বিজ্ঞান

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় উন্নততর জীবনধারা

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় উন্নততর জীবনধারা অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. গাজরে প্রধানত কোনটি পাওয়া যায়?  গøুকোজ খ ফ্রুকটোজ গ সুক্রোজ ঘ বিটা ক্যারোটিন ২. স্নেহে দ্রবণীয় ভিটামিনগুলো হলোÑ র. অ, উ, ঊ রর. অ, ই, ঈ ররর. অ, উ, ক নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও : রহিমার ওজন ৫০ কেজি ও উচ্চতা ১.৫ মিটার। গতকাল সকাল থেকে তার বমি ও পাতলা পায়খানা হওয়ায় দেহে পানির অভাবসহ ওজন হ্রাস পেয়ে ৪৭ কেজি হয়ে গেছে। ৩. রহিমার দেহে প্রয়োজনীয় উপাদানটির অভাবে- র. রক্ত চলাচলে বিঘœ ঘটে রর. পেশি নাজুক হয়ে পড়ে ররর. লবণের ভারসাম্য বজায় থাকে নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৪. অসুস্থ হওয়ার পর রহিমার ভরসূচি (ইগও) কত হয়েছে? ক ২২.৩ (প্রায়)  ২০.৯ (প্রায়) গ ৪৯.২৫ (প্রায়) ঘ ৪৪.৭৫ (প্রায়) গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৫. নিচের কোনটির অভাবে বয়স্ক মহিলাদের অস্টিমম্যালেসিয়া রোগ হয় ক ফসফরাসের খ লৌহের  ক্যালসিয়ামের ঘ পটাসিয়ামের ৬. ৬৫ কেজি দেড় মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট একজন ব্যক্তির ইগও নিচের কোনটি? ক ৯৭.৫ খ ৪৩.৩৩  ২৮.৮৯ ঘ ০.০৩ ৭. ভিটামিন ঊ এর অভাবে নিচের কোনটি ঘটে?  ভ্রূণের মৃত্যু হতে পারে খ বুক ধড়ফড় করতে পারে গ অস্থির গঠন মজবুত হতে পারে ঘ ধমনিতে ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে ৮. খাদ্যের উপাদান কত প্রকার? ক দুই খ চার  ছয় ঘ আট ৯. এক গ্রাম শর্করা জারণে কত কিলোক্যালরি শক্তি উৎপন্ন হয়?  ৪.১ খ ৪.২ গ ৪.৩ ঘ ৪.৪ ১০. আমিষ গঠনের একক কোনটি? ক হাইড্রোক্লোরিক এসিড খ কার্বোলিক এসিড গ ফরমিক এসিড  অ্যামাইনো এসিড ১১. পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন কোনটি? ক অ  ঈ গ উ ঘ ক ১২. প্রভার উচ্চতা ১.৭ মিটার এবং ওজন ৭০ কেজি। তার বি.এম.আই (ইগও) কত? ক ২৬.২২ খ ২৫.২২  ২৪.২২ ঘ ২৩.২২ ১৩. রক্তে হিমোগেøাবিন্ তৈরি করে কোনটি? ক শর্করা খ ভিটামিন গ আমিষ  খনিজ লবণ ১৪. কোনটির অভাবে অস্থির গঠন শক্ত ও মজবুত হতে পারে না? ক খনিজ লবণ খ প্রোটিন  ভিটামিন-সি ঘ ভিটামিন-এ ১৫. তরমুজে কোনটি পাওয়া যায়? ক গøুকোজ খ ফ্রুকটোজ গ সুক্রোজ  সেগুলোজ ১৬. ১০ গ্রাম চিংড়িতে ১.৯১ গ্রাম আমিষ আছে। এটি থেকে কী পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে? ক ৯৩ ক.ঈধষ খ ৮৯ ক.ঈধষ  ৮.৯ ক.ঈধষ ঘ ৭.৮ ক.ঈধষ ১৭. একটি বাড়ন্ত শিশুর প্রত্যহ কী পরিমাণ ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয়?  ৫০০৬০০ সম খ ৪৫০৫৫০ সম গ ৪০০৪৫০ সম ঘ ৩০০৪০০ সম ১৮. তুবার ওজন ৫০ কেজি এবং উচ্চতা ১.১ মিটার। তুবার বি এম আই কত?  ৪১.৩২ খ ৪২.৩২ গ ৪৪.৩২ ঘ ৪৬.৩২ ১৯. মানুষের প্রধান খাদ্য কোনটি? ক স্নেহ  শর্করা গ আমিষ ঘ ভিটামিন ২০. রাফেজ-এর কাজ কোনটি? ক তাপ ও শক্তি উৎপন্ন করে খ দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখে গ হিমোগেøাবিন গঠন করে  অতিরিক্ত চর্বি কমানো ২১. রহিমের ওজন ৭২ কেজি এবং উচ্চতা ১.৮ মিটার, রহিমের ইগও কত?  ২২.২ (প্রায়) খ ২৩.২ (প্রায়) গ ২৪.২ (প্রায়) ঘ ২৫.২ (প্রায়) ২২. কোন জাতীয় খাদ্য আঁশযুক্ত?  সেলুলোজ খ স্টার্চ গ প্রোটিন ঘ ভিটামিন ২৩. কোন জাতীয় খাদ্য সবচেয়ে বেশি তাপ ও শক্তি উৎপন্ন করে? ক খাদ্যপ্রাণ  স্নেহ পদার্থ গ খনিজ লবণ ঘ শর্করা ২৪. কোনটি পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন? ক ভিটামিন অ খ ভিটামিন উ গ ভিটামিন ঈ  ভিটামিন ই ২৫. মানবদেহে কয় ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে?  ২০ খ ১৮ গ ১৬ ঘ ১৪ ২৬. ভিটামিন ঈ এর অভাবে কোন রোগটি হয়?  স্কার্ভি খ অ্যানিমিয়া গ বেরিবেরি ঘ রাতকানা ২৭. ঁেঢকি ছাঁটা চাল ও আটায় কোন ভিটামিন থাকে? ক রাইবোফ্ল্যাভিন খ পিরিডক্সিন গ কোবালমিন  থায়ামিন ২৮. মিলনের ওজন ৭০ কেজি, উচ্চতা ১.৫ মিটার হলে তার বি.এম.আই কত?  ৩১.১১ খ ৩৫.১৫ গ ৪০.১৩ ঘ ৪৬.৬৬ ২৯. ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য দায়ী র. সালফার ডাইঅক্সাইড রর. কার্বন মনোঅক্সাইড ররর. নাইট্রোস অক্সাইড নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৩০. ভিটামিন ‘সি’ র. অস্থির গঠন শক্ত ও মজবুত করে রর. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ররর. ত্বকে ঘা সৃষ্টি করে, ক্ষত শুকাতে দেরি হয় নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৩১. নিচের তথ্যগুলোর ভিত্তিতে প্রযোজ্য র. একমাত্র প্রাণিজ উৎস থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় রর. পামতেল ভিটামিন “ঊ” এর উত্তম উৎস ররর. “ই” ভিটামিন সংখ্যায় এগারটি নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন \ ১ \ নিউট্রিয়েন্টস কী? উত্তর : খাদ্যের যেসব জৈব অথবা অজৈব উপাদান জীবের জীবনীশক্তির জোগান দেয়, তাদের একসঙ্গে পরিপোষক বা নিউট্রিয়েন্টস বলে। প্রশ্ন \ ২ \ খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে কোনগুলো দেহ পরিপোষক? উত্তর : খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে শর্করা, আমিষ ও স্নেহ পদার্থ বা ফ্যাট দেহ পরিপোষক। প্রশ্ন \ ৩ \ খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে কোনগুলো দেহ সংরক্ষক? উত্তর : ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি দেহ সংরক্ষক খাদ্য উপাদান। প্রশ্ন \ ৪ \ শর্করা কী দ্বারা গঠিত? উত্তর : শর্করা কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন নিয়ে গঠিত। প্রশ্ন \ ৫ \ প্রতি গ্রাম শর্করা জারণে কী পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়? উত্তর : প্রতি গ্রাম শর্করা জারণে ৪.১ কিলোক্যালরি শক্তি উৎপন্ন হয়। প্রশ্ন \ ৬ \ আমিষে কী পরিমাণ নাইট্রোজেন থাকে? উত্তর : আমিষে ১৬% পরিমাণ নাইট্রোজেন থাকে। প্রশ্ন \ ৭ \ মানুষের মধ্যে কয় ধরনের অ্যামাইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে? উত্তর : মানুষের মধ্যে ২০ ধরনের অ্যামাইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রশ্ন \ ৮ \ চর্বি কী? উত্তর : চর্বি হলো সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড। প্রশ্ন \ ৯ \ উৎস অনুযায়ী স্নেহ পদার্থ কয় প্রকার? উত্তর : উৎস অনুযায়ী স্নেহ পদার্থ দুই প্রকার। প্রশ্ন \ ১০ \ ভিটামিন উ কোথায় সংশ্লেষিত হয়? উত্তর : ভিটামিন উ মানুষের দেহে সংশ্লেষিত হয়। প্রশ্ন \ ১১ \ লৌহের প্রধান কাজ কী? উত্তর : লৌহের প্রধান কাজ হিমোগেøাবিন গঠনে সাহায্য করা। প্রশ্ন \ ১২ \ অস্টিওম্যালেসিয়া কী? উত্তর : অস্টিওম্যালেসিয়া বয়স্ক মহিলাদের ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ। প্রশ্ন \ ১৩ \ থায়ামিন কী? উত্তর : ভিটামিন ই১ কে থায়ামিন বলে। প্রশ্ন \ ১৪ \ শর্করা ও প্রোটিনের ক্যালরি মান কত? উত্তর : শর্করা ও প্রোটিনের ক্যালরি

