সেই ছেলেটি
মামুনুর রশীদ
লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য
লেখক পরিচিতি
নাম মামুনুর রশীদ।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে। জন্মস্থান : পাইকড়া গ্রাম, কালিহাতি, টাঙ্গাইল।
পৈতৃক নিবাস : ভাবনদত্ত গ্রাম, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল।
পিতৃ-মাতৃপরিচয় : পিতা : মো: হাফিজা, মাতা : মাহমুদা।
শিক্ষাজীবন উচ্চতর শিক্ষা : স্নাতকোত্তর (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
পেশা/কর্মজীবন নাট্যকার, অভিনেতা ও নির্দেশক।
সাহিত্য সাধনা নাটক : ওরা কদম আলী, ওরা আছে বলেই, ইবলিশ, গিনিপিগ, সমতট, পাথর, রাঢ়াঙ, লেবেদেফ, চের সাইকেল।
পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
আবিদ স্যার ৭ম শ্রেণির ছাত্র রওশনের কাছে তার স্কুলে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে সে কিছু না বলে চুপ থাকে। শ্রেণির অন্য শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞেস করলে তারা প্রায় একযোগে বলে স্যার, রওশন প্রায়ই স্কুল কামাই করে। শিক্ষক রওশনকে বলেন আর কামাই করবে? কোনো উত্তর দেয় না রওশন। পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে মেঝে খুঁড়তে থাকে। উত্তর না পেয়ে শিক্ষক রওশনকে অনেক বকা দেন। কয়েকদিন পর রওশনের বাবা আবিদ স্যারকে বলেন স্যার, রওশনের ¯œœায়ু রোগ আছে। নিয়মিত স্কুল করলে ওর অসুখটা বেড়ে যায়। বকাঝকা করলে ওর স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে যাবে।
ক. মিঠু আরজুকে কোথায় বসে থাকতে দেখেছে?
খ. আইসক্রিমওয়ালা আরজুকে স্কুল ফাঁকি দিতে নিষেধ করল কেন? বুঝিয়ে লেখ।
গ. রওশন ও আরজুর মধ্যকার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আবিদ স্যারের বিচার কাজটি লতিফ স্যারের তুলনায় কতটুকু যৌক্তিক হয়েছে তা মূল্যায়ন কর।
ক মিঠু আরজুকে পলাশতলীর আমবাগানে বসে থাকতে দেখেছে।
খ স্কুল ফাঁকি দেওয়ার ফলে আইসক্রিমওয়ালা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি বলে সে আরজুকে স্কুল ফাঁকি দিতে নিষেধ করল।
আইসক্রিমওয়ালা ছাত্র থাকা অবস্থায় স্কুল ফাঁকি দিয়েছে। ফলে লেখাপড়া হয়নি, তাই ভালো কিছু করতেও পারেনি। ফলে আজ তাকে আইসক্রিম বিক্রি করতে হচ্ছে। যদি সে স্কুল ফাঁকি না দিত, পড়ালেখা করত তবে আজ আইসক্রিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতে হতো না। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া থেকে বঞ্চিত না হওয়ার জন্য আরজুকে স্কুল ফাঁকি দিতে নিষেধ করল।
গ শারীরিক প্রতিবন্ধকতার দিক দিয়ে আরজু ও রওশনের মধ্যে সাদৃশ্য বিদ্যমান।
‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় দেখা যায় যে, আরজু বেশি দূর হাঁটতে পারে না। একটু হাঁটলেই তার পা দুটো অবশ হয়ে আসে। তাই প্রায় স্কুলে যাওয়ার পথে আরজু রাস্তায় বসে পড়ে। তার বন্ধুরা জানে না আরজুর সমস্যা কী। তাই তারা তাকে রেখেই স্কুলে চলে যায়। মূলত ছোটবেলায় ভীষণ অসুখে আরজুর পা সরু হয়ে যায়। ফলে এখন তার পা মাঝে মাঝেই হাঁটতে গিয়ে অবশ হয়ে আসে। আরজুর পায়ের সমস্যায় তার পক্ষে স্কুলে যাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে স্কুলের স্যার আরজুর অনুপস্থিতির কারণ জানতে চান তার বন্ধুদের কাছে।
উদ্দীপকে আমরা দেখি, রওশন প্রায়ই স্কুলে অনুপস্থিত থাকে, তার অসুস্থতার জন্য। রওশন নিয়মিত স্কুলে গেলে অসুস্থ হয়। স্কুলে আসতে না পারার কারণ জিজ্ঞেস করলে রওশন বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে মেঝে খুঁড়তে থাকেÑ মুখ দিয়ে উত্তর বের হয় না। আরজুও অসুস্থতার কারণে স্কুলে যেতে না পেরে একলা বসে থাকে পথের ধারে বাগানে। কষ্টে তার বুক ফেটে যায়। তারা উভয়েই তাদের সমবয়সিদের তুলনায় সমস্যাগ্রস্ত। রওশন ও আরজু উভয়ই অসুস্থতার কারণে মানসিকভাবে কষ্টে থাকে। অর্থাৎ নিয়মিত স্কুলে আসা এবং পড়াশোনার ইচ্ছে থাকলেও তারা পারে না। তারা স্বাভাবিক জীবনের অধিকারী হতে পারেনি। কারণ তারা উভয়ই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর অন্তর্ভুক্ত। এখানেই তাদের সাদৃশ্য।
ঘ আবিদ স্যারের বিচার কাজটি লতিফ স্যারের তুলনায় অমানবিক।
‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় লতিফ স্যার আরজুকে স্কুলে না দেখে তার বন্ধু সাবুকে আরজুর কথা জিজ্ঞাসা করে। আরজু যে স্কুলে মাঝপথে এসে আর আসে না, তা লতিফ স্যারের কাছে রহস্যজনক মনে হয়। তারপর পলাশতলীর আমবাগানে গিয়ে যখন জানতে পারেন বেশি হাঁটলে আরজুর পা অবশ হয়ে আসে তখন তিনি এর কারণ অনুসন্ধান করেন। আরজুর শৈশবের রোগের কথা জানতে পেরে তিনি সহানুভ‚তিশীল হয়ে তার চিকিৎসার জন্য কিছু করতে চান।
উদ্দীপকের আবিদ স্যার রওশনের স্কুলে অনুপস্থিতির কারণ জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে, রওশন প্রায়ই স্কুল কামাই করে। শিক্ষক রওশনকে আর স্কুল কামাই করবে কি না জিজ্ঞাসা করলে রওশন কোনো উত্তর প্রদান করে না। আবিদ হাসান উত্তর না পেয়ে রওশনকে বকা দেন। পক্ষান্তরে ‘সেই ছেলেটি গল্পের লতিফ স্যার আরজুর প্রতি সহানুভ‚তি প্রদর্শন করলেও উদ্দীপকের আবিদ স্যার তার ছাত্র রওশনের স্কুল ফাঁকি দেয়ার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান না করে বকা দিয়েছেন, যা লতিফ স্যারের আচরণের চেয়ে যৌক্তিক ও ভালো বলা যায় না।
তাই বলা যায়, লতিফ স্যারের সহানুভ‚তিশীল আচরণের বিপরীত আবিদ স্যার যে অসহিষ্ণু আচরণ করেছেন তা অমানবিক ও অযৌক্তিক।
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
