সপ্তম শ্রেণির বাংলা ছবির রং

ছবির রং
হাশেম খান
লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য

 লেখক পরিচিতি
নাম হাশেম খান।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার শেকদি গ্রাম।
পিতৃ-মাতৃপরিচয় পিতার নাম : মো. ইউসুফ খান। মাতার নাম : নুরেননেছা বেগম।
শিক্ষাজীবন চাঁদপুর হাসান আলী হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন করেন এবং ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
পেশা/কর্মজীবন ১৯৬২ থেকে ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত চারুকলা ইনস্টিটিউটে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শিশু-কিশোর আন্দোলন ‘কচিকাঁচার মেলা’র অন্যতম সংগঠক তিনি।
সাহিত্য সাধনা ছবি আঁকা ছবি লেখা, জয়নুল গল্প, চারুকলা পাঠ, গুলিবিদ্ধ ৭১ ইত্যাদি তাঁর প্রকাশিত বই।
পুরস্কার ও সম্মাননা একুশে পদক (১৯৯২), স্বাধীনতা পদক (২০১১) লাভসহ অনেক পুরস্কারে ভ‚ষিত হয়েছেন।

সৃজনশীলপ্রশ্নওউত্তর
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
গত ডিসেম্বর রিংকু তার মামার বাড়ি আলোকদিয়ায় বেড়াতে যায়। তার মা তাকে সেখানকার স্কুলে নিয়ে যান। স্কুল প্রাঙ্গণে নানা রঙের অনেক ফুল আর প্রজাপতি দেখে সে মুগ্ধ হয়। সেখানে সে শিক্ষার্থীদের তৈরি উজ্জ্বল রঙের নানা ধরনের পুতুল, বিভিন্ন রং দিয়ে আঁকা ছবি দেখে অভিভ‚ত হয়ে পড়ে।
ক. চাষিরা কোন মাসে দল বেঁধে ফসল কাটে?
খ. ‘এ দেশের প্রকৃতি নানারূপে প্রতিফলন ঘটেছে।’- বুঝিয়ে লেখ।
গ. স্কুলের দৃশ্যে কোন ঋতুর পরিচয় পাওয়া যায়?
ঘ.‘বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি পুতুল ও আঁকা ছবিগুলো যেন আমাদেরই প্রকৃতি।’- ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের আলোকে এ উক্তির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

ক অগ্রহায়ণ মাসে চাষিরা দল বেঁধে ফসল কাটে।
খ আমাদের দেশের চিত্রশিল্পীরা বাংলাদেশের প্রকৃতিকে তাদের ছবিতে রঙে ও রেখায় ফুটিয়ে তোলেন।
আমাদের চারপাশে প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গ ছড়িয়ে রয়েছে। গাছপালা, লতাপাতা, ফুল, মাঠ, পাহাড় প্রভৃতি নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল হয়ে আছে। এছাড়া ষড়ঋতুর এই দেশে প্রতিটি ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন রঙের আবির্ভাব ঘটে। চিত্রশিল্পীরা তাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রকৃতির এসব রূপের প্রতিফলন ঘটান তাদের রং ও তুলির আঁচড়ে। তাই বাংলার প্রকৃতির নানারূপ ছবিতে পাওয়া যায়।
গ স্কুলের দৃশ্যে ফুটে ওঠা রঙের বাহারে অগ্রহায়ণ ও পৌষ ঋতুর পরিচয় পাওয়া যায়।
‘ছবির রং’ প্রবন্ধে আমরা দেখি ঋতুর বদল হওয়াতে প্রকৃতিতে নিরন্তর রং-বদলের খেলা চলতে থাকে। যে রঙের খেলা আমাদের চোখে আনন্দের মায়া কাজল পরিয়ে দেয়। এখন অগ্রহায়ণ মাসে সবুজ ধানখেতে সোনা বরণ হলুদ রং ধারণ করে তখন সে দৃশ্য দেখে মানুষ মুগ্ধ হয়।
উদ্দীপকের রিংকু যখন ডিসেম্বর মাসে মামার বাড়ি যায় তখন অগ্রহায়ণ আর পৌষ মাস। এ সময় ধান হলুদ বর্ণ ধারণ করে। প্রকৃতি তখন ব্যস্ত হয়ে পড়ে নানা রঙের ফুল ফোটানোর কাজে। রিংকু তাই মামার বাড়ি স্কুল প্রাঙ্গণে গিয়ে নানা রঙের রঙিন ফুল ও বর্ণিল প্রজাপতি দেখে মুগ্ধ হয়। এছাড়া স্থানীয় শিক্ষার্থীদের তৈরি নানা রঙের পুতুল ও বিভিন্ন রং দিয়ে আঁকা ছবি দেখে অভিভ‚ত হয়ে পড়ে। কারণ শিক্ষার্থীরা প্রকৃতির উজ্জ্বল রঙের সাথে পরিচিত হওয়ার সুবাদে ছবিতেও উজ্জ্বল রং ব্যবহার করে।
ঘ ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবিগুলো যেন আমাদেরই প্রকৃতি’- ছবির রং প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি যথার্থ।
বাংলাদেশের শিশুরা জন্মগতভাবেই সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা প্রকৃতির সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠে। তাই তাদের মধ্যে ছোটবেলা থেকেই মৌলিক রঙের বোধ তৈরি হয় এবং তাদের সৃষ্টিশীলতায় মূলত প্রকৃতিই কথা বলে।
প্রবন্ধে উল্লিখিত শিশুদের যে বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে, তা উদ্দীপকের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাদের আঁকা চিত্রকর্মেও প্রকৃতিকে উপস্থাপন করবে। শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবির মধ্যে ফুটে উঠেছে প্রকৃতির সহজাত সৌন্দর্যবোধ। এর ফলে তাদের আঁকা ছবিতে গ্রামবাংলার প্রকৃতিই স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হবে। ‘ছবির রং’ প্রবন্ধে বাংলার শিশুদের চিত্র অঙ্কনের প্রসঙ্গে যে বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচিত হয়েছে, তার অনুসরণ করলে উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবিগুলোও বাংলার তথা আমাদের প্রকৃতিকেই উপস্থাপন করবে।
আলোচনা শেষে বলা যায়, বাংলাদেশের প্রতি ঋতুতে নানা রঙের সমাবেশ দেখে বাঙালিরা অভিত‚ত হয়। তাই আমাদের নবীন শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবিতেও সেই রঙের সমাবেশ বিশেষভাবে ফুটে ওঠে।
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নির্ঝর ও নিলয় কলকাতা থেকে ঢাকায় এসেছে। উদ্দেশ্য এ দেশের বিভিন্ন জেলার ছেলেমেয়েদের সাথে ছবি আঁকায় অংশ নেওয়া। চারুকলার বকুলতলায় ছবির মেলার আয়োজন। দেশি-বিদেশি ছেলেমেয়েরা এর অংশগ্রহণকারী। নির্ঝরের চোখ একটি ছবির কাছে এসে থমকে যায়। ছবিটি যশোর থেকে আসা ঐতিহ্যের আঁকা। এটি যেন একটি ভিন্ন প্রকৃতির ছবি।
ক. বাংলাদেশের ঋতু কয়টি? ১
খ. বাংলাদেশের শিশুদের আঁকা ছবির অন্যতম বৈশিষ্ট্যসমূহ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. নির্ঝর ঐতিহ্যের ছবিতে কী বৈশিষ্ট্য দেখতে পায়- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. চিত্রশিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে উদ্দীপকে উলি­খিত ছবি আঁকার আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর। ৪

