নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় হৃদযন্ত্রের যত কথা

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় হৃদযন্ত্রের যত কথা

পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি

রক্ত : রক্ত একটি ক্ষারধর্মী তরল জটিল টিস্যু। হিমোগেøাবিনের উপস্থিতির জন্য রক্ত লাল হয়। হিমোগেøাবিন অক্সি হিমোগেøাবিন হিসেবে রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে।
 রক্তের উপাদান : রক্তের প্রধান উপাদানগুলো হলো- রক্তরস বা প্লাজমা এবং রক্তকণিকা। রক্তের ৫৫% রক্তরস এবং বাকি ৪৫% রক্তকণিকা। রক্তকণিকাগুলো প্রধানত তিন রকমের। যথা : লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং অণুচক্রিকা।
 রক্তকণিকার কাজ :
র. লোহিত কণিকার প্রধান কাজ হলো দেহের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করা।
রর. শ্বেতকণিকার প্রধান কাজ হলো ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করা।
ররর. অণুচক্রিকার প্রধান কাজ হলো রক্ত তঞ্চন করতে সাহায্য করা।
 রক্তের কাজ :
র. শ্বাসকার্য : রক্ত অক্সিজেনকে ফুসফুস থেকে টিস্যু কোষে এবং টিস্যু কোষ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইডকে ফুসফুসে পরিবহন করে। লোহিত কণিকা ও রক্তরস প্রধানত এ কাজটি করে।
রর. হরমোন পরিবহন : অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহন করে।
ররর. খাদ্যসার পরিবহন : দেহের সঞ্চয় ভাণ্ডার থেকে এবং পরিপাককৃত খাদ্যসার দেহের টিস্যু কোষগুলোতে বহন করে।
রা. বর্জ্য পরিবহন : নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থগুলোকে বৃক্কে পরিবহন করে।
া. উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ : দেহে তাপের বিস্তৃতি ঘটিয়ে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
ার. রোগ প্রতিরোধ : দেহে রোগজীবাণু প্রবেশ করলে মনোসাইট ও নিউট্রোফিল শ্বেত কণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে জীবাণুকে গ্রাস করে ধ্বংস করে। লিম্ফোসাইট শ্বেত কণিকা অ্যান্টিবডি গঠন করে দেহের ভেতরের জীবাণুকে ধ্বংস করে এবং বাইরের থেকে জীবাণু দ্বারা আক্রমণ প্রতিহত করে।
 রক্তের গ্রæপের বৈশিষ্ট্য : অ্যান্টিজেনের উপস্থিতির ভিত্তিতে রক্তের শ্রেণিবিন্যাসকে রক্তের গ্রæপ বলে। অ্যান্টিজেন অ ও ই এই দুই ধরনের হয়। যে মানুষের রক্তকোষে অ অ্যান্টিজেন থাকে তাকে গ্রæপ অ, যে মানুষের রক্তকোষে ই অ্যান্টিজেন থাকে তাকে গ্রæপ ই, যে মানুষের রক্তে অ ও ই উভয় অ্যান্টিজেন থাকে তাকে অই গ্রæপ এবং যার মধ্যে অ ও ই অ্যান্টিজেনের কোনোটিই থাকে না, তাকে গ্রæপ ঙ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
 নিচে অ, ই, ঙ ও অই রক্ত গ্রæপের সম্পর্ক এবং রক্তদাতা ও গ্রহীতার সম্পর্ক দেখানো হলো :
রক্তের গ্রæপ লোহিত কণিকায় অ্যান্টিজেন রক্তরসে অ্যান্টিবডি যে গ্রæপকে রক্ত দিতে পারবে যে গ্রæপের রক্ত গ্রহণ করতে পারবে
অ অ ধহঃর-ই অ ও অই অ ও ঙ
ই ই ধহঃর-অ ই ও অই ই ও ঙ
অই অ, ই কোনো অ্যান্টিবডি নেই অই অ, ই, অই ও ঙ
ঙ কোনো অ্যান্টিজেন নেই ধহঃর-ই, ধহঃর-অ
উভয় আছে অ, ই, অই ও ঙ ঙ
 রক্ত গ্রহণে প্রয়োজনীয় সতর্কতা : এক ব্যক্তির দেহ থেকে রক্ত অন্য ব্যক্তির দেহে প্রদান করতে হলে উভয় ব্যক্তির রক্ত সমবিভাগের হতে হয়। সমবিভাগের না হলে ভিন্ন গ্রæপের রক্ত গ্রহিতার রক্তকে জমাট বাঁধিয়ে প্রাণহানির কারণ হতে পারে। মাদকসেবী, জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
 জয ফ্যাক্টর : জয ফ্যাক্টর রেসাস (জযবংঁং) নামক বানরের সাথে রক্তকণিকায় অবস্থিত এক ধরনের অ্যাগøুটিনোজেন।
জয ফ্যাক্টরের গুরুত্ব :
সন্তানসম্ভবা মহিলাদের ক্ষেত্রে জয ফ্যাক্টর খুব গুরুত্বপূর্ণ। একজন জয (জয নেগেটিভ) মহিলার সঙ্গে জয+ (জয পজেটিভ) পুরুষের বিয়ে হলে তাদের প্রথম সন্তান হবে জয+, কারণ জয+ একটি প্রকট বৈশিষ্ট্য। ভ্রƒণ অবস্থায় সন্তানের জয+ ফ্যাক্টরযুক্ত লোহিত কণিকা অমরার মাধ্যমে রক্তে এসে পৌঁছাবে। ফলে মায়ের রক্ত জয হওয়ায় তার রক্তরসে অ্যান্টি জয ফ্যাক্টর (অ্যান্টিবডি) উৎপন্ন হবে।
অ্যান্টি জয ফ্যাক্টর মায়ের রক্ত থেকে অমরার মাধ্যমে ভ্রƒণের রক্তে প্রবেশ করে ভ্রƒণের লোহিত কণিকাকে ধ্বংস করে। ফলে ভ্রƒণও বিনষ্ট হয় এবং গর্ভপাত ঘটে। এ অবস্থায় শিশু জীবিত থাকলেও তার দেহে প্রচণ্ড রক্তস্বল্পতা এবং জন্মের পর জন্ডিস রোগ দেখা দেয়।
যেহেতু জয বিরোধী অ্যান্টিবডি মাতৃদেহে খুব ধীরে ধীরে উৎপন্ন হয়, তাই প্রথম সন্তানের কোনো ক্ষতি হয় না এবং সুস্থ জন্মায়। কিন্তু পরবর্তী গর্ভাধারণ থেকে জটিলতা শুরু হয় এবং ভ্রƒণ এতে মারা যায়। তাই বিয়ের আগে হবু বর-কনের রক্ত পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত এবং একই জয ফ্যাক্টরযুক্ত (হয় জয+ নয়তো, জয) দম্পতি হওয়া উচিত।
 রক্ত সঞ্চালন : মানুষের রক্তসংবহনতন্ত্র হৃৎপিণ্ড, ধমনি, শিরা ও কৈশিক জালিকা নিয়ে গঠিত। মানুষের হৃৎপিণ্ড অবিরাম সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে ধমনি ও শিরার মাধ্যমে রক্ত সংবহন করে। হৃৎপিণ্ডের স্বতঃস্ফ‚র্ত সংকোচনকে সিস্টোল এবং স্বতঃস্ফ‚র্ত প্রসারণকে ডায়াস্টোল বলে। অলিন্দে যখন সিস্টোল হয় নিলয় তখন ডায়াস্টোল অবস্থায় থাকে। এভাবে হৃৎপিণ্ডের পর্যায়ক্রমে সিস্টোল ও ডায়াস্টোলের মাধ্যমে মানুষের দেহে রক্ত সঞ্চালিত হয়।
 আদর্শ রক্তচাপ, হার্টবিট, হার্টরেট এবং পালসরেটের মধ্যে সম্পর্ক : হৃৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণের ফলে হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত ধমনির মধ্য দিয়ে প্রবাহকালে ধমনি প্রাচীরে যে পার্শ্বচাপ সৃষ্টি হয় তাকে রক্তচাপ বলে। স্বাভাবিক রক্তচাপকে ১৪০/৯০ (সসঐম) আকারে প্রকাশ করা হয়। একটি সিস্টোল ও একটি ডায়াস্টোলের সমন্বয়ে একটি হৃদস্পন্দন হয়। সময় লাগে প্রায় ০.৮ সেকেন্ড। একজন সুস্থ মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রতি মিনিটে ৬০-১০০ বার হয়। এটিকে হার্টবিট বলে। হৃদস্পন্দন বা হার্টবিটকে যখন প্রতি মিনিটে হাতের কবজিতে গণনা করা হয়, তখন তাকে পালসরেট বলে। আমাদের হাতের কবজির রেডিয়াল ধমনিতে হার্টবিটের স্পন্দন গণনা করা যায়। আবার বুকের বাম দিকে নির্দিষ্ট স্থানে স্টেথোস্কোপের ডায়াফ্রাম বসিয়ে এবং স্টেথোস্কোপের নলের শেষ প্রান্ত দুটি কান লাগিয়েও এ শব্দ অনুভব করা যায়।
 রক্তচাপজনিত শারীরিক সমস্যা সৃষ্টির কারণ ও প্রতিরোধের কৌশল : শরীর ও মনের স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তচাপ যদি বয়সের জন্য নির্ধারিত মাত্রার উপরে অবস্থান করতে থাকে, তবে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলে। রক্তের চাপ যদি কম থাকে তা হলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলে। হাইপারটেনশন হওয়ার প্রকৃত কারণ আজও জানা যায়নি। তবে অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, অপর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম, ডায়াবেটিস, অস্থিরচিত্ত ও মানসিক চাপ, রক্তে কোলেস্টেরলের আধিক্য ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে তার মধ্যে রয়েছেÑ স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, হৃৎপিণ্ড বড় হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক ও ফেইলিউর, বৃক্কের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তির ব্যাঘাত প্রভৃতি। নি¤œ রক্তচাপ উচ্চ রক্তচাপের মতো মারাত্মক নয়। তবে রক্তচাপ যথেষ্ট কমে গেলে নানা রকম অসুবিধা সৃষ্টি হয়। রক্তচাপজনিত সমস্যা প্রতিরোধে যেসব কৌশল গ্রহণ করা যেতে পারে তা হলো- ১. ডায়াবেটিস যদি থাকে তা নিয়ন্ত্রণ করা, ২. দেহের ওজন বৃদ্ধি না করা, ৩. চর্বিযুক্ত খাদ্য বর্জন করা, ৪. মদ্যপান এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকা, ৫. নিয়মিত ব্যায়াম করা, ৬.৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো ইত্যাদি।

অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. জমাট বাঁধানো কোনটির কাজ?
ক লোহিত কণিকা  অণুচক্রিকা
গ শ্বেত কণিকা ঘ লসিকা কোষ
২. অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করেÑ
ক ধমনি ও পালমোনারি ধমনি খ শিরা ও পালমোনারি শিরা
 ধমনি ও পালমোনারি শিরা ঘ শিরা ও ধমনি
গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অভিষেক ঢাকা হতে মানিকগঞ্জ যাবার পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে তার বন্ধুর মারাত্মক রক্তক্ষরণ হয়। ফলে রক্তের প্রয়োজন। বন্ধুর রক্ত পরীক্ষা ছাড়াই অভিষেক বলল আমি রক্ত দিতে পারব।
৩. অভিষেকের রক্তের গ্র“প কী ছিল?
ক অ খ ই গ অই  ঙ
৪. রক্তরসে কোন গ্যাসীয় পদার্থ নেই?
ক ঙ২ খ ঈঙ২  ঈষ২ ঘ ঘ২

