দ্বিতীয় অধ্যায় স্বাধীন বাংলাদেশ
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে পাকিস্তানের সামরিক সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর না করায়, পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। সারা দেশব্যাপী নানারকম উদ্বেগ, উত্তেজনার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল জাতির জন্য সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা।
২৫ মার্চের গণহত্যা : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বাঙালির তথা পৃথিবীর ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা হয়। সে সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র, নিরীহ, স্বাধীনতাকামী সাধারণ জনগণের ওপর হামলা করে এবং নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। পাকিস্তান তাদের এ অভিযানের নাম দেয় ‘অপারেশন সার্চ লাইট’।
স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতা দিবস : গ্রেফতার হওয়ার পূর্বমুহূর্তে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে (২৫ মার্চ রাত ১২টার পর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এজন্যই ২৬ মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস।
১৯৭১ এ বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে প্রাথমিকভাবে পূর্ব প্রস্তুতি ও সাংগঠনিক তৎপরতা ছাড়াই পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। মুক্তিযুদ্ধ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ১০ এপ্রিল গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার। এ সরকার শপথ গ্রহণ করে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলায়। ১৯৭০-৭১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য দ্বারা মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন শ্রেণি পেশাজীবী মানুষের ভ‚মিকা : দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল মহান মুক্তিযুদ্ধ। তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিপক্ষে কিছু মতদ্বৈধতা বা বিরোধ থাকলেও ২৬ মার্চ থেকেই পাকবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা এদেশের জনগণকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ করেছে। স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, নারী, শিক্ষক, কবি, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিল্পীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ মুক্তির সংগ্রামে শামিল হয়।
স্বাধীনতা অর্জনে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অবদান : বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অবদান অপরিসীম। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবর্গ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। নানা অত্যাচার-নিপীড়ন সহ্য করেছেন। রাজনীতিবিদগণ স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জীবনবাজি রেখে রাজনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে গেছেন। আর বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সারা জীবনের কর্মকাণ্ড, আন্দোলন-সংগ্রাম নির্দেশিত হয়েছে বাঙালির জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে।
মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বজনমত ও বিভিন্ন দেশের ভ‚মিকা : ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নারকীয় তাণ্ডব বিশ্ব বিবেককে নাড়া দেয়। পাকিস্তানবাহিনী ও স্বাধীনতাবিরোধী এদেশীয় দোসরদের দ্বারা সংঘটিত লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হয়। বিভিন্ন দেশ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে।
জাতিসংঘের ভ‚মিকা : বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা না দিয়ে সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান যখন বাঙালি নিধনে তৎপর, তখন জাতিসংঘ বলতে গেলে নীরব দর্শকের ভ‚মিকা পালন করে। নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে ‘ভেটো’ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রের বাইরে জাতিসংঘের নিজস্ব উদ্যোগে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষমতাও ছিল সীমিত।
সংবিধান প্রণয়ন ১৯৭২ : সংবিধান একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দলিল। এই দলিল লিখিত বা অলিখিত হতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত দলিল। দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ এই সংবিধান লাভ করে। মাত্র নয় মাসে সদিচ্ছা, আন্তরিকতা আর জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রæতির প্রতি সৎ থেকে সংক্ষিপ্ততম সময়ে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান প্রণীত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সরকারের নেতৃত্বে।
বৈদেশিক সম্পর্ক : তৃতীয় বিশ্বের সদ্য স্বাধীন একটি রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্রনীতির ভ‚মিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নবীন রাষ্ট্রটির পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারকের ভ‚মিকায় ছিলেন স্বয়ং বঙ্গবন্ধু। তিনি সব সময় স্বাধীন ও জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির কথা বলেছেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানে পররাষ্ট্রনীতির রূপরেখায় বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা হলো, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রæতা নয়।
১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড : ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় একটি দিন। ঘাতকরা এই দিন জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। বর্বর হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠা খুনিরা ছিল সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্য। পর্দার অন্তরালে ছিল সামরিক ও বেসামরিক ষড়যন্ত্রকারীরা।
খোন্দকার মোশতাক : ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় : ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী খোন্দকার মোশতাক আহমদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নেন। প্রায় তিন মাসের
মতো ক্ষমতায় ছিলেন মোশতাক। দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধুর সাথে রাজনীতিও করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আস্থা ও বিশ্বাসভাজনদের অন্যতম ছিলেন মোশতাক। তিনিই বঙ্গবন্ধুর সাথে জঘন্য বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। তিনি এদেশের ইতিহাসে জন্ম দিয়েছেন কলঙ্কিত অধ্যায়।
জিয়াউর রহমানের শাসনামল : জিয়াউর রহমান তার শাসনকালে নিজ ক্ষমতা সংহতকরণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন। সেনাবাহিনীতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা পূর্বক তিনি বিচারপতি সায়েমের কাছ থেকে বলপূর্বক ক্ষমতা দখল করে ২৩ এপ্রিল। ১৯৭৭ সালে সামরিক ফরমান জারি করে বাহাত্তরের সংবিধানের আমূল পরিবর্তন করেন। ১৯৭৬ সালের ২৮ জুলাই ‘রাজনৈতিক দলবিধি’ জারি করে ঘরোয়া রাজনীতি চালু করেন। নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে তিনি ক্ষমতাকে গণতান্ত্রিক ধারায় সুসংহত ও বৈধ করার প্রয়াস পান। ১৯৭৭ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি ১৯ দফা নীতি ও উন্নয়ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বস্তুত এভাবে তিনি বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে ওঠেন।
সামরিক অভ্যুত্থান : জেনারেল এরশাদের সরকার : লে: জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮২ সালে ক্ষমতা দখল করে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ শাসন করেন। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক আর ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিলেন রাষ্ট্রপতি।
নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান ও এরশাদের পতন : দীর্ঘ নয় বছরের প্রায় পুরো সময়টাই জনগণ জেনারেল এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। ধারাবাহিক আন্দোলনের পথ ধরে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশে পুলিশের গুলিতে ডা: শামসুল আলম খান মিলন নিহত হলে এরশাদবিরোধী আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানের রূপ ধারণ করে। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদ এর কাছে এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হন। ছাত্র-জনতার এই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এরশাদের পতনের ফলে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী কে ছিলেন?
ক এম. মনসুর আলী খ তাজউদ্দিন আহমেদ
গ খন্দকার মোশতাক আহমেদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান
২. মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্ব জনমত গঠনের জন্য সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্বÑ
র. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা করেন
রর. গেরিলা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন
ররর. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তব্য রাখেন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়। এই পুনর্গঠনের পদক্ষেপ হিসেবে বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭২ সাল পর্যন্ত বকেয়া সুদসহ কৃষি জমির খাজনা মওকুফ করে দেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
৩. অনুচ্ছেদের আলোকে বঙ্গবন্ধুর গৃহীত প্রাথমিক পদক্ষেপটি তার কোন উদ্যোগের আওতাভুক্ত?
ক নতুন সংবিধান প্রণয়ন খ রিলিফ প্রদান ও রেশনিং ব্যবস্থা
গ ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ কর্মসূচি গ্রহণ নতুন অর্থনৈতিক পাঁচশালা পরিকল্পনা
৪. অনুচ্ছেদে বর্ণিত বঙ্গবন্ধুর গৃহীত পরবর্তী পদক্ষেপটি কী উদ্দেশ্যে গ্রহণ করেন?
ক কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়ন
খ ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন সাধন
গ প্রযুক্তি ক্ষেত্রের উন্নয়ন সাধন
আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রের উন্নয়ন
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল কারা?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগণ।
প্রশ্ন \ ২ \ মুক্তিযুদ্ধে কোন অনুষ্ঠানদ্বয় জনপ্রিয় ছিল?
উত্তর : ‘চরমপত্র’ ও ‘জলাদের দরবার’ অনুষ্ঠানদ্বয় মুক্তিযুদ্ধের সময় জনপ্রিয় ছিল।
প্রশ্ন \ ৩ \ বঙ্গবন্ধু কখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন?
উত্তর : ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
প্রশ্ন \ ৪ \ মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তর : মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমদ।
প্রশ্ন \ ৫ \ মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
উত্তর : মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
প্রশ্ন \ ৬ \ মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তর : খন্দকার মোশতাক আহমেদ মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী ছিলেন।
প্রশ্ন \ ৭ \ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
প্রশ্ন \ ৮ \ মুক্তিবাহিনীতে একক গোষ্ঠী হিসেবে কাদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল?
উত্তর : মুক্তিবাহিনীতে একক গোষ্ঠী হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল।
প্রশ্ন \ ৯ \ সাধারণ অর্থে পেশাজীবী কারা?
উত্তর : সাধারণ অর্থে পেশাজীবী বিভিন্ন পেশায় যারা নিয়োজিত।
প্রশ্ন \ ১০ \ কারা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করেন?
উত্তর : চট্টগ্রাম বেতারের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করেন।
প্রশ্ন \ ১১ \ কারা মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করেছে?
উত্তর : সাধারণ মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করেছে।
প্রশ্ন \ ১২ \ মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন এম মনসুর আলী।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ভারত কখন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের পর সর্বাধিক অবদান রাখে কোন দেশ?
উত্তর : বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের পর সর্বাধিক অবদান রাখে রাশিয়া।
প্রশ্ন \ ১৫ \ বাংলাদেশ কত সালে ব্রিটিশ কমনওয়েলথের সদস্য হয়?
উত্তর : ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ব্রিটিশ কমনওয়েলথের সদস্য হয়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে কবে?
উত্তর : ১৯৭৪ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে ।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এই ভাষণের গুরুত্ব অপরিসীম। ৭ মার্চের ভাষণ থেকে বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা ও মুক্তিযুদ্ধের নির্দেশনা পায়। এ ভাষণের পরেই বাঙালি জাতির সামনে একটি গন্তব্য নির্ধারণ হয়ে যায়, তা হলো ‘স্বাধীনতা’। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায় এবং নৃশংস গণহত্যা শুরু করে। বাঙালিরা আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
প্রশ্ন \ ২ \ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নারীরা কীভাবে সাহায্য করেছিল তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভ‚মিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম থেকেই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে যে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়, তাতে নারীদের বিশেষ করে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফ‚র্ত। মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা অস্ত্রচালনা ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। অপরদিকে সহযোদ্ধা হিসেবে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রƒষা, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান ও তথ্য সরবরাহ করে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে এদেশের অগণিত নারী মুক্তিসেনা।
পাকসেনা বাহিনী কর্তৃক ধর্ষিত হয় প্রায় তিন লক্ষ নারী। তারাও মুক্তিযোদ্ধাদের সহযাত্রী।
প্রশ্ন \ ৩ \ স্বাধীনতা ঘোষণার বাংলা অনুবাদটি লেখ।
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণটি ছিল ইংরেজিতে, যাতে বিশ্ববাসী ঘোষণাটি বুঝতে পারেন। স্বাধীনতা ঘোষণার বাংলা অনুবাদ : “ইহাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে, বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহŸান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছে, যাহার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ কর। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চ‚ড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও” (বাংলাদেশ গেজেট, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী, ৩ জুলাই, ২০১১)।
প্রশ্ন \ ৪ \ মুজিবনগর সরকারের নামকরণের তাৎপর্য কী?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের সাথে সঙ্গতি রেখে মুজিবনগর সরকার নামকরণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতারের পূর্বমুহূর্তে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর স্বাধীন দেশে সরকার গঠন আবশ্যক হয়ে পড়ে। ফলে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতারা ১০ই এপ্রিল ১৯৭১ স্বাধীন বাংলা সরকার গঠন এবং ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণের মাধ্যমে সরকার গঠনের পূর্ণতা পায়। শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে সরকার গঠন করেন। মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শপথ অনুষ্ঠানের পর থেকেই এ সরকারকে মুজিবনগর সরকার হিসেবে গণ্য করা হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ কোনোদিন শোধ হবে না কেন?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নিরস্ত্র জনগণের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আক্রমণ চালালে বাঙালি ছাত্র, জনতা, পুলিশ, ইপিআর (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস) সাহসিকতার সাথে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে বহু মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন রণাঙ্গনে শহিদ হন। আবার অনেকে গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের এ ঋণ কোনোদিন শোধ হবে না।
প্রশ্ন \ ৬ \ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক দলের ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণÑ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ২৫ মার্চের পর রাজনৈতিক নেতৃত্ব সংগঠিত হয়ে সরকার গঠন, মুক্তিবাহিনী গঠন, বিদেশে জনমত সৃষ্টি ও সমর্থন আদায়, যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ এবং জনগণের মনোবল অটুট রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব মুক্তিযুদ্ধকে সফল করার ক্ষেত্রে সকল শক্তি, মেধা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও গেরিলা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্বজনমত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব।
প্রশ্ন \ ৭ \ জাতি কেন মুক্তিযোদ্ধাদের সূর্যসন্তান হিসেবে মনে রাখবে?
উত্তর : বাঙালি জাতি চিরকাল ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করবে।
মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে শত্রæমুক্ত করতে নিজের মৃত্যুকে তুচ্ছজ্ঞান করে যুদ্ধে যোগদান করেছিল। প্রায় ৩০ লক্ষ শহিদের তাজা রক্ত ও ৩ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আজকের স্বাধীনতা। জাতি হিসেবে আমরা তাই মুক্তিযোদ্ধাদের মনে করি শ্রেষ্ঠ সন্তান। এজন্য বাঙালি জাতি যতদিন পৃথিবীতে থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের তারা সূর্যসন্তান হিসেবে মনে করবে।
প্রশ্ন \ ৮ \ ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ একটি রাজনৈতিক যুদ্ধ’।Ñ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আমাদের মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক নেতৃত্বই যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করেছিল তাই একে বলা হয় রাজনৈতিক যুদ্ধ।
ঐতিহাসিক বিভিন্ন ঘটনার ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালে নির্বাচনে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। সরকার গঠনের কথা থাকলেও পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছিল। তাই রাজনৈতিকভাবে ৭ মার্চের ভাষণের পর
এবং স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে দেশ স্বাধীনতার দিকে ধাবিত হয়। মুজিবনগর সরকার শেষ পর্যন্ত অবদান রাখায় এ যুদ্ধকে রাজনৈতিক যুদ্ধ বলা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৯ \ ‘এই সংবিধান শহিদদের রক্তে লিখিত।’Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ১৯৭২ সালে প্রস্তুতকৃত সংবিধানের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এ উক্তিটি করেছিলেন।
মূলত ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। এর সঙ্গে ছিল অগণিত মা-বোনের সম্ভ্রমের বলিদান, নাম না জানা মানুষের ত্যাগের মহিমা। ১৯৭২ সালে সংবিধান গণপরিষদে পাশ হওয়ার প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধু শ্রদ্ধাভরে শহিদদের স্মরণ করেন এবং বলেন যে আজ আমরা যে সংবিধান পেলাম তা মূলত ’৭১Ðর শহিদদের রক্তের বিনিময়ের কারণে।
প্রশ্ন \ ১০ \ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রবাসী বাঙালিদের অবদান আলোচনা কর।
উত্তর : প্রবাসী বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেন। বিভিন্ন দেশে তারা মুক্তিযুদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন। বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায়ে পার্লামেন্ট সদস্যদের নিকট ছুটে গিয়েছেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় প্রতিনিধি দল প্রেরণ করেছেন, পাকিস্তানকে অস্ত্র গোলাবারুদ সরবরাহ না করতে সরকারের নিকট আবেদন করেছেন। এক্ষেত্রে ব্রিটেনের প্রবাসী বাঙালিদের ভ‚মিকা বিশেষভাবে উলেখ্য। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে তারা নিরলস কাজ করেছেন।
প্রশ্ন \ ১১ \ ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক।’ Ñ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়ের একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল উক্ত ¯েøাগান। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন সারাদেশে যখন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে এমনি সময়ে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর নূর হোসেন নামক এক ব্যক্তি বুকে ও পিঠে “স্বৈরাচার নিপাত যাক; গণতন্ত্র মুক্তি পাক।” ¯েøাগান লিখে মিছিলে অংশগ্রহণ করলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। পরবর্তীতে নূর হোসেনের এ আত্মত্যাগ আন্দোলনকে আরও বেগবান করে এবং জনগণ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করে। ১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর এরশাদের ক্ষমতা ত্যাগের মাধ্যমে জাতি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে পায়।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যম ও নারীদের ভ‚মিকা
ইমরানের বাবা স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী ছিলেন। তাঁর গান শুনে সাধারণ মানুষ অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়। অন্যদিকে তার মা মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে খাবার সরবরাহ করতেন। মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করতেন।
ক. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কী নামে আখ্যা দেয়া হয়েছে?
