করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয় রিওপেন করলেও ৮ম শ্রেণিদের জন্য সপ্তাহে একদিনের ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেহেতু তোমাদের ক্লাস সপ্তাহে একদিন তাই তোমাদের অ্যাসাইনমেন্ট প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। এবং বর্তমানে তোমাদের ১৬ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট চলছে। আজ আমাদের সাইটে তোমাদের জন্য ৮ম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১০ম সপ্তাহ সমাধান ২০২১ প্রকাশ করা হলো। ৮ম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ১০ম সপ্তাহ সমাধান ২০২১ প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের জন্য আমরা আজ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১৬ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর নমুনা উত্তর প্রদান করবো। তোমাদের ১৬ সপ্তাহে দুটি অ্যাসাইনমেন্ট রয়েছে একটি ইংরেজি ও অন্যটি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়। আজ তোমাদের যে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্টটি প্রদান করবো সেটি তোমরা সম্পূর্ণ কপি না করে কিছুটা পরিবর্তন করে লিখবে। তাহলে তোমাদের খাতা বাতিল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকবেনা। তোমরা কি তোমাদের ১৬তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের প্রশ্নগুলো দেখেছো। যদি না দেখে থাকো তাহলে নিচের ছবি থেকে প্রশ্নগুলো দেখে নিতে পারো। চলো তাহলে আমরা তোমাদের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১৬ সপ্তাহের প্রশ্নগুলো দেখে নিই। ১৬ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অষ্টম শ্রেণি প্রশ্ন অধ্যায়ঃ বাংলাদেশ সংস্কৃতি পরিবর্তন ও উন্নয়ন। অ্যাসাইনমেন্ট ক্রমঃ অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ৩ নির্ধারিত কাজঃ (কোভিড. ১৯ পরিস্থিতিতে জীবন- যাপন প্রণালীর পরিবর্তন ও নতুন পরিস্থিতিতে খাপ-খাওয়ানোর প্রক্রিয়া শীর্ষক একটি প্রবন্ধ লিখ। (সর্বোচ্চ ৩০০ শব্দ ) সংকেত ১। সংস্কৃতির ব্যাখ্যা২। সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের উদাহরণ৩। সাংস্কাতিক পরিবর্তনের বিভিন্ন দিক8 কোভিড’ ১৯ পরিস্থিতিতে নিক্ষ পরিবারের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের উল্লেখযোগ্য দিক (আয় কমে যাওয়অ / মিতব্যয়ী হওয়া)৫। কোভিড’ ১৯ পরিস্থিতিতে নিজ পরিবারের সামাজিক পরিবর্তনের দিক (বিয়ে, জন্মদিন ও উৎসব ইতাদি অনুষ্ঠানের আয়োজন ও আচরণের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম- কানুন/পৰ্িবর্তনসমূহ)৬। কোভিডের কারণে পরিবর্তিত আবস্থার সাথে নিজেদের খাপ খাওয়ানো (যেসব বিষয় থাকতে পারে প্রযুক্তির ব্যবহার, খাদ্যাভাসে সংযোজন, পরিচ্ছরতা ইতযাদি।) অ্যাসাইনমেন্ট নির্দেশনাঃ ১। পান্ঠপুস্তক থেকে সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন, সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের বিভিন্ন দিক ও কীভাবে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হয় এই পাঠগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। ২। পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে পরিবর্তনের দিকগুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারে। ৩। শিক্ষক, আন্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে (সশ্বরীরে/ মোবাইলে / টেলিফোনে/ অনলাইনে ) কথা বলে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও আলোচনার মাধ্যমে কোভিড -১৯ কালীন পরিবর্তন (যেমন- লক ডাউন, সামাজিক দূরুত্ব, পরিচ্ছন্ন জীবন-যাপন, মিতব্যায়ী আচরন, মানবিক দায়িত ইত্যাদি) সম্পর্কে ধারণা নিতে পারে। ৪। নিজের পর্যবেক্ষন ক্ষমতা দিয়ে এবং ইন্টারনেট, পত্র- পত্রিকা, টিভি ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে পরিবর্তিত অবস্থার সাথে নিজেদের খাপ খাওয়ানো সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে ১৬ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অষ্টম শ্রেণি প্রশ্ন প্রশ্নগুলো পড়ে তোমরা বুঝতে পারছো যে আজ তোমাদের অনেক লিখতে হবে। আসলে এখানে ৩০০ শব্দের মধ্যে লিখতে বললেও আসলে পুরো বিষয়টা ব্যাখ্যা করতে গেলে অনেক লিখতে হওয়ার কথা। যাই হোক এই করোনা সময়ে তোমাদের করোনা সম্পর্কে লিখতে বলা হয়েছে তাই এটি তোমাদের কাছে সহজ লাগবে। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টটি নিজের মত করে লিখতে পারো নমুনা উত্তর দেখে কিন্তু কোনো সময়েই এসাইনমেন্ট হুবুহু কপি করে লিখবেনা। ৮শ্রেণীর ১০ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সমাধান ২০২১ এসাইনমেন্ট শুরু সংস্কৃতিঃ সংস্কৃতি বলতে আমরা সাধারণত সমাজের মানুষের জীবন – যাপনের ধারাকে বুঝে থাকি । অর্থাৎ সংস্কৃতি হলো আমাদের জীবন – প্রণালি । মানুষ তার অস্তিত্বে টিকিয়ে রাখতে এবং তার মৌলিক প্রয়োজনগুলো পূরণের লক্ষ্যে যা কিছু সৃষ্টি করে তা -ইলো তারু সংস্কৃতি | সংস্কৃতিকে দুইভাগে ভাগ করা হয়ে থান্ছে ৷ বস্তুগত সংস্কৃতি ও অবস্তুগত সংস্কৃুতি। বস্তুগত সংস্কৃতি হচ্ছে ঘরবাড়ি , তৈজসপত্র , আসবাবপত্র , উৎপাদন হাতিয়ার । আর অবস্তগত সংস্কৃতি হচ্ছে তার দক্ষতা: ধারণা , সংগীত, সাহিত্য ও শিল্পকলা। সংস্কৃতির পরিবর্তনের উদাহরণঃ সব সংস্কৃতি বিকাশমান , সব সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল | সাংস্কৃতিক পরিবর্তন বলতে বোঝানো হয়েছে সময়ের সাথে সাথে সংস্কৃতির যে পরিবর্তন হয় তাকে ৷ পরিবর্তন যে ধরনেরই হোক, সংস্কৃতি স্তর নয় ৷ মানুষ যে পরিবেশে বাস করে তার মধ্যে থেকে সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ঘটতে পারে আবার বাইরের উপাদান সংগ্রহ করেও এই সাংস্কৃতিক পরিবর্তন হতে পারে । বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাব সবচেয়ে বেশি । এছাড়া ধর্মীয় সংস্কৃতি, লোকসংস্কৃতির প্রভাবও একেবারে কম নয় যেমন পোশাক, খাদ্যাভ্যাস, শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসা, প্রযুক্তি, সংগীত , কলা, দৃষ্টিভঙ্গি, আচরণ, ফ্যাশন ইত্যাদিতে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাবে অনেক পরিবর্তন এসেছে । বিশ্বায়নের প্রভাবেও বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতিতে পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে । আগে যেমন যাত্রা , পালাগান, সার্কাস, জারিসারির মাধ্যমে মানুষ ফেসবুক, মিডিয়ার মাধ্যমে সে চাহিদা পূরণ করছে। সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের বিভিন্ন দিকঃ পরিবর্তন হচ্ছে সংস্কৃতির ধর্ম । পরিবর্তনশীলতার মধে নতুন সংস্কৃতির পরিবর্তন ও উন্নয়ন ঘটে । সংস্কৃতির এই পরিবর্তনশীলতার কয়েকটি কারণ রয়েছে । যেমন: ১। সাংস্কৃতিক ব্যপ্তিঃ বিশ্বায়নের ফলে এবং প্রযুক্তির উন্নতিতে সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি বেড়ে গেছে । সাধারণত দুটি সমাজের’সংস্কৃতি একে অপরের সংস্পর্শে এসে একে অপরকে প্রভাবিত করছে। সংস্কৃতির এই চলমান গতিধারা এক সমাজ সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি বলে । প্রযুক্তির উন্নতি ও বিশ্বায়’ণের ফলে এক সঙ্গে অন্য সংস্কৃতির আদান – প্রদান বেশি হচ্ছে । এভাবে বর্তমানে সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি অনেক বেড়ে গিয়েছে। ২। সাংস্কৃতায়নঃ নিজ সংস্কৃতিকে অক্ষুন্ন রেখে অন্য কোনো সাংস্কৃতিক উপাদানকে নিজ সংস্কৃতির সঙ্গে আত্মস্থ করার প্রক্রিয়াকে সাংস্কৃতায়ন বলা হয় । ভিন্ন সংস্কৃতির সংস্পর্শই সাংস্কৃতায়ন প্রক্রিয়ার কারণ বলে মনে কর৷ হয়। সংস্কৃতির ষেনন- ইংরেজরা প্রায় দুইশ বছর আমাদের শাসক ছিল বলে অনেক ইংরেজি শব্দ আমাদের ভাষায় মিশে গেছে । এভাবে বিভিন্ন জাতির সংস্পর্শের ফলে আমাদের সাংস্কৃতায়ন প্রবল । ৩। সাংস্কৃতিক আত্তীকরণঃ অন্য সংস্কৃতির ধারা নিজ সংস্কৃতিতে আয়ত্ত করাকে সাংস্কৃতিক আত্তীকরণ বলে । সাংস্কৃতিক আত্তীকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অন্যের সংস্কৃতি আয়ত্ত করে । যখন মানুষ কোনো নতুত্ব সংস্কৃতি বা সাংস্কৃতিক পরিবেশে বসবাস করতে আসে তখন সেখানকার মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি, আচরণ, চিন্তা, চেতনা, মূল্যবোধ এক কথায় সমগ্র জীবনুধারার সঙ্গে আত্তীকৃত হতে চেষ্টা করে । এভাবে এক সময় আত্তীকরণ হয়ে যায় । ৪। সাংস্কৃতিক আদর্শঃ সাংস্কৃতিক আদর্শ বলতে কোনো দেশ বা সমাজের মানুষের সংস্কৃতির ধরনকে বোঝায় । প্রতিটি দেশ বা সমাজের রয়েছে নিজস্ব সাংস্কৃতিক আদর্শ | এগুলো হলো আচার-আচরণ, খাদ্য, পোশাক, বিশ্বাস, ধর্মবিশ্বাস, লোককাহিনি, সংগীত, লোককলা ইত্যাদি । কোনো দেশ বা সমাজের সাংস্কৃতিক আদর্শের মাঝে ঐ দেশ ও সমাজের মানুষের জীবন প্রণালী ও বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে। কোভিড’ ১৯ পরিস্থিতিতে নিক্ষ পরিবারের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের উল্লেখযোগ্য দিক (আয় কমে যাওয়অ / মিতব্যয়ী হওয়া) করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এখন আতঙ্কিত পুরো বিশ্ব। দ্বিত্বীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব এ _ জাতীয় সংকট দেখেনি । বাংলাদেশে করোনা পরীক্ষার সুবিধাগুলো বাড়ার পরে করোনাভাইরাস সংক্রমিত মানুষের সংখ্য বেড়েছে । করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলেছে । করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা অপরিহার্য । আর তাই বন্ধ করা হয়েছে বিভিন্ন কারখানা । ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন উক্ত কারখানায় কর্মরত অসংখ্য শ্রমিক এবং কর্মচারীবৃন্দ । এর ব্যতিক্রম ঘু্টনি আমার বাবা যে কারখানায় কর্মরত ছিলেন সেখানে। ফলে আমাদের পরিবারে চরম অর্থনৈতিক সয়ংকট দেখা দিয়েছে। কোভিড’ ১৯ পরিস্থিতিতে