You are currently viewing চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৭ প্রাকৃতিক সম্পদ

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৭ প্রাকৃতিক সম্পদ

৪র্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৭ প্রাকৃতিক সম্পদ

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১. শূন্যস্থান পূরণ কর ।
১) প্রকৃতির যা কিছু মানুষের কাজে লাগে তাই —।
২) সোনা, রুপা ইত্যাদি — সম্পদ।
৩) তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি — জ্বালানি।
৪) পুরোনো বস্তুকে — করে নতুন বস্তুতে পরিণত করা হয়।
৫) বায়ুপ্রবাহ ও পানির স্রোত — উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
উত্তর : ১) প্রাকৃতিক সম্পদ, ২) খনিজ, ৩) জীবাশ্ম,
৪) রিসাইকেল, ৫) বিদ্যুৎ।

২. সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (√) দাও।
১) নিচের কোন প্রাকৃতিক সম্পদটি নবায়নযোগ্য?
ক. তেল √ খ. সূর্যের আলো
গ. প্রাকৃতিক গ্যাস ঘ. কয়লা
২) নিচের কোনটি সূর্যের আলোকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে?
ক. জেনারেটর খ. উইন্ডমিল
√গ. সৌর প্যানেল ঘ. গ্যাসের চুলা
৩) শক্তির সর্বাধিক ব্যবহৃত উৎস কোনটি?
ক. বায়ু প্রবাহ √খ. পানির স্রোত
গ. সূর্যের আলো ঘ. প্রাকৃতিক গ্যাস

৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
১) চার ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদের নাম বল।
উত্তর : চার ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ হলো-
ক) পানি সম্পদ
খ) বনজ সম্পদ
গ) ভ‚মি সম্পদ
ঘ) খনিজ সম্পদ
২) বাংলাদেশে কোন কোন প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। যেমন- সূর্যের আলো, বায়ু, পানি, মাটি, উদ্ভিদ এবং প্রাণী। এছাড়াও বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা এবং বেশ কিছু খনিজ ও শিলা রয়েছে। যেমন- সিলিকন, জিরকন, চুনাপাথর, কঠিন শিলা ইত্যাদি।

৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন :
১) আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে কীভাবে শক্তি পাই?
উত্তর : আমরা প্রাকৃতিক সম্পদকে শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহার করে শক্তি পাই।
শক্তি হচ্ছে কোনো কিছু করার সামর্থ্য। শক্তি কোনো বস্তুকে নাড়াতে পারে, শব্দ সৃষ্টি করতে পারে এবং আলো ও তাপ উৎপন্ন করতে পারে। শক্তি পাওয়ার জন্য শক্তির উৎস হিসেবে সূর্যের আলো, বায়ুপ্রবাহ, পানির স্রোত, তেল, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। সূর্যের আলো শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। আমরা সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য সৌর প্যানেল ব্যবহার করি। সৌর প্যানেল সূর্যের আলোকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর করে। বায়ুপ্রবাহ একটি সম্ভাবনাময় শক্তির উৎস। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বায়ুপ্রবাহ ব্যবহার করি। বায়ুপ্রবাহ জেনারেটরের সাথে যুক্ত উইন্ডমিলের টারবাইন ঘোরায় এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। পানির স্রোত সর্বাধিক ব্যবহৃত শক্তির উৎস। পানির স্রোত জেনারেটরের সাথে যুক্ত টারবাইন ঘোরায় এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। তেল, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস। এগুলো পোড়ালে তাপ উৎপন্ন হয়, যা খাবার রান্না করতে, যানবাহন চালাতে, বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে এবং শীতপ্রধান দেশে ঘর উষ্ণ রাখতে ব্যবহার করা হয়। আর এভাবে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে শক্তি পাই।

২) প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের দুইটি উপায় বর্ণনা কর।
উত্তর : প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং পরিকল্পিত ব্যবহারই হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ।
প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত। তাই প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে আমাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে। আমরা বিভিন্ন উপায়ে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি। নিচে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের দুটি উপায় বর্ণনা করা হলো-
ক) সম্পদের ব্যবহার কমানো : প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের একটি ভালো উপায় হচ্ছে তা ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া। শক্তির ব্যবহার কমিয়ে বা বর্জ্য উৎপাদন কমিয়ে আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি। যেমন- রান্না শেষে চুলা নিভিয়ে ফেলা, কাজ শেষে বাতির সুইচ অফ রাখা ইত্যাদি।
খ) সম্পদের পুনঃব্যবহার : কোনো জিনিসকে পুনরায় ব্যবহার করে আমরা বর্জ্য কমাতে পারি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি। কোনো জিনিসকে রিসাইকেল করা বা ফেলে দেওয়ার পূর্বে তা বারবার ব্যবহার করা উচিত। কোনো জিনিস ভেঙে গেলে তা ফেলে না দিয়ে বা নতুন ক্রয় না করে মেরামতের চেষ্টা করা উচিত। যেমন- কাগজ ব্যবহারের পর কাগজকে ফেলে না দিয়ে কাগজ দ্বারা ঠোঙা তৈরি করে কাগজ নামক সম্পদের পুনঃব্যবহার সম্ভব।