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় উন্নততর জীবনধারা Read More »

নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান

নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান

নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান তোমাদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। এখানে তোমরা দ্বিতীয় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট এর নমুনা উত্তর পেয়ে যাবে সেইসাথে এর প্রশ্ন গুলো তোমরা পেয়ে যাবে। নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ আজকের পোস্টটি নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এবং তাদের দ্বিতীয় সপ্তাহের বিজ্ঞানে অ্যাসাইনমেন্ট এর জন্য। তোমরা যারা নবম শ্রেণীতে পড়ো তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে তোমরা সম্পুর্ন পোস্ট টি পড়বে তাহলে তোমরা আজকের দ্বিতীয় সপ্তাহের বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট এর খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানতে পারবে। নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা কি জানো অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ এর ২য় সপ্তাহে তোমাদের জন্য কয়টি অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে? যে সকল শিক্ষার্থী এখনো জানতে পারোনি তাদের বলব দ্বিতীয় সপ্তাহে নবম শ্রেণীর জন্য তিনটি অ্যাসাইনমেন্ট রয়েছে। অ্যাসাইনমেন্ট ৩টি হল ইংরেজি বিজ্ঞান বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় আমরা তোমাদের ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট ২য় সপ্তাহের উত্তরটি ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছি। তোমরা যদি কেউ সেটি না দেখে থাকো তবে নিচের লিংক থেকে সেটি দেখে নিতে পারো। আমরা এখন বিজ্ঞান দ্বিতীয় সপ্তাহ নবম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ এর প্রশ্ন গুলো দেখে নেব। ৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ প্রশ্ন অ্যাসাইনমেন্ট নংঃ ১, প্রথম অধ্যায় উন্নততর জীবনধারা অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনামঃ একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক সূষম খাদ্য তালিকা প্রস্তুতকরণ। অ্যাসাইনমেন্ট শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ খাদ্য উপাদান ও আদর্শ খাদ্য পিরামিড ব্যাখ্যা করতে পারবে ভিটামিনের উৎস এবং এর অভাবজনিত প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে পারবে খাদ্য লবণের উৎস এবং এর অভাবজনিত প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে পারবে অ্যাসাইনমেন্ট নির্দেশনাঃ নিচের ধাপগুলো বিবেচনা করে খাদ্য উপাদান অনুযায়ী ২৫টি খাদ্যের নাম ছক আকারে উপস্থাপন একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক সুষম খাদ্যের বিভাজন একটি পাই চার্ট অংকন করে উপস্থাপন তোমার খাদ্য তালিকা থেকে প্রান্ত ভিটামিনগুলোর নাম ও অভাবজনিত রোগগুলোর নাম এবং প্রতিকারের উপায় বর্ণনা তোমার খাদ্য তালিকা থেকে কীকী খনিজ পদার্থ পাওয়া যায় তাদের নাম ও কাজ বর্ণনা ৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান অ্যাসাইনমেন্ট শুরু ’ক’ প্রশ্নের উত্তর ’খ’ প্রশ্নের উত্তর একজন পৃণবয়ঙ্ক মানুষের দৈনিক সুষম খাদ্যের বিভাজনের পাই চার্টনিন্নে উপস্থাপন করা হলোঃ একজন পূণবয়সের শারীরিক পরিশ্রম করা মানুষের দৈনিক ২০০০-২৫০০ কিলোক্যালরি খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন । ভিটামিন, খনিজ লবণ, রাফেজ বা আশের জন্য এর সাথে প্রয়োজনীয় শাক-সবজি এবং ফল খাওয়া প্রয়োজন । ’গ’ প্রশ্নের উত্তর খাদ্য তালিকা থেকে প্রাপ্ত ভিটামিনগুলোর নাম ও অভাবজনিত রোগের নাম এবং প্রতিকারের উপায় নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ ভিটামিনঃ যে জৈব খাদ্য উপাদান সাধারণ খাদ্যে অতি অল্প পরিমাণে থাকে এবং দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও পুষ্টি সহায়তা করে রোগ প্রতিরোধ শক্তিবৃদ্ধি করে তাকে ভিটামিন বলে। আমার খাদ্য তালিকা থেকে প্রাপ্ত ভিটামিনগুলোর নামঃ ১। ভিটামিন-এ ২। ভিটামিন-বি ৩। ভিটামিন-সি 8 ভিটামিন-ডি ৫। ভিটামিন-ই ৬। ভিটামিন-কে ১। ভিটামিন-এ অভাবজনিত রোগ ও প্রতিকারঃ ভিটামিন “এ’ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। দেহের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়। অনেক সময় ঘা, সি” কাশি, গলাব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গও দেখা দেয়। ভিটামিন ‘এ’ এর ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার সেরা চিকিৎসা হ’ল ভিটামিন “এ’ যুক্ত ডায়েট নেওয়া । সবুজ পাতা,হলুদ শাকসবজি, নলা ও ঢেলা মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন “এ’ পাওয়া যায়। ২। ভিটামিন বি এর অভাবজনিত রোগ ও প্রতিকারঃ ভিটামিন বি-এর অভাবে ঠোঁটের দুপাশে ফাটল দেখা দেয়, মুখে ও জিভে ঘা এবং ত্বক খসখসে হয়। চোখ দিয়ে পানি পড়ে। এর অভাবে তীব্র আলোতে চোখ খুলতে অসুবিধা হয়। ডাল এবং ডালজাতীয় খাবারে এই ভিটামনটি প্রচুর পরিমাণে থাকে । সাধারণত সামুদ্রিক মাছ, মাংস এবং বাদামে ভিটামিন বি- ৩ পাওয়া যায়। নিয়মিত ডিম, বাদাম, দু্ধজাত খাবার, ব্রোকোলি, পূর্ণ শস্য এবং শিম খেলে শরীরে এই ভিটামিনটির ঘাটতি দূর হয়। ৩। ভিটামিন-সি এর অভাবজনিত রোগ ও প্রতিকারঃ ভিটামিন সি- এর তীব্র অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়। এর অভাবে অস্থির গঠন শক্ত ও মজবুত হতে পারে না। ত্বকে ঘা হয় এবং ক্ষত শুকাতে দেরি হয়। দাঁতের মাড়ি ফুলে দাঁতের এনামেল উঠে যায়। আমলকী, লেবু কমলালেবু টমেটো, আনারস, পেয়ারা ইত্যাদি ভিটামিন সি- এর উৎস। তাই এগুলো নিয়মিত খেলে এর অভাব পূরণ করা যায়। ৪। ভিটামিন-ডি এর অভাবজনিত রোগ ও প্রতিকারঃ ভিটামিন ডি- এর অভাবে শিশুদের রিকেটস রোগ হতে পারে। দৈনিক চাহিদা থেকে বেশি পরিমান ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে শরীরের ক্ষতি হয়। এর ফলে অধিক ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষিত হওয়ায় রক্তে এদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যে কারণে বৃক্ধ (কিডনি), হৃৎপিও, ধমনি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম জমা হতে থাকে । ডিমের কুসুম, দুধ এবং মাখন ভিটামিন ডি- এর প্রধান উৎস। বাঁধাকপি, যকৃৎ এবং তেলসমৃদ্ধ মাছে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাই এগুলো নিয়মিত খেলে এর অভাব পূরণ করা যায়। ৫। ভিটামিন-ই এর অভাবজনিত রোগ ও প্রতিকারঃ ভিটামিন ই- এর অভাবে জরায়ুর মধ্যে ভ্রুণের মৃত্যুও হতে পারে। দৈনিক সুষম খাদ্য গ্রহণ করলে এই ভিটামিনের বিশেষ অভাব হয় না। শস্যদানার তেল তুলা বীজের তেল, সূযগুখী বীজের তেল, লেটুস পাতা ইত্যাদিতে ভিটামিন-ই পাওয়া যায়। মানুষের শরীরে ভিটামিন-ই হলো এন্টিঅক্সিডেন্ট, যেটি ধমনিতে চর্বি ৬। ভিটামিন-কে এর অভাবজনিত রোগ ও প্রতিকারঃ যকৃত থেকে পিত্তরস নিঃসৃত হয়। পিত্তরস নিঃসরণে অসুবিধা হলে ভিটামিন-কে এর শোষণ কমে যায় । ভিটামিন- কে এর অভাবে ত্বকের নিচে ও দেহাভ্যন্তরে যে রক্ত ক্ষরণ হয় তা বন্ধ করার ব্যবস্থা না নিলে রোগী মারা যেতে পারে । ভিটামিন- কে সম্পূরক খাওয়ার ওষুধ অথবা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ | ভিটামিন- কে সমৃদ্ধ খাদ্যগ্রহণ,যেমন- সবুজ পাতাওয়ালা সবজি, বাঁধাকপি, ব্রোকোলি। . ’ঘ’ প্রশ্নের উত্তর আমার খাদ্য তালিকায় প্রাপ্ত খনিজ পদার্থের নাম ও কাজ নিম্নে উল্লেখ্য করা হলোঃ আমার খাদ্য তালিকায় প্রাপ্ত খনিজ পদার্থের নামঃ ১। লৌহ ২। ক্যালসিয়াম ৩। ফসফরাস ১। লৌহঃ লৌহ রক্তের একটি প্রধান উপাদান। প্রতি ১০০ 11] রক্তে লৌহের পরিমাণ প্রায় ৫০179। যকৃৎ, প্লীহা, অস্থিমজ্জা এবং লোহিত রক্তকণিকায় এটি সঞ্চিত থাকে । লৌহের উদ্ভিজ্জ উৎস হচ্ছে ফুলকপির ইত্যাদি। গ্রাণিজ উৎস হচ্ছে মাছ, মাংস, ডিম, যকৃৎ ইত্যাদি। লৌহের প্রধান কাজ হিমোপ্পোবিন গঠনে সহায়তা করা। হিমোগ্নাবিনের পরিমাণ কমে গেলে রক্তশূন্যতা রোগ হয়। রক্তশূন্যতা রোগের লক্ষণ হচ্ছে চোখ ফ্যাকাসে হওয়া, হাত-পা ফোলা, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, বুক ধড়ফড় করা ইত্যাদি। ২। ক্যালসিয়ামঃ এটি প্রাণীদের হাড় এবং দাঁতের একটি প্রধান উপাদান । খনিজ পদার্থের মধ্যে দেহে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সবচেষে বেশি । অস্থি এবং দাঁতে ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়ামের সাথে। যুক্ত হয়ে এর ৯০% শরীরে সঞ্চিত থাকে । হাড় এবং দাঁতের গঠন শক্ত রাখার জন্য ক্যালসিয়াম একটি অতিপ্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ । এছাড়া ক্যালসিয়াম রক্ত সঞ্চালনে, হৃৎপিণ্ডের পেশির স্বাভাবিক সংকোচনে এবং স্নায়ু ও পেশির সঞ্চালনে ৩। ফসফরাসঃ দেহে পরিমাণের দিক থেকে খনিজ লবণগুলোর মধ্যে ক্যালসিয়ামের পরই ফসফরাসের স্থান। ফসফরাসও ক্যালসিয়ামের মতো হাড়ের একটি প্রধান উপাদান । ফসফরাস হাড়, যকৃৎ এবং রক্তরসে সঞ্চিত থাকে । নিউক্লিক এসিড, নিউক্লিয় প্রোটিন তৈরি এবং শর্করা বিপাকের দ্বারা শক্তি উৎপাদনে ফসফরাস প্রধান ভুমিকা রাখে । ক্যালসিয়ামের মতো হাড় এবং দাঁত গঠন করা ফসফরাসের প্রধান কাজ। ফসফরাসের অভাবে রিকেটস,

নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান Read More »

দশম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান

দশম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান

দশম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান পোস্টে সকলকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে তোমরা যারা দশম শ্রেণীর মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী তারা তোমাদের দ্বিতীয় সপ্তাহের বিজ্ঞানের উত্তর পেয়ে যাবে। দশম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ দশম শ্রেণীর জন্য ২য়  সপ্তাহে নিম্নোক্ত ৪টি বিষয়ে লিখতে হবে বাংলা ইংরেজি বিজ্ঞান বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় তোমরা নিশ্চয়ই ইতোমধ্যে জেনে গেছ দ্বিতীয় সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ এ তোমাদের তিনটি বিষয় এর উত্তর লিখতে হবে। যার একটি হচ্ছে বিজ্ঞান। আজকে আমরা সেই বিজ্ঞান বিষয়টির নমুনা উত্তর নিয়ে আলোচনা করব। বিজ্ঞান দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ আলোচনার পূর্বে আমাদের অবশ্যই দেখে নিতে হবে এর প্রশ্ন গুলো। তোমরা অনেকেই প্রশ্ন না দেখে সরাসরি উত্তর সেকশনে চলে যাও এবং সেখান থেকে উত্তরটি কালেক্ট করে তোমাদের অ্যাসাইনমেন্ট খাতায় লিখে দাও। যদিও এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। না দেখে যদি তোমরা অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর লেখ তাহলে তোমাদের শিখনফল অর্জিত হবে না। তাই সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে তোমরা অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন গুলো দেখবে তারপর উত্তর দেখবে। তাহলে চলো দশম শ্রেণীর বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমরা তোমাদের দ্বিতীয় সপ্তাহ বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন গুলো দেখে নিই। ১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ প্রশ্ন অ্যাসাইনমেন্ট নংঃ ১, ষষ্ঠ অধ্যায় পলিমার অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বিভিন্ন প্রকার তন্তু ও এর ব্যবহার অ্যাসাইনমেন্ট শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম তন্তু ও বস্ত্রেে উৎস, বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহার বর্ণনা করতে পারবে তন্তু হতে সুতা তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে পারবে বিভিন্ন প্রকার তন্তুর বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারবে রাবার ও প্লাস্টিকের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম ব্যাখ্যা করতে পারবে অ্যাসাইনমেন্ট নির্দেশনাঃ নিচের ধাপগুলো বিবেচনা করে কাপড় তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ১০টি তন্তুর তালিকা তৈরি করে শ্রেণিবিন্যাস করণ উদাহরণসহ ত্তু থেকে সুতা তৈরির ধাপ রেশম তন্তু থেকে সুতা তৈরির প্রবাহচিত্র অংকন পরিবেশের ভারসাম্যহীনতায় রাবার ও প্লাস্টিকের ভূমিকা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর শিঘ্রই প্রাকশ করা হবে . . . আরো পড়ুনঃ সকল অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ দেখুন এখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ৭ম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ৮ম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ৯ম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ১০ম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাওবি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ৭ম শ্রেণির বাওবি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ৮ম শ্রেণির বাওবি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ৯ম শ্রেণির বাওবি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ১০ম শ্রেণির বাওবি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ১০ম শ্রেণির বাংলা ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ আমাদের ইউটিউব লিংক https://www.youtube.com/channel/UCea_DqYt9NegZgE5A-mdIag ফেজবুক পেজ (সমস্যা ও সমাধান) https://web.facebook.com/shomadhan.net assignment all class (6-9)📝📝 https://web.facebook.com/groups/287269229272391

