সপ্তম শ্রেণির বাংলা বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা
এ. কে. শেরাম
লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য

 লেখক পরিচিতি
নাম এ. কে. শেরাম।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বিশগাঁও গ্রাম।
শিক্ষাজীবন এ. কে. শেরাম ১৯৭১ সালে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজ থেকে স্নাতক (বাণিজ্য) এবং ১৯৭৬ সালে সিলেট আইন মহাবিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস করেন।
পেশা/কর্মজীবন কর্মজীবনে তিনি ব্যাংকার ছিলেন।

সাহিত্য সাধনা কাব্যগ্রন্থ : ‘বসন্ত কুন্নি পালগী লৈরাং, মণিপুরি কবিতা, (১৯৮২), চৈতন্যে অধিবাস (১৯৮৮)। প্রবন্ধ-গবেষণা : মনিদীপ্ত মণিপুরি ও বিষ্ণুপ্রিয়া বিতর্ক (১৯৯৩)। সম্পাদনা : বাংলাদেশের মণিপুরি কবিতা (১৯৯০)।
পুরস্কার ও সম্মাননা সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৪ সালে সোনামনি মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
বাহার তার বন্ধু সঞ্জীবের সাথে একটি পার্বত্য অঞ্চলে বেড়াতে যায়। সেখানে গিয়ে সে জানতে পারে স্থানীয় লোকজন সবাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, পিতৃতান্ত্রিক। তারা দেব-দেবীর পূজা করে এবং নববর্ষ এলে সংগ্রাই উৎসব পালন করে। সেখানে কয়েকদিন থাকার পর তারা অন্যত্র বেড়াতে যায়। সেখানকার সমাজের প্রধান হলেন রাজা। গ্রামের প্রধান হলেন কারবারি। সেখানে পুরুষেরা ধুতি ও মহিলারা ‘পিনন’ পরিধান করে থাকে। পুরুষেরা নিজেদের তৈরি ‘সিলুম’ পরে। মেয়েরা খাদিকে ওড়না হিসেবে ব্যবহার করে।
ক. চাকমারা পহেলা বৈশাখকে কী বলে আখ্যায়িত করে?
খ. পঞ্চায়েতের ভ‚মিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেন?
গ. উদ্দীপকের প্রথম স্থানটি ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ রচনার কোন জাতিসত্তাকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শেষ স্থানটি বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে। উদ্দীপক ও রচনার আলোকে বিশ্লেষণ কর।

ক চাকমারা পহেলা বৈশাখকে ‘গর্য্যাপর্য্যা’ বলে আখ্যায়িত করে।
খ পড়ার যাবতীয় ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য পঞ্চায়েতের ভ‚মিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মনিপুরিদের প্রতিটি পাড়াতেই থাকে দেবমন্দির ও মণ্ডপ। ঐ মন্দির ও মণ্ডপকে ঘিরেই আবর্তিত হয় ঐ পাড়ার যাবতীয় ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ড। মন্দির পরিচালনা ও দেবতাদের পূজা ও অর্চনার জন্য থাকে এক বা একাধিক ব্রাহ্মণ পরিবার। কয়েকটি পাড়া মিলে আবার গঠিত হয় পানচায় বা পঞ্চায়েত। মনিপুরি সমাজে পাঞ্চায়েতের ভ‚মিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গ উদ্দীপকের প্রথম স্থানটি ‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ রচনার মারমা জাতিসত্তাকে নির্দেশ করে।
‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ রচনায় মারমাদের প্রধান বসতি পার্বত্য অঞ্চলে। তারা মঙ্গোলীয় জাতিগোষ্ঠীর অর্ন্তগত। মারমারা প্রাচীন কাল থেকেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, পিতৃতান্ত্রিক। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হলেও মারমারা এখনো বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা করে। এদের সবচেয়ে বড় উৎসব হলো নববর্ষে সাংগ্রাই দেবীর পূজা উপলক্ষে আায়োজিত সাংগ্রাই উৎসব।
মারমা জাতি গোষ্ঠীর এদিকগুলো উদ্দীপকেও পরিলক্ষিত হয়। বাহার তার বন্ধুদের নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে বেড়াতে যায়। প্রথম যে স্থানে বেড়াতে যায়, সেখানকার লোকজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, পিতৃতান্ত্রিক তারা দেবদেবীর পূজা কর এবং নববর্ষ এলে সাংগ্রাই উৎসব পালন করে। অর্থাৎ উদ্দীপকের প্রথম স্থানটি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ রচনার মারমা জাতিসত্তাকেই নির্দেশ করে।
ঘ শেষ স্থানটি বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তা অর্থাৎ (চাকমা) জাতিসত্তার বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে।
‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ রচনায় চাকমাদের সমাজের প্রধান হলেন রাজা। আর গ্রামের প্রধান হলেন কারবারি। গ্রামের যাবতীয় সমস্যা তিনিই নিষ্পত্তি করেন। বাংলাদেশে যেসব স্বল্পসংখ্যা জাতিসত্তা বাস করে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চাকমা। এদের পুরুষেরা ‘ধুতি’ ও মহিলারা ‘পিনন’ পরিধান করে, পুরুষেরা নিজেদের হাতে তৈরি ‘সিলুম’ (জামা) পরে। মেয়েরা ‘খাদিকে ওড়না হিসেবে ব্যবহার করে।
উদ্দীপকের বাহার তার বন্ধু সজীবের সাথে শেষে যে স্থানটিতে বেড়াতে গিয়েছিল সেখানকার লোকজন ও বৌদ্ধ ধর্মালম্বী। তাদের পিতৃতান্ত্রিক পরিবার। তারা দেবদেবীর পূজা করে। সেখানকার পুরুষেরা ‘ধুতি’ ও মহিলা ‘পিনন’ পরিধান করে এবং মেয়েরা খাদিকে ওড়না হিসেবে ব্যবহার করে।
পরিশেষে উল্লিখিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় উদ্দীপকের শেষ স্থানটি বাংলাদেশের চাকমা ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে।
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
শফিপুর গ্রামের অধিবাসীরা প্রধানত কৃষিজীবী। তবে যাদের ভ‚মির পরিমাণ কম তাদের পরিবারের দু-একজন শ্রমিকের কাজও করে নারীদের দায়িত্ব শুধু ঘর গৃহস্থালির কাজ সামলানো। মাঠে পুরুষদের কাজে তারা কোনো রকম সাহায্য করার সুযোগ পায় না। সন্তান লালন-পালনেই তাদের দিন চলে যায়।
ক. মণিপুরী জনগোষ্ঠী কয়টি গোত্রে বিভক্ত? ১
খ. ‘বৈসাবি’ কী- আলোচনা কর। ২
গ. শফিপুর গ্রামের নারীদের সাথে গারো নারীদের তুলনা কর। ৩
ঘ. ‘পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শফিুর গ্রামের নারীদের তুলনায় গারো নারীদের ভ‚মিকা বেশি’ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক মণিপুরী জনগোষ্ঠী সাতটি গোত্রে বিভক্ত।