ক বাংলাদেশে ছয়টি ঋতু।
খ বাংলাদেশের শিশুদের আঁকা ছবির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এগুলো মৌলিক রং ঘেঁষা।
জন্মের পর থেকেই আমাদের দেশের শিশুরা তাদের চারপাশে গাছ, লাতাপাতা, ফুল, মাঠ, নদী, পাহাড়-পর্বত ইত্যাদি দেখে বড় হয়। এসব জিনিসের রয়েছে নিজস্ব রূপ, রং। রঙের এমন সমারোহ অন্যান্য দেশে তেমন নেই। অন্যান্য দেশের শিশুদের ছবির রঙের তুলনায় বাংলাদেশের শিশুদের ছবির রং অনেক উজ্জ্বল এবং মৌলিক রং ঘেঁষা। এই রং বাংলাদেশের শিশুদের ছবি আঁকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
গ নির্ঝর ঐতিহ্যের ছবিতে মৌলিক রং দিয়ে আঁকা বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বৈশিষ্ট্য দেখতে পায়।
ছবির অনেক রং রয়েছে। তবে তিনটি রং মৌলিক। বাংলার শিল্পীরা এই মৌলিক রং দিয়ে প্রকৃতির চিত্র ফুটিয়ে তোলেন যা পৃথিবীর সকলের মন কাড়ে। বাংলার চিত্রশিল্পীরা সহজাতভাবেই মৌলিক রঙের ব্যবহার করে প্রকৃতিকেই তুলির আঁচড়ে প্রাণবন্ত করে তোলেন। প্রকৃতির মেলায় বেড়ে ওঠা এ শিল্পীরা নিজের সৃজনশীলতা ও প্রকৃতির সৌন্দর্যবোধের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়েই চিত্রকর্মের রূপায়ণ করে।
এ কারণে নির্ঝরের দেখা ছবিটিতেও এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। নির্ঝর কলকাতা থেকে ঢাকা এসেছে। তার উদ্দেশ হলো বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের সাথে ছবি আঁকায় অংশ নেওয়া। নির্ঝর হঠাৎ একটি ছবি দেখে থমকে যায়। কারণ ছবিটি ছিল অনেক উজ্জ্বল, সাহসী ও মৌলিক রং ঘেঁষা এবং বাংলার প্রকৃতির একটি সুন্দর দৃশ্য আঁকা ঐতিহ্যবাহী ছবি যা প্রকারান্তরে বাংলার প্রকৃতিকেই উপস্থাপন করবে।
ঘ চিত্রশিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে উদ্দীপকে উল্লিখিত ছবি আঁকার আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
চিত্রশিল্প বাংলাদেশের একটি বিশেষ দিক। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের শিশুরাও এখন ছবি আঁকছে। এ শিল্পীরা মৌলিক রং ঘেষা প্রকৃতির ছবি এঁকে পৃথিবীর সকলের মন কাড়ে।
উদ্দীপকে দেখি চারুকলা ইনস্টিটিউট কর্তৃক ছবির মেলার আয়োজন করা হয় চারুকলার বকুলতলায়। উক্ত আয়োজনের আমন্ত্রণে নির্ঝর ও নিলয় ঢাকায় আসে। দেশ-বিদেশের ছেলেমেয়েরা এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করে। আমাদের দেশের চিত্রশিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে ছবি আঁকার আয়োজন একটি ইতিবাচক দিক। ছবি আঁকার আয়োজনে বিভিন্ন দেশ থেকে চিত্রশিল্পীরা অংশ নিলে আমাদের চিত্রশিল্প বিশ্বের দরবারে স্থান পাবে। চিত্রশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আয়োজন করতে হবে এরকম অনেক ছবি আঁকা-প্রতিযোগিতার।
সুতরাং, একথা বলা যায়, চিত্রশিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে ছবি আঁকার আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য যার উৎকর্ষতা দেখিয়ে আমরা বিশ্বদরবারে পরিচিত হতে পারব।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ
রুমকি ঢাকা শহর থেকে গ্রামে দাদার বাড়িতে বেড়াতে যায়। তখন ছিল শীতকাল। দাদার সঙ্গে রোদেলা সকালে রুমকি গ্রামে ঘুরতে বের হয়। রুমকি দেখতে পেল গ্রামের প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় ফুটে আছে নানা প্রজাতির ফুল। গ্রামের পরিবেশ, নিসর্গ যেন ঢাকা শহর থেকে ভিন্ন রঙে সেজেছে। প্রকৃতির নানা রঙের সমাহার দেখে রুমকি অভিভ‚ত হয়ে পড়ে। গ্রামে সে লোকশিল্পও দেখতে পায়। লোকশিল্পীরা মাটি দিয়ে নানান জিনিসপত্র তৈরি করে তাতে উজ্জ্বল ও সতেজ রং ব্যবহার করে শিল্পকে সুন্দর ও মোহনীয় রূপ দিয়ে চলেছে।
ক. ষড়ঋতুর শেষ ঋতু কোনটি? ১
খ. শীতকালে বাংলাদেশে অতিথি পাখি আসে কেন? ২
গ. লোকশিল্পীরা শিল্পকে মোহনীয় রূপ দিয়ে চলেছে কীভাবে প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘প্রকৃতির নানা রঙের সমাহার আমাদেরকে অভিভূত করে। উক্তিটি ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ষড়ঋতুর শেষ ঋতু বসন্ত।
খ শীতকালে বাংলাদেশে অতিথি পাখির বসবাসের উপযোগী পরিবেশ থাকার কারণে অতিথি পাখি বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসে।
পৌষ ও মাঘ দুই মাস শীতকাল। এ সময় আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের অতিথি পাখি আসে। শীতকালে উত্তরের দেশগুলোর তুলনায় এদেশে শীত কম থাকে। তখন উত্তরের দেশগুলোতে আবহাওয়া অত্যন্ত ঠান্ডা হয় এবং বরফ পড়তে থাকে। ফলে খুব ঠান্ডা ও বরফপড়া দেশ থেকে বাঁচার জন্য লক্ষ লক্ষ পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে আমাদের দেশে উড়ে আসে। শীতকালে এদেশে অতিথি পাখি খাল, বিল, নদীতে আশ্রয় নেয়।
গ লোকশিল্পীরা উজ্জ্বল সতেজ ও নানা রঙে শিল্পকে মোহনীয় রূপ দিয়ে চলেছে।
ছবিতে অনেক রঙের ব্যবহার রয়েছে। কিছু অনেক উজ্জ্বল, কিছু রং অনুজ্জ্বল। উজ্জ্বল ও সতেজ রং ব্যবহার করে শিল্পকে মোহনীয় রূপ দেয়া যায়। ‘ছবির রং’ প্রবন্ধে দেখি আমাদের গ্রামীণ সমাজে লোকশিল্পীরা মাটির পুতুল, কাঠের পুতুল, কাপড় ও তুলার পুতুল, শখের হাঁড়ি, নকশিকাঁথা ইত্যাদি শিল্প তৈরি করছে। শিল্পীরা লোকশিল্পে উজ্জ্বল ও সতেজ রং ব্যবহার করে এসব শিল্পকে সুন্দর ও মোহনীয় রূপ দিয়ে চলেছে।
উদ্দীপকে দেখি রুমকি ঢাকা শহর থেকে গ্রামে দাদার বাড়িতে বেড়াতে আসে। তখন ছিল শীতকাল। রুমকি দাদার সঙ্গে গ্রামে ঘুরতে বের হয়। সে গ্রামে লোকশিল্প দেখতে পায়। লোকশিল্পীরা মাটি দিয়ে নানা জিনিস তৈরি করছে। শিল্পীরা তাদের তৈরি জিনিসপত্রে উজ্জ্বল ও সতেজ রং ব্যবহার করে লোকশিল্পকে সুন্দর ও মোহনীয় রূপ দিয়ে চলেছে।
ঘ ‘প্রকৃতির নানা রঙের সমাহার আমাদের অভিভ‚ত করে’ -উক্তিটি যথার্থ।
‘ছবির রং’ প্রবন্ধে দেখি, বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। বিভিন্ন ঋতুতে আমাদের পরিবেশে, নিসর্গে, উজ্জ্বল, সুন্দর নানা রঙের সমাহার ঘটে। নিসর্গে উজ্জ্বল, সুন্দর নানা রঙের যে সমাবেশ ঘটেছে, ঘটে চলেছে রূপের রকমফের তা বাঙালির মনকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছে।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, ঢাকা শহর থেকে রুমকি গ্রামে দাদার বাড়িতে বেড়াতে যায়। তখন ছিল শীতকাল, রুমকি রোদেলা সকালে দাদার সঙ্গে গ্রামে ঘুরতে বের হয়। রুমকি দেখতে পায় গ্রামের প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় নানা প্রজাতির ফুল ফুটে আছে। গ্রামের পরিবেশ, প্রকৃতি, নিসর্গ যেন ঢাকা শহর থেকে ভিন্ন রঙে সেজেছে। গিজের চারপাশে নানা রঙের সমাহার দেখে রুমকি অভিভূত হয়ে পড়ে। ‘ছবির রং’ প্রবন্ধে দেখা যায়, বিভিন্ন ঋতুতে আমাদের প্রকৃতির পরিবেশ বদলে যায়। প্রকৃতির এই পরিবর্তন মানুষের মনে দোলা দেয়।
উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, ‘প্রকৃতির বর্ণিল রঙের সমাহার আমাদের অভিভ‚ত করে,- উক্তিটির যথার্থতা রয়েছে।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
জীবিকার তাগিদে আবীর সৌদি আরবে গমন করে। আবীরের মাতৃভুমি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সে বড় হয়েছে। প্রবাস জীবন তার কাছে ভালো লাগে না। বাংলাদেশের ফুল, ফল, রোদ, বৃষ্টি ও সবুজ বনানী তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। বাংলাদেশের ছয়ঋতুতে প্রকৃতি বিভিন্ন রূপে-রঙে সাজে। কিন্তু সৌদি আরবের ঋতুর কোনো পরিবর্তন চোখে পড়ে না। এ রকম ধু-ধু বালির দেশে আবীরের প্রবাস জীবন আর ভালো লাগে না।
ক. ‘ষড়’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. বসন্ত ঋতুকে রঙের ঋতু বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে সৌদি আরবের সঙ্গে কোন দেশের ঋতুর বৈসাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘ফুল-ফল, রোদ-বৃষ্টি ও সবুজ বনানী তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে’Ñ উক্তিটি ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘ষড়’ শব্দের অর্থ ছয়।
খ বসন্ত ঋতুতে প্রকৃতি নানা রঙে সজ্জিত থাকায় এ ঋতুকে রঙের ঋতু বলা হয়।
ষড়ঋতুর শেষ ঋতু বসন্ত। ফাল্গুন ও চৈত্র মাস বসন্তকাল। এই ঋতুতে গাছে গাছে সুন্দর ও সতেজ ফুল ফোটে। নানা ধরনের পাখি ও রঙিন প্রজাপতি এই ঋতুতে দেখা যায়। নানা রঙের মোহনীয়তায় মানুষও স্বভাবসুলভ আনন্দে মেতে ওঠে। বাসন্তী ও উজ্জ্বল রঙের পোশাকে, সাজসজ্জায় মেতে ওঠে। তাই বসন্ত ঋতুকে রঙের ঋতু বলা হয়।
গ উদ্দীপকে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ঋতুর বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ, প্রকৃতির নানারূপ রঙে সজ্জিত মনোমুগ্ধকর রূপের তুলনা এই পৃথিবীর কোথাও নেই। দুই মাস পর পর ঋতুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ দেশের প্রকৃতির রূপ রঙেরও পরিবর্তন হয়। গাছে গাছে ফোটে সুন্দর ও সতেজ ফুল। নানা ঋতুতে নানা ফল দেখা যায়। মানুষের মধ্যেও রঙের মোহনীয় ছোঁয়া লাগে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, আবীর জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব গমন করে। মাতৃভুমি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সে বড় হয়েছে। বাংলাদেশে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেরও পরিবর্তন হয়। কিন্তু আবীরের চোখে সৌদি আরবে কোনো ঋতুর পরিবর্তন ধরা পড়ে না। ধু-ধু বালির দেশে আবীরের প্রবাস জীবন ভালো লাগছে না। এখানেই উদ্দীপকের সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ঋতুর বৈসাদৃশ্য দেখা যায়।
ঘ “বাংলাদেশের ফুল-ফল, রোদ-বৃষ্টি ও সবুজ বনানী আবীরের হাতছানি দিয়ে ডাকে”উক্তিটি ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের আলোকে যথার্থ।
‘ছবির রং’ প্রবন্ধে বর্ণিত হয়েছে যে, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি। বাংলাদেশ ছয়ঋতুর দেশ। এদেশে দুই মাস পরপর ঋতু বদল হয়। বাংলাদেশে একেক ঋতুতে একেক সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। কখনো বিভিন্ন রঙের ছড়াছড়ি। কখনোবা ফুল ও ফলের সমাহার। বাংলাদেশের চারপাশে নদীনালা, খালবিল, সবুজ গাছপালা, বন বনানীর সমাহার দেখা যায়। বিভিন্ন রঙের ও রূপের সৌন্দর্য মানুষের মনকে নানা ভাবে প্রভাবিত করে।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, আবীর জীবন-জীবিকার জন্য সৌদি আরবে যায়। আবীরের মাতৃভুমি বাংলাদেশ। সে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বড় হয়েছে। সৌদি আরবে কোনো ঋতুর পরিবর্তন দেখা যায় না। তাই বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আবীরকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। প্রবাস জীবন তার কাছে ভালো লাগছে না।
তাই বলা যায় যে, বাংলাদেশের ফুলফল, রোদবৃষ্টি বনবনানী তথাপি ঋতুর বৈচিত্র্য তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
শীতের শেষে আসে বসন্তকাল। বসন্তকালে বাংলাদেশের চারপাশ ছেয়ে যায় বিভিন্ন রকমের ফুলে। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে তাকালেই দেখতে পাওয়া যায় সতেজ ও সুন্দর সুন্দর ফুল। প্রতিটি ফুলেই ভ্রমররা মধু পানে রত। কোকিল পাখি মন মাতানো সুরে গান গায়। চারদিকে রঙের ছড়াছড়ি। প্রকৃতির সাথে সাথে মানুষের মনও আনন্দে মেতে ওঠে। মানুষের সাজসজ্জায় আসে পরিবর্তন।
ক. ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের লেখক কে? ১
খ. কখন পুরো মাঠে হলুদ রঙের বাহার দেখা যায়- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের কতটুকু সাদৃশ্য রয়েছে- বর্ণনা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপক এবং ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের মূলভাব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ণনা” উক্তিটির যথার্থতা বিচার কর। ৪

