You are currently viewing চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বীরশ্রেষ্ঠর বীরগাথা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বীরশ্রেষ্ঠর বীরগাথা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

বীরশ্রেষ্ঠর বীরগাথা

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি, অর্থ বলি এবং বাক্য তৈরি করে লিখি।
বীরশ্রেষ্ঠ, বাঙ্কার, ক্রলিং, ধূলিসাৎ, রণক্ষেত্র, মুক্তিবাহিনী, নিয়ন্ত্রণ, অতিক্রম, বিধ্বস্ত হওয়া, দুঃসাহসিক, বিস্ফোরণ, মেশিনগান, অকুতোভয়, বীরগাথা।
উত্তর :
শব্দ অর্থ বাক্য
বীরশ্রেষ্ঠ – মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য যারা সর্বশ্রেষ্ঠ। – বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র।
বাঙ্কার – যুদ্ধের জন্য তৈরি করা মাটির গর্ত। যুদ্ধের সময় সৈনিকেরা এখানে আশ্রয় নিয়ে তাদের এলাকা পাহারা দেন ও যুদ্ধ করেন। – শত্রæরা বাঙ্কারে আশ্রয় নিল।
ক্রলিং – যুদ্ধকালে চার হাত-পায়ে হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে যাওয়া। – হামিদুর রহমান তখন ক্রলিং করছিলেন।
ধূলিসাৎ – চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া। – পাক সেনাদের বাঙ্কার ধূলিসাৎ হয়ে গেল।
রণক্ষেত্র – যুদ্ধের স্থান। – রণক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হয়।
মুক্তিবাহিনী – বাংলাদেশের মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য যাঁরা যুদ্ধ করেছেন তাঁদের বাহিনী। – মুক্তিবাহিনী পাক সেনাদের হটিয়ে দিল।
নিয়ন্ত্রণ – নিজের আয়ত্তে আনা। – মতিউর বিমানটিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিলেন।
অতিক্রম – কোনো কিছু পার হওয়া বা ছাড়িয়ে যাওয়া। – মিঠু দৌড়ে ১০০ মিটার অতিক্রম করল।
বিধ্বস্ত হওয়া – ভেঙেচুরে যাওয়া। ধ্বংস হওয়া। – মতিউরের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল।
দুঃসাহসিক – অত্যন্ত সাহসের কাজ। – হামিদুরের দুঃসাহসিক ভ‚মিকা চিরস্মরণীয়।
বিস্ফোরণ – চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ফেটে পড়া। – হঠাৎ বোমার বিস্ফোরণ ঘটল।
মেশিনগান – যুদ্ধে ব্যবহৃত বন্দুকের মতো অস্ত্র। – যোদ্ধারা মেশিনগান ব্যবহার করেন।
অকুতোভয় – ভয় নেই যার। – মহিউদ্দিন ছিলেন অকুতোভয় এক যোদ্ধা।
বীরগাথা – বীরের গল্প। – মুক্তিযোদ্ধাদের বীরগাথা চিরস্মরণীয়।

২. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক) বীরশ্রেষ্ঠরা কেন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন?
উত্তর : বীরশ্রেষ্ঠরা দেশকে ভালোবাসতেন। দেশকে যেকোনো মূল্যে পাকিস্তানি হানাদারদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্যই বীরশ্রেষ্ঠরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন।
খ) ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কীভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন- বর্ণনা করি।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ত্যাগ করে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা চারজন ৩রা জুলাই তারিখে রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের শিয়ালকোট হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় পৌঁছান। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় ৭ নম্বর সেক্টরে। অবশেষে ভারতের মালদহ জেলার মেহেদিপুরে অবস্থিত মুক্তিবাহিনীর সাথে যুক্ত হলেন। এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
গ) যুদ্ধবিমানের নিয়ন্ত্রণ নিতে গেলে মতিউরের কী ঘটেছিল?
উত্তর : যুদ্ধবিমানের নিয়ন্ত্রণ নিতে গেলে মতিউরকে করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়েছিল।
মতিউর যুদ্ধবিমানের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে তাঁকে বাধা দেন পাকিস্তানি সহবৈমানিক রশিদ মিনহাজ। নিয়ন্ত্রণ নেওয়া নিয়ে শূন্যে থাকা অবস্থাতেই তার সাথে মতিউরের ধস্তাধস্তি হয় এবং বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। প্রাণ হারান মতিউর রহমান।
ঘ) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান যে অসীম সাহসের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন তার বর্ণনা দিই।
উত্তর : বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ছিলেন এক অকুতোভয় বীর। তাঁর নেতৃত্বে তিন প্লাটুন সৈন্য যায় ধলই সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করতে। তারা রাতের আঁধারে অত্যন্ত সাবধানে শত্রæদের বাঙ্কার নিশ্চিহ্ন করার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু সে সময় মাইন বিস্ফোরণের ফলে তুমুল যুদ্ধ বেধে যায়। হামিদুরের কাছে ছিল একটা রাইফেল আর দুটি গ্রেনেড। নির্ভুল নিশানায় গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শত্রæর আক্রমণকে স্তব্ধ করে দিলেন তিনি।
ঙ) এক মহান বীরগাথার রচয়িতা তাঁরা – ব্যাখা করি।
উত্তর : দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য নিজেদের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সিপাহি হামিদুর রহমান, ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর এবং মতিউর রহমান অসাধারণ বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাদের বীরত্বের কারণেই শত্রæরা পর্যুদস্ত হয়েছে। আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। দেশের জন্য নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়ে তারা আত্মত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে গেছেন। তাই তাদের বলা যায় মহান বীরগাথার রচয়িতা।

৩. তারিখবাচক শব্দ শিখি।
লেখাটিতে আছে ‘১৯৫২ সালের ২রা ফেব্রæয়ারি’- এখানে ব্যবহৃত ‘২রা’ শব্দটি হলো তারিখবাচক শব্দ। এরকম ১০ পর্যন্ত বলতে ও লিখতে হয় এইভাবে :
১লা (পহেলা) ৬ই (ছয়ই)
২রা (দোসরা) ৭ই (সাতই)
৩রা (তেসরা) ৮ই (আটই)
৪ঠা (চৌঠা) ৯ই (নয়ই)
৫ই (পাঁচই) ১০ই (দশই)

৪. ঠিক উত্তরটিতে টিক (√) চিহ্ন দিই।
ক) বাংলাদেশের কোন নেতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দিয়েছিলেন?
(১) মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
(২) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান √
(৩) হোসেন শহীিদ সোহরাওয়ার্দী
(৪) শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক
খ) বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কীভাবে যুদ্ধ করেছিলেন?
(১) মেশিনগান থেকে গুলি ছুঁড়েছিলেন
(২) ট্যাংক নিয়ে অগ্রসর হয়েছিলেন
(৩) গ্রেনেড ছুঁড়েছিলেন √
(৪) বিমান থেকে আক্রমণ করছিলেন
গ) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীরশ্রেষ্ঠ কত জন?
১. ৩ জন ২. ৫ জন
৩. ৭ জন √ ৪. ৯ জন
ঘ) মতিউর রহমানের বিমানটি কোথায় বিধ্বস্ত হয়েছিল?
(১) ভারতের শ্রীনগরে
(২) পাকিস্তানের থাট্টায় √
(৩) বাংলাদেশের মেহেরপুরে
(৪) ভারতের ত্রিপুরায়
ঙ) শ্রীমঙ্গল থানার ধলই সীমান্ত ফাঁড়িটি দখলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কে?
(১) হামিদুর রহমান √
(২) মতিউর রহমান
(৩) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
(৪) মোস্তফা কামাল

৫. বড়দের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা জানার চেষ্টা করি ও তা শুনে এসে বন্ধুদের কাছে বলি।
উত্তর : বড়দের কাছে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জান এবং সে বিষয়ে বন্ধুদের সাথে নিজেরা বল।

৬. নিচের ছবিটি অবলম্বনে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আমার ভাবনা লিখে জানাই।

উত্তর : ছবিটি মুক্তিযুদ্ধে শত্রæকে পরাজিত করে ঘরে ফেরার কথা মনে করিয়ে দেয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল তা ছবিটি দেখে বোঝা যায়। সকলের একসাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণই দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথ সহজ করেছিল।

