Author name: Masud Rana

তীব্র ক্ষারক এবং দুর্বল ক্ষারক চেনার উপায়।

  তীব্র ক্ষারক এবং দুর্বল ক্ষারক চেনার উপায়। ক্ষারক রসায়ন বিজ্ঞানের মূল বিষয়গুলোর একটি। তাই তীব্র ক্ষারক ও দুর্বল ক্ষারক চেনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই দুই ধরনের ক্ষারক দুই ধরনের বিক্রিয়া দেয়। তিনটা নিয়ম বা বিষয়ের মাধ্যমে আমার খুব সহজে তীব্র ও দুর্বল ক্ষারক চিনবো। যথা:-         আকার অনুয়ায়ী         বিয়োজন অনুযায়ী         বিয়োজন ধ্রুবকের (kь) অনুযায়ী তীব্র ক্ষারক এবং দুর্বল ক্ষারক চেনার উপাগুলো: i) ধাতুর আকার যত বড় হবে উক্ত ধাতু দ্বারা গঠিত ক্ষারক তত তীব্র হবে। যেমনঃ KOH ও CsOH এর মধ্যে CsOH তীব্র ক্ষারক । কারণ K ধাতুর চেয়ে  Cs (সিজিয়াম) ধাতুর আকার বড়।         এখানে K এর পারমাণবিক সংখ্যা = 19         এবং Cs এর পারমাণবিক সংখ্যা = 55 নিচের ক্ষারকগুলোর তীব্রতা লক্ষ্য করি:- LiOH দুর্বল ক্ষারক NaOH  শক্তিশালী ক্ষারক KOH  তীব্র শক্তিশালী ক্ষারক CsOH  সবচেয়ে তীব্র শক্তিশালী ক্ষারক মনে রাখিঃ যে ধাতুর ইলেকট্রন বিন্যাসে কক্ষপথের সংখ্যা যত বেশি হবে সে ধাতুর আকার তত বড়ে হবে। যেমনঃ     Li(3) → 1s², 2s¹ (কক্ষপথ ২টি)         Na(11) → 1s², 2s², 2p⁶, 3s¹ (কক্ষপথ ৩টি) সুতরাং Li অপেক্ষা Na এর আকার বড় হবে। ii) তীব্র ক্ষারক পানিতে বা জলীয় দ্রবনে সম্পূর্ণরুপে বিয়োজত  হয়ে OH⁻ আয়ন উৎপন্ন করে। অপরপক্ষে দুর্বল ক্ষারক জলীয় দ্রবণে আংশিক বিয়োজিত হয়ে OH⁻ আয়ন উৎপন্ন করে। যেমনঃ NaOH একটি তীব্র ক্ষারক         NaOH (জলীয়) → Na⁺ + OH⁻ (100% বিয়োজিত হয়েছে) অপরপক্ষে LiOH  একটি দুর্বল ক্ষারক         LiOH (জলীয়) → Li⁺ + OH⁻ (আংশিক বিয়োজিত হয়েছে) iii) যে ক্ষারকের বিয়োজন ধ্রুবকের (kь) মান যত বেশি হবে সে ক্ষারক তত বেশি তীব্র হবে। এবং (kь) এর মান যত কত হবে সে ক্ষারক তত দুর্বল হবে। আরো পড়ুন ঃ ক্ষারক চেনার সহজ উপায় দুর্বল এসিড ও শক্তিশালী এসিড চেনার সহজ উপায়।  tag: তীব্র ক্ষারক এবং দুর্বল ক্ষারক চেনার উপায়। অম্ল ও ক্ষার কাকে বলে, তীব্র ক্ষারের নাম, এসিড ও ক্ষার চেনার উপায়, এসিড ও ক্ষারের বৈশিষ্ট্য, ক্ষারের উদাহরণ, ক্ষারের স্বাদ কেমন।

তীব্র ক্ষারক এবং দুর্বল ক্ষারক চেনার উপায়। Read More »

