ষষ্ঠ অধ্যায়
বাংলাদেশের অর্থনীতি
বিষয়-সংক্ষেপ
কোনো দেশের অর্থনীতিতে জাতীয় উৎপাদন ও জাতীয় আয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেশের কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি।
বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের উৎস হিসেবে কৃষি, বনজ ও মৎস্য সম্পদ, শিল্প, খনিজ, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সম্পদ, নির্মাণ শিল্প, পাইকারি ও খুচরা বিপণন, হোটেল রেস্তোরাঁ, পরিবহন ও যোগাযোগ, ব্যাংক-বীমা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শুল্ক প্রভৃতি অন্যতম। কৃষিনির্ভর দেশ হলেও বর্তমানে আমাদের মোট জাতীয় আয়ে শিল্পের অবদানই সর্বাধিক। বর্তমানে সেবা খাতসমূহও দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে। কৃষিশিক্ষা, যোগাযোগ, সেবা প্রভৃতি খাতের উন্নয়নে প্রযুক্তির বিকাশকে কাজে লাগিয়ে আমরা সহজেই আমাদের জাতীয় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত ও জাতীয় আয় বৃদ্ধি করতে পারি। তবে এজন্য প্রয়োজন দক্ষ মানুষ বা মানবসম্পদ। অদক্ষ মানুষকে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির সাহায্যে দক্ষ মানুষ বা মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা যায়। বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যাকে জনশক্তি বা মানবসম্পদে পরিণত করা গেলে তাতে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
বিদেশে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও পেশাজীবীরা তাদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। এ অর্থ কেবল তাদের পরিবারের প্রয়োজনই মেটায় না কিংবা তাদের জীবনযাত্রার মানই বাড়াচ্ছে না, বরং নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে। বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের একটি বড় অংশ আসছে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্স থেকে।
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্য : দেশের কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের জীবনযাত্রার মান বাড়ানো; দারিদ্র্য হ্রাস, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়নো, কর্মসংস্থানের সুযোগ, বেকারত্ব হ্রাস ইত্যাদি।
বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের উৎস : বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের প্রধান উৎসগুলো হলো কৃষি ও বনজ, মৎস্যসম্পদ, শিল্প, খনিজ, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানিসম্পদ, নির্মাণশিল্প, পাইকারি ও খুচরা বিপণন, হোটেল-রেঁস্তোরা, পরিবহন ও যোগাযোগ, ব্যাংক-বিমা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শুল্ক প্রভৃতি।
মানবসম্পদ উন্নয়ন : প্রতিটি অদক্ষ মানুষকে শ্রমশক্তিসম্পন্ন বা মানবসম্পদে পরিণত করাই হচ্ছে মানব সম্পদের উন্নয়ন। দেশের সকল মানুষকে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞানলাভের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় দক্ষতা সৃষ্টি করতে হবে। দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করার জন্য সুস্বাস্থ্যের ব্যবস্থা করতে হবে। চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ও উৎপাদনমুখী সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলাই মানবসম্পদের উন্নয়ন।
মানবসম্পদ উন্নয়নে করণীয় : বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যাকে জনশক্তি বা মানবসম্পদে পরিণত করা গেলে তা দেশের জন্য বোঝা না হয়ে বরং দেশের উন্নয়নের নিয়ামক হিসেবে কাজে আসবে। এ লক্ষ্যে একটি সুচিন্তিত মানবসম্পদ উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করে দিতে হবে। দেশের সকল নাগরিক যেন শিক্ষার সুযোগ পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকল বেকার তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন পেশায় কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মের সুযোগ করে দিতে হবে। আমাদের দেশ থেকে দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিক ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের বিদেশে প্রেরণ করে অধিকতর কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে।
রেমিটেন্স : প্রবাসে কর্মরত নাগরিকদের স্বদেশে প্রেরিত অর্থকে রেমিটেন্স বলে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও পেশাজীবীরা তাদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। এ অর্থ কেবল তাদের প্রয়োজনই মিটায় না, কিংবা তাদের জীবনযাত্রার মানই বাড়াচ্ছে না, নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে এউচ-তে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের অবদান কত শতাংশ?
ক ২৯.৯৫ খ ১৫.৬৫ গ ১৪.৩০ ১০.৭৬
২. বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূলে রয়েছে-
র. প্রবাসীদের আয় রর. দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি
ররর. শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বৃদ্ধি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
হারুন দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তার বাবা লেখাপড়ার খরচ বহন করতে না পারায় একপর্যায়ে সে লেখাপড়া ছেড়ে দেয়। পরে শেখ হাসিনা জাতীয় যুবকেন্দ্র, সাভার থেকে পশুপালনের উপর প্রশিক্ষণ নেয়। গ্রামে ফিরে সামান্য ঋণ নিয়ে একটি গরুর খামার করে। এ থেকে তার লাভ হয়। হারুনকে দেখে উৎসাহিত হয়ে তার কয়েকজন বেকার বন্ধুও খামার করে। ফলে গ্রামবাসীদের অবস্থার উন্নতি হয়।
৩. অর্থনীতির ভাষায় হারুনের পরিচয়
ক আত্মকর্মী স্বাবলম্বী
গ সহকর্মী ঘ শ্রমজীবী
৪. উদ্দীপকে বর্ণিত কাজের মাধ্যমে হারুন ও তার বন্ধুরা পরিণত হয়েছে
জনশক্তিতে খ শ্রমশক্তিতে
গ পেশাজীবীতে ঘ বিনিয়োগকারীতে
৫. এউচ বলতে বোঝায়Ñ
দেশের অভ্যন্তরের মোট উৎপাদন খ মোট জাতীয় উৎপাদন
গ প্রবৃদ্ধির হার ঘ মাথাপিছু আয়
৬. প্রবাসীদের আয়কে কী বলে?
ক লভ্যাংশ খ এডভান্স রেমিটেন্স ঘ এভিডেন্স
৭. ২০১২-১৩ অর্থ বছরে আমাদের মোট জাতীয় উৎপাদনে কোনটির অবদান সবচেয়ে বেশি?
ক মৎস্য খাত শিল্প খাত
গ পরিবহন ও যোগাযোগ খাত ঘ স্বাস্থ্য ও সেবা খাত
৮. অদক্ষ জনগোষ্ঠী বলতে বোঝায়?
ক অশিক্ষিত জনগোষ্ঠী খ অর্ধ-শিক্ষিত জনগোষ্ঠী
গ কর্মহীন জনগোষ্ঠী প্রশিক্ষণবিহীন জনগোষ্ঠী
৯. আমাদের দেশে রেমিটেন্সের ফলে উন্নয়ন ঘটেÑ
ক সাংস্কৃতিক খ রাজনৈতিক
গ সামাজিক অর্থনৈতিক
১০. ২০০৯ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেমিটেন্সপ্রাপ্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান কততম ছিল?
৮ম খ ৭ম গ ৬ষ্ঠ ঘ ৫ম
১১. মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তা হলো-
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা খ প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষা
গ যুব উন্নয়ন ঘ নারী শিক্ষা বাড়ানো
১২. বিশ্বব্যাংকের হিসাবমতে ২০০৮ সালে সর্বোচ্চ রেমিটেন্সপ্রাপ্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান কততম ছিল?
ক ৬ষ্ঠ খ ৭ম গ ৮ম ১২ম
১৩. ২০০৯ সালে রেমিটেন্স প্রাপ্তিতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান কততম ছিল?
২য় খ ৩য় গ ৪র্থ ঘ ৫ম
১৪. বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে ১০.৮০ শতাংশ অবদান কোন খাতের?
ক মৎস্যখাত খ শিল্পখাত
পরিবহন ও যোগাযোগ খাত ঘ স্বাস্থ্য ও সেবাখাত
১৫. আমাদের দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ কোন সুযোগ থেকে বঞ্চিত?
ক প্রযুক্তির স্বাস্থ্যের খ স্বাস্থ্যের
গ কর্মসংস্থানের শিক্ষার
১৬. জনগণের জীবনযাত্রার মান নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পাবেÑ
ক এঘচ বাড়লে খ এউচ বাড়লে
মাথাপিছু আয় বাড়লে ঘ সঞ্চয় বাড়লে
১৭. ২০১২-১৩ অর্থবছরে জাতীয় উৎপাদনে শিল্পখাতের অবদান কত ছিল?
ক ১৪.৩৩% ১৯.৫৪% গ ২০.৫৪% ঘ ২৪.৩৩%
১৮. বাংলার অর্থনীতির মেরুদণ্ড কোনটি?
কৃষি খ তাঁত গ ভূমি ঘ ব্যবসা
১৯. এঘচ-এর পূর্ণরূপ কী?
এৎড়ংং হধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃ খ এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চবড়ঢ়ষব
গ এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চধৎঃু ঘ এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃরড়হ
২০. শিল্পখাতের উপখাত নয় কোনটি?
ক খনিজ ও খনন খ ম্যানুফ্যাকচারিং
গ বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি পরিবহন
২১. বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের বৃহৎ খাত কোনটি?
ক মৎস্য খ স্বাস্থ্যসেবা শিল্প ঘ পরিবহন ও যোগাযোগ
২২. মানুষের জš§গত অধিকার কোনটি?
ক বস্ত্র খ বাসস্থান গ বিনোদন শিক্ষা
২৩. জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে নিচের কোনটি করা প্রয়োজন?
ক শিল্প খাতের উৎপাদন বাড়ানো
খ সেবা খাতে বিনিয়োগ কমানো
গ কৃষি খাতকে আরও আধুনিকায়ন করা
পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন খাতের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা
২৪. আমাদের দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ কিসের অভাবে অসচেতন ও অদক্ষ?
ক পুষ্টিহীনতা শিক্ষা গ চিকিৎসা ঘ কর্মসংস্থান
২৫. মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কোনটি?
ক মালয়েশিয়া লিবিয়া গ ব্র“নাই ঘ সিঙ্গাপুর
২৬. আমাদের জাতীয় আয়ের একটি বড় অংশ আসে-
ক বৈদেশিক সাহায্য থেকে প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ থেকে
গ স্বাস্থ্য ও সেবা খাত থেকে ঘ পরিবহন ও যোগাযোগ খাত থেকে
২৭. ২০০৮-০৯ সালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন না হওয়ার কারণ কী?
ক দক্ষ মানবসম্পদ পর্যাপ্ত রেমিটেন্স
গ খনিজ সম্পদ প্রাপ্তি ঘ কৃষি বিপ্লব
২৮. বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের উৎস হলোÑ
র. শারীরিক শ্রম রর. ব্যাংক বিমা
ররর. শিল্প
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৯. একটি দেশের উন্নয়ন প্রকাশ পায় কোনটির মাধ্যমে?
র. মোট জাতীয় উন্নয়ন রর. মাথাপিছু আয়
ররর. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩০. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূলে রয়েছেÑ
র. প্রবাসীদের আয় বৃদ্ধি
রর. জাতীয় আয়ে শিল্পখাতের অবদান বৃদ্ধি
ররর. ভোগ্যপণ্যের আমদানি বৃদ্ধি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১. দেশে উৎপাদন বাড়লে জনগণের জীবনযাত্রার ওপর কিরূপ প্রভাব পড়বে?
র. ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে রর. দারিদ্র্য হ্রাস পাবে
ররর. বেকারত্ব বাড়বে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩২. কোনো দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মানের সাথে সম্পর্কিত হচ্ছে
র. বিভিন্ন খাতের উৎপাদন রর. বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ
ররর. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৩. একটি দেশের উন্নয়ন বিচারের মানদণ্ড হচ্ছে-
র. মোট জাতীয় উৎপাদন রর. মাথাপিছু আয়
ররর. জীবনযাত্রার মান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও র খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৪, ৩৫ ও ৩৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
রকিব তার বাবার সাথে বাংলাদেশের জাতীয় উৎপাদনের বিভিন্ন খাতসমূহ নিয়ে আলোচনা করছিল। তার বাবা বলল আমাদের প্রধান একটি খাত রয়েছে যা থেকে ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৩৯৬-লক্ষ মেট্রিকটন উৎপাদন করেছিল। জাতীয় উৎপাদনে যার অবদান ছিল ১৫.৬৫ শতাংশ।
৩৪. রকিবের বাবা কোন খাত সম্পর্কে বলছিল?
