এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং নবম অধ্যায় ইলেকট্রনিক ও আধুনিক ব্যাংকিং সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৯: ইলেকট্রনিক ও আধুনিক ব্যাংকিং

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

মমমপ্রশ্ন১ মি. নাহিদ ও মি. শাকিল দুই ভাই ফাইভ স্টার হোটেলে চাকরি করেন। তাদের দুই ভাইয়েরই পদ্মা ব্যাংকে হিসাব রয়েছে। পদ্মা ব্যাংক মি. নাহিদকে একটি প্লাস্টিক কার্ড প্রদান করেছে যার মাধ্যমে সে তার জমাকৃত টাকা উত্তোলন করা ছাড়াও পণ্য ক্রয় করতে পারে। অপরদিকে, পদ্মা ব্যাংক মি. শাকিলকেও একটি প্লাস্টিক কার্ড সরবরাহ করেছে, যেটি দ্বারা বাকিতে পণ্য ক্রয় করা ছাড়াও ধারে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। পদ্মা ব্যাংক দেশের বিভিন্ন এলাকায় শাখা স্থাপন করে সেবা প্রদান করছে। তাছাড়া গ্রাহকদের আরো আধুনিক সেবা কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে ব্যাংকটি ভাবছে। [ঢা. বো. ১৭]
অ ক. ই-ব্যাংকিং কী? ১
অ খ. অনলাইন ব্যাংকিং জগতে কাগজি মুদ্রার ব্যবহার হ্রাস পাওয়ার কারণ কী? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত ব্যাংকটি মি. নাহিদকে কোন ধরনের কার্ড ইস্যু করেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. মি. শাকিলের কার্ড দ্বারা অর্থ স্থানান্তর করা কি সম্ভব? ব্যাখ্যা করো। ৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক উন্নততর ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতি দ্রুত, নির্ভুল ও বিস্তৃত কার্য পরিচালনায় সক্ষম ব্যাংক ব্যবস্থাকেই ই-ব্যাংকিং বলে।
খ অনলাইন ব্যাংকিং প্রক্রিয়ায় কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর একটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় গ্রাহক ব্যাংকের যেকোনো শাখা হতে ব্যাংকিং সুবিধা ভোগ করে, যা কাগজি মুদ্রার ব্যবহার হ্রাস করেছে।
অর্থ জমাদান, অর্থ সংগ্রহ, চেকের অর্থ সংগ্রহ, বিল প্রদান ইত্যাদি কাজে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করা যায়। যার ফলে গ্রাহককে ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখায় ব্যাংকিং-এর জন্য নগদ অর্থ বহন করতে হয় না। এজন্যই অনলাইন ব্যাংকিং জগতে কাগজি মুদ্রার ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে।
গ উদ্দীপকের উলি­খিত ব্যাংকটি মি. নাহিদকে ডেবিট কার্ড ইস্যু করেছে।
এ কার্ডের মাধ্যমে একজন গ্রাহক তার ব্যাংক হিসাব থেকে জমাকৃত অর্থ উত্তোলনের সুযোগ পান। এছাড়াও কেনাকাটা ক্ষেত্রে ডেবিট কার্ড অর্থের ন্যায় কাজ করে।
উদ্দীপকের মি. নাহিদ পদ্মা ব্যাংকে একটি হিসাব পরিচালনা করেন। তার হিসাবের বিপরীতে ব্যাংক তাকে একটি বিশেষ ধরনের প্লাস্টিক কার্ড প্রদান করেছে। এর দ্বারা মি. নাহিদ তার ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলনসহ পণ্য ক্রয়েরও সুযোগ পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ মি. নাহিদের গৃহীত কার্ডটির সাথে ডেবিট কার্ডের সাদৃশ্য রয়েছে। তাই বলা যায়, মি. নাহিদের কার্ডটি বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে একটি ডেবিট কার্ড।
ডেবিট কার্ড : ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের জন্য ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গ্রাহককে প্রদত্ত চুম্বুকভিত্তিক সাংকেতিক নম্বরযুক্ত এক বিশেষ ধরনের প্লাস্টিক কার্ডকে ডেবিট কার্ড বলে। এ কার্ডের মাধ্যমে ক্রয়কৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধ, নগদ টাকা বা চেকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
ঘ উদ্দীপকের মি. শাকিলের কার্ডটি একটি ক্রেডিট কার্ড। উক্ত কার্ডটি দ্বারা অর্থ স্থানান্তর করা অসম্ভব।
ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকরা ঋণ সুবিধাসহ ধারে পণ্য ক্রয়ের সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে ডেবিট কার্ডহোল্ডারের ন্যায় অর্থ স্থানান্তরে কোনোরূপ সুবিধা তারা পান না।
উদ্দীপকে মি. শাকিল পদ্মা ব্যাংক থেকে এক ধরনের প্লাস্টিক কার্ড গ্রহণ করেছেন। যার দ্বারা বাকিতে পণ্য ক্রয় করা ছাড়াও তিনি ধারে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। অর্থাৎ মি. শাকিল পদ্মা ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করেছেন।
মি. শাকিলের গৃহীত কার্ড দ্বারা ক্রেডিট কার্ডের সকল সুবিধা গ্রহণ করা সম্ভব। তবে ক্রেডিট কার্ডের সকল সুবিধা গ্রহণ সম্ভব। তবে ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকদের যেহেতু ব্যাংক হিসাবে অর্থ জমা থাকার প্রয়োজন হয় না, সেহেতু কার্ডহোল্ডাররা অর্থ স্থানান্তরের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। আর তাই মি. শাকিল একজন ক্রেডিট কার্ডহোল্ডার হওয়ায় তার কার্ড দ্বারা অর্থ স্থানান্তর করা সম্ভব হবে না।
ক্রেডিট কার্ড : যে কার্ড ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা বাকিতে ক্রয় করা যায় তাকে ক্রেডিট কার্ড বলে। এ কার্ড নগদ অর্থের প্রয়োজন মেটায়। ব্যাংকের সাথে লেনদেনকারী স্বচ্ছল গ্রাহকগণ এ ধরনের প্লাস্টিক কার্ড গ্রহণ করেন।

মমমপ্রশ্ন২ ‘ত’ ব্যাংক লিমিটেড কেনাকাটার সুবিধার্থে গ্রাহকদের এক ধরনের কার্ড সরবরাহ করেছে। ভবিষ্যতে গ্রাহক সেবা আরো উন্নত করার লক্ষ্যে ব্যাংকটি যখন যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই গ্রাহককে নগদ অর্থ- উত্তোলনের সুযোগ দিয়ে এই ধরনের কার্ড ইস্যুর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। [রা. বো. ১৭]