অষ্টম (৮ম) শ্রেণি বাংলা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান

অষ্টম (৮ম) শ্রেণি বাংলা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান শিরোনামঃ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। আরো পড়ুনঃ  ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১  সকল শ্রেণি সকল বিষয় আরো পড়ুনঃ ৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২য় সপ্তাহ ২০২১ উত্তর। (৮ম) অষ্টম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট ১ম সপ্তাহ ২০২১ প্রশ্ন ও সমাধান ১ম সপ্তাহের সকল গ্রিড ও এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান ২০২১ (৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি) ষষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর বাংলা ১ম সপ্তাহ ২০২১ (প্রশ্ন ও সমাধান) (সপ্তম) ৭ম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান ১ম সপ্তাহ ২০২১ class 7 bangla assingment (৬ষ্ঠ) ষষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম অ্যাসাইনমেন্ট ১ম সপ্তাহ ২০২১ প্রশ্ন ও সমাধান অষ্টম শ্রেণির ইসলাম এসাইনমেন্ট ১ম সপ্তাহ ২০২১ সমাধান ৭ম শ্রেণির ইসলাম  এসাইনমেন্ট উত্তর ১ম সপ্তাহ ২০২১ ৮ম শ্রেণি বাংলা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের প্রশ্ন দেখুন।   বাড়ির কাজ : (নমুনা প্রশ্ন) প্রশ্ন: ০১ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য যে সব যুক্তি তুলে ধরেছেন সেগুলো সাজিয়ে লিখ। অ্যাসাইনমেন্ট শুরু উপস্থাপনা:স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় বাংলাদেশের মানুষও তাদের কল্যানের জন্য ব্যয় করেছেন।বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সমগ্র বাংলাদেশকে সংঘবদ্ধ করতে তাঁর ভূমিকা ছিল অপরিসীম ।প্রত্যেক বাংলাদেশীর জান্য জাতির পিতা জীবন সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা অপরিহার্য। ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু তাঁর শ্রেষ্ঠ ভাষণ দিয়েছিলেন নানা রকম পরিস্থিতি মোকাবেলা করে তিনি তো থামেননি ১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে পাকিস্তানি দস্যুদের কামান-বন্দুক মেশিনগানের হুমকির মুখে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দিন ঘোষণা করেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। যেসব যুক্তি তুলে ধরেছেন: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীনতার স্থপতি, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য যেসব যুক্তি তুলে ধরেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো: সামগ্রিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা, নিজ ভুমিকা ও অবস্থান ব্যাখ্যা,  পশ্চিম পাকিস্তানি রাজনীতির ভূমিকার উপর আলোকপাত, সামরিক আইন প্রত্যাহারের আহ্বান, অত্যাচার ও সামরিক বাহিনীর হুমকি; দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পূর্ব-পাকিস্তানের হরতাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা এবং নিগ্রহ আক্রমণ প্রতিরোধের আহ্বান, মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু ৪ দফা দাবি তুলে ধরেন। যথা:- ১. প্রথমে মার্শাল ল উইথড্র করতে হবে। ২. সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত যেতে হবে। ৩. যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে।আর ৪. জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। ভূমিকা ও নিজ অবস্থান ব্যাখ্যা: স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনে তরুণ সমাজকে এঁক্যবদ্ধ করতে ১৯৪৮ সালে ৪ঠা জানুয়ারি শেখ মুজিব গঠন করলেন ছাত্রলীগ নামের এক অপরাজেয় ছাত্র সংগঠন। ১৯৪৯ সালের ২৩ শে জুন আওয়ামীলীগ কারাগারে বন্দি২৯ বছরের শেখ মুজিবকে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর যত সময় গিয়েছে শেখ মুজিব হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। প্রাণপুরুষ ১৯৫৬ সালে কোয়ালিশন সরকারের শিল্প বাণিজ্য দুর্নীতি দমন ও ভিলেজ দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাঙালি জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে ১৯৫৭ সালে মন্ত্রির দায়ীত্ব ছেড়ে দেন শেখ মুজিব। সামরিক আইন প্রত্যাহারের আহবান: পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেন। এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মার্চ অসহযোগ আন্দলোনের ডাক দেন। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণে জনগণকে মুক্তি ও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান। নির্বাচন বন্ধের হুমকি : বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এক ধরনের অন্যায়.আবিচারের বিরুদ্ধে বর্জ্র কণ্ঠে ঘোষণাপত্র। এই অন্যায় অবিচার বন্ধ করার জন্য যা কেবল একাত্তরেই নয় বর্তমান সময় ও আমাদের অনুপ্রাণিত উজ্জীবিত করেছেন আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নির্বাচনী ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর আগমন আমাদের এদেশে এমন এক সময় হয়েছিল যখন আসলেই আমাদের একজন নেতার প্রয়োজন ছিলো। তার ঐ জ্বালাময়ি ভাষণটা ছিলো আমাদের মুক্তির পথের দিশারী। উপসংহারঃ আমৃত্যু বাঙালি তথা বাংলাদেশের ভবিষৎ এর কথা চিন্তা করে যাওয়া মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ তার শাসনকালে আদৌ সোনার বাংলা হয়ে উঠতে পেরেছিল কিনা তা বিচার্য নয়। বিচার্য এই যে সারা জীবন তিনি রাজনৈতিকভাবে যা কাজ করেছেন তা তার দেশ তথা দেশবাসীর সামগ্রিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যেই। শাসনকালে গৃহীত নানা নীতির জন্য বিভিন্ন মহলে বঙ্গবন্ধু সমালোচিত হলেও আমাদের মনে রাখা দরকার সেই নীতিগুলি গৃহীত হয়েছিল বৃহত্তর জাতীয় সার্থেই। আরো দেখুন: সপ্তম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় উত্তর ২য় সপ্তাহ ২০২১ ৮ম শ্রেণি গণিত ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ৮ম শ্রেণি কৃষি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ৮ম শ্রেণি গার্হস্থ্য ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান সকল অ্যাসাইনমেন্টের জন্য নিচের ফেজবুক পেজটিতে লাইক দিয়ে রাখুন। অষ্টম (৮ম) শ্রেণি বাংলা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান class 8 bangla 6th week assignment 2