খ নববর্ষ উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতীয় উৎসবকে বলা হয় বৈসাবি।
বৈসাবি হচ্ছে ত্রিপুরাদের নববর্ষ উৎসব বৈসুখ -এর বৈ, মারমাদের প্রধান উৎসব সাংগ্রাই-এর সা এবং চাকমাদের প্রধান উৎসব বিজুর বি নিয়ে গঠিত। ‘বৈসাবি’ এখন নববর্ষ উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান উৎসব।
গ উদ্দীপকের শফিপুর গ্রামের নারীদের জীবনযাত্রা এবং ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধের গারো নারীদের জীবনযাত্রা এক রকম নয়।
বাংলাদেশে বসবাসকারী জনসংখ্যার বৃহত্তম অংশ হলো বাঙালি জনগোষ্ঠী। বাঙালি ছাড়াও এদেশে আরো কিছু ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী রয়েছে যাদের ভাষা, খাদ্যাভ্যাস, আচার-ব্যবহার, সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কৃতি অনেক আলাদা।
উদ্দীপকের শফিপুর গ্রামের নারীদের জীবনচিত্র ফুটে উঠেছে। তাদের দায়িত্ব শুধু ঘর-গৃহস্থালির কাজ সামলানো। মাঠে পুরুষদের কাজে তারা কোনো রকম সাহায্য করার সুযোগ পায় না। সন্তান লালন-পালনেই তাদের দিন চলে যায়। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধের গারো নারীরা পুরুষের সাথে এক সাথে মাঠে কাজ করে। মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথার কারণে বিয়ের পর তারা স্বামীগৃহে যায় না, স্বামীই তাদের গৃহে আগমন করে। সন্তান-সšুÍতিরা মায়ের পদবি ধারণ করে। এসব দিক বিবেচনায় শফিপুর গ্রামের নারীদের সাথে গারো নারীদের নানা দিক দিয়ে পার্থক্য চোখে পড়ে।
ঘ “পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শফিপুর গ্রামের নারীদের তুলনায় গারো নারীদের ভ‚মিকা বেশি।”-মন্তব্যটি যথার্থ।
বাঙালি ছাড়াও এদেশে আরো অনেক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বাস করে। ক্ষদ্র এই জাতিসত্তার মধ্যে আছে চাকমা, গারো, মারমা, মণিপুরি, ত্রিপুুরা, সাঁওতাল প্রভৃতি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রত্যেকটিরই রয়েছে স্বতন্ত্র পরিচয়, নিজস্ব সংস্কৃতি ও জীবনাচার।
উদ্দীপকের দেখা যায়, পুরুষপ্রধান শফিুর গ্রামের কৃষিজীবী জনগোষ্ঠীর নারীদের দায়িত্ব শুধু ঘর গৃহস্থালির কাজ সামলানো। মাঠে পুরুষদের কাজে তারা কোনো রকম সাহায্য করার সুযোগ পায় না। সন্তান লালন-পালনেই তাদের দিন চলে যায়। পক্ষান্তরে ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধে দেখা যায়, গারো নারীরা পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠে কাজ করে।
উদ্দীপকের শফিপুরের নারীরা অর্থনৈতিক কার্যক্রমে পুরুষের সহযোগী হতে না পারায় পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের ভ‚মিকা অপ্রশস্ত ও সীমিত। পক্ষান্তরে, ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধের নারীরা অর্থনৈতিক কার্যক্রমে পুরুষের সহযোগী হওয়ায় পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের ভ‚মিকা বেশি। তাছাড়া মাতৃসূত্রীয় পরিবার প্রথা থাকায় পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গারো নারীরা স্বাভাবিকভাবেই বেশি ভ‚মিকা রাখতে পারে। তাই বলা যায়, প্রশ্নের মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ
বাঙালিদের অনেকগুলো উৎসবের মধ্যে অসা¤প্রদায়িক ও সর্বজনীন অনুষ্ঠান পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন। পয়লা বৈশাখে বাংলার জনসমষ্টি অতীতের দুখ-দুঃখ ভুলে গিয়ে নতুনের আহবানে সাড়া দিয়ে উঠে। বাঙালিরা এ দিন প্রাত্যহিক কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে ঘরবাড়ি ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে। নতুন পোশাক পরিধান করে আত্মীয়স্বজনদের সাথে পানহারে মেতে উঠে। বটতলায় জড়ো হয়ে গান গায়, মুখে বাঁশি ফুলেক সবকিছু মিলে দেশটা যেন হয়ে উঠে উৎসবমুখর।
ক. গারোদের প্রধান পেশা কী?
খ. ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকের সাথে সাঁওতার জনপদের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সামগ্রিক জীবনাচার উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে কি? যুক্তিযুক্ত বিশ্লেষণ করো।

ক গারোদের প্রধান পেশা জুম চাষ।
খ বাংলাদশে বাঙালি ছাড়া আরো কিছু জনগোষ্ঠী বা জাতি রয়েছে যাদেরকে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বলে।
যাদের ভাষা, সামাজিক রীতিনীতি প্রভৃতির দিক দিয়ে বাঙালিদের মতো নয় এ সকল জাতিসত্তার এক একটিকে বলা হয় ক্ষুদ্র জাতিসত্তা যেমন: চাকমা, গারো, মণিপুরি, সাঁওতাল ইত্যাদি।
গ উদ্দীপকের সাথে সাঁওতার জনপদের মূল সাদৃশ্য জীবন যাত্রায়। জীবনকে গোছানো সুন্দরের অভিধায় নিজেকে তৈরি করে নেওয়া, যা কিছু পুরাতন জীর্ণ, সনাতন তা ধুয়ে-মুছে শুভ সুন্দর কল্যাণের পথে নিজেকে উদ্ভাসিত করা উদ্দীপক ও সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর উভয়েরই লক্ষ। উদ্দীপকে বাঙালিদের সর্ব প্রধান উৎসব পয়লা বৈশাখের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এদিন বাঙালিরা সকল হিংসা বিভেদ ভুলে গিয়ে পরস্পর সৌহর্দ্যরে বন্ধনে আবদ্ধ হয়। অন্যদিকে জীবনসংগ্রামে ক্ষত-বিক্ষত সাঁওতাল জনপদ। পেশার দিক থেকে কৃষক ও শ্রমিক। ব্রিটিশরিরোধী আন্দোলনের অগ্রণী নায়ক সাঁওতালরা আজ স্মরণীয়। পরিছন্ন পূজারি অশুভ পরিত্যাগ করে যা কিছু সত্য সুন্দর তা প্রতিষ্ঠা করা সাঁওতালদের শান্তিময় কামনা। সেদিক থেকে সাঁওতাল জনপদের সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ বাংলাদেশে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সামগ্রিক জীবনাচার উদ্দীপকে ফুটে না উঠলেও সংস্কৃতিগত ভাবনার জায়গাটি এখানে পরিলক্ষিত হয়।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা এখন মূলধারারই অংশ। এখানে বাঙালি ছাড়াও কিছু জাতি বা জনগোষ্ঠী আছে যাদের জীবনাচার, সংস্কৃতি বাঙালিদের মতো নয়। তবে সংস্কৃতিগত দিক থেকে এদের মধ্যে কিছু মিল লক্ষ করা যায়।
বাঙালিদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি, যা থেকে বাঙালির আত্মপরিচয় খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু তা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা কিছু জনগোষ্ঠীর কিছু মানুষ এদেশে বসবাস করে যাদের সংস্কৃতি ভিন্ন হলেও নাগরিকত্বের পরিচয়ে সবাই এক ও অভিন্ন। যেমন-চাকমারা করে প্রকৃতি পূজা। তাদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে ভাত, মাছ মাংস, শাক সবজি। বিজু উৎসব কিংবা গর্য্যাপর্য্যা বা পহেলা বৈশাখ তাদের প্রধান উৎসব। কৃষিজীবী গারো, নারী-পুরুষের সহাবস্থান কাজকর্মে। সাংগ্রাই উৎসব তাদের অন্যতম উৎসব। এমন রয়েছে মণিপুরি ও সাঁওতাল জনপদে। অপরদিকে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী হিন্দু ধর্মালম্বী হলেও লোক ধর্মের নানা দেব-দেবীর পূজা অর্চনায় ব্যস্ত।
এসব জনগোষ্ঠী সামগ্রিক জীবনদর্শন কিংবা জীবনাচরণ উদ্দীপকে ফুটে ওঠেনি। তবে সংস্কৃতিগত ভাবনা, ঐতিহ্য আগামী দিন সানন্দে বরণ করার সুন্দর দিক পরিলক্ষিত হয়েছে।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
ন্যান্সি ময়মনসিংহ জেলায় বাস করে। তার কিছু আত্মীয়স্বজনের বসতি সিলেট ও টাঙ্গাইলে। তার জাতিগোষ্ঠীতে নিয়মানুযায়ী মেয়েরা পরিবারের সম্পত্তির মালিক হয়। এখানে বিয়ের পর বর স্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে বাস করে। ন্যান্সি তার বাবা-মা’র সাথে মাঠে কৃষিকাজ করে। তাদের সংস্কৃতিতে গীতবাদ্য ও নৃত্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ক. চাকমাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কোনটি? ১
খ. ক্ষুদ্র জাতিসত্তা কীভাবে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিকশিত করেছে? ২
গ. ন্যান্সি ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধে বর্ণিত কোন জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধের সামগ্রিক ভাব ধারণ করে কী? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দেখাও। ৪

