নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান চতুর্দশ অধ্যায় জীবন বাঁচাতে বিজ্ঞান

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান চতুর্দশ অধ্যায় জীবন বাঁচাতে বিজ্ঞান

পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি

চতুর্দশ অধ্যায় জীবন বাঁচাতে বিজ্ঞান
এক্সরে : ১৮৯৫ সালে জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী উইলহেম রনজেন এক্সরে আবিষ্কার করেন, যা একধরনের তাড়িতচৌম্বক বিকিরণ। এর সাহায্যে শরীরের ভাঙা হাড়, ক্ষত বা অবাঞ্ছিত বস্তুর উপস্থিতি বোঝা যায় এবং রোগাক্রান্ত কোষ ধ্বংস করা যায়। এছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও শিল্পক্ষেত্রেও এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
 এক্সরের ঝুঁকি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
 অতিরিক্ত এক্সরে জীবকোষ ধ্বংস করে।
 শিশুদের প্রজননতন্ত্রে এক্সরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
 গর্ভবতী অবস্থায় (বিশেষত ২-৪ মাস সময়ের মাঝে) এক্সরে মা ও শিশু উভয়ের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
 একই জায়গায় বারবার এক্সরে করার ফলে টিউমার সৃষ্টির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
 আলট্রাসনোগ্রাফি : শরীরের অভ্যন্তরের নরম পেশির বা টিস্যুর যদি অভ্যন্তরীণ কোনো ক্ষতি হয় বা তাতে কোনো সমস্যা হলে আলট্রাসনোগ্রাফি করে তা শনাক্ত করা যায়। আলট্রাসনোগ্রাফিতে শব্দের প্রতিধ্বনি কাজে লাগানো হয়। এক্ষেত্রে শ্রবণোত্তর শব্দ ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে ভ্রæণের বৃদ্ধি, বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ, পিত্তথলি ও মূত্রথলির পাথর শনাক্তকরণ ও স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের টিউমার শনাক্ত করার জন্য আলট্রাসনোগ্রাফি ব্যবহৃত হয়।
 আলট্রাসনোগ্রাফির ঝুঁকি : যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডঐঙ) মতে আলট্রাসনোগ্রাফি ক্ষতিকর নয় তবে তারা পরামর্শ দিয়েছেন গর্ভবতী অবস্থায় যতটা সম্ভব কম আলট্রাসাউন্ড ব্যবহার করা উত্তম।
 সিটিস্ক্যান : সিটিস্ক্যানের পূর্ণরূপ ঈড়সঢ়ঁঃবফ ঞড়সড়মৎধঢ়যু ঝপধহ-এর মাধ্যমে কোনো পেশি বা অস্থির স্থান পরিবর্তন, অস্থি, টিউমার, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বা শারীরিক ক্ষতির নিখুঁত অবস্থান জানা যায়। মাথায় আঘাত পেলে মস্তিষ্কের কোনো ধরনের রক্তক্ষরণ হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য সিটিস্ক্যান একটি উত্তম উপায়।
 সিটিস্ক্যানের ঝুঁকি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : সিটিস্ক্যানের ঝুঁকি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক কম। এক্ষেত্রে নি¤েœাক্ত সমস্যা হতে পারে
 এখানে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ থাকে যদিও এটি খুব বেশি নয়।
 কখনো কখনো সিটিস্ক্যানে “ডাই” ব্যবহার করা হয় যা অনেকের ক্ষেত্রে এলার্জিজনিত সমস্যা তৈরি করে।
 এমআরআই : এমআরআই (গধমহবঃরপ জবংড়হধহপব ওসধমরহম) হলো একটি কৌশল, যা শরীরের যেকোনো অঙ্গের বিশেষ করে যেটি নরম বা সংবেদনশীল, তার পরিষ্কার ও বিস্তারিত ছবি তুলতে পারে। এটি শরীরের যেকোনো অঙ্গের জন্য ব্যবহার করা হলেও মস্তিষ্ক, পেশি, যোজক কলা এবং টিউমার শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। এমআরআই-এর মাধ্যমে পায়ের গোড়ালির মচকানো ও পিঠের ব্যথার জখম বা আঘাতের তীব্রতা নির্ণয় করা যায়। এমআরআই (গজও) এ চৌম্বকক্ষেত্রকে কাজে লাগানো হয়। চৌম্বকক্ষেত্র মানব শরীরে যে পানি আছে তাকে বিশেষ পদ্ধতিতে চৌম্বকায়িত করে। শরীরের এই চৌম্বকায়িত অংশ চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তন সাধন করে এবং এর ওপর ভিত্তি করে ত্রিমাত্রিক ছবি তুলে আনা হয়।
 এমআরআই-এর ঝুঁকি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া :
 অনেক সময় এখানে ডাই (উুব) ব্যবহার করা হয়, যা এলার্জিজনিত প্রতিক্রিয়ার কারণ হতে পারে।
 কখনো কখনো এমআরআই মেশিনের উচ্চ শব্দের কারণে মাথাব্যথা বা ঝিমুনি ভাব আসতে পারে।