অষ্টম (৮ম) শ্রেণি বাংলা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান Read More »

টেকনিক্যাল নবম শ্রেণি রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২ technical class 9 chemistry assignment 2

টেকনিক্যাল নবম শ্রেণি রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২ technical class 9 chemistry assignment শিরোনামঃ ২নং রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট আরো পড়ুনঃ ৩য় সপ্তাহের (৯ম) নবম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১।  নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২য় সপ্তাহ ২০২১ নবম (৯ম) শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা ১ম সপ্তাহ ২০২১ প্রশ্ন ও সমাধান নবম  শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট  ১ম সপ্তাহ ২০২১ প্রশ্ন ও সমাধান ৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ইংরেজি উওর ২য় সপ্তাহ ২০২১ ৯ম শ্রেণির ফিন্যন্স ও ব্যাংকিং অ্যাসাইনমেন্ট ২য় সপ্তাহ ২০২১ টেকনিকাল নবম শ্রেণি রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নগুলো দেখুন রসায়ন শিক্ষক তোমাকে 200ml আয়তনিক ফ্লাক্সে 0.5M সোডিয়াম কার্বনেট দ্রবণ তৈরি করতে বললেন। এ তথ্যের আলোকে নিম্নের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। ১) মোল কাকে বলে? ২) দ্রবণটি তৈরি করতে কী কী যন্ত্রপাতির প্রয়োজন। ৩) প্রদত্ত যৌগটির শতকরা সংযুক্তি নির্ণয় কর। ৪) দ্রবণটি তুমি কিভাবে তৈরী করবে তার ধারাবাহিক পদ্ধতি বর্ণনা কর। অ্যাসাইনমেন্ট শুরু ১নং প্রশ্নের উত্তর মোলঃ রাসায়নিক পদার্থের (পরমাণুর ক্ষেত্রে) পারমাণবিক ভর অথবা (অণুর ক্ষেত্রে) আণবিক ভরকে গ্রাম এককে প্রকাশ করলে যে পরিমাণ পাওয়া যায় তাকে এঁ পদার্থের এক মোল বলা হয়। ২নং প্রশ্নের উত্তর দ্রবণটি তৈরি করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিঃ ২০০মিলিলিটার আয়তনিক ফ্লাক্স, ফানেল, ওজন, বোতল, রাসায়নিক নিক্তি, ওয়াশ বোতল। ৩নং প্রশ্নের উত্তর প্রদত্ত যৌগটি হলো সোডিয়াম কার্বনেট Na₂(CO₃) নিচে সোডিয়াম কার্বনেটের শতকরা সংযুক্তি বের করে দেখানো হলো। সোডিয়াম কার্বনেট Na₂(CO₃) এর আনবিক ভর = 23×2+12×1+16×3         = 46+12+48         = 106 Na এর শতকরা সংযুক্তি = (23×2×100) ÷ 106         = 43.39% C এর শতকরা সংযুক্তি = (12×1×100) ÷ 106         = 11.32% O এর শতকরা সংযুক্তি = (16×3×100) ÷ 106         = 45.28% ৪ নং প্রশ্নের উত্তর 