ষষ্ঠ অধ্যায়
জাতীয় আয় ও এর পরিমাপ
জাতীয় আয়ে ধারণাসমূহের মধ্যে রয়েছে : মোট দেশজ উৎপাদ, মোট জাতীয় আয়, নিট জাতীয় আয়। জাতীয় আয় মূলত তিনভাবে পরিমাপ করা যায়। যথা : উৎপাদন পদ্ধতি (চৎড়ফঁপঃরড়হ অঢ়ঢ়ৎড়ধপয), আয় পদ্ধতি (ওহপড়সব অঢ়ঢ়ৎড়ধপয) ও ব্যয় পদ্ধতি (ঊীঢ়বহফরঃঁৎব অঢ়ঢ়ৎড়ধপয)। শিখনফল
জাতীয় আয়ের ধারণাসমূহ
জাতীয় আয়ের (ঘও) সাথে দেশজ উৎপাদের (এউচ) পার্থক্য
জাতীয় আয়ের (ঘও) সাথে নিট জাতীয় উৎপাদের (ঘঘচ) তুলনা
জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতিসমূহ
জিডিপির নির্ধারকসমূহকে উপকরণ এবং প্রযুক্তি
জিডিপির হিসাব বহিভর্‚ত বিষয়াদির তালিকা
বাংলাদেশের জাতীয় আয় পরিমাপ পদ্ধতি
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
জাতীয় আয়ের ধারণাসমূহ : জাতীয় আয়ে ধারণাসমূহের মধ্যে রয়েছে :
মোট দেশজ উৎপাদ : একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে মোট যে পরিমাণ চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপাদিত হয় তার বাজার দামের সমষ্টিকে মোট দেশজ উৎপাদ বা এউচ বলে।
মোট জাতীয় আয় : কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত আর্থিক বছরে কোনো দেশের নাগরিকগণ কর্তৃক যে পরিমাণ চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপন্ন হয় তার বাজার মূল্যের সমষ্টিকে মোট জাতীয় আয় (এঘও) বলে।
নিট জাতীয় আয় : কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো অর্থনীতিতে চ‚ড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবার আর্থিক মূল্য থেকে মূলধন ব্যবহারজনিত অবচয় ব্যয় (ঈধঢ়রঃধষ ঈড়হংঁসঢ়ঃরড়হ অষষড়ধিহপব বা ঈঈঅ বা উবঢ়ৎবপরধঃরড়হ) বাদ দিলে যা থাকে তাকে নিট জাতীয় আয় বলে।
জাতীয় আয় পরিমাপ পদ্ধতিসমূহ : জাতীয় আয় মূলত তিনভাবে পরিমাপ করা যায়। যথা : উৎপাদন পদ্ধতি (চৎড়ফঁপঃরড়হ অঢ়ঢ়ৎড়ধপয), আয় পদ্ধতি (ওহপড়সব অঢ়ঢ়ৎড়ধপয) ও ব্যয় পদ্ধতি (ঊীঢ়বহফরঃঁৎব অঢ়ঢ়ৎড়ধপয)।
জিডিপির নির্ধারকসমূহ : মোট দেশজ উৎপাদ কত হবে তা নির্ভর করে দেশের ভ‚মি ও প্রাকৃতিক সম্পদ, শ্রম, মূলধন, প্রযুক্তি, সম্পদের সচলতা ইত্যাদির ওপর।
জিডিপির হিসাব বহিভর্‚ত বিষয়াদি : জিডিপি গণনার ক্ষেত্রে যেসব উপাদানসমূহ কখনও অন্তর্ভুক্ত করা হয় না, তা হচ্ছে : ১. মূলধন লাভ-ক্ষতি, ২. মাধ্যমিক দ্রব্য ও সেবা, ৩. বিনামূল্যে ব্যবহৃত দ্রব্য ও সেবা, ৪. অতীতে উৎপাদিত পণ্য ও লেনদেন বিবেচ্য নয়, ৫. সরকারি ঋণের সুদ ও ৬. বেআইনি কাজ।
বাংলাদেশে জাতীয় আয় পরিমাপ পদ্ধতি : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো উৎপাদন পদ্ধতি ও ব্যয় পদ্ধতি ব্যবহার করে এউচ ও এঘও গণনা করে। উৎপাদন পদ্ধতিতে মোট দেশজ উৎপাদ (এউচ) পরিমাপের জন্য অর্থনীতিকে মোট ১৫টি প্রধান খাতে বিভক্ত করা হয়। খাতসমূহ হচ্ছে : ১. কৃষি ও বনজ সম্পদ; ২. মৎস্য সম্পদ; ৩. খনিজ ও খনন; ৪. শিল্প (ম্যানুঃ); ৫. পাইকারি ও খুচরা বিপণন; ৬. বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সম্পদ; ৭. নির্মাণ; ৮. হোটেল ও রেস্তোরাঁ; ৯. পরিবহন, সংরক্ষণ ও যোগাযোগ; ১০. আর্থিক প্রাতিষ্ঠানিক সেবা; ১১. রিয়েল এস্টেট, ভাড়া ও অন্যান্য ব্যবসা; ১২. লোক প্রশাসন ও প্রতিরক্ষা; ১৩. শিক্ষা; ১৪. স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা ও ১৫. কমিউনিটি, সামাজিক ও ব্যক্তিগত সেবা
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. জনপ্রতি বার্ষিক আয়কে কী বলে?
ক জাতীয় আয় খ নিট আয়
গ জিডিপি মাথাপিছু আয়
২. জাতীয় আয় গণনায় নিচের কোনটি ধরা হয়?
চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবার মূল্য খ মাধ্যমিক দ্রব্য ও সেবার মূল্য
গ সরকারি ঋণের সুদ ঘ দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয়
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রুমানা তাঁর বাড়ির আঙিনায় সাধারণ বীজ বপন করে প্রথম বছর যে পরিমাণ সবজি পান পরের বছর উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার করে তাঁর চেয়ে বেশি সবজি পান।
৩. রুমানা উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনটির ব্যবহার পরিবর্তন করেছেন?
ক ভ‚মি খ শ্রম প্রযুক্তি ঘ মূলধন
৪. উৎপাদন ক্ষেত্রে এরূপ পরিবর্তন
র. এউচ বৃদ্ধি করে রর. এঘও বৃদ্ধি করে
ররর. ঘঘও হ্রাস করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর র ও রর ঘ রর ও ররর
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. জনপ্রতি বার্ষিক আয়কে কী বলে?
ক জাতীয় আয় খ নিট আয়
গ জিডিপি মাথাপিছু আয়
২. জাতীয় আয় গণনায় নিচের কোনটি ধরা হয়?
চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবার মূল্য খ মাধ্যমিক দ্রব্য ও সেবার মূল্য
গ সরকারি ঋণের সুদ ঘ দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয়
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রুমানা তাঁর বাড়ির আঙিনায় সাধারণ বীজ বপন করে প্রথম বছর যে পরিমাণ সবজি পান পরের বছর উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার করে তাঁর চেয়ে বেশি সবজি পান।
৩. রুমানা উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনটির ব্যবহার পরিবর্তন করেছেন?
ক ভ‚মি খ শ্রম প্রযুক্তি ঘ মূলধন
৪. উৎপাদন ক্ষেত্রে এরূপ পরিবর্তন
র. এউচ বৃদ্ধি করে রর. এঘও বৃদ্ধি করে
ররর. ঘঘও হ্রাস করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর র ও রর ঘ রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ জাতীয় আয় পরিমাপ পদ্ধতিসমূহ
ঘটনাÑ১ : শিহাব ১০ বছর যাবৎ বাহরাইনে কর্মরত। তিনি প্রতিমাসে তার আয়ের বেশ কিছু অংশ দেশে প্রেরণ করেন।
ঘটনাÑ২ : মিসেস ব্রাউনী ব্রিটেনের নাগরিক। তিনি বাংলাদেশে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। প্রতিমাসে তিনিও তাঁর দেশে টাকা পাঠান।
ক. নিট জাতীয় আয় কাকে বলে?
খ. আয় পদ্ধতিতে কীভাবে জাতীয় আয় পরিমাপ করা হয়? বুঝিয়ে লিখ।
গ. শিহাবের অর্থ প্রেরণ আমাদের জাতীয় আয় পরিমাপে কীভাবে সম্পৃক্ত হয়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মিসেস ব্রাউনীর আয় কি বাংলাদেশের জাতীয় আয়কে প্রভাবিত করবে? তোমার মতামত দাও।
ক কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো অর্থনীতিতে চ‚ড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবার আর্থিক মূল্য থেকে মূলধন ব্যবহারজনিত অবচয় ব্যয় বাদ দিলে যা অবশিষ্ট থাকে তাকে নিট জাতীয় আয় বলা হয়।
খ আয় পদ্ধতিতে জাতীয় আয় পরিমাপ করার সময় উৎপাদনের বিভিন্ন উপাদানের পারিশ্রমিক যোগ করে জাতীয় আয় পরিমাপ করা হয়। আয় পদ্ধতিতে জমির খাজনা, শ্রমিকের মজুরি, মূলধনের সুদ এবং সংগঠকের মুনাফা প্রভৃতি যোগ করে জাতীয় আয় পরিমাপ করা হয়। দেশের সব লোকের আয় হিসাবের মাধ্যমে জাতীয় আয় গণনা করা হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে দেশের সব ভ‚মির খাজনা, শ্রমিকের মজুরি, মূলধনের সুদ ও সংগঠকের মুনাফা প্রভৃতি যোগফলই জাতীয় আয়।
গ শিহাব বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ায় বিদেশ থেকে তার প্রেরিত অর্থ আমাদের জাতীয় আয় পরিমাপের সাথে সম্পৃক্ত। কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত আর্থিক বছরে দেশের নাগরিকগণ কর্তৃক যে পরিমাপ চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপন্ন হয় তার বাজার মূল্যের সমষ্টিই হলো মোট জাতীয় আয়। একটি দেশের নাগরিকগণ বৈদেশিক বিনিয়োগ থেকে ও শ্রম থেকে যে আয় করে এবং বিদেশি নাগরিকগণ আলোচ্য দেশে বিনিয়োগ ও শ্রম থেকে যে আয় করে এ দুয়ের বিয়োগফলকে নিট উপাদান আয় বলে। মোট দেশজ উৎপাদ থেকে এই নিট উপাদান আয় বাদ দিলে জাতীয় আয় পাওয়া যায়। শিহাব বাহরাইনে কর্মরত আছেন। প্রতিমাসে তিনি আয়ের কিছু অংশ বাংলাদেশে প্রেরণ করেন। তার প্রেরিত আয়ের অংশ নিট উপাদান আয়ের অন্তর্ভুক্ত। এই নিট উপাদান আয়ই মোট দেশজ উৎপাদের সাথে যুক্ত হয়ে মোট জাতীয় আয় প্রদান করে। সুতরাং উদ্দীপকের শিহাবের প্রেরিত অর্থ বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের আওতাভুক্ত হবে। অর্থাৎ মোট জাতীয় আয় পরিমাপে শিহাবের প্রেরিত অর্থ মূল্যায়ন করা হবে এবং এর ফলে জাতীয় আয় বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং শিহাব বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিদেশ থেকে অর্থ প্রেরণ করে জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে ভ‚মিকা রাখছেন।
ঘ আমি মনে করি, মিসেস ব্রাউনীর আয় বাংলাদেশের জাতীয় আয়কে প্রভাবিত করবে না। কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত আর্থিক বছরে কোনো দেশের নাগরিকগণ কর্তৃক যে পরিমাণ চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপন্ন হয় তার বাজার মূল্যের সমষ্টিকে মোট জাতীয় আয় বা (এঘও) বলে। এবং মোট দেশজ উৎপাদের সাথে নিট উপাদান আয় যোগ করে জাতীয় আয় পাওয়া যায়। আর এ নিট উপাদান আয় বলতে একটি দেশের নাগরিকগণ বৈদেশিক বিনিয়োগ থেকে ও শ্রম থেকে যে আয় করে এবং বিদেশি নাগরিকগণ আলোচ্য দেশে বিনিয়োগ ও শ্রম থেকে যে আয় করে এ দুয়ের বিয়োগফলকে বোঝায়। উপযুক্ত আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, জাতীয় আয় গণনার সময় দেশে উৎপাদিত সকল সেবা ও দ্রব্যই জাতীয় আয়কে প্রভাবিত করে না। এমনকি বিদেশি বিনিয়োগ ও দেশে চাকরিরত কোনো বিদেশির আয় জাতীয় আয় গণনার সময় মোট জাতীয় আয়ের মধ্যে গণ্য করা হয় না। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, মিসেস ব্রাউনির যে আয় করেন তা বাংলাদেশের জাতীয় আয়কে প্রভাবিত করবে না।
প্রশ্ন- ২ জাতীয় আয় পরিমাপের খাতসমূহ
জহির তার নানাবাড়ি মধুপুরে বেড়াতে যায়। তার নানা পুকুরে মাছ চাষ করেন। জহির তার নানাবাড়ির পাশে প্রচুর গাছপালা ও জীবজন্তু দেখতে পায়। সে জানতে পারে এটি একটি বিশেষ ধরনের অঞ্চল।
ক. ঈঈঅ-এর পূর্ণরূপ কী?
খ. মোট দেশজ উৎপাদ বলতে কী বোঝায়?
গ. জহির তার নানাবাড়ির পাশে যে অঞ্চলটি দেখতে পায় সেটি অর্থনীতির কোন খাতের অন্তর্ভুক্ত তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জহিরের নানার চাষকৃত মাছের অবদান পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
ক ঈঈঅ-এর পূর্ণরূপ হলোÑ ঈধঢ়রঃধষ ঈড়হংঁসঢ়ষঃরড়হ অষষড়ধিহপব।
খ কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে একটি দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত সকল দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের আর্থিক মূল্যকে মোট দেশজ উৎপাদ বা মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদ বলা হয়। মোট দেশজ উৎপাদ হিসাব করার সময় দেশের মধ্যে অবস্থানরত বিদেশিদের দ্বারা উৎপাদিত দ্রব্যসহ দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে উৎপাদিত মোট দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের সমষ্টিকে বিবেচনায় আনা হয়। কিন্তু বিদেশে অবস্থানরত দেশের জনসাধারণ কর্তৃক উৎপাদিত দ্রব্য সামগ্রী ও সেবাকর্ম মোট দেশজ উৎপাদের মধ্যে বিবেচনা করা হয় না।
গ জহির তার নানাবাড়ির পাশে যে অঞ্চলটি দেখতে পায় সেটি বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণী ও বনজ সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি দেশজ উৎপাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এ খাত ধরাবাধা হিসাব করা কঠিন। এ কারণে কৃষি খাতকে তিনটি উপখাতে ভাগ করা হয়েছে। উপখাতগুলো হলোÑ শস্য ও শাকসবজি, প্রাণিসম্পদ ও বনজ সম্পদ। জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে এ খাতগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। উদ্দীপকের জহির তার নানাবাড়ি মধুপুর বেড়াতে যায়। সেখানে গিয়ে নানাবাড়ির পাশে সে প্রচুর গাছপালা ও জীবজন্তু দেখতে পায়। এগুলো মূলত একটি বিশেষ বনাঞ্চলের অংশবিশেষ। আর এসব বনাঞ্চলকেন্দ্রিক প্রাণিসম্পদ ও বনজ সম্পদ বাংলাদেশের অর্থনীতির কৃষিখাতে দুটি উপখাত থেকে প্রতি বছরই প্রচুর পরিমাণে আয় হয়। এজন্য এ দুটি উপখাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, জহিরের নানাবাড়ির পাশের অঞ্চলের গাছপালা ও জীবজন্তু যথাক্রমে বাংলাদেশের অর্থনীতির কৃষিখাতের উপখাত বনজ সম্পদ ও প্রাণিসম্পদের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জহিরের নানার চাষকৃত মাছের তথা মৎস্য খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্ববহ। বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরো উৎপাদন পদ্ধতি ব্যবহার করে এউচ ও এঘও গণনা করে। উৎপাদন পদ্ধতিতে মোট দেশজ উৎপাদন (এউচ) পরিমাপের জন্য অর্থনীতিকে মোট ১৫টি প্রধান খাতে বিভক্ত করা হয়েছে। জহিরের নানার চাষকৃত মাছ ১৫ প্রকার অর্থনৈতিক উৎসের অন্যতম মৎস্য সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের জিডিপিতে মৎস্য খাতের একটি বড় অংশ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও সামুদ্রিক উৎস থেকে মোট মৎস্য আহরণের প্রেক্ষিতে মোট দেশজ উৎপাদের হিসাব করা হয়। এ খাতে ২০১২Ñ১৩ সালে মোট দেশজ উৎপাদের পরিমাণ ছিল ৩৬,৯৯৫ কোটি টাকা এবং ২০১৩Ñ১৪ সালে ৪২,৩০৮ কোটি টাকা। এছাড়া এ মৎস্য সম্পদ আমাদের দেশের জনগণের আমিষের সিংহভাগ পূরণ করে থাকে এবং বিদেশেও আমাদের দেশের চিংড়ি ও ইলিশসহ অন্যান্য মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জহিরের নানার চাষকৃত মাছের অবদান ব্যাপক।
বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. মূলধন রক্ষণাবেক্ষণ ও ক্ষতিপূরণের ব্যয়কে বলা হয়- [স. বো. ’১৬]
ঘঘও খ ঈঈঅ গ এঘও ঘ ঘঘচ
২. “ক” দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে যে পরিমাণ চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপাদিত হয়, তার আর্থিক সমষ্টি হলো [স. বো. ’১৫]
মোট দেশজ আয় উৎপাদ খ মোট জাতীয় উৎপাদন
গ নিট জাতীয় উৎপাদন ঘ নিট জাতীয় আয়
৩. মৎস্য খাতে ২০১০-২০১১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন হলো [স. বো. ’১৫]
ক ২৪২২৩ কোটি টাকা ২৬৯৯৬ কোটি টাকা
গ ২৮১১৪ কোটি টাকা ঘ ২৯০২১ কোটি টাকা
৪. আল-আমিন বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয় যদি ৫০০০ টাকা এবং মোট জনসংখ্যা ১০০ জন হয় তাহলে আল-আমিনের মাথাপিছু আয় কত? [কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক ১০০ টাকা খ ২০০ টাকা গ ৪০০ টাকা ৫০ টাকা
৫. এউচ-এর বাংলা পূর্ণরূপ কী?