অ ক. ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং কী? ১
অ খ. স্বয়ংক্রিয় নিকাশঘর বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. ‘ত’ ব্যাংক লি. গ্রাহকদের সুবিধার্থে কী ধরনের কার্ড সরবরাহ করেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. গ্রাহক সেবা বৃদ্ধিতে ‘ত’ ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ তাদের প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে কতটুকু ভ‚মিকা রাখবে বলে তুমি মনে করো? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর কম্পিউটারাইজড প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করাকে ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং বলা হয়।
খ স্বয়ংক্রিয় নিকাশঘর (অঁঃড়সধঃবফ ঈষবধৎরহম ঐড়ঁংব) একটি সমন্বিত ইলেকট্রনিক সেবা পদ্ধতি।
এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লেনদেনসমূহ ইলেকট্রনিক উপায়ে বিনিময় ও নিষ্পন্ন করা হয়। এতে আলাদা করে চেক কাটা, চেক প্রদান, গ্রাহক কর্তৃক পুনরায় চেক জমা, এসব ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকা যায়। সাধারণত দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিকাশঘরের কাজটি পরিচালনা করে।
গ উদ্দীপকে ‘ত’ ব্যাংক লি. গ্রাহকদের সুবিধার্থে তাদেরকে ডেবিট কার্ড সরবরাহ করেছে।
এটি চুম্বকীয় শক্তিসম্পন্ন এক ধরনের প্লাস্টিক কার্ড। গ্রাহকের হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তরের জন্য ব্যাংক তার গ্রাহকদেরকে এই কার্ড সরবরাহ করে। গ্রাহকের হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ থাকলেই তিনি এ কার্ডের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।
উদ্দীপকে ‘ত’ ব্যাংক লিমিটেড কেনাকাটার সুবিধার্থে গ্রাহকদের এক ধরনের কার্ড সরবরাহ করেছে। গ্রাহক সেবা আরো উন্নত করার লক্ষ্যে ব্যাংকটি এ কার্ড ইস্যু করেছে। এ কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহক ব্যাংকের যে কোনো এটিএম বুথ থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন করার সুযোগ পাবেন। গ্রাহকের হিসাবের বিপরীতে ব্যাংক এ কার্ড ইস্যু করেছে। ফলে গ্রাহক তার জমাকৃত অর্থ এ কার্ডের মাধ্যমে নগদ উত্তোলন করতে পারবেন। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, ব্যাংকটি গ্রাহকদেরকে ডেবিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করেছে।
ঘ উদ্দীপকে গ্রাহক সেবা বৃদ্ধিতে ‘ত’ ব্যাংক গ্রাহকদেরকে ডেবিট কার্ড সরবরাহ করেছে, যা ব্যাংকটির প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে।
ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যাংক গ্রাহকদেরকে আধুনিক ও ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করতে পারে। ফলে গ্রাহকদেরকে সন্তষ্ট করা যায়। ব্যাংকিং ব্যবসায়ের সাফল্য অনেকাংশেই গ্রাহক সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করে।
উদ্দীপকে ‘ত’ ব্যাংক লি. কেনাকাটার সুবিধার্থে গ্রাহকদের এক ধরনের কার্ড সরবরাহ করেছে। গ্রাহক সেবাকে আরো উন্নত করার লক্ষ্যেই ব্যাংক এ কার্ড ইস্যু করেছে। এই কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহক এটিএম বুথ থেকে যেকোনো সময় নগদ অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।
এই কার্ড ইস্যুর কারণে ‘ত’ ব্যংকের পক্ষে নতুন গ্রাহক সৃষ্টি করা সহজ হবে। কারণ, সহজ পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলনের সুযোগ থাকায় অনেকেই এ ব্যাংকে হিসাব খুলবেন। কোনো ব্যাংক কর্মীর সহযোগিতা ছাড়াই গ্রাহক অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। ফলে ব্যাংকের ব্যয় কমানোর সুযোগ থাকবে। এছাড়াও, উন্নত সেবার কারণে অন্যান্য প্রতিযোগী ব্যাংকের গ্রাহকও ‘ত’ ব্যাংকে আসতে পারেন। সুতরাং, ‘ত’ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ তাদের প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নকে গতিশীল করবে এবং কাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জনে ভ‚মিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।

মমমপ্রশ্ন৩ মি. জহির সপরিবারে কক্সবাজার বেড়াতে যান। সঙ্গে অল্প কিছু নগদ টাকা ছাড়াও এক ধরনের প্লাস্টিকের কার্ড নিয়ে যান। যা দিয়ে তিনি সেখানে গিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা ওঠানো ছাড়াও হোটেল বিল, খাবার বিল, এমনকি কেনাকাটার বিলও পরিশোধ করেন। [দি. বো. ১৭]
অ ক. সংরক্ষিত মুনাফা কী? ১
অ খ. অব্যক্তিক জামানত বলতে কী বোঝ? ২
অ গ. মি. জহির যে প্লাস্টিকের কার্ড নিয়ে যান তার নাম কী? এ কার্ড সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত টীকা লিখো। ৩
অ ঘ. উলি­খিত প্লাস্টিকের কার্ডটির সুবিধা-অসুবিধা আলোচনা করো। ৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক কোম্পানি অর্জিত আয়ের যে অংশ ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ বা ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য অবণ্টিত রাখে তাকে সংরক্ষিত মুনাফা বলে।
খ ব্যাংক যখন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে ঋণ মঞ্জুর করে তখন ঐ জামানতকে অব্যক্তিক জামানত বলে।
ঋণগ্রহীতা এ পর্যায়ে জমি, দালানকোঠা, পণ্যদ্রব্য ইত্যাদি জামানত হিসেবে প্রদানের মাধ্যমে ঋণগ্রহণের সুযোগ পায়। এ ধরনের জামানত গ্রহণ ব্যাংকের জন্য অধিকতর নিরাপদ। ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধ না করলে প্রয়োজনে এ ধরনের জামানত বিক্রয় করে ব্যাংক ঋণের অর্থ আদায় করতে পারে।