দশম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১৩ জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১৩ জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১৩ জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য অধিক —- ও জায়গার প্রয়োজন। ২) বিজ্ঞান ও —- ব্যাপক অগ্রগতির জন্য জনসংখ্যা দ্রæত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৩) অধিক প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য মানুষ প্রাকৃতিক —- ধ্বংস ও পরিবর্তন করছে। উত্তর : ১) খাদ্য ২) প্রযুক্তির ৩) পরিবেশ। ২. সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (√) দাও। ১) ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সাথে স্থান এবং খাদ্যের সম্পর্ক কোনটি? ক. খাদ্য উৎপাদন বাড়লে স্থান ও জনসংখ্যা বাড়বে। √ খ. জনসংখ্যা বাড়লে স্থান ও খাদ্যের চাহিদা বাড়বে। গ. জনসংখ্যা বাড়লে স্থান ও খাদ্যের চাহিদা কমবে। ঘ. জনসংখ্যা বাড়লে স্থান ও খাদ্যের চাহিদা একই থাকবে। ৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : ১) বনভ‚মি ধ্বংসের ফলে কী ঘটতে পারে? উত্তর : বনভ‚মি ধ্বংসের ফলে বিভিন্ন গাছপালা ও পশুপাখি বিলুপ্ত হতে পারে এবং ভ‚মিক্ষয় ও ভ‚মিধ্বস হতে পারে। ২) মানুষ কীভাবে বনভ‚মি ধ্বংস করছে? উত্তর : অতিরিক্ত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ, যেমন- চাষের জমি, গোখাদ্য, বাসস্থান ও রাস্তাঘাট তৈরির জন্য মানুষ বনভ‚মি ধ্বংস করছে। ৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন : ১) জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে খাদ্য ও বাসস্থানের চাহিদার সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর। উত্তর : জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে খাদ্য ও বাসস্থানের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। খাদ্য ও বাসস্থান মানুষের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি মৌলিক অধিকার। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য ও বাসস্থান প্রয়োজন। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, খাদ্য ও বাসস্থানের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। জনসংখ্য যত বাড়বে, তত বেশি খাবারের প্রয়োজন হবে। বাড়তি মানুষের বসবাসের জন্য বেশি জায়গা প্রয়োজন হবে। জনসংখ্যা যদি ক্রমাগত বাড়তে থাকে, তাহলে সবার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও জায়গা থাকবে না। ২) জনসংখ্যার উপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির প্রভাব কী? উত্তর : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ। বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার মতো মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো সহজে পূরণ হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তির কারণে মানুষ যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন করতে পারছে। চিকিৎসা প্রযুক্তির উন্নতির ফলে মানুষ বিভিন্ন রোগ ও দুর্ঘটনা থেকে সহজেই বাঁচতে পারছে। ফলে মানুষ দীর্ঘায়ু লাভ করছে। কাজেই বলা যায়, জনসংখ্যা বৃদ্ধির উপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রভাব অপরিসীম। ৩) বাড়তি জনসংখ্যা প্রাকৃতিক সম্পদের উপর কী প্রভাব ফেলেছে? উত্তর : বাড়তি জনসংখ্যা প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষতি সাধন করছে। পৃথিবীর জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ সীমিত। কাজেই প্রাকৃতিক সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশে পরিবর্তন ঘটছে, কখনো কখনো পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। বাড়তি জনসংখ্যার জন্য বাড়তি খাবার, বাসস্থান, জমি, শক্তি ও অন্যান্য সম্পদের প্রয়োজন। এই অতিরিক্ত খাদ্য ও বাসস্থানের চাহিদা মেটাতে মানুষ গাছপালা কেটে বনভূমি ধ্বংস করছে, পাহাড় কেটে রাস্তাঘাট তৈরি করছে। বনভ‚মি ধ্বংসের ফলে গাছপালা ও পশুপাখি বিলুপ্ত হচ্ছে, ভ‚মিক্ষয় ও ভ‚মিধ্বস হচ্ছে, বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা প্রভাবিত হচ্ছে। জ্বালানি সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ৫. বামপাশের শব্দের সাথে ডানপাশের শব্দের মিল করি। আবাসস্থল ধ্বংসের ফল প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ চিকিৎসা প্রযুক্তির উন্নতি খরা জীবের বিলুপ্তি মানুষের দীর্ঘায়ু পরিবেশের পরিবর্তন উত্তর : আবাসস্থল ধ্বংসের ফল —- জীবের বিলুপ্তি। প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ —- পরিবেশের পরিবর্তন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ —- খরা। চিকিৎসা প্রযুক্তির উন্নতি —- মানুষের দীর্ঘায়ু।   চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১৩ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর ⇒ শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) বেঁচে থাকার জন্য মানুষের —- সম্পদ প্রয়োজন। ২) পৃথিবীর —- ক্রমাগত বাড়ছে। ৩) অধিক জনসংখ্যার জন্য অধিক —- ও —- প্রয়োজন। ৪) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে মানুষ যথেষ্ট পরিমাণ —- উৎপাদন করতে পারছে। ৫) চিকিৎসা প্রযুক্তির উন্নতির ফলে মানুষ —- ও —- থেকে বাঁচতে পারছে। ৬) বনভ‚মি ধ্বংসের ফলে বিভিন্ন গাছপালা ও পশুপাখির —- নষ্ট হয়। ৭) বনভ‚মি ধ্বংসের ফলে —- ও —- হচ্ছে। ৮) প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিবর্তন বৃষ্টিপাত ও —- উপর প্রভাব ফেলে। উত্তর : ১) প্রাকৃতিক ২) জনসংখ্যা ৩) খাদ্য, জায়গা ৪) খাদ্য ৫) রোগ, দুর্ঘটনা ৬) আবাসস্থল ৭) ভ‚মিক্ষয়, ভ‚মিধ্বস ৮) তাপমাত্রার। ⇒ বামপাশের শব্দের সাথে ডানপাশের শব্দের মিল কর। অধিক জনসংখ্যা মানুষের প্রয়োজন বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন গাছপালার আবাসস্থল ধ্বংস বনভ‚মি ধ্বংস প্রাকৃতিক সম্পদ জীবের বিলুপ্তি ভ‚মিক্ষয় ও ভ‚মিধ্বস অধিক খাবার খাদ্য ও বাসস্থান উত্তর : অধিক জনসংখ্যা —- অধিক খাবার। মানুষের প্রয়োজন —- প্রাকৃতিক সম্পদ। বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন —- খাদ্য ও বাসস্থান। গাছপালার আবাসস্থল ধ্বংস —- জীবের বিলুপ্তি। বনভ‚মি ধ্বংস —- ভ‚মিক্ষয় ও ভ‚মিধ্বস। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১৩সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর ১. জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকলে কী ঘটবে? উত্তর : জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকলে সকলের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও বাসস্থানের অভাব ঘটবে। ২. জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ কী? উত্তর : জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক অগ্রগতি। ৩. মানুষ কেন দীর্ঘায়ু লাভ করছে? উত্তর : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে মানুষ দীর্ঘায়ু লাভ করছে। ৪. তিনটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম লেখ। উত্তর : তিনটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলো- ১) বন্যা ২) খরা ৩) ঝড়। ৫. ভ‚মিক্ষয় ও ভ‚মিধ্বসের কারণ কী? উত্তর : বনভ‚মি ধ্বংসের ফলে ভ‚মিক্ষয় ও ভ‚মিধ্বস হয়। ৬. বাড়তি জনসংখ্যার জন্য কী প্রয়োজন? উত্তর : বাড়তি জনসংখ্যার জন্য বাড়তি খাবার, বাসস্থান, জমি, শক্তি এবং অন্যান্য সম্পদ প্রয়োজন। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১৩ কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর ⇔ সাধারণ ১. জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকলে বাসস্থানের জায়গা থাকবে না কেন? ব্যখ্যা কর। উত্তর : যেকোনো দেশের জায়গার পরিমাণ সীমিত। তাই জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকলে একপর্যায়ে বাসস্থানের জায়গা থাকবে না। বেঁচে থাকার জন্য মানুষের প্রাকৃতিক সম্পদ প্রয়োজন। জায়গা বা ভ‚মি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। জনসংখ্যার সাথে জায়গা ও খাদ্যের একটি সম্পর্ক রয়েছে। অধিক জনসংখ্যার জন্য অধিক জায়গা ও খাদ্যের প্রয়োজন। বাড়তি জনগণের খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজন অধিক কৃষিজমি। অন্যান্য চাহিদা, যেমন- বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, যাতায়াত ইত্যাদির জন্য বনভ‚মি ধ্বংস করা হয়। এভাবে ধীরে ধীরে জমির পরিমাণ কমতে থাকে। তাই জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকলে একসময় বসবাস উপযোগী জায়গা থাকবে না। ২. প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ ব্যাখ্যা কর। উত্তর : প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি আবহাওয়ার উপাদানগুলো পরিবর্তিত হয়। এর ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। বিশ্বের জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাড়তি জনসংখ্যার বিভিন্ন চাহিদা পূরণে অতিরিক্ত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করতে হয়। এর ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিবর্তন ঘটে, কখনো কখনো পরিবেশ ধ্বংস হয়। বনভ‚মি ধ্বংসের ফলে ভ‚মিক্ষয় ও ভ‚মিধ্বস ঘটে। প্রাকৃতিক পরিবেশের এই পরিবর্তন বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার উপর প্রভাব ফেলে। এর ফলে বন্যা, খরা ও ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি হয়। ⇔ যোগ্যতাভিত্তিক ৩. জনসংখ্যার সাথে জায়গা ও খাদ্যের সম্পর্ক কী? বর্তমানে মানুষ দীর্ঘায়ু লাভ করছে কেন? বাড়তি জনসংখ্যার কারণে তুমি কী কী সমস্যার সম্মুখীন হও? আলোচনা কর। উত্তর : জনসংখ্যার সাথে জায়গা ও খাদ্যের একটি সম্পর্ক রয়েছে। তা হলো- অধিক জনসংখ্যার জন্য অধিক