[দি বাডস রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, শ্রীমঙ্গল]
মোট দেশজ উৎপাদ খ নিট দেশজ উৎপাদ
গ মোট জাতীয় উৎপাদ ঘ নিট জাতীয় উৎপাদ
৬. এউচ-এর পূর্ণরূপ কী? [ক্যান্টনমেন্ট হাইস্কুল, যশোর]
ক এৎড়ংং উবঃবৎসরহধহঃ চৎড়ফঁপঃ
এৎড়ংং উড়সবংঃরপ চৎড়ফঁপঃ
গ উড়সবংঃরপ এৎড়ংং চৎড়ফঁপঃ
ঘ এড়ড়ফ উড়সবংঃরপ চৎড়ফঁপঃ
৭. একটি আর্থিক বছরে কোনো দেশের নাগরিক কর্তৃক যে পরিমাণ চ‚ড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবা উৎপন্ন হয় তার বাজার মূল্যকে কী বলে?
[আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক এউচ এঘও গ ঘঘচ ঘ ঘও
৮. মোট দেশজ উৎপাদের সাথে নিট উপাদান আয় যোগ করে কী পাওয়া যায়? [কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক মোট জাতীয় ব্যয় মোট জাতীয় আয়
গ নিট জাতীয় আয় ঘ ব্যক্তিগত আয়
৯. ঈঈঅ বলতে নিচের কোনটিকে বোঝানো হয়?
[আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক মূলধন ব্যবহারজনিত মুনাফা খ মূলধন ব্যবহারজনিত আয়
মূলধন ব্যবহারজনিত অবচয় ব্যয় ঘ মূলধন ব্যবহারজনিত উৎপাদন
১০. কোনটি মূলধন রক্ষণাবেক্ষণ ও ক্ষতিপূরণের ব্যয়?
[মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর]
ক এউচ ঈঈঅ গ ঘঘও ঘ এঘও
১১. কোন পদ্ধতিতে চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবার মূল্য যোগ করে এউচ নির্ণয় করা হয়? [ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
উৎপাদন খ আয় গ ব্যয় ঘ ভোগ
১২. বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জিডিপি পরিমাপের জন্য অর্থনীতিকে কয়টি খাতে বিভক্ত করেছে? [আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
১৫ খ ১৬ গ ১৭ ঘ ১৮
১৩. উৎপাদন পদ্ধতিতে উৎপাদনের মূল্য নির্ধারিত হয় কীভাবে?
[বিএএফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রাম]
খাতওয়ারি খ খাজনা অনুযায়ী
গ সুদ হিসেবের মাধ্যমে ঘ মজুরি অনুযায়ী
১৪. নিচের কোনটি জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতি?
[বি কে জি সি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হবিগঞ্জ]
ক বণ্টন খ বিনিময় গ ভোগ আয়
১৫. সংগঠনের প্রাপ্ত আয় নিচের কোনটি? [পুলিশ লাইন হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বগুড়া]
ক সুদ মুনাফা গ মজুরি ঘ খাজনা
১৬. ভোগ + বিনিয়োগ + সরকারি ব্যয় + নিট রপ্তানি – আমদানি = কী?
[বিএএফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক জাতীয় আয় মোট দেশজ উৎপাদ
গ সরকারি আয় ঘ নিট রপ্তানি
১৭. আজকের উন্নত দেশসমূহে মোট দেশজ উৎপাদ বৃদ্ধির মূলে নিচের কোনটি কাজ করে? [বিএএফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক প্রযুক্তি মূলধন গ শ্রম ঘ ভ‚মি
১৮. অর্থনীতিতে এমন কিছু দ্রব্য ও সেবা আছে যেগুলো বাজারে কেনাবেচা হয় না সেগুলো কী ধরনের দ্রব্য? [বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল, সিলেট]
অবাধলভ্য খ মাধ্যমিক গ চ‚ড়ান্ত ঘ প্রাথমিক
১৯. কোনটি মূল্যহীন সেবা নয়? [কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক মা কর্তৃক সন্তান-লালন নার্সের সেবা
গ রান্নাবান্নার কাজ ঘ বন্ধুদের গান শুনানো
২০. জিডিপি গণনার ক্ষেত্রে কোন ধরনের হিসাব মোট দেশজ উৎপাদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না? [গভ. মডেল গার্লস হাইস্কুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া]
ক ভবিষ্যতে উৎপাদিত পণ্য অতীতের উৎপাদিত পণ্য
গ বর্তমানে উৎপাদিত পণ্য ঘ চ‚ড়ান্ত উৎপাদিত পণ্য
২১. পুরাতন গাড়ি এউচ-তে অন্তর্ভুক্ত হয় না কেন?
[কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক পূর্বেই তৈরি বলে দ্বৈত গণনা হবে বলে
গ বর্তমানে উৎপাদিত পণ্য ঘ চ‚ড়ান্ত উৎপাদিত পণ্য
২২. বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এউচ ও এঘও গণনা করার ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে? [লায়ন স্কুল এন্ড কলেজ]
উৎপাদন ও ব্যয় খ উৎপাদন ও আয়
গ আয় ও ব্যয় ঘ বিনিয়োগ ও ব্যয়
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৩. মোট দেশজ উৎপাদ হিসেবের সময়ে বিবেচনায় আনতে হবেÑ
[বি এ এফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রাম]
র. ভৌগোলিক সীমানা রর. নির্দিষ্ট সময়
ররর. প্রবাসীদের অর্জিত আয়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও রর ঘ র, রর ও ররর
২৪. মাথাপিছু আয় সূচক দ্বারা সহজেই পরিমাপ করা যায়
[বি. কে. জি. সি. সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হবিগঞ্জ]
র. দেশটি উন্নত রর. দেশটি অনুন্নত
ররর. দেশটি উন্নয়নশীল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২৫. মোট দেশজ উৎপাদনের হিসাববহিভর্‚ত বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হলোÑ
[আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল]
র. মূলধনী লাভ ক্ষতি রর. মাধ্যমিক দ্রব্য ও সেবা
ররর. মূল্যহীন দ্রব্য ও সেবা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৬ ও ২৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
লালু মিয়া একটি কারখানার মালিক। তিনি কারখানার আয়-ব্যয় হিসাব করার সময় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় পণ্য বিবেচনা করেন। এতে তাঁর প্রকৃত আয় হিসাব করতে সমস্যা হয়। [স. বো. ’১৫]
২৬. লালু মিয়ার হিসাবের ক্ষেত্রে কী সমস্যা হয়?
ক মূলধন বেশি হয় খ মূলধনের ঘাটতি হয়
দ্বৈত গণনা হয় ঘ প্রকৃত আয় কম হয়
২৭. লালু মিয়া উক্ত সমস্যা সমাধান করতে যে পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন, তা হলো
র. চ‚ড়ান্ত উৎপাদন পদ্ধতি
রর. আয় ও ব্যয় পদ্ধতি
ররর. মূল্য সংযোজন পদ্ধতি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৮ ও ২৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আলম ‘অ’ দেশের নাগরিক। লেখাপড়া শেষ করে সে ‘ই’ দেশে চলে যায়। ‘ই’ দেশে চাকরি করে আলম প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ‘অ’ দেশে পাঠায়।
[মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর]
২৮. আলমের পাঠানো অর্থ নিচের কোনটির সাথে যুক্ত হবে?
এঘও খ এউচ গ ঈঈঅ ঘ ঘঘচ
২৯. আলমের পাঠানো অর্থ অ দেশের
র. এঘও বৃদ্ধি করবে
রর. মাথাপিছু আয় হ্রাস করবে
ররর. ঘঘচ বৃদ্ধি করবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩০ ও ৩১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সালমা ইসলাম একটি কমপ্লেক্স ফ্যাক্টরির মালিক। তার ফ্যাক্টরিতে বাজার থেকে তুলা ক্রয় করে এনে প্রথমে সুতা তৈরি করা হয়। অতঃপর পর্যায়ক্রমে ঐ সুতা দ্বারা কাপড় ও পাঞ্জাবি বানানো হয় এবং প্রতি পাঞ্জাবি ২০০ টাকা করে বিক্রি করা হয়।
৩০. সালমা ইসলামের ফ্যাক্টরিতে তৈরি সুতাকে কোন পর্যায়ের দ্রব্য বলা যায়? [বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়]
ক প্রাথমিক মাধ্যমিক গ কাঁচামাল ঘ চ‚ড়ান্ত
৩১. উক্ত পাঞ্জাবির দামের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে-
র. তুলার দাম
রর. সুতার দাম
ররর. কাপড়ের দাম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩২ ও ৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মি. রতন অ্যাপারেল ফ্যাক্টরির মালিক। তার ফ্যাক্টরিতে বাজার থেকে তুলা ক্রয় করে এনে প্রথমে সুতা তৈরি করা হয় অতঃপর পর্যায়ক্রমে ঐ সুতা দ্বারা কাপড় ও শার্ট-প্যান্ট বানানো হয় এবং প্রতিটি শার্ট ও প্যান্ট ২৫০০ টাকা করে বিক্রি করা হয়। [নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়; বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়]
৩২. মি. রতনের ফ্যাক্টরিতে তুলা কোন পর্যায়ের দ্রব্য বলা যায়?
প্রাথমিক খ মাধ্যমিক গ কাঁচামাল ঘ চ‚ড়ান্ত
৩৩. জাতীয় আয় গণনার সময় বাদ দিতে হয়
র. তুলার দাম
রর. সুতার দাম
ররর. কাপড়ের দাম
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬.১ : জাতীয় আয়ের ধারণাসমূহ
বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৬০
এউচ-এর পূর্ণরূপ এৎড়ংং উড়সবংঃরপ ঢ়ৎড়ফঁপঃ.
একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে যে পরিমাণ চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপাদিত হয় তার বাজার দামকে এউচ বলে।
মোট দেশজ উৎপাদের সাথে নীট আয় যোগ করলে মোট জাতীয় আয় পাওয়া যায়।
অর্থনীতিতে চ‚ড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবার আর্থিক মূল্য থেকে মূলধন ব্যবহারজনিত অপচয় বাদ দিলে নীট জাতীয় আয় পাওয়া যায়।
এঘও-এর পূর্ণরূপ এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ ওহপড়সব.
ঘঘও-এর পূর্ণরূপ ঘবঃ ঘধঃরড়হধষ ওহপড়সব.
ঈঈঅ-এর পূর্ণরূপ ঈধঢ়রঃধষ ঈড়হংঁসঢ়ঃরড়হ অষষড়ধিহপব.