আজাদ গ্রামের স্কুলে পড়ালেখা করে। ক্লাসরুমে প্রতিদিন পেছনের বেঞ্চে বসে। আফাজ উদ্দীন স্যার প্রায়ই পড়া জিজ্ঞেস করলে আজাদ পারে না। পড়া তৈরি না করতে পারার কারণ জিজ্ঞেস করলে আজাদ কোনো উত্তর দেয় না। শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। স্যার বুঝতে পারেনÑ আজাদের কোথাও সমস্যা আছে। আফাজ উদ্দীন স্যার রাস্তায় আজাদের বাবার সঙ্গে দেখা হলে আজাদের পড়ালেখা না পারার প্রসঙ্গ তোলেন। তখন আজাদের বাবা বলেন আজাদ তো প্রতিদিন পড়তে বসে। বই চোখের খুব কাছে নিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ে। কোথায় যেন সমস্যা আছে, মনে হচ্ছে বলে স্যার সেদিন বিদায় নেন। পরদিন ব্লাকবোর্ডে চক দিয়ে পাঁচটা দাগ কেটে দাগ সংখ্যা জিজ্ঞাসা করলে আজাদ বলতে পারে না। তখন স্যার বুঝতে পারেন আজাদের চোখে সমস্যা। স্যার তার চিকিৎসার জন্য আজাদের বাবাকে পরামর্শ দেন।
ক. কে আরজুকে স্কুল ফাঁকি না দেওয়ার পরামর্শ দেয়? ১
খ. আরজুর জন্য লতিফ স্যারের দুশ্চিন্তা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের আজাদের সঙ্গে ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আরজুর সাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ. “লতিফ স্যার ও আফাজ উদ্দীন স্যার অনুসন্ধানী, সহানুভ‚তিতে এক ও অভিন্ন।”Ñ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক আইসক্রিমওয়ালা আরজুকে স্কুল ফাঁকি না দেওয়ার পরামর্শ দেয়।
খ আরজু স্কুলে আসার পথে রাস্তায় বসে থেকে স্কুলে আসে না জেনে লতিফ স্যারের দুশ্চিন্তা হয়।
লতিফ স্যার স্কুলে আরজুকে দেখতে না পেয়ে তার বন্ধুদের জিজ্ঞেস করেন, বন্ধুরা জানায়, আরজু স্কুলে আসার পথে রাস্তায় বসে পড়েছে এরকম মাঝে মধ্যেই হয়। এতে লতিফ স্যারের দুশ্চিন্তা হয়।
গ উদ্দীপকের আজাদের সঙ্গে ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আরজুর সাদৃশ্য হলো তারা দুজনেই প্রতিবন্ধী।
‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় আরজু অনেক সময় স্কুলে আসতে পারে না। কারণ তার পায়ে সমস্যা, বেশি হাঁটলে পা অবশ হয়ে আসে। স্কুলে যেতে অনেক সময় দেরি হয়। মাঝেমধ্যে স্কুলে যেতেই পারে না।
উদ্দীপকে আজাদের ক্ষেত্রেও আমরা দেখি, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় সে নিয়মিত স্কুলের পড়া তৈরি করতে পারে না। মূলত চোখে কম দেখার কারণে আজাদ বই খুব কাছ থেকেও পড়তে পারে না। অর্থাৎ শারীরিক প্রতিবন্ধকতার দিক দিয়ে আরজু ও আজাদের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ “লতিফ স্যার ও আফাজ উদ্দীন স্যার অনুসন্ধানী, সহানুভ‚তিতে এক ও অভিন্ন।”এ মন্তব্যটি যথার্থ।
‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় লতিফ স্যার আরজুকে স্কুলে না দেখে তার বন্ধুদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন এবং সবাইকে নিয়ে আমবাগানের দিকে যান। এভাবেই অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে আরজুর ব্যাপারে খোঁজখবর নেন লতিফ স্যার। তিনি আরজুর সমস্যা অনুসন্ধান করে ধরতে পেরে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। এতে লতিফ সারের সহানুভ‚তি প্রকাশ পায়।
উদ্দীপকের আফাজ উদ্দীন স্যারকে আমরা দেখি অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে আজাদের সমস্যার খোঁজখবর নিতে। তিনি আজাদের ব্যাপারে বেশ অনুসন্ধিৎসু ও সহানুভূতিশীল। লতিফ স্যারের ন্যায় তিনিও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন। আজাদের চোখের সমস্যা সমাধানের জন্য আজাদের বাবাকে পরামর্শ দেন। অর্থাৎ দুই শিক্ষকই শিক্ষার্থীদের সমস্যার ব্যাপারে আন্তরিকতা প্রদর্শন করেছেন।
উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, অনুসন্ধিৎসু মনোভাব ও সহানুভ‚তি প্রদর্শনে লতিফ স্যার ও আফাজউদ্দিন স্যার দুজনের মধ্যেই অভিন্ন মানসিকতা বিদ্যমান।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ
রাহির জন্মের পর কঠিন একটি অসুখ হয়। তারপর আস্তে আস্তে রাহি বড় হলে কথা বলায় তার কিছু সমস্যা হয়। বিশেষ বিশেষ কিছু শব্দ ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারে না। একদিন স্কুলে সমাবেশে রাহির মা জানতে পারে রাহিকে ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন’ শিশুদের তালিকায় রাখা হয়েছে। রাহির মায়ের এতে মন খারাপ হয়ে যায়। এদিকে স্কুলের বন্ধুরা রাহির উচ্চারণ নিয়ে হাসাহাসি করলে সে স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। শ্রেণিশিক্ষক আমিরুল ইসলাম রাহিদের বাড়িতে গিয়ে তাকে বুঝিয়ে স্কুলে আনে আর রাহির মাকে বলে, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ‘শিশু মানেই অবহেলার পাত্র নয়, তাদের প্রতি আমাদের সবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত’।
ক. আরজুর পায়ের সমস্যার ব্যাপারে তার বাবা কী বলেছিলেন? ১
খ. আপন মনে পাখিদের সঙ্গে আরজু কথা বলে কেন? ২
গ. ‘সেই ছেলেটি নাটিকার আরজুর সঙ্গে উদ্দীপকের রাহির বৈসাদৃশ্য নির্ণয় কর। ৩
ঘ.‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত’Ñ উদ্দীপক ও ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক আরজুর পায়ের সমস্যার ব্যাপারে তার বাবা বলেছিলেন, হাঁটাহাঁটি করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
খ স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরজু পাখিদের সঙ্গে কথা বলছিল।
আরজু স্কুলে যাওয়ার পথে পায়ের ব্যথায় বসে পড়ে। বন্ধুরা তাকে ফেলে স্কুলে চলে যায়। তাই সে পাখিকে বলে তাকে যেন স্কুলে নিয়ে যায়। ডানায় ভর করে পাখির সঙ্গে সে স্কুলে যেতে চায়।
গ উদ্দীপকের রাহি ও ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আরজু উভয়ই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু হলেও দুজনের অবস্থানগত বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আরজু একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু। আরজু মূলত শৈশবকালে বড় একটা অসুখে পড়ে। পরে আস্তে আস্তে পা চিকন হয়ে আসে। তাই সে স্কুলে যাওয়ার পথে পায়ের ব্যথায় বসে পড়ে। তার পা অবশ হয়ে আসে।
