অষ্টম শ্রেণি

অষ্টম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় অনুধাবন শক্তি ও অনুচ্ছেদ

৩. অনুধাবন শক্তি ও অনুচ্ছেদ  অনুধাবন শক্তি লিখিত যে কোনো বিষয়ে কোনো না কোনো মানুষ পাঠ করে থাকে কিন্তু যে অংশটুকু পড়ে তার মূলভাব সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারে তাকে বলা হয় তার অনুধাবন দক্ষতা। একটি পাঠে কিছু শব্দ থাকে, কিছু নতুন বিষয় থাকতে পারে যার অর্থ বা ধারণা জানা না থাকলে পাঠটির পূর্ণ ধারণা লাভ সহজ হয় না। তাই একটি পাঠ সম্পূর্ণরূপে বুঝতে হলে পাঠ সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ও জানতে এবং বুঝতে হয়। আবার তা কেবল মুখস্ত করলে সেটি বেশিদিন মনে নাও থাকতে পারে। সেই জানা জ্ঞান অন্য কোনো পাঠের সাথে বা জ্ঞানের সাথে মেলাতে পারার ক্ষমতাও থাকতে হয়। এ ভাবেই অনুধাবন দক্ষতা পরিপূর্ণভাবে অর্জিত হয়। [ পাঠ্য বই থেকে ] ১. অনুধাবন শক্তি পরীক্ষা : স্পন্দন, প্রতীতি, প্রান্ত, হিমেল, বর্ণ, প্রাপ্তি শীতের ছুটিতে জগৎপট্টিতে বেড়াতে গিয়েছে। ওরা সবাই এলাকাটি ঘুরে ঘুরে দেখল। ওখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি বাজার আছে। এলাকার অধিকাংশ মানুষই শিক্ষিত। কৃষিজীবী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার মানুষ সেখানে বসবাস করে। বেশকিছু লোক জীবিকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপসহ নানা দেশে চাকরি নিয়ে গেছে। এলাকার জনগণ মোটামুটি সচ্ছল। বৈদেশিক অর্থ লেন-দেনের জন্য ওখানে বেশকিছু ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কোনো কোনো বাড়িতে ফুলের বাগান রয়েছে। জগৎপট্টি বাংলাদেশের একটি আদর্শ গ্রামীণ এলাকা। কর্ম-অনুশীলন : ক. ‘প্রতীতি’ শব্দের অর্থ কী? খ. কৃষিজীবী কারা? গ. নানান পেশার মানুষ বলতে কী বুঝায়? ঘ. জীবিকা বলতে কী বুঝ? ঙ. আদর্শ গ্রামের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও। উত্তর : ক. ‘প্রতীতি’ শব্দের অর্থ জ্ঞান। খ. কৃষি কাজ করার মাধ্যমে যারা জীবিকা অর্জন করে তারাই কৃষিজীবী। গ. সব মানুষের জীবিকা অর্জনের পদ্ধতি এক নয়। একেক জন একেক ধরনের কাজে নিয়োজিত থাকেন। কেউ চাকরি করেন, কেউ কৃষিকাজ করেন, কেউ মাছ ধরেন কেউ শিক্ষকতা করেন, কেউ বা ব্যবসা করেন। নানা পেশার মানুষ বলতে এই বৈচিত্রপূর্ণ কাজে নিয়োজিত মানুষদেরই বোঝানো যায়। ঘ. জীবন ধারণের জন্য আমরা যে কাজের সাথে জড়িত থাকি তা-ই আমাদের জীবিকা। মানুষের জীবন ধারনের জন্য অর্থ উপার্জন করতে হয়। এজন্য মানুষ নানা ধরনের কাজ করে। অর্থাৎ বিভিন্ন পেশায় কর্মরত থাকে। এভাবে যে কাজ বা পেশায় নিয়োজিত থেকে আমরা পারিশ্রমিক অর্জন করি সেই কাজ বা পেশাই জীবিকা হিসেবে পরিচিত। ঙ. একটি আদর্শ গ্রাম বলতে আমরা বুঝি সেই গ্রামকে যেখানে জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থার সুন্দর সমন্বয় থাকে। একটি আদর্শ গ্রামে প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দরকারি ব্যবসা, ধর্মীয় ও অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহ সঠিক পরিমাণে থাকে। জনগণের কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত হয়। মানুষের মাঝে শান্তি-শৃঙ্খলা বিদ্যমান থাকে। [ অতিরিক্ত অংশ ] ১. নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : নকশিকাঁথা আমাদের একটি গ্রামীণ লোকশিল্প। এ শিল্প আজ লুপ্তপ্রায় হলেও এর কিছু নমুনা পাওয়া যায়। আপন পরিবেশ থেকেই মেয়েরা তাঁদের মনের মতো করে কাঁথা সেলাইয়ের অনুপ্রেরণা পেতেন। কাঁথার প্রতিটি সুচের ফোঁড়ের লুকিয়ে আছে এক একটি পরিবারের কাহিনি, তাদের পরিবেশ, তাদের জীবনগাথা। আমাদের দেশের কুমোরপাড়ার শিল্পীরা বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র ছাড়াও পোড়ামাটি দিয়ে নানা প্রকার শৌখিন দ্রব্য তৈরি করে থাকে। নানা প্রকার পুতুল, মূর্তি ও আধুনিক রুচির ফুলদানি, ছাইদানি, চায়ের সেট ইত্যাদি তারা গড়ে থাকে। খুলনার মাদুর ও সিলেটের শীতলপাটি সকলের কাছে পরিচিত। র. ‘গ্রামীণ’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী? ১ রর. ‘আধুনিক’ শব্দের স্ত্রীবাচক শব্দ কী? ১ ররর. ‘অনুপ্রেরণা’ শব্দের দুটি সমার্থক শব্দ লেখ। ১ রা. লোকশিল্প কী? ১ া. নকশিকাঁথার নকশাগুলো সংগ্রহ করা হতো কোথা থেকে? ১ উত্তর : র. ‘গ্রামীণ’ শব্দের বিপরীত শব্দ ‘শহুরে’। রর. ‘আধুনিক’ শব্দের স্ত্রীবাচক শব্দ ‘আধুনিকা’। ররর. ‘অনুপ্রেরণা’ শব্দের দুটি সমার্থক শব্দ হচ্ছে উৎসাহ ও উদ্দীপনা। রা. দেশি জিনিস দিয়ে দেশের মানুষের হাতে তৈরি শিল্পসম্মত দ্রব্যকে লোকশিল্প বলে। যেমন- মাটির পুতুল আমাদের গ্রামীণ লোকশিল্প। া. নকশিকাঁথার নকশাগুলো সংগ্রহ করা হতো গ্রামীণ আপন পরিবেশ থেকে। নকশিকাঁথার শিল্পীদের জীবনবাস্তবতার প্রতিফলন ঘটে নকশাগুলোতে। ২. নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : দুঃখ চোখে জল হয়ে দেখা দেয়। চোখের পাতায় দুঃখ টলমল করে এক ফোঁটা জল হয়ে। শহিদ মিনারের দিকে তাকালে মনে হয় মুক্তোর মতো; কিন্তু তা দুঃখের মুক্তো। শহিদ মিনারও সুন্দর, কিন্তু অনেক বেদনার,। অনেক দীর্ঘশ্বাসের। কার চোখে টলমল করছে ওই জলের ফোঁটা, ওই দুঃখে নীরবে কাঁদছে সবুজ বাংলাদেশ, তার চোখে টলমল করছে কান্না। শহিদ মিনার বাংলাদেশের চোখের জল। ক. ‘নীরব’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী? ১ খ. শহিদ মিনার বেদনার কেন? ১ গ. ‘দুঃখ’-এর দু’টি প্রতিশব্দ লেখ। ১ ঘ. শহিদ মিনার ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের মধ্যে চেতনাগত সাদৃশ্য উল্লেখ করো। ২ উত্তর : ক. ‘নীরব’ শব্দের বিপরীত শব্দ ‘সরব’। খ. শহিদ মিনারের সাথে আমাদের ভাই হারানোর বেদনার স্মৃতি জড়িত। তাই শহিদ মিনার বেদনার। ১৯৫২ সালে ভাষা-আন্দোলনে পাকিস্তান সরকারের পুলিশের গুলিতে নৃশংস হত্যার শিকার হন- সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতসহ নাম না জানা আরও অনেকে। তাঁদের সেই মহান আত্মত্যাগের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয় শহিদ মিনার। ভাই হারানোর স্মৃতি মনে করিয়ে দেয় বলে শহিদ মিনার বেদনার। গ. ‘দুঃখ’-এর দুটি প্রতিশব্দ হলো- কষ্ট ও বেদনা। ঘ. শহিদ মিনার ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ উভয়ই আমাদের জাতীয় প্রতীক। শহিদ মিনার আমাদের মনে করিয়ে দেয় ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন ও সেই আন্দোলনের শহিদদের কথা। আর স্মৃতিসৌধ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মারক। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি মাতৃভাষার অধিকার। আর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন স্বদেশভ‚মি। তাই উভয় স্থাপত্যই আমাদের মনে দেশপ্রেমের চেতনা জাগিয়ে তোলে। ৩. নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : সৌভাগ্য আকাশ থেকে পড়ে না। জীবনে সৌভাগ্য অর্জনের জন্য প্রচুর পরিশ্রম ও নিরন্তর সাধনার দরকার হয়। সব মানুষের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা আছে। পরিশ্রমের দ্বারা সেই সুপ্ত প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলতে হয়। যে মানুষ কর্মকে জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছে, জীবন সংগ্রামে তারই জয় হয়েছে। কর্মের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি জীবনে সফল সৈনিক হতে পারে। কর্মহীন ব্যক্তি সমাজের বোঝাস্বরূপ। অন্যদিকে, শ্রমশীলতাই মানব জীবনের সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। আমাদের জীবনে উন্নতি করতে হলে, জীবনে সুখী হতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। র. ‘সৌভাগ্য’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী? ১ রর. সৌভাগ্য অর্জনের জন্য কী করতে হয়? ১ ররর. কে সমাজের বোঝা? ১ রা. জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে হলে কিসের প্রয়োজন? ২ উত্তর : র. ‘সৌভাগ্য’ শব্দের বিপরীত শব্দ হচ্ছে ‘দুর্ভাগ্য’। রর. সৌভাগ্য অর্জনের জন্য প্রচুর পরিশ্রম ও নিরন্তর সাধনা করতে হয়। ররর. কর্মহীন ব্যক্তি সমাজের বোঝা। রা. জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে হলে কর্মকাকে জীবনের মূল লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। পরিশ্রমই উন্নতির মূল চাবিকাঠি। কর্মের প্রতি একনিষ্ঠ ব্যক্তিগণই জীবন সংগ্রামে সফল হয়েছেন। ৪. নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং অনুধাবন করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : সুন্দরকে জানার যে জ্ঞান তার নাম ‘নন্দনতত্ত¡’। নন্দনতত্ত¡ মানে সুন্দরকে বিশ্লেষণ করা, সুন্দরকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করা। সব সুন্দরের সৃষ্টির মধ্যেই একটা রূপ আছে, তার নাম স্বাধীনতা- অপর নাম যা খুশি তাই