৩) নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর প্রয়োজন কেন?
উত্তর : অনবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর চাপ কমাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন।
আমরা প্রধানত অনবায়নযোগ্য সম্পদ যেমন- তেল, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি। এ সকল সম্পদ একবার ব্যবহারেই নিঃশেষ হয়ে যায়, হাজার হাজার বছরেও ফিরে পাওয়া যায় না। অন্যদিকে নবায়নযোগ্য সম্পদ হিসেবে আমরা সূর্যের আলো, বায়ুপ্রবাহ এবং পানির স্রোত ব্যবহার করতে পারি। সৌর প্যানেল ব্যবহার করে আমরা সূর্য থেকে বিদ্যুৎশক্তি পাই। বায়ুপ্রবাহ উইন্ডমিলের পাখা ঘোরানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। পানির স্রোত জেনারেটর সাথে যুক্ত টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এসব নবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়ে যায় না, প্রকৃতি থেকে পুনরায় পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায়। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন।

৫. বামপাশের শব্দের সাথে ডানপাশের শব্দের মিল কর।
সোনা
নদী
সূর্যের আলো
প্রাকৃতিক গ্যাস অনবায়নযোগ্য সম্পদ
খনিজ সম্পদ
পানি সম্পদ
নবায়নযোগ্য সম্পদ
উত্তর : সোনা — খনিজ সম্পদ।
নদী — পানি সম্পদ।
সূর্যের আলো — নবায়নযোগ্য সম্পদ।
প্রাকৃতিক গ্যাস — অনবায়নযোগ্য সম্পদ।

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৭ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

⇒ শূন্যস্থান পূরণ কর।
১) পানি একটি — সম্পদ।
২) আমরা খাদ্যের জন্য — ফসল উৎপাদন করি।
৩) চুনাপাথর এবং মার্বেল হলো এক ধরনের —।
৪) সূর্য থেকে আমরা — পাই।
৫) বায়ুপ্রবাহ থেকে — উৎপাদন করা যায়।
৬) প্রাকৃতিক সম্পকে — ভাগ করা যায়।
৭) কোনো কিছু করার সামর্থ্যকে — বলে।
৮) সর্বাধিক ব্যবহৃত শক্তির উৎস হলো —।
৯) তেল, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস হলো — জ্বালানি।
১০) আমরা বাড়ির ছাদে বা ক্যালকুলেটরে — দেখে থাকি।
উত্তর : ১) প্রাকৃতিক, ২) মাটিতে, ৩) শিলা, ৪) আলো বা তাপ, ৫) বিদ্যুৎ, ৬) দুই ভাগে, ৭) শক্তি, ৮) পানির স্রোত,
৯) জীবাশ্ম, ১০) সৌর প্যানেল।

⇒ বাম পাশের অংশের সাথে ডান পাশের অংশ মিল কর।
প্রাকৃতিক গ্যাস শিলা
সূর্যের আলো জীবাশ্ম জ্বালানি
প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ বিদ্যুৎ
মার্বেল রিসাইকেল
সৌর প্যানেল নবায়নযোগ্য সম্পদ
উত্তর : প্রাকৃতিক গ্যাস — জীবাশ্ম জ্বালানি।
সূর্যের আলো — নবায়নযোগ্য সম্পদ।
প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ — রিসাইকেল।
মার্বেল — শিলা।
সৌর প্যানেল — বিদ্যুৎ

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৭ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

