নবম-দশম ইসলাম প্রথম অধ্যায় আকাইদ ও নৈতিক জীবন

প্রথম অধ্যায় আকাইদ ও নৈতিক জীবন
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি

 ইসলাম : ইসলাম আরবি শব্দ। আভিধানিক অর্থ হলোÑ আনুগত্য করা, আত্মসমর্পণ করা, শান্তির পথে চলা ইত্যাদি। ব্যবহারিক অর্থে আল্লাহ তায়ালা ও রাসুল (স)-এর আনুগত্য করাকে ইসলাম বলে।
 ইমান : ইমান শব্দটি আমনুন মূল ধাতু থেকে নির্গত। যার অর্থ : বিশ্বাস করা, আস্থা স্থাপন, স্বীকৃতি দেওয়া, নির্ভর করা, মেনে নেওয়া ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায়, শরিয়তের যাবতীয় বিধিবিধান অন্তরে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকার করা এবং তদনুযায়ী আমল করাকে ইমান বলে।
 তাওহিদ : তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকার করে নেওয়াকে তাওহিদ বলে। তাওহিদের মূল কথা হলো- আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয়। তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে অদ্বিতীয়।
 আল্লাহ তায়ালার পরিচয় : আল্লাহ তায়ালা এ বিশ্বজগতের অধিপতি ও মালিক। তিনি একক ও অদ্বিতীয় সত্তা। তাঁর কোনো শরিক নেই। তিনি অনন্য ও অতুলনীয়।
 কুফর : কুফর শব্দের আভিধানিক অর্থ অস্বীকার করা, অবিশ্বাস করা, ঢেকে রাখা, গোপন করা, অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, অবাধ্য হওয়া ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালার মনোনীত দীন ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর কোনো একটির প্রতি অবিশ্বাস করাকে কুফর বলা হয়। যে ব্যক্তি কুফরে লিপ্ত হয় তাকে বলা হয় কাফির।
 শিরক : শিরক শব্দের অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা, একাধিক স্রষ্টা বা উপাস্যে বিশ্বাস করা। ইসলামি পরিভাষায় মহান আল্লাহর সাথে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে শরিক করা কিংবা তাঁর সমতুল্য মনে করাকে শিরক বলা হয়। যে ব্যক্তি শিরক করে তাকে বলা হয় মুশরিক।
 নিফাক : নিফাক শব্দের আভিধানিক অর্থ ভণ্ডামি, কপটতা, দ্বিমুখীভাব, ধোঁকাবাজি, প্রতারণা ইত্যাদি। এর ব্যবহারিক অর্থ হলো অন্তরে একরকম ভাব রেখে বাইরে এর বিপরীত অবস্থা প্রকাশ করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, অন্তরে কুফর ও অবাধ্যতা গোপন করে মুখে ইসলামকে স্বীকার করার নাম হলো নিফাক। যে এরূপ কাজ করে তাকে বলা হয় মুনাফিক।
 রিসালাত : রিসালাত শব্দের আভিধানিক অর্থ বার্তা, চিঠি পৌঁছানো, পয়গাম, সংবাদ বা কোনো ভালো কাজের দায়িত্ব বহন করা। ইসলামি পরিভাষায়, মহান আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বাণী মানুষের নিকট পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বকে রিসালাত বলা হয়। যিনি এ দায়িত্ব পালন করেন তাঁকে বলা হয় রাসুল।
 আসমানি কিতাব : কিতাব শব্দের অর্থ লিপিবদ্ধ বা লিখিত বস্তু। এর প্রতিশব্দ হলো গ্রন্থ, পুস্তক, বই ইত্যাদি। আসমানি কিতাব হলো এমন গ্রন্থ যা আল্লাহ তায়ালা থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ১০৪ খানা আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন। এর মধ্যে ৪ খানা বড় ১০০ খানা ছোট।
 আখিরাত : আখিরাত অর্থ পরকাল। মানুষের মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে আখিরাত বলা হয়। মানবজীবনের দুটি পর্যায় রয়েছে। ইহকাল ও পরকাল। ইহকাল হলো দুনিয়ার জীবন। আর মৃত্যুর পরে মানুষের যে নতুন জীবন শুরু হয় তার নাম পরকাল বা আখিরাত। আখিরাত জীবনের কয়েকটি স্তর রয়েছে। যেমন : মৃত্যু, কবর, কিয়ামত, হাশর, মিযান, সিরাত, শাফাআত, জান্নাত, জাহান্নাম প্রভৃতি।

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

 বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 
১. ইসলামের মূল বিষয়গুলোর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাসকে কী বলা হয়?
 ইমান খ ইসলাম গ ইহসান ঘ ইনসাফ
২. ‘আলহিকমাতু’ শব্দের অর্থ কী?
ক উপদেশ  প্রজ্ঞা গ জ্যোতি ঘ অনুগ্রহ
৩. মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্ব নিম্নস্তরে অবস্থান করবে, কারণ তারা-
র. সমাজে চিহ্নিত মানুষ রর. অন্তরে কুফর লুকিয়ে রাখে
ররর. কাফিরদের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে এ পর্যন্ত সূর্যের উদয় ও অস্ত যাওয়ার পদ্ধতি একই নিয়মে চলে আসছে। এ অবস্থা দেখে সুলতান সাহেব মনে করেন, পৃথিবী আর ধ্বংস হবে না।
৪. সুলতান সাহেব আখিরাতের কোন বিষয়টিকে অস্বীকার করেন?
ক কবর খ হাশর  কিয়ামত ঘ মিযান
৫. সুলতান সাহেবের ধারণার ফলে, তাকে বলা যায়-
 কাফির খ মুশরিক গ ফাসিক ঘ মুনাফিক
 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন- ১  নিফাক ও কুফর

ফরিদ ও সেলিম সহপাঠী। তারা উভয়ে আগামীকাল ৯.০০ ঘটিকায় বিদ্যালয়ে আসবে বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। পরদিন সেলিম নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত থাকলেও ফরিদ বিদ্যালয়ে যথাসময়ে আসেনি। বেলা ১১.০০ ঘটিকায় তার সাথে দেখা হলে সে বলে আমি তো তোমার সাথে ঠাট্টা করেছি। এরপর দুইজন মিলে ক্যান্টিনে গিয়ে খেতে বসল। খাওয়ার পর তারা দেখল জনৈক ব্যক্তি কিছু তরল নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করছে। ফরিদ ঐ ব্যক্তিকে নিষেধ করতে চাইলে সেলিম তাকে বিরত রেখে বলল, ‘এতে দোষের কিছু নেই।’
ক. ইসলামের মৌলিক ইবাদতগুলো অস্বীকার করাকে কী বলে?
খ. আখিরাতে বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য কেন?
গ. ফরিদের আচরণে কী প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সেলিমের বক্তব্য ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ কর।

ক ইসলামের মৌলিক ইবাদতগুলো অস্বীকার করাকে কুফর বলে।
খ আখিরাতে বিশ্বাস স্থাপন করা ইমানের সাতটি মৌলিক বিষয়ের মধ্যে অন্যতম। আখিরাতে বিশ্বাস ছাড়া মুমিন ও মুত্তাকি হওয়া যায় না। আখিরাতে বিশ্বাস মানুষকে দায়িত্বশীল ও সৎকর্মশীল এবং ইহজীবনের আমল সম্বন্ধে সতর্ক করে তোলে। তাই আখিরাতে বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য।
গ ফরিদের আচরণে নিফাকি প্রকাশ পেয়েছে। কারণ ফরিদ তার সহপাঠী সেলিমকে কথা দিয়ে কথা রাখেনি। অর্থাৎ সে ওয়াদা ভঙ্গ করেছে। আর ওয়াদা ভঙ্গ করা মুনাফিকের লক্ষণ। মহানবি (স) বলেছেন, মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি : যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করে আর যখন তার নিকট কোনো কিছু আমানত রাখা হয় তার খিয়ানত করে। উদ্দীপকে আমরা দেখি, দুই বন্ধু ফরিদ ও সেলিম একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ে একত্রিত হতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকলেও ফরিদ প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে। সুতরাং, আলোচনার দ্বারা একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, ফরিদের আচরণে নিফাকি প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ সেলিমের বক্তব্য কুফরের শামিল।
মানুষ নানাভাবে কাফির বা অবিশ্বাসী হতে পারে। তন্মধ্যে হারামকে হালাল মনে করাও কুফরি। মদ, জুয়া, সুদ, ঘুষ ইত্যাদিকে আল্লাহ হারাম করেছেন। যদি কেউ এ কাজগুলোকে হালাল মনে করে তবে নিঃসন্দেহে সে কাফির হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন, “হে মুমিনগণ, মদ, জুয়া, মূর্তি ও ভাগ্য নির্ণয় করা এসব নোংরা ও অপবিত্র শয়তানের কাজ ব্যতীত আর কিছুই নয়। সুতরাং তোমরা এসব (অপকর্ম) থেকে বেঁচে থাক। আশা করা যায়, তোমরা সফলতা লাভে সক্ষম হবে।” আর মহানবি (স) বলেছেন, “প্রত্যেক নেশাজাতীয় দ্রব্য হারাম।” উদ্দীপকের সেলিম হারামকে হালাল বা বৈধ মনে করে বলে, ‘এতে দোষের কিছু নেই’। তার এ বক্তব্য ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করলে প্রমাণিত হয় যে, সে এ কাজে সহযোগিতা করেছে। যার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। তার উচিত হালালকে হালাল হিসেবে গ্রহণ ও হারামকে হারাম হিসেবে বর্জন করা। সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার দ্বারা একথা প্রমাণিত হয় যে, সেলিমের বক্তব্য ইসলামের দৃষ্টিতে কুফরির অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্ন- ২  নিফাক ও আখিরাতে বিশ্বাস

প্রেক্ষাপট-১
আদ্যক্ষর সু নামক প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তার পেশাগত প্রশিক্ষণ, এমনকি ডিপ্লোমা সনদ নেই। তারপরও তাঁরা চিকিৎসক ও সেবিকা সেজে স্পর্শকাতর পরীক্ষা চালাচ্ছেন ও লোকজনকে টিকা দিচ্ছেন। এই সুযোগে তাঁরা হাজার হাজার টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন। (সংক্ষেপিত : প্রথম আলো, ০৫ জুলাই ২০১২)
প্রেক্ষাপট-২
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার এভাবে বাড়তে থাকলে খুব শীঘ্রই মানবজাতি জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রাণরক্ষার যুদ্ধে পরাস্ত হবে। গৃহপালিত পশুপাখিকে রোগমুক্ত রেখে কম সময়ে অধিক উৎপাদনের লক্ষ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের অবাধ ব্যবহার হয়ে আসছে। পোলট্রিতে উৎপাদন বাড়াতে অর্থাৎ পোলট্রির দৈহিক বৃদ্ধির জন্য অনেক খামারি গ্রোথ প্রোমোটার হিসেবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে। অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগকৃত ডিমে প্রায় ৩০০ মাইক্রোগ্রাম কোলেস্টেরল পাওয়া যায়, যা হৃদরোগীর জন্য খুবই ক্ষতিকর। [ যুগান্তর ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১২ সংক্ষেপিত ]
ক. আল্লাহর নিকট একমাত্র জীবন ব্যবস্থা কী?
খ. ‘তাওহিদের স্বরূপ’ ব্যাখ্যা কর।
গ. ১ নম্বর প্রেক্ষাপটে কোন বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ২ নম্বর প্রেক্ষাপটে যে বিষয়টি ফুটে ওঠে, তা ‘সৎকর্মশীল হতে ও নৈতিক জীবন গঠনে আখিরাতে বিশ্বাসের ভ‚মিকা’র আলোকে বিশ্লেষণ কর।

ক আল্লাহর নিকট একমাত্র জীবনব্যবস্থা হলো ইসলাম।
খ আল্লাহ তায়ালাকেই সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিযিকদাতা ও ইবাদতের যোগ্য এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে বিশ্বাসের নামই তাওহিদ। পবিত্র কুরআনের সূরা ইখলাসে আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং তাওহিদের স্বরূপ ব্যাখ্যা করে বলেছেন-‘বলুন’ হে নবি (স), তিনি আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি স্বয়ংসম্পূর্ণ, কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি। তাঁর সমকক্ষও কেউ নেই।’
গ ১ নম্বর প্রেক্ষাপটে নিফাক প্রকাশ পেয়েছে। আমরা জানি, নিফাক অর্থ ভণ্ডামি, কপটতা, দ্বিমুখীভাব, ধোঁকাবাজি, প্রতারণা ইত্যাদি। অন্তরে বিরোধিতা গোপন রেখে বাইরে আনুগত্য প্রদর্শন করাই নিফাক। নিফাক একটি মারাত্মক পাপ। এটি মানুষের চরিত্র ও নৈতিকতা ধ্বংস করে দেয়। এর ফলে মানুষ মিথ্যাচারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। মুনাফিকরা পার্থিব লোভ-লালসা ও স্বার্থরক্ষায় মানুষের অকল্যাণ করতেও পিছপা হয় না। যেমনটি আমরা দেখি উদ্দীপকের ১ নম্বর প্রেক্ষাপটে। পেশাগত প্রশিক্ষণ ও সনদপত্র না থাকা সত্তে¡ও কিছু অসাধু ব্যক্তি চিকিৎসক ও সেবিকা সেজে স্পর্শকাতর পরীক্ষা চালাচ্ছেন ও লোকজনকে টিকা দিচ্ছেন, যা ভণ্ডামি বা কপটতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা তাদের পরিচয় গোপন রেখে লোকজনের কাছে মিথ্যা বলছেন। মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে এ ধরনের আচরণ নিফাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, উদ্দীপকের ১নম্বর প্রেক্ষাপটে উল্লিখিত ডাক্তার ও নার্সদের কর্মকাণ্ডে নিফাকি প্রকাশ পেয়েছে, যা প্রতারণার শামিল।
ঘ ২ নম্বর প্রেক্ষাপটে যে বিষয়টি ফুটে ওঠেছে তা সৎকর্ম ও নৈতিকতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। উদ্দীপকে দেখা যায়, পোলট্রিতে উৎপাদন বাড়াতে অর্থাৎ পোলট্রির দৈহিক বৃদ্ধির জন্য আমাদের দেশের অনেক খামারি গ্রোথ প্রোমোটার হিসেবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করছেন, যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। প্রকৃতপক্ষে আখিরাতে জবাবদিহির অনুভ‚তি না থাকায় এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিস্তৃতি ঘটছে। এটি মানবতাবিরোধী জঘন্য কাজ। আখিরাতে বিশ্বাসী কোনো ব্যক্তির পক্ষে এমন অন্যায় কাজ করা সম্ভব নয়। কেননা আখিরাতে বিশ্বাস মানুষকে জীবন পরিচালনায় নীতি ও আদর্শের অনুসরণ করতে বাধ্য করে। যে ব্যক্তি আখিরাতে বিশ্বাস করে সে প্রত্যহ তার প্রতিটি কাজের হিসাব নিজেই নিয়ে থাকে। এভাবে দৈনন্দিন আত্মসমালোচনার মাধ্যমে মানুষ তার ভুলত্রæটি শুধরিয়ে নিয়ে সচ্চরিত্রবান হিসেবে গড়ে ওঠে। সুতরাং আমরা বলতে পারি, ২নং প্রেক্ষাপটে যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা মূলত আখিরাতে অবিশ্বাসের কারণেই ঘটছে। আখিরাতে বিশ্বাস থাকলে কোনোক্রমেই খামারিরা মানুষের জন্য ক্ষতিকর এ ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো না।
 সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ আসমানি কিতাবে বিশ্বাসের গুরুত্ব সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর : আসমানি কিতাবসমূহে বিশ্বাস স্থাপন করা ইমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আসমানি কিতাবসমূহে বিশ্বাস স্থাপন না করলে ইমানের মূল বিশ্বাসই নড়বড়ে হয়ে যায়। কেননা আসমানি কিতাবের মাধ্যমেই আমরা আল্লাহ তায়ালা, নবি-রাসুল, ফেরেশতা, জান্নাত, জাহান্নাম, কিয়ামত, হাশর, মিযান, সিরাত ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারি। যদি কেউ আসমানি কিতাবসমূহ ও তাতে বর্ণিত বিষয়সমূহে অবিশ্বাস করে তবে স্বভাবতই সে ইমানের অন্য বিষয়গুলোও অস্বীকার করে। সুতরাং ইমানের পরিপূর্ণতার জন্য আসমানি কিতাবসমূহের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে’-বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : আলোচ্য বাক্যটি পবিত্র কুরআনের সূরা আলে-ইমরানের ১৮৫ নং আয়াত। এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা সকল প্রাণীর জন্য একটি শাশ্বত ও অনিবার্য বিষয় তুলে ধরেছেন। দুনিয়ার কোনো প্রাণীই মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাবে না। ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, সুস্থ-অসুস্থ, শাসক-শাসিত কেউই মৃত্যুকে এড়াতে পারবে না। যত বড় ক্ষমতাধারীই হোক আর যত সুরক্ষিত স্থানে বসবাস করুক সবার নির্দিষ্ট সময়ে মৃত্যু হবেই। আল্লাহ তায়ালা অন্যত্র বলেন-

অর্থ : তোমরা যেখানেই থাক না কেন মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই, এমনকি সুউচ্চ সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান করলেও। (সূরা আন-নিসা : ৭৮)
প্রশ্ন \ ৩ \ সংক্ষেপে আল্লাহর পরিচয় তুলে ধর।
উত্তর : আল্লাহ তায়ালা এ বিশ্বজগতের অধিপতি ও মালিক। তিনি একক ও অদ্বিতীয় সত্তা। তাঁর কোনো শরিক নেই। তিনি অনন্য ও অতুলনীয়, তিনি অনাদি অনন্ত। তিনি চিরস্থায়ী ও চিরবিরাজমান। তাঁর কোনো শুরুও নেই, শেষও নেই। তিনি পানাহার, নিদ্রা, তন্দ্রা, ক্লান্তি সবকিছু থেকে মুক্ত। আল্লাহ তায়ালা সকল গুণের আধার। তিনি সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা। আল্লাহর অসংখ্য গুণবাচক নামের মধ্যে কতিপয় হলো- রাহিম (পরম করুণাময়), জাব্বার (প্রবল), গাফফার (অতি ক্ষমাশীল), বাসির (সর্বদ্রষ্টা), সামিউ (সর্বশ্রোতা), আলিউ (মহান), হাফিয (মহারক্ষক) ইত্যাদি।
আল্লাহ তায়ালা তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে এক ও অতুলনীয়। ইবাদতের যোগ্য সত্তা একমাত্র তিনিই।
 বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ নৈতিক জীবনে আসমানি কিতাবের ভ‚মিকা বিষয়ক একটি নাতিদীর্ঘ রচনা লেখ।
উত্তর : পথহারা ও পথভ্রষ্ট মানুষের হিদায়াতের জন্য আল্লাহ তায়ালা নবি-রাসুলগণের মাধ্যমে যে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন তাই আসমানি কিতাব। আসমানি কিতাব হলো আল্লাহ তায়ালার বাণী ও বিধি-নিষেধের সমন্বিত গ্রন্থ। মানবজীবনকে নৈতিক ও আদর্শিক পথে পরিচালনা করতে আসমানি কিতাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
আল্লাহ তায়ালা আসমানি কিতাবসমূহে বহু নবি-রাসুল ও তাঁদের অনুসারী পুণ্যবান ও মুমিনদের সফলতার কাহিনীও তুলে ধরেছেন। তাঁদের সফলতা ও সম্মানের মূল চাবিকাঠি হিসেবে নৈতিকতার গুরুত্ব বুঝতে পারেন। ফলে মানুষ নৈতিকজীবন গঠনে উৎসাহিত হয়। মহাগ্রন্থ আল-কুরআন আমাদের অনৈতিক ও অন্যায় কার্যাবলি থেকে বিরত থাকতে এবং সৎ ও মানবিক জীবনযাপনে অনুপ্রাণিত করে। আল-কুরআনসহ সকল আসমানি কিতাবে মানুষকে নীতি-নৈতিকতার আদর্শ অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব গ্রন্থে উন্নত আদর্শ ও সদ্গুণাবলির নানা বিষয় অত্যন্ত সুন্দরভাবে বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি যেসব কাজ ও অভ্যাসের দ্বারা নৈতিক জীবনাচরণ লঙ্ঘিত হয় সে সম্পর্কে সতর্ক ও নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। আসমানি কিতাব অনুসরণে জীবন পরিচালনা করলে মানবজীবন নীতি-নৈতিকতামণ্ডিত সুন্দর ও শান্তিময় হয়। সুতরাং বলা যায়, নৈতিক জীবন গঠনে আসমানি কিতাবের ভ‚মিকা অপরিসীম।

