পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৭ মানবাধিকার

অধ্যায় ৭ মানবাধিকার
 অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান

 অল্পকথায় উত্তর দাও :
প্রশ্ন \ ১ \ অটিস্টিক শিশুর তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : অটিজম একটি বিকাশমান সমস্যা। নিচে অটিস্টিক শিশুর তিনটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো :
১. কোনো একটি বিশেষ খেলনা বা জিনিসের প্রতি প্রবল আকর্ষণ থাকে এবং সেটি সবসময় সাথে রাখে।
২. তারা কোনো খেলনা নিয়ে না খেলে বরং ওগুলো শক্ত করে ধরে বসে থাকবে, গন্ধ নেবে বা ঘন্টার পর ঘন্টা তার দিকে তাকিয়ে থাকবে।
৩. শিশুটি আলো, শব্দ, গতি, স্পর্শ, ঘ্রাণ বা স্বাদের ক্ষেত্রে অতি সংবেদনশীল হবে।
প্রশ্ন \ ২ \ শিশু অধিকার লঙ্ঘনের তিনটি উদাহরণ দাও।
উত্তর : শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ। শিশুরা বিভিন্ন বিষয়ে অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নিচে শিশু অধিকার লঙ্ঘনের তিনটি উদাহরণ দেওয়া হলো :
১. অনেক শিশু তাদের পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত।
২. অনেক শিশু খেত-খামারে, ইটের ভাটায়, দোকানে, কলকারখানায় কাজ করে। যদিও বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে শিশুশ্রম বেআইনি।
৩. শিশুদের অনেক সময় আমাদের দেশ থেকে বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়, এটি মানবাধিকারবিরোধী কাজ।
প্রশ্ন \ ৩ \ নারী অধিকার লঙ্ঘনের তিনটি উদাহরণ দাও।
উত্তর : নারী হচ্ছে সমাজের অর্ধাংশ। আমাদের সমাজে নারীরা বিভিন্ন অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নিচে তিনটি উদাহরণ দেওয়া হলো :
১. শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পায় না।
২. কাজের ক্ষেত্রে যথাযথ পারিশ্রমিক, খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা পায় না।
৩. নারীদের অনেক সময় আমাদের দেশ থেকে অন্য দেশে পাচার করে দেওয়া হয়।
 প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
প্রশ্ন \ ১ \ কোন প্রতিষ্ঠান মানবাধিকারকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে? কখন?
উত্তর : জাতিসংঘ সর্বপ্রথম মানবাধিকারকে স্বীকৃতি প্রদান করে। জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর মানবাধিকারের “সার্বজনীন ঘোষণাপত্র” অনুমোদন করে। ঘোষণাপত্র অনুযায়ী জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, নারী-পুরুষ সকলের সমান অধিকার। বিশ্বের সকল দেশের সকল মানুষের এই অধিকারগুলো আছে। এই অধিকারগুলোই মানবাধিকারের অন্তভর্‚ক্ত।
প্রশ্ন \ ২ \ শিশুশ্রমের কারণে শিশুরা কোন অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত হয়?
উত্তর : শিশুরা যে যে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় তা হলো-
১. শিশু শ্রমিকরা লেখাপড়ার সুযোগ পায় না।
২. অনেক ক্ষেত্রে সঠিক মজুরি পায় না।
৩. খাওয়া-দাওয়া, থাকার জায়গা, সুচিকিৎসা, পোশাক থেকে বঞ্চিত হয়।
৪. শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়।
৫. শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ ঘটে না।
প্রশ্ন \ ৩ \ মানব পাচার বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : যদি কোনো ব্যক্তি প্রলোভনের মাধ্যমে কোন শিশু ও নারীকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধচক্রের নিকট বিক্রি করে দেয় তখন তাকে মানব পাচার বলে। একটি সংঘবদ্ধচক্র আর্থিক মুনাফার লোভে এ হীন কাজ করে থাকে। পাচারকৃত নারীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়। আর শিশুদের উটের জকি অথবা হত্যা করে কিডনি বিক্রয় করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় মানব পাচারের যে অবস্থা লক্ষ করা যায়, সেখানে মানব পাচারের অন্যতম প্রধান দেশ বাংলাদেশ।

 বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

 যোগ্যতাভিত্তিক
১. অনেক শিশু বিভিন্ন ধরনের কষ্টকর কাজ করতে বাধ্য হয়। এতে তাদের কোন ধরনের অধিকার ক্ষুণœ হয়?
ক. রাজনৈতিক অধিকার খ. অর্থনৈতিক অধিকার
গ. সাংস্কৃতিক অধিকার ঘ. মানবাধিকার চ
২. তোমার পরিচিত সীমা একটি বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে। সে প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হয়। এক্ষেত্রে তুমি কী করবে?
ক. প্রতিবেশীকে জানাব খ. পুলিশকে জানাব চ
গ. বন্ধু-বান্ধবকে জানাব ঘ. শিক্ষককে জানাব
৩. মানবাধিকার বাস্তবায়ন প্রয়োজন কেন?
ক. অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন খ. নারী পুরুষের সমতা আনয়ন
গ. সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা চ ঘ. সাংস্কৃতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা
৪. করিমের বয়স দশ বছর। সে বিদ্যালয়ে না গিয়ে একটি খামারে কাজ করছে। এক্ষেত্রে তুমি কী করবে?
ক. কিছুই করব না খ. বিদ্যালয়কে জানাব চ
গ. আমার বাবা-মাকে জানাব ঘ. তার পরিবারকে কিছু টাকা দিব
৫. জাতিসংঘ “মানবাধিকার ঘোষণাপত্র” অনুমোদন করেছে কেন?