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৪. একটি দেশের সীমানার মধ্যে এক বছরে উৎপাদিত মোট চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
এউচ খ এঘচ গ এঘও ঘ ঈঈঅ
৩৫. ১০০ কুইন্টাল ধান ধানের বাজার মূল্য = ? (উচ্চতর দক্ষতা)
জিডিপি খ এনএনপি
গ সিসিএ ঘ মাথাপিছু জিডিপি
৩৬. মোট দেশজ উৎপাদের সাথে কী যোগ করে মোট জাতীয় আয় পাওয়া যায়? (জ্ঞান)
ক নিট উপাদান ব্যয় খ নিট জাতীয় আয়
নিট উপাদান আয় ঘ নিট বাজার মূল্য
৩৭. (মোট দেশজ উৎপাদ + বিদেশে অবস্থানরত দেশি জনগণের আয়) Ñ দেশে অবস্থানরত বিদেশিদের আয় = কী? (অনুধাবন)
ক মোট জাতীয় ব্যয় খ মোট দেশজ উৎপাদ
গ অবচয় ব্যয় মোট জাতীয় আয়
৩৮. আরিফ হোসেন বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি কুয়েতে কর্মরত। তার আয় হিসাব এদেশের কোন খাতে যোগ হবে? (প্রয়োগ)
ক ব্যক্তিগত আয়ে খ নিট জাতীয় আয়ে
মোট জাতীয় আয়ে ঘ মোট দেশজ উৎপাদে
৩৯. কানাডিয়ান একজন নাগরিক বাংলাদেশের একটি এনজিও সংস্থায় চাকরি করেন। তার আয় হিসাব কোন খাতে যাবে? (প্রয়োগ)
ক নিট জাতীয় আয়ে খ অস্ট্রেলিয়ার ব্যাংকে
মোট দেশজ উৎপাদে ঘ মোট জাতীয় উৎপাদে
৪০. নিট উপাদান আয় বের করতে হলে কোনো দেশের নাগরিকগণ বৈদেশিক বিনিয়োগ ও শ্রম থেকে যে আয় করে এবং বিদেশি নাগরিকগণ দেশে বিনিয়োগ ও শ্রম থেকে যে আয় করে এ দুইয়ের (প্রয়োগ)
ক ভাগফলকে বোঝায় খ গুণফলকে বোঝায়
বিয়োগফলকে বোঝায় ঘ যোগফলকে বোঝায়
৪১. নিট জাতীয় আয় বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক চ‚ড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবার আর্থিক মূল্য এবং মূলধন ব্যবহারজনিত অবচয়ের সমষ্টিকে
খ চ‚ড়ান্ত পর্যায়ের সেবা ও উৎপাদের বাজার মূল্যের সমষ্টি
চ‚ড়ান্ত পর্যায়ের সেবা ও দ্রব্যের আর্থিক মূল্য এবং মূলধন ব্যবহারজনিত অবচয় বাদ দিলে যা থাকে
ঘ দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত দ্রব্য এবং আমদানিকৃত দ্রব্যের আর্থিক মূল্যকে
৪২. নিট জাতীয় আয় পাওয়ার জন্য চ‚ড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবার আর্থিক মূল্য থেকে কী বাদ দিতে হবে? (প্রয়োগ)
ক বিক্রয় ব্যয় অবচয় ব্যয়
গ ক্রয়কৃত ব্যয় ঘ ব্যক্তিগত ব্যয়
৪৩. ঈঈঅ-এর পূর্ণরূপ কী? (জ্ঞান)
ক ঈধঢ়রঃধষ ঈড়ংঃ অমৎববসবহঃ
খ ঈবহঃৎধষ ঈড়সসঁহরঃু অমবহপু
গ ঈধঢ়রঃধষ ঈড়সঢ়ধহু অমৎববসহঃ
ঈধঢ়রঃধষ ঈড়হংঁসঢ়ঃরড়হ অষষড়ধিহপব
৪৪. মূলধনের ব্যবহারজনিত অবচয় ব্যয় (ঈঈঅ) নিচের কোন বিষয়টির অন্তর্ভুক্ত? (জ্ঞান)
ক মোট জাতীয় উৎপাদ খ মোট দেশজ উৎপাদ
নিট জাতীয় আয় ঘ মোট জাতীয় আয়
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৫. এঘও-এর ক্ষেত্রে বিবেচ্য হলো (অনুধাবন)
র. ভৌগোলিক সীমানা
রর. নির্দিষ্ট সময়
ররর. দেশের নাগরিকগণের আয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৬. আদৃতা দেশের নিট জাতীয় উৎপাদ নির্ণয় করতে চায়। এক্ষেত্রে তাকে বিবেচনায় আনতে হবে- (প্রয়োগ)
র. চ‚ড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যের মূল্য
রর. চ‚ড়ান্ত পর্যায়ের সেবার মূল্য
ররর. অবচয় ব্যয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪৭. ঈঈঅ হলো উৎপাদন ব্যবস্থায় ব্যবহৃত মূলধনের (উচ্চতর দক্ষতা)
র. রক্ষণাবেক্ষণজনিত ব্যয়
রর. ব্যবহারজনিত ব্যয়
ররর. উৎপাদনজনিত ব্যয়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮. এউচ-এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয় হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দেশে অবস্থানরত বিদেশিদের আয়
রর. প্রবাসে অবস্থানরত নাগরিকদের আয়
ররর. দেশে অবস্থানরত নাগরিকদের আয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৯. এঘও-এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দেশের নাগরিকদের আয়
রর. বিদেশিদের আয়
ররর. নিট উপাদান আয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫০. হাসিব বাংলাদেশের এউচ নির্ণয় করতে চায়। এক্ষেত্রে তাকে বিবেচনায় আনতে হবে (প্রয়োগ)
র. দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবা
রর. দেশের সকল নাগরিকের আয়
ররর. এক আর্থিক বছর সময়কাল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫১ ও ৫২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মিলন পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশ ছেড়ে ইতালিতে পাড়ি জমায়। সেখানে পড়াশোনা শেষ করে মিলন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে চাকরি নেয়। প্রতি মাসেই সে তার মায়ের নামে ইতালি থেকে টাকা পাঠায়।
৫১. মিলনের পাঠানো অর্থ নিচের কোনটির অন্তর্ভুক্ত? (প্রয়োগ)
ক এউচ এঘও গ ঘঘচ ঘ ঈঈঅ
৫২. মিলনের পাঠানো অর্থ বাংলাদেশের (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মোট জাতীয় আয় বৃদ্ধি করবে
রর. অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে
ররর. এউচ-এর পরিমাণ বৃদ্ধি করবে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৩ ও ৫৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিকা শ্রেণিশিক্ষকের দেয়া উপাত্ত ব্যবহার করে বাংলাদেশের এউচ হিসাব করতে চাচ্ছে। শিক্ষকের দেয়া উপাত্তের মধ্যে দেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের আয়ও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে দেখে সে অবাক হয়।
৫৩. আনিকা নিচের কোনটি হিসাব করতে চাচ্ছে? (প্রয়োগ)
ক মোট জাতীয় আয় খ নিট জাতীয় উৎপাদ
মোট দেশজ উৎপাদ ঘ অবচয় ব্যয়
৫৪. এউচ হিসাবের ক্ষেত্রে আনিকাকে বিবেচনায় আনতে হবে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমানা
রর. প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়
ররর. নির্দিষ্ট সময়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬.২ : জাতীয় আয় পরিমাপ পদ্ধতিসমূহ-উৎপাদন, আয় ও ব্যয় পদ্ধতি বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৬০
জাতীয় আয় পরিমাপ করা যায় ৩ ভাবে।
উৎপাদন কার্যে ব্যবহৃত উপকরণসমূহ হতে প্রাপ্ত আয়ের সমষ্টিকে বলে আয় পদ্ধতি।
আয় পদ্ধতিতে জাতীয় আয় খাজনা + মজুরি + সুদ + মুনাফা।
বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বিভক্ত করা হয় ১৫টি খাতে।
একটি নির্দিষ্ট সময়ের সমাজের সব ধরনের ব্যয়ের সমষ্টি দিয়ে জাতীয় আয় নির্ধারণ করাকে ব্যয় পদ্ধতি বলে।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৫. জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতি কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৫ খ ৬ গ ৭ ৩
৫৬. বাংলাদেশের অর্থনীতির খাতসমূহের কিসের মূল্য যোগ করে মোট দেশজ উৎপাদ হিসাব করা হয়? (অনুধাবন)
ক বিনিয়োগের উৎপাদনের গ কাঁচামালের ঘ বাণিজ্যের
৫৭. আয় পদ্ধতিতে জাতীয় আয় হিসাবের জন্য বিবেচনায় আনতে হয়-
(উচ্চতর দক্ষতা)
উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণসমূহের প্রাপ্ত আয়ের সমষ্টিকে
খ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালসমূহের মোট খরচকে
গ উৎপাদনে ব্যবহৃত জনবলের জন্য ব্যয়িত খরচকে
ঘ উৎপাদনে ব্যবহৃত মূলধনের মোট পরিমাণকে
৫৮. উৎপাদন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত মৌলিক উপকরণ কয়টি? (জ্ঞান)
ক ২ খ ৩ ৪ ঘ ৫
৫৯. নিচের কোনটি উৎপাদনের মৌলিক উপকরণ? (জ্ঞান)
সংগঠন খ মজুরি গ সুদ ঘ মুনাফা
৬০. ভ‚মির প্রাপ্ত আয় কোনটি? (জ্ঞান)
ক মজুরি খাজনা গ মুনাফা ঘ সুদ
৬১. জাতীয় আয় = উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত উপকরণসমূহের প্রাপ্ত আয়ের সমষ্টি। সূত্রটি কোন পদ্ধতিকে নির্দেশ করে? (প্রয়োগ)
ক ব্যয় আয় গ উৎপাদন ঘ বিনিয়োগ
৬২. খাজনা + মজুরি + সুদ + মুনাফা = কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জাতীয় ব্যয় খ জাতীয় উৎপাদ
জাতীয় আয় ঘ বক্তিগত আয়
৬৩. শ্রমের প্রাপ্ত আয় কোনটি? (জ্ঞান)
ক খাজনা মজুরি গ সুদ ঘ মুনাফা
৬৪. মূলধনের প্রাপ্ত আয় কোনটি? (জ্ঞান)
ক মজুরি খ খাজনা সুদ ঘ মুনাফা
৬৫. কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সমাজের সব ধরনের ব্যয়ের সমষ্টিকে বিবেচনায় আনা হয় জাতীয় আয় পরিমাপের কোন পদ্ধতিতে? (অনুধাবন)
ক আয় ব্যয় গ উৎপাদন ঘ বিনিময়
৬৬. রাতুল বাংলাদেশের জাতীয় আয় পরিমাপে ব্যয় পদ্ধতি অনুসরণ করতে চায়। এক্ষেত্রে তাকে বিবেচনায় আনতে হবে সমাজের সব ধরনের- (প্রয়োগ)
ক আয়ের যোগফল খ ভোগের যোগফল
গ বিনিময়ের যোগফল ব্যয়ের যোগফল
৬৭. কোনো একটি দেশের সকল অর্থনৈতিক খাতের উৎপাদনের মূল্য যোগ করে কী পাওয়া যায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মোট জাতীয় আয় খ নিট জাতীয় আয়
গ মোট দেশজ আয় মোট দেশজ উৎপাদ
৬৮. জাতীয় আয় পরিমাপের ব্যয় পদ্ধতি অনুসারে নিচের কোনটি সঠিক?
(উচ্চতর দক্ষতা)
ক ণ = ঈ + ও + এ (ঢ + গ) ণ = ও + ঈ + এ (ঢ – গ)
গ ণ = ও + ঈ + এ (ঢ গ) ঘ ণ = ঈ + ও + এ (ঢগ)
৬৯. ব্যয় পদ্ধতিতে নিট রপ্তানিকে নিচের কোন সূত্র দ্বারা প্রকাশ করা যায়? (জ্ঞান)
ঢ – গ খ গ – ঢ গ ঢ + গ ঘ ঢ গ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭০. বিভিন্ন পদ্ধতিতে জাতীয় আয় পরিমাপে কিছুটা পার্থক্য হতে পারে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. হিসাবের ত্রæটির কারণে
রর. গণনার বিচ্যুতির কারণে
ররর. পদ্ধতিগত ভিন্নতার কারণে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭১. সমাজের মোট ব্যয়ের অন্তর্ভুক্ত হলো (অনুধাবন)
র. ব্যক্তি খাতের ভোগ ব্যয়
রর. সরকারি ব্যয় ও নিট রপ্তানি
ররর. সরকারি নিট আমদানি
নিচের কোনটি সঠিক?
রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭২. জাতীয় আয় পরিমাপের জন্য আয় পদ্ধতিতে বিবেচনা করা হয় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ভ‚মি থেকে প্রাপ্ত আয়
রর. শ্রম থেকে প্রাপ্ত আয়
ররর. সংগঠন থেকে প্রাপ্ত আয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৭৩. ব্যয় পদ্ধতিতে জাতীয় আয় গণনায় নিট রপ্তানি নির্ণয়ে ব্যবহৃত সূত্র- (অনুধাবন)
র. রপ্তানি-আমদানি
রর. আমদানি-রপ্তানি
ররর. ঢ-গ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৪. শাকিরা বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয় পরিমাপের জন্য ব্যয় পদ্ধতি ব্যবহার করতে চায়। এক্ষেত্রে তাকে বিবেচনায় আনতে হবে (প্রয়োগ)
র. সমাজের সব ধরনের ব্যয়ের যোগফল
রর. সমাজের সব ধরনের আয়ের যোগফল
ররর. সমাজের সব ধরনের উৎপাদনের যোগফল
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর ও ররর গ রর ঘ র, রর ও ররর
৭৫. উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত মৌলিক উপকরণসমূহের জন্য প্রযোজ্য- (অনুধাবন)
র. ভ‚মির প্রাপ্ত আয় খাজনা
রর. মূলধনের প্রাপ্ত আয় মুনাফা
ররর. শ্রমের প্রাপ্ত আয় মজুরি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর খ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৬ ও ৭৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফা বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদ নির্ণয়ের জন্য নিচের সূত্রটি ব্যবহার করে। ণ = ঈ + ও + এ(ঢ গ)
৭৬. আরিফা নিচের কোন পদ্ধতিটি ব্যবহার করেছে? (প্রয়োগ)
ক আয় ব্যয় গ উৎপাদন ঘ বিনিময়
৭৭. আরিফা মোট দেশজ উৎপাদ নির্ণয়ে বিবেচনায় এনেছে- (প্রয়োগ)
র. নিট রপ্তানি
রর. সরকারি আয়
ররর. ব্যক্তি খাতের ভোগব্যয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর খ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৮ ও ৭৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মোহনডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির অর্থনীতির শিক্ষক আলতাফ হোসেনের শিক্ষার্থীদের জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতি সম্পর্কে শেখাচ্ছেন। প্রথমে তিনি যে সূত্রটি ব্যবহার করলেন সেটি হলো, জাতীয় আয় = খাজনা + মজুরি + সুদ + মুনাফা। দ্বিতীয় পদ্ধতিটি শেখাতে গিয়ে তিনি কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সমাজের সবধরনের ব্যয়ের যোগফল নির্ণয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দিতে বললেন।
৭৮. আলতাফ হোসেনের দ্বিতীয় পদ্ধতিটি জাতীয় আয় পরিমাপের কোন পদ্ধতিকে নির্দেশ করে? (প্রয়োগ)
ক আয় খ উৎপাদন ব্যয় ঘ বিনিয়োগ
৭৯. আলতাফ হোসেনের অনুসৃত প্রথম পদ্ধতির ক্ষেত্রে বিবেচ্য হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সংগঠন থেকে প্রাপ্ত আয়
রর. ভ‚মি থেকে প্রাপ্ত আয়
ররর. নিট আমদানি আয়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর খ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬.৩ : মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদ
বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৬১
মাথাপিছু এউচ বলতে জনপ্রতি বার্ষিক এউচ কে বোঝায়।
কোনো নির্দিষ্ট আর্থিক বছরে দেশের মোট উৎপাদনকে ঐ দেশের মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে মাথাপিছু দেশজ উৎপাদ পাওয়া যায়।
মাথাপিছু আয় = কোনো নির্দিষ্ট বছরে মোট দেশজ উৎপাদঐ সময়ে মোট জনসংখ্যা
ভ‚মি, শ্রম, মূলধন হলো দেশজ উৎপাদের নির্ধারক।
একটি দেশ উন্নত না অনুন্নত তা বোঝা যায় মাথাপিছু জিডিপি দ্বারা।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮০. মাথাপিছু জিডিপি বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
জনপ্রতি বার্ষিক জিডিপিকে খ মোট জিডিপিকে
গ মোট জাতীয় আয়কে ঘ নিট আয়কে
৮১. আতিক বাংলাদেশের মাথাপিছু এউচ নির্ণয় করতে চায়। এক্ষেত্রে তাকে নিচের কোনটি বিবেচনায় আনতে হবে? (প্রয়োগ)
কোনো নির্দিষ্ট আর্থিক বছর খ মোট দেশজ আয়
গ সমাজের মোট ব্যয় ঘ মূলধন ব্যবহারজনিত অবচয় ব্যয়
৮২. মাথাপিছু জিডিপি বের করতে হলে কোনো নির্দিষ্ট বছরের দেশজ উৎপাদকে কী দিয়ে ভাগ করতে হয়? (অনুধাবন)
ক ঐ সময়ের ব্যয়কৃত অর্থ খ ঐ সময়ের ব্যবহৃত মূলধন
গ ঐ সময়ে উৎপাদিত পণ্য ঐ সময়ের মোট জনসংখ্যা
৮৩. মাথাপিছু আয় কীভাবে নির্ণয় করা যায়? (অনুধাবন)
ক এউচ-কে এঘও দ্বারা ভাগ করে
এউচ-কে মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করে
গ এউচ-কে ঘঘচ দ্বারা ভাগ করে
ঘ এউচ-কে মোট শ্রম ব্যয় দ্বারা ভাগ করে
৮৪. কোনো দেশের মোট দেশজ উৎপাদকে মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে কী পাওয়া যায়? (জ্ঞান)
মাথাপিছু এউচ খ মাথাপিছু এঘও
গ মাথাপিছু এঘচ ঘ মাথাপিছু ঈঈঅ
৮৫. মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদ নির্ণয়ের সূত্র কোনটি? (অনুধাবন)
ক এউচঈঈঅ খ এউচমোট দেশজ আয়
এউচমোট জনসংখ্যা ঘ এউচঘঘঅ
৮৬. একটি দেশের উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানের প্রধান সূচক কোনটি? (জ্ঞান)
ক এঘও খ ঘঘচ এউচ ঘ ঈঈঅ
৮৭. একটি দেশ কতটুকু উন্নত তা বোঝা যায় কিসের মাধ্যমে? (অনুধাবন)
ক মাথাপিছু এঘও থেকে খ মাথাপিছু এঘচ থেকে
মাথাপিছু এউচ থেকে ঘ মাথাপিছু ঘঘচ থেকে
৮৮. একটি দেশের মাথাপিছু জিডিপি বেশি হলে দেশটি হবে (অনুধাবন)
ক অনুন্নত খ উন্নয়নশীল উন্নত ঘ খুবই অনুন্নত
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৯. কোনো দেশের মাথাপিছু এউচ একটি নির্দিষ্ট স্তরের কম হলে দেশটি হতে পারে (অনুধাবন)
র. অনুন্নত রর. উন্নত
ররর. উন্নয়নশীল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯০. মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদ হিসেবে সময় বিচেনায় আনতে হয়- (অনুধাবন)
র. কোনো নির্দিষ্ট আর্থিক বছর রর. মোট দেশজ উৎপাদ
ররর. মোট জনসংখ্যা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৯১. কোনো দেশের মাথাপিছু জিডিপি দ্বারা বোঝা যায় দেশটির (অনুধাবন)
র. অর্থনৈতিক অবস্থা রর. মোট জাতীয় আয়
ররর. জীবনযাত্রার মান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯২. মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদ হলো একটি দেশের (অনুধাবন)
র. অর্থনৈতিক উন্নয়নের সূচক
রর. জীবনযাত্রার মানের সূচক
ররর. বৈদিশক বাণিজ্যের সূচক
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯৩ ও ৯৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সোহান দশম শ্রেণির ছাত্র। শিক্ষক তাকে কিছু তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন এবং সেগুলো ব্যবহার করে জনপ্রতি মোট দেশজ উৎপাদ নির্ণয় করতে বলেছেন। সোহান শিক্ষকের নির্দেশনা অনুযায়ী জনপ্রতি মোট দেশজ উৎপাদ নির্ণয় করে এবং বুঝতে পারে যে তা একটি অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশকে নির্দেশ করছে।
৯৩. সোহান মূলত নিচের কোনটি নির্ণয় করেছে? (প্রয়োগ)
মাথাপিছু এউচ খ মাথাপিছু এঘও
গ মাথাপিছু ঘঘচ ঘ মাথাপিছু ঈঈঅ
৯৪. জনপ্রতি মোট দেশজ উৎপাদ নির্ণয়ে সোহানের ব্যবহৃত উপাত্তের মধ্যে রয়েছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মোট জনসংখ্যা রর. মোট দেশজ উৎপাদ
ররর. স্বল্পকালীন সময়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬.৪ : জিডিপি-এর নির্ধারকসমূহ বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৬১
গড়নরষরঃু শব্দের অর্থ সচলতা।
এউচ-এর নির্ধারক হলো ৫টি।
ভ‚মি ও প্রাকৃতিক সম্পদ মোট দেশজ উৎপাদে গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক।
মোট দেশজ উৎপাদের বৃদ্ধির মৌলিক নির্ধারক হলো মূলধন।
উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশসমূহ মোট জাতীয় আয় বৃদ্ধি করতে পারে না মূলধনের অভাবে।
মোট দেশজ উৎপাদ বহুলাংশে নির্ভর করে প্রযুক্তির ওপর।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৫. ভ‚মি, শ্রম, মূলধন, প্রযুক্তি, সম্পদের সচলতা এগুলো কিসের নির্ধারক? (জ্ঞান)
জিডিপির খ জিএনপির
গ এনএনপির ঘ সিসিএর
৯৬. জিডিপি বৃদ্ধির জন্য সহায়ক হলো (অনুধাবন)
ক ট্রেড ইউনিয়ন খ শ্রমিক সমিতি
গ উচ্চাভিলাষী শ্রমিক দক্ষ ও কর্মক্ষম শ্রমিক
৯৭. বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশসমূহ কিসের অভাবে মোট জাতীয় আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়? (প্রয়োগ)
ক শ্রম মূলধন গ প্রযুক্তি ঘ সচলতা
৯৮. কৃষি পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রধানত কিসের পর্যাপ্ততা থাকলে মোট দেশজ উৎপাদ বৃদ্ধি পায়? (জ্ঞান)
উর্বর ভ‚মি খ প্রাকৃতিক সার
গ রাসায়নিক সার ঘ উন্নত বীজ
৯৯. পাট চাষ কমিয়ে ধান উৎপাদন জিডিপি কোন নির্ধারককে নির্দেশ করে? (অনুধাবন)
ক শ্রম সচলতা গ প্রযুক্তি ঘ মূলধন
১০০. কোনো দেশের মোট দেশজ উৎপাদের পরিমাণ কয়টি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে? (জ্ঞান)
ক ২ খ ৩ গ ৪ ৫
১০১. কোনো দেশের মোট দেশজ উৎপাদ বৃদ্ধির জন্য করণীয় কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক শ্রমমূল্য অধিক হারে কমাতে হবে
প্রাকৃতিক সম্পদের যথার্থ ব্যবহার করতে হবে
গ প্রযুক্তির ব্যবহার সীমাবদ্ধ করতে হবে
ঘ বৈদেশিক বাণিজ্য কমাতে হবে
১০২. মোট দেশজ উৎপাদ বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক নির্ধারক কোনটি? (জ্ঞান)
ক শ্রম খ প্রযুক্তি
মূলধন ঘ সচলতা
১০৩. প্রসারমান অর্থনৈতিক কার্যকলাপে সম্পদ ব্যবহারের ক্ষমতাকে কী বলে?