ক শিল্প খাত খ সেবা খাত
কৃষি ও বনজ খাত ঘ মৎস্য খাত
৩৫. এ খাতের অন্তর্ভুক্ত হলো-
র. ম্যানুফ্যাকচারিং রর. শষ্য ও শাকসবজি
ররর. খাদ্য ও বনজ সম্পদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬. এ খাতের তাৎপর্য হলো-
র. অধিক উৎপাদন ব্যয়
রর. মোট জাতীয় উৎপাদনে ভ‚মিকা রাখে
ররর. উৎপাদন নির্দিষ্টকরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৭ ও ৩৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ফাহিমের পিতা ৮ বছর ধরে ইতালিতে কর্মরত। ব্যাংকের মাধ্যমে তিনি দেশে টাকা পাঠান। তাদের পরিবারে এখন স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে।
৩৭. ফাহিমের পিতার পাঠানো অর্থকে বলা হয়Ñ
ক মূলধন খ মুনাফা রেমিটেন্স ঘ অনুদান
৩৮. ফাহিমের পিতা টাকা পাঠানোর কারণে বাংলাদেশের বাড়ছেÑ
র. মাথাপিছু আয় রর. অর্থনীতির সূচক
ররর. বিনিয়োগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-১ : উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্য
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৯. বাংলাদেশে অধিকাংশ লোকের জীবিকার প্রধান উপায় কী? (জ্ঞান)
কৃষি খ ব্যবসা
গ বাণিজ্য ঘ চাকরি
৪০. ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ কত? (জ্ঞান)
ক ৬,৭০, ৫৪৬ কোটি টাকা খ ৮,৯০, ৫৭১ কোটি টাকা
গ ৯,২০, ৩৭৮ কোটি টাকা ১০,৩৭,৯৮৭ কোটি টাকা
৪১. বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কোথায় বসবাস করে? (জ্ঞান)
গ্রামে খ শহরে গ বস্তিতে ঘ উপশহরে
৪২. কিসের সাহায্যে একটি দেশের উন্নয়ন পরিমাপ করা হয়? (জ্ঞান)
সূচক খ মিটার গ ওয়াট ঘ কিলো
৪৩. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার কেমন? (জ্ঞান)
ঊর্ধ্বমুখী খ নিম্নমুখী গ বহুমুখী ঘ একমুখী
৪৪. জাতীয় উৎপাদনে এককভাবে কোনটির অবদান সবচেয়ে বেশি? (জ্ঞান)
ক পরিবহনের খ বাণিজ্যের গ নির্মাণ শিল্পের কৃষির
৪৫. আমাদের দেশ প্রবৃদ্ধির সূচকে এগিয়ে যাবে কীভাবে? (অনুধাবন)
ক জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে খ কৃষিতে রাসায়নিক সার দিলে
গ জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ করে কৃষি আমদানি বৃদ্ধিতে
৪৬. এউচ -এর অর্থ কোনটি? (অনুধাবন)
ক মোট বিদেশি উৎপাদন খ মোট জাতীয় আয়
মোট দেশজ উৎপাদন ঘ মোট মাথাপিছু আয়
৪৭. এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক মোট জাতীয় সম্পদ খ মোট জাতীয় আয়
মোট জাতীয় উৎপাদন ঘ মোট দেশজ উৎপাদন
৪৮. উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্য কী? [যশোর জিলা স্কুল]
ক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা খ দারিদ্র্য হ্রাস করা
জনগণের জীবনমান বৃদ্ধি করা ঘ সামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৯. শহরাঞ্চলে মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস হলো- (অনুধাবন)
র. চাকরি রর. ব্যবসা ররর. বাণিজ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও রর র ও রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫০ ও ৫১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অর্থনীতিতে উৎপাদন বিষয়ক দুটি ধারণা:
র. এঘচ
রর. এউচ
৫০. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত উৎপাদন বৃদ্ধির প্রধান লক্ষ্য কী? (প্রয়োগ)
ক জনগণের সম্পদ বৃদ্ধি খ দেশের সম্পদ বৃদ্ধি
জনগণের আয় বৃদ্ধি ঘ দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি
৫১. এ উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তথ্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দেশের সামগ্রিক সম্পদের ব্যবহার
রর. জাতীয় উৎপাদন আর্থিক মূল্যে পরিণত
ররর. আমদানি রপ্তানি খাত ভারসাম্যপূর্ণ থাকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর র ও রর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-২ : বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে বিভিন্ন খাতের অবদান
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫২. ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট জাতীয় উৎপাদনে কৃষি ও বনজ খাতের অবদান কত? (জ্ঞান)
ক ১০.৩২ শতাংশ খ ১২.৩৩ শতাংশ ১৪.৩৩ শতাংশ ঘ ১৬.৮৩ শতাংশ
৫৩. ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে জিডিপিতে মৎস্য খাতের অবদান কত ছিল? (জ্ঞান)
৪.৩৭ শতাংশ খ ৪.৫১ শতাংশ গ ৫.২৫ শতাংশ ঘ ৫.৮৫ শতাংশ
৫৪. এককভাবে আমাদের মোট জাতীয় উৎপাদনে সর্বাধিক অবদান কোন খাতের? (অনুধাবন)
ক কৃষি খাতের শিল্প খাতের গ স্বাস্থ্য ঘ সেবা খাতের
৫৫. বর্তমান বিশ্ব কিসের ওপর বেশি নির্ভরশীল? (জ্ঞান)
ক কৃষির ওপর খ ব্যবসার ওপর
প্রযুক্তির ওপর ঘ দেশীয় উৎপাদনের ওপর
৫৬. বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি কোন খাতের অন্তর্ভুক্ত? (জ্ঞান)
ক সেবা খাত খ যোগাযোগ খাত শিল্প খাত ঘ পরিবহন খাত
৫৭. আমাদের মোট জাতীয় উৎপাদনে কোনটির অবদান বেশি? (জ্ঞান)
কৃষির খ সেবা খাতের গ শিল্পের ঘ মৎস্য খাতের
৫৮. গ্রাম থেকে চাল এনে শহরে বিক্রয় করাকে কী বলা হয়? (অনুধাবন)
ক ব্যক্তিগত সেবা ব্যবসায়
গ পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায় ঘ কৃষি
৫৯. ২০০৯-১০ অর্থ বছরে পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে কত শতাংশ? (অনুধাবন)
ক ১২ শতাংশ খ ১৩.৪ শতাংশ গ ১৪ শতাংশ ১৪.৩০ শতাংশ
৬০. মজিদ মিঞা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। এতেই তার পরিবারের সচ্ছলতা আসে। মজিদ মিঞা কোন খাতে অবদান রাখে? (প্রয়োগ)
মৎস্য খাতে খ শিল্প খাতে গ সেবা খাতে ঘ কৃষি খাতে
৬১. লোকমানের মামা বিদেশে থাকে। প্রতি বছর মামা তাদের নিকট ডাকযোগে জামা, কাপড় ও অন্যান্য জিনিস পাঠায়। এ পাঠানো বাবদ টাকা কোন খাতে ব্যয় হয়? [কুমিল্লা জিলা স্কুল]
যোগাযোগ খাতে খ সেবা খাতে গ শিল্প খাতে ঘ পরিবহন খাতে
৬২. শিল্প খাতে অবদান রাখতে সক্ষম কোনগুলো?
[সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা]
তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ খ নদী পথে লঞ্চ-স্টিমার
গ আকাশ পথে বিমান ঘ পশু সম্পদ, হাঁস-মুরগি পালন
৬৩. ২০০৯-১০ অর্থবছরে জাতীয় আয়ে স্বাস্থ্য ও সেবা খাতের অবদান ছিল কত? (উচ্চতর দক্ষতা)
২.৩৮ শতাংশ খ ৩.৩৮ শতাংশ
গ ৪.৪৮ শতাংশ ঘ ৫.৫৮ শতাংশ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৪. কৃষি ও বনজ খাতের অন্তর্ভুক্ত হলো [ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর]
র. গ্যাস রর. খনিজ সম্পদ
ররর. খাদ্যশস্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর ররর ঘ রর ও ররর
৬৫. বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের উৎস হলো- (অনুধাবন)
র. কৃষি ও বনজ খাত রর. বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি
ররর. হোটেল- রেস্তোরাঁ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৬ ও ৬৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আদিল সাহেব খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে দায়িত্বশীল ভ‚মিকা পালন করেন। দেশের জাতীয় আয়ে এ খাতটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
৬৬. আদিল সাহেব জাতীয় আয়ের কোন খাতে অবদান রাখছেন বলে তুমি মনে কর? (প্রয়োগ)
শিল্প খাত খ বাণিজ্য খাত গ সেবা খাত ঘ স্বাস্থ্যখাত
৬৭. উক্ত খাত সম্পর্কে প্রজোয্য- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জাতীয় উৎপাদনে অবদান সর্বাধিক
রর. ২০১২-১৩ অর্থবছরে জিডিপিতে অবদান ১৯.৫৪ শতাংশ
ররর. ২০১২-১৩ অর্থবছরে অবদান ১,৩৬,৯৮৭ কোটি টাকা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৩ : মানসম্পদ উন্নয়ন
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৮. যারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে অবদান রাখে তাদেরকে কী বলে? (জ্ঞান)
মানবসম্পদ খ সম্পদশালী গ প্রগতিশীল ঘ বিত্তবান
৬৯. শিক্ষা মানুষের কেমন অধিকার? (জ্ঞান)
ক পেশাগত খ জন্মগত গ প্রকৃতিগত সহজাত
৭০. আমাদের দেশের অসংখ্য মানুষ কিসের অভাবে অসচেতন ও অদক্ষ? (জ্ঞান)
ক সাহিত্যিক জ্ঞান খ রাজনৈতিক জ্ঞান
শিক্ষা ঘ খেলাধুলা
৭১. শ্রমশক্তিসম্পন্ন মানুষকে কী বলা হয়? (অনুধাবন)
ক অকর্মঠ মানবসম্পদ গ দেশের বোঝা ঘ সুশীল সমাজ
৭২. শিক্ষার অভাবে মানুষ কী হয়? (জ্ঞান)
ক মানব সম্পদ খ সচেতন নাগরিক
গ সংস্কৃতি মনা অসচেতন ও অদক্ষ
৭৩. মানবসম্পদ উন্নয়নে কোনটির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য? (অনুধাবন)
যুব উন্নয়ন খ দারিদ্র্য হ্রাস গ কর্মবিমুখতা ঘ জনসংখ্যা হ্রাস
৭৪. মানবসম্পদ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
যারা অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে অবদান রাখে
খ যারা সমাজের দরিদ্র লোকদের সাহায্য করে
গ যারা অসুস্থ লোকদের সেবা করে
ঘ যারা মূর্খ লোকদের শিক্ষা দান করে
৭৫. মানবসম্পদ উন্নয়নের পদক্ষেপ হিসেবে সরকারকে সর্বপ্রথম কোনটি নিশ্চিত করতে হবে? (অনুধাবন)
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা
খ রাজনীতিবিষয়ক জ্ঞানের বিকাশ
গ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
ঘ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রশিক্ষণ
৭৬. অদক্ষ মানুষকে মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা যায় কীভাবে? (অনুধাবন)
শিক্ষা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খ দক্ষতার মাধ্যমে
গ কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ঘ সবগুলোই
৭৭. জহির শহরে এসে কোনো কাজ না পেয়ে অবশেষে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। তার এ পেশা গৃহীত হয়েছে কিরূপে? (প্রয়োগ)
ব্যক্তিগত উদ্যোগে খ রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে
গ সামাজিক উদ্যোগে ঘ ধর্মীয় উদ্যোগে
৭৮. প্রবাসী আয় অর্জিত হয় কীভাবে? (প্রয়োগ)
ক কৃষি উৎপাদনের মাধ্যমে
খ শ্রমিকদের শ্রমের বিনিময়ে
বিদেশে কর্তব্যরত নাগরিকদের প্রেরিত অর্থের মাধ্যমে
ঘ শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি আয়ের মাধ্যমে
৭৯. লোকমান একজন মেধাবী ও জ্ঞানী লোক। মানবসম্পদ উন্নয়নে সে কীভাবে ভ‚মিকা রাখতে পারে? (প্রয়োগ)
ক সেবার মাধ্যমে খ শ্রমের মাধ্যমে
গ রেমিটেন্সের মাধ্যমে উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে
৮০. প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র ভর্তি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ কী? (প্রয়োগ)
বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক ও উপবৃত্তি প্রদান
খ উচ্চশিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া
গ কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা
ঘ সমাপনী পরীক্ষা চালু
৮১. দক্ষ মানুষ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
আধুনিক প্রশিক্ষণ খ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা
গ সামাজিক উন্নয়ন ঘ বেকারত্ব দূরীকরণ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮২. মাসুদ বিদেশে চাকরি করে, প্রতিমাসে সে বাড়িতে টাকা পাঠায়। তার প্রেরিত অর্থ অবদান রাখেÑ (অনুধাবন)
র. তার পরিবারের উন্নয়নে রর. তাদের জীবনমান উন্নয়নে
ররর. দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮৩. চাকরিতে বিশেষ কোটা সংরক্ষণের সরকারি নীতির মূলে রয়েছে-
র. পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা প্রদান (উচ্চতর দক্ষতা)
রর. মানবসম্পদ উন্নয়ন
ররর. অনগ্রসর শ্রেণিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮৪. দেশের জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে পারলে- (প্রয়োগ)
র. জীবনযাত্রার মান বাড়বে রর. জাতীয় উৎপাদন বাড়বে
ররর. দেশের উন্নয়ন গতিশীল হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮৫. নাবিলা নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অসচেতন। তার মধ্যে কোনটির অভাব পরিলক্ষিত হয়Ñ (অনুধাবন)
র. শিক্ষার রর. সামাজিক পরিবেশের
ররর. ব্যক্তিত্ব বিকাশের
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৬, ৮৭ ও ৮৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রহিমা কারখানায় কাজ করে যে টাকা পায় তাতে সংসার চালানো কষ্ট হয়। তাই কাজের ফাঁকে সে বাড়ির পাশে পতিত জমিতে সবজি চাষ করে।
৮৬. রহিমার কাজের ফাঁকে সবজি চাষের মূল লক্ষ্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন রর. দারিদ্র্য দূরীকরণ
ররর. বিলাসী জীবনযাপন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৭. রহিমাকে কী বলা যেতে পারে?