ক. শিশু অধিকার রক্ষা করার জন্য
খ. সবার চিকিৎসার অধিকার রক্ষা করার জন্য
গ. সবার বাসস্থানের অধিকার রক্ষার জন্য
ঘ. সবার মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য চ
৬. তোমার প্রতিবেশী স্বল্প শিক্ষিতা রহিমা তার পারিবারিক প্রয়োজনে কোনো পেশা বেছে নিতে চায়। এক্ষেত্রে তুমি তাকে কী পরামর্শ দিবে?
ক. ইটের ভাটায় কাজ করতে
খ. পাথর ভাঙ্গার কাজ করতে
গ. বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতে
ঘ. গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করতে চ
৭. তুমি দেখতে পেলে একটি শিশুকে নির্জন স্থানে বেঁধে রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে তুমি কী করবে?
ক. বিষয়টি এড়িয়ে যাব খ. বন্ধুদের জানাব
গ. পালাতে সাহায্য করব ঘ. বড়দেরকে জানাব চ
৮. মনে কর তোমার বাড়িতে একটি কাজের মেয়ে আছে। তুমি তার সাথে কিরূপ আচরণ করবে?
ক. তার প্রতি সদয় থাকব চ খ. তাকে কাজে ব্যস্ত রাখব
গ. আদেশের সুরে কথা বলব ঘ. পরিশ্রমের কাজ তাকে দিয়ে করাব
৯. তুমি বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পেলে তোমার বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে রাস্তার ছেলেরা নির্যাতন করছে। তুমি কী করবে?
ক. সরাসরি প্রতিবাদ করব চ
খ. বিষয়টি থানায় জানাব
গ. অন্য রাস্তায় দিয়ে চলে যাব
ঘ. নির্যাতন বন্ধের জন্য বয়স্ক মানুষের সহায়তা নেব
১০. মিসেস নাজনীন তার বাসার কাজের মেয়েকে প্রায়ই মারধর করেন। এর দ্বারা কী ক্ষুণœ হয়?
ক. ক্ষমতা খ. যোগ্যতা
গ. মানবাধিকারচ ঘ. নিরাপত্তা
১১. গাফফার একজন পাচারকারী, সে রিয়াদকে বিদেশে পাচার করে দিল। এখানে কী লঙ্ঘিত হয়েছে?
ক. মানবাধিকার চ খ. শিক্ষার অধিকার
গ. বাসস্থানের অধিকার ঘ. সামাজিক অধিকার
১২. জয়নব তার বাসার কাজের মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন এবং বাসার সকলেই কাজের মেয়ের সাথে ভালো ব্যবহার করেন। জয়নব তার বাসায় কীসের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন?
ক. নারী অধিকার চর্চার খ. শিক্ষা অধিকার চর্চার
গ. মানবাধিকার চর্চার চ ঘ. সামাজিকতা রক্ষার চর্চা
১৩. চাকরির পরীক্ষায় রিনি প্রথম হলেও নারী বলে তাকে বাদ দেওয়া হয়। এতে সে কোন অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে?
ক. রাজনৈতিক অধিকার খ. মৌলিক অধিকার
গ. মানবাধিকার চ ঘ. অর্থনৈতিক অধিকার
১৪. রিপনের বয়স এগারো বছর সে হোটেলে কাজ করে। রিপনের ক্ষেত্রে কোনটি ঘটছে?
ক. মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন খ. সাংস্কৃতিক অধিকার লঙ্ঘন
গ. মানবাধিকার লঙ্ঘন চ ঘ. অর্থনৈতিক অধিকার লঙ্ঘন
১৫. বাড়ির কাজে সাহায্যকারী মেয়েকে নির্যাতন-এতে কোন অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে?
ক. মানবাধিকার চ খ. ধর্মীয়
গ. রাষ্ট্রীয় ঘ. সামাজিক
১৬. রহিমা একটি বাড়িতে কাজ করে। সে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়। এছাড়া খাদ্য ও চিকিৎসার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। রহিমার ক্ষেত্রে কোনটি ঘটেছে?
ক. সামাজিক অধিকার লঙ্ঘন খ. আইনের অপব্যবহার
গ. অর্থনৈতিক অধিকার লঙ্ঘন ঘ. মানবাধিকার লঙ্ঘন চ
১৭. আমাদের দেশের অনেক শিশু বিভিন্ন কারণে লেখাপড়া করতে পারে না। লেখাপড়া না করার জন্য তুমি কোন কারণটি প্রধান বলে মনে কর?
ক. দারিদ্র্যের কারণে চ খ. লেখাপড়ার অনীহার কারণে
গ. খেলাধুলার কারণে ঘ. বাবা-মার কারণে
১৮. নারী ও শিশু ও পাচার মানবাধিকার বিরোধী। তুমি কোথাও শিশু পাচার করা দেখলে কী করবে?
ক. নিজেকে লুকিয়ে রাখব খ. অন্যদের জানাব চ
গ. চুপচাপ থাকব ঘ. বিষয়টি এড়িয়ে যাব
১৯. তোমাদের এক আত্মীয় তাদের গৃহকর্মীকে মারধর করে ও কম খেতে দেয়। এক্ষেত্রে তুমি কী করবে?
ক. উৎসাহ দেব খ. প্রতিবাদ করব চ
গ. কিছু বলব না ঘ. না দেখার ভান করব
২০. সফিক সব সময় চোখের সামনে হাতের আঙুল নাড়ায়। এটি কীসের লক্ষণ?