ক ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের লেখক হাশেম খান।
খ হেমন্তকালের শেষ দিকে পুরো মাঠে হলুদ রঙের বাহার দেখা যায়।
বাংলাদেশের ছয় ঋতুর পরিবেশ ছয় রকম। কেননা প্রত্যেকটি ঋতুতে ধরণী স্বরূপে সজ্জিত হয়। ঋতুভেদে প্রকৃতি ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে। হেমন্ত ঋতুতে সবুজ ধান খেতের রং হলুদ হতে শুরু করে। হেমন্ত ঋতুতে পুরো মাঠে হলুদ রঙের বাহার দেখা যায়।
গ উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের আংশিক সাদৃশ্য রয়েছে।
ষড়ঋতুর দেশ আমাদের এই দেশে দুই মাস পরপর ঋতুর সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতিরও পরিবর্তন হয়। প্রকৃতির ছোঁয়ায় মানুষের মনেও পরিবর্তন আসে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, শীতের শেষে আসে বসন্তকাল। এ সময়ে বাংলাদেশের চারপাশ ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে তাকালেই দেখা যায় সুন্দর ও সতেজ ফুল। ফুলে ফুলে ভ্রমর মধু পানে রত। কোকিল মন মাতানো সুরে গান গায়, চারদিকে রঙের ছড়াছড়ি। প্রকৃতির সাথে সাথে মানুষের সাজসজ্জায়ও পরিবর্তন আসে।
‘ছবির রং’ প্রবন্ধেও দেখা যায়, বসন্তকালে গাছে গাছে সতেজ ও সুন্দর ফুল ফোটে। পাখি সব আনন্দে গাছে গাছে নেচে বেড়ায়। মানুষের সাজসজ্জায়ও পরিবর্তন আসে। এখানে লক্ষ করলে দেখা যায় প্রবন্ধে ছয়টি ঋতুর নানা রং রূপের বর্ণনা সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। কিন্তু উদ্দীপকে শুধু বসন্ত ঋতুর বর্ণনা আছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের আংশিক সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ “উদ্দীপক এবং ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের মূলভাব হলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ণনা”- উক্তিটি যথার্থ।
‘ছবির রং’ প্রবন্ধে দেখা যায়, বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। দুই মাস পরপর ঋতু বদল হয়। ঋতুর সাথে সাথে প্রকৃতিরও পরিবর্তন হয়। বসন্তকালে সারা দেশ ছেয়ে যায় ফুলে ফুলে। পাখি আনন্দে ফুলের মধু খেয়ে বেড়ায়। প্রকৃতির সাথে মানুষের মনও মেতে ওঠে। বিভিন্ন ঋতুতে প্রকৃতিতে রং পরিবেশ ইত্যাদির যে ব্যঞ্জনা পরিলক্ষিত হয় তা-ই প্রবন্ধে ফুটে উঠেছে বসন্তকালে চারপাশে নানা ফুল ফোটে। পাখিসব আনন্দে ফুলের মধু পান করে। মানুষের সাজসজ্জায় পরিবর্তন আসে।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, শীত শেষে আসে বসন্তকাল। বসন্তকালে বাংলাদেশের চারপাশ ছেয়ে যায় নানা রঙের ফুলে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই সুন্দর ও সতেজ ফুল দেখতে পাই। ভ্রমর ফুলে ফুলে মধু পানে রত। চারদিকে রঙের ছড়াছড়ি। প্রকৃতির সাথে সাথে মানুষের মনে পরিবর্তন আসে।
উল্লিখিত আলোচনা শেষে বলা যায়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ণনাই উদ্দীপক এবং আলোচ্য প্রবন্ধের মূলভাব।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ
রূপগঞ্জ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আবুল কাসেম তার বিদ্যালয়ের প্রতিটি দেওয়ালে বিখ্যাত মনীষীদের ছবি ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার চিত্র এঁকে রেখেছেন। এমনকি বাংলাদেশের জাতীয় ফুল ফল, মাছ, পশুপাখি ইত্যাদির ছবিও নানা রকম রং ব্যবহার করে এঁকেছেন, যা দেখে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সহজেই ঐসব ব্যাপারে জানতে পারে এবং নিজেরাও ছবি আঁকতে চেষ্টা করে।
ক. রংধনুর কয়টি রং? ১
খ. দ্বিতীয় পর্যায়ের রং কীভাবে পাওয়া যায়? ২
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘ছবির রং’ প্রবন্ধটির সাদৃশ্য নির্ণয় কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের জনাব কাসেম যেন ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের লেখকের প্রতিনিধি।”- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪

ক রংধনুর রং সাতটি।
খ প্রাথমিক রংগুলো মিশিয়ে যেসব রং পাওয়া যায় তাকে দ্বিতীয় পর্যায়ের রং বলে।
হলুদ, নীল এবং লাল এই তিনটি হলো প্রথম পর্যায়ের রং বা মৌলিক রং। এই তিনটি রং মিশিয়ে অনেক রং পাওয়া যায়। তš§ধ্যে সবুজ, বেগুনি ও কমলা হলো দ্বিতীয় পর্যায়ের রং। হলুদ ও নীল মিশিয়ে সবুজ, নীল ও লাল মিশিয়ে বেগুনি এবং লাল ও হলুদ মিশিয়ে কমলা রং পাওয়া যায়। আর এভাবে দ্বিতীয় পর্যায়ের রং পাওয়া যায়।
গ উদ্দীপকের সাথে ‘ছবির রং’ প্রবন্ধটির সাদৃশ্য হলো চিত্রগুলোতে নানা রঙের ব্যবহারের দিকটি ফুটিয়ে তোলা।
ছবিতে ব্যবহৃত নানা রং ও রঙের বৈচিত্র্যের কথা যেমন ‘ছবির রং’ প্রবন্ধে আলোচিত হযেছে, তেমনি উদ্দীপকেও এ অভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
‘ছবির রং’ প্রবন্ধে আমাদের চারপাশের পরিবেশের নানা রং ও রূপের সৌন্দর্য অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আর প্রকৃতির এরূপ রং মনের মাঝে ধারণ করে আমাদের শিল্পীরা ছবিতে রঙে রঙিন করে ফুটিয়ে তোলেন। উদ্দীপকেও শিক্ষক কাসেম সাহেবের কর্মকাণ্ডে শৈল্পিকতার সে প্রেক্ষাপটই উপস্থাপিত হয়েছে। স্কুলের দেয়ালে বাংলার প্রকৃতি, সংস্কৃতি, বিভিন্ন মনীষীদের ছবি, ফুলফল, মাছ-পশুপাখি ইত্যাদির ছবি এঁকে রেখেছেন এবং এসব ছবিতে বাংলার প্রকৃতির নানা রঙের মিশেল ঘটিয়েছেন। যেন শিক্ষার্থীরা সহজেই ঐসব বিষয়ে জানতে পারে। এখানেই উদ্দীপকের সাথে ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ উদ্দীপকের জনাব আবুল কাসেম তার চিত্রকর্মের মাধ্যমে ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের লেখকের প্রতিনিধি হিসেবেই নিজেকে উপস্থাপন করেছেন।
জনাব কাসেম এবং ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের লেখক উভয়েই বাংলার রং রূপ এবং ছবিতে এসব চিত্র ফুটিয়ে তোলায় রঙের ব্যবহার এসব বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।
‘ছবির রং’ প্রবন্ধে লেখক বাংলার চিত্রশিল্পীর মনের আবেগ এবং রঙের ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। আবার উদ্দীপকের প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম সাহেবও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, বাংলাদেশের নানা উপাদান ইত্যাদির ছবি অঙ্কন করে নানা রঙের প্রয়োগ ঘটিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার মাধ্যমে লেখকের পথকেই অনুসরণ করেছেন। উদ্দীপকের ছবিতে নানা রকম রং ব্যবহার করা হয়েছে, যা দেখে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সহজেই ঐসব ব্যাপারে জানতে পারে এবং নিজেরাও ছবি আঁকতে চেষ্টা করে।
উল্লিখিত আলোচনার মাধ্যমে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, উদ্দীপকের জনাব আবুল কাসেম ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের লেখকের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
 অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
এস এম সুলতান একজন বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী। তিনি তার ছবির মধ্যে বাংলার প্রকৃতির রূপকে অসাধারণভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন। সবুজ-শ্যামলিমায় ছাওয়া এই বাংলার রূপের নানা রঙেই যেন তার ছবিকে বিশ্বনন্দিত করেছে। এস এম সুলতান তার ছবির মধ্যে যে রূপ তুলে এনেছেন তা এই বাংলাদেশেরই রূপ। ষড়ঋতুর এই দেশের বর্ণময়তাই যেন তার ছবিকে বেশি প্রভাবিত করে। তার ছবিতে রঙের এই সাবলীল ব্যবহারই তাকে বিশ্বের দরবারে সম্মানিত করেছে।
ক. সবুজ ধানক্ষেতের রং হলুদ হতে শুরু করে কোন ঋতুতে? ১
খ. মৌলিক রং থেকে কী কী রং পাওয়া যায়? ২
গ. এস এম সুলতানের আঁকা ছবিতে বাংলার প্রকৃতিই ফুটে উঠেছেÑ উদ্দীপক ও ‘ছবির রং’-এর আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ছবিতে যে রঙের ছড়াছড়ি তা বাংলা প্রকৃতির রূপ থেকেই নেওয়া হয়েছে।”Ñ‘ছবির রং’ ও উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক সবুজ ধানক্ষেতের রং হলুদ হতে শুরু করে হেমন্ত ঋতুতে।
খ মৌলিক রং থেকে সবুজ, কমলা, আকাশি, বেগুনি ইত্যাদি রং পাওয়া যায়।
মৌলিক রং হলো যার মধ্যে অন্য রং মেশেনি। কিন্তু মৌলিক রং দিয়ে সবুজ, কমলা ও বেগুনি রং পাওয়া যায় যা মাধ্যমিক রং। এগুলো মিশিয়ে আবার নতুন রং পাওয়া যায় যা পরবর্তী পর্যায়ের রং।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ এস এম সুলতানের আঁকা ছবিতে বাংলাদেশের প্রকৃতির বর্ণিল চিত্র ফুটে উঠেছে -এ চিষয়টি উদ্দীপক ও ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের আলোকে আলোচনা করতে হবে।
ঘ এস এম সুলতানের আঁকা ছবিতে যে রঙের ছড়াছাড়ি তা বাংলা প্রকৃতির রূপ থেকেই নেওয়া হয়েছে। কারণ প্রতিটি ঋতু বদলে বাংলায় প্রকৃতির উজ্জ্বল মৌলিক রঙের ছড়াছড়ি। সে উজ্জ্বল মৌলিক রঙের ছাপ এস.এম. সুলতানের ছবিতেও পড়েছে। সে বিষয়টি তুলে ধরতে হবে।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ
শফি স¤প্রতি ব্রাজিল থেকে এসেছে। তার কাছ থেকে জানা যায় সেখানকার প্রকৃতি সম্পর্কে। এ মৌসুমে সেখানকার আকাশ থাকে একেবারে মেঘমুক্ত, গরমও বেশি নয়। প্রায় গাছেই প্রচুর রং-বেরঙের ফুল দেখা যায়।
ক. ‘হলুদের বন্যা’ কথাটি কোন ফুলের সাথে সম্পর্কিত? ১
খ. সাদা ও স্বচ্ছ নীলের ছড়াছড়ি বলতে কী বোঝানো হয়েছে- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. শফির দেখা ব্রাজিলের মৌসুমের সাথে বাংলাদেশের গ্রীষ্ম ঋতুর তুলনা কর। ৩
ঘ. ‘বাংলাদেশের গ্রীষ্ম ঋতুর চেয়ে শফির দেখা ব্রাজিলের মৌসুম বেশ মনোমুগ্ধকর।’-উক্তিটির সপক্ষে তোমার মতামত ব্যক্ত কর। ৪

