প্রথম অধ্যায়
ইতিহাস পরিচিতি
‘ইতিহাস’ শব্দটির উৎপত্তি ‘ইতিহ’ শব্দ থেকে যার অর্থ ‘ঐতিহ্য’। ঐতিহ্য হচ্ছে অতীতের অভ্যাস, শিক্ষা, ভাষা, শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতি যা ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এই ঐতিহ্যকে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয় ইতিহাস। শিখনফল
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণা, স্বরূপ ও পরিসর ব্যাখ্যা করতে পারবে।
ইতিহাসের উপাদান ও প্রকারভেদ বর্ণনা করতে পারবে।
ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করতে পারবে।
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহী হবে।
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
ইতিহাসের উপাদান : যেসব তথ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ঐতিহাসিক সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব, তাকেই ইতিহাসের উপাদান বলা হয়। সঠিক ইতিহাস লিখতে ঐতিহাসিক উপাদানের গুরুত্ব অপরিসীম। ইতিহাসের উপাদানকে আবার দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : লিখিত উপাদান ও অলিখিত উপাদান।
ইতিহাসের প্রকারভেদ : পঠন-পাঠন, আলোচনা ও গবেষণাকর্মের সুবিধার্থে ইতিহাসকে প্রধানত দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : ভৌগোলিক অবস্থানগত ইতিহাস ও বিষয়বস্তুগত ইতিহাস।
১. ভৌগোলিক অবস্থানগত ইতিহাস : অর্থাৎ যে বিষয়টি ইতিহাসে স্থান পেয়েছে তা কোন প্রেক্ষাপটে রচিত স্থানীয়, জাতীয় না আন্তর্জাতিক। এভাবে ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে শুধুমাত্র বোঝার সুবিধার্থে ইতিহাসকে আবার তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা : স্থানীয় বা আঞ্চলিক ইতিহাস, জাতীয় ইতিহাস ও আন্তর্জাতিক ইতিহাস।
২. বিষয়বস্তুগত ইতিহাস : যখন কোনো বিশেষ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে যে ইতিহাস রচিত হয় তাকে বিষয়বস্তুগত ইতিহাস বলা হয়। সাধারণভাবে একে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়, যথা : রাজনৈতিক ইতিহাস, সামাজিক ইতিহাস, অর্থনৈতিক ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ইতিহাস, ক‚টনৈতিক ও সা¤প্রতিক ইতিহাস।
ইতিহাসের স্বরূপ : প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের বিচারে ইতিহাস অন্যান্য বিষয় থেকে আলাদা। জ্ঞান অর্জনের অন্যান্য শাখা থেকে এর রচনা ও উপস্থাপনা পদ্ধতিও স্বতন্ত্র। যেমন : ইতিহাস অতীতমুখী। ইতিহাসের বিষয়বস্তু মানুষ, তার সমাজ-সভ্যতা। ইতিহাসে আবেগ ও অতি কথনের কোনো ঠাঁই নেই। ইতিহাস নিরন্তর প্রবহমান। সর্বোপরি বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতাই ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য।
ইতিহাসের পরিসর : মানুষ কর্তৃক সম্পাদিত সকল বিষয় ইতিহাসের পরিসরের আওতাভুক্ত। মানুষের চিন্তা-ভাবনা, পরিকল্পনা, কার্যক্রম যত শাখা-প্রশাখায় বিস্তৃত, ইতিহাসের সীমাও ততদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে এ বিস্তৃতির সীমা স্থিতিশীল নয়। মানুষের চিন্তা-ভাবনা, কর্মধারা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের পরিসরও স¤প্রসারিত হচ্ছে।
ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা : মানবসমাজ ও সভ্যতার বিবর্তনের সত্যনির্ভর বিবরণ হচ্ছে ইতিহাস। যে কারণে জ্ঞানচর্চার শাখা হিসেবে ইতিহাসের গুরুত্ব অসীম। ইতিহাস পাঠ মানুষকে অতীতের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অবস্থা বুঝতে, ভবিষ্যৎ অনুধাবন করতে সাহায্য করে। ইতিহাস পাঠের ফলে মানুষের পক্ষে নিজের ও নিজ দেশ সম্পর্কে মঙ্গল-অমঙ্গলের পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব। সুতরাং দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং ব্যক্তি প্রয়োজনে ইতিহাস পাঠ অত্যন্ত জরুরি।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কাকে আধুনিক ইতিহাসের জনক বলা হয়?
ক হেরোডোটাস লিওপোল্ড ফন্ র্যাংকে
গ টয়েনবি ঘ ই.এইচ. কার
২. উয়ারী-বটেশ্বরে প্রাপ্ত প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শনসমূহ প্রমাণ করে
র. প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশ মৃৎশিল্পে সমৃদ্ধ ছিল
রর. বহু প্রাচীন আমলে বাংলাদেশে নগর-সভ্যতা গড়ে ওঠে
ররর. প্রাচীন বাংলার অধিবাসীদের ধ্যান-ধারণা অত্যন্ত উন্নত মানের ছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
উদ্দীপকটি পড় এবং ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রিমা ঈদের ছুটিতে মা-বাবার সাথে কুমিল্লার ময়নামতি জাদুঘর পরিদর্শনে যায়। সেখানে সে মুদ্রা, শিলালিপি, স্তম্ভলিপি, তাম্রলিপি, ইমারত ইত্যাদি দেখতে পায়।
৩. রিমা ময়নামতি জাদুঘরে ইতিহাসের যে উপাদান দেখতে পায় তা হলো-
র. লিখিত
রর. অলিখিত
ররর. প্রতœতাত্তি¡ক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪. রিমা ময়নামতি জাদুঘর পরিদর্শন করে জানতে পারবে, প্রাচীন বাংলার
র. সামাজিক ইতিহাস
রর. অর্থনৈতিক ইতিহাস
ররর. সাংস্কৃতিক ইতিহাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর
গ র ও ররর র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ইতিহাসের লিখিত উপাদান ও গুরুত্ব
সজল তার বাবার সাথে জাতীয় গণগ্রন্থাগারে যায়। সেখানে সে বিভিন্ন বইপত্র পড়ে। সজল বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও তার ইতিহাসের বই ভালো লাগে। সে বিভিন্ন উৎস থেকে ইতিহাসের বইপত্র সংগ্রহ করে পড়ে। সজলের বাবা তাকে ধমক দিয়ে বললেন, শুধু শুধু এই বই পড়ে তুমি সময় নষ্ট করছ কেন?
ক. হিউয়েন সাং কোন দেশের পরিব্রাজক?
খ. সময়ের বিবর্তনে কীভাবে ইতিহাসের পরিসর বিস্তৃত হচ্ছে?
গ. সজল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে ইতিহাসের কোন ধরনের উপাদান দেখতে পায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কী সজলের বাবার মানসিকতার সাথে একমত? যুক্তি দাও।
ক হিউয়েন সাং চীন দেশের পরিব্রাজক।
খ ইতিহাস থেমে থাকে না, নিরন্তর প্রবহমান। মানুষের চিন্তা-ভাবনা, কর্মধারা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের পরিসরও স¤প্রসারিত হচ্ছে। যেমন : আগের যুগের মানুষের কর্মকাণ্ড খাদ্য সংগ্রহের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সময়ের বিবর্তনে তা পরিবর্তিত হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস চর্চায়-গবেষণায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিও অনুসৃত হচ্ছে। তাই দিন দিন এর পরিসর বিস্তৃত হচ্ছে।
গ সজল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে ইতিহাসের লিখিত উপাদান দেখতে পায়। এগুলোর মধ্যে সাহিত্য, নথিপত্র, জীবনী, দলিলপত্র, চিঠিপত্র প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত। সাহিত্যের মধ্যে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সাহিত্যকর্মও এতে অন্তর্ভুক্ত থাকে। যেমন : বেদ, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র কলহনের ‘রাজতরঙ্গিনী’ মিনহাজ-উস-সিরাজের ‘তবকাত-ই-নাসিরী, আবুল ফজল এর ‘আইন-ই-আকবরী’ কিংবদন্তি, গল্পকাহিনী এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এসব লিখিত উপাদানের মাধ্যমেই মানুষ ও অতীত সমাজের ইতিহাস জানা সম্ভব। ইতিহাসের অলিখিত উপাদানের মাধ্যমে তা জানা যায় না। উদ্দীপকে উল্লিখিত ইতিহাসের বই তথা লিখিত উপাদান অতীত ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে। আর সকল গ্রন্থাগারে ইতিহাসের এসব উপাদান বইপত্র দেখতে পাওয়া যায়। সজল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে ইতিহাসের এই লিখিত উপাদান দেখতে পায়।
ঘ আমি সজলের বাবার মানসিকতার সাথে একমত না। কারণ, মানব সমাজের সভ্যতার বিবর্তনের সত্যনির্ভর বিবরণ হচ্ছে ইতিহাস। যে কারণে জ্ঞানচর্চার শাখা হিসেবে ইতিহাসের গুরুত্ব অসীম। ইতিহাস পাঠ মানুষকে অতীতের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অবস্থা বুঝতে, ভবিষ্যৎ অনুধাবন করতে সাহায্য করে। ইতিহাস পাঠের ফলে সজলের সময় নষ্ট হচ্ছে না। বরং ইতিহাস পাঠের ফলে মানুষের পক্ষে নিজের ও নিজ দেশ সম্পর্কে মঙ্গল অমঙ্গলের পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব। ইতিহাস পঠন জ্ঞান ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করে। জাতীয়তাবোধ, জাতীয় সংহতি সুদৃঢ়করণে ইতিহাস পাঠের বিকল্প নেই। ইতিহাস জ্ঞান মানুষকে সচেতন করে তোলে। মানুষ ইতিহাস পাঠ করে অতীত ঘটনাবলির দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নিতে পারে। ইতিহাসের শিক্ষা বর্তমানের প্রয়োজনে কাজে লাগানো যেতে পারে। ইতিহাস পাঠ করলে বিচার-বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ে, যা দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে সাহায্য করে। সুতরাং সজলের মতো সবারই দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং ব্যক্তি প্রয়োজনে ইতিহাস পাঠ অত্যন্ত জরুরি। সজলের বাবার মানসিকতার সাথে তাই আমি মোটেও একমত নই।
বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. ‘ইতিহাস’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি? [স. বো. ’১৬]
ক ইতি + হাস ইতিহ + আস গ ইতিহ + হাস ঘ ইতি + আস
২. “প্রকৃতপক্ষে যা ঘটেছিল তার অনুসন্ধান ও তার সত্য বিবরণই ইতিহাস”-উক্তিটি কোন ঐতিহাসিকের? [স. বো. ’১৫]
ক হেরোডোটাস খ র্যাপসন
গ ডঃ জনসন লিওপোল্ড ফণ্ র্যাংকে
৩. কোনটি ইতিহাসের অলিখিত উপাদান? [স. বো. ’১৫]
ক সরকারি নথি খ গল্প কাহিনী শিলালিপি ঘ চিঠিপত্র
৪. ‘ইতিহাস’ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে কোন শব্দ থেকে?
[রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ইতি ইতিহ গ আস ঘ ঐতিহ্য
৫. ‘ইতিহ’ শব্দের অর্থ কী?
[পিরোজপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়; মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক গল্পকাহিনী খ ইতিহ ঐতিহ্য ঘ সংস্কৃতি
৬. ‘ইতিহাস হলো বর্তমান ও অতীতের মধ্যে এক অন্তহীন সংলাপ।’ উক্তিটি কার? [ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গার্লস হাইস্কুল, ঢাকা; খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ই.এইচ. কারের খ হেরোডোটাসের
গ থুকিডাইডিসের ঘ কলহনের
৭. বর্তমান সময়ের ওপর যে ইতিহাস লেখা হয় তাকে কী বলে?
[মেহেরেপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়]
ক বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস সা¤প্রতিক ইতিহাস
গ বর্তমান ইতিহাস ঘ মৌলিক ইতিহাস
৮. ‘যা কিছু ঘটে তাই ইতিহাস’ উক্তিটি কার?
[মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ড. জনসনের খ হেরোডোটাসের
গ ই এইচ কারের ঘ থুকিডাইডিসের
৯. হেরোডোটাস কোন দেশের ঐতিহাসিক?
[ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল ও কলেজ, কুমিল্লা সেনানিবাস]
ক ফরাসি খ পারসিয়ান গ্রিক ঘ তুর্কি
১০. ঐরংঃড়ৎরধ শব্দটি আভিধানিক অর্থ হলো
[কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক জানা সত্যানুসন্ধান গ খোঁজা ঘ বোঝানো
১১. গ্রিক ও পারসিক যুদ্ধ নিয়ে ইতিহাস রচনা করেন কে?
[মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়; গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়]
হেরোডোটাস খ থুকিডাইডিস
গ কলহন ঘ ই. এইচ. কার
১২. কে প্রথম ইতিহাস এবং অনুসন্ধান এ দুটি ধারণাকে সংযুক্ত করেন?
[ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল ও কলেজ, কুমিল্লা সেনানিবাস]
ক কলহন খ থুকিডাইডিস
হেরোডোটাস ঘ জনসন
১৩. ‘সমাজের জীবনই ইতিহাস’। উক্তিটি কার?
[মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়; রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক কলহনের খ জনসনের
টয়েনবির ঘ হেরোডোটাসের
১৪. ‘প্রকৃতপক্ষে যা ঘটেছিল তার অনুসন্ধান ও তার সত্য বিবরণই ইতিহাস’। উক্তিটি কার? [ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গার্লস হাইস্কুল, ঢাকা]
ক কলহনের খ ই. এইচ. কারের
গ হেরোডোটাসের লিওপোল্ড ফন র্যাংকের
১৫. ইতিহাসের উপাদান কত প্রকার?
[পিরোজপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
১৬. নিচের কোনটি ইতিহাসের অলিখিত উপাদান নয়?
[লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর]
ক মুদ্রা দলিলপত্র গ শিলালিপি ঘ স্তূপ
১৭. ফা-হিয়েন, হিউয়েন সাং এবং ইৎসিং কোন দেশের পরিব্রাজক ছিলেন?
[বরগুনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়; রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক গ্রিসের খ পারস্যের গ রোমের চীনের
১৮. পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপালের সিংহাসন আরোহণ সম্পর্কে কার বর্ণনায় পাওয়া যায়? [রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক কৌটিল্যের খ কলহনের
লামা তারনাথের ঘ মিনহাজ-উস-সিরাজের
১৯. যেসব উপাদান থেকে আমরা কোনো সময়ের, স্থানের বা ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য পাই তাকে কোন উপাদান বলা হয়?
[মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক লিখিত খ পৌরাণিক গ সাহিত্যিক প্রতœতাত্তি¡ক
২০. কোনটি ইতিহাসের অলিখিত উপাদান? [রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক সাহিত্য খ দলিলপত্র
শিলালিপি ঘ বৈদেশিক বিবরণ
২১. ইতিহাসের অলিখিত উপাদান কোনটি? [খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক সাহিত্য খ বৈদেশিক বিবরণ
গ দলিলপত্র স্তম্ভলিপি
২২. কোনটি ইতিহাসের উপাদান নয়?
[দি বার্ডস রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ]
ক কিংবদন্তি খ সাহিত্য গ স্মৃতিস্তম্ভ শিলা
২৩. ‘তাজমহলের পাথর দেখেছ, দেখেছ কী তার প্রাণ’? এখানে ‘তাজমহলের পাথর’ ইতিহাসের কোন উপাদানের অন্তর্ভুক্ত?
[নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক লিখিত অলিখিত গ ভৌগোলিক ঘ ঐতিহাসিক
২৪. নরসিংদীর উয়ারী-বটেশ্বরের প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন কত বছর পূর্বের নগর সভ্যতার অস্তিত্ব প্রমাণ করে?
[মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বরগুনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক দেড় হাজার খ দুই হাজার
আড়াই হাজার ঘ তিন হাজার
২৫. উয়ারী-বটেশ্বরের প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন বাংলার কোন সভ্যতার নবদিগন্ত উন্মোচিত করে? [মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
প্রাচীন খ মধ্যযুগীয় গ আধুনিক ঘ উত্তরাধুনিক
২৬. ইতিহাসচর্চা ও ইতিহাস রচনা নিয়ে মতবিরোধ বিরাজ করে কেন?
[মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ঐতিহাসিক উপাদানের পর্যাপ্ততার কারণে
ঐতিহাসিক উপাদানের অপর্যাপ্ততার কারণে
গ ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে
ঘ সামাজিক স্থিতিশীলতার কারণে
২৭. ভিকো (ঠরপড়) কে ছিলেন? [মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক দার্শনিক খ অর্থনীতিবিদ গ রাজনীতিবিদ ঐতিহাসিক
২৮. বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতা ইতিহাসের কী? [আল হেরা একাডেমি, পাবনা]
বৈশিষ্ট্য খ রূপরেখা গ গাম্ভীর্য ঘ মাধুর্য
২৯. মানুষ কীভাবে নিজ দেশের সম্পর্কে মঙ্গল-অমঙ্গলের পূর্বাভাস পেতে পারে? [মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক অর্থনীতি পাঠ করে খ সমাজবিজ্ঞান পাঠ করে
গ পৌরনীতি পাঠ করে ইতিহাস পাঠ করে
৩০. ইতিহাসের শিক্ষণীয় দর্শন বলার কারণ কী?
[পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
দৃষ্টান্তের মাধ্যমে শিক্ষা দেয় খ প্রত্যক্ষভাবে শিক্ষা দেয় বলে
গ সত্যনিষ্ঠ শিক্ষা দেয় বলে ঘ দর্শনের শিক্ষা দেয় বলে
৩১. ইতিহাস পাঠ করলে কোনটির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়?
[রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
বিচার-বিশ্লেষণ করার খ তর্ক করার
গ স্বপ্ন দেখার ঘ পরিশ্রম করার
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩২. ঐতিহাসিক হেরোডোটাস কর্তৃক গ্রিস ও পারস্যের মধ্যে যুদ্ধের বিষয় লিপিবদ্ধের কারণ [স. বো. ’১৬]
র. যাতে পরবর্তী প্রজন্ম এ ঘটনা ভুলে না যায়
রর. এ বিবরণ তাদের উৎসাহিত করে
ররর. তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৩. উয়ারী-বটেশ্বরের আবিষ্কার প্রমাণ করেÑ [স. বো. ’১৫]
র. প্রাচীন বাংলার সভ্যতা ছিল গ্রাম কেন্দ্রিক
রর. প্রাচীন বাংলার সভ্যতা ছিল নগর কেন্দ্রিক
ররর. প্রাচীন বাংলা ছিল উন্নত সভ্যতার ধারক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৪. ইতিহাস পাঠ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কারণ ইতিহাসÑ [স. বো. ’১৫]
র. জ্ঞানের বিস্তৃতি ঘটায় রর. সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
ররর. উদাহরণ হিসেবে উপস্থিত থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৫. ইতিহাসের পরিসর বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়
[রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
র. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি রর. গবেষণার বিষয়বস্তু
ররর. নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৬. ঐতিহ্য হচ্ছে অতীতের [ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল ও কলেজ, কুমিল্লা সেনানিবাস]
র. অভ্যাস রর. ভাষা ররর. শিল্প সাহিত্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৭. ঐরংঃড়ৎরধ / ঐরংঃড়ৎু শব্দের সাথে নিবিড় সম্পর্কে রয়েছে
[খড়রিয়া এজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় নড়াইল; পিরোজপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়]
র. হেরোডোটাসের রর. গ্রিক-পারস্য যুদ্ধের
ররর. ইবনে খালদুনের
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৮. প্রথম ঐতিহাসিক রচনায় স্থান পেয়েছে
[গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মেহেরপুর; চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. গ্রিক-পারস্য যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রর. গ্রিক-পারস্য যুদ্ধের তথ্য
ররর. গ্রিসের বিজয়গাঁথা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৯. ইতিহাসের প্রকৃত উদ্দেশ্য ঘটনার [নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. সত্যানুসন্ধান করা রর. জ্ঞানানুসন্ধান করা
ররর. গবেষণা করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪০. পঞ্চম থেকে সপ্তম শতকে বাংলায় আসেন [প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ, খুলনা]
র. ফা-হিয়েন রর. হিউয়েন সাং ররর. ইৎসিং
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪১. প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শনসমূহ হলো [নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. মুদ্রা রর. শিলালিপি ররর. তাম্রলিপি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪২. প্রতœতাত্তি¡ক উপাদানের মাধ্যমে জানা যায়
[খড়রিয়া এ জি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয় নড়াইল]
র. বিভিন্ন জাতির অগ্রগতির ইতিহাস রর. বিভিন্ন মানুষের ইতিহাস
ররর. বিভিন্ন সমাজের ইতিহাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪৩. বাংলাদেশের প্রতœতাত্তি¡ক স্থানসমূহ হলো
[ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গার্লস হাইস্কুল, ঢাকা]
র. মহাস্থানগড় রর. পাহাড়পুর ররর. ময়নামতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪৪. যে সকল সুবিধার্থে ইতিহাসকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে তা হলো
[পিরোজপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়]
র. গবেষণার সুবিধার্থে রর. আলোচনার সুবিধার্থে
ররর. ভাষার সুবিধার্থে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৫. ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি
[প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ, খুলনা]
র. মানব সমাজের কর্মকাণ্ড রর. মানব সমাজের চিন্তাচেতনা
ররর. মানব সমাজের জীবনযাত্রার অগ্রগতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৬, ৪৭ ও ৪৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ইতিহাস পরিচিতি অধ্যায় পড়ানোর সময় শ্রেণিশিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের কাছে ইতিহাস কী এ সম্পর্কে জানতে চাইলেন। তানিয়া বলল, ‘ইতিহাস হলো বর্তমান ও অতীতের মধ্যকার অন্তহীন সংলাপ।’ মিরাজ বলল, ‘যা কিছু ঘটে তাই ইতিহাস।’ [মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
৪৬. তানিয়ার বক্তব্যে কোন ঐতিহাসিকের বক্তব্য প্রতিফলিত হয়েছে?
ই. এইচ. কার খ ড. জনসন
গ র্যাপসন ঘ হেরোডোটাস
৪৭. মিরাজের বক্তব্যে কোন ঐতিহাসিকের বক্তব্য প্রতিফলিত হয়েছে?
ক ই. এইচ. কার ড. জনসন
গ র্যাপসন ঘ হেরোডোটাস
৪৮. তানিয়া ও মিরাজের বক্তব্যের আলোকে ইতিহাসের বিষয়বস্তু হলো
র. অতীত অর্থনৈতিক তত্ত¡ রর. অতীত ঘটনা
ররর. ঐতিহ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৯ ও ৫০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রিমা ঈদের ছুটিতে মা-বাবার সাথে কুমিল্লার ময়নামতিতে জাদুঘর পরিদর্শনে যায়। সেখানে সে মুদ্রা, শিলালিপি স্তম্ভলিপি, তাম্রলিপি, ইমারত ইত্যাদি দেখতে পায়। [আল হেরা একাডেমি, পাবনা]
৪৯. রিমা ময়নামতি জাদুঘরে ইতিহাসের যে উপাদান দেখতে পায় তা হলো
র. লিখিত রর. অলিখিত ররর. প্রতœতাত্তি¡ক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫০. রিমা ময়নামতিতে জাদুঘর পরিদর্শন করে জানতে পারবে প্রাচীন বাংলার
র. সামাজিক ইতিহাস রর. অর্থনৈতিক ইতিহাস
ররর. সাংস্কৃতিক ইতিহাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫১ ও ৫২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ে ইতিহাস শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। দেশের ইতিহাস বাঁচিয়ে রাখতে ইতিহাস শিক্ষাকে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। ইতিহাস না জানলে একটি জাতি মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে।
[বিরল পাইলট হাইস্কুল, দিনাজপুর]
৫১. অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের বক্তব্যে কোন বিষয়টির প্রতিফলন ঘটেছে?