ক. অটিজম চ খ. ক্যান্সার
গ. হৃদরোগ ঘ. য²া
২১. রিফাতের একজন বন্ধু অটিজমে আক্রান্ত। তার সাথে রিফাতের কী করা উচিত?
ক. তাকে বিব্রত না করা চ খ. তাকে ভয় দেখানো
গ. তাকে বই কিনে দেওয়া ঘ. তাকে খাবার দেওয়া
২২. রাকিবের ছোট ভাই খুব ভাল ছবি আঁকতে পারে। কিন্তু সে সবসময় চুপচাপ থাকে এবং তার নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেয় না। রাকিবের ছোট ভাই কোন সমস্যায় আক্রান্ত?
ক. অটিস্টিক খ. অটিজম চ
গ. ব্রেন টিউমার ঘ. পোলিও
২৩. তোমার শ্রেণিতে যদি কখনও অটিস্টিক শিক্ষার্থী পড়ে, তাহলে তুমি তার সাথে কী রকম আচরণ করবে?
ক. তার সাথে কথা বলব না খ. তাকে এড়িয়ে চলব
গ. তাকে সাহায্য করব চ ঘ. নিজে বিরক্ত হব
২৪. রিতা সবসময় চুপচাপ থাকে। নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেয় না। তার মধ্যে কোন ধরনের শিশুর বৈশিষ্ট্য রয়েছে?
ক. সুস্থ সবল শিশুর খ. অসুস্থ শিশুর
গ. দুর্বল শিশুর ঘ. অটিস্টিক শিশুর চ
২৫. কীভাবে অটিস্টিক বন্ধুরা আমাদের সাথে সমানভাবে বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে?
ক. শিক্ষকের সহযোগিতায় খ. মায়ের সহযোগিতায়
গ. আমাদের সবার সহযোগিতায় ঘ. বড়দের সহযোগিতায়
২৬. পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জনসম্পদের চাহিদা রয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের রয়েছে বেশি জনসংখ্যা। এ অবস্থায় বাংলাদেশ কোন সুবিধা পেতে পারে?
ক. মানবসম্পদ আমদানি খ. মানবসম্পদ রপ্তানি চ
গ. খাদ্য আমদানি ঘ. মূলধন রপ্তানি
২৭. ফাহিমের মা-বাবা দু’জনই চাকরি করেন। একদিন ফাহিমাদের বাসায় অপরিচিত একজন লোক দরজা ধাক্কা দেয়। ফাহিমের কী করা উচিত?
ক. দরজা খুলে দেবে খ. ঘরে বসতে দেবে
গ. দরজা খুলবে না চ ঘ. আলাপ করবে
২৮. আমরা কার উন্নয়নের জন্য কাজ করব?
ক. সমাজেরচ খ. নিজের গ. পরিবারের ঘ. আত্মীয়ের
২৯. আমাদের দেশ থেকে প্রায়ই বিদেশে কাদের পাচার করা হয়?
ক. নারী ও বৃদ্ধদের
খ. বাড়ির কাজে সহায়তাকারী ব্যক্তিদের
গ. নারী ও শিশুদেরচ
ঘ. শিশু ও বৃদ্ধদের
৩০. স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার কোন ধরনের অধিকার?
ক. রাজনৈতিক অধিকার খ. মানবাধিকার চ
গ. ধর্মীয় অধিকার ঘ. অর্থনৈতিক অধিকার
৩১. মানবাধিকার রক্ষায় তোমার বন্ধুরা সোচ্চার। তোমাদের সবার কী হতে হবে?
ক. বুদ্ধিমান খ. সত্যবাদী গ. শক্তিশালী ঘ. সচেতন চ
৩২. আমাদের দেশে শিশুশ্রমের প্রধান কারণ কী?
ক. অসচেতনতা খ. লেখাপড়ার অনীহা
গ. শিশুশ্রমের সুযোগ ঘ. দারিদ্র্য চ
৩৩. মানবাধিকার গুরুত্বপূর্ণ কেন?
ক. মানুষের মর্যাদা রক্ষার জন্য খ. উচ্চ শিক্ষার জন্য
গ. সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যচ ঘ. কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য
৩৪. কোনটি মানবাধিকারের সঙ্গে অমিল প্রকাশ করে?
ক. নিরাপত্তা লাভের অধিকার
খ. উচ্চ শিক্ষা লাভের অধিকার চ
গ. ন্যায্য মজুরি পাওয়ার অধিকার
ঘ. আটক রাখার অধিকার
৩৫. মাহমুদ মুসলমান। তার বন্ধু লিটন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। তাদের ক্ষেত্রে কোন অধিকারগুলো সমানভাবে প্রযোজ্য?
ক. দামি গাড়িতে চড়ার অধিকার
খ. দামি পোশাক পরার অধিকার
গ. মানবাধিকার চ
ঘ. পাকা বাড়িতে বসবাসের অধিকার
৩৬. মিসেস শামিমা তার বাসার কাজের মেয়েকে চড় মারলেন। এতে কী ঘটল?
ক. সামাজিক অধিকার লঙ্ঘন খ. স্বাধীনতা লঙ্ঘন
গ. মানবাধিকার লঙ্ঘন চ ঘ. মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন
৩৭. সুন্দর, সুঠাম দেহের অধিকারী ধনীর সন্তান জামিল চৌধুরি উচ্চ শিক্ষিত। কোনটি তাকে যোগ্যতা ও মর্যাদার সাথে সমাজে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছে?
ক. শিক্ষা চ খ. দামি পোশাক
গ. শারীরিক শক্তি ঘ. সুন্দর চেহারা
৩৮. আমরা সমাজে মিলেমিশে বাস করি। আমাদের সবার সকল সুযোগ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এ বিষয়টিকে আমরা কী করব?
ক. স্মরণ করব খ. ভয় করব
গ. সম্মান করব চ ঘ. অবহেলা করব
৩৯. শিশুশ্রমের প্রধান কারণÑ
ক. শিশুদের ইচ্ছা খ. দারিদ্র্য চ
গ. সচেতনতার অভাব ঘ. লেখাপড়া না জানা
৪০. সকলকে শিক্ষার সুযোগ দেওয়া উচিত কেন?
ক. সামাজিক অধিকার বলে খ. মানবাধিকার বলে চ
গ. রাজনৈতিক অধিকার বলে ঘ. অর্থনৈতিক অধিকার বলে
৪১. অনেক শিশু কাজ করতে বাধ্য হয় কেন?
ক. দারিদ্র্যের কারণে চ খ. পিতামাতার কারণে
গ. সঙ্গদোষে ঘ. কর্মক্ষম বলে
৪২. কোনটি প্রতিষ্ঠায় সবার অংশগ্রহণ করা উচিত?
ক. মানবাধিকার চ খ. নিজ স্বার্থ
গ. নিজের অধিকার ঘ. পারিবারিক অধিকার
৪৩. আমরা বিভিন্ন কাজের সিদ্ধান্ত কীসের ভিত্তিতে গ্রহণ করব?
ক. নিজস্ব মতের খ. বন্ধুদের মতের
গ. আত্মীয়স্বজনের মতের ঘ. অধিকাংশের মতের
 সাধারণ
৪৪. কোনটি মানবাধিকারের উদাহরণ?
ক. নির্যাতন করা খ. আটক করা
গ. শিশু পাচার করা ঘ. মত প্রকাশের স্বাধীনতা চ
৪৫. কোনটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন?
ক. নিরাপত্তা প্রদান খ. সবার সমান অধিকার
গ. ধর্ম পালনের সুযোগ ঘ. শিক্ষার সুযোগ না দেওয়া চ
৪৬. অটিস্টিক বন্ধুরা কেমন আচরণ করে?
ক. সকলের সাথে মিলেমিশে থাকে
খ. চুপচাপ নিজেকে নিয়ে মগ্ন থাকে চ
গ. সকলের সাথে খেলাধুলা করে
ঘ. সকলের সাথে বন্ধুত্ব করে
৪৭. অটিস্টিক বন্ধুদের বৈশিষ্ট্য কোনটি?
ক. অনেক সময় স্বাভাবিক শব্দ শুনেই উত্তেজিত হয় চ
খ. সব বন্ধুদের সাথে ভালো আচরণ করে
গ. সবার কথা শুনতে পছন্দ করে
ঘ. নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখে
৪৮. মানবাধিকার বাস্তবায়িত না হলে সমাজে কী অসুবিধা সৃষ্টি হবে?
ক. মানবিক বিকাশের পথ বাধাগ্রস্ত হবে চ
খ. মুক্তচিন্তার পথ রহিত হবে
গ. আইনের শাসন তিরোহিত হবে
ঘ. সমাজে অপরাধপ্রবণতা বাড়বে
৪৯. মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র ঘোষণা করেÑ
ক. জাতিসংঘ চ খ. বাংলাদেশ সরকার
গ. সার্ক ঘ. বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রতি
৫০. একই কাজ বারবার করে কারা?
ক. প্রতিবন্ধীরা খ. বাত রোগে আক্রান্তরা
গ. ডায়রিয়া হলে ঘ. অটিস্টিক শিশুরা চ
৫১. অটিস্টিক শিশুরা কোনটির ক্ষেত্রে অতি সংবেদনশীল হয়?
ক. মানুষ খ. আলোচ গ. বাতাস ঘ. তাপ
৫২. কোনটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন?
ক. ধর্মীয় সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি খ. নিরাপত্তা প্রদান
গ. শিশুশ্রম চ ঘ. সবান সমান অধিকার
৫৩. শিশুশ্রম বন্ধ হলে কী উপকার হবে?
ক. দেশের আয় বৃদ্ধি পাবে খ. শিশু পাচার বন্ধ হবে
গ. শিশু অধিকার রক্ষা পাবে ঘ. দারিদ্র বৃদ্ধি পাবে
৫৪. মানবাধিকার লঙ্ঘন একটি ― কাজ।
ক. অশোভন খ. ঘৃণ্যচ গ. ভালো ঘ. জঘন্য
৫৫. ব্যক্তি ও সমাজের সদস্য হিসেবে আমাদের কী রয়েছে?
ক. শিক্ষা খ. বেঁচে থাকার অধিকার চ
গ. বুকের সাহস ঘ. টাকা-পয়সা
৫৬. জন্মগতভাবে সব মানুষ কেমন?
ক. স্বাধীনচ খ. পরাধীন গ. সচেতন ঘ. অধিকারহীন
৫৭. মানুষ হিসেবে একজন ব্যক্তির অধিকারকে কী বলা হয়?
ক. ক্ষমতা খ. স্বাধীনতা
গ. মানবাধিকারচ ঘ. যোগ্যতা
৫৮. জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলে যে অধিকার ভোগ করতে পারে তাকে কী বলে?
ক. রাজনৈতিক অধিকার খ. ব্যক্তিগত অধিকার
গ. সামাজিক অধিকার ঘ. মানবাধিকার চ
৫৯. কত তারিখে ‘মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষণাপত্র’ গৃহীত হয়?