ক চাকমাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বিজু।
খ ভিন্ন সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের নিদর্শন স্থাপন করে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীসমূহ বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিকশিত করেছে।
বাংলাদেশ বহু জাতি, বহু ভাষা আর বহু সংস্কৃতির একটি দেশ। এখানে মূল জনগোষ্ঠী বাঙালি ছাড়াও রয়েছে প্রায় অর্ধশত ক্ষুদ্র জাতিসত্তা। তেমনি দেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলার পাশাপাশি রয়েছে অনেক ভাষা, রয়েছে সংস্কৃতির বিভিন্ন ধর্মপালনের ভিন্নতা আরো রয়েছে নানা বর্ণের সংস্কৃতিমনা মানুষ। আর এ রকম বৈচিত্র্যপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ঐক্যবদ্ধতা বাংলাদেশকে আরো সুন্দর ও বর্ণময় করেছে।
গ ন্যান্সি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা প্রবন্ধে বর্ণিত গারো জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা প্রবন্ধ থেকে জানা যায়, গারো জনগোষ্ঠীর প্রধান বসতি ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও সিলেট অঞ্চলে। তাদের পরিবার ব্যবস্থা হলো মাতৃতান্ত্রিক। তাই বিয়ের পর বর স্ত্রীর বাড়িতে বাস করে। গারোরা প্রধানত কৃষিজীবী। তারা নারী ও পুরুষ এক সাথে মাঠে কাজ করে। তাদের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো গীতবাদ্য ও নৃত্য। গারো জাতিগোষ্ঠীতে এসব বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন লক্ষ করা যায় উদ্দীপকের ন্যান্সির মধ্যে।
ন্যান্সি ও তার আত্মীয়স্বজন ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও সিলেট অঞ্চলে বাস করে। মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের নিয়ম অনুযায়ী ন্যান্সির জাতিগোষ্ঠীতেও মেয়েরা পরিবারের সম্পত্তির মালিক হয়। বিয়ের পর বর স্ত্রীর বাড়িতে বাস করে। ন্যান্সিরা গারোদের মতো নারী পুরুষ একসাথে মাঠে কাজ করে এসব কারণে ন্যান্সিকে গারো জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত বলা যায়।
ঘ উদ্দীপকটি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা প্রবন্ধের সামগ্রিক ভাব ধারণ করে না।
বাংলাদেশে মূল জনগোষ্ঠী বাঙালি ছাড়াও আরো অনেক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বাস করে। এদের মধ্যে আছে চাকমা, গারো, মারমা, মণিপুরি, ত্রিপুরা, সাঁওতাল প্রভৃতি জনগোষ্ঠী। এদের প্রত্যেকের রয়েছে স্বতন্ত্র পরিচয়, নিজস্ব সংস্কৃতি ও জীবনাচার। ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধে মণিপুরি, চাকমা, সাঁওতাল, ত্রিপুরা, মারমা, গারো প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিচয় ও জীবনাচরণ সম্পর্কিত বর্ণনা রয়েছে।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, ময়মনসিংহে বসবাসরত ন্যান্সির স¤প্রদায়ের মেয়েরা পরিবারের সম্পত্তির মালিক হয়। এ স¤প্রদায়ে বিয়ের পর বর স্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে বাস করে। এরা কৃষিকাজ করে এবং নারী-পুরুষ একসাথে মাঠে কাজ করে। এ জনগোষ্ঠীতে গীতবাদ্য ও নৃত্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ন্যান্সির জনগোষ্ঠীর এসব বৈশিষ্ট্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী প্রবন্ধে বর্ণিত শুধু গারোদের জীবনযাত্রা প্রণালিকে নির্দেশ করে।
আলোচ্য প্রবন্ধে বর্ণিত অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী সম্পর্কিত আলোচনা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই উদ্দীপকটি ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধের সামগ্রিক ভাব ধারণ করে না।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
বাংলাদেশের একটি বিশেষ জনগোষ্ঠীর মেয়ে রায়েনা। তার জনগোষ্ঠীর লোকেরা কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এদের প্রাচীন ধর্মের নাম আপোকপা ; তবে এদের অধিকাংশই এখন সনাতন ধর্মের চৈতন্যমতের অনুসারি, ভাত, মাছ, শাফ-সবজি এদের প্রধান খাদ্য। রায়েনা পার্বত্য চট্টগ্রামে তার বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দেখল, বন্ধুর স¤প্রদায়ের লোকেরা জুম চাষ করে এবং বনজ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে জীবিকানির্বাহ করে। পরিবার ও সমাজজীবনে পুরুষের প্রাধান্য রয়েছে।
ক. মারমারা কোন বিবাহকে উৎসাহিত করে? ১
খ. মারমাদের সমাজ ব্যবস্থা কীরূপ- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধে বর্ণিত জাতিগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে রায়েনা কোনটির অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. রায়েনার বন্ধুকে কোন জনগোষ্ঠীর মানুষ বলা যায়? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা কর। ৪

ক মারমারা নিজেদের গোত্রে বিবাহকে উৎসাহিত করে।
খ মারমাদের সমাজ ব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক।
মারমা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের একটি অন্যতম ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী। এদের প্রধান বসতি হলোÑ পার্বত্য চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম। মারমা সমাজের অধিকাংশ মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। বিয়ের সময় এ সমাজে ধর্মীয় ও লোকাচার মিলিয়ে নানা অনুষ্ঠান পালন করা হয়। নিজেদের গোত্রে বিবাহ করাকে এ সমাজে উৎসাহিত করা হয়। মারমা সমাজ মূলত পিতৃতান্ত্রিক। পিতৃতান্ত্রিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারে ছেলে ও মেয়েদের সমান অধিকার স্বীকৃত। মারমাদের সামাজিক শাসনব্যবস্থায় রাজা প্রধান।
গ ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধে বর্ণিত জাতিগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে রায়েনা মণিপুরিদের অন্তর্ভুক্ত।
‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধে মণিপুরি জাতিগোষ্ঠীর স্বতন্ত্র পরিচয়, নিজস্ব সংস্কৃতি ও জীবনাচার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এখান থেকে জানা যায়, মণিপুরিরা প্রধানত কৃষিজীবী। এদের পুরুষেরা সাধারণ ধুতি, গামছা, জামা ইত্যাদি পরিধান করে। আর মেয়েরা নিজেদের তৈরি বিশেষ ধরনের পোশাক পরিধান করে। তবে এদের অধিকাংশই এখন সনাতন ধর্মের অনুসারি। এদের প্রধান খাদ্য ভাত, মাছ, শাক-সবজি।
উদ্দীপকের রায়েনাদের জনগোষ্ঠীর লোকেরা কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এদের প্রাচীন ধর্মের নাম আপোকপা; তবে এদের অধিকাংশই এখন সনাতন ধর্মের চৈতন্যমতের অনুসারি। ভাত, মাছ, শাক-সবজি এদের প্রধান খাদ্য। রায়েনার জনগোষ্ঠীর নিজস্ব এ বৈশিষ্ট্যগুলো মণিপুরি সমাজের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে। তাই বলা যায়, রায়েনা মণিপুরি জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
ঘ রায়েনার বন্ধুকে ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধে বর্ণিত মারমা জনগোষ্ঠীর মানুষ বলা যায়।
‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধ থেকে মারমা স¤প্রদায়ের নিজস্ব পরিচয়, সংস্কৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যায়। এখানে বলা হয়েছে, মারমাদের প্রধান বসতি পার্বত্য চট্টগ্রামে। এরা পিতৃতান্ত্রিক। এদের সামাজিক শাসনব্যবস্থায় রাজা প্রধান। এরা জুম চাষ এবং বনজ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে।
উদ্দীপকের রায়েনার বন্ধুর বসতিও পার্বত্য চট্টগ্রামে। এরাও জুম চাষ এবং বনজ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। পরিবার ও সমাজ জীবনে পুরুষের প্রাধান্য রয়েছে। অর্থাৎ এদের পরিবারব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক। এ বৈশিষ্ট্যগুলো ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধে বর্ণিত মারমা জনগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন।
অতএব জীবনাচারণ বিবেচনা করে আমরা রায়েনার বন্ধুকে মারমা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ হিসাবে চিহ্নিত করতে পারি।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ
রাহুল চাকমা তার বন্ধু শিহাবের বিয়ে উপলক্ষে চট্টগ্রামে এসেছে। বিয়ের দিন বরের সঙ্গী হয়ে বরযাত্রীর সাথে রাহুল কন্যাপক্ষের বাড়িতে আসে এবং বিয়ের পুরো অনুষ্ঠানটি কাছ থেকে দেখে আনন্দিত হয়। বিয়েতে কন্যাপক্ষের কোনো ধরনের দাবি-দাওয়া নেই দেখে সে খুবই অবাক হয়। অবশেষে ফিরে যাওয়ার দিন সে বন্ধুকে নববধূসহ আসছে নববর্ষে তার বাড়ি যাওয়ার নিমন্ত্রণ দেয়। সে জানায় নববর্ষ উদ্যাপন তাদের জাতীয় উৎসবের একটি অংশ। এই বর্ণিল ও বৈচিত্র্যপূর্ণ অনুষ্ঠানটি দেখে শিহাব খুবই আনন্দ পাবে।
ক. মারমারা কোন জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত?
খ. গারো জন গোষ্ঠীর ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান কীরূপ?
গ. রাহুলের অবাক হওয়ার কারণ ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধটির আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. রাহুলের জাতীয় উৎসবটি কীভাবে আমাদের সংস্কৃতিকে বর্ণিল ও বৈচিত্র্যময় করেছে বিশ্লেষণ কর।

