বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় তোমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আজ সেই বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের উত্তর দিতে চলেছি আমরা। করোনাকালীন সময়ে তোমাদের সপ্তাহে একদিন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এসাইনমেন্ট কার্যক্রম চালু রয়েছে। আজ তোমাদের ১৬ সপ্তাহের ৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর দেওয়া হবে।
৭ম শ্রেণির ১৬ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
আমরা তোমাদের জন্য সকল এসাইনমেন্টের উত্তর দিয়ে থাকি। ২০২০ থেকে শুরু করে ২০২১ এর ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত তোমাদের এসাইনমেন্ট উত্তরগুলি দেওয়া হয়েছে। তোমরা নিচের একটি লিংক থেকে উত্তরগুলি কালেক্ট করতে পারো।
শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের ২টি এসাইনমেন্টটি লিখেছো ২০২১ সালে। এটা তোমাদের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৩য় অ্যাসাইনমেন্ট। তোমাদের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট রয়েছে আবার ২০ সপ্তাহে। ১৭ সপ্তাহে তোমাদের কী কী এসাইনমেন্ট আছে সেটা কী তোমরা জানো? তো চলো জেনে আসা জাক ১৭ সপ্তাহে তোমাদের কী কী এসাইনমেন্ট আছে। ১৭ সপ্তাহে তোমাদের বাংলা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট রয়েছে।
করোনাকালীন সময়ে তোমাদের মত শিক্ষার্থীরা অনেক দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। তাই তোমাদের সামাজিকীকরণে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তাই বর্তমানে তোমাদের সামাজিকীকরণে সকল প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা রয়েছে।
১৬ সপ্তাহের ৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন
অ্যাসাইনমেন্ট ক্রমঃ ৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ৩
নির্ধারিত কাজঃ
৩. কোভিড-১৯ পরিস্িতিতে তোমার মতো শিশুদের সুষ্ঠু সামাজিকীকরণে কী ধরনের বাধা সৃষ্টি হয়েছে ভা চিহ্নিত কর এবং এই বাধাগুলো দূরীকরণে পরিবার, সমাজ ও বিদ্যালয়ের কাছ থেকে কী ধরনের সহযোগিতা প্রত্যাশা কর তা ব্যাখ্যা কর।
কি এই নির্ধারিত কাজটি করার সময় নিশ্ললিখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে-
খ. শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ অভিজ্ঞতা প্রদান করবে
গ. এই পরিস্থিতিতে যে ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েছে তা নির্দিষ্ট করবে
ঘ. প্রত্যাশাগুলো বাস্তব প্রেক্ষাপটে তুলে ধরবে।
প্রশ্নে বলা হয়েছে করোনাকালীন সময়ে তোমাদের সামাজিকীকরণের বাধাগুলো ও এই সময়ে অন্যান্য কিছু প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তো ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা চলো আমরা ১৬ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টের নমুনা উত্তরটি দেখে নিই।
১৬ সপ্তাহের ৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
কোভিড -১৯ পরিস্থিতিতে আমার মতো শিশুদের সুষ্ঠু সামাজিকীকরণে যে ধরনের বাধা সৃষ্টি হয়েছে তা চিহিত করা হলো এবং এই বাধাগুলো দূরীকরণে পরিবার, সমাজ বিদ্যালয়ের কাছ তেকে যে ধরণের সহযোগীতা প্রত্যাশা করি তা ব্যাখ্যা করা হলোঃ
সামাজিকাকরণের সুস্পষ্ট ধারণাঃ