ক ইতিহাসের উপাদান খ ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য
গ ইতিহাসের প্রকারভেদ ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা
৫২. স্যারের বক্তব্যটি বাস্তবায়ন করতে পারলে আমরা হয়ে উঠব
র. দেশপ্রেমী রর. আত্মপ্রত্যয়ী ররর. আত্মবিশ্বাসী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ভ‚মিকা বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ০২
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৩. কত খ্রিষ্টাব্দে আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল? (জ্ঞান)
ক ১৯৭০ ১৯৭১ গ ১৯৭২ ঘ ১৯৭৩
৫৪. আমরা কয় মাস পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই করি? (জ্ঞান)
ক সাত খ আট নয় ঘ দশ
৫৫. কত তারিখে আমাদের দেশ শত্রæমুক্ত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৫ ডিসেম্বর ১৬ ডিসেম্বর গ ১৭ ডিসেম্বর ঘ ২৬ মার্চ
৫৬. মুক্তিযুদ্ধ আমাদের (জ্ঞান)
ক সম্মানের কাহিনী খ ইতিহাসের কাহিনী
গৌরবের কাহিনী ঘ গল্পের কাহিনী
৫৭. ইতিহাস কী উপস্থাপন করে? (অনুধাবন)
ক ভালো ঘটনা সত্য ঘটনা
গ মিথ্যা ঘটনা ঘ মন্দ ঘটনা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৮. ইতিহাস উপস্থাপন করে (অনুধাবন)
র. সত্যনিষ্ঠ ঘটনা রর. ঘটনার ধারাবাহিক বর্ণনা
ররর. নিজ জাতির গৌরব
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৯. কোনো কিছু জানতে হলে ইতিহাস (প্রয়োগ)
র. পড়তে হবে রর. চর্চা করতে হবে
ররর. উপস্থাপন করতে হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণা বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ০২
ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস।
‘ইতিহাস’ শব্দটির উৎপত্তি ‘ইতিহ’ শব্দ থেকে যার অর্থ ঐতিহ্য।
‘ইতিহাস হলো বর্তমান ও অতীতের মধ্যে অন্তহীন সংলাপ’ বলেছেন ই.এইচ. কার।
সমাজ ও রাষ্ট্রে নিরন্তর বয়ে যাওয়া ঘটনা প্রবাহই ‘ইতিহাস’।
আধুনিক ইতিহাসের জনক জার্মান ঐতিহাসিক ‘লিওপোল্ড ফন র্যাংক’।
‘ইতিহাস’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো সত্যানুসন্ধান বা গবেষণা।
‘ইতিহাস’ রচিত হয়সত্যকে নির্ভর করে।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬০. ইতিহাসবিদ ই. এইচ. কারÑএর মতে ইতিহাস কী? (জ্ঞান)
ক অতীত কাহিনী বর্তমান ও অতীতের অন্তহীন সংলাপ
গ বর্তমান ও অতীতের ঘটনা ঘ বর্তমানের ঘটনা
৬১. ঐতিহ্য বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
অতীতের অভ্যাস, সাহিত্য সংস্কৃতি খ অতীতের রাজনৈতিক ইতিহাস
গ অতীতের ইতিহাস ও জনগণ ঘ বর্তমানের সাহিত্য ও সংস্কৃতি
৬২. বর্তমানের সকল বিষয় কিসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে? (অনুধাবন)
ক অতীতের ঘটনা খ বর্তমানের রাজনীতি
গ বর্তমানের ঐতিহ্য অতীতের ক্রমবিবর্তন
৬৩. ইতিহাস পঠন-পাঠন প্রয়োজন কেন? (অনুধাবন)
ক পুরাকাহিনী শোনার জন্য খ অতীত দিনের স্মৃতিচারণের জন্য
ঐতিহ্য অনুসন্ধানের জন্য ঘ বীরত্বগাথা জানার জন্য
৬৪. ‘ইতিহাস’ শব্দটির সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি? (জ্ঞান)
ক ইতি + ষ্ণ খ ইতি + হাস ইতিহ + আস ঘ ইতি + হস
৬৫. কোন শব্দ থেকে ঐরংঃড়ৎু শব্দটির উৎপত্তি? (জ্ঞান)
ক ল্যাটিন শব্দ ঐরংঃড়ৎরধহ খ গ্রিক শব্দ ঐরংঃড়ৎরধহ
গ ল্যাটিন শব্দ ঐরংঃড়ৎরধ গ্রিক শব্দ ঐরংঃড়ৎরধ
৬৬. ঐরংঃড়ৎরধ শব্দটি সর্বপ্রথম কে ব্যবহার করেন? (জ্ঞান)
হেরোডোটাস খ প্লেটো গ থুকিডাইডিস ঘ ফন র্যাংকে
৬৭. হেরোডোটাস ‘ঐরংঃড়ৎরধ’ শব্দটি প্রথম কখন ব্যবহার করেন? (জ্ঞান)
খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতকে খ খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে
গ খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতকে ঘ খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম শতকে
৬৮. ইতিহাসের জনক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন কে? (জ্ঞান)
হেরোডোটাস খ জনসন গ এরিস্টটল ঘ কলহন
৬৯. হেরোডোটাস ‘ঐরংঃড়ৎরধ’ শব্দটি সর্বপ্রথম কোথায় ব্যবহার করেন? (জ্ঞান)
ক লিখিত গ্রন্থে খ গবেষণাকর্মের ভ‚মিকায়
গবেষণাকর্মের নামকরণে ঘ লিখিত গ্রন্থের উপসংহারে
৭০. ইতিহাসের জনক হেরোডোটাসের উদ্দেশ্য কী ছিল? (অনুধাবন)
ক সভ্যতার পর্যালোচনা করা
খ অতীতের পর্যালোচনা করা
সত্যিকার অর্থে যা ঘটেছিল তা অনুসন্ধান করা
ঘ অতীত লিপিবদ্ধ করা
৭১. গ্রিক ও পারসিকদের সামরিক সংঘর্ষের ঘটনাবলি গ্রন্থ ‘ঐরংঃড়ৎরধ’ রচনা করেন কে? (জ্ঞান)
ক আর. সি. মজুমদার খ টয়েনবি
গ ই. এইচ. কার হেরোডোটাস
৭২. হেরোডোটাসের গবেষণার মাধ্যমে ইতিহাস কিসে পরিণত হয়? (জ্ঞান)
বিজ্ঞানে খ পৌরনীতিতে গ ঐতিহ্যে ঘ সংস্কৃতিতে
৭৩. লিওপোল্ড ফন র্যাংকে কোন দেশের ঐতিহাসিক? (জ্ঞান)
ক ইংল্যান্ডের খ আমেরিকার গ জাপানের জার্মানির
৭৪. লিওপোল্ড ফন র্যাংকে এবং হেরোডোটাসÑ এ দুজনের মধ্যে কোন বিষয়ে মিল আছে? (প্রয়োগ)
ক দুজনেই সমরবিদ খ দুজনেই সমাজবিজ্ঞানী
দুজনেই ঐতিহাসিক ঘ দুজনেই লেখক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৫. হেরোডোটাস তার গবেষণায় তুলে ধরেছেন (অনুধাবন)
র. যুদ্ধ সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য রর. বিভিন্ন ঘটনাসমূহ
ররর. গ্রিসের বিজয়গাঁথা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৬. একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণার ফলাফল হলো হেরোডোটাসের প্রকৃত উদ্দেশ্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ঘটনার প্রতি অনুসন্ধান
রর. পরবর্তী প্রজন্মকে উৎসাহিতকরণ
ররর. বিজয়গাঁথা লিপিবদ্ধ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৭ ও ৭৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রোগব্যাধিতে অনেক লোক মারা যায়। একই বছর পাকবাহিনী এদেশে ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করে। রিপোর্টটি করেছেন সাফিন মোস্তফা ঢ টিভি।’
৭৭. রিপোর্টটির ইতিহাস অংশ বিষয়ক (প্রয়োগ)
র. তাৎপর্যময় রর. বিষাদময় ররর. যুদ্ধ সংক্রান্ত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৭৮. রিপোর্টটি বাংলাদেশের ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ দিক তুলে ধরে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সামাজিক ইতিহাস
রর. রাজনৈতিক ইতিহাস ররর. সা¤প্রতিক ইতিহাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
ইতিহাসের উপাদান ও প্রকারভেদ
বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ০২
ইতিহাসের উপাদানকে ভাগ করা হয় ২ ভাগে {লিখিত ও অলিখিত উপাদান}
ফা-হিয়েন ছিলেন একজন চীনা পরিব্রাজক।
যেসব তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ঐতিহাসিক ভিত্তিকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব তাকেই ইতিহাসের উপাদান বলে।
একটি জাতির প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা দেয় প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন।
ভৌগোলিকভাবে ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইতিহাস।
কোনো নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর ওপর রচিত ইতিহাসকে বলে বিষয়বস্তুগত ইতিহাস।
‘আইন-ই-আকবরী’ লিখেছেন আবুল ফজল।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৯. ‘অর্থশাস্ত্র’ কার লেখা গ্রন্থ? (জ্ঞান)
ক আবুল ফজল কৌটিল্য গ কলহন ঘ লামা তারনাথ
৮০. ‘রাজতরঙ্গিণী’ গ্রন্থটি কার লেখা? (জ্ঞান)
কলহন খ আবুল ফজল গ অ্যাডাম স্মিথ ঘ ফন র্যাংকে
৮১. ‘তবকাত-ই-নাসিরী’ কার লেখা? (জ্ঞান)
ক কলহনের খ আবুল ফজলের
গ টয়েনবির মিনহাজ-উস-সিরাজের
৮২. ‘আইন-ই-আকবরী’র রচয়িতা কে? (জ্ঞান)
ক টয়েনবি খ জনসন
আবুল ফজল ঘ মিনহাজ-উস-সিরাজ
৮৩. মিনহাজ সম্রাট আকবরের সময়কালে লেখা একটি ঐতিহাসিক গ্রন্থ নিয়ে গবেষণা করছেন। এখানে কোন গ্রন্থের কথা বলা হয়েছে? (প্রয়োগ)
আইন-ই-আকবরী খ জাহাঙ্গীরনামা
গ বাবুরনামা ঘ হুমায়ুননামা
৮৪. সিনথিয়া ঐতিহাসিক উপাদানের মধ্যে মিল খোঁজার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে সাহিত্যের সাথে মিল পেয়েছে কোনটির? (প্রয়োগ)
ক মুদ্রার জীবনীর গ শিলালিপি ঘ ভাস্কর্য
৮৫. চৈনিক পরিব্রাজকরা কোন শতকে বাংলায় আসেন? (জ্ঞান)
ক পাঁচ-ছয় পাঁচ-সাত গ পাঁচ-আট ঘ পাঁচ-নয়
৮৬. চীনের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে কামরুজ্জামান চীনে গিয়েছিল একটি রিপোর্ট করতে। রিপোর্টটি পড়ে যেমন চীন সম্পর্কে জানা গেল তেমনি চৈনিক পরিব্রাজকদের লেখনী থেকে বাংলা সম্পর্কে জানা গেল। এর সাথে সম্পৃক্ত কে? (প্রয়োগ)
ক ইবনে বতুতা খ আবুল ফজল হিউয়েন সাং ঘ হুমায়ুননামা
৮৭. ইবনে বতুতা কোথাকার নাগরিক? (জ্ঞান)
ক ইউরোপের খ এশিয়ার গ ওশেনিয়ার আফ্রিকার
৮৮. স্থানগতভাবে আলাদা নিচের কোন পরিব্রাজক? (অনুধাবন)
ক ফাহিয়েন ইবনে বতুতা গ হিউয়েন সাং ঘ ইৎসিং
৮৯. রূপকথা, গল্পকাহিনী, কিংবদন্তি ইত্যাদি তুলে ধরে কোনটি? (জ্ঞান)
ক বর্তমান জীবনযাত্রার চিত্র খ ইতিহাসের খণ্ড ধারণা
গ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস অতীত জীবনযাত্রার চিত্র
৯০. লামা তারনাথ কোথাকার লেখক? (জ্ঞান)
ক সাংহাইয়ের খ জাপানের তিব্বতের ঘ রাশিয়ার
৯১. পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে? (জ্ঞান)
গোপাল খ ধর্মপাল গ মহীপাল ঘ রামপাল
৯২. পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল সম্পর্কে লামা তারনাথের বর্ণনাটি কোন ধরনের? (অনুধাবন)
ক অলিক ঘটনা এক ধরনের কল্পকাহিনী
গ সত্যনির্ভর ঘটনা ঘ একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ
৯৩. ঐতিহাসিকরা কীভাবে আবিষ্কার করেন? (অনুধাবন)
ক অনুসন্ধানের মাধ্যমে খ অভিযান ও পর্যালোচনা করে
গ ঐতিহাসিক দলিলপত্রের মাধ্যমে বিচার, বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধান করে
৯৪. রাষ্ট্রীয় দপ্তর কীভাবে ইতিহাস সংরক্ষণে সহায়তা করে? (অনুধাবন)
ক মুদ্রা ও শিলালিপি সংরক্ষণের মাধ্যমে
খ চিঠিপত্র ইত্যাদি সংরক্ষণের মাধ্যমে
সরকারি নথি সংরক্ষণের মাধ্যমে
ঘ দলিল সংরক্ষণের মাধ্যমে
৯৫. চার্টে (?) চিহ্নিত স্থানে কোনটি হবে? (প্রয়োগ)
অলিখিত উপাদান খ লিখিত উপাদান
গ অবস্তুগত উপাদান ঘ লিখিত ও অলিখিত উপাদান
৯৬. আলাদা স্থানে আলাদা সভ্যতার নিদর্শন বিদ্যমান। অবস্থানগত দিক থেকে আলাদা সভ্যতার নিদর্শন কোনটি? (প্রয়োগ)
ক মহাস্থানগড় সিন্ধু সভ্যতা গ ময়নামতি ঘ পাহাড়পুর
৯৭. ড. নেওয়াজ স্যারের সাথে একটি দল নরসিংদী গিয়েছিল প্রতœতাত্তি¡ক গবেষণার কাজে। এখানে কোন নিদর্শনটি বিদ্যমান? (প্রয়োগ)
ক ময়নামতি খ পাহাড়পুর উয়ারী-বটেশ্বর ঘ মহাস্থানগড়
৯৮. পাহাড়পুর কোন জেলায় অবস্থিত? (প্রয়োগ)
নওগাঁ খ দিনাজপুর গ রাজশাহী ঘ ফেনি
৯৯. জাতির ইতিহাস কীভাবে বদলে যেতে পারে? (প্রয়োগ)
নতুন নতুন প্রতœতাত্তি¡ক আবিষ্কারে
খ নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে
গ নতুন নতুন প্রযুক্তিক প্রচলনে
ঘ নতুন নতুন সংস্কৃতির প্রচলনে
১০০. ঐতিহাসিক উপাদানসমূহ দ্বারা কীভাবে ইতিহাস রচনা করা যায়? (অনুধাবন)
উপাদানসমূহ থেকে ঐতিহাসিক তথ্য সংগ্রহ করে
খ উপাদানসমূহ মহাফেজখানায় সংরক্ষণ করে
গ উপাদানসমূহ জাদুঘরে সংরক্ষণ করে
ঘ উপাদানসমূহ সমন¦য় সাধন করে
১০১. নতুন নতুন বিষয় ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে স¤প্রসারিত হচ্ছে (প্রয়োগ)
ক জ্ঞানের পরিসর ইতিহাসের পরিসর
গ বিজ্ঞানের পরিসর ঘ আধুনিকতার পরিসর
১০২. পঠন ও গবেষণার সুবিধার্থে ইতিহাস প্রধানত কত প্রকার? (জ্ঞান)
দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