৫. মানুষের লোহিত রক্ত কণিকার আয়ু কতদিন?
ক ৬০ দিন খ ৮০ দিন  ১২০ দিন ঘ ১৬০ দিন
৬. লিউকোমিয়া কী?
ক নিউমোনিয়া খ প্লেগ গ কলেরা  বøাড ক্যান্সার
৭. ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ কোনটি?
 চোখে ঝাপসা দেখা খ খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ কমে যায়
গ শরীরে অত্যধিক ঘাম নিঃসরণ হয় ঘ মনঃসংযোগ নষ্ট হয়
৮. অণুচক্রিকার গড় আয়ু কত?
ক ১Ñ৫ দিন  ৫Ñ১০ দিন গ ১Ñ১৫ দিন ঘ১১০Ñ১২০দিন
৯. কোন গ্রæপের রক্তে অ্যান্টিজেন নাই?
ক অ খ ই  ঙ ঘ অই
১০. শ্বেত রক্তকণিকার কাজ কোনটি?
 রোগ জীবাণু ধ্বংস করা খ অক্সিজেন পরিবহন করা
গ রক্ত জমাটবদ্ধ করা ঘ কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিবহন করা
১১. মানুষের হৃৎপিন্ড কয় প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট?
ক ৫  ৪ গ ৩ ঘ ২
১২. রক্তের তরল অংশকে কী বলে?
ক লসিকা খ রক্তকোষ  প্লাজমা ঘ সিরাম
১৩. কোন রোগটির কারণে অণুচক্রিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়?
ক পলিসাইথিমিয়া খ অ্যানিমিয়া গ লিউকোমিয়া  পারপুরা
১৪. কোন গ্রæপের রক্ত সব গ্রæপের রক্ত গ্রহণ করতে পারে?
ক অ খ ই গ ঙ  অই
১৫. রক্ত রসে পানির পরিমাণ কত?
ক ৮৭% খ ৮৮% গ ৮৯%  ৯০%
১৬. শ্বেত কণিকার গড় আয়ু কত দিন?
 ১১৫ খ ১১৪ গ ১১৩ ঘ ১১২
১৭. রক্তরসে থাকে
র. অক্সিজেন
রর. ক্লোরিন
ররর. কার্বন ডাইঅক্সাইড
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮. শ্বেত রক্তকণিকাÑ
র. প্লিহা থেকে উৎপন্ন হয়
রর. হেপারিন নিঃসৃত করে
ররর. কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯. শ্বেত রক্তকণিকাÑ
র. অ্যান্টিবডি গঠন করে
রর. হেপারিন নিঃসৃত করে
ররর. কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত করে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২০. নাড়ির গতি নির্ধারণ হয়Ñ
র. শিরার মাধ্যমে
রর. কৈশিকনালীর মাধ্যমে
ররর. ধমনির মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  ররর ঘ র ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২১ ও ২২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রহমান সাহেব যথেষ্ট খাওয়া সত্তে¡ও তার ওজন কমতে থাকে, অবসাদ ও ক্লান্তি বোধ করেন এবং দৃষ্টিশক্তি কমে আসছে। এ সব কারণে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কিছু ঔষধ ও নিয়ম মেনে চলার উপদেশ দিলেন।
[ঢা. বো. ’১৫]
২১. রহমান সাহেবের কি রোগ হয়েছে?
 মধুমেহ খ উচ্চ রক্তচাপ গ হার্ট বøক ঘ ক্যান্সার
২২. উক্ত অবস্থায় রহমান সাহেবÑ
র. খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে
রর. শর্করা বেশি খেতে হবে
ররর. মিষ্টি জাতীয় খাদ্য পরিহার করতে হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং ২৩ ও ২৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রতœার রক্তে কোনো অ্যান্টিজেন নেই ও জয()। কিন্তু রতœার স্বামীর রক্তে জয(+)।
২৩. রতœা কোন গ্রæপের রক্ত গ্রহণ করতে পারবে?
 ঙ ও জয (+) খ অ ও জয ()
গ অই ও জয () ঘ ই ও জয (+)
২৪. গর্ভধারণের ক্ষেত্রে রতœারÑ
র. ২য় ভ্রƒণ মারা যাবে
রর. লোহিত রক্তকণিকা জমাট বাঁধতে পারে
ররর. শিশুর জণ্ডিস হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং ২৫ ও ২৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

২৫. অ এর কোন প্রকারটি রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়?
 বেসোফিল খ নিউট্রোফিল গ অণুচক্রিকা ঘ ইওসিনোফিল
২৬. ই এর আয়ুষ্কাল কত দিন?
 ১০ খ ১৫ গ ১২০ ঘ ১৫০
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৭ ও ২৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সালমার রক্তের গ্রæপ ‘ঙ’ এবং জয এবং তার স্বামীর ‘অ’। তাদের তিন বছর বয়সের একটি সন্তান রয়েছে। এখন সালমা আরও একটি সন্তান নিতে চাচ্ছেন। কিন্তু তার স্বামীর রক্ত পরীক্ষা করে ডাক্তার তাকে সন্তান নিতে নিষেধ করলেন।
২৭. সালমার রক্তের ক্ষেত্রে নিচের কোনটি সঠিক?
ক অ এন্টিজেন নেই খ ই এন্টিবডি নেই
 কোনো এন্টিজেন নেই ঘ কোনো এন্টিবডি নেই
২৮. ডাক্তার সালমাকে সন্তান নিতে নিষেধ করার কারণÑ
র. ভ্রƒণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে
রর. গর্ভপাত হতে পারে
ররর. সন্তানের রক্তস্বল্পতা হতে পারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ রক্ত তঞ্চন কাকে বলে?
উত্তর : আঘাতপ্রাপ্ত রক্তনালি থেকে নির্গত রক্ত যে প্রক্রিয়ায় অর্ধকঠিন জেলিসদৃশ্য পদার্থে রূপান্তরিত হয় তাকে রক্ত তঞ্চন বলে।
প্রশ্ন \ ২ \ মানুষের এবং ব্যাঙের লোহিত রক্তকণিকার একটি প্রধান পার্থক্য লেখ।
উত্তর : মানুষের লোহিত রক্তকণিকা নিউক্লিয়াসবিহীন কিন্তু ব্যাঙের লোহিত রক্তকণিকা নিউক্লিয়াসযুক্ত।
প্রশ্ন \ ৩ \ শুদ্ধ ও অশুদ্ধ রক্ত কাকে বলবে?
উত্তর : অক্সিজেনযুক্ত রক্তকে শুদ্ধ রক্ত এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড ও রেচন পদার্থযুক্ত রক্তকে অশুদ্ধ রক্ত বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৪ \ কোন রক্তনালি রক্তজালকে শেষ হয়?
উত্তর : ধমনি ক্রমশ শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে অবশেষে সূ²াতিসূ² কৈশিক জালিকায় শেষ হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ কোন রক্তকণিকা অ্যামিবার মতো ক্ষণপদ সৃষ্টি করে?
উত্তর : শ্বেত কণিকা অ্যামিবার মতো ক্ষণপদ সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন \ ৬ \ শ্বেত রক্তকণিকা কী প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করে?
উত্তর : শ্বেত রক্তকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করে।
প্রশ্ন \ ৭ \ লোহিত কণিকায় যে লাল বর্ণের পদার্থ থাকে তার নাম কী?
উত্তর : লোহিত কণিকায় লাল বর্ণের পদার্থের নামÑ হিমোগ্লোবিন।
প্রশ্ন \ ৮ \ ফুসফুসীয় ধমনির মাধ্যমে কোন প্রকার রক্ত বাহিত হয়?
উত্তর : ফুসফুসীয় ধমনির মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইডযুক্ত রক্ত বাহিত হয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ মানুষের শ্বাসতন্ত্রের সাথে কোন তন্ত্রের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ?
উত্তর : মানুষের শ্বাসতন্ত্রের সাথে রক্তসংবহনতন্ত্রের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ।
প্রশ্ন \ ১০ \ কৈশিক জালিকার সূ² রক্তনালিগুলো কী দিয়ে গঠিত?
উত্তর : কৈশিক জালিকার সূ² রক্তনালিগুলো এক স্তরবিশিষ্ট এন্ডোথেলিয়াম দিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন \ ১১ \ রক্ত জালিকা কাকে বলে?
উত্তর : ধমনি ও শিরার সংযোগস্থলে এক স্তর বিশিষ্ট এন্ডোথেলিয়াম দিয়ে গঠিত যে সূ² রক্তনালি জালকের আকারে থাকে তাকে রক্ত জালিকা বলে।
প্রশ্ন \ ১২ \ হার্টবিট কাকে বলে?
উত্তর : হৃৎপিণ্ডের একটি সিস্টোল ও একটি ডায়াস্টোলের সমন্বয়ে যে হৃদস্পন্দন হয় তাকে হার্টবিট বলা হয়।
প্রশ্ন \ ১৩ \ হার্টসাউন্ড কাকে বলে?
উত্তর : স্টেথোস্কোপের সাহায্যে হৃদস্পন্দনের যে শব্দ শোনা যায় তাকে হার্টসাউন্ড বলে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ পালস রেট কাকে বলে?
উত্তর : হৃদস্পন্দন বা হার্টবিটকে যখন প্রতি মিনিটে হাতের কবজিতে গণনা করা হয়, তখন তাকে পালস রেট বলা হয়।
প্রশ্ন \ ১৫ \ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের স্বাভাবিক হার্টবিট কত?
উত্তর : প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের স্বাভাবিক হার্টবিট মিনিটে ৬০Ñ১০০ বার।
প্রশ্ন \ ১৬ \ কোন প্রকার রক্তকণিকা অ্যান্টিবডি উৎপন্ন করে?
উত্তর : লিম্ফোসাইট শ্বেতকণিকা দেহে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন করে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ কোন শ্বেতকণিকা দেহে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে?
উত্তর : শ্বেতকণিকার লিম্ফোসাইট রক্তকণিকা দেহে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে।
প্রশ্ন \ ১৮ \ রক্তের কোন কণিকা হেপারিন ক্ষরণ করে?
উত্তর : রক্তের বেসোফিল শ্বেতকণিকা হেপারিন ক্ষরণ করে।
প্রশ্ন \ ১৯ \ রক্তের কোন কোন উপাদান রক্ত ক্ষরণ প্রতিরোধ করে?
উত্তর : রক্তের অণুচক্রিকা থেকে নির্গত থ্রম্বোপ্লাসটিন, প্রোথ্রম্বিন এবং ফাইব্রিনোজেন রক্তক্ষরণ প্রতিরোধ করে।
প্রশ্ন \ ২০ \ কোন কোন রক্তের গ্র“পকে সর্বজনীন দাতা ও সর্বজনীন গ্রহীতা বলে?
উত্তর : ‘ঙ’ গ্র“পের রক্তকে সর্বজনীন দাতা এবং ‘অই’ গ্র“পের রক্তকে সর্বজনীন গ্রহীতা বলে।
প্রশ্ন\ ২১ \ একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের রক্তের মোট পরিমাণ কত?
উত্তর : একজন সুস্থ পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দেহে রক্তের পরিমাণ প্রায় ৫Ñ৬ লিটার।
প্রশ্ন \ ২২ \ থ্রম্বোসাইট বা অণুচক্রিকা কাকে বলে?
উত্তর : রক্ত তঞ্চনে সহায়ককারী ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াসবিহীন রক্তকণিকাকে অণুচক্রিকা বা থ্রম্বোসাইট বলে।
প্রশ্ন \ ২৩ \ পরিণত মানবদেহে রক্তে থ্রম্বোসাইট এর স্বাভাবিক সংখ্যা কত?
উত্তর : পরিণত মানবদেহের রক্তে প্রতি ঘন মিলিমিটার থ্রম্বোসাইটের সংখ্যা প্রায় ২,৫০,০০০।
প্রশ্ন \ ২৪ \ কার্ডিয়াক চক্র বলতে কী বোঝ?
উত্তর : হৃৎপিণ্ডের একটি স্পন্দনে হৃৎপিণ্ডে যেসব পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন সংঘটিত হয়, পরবর্তী স্পন্দনেও সেসব পরিবর্তনের পুনরাবৃত্তি ঘটে। এই চক্রাকার পরিবর্তনসমূহকে কার্ডিয়াক চক্র বলে।
প্রশ্ন \ ২৫ \ কার্ডিয়াক চক্রের প্রথম ঘটনাটি কী?
উত্তর : কার্ডিয়াক চক্রের প্রথম ঘটনাটি হলো অ্যাট্রিয়াম দুটির সংকোচন (সিস্টোল)।
প্রশ্ন \ ২৬ \ রক্ত কাকে বলে?
উত্তর : রক্ত একপ্রকার অস্বচ্ছ, লবণাক্ত, ক্ষারধর্মী তরল যোজক কলা।
প্রশ্ন \ ২৭ \ শ্বেত কণিকা কয় প্রকার?
উত্তর : শ্বেতকণিকা পাঁচ প্রকার।
প্রশ্ন \ ২৮ \ রক্তের গ্র“পগুলো কী?
উত্তর : রক্তের গ্র“পগুলো হলো Ñ অ, ই, অই এবং ঙ।
প্রশ্ন \ ২৯ \ হিমোগ্লোবিন কী?
উত্তর : হিমোগ্লোবিন একপ্রকার লৌহঘটিত প্রোটিন জাতীয় পদার্থ, যার উপস্থিতিতে রক্তের বর্ণ লাল হয়।
প্রশ্ন \ ৩০ \ অ্যান্টিজেন কাকে বলে?
উত্তর : শরীরের রক্তে বাইরে থেকে ছোট যে প্রোটিনকণা প্রবেশের ফলে রক্তে প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা অ্যান্টিবডির সৃষ্টি হয় তাকে অ্যান্টিজেন বলে।
প্রশ্ন \ ৩১ \ অ্যান্টিবডি কাকে বলে?
উত্তর : বাইরে থেকে প্রবিষ্ট অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শরীরের রক্তে যে প্রোটিনকণার সৃষ্টি হয়, তাকে অ্যান্টিবডি বলে।
প্রশ্ন \ ৩২ \ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কাকে বলে?
উত্তর : অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করে দেহে প্রবিষ্ট রোগজীবাণু বা অ্যান্টিজেন প্রতিহত করার ক্ষমতাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলে।
প্রশ্ন \ ৩৩ \ রক্ততঞ্চনের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : আঘাতপ্রাপ্ত স্থান থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করাই হলো রক্ততঞ্চনের উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন \ ৩৪ \ পলিসাইথিমিয়া কাকে বলে?
উত্তর : রক্তে লোহিতকণিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলে তাকে পলিসাইথিমিয়া বলে।
প্রশ্ন \ ৩৫ \ লিউকেমিয়া কাকে বলে?
উত্তর : রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা অত্যধিক বেড়ে যাওয়াকে লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার বলে।
প্রশ্ন \ ৩৬ \ একজন মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ কত?
উত্তর : একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ লোকের স্বাভাবিক রক্তচাপÑ ১৪০/৯০ সসঐম।
প্রশ্ন \ ৩৭ \ সংবহনতন্ত্র বলতে কী বোঝ?
উত্তর : সংবহনে অংশগ্রহণকারী অঙ্গগুলো মিলিত হয়ে যে তন্ত্র গঠন করে, তাকে সংবহনতন্ত্র বলে।
প্রশ্ন \ ৩৮ \ প্রতি মিনিটে হৃৎস্পন্দন কতবার হয়?
উত্তর : প্রতি মিনিটে একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের ৬০Ñ১০০ বার হৃৎস্পন্দন ঘটে।
প্রশ্ন \ ৩৯ \ মানুষের হৃৎপিণ্ড কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : মানুষের হৃৎপিণ্ড বক্ষগহŸরে ফুসফুসের মাঝখানে কিছুটা বামদিকে পেরিকার্ডিয়াম পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে ।
প্রশ্ন \ ৪০ \ সিস্টোল কাকে বলে?
উত্তর : হৃৎপিণ্ডের সংকোচনকে সিস্টোল বলে।
প্রশ্ন \ ৪১ \ ডায়াস্টোল কাকে বলে?
উত্তর : হৃৎপিণ্ডের প্রসারণকে ডায়াস্টোল বলে।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ রক্তের উপাদানগুলো একটি ছকে দেখাও।
উত্তর :
3


