নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় উন্নততর জীবনধারা

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় উন্নততর জীবনধারা

অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১. গাজরে প্রধানত কোনটি পাওয়া যায়?
 গøুকোজ খ ফ্রুকটোজ গ সুক্রোজ ঘ বিটা ক্যারোটিন
২. স্নেহে দ্রবণীয় ভিটামিনগুলো হলোÑ
র. অ, উ, ঊ
রর. অ, ই, ঈ
ররর. অ, উ, ক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রহিমার ওজন ৫০ কেজি ও উচ্চতা ১.৫ মিটার। গতকাল সকাল থেকে তার বমি ও পাতলা পায়খানা হওয়ায় দেহে পানির অভাবসহ ওজন হ্রাস পেয়ে ৪৭ কেজি হয়ে গেছে।
৩. রহিমার দেহে প্রয়োজনীয় উপাদানটির অভাবে-
র. রক্ত চলাচলে বিঘœ ঘটে
রর. পেশি নাজুক হয়ে পড়ে
ররর. লবণের ভারসাম্য বজায় থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪. অসুস্থ হওয়ার পর রহিমার ভরসূচি (ইগও) কত হয়েছে?
ক ২২.৩ (প্রায়)  ২০.৯ (প্রায়)
গ ৪৯.২৫ (প্রায়) ঘ ৪৪.৭৫ (প্রায়)

গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৫. নিচের কোনটির অভাবে বয়স্ক মহিলাদের অস্টিমম্যালেসিয়া রোগ হয়
ক ফসফরাসের খ লৌহের  ক্যালসিয়ামের ঘ পটাসিয়ামের
৬. ৬৫ কেজি দেড় মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট একজন ব্যক্তির ইগও নিচের কোনটি?
ক ৯৭.৫ খ ৪৩.৩৩  ২৮.৮৯ ঘ ০.০৩
৭. ভিটামিন ঊ এর অভাবে নিচের কোনটি ঘটে?
 ভ্রূণের মৃত্যু হতে পারে
খ বুক ধড়ফড় করতে পারে
গ অস্থির গঠন মজবুত হতে পারে
ঘ ধমনিতে ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে
৮. খাদ্যের উপাদান কত প্রকার?
ক দুই খ চার  ছয় ঘ আট
৯. এক গ্রাম শর্করা জারণে কত কিলোক্যালরি শক্তি উৎপন্ন হয়?
 ৪.১ খ ৪.২ গ ৪.৩ ঘ ৪.৪
১০. আমিষ গঠনের একক কোনটি?
ক হাইড্রোক্লোরিক এসিড খ কার্বোলিক এসিড
গ ফরমিক এসিড  অ্যামাইনো এসিড
১১. পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন কোনটি?
ক অ  ঈ গ উ ঘ ক
১২. প্রভার উচ্চতা ১.৭ মিটার এবং ওজন ৭০ কেজি। তার বি.এম.আই (ইগও) কত?
ক ২৬.২২ খ ২৫.২২  ২৪.২২ ঘ ২৩.২২
১৩. রক্তে হিমোগেøাবিন্ তৈরি করে কোনটি?
ক শর্করা খ ভিটামিন
গ আমিষ  খনিজ লবণ
১৪. কোনটির অভাবে অস্থির গঠন শক্ত ও মজবুত হতে পারে না?
ক খনিজ লবণ খ প্রোটিন
 ভিটামিন-সি ঘ ভিটামিন-এ
১৫. তরমুজে কোনটি পাওয়া যায়?
ক গøুকোজ খ ফ্রুকটোজ
গ সুক্রোজ  সেগুলোজ
১৬. ১০ গ্রাম চিংড়িতে ১.৯১ গ্রাম আমিষ আছে। এটি থেকে কী পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে?
ক ৯৩ ক.ঈধষ খ ৮৯ ক.ঈধষ  ৮.৯ ক.ঈধষ ঘ ৭.৮ ক.ঈধষ
১৭. একটি বাড়ন্ত শিশুর প্রত্যহ কী পরিমাণ ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয়?
 ৫০০৬০০ সম খ ৪৫০৫৫০ সম
গ ৪০০৪৫০ সম ঘ ৩০০৪০০ সম
১৮. তুবার ওজন ৫০ কেজি এবং উচ্চতা ১.১ মিটার। তুবার বি এম আই কত?
 ৪১.৩২ খ ৪২.৩২ গ ৪৪.৩২ ঘ ৪৬.৩২
১৯. মানুষের প্রধান খাদ্য কোনটি?
ক স্নেহ  শর্করা গ আমিষ ঘ ভিটামিন
২০. রাফেজ-এর কাজ কোনটি?
ক তাপ ও শক্তি উৎপন্ন করে খ দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখে
গ হিমোগেøাবিন গঠন করে  অতিরিক্ত চর্বি কমানো
২১. রহিমের ওজন ৭২ কেজি এবং উচ্চতা ১.৮ মিটার, রহিমের ইগও কত?
 ২২.২ (প্রায়) খ ২৩.২ (প্রায়) গ ২৪.২ (প্রায়) ঘ ২৫.২ (প্রায়)
২২. কোন জাতীয় খাদ্য আঁশযুক্ত?
 সেলুলোজ খ স্টার্চ গ প্রোটিন ঘ ভিটামিন
২৩. কোন জাতীয় খাদ্য সবচেয়ে বেশি তাপ ও শক্তি উৎপন্ন করে?
ক খাদ্যপ্রাণ  স্নেহ পদার্থ গ খনিজ লবণ ঘ শর্করা
২৪. কোনটি পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন?
ক ভিটামিন অ খ ভিটামিন উ গ ভিটামিন ঈ  ভিটামিন ই
২৫. মানবদেহে কয় ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে?
 ২০ খ ১৮ গ ১৬ ঘ ১৪
২৬. ভিটামিন ঈ এর অভাবে কোন রোগটি হয়?
 স্কার্ভি খ অ্যানিমিয়া গ বেরিবেরি ঘ রাতকানা
২৭. ঁেঢকি ছাঁটা চাল ও আটায় কোন ভিটামিন থাকে?
ক রাইবোফ্ল্যাভিন খ পিরিডক্সিন
গ কোবালমিন  থায়ামিন
২৮. মিলনের ওজন ৭০ কেজি, উচ্চতা ১.৫ মিটার হলে তার বি.এম.আই কত?
 ৩১.১১ খ ৩৫.১৫ গ ৪০.১৩ ঘ ৪৬.৬৬
২৯. ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য দায়ী
র. সালফার ডাইঅক্সাইড
রর. কার্বন মনোঅক্সাইড
ররর. নাইট্রোস অক্সাইড
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩০. ভিটামিন ‘সি’
র. অস্থির গঠন শক্ত ও মজবুত করে
রর. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
ররর. ত্বকে ঘা সৃষ্টি করে, ক্ষত শুকাতে দেরি হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১. নিচের তথ্যগুলোর ভিত্তিতে প্রযোজ্য
র. একমাত্র প্রাণিজ উৎস থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়
রর. পামতেল ভিটামিন “ঊ” এর উত্তম উৎস
ররর. “ই” ভিটামিন সংখ্যায় এগারটি
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ নিউট্রিয়েন্টস কী?
উত্তর : খাদ্যের যেসব জৈব অথবা অজৈব উপাদান জীবের জীবনীশক্তির জোগান দেয়, তাদের একসঙ্গে পরিপোষক বা নিউট্রিয়েন্টস বলে।
প্রশ্ন \ ২ \ খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে কোনগুলো দেহ পরিপোষক?
উত্তর : খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে শর্করা, আমিষ ও স্নেহ পদার্থ বা ফ্যাট দেহ পরিপোষক।
প্রশ্ন \ ৩ \ খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে কোনগুলো দেহ সংরক্ষক?
উত্তর : ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি দেহ সংরক্ষক খাদ্য উপাদান।
প্রশ্ন \ ৪ \ শর্করা কী দ্বারা গঠিত?
উত্তর : শর্করা কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন নিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন \ ৫ \ প্রতি গ্রাম শর্করা জারণে কী পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়?
উত্তর : প্রতি গ্রাম শর্করা জারণে ৪.১ কিলোক্যালরি শক্তি উৎপন্ন হয়।
প্রশ্ন \ ৬ \ আমিষে কী পরিমাণ নাইট্রোজেন থাকে?
উত্তর : আমিষে ১৬% পরিমাণ নাইট্রোজেন থাকে।
প্রশ্ন \ ৭ \ মানুষের মধ্যে কয় ধরনের অ্যামাইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে?
উত্তর : মানুষের মধ্যে ২০ ধরনের অ্যামাইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন \ ৮ \ চর্বি কী?
উত্তর : চর্বি হলো সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড।
প্রশ্ন \ ৯ \ উৎস অনুযায়ী স্নেহ পদার্থ কয় প্রকার?
উত্তর : উৎস অনুযায়ী স্নেহ পদার্থ দুই প্রকার।
প্রশ্ন \ ১০ \ ভিটামিন উ কোথায় সংশ্লেষিত হয়?
উত্তর : ভিটামিন উ মানুষের দেহে সংশ্লেষিত হয়।
প্রশ্ন \ ১১ \ লৌহের প্রধান কাজ কী?
উত্তর : লৌহের প্রধান কাজ হিমোগেøাবিন গঠনে সাহায্য করা।
প্রশ্ন \ ১২ \ অস্টিওম্যালেসিয়া কী?
উত্তর : অস্টিওম্যালেসিয়া বয়স্ক মহিলাদের ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ।
প্রশ্ন \ ১৩ \ থায়ামিন কী?
উত্তর : ভিটামিন ই১ কে থায়ামিন বলে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ শর্করা ও প্রোটিনের ক্যালরি মান কত?
উত্তর : শর্করা ও প্রোটিনের ক্যালরি প্রায় সমান- ৪.১ শপধষ/মস।
প্রশ্ন \ ১৫ \ মানবদেহের কী কী অঙ্গ প্রোটিন দিয়ে তৈরি হয়?
উত্তর : দেহের অস্থি, পেশি, লোম, নখ প্রভৃতি প্রোটিন দিয়ে তৈরি হয়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ গর্ভবতীদের দৈনিক ভিটামিন অ এর চাহিদা কত?
উত্তর : গর্ভবতীদের দৈনিক ভিটামিন অ এর চাহিদা ২,৫০০ ও.ট।
প্রশ্ন \ ১৭ \ রক্তে হিমোগেøাবিনের পরিমাণ কমে গেলে কী রোগ হয়?
উত্তর : হিমোগেøাবিনের পরিমাণ কমে গেলে রক্তশূন্যতা রোগ হয়।
প্রশ্ন \ ১৮ \ একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের প্রত্যহ কত কিলোক্যালরি শক্তির প্রয়োজন হয়?
উত্তর : একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের প্রত্যহ প্রায় ২৫০০Ñ৩০০০ কিলোক্যালরি শক্তির প্রয়োজন।
প্রশ্ন \ ১৯ \ ব্যাকটেরিয়া খাদ্য নষ্ট করে কী উৎপন্ন করে?
উত্তর : ব্যাকটেরিয়া খাদ্য নষ্ট করে টক্সিন নামক এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন করে।
প্রশ্ন \ ২০ \ কোন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে অণুজীবের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা যায়?
উত্তর : সালফেট লবণ যেমন ঝড়ফরঁস নরংঁষভরঃব অথবা চড়ঃধংংরঁস- সবঃধ নরংঁষভরঃব ব্যবহার করে ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য অণুজীবের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা যায়।
প্রশ্ন \ ২১ \ ভিটামিন উ প্রাণিদেহে কীভাবে সংশ্লেষিত হয়?
উত্তর : ভিটামিন উ সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির সহায়তায় প্রাণিদেহে সংশ্লেষিত হয়।
প্রশ্ন \ ২২ \ ক্যালরি কাকে বলে?