ক. ১০ই ডিসেম্বর চ খ. ৫ই ডিসেম্বর
গ. ৭ই ডিসেম্বর ঘ. ১২ই ডিসেম্বর
৬০. মৌলিক মানবাধিকারের মধ্যে কোনটি পড়ে না?
ক. সম্পত্তির অধিকার খ. বিচার পাওয়ার অধিকার
গ. খেলাধুলা করার অধিকারচ ঘ. নিরাপত্তা লাভের অধিকার
৬১. স্বাধীন এবং সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য কোনটির বিকল্প নেই?
ক. দামি গহনার খ. মানবাধিকারের চ
গ. বড় লোক বন্ধুর ঘ. দামি পোশাকের
৬২. ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করা প্রত্যেকের কী ধরনের অধিকার?
ক. জন্মগতচ খ. মৌলিক গ. রাষ্ট্রীয় ঘ. মানবিক
৬৩. আমাদের সমাজে কোন ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য করা হয়?
ক. শিক্ষার ক্ষেত্রে খ. ভোটদানের ক্ষেত্রে
গ. লেখাপড়ার ক্ষেত্রে ঘ. মজুরির ক্ষেত্রে চ
৬৪. নিচের কোনটি মানুষের সুস্থ ও সুন্দর বিকাশের জন্য প্রয়োজন?
ক. অর্থ খ. নিরাপত্তা
চগ. মানবাধিকার ঘ. আটক রাখা
৬৫. জাতিসংঘ মানুষের অধিকারগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে কত তারিখে?
ক. ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বরচখ. ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্র“য়ারি
গ. ১৯৫০ সালের ২০শে এপিল ঘ. ১৯৪৯ সালের ১লা নভেম্বর
৬৬. ‘সবার সমান মজুরি পাওয়ার অধিকার’ এটি কী ধরনের অধিকার
ক. সামাজিক অধিকার খ. রাষ্ট্রের অধিকার
গ. মানবাধিকার চ ঘ. অর্থনৈতিক অধিকার
৬৭. সমাজে সাধারণত নারীদের তুলনায় কারা মজুরি বেশি প্রায়?
ক. পুরুষচ খ. শিশু
গ. অধিক পরিশ্রমী নারী ঘ. বৃদ্ধা

 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

 যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন-১ : তুমি মানুষ হিসেবে স্বাধীনভাবে চলাফেরাসহ আরো অনেক অধিকার ভোগ কর। জাতিসংঘ কবে এসব অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়?
উত্তর : ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বরে জাতিসংঘ এসব অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়।
প্রশ্ন-২ \ জন ও বিমলা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে স্বাধীনভাবে অংশগ্রহণ করে। এটি তাদের কোন অধিকারের অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর : এটি তাদের মৌলিক মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্ন-৩ : সাভারে ভবন ধসের ১৭দিন পর উদ্ধারকর্মীদের সাড়া পেয়ে রেশমা বলেছিল, ‘আমাকে বাঁচান’। রেশমার এ আবেদনের সাথে কীসের সাদৃশ্য রয়েছে?
উত্তর : রেশমার এ আবেদনের সাথে মানবাধিকারের সাদৃশ্য রয়েছে।
প্রশ্ন-৪ : দুর্বৃত্তরা অনেক সময় রাতের আধারে যানবাহনে আগুন লাগিয়ে দেয়। এটি কীসের লঙ্ঘন?
উত্তর : এটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
প্রশ্ন-৫ : জনাব সিহাব কর্মক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে তার মতামত প্রকাশ করতে পারেন না। তিনি কোন ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন?
উত্তর : তিনি চিন্তা ও মত প্রকাশের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
প্রশ্ন-৬ : প্রিয়া তার যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে সঠিক পারিশ্রমিক পাচ্ছে। প্রিয়া কোন অধিকার ভোগ করছে?
উত্তর : প্রিয়া সবার ন্যায্য মজুরি পাওয়ার অধিকার ভোগ করছে।
প্রশ্ন-৭ : সাহেদের বাড়িতে ছেলে-মেয়ে সমান সুযোগ লাভ করে। তাদের বাড়ির সবাই কোন অধিকার ভোগ করছে?
উত্তর : তাদের বাড়ির সবাই মানবাধিকার ভোগ করছে।
প্রশ্ন-৮ : অনেক শিশু বিভিন্ন ধরনের কষ্টকর কাজ করতে বাধ্য হয়। এতে তাদের কোন ধরনের অধিকার ক্ষুণœ হয়?
উত্তর : এতে তাদের মানবাধিকার ক্ষুণœ হয়।
প্রশ্ন-৯ : তুমি দেখতে পেলে একটি শিশুকে নির্জন স্থানে বেঁধে রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে তুমি কী করবে?
উত্তর : এক্ষেত্রে আমি বিষয়টি বড়দের জানাব।
প্রশ্ন-১০ : শিশুশ্রমিকেরা সাধারণত লেখাপড়ার সুযোগ পায় না। এর কারণ কী?
উত্তর : শিশুশ্রমিকেরা সাধারণত দারিদ্র্যের কারণে লেখাপড়ার সুযোগ পায় না।
প্রশ্ন-১১ : তোমার ভাই অটিস্টিক শিশু। তাকে যদি বিশেষ যতœ না নাও তাহলে কী ঘটবে?
উত্তর : সে সমানভাবে বিকশিত হবে না।
প্রশ্ন-১২ : রনি তার সব কাজ একই নিয়মে করতে চায়। রনিকে আমরা কোন ধরনের শিশু বলতে পারি?