প্রশ্ন \ ২ \ শ্বেত রক্তকণিকা কীভাবে জীবাণু প্রতিহত করে?
উত্তর : দেহে রোগজীবাণু প্রবেশ করলে শ্বেতরক্ত কণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে জীবাণুকে গ্রাস করে ধ্বংস করে। লিম্ফোসাইট শ্বেতকণিকা অ্যান্টিবডি গঠন করে বাইরের জীবাণু দ্বারা আক্রমণকে প্রতিহত করে।
প্রশ্ন \ ৩ \ মানুষের হৃৎপিণ্ডের গঠন বর্ণনা কর।
উত্তর : মানুষের হৃৎপিণ্ডের প্রশস্ত প্রান্তটি ওপরের দিকে এবং ছুঁচালো প্রান্তটি নিচের দিকে বিন্যস্ত থাকে।
মানুষের হৃৎপিণ্ডটি চারটি প্রকোষ্ঠ নিয়ে গঠিত। ওপরের প্রকোষ্ঠ দুটিকে যথাক্রমে ডান ও বাম অ্যাট্রিয়াম এবং নিচের প্রকোষ্ঠ দুটিকে যথাক্রমে ডান ও বাম ভেন্ট্রিকল বলে। অ্যাট্রিয়াম দুটি আন্তঃঅ্যাট্রিয়াম পর্দা দিয়ে এবং ভেন্ট্রিকল দুটি আন্তঃভেন্ট্রিকল পর্দা দিয়ে পৃথক থাকে। অ্যাট্রিয়ামের প্রাচীর পাতলা। ভেন্ট্রিকলের প্রাচীর পুরু ও পেশিবহুল।
প্রশ্ন \ ৪ \ লোহিত কণিকা অধিক পরিমাণ অক্সিজেন পরিবহনে সক্ষম কেন?
উত্তর : লোহিত কণিকায় প্রচুর পরিমাণে হিমোগেøাবিন আছে বলে তা অধিক পরিমাণ অক্সিজেন পরিবহনে সক্ষম। পরিণত লোহিত কণিকা দ্বি-অবতল ও চাকতি আকৃতির। এগুলো রক্তরসে প্রকৃতপক্ষে হিমোগ্লোবিন ভর্তি ভাসমান ব্যাগ এবং চাপ্টা আকৃতির। হিমোগেøাবিনের কাজ হচ্ছে অক্সিজেন পরিবহন করা।
প্রশ্ন \ ৫ \ রক্তে অণুচক্রিকার সংখ্যা হ্রাস পেলে কী ঘটবে?
উত্তর : অণুচক্রিকার সংখ্যা হ্রাস পেলে রক্ত ক্ষরণ ঘটতে পারে।
রক্ত তঞ্চনে অণুচক্রিকা বা থ্রম্বোসাইট এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে অণুচক্রিকার সংখ্যা হ্রাস পেলে কোনো রক্তবাহিকা বা টিস্যু কেটে গেলে রক্ত তঞ্চন ঘটতে বিলম্ব হবে। এতে রক্তক্ষরণ ঘটবে। এছাড়া রক্ত জালিকার প্রাচীরে ছিদ্র সৃষ্টি হলে অণুচক্রিকা মেরামতি ঘটায়।
প্রশ্ন \ ৬ \ মানুষের লোহিত রক্তকণিকা ও শ্বেত কণিকার পার্থক্য উলে­খ কর।
উত্তর : নিচে মানুষের লোহিত কণিকা ও শ্বেত কণিকার পার্থক্য উল্লেখ করা হলো :
লোহিত কণিকা শ্বেত কণিকা
ক. লোহিত কণিকা দ্বি-অবতল ও চাকতি আকৃতির।
খ. এরা নিউক্লিয়াসবিহীন।
গ. হিমোগ্লোবিন থাকে।
ঘ. প্রধান কাজ-ঙ২ ও ঈঙ২ পরিবহন করা। ক. শ্বেত কণিকার নির্দিষ্ট কোনো আকার নেই।
খ. এরা নিউক্লিয়াসযুক্ত।
গ. হিমোগ্লোবিন থাকে না।
ঘ. প্রধান কাজ দেহের জীবাণু ধ্বংস করা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
প্রশ্ন \ ৭ \ ফুসফুসীয় শিরা ও ফুসফুসীয় ধমনির মধ্যে কী পার্থক্য দেখা যায়?
উত্তর : ফুসফুসীয় শিরা ও ফুসফুসীয় ধমনির পার্থক্য :
ফুসফুসীয় শিরা ফুসফুসীয় ধমনি
ক. ফুসফুসীয় শিরা ফুসফুস থেকে নির্গত হয়ে হৃৎপিণ্ডের বাম অলিন্দে প্রবেশ করে। ক. ফুসফুসীয় ধমনি ডান নিলয় থেকে নির্গত হয়ে ফুসফুসে যায়।
খ. এর মাধ্যমে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত পরিবাহিত হয়।
গ. হৃৎপিণ্ডের সাথে এর সংযোগস্থলে কপাটিকা থাকে না। খ. এর মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইডযুক্ত রক্ত পরিবাহিত হয়।
গ. হৃৎপিণ্ডের সাথে এর সংযোগস্থলে কপাটিকা থাকে।
প্রশ্ন \ ৮ \ ‘ঙ’ রক্ত গ্র“পের ব্যক্তির দেহে ‘অ’ রক্ত গ্র“পের ব্যক্তির রক্ত দেওয়া হলে কী প্রতিক্রিয়া ঘটবে এবং কেন ঘটবে?
উত্তর : ‘ঙ’ রক্ত গ্রæপের ব্যক্তির দেহে অ রক্ত গ্র“পের ব্যক্তির রক্ত দেওয়া হলে তা রক্তের লোহিত কণিকাকে গুচ্ছবদ্ধ করে জমাট বাঁধিয়ে দিবে।
‘ঙ’ তা গ্র“পের রক্তে কোনো অ্যান্টিজেন থাকে না কিন্তু এর রক্তরসে ধহঃর-অ ও ধহঃর-ই উভয় অ্যান্টিবডি থাকে। এই দুই ধরনের অ্যান্টিবডি থাকার কারণে অ, ই ও অই গ্র“পের রক্ত ‘ঙ’ গ্রæপধারী ব্যক্তির দেহে সঞ্চালন করলে সে ব্যক্তির রক্তকে জমাট বাঁধিয়ে দেয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ কী কারণে ‘ঙ’ গ্রæপের জয+ ব্যক্তিকে সার্বিক দাতা হিসেবে গণ্য করা হয় না?
উত্তর : জয ব্যক্তি একবার জয+ রক্ত গ্রহণ করলে তার দেহে জয অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয়। ফলে তাকে প্রথম বার রক্ত দেওয়া গেলেও দ্বিতীয় বার আর ঐ রক্ত দেওয়া সম্ভব হয় না। কারণ গ্রহীতার রক্তরসে ক্রমশ জয+ অ্যান্টিজেনের বিপরীত অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হবে। গ্রহীতা দ্বিতীয় বার যদি জয+ রক্ত গ্রহণ করে তা হলে গ্রহীতার রক্তরসের অ্যান্টি জয ফ্যাক্টরের প্রভাবে দাতার লোহিত রক্তকণিকা জমাট বেঁধে যাবে। এ কারণে রক্ত ‘ঙ’ গ্রæপের জয+ ব্যক্তিকে সার্বিক দাতা হিসেবে গণ্য করা হয় না।
প্রশ্ন \ ১০ \ স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তনালির মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধে না কেন?
উত্তর : স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তনালির মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধে না কারণÑ
র. রক্তে বেসোফিল শ্বেতকণিকা হেপারিন নামক এক প্রকার পদার্থ নিঃসৃত করে যা রক্তনালির মধ্যে রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না।
রর. রক্তনালির গাত্র খুবই মসৃণ, এর ফলে রক্তের অণুচক্রিকা অবিকৃত থাকে এবং অণুচক্রিকা থেকে থ্রম্বোপ্লাসটিন নির্গত হয় না।
প্রশ্ন \ ১১ \ দেহের কাটা অংশে রক্ত তঞ্চন পদ্ধতি কীভাবে ঘটে একটা রেখাচিত্রের দ্বারা দেখাও।
উত্তর : দেহের কাটা অংশে রক্ত তঞ্চন পদ্ধতি নিচের রেখাচিত্রের দ্বারা দেখানো হলোÑ

প্রশ্ন \ ১২ \ রক্ত গ্রহণের পূর্বে দাতা ও গ্রহীতার রক্তের গ্র“প বিবেচনা করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর : অ্যান্টিজেন অ বহনকারী মানুষের লোহিত কণিকা অ্যান্টিবডি  এর সংস্পর্শে এবং অ্যান্টিজেন ই যুক্ত লোহিত কণিকা অ্যান্টিবডি  এর সংস্পর্শে জমাট বেঁধে যায়। এর ফলে দাতার রক্ত যদি অ গ্র“পের হয় তা হলে গ্রহীতার ই গ্র“পের রক্তের লোহিত কণিকাগুলো জমাট বেঁধে যাবে। এতে গ্রহীতার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ কারণে রক্ত গ্রহণের পূর্বে দাতা ও গ্রহীতার রক্তের শ্রেণি বিবেচনা করা অবশ্যই প্রয়োজন।
প্রশ্ন \ ১৩ \ তঞ্চন ও থ্রম্বোসিস এর মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : দেহ থেকে নির্গত রক্ত যে প্রক্রিয়ায় অর্ধকঠিন জেলির আকারে রূপান্তরিত হয় তাকে তঞ্চন বলে। অপর দিকে রক্তনালির মধ্যে রক্তের তঞ্চনকে থ্রম্বোসিস বলে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ থ্রম্বোসাইট এর কাজগুলো কী?
উত্তর : থ্রম্বোসাইট-এর কাজগুলো হলো :
র. রক্ত তঞ্চনে সাহায্য করা এদের প্রধান কাজ। রক্ত ক্ষরণের সময় অণুচক্রিকা ভেঙে গিয়ে থ্রম্বোপ্লাসটিন মুক্ত করে। এই পদার্থ প্রোথ্রম্বিনকে থ্রম্বিনে রূপান্তর করে যা পরবর্তীতে ফাইব্রিন জালক সৃষ্টি করে রক্তের তঞ্চন ঘটায়।
রর. অণুচক্রিকা রক্ত জালিকার ক্ষতিগ্রস্ত অন্তঃআবরণীর গায়ে এঁটে গিয়ে মেরামতের কাজ করে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ হৃদধ্বনি দুটি কী কী? তাদের সৃষ্টির কারণ উলে­খ কর।
উত্তর : হৃদধ্বনি দুটি হলোÑ
নিলয় সিস্টোল-এর শব্দ ‘লাব’
নিলয় ডায়াস্টোল-এর শব্দ ‘ডাব’
নিলয় সংকোচনে (সিস্টোল) উভয় নিলয়ের মধ্যে রক্তচাপ বাড়তে থাকে এবং প্রতি নিলয়ের রক্তচাপ সে দিকের অলিন্দে রক্তচাপে অধিক হলে ট্রাইকাসপিড ও বাইকাসপিড কপাটিকা বন্ধ হয়ে যায়। কপাটিকাগুলো বন্ধের সময় হৃদ ধ্বনির প্রথম শব্দ ‘ডাব’ সৃষ্টি হয়।
প্রথম নিলয়ের প্রসারণে (ডায়াস্টোল) রক্তচাপ হ্রাস পাওয়ায় সহাবসান ও ফুসফুসীয় ধমনির রক্তের বিপরীতমুখী প্রবাহে সেমিলুনার কপাটিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে দ্বিতীয় হৃদধ্বনি ‘ডাব’ এর সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ কী?
উত্তর : রক্তের হিমোগ্লোবিন অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অক্সি-হিমোগ্লোবিন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কার্বামিনো-হিমোগ্লোবিন গঠন করে যথাক্রমে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিবহন করে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ রক্তকে যোজক কলা বলা হয় কেন?
উত্তর : রক্তকে যোজক কলা বলার কারণÑ
র. রক্তে ধাত্রের পরিমাণ বেশি থাকে
রর. রক্ত বিভিন্ন অঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে।
প্রশ্ন \ ১৮ \ অলিন্দ ও নিলয় দুটি করে পার্থক্য উলে­খ কর।
উত্তর : র. অলিন্দ হলো হৃৎপিণ্ডের ওপরের প্রকোষ্ঠ কিন্তু নিলয় হলো হৃৎপিণ্ডের নিচের প্রকোষ্ঠ।
রর. অলিন্দের প্রাচীর পাতলা নিলয়ের প্রাচীর পুরু।
প্রশ্ন \ ১৯ \ লিম্ফোসাইট ও মনোসাইট-এর কাজ কী?
উত্তর : লিম্ফোসাইট অ্যান্টিবডি তৈরি করে দেহে প্রবেশ করা রোগ জীবাণুকে ধ্বংস করে। অপরদিকে মনোসাইট ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে জীবাণু ধ্বংস করে।
প্রশ্ন \ ২০ \ সর্বজনীন রক্ত দাতা ও সর্বজনীন রক্ত গ্রহীতা বলতে কী বোঝ?
উত্তর : ‘ঙ’ গ্রæপের রক্ত অন্যান্য সকল গ্র“পের মানুষকে দেওয়া যায়, তাই এই গ্র“পকে সর্বজনীন দাতা বলা হয়।
আবার ‘অই’ গ্র“পের রক্তবহনকারী ব্যক্তি কেবল ‘অই’ গ্র“পের মানুষকেই রক্ত দান করতে পারে, কিন্তু অন্যসব গ্র“পের রক্ত গ্রহণে সক্ষম, তাই ‘অই’ গ্র“পকে সর্বজনীন গ্রহীতা বলা হয়।
প্রশ্ন \ ২১ \ রক্তনালির মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধে না কেন?
উত্তর : রক্তে তঞ্চনরোধক পদার্থ হেপারিন থাকায় রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধে না।

অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

নিচের চিত্র তিনটি দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. রক্ত কাকে বলে?
খ. কৈশিক জালিকা বলতে কী বুঝায়?
গ. মানবদেহে চিত্রের ই চিহ্নিত কোষের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. চিত্রের অ ও ঈ একই যোজক কলায় অবস্থিত হলেও এদের কাজ ভিন্ন-বিশ্লেষণ কর।
 ১নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. রক্ত এক ধরনের লাল বর্ণের অস্বচ্ছ, আন্তঃকোষীয় লবণাক্ত ও ক্ষারধর্মী তরল যোজক টিস্যু।
খ. ধমনি ও শিরার সংযোগস্থলে অবস্থিত কেবল একস্তর বিশিষ্ট এন্ডোথেলিয়াম দিয়ে গঠিত যেসব সূ² রক্তনালি জালকের আকারে বিন্যস্ত থাকে, সেগুলোকে কৈশিক জালিকা বলে। কৈশিক জালিকার মধ্যে ব্যাপন প্রক্রিয়ার দ্বারা পুষ্টিদ্রব্য অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, রেচন পদার্থ ইত্যাদির আদান-প্রদান ঘটে।
গ. চিত্রের ই চিহ্নিত কোষটি হলো রক্তের শ্বেতকণিকা বা লিউকোসাইট যার ভ‚মিকা মানবদেহে অনস্বীকার্য।
শ্বেতকণিকা অ্যামিবার মতো দেহের আকারের পরিবর্তন করে ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় রোগজীবাণু ধ্বংস করে। রক্তজালিকার প্রাচীর ভেদ করে এরা টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। লিম্ফোসাইট শ্বেতকণিকা অ্যান্টিবডি গঠন করে রোগজীবাণুকে ধ্বংস করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এক কথায় এরা দেহে সৈনিকের মতো কাজ করে। দেহ বাইরের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে এ জন্য দ্রæত শ্বেতকণিকার সংখ্যার বৃদ্ধি ঘটে। এছাড়াও ইওসিনোফিল ও বেসোফিল শ্বেত কণিকাগুলো রক্তে হিস্টাসিন নামক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত করে দেহে এলার্জি প্রতিরোধ করে। বেসোফিল রক্তে হেপারিন নিঃসৃত করে রক্তকে রক্ত বাহিকার ভেতরে জমাট বাঁধতে দেয় না।
অতএব, দেখা যাচ্ছে যে, মানবদেহে ই চিহ্নিত কোষ অর্থাৎ শ্বেতকণিকার ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ঘ. চিত্রের অ রক্তের লোহিত কণিকা বা এরিথ্রোসাইট এবং ঈ রক্তের অণুচক্রিকা বা থ্রম্বোসাইট। এ দুই ধরনের রক্তকণিকা যদিও একই ধরনের যোজক কলা রক্তে অবস্থিত কিন্তু এদের কাজ ভিন্নধর্মী।
লোহিত কণিকাগুলো আকৃতিতে চ্যাপ্টা ও ভাসমান ব্যাগের মতো। এদের মধ্যে হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থ থাকার কারণে এরা লাল বর্ণের। লোহিত কণিকার হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন এবং কার্বন ডাইঅক্সাইডের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডকে পরিবহন করে। লোহিত কণিকাগুলো আকৃতির কারণে অধিক পরিমাণ অক্সিজেন পরিবহনে সক্ষম। হিমোগ্লোবিন রক্তের অ¤ø-ক্ষারের সমতা বজায় রাখার জন্য বাফার হিসেবে কাজ করে।
অন্যদিকে অণুচক্রিকার প্রধান কাজ হলো রক্ত তঞ্চন করতে সাহায্য করা। যখন কোনো রক্তবাহিকা বা কোনো টিস্যু আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে কেটে যায়, তখন সে স্থানের অণুচক্রিকাগুলো ভেঙে যায় এবং থ্রম্বোপ্লাসটিন নামক পদার্থ সৃষ্টি করে। এগুলো রক্তের আমিষ প্রোথ্রমবিনকে থ্রমবিনে পরিণত করে। থ্রমবিন পরবর্তীতে রক্তরসের প্রোটিন ফাইব্রিনোজেনকে ফাইব্রিন জালকে পরিণত করে রক্তের তঞ্চন ঘটায়। ফাইব্রিন ক্ষতস্থানে জমাট বাঁধে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। এছাড়াও রক্ত জালিকার ক্ষতিগ্রস্ত অংশে এঁটে গিয়ে থ্রম্বোসাইট দ্রুততার সাথে তার মেরামতির কাজ করে।
সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, যদিও অ, ই ও ঈ একই যোজক কলায় অবস্থিত তবুও তাদের কাজের ভিন্নতা আছে।
প্রশ্ন -২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রাফিন ১০ম শ্রেণির ছাত্র। তার আব্বা সুঠাম দেহের অধিকারী। রাফিন লক্ষ করছে তার আব্বার দেহে ক্ষত সৃষ্টি হলে শুকাতে দেরি হচ্ছে, চামড়া শুকিয়ে যাচ্ছে, সামান্য পরিশ্রমে ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ছে। এসব কারণে রাফিনের আব্বা ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। ডাক্তার সাহেব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সুস্থ থাকার জন্য কিছু নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলার উপদেশ দিলেন।
ক. রক্তচাপ কাকে বলে?
খ. সিস্টোলিক রক্তচাপ বলতে কী বুঝায়?
গ. রাফিনের আব্বা কী রোগে আক্রান্ত হয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ডাক্তার সাহেব রাফিনের আব্বাকে সুস্থ থাকার জন্য কী উপদেশ দেন? ব্যাখ্যা কর।
 ২নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. হৃৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণের ফলে হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত ধমনির মধ্য দিয়ে প্রবাহকালে ধমনি প্রাচীরে যে পার্শ্বচাপ সৃষ্টি করে তাকে রক্তচাপ বলে।
খ. সিস্টোল অবস্থায় ধমনিতে রক্তের যে চাপ থাকে তাকে সিস্টোলিক রক্তচাপ বলে। হৃৎপিণ্ডের স্বতঃস্ফ‚র্ত সংকোচনকে সিস্টোল বলে।
হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা এবং ধমনির প্রাচীরের স্থিতিস্থাপকতার সাথে সিস্টোলিক রক্তচাপ সম্পর্কিত। স্বাভাবিক ও সুস্থ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সিস্টোলিক রক্তচাপ ১১০Ñ১৪০ মিলিমিটার (সসঐম) হয়।
গ. রাফিনের আব্বার মধ্যে যে লক্ষণগুলো দেখা যাচ্ছে তাতে প্রাথমিকভাবে বুঝা যাচ্ছে তিনি ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এ রোগের লক্ষণগুলো হলোÑ
১. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।
২. সামান্য পরিশ্রমে ক্লান্তি ও দুর্বলতা বোধ করা।
৩. চামড়া শুকিয়ে যাওয়া।
৪. শরীরের কোথাও ক্ষতের সৃষ্টি হলে, দেরিতে শুকানো।
৫. খুব বেশি পিপাসা লাগা ও বেশি ক্ষিদে পাওয়া।
৬. চোখে ঝাপসা দেখা।
লক্ষণগুলোর মধ্যে বেশ কিছু লক্ষণ রাফিনের আব্বার মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। সুতরাং ধরে নেওয়া যায় তার ডায়াবেটিস রোগ হয়েছে।
ঘ. ডাক্তার সাহেব রাফিনের আব্বাকে সুস্থ থাকার জন্য তাঁর পথ্য কী হবে এবং ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কী কী করতে হবে সে সম্বন্ধে উপদেশ দিলেন। এগুলো নিচে উলে­খ করা হলো :
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনটি “উ” মেনে চলা আবশ্যক। যথা : খাদ্য নিয়ন্ত্রণ (উরবঃ), ওষুধ সেবন (উড়ংব) ও শৃঙ্খলা (উরংপরঢ়ষরহব)।
ডায়াবেটিসের পথ্য নিয়ন্ত্রণ : ডায়াবেটিস রোগীদের একটুও চিনি বা মিষ্টি খাওয়া চলবে না। তাদের এমন খাবার খাওয়া উচিত যা প্রোটিনসমৃদ্ধ আর যাতে শ্বেতসার কম থাকে।
ওষুধ সেবন : ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হবে।
জীবন শৃঙ্খলা : শৃঙ্খলা ডায়াবেটিস রোগীর জীবনকাঠি। তাকে যা যা করতে হবে তা হলো :
১. নিয়মিত ও পরিমাণমতো সুষম খাবার খেতে হবে।
২. নিয়মিত ও পরিমাণমতো ব্যায়াম করতে হবে।
৩. নিয়মিত প্রসাব পরীক্ষা এবং ফলাফল লিখে রাখতে হবে।

 

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন -৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নাম রক্তের গ্রæপ
রিমু অ
রিতা ই
রতন জয+
মেরি জয