উদ্দীপকের রাহির ক্ষেত্রে আমরা দেখি, রাহিও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু। কিন্তু তার সমস্যা ও আরজুর সমস্যা এক নয়। রাহি ছোটবেলার একটি কঠিন অসুখের কারণে তার শব্দ উচ্চারণে কিছু সমস্যা হয়। সব শব্দ সে ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারে না। তারপরও সে স্কুলে যায়। রাহিকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর তালিকায় রাখা হয় কিন্তু নাটকে আরজু যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু তা প্রথমে বোঝা যায় না।
তাই বলা যায়, রাহি ও আরজু দুজনেই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু হলেও দুজনের অবস্থানগত বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ “বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতি আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত” এ বিষয়টি অত্যন্ত মানবিক।
আরজু স্কুলে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে আর স্কুলে যেতে পারে না। তার বন্ধুরা তাকে ফেলে স্কুলে চলে যায়। আরজুর এ রকম সমস্যা প্রায়ই হতো। আরজু স্কুলে না এলে লতিফ স্যার উদ্বিগ্ন হন, তার খোঁজখবর রাখেন। তার খোঁজে পলাশতলীর বাগানে গিয়ে যখন বুঝতে পারেন আরজুর সমস্যা তার পায়ে, তখন তিনি চিকিৎসার ব্যাপারে আরজুকে আশ্বস্ত করেন। আরজুর বন্ধুরাও তাদের ভুল বুঝতে পেরে আরজুর সহযোগিতায় এগিয়ে আসে।
উদ্দীপকে আমরা দেখি রাহির উচ্চারণের সমস্যা হওয়ার কারণে তাকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর তালিকায় রাখায় তার মায়ের মন খারাপ হয়ে যায়। স্কুলের বন্ধুরা তার উচ্চারণের সমস্যার কারণে হাসাহাসি করলে রাহি স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। ফলে আমিরুল স্যার রাহিদের বাড়িতে গিয়ে তাকে বুঝিয়ে স্কুলে আনেন আর তার মাকে সন্তানের ব্যাপারে মন খারাপ না করতে বলেন। রাহির উচ্চারণের সমস্যার কারণে সে স্কুলে না এলে আমিরুল স্যার তার সহায়তায় এগিয়ে যান। আরজু ও রাহি স্বাভাবিক শিশুদের মতো না হওয়ায় তাদের জন্য দরকার বিশেষ যতœ ও সহায়তা।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায় যে, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতি আমাদের সকলের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
রমিজ মিঞার ছোট ছেলে শহিদ খুব ছোটবেলা থেকেই কানে কম শোনে। তাই বন্ধুরা তাকে বয়রা নামে ডাকে। এমনকি তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে, বিদ্রূপ করে। কেউ তেমন মিশতে চায় না। যে দু-একজন মেশে, তারা শুধু ওর সাথে মজা করার জন্য মেশে। স্কুলের শিক্ষকরাও শহিদকে কটাক্ষ করে, বকাবকি করে। কারণ, তাকে একটা জিজ্ঞেস করা হলে সে উত্তর দেয় আরেকটা। তাই শিক্ষকদের অবহেলা ও অবজ্ঞার কারণে কষ্ট নিয়ে শহিদ কিছুদিন হলো স্কুলে যায় না। রমিজ মিঞার সাথে স্কুলের শিক্ষক সেলিম স্যারের দেখা হলে তাকে শহিদের বাবা রমিজ মিঞা সব খুলে বলে। সেদিনই সেলিম স্যার শহিদের বন্ধুদের নিয়ে তাদের বাড়িতে যান এবং আদর করে স্কুলে আসতে বলেন। এমনকি শহিদের বন্ধুদেরও তার প্রতি সহনশীল হতে বলেন।
ক. নাট্যকার মামুনুর রশীদের জন্ম কত খ্রিষ্টাব্দে? ১
খ. আরজু স্কুলে যায়নি কেন? ২
গ. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার কোন দিকটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে? উপস্থাপন কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকের সেলিম স্যার যেন ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার লতিফ স্যারের আংশিক প্রতিনিধিত্ব করেন।” মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪
ক নাট্যকার মামুনুর রশীদের জন্ম ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে।
খ আরজু পায়ের সমস্যার জন্য বেশি দূরে হাঁটতে না পারায় স্কুলে যায়নি।
আরজু একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। ছোটবেলায় সে একবার ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই অসুস্থতা কেউ নির্ণয় করতে পারেনি। তখন থেকেই তার পা সরু ও চিকন হয়ে গেছে। তাই এখন সে আর ঠিকমতো হাঁটতে পারে না। কিছুক্ষণ হাঁটার পরই পা অবশ হয়ে আসে।
গ ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আরজুর রোগ সম্পর্কে না জেনে তাকে তার বন্ধুদের অবহেলা করার দিকটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।
‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আরজু একটি প্রতিবন্ধী কিশোর। সে ছোটবেলায় এমন এক রোগের সম্মুখীন হয়, যার পর থেকে তার পা চিকন ও সরু হয়ে যায়। ফলে সে ঠিকমতো হাঁটতে পারে না। কিন্তু তার বন্ধুরা তার রোগের কথা জানে না। তাই বন্ধুদের সাথে স্কুলে যেতে রওনা হলেও একসময় হাঁটতে না পারায় বসে পড়ে। তার বন্ধুরা তাকে রেখেই স্কুলে চলে যায়। স্কুলের লতিফ স্যার আরজুকে না দেখে, তার খোঁজ নেন এবং আরজুর কাছে আসেন। স্যারের মাধ্যমে সবাই তার রোগ সম্পর্কে জানে এবং তার প্রতি সহানুভ‚তি প্রদর্শন করে।
উদ্দীপকেও শহিদের রোগ সম্পর্কে তার বন্ধুরা জানত না। তাই তারা শহিদের কানে না শোনার কারণে তাকে বয়রা বলে উপহাসের তীর ছুড়ত। এমনকি শিক্ষকরাও কটাক্ষ করে কথা বলত। কারণ তারাও শহিদের রোগ সম্পর্কে জানত না। তাই যখন শহিদের বাবা রমিজ মিঞার কাছে রোগের কথা স্কুলের শিক্ষক সেলিম স্যার জানলেন, তখন তিনি শহিদের বন্ধুদেরসহ শহিদের বাড়িতে গেলেন এবং শহিদের বন্ধুদের শহিদের রোগের কথা বললেন। যেমনটি করেছিলেন ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার লতিফ স্যার। তাই বলা যায়, ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আরজুর জীবনের পরিণতির দিকটি উদ্দীপকে অনেকটা প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ “উদ্দীপকের সেলিম স্যার যেন ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার লতিফ স্যারের আংশিক প্রতিনিধিত্ব করেন” মন্তব্যটি যথার্থ।
‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার লতিফ স্যার আরজুকে স্কুলে না দেখে তার স্কুলে না আসার কারণ জানার জন্য আরজুর বন্ধুদের নিয়ে তার কাছে যান এবং আরজুর রোগ জেনে ওর বন্ধুদের বুঝিয়ে বলেন। যার ফলে আরজুর বন্ধুরা তার প্রতি সহানুভ‚তি প্রদর্শন করে এবং তাকে কাঁধে করে স্কুলে নিয়ে যায়।
উদ্দীপকের শহিদও খুব ছোটবেলা থেকেই কানে কম শোনে। তাই বন্ধুরা তাকে ‘বয়রা’ নামে ডাকে। তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে, বিদ্রূপ করে। স্কুলের শিক্ষকরাও শহিদকে কটাক্ষ করে। তাই শিক্ষকদের অবহেলা ও অবজ্ঞার কারণে সে মনের দুঃখে স্কুলে যায় না। তবে স্কুলশিক্ষক সেলিম স্যার যখন শহিদের বাবার কাছে ব্যাপারটি শোনেন, তখনি শহিদের বন্ধুদের নিয়ে তিনি তাদের বাড়িতে যান শহিদের প্রতিও তার বন্ধুরা সেলিম স্যারের কথায় সহানুভ‚তিশীল হয়। তবে এতে শুধু সেলিম স্যারের ভ‚মিকাই মুখ্য নয়, শহিদের বাবা রমিজ মিঞার রোগের ব্যাপারে তিনিই প্রথম অবহিত করেন। অথচ লতিফ স্যারকে আরজুর রোগ সম্পর্কে আগে কেউ জানায়নি। তিনি নিজেই আরজুর সমস্যা জানার জন্য উদ্গ্রীব, যা সেলিম স্যারের মধ্যে দেখা যায়নি।
উল্লিখিত আলোচনা থেকে বলা যায়, উদ্দীপকের সেলিম স্যার ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার লতিফ স্যারকে আংশিক প্রতিনিধিত্ব করেছে।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
শিশির তার টিউশন শিক্ষকের কাছে কিছুদিন হলো পড়তে যায় না। কারণ সে ঠিকমতো কথা বলতে পারে না, তোতলায়। এজন্য বন্ধুরা তাকে নিয়ে হাসাহাসি, উপহাস করে। সবার ধারণা, শিশির ইচ্ছে করে এভাবে কথা বলে। শিশির পড়তে আসছে না দেখে টিউশন শিক্ষক জনাব রশিদ শিশিরের বন্ধুদের কাছে কারণ জিজ্ঞেস করেন। কিন্তু কেউ কোনো সঠিক কারণ বলতে পারে না। তাই জনাব রশিদ শিশিরের বন্ধুদের নিয়ে শিশিরের বাড়িতে যান এবং তার পড়তে না আসার কারণ জিজ্ঞাস করেন। শিশির স্যারকে দেখেই কেঁদে ফেলে এবং তার সমস্যার কথা বলে। তখন জনাব রশিদ শিশিরের বন্ধুদের ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলেন। ফলে শিশিরের বন্ধুরা শিশিরকে দুঃখ প্রকাশ করে এবং স্যারের বাড়িতে পড়তে নিয়ে যায়।
ক. ‘স্কুল ফাঁকি দেয়া কিন্তু খুব খারাপ’ কথাটি কার? ১
খ. আরজু কেন বাড়ি ফিরে যেতে চায় না? সংক্ষেপে লেখ। ২
গ. “উদ্দীপকের শিশিরের সাথে ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আরজুর সাথে কোন দিকটি মিলে যায়? উপস্থাপন কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকের জনাব রশিদ যেন ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার লতিফ স্যারেরই প্রতিনিধি।” উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪
ক ‘স্কুল ফাঁকি দেয়া কিন্তু খারাপ।’কথাটি আইসক্রিমওয়ালার।
খ আরজু তার বাবার ভয়ে বাড়ি ফিরে যেতে চায় না।
আরজুর পায়ের ব্যথার বিষয়টি তার বাবা গুরুত্ব দেন না। তিনি বলেন, হাঁটাহাঁটি করলেই ঠিক হয়ে যাবে। স্কুল ফাঁকি দেয়ার অজুহাতে পায়ের ব্যথার কথা বলছেএকথা ধারণা করবেন বাবা। এজন্য বাবার বকুনির ভয়ে আরজু বাড়ি ফিরে যেতে চায় না।
গ ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আরজুর সাথে উদ্দীপকের শিশিরের অনেকটা মিল হলো বন্ধুদের দ্বারা অবহেলিত হওয়া।
নাটিকায় আরজু তার বন্ধুদের সাথে স্কুলে যাওয়ার জন্য রওনা হলেও পথ্যিমধ্যে পায়ের ব্যথায় হাঁটতে না পেরে বসে পড়ে। মাঝেমধ্যে আরজু এ রকম মাঝপথে এসে আর হাঁটতে পারছিল না বলে থেমে যায়। এতে তার বন্ধুরা মনে করে আরজু ইচ্ছে করে এ রকম করে যেন তার স্কুলে যেতে না হয়। তাই আরজুকে অবহেলা করে বন্ধুরা স্কুলে চলে যায়।
উদ্দীপকের শিশিরের বন্ধুদের ধারণা শিশির ইচ্ছে করেই এভাবে কথা বলে। যাতে করে বন্ধুরা উপহাস করে, অবজ্ঞা করে মজা পায়। কিন্তু শিশিরের বন্ধুরাতো জানে না শিশিরের এটা একটা রোগ। যেমন জানে না আরজুর বন্ধুরাও। তাই বলা যায়, হাঁটতে না পারার কারণে বন্ধুদের দ্বারা অবহেলা ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আরজুর জীবনের এদিকটির সাথে উদ্দীপকের শিশিরের তোতলানি করে কথা বলার কারণে বন্ধুদের উপহাসের শিকার হওয়ার দিকটি সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ “উদ্দীপকের জনাব রশিদ যেন ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার লতিফ স্যারের প্রতিনিধি” উক্তিটি যথার্থ।
‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আরজুকে তার বন্ধুরা না হাঁটতে পারার কারণে অবজ্ঞা করে পথে রেখে স্কুলে চলে যায়। স্কুলের লতিফ স্যার আরজুকে স্কুলে না দেখে আরজুর বন্ধুদের কাছে জিজ্ঞাসা করেন, সদুত্তর না পেয়ে তিনি নিজেই আরজুর কাছে ব্যাপারটি জানার জন্য চলে যান। স্যারকে দেখেই আরজু কেঁদে ফেলে এবং নিজের পা দেখিয়ে বলে, সে বেশিক্ষণ হাঁটতে পারে না। লতিফ স্যার আরজুর কথা শুনে বুঝতে পারলেন আরজুর কোনো কঠিন অসুখ রয়েছে। লতিফ স্যার আরজুর পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখেন আরজুর একটি পা চিকন। তখন লতিফ স্যারের নির্দেশ আরজুর সকল বন্ধুরা আরজুকে কাঁধে করে স্কুলে নিয়ে যায়।
উদ্দীপকের শিশির তোতলানোর কারণে বন্ধুরা তাকে নিয়ে হাসাহাসি, বিদ্রূপ ও উপহাস করে। যার কারণে মনের দুঃখে শিশির বেশ কিছুদিন হলো টিউশন শিক্ষক জনাব রশিদের কাছে পড়তে যায় না। জনাব রশিদ শিশিরের পড়তে না আসার কারণ জানার জন্য তার বাড়িতে আসেন এবং শিশিরকে স্কুলে না আসার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। শিশিরের সমস্যার কথা জেনে জনাব রশিদ শিশিরের বন্ধুদের ডেকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলেন। তখন শিশিরের বন্ধুরা শিশিরকে দুঃখ প্রকাশ করে এবং তাকে পড়তে নিয়ে যায়।