অষ্টম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় অনুধাবন শক্তি ও অনুচ্ছেদ Read More »

অষ্টম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় ভাব-সম্প্রসারণ

২. ভাব-সম্প্রসারণ কবি-সাহিত্যিকদের লেখায় কখনো কোনো একটি বাক্যে বা কবিতার এক বা একাধিক চরণে গভীর কোনো ভাব নিহিত থাকে। সেই ভাবকে বিস্তারিতভাবে লেখা, বিশ্লেষণ করাকে ভাবস¤প্রসারণ বলে। যে ভাবটি কবিতার চরণে বা বাক্যে প্রচ্ছন্নভাবে থাকে, তাকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করতে হয়। সাধারণত সমাজ বা মানবজীবনের মহৎ কোনো আদর্শ বা বৈশিষ্ট্য, নীতি-নৈতিকতা, প্রেরণামূলক কোনো বিষয় যে পাঠে বা বাক্যে বা চরণে থাকে, তার ভাবস¤প্রসারণ করা হয়। ভাবস¤প্রসারণের ক্ষেত্রে রূপকের আড়ালে বা প্রতীকের ভেতর দিয়ে যে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়, তাকে যুক্তি, উপমা, উদাহরণ ইত্যাদি সাহায্যে বিশ্লেষণ করতে হয়। ভাবস¤প্রসারণ করার ক্ষেত্রে যেসব দিক বিশেষভাবে খেয়াল রাখা প্রয়োজন : ১. উদ্ধৃত অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। ২. অন্তর্নিহিত ভাবটি বোঝার চেষ্টা করতে হবে। ৩. অন্তর্নিহিত ভাবটি কোনো উপমা-রূপকের আড়ালে নিহিত আছে কি না, তা চিন্তা করতে হবে। ৪. সহজ-সরলভাবে মূল ভাবটিকে ফুটিয়ে তুলতে হবে। ৫. মূল বক্তব্যকে প্রকাশরূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনে যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে। ৬. বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। [ পাঠ্য বই থেকে ] এ জগতে, হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি। ভাব-স¤প্রসারণ : মানুষ স্বভাবতই যত পায়, তত চায়। তার চাওয়ার শেষ নেই। এ জগতে যার যত বেশি আছে, সে তত আরো বেশি চায়। যে লাখ টাকার মালিক, সে কোটিপতি হতে চায়। যার কোটি আছে, সে হাজার কোটি পেতে চায়। রাজার বিপুল সম্পদ আছে। তবুও তার রাজ্য জয়ের প্রবল আকাক্সক্ষা। কেননা তার আরো সম্পদ চাই। আরো ভোগ, আরো বিলাসিতা প্রয়োজন তার। এই আরো পাওয়ার ইচ্ছা মানুষকে অমানুষ করে তোলে। নিজের মানবতাকে বিসর্জন দিয়ে, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তারা গরিবের সর্বস্ব কেড়ে নেয়। তারা তাদের ভোগ-লালসা মেটাতে গরিবের সামান্য সম্পদ আত্মসাৎ করে নিজেরা ফুলে-ফেঁপে ওঠে। ধনীদের এই লোভে সমাজের দীনহীন গরিব মানুষগুলো প্রতিনিয়ত হচ্ছে প্রতারিত; সহায়-সম্বলহীন পথের ফকির। এতে ধনীদের মনে সামান্যতম করুণাও হয় না। করিতে পারি না কাজ সদা ভয়, সদা লাজ সংশয়ে সংকল্প সদা টলে পাছে লোকে কিছু বলে। ভাব-স¤প্রসারণ : মানুষের জীবন কর্মমুখর। কাজের মাধ্যমেই মানবজীবনের সফলতা আসে। কাজ করতে গেলে ভুল হয় এবং ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে মানুষ তার জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু এ পৃথিবীতে সবাই কর্মী নয়। কিছু অলস-অকর্মণ্য মানুষ আছে, যারা সব সময় অন্যের পেছনে লেগে থাকে। তাদের কাজের খুঁত ধরে, অন্যায় সমালোচনা করে। ফলে অনেক সময় কোনো কাজ করতে গেলে কেউ কেউ দ্বিধাগ্রস্ত হয়। কে কী মনে করবে, কে কী সমালোচনা করবে এই সব ভেবে তারা বসে থাকে। যার জন্য কাজ এগোয় না। তাই যারা সমাজে অবদান রাখতে চায় তাদের দ্বিধা করলে চলবে না। দৃঢ় মনোবল নিয়ে লোকলজ্জা ও সমালোচককে উপেক্ষা করতে হবে। মানুষের কল্যাণে মহৎ কাজ করতে হলে ভয়ভীতি সংকোচকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। ভাব-স¤প্রসারণ : মানব-সভ্যতা বিকাশে নারী ও পুরুষের সমান অবদান রয়েছে। নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই গড়ে উঠেছে আমাদের সমাজ, সভ্যতা ও সংস্কৃতি। সৃষ্টিকর্তা নারী ও পুরুষকে সৃষ্টি করেছেন একে অপরের পরিপূরক হিসেবে। তাই নারী ও পুরুষ চিরকালের সার্থক সঙ্গী। একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। সৃষ্টির আদিমকাল থেকে নারী পুরুষকে জুগিয়েছে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস। আর পুরুষ বীরের মতো সব কাজে অর্জন করেছে সাফল্য। আজ পর্যন্ত বিশ্বে যত অভিযান সংঘটিত হয়েছে, তার অন্তরালে নারীর ভূমিকাই মুখ্য। সঙ্গত কারণেই নারী ও পুরুষের কার্যক্ষেত্রে ভিন্নতা আছে। তবুও নারী যেমন পুরুষের উপর নির্ভরশীল, পুরুষও তেমনি নারীর মুখাপেক্ষী। নারীকে বাদ দিয়ে পুরুষের জীবন অসম্পূর্ণ, অর্থহীন। নারী ও পুরুষের মিলনের মধ্যেই রয়েছে জগতের সমস্ত কল্যাণ। উভয়ের দানে পুষ্ট হয়েছে আমাদের পৃথিবী। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। ভাব-স¤প্রসারণ : পৃথিবীর সকল দেশেরই জাতীয় জীবনে এমন দু-একটি দিন আসে যা স্বমহিমায় উজ্জ্বল। আমাদের জাতীয় জীবনে এমনি স্মৃতি-বিজড়িত মহিমা-উজ্জ্বল একটি দিন একুশে ফেব্রুয়ারি। সারা বিশ্বের বাংলা ভাষীদের কাছে এ দিনটি চির-স্মরণীয়। একুশে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস একদিকে আনন্দের, অন্যদিকে বেদনার। পাকিস্তানি স্বৈর-শাসকরা বাঙালির মুখ থেকে বাংলা ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল ১৯৪৮ সালে। বাংলার মানুষ সে অন্যায় মেনে নেয়নি। বাংলার দামাল ছেলেরা তুমুল বিরোধিতা করে রাজপথে নেমে আসে। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ দাবিতে বাংলার আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে তোলে। স্বৈরাচারী পাক-সরকার আন্দোলন দমনের জন্য শুরু করে গ্রেফতার, জুলুম, নির্যাতন। এতেও বাংলার দুরন্ত ছেলেদের দমাতে না পেরে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তাদের মিছিলে নির্মমভাবে গুলিবর্ষণ করে। রফিক, শফিক, বরকত, জব্বার, সালামের রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়। বাংলা পায় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। আর সমগ্র বাঙালির চেতনায় চিরস্মরণীয় ও বরণীয় থাকে ভাষা-শহিদদের নাম। তাঁদের ঋণ আমরা কোনোদিন ভুলব না। জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে, চিরস্থির কবে নীর, হায় রে, জীবন নদে? ভাব-স¤প্রসারণ : মানুষ মরণশীল। মানুষ অমর নয়। একদিন সবাইকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যুই জীবনের অনিবার্য পরিণতি। মৃত্যুকে ঠেকানোর ক্ষমতা কোনো মানুষের নেই। মানবজীবন নদীর জলের মতো প্রবহমান। নদীর জোয়ার-ভাটার মতো মানুষের জীবনেও সুখ-দুঃখ, উত্থান-পতন আছে। জাগতিক নিয়মেই জীবন চলে। এটাই প্রকৃতির বিধান। তাই মৃত্যুকে অযথা ভয় পাবার কিছু নেই। বরং এই সত্যকে মেনে নিয়ে মানবজীবনকে সার্থক করে তুলতে হবে। কর্মগুণে সমাজ-সভ্যতায় নিজের কীর্তির চিহ্ন রেখে যেতে হবে। নিষ্ফল জীবনের অধিকারী মানুষকে কেউ মনে রাখে না। কিন্তু কৃতী লোকের গৌরব জীবনের সীমা অতিμম করে অমরতা ঘোষণা করে। মানুষেরও শরীরের মৃত্যু হয়। কিন্তু তার জীবনের পুণ্যকর্ম পৃথিবীতে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে। নশ্বর মৃত্যুও মানুষের জীবনে তখন অবিনশ্বর হয়ে ওঠে। বাংলার ইতিহাস এ দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ভাব-স¤প্রসারণ : বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের ইতিহাস অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার ইতিহাস। বাঙালি জাতি কারো অধীনতা কোনোদিন মেনে নেয়নি। অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির অবস্থান চিরকালই ছিল বজ্রকঠিন। তাই এখানে বারবার বিদ্রোহের আগুন জ্বলেছে। ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের জাঁতাকলে প্রায় দুশো বছর ধরে নিষ্পেষিত হয়েছে এ জাতি। ১৯৪৭-এ সেই জাঁতাকল থেকে এ উপমহাদেশের মানুষ মুক্তি পেলেও বাঙালির মুক্তি মেলেনি। এ বন্ধন বাঙালি মেনেও নেয়নি। ১৯৫২ সালের রক্তঝরা ভাষা-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় মুক্তি-সংগ্রামের দিকে। ১৯৫৮ ও ১৯৬৬ সালে পাকিস্তানি সামরিক শাসক বাংলার দামাল ছেলেদের ওপর গুলি চালায়। গুলি করে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানেও। বারবার বাঙালির বুকের রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। তবুও তাদের স্বাধীনতার দাবিকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তানি জান্তা-বাহিনী। তাই তারা ১৯৭১-এ বাঙালির ওপর চূড়ান্ত আঘাত হানে। তখন বাংলার মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তি-সংগ্রামে। লক্ষ লক্ষ মানুষের বুকের রক্তে বাংলার মাটি লাল হয়। অবশেষে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। সঙ্গদোষে লোহা ভাসে। ভাব-স¤প্রসারণ : প্রত্যেক মানুষই তার জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি স্বাধীন সত্তা বহন করে। সে একাই তার বিবেককে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এক্ষেত্রে তার সঙ্গের প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়। ভবিষ্যতের সুন্দর বা খারাপের বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তির ইচ্ছা বা সঙ্গ নির্বাচনের ওপর। যেসব মানুষ উন্নত চরিত্র