(অনুধাবন)
সম্পদের সচলতা খ সম্পদের স্থিরতা
গ সম্পদের উপযোগিতা ঘ সম্পদের বিনিময়যোগ্যতা
১০৪. দক্ষ জনশক্তি দেশের জিডিপির ক্ষেত্রে কী ভ‚মিকা রাখবে? (অনুধাবন)
দেশজ উৎপাদ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে
খ দেশজ উৎপাদে কোনো ভ‚মিকা রাখবে না
গ দেশজ উৎপাদ কমিয়ে দেবে
ঘ মূলধনী ক্ষতি কমিয়ে দেবে
১০৫. উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার করে কুমড়ার উৎপাদন বাড়ানো জিডিপি কোন নির্ধারকটিকে নির্দেশ করে? (অনুধাবন)
ক সচলতা খ শ্রম প্রযুক্তি ঘ মূলধন
১০৬. অবনতিশীল অর্থনৈতিক কার্যকলাপ থেকে সম্পদ সরিয়ে নেওয়া জিডিপির কোন নির্ধারকের বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ভ‚মির খ শ্রমের সচলতার ঘ মূলধনের
১০৭. বাংলাদেশে পাঠ চাষের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে কেন? (অনুধাবন)
ক উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে
অবনতিশীল অর্থনৈতিক খাত হওয়ায়
গ বিশ্ববাজার চাহিদা হ্রাস পাওয়ায়
ঘ উপযুক্ত কৃষি উপকরণের অভাবে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৮. মোট দেশজ উৎপাদ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন (উচ্চতর দক্ষতা)
র. প্রাকৃতিক সম্পদের যথার্থ ব্যবহার
রর. উর্বর ভ‚মির পর্যাপ্ততা
ররর. প্রযুক্তিগত উন্নয়ন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৯. অনুন্নত দেশসমূহ মূলধনের অভাবের কারণে বৃদ্ধি করতে পারে না- (অনুধাবন)
র. মোট দেশজ উৎপাদ
রর. মোট জাতীয় আয়
ররর. মূলধন অবচয়জনিত ব্যয়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১০. শ্রমখাত মোট দেশজ উৎপাদ বৃদ্ধিতে সহায়ক হয় শ্রমিক যদি-(উচ্চতর দক্ষতা)
র. প্রযুক্তির ব্যবহার জানে
রর. প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়
ররর. ভ‚মির মালিক হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১১. সচলতার বৈশিষ্ট্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মোট দেশজ উৎপাদ বৃদ্ধিতে সহায়ক
রর. অবনতিশীল অর্থনৈতিক খাতে সম্পদের ব্যবহার
ররর. প্রসারমান অর্থনৈতিক কার্যকলাপে সম্পদের ব্যবহার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক রর ও ররর র ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১২. মোট দেশজ উৎপাদ নির্ভর করে (অনুধাবন)
র. মূলধনের ওপর
রর. প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর
ররর. সরকারি ঋণের সুদের ওপর
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১৩ ও ১১৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
হামিদ মিয়া একজন কৃষক। গত দু’বছর ধরে তিনি ধান চাষ করে লাভবান হতে পারছেন না। এ বছর স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের পরামর্শে তিনি উচ্চ ফলনশীল ধানের বীজ ব্যবহার করেছেন। এবার তিনি লাভের মুখ দেখতে পারবেন বলে আশা করছেন।
১১৩. অনুচ্ছেদটি জিডিপির কোন নির্ধারকটির ইঙ্গিত রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক ভ‚মি খ শ্রম প্রযুক্তি ঘ সচলতা
১১৪. হামিদ মিয়ার কার্যক্রমের ফলে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মোট দেশজ উৎপাদ বৃদ্ধি পাবে
রর. সম্পদের সচলতা বৃদ্ধি পাবে
ররর. অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১৫ ও ১১৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
দক্ষিণ আফ্রিকার একটি অনুন্নত দেশ সুদান। যুদ্ধকবলিত এ দেশটির অর্থনীতি অত্যন্ত ভঙ্গুর। দেশটিতে মাথাপিছু জিডিপির পরিমাণও অনেক কম। দেশটিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
১১৫. সুদানের জিডিপি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধক কোনটি? (প্রয়োগ)
ক ভ‚মি মূলধন গ সচলতা ঘ শ্রম
১১৬. সুদানে জিডিপি বৃদ্ধির জন্য করণীয় হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. প্রাকৃতিক সম্পদের যথার্থ ব্যবহার
রর. শ্রমিকদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া
ররর. প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬.৫ : জিডিপি-এর হিসাব বহিভর্‚ত বিষয়াদি
বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৬২
জিডিপি গণনায় লাভ-ক্ষতির প্রভাব শূন্য।
জাতীয় আয় গণনা ক্ষেত্রে শুধুমাত্র চ‚ড়ান্ত পণ্য বিবেচিত হয়।
মাধ্যমিক দ্রব্য বা সেবা জাতীয় আয়ে অন্তভর্‚ক্ত হয় না।
বিনামূল্যে ব্যবহৃত দ্রব্য ও সেবা জিডিপিতে হিসাব হয় না।
সরকারি ঋণের সুদ জিডিপিতে হিসাব হয় না।
বেআইনি কার্যকলাপ হতে প্রাপ্ত আয় জিডিপিতে হিসাব হয় না।
অতীতে উৎপাদিত দ্রব্য ও লেনদেন জিডিপিতে হিসাব করলে দ্বৈত গণনার সমস্যা দেখা যায়।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৭. কোনো দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে উৎপাদিত কোনো দ্রব্য বা সেবাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
জিডিপি খ জিএনপি গ এনএনপি ঘ সিসিএ
১১৮. মূলধনী লাভ-ক্ষতি জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয় না কেন?
(উচ্চতর দক্ষতা)
ক দ্বৈত গণনার সমস্যা সৃষ্টি হয় বলে কোনো রকম প্রভাব থাকে না বলে
গ অবচয়জনিত ব্যয় হ্রাস পায় বলে ঘ অপরিবর্তনশীল ও ধ্রæব বলে
১১৯. সম্পদের মূল্য পরিবর্তন হলে লাভ বা ক্ষতি জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলে না কেন? (অনুধাবন)
ক স্থানগত কারণে খ অবকাঠামোগত কারণে
কালগত কারণে ঘ অবস্থানগত কারণে
১২০. নিচের কোনটি শুধু কাগজ-কলমে ব্যবহার প্রতিষ্ঠানে লিপিবদ্ধ করা হয়? (জ্ঞান)
মূলধনী লাভ-ক্ষতি খ মূলধন
গ শ্রম বা সেবার মূল্য ঘ আমদানি মূল্য
১২১. জাতীয় আয় গণনায় লাভ-ক্ষতির প্রভাব কিরূপ? (জ্ঞান)
ক অসীম শূন্য
গ ধনাত্মক ঘ ঋণাত্মক
১২২. জিডিপি গণনার ক্ষেত্রে প্রধানত কয়টি উপাদান কখনও অন্তর্ভুক্ত করা হয় না? (জ্ঞান)
ক ৩ খ ৪ গ ৫ ৬
১২৩. জাতীয় আয় গণনায় শুধু কোন পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবা বিবেচিত হয়? (জ্ঞান)
ক প্রাথমিক গ মাধ্যমে
চ‚ড়ান্ত ঘ মূলধনী
১২৪. মা কর্তৃক সন্তান লালন-পালন জাতীয় আয়ের বহিভর্‚ত বিষয় কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
মূল্যহীন বলে খ বিনিময় অযোগ্য বলে
গ বিমূর্ত বিষয় বলে ঘ জিডিপিতে প্রভাব ফেলে বলে
১২৫. অতীতে উৎপাদিত পণ্যে মোট দেশজ উৎপাদের অন্তর্ভুক্ত নয় কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বাজার মূল্য না থাকায় পূর্বে গণনা করায়
গ বিনিমিয় অযোগ্য হওয়ায় ঘ বিনিময় মূল্য না থাকায়
১২৬. জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে দ্বৈত গণনা সমস্যা দেখা যায় কখন? (অনুধাবন)
ক চ‚ড়ান্ত দ্রব্যের মূল্য হিসাব করলে মাধ্যমিক দ্রব্যের মূল্য হিসাব করলে
গ মূলধনী লাভ-ক্ষতি হিসাব করলে ঘ সরকারি ঋণের সুদ হিসাব করলে
১২৭. অতীতে উৎপাদিত পণ্য জাতীয় আয় গণনায় অন্তর্ভুক্ত করলে কোন সমস্যার সৃষ্টি হয়? (জ্ঞান)
ক ব্যয়গত সমস্যা খ আয়গত সমস্যা
দ্বৈত গণনা সমস্যা ঘ অবচয়জনিত সমস্যা
১২৮. নিচের কোনটি জিডিপির অন্তর্ভুক্ত নয়? (জ্ঞান)
ক মূলধন খ দ্রব্যের মূল্য বন্ড ঘ সেবার মূল্য
১২৯. কোন ধরনের সুদ জাতীয় আয়ের অন্তর্ভুক্ত নয়? (জ্ঞান)
সরকারি ঋণের সুদ খ বাণিজ্যিক ঋণের সুদ
গ কৃষি ঋণের সুদ ঘ শিল্প ঋণের সুদ
১৩০. কোন ঋণের বিপরীতে সুদ হস্তান্তর পাওনা হিসেবে বিবেচিত হয়? (অনুধাবন)
ক কৃষি উৎপাদনের জন্য কৃষকের ঋণ যুদ্ধকালীন সরকারের গৃহীত ঋণ
গ শিল্প স্থাপনে উদ্যোক্তাদের ঋণ ঘ ব্যবসায়ের জন্য গৃহীত ঋণ
১৩১. যুদ্ধকালীন সরকারের গৃহীত ঋণের বিপরীতে সুদ কী হিসেবে বিবেচিত হয়? (জ্ঞান)
ক সরকারি পাওনা খ বেসরকারি পাওনা
হস্তান্তর পাওনা ঘ হস্তান্তর অযোগ্য পাওনা
১৩২. জাতীয় আয় গণনায় নিচের কোনটি বিবেচিত হয় না? (জ্ঞান)
ক আমদানি মূল্য খ রপ্তানি মূল্য
বেআইনি আয় ঘ চ‚ড়ান্ত দ্রব্য
১৩৩. আরিফুর রহমান একজন দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তা। তিনি ঘুষ ছাড়া কোনো ফাইল সই করেন না। তার প্রাপ্ত আয় জাতীয় আয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে না কেন? (প্রয়োগ)
বেআইনি বলে খ মূল্যহীন বলে
গ অমূল্য বলে ঘ গণনার অযোগ্য বলে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৪. জাতীয় আয় হিসাবের ক্ষেত্রে দ্বৈত গণনার সমস্যা হয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মাধ্যমিক দ্রব্য ও সেবা বিবেচনায় আনলে
রর. অতীতে উৎপাদিত পণ্য হিসাব করলে
ররর. সরকারি ঋণের সুদ হিসাব করলে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৫. মূলধনী লাভ-ক্ষতি জাতীয় আয় গণনায় বিবেচনা না করার কারণ হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. এর প্রভাব শূন্য
রর. শুধু কাগজে-কলমে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে লিপিবদ্ধ
ররর. দ্বৈত গণনা সমস্যার সৃষ্টি হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর র ও রর ঘ রর ও ররর
১৩৬. জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে মাধ্যমিক দ্রব্য ও সেবা বিবেচনায় আনলে
(উচ্চতর দক্ষতা)
র. দ্বৈত গণনা সমস্যার সৃষ্টি হয়
রর. লাভ-ক্ষতির পরিমাণ শূন্য হয়
ররর. সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৭. বেআইনি কার্যকলাপ বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. যা সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য
রর. যা সমাজে অপ্রচলিত
ররর. যা প্রচলিত আইনের বিরোধী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৮. অতীতে উৎপাদিত পণ্য জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে বিবেচিত না হওয়ার কারণÑ (অনুধাবন)
র. দ্বৈত গণনার সমস্যার উদ্ভব
রর. পূর্ববর্তী বছরের জিডিপিতে অন্তর্ভুক্তি
ররর. সঠিক জিডিপির হিসাব না পাওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৩৯. দেশের প্রচলিত আইনবিরোধী কার্যকলাপ হলো (অনুধাবন)
র. কালো বাজারে দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়
রর. মাদকদ্রব্যের ব্যবসা
ররর. জুয়াখেলা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৪০. জাতীয় আয়ের বহিভর্‚ত সেবা হলো (অনুধাবন)
র. নার্স কর্তৃক রোগীদের সেবা প্রদান
রর. মা কর্তৃক সন্তান লালন-পালন
ররর. মহিলাদের সাংসারিক কাজকর্ম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪১. শার্ট-প্যান্টের দামের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. তুলার দাম রর. সুতার দাম
ররর. কাপড়ের দাম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪২ ও ১৪৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আরিফুর রহমান ‘রহমান গার্মেন্ট’-এর মালিক। তার প্রতিষ্ঠানে তৈরি কাপড় বিদেশেও রপ্তানি হয়। তিনি প্রথমে বাজার থেকে তুলা কিনে নিজস্ব মিলে তা থেকে সুতা তৈরি করেন। এই সুতার ব্যবহার করেই তার গার্মেন্টে মানসম্পন্ন কাপড় তৈরি করা হয়।
১৪২. জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে ‘রহমান গার্মেন্ট’-এর কোন পণ্যের মূল্য বিবেচনায় আনা হবে? (প্রয়োগ)
ক তুলা খ সুতা কাপড় ঘ মেশিনপত্র
১৪৩. ‘রহমান গার্মেন্ট’র উৎপাদিত সুতা ও কাপড় উভয়টিই জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে বিবেচনায় আনলে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দ্বৈত গণনা সমস্যার সৃষ্টি হবে রর. মূলধনী লাভ হ্রাস পাবে
ররর. ভুল হিসাব পাওয়া যাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪৪ ও ১৪৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রবিউল আলম গত বছর একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়ছিলেন। এ বছর তিনি একটি জমি বিক্রি করেছেন। টাকাপয়সার তার কোনো অভাব নেই। মূলত তিনি সারের ব্যবসা করেন। কিন্তু তার টাকাপয়সার গোপন উৎস হলো মাদকদ্রব্য বিক্রয়লব্ধ অর্থ। অবশ্য এলাকার মানুষের কাছে তিনি ভালো মানুষ হিসেবেই পরিচিত। কারণ তিনি দরিদ্রদের মুক্তহস্তে দান করেন।
১৪৪. রবিউল আলমের কোন কাজটি জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে? (প্রয়োগ)
ক ফ্ল্যাট বিক্রি জমি বিক্রি
গ মাদকদ্রব্য বিক্রয় ঘ দরিদ্রদের দান করা
১৪৫. রবিউল আলম কর্তৃক মাদকদ্রব্য বিক্রয় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় রর. প্রচলিত আইনের বিরোধী
ররর. জাতীয় আয়ের অন্তর্ভুক্ত
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬.৬ : বাংলাদেশে জাতীয় আয় পরিমাপ পদ্ধতি
বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৬৩
বাংলাদেশে জাতীয় আয় গণনার দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
মোট দেশজ উৎপাদ পরিমাপের জন্য অর্থনীতিকে ১৫টি খাতে বিভক্ত করা হয়।
সকল শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের বাজার মূল্য হিসাব করে মোট দেশজ উৎপাদ বের করা যায়।
কৃষিজ ও বনজ খাতের উপখাত ৩টি।
বনখাতের উপকরণের তথ্যের অভাবে মোট উৎপাদন হতে ৩% মূল্য বাদ দিতে হয়।
পরিবহন খাতের বড় অংশ বেসরকারি খাতে রয়েছে।
বাংলাদেশে শিক্ষাখাতে মোট দেশজ উৎপাদ হিসাব করা হয় ব্যয় পদ্ধতিতে।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৬. বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কোন দুটি মূল্য পরিমাপ করে এউচ ও এঘও গণনা করে? (অনুধাবন)
ক বাজার মূল্য ও চলতি ক্রয়মূল্য খ বাজার মূল্য ও চলতি বিক্রয়মূল্য
গ স্থির ক্রয়মূল্য ও বাজার মূল্য চলতি বাজার মূল্য ও স্থির মূল্য