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১৩ জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১২ আমাদের জীবনে তথ্য

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১২ আমাদের জীবনে তথ্য

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১২ আমাদের জীবনে তথ্য অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) আমাদের জীবনকে সহজ করে তথ্য ও —- প্রযুক্তি। ২) গুহার দেয়ালে ছবি এঁকে বা —- এর সাহায্যে মানুষ তথ্য সংরক্ষণ করতো। ৩) তথ্যের ব্যবহার বলতে বোঝায় তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও তথ্যের —-। উত্তর : ১) যোগাযোগ, ২) লিথোগ্রাফ, ৩) বিনিময়। ২. সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (√) দাও। ১) কোনটি যোগাযোগের আধুনিক প্রযুক্তি? ক. ধোঁয়ার সংকেত √খ. ইন্টারনেট গ. বার্তাবাহী পায়রা ঘ. ঢাক ২) তোমার বন্ধুর অভিজ্ঞতার তথ্য সংগ্রহের সর্বোত্তম উপায় কোনটি? ক. রেডিও শোনা খ. টিভি দেখা গ. বইপড়া √ঘ. বন্ধুকে জিজ্ঞেস করা ৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : ১) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় এমন চারটি ক্ষেত্রের নাম লেখ। উত্তর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন- ব্যবসা, শিক্ষা, চিকিৎসা ও কৃষি। ২) তথ্য বিনিময়ের সময় কোন কোন বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হতে হবে? উত্তর : তথ্য বিনিময়ের সময় কোন তথ্যটি বিনিময় করতে চাচ্ছি এবং তা সঠিকভাবে বিনিময় করছি কি না সে বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। ৩) তথ্য সংগ্রহের চারটি উৎসের নাম লেখ। উত্তর : তথ্য সংগ্রহের বিভিন্ন উৎস রয়েছে। যেমন- জনসাধারণ, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, ইন্টারনেট ইত্যাদি। ৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন : ১) তথ্যের যথাযথ ব্যবহারের চারটি ধাপ ব্যাখ্যা কর। উত্তর : তথ্যের যথাযথ ব্যবহার বলতে বোঝায় তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিনিময়। নিচের ধাপগুলোর মাধ্যমে তথ্যের যথাযথ পদ্ধতি দেখানো হলো- ধাপ ১ : কোন বিষয়ের তথ্য প্রয়োজন তা নির্দিষ্ট করা- আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে প্রচুর তথ্যের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে রয়েছে সংবাদ, আবহাওয়া, খেলাধুলা, বিভিন্ন ঘটনা, উন্নত চিন্তাধারা বা মানুষের জীবনের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য। ধাপ ২ : তথ্যের উৎস ও সংগ্রহের উপায় নির্ণয়- আমাদের অবশ্যই প্রয়োজনীয় তথ্যের উৎস ও তা সংগ্রহের উপায় নির্ণয় করতে হবে। পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে, সরাসরি মানুষকে জিজ্ঞাসা করে আমরা তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। তথ্যের বিভিন্ন উৎস রয়েছে। যেমন- জনসাধারণ, সংবাদপত্র, বই, রেডিও, টিভি, ইন্টারনেট ইত্যাদি। ধাপ ৩ : তথ্য সংগ্রহ- প্রয়োজনীয় তথ্যটি নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে ও সর্বোত্তম উপায়ে সংগ্রহ করতে হবে। তথ্যটি সংগ্রহের সময় অবশ্যই তা সংরক্ষণ করতে হবে। আমরা নোটবই বা কাগজে লিখে তথ্য সংরক্ষণ করতে পারি। আবার বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ প্রযুক্তি যেমন- ক্যামেরা, সিডি, ডিভিডি ইত্যাদি ব্যবহার করেও তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। ধাপ ৪ : তথ্য বিনিময়- তথ্য বিনিময়ের পূর্বে সংরক্ষিত তথ্য সুন্দরভাবে সাজাতে হবে। তথ্য বিনিময়ের সময় কোন তথ্যটি বিনিময় করতে চাচ্ছি এবং তা সঠিকভাবে বিনিময় করছি কি না সে বিষয়ের অধিক মনোযোগী হতে হবে। ২) কীভাবে তথ্য সংরক্ষণ করা যায় ব্যাখ্যা কর। উত্তর : কাগজে লিখে এবং বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। প্রতিদিন আমরা প্রচুর তথ্য পাই। এই তথ্যের পরিমাণ খুব দ্রæত বাড়ছে। তথ্যের যথাযথ ব্যবহারের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দুটি ভাগ হলো- যোগাযোগ প্রযুক্তি ও তথ্য সংরক্ষণ প্রযুক্তি। আমরা নোট বই বা কাগজে লিখে তথ্য সংরক্ষণ করতে পারি। আবার বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ প্রযুক্তি যেমন- ক্যামেরা, সিডি, ডিভিডি ইত্যাদি ব্যবহার করেও তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। ৫. বামপাশের শব্দের সাথে ডানপাশের শব্দের মিল করি। যোগাযোগ প্রযুক্তি তথ্য সংরক্ষণ তথ্যের উৎস তথ্য সংগ্রহের একটি উপায় টেলিভিশন পর্যবেক্ষণ ক্যামেরা টেলিফোন উত্তর : যোগাযোগ প্রযুক্তি —- টেলিফোন। তথ্য সংরক্ষণ —- ক্যামেরা। তথ্যের উৎস —- টেলিভিশন। তথ্য সংগ্রহের একটি উপায় —- পর্যবেক্ষণ।   চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১২ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর ⇒ শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে সংক্ষেপে —- বলা হয়। ২) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে —- করে। ৩) আইসিটিকে প্রধানত —- ভাগে ভাগ করা যায়। ৪) যোগাযোগ প্রযুক্তির ইতিহাস শুরু হয়েছে —- বছর আগে। ৫) প্রাচীনকালে মানুষ —- সংকেত পাঠিয়ে ও —- বাজিয়ে যোগাযোগ করত। ৬) —- মাধ্যমে, সরাসরি মানুষকে —- করে আমরা তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। ৭) প্রয়োজনীয় তথ্যটি —- উৎস ও —- উপায়ে সংগ্রহ করতে হবে। ৮) তথ্যটি সংগ্রহের সময় অবশ্যই তা —- করতে হবে। ৯) তথ্য —- পূর্বে সংরক্ষিত তথ্য সুন্দরভাবে সাজাতে হবে। ১০) —- আবিষ্কারের ফলে মানুষ অনেক তথ্য বইতে ছাপিয়ে সংরক্ষণ করতে শুরু করে। উত্তর : ১) আইসিটি, ২) সহজ, ৩) দুই, ৪) হাজার, ৫) ধোঁয়ার ঢোল, ৬) পর্যবেক্ষণের, জিজ্ঞাসা, ৭) নির্ভরযোগ্য, সর্বোত্তম, ৮) সংরক্ষণ, ৯) বিনিময়ের, ১০) ছাপাখানা। ⇒ বামপাশের শব্দের সাথে ডানপাশের শব্দের মিল কর। টেলিগ্রাফ তারের মধ্য দিয়ে সংকেত পাঠানো টেলিফোন দেয়ালে ছবি আঁকা পেনড্রাইভ টেলিভিশন স্যামুয়েল মোর্স আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল ব্যারন শিলিং তথ্য সংগ্রহ লিথোগ্রাফ তথ্য সংরক্ষণ উত্তর : টেলিগ্রাফ —- ব্যারন শিলিং। তারের মধ্য দিয়ে সংকেত পাঠানো —- স্যামুয়েল মোর্স। টেলিফোন —- আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। দেয়ালে ছ্িব আঁকা —- লিথোগ্রাফ। পেনড্রাইভ —- তথ্য সংরক্ষণ। টেলিভিশন —- তথ্য সংগ্রহ। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১২ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর ১. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? কী কী? উত্তর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ক) যোগাযোগ প্রযুক্তি খ) তথ্য ও সংরক্ষণ প্রযুক্তি। ২. টেলিফোন কে এবং কত সালে আবিষ্কার করেন? উত্তর : আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল ১৮৭৬ সালে টেলিফোন আবিষ্কার করেন। ৩. যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত তিনটি আইসিটি যন্ত্রের নাম লেখ। উত্তর : যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত তিনটি আইসিটি যন্ত্র হলো ক) কম্পিউটার খ) মোবাইল ফোন এবং গ) ইন্টারনেট। ৪. তথ্যের যথাযথ ব্যবহার বলতে কী বোঝায়? উত্তর : তথ্যের যথাযথ ব্যবহার বলতে তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিনিময় বোঝায় । ৫. তথ্যের যথাযথ ব্যবহারের চারটি ধাপ কী কী? উত্তর : তথ্যের যথাযথ ব্যবহারের চারটি ধাপ হলো- ক) কোন বিষয়ের তথ্য প্রয়োজন তা নির্দিষ্ট করা খ) তথ্যের উৎস ও সংগ্রহের উপায় নির্ণয় গ) তথ্য সংগ্রহ ঘ) তথ্য বিনিময়। ৬. তথ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত তিনটি প্রযুক্তির নাম লেখ। উত্তর : তথ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত তিনটি প্রযুক্তি হলো – ক) ক্যামেরা খ) সিডি গ) ডিভিডি। ৭. আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য কোথা থেকে জানা যায়? উত্তর : আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য বিভিন্ন মাধ্যম যেমন- রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র, ইন্টারনেট ইত্যাদি থেকে জানা যায়। ৮. যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত তিনটি আইসিটি যন্ত্রের নাম লেখ। উত্তর : যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত তিনটি আইসিটি যন্ত্র হলো- ক) কম্পিউটার খ) মোবাইল ফোন গ) ইন্টারনেট। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১২ কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর ⇔ সাধারণ ১. আমাদের জীবনে তথ্যের গুরুত্ব উল্লেখ কর। উত্তর : তথ্য ব্যবহার করে আমরা জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে পারি বলে আমাদের জীবনে তথ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করে। কারণ এ প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা বিভিন্ন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। ব্যবসা, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করে আমরা লাভবান হতে পারি। যেমন- জমিতে কোন ফসলের জন্য

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১২ আমাদের জীবনে তথ্য Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১১ জীবনের নিরাপত্তা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১১ জীবনের নিরাপত্তা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা

৪র্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১১ জীবনের নিরাপত্তা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা যা আমাদের শরীরের বা সম্পদের ক্ষতি সাধন করে তাই —-। ২) সাপ বনজঙ্গল ছাড়াও —- আশেপাশে থাকে। ৩) আমরা —- শিখে পানিতে ডোবা প্রতিরোধ করতে পারি। ৪) শরীরের কোনো অঙ্গ —- উৎসের সংস্পর্শে এলে মানুষ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। উত্তর: ১) দুর্ঘটনা, ২) বাড়িঘরের, ৩) সাঁতার, ৪) বিদ্যুৎ। ২. সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (√) দাও। ১) আগুন লাগা জনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধের ভালো উপায় কী? ক. শুকনো কাপড় বা কাগজ চুলার কাছাকাছি রাখা খ. আগুন নিয়ে খেলা করা গ. রান্নার সময় লম্বা হাতাওয়ালা পোশাক পরা √ঘ. আগুন থেকে দূরে থাকা ২) পুড়ে যাওয়া রোগীর জন্য আমরা কী করব? √ক. পোড়া স্থানে ঠাণ্ডা পানি ঢালব খ. পোড়া স্থানে বরফ লাগাব গ. পোড়া স্থানে লোশন বা মাখন ব্যবহার করব ঘ. যত দ্রæত সম্ভব ফোস্কা গলিয়ে ফেলব ৩) সাপে কাটা রোগীর জন্য আমরা কী করব? ক. চুষে বিষ বের করার চেষ্টা করব √খ. রোগীকে যথাসম্ভব স্থির রাখব গ. ক্ষতস্থানের চারপাশের চামড়া কেটে ফেলব ঘ. সাপটি ধরার চেষ্টা করব ৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : ১) বাড়িতে কী কী দুর্ঘটনা ঘটতে পারে? উত্তর : বাড়িতে সচরাচর যে সকল দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তার মধ্যে রয়েছে পড়ে যাওয়া, কেটে যাওয়া, আগুন লাগা, পুড়ে যাওয়া, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, বিষক্রিয়া ঘটা ইত্যাদি। ২) আমরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে কীভাবে বিদ্যুতের উৎস থেকে আলাদা করব? উত্তর : বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে বিদ্যুতের উৎস থেকে আলাদা করার উপায় নিচে দেওয়া হলোÑ ক. মেইন সুইচ বন্ধ করে বা বৈদ্যুতিক প্লাগ খুলে ফেলে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। খ. বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব না হলে শুকনো কাঠ বা বাঁশ দিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে বিদ্যুতের উৎস থেকে আলাদা করতে হবে। এ সময় প্লাস্টিকের মাদুর, চটের বস্তা বা মোটা কাগজের উপর দাঁড়িয়ে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। ৩) কীভাবে আগুনে পোড়া ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়? উত্তর : আগুনে পোড়া ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার উপায় হলোÑ ক. পোড়া স্থানে কমপক্ষে ১০ মিনিট ঠাণ্ডা পানি ঢালতে হবে। খ. পোড়া স্থানে বরফ ব্যবহার করা যাবে না এবং ফোস্কা গলানো যাবে না। গ. সামান্য পোড়ায় বার্নল বা পানি নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে হবে। ঘ. প্রয়োজনে যত দ্রæত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন : ১) প্রাথমিক চিকিৎসার সাধারণ নিয়মগুলো কী কী? উত্তর : প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু সাধারণ নিয়ম রয়েছে। যেমনÑ ক. সাহায্য চাওয়া : সর্বপ্রথম আমাদেরকে বড় কাউকে ডাকতে হবে বা জরুরি সেবার জন্য সাহায্য চাইতে হবে। খ. নিজেকে নিরাপদ রাখা : আহত কোনো ব্যক্তিকে সাহায্যের পূর্বে আমাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে আমরা নিজেরাই দুর্ঘটনায় পড়তে পারি। গ. আহত ব্যক্তিকে স্থির রাখা : প্রয়োজন ছাড়া আহত ব্যক্তিকে নাড়াচাড়া না করা। ঘ. আহত ব্যক্তিকে শান্ত রাখা : আহত ব্যক্তিকে উৎসাহমূলক কথা বলে শান্ত রাখা। ২) আমরা পানিতে ডুবতে থাকা কোনো মানুষকে কীভাবে উদ্ধার করব? উত্তর : পানিতে ডুবতে থাকা ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য আমরা তার হাতের নাগালে লম্বা দড়ি বা লাঠি ধরব। তা না হলে ভেসে থাকতে পারে এমন বস্তু যেমনÑ বড় কাঠের টুকরা, কলাগাছ ইত্যাদি পানিতে ভাসিয়ে দেব, ডুবতে থাকা ব্যক্তি যেন সেটি ধরে ভাসতে পারে ও উঠে আসতে পারে। একা একা সাঁতার কেটে উদ্ধারের চেষ্টা করব না। এতে করে নিজের ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ৩) সাপে কাটা কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়? উত্তর : আমরা বিভিন্ন উপায়ে সাপে কাটা প্রতিরোধ করতে পারি। যেমনÑ ক. সাপ নিয়ে নাড়াচাড়া বা খেলাধুলা করব না। খ. সাপ থাকতে পারে এমন জায়গা যেমনÑ ঘন ঘাস বা ঝোপঝাড়, ইট বা পাথরের ফাঁক, গর্ত ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। গ. জঙ্গল বা ঝোপঝাড়ে যেতে হলে অবশ্যই লম্বা লাঠি ব্যবহার করতে হবে। ঘ. রাতে চলাফেরার সময় টর্চ লাইট বা অন্য বাতি ব্যবহার করতে হবে। ঙ. বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, যাতে সাপ লুকিয়ে থাকতে না পারে। ৪) দুর্ঘটনায় পড়া কোনো মানুষ শ্বাস না নিলে আমরা কী করব? উত্তর : দুর্ঘটনায় পড়া কোনো মানুষ শ্বাস না নিলে আমরা যা করব তা হলোÑ ক. রোগীকে চিত করে শুইয়ে দিতে হবে এবং থুতনি আলতো করে উপরে তুলে ধরতে হবে। খ. রোগীর নাক চেপে ধরে মুখে মুখ লাগিয়ে কয়েকবার ফুঁ দিতে হবে, যতক্ষণ না রোগীর বুক ফুলে উঠে। তবে মাঝে মাঝে রোগীকে শ্বাস ছাড়ার জন্য সময় দিতে হবে। এতে রোগীর বুক ফুলে না উঠলে তার মাথার অবস্থান পরিবর্তন করে পুনরায় ফুঁ দিতে হবে। একটু উপরে দড়ি বা কাপড় দিয়ে শক্ত করে বাঁধতে হয়। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১১ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর ⇒ শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) বেশির ভাগ দুর্ঘটনাই —- করা সম্ভব। ২) সাধারণত —- মানুষ বেশি সাপে কাটার শিকার হয়। ৩) রান্নার সময় —- পোশাক পরা যাবে না। ৪) দুর্ঘটনায় সবার আগে নিজের —- কথা চিন্তা করতে হবে। ৫) আগুনে পোড়া স্থানে কমপেক্ষ —- ঠাণ্ডা পানি ঢালতে হবে। ৬) আগুনে পোড়া স্থানে —- ব্যবহার করা যাবে না। ৭) মানবদেহের মধ্য দিয়ে —- প্রবাহিত হতে পারে। ৮) যত দ্রæত সম্ভব বিদ্যুতের উৎস থেকে —- ব্যক্তিকে আলাদা করতে হবে। ৯) সাপে কাটলে যত দ্রæত সম্ভব —- পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। ১০) সাপে কাটলে চিকিৎসার জন্য —- কাছে যাওয়া যাবে না। উত্তর : ১) প্রতিরোধ, ২) গ্রামাঞ্চলের, ৩) লম্বা হাতাওয়ালা বা ঢিলেঢালা, ৪) নিরাপত্তার, ৫) ১০ মিনিট, ৬) বরফ ৭) বিদ্যুৎ, ৮) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, ৯) ডাক্তারের, ১০) ওঝা বা সাপুড়ের। ⇒ বাম পাশের শব্দের সাথে ডান পাশের শব্দের মিল কর। হঠাৎ দুর্ঘটনা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট গ্রামাঞ্চল ম্যাচ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র শরীর ও সম্পদের ক্ষতি শুকনো লাঠি বেশি সাপে কাটা অগ্নিকাণ্ড আগুন নেভানো উত্তর : হঠাৎ দুর্ঘটনা —- শরীর ও সম্পদের ক্ষতি। গ্রামাঞ্চল —- বেশি সাপে কাটা। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র —- আগুন নেভানো। শুকনো লাঠি —- বিদ্যুৎস্পৃষ্ট। অগ্নিকাণ্ড —- ম্যাচ। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১১ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর ১. দুর্ঘটনার ফলে কী হয়? উত্তর : দুর্ঘটনার ফলে আমাদের শরীর ও সম্পদের ক্ষতি হয়। ২. আমরা কীভাবে পানিতে ডোবা প্রতিরোধ করতে পারি? উত্তর : সাঁতার শিখে আমরা পানিতে ডোবা প্রতিরোধ করতে পারি। ৩. কোন অঞ্চলের মানুষ বেশি সাপে কাটার শিকার হয়? উত্তর : সাধারণত গ্রামাঞ্চলের মানুষ বেশি সাপে কাটার শিকার হয়। ৪. অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে কীভাবে? উত্তর : রান্নার সময় অসাবধানতা, মোমবাতি বা কুপিবাতি ব্যবহারে অসতর্কতা, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট, জ্বলন্ত বিড়ি, দিয়াশলাইয়ের কাঠি ইত্যাদির মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে। ৫. অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধের একটি উপায় লেখ। উত্তর : সহজে আগুন ধরে এমন সব বস্তু যেমনÑ কাগজ, কাপড়, শুকনো কাঠ ইত্যাদি তাপ ও আগুনের শিখা থেকে যথাসম্ভব দূরে রাখা অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধের একটি উপায়। ৬. প্রাথমিক চিকিৎসা কী? উত্তর : ডাক্তার

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১১ জীবনের নিরাপত্তা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১০ আবহাওয়া ও জলবায়ু