উত্তর : এক গ্রাম খাদ্য জারণের ফলে যে পরিমাণ তাপশক্তি উৎপন্ন হয়, তাকে খাদ্যের ক্যালরি বলে।
প্রশ্ন \ ২৩ \ কিলোক্যালরি কাকে বলে?
উত্তর : এক হাজার ক্যালরি সমান এক কিলোক্যালরি বা এক খাদ্য ক্যালরি।
প্রশ্ন \ ২৪ \ তেল কী?
উত্তর : তেল হলো অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ ল্যাকটোজ ও গøাইকোজেন কিসে পাওয়া যায়?
উত্তর : ল্যাকটোজ বা দুধ শর্করা গরু, ছাগল ও অন্যান্য প্রাণীর দুধে থাকে। গøাইকোজেন মানুষ, পশু ও পাখি জাতীয় প্রাণীর যকৃৎ ও মাংসে (পেশি) থাকে।
প্রশ্ন \ ২ \ যেসব ড্রাগে আসক্তি সৃষ্টি হয় সেগুলো কী কী?
উত্তর : উল্লেখযোগ্য ড্রাগ যেগুলোর ওপর মানুষের আসক্তি সৃষ্টি হয়, সেগুলো হচ্ছে আফিম ও আফিমজাত পদার্থ, হেরোইন, মদ, পেথিডিন, বারবিচুরেট, কোকেন, ভাং, চরস, ম্যারিজুয়ানা, এলএসডি ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ৩ \ ভিটামিন অ এর উৎস কী কী?
উত্তর : প্রাণিজ উৎসের মধ্যে ডিম, গরুর দুধ, মাখন, ছানা, দই, ঘি, যকৃৎ ও বিভিন্ন তেলসমৃদ্ধ মাছে বিশেষ করে কড মাছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন অ পাওয়া যায়। উদ্ভিজ্জ উৎসের মধ্যে ক্যারোটিন সমৃদ্ধ শাকসবজি, যেমন : লালশাক, কচুশাক, পুঁইশাক, কলমিশাক, ডাঁটাশাক, পুদিনা পাতা, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, ঢেড়স, বাঁধাকপি, মটরশুঁটি এবং বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন : আম, পাকা পেঁপে, কাঁঠাল ইত্যাদিতে ভিটামিন অ উল্লেখযোগ্য হারে আছে।
প্রশ্ন \ ৪ \ অধিক ভিটামিন উ শরীরে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় কেন?
উত্তর : দৈনিক চাহিদা অপেক্ষা অধিক পরিমাণে ভিটামিন উ গ্রহণ করলে শরীরের ক্ষতি হয়। এতে অধিক ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষিত হওয়ায় রক্তে এদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে বৃক্ক, হৃৎপিণ্ড, ধমনি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম জমা হতে থাকে।
প্রশ্ন \ ৫ \ মানবদেহে ভিটামিন ঊ-এর কাজ কী?
উত্তর : মানবদেহে ভিটামিন ঊ হলো এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা ধমনিতে চর্বি জমা রোধ করে এবং সুস্থ ত্বক বজায় রাখে। এ ছাড়া ভিটামিন ঊ কোষ গঠনে সহায়তা করে এবং বেশ কিছু শারীরবৃত্তিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। ভিটামিন ঊ মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর বন্ধ্যাত্ব দূর করে। ভিটামিন ঊ-এর অভাবে জরায়ুর মধ্যে ভ্রƒণের মৃত্যুও হতে পারে।
প্রশ্ন \ ৬ \ ভিটামিন ঈ-এর অভাবে কী হয়?
উত্তর : ভিটামিন ঈ-এর তীব্র অভাবে স্কার্ভি (দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া) রোগ হয়। এর অভাবে- (র) অস্থির গঠন শক্ত ও মজবুত হতে পারে না। (রর) ত্বকে ঘা হয়, ক্ষত শুকাতে দেরি হয়। (ররর) দাঁতের মাড়ি ফুলে দাঁতের ইনামেল উঠে যায়। দাঁত দুর্বল হয়ে অকালে ঝরে পড়ে। (রা) রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে গিয়ে সহজে ঠাণ্ডা লাগে।
প্রশ্ন \ ৭ \ দেহে পানির কাজ কী কী?
উত্তর : জীবদেহে পানি দ্রাবকের কাজ করে। পানি খাদ্য উপাদানের পরিপাক ও পরিশোষণে সাহায্য করে।
পানির দ্বারা শরীর গঠনের নানা প্রয়োজনীয় উপাদান দেহের সর্বত্র পরিবাহিত হয়। বিপাকের ফলে দেহে উৎপন্ন ইউরিয়া, অ্যামোনিয়া ইত্যাদি শরীরের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থগুলোকে পানি মূত্র ও ঘাম হিসেবে দেহ থেকে নিষ্কাশন করে। এছাড়া পানি দেহ থেকে ঘাম নিঃসরণে ও বাষ্পীভবনের দ্বারা দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। দেহকোষ গঠন ও কোষের যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলো পানি ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
প্রশ্ন \ ৮ \ সবার জন্য প্রযোজ্য এমন সুষম খাবারে খাদ্য উপাদান কী অনুপাতে হবে?
উত্তর : ক্যালরি প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে সাধারণভাবে সবার জন্য প্রযোজ্য এমন খাবার হলো :
১. প্রোটিন জাতীয় : মোট ক্যালরির ১৫ শতাংশ,
২. শর্করা জাতীয় (বেশির ভাগই কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট হবে, চিনি জাতীয় হবে না) : মোট ক্যালরির ৫০Ñ৬০ শতাংশ; এবং
৩. চর্বি জাতীয় : ক. সম্পৃক্ত (স্যাচুরেটেড) স্নেহ পদার্থ – মোট ক্যালরির ৭ শতাংশ। খ. অসম্পৃক্ত (আনসেচুরেটেড) স্নেহ পদার্থ Ñ মোট ক্যালরির ২০ শতাংশ পর্যন্ত।
প্রশ্ন \ ৯ \ সুষম খাদ্য তালিকা তৈরির সময় কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে?
উত্তর : সুষম খাদ্যতালিকা তৈরির সময় মানুষের বয়স, লিঙ্গভেদ, কী রকম কাজ করে অর্থাৎ অধিক পরিশ্রমী, মাঝারি পরিশ্রমী, স্বল্প পরিশ্রমী ইত্যাদি বিবেচনা করা দরকার। কারণ শিশু ও বৃদ্ধ, বাড়ন্ত শিশু, গর্ভবতী মহিলা এদের কোনো নির্দিষ্ট সুষম খাদ্য প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না। সুষম খাদ্য তৈরি করে নিতে হয়।
প্রশ্ন \ ১০ \ খাদ্য তালিকায় রাফেজযুক্ত খাবার গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর : রাফেজভুক্ত খাবারের গুরুত্ব নিম্নরূপ :
১. এটি পরিপাকে সহায়তা করে। রাফেজ পানি শোষণ করে এবং মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
২. শরীর থেকে অপাচ্য খাদ্য নিষ্কাশনে সাহায্য করে।
৩. এটি শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
৪. বারবার ক্ষুধার প্রবণতা কমাতে এটি কাজ করে।
প্রশ্ন \ ১১ \ দুপুরের খাবারের গুরুত্ব কী?
উত্তর : আমাদের দেশে দুপুরের খাবারকে সাধারণত প্রধান খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দুপুরের খাবারে অবশ্যই সুষম খাদ্যতালিকার সাহায্য নিয়ে সেভাবে খাদ্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। কারণ দুপুরের খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন \ ১২ \ আমাদের রাতের খাবার কেমন হওয়া উচিত?
উত্তর : আমাদের রাতের খাবার সাধারণত সহজপাচ্য হওয়া উচিত।
রাতে আমিষ জাতীয় খাবার কম খাওয়া ভালো। রাতে শাক বা টক জাতীয় কোনো খাদ্য গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ছাত্রছাত্রীদের প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে আর্থিক সামর্থ্য অনুসারে দুধ বা অন্য শক্তি উৎপাদক তরল খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।
প্রশ্ন \ ১৩ \ সংরক্ষণকৃত খাদ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন বিষয় খেয়াল রাখতে হবে?
উত্তর : সংরক্ষিত খাদ্য ব্যবহারের পূর্বে লক্ষ করতে হবে-যদি খাদ্যের রঙের পরিবর্তন ঘটে অথবা খাদ্য ফুলে উঠে, খাদ্যের উপর সাদা অথবা কালো আস্তরণ সৃষ্টি হয় এবং খাদ্যের ওপরটা পিচ্ছিল হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে খাদ্যে পচনক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ খাদ্যের বিষক্রিয়ার ফলে শারীরিক ক্ষতি হবে।

প্রশ্ন \ ১৪ \ খাদ্য সংরক্ষণে লবণের ব্যবহার ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বিভিন্ন লবণ ব্যবহার করে খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়। সালফেটের লবণ যেমন ঝড়ফরঁস নরংঁষঢ়যরঃব অথবা চড়ঃধংংরঁস-সবঃধ নরংঁষঢ়যরঃব ব্যহার করে ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য অণুজীবের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা যায়। ইবহংুড়হরপ ধপরফ-এর লবণ ঝড়ফরঁস নবহুড়ধঃব। এটি বিশেষ করে ছত্রাক ঈষ্ট এর বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে। ফলের রস, ফলের শাঁস ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য ঝড়ফরঁস নবহুড়ধঃব খুব উপযোগী।
এছাড়াও চৎড়ঢ়রড়হরপ অপরফ-এর লবণ এবং ঝড়ৎনরপ অপরফ-এর লবণ ঝড়ৎনধঃবং ব্যবহার করে দই, মিষ্টি, পনির, মাখন ও বেকারি সামগ্রী সংরক্ষণ করা হয়।
প্রশ্ন \ ১৫ \ ঈস্ট জাতীয় ছত্রাক কী কী খাদ্য নষ্ট করে?
উত্তর : ঈস্ট জাতীয় ছত্রাক ফলের রস, টমেটোর সস, জেলি, মিষ্টি আচার, শরবত ইত্যাদি খাবার দ্রæত নষ্ট করে ফেলে। এতে খাবার টক গন্ধ হয় এবং ঘোলাটে হয়ে যায়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ মাদকাসক্তির লক্ষণ কী কী? / তুমি কী কী লক্ষণ দেখলে বুঝবে ব্যক্তিটি মাদকাসক্ত?
উত্তর : মাদকাসক্তির উল্লেখযোগ্য লক্ষণগুলো হলো :
(র) খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ কমে যায়। (রর) সবসময় অগোছালোভাব (ররর) দৃষ্টিতে অস্বচ্ছতা এবং চোখ লাল হওয়া। (রা) কোনো কিছুতে আগ্রহ নষ্ট হওয়া ও ঘুম না হওয়া (া) কর্মবিমুখতা ও হতাশা। (ার) শরীরে অত্যধিক ঘাম নিঃসরণ (ারর) সবসময় নিজেকে সবার থেকে দূরে রাখা। (াররর) আলস্য ও উদ্বেগ ভাব। (রী) মনঃসংযোগ নষ্ট হওয়া, টাকা-পয়সা চুরি করা ও বাড়ির জিনিসপত্র উধাও করা ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ১৭ \ ঐওঠ কীভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে?