১৪৭. বাংলাদেশে জাতীয় আয় গণনার দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম কী? (জ্ঞান)
ক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো
গ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ব্যুরো ঘ জাতীয় পরিসংখ্যান বোর্ড
১৪৮. বাংলাদেশে কোন পদ্ধতিতে এউচ পরিমাপের জন্য অর্থনীতিকে ১৫টি প্রধান খাতে ভাগ করা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক আয় খ ব্যয় উৎপাদন ঘ বিনিময়
১৪৯. কী পরিমাপের জন্য দেশের অর্থনীতিকে ১৫টি প্রধান খাতে বিভক্ত করা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক জিএনআই খ জিএনপি জিডিপি ঘ সিসিএ
১৫০. এউচ গণনা করতে কোন খাতটি ধরাবাধাভাবে হিসাব করা কঠিন? (অনুধাবন)
কৃষিখাত খ শিক্ষাখাত
গ পরিবহনখাত ঘ স্বাস্থ্যখাত
১৫১. এউচ গণনায় কৃষি খাত ধরাবাঁধাভাবে হিসাব করা কঠিন কেন? (অনুধাবন)
ক স্বল্প পরিসরের কারণে বিস্তৃত পরিসরের কারণে
গ ৩টি উপখাতের কারণে ঘ সরকারি সীমাবদ্ধতার কারণে
১৫২. শস্য ও শাকসবজি খাতে এউচ কিসের প্রেক্ষিতে হিসাব করা হয়? (অনুধাবন)
ক চলতি খুচরা বাজার মূল্যের চলতি পাইকারি বাজার মূল্যের
গ স্থির খুচরা বাজার মূল্যের ঘ স্থির পাইকারি বাজার মূল্যের
১৫৩. শস্য ও শাকসবজি খাতে ২০১৩Ñ১৩ সালে মোট দেশজ উৎপাদ কত ছিল? (জ্ঞান)
ক ১০০০,৮৯৯ কোটি খ ৯৫,৫০৮ কোটি
গ ৯২,৫০৮ কোটি ১০৬,৭৯৪ কোটি
১৫৪. প্রাণিসম্পদ খাতে ২০১২-১৩ সালে মোট দেশজ উৎপাদ কত ছিল? (জ্ঞান)
ক ১৮,৪৭০ কোটি টাকা ২২,৩৫৯ কোটি টাকা
গ ২৬,৯৯৬ কোটি টাকা ঘ ৩০,৯৯৯ কোটি টাকা
১৫৫. প্রাণিসম্পদ খাতে ২০১৩-১৪ সালে মোট দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ কত ছিল? (জ্ঞান)
ক ১৮,৪৭০ কোটি টাকা খ ২২,৯৯৯ কোটি টাকা
গ ২২,২৩৮ কোটি টাকা ২৭,৬৬৭ কোটি টাকা
১৫৬. বনজ খাতে কিসের অভাবে মোট উৎপাদন থেকে ৩% মূল্য বাদ দিয়ে এউচ হিসেব করা হয়? (অনুধাবন)
উপকরণের তথ্যের খ মূল্য সংযুক্তির
গ প্রয়োজনীয় লোকবলের ঘ সরকারি বাজেটের
১৫৭. বনজ খাতে উপকরণ তথ্যের অভাবে মোট উৎপাদন হতে কত শতাংশ মূল্য বাদ দিয়ে এউচ বের করা হয়? (জ্ঞান)
ক ২% ৩% গ ৪% ঘ ৫%
১৫৮. ২০১২-১৩ সালে বনজ সম্পদ খাতে বাংলাদেশের এউচ কত কোটি টাকা ছিল? (জ্ঞান)
১৬,৬০৫ খ ১৫,৮৭৬ গ ২৪,৯৯৬ ঘ ৩০,৯৯৯
১৫৯. ২০১৩-১৪ সালে বনজ সম্পদ খাতে দেশজ উৎপাদন ছিল কত কোটি টাকা? (জ্ঞান)
ক ১০,১০৫ খ ১২,৫০৫ ১৮,৩৯৮ ঘ ২০,৬০৫
১৬০. ২০১২-১৩ সালে মৎস্য খাতে বাংলাদেশের এউচ কত কোটি টাকা ছিল? (জ্ঞান)
ক ১০,৮৭৬ খ ২৬,৯৯৬ ৩৬,৯৯৫ ঘ ৩৮,৪৩০
১৬১. ২০১৩-১৪ সালে মৎস্য খাতে দেশজ উৎপাদের পরিমাণ কত কোটি টাকা ছিল? (জ্ঞান)
ক ১৬,৯৯৫ খ ২৬,৯৯৫ ৪২,৩০৮ ঘ ৪৬,৯৯৫
১৬২. খনিজ ও খনন অর্থনীতির কোন খাতের অন্তর্ভুক্ত? (অনুধাবন)
ক সেবা খ নির্মাণ গ কৃষি শিল্প
১৬৩. শিল্পখাতের মধ্যে কোন খাতকে আলাদা হিসেবে চিিহ্ন্ত করা হয়? (জ্ঞান)
ক ক্ষুদ্রায়তন শিল্পখাত খ বৃহদায়তন শিল্পখাত
খনিজ খাত ঘ সার ও সিমেন্ট খাত
১৬৪. বাংলাদেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো অর্থনীতির কোন খাতের অন্তর্ভুক্ত? (প্রয়োগ)
ক শিল্পখাতের খনিজ ও খনন খাতের
গ পাইকারি খাতের ঘ কৃষি খাতের
১৬৫. খনিজ ও খনন শিল্পখাতে ২০১২-১৩ সালে কত কোটি টাকা আয় হয়? (জ্ঞান)
ক ১০,৬৫০ ১৯,৪৬১ গ ২৬,৬৫০ ঘ ৩৬,৬৫০
১৬৬. খনিজ ও খনন শিল্পখাতে ২০১৩-১৪ সালে কত কোটি টাকা আয় হয়? (জ্ঞান)
ক ৯,৪৬১ ২১,০৮০ গ ২৯,৪৬১ ঘ ৩৯,৪৬১
১৬৭. ২০১২-১৩ সালে বাংলাদেশে বৃহৎ ও মাঝারি শিল্প দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ কত কোটি টাকা ছিল? (জ্ঞান)
ক ১,০০,০৫৩ খ ১,১৫,৯৫৯ গ ১,১২,৬২৫ ১,৫৮,৪৪৮
বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ জাতীয় আয় পরিমাপের আয় পদ্ধতি
জাতীয় আয় (ণ) = মোট খাজনা (ৎ) + মোট মুজরি ()ি + মোট সুদ (র) + মোট মুনাফা (). [স. বো. ’১৬]
ক. মোট দেশজ উৎপাদ কী? ১
খ. মোট জাতীয় আয় ও নিট জাতীয় আয়ের মধ্যে পার্থক্য কী? ২
গ. উদ্দীপক জাতীয় আয় পরিমাপের কোন পদ্ধতি নির্দেশ করে -বিশ্লেষণ কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এ পদ্ধতি কতটা কার্যকর? তোমার মতামত দাও। ৪
ক একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে মোট যে পরিমাণ চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপাদিত হয় তার বাজার দামের সমষ্টিকে মোট দেশজ উৎপাদন এউচ বলে।
খ কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত আর্থিক বছরে কোনো দেশের নাগরিকগণ কর্তৃক যে পরিমাণ চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপন্ন হয় তার বাজার মূল্যের সমষ্টিকে মোট জাতীয় আয় (এঘও) বলে। মোট দেশজ উৎপাদের সাথে নিট উপাদান আয় যোগ করে মোট জাতীয় আয় পাওয়া যায়। অন্যদিকে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো অর্থনীতিতে চ‚ড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবার আর্থিক মূল্য থেকে মূলধন ব্যবহারজনিত অবচয় ব্যয় (উবঢ়ৎবপরধঃরড়হ) বাদ দিলে যা থাকে তাকে নিট জাতীয় আয় বলে। মূলধন ব্যবহারজনিত অবচয় ব্যয় বলতে উৎপাদন ব্যবস্থায় মূলধনের ব্যবহারজনিত যে ক্ষয় হয়, তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে ব্যয় বহন করতে হয় তাকে বোঝায়।
গ উদ্দীপক জাতীয় আয় পরিমাপের আয় পদ্ধতিকে নির্দেশ করে। আয় পদ্ধতিতে জাতীয় আয় হলো উৎপাদনকার্যে ব্যবহৃত উপকরণসমূহের প্রাপ্ত আয়ের সমষ্টি। উৎপাদন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত মৌলিক উপকরণ ভ‚মি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন। এদের প্রাপ্ত আয় যথাক্রমে খাজনা, মজুরি, সুদ ও মুনাফা। অতএব জাতীয় আয় = খাজনা + মজুরি + সুদ + মুনাফা। উদ্দীপকে এ বিষয়টিই এভাবে উল্লিখিত হয়েছে যে, জাতীয় আয় (ণ) = মোট খাজনা (ৎ) + মোট মুজরি ()ি + মোট সুদ (র) + মোট মুনাফা ().
ঘ বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে জাতীয় আয় পরিমাপের ‘আয় পদ্ধতি’ ততটা কার্যকর নয়। উৎপাদন পদ্ধতি, আয় পদ্ধতি অথবা ব্যয় পদ্ধতি যেভাবেই পরিমাণ করা হোক না কেন, তিনটি পদ্ধতিতেই মোট দেশজ উৎপাদন এবং জাতীয় আয় একই পরিমাণ হবে। গণনা বা হিসাবের ত্রæটি বিচ্যুতির কারণে খানিকটা পার্থক্য হলেও প্রকৃত অর্থে তা একই ফলাফল বহন করে। এক্ষেত্রে গণনা বা হিসাবের ত্রæটি উন্নত দেশগুলোতে সমরূপ হলেও বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে আয় পদ্ধতিতে হিসাব বা গণনার ত্রæটি অধিক হওয়ার সম্ভাবনা বা আশঙ্কা রয়েছে। কেননা উন্নয়নশীল দেশে জনগণ জাতীয় স্বার্থে প্রায় ক্ষেত্রেই উদাসীন। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে সম্পদের সঠিক হিসাবে খাজনা আদায় তাই দুরূহ বরং অসম্ভব। আবার এসব দেশগুলোতে মজুরি নির্ধারণে এবং প্রদানেও অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। উপরন্তু ব্যবসায়িক স্বার্থে সুদ এবং মুনাফার প্রকৃত পরিমাণ প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক ক্ষেত্রে গোপন রাখে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো নিজের আয় নির্ধারণেও সঠিক পদ্ধতি প্রয়োগের অভাবে হিমশিম খায়। এক্ষেত্রে সরকার রাজস্ব ও খাজনা আদায়ে অসুবিধার সম্মুখীন হয়। মোট কথা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেকোনো পর্যায়ে আয় পরিমাপক যথা : খাজনা, মজুরি, সুদ, মুনাফা ইত্যাদি সঠিকভাবে নিরূপণ করা কঠিন। তাই আমি মনে করি, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে জাতীয় আয় পরিমাপে আয় পদ্ধতি ততটা কার্যকর নয়।
প্রশ্ন- ২ মোট দেশজ উৎপাদ
“ক” দেশে এক বছরে ১ লক্ষ কুইন্টাল ধান, ২০ হাজার কুইন্টাল পাট, ১ লক্ষটি পোশাক ও ১ লক্ষটি সাবান উৎপাদিত দ্রব্যগুলোর বাজার দর নিম্নরূপ
ধান প্রতি কুইন্টাল ১ হাজার টাকা, পাট প্রতি কুইন্টাল ১ হাজার টাকা, পোশাক প্রতিটি ১ হাজার টাকা। [এসএসসি ’১৫]
ক. ঈঈঅ-এর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. নিট জাতীয় উৎপাদন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কীভাবে “ক” দেশটির মোট দেশজ উৎপাদ নিরূপণ করা যায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত কোন দ্রব্যগুলোর খাত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অধিকতর ভ‚মিকা রাখে? বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ঈঈঅ-এর পূর্ণরূপ হলো ঈধঢ়রঃধষ ঈড়হংঁসঢ়ঃরড়হ অষষড়ধিহপব।
খ কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো অর্থনীতিতে চ‚ড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবার আর্থিক মূল্য থেকে মূলধন ব্যবহারজনিত অবচয় ব্যয় বাদ দিলে যা থাকে তাকে নিট জাতীয় উৎপাদন বলে। মূলধন ব্যবহারজনিত অবচয় ব্যয় বলতে উৎপাদন ব্যবস্থায় মূলধনের ব্যবহারজনিত যে ক্ষয় হয়, তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে ব্যয় বহন করতে হয় তাকে বোঝায়।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায়, ‘ক’ দেশের অভ্যন্তরে বছরে চারটি দ্রব্য উৎপাদন হয়। যেমন বছরে ১ লক্ষ কুইন্টাল ধান, ২০ হাজার কুইন্টাল পাট, ১ লক্ষটি পোশাক এবং ১ লক্ষটি সাবান উৎপাদন হয়। তাহলে ‘ক’ দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) = ১ লক্ষ কুইন্টাল ধান ধানের বাজার মূল্য + ২০ হাজার কুইন্টাল পাট পাটের বাজার মূল্য + ১ লক্ষটি পোশাক পোশাকের বাজার মূল্য + ১ লক্ষটি সাবান সাবানের বাজার মূল্য।
‘ক’ দেশের জিডিপি = ১ লক্ষ কুইন্টাল ধান ১০০০ টাকা + ২০ হাজার কুইন্টাল পাট ১০০০ টাকা + ১ লক্ষটি পোশাক ১০০০ টাকা + ১ লক্ষটি সাবান ০ টাকা।
জিডিপি = ১০,০০,০০,০০০ + ২,০০,০০,০০০ + ১০,০০,০০,০০০ + ০ টাকা = ২২,০০,০০,০০০ টাকা।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, উদ্দীপকে উল্লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে ‘ক’ দেশের মোট দেশজ উৎপাদ নিরূপণ করা যায়।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত দ্রব্যগুলোর মধ্যে ধান ও পাট অর্থাৎ কৃষিখাতের দ্রব্য বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অধিকতর অধিকতর ভ‚মিকা রাখছে। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের উৎস হিসাবে মোট ১৫টি খাত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো কৃষিখাত। কৃষিখাত বলতে শস্য ও শাকসবজি, প্রাণী সম্পদ, মৎস্য সম্পদ, বনজ সম্পদকে বোঝায়। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। আমাদের দেশের শতকরা প্রায় ৭৫ ভাগ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা তথা খাদ্যশস্য উৎপাদন স্বনির্ভরতা অর্জন, দারিদ্র্য বিমোচন, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ইত্যাদি কৃষির অগ্রগতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে আমাদের খাদ্যশস্য খাতে উৎপাদন ছিল ১,০৬,৭৯৪ কোটি টাকা, প্রাণিসম্পদ খাতে ২৫,৩৫৯ কোটি টাকা ও বনজসম্পদ খাতে ছিল ১৬,৬০৫ কোটি টাকা। যা মোট উৎপাদনের অর্ধেক। একই সময়ে কৃষি খাতের প্রধান প্রধান রপ্তানি পণ্য; যেমন কৃষিজপণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কাঁচা পাট, পাটজাত দ্রব্য ও চা যা থেকে প্রাপ্ত অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের জাতীয় আয়কে বৃদ্ধি করেছে। তাই বলা যায়, কৃষিখাত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অধিকতর ভ‚মিকা রাখে।
প্রশ্ন- ৩ জাতীয় আয় পরিমাপ পদ্ধতি
দশম শ্রেণির ছাত্রী শিলা তার বন্ধু শুদ্ধকে বলে, সে বুঝতে পারে না কীভাবে দেশের মোট আয় হিসাব করা সম্ভব হয়। শুদ্ধ তাকে বুঝিয়ে বলে যে উৎপাদনের ৪টি উপকরণের আয় একত্রে করেই মোট আয় নির্ণয় করা সম্ভব। [পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. এউচ কী? ১
খ. মাধ্যমিক দ্রব্য বলতে কী বোঝায়? ২
গ. শুদ্ধ জাতীয় আয় হিসাবের যে পদ্ধতির কথা বলে সেটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত পদ্ধতি ছাড়া জাতীয় আয় পরিমাপের অন্য কোনো পদ্ধতি আছে কি? যদি থাকে তাহলে সেগুলো আলোচনা কর। ৪
ক এউচ হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে মোট যে পরিমাণ চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপাদিত হয় তার বাজার দামের সমষ্টি।
খ মাধ্যমিক দ্রব্য বলতে প্রাথমিক ও চ‚ড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যের মধ্যবর্তী দ্রব্যকে বোঝায়। কোনো ব্যবসায় বা উৎপাদনের ক্ষেত্রে মূলধন বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাথমিক দ্রব্য ক্রয় করা হয়। এর মাধ্যমে কোনো কিছু উৎপাদন করে তা যদি অন্য কোনো দ্রব্য উৎপাদন ব্যবহার করা হয় তবে তা-ই মাধ্যমিক দ্রব্য। যেমন : সুতা দিয়ে কাপড় তৈরি করে তা তৈরি পোশাকের জন্য ব্যবহৃত হলে কাপড় হবে মাধ্যমিক দ্রব্য।