 ইসিজি : ইসিজি বা ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম (ঊষবপঃৎড়পধৎফরড়মৎধস) হচ্ছে অত্যন্ত সহজ, ব্যথাবিহীন একটি পরীক্ষা যার মাধ্যমে হৃদপিণ্ড সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, হৃদকম্পন নিয়মিত কিনা, শরীরের নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গে রক্ত চলাচল সঠিক কিনা তা বোঝা যায়। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটি সম্ভাব্য হার্ট এটাক সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য সতর্ক সংকেত দিতে পারে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং গবেষকদের মতে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
 এন্ডোস্কোপ : এন্ডোস্কোপ এক ধরনের বাঁকানো টেলিস্কোপ। এন্ডোস্কোপ সাধারণত তখনই ব্যবহার করা যায়, যখন শরীরের অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা এক্সরে বা সিটি স্ক্যান করে নিশ্চিত হওয়া না যায়। এন্ডোস্কোপি পেটের আলসার নির্ণয়ের একটি অন্যতম উপায়। এন্ডোস্কোপিতে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের সূত্র কাজে লাগানো হয়।
 এন্ডোস্কোপির ঝুঁকি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া :
 জ্বর হওয়া
 বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট হওয়া
 পায়খানার রং কালচে হয়ে পড়া
 পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া।
 রেডিওথেরাপি : রেডিওথেরাপি হলো ক্যানসারের আরোগ্য বা নিয়ন্ত্রণের একটি কৌশল। এর মাধ্যমে শরীরের যে অঙ্গে ক্যান্সার হয়েছে সে অঙ্গের আক্রান্ত কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। এতে সুস্থ কোষগুলো ক্ষয়পূরণ করতে পারে, কিন্তু ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। অনেক রোগীর জন্য এটিই একমাত্র চিকিৎসা। এখানে দুই ধরনের শক্তির মাধ্যমে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষের উঘঅ ধ্বংস করা হয়।
 রেডিওথেরাপির ঝুঁকি :
 চুল পড়া
 চামড়া ঝুলে যাওয়া
 মুখের ভিতরের অংশ ও গলা শুকিয়ে যাওয়া
 বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া বা বদহজম
 প্রচণ্ড ক্লান্তি ও অবসাদ।
 কেমোথেরাপি : কেমোথেরাপি হলো এমন এক ধরনের চিকিৎসা যেখানে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক ওষুধ ব্যবহার করে শরীরের জন্য ক্ষতিকর দ্রæত বিভাজনরত ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করা হয়। এটি ক্যান্সার চিকিৎসায় একটি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। কেমোথেরাপিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক ওষুধ কোষ বিভাজনের নির্দিষ্ট ধাপে প্রয়োগ করা হয়।
 কেমোথেরাপির ঝুঁকি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : কেমোথেরাপির বিশেষ ওষুধ ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট অন্য কোষও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এতে নিম্নোক্ত ঝুঁকি থাকতে পারে :
 চুল পড়ে যাওয়া
 হাতের তালু, পায়ের তালু প্রভৃতি অঙ্গের চামড়া পুড়ে যাওয়া
 হজমে সমস্যা হওয়া এবং এর কারণে ডায়রিয়া, পানিশূন্যতা, বমি প্রভৃতি সমস্যা হওয়া
 লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অণুচক্রিকা উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়া।
 এনজিওগ্রাফি : এনজিওগ্রাফি হলো এক ধরনের বিশেষ পরীক্ষা যেখানে এক্সরে-এর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন রক্তনালির ছবি তোলা হয়। যদি কোনো কারণে শরীরের কোনো রক্তনালিকা বন্ধ হয় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় অথবা অস্বাভাবিক কোনো পরিবর্তন হয়, তখন বুকে ব্যথা, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ) প্রভৃতি সমস্যা হতে পারে। এনজিওগ্রাফি ডাক্তারকে এসব সমস্যার জন্য দায়ী সুনির্দিষ্ট রক্তনালিকার পরীক্ষা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সহায়তা করে।
 এনজিওগ্রাফির ঝুঁকি : যদিও হৃদপিণ্ডের অন্যান্য পরীক্ষার তুলনায় এনজিওগ্রাফির ঝুঁকি অনেক কম, তবুও নি¤েœাক্ত বিষয়গুলোর ঝুঁকি উড়িয়ে দেওয়া যায় নাÑ
 সাধারণভাবে এতে রক্তপাত, ইনফেকশন অথবা যেখানে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে সেখানে ব্যথা হতে পারে।
 যে নরম টিউবের মাধ্যমে ‘ডাই’ প্রবেশ করানো হয় তা রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
 অনেকের দেহে ‘ডাই’-এর ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা এলার্জির সৃষ্টি হতে পারে।
 ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কখনো কখনো এটি কিডনির ক্ষতি করে।

অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১. ক্যান্সারের চিকিৎসায় কোনটি ব্যবহার করা হয়?
