের মতো দেশ পৃথিবীর কোথাও নেই।
৪১. নীলিমার অনুভ‚তির সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন কবিতার মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
গরবিনী মা-জননী খ মেলা
গ আমার বাড়ি ঘ নতুন দেশ
৪২. অনুচ্ছেদে উক্ত কবিতার যে দিক ফুটে উঠেছে-
র. স্বদেশপ্রেমের রর. প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের
ররর. চিরায়ত সৌন্দর্যের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৩. পুণ্য বা ভালো কাজ করে এমন নারীকে কী বলা হয়?
ক ভাগ্যবতী পুণ্যবতী গ রতœগর্ভা ঘ জ্ঞানী
৪৪. ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় দেশমাতৃকাকে কোন ফুলের সাথে তুলনা করেছেন?
পদ্মা খ গোলাপ গ শাপলা ঘ সূর্যমুখী
৪৫. ‘সরোজ’ শব্দের স্ত্রীবাচক রূপ কী?
ক সরোজিনি সরোজিনী গ সরোসিনী ঘ সরোজিনি
৪৬. ‘সরোজিনী’ শব্দটির অর্থ কী?
ক শাপলা পদ্ম গ কলমি ঘ কচুরি
৪৭. ‘মরণ মারের দণ্ড’ শব্দটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
মরনের আঘাত থেকে প্রাপ্ত শাস্তি
খ মরণ ব্যাধীর আঘাতে মৃত্যু
গ মরণ যন্ত্রণায় ছটফট করা
ঘ মরণের পথ বেছে নেওয়া
৪৮. ‘ গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় ‘ছোপানো’ শব্দটি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
ক ছাপ খ রঙ রাঙানো ঘ দাগ
৪৯. ‘উজ্জ্বল’ শব্দটি কোমল রূপ কোনটি?
উজল খ উজ্জল গ উজজল ঘ উৎপল
৫০. যুগের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করা চিরন্তন দেশমাতৃকা বাংলাদেশকে কী বলা হয়?
ক জন্মভ‚মি বাংলা নিত্যভ‚মি বাঙলারে
গ জন্মভ‚মি ঘ ভিত্তিভ‚মি
৫১. ‘কার ছেলে মুখ উজল রাখে’ চরণটি ‘উজল’ শব্দটি কোন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে? (প্রয়োগ)
উজ্জ্বল শব্দটির কোমল রূপের
খ ফুলের নূপুর
গ উজ্জ্বল শব্দটির কর্কশ রূপের
ঘ উজ্জ্বল শব্দটির আলোকিত রূপের
ন্ধ পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫২. ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
ক তিমিরান্তিক বাঙলা ছাড়ো
গ প্রসন্ন প্রহর ঘ রাত্রি শেষে
৫৩. ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় মূলত কোন দিকটির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
স্বদেশপ্রেমের খ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের
গ চিরায়ত সৌন্দর্যের ঘ মাতৃভ‚মির প্রতি মমত্ববোধের
৫৪. বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জীবনের সঙ্গে পরিবেশ প্রকৃতির সম্পর্ক কেমন? (অনুধাবন)
ক সুগভীর অবিচ্ছেদ্য
গ আন্তরিক ঘ সৌহাদ্যপূর্ণ
৫৫. কবি ‘গরবিনী মা’ বলে কাকে সম্বোধন করেছেন?
জন্মভ‚মিকে খ দুধ মাতাকে
গ গর্ভধারিণী মাকে ঘ পালিত মাকে
৫৬. দেশমাতৃকাকে সকল দুঃশাসন থেকে রক্ষার জন্য সন্তানরা কী করে?
যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে
খ প্রশাসন ব্যবস্থা কঠোর করে
গ বিদেশিদের সাথে বন্ধুত্ব করে
ঘ শাসন ব্যবস্থা সুগঠিত করে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৭. ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতাটির শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মাতৃভ‚মির প্রতি মমত্ববোধের
রর. স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওযার
ররর. দেশমাতৃকাকে সকল অশুভ শক্তি থেকে রক্ষার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫৮. বাংলা মায়ের কোলজুড়ে যেসব সন্তান রয়েছে- (অনুধাবন)
র. শ্রমজীবী রর. কৃষিজীবী
ররর. পেশাজীবী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫৯. দেশের দুঃসময়ে নিজের সুখ শান্তি ও আলস্য পরিহার করে মাথায় নিতে পারেÑ (অনুধাবন)
র. জেল জুলুম রর. ফাঁসির দণ্ডাদেশ
ররর. মিথ্যা অপবাদ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬০. যে সন্তানদের জন্য বাংলাদেশ সত্যিই গর্বিত- (অনুধাবন)
র. দেশের জন্য যে আত্মত্যাগ করতে দ্বিধা করে না
রর. যুগের দাবি রক্ষায় যাঁরা সংগ্রামের পথ বেছে নেয়
ররর. অন্যায় অবিচারে যারা মাথা নত করে না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬১. প্রকৃতপক্ষে বাংলার মাটি (অনুধাবন)
র. সাহসী সন্তানদের জন্মভ‚মি রর. সংগ্রামী জনতার ভিত্তি ভ‚মি
ররর. সহনশীল জনতার ভিত্তি ভ‚মি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর