পঞ্চম অধ্যায়
সমন্বয় ও নিঃসরণ
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
উদ্ভিদে সমন্বয় ও হরমান : উদ্ভিদের জীবনচক্রের পর্যায়গুলো যেমন : অঙ্কুরোদগম, পুষ্পায়ন, ফল সৃষ্টি, বার্ধক্য প্রাপ্তি, সুপ্তাবস্থা ইত্যাদি একটি সুশৃঙ্খল নিয়ম মেনে চলে যা নিয়ন্ত্রণ করে ফাইটোহরমোন নামক জৈব রাসায়নিক পদার্থ। উদ্ভিদে যেসব হরমোন পাওয়া যায় সেগুলো হলো :
বৃদ্ধি সহায়ক হরমোন : অক্সিন, জিব্বেরেলিন ও সাইটোকাইনিন।
বৃদ্ধি প্রতিবন্ধক হরমোন : অ্যাবসাইসিক এসিড ও ইথিলিন।
ফুল উৎপাদনকারী হরমোন : ফ্লোরিজেন।
ট্রফিক চলন : অভ্যন্তরীণ বা বহিঃউদ্দীপক উদ্ভিদদেহে যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে তার ফলে উদ্ভিদে চলন ও বৃদ্ধি সংঘটিত হয়। এসব চলনকে ট্রফিক চলন বলে।
স্নায়ুতন্ত্র : প্রাণীদেহের যে তন্ত্র দেহের বিভিন্ন অঙ্গের সংযোগ রক্ষা করে, বিভিন্ন জৈবিক কার্যাবলির সমন্বয় সাধন করে এবং উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে উপযুক্ত প্রতিবেদন সৃষ্টি করার মাধ্যমে পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে তাকে স্নায়ুতন্ত্র বলে।
মস্তিষ্ক : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশ হলো মস্তিষ্ক ও মেরুরজ্জু। মানুষের মস্তিস্কের প্রধান অংশ তিনটি। যথা : ক) গুরুমস্তিষ্ক, খ) মধ্যমস্তিষ্ক ও গ) পশ্চাৎ বা লঘুমস্তিষ্ক।
নিউরন : স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যকরী একক নিউরন বা স্নায়ুকোষ। এটি দুইটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত। যথা : ১) কোষদেহ ২) প্রলম্বিত অংশ। প্রলম্বিত অংশ আবার দুই প্রকার। যথা : ১) অ্যাক্সন ও ২) ডেনড্রন।
প্রতিবর্ত ক্রিয়া : যে ক্রিয়া অনুভ‚তির উত্তেজনা দ্বারা উৎপন্ন হয়, মস্তিষ্ক দ্বারা চালিত হয় না, তাকেই প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।
রেচন পদার্থ : যেসব পদার্থ দেহের জন্য ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় সেগুলোকে রেচন পদার্থ বলে। যেমন : ঘাম, মূত্র ও নিঃশ্বাস বায়ু।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. নিচের কোনটি উদ্ভিদের ফুল ফোটাতে সাহায্য করে?
ক জিব্বেরেলিন খ সাইটোকাইনিন
ফ্লোরিজেন ঘ অক্সিন
২. নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য নিষ্কাশনে মানবদেহের কোন অঙ্গটি প্রধান ভূমিকা রাখে?
বৃক্ক খ ত্বক গ নাক ঘ পায়ু
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও
প্রমার কক্ষে জানালার কাছে টবের মধ্যে লাগানো মানিপ্ল্যান্ট গাছটি দ্রুত বাড়ায় এর লতাগুলো জানালার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। প্রমা হাত দিয়ে এগুলোকে কক্ষের ভিতর দিকে এনে দিলেও এরা আবার জানালার দিকেই ধাবিত হয়।
৩. প্রমার গাছটি কী কারণে জানালার দিকে ধাবিত হয়?
ক বাতাস খ জলীয়বাষ্প
আলো ঘ তাপ
৪. প্রমার মানিপ্ল্যান্ট গাছটির বৃদ্ধিতে সাহায্য করেÑ
র. জিব্বেরেলিন
রর. অক্সিন
ররর. ইথিলিন
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫. মূত্র তৈরির কারখানা কোনটি?
ক ত্বক বৃক্ক গ যকৃত ঘ ফুসফুস
৬. কে প্রথম ‘অক্সিন’ হরমোন আবিষ্কার করেন?
চার্লজ ডারউইনখ ডেভিড প্রেইন গ এরিষ্টটল ঘ হ্যাক্সলে
৭. মানুষের মস্তিষ্কের প্রধান অংশ কয়টি?
ক ২ ৩ গ ৪ ঘ ৫
৮. নিউরন কোনটির প্রধান অংশ?
ক ত্বক খ মস্তিষ্ক স্নায়ুতন্ত্র ঘ স্নায়ুরজ্জু
৯. কোনটি লঘু মস্তিষ্কের প্রধান কাজ?
ক দৃষ্টিশক্তি নিয়ন্ত্রণ খ শ্রবণশক্তি নিয়ন্ত্রণ
দেহের ভারসাম্য রক্ষা ঘ ঘ্রাণশক্তি নিয়ন্ত্রণ
১০. মানব মস্তিষ্কের সবচেয়ে উন্নত অংশ
ক লঘু মস্তিষ্ক খ মধ্য মস্তিষ্ক গুরু মস্তিষ্ক ঘ পন্স্
১১. আমাদের নিঃশ্বাসের বায়ুতে শতকরা কতভাগ কার্বন ডাইঅক্সাইড থাকে?
ক ৮ ৪ গ ৬ ঘ ২
১২. কোষ দেহ হতে উৎপন্ন লম্বা সুতার মতো অংশকে কী বলে?
ক ডেনড্রন অ্যাক্সন গ সিন্যাপস ঘ মায়োলিন সিথ
১৩. কোনটিকে মস্তিষ্কের যোজক বলা হয়?
ক মোড়–লা পনস্ গ মেরুরজ্জু ঘ মধ্য মস্তিষ্ক
১৪. মস্তিষ্কের কোন অংশটি হৃদস্পন্দন ও খাদ্য গ্রহণ করে?
ক পনস মেডুলা গ সেরিব্রাম ঘ থ্যালামাস
১৫. কোন হরমোনটি পত্র মুকুলকে পুষ্প মুকুলে পরিণত করে?
ক অক্সিন খ ইথিলিন
গ জিবেরেলিন ফ্লোরিজেন
১৬. কোন অঙ্গটি রেচনতন্ত্রের কারখানা হিসেবে কাজ করে?
বৃক্ক খ মূত্রথলি
গ মূত্রনালি ঘ ইউরেটার
১৭. মস্তিষ্কের আবরণ সৃষ্টিকারী পর্দার নাম কী?
ক পেরিকার্ডিয়াম খ ক্যাপসিউল
মেনিনজেস ঘ প্লুরা
১৮. দেহকোষের শ্বসনে উৎপন্ন কার্বন ডাইঅক্সাইড কীভাবে ফুসফুসে যায়?
ক নিঃশ্বাসের মাধ্যমে খ প্রশ্বাসের মাধ্যমে
রক্তের মাধ্যমে ঘ চর্মের মাধ্যমে
১৯. মেরুরজ্জুর কোনটির ভেতর দিয়ে অনুভ‚তিবাহী স্নায়ুতন্ত্র একস্থান থেকে অন্যস্থানে যায়?
ক লোহিত পদার্থ খ মেডুলা
শ্বেত পদাথর্ ঘ ধূসর পদার্থ
২০. প্রতিবর্ত চক্রের কয়টি অংশ রয়েছে?
ক ৩ খ ৪ ৫ ঘ ৭
২১. নিউরনে কোনটি অনুপস্থিত?
ক অ্যাক্সন খ ডেনড্রন গ সিন্যাপস সেন্ট্রিওল
২২. কোনটি সমগ্র স্নায়ুতন্ত্রের চালক?
ক হৃৎপিণ্ড মস্তিষ্ক গ বৃক্ক ঘ মেরুরজ্জু
২৩. গুরুমস্তিষ্কের উপরিভাগ অংশকে গ্রে ম্যাটার বলা হয় কেন?
দেখতে ধূসর বর্ণের খ দেখতে সাদা বর্ণের
গ দেখতে হলুদ বর্ণের ঘ দেখতে লাল বর্ণের
২৪. ক্রোধ, লজ্জা, গরম ও নিদ্রা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে কে?
গুরু মস্তিষ্ক খ মধ্য মস্তিষ্ক গ লঘু মস্তিষ্ক ঘ মেডুলা
২৫. স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কাজের একককে কী বলে?
ক দেহকোষ খ জননকোষ নিউরন ঘ কোষ দেহ
২৬. কোন অঙ্গটি ছাঁকনির কাজ করে?
বৃক্ক খ যকৃত গ ফুসফুস ঘ পাকস্থলী
২৭. বহুকোষী প্রাণীর পৌষ্টিক নালী এবং দেহ প্রাচীরের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানকে কী বলে?
ক ইলিয়াম সিলোম গ বৃহদান্ত ঘ কোলন
২৮. মানবদেহের রেচন অঙ্গ কোনটি?
বৃক্ক খ যকৃত গ ফুসফুস ঘ চর্ম
২৯. গ্যাসীয় হরমোন কোনটি?
ক অক্সিন খ জিব্বেরেলিন
ইথিলিন ঘসাইটোকাইনিন
৩০. মস্তিষ্কের নিচের অংশ কোনটি?
ক গুরুমস্তিষ্ক লঘুমস্তিষ্ক
গ মেডুলা ঘ পনস
৩১. নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থ কিডনীর মাধ্যমে বের হয়
র. অ্যামোনিয়া রর. ইউরিয়া ররর. ইউরিক এসিড
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও রর র, রর ও ররর
৩২. স্নায়ুকোষের কাজ
র. উদ্দীপনা বহন করা রর. মস্তিষ্কে স্মৃতি সংরক্ষণ করা
ররর. বিভিন্ন জৈবিক কার্যাবলির সমন্বয় সাধন করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৩. ফ্লোরিজেনÑ
র. পত্রে উৎপন্ন হয়
রর. পত্রমূলে স্থানান্তরিত হয়
ররর. উদ্ভিদে ফুল উৎপন্ন করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৪. আম গাছে অক্সিন প্রয়োগের ফলেÑ
র. শাখা কলমে মূল গজায় রর. ফল দ্রæত পাকে
ররর. ফল ঝরে পড়া বন্ধ হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৫. নিউরনÑ
র. স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কাজের একক
রর. মানবদেহের দীর্ঘতম কোষ
ররর. এর প্রধান দুটি অংশ থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
চিত্রের আলোকে ৩৬ ও ৩৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও ঃÑ
৩৬. চিত্রে কোন অংশের সাহায্যে কোষটি অপর নিউরনের সাথে যুক্ত থাকে?
ক অ-অংশ খ ই-অংশ গ ঈ-অংশ উ-অংশ
৩৭. চিত্রে ই-অংশটির আকৃতি হয়Ñ
র. গোলাকার, ডিম্বাকার
রর. ডিম্বাকার, তারকাকার
ররর. নক্ষত্রাকার, গোলাকার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ ১-৩ : উদ্ভিদে সমন্বয়
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৮. ফলের অকালে ঝরে পড়া রোধ হয় কোন হরমোনের প্রভাবে?
[সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা; রংপুর জিলা স্কুল]
ক জিব্বেরেলিন খ ইথিলিন
অক্সিন ঘ ফ্লোরিজেন
৩৯. নিচের কোনটি উদ্ভিদের ফুল ফোটাতে সাহায্য করে?
[খুলনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক হিস্টোন ফ্লোরিজেন
গ জিব্বেরেলিন ঘ অ্যাবসাইসিক এসিড
৪০. নিচের কোনটি জীবের অপরিহার্য কার্যক্রম? [শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমি]
ক চলন সমন্বয় গ স্থিতি ঘ সুপ্তাবস্থা
৪১. নিচের কোনটি প্রয়োগের ফলে ফলের মোচন বিলম্বিত হয়?
[উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বরিশাল]
অক্সিন খ জিব্বেরেলিন
গ সাইটোকাইনিন ঘ ফ্লোরিজেন
৪২. জীবদেহে রাসায়নিক সমন্বয়কারী হিসেবে কে কাজ করে? (জ্ঞান)
ক ভিটামিন খ উৎসেচক হরমোন ঘ খনিজ লবণ
৪৩. ভ্রূণমুকুল আবরণীতে কোন হরমোনটি পাওয়া যায়? (জ্ঞান)
ক জিব্বেরেলিন খ সাইটোকাইনিন
গ ইথিলিন অক্সিন
৪৪. কোন হরমোন উদ্ভিদের শীর্ষ মুকুলের বৃদ্ধি ঘটায়? (জ্ঞান)
অক্সিন খ জিব্বেরেলিন
গ সাইটোকাইনিন ঘ ইথিলিন
৪৫. কোনটি ফাইটোহরমোন? (অনুধাবন)
ক নিউক্লিক অ্যাসিড খ থাইরক্সিন
গ উৎসেচক সাইটোকাইনিন
৪৬. উদ্ভিদে আলোকাভিমুখী চলন ঘটায় কোনটি? (অনুধাবন)
ক ইথিলিন খ ভিটামিন অক্সিন ঘ উৎসেচক
৪৭. ধান গাছে জিব্বেরেলিন ছিটালে/¯েপ্র করলে গাছের কী পরিবর্তন হয়? (জ্ঞান)
ক সত্বর মারা যায় খ বহুদিন সজীব থাকে
গ খর্বাকৃতি ধারণ করে স্বাভাবিকের তুলনায় লম্বা হয়
৪৮. গাছে কলম লাগানোর পর দ্রুত মূল গজানোর জন্য কী প্রয়োগ করা যায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
অক্সিন খ হরমোন গ ফাইটোহরমোন ঘ ভিটামিন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৯. অক্সিন এর প্রভাবে- [বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ]
র. শাখা কলমে মূল গজায়
রর. ফল অকালে ঝরে পড়ে না
ররর. ভ্রƒণ মুকুলাবরণীর বৃদ্ধি ঘটে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫০. জিব্বেরেলিনের উপস্থিতি দেখা যায়Ñ [খুলনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. চারাগাছে রর. বীজপত্রে
ররর. পত্রের বর্ধিষ্ণু অঞ্চলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫১. বৃদ্ধি প্রতিবন্ধক হরমোনÑ (অনুধাবন)
র. অ্যাবসাইসিক এসিড রর. ইথিলিন
ররর. ইন্ডোল অ্যাসেটিক এসিড
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫২ ও ৫৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আলো, পানি, অভিকর্ষ উদ্ভিদদেহে যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে তার ফলে উদ্ভিদে চলন ও বৃদ্ধি সংঘটিত হয়।
৫২. দ্বিতীয় কাজটিতে সহায়তাকারী হরমোন কোনটি? (প্রয়োগ)
জিব্বেরেলিন খ ইন্ডোল অ্যাসিটিক এসিড
গ ফ্লোরিজেন ঘ ইথিলিন
৫৩. প্রথম কাজটি কোন ধরনের? (প্রয়োগ)
ট্রফিক খ ধীর গতির গ এনট্রপিক ঘ দ্রæত গতির
পাঠ ৪ ও ৫ : স্নায়ুতন্ত্র
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৪. নিউরনের প্রধান অংশ কোনটি? [দিনাজপুর জিলা স্কুল]
ক অ্যাক্সন খ ডেনড্রাইট গ ডেনড্রন কোষদেহ
৫৫. মস্তিষ্ক অসংখ্য বিশেষ কোষ দ্বারা গঠিত। এদের নাম কী? [বরিশাল জিলা স্কুল]
নিউরন খ অ্যাক্সন গ ডেনড্রন ঘ স্নায়ুরজ্জু
৫৬. মানবদেহের দীর্ঘতম কোষ কোনটি? [বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ]
ক বৃক্কের কোষ খ পেশীকোষ নিউরন ঘ গবলেট কোষ
৫৭. কোনটি নিউরনের অংশ? [শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ]
কোষদেহ খ দেহকোষ গ কন্ড্রিন ঘ সিন্যাপস
৫৮. অ্যাক্সন ডেনড্রনের সাথে কোথায় মিলিত হয়? [খুলনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
সিন্যাপসে খ নেফ্রনে
গ বোমানস ক্যাপসুলে ঘ কোষ দেহে
৫৯. স্নায়ুতন্ত্রের একক কী? (জ্ঞান)
ক নেফ্রন নিউরন গ অ্যাক্সন ঘ কোষ
৬০. স্নায়ুুতাড়না নিউরনের দেহের দিকে পরিবাহিত হয় কোনটি দ্বারা? (জ্ঞান)
ক অ্যাক্সন ডেনড্রাইট গ কোষদেহ ঘ হরমোন
৬১. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশ কোনটি? (অনুধাবন)
মস্তিষ্ক খ নিউরন গ স্নায়ু ঘ ডেনড্রাইট
৬২. প্রাণিদেহে পরিবেশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ এবং সেই অনুযায়ী আজ্ঞাবাহী অঙ্গে প্রেরণ করে কোনটি? (অনুধাবন)
ক পেশিকোষ স্নায়ুকোষ গ অ্যাক্সন ঘ হৃদপেশি কোষ
৬৩. একটি নিউরনের কয়টি অংশ থাকে? (জ্ঞান)
দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
৬৪. একটি নিউরন থেকে অন্য নিউরনে স্নায়ুতাড়না কিসের মাধ্যমে যায়? (অনুধাবন)
ক অ্যাক্সন খ ডেনড্রাইট সিন্যাপস ঘ কোষদেহ
৬৫. বাইরের উদ্দীপনায় সাড়া দেয়ার জন্য আমাদের দেহে কী আছে? (অনুধাবন)
স্নায়ুটিস্যু খ পেশিটিস্যু গ যোজক টিস্যু ঘ পরিবহন টিস্যু
৬৬. প্রাণী কোষ বিভাজিত হওয়ার জন্য কোনটি দায়ী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সাইটোপ্লাজম খ মাইটোকন্ড্রিয়া সেন্ট্রিওল ঘ কোষদেহ
৬৭. দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যাবলির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে কোনটি? (অনুধাবন)
ক সংবহনতন্ত্র স্নায়ুতন্ত্র গ অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি ঘ রেচনতন্ত্র
৬৮. দেহের কোন কোষ জন্মাবার পর বিভাজিত হয় না? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক দেহকোষ খ পেশিকোষ স্নায়ুকোষ ঘ জনন মাতৃকোষ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৯. নিউরনের প্রলম্বিত অংশে থাকেÑ [বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ]
র. অ্যাক্সন রর. কোষদেহ
ররর. ডেনড্রাইট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭০. নিউরনের কাজÑ (অনুধাবন)
র. চিন্তা করা রর. উদ্দীপনা বহন করা
ররর. স্মৃতিধারণ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৭১. স্নায়ুতন্ত্রের নিউরনগুলোর অ্যাক্সন ও ডেনড্রাইটগুলো যুক্ত থাকেÑ (অনুধাবন)
র. পেশি দ্বারা রর. সিন্যাপস দ্বারা
ররর. কোষদেহ দ্বারা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক রর খ ররর র ও রর ঘ র ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চিত্র থেকে ৭২ ও ৭৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৭২. চিত্রটি মানুষের কোন তন্ত্রের অংশ? (অনুধাবন)
ক রেচনতন্ত্রের স্নায়ুতন্ত্রের
গ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ঘ সুষুম্নাকাণ্ডের
৭৩. চিত্রের কোন অংশ উদ্দীপনা গ্রহণ করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
অ খ ঈ গ ই ঘ উ
পাঠ ৬ ও ৭ : মস্তিষ্ক
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৪. মস্তিষ্কের বোঁটা বলা হয় কোনটিকে? [উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বরিশাল]
ক সেরিবেলাম খ পনস
মেডুলা ঘ থ্যালামাস
৭৫. মানুষের ক্রোধ, লজ্জা, গরম, শীত, নিদ্রা, তাপ সংরক্ষণ ও চলন মস্তিষ্কের কোন অংশের কাজ? [সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক সেরিবেলাম খ মধ্যমস্তিষ্ক
গ পনস থ্যালামাস ও হাইপোথ্যালামাস
৭৬. কোনটি গুরুমস্তিষ্ক, লঘুমস্তিষ্ক ও মধ্যমস্তিষ্ককে সুষুম্না শীর্যকের সাথে সংযোজিত করে? [বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ]
ক মেডুলা পনস
গ সেরেবেলাম ঘ হাইপোথ্যালামাস
৭৭. বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণ করা মস্তিষ্কের কোন অংশের কাজ? [দিনাজপুর জিলা স্কিুল]
ক মেডুলা খ লঘুমস্তিষ্ক
গুরুমস্তিষ্ক ঘ মধ্যমস্তিষ্ক
৭৮. লঘুমস্তিষ্কের প্রধান কাজ কী?
চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ খ শ্রবণ করা
গ কথা বলা নিয়ন্ত্রণ ঘ দেহের ভারসাম্য রক্ষা
৭৯. মেরুরজ্জুর শ্বেত পদার্থ কোথায় অবস্থিত? [গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, খুলনা]
বাইরে খ ভেতরে গ মাঝখানে ঘ সামনে
৮০. মস্তিষ্ক ও মেরুরজ্জু দ্বারা কোনটি গঠিত? (জ্ঞান)
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র খ স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র
গ প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র ঘ স্বতন্ত্র স্নায়ুতন্ত্র
৮১. মস্তিষ্কের কোন অংশ দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে? (জ্ঞান)
ক গুরুমস্তিষ্ক লঘুমস্তিষ্ক
গ পনস ঘ মধ্যমস্তিষ্ক
৮২. মস্তিষ্কের কোন অংশে প্রশ্বাস ও নিঃশ্বাস (শ্বসন) কেন্দ্র অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক গুরুমস্তিষ্ক খ লঘুমস্তিষ্ক
মেডুলা ঘ পনস
৮৩. মানুষের দেহে উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে ভ‚মিকা পালন করে কোনটি? (অনুধাবন)
ক মধ্যমস্তিষ্ক ও পনস
খ লঘুমস্তিষ্ক ও সেরিব্রাম
থ্যালামাস ও হাইপোথ্যালামাস
ঘ মেডুলা বা সুষুষ্মাশীর্ষক
৮৪. মানুষের মস্তিষ্কের সেরিব্রাম অংশের অপসারণ করলে নিচের কোনটি ঘটবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক দেহে উষ্ণতা বজায় থাকবে না
স্মৃতি ও চিন্তা চেতনার বিঘœ ঘটবে
গ অনুভ‚তির উপলব্ধিতে ব্যাঘাত ঘটবে
ঘ চলাফেরায় বিঘœ ঘটবে
৮৫. ঘ্রাণ অনুভূতির কেন্দ্র কোনটি? (অনুধাবন)
গুরুমস্তিষ্ক খ মধ্যমস্তিষ্ক
গ লঘুমস্তিষ্ক ঘ পনস
৮৬. পনস্-এর নিম্নভাগ থেকে মেরুরজ্জুর উপরিভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত কোনটি? (জ্ঞান)
ক সেরিবেলাম খ হাইপোথ্যালামাস
গ থ্যালামাস মেডুলা
৮৭. গুরুমস্তিষ্কের অন্তঃস্তরে কী থাকে? (জ্ঞান)
ক স্নায়ুকোষ স্নায়ুতন্তু গ কোষ ঘ ধূসর পদার্থ
৮৮. মানব মস্তিষ্ককে মেরুরজ্জুর সাথে যুক্ত করছে কোনটি? (অনুধাবন)
ক পনস মেডুলা গ থ্যালামাস ঘ সেরিবেলাম
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৯. লঘু মস্তিষ্কের কাজÑ [খুলনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. দেহের ভারসাম্য রক্ষা করা
রর. চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা
ররর. চিন্তা করা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯০. সেরিব্রামের অংশ হলোÑ (অনুধাবন)
র. থ্যালামাস
রর. পনস
ররর. হাইপোথ্যালামাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক রর খ ররর গ র ও রর র ও ররর
৯১. মস্তিষ্কের বাইরের দিকে থাকেÑ (অনুধাবন)
র. হোয়াইট ম্যাটার রর. গ্রে ম্যাটার
ররর. স্নায়ুকোষ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ র ও ররর রর ও ররর
৯২. গুরুমস্তিষ্কের অন্তঃস্তরে থাকেÑ (অনুধাবন)
র. স্নায়ুতন্তু রর. ধূসর পদার্থ
ররর. শ্বেত পদার্থ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও রর র ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চিত্রটি দেখ এবং ৯৩ ও ৯৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৯৩. চিত্রের অ চিিহ্নত অংশের নাম কী? (অনুধাবন)
ক লঘুমস্তিষ্ক মধ্যমস্তিষ্ক
গ মেডুলা ঘ সেরিবেলাম
৯৪. ঈ চিিহ্নত অংশেরÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মস্তিষ্কের প্রধান অংশ
রর. পেশি চালনার ক্রিয়াকেন্দ্র
ররর. ডান ও বাম খণ্ডে বিভক্ত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
পাঠ ৮-১০ : মেরুরজ্জু
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৫. নিচের কোনটি প্রতিবর্ত চক্রের সাথে সম্পর্কিত?
[গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, খুলনা]
অনুভ‚তি খ খাদ্য গ্রহণ
গ রেচন ঘ জনন
৯৬. স্নায়ুর ভেতর দিয়ে যে সংবাদ বা অনুভূতি প্রবাহিত হয়, তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক প্রতিবর্ত ক্রিয়া স্নায়ুতাড়না
গ সাড়া ঘ স্নায়ুউদ্দীপনা
৯৭. স্নায়ুতাড়নার তাৎক্ষণিক কার্যকারিতার ফলে কোনটি ঘটে? (জ্ঞান)
ক দর্শনানুভ‚তি খ শ্রবণানুভ‚তি
প্রতিবর্ত ক্রিয়া ঘ ক্রোধ, লজ্জা
৯৮. চোখে প্রখর আলো পড়লে তাৎক্ষণিক চোখের পাতা বন্ধ হয় কী কারণে? (জ্ঞান)
ক স্নায়ুকোষ দ্বারা খ মস্তিষ্কের দ্বারা
প্রতিবর্ত ক্রিয়ার কারণে ঘ স্নায়ু তাড়নার কারণে
৯৯. আগুনের সংস্পর্শে আসামাত্রই মানুষ হাত সরিয়ে নেয় কেন? (প্রয়োগ)
প্রতিবর্ত ক্রিয়ার কারণে খ পরাবর্ত ক্রিয়ার কারণে
গ আজ্ঞাবাহী স্নায়ুর কারণে ঘ প্রতিক্রিয়া বলের কারণে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০০. প্রতিবর্ত ক্রিয়ার প্রতিবর্ত কেন্দ্র ও উপাদানÑ (অনুধাবন)
র. স্নায়ু
রর. সুষম্নাকাণ্ড
ররর. গুরুমস্তিষ্ক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১০১ ও ১০২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
তোমার হাতে একটি মশা বসল। তুমি তা টের পেলে প্রতিবর্ত ক্রিয়ার কারণে এবং তাৎক্ষণিক তোমার হাত মশাটির কামড়ানোর স্থানে আঘাত করল।
১০১. তুমি মশাটির কামড় অনুভব করলে কেন? (প্রয়োগ)
ক স্নায়ুর স্থিতিশীলতার জন্য
স্নায়ুর উদ্দীপনার জন্য
গ অদৃশ্যশক্তির কারণে
ঘ ব্যথার জন্য
১০২. উদ্দীপকের বর্ণনা অনুযায়ী মশাটি কী? (অনুধাবন)
ক গ্রাহক উদ্দীপক
গ আজ্ঞাবাহক ঘ স্থিতিস্থাপক
পাঠ ১১ ও ১২ : রেচনতন্ত্র
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৩. দেহের বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে কী বলে?
[সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক শোষণ খ পরিশোষণ গ শ্বসন রেচন
১০৪. কোনটির মাধ্যমে দূষিত পদার্থ নিষ্কাশিত হয়? [শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ]
বৃক্ক খ পাকস্থলী গ মলাশয় ঘ হৃৎপিণ্ড
১০৫. মূত্রের মাধ্যমে শতকরা কতভাগ নাইট্রোজেন জাতীয় বর্জ্য পদার্থ পরিত্যক্ত হয়? [রংপুর জিলা স্কুল]
ক ৬০% খ ৭০% ৮০% ঘ ৯০%
১০৬. রেচন অঙ্গ কয়টি? (জ্ঞান)
ক ২টি ৩টি গ ৪টি ঘ ৫টি
১০৭. কার্বন ডাইঅক্সাইড নিষ্কাশিত হয় কোন অঙ্গের মাধ্যমে? (জ্ঞান)
ক বৃক্ক ফুসফুস
গ চর্ম ঘ ত্বক
১০৮. লবণ জাতীয় ক্ষতিকর পদার্থ বের হয় কিসের মাধ্যমে? (জ্ঞান)
ক বৃক্ক খ ফুসফুস
চর্ম ঘ মুখ
১০৯. নিচের কোন উপাদানটি চুনের পানিকে ঘোলা করে? (অনুধাবন)
ক অক্সিজেন খ নাইট্রোজেন
কার্বন ডাইঅক্সাইড ঘ ফসফরাস
১১০. নিচের কোনটি কোষ থেকে ঈঙ২ বহন করে ফুসফুসে নিয়ে যায়? (অনুধাবন)
রক্ত খ লসিকা গ বৃক্ক ঘ ধমনি
১১১. নিঃশ্বাসের বায়ুতে নিচের কোনটি থাকে না? (অনুধাবন)
ক ঈঙ২ খ জলীয়বাষ্প
নাইট্রোজেন ঘ হাইড্রোজেন
১১২. মানবদেহে বৃক্কের সংখ্যা কয়টি? (জ্ঞান)
২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
১১৩. ইউরিয়া, ইউরিক এসিড ও অ্যামোনিয়া তৈরি হয় নিচের কোনটি থেকে? (অনুধাবন)
ক সালফিউরিক এসিড অ্যামাইনো অ্যাসিড
গ হাইড্রোক্লোরিক এসিড ঘ টারটারিক এসিড
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৪. দেহে বিপাকের ফলে উৎপন্ন হয়Ñ [বরিশাল জিলা স্কুল]
র. পানি, কার্বন ডাইঅক্সাইড
রর. ইউরিয়া, নাইট্রোজেন
ররর. কার্বন ডাইঅক্সাইড, ইউরিয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৫. রেচন অঙ্গÑ (অনুধাবন)
র. বৃক্ক, ত্বক
রর. ফুসফুস
ররর. নাসিকা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৬. যকৃৎ আমাদের দেহ থেকে বের করে দেয়Ñ (অনুধাবন)
র. নাইট্রোজেনযুক্ত রেচন পদার্থ
রর. অ্যামোনিয়া ও ইউরিক এসিড
ররর. কার্বনযুক্ত রেচন পদার্থ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর র ও রর ঘ রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১৭ ও ১১৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শাকিল একটি লম্বা দৌড় দিল। দৌড় শেষে সে দাঁড়িয়ে হাঁপাতে লাগলো। সে বড় বড় নিঃশ্বাস নিতে লাগলো ও একই সাথে ঘামতে লাগল।
[শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমি]
১১৭. শ্বাসের সাথে শাকিলের দেহ থেকে কোন বর্জ্য পদার্থ পরিত্যক্ত হচ্ছিল?
কার্বন ডাইঅক্সাইড খ অ্যামোনিয়া
গ ইউরিয়া ঘ ইউরিক এসিড
১১৮. শাকিলের নিঃশ্বাসের বায়ুতে আছেÑ
র. জলীয় বাষ্প
রর. অ্যামোনিয়া
ররর. কার্বন ডাইঅক্সাইড
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন -১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. হরমোন কী?
খ. উদ্ভিদে অক্সিনের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর।
গ. মানুষের গুরুমস্তিষ্কে উপরের কোষটির অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
ঘ.মানবদেহে উদ্দীপনা পরিবহনে উপরের কোষের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. হরমোন হলো রাসায়নিক সমন্বক যা জীবদেহের বৃদ্ধি, বংশবিস্তার ইত্যাদির উপর সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে।
খ. অক্সিন মূলত উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।
শাখাকলমে মূল উৎপাদনে সাহায্য করে।
পাতা ও ফলের অকালে ঝরে পড়া রোধ করে। এছাড়া উদ্ভিদের ফল ও বীজ গঠনে সহায়তা করে।
গ. উপরের চিত্রটি স্নায়ুকোষের যার অবস্থান গুরুমস্তিষ্কের বহিঃস্তরে।
গুরুমস্তিষ্কের বহিঃস্তর মূলত স্নায়ুকোষ নিয়ে গঠিত। এটি ধূসর বর্ণের হওয়ায় একে ধূসর পদার্থ বা গ্রেম্যাটার বলে। ধূসর পদার্থের কয়েকটি স্তরে বিশেষ আকারের স্নায়ুকোষ দেখা যায়। এই স্নায়ুকোষগুলো গুরুমস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে গুচ্ছ বেঁধে স্নায়ুকেন্দ্র সৃষ্টি করে।
স্নায়ুকোষ বা নিউরন হলো স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যকরী একক। আর মস্তিষ্ক হলো সমগ্র স্নায়ুতন্ত্রের চালক। মানুষের মস্তিষ্ক করোটির মধ্যে সুরক্ষিত থাকে। এর প্রধান অংশই হলো গুরুমস্তিষ্ক। কাজেই মানুষের গুরুমস্তিষ্কে উপরের কোষ অর্থাৎ স্নায়ুকোষের অবস্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্রটি হলো নিউরন বা স্নায়ুকোষের। যা মানবদেহে উদ্দীপনা পরিবহনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রতিটি নিউরনের অ্যাক্সন কোষদেহ থেকে স্নায়ুস্পন্দন অপর কোনো স্নায়ুকোষে বা আজ্ঞাবাহী অঙ্গে বহন করে। কোষদেহের চারদিক থেকে উৎপন্ন ছোট ছোট ডেনড্রন পূর্ববর্তী নিউরন থেকে স্নায়ুতাড়না গ্রহণ করে এবং তা কোষদেহে বহন করে। একটি স্নায়ুকোষের অ্যাক্সন অন্য একটি স্নায়ুকোষের ডেনড্রনের সাথে মিলিত হওয়ার স্থানকে সিন্যাপস বলে। সিন্যাপস স্নায়ুতাড়নাকে এক নিউরন থেকে অপর একটি নিউরনে প্রবাহিত করে।
এভাবে নিউরন উদ্দীপনা বহন করার মাধ্যমে প্রাণী দেহের ভেতরে ও বাইরের পরিবেশের সাথে সংযোগ রক্ষা করে এবং প্রাণিদেহের বিভিন্ন অংশের মধ্যে কাজের সমন্বয় সাধন করে।
প্রশ্ন -২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
অপু খুব মনোযোগ দিয়ে স্নায়ুতন্ত্রের গঠনের একক আঁকছিল। এমন সময় পেছন থেকে তার বোন কান্তা পিঠে খোঁচা দিল। অপু পিছনে না তাকিয়েই তৎক্ষণাৎ কান্তার হাত ধরে লেল। অপু তখন কান্তাকে বলল যে, তার হাত ধরতে পারার সাথে তার অঙ্কনের বিষয়ের সম্পর্ক রয়েছে।
ক. মানবদেহের প্রধান রেচন অঙ্গ কী?
খ. ট্রফিক চলন বলতে কী বোঝায়?
গ. অপু যা আঁকছিল তার গঠন বর্ণনা কর।
ঘ.কান্তার হাত ধরতে পারার সাথে অপুর দেহের স্নায়ুবিক প্রক্রিয়াটি কীভাবে জড়িত বিশ্লেষণ কর।
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মানবদেহের প্রধান রেচন অঙ্গ বৃক্ক।
খ. উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথের দিকে হয় তখন তাকে ট্রফিক চলন বলে।
উদ্ভিদও অন্যান্য জীবের মতো অনুভূতি ক্ষমতাসম্পন্ন। এজন্য অভ্যন্তরীণ বা বহিঃউদ্দীপক উদ্ভিদ দেহে যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে তার ফলে উদ্ভিদে চলন ও বৃদ্ধি সংঘটিত হয়।
গ. অপু যা আঁকছিল তা হলো স্নায়ুতন্ত্রের গঠনের একক নিউরন বা স্নায়ুকোষের চিত্র। নিম্নে স্নায়ুকোষের গঠন বর্ণনা করা হলো :
নিউরন দুটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত। যথা : (ক) কোষদেহ ও (খ) প্রলম্বিত অংশ।
কোষদেহ : কোষদেহ নিউরনের প্রধান অংশ। যা কোষ আবরণী, সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস নিয়ে গঠিত। এ কোষে সেন্ট্রিওল থাকে না।
প্রলম্বিত অংশ : কোষদেহ থেকে উৎপন্ন শাখা-প্রশাখাকে প্রলম্বিত অংশ বলে। এগুলো দুই প্রকারের। যথা : অ্যাক্সন এবং ডেনড্রন।
অ্যাক্সন : এটি কোষদেহ থেকে উৎপন্ন লম্বা সুতার মতো অংশ এর যে প্রান্তে কোষদেহ থাকে তার বিপরীত প্রান্ত থেকে শাখা বের হয়। সাধারণত একটি নিউরনে একটিই অ্যাক্সন থাকে।
ডেনড্রন : এটি কোষদেহের চারদিক থেকে উৎপন্ন শাখা-প্রশাখা এরা বেশি লম্বা হয় না। এদের শাখাগুলোকে ডেনড্রাইট বলে।
ঘ. কান্তার হাত ধরতে পারার সাথে অপুর দেহের স্নায়ুবিক প্রক্রিয়াটি প্রতিবর্ত ক্রিয়ার মাধ্যমে জড়িত।
প্রতিবর্ত ক্রিয়া ঘটে স্নায়ুতাড়নার তাৎক্ষণিক কার্যকারিতার ফলে। অপুর ক্ষেত্রে প্রতিবর্ত ক্রিয়াটি ঘটেছে নিম্নলিখিতভাবেÑ
(র) অপুর পিঠের চামড়ায় অবস্থিত অনুভ‚তিবাহী স্নায়ুতন্তু খোঁচা দেওয়ার অনুভূতি গ্রহণ করে।
(রর) এই অনুভ‚তি স্নায়ুতন্তুর মাধ্যমে মেরুরজ্জুতে পৌঁছায়।
(ররর) এই তাড়না অনুভূতিবাহী স্নায়ুকোষ থেকে আজ্ঞাবাহী স্নায়ুতে প্রবাহিত হয়।
(রা) স্নায়ুতাড়না আজ্ঞাবাহী কোষে পৌঁছামাত্র পেশিতে প্রেরণ করে।
(া) হাতের পেশি সংকুচিত হয় এবং পেছনে না তাকিয়ে অপু তৎক্ষণাৎ কান্তার হাত ধরে ফেলে।
দেখা যাচ্ছে যে, প্রতিবর্ত ক্রিয়ার ফলে কান্তা অপুর পিঠে খোঁচা দেওয়ায় সে পেছনে না তাকিয়েই তৎক্ষণাৎ কান্তার হাত ধরে ফেলল।
প্রশ্ন -৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
চিত্র : ঢ়
ক. নিউরন কী? ১
খ. মেরুরজ্জুর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর। ২
গ. চিত্র-চ এর চিহ্নিত গঠন সম্পন্ন কর। ৩
ঘ.মানবদেহে চিত্রটির কার্যক্রম বন্ধ থাকলে কী ঘটত?Ñ উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ল্ফল্প ৩নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. নিউরন হলো স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যকরী একক।
খ. মেরুরজ্জুর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর ভেতরের পদার্থগুলো মস্তিষ্কের ভেতরের পদার্থের উল্টোভাবে সাজানো।
মস্তিষ্কের ভেতরের স্তরে থাকে শ্বেত পদার্থ এবং বাইরে থাকে ধূসর পদার্থ। কিন্তু মেরুরজ্জুর ধূসর পদার্থ থাকে ভেতরে এবং শ্বেত পদার্থ থাকে বাইরে, অর্থাৎ মস্তিষ্কের উল্টো।
গ. চিত্র : চ তে স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপনা বহনের প্রবাহ চিত্র দেখানো হয়েছে। এর চিহ্নিত গঠন নিম্নরূপ :
চিত্র : স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপনা বহনের প্রবাহ চিত্র
ঘ. চিত্রটির কার্যক্রম হলো স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপনা পরিবহন। এ কার্যক্রম বন্ধ থাকলে পরিবেশের বিভিন্ন উদ্দীপনায় সাড়া দেওয়া সম্ভব হবে না। প্রাণীদেহের যে তন্ত্র দেহের বিভিন্ন অঙ্গের সংযোগ রক্ষা করে, বিভিন্ন জৈবিক কার্যাবলির সমন্বয় সাধন করে এবং উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে উপযুক্ত প্রতিবেদন সৃষ্টি করার মাধ্যমে পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে তাকে স্নায়ুতন্ত্র বলে। অর্থাৎ দেহের বিভিন্ন অংশের উদ্দীপনা বহন করা, দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমন্বয় সাধন করা ও পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রাখাই স্নায়ুতন্ত্রের কাজ। আর এইসব কাজ করার জন্য জীবদেহে দ্রæত যোগাযোগ রক্ষা করা প্রয়োজন যা সম্পন্ন হয় স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপনা বহনের মাধ্যমে। মানবদেহে উদ্দীপনা বহনের এই কার্যক্রম বন্ধ থাকলে যা ঘটত তা হলো-
১। উদ্দীপনা বাহিত হতো না।
২। মানব দেহের ভেতরের ও বাইরের পরিবেশের সাথে সংযোগ রক্ষিত হতো না।
৩। মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের মধ্যে সমন্বয় থাকত না।
৪। মস্তিষ্ক স্মৃতিধারণ করতে পারত না।
৫। চিন্তা করা, বিভিন্ন কাজের নির্দেশ দেওয়া ও পরিচালনা করা সম্ভব হতো না।
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, মানবদেহে চিত্রটির কার্যক্রম বা স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপনা পরিবহনের কার্যক্রম বন্ধ থাকলে মানবদেহে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা ঘটত।
প্রশ্ন -৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বিথি সুঁচ দিয়ে নিবিষ্ট মনে জামা সেলাই করেছিল। “বেলা গড়িয়ে যাচ্ছে অথচ বাবাকে এখনো খেতে দেয়া হয়নি”। একথা মনে পড়তেই অসতর্কভাবে আঙ্গুলে সুঁচ ফুটে গেল। তাৎক্ষণিকভাবে তার হাতটি অন্যত্র সরে যায়।
ক. স্নায়ুতাড়না কী? ১
খ. হরমোন কীভাবে কাজ করে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. বিথির হাতে সূঁচ ফোটা ও হাত তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেয়ার ঘটনাটির বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ দাও। ৩
ঘ.বিথির সূঁচ ফোটার অনুভ‚তিবাহী টিস্যুটি প্রাণীদেহে অপরিহার্য- মতামত দাও। ৪
ল্ফল্প ৪নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. স্নায়ুর ভেতর দিয়ে যে সংবাদ বা অনুভ‚তি প্রবাহিত হয় তাই স্নায়ুতাড়না।
খ. সাধারণত হরমোন কোষে উৎপন্ন হয়ে উৎপত্তিস্থল থেকে বাহিত হয়ে দূরবর্তী স্থানের কোষের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে।
উদ্ভিদের ভ্রƒণমুকুলাবরণীর অগ্রভাগে অবস্থিত রাসায়নিক পদার্থ একটি বৃদ্ধি সহায়ক হরমোন। উদ্ভিদের হরমোনের মধ্যে আরও রয়েছে অক্সিন, জিব্বেরেলিন, সাইটোকাইনিন ইত্যাদি। এছাড়া জীবের সকল জৈবিক কাজ যেমন : বৃদ্ধি, প্রজনন, বংশবিস্তার, অনুভ‚তি গ্রহণ ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি ইত্যাদিতে হরমোনের গুরুত্ব অপরিসীম।
গ. বিথির হাতে সূঁচ ফোটা ও হাত তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেয়ার ঘটনাটি প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
প্রতিবর্ত ক্রিয়া ঘটে স্নায়ুর তাড়নার তাৎক্ষণিক কার্যকারিতার ফলে যা অজ্ঞাতসারে বা আপনাআপনিই হয়ে থাকে। যে ক্রিয়া অনুভ‚তির উত্তেজনা দ্বারা উৎপন্ন হয়, মস্তিষ্ক দ্বারা চালিত হয় না তাকেই প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে। এটিই ত্বকের যেকোনো উদ্দীপনাজনিত কারণে তাৎক্ষণিকভাবে হাত সরিয়ে নেয়ার ঘটনাটির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
উদ্দীপকেও বিথির হাতের চামড়ায় সূঁচ ফোটামাত্র অনুভ‚তিবাহী স্নায়ুতন্তু সূঁচ ফোটার যন্ত্রণা গ্রহণ করে। এই যন্ত্রণাদায়ক তাড়না অনুভ‚তিবাহী স্নায়ুতন্তুর মাধ্যমে মেরুরজ্জুতে পৌঁছে। ঐ একই তাড়না অনুভ‚তিবাহী স্নায়ুকোষ থেকে আজ্ঞাবাহী স্নায়ুতে প্রবাহিত হয়। স্নায়ুতাড়না আজ্ঞাবাহী কোষে পৌঁছামাত্র পেশিতে প্রেরণ করে। ফলে বিথির পেশি সংকুচিত হয় এবং সে যন্ত্রণার উৎস থেকে হাত সরিয়ে নেয়।
ঘ. বিথির সূঁচ ফোটার অনুভ‚তিবাহী টিস্যুটি হলো স্নায়ুটিস্যু বা স্নায়ুকোষ। এটি প্রাণীদেহের সমস্ত কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য অপরিহার্য।
হাতে সূঁচ ফোটার সঙ্গে সঙ্গে অনুভ‚তিবাহী স্নায়ু উদ্দীপনা গ্রহণ করে। যা অনেকগুলো পরস্পর সংযুক্ত স্নায়ুকোষের মাধ্যমে আজ্ঞাবাহী কোষে প্রবাহিত হয়।
এভাবে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সাথে যোগসূত্র রচনা করা এবং পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রাখার জন্য জীবদেহে দ্রæত যোগাযোগ রক্ষা করা প্রয়োজন। দেহের বিভিন্ন অংশের উদ্দীপনা বহন করা, দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমন্বয় সাধন করা ও পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রাখার কাজটি করে স্নায়ুকোষ। স্নায়ুকোষ দেহের বিভিন্ন অঙ্গের সংযোগ রক্ষা করে, বিভিন্ন জৈবিক কার্যাবলীর সমন্বয় সাধন করে এবং উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে উপযুক্ত প্রতিবেদন সৃষ্টি করার মাধ্যমে পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে।
কাজেই এই কোষ বা টিস্যুটি প্রাণীদেহের জন্য অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, আমার মতামত হলো বিথির সূঁচ ফোটার অনুভ‚তিবাহী টিস্যুটি প্রাণীদেহের জন্য অপরিহার্য।
প্রশ্ন -৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
অ ই
চর্ম বৃক্ক
ক. রেচনতন্ত্র কী? ১
খ. খাটো উদ্ভিদে জিব্বেরেলিন প্রয়োগে কী ঘটে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘অ’ অঙ্গটিতে সুঁচ ফোটামাত্র পেশি সংকুচিত হওয়ার প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.ছকে উল্লিখিত ‘ই’ অঙ্গটির গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪
৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. যে তন্ত্র রেচন কার্যে সাহায্য করে তাই রেচনতন্ত্র।
খ. খাটো উদ্ভিদে জিব্বেরেলিন প্রয়োগে উদ্ভিদটি লম্বা হয়ে যায়।
চারাগাছ, বীজপত্র ও পত্রের বর্ধিষ্ণু অঞ্চলে জিব্বেরেলিন হরমোনটি থাকে। এর প্রভাবে উদ্ভিদে পর্বমধ্যগুলো দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পায়। এজন্য খাটো উদ্ভিদে এ হরমোন প্রয়োগ করলে উদ্ভিদটি অন্যান্য সাধারণ উদ্ভিদ থেকেও অধিক লম্বা হয়।
গ. ‘অ’ অঙ্গটি হলো চর্ম বা ত্বক। এ অঙ্গে সুঁচ ফোটামাত্র পেশি সংকুচিত হওয়ার প্রক্রিয়াটি হলো প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
প্রতিবর্ত ক্রিয়া ঘটে স্নায়ুর তাড়নার তাৎক্ষণিক কার্যকারিতার ফলে। যেমন, হাতে বা পায়ে সুঁচ ফুটলে আমরা তা নিমিষেই সরিয়ে নেই এই প্রতিবর্ত ক্রিয়ার মাধ্যমে। প্রক্রিয়াটি নিচে ব্যাখ্যা করা হলো:
হাতের চামড়ায় সুঁচ ফোটামাত্র অনুভ‚তিবাহী স্নায়ুতন্ত্র সুঁচ ফোটার যন্ত্রণা গ্রহণ করে। এ যন্ত্রণাদায়ক তাড়না অনুভ‚তিবাহী স্নায়ুতন্তুর মাধ্যমে মেরুরজ্জুতে পৌঁছে। ঐ একই তাড়না অনুভ‚তিবাহী স্নায়ুকোষ থেকে আজ্ঞাবাহী স্নায়ুতে প্রবাহিত হয়। স্নায়ুতাড়না আজ্ঞাবাহী কোষে পৌঁছামাত্র পেশিতে প্রেরণ করে। ফলে পেশি সংকুচিত হয় এবং যন্ত্রণার উৎস থেকে হাত সরিয়ে দেয়।
অতএব, উপরিউক্তি প্রক্রিয়ায় ‘অ’ অঙ্গটিতে সুঁচ ফোটামাত্র পেশি সংকুচিত হয়।
ঘ. ছকে উল্লিখিত ‘ই’ অঙ্গটি হলো বৃক্ক। এটি রেচন পদার্থ অপসারণের কেন্দ্রস্থল। তাই এ অঙ্গের গুরুত্ব অপরিসীম।
বৃক্ক ছাঁকনির মতো কাজ করে। যকৃত আমাদের দেহের অতিরিক্ত অ্যামাইনো এসিডকে ভেঙে ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, অ্যামোনিয়া ইত্যাদি নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থ তৈরি করে। এগুলো দেহের জন্য ক্ষতিকর। বৃক্ক রক্ত থেকে এই ক্ষতিকর পদার্থগুলো ছেঁকে নেয়। এই ক্ষতিকর পদার্থসমূহ পানির সাথে মিশে হালকা হলুদ বর্ণের মূত্র তৈরি করে এবং দেহ থেকে নির্গত হয়।
মূত্রের মাধ্যমেই দেহের শতকরা আশি ভাগ নাইট্রোজেনঘটিত বর্জনীয় পদার্থ পরিত্যক্ত হয়। এ সম্পূর্ণ কাজটি সংঘটিত হয় বৃক্কের অভ্যন্তরে। তাই বৃক্ককেই প্রধান রেচন অঙ্গ বলা হয়।
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, ছকে উল্লিখিত ‘ই’ অঙ্গটি অর্থাৎ বৃক্কের গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন -৬ ল্ফ
ক. নিউরণ কী? ১
খ. রেচন বলতে কী বুঝায়? ২
গ. চিত্রের তন্ত্রটি কীভাবে রেচনকার্য সম্পন্ন করে? ৩
ঘ. অ, ই, ঈ ও উ অংশের মধ্যে কোনটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ কারণ উল্লেখপূর্বক বিশ্লেষণ কর। ৪
৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. নিউরন হলো স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যকরী একক।
খ. রেচন বলতে দেহের বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে বোঝায়। বিপাকের ফলে পানি, কার্বন ডাইঅক্সাইড, ইউরিয়া, প্রভৃতি দূষিত পদার্থ দেহে প্রস্তুত হয়। এইসব দূষিত পদার্থ দেহের মধ্যে জমে বিষক্রিয়া দেখা দেয় এবং এর ফলে মৃত্যুও ঘটতে পারে। এ সকল বর্জ্য পদার্থ প্রধানত নিঃশ্বাস বায়ু, ঘাম এবং মূত্রের সাথে দেহের বাইরে চলে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে রেচন বলে।
গ. চিত্রের তন্ত্রটি হলো রেচনতন্ত্র। এর মাধ্যমে দেহের নাইট্রোজেন যুক্ত তরল, দূষিত পদার্থ পরিত্যক্ত হয়।
যে তন্ত্র রেচন কার্যে সাহায্য করে তাকে রেচনতন্ত্র বলে। রেচন তন্ত্র যে অঙ্গের মাধ্যমে রেচন কার্য সম্পন্ন করে তা হলো বৃক্ক। এটি নিম্নরূপে রেচনকার্য সম্পন্ন করে।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫(ঘ) এর অনুরূপ।
ঘ. অ, ই, ঈ ও উ অংশ হলো
অ = বৃক্ক
ই = মূত্রনালি
ঈ = মূত্রথলি
উ = মূত্রপথ
এ অংশগুলোর মধ্যে অ অংশটি অর্থাৎ বৃক্ক অধিক গুরুত্বপূর্ণ। বৃক্ক দেহের প্রধান রেচন অঙ্গ। একে মূত্র তৈরির কারখানা হিসেবে অভিহিত করা হয়।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫(ঘ) এর অনুরূপ।
প্রশ্ন -৭ ল্ফ নিচের ছকটি দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. নিউরন কী? ১
খ. মেরুরজ্জু বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. চিত্রে জ চিিহ্নত অংশের গঠন বর্ণনা কর। ৩
ঘ.জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেক ও পেশি চালনার কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করাই ‘চ’ চিিহ্নত অংশটির কাজÑউক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যকরী একক হলো নিউরন।
খ. মেরুদণ্ডের মধ্যে যে ধূসর ও শ্বেত পদার্থ সংরক্ষিত থাকে তাকে মেরুরজ্জু বলে।
মেরুরজ্জুর ধূসর পদার্থ থাকে ভিতরে এবং শ্বেত পদার্থ থাকে বাইরে। মেরুরজ্জুর শ্বেত পদার্থের ভিতর দিয়ে আজ্ঞাবাহী এবং অনুভ‚তিবাহী স্নায়ুতন্তু যাতায়াত করে।
গ. চিত্রে জ চিিহ্নত অংশটি হলো পশ্চাৎ মস্তিষ্ক। এটি গুরুমস্তিষ্কের নিচে ও পশ্চাতে অবস্থিত। গুরুমস্তিষ্কের চেয়ে এটি আকারে ছোট। এটি তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। এদের গঠন নিচে বর্ণনা করা হলো :
সেরিবেলাম : পনসের বিপরীত দিকে অবস্থিত খণ্ডাংশটি হলো সেরিবেলাম। এটি অনেকটা ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। সেরিবেলাম ডান ও বাম এই দুই অংশে বিভক্ত।
পনস : পনস পশ্চাৎ মস্তিষ্কের সামনে ও নিচে অবস্থিত। এটি গুরুমস্তিষ্ক, লঘুমস্তিষ্ক ও মধ্যমস্তিষ্ককে সুষুষ্মাশীর্ষকের সাথে সংযোজিত করে।
মেডুলা বা সুষুষ্মাশীর্ষক : এটি মস্তিষ্কের নিচের অংশ। যা পনসের নিম্নভাগ থেকে মেরুরজ্জুর উপরিভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি মস্তিষ্ককে মেরুরজ্জুর সাথে সংযোজিত করে।
ঘ. উদ্দীপকের ‘চ’ চিিহ্নত অংশটি গুরুমস্তিষ্ক। এটি জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেক ও পেশি চালনার কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
গুরুমস্তিষ্ক ডান ও বাম খণ্ডে বিভক্ত। এদের ডান ও বাম সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ার বলে। এই দুই খণ্ড ঘনিষ্ঠভাবে স্নায়ুতন্তু দ্বারা সংযুক্ত। এর উপরিভাগে ধূসর পদার্থের কয়েকটি স্তরে বিশেষ আকারের স্নায়ুকোষ দেখা যায়। এই স্নায়ুকোষগুলো গুরুমস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে গুচ্ছ বেঁধে স্নায়ুকেন্দ্র সৃষ্টি করে। ফলে এগুলো বিশেষ বিশেষ কর্মকেন্দ্র হিসেবে দর্শন, শ্রবণ, ঘ্রাণ, চিন্তা চেতনা, স্মৃতি জ্ঞান বৃদ্ধি বিবেক ও পেশি চালনার ক্রিয়াকেন্দ্র গুরু মস্তিষ্কের অবস্থিত।
প্রশ্ন -৮ ল্ফ নিচের চিত্রদ্বয় দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. হরমোন কী? ১
খ. মস্তিষ্কে মেডুলার কাজ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. অ চিত্রের অঙ্গাণুটির গঠন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.মানবদেহের ই চিত্রের তন্ত্রটির গুরুত্ব মূল্যায়ন কর। ৪
৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. হরমোন হলো রাসায়নিক সমন্বক যা জীবদেহের বৃদ্ধি, বংশবিস্তার ইত্যাদির উপর সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে।
খ. মেডুলার কাজ হলো মস্তিষ্ক মেরুরজ্জুর সাথে সংযোজিত করা।
মস্তিষ্কের এ হৃদস্পন্দন, খাদ্য গ্রহণ, শ্বসন ইত্যাদি কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
গ. সৃজনশীল ২(গ) নং উত্তর দেখ।
ঘ. ই চিত্রে রেচনতন্ত্র দেখানো হয়েছে যা প্রাণিদেহের একটি অপরিহার্য অংশ।
রেচনতন্ত্রের বৃক্ককে মূত্র তৈরির কারখানা হিসেবে অভিহিত করা হয়।
সৃজনশীল ৫ (ঘ) নং উত্তরের অনুরূপ।
প্রশ্ন -৯ ল্ফ নিচের চিত্রদ্বয় দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. নিউরন কাকে বলে? ১
খ. প্রতিবর্ত চক্র বলতে কী বুঝায়? ২
গ. ‘ঝ’-এর তন্ত্রটির চিিহ্নত চিত্র অঙ্কন কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্রে ‘ঝ’ ও ‘চ’-এর উৎপন্ন বর্জ্যরে বিশ্লেষণ কর। ৪
৯নং প্রশ্নের উত্তর
ক. স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যকরী একককে নিউরন বলে।
খ. প্রতিবর্ত চক্র বলতে তাৎক্ষণিক আত্মরক্ষার জন্য কোনো অঙ্গের তড়িৎ ক্রিয়াকে বোঝায়।
হাতের উপর মশা বসলে স্নায়ুর গ্রাহক প্রান্তের উদ্দীপক হলো মশা, এর উপস্থিতি অনুভব করার সঙ্গে সঙ্গে কোষ প্রান্তে সাড়া জাগে। আমরা মশাটিকে তাড়িয়ে দেই অথবা মেরে ফেলি। এটি ঘটে স্নায়ু তাড়নার তাৎক্ষণিক কার্যকারিতার ফলে।
গ. ‘ঝ’ হলো বৃক্ক এবং এর তন্ত্রটি হলো রেচনতন্ত্র। এর চিিহ্নত চিত্র নিচে অঙ্কিত হলো :
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্রের ‘ঝ’ হলো বৃক্ক আর ‘চ’ হলো ফুসফুস। এরা রেচন অঙ্গ সাহায্যে দেহের বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশিত হয়। ‘ঝ’ এর মাধ্যমে দেহের নাইট্রোজেন যুক্ত তরল, দূষিত পদার্থ পরিত্যক্ত হয়। ‘চ’ এর মাধ্যমে শ্বসন ক্রিয়ার সময় নিঃশ্বাসের বায়ুতে আমাদের দেহকোষের বর্জ্য বের হয়।
‘ঝ’ তথা বৃক্ককে মূত্র তৈরির কারখানা হিসেবে অভিহিত করা হয়। যকৃত আমাদের দেহে নাইট্রোজেন ঘটিত ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ তৈরি করে। ‘ঝ’ রক্ত থেকে ক্ষতিকর পদার্থ ছেঁকে নেয়। সেগুলো পানির সাথে মিশে হালকা হলুদ বর্ণের মূত্র তৈরি করে মূত্রে ইউরিয়া জাতীয় দূষিত পদার্থ থাকে।
‘চ’ বা ফুসফুসের সাহায্যে দেহে বিপাকীয় কার্যাবলির ফলে উৎপন্ন কার্বন ডাইঅক্সাইড বের হয়ে যায়। অল্প পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড দেহের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয়। কিন্তু বেশি পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড বিষাক্ত যা দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। নিঃশ্বাসের বায়ুতে শতকরা ৪ ভাগ কার্বন ডাইঅক্সাইড আছে।
প্রশ্ন -১০ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. লোমক‚প কী? ১
খ. রেচন পদার্থ কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের চিত্রের গঠন বর্ণনা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের চিত্রটি প্রাণীকে পরিবেশের সাথে সমন্বয় ঘটাতে কার্যকর ভ‚মিকা পালন করেÑ তোমার মতামত দাও। ৪
ল্ফল্প ১০নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. লোমক‚প হলো ত্বকের অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র।
খ. রেচন পদার্থ হলো সেই সব পদার্থ যেগুলো দেহের জন্য ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয়।
বিপাকের ফলে পানি, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও ইউরিয়া প্রভৃতি দূষিত পদার্থ দেহে প্রস্তুত হয়। এগুলো নিয়মিত ত্যাগ না করলে স্বাস্থ্যহানি ঘটে। এ সকল বর্জ্য প্রধানত নিঃশ্বাস, বায়ু ও মূত্রের সাথে দেহের বাইরে চলে যায়।