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১০ আবহাওয়া ও জলবায়ু

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১০ আবহাওয়া ও জলবায়ু অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার সামগ্রিক অবস্থা হলো —-। ২) মেঘের ক্ষুদ্র পানি-কণা একত্রে মিলিত হয়ে —- হয়। ৩) বাংলাদেশে —- কালে কুয়াশা পড়ে। ৪) ভালো ফসল ফলাতে —- প্রয়োজন। উত্তর : ১) জলবায়ু, ২) বৃষ্টি, ৩) শীত, ৪) বৃষ্টি। ২. সঠিক উত্তরটিতে টিক চিহ্ন (√) দাও। ১) কোনটি আবহাওয়ার উপাদান নয়? ক. তাপমাত্রা খ. আর্দ্রতা √গ. অক্ষাংশ ঘ. বায়ুপ্রবাহ ২) আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রধান কারণ কী? ক. বৃষ্টি খ. কুয়াশা √গ. বায়ুপ্রবাহ ঘ. মেঘ ৩) মেঘ তৈরি হয় কোনটি থেকে? ক. বাতাস খ. রোদ গ. শিশির √ঘ. জলীয় বাষ্প ৪) কোনটির উপর কোনো স্থানের জলবায়ু নির্ভর করে? ক. বিষুব রেখা খ. সূর্য থেকে স্থানটির দূরত্ব গ. চাঁদ √ঘ. সমুদ্র থেকে স্থানটির দূরত্ব ৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : ১) আবহাওয়ার উপাদানগুলোর নাম লিখ। উত্তর: আবহাওয়ার উপাদানগুলো হলো আকাশের অবস্থা, বায়ুর তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, মেঘ, বৃষ্টি, রোদ ইত্যাদি। ২) আর্দ্রতা বলতে কী বোঝ? উত্তর : আর্দ্রতা হচ্ছে বাতাসে কতটুকু জলীয় বাষ্প আছে তার পরিমাণ। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকলে আমরা খুব সহজেই ঘেমে যাই কিন্তু কম থাকলে শুষ্ক অনুভব করি। আমরা আবহাওয়ার অবস্থা বোঝানোর জন্য ‘আর্দ্র’ বা শুষ্ক বলে থাকি। ৩) শিশির কী? উত্তর : কুয়াশা গাছের পাতা বা ঘাসের উপর জমা হয়ে ক্ষুদ্র পানি-কণার সৃষ্টি করে। এটিই শিশির। ৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন : ১) বাংলাদেশের জলবায়ু কেমন বর্ণনা কর। উত্তর : বাংলাদেশের জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র। বাংলাদেশে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত এই ছয়টি ঋতু রয়েছে। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ এই দুই মাস গ্রীষ্মকাল। এটি বছরের সবচেয়ে উষ্ণ ঋতু। আষাঢ় ও শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। এ সময় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। ভাদ্র ও আশ্বিন এই দুই মাস শরৎকাল। শরতের নীল আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ এই দুই মাস হেমন্তকাল। এটি ফসল ঘরে তোলার ঋতু। পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীতকাল। এই সময় বাংলাদেশে ঠাণ্ডা অনুভব হয়। ফাল্গুন ও চৈত্র মাস বসন্তকাল। এই সময় শীত ধীরে ধীরে কমতে থাকে এবং আবহাওয়া উষ্ণ হতে থাকে। এটিই বাংলাদেশের জলবায়ুর কাঠামো। ২) মেঘ কীভাবে তৈরি হয় ব্যাখ্যা কর। উত্তর : জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা এবং ঘনীভ‚ত হয়ে মেঘ তৈরি হয়। রৌদ্রের তাপে সাগর বা নদীর পানি বাষ্পীভ‚ত হয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। এ জলীয় বাষ্প বায়ুর চেয়ে হালকা বলে আকাশের উপরের দিকে উঠে যায়। উপরের দিকে বাতাস ঠাণ্ডা। এই ঠাণ্ডা বায়ুর সংস্পর্শে জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা হয়। যখন বাতাসের জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা হয় তখন তা সূ² ধূলিকণার উপর জমা হয়ে ক্ষুদ্র পানি-কণা তৈরি করে। বাতাসে ভেসে বেড়ানো এই ক্ষুদ্র পানি-কণাকে মেঘ বলে। ৩) অতি বৃষ্টি হলে কী সমস্যা হয়? উত্তর : অতি বৃষ্টি হলে বন্যা হয়। বৃষ্টি হয়ে সাধারণ বৃষ্টির পানি নদীতে গড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে তা সমুদ্রে চলে যায়। কিন্তু বৃষ্টি বেশি হলে নদীর পানি দ্রæত বৃদ্ধি পায় এবং সমতল ভ‚মি তলিয়ে যায়। এ সময় রাস্তা-ঘাট, মাঠের ফসল, বাড়ি-ঘর পানির নিচে তলিয়ে যায়। অতি বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় জানমালের প্রচুর ক্ষতি হয়। ৪) আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে পার্থক্য কী? উত্তর : আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানের মধ্যে ভিন্নতা নেই। তবুও তাদের মধ্যে নিম্নরূপ পার্থক্য রয়েছেÑ আবহাওয়া জলবায়ু ১) আবহাওয়া হলো কোনো জায়গার স্বল্পকালীন অবস্থা। ১) জলবায়ু হলো কোনো জায়গার অনেক বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থা। ২) একই সময়ে দুটি কাছাকাছি বা নিকটবর্তী এলাকার আবহাওয়া ভিন্ন হতে পারে। যেমনÑ বৃষ্টি হচ্ছে এমন জায়গার নিকটবর্তী এলাকায় রোদ হতে পারে। ২) বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত একটি দেশের জলবায়ু অভিন্ন না হয়ে একই রকম হয়। এই জন্য বাংলাদেশের জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র। ৩) আবহাওয়ার পরিবর্তন স্বল্প সময়ের মধ্যে হতে পারে। কোনো এলাকায় সকালে বৃষ্টি কিন্তু দুপুরে আবার রোদ হতে পারে। ৩) কোনো বিশাল এলাকায় জলবায়ুর পরিবর্তন হতে অনেক সময় লাগে। যেমনÑ বিশ বা ত্রিশ বছর ধরে বাংলাদেশের জলবায়ু একই রকম অর্থাৎ উষ্ণ ও আর্দ্র। ৫. বাম পাশের শব্দের সাথে ডান পাশের শব্দের মিল কর। তাপমাত্রা আর্দ্রতা বায়ুপ্রবাহ বৃষ্টিপাত মৃদু বা প্রবল গরম বা ঠাণ্ডা ভারী বা হালকা আর্দ্র বা শুষ্ক উত্তর : তাপমাত্রা —- গরম বা ঠাণ্ডা। আর্দ্রতা —- আর্দ্র বা শুষ্ক। বায়ুপ্রবাহ —- মৃদু বা প্রবল। বৃষ্টিপাত —- ভারী বা হালকা। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১০ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর ⇒ শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) বাতাস কতটা ঠাণ্ডা বা গরম সেই অবস্থাই হচ্ছে —-। ২) বাতাসে —- বেশি থাকলে আমরা সহজেই ঘেমে যাই। ৩) বায়ুপ্রবাহ অনেক শক্তিশালী —- সৃষ্টি করতে পারে। ৪) ধূলিকণা থেকে তৈরি হয় —- অবস্থা। ৫) পানির অন্যতম প্রধান উৎস হলো —-। ৬) —- কারণে বন্যা হয়। ৭) অক্ষাংশ হলো —- থেকে কোনো স্থানের দূরত্ব। ৮) বিষুবরেখার নিকট সূর্য —- কিরণ দেয়। ৯) আষাঢ় ও শ্রাবণ দুই মাস —-। ১০) ফসল ঘরে তোলার ঋতু হলো —-। ১১) —- মান যত বেশি হবে জলবায়ু তত শীতল হবে। উত্তর : ১) তাপমাত্রা, ২) জলীয় বাষ্প, ৩) সাইক্লোন বা ঝড়, ৪) আবছায়া, ৫) বৃষ্টি, ৬) ভারী বৃষ্টিপাতের, ৭) বিষুবরেখা, ৮) খাড়াভাবে, ৯) বর্ষাকাল, ১০) হেমন্তকাল, ১১) অক্ষাংশের। ⇒ বাম পাশের শব্দের সাথে ডান পাশের শব্দের মিল কর। শীতকাল বায়ুর জলীয় বাষ্প তাপমাত্রার পার্থক্য শিলা অতি বৃষ্টি সাদা মেঘ বন্যা বায়ুপ্রবাহ শরৎকাল কুয়াশা জমাটবদ্ধ বৃষ্টি আর্দ্রতা উত্তর : শীতকাল —- কুয়াশা। বায়ুর জলীয় বাষ্প —- আর্দ্রতা। তাপমাত্রার পার্থক্য —- বায়ুপ্রবাহ। শিলা —- জমাটবদ্ধ বৃষ্টি। অতি বৃষ্টি —- বন্যা। সাদা মেঘ —- শরৎকাল। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১০ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর ১. আবহাওয়া কী? উত্তর : আবহাওয়া হলো কোনো স্থানের আকাশ ও বায়ুমণ্ডলের সাময়িক অবস্থা, যা প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়। ২. বাংলাদেশে কোন ঋতুতে বজ্রবৃষ্টি হয়? উত্তর : বাংলাদেশে গ্রীষ্ম ঋতুতে বজ্রবৃষ্টি হয়। ৩. বাংলাদেশে কোন সময়ে কুয়াশা দেখা যায়? উত্তর : বাংলাদেশে শীতকালে কুয়াশা দেখা যায়। ৪. তাপমাত্রা কী? উত্তর : কোনো জিনিস কতটা ঠাণ্ডা বা গরম, সেটাই হচ্ছে তার তাপমাত্রা। ৫. বায়ুপ্রবাহ কী? উত্তর : বায়ুপ্রবাহ হলো বায়ুর সচল অবস্থা। এটি হালকা বা প্রবল হতে পারে। ৬. বায়ুপ্রবাহের কারণ কী? উত্তর : বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণেই বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। ৭. বৃষ্টি কী? উত্তর : মেঘের ক্ষুদ্র পানি-কণগুলো মিলিত হয়ে বড় পানির কণা তৈরি করে। বড় পানি-কণাগুলো বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে না। ফোঁটা ফোঁটা পানি হয়ে নিচে নেমে আসে। এটিই বৃষ্টি। ৮. শিলা কী? উত্তর : শিলা হলো অসম আকৃতির বরফের টুকরা যা জমাটবদ্ধ বৃষ্টি থেকে তৈরি হয়। ৯. বন্যা সৃষ্টির মূল কারণ কী? উত্তর : বন্যা সৃষ্টির মূল কারণ হলো ভারী বৃষ্টিপাত। ১০. বন্যা কাকে বলে? উত্তর : ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে যখন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সমতল ভ‚মি,

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১০ আবহাওয়া ও জলবায়ু Read More »

Scroll to Top