ক. সিরাম কী? ১
খ. রক্ত কীভাবে জমাট বাঁধে? ২
গ. রিতা রিমুর রক্ত গ্রহণ করলে কী সমস্যা হতে পারে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. রতনকে বিয়ে করা মেরির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কেন? বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৩নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. সিরাম হলো হালকা হলুদ বা খড়ের রঙের মতো এক রকম স্বচ্ছ রস যা রক্ত জমাট বাঁধার পর জমাট অংশ থেকে নিঃসৃত হয়।
খ. যখন কোনো রক্তবাহিকা বা কোনো টিস্যু আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে কেটে যায়, তখন ঐ স্থানের অণুচক্রিকাগুলো ভেঙে যায় এবং থ্রম্বোপ্লাস্টিন নামক পদার্থ সৃষ্টি করে। এ পদার্থগুলো রক্তের আমিষ প্রোথ্রমবিনকে থ্রমবিনে পরিণত করে। থ্রমবিন পরবর্তীতে রক্তরসের প্রোটিন-ফাইব্রিনোজেনকে ফাইব্রিন জালকে পরিণত করে রক্তের তঞ্চন ঘটায়। ফাইব্রিন এক ধরনের অদ্রবণীয় প্রোটিন, যা দ্রæত সুতার মতো জালিকা প্রস্তুত করে। এভাবে রক্ত জমাট বাঁধে।
গ. রিতা রিমুর রক্ত গ্রহণ করলে রিতার শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
রক্তে উপস্থিত অ্যান্টিজেনের ভিত্তিতে মানুষের রক্তের গ্রæপগুলো পৃথক হয়। যে মানুষের রক্তকোষে অ অ্যান্টিজেন থাকে, তাকে গ্রæপ অ, যে মানুষের রক্তকোষে ই অ্যান্টিজেন থাকে তাকে গ্রæপ ই বলে আখ্যায়িত করা হয়। মানুষের রক্তকোষে যে ধরনের অ্যান্টিজেন থাকবে, ঠিক তার অনুরূপ অ্যান্টিবডি তার রক্ত সিরামে থাকবে না। যদি অ অ্যান্টিজেন বহনকারী মানুষের সিরামে অ অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি থাকতো তাহলে সে ব্যক্তির রক্ত গুচ্ছবদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হতো। সুতরাং একজন মানুষের রক্তের গ্রæপ অ হলে তার রক্তে অ অ্যান্টিজেন থাকবে। এর বিরুদ্ধে কোনো অ্যান্টিবডি থাকবে না, তার রক্তে কোনো ই অ্যান্টিজেন নেই; কিন্তু ই অ্যান্টিবডি থাকবে। এজন্য অ গ্রুপের রক্তের অ্যান্টিবডি ই গ্রæপের লোহিত কণিকাকে গুচ্ছবদ্ধ করে জমিয়ে দেয়। অনুরূপভাবে ই গ্রæপের রক্তের অ্যান্টিবডি অ গ্রæপের রক্তকে জমিয়ে দেয়।
উদ্দীপকের রিমু ও রিতার রক্তের গ্রæপ যথাক্রমে অ ও ই। কাজেই রিতার শরীরে রিমুর রক্ত অর্থাৎ ই গ্রæপের রক্তের সাথে অ গ্রæপের রক্ত মিশ্রিত হলে রিতার শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে মারাত্মক শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
ঘ. উদ্দীপকের ছকে দেখা যাচ্ছে রতন জয+ এবং মেরি জযথ রক্ত গ্রæপের। রেসাস বানরের লোহিত কণিকায় অবস্থিত এক ধরনের অ্যাগøুটিনোজেনকে বানরের নাম অনুসারে সংক্ষেপে জয ফ্যাক্টর বলে। যাদের রক্তে জয ফ্যাক্টর থাকে তাদের জয+ এবং যাদের রক্তে জয ফ্যাক্টর থাকে না তাদের জয বলে। জযথ রক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তির দেহে জয+ রক্ত দিলে, গ্রহীতার রক্তরসে ক্রমশ জয+ অ্যান্টিজেনের বিপরীত অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হতে থাকবে। পরবর্তীতে আবার জয+ রক্ত গ্রæপের রক্ত গ্রহণ করলে তা গ্রহীতার রক্ত রসে অ্যান্টি জয ফ্যাক্টরের প্রভাবে জমাট বেঁধে যাবে।
একারণে সন্তান সম্ভবা মহিলার জন্য জয ফ্যাক্টর খুব গুরুত্বপূর্ণ। একজন জয মহিলার সন্তান হবে জয+। পুরুষের বিয়ে হলে তাদের প্রথম সন্তান হবে জয+। কারণ জয ফ্যাক্টর একটি বংশগত বৈশিষ্ট্য এবং এটি একটি প্রকট বৈশিষ্ট্য। ভ্রæণ অবস্থায় সন্তানের জয+ ফ্যাক্টর যুক্ত লোহিত কণিকা আসার মাধ্যমে মা এর রক্তে এসে পৌছাবে। ফলে মায়ের রক্তরসে অ্যান্টি জয ফ্যাক্টর অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হবে। এই অ্যান্টিবডি জয ফ্যাক্টর মায়ের রক্ত থেকে অমরার মাধ্যমে ভ্রƒণের রক্তে প্রবেশ করে। ভ্রƒণের লোহিত কণিকাকে ধ্বংস করে। ফলে ভ্রƒণ নষ্ট হয়ে গর্ভপাত ঘটে। যেহেতু জয ফ্যাক্টর বিরোধী অ্যান্টিবডি মাতৃদেহে খুব ধীরে ধীরে উৎপন্ন হয় সেহেতু প্রথম সন্তানের কোন ক্ষতি হয় না। কিন্তু পরবর্তী গর্ভধারণের পর জটিলতা সৃষ্টি হয় এবং এতে ভ্রƒণের মৃত্যু ঘটে।
তাই যেহেতু রতন ও মেরির জয ফাক্টর বিপরীতধর্মী। সেহেতু রতনকে মেরির বিয়ে করা ঝুকিপূর্ণ হবে।
প্রশ্ন -৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শিবলির বাবা প্রতিদিন সকাল বিকাল ১ ঘণ্টা করে হাঁটেন। শিবলি তার বাবার কাছে হাঁটার কারণ জানতে চাইল। বাবা ছেলেকে বললেন আমার শরীরে এমন একটি রোগ হয়েছে, যার একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে সকাল-বিকাল ব্যায়াম এবং নিয়মমাফিক খাদ্য গ্রহণ।
ক. খউখ এর পূর্ণ নাম কী? ১
খ. রক্ত জমাট বাঁধা অণুচক্রিকার প্রধান কাজ বুঝিয়ে লিখ। ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত রোগের লক্ষণগুলি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলাই উক্ত রোগ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি”Ñ বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৪নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. খউখ এর পূর্ণ নাম হলো খড়ি উবহংরঃু খরঢ়ড়ঢ়ৎড়ঃবরহ বা নিম্নঘনত্ব বিশিষ্ট লাইপোপ্রোটিন।
খ. যখন কোনো রক্তবাহিকা বা কোনো টিস্যু আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে কেটে যায়, তখন সে স্থানের অণুচক্রিকাগুলো ভেঙে যায় এবং থ্রম্বোপ্লাসটিন নামক পদার্থ সৃষ্টি করে। এ পদার্থগুলো রক্তের আমিষ প্রোথ্রমবিনকে থ্রমবিনে পরিণত করে। থ্রমবিন পরবর্তীতে রক্তরসের প্রোটিন-ফাইব্রিনোজেনকে ফাইব্রিন জালকে পরিণত করে রক্তের তঞ্চন ঘটায়। ফাইব্রিন একধরনের অদ্রবণীয় প্রোটিন, যা দ্রæত সুতার মতো জালিকা প্রস্তুত করে। এটি ক্ষত স্থানে জমাট বাঁধে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। অতএব, রক্ত জমাট বাঁধা-ই অণুচক্রিকার প্রধান কাজ।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত রোগটি হলো ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ বা মধুমেহ রোগ। নিচে রোগটির লক্ষণগুলি ব্যাখ্যা করা হলো।
(১) ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, বিশেষ করে রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।
(২) খুব বেশি পিপাসা লাগা।
(৩) বেশি ক্ষিদে পাওয়া এবং অতিমাত্রায় শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করা।
(৪) যথেষ্ট খাওয়া সত্তে¡ও ওজন কমে যাওয়া এবং শীর্ণতা।
(৫) সামান্য পরিশ্রমে ক্লান্তি ও দুর্বলতা বোধ করা।
(৬) চামড়া শুকিয়ে যাওয়া।
(৭) চোখে ঝাপসা দেখা।
(৮) শরীরের কোথাও ক্ষতের সৃষ্টি হলে, দেরিতে শুকানো।
ঘ. উক্ত রোগটি হলো ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ যা নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায় হলো নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলা।
নিচে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলো আলোচনা করা হলো।
ডায়াবেটিস প্রধানত তিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যথা, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, ওষুধ সেবন ও জীবন শৃঙ্খলা।
ক. ডায়াবেটিসের পথ্য নিয়ন্ত্রণ : ডায়াবেটিস রোগীদের একটুও চিনি বা মিষ্টি খাওয়া চলবে না। তাদের এমন খাবার খাওয়া উচিত যা প্রোটিনসমৃদ্ধ (গাঢ় সবুজ রঙের শাক-সবজি, বরবটি, মাশরুম, বাদাম, ডিম, মাছ, চর্বি ছাড়া মাংস ইত্যাদি) আর যাতে শ্বেতসার কম থাকে।
খ. ওষুধ সেবন : ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হবে।
গ. জীবন শৃঙ্খলা : শৃঙ্খলা ডায়াবেটিস রোগীর জীবনকাঠি। তাকে বিশেষ নজর দিতে হবে এসব বিষয়ে Ñ
১. নিয়মিত ও পরিমাণমতো সুষম খাবার খেতে হবে।
২. নিয়মিত ও পরিমাণমতো ব্যায়াম করতে হবে।
৩. নিয়মিত প্রস্রাব পরীক্ষা এবং ফলাফল লিখে রাখতে হবে।
৪. মিষ্টি খাওয়া সম্পূর্ণ ছাড়তে হবে।
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা বিশ্লেষণ করে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ডায়াবেটিস রোগকে দমিয়ে রাখতে খাদ্যের ভ‚মিকা অসামান্য। ডায়াবেটিস রোগের জন্য ওষুধ সেবন করলেও রোগীকে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। নিয়ন্ত্রিত খাদ্য ব্যবস্থা না থাকলে ওষুধ সেবন করেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। অর্থাৎ নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলাই উক্ত রোগ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি।
প্রশ্ন -৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. রোগ জীবাণু ধ্বংসকারী রক্তকণিকার নাম কী? ১
খ. মানুষের রক্তের গ্রæপ জানা প্রয়োজন কেন? ২
গ. ‘অ’ এর গঠন বর্ণনা কর। ৩
ঘ. রক্ত পরিবহনে ‘ই’ ও ‘ঈ’ এর ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৫নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. রোগ জীবাণু ধ্বংসকারী রক্তকণিকার নাম শ্বেতকণিকা।
খ. এক গ্রæপের রক্তের সাথে অন্য গ্রæপের রক্ত মিশে গেলে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে বলে মানুষের রক্তের গ্রæপ জানা প্রয়োজন।
দুই ধরনের অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডির উপস্থিতির কারণে মানুষের রক্তের গ্রæপ বিভিন্ন হয়। কোনো কারণে মানুষের দেহে রক্ত প্রদানের প্রয়োজন পড়লে অন্য ব্যক্তির ভিন্ন ভিন্ন গ্রæপের রক্তের অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডির বিক্রিয়ার ফলে রক্ত কণিকাগুলো গুচ্ছবদ্ধ হয়ে যায়। এতে নানারকম শারীরিক সমস্যা এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। তাই মানুষের রক্তের গ্রæপ জানা অত্যন্ত প্রয়োজন।
গ. ‘অ’ হলো হৃৎপিণ্ড যা হৃদযন্ত্রের কেন্দ্রবিশেষ। এটি রক্ত সংবহনতন্ত্রের অন্তর্গত এক রকমের পাম্পযন্ত্রবিশেষ। নিচে এর গঠন বর্ণনা করা হলো।
মানুষের হৃৎপিণ্ডটি বক্ষগহŸরে ফুসফুস দুটির মাঝখানে এবং মধ্যচ্ছদার ওপরে অবস্থিত। হৃৎপিণ্ডের প্রশস্ত প্রান্ত ওপরের দিকে এবং ছুঁচালো প্রান্তটি নিচের দিকে বিন্যস্ত থাকে।