গ. উদ্দীপকের চিত্রটি হলো স্নায়ুতন্ত্রের গঠনের একক নিউরন বা স্নায়ুকোষের চিত্র। নিম্নে নিউরন বা স্নায়ুকোষের গঠন বর্ণনা করা হলো :
নিউরন দুটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত। যথা : (ক) কোষদেহ ও (খ) প্রলম্বিত অংশ।
কোষদেহ : কোষদেহ নিউরনের প্রধান অংশ। যা কোষ আবরণী, সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস নিয়ে গঠিত। এ কোষে সেন্ট্রিওল থাকে না।
প্রলম্বিত অংশ : কোষদেহ থেকে উৎপন্ন শাখা-প্রশাখাকে প্রলম্বিত অংশ বলে। এগুলো দুই প্রকারের। যথা : অ্যাক্সন এবং ডেনড্রন।
অ্যাক্সন : এটি কোষদেহ থেকে উৎপন্ন লম্বা সুতার মতো অংশ এর যে প্রান্তে কোষদেহ থাকে তার বিপরীত প্রান্ত থেকে শাখা বের হয়। সাধারণত একটি নিউরনে একটিই অ্যাক্সন থাকে।
ডেনড্রন : এটি কোষদেহের চারদিক থেকে উৎপন্ন শাখা-প্রশাখা এরা বেশি লম্বা হয় না। এদের শাখাগুলোকে ডেনড্রাইট বলে।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্রটি হলো নিউরনের যা স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কাজের একক। এটি প্রাণীকে পরিবেশের সাথে সমন্বয় ঘটাতে কার্যকর ভ‚মিকা রাখে।
বহুকোষী জীবের দেহে টিস্যু, অঙ্গ ও তন্ত্র ইত্যাদির ভিন্ন ভিন্ন গঠন পরিলক্ষিত হয়। বিভিন্ন প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে রয়েছে অগণিত কোষের বিচিত্র কর্মকাণ্ড। এই কর্মকাণ্ডের সাথে যোগসূত্র রচনা করা এবং পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রাখার জন্য জীবদেহে দ্রæত যোগাযোগ রক্ষা করা প্রয়োজন। আনন্দ, দুঃখ, হাসি, কান্না ইত্যাদি কাজগুলো ঘটে বিভিন্ন উদ্দীপকের কার্যকারিতার ফলে। দেহের বিভিন্ন অংশের উদ্দীপনা বহন করা, দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমন্বয় সাধন করা ও পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রাখা স্নায়ুতন্ত্রের কাজ।
উদ্দীপনা বহন, প্রাণীদের ভিতরের ও বাইরের পরিবেশের সাথে সংযোগ রক্ষা, প্রাণিদেহের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে কাজের সমন্বয় সাধন, মস্তিষ্কে স্মৃতি ধারণ, চিন্তা ও বিভিন্ন কাজের নির্দেশ দেওয়া ও পরিচালনার কাজ করে থাকে।
প্রশ্ন -১১ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. প্রজনন কী? ১
খ. অঙ্কুরোদগম বলতে কী বোঝায়? ২
গ. গ-চিত্রের বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত কর। ৩
ঘ.মানবদেহে চিত্রের অ অংশটির গুরুত্ব অপরিসীমÑ ব্যাখ্যা কর। ৪
ল্ফল্প ১১নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. যে প্রক্রিয়ায় জীব তার প্রতিরূপ বা বংশধর সৃষ্টি করে সেটিই প্রজনন।
খ. বীজ থেকে শিশু উদ্ভিদ উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াকে অঙ্কুরোদগম বলে।
কখনো কখনো ভ্রƒণকাণ্ড মাটি ভেদ করে এ প্রক্রিয়ায় উপরে উঠে আসে কিন্তু বীজপত্রটি মাটির ভিতরে থেকে যায়। আবার কখনো বীজপত্রসহ ভ্রƒণমুকুল মাটি ভেদ করে উপরে উঠে আসে।
যথাযথভাবে অঙ্কুরোদগম হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পানি, তাপ ও অক্সিজেন প্রয়োজন হয়।
গ. গ চিত্রটি হলো নিউরণের স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যকরী একক। নিচে এর চিহ্নিত চিত্র অঙ্কিত হলো :
ঘ. চিত্রের অ অংশ স্নায়ুকোষ নিউরনের ডেনড্রাইট দেখানো হয়েছে।
স্নায়ুতন্ত্রের নিউরনের কোষদেহের চারদিক থেকে উৎপন্ন শাখা প্রশাখাগুলোকে ডেনড্রন বলে। এগুলো বেশি লম্বা হয় না। ডেনড্রন থেকে সৃষ্ট শাখাগুলোকে ডেনড্রাইট বলে। এদের দ্বারা স্নায়ু তাড়না নিউরনের দেহের দিকে প্রবাহিত হয়। একটি স্নায়ুকোষের অ্যাক্সন অন্য একটি স্নায়ুকোষের ডেনড্রনের সাথে মিলিত হওয়ার স্থানকে সিন্যাপস বলে। সিন্যাপসের মাধ্যমেই স্নায়ু তাড়না এক কোষ থেকে অন্য স্নায়ুকোষে পরিবাহিত হয়।
উদ্দীপনা বহন করা, প্রাণিদেহের ভিতরের ও বাইরের পরিবেশের সাথে সংযোগ রক্ষা করা প্রাণিদেহের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে কাজের সমন্বয় সাধন করা, চিন্তা ও বিভিন্ন কাজের নির্দেশ দেওয়া নিউরনের কাজ। আর এ কাজ নিউরন করে থাকে যা সিন্যাপসের মাধ্যমে প্রাপ্ত উদ্দীপনা দ্বারা। আবার সিন্যাপস তৈরিতে ড্রেনড্রাইটের উপস্থিতি অবশ্যম্ভাবী হওয়ায় বলা যায়, মানবদেহে চিত্রের অ অংশটি তথা ডেনড্রাইটের গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন -১২ ল্ফ নিচের চিত্র দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. অক্সিন কী? ১
খ. রেচন ও রেচন পদার্থ বলতে কী বুঝ? ২
গ. উদ্দীপকের ‘ক’ চিত্রের গঠন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.মানবদেহে উদ্দীপনা পরিবহনে উপরের কোষের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪
১২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. অক্সিন হলো উদ্ভিদের বৃদ্ধিসহায়ক একটি হরমোন।
খ. রেচন বলতে দেহের বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে বুঝায়। আর রেচন পদার্থ হলো সেইসব পদার্থ যেগুলো রেচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়। এসব পদার্থ দেহের জন্য ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয়।
বিপাকের ফলে পানি, কার্বন ডাইঅক্সাইড, ইউরিয়া প্রভৃতি দূষিত পদার্থ দেহে প্রস্তুত হয়। এসকল বর্জ্য পদার্থ প্রধানত নিঃশ্বাস বায়ু, ঘাম এবং মূত্রের সাথে দেহের বাইরে চলে যায়। এসবই রেচন পদার্থ আর এগুলো দেহ থেকে বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে বলা হয় রেচন।
গ. সৃজনশীল ২(গ) নং উত্তর দেখ।
ঘ. সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ (ঘ) নং উত্তরের অনুরূপ।
প্রশ্ন -১৩ ল্ফ নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. রেচনতন্ত্র কাকে বলে? ১
খ. ৩টি রেচন অঙ্গের নাম লেখ। ২
গ. প্রদর্শিত চিত্রটি অঙ্কন করে চিিহ্নত কর। ৩
ঘ.প্রদর্শিত অঙ্গটি প্রাণিদেহের একটি অপরিহার্য অংশ। উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
১৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. যে তন্ত্রের মাধ্যমে রেচনকার্য সম্পন্ন হয় তাকে রেচনতন্ত্র বলে।
খ. তিনটি রেচন অঙ্গের নাম হলো : ফুসফুস, বৃক্ক ও মূত্রথলি।
গ. সৃজনশীল ৯(গ) নং উত্তর দেখ।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্রে রেচনতন্ত্র দেখানো হয়েছে যা প্রাণিদেহের একটি অপরিহার্য অংশ।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ (ঘ)নং উত্তরের অনুরূপ।
প্রশ্ন -১৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
হাসান ইউরোপের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্নায়ুতন্ত্রের কোষ বিষয়ের ওপর গবেষণা করছেন। এজন্য তিনি একটি বিশেষ কোষ নিয়ে গবেষণা করে জানতে পেরেছেন, অনুভ‚তি বহনে এর দুটি উল্লেখযোগ্য অংশ মূল ভ‚মিকা পালন করে। অংশ দুটির একটি দেখতে সুতার মতো ও লম্বা। অপর অংশটি শাখা-প্রশাখাযুক্ত। এ শাখা-প্রশাখাগুলো বেশি লম্বা নয়।
[ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. মেরুরজ্জু কোথায় সংরক্ষিত থাকে? ১
খ. স্নায়ু তাড়না কীভাবে প্রবাহিত হয়? ২
গ. হাসান গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞাত অংশ দুটির মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ কর। ৩
ঘ.মানবদেহে উল্লিখিত কোষটি না থাকলে কী ঘটত? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. মেরুরজ্জু মেরুদণ্ডের মধ্যে সংরক্ষিত থাকে।
খ. যে কোনো ধরনের স্নায়ু তাড়না অনুভ‚তিবাহী স্নায়ুতন্তুর মাধ্যমে মেরুরজ্জুতে পৌঁছে। ঐ একই তাড়না অনুভ‚তিবাহী স্নায়ুকোষ থেকে আজ্ঞাবাহী স্নায়ুতে প্রবাহিত হয়। স্নায়ুতাড়না আজ্ঞাবাহী কোষে পৌঁছামাত্র সংবেদন স্থানে প্রেরিত হয়। এভাবে স্নায়ুতাড়না প্রবাহিত হয়।
গ. হাসানের গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞাত অংশ দুইটি হলো কোষদেহ ও অ্যাক্সন।
কোষদেহ নিউরনের প্রধান অংশ। এটি গোলাকার, ডিম্বাকার বা নক্ষত্রাকার হতে পারে। কোষদেহ কোষ আবরণী, সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস দ্বারা গঠিত। এই কোষে সেন্ট্রিওল থাকে না।
কোষদেহ থেকে উৎপন্ন লম্বা সুতার মতো অংশকে অ্যাক্সন বলে। অ্যাক্সনের যে প্রান্তে দেহকোষ থাকে তার বিপরীত প্রান্ত থেকে লম্বা সুতার মতো শাখা বের হয়। একটি নিউরনের একটি মাত্র অ্যাক্সন।
ঘ. উল্লিখিত কোষটি হলো স্নায়ুকোষ বা নিউরন যা মানবদেহে না থাকলে মানুষের পক্ষে পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করা সম্ভব হতো না।
স্নায়ুকোষ বা নিউরন উদ্দীপনা গ্রহণ করে উপযুক্ত প্রতিবেদন সৃষ্টি করে এবং তা বাস্তবায়ন করে। স্নায়ুকোষ স্মৃতি সংরক্ষণ করে মানুষের দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।
স্নায়ুকোষ না থাকলে প্রাণীর জনন, চলন, শ্বসন, খাদ্যগ্রহণ, প্রতিরক্ষা প্রভৃতি কাজ ঘটতো না, উদ্দীপনা পরিবাহিত হতো না, স্মৃতি সংরক্ষণের কাজ হতো না। ফলে প্রাণী নানা ধরনের জৈবিক সমস্যায় ভুগতো এবং পরিণামে প্রাণিকুল ধ্বংস হয়ে যেতো।
প্রশ্ন-১৫ ল্ফ নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. রেচনতন্ত্র কী? ১
খ. মূত্রের তিনটি উপাদানের নাম লেখ। ২
গ. উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটি বর্ণনা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের প্রক্রিয়ার সাহায্যে প্রতিবর্ত ক্রিয়া চিিহ্নত চিত্রসহ বর্ণনা কর। ৪
১৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. যে তন্ত্র রেচন কার্যে সাহায্য করে তাই রেচনতন্ত্র।
খ. মূত্রের তিনটি উপাদানের নাম হলোÑ ইউরিয়া, ইউরিক এসিড ও অ্যামোনিয়া।
গ. উদ্দীপকে উদ্দীপনা বহনের প্রক্রিয়া দেখানো হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাণীদেহের বিভিন্ন কাজের মধ্যে সমন্বয় বজায় থাকে।
উদ্দীপনা বহনের কাজটি করে থাকে স্নায়ুকোষ বা নিউরন সিনড্রাইট নিউরনের কোষদেহের চারদিক থেকে উৎপন্ন শাখা প্রশাখাগুলোকে ডেনড্রন বলে। ডেনড্রেন থেকে সৃষ্ট শাখাগুলোকে ডেনড্রাইট বলে। ডেনড্রাইট দ্বারা স্নায়ুতাড়না নিউরনের দেহের দিকে পরিবাহিত হয়। একটি স্নায়ুকোষের অ্যাক্সন অন্য একটি স্নায়ুকোষের ডেনড্রনের সাথে মিলিত হওয়ার স্থানকে সিন্যাপস বলে। সিন্যাপসের মাধ্যমেই স্নায়ুতাড়না এক স্নায়ুকোষ থেকে অন্য স্নায়ুকোষে পরিবাহিত হয়।
এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্দীপনা বহন করা, প্রাণিদেহের ভিতরের ও বাইরের পরিবেশের সাথে সংযোগ রক্ষা, প্রাণিদেহের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে কাজের সমন্বয় সাধন, মস্তিষ্কে স্মৃতিধারণ, চিন্তা ও বিভিন্ন কাজের নির্দেশ দেওয়া ও পরিচালনা প্রকৃতি কাজ সম্পন্ন হয়।
ঘ. উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটি হলো স্নায়ুর উদ্দীপনা বহনের প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ার সাহায্যে প্রতিবর্ত ক্রিয়া বর্ণনা করা যায়।
তাৎক্ষণিক আত্মরক্ষার জন্য কোনো অঙ্গের তড়িৎক্রিয়ার নাম প্রতিবর্ত ক্রিয়া। যেমন : আগুনে হাত লাগা বা পিনে হাত ফোটা মাত্র টেনে নেওয়া, চোখে প্রখর আলো পড়ামাত্র চোখের পাতা বন্ধ হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ প্রতিবর্ত ক্রিয়া ঘটে স্নায়ুর তাড়নার তাৎক্ষণিক কার্যকারিতার ফলে। এ চক্রের পাঁচটি অংশ থাকে। যথা : ১. গ্রাহক অঙ্গ, ২. অনুভ‚তিবাহী স্নায়ু, ৩. প্রতিবর্ত কেন্দ্র, ৪. আজ্ঞাবাহী স্নায়ু এবং ৫. সাড়া প্রদানকারী অঙ্গ।
ত্বকে যে কোনো তাড়না সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু অনুভ‚তিবাহী স্নায়ু উদ্দীপনা গ্রহণ করে। এ উদ্দীপনা অনেকগুলো পরস্পর সংযুক্ত স্নায়ুকোষের মাধ্যমে অনেকগুলো আজ্ঞাবাহী কোষে প্রবাহিত হয়। এসব আজ্ঞাবাহী স্নায়ু পেশিতে উদ্দীপনা বহন করে হাত সরিয়ে আনে। অনুভ‚তি মস্তিষ্কেও পৌঁছায়। ফলে কী ঘটছে শরীর তা জানতে পারে।
দেখা যাচ্ছে যে, প্রতিবর্ত ক্রিয়া একটি সমন্বিত কার্যক্রম। প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় যে অংশগুলো কাজ করে এদের যে কোনো একটির অভাবে কাজটি সঠিকভাবে হতে পারে না।
অতএব, উদ্দীপকের প্রক্রিয়ার সাহায্যেই প্রতিবর্ত ক্রিয়া পরিচালিত হয়।
প্রশ্ন -১৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
৮ম শ্রেণির ছাত্র রুশনারা আমীনের বাম হাতে একটি মশা কামড় দেওয়ার সাথে সাথে ডান হাত দিয়ে মশাটি মেরে ফেলল। কামড় দিলে আমরা কেমন করে দ্রæত তাতে সাড়া দেই এ বিষয়ে বিজ্ঞান শিক্ষক ক্লাসে আলোচনা করছিলেন যে, এটি একটি বিশেষ ধরনের চক্র বা ক্রিয়া।
ক. স্নায়ুর তাড়না কী? ১
খ. প্রতিবর্ত ক্রিয়ার অংশগুলো কী কী? ২
গ. বিজ্ঞান শিক্ষক যে চক্রের কথা বলেছেন তার একটি চিিহ্নত চিত্র অংকন কর। ৩
ঘ.মশার কামড়ের প্রতি রুশনারা আমীনের সাড়া দেয়ার প্রতিক্রিয়াটির বিস্তারিত ব্যাখ্যা কর। ৪
১৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. স্নায়ুর ভিতর দিয়ে যে সংবাদ বা অনুভ‚তি প্রবাহিত হয় তাকে স্নায়ু তাড়না বলে।
খ. প্রতিবর্ত ক্রিয়ার পাঁচটি অংশ থাকে। যথা : ১. গ্রাহক অঙ্গ, ২. অনুভ‚তিবাহী স্নায়ু, ৩. প্রতিবর্ত কেন্দ্র, ৪. আজ্ঞাবাহী স্নায়ু এবং ৫. সাড়া প্রদানকারী অঙ্গ।
গ. বিজ্ঞান শিক্ষক যে চক্রের কথা বলেছেন তা হলো প্রতিবর্ত চক্র। নিচে এর চিিহ্নত চিত্র অঙ্কন করা হলো :
ঘ. মশার কামড়ের প্রতি রুশনারা আমীনের সাড়া দেয়ার প্রতিক্রিয়াটি ছিল প্রতিবর্ত ক্রিয়ার কারণে।
তাৎক্ষণিক আত্মরক্ষার জন্য কোনো অঙ্গের তড়িৎ ক্রিয়ার নাম প্রতিবর্ত ক্রিয়া। হাতে মশা কামড় দেওয়ার সাথে সাথে অনুভ‚তিবাহী স্নায়ুতন্তু যন্ত্রণা গ্রহণ করে। এই যন্ত্রণাদায়ক তাড়না অনুভ‚তিবাহী স্নায়ুতন্তুর মাধ্যমে মেরুরজ্জুতে পৌঁছে। ঐ একই তাড়না অনুভ‚তিবাহী স্নায়ুকোষ থেকে আজ্ঞাবাহী স্নায়ুতে প্রবাহিত হয়। স্নায়ুতাড়না আজ্ঞাবাহী কোষে পৌঁছামাত্র পেশিতে প্রেরণ করে। ফলে পেশি সংকুচিত হয়। এর ফলে যন্ত্রণার উৎসের দিকে অন্য হাতটি এগিয়ে যায় এবং মশাকে আঘাত করে। এ ক্রিয়ার কারণেই রুশনারা আমীন হাতে বসে থাকা মশা মেরে ফেলল।
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায় রুশনারা হাতে মশার কামড় অনুভব করেছে স্নায়ুর উদ্দীপনার জন্য। স্নায়ুর ক্রিয়া যা উদ্দীপনায় সাড়া দেওয়াও তাই। এটিই প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্ন-১৭ ল্ফ
ক. ডেনড্রাইট কাকে বলে? ১
খ. স্নায়ুকোষের বৈশিষ্ট্য কী? ২
গ. দেহকোষ ও ই কোষের মধ্যে কী কী সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য দেখা যায়? ৩
ঘ. মানবদেহে অ গঠনে ই এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর। ৪
প্রশ্ন-১৮ ল্ফ তামিমদের আমগাছে এবার তেমন ফুল আসেনি, যা এসেছিল তাও ঝরে গেছে। শুনে তার কৃষিবিদ চাচা বললেন, গাছটিতে কিছু হরমোনের অভাব রয়েছে এবং আরও বললেন, শুধু ফুল ধারণ নয় উদ্ভিদের বিভিন্ন শারীরতাত্ত¡ীয় কাজে হরমোন সমন্বয় সাধন করে।
ক. দিকমুখিতা কী? ১
খ. অক্সিনের চারটি বৈশিষ্ট্য লেখ। ২
গ. তামিমদের আমগাছে এরূপ অবস্থা হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. চাচার বক্তব্যের শেষ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন-১৯ ল্ফ মানবদেহে কয়েকটি অঙ্গ সম্মিলিতভাবে তন্ত্র গঠন করে বিশেষ একটি তন্ত্র দেহের বিভিন্ন অংশের উদ্দীপনা বহন করে ও দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমন্বয় সাধন করে। এ তন্ত্রের প্রধান অংশ হলো মানব মস্তিষ্ক।
ক. নেফ্রন কী? ১
খ. গুরু মস্তিষ্কের কাজ কী? ২
গ. উদ্দীপকের বিশেষ তন্ত্রটি যে কোষ দিয়ে গঠিত তার গঠন বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উল্লিখিত তন্ত্রের প্রধান অংশটির গঠন বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন-২০ ল্ফ যে তন্ত্র দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে কাজের সমন্বয় সাধন করে এবং দেহের উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে তাকে স্নায়ুতন্ত্র বলে। উন্নত মস্তিষ্কের অধিকারী হয়ে মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব।
ক. স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যকরী এককের নাম কী? ১
খ. থ্যালামাস ও হাইপোথ্যালামাসের কাজ লেখ। ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত তন্ত্রের একটি কোষের সচিত্র বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. ‘মস্তিষ্ক অসংখ্য স্নায়ুকোষের দ্বারা তৈরি’ উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ৪
¤ সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন //
প্রশ্ন \ ১ \ হরমোনের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।
উত্তর : বহুকোষী প্রাণীদের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমন্বয় সাধক হিসেবে স্নায়ুতন্ত্র ও বিবিধ হরমোন কাজ করে। বহুকোষী উদ্ভিদদেহে স্নায়ুতন্ত্র অনুপস্থিত থাকায় হরমোনই একমাত্র সমন্বয় সাধক হিসেবে কাজ করে। জীবের বৃদ্ধি, প্রজনন, বংশবিস্তার, অনুভ‚তি গ্রহণ ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য আছে। এ কাজগুলো করার জন্য হরমোনের গুরুত্ব অপরিসীম। হরমোন বহুকোষী জীবদেহের বিভিন্ন অংশের কার্যের সমন্বয় সাধনের ভ‚মিকা গ্রহণ করায় হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বয়কও বলে। জীবের জীবন চক্রের প্রতিটি ধাপে হরমোনের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকে বলে হরমোনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
প্রশ্ন \ ২ \ অক্সিন ও জিব্বেরেলিনের কাজ উলেখ কর।
উত্তর : অক্সিনের কাজÑ (র) আলোর দিকে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটায় (রর) শাখা কলমে মূল গজায় (ররর) অকালে ফলঝরা রোধ করে।
জিব্বেরেলিনের কাজÑ (র) উদ্ভিদের পর্বমধ্যগুলোর দৈর্ঘ্যরে বৃদ্ধি ঘটিয়ে খর্বাকার উদ্ভিদের দৈর্ঘ্যবৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।
(রর) বীজের সুপ্তাবস্থা কাটাতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন \ ৩ \ প্রতিবর্ত ক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : তাৎক্ষণিক আত্মরক্ষার জন্য কোনো অঙ্গের তড়িৎ ক্রিয়ার নাম প্রতিবর্ত ক্রিয়া। এটি ঘটে স্নায়ু তাড়নার তাৎক্ষণিক কার্যকারিতার ফলে। স্নায়ুর ভেতর দিয়ে যে সংবাদ বা অনুভ‚তি প্রবাহিত হয় তাকে স্নায়ু তাড়না বলে। যেমন : হাতের উপর মশা বসলে স্নায়ুর গ্রাহক প্রান্তের উদ্দীপক হলো মশা, এর উপস্থিতি অনুভব করার সঙ্গে সঙ্গে কোষ প্রান্তের সাড়া জাগে। আমরা মশাটিকে তাড়িয়ে দিই অথবা মেরে ফেলি। এ সকল ক্রিয়া যেন অজ্ঞাতসারে আপনা-আপনি হয়ে থাকে। এরূপ যে ক্রিয়া অনুভ‚তির উত্তেজনা দ্বারা উৎপন্ন হয়, মস্তিষ্ক দ্বারা চালিত হয় না তাকেই প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন \ ৪ \ বৃক্কের কাজ বর্ণনা কর।
উত্তর : বৃক্কের কাজ নিম্নরূপ :
(র) দেহের নাইট্রোজেনযুক্ত রেচন পদার্থকে মূত্রের মাধ্যমে দেহ থেকে বাইরে বের করে দেওয়া।
(রর) দেহের পানির সমতা বজায় রাখা।
নিজেরা কর //
প্রশ্ন \ ১ \ তোমার চোখের পাতার উপর আলো পড়লে তুমি চোখ বন্ধ করে ফেল কেন? কারণটি যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : চোখে আলো পড়লে আমরা চোখ বন্ধ করে ফেলি প্রতিবর্ত ক্রিয়ার ফলে।
আলো চোখের পাতার অনুভ‚তিবাহী স্নায়ুতন্তু আলোর উদ্দীপনা গ্রহণ করে। এই উদ্দীপনা তাড়না অনুভ‚তিবাহী স্নায়ুতন্তুর মাধ্যমে স্নায়ুরজ্জুতে পৌঁছায়। এই তাড়না অনুভ‚তিবাহী স্নায়ুকোষ থেকে আজ্ঞাবাহী স্নায়ুতে প্রবাহিত হয়। আজ্ঞাবাহী স্নায়ুকোষে তাড়না পৌঁছামাত্র চোখের পেশি সংকুচিত হয় এবং চোখ বন্ধ করি।
প্রশ্ন \ ২ \ তোমরা একটি পাতাবাহার গাছের আগা কেটে দাও। এবার কয়েকদিন ধরে পর্যবেক্ষণ কর। কী ঘটে এবং কেন ঘটে তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উদ্ভিদের কাণ্ডের শীর্ষে থাকে শীর্ষমুকুল এবং এর অগ্রভাগে অক্সিন থাকার কারণে উদ্ভিদ লম্বা হয়। আমরা একটি পাতাবাহার আগা কেটে দেওয়ার ফলে কয়েকদিন পর দেখা গেল গাছটির পাতার গোড়া থেকে ডাল বের হচ্ছে। উদ্ভিদের কাণ্ডের শীর্ষে থাকে শীর্ষমুকুল এবং এর বৃদ্ধি ঘটায় অক্সিন নামক উদ্ভিদ হরমোন। পাতাবাহারের আগা কেটে দেওয়া কাণ্ডের পর্বে অর্থাৎ পাতার গোড়ায় অবস্থিত কাক্ষিক মুকুলগুলো অক্সিনের প্রভাবে উদ্দীপিত হয়ে বৃদ্ধি পেয়ে শাখা-প্রশাখার সৃষ্টি করে।
অনুশীলনের জন্য দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ উদ্ভিদের প্রধান বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক হরমোন কী?