উত্তর : ঐওঠ দেহের রক্তস্রোতে প্রবেশ করার পর রক্তের শ্বেত কণিকার ঞ- লিম্ফোসাইটকে আক্রমণ করে। এতে এগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে নানা রকমের বিরল রোগের সংক্রমণ ঘটে। ঐওঠ এভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে।
প্রশ্ন \ ১৮ \ অওউঝ কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
উত্তর : অওউঝ প্রতিরোধ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ঐওঠ সংক্রমণ কীভাবে ঘটে সে সম্বন্ধে সবাইকে শিক্ষা দেওয়া। অন্যকে সংক্রমিত না করার ব্যবস্থা অবলম্বন করা এবং নিজেকে ঐওঠ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখা। রক্তদান বা গ্রহণ, অনিয়ন্ত্রিত যৌন সম্পর্ক এবং ড্রাগ ব্যবহারকারীদের সিরিঞ্জের মাধ্যমে ঐওঠ সংক্রমণের ঝুঁকি সম্বন্ধে অবহিত করে অওউঝ রোগের বিস্তার কমানো যায়। মরণব্যাধি অওউঝ এর সংক্রমণ কীভাবে ঘটে সে সম্বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন -১ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১৪ বছরের তনুর ওজন ৩৫ কেজি এবং উচ্চতা ১.৫ মিটার। ইদানীং তার ত্বকে লালচে দাগ পড়ছে, খাওয়ায় তেমন রুচি নেই। কিন্তু দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক আছে।
ক. ভরসূচি কী?
খ. জেরপথ্যালমিয়া রোগ বলতে কী বুঝায়?
গ. তনুর দুই দিনের মৌল বিপাকে কত শক্তি ব্যয় হবে?
ঘ. তনুর সমস্যাগুলোর সমাধানের উপায় বিশ্লেষণ কর।
 ১নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. দেহের উচ্চতার সাথে ওজনের সামঞ্জস্য রক্ষা করার সূচকই হলো ভরসূচি বা বিএমআই (ইগও)।
খ. শরীরে ভিটামিন অ-এর অভাব দীর্ঘস্থায়ী হলে চোখের কর্নিয়ায় আলসার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থাকে জেরপথ্যালমিয়া রোগ বলে। এতে ব্যক্তি পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যায়।
গ. আমরা জানি, একজন মহিলার প্রতি কিলোগ্রাম ওজনের জন্য প্রতি ঘণ্টায় ০.৯ কিলোক্যালরি শক্তি মৌল বিপাকের জন্য প্রয়োজন। তনুর ওজন ৩৫ কেজি। তাই তার
একদিনে (২৪ ঘণ্টায়) মৌল বিপাকে শক্তি ব্যয় হবে
= (৩৫  ০.৯  ২৪) কিলোক্যালরি
= ৭৫৬ কিলোক্যালরি।
সুতরাং দুই দিনে মৌল বিপাকে শক্তি ব্যয় হবে = ৭৫৬  ২ কিলোক্যালরি = ১৫১২ কিলোক্যালরি।
অতএব, তন্তুর দুই দিনের মৌল বিপাকে ১৫১২ কিলোক্যালরি শক্তি ব্যয় হবে।
ঘ. তনুর সমস্যা থেকে বুঝা যাচ্ছে তার ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত ভিটামিন ই৫ (নিয়াসিন বা নিকোটিনিক এসিড) ও ই৬ (পিরিডক্সিন) এর অভাব হয়েছে।
ভিটামিন ই৫ এর অভাবের কারণে তনুর ত্বকে লালচে দাগ পড়েছে। এটি ত্বকের পেলেগ্রা রোগ। এ রোগ থেকে মুক্তির জন্য প্রতিদিন তনুর খাদ্য তালিকায় মাংস, যকৃৎ, আটা, ডাল, বাদাম, তৈলবীজ, ছোলা ও শাকসবজি থাকা অপরিহার্য। এগুলো তার খাদ্য তালিকায় পরিমাণমতো থাকলে সে পেলেগ্রা রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করবে।
তনুর খাওয়ায় রুচি আনার জন্য উপরে উল্লিখিত খাদ্যগুলো ছাড়াও কুসুমসহ ডিম খেতে হবে। কারণ এ খাদ্যগুলোতে ভিটামিন ই৬ আছে। এগুলো নিয়মিত তার খাদ্য তালিকায় থাকলে খাদ্যের প্রতি তার অরুচি দূর হবে এবং রুচি ফিরে আসবে। সে নিয়মিত ভিটামিনসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করলে এ সমস্যাগুলো দূর হবে।
অতএব উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, তনুর, সমস্যাগুলোর সমাধানের উপায় হলো পর্যাপ্ত ভিটামিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা।
প্রশ্ন -২ ল্ফ নিচের চিত্রটি দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. রাফেজ কী?
খ. খাদ্যপ্রাণ বলতে কী বুঝায়?
গ. খাদ্য পিরামিডের খাদ্যগুলোর বিকল্প খাদ্য ব্যবহার করে এক দিনের দুপুরের সুষম খাদ্য তালিকা তৈরি কর।
ঘ. উ চিহ্নিত খাদ্য উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ কেন? বিশ্লেষণ কর।
 ২নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. শস্যদানা, ফলমূল ও শাকসবজির অপাচ্য সেলুলোজ নির্মিত দীর্ঘ তন্তুময় অংশ বা আঁশকে রাফেজ বলা হয়।
খ. জীবের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য বিশেষ এক ধরনের খাদ্য উপাদানকে খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন বলে।
খাদ্যপ্রাণ সাধারণত খাদ্যে অতি সামান্য পরিমাণে উপস্থিত থাকে এবং বিপাক ক্রিয়ায় উৎসেচকের সাথে কো-এনজাইম হিসেবে কাজ করে। প্রাণীর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও শরীর সুস্থ রাখার জন্য খাদ্যপ্রাণ অপরিহার্য।
গ. খাদ্য পিরামিডের খাদ্যগুলোর বিকল্প খাদ্য ব্যবহার করে এক দিনের দুপুরের সুষম খাদ্য তালিকা তৈরি করা যায়।
পুষ্টি বিশারদগণ পুষ্টির উৎসকে চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন। এগুলো হলো- স্নেহ ও চর্বি, আমিষ, শাকসবজি বা ফলমূল এবং শর্করা।
উদ্দীপকে খাদ্য পিরামিডে মাংস, দুধ, ফল ও সবজির স্থলে পুঁইশাক ও আম, এবং শস্যদানা দেখানো হয়েছে। খাদ্য পিরামিডের খাদ্যগুলোর বিকল্প হিসেবে আমিষের সমতুল্য খাদ্যের মধ্যে পড়ে মাছ, ডিম ও মটর, ছোলা ও বাদাম ডাল। স্নেহ ও চর্বির সমতুল্য পনির ও দই। ফল ও সবজির মধ্যে পড়ে সকল ভক্ষণযোগ্য ফল ও সবজি। শর্করা মধ্যে পড়ে শস্য ও শস্য দানা থেকে তৈরি খাবার যেমন : রুটি, ভাত ইত্যাদি।
সুতরাং উদ্দীপকের খাদ্য পিরামিডের উল্লিখিত খাদ্যগুলোর বিকল্প ব্যবহার করে একদিনের দুপুরের সুষম খাদ্য তালিকা নিম্নরূপ।
শর্করা আমিষ স্নেহ পদার্থ ভিটামিন ও খনিজ লবণ
শাকসবজি ফল
ভাত মাছ বা ছোলার ডাল পনির বা দই কচুশাক পেয়ারা
ঘ. উ চিহ্নিত খাদ্য উপাদানটি শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট। দেহের পুষ্টিগত দিক দিয়ে শর্করার ভ‚মিকা অপরিহার্য। শর্করা দেহে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি ও তাপশক্তি উৎপাদন করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, মানুষের দৈনিক ক্যালরি চাহিদার অন্তত ৫৮Ñ৬০% শর্করা জাতীয় খাদ্য থেকে গ্রহণ করা উচিত। জীবদেহে বিপাকীয় কাজের জন্য যে শক্তি লাগে তা শ্বসনের সময় শর্করা খাদ্য জারণের ফলে উৎপন্ন হয়। প্রতি গ্রাম শর্করা জারণে ৪.১ কিলোক্যালরি শক্তি উৎপন্ন হয়। পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ন্যূনতম ৩০০ গ্রাম শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। এতে ১২০০ থেকে ১৮০০ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যাবে।
আমরা প্রতিদিন শর্করা জাতীয় খাদ্যই সবচেয়ে বেশি গ্রহণ করে থাকি। দেহের তাৎক্ষণিক শক্তিমূল্য আমরা এ থেকেই পাই। এটি আঁশযুক্ত খাদ্য ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধক। রাইবোজ ও ডি-অক্সিরাইবোজ নামক পেন্টোজ শর্করা কোষে নিউক্লিক এসিড-ডিএনএ ও আরএনএ গঠনে অংশ নেয়। এছাড়া শর্করা থেকে প্রোটিন ও ফ্যাট সংশ্লেষ হয়। শর্করার অভাবে ক্ষুধামান্দ্য দেখা দেয়, শরীর অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
এসব কারণে শর্করা খাদ্য উপাদানটি আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন -৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মনিরের দেহের ওজন ৬০ কেজি এবং উচ্চতা ১৮ মিটার। স¤প্রতি তার দেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে নানা রকম বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ডাক্তারের কাছে নেয়া হলে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডাক্তার জানালেন, সে একটি ঘাতক ব্যাধিতে আক্রান্ত।
ক. কোন ভিটামিনের অভাবে বেরিবেরি নামক রোগ হয়? ১
খ. খাদ্য বলতে কী বোঝায়? ২
গ. মনিরের দেহের বিএমআই (ইগও) নির্ণয় কর। ৩
ঘ. মনিরের দেহের শনাক্তকৃত রোগটি প্রতিরোধের উপায় বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ৩নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. থায়ামিন (ই১) ভিটামিনের অভাবে বেরিবেরি নামক রোগ হয়।
খ. আমরা যেসব বস্তু আহার করি তাকে আহার্য বস্তু বা আহার্য সামগ্রী বলা হয়। কিন্তু সব আহার্য বস্তুই খাদ্য নয়। যেমন, সেলুলোজ দিয়ে গঠিত খাদ্যের সেলুলোজ পরিপাক নালীতে পরিপাক হয় না। ফলে এটি পুষ্টির সহায়ক নয়। তাই সেই সব আহার্য বস্তুকে খাদ্য বলা যাবে যা দেহের পুষ্টি ও বৃদ্ধি সহায়ক এবং তাপশক্তি উৎপাদন ও ক্ষয় পূরণে সহায়তা করে।
গ. আমরা জানি,
বিএমআই =দেহের ওজন (কেজি)  [দেহের উচ্চতা (মিটার)]২
উদ্দীপকে দেওয়া আছে,
মনিরের দেহের ওজন = ৬০ কেজি ও উচ্চতা = ১৮ মিটার
অতএব, মনিরের ইগও = ৬০(১৮)২
= ৬০১৮  ১৮
= ৬০৩২৪
= ১৪৫২ (প্রায়)
ঘ. উদ্দীপকে মনিরের রোগের লক্ষণগুলো থেকে এবং ডাক্তারের উক্তি অনুসারে বুঝা যাচ্ছে মনির অওউঝ রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। অওউঝ এর পূর্ণ নাম অপয়ঁরৎবফ ওসসঁহব উবভরপরবহপু ঝুহফৎড়সব. এটি ঐওঠ ভাইরাস দ্বারা দেহে সংক্রমণের ফলে সৃষ্টি হয়। ঐওঠ রক্তস্রোতে প্রবেশ করার পর রক্তের ঞ লিম্ফোসাইটকে নষ্ট করে দেয়। ফলে শরীরে নানারকমের বিরল রোগের সংক্রমণ ঘটে এবং মৃত্যু ঘটে। এজন্য ডাক্তার মনিরকে বলেছেনÑ সে মরণব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।
অওউঝ প্রতিরোধ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ঐওঠ সংক্রমণ কীভবে ঘটে সে সম্বন্ধে সবাইকে শিক্ষা দেওয়া। অন্যকে সংক্রমিত না করার ব্যবস্থা অবলম্বন করা এবং নিজেকে ঐওঠ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখা। অনিরাপদ রক্তদান অথবা গ্রহণ, অনিয়ন্ত্রিত যৌন সম্পর্ক এবং ড্রাগ ব্যবহারকারীদের সিরিঞ্জের মাধ্যমে ঐওঠ সংক্রমণের ঝুঁকি সম্বন্ধে অবহিত করে অওউঝ রোগের বিস্তার কমানো যায়। সরকার ও বিভিন্ন সামাজিক সংস্থাগুলোর উদ্যোগে মরণব্যাধি অওউঝ এর সংক্রমণ কীভাবে ঘটে সে সম্বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে। এবং জনসাধারণকে এ রোগ থেকে মুক্ত করা যেতে পারে।
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, মনিরের দেহের শনাক্তকৃত রোগটি ঐওঠ। উপরের বিষয়বস্তু মেনে চললে রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
প্রশ্ন -৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আকিব দশম শ্রেণিতে পড়ে। তার বয়স ১৬ বছর। সে ঠিকমতো খেতে চায় না। পড়াশোনায় অনীহা ও কাজকর্মে শারীরিকভাবে দুর্বল। বাবা ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে, দৈনিক সুষম খাদ্য তালিকা দেখিয়ে খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দেন।
ক. খাদ্য কী? ১
খ. জাঙ্কফুড ক্ষতিকর কেন? ২
গ. ডাক্তারের পরামর্শের আলোকে আকিবের খাদ্য তালিকা তৈরি কর। ৩
ঘ. আকিবের সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্যের উপাদান বাছাই গুরুত্বপূর্ণÑ বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৪নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. খাদ্য হলো সেইসব আহার্য বস্তু যা পুষ্টির দ্বারা জীবদেহে বৃদ্ধি, শক্তি উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ ও ক্ষয়পূরণ করে।
খ. জাঙ্ক ফুডে অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে বলে এটি ক্ষতিকর।
জাঙ্ক ফুড বা ফাস্ট ফুড মুখরোচক খাদ্যের জন্য উৎপাদন করা হয়। এতে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে প্রাণিজ চর্বি ও চিনি থাকে। আমাদের দেহে অধিক পরিমাণ চর্বি চর্বিকণায় রূপান্তরিত হয় এবং অধিক চিনি আমাদের দাঁত ও ত্বককে নষ্ট করে দিতে পারে। এসব খাদ্যে দরকারি ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের অভাব রয়েছে। তাই এগুলো শরীরের অত্যন্ত ক্ষতিকর।
গ. ডাক্তারের পরামর্শের আলোকে আকিবের খাদ্য তালিকা হওয়া উচিত ১৫Ñ১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের দৈনিক সুষম খাদ্য তালিকা অনুযায়ী।
নিচে তালিকাটি তৈরি করা হলো।
আকিবের দৈনিক সুষম খাদ্যতালিকা
খাদ্য পরিমাণ (গ্রাম)
চাল/আটা ৪৩৮
ডাল ৫০
পাতাবহুল সবজি ৮৮
আলু/মিষ্টি আলু ১১৬
অন্যান্য সবজি ৮৮
মাছ/মাংস/ডিম ৫৮
স্নেহ দ্রব্য/তেল ৩০ মি.লি.