ক মারমারা মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত।
খ মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত গারোরা মাতৃসূত্রীয়।
গারো পরিবার মাতৃপ্রধান পরিবার। বর বিয়ের পর কনের বাড়িতে বসবাস করতে থাকে। গারো মেয়েরা সম্পত্তির মারিক হয় এবং সন্তান-সন্ততিরা মায়ের পদবি ধারণ করে। তবে পরিবার ও সমাজ পরিচারনা ও শাসনের দায়িত্ব পুরুষরাই পালন করে থাকে। একই গোত্রে বিবাহ গারো সমাজে নিষিদ্ধ। গারো নারী ও পুরুষ উভয়েই মাছে কাজ করে।
গ রাহুল চাকমা তার বন্ধু রায়হানের বিয়েতে গিয়ে অবাক হওয়ার কারণ বিয়েতে কন্যাপক্ষের কোনো দাবি দাওয়া নেই।
‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধটিতে চাকমা স¤প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এখান থেকে জানা যায়, রাহুলদের চাকমা স¤প্রদায়ে কন্যাপণের প্রচলন রয়েছে। কন্যাপক্ষ কন্যার জন্য বরপক্ষের কাছে বস্ত্র ও অলংকার দাবি করে। চাকমা স¤প্রদায়ে এমন ব্যবস্থা প্রচলিত থাকলেও বাঙালি স¤প্রদায়ের সর্বত্র এর বিপরীত নিয়ম পরিলক্ষিত হয়।
উদ্দীপকের রাহুল চাকমা তার বন্ধু শিহাবের বিবাহ উপলক্ষে চট্টগ্রাম আসে। সে বিয়ের দিন বরপক্ষের সঙ্গী হয়ে কন্যাপক্ষের বাড়িতে আসে এবং বিয়ের সমস্ত অনুষ্ঠান দেখে চমৎকৃত হয়। বিয়েতে কন্যাপক্ষের কোনো ধরনের দাবি-দাওয়া না থাকাতে সে খুব অবাক হয়। কেননা রাহুল চাকমাদের সমাজে বিয়ের সময় বরপক্ষ কন্যাপক্ষের অনেক দাবি-দাওয়া পূরণ করে। মূলত চাকমা স¤প্রদায়ের বিবাহ অনুষ্ঠান আর রায়হানদের বিবাহ অনুষ্ঠানের পার্থক্য দেখে রাহুল অবাক হয়।
ঘ রাহুলের বর্ষবরণ জাতীয় উৎসবটি বাঙালি সমাজে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উদ্যাপিত হয়ে আমাদের সংস্কৃতিকে বর্ণিল ও বৈচিত্র্যময় করেছে।
রাহুল চাকমা স¤প্রদায়ের সদস্য। বাঙালির পাশাপাশি রাহুলদের মতো ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বিচিত্র সংস্কৃতি বাংলাদেশের জন্য এক অমূল্য সম্পদ। বহু সংস্কৃতির দেশ বাংলাদেশ নানা উৎসবে রঙিন বর্ণচ্ছটায় আলোকিত করে চারদিক। রাহুলদের জাতীয় উৎসবও এক্ষেত্রে ভ‚মিকা রাখে। তাদের জাতীয় উৎসব হলো বৈসাবি। এ উৎসবটি চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাদের সম্মিলিত বর্ষবরণ উৎসব। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি প্রধান স¤প্রদায় এ উৎসবটি সম্মিলিতভাবে পালন করায় এটি জাতীয় উৎসবের রূপ পরিগ্রহ করেছে।
বৈসাবি উৎসবে কেবল রাহুলদের মতো ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সদস্যই নয় বরং সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ একযোগে অংশ নেয়। বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে অনন্যতা দান করে এ বিশেষ উৎসবটি। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় রাহুলদের জাতীয় উৎসবটিও বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব রাখে। এ উৎসবের আনন্দ তখন কেবল কোনো নির্দিষ্ট স¤প্রদায়ের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে না বরং ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র বাংলাদেশে। এতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি এক নবরূপ পায়।
তাই উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, রাহুলদের জাতীয় উৎসবটি আমাদের সংস্কৃতিকে বর্ণিল ও বৈচিত্র্যময় করেছে। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতির এক নবরূপের উন্মোচন হয়।
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
স্কুলে পড়ার সময় ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর মেয়ে লালমতির সাথে মারমা জাতিগোষ্ঠীর মেয়ে অদিতির বন্ধুত্ব হয়। লালমতিকে নিজস্ব পোশাকে চমৎকার দেখতে লাগে। অদিতি জানতে পেরেছেÑ লালমতি তাঁতও বুনতে পারে। লালমতির কাছে ওদের জাতিগোষ্ঠী সম্পর্কে শুনে একবার ছুটিতে অদিতি খাগড়াছড়ি পাহাড়ি ঝরনার ধারে লালমতিদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। পুরুষেরা পরিধান করে নিজেদের তৈরি গামছা ও ধুতি। লালমতির বাবা কৃষি কাজ করেন। তারা সঙ্গীত ও নৃত্য খুবই সমৃদ্ধ।
ক. জুম চাষকে ত্রিপুরারা কী বলে? ১
খ. সাংগ্রাই কী ধরনের উৎসব? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. লালমতি আচার-আচরণে তার নিজস্ব যে সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়, তা বর্ণনা কর। ৩
ঘ. ‘ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর জীবনযাপনের সাথে মারমা জাতিগোষ্ঠীর জীবনযাপনের তুলনামূলক চিত্র অঙ্কন কর। ৪

ক জুম চাষকে ত্রিপুরারা হোগ বলে।
খ নববর্ষে সাংগ্রাই দেবীর পূজা উপলক্ষে আয়োজিত মারমাদের আয়োজিত অনুষ্ঠানকে সাংগ্রাই উৎসব বলা হয়।
মারমাদের আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলোর মধ্রে সবচেয়ে বড় উৎসব ‘সাংগ্রাই’। নববর্ষে সাংগ্রাই দেবীর পূজা উপলক্সে এর আয়োজন করা হয়। এ উৎসব তিন দিন ধরে চলে। অর্থাৎ সাগ্রাই দেবীর আগমন এবং তৃতীয় দিনকে বলা হয় ‘সাংগ্রাই আপ্যাইন’ বা সাংগ্রাই দেবীর নির্গমন দিবস।
গ লালমতির আচার-আচরণে তার নিজস্ব সংস্কৃতি অর্থাৎ ত্রিপুরা স¤প্রদায়ের বর্ণিল সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়।
‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধটি থেকে ত্রিপুরাদের জীবনযাত্রা প্রণালি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এখানে বলা হয়েছে, ত্রিপুরা মেয়েরা কাপড় বয়নে অত্যন্ত দক্ষ, তারা নিজেদের কাপড় নিজেরাই তাঁতে তৈরি করে। পুরুষেরা পরিধান করে নিজেদের তৈরি গামছা ও ধুতি। তারা কৃষিজীবী তারা পাহাড়ে জুমচাষ করে। তাদের মধ্যে নানা ধরনের নৃত্য প্রচলিত আছে। তার মধ্যে অন্যতম। প্রধান উৎসব বৈসুখ।
উদ্দীপকের লালমতির মধ্যে ত্রিপুরা স¤প্রদায়ের এই বৈশিষ্ট্যগুলোই পরিলক্ষিত হয়। সে কাপড় বুনতে পারে। লালমতির বাবা কৃষিকাজ করেন তারা নৃত্য পরিবেশন করে। সুতরাং লালমতির আচার-আচরণে ত্রিপুরা সংস্কৃতির বর্ণিল পরিচয় পাওয়া যায়।
ঘ ভাষা, ধর্ম, পেশা, উৎসব ইত্যাদি দিক দিয়ে ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর জীবনযাপনের সাথে মারমা জাতিগোষ্ঠীর জীবনযাপনের বেশকিছু সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
ত্রিপুরা ও মারমা উভয়ের সমাজব্যবস্থাই পিতৃতান্ত্রিক। তবে তাদের জীবনযাত্রার প্রণালির ভিন্নতাও রয়েছে। তাদের খাদ্যাভ্যাস ও পেশার মিল থাকলেও তাদের পোশাক-পরিচ্ছদে বেশ পার্থক্য রয়েছে। উদ্দীপকের লালমতি ও অদিতির প্রেক্ষাপটটি থেকেও এ বিষয়টি অনুধাবন করা যায়।
ত্রিপুরা মেয়েদের মতো মারমা মেয়েরা কাপড় বয়নে দক্ষ হয় না। আবার, তাদের প্রচলিত ধ্যানধারণা ও বিশ্বাসেও ভিন্নতা রয়েছে। ত্রিপুরাদের প্রধান উৎসব হলো বৈসুখ এবং মারমাদের সাংগ্রাই। এখানেই তাদের জীবনপ্রণালিতে অনেক বড় পার্থক্য বিদ্যমান। তাদের সমাজ পরিচালনার পদ্ধতিও আলাদা। আবার, ত্রিপুরাদের মতো নানা ধরনের নৃত্যের উপস্থিতিও মারমা স¤প্রদায়ে দেখা যায় না।
সুতরাং ত্রিপুরা ও মারমা জাতিগোষ্ঠীর জীবনযাপনের তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন দেখা যায়, এতে মিল ও অমিল উভয়ই রয়েছে। তবে একটি বিষয়ে দ্বিমত নেই যে তাদের ভিন্ন ধারার সংস্কৃতিই তাদের জীবনযাপন পদ্ধতিকে বর্ণিল করেছে।
পরিশেষে একথা প্রমাণিত হয় যে ত্রিপুরার জীবনযাপনের সাথে মারমার জীবনযাপনের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য উভয়ই লক্ষণীয়।
 অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ মণিপুরি জনগোষ্ঠীর সমাজচিত্র।

‘ক’ নামক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ দলবদ্ধ হয়ে বাস করে, দলনেতার কথামতো কাজ করে, দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখে। এরা খুব ধর্মপ্রাণ। এদের একটা অংশ মুসলমান, বাকিরা সনাতন ধর্মাবলম্বী। ধর্ম সংশ্লিষ্ট উৎসবে এদের মধ্যে প্রাণের জোয়ার আসে। এরা বাঙালিদের মতো সাধারণ খাবার খায়। তবে এদের পোশাকে বেশ বৈচিত্র্য আছে। সংস্কৃতি ভিন্ন হলেও এরা আজ আমাদেরই অংশ।
ক. মণিপুরি জনগোষ্ঠী কতটি গোত্রে বিভক্ত? ১
খ. মারমাদের সামাজিক শাসন ব্যবস্থা কেমন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে- নির্ণয় কর। ৩
ঘ. ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধের আলোকে উদ্দীপকের শেষোক্ত মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪

ক মনিপুরি জনগোষ্ঠী সাতটি গোত্রে বিভক্ত।
খ মারমাদের সামাজিক শাসনব্যবস্থায় রাজা প্রধান।
এছাড়া গ্রামের প্রধান হিসাব-নিকাশ ও দলিল-দস্তাবেজ প্রস্তুতকারী, দেহরক্ষী, দলনেতা প্রভৃতি নানা ধরনের মানুষ আছেন। এসব মানুষেরা মারমাদের সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা সংরক্ষণ করে। আর সবার প্রধান হলেন রাজা যিনি অন্য সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করেন।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ বাংলাদেশের ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধের আলোকে মণিপুরি জনগোষ্ঠীর সামাজিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধর।
ঘ আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিতে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা জনগোষ্ঠীর ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ৮ ল্ফল্ফ ভ্রাতৃত্ব বোধের পরিচয়।

গাহি সাম্যের গান
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান
নাই দেশে-কাল পাত্রের ভেদ, অভেদ- ধর্মজাতি,
সব দেশে, সব কালে, ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
ক. চাকমারা কোন ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্গত? ১
খ. গারোদের পেশাগত পরিচয় ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধের কোন দিকটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকে এবং ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধে মানুষের পরিচয় হিসেবে উপস্থিত হয়েছে।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক চাকমারা আর্য ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্গত।
খ গারোদের পেশাগত জীবন হিসেবে প্রধানত কৃষিকাজ সম্পর্কেই জানা যায়।
গারোরা মাতৃতান্ত্রিক পরিবার পরিচালনা করে। পরিবার পরিচালনা করতে গিয়ে তারা কৃষিকাজকেই পেশা হিসেবে বেছে নেয়। সাধারণত পাহাড়ি ঢালু জমিতে তারা জুম চাষ করে। প্রকৃতির অবদান তথা হালকা বৃষ্টির কারণে ফসল অত্যন্ত ভালো চাষ হয়। এভাবে তারা কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধের আলোকে অস¤প্রদায়িক চেতনার দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ, সহানুভ‚তি, সম্মানের বিষয় বিশ্লেষণ কর।

জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ চাকমারা কোন জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত?
উত্তর : চাকমারা মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত।
প্রশ্ন \ ২ \ চাকমা সমাজে গ্রামের প্রধানকে কী বলে?
উত্তর : চাকমা সমাজে গ্রামের প্রধানকে কারবারি বলে।
প্রশ্ন \ ৩ \ চাকমাদের মৌজা প্রধানের নাম কী?
উত্তর : চাকমাদের মৌজা প্রধানের নাম হেডম্যান।
প্রশ্ন \ ৪ \ চাকমাদের বিয়ের দেবতা কত জন?
উত্তর : চাকমাদের বিয়ের দেবতা তিন জন।
প্রশ্ন \ ৫ \ ত্রিপুরাদের পেশা কী?
উত্তর : ত্রিপুরাদের পেশা কৃষি।
প্রশ্ন \ ৬ \ জুম চাষকে ত্রিপুরা সমাজে কী বলা হয়?
উত্তর : জুম চাষকে ত্রিপুরা সমাজে হোগ বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ মণিপুরিরা কোথায় বসবাস করে?
উত্তর : মণিপুরিরা বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে বসবাস করে।
প্রশ্ন \ ৮ \ মণিপুরিরা কোন জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত?
উত্তর : মণিপুরিরা মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠী অন্তর্গত।
প্রশ্ন \ ৯ \ মণিপুরিরা পাড়া প্রধানকে কী বলে?
উত্তর : মণিপুরিরা পাড়া প্রধানকে খুল আহাল বলে।
প্রশ্ন \ ১০ \ মণিপুরি জাতিগোষ্ঠী কতটি গোত্রে বিভক্ত?
উত্তর : মণিপুরি জাতিগোষ্ঠী সাতটি গোত্রে বিভক্ত।
প্রশ্ন \ ১১ \ গারোদের প্রধান বসতি কোন অঞ্চলে?
উত্তর : গারোদের প্রধান বসতি ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও সিলেট অঞ্চলে।
প্রশ্ন \ ১২ \ মারমারা প্রাচীনকাল থেকে কোন ধর্মাবলম্বী?
উত্তর : মারমারা প্রাচীনকাল থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী?
প্রশ্ন \ ১৩ \ মারমারা মৌজার রাজস্ব আদায়কারীকে কী বলে?
উত্তর : মারমারা মৌজার রাজস্ব আদায়কারীকে হেডম্যান কারবারি বলে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ মারমাদের মেয়েরা কী পরিধান করেন?
উত্তর : মারমাদের মেয়েরা থামি পরিধান করেন।
প্রশ্ন \ ১৫ \ সাঁওতাল বিদ্রোহ কখন হয়?
উত্তর : সাঁওতাল বিদ্রোহ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় হয়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ সাঁওতালদের ফাল্গুন মাসের অনুষ্ঠানের নাম কী?
উত্তর : সাঁওতালদের ফাল্গুন মাসের অনুষ্ঠানের নাম সালসেই।
প্রশ্ন \ ১৭ \ সাঁওতাল সমাজের শ্রেষ্ঠ উৎসব কোনটি?
উত্তর : সাঁওতাল সমাজের শ্রেষ্ঠ উৎসব সোহরাই।
প্রশ্ন \ ১৮ \ সাঁওতালদের সোহরাই উৎসব কীসের মতো?
উত্তর : সাঁওতালদের সোহরাই উৎসব পৌষ-পার্বণের মতো।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ গারো সমাজে নারীদের অবস্থান কেমন?
উত্তর : বাংলাদেশের অন্যসব উপজাতীয় জাতিগোষ্ঠীর চেয়ে গারো সমাজে নারীদের অবস্থান স্বীকৃত।
মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত গারো সমাজ মূলত মাতৃতান্ত্রিক। এখানে মেয়েরা পরিবারের সম্পত্তির মালিক হয়। বিবাহের পর বর স্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে বসবাস করে। সমাজে সন্তানসন্ততিরা মায়ের পদবি ধারণ করে। তবে পরিবার এবং সমাজ পরিচালনা ও শাসনে পুরুষরাই দায়িত্ব পালন করে থাকে।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘বাংলাদেশ বহু ভাষা ও সংস্কৃতির দেশ’ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলাদেশের মূল জনগোষ্ঠী বাঙালি হলেও এদেশে অনেক জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করে। তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি জীবনাচার ও স্বতন্ত্র পরিচয় আছে।
আমাদের দেশে বাঙালি ছাড়াও যেসব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বাস করে তারা হলো চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো, সাঁওতাল, মণিপুরি, খাসি, ম্রো, রাখাইন ইত্যাদি। রাষ্ট্রভাষা বাংলার পাশাপাশি এসব জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব অনেক ভাষা ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি আছে। তাদের নিজস্ব ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি তাদের কাছে খুবই প্রিয়। তবে আমাদের সবারই জাতীয়তা এক। এই বিচিত্রতা আমাদের আরও সমৃদ্ধ করেছে। তাইতো বলা হয় বাংলাদেশ বহু ভাষা ও সংস্কৃতির দেশ।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘বৈসাবি’ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : ‘বৈসাবি’ হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জাতীয় উৎসব যা নববর্ষ উপলক্ষে পালন করা হয়।
ত্রিপুরাদের প্রধান উৎসব নববর্ষ বা বৈসুখ।মারমাদের সাংগ্রাই এবং চাকমাদের ‘বিজু’। এ সকল উৎসবে নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামের একটি উৎসব আয়োজিত হয়। এ উৎসব বর্তমানে ঐ অঞ্চলের জাতীয় উৎসব।
প্রশ্ন \ ৪ \ চাকমাদের বিবাহের রীতি কেমন? বর্ণনা কর।
উত্তর : নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে চাকমারা বিবাহ পরিচালনা করে।
চাকমাদের বিয়ের সময় ছেলের অভিভাবককে কনের বাড়িতে কমপক্ষে তিন বার যাওয়া-আসা করতে হয়। বিয়ের দিন তারিখ স্থির করার পর প্রতিবার চুয়ানি, পান সুপারি ও পিঠা নিয়ে যেতে হয়। এভাবে নানা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে চাকমাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ গারো সমাজের পরিবার ব্যবস্থা কেমন হয়?
উত্তর : গারো সমাজের পরিবার ব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক।
গারোদের পরিবারে মেয়েরাই হয় সম্পত্তির মালিক। বিবাহের পর বর স্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে বসবাস করে এবং মাতৃতান্ত্রিক পরিবার গড়ে তোলে। সন্তানরা মায়ের পদবি ধারণ করে এবং মায়ের পরিচয়ে পরিচিত হয়। মাতাই তাদের পরিবারের প্রধান কর্তা।
প্রশ্ন \ ৬ \ মণিপুরিদের ধর্মব্যবস্থার বিবরণ দাও।
উত্তর : মণিপুরিদের ধর্মব্যবস্থায় যথেষ্ট বৈচিত্র্যপূর্ণ।
মণিপুরিদের অধিকাংশই এখন সনাতন ধর্মের চৈতন্য মতের অনুসারী। সনাতন ধর্মের অনুসারী হলেও তারা গৃহদেবতা হিসেবে প্রাচীন ধর্মের দেব-দেবীদের পূজা করে থাকে। আবার তাদের উল্লেখযোগ্য অংশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। সনাতন ধর্মাবলম্বী মণিপুরিদের প্রধান উৎসব রাম উৎসব, রথযাত্রা ইত্যাদি। রাম উৎসব উপলক্ষে রামনৃত্য ও মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন \ ৭ \ ত্রিপুরাদের পোশাক-পরিচ্ছদের ধরন কেমন?
উত্তর : ত্রিপুরাদের ছেলেমেয়েদের পোশাকের ধরন আলাদা ও বৈচিত্র্যময়।
ত্রিপুরা মেয়েরা কাপড় বুননে দক্ষ এবং নিজেদের কাপড় নিজেরাই তৈরি করে। আর পুরুষরা পরিধান করে নিজেদের তৈরি গামছা ও ধুতি।

 