গ উদ্দীপকে মি. জহির কক্সবাজার বেড়াতে অল্প কিছু নগদ টাকা ছাড়াও যে প্লাস্টিকের কার্ড নিয়ে যান তার নাম ডেবিট কার্ড।
এ কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহক নিজ হিসাবে জমাকৃত অর্থ ২৪ ঘণ্টাই উত্তোলনের সুবিধা পেয়ে থাকেন। এছাড়াও অর্থ স্থানান্তরসহ কেনাকাটার সুযোগও লাভ করেন।
উদ্দীপকে মি. জহির সপরিবারে কক্সবাজার বেড়াতে যান। এ ভ্রমণে তিনি সঙ্গে অল্প কিছু নগদ টাকা বহন করেন। তবে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগানে তিনি একটি বিশেষ ধরনের প্লাস্টিক কার্ড নিয়ে যান। যা দিয়ে তিনি প্রয়োজনে ব্যাংক হিসাব হতে অর্থ উত্তোলন করেন। আবার হোটেল বিল, খাবার বিল, এমনকি কেনাকাটার বিলও পরিশোধ করেন। অর্থাৎ মি. জহিরের বহনকৃত প্লাস্টিক কার্ডটি একটি ডেবিট কার্ড। যার মাধ্যমে তার ব্যাংক হিসাবের ডেবিট ব্যালেন্স হতে তিনি অর্থ উত্তোলনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে তা ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন।
ডেবিট ব্যালেন্স : ডেবিট ব্যালেন্স বলতে ব্যাংকের ভাষায় গ্রাহকের হিসাবে পর্যাপ্ত জমাকৃত অর্থকে নির্দেশ করে, যা গ্রাহক তার ব্যাংক হিসাবে জমা রাখেন।
ঘ উদ্দীপকে উলি­খিত প্লাস্টিক কার্ডটি একটি ডেবিট কার্ড, যার কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে।
এটি এক ধরনের ইলেকট্রনিক প্লাস্টিক কার্ড, যা ব্যাংক তার গ্রাহকের জন্য ইস্যু করে থাকে। ব্যাংক হিসাবে গ্রাহকের পর্যাপ্ত টাকা থাকা সাপেক্ষে গ্রাহক এ কার্ড ব্যবহার করতে পারে।
উদ্দীপকে মি. জহির কক্সবাজার বেড়াতে যান। সঙ্গে অল্প কিছু নগদ টাকা নিলেও একটি ডেবিট কার্ড নিয়ে যান, যা দিয়ে তিনি কক্সবাজার গিয়ে তার ব্যাংক হিসাব হতে অর্থ উত্তোলন করেন। আবার হোটেলের বিল, খাবার বিলসহ কেনাকাটার বিলও পরিশোধ করেন।
মি. জহির কক্সবাজার ভ্রমণে গিয়ে অর্থ উত্তোলনে ও বিল পরিশোধে যে ধরনের সুবিধা পেয়েছেন তা কেবল ডেবিট কার্ডের জন্য সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও তিনি এ কার্ড দ্বারা প্রয়োজনে অর্থ স্থানান্তরও করতে পারতেন। তবে এ কার্ডের মাধ্যমে তিনি কোনো ধরনের ঋণ সুবিধা পাবেন না। শুধু তার হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ জমা থাকা সাপেক্ষেই তিনি এ সকল সুবিধা গ্রহণ করতে পেরেছেন।

মমমপ্রশ্ন৪ মিসেস অনন্যা একটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা। তিনি ‘প্রত্যয় ব্যাংক লি.’ এ একটি হিসাব পরিচালনা করেন, যার বিপরীতে একটি সাংকেতিক নম্বরযুক্ত বিশেষ ধরনের প্লাস্টিক কার্ড পেয়েছেন। এই কার্ড দিয়ে তিনি জমাকৃত অর্থ উত্তোলন ছাড়াও পণ্য-দ্রব্য ক্রয় করে মূল্য পরিশোধ করতে পারেন। কিন্তু তিনি অত্যন্ত ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করার কারণে বিমার প্রিমিয়ামসহ গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিষয়টি জানতে পেরে উক্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মিসেস অনন্যাকে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে নাম ও নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড দ্বারা নিবন্ধিত হয়ে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণে উৎসাহিত করেন। [চ. বো. ১৭]
অ ক. ই-ব্যাংকিং কী? ১
অ খ. ব্যাংকিং খাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার কেন গুরুত্বপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকে মিসেস অনন্যা ব্যাংক হতে কোন প্লাস্টিক কার্ডটি পেয়েছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকে ‘প্রত্যয় ব্যাংক লি. এর ব্যবস্থাপক মিসেস অনন্যাকে যে পরামর্শ দিয়েছেন সেটি কি তার সমস্যা সমাধানে সক্ষম বলে তুমি মনে করো? মতামত দাও। ৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং হলো এমন একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া যেখানে কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের বিভিন্ন ব্যাংকিং সুবিধা ও সেবা প্রদান করা হয়।
খ ব্যাংকিং খাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাংকের আধুনিকায়নের নীতি বাস্তবায়নে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বাধিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন ও দক্ষ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই ব্যাংকসমূহ এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। এক্ষেত্রে ব্যাংক কম্পিউটারাইজড হিসাব পদ্ধতি, অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, এটিএম কার্ড ইত্যাদি প্রযুক্তি দ্বারা সেবা দানের প্রয়াস চালায়।
গ উদ্দীপকে মিসেস অনন্যা ব্যাংক হতে ডেবিট কার্ড পেয়েছেন।
ডেবিট কার্ড হলো ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং-এর একটি সেবা বা পণ্য। গ্রাহক এ কার্ডের মাধ্যমে যেকোনো সময় নগদ অর্থ উত্তোলন ও ক্রয়কৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারেন। এক্ষেত্রে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ জমা থাকতে হয়।
