প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের আজকের পোস্টে স্বাগতম। আজ তোমাদের জন্য প্রকাশ করা হলো ১২ সপ্তাহের ৮ম শ্রেণির কর্ম ও জীবনমুখী এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১। দ্বাদশ সপ্তাহের দুটি অ্যাসাইনমেন্টের মধ্যে কর্ম ও জীবনমূখী একটা। দ্বাদশ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট তোমাদের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ পায় গত মঙ্গলবার।
অষ্টম শ্রেণির কর্ম ও জীবনমূখী এসাইনমেন্ট ২ তোমাদের দ্বাদশ সপ্তাহের একটি অ্যাসাইনমেন্ট। এটি লিখতে তোমাদের অনেক মজা লাগার কথা কারণ এটি একটি মজার বিষয়। আজকের এসাইনমেন্টের প্রশ্ন দেখলেই তোমরা বুঝে যাবে কত ইন্টারেস্টিং একটি টপিক এবার তোমাদের দিয়েছে।
১২ সপ্তাহের (দ্বাদশ) ৮ম শ্রেণির কর্ম ও জীবনমুখী এসাইনমেন্ট ২০২১
করোনাকালীন সময়ে তোমরা ঘরে থাকতে থাকতে বোর হয়ে গেছো। ১২ সপ্তাহের এই কর্ম ও জীবনমূখী এসাইনমেন্টটি করলে তোমাদের অনেক ভালো লাগবে। সেই সাথে তোমাদের একাকিত্ত ও বোরিংনেস কাটবে।
৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা কি সৃজনশীল কিছু করতে চাও। তাহলে এবার দ্বাদশ সপ্তাহের এসাইনমেন্টটি তোমার জন্য। এই এসাইনমেন্টে সৃজনশীল কিছু করার কথা বলা হয়েছে। চলো তাহলে প্রশ্নগুলো দেখে নেওয়া যাক। কি আছে এই ১২ সপ্তাহের কর্ম ও জীবনমূখী শিক্ষা এসাইনমেন্ট প্রশ্নে।
৮ম শ্রেণির কর্ম ও জীবনমুখী এসাইনমেন্ট ২০২১ প্রশ্ন ১২ সপ্তাহ
এসাইনমেন্ট ক্রমঃ অষ্টম শ্রেণির কর্ম ও জীবনমূখী শিক্ষা এসাইনমেন্ট ২
অধ্যায়ঃ প্রথম, মেধা কায়িক শ্রম, ও আত্ম-অনুসন্ধান।
বিষয়বস্তুঃ পাঠ ১ ও ২: সভ্যতার অগ্রযাত্রায় মেধা ও কায়িক শ্রম।
পাঠ ৩: আগুন আবিষ্কারের কাহিনী
পাঠ ৪: চাকা অবিষ্কার : একটি মাইলফলক
পাঠ ৫: পাত্র নিয়ে যত কথা
পাঠ; ৬ লিখন পদ্ধতি : মেধাশ্রম সংরক্ষণ
পাঠ ৭: বল দেখি কোনটা কী?
পাঠ ৮ রোবট: অসম্ভব হলো সম্ভব
পাঠ ৯: মহাকাশে অভিযান
পাঠ ১০: শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে আত্মমর্ধাদাবেধ
পাঠ ১১: আমি কী আত্মমর্যাদাসম্পন্নঃ
পাঠ ১২: শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে আতবিশ্বাস
পাঠ ১৩: এসো আত্মবিশ্বাস বাচাই করি-
পাঠ ১৪: শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে সৃজনশীলতা
পাঠ ১৫ আমি কি সৃজশীল?