উত্তর : রনিকে আমরা অটিস্টিক শিশু বলে।
প্রশ্ন-১৩ : সাজিদ শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ হলেও কেউ তাকে স্পর্শ করলে আঁতকে ওঠে। সাজিদের এ ধরনের আচরণের কারণ কী?
উত্তর : সে অটিস্টিক শিশু।
প্রশ্ন-১৪ : রোকনের বয়স ১২ বছর। সে স্কুলে না যেয়ে একটি দোকানে কাজ করে। রোকন তার কোন অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে?
উত্তর : রোকন শিক্ষা গ্রহনের ধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রশ্ন-১৫ : সুমনা একটি এনজিওতে চাকরির সুযোগ পায়। কিন্তু তার পরিবারের লোকজন তাকে চাকরি করতে দেয় না। এখানে সুমনার কোন অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে?
উত্তর : এখানে সুমনার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
প্রশ্ন-১৬ : আমরা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছ থেকে মানবাধিকারগুলো পাই। এক্ষেত্রে আমাদের সবার দায়িত্ব কী হওয়া উচিত?
উত্তর : আমাদের সবার দায়িত্ব সবার জন্য মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা।
প্রশ্ন-১৭ : আমাদের অন্যরকম বন্ধুরা অনেক সময় স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারে না কেন?
উত্তর : ওরা অনেক শব্দ মনে রাখতে পারে না বলে আমাদের অন্যরকম বন্ধুরা অনেক সময় স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারে না।
 সাধারণ
প্রশ্ন-১৮ : মানবাধিকার কাকে বলে?
উত্তর : মানুষের সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকারগুলোকে মানবাধিকার বলে।
প্রশ্ন-১৯ : কোন ধরনের শিশুদেরকে অটিস্টিক শিশু বলে?
উত্তর : অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের অটিস্টিক শিশু বলে।
প্রশ্ন-২০ : অটিজম কী?
উত্তর : যে মানসিক অবস্থার কারণে শিশুরা অন্যদের সাথে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না তাই অটিজম।
প্রশ্ন-২১ : জাতিসংঘ কত সালে মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষণাপত্র অনুমোদন করেছে?
উত্তর : জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালে মানবাধিকার সর্বজনীন ঘোষনাপত্র অনুমোদন করেছে।
প্রশ্ন-২২ : বাংলাদেশের একজন নাগরিক কত বছর বয়সে ভোটার হতে পারে।
উত্তর : বাংলাদেশের একজন নাগরিক ১৮ বছর বয়সে ভোটার হতে পারে।
প্রশ্ন-২৩ : মানবাধিকার লঙ্ঘন কোন ধরনের কাজ?
উত্তর : মানবাধিকার লঙ্ঘন একটি ঘৃণ্য কাজ।
প্রশ্ন-২৪ : অটিস্টিক শিশুদের একটি বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর : অটিষ্টিক শিশু শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ।
প্রশ্ন-২৫ : শিশুরা কাজ করতে বাধ্য হয় কেন?
উত্তর : শিশুরা দারিদ্র্যের কারণে কাজ করতে বাধ্য হয়।
প্রশ্ন-২৬ : মানুষের দুটি মৌলিক মানবাধিকার লেখ।
উত্তর : মানুষের দুটি মৌলিক মানবাধিকার হচ্ছেÑ
১. আইনের চোখে সবাই সমান এবং
২. নিজের চিন্তা ও মত প্রকাশের অধিকার।
প্রশ্ন-২৭ : কোন সংস্থা ‘মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র’ অনুমোদন করে?
উত্তর : জাতিসংঘ ‘মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র’ অনুমোদন করে।
প্রশ্ন-২৮ : আমাদের দেশ থেকে নারী ও শিশুদের বিদেশে পাচার করা হয় কেন?
উত্তর : বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ও অমানবিক কাজে ব্যবহারের জন্য নারী ও শিশুদের বিদেশে পাচার করা হয়।
প্রশ্ন-২৯ : মানবাধিকার বাস্তবায়নের দায়িত্ব কাদের?
উত্তর : মানবাধিকার বাস্তবায়নের দায়িত্ব পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র, এককথায় আমাদের সবার।
প্রশ্ন-৩০ : শিশুশ্রম কী?
উত্তর : অপ্রাপ্তবয়সে পড়াশোনা বাদ দিয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজে নিয়োজিত শিশুদেরকেই শিশুশ্রম বলা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-৩১ : অধিকারের অর্থ কী?
উত্তর : অধিকারের অর্থ হচ্ছে জন্ম থেকেই কিছু সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষমতা অর্জন করা। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছ থেকে আমরা এ অধিকার পেয়ে থাকি।
প্রশ্ন-৩২ : মৌলিক মানবাধিকার কী?
উত্তর : যে অধিকারগুলো মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য সে অধিকারগুলোকে মৌলিক মানবাধিকার বলা হয়।
প্রশ্ন-৩৩ : আমরা কাদের কাছ থেকে মানবাধিকারগুলো পেয়ে থাকি?
উত্তর : পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছ থেকে আমরা মানবাধিকারগুলো পেয়ে থাকি।
প্রশ্ন-৩৪ : অটিস্টিক শিশু খেলনা নিয়ে কী করে?
উত্তর : অটিস্টিক শিশু খেলনা নিয়ে না খেলে তারা এগুলো শক্ত করে ধরে বসে থাকে, গন্ধ নেয় বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা খেলনার দিকে তাকিয়ে থাকে।
প্রশ্ন-৩৫ : কীসের প্রতি অটিস্টিক শিশুরা অতি সংবেদনশীল থাকে?