খ. বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুজিবনগর সরকার কেন গঠন করা হয়েছিল?
গ. ইমরানের বাবা যে মাধ্যমে কাজ করতেন, মুক্তিযুদ্ধে উক্ত মাধ্যমের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. স্বাধীনতা অর্জন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে ইমরানের মায়ের মতো অনেক নারীর ভ‚মিকাই ছিল তাৎপর্যপূর্ণ তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে যুক্তি উপস্থাপন কর।
ক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ‘গণযুদ্ধ’ বা জনযুদ্ধ নামে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
খ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকার গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা, সুসংহত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনের লক্ষ্যেই ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘মুজিবনগর সরকার’ গঠন করা হয়। ঐ দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয় ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা আদেশ বা স্বাধীনতার সাংবিধানিক ঘোষণা।
গ উদ্দীপকে বর্ণিত ইমরানের বাবা কাজ করতেন গণমাধ্যমে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভ‚মিকা অপরিসীম। সংবাদপত্র ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এ ব্যাপারে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করে। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম বেতারের শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করেন। পরে এটি মুজিবনগর সরকারের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সংবাদ, দেশাত্মবোধক গান, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা, রণাঙ্গনের নানা ঘটনা ইত্যাদি দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রতি অনুপ্রাণিত করে। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস জুগিয়ে বিজয়ের পথ সুগম করে। উদ্দীপকেও একই ঘটনা লক্ষ করা যায়। ইমরানের বাবা স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী ছিলেন। তার গান শুনে সাধারণ মানুষ অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নেয়। এছাড়া, মুজিবনগর সরকারের প্রচার সেলের তত্ত¡াবধানে প্রকাশিত পত্রিকা মুক্তিযুদ্ধে বিশিষ্ট ভ‚মিকা পালন করে।
ঘ স্বাধীনতা অর্জন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে ইমরানের মায়ের মতো মুক্তিযুদ্ধে অনেক নারীর ভ‚মিকাই ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। উদ্দীপকে উল্লিখিত ইমরানের মা মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে খাবার সরবরাহ করতেন এবং মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করতেন। ইমরানের মায়ের কাজটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভ‚মিকা ফুটিয়ে তুলেছে অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ সুগম করতে ইমরানের মায়ের মতো অনেক নারীই এরকম তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভ‚মিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম থেকেই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে যে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়, তাতে নারীদের বিশেষ করে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফ‚র্ত। মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা অস্ত্রচালনা ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। অপরদিকে, সহযোদ্ধা হিসেবে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা শুশ্রƒষা, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান ও তথ্য সরবরাহ করে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে এদেশের অগণিত নারী মুক্তিসেনা। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে পাকসেনা বাহিনী কর্তৃক ধর্ষিত হয় প্রায় তিন লক্ষ নারী। তারাও মুক্তিযোদ্ধাদের সহযাত্রী। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, উদ্দীপকে ইমরানের মায়ের মতো আমাদের স্বাধীনতা অর্জন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভ‚মিকা ছিল অনেক নারীর।
প্রশ্ন- ২ জেলহত্যা
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দুলুমিয়া ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গভীর রাতে তিনি দেখতে পান একদল সশস্ত্র লোক কারাগারের বিশেষ সেলে প্রবেশ করে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। দুলু মিয়া এ কথা তার বাবাকে জানান। তার বাবা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন যে, এ হত্যার মূল উদ্দেশ্য হলো- বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অর্জনসমূহ ধ্বংস করা।
ক. ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কী?
খ. গণপরিষদ কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. দুলু মিয়ার দেখা হত্যাকাণ্ডটি তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর যে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি দুলু মিয়ার বাবার বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ কর? তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে যুক্তি উপস্থাপন কর।
ক ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল হচ্ছে ২০১০-১১ অর্থবছর হতে চালু হওয়া শহর অঞ্চলের কর্মজীবী মায়েদের অর্থ সাহায্য প্রাপ্তির একটি তহবিল।
খ ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু ‘বাংলাদেশ গণপরিষদ’ নামে একটি আদেশ জারি করেন। এ আদেশ বলে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্যগণ গণ পরিষদের সদস্য বলে পরিগণিত হন। ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে দেশের জন্য প্রয়োজনীয় আইনকানুন পাস ও কার্যকর করা সম্ভব হয়। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় এটি অতীব তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।
গ দুলু মিয়ার দেখা হত্যাকাণ্ডটি আমার পঠিত ঘটনা জেলখানায় পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত। উদ্দীপকে দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দুলু মিয়া ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গভীর রাতে তিনি দেখতে পান একদল সশস্ত্র লোক কারাগারের বিশেষ সেলে প্রবেশ করে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। দুলু মিয়ার দেখা এ হত্যাকাণ্ডটি জেলখানায় জাতীয় চার নেতার পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকেই নির্দেশ করে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের খুনিচক্র সেনাসদস্যগণ দেশত্যাগের পূর্বে খন্দকার মোশতাকের অনুমতি নিয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে সেখানে বন্দী অবস্থায় থাকা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাÑ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সংঘটিত হয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আর একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। এ পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড দেশের জনগণ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এ ঘটনা মোশতাকের পতন ত্বরান্বিত করে। খুনিরা দেশত্যাগে বাধ্য হয়।
ঘ উদ্দীপকে দুলু মিয়ার বাবার বক্তব্যটি সমর্থনযোগ্য। দুলুর বাবা জেলখানার হত্যাকাণ্ডটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা বলেছেন তার সাথে আমি একমত পোষণ করি। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের খুনিচক্র সেনাসদস্যগণ দেশত্যাগের পূর্বে খন্দকার মোশতাকের অনুমতি নিয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে সেখানে বন্দী অবস্থায় থাকা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সংঘটিত হয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আর একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। ১৫ আগস্ট ও নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড একই গোষ্ঠী সংঘটিত করে। উপরন্তু, পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড দেশের জনগণ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এ ঘটনা মোশতাকের পতন ত্বরান্বিত করে। খুনিরা দেশত্যাগে বাধ্য হয়। এ হত্যাকাণ্ড ছিল ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত, স্বাধীনতা বিরোধী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সম্মিলিত ষড়যন্ত্র ও নীলনকশার বাস্তবায়ন। আগস্ট ও নভেম্বরে সংঘটিত উভয় হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অর্জনসমূহ ধ্বংস, দেশকে নেতৃত্বশূন্য এবং পাকিস্তানি ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠা করা।
গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. মুক্তিযুদ্ধের সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে কতজন সদস্য ছিলেন?
ক ৫ ৬ গ ১০ ঘ ১২
২. বঙ্গবন্ধুর বাকশাল গঠনের উদ্দেশ্য কী ছিল?
ক এককেন্দ্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা খ এক দলীয় শাসন কায়েম
শোষণমুক্ত রাষ্ট্র গঠন ঘ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন
৩. ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল বেতার ভাষণে মুজিবনগর সরকার গঠনের কথা প্রচার করেন কে?
তাজউদ্দিন আহমদ খ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ এম মনসুর আলী
৪. ১৯৭১ সালে কে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খ শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ তাজউদ্দীন আহমেদ
৫. ন্যায়পাল পদ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে বাংলাদেশের সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে?
ক ৭০ নং খ ৭৩ নং ৭৭ নং ঘ ৮৭ নং
৬. মুজিবনগর সরকার গঠনের কথা প্রচার করেন কে?
ক জেনারেল জিয়াউর রহমান খ শেখ মুজিবুর রহমান
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ
৭. বাংলাদেশের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কত সালে অনুষ্ঠিত হয়?
ক ১৯৯২ সালে ১৯৯৬ সালে
গ ১৯৯৮ সালে ঘ ২০০৯ সালে
৮. মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত উপদেষ্টা কমিটির আহŸায়ক কে ছিলেন?
ক খন্দকার মোশতাক আহমেদ খ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
তাজউদ্দিন আহমদ ঘ এম মনসুর আলী
৯. রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন?
ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
গ তাজউদ্দীন আহমেদ ঘ এম মনসুর আলী
১০. কত তারিখে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে?
ক ১৯৭১ সালের ১৫ এপ্রিল খ ১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল ঘ ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল
১১. ১৯৭২ সালের সংবিধান
ক বাংলাদেশকে এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করে
খ অলিখিত ও সুপরিবর্তনীয়
সরকারের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করে
ঘ ২০ বার সংশোধিত হয়েছে
১২. কখন মুজিব নগর সরকার গঠিত হয়েছিল?
১০ই এপ্রিল, ১৯৭১ খ ১৭ই এপ্রিল, ১৯৭১
গ ৯ই এপ্রিল, ১৯৭১ ঘ ৭ই এপ্রিল, ১৯৭১
১৩. কখন বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়?
৪ নভেম্বর ১৯৭২ খ ১৩ নভেম্বর, ১৯৭২
গ ১৪ নভেম্বর, ১৯৭২ ঘ ১২ নভেম্বর, ১৯৭২
১৪. কোনটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন?
ক আইনসভা কর্তৃক প্রণীত আইন খ নৈতিক আইন
গ সামাজিক আইন সংবিধান
১৫. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম কী?
ক রমনা পার্ক খ শিশু পার্ক
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘ শাহবাগ উদ্যান
১৬. ২৫ মার্চের পৈশাচিক গণহত্যার নাম কী ছিল?
ক অপারেশন জ্যাকপট খ অপারেশন ফ্রিডম
গ কিলিং অপারেশন সার্চ লাইট
১৭. “বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাস করে, কারও প্রতি বৈরী আচরণ সমর্থন করবে না”Ñ উক্তিটি কার?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খ তাজউদ্দিন আহমদ
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান
১৮. মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কে বিশ্ব নেতৃত্ব ও জনমত আদায়ের বিশেষ দূত নিযুক্ত হন?
ক কমরেড মনিসিং খ শ্রী মনোরঞ্জন ধর
গ আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী
১৯. মুজিবনগর সরকার কত তারিখে শপথ গ্রহণ করে?
ক ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল খ ১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল
গ ১৯৭১ সালের ১৫ এপ্রিল ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল
২০. ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জমির পরিমাণ কত ছিল?
ক ২২ একক খ ২৫ একর
গ ২৬ একর ২৮ একর
২১. বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী খাদ্যসংকট, দুর্নীতি এবং ষড়যন্ত্ররোধে বঙ্গবন্ধু সরকার কোন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন?
ক রিলিফ প্রদান খ শিক্ষার জাতীয়করণ
গ সংবিধান প্রণয়ন বাকশাল গঠন
২২. মুক্তিযুদ্ধের উপদেষ্টা কমিটিতে সদস্য ছিলেনÑ
কমরেড মনিসিং খ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
গ এম মনসুর আলী ঘ এএইচএম কামারুজ্জামান
২৩. মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন কে?
তাজউদ্দিন আহমদ খ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
গ এম. মনসুর আলী ঘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
২৪. বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী প্রধান রাজনৈতিক দল কোনটি?
ক মুসলিম লীগ খ পিডিপি
আওয়ামী লীগ ঘ ন্যাপ
২৫. কত হাজার পাকসেনা নিঃশর্তে যৌথ কমান্ডের নিকট আত্মসমর্পণ করে?
ক ৯২ ৯৩ গ ৯৪ ঘ ৯৫
২৬. বাংলাদেশ সর্বপ্রথম কোন সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে?
ক জাতিসংঘ খ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা
গ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ব্রিটিশ কমনওয়েলথ
২৭. ভারত কত তারিখে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে?
৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ খ ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১
গ ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ ঘ ৯ ডিসেম্বর ১৯৭১
২৮. মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা উপদেষ্টা কমিটির আহŸায়ক কে ছিলেন?
ক ডঃ আনোয়ার পাশা তাজউদ্দিন আহমদ
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ এম আকতার মুকুল
২৯. অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কত তারিখে অনুষ্ঠিত হয়?
ক ২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালের ১ অক্টোবর
গ ২০০১ সালের ২৫ নভেম্বর ঘ ২০০১ সালের ২৫ ডিসেম্বর
৩০. ‘মুজিবনগর’ সরকার কত তারিখে গঠন করা হয়?
ক ৭ এপ্রিল খ ৮ এপ্রিল গ ৯ এপ্রিল ১০ এপ্রিল
৩১. কখন অপারেশন সার্চ লাইট এর পরিকল্পনা করা হয়?
ক ১৫ মার্চ ১৭ মার্চ গ ২১ মার্চ ঘ ২৮ মার্চ
৩২. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কোনটি সবচেয়ে বড় অবদান রাখে?
রাজনৈতিক সংগঠন খ প্রবাসী বাঙালি
গ বুদ্ধিজীবী ঘ গণমাধ্যম
৩৩. অপারেশন সার্চলাইট-এর পরিকল্পনার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন
টিক্কা খান খ জুলফিকার আলী ভুট্টো
গ জেনারেল নিয়াজি ঘ ইয়াহিয়া খান
৩৪. বাংলাদেশ কত সালে কমনওয়েলথ এর সদস্যপদ লাভ করে?