ক এমআরআই  কেমোথেরাপি
গ এনজিওগ্রাফি ঘ আলট্রাসনোগ্রাফি
২. এন্ডোস্কোপিতে প্রয়োগ করা হয়Ñ
র. আলোর প্রতিসরণ
রর. বৈদ্যুতিক তরঙ্গের নিঃসরণ
ররর. আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক রর  ররর গ র ও রর ঘ র ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রফিক সাহেব বুকে ব্যথা অনুভব করলে তিনি একটি পরীক্ষা করালেন। এই পরীক্ষা করার সময় রফিক সাহেবের রক্তনালিকা দিয়ে এক ধরনের বিশেষ তরল পদার্থ প্রবেশ করানো হয়।
৩. রফিক সাহেব কোন পরীক্ষাটি করালেন?
ক এন্ডোস্কোপি  এনজিওগ্রাফি
গ কেমোথেরাপি ঘ রেডিওথেরাপি
৪. রফিক সাহেবের রক্ত নালিকায় প্রবেশ করানো পদার্থটি কী?
 ‘ডাই’ নামক তরল খ তরল অক্সিজেন
গ মলিবডেনাম ঘ টাংস্টেন

গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৫. গ্যাস্ট্রিক আলসার বিকিৎসায় নিচের কোনটি ব্যবহার করা হয়?
ক এম আর আই  এন্ডোস্কোপি
গ ইসিজি ঘ আলট্রাসনোগ্রাফি
৬. সিটিস্ক্যানের ক্ষেত্রে নিচের কোনটি সঠিক?
ক রক্তের গ্রæপ পরীক্ষা করা
 কোনো ধাতব অলঙ্কার, ঘড়ি ইত্যাদি না রাখা
গ তরল বা নরম খাবার খাওয়া
ঘ প্রতিবার একই অবস্থানে চিকিৎসা করা
৭. আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ব্যবহৃত হয় কোনটি?
 শ্রবণোত্তর তরঙ্গ খ ইলেকট্রনের প্রবাহ
গ চৌম্বকক্ষেত্র ঘ আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
৮. টিউমার, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বা শারীরিক ক্ষতির নিখুঁত অবস্থান জানা যায় কোন পরীক্ষার মাধ্যমে?
ক এক্সরে খ ইসিজি
 সিটিস্ক্যান ঘ এন্ডোস্কোপি
৯. রাহি সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে বমি করা শুরু করল। চিকিৎসায় কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে?
ক এনজিওগ্রাম খ এন্ডোস্কোপি
গ গজও  ঈঞ ঝপধহ
১০. কোন প্রযুক্তিতে শব্দ শক্তি ব্যবহার করা হয়?
ক এক্স-রে  আল্ট্রাসনোগ্রাফি
গ সিটিস্ক্যান ঘ এম.আর.আই
১১. এন্ডোস্কোপি করার সময় নিচের কোনটি কাজ করে?
ক আলোর প্রতিসরণ খ চৌম্বকক্ষেত্র
 আলোর প্রতিফলন ঘ রাসায়নিক ঔষধ
১২. অনু তার ঘরে ঢোকার সময় দরজার হাতল ধরে টান মারল। এখানে কোন বল কাজ করল?
ক চৌম্বক খ মাধ্যাকর্ষণ
গ নিউক্লিয়  স্পর্শ
১৩. পেটের আলসার নির্ণয়ের অন্যতম উপায় কী?