উল্লিখিত আলোচনা থেকে বলা যায়, উদ্দীপকের জনাব রশিদ ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার লতিফ স্যারের প্রতিনিধি।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ
প্রতিবন্ধীদের প্রতি দয়া বা করুণা নয়, তাদের প্রাপ্য অধিকার ও সম্মান দিতে হবে। আমরা যেন তাদের খোঁড়া, ল্যাংড়া, অন্ধ, বোবা, বয়রা বা পাগল বলে উপহাস না করি, কিংবা তাদের যেন পরিবার বা সমাজের বোঝা মনে না করি। আমরা যেন তাদেরকে সমাজের আর দশজন মানুষ থেকে আলাদা করে না দেখি।
ক. ‘সেই ছেলেটি’ আসলে কে? ১
খ. আমবাগানের নিচে আরজু কাঁদছিল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের বক্তব্যের সঙ্গে ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার মূল বক্তব্যের মধ্যে কী কী সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়?Ñ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘প্রতিবন্ধীদের প্রতি দয়া বা করুণা নয়, তাদের প্রাপ্য অধিকার ও সম্মান দিতে হবে।’Ñ উদ্দীপক ও ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আলোকে মন্তব্যটির মূল্যায়ন কর। ৪
ক সেই ছেলেটি প্রকৃতপক্ষে আরজু।
খ সবাই আরজুকে ফেলে চলে যাওয়ায় কষ্টে সে কাঁদছিল।
আরজু ও তার সহপাঠীরা একসাথে স্কুলে যাচ্ছিল। হঠাৎ আরজু আর হাঁটতে পাবে না। কিন্তু স্কুল শুরু হয়ে যাবে বলে সবাই তাকে ফেলে চলে যায়। তাছাড়া আইসক্রিমওয়ালা, হাওয়াই মিঠাইওয়ালা, পাখি, মেঘ কেউ তার কথা শুনছে না। তাই অসহায় অবস্থায় আমবাগানে বসে মনের কষ্টে কাঁদছিল আরজু।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘সেই ছেলেটি’ গল্পে যেরূপ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতি মমতা ফুটে উঠেছে উদ্দীপকের সাথে যে বিষয়টি সাদৃশ্য তুলে ধর।
ঘ প্রতিবন্ধীদের উপযুক্ত সম্মান প্রদান করতে হবে উদ্দীপক এবং পাঠ্যবইয়ের আলোকে তা যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে।
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
রফিক সাহেব একজন মানবদরদি ও সমাজসেবক। সমাজকে সুন্দর করার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। সেবা কাজকেই তিনি সবচেয়ে বড় করে দেখেছেন। ধর্মের ফারাক ও ধনী-গরিবের ভেদাভেদ তিনি কখনোই বিবেচনায় নেননি। তাই তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুদের সেবা করার জন্য একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। আর নাম দিয়েছেন ‘স্বজন’।
ক. ‘সেই ছেলেটি’ কোন জাতীয় রচনা? ১
খ. আরজুর পায়ে ব্যথার কারণ ব্যাাখ্যা কর। ২
গ. শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি আমাদের করণীয় কী কী? ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকা ও উদ্দীপকের আলোকে বর্ণনা কর। ৩
ঘ. শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কি ধরনের প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা উচিত? উদ্দীপক ও ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আলোকে তোমার মতামত ব্যক্ত কর। ৪
ক ‘সেই ছেলেটি’ -একটি নাটিকা বিশেষ।
খ ছোটবেলায় ভীষণ কোনো অসুখে আরজুর পাটি চিকন হয়ে যায় এবং পায়ে ব্যথা হয়।
ছোটবেলায় হওয়া একটি অসুখে আরজুর পা চিকন হয়ে যায়। সেজন্য আরজু এখন বেশি দূর হাঁটতে পারে না, হাঁটলে পায়ে ব্যথা করে এবং পা অবশ হয়ে যায়। এ ব্যথার কারণে আরজু স্কুলে যেতে পারে না। ক্লাসে আরজুকে না পেয়ে লতিফ স্যার তার খোঁজ নেন। স্যার আরজুর পায়ে ব্যথার কারণ জানতে চাইলে আরজু বলে ছোট বেলার ভীষণ অসুখে পড়ে তার পা সরু হয়ে যায় এবং হাঁটলে পা অবশ হয়ে আসে।
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
গ শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি আমাদের যে দায়িত্ব রয়েছে তা উদ্দীপক ও ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আলোকে আলোচনা করতে হবে।
ঘ শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নানা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা উচিত। যেমনটি করেছেন উদ্দীপকের রফিক সাহেব। উদ্দীপক ও ‘সেই ছেলেটি’ রচনার আলোকে বিষয়টি আলোচনা করতে হবে।
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ মামুনুর রশীদ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : মামুনুর রশীদ টাঙ্গাইল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকাটি পাঠের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকাটি পাঠের উদ্দেশ্য হলো শারীরিক ও মানসিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রতি মমতাবোধ সৃষ্টি।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘ওরা কদম আলী’ নাটকটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘ওরা কদম আলী’ নাটকটির রচয়িতা মামুনুর রশীদ।
প্রশ্ন \ ৪ \ মোমেন, সাবু ও আরজু কীসের পাশ দিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল?
উত্তর : মোমেন, সাবু ও আরজু গ্রামের পাশ দিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল।
প্রশ্ন \ ৫ \ কে আরজুকে বলে স্কুল ফাঁকি দেয়া কিন্তু খারাপ?
উত্তর : আইসক্রিমওয়ালা আরজুকে বলে স্কুল ফাঁকি দেয়া কিন্তু খুব খারাপ।
প্রশ্ন \ ৬ \ আরজু কোথায় বসে আছে?
উত্তর : আরজু পলাশতলীর আমবাগানে বসে আছে।
প্রশ্ন \ ৭ \ ছোটবেলা থেকে আরজুর পা-টা কেমন ছিল?
উত্তর : ছোটবেলা থেকেই আরজুর পা-টা চিকন ছিল।
প্রশ্ন \ ৮ \ কার বাজারের সময় চলে যায়?
উত্তর : আইসক্রিমওয়ালার বাজারের সময় চলে যায়।
প্রশ্ন \ ৯ \ কার ডানায় ভর করে আরজু স্কুলে যেতে চায়?