১৯৭২ খ ১৯৭৩ গ ১৯৭৪ ঘ ১৯৭৬
৩৫. বঙ্গবন্ধু কর্তৃক গৃহীত দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল
খাদ্য সংকট মোকাবিলা খ নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা
গ রিলিফ কার্যক্রম জোরদারকরণ ঘ পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ
৩৬. মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রি কে ছিলেন?
ক এম.মনসুর আলী এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান
গ খন্দকার মোশতাক আহমেদ ঘ তাজউদ্দিন আহমেদ
৩৭. কোন সালে ‘তত্ত¡াবধায়ক সরকার’ আইন পাশ হয়েছিল?
ক ১৯৯৩ খ ১৯৯৪ গ ১৯৯৫ ১৯৯৬
৩৮. নিচে একটি জনসভার চিত্র রয়েছে। এটি আমাদের কোন ঘটনা মনে করিয়ে দেয়?
ক ভাষা আন্দোলন খ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন
গ ৬ দফা আন্দোলন ৭ মার্চের ভাষণ
৩৯. মাকছুদের দাদু বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণার বার্তাটি শুনতে পান। বেতার কেন্দ্রটির নাম কী ছিল?
কালুরঘাট স¤প্রচার কেন্দ্র খ আকাশ বাণী স¤প্রচার কেন্দ্র
গ ঢাকা স¤প্রচার কেন্দ্র ঘ খুলনা স¤প্রচার কেন্দ্র
৪০. কোথায় অস্থায়ী সরকার শপথ নেয়?
মেহেরপুর খ নেত্রকোনা গ ঢাকা ঘ রাজশাহী
৪১. বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ সরকার মিশন স্থাপন করে কেন?
প্রচারণা ও সমর্থন লাভের জন্য খ রাষ্ট্রসীমা বৃদ্ধির জন্য
গ নিরাপত্তার জন্য ঘ বিপদে আশ্রয় পাওয়ার জন্য
৪২. ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ‘অ’ নামক সড়কে নিজ বাসভবনে বঙ্গবন্ধু নিহত হন। ‘অ’ কোনটিকে নির্দেশ করছে?
ক ৩৪ নম্বর ৩২ নম্বর গ ২৭ নম্বর ঘ ১ নম্বর
৪৩. মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করেছে কারা?
ক ছাত্ররা খ শ্রমিকরা গ কৃষকরা প্রবাসী বাঙালিরা
৪৪. কোনটি বঙ্গবন্ধুর শাসনকাল?
ক ১৯৭২-১৯৭৪ খ ১৯৭৩-১৯৭৫
গ ১৯৭৪-১৯৭৬ ১৯৭২-১৯৭৫
৪৫. সংবিধান কমিটির সদস্য ছিল কয়জন?
ক ৩৩ ৩৪ গ ৩৫ ঘ ৩৬
৪৬. গণপরিষদের একমাত্র কাজ ছিল কোনটি?
ক নির্বাচন পরিচালনা খ সরকার গঠন
গ পাঁচশালা পরিকল্পনা প্রণয়ন সংবিধান প্রণয়ন
৪৭. বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ গণপরিষদ আদেশ জারি করে কেন?
সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে খ গণতন্ত্র পুনর্বহালের উদ্দেশ্যে
গ সংসদ কার্যকর করার উদ্দেশ্যে ঘ শাসনতান্ত্রিক বৈধতার উদ্দেশ্যে
৪৮. কার নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়?
ক বঙ্গবন্ধুর ড. কুদরত-ই-খুদার
গ বিচারপতি সাঈদের ঘ বিচারপতি সায়েমের
৪৯. জিয়াউর রহমান কাদের হাতে নিহত হন?
সেনা সদস্য খ পুলিশ বাহিনী
গ রাজনৈতিক কর্মী ঘ সাধারণ আমলা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫০. মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্বজনমত গঠনের জন্য সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব
র. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা করেন
রর. গেরিলা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন
ররর. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তব্য রাখেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫১. মুজিবনগর সরকার মিশন স্থাপন করে
র. কলকাতায়
রর. ওয়াশিংটনে
ররর. স্টকহোম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫২. মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন-
র. বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা
রর. স্কুলের ছাত্ররা
ররর. কলেজের ছাত্ররা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫৩. পররাষ্ট্রনীতির মূলকথা হলো
র. শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান
রর. সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব
ররর. কারও সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক নয়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৪. উক্ত দিনটিÑ
র. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত
রর. বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য উৎসর্গীকৃত
ররর. বাংলা ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি আদায়ে স্মরণীয়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৫. বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৯০ সাল তাৎপর্যপূর্ণ। কারণÑ
র. হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন ঘটে
রর. সামরিক শাসনের অবসান ঘটে
ররর. গণতন্ত্রের পুনঃযাত্রা শুরু হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫৬. ‘অপারেশন সার্চ লাইট”-এর নীলনক্সাকারীরা হলোÑ
র. টিক্কা খান
রর. রাও ফরমান আলী
ররর. আইয়ুব খান
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৭. মুজিবনগর সরকার গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল?
র. মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বিভিন্ন বাহিনী গঠন
রর. বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করা
ররর. রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও দল গঠন করা
নিচের কোনটি সঠিক? [য. বো. ’১৫]
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৮. বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার মূল কারণ ছিলÑ
র. অর্থনৈতিক মুক্তি
রর. বাঙালি জাতীয়তাবোধ
ররর. পাক-প্রশাসনের প্রতি ঘৃণা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫৯. মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্বজনমত গঠনের জন্য সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব
র. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা করেন
রর. গেরিলা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন
ররর. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তব্য রাখেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬০ ও ৬১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
কামাল সাহেব দেশাত্মবোধক গান গাইতেন এবং সুন্দর ছবি আঁকতেন। এ কাজে তাঁর খ্যাতি ছিল প্রচুর। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি এবং তাঁর আইনজীবী বন্ধু জাভেদ সাহেব যুদ্ধ করে দেশকে শত্রæমুক্ত করেন।
৬০. মুক্তিযুদ্ধে কামাল সাহেব ও জাভেদ সাহেব কাদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন?
ক দিনমজুরের খ প্রবাসী বাঙালিদের
পেশাজীবীদের ঘ শিক্ষকদের
৬১. কামাল সাহেব মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন
র. প্রত্যক্ষভাবে রর. পরোক্ষভাবে
ররর. সক্রিয়ভাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬২ ও ৬৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়। এই পুনর্গঠনের পদক্ষেপ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭২ সাল পর্যন্ত বকেয়া সুদসহ কৃষিজমির খাজনা মওকুফ করে দেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
৬২. অনুচ্ছেদের আলোকে বঙ্গবন্ধুর গৃহীত প্রাথমিক পদক্ষপটি তাঁর কোন উদ্যোগের আওতাভুক্ত?
ক নতুন সংবিধান প্রণয়ন খ রিলিফ প্রদান ও রেশনিং ব্যবস্থা
গ ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ কর্মসূচি গ্রহণ নতুন অর্থনৈতিক পাঁচসালা পরিকল্পনা
৬৩. অনুচ্ছেদে বর্ণিত বঙ্গবন্ধুর গৃহীত পরবর্তী পদক্ষেপটি কী উদ্দেশ্যে গ্রহণ করেন?
ক কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন
খ ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন সাধন
গ প্রযুক্তিক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধন
আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রের উন্নয়ন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৪ ও ৬৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জামির পিতা একজন সরকারি কর্মচারী। তারা ধানমন্ডির বাসিন্দা। জামির পিতা জামিকে একদিন একটি বাড়ি দেখিয়ে বললেন যে, এটি সেই বাড়ি যেখানে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড ঘটায় এবং সপরিবারে হত্যাযজ্ঞ চালায়।
৬৪. অনুচ্ছেদের হত্যাকাণ্ডটি কার হত্যাকাণ্ডের ইঙ্গিত বহন করে?
ক জিয়াউর রহমানের শেখ মুজিবুর রহমানের
গ তাজউদ্দিন আহমদের ঘ এ.কে. ফজলুল হকের
৬৫. হত্যাকাণ্ড থেকে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রক্ষা পেয়েছিলেনÑ
র. শেখ হাসিনা
রর. শেখ রাসেল
ররর. শেখ রেহানা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৬ ও ৬৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
তাহমিনার দাদা কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের একজন প্রাক্তন কর্মচারী। তিনি বলেন, বাংলার এক শ্রেষ্ঠ সন্তান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে গেলে এ বেতারকেন্দ্র থেকে এম এ হান্নান তা প্রচার করেন।
৬৬. তাহমিনা কোন শ্রেষ্ঠ সন্তানের নাম জানতে পারেন?
ক হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী খ মওলানা ভাসানী
শেখ মুজিবুর রহমান ঘ এ. কে. ফজলুল হক
৬৭. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ঘোষণাটির প্রতি সমর্থন ও অংশগ্রহণ ছিল বাঙালি-
র. সামরিক বাহিনীর
রর. আধাসামরিক বাহিনীর
ররর. বেসামরিক বাহিনীর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৮ ও ৬৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
আহমেদের পিতা একজন মুক্তিযোদ্ধা। একদিন তিনি আহমেদকে বললেন, “আমরা যুদ্ধ করেছি একটি সংগঠনের পরিচালনায়, যে সংগঠনটি ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল শপথ নিয়েছিল।”
৬৮. অনুচ্ছেদের সংগে কোন সংগঠনটির সাদৃশ্য আছে?
মুজিবনগর সরকার খ উপদেষ্টা পরিষদ
গ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ঘ জাতিসংঘ
৬৯. উক্ত সংগঠনটির প্রধান উদ্দেশ্য ছিলÑ
ক মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা
গ বিদ্রোহ প্রশমন ঘ শান্তি স্থাপন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭০ ও ৭১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অর্পা ৬ষ্ঠ শ্রেণির একজন ছাত্রী। তার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। একদিন সকালে তার বাবা বলল, “অর্পা, চলো স্কুলে যাই।” অর্পা তার বাবার সাথে স্কুলে রওনা হলো, পথে দেখল রাস্তার দু’ধার বর্ষার পানিতে পূর্ণ। স্কুলে যেয়ে দেখল অন্যদিনের মতো জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়নি। আজ সেটা অর্ধনমিত।
৭০. অনুচ্ছেদের বিষয়টি কোন ঘটনার সাথে সম্পর্কযুক্ত?
ক ১৪ ডিসেম্বরের মর্মান্তিক ঘটনা
১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড
গ জেলখানায় পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড
ঘ ২৫ মার্চের কালরাত্রির ঘটনা
৭১. উল্লিখিত ঘটনার ফল ছিলÑ
র. পাকিস্তানি সা¤প্রদায়িক ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠা পায়
রর. বাংলাদেশ গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে
ররর. বাংলাদেশ তার স্বাধীনতা হারায়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭২ ও ৭৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বিএমএ নেতা ডাঃ সামসুল আলম মিলন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর আন্দোলনটি চরমরূপ ধারণ করে অবশেষে সরকার পদত্যাগের কথা ঘোষণা দেন।
৭২. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত আন্দোলনটির নাম কী?
ক নির্বাচনি আন্দোলন ’৯০ এর গণঅভ্যুত্থান
গ ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন ঘ সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন
৭৩. উক্ত আন্দোলনে অংশ নেয়
র. ছাত্রজনতা
রর. রাজনৈতিক নেতা
ররর. শিক্ষকবৃন্দ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের তালিকাটি পড়ে ৭৪ ও ৭৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি
বিচারপতি এ.এম.সায়েম বিচারপতি আহসান উদ্দিন
প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ‘ক’ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ‘খ’
৭৪. প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ‘ক’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
ক বিচারপতি আব্দুস সাত্তার খ খন্দকার মোশতাক
জেনারেল জিয়াউর রহমান ঘ জেনারেল এরশাদ
৭৫. তালিকায় উল্লিখিত শাসক ‘ক’ এবং ‘খ’ এর মধ্যেকার বৈসাদৃশ্য হলো
র. সংবিধান সংশোধন
রর. ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি
ররর. সার্ক গঠনের উদ্যোগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অতিরিক্ত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ভ‚মিকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৬. কত সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে? (জ্ঞান)
ক ১৯৪৫ খ ১৯৫৪ ১৯৭০ ঘ ১৯৭২
৭৭. জনগণ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় কেন? (অনুধাবন)
ক বঙ্গবন্ধুকে অনেক শ্রদ্ধার জন্য
পাকিস্তানিদের শোষণ থেকে মুক্তির জন্য
গ স্বাধিকার লাভের আশায়
ঘ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লোভনীয় প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল
৭৮. ২ মার্চ জনাব ‘ক’ এদেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। ‘ক’ এর সাথে সাদৃশ্য রয়েছে কার? (প্রয়োগ)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খ ইয়াহিয়া খান
গ আইয়ুব খান ঘ টিক্কা খান
৭৯. ১৯৭১ সালের ২ মার্চ কে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন? (জ্ঞান)
শেখ মুজিবুর রহমান খ ইয়াহিয়া খান
গ জুলফিকার আলী ভুট্টো ঘ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
৮০. বঙ্গবন্ধু কত তারিখে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন? (জ্ঞান)
ক ৫ মার্চ ৭ মার্চ গ ৯ মার্চ ঘ ১১ মার্চ
৮১. বঙ্গবন্ধু কোথায় ঐতিহাসিক ভাষণ দেন? (জ্ঞান)
রেসকোর্স ময়দান খ কার্জন হল
গ রমনা বটমূল ঘ মলচত্বর
৮২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন কত তারিখে? (জ্ঞান)
ক ২৪ মার্চ খ ২৫ মার্চ ২৬ মার্চ ঘ ২৭ মে
৮৩. ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের নাম কী ছিল? (জ্ঞান)
মুজিবনগর সরকার খ মেহেরপুর সরকার
গ তাজউদ্দিন সরকার ঘ ভবেরপাড়া সরকার
৮৪. ১৯৭১ সালের কত তারিখে মুক্তিযুদ্ধের চ‚ড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়? (জ্ঞান)
ক ২৬ মার্চ খ ১০ এপ্রিল
গ ৬ ডিসেম্বর ১৬ ডিসেম্বর
৮৫. পাক বাহিনীর কত হাজার সদস্যের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়? (জ্ঞান)
ক ৯০ ৯৩ গ ৯৫ ঘ ৯৭
৮৬. কত সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৪ ১৯৭৫ গ ১৯৭৬ ঘ ১৯৭৮
৮৭. বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনঃযাত্রা শুরু হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৫ খ ১৯৭৮ গ ১৯৮২ ১৯৯০
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৮. বাংলাদেশে সামরিক শাসনের সূত্রপাত ঘটেÑ (অনুধাবন)
র. বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে
রর. রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে
ররর. সামাজিক পরিবর্তনে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৯. ১৯৭০ সালের নির্বাচনেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে
রর. জনগণ স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়
ররর. বাঙালিরা ক্ষমতা লাভ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯০. ১৯৭১ সালের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পরিণতিতেÑ (প্রয়োগ)
র. পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে
রর. ‘বাংলাদেশ’ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে
ররর. পাকিস্তান যুদ্ধবিধ্বস্ত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পরিচ্ছেদ-২.১ : মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়
ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহŸান করেন ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ।
বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণ দেন ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ।
ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু হয়- ২৫ মার্চ রাতে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন ২৫ মার্চ রাত ১২টার পর।
মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলার আম্রকাননকে নামকরণ করা হয় মুজিবনগর।
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ভাগ করা হয় ১১টি সেক্টরে।
মুক্তিযুদ্ধের স্থায়িত্বকাল ছিল ৯ মাস।
মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে নিউইয়র্কে ৪০,০০০ লোকের সমাগমে গান পরিবেশন করেন লন্ডনের সঙ্গীত শিল্পী জর্জ হ্যারিসন।
মুক্তিযুদ্ধের ফলে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯১. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় কোন দল? (জ্ঞান)
ক মুসলিম লীগ খ গণতন্ত্রী দল
গ নেজামে ইসলামী পার্টি আওয়ামী লীগ
৯২. কত সালে ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহŸান করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯৬২ খ ১৯৭০ গ ১৯৭০ ১৯৭১
৯৩. জুলফিকার আলী ভুট্টো কীভাবে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন সংকট তৈরি করেছিলেন? (অনুধাবন)
ক ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডেকে
ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে
গ ঢাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে
ঘ ঢাকা থেকে সেনাবাহিনী তুলে নিয়ে
৯৪. ইয়াহিয়া খান কেন জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের ঘোষণা দেন? (অনুধাবন)
ক জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য
খ প্রেসিডেন্ট অসুস্থ থাকার কারণে
গ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে
ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে
৯৫. ইয়াহিয়া খান কর্তৃক ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বর্জনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের কোন মনোভাব প্রকাশ পায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতা খ গণতন্ত্রকে নস্যাৎকরণ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ঘ দেশের প্রতি ভালোবাসা
৯৬. শেখ মুজিবুর রহমান ৩মার্চ সারাদেশে হরতালের আহŸান করেন কেন? (অনুধাবন)
অধিবেশন স্থগিত করার প্রতিবাদে
খ সামরিক শাসনের প্রতিবাদে
গ ভুট্টোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে
ঘ অসহযোগ আন্দোলনকে প্রবল করার জন্য
৯৭. শেখ মুজিবুর রহমান কত তারিখে সারাদেশে হরতাল আহŸান করেন? (জ্ঞান)
৩ মার্চ খ ২১ মার্চ গ ৪ মার্চ ঘ ৫ মার্চ
৯৮. ১৯৭১-এ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন কে? (জ্ঞান)
শেখ মুজিবুর রহমান খ মওলানা ভাসানী
গ তাজউদ্দিন আহমদ ঘ এম মনসুর আলী
৯৯. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে এখনও অনেক বক্তৃতা শোনা যায়। কিন্তু সেই নেতার কণ্ঠ আর শোনা যায় না। এখানে কোন নেতার কণ্ঠের কথা বলা হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী খ এ. কে. ফজলুল হক
গ মওলানা ভাসানী শেখ মুজিবুর রহমান
১০০. বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চে কোথায় ভাষণ দিয়েছিলেন? (জ্ঞান)
ক শহিদ মিনারে খ ওসমানি উদ্যানে
রেসকোর্স ময়দানে ঘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
১০১. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম কী? (জ্ঞান)
ক রমনা পার্ক খ বোটানিক্যাল গার্ডেন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘ শিশুপার্ক
১০২. ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসভার আয়োজন করার যথার্থ কারণ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জনতার শক্তি প্রদর্শনের জন্য আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার জন্য
গ পার্লামেন্ট বর্জনের জন্য ঘ স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য
১০৩. ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল।’ Ñ কথাটির তাৎপর্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
গেরিলা যুদ্ধের পূর্বাভাস খ গৃহযুদ্ধের পূর্বাভাস
গ সা¤প্রদায়িক যুদ্ধের পূর্বাভাস ঘ আন্তর্জাতিক পূর্বাভাস
১০৪. পৃথিবীর ইতিহাসে বিদ্যমান ঐতিহাসিক ভাষণগুলোর মধ্যে অন্যতম কোনটি? (জ্ঞান)
ক ২ মার্চের ভাষণ খ ৩ মার্চের ভাষণ
৭ মার্চের ভাষণ ঘ ২৬ মার্চের ভাষণ
১০৫. যার যা কিছু আছে তা দিয়ে দখলদার বাহিনীর মোকাবিলা করার আহŸান কে জানিয়েছেন? (জ্ঞান)
ক টিক্কাখান খ ইয়াহিয়া খান
বঙ্গবন্ধু ঘ জিয়াউর রহমান
১০৬. ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ’ বক্তব্যটি কার? (জ্ঞান)
ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম খ এম মনসুর আলী
গ তাজউদ্দিন আহমদ শেখ মুজিবুর রহমান
১০৭. বঙ্গবন্ধু কত তারিখের ভাষণে যুদ্ধের কলা-কৌশলের দিক নির্দেশনা দেন? (অনুধাবন)
৭ মার্চের খ ২ মার্চের গ ৩ মার্চের ঘ ২৬ মার্চের
১০৮. বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতার মূল প্রত্যয় কোনটি বলে তুমি মনে কর? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম
গ তোমরা আমার ভাই
ঘ ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল
১০৯. বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে কোর্ট-কাচারি, অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন কেন? (অনুধাবন)
ক পাকিস্তান সরকারের সহযোগিতার জন্য
পাকিস্তান সরকারের অসহযোগিতার জন্য
গ বাঙালিকে কষ্ট দেয়ার জন্য
ঘ আওয়ামী লীগের প্রভাব বুঝতে
১১০. ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা বেগতিক দেখে ইয়াহিয়া খানের সাথে কোন নেতা ঢাকায় আসেন? (অনুধাবন)
ক জিন্নাহ খ টিক্কা খান ভুট্টো ঘ নাজিমুদ্দীন
১১১. অপারেশন সার্চলাইটের নতুন নকশা করেন কে? (জ্ঞান)
ক জুলফিকার আলী ভুট্টো টিক্কা খান
গ মোনায়েম খান ঘ ইয়াহিয়া খান
১১২. ঢাকায় গণহত্যা শুরু হয় কী নামে? (জ্ঞান)
অপারেশন সার্চলাইট খ অপারেশন রেবল হান্ট
গ অপারেশন ক্লিনহার্ট ঘ অপারেশন ডেজার্ট স্ট্রম
১১৩. অপারেশন সার্চলাইট কী? (জ্ঞান)
ক ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ৭১-এর গণহত্যার অভিযান
গ ৭১-এর মিছিল ঘ ৭১-এর বৈঠক
১১৪. অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করা হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯৬৯ খ ১৯৭০ ১৯৭১ ঘ ১৯৭২
১১৫. ইয়াহিয়া ও ভুট্টো কত তারিখে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন? (অনুধাবন)
ক ৭ মার্চ খ ৯ মার্চ গ ১৭ মার্চ ২৫ মার্চ
১১৬. ২৫ মার্চের কালরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা চালানোর কারণ কী ছিল? (অনুধাবন)
বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করা
খ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনা ঘাঁটি নির্মাণ
গ বাংলাদেশের নেতৃত্বকে দুর্বল করা
ঘ বাংলার আন্দোলনকে সমূলে বিনাশ করা
১১৭. অপারেশন সার্চলাইট শুরু হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের মাধ্যমে
খ বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের হত্যার মাধ্যমে
ঢাকাসহ বাংলার বিভিন্ন জেলা শহরে নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যার মাধ্যমে
ঘ বাঙালি নেতাদের কারারুদ্ধ করার মাধ্যমে
১১৮. কত তারিখে বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন? (জ্ঞান)
ক ২৫ মার্চ ২৬ মার্চ গ ২৭ মার্চ ঘ ২৮ মার্চ
১১৯. বঙ্গবন্ধু কীভাবে স্বাধীনতার বাণী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পৌঁছে দেন? (অনুধাবন)
ক এম. এ হান্নানের সহায়তায়
ইপিআর ট্রান্সমিশনের সহায়তায়
গ জিয়াউর রহমানের সহায়তায়
ঘ সৈয়দ নজরুলের সহায়তায়
১২০. অপারেশন সার্চলাইটের আওতায় বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয় কখন? (জ্ঞান)
ক ২৫ মার্চ সকালে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে
গ ২৮ মার্চ দুপুরে ঘ ৫ এপ্রিল সকালে
১২১. কখন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়? (জ্ঞান)
ক রাত ১২টায় খ রাত ১২.৩০ মিনিটে
রাত ১.৩০ মিনিটে ঘ রাত ৩টায়
১২২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয় কত তারিখে? (জ্ঞান)
ক ২৪ মার্চ খ ২৫ মার্চ ২৬ মার্চ ঘ ২৭ মার্চ
১২৩. স্বাধীনতার ডাক দেন কে? (জ্ঞান)
শেখ মুজিবুর রহমান খ এ. কে ফজলুল হক
গ ইয়াহিয়া খান ঘ জেনারেল টিক্কা খান
১২৪. বঙ্গবন্ধু তার ঘোষণায় যে বার্তাটি দিয়েছিলেন সেটিকে তিনি কী মনে করেছিলেন? (অনুধাবন)
ক স্বাধীনতার দলিল খ গণহত্যার বার্তা
শেষ বার্তা ঘ আনন্দ মিছিলের বার্তা
১২৫. আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীনÑকথাটি কে বলেছিলেন? (জ্ঞান)
ক জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবুর রহমান
গ জেনারেল এরশাদ ঘ আবদুল হান্নান
১২৬. কতদিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু দেশবাসীকে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন? (জ্ঞান)
ক ডিসেম্বর পর্যন্ত খ পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত
চ‚ড়ান্ত বিজয় না আসা পর্যন্ত ঘ ৩ মাস পর্যন্ত
১২৭. শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার বার্তাটি কোন বাহিনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল স্থানে প্রচারিত হয়েছিল? (জ্ঞান)
ক পুলিশ বাহিনী ইপিআর গ বিডিআর ঘ সেনাবাহিনী
১২৮. এম. এ হান্নান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন কোন তারিখে? (জ্ঞান)
ক ২৫ মার্চ ২৬ মার্চ গ ২৭ মার্চ ঘ ২৮ মার্চ
১২৯. বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রথম কে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন? (জ্ঞান)
এম এ হান্নান শাহ খ মেজর জিয়াউর রহমান
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ তাজউদ্দিন আহমদ
১৩০. বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয় কোন বেতার কেন্দ্র থেকে? (জ্ঞান)
ক ঢাকা বেতার কেন্দ্র খ খুলনা বেতার কেন্দ্র
চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র ঘ রাজশাহী বেতার কেন্দ্র
১৩১. তামিমের বাড়ি চট্টগ্রামে। সেখান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা হয়। এর সাথে কোন সামরিক ব্যক্তিত্ব জড়িত? (প্রয়োগ)
ক শেখ মুজিবুর রহমান খ তাজউদ্দিন আহমদ
গ এম এজি ওসমানী জিয়াউর রহমান
১৩২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কে? (জ্ঞান)
ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেজর জিয়াউর রহমান
গ খন্দকার মোশতাক আহমদ ঘ তাজউদ্দিন আহমদ
১৩৩. বাংলাদেশের জন্মের মাধ্যমে পাকিস্তানের কত বছর শাসন ও শোষণের অবসান হয়? (জ্ঞান)
ক ২০ খ ২১ ২৪ ঘ ২৮
১৩৪. মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার ভবেরপাড়ায় গিয়ে রাকিব হাসানের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা মনে পড়ে যায়। রাকিব হাসানের কোন ঘটনা মনে পড়ে যায়? (প্রয়োগ)
মুজিবনগর সরকার গঠন খ ৭০’র নির্বাচন
গ ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ঘ ৬৬’র ছয়দফা দাবি
১৩৫. মুজিবনগর এর পূর্বনাম কী ছিল? (জ্ঞান)
বৈদ্যনাথতলা খ মেহেরপুর গ নবাবগঞ্জ ঘ কুষ্টিয়া
১৩৬. বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় কখন? (জ্ঞান)
ক ৯ এপ্রিল, ১৯৭১ ১০ এপ্রিল, ১৯৭১
গ ১৫ এপ্রিল, ১৯৭১ ঘ ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১
১৩৭. ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ সরকার কোথায় শপথ গ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক কলকাতায় খ যশোরের নওয়াপাড়ায়
গ খুলনার খালিশপুরে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায়
১৩৮. মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে কত তারিখে? (জ্ঞান)
ক ১০ এপ্রিল ১৭ এপ্রিল গ ১৮ এপ্রিল ঘ ২০ এপ্রিল
১৩৯. ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গুরুত্বপূর্ণ কেন? (অনুধাবন)
ক বাংলাদেশ সরকার গঠিত হওয়ায়
খ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায়
বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করায়
ঘ যশোর শত্র“মুক্ত হওয়ায়
১৪০. মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক এম মনসুর আলী খ এ. কে. খন্দকার
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
১৪১. বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন? (জ্ঞান)
শেখ মুজিবুর রহমান খ মনসুর আলী
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ তাজউদ্দিন আহমদ
১৪২. মুজিবনগর সরকারের উপরাষ্ট্রপতি কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক এএইচএম কামারুজ্জামান খ তাজউদ্দিন আহমদ
সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ এম মনসুর আলী