ক ইসিজি খ এম আর আই
 এন্ডোস্কোপি ঘ রেডিওথেরাপি
১৪. কোনটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মাথার চুল পড়ে যায়?
ক এনজিওগ্রাফি খ আলট্রাসনোগ্রাফি
 কেমোথেরাপি ঘ এম.আর.আই
১৫. আলোর কোন ধর্মের ওপর এন্ডোস্কোপি নির্ভরশীল?
ক প্রতিফলন খ প্রতিসরণ
গ ব্যতিচার  পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
১৬. দেহে রক্ত চলাচল পরীক্ষা করা হয় কী দ্বারা?
ক এম.আর.আই খ সিটিস্ক্যান
গ এক্সরে  ইসিজি
১৭. সিটিস্ক্যানে কয়টি রশ্মি ব্যবহার করা হয়?
ক ১টি খ ২টি
গ ৩টি ঘ ৪টি
[সঠিক উত্তর : একগুচ্ছ রশ্মি ছোড়া হয়]
১৮. কেমোথেরাপিতে-
র. কোষ বিভাজন বন্ধ হয়
রর. রক্তশূন্যতা দেখা যায়
ররর. কোষে শক্তি উৎপাদন ব্যাহত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯. এন্ডোস্কোপিতে ঝুঁকি থাকে-
র. পায়খানার রং কালচে হওয়ার
রর. পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়ার
ররর. ক্লান্তি ও অবসাদ হওয়ার
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২০. কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো-
র. চুল পড়ে যায়
রর. হজমে সমস্যা হয়
ররর. অণুচক্রিকা উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি সতর্কতার সাথে পড় এবং ২১ ও ২২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
এক সড়ক দুর্ঘটনায় সামিনের হাত ভেঙেছে এবং তার বাবা রাশেদ সাহেবের আভ্যন্তরীণ নরম পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২১. সামিনের সমস্যা শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে কোনটি অধিক প্রযোজ্য?
 এক্সরে খ আল্ট্রাসনোগ্রাফী
গ সিটিস্ক্যান ঘ ইসিজি
২২. রাশেদ সাহেবের সঠিক চিকিৎসার জন্য কোনটি উপযুক্ত?
ক এক্সরে খ সিটিস্ক্যান
 এম.আর.আই ঘ আল্ট্রাসনোগ্রাফী
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৩ ও ২৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রহমান সাহেব হঠাৎ করে বুকে ব্যথা অনুভব করায় ডাক্তার সাহেব হৃৎপিণ্ড সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা যাচাই করার জন্য একটি পরীক্ষা করলেন।
২৩. রহমান সাহেবের কোন পরীক্ষাটি করা হলো?
ক এক্সরে  ইসিজি
গ এম. আর. আই ঘ সিটিস্ক্যান
২৪. পরীক্ষাটি কোনটির মাধ্যমে করা হয়েছে?
 তরঙ্গ খ চৌম্বকক্ষেত্র
গ আলোর প্রতিসরণ ঘ ইলেকট্রনের প্রবাহ
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৫ ও ২৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সাকিলের বাবার পেট ব্যথা করায় ডাক্তারের নিকট গিয়ে এক্সরে ও সিটিস্ক্যান করান, তাতেও রোগ শনাক্ত না হওয়ায় তাকে ভিন্ন এক পরীক্ষা করে রোগ শনাক্ত করান।
২৫. সাকিলের বাবার পরীক্ষাটি কী?
ক ইসিজি খ এম আর আই
 এন্ডোস্কোপি ঘ রেডিওথেরাপি
২৬. সাকিলের বাবার পরীক্ষাটিতে-
র. আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটানো হয়
রর. এটি এক ধরনের বাঁকানো টেলিস্কোপ
ররর. এতে একাধিক অপটিক্যাল তার থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন \ ১ \ আলট্রাসনোগ্রাফি দ্বারা কী শনাক্ত করা যায়?
উত্তর : শরীরের অভ্যন্তরের নরম পেশির বা টিস্যুর যদি অভ্যন্তরীণ কোনো ক্ষতি হয় বা তাতে কোনো সমস্যা হলে আলট্রাসনোগ্রাফি করে তা শনাক্ত করা যায়।
প্রশ্ন \ ২ \ এম আর আই কী?