কমন উপযোগী জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ ইসলাম শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ইসলাম শব্দের অর্থ আনুগত্য করা, আত্মসমর্পণ করা, শান্তির পথে চলা।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘সিলমুন’ অর্থ কী?
উত্তর : ‘সিলমুন’ অর্থ শান্তি।
প্রশ্ন \ ৩ \ বিনাদ্বিধায় আল্লাহর আদেশ মেনে চলাকে কী বলে?
উত্তর : বিনাদ্বিধায় আল্লাহর আদেশ মেনে চলাকে ইসলাম বলে।
প্রশ্ন \ ৪ \ যিনি ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনা করেন তাকে কী বলা হয়?
উত্তর : যিনি ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনা করেন তাকে বলা হয় মুসলিম।
প্রশ্ন \ ৫ \ ইমান অর্থ কী?
উত্তর : ইমান অর্থ বিশ্বাস করা, আস্থা স্থাপন, স্বীকার করা, নির্ভর করা, মেনে নেওয়া ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ৬ \ ইমানের বহিঃপ্রকাশ কী?
উত্তর : ইমানের বহিঃপ্রকাশ ইসলাম।
প্রশ্ন \ ৭ \ কয়টি দিকের সমন্বিত প্রক্রিয়ার নাম ইমান?
উত্তর : তিনটি দিকের সমন্বিত প্রক্রিয়ার নাম ইমান।
প্রশ্ন \ ৮ \ ইমানের মূলকথা কী?
উত্তর : ইমানের মূলকথা হলো- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
প্রশ্ন \ ৯ \ মানবিক মূল্যবোধ রক্ষা পায় কীভাবে?
উত্তর : উত্তম গুণাবলি ও আদর্শ অনুশীলনের মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধ রক্ষা পায়।
প্রশ্ন \ ১০ \ কীসে ইমানের ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর : মানবিক মূল্যবোধ বিকাশে ইমানের ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন \ ১১ \ তাওহিদ কী?
উত্তর : আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকার করে নেওয়াকে তাওহিদ বলে।
প্রশ্ন \ ১২ \ তাওহিদের মূল কথা কী?
উত্তর : তাওহিদের মূলকথা হলো- আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়।
প্রশ্ন \ ১৩ \ তাওহিদে বিশ্বাস মানুষকে কী করে?
উত্তর : তাওহিদে বিশ্বাস মানুষকে আত্মসচেতন ও আত্মমর্যাদাবান করে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ এ বিশ্বজগতের অধিপতি কে?
উত্তর : মহান আল্লাহ তায়ালা এ বিশ্বজগতের অধিপতি।
প্রশ্ন \ ১৫ \ কে একক সত্তা হিসেবে অতুলনীয়?
উত্তর : মহান আল্লাহ তায়ালা একক সত্তা হিসেবে অতুলনীয়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ কে গোপন-প্রকাশ্য সবই জানেন?
উত্তর : মহান আল্লাহ গোপন-প্রকাশ্য সবই জানেন।
প্রশ্ন \ ১৭ \ কাফির কে?
উত্তর : যে ব্যক্তি কুফরে লিপ্ত হয় তাকে কাফির বলা হয়।
প্রশ্ন \ ১৮ \ হতাশা কীসের পরিণতি?
উত্তর : হতাশা কুফরের পরিণতি।
প্রশ্ন \ ১৯ \ কারা জাহান্নামে অনন্তকালের শাস্তি ভোগ করবে?
উত্তর : কাফিররা জাহান্নামে অনন্তকালের শাস্তি ভোগ করবে।
প্রশ্ন \ ২০ \ ইসলামের মূল বিষয়গুলো অবিশ্বাস করা কী?
উত্তর : ইসলামের মূল বিষয়গুলো অবিশ্বাস করা কুফর।
প্রশ্ন \ ২১ \ কারা পার্থিব ব্যর্থতাকে মেনে নিতে পারে না?
উত্তর : কাফিররা পার্থিব ব্যর্থতাকে মেনে নিতে পারে না।
প্রশ্ন \ ২২ \ পৃথিবীর সকল প্রকার জুলুমের মধ্যে সবচেয়ে বড় জুলুম কোনটি?
উত্তর : পৃথিবীর সকল প্রকার জুলুমের মধ্যে সবচেয়ে বড় জুলুম হলো শিরক।
প্রশ্ন \ ২৩ \ আল্লাহ কোন অপরাধ ক্ষমা করেন না?
উত্তর : আল্লাহ তায়ালা শিরকের অপরাধ ক্ষমা করেন না।
প্রশ্ন \ ২৪ \ শিরক কাকে বলে?
উত্তর : মহান আল্লাহর সাথে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে শরিক করা কিংবা তাঁর সমতুল্য মনে করাকে শিরক বলা হয়।
প্রশ্ন \ ২৫ \ মুশরিক কে?
উত্তর : যে ব্যক্তি শিরক করে তাকে বলা হয় মুশরিক।
প্রশ্ন \ ২৬ \ ‘শিরক’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : শিরক শব্দের অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা, একাধিক স্রষ্টা বা উপাস্যে বিশ্বাস করা।
প্রশ্ন \ ২৭ \ ‘নিফাক’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : নিফাক শব্দের অর্থ কপটতা, ভণ্ডামি, ধোঁকাবাজি, দ্বিমুখীভাব পোষণ করা।
প্রশ্ন \ ২৮ \ নিফাক কী?
উত্তর : অন্তরে কুফর ও অবাধ্যতা গোপন করে মুখে ইসলামকে স্বীকার করার নাম হলো নিফাক।
প্রশ্ন \ ২৯ \ মুনাফিকের চিহ্ন কয়টি?
উত্তর : মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি।
প্রশ্ন \ ৩০ \ কারা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে?
উত্তর : মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে।
প্রশ্ন \ ৩১ \ রিসালাত কী?
উত্তর : মহান আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বাণী মানুষের নিকট পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বকে রিসালাত বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৩২ \ রিসালাতের ধারা কী?
উত্তর : নবি-রাসুলদের আগমনের ধারাবাহিকতাকে নবুয়ত ও রিসালাতের ক্রমধারা বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৩৩ \ খাতামুন শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : খাতামুন শব্দের অর্থ শেষ, সমাপ্তি, সীলমোহর ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ৩৪ \ পরিপূর্ণ মানুষ কে?
উত্তর : যে ব্যক্তি নবুয়ত ও রিসালাতের শিক্ষানুসারে জীবনযাপন করে সেই পরিপূর্ণ মানুষ।
প্রশ্ন \ ৩৫ \ নবুয়ত ও রিসালাতের সুফল কী?
উত্তর : মানুষের মধ্যকার সমস্ত খারাপ অভ্যাস, অশ্লীলতা ও মন্দকর্মের চর্চা দূর করে দেয়।
প্রশ্ন \ ৩৬ \ নবি-রাসুলগণ কেমন ছিলেন?
উত্তর : নবি-রাসুলগণ ছিলেন নিষ্পাপ ও সৎগুণের অধিকারী।
প্রশ্ন \ ৩৭ \ আসমানি কিতাব কাকে বলে?
উত্তর : আল্লাহ তায়ালার বাণী সংবলিত গ্রন্থাবলিকে আসমানি কিতাব বলে।
প্রশ্ন \ ৩৮ \ প্রসিদ্ধ আসমানি কিতাব কয়খানা?
উত্তর : প্রসিদ্ধ আসমানি কিতাব চারখানা।
প্রশ্ন \ ৩৯ \ সহিফার সংখ্যা কত?
উত্তর : সহিফা মোট ১০০ খানা।
প্রশ্ন \ ৪০ \ যাবুর কার ওপর নাজিল হয়?
উত্তর : যাবুর হযরত দাউদ (স)-এর ওপর নাজিল হয়।
প্রশ্ন \ ৪১ \ কুরআন অর্থ কী?
উত্তর : কুরআন অর্থ পঠিত।
প্রশ্ন \ ৪২ \ হযরত আদম (আ)-এর উপর কয় খানা সহিফা নাজিল হয়?
উত্তর : হযরত আদম (আ)-এর ওপর ১০ খানা সহিফা নাজিল হয়।
প্রশ্ন \ ৪৩ \ ৫০ খানা সহিফা নাজিল হয় কার ওপর?
উত্তর : ৫০ খানা সহিফা নাজিল হয় হযরত শিস (আ)-এর ওপর।
প্রশ্ন \ ৪৪ \ তাওরাত কার ওপর নাজিল হয়?
উত্তর : তাওরাত হযরত মুসা (আ)-এর ওপর নাজিল হয়।
প্রশ্ন \ ৪৫ \ আল্লাহর বাণী সংবলিত ছোট পুস্তিকাকে কী বলে?
উত্তর : আল্লাহর বাণী সংবলিত ছোট পুস্তিকাকে ‘সহিফা’ বলে।
প্রশ্ন \ ৪৬ \ হযরত ঈসা (আ)-এর ওপর কোন কিতাব নাজিল হয়েছিল?
উত্তর : হযরত ঈসা (আ)-এর ওপর নাজিল হয়েছিল ইনজিল।
প্রশ্ন \ ৪৭ \ আল-কুরআন কী?
উত্তর : আল-কুরআন হলো সর্বশেষ আসমানি কিতাব। এটি সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস।
প্রশ্ন \ ৪৮ \ আখিরাত শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : আখিরাত শব্দের অর্থ পরকাল।
প্রশ্ন \ ৪৯ \ আখিরাত কাকে বলে?
উত্তর : মানুষের মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে আখিরাত বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৫০ \ আখিরাতের গুরুত্ব কতটুকু?
উত্তর : ইসলামি জীবনদর্শনে আখিরাতে বিশ্বাসস্থাপন অপরিহার্য।
প্রশ্ন \ ৫১ \ আখিরাতে বিশ্বাস না করলে কী হয়?
উত্তর : আখিরাতে বিশ্বাস ছাড়া মুমিন হওয়া যায় না।
প্রশ্ন \ ৫২ \ অনন্তকালের জীবন কোনটি?
উত্তর : অনন্তকালের জীবন হলো আখিরাত।
প্রশ্ন \ ৫৩ \ বারযাখের পরিধি কতটুকু?
উত্তর : বারযাখের পরিধি পুনরুত্থান পর্যন্ত।
প্রশ্ন \ ৫৪ \ আখিরাতের জীবন কখন শুরু হয়?
উত্তর : আখিরাতের জীবন মৃত্যুর সাথে সাথে শুরু হয়।
প্রশ্ন \ ৫৫ \ মানুষকে সৃষ্টি করার কারণ কী?
উত্তর : মানুষকে সৃষ্টি করার কারণ মহান আল্লাহর ইবাদত করা।
প্রশ্ন \ ৫৬ \ আখিরাতের জীবনের শুরু হয় কিসের মাধ্যমে?
উত্তর : আখিরাত বা পরকালের জীবনের শুরু হয় মৃত্যুর মাধ্যমে।
প্রশ্ন \ ৫৭ \ বারযাখ কাকে বলে?
উত্তর : মৃত্যুর পর থেকে পুনরুত্থান পর্যন্ত সময়কে কবরের জীবন বলা হয়। যার অপর নাম বারযাখ।
প্রশ্ন \ ৫৮ \ কিয়ামত অর্থ কী?
উত্তর : কিয়ামত অর্থ মহাপ্রলয়।
প্রশ্ন \ ৫৯ \ মিযান কাকে বলে?
উত্তর : হাশরের ময়দানে মানুষের আমলসমূহ ওজন করার জন্য আল্লাহ তায়ালা যে পাল্লা প্রতিষ্ঠা করবেন তাকে মিযান বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৬০ \ কবরে কয়জন ফেরেশতা প্রশ্ন করবেন?
উত্তর : কবরে মুনকার ও নাকির নামক দুজন ফেরেশতা প্রশ্ন করবেন।
প্রশ্ন \ ৬১ \ কোন ফেরেশতা কিয়ামতের পূর্বে শিঙ্গায় ফুঁক দিবেন?
উত্তর : হযরত ইসরাফিল (আ) কিয়ামতের পূর্বে শিঙ্গায় ফুঁক দিবেন।
প্রশ্ন \ ৬২ \ হাশর কী?
উত্তর : হাশর হলো মহাসমাবেশ।
প্রশ্ন \ ৬৩ \ আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের জন্য কয়টি জান্নাত তৈরি করে রেখেছেন?
উত্তর : আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের জন্য আটটি জান্নাত তৈরি করে রেখেছেন।

 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন \ ১ \ ইসলামের পরিচয় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ইসলাম ( ) আরবি শব্দ। আভিধানিক অর্থ হলো আনুগত্য করা, আত্মসমর্পণ করা, শান্তির পথে চলা ইত্যাদি। ব্যবহারিক অর্থে আল্লাহ তায়ালা ও রাসুল (স)-এর আনুগত্য করাকে ইসলাম বলে।
শরিয়তের পরিভাষায়, আল্লাহ তায়ালার প্রতি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস স্থাপন করে তাঁর নিকট পরিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করা, বিনা দ্বিধায় তাঁর যাবতীয় আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তাঁর দেওয়া বিধান অনুসারে জীবনযাপন করাকে ইসলাম বলা হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘ইমান ও ইসলাম একটি অপরটির পরিপূরক’-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ইমান ও ইসলামের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান। ইমান ও ইসলাম একটি অন্যটি ব্যতীত পূর্ণাঙ্গ হয় না। ইমান মানুষের অন্তরে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, অনুরাগ ও তার সন্তুষ্টি লাভের বাসনা সৃষ্টি করে। আর তাতে ইসলাম ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে সজীব ও সতেজ হয়ে পরিপূর্ণ সৌন্দর্যে বিকশিত হয়। ইসলাম হলো ইমানের বহিঃপ্রকাশ। ইমান হলো অন্তরের সাথে সম্পৃক্ত।
উপরিউক্ত আলোচনায় প্রতীয়মান হয়, ইমান ও ইসলাম একটি অপরটির পরিপূরক। এদের একটি ব্যতীত অন্যটি পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না।
প্রশ্ন \ ৩ \ ইমান কীভাবে মানুষের মানবিকতার বিকাশ সাধন করে?
উত্তর : মানবিক মূল্যবোধ বিকাশে ইমানের ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমান নানাভাবে মানুষের মানবিকতার বিকাশ সাধন করে থাকে। যেমন :
র. ইমানের মূলকথা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’। এ কালিমায় বিশ্বাসী ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনো সৃষ্টির সামনে মাথা নত করে না বা আত্মসমর্পণ করে না। ফলে মানুষের মর্যাদা সমুন্নত হয়, মানবিক মূল্যবোধ বিকশিত হয়।
রর. ইমান মানুষকে সত্য ও সুন্দরের পথে পরিচালনা করে এবং নৈতিক জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করে। তাই মুমিন ব্যক্তি সর্বদাই মানবিকতা ও নৈতিকতার ধারক হয়।
ররর. ইমান মানুষকে দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহির ব্যাপারে সতর্ক করে। এজন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট জবাবদিহির ভয়ে মুমিন ব্যক্তি সব ধরনের অমানবিক ও অনৈতিক কার্যকলাপ হতে দূরে থাকে।
প্রশ্ন \ ৪ \ ‘মুমিন ব্যক্তি মানবিকতা ও নৈতিকতার ধারক’Ñ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ইমান মানুষকে সত্য ও সুন্দরের পথে পরিচালনা করে এবং নৈতিক জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করে। মুমিন ব্যক্তি সর্বদাই মানবিকতা ও নৈতিকতার ধারক হয়। অন্যায়-অত্যাচার ও অনৈতিক কার্যকলাপ ইমানের সম্পূর্ণ বিপরীত। পূর্ণাঙ্গ মুমিন ব্যক্তি কখনই মানবিকতা ও মনুষ্যত্বের বিপরীত কাজ করতে পারে না। বরং মুমিন ব্যক্তি সবসময়ই নীতি-নৈতিকতা ও মানবিকতার আদর্শ অনুসরণ করে। সাম্য, মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ব, সহযোগিতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি সদ্গুণাবলির চর্চা করে।
প্রশ্ন \ ৫ \ তাওহিদের প্রভাব বর্ণনা কর।
উত্তর : তাওহিদ হলো আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদে বিশ্বাস। মানব জীবনে এ বিশ্বাসের প্রভাব অত্যন্ত ব্যাপক। তাওহিদে বিশ্বাস মানুষকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ করে দেয়। কেননা আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র আমাদের সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা। তাওহিদে বিশ্বাসের মাধ্যমে মানুষ এ সত্যকে স্বীকার করে নেয়। মানুষ এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালার কৃতজ্ঞতা আদায় করে।
প্রশ্ন \ ৬ \ ‘আল্লাহ’ শব্দের বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : ‘আল্লাহ’ শব্দের মধ্যেই তাঁর তুলনাহীন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। (আল্লাহ) আরবি শব্দ। পৃথিবীর কোনো ভাষাতেই এ শব্দের কোনো প্রতিশব্দ নেই। এর কোনো একবচন; বহুবচন নেই। এ শব্দের কোনো স্ত্রীলিঙ্গ বা পুংলিঙ্গ নেই। এ শব্দটি একক ও অতুলনীয়। আল্লাহ তায়ালা তদ্রƒপই। তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে একক ও অদ্বিতীয়। তাঁর সমতুল্য বা সমকক্ষ কিছুই নেই।
প্রশ্ন \ ৭ \ কুফর মানবজীবনে কী পরিণতি বয়ে আনে?
উত্তর : মানবজীবনে কুফরের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। কুফরের ফলে শুধু দুনিয়াতেই নয়, বরং আখিরাতেও মানুষকে শোচনীয় পরিণতি বরণ করতে হবে। যেমন :
১. কুফর মানুষের মধ্যে অবাধ্যতা ও অকৃতজ্ঞতার জন্ম দেয়।
২. সমাজে পাপাচার বৃদ্ধি পায়।
৩. কুফর মানবসমাজে অনৈতিকতার প্রসার ঘটায়।
৪. কাফির আল্লাহর বিধিবিধান ও আদেশ-নিষেধের কোনো পরোয়া না করায় আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন।
৫. কাফিররা জাহান্নামে অনন্তকালের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে।
প্রশ্ন \ ৮ \ আল্লাহ তায়ালার সাথে শিরক কোন কোন ধরনের হতে পারে?
উত্তর : আল্লাহ তায়ালার সাথে চার ধরনের শিরক হতে পারে। যথা :
১. আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও অস্তিত্বে শিরক করা। যেমন : ঈসা (আ)-কে আল্লাহর পুত্র মনে করা।
২. আল্লাহ তায়ালার গুণাবলিতে শিরক করা। যেমন : আল্লাহ তায়ালার পাশাপাশি অন্য কাউকে সৃষ্টিকর্তা বা রিযিকদাতা মনে করা।
৩. সৃষ্টি জগতের পরিচালনায় কাউকে আল্লাহর অংশীদার বানানো। যেমন : ফেরেশতাদের জগৎ পরিচালনাকারী হিসেবে মনে করা।
৪. ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার সাথে কাউকে শরিক করা। যেমন: আল্লাহ ব্যতীত কাউকে সিজদাহ করা, কারও নামে পশু জবাই করা ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ৯ \ মুনাফিকরা সমাজের মানুষের নিকট কীভাবে জীবন কাটায়?
উত্তর : মুনাফিকরা অন্যান্য খারাপ ও অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। পার্থিব লোভ-লালসা ও স্বার্থ রক্ষায় তারা মানুষের অকল্যাণ করতেও পিছপা হয় না। তারা পরনিন্দা ও পরচর্চা করে। ফলে সমাজে সন্দেহ ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। মুনাফিকরা ভেতরে এক আর বাইরে অন্য রকম হওয়ায় লোকজন তাদের বিশ্বাস করে না। বরং সন্দেহ ও ঘৃণার চোখে দেখে। সমাজের মানুষের নিকট তারা অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়ে জীবন কাটায়।
প্রশ্ন \ ১০ \ নবি-রাসুলগণের গুণাবলি সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর : নবি-রাসুলগণ ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। সকল সৎ গুণাবলি তাঁরা অনুশীলন করতেন। তাঁরা ছিলেন নিষ্পাপ; অত্যন্ত সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ। দয়া, ক্ষমা, ধৈর্য ইত্যাদি সবধরনের মানবিক গুণাবলি তাঁদের চরিত্রে বিদ্যমান ছিল। মিথ্যা, প্রতারণা, পরনিন্দা, হিংসা-বিদ্বেষ ইত্যাদি খারাপ স্বভাবের লেশমাত্র তাঁদের চরিত্রে কখনোই ছিল না। বরং তাঁরা ছিলেন সৎ স্বভাবের জন্য মানবজাতির অনুপম আদর্শ।
প্রশ্ন \ ১১ \ মানবজীবনে নৈতিক মূল্যবোধ বিকাশে রিসালাত কীভাবে ভ‚মিকা পালন করে?
উত্তর : নবুয়ত ও রিসালাতের শিক্ষা মানুষকে শান্তি ও শৃঙ্খলার দিকে পরিচালনা করে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সকল কাজকর্ম আল্লাহ তায়ালার নির্দেশিত পথে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। নবুয়ত ও রিসালাতের চেতনা মানুষের মধ্যকার সমস্ত খারাপ অভ্যাস, অশ্লীলতা ও মন্দকর্মের চর্চা দূর করে দেয়। মানুষ সৎ ও সুন্দর জীবনযাপনে উৎসাহিত হয়। মানুষ নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত হয়।
নবুয়ত ও রিসালাত মানুষকে নবি-রাসুলগণের আদর্শে অনুপ্রাণিত করে। নবি-রাসুলগণ ছিলেন নিষ্পাপ এবং সকল সৎগুণের অধিকারী। তাঁদের আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে আমাদের জীবন ও চরিত্র উত্তম হয়। নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ বিকশিত হয়। মানবসমাজে পশুত্বের পরিবর্তে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে।
প্রশ্ন \ ১২ \ আসমানি কিতাবের বিষয়বস্তু উল্লেখ কর।
উত্তর : আল্লাহ তায়ালা আসমানি কিতাবসমূহে নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন। যেমন :
ক. আল্লাহ তায়ালার সত্তাগত পরিচয়।
খ. আল্লাহ তায়ালার গুণাবলির বর্ণনা।
গ. নবি-রাসুলগণের বর্ণনা।
ঘ. পূর্ববর্তী জাতিসমূহের বিবরণ।
ঙ. অবাধ্য ও কাফিরদের পরিণতির বিবরণ।
চ. হালাল-হারামের বর্ণনা।
ছ. বিধি-বিধান সংক্রান্ত বিবরণ।
জ. শাস্তি ও সতর্কীকরণ বিষয়ে আলোচনা।
ঝ. উপদেশ ও সুসংবাদ সম্পর্কে বিবরণ।
ঞ. আকিদা সংক্রান্ত বিষয়সমূহের বিবরণ।
ট. পরকাল সংক্রান্ত বিষয়সমূহের বিবরণ ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ১৩ \ আমরা আসমানি কিতাব অনুসরণ করব কেন?
উত্তর : আসমানি কিতাবে মানুষকে নীতি-নৈতিকতার আদর্শ অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব গ্রন্থে উন্নত আদর্শ ও সদগুণাবলির নানা বিষয় অত্যন্ত সুন্দরভাবে বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি যেসব কাজ ও অভ্যাসের দ্বারা নৈতিক জীবনাচরণ লঙ্ঘিত হয় সে সম্পর্কে সতর্ক ও নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। আসমানি কিতাব মানুষকে সব ধরনের কল্যাণের পথ নির্দেশ করে। এ কিতাব অনুসরণে জীবন পরিচালনা করলে মানবজীবন নীতিনৈতিকতামণ্ডিত, সুন্দর ও শান্তিময় হয়। এজন্য আমরা আসমানি কিতাব অনুসরণ করব।
প্রশ্ন \ ১৪ \ সৎকর্মশীল ও নৈতিকজীবন গঠনে আখিরাতে বিশ্বাসের ভ‚মিকা আলোচনা কর।
উত্তর : সৎকর্মশীল ও নৈতিকজীবন গঠনে আখিরাতে বিশ্বাসের ভ‚মিকা অপরিসীম। আখিরাতে বিশ্বাস মানুষকে জীবন পরিচালনায় নীতি ও আদর্শের অনুসরণ করতে বাধ্য করে। যে ব্যক্তি আখিরাতে বিশ্বাস করে সে প্রত্যহ তার প্রতিটি কাজের হিসাব নিজেই নিয়ে থাকে। এভাবে দৈনন্দিন আত্মসমালোচনার মাধ্যমে মানুষ তার ভুলত্রæটি সংশোধন করে সচ্চরিত্রবান হিসেবে গড়ে ওঠে। আখিরাতে পুণ্যবানদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। জান্নাত লাভের আশা মানুষকে দুনিয়ার জীবনে সৎকর্মশীল করে তোলে। মোটকথা, আখিরাতে বিশ্বাস মানুষকে ছোট-বড়, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব ধরনের অন্যায় হতে বিরত রাখে এবং পাপমুক্ত, সৎকর্মশীল ও নৈতিক জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ হাশর কাকে বলে?
উত্তর : হাশর হলো মহাসমাবেশ। আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে সকল মানুষ ও প্রাণিকুল মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হবে। সকলেই সেদিন একজন আহŸানকারী ফেরেশতার ডাকে হাশরের ময়দানে সমবেত হবে। এ ময়দান বিশাল ও সুবিন্যস্ত। পৃথিবীর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সকল মানুষই সেদিন এ মাঠে একত্রিত হবে। মানুষের এ মহাসমাবেশকেই হাশর বলে।
প্রশ্ন \ ১৬ \ ‘দুনিয়া হলো আখিরাতের শস্যক্ষেত্র’Ñ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মানুষ শস্যক্ষেতে যেরূপ চাষাবাদ করে, বীজ বপন করে, যেভাবে পরিচর্যা করে ঠিক সেরূপই ফল লাভ করে। যদি কোনো ব্যক্তি তার শস্যক্ষেতের পরিচর্যা না করে তবে সে ভালো ফসল লাভ করে না। তদ্রƒপ দুনিয়ার কাজকর্মের প্রতিদান আখিরাতে দেওয়া হবে? দুনিয়াতে ভালো কাজ করলে আখিরাতে মানুষ পুরস্কৃত হবে। আর মন্দ কাজ করলে শাস্তি ভোগ করবে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ ‘জান্নাত লাভের আশা মানুষকে সৎকর্মশীল হতে সাহায্য করে’ Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জান্নাত হলে চিরশান্তির স্থান। আখিরাতে পুণ্যবানদেরকে জান্নাতে প্রবিষ্ট করানো হবে। মানুষ জান্নাত ও তার নিয়ামত প্রাপ্তির আশায় নেক আমল করে, ভালো কাজ করতে উৎসাহিত হয়। কেননা আল্লাহ তায়ালার প্রতি বিশ্বাস, ভালোবাসা ও সৎকর্ম ব্যতীত জান্নাত লাভ করা যায় না। জান্নাত লাভের আশা এভাবে মানুষকে দুনিয়ার জীবনে সৎকর্মশীল করে তোলে।