১৪৩. মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নাম কী? (জ্ঞান)
ক এ. কে. খোন্দকার খ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
তাজউদ্দিন আহমদ ঘ মনসুর আলী
১৪৪. মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী কে ছিল? (জ্ঞান)
মনসুর আলী খ আবদুর রব
গ এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান ঘ তাজউদ্দিন আহমদ
১৪৫. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কে পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন? (জ্ঞান)
ক এম. মনসুর আলী খ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান
খন্দকার মোশতাক আহমেদ ঘ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
১৪৬. মুজিবনগর সরকারের প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক লে. কর্নেল আবদুর রব খ আ. স. ম. আব্দুর রব
কর্নেল ওসমানী ঘ এ. কে. খন্দকার
১৪৭. মুক্তিযুদ্ধকালে আতাউল গনি ওসমানীর পদবি কী ছিল? (জ্ঞান)
ক মেজর খ জেনারেল
গ মেজর জেনারেল কর্নেল
১৪৮. মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়েছিল কীভাবে? (অনুধাবন)
ক বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে
১৯৭০-এর নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে
গ শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠদের নিয়ে
ঘ সকল বাহিনী নিয়ে
১৪৯. মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রমকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? (অনুধাবন)
২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
১৫০. মুক্তিযুদ্ধের সময় বহির্বিশ্বে মিশন প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্য কী ছিল? (অনুধাবন)
ক পাকবাহিনীদের হটিয়ে দেয়া খ পাকিস্তানিদের সাহায্য করা
বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায় ঘ তহবিল সংগ্রহ করা
১৫১. কাকে বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে বিশেষ দূত নিয়োগ করা হয়? (জ্ঞান)
ক ড. আকবর আলি খান বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী
গ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘ ফজলে হাসান আবেদ
১৫২. গ্রামের পঞ্চায়েত জনাব ‘ত’-কে বিশ্বের বিশেষ দূত নিয়োগ করেন। ‘ত’ নিচের কোন চরিত্রটিকে সমর্থন করছে? (প্রয়োগ)
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী খ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
গ শেখ মুজিবুর রহমান ঘ মওলানা ভাসানী
১৫৩. বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায়ে বিশেষ দূত নিয়োগ করে কোন সরকার? (জ্ঞান)
ক সুইডিশ খ ভারত মুজিবনগর ঘ চীন
১৫৪. মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র কত তারিখ অনুমোদন করে? (জ্ঞান)
ক ৫ই এপ্রিল ১০ই এপ্রিল গ ৩রা জুন ঘ ১৬ই ডিসেম্বর
১৫৫. মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কোন নামে বেশি পরিচিত ছিল? (জ্ঞান)
ক অস্থায়ী খ প্রবাসী বাংলাদেশ
মুজিবনগর ঘ আওয়ামী লীগ
১৫৬. ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয় কত তারিখে? (জ্ঞান)
ক ১০ এপ্রিল ১১ এপ্রিল গ ১২ এপ্রিল ঘ ১৭ এপ্রিল
১৫৭. সরকার যুদ্ধক্ষেত্রকে কতটি সেক্টরে ভাগ করেন? (জ্ঞান)
ক ৮ খ ৯ গ ১০ ১১
১৫৮. মুক্তিযুদ্ধে কয়টি ব্রিগেড ফোর্স ছিল? (জ্ঞান)
৩ খ ৪ গ ৫ ঘ ১১
১৫৯. অস্থায়ী সরকার বাংলাদেশের রণক্ষেত্র ১১টি সেক্টরে ভাগ করে কেন? (অনুধাবন)
ক সর্বস্তরের জনগণের সমর্থন লাভের জন্য
যুদ্ধকে গতিশীল ও সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালনার জন্য
গ শিশু, মহিলাদের রক্ষার্থে আশ্রয়স্থল তৈরির জন্য
ঘ গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধের জন্য
১৬০. কোন সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ শত্রæমুক্ত হয়? (অনুধাবন)
ক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খ আওয়ামী লীগ
মুজিবনগর ঘ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি
১৬১. পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় আউয়াল সাহেব মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি কোন বাহিনীর নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছিলেন? (প্রয়োগ)
মুক্তিফৌজ খ কাদেরিয়া গ গেরিলা ঘ কমরেড
১৬২. কাদেরিয়া বাহিনী গড়ে উঠেছিল কোথায়? (জ্ঞান)
টাঙ্গাইলে খ ঢাকায় গ আগরতলায় ঘ যশোরে
১৬৩. ইপিআর এর পূর্ণরূপ কী? (অনুধাবন)
ক ইস্ট পার্টি রাইফেলস্ ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস্
গ ইস্টার্ন পাকিস্তান রাইফেলস্ ঘ ইস্টার্ন পার্টি রাইফেলস্
১৬৪. কাদেরিয়া বাহিনী গঠন করেছিলেন কে? (জ্ঞান)
ক আ. কাদের খ ফজলুল কাদের
কাদের সিদ্দিকী ঘ কর্নেল ওসমানী
১৬৫. মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ্য কী ছিল? (জ্ঞান)
ক আত্মরক্ষা স্বাধীনতা অর্জন
গ প্রতিবাদ ঘ স্বায়ত্তশাসন
১৬৬. মুক্তিযুদ্ধকে গণযুদ্ধ বলা হয়। কথাটির তাৎপর্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক এ যুদ্ধ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল
যুদ্ধের মূল নিয়ামক ছিল বাংলার সকল শ্রেণির জনগণ
গ যুদ্ধটি গণআন্দোলনের মাধ্যমে শুরু
ঘ যুদ্ধে বিভিন্ন দেশের নাগরিক অংশগ্রহণ করেছিল
১৬৭. কোনটিকে গণযুদ্ধ বলা হয়? (জ্ঞান)
বাংলাদেশের মক্তিযুদ্ধ খ পাক-ভারত যুদ্ধ
গ পলাশীর যুদ্ধ ঘ আমেরিকার স্বাধীনতাযুদ্ধ
১৬৮. মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল কারা? (জ্ঞান)
ক ইপিআর জনগণ গ প্রচার মাধ্যম ঘ বুদ্ধিজীবী
১৬৯. মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল কোনটি? (জ্ঞান)
ক বিএনপি খ জাতীয় পার্টি
গ জামায়াতে ইসলামী আওয়ামী লীগ
১৭০. ১৯৭০ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন? (অনুধাবন)
মুক্তিযুদ্ধের উদ্দীপনায় খ ক্ষমতা গ্রহণে
গ পাকিস্তানের প্রতিহিংসায় ঘ প্রাদেশিক পরিষদ গঠনে
১৭১. ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘ক’ নামের রাজনৈতিক দল পাকবাহিনীর সমর্থন করে। ‘ক’ দল কোনটি? (প্রয়োগ)
ক ন্যাপ খ কমিউনিস্ট পার্টি
পিডিপি ঘ জাতীয় কংগ্রেস
১৭২. মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার কারণ কী ছিল? (অনুধাবন)
ক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য খ সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য
দেশকে মেধাশূন্য করার জন্য ঘ যুদ্ধ জয়ের জন্য
১৭৩. মুজিব বাহিনী গঠিত হয়েছিল মূলত ছাত্রদের নিয়ে। এটি কী প্রমাণ করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
স্বাধীনতা অর্জনে ছাত্রদের ভূমিকা মুখ্য
খ ছাত্ররাই একমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিল
গ এ বাহিনীতে ছাত্রদের আধিক্য ছিল বেশি
ঘ শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রদের যুদ্ধে আসার জন্য উৎসাহ দেন
১৭৪. যুদ্ধের সময় ছাত্ররা কোথায় প্রশিক্ষণ নেয়? (জ্ঞান)
ভারতে খ ভুটানে গ পাকিস্তানে ঘ রাশিয়ায়
১৭৫. মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি ছিল কারা? (জ্ঞান)
ছাত্ররা খ কৃষকরা
গ নারীরা ঘ গণসাইন কর্মীরা
১৭৬. মুজিববাহিনী গঠিত হয় কাদের সহায়তায়? (জ্ঞান)
ছাত্র-ছাত্রী খ পুলিশ
গ বুদ্ধিজীবী ঘ কৃষক-শ্রমিক
১৭৭. চাকরিজীবীরা মুক্তিযুদ্ধে ভ‚মিকা রাখে কীভাবে? (অনুধাবন)
চাকরি থেকে বিরত থেকে পাকিস্তান সরকারকে অসহযোগিতার মাধ্যমে
খ পাকিস্তানিদের বিনা কারণে হত্যা করে
গ পাকিস্তানি হানাদারদের অস্ত্র লুট করে
ঘ সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে
১৭৮. ১৯৭১ সালে গঠিত সংগ্রাম পরিষদে নারীদের মধ্যে কাদের অংশ গ্রহণ স্বতঃস্ফ‚র্ত ছিল? (অনুধাবন)
ক কিশোরীদের ছাত্রীদের গ বিধবাদের ঘ গৃহিণীদের
১৭৯. মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের বঙ্গবন্ধু কী নামে সম্বোধন করেছেন? (অনুধাবন)
বীরাঙ্গনা খ বীরপ্রতীক গ বীরবিক্রম ঘ বীরশ্রেষ্ঠ
১৮০. চট্টগ্রাম বেতারশিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র চালু করেন কত তারিখে? (জ্ঞান)
ক ২৫ মার্চ ২৬ মার্চ গ ২৭ মার্চ ঘ ২৯ মার্চ
১৮১. মুক্তিযুদ্ধের জন্য কারা অর্থ সংগ্রহ করেছেন? (জ্ঞান)
প্রবাসী বাঙালিরা খ বুদ্ধিজীবীরা
গ শিল্পীরা ঘ সাহিত্যিকরা
১৮২. চরমপত্র কখন প্রচার করা হয়? (অনুধাবন)
ক ভাষা আন্দোলনের সময় খ ৬ দফার সময়
গ দেশ ভাগের সময় স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়
১৮৩. বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নেতৃত্ব দেন কে? (জ্ঞান)
শেখ মুজিবুর রহমান খ জিয়াউর রহমান
গ এম এ জি ওসমানী ঘ তাজউদ্দিন আহমদ
১৮৪. ২৬ মার্চ জনাব ‘ক’ বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ‘ক’ এর সাথে সাদৃশ্য রয়েছে কোন চরিত্রটির? (প্রয়োগ)
ক এম এ হান্নান খ তাজউদ্দিন আহমদ
শেখ মুজিবুর রহমান ঘ সৈয়দ নজরুল
১৮৫. মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে ছিলেন? (জ্ঞান)
তাজউদ্দিন আহমদ খ শেখ মুজিবুর রহমান
গ মনসুর আলী ঘ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
১৮৬. বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে কে মুক্তিযুদ্ধের সফল নেতৃত্ব প্রদান করেন? (জ্ঞান)
ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম খ এম মনসুর আলী
তাজউদ্দিন আহমদ ঘ মওলানা ভাসানী
১৮৭. মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত উপদেষ্টা কমিটির আহŸায়ক কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক শেখ মুজিবুর রহমান তাজউদ্দিন আহমদ
গ নজরুল ইসলাম ঘ মওলানা ভাসানী
১৮৮. স্বাধীনতা অর্জনে এম মনসুর আলীর ভ‚মিকা ছিল অপরিসীম। এর যথার্থতা নিরূপণে কী বলা যায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক তিনি লাখ লাখ শরণার্থীর জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করেছেন
যুদ্ধকালীন সময়ে অন্ন, বস্ত্র, অস্ত্রের প্রশিক্ষণের অর্থ সংগ্রহ করেছেন এবং এর ব্যবহার শিখিয়েছেন
গ বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে যুদ্ধের সঠিক নির্দেশনা দিয়েছেন
ঘ যুদ্ধে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন
১৮৯. ১৯৭১ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবর্গ অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন কেন? (অনুধাবন)
ক নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য
গ উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের জন্য ঘ শান্তি কমিটি গঠনের জন্য
১৯০. স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মতিন সাহেব পার্শ্ববর্তী দেশে অবস্থান নিয়ে স্বাধীনতার পক্ষে প্রচার চালাতেন। তার সাথে সাদৃশ্য রয়েছে কার? (প্রয়োগ)
ক শহিদ সোহরাওয়ার্দী মওলানা ভাসানী
গ মনোরঞ্জন ধর ঘ শেখ মুজিবুর রহমান
১৯১. মুক্তিযুদ্ধে মওলানা ভাসানীর ভ‚মিকা কী ধরনের ছিল? (অনুধাবন)
ক যুদ্ধ চলাকালীন খাদ্য, বস্ত্র ও অস্ত্রের ব্যবস্থা করেছেন
ভারতে অবস্থান করে বিভিন্ন দেশকে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থনের আহŸান জানিয়েছেন
গ যুদ্ধের বিপক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন
ঘ অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহের ব্যবস্থা করতেন
১৯২. মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন? (জ্ঞান)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খ তাজউদ্দিন আহমদ
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ জিয়াউর রহমান
১৯৩. ১৯৭১ সালে গণহত্যা শুরু হলে এ দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ পার্শ্ববর্তী কোন দেশে আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হয়? (জ্ঞান)
ভারত খ ভুটান গ নেপাল ঘ মিয়ানমার
১৯৪. মুজিবনগর সরকার গঠনের পর বাংলার স্বাধীনতাকামী জনগণ ভারতে যায় কেন? (অনুধাবন)
ক নিরাপত্তার জন্য খ স্থায়ীভাবে বাস করতে
গ ভারতে নাগরিক সুবিধা বেশি ছিল প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রের জন্য
১৯৫. মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে কোন দেশ? (জ্ঞান)
ক আমেরিকা খ নেপাল গ চীন ভারত
১৯৬. মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভ‚মিকা কেন গুরুত্বপূর্ণ? (অনুধাবন)
মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য
খ ভেটো প্রদানের জন্য
গ ভাষা আন্দোলনে সহযোগিতার জন্য
ঘ পাকবাহিনীকে সহযোগিতার জন্য
১৯৭. ১৯৭১ সালের কোন তারিখে ভারত সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়? (জ্ঞান)
ক ২২ অক্টোবর খ ৩ ডিসেম্বর ৬ ডিসেম্বর ঘ ১৬ ডিসেম্বর
১৯৮. কোন দেশের সরকার ‘যৌথ কমান্ড’ গঠন করে? (জ্ঞান)
ক বাংলাদেশ ভারত গ ভুটান ঘ ঘানা
১৯৯. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের পর কোন দেশ বেশি অবদান রাখে? (জ্ঞান)
রাশিয়া খ ভুটান গ আমেরিকা ঘ চীন
২০০. সোভিয়েত ইউনিয়ন কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখে? (অনুধাবন)
ক বাংলাদেশকে অস্ত্র দিয়ে
যুদ্ধ বন্ধের জন্য ইয়াহিয়াকে আহŸান করে
গ পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে
ঘ অর্থের জোগান দিয়ে
২০১. নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো প্রদান করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে কোন দেশ? (জ্ঞান)
ক ভারত সোভিয়েত ইউনিয়ন
গ চীন ঘ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
২০২. কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর তার গানের শুরুতে জর্জ হ্যারিসনের নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। বাংলাদেশের কোন ঘটনার সাথে ইংল্যান্ডের এ কণ্ঠশিল্পী জড়িত রয়েছেন? (প্রয়োগ)
ক ভাষা আন্দোলন খ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন
গ ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ
২০৩. গ্রেট ব্রিটেন কীভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখে? (অনুধাবন)
ক বাংলাদেশি শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে
পাকবাহিনীর অত্যাচার বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরে
গ যুদ্ধের জন্য অস্ত্র দিয়ে
ঘ অর্থের জোগান দিয়ে
২০৪. জর্জ হ্যারিসন কোন দেশের নাগরিক ছিলেন? (জ্ঞান)
ব্রিটেন খ রাশিয়া গ ফ্রান্স ঘ আমেরিকা
২০৫. জর্জ হ্যারিসনের কনসার্টে কত হাজার লোকের সমাগম হয়েছিল? (জ্ঞান)
ক ২০,০০০ খ ৩০,০০০ ৪০,০০০ ঘ ৫০,০০০
২০৬. জর্জ হ্যারিসন কীভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করে? (অনুধাবন)
মুক্তিবাহিনীর পক্ষে গান গেয়ে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করে
খ সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়ে
গ বাংলাদেশে অস্ত্র পাচার করে
ঘ বাঙালিদের যুদ্ধে অনুপ্রাণিত করে
২০৭. ৩য় বিশ্বের মধ্যে ‘ক’ হলো মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত প্রথম দেশ। এটি কোনটিকে নির্দেশ করছে? (প্রয়োগ)
ক ভারত বাংলাদেশ গ রাশিয়া ঘ পাকিস্তান
২০৮. স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে কীভাবে? (অনুধাবন)
ক বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে
খ ৬ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে
সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে
ঘ ভারতের সহায়তা লাভের মাধ্যমে
২০৯. বাঙালি জাতির জীবনে ১৬ ডিসেম্বরের তাৎপর্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
শাসন-শোষণের হাত থেকে মুক্তি লাভ
খ বাঙালির অর্থভাণ্ডারের সমৃদ্ধি
গ স্বাধীন সরকার গঠন
ঘ বাংলা ভাষার মর্যাদা লাভ
২১০. পাকিস্তান সামরিক জান্তার সহযোগী এদেশীয় ব্যক্তিবর্গকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি খ হিন্দুবিরোধী শক্তি
গ অবাঙালি ঘ সমর্থক
২১১. মুক্তিযুদ্ধে কোন বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা অবিস্মরণীয়? (জ্ঞান)
স্বাধীন বাংলা বেতার খ রেডিও ফুর্তি
গ রেডিও আমার ঘ আকাশবাণী
২১২. বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সম্মানজনক অবস্থান অর্জন করে কীভাবে? (অনুধাবন)
ক ভারতের স্বীকৃতির মাধ্যমে খ শত্রæমুক্তির মাধ্যমে
মুুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ঘ ভেটো প্রদানের মাধ্যমে
২১৩. ১৯৭১ সালের ‘উ’ তারিখে জনাব ‘অ’ ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। ‘উ’ নিচের কোন দিনটিকে নির্দেশ করেছে? (প্রয়োগ)
ক ৫ মার্চ ৭ মার্চ গ ১০ মার্চ ঘ ১২ মার্চ
২১৪. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ‘ক’ নামক দেশের ভ‚মিকা সবচেয়ে বেশি। এটি কোনটিকে সমর্থন করছে? (প্রয়োগ)
ভারত খ রাশিয়া গ যুক্তরাষ্ট্র ঘ ব্রিটেন
২১৫. সীমান্ত বলল, ‘ক’ নামক দেশ ছিল বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারের প্রাণকেন্দ্র। উদ্দীপকের দেশটির সাথে নিচের কোন দেশটির মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক সোভিয়েত ইউনিয়ন খ ফ্রান্স
ব্রিটেন ঘ ইতালি
২১৬. জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ব্যাপারে চীন ভেটো প্রদান করে। এটি কী প্রমাণ করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক চীন পাকিস্তানিদের বিপক্ষে ছিল
খ চীনের সাথে বাংলাদেশের বৈরী সম্পর্ক ছিল
বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি চীনের নেতিবাচক ভ‚মিকা ছিল
ঘ চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন লাভের জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে ছিল
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২১৭. ১৯৭১ সালে গণহত্যার দায়িত্বে ছিল যারা (অনুধাবন)
র. টিক্কা খান
রর. রাও ফরমান আলী