উদ্দীপকে মিসেস অনন্যা একটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা। তিনি ‘প্রত্যয় ব্যাংকি লি.’ এ একটি হিসাব পরিচালনা করেন। এ ব্যাংক হিসাবের বিপরীতে তিনি একটি প্লাস্টিক কার্ড পেয়েছেন। কার্ডটি দিয়ে তিনি জমাকৃত অর্থ উত্তোলন ছাড়াও পণ্য-দ্রব্য ক্রয় করে তার মূল্য পরিশোধ করতে পারেন। সাধারণত ডেবিট কার্ড দিয়েই গ্রাহক যেকোনো সময়ে যেকোনো স্থানে এটিএম (অঞগ) বুথ থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন করতে পারেন। এছাড়া গ্রাহকগণ উক্ত কার্ডের মাধ্যমে শপিং পণ্য কেনাকাটার মূল্যও পরিশোধ করতে পারেন। এখানে মিসেস অনন্যার কার্ডে একই ধরনের বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হওয়ায় এটি একটি ডেবিট কার্ড। তাই বলা যায়, মিসেস অনন্যা ব্যাংক হতে ডেবিট কার্ড সুবিধাটি পেয়েছেন।
ঘ উদ্দীপকে মিসেস অনন্যাকে ‘প্রত্যয় ব্যাংক লি.-এর ব্যবস্থাপক ইন্টারনেট ব্যাংকিং-এর সেবা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন, যা তার সমস্যা সমাধানে সক্ষম হবে।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং পদ্ধতিতে কোনো জনশক্তি ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। ফলে স্বল্প সময়ে সব ধরনের লেনদেন কার্য সম্পন্ন করা যায়।
উদ্দীপকে মিসেস অনন্যা ‘প্রত্যয় ব্যাংক লি.-এর একজন গ্রাহক। তিনি ব্যাংকের ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে নগদ অর্থ উত্তোলন ও পণ্য ক্রয়ের মূল্য পরিশোধের সুবিধা পান। তবে ব্যস্ততার কারণে বিমার প্রিমিয়াম, গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি পরিশোধে তিনি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিষয়টি জানতে পেরে ‘প্রত্যয় ব্যাংক লি.-এর ব্যবস্থাপক তাকে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে নাম ও পাসওয়ার্ড দ্বারা নিবন্ধিত হয়ে সেবা গ্রহণ করার পরামর্শ দেন।
‘প্রত্যয় ব্যাংক লি.-এর ব্যবস্থাপক মিসেস অনন্যাকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং-এর সেবাটি গ্রহণ করতে উৎসাহ দেন। ইন্টারনেট ব্যাংকিং পদ্ধতিতে মিসেস অনন্যা নিজেই তার ব্যাংক হিসাব এবং ব্যাংকিং কার্যাবলি সম্পাদন করতে পারবেন। নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে তিনি তার ব্যাংক হিসাব থেকে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি পরিশোধ করতে পারবেন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাংকিং লেনদেন সম্পন্ন করা হয় বলে তিনি ঘরে বসেই এ কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। এ পদ্ধতি মিসেস অনন্যার সময় ও যাতায়াত খরচ কমাতে খুবই সহায়ক হবে। সুতরাং, ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের পরামর্শটি তার সমস্যা সমাধানে সক্ষম হবে বলেই আমি মনে করি।

মমমপ্রশ্ন৫ মি. তারেক ‘ডেলটা ব্যাংক লি.’ এর একজন গ্রাহক। তিনি লেনদেনের সুবিধার জন্য ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত একটি ইলেকট্রনিক কার্ড ব্যবহার করেন, যা দিয়ে টাকা উত্তোলন ও কেনাকাটা করা যায়। অন্যদিকে তার বন্ধু মি. শফিক এমন একটি ইলেকট্রনিক কার্ড ব্যবহার করেন, যা দিয়ে টাকা উত্তোলন ও কেনাকাটা ছাড়া আরো অন্যান্য কাজ করা যায়। [সি. বো. ১৭]
অ ক. ই-ব্যাংকিং কী? ১
অ খ. মোবাইল ব্যাংকিং কেন জনপ্রিয়? ২
অ গ. ব্যাংক প্রদত্ত মি. তারেকের ইলেকট্রনিক কার্ড কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. মি. শফিকের কার্ডটি বর্তমান বাণিজ্যে কিভাবে ভ‚মিকা রাখতে পারে বিশ্লেষণ করো। ৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং হলো এমন একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া যেখানে কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাংকিং সুবিধা ও সেবা প্রদান করা হয়।
খ মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করে গ্রাহক ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন বিল পরিশোধের সুযোগ পায়, যা মোবাইল ব্যাংকিং সেবাকে জনপ্রিয় করেছে।
আধুনিক ব্যাংকিং এর নতুনতম সংযোজন হলো মোবাইল ব্যাংকিং। বাংলাদেশে ব্রাক ব্যাংক- বিকাশ নামে, ডাচ্ বাংলা-ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নামে ব্যাংকিং সুবিধা চালু করেছে। যা আমাদের দেশে মোবাইল ব্যাংকিংকে জনপ্রিয় করেছে।
গ উদ্দীপকে ব্যাংক প্রদত্ত মি. তারেকের ইলেকট্রনিক কার্ডটি একটি ডেবিট কার্ড।
ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকগণ তাদের ব্যাংক হিসাবের জমাকৃত অর্থ নগদ উত্তোলন সহ কেনাকাটায় অর্থ পরিশোধের সুবিধা লাভ করে। এ সুবিধা লাভের জন্য গ্রাহককে শুরুতেই ব্যাংকে টাকা জমা করতে হয়। এরপর গ্রাহক কার্ড ব্যবহার করে নিজের ইচ্ছামত সে টাকা ব্যবহার করতে পারে।
উদ্দীপকে মি. তারেক ডেলটা ব্যাংক লি. এর একজন গ্রাহক। তিনি লেনদেনের সুবিধার জন্য ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত একটি ইলেকট্রনিক কার্ড ব্যবহার করেন। যা দিয়ে তিনি তার হিসাবের জমাকৃত অর্থ উত্তোলন করতে পারেন। এছাড়াও কেনাকাটায় অর্থ পরিশোধের সুবিধা পান। অর্থাৎ, মি. তারেকের ব্যবহৃত কার্ডটি বৈশিষ্ট্যের বিচারে একটি ডেবিট কার্ড।
ঘ উদ্দীপকে মি. শফিকের গৃহীত কার্ডটি একটি ক্রেডিট কার্ড, যা বর্তমান ব্যবসা বাণিজ্যে ধারে পণ্যক্রয়সহ ঋণ সুবিধা প্রদান করে।
এ কার্ড বর্তমান ব্যবসা বাণিজ্যে বহুল ব্যবহৃত, যা ব্যাংকের একটি ইলেকট্রনিক সেবা। এরূপ কার্ডের মাধ্যমে ব্যাংক গ্রাহককে ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও বাকিতে পণ্য বা সেবা ক্রয়েও ক্রেডিট কার্ড জনপ্রিয়।
উদ্দীপকে মি. শফিক ব্যাংক প্রদত্ত একটি ইলেকট্রনিক কার্ড ব্যবহার করেন। উক্ত কার্ড দিয়ে তিনি ধারে টাকা উত্তোলন ও বাকিতে কেনাকাটা করতে পারবেন। অর্থাৎ মি. শফিকের গৃহীত ইলেকট্রনিক কার্ডটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড।
ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দৈনন্দিন কার্য সম্পাদনে নগদ অর্থের পাশাপাশি বাকিতে পণ্য ক্রয়ের প্রয়োজন হয়। এরূপ কেনাকাটায় ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই পূর্ব পরিচিত হতে হয়। অর্থাৎ পূর্ব পরিচিত না হলে বাকিতে পণ্য ক্রয়ে বাধার সৃষ্টি হয়। এ বাধা দূরীকরণে বর্তমানে ক্রেডিট কার্ড পণ্যের মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা করে। এটি ব্যাংক প্রদত্ত এক ধরনের ঋণ। এর মাধ্যমে ব্যাংক তার গ্রাহককে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত সুদের বিনিময়ে অর্থের যোগান দিয়ে থাকে। ফলশ্র“তিতে ব্যবসা- বাণিজ্যের গতিশীলতা বজায় থাকে।
ক্রেডিট কার্ড : এই কার্ডের মাধ্যমে ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ঋণ দেয়। যেমন- গ্রাহক তার হিসাবে টাকা না থাকলেও ৬,০০০ টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করতে পারবেন। এটি একটি ঋণ। ৬,০০০ টাকা পরিশোধ করার পর গ্রাহক আবার ৬,০০০ টাকা চাইতে পারবেন।

মমমপ্রশ্ন৬ শাহীন তার ব্যাংক প্রদত্ত বিশেষ চুম্বকীয় কার্ড ব্যবহার করে যে কোনো সময় তার হিসাবে জমাকৃত অর্থ উত্তোলন করতে পারেন। অপরদিকে রবিন তার ব্যাংক প্রদত্ত একই প্রকৃতির কার্ড ব্যবহার করে তার হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকলেও যাবতীয় কেনাকাটা এবং বিল পরিশোধ করতে পারেন, যা তিনি পরবর্তীতে সুদসহ ব্যাংককে পরিশোধ করেন। [য. বো. ১৭]
অ ক. ঝডওঋঞ কী? ১
অ খ. অনলাইন ব্যাংকিং-এর সুবিধা কী? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকে শাহীন-এর ব্যবহৃত কার্ডের নাম কী? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকে উলি­খিত কার্ড দুটির মধ্যে কোনটি উত্তম? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক যে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লেনদেন ও তথ্য সহজে ও নিরাপদে আদান-প্রদান করা হয় তাকে ঝডওঋঞ (ঞযব ঝড়পরবঃু ভড়ৎ ডড়ৎষফরিফব ওহঃবৎনধহশ ঋরহধহপরধষ ঞবপযহড়ষড়মু) বলে।
খ অনলাইন ব্যাংকিং এর প্রধান সুবিধা হলো এর মাধ্যমে খুব সহজে ও দ্রুত ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়।
এ পদ্ধতিতে গ্রাহক ব্যাংকের যেকোনো শাখার মাধ্যমে তার প্রয়োজনীয় লেনদেন করতে পারবেন। এছাড়া অনলাইন ব্যাংকিং এ ২৪ ঘণ্টা সেবা গ্রহণ করা সম্ভব, যা ব্যাংকিং লেনদেনে গতিশীলতা আনে।
গ উদ্দীপকে শাহীনের ব্যবহৃত কার্ডটি হলো ডেবিট কার্ড।
ডেবিট কার্ড হলো ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং এর একটি পণ্য বা সেবা। এ কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহক যেকোনো সময় নগদ উত্তোলন ও পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে গ্রাহকের হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ থাকতে হয়।
উদ্দীপকে শাহীন তার ব্যাংকের কাছ থেকে একটি বিশেষ চুম্বকীয় কার্ড গ্রহণ করেন। কার্ডটি ব্যবহার করে তিনি যে কোনো সময় তার হিসাবে জমাকৃত অর্থ উত্তোলন করতে পারেন। অর্থাৎ তার হিসাবে টাকা থাকা সাপেক্ষে এই কার্ড ব্যবহার করে তিনি নগদ অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। এ সকল বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় বলা যায়, তার ব্যবহৃত কার্ডটির সাথে ডেবিট কার্ডের মিল রয়েছে। কেননা ডেবিট কার্ডের গ্রাহকরাই এমন সুবিধা পেয়ে থাকে। তাই বলা যায়, শাহীন ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং এর ডেবিট কার্ড সেবাটি গ্রহণ করেছেন।
ঘ উদ্দীপকে উলি­খিত কার্ড দুটির মধ্যে রবিনের ব্যবহৃত ক্রেডিট কার্ড সেবাটি অধিক উত্তম।
ক্রেডিট কার্ড হলো ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং এর অন্যতম একটি পণ্য বা সেবা। গ্রাহকের হিসাবে টাকা না থাকলেও গ্রাহক এ কার্ডের মাধ্যমে নগদ উত্তোলন ও কেনাকাটার মূল্য পরিশোধ করতে পারেন।
উদ্দীপকে শাহীন তার কার্ড ব্যবহার করে তার হিসাবে জমাকৃত অর্থ যেকোনো সময় উত্তোলন করতে পারেন। অন্যদিকে রবিন একই ধরনের কার্ড ব্যবহার করে তার হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ জমা না থাকলেও নগদ অর্থ উত্তোলন করতে পারেন। অর্থাৎ শাহীন ব্যবহার করেন ডেবিট কার্ড এবং রবিন ব্যবহার করেন ক্রেডিট কার্ড।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ফলে রবিন একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পান। এর ফলে তার হিসাবে টাকা না থাকলেও তিনি নগদ উত্তোলন বা বিল পরিশোধ করতে পারেন। এরূপ সুবিধা শাহীনের ব্যবহৃত ডেবিট কার্ডে নেই। এসকল বিষয় বিবেচনা করে নির্দ্বিধায় বলা যায়, ডেবিট কার্ড অপেক্ষা ক্রেডিট কার্ড অধিক উত্তম।

মমমপ্রশ্ন৭ ছাত্রজীবনে রাজশাহী মাদার বখ্শ হলে থাকতাম। বাড়ি থেকে টাকা পাঠালে হাতে পেতে কয়েকদিন সময় লাগত। বর্তমানে আমার বন্ধু হাবীব স্থানীয় ব্যাংকের একটি শাখা ব্যবহার করে তার ছেলেকে উন্নত প্রযুক্তিতে টাকা পাঠায়, যা পেতে তার ছেলের পাঁচ মিনিট সময় লাগে। কোনো চেক কাটারও দরকার হয় না। বর্তমান এ প্রযুক্তির অভাবে এদেশের অনেক পুরানো ব্যাংক পিছিয়ে রয়েছে। [ব. বো. ১৭]
অ ক. একক ব্যাংক কী? ১