উত্তর : আলো, শব্দ, গতি, স্পর্শ, ঘ্রাণ বা স্বাদের ক্ষেত্রে অটিস্টিক শিশু অতি সংবেদনশীল থাকে।
প্রশ্ন-৩৬ : অটিস্টিক শিশুর কীসের প্রতি প্রবল আকর্ষণ থাকে?
উত্তর : অটিস্টিক শিশুদের বিশেষ কোন একটা খেলনা বা জিনিসের প্রতি প্রবল আকর্ষণ থাকে।
প্রশ্ন-৩৭ : কী কারণে অটিস্টিক শিশুরা খুবই উত্তেজিত হয়ে যায়?
উত্তর : দৈনিক কাজের রুটিন বদল হলে অটিস্টিক শিশুরা খুবই উত্তেজিত হয়।
প্রশ্ন-৩৮ : অটিস্টিক শিশুকে কে শনাক্ত করতে পারে?
উত্তর : অটিস্টিক শিশুকে শনাক্ত করতে পারে অটিজম বিষয়ে বিশেষজ্ঞ।
প্রশ্ন-৩৯ : নারী ও শিশু পাচার কীসের লঙ্ঘন?
উত্তর : নারী ও শিশু পাচার মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
প্রশ্ন-৪০ : বিচার পাওয়ার অধিকার কীসের মধ্যে পড়ে?
উত্তর : বিচার পাওয়ার অধিকার মৌলিক মানবাধিকারের মধ্যে পড়ে।

 কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

 যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন-১ : তোমার বিদ্যালয়ে একটি অটিস্টিক শিশু রয়েছে। তাকে চেনার জন্য উক্ত শিশুটির তিনটি বৈশিষ্ট্য লিখ। তার সাথে তুমি কীরূপ ব্যবহার করবে তার দুটি লিখ।
উত্তর : আমার বিদ্যালয়ের একটি অটিস্টিক শিশু রয়েছে। তার তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো :
১. অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাকে নাম ধরে ডাকলে সে সাড়া দেয় না।
২. তার কিছু দরকার হলে মুখে না বলে হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়।
৩. অনেক সময় নিজের ভাষায় কথা না বলে অন্যের ভাষায় কথা বলে।
তার প্রতি আমার ব্যবহার হলো :
১. আমি তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করব।
২. তার কাজে বাধা দিয়ে বিরক্ত করব না।
প্রশ্ন-২ : মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পাঁচটি বাক্যে উল্লেখ কর।
উত্তর : মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য :
১. সকলের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা।
২. বাড়ির কাজে সহায়তাকারী ব্যক্তিদের সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা।
৩. নারী ও শিশু পাচার বন্ধ করা।
৪. নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দূর করা।
৫. সামাজিক ও শারীরিকভাবে অসুবিধাগ্রস্ত ব্যক্তিদের সমান অধিকার দেওয়া।
প্রশ্ন-৩ : মানুষ হিসেবে আমাদের মৌলিক মানবাধিকারগুলো কী কী?
উত্তর : মানুষ হিসেবে আমাদের কতিপয় অধিকার নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন এবং সবার রয়েছে সমান মর্যাদা ও অধিকার।
২. প্রত্যেকের জীবনে স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা লাভের অধিকার আছে।
৩. কাউকে নির্যাতন ও অত্যাচার করা যাবে না।
৪. ব্যক্তি হিসেবে আইনের চোখে সবাই সমান।
৫. প্রত্যেকের বিচার পাওয়ার অধিকার আছে।
প্রশ্ন-৪ : অটিজমের প্রতিকার সম্পর্কে তোমার অভিমত দাও।
উত্তর : অটিজমের প্রতিকার সম্পর্কে আমার অভিমত নিচে দেওয়া হলো :
১. অটিজম সমস্যার ধরনগুলো জেনে সঠিক শিক্ষা দিয়ে অটিস্টিক শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে অভ্যস্ত করা।
২. তারা যাতে উত্তেজিত হয় এমন আচরণ না করা।
৩. অটিজম যেহেতু রোগ নয়, আচরণগত সমস্যা তাই আচরণ পরিবর্তনের কৌশল নেওয়া।
৪. তাদের পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া, তাদের কষ্ট পাওয়া আচরণগুলো পরিহার করা।
৫. তাদের বিরক্ত না করা।
প্রশ্ন-৫ : সমাজে মানবাধিকার বিরোধী দুটি কাজের উল্লেখসহ এগুলো রক্ষায় তোমার ভ‚মিকা কী হবে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সমাজে মানবাধিকার বিরোধী দুটি কাজ হলো শিশু নির্যাতন, নারী ও শিশু পাচার। মানবাধিকার রক্ষায় আমার ভ‚মিকা হলো : মানবাধিকার রক্ষায় শিশু শ্রম বন্ধ করার চেষ্টা করব। নারী-পুরুষের মজুরির বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করব। বাড়ির কাজে সহায়তাকারীদেরকে নির্যাতন বন্ধ করার চেষ্টা করব। নারী ও শিশু পাচারের মতো মানবাধিকার বিরোধী কাজ প্রতিরোধ করে তবে তাকে এ বিষয়ে সচেতন করব প্রয়োজন হলে মানবাধিকার বিরোধীদেরকে আইনের হাতে তুলে দিব। সরকার কর্তৃক এ লক্ষ্যে প্রণীত বিভিন্ন আইন মেনে।
প্রশ্ন-৬ : শিশুশ্রম কী? এর ফলে শিশুরা কী কী সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে?