200 মিলি আয়তনিক ফ্লাক্সে 0.5 মোলার সোডিয়াম কার্বনেট দ্রবণ প্রস্তুতি। মূলনীতি: সোডিয়াম কার্বনেট Na₂(CO₃) একটি প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ। কারণ সোডিয়াম কার্বনেটকে বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়, শুষ্ক অবস্থায় পাওয়া যায়, রাসায়নিক নিস্তিতে সরাসরি ওজন করা যায়, সোডিয়াম কার্বনেট দ্রবণের ঘনমাত্রা তৈরি করে থাকলে ঐ ঘনমাত্রা দীর্ঘদিন কোনো পরিবর্তন হয় না। একটি 200 মিলি আয়তনিক ফ্লাক্সে 0.5 মোলার সোডিয়াম কার্বনেট দ্রবণ তৈরি করার জন্য নিচের হিসাৰ প্রয়োজন। এখানে, V = 200 মিলি , S= 0.5 মোলার, M=  23×2+12×1+16×3 =106 W =? আমরা  জানি, W = SVM/1000             = (0.5×200×106)/1000      ∴W = 10.6 গ্রাম একটি আয়তনিক ফ্লাক্সে  10.6 গ্রাম সোডিয়াম কার্বনেট মেপে নিয়ে তার মধ্যে পানি যোগ করে দ্রবণের আয়তন 200  মিলিলিটার করলে 0.5 মোলার সোডিয়াম কার্বনেট ভ্রবণ প্রস্তুত হয়ে হাবে। কিন্তু এই নির্দিষ্ট্য ঘনমাত্রার (মোলারিটির) দ্রবণ তৈরি করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। কারণ সঠিকভাবে 10.6 গ্রাম সোডিয়াম কার্বনেট মেপে নেওয়া অত্যন্ত কঠিন। অতএব, 0.5  মোলার ঘনমাত্রার কাছাকাছি কোনো ঘনমাত্রার দ্রবণ তৈরি করা হয়। দ্রবণটি তৈরি করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিঃ  ২০০মিলিলিটার আয়তনিক ফ্লাক্স, ফানেল, ওজন, বোতল, রাসায়নিক নিক্তি, ওয়াশ বোতল। কার্যপদ্ধতিঃ  ১) একটি পরিষ্কার ২০০ মিলি আয়তনিক ফ্লাক্সের মুখে একটি পরিষ্কার ফানেল রাখা হলো। ২) রাসায়নিক নিক্তির সাহায্যে ১টি শুষ্ক ওজন বোতলের ওজন নেওয়া হলো। ৩) এবার ওজন বোতলে সোডিয়াম কার্বনেট এমনভাবে দেওয়া হলো যেন সোডিয়াম কার্বনেটসহ ওজন বোতলের ওজন 10.6 গ্রাম বেশি হয়। ৪)  ওজন বোতলের সোডিয়াম কার্বনেট ফানেলের মধ্য দিয়ে আয়তনিক  ফ্লাক্সে ঢালা হলো । ৫) ওয়াশ বোতল থেকে পাতিত পানি ফানেলের মাধ্যমে আয়তনিক  ফ্লাক্সে আস্তে আন্তে যোগ করা হলো। অর্ধেক পানি ঢালার পর আয়তনিক ফ্লাক্ষের মুখের ছিপি আটকিন়ে আয়তনিক  ফ্লাক্স ঝাঁকিয়ে সোডিয়াম কার্বনেটকে সম্পূর্ণভাবে ভ্রবীভূত করা হলো। এরপর আরো পানি যোগ করে আয়তনিক ফ্লাস্কের 200. দাগ পর্যন্ত পানি দ্বারা পূর্ণ করা হলো। সতর্কতাঃ ১)  শুক্ষ ও বিশুদ্ধ সোডিয়াম কার্বনেট নেওয়া । ২) শুষ্ক ওজন বোতল নেওয়া । ৩) বিশুদ্ধ পানি অর্থাৎ পাতিত পানি আয়তনিক ফ্লাস্কে যোগ করা। যে কোনো অ্যাসাইনমেন্টের জন্য নিচে কমেন্ট করুন।

টেকনিক্যাল নবম শ্রেণি রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২ technical class 9 chemistry assignment 2 Read More »

লবণ চেনার সহজ উপায় Easy way to recognize salt

লবণ চেনার সহজ উপায় রসায়ন অধ্যায়নের জন্য আমাদের বিভিন্ন ধরনের লবণ নিয়ে পড়ালেখা করা লাগে। এই লবণ গুলোকে চিনতে অনেকের সমস্যার সৃষ্টি হয়। আজ আমরা এই লবণ চিনবো সহজ উপায়ে। আশা করা যায় এই অনুচ্ছেদটি পড়ার পর আমাদের লবণ চিনতে আর সমস্যা হবেনা।  (H⁺) বাদে যে কোনো ধনাত্নক আয়ন বা মূলক + (OH⁻) বাদে যে কোনো ঋণাত্মক আয়ন বা মূলক = লবণ । যেমনঃ     Na⁺ + Cl⁻ = NaCl     Na⁺ + F⁻ = NaF     NH₄⁺ + Cl⁻ = NH₄Cl     K⁺ + NO₃⁻ = KNO₃    Na⁺ + CH₃COO⁻ = CH₃COONa আসুন দেখে নেওয়া যাক লবণ গঠনকারী কিছু ধনাত্বক আয়ন(ক্যাটায়ন) এবং ঋণাত্বক আয়ন (অ্যানায়ন) ক্যাটায়ন অ্যানায়ন  C₅H₅NH⁺  CO₃²⁻  Fe²⁺ /Fe³⁺  Cl⁻  Ca²⁺  NO₂⁻  NH₄⁺  NO₃⁻  Mg²⁺  F⁻  NR₄⁺  C≡H⁻  Na⁺  PO₄³⁻  K⁺  SO₄²⁻  Cr³⁺  (CH₂COO⁻)₂ লবণ চেনার সহজ উপায় Easy way to recognize salt খনিজ লবণের নাম অম্লীয় লবণ কাকে বলে। লবণ কাকে বলে।

লবণ চেনার সহজ উপায় Easy way to recognize salt Read More »

এসিড ও ক্ষারক চেনার সহজ উপায়

এসিড ও ক্ষারক চেনার সহজ উপায় শিক্ষার্থীদের এসিড ও ক্ষারক চিনতে খুবই সমস্যা দেখা দেয়। আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে দেখলে ইন শাহ আল্লাহ আর কোন সমস্যা থাকবেনা আশা করা যায়।  এসিড উদাহরণ ক্ষারক উদাহরণ অধাতু+ H/O/OH⁻ HBr, HCl, HF, CO₃, HClO, HBrO, HIO, ধাতু+ H/O/OH⁻ NaH, MgH₂, KH, CaH₂, Na₂O, MgO, K₂O, CaO, NaOH, Mg(OH)₂, KOH, Ca(OH)₂ ঋণাত্বক যৌগমূলক+ H⁺ HNO₃, HNO₂, H₃PO₄, H₂SO₄  ধণাত্বক যৌগমূলক+ OH⁻ NH₄OH, PH₄OH আরো দেখুনঃ লবণ চেনার সহজ উপায়

এসিড ও ক্ষারক চেনার সহজ উপায় Read More »

অ্যামোনিয়া তে অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড মুলক নাই তবুও অ্যামোনিয়া কে ক্ষারক বলা হয় কেন?

অ্যামোনিয়া তে অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড মুলক নাই তবুও অ্যামোনিয়া কে ক্ষারক বলা হয় কেন? যদিও NH₃ যৌগে O²⁻ বা OH⁻ নেই, তবুও ইহাকে ক্ষারক বলা হয়।  কারণ হলো:- i) NH₃ যৌগ পানিতে OH⁻ আয়ন তৈরি করে। যেমন: NH₃ + H₂O → NH₄OH         NH₄OH → NH₄⁺+ OH⁻ বি.দ্র: এখানে NH₃ ক্ষারক হলেও উৎপন্ন NH₄OH কিন্তু ক্ষার। ii) আমরা জানি, যে সব যৌগে মুক্ত জোড় ইলেকট্রন থাকে, সে সব যৌগ ক্ষারক হিসেবে আচরণ করে। সে মোতাবেক NH₃ একটি ক্ষারক পদার্থ কারণ NH₃ তে একটি মুক্ত জোড় ইলেকট্রন আছে। NH₃ এর গঠন নিম্নরুপ: iii) ব্রনস্টেট লাউরির মতে যে সব যৌগ প্রোটন (H⁺) গ্রহণ করতে পারে সে সব যৌগ ক্ষারক হিসেবে ক্রিয়া করে। যেমন:              NH₃ +H⁺ → NH₄⁺ অতএব উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম অ্যামোনিয়া (NH₃) তে অক্সাইড(O²⁻) বা হাইড্রোক্সাইড (OH⁻) মুলক নাই তবুও অ্যামোনিয়া কে ক্ষারক বলা হয় কেন। 

অ্যামোনিয়া তে অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড মুলক নাই তবুও অ্যামোনিয়া কে ক্ষারক বলা হয় কেন? Read More »

ধাতব লবণের সাথে লঘু ক্ষারের বিক্রিয়া

ধাতব লবণের সাথে লঘু ক্ষারের বিক্রিয়া আ্যালুমিনিয়াম নাইট্রেট [Al(NO₃)₃] , ফেরাস নাইট্রেট [Fe(NO₃)₂], ফেরিক নাইড্টেট [Fe(NO₃)₃], জিংক নাইট্রেট [Zn(NO₃)₂] ইত্যাদি ধাতব লবণের সাথে লঘু ক্ষার বিক্রিয়া করে সংশ্লিষ্ট ধাতব হাইড্রোক্সাইড উৎপন্ন করে। উল্লেখ্য, এখানে শুধু ধাতব নাইট্রেট লবণ ব্যবহার করা হয়েছে। ধাতব নাইট্রেট লবণ ব্যতীত ধাতব ক্লোরাইড, ধাতব সালফেট, ধাতব কার্বনেট ইত্যাদি লবণ ব্যবহার করলেও সংশ্লিষ্ট ধাতব হাইড্রোক্সাইড উৎপন্ন হবে। নিচে ধাতব নাইট্রেট লবণের সাথে লঘু ক্ষারের বিক্রিয়া দেখানো হলো। যেমন: [Al(NO₃)₃] এর সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়া একটি টেস্টটিউবে Al(NO₃)₃ এর দ্রবণ নিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা লঘু NaOH দ্রবণ যোগ করলে আ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড [Al(OH)₃] এবং NaNO₃ উৎপন্ন হয়। Al(OH)₃ সাদা বর্ণের অধঃক্ষেপ হিসেবে টেস্টটিউবের নিচে জমা হয় এবং সোডিয়াম নাইট্রেট ‘NaNO₃ পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। এটি পানিতে কোনো বর্ণ প্রদান করে না। সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়া: Al(NO₃)₃ + 3NaOH    →  Al(OH)₃ ↓ + 3NaNO₃ ফেরাস নাইট্রেট [Fe(NO₃)₂], এর সাথে লঘু NaOH এর বিক্রিয়া  একটি টেস্টটিউবে Fe(NO₃)₂ এর দ্রবণ নিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা লঘু NaOH দ্রবণ যোগ করলে ফেরাস হাইড্রোক্সাইড Fe(OH)₂ এর সবুজ বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয় এবং NaNO₃ পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। সংশ্লিষ্ট বিকিয়া: Fe(NO₃)₂ + NaOH  → Fe(OH)₂ ↓ + 2NaNO₃ ফেরিক নাইভ্ট্রেট Fe(NO₃)₃ এর সাথে NaOH এর বিক্রিয়া  একটি টেস্টটিউবে Fe(NO₃)₃ এর দ্রবণ নিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা লঘু NaOH দ্রবণ যোগ করলে Fe(OH)₃ এর লালচে বাদামি বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয় এবং সোডিয়াম নাইট্রেট NaNO₃ পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়া: Fe(NO₃)₃ + NaOH  →  Fe(OH)₃ ↓+ NaNO₃ Cu(NO₃)₂ এর সাথে লঘু NaOH এর বিকিয়া একটি টেস্টটিউবে Cu(NO₃)₂ এর দ্রবণ নিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা লঘু NaOH দ্রবণ যোগ করলে কপার হাইড্রোক্সাইড  Cu(OH)₂ এর হালকা নীল বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয় এবং সোডিয়াম নাইট্রেট NaNO₃ পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে । সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়া: Cu(NO₃)₂ + NaOH → Cu(OH)₂ ↓+ 2NaNO₃ Zn(NO₃)₂ এর সাথে লঘু NaOH এর বিকিয়া একটি টেস্টটিউবে Zn(NO₃)₂ এর দ্রবণ নিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা লঘু NaOH ভ্রবণ যোগ করলে জিংক হাইড্রোক্সাইড Zn(OH)₂ এর সাদা বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয় এবং সোডিয়াম নাইন্টরেট NaNO₃ পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে । সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়া: Zn(OH)₂ + NaOH → Zn(OH)₂ ↓ + 2NaNO₃ উপরের বিক্রিয়াগুলোতে দেখা যায়, ধাতব নাইট্রেট যৌগের সাথে ক্ষার দ্রবণ বিক্রিয়া করলে ঐ ধাতুর হাইড্রোক্সাইডের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয়। আ্যামোনিয়াম লবণের সাথে ক্ষারের বিক্রিয়া একটি পাত্রে আমোনিয়াম ক্লোরাইড (NH₄Cl) নিয়ে এর মধ্যে ক্ষার (NaOH যোগ করলে আ্যামোনিয়া গ্যাস (NH)₃, সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) লবণ এবং পানি (H₂O) উৎপন্ন হয়। NH₄Cl + NaOH  →  (NH)₃ + NaCl + H₂O আ্যামোনিয়াম লবণের সাথে ক্ষারের একটি বৈশিষ্ট্পূর্ণ বিক্রিয়া আছে। যেকোনো আ্যামোনিয়াম লবণের সাথে ক্ষার বিক্রিয়া করে (NH)₃ গ্যাস উৎপন্ন করে। যেমন: NH₄Cl + KOH  →  (NH)₃ + KCl + H₂O 2NH₄Cl + Ca(OH)₂  →  2(NH)₃ + CaCl₂ + 2H₂O 2NH₄Cl + CaO  →  2(NH)₃ + CaCl₂ + H₂O ধাতব লবণের সাথে লঘু ক্ষারের বিক্রিয়া। ধাতব কার্বনেটের সাথে এসিডের বিক্রিয়া। এসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়া। ক্ষারের ধর্ম

ধাতব লবণের সাথে লঘু ক্ষারের বিক্রিয়া Read More »

Scroll to Top