ক সরিষা ফুলের সাথে হলুদের বন্যা কথাটি সম্পর্কিত।
খ শরৎকালে প্রকৃতির ঝকঝকে সুন্দর ও শুভ্র রূপটিকে বোঝানো হয়েছে।
বর্ষাকালের দিনভর বৃষ্টি ও স্যাঁতস্যাঁতে কাদার পর শরৎকালে বৃষ্টি কমে যায়। আকাশের অপার নীলের মধ্যে গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়। এ সময় প্রকৃতির সব কিছুই থাকে ঝকঝকে। এছাড়াও শরৎকালের ফোটা কাশফুল, শাপলার নরম সুন্দর রূপ মনকে নাচিয়ে তোলে। তাই এই ঋতুকে বলা হয় সাদা ও স্বচ্ছ নীলের ছড়াছড়ি।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ব্রাজিলের ঋতুর সাথে বাংলাদেশের গ্রীষ্ম ঋতুর সাথে বাংলাদেশের গ্রীষ্ম ঋতুর বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ করে সাদৃশ্যের বিষয়টি তুলে ধরতে হবে।
ঘ বাংলাদেশের গ্রীষ্ম ঋতু থেকে ব্রাজিলের গ্রীষ্ম ঋতু অধিক চিত্তাকর্ষক সে বিষয়ে তুলনামূলক আলোচনা করতে হবে।