১০৩. ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে ইতিহাসকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক দুই তিন গ চার ঘ পাঁচ
১০৪. ‘স্থানীয়, জাতীয়, আন্তর্জাতিক’ ইতিহাসের ছাত্র কিরণের লেখা এ বিভক্তিটি কোন ধারা অনুসারে? (প্রয়োগ)
ক বিষয়বস্তু খ পদ্ধতি
ভৌগোলিক অবস্থান ঘ লেখার বিভিন্নতা
১০৫. বিশেষ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে যে ইতিহাস রচিত হয় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ভৌগোলিক ইতিহাস খ বস্তুগত ইতিহাস
বিষয়বস্তুগত ইতিহাস ঘ জাতীয় ইতিহাস
১০৬. সাধারণভাবে বিষয়বস্তুগত ইতিহাসকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
ক ৩ খ ৪ ৫ ঘ ৬
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৭. চৈনিক পরিব্রাজকদের বিবরণীতে বাংলার যে দিকগুলো জানা যায় তা হলো (অনুধাবন)
র. তৎকালীন সমাজ রর. রাজনীতি ও ধর্ম
ররর. আচার-অনুষ্ঠান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৮. যে বিষয়টি অতীত জীবনযাত্রার চিত্র তুলে ধরে (অনুধাবন)
র. রূপকথা রর. গল্পকাহিনী ররর. কিংবদন্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৯. ঐতিহাসিক তথ্যের উৎস হলো (অনুধাবন)
র. সরকারি নথিপত্র রর. চিঠিপত্র ররর. কিংবদন্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১১০. প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. ঐতিহাসিক তথ্য প্রদানমূলক বস্তু রর. তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তি
ররর. অলিখিত উপাদানসমূহ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১১. বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শনের মাধ্যমে জানা যায় (অনুধাবন)
র. নগরায়ন রর. নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র
ররর. ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চার্টটি লক্ষ করে ১১২, ১২৩ ও ১১৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
১১২. চার্টে ‘?’ চিহ্নিত স্থানে যথার্থ শব্দটি হবে কোনটি? (প্রয়োগ)
ক লিখিত উপাদান খ খনিজ উপাদান
প্রতœতাত্তি¡ক উপাদান ঘ প্রাকৃতিক উপাদান
১১৩. উক্ত চার্টের নিদর্শনগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অধিবাসীদের জীবনযাত্রা রর. সভ্যতা
ররর. কৃষি উপকরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১১৪. উক্ত চার্টের নিদর্শনসমূহ পাওয়া যায় (অনুধাবন)
র. মহাস্থানগড়ে রর. ময়নামতিতে ররর. ঢাকায়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ইতিহাসের বিষয়বস্তু ও পরিহার বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৪
সমাজ ও সভ্যতার ধারাবাহিক পরিবর্তনের প্রমাণ ও লিখিত দলিল হলো ইতিহাস।
জ্ঞান অর্জনের অন্যান্য শাখা থেকে রচনা ও উপস্থাপনা পদ্ধতি স্বতন্ত্র হলো ইতিহাসের।
সত্যনিষ্ঠ তথ্যের ভিত্তিতে অতীতকে পুনর্গঠন করাই ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য।
ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য হলো বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতা।
মানুষের চিন্তাভাবনা, কর্মধারা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে স¤প্রসারিত হচ্ছে ইতিহাসের পরিসর।
উৎপাদন কৌশল অজানা ছিল প্রাগৈতিহাসিক যুগে।
ঊনিশ শতকের ইতিহাসের মূল বিষয়বস্তু ছিল রাজনীতি।
ইতিহাসে কোনো স্থান নেই আবেগ ও অতিকথনের।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৫. মানুষের সব অগ্রগতি, জয়যাত্রা এবং ব্যর্থতা কিসের আলোচনার বিষয়? (জ্ঞান)
ক দর্শনের খ নৃবিজ্ঞানের ইতিহাসের ঘ ভ‚গোলের
১১৬. ইতিহাসে কোনটির ঠাঁই নেই? (জ্ঞান)
আবেগের খ ব্যাখ্যার গ সত্যের ঘ ক্রোধের
১১৭. সন, তারিখ অধিকাংশ ব্যবহার হয় (প্রয়োগ)
ইতিহাসে খ সাহিত্যে গ চিকিৎসায় ঘ গণিতে
১১৮. প্রতিটি মানুষের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা কীরূপ? (প্রয়োগ)
ভিন্ন খ স্বচ্ছ গ তীক্ষè ঘ সাবলীল
১১৯. মানুষ কর্তৃক সম্পাদিত সকল বিষয় কোনটির আওতাভুক্ত? (অনুধাবন)
ক প্রযুক্তির খ বিজ্ঞানের গ সংস্কৃতির ইতিহাসের
১২০. প্রাগৈতিহাসিক যুগে মানুষের কর্মকাণ্ড কিসের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল? (অনুধাবন)
ক কৃষিকাজ খাদ্য সংগ্রহ গ বিনোদন ঘ ভ্রমণ করা
১২১. উনিশ শতকে মার্কসবাদ প্রচারের পূর্বে ইতিহাসের প্রধান বিষয় কী ছিল? (জ্ঞান)
রাজনীতি খ অর্থনীতি গ সমাজ ঘ মানুষ
১২২. কত শতক থেকে শিল্পকলাও ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত হয়? (জ্ঞান)
ক আঠারো খ সতেরো গ পনেরো উনিশ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২৩. ইতিহাসের বিষয়বস্তুর অন্তর্ভুক্ত হলো (অনুধাবন)
র. মানুষ রর. সমাজ ররর. সভ্যতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১২৪. রিজভী আধুনিক ঐতিহাসিক ঠওঈঙএর ইতিহাসের বিষয়বস্তু ভিত্তিক প্রদত্ত তথ্য বিশ্লেষণ করেন। এর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য হলো ইতিহাসের বিষয়বস্তু (প্রয়োগ)
র. মানবসমাজ রর. পরিবার ও অর্থনীতি
ররর. মানবীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের উৎপত্তি ও বিকাশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৫. ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য হলো (অনুধাবন)
র. অতীতমুখী রর. অতীতকে পুনর্গঠন ররর. সত্যনিষ্ঠ তথ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১২৬. ইতিহাসের বৈশিষ্ট্যÑ (অনুধাবন)
র. বস্তুনিষ্ঠতা রর. নিরপেক্ষতা ররর. বর্তমান পরিস্থিতি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৭. মার্কসবাদ প্রচারের পর ইতিহাস রচিত হতে থাকে (জ্ঞান)
র. অর্থনীতির রর. সমাজের ররর. শিল্পকলার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের ছকটি লক্ষ করে ১২৮ ও ১২৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
১২৮. চার্টটি কী সম্পর্কিত? (প্রয়োগ)
ক ইতিহাসের উপাদান খ ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য
ইতিহাসের বিষয়বস্তু ঘ পরিবেশের উপাদান
১২৯. উল্লিখিত ছকের বৈশিষ্ট্যসমূহ বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সামাজিক ইতিহাসে রর. রাজনৈতিক ইতিহাসে
ররর. অতীত পুনর্গঠনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৫
দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং ব্যক্তি প্রয়োজনে অত্যন্ত জরুরি ইতিহাস পাঠ।
জ্ঞানচর্চার গুরুত্বপূর্ণ শাখা হলো ইতিহাস।
অতীতের ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে ভবিষ্যৎ অনুধাবন করতে প্রয়োজন ইতিহাস পাঠের।
মানুষকে সচেতন করে ইতিহাসের জ্ঞান।
ইতিহাস দৃষ্টান্তের মাধ্যমে শিক্ষা দেয় বলে ইতিহাস শিক্ষনীয় দর্শন।
বাস্তব জীবনে চলার উৎকৃষ্ট শিক্ষা সত্যনিষ্ঠ ইতিহাস পাঠ।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩০. কী পাঠের মাধ্যমে মানুষের অতীত জীবন সম্পর্কে জানা যায়? (জ্ঞান)
ইতিহাস খ দলিল গ সাহিত্য ঘ কাব্য
১৩১. কোন বিষয় পাঠে মানবসভ্যতার সত্য বিবরণ জানা যায়? (জ্ঞান)
ইতিহাস খ অর্থনীতি গ সমাজবিজ্ঞান ঘ বিজ্ঞান
১৩২. ইতিহাস পাঠ কোনটিকে সুদৃঢ় করে? (অনুধাবন)
ক জাতীয়তাবোধ খ গণতান্ত্রিক চেতনা
মূল্যবোধ ঘ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
১৩৩. শামীম সাহেব মানবসমাজ ও সভ্যতা সম্পর্কে জানতে চান। তাকে কোন বইটি পড়তে হবে? (প্রয়োগ)
ইতিহাস খ গণিত গ ভ‚গোল ঘ কম্পিউটার
১৩৪. অতীতের সত্যনিষ্ঠ বর্ণনা মানুষকে কী হতে সাহায্য করে? (জ্ঞান)
ক বড় খ ধনী আত্মপ্রত্যয়ী ঘ সম্মানি
১৩৫. কোন বিষয়ের জ্ঞানের মাধ্যমে মানবগোষ্ঠীর উত্থান-পতন এবং সভ্যতা সম্পর্কে জানা যায়? (অনুধাবন)
ক যুক্তির খ সাহিত্যের গ নাটকের ইতিহাসের
১৩৬. দেশপ্রেম গড়ে ওঠে কীভাবে? (অনুধাবন)
ক জাতীয় সম্পত্তির মাধ্যমে খ সামাজিক মর্যাদার মাধ্যমে
জাতীয়তাবোধের মাধ্যমে ঘ ভ‚-সম্পত্তির মাধ্যমে
১৩৭. মানুষ ইতিহাস পাঠ করে কী শিক্ষা নিতে পারে? (জ্ঞান)
অতীত ঘটনাবলির দৃষ্টান্ত খ অতীত ঘটনার ভাব
গ বর্তমানের দৃষ্টান্ত ঘ ভবিষ্যৎ-এর দৃষ্টান্ত
১৩৮. ইতিহাস দৃষ্টান্তের মাধ্যমে শিক্ষা দেয় বলে ইতিহাসকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক দর্পণ খ শিক্ষক
শিক্ষণীয় দর্শন ঘ ব্যবহারিক জ্ঞান
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৯. ইতিহাস পাঠ মানুষকে সাহায্য করে (অনুধাবন)
র. বর্তমান অবস্থা বুঝতে
রর. ভবিষ্যৎ অনুধাবন করতে
ররর. অতীত নিয়ন্ত্রণ করতে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪০. ইতিহাস পাঠের গুরুত্বের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তথ্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জ্ঞানচর্চার শাখা
রর. জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে
ররর. জাতীয় সংহতি সুদৃঢ় করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৪১. ইতিহাস পাঠ অত্যন্ত জরুরি (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দেশের স্বার্থে রর. জাতির স্বার্থে
ররর. পরিবারের স্বার্থে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪২. ইতিহাস পাঠের বিকল্প নেই (জ্ঞান)
র. জাতীয়তাবোধ সুদৃঢ়করণে রর. জাতীয় সংহতি সুদৃঢ়করণে
ররর. জ্ঞানের পরিধির জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৪৩. ইতিহাস পাঠ মানুষকে সাহায্য করে (অনুধাবন)
র. অতীত নিয়ন্ত্রণ করতে রর. বর্তমান অবস্থা বুঝতে
ররর. ভবিষ্যৎ অনুধাবন করতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ইতিহাসের উপাদান
হৃদিতা, নাফিসা ওরা ওদের মামা মুন্নার সাথে “জাতীয় জাদুঘর” ও “মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে” বেড়াতে যায় এবং অনেক নিদর্শন দেখে। সেখানে হৃদিতা মসলিন শাড়ি, নবাবদের ব্যবহৃত আসবাবপত্র, গহনা দেখে এবং নাফিসা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ পক্ষের আত্মসমর্পণ দলিল ও বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা সংবলিত পুস্তক, পত্রিকা দেখে। [স. বো. ’১৬]
ক. ইতিহাসের জনক কে? ১
খ. ইতিহাস কীভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করে? ২
গ. হৃদিতা ইতিহাসের কোন ধরনের উপাদান দেখেছিল পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. প্রাচীন বিশ্বসভ্যতা জানার জন্য নাফিসার দেখা ইতিহাসের উপাদানগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪
ক ইতিহাসের জনক হলেন গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস।
খ ইতিহাস জ্ঞান মানুষকে সচেতন করে তোলে। বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর উত্থান-পতন এবং সভ্যতার বিকাশ ও পতনের কারণগুলো জানতে পারলে মানুষ ভালো-মন্দের পার্থক্যটা সহজেই বুঝতে পারে। ফলে সে তার কর্মের পরিণতি সম্পর্কে সচেতন থাকে।
গ হৃদিতা ইতিহাসের অলিখিত বা প্রতœতাত্তি¡ক উপাদান দেখেছিল। পাঠ্যবই অনুসারে, যেসব বস্তু বা উপাদান থেকে আমরা বিশেষ সময়, স্থান বা ব্যক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহাসিক তথ্য পাই সে বস্তু বা উপাদানই অলিখিত উপাদান। উদ্দীপকে হৃদিতা জাদুঘরে মসলিন শাড়ি, নবাবদের ব্যবহৃত আসবাবপত্র এবং গহনা দেখতে পায়। এসব উপাদান বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং বিশ্লেষণের ফলে সে সময়ের অধিবাসীদের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সুতরাং, হৃদিতা ইতিহাসের অলিখিত উপাদানই দেখেছিল।
ঘ উদ্দীপকে নাফিসা ইতিহাসের লিখিত উপাদান দেখেছিল। লিখিত উপাদান প্রাচীন বিশ্বসভ্যতা জানার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারত যদি তা সহজলভ্য হতো। কিন্তু মনে রাখা জরুরি প্রাচীন বিশ্বসভ্যতা সম্পর্কে জানার জন্য লিখিত উপাদানের তুলনায় বরং অলিখিত প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শনের ওপর নির্ভর করা হয়। প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং বিশ্লেষণের ফলে সে সময়ের অধিবাসীদের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। লিখিত উপাদান ইতিহাস রচনায় অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ভারযোগ্য হওয়া সত্তে¡ও প্রাচীন বিশ্বসভ্যতার এ জাতীয় নিদর্শন দুর্লভ। উদ্দীপকেও দেখা যায় নাফিসা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ মতের আত্মসমর্পণের দলিল ও বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা সংবলিত পুস্তক, পত্রিকা দেখে। এসব লিখিত উপাদান প্রাচীন বিশ্বসভ্যতার নিদর্শন নয় বরং বেশ সা¤প্রতিককালের। মূলত সভ্যতা যখন বিশ্বের বুকে বিকশিত হয়ে তার প্রাচীন যুগ পেরিয়ে আসে তখন থেকেই ইতিহাসের লিখিত উপাদানের নিদর্শনাবলি রূপ পেতে থাকে। তাই প্রাচীন লেখক পর্যটকদের বিবরণ প্রাচীন বিশ্বসভ্যতা সম্পর্কে যে ধারণা দেয়, তা খুব গুরুত্বপূর্ণ তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তা খুবই অপ্রতুল। বরং সে সময়ের লিখিত বিবরণের পাঠোদ্ধারও দুরূহ।
প্রশ্ন- ২ ইতিহাসের লিখিত উপাদান ও পাঠের প্রয়োজনীয়তা
শাহজাহান সাহেব সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সুযোগ পেলেই তিনি ছেলে সাইফ ও মেয়ে সিফাতকে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আবিষ্কৃত প্রতœতত্ত¡ নিদর্শন দেখাতে নিয়ে যান। ওরা সেসব স্থানে গিয়ে প্রাচীনকালের তালপাতায় লিখা পত্রিকা, সরকারি নির্দেশনামা, বিভিন্ন বংশের রাজাদের জীবনী সংবলিত পুস্তক দেখতে পায়। এছাড়াও শাহজাহান সাহেব অবসর সময়ে ছেলেমেয়ের সাথে নিজ দেশের গৌরবময় ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন। কারণ তিনি চান তার সন্তানেরা নিজ দেশের প্রাচীন অবস্থা ও ইতিহাস সম্পর্কে জানুক এবং জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে খাঁটি বাঙালি হিসাবে গড়ে উঠুক। [স. বো. ’১৫]
ক. ইতিহাসের উপাদান কয়টি? ১
খ. ভৌগোলিক অবস্থানগত ইতিহাস বলতে কী বোঝায়? ২
গ. সিফাত ও সাইফের দেখা প্রতœতত্ত¡ নিদর্শনগুলো ইতিহাসের কোন ধরনের উপাদান? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “সিফাত ও সাইফকে দেশ সম্পর্কে জানতে হলে ইতিহাস পাঠ অতীব জরুরি”Ñ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ইতিহাসের উপাদান দুইটি।
খ পঠন-পাঠন, আলোচনা ও গবেষণাকর্মের সুবিধার্থে ইতিহাসকে প্রধানত দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : ভৌগোলিক অবস্থানগত ও বিষয়বস্তুগত ইতিহাস। ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক বা ভৌগোলিক অবস্থানগত ইতিহাস হচ্ছে যে বিষয়টি ইতিহাসে স্থান পেয়েছে তা কোন প্রেক্ষাপটে রচিত স্থানীয়, জাতীয় না আন্তর্জাতিক। এভাবে ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে শুধুমাত্র বোঝার সুবিধার্থে ইতিহাসকে আবারও তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা : স্থানীয় বা আঞ্চলিক ইতিহাস, জাতীয় ইতিহাস ও আন্তর্জাতিক ইতিহাস।
গ সিফাত ও সাইফের দেখা প্রতœতত্ত¡ নিদর্শনগুলো ইতিহাসের লিখিত উপাদান। ইতিহাস রচনার লিখিত উপাদানের মধ্যে রয়েছে সাহিত্য, বৈদেশিক বিবরণ, দলিলপত্র ইত্যাদি। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সাহিত্যকর্মেও তৎকালীন সময়ের কিছু তথ্য পাওয়া যায়।
যেমন : বেদ, কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র’, কলহনের ‘রাজতরঙ্গিনী’, মিনহাজ-উস-সিরাজের ‘তবকাত-ই-নাসিরী’, আবুল ফজল- এর ‘আইন-ই-আকবরী’ ইত্যাদি। সিফাত ও সাইফ এরূপ বিভিন্ন বংশের রাজাদের জীবনী সংবলিত পুস্তক দেখতে পায়। সাহিত্যিক উপাদানের মধ্যে আরও রয়েছে, রূপকথা, কিংবদন্তী, গল্পকাহিনী। তিব্বতীয় লেখক লামা তারনাথের বর্ণনায় পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপালের সিংহাসন আরোহন সম্পর্কে যে বর্ণনা আছে সেটি এক ধরনের কল্পকাহিনী। অনেক কাহিনীর আড়ালে অনেক সত্য ঘটনা থেকে যায় যা ঐতিহাসিকরা বিচার-বিশ্লেষণ অনুসন্ধান করে আবিষ্কার করেন। তাছাড়া, সরকারি নথি, চিঠিপত্র ইত্যাদি থেকেও নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব যা ইতিহাসের লিখিত উপাদান। উদ্দীপকের সিফাত ও সাইফ তালপাতায় লিখা প্রাচীনকালের পত্রিকা ও সরকারি নির্দেশনাও দেখতে পায়। সুতরাং, সিফাত ও সাইফের দেখা প্রতœতত্ত¡ নিদর্শনগুলো ইতিহাসের লিখিত উপাদান।
ঘ সিফাত ও সাইফকে দেশ সম্পর্কে জানতে হলে ইতিহাস পাঠ করা অতীব জরুরি। মানবসমাজ ও সভ্যতার বিবর্তনের সত্যনির্ভর বিবরণ হচ্ছে ইতিহাস। যে কারণে জ্ঞানচর্চার শাখা হিসেবে ইতিহাসের গুরুত্ব অসীম। ইতিহাস পাঠ মানুষকে অতীতের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অবস্থা বুঝতে, ভবিষ্যৎ অনুধাবন করতে সাহায্য করে। ইতিহাস পাঠের ফলে মানুষের পক্ষে নিজের ও নিজ দেশ সম্পর্কে মঙ্গল অমঙ্গলের পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব। সুতরাং দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং ব্যক্তি প্রয়োজনে ইতিহাস পাঠ অত্যন্ত জরুরি। অতীতের সত্যনিষ্ঠ বর্ণনা মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর এ বিবরণ যদি হয় নিজ দেশ, জাতির সফল সংগ্রাম, গৌরবময় ঐতিহ্যের, তাহলে তা মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। একই সঙ্গে আত্মপ্রত্যয়ী, আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে। সে ক্ষেত্রে জাতীয়তাবোধ, জাতীয় সংহতি সুদৃঢ়করণে ইতিহাস পাঠের বিকল্প নেই। সুতরাং, সিফাত ও সাইফকেও দেশ সম্পর্কে জানতে অবশ্যই ইতিহাস পাঠ করতে হবে। বস্তুত দেশ সম্পর্কে জানতে ইতিহাস পাঠ অতীব জরুরি।
প্রশ্ন- ৩ ঐতিহাসিক হেরোডোটাস ও ইতিহাসের সংজ্ঞা
বরিশাল মডেল স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বললেন, আমি আজ ইতিহাসের এমন একজন ঐতিহাসিক সম্পর্কে ধারণা দিব যিনি সর্বপ্রথম হিস্টরিয়া শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি তার গবেষণায় গ্রিস ও পারস্যের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করেছেন। পরবর্তীতে অবশ্য বিভিন্ন ইতিহাসবিদ ইতিহাসকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। [সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঝালকাঠি]
ক. ইতিহাস শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণা দাও। ২
গ. শিক্ষক তার আলোচনায় কোন ঐতিহাসিকের ইঙ্গিত দিয়েছেন? ইতিহাসে তার অবদান ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. শিক্ষকের সর্বশেষ উক্তিটির আলোকে ইতিহাসের সংজ্ঞাগুলো বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ইতিহাস শব্দের অর্থ এমনই ছিল বা এরূপ ঘটেছিল।
খ ‘ইতিহাস’ শব্দটির উৎপত্তি ‘ইতিহ’ শব্দ থেকে যার অর্থ ‘ঐতিহ্য’। ঐতিহ্য হচ্ছে অতীতের অভ্যাস, শিক্ষা, ভাষা, শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতি যা ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এই ঐতিহ্যকে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয় ইতিহাস। বর্তমানের সকল বিষয়ই অতীতের ক্রমবিবর্তন ও অতীত ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। আর অতীতের ক্রমবিবর্তন ও ঐতিহ্যের বস্তুনিষ্ঠ বিবরণই হলো ইতিহাস।
গ শিক্ষক তার আলোচনায় ইতিহাসের জনক, গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাসের ইঙ্গিত দিয়েছেন। গ্রিক শব্দ ‘হিস্টরিয়া (ঐরংঃড়ৎরধ) থেকে ইংরেজি ‘হিস্ট্রি’ (ঐরংঃড়ৎু) শব্দটির উৎপত্তি, যার বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে ইতিহাস। ‘হিস্টরিয়া’ শব্দটির প্রথম ব্যবহার করেন গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস। শিক্ষক তার বক্তব্যে এ তথ্যটি উল্লেখ করেন। তিনি ‘ইতিহাসের জনক’ হিসেবে খ্যাত। তিনিই সর্বপ্রথম তার গবেষণাকর্মের নামকরণে এ শব্দটি ব্যবহার করেন যার আভিধানিক অর্থ হলো সত্যানুসন্ধান বা গবেষণা। তিনি বিশ্বাস করতেন, ইতিহাস হলো যা সত্যিকার অর্থে ছিল বা সংঘটিত হয়েছিল তা অনুসন্ধান করা ও লেখা। তিনি তার গবেষণায় গ্রিস ও পারস্যের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করেছেন। উদ্দীপকে শিক্ষক এ তথ্যটিরও উল্লেখ করেন। হিস্টরিয়াতে হেরোডোটাসের উল্লিখিত প্রাপ্ত তথ্য, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাসমূহ এবং গ্রিসের বিজয়গাঁথা লিপিবদ্ধ করেছেন। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম এ ঘটনা ভুলে না যায়, এ বিবরণ যাতে তাদের উৎসাহিত করে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। হেরোডোটাসই প্রথম ইতিহাস এবং অনুসন্ধান এ দুটি ধারণাকে সংযুক্ত করেন। ফলে ইতিহাস পরিণত হয় বিজ্ঞানে, পরিপূর্ণভাবে হয়ে ওঠে তথ্য নির্ভর এবং গবেষণার বিষয়ে।
ঘ শিক্ষকের সর্বশেষ উক্তি ছিল, বিভিন্ন ইতিহাসবিদ ইতিহাসকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। ইতিহাস হচ্ছে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্য পৌঁছে দেওয়া। এ প্রেক্ষিতে ই.এইচ.কার-এর সংজ্ঞা হলো যে, ইতিহাস হলো বর্তমান ও অতীতের মধ্যে এক অন্তহীন সংলাপ।
ঐতিহাসিক ড. জনসনও ঘটে যাওয়া ঘটনাকেই ইতিহাস বলেছেন। তার মতে, যা কিছু ঘটে তাই ইতিহাস। যা ঘটে না তা ইতিহাস নয়। ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস বিশ্বাস করতেন, ইতিহাস হলো যা সত্যিকার অর্থে ছিল বা সংঘটিত হয়েছিল তা অনুসন্ধান করা ও লেখা। আবার টয়েনবির মতে, সমাজের জীবনই ইতিহাস। প্রকৃতপক্ষে মানবসমাজের অনন্ত ঘটনাপ্রবাহই হলো ইতিহাস। আবার র্যাপসন বলেছেন, ইতিহাস হলো ঘটনার বৈজ্ঞানিক এবং ধারাবাহিক বর্ণনা। আধুনিক ইতিহাসের জনক জার্মান ঐতিহাসিক লিওপোল্ড ফন র্যাংকে মনে করেন, প্রকৃতপক্ষে যা ঘটেছিল তার অনুসন্ধান ও তার সত্য বিবরণই ইতিহাস। সঠিক ইতিহাস সবসময় সত্যকে নির্ভর করে রচিত। উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয় যে, শিক্ষকের সর্বশেষ উক্তিটি যথার্থ। অর্থাৎ বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিভিন্ন ইতিহাসবিদ ইতিহাসকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
প্রশ্ন- ৪ ইতিহাসের পরিসর
রুমা ও ঝুমা ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করছে। ঝুমা বলছে যে মানুষের চিন্তাভাবনা পরিবর্তনের সাথে সাথে ইতিহাসের পরিবর্তন ঘটছে। যেমন আদিমকালের মানুষের কর্মকাণ্ড খাদ্য সংগ্রহের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে মানুষের কর্মকাণ্ডের পরিধি অনেক বেড়েছে। রুমা বলল যে ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য প্রকৃতি আলোচনা করে এর স্বরূপ সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। [কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. ইতিহাসের জনক কে? ১
খ. ইতিহাসের লিখিত উপাদান বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ঝুমার বক্তব্যের আলোকে ইতিহাসের পরিসর আলোচনা কর। ৩
ঘ. রুমার বক্তব্যের যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস।
খ লিখিত যেসব অতীত উপাদান থেকে ইতিহাস রচনার তথ্য সংগ্রহ করা যায়, তাই ইতিহাসের লিখিত উপাদান। যেমন : সাহিত্য, বৈদেশিক বিবরণ, দলিলপত্র ইত্যাদি। এক্ষেত্রে বিদেশি পর্যটকদের বিবরণ সব সময়ই ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে বিবেচিত। সাহিত্যিক উপাদানের মধ্যে আরও রয়েছে, রূপকথা, কিংবদন্তি, গল্পকাহিনী। তাছাড়া, সরকারি নথি, চিঠিপত্র ইত্যাদি থেকেও নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব।