চিনি/গুড় ৫৮
ফল ১টা
ঘ. আকিবের শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য সঠিক ও সুষম খাদ্য উপাদান বাছাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সব বয়সের মানুষের পুষ্টির চাহিদা এক রকম নয়। আকিব ১৬ বছরের একজন কিশোর। এ জন্য আকিবের দেহের গঠন ও বৃদ্ধিতে এবং শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলো সাধনে মূল খাদ্য উপাদানগুলোর বিশেষ ভ‚মিকা এবং খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে মূল উপাদানগুলোর পরিমাণ ও শক্তিমূল্য (ক্যালরি মূল্য) বিচার করে সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য উপাদান বাছাই করা আবশ্যক।
পুষ্টিবিশারদগণ পুষ্টির উৎসকে চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন। এগুলো হলোÑ মাংস, দুধ, ফল ও সবজি এবং শস্যদানা। সুষম খাদ্য পেতে হলে আকিবকে প্রতিদিন এই চার শ্রেণির খাদ্যই খেতে হবে। এই চার শ্রেণি থেকে খাদ্য নির্বাচনে বৈচিত্র্য থাকা উচিত বলে পুষ্টিবিদগণ মনে করেন। খাদ্য তালিকা তৈরি করার সময় তাতে প্রয়োজনীয় আমিষ, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, ভিটামিন ও খনিজ লবণ যাতে উপযুক্ত পরিমাণে থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
উপরিউক্ত আলোচনা বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, আকিবের সুস্বাস্থ্যের জন্য সঠিক খাদ্য উপাদানই বাছাই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন -৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সানোয়ারা বেগম আচার সংরক্ষণে ভিনেগার ব্যবহার করেন এবং ফল, মাছ, মাংস, শাকসবজি, চাল, গম বিভিন্ন পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করেন। কিন্তু ফল ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া ফল সংরক্ষণে ফরমালিন ব্যবহার করেন।
ক. সুষম খাদ্য কাকে বলে? ১
খ. ক্যালরি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. সানোয়ারা বেগমের ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলো বর্ণনা কর। ৩
ঘ. সানোয়ারা বেগম ও সোহেল মিয়ার ব্যবহৃত পদ্ধতির মধ্যে কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? যুক্তি সহকারে আলোচনা কর। ৪
 ৫নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. যে খাদ্যে ছয়টি পুষ্টি উপাদানই গুণাগুণ অনুসারে উপযুক্ত পরিমাণে থাকে এবং যে খাদ্য গ্রহণ করে দেহের স্বাভাবিক কাজকর্মের জন্য উপযুক্ত পরিমাণ ক্যালরি পাওয়া যায়, তাকে সুষম খাদ্য বলে।
খ. ক্যালরি বলতে বোঝায় খাদ্যের মধ্যে নিহিত শক্তিকে।
ক্যালরি হলো শক্তির একক। এক গ্রাম খাদ্য জারণের ফলে যে পরিমাণ তাপশক্তি উৎপন্ন হয়, তাকে খাদ্যের ক্যালরি বলে। খাদ্যের ক্যালরিকে কিলোক্যালরি দিয়ে বোঝানো হয়। এক হাজার ক্যালরি সমান এক কিলোক্যালরি বা এক খাদ্য ক্যালরি। অতএব, একটি খাদ্যের খাদ্যক্যালরি বলতে বোঝায় খাদ্যটি সম্পূর্ণ জারণের ফলে কতখানি শক্তি মুক্ত হবে।
গ. সানোয়ারা বেগমের ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলো হলোÑ শুষ্ককরণ, রেফ্রিজারেশন, ফ্রিজিং, বিভিন্ন সংরক্ষক দ্রবণ, চিনি বা লবণের দ্রবণ ইত্যাদি।
পদ্ধতিগুলো নিম্নে বর্ণিত হলো :
১. শুষ্ককরণ : শুষ্ককরণ পদ্ধতিতে খাদ্যবস্তু থেকে পানি শুকিয়ে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি এবং এনজাইম ক্রিয়াকে প্রতিহত করা যায়। খাদ্যকে অনেক দিন পর্যন্ত এভাবে সংরক্ষণ করা যায়।
২. রেফ্রিজারেশন : রেফ্রিজারেশন পদ্ধতিতে কাঁচা শাকসবজি, ফল, রান্না করা খাদ্য, মিষ্টি জাতীয় খাবার কিছুদিন পর্যন্ত রাখা যায়।
৩. ফ্রিজিং : ফ্রিজিং পদ্ধতিতে খাদ্যকে ও খাদ্যদ্রব্যকে ০ ফারেনহাইট অথবা তার নিচের তাপমাত্রায় রাখা হয়। ফ্রিজিং পদ্ধতিতে শুধু টাটকা শাকসবজি, ফল, ফলের রস, মাছ, মাংস সংরক্ষণ করা হয় না, এ পদ্ধতিতে প্রস্তুতকৃত খাবার, আইসক্রিম ও অন্য বিভিন্ন রকমের তৈরি খাবার দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।
৪. সংরক্ষক দ্রব্য : রাসায়নিক পদার্থের দ্বারা খাদ্যের পচন রোধ করা যায়। এগুলোকে সংরক্ষক বলে। যেমনÑ
ভিনেগার একটি অতি পরিচিত সংরক্ষক দ্রব্য। এছাড়াও আরও যেসব সংরক্ষক দ্রব্য রয়েছে সেগুলো হলোÑ
সালফেটের লবণ যেমন ঝড়ফরঁস নরংঁষভরঃব অথবা চড়ঃধংংরঁস সবঃধ নরংঁভরঃব ব্যবহার করে ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য অণুজীবের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা যায়।
ঝড়ফরঁস নবহুড়ধঃব-এটি ইবহুড়রপ ধপরফ-এর লবণ। এটি বিশেষ করে ছত্রাক ঈস্ট এর বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে। ফলের রস, ফলের শাঁস ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য ঝড়ফরঁস নবহুড়ধঃব খুব উপযোগী।
৫. চিনি বা লবণের দ্রবণে সংরক্ষণ : চিনি প্রয়োগ করে ফলের জ্যাম, জেলি ও মারমালেড এবং পেয়ারা, আপেল, আনারস জাতীয় ফলকে কেটে পরিষ্কার করে চিনির ঘন দ্রবণে রেখে বাতাস নিরোধী করে দীর্ঘদিন রাখা যায়।
ঘ. সানোয়ারা বেগম ও সোহেল মিয়ার ব্যবহৃত পদ্ধতির মধ্যে সোহেল মিয়ার পদ্ধতিটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
সানোয়ারা বেগম গৃহস্থালির কাজে খাদ্য সংরক্ষণের জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করেন। যেগুলো উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণে এই রাসায়নিক পদার্থগুলোকে ব্যবহার না করে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেগুলো মানবদেহে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তবে গৃহস্থালি ব্যবহারের কাজে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ এ পদ্ধতিগুলো শরীরের জন্য নিরাপদ।
অন্যদিকে ফল ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া ফল সংরক্ষণে ফরমালিন ব্যবহার করেন। ফরমালিন একটি অত্যন্ত বিষাক্ত পদার্থ যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এটি খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিন্তু আমাদের দেশে সোহেল মিয়ার মতো কিছু অসাধু ও বিবেকবর্জিত ব্যবসায়ী ফরমালিনকে খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহার করছে। ফরমালিনের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে মানবদেহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে যেমনÑ বদহজম, পাতলা পায়খানা, পেটের নানা পীড়া, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, লিভার ও কিডনি নষ্ট হওয়াসহ ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি হতে পারে। ফরমালিনের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে মেয়েদের গর্ভজাত সন্তান বিকলাঙ্গও হতে পারে।
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, খাদ্য সংরক্ষণে সানোয়ারা বেগমের ব্যবহৃত পদ্ধতি স্বাস্থ্যসম্মত কিন্তু সোহেল মিয়ার ব্যবহৃত পদ্ধতিটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং এটি এক ধরনের অপরাধও বটে।
প্রশ্ন -৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ফরহাদ প্রতিদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে অনেক রাতে বাসায় ফেরে। তার মা তাকে রাতে খাবার খেতে বললে ফরহাদ বলে যে, তার ক্ষুধা নেই। একদিন সকালবেলা ফরহাদের বাবা তার শোবার ঘরে গিয়ে দেখলেন, ফরহাদ অগোছালোভাবে বিছানায় শুয়ে অস্বস্তিবোধ করছে। তার বাবা এ অবস্থার কথা জানতে চাইলে সে বলে তার কিছু হয়নি।
ক. ট্যক্সিন কাকে বলে? ১
খ. সুষম খাদ্য বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ফরহাদের এরূপ আচরণের জন্য সমাজ ও পরিবার কতটুকু দায়ী? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ফরহাদকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে তার বাবা-মার ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৬নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ব্যাকটেরিয়া খাদ্যকে নষ্ট করে যে বিষাক্ত উপাদান উৎপন্ন করে তাকে ট্যক্সিন বলে।
খ. যে খাদ্যে ছয়টি পুষ্টি উপাদানই গুণাগুণ অনুসারে উপযুক্ত পরিমাণে থাকে এবং যে খাদ্য গ্রহণ করলে দেহের স্বাভাবিক কাজকর্মের জন্য উপযুক্ত পরিমাণ ক্যালরি পাওয়া যায় তাকে সুষম খাদ্য বলে।
সুষম খাদ্য বলতে কোনো নির্দিষ্ট খাদ্যবস্তুকে বোঝায় না। এটি হলো বিভিন্ন খাদ্যবস্তুর এমন সমাহার যার মধ্যে খাদ্য উপাদানের সবগুলোই পরিমাণমতো থাকে। কোনো নির্দিষ্ট সুষম খাদ্য প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না। এটি তৈরি করে নিতে হয়।