উত্তর : উদ্ভিদের প্রধান বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক হরমোন অক্সিন।
প্রশ্ন \ ২ \ কোন হরমোন উদ্ভিদের ফুল ফোটাতে সাহায্য করে?
উত্তর : ফ্লোরিজেন হরমোন উদ্ভিদের ফুল ফুটাতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন \ ৩ \ একটি গ্যাসীয় উদ্ভিদ হরমোনের নাম উলেখ কর।
উত্তর : একটি গ্যাসীয় উদ্ভিদ হরমোনের নামÑ ইথিলিন।
প্রশ্ন \ ৪ \ কোন হরমোন কলমে মূল উৎপন্ন করতে সাহায্য করে?
উত্তর : অক্সিন হরমোন কলমে মূল উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন \ ৫ \ নিউরনের প্রধান অংশ কয়টি?
উত্তর : নিউরনের প্রধান অংশ তিনটি।
প্রশ্ন \ ৬ \ সিন্যাপস কী?
উত্তর : সিন্যাপস হলো একটি নিউরনের অ্যাক্সন-এর সাথে অন্য একটি নিউরনের ডেনড্রনের সংযোগস্থল।
প্রশ্ন \ ৭ \ ডেনড্রাইট কী?
উত্তর : ডেনড্রাইট হলো নিউরনে কোষদেহ থেকে উৎপন্ন ডেনড্রনের এক একটি ছোট শাখা।
প্রশ্ন \ ৮ \ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশ কয়টি?
উত্তর : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশ দুইটি।
প্রশ্ন \ ৯ \ গুরুমস্তিষ্কের কোথায় ধূসর বস্তু থাকে?
উত্তর : গুরুমস্তিষ্কের বাইরের অংশে ধূসর বস্তু থাকে।
প্রশ্ন \ ১০ \ প্রতিবর্ত ক্রিয়া কয়টি অংশের সমন্বয়ে গঠিত?
উত্তর : প্রতিবর্ত ক্রিয়া পাঁচটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত।
প্রশ্ন \ ১১ \ ঘাম কী?
উত্তর : মানবদেহের ত্বকের লোমক‚পগুলো দিয়ে শরীরের যে অতিরিক্ত বর্জ্য নিঃসৃত হয় তাকে ঘাম বলে।
প্রশ্ন \ ১২ \ মূত্রের কত ভাগ নাইট্রোজেন ঘটিত পদার্থ?
উত্তর : মূত্রের শতকরা ৮০ ভাগই নাইট্রোজেন ঘটিত পদার্থ।
প্রশ্ন \ ১৩ \ নিউরনে কী থাকে না?
উত্তর : নিউরনে সেন্ট্রিওল থাকে না।
প্রশ্ন \ ১৪ \ কোন কোষের গঠন দেহকোষের চেয়ে ভিন্ন?
উত্তর : নিউরনের গঠন দেহকোষের চেয়ে ভিন্ন।
প্রশ্ন \ ১৫ \ মেরুরজ্জুর ভিতরে কী থাকে?
উত্তর : মেরুরজ্জুর ভিতরে থাকে ধূসর পদার্থ।
প্রশ্ন \ ১৬ \ মেরুরজ্জুর বাইরে কী থাকে?
উত্তর : মেরুরজ্জুর বাইরে থাকে শ্বেত পদার্থ।
প্রশ্ন \ ১৭ \ হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, ক্ষরণকারী গ্রন্থি ইত্যাদি কী দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়?
উত্তর : হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, ক্ষরণকারী গ্রন্থি ইত্যাদি স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়।
অনুধাবনমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ ফাইটোহরমোন বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বিকাশ, বিভিন্ন অঙ্গ সৃষ্টি এবং সকল শারীরবৃত্তীয় কাজের নিয়ন্ত্রণ যে সকল জৈব রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে হয়ে থাকে, তাদের ফাইটোহরমোন বলে।
প্রশ্ন \ ২ \ গ্রে ম্যাটার এবং হোয়াইট ম্যাটার বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের যে অংশে কেবল নিউরনের কোষদেহ থাকে তাকে গ্রে ম্যাটার এবং যে অংশে কেবল স্নায়ুতন্তু থাকে তাকে হোয়াইট ম্যাটার বলে।
প্রশ্ন \ ৩ \ অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের মধ্যে দুটি পার্থক্য উলেখ কর।
উত্তর : অ্যাক্সন ও ডেনড্রন এর মধ্যে পার্থক্য :
অ্যাক্সন ডেনড্রন
১. কোষদেহ থেকে উৎপন্ন একটি লম্বা প্রলম্বিত অংশ। ১. কোষদেহ থেকে উৎপন্ন একাধিক ক্ষুদ্র শাখা-প্রশাখা।
২. একটি নিউরনে একটি অ্যাক্সন থাকে। ২. একটি নিউরনের অসংখ্য ডেনড্রন থাকে।
প্রশ্ন \ ৪ \ স্নায়ুতন্ত্রে সিন্যাপস না থাকলে কী হতো?
উত্তর : অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের মিলনস্থলকে সিন্যাপস বলে। এক স্নায়ুকোষ থেকে স্নায়ু তাড়নাকে অপর স্নায়ুকোষে পরিবাহিত করা সিন্যাপসের কাজ। সুতরাং সিন্যাপস না থাকলে প্রাণিরা বাইরের ও ভিতরের উদ্দীপনায় সাড়া দিতে পারত না এবং স্নায়ুতন্ত্র অকার্যকর হয়ে পড়ত।
প্রশ্ন \ ৫ \ স্নায়ুতন্ত্রের কাজ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : দেহের বিভিন্ন অংশের উদ্দীপনা বহন করা, দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজের সমন্বয় সাধন করা ও পরিবেশের সাথে সম্পর্ক রাখা
স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান কাজ। অর্থাৎ আমাদের চলাফেরা, কোনো বিষয়ে চিন্তা করা, হাতে গরম লাগলে দ্রুত হাত সরিয়ে নেওয়া ইত্যাদি ঘটে বিভিন্ন উদ্দীপকের কার্যকারিতার ফলে যা স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
প্রশ্ন \ ৬ \ উদ্ভিদে ইথিলিনের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উদ্ভিদে ইথিলিনের ভ‚মিকা অপরিসীম। ইথিলিন হরমোনটি গ্যাসীয় পদার্থ। এটি ফল পাকাতে সাহায্য করে। এ হরমোন ফল, ফুল, বীজ, পাতা ও মূলে পাওয়া যায়। এর প্রভাবে চারাগাছে বিকৃত বৃদ্ধি লক্ষ করা যায়।
প্রশ্ন \ ৭ \ কোষদেহ বিভাজিত হয় না কেন?
উত্তর : কোষদেহে সেন্ট্রিওল থাকে না বলে এটি বিভাজিত হয় না।
প্রাণীকোষের বিভাজনে সেন্ট্রিওলের উপস্থিতি অত্যাবশকীয়। কোষদেহ কোষ আবরণী, সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস দ্বারা গঠিত। কিন্তু এই কোষে সেন্ট্রিওল থাকে না। তাই এরা অন্যান্য কোষের মতো বিভাজিত হয় না।
প্রশ্ন \ ৮ \ বৃক্ক কীভাবে দেহকে সুস্থ রাখে?
উত্তর : বৃক্ক রক্ত থেকে ক্ষতিকর পদার্থ ছেঁকে নেয়ার মাধ্যমে দেহকে সুস্থ রাখে।
বৃক্ক মূত্র তৈরির কারখানা। এটি মানুষের দেহের প্রধান রেচন অঙ্গ। বৃক্কের মাধ্যমে দেহের নাইট্রোজেনযুক্ত তরল, দূষিত পদার্থ পরিত্যক্ত হয়। বৃক্ক ছাঁকনির মতো কাজ করে। এই ক্ষতিকর পদার্থসমূহ পানির সাথে মিশে মূত্র তৈরি করে। এভাবে মূত্রের মাধ্যমে শতকরা ৮০ ভাগ নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য বের হয়ে যায় এবং দেহ সুস্থ থাকে।
প্রশ্ন \ ৯ \ মস্তিষ্কের মাধ্যমে কীভাবে বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্রম পরিচালিত হয়?
অথবা, মস্তিষ্ককে স্নায়ুতন্ত্রের কেন্দ্র বলা হয় কেন?
উত্তর : মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ সারাদেহ থেকে অনুভ‚তি স্নায়ু, মেরুরজ্জুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে এসে পৌঁছায় এবং মস্তিষ্কের প্রেরিত আদেশের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্রম চালিত হয়। একারণেই, মস্তিষ্ককে স্নায়ুতন্ত্রের কেন্দ্র বলা হয়।
প্রশ্ন \ ১০ \ সিন্যাপস বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : একটি স্নায়ুকোষের অ্যাক্সন অন্য একটি স্নায়ুকোষের ডেনড্রনের সাথে মিলিত হওয়ার স্থানকে সিন্যাপস বলে। সিন্যাপসের মধ্য দিয়েই একটি নিউরন থেকে স্নায়ু উদ্দীপনা পরবর্তী নিউরনে প্রবাহিত হয়।
প্রশ্ন \ ১১ \ স্নায়ুকেন্দ্র কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর : গুরুমস্তিষ্কের ধূসর পদার্থের মধ্যে কয়েকটি স্তরে সাজানো বিশেষ স্নায়ুকোষ দেখা যায়। এই কোষগুলো গুরুমস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে স্থানে স্থানে গুচ্ছ বেঁধে স্নায়ুকেন্দ্র সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন \ ১২ \ দেহকোষ ও স্নায়ুকোষের দুটি পার্থক্য লেখ।
উত্তর : দেহকোষ ও স্নায়ুকোষের দুইটি পার্থক্য নিচে প্রদত্ত হলো :
দেহকোষ স্নায়ুকোষ
১. সেন্ট্রিওল থাকে। ১. সেন্ট্রিওল থাকে না।
২. এগুলো উদ্দীপনা বহন করে না। ২. উদ্দীপনা বহন করে।