৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ অধ্যায় ১ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ অধ্যায় ১ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর সকল জানার বিষয়গুলো এবং অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর গুলো নিচে দেওয়া হলো।

অনুশীলনী প্রশ্ন

১। তোমরা নিশ্চয়ই পিঁপড়াকে সারি বেঁধে যেতে দেখেছ। সারিটি ভেঙে দিলেও কিছুক্ষণের ভেতর পিপড়ারা আবার তাদের সারিটি তৈরি করে ফেলে। বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের পদ্ধতিটি ব্যবহার করে তোমরা কি বের করতে পারবে পিঁপড়া কীভাবে এটি করে?

উত্তর: পিপড়ারা চলার সময় ফেরোমন নামক একটি সুগন্ধ হরমোন মাটিতে ছড়িয়ে দেয় যা অন্য পিপড়ারা তাদের মাথার এন্টেনার সাহায্য বুঝতে পারে। একারণে সারিটি ভেঙে দিলেও কিছুক্ষণের ভেতর পিপড়ারা আবার তাদের সারিটি তৈরি করে নিতে পারে।

২। বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতির ছয়টি ধাপের মাঝে কোনটি তোমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়? কেন?

উত্তর: বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতির ছয়টি ধাপের মাঝে ৪র্থ ধাপটি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। কারণ এই ধাপে সম্ভ্যাব্য ব্যাখ্যা সত্যি কিনা তা যাচাই করে দেখা হয়। তাই এই ধাপে যদি পরীক্ষার্থী যথাযথ না হয় তাহলে সম্পূর্ণ কাজটি ব্যর্থ হবে। তাই এই ধাপটি গুরুত্বের সাথে সম্পূর্ণ করতে হয়।

৩। বিজ্ঞানী এবং বিজ্ঞানমনস্ক এই দুইটির মাঝে পার্থক্য কী?

উত্তর: প্রকিৃতির কোনো জিনিস বা ধারণা যাচাই বাছাই করে গ্রহণ করা হচ্ছে বিজ্ঞান। আর যাচাই বাছাই না করে বিশ্বস না করাই হচ্ছে বিজ্ঞানমনস্কতা। অর্থাৎ যে ব্যক্তি কোনো কিছু যাচাই বাছাই করে সত্যি পেলে সেটা গ্রহন করলে তাকে বিজ্ঞান মনস্ক বলে।

৪। ধরা যাক চাঁদে তুমি একটা মুদির দোকান দেবে। সেই দোকানে বেচা-কেনা করার জন্য তুমি কি দাড়িপাল্লা ব্যবহার করবে নাকি স্প্রিং ব্যালেন্স ব্যবহার করবে? কেন?

উত্তর: চাঁদে আমি বেচা কেনা করার জন্য দাড়িপাল্লা ব্যবহার করবো না বরং স্প্রিং ব্যালেন্স ব্যবহার করবো। কারণ আমি জানি পৃথিবী ও চাঁদে বস্তুর ওজনে তারতাম্য হয় এবং আমি এও জানি যে ওজন মাপা হয় স্প্রিং ব্যালেন্স দিয়ে। তাই আমি চাঁদে কেনা বেচায় স্প্রিং নিক্তি ব্যবহার করবো।

৫। লম্বা সুতা দিয়ে ছোট একটা পাথর ঝুলিয়ে সেটা দুলতে কত সময় নেয় বের করো । এখন সুতার দৈর্ঘ্য এবং পাথরের ভর বাড়িয়ে কিংবা কমিয়ে দোলনের সময় বের করে দেখ সেটার কি কোনো পরিবর্তন হয়?

উত্তর: সরল দোলকের ২য় সূত্রানুযায়ী কৌণিক বিস্তার অল্প হলে কোন নির্দিষ্ট স্থানে সরল দোলকের দোলনকাল, এর কার্যকরী দৈর্ঘ্যের বর্গমূলের সমানুপাতিক। অর্থাৎ সুতার দৈর্ঘ্য বাড়ানোর সাথে সাথে দোলনকাল ও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু ৪র্থ সূত্রানুযায়ী বিস্তার অল্প হলে এবং কার্যকরী দৈর্ঘ্য অপরিবর্তিত থাকলে কোন নির্দিষ্ট স্থানে সরল দোলকের দোলনকাল ববের ভর, আয়তন, উপাদান ইত্যাদির উপর নির্ভর করে না ।

অর্থাৎ পরীক্ষা করে দেখলাম সুতার দৈর্ঘ্য ও পাথরের ভর বাড়িয়ে দোলনের দোলনের দোলনকাল বৃদ্ধি পেয়েছে।

৬। TF = (Tc ×৯)/৫ + ৩২ তুমি এই সূত্র ব্যবহার করে সেলসিয়সে তাপমাত্রা (Tc)দেওয়া থাকলে সেটি ফারেনহাইটে (TF) কত হবে বের করতে পারবে। একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সেলসিয়াস এবং ফারেনহাইট দুই ক্ষেলেই তার মান সমান, সেটি কত বের করতে পারবে?

উত্তর:

 

তাপমাত্রায় সেলসিয়াস এবং ফারেনহাইট দুই ক্ষেলেই তার মান সমান হলে সেটি আমরা ধরে নিই x

প্রশ্নানুসারে Tc = TF = x ।

TF = (Tc ×৯)/৫ + ৩২ ( যেখানে  সেলসিয়সে তাপমাত্রা (Tc) এবং সেটি ফারেনহাইটে (TF) )।

সুতরাং,

x = (x ×৯)/৫ + ৩২

বা, ৯x = ৫x – ১৬০

বা, ৪x = -১৬০

বা,  x = (-৪০)

অর্থাৎ (-৪০)° Tc = (-৪০)°TF

(-৪০) তে সেলসিয়াস তাপমাত্রা, ফারেনহাইট তাপমাত্রা সমান।

Leave a Reply