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১  কুফর ও ইসলাম

বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে বসে নাবিল ও রায়হান দু’বন্ধু মিলে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করছিল। পৃথিবীতে ইসলাম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ প্রভৃতি ধর্মের প্রচলন রয়েছে। নাবিল মনে করে যে, স্রষ্টা বা ধর্ম বলতে কিছুই নেই। জীবন পরিচালনার জন্য মানুষের জ্ঞান, বিবেক এবং বুদ্ধিই যথেষ্ট। কিন্তু তার বন্ধু রায়হান দ্বিমতপোষণ করে বলে যে, ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম গ্রহণ বা অনুসরণ করা যাবে না। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে জীবন পরিচালনার জন্য ইসলামের কোনো বিকল্প নেই, কেননা ইসলামই হলো একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। [স. বো. ’১৬]
ক. আকাইদ অর্থ কী? ১
খ. শিরক ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ কেন? ২
গ. নাবিলের ধারণা কীরূপ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত রায়হানের বক্তব্যের যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪

ক আকাইদ অর্থ বিশ্বাসমালা।
খ পৃথিবীতে যত রকমের জুলুম আছে তন্মধ্যে সবচেয়ে বড় জুলুম হলো শিরক করা। শিরক হলো মহান আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের সাথে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে অংশীদার বা সমকক্ষ সাব্যস্ত করা। অথচ মহান আল্লাহ তায়ালা এক ও একক। তাই এটি ক্ষমার অযোগ্য জঘন্য অপরাধ।
গ নাবিলের ধারণা কুফরের অন্তর্ভুক্ত। আমরা জানি আল্লাহ তায়ালার মনোনীত দীন-ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর কোনো একটির প্রতি অবিশ্বাস করাকে কুফর বলা হয়। যেমন : আল্লাহর তায়ালার অস্তিত্ব, গুণাবলি, ইমানের মৌলিক সাতটি বিষয়, ইসলামের মৌলিক ইবাদত প্রভৃতির কোনো একটিকে অবিশ্বাস বা অস্বীকার করা। তাছাড়া হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল মনে করা, ইচ্ছাকৃতভাবে কাফিরদের অনুকরণ করা ও ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা কুফরির অন্তর্ভুক্ত। উদ্দীপকে আমরা নাবিলের ধারণার পরিচয় পাই যে, সে মনে করে স্রষ্টা বা ধর্ম বলতে কিছুই নেই। তার মতে মানুষের জ্ঞান, বিবেক এবং বুদ্ধিই যথেষ্ট। তার এ ধারণা একেবারেই ভিত্তিহীন এবং দীন ইসলামের মৌলিক বিষয়ের পরিপন্থী বলে তা কুফরের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ উদ্দীপকে বর্ণিত রায়হানের বক্তব্য যথার্থ। কারণ রায়হান মনে করে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম গ্রহণ করা যাবে না। ইসলাম হলো পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। সূরা আল-মায়িদার ৩নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম, আর তোমাদের ওপর আমার নিয়ামতকে সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করলাম।’ আল্লাহর এ বাণী থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ নিকট পছন্দনীয় এবং আল্লাহ কর্তৃক অনুমোদিত একমাত্র জীবনব্যবস্থা হলো ইসলাম। সূরা আলে-ইমরানের ১৯নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ইসলামই আল্লাহর একমাত্র দীন’। এছাড়া মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল কাজকর্মের যথাযথ দিকনির্দেশনা ইসলামে বিদ্যমান। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সকল বিষয়ই ইসলামে যথাযথভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এমনকি মানুষের মৃত্যুর পরবর্তী জীবন বা পরকালের বিষয়ের সুস্পষ্ট বর্ণনাও ইসলামে রয়েছে। সুতরাং সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে জীবন পরিচালনার জন্য ইসলামের বিকল্প নেই। তাই ধর্ম সম্পর্কে রায়হানের বিশ্বাস ও বক্তব্য সম্পূর্ণ সঠিক।
প্রশ্ন- ২  কুফর

আকরাম সাহেব ও আদনান সাহেব দুই বন্ধু। আকরাম সাহেব ব্যবসা করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন। তার ধারণা কর্মের দ্বারাই তিনি উপার্জন করেছেন এবং তাকদির বলে কিছু নেই। পক্ষান্তরে আদনান সাহেব পবিত্র কুরআন ও মহানবি (স) কে ঠাট্টা উপহাস করেন। তারা উভয়েই নিজেদেরকে ইমানদার ও মুসলমান বলে দাবি করেন। [স. বো. ’১৫]
ক. আখিরাত শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ইমান বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. আকরাম সাহেবের ধারণা কিসের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আদনান সাহেবের কর্মকাণ্ডের পরিণতি ও কুফল ইসলামের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক আখিরাত শব্দের অর্থ পরকাল।
খ শরিয়তের যাবতীয় বিধিবিধান অন্তরে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকার করা এবং তদনুযায়ী আমল করাই ইমান।
অর্থাৎ ইমানা হচ্ছে- “আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাকুল, কিতাবসমূহ, রসুলগণ, পরকাল এবং ভালো-মন্দের (ভালো মন্দ আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকেই হয়) প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। প্রকৃতপক্ষে, ইসলামের মূল বিষয়গুলোর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাসকেই বলা হয় ইমান।
গ আকরাম সাহেবের ধারণা কুফরের অন্তর্ভুক্ত। আমরা জানি আল্লাহ তায়ালার মনোনীত দীন-ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর কোনো একটিরও প্রতি অবিশ্বাস করাকে কুফর বলা হয়। ইচ্ছাকৃতভাবে কাফিরদের অনুকরণ করা ও ইসলামের গুরত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা কুফরির অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তায়ালা মানুষের তাকদিরের নিয়ন্ত্রক। তিনিই তাকদিরে ভালো-মন্দ নির্ধারণকারী। মানুষ যা চায় তা-ই করতে পারবে না। বরং মানুষ শুধু তার কাজের জন্য চেষ্টা সাধনা করতে পারে। উদ্দীপকের আকরাম সাহেব অর্থ উপার্জন করার চেষ্টা করেছেন মাত্র। কিন্তু তার তাকদিরে মহান আল্লাহ তায়ালাই সম্পদ লিখে দিয়েছেন। অথচ এই তাকদিরের প্রতিই তার অবিশ্বাস। আবার তিনি নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করেন। উল্লিখিত আলোচনার প্রেক্ষিতে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, আকরাম সাহেবের ধারণা কুফরের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ আদনান সাহেবের কর্মকাণ্ডের পরিণতি ও কুফল অত্যন্ত ভয়াবহ।
ইসলামের কোনো বিষয় নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা কুফরির শামিল। যেমন: মহানবি হযরত মুহম্মদ (স) কিংবা কুরআনকে নিয়ে ঠাট্টা-উপহাস করা। কেউ যদি আল্লাহর অস্তিত্ব ও গুণাবলি, মৌলিক ইবাদত, ইমানের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় অস্বীকার বা ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করে তাহলে তার ইমান থাকতে পারে না বরং সে কাফির। যদিও সে মুসলমান বলে দাবি করে। যেমনটি আমরা দেখতে পাই উদ্দীপকের আদনান সাহেবের কর্মকাণ্ডে। কুফর মানুষের মধ্যে অবাধ্যতা ও অকৃতজ্ঞতার জন্ম দেয়। কাফির ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালাকে অবিশ্বাস করে, তাঁর প্রদত্ত সকল নিয়ামত অস্বীকার করে। সে পরকালের যাবতীয় বিষয়াদিও অবিশ্বাস করে। তার নিকট দুনিয়ার জীবনই প্রধান। দুনিয়ার জীবনের আরাম আয়েশের লোভে নানা প্রকার অসৎ ও অশ্লীল কাজে জড়িয়ে পড়ে। কাফির ব্যক্তি ইসলাম ও মুসলমানদের সাথে বিদ্রোহ করে। পরকালে কাফির ব্যক্তি জাহান্নামে চিরকাল শাস্তি ভোগ করবে। সে যদি উল্লিখিত কুফল ও ভয়াবহ পরিণতি থেকে বাঁচতে চায় তাহলে তাকে কুরআন ও মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) কে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা বন্ধ করতে হবে এবং অতীত অপরাধের জন্য মহান আল্লাহর নিকট খাঁটি মনে তাওবা করতে হবে। তবেই সে মুক্তি পেতে পারে অন্যথায় নয়।
প্রশ্ন- ৩  নিফাক ও কুফর

আফজাল ও আফতাব দুই বন্ধু। আফজাল পার্থিব লোভ-লালসা ও স্বার্থরক্ষায় এতটাই লিপ্ত যে, অপরের অকল্যাণ ও অমঙ্গল করতে পিছপা হয় না। সমাজে সন্দেহ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বেড়ায়। এমনকি তার কথা ও কাজে মিল নেই। অন্যদিকে আফতাবের ধারণা পৃথিবীতে যখন মানবতার চরম বিপর্যয় ঘটবে তখন আল্লাহ তাদের হিদায়াতের জন্য নবি-রাসুল প্রেরণ করবেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে। [স. বো. ’১৫]
ক. ‘খাতামুন’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. আসমানি কিতাবে বিশ্বাস রাখতে হবে কেন? ২
গ. আফজালের কর্মকাণ্ডে কী প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আফতাবের এরূপ ধারণার পরিণতি কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক খাতামুন শব্দের অর্থ শেষ, সমাপ্তি।
খ আসমানি কিতাবে অবিশ্বাসের কারণে ইমানের অন্যান্য বিষয়গুলো অস্বীকার করা হয় বিধায় আসমানি কিতাবে বিশ্বাস রাখতে হবে। আসমানি কিতাবসমূহে বিশ্বাস স্থাপন না করলে ইমানের মূল বিষয়ই নড়বড়ে হয়ে যায়। সুতরাং ইমান আনার জন্য আসমানি কিতাবসমূহের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য।
গ আফজালের কর্মকাণ্ডে নিফাক প্রকাশ পেয়েছে। অন্তরে কুফর ও অবাধ্যতা গোপন করে মুখে ইসলামকে স্বীকার করার নাম হলো নিফাক। যে এরূপ কাজ করে তাকে বলা হয় মুনাফিক। মিথ্যার পাশাপাশি মুনাফিকরা অন্যান্য খারাপ ও অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। পার্থিব লোভলালসা ও স্বার্থরক্ষায় তারা মানুষের অকল্যাণ করতেও পিছপা হয় না। তারা পরনিন্দা ও পরচর্চা করে। উদ্দীপকেও আমরা এরকমই দেখতে পাই যে, আফজাল মুনাফিক। সে তার নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য মানুষে অকল্যাণ ও ক্ষতি করতে দ্বিধাবোধ করে না। আর এ কাজে সে সর্বদা লিপ্ত থাকে। এমনকি সে সমাজের মানুষের মধ্যে সন্দেহ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বেড়াচ্ছে। তার কথা ও কাজে কোনো মিল নেই। এহেন পরিস্থিতিতে সমাজ, পরিবার ও রাষ্ট্রে তার জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। অর্থাৎ তার এ ধরনের কাজের মাধ্যমে নিফাক প্রকাশ পাচ্ছে।
ঘ আফতাবের খতমে নবুয়তের প্রতি অবিশ্বাসের ধারণার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। হযরত মুহাম্মদ (স) সর্বশেষ নবি। তাঁর মাধ্যমে দীনের পূর্ণতা ঘোষিত হয় এবং নবুয়তের ধারা সমাপ্ত হয়। তিনি নবি-রাসুলগণের ধারায় সর্বশেষে আগমন করেছেন। আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং তাঁকে ‘খাতামুন নাবিয়্যিন’ তথা সর্বশেষ নবি বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু উদ্দীপকের আফতাব তা মানে না। তার ধারণা যখন পৃথিবীতে মানবজাতির বিপর্যয়, অন্যায় অপরাধ বিস্তার লাভ করবে তখনই মানবজাতির হিদায়াতের জন্য আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে নবি-রাসুল প্রেরণ করবেন। তার এ ধারণা ‘খাতামুন নাবিয়্যিন’ ধারণার পরিপন্থি।
খতমে নবুয়তে অবিশ্বাস অবাধ্যতা ও অকৃতজ্ঞতার জন্ম দেয়। মহানবি (স)-কে শেষ নবি না মানলে সে ইসলামকে পরিপূর্ণ দীন এবং জীবনবিধান হিসেবেও মানে না। সে হয় মিথ্যাবাদী এবং ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শ সে বর্জন করে। ফলে তার দুনিয়ার জীবন হয় উদ্দেশ্যহীন এবং হতাশাবাঞ্জ্যক। সেই সাথে তার পরকালীন জীবন হবে ভয়াবহ। তাই হাশরের বিচারে সে মুক্তি পাবে না। বরং চিরকাল জাহান্নামের কঠিন শাস্তি তাকে ভোগ করতে হবে। বস্তুত এর পরিপন্থি ধারণা আফতাবকে দুনিয়া ও আখিরাতে ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিবে।
প্রশ্ন- ৪  কুফর ও শিরক

রাফিন ইসলামের সকল দিক বিশ্বাস করলেও তাকদিরে বিশ্বাস করে না। তার ধারণা, তাকদির বলে কিছু নেই। অন্যদিকে জাহিন নামায-রোজা পালন করার পাশাপাশি গায়রুল্লাহকে সিজদা করে। তার বিশ্বাস পুণ্যবান মৃত ব্যক্তি মানুষের কল্যাণ বা অকল্যাণ করতে পারে।
[ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণ করার নাম কী? ১
খ. তাওহিদের জ্ঞান থাকা মানুষের জন্য অত্যাবশ্যক কেন? ২
গ. রাফিনের ধারণাটি কীসের পরিপন্থি? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. জাহিনের বিশ্বাসের সাথে তুমি কি একমত? যুক্তি দেখাও। ৪

ক আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণ করার নাম ইসলাম।
খ তাওহিদের জ্ঞান ছাড়া ইসলামের মূল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা যায় না। তাই তাওহিদের জ্ঞান থাকা মানুষের জন্য আবশ্যক।
আল্লাহর প্রভুত্ব স্বীকার করলে অসংখ্য সৃষ্টির দাসত্ব থেকে মুক্ত হওয়া যায়। মানুূষ আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে মাথানত করবে না। আল্লাহ সকল ক্ষমতার অধিকারী। এ বিশ্বাস স্থাপন করে নিজেকে শিরকের অমার্জনীয় পাপ থেকে রক্ষা করার জন্যই তাওহিদের জ্ঞান থাকা অপরিহার্য।
গ রাফিনের ধারণা ইমানের পরিপন্থি বা কুফরির শামিল। ইমান অর্থ বিশ্বাস। একজন মুসলিমকে ইমানের কতকগুলো মৌলিক বিষয়ে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে হয়। এগুলো কুরআন ও হাদিস দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত। এ বিষয়গুলোতে বিশ্বাস ছাড়া কেউ মুমিন হতে পারে না। এরূপ বিষয়গুলো মোট ৭টি। এর মধ্যে তাকদির উল্লেখযোগ্য একটি। তকদির অর্থ নির্ধারিত পরিমাণ, ভাগ্য বা নিয়তি। আল্লাহ তায়ালা মানুষের তাকদিরের নিয়ন্ত্রক। তিনিই তাকদিরের ভালোমন্দ নির্ধারণকারী। মানুষ যা চায় তা-ই করতে পারে না। বরং মানুষ শুধু তার কাজের জন্য চেষ্টা সাধনা করবে। অতঃপর ফলাফলের জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা করবে। উদ্দীপকের রাফিনের তাকদিরের প্রতি বিশ্বাস নেই। মানুষের ভাগ্যের নির্ধারক একমাত্র আল্লাহ। ভাগ্যে বিশ্বাস না থাকায় রাফিনের ধারণা ইমানের পরিপস্থি ও কুফরির অন্তর্ভুক্ত।
ঘ শিরকের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জাহিনের বিশ্বাসের সাথে আমি একমত নই। শিরক অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা, একাধিক স্রষ্টা বা উপাস্যে বিশ্বাস করা। ইসলামি পরিভাষায়, মহান আল্লাহর সাথে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে শরিক করা কিংবা তাঁর সমতুল্য মনে করাকে শিরক বলে। যে ব্যক্তি শিরক করে তাকে মুশরিক বলা হয়। উদ্দীপকের জাহিন একজন মুশরিক। কেননা জাহিন নামায-রোজা পালন করলেও আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে সিজদা করে, যা প্রকাশ্য শিরক। এছাড়া পুণ্যবান হোক আর পাপাচারী হোক কোনো মৃত ব্যক্তিই মানুষের কল্যাণ বা অকল্যাণ সাধন করতে পারে না। কিন্তু জাহিনের বিশ্বাস এর বিপরীত। আর এরূপ বিশ্বাস করাও এক ধরনের শিরক। শিরক জঘন্য অপরাধ। পৃথিবীর সকল প্রকার জুলুমের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো শিরক। আল্লাহ তায়ালা সকল গুনাহ মাফ করে দেন কিন্তু শিরকের গুনাহ মাফ করেন না। প্রকৃতপক্ষে শিরক ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। তাই জাহিনের বিশ্বাস, শিরকের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
প্রশ্ন- ৫  আখিরাতে বিশ্বাসের গুরুত্ব ও কুফর