১. প্রাকৃতিক সম্পদ কী?
উত্তর : প্রকৃতির যা কিছু আমাদের কাজে লাগে তাই প্রাকৃতিক সম্পদ।
২. তিনটি খনিজ সম্পদের নাম লেখ।
উত্তর : তিনটি খনিজ সম্পদ হলো-
১) তেল ২) কয়লা এবং ৩) প্রাকৃতিক গ্যাস।
৩. নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়ে যায় না, প্রকৃতি থেকে পুনরায় পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায় তাকে নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ বলে।
৪. তিনটি নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের নাম লেখ।
উত্তর : তিনটি নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ হলো-
১) সূর্যের আলো ২) বায়ু এবং ৩) পানি।
৫. অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ একবার ব্যবহার করলে নিঃশেষ হয়ে যায় এবং হাজার হাজার বছরেও তা ফিরে পাওয়া যায় না তাকে অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ বলে।
৬. দুইটি অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের নাম লেখ।
উত্তর : দুটি অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের নাম হলো- ১) তেল এবং ২) কয়লা।
৭. শক্তি কী?
উত্তর : শক্তি হচ্ছে কোনো কিছু করার সামর্থ্য। শক্তি কোনো বস্তুকে নাড়াতে পারে, শব্দ সৃষ্টি করতে পারে এবং আলো ও তাপ উৎপন্ন করতে পারে।
৮. শক্তির তিনটি উৎসের নাম লেখ।
উত্তর : শক্তির তিনটি উৎস হলো-
১) সূর্যের আলো ২) বায়ুপ্রবাহ এবং ৩) পানির স্রোত।
৯. তিনটি জীবাশ্ম জ্বালানির নাম লেখ।
উত্তর : তিনটি জীবাশ্ম জ্বালানি হলো-
১) তেল ২) কয়লা এবং ৩) প্রাকৃতিক গ্যাস।
১০. প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের তিনটি উপায়ের নাম লেখ।
উত্তর : প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের তিনটি উপায় হলো-
১) সম্পদের ব্যবহার কমানো ২) সম্পদের পুনঃব্যবহার এবং ৩) সম্পদের রিসাইকেল করা।

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৭ কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

ন্ধ সাধারণ
১. প্রাকৃতিক সম্পদ কেন সংরক্ষণ করা প্রয়োজন?
উত্তর : প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের শক্তি উৎপাদন এবং নতুন কিছু তৈরি করার জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রাকৃতিক সম্পদের চাহিদাও বাড়ছে। কিন্তু কিছু কিছু প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত। যেমন- তেল, কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাস। এ সকল সম্পদ একবার ব্যবহার করলে নিঃশেষ হয়ে যায় এবং হাজার হাজার বছরেও তা ফিরে পাওয়া যায় না। তাই প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং পরিকল্পিত ব্যবহার করা দরকার। সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ না করলে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হবে, পরিবেশও দূষিত হবে। তাই প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে, সম্পদের পুনঃব্যবহার এবং রিসাইকেল করার মাধ্যমে আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি।
২. একটি উদাহরণের সাহায্যে সম্পদের পুনঃব্যবহার ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের কিছু উপায় আছে। এদের মধ্যে একটি উপায় হলো সম্পদের পুনঃব্যবহার। একটি জিনিসকে ব্যবহার করার পর নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিসটাকে অন্য কাজে ব্যবহার উপযোগী করে ব্যবহার করাকে পুনঃব্যবহার বলে। কোনো জিনিসকে পুনরায় ব্যবহার করে আমরা বর্জ্য কমাতে পারি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি। যেমন- লেখার কাগজ একটি সম্পদ। লেখার কাজ শেষ হওয়ার পর এটিকে না ফেলে ঠোঙা তৈরি করে তা দিয়ে দ্রব্যসামগ্রী বহন করা যায়।
এভাবে একটি জিনিসকে পুনরায় অন্য কোনো কাজের উপযোগী হিসাবে তৈরি করে সম্পদ সংরক্ষণ করা যায়। তাই কোনো জিনিসকে ফেলে দেওয়ার আগে তা বারবার ব্যবহার করা উচিত। কোনো জিনিস ভেঙে গেলে তা ফেলে না দিয়ে বা নতুন ক্রয় না করে মেরামতের চেষ্টা করা উচিত।
ন্ধ যোগ্যতাভিত্তিক
৩. আমাদের দেশে বেশিরভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তেল, কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাস পুড়িয়ে। অন্য কী কী সম্পদ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষিত হবে?
উত্তর : আমাদের দেশে বেশিরভাগ বিদ্যুৎ উৎপদান করা হয় মাটির নিচ থেকে পাওয়া তেল, কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাস নামক খনিজ সম্পদ পুড়িয়ে। এসব খনিজ সম্পদের পরিবর্তে সৌরশক্তি, বায়ুপ্রবাহ এবং পানির স্রোত ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। তেল, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস অনবায়নযোগ্য সম্পদ। এসব একবার ব্যবহার করলে নিঃশেষ হয়ে যায়, হাজার হাজার বছরেও তা ফিরে পাওয়া যায় না। অপরদিকে সৌর প্যানেল ব্যবহার করে সূর্যরশ্মি থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। বায়ুপ্রবাহ জেনারেটরের সাথে যুক্ত উইন্ডমিলের টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। পানির স্রোত জেনারেটরের সাথে যুক্ত টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। সূর্যের আলো, বায়ুপ্রবাহ এবং পানির স্রোত হলো নবায়নযোগ্য ও অফুরন্ত সম্পদ। এসব সম্পদ ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়ে যায় না, প্রকৃতি থেকে পুনরায় পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায়। তাই এসব নবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষিত হবে।


🔶🔶 চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান সকল অধ্যায়

🔶🔶 চতুর্থ শ্রেণির সকল বিষয়

 

Leave a Reply