অ খ. একক ব্যাংক কি শাখা ব্যাংক থেকে আলাদা? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকে কোন ধরনের ব্যাংকিং-এর কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. ‘পূর্বের তুলনায় বর্তমান ব্যাংক ব্যবস্থা ভালো’ Ñ উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক কাঠামোগত দিক থেকে যে ব্যাংকের কার্যাবলি শুধু একটি নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকে এবং যার কোনো শাখা থাকে না তাকে একক ব্যাংক বলে। বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো ব্যাংক নেই।
খ সংগঠন কাঠামোর ভিত্তিতে একক ব্যাংক, শাখা ব্যাংক থেকে আলাদা।
একক ব্যাংক একটি ক্ষুদ্র আয়তন ও একক শাখা বিশিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান হলেও শাখা ব্যাংক আয়তনে বৃহৎ এবং বহুশাখা বিশিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান। শাখা ব্যাংক গঠনে অধিক মূলধনের প্রয়োজন হলেও একক ব্যাংক গঠনে স্বল্প পরিমাণ মূলধনের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও ঝুঁকি, মুনাফা, পরিচালন ব্যয় ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ বিষয়ের ভিত্তিতেও ব্যাংক দুটি একটি অন্যটি থেকে আলাদা।
গ উদ্দীপকে ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং-এর কথা বলা হয়েছে।
এ ধরনের ব্যাংকিং হলো ব্যাংকিং সেবা ও সুবিধা প্রদানের আধুনিক কৌশল। ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং পদ্ধতিতে কম্পিউটার প্রযুক্তি ও অন্তর্জাল (ওহঃবৎহবঃ) ব্যবহার করে গ্রাহককে কম সময়ে উন্নত সেবা প্রদান করা হয়। ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং-এর কয়েকটি সেবা হলো এটিএম, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিং ইত্যাদি।
উদ্দীপকে উলে­খ্য চরিত্রের ছাত্রজীবনে দেখা ব্যাংকিং পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। তখন তার বাড়ি থেকে টাকা পাঠালে কয়েকদিন পর সে টাকা হাতে পৌঁছাতো। বর্তমানে তার বন্ধু হাবিব স্থানীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ছেলেকে টাকা পাঠান। ব্যাংকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে তার বন্ধুর ছেলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই এ টাকা উত্তোলন করতে পারে। অর্থাৎ আধুনিক ব্যাংকিং-এর এটিএম, ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড সুবিধার মাধ্যমে বর্তমানে স্বল্প সময়ে গ্রাহকরা নিজেদের অর্থ উত্তোলন করতে পারছেন। সুতরাং, উদ্দীপকে ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং-এর কথাই বলা হয়েছে।
ঘ উদ্দীপকে পূর্বের সনাতন ব্যাংকিং পদ্ধতি এবং বর্তমানে আধুনিক ব্যাংকিং পদ্ধতিতে গৃহীত গ্রাহক সেবার কথা বলা হয়েছে।
আধুনিক ব্যাংকিং পদ্ধতি বলতে কম্পিউটার প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়। এ পদ্ধতিকে ইলেকট্রনিক বা ই-ব্যাংকিং পদ্ধতিও বলা হয়ে থাকে।
উদ্দীপকের চরিত্রটি তার ছাত্রজীবনে সনাতন ব্যাংকিং পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলন করতেন। এতে তার কয়েকদিন সময় লাগতো। বর্তমানে তার বন্ধু হাবিব মুহূর্তেই তার ছেলেকে টাকা পাঠাতে পারেন। তার ছেলেও ঐ টাকা দ্রুতই উত্তোলন করতে পারে।
পূর্বে ব্যবহৃত সনাতন ব্যাংকিং পদ্ধতিতে অর্থ পাঠাতে অনেক সময় লাগতো। বর্তমানে কম্পিউটার প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংক ব্যবস্থার কারণেই হাবিব তার ছেলেকে ৫ মিনিটের মধ্যে অর্থ পাঠাতে পারেন। আবার, এ ব্যবস্থায় তার ছেলেও যেকোনো সময়ে ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন করতে পারে। এসকল সুবিধা বিবেচনায় বলা যায়, পূর্বের তুলনায় বর্তমান ব্যাংক ব্যবস্থা ভালো, এ বক্তব্যটি যথার্থ হয়েছে।

মমমপ্রশ্ন৮ জনাব মুবিন একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার আরেক ব্যবসায়ী বন্ধু মি. জুবিনের কাছে কিছু টাকা পান। পাওনা টাকা চাইতে গেলে মি. জুবিন তাকে নগদ টাকা না দিয়ে একটি চেক দেয়। চেকটি ‘ণ’ ব্যাংক ফিরোজপুর শাখার ম্যানেজারের নিকট দিলে তাৎক্ষণিকভাবে হিসাব নম্বর খুঁজে পায় না। পরে অনেক নথিপত্র অনুসন্ধান করলে হিসাবটি পাওয়া যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন কোনো লেনদেন নেই এবং কোনো স্থিতিও নেই।
[ঢা. বো. ১৬]
অ ক. ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং কী? ১
অ খ. ব্যাংক কীভাবে ব্যবসায়িক লেনদেনের সহায়তা করে? ২
অ গ. উদ্দীপকে জনাব মুবিনকে ‘ণ’ ব্যাংক কেন তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দিতে পারে নি? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. গ্রাহক সেবা ধরে রাখতে এবং সেবার মান বৃদ্ধি করতে ‘ণ’ ব্যাংক ফিরোজপুর শাখার করণীয় কী? বিশ্লেষণ করো। ৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক যে ব্যবস্থায় কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতিদ্রুত ও নির্ভুলভাবে সম্প্রসারিত ব্যাংকিং সেবা দেয়া হয় তাকে ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং বলে।
খ ঋণদান, গ্রাহকদের পক্ষে দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি, অর্থ স্থানান্তর ইত্যাদি কার্যাবলি সম্পাদনের মাধ্যমে ব্যাংক ব্যবসায়িক লেনদেনে সহায়তা প্রদান করে।
ব্যাংক চেক, পে-অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট ইত্যাদি ইস্যুর মাধ্যমে বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি করে। এসব বিনিময়ের মাধ্যম আর্থিক লেনদেন তথা অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যকে সহায়তা করে। একইভাবে ব্যাংক প্রত্যয়পত্র, ভ্রমণকারীর চেক ইস্যুর মাধ্যমে বৈদেশিক ব্যবসায়িক লেনদেনে সহায়তা করছে।