আফতাব এবং আশরাফ দুই বন্ধু। তারা একদিন এক মাহফিলে শুনতে পান মহান আল্লাহ মানুষের সকল কাজের হিসাব নিবেন। আফতাব বলল, পৃথিবীতে এত মানুষের হিসাব আল্লাহর পক্ষে নেয়া সম্ভব নয়। মানুষ মরে গেলে পচে মাটির সাথে মিশে যাবে। আর কারো হিসাব-নিকাশ হবে না। [মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক. মিযান অর্থ কী? ১
খ. আখিরাতে বিশ্বাস করতে হবে কেন? ২
গ. আফতাবের বিম্বাস কীসের অন্তর্গত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. কুরআন ও হাদিসের আলোকে আখিরাতের জীবনের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪

ক মিযান অর্থ পরিমাপক যন্ত্র বা দাঁড়িপাল্লা।
খ আখিরাতে বিশ্বাস করা আবশ্যক। আখিরাতে বিশ্বাস না করলে কেউ মুমিন বা মুসলিম হতে পারে না। পরকালীন জীবনের সফলতা ও জান্নাত লাভ করার জন্যও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস করতে হবে। আখিরাতে বিশ্বাস না করলে মানুষ সত্যপথ থেকে দূরে সরে যায়, পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে। আখিরাতে বিশ্বাস মানবজীবনকে কলুষমুক্ত, পবিত্র ও সুন্দর করে তোলে।
গ আফতাবের বিশ্বাস কুফরের অন্তর্গত। ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালার মনোনীত দীন ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর কোনো একটির প্রতিও অবিশ্বাসকে কুফর বলে। কুফর হলো ইমানের বিপরীত। ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোতে বিশ্বাসের নাম ইমান। আর এসব বিষয়ে অবিশ্বাস করা হলো কুফর। উদ্দীপকের আফতাব মনে করে পৃথিবীর এত মানুষের হিসাব আল্লাহর পক্ষে নেয়া সম্ভব নয়। মানুষ মরে গেলে পচে মাটির সাথে মিশে যাবে আর কারো হিসাব-নিকাশ হবে না। আফতাবের এই মনোভাবের মাধ্যমে আখিরাতের প্রতি তার অবিশ্বাসের চিত্র ফুটে উঠেছে যা কুফরের অন্তর্গত। মানবজীবনে কুফরের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। কুফরের ফলে শুধু দুনিয়াতেই নয় আখিরাতেও মানুষকে শোচনীয় পরিণতি ভোগ করতে হবে। পরকালে কাফিররা জাহান্নামের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, যারা কুফরি করবে এবং আমার নিদর্শনগুলোকে অস্বীকার করবে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী। সেখানে তারা চিরদিন থাকবে। (সূরা আল বাকারা, আয়াত-৩৯)
ঘ কুরআন ও হাদিসে আখিরাতের জীবনের ওপর অত্যধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। আখিরাত হলো পরকাল। আখিরাতের জীবন চিরস্থায়ী। এ জীবনের শুধু আছে কিন্তু শেষ নেই। সেখানে মানুষকে দুনিয়ার জীবনের সকল কাজ কর্মের হিসাব দিতে হবে। দুনিয়াতে ভালো কাজ করলে মানুষ জান্নাত লাভ করবে। আর ইমান না আনলে, অসৎকাজ করলে মানুষের স্থান হবে ভীষণ আযাবের স্থান; জাহান্নাম। ইসলামের জীবনদর্শনে আখিরাতে বিশ্বাসস্থাপন অপরিহার্য। এ বিশ্বাসের গুরুত্ব অপরিসীম। আখিরাতে বিশ্বাস ছাড়া মুমিন ও মুত্তাকি হওয়া যায় না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর তারা (মুত্তাকিগণ) আখিরাতে দৃঢ় বিশ্বাস রাখে। (সূরা আল বাকারা, আয়াত ৪)। আখিরাতে বিশ্বাস করা আবশ্যক। আখিরাতে বিশ্বাস না করলে মানুষ সৎপথ থেকে দূরে সরে যায়, পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে। আল্লাহ তায়ালা বলেন কেউ আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসুলগণ এবং আখিরাত দিবসের প্রতি অবিশ্বাস করলে সে তো ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়বে। (সূরা আন নিসা, আয়াত : ১৩৬)। আখিরাতে বিশ্বাস মানুষকে পাপ থেকে বিরত রাখে এবং পুণ্য কাজ করতে উৎসাহ যোগায়। পরিশেষে বলা যায়, আখিরাতে বিশ্বাস মানবজীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মানবজীবনকে কলুষমুক্ত, পবিত্র ও সুন্দর করে তোলে।
প্রশ্ন- ৬  নৈতিক মূল্যবোধ বিকাশে ইমানের ভ‚মিকা

জনাব আজিজুল হক এবং এমদাদ সাহেব একে অন্যের প্রতিবেশী। আজিজুল হক সরকারি কর্মকর্তা। অফিসের কাজে বিভিন্ন ব্যক্তি তার বাসায় যাতায়াত করে এবং তারা দামী উপহার নিয়ে আসে। এমদাদ সাহেব জানতে পারেন যে আজিজুল হক এসব উপহার ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেন। একদিন আজিজুল হক সাহেবের সাথে দেখা হলে এমদাদ সাহেব তাকে বলেন যে, আল্লাহ তায়ালা সব কাজের হিসাব চাইবেন। তাই ইমানদার এবং মুমিন ব্যক্তির সব ধরনের অমানবিক ও অনৈতিক কার্যকলাপ হতে দূরে থাকা উচিত।
[বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা]
ক. মুমিন অর্থ কী? ১
খ. নৈতিক মুল্যবোধ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ইমান মানুষকে নৈতিক জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করে কথাটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মানবিক মূল্যবোধ বিকাশে ইমানের ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ কেন? আলোচনা কর। ৪

ক মুমিন অর্থ বিশ্বাসী।
খ নৈতিক মূল্যবোধ বিচারের মানদণ্ড তথা ভালোমন্দ উপলব্ধিকে বুঝায়। নৈতিকতা সুসম্পন্ন হওয়ার জন্য আগে ব্যক্তির মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ থাকতে হবে। তবেই তিনি বুঝতে পারবেন কোনটি ভালো কাজ কোনটি মন্দ কাজ। আর এটা বুঝতে পারার বোধকে নৈতিক মূল্যবোধ বলে।
গ ইমাম মানুষকে নৈতিক জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করে কথাটি সঠিক। নৈতিক জীবনযাপন বলতে বুঝায় সৎ জীবনযাপন করা। সকল প্রকার অসৎকাজ থেকে বিরত থাকা। আর নৈতিক জীবনযাপনের মধ্যে মানুষের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ থাকতে হবে। আর ইমান মানুষকে নৈতিক জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করে। উদ্দীপকে উল্লিখিত উক্তিটি হচ্ছে ইমান মানুষকে নৈতিক জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করে। কারণ নৈতিক মূল্যবোধ মন্দ অভ্যাস ও অশ্লীল কার্যাবলি থেকে বিরত থাকে। ইমান মানুষকে দায়িত্বশীল ও জবাবদিহির ব্যাপারে সতর্ক করে মুমিন ব্যক্তি সতর্ক থাকে যে তাকে আল্লাহ তায়ালার সামনে হাজির হতে হবে। সেদিন আল্লাহ সব কাজকর্মের হিসাব চাইবনে। অতএব এ জবাবদিহির ভয়ে মুমিন ব্যক্তি সব ধরনের অমানবিক ও অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকেন। আর এ জবাবদিহিতার ভয় তাকে সৎ কাজ করতে, ন্যায়ের পথে চলতে ও নৈতিক জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করে। সুতরাং বলতে পারি ইমান মানুষকে মহান আল্লাহর নির্দেশমতো চলতে উৎসাহিত করে এবং নৈতিক জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করে।
ঘ মানবিক মূল্যবোধ বিকাশে ইমানের ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ইমান নানাভাবে মানুষের মানবিকতার বিকাশ করে থাকে। ইমানের মূল কথা হলো আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা ও মাবুদ। তিনি ব্যতীত প্রশংসা ও ইবাদতের যোগ্য কেউ নেই। তিনি ব্যতীত আর কারও সামনে মাথা নত করা যাবে না। এ কালিমা মানুষকে আত্মমর্যাদাশীল করে। ইমান মানুষকে সত্য ও সুন্দরের পথে পরিচালিত করে। নৈতিক জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করে। মুমিন ব্যক্তি সর্বদাই মানবিকতা ও নৈতিকতার ধারক হয়। অন্যায়-অত্যাচার ও অনৈতিক কার্যকলাপ ইমানের সম্পূর্ণ বিপরীত। পূর্ণাঙ্গ মুমিন ব্যক্তি কখনোই মানবিকতা ও মনুষ্যত্বের বিপরীত কাজ করতে পারে না। বরং মুমিন ব্যক্তি সবসময়ই নীতি-নৈতিকতা ও মানবিকতার আদর্শ অনুসরণ করে। সাম্য, মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ব, সহযোগিতা সহমর্মিতা ইত্যাদি সৎগুণাবলির চর্চা করে। মুমিন ব্যক্তি জবাবদিহির ভয়ে সকল অন্যায়-অবিচার ও অনৈতিক কাজ বাদ দিয়ে সুন্দর ও উত্তম আদর্শের অনুশীলন করে থাকে। এভাবে ইমান মানুষের মধ্যে মানবিকতা ও মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটায়।
প্রশ্ন- ৭  শিরক

আল্লাহ তায়ালা শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করবেন না, তারপরও মানুষ শিরক করে থাকে। শিরক মানবসমাজে বিবাদ ও বিভেদ সৃষ্টি করে। মুশরিক নানারকম জড়পদার্থ, দেবদেবী, প্রতিমা, প্রাকৃতিক শক্তির সামনেও মাথা নত করে। [যশোর জিলা স্কুল, যশোর]
ক. শিরক এর শাব্দিক অর্থ কী? ১
খ. শিরককে মানবতার চরম অবমাননা বলা হয়েছে কেন? ২
গ. একজন মুসলমানের পক্ষে কীভাবে শিরকমুক্ত ইবাদত করা সম্ভব? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. শিরকের স্বরূপ ও পরিণতি কুরআন-হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক শিরকের শাব্দিক অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা, একাধিক স্রষ্টা বা উপাস্যে বিশ্বাস করা।
খ শিরক হলো মহান আল্লাহ তায়ালার সাথে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে শরিক করা কিংবা তাঁর সমতুল্য মনে করা। শিরককে মানবতার চরম অবমাননা বলা হয়েছে। কারণ শিরক অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। পৃথিবীর সকল প্রকার জুলুমের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো শিরক। মূলত আল্লাহ তায়ালা সকল কিছুর স্রষ্টা ও প্রতিপালক। আর তার নিয়ামতসমূহ ভোগ করত আল্লাহর সাথে কাউকে অংশিদার স্থাপন করার মতো বড় জুলুম আর কিছুই হতে পারে না।
গ একজন মুসলমান শুধুমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি দৃঢ়ভাবে ইমান আনয়নের মাধ্যমে শিরকমুক্ত ইবাদত করতে পারবে। শিরক মুক্ত ইবাদত ব্যতিত অন্য কোনো ইবাদত মহান আল্লাহ তায়ালার নিকটে কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না। একজন মুসলমান তার ইবাদতের মধ্যে তাওহিদ ও শিরকের সংমিশ্রণ ঘটাতে পারে। একজন মুসলিমকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে যেন তার ইবাদতের মধ্যে মোটেও শিরক যুক্ত না হয়। কারণ শিরকযুক্ত ইবাদত মোটেও আল্লাহর নিকটে গৃহীত হবে না। সেক্ষেত্রে একজন মুসলিম একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালার ওপর অটলভাবে ইমান আনয়ন করবে এবং সাচ্চাভাবে ইবাদত করবে। যদি কখনো দুর্ঘটনাক্রমে একটু শিরক করেই ফেলে সেক্ষেত্রে সে বিশুদ্ধ অন্তরে তওবা করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে এবং পুনরায় ইমান আনবে। সাথে সাথে এরূপ পাপ ভবিষ্যতে আর কখনোই না করার শপথ গ্রহণ করবে। একজন মুসলমান এভাবে শিরকমুক্ত ইবাদত করতে পারে।
ঘ কুরআন ও হাদিসে শিরকের স্বরূপ ও পরিণতি সুস্পষ্ট বিশ্লেষণ লক্ষ করা যায়। শিরক হলো তাওহিদের বিপরীত। মহান আল্লাহর সাথে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে শরিক করা কিংবা তাঁর সমতুল্য মনে করাকে শিরক বলে। শিরক হলো অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ যার গুনাহ আল্লাহ তায়ালা কখনোই ক্ষমা করেন না। সৃষ্টিজগতের পরিচালনায় কাউকে অংশিদার করা ও ইবাদতে আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। পৃথিবীর সকল প্রকার জুলুমের মধ্যে সবচেয়ে বড় জুলুম হলো শিরক। আল্লাহ তায়ালা বলেন। “ইন্নাশ শিরকা লাজুলমুন আজিম।” অর্থ নিশ্চয়ই শিরক চরম জুলুম, আর আল্লাহ তায়ালা মুশরিকদের প্রতি সম্পূর্ণ অসন্তুষ্ট। তিনি তাদেরকে কখনোই ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ তায়ালা বলেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। (আল নিসা-৪৮)। আর পরকালে মুশরিকদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আল্লাহ তায়ালা বলেন “যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সাথে শিরক করবে আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয়ই তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন। তার আবাস জাহান্নাম।” (সূরা আর মায়িদা-৭২)। প্রকৃতপক্ষে শিরক ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এরূপ কাজ থেকে সকলেরই সদা সর্বদা সতর্ক ও মুক্ত থাকতে হবে। আর শিরকের স্বরূপ ও পরিণতি কুরআন-হাদিসে সুস্পষ্ট।
প্রশ্ন- ৮  ইমান ও ইসলাম

ফারহান তার পার্থিব কাজের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ জীবনবিধান অনুসরণ করে। তার অনেক বন্ধু আছে, যারা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখে কিন্তু দৈনন্দিন কাজে তাঁর আদেশ অনুসরণ করে না। এ কথা জেনে তাদের ধর্মীয় শিক্ষক বলেন, ‘ইমান এবং ইসলামের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান।’ [খুলনা জিলা স্কুল]
ক. তাওহিদ অর্থ কী? ১
খ. ইসলাম শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২
গ. ফারহান কর্তৃক অনুসৃত বিধানটির পারিভাষিক নাম কী? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে ধর্মীয় শিক্ষকের উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ।
খ ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্য শিখতে পারি। এককথায়, ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে আমরা দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি ও সফলতা লাভের দিক নির্দেশনা অর্জন করতে পারি। সুতরাং ইসলাম শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
গ ফারহান কর্তৃক অনুসৃত বিধানটির পারিভাষিক নাম হলো ইসলাম। আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির হিদায়াতের জন্য যুগে যুগে বহু আদেশ-নিষেধ, বিধিবিধান প্রেরণ করেছেন। এসব আদেশ-নিষেধ শরিয়ত হিসেবে প্রদান করেছেন। আর শরিয়তের সর্বশেষ ও পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো ইসলাম। এটি হলো মানবজাতির জন্য নির্দেশিত সর্বশেষ ও সর্বোত্তম জীবন বিধান। মানবজীবনের সকল বিষয় ও সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধান এতে রয়েছে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সকল বিষয়ই ইসলামে বিদ্যমান। উদ্দীপকের ফারহান তার পার্থিব কাজের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ জীবনবিধান তথা ইসলাম অনুসরণ করে। কেননা সে জানে, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে জীবন পরিচালনার জন্য ইসলামের বিকল্প নেই।
ঘ ‘ইমান ও ইসলামের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান’ উদ্দীপকে ধর্মীয় শিক্ষকের এ উক্তিটি যথার্থ। ইমান ও ইসলাম এ দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা। ইমান অর্থ বিশ্বাস। ইসলামের মূল বিষয়গুলোর প্রতি আন্তরিক বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি হচ্ছে ইমান। অন্যদিকে মহান আল্লাহর যাবতীয় আদেশ-নিষেধ বিনাদ্বিধায় মেনে নেওয়ার মাধ্যমে তাঁর প্রতি পূর্ণাঙ্গরূপে আত্মসমর্পণ করার নাম হলো ইসলাম। উদ্দীপকের ফারহানের বন্ধুদের চরিত্রে এর ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়। তারা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখে। কিন্তু দৈনন্দিন কাজে তাঁর আদেশ অনুসরণ করে না। আর একথা জেনেই তাদের ধর্মীয় শিক্ষক উপরিউক্ত উক্তিটি করেন। প্রকৃতপক্ষে ইমান ও ইসলামের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এদের একটি ব্যতীত অন্যটি কল্পনাও করা যায় না। ইমান ও ইসলামের সম্পর্ক গাছের মূল ও শাখা-প্রশাখার মতো। ইমান হলো গাছের শিকড় বা মূল। আর ইসলাম তার শাখা-প্রশাখা। মূল না থাকলে শাখা-প্রশাখা হয় না। আর শাখা-প্রশাখা না থাকলে মূল বা শিকড় মূল্যহীন। তদ্রƒপ ইমান ও ইসলাম একটি অন্যটি ব্যতীত পূর্ণাঙ্গ হয় না। ইমান মানুষের অন্তরে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, অনুরাগ ও তাঁর সন্তুষ্টি লাভের বাসনা সৃষ্টি করে। আর তাতে ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে সজীব ও সতেজ হয়ে পরিপূর্ণ সৌন্দর্যে বিকশিত হয় ইসলাম। সুতরাং বলা যায়, ইমান ও ইসলামের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান উক্তিটি যুক্তিযুক্ত।
প্রশ্ন- ৯  ইমান ও কুফর

রফিক আল্লাহর অস্তিত্বে ইমান রাখে; কিন্তু আখিরাতে বিশ্বাস করে না। এ বিষয়টি মসজিদের ইমাম সাহেব জানতে পেরে বললেন, এ রকম বিশ্বাস নিয়ে কেউ মুমিন হতে পারে না। মুমিন হতে হলে ইসলামের প্রতিটি বিষয়ে ইমান রাখতে হবে। [সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রংপুর]
ক. ইমান কাকে বলে? ১
খ. ‘আল্লাহর অস্তিত্বে ইমান রাখা খুবই প্রয়োজন’Ñ বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. রফিকের মনোভাব শরিয়তের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি উদ্দীপকের ইমাম সাহেবের সাথে একমত? আলোচনা কর। ৪