জ্ঞানওঅনুধাবনমূলকপ্রশ্নওউত্তর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ ঢাকা নগর জাদুঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর : ঢাকা নগর জাদুঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হাশেম খান।
প্রশ্ন \ ২ \ হাশেম খান কোন মহাদেশের বিভিন্ন দেশে চিত্রকলা বিষয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন?
উত্তর : হাশেম খান এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশের বিভিন্ন দেশে চিত্রকলা বিষয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
প্রশ্ন \ ৩ \ ছবি আঁকার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ রং কী?
উত্তর : ছবি আঁকার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ রং হলো সাদা ও কালো।
প্রশ্ন \ ৪ \ বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ এ দুই মাসকে কোন কাল বলা হয়?
উত্তর : বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ এ দুই মাসকে গ্রীষ্মকাল বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ কোন মাসে ধানখেতে গেরুয়া রঙের বাহার দেখা যায়?
উত্তর : অগ্রহায়ণ মাসে ধানখেতে গেরুয়া রঙের বাহার দেখা যায়।
প্রশ্ন \ ৬ \ কোন ঋতুতে অতিথি পাখিরা আমাদের দেশে এসে আশ্রয় নেয়?
উত্তর : শীতকালে অতিথি পাখিরা আমাদের দেশে এসে আশ্রয় নেয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ ‘আভা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘আভা’ শব্দের অর্থ হলো দীপ্তি বা উজ্জ্বলতা।
প্রশ্ন \ ৮ \ রঙের ঋতু বলা হয় কোন ঋতুকে?
উত্তর : রঙের ঋতু বলা হয় বসন্ত ঋতুকে।
প্রশ্ন \ ৯ \ শীতকালে ফোটে এমন একটি ফুলের নাম লেখ।
উত্তর : শীতকালে ফোটে এমন একটি ফুল হলো কৃষ্ণচ‚ড়া।
প্রশ্ন \ ১০ \ হলুদ, নীল ও লাল এই তিনটি রংকে কী বলা হয়?
উত্তর : হলুদ, নীল ও লাল এই তিনটি রংকে মৌলিক রং বলা হয়।
প্রশ্ন \ ১১ \ হেমন্ত ঋতু কোন কোন মাস নিয়ে গঠিত?
উত্তর : হেমন্ত ঋতু কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাস নিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন \ ১২ \ শীতকালে সরষের খেতে কী অবস্থা হয়?
উত্তর : শীতকালে সরষের খেতে ফুলে ফুলে হলুদের বন্যা নামে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ শীতকালে মানুষ কী ধরনের কাপড় ব্যবহার করে?
উত্তর : শীতকালে মানুষ লাল, নীল, হলুদ, কালো বিচিত্র রঙের গরম কাপড় ও টুপি ব্যবহার করে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ শরৎকালের কোন দৃশ্যটা সবচেয়ে মোহনীয়?
উত্তর : শরৎকালে ভরা নদী এবং খালে সাদা, লাল, নীল ও হলুদ বিভিন্ন রঙের পালতোলা নৌকা চলাচলের দৃশ্য সবচেয়ে মোহনীয়।
প্রশ্ন \ ১৫ \ হেমন্তের শেষ দিকে মাঠে কোন রঙের বাহার দেখা যায়?
উত্তর : হেমন্তের শেষ দিকে মাঠে হলুদ বা গেরুয়া রঙের বাহার দেখা যায়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ গ্রীষ্ম ঋতুতে রংবেরঙের কী কী ফল পাওয়া যায়?
উত্তর : গ্রীষ্ম ঋতুতে আম, জাম, কলা, লিচু, তরমুজ ইত্যাদি রং- বেরঙের ফল পাওয়া যায়।
প্রশ্ন \ ১৭ \ বসন্তকালে গাছে গাছে কিসের প্রতিযোগিতা হয়?
উত্তর : বসন্তকালে গাছে গাছে কে কত সুন্দর ও সতেজ ফুল ফোটাতে পারে তারই যেন প্রতিযোগিতা হয়।
প্রশ্ন \ ১৮ \ এ পর্যন্ত হাশেম খানের কতটি বই প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তর : এ পর্যন্ত হাশেম খানের ১৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
প্রশ্ন \ ১৯ \ ‘গুলিবিদ্ধ ৭১’ বইটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘গুলিবিদ্ধ ৭১’ বইটির রচয়িতা হাশে খান।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ গ্রীষ্মকালের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলার বারো মাসের প্রথম দুই মাস বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠকে বলা হয় গ্রীষ্মকাল।
ষড়ঋতুর এ বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালের আবহাওয়া শুষ্ক ও গরম। এ সময় বৃষ্টি কম হয়। খালবিল, নদীনালা শুকিয়ে যায়। প্রচণ্ড রোদে গাছের সবুজ সতেজ রং বিবর্ণ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে আকাশে কালো মেঘ জমে। ঝড়বৃষ্টি হয় এবং প্রচণ্ড শব্দে বজ্রপাত হয়। আম, জাম, কলা, লিচু, তরমুজ প্রভৃতি গ্রীষ্ম ঋতুর ফল।
প্রশ্ন \ ২ \ শরৎকালে মন আনন্দে নেচে ওঠে কেন?
উত্তর : শরৎকালে বাতাসে সবুজ গাছে সাদা কাশফুলের দোল খাওয়া এবং তার সুন্দর নরম রঙের কারণে মন আনন্দে ভরে ওঠে।
ভাদ্র ও আশ্বিন এই দুই মাসকে বলা হয় শরৎকাল। শরৎকালে প্রকৃতি সাজে নতুন সাজে। নদীর ধারে ও বিলে অল্প পানিতে কাদা মাটিতে সবুজ গাছ থেকে বের হয় নরম সাদা কাশফুল। সাদা কাশফুল প্রকৃতিকে নতুন রূপ ও রং দান করে। এ কাশফুল যখন বাতাসের দোলায় দোল খায় এবং এর সুন্দর কোমল রঙের কারণে মন আনন্দে নেচে ওঠে।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘গেরুয়া রঙের বাহার’Ñ কেন এ কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : হেমন্ত ঋতুতে মাঠে পাকা ধানের হলুদ রংকে গেরুয়া রঙের বাহার বলা হয়েছে।
কার্তিক ও অগ্রহায়ণ দুই মাস হেমন্তকাল। এ ঋতুর শুরুর দিকে সবুজ ধানক্ষেতের রং হলুদ হতে শুরু করে আর ঋতুর শেষ দিকে পুরো মাঠ হলুদ বা গেরুয়া রং ধারণ করে। এ সময়ের পুরো মাঠের গেরুয়া বর্ণকে লেখক গেরুয়া রঙের বাহার বলেছেন।
প্রশ্ন \ ৪ \ বাংলাদেশকে ষড়ঋতুর দেশ বলা হয় কেন?
উত্তর : প্রকৃতির রূপ বছরে ছয় বার নির্দিষ্ট সময় পর পর পরিবর্তন হওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ষড়ঋতুর দেশ বলা হয়।
‘ষড়’ শব্দের অর্থ ছয়। বাংলাদেশের প্রকৃতির রূপ দুই মাস পর পর পরিবর্তিত হয়ে প্রকৃতি নতুন রূপ ধারণ করে। প্রতি বছর নিয়মিত ছয় বার পরিবর্তনের এই সময় বিবেচনা করায় বাংলাদেশকে ষড়ঋতুর দেশ বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ শীতকালে মানুষের পোশাকে রঙের বৈচিত্র্য আসে কেন?
উত্তর : শীতকালে শীতের কারণে মানুষের পোশাকে রঙের বৈচিত্র্য আসে।
শীত নিবারণের জন্য মানুষ বিভিন্ন রঙের গরম পোশাক পরিধান করে। ফলে শীতকালে মানুষ লাল, নীল, হলুদ, কালো বিচিত্র রঙের গরম কাপড় ও টুপি ব্যবহার করে। দেখে মনে হয় যেন মানুষের পোশাকে নানা রঙের বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৬ \ বর্ষাকালে গাছপালা সবুজ ও সতেজ হয়ে ওঠে কেন?
উত্তর : বর্ষাকালে পানির স্পর্শে গাছপালা সবুজ ও সতেজ হয়ে ওঠে।
বর্ষাকালে কিছুক্ষণ পরপরই ঝিরঝির বৃষ্টি হয়। এমনকি কখনো কখনো প্রচণ্ড ধারায় বর্ষণ হয়। খালবিল, নদীনালা, মাঠঘাট সবকিছু পানিতে ভরে যায়। বর্ষার সময় নদীতে প্রবল জোয়ার আসে এবং সবখানে পানিতে টইটম্বুর হয়ে ওঠে। পানি পেয়ে গাছপালা সতেজ হয়ে ওঠে। বর্ষার পানির স্পর্শে গাছগাছালি সবুজ হয়ে ওঠে।
প্রশ্ন \ ৭ \ বাংলার শিল্পীদের শিল্পকর্ম সারাকর্ম সারাবিশ্বে প্রশংসা পাচ্ছে কেন?
উত্তর : বাংলার শিল্পীদের শিল্পকর্ম সারাবিশ্বে প্রশংসা পাচ্ছে কারণ তারা রঙের নানারকম ব্যবহার করেন।
বাংলার শিল্পীরা রং ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক মুক্ত, সহজ ও স্বাধীন। লাল, নীল, হলুদ, সবুজ, বেগুনি, কমলা, কালো এবং সাদা রংকে শিল্পীরা নানারকম উপাদানে ব্যবহার করেন। যেমন- নকশিকাঁথা, হাতপাখা, পুতুল, হাঁড়ি-পাতিল ইত্যাদি। তাই, বাংলার শিল্পীদের শিল্পকর্ম সারাবিশ্বে প্রশংসা পাচ্ছে।
প্রশ্ন \ ৮ \ একসঙ্গে সাতটি রং কীভাবে খুঁজে বের করা যায়?
উত্তর : বৃষ্টির পর আকাশে রংধনু উঠলে একসঙ্গে সাতটি রং খুঁজে বের করা যায়।
বৃষ্টির পর মাঝে মাঝে আকাশে রংধনু ওঠে। রংধনুর সাতটি রংকে তখন দেখা যায়। সাতটি রং যথাক্রমে- বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও নীল। বৃষ্টির পর আকাশে যখন রংধনু ওঠে তখন একটি একটি করে গুনে সাতটি রং খুঁজে বের করা যায়।
প্রশ্ন \ ৯ \ শরৎকালে আনন্দে মন নেচে ওঠে কেন?
উত্তর : শরৎকালে বাতাসের দোলায় কাশফুলের দোল খাওয়া দেখে আনন্দে মন নেচে ওঠে।
‘ছবির রং’ প্রবন্ধের লেখক হাশেম খান শরৎ মানেই সাদা ও স্বচ্ছ নীলের ছড়াছড়ি মনে করেন। নদীর ধারে ও বিলে অল্প কাদামাটির জলে সবুজ গাছ থেকে বের হয় নরম সাদার কাশফুল। বাতাসের দোলায় এই কাশফুল যখন দোল খায় সুন্দর নরম সাদা কাশফুল। বাতাসের দোলায় এই কাশফুল যখন দোল খায় সুন্দর নারম রঙের কারণে মন তখন আনন্দে নেচে ওঠে। মূলত ভরা নদী বয়ে চলা, দুধারে ফুলে ফুলে সাদা কাশবন প্রকৃতির এই মোহনীয় দৃশ্য দেখে মন আনন্দে নেচে ওঠে।
প্রশ্ন \ ১০ \ শীতালের প্রকৃতি কীভাবে রঙের উৎসবে মেতে ওঠে?
উত্তর : বনেজঙ্গলে, বাড়ির আঙিনায় সর্বত্রই নানান রঙের ফুল ফুটিয়ে শীতকারের প্রকৃতি রঙের উৎসবে মেতে ওঠে।
পৌষ ও মাঘ শীতকাল। বনেজঙ্গলে, বাড়ির আঙিনায় সর্বত্রই নানান রঙের ফুল ফোটা শুরু হয়। শিমুল, পলাশ আর কৃষ্ণচ‚ড়া গাছে যখন ফুল ফোটে, হলদে গাছের ঝলমলে হলুদ রঙের ফুলে পুরো প্রকৃতি তখন যেন রঙের উৎসবে মেতে ওঠে। মাছে তিলের খেতে সাদা ও হালকা বেগুনি ফুল এবং সরষের খেতে ফুলে ফুলে হলুদের বনা নামে এই শীতকালেই। মূরত ফুলে ফুলে ভরা বৃক্ষরাজির বিচিত্র রঙের বাহার দেখে নে হয় প্রকৃতি রঙের উৎসবে মেতে উঠেছে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ লেখক পরিচিতি º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৩৯
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. শিল্পী হাশেম খান জন্মগ্রহণ করেন কত সালে?
 ১৯৪১ খ ১৯৪৪ গ ১৯৫৪ ঘ ১৯৫৯
২. হাশেম খান জন্মগ্রহণ করেন কোন জেলায়? (জ্ঞান)
ক রংপুর খ ফরিদপুর  চাঁদপুর ঘ ঢাকা
৩. হাশেম খান মূলত কী হিসেবে পরিচিত? (জ্ঞান)
 চিত্রশিল্পী খ ঔপন্যাসিক
গ গল্পকার ঘ প্রাবন্ধিক
৪. ‘জয়নুল গল্প’-গ্রন্থটির রচয়িতা কে? (জ্ঞান)
 হাশেম খান খ সেলিনা হোসেন
গ জয়নুল আবেদিন ঘ হুমায়ুন আজাদ
৫. ‘ছবি আঁকা ছবি লেখা’- কার লেখা? (জ্ঞান)
ক সেলিনা হোসেন  হাশেম খানের
গ আল মাহমুদের ঘ হুমায়ুন আজাদের
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬. চিত্রকলা বিষয়ে শিল্পী হাশেম খান বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেনÑ (অনুধাবন)
র. এশিয়ায় রর. আমেরিকায়
ররর. ইউরোপে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭. হাশেম খান যে সম্মাননায় ভ‚ষিত হন- (অনুধাবন)
র. একুশে পদক
রর. স্বাধীনতা পদক
ররর. বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮. নীল ও লাল রং মেশালে কোন রং পাওয়া যায়? (জ্ঞান)
 বেগুনি খ কালো গ সবুজ ঘ কমলা
৯. লাল ও হলুদ রং মেশালে কোন রং পাওয়া যায়? (জ্ঞান)
ক সবুজ  কমলা গ বেগুনি ঘ লাল