বীরশ্রেষ্ঠর বীরগাথা অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তার

🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ।
১) বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সাথে বীরশ্রেষ্ঠ
হামিদুর রহমানের মিল কোথায়? জ
ক জন্ম একই জেলায়
খ দুজনেই পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসেন
গ যুদ্ধক্ষেত্রে শহিদ হওয়ায়
ঘ দুজনেই বৈমানিক ছিলেন
২) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কীভাবে শহিদ হন? চ
ক গুলির আঘাতে খ গ্রেনেড হামলায়
গ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ঘ রাজাকারদের নির্যাতনে
৩) ১৯৭১ সালের ২৬-এ মার্চ থেকে কী শুরু হয়? ছ
ক ভাষা আন্দোলন খ স্বাধীনতার সংগ্রাম
গ বিমান হামলা ঘ গ্রেনেড হামলা
৪) ১৯৭১ সালে যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল- চ
ক গোটা বাংলাদেশ
খ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা
গ পশ্চিম পাকিস্তান
ঘ গোটা ভারত
৫) মতিউর রহমানকে বলা যায়- ঝ
ক মুক্তিযোদ্ধা খ বীরশ্রেষ্ঠ
গ দেশপ্রেমিক ঘ সবগুলোই
৬) মতিউর রহমান পাকিস্তান থেকে কী নিয়ে
মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে চেয়েছিলেন? ঝ
ক গোলাবারুদ খ ট্যাঙ্ক
গ যুদ্ধজাহাজ ঘ যুদ্ধবিমান
৭) বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান কোন তারিখে শহিদ হন? ছ
ক ১৯৭১ সালে ২৬-এ মার্চ
খ ১৯৭১ সালের ২০-এ আগস্ট
গ ১৯৭১ সালের ২৮-এ অক্টোবর
ঘ ১৯৭১ সালের ১০ই ডিসেম্বর
৮) টি-৩৩ কেন বিধ্বস্ত হয়েছিল? ঝ
ক যান্ত্রিক ত্রæটি থাকায়
খ আবহাওয়া খারাপ থাকায়
গ শত্রæর বোমায় আক্রান্ত হওয়ায়
ঘ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া নিয়ে ধস্তাধস্তি হওয়ায়
৯) থাট্টা কোথায় অবস্থিত? জ
ক ভারতে খ বাংলাদেশে
গ পাকিস্তানে ঘ নেপালে
১০) কত সালে মতিউর রহমানের দেহাবশেষ দেশে
ফিরিয়ে আনা হয়? ঝ
ক ১৯৭১ সালে খ ১৯৭৬ সালে
গ ২০০১ সালে ঘ ২০০৬ সালে
১১) ভাষা আন্দোলনের বছর জন্মগ্রহণ করেন কে? ছ
ক বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান
খ বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান
গ বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
ঘ বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
১২) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানকে প্রথমে কোথায় সমাহিত
করা হয়েছিল? চ
ক ত্রিপুরায় খ মশরুরে
গ ঝিনাইদহে ঘ বরিশালে
১৩) ধলই সীমান্ত ফাঁড়ি কোথায় অবস্থিত? ঝ
ক ত্রিপুরায় খ বরিশালে
গ মালদহে ঘ শ্রীমঙ্গলে
১৪) মাইন বিস্ফোরণের ফলে কী হলো? ঝ
ক বাঙ্কার ধ্বংস হয়ে গেল
খ মুক্তিযোদ্ধারা পরাজিত হলেন
গ বিমান ভূপাতিত হলো
ঘ পাকিস্তানি সেনারা সতর্ক হয়ে গেল
🟥 নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
অবিস্মরণীয়, প্রশিক্ষণ, আহŸান, নিশ্চিহ্ন, মহুর্মুহু, স্তব্ধ।
উত্তর : শব্দ অর্থ
অবিস্মরণীয় – ভুলবার নয় এমন।
প্রশিক্ষণ – হাতে-কলমে শিক্ষা।
আহŸান – ডাকা।
নিশ্চিহ্ন – সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস।
স্তব্ধ – নিশ্চল।
🟥 নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।
অসীম, যুদ্ধ, পরাজিত, আত্মত্যাগ।
উত্তর :
শব্দ বাক্য
অসীম – সৃষ্টিকর্তার অসীম দয়ায় আমরা বেঁচে আছি।
যুদ্ধ – মুক্তিযোদ্ধারা হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন।
পরাজিত – হানাদারদের পরাজিত করে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
আত্মত্যাগ – ভাষাশহিদেরা বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগ করেছেন।
🟥 শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) ধ্বংস করেন তাদের  বাঙ্কার।
খ) শ্রীমঙ্গল থানার ধলাই  ফাঁড়ি।
গ) এক মহান  রচয়িতা তাঁরা।
ঘ)  নিশানায় প্রথম গ্রেনেডটা ছুঁড়লেন হামিদুর।
ঙ) বিমানটি পাকিস্তানের থাট্টায়  হয়।
উত্তর : ক) সুরক্ষিত; খ) সীমান্ত; গ) বীরগাথার;
ঘ) নির্ভুল; ঙ) বিধ্বস্ত।
🟥 ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর।
হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ ফিরিয়ে আনা হয়
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর জন্মগ্রহণ করেন
মতিউর রহমান জন্মগ্রহণ করেন ২০০৬ সালে
২০০৭ সালে
১৯৪৮ সালে
উত্তর :
হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ ফিরিয়ে আনা হয়
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর জন্মগ্রহণ করেন
মতিউর রহমান জন্মগ্রহণ করেন – ২০০৭ সালে
১৯৪৮ সালে
১৯৪১ সালে