হৃৎপিণ্ড দ্বিস্তরী পেরিকার্ডিয়াম পর্দা বেষ্টিত থাকে। উভয় স্তরের মাঝে পেরিকার্ডিয়াল ফ্লুইড থাকে, যা হৃৎপিণ্ডকে সংকোচনে সাহায্য করে। মানুষের হৃৎপিণ্ড চারটি প্রকোষ্ঠ নিয়ে গঠিত। ওপরের প্রকোষ্ঠ দুটিকে যথাক্রমে ডান ও বাম অ্যাট্রিয়াম এবং নিচের প্রকোষ্ঠ দুটিকে যথাক্রমে ডান ও বাম ভেন্ট্রিকল বলে। অ্যাট্রিয়াম দুটি আন্তঃঅ্যাট্রিয়াম পর্দা দিয়ে এবং ভেন্ট্রিকল দুটি আন্তঃভেন্ট্রিকল পর্দা দিয়ে পৃথক থাকে। অ্যাট্রিয়ামের প্রাচীর পাতলা। ভেন্ট্রিকলের প্রাচীর পুরু, পেশিবহুল। ডান অ্যাট্রিয়ামের সঙ্গে একটি সুপিরিয়র ভেনাক্যাভা এবং একটি ইনফিরিয়ার ভেনাক্যাভা যুক্ত থাকে। বাম ভেন্ট্রিকলের সঙ্গে চারটি পালমোনারি শিরা যুক্ত থাকে। ডান ভেন্ট্রিকল থেকে পালমোনারি ধমনি এবং বাম ভেন্ট্রিকল থেকে অ্যাওর্টার উৎপত্তি হয়েছে।
ঘ. ই ও ঈ হলো যথাক্রমে ধমনি ও শিরা। রক্ত পরিবহনে এদের ভ‚মিকা অপরিসীম।
প্রদত্ত চিত্র অনুসারে ই হৃৎপিণ্ড থেকে ঙ২ সমৃদ্ধ রক্ত পরিবহন করে দেহকোষে নিয়ে যায় যা ধমনির কাজ এবং ঈ দেহকোষ থেকে ঈঙ২ সমৃদ্ধ রক্ত পরিবহন করে হৃৎপিণ্ডে নিয়ে যায় যা শিরার কাজ। নিচে রক্ত পরিবহনে এদের ভ‚মিকা বিশ্লেষণ করা হলোÑ
যেসব রক্তনালির মাধ্যমে রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে দেহের বিভিন্ন অংশে বাহিত হয়, তাকে ধমনি বা আর্টারি বলে। ধমনিতে কোনো কপাটিকা থাকে না বলে ধমনি দিয়ে রক্ত তীব্র বেগে প্রবাহিত হয়।
এটি দেহের বিভিন্ন অংশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে অবশেষে সূ²াতিসূ² কৈশিক জালিকায় শেষ হয়। এভাবে ধমনির মাধ্যমে হৃৎপিণ্ড থেকে দেহের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত পরিবাহিত হয়। তবে পালমোনারি ধমনি কার্বন ডাই-অক্সাইড যুক্ত রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে ফুসফুসে নিয়ে আসে।
অন্যদিকে যেসব রক্তনালি সাধারণত কার্বন ডাইঅক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত দেহের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে হৃৎপিণ্ডে বহন করে নিয়ে আসে, তাদের শিরা বলে। তবে পালমোনারি নামে শিরাটি ফুসফুস থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ডে নিয়ে আসে। শিরায় কপাটিকা থাকায় শিরা দিয়ে রক্ত ধীরে ধীরে একমুখে প্রবাহিত হয়।
অতএব, দেখা যাচ্ছে যে, রক্ত পরিবহনে ই ও ঈ তথা ধমনি ও শিরার ভ‚মিকা অপরিহার্য।
প্রশ্ন -৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. হার্ট অ্যাটাক কাকে বলে? ১
খ. রক্তচাপ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. প্রবাহ চিত্রটি বর্ণনা কর। ৩
ঘ. চিত্রের অ ও ঠ অঙ্গাণু দুটির মধ্যকার বৈসাদৃশ্য বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৬নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. হৃদপেশির রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে যে রোগ সৃষ্টি হয়, তাকে হার্ট অ্যাটাক বলে।
খ. হৃৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণের ফলে হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত ধমনির মধ্য দিয়ে প্রবাহকালে ধমনি প্রাচীরে যে পার্শ্বচাপ সৃষ্টি হয় তাকে রক্তচাপ বলে।
তাই রক্তচাপ বলতে সাধারণভাবে ধমনির রক্তচাপকেই বোঝায়। এটি হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা, ধমনির প্রাচীরের স্থিতিস্থাপকতা এবং রক্তের ঘনত্ব ও পরিমাণের সঙ্গে সম্পর্কিত।
গ. উদ্দীপকের প্রবাহ চিত্রটি মানবদেহের রক্ত সংবহনের।
মানুষের হৃৎপিণ্ড অবিরাম সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে ধমনি (চিত্রের অ) ও শিরার (চিত্রের ঠ) মাধ্যমে রক্ত সংবহন করে। হৃৎপিণ্ডের চিত্রের স্বতঃস্ফ‚র্ত সংকোচনকে সিস্টোল এবং স্বতঃস্ফ‚র্ত প্রসারণকে ডায়াস্টোল বলে। উল্লেখ্য, অলিন্দে যখন সিস্টোল হয়, নিলয় তখন ডায়াস্টোল অবস্থায় থাকে। মানবদেহে রক্ত সংবহন নিম্নরূপে ঘটেÑ
১. অলিন্দদ্বয় যখন ডায়াস্টোল অবস্থায় থাকে তখন সারাদেহের ঈঙ২ যুক্ত রক্ত ঊর্ধ্ব ও নিম্ন মহাশিরা দিয়ে অলিন্দে আসে এবং ফুসফুস থেকে ঙ২ সমৃদ্ধ রক্ত অলিন্দ শিরা দিয়ে বাম অলিন্দে আসে।
২. অলিন্দ দুটি রক্তপূর্ণ হলে অলিন্দের সিস্টোল হয়। ফলে ডান অলিন্দ থেকে ঈঙ২ সমৃদ্ধ রক্ত ডান নিলয় এবং বাম অলিন্দ থেকে ঙ২ সমৃদ্ধ রক্ত বাম নিলয়ে আসে।
৩. নিলয়দ্বয় রক্তপূর্ণ হলে সেগুলোর সিস্টোল হয়।
এভাবে হৃৎপিণ্ডের পর্যায়ক্রমে সিস্টোল ও ডায়াস্টোলের মাধ্যমে মানুষের দেহে রক্ত সংবহন হয়।
এ সময় বাম নিলয় থেকে ঙ২ যুক্ত রক্ত এবং ডান নিলয় থেকে ঈঙ২ যুক্ত রক্ত পালমোনারি ধমনিতে প্রবেশ করে। মহাধমনি থেকে রক্ত বিভিন্ন ধমনি ও শাখা ধমনি দিয়ে দেহস্থ কলাকোষকে পুষ্টিদ্রব্য ও অক্সিজেন সরবরাহ করে। অপরদিকে ফুসফুসীয় ধমনি থেকে ঈঙ২ যুক্ত রক্ত ফুসফুসীয় জালকে প্রবেশ করে। ফুসফুস থেকে রক্ত অক্সিজেন গ্রহণ করে ফুসফুসীয় শিরা দিয়ে বাম অলিন্দে আসে। এদিকে সারা দেহস্থ কার্বন ডাইঅক্সাইড যুক্ত রক্ত (দূষিত রক্ত) উপশিরা, শিরা ও মহাশিরা দিয়ে পুনরায় অ্যাট্রিয়ামে ফিরে আসে। হৃৎপিণ্ড পাম্প যন্ত্রের মতো নির্দিষ্ট তালে ও ছন্দে সংকুচিত হয়ে সারাদেহে এভাবে রক্ত সঞ্চালন ঘটায়।
ঘ. উদ্দীপকের প্রবাহ চিত্রের অ ও ঠ হলো যথাক্রমে ধমনি ও শিরা নামক রক্তনালী। এদের বৈসাদৃশ্যগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করা হলো :
যেসব রক্তনালির মাধ্যমে ঙ২ যুক্ত রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে দেহের বিভিন্ন অংশে বাহিত হয় তাদের ধমনি বা আর্টারি বলে। ব্যতিক্রম ফুসফুসীয় ধমনি যেটি ঈঙ২ যুক্ত রক্ত ফুসফুসে নিয়ে আসে। অপর দিকে যেসব রক্তনালি ঈঙ২ সমৃদ্ধ রক্ত সারা দেহ থেকে হৃৎপিণ্ডে বহন করে নিয়ে আসে তাদের শিরা বলে। ব্যতিক্রম ফুসফুসীয় শিরাটি যেটি ফুসফুস থেকে ঙ২ সমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ডে নিয়ে আসে।
ধমনির উৎপত্তি হৃৎপিণ্ড থেকে। ধমনির প্রাচীর পুরু ও তিন স্তর বিশিষ্ট। গহŸর ছোট, এদের মধ্যে কোনো কপাটিকা থাকে না। ফলে ধমনির মধ্য দিয়ে রক্ত বেগে প্রবাহিত হয়। এজন্য ধমনি ফেটে গেলে রক্ত ফিনকি দিয়ে বের হয়। ধমনির স্পন্দন আছে তাই রেডিয়াল ধমনির মাধ্যমে আমরা হার্টবিট বা পালস্ গণনা করতে পারি। ধমনির শাখা প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে সূ²াতিসূ² কৈশিক জালিকায় শেষ হয়। ধমনির গাত্রে কোলেস্টেরল জমা হয়। অপর দিকে কৈশিক জালিকাগুলো ক্রমশ একত্রিত হয়ে সূ² শিরা সৃষ্টি করে পরে একত্রিত হয়ে শিরা গঠন করে। ধমনির প্রাচীর ৩টি স্তরে গঠিত হলেও প্রাচীর পাতলা ও গহŸর বড়। শিরায় কপাটিকা থাকায় রক্ত এক মুখে ধীরে ধীরে প্রবাহিত হয় এবং হৃৎপিণ্ডে শেষ হয়।
প্রশ্ন -৭ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
হঠাৎ দুর্ঘটনায় পড়ে শাহীনের অনেক রক্তক্ষরণ হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার শাহীনের রক্ত পরীক্ষা করে দেখলেন তার রক্তে কোনো অ্যান্টিজেন নেই। তার ছোট ভাই তাকে রক্ত দিতে চাইলে দেখা গেল তার রক্তে কোনো অ্যান্টিবডি নেই।
ক. প্লাজমা কী? ১
খ. হার্ট-বিট বলতে কী বোঝায়? ২
গ. শাহীনের দেহ থেকে ক্ষরিত উপাদানের কাজ বর্ণনা কর। ৩
ঘ. শাহীন কি তার ভাইয়ের রক্ত গ্রহণ করতে পারবে? যুক্তিসহ তোমার মতামত দাও। ৪
 ৭নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. প্লাজমা হলো রক্তের তরল অংশ।
খ. হৃৎপিণ্ড একটি পাম্প যন্ত্রের মতো। এটি স্বয়ংক্রিয় পাম্পের মতো দেহের ভিতরে সর্বক্ষণ ছন্দের হারে স্পন্দিত হয়। এই হৃদস্পন্দনের মাধমে আমাদের শরীরে রক্ত প্রবাহিত হয়। মানুষের হৃৎপিণ্ড মায়োজেনিক অর্থাৎ বাইরের কোনো উদ্দীপনা ছাড়া হৃদপেশি নিজের থেকে সংকোচন ও প্রসারণের দ্বারা হৃৎস্পন্দন সৃষ্টি করে। এই স্পন্দনকেই বলা হয় হার্টবিট।
গ. শাহীনের দেহ থেকে ক্ষরিত উপাদান হলো রক্ত।
রক্ত প্রাণিদেহের এক ধরনের লাল বর্ণের অস্বচ্ছ, আন্তঃকোষীয় লবণাক্ত ও ক্ষারধর্মী তরল যোজক টিস্যু। মানুষ ও অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণিদেহের রক্তের কাজগুলো বর্ণনা করা হলো :
১. শ্বাসকার্য : লোহিত কণিকা ও রক্তরস রক্তের অক্সিজেনকে ফুসফুস থেকে টিস্যু কোষে এবং টিস্যু কোষ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইডকে ফুসফুসে পরিবহন করে।
২. হরমোন পরিবহন : অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহন করে।
৩. খাদ্যসার পরিবহন : দেহের সঞ্চয় ভাণ্ডার থেকে এবং পরিপাককৃত খাদ্যসার দেহের টিস্যু কোষগুলোতে বহন করে।
৪. বর্জ্য পরিবহন : নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থগুলোকে বৃক্কে পরিবহন করে।
৫. উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ : দেহে তাপের বিস্তৃতি ঘটিয়ে দেহের নির্দিষ্ট তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
৬. রোগ প্রতিরোধ : দেহে রোগজীবাণু প্রবেশ করলে মনোসাইট ও নিউট্রোফিল শ্বেত কণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে জীবাণুকে গ্রাস করে ধ্বংস করে। লিম্ফোসাইট শ্বেতকণিকা অ্যান্টিবডি গঠন করে দেহের ভিতরের জীবাণুকে ধ্বংস করে এবং বাইরের থেকে জীবাণু দ্বারা আক্রমণকে প্রতিহত করে।
ঘ. মানুষের রক্তকোষে দুই ধরনের অ্যান্টিজেন অ ও ই আছে এবং একইভাবে রক্তের সিরামে দুই ধরনের অ্যান্টিবডি আছে ধহঃরঅ ও ধহঃরই। একজন মানুষ তার রক্তে এই দুটি অ্যান্টিজেনের মধ্যে যেকোনো একটি অথবা দুটিই ধারণ করে অথবা দুটির একটিও ধারণ করে না। যে রক্তে শুধু অ অ্যান্টিজেন থাকে তাকে অ গ্রæপ এবং যে রক্তে শুধু ই অ্যান্টিজেন থাকে তাকে ই গ্রæপের রক্ত বলা হয়। যে মানুষের রক্তে অ ও ই উভয় অ্যান্টিজেন থাকে তাকে অই গ্রæপ এবং যার মধ্যে অ ও ই অ্যান্টিজেনের কোনোটিই থাকে না, তাকে গ্রæপ ঙ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
যেহেতু উদ্দীপকের শাহীনের রক্তে কোনো অ্যান্টিজেন নেই তাই তার রক্তের গ্রæপ ঙ। আর যেহেতু শাহীনের ভাইয়ের রক্তে কোনো অ্যান্টিবডি নেই, অর্থাৎ তার রক্তে অ ও ই উভয় অ্যান্টিজেনই রয়েছে, তাই তার রক্তের গ্রæপ অই। যেকোনো গ্রæপের রক্তের সাথে অন্য যেকোনো গ্রæপের রক্ত মেশানো যায় না। কারণ, রক্তের কোষের ক্ষেত্রে অ্যান্টিজেন অ্যান্টিবডি বিক্রিয়ার ফলে রক্ত জমাট বেঁধে যায় এবং রক্ত গ্রহণকারীর মৃত্যুও হতে পারে।
শাহীনের রক্ত ঙ গ্রæপের এবং এর রক্তরসে ধহঃর-অ ও ধহঃর-ই উভয় অ্যান্টিবডি থাকে। তাই কারও দেহে ঙ গ্রæপের রক্ত থাকলে সে কেবল ঙ গ্রæপের রক্ত নিতে পারবে। কিন্তু দেওয়ার সময় সব গ্রæপকে রক্ত দিতে পারবে। অপর দিকে তার ভাই সকল গ্রæপের রক্ত গ্রহণ করতে পারবে কিন্তু শুধু অই গ্রæপের রক্ত বহনকারীকে রক্ত দিতে পারবে।
অতএব, উপরিউক্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমার মতামত হলো শাহীন তার ভাইয়ের রক্ত গ্রহণ করতে পারবে না।

অতিরিক্ত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৯. রক্তে রক্তকণিকার শতকরা হার কত? (জ্ঞান)
ক ৫৫% খ ৫০% গ ৪৭%  ৪৫%
৩০. রক্তরসে আসার পূর্বে লোহিত কণিকাগুলো নিউক্লিয়াসবিহীন হয়ে যায় কোন প্রাণীতে? (জ্ঞান)
 স্তন্যপায়ী প্রাণীর খ পক্ষীকুল গ মেরুদণ্ডী প্রাণী ঘ মাছ
৩১. একজন সুস্থ পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহে রক্তের পরিমাণ কত? (জ্ঞান)
ক ৪.৫ লিটার খ ৪.৫-৬ লিটার  ৫Ñ৬ লিটার ঘ ৬-৭ লিটার
৩২. প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ পুরুষের ক্ষেত্রে রক্তে জইঈ-এর পরিমাণ কত? (জ্ঞান)
 ৪.৫Ñ৫.৫ লাখ/ঘন মিমি খ ৫.১Ñ৫.৯৫ লাখ/ঘন মিমি
গ ৬Ñ৬.২ লাখ/ঘন মিমি ঘ ৬.২Ñ৬.৫ লাখ/ঘন মিমি
৩৩. প্রতি ঘনমিলিমিটারে একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ পুরুষের রক্তে ডইঈ এর সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ২৫০০Ñ৫০০০  ৪০০০Ñ১০,০০০
গ ৬০০০Ñ৮০০০ ঘ ৫০০০Ñ৯০০০
৩৪. প্রতি ঘন মিলিমিটারে পুরুষের রক্তে অণুচক্রিকার সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ১,০০,০০০Ñ৪,০০,০০০ খ ১,৩০,০০০Ñ৪,০০,০০০
 ১,৫০,০০০ Ñ ৪,০০,০০০ ঘ ২,০০,০০০ Ñ ৪,০০,০০০
৩৫. অণুচক্রিকার গড় আয়ু কত দিন? (জ্ঞান)
ক ১৫ খ ১Ñ১৫  ৫Ñ১০ ঘ ৫Ñ২৫
৩৬. রক্তনালির ভিতরে রক্ত জমাট বাঁধাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক কোয়াগুলেশন খ রক্ততঞ্চন  থ্রম্বোসিস ঘ হিমোলাইসিস
৩৭. রক্তের বর্ণ লাল হওয়ার কারণ কোনটি? (অনুধাবন)
ক লাল রঞ্জক পদার্থ ˜ হিমোগেøাবিন
গ হিমোসায়ানিন ঘ রক্তরস
৩৮. কোন যন্ত্রের সাহায্যে রক্ত থেকে রক্তকণিকা ও রক্তরসকে পৃথক করা যায়? (জ্ঞান)
ক টারবাইন খ স্ফিগমোম্যানোমিটার
˜ সেন্ট্রিফিউগাল ঘ তড়িৎ যন্ত্র
৩৯. লোহিত কণিকার উৎপত্তিস্থল কোনটি? (অনুধাবন)
ক প্লিহা খ যকৃৎ ˜ অস্থিমজ্জা ঘ হৃৎপিণ্ড
৪০. রক্তে লোহিত কণিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে কী হয়? (অনুধাবন)
ক পাণ্ডুরোগ হয় ˜ অ্যানিমিয়া হয় গ য²া হয় ঘ ক্যানসার হয়
৪১. রক্ততঞ্চন ঘটার জন্য অণুচক্রিকার মূল উপাদান নিচের কোনটি? (অনুধাবন)
ক ফাইব্রিন খ অ্যাকটিন ˜ থ্রম্বোপ্ল¬াসটিন ঘ হিস্টাসিন
৪২. থ্রম্বোসাইটোসিসে কী ঘটে? (অনুধাবন)
ক অণুচক্রিকার সংখ্যা হ্রাস পায় ˜ অণুচক্রিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়
গ শ্বেত কণিকা হ্রাস পায় ঘ লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি পায়
৪৩. রক্তের কণিকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট কণিকা কোনটি? (অনুধাবন)
ক লোহিত কণিকা খ ইওসিনোফিল
˜ অণুচক্রিকা ঘ বেসোফিল
৪৪. দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাথে তরল যোজক কলার কোন কোষ যুক্ত? (অনুধাবন)
ক লোহিত কণিকা খ অণুচক্রিকা ˜ লিম্ফোসাইট ঘ বেসোফিল
৪৫. হেপারিন নিঃসৃত হয় কোন রক্ত কোষ থেকে? (অনুধাবন)
ক প্ল¬াজমা খ মনোসাইট গ লিম্ফোসাইট ˜ বেসোফিল
৪৬. নিচের কোনটি মানবদেহে অক্সিজেন বহন করে দেহের বিভিন্ন কলাকোষে নিয়ে যায়? (অনুধাবন)
ক রক্তরস ˜ লোহিত রক্ত কণিকা
গ অণুচক্রিকা ঘ শ্বেতকণিকা
৪৭. প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ মানুষের রক্তে প্রতিঘন মিলিমিটারে জইঈ এর সংখ্যা কত? (অনুধাবন)
ক ৫,০০০ খ ৫০,০০০ গ ৬০,০০০  ৫,০০,০০০
৪৮. জইঈ-এর সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধিকে কী বলে? (অনুধাবন)
ক লিউকেমিয়া খ অ্যানিমিয়া
গ লিউকোসাইটোসিস ˜ পলিসাইথিমিয়া
৪৯. রক্ত বাহিকার ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় কোনটি? (অনুধাবন)
ক হিমোগেø¬াবিন ˜ হেপারিন গ থ্রম্বিন ঘ রক্তরস
৫০. অ্যাগ্রানুলোসাইট শ্বেত কণিকা কোনটি? (অনুধাবন)
ক নিউট্রোফিল খ বেসোফিল ˜ মনোসাইট ঘ ইউসিনোফিল
৫১. কোনটিতে রক্তের অ্যান্টিজেন থাকে? (অনুধাবন)
ক রক্তরসে ˜ রক্তকোষ জইঈ তে গ সিরামে ঘ হিমোগেøাবিনে
৫২. রক্তের তরলতা বজায় রাখে কোনটি? (অনুধাবন)
ক লসিকা খ লসিকা নালি গ রক্তকণিকা ˜ রক্তরস
৫৩. শ্বেত রক্তকণিকার প্রধান কাজ কী? (অনুধাবন)
ক লোহিত কণিকা সৃষ্টি করা ˜ জীবাণু ধ্বংস করা
গ পুষ্টি সরবরাহ করা ঘ অক্সিজেন বহন করা
৫৪. মানবদেহে তরল টিস্যু কোনটি? (অনুধাবন)
˜ রক্ত খ রক্তরস গ রক্ত কণিকাসমূহ ঘ শ্বেতকণিকা
৫৫. রক্ত কী কী নিয়ে গঠিত? (অনুধাবন)
ক রক্তরস এবং প্লাজমা খ অণুচক্রিকা ও প্লাজমা
˜ রক্তকণিকা এবং রক্তরস ঘ লোহিত কণিকা ও প্লাজমা
৫৬. উৎপন্নের পর লোহিত রক্ত কণিকাগুলো সঞ্চিত থাকে কোথায়? (জ্ঞান)
ক অস্থিমজ্জায় ˜ প্লিহায় গ যকৃতে ঘ প্যানক্রিয়াসে
৫৭. লিউকোসাইটোসিস কী? (প্রয়োগ)
ক অণুচক্রিকার সংখ্যা বৃদ্ধি ˜ শ্বেত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি
গ লোহিত কণিকার বৃদ্ধি ঘ শ্বেত কণিকার সংখ্যা হ্রাস
৫৮. মানুষের রক্তে অবস্থিত তিন প্রকার রক্তকণিকা কোনগুলো? (অনুধাবন)
ক এরিথ্রোসাইট, লিউকোসাইট, হিমোগেø¬াবিন
খ এরিথ্রোসাইট, লিউকোসাইট, রক্তরস
˜ এরিথ্রোসাইট, লিউকোসাইট, থ্রম্বোসাইট
ঘ এরিথ্রোসাইট, হিমোগেø¬াবিন, রক্তরস
৫৯. ইওসিনোফিলের প্রধান কাজ কোনটি? (অনুধাবন)
ক অ্যান্টিবডি উৎপাদন করা খ হেপারিন ক্ষরণ করা
˜ এলার্জি প্রতিরোধ করা ঘ রক্ততঞ্চন করা
৬০. লিম্ফোসাইটের কাজ কোনটি? (অনুধাবনা)
ক রক্ততঞ্চনে সহায়তা করা ˜ অ্যান্টিবডি উৎপাদন করা
গ অক্সিজেন পরিবহন করা ঘ এলার্জি প্রতিরোধ করা
৬১. পিতা ও মাতার অটোজোম ক্রোমোজোমে অবস্থিত প্রচ্ছন্ন জিন দ্বারা কোন রোগ সৃষ্টি হয়? (জ্ঞান)
ক পারপুরা রোগ ˜ থ্যালাসিমিয়া গ লিউকেমিয়া ঘ অ্যানিমিয়া
৬২. মানুষের রক্তে হিমোগেøাবিনে উপস্থিত খনিজ পদার্থের নাম কী? (জ্ঞান)
ক কপার খ জিঙ্ক  লোহা ঘ সোডিয়াম
৬৩. রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা যখন অত্যধিক হারে বেড়ে ৫০,০০০ Ñ ১,০০,০০০ হয় তখন তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক লিউকোপেনিয়া  লিউকেমিয়া
গ পারপুরা ঘ লিউকোসাইটোসিস
৬৪. লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় বৃদ্ধি পেলে তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
 পলিসাইথিমিয়া খ অ্যানিমিয়া গ থ্যালাসিমিয়া ঘ লিউকেমিয়া
৬৫. মানুষের এরিথ্রোসাইটের জীবনকাল কত দিন? (জ্ঞান)
ক ১০০  ১২০ গ ১৪০ ঘ ১৯০
৬৬. রক্তের অক্সিজেন পরিবহন করে কোনটি? (অনুধাবন)
ক লোহিত কণিকা খ রক্তরস
গ রক্তকণিকা ˜ অক্সিহিমোগেøাবিন
৬৭. রক্তের প্রধান উপাদানগুলোর কোনটির পরিমাণ কত? (জ্ঞান)
ক রক্তরস ৪৫% এবং রক্তকণিকা ৫৫%
খ রক্তরস ৫০% এবং রক্তকণিকা ৫০%
˜ রক্তরস ৫৫% এবং রক্ত কণিকা ৪৫%
ঘ রক্তরস ৪০% এবং রক্তকণিকা ৬০%
৬৮. শ্বসনের ফলে কোষে সৃষ্ট ঈঙ২ -কে ফুসফুসে পরিবহন করে কী হিসেবে? (অনুধাবন)
ক কার্বাইড হিসেবে খ বাইকার্বাইড হিসেবে
˜ বাইকার্বনেট হিসেবে ঘ কার্বনেট হিসেবে
৬৯. কোনটি হরমোন, এনজাইম ও লিপিডকে দেহের বিভিন্ন অংশে বহন করে? (অনুধাবন)
˜ রক্তরস খ রক্তকণিকা
গ লোহিত রক্ত কণিকা ঘ শ্বেত রক্তকণিকা
৭০. নিচের কোনটির অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা আছে? (অনুধাবন)
ক রক্তরস ˜ রক্ত গ সিরাম ঘ লসিকা
৭১. গেøাবিউলিন কী? (অনুধাবন)
˜ রক্তরসের প্রোটিন খ সিরাম
গ অ্যান্টিজেন ঘ লসিকা কলার অংশ
৭২. কোন ধরনের শ্বেতকণিকা থেকে হেপারিন ও হিস্টাসিন উভয় নিঃসৃত হয়? (জ্ঞান)
ক মনোসাইট ˜ বেসোফিল গ নিউট্রোফিল ঘ লিম্ফোসাইট
৭৩. দেহে রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন কোনটি? (অনুধাবন)
 নিউট্রোফিল খ থ্রম্বোসাইট গ হেপারিন ঘ থ্রম্বিন
৭৪. রক্তের কোন উপাদান রক্ত বাহিকার মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়? (জ্ঞান)
ক থ্রম্বিন খ হিমোগেøাবিন ˜ হেপারিন ঘ রক্তরস
৭৫. রক্তবাহিকা কেটে গেলে রক্ততঞ্চনে প্রয়োজন হয় কোনটি? (অনুধাবন)
ক ঘধ+ ও প্রোথ্রম্বিন খ ঘধ+ ও ক+
গ ঘধ+ ও থ্রম্বোপ্লাস্টিন ˜ ঈধ+ ও থ্রম্বোপ্লাস্টিন
৭৬. কেটে গেলে রক্ত জমাটের সঠিক প্রক্রিয়া কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক থ্রম্বোসাইটÑ থ্রোম্বোপ্লাসটিন-ফাইব্রিন
˜ থ্রোম্বোপ্লাসটিন Ñ থ্রমবিন Ñ ফাইব্রিন
গ থ্রমবিন Ñ থ্রোম্বোপ্লাসটিন Ñ ফাইব্রিন
ঘ ফাইব্রিন Ñ থ্রমবিন Ñ থ্রোম্বোপ্লাসটিন
৭৭. রক্ততঞ্চনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন কোনটি? (অনুধাবন)
ক হিমোগেøাবিন খ অ্যালবুমিন  ফাইব্রিনোজেন ঘ গেøাবিউলিন
৭৮. অ্যাগ্রানুলোসাইট শ্বেতকণিকা কোনটি? (অনুধাবন)
ক নিউট্রোফিল খ বেসোফিল ˜ মনোসাইট ঘ ইওসিনোফিল
৭৯. নাইট্রোজেনবিহীন কোন জৈব যৌগ ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে বেশি থাকে? (অনুধাবন)
 গøুকোজ খ ফ্যাট গ কোলেস্টেরল ঘ সেলুলোজ
৮০. কোন ভিটামিন রক্তক্ষরণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে? (জ্ঞান)
ক ভিটামিন-অ খ ভিটামিন-ই ˜ ভিটামিন-ক ঘ ভিটামিন-ঈ
৮১. অণুচক্রিকাতে রক্ততঞ্চনকারী যে পদার্থটি থাকে সেটির নাম কী? (জ্ঞান)
ক বেসোফিল ˜ থ্রম্বোপ্লাসটিন গ ফাইব্রিন ঘ মায়োসিন
৮২. রক্তনালির ভেতরে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়াকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক থ্যালাসিমিয়া খ কোয়াগøুনেশন ˜ থ্রম্বোসিস ঘ পারপুরা
৮৩. রক্তে অণুচক্রিকার সংখ্যার হ্রাস পাওয়ার কারণে দেহে যে রোগ সৃষ্টি হয় সেটির নাম কী? (জ্ঞান)
 পারপুরা খ থ্রম্বোসাইটোসিস
গ লিউকোসাইটোসিস ঘ পলিসাইথিমিয়া
৮৪. রক্তে অণুচক্রিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক পারপুরা  থ্রম্বোসাইটোসিস
গ লিউকোসাইটোসিস ঘ লিউকেমিয়া
৮৫. কোন রক্তকণিকার অস্বাভাবিকতার কারণে থ্যালাসিমিয়া হয়? (অনুধাবন)
 লোহিত কণিকা খ হিমোগেøাবিন
গ অণুচক্রিকা ঘ শ্বেত কণিকা
৮৬. মানবদেহে প্রতি ঘনমিলিমিটার রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা বেড়ে যদি ২০,০০০-৩০,০০০ হয় তখন সে অবস্থাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক লিউকেমিয়া খ থ্যালাসিমিয়া
˜ লিউকোসাইটোসিস ঘ পারপুরা
৮৭. রক্তের গ্রানুলোসাইট কণিকা কোনটি? (অনুধাবন)
ক ডইঈ খ জইঈ ˜ নিউট্রোফিল ঘ মনোসাইট
৮৮. কোনটি ক্ষারধর্মী? (জ্ঞান)
ক পাকস্থলীর রস ˜ রক্ত
গ বিশুদ্ধ পানি ঘ ঢ়ঐ ৪ মানের পানি
৮৯. নিচের কোন ঢ়ঐ মানটি রক্তের হতে পারে? (অনুধাবন)
ক ৫ খ ৫.৫ গ ৬.৫ ˜ ৭.৫
৯০. লোহিত কণিকার উৎপত্তি স্থান কোনটি? (অনুধাবন)
ক পেশি খ প্লিহা ˜ অস্থিমজ্জা ঘ হৃৎপিণ্ড
৯১. শ্বেত কণিকার উৎপত্তি স্থান কোনটি? (অনুধাবন)
ক অস্থিমজ্জা খ পেশি গ হৃৎপিণ্ড ˜ প্লিহা
৯২. রক্তের অমø ক্ষারের সমতা বজায় রাখার কাজ করে কে? (জ্ঞান)
ক বেসোফিল খ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম
˜ হিমোগেøাবিন ঘ রক্তরস
৯৩. কোনটি না থাকার কারণে জইঈ এর আয়ু কম? (অনুধাবন)
ক গলগিবডি খ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম
˜ নিউক্লিয়াস ঘ নিউক্লিওলাস
৯৪. নিচের কোন উপাদানের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা আছে? (অনুধাবন)
ক সিরাম ˜ লোহিত কণিকা গ রক্তরস ঘ লসিকা
৯৫. মানবদেহে কোন ডইঈ সব থেকে বেশি সংখ্যক থাকে? (অনুধাবন)
ক মনোসাইট খ বেসোফিল গ ইউসিনোফিল ˜ নিউট্রোফিল
৯৬. মানুষের ডইঈ এর গড় আয়ু কত? (জ্ঞান)
ক ১-১২ দিন খ ১- ১৩ দিন গ ১-১৪ দিন ˜ ১-১৫ দিন
৯৭. রক্তবাহিকার মধ্যে রক্ততঞ্চনকে বাধা দেয় কোনটি? (অনুধাবন)
ক থ্রম্বিন খ হিমোগেøাবিন ˜ হেপারিন ঘ রক্তরস
৯৮. কোন রোগে শ্বেত কণিকার সংখ্যা বেড়ে যাবে? (অনুধাবন)
ক জণ্ডিস  নিউমোনিয়া গ পলিসাইথিলিয়া ঘ পারপুরা
৯৯. ভ্রƒণ দেহে প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে লোহিত কণিকার সংখ্যা কত থাকে? (জ্ঞান)
ক ৫০-৭০ লক্ষ খ ৬০-৭৫ লক্ষ
গ ৬৫-৮০ লক্ষ ˜ ৮০-৯০ লক্ষ
১০০. শিশুদের প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে জইঈ এর সংখ্যা কত থাকে? (জ্ঞান)
˜ ৬০-৭০ লক্ষ খ ৭০-৭৫ লক্ষ গ ৭৫-৮০ লক্ষ ঘ ৮০-৮৫ লক্ষ
১০১. পূর্ণ বয়স্ক নারীর দেহে প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে জইঈ এর স্বাভাবিক সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ৩-৪ লক্ষ ˜ ৪-৫ লক্ষ গ ৮-৯ লক্ষ ঘ ৯-১০ লক্ষ
১০২. দেহের প্রতি কোষে অক্সিজেন বহন করে নিয়ে যায় কোনটি? (অনুধাবন)
ক লিউকোসাইট খ থ্রম্বোসাইট ˜ এরিথ্রোসাইট ঘ মনোসাইট
১০৩. কোন কোষ অ্যামিবার মতো দেহের আকৃতির পরিবর্তন করতে পারে?
(অনুধাবন)
˜ শ্বেত কণিকা খ লোহিত কণিকা
গ অণুচক্রিকা ঘ স্নায়ু কোষ
১০৪. শ্বেতকণিকা কোন প্রক্রিয়ায় দেহের জীবাণু ধ্বংস করে? (জ্ঞান)
ক প্লাজাসালাইসিস ˜ ফ্যাগোসাইটোসিস
গ অসমোসিস ঘ লাইসিস
১০৫. দানাহীন শ্বেতকণিকা কোনটি? (প্রয়োগ)
ক ইওসিনোফিল খ বেসোফিল ˜ মনোসাইট ঘ নিউট্রোফিল
১০৬. হিস্টামিনের কাজ কী? (জ্ঞান)
ক জীবাণু ধ্বংস করা খ জীবাণু ভক্ষণ করা
গ রক্ততঞ্চনে সহায়তা করা ˜ এলার্জি প্রতিরোধ করা
১০৭. একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দেহে হিমোগেøাবিনের স্বাভাবিক মান কত? (জ্ঞান)
ক ১১-১৩ মস/ফষ খ ১২-১৪ মস/ফষ
˜ ১৪-১৬ মস/ফষ ঘ ১৬-১৮ মস/ফষ
১০৮. আহারের পূর্বে সুস্থ ব্যক্তির রক্ত শর্করার স্বাভাবিক সীমা কোনটি? (জ্ঞান)
˜ ৩.৬-৬.০ সসড়ষ/খ খ ৪.৬-৮.০ সসড়ষ/খ
গ ৮.০-১০ সসড়ষ/খ ঘ ৯-১০ সসড়ষ/খ
১০৯. কোন রোগে অণুচক্রিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়? (জ্ঞান)
ক নিউমোনিয়ায় খ থ্যালাসিমিয়া
˜ পারপুরা ঘ থম্বোসাইটোসিস
১১০. কোন অবস্থায় রক্তে অণুচক্রিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়? (জ্ঞান)
ক নিউমোনিয়া খ থ্যালাসিমিয়ায়
গ পারপুরা ˜ থ্রম্বোসাইটোসিস
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১১. রক্তের অক্সিজেন পরিবহন করেÑ (অনুধাবন)
র. হিমোগেøাবিন
রর. অক্সিহিমোগেøাবিন
ররর. রক্তরস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর ˜ র ও রর ঘ র ও ররর
১১২. মানুষের রক্তের ডইঈÑ (অনুধাবন)
র. মনোসাইট
রর. বেসোফিল
ররর. থ্রম্বোসাইট
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৩. দেহে রোগ প্রতিরোধ গড়ে তোলেÑ (অনুধাবন)
র. নিউট্রোফিল
রর. থ্রম্বোসাইট
ররর. লিম্ফোসাইট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৪. রক্তবাহিকা কেটে গেলে বা আঘাত প্রাপ্ত হলে, সেস্থানে রক্ততঞ্চন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেÑ (অনুধাবন)
র. থ্রোম্বোপ্লাসটিন
রর. থ্রমবিন
ররর. ফাইব্রিন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
১১৫. দেহে এলার্জি প্রতিরোধ করেÑ (অনুধাবন)
র. বেসোফিল
রর. নিউট্রোফিল
ররর. ইওসিনোফিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  র ও ররর ঘ রর ও ররর
১১৬. স্তন্যপায়ী প্রাণীদের লোহিত কণিকা- (অনুধাবন)
র. লম্বা আকৃতির
রর. বিভাজিত হয় না
ররর. প্লিহায় সঞ্চিত থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৭. ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় দেহের জীবাণু ধ্বংস করেÑ (প্রয়োগ)
র. লিম্ফোসাইট
রর. নিউট্রোফিল
ররর. মনোসাইট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৮. রক্ত রসের মধ্যে ছড়িয়ে থাকে-
র. সব ধরনের রক্ত কণিকা
রর. লোহিত ও শ্বেতকণিকা
ররর. নিউট্রোফিল ও অণুচক্রিকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১১৯. সারা দেহে অক্সিজেন পরিবাহিত হয়- (অনুধাবন)
র. রক্ত দ্বারা
রর. লোহিত কণিকা দ্বারা
ররর. শ্বেতকণিকা দ্বারা
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২০. অণুচক্রিকাগুলো- (অনুধাবন)
র. সকল কোষ অঙ্গাণু ধারণ করে
রর. সম্পূর্ণ কোষ নয়
ররর. ভগ্ন অবস্থায় থ্রম্বোপ্লাস্টিন তৈরি করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২১. স্তন্যপায়ী প্রাণীদের রক্ত এক ধরনের- (প্রয়োগ)
র. লাল বর্ণের অস্বচ্ছ ও লবণাক্ত তরল
রর. তরল যোজক টিস্যু
ররর. তরল যা ঈঙ২ বহন করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ˜ র, রর ও ররর
১২২. মেরুদণ্ডী প্রাণীদের দেহে ঙ২ ও ঈঙ২ বহন করে- (প্রয়োগ)
র. হিমোগেøাবিন
রর. অক্সি হিমোগেøাবিন
ররর.লোহিত রক্ত কণিকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
১২৩. বংশগতির বাহক প্রচ্ছন্ন জিন দ্বারা মানবদেহে ঘটে- (অনুধাবন)
র. পারপুরা
রর. অ্যানিমিয়া
ররর. থ্যালাসিমিয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  ররর ঘ রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চিত্রগুলো পর্যবেক্ষণ করে ১২৪ ও ১২৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