ক শরিয়তের যাবতীয় বিধিবিধান অন্তরে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকার করা এবং তদনুযায়ী আমল করাকে ইমান বলে।
খ ইমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় হলো আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস রাখা। আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয়। তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ বা মাবুদ নেই। তিনি সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা ও রক্ষাকর্তা। তিনি সকল গুণের আধার। তাঁর সত্তা ও গুণাবলি তুলনাহীন। আল্লাহ তায়ালার প্রতি এরূপ বিশ্বাস স্থাপন একজন ইমানদারের জন্য খুবই প্রয়োজন।
গ রফিকের মনোভাব ইমানের পরিপন্থী এবং কুফরির শামিল। আমরা জানি, একজন মুসলিমকে ইমানের সাতটি মৌলিক বিষয়ে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে হয়। আর সেগুলো হলোÑ আল্লাহ তায়ালার প্রতি বিশ্বাস, ফেরেশতাগণের প্রতি বিশ্বাস, আসমানি কিতাবসমূহের প্রতি বিশ্বাস, আখিরাতে বিশ্বাস, তাকদিরে বিশ্বাস এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে বিশ্বাস। এগুলো আল-কুরআন ও হাদিস দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত। এ বিষয়গুলোতে বিশ্বাস ব্যতীত কেউই মুমিন বা মুসলিম হতে পারে না। উদ্দীপকের রফিক আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করলেও আখিরাতকে বিশ্বাস করে না। সে ইমানের সর্বপ্রধান বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করা সত্তে¡ও আখিরাতের মতো মৌলিক বিষয়ে অবিশ্বাসের কারণে কাফির হিসেবে গণ্য হবে। কেননা ইসলামি জীবনদর্শনে আখিরাতে বিশ্বাস স্থাপন অপরিহার্য। আখিরাতে বিশ্বাস ছাড়া মুমিন হওয়া যায় না। কাজেই আখিরাতে অবিশ্বাস করার কারণে রফিক মুমিন নয় বরং কাফির।
ঘ উদ্দীপকের ইমাম সাহেবের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। কারণ ‘মুমিন হতে হলে ইসলামের প্রতিটি বিষয়ে ইমান রাখতে হবে’ আর ইসলামের মূল বিষয়গুলোর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাসকেই বলা হয় ইমান। উদ্দীপকে দেখা যায়, রফিক আল্লাহর অস্তিত্বে ইমান রাখে, কিন্তু আখিরাতে বিশ্বাস করে না। এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম সাহেব বলেন, এ রকম বিশ্বাস নিয়ে কেউ মুমিন হতে পারে না। মুমিন হতে হলে ইসলামের প্রতিটি বিষয়ে ইমান আনতে হবে। ইসলামি জীবনদর্শনে আখিরাতে বিশ্বাস স্থাপন অপরিহার্য। একজন মুসলিমকে ইমানের সাতটি মৌলিক বিষয়ে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে হয়। ইমানে মুফাসসালে সেসব মৌলিক বিষয় একত্রে বর্ণিত হয়েছে। যেমন : ‘আমি ইমান আনলাম আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি, তাঁর কিতাবগুলোর প্রতি, তাঁর রাসুলগণের প্রতি, আখিরাতের প্রতি, তাকদিরের প্রতি, যার ভালোমন্দ আল্লাহর নিকট থেকেই হয় এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের প্রতি।’ এ বিষয়গুলোর প্রতি সুদৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস ব্যতীত ইমানদার হওয়া যায় না। মুমিন হতে হলে ইসলামের প্রতিটি বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। তাই ইমাম সাহেবের বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।
প্রশ্ন- ১০  ইমান ও কুফর

শাফী ও কাফী দুই বন্ধু মিলে একবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়েছিল। পাহাড়-পর্বত, ঝরনাধারা ও সমুদ্রের মনোরম দৃশ্যাবলি দেখে মুগ্ধ হয়ে শাফী বলল, আলহামদুলিল্লাহ! এসবই মহান আল্লাহর সৃষ্টি। কিন্তু কাফী দ্বিমত পোষণ করে বলল, এগুলো প্রাকৃতিকভাবেই সৃষ্টি হয়েছে। [বগুড়া জিলা স্কুল]
ক. তাওহিদের বাণী প্রচারে কে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন? ১
খ. তাওহিদ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. কাফীর মন্তব্যে তার যে মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে তা শরিয়তের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের শাফী ও কাফীর মধ্যে কার মতামতকে তুমি অধিক যৌক্তিক বলে মনে কর? ইসলামের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক তাওহিদের বাণী প্রচার করতে গিয়ে হযরত ইবরাহিম (আ) অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন।
খ ‘তাওহিদ’ শব্দের অর্থ একত্ববাদ। শরিয়তের পরিভাষায়, আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিযিকদাতা ও ইবাদতের যোগ্য এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে বিশ্বাসের নামই তাওহিদ।
গ কাফীর মন্তব্যে কুফরি মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। মহাবিশ্বের সকল সৃষ্টির একমাত্র স্রষ্টা মহান আল্লাহ। অনন্ত আকাশ, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, বিস্তৃত সাগর-মহাসাগর, পাহাড়-পর্বত, জীবজন্তু, বৃক্ষলতা ইত্যাদি দৃশ্য ও অদৃশ্য যাবতীয় বস্তু একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই সবকিছুর নিরঙ্কুশ মালিক, পালনকর্তা ও নিয়ন্তা। একজন মুমিনের জন্য এ বিশ্বাস অপরিহার্য। কিন্তু উদ্দীপকটি পাঠে আমরা জানতে পারি, পাহাড়-পর্বত, ঝরনাধারা ও সমুদ্রের মনোরম দৃশ্যাবলি দেখে শাফী মুগ্ধ হয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে এবং এসব কিছুই আল্লাহর সৃষ্টি বলে মন্তব্য করলেও কাফী দ্বিমত পোষণ করে বলে এগুলো প্রাকৃতিকভাবেই সৃষ্টি হয়েছে। কাফীর এ ধরনের মন্তব্যে কুফরি মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। কারণ আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টিকর্তা না মানার অর্থই হলো তার গুণাবলি অস্বীকার করা, যা প্রকাশ্য কুফরি।
ঘ উদ্দীপকে শাফী ও কাফীর মধ্যে শাফীর মতামতকে আমি অধিক যৌক্তিক বলে মনে করি। উদ্দীপকে আমরা দুটো চরিত্র দেখতে পাই। একজন মুমিন এবং একজন কাফির। শাফীর চরিত্রে ফুটে উঠেছে ইমানি বৈশিষ্ট্য। সে মনে করে পাহাড়-পর্বত, ঝরনাধারা ও সমুদ্রের মনোরম দৃশ্যাবলি সবই আল্লাহর সৃষ্টি। পক্ষান্তরে তারই বন্ধু কাফীর চরিত্রে ফুটে উঠেছে কুফরি। সে মনে করে এসব আল্লাহর সৃষ্টি নয়। এগুলো প্রাকৃতিকভাবেই সৃষ্টি হয়েছে। তার এ মতামত একেবারেই ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। কেননা প্রকৃতিই আল্লাহর সৃষ্টি। প্রকৃতির সৃষ্টি করার কোনো ক্ষমতা নেই। প্রকৃতিকে যদি কেউ একজন পরিচালনা না করত তাহলে এ প্রকৃতি এত সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হতো না। তাই কাফীর এ অজ্ঞতাপ্রসূত মতামত আমার কাছে একেবারেই যুক্তিহীন ও ভ্রান্ত।
প্রকৃতপক্ষে শাফীর মতামতই সঠিক ও যুক্তিযুক্ত। কারণ সমগ্র বিশ্বজগৎ আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই এ সৃষ্টিজগৎকে সুনিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালনা করছেন। এতেই প্রমাণিত হয় যে, এ বিশাল সৃষ্টির এক মহাপরাক্রমশালী সৃষ্টিকর্তা ও নিয়ন্ত্রণকারী আছেন, আর তিনি হলেন মহান আল্লাহ তায়ালা।
প্রশ্ন- ১১  শিরক

কায়সার সাহেব সালাত, সাওম ইত্যাদি পালনসহ যথাসম্ভব ভালো কাজ করেন। কিন্তু কোনো সমস্যায় পড়লে একজন পীরের কাছে গিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেন। তার পিতা তাকে এসব কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করেন। [শহীদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ]
ক. সূরা ইখলাসের আয়াত সংখ্যা কত? ১
খ. ‘আল্লাহ তায়ালা সকল গুণের আধার’Ñ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. কায়সার সাহেবের কর্মকাণ্ডে কোনটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. কায়সার সাহেবের কর্মের কুফল ও প্রতিকার বিশ্লেষণ কর। ৪

ক সূরা ইখলাসের আয়াত সংখ্যা ৪।
খ আল্লাহ তায়ালা সকল গুণের আধার। সকল গুণ তাঁর মধ্যে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান। তিনি সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, সর্বশক্তিমান, সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। সকল কিছুই তাঁর পরিচালনায় সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এককথায়, তিনি সর্বগুণে গুণান্বিত।
গ কায়সার সাহেবের কর্মকাণ্ডে শিরক প্রকাশ পেয়েছে। আল্লাহ তায়ালার সাথে শিরক চার ধরনের হতে পারে। যথা: ১. আল্লাহর সত্তা ও অস্তিত্বে শিরক করা; ২. আল্লাহর গুণাবলিতে শিরক করা; ৩. সৃষ্টি জগতের পরিচালনায় কাউকে আল্লাহর অংশীদার বানানো এবং ৪. ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার সাথে কাউকে শরিক করা। উদ্দীপকের কায়সার সাহেব আল্লাহ তায়ালার গুণাবলিতে শিরক করেছেন। তিনি সমস্যায় পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা না করে একজন পীরের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। কিন্তু প্রকৃত অর্থে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে পীরের কোনো ক্ষমতাই নেই। বরং আল্লাহই সকল ক্ষমতার মালিক। তিনিই সর্বশক্তিমান, সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। অথচ কায়সার সাহেব সমস্যায় পড়ে পীরের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করার মধ্য দিয়ে পীরকে আল্লাহর সমতুল্য মনে করেছেন, যা প্রকাশ্য শিরক। সুতরাং বলা যায়, কায়সার সাহেবের কর্মকাণ্ড শিরক, যা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।
ঘ কায়সার সাহেবের কর্মকাণ্ড শিরকের অন্তর্ভুক্ত; যার কুফল অত্যন্ত ভয়াবহ। নিচে শিরকের কুফল ও প্রতিকার বিশ্লেষণ করা হলো। পৃথিবীর সকল প্রকার জুলুমের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো শিরক। শিরক অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। আল্লাহ তায়ালা মুশরিকদের প্রতি খুবই অসন্তুষ্ট। তিনি অপার ক্ষমাশীল ও অসীম দয়াময় হওয়া সত্তে¡ও শিরকের অপরাধ ক্ষমা করেন না। সূরা আল-মায়িদায় আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করবে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য নিশ্চয়ই জান্নাত হারাম করে দেবেন। এবং তার আবাস জাহান্নাম।’ শিরক ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ এবং এর কুফল অত্যন্ত মারাত্মক বলে এরূপ কাজ থেকে আমাদের সকলকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। ভুলক্রমে আল্লাহ তায়ালার সাথে শিরক করে ফেললে সাথে সাথে পুনরায় ইমান আনতে হবে। অতঃপর বিশুদ্ধ অন্তরে তওবা করে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। আর ভবিষ্যতে এরূপ পাপ না করার শপথ গ্রহণ করতে হবে। তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা স্বীয় দয়া ও করুণার মাধ্যমে পাপ ক্ষমা করে দিবেন।
প্রশ্ন- ১২  নিফাক

জামিল এলাকার সুপরিচিত ব্যক্তি। সে সবসময় মিথ্যা কথা বলে। একদিন সে জুমআর খুতবায় শোনে, তার এ ধরনের কাজের জন্য আখিরাতে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
[ বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ]
ক. আল-বুরহান শব্দের অর্থ কী? ১
খ. নবুয়তের ধারা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ইসলামের দৃষ্টিতে জামিল কী ধরনের লোক? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. জামিলের কাজের পরিণাম সূরা আন-নিসার ১৪৫ নং আয়াতের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক আল-বুরহান শব্দের অর্থ সুস্পষ্ট প্রমাণ।
খ আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে অসংখ্য নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। সর্বপ্রথম নবি ছিলেন হযরত আদম (আ)। আর সর্বশেষ নবি ও রাসুল হলেন হযরত মুহাম্মদ (স)। এঁদের মাঝখানে আল্লাহ তায়ালা আরও বহু নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। নবি-রাসুলদের আগমনের এই ধারাবাহিকতাকেই নবুয়তের ক্রমধারা বলা হয়।
গ ইসলামের দৃষ্টিতে জামিল একজন মুনাফিক। কারণ সে সবসময় মিথ্যা কথা বলে। আর মিথ্যা বলা মুনাফিকের লক্ষণ। আমরা জানি, মুনাফিকের চিহ্ন বা লক্ষণ তিনটি। যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করে, আর তার নিকট কোনো কিছু আমানত রাখা হলে তা খিয়ানত করে। সহিহ বুখারির হাদিসে মহানবি (স) এভাবেই মুনাফিকদের চিহ্ন বর্ণনা করেছেন। আর সূরা আল-মুনাফিকুনে আল্লাহ তায়ালা বলেনÑ
“আর আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা নিঃসন্দেহে মিথ্যাবাদী।”
পবিত্র কুরআন ও হাদিসের উপরিউক্ত বর্ণনানুযায়ী নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, মিথ্যা কথা বলার কারণে উদ্দীপকের জামিল একজন মুনাফিক।
ঘ জামিল একজন মুনাফিক। তার কাজের পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। সূরা আন-নিসার ১৪৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে “নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে।”
নিফাক একটি মারাত্মক পাপ। এটি মানুষের চরিত্র ও নৈতিকতা ধ্বংস করে দেয়। এর ফলে মানুষ মিথ্যাচারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেনÑ ‘আর আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা নিঃসন্দেহে মিথ্যাবাদী।’ যেমনটি আমরা দেখি উদ্দীপকের জামিলের চরিত্রে। সে সব সময় মিথ্যা কথা বলে। এ কারণেই সে মুনাফিক হিসেবে বিবেচিত হবে। আর মুনাফিকরা মিথ্যার পাশাপাশি অন্যান্য খারাপ ও অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। পার্থিব লোভ-লালসা ও স্বার্থ রক্ষায় তারা মানুষের অকল্যাণ করতেও পিছপা হয় না। তাছাড়া ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য মুনাফিকরা খুবই ক্ষতিকর। এ পরিণতির কথাই সুরা আন-নিসার ১৪৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে।” সুতরাং নিফাকের উপরিউক্ত পরিণতির কথা স্মরণ রেখে আমরা নিফাক থেকে বেঁচে থাকব এবং নিজ জীবনে উত্তম চরিত্র অনুশীলন করব।
প্রশ্ন- ১৩  নিফাক

হাসান সাহেব একজন চাকরিজীবী। তিনি প্রায়ই বিনা কারণে অফিসে দেরি করে আসেন। এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি মনগড়া অজুহাত তুলে ধরেন। সহকর্মীদের কাছ থেকে কিছু ধার নিলে তা যথাসময়ে ফেরৎ দেন না। অথচ পোশাক-পরিচ্ছদে তাকে ভদ্র বলেই মনে হয়।
[ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. আখিরাত শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ‘আখিরাতে বিশ্বাস মানুষকে সৎকাজে উদ্বুদ্ধ করে”Ñ বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. হাসান সাহেবের কর্মকাণ্ড ইসলামের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. হাসান সাহেবের কর্মকাণ্ডের পরিণাম ইসলামি শরিয়তের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক আখিরাত শব্দের অর্থ পরকাল।
খ আখিরাতে বিশ্বাস মানুষকে পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে এবং পুণ্য কাজ করতে উৎসাহ জোগায়। কেননা আখিরাতে বিশ্বাসী ব্যক্তি জানে যে, পরকালে তাকে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে, দুনিয়ার যাবতীয় কাজকর্মের হিসাব দিতে হবে। ফলে সে দুনিয়াতে সৎকাজে উৎসাহিত হয় এবং অসৎকাজ থেকে বিরত থাকে। এভাবে আখিরাতের বিশ্বাস মানুষকে সৎকাজে উদ্বুদ্ধ করে।
গ হাসান সাহেবের কর্মকাণ্ড নিফাকের অন্তর্ভুক্ত। কারণ উদ্দীপকের বর্ণনানুযায়ী তার চরিত্র বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায়, তিনি মিথ্যাবাদী ও ওয়াদা ভঙ্গকারী। বিনা কারণে অফিসে দেরি করে আসলেও তিনি এ ব্যাপারে মনগড়া অজুহাত তুলে ধরেন, যা মিথ্যাচারিতার শামিল। অন্যদিকে সহকর্মীদের কাছ থেকে ধার নিয়ে তা যথাসময়ে ফেরত না দেওয়ায় তাকে ওয়াদা ভঙ্গকারী হিসেবেও গণ্য করা যায়। হাসান সাহেবের এ দুটি কর্মকাণ্ডে মুনাফিকী আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি। যথা : ১. মিথ্যা কথা বলা, ২. ওয়াদা ভঙ্গ করা এবং ৩. আমানতের খিয়ানত করা। হাসান সাহেবের চরিত্রে মুনাফিকের এ তিনটি বৈশিষ্টের মধ্যে দুটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি, তিনি একজন মুনাফিক।
ঘ হাসান সাহেবের কর্মকাণ্ডের পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।
আমরা জানি, ইসলামি শরিয়তের বিচারে মিথ্যা কথা বলা এবং ওয়াদা ভঙ্গ করা এমন দুটি অপরাধ, যা মানুষকে মুনাফিকে পরিণত করে। আর নিফাক মানুষের চরিত্র ও নৈতিকতা ধ্বংস করে দেয়। যার প্রকৃত উদাহরণ উদ্দীপকের হাসান সাহেব। তিনি বিনা কারণে অফিসে দেরিতে আসেন ও মনগড়া অজুহাত তুলে ধরেন, যা মিথ্যার শামিল। আবার সহকর্মীদের কাছ থেকে ধার নিয়ে যথাসময়ে ফেরত না দেওয়ায় তিনি ওয়াদা ভঙ্গকারী হিসেবেও গণ্য হবেন। কাজেই বলা যায়, হাসান সাহেব একজন ভদ্রবেশী মুনাফিক। আর মুনাফিকরা পরকালীন জীবনে অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে। পবিত্র কুরআনের সূরা আন-নিসার ১৪৫ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন : ‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্নস্তরে থাকবে।’ আর দুনিয়ার জীবনেও মুনাফিকরা অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়ে জীবন কাটায়। মুনাফিক ভেতরে এক আর বাইরে অন্য রকম হওয়ায় লোকজন তাদের বিশ্বাস করে না। বরং সন্দেহ ও ঘৃণার চোখে দেখে। সুতরাং বলা যায়, ইসলামি শরিয়তে হাসান সাহেবের মুনাফিকী কর্মকাণ্ডের পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।
প্রশ্ন- ১৪  রিসালাত

সালিম ও সাকিব একদিন নবি ও রাসুল সম্পর্কে আলোচনা করছিল। প্রসঙ্গক্রমে সালিম বলল, মানুষকে সৎপথ দেখানোর জন্য যুগে যুগে নবি-রাসুল এসেছেন। তাই আমি মনে করি, যেহেতু কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের আগমন ঘটবে, সেহেতু নবি-রাসুলের আগমনের প্রয়োজনীয়তা এখনো রয়েছে। অতঃপর সাকিব সালিমকে বলল, ‘আমি তোমার সাথে একমত নই। কেননা হযরত মুহাম্মদ (স) সর্বশেষ নবি।’ [হযরত শাহজালাল (রহ) উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. খতমে নবুয়তের অর্থ কী? ১
খ. কিয়ামত বলতে কী বোঝায়? ২
গ. সালিমের ধারণাটি ইসলামের কোন বিশ্বাসের পরিপন্থী? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. শেষ নবি সম্পর্কে সাকিবের বক্তব্য কুরআন-হাদিসের আলোকে প্রমাণ কর। ৪

ক খতমে নবুয়তের অর্থ নবুয়তের সমাপ্তি।
খ আল্লাহ তায়ালা একসময় এ পৃথিবী ধ্বংস করে দেবেন। তাঁর নির্দেশে হযরত ইসরাফিল (আ) শিঙ্গায় ফুঁক দেবেন। ফলে চন্দ্র-সূর্য ও তারকারাজি খসে পড়বে, পাহাড়-পর্বত তুলার ন্যায় উড়তে থাকবে, ভ‚গর্ভস্থ সবকিছু বের হয়ে যাবে। সকল প্রাণী মৃত্যুবরণ করবে এবং গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। পৃথিবী ধ্বংসের এ মহাপ্রলয়ের নাম কিয়ামত।
গ সালিমের ধারণাটি খতমে নবুয়তে বিশ্বাসের পরিপন্থী। খতমে নবুয়ত অর্থ নবুয়তের সমাপ্তি। আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে অসংখ্য নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। হযরত মুহাম্মদ (স) ছিলেন সর্বশেষ নবি। তাঁর মাধ্যমে দীনের পূর্ণতা ঘোষিত হয় এবং নবুয়তের ধারা সমাপ্ত হয়। তিনি নবি-রাসুলগণের ধারায় সর্বশেষে আগমন করেছেন। আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং তাঁকে ‘খাতামুন নাবিয়্যিন’ তথা সর্বশেষ নবি বলে অভিহিত করেছেন। পবিত্র কুরআনের সূরা আল-আহযাবের ৪০নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসুল এবং শেষ নবি। আর মহানবি (স) বলেছেন, “আমি শেষ নবি। আমার পরে কোনো নবি নেই।’
সুতরাং বোঝা গেল, হযরত মুহাম্মদ (স)-কে সর্বশেষ নবি হিসেবে বিশ্বাস করা ইমানের অন্যতম অঙ্গ। কিন্তু উদ্দীপকের সালিমের মনোভাব এ বিশ্বাসের পরিপন্থী। সে মনে করে, যেহেতু কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের আগমন ঘটবে সেহেতু নবি-রাসুলের আগমনের প্রয়োজনীয়তা এখনও রয়েছে। অর্থাৎ সালিম হযরত মুহাম্মদ (স) কে ‘খাতামুন নাবিয়্যিন’ বা সর্বশেষ নবি হিসেবে বিশ্বাস করে না। সুতরাং বলা যায়, সালিমের ধারণাটি খতমে নবুয়তে বিশ্বাসের পরিপন্থী।
ঘ শেষ নবি সম্পর্কে সাকিবের বক্তব্যটি সঠিক ও যুক্তিযুক্ত। আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে অসংখ্য নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। যাঁদের মধ্যে সর্বশেষ নবি ও রাসুল ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (স)। তাঁর মাধ্যমে দীনের পূর্ণতা ঘোষিত হয় এবং নবুয়তের ধারা সমাপ্ত হয়। এজন্য আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং তাঁকে ‘খাতামুন নাবিয়্যিন’ তথা সর্বশেষ নবি বলে অভিহিত করেছেন। পবিত্র কুরআনের সূরা আল-আহযাবের ৪০নং আয়াতে আল্লাহ বলেন : ‘মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষের পিতা নন বরং তিনি আল্লাহর রাসুল এবং শেষ নবি।’ আর মহানবি (স) বলেছেনÑ ‘আমিই শেষ নবি। আমার পরে কোনো নবি নেই।’
কুরআন-হাদিসের উপরিউক্ত বর্ণনা থেকে প্রমাণিত হয় যে, মুহাম্মদ (স) সর্বশেষ নবি। সঙ্গত কারণে কিয়ামত পর্যন্ত নবি-রাসুল আগমনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে উদ্দীপকের সালিম যে মনোভাব প্রকাশ করে তা প্রত্যাখ্যান করে সাকিব বলে, “আমি তোমার সাথে একমত নই। কেননা হযরত মুহাম্মদ (স)-ই সর্বশেষ নবি।” সুতরাং জীবনের সর্বাবস্থায় আমরা মহানবি (স)-এর আদর্শ ও শিক্ষা অনুসরণ করে চলব।
প্রশ্ন- ১৫  আসমানি কিতাব