গ উদ্দীপকে অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা না থাকায় ‘ণ’ ব্যাংক জনাব মুবিনকে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দিতে পারে নি।
অনলাইন ব্যাংকিং হলো কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর একটা নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। এতে একটি ব্যাংকের সাথে বিভিন্ন শাখার বা বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয় দ্রুত লেনদেন নিষ্পত্তির লক্ষ্যে।
উদ্দীপকে মি. মুবিন মি. জুবিনের নিকট থেকে একটি চেক গ্রহণ করেন। তিনি চেকটি ‘ণ’ ব্যাংক ফিরোজপুর শাখার ম্যানেজারের নিকট জমা দিলে ম্যানেজার তাৎক্ষণিকভাবে হিসাব নম্বর খুঁজে পায় না। ফলে সেবা প্রদান করাও সম্ভব হয়নি। ব্যাংকটিতে অনলাইন ব্যাংকিং সেবাটি না থাকায় এরূপ ঘটনা ঘটেছে। কেননা, অনলাইন ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে সহজেই তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহকের হিসাবের যাবতীয় তথ্য খুঁজে পাওয়া সম্ভব। এমনকি ঐ শাখার পরিবর্তে অন্য শাখায় হিসাব খোলা থাকলেও তা খুঁজে পাওয়া সম্ভব। সুতরাং, অনলাইন ব্যাংকিং সেবা না থাকার কারণেই তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান সম্ভব হয়নি।
ঘ উদ্দীপকে গ্রাহক সেবা ধরে রাখতে এবং সেবার মান বৃদ্ধি করতে ‘ণ’ ব্যাংক ফিরোজপুর শাখার করণীয় হলো ই-ব্যাংকিং সেবা চালু করা।
ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং বা ই-ব্যাংকিং সেবা হলো সার্বিক ব্যাংকিং ডেলিভারি সেবা ব্যবস্থার উন্নততর পদ্ধতি।
উদ্দীপকে জুবিনের নিকট থেকে প্রাপ্ত চেকটি মুবিন ‘ণ’ ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে সেবা প্রদানে ব্যর্থ হয়। কেননা, অনলাইন ব্যাংকিং সেবাটি না থাকায় ব্যাংক ম্যানেজারের হিসাবের তথ্য খুঁজে পেতে অনেক সময় লাগে। যার ফলে তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান সম্ভব হয়নি।
বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে ‘ণ’ ব্যাংকের সাফল্য নির্ভর করে গ্রাহক সন্তুষ্টির ওপর। আর গ্রাহক সন্তুষ্টি নির্ভর করে গ্রাহক সেবা বা এই সেবার মানের ওপর। ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং ছাড়া বর্তমান যুগে ‘ণ’ ব্যাংক কোনোভাবেই অধিক গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে না। কেননা, ই-ব্যাংকিং এর অনলাইন ব্যাংকিং, এটিএম সুবিধা, হোম ব্যাংকিং, নিকাশ ঘর, বিক্রয় বিন্দু সেবাসমূহ গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সুতরাং, ণ ব্যাংকের করণীয় হলো ই-ব্যাংকিং সেবাসমূহের ব্যবস্থা করা।

মমমপ্রশ্ন৯ মি. ইউসুফ একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাবের আমানতকারী। ব্যাংক তাকে একটি চেক বই ছাড়াও জরুরি লেনদেনের প্রয়োজনে একটি বিশেষ কার্ড সরবরাহ করে। তিনি উক্ত কার্ড ব্যবহার করে অঞগ বুথ থেকে অর্থ উত্তোলন এবং যাবতীয় কেনাকাটা সম্পন্ন করতে পারেন। অন্যদিকে তার বন্ধু সঞ্জীব আরেকটি ভিন্ন ধরনের কার্ড দিয়ে কেনাকাটা করেন। এ ধরনের কার্ড দিয়ে ঋণ সুবিধা পাওয়া যায় এবং নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত বাকিতে/ ধারে পণ্য ক্রয়ও করা যায়। [কু. বো. ১৬]
অ ক. ওয়ান স্টপ সার্ভিস কী? ১
অ খ. ঠওঝঅ ঈঅজউ কোন ধরনের কার্ড? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকে মি. ইউসুফের ব্যবহৃত কার্ডের ধরন কী? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে উদ্দীপকে মি. ইউসুফের ব্যবহৃত কার্ডের তুলনায় মি. সঞ্জীবের কার্ডটি কি তুমি উত্তম মনে করো? মতামত দাও। ৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক ওয়ান স্টপ সার্ভিস বলতে গ্রাহক একজন ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে গিয়েই তার প্রয়োজনীয় সকল সার্ভিস পাওয়াকে বোঝায়।
খ ঠওঝঅ ঈঅজউ এক ধরনের ক্রেডিট কার্ড।
গ্রাহকদের প্রয়োজন, বাণিজ্য প্রতিযোগিতা প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে ব্যাংক ভিসা কার্ড ইস্যু করে। আন্তর্জাতিক ভিসা কর্পোরেশনের সাথে সংযুক্ত যেকোনো ব্যাংক এ কার্ড ইস্যু করতে পারে। এ কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককে আন্তর্জাতিক ভিসা কার্ডের প্রতিনিধি বলা হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যে ভিসা কার্ড আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি ক্রেডিট কার্ড।
গ উদ্দীপকে মি. ইউসুফ ডেবিট কার্ড ব্যবহার করেছেন।
ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহককে চুম্বক ভিত্তিক সাংকেতিক নম্বরযুক্ত এক বিশেষ ধরনের প্লাস্টিক কার্ড সরবরাহ করে। এ কার্ডকে ডেবিট কার্ড বলে। এ কার্ডের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে অর্থ স্থানান্তর ও উত্তোলন করা সম্ভব হয়।
উদ্দীপকে মি. ইউসুফের একটি সঞ্চয়ী হিসাব রয়েছে। ব্যাংক তাকে চেক বই ছাড়াও একটি বিশেষ কার্ড প্রদান করেছে। জরুরি লেনদেনের প্রয়োজনে তিনি এ কার্ড ব্যবহার করে অঞগ বুথ থেকে অর্থ উত্তোলন ও যাবতীয় কেনাকাটা সম্পন্ন করতে পারেন। ডেবিট কার্ড পণ্যমূল্য পরিশোধ, নগদ টাকা বা চেক এর বিকল্প হিসাবে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ তার এই বিশেষ কার্ডটি ডেবিট কার্ড।
ঘ জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে উদ্দীপকে মি. ইউসুফের ব্যবহৃত ডেবিট কার্ডের তুলনায় মি. সঞ্জীবের ব্যবহৃত ক্রেডিট কার্ডটি বেশি উত্তম বলে আমি মনে করি।
কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা প্রদান করাই ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং। আধুনিক পরিচালনা ও সেবার মানোন্নয়নে ব্যাংক যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড এর মধ্যে অন্যতম।
উদ্দীপকে ইউসুফ ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে ও তার বন্ধু সঞ্জীব ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে। ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ইউসুফ যেকোনো সময় অঞগ বুথ থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পারে। অন্যদিকে সঞ্জীব তার কার্ডটির মাধ্যমে ঋণ সুবিধা পায় এবং নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত বাকিতে পণ্য ক্রয় করতে পারে। কিন্তু ইউসুফ বাকিতে পণ্য ক্রয় বা ঋণ সুবিধা পায় না।
ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড উভয়ই পণ্যমূল্য পরিশোধ, নগদ টাকা বা চেকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বাকিতে পণ্য ক্রয় করা যায়। ফলে গ্রাহক তার প্রয়োজন অনুযায়ী যখন তখন পছন্দ অনুযায়ী পণ্য কেনাকাটা করতে পারে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হওয়ায় এর গ্রহণযোগ্যতা তুলনামূলকভাবে বেশি। পরবর্তীতে গ্রাহক এ ঋণ নগদে বা মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ পায়। সুতরাং বলা যায়, জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে উদ্দীপকে মি. ইউসুফের ব্যবহৃত কার্ডটির তুলনায় মি. সঞ্জীবের কার্ডটি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত উত্তম বলে আমি মনে করি।

মমমপ্রশ্ন১০ মি. আরিফ একজন প্রতিষ্ঠিত কম্পিউটার ব্যবসায়ী। প্রতিদিন তাকে দ্রুত অনেক ধরনের লেনদেন সম্পন্ন করতে হয়। সেজন্য তিনি তার ব্যক্তিগত কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসেই ব্যাংক হিসাবের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারেন। পরবর্তীতে তিনি মুঠোফোনে ব্যাংকিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন। এর ফলে তিনি তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনেই ইন্টারনেটের সাহায্যে ব্যক্তিগত গোপনীয় সংখ্যা (চওঘ) ব্যবহার করে যেকোনো সময় নিজের হিসাবের তথ্য সংগ্রহ ও তহবিল স্থানান্তর করতে পারেন। [সি. বো. ১৬]
অ ক. কণঈ ফরম কী? ১
অ খ. স্বয়ংক্রিয় নিকাশ ঘর বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. জনাব আরিফ প্রথমে কোন ধরনের ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত জনাব আরিফ মুঠোফোনের মাধ্যমে যে ব্যাংকিং কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক আমানতকারী ব্যাংকে হিসাব খোলার সময় তার যাবতীয় তথ্য যে ফরমে প্রদান করে থাকে তাকে কণঈ ফরম বলে।
খ স্বয়ংক্রিয় নিকাশঘর (অঁঃড়সধঃবফ ঈষবধৎরহম ঐড়ঁংব) একটি সমন্বিত ইলেকট্রনিক সেবা পদ্ধতি।
এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লেনদেনসমূহ ইলেকট্রনিক উপায়ে বিনিময় ও নিষ্পন্ন করা হয়। এতে আলাদা করে চেক কাটা, চেক প্রদান, গ্রাহক কর্তৃক পুনরায় চেক জমা, এসব ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকা যায়। সাধারণত দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিকাশঘরের কাজটি পরিচালনা করে।
গ উদ্দীপকের মি. আরিফ প্রথমে ‘হোম ব্যাংকিং’-এর সেবা গ্রহণ করতেন।
ঘরে বসে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য আধুনিক যে ব্যবস্থা তাকে ঘরোয়া ব্যাংকিং বা হোম ব্যাংকিং বলে।
উদ্দীপকে মি. আরিফ কম্পিউটার ব্যবসায়ী হওয়ায় প্রতিদিন তাকে ব্যাংকের মাধ্যমে অনেক লেনদেন সম্পন্ন করতে হয়। তিনি ব্যক্তিগত কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসেই নিজের হিসাবে ঢুকে তথ্য সংগ্রহ করতেন। অর্থাৎ তিনি ঘরে বসেই স্বল্প সময়ে এবং কম পরিশ্রমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতেন যা হোম ব্যাংকিংয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের মি. আরিফ প্রথমে ‘হোম ব্যাংকিং’-এর মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করেছেন।
ঘ উদ্দীপকে মি. আরিফ পরবর্তীতে ব্যবহৃত মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক।
মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার করে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা, তথ্য সংগ্রহ ও লেনদেন করাকেই মোবাইল ব্যাংকিং বলে।
উদ্দীপকে মি. আরিফ একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়িক কারণেই লেনদেন সম্পাদনের জন্য তিনি প্রথমে হোম ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি তা পরিবর্তন করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করেন।
মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতিতে চওঘ এর সাহায্যে নিজের হিসাবের তথ্য সহজেই বের করা যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে লেনদেন সম্পাদন করা যায় এবং তহবিল স্থানান্তর করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন তথ্য গ্রাহক মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে পেতে পারেন। এতে ব্যাংকিং আনুষ্ঠানিকতাও কম পালন করতে হয়। অপরদিকে, হোম ব্যাংকিং-এ প্রচুর আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয়। সুতরাং হোম ব্যাংকিং সেবার চেয়ে মোবাইল ব্যাংকিং অধিক উত্তম।

 

Share to help others:

Leave a Reply