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ লেখক পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. বাংলাদেশের মণিপুরি সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে পথিকৃৎ প্রাবন্ধিক কে? (জ্ঞান)
ক হুমায়ুন আজাদ খ আবুবকর সিদ্দিক
 এ.কে.শেরাম ঘ কালিদাস রায়
২. এ. কে. শেরাম কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
 ১৯৫২ খ ১৯৪৩ গ ১৯৪২ ঘ ১৯৫৩
৩. এ.কে. শেরাম কর্মজীবনে কোথায় চাকরি করতেন? (জ্ঞান)
ক নৌবাহিনীতে খ সেনাবাহিনীতে
গ আদিবাসী কেন্দ্রে  সরকারি ব্যাংকে
৪. এ. কে. শেরাম কোন জাতিসত্তার সদস্য ছিলেন? (জ্ঞান)
ক সাঁওতাল  মণিপুরি গ মারমা ঘ গারো
৫. এ. কে. শেরাম কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
 হবিগঞ্জ খ মুন্সীগঞ্জ গ নারায়ণগঞ্জ ঘ রংপুর
৬. মণিপুরি সাহিত্য সংকলন মৈরা’র প্রধান সম্পাদক কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক হাশেম খান খ আল মাহমুদ গ মামুনুর রশীদ  এ.কে.শেরাম
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭. এ. কে. শেরামের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ (অনুধাবন)
র. বসন্ত কুন্নি পাগলী লৈরাং রর. ইতিহাসের দর্পণ
ররর. মণিপুরি কবিতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৫২
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮. ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এখন মূলধারার অংশ কেন? (অনুধাবন)
 সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখছে বলে
খ নিজস্ব সংস্কৃতিতে বলীয়ান বলে
গ বনজ সম্পদে শক্তিশালী বলে
ঘ জাতীয়তা বোধ সৃষ্টির সহায়ক বলে
৯. বাংলাদেশ কয় জাতির দেশ? (জ্ঞান)
ক এক জাতির খ দুই জাতির গ তিন জাতির  বহু জাতির
১০. কোনটি আমাদের দেশকে সুন্দর ও বর্ণময় করে তুলেছে? (জ্ঞান)
ক সংগ্রাম খ সততা  একতা ঘ কঠোরতা
১১. চাকমা সমাজে বিয়ের সময় ছেলের অভিভাবককে কমপক্ষে কত বার কনের বাড়িতে যেতে হয়? (জ্ঞান)
 তিন খ পাঁচ গ সাত ঘ নয়
১২. চাকমাদের বিয়ের দেবতা কত জন? (জ্ঞান)
ক দুই  তিন গ চার ঘ সাত
১৩. কোন সমাজ মাতৃসূত্রীয়? (জ্ঞান)
ক চাকমা খ সাঁওতাল  গারো ঘ মণিপুরি
১৪. বাংলাদেশে বসবাসরত বাঙালি ছাড়া অন্যান্য নৃতাত্তি¡ক জাতিগোষ্ঠী কী নামে পরিচিত? (জ্ঞান)
 উপজাতি খ মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠী
গ পাহাড়িয়া ঘ চাকমা
১৫. চাকমারা কোন জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত? (জ্ঞান)
ক ককেশীয়  মঙ্গোলীয় গ সংকর ঘ অস্টালয়েড
১৬. হেডম্যান কার দ্বারা নির্বাচিত হন? (জ্ঞান)
ক রাজার দ্বারা খ কারবারির দ্বারা
গ জনগণের দ্বারা  রাজা ও জনগণের দ্বারা
১৭. চাকমা স¤প্রদায়ের প্রধান উৎসবের নাম কী? (জ্ঞান)
ক চুঙলাং  বিজু গ গর্য্যাপর্য্যা ঘ মদপিলা
১৮. চাকমা স¤প্রদায়ের জনপ্রিয় লোকনৃত্য গীত কোনটি? (জ্ঞান)
 জুমনাচ খ ফুলবিজু গ মূলবিজু ঘ গর্য্যাপর্য্যা
১৯. চাকমা সম্প্রদায়ের প্রধান বসতি কোথায়? (জ্ঞান)
ক ময়মনসিংহ  রাঙামাটি গ রংপুর ঘ পাবনা
২০. ‘পানীয় চুয়ানি’ চাকমা সমাজে কী হিসেবে প্রচলিত? (জ্ঞান)
ক অন্যজনকে খুশি করার জন্য খ ভদ্রতার জন্য
 ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘ লৌকিক আচার হিসেবে
২১. চাকমারা কোন ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত? (জ্ঞান)
ক বাংলা  আর্য গ হিন্দি ঘ উর্দু
২২. চাকমাদের সমাজের প্রধান কে? (জ্ঞান)
 রাজা খ রানি গ বাদশা ঘ চেয়ারম্যান
২৩. চাকমাদের গ্রামের প্রধান কে? (জ্ঞান)
ক রাজা খ জনক  কারবারি ঘ রানি
২৪. চাকমাদের মৌজার প্রধান কে? (জ্ঞান)
ক কারবারি  হেডম্যান গ রাজা ঘ রানি
২৫. চাকমারা প্রধানত কোন ধর্মাবলম্বী? (জ্ঞান)
ক ইসলাম খ হিন্দু  বৌদ্ধ ঘ খ্রিষ্টান
২৬. গারো জনগোষ্ঠীর প্রধান বসতি কোথায়? (জ্ঞান)
 ময়মনসিংহ খ চট্টগ্রাম গ রাঙামাটি ঘ পাবনা
২৭. গারো স¤প্রদায়ের বিবাহের পর বর কোথায় বসবাস করে? (জ্ঞান)
ক বাপের বাড়িতে  স্ত্রীর বাড়িতে
গ দাদার বাড়িতে ঘ নিজের বাড়িতে
২৮. গারো স¤প্রদায়ের সন্তানসন্ততিরা কার পদবি ধারণ করে? (জ্ঞান)
 মায়ের খ বাপের গ দাদির ঘ নানির
২৯. পাহাড়ে বসবাসকারী গারোরা কী চাষ করে? (জ্ঞান)
ক ধান খ পাট  জুম ঘ চা
৩০. গারোদের প্রধান পেশা কী? (জ্ঞান)
 কৃষিকাজ খ ব্যবসা গ চাকরি ঘ মাছ শিকার
৩১. ‘মারোসা’ কী? [ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইনস্টিটিউট, ঢাকা] (জ্ঞান)
 গোত্রের নাম খ বর্ণমালার নাম
গ উৎসবের নাম ঘ ধর্মের নাম
৩২. গারো মেয়েরা সম্পত্তির মালিক হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
 মাতৃসূত্রীয় সমাজের বদৌলতে খ দাদা সুত্রীয় সমাজের বেদৌলতে
গ নানা সূত্রীয় সমাজের বদৌলতে ঘ পিতৃ সূত্রীয় সমাজের বদৌলতে
৩৩. তিন দিন ধরে চলা সাংগ্রাই উৎসবের তৃতীয় দিনকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক পাইং ছোয়াইক খ সাগ্রাই রাইকু
 সাংগ্রাই আপ্যাইন ঘ সাংগ্রাই ভোতকা
৩৪. মণিপুরিদের জনগোষ্ঠী কয়টি গোত্রে বিভক্ত? (জ্ঞান)
ক ৬  ৭ গ ৮ ঘ ৯
৩৫. রাস উৎসব, রথযাত্রাÑ এগুলো কাদের উৎসব? (জ্ঞান)
ক গারো খ চাকমা গ মারমা  মণিপুরি
৩৬. লোকনৃত্য, রাসনৃত্য, মৃদঙ্গনৃত্য ও থাঙ কোন সমাজে খুবই জনপ্রিয়? (জ্ঞান)
ক চাকমা সমাজে  মণিপুরি সমাজে
গ গারো সমাজে ঘ মারমা সমাজে
৩৭. ত্রিপুরারা কোন ধর্মের অনুসারী? (জ্ঞান)
 হিন্দু খ মুসলমান গ বৌদ্ধ ঘ খ্রিষ্টান
৩৮. পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতীয় উৎসবের নাম কী? (জ্ঞান)
ক বৈসুখ খ বিজু গ সাংগ্রাই  বৈসাবি
৩৯. কোন সমাজ মাতৃতান্ত্রিক? (জ্ঞান)
ক চাকমা খ সাঁওতাল  গারো ঘ মণিপুরি
৪০. মারমাদের সামাজিক শাসনব্যবস্থায় প্রধান কে? (জ্ঞান)
 রাজা খ সরকার গ কাজী ঘ পুরোহিত
৪১. সাংগ্রাই উৎসব কত দিন ধরে চলে? (জ্ঞান)
 তিন খ পাঁচ গ ছয় ঘ সাত
৪২. ত্রিপুরা মেয়েরা কোনটিতে খুবই দক্ষ? (জ্ঞান)
ক রান্নাবান্না খ সেলাই  কাপড় বোনা ঘ সন্তান পালন
৪৩. ত্রিপুরারা নববর্ষের উৎসবকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক সাংগ্রাই  বৈসুখ গ বিঝু ঘ বৈসাবি
৪৪. ফসল ঘরে তোলার পর ত্রিপুরারা কোন নৃত্য পরিবেশন করে? (জ্ঞান)
 চমলাই নৃত্য খ ঘাড়িয়া নৃত্য গ খুম চামাং নৃত্য ঘ কথারক নৃত্য
৪৫. চা বাগানে কোন উপজাতির বসবাস? (জ্ঞান)
ক চাকমা খ মারমা গ ত্রিপুরা  সাঁওতাল
৪৬. সাঁওতালরা প্রধানত কয়টি গোত্রে বিভক্ত? (জ্ঞান)
 দুই খ তিন গ চার ঘ সাত
৪৭. ‘নাচোল কৃষক বিদ্রোহ’ কোন উপজাতির বিদ্রোহ? (জ্ঞান)
ক রাখাইন খ ওরাও গ মণিপুরি  সাঁওতাল
৪৮. মারমা মেয়েরা যে পোশাক পরিধান করে তার নাম কী? (জ্ঞান)
 থামি খ আনপান গ কপিং ঘ রেকিং
৪৯. মারমারা প্রাচীনকাল থেকেই কোন ধর্মাবলম্বী? (জ্ঞান)
 বৌদ্ধ খ খ্রিষ্টান গ হিন্দু ঘ মুসলমান
৫০. মণিপুরিরা কোথায় বসবাস করে? (জ্ঞান)
ক ময়মনসিংহ খ রাঙামাটি গ চট্টগ্রাম  সিলেট
৫১. মণিপুরিদের কয়েকটি পাড়া মিলে কী গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক গ্রাম খ থানা  পানচায় ঘ ইউনিয়ন
৫২. ‘ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে’ কারা সংগ্রামী ভ‚মিকা পালন করে? (জ্ঞান)
ক চাকমারা  সাঁওতালরা গ মারমারা ঘ হাজংরা
৫৩. সাঁওতালদের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাচ কোনটি? (জ্ঞান)
ক দোং খ রিংজা গ বাহা  ঝুমুর
৫৪. বাংলাদেশ সুন্দর ও বর্ণময় কেন? (অনুধাবন)
 একতার শক্তির জন্য খ এক জাতির জন্য
গ মুসলমানদের জন্য ঘ প্রকৃতির জন্য
৫৫. চাকমা সমাজের প্রধানকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক বড়লোক খ সম্মানী ব্যক্তি
 সমাজের পরিচালক ঘ চাকমা রাজা
৫৬. কীভাবে মণিপুরিরা পাড়া গড়ে তোলে? (অনুধাবন)
 কয়েকটি পরিবার মিলে খ কয়েকজন মানুষ নিয়ে
গ কয়েকটি ঘর নিয়ে ঘ অনেক মানুষ নিয়ে
৫৭. মৌজা গঠিত হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক কয়েকটি সমাজ নিয়ে খ কয়েকটি পরিবার নিয়ে
 কয়েকটি গ্রাম নিয়ে ঘ কয়েকটি বাড়ি নিয়ে
৫৮. ‘ক’ স¤প্রদায়ে লোকনৃত্যগীত হিসেবে ‘জুমনাচ’ ও ‘বিজুনাচ’ বেশ জনপ্রিয়। ‘ক’ এর সাথে নিচের কোন স¤প্রদায়ের মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
 চাকমা খ গারো গ মারমা ঘ মণিপুরি