🟥 নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন কর।
ঞ্জ, স্ব, ল্ল, দ্ব, প্ল।
উত্তর : ঞ্জ = ঞ + জ – শিঞ্জন
স্ব = স + ব-ফলা ( ^) – স্বাগতম
ল্ল = ল + ল – পল্লি
দ্ব = দ + ব-ফলা ( ^) – উদ্বেল
প্ল = প + ল – প্লাবন
🟥 নিচের শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ করে লেখ।
রঞ্ছিত, প্রসিক্ষণ, বিষ্ফোরিত, বুদ্ধিজিবী।
উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান
রঞ্ছিত – রঞ্জিত
প্রসিক্ষণ – প্রশিক্ষণ
বিষ্ফোরিত – বিস্ফোরিত
বুদ্ধিজিবী – বুদ্ধিজীবী
🟥 নিচের শব্দগুলোর কোনটি কোন পদ লেখ।
আলো, সাহসী, চাইলেন, স্বাধীন, তাঁরা।
উত্তর : মূল শব্দ পদ
আলো – বিশেষ্য
সাহসী – বিশেষণ
চাইলেন – ক্রিয়া
স্বাধীন – বিশেষণ
তাঁরা – সর্বনাম
🟥 এককথায় প্রকাশ কর।
ক) ভোলার নয় এমন; খ) বিমান চালনা করেন যিনি; গ) যারা বুদ্ধি দিয়ে জীবিকা অর্জন করেন; ঘ) অতুলনীয় সুন্দর।
উত্তর : ক) অবিস্মরণীয়; খ) বৈমানিক; গ) বুদ্ধিজীবী; ঘ) অনুপম।
🟥 নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
শত্রæ, বীর, পরাজিত, ত্যাগ, সামরিক, প্রাণহীন, গুরুত্বপূর্ণ, সতর্ক, নিঃশব্দে, স্বাধীন।
উত্তর :
মূল শব্দ বিপরীত শব্দ মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
শত্রæ – বন্ধু প্রাণহীন – প্রাণময়
বীর – ভিতু গুরুত্বপূর্ণ – গুরুত্বহীন
পরাজিত – জয়ী সতর্ক – অসতর্ক
ত্যাগ – গ্রহণ নিঃশব্দে – সশব্দে
সামরিক – বেসামরিক স্বাধীন – পরাধীন
🟥 নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কীভাবে শহিদ হন?
উত্তর : মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মহানন্দার যুদ্ধে বীরের মতো যুদ্ধ করে শহিদ হন।
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সাথে পাকিস্তানি সেনাদের বাঙ্কারে আক্রমণ চালান। তাঁর ছোড়া গ্রেনেডে মুহূর্তে ধূলিসাৎ হয়ে যায় শত্রæর একটি বাঙ্কার। কিন্তু শত্রæর একটি গুলি এসে গায়ে লাগলে শহিদ হন এ অকুতোভয় বীর।
খ) সাতজন বীরশ্রেষ্ঠর নাম লেখ।
উত্তর : সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ হলেন- (১) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, (২) মোস্তফা কামাল, (৩) হামিদুর রহমান, (৪) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, (৫) মতিউর রহমান, (৬) মুন্সী আবদুর রউফ এবং (৭) নূর মোহাম্মদ শেখ।
গ) জাহাঙ্গীরের মতোই কোন ভাবনা ছিল মতিউরের?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের মতোই মতিউরও ছিলেন পাকিস্তানে। জাহাঙ্গীরের মতোই পাকিস্তান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার ভাবনা ছিল তাঁর।
ঘ) টি-৩৩ কী?
উত্তর : টি-৩৩ হলো পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান। ১৯৭১ সালের ২০শে আগস্ট বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান এ বিমানটি নিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে বিমানটি বিধ্বস্ত হলে তিনি শহিদ হন।
ঙ) মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন মতিউর রহমান কী হিসেবে কর্মরত ছিলেন?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন মতিউর রহমান পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
চ) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর : বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের জন্মস্থান ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার খর্দ খালিশপুর গ্রামে।
ছ) হামিদুরকে প্রথমে কোথায় সমাহিত করা হয়?
উত্তর : হামিদুরকে প্রথমে ভারতের ত্রিপুরার আমবাসা ইউনিয়নের গ্রামে হাতিমারাছড়া সমাহিত করা হয়।
🟥 বুঝিয়ে লেখ
এই বীরদের মহান আত্মত্যাগের মর্যাদা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
উত্তর : আলোচ্য লাইনটি ‘বীরশ্রেষ্ঠর বীরগাথা’ নামক রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে।
এখানে দেশের জন্য বীরশ্রেষ্ঠদের অবদান সকলের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকার কথা বলা হয়েছে।
বীরশ্রেষ্ঠরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে এদেশকে মুক্ত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।তাঁদের এই আত্মত্যাগের কথা আমরা কোনোদিন ভুলব না।