১০. ছবি আঁকার ক্ষেত্রে মৌলিক রং কোনগুলো? [ঠাকুরগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক লাল, সাদা, কালো  লাল, নীল, হলুদ
গ সাদা, কালো, সবুজ ঘ লাল, বেগুনি, হলুদ
১১. কচু ফুলের রং কী? [বরগুনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক সাদা খ লাল  কমলা ঘ হলুদ
১২. রংধনুর কয়টি রং? [নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক তিনটি খ পাঁচটি  সাতটি ঘ নয়টি
১৩. বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ এই দুই মাস কী ঋতু? (জ্ঞান)
ক বর্ষা খ শরৎ গ হেমন্ত  গ্রীষ্ম
১৪. সাদা ও স্বচ্ছ নীলের ছড়াছড়ি কোন ঋতুতে? (জ্ঞান)
ক গ্রীষ্ম খ বর্ষা  শরৎ ঘ হেমন্ত
১৫. কোন দুই মাস শরৎকাল? (জ্ঞান)
ক আষাঢ় ও শ্রাবণ  ভাদ্র-আশ্বিন
গ কার্তিক-অগ্রহায়ণ ঘ পৌষ-মাঘ
১৬. ষড়ঋতুর শেষ ঋতুর নাম কী? [মতিঝিল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক বর্ষা খ শরৎ  বসন্ত ঘ হেমন্ত
১৭. কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাস মিলে কোন ঋতু? (জ্ঞান)
ক বর্ষা খ শরৎ  হেমন্ত ঘ বসন্ত
১৮. মৌলিক রং কয়টি? (জ্ঞান)
ক এক খ দুই  তিন ঘ চার
১৯. মৌলিক রংগুলোকে আর কী নামে অভিহিত করা হয়? (জ্ঞান)
ক মূল রং  প্রাথমিক রং
গ গুরুত্বপূর্ণ রং ঘ দামি রং
২০. রংধনু কখন দেখা যায়? (জ্ঞান)
ক মেঘলা আকাশে খ রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশে
 বৃষ্টির পরবর্তী আকাশে ঘ ঝড়বৃষ্টির আকাশে
২১. ষড়ঋতুর দেশ বলা হয় কোন দেশকে? (জ্ঞান)
 বাংলাদেশকে খ ভারতকে
গ শ্রীলঙ্কাকে ঘ ভুটানকে
২২. আবহাওয়া ও প্রকৃতিভেদে বাংলাদেশে বারো মাসকে কয়টি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে? (জ্ঞান)
 ছয় খ আট গ দশ ঘ বারো
২৩. আম, জাম, লিচু, তরমুজ সাধারণত কোন কোন মাসে পাওয়া যায়? (জ্ঞান)
 বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ খ আষাঢ়-শ্রাবণ
গ ভাদ্র-আশ্বিন ঘ কার্তিক-অগ্রহায়ণ
২৪. আষাঢ়-শ্রাবণ এ দুই মাসকে বলা হয় (জ্ঞান)
ক গ্রীষ্মকাল  বর্ষাকাল গ শরৎকাল ঘ হেমন্তকাল
২৫. সাদা ও কমলা রঙের কদম ফুল কোন ঋতুতে ফোটে? (জ্ঞান)
ক গ্রীষ্ম  বর্ষা গ শীত ঘ হেমন্ত
২৬. তরকারি হিসেবে ব্যবহৃত হয় কোন ফুল? (জ্ঞান)
ক শাপলা  কচু গ কদম ঘ কাশ
২৭. ‘কাশফুল’ কখন দেখা যায়? (জ্ঞান)
ক বর্ষাকালে  শরৎকালে গ হেমন্তকালে ঘ বসন্তকালে
২৮. সবুজ ধানক্ষেতের রং হলুদ হতে শুরু করে কখন? (জ্ঞান)
ক বর্ষাকালে খ শরৎকালে  হেমন্তকালে ঘ বসন্তকালে
২৯. পৌষ ও মাঘ এ দুই মাসকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক বর্ষাকাল খ শরৎকাল গ হেমন্তকাল  শীতকাল
৩০. ছোট বড় পাখিরা গাছে গাছে উড়ে উড়ে মধু খেয়ে বেড়ায় কোন কালে? (জ্ঞান)
ক শরৎ খ হেমন্ত গ শীত  বসন্ত
৩১. রঙের ঋতু বলা হয় কোন ঋতুকে? (জ্ঞান)
ক শরৎ খ হেমন্ত গ শীত  বসন্ত
৩২. বাংলাদেশের ষড়ঋতুর রূপ ও পরিবর্তন বাঙালির মনকে কী করে? (জ্ঞান)
ক পরিবর্তন  প্রভাবিত গ আনন্দিত ঘ দুঃখিত
৩৩. গ্রামীণ লোকশিল্পীরা তাদের শিল্পকে সুন্দর করার জন্য কীসের ব্যবহার করছে? (জ্ঞান)
ক সুতার খ কালির  রঙের ঘ মাটির
৩৪. বাংলাদেশের শিল্পীরা কেমন? (অনুধাবন)
ক ভীরু  সাহসী গ দুর্বল ঘ অনগ্রসর
৩৫. বাংলাদেশের শিল্পীরা তাদের শিল্পকর্মে কী ব্যবহার করে? (জ্ঞান)
ক মৌলিক রং খ সাধারণ রং  সব ধরনের রং ঘ প্রাথমিক রং
৩৬. কোন ঋতুতে বিদ্যুৎ চমকায়? (জ্ঞান)
 গ্রীষ্ম খ বর্ষা গ শরৎ ঘ হেমন্ত
৩৭. গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘ নীল আকাশে ভেসে বেড়ায় কোন ঋতুতে? (জ্ঞান)
 শরৎ খ হেমন্ত গ শীত ঘ বসন্ত
৩৮. কোথায় কাশফুল ফোটে? (জ্ঞান)
 নদীর ধারে খ ডোবায় গ পুকুরে ঘ চরে
৩৯. কোন রঙের শাপলা দেখতে খুবই সুন্দর? (জ্ঞান)
ক কমলা খ নীল  লাল ঘ সাদা
৪০. হাজার লক্ষ প্রজাপতির মেলা বসে কোন ঋতুতে? (জ্ঞান)
ক বর্ষায় খ শরতে গ হেমন্তে  বসন্তে
৪১. গাছপালা নদীনালা প্রকৃতির সবকিছু ঝকঝক করে কোন ঋতুতে? (জ্ঞান)
 শরতে খ হেমন্তে গ শীতে ঘ বসন্তে
৪২. ঝিরঝির অল্প বৃষ্টি থেকে ঝরঝর করে প্রবল বেগে বৃষ্টি হয় কোন ঋতুতে? (জ্ঞান)
ক গ্রীষ্মে  বর্ষায় গ শরতে ঘ হেমন্তে
৪৩. প্রকৃতিতে রঙের নানা রকম খেলা চলে কোন ঋতুতে? (জ্ঞান)
 গ্রীষ্মে খ বর্ষায় গ শরতে ঘ হেমন্তে
৪৪. আমাদের দেশে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আসে কোন ঋতুতে? (জ্ঞান)
ক শরতে খ হেমন্তে  শীতে ঘ বসন্তে
৪৫. আকাশে পেঁজা তুলোর মতো স্বচ্ছ মেঘ ভেসে বেড়াতে দেখে জয়ীতা মুগ্ধ হয়। আকাশের এ অবস্থা ষড়ঋতুর কোন কালকে নির্দেশ করে? (প্রয়োগ)
ক গ্রীষ্ম খ বর্ষা  শরৎ ঘ হেমন্ত
৪৬. রুপা এমন সময় মামার বাড়ি বেড়াতে গেল যখন সরিষার ক্ষেতে ফুলে ফুলে হলুদের বন্যা নেমেছে। রুপার বেড়াতে যাওয়ার এ সময়টি ষড়ঋতুর কোন কালকে ইঙ্গিত করছে? (প্রয়োগ)
ক শরৎ খ হেমন্ত  শীত ঘ বসন্ত
৪৭. গাছের সবুজ সতেজ রং বিবর্ণ হয়ে যায় কেন? (অনুধাবন)
ক বাতাসে  প্রচণ্ড রোদে
গ প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ঘ প্রচণ্ড বৃষ্টিতে
৪৮. বর্ষাকালে গাছের পাতা সতেজ হয়ে যায় কেন? (অনুধাবন)
ক রোদে খ কুয়াশায়
গ অতিথি পাখির আগমনে  পানি পেয়ে
৪৯. মৌলিক রং কাকে বলে? (জ্ঞান)
ক অনেক রঙের সংমিশ্রণকে  একটি মাত্র রঙে গঠিত রঙকে
গ লাল ও হলুদের মিশ্রণকে ঘ সবুজ ও বেগুনির মিশ্রণকে
৫০. ছোটবেলা থেকেই তিনি ভাবুক প্রকৃতির ছিলেন। চারপাশের সবকিছুই তিনি খুব মনোযোগের সাথে অবলোকন করতেন এবং তা ছবিতে ফুটিয়ে তুলতেন। এখানে উক্ত ব্যক্তির সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে (প্রয়োগ)
ক মামুনুর রশীদ  হাশেম খান
গ কাজী নজরুল ইসলাম ঘ ফজলে আহমদ
৫১. লোকশিল্পে উজ্জ্বল ও সতেজ রং ব্যবহার করার কারণ কী? (অনুধাবন)
ক টেকসইয়ের জন্য  সুন্দর ও মোহনীয় রূপ দিতে
গ ক্রেতা আকৃষ্ট করতে ঘ ঔজ্জ্বল্য আনার জন্য
৫২. আমাদের দেশে অতিথি পাখি আসার কারণ কী? (অনুধাবন)
 ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য খ গরম থেকে বাঁচার জন্য
গ ভ্রমণ করার জন্য ঘ মুক্তভাবে চলাফেরার জন্য
৫৩. মানুষের পোশাকে রঙের বৈচিত্র্য আসে কেন? (অনুধাবন)
ক বৃষ্টির কারণে খ বাতাসের কারণে
গ রোদের কারণে  শীতের কারণে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৪. দ্বিতীয় পর্যায়ের রং হলোÑ (অনুধাবন)
র. সবুজ রর. কমলা
ররর. বেগুনি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৫. বাংলাদেশের শিল্পীদের বৈশিষ্ট্যÑ (অনুধাবন)
র. মুক্ত রর. সাহসী
ররর. সহজ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৬. বাংলাদেশের শিশুদের ছবিতে মৌলিক রং বেশি ব্যবহৃত হওয়ার কারণ হলোÑ (অনুধাবন)
র. মৌলিক রং এখানে খুব সস্তা রর. প্রকৃতির প্রভাব
ররর. শিল্পীরা মুক্ত ও সাহসী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৭. সবুজ, বেগুনি, কমলা এই তিনটি রং হলোÑ (অনুধাবন)
র. একটিমাত্র রঙের সমন্বয়ে গঠিত রর. একাধিক রঙের মিশ্রণে গঠিত
ররর. দ্বিতীয় পর্যায়ের রঙ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৮. ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের মূল ভাব হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ঋতুভেদে প্রকৃতির বিচিত্র সৌন্দর্য প্রকাশ
রর. চিত্রশিল্পীদের নানা রঙের সঙ্গে পরিচয়
ররর. চারুকলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষালাভের উপযোগিতা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৯ ও ৬০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ঋতুভেদে বাংলার প্রকৃতিতে উজ্জ্বল-সুন্দর নানা রঙের সমাবেশ ঘটে। গাছে গাছে প্রতিযোগিতা করে ফুটে থাকে সুন্দর ও সতেজ ফুল নানা রঙের পালকে সেজে ছোটবড় সব পাখি গাছে গাছে ফুলের মধু খেয়ে বেড়ায়। আবার বহু রকমের রঙিন প্রজাপতি উড়ে বেড়ায়।
৫৯. উদ্দীপকে উল্লিখিত সময় ‘ছবির রং’ রচনার কোন ঋতুটিকে ইঙ্গিত প্রদান করছে? (প্রয়োগ)
ক শরৎ খ হেমন্ত গ শীত  বসন্ত
৬০. উক্ত ঋতুতে মানুষ- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বাসন্তী রঙের পোশাক পরে রর. উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরে
ররর. সাজসজ্জায় উৎসবে মেতে ওঠে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬১ ও ৬২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘রঙ তুলিতে আঁকতে পারি
মাঠের ছবি ঘাটের ছবি
পাটের সিকে মাটির হাঁড়ি
রং ফুরালো আঁকা শেষ
এই তো আমার বাংলাদেশ’
৬১. উদ্দীপকের সাথে তোমার পঠিত নিচের কোনটির সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক লখার একুশ খ শব্দ থেকে কবিতা
 ছবির রং ঘ সেই ছেলেটি
৬২. উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্র ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের যেভাবের ধারক (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আবহমান বাংলার ছবি
রর. মৌলিক রং ঘেঁষা প্রকৃতির সৌন্দর্য
ররর. নানা রূপ ও রঙের বৈচিত্র্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬৩. ‘ষড়’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক পাঁচ  ছয় গ ষাট ঘ আশি
৬৪. ‘যার মধ্যে অন্য কোনো রঙের মিশ্রণ ঘটেনি।’ এ কথায় কী বলে? (জ্ঞান)
ক মৌলিক রং  যৌগিক রং
গ কালো রং ঘ সবুজ রং
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৫ ও ৬৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
“ঝড়ের দিনে মামার দেশে আম কুড়াতে সুখ
পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ।”
৬৫. দৃশ্যকল্পের সাথে কোন ঋতুর মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক শীত  গ্রীষ্ম গ বর্ষা ঘ বসন্ত
৬৬. উপরের দৃশ্যকল্পে ‘রঙিন করি মুখ’ শব্দগুচ্ছে ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. এ সময় রংবেরংয়ের ফল পাওয়া যায়
রর. বাহারি রঙের ফলগুলোর স্বাদ ও মিষ্টি
ররর. আম জাম খাওয়ার সময় মুখ রঙিন হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৭. ‘গেরুয়া’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক বাদামি খ হলুদ গ খয়েরি  মেটে
৬৮. ‘বাহার’ অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক উজ্জ্বল  শোভা গ দীপ্তি ঘ বাদামি
৬৯. ‘ষড়’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক চার  পাঁচ গ ছয় ঘ সাত
৭০. যার মধ্যে অন্য কোনো রঙের মিশ্রণ ঘটেনি। একথায় কী বলে? (জ্ঞান)
ক এক রং  মৌলিক গ যৌগিক রং ঘ গৌণ রং
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭১. ‘প্রচণ্ড’ শব্দটি যে অর্থে ব্যবহৃত হয়- (অনুধাবন)
র. কড়া রর. কঠোর
ররর. শোভা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭২. জোর দেয়ার জন্য বলা হয়েছে (অনুধাবন)
র. ষড় রর. খুউব
ররর. কড়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