৫৯. সিনহা যে দেশে জন্মগ্রহণ করেছে সেখানে সন্তানসন্ততিরা মায়ের পদবি ধারণ করে, সিনহার দেশের এ রীতির সাথে নিচের কোন স¤প্রদায়ের রীতির মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক চাকমা খ মারমা  গারো ঘ মণিপুরি
৬০. ‘ক’ নামক স¤প্রদায়ের নারী ও পুরুষ একসাথে মাঠে কাজ করে। ‘ক’ নিচের কোন স¤প্রদায়কে ইঙ্গিত করছে? (প্রয়োগ)
ক চাকমা  গারো গ মণিপুরি ঘ মারমা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬১. প্রত্যেক উপজাতির রয়েছে নিজস্বÑ (অনুধাবন)
র. ভাষা রর. শিল্প-সাধনা
ররর. আচার-আচরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর  র, রর ও ররর
৬২. চাকমারা চৈত্রের শেষ দুই দিন যে উৎসব পালন করে- (অনুধাবন)
র. ফুলবিজু রর. মূলবিজু
ররর. জদন বানাহ
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৩. ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীসমূহ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেÑ (অনুধাবন)
র. জাতীয়তাবোধ সৃষ্টিতে রর. বৃহত্তর জাতীয় উন্নয়নে
ররর. জাতীয় সংস্কৃতি সমৃদ্ধ করতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৪. চাকমাদের বিয়ের দেবতা হলেনÑ (অনুধাবন)
র. পরমেশ্বরী রর. কালাইয়া
ররর. নেইনাঙ্গা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬৫. চাকমা সমাজে বর কনের সামাজিক স্বীকৃতি প্রদানের অনুষ্ঠান হলো- (অনুধাবন)
র. জদন বানাহ রর. জোড়াবালা
ররর. চুঙলাং
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৬. স্বর্ণা একটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মেয়ে। এ স¤প্রদায়ের মেয়েরা কাপড় বয়নে খুবই দক্ষ। ¯¦র্ণাদের পুরুদের যা পরিধান করে- (প্রয়োগ)
র. গামছা রর. ধুতি
ররর. লুঙ্গি
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৭. গারো স¤প্রদায়ের পুরুষরা যেসব দায়িত্ব পালন করে- (অনুধাবন)
র. পরিবার পরিচালনা রর. সমাজ পরিচালনা
ররর. সমাজ শাসন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬৮. ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে সাঁওতালরা যে বিদ্রোহ করেছে- (অনুধাবন)
র. সাঁওতাল বিদ্রোহ রর. নীল বিদ্রোহ
ররর. নাচোল কৃষক বিদ্রোহ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৯. ‘বৈসাবি’ গঠিত হয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. ত্রিপুরাদের নববর্ষের উৎসবের নামের ১ম অক্ষর নিয়ে
রর. মারমাদের নববর্ষের উৎসবের নামের ১ম অক্ষর নিয়ে
ররর. চাকমাদের বিজু উৎসবের নামের ১ম অক্ষর নিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৭০. মারমারা যেভাবে জীবিকা নির্বাহ করেÑ (অনুধাবন)
র. জুম চাষ করে রর. বনজ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে
ররর. ব্যবসায়ের মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭১. মণিপুরিরা যে ধর্মাবলম্বী- (অনুধাবন)
র. সনাতন রর. ইসলাম
ররর. খ্রিষ্টান
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭২ ও ৭৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাংলা নববর্ষকে ঘিরে বাঙালিরা নাচ-গানে মেতে থাকে। তারা খুঁজে পেতে চায় ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে। এছাড়া রয়েছে বসন্ত বরণ উৎসব, একুশে ফেব্রæয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসের মতো নানা ইতিহাস ও ঐতিহ্য। [মতিঝিল মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
৭২. অনুচ্ছেদে বাঙালির সাথে ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধটিতে কাদের সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
 ক্ষুদ্র জাতিসত্তার খ ইংরেজদের
গ ফরাসিদের ঘ পর্তুগিজদের
৭৩. ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধ অনুসারে উপরিউক্ত অনুচ্ছেদে প্রকাশ পেয়েছে কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
 বাঙালির সংস্কৃতি খ ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ঐতিহ্য
গ বাঙালি জাতির বৈশিষ্ট্য ঘ বাঙালির অস্তিত্বের দিক
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৪ ও ৭৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জুঁইদের স¤প্রদায় পিতৃতান্ত্রিক। পিতা তাদের পরিবারের প্রধান। রাজা তাদের সমাজ পরিচালনা করেন। তারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তবে তার পাশাপাশি এখনো প্রকৃতিপূজা করে।
৭৪. জুঁইদের স¤প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা প্রবন্ধে কাদের মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মারমাদের  চাকমাদের গ গারোদের ঘ মণিপুরিদের
৭৫. উক্ত জনগোষ্ঠীর লোকনৃত্য গীতি হিসেবে বেশ জনপ্রিয় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ফুলনাচ রর. জুমনাচ
ররর. বিজুনাচ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৬ ও ৭৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রক্তিম ও তার পরিবার অত্যন্ত আনন্দের সাথে নববর্ষ উদ্যাপন করে। এ উৎসবের সময় তারা সংগ্রাই দেবীর পূজা করে নতুন বছরের জন্য শুভকামনা করে।
৭৬. রক্তিম ও তার পরিবার কোন স¤প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত? (প্রয়োগ)
 মারমা খ সাঁওতাল গ মণিপুরি ঘ চাকমা
৭৭. উক্ত স¤প্রদায়ের লোক জীবিকা নির্বাহ করে (অনুধাবন)
র. জুমচাষ করে রর. মৎস্য চাষ করে
ররর. বনজসম্পদ আরহণ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৮. ‘প্রবীণ’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক প্রাপ্তবয়স্ক খ বয়স্ক  বৃদ্ধ ঘ জ্ঞানী
৭৯. পদবি কোথায় যুক্ত হয়? (জ্ঞান)
ক নামের শুরুতে খ নামের মাঝখানে
 নামের শেষে ঘ শিক্ষাগত যোগ্যতায়
৮০. “নৃতত্ত¡” মানুষের কীসের পরিচয় বহন করে? (জ্ঞান)
ক সংস্কৃতির খ ইতিহাসের  উদ্ভবের ঘ আচরণের
৮১. মানুষের উদ্ভব ও পরিচয় সম্পর্কিত শাস্ত্রকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
 নৃতত্ত¡ খ ভ‚তত্ত¡ গ মৃত্তিকাতত্ত¡ ঘ জাতিতত্ত¡
৮২. ‘বয়ন’ অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক চাষ  বোনা গ তোলা ঘ ছেঁড়া
৮৩. পাহাড়ে চাষাবাদের বিশেষ পদ্ধতি কোনটি? (জ্ঞান)
ক বিজু  জুম গ কাবাং ঘ খবং
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৪. সংস্কৃতি হলো- (অনুধাবন)
র. ব্যক্তির পরিচয় রর. নাগরিকত্বের পরিচয়
ররর. স¤প্রদায়ের আত্মপরিচয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৫. ‘পদবি’ শব্দটির অর্থ (অনুধাবন)
র. কর্মক্ষেত্রের স্তর রর. বংশ পরিচয়
ররর. মর্যাদা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৬. বাংলাদেশের প্রধান জনগোষ্ঠীর নাম কী? (জ্ঞান)
 বাঙালি খ ইংরেজ গ পাকিস্তানি ঘ ইন্ডিয়ান
৮৭. ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও জীবনাচার আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিকে কী ফল বয়ে এনেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
 সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে তুলেছে
খ সংস্কৃতিকে বিচ্ছিন্ন করে তুলেছে
গ সংস্কৃতিকে বিলুপ্ত করে দিয়েছে
ঘ সংস্কৃতিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করেছে
৮৮. মূলধারার সাথে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সম্পর্ক কেমন? (অনুধাবন)
 অবিচ্ছেদ্য খ বিভ্রান্তিকর গ খুবই কঠিন ঘ অতি নগণ্য
৮৯. জাতীয় মূলধারার অংশ হিসেবে কাদের চিহ্নিত করা হয়েছে? (জ্ঞান)
 আদিবাসীদের খ বিদেশিদের গ চাকমাদের ঘমারমাদের
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯০. প্রত্যেকটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর রয়েছে- (অনুধাবন)
র. নিজস্ব শাসনতন্ত্র রর. স্বতন্ত্র পরিচয়
ররর. নিজস্ব সংস্কৃতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯১. বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও জীবনাচার আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিতে যে প্রভাব ফেলেছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে রর. সংস্কৃতিকে বৈচিত্র্যময় করেছে
ররর. সংস্কৃতিকে মন্থর করেছে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

Share to help others: