You are currently viewing এসএসসি ২০২২ একাদশ সপ্তাহের পৌরনীতি ও নাগরিকতা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

এসএসসি ২০২২ একাদশ সপ্তাহের পৌরনীতি ও নাগরিকতা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

দশম শ্রেণি অর্থাৎ এসএসসি ২০২২ একাদশ সপ্তাহের পৌরনীতি ও নাগরিকতা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান এখানে দেওয়া হলো। তোমরা নিশ্চয়ই এই এসাইনমেন্ট এর সমাধান খুঁজছিলে। আশা করছি উত্তরটি পেয়ে তোমরা খুশি হবে।

এসএসসি ২০২২ একাদশ সপ্তাহের পৌরনীতি ও নাগরিকতা অ্যাসাইনমেন্ট

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ২০২২ সালে তোমাদের তিনটি অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে যথা নবম সপ্তাহ, দশম সপ্তাহ, ও একাদশ সপ্তাহ। আজকে আমরা তোমাদের সেই ১১ সপ্তাহের পৌরনীতি ও নাগরিকতা অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর প্রদান করব।

পৌরনীতি ও নাগরিকতা ১১ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টটি তোমাদের দ্বিতীয় অ্যাসাইনমেন্ট। এই অ্যাসাইনমেন্ট সুন্দর করে লিখতে তোমরা আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ রূপে পড়বে। পৌরনীতি ও নাগরিকতা একাদশ সপ্তাহ এসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন গুলো সম্পূর্ণ না পড়ে তোমরা কখনই উত্তর লেখা শুরু করো না।

তো চলো দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের এসএসসি ২০২২পৌরনীতি ও নাগরিকতা একাদশ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন গুলো দেখে নেওয়া যাক।

দশম শ্রেণির একাদশ সপ্তাহের পৌরনীতি ও নাগরিকতা অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন

এসএসসি ২০২২ অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর ২

দশম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্টঃ
পরিপূর্ণ নাগরিক অধিকার পেতে হলে যথাযথ কর্তব্য পালন করতে হয়-
নির্দেশনা/সংকেতগুলো অনুসরণ করে ২৫০- ৩০০ শব্দের উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

দশম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট শিখনফল/ বিষয়বস্তু

  • নাগরিক ও নাগরিকতার ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে
  • নাগরিকের অধিকার ও ব্যাখ্যা করতে পারবে
  • নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্যের ধারণা বর্ণনা করতে পারবে
  • নাগরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে আগ্রহী হবে।

এসএসসি পৌরনীতি ও নাগরিকতা এসাইনমেন্ট  নিরদেশনা/ (সংকেত/ধাপ/ পরিধি)

দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ (নাগরিক ও নাগরিকতা)
১। নাগরিক ও নাগরিকতার ধারণা
২। সুনাগরিকের গুণাবলী
৩। নাগরিক অধিকার ও অধিকারের শ্রেণিবিভাগ
৪।নাগরিকেরকর্তব্য ও কর্তব্যের শ্রেণিবিভাগ
৫। অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক

দশম শ্রেণির একাদশ সপ্তাহের পৌরনীতি ও নাগরিকতা অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন

এসএসসি ২০২২ একাদশ সপ্তাহের পৌরনীতি ও নাগরিকতা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর 

অ্যাসাইনমেন্ট শুরু

তারিখঃ ১০/০২/২০২২ ইং

প্রধান শিক্ষক,

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ
ঢাকা-১০০০,

বাংলাদেশ ।

বিষয়ঃ “পরিপূর্ণ নাগরিক অধিকার পেতে হলে যথাযথ কর্তব্য পালন করতে হয়” এই বিষয়ক প্রতিবেদন।

জনাব,

বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার আদেশ নং ম.আ.স.এ.ক. ৩৫৫-১ তারিখঃ ০৩/০২/২০২২ ইং অনুসারে উপরোক্ত বিষয়ের উপর আমার স্বব্যখ্যাত প্রতিবেদনটি নিন্মে পেশ করলাম।

১ নং প্রশ্নের উত্তর

নাগরিক ও নাগরিকতার ধারণাঃ

প্রায় ২৫০০ বছর পূর্বে প্রাচীন গ্রিসে নাগরিক ও নাগরিকতার ধারণার উত্তব হয়। প্রাচীন গ্রিসে তখন নগরকেন্দ্রিক ছোট ছোট রাষ্ট্র ছিল, সেগুলোকে নগর-রাষ্ট্র বলা হতো। আমরা এদেশে জন্মগ্রহণ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছি, রাষ্ট্প্রদত্ত সকল প্রকার অধিকার (সামাজিক, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ) ভোগ করছি এবং রা রতি বিভা দার ও করত পালন করছি।

সুতরাং আমরা বলতে পারি, যে ব্যক্তি কোনো রাষ্ট্র স্থায়ীভাবে বসবাস করে, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে, রাষ্ট্প্রদত্ত অধিকার ভোগ করে এবং রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য পালন করে, তাকে এ রাষ্ট্রের নাগরিক বলে।

নাগরিক ও নাগরিকতাকে কেউ কেউ একই অর্থে ব্যবহার করেন৷ আসলে এদের ভিন্ন ভিন্ন অর্থ রয়েছে। নাগরিক হলো ব্যক্তির পরিচয় । যেমন- আমাদের পরিচয় আমরা বাংলাদেশের নাগরিক । আর রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে ব্যক্তি যে মযাদা ও সম্মান পেয়ে থাকে তাকে নাগরিকতা বলে।

২ নং প্রশ্নের উত্তর

সুনাগরিকের গুণাবলী নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

একজন সুনাগরিক একটি রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ । জন্ম থেকে কেউ সুনাগরিক হয়ে জন্মায় না এবং দেশের সকল নাগরিক সুনাগরিক নয়। একজন সুনাগরিকের তিনটি মৌলিক গুণাবলী রয়েছে । এগুলো হলোঃ

  • ১। বুদ্ধি
  • ২। আত্মসংযম
  • ৩। বিবেক বিচার

১। বুদ্ধিঃ একজন সুনাগরিকের অন্যতম মৌলিক গুণ হচ্ছে বুদ্ধি। বুদ্ধির পরাপ্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহযোগিতা করতে পারে । নাগরিকের বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে সঠিক শিক্ষা অর্জন করা।

২। আত্মসং্যমঃ একজন সুনাগরিকের আরেকটি অন্যতম গুণ হচ্ছে আত্মসংযম। নাগরিককে অসৎ কাযবিলী যেমন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বার্থপরতা, পক্ষপাতিত্ব ইত্যাদি ও অনৈতিক কাজ থেকে বিরত রাখে । সুনাগরিক হওয়ার জন্য আত্মসংযম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই একজন সুনাগরিক কে অবশ্যই আত্মসংযম অর্জন করতে হবে।

৩। বিবেক বিচারঃ একজন সুনাগরিকের শুধু বুদ্ধিমান ও আত্মসংযমী হলেই হয় না তাকে অবশ্যই বিচারের সঠিক ব্যবহার জানতে হয় । বিবেক বিচার হলো ভালো-মন্দের জ্ঞান ও দায়িত্ব কর্তব্যের জ্ঞান। বিবেক সুনাগরিকের জাগ্রত শক্তি নাগরিক নিজে বিবেকবান হবে অন্যদেরও বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন হতে উৎসাহিত করবে।

৩ নং প্রশ্নের উত্তর
নাগরিক অধিকার ও অধিকারের শ্রেণিবিভাগ নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
নাগরিক অধিকারঃ

নাগরিক হিসেবে আমাদের অনেক অধিকার রয়েছে, সেগুলো হলোঃ

  • ক) শিক্ষার অধিকার
  • খ) পরিবার গঠনের অধিকার
  • গ) ভোটাধিকার

অধিকার হলো সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত কতগুলো সুযোগ-সুবিধা, যা ভোগের মাধ্যমে নাগরিকের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে । অধিকার ব্যতীত মানুষ

তার ব্যক্তিত্বকে উপলব্ধি করতে পারে না। রাষ্ট্রের নাগরিকদের মানসিক, সামাজিক ও অথনৈতিক বিকাশের জন্য অধিকার অপরিহার্য ।

অধিকারের শ্রেণিবিভাগঃ

অধিকার প্রধানত দুই প্রকার । ঘথাঃ

  1.  নৈতিক অধিকার ও
  2. আইনগত অধিকার

১। নৈতিক অধিকারঃ নৈতিক অধিকার মানুষের বিবেক এবং সামাজিক নৈতিকতা বা ন্যায়বোধ থেকে আসে। যেমন- দুর্বলের সাহায্য লাভের অধিকার নৈতিক অধিকার ।

২। আইনগত অধিকারঃ যেসব অধিকার রাষ্ট্রের আইন কর্তৃক স্বীকৃত ও অনুমোদিত, সেগুলোকে আইনগত অধিকার বলে ।। আইনগত অধিকারকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ

ক) সামাজিক অধিকারঃ সমাজে সুখ-শান্তিতে বসবাস করার জন্য আমরা সামাজিক অধিকার ভোগ করি। যেমন- জীবন রক্ষার, স্বাধীনভাবে চলাফেরার ও মত প্রকাশের, পরিবার গঠনের, শিক্ষার, আইনের দৃষ্টিতে সমান সুযোগ লাভের, সম্পত্তি লাভের ও ধমচচচরি অধিকার ইত্যাদি ।

খ) রাজনৈতিক অধিকারঃ নিবচিনে ভোটাধিকার, নিবাঁচিত হওয়া এবং সকল প্রকার অভাব-অভিযোগ আবেদনের মাধ্যমে। প্রতিকার পাওয়াকে রাজনৈতিক অধিকার বলে ।

গ) অর্থনৈতিক অধিকারঃ জীবনধারণ, জীবনকে উন্নত ও এগিয়ে নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপ্রদত্ত অধিকারকে অর্থনৈতিক অধিকার বলে। যেমন- যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করার অধিকার, ন্যায্য মজুরি লাভের অধিকার, অবকাশ লাভের অধিকার, শ্রমিকসংঘ গঠনের অধিকার ।

৪ নং প্রশ্নের উত্তর

নাগরিকের কর্তব্য ও কতব্যের শ্রেণিবিভাগগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
নাগরিকের কর্তব্যঃ রাষ্ট্রের নিকট নাগরিকের যেমন অধিকার রয়েছে, অনুরূপ রাষ্ট্রের প্রতিও নাগরিকের কর্তব্য রয়েছে। কর্তব্য পালন ব্যতীত শুধু অধিকার ভোগ করা ঠিক নয়। রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা, সততার সাথে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা, নিয়মিত কর প্রদান করা, আইন মান্য করা এবং রাষট্রপ্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন নাগরিকদের কর্তব্য ।

কর্তব্যের শ্রেণিবিভাগঃ

কর্তব্য বলে। নাগরিকের কর্তব্যকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ

  • ক) নৈতিক কর্তব্য ও
  • খ) আইনগত কর্তব্য।

ক) নৈতিক কর্তব্যঃ নৈতিক কর্তব্য মানুষের বিবেক এবং সামাজিক নৈতিকতা বা ন্যায়বোধ থেকে আসে । যেমন- নিজে শিক্ষিত হওয়া এবং সন্তানদের শিক্ষিত করা, সততার সাথে ভোট দান, রাষ্ট্রের সেবা করা এবং বিশ্বমানবতার সাহায্যে এগিয়ে আসা।

খ) আইনগত কর্তব্যঃ রাষ্ট্রের আইন দ্বারা আরোপিত কর্তব্যকে আইনগত কর্তব্য বলে। রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য, আইন মান্য ও কর প্রদান করা নাগরিকের আইনগত কর্তব্য। এসব কর্তব্য রাষ্ট্রের আইন দ্বারা স্বীকৃত।

৫ নং প্রশ্নের উত্তর

অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

প্রথমত,অধিকার ভোগ করলে কর্তব্য পালন করতে হয়। যেমন- ভোটদান নাগরিকের অধিকার, ভোটাধিকার প্রয়োগ নাগরিকের কর্তব্য । একটি ভোগ করলে অন্যটি পালন করতে হয়। সুতরাং বলা যায়, অধিকার ভোগের মধ্যে কর্তব্য নিহিত থাকে।

দ্বিতীয়ত, একজনের অধিকার বলতে অন্যজনের কর্তব্য নিদেশ করে। যেমন- আমার পথ চলার অধিকার আছে- এর অর্থ আমি পথ চলব এবং অন্যজনকেও পথ চলতে দেব।

তৃতীয়ত, আমরা রাষ্ট্রপ্রদত্ত সামাজিক, রাজনৈতিক ও অথনৈতিক অধিকার ভোগ করি। তার বিনিময়ে আমাদের কর্তব্য পালন করতে হয়। যেমন- রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা, আইন মান্য করা, কর প্রদান করা ইত্যাদি কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই আমরা রাষ্ট্প্রদত্ত অধিকার ভোগ করি।

মূলত অধিকার ও ক্তব্যের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। একটিকে বাদ দিয়ে অপরটি ভোগ করা সম্ভব নূয়। তাই বলা যায়, অধিকার কর্তব্যের মধ্যেই নিহিত।

প্রতিবেদকের নামঃ মাসুদ রানা
রোল নং: ০১

প্রতিবেদন তৈরির স্থানঃ ঢাকা

তারিখঃ ১০/০২/২০২২ ইং

অ্যাসাইনমেন্ট শেষ

 

আরো পড়ুনঃ

আমাদের ইউটিউব লিংক
https://www.youtube.com/channel/UCea_DqYt9NegZgE5A-mdIag
ফেজবুক পেজ (সমস্যা ও সমাধান)
https://web.facebook.com/shomadhan.net
assignment all class (6-9)📝📝
https://web.facebook.com/groups/287269229272391

Leave a Reply