উত্তর : অপ্রাপ্তবয়সে পড়াশোনা বাদ দিয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজে নিয়োজিত শিশুদের কাজকেই শিশুশ্রম বলা হয়ে থাকে। শিশুরা যে যে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় তা হলো :
১. শিশু শ্রমিকরা লেখাপড়ার সুযোগ পায় না।
২. অনেক ক্ষেত্রে সঠিক মজুরি পায় না।
৩. খাওয়া দাওয়া, থাকার জায়গা, সুচিকিৎসা, পোশাক থেকে বঞ্চিত হয়।
৪. শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়।
৫. শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ ঘটে না।
প্রশ্ন-৭ : পঞ্চম শ্রেণিতে তোমার একজন সহপাঠী রয়েছে। সহপাঠীর বাবা-মা হঠাৎ একদিন তার বিয়ে ঠিক করে। এক্ষেত্রে তোমার ৫টি করণীয় লেখ।
উত্তর : আমার পঞ্চম শ্রেণির সহপাঠীর বাবা হঠাৎ একদিন তার বিয়ে ঠিক করে ফেললে আমার করণীয় :
১. বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে শিক্ষককে জানাব।
২. শিক্ষকের সাথে গিয়ে তার বাবা-মাকে বোঝানোর চেষ্টা করব।
৩. বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে ঐ সহপাঠীসহ শ্রেণির সবাইকে সচেতন করব।
৪. এ ধরনের বিয়ে যে অপরাধ তা বোঝানোর চেষ্টা করব, প্রয়োজনে পুলিশকে খবর দিব।
৫. দারিদ্র্য বা অন্য কোনো কারণে এ বিয়ে সংঘটিত হলে, সেই বাধা সকলে মিলে দূর করার চেষ্টা করব।
 সাধারণ
প্রশ্ন-৮ : নারী ও শিশু পাচার বন্ধ হওয়া প্রয়োজন কেন? পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : আমাদের দেশ থেকে প্রায়ই নারী ও শিশুদের বিদেশে পাচার করা হয়। সেখানে তাদের ঝুঁকিপূর্ণ ও অমানবিক কাজে ব্যবহার করা হয়। এসব কাজ করতে যেয়ে অনেকে আহত হয়; এমনকি অনেকে মারা যায়। শিশু ও নারী পাচার মানবাধিকার বিরোধী কাজ। তাই নারী ও শিশু পাচার বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
প্রশ্ন-৯ : মানবাধিকার কাকে বলে? মানবাধিকারের চারটি গুরুত্ব বর্ণনা কর।
উত্তর : মানবাধিকার : মানুষের সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকারকে মানবাধিকার বলে।
মানবাধিকারের গুরুত্ব : আমরা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের নিকট থেকে মানবাধিকার পেয়ে থাকি। নিচে মানবাধিকারের চারটি গুরুত্ব উল্লেখ করা হলো :
১. মানবাধিকার মানুষের জীবনকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
২. মানবাধিকার লেখাপড়া শিখে যোগ্যতা ও মর্যাদার সাথে সমাজে বসবাসের সুযোগ করে দেয়।
৩. মানবাধিকার মানুষের ভালো গুণগুলোকে বিকশিত হতে সাহায্য করে।
৪. মানবাধিকার মানুষে মানুষে স¤প্রীতি ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে।
প্রশ্ন-১০ : মানবাধিকারকে সার্বজনীন বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : মানবাধিকার হচ্ছে সব মানুষের অধিকার। এ অধিকার কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, শ্রেণি বা দেশের অধিকার নয়। মানবাধিকার সব মানুষের অধিকার। তেমনি এ অধিকার সবার সমানভাবে প্রাপ্য। এ কারণে মানবাধিকারকে সার্বজনীন বলা হয়েছে।
প্রশ্ন-১১ : মানবাধিকার বিরোধী কয়েকটি কাজ উলে­খ কর।
উত্তর : আমাদের সমাজে প্রায়ই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা শোনা যায়। নিচে মানবাধিকার বিরোধী কয়েকটি কাজ উলে­খ করা হলো :
১. গ্রামের শিশুরা দারিদ্র্যের কারণে ক্ষেতে, ইটের ভাটায় কাজ করে।
২. শহরের শিশুরা বাসাবাড়িতে, দোকানে, কলকারখানায় কাজ করে।
৩. বাড়ির কাজে সহায়তাকারী ব্যক্তিরা অনেক সময় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়।
৪. আমাদের দেশ থেকে প্রায়ই নারী ও শিশুদের বিদেশে পাচার করা হয় এবং তাদের দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অমানবিক কাজ করানো হয়।
৫. আমাদের সমাজে শিক্ষা, খাদ্য, মজুরি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য করা হয়।
প্রশ্ন-১২ : মানবাধিকার বাস্তবায়িত না হলে সমাজে কী অসুবিধা সৃষ্টি হবে?
উত্তর : মানবাধিকার বাস্তবায়িত না হলে সমাজে যেসব অসুবিধা দেখা দেয় সেগুলো নিচে দেয়া হলো :
১. মানবাধিকার বাস্তবায়িত না হলে মানুষ তার স্বাধীনতার অধিকার হারিয়ে পরাধীন হয়ে পড়বে।
২. সমাজে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।
৩. সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে আইনের শাসন তিরোহিত হবে।
৪. বাকস্বাধীনতা ও মুক্তচিন্তার পথ রহিত হবে।
৫. ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক সুযোগ লাভ থেকে মানুষ বঞ্চিত হবে।

 

Leave a Reply