ন্ধ পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৩. ‘ছবির রং’ প্রবন্ধে কোন দিকটি উন্মোচিত হয়েছে? (জ্ঞান)
 ঋতুভেদে প্রকৃতির সৌন্দর্য
খ লোকশিল্পে রঙের ব্যবহার
গ ছবির রূপের বৈচিত্র্য
ঘ অতীত ইতিহাস
৭৪. ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের বিষয়বস্তু হিসেবে কোনটি যথার্থ? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ছবির রূপের বৈচিত্র্য
 ছবির রঙের বৈচিত্র্য
গ প্রকৃতির রুদ্র রূপের বৈচিত্র্য
ঘ প্রকৃতির রঙের বৈচিত্র্য
৭৫. ‘ছবির রং’ গল্পের লেখক কে? (জ্ঞান)
ক জয়নুল আবেদিন খ মামুনুর রশীদ
গ এ.কে. শেরাম  হাশেম খান
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৬. ‘ছবির রং’ রচনায় ফুটে উঠেছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নানান রং ও রূপের বৈচিত্র্য
রর. ঋতুভেদে প্রকৃতির বর্ণনা
ররর. প্রকৃতি বদলের সঙ্গে শিল্পীর মন বদলে যাওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

 মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

 

 

 

Leave a Reply