ক সেবাদানকারী স্বাবলম্বী গ ব্যবসায়ী ঘ উচ্চাকাক্সক্ষী
৮৮. রহিমার এ সুন্দর পদক্ষেপের ফলে তার সংসার হবেÑ (প্রয়োগ)
র. সুখের রর. স্বাচ্ছন্দ্যের
ররর. জাঁকজমকপূর্ণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র র ও রর গ রর ও ররর ঘ র,রর ও ররর
পাঠ-৪ : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের আয়
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৯. ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি বড় ধরনের সংকটের মধ্যে না পড়ার অন্যতম কারণ হলো- (অনুধাবন)
ক দেশীয় আয় রেমিটেন্স
গ বাণিজ্যিক মুনাফা ঘ দেশীয় কর্মসংস্থান
৯০. ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বিদেশ থেকে বাংলাদেশের নাগরিকগণ মোট কত মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রেরণ করেছিলেন? (জ্ঞান)
ক ৯২৮৩ খ ৯৪৮৬ ৯৬৮৯ ঘ ৯৮৬৪
৯১. বিশ্ব ব্যাংকের মতে, ২০০৯ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেমিটেন্সপ্রাপ্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান কত ছিল? (জ্ঞান)
ক ৭ম ৮ম গ ৯ম ঘ ১০ম
৯২. ২০১০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বিদেশে বাংলাদেশের কত সংখ্যক লোক কর্মরত ছিল? (প্রয়োগ)
ক ৪৮ লাখ খ ৫৩ লাখ গ ৫৪ লাখ ৫৯ লাখ
৯৩. ২০০৯ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেমিটেন্সপ্রাপ্ত সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল কত? (জ্ঞান)
ক ১ম ২য় গ ৪র্থ ঘ ৫ম
৯৪. রেমিটেন্স বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক দেশীয় শ্রমিকদের বিদেশে প্রেরিত অর্থ
প্রবাসে কর্মরত নাগরিকদের স্বদেশে প্রেরিত অর্থ
গ পেশাজীবী কর্তৃক পরিশোধিত কর
ঘ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার
৯৫. সজিব দুবাইয়ে চাকরি করে এবং প্রতিমাসে টাকা পাঠায়। তার টাকা পাঠানোকে অর্থনীতিতে কী বলে? (প্রয়োগ)
ক প্রফিট খ মুনাফা রেমিটেন্স ঘ লভ্যাংশ
৯৬. বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ করা গেলে দেশের প্রবৃদ্ধির সূচকÑ (প্রয়োগ)
ক নিম্নমুখী হবে খ স্থির হবে ঊর্ধ্বমুখী হবে ঘ গতিশীল হবে
৯৭. সজিব দুবাইয়ে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করে এবং প্রতিমাসে বাড়িতে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পাঠায়। তার প্রেরিত টাকাকে অর্থনীতির ভাষায় কী বলে? (প্রয়োগ)
রেমিটেন্স খ প্রফিট গ লভ্যাংশ ঘ মুনাফা
৯৮. দিনে দিনে বাংলাদেশে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এরূপ অর্থের ভ‚মিকা কেমন? (উচ্চতর দক্ষতা)
সহায়ক খ প্রতিবন্ধক গ অপ্রতুল ঘ স্বল্প
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৯. করিম সার্কভুক্ত দেশগুলোর উন্নয়নের ধারাবাহিক তালিকা করতে চায়। তার এ জরিপের সূচক হবেÑ (অনুধাবন)
র. মোট জাতীয় উৎপাদন রর. অর্থনৈতিক উন্নয়ন
ররর. জনগণের মাথাপিছু আয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০০. নিকট ও দূরপ্রাচ্যের দেশগুলো হলোÑ (অনুধাবন)
র. সৌদি আরব, মরক্কো রর. মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর
ররর. ব্র“নাই, দক্ষিণ কোরিয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০১. প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্স (প্রয়োগ)
র. পরিবারের প্রয়োজন মেটায় রর. জীবনযাত্রার মান বাড়ায়
ররর. দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১০২, ১০৩ ও ১০৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জনাব জামান কানাডা প্রবাসী, কিন্তু তার পরিবার-পরিজন সবাই যশোরে থাকে।
১০২. জনাব জামান পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করেন কীভাবে? (প্রয়োগ)
রেমিটেন্স পাঠিয়ে খ মেধার বিকাশে
গ তথ্য পাঠিয়ে ঘ প্রযুক্তির বিকাশে
১০৩. জনাব জামান সম্পর্কে প্রযোজ্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অর্থনীতির উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখেন
রর. মানবসম্পদ
ররর. দেশপ্রেম নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৪. জনাব জামানের পরিবারের নিকট প্রেরিত অর্থের তাৎপর্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পারিবারিক সচ্ছলতা
রর. অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
ররর. জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৫. দেশের জাতীয় আয়ের উৎসগুলো হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কৃষি ও বনজ খাত
রর. মৎস্য খাত
ররর. বিদ্যুৎ গ্যাস ও পানি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও ররর র, রর ও ররর
১০৬. দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে (অনুধাবন)
র. রাষ্ট্রীয়ভাবে রেমিটেন্স বাড়াতে হবে
রর. কৃষির উন্নয়ন করতে হবে
ররর. নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করতে হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৭. বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজনÑ (প্রয়োগ)
র. শিক্ষার প্রসার রর. বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের প্রসার
ররর. বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও রেমিটেন্স বৃদ্ধি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৮. মামুন একটি এনজিওতে মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করে। এক্ষেত্রে তাকে উদ্যোগ নিতে হবে Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শিক্ষা প্রসারের রর. যুব উন্নয়নের
ররর. কর্মসংস্থান বৃদ্ধির
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন -১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সুরুজ আলীর বাড়ি টাঙ্গাইলে। তার দুই বিঘা জমি আছে। এতে তিনি ডাল ও আলু চাষ করেন। বছর শেষে ফসল তুলে বাজারে বিক্রি করেন। এ থেকে তিনি প্রচুর লাভ করেন। অন্যদিকে আরমান হোসেন চট্টগ্রামে বাস করেন। তার একটি পোশাক তৈরির কারখানা আছে। তার পোশাক দেশের চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে রপ্তানি হয়।
ক. এঘচ-এর পূর্ণরূপ কী?
খ. মাথাপিছু আয়ের ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।
গ. সুরুজ আলীর কাজ জাতীয় আয়ের কোন উৎসের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.দেশের মোট জাতীয় উৎপাদনে সুরুজ আলী ও আরমান হোসেনের কাজের অবদান মূল্যায়ন কর।
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. এঘচ-এর পূর্ণরূপ হলো এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃ.
খ. অর্থনীতিতে মাথাপিছু আয়ের ধারণাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট এলাকার বা কোনো দেশের মোট উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবাকর্ম সৃষ্টির আর্থিক মূল্যকে সেদেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে বণ্টন করলে প্রতিজন যে আয়ের মালিক হয় তাকে মাথাপিছু আয় বলে।
গ. সুরুজ আলীর কাজ জাতীয় আয়ের কৃষি উৎসের অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের বিভিন্ন খাতের মধ্যে কৃষিই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত। বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত কৃষিনির্ভর। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ ভাগ লোক গ্রামে বাস করে এবং কৃষিই হলো তাদের আয়ের প্রধান উৎস। যেমন দেখা যায় উদ্দীপকের সুরুজ আলীর ক্ষেত্রে। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই কৃষি খাত থেকে আসে। ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে আমাদের জাতীয় উৎপাদনে কৃষি খাতের অবদান ছিল ১৪.৩৩ শতাংশ। আবার সুরুজ আলীর মতো আমাদের দেশের কৃষকেরা নিজেদের ফসল যদি নিজেরাই বাজারে বিক্রি করেন তবে তা বাণিজ্য খাতের অন্তর্ভুক্ত হবে। এতে কৃষকেরা লাভবান হবেন এবং আমাদের জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকের সুরুজ আলীর কাজ জাতীয় আয়ের কৃষি উৎসের অন্তর্ভুক্ত এবং কৃষি ফসল বিক্রি বাণিজ্য খাতের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ. বাংলাদেশের মোট জাতীয় উৎপাদনে উদ্দীপকের সুরুজ আলী ও আরমান হোসেনের কাজের অবদান বিশেষভাবে উলেখযোগ্য। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের বিভিন্ন খাতের মধ্যে কৃষিই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত। বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ লোক গ্রামে বাস করে এবং কৃষিই হলো তাদের আয়ের প্রধান উৎস। বাংলাদেশের জাতীয় উৎপাদনে কৃষি খাতের অবদান ১৪.৩৩ শতাংশ।
অন্যদিকে শিল্পখাত বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় উৎপাদনে একক বৃহত্তম খাত। ২০১২-১৩ অর্থবছরে জাতীয় উৎপাদনে শিল্পখাতের অবদান ১৯.৫৪ শতাংশ। উপরন্তু এ খাতটির অনেক পণ্য রপ্তানিমুখী। যেমন : উদ্দীপকের আরমান হোসেন পোশাক কারখানায় তৈরি পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয়। তাই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিতে আরমান হোসেনের কাজ বর্তমানে ব্যাপক সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। পরিশেষে বলা যায়, জাতীয় উৎপাদনে সুরুজ আলী ও আরমান হোসেন উভয়ের কাজ গুরুত্বপূর্ণ হলেও আরমান হোসেনের কাজ ব্যাপক সুদূরপ্রসারী ভ‚মিকা রাখে।
প্রশ্ন -২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দরিদ্র গিয়াসউদ্দিনের দুই ছেলের নাম কামাল ও জামাল। কামাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে একটি সিরামিক কোম্পানিতে চাকরি নেয়। অন্যদিকে জামাল কাজের সন্ধানে মালয়েশিয়া যায়। মালয়েশিয়া থেকে জামালের পাঠানো টাকায় যেমন গিয়াস উদ্দিনের পরিবারে সচ্ছলতা আসে, তেমনি কিছু সঞ্চয়ও হচ্ছে। সাত বছর পর জামাল বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে দেশে ফিরে আসে এবং দুই ভাই একত্রে এবি সিরামিক কারখানা নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এতে এলাকার অনেকের কর্মসংস্থান হয়।
ক. শিক্ষা কোন ধরনের অধিকার?
খ. মানব সম্পদ বলতে কী বোঝায়?