১২৪. উপরের চিত্রের কোনটি দেহে এলার্জি প্রতিরোধ করে? (প্রয়োগ)
ক চিত্র অ, ই ˜ চিত্র ই গ চিত্র ঈ ঘ চিত্র ই ও ঈ
১২৫. চিত্রের কোনটি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে? (প্রয়োগ)
ক চিত্র অ খ চিত্র ই ˜ চিত্র ঈ ঘ চিত্র অ ও ঈ
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১২৬ Ñ ১২৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সোহেলের এক ধরনের জ্বরের কারণে রক্তের অণুচক্রিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গিয়েছে। ডাক্তার বললেন এটি এক ধরনের রোগ।
১২৬. সোহেলের কী রোগ হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক লিউকেমিয়া খ থ্রম্বোসাইটোসিস ˜ পারপুরা ঘ পলিসাইথিমিয়া
১২৭. বিপরীত ঘটনা ঘটলে কোন রোগ সৃষ্টি হতে পারত? (উচ্চতর দক্ষতা)
˜ থ্রম্বোসাইটোসিস খ থ্যালাসিমিয়া
গ লিউকোসাইটোসিস ঘ পারপুরা
১২৮. উক্ত রক্তকণিকা ভেঙে গেলে কী সৃষ্টি হয়? (অনুধাবন)
ক ফাইব্রিন খ থ্রমবিন গ গেøাবিউলিন 

 

Leave a Reply