ররর. ফজলুল হক
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৮. পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে যে কারণে (অনুধাবন)
র. বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে
রর. বাংলাদেশকে শত্রæমুক্ত করার জন্য
ররর. স্বাধীনতা অর্জনের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২১৯. অপারেশন সার্চলাইট ছিলÑ (অনুধাবন)
র. বাঙালিদের ওপর নৃশংস হত্যাকাণ্ড
রর. আলোচনার নামে কালক্ষেপণ
ররর. ইতিহাসে বর্বরতম গণহত্যা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২২০. পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আক্রমণ চালায়Ñ (অনুধাবন)
র. রাজারবাগ পুলিশ লাইনে
রর. কলকাতার বিভিন্ন স্থানে
ররর. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২১. পাকবাহিনী বাংলাকে মেধাশূন্য করার জন্য যাদেরকে হত্যা করেছিলÑ
(উচ্চতর দক্ষতা)
র. কবি-সাহিত্যিক
রর. শিক্ষক
ররর. শিল্পী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২২২. অস্থায়ী সরকারের বিভিন্ন পদে বহাল ছিলেন (অনুধাবন)
র. এম. এ. জি. ওসমানী
রর. আ. স. ম. আব্দুর রব
ররর. এ. কে. খন্দকার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২২৩. মুজিবনগর সরকার (অনুধাবন)
র. ১০ এপ্রিল গঠিত হয়
রর. অস্থায়ী সরকার
ররর. ১৭ এপ্রিল শপথ নেয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২২৪. মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন (অনুধাবন)
র. তাজউদ্দিন আহমদ
রর. এম. মনসুর আলী
ররর. এম. এ. জি. ওসমানী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২২৫. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করে (অনুধাবন)
র. চট্টগ্রাম বেতার শিল্পীরা
রর. বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা
ররর. চট্টগ্রাম সংস্কৃতি কর্মীরা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২৬. ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করে (অনুধাবন)
র. যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিয়ে
রর. শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে
ররর. খাদ্য সরবরাহ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২২৭. সোভিয়েত রাষ্ট্রপ্রধান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে আহŸান জানান যে কারণে- (অনুধাবন)
র. বাংলাদেশে গণহত্যা বন্ধ করার জন্য
রর. অগ্নিসংযোগ বন্ধ করার জন্য
ররর. নারী নির্যাতন বন্ধ করার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২২৮. ১৯৭০-এর নির্বাচন বাঙালির জাতীয় জীবনে প্রভাব বিস্তারÑ (প্রয়োগ)
র. এটি বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের বহিঃপ্রকাশ
রর. এটি বাঙালির মুক্তিলাভের বহিঃপ্রকাশ
ররর. বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২২৯. ১৯৭১ সালের ঋ নামক স্থানে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। ঋ এর অবস্থান- (প্রয়োগ)
র. কুষ্টিয়ায়
রর. মেহেরপুরে
ররর. বরিশালে
নিচের কোনটি সঠিক?
রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩০. বঙ্গবন্ধু তার ভাষণের মাধ্যমে বাঙালিকে প্রস্তুত করেনÑ (অনুধাবন)
র. যুদ্ধ ও মুক্তির জন্য
রর. ক্ষমতায় নেয়ার জন্য
ররর. স্বাধীনতার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩১. বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে সংগ্রামকে বলেছেন- (অনুধাবন)
র. মুক্তির সংগ্রাম
রর. ক্ষমতা আদায়ের সংগ্রাম
ররর. স্বাধীনতার সংগ্রাম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩২. এলাকার সন্ত্রাস দমনের জন্য সজীব সাহেব এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আহŸান জানান। এ ঘটনার সঙ্গে মিল রয়েছে (প্রয়োগ)
র. স্বাধীনতার ডাক
রর. ৭ মার্চের ভাষণ
ররর. অসহযোগ আন্দোলন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩৩. “প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রæর মোকাবিলা করতে হবে।”এ উক্তিটির সঙ্গে জড়িত (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ৭ মার্চের ভাষণ
রর. গেরিলা যুদ্ধের নির্দেশ
ররর. জাতীয়তাবাদী চেতনা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩৪. ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফ‚র্ত অংশ নেয়Ñ (অনুধাবন)
র. ছাত্ররা
রর. পেশাজীবী সংগঠন
ররর. শিক্ষক সমিতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২৩৫. “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম” বঙ্গবন্ধুর এ উক্তিটির তাৎপর্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বাঙালির মুক্তি
রর. বাংলার স্বাধীনতার ডাক
ররর. পাকিস্তানি শাসনের অবসান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২৩৬. প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আলোচনার ভান করে পর্যবেক্ষণ করেন (প্রয়োগ)
র. বঙ্গবন্ধুর গতিবিধি
রর. গণহত্যা অভিযানের প্রস্তুতি
ররর. অপারেশন সার্চলাইটের কর্মসূচি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩৭. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল (অনুধাবন)
র. সর্বস্তরের মানুষ
রর. সেনাবাহিনী
ররর. পুলিশ ও আনসার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২৩৮. বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি প্রচার করেছিলেন (অনুধাবন)
র. মেজর জিয়াউর রহমান
রর. এম. এ হান্নান
ররর. তাজউদ্দিন আহমদ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩৯. মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন- (অনুধাবন)
র. মওলানা ভাসানী ও মণিসিংহ
রর. শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দিন আহমদ
ররর. মোজাফফর আহমদ ও মনোরঞ্জন ধর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৪০. মুজিবনগর সরকারের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেনÑ (অনুধাবন)
র. সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক
রর. স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
ররর. অবিসংবাদিত নেতা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৪১. বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি Ñ (অনুধাবন)
র. রাজাকার বাহিনী
রর. আল শামস বাহিনী
ররর. শান্তি কমিটি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২৪২. মুক্তিযুদ্ধকালীন শান্তি কমিটির কাজ ছিল (অনুধাবন)
র. যুদ্ধ করা
রর. লুটপাট
ররর. নারী নির্যাতন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৪৩. মুজিবনগর সরকারের হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আবু সাঈদ চৌধুরী প্রচেষ্টা চালান (প্রয়োগ)
র. বিদেশে জনমত গঠনে
রর. বিদেশে বাংলাদেশ মিশন স্থাপন করতে
ররর. বিদেশের সমর্থন আদায়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের ছকটি পড়ে ২৪৪ ও ২৪৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ. এইচ. এম কামারুজ্জামান
অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী
২৪৪. অনুচ্ছেদে কোন সরকারের গঠন তুলে ধরা হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক যুক্তফ্রন্ট সরকারের
মুজিবনগর সরকারের
গ আইয়ুব সরকারের
ঘ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের
২৪৫. উক্ত সরকার ভ‚মিকা রেখেছিল (অনুধাবন)
র. মুক্তিযুদ্ধ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায়
রর. বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে
ররর. মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের পুনর্গঠনে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ঐতিহাসিক ৭মার্চের ভাষণ
এক ঐতিহাসিক দিনে জামান সাহেব তার পরিবারের সদস্যদের সাথে টিভি দেখছিলেন। টিভির পর্দায় একজন নেতার বলিষ্ঠ কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছিল, “প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল….।” জামান সাহেব বললেন, “এই ভাষণটি ছিল আমাদের স্বাধীনতার দিক নির্দেশক।”
ক. কার নেতৃত্বে ‘তমদ্দুন মজলিশ’ গঠিত হয়েছিল? ১
খ. ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ভাষণের পটভ‚মি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. জামান সাহেবের বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে তমদ্দুন মজলিশ গঠিত হয়েছিল।
খ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার গঠনের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এছাড়া প্রাদেশিক সরকার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের টালবাহানা পূর্ব বাংলার জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রাদেশিক পরিষদে মুসলিম লীগের শোচনীয় পরাজয় ঘটানোর উদ্দেশ্যে ১৯৫৩ সালের ১৪ই নভেম্বরে যুক্তফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ।
গ উদ্দীপকের ভাষণটি ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। পাকিস্তানি সামরিক শাসকচক্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা চক্রান্ত শুরু করে। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহŸান করেন। ভুট্টো ঢাকায় অধিবেশনে যোগদান করতে অস্বীকার করেন, অন্যান্য সদস্যদেরও তিনি হুমকি দেন। এসবই ছিল ভুট্টো ইয়াহিয়ার ষড়যন্ত্রের ফল। ইয়াহিয়া খান ১ মার্চ ভুট্টোর ঘোষণাকে অজুহাত দেখিয়ে ৩ মার্চের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। অধিবেশন স্থগিত করার প্রতিবাদে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহŸানে ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারা দেশে হরতাল পালিত হয়। ফলে সকল সরকারি কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে। হরতাল চলাকালে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে বহুলোক হতাহত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ তারিখে বিশাল এক জনসভায় ঐতিহাসিক ভাষণ দান করেন। এ ভাষণেই তিনি বলেন “প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল।”
ঘ উদ্দীপকে জামান সাহেবের বক্তব্যটি যথার্থ। ৭ মার্চের ভাষণ থেকে বাঙালি ঐকবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা ও মুক্তিযুুদ্ধের নির্দেশনা পায়। এ ভাষণের পরেই বাঙালি জাতির সামনে একটি মাত্র গন্তব্য নির্ধারিত হয়ে যায়, তা হলো ‘স্বাধীনতা’। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ডাক দেন, সে ডাকেই বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে পরবর্তী করণীয় ও স্বাধীনতা লাভের দিক নির্দেশনা ছিল ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রæর মোকাবিলা করতে হবে’। তিনি আরও বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এ ভাষণে তিনি প্রতিরোধ সংগ্রাম, যুদ্ধের কলা-কৌশল ও শত্রæ মোকাবিলা সম্পর্কেও দিকনির্দেশনা দেন। ৭ মার্চের ভাষণে পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায় এবং নৃশংস গণহত্যা শুরু করে। বাঙালিরা পাকবাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সুতরাং বলা যায় যে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল আমাদের স্বাধীনতার দিক নির্দেশক যার ফলশ্রæতি আমরা স্বাধীনতা লাভ করি।
প্রশ্ন- ২ ১৯৯০ এর গণঅভ্যুত্থান
‘ক’ নামক একটি রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শাসন চলছিল। কিন্তু দেশটির কিছু ক্ষমতালিপ্সু সেনা সদস্য ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়ায় সামরিক আইন চলছিল। সামরিক স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দেশের ছাত্র, শিক্ষক, সাধারণ জনতা সভা ও মিছিল করে। কেউ ব্যানার, কেউ পোস্টার বহন করে। তাদের মধ্যে এক যুবক নিজের বুকে ও পিঠে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে ¯েøাগান লিখে মিছিলে যোগ দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বৈরাচার সামরিক সরকারের পুলিশের গুলিতে সেই যুবকের জীবন অকালেই ঝরে পড়ে।
ক. ১৯৩৭ সালে মুসলিম লীগের দাপ্তরিক ভাষা উর্দু করার বিরোধিতা করেন কে? ১
খ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শহিদ যুবকটির সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কোন ঘটনার মিল পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় উক্ত যুবকের মতো আরো অনেকেই ত্যাগ স্বীকার করেছেন” তোমার পাঠ্যপুস্তকের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ১৯৩৭ সালে মুসলিম লীগের দাপ্তরিক ভাষা উর্দু করার বিরোধিতা করেন শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক।
খ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীসহ, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মীর অবদান ছিল খুবই প্রশংসনীয়। পত্র-পত্রিকায় লেখা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে খবর পাঠ, দেশাত্মবোধক গান, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান ইত্যাদি মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। এসব রণক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের মানসিক ও নৈতিক বল ধরে রাখতে সহায়তা করেছে, সাহস জুগিয়েছে, জনগণকে শত্রæর বিরুদ্ধে দুর্দমনীয় করেছে। এভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী-গণ গুরুত্বপূর্ণ, ভ‚মিকা পালন করে।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত শহিদ যুবকটির সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসন আমলের গণআন্দোলনের মিল পাওয়া যায়। উদ্দীপকে ‘ক’ রাষ্ট্র, স্বৈরাচার সরকার ও বিপ্লবী যুবক আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় বাংলাদেশের স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদ ও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় বীর সেনা শহিদ নূর হোসেনকে। দীর্ঘ নয় বছরের শাসনামলের প্রায় পুরো সময়টাই জনগণ এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর নূর হোসেন স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে বুকে পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ লিখে প্রতিবাদ জানানোর সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। পরবর্তীতে নানা কর্মসূচি ও আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হন।
ঘ উদ্দীপকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় উক্ত যুবকের মতো আরো অনেকেই ত্যাগ স্বীকার করেছেন স্বৈরাচার সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে। ১৯৮২ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ক্ষমতা দখল বাংলাদেশের জনগণ ভালো চোখে দেখেনি। ফলে জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ দীর্ঘ প্রায় নয় বছরের শাসনকালে প্রবল গণআন্দোলনের সম্মুখীন হন। এ আন্দোলনে রাজনৈতিক দল ছাড়াও ছাত্র, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, সাংবাদিক, কৃষিবিদ, কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের শ্রেণি ও পেশার জনগণ অংশগ্রহণ করে। তাই এ আন্দোলন গণআন্দোলন থেকে ক্রমান্বয়ে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। তাছাড়া এ আন্দোলনে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর নুর হোসেন এবং ২৭ নভেম্বর ডা. সামসুল আলম মিলনসহ অনেকেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাই আমি মনে করি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের আলোকে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৩ মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ জনগণ ও পেশাজীবিদের ভ‚মিকা
চার বছর বয়সের মণি বারবার তার মায়ের কাছে বাবার খোঁজ নেয়। মা বলে, বাবা জানোয়ারদের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়েছে। মণির মা নয় মাস সন্তানকে নিয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিন কাটালেন। অবশেষে ডিসেম্বর মাসের এক সকালে লাল-সবুজ পতাকা হাতে তার বাবাকে ফিরে পেল মণি।
ক. মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী কে ছিলেন? ১
খ. বঙ্গবন্ধুর ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ কর্মসূচিটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে মণির বাবা যে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন সে যুদ্ধের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “মণির বাবার মতো অন্যরাও উক্ত যুদ্ধের ফলাফলের নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে”Ñ বিশ্লেষণ কর। ৪
ক মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন এম. মুনসুর আলী।
খ বঙ্গবন্ধু সরকার জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং শোষণহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ, ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন দল নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠন করে। দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি নতুন একটি ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ নেন। আর এটিকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্বিতীয় বিপ্লব বলে অভিহিত করেন।