অষ্টম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় ভাব-সম্প্রসারণ Read More »

অষ্টম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সারাংশ ও সারমর্ম

১. সারাংশ ও সারমর্ম কোনো পদ্য বা গদ্যের মূলভাব বা বক্তব্যকে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করার নামই সারমর্ম বা সারাংশ। সাধারণত পদ্যের ভাব সংক্ষেপে প্রকাশকে সারমর্ম এবং গদ্যের বক্তব্য সংক্ষেপে প্রকাশ করাকে সারাংশ বলে। সারমর্ম বা সারাংশ লেখার সময় : ১. যে পাঠটুকুর সারমর্ম বা সারাংশ রচনা করতে হবে, সেটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। ২. বাড়তি বিষয় বর্জন করতে হবে। কখনো কোনো পাঠের মূল ভাব উপমা রূপকের আড়ালে থাকতে পারে, তা বুঝে মূল ভাব লিখতে হবে। ৩. সারাংশ বা সারমর্মে উপমা, রূপক-এসব বাদ দিয়ে লিখতে হবে। ৪. প্রত্যক্ষ উক্তি বর্জন করে পরোক্ষ উক্তিতে লিখতে হবে। ৫. মূল অংশে উদ্ধৃতি থাকলে প্রয়োজনে সেই উদ্ধৃতির ভাবটুকু উদ্ধৃতি ছাড়া লিখতে হবে।  সারাংশ [ পাঠ্য বই থেকে ] ১. কোথা থেকে এসেছে আমাদের বাংলা ভাষা? ভাষা কি জন্ম নেয় মানুষের মতো? বা যেমন বীজ থেকে গাছ জন্মে তেমনভাবে জন্ম নেয় ভাষা? না, ভাষা মানুষ বা তরুর মতো জন্ম নেয় না। বাংলা ভাষাও মানুষ বা তরুর মতো জন্ম নেয়নি, কোনো কল্পিত স্বর্গ থেকেও আসেনি। এখন আমরা যে বাংলা ভাষা বলি এক হাজার বছর আগে তা ঠিক এমন ছিল না। সে-ভাষায় এ-দেশের মানুষ কথা বলত, গান গাইত, কবিতা বানাত। মানুষের মুখে মুখে বদলে যায় ভাষার ধ্বনি। রূপ বদলে যায় শব্দের, বদল ঘটে অর্থের। অনেকদিন কেটে গেলে মনে হয় ভাষাটি একটি নতুন ভাষা হয়ে উঠেছে। আর সে-ভাষার বদল ঘটেই জন্ম হয়েছে বাংলা ভাষার। সারাংশ : ভাষার ধর্মই হচ্ছে বদলে যাওয়া। মানুষের মুখে মুখে বদলে যায় ভাষার ধ্বনি। শব্দেরও বদল ঘটে এবং সে সঙ্গে শব্দের অর্থেরও। হাজার বছরের পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় এমনি ভাবেই আমাদের বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে। ২. আনন্দ প্রকাশ জীবনীশক্তির প্রবলতারই প্রকাশ। আনন্দকে আমরা বুঝি রূপ-রস-শব্দ-স্পর্শ-গন্ধ ইত্যাদির সাহায্যে, ইন্দ্রিয়সকলের সাহায্যে। মানুষ যখন আনন্দ পায় তখন সে তার মনকে প্রকাশ করতে চায়Ñ নানা রূপে। তাই সৃষ্টি হলো চিত্রশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, সংগীতশিল্পী, কবি, সাহিত্যিক। পুরাকালের গুহামানুষ থেকে শুরু করে বর্তমান যুগ পর্যন্ত মানুষ নিজের পাওয়া আনন্দকে সুন্দরকে অন্য মানুষের মধ্যে বিস্তার করতে চেয়েছে। তাই সৃষ্টি হয়েছে নানান আঙ্গিকের শিল্পকলা। সারাংশ : মানুষের জীবনীশক্তির প্রকাশ ঘটে আনন্দে। তার সমস্ত ইন্দ্রিয় দিয়ে আনন্দকে সে উপলব্ধি করে। সেই আনন্দানুভূতি সবার কাছে জানাতে চায়। তাই ছবি, গান, কবিতা, নাচ, ভাষ্কর্য ইত্যাদি শিল্পকলার মাধ্যমে মানুষ তার আনন্দকে প্রকাশ করে। এই আনন্দ ও সুন্দরের বোধ মানুষের মনকে তৃপ্ত করে। ৩. বাঙালি যেদিন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলতে পারবেÑ ‘বাঙালির বাংলা’ সেদিন তারা অসাধ্য সাধন করবে। বাঙালির মতো জ্ঞান-শক্তি ও প্রেম-শক্তি (ব্রেন সেন্টার ও হার্ট সেন্টার) এশিয়ায় কেন, বুঝি পৃথিবীতে কোনো জাতির নেই। কিন্তু কর্ম-শক্তি একেবারে নেই বলেই তাদের এই দিব্যশক্তি তমসাচ্ছন্ন হয়ে আছে। তাদের কর্ম-বিমুখতা, জড়তা, মৃত্যুভয়, আলস্য, তন্দ্রা, নিদ্রা, ব্যবসাবাণিজ্যে অনিচ্ছার কারণ। তারা তামসিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে চেতনা-শক্তিকে হারিয়ে ফেলেছে। এই তমঃ, এই তিমির, এই জড়তাই অবিদ্যা। অবিদ্যা কেবল অন্ধকার পথে ভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়; দিব্যশক্তিকে নিস্তেজ, মৃতপ্রায় করে রাখে। সারাংশ : বাঙালি প্রেম-শক্তি ও জ্ঞান-শক্তিতে পৃথিবীখ্যাত। কিন্তু আলস্য তাদের দুর্বল করে রেখেছে। অলসতা আর কাজের প্রতি অনীহার জন্য তারা জগতের সবকিছু থেকে পিছিয়ে আছে। এই আলস্য ও কর্ম-বিমুখতাকে উপেক্ষা করে বাঙালিকে জেগে উঠতে হবে। তবেই এই বাংলা প্রকৃত অর্থে বাঙালির হবে। ৪. একজন মানুষ ভালো কি মন্দ আমরা তা বুঝতে পারি তার ব্যবহার