আকরাম সাহেব একজন প্রসিদ্ধ লেখকের একটি উপন্যাস পড়ছিলেন। উপন্যাসের ভ‚মিকায় লেখক লিখেছেন, ‘পাঠকের কাছে কোনো ভুলত্রæটি পরিলক্ষিত হলে এবং তা আমাকে জানালে আমি তার নিকট কৃতজ্ঞ থাকব।’ লেখকের বক্তব্যটি পড়ার পর আকরাম সাহেবের মনে পড়ে সেই গ্রন্থটির কথা যা আজও অপরিবর্তনীয় এবং যার শুরুতেই নির্ভুলতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তার বন্ধু সাদিক সাহেবকে জানালে তিনি বলেন, গ্রন্থটি শুধু অপরিবর্তনীয় নয়, এটি সমগ্র মানবজাতির পথের দিশারি। [ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. সহিফা কী? ১
খ. আসমানি কিতাব বলতে কী বোঝায়? ২
গ. আকরাম সাহেব অপরিবর্তনীয় গ্রন্থ বলতে কোন গ্রন্থকে বুঝিয়েছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. সাদিক সাহেবের উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ৪

ক আল্লাহ তায়ালা থেকে অবতীর্ণ ১০০ খানা ছোট কিতাবকে সহিফা বলে।
খ আসমানি কিতাব হলো এমন গ্রন্থ যা আল্লাহ তায়ালা থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। অর্থাৎ যেসব কিতাব আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির হিদায়াতের জন্য দিক-নির্দেশনা স্বরূপ নাজিল করেছেন তাকে আসমানি কিতাব বলে। অন্যকথায়, আল্লাহ তায়ালার বাণী সম্বলিত গ্রন্থাবলিকে আসমানি কিতাব বলা হয়।
গ আকরাম সাহেব অপরিবর্তনীয় গ্রন্থ বলতে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনকে বুঝিয়েছেন।
আমরা জানি, আল-কুরআন আল্লাহ তায়ালার বাণী। মানবজাতির হিদায়াতের লক্ষ্যে আল্লাহ তায়ালা হযরত জিবরাইল (আ)-এর মাধ্যমে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি হযরত মুহাম্মদ (স)-এর উপর এ কিতাব নাজিল করেন। নাজিলের পর থেকে আজ পর্যন্ত এর একটি হরকত বা নুকতাও পরিবর্তন হয়নি। কেননা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাই এর রক্ষক। তিনি বলেন, “আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং অবশ্য আমিই এর সংরক্ষক।”
সঙ্গত কারণে উপন্যাসের ভ‚মিকা পড়ার পর উদ্দীপকে আকরাম সাহেবের মনে পড়ে যায় মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের কথা; যাতে আজ পর্যন্ত কোনোরূপ সংযোজন, সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্ধন বা বিয়োজন হয়নি। আর ভবিষ্যতেও হবে না। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনা হতে বোঝা যায়, আকরাম সাহেব অপরিবর্তনীয় গ্রন্থ বলতে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনকেই বুঝিয়েছেন।
ঘ উদ্দীপকের আকরাম সাহেবের বন্ধু সাদিক সাহেব পবিত্র কুরআন সম্পর্কে বলেন, গ্রন্থটি শুধু অপরিবর্তনীয়ই নয়, এটি সমগ্র মানবজাতির পথের দিশারি।Ñসাদিক সাহেবের এ উক্তিটি যথার্থ। আল-কুরআন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে মর্যাদাবান গ্রন্থ। এটি দুনিয়ার সকল গ্রন্থ, এমনকি অন্যান্য আসমানি কিতাবের তুলনায় স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। এর সমকক্ষ আর কোনো গ্রন্থ নেই। কেননা আল-কুরআন একমাত্র অবিকৃত ও অপরিবর্তিত গ্রন্থ। স্বয়ং আল্লাহ আল-কুরআনের রক্ষক বিধায় নাজিলের পর থেকে আজ পর্যন্ত এতে কোনোরূপ সংযোজন, সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্ধন বা বিয়োজন হয়নি; আর ভবিষ্যতেও হবে না। তাছাড়া আল-কুরআন পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। এ গ্রন্থ সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের আধার। সব বিষয়ের মূলনীতি এ গ্রন্থে বিদ্যমান। সূরা আল-আনআমের ৩৮নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আমি এ কিতাবে কোনো কিছুই বাদ দেইনি।’ মানবজীবনের প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ের যথাযথ নির্দেশনা আল-কুরআনে বিদ্যমান রয়েছে বলে একে পথের দিশারি বলা হয়। এ কারণে উদ্দীপকের সাদিক সাহেব তার বন্ধু আকরাম সাহেবের কথার সাথে যোগ করে বলেন, ‘গ্রন্থটি শুধু অপরিবর্তনীয় নয়, এটি সমগ্র মানবজাতির পথের দিশারি।’ সুতরাং আমরা কুরআন অধ্যয়ন করব এবং কুরআনের শিক্ষা বাস্তব জীবনে অনুসরণ করব। বস্তুত পবিত্র কুরআনই আমাদের পথের দিশারি।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. আশ-শিফা (اَلشِّفَاﺀُ) শব্দের অর্থ কী? [স. বো. ’১৬]
ক উপদেশ  নিরাময় গ অনুগ্রহ ঘ সম্মানিত
২. মুনাফিক চিরকাল জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে। কারণ [স. বো. ’১৬]
 তাওহিদে অবিশ্বাসী খ গায়ে পড়ে ঝগড়াকারী
গ মিথ্যাবাদী ঘ খিয়ানতকারী
৩. কাদের পুরস্কার অফুরন্ত? [স. বো. ’১৬]
 সৎকর্মশীল খ চরিত্রবান গ জ্ঞানী ঘ বুদ্ধিমান
৪. পৃথিবীর সকল প্রকার জুলুমের মধ্যে সবচেয়ে বড় কোনটি? [স. বো. ’১৬]
 শিরক খ নিফাক গ কুফর ঘ ফিসক
৫. আখিরাতের জীবনের প্রথম স্তর হলো [স. বো. ’১৬]
ক হাশর  কবর গ কিয়ামত ঘ মৃত্যু
৬. “নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট ইসলামই একমাত্র মনোনীত ধর্ম বা জীবন ব্যবস্থা”Ñপবিত্র কুরআনের এ আয়াতখানা কোন সূরার অন্তর্গত? [স. বো. ’১৫]
ক সূরা আল-বাকারাহ  সূরা আলে ইমরান
গ সূরা আন-নিসা ঘ সূরা আল-মায়িদা
৭. কোন সূরায় মহান আল্লাহর একত্ববাদের বর্ণনা রয়েছে? [স. বো. ’১৫]
ক সূরা আদ-দুহা খ সূরা আত্-তীন
গ সূরা আল-মাউন  সূরা আল-ইখলাস
৮. শরীফ সাহেব পবিত্র কুরআনের বাণী নিয়ে উপহাস করেন। তার এ কর্মকাণ্ড কীসের অন্তর্ভুক্ত? [স. বো. ’১৫]
 কুফর খ ফিসক গ নিফাক ঘ শিরক
৯. পবিত্র কুরআনে কয়টি সূরা আছে? [স. বো. ’১৫]
ক ১১২ খ ১১৩  ১১৪ ঘ ১১৫
১০. ‘আল-মাজিদ’ শব্দের অর্থ কী? [স. বো. ’১৫]
ক নিরাময় খ সদুপদেশ  সম্মানিত ঘ উপদেশ
১১. ‘মুনকার ও নাকির ফেরেশতাদ্বয় কবরে কাদেরকে তিনটি প্রশ্ন করবেন?
[স. বো. ’১৫]
 সকল মানুষ খ ইমানদারগণ গ মুত্তাকিগণ ঘ পাপীগণ
১২. ইসলাম মানবজাতির জন্য আল্লাহ তায়ালার একটি বিশেষÑ
[রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
ক রহমত খ বরকত  নিয়ামত ঘ অনুগ্রহ
১৩. রমিজ মিয়া মদ পান করাকে হালাল মনে করেন। তার এ কাজ কীসের অন্তর্ভুক্ত? [রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
ক শিরক খ কবিরা গুনাহ  কুফর ঘ ফাসেকি
১৪. ইসলামি আইনকানুন ও বিধিবিধানকে একত্রে কী বলা হয়?
[রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
ক দীন খ হিদায়াত  শরিয়ত ঘ আহকাম
১৫. ইমান শব্দটি কোন মূল ধাতু থেকে নির্গত? [আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক আমানাতুন  আমনুন গ আমরুন ঘ আরাফুন
১৬. মানুষের মধ্যে অকৃতজ্ঞতার জন্ম দেয়Ñ [আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক শিরক খ নিফাক  কুফর ঘ গিবত
১৭. সুষ্ঠু জীবন পরিচালনার জন্য বিকল্প নেই কোনটির?
[গভ. ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক ইমানের খ পরকালের গ ইবাদতের  ইসলামের
১৮. ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা কীসের অন্তর্ভুক্ত?
[মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা]
ক নিফাক খ কিযব গ যুলুম  কুফর
১৯. জাহান্নামে চিরকাল শাস্তি ভোগ করবেÑ [ময়মনসিংহ জিলা স্কুল]
 অস্বীকারকারী খ পাপী
গ বেনামাযি ঘ অত্যাচারী
২০. সিরাত অর্থÑ [ময়মনসিংহ জিলা স্কুল]
ক সুপারিশ খ কষ্টদায়ক  পদ্ধতি ঘ কানুন
২১. যেসব কারণে মানুষ জাহান্নামে যাবে তার মধ্যে একটি অন্যতম কারণÑ
[ময়মনসিংহ জিলা স্কুল]
ক নামায না পড়া খ দান খয়রাত না করা
গ দুনিয়ার জীবনকে অস্বীকার করা  আখিরাতকে অস্বীকার করা
২২. ইমান ও ইসলামের মধ্যে কেমন সম্পর্ক বিদ্যমান? [খুলনা জিলা স্কুল]
ক ব্যাপক খ অবিচ্ছেদ্য
 ঘনিষ্ঠ ও অবিচ্ছেদ্য ঘ গভীরতম
২৩. ‘খাতামুন’ শব্দের অন্যতম অর্থ কী? [খুলনা জিলা স্কুল]
ক শেষ খ সমাপ্তি গ পরিসমাপ্তি  সিলমোহর
২৪. সিরাত কোথায় স্থাপিত হবে? [খুলনা জিলা স্কুল]
 জাহান্নামের ওপর খ মিযানের ওপর
গ আখিরাতে ঘ উদ্যানে
২৫. আকাইদ কোন শব্দের বহুবচন? [বরিশাল জিলা স্কুল]
ক আকদ  আকিদা গ অকুদ ঘ আকিফুন
২৬. “আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্যই রয়েছে পথ প্রদর্শক।”Ñ এটি কোন সূরার অনুবাদ? [বরিশাল জিলা স্কুল]
ক সূরা নিসা খ সূরা মায়িদা  সূরা রাদ ঘ সূরা হাশর
২৭. হযরত শিস (আ)-এর ওপর কয়টি সহিফা নাজিল হয়েছে? [বরিশাল জিলা স্কুল]
ক ১০ খ ৩০ গ ২০  ৫০
২৮. ইসলাম শব্দের অর্থ কী? [পাবনা জিলা স্কুল]
ক অনুগত করা  আত্মসমর্পণ করা
গ শান্তির পথে চলা ঘ উপরে ওঠা
২৯. কখন থেকে আখিরাতের জীবন শুরু হয়? [পাবনা জিলা স্কুল]
ক জন্ম থেকে খ হাশরের ময়দান থেকে
 মৃত্যুর পর থেকে ঘ কবর থেকে
৩০. ইসলামের বিশ্বাসগত দিকের নাম হলো [বগুড়া জিলা স্কুল]
ক কালিমা  আকাইদ গ মুফাসসাল ঘ মুজমাল
৩১. ইসলাম কোন ধরনের জীবনব্যবস্থা? [বগুড়া জিলা স্কুল]
ক সংক্ষিপ্ত খ আংশিক  পূর্ণাঙ্গ ঘ কঠোর
৩২. আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নাম কতটি? [বগুড়া জিলা স্কুল]
ক ৯৮  ৯৯ গ ১০০ ঘ ১০১
৩৩. আকাইদ শব্দের অর্থ কী? [নওগাঁ জিলা স্কুল]
 বিশ্বাসমালা খ বিশ্বাস গ ইহসান ঘ ইমান
৩৪. ইসলামের কয়টি দিক রয়েছে? [দিনাজপুর জিলা স্কুল]
ক ১  ২ গ ৩ ঘ ৪
৩৫. আনুগত্য করা, আত্মসমর্পণ করা-এর আরবি প্রতিশব্দÑ
[পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, যশোর]
 আল ইসলাম খ আল ইমান
গ আল সুন্নাহ ঘ আল আলামীন
৩৬. কবরে কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে? [সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]
ক ইমান, আমল ও আকিদাহ  রব, দীন, ও রাসুল
গ রব, দীন ও আমল ঘ ইমান, রব ও রাসুল
৩৭. ‘আমিই শেষ নবি। আমার পর কোনো নবি নেই।’ এটি কোন কিতাবে আছে? [বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ, খুলনা]
ক বুখারি  মুসলিম গ তিরমিযি ঘ আবু দাউদ
৩৮. হতাশা কীসের পরিণতি? [বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ, খুলনা]
 কুফরের খ মিথ্যার গ শিরকের ঘ পাপের
৩৯. কোন বিশ্বাসের অভাবে মানুষ হতাশ হয়ে পড়ে?
[বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক আকাইদ  তাকদির গ তাওহিদ ঘ রিসালাত
৪০. মানুষকে সৎকর্মশীল ও নৈতিক জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করেÑ
[বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
 ইমান খ তাওহিদ গ আখিরাত ঘ নামায
৪১. কিয়ামতের দিন শাফাআত করবেÑ [ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর]
ক সাধারণ মানুষ খ মনীষী
 কুরআন ও সাওম ঘ যাকাত ও সাদকা
৪২. ‘তিনি বিচার দিবসের মালিক’ কথাটি কোন সূরার?
[ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর]
ক বাকারা  ফাতিহা গ ইয়াছিন ঘ হাজ্জ
৪৩. তাওহিদ শব্দের অর্থ কী? [সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হেলেনাবাদ, রাজশাহী]
ক আনুগত্য খ আত্মসমর্পণ  একত্ববাদ ঘ বিশ্বাস
৪৪. সামি মানুষের কল্যাণে কাজ করে কিন্তু আখিরাতে বিশ্বাস করে না। সামির বিশ্বাস ইসলামের দৃষ্টিতেÑ [ব−ু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
 কুফর খ শিরক গ নিফাক ঘ বিদআত
৪৫. কোন দুইটি বিষয়ের সমন্বয়ে আমাদের জীবনকে সার্বিকভাবে গড়ে তুলতে হয়? [ব−ু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক ইমান ও আমানত  ইমান ও ইসলাম
গ ইমান ও তাকওয়া ঘ ইমান ও আহদ
৪৬. দুলাল বলল, আসমানে যে ফেরেশতারা আছেন, তাঁরা আল্লাহর আত্মীয়, তার এ উক্তিটি কীসের শামিল? [ব−ু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক বিদআত খ কুফর  শিরক ঘ ছগিরা গুনাহ
৪৭. আখিরাতের জীবন শুরু হয়Ñ [চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক কবর থেকে খ কিয়ামত থেকে  মৃত্যু থেকে ঘ বারযাখ থেকে
৪৮. ইসলামের সকল শিক্ষা কীসের উপর প্রতিষ্ঠিত?
[নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
ক ইমানের খ ইখলাসের  তাওহিদের ঘ তাকওয়ার
৪৯. প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’- এটি কোন সূরার আয়াত? [নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
ক সূরা আল-বাকারা খ সূরা আশ-শুরা
 সূরা আলে-ইমরান ঘ সূরা আত-তাওবা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫০. কুফর বর্জনীয়। কারণ এর মাধ্যমে [স. বো. ’১৬]
র. অনৈতিকতার প্রসার ঘটে
রর. সাময়িক শাস্তি পাওয়া যায়
ররর. হতাশার প্রসার ঘটে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫১. ফাহাদ সাহেবের ধারণা নবুয়তের ধারা কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। ফাহাদ সাহেবের এরূপ ধারণা কোন বিশ্বাসের বিপরীত? [স. বো. ’১৫]
র. ইমান ও ইসলামের
রর. খতমে নবুয়তে
ররর. ইমান ও রিসালাতের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  র ও রর ঘ র, রর ও ররর
৫২. ইমানের মৌলিক বিষয়গুলো বিস্তৃতভাবে বর্ণনা করা হয়েছেÑ
[রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
র. আল-কুরআনে
রর. হাদিসে
ররর. ইজমা ও কিয়াসে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৩. জাহান্নামে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছেÑ
[রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
র. সীমালঙ্ঘন করা রর. নফল ইবাদত করা
ররর. পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দেওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৪. জান্নাতের নামসমূহÑ [বরিশাল জিলা স্কুল]
র. দারুস সালাম ও সাকার রর. দারুল মাকাম ও দারুল খুলদ
ররর. দারুল কারার ও দারুন নাঈম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৫. প্রত্যেক মুসলমানকে খতমে নবুয়তে বিশ্বাস করতে হবে। কারণ এটিÑ
[সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা
র. আল্লাহর ঘোষণা
রর. মহানবি (স)-এর ঘোষণা
ররর. ইমানের অঙ্গ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৬. তাওহিদে বিশ্বাসের ফলে যেভাবে উদার দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি হয়
[ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. পৃথিবীর সকল সৃষ্টির সৃষ্টিকর্তা একজন, কাজেই সবাই সবাইকে সমমর্যাদা সম্পন্ন মনে করে
রর. মানুষ যে কোনো সৃষ্টিকে উপাসনার হাত থেকে রক্ষা পায়
ররর. মানুষের মধ্যে আত্মমর্যাদা ও আত্মসচেতনতা জেগে ওঠে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৭. তাকদির শব্দের অর্থ  [পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. ভাগ্য রর. নিয়তি
ররর. নির্ধারিত পরিমাণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর  র, রর ও ররর
৫৮. জান্নাতে স্থান পেতে হলে প্রয়োজন- [সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]
র. সালাত আদায় করা রর. ধার দেওয়া
ররর. কুপ্রবৃত্তি দমন করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  র ও ররর ঘ রর ও ররর
৫৯. আকাইদের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেÑ [ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. নবি-রাসুলে বিশ্বাস
রর. পরকাল ও তাকদিরে বিশ্বাস
ররর. জান্নাত ও জাহান্নামে বিশ্বাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬০. আল্লাহর রহমতে মৃত্যুর ফলে জনাব আসাদÑ
[ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. কবরে সঠিক উত্তরে সমর্থ হবেন
রর. শান্তিময় জীবন লাভ করবেন
ররর. ইসলামের জীবন অনুসরণ করবেন
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬১. তাওহিদের শিক্ষায় উজ্জীবিত হলে মানুষ মুক্তি পায়Ñ
[চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
র. সৃষ্টির দাসত্ব থেকে
রর. পাপাচার থেকে
ররর. অসৎকর্ম থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের ছকচিত্রটির আলোকে ৬২ ও ৬৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও : [স. বো. ’১৬]