গ উদ্দীপকে মণির বাবা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ দুই যুগের বঞ্চনার ইতিহাস কাজ করেছে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পর থেকেই পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠী বাঙালিদের সর্বপ্রকারে শোষণ ও নির্যাতন করতে থাকে। ’৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি আত্মপরিচয়ে বলীয়ান হয়ে ওঠে। সা¤প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তানের ভিত্তি নড়ে যায়। এ প্রেক্ষিতে ছাত্রদের ১১ দফা এবং চ‚ড়ান্তরূপে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফাভিত্তিক সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ফলে ৬ দফা ও ১১ দফার প্রতি জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনৈতিক বিজয় ঘটে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সরকার ও স্বার্থান্বেষী মহলের জন্য এটি ছিল বিরাট পরাজয়। তারা বাঙালির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিরোধিতা এবং ষড়যন্ত্র করতে থাকে। পুর্ব পাকিস্তানের জনগণ পশ্চিম পাকিস্তানের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান গ্রহণ করে। ফলশ্রæতিতে এই নির্বাচন বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনৈতিক অগ্রযাত্রাকে চ‚ড়ান্তরূপে মুক্তিযুদ্ধের চরিত্র দান করে।
ঘ মণির বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির সর্বাত্মক বিজয় যে গৌরবজনক ফলাফল নির্দেশ করে তার নিয়ামক শুধু এই মুক্তিযোদ্ধারাই নয়। মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগণ। তাই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র, পেশাজীবী, নারী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশকে শত্রæমুক্ত করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে। মুক্তিযুদ্ধ হয় সার্থক। তারা প্রমাণ করে, মুক্তিকামী জনগণের সহযোগিতা ছাড়া স্বাধীনতা অর্জন অসম্ভব। এতদসত্তে¡ও অস্বীকার করা যায় না মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বজনমত ও বিভিন্ন দেশের ভ‚মিকাও। বিশেষ করে ভারতের ভ‚মিকা আমরা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করি। মুক্তিযুদ্ধের চ‚ড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনতে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্ব যে মূল নিয়ামক ছিল তাও বলার অপেক্ষা রাখে না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নেতৃত্বে। তার দৃঢ়চেতা মনবল জীবনের মায়া ত্যাগ করে বাংলার স্বাধীনতার যে স্বপ্ন তাই মূলত মুক্তিযুদ্ধের চ‚ড়ান্ত ফলাফলের কেন্দ্রীয় নিয়ামক।
প্রশ্ন- ৪ মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যম ও নারীর ভ‚মিকা
“মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি” আপেল মাহমুদের গাওয়া এই গানটি সাধারণ মানুষকে এতটাই অনুপ্রাণিত করে যে তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে/মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারই অংশ হিসেবে রাজবাড়ি জেলার সজ্জনকান্দা গ্রামের দুই বোন গীতা ও রাসু প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে গিয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করতেন।
ক. মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন? ১
খ. মুজিবনগর সরকার কেন গঠন করা হয়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের গানটি মুক্তিযুদ্ধের যে মাধ্যমের অন্তর্ভুক্ত, মুক্তিযুদ্ধে উক্ত মাধ্যমের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর স্বাধীনতা অর্জন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে গীতা ও রাসুর মতো অনেক নারীর ভ‚মিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে মতামত দাও। ৪
ক মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
খ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকার গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা, সুসংহত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বজনমত গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। ঐ দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা আদেশ।
গ উদ্দীপকে আপেল মাহমুদের গাওয়া গানটি মুক্তিযুদ্ধের গণমাধ্যমের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভ‚মিকা ছিল অপরিসীম। সংবাদপত্র ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এ ব্যাপারে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করে। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম বেতারের শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করেন। পরে এটি মুজিবনগর সরকারের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সংবাদ, দেশাত্মবোধক গান, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব গাঁথা, রণাঙ্গনের নানা ঘটনা ইত্যাদি দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রতি অনুপ্রাণিত করে। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস যুগিয়ে বিজয়ের পথ সুগম করে। এ ছাড়া, মুজিবনগর সরকারের প্রচার সেলের তত্ত¡াবধানে প্রকাশিত পত্রিকা মুক্তিযুদ্ধে বিশিষ্ট ভ‚মিকা পালন করে।
ঘ হ্যাঁ, আমি মনে করি স্বাধীনতা অর্জন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে গীতা ও রাসুর মতো অনেক নারীর ভ‚মিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম থেকেই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে যে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়, তাতে নারীদের বিশেষ করে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফ‚র্ত। মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা অস্ত্রচালনা ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। অপরদিকে সহযোদ্ধা হিসেবে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রƒষা, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান ও তথ্য সরবরাহ করে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে এদেশের অগণিত নারী মুক্তিসেনা। রাজবাড়ি জেলার সজ্জনকান্দা গ্রামের দুই বোন গীতা ও রাসু প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে গিয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করতেন। তারা এখানে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। দেশকে স্বাধীন করতে যুদ্ধকালীন সময়ে পুরুষের পাশাপাশি নারীর ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। নারীরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে মিছিল, মিটিং ও গণসমাবেশ করে পাকিস্তানীদের অত্যাচার আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেন। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভ‚মিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল তা সন্দেহাতীতভাবেই প্রমাণিত হয়।
প্রশ্ন- ৫ মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভ‚মিকা
চোখের সামনে রাজাকার, আলবদররা সখিনার স্বামী আর সন্তানকে হত্যা করে এবং তাকে ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। প্রতিশোধের আগুনে প্রজ্জ্বলিত হয় সখিনা। একদিন সে বুকে পিঠে বোমা বেঁধে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাক ক্যাম্পটি ধ্বংস করে দেয়। এভাবে সখিনার মতো নারীর আত্মত্যাগে রচিত হয় মুক্তিযুদ্ধের আরো একটি সাফল্যগাঁথা। এমনিভাবে সর্বস্তরের বাঙালির অংশগ্রহণে গণযুদ্ধের মাধ্যমেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।
ক. স্বাধীনতা ঘোষণার সময় চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রটির নাম কী ছিল? ১
খ. ৭ মার্চের ভাষণের মূল বক্তব্য কী ছিল? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. সখিনার আত্মত্যাগ মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভ‚মিকা মূল্যায়নের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ – ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগণ- তোমার মতের সপক্ষে যুক্তি দেখাও। ৪
ক স্বাধীনতা ঘোষণার সময় চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রটির নাম ছিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র।
খ ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল মূলত বাঙালিদের স্বাধীনতা সংগ্রামের শাশ্বত প্রেরণার উৎস ও প্রতীক। রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনিশ্চয়তা ও নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের হাতে ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা হস্তান্তরের টালবাহানার প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু এ ভাষণ দেন। এ ভাষণই স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকনির্দেশিকা হিসেবে কাজ করেছে।
গ উদ্দীপকের সখিনার আত্মত্যাগ মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভ‚মিকা মূল্যায়নের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ বক্তব্যটি যথার্থ। মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভ‚মিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম থেকেই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে যে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় তাতে নারীদের বিশেষ করে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফ‚র্ত। মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা অস্ত্রচালনা ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। অপরদিকে সহযোদ্ধা হিসেবে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রƒষা, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান ও তথ্য সরবরাহ করে যুুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে এদেশের অগণিত নারী মুক্তিসেনা। পাক সেনাবাহিনী কর্তৃক ধর্ষিত হয় প্রায় তিনলক্ষ নারী। তারাও মুক্তিযোদ্ধাদের সহযাত্রী এবং তাদের ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে সরকারিভাবে তাদের ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধিতে ভ‚ষিত করা হয়।
ঘ আমি মনে করি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগণ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নিরস্ত্র জনগণের উপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আক্রমণ চালালে বাঙালি ছাত্র, জনতা, পুলিশ, ইপিআর (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস) সাহসিকতার সাথে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। বিনা প্রতিরোধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে বাঙালিরা ছাড় দেয়নি। দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে বহু মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন রণাঙ্গনে শহিদ হন, আবার অনেকে গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে শত্রæমুক্ত করার লক্ষ্যে মৃত্যুকে তুচ্ছ মনে করে যুদ্ধে যোগদান করেছিল। তারা ছিল দেশপ্রেমিক, অসীম সাহসী এবং আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ যোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক, ইপিআর, পুলিশ, আনসার, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্তরের বাঙালিরা অংশগ্রহণ করেছিল বলে এ যুদ্ধকে ‘গণযুদ্ধ’ বা ‘জনযুদ্ধ’ও বলা হয়। উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই যে, সখিনা ও সর্বস্তরের বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগণ।
প্রশ্ন- ৬ তাজউদ্দিন আহমেদ
আবির তার মুক্তিযোদ্ধা বাবার সাথে টিভিতে একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখছিল। এটি ছিল এমন এক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে যিনি মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা কমিটির আহŸায়ক ছিলেন। মুজিবনগর সরকার গঠন নিয়ে তার দেয়া বেতার ভাষণের অডিও প্রামাণ্য চিত্রটি দেখানোর সময় আবিরের বাবা বললেন, “বঙ্গবন্ধুর এ বিশ্বস্ত সহচরকেও তাঁর মতোই, ৭১-এর পরাজিত শক্তির নীল নকশার শিকার হতে হয়।”
ক. সংবিধানের কত নম্বর অনুচ্ছেদে ন্যায়পাল পদ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে? ১
খ. আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতিসংঘের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. আবিরের দেখা প্রামাণ্য চিত্রটি যাকে নিয়ে নির্মিত তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আবিরের বাবার বক্তব্যের যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
ক সংবিধানের ৭৭ নম্বর অনুচ্ছেদে ন্যায়পাল পদ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে।
খ বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা না দিয়ে সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান যখন বাঙালি নিধনে তৎপর, তখন জাতিসংঘ বলতে গেলে নীরব দর্শকের ভ‚মিকা পালন করে। নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে ‘ভেটো’ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রের বাইরে জাতিসংঘের নিজস্ব উদ্যোগে কিছু করার ক্ষমতা ছিল সীমিত।
গ আবিরের দেখা প্রামাণ্য চিত্রটি বাংলাদেশের এক মহান নেতা মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদকে নিয়ে নির্মিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাজউদ্দিন আহমদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ঠ সহচর। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত মুজিবনগর সরকারের (১০ এপ্রিল, ১৯৭১) প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এই মহান নেতা। ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল তিনি বেতার ভাষণে মুজিবনগর সরকারের গঠনের কথা প্রচার করেন। উদ্দীপকে আবির এই অডিও প্রামাণ্য চিত্রটিই দেখছিল। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তিনি সফল নেতৃত্ব প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত উপদেষ্টা কমিটির তিনি আহŸায়ক ছিলেন। উদ্দীপকে এ তথ্যটিও উল্লিখিত হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে তাজউদ্দিন আহমদের নাম অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত।
ঘ আবিরের বাবা উদ্দীপকে মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর তাজউদ্দিন আহমদ সম্পর্কে বলেন, “বঙ্গবন্ধুর এ বিশ্বস্ত সহচরকেও তাঁর মতোই, ৭১-এর পরাজিত শক্তির নীল নকশার শিকার হতে হয়।” বক্তব্যটি যথার্থ সত্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালির জাতীয় জীবনে ঘটে এক নির্মম নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড। স্বাধীন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর কতিপয় উচ্চাভিলাষী ও উশৃঙ্খল সেনাসদস্য স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির মদদে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের নিজ বাসায় নৃশংসভাবে হত্যা করে। আবার ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের খুনিচক্র সেনাসদস্যগণ দেশত্যাগের পূর্বে খন্দকার মোশতাকের অনুমতি নিয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে সেখানে বন্দি অবস্থায় থাকা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ.এইচ.এম. কামারুজ্জামান-কে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সংঘটিত হয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আর একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। এ হত্যাকাণ্ড ছিল ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত, স্বাধীনতা বিরোধী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সম্মিলিত ষড়যন্ত্র ও নীলনকশার বাস্তবায়ন। উভয় হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে ধ্বংস করা, দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করা। ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড একই গোষ্ঠী সংঘঠিত করে। তাই আবিরের বাবার বক্তব্যটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৭ স্বাধীনতা আন্দোলনে ছাত্র সমাজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান
[
১. অ ১৯৫২ ১৯৬৬ ১৯৬৮ ১৯৭১
ছক : অ এর সালগুলোর সংঘটিত ঘটনায় একটি শ্রেণির অবদান
অ ১৯৫৪ ১৯৫৬ ১৯৫৮ ১৯৬৯
ছক : ই এর সালগুলোর সংঘটিত ঘটনায় নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ
ক. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি কারা? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধকে গণযুদ্ধ বলা হয় কেন? ২
গ. ছক : ‘অ’ তে কোন শ্রেণির অবদানের উল্লেখ রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ছক : ই এর ঘটনায় যার নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে তার ভ‚মিকা মূল্যায়ন কর। ৪
ক মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগণ।
খ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এদেশের নিরস্ত্র নিরপরাধ সকল শ্রেণির মানুষের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। বাঙালিরাও তাদের ছাড় দেয়নি। বাঙালি ছাত্র-জনতা, পুলিশ, ইপিআর, কৃষক, চাকরিজীবী, আনসার, শ্রমিক সবাই অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে প্রতিরোধ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধকে গণযুদ্ধ বলা হয়।