উত্তর : এম আর আই (গধমহবঃরপ জবংড়হধহপব ওসধমরহম) হলো একটি কৌশল, যা শরীরের যে কোনো অঙ্গের (বিশেষ করে যেটি নরম বা সংবেদনশীল) পরিষ্কার ও বিস্তারিত ছবি তুলতে পারে।
প্রশ্ন \ ৩ \ আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের সূত্র কোন যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : এন্ডোস্কোপি যন্ত্রে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের সূত্র কাজে লাগানো হয়।
প্রশ্ন \ ৪ \ কেমোথেরাপি কী?
উত্তর : কেমোথেরাপি হলো এমন এক ধরনের চিকিৎসা যেখানে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক ওষুধ ব্যবহার করে শরীরের জন্য ক্ষতিকর দ্রæত বিভাজনরত কোষ ধ্বংস করা হয়।

 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন \ ১ \ শরীরের কোন কোন অঙ্গে আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়?
উত্তর : সাধারণত হৃৎপিণ্ডে অথবা শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নরম অঙ্গ যেমন- মস্তিষ্ক, যকৃৎ, পিত্তথলি, প্রধান রক্তনালিসমূহ প্রভৃতিতে আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ আলট্রাসনোগ্রাফির সীমাবদ্ধতা কী?
উত্তর : আলট্রাসাউন্ড (শ্রবণোত্তর শব্দ তরঙ্গ) এর একটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো এটি কঠিন অস্থি ভেদ করতে পারে না। এতে অস্থির পেছনের অংশ সর্বদা পূর্ণাঙ্গভাবে ধরা পড়ে না।
প্রশ্ন \ ৩ \ সিটিস্ক্যান-এর মাধ্যমে কী জানা যায়?
উত্তর : সিটিস্ক্যানের মাধ্যমে কোনো পেশি বা অস্থির স্থান পরিবর্তন, অস্থি, টিউমার, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বা শারীরিক ক্ষতির নিখুঁত অবস্থান জানা যায়। মাথায় আঘাত পেলে মস্তিষ্কের কোনো ধরনের রক্তক্ষরণ হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য সিটিস্ক্যান একটি উত্তম উপায়।
প্রশ্ন \ ৪ \ এক্সরে কী কী রোগ নির্ণয়ে ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : এক্সরে বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ে ব্যবহার করা হয়। এগুলো হলো- ফুসফুসের রোগ; যেমন- নিউমোনিয়া, ফুসফুসের ক্যান্সার; পিত্তথলি ও কিডনির পাথর; অন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা; দাঁতের গোড়ায় ঘা এবং ক্ষত নির্ণয়; স্থানচ্যুত হাড়, হাড়ে ফাটল ও ভেঙে যাওয়া হাড়। এছাড়াও এক্সরে ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলতে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ ঊঈএ এবং এমআরআই-এর একটি করে ব্যবহারিক প্রয়োগ উল্লেখ কর।
উত্তর : ঊঈএ বা ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফের সাহায্যে আমরা হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন অবস্থা বিশেষ করে অনিয়মিত হৃদকম্পন, হৃদপিণ্ডের ছন্দ বিচ্যুতি, হার্ট অ্যাটাক ও হার্ট বøক সম্বন্ধে জানতে পারি।
এমআরআই শরীরের যেকোনো অঙ্গের (বিশেষ করে নরম) পরিষ্কার ও বিস্তারিত ছবি তুলতে পারে। শরীরের মস্তিষ্ক, পেশি, যোজক কলার ত্রæটি ও টিউমার শনাক্ত করার জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন \ ৬ \ গজও এর ব্যবহারিক প্রয়োগ উল্লেখ কর।
উত্তর : গজও হলো চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি কৌশল যার দ্বারা শরীরের যে কোনো অঙ্গের বিশেষ করে নরম ও সংবেদনশীল অঙ্গের পরিষ্কার ও বিস্তারিত ছবি তোলা হয়। এটি শরীরের যে কোনো অঙ্গের জন্য ব্যবহার করা হলেও মস্তিষ্ক, পেশি, যোজক কলার সমস্যাদি এবং টিউমার শনাক্ত করার জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। এছাড়া পায়ের গোড়ালির মচকানো ও পিঠে আঘাত প্রাপ্ত হলে জখম ও আঘাতের তীব্রতা নির্ণয় করা যায়।
প্রশ্ন \ ৭ \ এক্সরে কীভাবে কাজ করে?
উত্তর : এক্সরে মেশিনে টাংস্টেন কুণ্ডলীর মাঝে উচ্চ বিভবশক্তির তড়িৎ চালনার ফলে কুণ্ডলী গরম হয়ে ইলেকট্রন নির্গত হয়। একটি চোঙ দ্বারা ইলেকট্রনের প্রবাহ নির্দিষ্ট দিকে চালনা করা হয়। চোঙের অপর প্রান্তে একটি ধাতব পাত (টাংস্টেন বা মলিবডেনাম) থাকে। এই উচ্চগতিসম্পন্ন ইলেকট্রন ধাতব পাতে আঘাত করার ফলে তাপ উৎপন্ন হয় এবং কিছু পরিমাণ শক্তি বিকিরিত হয়। এই বিকিরিত রশ্মিই এক্সরে।
প্রশ্ন \ ৮ \ হাড় ভেঙে গেলে এক্সরের মাধ্যমে শনাক্ত করা সহজ হয় কেন?
উত্তর : এক্সরে নরম অধাতব বস্তু ভেদ করে চলে যেতে পারে। কিন্তু ধাতব বস্তু এটি শোষণ করে। আমরা জানি, হাড়ের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো ক্যালসিয়াম। এটি এক্সরেকে অনেকাংশে শোষণ করে। তাই হাড়ের ক্ষয় হলে বা ভেঙে গেলে এক্সরের মাধ্যমে শনাক্ত করা সহজ হয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ আলট্রাসনোগ্রাফির ঝুঁকি এড়াবার উপায় কী?
উত্তর : আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরের একটি সঠিক ছবি পাওয়া অনেকাংশে নির্ভর করে যিনি যন্ত্রটি নিয়ন্ত্রণ করবেন তার দক্ষতার ওপর। একজন দক্ষ অপারেটরের মাধ্যমে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের উপস্থিতিতে আলট্রাসনোগ্রাফি করা উচিত।
প্রশ্ন \ ১০ \ সিটিস্ক্যান কীভাবে কাজ করে?
উত্তর : আলোর প্রতিসরণের সাথে জ্যামিতিক হিসেবের মাধ্যমে দ্বিমাত্রিক ছবিগুলোকে এখানে ত্রিমাত্রিক করা হয়। এক্সরেতে একটি রশ্মি
ছোড়া হয় কিন্তু সিটিস্ক্যানে একটির পরিবর্তে একগুচ্ছ রশ্মি ছোড়া হয়। এ রশ্মিগুলো একটি অক্ষকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দিক নিক্ষেপ থেকে ছবি তোলে। দ্বিমাত্রিক এই ছবিগুলোর জ্যামিতিক হিসেবের মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক রূপ দেয়া হয় আর এতে কোনো বস্তুর অবস্থান নিখুঁতভাবে নির্ণয় করা সহজ হয়।
প্রশ্ন \ ১১ \ সিটি স্ক্যানের ঝুঁকি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী?
উত্তর : সিটি স্ক্যানের ঝুঁকি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক কম। তবুও এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত সমস্যা হতে পারে :
১. এখানে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ থাকে যদিও এটি খুব বেশি নয়।
২. কখনো কখনো সিটি স্ক্যানে “ডাই” ব্যবহার করা হয়, যা অনেকের ক্ষেত্রে এলার্জিজনিত সমস্যা তৈরি করে।
প্রশ্ন \ ১২ \ সিটিস্ক্যানের ঝুঁকি এড়াবার কৌশল উল্লেখ কর।
উত্তর : সিটিস্ক্যানের ঝুঁকি এড়াবার কৌশলগুলো হলো-
১. ধাতব বোতাম বা চেইনবিশিষ্ট কোনো কাপড় পরিধান না করা।
২. কোনো রকম ধাতব অলঙ্কার, ঘড়ি ইত্যাদি না রাখা।
৩. যেকোনো ধরনের এলার্জিজনিত সমস্যার কথা পূর্বেই ডাক্তারকে জানানো।
৪. রোগী গর্ভবতী হলে তা অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে জানাতে হবে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ গজও কী কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : গজও শরীরের যে কোনো অঙ্গের জন্য ব্যবহার করা হলেও মস্তিষ্ক, পেশি, যোজক কলা এবং টিউমার শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। এমআরআই-এর মাধ্যমে পায়ের গোড়ালির মচকানো ও পিঠের ব্যথার জখম বা আঘাতের তীব্রতা নির্ণয় করা যায়।
প্রশ্ন \ ১৪ \ এমআরআই-এর ঝুঁকি কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
উত্তর : এমআরআই-এর ঝুঁকি নিম্নলিখিত উপায়ে প্রতিরোধ করা যায় :
১. ডাই-এর উপাদান সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে।
২. এমআরআই মেশিনের আশপাশে ধাতব কোনো বস্তু রাখা যাবে না।
প্রশ্ন \ ১৫ \ কেমোথেরাপির ঝুঁকি এড়াবার কৌশল উল্লেখ কর।
উত্তর : কেমোথেরাপির ঝুঁকি এড়াবার কৌশলগুলো হলো :
১. শরীরের তাপমাত্রার দিকে লক্ষ রাখা।
২. তরল বা নরম খাবার খাওয়া।
৩. কেমোথেরাপি গ্রহণকৃত রোগীর বর্জ্য; যেমন- মলমূত্র, বমি ইত্যাদি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলা।