গ. মালয়েশিয়া থেকে জামালের পাঠানো অর্থের ধরন ব্যাখ্যা কর।
ঘ.কামাল ও জামালের সর্বশেষ কর্ম প্রয়াসের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
ল্ফল্প ২নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. শিক্ষা মানুষের জন্মগত অধিকার।
খ. যারা শ্রম বা মেধা দিয়ে দেশের কৃষি, শিল্প ও সেবাসহ যেকোনো খাতে অবদান রাখে তাদেরকে দেশের মানবসম্পদ বলা হয়। অদক্ষ মানুষকে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির সাহায্যে দক্ষ মানুষ তথা মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা যায়। একটি দেশের জনসংখ্যাকে এভাবে মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে পারলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।
গ. মালয়েশিয়া থেকে জামালের পাঠানো অর্থ রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয়ের অন্তর্ভুক্ত।
প্রবাসে কর্মরত নাগরিকদের স্বদেশে প্রেরিত অর্থকে রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয় বলে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও পেশাজীবীরা তাদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। প্রেরিত এই অর্থ কেবল তাদের পরিবারের প্রয়োজন মেটায় না কিংবা তাদের জীবনযাত্রার মানই বাড়ায় না বরং নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উদ্দীপকের জামালও মালয়েশিয়া থেকে পরিবারের জন্য টাকা পাঠায়। তার এ প্রেরিত অর্থ রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয়ের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ. কামাল ও জামালের সর্বশেষ কর্মপ্রয়াস হচ্ছে শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা। আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব অত্যধিক। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো শিল্পখাত। শিল্পখাত বাংলাদেশের জাতীয় উৎপাদনে উলেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। সা¤প্রতিককালে শিল্প খাতের অবদান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে জাতীয় উৎপাদনে শিল্পের অবদান ১৯.৫৪ শতাংশ। সুতরাং জামাল ও কামালের প্রতিষ্ঠিত এবি সিরামিক কারখানা অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
কামাল ও জামালের সর্বশেষ কর্মপ্রয়াস একটি বেসরকারি উদ্যোগ। বর্তমানে বেসরকারি মালিকানায় দেশে অনেক শিল্প-কারখানা ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখার পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে এ খাত থেকে। যেমনÑ উদ্দীপকের এটি সিরামিক কারখানায়ও এলাকার অনেকের কর্মসংস্থান হয়।
প্রশ্ন -৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ফাহিম, নাইম ও মহিম তিন ভাই। ফাহিম বাবার রেখে যাওয়া বিশাল আম বাগানে ক্রমান্বয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। নাইম, ছোট ভাই মহিমের বিদেশ থেকে প্রেরিত অর্থ দিয়ে একটি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপন করেছে। যেখানে কাঁচামালের বেশির ভাগই আসে নিজস্ব খামার থেকে।
ক. কর্ণফুলী কাগজের কলে ব্যবহৃত প্রধান কাঁচামাল কী? ১
খ. কোনো দেশের উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্য বর্ণনা কর। ২
গ. নাইমের কর্মকাণ্ড জাতীয় আয়ের যে খাতের অন্তর্ভুক্ত তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ.মহিমের কর্মকাণ্ড দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আর কীভাবে ভ‚মিকা রাখছে বিশ্লেষণ কর। ৪
৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কর্ণফুলী কাগজের কলে ব্যবহৃত প্রধান কাঁচামাল হলো বাঁশ।
খ. দেশের কৃষি, শিল্প ও সেবাখাতে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি। দেশে উৎপাদন বাড়লে জনগণের জীবনযাত্রার ওপর তার প্রভাব পড়বে। দারিদ্র্য হ্রাস পাবে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে, বেকারত্ব হ্রাস পাবে।
গ. উদ্দীপকের নাইমের কর্মকাণ্ড জাতীয় আয়ের শিল্পখাতের অন্তর্ভুক্ত।
শিল্পখাত জাতীয় অর্থনীতিতে গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সরবরাহ, খনিজসম্পদ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও নির্মাণ শিল্প এ খাতের অন্তর্ভুক্ত। আমরা উদ্দীপকে লক্ষ করি, নাইম তার ছোট ভাই মহিমের বিদেশ থেকে প্রেরিত অর্থে একটি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপন করেছে, যেটি শিল্পখাতের অন্তর্ভুক্ত। ২০১১-১২ অর্থ বছরে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান ছিল ১৯.০১ শতাংশ। বাংলাদেশে এ খাতটি দিন দিন সমৃদ্ধি লাভ করছে।
ঘ. মহিমের কর্মকাণ্ড তথা প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স বিভিন্নভাবে দেশের অর্থনীতিতে ভ‚মিকা রাখছে।
উদ্দীপকে মহিমের পাঠানো রেমিটেন্স দেশে শিল্পের প্রসারে ভ‚মিকা রেখেছে। এছাড়া বিদেশে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও পেশাজীবীরা তাদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। এই অর্থ তাদের পরিবারের প্রয়োজন মিটায়। তাদের জীবনযাত্রার মান বাড়ায়। শিল্প ছাড়াও নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের একটি বড় অংশ আসছে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্স থেকে।
উপরন্তু বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, মিসর, লিবিয়া, মরক্কোসহ অনেক দেশে বাংলাদেশের শ্রমিক ও পেশাজীবীরা কাজ করছেন। এছাড়াও অন্যান্য দেশে কাজ করছে। ২০১০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বিদেশে বাংলাদেশের ৫৯ লাখ মানুষ কর্মরত ছিলেন। এভাবে দেশের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমেও মহিমের কর্মকাণ্ড দেশের অর্থনীতিতে ভ‚মিকা রাখছে।
প্রশ্ন -৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দরিদ্র আশরাফ আলীর দুই ছেলের নাম শামীম ও সাজু। শামীম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে একটি সিরামিক কোম্পানিতে চাকরি নেয়। অন্যদিকে সাজু কাজের সন্ধানে সিঙ্গাপুর যায়। সিঙ্গাপুর থেকে সাজুর পাঠানো টাকায় আশরাফ আলীর পরিবারে সচ্ছলতা আসে তেমনি কিছু সঞ্চয়ও হচ্ছে। সাত বছর পরে সাজু বড় অংকের টাকা নিয়ে দেশে ফিরে আসে এবং দুই ভাই একত্রে এবি সিরামিক নামে একটি কারখানা গড়ে তোলে। এতে এলাকার অনেকের কর্মসংস্থান হয়।
ক. শিক্ষা কোন ধরনের অধিকার? ১
খ. মানবসম্পদ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. সিঙ্গাপুর থেকে সাজুর পাঠানো অর্থের ধরন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.সাজুর প্রেরিত অর্থ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলে বিশ্লেষণ কর। ৪
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. শিক্ষা মানুষের জন্মগত অধিকার।
খ. যারা শ্রম বা মেধা দিয়ে দেশের কৃষি, শিল্প, সেবাসহ যে কোনো খাতে অবদান রাখে তাদেরকে দেশের মানবসম্পদ বলা হয়।
গ. সিঙ্গাপুর থেকে সাজুর পাঠানো অর্থ হলো প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স।
প্রবাসে কর্মরত নাগরিকদের স্বদেশে প্রেরিত অর্থকে রেমিটেন্স (জবসরঃঃধহপব) বলে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও পেশাজীবীরা তাদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। এই অর্থ কেবল তাদের পরিবারের প্রয়োজন মিটায় না, কিংবা তাদের জীবনযাত্রার মানই বাড়াচ্ছে না, নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে। উদ্দীপকেও লক্ষ করি, সাজু সিঙ্গাপুর থেকে টাকা পাঠায়, যেটি তার পরিবারে সচ্ছলতা নিয়ে এসেছে।
তাই আমরা বলতে পারি, সাজুর পাঠানো অর্থ প্রবাসি আয় বা রেমিটেন্সের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ. সাজুর প্রেরিত অর্থ তথা প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। মধ্যপ্রাচ্যের অনেকগুলো দেশে বাংলাদেশের শ্রমিক ও পেশাজীবীরা কাজ করছেন। একইভাবে নিকট ও দূরপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও বাংলাদেশের বহু মানুষ নানা পেশায় নিয়োজিত আছে। ফলে দেশের বেকারত্ব হ্রাস পেয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ কেবল তার পরিবারের ব্যয়ই মিটার না, তাদের জীবনযাত্রার মানই কেবল বৃদ্ধি করে না বরং শিল্পসহ নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়। এতে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়। উপরন্তু ব্যাংকের মাধ্যমে প্রেরিত অর্থ দেশকে অর্থনৈতিক মন্দা থেকে রক্ষা করে।
বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি সত্তে¡ও ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে বড় ধরনের কোনো সংকটের মধ্যে পড়ে নি তার অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো বিপুল অঙ্কের রেমিটেন্স।
উদ্দীপকেও দেখা যায় সাজুর প্রবাসী আয়ে তার পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা আসে, দেশে সিরামিক কারখানার মতো ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এলাকার অনেকের কর্মসংস্থান হয়। তাই আমরা বলতে পরি, সাজুর প্রেরিত অর্থ তথা রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি।
প্রশ্ন-৫ ল্ফ নিচের ডায়াগ্রামটি লক্ষ করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. চ. ঈ. ওএর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ‘?’ স্থানের উন্নয়নে (ররর) নং উপায়টি ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘উক্ত ব্যবস্থায় (ররর) নং অপেক্ষা (র) নং উপায়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ’ – বিশ্লেষণ কর। ৪
৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. চ. ঈ. ও এর পূর্ণরূপ হলো চবৎ ঈধঢ়রঃধ ওহপড়সব.
খ. প্রবাসে কর্মরত নাগরিকদের স্বদেশে প্রেরিত অর্থকে প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স বলে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও পেশাজীবীরা তাদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। প্রবাসীদের প্রেরিত এ অর্থই প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স (জবসরঃধহপব)।
গ. ‘?’ স্থান তথা মানবসম্পদ উন্নয়নে ররর নং তথা অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আনয়নের উপায়টির ভ‚মিকার গুরুত্ব অত্যধিক।
মানবসম্পদ উন্নয়নে শ্রম ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আনয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। যেমন : আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ বিদেশে চাকরি করতে যাচ্ছে। এদের মধ্যে অদক্ষ শ্রমিক যেমন আছেন, তেমনি আছেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক প্রভৃতি পেশাজীবী। কঠোর পরিশ্রমে তারা সেসব দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছেন ও তার একটি অংশ নিয়মিত দেশে পাঠাচ্ছেন। এভাবে তারা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট অবদান রাখছেন। দেশের অনগ্রসর বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য চাকরিতে বিশেষ কোটা সংরক্ষণের সরকারি নীতির মূলেও মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যেই কাজ করছে।
উদ্দীপকের চিত্রে এ বিষয়টিই ফুটে উঠেছে যে, মানবসম্পদ উন্নয়নে জনগণের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আনয়নে একটি অন্যতম উপায়।
ঘ. উক্ত ব্যবস্থা তথা মানবসম্পদ উন্নয়ন ব্যবস্থায় ররর নং তথা অর্থনৈতিক সচ্ছলতার বিষয়টি অপেক্ষা রর নং তথা উপবৃত্তির সুযোগ বৃদ্ধির উপায়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ নানা কারণে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। শিক্ষার অভাবে তারা অসচেতন ও অদক্ষ। এর ফলে শুধু যে তারা নিজের ও পরিবারের উন্নতি করতে পারছে না তাই নয়, সমাজ ও দেশের উন্নয়নেও সঠিক ভ‚মিকা রাখতে পারছে না। মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধাগুলো যাতে দেশের প্রতিটি নাগরিক গ্রহণ করতে পারে প্রথমেই তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে দেশের আরও স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কৃষি, মেডিকেল ও প্রকৌশল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নারী ও অন্যান্য পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর শিক্ষার ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় সহায়তার পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের জন্য আর্থিক সহযোগিতা ও উপবৃত্তির সুযোগ আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এসব সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে মানব সম্পদ উন্নয়নে যুব, শ্রম ও কর্মসংস্থানও নিশ্চিত হবে। সুতরাং বলা যায়, মানবসম্পদ উন্নয়নে অর্থনৈতিক সচ্ছলতার চেয়ে উপবৃত্তির সুযোগ তথা শিক্ষা অধিক গুরুত্ববহ।
প্রশ্ন -৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রইছ মিয়া তার পৈতৃক জায়গায় উৎপাদিত দ্রব্যে কোনমতে সংসার চালায়। তার একমাত্র ছেলে পড়ালেখা শেষে স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণ নেয়। এরপর একটি পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে তোলে। এতে এলাকার অনেকের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
ক. এউচ এর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. রেমিটেন্স বলতে কী বোঝায়? ২
গ. রইছ মিয়ার কাজ বাংলাদেশের অর্থনীতির কোন খাতকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“রইছ মিয়ার ছেলের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে”- বিশ্লেষণ কর। ৪
৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. এউচ-এর পূর্ণরূপ এৎড়ংং উড়সবংঃরপ চৎড়ফঁপঃ.