গ উদ্দীপকে ঝুমা বলে যে, মানুষের চিন্তা-ভাবনা পরিবর্তনের সাথে সাথে ইতিহাসের পরিবর্তন ঘটছে। এ বক্তব্যের মধ্যে ইতিহাসের পরিসর ব্যক্ত হয়েছে। মানুষ কর্তৃক সম্পাদিত সকল বিষয় ইতিহাসের পরিসরের আওতাভুক্ত। মানুষের চিন্তাভাবনা, পরিকল্পনা, কার্যক্রম যত শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত, ইতিহাসের সীমাও ততদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে এ বিস্তৃতির সীমা স্থিতিশীল নয়। মানুষের চিন্তা-ভাবনা, কর্মধারা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের পরিসরও স¤প্রসারিত হচ্ছে। যেমন : প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রথম পর্বের মানুষের কর্মকাণ্ড খাদ্য সংগ্রহের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। উৎপাদন কৌশল তখনও তাদের অজানা ছিল। ফলে সে সময় ইতিহাসের পরিসরও খাদ্য সংগ্রহমূলক কর্মকাণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সময়ের বিবর্তনে, সভ্যতার অগ্রগতির কারণে মানুষের কর্মকাণ্ডের পরিধি বেড়েছে। ঝুমা তার বক্তব্যে এদিকেই ইঙ্গিত করেছে। বর্তমানে ইতিহাস চর্চায়, গবেষণায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসৃত হচ্ছে। ফলে ইতিহাস বিষয়ে শাখা-প্রশাখার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে, বিস্তৃত হচ্ছে ইতিহাসের সীমানাও। উনিশ শতকে শুধু রাজনীতি ইতিহাসের বিষয় হলেও মার্কসবাদ প্রচারের পর অর্থনীতি, সমাজ, শিল্পকলার ইতিহাসও রচিত হতে থাকে। এভাবে একের পর এক বিষয় ইতিহাসভুক্ত হচ্ছে আর স¤প্রসারিত হচ্ছে ইতিহাসের পরিসর।
ঘ রুমার বক্তব্য হলো ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য প্রকৃতি আলোচনা করে এর স্বরূপ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় কথাটি যথার্থ। ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য প্রকৃতি আলোচনা করলে আমরা পাই ইতিহাস অতীতমুখী। অতীতের ঘটনাপ্রবাহই এ বিষয়ের বিচরণক্ষেত্র। সত্যনিষ্ঠ তথ্যের সাহায্যে অতীতকে পুনর্গঠন করাই ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য। ইতিহাসের বিষয়বস্তু মানুষ, তার সমাজ-সভ্যতা। মানবসমাজ ও সভ্যতার ক্রম অগ্রগতির ধারাবাহিক তথ্য নির্ভর বিবরণই হচ্ছে ইতিহাসের আলোচ্য বিষয়। ইতিহাসে আবেগ ও অতি কথনের কোনো ঠাঁই নেই। ঘটে যাওয়া ঘটনার সঠিক বিবরণ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাই ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য। ইতিহাস থেমে থাকে না, নিরন্তর প্রবহমান। যে কারণে কাল বিভাজনে কোনো সাল-তারিখ ব্যবহার করা কঠিন। আবার পরিবর্তনের ধারা সব দেশে এক সঙ্গে ঘটেনি। বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতা ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য। তবে প্রতিটি মানুষের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন ভিন্ন। যে কারণে একই ইতিহাসের বর্ণনা ব্যাখ্যা এক এক ঐতিহাসিক বিভিন্নভাবে দিয়ে থাকেন। ঘটনার নিরপেক্ষ বর্ণনা উপস্থাপন না হলে সেটা সঠিক ইতিহাস হয় না। সুতরাং এ আলোচনায় ইতিহাসের এ স্বরূপ ধরা পড়ে যে, ইতিহাস অন্যান্য বিষয় থেকে আলাদা। জ্ঞান অর্জনের অন্যান্য শাখা থেকে এর রচনা ও উপস্থাপনা পদ্ধতিও স্বতন্ত্র।
প্রশ্ন- ৫ ইতিহাসের উপাদান
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অমিত অতীতের ঘটনাবলি নিয়ে লিখিত বইপত্র পড়তে ভালোবাসে। তিনি আফ্রিকার বিভিন্ন বিষয়াবলি সম্পর্কিত তথ্যাদি নিয়ে লেখা একটি বই গত রাতে পড়তে শুরু করেছেন। বইটি পড়ে তিনি ঐ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কিত আরেকটি বই কেনার উৎসাহ পেয়েছেন। [মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. মুদ্রা ইতিহাসের কী ধরনের উপাদান? ১
খ. ইতিহাসের উপাদান বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে অমিত ইতিহাসের যে ধরনের উপাদানের বর্ণনা পেয়েছেন তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ. ‘অমিত যে ধরনের বই পড়েছে তার রয়েছে বিভিন্ন প্রকৃতি’ বিশ্লেষণ কর। ৪
ক মুদ্রা ইতিহাসের অলিখিত উপাদান।
খ যেসব তথ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ঐতিহাসিক সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব, তাকেই ইতিহাসের উপাদান বলা হয়। সঠিক ইতিহাস লিখতে ঐতিহাসিক উপাদানের গুরুত্ব অপরিসীম। ইতিহাসের উপাদানকে আবার দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : লিখিত উপাদান ও অলিখিত উপাদান।
গ উদ্দীপকে অমিত ইতিহাসের লিখিত উপাদানের বর্ণনা পেয়েছেন। যেসব তথ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে ঐতিহাসিক সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব তাকেই ইতিহাসের উপাদান বলা হয়। সঠিক ইতিহাস লিখতে ঐতিহাসিক উপাদানের গুরুত্ব অপরিসীম। ইতিহাসের উপাদানের মধ্যে লিখিত উপাদান একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ইতিহাস রচনার লিখিত উপাদানের মধ্যে রয়েছে সাহিত্য, বৈদেশিক বিবরণ, দলিলপত্র ইত্যাদি। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সাহিত্যকর্মেও তৎকালীন সময়ের কিছু তথ্য পাওয়া যায়। অমিত আফ্রিকার বিভিন্ন বিষয়াবলি সম্পর্কিত তথ্যাদি নিয়ে লেখা বই পড়ছিলেন। অতঃপর তিনি ঐ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কিত আরেকটি বই কেনার উৎসাহ পেয়েছেন। অর্থাৎ তিনি লিখিত উপাদানের বর্ণনা পেয়েছেন যা থেকে ইতিহাস জানা যায়।
ঘ অমিত অতীতের ঘটনাবলি নিয়ে লিখিত বইপত্র পড়তে ভালোবাসেন। এ থেকেই তিনি আফ্রিকার বিভিন্ন বিষয়াবলি সম্পর্কিত তথ্যাদি নিয়ে লেখা বই পড়েছেন। সুতরাং তিনি ইতিহাসের বই পড়েছেন। আর এ ধরনের বই তথা ইতিহাসের রয়েছে বিভিন্ন প্রকৃতি। ইতিহাস অতীতমুখী। অতীতের ঘটনাপ্রবাহই এ বিষয়ের বিচরণক্ষেত্র। সত্যনিষ্ঠ তথ্যের সাহায্যে অতীতকে পুনর্গঠন করাই ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য। ইতিহাসের বিষয়বস্তু মানুষ, তার সমাজ-সভ্যতা। মানবসমাজ ও সভ্যতার ক্রম অগ্রগতির ধারাবাহিক তথ্য নির্ভর বিবরণই হচ্ছে ইতিহাসের আলোচ্য বিষয়। ইতিহাসে আবেগ ও অতি কথনের কোনো ঠাঁই নেই এবং ইতিহাস থেমে থাকে না, নিরন্তর প্রবহমান। যে কারণে কাল বিভাজনে কোনো সাল-তারিখ ব্যবহার করা কঠিন। আবার পরিবর্তনের ধারা সব দেশে এক সঙ্গে ঘটেনি। তাছাড়া বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতা ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য। ঘটনার নিরপেক্ষ বর্ণনা উপস্থাপন না হলে সেটা সঠিক ইতিহাস হয় না। সর্বশেষ বলা যায়, অমিত বুঝতে পারবে যে তার পড়া বই তথা ইতিহাস অন্যান্য বিষয় থেকে আলাদা। জ্ঞান অর্জনের অন্যান্য শাখা থেকে এর রচনা ও উপস্থাপনা পদ্ধতিও স্বতন্ত্র।
মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৬ প্রতœতাত্তি¡ক ও অলিখিত উপাদান
আনিকা জাদুঘরে গিয়ে প্রাচীন কিছু তাম্রমুদ্রা, রাজা-বাদশাহদের ব্যবহৃত কিছু আসবাবপত্র, পুরানো অলংকার, ঢাল-তলোয়ার ও ১০০ বছরের পুরানো একটি খাট দেখতে পায়। জিনিসপত্র যতটা তাকে আনন্দ দিয়েছে তার চেয়ে বেশি অতীত সম্পর্কে জানার আগ্রহী করে তুলেছে।
ক. আধুনিক ইতিহাসের জনক কে? ১
খ. ইতিহাসের বিষয়বস্তু উল্লেখ কর। ২
গ. আনিকা ইতিহাসের যে ধরনের উপাদান প্রত্যক্ষ করেছে তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর আনিকার দেখা জিনিসগুলোর পরিসর দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক আধুনিক ইতিহাসের জনক জার্মান ঐতিহাসিক লিওপোল্ড ফন র্যাংকে।
খ মানুষ, তার সমাজ ও সভ্যতার ধারাবাহিক পরিবর্তনের প্রমাণ ও লিখিত দলিল হলো ইতিহাস। ঐতিহাসিক ভিকো বলেছেন, মানবসমাজ ও মানবীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের উৎপত্তি ও বিকাশই হচ্ছে ইতিহাসের বিষয়বস্তু। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, দর্শন, স্থাপত্য, রাজনীতি, যুদ্ধ, ধর্ম, আইন সামগ্রিকভাবে যা কিছু সমাজ সভ্যতা বিকাশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করেছে তাই ইতিহাসের বিষয়বস্তু।
গ উদ্দীপকে আনিকা ইতিহাসের অলিখিত বা প্রতœতাত্তি¡ক উপাদান প্রত্যক্ষ করেছে। মূলত যেসব বস্তু বা উপাদান থেকে আমরা বিশেষ সময়, স্থান বা ব্যক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহাসিক তথ্য পাই সে বস্তু বা উপাদানই প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন। এ নিদর্শনসমূহ মূলত অলিখিত উপাদানভুক্ত। যেমন : মুদ্রা, শিলালিপি, স্তম্ভলিপি, তাম্রলিপি, ইমারত ইত্যাদি। এসব প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে সে সময়ের অধিবাসীদের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়া ধারণা করা সম্ভব প্রাচীন অধিবাসীদের সভ্যতা, ধর্ম, জীবনযাত্রা, নগরায়ন, নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র, ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থান, কৃষি উপকরণ ইত্যাদি সম্পর্কে। উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করা যায় সিন্ধু সভ্যতা, বাংলাদেশের মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, ময়নামতি, উয়ারী-বটেশ্বর ইত্যাদি স্থানের প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শনের কথা। এসব প্রতœতাত্তি¡ক উপাদান ইতিহাসের গঠনকে সহজতর করেছে।
ঘ আনিকার দেখা জিনিসগুলোর পরিসর দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে আমি মনে করি। অনিকার দেখা জিনিসগুলো মূলত ইতিহাসের অলিখিত উপাদান, এসব উপাদানের পরিসর বৃদ্ধি অর্থে ইতিহাসের পরিসর বৃদ্ধি নির্দেশিত হয়েছে। মানুষ কর্তৃক সম্পাদিত সকল বিষয় ইতিহাসের পরিসরের আওতাভুক্ত। মানুষের চিন্তা-ভাবনা, পরিকল্পনা, কার্যক্রম যত শাখা-প্রশাখায় বিস্তৃত ইতিহাসের সীমাও ততদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে এ বিস্তৃতির সীমা স্থিতিশীল নয়। মানুষের চিন্তা-ভাবনা, কর্মধারা, পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের পরিসরও স¤প্রসারিত হচ্ছে। যেমন : প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রথম পর্বের মানুষের কর্মকাণ্ড খাদ্য সংগ্রহের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। উৎপাদন কৌশল তখনও তাদের অজানা ছিল। ফলে সে সময় ইতিহাসের পরিসরও খাদ্য সংগ্রহমূলক কর্মকাণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সময়ের বিবর্তনে, সভ্যতার অগ্রগতির কারণে মানুষের কর্মকাণ্ডের পরিধি বেড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস চর্চায়, গবেষণায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসৃত হচ্ছে। ফলে ইতিহাস বিষয়ে শাখা-প্রশাখার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিস্তৃত হচ্ছে ইতিহাসের সীমানাও। উনিশ শতকে শুধু রাজনীতি ইতিহাসের বিষয় হলেও মার্কসবাদ প্রচারের পর অর্থনীতি, সমাজ, শিল্পকলার ইতিহাসও রচিত হতে থাকে। এভাবে একের পর এক বিষয় ইতিহাসভুক্ত হচ্ছে আর স¤প্রসারিত হচ্ছে ইতিহাসের পরিসর।
প্রশ্ন- ৭ ইতিহাসের শ্রেণিবিভাগ ও পরিসর
প্রেক্ষাপট-১ : পঠন-পাঠন, আলোচনা ও গবেষণা কর্মের সুবিধার জন্য ইতিহাসকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রেক্ষাপট-২ : মানুষ কর্তৃক সম্পাদিত সকল বিষয় ইতিহাসের পরিসরের আওতাভুক্ত।
ক. সাহিত্য ইতিহাস রচনার কীরূপ উপাদান? ১
খ. ইতিহাস পাঠ করলে জ্ঞান ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি পায়-বর্ণনা কর। ২
গ. প্রেক্ষাপট ১নং এর বক্তব্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. প্রেক্ষাপট ২নং এর সাথে তুমি কি একমত? বিশ্লেষণ কর। ৪
ক সাহিত্য ইতিহাস রচনার লিখিত উপাদান।
খ ইতিহাস পাঠ করলে জ্ঞান ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি পায়। অতীতের সত্যনিষ্ঠ বর্ণনা মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর এ বিবরণ যদি হয় নিজ দেশ, জাতির সফল সংগ্রাম, গৌরবময় ঐতিহ্যের তাহলে তা মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। একই সঙ্গে আত্মপ্রত্যয়ী, আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে জাতীয়তাবোধ, জাতীয় সংহতি সুদৃঢ়করণে ইতিহাস পাঠের বিকল্প নেই।
গ প্রেক্ষাপট ১নং-এ ইতিহাসের প্রকারভেদ সম্পর্কে বলা হয়েছে। পঠন-পাঠন, আলোচনা ও গবেষণা কর্মের সুবিধার জন্য ইতিহাসকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : ভৌগোলিক অবস্থানগত ইতিহাস : যে বিষয়টি ইতিহাসে স্থান পেয়েছে তা কোন প্রেক্ষাপটে রচিতÑ স্থানীয়, জাতীয় না আন্তর্জাতিক। এভাবে ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে শুধু বোঝার সুবিধার্থে ইতিহাসকে আবারও তিনভাগে ভাগ করা যায়, যথা : স্থানীয় বা আঞ্চলিক ইতিহাস, জাতীয় ইতিহাস ও আন্তর্জাতিক ইতিহাস। বিষয়বস্তুগত ইতিহাস : কোনো বিশেষ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে যে ইতিহাস রচিত হয় তাকে বিষয়বস্তুগত ইতিহাস বলা হয়। ইতিহাসের বিষয়বস্তুর পরিসর ব্যাপক। তবে সাধারণভাবে একে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়, যথা : রাজনৈতিক ইতিহাস, সামাজিক ইতিহাস, অর্থনৈতিক ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ইতিহাস, ক‚টনৈতিক ও সা¤প্রতিক ইতিহাস।
ঘ প্রেক্ষাপট ২নং এর সাথে আমি একমত। মানুষ কর্তৃক সম্পাদিত সকল বিষয় ইতিহাসের পরিসরের আওতাভুক্ত। মানুষের চিন্তা-ভাবনা, পরিকল্পনা, কার্যক্রম যত শাখা-প্রশাখায় বিস্তৃত, ইতিহাসের সীমাও ততদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে এ বিস্তৃতির সীমা স্থিতিশীল নয়। মানুষের চিন্তা-ভাবনা, কর্মধারা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের পরিসরও স¤প্রসারিত হচ্ছে। যেমন : প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রথম পর্বের মানুষের কর্মকাণ্ড খাদ্য সংগ্রহের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। উৎপাদন কৌশল তখনও তাদের অজানা ছিল। ফলে সে সময় ইতিহাসের পরিসরও খাদ্য সংগ্রহমূলক কর্মকাণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সময়ের বিবর্তনে, সভ্যতার অগ্রগতির কারণে মানুষের কর্মকাণ্ডের পরিধি বেড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস চর্চায়-গবেষণায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিও অনুসৃত হচ্ছে। ফলে ইতিহাস বিষয়ে শাখা-প্রশাখার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে, বিস্তৃত হচ্ছে ইতিহাসের সীমানাও। উনিশ শতকে শুধু রাজনীতি ইতিহাসের বিষয় হলেও মার্কসবাদ প্রচারের পর অর্থনীতি, সমাজ, শিল্পকলার ইতিহাসও রচিত হতে থাকে। এভাবে একের পর এক বিষয় ইতিহাসভুক্ত হচ্ছে আর স¤প্রসারিত হচ্ছে ইতিহাসের পরিসর। সুতরাং আমি উদ্দীপকে বর্ণিত তথ্যের সাথে একমত।
প্রশ্ন- ৮ ইতিহাসের সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু
নাদিরা আহসান ইতিহাস বিভাগের একজন এমফিল গবেষক। ‘তরাইনের যুদ্ধ’ নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করেন। নাদিরার গবেষণার পদ্ধতি ঐতিহাসিক ফন র্যাংকের প্রদত্ত তথ্যের প্রতিফলন যে, প্রকৃতপক্ষে যা ঘটেছিল তার অনুসন্ধান ও সত্য বিবরণই হলো ইতিহাস।
ক. ঐরংঃড়ৎরধ শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে? ১
খ. ইতিহাসের পরিসর সুদূর অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিস্তৃত ব্যাখ্যা কর। ২
গ. নাদিরার গবেষণার ক্ষেত্রে ইতিহাসের বিষয়বস্তু কীভাবে ধরা পড়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘নাদিরার গবেষণা পদ্ধতির বাইরেও ইতিহাসকে সংজ্ঞায়িত করা যায়’- বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ঐরংঃড়ৎরধ শব্দটি গ্রিক শব্দ থেকে এসেছে।
খ বর্তমানের সকল বিষয়ই অতীতের ক্রমবিবর্তন ও অতীত ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। আর অতীতের ক্রমবিবর্তন ও ঐতিহ্যের বস্তুনিষ্ঠ বিবরণই হলো ইতিহাস। তবে এখন বর্তমান সময়েরও ইতিহাস লেখা হয়, যাকে বলে সা¤প্রতিক ইতিহাস। সুতরাং এখন ইতিহাসের পরিসর সুদূর অতীত থেকে বিরাজমান বর্তমান পর্যন্ত বিস্তৃত।
গ নাদিরার গবেষণায় ইতিহাসের বিষয়বস্তু হিসেবে তরাইনের যুদ্ধের বিবরণ ধরা পড়েছে। মানুষ এবং তার সমাজ ও সভ্যতার ধারাবাহিক পরিবর্তনের প্রমাণ ও লিখিত দলিল হলো ইতিহাস। ইতিহাসের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আধুনিক ঐতিহাসিকদের মধ্যে ভিকো (ঠরপড়) মনে করেন যে, মানবসমাজ ও মানবীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের উৎপত্তি ও বিকাশই হচ্ছে ইতিহাসের বিষয়বস্তু। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, মানুষের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন যা মানবসমাজ-সভ্যতার উন্নতি ও অগ্রগতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে তা সবই ইতিহাসভুক্ত বিষয়। যেমন : শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতি, দর্শন, স্থাপত্য, রাজনীতি, যুদ্ধ, ধর্ম, আইন প্রভৃতি বিষয় সামগ্রিকভাবে যা কিছু সমাজ-সভ্যতা বিকাশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করেছে তাই ইতিহাসের বিষয়বস্তু। তরাইনের যুদ্ধও অনুরূপ ভারতবর্ষের ইতিহাসে যুগান্তকারী অবদান রাখে, যা ছিল নাদিরার গবেষণার বিষয়বস্তু তথা ইতিহাসের বিষয়বস্তু।
ঘ ‘তরাইনের যুদ্ধ’ নিয়ে নাদিরার গবেষণা ফন র্যাংকের প্রদত্ত সংজ্ঞার প্রতিফলন। অর্থাৎ সে তার গবেষণায় প্রকৃতপক্ষে যা ঘটেছিল তার অনুসন্ধান করেন ও সত্য বিবরণ দেন। এর বাইরেও ইতিহাস সংজ্ঞায়িত করা যায়। গবেষণার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদ্ধতি যেমন প্রাপ্ত তথ্যের বর্ণনা প্রদান, বিশ্লেষণ, সমালোচনা প্রভৃতির মাধ্যমে একটি তথ্যকে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে উপস্থাপন ও প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর পদ্ধতিগত ভিন্নতার কারণে সংজ্ঞারও রকমফের হয়। তেমনি আধুনিক ঐতিহাসিক ও গবেষক লিওপোল্ড ফন র্যাংকে ইতিহাসের সংজ্ঞায় বলেন, “প্রকৃতপক্ষে যা ঘটেছিল তার অনুসন্ধান ও বিবরণই ইতিহাস।” তার সংজ্ঞার আলোকে ইতিহাস মানে নগ্নসত্য। ইতিহাসের বিষয়বস্তু হলো মানবসভ্যতার বিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিক ও সত্যনিষ্ঠ বিবরণ। আবার র্যাপসন বলেন, “ঘটনার বৈজ্ঞানিক এবং ধারাবাহিক বর্ণনাই ইতিহাস।” ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, “ইতিহাস হলো মানবসমাজের অতীত কার্যাবলির বিবরণী।” এসব সংজ্ঞা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, ইতিহাস হলো মানবসমাজের অতীত কার্যাবলির বিজ্ঞানসম্মত অনুসন্ধানের পর গৃহীত বিবরণী। র্যাপসনের সংজ্ঞার আলোকেও ইতিহাসকে ধারাবাহিক ও বৈজ্ঞানিক বর্ণনা বলা হয়েছে। ড. জনসন ঘটে যাওয়া ঘটনাকে ইতিহাস বলেছেন। ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস বিশ্বাস করেন যে, সত্যিকার অর্থে যা ছিল বা সংঘটিত হয়েছিল তা অনুসন্ধান করা ও লেখা হলো ইতিহাস। নাদিরার গবেষণায় প্রতিফলিত ও ফন র্যাংকের সংজ্ঞা ছাড়াও এভাবে ইতিহাসকে সংজ্ঞায়িত করা যায়।
প্রশ্ন- ৯ ইতিহাসের উপাদান
বর্তমান ক্রীড়াজগতের সবচেয়ে আলোচিত একটি নাম লিওনেল মেসি। ১৯৮৭ সালে রোজারিও গ্যারিবল্ডি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মেসি। মেসি যখন বার্সেলোনা আর আর্জেন্টিনার হয়ে একের পর এক হ্যাটট্রিক করে ফুটবল বিশ্বকে মাতিয়ে রেখেছেন তখন গ্যারিবল্ডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়েছে মেসি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করার। মেসির যাবতীয় জীবনের কৃতকর্মগুলো খোদাই করে রাখবে স্মৃতিস্তম্ভে। ফুটবলের এই জীবন্ত কিংবদন্তি হাজার বছর ধরে ইতিহাস হয়ে থাকবেন।
ক. মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল কত সালে? ১
খ. ইতিহাস বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকের আলোচিত মেসি স্মৃতিস্তম্ভটি ইতিহাসের কোন ধরনের উপাদানের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর ইতিহাসের এ ধরনের উপাদান ছাড়া আরো উপাদান আছে? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ১৯৭১ সালে।
খ অতীতের ক্রমবিবর্তন ও ঐতিহ্যের বস্তুনিষ্ঠ বিবরণই হলো ইতিহাস। ইতিহাস হচ্ছে মানব কর্মকাণ্ড, সমাজ ও পারিপার্শ্বিকতা সম্পৃক্ত সত্যানুসন্ধান। ঐতিহাসিক ড. জনসন ঘটে যাওয়া ঘটনাকেই ইতিহাস বলেছেন। ফলে মানবসমাজে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি যার আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও তাত্তি¡ক গুরুত্ব রয়েছে এবং যা বস্তুনিষ্ঠ সেসব বর্ণনাই ইতিহাস।
গ উদ্দীপকে আলোচিত লিওনেল মেসি স্মৃতিস্তম্ভটি ইতিহাসের অলিখিত বা প্রতœতাত্তি¡ক উপাদানের অন্তর্ভুক্ত। ইতিহাসের অলিখিত বা প্রতœতাত্তি¡ক উপাদান হলো ঐসব বস্তু যা থেকে আমরা কোনো বিশেষ সময়, স্থান বা ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে পারি। এসব প্রতœতাত্তি¡ক উপাদানগুলো হলো শিলালিপি, স্তম্ভলিপি, মুদ্রা, সৌধ, স্মৃতিস্তম্ভ, ইমারত, মানুষের ব্যবহার্য তৈজসপত্র, চিত্রকলা ইত্যাদি। এসব উপাদানের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন রাজবংশের ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের পরিচয় পাই। উদ্দীপকে আমরা দেখি যে, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত লিওনেল মেসির কথা বলা হয়েছে। তিনি ১৯৮৭ সালে রোজারিও গ্যারিবল্ডি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার অনুসরণে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা ইতিহাসের অলিখিত উপাদানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ঘ উদ্দীপকে ইতিহাসের অলিখিত উপাদানের কথা বলা হয়েছে। আমি মনে করি, অলিখিত উপাদান ছাড়া ইতিহাসের আরো এক ধরনের উপাদান আছে যা ইতিহাসের লিখিত উপাদান হিসেবে পরিচিত। নিচে এ বিষয়ে যুক্তি প্রদর্শন করা হলো : ইতিহাস রচনার লিখিত উপাদানের মধ্যে রয়েছে সাহিত্য, বৈদেশিক বিবরণ, দলিলপত্র ইত্যাদি। আর সাহিত্যের মধ্যে রয়েছে রূপকথা, গল্পকাহিনী, কিংবদন্তি প্রভৃতি। এগুলো মানুষের অতীত জীবনের চিত্র তুলে ধরে। এসব সাহিত্য কর্মগুলোর মধ্যে বেদ, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র, কলহনের রাজতরঙ্গিনী, মিনহাজ-উস-সিরাজের ‘তবকাত-ই-নাসিরী ইত্যাদি। এছাড়াও বৈদেশিক বিবরণীর মধ্যে চৈনিক পরিব্রাজক ফা-হিয়েন, হিউয়েন সাং ও ইৎসিং-এর বর্ণনা অন্যতম। এসব বর্ণনা থেকে তৎকালীন সমাজ, অর্থনীতি, রাজনৈতিক, ধর্ম, আচার-অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানা যায়। তাছাড়াও দলিলপত্র, সরকারি নথি, চিঠিপত্র ইত্যাদি থেকেও ইতিহাসের নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়। উদ্দীপকে আলোচিত লিওনেল মেসি অনুসরণে নির্মিত এই স্মৃতিস্তম্ভটি ইতিহাসের অলিখিত উপাদান। এ ছাড়াও ইতিহাসের লিখিত উপাদানও বিদ্যমান।
প্রশ্ন- ১০ ইতিহাসের প্রাচীন উপাদানসমূহ
ইতিহাস বিষয়ক পত্রিকা ‘ঢ’ এর ৩২তম সংখ্যার একটি লেখার অংশবিশেষ হলো নিম্নরূপ : একটা দেশ ও জাতির ইতিহাস জানতে হলে ঐতিহাসিক উপাদানসমূহ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। কিন্তু সার্বিক ব্যবস্থাপনার অভাবে বর্তমানে অনেক ঐতিহাসিক উপাদান হারিয়ে যাচ্ছে। সেজন্য অনেক ক্ষেত্রে সার্বিক ইতিহাস রচিত হচ্ছে না। আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণও তাই দুরূহ হয়ে পড়ছে।
ক. ইতিহাস কী? ১
খ. ইতিহাসের লিখিত উপাদান হিসেবে ‘জীবনী’র গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ২
গ. সঠিক ইতিহাস রচনায় ‘ঢ’ পত্রিকায় উল্লেখকৃত উপাদানসমূহ ব্যবহারের ক্ষেত্র ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণে ‘ঢ’ পত্রিকার বক্তব্য বিশ্লেষণ কর। ৪
ক মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারাবাহিক বিবরণকে ইতিহাস বলে।
খ ইতিহাসের লিখিত উপাদানের মধ্যে সাহিত্য, নথিপত্র, জীবনী, দলিলপত্র, চিঠিপত্র ইত্যাদি উলেখযোগ্য। এর মধ্যে ‘জীবনী’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। জীবনী ইতিহাসের একটি উলেখযোগ্য লিখিত উপাদান। এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তি ও তাদের সমসাময়িক ঘটনাবলি সম্পর্কে আমরা জ্ঞান লাভ করতে পারি। যেমন : আইন-ই-আকবরী, বাবরনামা প্রভৃতি জীবনীগ্রন্থ দ্বারা আমরা মুঘল যুগের ইতিহাস জানতে পারি।
গ ‘ঢ’ পত্রিকায় উল্লেখকৃত প্রাচীন ঐতিহাসিক উপাদানসমূহ সঠিক ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে মূল উপাদান হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন প্রাচীন ঐতিহাসিক উপাদানসমূহের মধ্যে সাহিত্য, নথিপত্র, জীবনী, দলিলপত্র, চিঠিপত্র, মূর্তি, স্মৃতিস্তম্ভ, মুদ্রা, লিপি, ইমারত প্রভৃতি উলেখযোগ্য। লিখিত উপাদানসমূহ তথা সাহিত্য, নথিপত্র, জীবনী, দলিলপত্র, চিঠিপত্র প্রভৃতি ইতিহাস রচনায় নির্ভরযোগ্য উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এসব উপাদানসমূহের মাধ্যমে সমসাময়িক ঘটনাবলি, শাসক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জীবনী সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায়। এছাড়া সরকারি নথিপত্র ও দলিলপত্র বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্যে সমৃদ্ধ থাকে। এসব তথ্য ইতিহাস রচনার প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে। একইভাবে মুদ্রা, মূর্তি, লিপি, ইমারত প্রভৃতি প্রতœতাত্তি¡ক উপাদানসমূহ সমকালীন ঘটনাপ্রবাহের সাক্ষ্য বহন করে। বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে অবশ্যই নির্ভরযোগ্য উপাদানের ওপর নির্ভর করতে হয়। কেননা নির্ভরযোগ্য উপাদান ব্যতীত ইতিহাস রচনা সম্ভব নয়।
ঘ সঠিক ইতিহাস রচনার সংকট থেকে ‘ঢ’ পত্রিকায় এই বক্তব্য উঠে এসেছে যে, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণও দুরূহ হয়ে পড়ছে।’ বস্তুত ইতিহাস অতীত সম্পর্কে জ্ঞান দান করে। মানবসভ্যতার জন্মলগ্ন থেকে সাম্প্রতিককাল পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সকল ঘটনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে ইতিহাসে। ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে আমরা মানবসভ্যতার শুরু থেকে যাবতীয় কর্মকাণ্ড, চিন্তা-ভাবনা ও জীবনযাত্রার অগ্রগতি সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করতে পারি। মানবসভ্যতার প্রধান প্রধান স্তর এবং সভ্যতার সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনের কথা জানতে ইতিহাস অধ্যয়ন আবশ্যক। ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে অতীত বাস্তবতার আলোকে বর্তমানকে বিচার করতে পারি এবং সাথে সাথে উন্নয়নের ধারা ও মান সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারি। ইতিহাস আমাদের অতীত সমাজ ও জীবনধারা সম্পর্কে জ্ঞান দান করে এবং সাথে সাথে সার্বিক শিক্ষা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করে। ইতিহাসের আলোকে আমরা বর্তমানকে বিচার করতে পারি এবং এরই প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে পারি। ইতিহাস সবচেয়ে কঠিন ও ফলপ্রসূ শিক্ষক। তাই ইতিহাস থেকে আমরা অতীত সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করে ভবিষ্যতের সঠিক কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে পারি। তাই ঐতিহাসিক উপাদানের সংরক্ষণ জরুরি আর তা সঠিক ইতিহাস রচনার পূর্বশর্ত। এভাবেই তা আমাদের ভবিষ্যতের পথ দেখাবে।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ ‘ইতিহাস’ শব্দটির উৎপত্তি কোন শব্দ থেকে?
উত্তর : ‘ইতিহাস’ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ‘ইতিহ’ শব্দ থেকে যার অর্থ হচ্ছে ঐতিহ্য।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘ইতিহাস’ শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ কী হবে?
উত্তর : ‘ইতিহাস’ শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ করলে দাঁড়ায় ইতিহ + আস। যার অর্থ এমনই ছিল।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘ঘটে যাওয়া ঘটনাকেই ইতিহাস বলে’ উক্তিটি কার?
উত্তর : ঘটে যাওয়া ঘটনাকেই ইতিহাস বলে উক্তিটি হচ্ছে ঐতিহাসিক ড. জনসনের।
প্রশ্ন \ ৪ \ আধুনিক ইতিহাসের জনক কে?
উত্তর : আধুনিক ইতিহাসের জনক জার্মান ঐতিহাসিক লিওপোল্ড ফন র্যাংকে।
প্রশ্ন \ ৫ \ ইতিহাস কত প্রকার?
উত্তর : ইতিহাস দুই প্রকার।
প্রশ্ন \ ৬ \ ভৌগোলিক অবস্থানগত ইতিহাস কত প্রকার?
উত্তর : ভৌগোলিক অবস্থানগত ইতিহাস তিন প্রকার।
প্রশ্ন \ ৭ \ বিষয়বস্তুগত ইতিহাস কত প্রকার?
উত্তর : বিষয়বস্তুগত ইতিহাস পাঁচ প্রকার।
প্রশ্ন \ ৮ \ ইবনে বতুতা কোন দেশের পরিব্রাজক ছিলেন?
উত্তর : ইবনে বতুতা আফ্রিকার দেশ মরক্কোর পরিব্রাজক ছিলেন।
প্রশ্ন \ ৯ \ বেদ কী?
উত্তর : বেদ ইতিহাসের একটি লিখিত গ্রন্থ।
প্রশ্ন \ ১০ \ ‘সমাজের জীবনই ইতিহাস’ উক্তিটি কার?
উত্তর : ‘সমাজের জীবনই ইতিহাস’ উক্তিটি হচ্ছে টয়েনবির।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ ‘ইতিহাস মানুষের জ্ঞান ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করে’ আলোচনা কর।
উত্তর : অতীতের সত্যনিষ্ঠ বর্ণনা মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর এ বিবরণ যদি হয় নিজ দেশ, জাতির সফল সংগ্রাম, গৌরবময় ঐতিহ্যের তাহলে তা মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। একই সঙ্গে আত্মপ্রত্যয়ী, আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে জাতীয়তাবোধ, জাতীয় সংহতি সুদৃঢ়করণে ইতিহাস পাঠের বিকল্প নেই।
প্রশ্ন \ ২ \ ইতিহাসের লিখিত উপাদান গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর : ইতিহাসের লিখিত উপাদানের মধ্যে সাহিত্য, নথিপত্র, জীবনী, দলিলপত্র, চিঠিপত্র প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত। এসব উপাদানের মাধ্যমে মানুষ ও অতীত সমাজের ইতিহাস জানা সম্ভব। প্রতœতাত্তি¡ক উপাদান মানবজীবনের অতীত সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দিতে পারে না। অতীত ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরতে লিখিত উপাদানের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই ইতিহাস রচনায় লিখিত উপাদান এত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন \ ৩ \ ইতিহাস বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : ইতিহাস বলতে মানবসভ্যতার বিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণকে বোঝায়। ইতিহাস হচ্ছে অতীতের ঘটে যাওয়া ঘটনাবলির অনুসন্ধান ও বিবরণ। প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল কেবল তাই নয়, এর সাথে কী ঘটেনি এ দুয়ে মিলেই হয় ইতিহাস।
প্রশ্ন \ ৪ \ ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা লেখ।
উত্তর : মানবসমাজের সভ্যতার বিবর্তনের সত্যনির্ভর বিবরণ হচ্ছে ইতিহাস। যে কারণে জ্ঞানচর্চার শাখা হিসেবে ইতিহাসের গুরুত্ব অসীম। ইতিহাস পাঠ মানুষকে অতীতের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অবস্থা বুঝতে, ভবিষ্যৎ অনুধাবন করতে সাহায্য করে। ইতিহাস পাঠের ফলে মানুষের পক্ষে নিজ ও নিজ দেশ সম্পর্কে মঙ্গল-অমঙ্গলের পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব। সুতরাং, দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং ব্যক্তি প্রয়োজনে ইতিহাস পাঠ অত্যন্ত জরুরি।
প্রশ্ন \ ৫ \ ইতিহাসের তিনটি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা কর।
উত্তর : ইতিহাসের তিনটি বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলো :
১. ইতিহাস অতীতমুখী। অতীতের ঘটনাপ্রবাহই এ বিষয়ের বিচরণক্ষেত্র। সত্যনিষ্ঠ তথ্যের সাহায্যে অতীতকে পুনর্গঠন করাই ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য।
২. ইতিহাস থেমে থাকে না, নিরন্তর প্রবহমান। যে কারণে কাল বিভাজনে কোনো সাল-তারিখ ব্যবহার করা কঠিন। আবার পরিবর্তনের ধারা সব দেশে এক সঙ্গে ঘটেনি।
৩. বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতা ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য। তবে প্রতিটি মানুষের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন ভিন্ন। যে কারণে একই ইতিহাসের বর্ণনা ব্যাখ্যা এক এক ঐতিহাসিক এক এক রকমভাবে দিয়ে থাকেন। ঘটনার নিরপেক্ষ বর্ণনা উপস্থাপনা না হলে সেটা সঠিক ইতিহাস হয় না।
প্রশ্ন \ ৬ \ ইতিহাসের বিষয়বস্তুগত দিক বর্ণনা কর।
উত্তর : কোনো বিশেষ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে যে ইতিহাস রচিত হয় তাকে বিষয়বস্তুগত ইতিহাস বলা হয়। ইতিহাসের বিষয়বস্তুর পরিসর ব্যাপক। তবু সাধারণভাবে একে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়, যথা : রাজনৈতিক ইতিহাস, সামাজিক ইতিহাস, অর্থনৈতিক ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ইতিহাস, ক‚টনৈতিক ও সা¤প্রতিক ইতিহাস।
প্রশ্ন \ ৭ \ ইতিহাস সম্পর্কে লিওপোল্ড ফন র্যাংকে কী বলেছেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আধুনিক ইতিহাসের জনক জার্মান ঐতিহাসিক লিওপোল্ড ফন র্যাংকে মনে করেন, প্রকৃতপক্ষে যা ঘটেছিল তার অনুসন্ধান ও তার সত্য বিবরণই ইতিহাস। তাঁর মতে- ইতিহাস মানেই হলো নগ্নসত্য। সুতরাং বলা যায়, ইতিহাস হচ্ছে মানবসভ্যতার বিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিক ও সত্যনিষ্ঠ বিবরণ। সুতরাং, সঠিক ইতিহাস সবসময় সত্যকে নির্ভর করে রচিত।
প্রশ্ন \ ৮ \ ইতিহাসের সাথে হেরোডোটাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : হিস্টরিয়া শব্দটির প্রথম ব্যবহার করেন গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস। তিনিই সর্বপ্রথম তার গবেষণাকর্মের নামকরণে এ শব্দটি ব্যবহার করেন যার আভিধানিক অর্থ হলো সত্যানুসন্ধান বা গবেষণা। হেরোডোটাসই প্রথম ইতিহাস এবং অনুসন্ধান এ দুটি ধারণাকে সংযুক্ত করেন। তাই ইতিহাসের সাথে হেরোডোটাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
প্রশ্ন \ ৯ \ ইতিহাসের প্রতœতাত্তি¡ক উপাদান বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : যেসব বস্তু বা উপাদান থেকে আমরা বিশেষ সময়, স্থান বা ব্যক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহাসিক তথ্য পাই সে বস্তু বা উপাদানই প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন। প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শনসমূহ মূলত অলিখিত উপাদানভুক্ত। যেমন : মুদ্রা, শিলালিপি, স্তম্ভলিপি, তাম্রলিপি, ইমারত ইত্যাদি।