মানব শিশু ভূমিষ্ঠ হবার পর তাকে সামাজিক পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে টিকে থাকার প্রয়োজনে অনেক কিছু শিখতে হয় । এ শিক্ষণ প্রক্রিয়া জন্মের পর থেকে শুরু হয় এবং তার জীবনব্যাপি চলতে থাকে | শিশুর এ শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় প্রথমে তার মা – বাবা পরিবারের সদস্যরা, প্রতিবেশি, আত্মীয়-স্বজন এবং পরবর্তীতে তার শিক্ষক , সহযোগী , চেনা অচেনা অনেকেই খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । শিক্ষণ প্রক্রিয়া মানব শিশুকে ভাষা , আচার আচরণ প্রথা পদ্ধতি, মূল্যবোধ, আদব – কায়দা ইত্যাদি সম্পর্কে অবহিত করানোর মাধ্যমে তাকে সামাজিক মানুষ হয়ে উঠতে সহায়তা করে । জীবনব্যাপি চলতে থাকা এই শিক্ষণ প্রক্রিয়াকেই সামাজিকীকরণ বলে ৷ সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি মূলত : সংস্কৃতি সম্পর্কে অবহিত হয় । সামাংজিকীকরণ প্রসঙ্গে মনোবিজ্ঞানী বোগারডাস (Bogardus) বলেছেন, “ সামাজিকীকরণ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া,যার মাধ্যমে ব্যক্তি জনকল্যাণের নিমিত্তে একত্রে নির্ভরযোগ্য আচরণ করতে শেখে | এটি করতে গিয়ে সামাজিক আত্মনিয়ন্ত্রণ, দায়িত্ব ও সুসামঞ্জস্য ব্যক্তিত্বের অভিজ্ঞতা লাভ করে । ”
আমার নিজ অভিঙ্গতাঃ
আমরা প্রতিনিয়ত নানান ভাবে নানান কিছু জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শিখছি আর এটা হচ্ছে সামাজিকীকরন | এটা একটা জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা সমাজ, পরিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে সবসময় নানান কিছু শিখছি । শুধু ছোট রেলায় নয় * বৃদ্ধ অথবা যুবক অবস্থায় ও সামাজিকীকরণ হতে পারে । এটি যেকোনো সময় যেকোনো ভাবে ঘটতে পারে । কারও থেকে নতুন কি শিখা এক ধরণের সামাজিকীকরণ।
সামাজিক নীতি ও সামাজিকীকরণঃ
শিশুর সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে সামাজিক নীতি বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে থাকে । বহির্বিশ্বে বিশেষ শিশু প্রতিপালনের ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে বড়দের দেখলে যে শ্রদ্ধা করতে হয়, ছোটদের স্নেহ করতে হয়, প্রতিমেশীদের খোঁজখবর নিত হয়, রোগীর সেবা করতে হয় এসকল কাজ আমি ছোটবেলায় আমার পরিবার থেকেই শিখেছি ।
এই পরিস্থিতিতে যে ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েছিঃ
পরিবারঃ
মানুষের জীব সামগ্রিক জীবনের সামাজিকীকর প্রথমে পরিবার থেকে শুরু হয়। নবজাতক শোনা, দেখা, স্বাদ গ্রহন সহ সকল বিষয় পরিবার থেকে শিখে থাকে । পরিবারের সদস্যরা সামাজিক পরিবেশের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে । সব সমাজ ও পরিবার সামাজিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে | বিভিন্ন ধরনের আদব কায়দা, নীতি নৈতিকতা এবং শিক্ষার প্রথম ধাপ পরিবার থেকে শিশু শিখে থাকে ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ
সামাজিকীকরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠার থেকে ব্যক্তি বিভিন্ন নৈতিক জ্ঞান লাভ করে । একজন দ্বাম্বিক তাত্বিক পর্যবেক্ষণ করেন যে স্কুল কলেজ অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজের পুরষ্কার এবং শাস্তির বিষয়টা আছে সেটার প্রথম পরিচয় ঘটে থাকে । শিশুরা সময়ের সাথে সাথে বেশি বাস্তববাদী হয়ে উঠে সেটা শারীরিক মানবিক ও সামাজিক সক্ষমতাকেও বুঝিয়ে থাকে । এই করোনা কালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে অনেক কিছুই শেখার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
গণমাধ্যম ও প্রযুক্তিঃ
গণমাধ্যম ও প্রযুক্তি শিশুর সামাজিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । রেডিও, টেলিভিশন , রেকর্ডগান এবং ইন্টারনেরট এগুলো সামাজিকীরণের সাথে জড়িত। বর্তমানে ইন্টারনেট, টেলিভিশনের থেকে বেশি সামাজিকীকরণে ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন ধরণের টেলিভিশন অনুষ্ঠান এমনকি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠাণ উঠতি বয়সীদের সাথে বিভিন্ন অপরিচিত সংস্কৃতি ও জীবনযাপন এর ধরনে সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় ।
ধর্মঃ