খ. প্রবাসে কর্মরত নাগরিকদের স্বদেশে প্রেরিত অর্থকে রেমিটেন্স বলে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও পেশাজীবীরা তাদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। প্রবাসীদের প্রেরিত এ অর্থই রেমিটেন্স।
গ. রইছ মিয়ার কাজ বাংলাদেশের অর্থনীতির কৃষি ও বনজ খাতকে নির্দেশ করে।
উদ্দীপকে দেখা যায় রইছ মিয়ার কিছু পৈতৃক জায়গা আছে। সেখানে তিনি ফসল উৎপাদন করেন। উৎপাদিত দ্রব্যের মাধ্যমে সংসার চালান। অর্থাৎ তার কাজ হচ্ছে কৃষি কাজ। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে কৃষিজ পন্য ও বনজ সম্পদ একীভ‚ত করে দেখানো হয়। অর্থাৎ খাদ্যশস্য, শাকসবজি ও বনজ সম্পদ কৃষি ও বনজ খাতের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং রইছ মিয়ার কাজ বাংলাদেশের অর্থনীতির কৃষি ও বনজ খাতের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ. রইছ মিয়ার ছেলের কর্মকাণ্ডটি হলো পোন্ট্রি ফার্ম গড়ে তোলা যা কৃষি খাতের অন্তর্ভুক্ত।
কৃষি খাত বাংলাদেশে সবচেয়ে বৃহত্তম খাত যার উপর অধিকাংশ মানুষ নির্ভরশীল। এ প্রেক্ষাপটে খাতটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের বিভিন্ন খাতের মধ্যে কৃষিই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত। এদেশের জাতীয় আয়ের প্রায় এক তৃতীয়াংশই কৃষি খাত থেকে আসে। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে এই খাতের অবদান ছিল ১, ৩৬,৯৮৭ কোটি টাকা।
উদ্দীপকে রইছ মিয়ার ছেলে পড়ালেখা শেষে স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে একটি পোল্টি ফার্ম গড়ে তোলে। এতে নিজের ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখার পাশাপাশি এলাকার কিছু সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও হয়। এছাড়া তার কাজের সফলতা দেখে অনেকে এ কাজে উদ্বুদ্ধ হবে। ফলে দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে তা সহায়ক হবে।
সুতরাং বলা যায় রইছ মিয়ার ছেলের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে।
প্রশ্ন -৭ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দিনমজুর বাবার অর্ধশিক্ষিত বেকার ছেলে মিল্টন তার এক শিক্ষিত প্রতিবেশীর সাহায্যে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশে চলে যায়। সে প্রতিমাসে তার বাবাকে প্রচুর অর্থ পাঠায় যা তাদের পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি করে। তার বাবা সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একটি বড় পোলট্রি ফার্ম গড়ে তোলে যেখানে গ্রামের বেশ কিছু লোকের চাকরি হয়েছে।
ক. এউচ-এর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. বাংলাদেশের জাতীয় উৎপাদনে শিল্প খাতের অবদান ব্যাখ্যা কর। ২
গ. মিল্টন কীভাবে মানবসম্পদে পরিণত হলো? ৩
ঘ.মিল্টনের মতো প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে-তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ৭নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. এঘচ-এর পূর্ণরূপ হলো এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃ.
খ. বাংলাদেশের জাতীয় উৎপাদনে শিল্পখাতের অবদান বর্তমানে সর্বাধিক, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দিন দিন এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে জাতীয় উৎপাদনে শিল্প খাতের অবদান ছিল ১৯.৫৪ শতাংশ। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সরবারাহ, খনিজ সম্পদ ও নির্মাণ শিল্প প্রভৃতিকে এই খাতের অন্তর্ভুক্ত করা হলে তাতে জাতীয় উৎপাদনে এই খাতের অবদান অনেক বড় হয়।
গ. মিল্টন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানবসম্পদে পরিণত হয়। দিনমজুর বাবার অর্ধশিক্ষিত বেকার ছেলে মিল্টন। তার শিক্ষা পরিপূর্ণ হয়নি বলে সে সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য কোনো কিছু করতে পারছিল না। সে কাজেকর্মে ছিল অদক্ষ। এমন অবস্থায় সে তার এক শিক্ষিত প্রতিবেশীর সাহায্যে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নেয়। ফলে সে কোনো একটি কাজে দক্ষ হয়ে ওঠে এবং চাকরি নিয়ে বিদেশ চলে যায়। এভাবে যারা দক্ষ হয়ে ওঠে এবং শ্রম বা মেধা দিয়ে দেশের যেকোনো অর্থনৈতিক খাতে অবদান রাখে তাদের দক্ষ মানুষ বা মানবসম্পদ বলা হয়। সুতরাং মিল্টন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানবসম্পদে পরিণত হয়।
ঘ. ‘মিল্টনের মতে প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে’ উক্তিটি একেবারেই যথার্থ বলে আমি মনে করি। আমাদের দেশের বহু লোকের কর্মসংস্থান বিদেশে রয়েছে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও পেশাজীবীরা তাদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। উদ্দীপকের মিল্টনও বিদেশ থেকে প্রতিমাসে তার বাবাকে প্রচুর অর্থ পাঠায়। এ অর্থ মিল্টনের পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি করে। মিল্টনের বাবা সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একটি পোলট্রি ফার্ম গড়ে তোলে যেখানে গ্রামে বেশ কিছু লোকের চাকরি হয়। এভাবে প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ নানাক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। উপরন্তু প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ যখন শিল্প খাতে ব্যয় হয় তখন প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়, বেকারত্বের হ্রাস ঘটে। এ জাতীয় উদ্যোগ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। সুতরাং এ দৃষ্টিকোণ থেকে আমিও একমত পোষণ করি যে, ‘মিল্টনের মতো প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে।
প্রশ্ন -৮ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ঘটনা-১ : কামরুল -এর বাড়ি সিলেটে। তাদের একটি চা-বাগান আছে। চা-পাতা বিক্রি করে তারা প্রচুর লাভ করে।
ঘটনা-২ : দিলীপ ৭ বছর বিদেশে ছিলেন। দেশে ফিরে তিনি একটি মুরগির ফার্ম করেন। এতে এলাকার কিছু লোকের কর্মসংস্থান হলো।
ক. এউচ -এর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. রেমিটেন্স বলতে কী বোঝ? ২
গ. দিলীপের কাজটি বাংলাদেশের কো সম্পদের অন্তর্গত তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.জাতীয় উৎপাদনে কামরুল ও দিলীপের আয়ের অবদান কতটুকু বলে তুমি মনে কর? বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ৮নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. এউচ-এর পূর্ণরূপ এৎড়ংং উড়সবংঃরপ চৎড়ফঁপঃ.
খ. প্রবাসে কর্মরত নাগরিকদের স্বদেশে প্রেরিত অর্থকে রেমিটেন্স বলে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও পেশাজীবীরা তাদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। প্রবাসীর প্রেরিত এ অর্থই রেমিটেন্স (জবসরঃঃধহপব)।
গ. দিলীপের কাজটি বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদের অন্তর্গত। উদ্দীপকে ঘটনা ২-তে দেখা যায় ৭ বছর পর বিদেশ থেকে ফিরে দিলীপ একটি মুরগির ফার্ম তৈরি করেন, সুতরাং তার এ কাজটি সম্পদ হিসেবে পণ্য উৎপাদনের দিক দিয়ে পশুসম্পদ উৎপাদনে অবদান রাখে। পশুসম্পদ কৃষিজ সম্পদের অন্তর্ভুক্ত; সুতরাং দিলীপের কাজটি হচ্ছে কৃষিজ সম্পদ।
ঘ. জাতীয় উৎপাদনে কামরুল ও দিলীপের আয়ের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদ্দীপকে কামরুলদের সিলেটে চা বাগান আছে। চা-পাতা বিক্রি করে তারা প্রচুর লাভ করে। অন্যদিকে কামরুলের খামারে মুরগির উৎপাদন হয়, সুতরাং পণ্য বিবেচনায় চা ও মুরগি দুটি দেশের জাতীয় উৎপাদনে কৃষির অন্তর্ভুক্ত। ২০১২-১৩ অর্থবছরে এই খাতের অবদান ছিল ১,৩৬,৯৮৭ কোটি টাকা। আমাদের মোট জাতীয় উৎপাদনে এ খাতের শতকরা অবদান ১৪.৩৩। মূলত আমাদের দেশ কৃষিনির্ভর। এদেশের অধিকাংশ লোক গ্রামে বাস করে এবং তাদের জীবীকার মূলে রয়েছে কৃষি কাজ। তাই জাতীয় উৎপাদনে কৃষিপণ্য তথা কামরুল ও দিলীপের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন -৯ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জনাব ‘ক’ একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি। তাঁর এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতার জন্য বেশ কিছু কারিগরি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় তাঁর এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়।
ক. চঈও এর পূর্ণরূপ লিখ। ১
খ. উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্য ব্যাখ্যা কর। ২
গ. জনাব ‘ক’ এর এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে কোন কৌশলটি গ্রহণ করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.অদক্ষ জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে পরিণত করতে গৃহীত পদক্ষেপটি কি একমাত্র কৌশল? তোমার মতামত দাও। ৪
ল্ফল্প ৯নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. চঈও -এর পূর্ণরূপ চবৎ ঈধঢ়রঃধ ওহপড়সব.
খ. দেশের কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি। দেশে উৎপাদন বাড়লে জনগণের জীবনযাত্রার ওপর তার প্রভাব পড়বে। দারিদ্র্য হ্রাস পাবে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে, বেকারত্ব হ্রাস পাবে। এর সঙ্গে যদি আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তবে প্রবৃদ্ধির সূচকে আমাদের দেশ অনেক এগিয়ে যাবে।
গ. জনাব ‘ক’ এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে শিক্ষার কৌশল গ্রহণ করেন।
মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটিয়ে দেশের আর্থসামাজিক পরিবর্তন আনয়নে তথা উন্নয়নে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত কার্যকর। এ ক্ষেত্রে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করা অত্যন্ত বাস্তবমুখী পদক্ষেপ। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে অদক্ষ মানুষে দক্ষ মানুষ অর্থাৎ মানবসম্পদে পরিণত হয়। বাংলাদেশে সাধারণ শিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগের অভাবে অনেকেই অশিক্ষিত ও অসচেতন থাকে। তারা সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য কিছু করতে পারে না। এসব মানুষ কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারে। উদ্দীপকেও দেখা যায় জনাব ‘ক’-এর প্রতিষ্ঠিত কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় তাঁর এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়। সুতরাং জনাব ‘ক’ এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে শিক্ষার কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
ঘ. অদক্ষ জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে পরিণত করতে গৃহীত শিক্ষা কৌশল একমাত্র কৌশল নয়। আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে এ প্রসঙ্গে ‘যুব উন্নয়ন’ ও ‘শ্রম ও কর্মসংস্থান’ এর কথা উল্লেখ করা যায়। দেশের লক্ষ লক্ষ অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীকে বিভিন্ন পেশায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে আত্মকর্মসংস্থানে সক্ষম জনশক্তিতে পরিণত করা সম্ভব। উদ্দীপকে যুব উন্নয়ন কৌশলের এমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। আবার শ্রম ও কর্মসংস্থান কৌশলের আওতায় আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ বর্তমানে বিদেশে চাকরি করতে যাচ্ছে। কঠোর পরিশ্রম তারা সেসব দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছেন ও তার একটি অংশ নিয়মিত দেশে পাঠাচ্ছেন। এভাবে তারা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট অবদান রাখছেন। আমাদের দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবীদের বিদেশে অধিকতর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি আগামীতেও মানবসম্পদ উন্নয়নে বিরাট ভ‚মিকা রাখতে পারে।
প্রশ্ন -১০ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নওগাঁর তকিব ও পটুয়াখালীর জমিরের মধ্যে কথোপকথন :
জমির : কী তকিব ! তোমার আম্রপালি আমের ফলন কেমন হয়েছে?
তকিব : ভালো। প্রায় ৫ লক্ষ টাকার আম বিক্রি করেছি। কলা, পেঁপেও চাষ করেছি। তা তোমার চিংড়ি চাষের খবর কী?