বীরশ্রেষ্ঠর বীরগাথা মডেল টেস্ট

 

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের জন্ম ১৯৪৮ সালে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে ছিলেন। সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ত্যাগ করে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁরা চারজন ৩রা জুলাই তারিখে রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের শিয়ালকোট হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় পৌঁছান। চারজন বীর সেনাকে স্বাগত জানান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী। ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরকে পাঠানো হয় ৭ নম্বর সেক্টরে। সেখান থেকে তিনি মালদহ জেলার মেহেদিপুর মুক্তিবাহিনী ক্যাম্পে যোগ দেন। তিনি এই সাব-সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন।
১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কোথায় ছিলেন?
(ক) বাংলাদেশে (খ) পূর্ব পাকিস্তানে
(গ) পশ্চিম পাকিস্তানে (ঘ) ভারতে
২) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর জীবনের ঝুঁকি নেন কেন?
(ক) গ্রামে ফিরে আসতে
(খ) দেশের জন্য যুদ্ধ করতে
(গ) মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে
(ঘ) পালিয়ে পাকিস্তান যেতে
৩) কোনটি মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের জন্মসাল?
(ক) ১৯৩৬ (খ) ১৯৪৪
(গ) ১৯৪৮ (ঘ) ১৯৫২
৪) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে কয় নম্বর সেক্টরে পাঠানো হয়?
(ক) ৭ নম্বর (খ) ৮ নম্বর
(গ) ৯ নম্বর (ঘ) ১০ নম্বর
৫) অনুচ্ছেদে প্রকাশিত হয়েছে-
(ক) ভারতের পাহাড়ের কথা
(খ) মুক্তিবাহিনীর বীরত্বের কথা
(গ) একজন বীরশ্রেষ্ঠর বীরত্বের কথা
(ঘ) পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচারের কথা
উত্তর : ১) (গ) পশ্চিম পাকিস্তানে; ২) (খ) দেশের জন্য যুদ্ধ করতে; ৩) (গ) ১৯৪৮; ৪) (ক) ৭ নম্বর; ৫) (গ) একজন বীরশ্রেষ্ঠর বীরত্বের কথা।
২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
সিদ্ধান্ত, বীর, স্বাগত, পরিকল্পনা, প্রবেশ।
উত্তর :
শব্দ অর্থ
সিদ্ধান্ত – নির্ধারণ, স্থির করা।
বীর – সাহসী।
স্বাগত – অভিনন্দন জানানো।
পরিকল্পনা – কোনো কাজ করার আগে তা কীভাবে করা হবে সেটি আগে থেকে ঠিক করে নেওয়া।
প্রবেশ – ভিতরে যাওয়া।
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কোথায় জন্মগ্রহণ করে?
উত্তর : মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
খ) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন?
উত্তর : মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ত্যাগ করে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
গ) ভারতে পৌঁছে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কী করলেন?
উত্তর : ভারতে পৌঁছে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মালদহ জেলার মেহেদিপুরে অবস্থিত মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিলেন।
৪. অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া এক বীর সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে তিনি ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানে। সেখান থেকে জীবন বাজি রেখে ভারতে পালিয়ে এসে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। দেশের জন্য লড়াই করেন এই সাহসী মুক্তিযোদ্ধা।