ধর্ম পারিবারিক বন্ধন সুদৃট করার ক্ষেত্রে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে | সমাজের মানুষের ধর্মীয় আদর্শ জীবনধারার উপর ধর্ম ভূমিকা পালন করে থাকে । সঠিক জীবনধারার লক্ষে ধর্মের গুরুত্ব অপরিসীম । কিন্তু এই করোনাকালীন সময়ে আমরা ধর্ম পালন করতে মসজিদ, মন্দির, গির্জায় যেতে পারিনি তাই সামাজিকীকরণে বাধাগ্রস্থ হয়েছে।
রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থাঃ
রাষ্ট্র ও প্রচলিত সরকার ব্যবস্থা সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । রাষ্ট্র একটি নিয়মনীতি থাকে যা রাষ্ট্রের বা জনগণকে মেনে চলতে হয় । অন্যথায় শাস্তির ব্যবস্থা থাকে । শিশু ছোটবেলা থেকে এই সমন্ত বিষয় ও জীবনযাপনের নিয়মের সাথে পরিচালিত হয়ে উঠে । সবশেষে এটাই প্রতীয়মান যে, রাষ্ট্র সরকার ব্যবস্থা শিশুর সামাজিকীকরণে ভমিকা পালন করে।
প্রতিবেশিঃ
পরিবারের পরে শুরু হয় প্রতিবেশীদের সাথে চলাফেরা । তাদের সাথে সামাজিকীকরবন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় । এই করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের সবার ধরেই থাকতে হয়েছে যার ফলে আমরা প্রতিবেশীদের সাথে খুব একটা মিশতে পারে নি।
প্রত্যাশাগুলো বাস্তব পেক্ষাপটে তুলে ধরা হলোঃ
বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবার ছাড়া সামাজিকীকরণে কোনো উপাদান ভূমিকা রাখতে পারছে না । যদিও গণমাধ্যমে সবাই জড়িয়ে পড়ছে কিন্তু তা তাদের নেতিবাচক সামাজিকীকরপ্ের বিস্তার করছে। এক্ষেত্রে একটি শিশুর সুষ্ঠু সামাজিকীকরণের জন্য সকল ইপাদান কে সক্রিয় ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। আবার, বর্তমান পরিস্থীতির কথা বিবেচনা করে বলা যায়, এটি একেবারেই অসম্ভব কারণ করোনা ভাইরাসের কারনে সবাই ঘরের মধ্যে আবদ্ধ । তাই, তাদের সুষ্ঠু বিকাশের স্বার্থে অন্যান্যা উপাদান নিজ থেকে সক্ক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষ প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে সামাজিকীকরণের প্রভাব ব্যাপক বিস্তার করে। তািই যতদুর সম্ভব তা খুলে দিয়ে তাদের বিকাশের কথা বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু তা যদি সম্ভব না হয়, বিকল্প ব্যবস্থার কথা চিন্তা করতে হবে । সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে রয়েছে মসজিদ মক্তব বিডি ক্লাব ইত্যাদি এগুলো করোনার কার বন্ধ সুষ্ঠু বিকাশ ও প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে একটি শিশুকে রক্ষা করতে হবে বা তা অনুযায়ী বাবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের পরিবারের কাছে চাওয়ার কিছু নাই। কারণ সবাই জানে পরিবার হলো সামাজিকীকরণের ১ টি অন্যতম প্রধান ভূমিক পালন করে । কিন্তু অন্য সকল উপাদান করোনার কারণে ভূমিকা রাখতে পারছেনা | তাই , আমাদেরবে শিশুর সুষ্ঠুবিকাশের কথা বিবেচনা করে শিশু তাদের সামাজিকীকরণে প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান গুলো করণীয় উল্লেখপূর্বক উপস্থাপন করা হলো এবং এ পরিস্থিতিতে উত্তরনের জন্য উপাদান গুলোর সাথে সম্পৃক্ত সকলের কাছে যেসব প্রত্যাশা প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করা হলো।
আরো পড়ুনঃ
- ১৬ সপ্তাহের ৭ম শ্রেণির ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
- ১৬ সপ্তাহের ৮ম শ্রেণির ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১
আমাদের সাথে থাকতে আমাদের ফেজবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখো। অথবা আমাদের এসাইনমেন্ট ফেজবুক গ্রুপে যুক্ত হতে পারো। এসাইনমেন্টগুলো ভিডিও আকারে পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যনেলটি সাবসক্রাইব কর।
আমাদের ইউটিউব লিংক
https://www.youtube.com/channel/UCea_DqYt9NegZgE5A-mdIag
ফেজবুক পেজ (সমস্যা ও সমাধান)
https://web.facebook.com/shomadhan.net
assignment all class (6-9)📝📝
https://web.facebook.com/groups/287269229272391
আপনাদের বানান অনেক ভুল হচ্ছে একটু ভালোভাবে দেবেন
hmm…….
banan vul hochhe