গ. ফরহাদের এরূপ অস্বাভাবিক আচরণের কারণ হলো ড্রাগ আসক্তি বা মাদকাসক্তি।
ব্যক্তিগত ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় কোনো ব্যক্তির ড্রাগের ওপর আসক্তি জন্মালেও কিছু সামাজিক তথা পরিবেশের কারণেও এবং পারিবারিক কারণেও মাদকদ্রব্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণ আসে। নিচে মাদকাসক্তির সামাজিক ও পারিবারিক কারণগুলো উল্লেখ করা হলো।
পরিবেশগত তথা সামাজিক কারণ পরিবারের কারণ
১. মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা ১. বাবা-মার নিয়ন্ত্রণের অভাব
২. বেকারত্ব ২. হতাশা
৩. অসামাজিক পরিবেশ ৩. একাকিত্ব ও নিঃসঙ্গতা
৪. অল্প বয়সে স্কুল থেকে বিদায় ৪. সন্তানের বেপরোয়া ভাবকে আধিপত্য দেওয়া
৫. সিনেমা বা কোনো টিভি সিরিয়াল দেখা ৫. পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নতা
৬. আশপাশে ড্রাগের রমরমা ব্যবসা ৬. সন্তানের প্রতি যতœহীনতা
৭. পেশাগত কারণ ৭. উগ্র জীবনযাত্রা বা মানসিকতা
৮. অসামাজিক কাজ ও অপরাধ বেশি হয়, সে সব স্থানে বাস করা ৮. খারাপ সাহচর্য
৯. যেখানে ড্রাগ নেওয়ার সুযোগ বা দল থাকে
অতএব দেখা যাচ্ছে যে, ফরহাদের অস্বাভাবিক আচরণের জন্য সমাজ ও পরিবারে অনেকাংশেই দায়ী।
ঘ. কোনো ব্যক্তি ড্রাগের ওপর আসক্ত হলে তা বন্ধ করা বেশ কঠিন। কারণ ড্রাগ আসক্ত মানুষ দেহে মাদকের কুপ্রভাব বুঝতে পেরেও তা ছাড়াতে পারে না। চিকিৎসা ব্যবস্থায় মাদকদ্রব্যে আসক্তি কমানো যায়, তবে সে ক্ষেত্রে মাদকাসক্ত ব্যক্তি যদি সহযোগিতা না করে তাহলে তেমন ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।
ফরহাদ বন্ধুবান্ধবের প্রভাবে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে। তা উদ্দীপকে উল্লিখিত লক্ষণগুলো দেখে তার বাবা-মা বুঝে নিতে পারেছেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তার বাবা-মাকেই দৃঢ় ভ‚মিকা পালন করতে হবে। এজন্য তাদের যেসব উদ্যোগ নিতে হবে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো।
প্রথমে ফরহাদকে তার ড্রাগ নেওয়া বন্ধুদের থেকে আলাদা করতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে, কোনোক্রমে যেন তার কাছে মাদকদ্রব্য পৌঁছাতে না পারে। এরপর তার মানসিক চিকিৎসা করা প্রয়োজন যাতে সে ড্রাগের কথা মনে না আনতে পারে, তার জন্য তাকে বিশেষ কোনো কাজে যুক্ত করতে হবে। সে যে মাদকদ্রব্যে আসক্ত হয়েছে, সেটি একবারে বন্ধ না করে মাত্রা কমিয়ে কমিয়ে কিছুদিন তাকে মাদকদ্রব্যটি দিয়ে শেষে একেবারে বন্ধ করতে হবে। এতে হঠাৎ করে ড্রাগ বন্ধ করার খারাপ প্রভাবটা কমে যাবে। ঘুম ঠিকমতো না হলে বা বেশি অস্থিরতা বা বিদ্রোহীভাব দেখা দিলে স্নায়ু শিথিলকারক ঔষধ ও ঘুমের ঔষধ দিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করে যদি সুফল না পাওয়া যায় তাহলে তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করতে হবে। তাকে নিয়মিত মাদকের ক্ষতিকর বিষয়ে কাউন্সিলিং করতে হবে।
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় ফরহাদকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে তার বাবা মাকেই মূল ভ‚মিকা পালন করতে হবে এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
প্রশ্ন -৭ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
চাকরিজীবী সুলতান সাহেবকে প্রায়ই হোটেলে খেতে হয়। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো। ডাক্তার বললেন, তার ঋড়ড়ফ ঢ়ড়রংড়হরহম হয়েছে। তিনি আরও বললেন, অধুনা খাদ্য সংরক্ষণে ফরমালিনের ব্যবহারে এ ধরনের অসুস্থতা হতে পারে।
ক. অপরিহার্য অ্যামাইনো এসিডের সংখ্যা কয়টি? ১
খ. ড্রাগ আসক্তি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. সুলতান সাহেবের অসুস্থতার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. খাদ্য সংরক্ষণে উল্লিখিত পদ্ধতিটি সঠিক কিনাÑ যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪
 ৭নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. অপরিহার্য অ্যামাইনো এসিডের সংখ্যা ৮টি।
খ. ড্রাগ আসক্তি বলতে বোঝায় মাদকদ্রব্যের প্রতি নির্ভরতা।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডঐঙ) দেয়া সংজ্ঞামতে, ড্রাগ এমন সব পদার্থ, যা জীবিত প্রাণি গ্রহণ করলে তার এক বা একাধিক স্বাভাবিক আচরণের পরিবর্তন ঘটে। ক্রমাগত ড্রাগ মাদকদ্রব্য সেবনের কারণে যখন এমন অবস্থা সৃষ্টি হয় যে মাদকদ্রব্যের সাথে মানুষের দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং মানুষ বাধ্যতামূলকভাবে মাদক সেবন ছাড়া নানা সমস্যায় পড়ে তখন ড্রাগ আসক্তি বলে।
গ. সুলতান সাহেবের অসুস্থতার কারণ হলো খাদ্যে বিষক্রিয়া। তিনি নষ্ট বা বিষাক্ত খাদ্য গ্রহণ করে এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রাকৃতিক কারণে সব ধরনের খাদ্য নষ্ট বা খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। খাদ্য নষ্ট হওয়ার কারণগুলো হচ্ছেÑজীবাণু ও ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হওয়া এবং পরিবেশের কারণে সেগুলোর দ্রæত বৃদ্ধি, খাদ্যের মধ্যে উৎসেচকের পরিমাণ বৃদ্ধি, পরিবেশে আর্দ্রতা, তাপ ও অ¤েøর পরিমাণ বৃদ্ধি। এই কারণগুলো এককভাবে খাদ্যকে নষ্ট করে না। কয়েকটি কারণ একত্রে সংগঠিত হয়ে খাদ্য নষ্ট করে।
ব্যাকটেরিয়া খাদ্য নষ্ট করে এক ধরনের বিষাক্ত উপাদান উৎপন্ন করে। এই বিষাক্ত উপাদানগুলোকে টক্সিন বলে। এই টক্সিনগুলো বিভিন্ন ধরনের হয়। খাদ্যের এ অবস্থাকে ঋড়ড়ফ ঢ়ড়রংড়হরহম বা খাদ্যের বিষক্রিয়া বলে।
চাকরিজীবী সুলতান সাহেব প্রায়ই হোটেলে খেতে যান। হোটেলে, সাধারণত তাপমাত্রা, পরিবেশ ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্যকে নষ্ট করতে সাহায্য করে। ফলে সুলতান সাহেবকে নষ্ট খাবার খেতে হয়। সেই খাবারের বিষক্রিয়ার কারণেই সুলতান সাহেবের ঋড়ড়ফ ঢ়ড়রংড়হরহম হয়েছে। এটাই মূলত সুলতান সাহেবের অসুস্থতার কারণ।
ঘ. খাদ্য সংরক্ষণে উল্লিখিত পদ্ধতিটি সঠিক নয়।
উদ্দীপকে খাদ্য সংরক্ষণে ফরমালিনের ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা একদম ভুল ও বিপজ্জনক।
খাদ্য সংরক্ষক ব্যবহার করা হয় খাদ্যকে নষ্ট হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। পচনের সাহায্যকারী বিষয়গুলোকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে খাদ্য বহুদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা সম্ভব। বাণিজ্যিকভাবে খাদ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাত করা হয় বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বন করে। গৃহে সাধারণ সংরক্ষক দ্রব্যের ও যন্ত্রপাতির ব্যবহারে খাদ্য সংরক্ষণ করা হয়। এরকম কয়েকটি পদ্ধতির নাম হলো Ñ শুষ্ককরণ, রেফ্রিজারেশন, ফ্রিজিং, বিভিন্ন সংরক্ষক দ্রব্য যেমনÑ ভিনেগার, সালফেট লবণ, সোডিয়াম বেনজোয়েট, চিনি বা লবণের দ্রবণ ইত্যাদি। এগুলোই খাদ্য সংরক্ষণের সঠিক পদার্থ ও পদ্ধতি।
তবে বর্তমানে দুধ, ফল, মাছ এমনকি মাংসকে পচন থেকে রক্ষা করার জন্য যথেচ্ছ ফরমালিন নামক বিষাক্ত এক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি খাদ্যদ্রব্য সরক্ষণের জন্য ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিন্তু আমাদের দেশে কিছু অসাধু ও বিবেকবর্জিত ব্যবসায়ী ফরমালিনকে খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহার করছে। এটির দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে মানবদেহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে যেমনÑ বদহজম, খাদ্যে বিষক্রিয়া বা ঋড়ড়ফ ঢ়ড়ংড়হরহম পাতলা পায়খানা, পেটের নানা পীড়া, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, লিভার ও কিডনি নষ্ট হওয়াসহ ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি হতে পারে। ফরমালিনের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে মেয়েদের গর্ভজাত সন্তান বিকলাঙ্গও হতে পারে।
অতএব, উপস্থাপিত যুক্তিসমূহ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, খাদ্য সংরক্ষণে ফরমালিনের ব্যবহার একদম ঠিক নয়।
প্রশ্ন -৮ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মুক্তার একজন অসৎ ফল বিক্রেতা। সে (র) পচন থেকে ফল রক্ষা, (রর) কাচা ফলমূল দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা এবং (ররর) দ্রæত ফল পাকানোর জন্য নানা ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করে।