নির্ধারিত কাজঃ তোমার ঘরে অব্যবহত ( ফেলে দেয়া জিনিস দিয়ে এমন একটি জিনিস বানাও যা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয় ও কিভাবে বানিয়ে তা বর্ণনা কর।
নির্দেশনাঃ
অব্যবহৃত ফেলে দেওয়া জিনিস যেমন-বোতল, পুরোনো কাপড়, বাঁশ, ভাঙ্গা মাটির হাড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করতে বলুন।
পরিবারের সদস্যদের সাহায্য ; নিতে বলুন।
প্রয়োজনে পাঠাপুভকের সাহায্য নিতে বলুন ।
আ্যসাইনমেন্ট সঠিক সময়ে জমা প্রদান।
৮ম শ্রেণির দ্বাদশ সপ্তাহের কর্ম ও জীবনমূখী শিক্ষা এসাইনমেন্ট ২০২১
প্রিয় ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা কি প্রশ্নটা পড়েছে? কী বুঝলে প্রশ্নটি পড়ে? তোমাদের মাথায় কি চিন্তা ঢুকে গেল যে কি করবে। কোন বিষয়ে লিখবে? ভয়ের কোনো কারণ নাই। আজ তোমাদের আমরা বলে দিব কয়েকটি উপায় এবং কিভাবে তোমরা অন্যদের থেকে আলাদা উত্তর লিখবে। সেই সাথে ভিডিও সাজেস্ট করে দিব।
তো চলো আমরা দেখে নিই দ্বাদশ সপ্তাহের ৮ম শ্রেনির কর্ম ও জীবনমূখী শিক্ষার একটি নমুনা উত্তর।
৮ম শ্রেণির দ্বাদশ সপ্তাহের কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
এসাইনমেন্ট শুরু
মেধা, কায়িকশ্রম ও আত্ম-অনুসন্ধান
ভূমিকাঃ আমার ঘরে অব্যবহৃত জিনিসগুলোর মধ্যে একটি হলো কোমল পানিয়ের প্লাস্টিকের বোতল। যা আমরা সচরাচর ফেলে দিই। কিন্তু আমরা ইচ্ছা করলে সেই কোমল পানিয়ের প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করতে পারি যা আমাদের দৈনন্দিন অনেক কাজে ব্যবহার হতে পারে। সেরকম দৈনন্দিন কাজে ব্যবহ্রত একটি জিনিস হলো টব। আমি আজকে কোমল পানিয়ের প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে একটি টব বানিয়েছি। সেই টবকি কিভাবে বানিয়েছি তার বর্ণনা নিম্নে দেওয়া হলো।
প্লাস্টিকের বোতল থেকে টব তৈরিঃ
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
কোমল পানিয়ের প্লাস্টিকের বোতল
কাটার
কাচি
মার্কার পেন
রং
দড়ি
তৈরির বর্ণনাঃ
প্রথমে আমি একটি কোকাকোলার ২ লিটারের প্লাস্টিকের বতল নিয়েছি। যেহেতু এটি অব্যবহৃত ছিলো তাই এতে অনেক ময়লা জমা হয়েছিলো। প্রথমে এটিকে আমি পানি দিয়ে ভালোকরে পরিষ্কার করেছি। এবং একটি কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়েছি।
শুকনো প্লাস্টিকের বোতলটিতে লাম্বা লম্বি করে মার্কার পেন দিয়ে কিছু দাগ দিয়েছি। প্রথমে দাগগুলো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিলো না তাই কয়েকবার দাগ দেওয়ার প্রয়োজন হয়েছে। দাগ স্পষ্ট হওয়ার পর দাগ দেওয়া বন্ধ করেছি।
দাগ দেওয়ার পর দাগ বরাবর কাটার দিয়ে সামান্য ফুটো করে নিয়েছি। এবং প্রত্যেকটা দাগ ফুটো হয়েছে কিনা নিশ্চিত হয়েছি। সব দাগ বরাবর কাটার দিয়ে ফুটা করা শেষ হয়েছে কিনা ভালো ভাবে পরীক্ষা করেছি।
একটি কাঁচি নিয়ে ফুটা দাগগুলো বরাবর কেটেছি। লক্ষ করেছি দাগুগুলো যেন সোজাসুজি হয়েছে কিনা। সেই সাথে একটির কাটা অংশ যেন অন্যটির সাথে মিশে না যায় সেদিকে লক্ষ রেখেছি।
কাঁচি দিয়ে দাগগুলো বরাবর কাটা শেষ হলে আমি বোতলটিকে মাঝ বরাবর ভাজ করে কাটা অংশগুলো চারিদিকে ছড়িয়ে দিয়েছি। লক্ষ করেছি যেন কোন অংশ ছিড়ে না যায়। এভাবে কাটা অংশগুলো চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার পর বোতলের উপরের অংশ ও নিচের অংশ মাঝে প্রবেশ করেছে।
অতপর এটিকে দেখতে একটি টবের মত লাগছিলো। আমি এর সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এটির উপরের অংশে ভোমর বসিয়ে তিন দিকে তিনটি ফুটো করেছি এবং তা সমান মাপের কেটে নেওয়া তিনটা দড়ি দিয়ে বেধে দিয়েছি।
এবং শেষে সদ্য প্রস্তুত প্লাস্টিকের বোতলের টবটিকে আমি রং করে সুন্দর করেছি এবং আমার বাড়ির আঙিনায় ঝুলিয়ে দিয়েছি।
তোমরা কি উপরের উত্তরটি লিখেছো? যদি হুবুহু উপরের মত উত্তর লিখতে না চাও তবে তোমরা নিজের মত করে উত্তর লিখতে পারবে। তার জন্য তোমাদের কিছু ইউটিউব ভিডিও সাজেস্ট করবো। যেগুলো দেখলে তোমরা উপরের নমুনা উত্তরটি পড়ে নিজেরাই একটি সুন্দর ও ইউনিক উত্তর লিখতে পারবে। তাহলে যারা নিজের মনের মত করে অন্যদের থেকে আলাদা উত্তর লিখতে চাও তারা নিচের ভিডিও কয়েকটি দেখতে পারো।
আমাদের সাথে থাকতে আমাদের ফেজবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখো। অথবা আমাদের এসাইনমেন্ট ফেজবুক গ্রুপে যুক্ত হতে পারো। এসাইনমেন্টগুলো ভিডিও আকারে পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যনেলটি সাবসক্রাইব কর।