গ ছক ‘অ’তে ছাত্রসমাজ শ্রেণির অবদান উল্লেখ রয়েছে। ছাত্রসমাজ ১৯৪৮ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বিভিন্ন দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়। এরাই সেই ছাত্রসমাজ যারা পাকিস্তানের চব্বিশ বছরে বাঙালি জাতির স্বার্থসংশ্লিষ্ট সকল আন্দোলনে গৌরবোজ্জল ভ‚মিকা পালন করেছে। ১৯৪৮ ও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ ও ১৯৬৪ সালের শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ছয় দফার আন্দোলন, ১৯৬৮ সালে ১১ দফার আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০-এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলন, প্রতিটি ক্ষেত্রে ছাত্রসমাজ অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিরাট অংশ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। অনেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করে। মুক্তিবাহিনীতে একক গোষ্ঠী হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। মুক্তিবাহিনীর অনিয়মিত শাখায় এক বিরাট অংশ ছিল ছাত্র। মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে মুজিব বাহিনী গঠিত হয়েছিল মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় সংগঠিত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের মহান আত্মত্যাগ ব্যতীত স্বাধীনতা অর্জন কঠিন হতো।
ঘ ছক ‘ই’ এর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ‚মিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর সারাজীবনের কর্মকাণ্ড, আন্দোলন-সংগ্রাম নির্দেশিত হয়েছে বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে তিনি চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে সম্মোহনী নেতৃত্বের ভ‚মিকায় ছিলেন। এর ফলেই সম্ভব হয়েছিল ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন বিজয়। ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতা অর্জনে একচ্ছত্র ভ‚মিকা পালন করেন স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সশস্ত্র আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়লে ২৬ মার্চ ১৯৭১ প্রত্যুষে তিনি সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সংগ্রামের পথ ধরে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি। তার বলিষ্ঠ ও আপোষহীন নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন জাতির জনক, স্বাধীনতার মহানায়ক ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি।
প্রশ্ন- ৮ ১৯৭২ সালের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য
তারিখ সংবিধানের সংশোধনীসমূহ
৬ এপ্রিল ১৯৭৯ পঞ্চম
৬ আগস্ট ১৯৯১ দ্বাদশ
২৭ মার্চ ১৯৯৬ ত্রয়োদশ
ক. যুক্তফ্রন্ট সরকার কতদিন ক্ষমতায় ছিল? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভ‚মিকা বর্ণনা কর। ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সর্বশেষ সংশোধনীটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চায় উপরোক্ত কোন সংশোধনীটি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে বলে তুমি মনে কর? বিশ্লেষণ কর। ৪
ক যুক্তফ্রন্ট সরকার মাত্র ৫৬ দিন ক্ষমতায় ছিল।
খ মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভ‚মিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম থেকেই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে যে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়, তাতে নারীদের বিশেষ করে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফ‚র্ত। মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা অস্ত্রচালনা ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। অপরদিকে সহযোদ্ধা হিসেবে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রƒষা, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান ও তথ্য সরবরাহ করে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে এদেশের অগণিত নারী মুক্তিসেনা।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত সর্বশেষ সংশোধনী ২৭ মার্চ ১৯৯৯ সালে গৃহীত বাংলাদেশ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থার সাফল্য ধরে রাখতে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা আবশ্যক বিবেচনায় ১৯৯১ সালে সর্বপ্রথম তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সরকার গঠন করে। কিন্তু পরবর্তী রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে স্পষ্ট হয়ে যায়, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। অতএব সরকারের কাছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবি জানাতে থাকে। বিএনপি সরকার এ দাবি উপেক্ষা করে ১৫ই জানুয়ারি ১৯৯৬ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে। তবে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দলগুলো এই নির্বাচন পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে। প্রায় ভোটারবিহীন পরিবেশে তথাকথিত এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিরোধী দলগুলো বর্জন করায় এ নির্বাচন গুরুত্ব ও বৈধতা হারায়। তবু নির্বাচনের পর প্রতিষ্ঠিত ৪ দিন স্থায়ী ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিল, ত্রয়োদশ সংশোধনী গৃহীত হয় এবং তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক ব্যবস্থা করা হয়।
ঘ বাংলাদেশের গণতন্ত্র চর্চায় উপরোক্ত পঞ্চম, দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ সংশোধনীর মধ্যে দ্বাদশ সংশোধনীটি গণতন্ত্র চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে বলে আমি মনে করি। ৬ এপ্রিল ১৯৭৯ বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে সংসদীয় সরকারব্যবস্থার পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একটি মাত্র জাতীয় দল সৃষ্টি করা হয়। অথচ বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপস্থিতি গণতন্ত্রের প্রাণ। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থায় যা আশা করা যায় না। এ প্রেক্ষিতে ৬আগস্ট ১৯৯১ সালের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তিত হলে গণতন্ত্র আবশ্যকীয় অনুষঙ্গ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। এছাড়া তত্ত¡াবধায়ক সরকারের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান গণতন্ত্রের মূল ধারার পরিপন্থী। কারণ তত্ত¡াবধায়ক সরকার নির্বাচিত নয়। বর্তমানে তত্ত¡াবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়েছে। সার্বিক আলোচনার প্রেক্ষিতে আমি মনে করি, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চর্চায় উদ্দীপকের সংশোধনী তিনটির মধ্যে ৬ আগস্ট ১৯৯১-এর দ্বাদশ সংশোধনীটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন- ৯ মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র সমাজ ও মুজিবনগর সরকারের ভ‚মিকা
রফিক, আশরাফ, রনি, বুলবুল এরা সবাই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের জীবনের পণ ছিল হয় বিজয় না হয় মৃত্যু। এদের মতো শিক্ষার্থীরা ১৯৪৮ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বিভিন্ন দাবি আদায়ে সোচ্চার হন। এর মাঝামাঝি তারা অন্য কিছু কল্পনা করতে পারেনি। অন্যদিকে তাদের সহায়তা করার জন্য ছিল এক বিশাল কার্যক্রম যারা দেশের ভিতরে প্রশাসনিক কাজ পরিচালনাসহ বিশ্বজনমত গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল।
ক. গণযুদ্ধ কী? ১
খ. পররাষ্ট্র নীতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের প্রথম অংশে যে শ্রেণির লোকের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের ভ‚মিকা কী ছিলÑ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের শেষাংশে যাদের কার্যক্রমের উল্লেখ রয়েছে তাদেরকে কি মুক্তযুদ্ধের প্রাণ বলা যায়? যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর। ৪
ক সর্বস্তরের বাঙালির অংশগ্রহণে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধই হলো গণযুদ্ধ।
খ পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে কোনো দেশ বা রাষ্ট্রের পথ চলার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক নির্ণয়ের নীতি। প্রতিটি রাষ্ট্র তার নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করে। যেমন স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন যে, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে শত্রæতা নয়’এ নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারিত হবে। তিনি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান এবং পুনর্গঠন সহযোগিতা প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে অনুরোধ করেন।
গ উদ্দীপকের প্রথম অংশে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছাত্রসমাজের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। উদ্দীপকের রফিক, আশরাফ, রনি, বুলবুল এরা সবাই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের জীবনের পণ ছিল হয় বিজয় না হয় মৃত্যু। এদের মতো শিক্ষার্থীরা ১৯৪৮ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বিভিন্ন দাবি আদায়ে সোচ্চার হন। এরাই সেই ছাত্রসমাজ যারা পাকিস্তানের চব্বিশ বছরে বাঙালি জাতির স্বার্থসংশ্লিষ্ট সকল আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৪৮ ও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ ও ১৯৬৪ সালের শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ছয়দফার আন্দোলন, ১৯৬৮ সালে ১১ দফার আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলন, প্রতিটি ক্ষেত্রে ছাত্রসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিরাট অংশ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। অনেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করে। মুক্তিবাহিনীতে একক গোষ্ঠী হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। মুক্তিবাহিনীর অনিয়মিত শাখার এক বিরাট অংশ ছিল ছাত্র। মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে মুজিব বাহিনী গঠিত হয়েছিল মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় সংগঠিত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের মহান আত্মত্যাগ ব্যতীত স্বাধীনতা অর্জন কঠিন হতো।
ঘ উদ্দীপকের শেষাংশে মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রম উল্লেখ রয়েছে। মুজিবনগর সরকার মূলত মুক্তিযুদ্ধের প্রাণ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকার গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা, সুসংহত করা এবং মুুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘মুজিবনগর সরকার’ গঠন করা হয়। বাঙালি কর্মকর্তাদের নিয়ে সরকার প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করেন। মুজিবনগর সরকারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরে (কলকাতা, দিল্লি, লন্ডন, ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, স্টকহোম) বাংলাদেশ সরকারের মিশন স্থাপন করে। এসব মিশন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রচারণা ও সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে। সরকার বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে বিশেষ দূত নিয়োগ দেয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব নেতৃত্ব ও জনমতের সমর্থন আদায়ের জন্য কাজ করেন। ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সামরিক, বেসামরিক জনগণকে নিয়ে একটি মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ১০ এপ্রিল সরকার ৪টি সামরিক জোনে বাংলাদেশকে ভাগ করে ৪ জন সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করে। ১১ এপ্রিল তা পুনঃনির্ধারিত করে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। এছাড়া বেশ কিছু সাব-সেক্টর এবং তিনটি ব্রিগেড ফোর্স গঠিত হয়। এসব বাহিনীতে দেশের ছাত্র, যুবক, নারী, কৃষক, রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নিয়েছিল। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে যোদ্ধাগণ দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকিস্তানি সামরিক ছাউনি বা আস্তানায় হামলা চালায়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাগণ মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে দেশকে পাকিস্তানিদের দখলমুক্ত করার জন্য রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করেছেন, অনেকেই দেশের জন্যে প্রাণ দিয়েছেন, অনেকে আহত হয়েছেন। সুতরাং যৌক্তিক কারণে বলা যায়, মুজিবনগর সরকার ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রাণ।
প্রশ্ন- ১০ ১৯৭০ সালের নির্বাচন
প্রথম বক্তা : স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্ব মুহূর্তের জাতীয় নির্বাচনটি পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
দ্বিতীয় বক্তা : হ্যাঁ, এ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের একটি রাজনৈতিক দল এককভাবে সরকার গঠনের জন্য বিপুল আসন লাভ করে। কিন্তু তারা সরকার গঠন করতে চাইলেও নানা কারণে তা আর হয়নি।
প্রথম বক্তা : বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পিছনে ঐ নির্বাচন মূল সিঁড়ি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে।
ক. বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের প্রথম বক্তার বর্ণিত নির্বাচনটি কীভাবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. দ্বিতীয় বক্তা যে রাজনৈতিক দলটির কথা বলেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের গুরুত্ব অনস্বীকার্য তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
খ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিরাট অংশ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। অনেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করে। মুক্তিবাহিনীতে একক গোষ্ঠী হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। মুক্তিবাহিনীর অনিয়মিত শাখায় এক বিরাট অংশ ছিল ছাত্র। মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে মুজিব বাহিনী গঠিত হয়েছিল মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। এক কথায় বলা যায়, মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র সমাজের মহান আত্মত্যাগ ব্যতীত স্বাধীনতা অর্জন কঠিন হতো।
গ উদ্দীপকের প্রথম বক্তার বর্ণিত স্বাধীনতার পূর্ব মুহূর্তের নির্বাচনটি হচ্ছে ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন। যা ছিল পাকিস্তানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। প্রথম বক্তার বক্তব্যে ধরা পড়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে নির্বাচনটি ছিল মূল সিঁড়ি। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ফলে ৬ দফা ও ১১ দফার প্রতি জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনৈতিক বিজয় ঘটে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সরকার ও স্বার্থান্বেষী মহলের জন্য এটি ছিল বিরাট পরাজয়। তারা বাঙালির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিরোধিতা এবং ষড়যন্ত্র করতে থাকে। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ পশ্চিম পাকিস্তানের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান গ্রহণ করে। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পিছনে এই নির্বাচনের অপরিসীম গুরুত্ব স্পষ্ট। এই নির্বাচন বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনৈতিক অগ্রযাত্রাকে মুক্তিযুদ্ধের চরিত্র দানে বিশাল ভূমিকা রাখে। পরিণতিতে পাকিস্তান যুগের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।
ঘ দ্বিতীয় বক্তা ’৭০ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কথা বলেছেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগই সরকার গঠনের জন্য সমগ্র পাকিস্তানের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে ১৬৭ আসন লাভের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে আর সরকার গঠন করা সম্ভব হয়নি। তবে মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগই নেতৃত্ব দেয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী প্রধান রাজনৈতিক দলটি হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক নেতৃত্বই মুক্তিযুদ্ধের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করে। আওয়ামী লীগ প্রথমে পূর্ববাংলার জনগণকে স্বাধিকার আন্দোলনে সংগঠিত করে, এরপর ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভের পর জনগণকে স্বাধীনতা আনয়নে উদ্বুদ্ধ করে। ফলে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। মুুক্তিযুুদ্ধের শুরুতে রাজনৈতিক নেৃতত্ব বাংলাদেশ সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাকে ১০ এপ্রিল ১৯৭১ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করে। এতে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, অপরিহার্যতা এবং এর ভবিষ্যত রূপরেখা প্রণীত হয়। ২৫ মার্চের পর রাজনৈতিক নেতৃত্ব সংগঠিত হয়ে সরকার গঠন, মুক্তিবাহিনী গঠন, বিদেশে জনমত সৃষ্টি ও সমর্থন আদায়, যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ এবং জনগণের মনোবল অটুট রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব মুক্তিযুদ্ধকে সফল করার ক্ষেত্রে সকল শক্তি, মেধা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদান, ভারতে ১ কোটি শরণার্থীরা ত্রাণ ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা, মুক্তিযোদ্ধা ও গেরিলা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব। আর এ নেতৃত্ব ছিল মূলত আওয়ামী লীগেরই নেতৃত্ব।