৬২. “?” চিহ্নিত স্থানে কী বসবে?
ক সালাত খ সাওম গ যাকাত  ইমান
৬৩. ছকচিত্রের মূলবিষয়ের সাথে ইসলামের সম্পর্ক হলো
র. গাছের মূল ও শাখা-প্রশাখার ন্যায়
রর. দা-এর সাথে কুমড়ার সম্পর্কের মতো
ররর. একে অপরের পরিপূরক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর  র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৪ ও ৬৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আওকাত সাহেব মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) কে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করেন এবং তাঁর সমালোচনা করেন। [স. বো. ’১৫]
৬৪. এরূপ কাজ কার কাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
 কাফির খ যালিম গ মুরতাদ ঘ মুশরিক
৬৫. এমতাবস্থায় আওকাত সাহেবের করণীয়Ñ
র. পুনরায় ইমান আনা
রর. খাঁটি মনে তাওবা করা
ররর. অনুশোচনায় দগ্ধ হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৬ ও ৬৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শিকড়ের সাথে গাছের পত্রপল্লবের যেমন সম্পর্ক, ইমানের সাথে ইসলামের তেমন সম্পর্ক। কিন্তু ফাহিম তার পাঠ্যবই থেকে এ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারেনি। [বগুড়া জিলা স্কুল]
৬৬. ফাহিম বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে হলেÑ
র. ইমান ও ইসলামের সংজ্ঞা জানতে হবে
রর কোনো বিজ্ঞ আলেমদের কাছে যেতে হবে
ররর. নবি-রাসুলের জীবন চরিত পড়তে হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬৭. অনুচ্ছেদের আলোকে নিচের যে উদাহরণটি যথার্থ হবে তা হলোÑ
ক মেঘের সাথে বৃষ্টি  প্রদীপের সাথে আলো
গ খেতের সাথে মাঠের ঘ কলমের সাথে কালির
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৮ ও ৬৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
(ক) সকল নিষ্ঠাবান মুসলিমের মতো আদনান বিশ্বাস করে যে, মুহাম্মদ (স)-এর পরে আর কোনো নবি আসবেন না এবং তার জীবনের পরম আশা জান্নাত লাভ করা। [সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
৬৮. আদনান কীসের ওপর বিশ্বাস রাখে?
ক নবুয়ত খ রিসালাত
 খতমে নবুয়ত ঘ নবুয়ত ও রিসালাত
৬৯. পরম আশা পূরণের জন্য অতি সংক্ষিপ্তভাবে আদনান
র. আল­াহর সামনে হাজির হবার ভয় রাখবে
রর. কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখবে
ররর. দান-সাদকা করবে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭০ ও ৭১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আমেনা মায়ের কথা উপেক্ষা করে মাজারে গেল এবং নিজের ভবিষ্যৎ কামনায় পীর বাবার দোয়া ভিক্ষা চাইল। [সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হেলেনাবাদ, রাজশাহী
৭০. আমেনার মাজারে যাওয়াÑ
র. পাপের কাজ
রর. মায়ের অবাধ্যতা
ররর. শিরকের বহিঃপ্রকাশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৭১. আমেনার পীর বাবার নিকট দোয়া ভিক্ষা চাওয়াÑ
ক কুফরি খ নিফাকি  শিরকি ঘ জঘন্য
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭২ ও ৭৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আদু ভাই সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও পরকালের জবাবদিহিতায় বিশ্বাস করে না। [নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল­া]
৭২. আদু ভাইয়ের মানসিকতা ইসলামের দৃষ্টিতে কিরূপ?
ক শিরক খ ফিসক  কুফর ঘ নিফাক
৭৩. আদু ভাইয়ের চিন্তা-চেতনায় প্রকাশ পেয়েছে সে-
র. অবাধ্য রর. হতাশ
ররর. অকৃতজ্ঞ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
 পাঠ-১ : ইসলাম  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ২
 আল্লাহ ও রাসুল (স)-এর আনুগত্য করাকে বলে ইসলাম।
 আল্লাহর আদেশ-নিষেধ, বিধিবিধানের সমষ্টি হলো শরিয়ত।
 শরিয়তের সর্বশেষ ও পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো ইসলাম।
 মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল কাজকর্মের যথাযথ দিকনির্দেশনা বিদ্যমান ইসলামে।
 সর্বজনীন ধর্ম হলো ইসলাম।
 ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা হলো ইসলাম শিক্ষা।
 আল্লাহ তায়ালার ইবাদত ও আনুগত্য শিখতে পারি ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৪. ইসলাম কার আনুগত্যের কথা বলে? (অনুধাবন)
ক কুরআনের খ হাদিসের  আল্লাহর ঘ পিতামাতার
৭৫. বিনাদ্বিধায় আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ইমান খ ইবাদত  ইসলাম ঘ তাসাউফ
৭৬. জনাব ফাহাদ বিনাদ্বিধায় মহান আল্লাহর যাবতীয় আদেশ-নিষেধ মেনে নিয়ে তাঁর নিকট আত্মসমর্পণ করেছেন; তাই তাকে বলা হবে- (প্রয়োগ)
ক মুমিন  মুসলিম গ মুত্তাকি ঘ মুজাহিদ
৭৭. কালিমার পর কীসের স্থান? (জ্ঞান)
ক সাওম  সালাত গ ইমান ঘ আমল
৭৮. কোনটি ইসলামের রুকন নয়? (জ্ঞান)
ক সাওম খ সালাত  জিহাদ ঘ যাকাত
৭৯. আল্লাহ তায়ালা বিধিবিধান প্রেরণ করেছেন কেন? (অনুধাবন)
ক রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য খ সমাজ পরিচালনার জন্য
গ হুকুমাত প্রতিষ্ঠার জন্য  মানবজাতির হিদায়াতের জন্য
৮০. মহান আল্লাহ কীরূপে যুগে যুগে আদেশ-নিষেধ প্রেরণ করেছেন? (জ্ঞান)
ক আরকানরূপে খ আইনরূপে
 শরিয়তরূপে ঘ আহকামরূপে
৮১. জনাব সোহেল সাহেব ইসলামি দিকনির্দেশনা মোতাবেক তার ব্যবসায় পরিচালনা করেন। এর ফলে তার ব্যবসায় কীরূপ হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক প্রতিযোগিতাময়  সমৃদ্ধশালী
গ বাজারমূল্য অনুযায়ী ঘ উন্নতি লাভ
৮২. শরিয়তের সর্বশেষ ও পূর্ণাঙ্গরূপ কী? (জ্ঞান)
ক আকাইদ খ ইমান
 ইসলাম ঘ আখলাক
৮৩. ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হবার কারণ কী? (অনুধাবন)
ক কেবল সঠিক ধর্মাচারের বর্ণনা রয়েছে
খ এখানে আছে অমুসলিমদের দমননীতি
গ এটি সর্বশেষ ধর্ম বলে
 এতে রয়েছে জীবনের সকল দিকের আলোচনা
৮৪. ইসলামের বিধায়ক কে? (জ্ঞান)
 আল্লাহ তায়ালা খ রাসুল (স)
গ সকল মানুষ ঘ নবি-রাসুলগণ
৮৫. আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত ধর্ম বা জীবনব্যবস্থা কোনটি? (জ্ঞান)
ক ইমান খ দীন  ইসলাম ঘ ইনসাফ
৮৬. ইসলাম কী? (জ্ঞান)
 জীবনবিধান খ চলার পথ গ সঠিক পথ ঘ সহজ পথ
৮৭. জনাব ইরমান একজন নওমুসলিম। এজন্য তিনি মহান আল্লাহর কী লাভ করবেন? (প্রয়োগ)
 বিশেষ নিয়ামত খ অশেষ করুণা
গ সীমাহীন রহমত ঘ বিশেষ বরকত
৮৮. জনাব বারেক সাহেব ইসলামধর্ম গ্রহণ করেছেন। এর ফলে তিনি কীসে প্রবেশ করেছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক অসম্পূর্ণ জীবনবিধানে খ অপরিশীলিত জীবনবিধানে
 পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধানে ঘ মার্কসীয় জীবনবিধানে
৮৯. কোন ধর্মে সব সমস্যার সমাধান আছে? (জ্ঞান)
ক দীন  ইসলাম গ ইমান ঘ আকাইদ
৯০. টমাস একজন হতাশাগ্রস্ত মানুষ। স¤প্রতি তিনি ইসলামধর্মে প্রবেশ করেছেন। এর ফলে তিনি খুঁজে পাবেন- (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সকল রোগের ওষুধ খ সকল হারানো সম্মান
 সকল সমস্যার সমাধান ঘ সকল সুযোগ-সুবিধা
৯১. “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণ করলাম।” আয়াতটি থেকে কী প্রমাণিত হয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
 ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা খ মহানবি (স) সর্বশ্রেষ্ঠ নবি
গ দীন আল্লাহর মনোনীত ঘ ইসলামে সংযোজন-বিয়োজন বাতিল
৯২. ইসলাম ধর্মে কী রয়েছে? (জ্ঞান)
 পূর্ণাঙ্গতা খ আংশিকতা গ সংকীর্ণতা ঘ অস্পষ্টতা
৯৩. আকাইদের বিষয়গুলোর ওপর বিশ্বাসের মাধ্যমে মানুষ কী করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ইসলামের শিক্ষা লাভ করে খ ইসলামে প্রবেশ করে
গ ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত করে  দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করে
৯৪. জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিমালা কীসে রয়েছে? (জ্ঞান)
ক আকিদায়  ইসলামে গ ইমানে ঘ সহিফায়
৯৫. সিলমুন শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক অশান্তি  শান্তি গ অন্যায় ঘ রহমত
৯৬. ইসলাম কীসের পথে পরিচালিত করে? (অনুধাবন)
ক পরিবর্তনের পথে  শান্তির পথে
গ অগ্রগতির পথে ঘ পরকালের পথে
৯৭. জনাব নাদিম ইসলামের বিধিবিধানগুলো যথাযথভাবে মেনে চলেন। এর ফলে তিনি কী লাভ করবেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ধনসম্পদ খ সম্মান  শান্তি ঘ দীর্ঘায়ু
৯৮. জনাব সফিক ইসলামের বিধিবিধানগুলো যথাযথভাবে পালন করে নিজেকে একজন খাঁটি মুসলিমরূপে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এর ফলে তিনি লাভ করবেন- (উচ্চতর দক্ষতা)
 শান্তি খ সম্মান গ সম্পদ ঘ দীর্ঘায়ু
৯৯. ইসলাম ধর্ম (জ্ঞান)
˜ সর্বজনীন খ শৌখিন গ বিলাসিতার ঘ আধুনিক
১০০. অধিকাংশ ধর্মের নামকরণ করা হয় কী অনুসারে? (অনুধাবন)
ক আচার-আচরণ অনুযায়ী
খ ধর্মীয় নেতাদের নামানুসারে
 প্রবর্তক, প্রচারক ও অনুসারী কিংবা জাতির নামানুসারে
ঘ বিশেষ ব্যক্তির নামানুসারে
১০১. ইসলাম ধর্মের অন্যতম বৈশষ্ট্য কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সমীবদ্ধতা খ কেন্দ্রীয় প্রবণতা
গ আঞ্চলিকতা  সর্বজনীনতা
১০২. ইসলাম ধর্মকে কারো নামে নামকরণ করা হয়নি কেন? (অনুধাবন)
ক শান্তির ধর্ম হওয়ায় খ সর্বশেষ ধর্ম হওয়ায়
 সর্বজনীন ধর্ম হওয়ায় ঘ সহনশীলতার ধর্ম হওয়ায়
১০৩. জিহাদ ইসলাম অনুযায়ী তার জীবন পরিচালনা করতে চায়। এক্ষেত্রে প্রথমে তার কী করতে হবে? (প্রয়োগ)
 ইসলামি জ্ঞান অর্জন করতে হবে
খ পার্থিব লোভলালসা বর্জন করতে হবে
গ কোনো বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে
ঘ শিক্ষকের সেবা করতে হবে
১০৪. মান্নান আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে শান্তির পথে জীবন পরিচালনা করতে চায়। এজন্য তাকে কীসের জ্ঞান অর্জন করতে হবে? (প্রয়োগ)
ক ইমানের  ইসলামের গ আমলের ঘ ইহসানের
১০৫. জনাব জামিম অনেক দিন থেকে ইসলাম শিক্ষা অধ্যয়ন করছেন। এর ফলে তিনি শিখতে পারবেন মহান আল্লাহর- (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কর্তৃত্ব খ ক্ষমতা
গ সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি  ইবাদত
১০৬. জনাব ইমরান একজন উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনকারী। এ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে জীবন পরিচালনার জন্য তার প্রয়োজন- (প্রয়োগ)
 ইসলামি শিক্ষা গ্রহণ খ ইলম গ্রহণ
গ সিদক গ্রহণ ঘ আদল গ্রহণ
১০৭. জামান ইসলাম তথা শরিয়তের পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান অর্জন করেছে। এজন্য তার চারিত্রিকতায় সততা, ন্যায়পরায়ণতা, দয়া, ক্ষমা প্রভৃতি গুণাবলি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সে কী লাভ করবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সমাজে প্রশংসা অর্জন করবে
খ পার্থিব উন্নতি লাভ করবে
 দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা লাভ করবে
ঘ আখিরাতে সফল হবে
১০৮. জনাব ফয়সালের ইসলাম সম্পর্কে জানার গভীর আগ্রহ। তাই তিনি ইসলাম শিক্ষা অধ্যয়ন করেন এবং মেনে চলেন। এর ফলে তিনি লাভ করবেন- (উচ্চতর দক্ষতা)
ক দীর্ঘায়ু খ সম্মান গ সম্পদ  জান্নাত
১০৯. দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি ও সফলতার দিকনির্দেশনা দেয় কোনটি? (অনুধাবন)
ক পৌরনীতি শিক্ষা খ আখিরাত ভাবনা
গ রিসালাত  ইসলাম
১১০. কীভাবে আমরা দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি ও সফলতা লাভের দিকনির্দেশনা অর্জন করতে পারি? (অনুধাবন)
ক সালাত আদায়ের মাধ্যমে খ আল্লাহর যিকিরের মাধ্যমে
 ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে ঘ হজব্রত পালনের মাধ্যমে
১১১. জনাব মিজান সাহেব শান্তি ও সমৃদ্ধিময় জীবন পরিচালনা করতে চান। এর ফলে তাকে কী ধরনের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে? (প্রয়োগ)
ক সাম্যবাদের শিক্ষা  ইসলামি শিক্ষা
গ পুঁজিবাদী শিক্ষা ঘ আধুনিক শিক্ষা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১২. জনি মুসলিম হতে চায়। তাকে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে- (প্রয়োগ)
র. আল্লাহ তায়ালার প্রতি
রর. নবি-রাসুলের প্রতি
ররর. পরকালের প্রতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১১৩. ইসলাম যুগোপযোগী হওয়ার কারণ- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. একত্ববাদের আনুগত্য তৈরি করা
রর. সুবিচার ভিত্তিক সামগ্রিক জীবনাচার কাঠামো তৈরি
ররর. ইসলাম গতিশীল সমাজ গঠন ও সংরক্ষণ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১১৪. ইসলামি জীবন ব্যবস্থার দিক হচ্ছে- (অনুধাবন)
র. বিশ্বাসগত রর. আচরণগত
ররর. প্রযুক্তিগত
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৫. ইসলাম অর্থ (অনুধাবন)
র. ইবাদত করা রর. আনুগত্য করা
ররর. আত্মসমর্পণ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৬. ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে আমরাÑ (অনুধাবন)
র. আল্লাহর ইবাদত শিখতে পারি রর. আল্লাহর আনুগত্য শিখতে পারি
ররর. উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে পারি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১১৭. ইসলামকে শান্তির ধর্ম বলা হয়। কারণÑ (অনুধাবন)
র. ইসলাম শান্তির পথে পরিচালনা করে
রর. ইসলাম মানলে ধনী হওয়া যায়
ররর. ইসলাম মানলে উভয় জীবন শান্তিময় হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৮. আশিক ইসলামের মূল বিষয়গুলোতে পূর্ণ বিশ্বাস রাখে এবং ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনা করে। এজন্য তাকে বলা হবে- (প্রয়োগ)
র. মুমিন রর. মুসলিম
ররর. মুফতি
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৯. জনাব আনোয়ার ইসলামি বিধিবিধান মেনে চলেন। এর ফলে তিনি লাভ করবেনÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দুনিয়াতে শান্তি রর. প্রচুর ধনসম্পদ
ররর. আখিরাতে শান্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১২০ ও ১২১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জনাব মামুন ছোট বেলা থেকে বিদেশে পড়ালেখা করেছেন। তার পরিবারের সদস্যরাও পাশ্চাত্য ধারায় চলতে অভ্যস্ত। স¤প্রতি তিনি ও তার পরিবার ডা. জাকির নায়েকের কিছু বক্তৃতা শুনে ইসলাম সম্পর্কে জানতে বিশেষ আগ্রহী হলেন।
১২০. এমতাবস্থায় জনাব মামুনের করণীয় কী হবে? (প্রয়োগ)
ক ইমান শিক্ষার খ আকাইদ শিক্ষার
 ইসলাম শিক্ষার ঘ বিজ্ঞান শিক্ষার
১২১. এর ফলে জনাব মামুন শিখতে পারবেন মহান আল্লাহর- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ইবাদত
রর. আনুগত্য
ররর. পরিচয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১২২ ও ১২৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জনাব রিফাত অসৎ সঙ্গীদের পাল্লায় পড়ে চরম অনাচার ও পাপাচারে লিপ্ত হয়ে পড়েছেন। সমাজের কেউ তাকে পছন্দ করে না। আবিদ সাহেব বললেন, তুমি পুরোপুরি ইসলামকে অনুসরণ কর।
১২২. ইসলামকে অনুসরণ করতে হলে জনাব রিফাতকে কীসের শিক্ষা অর্জন করতে হবে? (প্রয়োগ)
ক নৈতিক শিক্ষা খ শিষ্টাচার শিক্ষা
 ইসলাম শিক্ষা ঘ উদারতা শিক্ষা
১২৩. এর মাধ্যমে জনাব রিফাত বর্জন করতে পারবেন- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. লোভ-হিংসা ও মিথ্যাচার
রর. অহংকার ও পরনিন্দা
ররর. সাম্য, মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্ব
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১২৪ ও ১২৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জনাব সুলায়মান আল্লাহ তায়ালার প্রতি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস স্থাপন করে তাঁর নিকট পরিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি ইসলামের বিধিবিধান মেনে চলেন।
১২৪. জনাব সুলায়মানকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক মুত্তাকি খ মুহসিন গ মুজাহিদ  মুসলিম
১২৫. এরূপ বিশ্বাস ও কর্মের ফলে তিনি লাভ করবেনÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দুনিয়াতে শান্তি
রর. আখিরাতে শান্তি
ররর. প্রচুর ধনসম্পদ
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 পাঠ-২ : ইমান  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৪
 শরিয়তের বিধিবিধান অন্তরে বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতি এবং তদনুযায়ী আমল করাকে বলে ইমান।
 ইমানের মৌলিক বিষয়গুলোর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারীকে বলে মুমিন।
 ইমান ও ইসলাম দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা।
 অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান ইমান ও ইসলামের মধ্যে।
 যে দুটি বিষয়ের একটিকে ছাড়া অন্যটি কল্পনা করা যায় না তা হলো ইমান ও ইসলাম।
 ইমান যদি গাছের শিকড় হয় তাহলে শাখা-প্রশাখা হলো ইসলাম।
 ইমানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস।
 আল্লাহর মনোনীত বান্দা ছিলেন নবি-রাসুলগণ।
 আখিরাতের জীবন চিরস্থায়ী।
 মানুষের তাকদিরের নিয়ন্ত্রক আল্লাহতায়ালা।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২৬. কয়টি কাজের সমষ্টির নাম ইমান? (অনুধাবন)
ক দুই  তিন গ চার ঘ পাঁচ
১২৭. আল্লাহ, ফেরেশতা, রাসুল, আখিরাত ইত্যাদি বিষয়ে বিশ্বাস করাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ইসলাম খ তাকওয়া  ইমান ঘ ইহসান
১২৮. কোনটি ইসলাম ধর্মের প্রথম স্তম্ভ? (জ্ঞান)
ক যাকাত খ সাওম  ইমান ঘ সালাত
১২৯. ইসলামের মৌলিক বিষয়াবলি কোথায় বিস্তৃতভাবে বর্ণিত হয়েছে? (অনুধাবন)
ক ইসলামের ইতিহাসে খ কুরআন ও কিয়াসে
গ বিদায় হজের ভাষণে  কুরআন ও হাদিসে
১৩০. নাজিম সাহেব আল্লাহ, রাসুল, ফেরেশতা ইত্যাদি বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করেছেন। এজন্য তাকে কী বলা হবে? (প্রয়োগ)
 মুমিন খ মুসলিম গ মুত্তাকি ঘ মুহসিন
১৩১. ইমানের সাথে কার ঘনিষ্ঠ ও অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান? (জ্ঞান)
ক মুমিনের খ ইমামের গ আলিমের  ইসলামের