এ অংশে পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশটি পড়ে ৩ ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এখানে থাকবে- (৫) বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (৬) শূন্যস্থান পূরণ (৭) প্রশ্নের উত্তর লিখন প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পরীক্ষায় কমন পড়বে না। তাই এটি এখানে দেওয়া হলো না। তবে পরীক্ষার প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ নমুনা (ঋড়ৎসধঃ) বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায়ে পাঠ্য বই বহির্ভূত অংশটি সংযোজন করা হয়েছে।
……………………………………………………………..
৮. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
দ্ধ, ক্ত, স্ত, ম্ম, ল্প
উত্তর : দ্ধ = দ + ধ – বদ্ধ
– বদ্ধ পরিবেশে দম আটকে আসছে।
ক্ত = ক + ত – রক্ত
– রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি।
স্ত = স + ত – ব্যস্ত
– বাবা খুব ব্যস্ত মানুষ।
ম্ম = ম + ম – আম্মু
– আম্মু আমাকে খুব আদর করেন।
ল্প = ল + প – গল্প
– গল্পটি আমি শুনেছি।
৯. সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
তিনজন বীরশ্রেষ্ঠের কথা জানলাম আমরা এক মহান বীরগাথার রচয়িতা তাঁরা তাঁদের মতো অনেকের জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ এই বীরদের মহান আত্মত্যাগের মর্যাদা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে
উত্তর : তিনজন বীরশ্রেষ্ঠের কথা জানলাম আমরা। এক মহান বীরগাথার রচয়িতা তাঁরা। তাঁদের মতো অনেকের জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। এই বীরদের মহান আত্মত্যাগের মর্যাদা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
১০. এককথায় প্রকাশ কর।
ক) বীরত্বে সবার সেরা; খ) যুদ্ধের জন্য তৈরি করা মাটির গর্ত; গ) অত্যন্ত সাহসের কাজ; ঘ) যুদ্ধ করার বিমান; ঙ) কোনো কিছুই ভয় পায় না যে।
উত্তর : ক) বীরশ্রেষ্ঠ; খ) বাঙ্কার; গ) দুঃসাহসিক;
ঘ) যুদ্ধবিমান; ঙ) অকুতোভয়।
১১. নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
আলো, মৃত্যু, পাহাড়, যুদ্ধ, মাটি।
উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক শব্দ
আলো – জ্যোতি, কিরণ।
মৃত্যু – মরণ, জীবনাবসান।
পাহাড় – গিরি, পর্বত।
যুদ্ধ – রণ, সমর।
মাটি – মৃত্তিকা, ভূমি।
১২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
(গদ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)

 

Leave a Reply