ক. ডঐঙ কী? ১
খ. ফাস্ট ফুড বলতে কী বোঝায়? ২
গ. মুক্তার রর নং কাজটি কীভাবে করেÑব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মুক্তারের মতো অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরকে প্রতিরোধ করার জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে বলে তুমি মনে কর? ৪
 ৮নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ডঐঙ এর পূর্ণ নাম হলো ডড়ৎষফ ঐবধষঃয ঙৎমধহরুধঃরড়হ। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
খ. ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুড হচ্ছে এমন এক ধরনের খাবার, যা এর স্বাস্থ্যগত মূল্যের চেয়ে বরং এর মুখোরচক স্বাদের জন্য উৎপাদন করা হয়। এটা খাওয়া খুব মজার এবং এটাকে খুব আবেদনময় মনে হতে পারে, কিন্তু এটা শরীরের জন্য ভালো নয়। এতে প্রায়শই অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা একে সুস্বাদু করে তোলে, কিন্তু এগুলো অস্বাস্থ্যকর। এতে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে প্রাণিজ চর্বি ও চিনি থাকে।
গ. উদ্দীপকে মুক্তার এর (রর)নং কাজটি হলো কাঁচা ফলমূল দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা। মুক্তার একজন অসৎ ফল বিক্রেতা সে ফল সংরক্ষণের জন্য নানা ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করে। কাঁচা ফলমূল দীর্ঘদিন সংরক্ষণের কাজটি সে যেভাবে করে তা নিচে ব্যাখ্যা করা হলো।
রাসায়নিক পদার্থের দ্বারা খাদ্যের পচন রোধ করা যায়। এগুলোকে সংরক্ষক পদার্থ বলে। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন কতগুলো সংরক্ষক পদার্থ প্রয়োগ করতে হয়। সংরক্ষক পদার্থটি শরীরের জন্য উপযুক্ত না হলে তা খাদ্যে প্রয়োগ করা উচিত নয়।
বর্তমানে ফল পচন থেকে রক্ষা করার জন্য যথেচ্ছ ফরমালিন নামক বিষাক্ত এক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হচ্ছে। খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের জন্য এটির ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিন্তু মুক্তার ফরমালিন দিয়ে কাঁচা ফল মুল দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করছে এটির দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার মানবদেহে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
ঘ. মুক্তারের মতো অন্যান্য অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে প্রতিরোধ করার জন্য কঠোর ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক পদক্ষেপ নিতে হবে বলে আমি মনে করি।
এসব বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার প্রতিরোধ করার জন্য ভোক্তা অধিকার রক্ষায় ভোক্তা আইন আরও কঠিনভাবে প্রয়োগের নিমিত্তে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম যেমন ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের দ্বারা সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। জনগণকে সচেতন হতে হবে এ ধরনের ফল ক্রয় না করার জন্য। যারা এ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করে খাদ্য সংরক্ষণ করে এবং ফল পাকায়, এ ধরনের অপরাধের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও জনগণের সচেতনতা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
অতএব, আমি মনে করি মুক্তারের মতো অন্যান্য অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধ করার জন্য উপরিউক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
প্রশ্ন -৯ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পঁয়ত্রিশ বছর বয়সী মোশাররফ সাহেবের ওজন ৮৫ কেজি এবং উচ্চতা ১৬ মিটার। ইদানীং তিনি দেহের স্থূলতাজনিত কারণে অস্বস্থিবোধ করায় ডাক্তারের শরাণাপন্ন হলেন। ডাক্তার সাহেব তাকে খাবার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম করার কথা বললেন।
ক. রাফেজ কী? ১
খ. সুষম খাবার বলতে কী বোঝায়? ২
গ. মোশাররফ সাহেবের বিএমআই নির্ণয় কর। ৩
ঘ. মোশাররফ সাহেবের প্রতি ডাক্তারের পরামর্শ মূল্যায়ন কর। ৪
 ৯নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. শস্যদানা, ফল এবং শাকসবজির অপাচ্য দীর্ঘ তন্তুময় অংশকে রাফেজ বলে।
খ. যে খাদ্যে ছয়টি খাদ্য উপাদানই গুণাগুণ অনুসারে উপযুক্ত পরিমাণে থাকে এবং যে খাদ্য গ্রহণ করলে দেহের স্বাভাবিক কাজ-কর্মের জন্য উপযুক্ত পরিমাণ ক্যালরি পাওয়া যায় তাকে সুষম খাদ্য বলে। সুষম খাদ্য বলতে কোনো নির্দিষ্ট খাদ্যবস্তুকে না বুঝিয়ে বিভিন্ন খাদ্য বস্তুর সমাহারকে বোঝায়।
গ. আমরা জানি, বিএমআই = দেহের ওজন (কেজি)  [দেহের উচ্চতা (মিটার)]২
উদ্দীপক হতে, মোশাররফ সাহেবের ওজন = ৮৫ কেজি, ও উচ্চতা = ১৬ মি.
অতএব, মোশাররফের ইগও = ৮৫(১৬)২
= ৮৫১৬ দ্ধ ১৬
= ৮৫২৫৬
= ৩৩.২০ (প্রায়)
অতএব মোশাররফ সাহেবের বিএম আই হলো ৩৩২০ (প্রায়)।
ঘ. মোশাররফ সাহেবের প্রতি ডাক্তারের পরামর্শ হলো খাবার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রমও করতে হবে।
মোশাররফ সাহেবের বয়স ৩৫ বছর এবং উচ্চতা ১৬ মিটার। তার ওজন ৮৫ কেজি, বয়স ও উচ্চতা অনুসারে যা অনেক বেশি। তিনি স্থূলতাজনিত কারণে অস্বস্তিবোধ করেন। ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার বুঝতে পারেন যে, মোশাররফ সাহেবর হাইপারটেনশন হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। এর ফলে তার হৃৎপিণ্ডের রোগ, বৃক্কের কার্য ক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি নানা জটিল রোগ হতে পারে। এজন্য ডাক্তার তাকে নিম্নলিখিত সতর্কতামূলক উপায়গুলো পালনের জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন।
১. দেহের ওজন বৃদ্ধি না করা।
২. চর্বিযুক্ত খাদ্য, যেমন : ঘি, মাখন, গরু ইত্যাদি বর্জন করা ।
৩. খাসির মাংস, চিংড়ি যতটা সম্ভব বর্জন করতে হবে।
৪. নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করা।
৫. মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করা।
৬. নিয়মিত খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করা সকালে অথবা বিকেলে মুক্ত বাতাসে অন্তত এক ঘণ্টা হাঁটতে হবে।
অতএব, ডাক্তারের উপরিউক্ত পরামর্শগুলো যদি মোশাররফ মেনে চলেন তাহলে উদ্দীপকে উল্লিখিত তার সমস্যাগুলো থেকে তিনি প্রতিকার পাবেন।
প্রশ্ন -১০ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রাহুলের ইদানীং খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ কমে গেছে। সবসময় অগোছালোভাবে থাকে। কর্মবিমুখতা ও হতাশা লক্ষ করা যায়। গভীর রাত পর্যন্ত বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে বাসায় ফিরে। সে প্রায়ই তার মায়ের কাছে টাকার জন্য বায়না ধরে এবং বাবার পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।
ক. ডঐঙ কী? ১
খ. জাঙ্কফুড বলতে কী বোঝায়? ২
গ. কী কী পরিবেশগত কারণে রাহুলের এ পরিণতি হতে পারে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. রাহুলকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে তার বাবা মার কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকারÑ তোমার মতামত দাও। ৪
 ১০নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ডঐঙ এর পূর্ণ নাম ডড়ৎষফ ঐবধষঃয ঙৎমধহরংধঃরড়হ। এটি হলো বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
খ. সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ (খ) নং উত্তর দেখ।
গ. উদ্দীপকে রাহুলের আচরণে প্রকাশ পায় সে মাদকের প্রতি আসক্ত। বিভিন্ন পরিবেশগত কারণে রাহুলের এ পরিণতি হতে পারে।
মাদকাসক্তির পরিবেশগত কারণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা
২. বেকারত্ব
৩. অসামাজিক পরিবেশ
৪. অল্প বয়সে স্কুল থেকে বিদায়
৫. সিনেমা বা কোনো টিভি সিরিয়াল দেখা
৬. আশপাশে ড্রাগের রমরমা ব্যবসা
৭. পেশাগত কারণ
৮. অসামাজিক কাজ ও অপরাধ বেশি হয়, সে সব স্থানে বাস করা
৯. যেখানে ড্রাগ নেওয়ার সুযোগ বা দল থাকে।
অতএব, উপরিউক্ত পরিবেশগত কারণে রাহুলের এ পরিণতি হতে পারে।
ঘ. সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ (ঘ) নং উত্তর দেখ।

অতিরিক্ত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৩২. দেহ সুস্থ ও কাজের উপযোগী রাখার জন্য কী প্রয়োজন? (জ্ঞান)
ক পুষ্টি ˜ খাদ্য
গ নিরাপদ খাদ্য ঘ সুষম খাদ্য
৩৩. খাদ্যের জটিল উপাদান ভেঙে দেহের গ্রহণ উপযোগী উপাদানে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক খাদ্য খ শোষণ ˜ পুষ্টি ঘ পরিশোষণ
৩৪. জীবদেহের জৈবিক ক্রিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে কে? (প্রয়োগ)
ক প্রস্বেদন খ ব্যাপন  তাপ ঘ শ্বসন
৩৫. জীবদেহে খাদ্যের কাজ প্রধানত কয়টি? (জ্ঞান)
ক দুটি ˜ তিনটি গ চারটি ঘ পাঁচটি
৩৬. খাদ্যের কোন উপাদান জীবের জীবনীশক্তির জোগান দেয়? (জ্ঞান)
ক পরিপাক খ পুষ্টি ˜ পরিপোষক ঘ খাদ্য
৩৭. প্রাণীরা কোনটির মাধ্যমে পরিপোষক গ্রহণ করে? (জ্ঞান)
˜ খাদ্য খ পুষ্টি গ পরিপাকতন্ত্র ঘ শ্বসনতন্ত্র
৩৮. খাদ্য শোষিত হয়ে দেহকোষের প্রোটোপ্লাজমে সংযোজিত হওয়াকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক শ্বসন খ পরিপাক গ উৎসেচক ˜ আত্তীকরণ
৩৯. খাদ্যের উপাদান কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৪ খ ৫ ˜ ৬ ঘ ৭
৪০. আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের বিভিন্ন উপাদানগুলোর মধ্যে কোনটির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে? (জ্ঞান)
ক প্রোটিন ˜ শর্করা গ স্নেহ পদার্থ ঘ খনিজ লবণ
৪১. শর্করার মধ্যে কোনটি রক্তের মাধ্যমে সারাদেহে পরিবাহিত হয়? (জ্ঞান)
ক ফ্রুকটোজ খ গ্যালাকটোজ ˜ গøুকোজ ঘ সেলুলোজ
৪২. কোন খাদ্য উপাদান খুব কম সময়ে তাপ উৎপন্ন করে দেহে শক্তি জোগায়? (জ্ঞান)
˜ শর্করা খ স্নেহ গ আমিষ ঘ ভিটামিন
৪৩. আমাদের মোট ক্যালরির শতকরা কত ভাগ শর্করা থেকে গ্রহণ করা দরকার? (জ্ঞান)
ক ৪৮Ñ৫০ ˜ ৫৮Ñ৬০ গ ৬৮Ñ৭০ ঘ ৭০Ñ৭৫
৪৪. একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের শর্করার দৈনিক চাহিদা তার দেহের প্রতি কিলোগ্রাম ওজনের জন্য কত হওয়া দরকার? (জ্ঞান)
ক ২ থেকে ৩ গ্রাম খ ৩ থেকে ৫ গ্রাম
˜ ৪ থেকে ৬ গ্রাম ঘ ৬ থেকে ৮ গ্রাম
৪৫. আমিষে শতকরা কত ভাগ নাইট্রোজেন আছে? (জ্ঞান)
ক ৯% খ ১২% ˜ ১৬% ঘ ২১%
৪৬. আমিষ পরিপাক হওয়ার পর কিসে পরিণত হয়? (জ্ঞান)
ক সরল শর্করায় খ গøুকোজে
˜ অ্যামাইনো এসিডে ঘ ফ্রুকটোজে
৪৭. এ পর্যন্ত কত প্রকার অ্যামাইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে? (জ্ঞান)
˜ ২০ প্রকার খ ১৬ প্রকার গ ১৫ প্রকার ঘ ১২ প্রকার
৪৮. কাকে ফল শর্করা বলা হয়? (জ্ঞান)
ক গøুকোজ ˜ ফ্রুকটোজ গ সুক্রোজ ঘ সেলুলোজ
৪৯. সব ধরনের শাকসবজিতে কোন শর্করাটি উপস্থিত থাকে? (জ্ঞান)
ক ফ্রুকটোজ খ সুক্রোজ ˜ সেলুলোজ ঘ ল্যাকটোজ
৫০. পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ন্যূনতম কত গ্রাম শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে? (জ্ঞান)
ক ২০০ গ্রাম ˜ ৩০০ গ্রাম গ ৪০০ গ্রাম ঘ ৫০০ গ্রাম
৫১. খাদ্যের তাপশক্তি মাপার একককে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক ক্যালরি খ জুল গ কুলম্ব ˜ কিলোক্যালরি
৫২. এক কিলোক্যালরি সমান কত ক্যালরি? (জ্ঞান)
ক ১০০ ক্যালরি ˜ ১,০০০ ক্যালরি
গ ৫,০০০ ক্যালরি ঘ ১০,০০০ ক্যালরি
৫৩. কয়টি পদার্থের সমন্বয়ে আমিষ গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ২ খ ৩ ˜ ৪ ঘ ৫
৫৪. অপরিহার্য অ্যামাইনো এসিডের সংখ্যা কয়টি? (জ্ঞান)
ক ২০ খ ১২ ˜ ৮ ঘ ৫
৫৫. আমাদের দেহকোষের বেশিরভাগ কী দ্বারা গঠিত? (জ্ঞান)
˜ প্রোটিন খ কার্বোহাইড্রেট গ ফ্যাট ঘ খনিজ লবণ
৫৬. প্রাণিদেহের শুষ্ক ওজনের শতকরা কত ভাগ প্রোটিন? (জ্ঞান)
ক ৩০% খ ৩৫% গ ৪০% ˜ ৫০%
৫৭. প্রতি কিলোগ্রাম দৈহিক ওজনের জন্য প্রোটিনের চাহিদা কত? (জ্ঞান)
ক ৪ গ্রাম খ ৩ গ্রাম গ ২ গ্রাম ˜ ১ গ্রাম
৫৮. স্নেহ জাতীয় খাদ্য দহনে কতটুকু শক্তি উৎপন্ন হয়? (জ্ঞান)
ক ৪.১ কপধষ/মস খ ৪.১ কপধষ/শম
 ৯.৩ কপধষ/মস ঘ ৯.৩ কপধষ/শম
৫৯. খাদ্যে দৈনিক কত গ্রাম প্রাণিজ স্নেহ খাদ্য থাকা প্রয়োজন? (জ্ঞান)
ক ৫ গ্রাম খ ১০ গ্রাম ˜ ১৫ গ্রাম ঘ ২০ গ্রাম
৬০. কোন খাদ্য উপাদানের অভাবে চর্মরোগ দেখা দেয়? (জ্ঞান)
˜ চর্বি খ ভিটামিন গ আমিষ ঘ শর্করা
৬১. সবচেয়ে বেশি ক্যালরি উৎপাদনকারী খাদ্য উপাদান কোনটি? (জ্ঞান)
ক আমিষ খ শর্করা ˜ স্নেহ পদার্থ ঘ খনিজ পদার্থ
৬২. খাদ্যে কত ধরনের ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়? (অনুধাবন)
˜ ২০ ধরনের খ ২২ ধরনের গ ১৮ ধরনের ঘ ১৬ ধরনের
৬৩. উৎস অনুসারে স্নেহ পদার্থ কত প্রকার? (জ্ঞান)
˜ দুই প্রকার খ তিন প্রকার গ চার প্রকার ঘ পাঁচ প্রকার
৬৪. দেহের অভ্যন্তরীণ কাজ নিয়ন্ত্রণে কে সহায়তা করে থাকে? (জ্ঞান)
ক ভিটামিন ˜ খনিজ লবণ গ প্রোটিন ঘ স্নেহ পদার্থ
৬৫. একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক মোট ক্যালরি চাহিদার কত ভাগ স্নেহজাতীয় খাদ্য থেকে আসা উচিত? (জ্ঞান)
ক ৪০Ñ৪৫% খ ৩০Ñ৪০% গ ১৫Ñ২০% ˜ ১০Ñ১৫%
৬৬. শর্করা, প্রোটিন ও স্নেহ পদার্থের খাদ্য ক্যালরি যথাক্রমে- (অনুধাবন)
ক ৪ শপধষ/মস, ৪.১ শপধষ/মস, ৭ শপধষ/মস
 ৪.১ শপধষ/মস, ৪.১ শপধষ/মস, ৯.৩ শপধষ/মস
গ ৪.৫ শপধষ/মস, ৪.২ শপধষ/মস, ৯.৫ শপধষ/মস
ঘ ৪.২ শপধষ/মস, ৪.৫ শপধষ/মস, ৮ শপধষ/মস
৬৭. মানবদেহে কোন খাদ্য উপাদান অপাচ্য থেকে যায়? (অনুধাবন)
ক প্রোটিন খ শর্করা ˜ সেলুলোজ ঘ সম্পৃক্ত ফ্যাট
৬৮. পেশিতে শর্করা কিরূপে জমা থাকে? (জ্ঞান)
ক শ্বেতসার খ সেলুলোজ
˜ গøাইকোজেন ঘ ফ্রুকটোজ
৬৯. খাদ্যের কাজ কোনটি? (অনুধাবন)
ক চর্মরোগ প্রতিরোধ ˜ দেহের ক্ষয়পূরণ
গ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর ঘ সৌন্দর্য বৃদ্ধি
৭০. খাদ্যের সরল উপাদান শোষিত হয় কার দ্বারা? (প্রয়োগ)
ক কৈশিক জালিকা খ ক্ষুদ্রান্ত্র
গ শিরা ও ধমনি ˜ জীবকোষ
৭১. অ্যামাইনো এসিডের আবশ্যকীয় উপাদান নিচের কোনটি? (অনুধাবন)
ক কার্বন খ হাইড্রোজেন গ অক্সিজেন ˜ নাইট্রোজেন
৭২. নিচের কোনটি শক্তি জোগান দেয়? (অনুধাবন)
˜ শর্করা খ ভিটামিন গ পানি ঘ খনিজ লবণ
৭৩. কোন খাদ্যটির প্রধান অংশ শর্করা? (অনুধাবন)
ক সরিষা খ ইলিশ মাছ গ পেয়ারা ˜ আলু
৭৪. মানবদেহে পুষ্টিতে কোনটির ভ‚মিকা অপরিহার্য? (অনুধাবন)
ক আমিষ ˜ শর্করা গ চর্বি ঘ ভিটামিন
৭৫. শক্তি উৎপাদনকারী খাদ্য উপাদান কোনটি? (অনুধাবন)
˜ শর্করা খ আমিষ গ ভিটামিন ঘ খনিজ লবণ
৭৬. সকল শর্করা নিচের কোন মৌলিক উপাদানগুলোর সমন্বয়ে গঠিত? (অনুধাবন)
ক কার্বন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন
খ কার্বন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন
˜ কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন
ঘ হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন
৭৭. যকৃতে শর্করা কিরূপে থাকে? (জ্ঞান)
ক শ্বেতসার গ সেলুলোজ গ ফ্রুকটোজ  গøাইকোজেন
৭৮. সর্বাপেক্ষা সহজপাচ্য খাদ্য উপাদান কোনটি? (প্রয়োগ)
ক স্নেহ খ আমিষ গ ভিটামিন ˜ শর্করা
৭৯. নিচের কোনটির উপস্থিতির কারণে আমিষের গঠন অন্যান্য উপাদান থেকে স্বতন্ত্র? (প্রয়োগ)
ক কার্বন খ পটাসিয়াম ˜ নাইট্রোজেন ঘ হাইড্রোজেন
৮০. বর্ণহীন, গন্ধহীন ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত খাদ্য উপাদান কোনটি? (অনুধাবন)
ক প্রোটিন ˜ শর্করা গ স্নেহপদার্থ ঘ ভিটামিন
৮১. নিচের কোনটি মিষ্টি ফলে ও ফুলের মধুতে থাকে? (অনুধাবন)
ক গøুকোজ ˜ ফ্রুক্টোজ গ সুক্রোজ ঘ সেলুলোজ
৮২. প্রাণিজ শর্করার উদাহরণ নিচের কোনটি? (অনুধাবন)
ক গøুকোজ খ সুক্রোজ গ সেলুলোজ ˜ গøাইকোজেন
৮৩. কোষ্ঠকাঠিন্য রোধক শর্করা নিচের কোনটি? (অনুধাবন)
˜ সেলুলোজ খ গøুকোজ গ গ্যালাকটোজ ঘ ফ্রুকটোজ
৮৪. কোষের নিউক্লিক এসিড গঠনে অংশ নেয় কোনটি? (অনুধাবন)
˜ পেন্টোজ খ সেলুলোজ গ গøুকোজ ঘ ফ্রুকটোজ
৮৫. শর্করা থেকে সংশ্লেষ হয় কোনটি? (অনুধাবন)
ক প্রোটিন ও ভিটামিন খ ভিটামিন ও মিনারেলস
˜ প্রোটিন ও ফ্যাট ঘ প্রোটিন ও মিনারেলস
৮৬. ক্যালরির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে কোন জাতীয় খাদ্যে? (অনুধাবন)
ক শর্করা খ প্রোটিন গ ভিটামিন ˜ চর্বি
৮৭. আমিষ কোন কোন মৌলিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত হয়? (অনুধাবন)
ক কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন
খ কার্বন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন
গ কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, আয়োডিন
˜ কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন
৮৮. প্রাণিজ প্রোটিনের পুষ্টিমূল্য বেশি হয় কেন? (অনুধাবন)
ক নাইট্রোজেন বেশি থাকে বলে
˜ অপরিহার্য অ্যামাইনো এসিড বেশি থাকে বলে
গ কার্বনের ভাগ বেশি বলে
ঘ হাইড্রোজেনের ভাগ বেশি বলে
৮৯. নিচের কোন খাদ্যে প্রোটিনের ভাগ বেশি আছে? (অনুধাবন)
ক ইলিশ ˜ মুরগির মাংস গ হাঁসের ডিম ঘ গরুর দুধ
৯০. নিচের প্রোটিনজাত খাদ্যগুলোর মধ্যে কোনটির শক্তিমূল্য বেশি? (অনুধাবন)
ক খাসির মাংস খ চিংড়ি মাছ ˜ দই ঘ রুই মাছ
৯১. কাদের প্রোটিনের চাহিদা বেশি? (অনুধাবন)
ক প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ খ প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা
গ বৃদ্ধ মহিলা ˜ কিশোর
৯২. কিসের ওপর স্নেহ পদার্থের বৈশিষ্ট্য নির্ভর করে? (অনুধাবন)
˜ ফ্যাটি এসিড খ গিøসারল
গ অ্যামাইনো এসিড ঘ অ্যাসিটিক এসিড
৯৩. সাধারণ তাপমাত্রায় নিচের কোনটি কঠিন অবস্থায় থাকে? (অনুধাবন)
ক অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড ˜ সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড
গ বাদামের তেল ঘ স্নেহ পদার্থ
৯৪. কোনটি চর্মরোগ প্রতিরোধ করে? (অনুধাবন)
ক আমিষ ˜ স্নেহ পদার্থ গ খাদ্যপ্রাণ ঘ শর্করা
৯৫. কিসে ক্যালরি সবচেয়ে বেশি? (অনুধাবন)
ক ভাত খ রুটি ˜ মাখন ঘ মিষ্টি কুমড়া
৯৬. স্নেহ জাতীয় খাদ্য গঠিত হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
˜ ফ্যাটি এসিড ও গিøসারলের সমন্বয়ে
খ অ্যামাইনো এসিডের সমন্বয়ে
গ ফ্যাটি এসিড ও অক্সালিক এসিডের সমন্বয়ে
ঘ গিøসারল ও অ্যামাইনো এসিডের সমন্বয়ে
৯৭. শরীরে স্নেহ পদার্থের অভাবে কোনটি ঘটে? (অনুধাবন)
ক শরীরের ওজন কমে যায় খ এন্টিবডি তৈরিতে বিঘœ ঘটে
গ কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ হয় ˜ চামড়া খসখসে হয়ে যায়
৯৮. চর্মরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে কোনটি? (অনুধাবন)
ক মাছ খ আলু ˜ মাখন ঘ ডিম
৯৯. খাদ্য পৌষ্টিকতন্ত্রে হজমের পর সরল উপাদানগুলো শোষণ করে নিচের কোনটি? (অনুধাবন)
ক বৃহদন্ত্র খ পরিপাকতন্ত্র গ রক্ত ˜ জীবকোষ
১০০. আমরা দৈনিক খাদ্যের মধ্যে ভাত ও রুটি বেশি খাই। এগুলো কী ধরনের খাদ্য? (জ্ঞান)
ক প্রোটিন ˜ শর্করা গ ভিটামিন ঘ খনিজ লবণ
১০১. মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল কী ধরনের খাদ্য? (জ্ঞান)
˜ প্রোটিন খ শর্করা গ ভিটামিন ঘ স্নেহ
১০২. শর্করা পরিপাকের মাধ্যমে কিসে পরিণত হয়? (জ্ঞান)
ক ফ্রুকটোজে খ সেলুলোজে গ গ্যালাকটোজে ˜ গøুকোজে
১০৩. একজন ৬০ কেজি ওজনের পুরুষ মানুষের গড়ে প্রতিদিন শর্করার চাহিদা কত হবে? (প্রয়োগ)
˜ ৩০০ গ্রাম খ ৩০২ গ্রাম গ ৩২০ গ্রাম ঘ ৩৪০ গ্রাম
১০৪. মাংসে কোনটি উপস্থিত থাকে? (অনুধাবন)
˜ গøাইকোজেন খ সেলুলোজ গ ল্যাকটোজ ঘ সুক্রোজ
১০৫. স্নেহ জাতীয় খাদ্যে ক্যালরির পরিমাণ কত? (জ্ঞান)
ক ৪.১ শপধষ/মস খ ৫.৩ শপধষ/মস গ ৭.২ শপধষ/মস ˜ ৯.৩ শপধষ/মস
১০৬. একজন ব্যক্তির ওজন ৫৭ কেজি। ঐ ব্যক্তির প্রাত্যহিক প্রোটিনের চাহিদা কত? (প্রয়োগ)
ক ২৮ গ্রাম ˜ ৫৭ গ্রাম গ ১১৪ গ্রাম ঘ ১৬১ গ্রাম
১০৭. ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় কোন খাদ্য উপাদানটি ভালো ভ‚মিকা রাখবে? (প্রয়োগ)
ক শর্করা খ প্রোটিন ˜ স্নেহ পদার্থ ঘ ভিটামিন
১০৮. প্রতি গ্রাম স্নেহ পদার্থের শক্তিমূল্য কত? (জ্ঞান)
ক ৪.৩ কিলোক্যালরি খ ৬.৩ কিলোক্যালরি
গ ৮.৩ কিলোক্যালরি ˜ ৯.৩ কিলোক্যালরি
১০৯. একজন ব্যক্তি মোটা দেহের অধিকারী। নিচের কোন খাদ্য উপাদানের ফলাফল এটি? (প্রয়োগ)
˜ স্নেহ পদার্থ খ শর্করা গ ভিটামিন ঘ আমিষ
১১০. অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড নিচের কোনটি? (অনুধাবন)
ক কোলেস্টরল খ ল্যাকটোজ গ ফ্যাট ˜ তেল
১১১. খাদ্য কীভাবে দেহে গ্রহণ উপযোগী হয়ে ওঠে? (অনুধাবন)
ক খাদ্যসার দেহ থেকে বের হওয়ার পর
˜ সরল উপাদানে পরিণত হওয়ার পর
গ মুখের লালা মিশ্রিত হওয়ার পর
ঘ বৃহদন্ত্রের দ্বারা হজম হওয়ার পর
১১২. প্রায় সকল খাদ্যে অপরিহার্য মৌলিক উপাদান হিসেবে কোনটি থাকে? (অনুধাবন)
ক হাইড্রোজেন খ অক্সিজেন ˜ কার্বন ঘ নাইট্রোজেন
১১৩. পুষ্টিবিজ্ঞানে আমিষকে অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচনা করার কারণ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
˜ এটি দেহে নাইট্রোজেন সরবরাহ করতে পারে
খ এর গঠন ও গুরুত্ব অন্যান্য উপাদান থেকে স্বতন্ত্র
গ রক্তের অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে
ঘ দেহে রোগের এন্টিবডি হিসেবে কাজ করে
১১৪. নিচের কোন খাদ্যটি হতে অধিক শক্তি পাওয়া যায়? (অনুধাবন)
ক গরুর দুধ খ মহিষের দুধ গ দই  ছানা
১১৫. খাদ্যের ক্যালরি মূল্য বলতে কী বোঝায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক একটি খাদ্য থেকে মোট কত শক্তি পাওয়া যাবে তা
খ একটি খাদ্য থেকে কতখানি তাপমূল্য পাওয়া যাবে তা
˜ একটি খাদ্য সম্পূর্ণভাবে জারণের ফলে কতখানি শক্তি মুক্ত হবে তা
ঘ একটি খাদ্য কতখানি দেহে গ্রহণ উপযোগী হবে তা
১১৬. মেদবহুল দেহে সহজে রোগ আক্রমণ করে কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক দেহে শ্বসন ক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়
খ দেহে তাপশক্তি কম খরচ হওয়ায়
গ দেহে পরিপাক প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়
˜ দেহে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায়
১১৭. পরিপাকের জন্য অপ্রয়োজনীয় কোনটি? (অনুধাবন)
˜ পরিপোষক খ খাদ্য গ শর্করা ঘ প্রোটিন
১১৮. পরিপাকের জন্য অপ্রয়োজনীয় কোনটি? (অনুধাবন)
ক খাদ্য খ শর্করা ˜ গøুকোজ ঘ প্রোটিন
১১৯. কিসের ফলে খাদ্যস্থ রাসায়নিক শক্তি তাপ ও গতিশক্তিরূপে মুক্ত হয়? (জ্ঞান)
ক চলন খ সালোকসংশ্লেষণ ˜ শ্বসন ঘ জৈবিক ক্রিয়া
১২০. জটিল খাদ্যকে সরল খাদ্যে পরিণত করতে সাহায্য করে কোনটি? (জ্ঞান)
˜ উৎসেচক খ ভিটামিন গ নিউট্রিয়েন্টস ঘ খনিজ লবণ
১২১. দেহের পরিপোষক খাদ্য কোনগুলো? (অনুধাবন)
ক খনিজ লবণ ও স্নেহ পদার্থ ˜ আমিষ ও শর্করা
গ ভিটামিন ও স্নেহ পদার্থ ঘ খনিজ লবণ ও ভিটামিন
১২২. দেহের শক্তি উৎপাদক খাদ্য কোনটি? (অনুধাবন)
ক খনিজ লবণ ও শর্করা খ ভিটামিন ও শর্করা
˜ স্নেহ পদার্থ ও শর্করা ঘ আমিষ ও শর্করা
১২৩. দেহের রোগ প্রতিরোধে সহায়তাকারী ও সংরক্ষক খাদ্য উপাদান কোনগুলো? (অনুধাবন)
ক ভিটামিন, খনিজ লবণ ও শর্করা
খ ভিটামিন, খনিজ লবণ ও স্নেহপদার্থ
গ স্নেহপদার্থ, আমিষ ও শর্করা
˜ ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি
১২৪. আমিষযুক্ত খাদ্যকে আমরা কী বলি? (অনুধাবন)
˜ দেহ গঠনকারী খ দেহ সংরক্ষক
গ শক্তি উৎপাদক ঘ রোগ প্রতিরোধকারী
১২৫. ফল শর্করা বলে কোনটিকে? (জ্ঞান)
ক গøুকোজ ˜ ফ্রুকটোজ গ সুক্রোজ ঘ ল্যাকটোজ
১২৬. এক খাদ্য ক্যালরি বলতে কী বোঝায়? (জ্ঞান)
˜ এক কিলোক্যালরি খ দুই কিলোক্যালরি
গ তিন কিলোক্যালরি ঘ চার কিলোক্যালরি
১২৭. কোনটি পরিপাকের পর দেহে অ্যামাইনো এসিডের প্রাপ্তি ঘটায়? (অনুধাবন)
ক ভাত ˜ মাংস গ চর্বি ঘ চিনি
১২৮. এক গ্রাম প্রোটিন/শর্করা থেকে কত কিলোক্যালরি তাপশক্তি উৎপন্ন হয়? (জ্ঞান)
ক ২.১ খ ৩.৫ ˜ ৪.১ ঘ ৫.১
১২৯. এক গ্রাম স্নেহ পদার্থ থেকে কত কিলোক্যালরি তাপশক্তি উৎপন্ন হয়? (জ্ঞান)
ক ৪.১ খ ৬.৫ গ ৮.৩  ৯.৩
১৩০. অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড কোনগুলো? (অনুধাবন)
ক মাছের চর্বি ও সরিষার তেল খ সয়াবিন তেল ও মাংসের চর্বি
গ মাছের ও মাংসের চর্বি  সরিষার তেল ও সয়াবিন তেল
১৩১. সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড কোনগুলো? (অনুধাবন)
ক মাছের চর্বি ও সরিষার তেল খ সয়াবিন তেল ও মাংসের চর্বি
˜ মাছের ও মাংসের চর্বি ঘ সরিষার তেল ও সয়াবিন তেল
১৩২. চর্মরোগ দেখা দিতে পারে কোনটির অভাবে? (অনুধাবন)
ক শর্করা ˜ স্নেহ পদার্থ গ প্রোটিন ঘ ভিটামিন
১৩৩. স্নেহ পদার্থের অভাবে দেহে কী রোগ সৃষ্টি হতে পারে? (জ্ঞান)
ক বেরিবেরি খ রাতকানা ˜ একজিমা ঘ অ্যানিমিয়া
১৩৪. পরিপাককৃত খাদ্য শোষিত হয়ে কোথায় সংযোজিত হয়? (অনুধাবন)
ক কৌশিক জালিকায় খ ক্ষুদ্রান্ত্রে
গ শিরা ও ধমনিতে ˜ প্রোটোপ্লাজমে
১৩৫. প্রাণিদেহে খাদ্য ঘাটতিতে শক্তি সরবরাহ করে কোনটি? (অনুধাবন)
ক শর্করা ˜ গøাইকোজেন গ রাইবোজ ঘ শ্বেতসার
১৩৬. লাইনোলেনিক সমৃদ্ধ খাদ্য প্রতিরোধ করে কোন রোগ? (অনুধাবন)
ক রাতকানা খ বেরিবেরি ˜ চর্মরোগ ঘ অ্যানিমিয়া
১৩৭. তুমি এক গ্রাম চর্বি খেলে কি পরিমাণ খাদ্যশক্তি পাবে? (প্রয়োগ)
ক ৮.৩ কিলোক্যালরি  ৯.৩ কিলোক্যালরি
গ ১০.৩ কিলোক্যালরি ঘ ১২.৩ কিলোক্যালরি
১৩৮. মানবদেহ কোন অ্যামাইনো এসিডগুলো সংশ্লেষ করতে অক্ষম? (অনুধাবন)
ক লিউসিন ও প্রোলিন খ লাইসিন ও গøাইসিন
গ গøাইসিন ও প্রোলিন ˜ লিউসিন ও লাইসিন
১৩৯. অপরিহার্য অ্যামাইনো এসিড কোনগুলো? (অনুধাবন)
ক লিউসিন ও প্রোলিন খ লাইসিন ও গøাইসিন
গ গøাইসিন ও প্রোলিন ˜ লিউসিন ও লাইসিন
১৪০. কোন দুটি খাদ্য থেকে সমপরিমাণ ক্যালরি পাওয়া যাবে? (অনুধাবন)
˜ মাংস ও শস্যদানা খ মাংস ও দুধ
গ দুধ ও শস্যদানা ঘ শস্যদানা ও ফল

Share to help others:

Leave a Reply