গ শুদ্ধ জাতীয় আয় হিসাবের আয় পদ্ধতির কথা বলেছে। আয় পদ্ধতিতে জাতীয় আয় হলো উৎপাদন কার্যে ব্যবহৃত উপকরণসমূহের প্রাপ্ত আয়ের সমষ্টি। উৎপাদন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত মৌলিক উপকরণ ভ‚মি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন। শুদ্ধ এই চারটি মৌলিক উপকরণের আয় ভোগ করে জাতীয় আয় গণনার কথাই বলছে। উৎপাদন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত মৌলিক উপকরণ ভ‚মি থেকে প্রাপ্ত আয় হলো খাজনা, শ্রম থেকে প্রাপ্ত আয় হলো মুজরি, মূলধন থেকে প্রাপ্ত আয় হলো সুদ এবং সংগঠন থেকে প্রাপ্ত আয় হলো মুনাফা। অতএব এই আয়সমূহ যোগ করলে জাতীয় আয় পাওয়া যাবে। সুতরাং আমরা লিখতে পারি যে, জাতীয় আয় = খাজনা + মজুরি + সুদ + মুনাফা। উদ্দীপকের শুদ্ধ তার বন্ধু শিলাকে জাতীয় আয় গণনার পদ্ধতি বোঝাতে গিয়ে মূলত এই চারটি আয়ের কথাই বলেছে। সুতরাং বলা যায়, শুধু জাতীয় আয় গণনায় আয় পদ্ধতির ইঙ্গিত প্রদান করেছে।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত পদ্ধতি ছাড়াও জাতীয় আয় পরিমাপের আরও দুটি পদ্ধতি রয়েছে। পদ্ধতি দুটি হলো- উৎপাদন পদ্ধতি এবং ব্যয় পদ্ধতি। উৎপাদন পদ্ধতি উৎপাদনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। একটি দেশের অর্থনীতি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিভক্ত থাকে। এক্ষেত্রে এসব খাতে এক বছরে উৎপাদিত চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবার মূল্য যোগ করে মোট দেশজ উৎপাদ নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশে ১৫টি খাতের উৎপাদনের মূল্য যোগ করে মোট দেশজ উৎপাদ নির্ধারিত হয়। ব্যয় পদ্ধতিতে জাতীয় আয় হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সমাজের সব ধরনের ব্যয়ের যোগফল। সমাজের মোট ব্যয় বলতে ব্যক্তিখাতের ভোগ ও বিনিয়োগ ব্যয় এবং সরকারি ব্যয় ও নিট রপ্তানিকে বোঝায়। অতএব, ভোগ + বিনিয়োগ + সরকারি ব্যয় + নিট রপ্তানি (রপ্তানি-আমদানি) মোট দেশজ উৎপাদ। সূত্রাকারে লেখা যেতে পারে, ণ = ঈ + ও + এ + (ঢ – গ) এখানে ঈ = ভোগ, ও = বিনিয়োগ, এ = সরকারি ব্যয় এবং ঢ গ = নিট রপ্তানি। উদ্দীপকে কেবল আয় পদ্ধতির ইঙ্গিত রয়েছে। আয় পদ্ধতি ছাড়াও উপরে আলোচিত পদ্ধতি দুটিও জাতীয় আয় গণনায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৪ মোট দেশজ উৎপাদ
ঘটনা-১ : রস টেলর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তিনি বাংলাদেশের একটি বিদেশি সংস্থায় প্রায় দশ বছর ধরে কর্মরত আছেন। স¤প্রতি তিনি চাকরির পাশাপাশি এ দেশে একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি স্থাপন করেছেন।
ঘটনা-২ : আফজাল বিএ পাস করার পর জীবিকার সন্ধানে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরের একটি কনস্ট্রাকশন ফার্মে কর্মরত আছেন। প্রতি মাসেই তিনি পরিবারের জন্য টাকা পাঠান।
ক. মোট জাতীয় আয় কী? ১
খ. মোট জাতীয় আয়ের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ২
গ. রস টেলরের আয় বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদের সাথে কীভাবে সম্পৃক্ত হয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আফজালের আয় কি বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদকে প্রভাবিত করবে? পাঠ্যবইয়ের আলোকে তোমার মতামত দাও। ৪
ক কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত আর্থিক বছরে কোনো দেশের নাগরিকগণ কর্তৃক যে পরিমাণ চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপন্ন হয় তার বাজার মূল্যের সমষ্টিই হলো সেদেশের মোট জাতীয় আয়।
খ একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনুধাবনে জাতীয় আয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো দেশের অর্থনীতি কতটুকু উন্নত তা সেদেশের জাতীয় আয় থেকে জানা যায়। যদি জাতীয় আয় একটি নির্দিষ্ট স্তরের বেশি হয়, তবে বুঝতে হবে দেশটি উন্নত; আর যদি তা থেকে জাতীয় আয় কম হয়, তবে বুঝতে হবে দেশটি অনুন্নত বা উন্নয়নশীল। এভাবে জাতীয় আয়ের মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা লাভ করা যায়।
গ রস টেলর বাংলাদেশে অবস্থান করায় তার আয় মোট দেশজ উৎপাদ বা জিডিপির সাথে সম্পৃক্ত। মোট দেশজ উৎপাদের ক্ষেত্রে ভৌগোলিক সীমানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে মোট যে পরিমাণ চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপন্ন হয় তার বাজার মূল্যের সমষ্টিকেই মোট দেশজ উৎপাদ বা জিডিপি বলা হয়। অর্থাৎ কোনো দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে যেকোনো ব্যক্তি কর্তৃক যে পরিমাণ আয় হবে বা যা কিছু উৎপাদিত হবে তার সবই মোট দেশজ উৎপাদ গণনার সময় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। রস টেলর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে, তার আয় বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদের সাথে সম্পৃক্ত নয়। কিন্তু বিদেশি নাগরিক হলেও তিনি বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে বসবাস করছেন। তিনি বাংলাদেশে অবস্থান করে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করছেন এবং পাশাপাশি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তার স্থাপিত সিমেন্ট ফ্যাক্টরি থেকেও লাভবান হচ্ছেন। যদিও অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই তিনি তার আয়ের একটা বড় অংশ নিজের দেশে পাঠিয়ে থাকেন তারপরও তা বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদে প্রভাব ফেলবে না। কারণ মোট দেশজ উৎপাদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার মূল্যই বিবেচনা করা হয়। সুতরাং বলা যায়, বাংলাদেশের নাগরিক না হলেও বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে অবস্থান করায় রস টেলরের আয় সরাসরি এদেশের মোট দেশজ উৎপাদের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ বিদেশে অবস্থান করায় আফজালের আয় বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদের ক্ষেত্রে কোনোরূপ ভ‚মিকা রাখবে না। সাধারণভাবে বিবেচনা করলে বাংলাদেশের নাগরিকদের আয় দেশের মোট দেশজ উৎপাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশের সকল নাগরিকের আয় মোট দেশজ উৎপাদ বা জিডিপির মধ্যে ধরা হয় না। কেবল বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে যেসব নাগরিক অবস্থান করে তাদের আয় বা উৎপাদিত বস্তু ও সেবার আর্থিক মূল্য জিডিপি গণনার সময় বিবেচিত হয়। অর্থাৎ জিডিপির ক্ষেত্রে ভৌগোলিক সীমানাটাই প্রধান বিবেচ্য। আফজাল বাংলাদেশের নাগরিক। কিন্তু জীবিকার তাগিদে বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। প্রতি মাসেই তিনি নিজের উপার্জিত আয় থেকে নির্দিষ্ট পরিমাপ অর্থ বাংলাদেশে অবস্থানরত তার পরিবারের জন্য প্রেরণ করেন। যেহেতু তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন সেহেতু তার প্রেরিত অর্থ মোট দেশজ উৎপাদ হিসাবের সময় বিবেচিত হবে না। বরং তার প্রেরিত অর্থ বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয় গণনার সময় অন্তর্ভুক্ত হবে। আফজাল যেহেতু বাংলাদেশের নাগরিক সেহেতু বিদেশে অবস্থান করা সত্তে¡ও তার আয় দেশের মোট জাতীয় আয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে। মোট দেশজ উৎপাদ বা জিডিপি একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সুতরাং আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, আফজালের আয় বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদের ক্ষেত্রে কোনো অবদান রাখবে না।
প্রশ্ন- ৫ জাতীয় আয়ের ধারনাসমূহ
জনাব হাবিবুর রহমান বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি। ঢাকায় তার একটি গার্মেন্ট ও একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি আছে। এ প্রতিষ্ঠান দুটি থেকে প্রতিবছরই তিনি অনেক লাভ করেন। অবশ্য তিনি বেশিরভাগ সময়ই লন্ডনে থাকেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশি খাবারের একটি রেস্টুরেন্ট দিয়েছেন। সেখান থেকেও তিনি প্রচুর পরিমাণে লাভবান হন।
ক. জনপ্রতি বার্ষিক আয়কে কী বলে? ১
খ. বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষিখাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২
গ. জনাব হাবিবুর রহমানের আয়ের কোন অংশ বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে জনাব হাবিবুর রহমানের কোনোরূপ ভ‚মিকা আছে কি? তোমার মতামত দাও। ৪
ক জনপ্রতি বার্ষিক আয়কে মাথাপিছু দেশজ উৎপাদ বলে।
খ বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের সবচেয়ে বড় অংশ কৃষি থেকে আসে বলে এ খাতটি অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি বড় খাত। খাত ধরাবাধা ভাবে হিসাব করা কঠিন। এ কারণে কৃষি খাতকে তিনটি উপখাতে ভাগ করা হয়েছে। যথা : শাকসবজি ও শস্য, প্রাণিসম্পদ ও বনজ সম্পদ। এ তিনটি উপখাত থেকে প্রচুর পরিমাণে আয় হয়ে থাকে। আবার কৃষি খাতের কাঁচামালের ওপর শিল্প খাত নির্ভরশীল। এসব কারণে এ দেশের অর্থনীতিতে কৃষি খাতের গুরুত্ব অপরিসীম।
গ দেশের অভ্যন্তরীণ দুটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে জনাব হাবিবুর রহমান যে আয় করেন তাই বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদের অন্তর্ভুক্ত। মোট দেশজ উৎপাদ বা জিডিপির ক্ষেত্রে একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে মোট যে পরিমাপ চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপন্ন হয় তার বাজার মূল্যের সমষ্টিই হলো মোট দেশজ উৎপাদ। অর্থাৎ একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানার বাইরে যদি ঐ দেশের নাগরিকগণ কর্তৃক কোনো আয় হয় তবে তা মোট দেশজ উৎপাদের অন্তর্ভুক্ত হবে না। উদ্দীপকের জনাব হাবিবুর রহমান বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি। দেশের অভ্যন্তরে যেমন তার ব্যবহার রয়েছে তেমনি দেশের বাইরেও রয়েছে। ঢাকা শহরে তার একটি গার্মেন্ট ও একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি রয়েছে। আবার দেশের বাইরে লন্ডন শহরে তার বাংলাদেশি খাবারের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এখন তার এসব ব্যবসায়ের মধ্যে কেবল দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত আয়ই মোট দেশজ উৎপাদের অন্তর্ভুক্ত হবে; কারণ তা বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে অবস্থিত। আর রেস্টুরেন্টের ব্যবসায় দেশের ভৌগোলিক সীমানার বাইরে হওয়ায় তা মোট দেশজ উৎপাদ বা জিডিপির হিসাব বহিভর্‚ত হবে। অর্থাৎ ভৌগোলিক সীমারেখায় এক্ষেত্রে নিয়ামকের ভ‚মিকা রেখেছে।
ঘ বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে জনাব হাবিবুর রহমানের ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত আর্থিক বছরে কোনো দেশের নাগরিকগণ কর্তৃক যে পরিমাণ, চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপন্ন হয় তার বাজার মূল্যের সমষ্টিকে মোট জাতীয় আয় বা এঘচ বলা হয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, এক্ষেত্রে মোট দেশজ উৎপাদের মতো ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে হতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, বরং কোনো দেশের নাগরিক অন্য দেশ থেকে কোনো আয় করলে তাও জাতীয় আয়ের অন্তর্ভুক্ত হিসাবে বিবেচিত হবে। জনাব হাবিবুর রহমানের বৈদেশিক আয় বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদের অন্তর্ভুক্ত হয় না। কিন্তু জাতীয় আয় হিসাবের সময় বিদেশে রেস্টুরেন্ট থেকে তিনি যে পরিমাণ আয় করেন তা অন্তর্ভুক্ত হবে। আবার বাংলাদেশে স্থাপিত দুটি শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে তার যে পরিমাণ আয় হয় তাও মোট জাতীয় আয়ের হিসাবের আওতায় পড়বে। কারণ জাতীয় আয় হিসাবের সময় মোট দেশজ উৎপাদের সাথে নিট উপাদান আয় যোগ করা হয়। আর নিট উপাদান আয়ের মধ্যে দেশের নাগরিকদের বৈদেশিক বিনিয়োগ থেকে অর্জিত আয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে মোট দেশজ উৎপাদের মধ্যে জনাব হাবিবুর রহমানের দেশের অভ্যন্তরীণ আয় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তা মোট জাতীয় আয় বৃদ্ধিতেই ভ‚মিকা রাখবে। আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, জাতীয় আয় পরিমাপের ক্ষেত্রে দেশের নাগরিকদের দেশের অভ্যন্তরে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ হতে অর্জিত আয় হিসাব করা হয়। তাই জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে জনাব হাবিবুর রহমানের ভ‚মিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রশ্ন- ৬ বাংলাদেশের জাতীয় আয় পরিমাপ পদ্ধতি
অর্থনীতির শিক্ষক রেজাউল করিম দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতি বোঝাতে গিয়ে নিচের উদাহরণটি উপস্থাপন করেনÑ
হামিদ মিয়া একজন অবস্থাসম্পন্ন কৃষক। তার জমি-জমার পরিমাণও অনেক। প্রতিবছর অসংখ্য দিনমজুর তার ফসলি জমিতে শ্রম দেয়। ফসলি জমিগুলোতে চাষ করার জন্য তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ মূলধন বিনিয়োগ করতে হয়। আর চাষের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনায় তিনি একটি সংগঠকের ভ‚মিকা পালন করেন। এখন তার ক্ষেত্রে জাতীয় আয় পরিমাপে ভ‚মি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন থেকে প্রাপ্ত আয় বিবেচনায় আনা হবে।
ক. এউচ-এর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. মাথাপিছু জিডিপি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে জাতীয় আয় পরিমাপের কোন পদ্ধতির ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত পদ্ধতিটিই জাতীয় আয় পরিমাপের একমাত্র পদ্ধতি নয়- বিশ্লেষণ কর। ৪
ক এউচ-এর পূর্ণরূপ হলো এৎড়ংং উড়সবংঃরপ চৎড়ফঁপঃ।
খ মাথাপিছু জিডিপি বলতে জনপ্রতি বার্ষিক জিডিপিকে বোঝায়। কোনো নির্দিষ্ট আর্থিক বছরে দেশের মোট দেশজ উৎপাদকে মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলেই মাথাপিছু জিডিপি পাওয়া যায়। এটি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানের প্রধান সূচক। এ সূচক দ্বারা দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা অর্থাৎ দেশটি উন্নত, অনুন্নত, নাকি উন্নয়নশীল তা সহজেই বোঝা যায়। এ কারণে মাথাপিছু জিডিপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গ উদ্দীপকে জাতীয় আয় পরিমাপের আয় পদ্ধতির ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় আয় পরিমাপের আয় পদ্ধতি অনুসারে জাতীয় আয় হলো উৎপাদন কার্যে ব্যবহৃত উপকরণসমূহের প্রাপ্ত আয়ের সমষ্টি। উৎপাদন কার্যে ব্যবহৃত মৌলিক উপকরণ হলো ভ‚মি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন। এদের প্রাপ্ত আয় যথাক্রমে : খাজনা, মজুরি, সুদ ও মুনাফা। অতএব জাতীয় আয় = খাজনা + মজুরি + সুদ + মুনাফা। উদ্দীপকেও উৎপাদনের উপযুক্ত চারটি উপকরণই উপস্থিত। উদ্দীপকে অর্থনীতির শিক্ষক রেজাউল করিম শিক্ষার্থীদের জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতি বোঝাতে গিয়ে যে উদাহরণটি উপস্থাপন করেছেন, তাকে উৎপাদন কার্যে ব্যবহৃত চারটি মৌলিক উপাদান বিদ্যমান। অবস্থাসম্পন্ন কৃষক হামিদ মিয়ার জমি হলো উৎপাদন কার্যে ব্যবহৃত মৌলিক উপকরণ ভ‚মির অন্তর্ভুক্ত। এই ভ‚মি থেকে প্রাপ্ত খাজনা আয় পদ্ধতিতে জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে। আবার দিনমজুরের জমিতে ফসল উৎপাদনের জন্য যে শ্রম দেয় তার বিনিময়ে তারা মজুরি পায়, যা জাতীয় আয়ের অন্তর্ভুক্ত। ফসল উৎপাদনের জন্য হামিদ মিয়া যে মূলধন বিনিয়োগ করেন তা থেকে প্রাপ্ত সুদ ও আয় পদ্ধতিতে বিবেচিত হবে। তাছাড়া হামিদ মিয়া একটি সংগঠনের ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ যে মুনাফা অর্জন করেন তাও জাতীয় আয়ের আওতাধীন। সুতরাং এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে উৎপাদন কার্যে ব্যবহৃত চারটি মৌলিক উপাদান থেকে প্রাপ্ত আয় আলোচ্য উদাহরণে বিদ্যমান। এ কারণে উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত পদ্ধতিটি জাতীয় আয় গণনার আয় পদ্ধতিকেই নির্দেশ করে।
ঘ উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত জাতীয় আয় পরিমাপের আয় পদ্ধতি ছাড়াও ব্যয় পদ্ধতি এবং উৎপাদন পদ্ধতি রয়েছে। উৎপাদন পদ্ধতিতে জাতীয় আয় পরিমাপের জন্য একটি দেশের অর্থনীতিকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিভক্ত করা হয়। এসব খাতে এক বছরে উৎপাদিত চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবার মূল্য যোগ করে মোট দেশজ উৎপাদ নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশে উৎপাদন পদ্ধতিতে জাতীয় আয় পরিমাপের জন্য দেশের অর্থনীতিকে ১৫টি খাতে বিভক্ত করা হয়েছে। জাতীয় আয় পরিমাপের ব্যয় পদ্ধতি অনুসারে জাতীয় আয় হলো সমাজের সব ধরনের ব্যয়ের যোগফল। সমাজের মোট ব্যয় বলতে ব্যক্তি খাতের ভোগ ও বিনিয়োগ ব্যয় এবং সরকারি ব্যয় ও নিট রপ্তানিকে বোঝায়। অতএব, ভোগ + বিনিয়োগ + সরকারি ব্যয় + নিট রপ্তানি = মোট দেশজ উৎপাদ। এক্ষেত্রে নিট রপ্তানি বলতে আবার দেশের মোট রপ্তানি ও আমদানির বিয়োগফলকে নির্দেশ করা হয়। সূত্রের সাহায্যে দেখলে, মোট দেশজ উৎপাদ বা ণ = ঈ + ও + এ (ঢ গ). এখানে ঈ = ভোগ, ও = বিনিয়োগ, এ = সরকারি ব্যয় ও ঢ গ (রপ্তানি – আমদানি) = নিট রপ্তানি। উপরিউক্ত আলোচনায় জাতীয় আয় পরিমাপের উৎপাদন পদ্ধতি ও ব্যয় পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। উদ্দীপকে শুধু জাতীয় আয় পরিমাপের আয় পদ্ধতির ইঙ্গিত রয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত পদ্ধতিটিই জাতীয় আয় পরিমাপের একমাত্র পদ্ধতি নয়।
প্রশ্ন- ৭ মাথাপিছু জিডিপি
মনে কর, ‘ঢ’ ও ‘ণ’ দুটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র। ২০১৪ সালে রাষ্ট্র দুটির মোট দেশজ উৎপাদ বা জিডিপি যথাক্রমে ৭৯০৫০০০০ টাকা ও ৭২৮০০০০০ টাকা। এই বছরে রাষ্ট্র দুটির মোট জনসংখ্যা যথাক্রমে ১৫৫০০০ জন ও ১৬০০০০ জন।
ক. এঘও-এর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. কোনো দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা জানতে মাথাপিছু জিডিপি জানা প্রয়োজন কেন? ২
গ. ‘ঢ’ ও ‘ণ’ রাষ্ট্রের মাথাপিছু জিডিপি নির্ণয় কর। ৩
ঘ. ‘ঢ’ ও ‘ণ’ রাষ্ট্রের মধ্যে কোন রাষ্ট্রটি অর্থনৈতিকভাবে উন্নত বলে তুমি মনে কর উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক এঘও-এর পূর্ণরূপ হলো এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ ওহপড়সব।
খ মাথাপিছু জিডিপি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানের প্রধান সূচক বলে কোনো দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে এটি জানা প্রয়োজন। যদি মাথাপিছু জিডিপি একটি নির্দিষ্ট স্তরের বেশি হয় তবে বুঝতে হবে দেশটি উন্নত; আর যদি তা থেকে মাথাপিছু জিডিপি কম হয় তবে দেশটি অনুন্নত বা উন্নয়নশীল। এভাবে মাথাপিছু জিডিপি যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে।
গ আমরা জানি,
মাথাপিছু জিডিপি = কোনো নির্দিষ্ট বছরে মোট দেশজ উৎপাদ ঐ সময়ে মোট জনসংখ্যা
এই সূত্রটি ব্যবহার করে আমরা ‘ঢ’ ও ‘ণ’ রাষ্ট্রের মাথাপিছু জিডিপি নির্ণয় করব।
২০১৪ সালে ‘ঢ’ রাষ্ট্রের মোট দেশজ উৎপাদ ছিল ৭৯০৫০০০০ টাকা এবং জনসংখ্যা ছিল ১৫৫০০০ জন। সুতরাং ‘ঢ’ রাষ্ট্রের মাথাপিছু জিডিপি = ৭৯০৫০০০০১৫৫০০০ টাকা
= ৫১০ টাকা।
আবার, ২০১৪ সালে ‘ণ’ রাষ্ট্রের মোট দেশজ উৎপাদ ছিল ৭২৮০০০০০ টাকা ও মোট জনসংখ্যা ছিল ১,৬০,০০০ জন। সুতরাং ‘ণ’ রাষ্ট্রের মাথাপিছু জিডিপি = ৭২৮০০০০০১৬০০০০ টাকা
= ৪৫৫ টাকা।
অতএব, ‘ঢ’ ও ‘ণ’ রাষ্ট্রের মাথাপিছু জিডিপি যথাক্রমে ৫১০ টাকা ও ৪৫৫ টাকা।
ঘ ‘ঢ’ ও ‘ণ’ রাষ্ট্রের মধ্যে ‘ঢ’ রাষ্ট্রটি অর্থনৈতিকভাবে উন্নত বলে আমি মনে করি। একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে হলে সে দেশের মাথাপিছু জিডিপি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কারণ মাথাপিছু জিডিপি একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার মান নির্দেশ করে। প্রকৃতপক্ষে মাথাপিছু জিডিপি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানের প্রধান সূচক। এ সূচক দ্বারা কোনো একটি দেশ উন্নত না কি অনুন্নত বা উন্নয়নশীল তা সহজেই নির্ণয় করা যায়। ‘গ’ নং প্রশ্নের উত্তর থেকে আমরা ‘ঢ’ ও ‘ণ’ রাষ্ট্রের মাথাপিছু জিডিপির পরিমাণ জানতে পারি। রাষ্ট্র দুটির মাথাপিছু জিডিপি যথাক্রমে ৫১০ টাকা ও ৪৫৫ টাকা। সুতরাং দেখা যাচ্ছে ‘ঢ’ রাষ্ট্রের মাথাপিছু জিডিপি ‘ণ’ রাষ্ট্রের মাথাপিছু জিডিপি অপেক্ষা বেশি। এই মাথাপিছু জিডিপি যেহেতু রাষ্ট্রদ্বয়ের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানকে নির্দেশ করে, সেহেতু স্পষ্টতই ‘ঢ’ রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থা ও জীবনযাত্রার মান ‘ণ’ রাষ্ট্রের অপেক্ষা ভালো। অর্থাৎ ‘ঢ’ রাষ্ট্রের জনগণ অর্থনৈতিকভাবে যতটা সচ্ছল ‘ণ’ রাষ্ট্রের জনগণ ততটা নয় এবং ‘ণ’ রাষ্ট্রের জনগণের তুলনায় ‘ঢ’ রাষ্ট্রের জনগণ উন্নত জীবনযাপন করে। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত উপনীত হওয়া যায় যে, দুটি দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অবস্থার তুলনায় মাথাপিছু জিডিপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে।
প্রশ্ন- ৮ জিডিপির নির্ধারকসমূহ
হাকিম শেখের একটি মুরগির ফার্ম রয়েছে। প্রায় দশ বছর ধরে তিনি মুরগির ফার্মটি পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু স¤প্রতি এলাকায় আর পাঁচ-সাতটি মুরগির ফার্ম চালু হওয়ায় তিনি আগের মতো লাভবান হচ্ছেন না। এজন্য তিনি মুরগির ফার্ম উঠিয়ে দিয়ে গরু-ছাগলের ফার্ম দিতে চাচ্ছেন। কারণ এলাকায় গরু-ছাগলের মাত্র একটি ফার্ম রয়েছে। কিন্তু টাকা-পয়সা পর্যাপ্ত না হওয়ায় তিনি নতুন ব্যবসায় শুরু করার সাহস পাচ্ছেন না।
ক. বাংলাদেশে জাতীয় আয় গণনার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানটির নাম কী? ১
খ. জাতীয় আয় গণনার মূলধনী লাভ-ক্ষতির প্রভাব শূন্য কেন? ২
গ. হাকিম শেখের নতুন ব্যবসায় শুরু করার সিদ্ধান্তটি জিডিপি-এর কোন নির্ধারকটিকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মূলধনের অভাবে হাকিম শেখের নতুন ব্যবসায় শুরুর ক্ষেত্রে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা কি জিডিপির ক্ষেত্রে কোনোরূপ প্রভাব ফেলে? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক বাংলাদেশ জাতীয় আয় গণনার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানটির নাম বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
খ সময়ের ব্যবধানে সম্পদের মূল্য পরিবর্তনজনিত লাভ বা ক্ষতি জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব বিস্তার করে না। সময়ের পরিবর্তনে জাতীয় সম্পদের বা উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের উপকরণ বা উৎপাদিত পণ্যের মূল্য পরিবর্তনের ফলে লাভ বা ক্ষতি হতে পারে। এ লাভ-ক্ষতি শুধু কাগজে-কলমে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে লিপিবদ্ধ করা হয়। যে প্রতিষ্ঠানের লাভ যতটুকু হয় অন্য প্রতিষ্ঠানের এর সমপরিমাণ ক্ষতি হয়। ফলে জাতীয় আয় গণনার লাভ-ক্ষতির প্রভাব শূন্য হয়।
গ হাকিম শেখের নতুন ব্যবসায় শুরু করার সিদ্ধান্তটি জিডিপির অন্যতম নির্ধারক সচলতাকে নির্দেশ করে। অর্থনীতিতে সচলতা বলতে এমন একটি বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করা হয় যে ক্ষেত্রে অবনতিশীল অর্থনৈতিক কার্যকলাপ থেকে সম্পদ সরিয়ে নতুন প্রসারমান অর্থনৈতিক কার্যকলাপে সম্পদ ব্যবহার করা হয়। একটি অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়া বা অবনতিশীল অর্থনৈতিক কার্যকলাপ থেকে সম্পদ সরিয়ে লাভজনক ও প্রসারমান অর্থনৈতিক কার্যকলাপে সম্পদ ব্যবহারের ক্ষমতার ওপর এর জিডিপি নির্ভর করে। উদ্দীপকের হাকিম শেখ দীর্ঘদিন ধরে একটি মুরগির ফার্ম পরিচালনা করছেন। কিন্তু স¤প্রতি গ্রামে আরও কয়েকটি মুরগির ফার্ম স্থাপিত হওয়ায় তিনি আগের মতো লাভবান হচ্ছেন না। এ প্রেক্ষিতে মুরগির ফার্মভিত্তিক অর্থনীতিকে পিছিয়ে পড়া বা অবনতিশীল অর্থনৈতিক খাত হিসেবে চিিহ্নত করা যায়। উ™ভ‚ত পরিস্থিতিতে হাকিম শেখ মুরগির ফার্ম থেকে সম্পদ সরিয়ে অধিক সম্ভাবনাময় ও লাভজনক বিবেচনায় গরু-ছাগলের ফার্মে সম্পদ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এলাকায় একটি মাত্র এ জাতীয় ফার্ম থাকায় এটি প্রসারমান অর্থনৈতিক খাতের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এক্ষেত্রে হাকিম শেখের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। সুতরাং বলা যায়, হাকিম শেখের ব্যবসায় পরিবর্তনের সিদ্ধান্তটি জিডিপির সচলতা নির্ধারকটির প্রকৃতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ মূলধনের অভাবে হাকিম শেখের নতুন ব্যবসায় শুরুর ক্ষেত্রে সৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা জিডিপির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে। মূলধন বলতে উৎপাদনের একটি মৌলিক উপাদানকে বোঝানো হয় যা মোট দেশজ উৎপাদ বা জিডিপি বৃদ্ধির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক নির্ধারক। আজকের উন্নত দেশসমূহে মোট দেশজ উৎপাদ বৃদ্ধির মূলে মূলধন কাজ করে। আবার অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহে মূলধনের অভাবের কারণে মোট দেশজ উৎপাদ বৃদ্ধি করতে পারে না। এজন্য মূলধন দেশজ উৎপাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ববহ। উদ্দীপকের হাকিম শেখ নতুন ব্যবসায় শুরুর ক্ষেত্রে মূলধনের ঘাটতিজনিত সমস্যায় পড়েছেন। তিনি বর্তমানে মুরগির ফার্মের ব্যবসায় পরিচালনা করছেন, যা থেকে তিনি আগের মতো লাভবান হতে পারছেন না। এ কারণেই তিনি নতুন সম্ভাবনাময় ও প্রসারমান খাত বিবেচনায় গরু-ছাগলের ফার্ম স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই নতুন ব্যবসায় শুরু করতে পারলে তিনি কাক্সিক্ষত মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। এতে করে একটি বিষয় নিশ্চিত হয় যে, হাকিম শেখ নতুন ব্যবসায়টি শুরু করতে পারলে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধিতেও তা সহায়ক হবে। অর্থাৎ নতুন খাতে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের প্রসার জিডিপির ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কিন্তু মূলধনের অভাবের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না অর্থাৎ মূলধনের ঘাটতিজনিত কারণেই জিডিপির কাক্সিক্ষত বৃদ্ধি সম্ভব হচ্ছে না। পরিশেষে বলা যায়, মূলধনের পর্যাপ্ততা যেকোনো দেশের মোট দেশজ উৎপাদ বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক।
প্রশ্ন- ৯ জাতীয় আয়ের হিসাব বহিভর্‚ত বিষয়াদি
ঘটনা-১ : কায়সার আহমেদ একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। মাস শেষে তিনি মোটা অঙ্কের বেতন পান। তারপরও ঘুষ ছাড়া তিনি কোনো কাজ করেন না।
ঘটনা-২ : সালমা বেগম একজন গৃহিণী। সংসারের সকল কাজ তিনি অত্যন্ত যতেœর সাথে করেন। ছেলেমেয়েদের খেয়াল রাখা, স্বামীর সেবা করা সবকিছুতেই তার নজর থাকে। তিনি এক বছর আগে বাবার কাছ থেকে পাওয়া জমিটুকু বিক্রি করে দিয়েছিলেন। সেই টাকা দিয়ে সে সময়ে তিনি বড় ছেলেকে একটি দোকান করে দিয়েছিলেন।
ক. নিট রপ্তানি কী? ১