৪. বর্জ্য পরিষ্কার করার সময় খালি হাত ব্যবহার না করে গøাভস বা কমপক্ষে প্লাস্টিকের ব্যাগে হাত ভালোভাবে মুড়িয়ে পরিষ্কার করা।
৫. শরীরের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন ঠিক রাখার জন্য সার্বক্ষণিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা ও যোগাযোগ রাখা।

অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন -১ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রহমান সাহেব দীর্ঘদিন ধরে পেটের ব্যথায় ভুগছেন। এ সমস্যার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার তাকে এন্ডোস্কোপি করতে বললেন। অন্যদিকে রহমান সাহেবের ছেলে সুমন হঠাৎ সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে হাতে আঘাত পায় এবং হাত ভেঙে যায়। পরবর্তীতে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার এক্সরে করার পরামর্শ দেন।
ক. গজও-এর পূর্ণরূপ লিখ।
খ. রেডিওথেরাপি বলতে কী বোঝায়?
গ. ডাক্তার সুমনকে এক্সরে করার পরামর্শ দিলেন কেন?
ঘ. রহমান সাহেবের রোগ নির্ণয়ে এন্ডোস্কোপি কতটুকু কার্যকর? মতামত দাও।
 ১নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. গজও-এর পূর্ণরূপ গধমহবঃরপ জবংড়হধহপব ওসধমরহম।
খ. রেডিওথেরাপি হলো ক্যানসারের আরোগ্য বা নিয়ন্ত্রণের একটি কৌশল। এর মাধ্যমে শরীরের যে অঙ্গে ক্যান্সার হয়েছে সে অঙ্গের আক্রান্ত কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। সুস্থ কোষগুলো ক্ষয়পূরণ করতে পারে। কিন্তু রেডিওথেরাপির কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের রেডিওথেরাপি দেয়া হয় এবং অনেক রোগীর জন্য এটিই একমাত্র চিকিৎসা।
গ. ডাক্তার সুমনকে এক্সরে করার পরামর্শ দিলেন হাতের ভাঙা হাড়ের অবস্থা জানার জন্য এক্সরে হলো এক ধরনের চৌম্বক বিকিরণ। এই বিকিরণ দৃশ্যমান নয়। এক্সরে নরম অধাতব বস্তু ভেদ করে চলে যেতে পারে। কিন্তু ধাতব বস্তু এটি শোষণ করে। হাড়ের অন্যতম উপাদান হলো ক্যালসিয়াম। এটি এক্সরেকে অনেকাংশে শোষণ করে। তাই এক্সরের সাহায্যে প্রাপ্ত ফটোগ্রাফ দ্বারা শরীরের কোনো ভাঙা হাড় শনাক্ত করা সহজ হয়।
সুমনের হাতের হাড় কতটা ভেঙেছে এবং ভাঙা হাড়গুলোর অবস্থান কীভাবে আছে সেগুলো দেখার জন্য ডাক্তার সুমনকে এক্সরে করার পরামর্শ দিলেন।
ঘ. রহমান সাহেবের রোগ নির্ণয়ে এন্ডোস্কোপি অত্যন্ত কার্যকর। এন্ডোস্কোপ একধরনের পুরনো টেলিস্কোপ। এর দ্বারা রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতিকে এন্ডোস্কোপি বলে। এন্ডোস্কোপি সাধারণত ব্যবহার করা হয় যখন শরীরের অভ্যন্তরের কোনো সমস্যা এক্সরে বা সিটি স্ক্যান করে নিশ্চিত হওয়া যায় না। যেমন : পেটে ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, পরিপাকতন্ত্র প্রভৃতির সমস্যার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এন্ডোস্কোপি ব্যবহারের নির্দেশ দেন। এন্ডোস্কোপি পেটের আলসার নির্ণয়ের একটি অন্যতম উপায়।
রহমান সাহেব যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে পেটের ব্যথায় ভুগছেন সেহেতু ডাক্তার তাকে এন্ডোস্কোপি করতে বলেছেন। রহমান সাহেবের এন্ডোস্কোপি যদি সঠিকভাবে করা হয় তাহলে তার রোগ নির্ণয়ে এটি কার্যকর ব্যবস্থা হবে।
প্রশ্ন -২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রশিদ সাহেব অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলেন। হঠাৎ গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়লে তিনি মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। সহকর্মীরা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে সিটিস্ক্যান করতে বলেন। কিছুদিন পর রশিদ সাহেবের ভাই বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলেন। পরবর্তীতে ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি ঊঈএ করার পরামর্শ দিলেন।
ক. এনজিওগ্রাফি কী?
খ. আলট্রাসনোগ্রাফি বলতে কী বোঝায়?
গ. রশিদ সাহেবকে ডাক্তার সিটিস্ক্যান করতে বললেন কেন?
ঘ. রশিদ সাহেবের ভাইয়ের চিকিৎসায় ঊঈএ-এর ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর।
 ২নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. এনজিওগ্রাফি হলো এক ধরনের বিশেষ পরীক্ষা যেখানে এক্সরের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন রক্তনালির ছবি তোলা হয়।
খ. আলট্রাসনোগ্রাফিতে শব্দের প্রতিধ্বনিকে কাজে লাগানো হয়। এই শব্দতরঙ্গের কিছু অংশ কোথাও বাধা পেয়ে প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে আর বাকি অংশ বাধা না পেয়ে চলে যায়। কতটুকু ফিরে আসল এবং আসতে কতক্ষণ সময় নিল এর ওপর ভিত্তি করে কম্পিউটারে একটা নিখুঁত ছবি সৃষ্টি হয়। ছবি দেখেই রোগ শনাক্ত করা হয়।
গ. মাথায় আঘাতের কারণে রশিদ সাহেবের মস্তিস্কে কোনো রক্তক্ষরণ হয়েছে কিনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডাক্তার তাকে সিটিস্ক্যান করার জন্য বলেছেন।
মাথায় আঘাত পেলে মস্তিষ্কে কোনো ধরনের রক্তক্ষরণ হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য সিটিস্ক্যান একটি উত্তম উপায়। রশিদ সাহেব মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হন। তার মাথা ফেটে যায়নি অথবা মাথার কোনো হাড় ভেঙে যায়নি। এরকম কিছু হলে তার মাথার এক্সরে করে হাড়ের ভাঙাটা শনাক্ত করা যেত। তিনি মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। ডাক্তার সেজন্য সন্দেহ করছেন হয়তবা রশিদ সাহেবের মস্তিষ্কের কোথাও আঘাত লেগেছে। এজন্য তাকে সিটি স্ক্যান করতে বলেছেন।
ঘ. ইসিজি বা ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম (ঊষবপঃৎড়পধৎফরড়মৎধস) হচ্ছে অত্যন্ত সহজ, ব্যথাবিহীন একটি পরীক্ষা যার মাধ্যমে হৃদপিণ্ডের বর্তমান বা পূর্বের সমস্যা বোঝা যায়। এই পরীক্ষাটি তরঙ্গের মাধ্যমে করা হয়। বুকের ওপর দুটি ধাতব দণ্ড সেট করা হয়। সেটা হৃদকম্পন ও হৃদপিণ্ড থেকে যে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ নিঃসৃত হয় তা ইসিজি মেশিনে পাঠিয়ে দেয়। ইসিজি মেশিন সাধারণ একটি গ্রাফ আকারে প্রদর্শন করে। এই গ্রাফ দেখেই হৃদপিণ্ড সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা বোঝা যায় এবং এটি সম্ভাব্য হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য সতর্ক সংকেত দিতে পারে। রশিদ সাহেবের ভাই বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেছিলেন। বুকের ব্যথাটি হৃৎপিণ্ডের কোন সমস্যার কারণে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঊঈএ করার পরামর্শ চিকিৎসক দিয়েছিলেন।
রশিদ সাহেবের ভাইয়ের চিকিৎসায় ঊঈএ এর ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই রশিদ সাহেবের ঊঈএ দেখে প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারবেন তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কিনা।

 

 

Share to help others:

Leave a Reply