দিয়ে। সে ভদ্র কি অভদ্র তাও বুঝতে পারি তার ব্যবহার দিয়ে। ব্যবহার ভালো হলে লোকে তাকে ভালো বলে। তাকে পছন্দ করে। ব্যবহার খারাপ হলে লোকে তাকে খারাপ বলে। তাকে অপছন্দ করে। তার সঙ্গে মিশতে চায় না। তার সঙ্গে কাজ করতে চায় না। তাকে কাছে ডাকতে চায় না। তোমার ব্যবহার দিয়েই তোমার মনুষ্যত্বের পরিচয়। সারাংশ : সুন্দর ব্যবহারের মধ্যেই মনুষ্যত্বের পরিচয় নিহিত। মানুষের কথাবার্তা, মনোভাব ও আদব-কায়দার মধ্যে দিয়েই সুন্দর ব্যবহারের প্রকাশ ঘটে। ভালো ব্যবহার দিয়ে সহজেই অপরের ভালোবাসা পাওয়া যায়। সুন্দর স্বভাবের মধ্যেই মানুষের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। ৫. সূর্যের আলোতে রাতের অন্ধকার কেটে যায়। শিক্ষার আলো আমাদের অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করে। আমাদের দৃষ্টিতে চারপাশের জগৎ আরো সুন্দর হয়ে ওঠে। আমরা জীবনের নতুন অর্থ খুঁজে পাই; শিক্ষার আলো পেয়ে আমাদের ভিতরের মানুষটি জেগে ওঠে। আমরা বড় হতে চাই, বড় হওয়ার জন্য চেষ্টা করি। আমরা সুন্দর করে বাঁচতে চাই, বাঁচার মতো বাঁচতে চাই। আর সুন্দর করে বাঁচতে হলে চাই জ্ঞান। সেই জ্ঞানকে কাজেও লাগানো চাই। শিক্ষার ফলে আমাদের ভিতর যে শক্তি লুকানো থাকে তা ধীরে ধীরে জেগে ওঠে। আমরা মানুষ হয়ে উঠি। সারাংশ : সূর্যের আলো যেমন অন্ধকার দূর করে, তেমনি শিক্ষার আলো মনের অন্ধকার দূর করে দেয়। আমাদের প্রত্যেকের ভেতরে শক্তি লুকানো আছে। শিক্ষা এ শক্তির বিকাশে সাহায্য করে। শিক্ষার ফলে আমরা জ্ঞান ও দক্ষতা লাভ করে নিজের শক্তিকে কাজে লাগাই। যথার্থ মানুষ হয়ে উঠি। [ অতিরিক্ত অংশ ] ৬. সময় ও স্রোত কাহারও অপেক্ষায় বসিয়া থাকে না, চিরকাল চলিতে থাকে। সময়ের নিকট অনুনয় করো, ইহাকে ভয় দেখাও, ভ্রæক্ষেপও করিবে না। সময় চলিয়া যাইবে, আর ফিরিবে না। নষ্ট স্বাস্থ্য ও হারানো ধন পুনঃপ্রাপ্ত হওয়া যায়, কিন্তু সময় একবার গত হইয়া গেলে আর ফিরিয়া আসে না। গত সময়ের জন্য অনুশোচনা করা নিষ্ফল। যতই কাঁদ না গত সময় আর ফিরিয়া আসিবে না। সারাংশ : সময় চিরবহমান। শত চেষ্টা করলেও সময়ের গতিকে কেউ রুদ্ধ করতে পারে না। চেষ্টা ও শ্রম দিয়ে লুপ্ত-স্বাস্থ্য বা ধ্বংস হওয়া ধন-সম্পদ পুনরায় উদ্ধার করা যেতে পারে। কিন্তু যে সময় একবার চলে যায় শত চেষ্টায়ও তাকে আর ফিরিয়ে আনা যায় না। ৭. ছাত্রজীবন আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের বীজ বপনের সময়। এ সময় যে যেমন বীজ বপন করবে, ভবিষ্যৎ জীবনে সে সেরূপ ফল ভোগ করবে। এ সময় যদি আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে জ্ঞানের অনুশীলন করে যাই তবে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় হবে। আর যদি হেলায় সময় কাটিয়ে দিই, তাহলে জীবনের মহৎ উদ্দেশ্য ব্যর্থ হতে বাধ্য। যে শিক্ষা জীবন ও জীবিকার পথে কল্যাণকর, যে শিক্ষা মানুষকে উন্নত চরিত্রের অধিকারী করে, তা-ই সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষা। ছাত্রদের জীবন গঠনে শিক্ষকসমাজ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের সুষ্ঠু পরিচালনার মধ্যে দিয়ে ছাত্রদের জীবন গঠিত হয় এবং উন্মুক্ত হয় মহত্তর সম্ভাবনার পথ। [জেএসসি- ’১২] সারাংশ : ছাত্রজীবন মানব জীবনের শ্রেষ্ঠতম সময়। ভবিষ্যত জীবনের সাফল্য এ সময়ের কর্মকাণ্ডের ওপরই নির্ভর করে। তাই ছাত্রজীবন থেকেই সুন্দর জীবন গঠনের চর্চা শুরু করতে হবে। ছাত্রদের জ্ঞানার্জন ও চরিত্র গঠনে শিক্ষকের ভ‚মিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের সঠিক নির্দেশনা পেলে শিক্ষার্থীর জীবন বিকশিত হয়। ৮. অভাব আছে বলিয়াই জগৎ বৈচিত্র্যময়। অভাব না থাকিলে জীব সৃষ্টি বৃথা হইতো। অভাব আছে বলিয়াই অভাব পূরণের জন্য এতো উদ্যম, এতো উদ্যোগ। আমাদের সংসার অভাবক্ষেত্র বলিয়াই কর্মক্ষেত্র। অভাব না থাকিলে সকলকেই স্থাণু, স্থবির হইতে হইতো, মনুষ্যজীবন বিড়ম্বনাময় হইতো। মহাজ্ঞানীরা জগৎ হইতে দুঃখ দূর করিবার জন্য ব্যগ্র। কিন্তু জগতে দুঃখ আছে বলিয়াই সে সেবার পাত্র যত্রতত্র সদাকাল ছড়াইয়া

অষ্টম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সারাংশ ও সারমর্ম Read More »