খ. জাতীয় আয় গণনার মাধ্যমিক দ্রব্যের মূল্য হিসাব করা হয় না কেন? ২
গ. কায়সার আহমেদের আয়ের কোন অংশটুকু জাতীয় আয়ের হিসাব বহিভর্‚ত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. সালমা বেগমের কাজসমূহ কি জাতীয় আয় গণনার অন্তর্ভুক্ত হবে? যুক্তিসহ আলোচনা কর। ৪
ক মোট রপ্তানি থেকে মোট আমদানি বাদ দিলে যা পাওয়া যায়, তা-ই নিট রপ্তানি।
খ দ্বৈত গণনা সমস্যা এড়ানোর জন্য জাতীয় আয় গণনায় মাধ্যমিক দ্রব্যের মূল্য হিসাব করা হয় না। জাতীয় আয় গণনায় শুধু চ‚ড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবা বিবেচিত হয়। কারণ চ‚ড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যের ভেতরেই মাধ্যমিক পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবার মূল্য অন্তর্ভুক্ত হয়। চ‚ড়ান্ত দ্রব্যের পরে আবার মাধ্যমিক পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবা বিবেচনা করলে জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে দ্বৈত গণনা সমস্যা দেখা দেয়। এজন্যই মাধ্যমিক দ্রব্য এক্ষেত্রে বিবেচনায় আনা হয় না।
গ কায়সার আহমেদের আয়ের ঘুষ থেকে অর্জিত অংশটুকু বেআইনি হওয়ায় তা জাতীয় আয়ের হিসাববহিভর্‚ত। বেআইনি কাজ থেকে প্রাপ্ত আয় জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয় না। বেআইনি কার্যকলাপ বলতে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং দেশের প্রচলিত আইনের বিরোধী কাজকে বোঝায়। যেমন : মাদকদ্রব্য, জুয়াখেলা, কালোবাজারে দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয় প্রভৃতি জাতীয় আয় গণনার সময় বিবেচনা করা হয় না। কায়সার আহমেদ একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিমাসে সে মোটা অঙ্কের বেতন পান তা তার বৈধ উপার্জন। জাতীয় আয় গণনার সময় তার এই বৈধ উপার্জন অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ কারণে ঘুষ গ্রহণ করাটাকে আমাদের সমাজে অত্যন্ত নেতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর এ ধরনের অবৈধ ও বেআইনি কার্যকলাপ থেকে অর্জিত আয় কখনই জাতীয় আয়ের অন্তর্ভুক্ত হয় না। তাই কায়সার আহমেদের অবৈধ উপার্জনও জাতীয় আয়ের হিসাবের বহিভর্‚ত থাকবে।
ঘ সালমা বেগমের সাংসারিক কাজসমূহ এবং এক বছর পূর্বে জমি বিক্রয় জাতীয় আয় গণনার অন্তর্ভুক্ত হবে না। জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে বিনামূল্যে ব্যবহৃত দ্রব্য ও সেবা এবং অতীতে উৎপাদিত পণ্য ও লেনদেন বিবেচনায় আনা হয় না। অর্থনীতিতে এমন কিছু দ্রব্য ও সেবা আছে যা বাজারের মাধ্যমে বেচাকেনা হয় না। সাংসারিক কাজকর্ম স্বামীর সেবা, সন্তান লালন-পালন এ ধরনের সেবার অন্তর্ভুক্ত। আবার এক বছর পূর্বে কোনো কিছু বিক্রয় করলে তা ঐ বছরের জিডিপির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় পরবর্তী বছরে বা চলমান বছরে হিসাব করা হয় না। সালমা বেগম একজন গৃহিণী হিসেবে সাংসারিক সকল কাজ অত্যন্ত যতেœর সাথে সম্পন্ন করেন। স্বামীর সেবা এবং সন্তান লালন-পালনের ক্ষেত্রে তিনি দায়িত্বশীল। কিন্তু তার এসব কাজের কোনো বাজার মূল্য নেই। এ কারণে এগুলো জাতীয় আয়ের হিসাব বহিভর্‚ত। আবার এক বছর পূর্বে তিনি বাবার কাছ থেকে পাওয়া জমিটুকু বিক্রি করে ছেলেকে একটি দোকান করে দিয়েছিলেন। এক বছর পূর্বে তার এই জমি বিক্রয়ের মূল্য ঐ সময়ের জিডিপির অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ফলে বর্তমান সময়ে তার জমি বিক্রয়ের টাকা জাতীয় আয় গণনার অন্তর্ভুক্ত করলে দ্বৈত গণনা সমস্যা দেখা দেবে। এ কারণে তার এ কাজটিও জাতীয় আয়ের হিসাব বহিভর্‚ত হিসেবে বিবেচিত হবে। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, জাতীয় আয় গণনার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না করায় সালমা বেগমের কাজসমূহ এক্ষেত্রে জাতীয় আয় গণনায় বিবেচিত হবে না।
প্রশ্ন- ১০ জাতীয় আয় ও বিভিন্ন খাতের অবদান
ঘটনা-১ : শাকিল আহমেদ বাংলাদেশের অর্থনীতির এমন একটি খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট যে খাত থেকে প্রকৃত আয়ের তুলনায় কম পরিমাণ আয় হিসাব করা হয়।
ঘটনা-২ : আলতাফ চৌধুরী বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি। তিনি দুটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিক। তার প্রতিষ্ঠান দুটিতে বহু লোক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
ক. ঘঘচ-এর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. মূলধন মোট দেশজ উৎপাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক কেন? ২
গ. শাকিল আহমেদ বাংলাদেশের অর্থনীতির কোন খাতের সাথে সংশ্লিষ্টÑ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আলতাফ চৌধুরীর মতো শিল্পপতিদের অবদান কেমন? পাঠ্যবইয়ে আলোচিত শিল্প খাতের আলোকে আলোচনা কর। ৪
ক ঘঘচ-এর পূর্ণরূপ ঘবঃ ঘধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃ।
খ মূলধন মোট দেশজ উৎপাদের হ্রাস-বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে বলে তা জিডিপি-এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক। মূলধন মোট দেশজ উৎপাদ বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক নির্ধারক। আজকের উন্নত দেশসমূহে মোট দেশজ উৎপাদ বৃদ্ধির মূলে মূলধন কাজ করে। আবার অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহে মূলধনের অভাবের কারণে মোট জাতীয় আয় ও জিডিপি বৃদ্ধি করতে পারে না। এ কারণে মূলধন এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গ প্রকৃতিগত দিক বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, শাকিল আহমেদ বাংলাদেশের অর্থনীতির নির্মাণ খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট আছেন। নির্মাণ খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম খাত। এ খাত থেকে মোট দেশজ উৎপাদের পরিমাণ হিসাব করা হয় ব্যক্তি, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, ভোক্তা এবং সরকারের প্রাপ্ত তথ্য থেকে। বাস্তবে এ খাত থেকে যে পরিমাণ আয় হিসাব হওয়ার কথা তার তুলনায় কম হয়। আলোচ্য উদ্দীপকেও এ বৈশিষ্ট্যটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা নির্মাণ খাতকেই নির্দেশ করে। শাকিল আহমেদের কর্মরত খাতটি থেকে প্রকৃত আয়ের তুলনায় কম পরিমাণ আয় হিসাব করা হয়। অর্থাৎ তিনি নির্মাণ খাতের সাথে জড়িত। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নির্মাণ খাতে সরকার প্রদত্ত বা বেঁধে দেওয়া মূল্য চলতি বাজারমূল্য থেকে কম। অথচ সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের প্রেক্ষিতে মোট দেশজ উৎপাদ বা জিডিপির পরিমাণ তুলনায় এ খাতে অনেক কম আয় হিসাব হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, ২০১১-১২ সালে নির্মাণ খাত থেকে আয় হয় ৬৮,৩০৪ কোটি টাকা এবং ২০১২-১৩ সালে এই আয় ধরা হয় ৮২,৪৩২ কোটি টাকা। সুতরাং বলা যায়, শাকিল আহমেদের সংশ্লিষ্ট খাতে অর্থাৎ নির্মাণ খাতে জাতীয় আয়ের হিসাবে ঘাটতি থেকে যায়।
ঘ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মোট জাতীয় আয় ও মোট দেশজ উৎপাদ বৃদ্ধিতে আলতাফ চৌধুরীর মতো শিল্পপতিদের অবদান অনস্বীকার্য। শিল্পখাত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। কৃষি খাতের পর এ খাত থেকেই বাংলাদেশ সর্বোচ্চ পরিমাণ আয় করে থাকে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্পখাত প্রভাবকে ভ‚মিকা পালন করে। আর এই শিল্পখাতকে লাভজনক ও গতিশীল করেছেন আলতাফ চৌধুরীর মতো শিল্পপতিরা। তাদের স্থাপিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর আয় থেকেই জাতীয় আয় বৃদ্ধি পায় উল্লেখযোগ্য হারে। উদ্দীপকের আলতাফ চৌধুরী দুটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিক। তার প্রতিষ্ঠান দুটিতে বহু লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। এমনিভাবে বাংলাদেশে অসংখ্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যা দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে এবং উত্তরোত্তর উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশে শিল্প উৎপাদনের পরিমাণ ২০১১-১২ সালে ১,৬৭,৯২৭ কোটি টাকা; যার মধ্যেÑ ক. বৃহৎ ও মাঝারি শিল্পের দেশজ উৎপাদন ১,৩৪,৩৯৭ কোটি টাকা এবং খ. ক্ষুদ্রায়তন শিল্পখাতে ৩৩,৫৩০ কোটি টাকা। ২০১২-১৩ সালে এ খাতে মোট উৎপাদনের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১,৯৭,১২৭ কোটি টাকার। উপরিউক্ত আলোচনায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আর এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এক্ষেত্রে আলতাফ চৌধুরীর মতো শিল্পপতিরাই গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছেন।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতি কয়টি?
উত্তর : জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতি ৩টি।
প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জিডিপি পরিমাপের জন্য অর্থনীতিকে কয়টি খাতে বিভক্ত করেছে?
উত্তর : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জিডিপি পরিমাপের জন্য অর্থনীতিকে ১৫টি খাতে বিভক্ত করেছে।
প্রশ্ন \ ৩ \ কৃষি ও বনজ সম্পদ খাতকে কয়টি উপখাতে বিভক্ত করা হয়েছে?
উত্তর : কৃষি ও বনজ সম্পদ খাতকে ৩টি উপখাতে বিভক্ত করা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৪ \ ঈঈঅ-এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর : ঈঈঅ-এর পূর্ণরূপ ঈধঢ়রঃধষ ঈড়হংঁসঢ়ঃরড়হ অষষড়ধিহপব।
প্রশ্ন \ ৫ \ মোট দেশজ উৎপাদের সাথে নিট উৎপাদন আয় যোগ করলে কী পাওয়া যায়?
উত্তর : মোট দেশজ উৎপাদের সাথে নিট উৎপাদন আয় যোগ করলে জাতীয় আয় পাওয়া যায়।
প্রশ্ন \ ৬ \ একটি দেশের উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানের প্রধান সূচক কী?
উত্তর : একটি দেশের উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানের প্রধান সূচক জিডিপি।
প্রশ্ন \ ৭ \ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জিডিপি ও জিএনআই গণনা করার ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে?
উত্তর : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জিডিপি ও জিএনআই গণনা করার ক্ষেত্রে উৎপাদন ও ব্যয় পদ্ধতি ব্যবহার করে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ উৎপাদন পদ্ধতিকে কীভাবে মোট দেশম উৎপাদ হিসাব করা হয়।
উত্তর : উৎপাদন পদ্ধতিতে খাতওয়ারি উৎপাদনের মূল্য নির্ধারণ করে মোট দেশজ উৎপাদ হিসাব হয়। একটি দেশের অর্থনীতি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিভক্ত থাকে। এসব খাতে এক বছরে উৎপাদিত চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবার মূল্য যোগ করে মোট দেশজ উৎপাদ নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে মোট ১৫টি খাতের উৎপাদনের মূল্য যোগ করে মোট দেশজ উৎপাদ নির্ধারণ করা হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ সচলতা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : অর্থনীতিতে সচলতা বলতে পিছিয়ে পড়া অর্থনৈতিক কার্যকলাপ থেকে সম্পদ প্রসারমান অর্থনৈতিক কার্যকলাপে সরিয়ে নেওয়ার বৈশিষ্ট্যকে বোঝায়।
বিভিন্ন কারণে ব্যবসায় বা উৎপাদনে ক্ষতি হতে পারে এবং চাহিদাও কমে যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা প্রসারমান এবং লাভজনক কোনো ব্যবসায় তাদের অর্থসম্পদ বিনিয়োগ করেন। এটিই মূলত সচলতা বৈশিষ্ট্য।
প্রশ্ন \ ৩ \ বেআইনি আয় মোট দেশজ উৎপাদের হিসাব বহিভর্‚ত কেন?
উত্তর : বেআইনি আয় সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং দেশের প্রচলিত আইনের বিরোধী মোট দেশজ উৎপদের হিসাব বহিভর্‚ত।
অপরাধমূলক ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড সমাজ কখনই গ্রহণ করে না। প্রচলিত আইনে এ ধরনে কর্মকাণ্ড শাস্তিযোগ্য। সমাজে এ ধরনের কর্মকাণ্ড নেতিবাচকভাবে দেখা হয়। এ কারণে জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে বেআইনি আয় সবসময় মোট দেশজ উৎপাদের হিসাব বহিভর্‚ত।
প্রশ্ন \ ৪ \ প্রযুক্তির ওপর জিডিপি বহুলাংশে নির্ভর করে কেন?
উত্তর : প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় বলে প্রযুক্তির ওপর জিডিপি বহুলাংশে নির্ভর করে। প্রযুক্তির উন্নয়ন নানাভাবে হতে পারে। যেমন- নতুন আবিষ্কার, যন্ত্রপাতির ডিজাইন ও দক্ষতার উন্নতি, নতুন মালামালের আবিষ্কার ইত্যাদি। উদাহরণস্বরূপ, কৃষি খাতে চিরায়ত বীজের পরিবর্তে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বীজ ব্যবহার করে ধানের উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতরাং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ওপর জিডিপি অনেকাংশে নির্ভর করে।
প্রশ্ন \ ৫ \ মোট জাতীয় আয় বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশের নাগরিকগণ কর্তৃক যে পরিমাণ চ‚ড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপন্ন হয় তার বাজার মূল্যের সমষ্টিকে মোট জাতীয় আয় (এঘও) বলে।
মোট দেশজ উৎপাদের সাথে নিট উপাদান আয় যোগ করে মোট জাতীয় আয় পাওয়া যায়। নিট উপাদান আয় বলতে একটি দেশের নাগরিকগণ বৈদেশিক বিনিয়োগ থেকে ও শ্রম থেকে যে আয় করে এবং বিদেশি নাগরিকগণ আলোচ্য দেশে বিনিয়োগ ও শ্রম থেকে যে আয় করে এ দুয়ের বিয়োগফলকে বোঝায়।