জমির : না ভাই ! জোয়ারে মাছের বেশ ক্ষতি হয়েছে। ভাবছি ভাইয়ের মতো মালয়েশিয়া চলে যাব। আমার ভাইয়ের পরিবার তার পাঠানো অর্থে বেশ সচ্ছলভাবেই জীবনযাপন করছে।
ক. এঘচ-এর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. জনসংখ্যা কীভাবে জনসম্পদে পরিণত করা যায়? ২
গ. জমির ও তকিবের উৎপাদিত পণ্য জাতীয় আয়ের কোন কোন খাতে অবদান রাখছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জমিরের ভাইয়ের পাঠানো অর্থের ভ‚মিকা মূল্যায়ন কর। ৪
ল্ফল্প ১০নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. এঘচ এর পূর্ণরূপ এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃ.
খ. মানবসম্পদে রূপান্তরিত করে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করা যায়। মানুষ তখনই সমাজ বা রাষ্ট্রের শক্তিতে পরিণত হয় যখন সে সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য কিছু করতে পারে। অদক্ষ মানুষকে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির সাহায্যে মানবসম্পদে রূপান্তর করা যায়। একটি দেশের জনংসখ্যা এভাবে জনসম্পদে পরিণত হয়।
গ. জমির ও তকিবের উৎপাদিত পণ্য জাতীয় আয়ে যথাক্রমে মৎস্য খাত এবং কৃষি ও বনজ খাতের অন্তর্ভুক্ত। খাদ্যশস্য, শাকসব্জি ও বনজ সম্পদ কৃষিখাতের অন্তর্ভুক্ত। ২০১২-১৩ অর্থবছলে এই খাতের অবদান ছিল ১,৩৬,৯৮৭ কোটি টাকা। আমাদের মোট জাতীয় উৎপাদনে এই খাতের অবদান ১৪.৩৩ শতাংশ। ২০১২-১৩ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ নদী ও অন্যান্য জলাশয় এবং সামুদ্রিক উৎস থেকে মাছ আহরণের পরিমাণ ছিল ৩৩.৯০ মেট্রিক টন। দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে মৎস্য খাতের অবদান ছিল ৪.৩৭ শতাংশ।
উদ্দীপকে এ বিষয়টিই আলোচিত হয়েছে যে, তকিব আম্রপালি আমের প্রচুর ফলন ফলিয়েছে এবং কলা ও পেঁপের চাষ করছে। এসব পণ্য তথা ফলমূল উৎপাদন জাতীয় আয়ে কৃষি ও বনজ খাতের অন্তর্ভুক্ত। আবার জমির চিংড়ি চাষ করে। অর্থাৎ জমিরের পণ্য জাতীয় আয়ে মৎস্য খাতে অবদান রাখছে।
ঘ. দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জমিরের ভাইয়ের পাঠানো টাকা তথা রেমিটেন্স বিশাল অবদান রাখে। উদ্দীপকের জমিরের ভাই মালয়েশিয়া থাকে এবং দেশের পরিবারের নিকট অর্থ পাঠায়। অর্থাৎ জমিরের ভাইয়ের প্রবাস থেকে প্রেরিত টাকা হচ্ছে রেমিটেন্স। বিদেশে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও পেশাদারীরা তাদের অর্পিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। এ অর্থ তাদের পরিবারের প্রয়োজন মেটায় এবং জীবনযাত্রার মান বাড়ায়। যেমনÑ উদ্দীপকে জমিরের ভাইয়ের পরিবারের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এ ছাড়া প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থে দেশে নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সাধিত হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান, সরকারও রেমিটেন্সের অর্থ বিনিয়োগে উৎসাহিত করে। এভাবে দেখা যায়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জমিরের ভাইয়ের পাঠানো অর্থ তথা রেমিটেন্স অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে।
প্রশ্ন -১১ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গণি মিয়ার কিছু জমি আছে। সেখানে তিনি ফসল ফলান। চাহিদা মিটানোর পর অতিরিক্ত ফসল তিনি বিক্রি করে দেন। তার বড় ছেলে মিজান মালয়েশিয়ার একটি খামারে কাজ করে। প্রতিমাসে সে দেশে প্রচুর টাকা পাঠায়।
ক. বাংলাদেশ ২০১১-১২ অর্থবছরে এউচ এর পরিমাণ কত ছিল? ১
খ. বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে শিল্পখাতের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. গণি মিয়ার কাজ কোন ধরনের জাতীয় আয়ের উৎস? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.মিজানের আয় কীভাবে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে- আলোচনা কর। ৪
ল্ফল্প ১১নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. বাংলাদেশ ২০১১-১২ অর্থবছরে এউচ এর পরিমাণ ছিল ১০,৩৭,৯৮৭ কোটি টাকা।
খ. বাংলাদেশের জাতীয় উৎপাদনে শিল্পখাতের অবদান বর্তমানে সর্বাধিক, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দিন দিন এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে জাতীয় উৎপাদনে শিক্ষা খাতের অবদান ছিল ১৯.৫৪ শতাংশ। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সরবরাহ, খনিজ সম্পদ ও নির্মাণ শিল্প প্রভৃতিকে এই খাতের অন্তর্ভুক্ত করা হলে এতে জাতীয় উৎপাদনে এই খাতের অবদান অনেক বড় হয়।
গ. গণি মিয়ার কাজ কৃষি ও বনজ ধরনের জাতীয় আয়ের উৎস। উদ্দীপকে দেখা যায় গণি মিয়ার কিছু জমি আছে। সেখানে তিনি ফসল ফলান। এ থেকে প্রথমে তিনি চাহিদা মেটান। চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত ফসল তিনি বিক্রি করেন। অর্থাৎ তার কাজ হচ্ছে মূলত কৃষিকাজ। সেক্ষেত্রে তার উৎপাদিত পণ্য হচ্ছে কৃষিজ পণ্য। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে কৃষিজ পণ্য ও বনজ সম্পদ একীভ‚ত করে দেখানো হয়। সুতরাং, গণি মিয়ার কাজ কৃষি ও বনজ ধরনের জাতীয় আয়ের উৎস।
ঘ. মিজানের প্রবাস আয় তথা প্রেরিত রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। উদ্দীপকের গনি মিয়ার বড় ছেলে মিজান মালয়েশিয়ায় একটি খামারে কাজ করে। প্রতিমাসে সে দেশে প্রচুর টাকা পায়। এ টাকায় স্বাভাবিকভাবেই তার পরিবারে সচ্ছলতা আসবে পরিবারের সদস্যদের জীবনযাত্রার মান বাড়বে। উদ্বৃত্ত অর্থ নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়ে দেশের অর্থনীতিতে ভ‚মিকা রাখবে। বস্তুত বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে শিল্প খাতে প্রচুর রেমিটেন্সের অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে। সরকারও এ ব্যাপারে উৎসাহ দেয়। ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ে, দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়। সুতরাং মিজানের প্রবাসে আয় তথা প্রেরিত রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে।
প্রশ্ন -১২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জনাব হায়দার প্রায় দশ বছর যাবত সৌদি আরবে চাকরি করছেন। দেশে পাঠানো অর্থে তার কলেজপড়–য়া কিছু বোনের লেখাপড়ার খরচ চলে। তার মা বাড়ি ভাড়ার খরচ বাদেও টাকা ব্যাংকে মজুদ রাখতে পারেন। জনাব হায়দারের মতো বাংলাদেশের অনেক পরিবারই বিদেশের পাঠানো অর্থের দ্বারা সংসারে সচ্ছলতা আনতে পেরেছে।
ক. চঈও-এর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. মানবসম্পদের উন্নয়ন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. প্রবাসীদের অর্থ জনাব হায়দারের মতো অন্যান্য পরিবারে কীভাবে সচ্ছলতা আনে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের আয় ভ‚মিকা পালন করে”- বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১২নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. চঈও-এর পূর্ণরূপ চবৎ পধঢ়রঃধ ঊহপড়সব.
খ. মানুষ তখনই রাষ্ট্র ও সমাজের শক্তিতে পরিণত হয় যখন সে কিছু করতে পারে। কেউ শারীরিক শ্রম দিয়ে রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য সম্পদ তৈরিতে সহায়তা করে। কেউ মেধা দিয়ে নতুন নতুন সম্পদ উদ্ভাবন করে। দেশের শিল্প, কৃষি, বা সেবা খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির কাজে যারা শ্রম ও মেধা দিয়ে কাজ করেন তারা নিজেদেরকে শ্রমশক্তিতে রূপান্তরিত করেন। তাই শ্রমশক্তিসম্পন্ন মানুষকেই দেশের মানবসম্পদ বলা হয়।
গ. জনাব হায়দার সৌদি আরবে প্রায় ১০ বছর যাবত কর্মরত আছেন। প্রবাসীদের দেশে প্রেরিত অর্থের সাহায্যে তাদের সংসারের খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতির খরচ চলে। সংসারে সকল সদস্য মাছ, মাংস, দুধ ও শাকসবজিসহ পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চলে, ঘরভাড়া বা ঘরের উন্নয়ন ঘটানো হয়, ছোট-বড় সকলের চিকিৎসা খরচ চালানো হয়। কখনো নিজের মেয়ে বা বোনের বিয়ের খরচও এ বৈদেশিক মুদ্রার সাহায্যে করা হয়। এভাবে প্রবাসীদের অর্থ দেশের বিভিন্ন পরিবারে সচ্ছলতা আনয়ন করে থাকে।
উদ্দীপকের জনাব হায়দারের মতো বাংলাদেশের অনেক পরিবারের গৃহকর্তা বা কারো বাবা, কারো ভাই বা ছেলে বিদেশে কর্মসংস্থান করে দেশে তাদের উপার্জিত অর্থ প্রেরণ করে থাকে।
ঘ. প্রবাসীদের আয়কৃত অর্থ বাংলাদেশে অবস্থানরত তাদের পরিবারের মানুষদের যেমন আর্থিক ও জীবনমানের উন্নয়ন ঘটায়, তেমনি দেশেরও উন্নয়ন ঘটায়। প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশের নাগরিকদের আয়ের যে অংশ দেশে পাঠানো হয়, তাকে রেমিটেন্স বলা হয়।
রেমিটেন্সের অর্থ দ্বারা দেশের মানুষের খাদ্যের যোগান হয়, বাসস্থান হয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসহ বিনোদনের ক্ষেত্রেও ব্যাপক অবদান রাখে।
প্রবাসীদের পরিবার রেমিটেন্স দ্বরা শিক্ষিত হয়ে সুস্থভাবে জীবনযাপন করে সচ্ছল পরিবারে পরিণত হতে পারে। এরূপ একটি একটি করে যখন বহু পরিবারের সদস্যরা শিক্ষিত হয়ে ওঠে, সুস্থ, স্বাভাবিক ও সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারে, তখন এ পরিবারের মানুষগুলোর জীবনমানের উন্নয়নের সাথে সাথে দেশেরও উন্নয় ঘটে।
দুর্যোগকালীন অবস্থায় প্রবাসীদের মধ্যে ধনী ও কল্যাণকামী ব্যক্তিরা দেশে আর্থিক সাহায্য প্রদান করে দেশের উন্নয়নে সাহায্যের হাত বাড়ায়। এভাবে রেমিটেন্স বা প্রবাসীদের অর্থ নিজেদের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে থাকে।
প্রশ্ন -১৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জলিল মিয়া লাঙল কাঁধে মাঠে চলেছে। তার পূর্ব পুরুষেরাও লাঙল দিয়ে কৃষি কাজ করেছে। কিন্তু ইদানীং ফলন ভালো না হওয়ার কারণে তার সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ কৃষক পরিবারের অবস্থা জলিলের মতো। এ ব্যপারে থানার কৃষি অফিসারের সাথে পরামর্শের পর জলিল মনে করে বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি ছাড়া প্রত্যাশানুযায়ী ফসল ফলানো সম্ভব নয়।
ক. উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির প্রধান লক্ষ্য কী? ১
খ. মাথাপিছু আয় বলতে কী বোঝ? ২
গ. জলিলের ফলন ভালো না হওয়ার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.প্রত্যাশানুযায়ী ফসল ফলানো বিষয়ে তুমি কী জলিলের সঙ্গে একমত, যুক্তি দেখাও। ৪
ল্ফল্প ১৩নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির প্রধান লক্ষ্য হলো জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।