উত্তর : পাখির ডানায় ভর করে আরজু স্কুলে যেতে চায়।
প্রশ্ন \ ১০ \ রোজ রোজ কে স্যারের বকুনি খায়?
উত্তর : রোজ রোজ সাবু স্যারের বকুনি খায়।
প্রশ্ন \ ১১ \ বন্ধুরা স্কুলে চলে যাবার পর আরজুর সঙ্গে প্রথমে কার দেখা হলো?
উত্তর : বন্ধুরা স্কুলে চলে যাবার পর আরজুর সঙ্গে প্রথমে দেখা হলো আইসক্রিমওয়ালার।
প্রশ্ন \ ১২ \ আইসক্রিমওয়ালার পর কার সঙ্গে আরজুর দেখা হয়েছিল?
উত্তর : আইসক্রিমওয়ালার পর হাওয়াই মিঠাইওয়ালার সঙ্গে আরজুর দেখা হয়েছিল।
প্রশ্ন \ ১৩ \ লতিফ স্যার কখন আসেন?
উত্তর : লতিফ স্যার টিফিনের ঘণ্টা বাজার পর আসেন।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ সাবু রোজ রোজ স্যারের কাছে বকুনি খায় কেন?
উত্তর : আরজুর জন্য সাবু রোজ রোজ স্যারের কাছে বকুনি খায় দেরিতে স্কুলে যাওয়ার কারণে। ।
অসুখের জন্য আরজু বেশি দূর হাঁটতে পারে না, পা অবশ হয়ে যায়। এ কারণে প্রতিদিন স্কুলে যেতে তার দেরি হয়। আরজুর সঙ্গে সাবুও প্রতিদিন একসাথে স্কুলে যায়। আরজুর সাথে সাথে সাবুরও স্কুলে যেতে দেরি হয়। মূলত আরজুর কারণেই সাবু রোজ রোজ স্যারের বকুনি খায়।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘ওরা আরজুকে ফেলেই চলে যায়’ কেন?
উত্তর : আরজুর পায়ে সমস্যা হওয়ার কারণে সে হাঁটতে পারে না। তাই সোমেন ও সার স্কুলে দেরি হবে বলে তাকে ফেলেই চলে যায়।
‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় আরজু, সোমেন ও সাবু তিন বন্ধু একসাথে স্কুলে যাচ্ছে। পথে হঠাৎ আরজু থেমে গেলে তার বন্ধুরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। আরজুর কারণে প্রায় দিন তাদের স্কুলে দেরি হয় ও স্যারের বকুনি খেতে হয়। তাই তারা আরজুর জন্য দেরি না করে তাকে ফেলেই চলে যায়।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘মেঘ আমায় নিয়ে যাও না!’ কোথায় যাওয়ার জন্য আরজুর এই আকুতি? বর্ণনা কর।
উত্তর : ‘মেঘ আমায় নিয়ে যাও না!’Ñ স্কুলে যাওয়ার জন্য আরজুর এ আকুতি।
হাঁটতে না পারায় আরজু স্কুল যাওয়ার পথে বসে পড়ে। কিন্তু আরজু যে এটা স্বেচ্ছায় করে তা নয়। বরং স্কুলে যাওয়ার জন্য তার অদম্য ইচ্ছা রয়েছে। তাই মেঘের কাছে আরজু আকুতি জানায়, তাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
প্রশ্ন \ ৪ \ ‘সেই ছেলেটি’ মামুনুর রশীদের কী জাতীয় রচনা?
উত্তর : ‘সেই ছেলেটি’ মামুনুর রশীদের একটি নাটিকা।
সাধারণভাবে যেসব রচনা মঞ্চে ক্ষুদ্র পরিসরে এবং অল্প সময়ে অভিনয় করে দেখানো যায় সেগুলোকে নাটিকা বলে। এ ধরনের লেখাই বড় পরিসরে থাকলে তাকে বলা হয় নাটক আর ছোট পরিসরের লেখাগুলোকে বলা হয় নাটিকা। ‘সেই ছেলেটি’ মামুনুর রশীদের লেখা একটি নাটিকা; যেখানে কয়েকজন চরিত্র বিশেষ বিশেষ জায়গা থেকে নিজেদের কথা বলেছে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ লেখক পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. নাট্যকার মামুনুর রশীদ কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
১৯৪৮ খ ১৯৪৯ গ ১৯৫০ ঘ ১৯৫১
২. মামুনুর রশীদ কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক কিশোরগঞ্জ টাঙ্গাইল গ ময়মনসিংহ ঘ বরিশাল
৩. মামুনুর রশীদের উল্লেখযোগ্য নাটক কোনটি? (জ্ঞান)
ক কৃষ্ণকুমারী খ রক্তকরবী
গ চিত্রাঙ্গদা ওরা কদম আলী
৪. মামুনুর রশীদ কোন পুরস্কারটি লাভ করেন? (জ্ঞান)
ক স্বাধীনতা পুরস্কার
খ রবীন্দ্র পুরস্কার
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার
ঘ আদমজি পুরস্কার
৫. মামুনুর রশীদ সবচেয়ে বেশি অভিনয় করেন কোন নাটকে? (জ্ঞান)
ক টিভি নাটকে
মঞ্চনাটকে
গ চলচ্চিত্রে
ঘ কমেডি নাটকে
৬. ‘সেই ছেলেটি’ কার লেখা? (জ্ঞান)
ক আবুবকর সিদ্দিক মামুনুর রশীদ
গ রণেশ দাশগুপ্ত ঘ এ. কে. শেরাম
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭. নাট্যকার মামুনুর রশীদ রচিত গ্রন্থ- (অনুধাবন)
র. গিনিপিগ রর. ওরা আছে বলেই
ররর. জ্বলো চিতাবাঘ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮. মামুনুর রশীদ একজন বিশিষ্ট- (অনুধাবন)
র. নাট্যকার রর. অভিনেতা ররর. নির্দেশক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯. সোমেন, সাবু, আরজুকে ফেলে চলে গিয়ে আবার আরজুর কাছে ফিরে আসে কে? (জ্ঞান)
ক সোমেন সাবু
গ আইসক্রিমওয়ালা ঘ হাওয়াই মিঠাইওয়ালা
১০. হাওয়াই মিঠাইওয়ালা চলে গেলে আরজু কী করে? (জ্ঞান)
ক বাড়ি চলে যায় বসে থাকে
গ দাঁড়িয়ে থাকে ঘ স্কুলে যায়
১১. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় দ্বিতীয় দৃশ্যে কী ফুটে উঠেছে? (জ্ঞান)
আরজুদের স্কুল খ আরজুর বন্ধুদের বাড়ি ফেরা
গ আইসক্রিমওয়ালার প্রস্থান ঘ আমবাগান
১২. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় স্যার আরজুর বন্ধুদের কী শিক্ষা দিলেন? (অনুধাবন)
ক সত্যবাদিতা খ ভদ্রতা
সহানুভ‚তিশীলতা ঘ সহিষ্ণুতা
১৩. আরজু তার পায়ের সমস্যার কথা বাবাকে বললে তিনি কী বলেন? (জ্ঞান)
ক বসে থাকতে খ ওষুধ খেতে
হাঁটাহাঁটি করতে ঘ শুয়ে থাকতে
১৪. আরজুর পা কখন থেকে চিকন? (জ্ঞান)
ক জন্মের পর থেকে
খ বড় হওয়ার পর থেকে
ছোটবেলায় অসুখ হওয়ার পর থেকে
ঘ স্কুলে যাওয়ার পর থেকে
১৫. রোজ রোজ স্যারের বকুনি খেতে পারবে না কে? (জ্ঞান)
ক আরজু সাবু গ সোমেন ঘ মিনা
১৬. বাজারের দিকে যাচ্ছে কে? (জ্ঞান)
আইসক্রিমওয়ালা খ আরজু
গ লতিফ স্যার ঘ সাবু
১৭. কখন আইসক্রিম বিক্রি হয় না? (জ্ঞান)
ক পিরিয়ডের সময় খ সকালবেলা
ক্লাসের সময় ঘ খাওয়ার সময়
১৮. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকাটির দৃশ্য কয়টি? (জ্ঞান)
ক দুটি খ একটি তিনটি ঘ পাঁচটি
১৯. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় আরজু কোথায় বসে আছে? (জ্ঞান)
পলাশতলীর আমবাগানে খ আমতলীর আম বাগানে
গ পাহাড়তলীর আমবাগানে ঘ শহরতলীর আমবাগানে
২০. পাখিকে নিচে নামতে ডাকছে কে? (জ্ঞান)
আরজু খ সোমেন গ সাবু ঘ মিঠু
২১. আরজুর কথা জিজ্ঞেস করতে লতিফ স্যার কাকে ডাকল? (জ্ঞান)
ক সোমেনকে সাবুকে গ সপুকে ঘ লাবুকে
২২. লতিফ স্যার সাবুকে ডাকলেন কেন? (অনুধাবন)
ক ক্লাস করতে খ পানি আনতে
গ বেত আনতে আরজুর খবর জানতে
২৩. কী হলো আরজু মিয়া, তুমি এখানে বসে কী করছ?-সংলাপটি কার? (জ্ঞান)
আইসক্রিমওয়ালার খ রতিফ স্যারের
গ বাসুর ঘ হাওয়াই মিঠাইওলার
২৪. আরজু বেশি দূর হাঁটতে পারে না কেন? (অনুধাবন)
পা অবশ হয়ে যায় বলে খ ক্লান্তি লাগে বলে
গ পেটে ক্ষুধা বলে ঘ ভয় পায় বলে
২৫. আরজু হাওয়াই মিঠাইকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছে? (জ্ঞান)
ক বাতাস খ পানি গ সূর্য মেঘ
২৬. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার প্রথম সংলাপটি কার? (জ্ঞান)
সাবুর খ আরজুর গ সোমেনের ঘ মিঠুর
২৭. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় আরজুর সঙ্গে কথা বলে না কে? (জ্ঞান)
ক টিয়া শালিক গ ময়না ঘ চন্দনা
২৮. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় কয়টি পাখির নাম উল্লেখ আছে? (জ্ঞান)
২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
২৯. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার শেষ সংলাপটি কার? (জ্ঞান)
ক মিঠুর খ আরজুর
লতিফ স্যারের ঘ সোমেনের
৩০. ‘সেই ছেলেটি’ আসলে কে? (জ্ঞান)
আরজু খ সোমেন গ মিঠু ঘ সাবু
৩১. আরজু কোন ধরনের প্রতিবন্ধী? (জ্ঞান)
ক দৃষ্টি খ মানসিক শারীরিক ঘ বুদ্ধি
৩২. ‘পা দুটো অবশ হয়ে আসে।’ বাক্যটিতে নাট্যকার কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
পায়ে শক্তি নেই খ পায়ে অনেক শক্তি
গ হাঁটতে পারে ঘ পা ফুলে ওঠে
৩৩. হাঁটতে হাঁটতে রিংকু হঠাৎ থেমে গেল। এখানে রিংকু চরিত্রের সঙ্গে ‘সেই ছেলেটি’ নাটকের কোন চরিত্রের মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মিঠুর খ সাবুর গ সোমেনের আরজুর
৩৪. ছোটভাই তৌফিকের দুষ্টুমির জন্য রফিক প্রতিদিন মায়ের বকুনি খায়। এখানে উলিখিত ‘রফিক’ চরিত্রের সঙ্গে ‘সেই ছেলেটি’ নাটকের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক আরজুর খ সোমেনের
সাবুর ঘ আইসক্রিমওয়ালার
৩৫. ফরিদ বলে যদি লেখাপড়া করতাম তাহলে আজ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করতে হতো না। এখানে উলিখিত ‘ফরিদ’ চরিত্রের সঙ্গে ‘সেই ছেলেটি’ নাটকের কোন চরিত্রের মিল আছে? (প্রয়োগ)
আইসক্রিমওয়ালার খ আরজুর
গ সাবুর ঘ হাওয়াই মিঠাইওয়ালার
৩৬. সাবুকে রোজ রোজ স্যারের বকুনি খেতে হয় কেন? (অনুধাবন)
ক নিজের দোষে আরজুর জন্য
গ পড়া না পারার জন্য ঘ আইসক্রিম খাওয়ার জন্য
৩৭. সবাই তারা গান গাইতে গাইতে স্কুলে যাচ্ছে। এই বাক্যটিতে কী ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
শিশুদের আনন্দ খ শিশুদের গান
গ স্কুলে যাওয়া ঘ শিক্ষা গ্রহণ
৩৮. লতিফ স্যার আরজুকে স্কুলে নিয়ে গেলেন কেন? (অনুধাবন)
ক শাস্তি দেয়ার জন্য খ খাওয়ানোর জন্য
চিকিৎসার জন্য ঘ পড়ানোর জন্য
৩৯. হাওয়াই মিঠাই মিলিয়ে যায় কোথায়? (জ্ঞান)
ক আকাশে খ বাতাসে শূন্যে ঘ পানির সঙ্গে
৪০. আরজু কী করবে তা ভেবে না পাওয়ার কারণ কী? (অনুধাবন)
ক তার পায়ে ব্যথা
সে উভয় সংকটে পড়েছিল
গ বাবা-মা ও শিক্ষকের ভয় মনে ঢুকেছিল
ঘ বন্ধুদের অকৃতজ্ঞতা
৪১. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকাটিতে আরজুর শিক্ষকের নাম কী?
ক রহমান খ খলিল গ সাব্বির লতিফ
৪২. নাটিকাটিতে কয় জন ফেরিওয়ালার বর্ণনা পাওয়া যায়?
ক ১ জন ২ জন গ ৩ জন ঘ ৪ জন
৪৩. “আরজু কী ইচ্ছে করেই স্কুল কামাই করছে”উক্তিটি কার?