১৩২. ইমান ও ইসলামের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কেন? (অনুধাবন)
 এদের একটি ব্যতীত অন্যটি কল্পনা করা যায় না
খ ইমান অন্তরের বিষয় হওয়ায়
গ ইসলাম বাহ্যিক নিদর্শন হওয়ায়
ঘ ইমান গ্রহণ করতে হয় বলে
১৩৩. ইমান মানুষের মধ্যে কেমন প্রভাব সৃষ্টি করে? (অনুধাবন)
ক মানুষকে আত্মনির্ভরশীল করে তোলে
খ মানুষকে মানব কল্যাণে উৎসাহিত করে
গ মানুষকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে
 মানুষকে আল্লাহ ও রাসুল (স)-এর প্রতি বিশ্বাসী করে
১৩৪. ইমানের বহিঃপ্রকাশ কোনটি? (জ্ঞান)
ক ইহসান খ ইনসাফ গ সালাত  ইসলাম
১৩৫. সালাত, যাকাত, হজ ইত্যাদি হচ্ছে ইসলামের- (অনুধাবন)
ক আত্মিক দিক  বাহ্যিক দিক
গ আংশিক দিক ঘ আভ্যন্তরিন দিক
১৩৬. সালাত, যাকাত, হজ ইত্যাদি বিষয় পালন করাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ইমান  ইসলাম গ ইহসান ঘ তাকওয়া
১৩৭. জনাব আরমান ইমানের মৌলিক বিষয়গুলোর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছেন, কিন্তু সালাত, যাকাত, হজ ইত্যাদি বাহ্যিক বিষয়গুলো পালন থেকে বিরত থাকেন। মূলত তিনি কী বর্জন করেছেন? (প্রয়োগ)
ক তাকওয়া  ইসলাম গ আকিদা ঘ ইহসান
১৩৮. ইমান ও ইসলামের নিয়মনীতি স্বীয় জীবনে বাস্তবায়ন করে কোথায় সফল হওয়া যাবে? (অনুধাবন)
ক ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবনে  দুনিয়া ও আখিরাতের জীবনে
গ সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ঘ ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক জীবনে
১৩৯. শফির দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা লাভ করতে চায়। এজন্য তাকে পরিপূর্ণভাবে স্বীয় জীবনে কোনটি বাস্তবায়ন করতে হবে? (প্রয়োগ)
ক আকাইদ ও আখলাক  ইমান ও ইসলাম
গ ইমান ও আখলাক ঘ ইমান ও আদল
১৪০. কোন দুইটি বিষয়ের সমন্বয়ে আমাদের জীবনকে সার্বিকভাবে গড়ে তুলতে হয়? (প্রয়োগ)
ক ইমান ও আমানত  ইমান ও ইসলাম
গ ইমান ও তাকাওয়া ঘ ইমান ও আহদ
১৪১. জনাব জাহিন ইহকাল ও পরকালে সফলতা লাভ করতে চান। এজন্য তাকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে- (প্রয়োগ)
ক ইমান ও তাকওয়া খ ইসলাম ও আদল
গ ইমান ও আখলাক  ইমান ও ইসলাম
১৪২. ইমানের মৌলিক বিষয় কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৫ খ ৬  ৭ ঘ ৮
১৪৩. ইমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় কোনটি? (জ্ঞান)
ক মুহাম্মদ (স)-এর প্রতি বিশ্বাস  আল্লাহ তায়ালার প্রতি বিশ্বাস
গ আল-কুরআনের প্রতি বিশ্বাস ঘ আখিরাতে বিশ্বাস
১৪৪. ফেরেশতাগণ কীসের তৈরি? (জ্ঞান)
ক আগুনের খ মাটির  নুরের ঘ বাতাসের
১৪৫. ফেরেশতাদের প্রতি আমাদের ইমান আনতে হবে কেন? (অনুধাবন)
 এটি ইমানের অঙ্গ বলে
খ ফেরেশতাগণ অত্যন্ত সম্মানিত বলে
গ ফেরেশতারা নুরের তৈরি বলে
ঘ তাঁরা সর্বদা আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকেন বলে
১৪৬. জনাব হাকিম আল্লাহর কিতাবে বিশ্বাস করেছেন অতঃপর পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি কী জানতে পারবেন? (প্রয়োগ)
 সকল বিধিবিধান খ সকল রাষ্ট্রের ইতিহাস
গ হাশরের নির্দিষ্ট সময় ঘ কিয়ামতের নির্দিষ্ট সময়
১৪৭. আসমানি কিতাব কতখানা? (জ্ঞান)
ক ১০০  ১০৪ গ ১০৫ ঘ ১১০
১৪৮. আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন কেন? (অনুধাবন)
ক আল্লাহ তায়ালার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য
 মানবজাতির হিদায়াতের জন্য
গ আল্লাহর ইবাদত করার জন্য
ঘ আল্লাহর মহিমা প্রকাশের জন্য
১৪৯. আওয়াম সাহেব ইমান ও ইসলাম উভয়টিকেই পরিপূর্ণভাবে স্বীয় জীবনে বাস্তবায়ন করেন এবং সৎকাজ করে থাকেন। এর ফলে তিনি কী লাভ করবেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জাহান্নাম  জান্নাত গ ধনসম্পদ ঘ খ্যাতি
১৫০. জুয়েলের ধারণা দুনিয়ার জীবনই শেষ, আখিরাত বলে কিছু নেই। আর এজন্য সে বিভিন্ন অসৎকাজে লিপ্ত থাকে। তার স্থান কোথায় হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জান্নাতে  জাহান্নামে গ কবরে ঘ আরাফে
১৫১. কোনটি ইসলামের ব্যবহারিক দিকের উদাহরণ নয়? (অনুধাবন)
ক ওয়াদা পালন খ ন্যাবিচার
গ সালাত আদায়  তাকদিরে বিশ্বাস
১৫২. মানুষ তার ভাগ্য ফেরানোর জন্য চেষ্টা করবে এবং ফলাফলের জন্য কী করবে? (অনুধাবন)
ক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে  আল্লাহর ওপর নির্ভর করবে
গ নিজের ওপর আস্থা রাখবে ঘ আল্লাহর নিকট দোয়া করবে
১৫৩. জহির কোনো কাজ করে সফল না হলেও হতাশ হয় না আবার সফল হলে খুশিতে আত্মহারা না হয়ে শুকরিয়া আদায় করে। তার ক্ষেত্রে শরিয়তের রায় কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সে একজন ওলিয়ে কামেল
 সে একজন পূর্ণাঙ্গ মুমিন
গ সে একজন তকদিরে বিশ্বাসী ব্যক্তি
ঘ তার ব্যাপারে আল্লাহই ভালো জানেন
১৫৪. মানুষ যদি চেষ্টা করে ভাগ্য ফেরাতে পারে তাহলে তার কী করা উচিত?
(অনুধাবন)
ক চেষ্টা অব্যাহত রাখা খ আনন্দে আত্মহারা হওয়া
গ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠা  আল্লাহর শোকর করা
১৫৫. মানবজীবন কয়ভাগে বিভক্ত? (জ্ঞান)
 দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
১৫৬. মৃত্যুর পর আমাদেরকে জীবিত করবেন কে? (জ্ঞান)
ক নবি-রাসুল খ ফেরেশতা  আল্লাহ ঘ জিবরাইল
১৫৭. জনাব ফুয়াদ আখিরাতে বিশ্বাস করেন না। এজন্য তিনি কোনো সৎকর্মও করেন না। তার স্থান কোথায় হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কবরে খ হাশরে  জাহান্নামে ঘ জান্নাতে
১৫৮. কুরআন, হাদিস দিয়ে প্রমাণ দেওয়ার পরও আকমল মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে বিশ্বাস করে না। এক্ষেত্রে তাকে কী বলা যাবে? (প্রয়োগ)
 কাফির খ মুশরিক গ মুনাফিক ঘ মুজাবজাবিন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫৯. জনাব আফিফ তাকদিরে বিশ্বাস করেন না। তার এরূপ অবিশ্বাস ইসলামে বিবেচিত হবে- (প্রয়োগ)
র. কুফররূপে রর. অবিশ্বাসরূপে
ররর. অংশীদাররূপে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬০. ইমান হলো- (অনুধাবন)
র. ইসলামের মূল বিষয়ে আন্তরিক বিশ্বাস
রর. ইসলামের মূল বিষয়ে মৌখিক স্বীকৃতি দেয়া
ররর. ইসলামের মূল বিষয়ে বিশ্বাস ও স্বীকৃতি অনুযায়ী আমল করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৬১. ইমান অর্থÑ (অনুধাবন)
র. বিশ্বাস করা
রর. আনুগত্য করা
ররর. স্বীকৃতি দেওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬২. ইসলামি পরিভাষায় ইমান হলোÑ (অনুধাবন)
র. শরিয়তের বিধিবিধান অন্তরে বিশ্বাস করা
রর. মুখে স্বীকার করা এবং তদনুযায়ী আমল করা
ররর. আল্লাহ ও রাসুলের (স) আনুগত্য করা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৩. ইমান মানুষের অন্তরে সৃষ্টি করেÑ (অনুধাবন)
র. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও অনুরাগ
রর. পারস্পরিক স¤প্রীতি ও ভালোবাসা
ররর. আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের বাসনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৬৪. আতাহার সাহেব ইমানের মৌলিক বিষয়গুলোতে পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখেন এবং ইসলামের বিধিবিধান পালন করেন। এর ফলে তিনি লাভ করবেনÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আল্লাহর সন্তুষ্টি
রর. প্রচুর ধনসম্পদ
ররর. পরকালীন মুক্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৫. পূর্ণ মুমিন হওয়ার জন্য প্রয়োজন ইসলামের মূল বিষয়ের প্রতি- (অনুধাবন)
র. অন্তরে বিশ্বাস রর. মৌখিক স্বীকৃতি
ররর. তদনুযায়ী আমল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৬৬ ও ১৬৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জুমআর খুতবায় মাওলানা জামাল হোসাইন বললেন, শরিয়তের যাবতীয় বিধিবিধান অন্তরে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকার করা এবং তদনুযায়ী আমল করা আমাদের সকলের কর্তব্য।
১৬৬. মাওলানা জামাল হোসাইনের খুতবায় কোন বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক ইহসান  ইমান গ ইসলাম ঘ দীন
১৬৭. মাওলানা জামাল হোসাইনের আলোচনা অনুযায়ী সবার উচিতÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পরিপূর্ণভাবে ইমান আনা
রর. দুনিয়ায় ধনসম্পদ লাভ করা
ররর. আমল করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 পাঠ-৩ : মানবিক মূল্যবোধ বিকাশে ইমানের গুরুত্ব  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৬
 যেসব বিষয় মানুষের বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি হওয়ার যোগ্য তাই মানবিক মূল্যবোধ।
 আশরাফুল মাখলুকাত হলো মানুষ।
 মানবিক মূল্যবোধ বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে ইমান।
 মানুষকে সত্য ও সুন্দরের পথে পরিচালনা করে ইমান।
 সর্বদা মানবিকতা ও নৈতিকতার ধারক হয়- মুমিন ব্যক্তি।
 অন্যায়, অত্যাচার ও অনৈতিক কার্যকলাপ ইমানের বিপরীত।
 কুফর, নিফাক, শিরক ইত্যাদি ইমানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
 মানুষকে দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহির ব্যাপারে সতর্ক করে ইমান।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬৮. মানবিক মূল্যবোধ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
 মানুষের বৈশিষ্ট্য খ মানুষের আচার
গ মানুষের ব্যবসা ঘ মানুষের জীবনযাপন
১৬৯. যেসব কর্মকাণ্ড, চিন্তা-চেতনা মানুষ ও মানব সভ্যতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তাকে কী বলা হয়? (অনুধাবন)
ক রাজনৈতিক মূল্যবোধ  মানবিক মূল্যবোধ
গ সামাজিক মূল্যবোধ ঘ অর্থনৈতিক মূল্যবোধ
১৭০. আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব কারা? (জ্ঞান)
 মানুষ খ ফেরেশতা গ জিন ঘ নবি-রাসুল
১৭১. মানবিক মূল্যবোধ রক্ষা করা যায় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক মানুষের সাথে ভালো আচরণের মাধ্যমে
 উত্তম গুণাবলি ও আদর্শ অনুশীলনের মাধ্যমে
গ পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে
ঘ সামাজিক রীতিনীতি অনুসরণের মাধ্যমে
১৭২. জাফরান পৃথিবীর অন্য কোনো সৃষ্টির সামনে মাথা নত ও আত্মসমর্পণ করে না। এর প্রকৃত কারণ কী? (প্রয়োগ)
ক সে ক্ষমতাশালী হওয়ায় কাউকে ভয় পায় না বলে
খ তাকে সরকারিভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হয় বলে
 সে কালিমায় বিশ্বাসী একজন মুমিন ব্যক্তি হওয়ায়
ঘ এটা তার ব্যক্তিগত স্বভাব হওয়ায়
১৭৩. কালিমায়ে তায়্যিবায় বিশ্বাসী মানুষ যেকোনো সৃষ্টির সামনে- (অনুধাবন)
 মস্তক উন্নত রাখে খ ইমান প্রকাশ করে
গ সভ্যতা বজায় রাখে ঘ শালীনতা বজায় রাখে
১৭৪. জনাব হান্নান একজন তাওহিদপন্থি মানুষ। তিনি কোনো সৃষ্টির সামনে মাথা নত করেন না। এর ফলাফল কী হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক তার ধনসম্পদ বৃদ্ধি পাবে  তার মর্যাদা সমুন্নত হবে
গ তার অবস্থান দৃঢ় হবে ঘ তার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে
১৭৫. কুফর, নিফাক, শিরক ইত্যাদি কীসের পরিপন্থী? (জ্ঞান)
ক তাকদিরের খ আখিরাতের
 ইমানের ঘ ইহসানের
১৭৬. আফিজ সর্বদা মিথ্যা কথা বলে, সুদ-ঘুষকে বৈধ মনে করে। তার এরূপ কর্মকাণ্ড কীসের পরিপন্থী? (প্রয়োগ)
ক নিফাকের খ কুফরের
গ শিরকের  ইমানের
১৭৭. মানুষকে নৈতিক মূল্যবোধে কী উদ্বুদ্ধ করে? (জ্ঞান)
ক ইসলাম  ইমান গ দীন ঘ তাওহিদ
১৭৮. মুমিন ব্যক্তির সব ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
 তার মনে জবাবদিহির ভয় থাকে
খ সে মৃত্যুকে চরমভাবে ভয় করে
গ তার সম্মান ও মর্যাদাহানির ভয় থাকে
ঘ তার সামাজিক নেতৃত্ব হারানোর ভয় থাকে
১৭৯. মুমিন ব্যক্তি সব ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকে কেন?
(অনুধাবন)
ক সমাজের লোকের নিকট জবাবদিহিতার ভয়ে
 আল্লাহর নিকট জবাবদিহিতার ভয়ে
গ মানসম্মান ও মর্যাদাহানির ভয়ে
ঘ রাষ্ট্রের আইন ও শাস্তির ভয়ে
১৮০. ইসলামের মৌলিক বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপনকারীকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক মুসলিম খ মুসল্লি
 মুমিন ঘ মুহসিন
১৮১. কোন ব্যক্তি সর্বদাই মানবিকতা ও নৈতিকতার ধারক হয়? (অনুধাবন)
ক মুত্তাকি ব্যক্তি খ সুফি ব্যক্তি
গ মুসলিম ব্যক্তি  মুমিন ব্যক্তি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৮২. জনাব ইয়াসিন সাহেব নিয়মিত নামায পড়েন, রোযা রাখেন এবং যাকাত আদায় করেন। এর দ্বারা তিনি পালন করেছেন- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ইসলামের আচরণগত দিক
রর. ইসলামের প্রায়োগিক দিক
ররর. ইসলামের বিশ্বাসগত দিক
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮৩. জনাব হারুন একজন পরিপূর্ণ মুমিন। তার এ ইমান তাকে সতর্ক করবে- (প্রয়োগ)
র. দায়িত্বশীলতার ব্যাপারে
রর. জবাবদিহির বিষয়ে
ররর. সহমর্মিতার ব্যাপারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৮৪. জনাব ইউসুফ ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোতে বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে মুমিন হয়ে উঠেছেন। এর ফলে তিনি- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. উত্তম আদর্শ অনুশীলন করবেন রর. আল্লাহর নির্দেশের অনুসারী হবেন
ররর. অনৈতিকতা থেকে বিরত থাকবেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৮৫. ইসলামি জীবন দর্শনের অপরিহার্য বিষয় হলো- (অনুধাবন)
র. আখিরাত রর. নবুয়ত
ররর. রিসালাত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৮৬. ইমান মানুষকে পরিচালনা করেÑ (অনুধাবন)
র. সত্য পথে রর. গণতন্ত্রের পথে
ররর. সুন্দরের পথে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮৭. উসমান একজন মুমিন ব্যক্তি। তাই ইমান তাকে সতর্ক করেÑ (প্রয়োগ)
র. দায়িত্বশীলতার ব্যাপারে রর. রাস্তা পারাপারের ব্যাপারে
ররর. জবাবদিহির ব্যাপারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৮৮ ও ১৮৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জনাব আমিন অহংকারী। সকল ক্ষেত্রে তিনি নিজের মতামত চাপিয়ে দিতে চান। ফলে সর্বত্র অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তার বড় ভাই বললেন, তুমি ইসলামকে পুরোপুরি অনুসরণ কর।
১৮৮. ইসলাম অনুসরণের কারণে জনাব আমিনের জীবন পরিচালিত হবে- (প্রয়োগ)
ক হাসি ও আনন্দে খ সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যে
 সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ঘ সচ্ছলভাবে
১৮৯. এর ফলে জনাব আমিন প্রশান্তি লাভ করবেন- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে
রর. সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে
ররর. অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৯০ ও ১৯১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রতন আল্লাহ তায়ালাকে অস্বীকার করে। সে মিথ্যা, প্রতারণা ও নানাবিধ অনৈতিক কাজে জড়িত। কোনো সমস্যায় পড়লে সে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে না।
১৯০. রতনের কর্মকাণ্ড কীসের পরিপন্থী? (প্রয়োগ)
ক কুফর খ নিফাক  ইমান ঘ ইহসান
১৯১. এরূপ কর্মকাণ্ডের ফলে রতনেরÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মানবিক মূল্যবোধ বিনষ্ট হবে রর. পরকালে রয়েছে জাহান্নাম
ররর. মর্যাদা সমুন্নত হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 পাঠ-৪ : তাওহিদ  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৮
 আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকার করে নেওয়াকে বলে তাওহিদ।
 তাওহিদের মূল কথা হলো আল্লাহ এক।
 কোনো ব্যক্তি ইমান ও ইসলামে প্রবেশ করতে পারে না তাওহিদ ব্যতীত।
 ইসলামের যাবতীয় শিক্ষা ও আদর্শ প্রতিষ্ঠিত তাওহিদের ওপর।
 সকল নবি-রাসুল দাওয়াত দিয়েছেন তাওহিদের।
 মানুষকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ করে দেয় তাওহিদ।
 মানুষকে আত্মসচেতন ও আত্মমর্যাদাবান করে তাওহিদে বিশ্বাস।
 মানবসমাজে এক্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে তাওহিদ।
 তাওহিদে বিশ্বাস ব্যতীত কেউ প্রবেশ করতে পারবে না জান্নাতে।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৯২. শরিয়তের পরিভাষায় তাওহিদ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক আল্লাহ ও রাসুল (স)-এর প্রতি বিশ্বাস করা
 আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকার করা
গ আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করা
ঘ ইসলামের বিধান মোতাবেক জীবন পরিচালনা করা
১৯৩. প্রশংসা ও ইবাদতের একমাত্র মালিক কে? (জ্ঞান)
ক মহানবি (স) খ জিবরাইল (আ)
 আল্লাহ তায়ালা ঘ ওলিগণ
১৯৪. ‘লাইছা কামিসলিহি শাইয়্যুন’-এর অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক তাওহিদ ইসলামের মূল খ ইসলাম আল্লাহর মনোনীত দীন
গ আখিরাতের জীবন আসল জীবন  কোনো কিছুই তার সদৃশ নয়
১৯৫. শরাফত স্যার ক্লাসে বলেন যে, এটিই ইমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয়। কোনটি? (প্রয়োগ)
ক রিসালাত খ তাকওয়া গ বারযাখ  তাওহিদ
১৯৬. ইমানের সর্বপ্রধান বিষয় কী? (জ্ঞান)
ক ইসলামে বিশ্বাস খ আখিরাতে বিশ্বাস
 তাওহিদে বিশ্বাস ঘ রিসালাতে বিশ্বাস
১৯৭. ইসলামের সকল শিক্ষা কীসের ওপর প্রতিষ্ঠিত? (জ্ঞান)
ক ইমানের  তাওহিদের গ রিসালাতের ঘ আখিরাতের
১৯৮. নবি-রাসুলগণের দীনের মৌলিক কাঠামো কী ছিল? (অনুধান)
ক রিসালাতের বার্তা খ আখিরাতের জীবন
 তাওহিদের প্রচার ঘ কবরের আযাব
১৯৯. নবি-রাসুলগণ আজীবন সংগ্রাম করেছিলেন কেন? (অনুধাবন)
ক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার জন্য
 তাওহিদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠা করার জন্য
গ দুনিয়ায় সুখ-শান্তি উপভোগ করার জন্য
ঘ সালাত প্রতিষ্ঠা করার জন্য
২০০. তাওহিদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠার জন্য নবি-রাসুলগণ আজীবন কী করেছেন? (জ্ঞান)
ক গৃহ ত্যাগ করেছেন খ শিক্ষা দিয়েছেন
 সংগ্রাম করেছেন ঘ দেশে দেশে ঘুরেছেন

 

Share to help others:

Leave a Reply