খ. মাথাপিছু আয় অর্থনীতিতে একটি ব্যাপক ধারণা। একটি নির্দিষ্ট এলাকার বা কোনো দেশের মোট উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবাকর্ম সৃষ্টির আর্থিক মূল্যকে সেদেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে বণ্টন করলে প্রতিজন যে আয়ের মালিক হয় তাকে মাথাপিছু আয় বলে।
গ. উদ্দীপকের জলিল মিয়া একজন কৃষক। তার জমিতে ফলন ভালো না হওয়ায় ইদানীং তার সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তার ফলন ভালো না হওয়ার বেশকিছু কারণ রয়েছে।
উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই যে, জলিল বর্তমান সময়েও লাঙল দিয়ে চাষাবাদ করে। পূর্ব পুরুষের রীতি অনুযায়ী সে ফসল উৎপন্ন করে। চাষাবাদের আধুনিক কলাকৌশল সম্বন্ধে সে এখনও অজ্ঞ। তাই আদিম চাষাবাদ পদ্ধতি অবলম্বনের জন্য তার ভালো ফসল উৎপন্ন হচ্ছে না। উপরন্তু কারিগরি জ্ঞান না থাকার কারণেও জলিলের ফলন ভালো হচ্ছে না। অর্থাৎ
জলিলের চাষাবাদের মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ করা যায় না। ভালো ফসল ফলানোর জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। যা পরবর্তীতে জলিল কৃষি অফিসারের সাথে পরামর্শ করে জানতে পারে। সুতরাং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার না করা এবং প্রাচীন কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে জলিলের জমিতে ফলন ভালো হচ্ছে না।
ঘ. প্রত্যাশানুযায়ী ফসল ফলানোর বিষয়ে জলিল মনে করে, বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি ছাড়া প্রত্যাশানুযায়ী ফসল ফলানো সম্ভব নয়। বর্তমানে অনেকেই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তারা ট্রাক্টর, উন্নত বীজ, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করছে। ফলে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে বর্তমানে অনেকেই অধিক ফলন পাচ্ছে। তারা নিজেদের চাহিদা পূরণ করেও উদ্বৃত্ত শস্য বাজারে বিক্রি করে অন্যান্য চাহিদা পূরণ করতে পারছে। তাই কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষকদের জীবন এখন আগের চেয়ে অনেক নিরাপদ হয়েছে।
কিন্তু উদ্দীপকের জলিলের চাষাবাদের মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ করা যায় না। উদ্দীপকে এটিও উল্লিখিত হয়েছে যে, বাংলাদেশের অধিকাংশ কৃষকের অবস্থা জলিলের মতো। এ অবস্থায় থানার কৃষি অফিসারের সাথে কথা বলে জলিল বুঝতে পারে, আধুনিক প্রযুক্তি ছাড়া প্রত্যাশানুযায়ী ফসল ফলানো সম্ভব নয়। সুতরাং বাস্তব যুক্তির নিরিখে আমি জলিলের সঙ্গে একমত।
প্রশ্ন -১৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বশির সাহেব একটি মানব উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করে। ‘বাংলাদেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে করণীয়’ সম্পর্কে তাকে একটি জরিপ করতে হয়। তিনি দেখেন যে, বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে বিভিন্ন খাতের অবদান জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে বিভিন্ন খাতের অবদান বৃদ্ধির জন্য কিছু সুপারিশ করেন।
ক. ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে শিল্পের অবদান কত ছিল? ১
খ. জাতীয় আয়ের ধারণাটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. বশির সাহেবের জরিপে বিভিন্ন খাতের অবদান বর্ণনা কর। ৩
ঘ.পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বশির সাহেবের সুপারিশ কিরূপ হতে পারে? মতামত দাও। ৪
ল্ফল্প ১৪নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে শিল্পের অবদান ছিল ১৯.৫৪ শতাংশ।
খ. অর্থনীতিতে জাতীয় আয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে একটি দেশে মোট যে পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের সৃষ্টি হয় তার আর্থিক মূল্যকে জাতীয় আয় বলে। অন্যভাবে বলা যায়, জাতীয় আয় হলো একটি দেশের বিদেশ হতে প্রাপ্ত আয়সহ সমাজের মোট আয়ের অংশ, যা অর্থের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়।
গ. উদ্দীপকে বশির সাহেবের জরিপে বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে বিভিন্ন খাতের অবদানের কথা বলা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ খাত হলোÑ
র. কৃষি ও বনজ : ২০০৯-১০ অর্থবছরে কৃষি উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩৬৯.৩৬ লক্ষ মেট্রিক টন। একই সময়ে জাতীয় উৎপাদনে কৃষি ও বনজ খাতের অবদান ছিল ১৫.৬৫ শতাংশ।
রর. মৎস্য খাত : দেশজ উৎপাদনে ২০০৯-১০ অর্থবছরে মৎস্য খাতের অবদান ছিল ৪.৫১ শতাংশ।
ররর. শিল্পখাত : ২০০৯-১০ অর্থবছরে শিল্প খাতের অবদান ছিল ২৯.৯৫ শতাংশ।
রা. পরিবহন ও যোগাযোগ খাত : ২০০৯-১০ অর্থবছরে এ খাতের অবদান ছিল ১০.৭৬ শতাংশ।
া. স্বাস্থ্য ও সেবা খাত : ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশজ উৎপাদনে বা জাতীয় আয়ে এ খাতের অবদান ছিল ৪৯.৯০ শতাংশ।
পরিশেষে বলা যায়, বশির সাহেব তার জরিপে জাতীয় আয়ে উল্লিখিত খাতগুলোর অবদান দেখতে পাবেন।
ঘ. বশির সাহেব বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে বিভিন্ন খাতের অবদান বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করেন। উদ্দীপকে আমরা দেখি ‘বাংলাদেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে করণীয়’ সম্পর্কে তিনি একটি জরিপকার্য সমাধা করেন। এক্ষেত্রে তিনি জাতীয় আয়ের বিভিন্ন খাত পর্যালোচনা করে সুপারিশ করবেন। এক্ষেত্রে কৃষিনির্ভর এদেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৃষিখাতের পাশাপাশি তার সুপারিশে শিল্পখাতের প্রসার অগ্রাধিকার পাবে। এদেশের অর্থনীতিতে শিল্পখাতের ভ‚মিকা দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এছাড়া সেবাখাতসমূহও দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে। বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তিনির্ভর। সুতরাং জরিপের সুপারিশে বলা যেতে পারে। কৃষি শিল্প, যোগাযোগ, সেবা প্রভৃতি খাতের উন্নয়নে প্রযুক্তির বিকাশকে কাজে লাগানোর কথা যেন জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয় ও জাতীয় আয় বৃদ্ধি পায়। মূলত সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের মধ্যে সমন্বয় ও আয়ের ভারসাম্য রাখা গেলে জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে তা সহায়ক হবে। আমার মতে বশির সাহেবও এরূপই সুপারিশ করবেন।
প্রশ্ন -১৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মোহন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। সে মনে করে মানুষকে সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে সমাজ সমৃদ্ধ হবে এবং অর্থনীতি হবে গতিময়।
ক. বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস কী? ১
খ. মানবসম্পদ বলতে কী বোঝ? ২
গ. মোহনের মতো আরও অনেকে কীভাবে দেশের মানবসম্পদে পরিণত হতে পারে? বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. সমৃদ্ধ সমাজ ও গতিময় অর্থনীতির জন্য মোহনের চিন্তাভাবনা বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৫নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস হলো কৃষি।
খ. সহজ কথায়, মানুষকে শক্তিতে রূপান্তরিত করাকে মানবসম্পদ বলে। যারা শ্রম বা মেধা দিয়ে কৃষি, শিল্প ও সেবাসহ যে- কোনো খাতে অবদান রাখে তাদেরকে মানব সম্পদ বলা হয়। মানবসম্পদ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গ. শিক্ষার মাধ্যমে মোহন মানব সম্পদে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকলে অনেকেই দেশের মানবসম্পদে পরিণ হতে পারে।
শিক্ষা মানুষের জন্মগত অধিকার। কিন্তু আমাদের দেশের বিপুলসংখ্যক লোক বিভিন্ন কারণে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। শিক্ষার অভাবে তারা খুবই অসচেতন ও অদক্ষ। বাংলাদেশের মানুষকে মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে প্রথমে মোহনের মতো সবার মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। কারণ শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না। তাই এদেশের জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে শিক্ষার বিকল্প নেই। মোহন কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। অথচ আমাদের বাংলাদেশের বাস্তব প্রেক্ষিত হচ্ছে এখানে পর্যাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। সুতরাং দেশে আরও স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হলে মোহনের মতো অনেকেই দেশের মানবসম্পদে পরিণত হবে।
ঘ. উদ্দীপকের মোহনের চিন্তাভাবনায় ধরা পড়ে, মানবসম্পদের ফলে সমাজ সমৃদ্ধ হবে এবং অর্থনীতি হবে গতিময়।
মূলত মানবসম্পদের উন্নয়ন হলে একটি দেশে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হবে। মানবসম্পদের উন্নয়ন হলে দেশের জনগণের শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাবে, বেকারত্ব হ্রাস পাবে। জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে, বৃদ্ধি পাবে নাগরিকদের কারিগরি দক্ষতা। মানবসম্পদের উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশগুলোর জনসংখ্যা বোঝা না হয়ে সম্পদে পরিণত হবে। মোহন এরূপ বাস্তবতায়ই বিশ্বাসী।
এছাড়া মানবসম্পদ উন্নয়ন জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ জনগণের চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। বস্তুত শিক্ষিত ব্যক্তিমাত্রই নিজে মানবসম্পদ এবং মানবসম্পদ সমাজকে সমৃদ্ধ করে, অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে এ বাস্তবতায় বিশ্বাসী।
সুতরাং মোহনের মতো আমরা বলতে পারি যে, মানুষকে সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে সমাজ সমৃদ্ধ হবে এবং অর্থনীতি হবে গতিময়।
প্রশ্ন -১৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জনাব মাসুদুর রহমান ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে মধ্যপ্রাচ্যের একটি কোম্পানিতে চাকরি করছেন। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সেই দেশ থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছেন এবং নিয়মিতভাবে দেশে অর্থ পাঠাচ্ছেন। ফলে তার প্রেরিত অর্থ দিয়ে তিনি নিজ এলাকায় দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেন।
ক. এউচ-এর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে খাদ্যশস্য উৎপাদন কীভাবে ভূমিকা রাখছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. জনাব মাসুদুর রহমানের প্রেরিত অর্থকে অর্থনীতির ভাষায় কী বলে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর, জনাব মাসুদুর রহমানের প্রেরিত অর্থ দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ল্ফল্প ১৬নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. এঘচ-এর পূর্ণরূপ হলো এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃ.
খ. আমাদের দেশটি হচ্ছে কৃষিপ্রধান। এদেশের বেশিরভাগ লোক গ্রামে বাস করে। আর কৃষিই তাদের জীবিকার প্রধান উপায়। আমাদের জাতীয় আয়ে এই খাতের অবদান তাই ব্যাপক। কৃষকের খাদ্যশস্য উৎপাদনের মধ্যে জনগণের চাহিদা মেটায় এবং জাতীয় আয়ে অবদান রাখে।
গ. জনাব মাসুদুর রহমানের প্রেরিত অর্থকে অর্থনীতিতে রেমিটেন্স বলে। প্রবাসে কর্মরত নাগরিকদের স্বদেশে প্রেরিত অর্থই হচ্ছে রেমিটেন্স। মাসুদর রহমান ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে মধ্যপ্রাচ্যের একটি কোম্পানিতে চাকরি করছেন। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে
সেই দেশ থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছেন এবং নিয়মিত দেশে অর্থ পাঠাচ্ছেন। অর্থাৎ তিনি দেশে রেমিটেন্স প্রেরণ করছেন। সুতরাং মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত মাসুদুর রহমানের স্বদেশে প্রেরিত অর্থকে অর্থনীতিতে রেমিটেন্স বলে।
ঘ. আমি মনে করি, জনাব মাসুদুর রহমানের প্রেরিত অর্থ দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখছে। জনাব মাসুদুর রহমান ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে মধ্যপ্রাচ্যের একটি কোম্পানিতে চাকরিরত। আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ বর্তমানে বিদেশে চাকরি করতে যাচ্ছে। এদের মধ্যে অদক্ষ শ্রমিক যেমন আছেন, তেমনি আছেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক প্রভৃতি পেশাজীবী। তারা কঠোর পরিশ্রম করে সেসব দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছেন ও তার একটি অংশ নিয়মিত দেশে পাঠাচ্ছেন। যেমন উদ্দীপকে জনাব মাসুদুর রহমানকে রেমিটেন্স পাঠাতে দেখা যায়। এভাবে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্স মানবসম্পদ উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখছে। তাদের প্রেরিত অর্থ দেশে শ্রম ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া আমাদের দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবীদের বিদেশে অধিকতর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি মানবসম্পদ উন্নয়নে বিরাট ভ‚মিকা রাখতে পারে। সুতরাং মাসুদুর রহমানের প্রেরিত অর্থ তথা রেমিটেন্স ও বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখছে।
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্ন -১৭ ল্ফ জনাব শামীম একজন কৃষিবিদ। তিনি তার গ্রামের কৃষকদের দুরবস্থা দেখে মর্মাহত হন। অতঃপর তিনি তার গ্রামের কৃষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। এতে তার গ্রামের কৃষকরা কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে। ফলে তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটে।
ক. প্রবাসী আয় কী? ১
খ. রেমিট্যান্স বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকের কৃষকদের দুরবস্থার জন্য কোন কারণটি দায়ী? ব্যাখ্যা বর্ণনা কর। ৩
ঘ. জনাব শামীমের পদক্ষেপটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে তুমি মনে কর। ৪
প্রশ্ন -১৮ ল্ফ কামাল বিশ্ববিদ্যালয় হতে লেখাপড়া শেষ করে মালয়েশিয়ায় চাকরি নিয়ে চলে যায়। সেখান থেকে টাকা পাঠিয়ে সেদেশে একটি শিল্প স্থাপন করে। কিন্তু কিছুদিন পর সে উপলব্ধি করল দক্ষ জনশক্তির অভাবে তার শিল্পটি কাক্সিক্ষত লাভজনক পর্যায়ে যেতে পারেনি।
ক. বাংলাদেশের জাতীয় উৎপাদনে কিসের অবদান সর্বাধিক? ১
খ. জাতীয় আয়ে শিল্প খাতের অবদান ব্যাখ্যা কর। ২
গ. মালয়েশিয়া থেকে কামালের পাঠানো অর্থের ধরন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. কামালের শিল্প লাভজনক করতে তোমার সুপারিশ পাঠ্যপুস্তকের আলোকে উপস্থাপন কর। ৪
প্রশ্ন -১৯ ল্ফ ছয় সন্তানের জনক সোহরাব সাহেবকে একসময় অনেকেই জনবিস্ফোরণের জন্য দায়ী করত। কিন্তু তিনি তার ছয় সন্তানকে উচ্চ শিক্ষিত করে গড়ে তোলেন। তার তিন ছেলে বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরি করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠায়। অন্য তিন ছেলে দেশে কেউ উদ্যোক্তা হয়েছেন আবার কেউ প্রযুক্তিগত ও কারিগরি জ্ঞান নিয়ে আত্মকর্মশীল হয়েছেন। এখন সোহরাব সাহেবের ছেলেরা দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করছেন।
ক. চঈও এর পূর্ণ রূপ কী? ১
খ. জাতীয় উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যগুলো কী কী? ২
গ. সোহরাব সাহেবের ছেলেদের মানবসম্পদ বলা যায় কিনা? উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. সোহরাব সাহেবের ছেলেরা দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করছেন। Ñ বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন -২০ ল্ফ শিক্ষক ক্লাসে তার শিক্ষার্থীদের বলেন, যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ খাত আছে। যা থেকে দেশ তার জাতীয় আয়ের একটা বৃহৎ অংশ পেয়ে থাকে। এসব খাত জনগণের জীবনমান উন্নয়নকেও ত্বরান্বিত করে।
ক. ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে জাতীয় আয়ে স্বাস্থ্য ও সেবা খাতের অবদান কত শতাংশ ছিল? ১
খ. যুব উন্নয়ন কীভাবে মানবসম্পদ উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখে? ২
গ. শিক্ষক অর্থনৈতিক উন্নয়নে যেসব খাতের কথা বোঝাতে চেয়েছেন তার প্রধান তিনটির বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. উক্ত খাতগুলো আমাদের জীবনমান উন্নয়নকে কীভাবে ত্বরান্বিত করে? বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন -২১ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে জাতীয় উৎপাদনে শিল্প খাতের অবদান কত ছিল? ১
খ. শ্রমশক্তিসম্পন্ন মানুষকেই দেশের মানবসম্পদ বলা হয় কেন? ২
গ. অর্থনীতিতে ‘অ’ ধারণাটি কীভাবে প্রকাশ করা হয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে দেখানো ‘অ’ ও ‘ই’ ধারণা দুটির পারস্পরিক সম্পর্ক তোমার পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন -২২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জনাব কবির চৌধুরী সৌদি আরবের একটি কোম্পানির প্রকল্প ম্যানেজার। তিনি বাড়িতে অনেক টাকা পাঠিয়েছেন। তার পাঠানো টাকায় তার তিনটি ছোট ভাই বুয়েটে পড়াশোনা করছে। বর্তমানে জনাব কবির চৌধুরীর পরিবার তার ওপর নির্ভরশীল। তার দেওয়া অর্থ দেশের অর্থনীতিতেও ব্যাপক অবদান রাখছে। তার মা, ছোট ভাই-বোন সবাই টেলিফোন, মোবাইল, ফেসবুক, ই-মেইল ব্যবহার করে প্রায় প্রতি দিনই তার সাথে যোগাযোগ রাখছে। এর মাধ্যমে মুহ‚র্তের খরবও কবির চৌধুরী পেয়ে থাকেন।
ক. এউচ-এর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. শ্রমশক্তিসম্পন্ন মানুষকে দেশের মানবসম্পদ বলা হয় কেন? ২
গ. জনাব কবির চৌধুরীর পাঠানো টাকা কী ধরনের উপার্জন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভ‚মিকা পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশে“ষণ কর। ৪
ল্ফল্প ২২নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. এউচ-এর পূর্ণরূপ হলো এৎড়ংং উড়সবংঃরপ চৎড়ফঁপঃ.
খ. মানুষ তখনই রাষ্ট্র ও সমাজের শক্তিতে পরিণত হয় যখন সে কিছু করতে পারে। কেউ শারীরিক শ্রম দিয়ে রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য সম্পদ তৈরিতে সহায়তা করে। কেউ মেধা দিয়ে নতুন নতুন সম্পদ উদ্ভাবন করে। দেশের শিল্প, কৃষি, বা সেবা খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির কাজে যারা শ্রম ও মেধা দিয়ে কাজ করেন তারা নিজেদেরকে শ্রমশক্তিতে রূপান্তরিত করেন। তাই শ্রমশক্তিসম্পন্ন মানুষকেই দেশের মানবসম্পদ বলা হয়।
গ. জনাব কবির চৌধুরীর পাঠানো টাকা রেমিটেন্স।
প্রবাসে কর্মরত নাগরিকদের প্রেরিত অর্থকে রেমিটেন্স বলে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও পেশাজীবীরা তাদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। যেভাবে জনাব কবির চৌধুরী পাঠিয়ে থাকেন। এ অর্থ কেবল তাদের পরিবারের প্রয়োজনই মিটায় না, নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে। বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের একটা বড় অংশ আসছে জনাব কবির চৌধুরীর মতো প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ অর্থাৎ রেমিটেন্স থেকে।
ঘ. বর্তমান বিশ্ব উন্নতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুুক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে সেই প্রযুক্তিকে বোঝায় যার সাহায্যে তথ্য সংরক্ষণ ও তা ব্যবহার করা যায়। যেমন : ইন্টারনেট, ফোন প্রভৃতি।
ইন্টারনেট প্রযুক্তি বর্তমানে দেশ বা দেশের বাইরে এক মানুষের সঙ্গে অন্য মানুষের যোগাযোগকে খুবই সহজ করে দিয়েছে। আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধুবের সঙ্গে ভাববিনিময়, পরস্পরের খোঁজখবর নেয়া কিংবা ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষের সঙ্গে পণ্যবিনিময় সংক্রান্ত আলোচনা, চুক্তি ইত্যাদি এখন ঘরে বসেও অল্প সময়েই করা যায়। এভাবে ব্যক্তির সামাজিকীকরণে ও তার মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে তথ্যপ্রযুক্তি গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
উদ্দীপকে জনাব কবির চৌধুরী সৌদী আরবে থেকেই তার মা ও ছোটভাইদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। এমনকি মুহ‚র্তের খবরটুকু পেয়ে থাকেন। যা উন্নত প্রযুক্তিরই অবদান।
অনুশীলনের জন্য দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল?
উত্তর : ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৩ লক্ষ ৭০ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা।
প্রশ্ন \ ২ \ ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি কত ছিল?
উত্তর : ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা।
প্রশ্ন \ ৩ \ দেশজ উৎপাদন কী?
উত্তর : প্রতিবছর দেশের অভ্যন্তরে যা কিছু উৎপন্ন হয় তাই দেশজ উৎপাদন।
প্রশ্ন \ ৪ \ জাতীয় আয় কাকে বলে?
উত্তর : জাতীয় উৎপাদনের মোট আর্থিক মূল্যকে মোট জাতীয় আয় বলে।
প্রশ্ন \ ৫ \ মাথাপিছু আয় কী?
উত্তর : কোনো দেশের জনপ্রতি বার্ষিক আয়কে মাথাপিছু আয় বলে।
প্রশ্ন \ ৬ \ খাদ্যশস্য, শাকসবজি ও বনজ সম্পদ কোন খাতের অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর : খাদ্যশস্য, শাকসবজি ও বনজ সম্পদ কৃষি ও বনজ খাতের অন্তর্ভুক্ত?।
প্রশ্ন \ ৭ \ বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান গুরুত্বপূর্ণ খাত কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো কৃষি।
প্রশ্ন \ ৮ \ ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে জাতীয় আয়ে স্বাস্থ্য ও সেবা খাতের অবদান ছিল কত শতাংশ?
উত্তর : ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে জাতীয় আয়ে স্বাস্থ্য ও সেবা খাতের অবদান ছিল ২.৪৯ শতাংশ।
প্রশ্ন \ ৯ \ শিক্ষা মানুষের কী ধরনের অধিকার?
উত্তর : শিক্ষা মানুষের জন্মগত অধিকার।
প্রশ্ন \ ১০ \ মানবসম্পদ উন্নয়ন কী?
উত্তর : প্রতিটি অদক্ষ মানুষকে শ্রমশক্তিসম্পন্ন বা দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করাই হচ্ছে মানবসম্পদের উন্নয়ন।
অনুধাবনমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশের মোট জাতীয় উৎপাদনে কৃষির অবদান অধিক হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : মোট জাতীয় উৎপাদনে কৃষির অবদান অধিক হওয়ার কারণ বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা কৃষি।
বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশে অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে। তারা কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। মূলত এ কারণেই মোট জাতীয় উৎপাদনে কৃষির অবদান অধিক।
প্রশ্ন \ ২ \ একটি দেশ কতটুকু উন্নত বা অনুন্নত তা কিসের ভিত্তিতে পরিমাপ করা হয়?
উত্তর : একটি দেশ কতটুকু উন্নত বা অনুন্নত তা বিচার করা হয় কতগুলো সূচকের সাহায্যে। এ সূচকগুলো হলো মোট জাতীয় উৎপাদন (এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ ওহপড়সব), জীবনযাত্রার মান প্রভৃতি। এ মানদণ্ডগুলো যেসব দেশে যত ভালো অবস্থায় থাকে সেসব দেশকে তত উন্নত এবং খারাপ হলে তত অনুন্নত ধরা হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ চাকরিতে বিশেষ কোটা সংরক্ষণে সরকারি নীতির লক্ষ কী?
উত্তর : আমাদের দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী শিক্ষা দীক্ষা এবং আয় উপার্জনে অনেক পিছিয়ে। চাকরিতে বিশেষ কোটা সংরক্ষণে সরকারি নীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের অনগ্রসর বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে অগ্রসর করার মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন।
প্রশ্ন \ ৪ \ ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের বড় ধরনের কোনো সংকটে না পড়ার কারণ কী?
উত্তর : ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি সত্তে¡ও ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের বড় ধরনের কোনো সংকটে না পড়ার কারণ প্রবাসীদের পাঠানো বিপুল অঙ্কের রেমিটেন্স।