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা

ত্রয়োদশ অধ্যায় বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা বিষয়-সংক্ষেপ গত শতাব্দীতে ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ এবং ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দুটি ভয়াবহ মহাযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এতে কয়েক লাখ মানুষ নিহত ও আহত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামো। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালে গঠিত হওয়া জাতিপুঞ্জ বা লীগ অব নেশনসের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। তাই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট প্রমুখ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর গঠিত হয় আরও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, জাতিসংঘ। শুরুতে ৫০টি দেশ নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত হলেও বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৯৩। সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদসহ এর ছয়টি মূল সংস্থাসহ ইউনেস্কো, ফাও ইত্যাদি অঙ্গসংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর বর্তমান মহাসচিব দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক বান কি মুন। ১৯৬১ সালে যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট যোশেফ ব্রজ টিটো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ও মিশরের প্রেসিডেন্ট গামাল আবদেল নাসেরের উদ্যোগে গঠিত হয় অসামরিক সংগঠন ন্যাম। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাটো’ ও সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘ওয়ারশ’ সামরিক জোটগুলোর প্রভাবের বাইরে থেকে বিশ্বশক্তির ভারসাম্য রক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা ছিল এর মূল লক্ষ্য। অন্যদিকে মুসলিম প্রধান দেশগুলোর স্বার্থরক্ষা, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সারা পৃথিবীর মুসলমানদের কল্যাণের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালে গঠিত হয় ইসলামি সম্মেলন সংস্থা ওআইসি। এর সদস্য সংখ্যা ৫৭। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে এর সদস্য পদ লাভ করে। ১৯৫৭ সালে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডস নিয়ে গঠিত হয় আঞ্চলিক সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২৮। প্রধান কার্যালয় বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে। পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি জাতিসংঘ : জাতিসংঘ একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। জাতিসংঘের গঠন : জাতিসংঘ মোট ছয়টি অঙ্গসংগঠন নিয়ে গঠিত। অঙ্গসংগঠনগুলো হলো : সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, অছি পরিষদ, আন্তর্জাতিক আদালত, জাতিসংঘ সচিবালয়। ইউনেস্কো : ইউনেস্কো জাতিসংঘের একটি সামাজিক সংস্থা। ১৯৬৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এর সদর দপ্তর অবস্থিত। ইউনেস্কোর প্রধান লক্ষ্য হলো শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জাতির মধ্যে সহযোগিতা সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা : (ঋঅঙ) : সংস্থাটির পুরা নাম ‘দা ফুড এ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন অফ দি ইউনাইটেড নেশনস’। এটি ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭টি দেশ এর সদস্য। এর সদর দপ্তর ইতালির রাজধানী রোমে। সংস্থাটি সারাবিশ্বে ক্ষুধার বিরুদ্ধে কাজ করছে। ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণের মাধ্যমে বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে ফাও-এর প্রধান লক্ষ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ) : সংস্থাটির পুরা নাম ‘দি ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন’। এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিল এটি গঠিত হয়। সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে এর সদর দপ্তর অবস্থিত। বিশ্বের সকল অংশের মানুষের জন্য সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করাই সংস্থাটির লক্ষ্য। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ঘঅগ) : কোনো সামরিক জোটের সদস্য নয় বিশ্বের এমন স্বাধীন ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সংগঠন এটি। ১৯৬১ সালে তখনকার যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট যোশেফ ব্রজ টিটো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ও মিসরের প্রেসিডেন্ট গামাল আবদেল নাসেরের উদ্যোগে এটি গঠিত হয়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. আন্তর্জাতিক আদালত কোথায় অবস্থিত? ক জেনেভা  নেদারল্যান্ডস গ নিউইয়র্ক ঘ প্যারিস ২. নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের ভেটো ক্ষমতা আছে বলে তারা- র. যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে রর. নিরাপত্তা পরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত বাতিল বা স্থগিত করতে পারে ররর. যে কোনো বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে নিচের কোনটি সঠিক? ক র  রর গ র ও রর ঘ রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : হানিফ সাহেবের প্রতিবেশী শামীম সাহেবের শিশু সন্তানটি হামে আক্রান্ত হয়। তিনি শিশুটিকে দেখতে গিয়ে জানতে পারেন শামীম সাহেব তার শিশুকে টিকা দেয়নি। হানিফ সাহেব তখন তাকে জানান যে মারাত্মক ৬টি রোগের টিকা বিনামূল্যে শিশুদের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য দেওয়া হয়। তিনি সময়মতো টিকা দেওয়ায় তার সন্তানদের এসব রোগ হয়নি। ৩. হানিফ সাহেবের বাচ্চাদের সুস্থ রাখার মূলে যে সংস্থাটি কাজ করছে- ক ইউনেস্কো  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ ইউনিসেফ ঘ বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ৪. উক্ত সংস্থা কর্তৃক এই প্রকল্প গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য কী?  বিশ্বের সকল মানুষের জন্য সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করা খ বিশ্বের গ্রামীণ ও দরিদ্র দেশগুলোকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া গ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা ঘ উন্নত দেশ কর্তৃক দরিদ্র দেশকে স্বাস্থ্যগত সুবিধা দেওয়া ৫. থেকে জাতিসংঘ জন্ম প্রক্রিয়া শুরু করেছিল? ক প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ঘ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ৬. জাতিসংঘ মোট কতটি মূল শাখা নিয়ে গঠিত? ক ৪  ৬ গ ৭ ঘ ৮ ৭. জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা কত? ক ১৬৩ খ ১৭৩ গ ১৮৩  ১৯৩ ৮. কোন সংস্থার সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পপুলেশন’ সায়েন্স’ বিভাগ চালু হয়েছে?  ইউএনএফপিএ খ ইউএনডিপি গ ইউনেস্কো ঘ ইউনিসেফ ৯. ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত? ক ১৫  ২৮ গ ৫৩ ঘ ৫৭ ১০. ? চিহ্নিত স্থানে কোনটি বসবে? ক আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা খ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা  আঞ্চলিক সহযোগী সংস্থা ঘ আঞ্চলিক উন্নয়ন সংস্থা ১১. কত সালে লীগ অব নেশনস বা জাতিপূঞ্জ গঠিত হয়?  ১৯২০ খ ১৯২৫ গ ১৯৩০ ঘ ১৯৪৫ ১২. ১৯৬১ সাল মিসরের প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন? ক হোসনি মোবারক  গামাল আবদেল নাসের গ আনোয়ার সাদাত ঘ সুফী আবু তালেব ১৩. গত শতাব্দীতে পৃথিবীতে ১ম বিশ্বযুদ্ধ স্থায়ী ছিলÑ ক ১৯০১ সাল থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত  ১৯১৪ সাল থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত গ ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ঘ ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ১৪. বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করেÑ ক ১৯৭২ সালে খ ১৯৭৫ সালে  ১৯৭৪ সালে ঘ ১৯৭৮ সালে ১৫. বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মসজিদগুলো সংরক্ষণে আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছেÑ  ওআইসি খ ইউনেস্কো গ ফাও ঘ ইউএনএফপিএ ১৬. আন্তর্জাতিক আদালত কোথায় অবস্থিত? ক জেনেভায়  নেদারল্যান্ডে গ নিউইয়র্কে ঘ প্যারিসে ১৭. বিশ্বখাদ্য সংস্থার সদরদপ্তর কোথায় অবস্থিত?  রোমে খ প্যারিসে গ নিউইয়র্কে ঘ লন্ডনে ১৮. আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারকের সংখ্যা কত জন? ক ১ খ ১২  ১৫ ঘ ২০ ১৯. বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে? ক ১৯৭২ খ ১৯৭১ গ ১৯৭৩  ১৯৭৪ ২০. লীগ অব নেশনস কেন স্থায়িত্ব লাভ করেনি? ক শহর-জনপদ ধ্বংস হওয়ার কারণে খ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে  বিভিন্ন দেশের স্বার্থপরতা ঘ ওআইসি’র জন্য ২১. ইউএনএফপিএ-এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? ক প্যারিসে খ ব্রাসেলসে  নিউইয়র্কে ঘ ফ্রান্সে ২২. বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে? ক ১৯৭২ খ ১৯৭৩  ১৯৭৪ ঘ ১৯৭৫ ২৩.

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা Read More »

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের সম্পদ

দ্বাদশ অধ্যায় বাংলাদেশের সম্পদ বিষয়-সংক্ষেপ প্রকৃতির মধ্যে নানা মূল্যবান সম্পদ রয়েছে। প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া এসব বস্তুকেই প্রাকৃতিক সম্পদ বলা হয়। প্রাকৃতিক সম্পদগুলোর মধ্যে উলে­খযোগ্য হলো- পানি, বায়ু, মাটি, গাছপালা, জীবজন্তু, ফসল, খনিজদ্রব্য, নদনদী, মাছ ইত্যাদি। এসব প্রাকৃতিক সম্পদকে মানুষ নিজেদের চাহিদামতো রূপান্তরিত করে ও কাজে লাগায়। জনসংখ্যার তুলনায় অনেক সম্পদ হয়তো আমাদের দেশে নেই। সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়ন করা গেলে সীমিত সম্পদ নিয়েই দেশ সমৃদ্ধ হতে পারে। প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে মধ্যযুগ পর্যন্ত শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করেই মানুষ আর্থসামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তোলে। আধুনিককালে মানুষ প্রাকৃতিক সম্পদে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে আর্থসামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। একটি দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ যথাযথভাবে ব্যবহার করা গেলেই কৃষি-শিল্প উন্নত হয় এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। আমাদের সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদও ব্যবহার করতে হবে এ লক্ষ্য সামনে রেখে। সুষম খাদ্যের অভাব পূরণ, উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, সেচ সুবিধা প্রদান, শিল্পের উন্নয়ন ও শিল্পের প্রসার ইত্যাদি দিকগুলোর দিকে নজর রেখে আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করতে হবে। এতে আমাদের সার্বিক আর্থসামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে। পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি প্রাকৃতিক সম্পদ : প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া সব বস্তুকেই প্রাকৃতিক সম্পদ বলা হয়। মানুষ প্রকৃতি থেকেই এসব সম্পদ আহরণ করে। এর ফলে মানুষের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক জীবনের অগ্রগতি ঘটে। প্রাকৃতিক সম্পদ পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করলে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ : বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক মূল্যবান সম্পদ রয়েছে। যেমন : মাটি, নদনদী, খনিজসম্পদ, বনজ সম্পদ, মৎস্যসম্পদ, প্রাণিসম্পদ ও সমুদ্রসম্পদ। এগুলোই আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। বাংলাদেশের উন্নতিতে প্রাকৃতিক সম্পদ : বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত। অন্যদিকে সম্পদের তুলনায় দেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। এজন্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করতে হবে যথাযথ পরিকল্পনা করে। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ যথাযথভাবে ব্যবহার করলে দেশের কৃষিশিল্প যেমন উন্নত হবে তেমনি মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের অবস্থা : বাংলাদেশে একসময় প্রচুর বনজঙ্গল, জীবজন্তু ও পশুপাখি ছিল। নিচু জলাভ‚মিতে ছিল প্রচুর জলচল প্রাণী। দেশের জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জলাভ‚মি ভরাট করে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও শহর নির্মিত হচ্ছে। জীববৈচিত্র্যের ওপর এর খারাপ প্রভাব পড়ছে। ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট নির্মাণের ফলে পানি প্রবাহ ব্যহত হচ্ছে। ফলে জলচর প্রাণী ও মাছের বংশবিস্তারে বাধার সৃষ্টি হয়ে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শিল্প : বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত শিল্প। দেশজ উৎপাদনে এ খাতের অবদান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শিল্পগুলো হলো : পাটশিল্প, বস্ত্রশিল্প, পোশাকশিল্প, চিনিশিল্প, কাগজশল্প, সার শল্প, সিমেন্টশিল্প, ঔষধ শল্প, চামড়াশিল্প ও চাশিল্প। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন : বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় অত্যন্ত দ্রæত শিল্পায়ন ঘটছে। নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার ঘটিয়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের পণ্য-সামগ্রী তৈরি করছে। সেসব পণ্য নিয়ে তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। সে কারণে দ্রæত দেশের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন বা উন্নতি ঘটছে। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. মংলা একটি- ক স্থলবন্দর খ নদীবন্দর গ বিমানবন্দর  সমুদ্রবন্দর ২. গ্রামের লোক শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা হ্রাসের উপায় হচ্ছে- র. যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি রর. কৃষিকাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার ররর. নতুন নতুন পেশার কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ র ও রর গ র ও ররর  রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : হাসান সাহেবের গাজীপুর জেলায় একটি বৃহৎ বাগান বাড়ি আছে। তাতে সেগুন, গজারিসহ নানা প্রজাতির গাছপালা আছে। তিনি মাঝে মাঝে সপরিবারে তার বাগান বাড়িতে বেড়াতে যান। তার ছোট ছেলে লিমন সব ঘুরে ঘুরে দেখে। পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনে সে খুব আনন্দিত হয়। সে বাসার তুলনায় এখানে বেশি ঠাণ্ডা অনুভব করে। ৩. হাসান সাহেবের বাগানটি কোন প্রাকৃতিক সম্পদের অন্তর্ভুক্ত?  বনজ সম্পদ খ খনিজ সম্পদ গ মৎস্য সম্পদ ঘ প্রাণিসম্পদ ৪. আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে উক্ত সম্পদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান হচ্ছে- র. সুষম খাদ্যের অভাব পূরণ রর. শিল্পের কাঁচামাল যোগান দেওয়া ররর. প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ র ও রর গ র ও ররর  রর ও ররর ৫. ‘ক’ চিহ্নিত স্থানে কোনটি বসবে? ক কৃত্রিম সম্পদ  প্রাকৃতিক সম্পদ গ অর্থনৈতিক সম্পদ ঘ প্রাণিসম্পদ ৬. বর্তমানে আমাদের দেশের সম্ভাবনাময় শিল্প কোনটি? ক বস্ত্রশিল্প খ চিনিশিল্প গ পোশাকশিল্প  ঔষধশিল্প ৭. শোভা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি কারখানা দেখতে যায়, যার কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা হয়। তার দেখা কারখানাটিতে উৎপাদিত পণ্যটি কোন শিল্পের অন্তর্ভুক্ত?  চিনিশিল্প খ সারশিল্প গ কাগজশিল্প ঘ সিমেন্টশিল্প ৮. বাংলাদেশে সমুদ্রবন্দরের সংখ্যা কয়টি? ক ৫ খ ৪ গ ৩  ২ ৯. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে পাটকলের সংখ্যা বেশি? ক ঢাকা এলাকায়  খুলনা এলাকায় গ চিটাগাং এলাকায় ঘ রাজশাহী এলাকায় ১০. খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোন শিল্পখাত সবচাইতে বৃহৎ রপ্তানিকারক শিল্প হিসেবে বিবেচিত হয়? ক পাট খ টেক্সটাইল  গার্মেন্টস ঘ জাহাজ নির্মাণ ১১. বাংলাদেশে কোন শিল্প বর্তমানে সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে? ক সারশিল্প খ চামড়াশিল্প গ কাগজশিল্প  ঔষধশিল্প ১২. বর্তমানে বাংলাদেশে কয়টি পাটকল আছে?  ৭৬ খ ৭৭ গ ৭৮ ঘ ৭৯ ১৩. কোন খনিজ সম্পদটি বাংলাদেশে পাওয়া যায়? ক লোহা খ রূপা গ তামা  সিলিকাবালি ১৪. বাড়িঘর তৈরি এবং আসবাবপত্র নির্মাণের জন্য আমরা কোন সম্পদ ব্যবহার করি? ক শক্তিসম্পদ  বনজসম্পদ গ খনিজসম্পদ ঘ পশুসম্পদ ১৫. জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন আমাদের করণীয়Ñ  জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা খ জলাভ‚মি ভরাট করা গ বাড়িঘর নির্মাণ বন্ধ করা ঘ কীটনাশক ব্যবহার না করা ১৬. ২০০৯-১০ অর্থবছরে পাটজাত সামগ্রী বিদেশে বিক্রি করে কত আয় করা হয়? ক ২৯ কোটি মার্কিন ডলার খ ৩০ কোটি মার্কিন ডলার গ ৩১ কোটি মার্কিন ডলার  ৩২ কোটি মার্কিন ডলার ১৭. বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প কোনটি? ক বস্ত্রশিল্প খ পোশাকশিল্প গ চামড়াশিল্প  ঔষধশিল্প ১৮. বর্তমানে গার্মেন্টস শিল্পে কত লক্ষ মানুষ কর্মরত? ক ৩০ খ ৩৫  ৪০ ঘ ৩৫ ১৯. বাংলাদেশের মোট বনভ‚মির পরিমাণ কত বর্গকিলোমিটার? ক ১৬,৯৩৮  ২৮,৯৩৮ গ ২৮,২০০ ঘ ৩২,৩২০ ২০. বাংলাদেশের প্রধান খনিজ দ্রব্য কোনগুলো? ক কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, লোহা খ প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, বিটুমিনাস  কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, চুনাপাথর ঘ কয়লা, শ্বেতমৃত্তিকা, বালি ২১. বাংলাদেশের প্রধান খনিজ দ্রব্য কোনটি? ক তেল  কয়লা গ প্রাকৃতিক গ্যাস ঘ লৌহ ২২. কোন ধরনের কাজের ওপর ভিত্তি করে সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠে? ক রাজনৈতিক খ সাংস্কৃতিক গ পরিকল্পনাভিত্তিক ˜ অর্থনৈতিক ২৩. মাছের বংশ বিস্তারে বাধা কোনটি? ক কৃষি জমিতে অধিক ফসল ফলানো খ প্রজনন ঋতুতে বৈরী আবহাওয়া গ জলাধারে ইঞ্জিনচালিত যানবাহনের চলাচল  রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার ২৪. ছাতক সিমেন্ট কারখানা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?  ১৯৪০ খ ১৯৫৩ গ ১৯৬১ ঘ ১৯৭৪ ২৫. বর্তমানে আমাদের দেশে কয়টি টিএসপি সার কারখানা চালু আছে?  ১ খ ২ গ ৩ ঘ ৬ ২৬. বাংলাদেশে বর্তমানে সম্ভাবনাময় হিসেবে বিবেচিত কোন শিল্পটি? ক সার  ঔষধ গ চিনি ঘ চামড়া ২৭.

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের সম্পদ Read More »

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী

একাদশ অধ্যায় বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বিষয়-সংক্ষেপ বাংলাদেশে বৃহত্তর নৃগোষ্ঠী বাঙালিদের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ বাস করে। এসব ক্ষুদ্র জাতিসত্তার রয়েছে নিজস্ব জীবনাচার ও সংস্কৃতি। বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির অধিকারী বাংলাদেশের এসব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাসকারী প্রধান ক্ষুদ্র জাতিসত্তা হলো চাকমা। চাকমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিসত্তার তুলনায় বেশ শিক্ষিত। বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে গারোরা হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ। গারোদের সমাজ মাতৃসূত্রীয়। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে একটি প্রধান নৃগোষ্ঠী হলো সাঁওতাল। সাঁওতালদের মধ্যে শিক্ষিতের হার খুব কম। বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে মারমারা জনসংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে। মারমারা বৌদ্ধধর্মাবলম্বী। রাখাইনরা বাংলাদেশের আর এক উল্লেখযোগ্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। পটুয়াখালি, বরগুনা ও কক্সবাজার জেলায় তাদের বসবাস। এভাবে সারা বাংলাদেশে অনেকগুলো ক্ষুদ্র জাতিসত্তার আবাস রয়েছে। তারা সবাই বাংলাদেশি। বিচিত্র সংস্কৃতি নিয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এসব মানুষেরা বাংলাদেশের জীবন ও সংস্কৃতিকে বর্ণিল করেছে। পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভৌগোলিক অবস্থান : বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি, উত্তর-পূর্বাংশে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও বৃহত্তর সিলেট, উত্তর-পশ্চিমাংশের দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, এছাড়াও কক্সবাজার, পটুয়াখালি ও বরগুনা জেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অবস্থান। ক্ষুদ্র জাতিসত্তা : বাংলাদেশে বৃহত্তর নৃ-গোষ্ঠী বাঙালিদের পাশাপাশি বহুভাষাভাষী মানুষ সুদীর্ঘকাল ধরে বসবাস করে আসছে। যেমন : চাকমা, গারো, মাহালি, খাসিয়া, সাঁওতাল, মারমা, রাখাইন ইত্যাদি। এরাই হলো ক্ষুদ্র জাতিসত্তা। চাকমা : বাংলাদেশের রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাসকারী প্রধান ক্ষুদ্র জাতিসত্তা হলো চাকমা। নৃ-তাত্তি¡ক বিচারে চাকমারা মঙ্গোলিয় নৃ-গোষ্ঠীর লোক। তাদের মুখমণ্ডল গোলাকার, নাক চ্যাপটা, চুল সোজা এবং কালো, গায়ের রং ঈষৎ হলদেটে। বাংলাদেশের বাইরেও চাকমারা ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম ও অরুণাচলে বসবাস করে। গারো : বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে গারোরা হলো সংখ্যাগরিষ্ঠ। এ জাতিগোষ্ঠীর আদি বাসস্থান ছিল তিব্বত। গারোরা সাধারণত ‘মান্দি’ নামে নিজেদের পরিচয় দিতে পছন্দ করে। গারোরা মঙ্গোলিয় নৃ-গোষ্ঠীর লোক। সাঁওতাল : বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে একটি প্রধান নৃগোষ্ঠী হলো সাঁওতাল। তারা রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া জেলায় বাস করে। সাঁওতালরা অস্ট্রালয়েড নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত লোক। তাদের দেহের রং কালো, উচ্চতা মাঝারি ধরনের এবং চুল কালো ও ঈষৎ ঢেউ খেলানো। মারমা : বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে মারমাদের অবস্থান দ্বিতীয়। মারমা নৃগোষ্ঠীর অধিকাংশই রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় বাস করে। ‘মারমা’ শব্দটি ‘ম্রাইমা’ শব্দ থেকে উদ্ভুত। রাখাইন : ‘রাখাইন’ শব্দটির উৎপত্তি পালি ভাষার ‘রাখাইন’ থেকে। এর অর্থ হচ্ছে রক্ষণশীল জাতি। বাংলাদেশের পটুয়াখালী, বরগুনা ও কক্সবাজার জেলায় রাখাইনরা বাস করে। রাখাইনরা মঙ্গোলিয় নৃ-গোষ্ঠীর লোক। তাদের মুখমণ্ডল গোলাকার, দেহের রং ফরসা ও চুলগুলো সোজা। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. বাংলাদেশের কোন জাতিসত্তার ভাষার নাম-‘আচিক খুসিক’? ক চাকমা  গারো গ মারমা ঘ সাঁওতাল ২. মারমা নৃগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- র. নদী তীরবর্তী সমতল স্থানে বসতি স্থাপন রর. মাতৃপ্রধান পরিবার ররর. হস্তশিল্পে পারদর্শিতা নিচের কোনটি সঠিক?  র খ র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : বার্ষিক পরীক্ষা শেষে সুমাইয়া বাবা-মায়ের সঙ্গে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছে। এখানে বেড়াতে বের হয়ে সে দেখতে পেল এক বিশেষ নৃগোষ্ঠীর মানুষ মাচা পেতে ঘর তৈরি করে বাস করছে। তাদের মুখের আকৃতি গোল, দেহের রং ফরসা। ৩. সুমাইয়ার দেখা জনগোষ্ঠীর নাম কী? ক চাকমা খ মারমা গ সাঁওতাল  রাখাইন ৪. সুমাইয়ার দেখা নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- র. পরিবারের প্রধান হলেন বাবা রর. প্রধান জীবিকা কৃষি ররর. ঘরবাড়ি বাঁশ ও ছনের তৈরি নিচের কোনটি সঠিক? ক র  র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৫. বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নাম কী? ক রাখাইন খ চাকমা  গারো ঘ মারমা ৬. চাকমাদের সাংস্কৃতিক জীবনব্যবস্থায় দেখা যায়Ñ ক তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম ‘গান্দো’  ইদানিং তারা শার্ট, প্যান্ট, লুঙ্গি, পরিধান করে গ তাদের জনপ্রিয় খাদ্য ‘মিউয়া’ ঘ তারা মাথায় পাগড়ি পরে ৭. নিচের কোন নৃগোষ্ঠী ধর্মীয় ও লোকজ অনুষ্ঠানে মাথায় পাগড়ি পরে? ক সাঁওতাল খ গারো গ মারমা  রাখাইন ৮. মাথায় ‘গমবং’ পরে কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পুরুষেরা? ক গারো  মারমা গ রাখাইন ঘ সাঁওতাল ৯. মাঘী পূর্ণিমার রাতে কিয়াং এর প্রাঙ্গণে ফানুস উড়ায় কোন নৃগোষ্ঠী? ক মারমা  চাকমা গ গারো ঘ সাঁওতাল ১০. গারো ‘হাজং’ কোচ উপজাতীয়রা কোথায় বাস করে? ক সিলেট খ বান্দরবান গ চিটাগাং  ময়মনসিংহ ১১. গারোদের আদিম ধর্ম কী নামে পরিচিত ছিল? ক কিয়াং  সাংসারেক গ বৈষ্ণব ঘ জৈন ১২. ‘সাংসারেক’ কাদের আদি ধর্ম? ক চাকমাদের খ মারমাদের গ রাখাইনদের  গারোদের ১৩. ‘সাংগ্রাই’ উৎসব পালন করা হয় কখন?  চৈত্র সংক্রান্তিতে খ পৌষ পার্বণে গ বিয়ের অনুষ্ঠানে ঘ দীক্ষা লাভের অনুষ্ঠানে ১৪. হাজং নৃগোষ্ঠি বাংলাদেশের কোন অংশে বসবাস করে? ক উত্তর-পশ্চিমাংশে  উত্তর-পূর্বাংশে গ দক্ষিণ-পূর্বাংশে ঘ দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে ১৫. সাজিদ ভারতের অরুণাচলে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশের বসবাসরত কোন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকের দেখা পেতে পারে? ক ম্রো  চাকমা গ ত্রিপুরা ঘ সাঁওতাল ১৬. আঞ্জি কী?  পোশাক খ উৎসব গ খাদ্য ঘ বাসা ১৭. চাকমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসবের নাম কী? ক বৈশাখী উৎসব খ মাঘি পূর্ণিতা গ বড় দিনের উৎসব  বিজু ১৮. বাংলাদেশের বৃহৎ ময়মনসিংহ জেলায় বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তারগুলোর মধ্যে কারা সংখ্যাগরিষ্ঠ? ক চাকমা  গারো গ সাঁওতাল ঘ মুণ্ডা ১৯. কোনটি নিয়ে মৌজা গঠিত হয়? ক পাড়া  গ্রাম পঞ্চায়েত গ চাকমা সার্কেল ঘ মারমাঞ্চল ২০. কোন সমাজে মৃতদেহ দাহ করা হয়? ক রাখাইন  চাকমা গ খাসিয়া ঘ সাঁওতাল ২১. ‘সাংসারেক’ কাদের আদি ধর্মের নাম? ক চাকমা  গারো গ সনাতন ঘ বৌদ্ধ ২২. ‘দকমান্দা’ হচ্ছে গারো মহিলাদের নিজের তৈরি Ñ ক সকালের নাস্তা খ রাতের খাবার গ পানীয়  পোশাক ২৩. বাংলাদেশের গারো মহিলাদের পোশাকের নাম কী? ক বিনোন খ আঞ্জি  দকমান্দা ঘ লুঙ্গি বøাউজ ২৪. ‘গান্দো’ কাদের পোশাকের নাম?  গারো ছেলেদের খ গারো মেয়েদের গ চাকমা মেয়েদের ঘ সাঁওতাল ছেলেদের ২৫. গারোদের সামাজিক উৎসবগুলো কী কেন্দ্রিক?  কৃষি খ গোত্র গ ভাষা ঘ বিবাহ ২৬. কারা ‘অস্ট্রালয়েড’? ক চাকমা খ গারো  সাঁওতাল ঘ রাখাইন ২৭. ধর্মগুরু হিসেবে সাঁওতালরা কাকে গণ্য করে? ক মাঝি হারাণ খ পরাণিক গ গোডেৎ  নায়েক ২৮. সাঁওতালদের সাংস্কৃতিক জীবনের অংশ কোনটি? ক পানি খেলা খ সান্দ্রে উৎসব  ঝুমুর নাচ ঘ ওয়ান গালা ২৯. ঝুমুর নাচ কাদের অনুষ্ঠান? ক মারমা খ গারো গ চাকমা  সাঁওতাল ৩০. মারমারা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কী নামে আখ্যায়িত করে?  ভান্তে খ কিয়ং গ রোয়াজা ঘ চিৎমরম ৩১. মারমারা তাদের গ্রামের প্রধানকে কী বলে? ক পঞ্চায়েত খ পরাণিক গ হেডম্যান  রোয়াজা ৩২. কাপড় বোনার কাজে কোন সমাজের নারীরা দক্ষ? ক গারো

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী Read More »

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা

দশম অধ্যায় বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা বিষয়-সংক্ষেপ শিশু-কিশোররা নানা কারণে অপরাধী হয়ে ওঠে। দারিদ্র্য, হতাশা, সুষ্ঠু সামাজিক পরিবেশের অভাব, চিত্তবিনোদনের অভাব, সঙ্গদোষ ইত্যাদি কারণে শিশু-কিশোররা অপরাধী হয়ে ওঠে। বর্তমানে মোবাইল ও ইন্টারনেটের অপব্যবহারের ফলেও সমাজে এক ধরনের কিশোর অপরাধ সংঘটিত হতে দেখা যাচ্ছে। কিশোর অপরাধের কারণে অনেক পরিবারের শান্তি বিনষ্ট হয়। কিশোর অপরাধীরা অনেক সময় মাদকাসক্তি ও বিভিন্ন খারাপ অভ্যাসে জড়িয়ে পড়ে। যদি পরিবারের অভিভাবকরা সচেতন থাকেন, শিক্ষার সুযোগ সকলের জন্য করা যায়, মানসিক বিকাশে চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা এবং আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা হাতে নেওয়া যায় তবে এ সমস্যা প্রতিরোধ করা অনেকাংশে সম্ভব। বেকারত্ব, নিঃসঙ্গতা, প্রিয়জনের মৃত্যু, প্রেমে ব্যর্থতা, পারিবারিক অশান্তি ইত্যাদি কারণে সাধারণভাবে শিশু-কিশোররা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। পারিবারিক অশান্তি ও ঝগড়াবিবাদ থেকেও অনেক সময় শিশু-কিশোরদের মনে হতাশা জন্ম নেয়। একপর্যায়ে তারা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে। মাদকাসক্তির প্রভাবে অনেক জটিল সমস্যা সৃষ্টি হয়। পারিবারিক সুখ-শান্তি বিনষ্ট হয়। মাদকের টাকা জোগান দিতে গিয়ে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। তাই মাদকের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য মাদকাসক্তি প্রতিরোধ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি কিশোর অপরাধ : অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ে বা কিশোরদের দ্বারা সংঘটিত বিভিন্ন ধরনের অপরাধকেই বলা হয় কিশোর অপরাধ। আমাদের দেশে ৭ থেকে ১৬ বছর বয়সী কিশোরদের অপরাধমূলক কাজকে কিশোর অপরাধ বলে। যে কিশোর সমাজ বহিভর্‚ত অপকর্মের সাথে জড়িত সে-ই কিশোর অপরাধী। কিশোর অপরাধীরা যে অপরাধ করে তা হলো : চুরি, খুন, জুয়া খেলা, মেয়েদের উত্যক্ত করা, গাড়ি ভাংচুর ইত্যাদি। কিশোর অপরাধ দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কিশোর অপরাধের প্রভাব : কিশোর অপরাধী পরিবারের অংশ হওয়ায় পরিবারের শান্তি রক্ষায় তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ব্যাঘাত ঘটায়। যে পরিবারে এ অপরাধী বসবাসরত তাদের সামাজিক মর্যাদা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে হীনম্মন্যতায় ভোগে, অপরাধী ব্যক্তির অপকর্মের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবার বাধাগ্রস্ত হয়। অনেক সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীর কর্মের প্রাপ্তি হিসেবে পরিবারের ওপর নির্যাতন চালায়। এক্ষেত্রে বলা যায়, কিশোর অপরাধ পরিবারের শান্তি বিনষ্ট করে। কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ : কিশোর অপরাধ পতিরোধ করার জন্য কতগুলো উপায় রয়েছে। উপায়গুলো হলো : অভিভাবক সচেতনতা ও দায়িত্ব, আর্থ-সামাজিক কর্মসূচি, শিক্ষার সুযোগ এবং চিত্তবিনোদন। মাদকাসক্তি : মদ কথাটি হতে মাদক শব্দটির উৎপত্তি। যে দ্রব্য গ্রহণের ফলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে এবং ঐ দ্রব্যের প্রতি নির্ভরশীলতা সৃষ্টি হয়, পাশাপাশি দ্রব্যটি গ্রহণের পরিমাণ ক্রমশই বাড়তে থাকে, এমন দ্রব্যকে মাদকদ্রব্য বলে এবং ব্যক্তির এ অবস্থাকে মাদকাসক্তি বলে। মাদকাসক্তির প্রভাব : আমাদের সমাজজীবনে মাদকাসক্তি বর্তমানে একটি ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এটি আমাদের সামাজিক ও নৈতিক জীবনেও মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। শারীরিক ক্ষতির মধ্যে একজন মাদক গ্রহণকারীর হৃদরোগ, য²া, ক্যান্সার ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তার মানসিক স্বাস্থ্যও এর ফলে দুর্বল হয়ে পড়ে। মাদক গ্রহণকারীরা হতাশা ও হীনম্মন্যতায় ভোগে। নিজেদের ক্ষতি তো এরা করেই, উপরন্তু ভয়, উৎকণ্ঠ ও উত্তেজনার শিকার হয়ে সমাজেও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। মাদকাসক্তির প্রতিরোধ : মাদকাসক্তি রোধে সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা হলো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। মাদকাসক্তি প্রতিরোধে সামাজিক শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাছাড়া ধর্মীয় শিক্ষা ও পারিবারিক মূল্যবোধ শিক্ষায় পিতামাতা ও পরিবারের সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে ধর্মে মাদক বিষয়ে যেসব উপদেশ রয়েছে তা আমাদের জানতে হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ক্লাব, ধর্মীয় ও নৈতিকতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে পারে। তাছাড়া সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, পোস্টার, বিলবোর্ড ও লিফলেট ইত্যাদির মাধ্যমে মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করা যায়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. আমাদের দেশে কিশোর অপরাধের প্রধান কারণ কী?  দারিদ্র্য খ বিবাহবিচ্ছেদ গ আদর-যতেœর অভাব ঘ চিত্তবিনোদনের অভাব ২. মাদকাসক্তি প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা হচ্ছেÑ র. ধর্মীয় শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া রর. নৈতিক মূল্যবোধ শেখানো ররর. মাদকজাতীয় দ্রব্যের উৎপাদন নিষিদ্ধ করা নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : তারিক পিতা-মাতার আদরের সন্তান। ইদানীং তার আচরণে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। স্কুলে না গিয়ে সে লুকিয়ে লুকিয়ে ধূমপান করে এবং টাকার জন্য মাকে প্রায়ই উত্যক্ত করে। ৩. তারিকের আচরণটিতে কী প্রকাশ পায়? ক শিশু অপরাধ  মাদকাসক্তি গ মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘ নিঃসঙ্গতা ৪. উদ্দীপকে বর্ণিত তারিকের আচরণের ফলে Ñ র. বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিবে রর. মানসিক স্বাস্থ্যের তেমন পরিবর্তন হবে না ররর. সামাজিক জীবনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৫. কোন দেশে কিশোর অপরাধ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে? ক ভুটানে খ ইন্দোনেশিয়াতে  বাংলাদেশে ঘ নেপালে ৬. কিশোর অপরাধের অন্যতম প্রধান কারণ কোনটি? ক সুস্থ পারিবারিক জীবনের অভাব খ কর্মস্থলে পিতামাতার ব্যস্ততা গ বিবাহবিচ্ছেদ  দারিদ্র্য ৭. মাদকাসক্তির বড় কারণ কোনটি?  অপসংস্কৃতি খ নিঃসঙ্গতা গ পারিবারিক অশান্তি ঘ বেকারত্ব ৮. মাদকাসক্তি রোধে সমাজে গুরুত্ব দিতে হবেÑ ক গণমাধ্যমে প্রচারের ওপর  নৈতিক শিক্ষার ওপর গ আলোচনা সভার ওপর ঘ সুস্থ চিত্তবিনোদনের ওপর ৯. বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, শ্রীলংকা প্রভৃতি দেশে কিশোর অপরাধের বয়সসীমা কত? ক ৭ থেকে ১৫  ৭ থেকে ১৬ গ ৮ থেকে ১৭ ঘ ৮ থেকে ১৮ ১০. শিশু কিশোরদের মধ্যে ধূমপানের অভ্যাস গড়ে ওঠে কীভাবে?  কৌত‚হল মেটাতে গিয়ে খ বন্ধুদের প্ররোচনায় গ বিজ্ঞাপনের প্রভাবে ঘ বিড়ি সিগারেট সহজলভ্য হওয়ায় ১১. জাপানের বাসিন্দা ইয়ামা স্কুল পালিয়ে নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। ইয়ামার বয়সÑ ক ১৫ থেকে ২০ বছর  ১৪ থেকে ২০ বছর গ ৭ থেকে ১৬ বছর ঘ ৬ থেকে ১৪ বছর ১২. ভিন্ন দেশের সংস্কৃতির প্রভাবে বাংলাদেশের যুবসমাজ কীভাবে মাদকে আকৃষ্ট হয়? ক কৌত‚হলী হয়ে খ পথভ্রষ্ট হয়ে  বিভ্রান্ত ও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ঘ বিভ্রান্ত হয়ে ১৩. বাংলাদেশে কিশোর অপরাধের বয়সসীমা কত? ক ৭Ñ১৮ বছর খ ৭Ñ২০ বছর  ৭Ñ১৬ বছর ঘ ৭Ñ১৫ বছর ১৪. ডেভিডের বয়স ১৯ বছর। সে একজন কিশোর অপরাধী। সে কোন দেশের নাগরিক? ক থাইল্যান্ড খ ভুটান গ শ্রীলংকা  জাপান ১৫. বখাটেরা প্রায়ই কাদেরকে উত্ত্যক্ত করে?  মেয়েদের খ শিশুদের গ পথচারীদের ঘ ছাত্রীদের ১৬. কারা স্বাভাবিকভাবেই কৌত‚হলপ্রবণ? ক মহিলারা খ যুবকরা  কিশোররা ঘ বৃদ্ধরা ১৭. যে পরিবারে কিশোর অপরাধী থাকে, সে পরিবারেরÑ  শান্তি বিনষ্ট হয় খ দাপট বৃদ্ধি পায় গ রাজনৈতিক মর্যাদা বৃদ্ধি পায় ঘ মর্যাদা ক্ষুণœ হয় ১৮. বস্তির শিশু-কিশোররা কেন কিশোর অপরাধের দিকে ঝুঁকে পড়ে? ক শিক্ষার অভাবে খ অল্প বয়সে অর্থ উপার্জনে জড়িত হওয়ায়  সুস্থ পরিবেশের অভাবে ঘ পারিবারিক প্রয়োজনে ১৯. দরিদ্র কিশোরদের অপরাধ প্রবণতা প্রতিরোধের উপায় কোনটি? ক অভিভাবকের সচেতনতা ˜ আর্থসামাজিক কর্মসূচি গ শিক্ষার সুযোগ ঘ চিত্তবিনোদন ২০. মাদকাসক্তির সূত্রপাত কীভাবে ঘটে? ক পারিবারিক অশান্তির মাধ্যমে খ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ˜

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা Read More »

Scroll to Top