ক সোমেনের খ সাবুর
লতিফ স্যারের ঘ আরজুর মা’র
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৪. সেই ছেলেটি নাটিকায় যাদের প্রতি সহানুভ‚তি প্রকাশ পেয়েছে
র. দুস্থ রর. বঞ্চিত, অসহায়, প্রতিবন্ধী
ররর. বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৫. ‘সেই ছেলেটি’নাটিকাটি কেবল শুধু পড়ার জন্য নয়। বরং
র. উপলব্ধি করার জন্য রর. সহায়ক ভ‚মিকা পালনের জন্য
ররর. জীবন সম্পর্কে অন্যকে বোঝানোর জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৬. আরজুর বুকটা ফেটে যাচ্ছে (অনুধাবন)
র. স্কুলে যেতে না পারায় রর. কষ্টে হাঁটতে না পারায়
ররর. বন্ধুরা কাছে না থাকায়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৭. আরজু কার উপর সওয়ার হয়ে স্কুলে যেতে চায় (অনুধাবন)
র. পাখি রর. মেঘ ররর. বন্ধুর
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮. আইসক্রিমওয়ালা স্কুলের দিকে যেতে চায় না (অনুধাবন)
র. ব্যবসায়ে লোকসানের ভয়ে রর. বাজারে যেতে পারবে না বলে
ররর. শিক্ষকদের নিষেধ থাকায়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪৯. ‘হাওয়াই মিঠাই’ হলোÑ (অনুধাবন)
র. বড়দের খাবার রর. মেঘের চাইতেও হালকা খাবার
ররর. সাধারণ রঙিন খাবার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫০. আরজু পাখির সাথে কথা বলতে চাইল (অনুধাবন)
র. দুঃখের কথা জানাতে রর. একাকিত্ব মেটাতো
ররর. সাহায্য চাইতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫১. আরজু বাবার ভয়ে বাড়ি ফিরতে চায় না, কারণ (অনুধাবন)
র. বাবা তাকে ধমক দিবেন রর. বাবা তার সমস্যা বোঝেন না
ররর. বাবা তাকে ফাঁকিবাজ ভাববেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫২. আরজু স্কুল কামাই করেÑ (অনুধাবন)
র. পায়ের ব্যথার জন্য রর. ইচ্ছা করে
ররর. পা অবশ হওয়ার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৩. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় আরজুকে ফেলে বন্ধুরা চলে যায় কারণ (অনুধাবন)
র. আরজু একা আসবে বলে রর. স্যারের বকুনি খাওয়ার ভয়ে
ররর. স্কুলে যেতে দেরি হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৪. আরজু স্কুলে যেতে চেয়েছে (অনুধাবন)
র. গাড়ির সাহায্যে রর. চন্দনা পাখির সাহায্যে
ররর. শালিক পাখির সাহায্যে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৫ ও ৫৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
স্বাভাবিক শিশুরা ওদের নিয়ে খেলবে। বিভিন্ন দিবসে অনুষ্ঠিত গানে, নাটকে, নাচে ও অন্যান্য সামাজিক সাংস্কৃতিক কাজে ওদের অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেবে, এটাই সমাজের প্রত্যাশা। [যোসেফ্ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনা]
৫৫. অনুচ্ছেদে কোনটির প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে? (প্রয়োগ)
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রতি সহানুভ‚তি
খ আরজুর প্রতি সহানুভ‚তি
গ অসহায়কে সাহায্য
ঘ প্রতিবন্ধিতাকে জয় করা
৫৬. অনুচ্ছেদে সমাজের যে প্রতাশ্যার কথা বলে হয়েছে, তা পূরণ হলে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর অবস্থার উন্নতি হবে
রর. প্রতিবন্ধীদের কল্যাণ হবে
ররর. সমাজের সার্বিক উন্নতি হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৭ ও ৫৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সোহেল প্রতিবন্ধী একটি শিশু। তার বাবা-মা তাকে স্কুলে পাঠাতে লজ্জাবোধ করেন। এমনকি অবহেলা ও উপহাসের পাত্র বলে বিবেচিত হন। কিন্তু সোহেল তার বন্ধুদের সহায়তা ও মমত্ববোধ পেয়ে অন্য দশজনের মতো স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করে।
৫৭. অনুচ্ছেদটি তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন রচনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
ক লাল ঘোড়া সেই ছেলেটি
গ লখার একুশে ঘ ছবির রং
৫৮. উক্ত অুনচ্ছেদের সাথে ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় বিশেষ শিশুদের প্রতি প্রকাশ পেয়েছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সহানুভ‚তি রর. মমতাবোধ ররর. সকীর্ণতা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৯. নাটিকার বিষয়গুলোকে কোনটি অনুসারে ভাগ করা হয়? (জ্ঞান)
ক সংলাপ খ চরিত্র ঘটনাস্থল ঘ ভাষা
৬০. নাটিকার তৃতীয় দৃশ্যে কোন বিষয়টি স্থান পেয়েছে? (জ্ঞান)
আমবাগান খ গ্রামের রাস্তা
গ পলাশতলী ঘ আরজুদের স্কুল
৬১. পড়ার পাশাপাশি নাটিকার অন্য বৈশিষ্ট্য কোনটি? (জ্ঞান)
মঞ্চে অভিনয় খ চলচ্চিত্র নির্মাণ
গ আবৃত্তি ঘ লেখা
৬২. নাটকের এক-একটি ঘটনাস্থলকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক পর্ব দৃশ্য গ অধ্যায় ঘ পরিচ্ছেদ
৬৩. নাটকের দৃশ্য বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ঘটনাস্থল খ কাহিনি গ সংলাপ ঘ চরিত্র
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৪. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় ব্যবহৃত ঘটনাস্থল হলো (অনুধাবন)
র. গ্রামের পাশের রাস্তা রর. সাবু, আরজুদের স্কুল
ররর. আমবাগান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬৫. ‘মতলব’ বলতে বোঝায়Ñ (অনুধাবন)
র. উদ্দেশ্য রর. ফন্দি ররর. কুৎসা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৬. আরজুর অসুখের কথা কে জানত? (জ্ঞান)
মা খ বাবা গ বন্ধু ঘ শিক্ষক
৬৭. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকাতে কী ফুটে উঠেছে? (অনুধাবন)
ক আরজুর কষ্ট
খ শিশুদের স্কুলে যাওয়া
গ শিক্ষকের দায়িত্ব
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রতি মমত্ববোধ
৬৮. ‘সেই ছেলেটি’ কোন ধরনের রচনা? (অনুধাবন)
ক নাটক খ গল্প নাটিকা ঘ প্রবন্ধ
৬৯. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রতি কী প্রকাশ পেয়েছে? (অনুধাবন)
ক অবজ্ঞা খ শাসন সহানুভ‚তি ঘ অবহেলা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭০. ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকাটি পাঠের উদ্দেশ্য হচ্ছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রতি মমত্ববোধ
রর. ভালো শিশুদের প্রতি মমত্ববোধ
ররর. শিশুর প্রতি বড়দের মমত্ববোধ
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
৭১. অবশেষে আরজু বিদ্যালয়ে যেতে পারে; কারণÑ (অনুধাবন)
র. লতিফ স্যারের সহানুভ‚তি রর. বন্ধুদের সহায়তা
ররর. আইসক্রিমওয়ালার পরামর্শ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর