এইচএসসি

এইচএসসি বাংলা বিড়াল বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

বিড়াল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর ১. কমলাকান্ত বিড়ালের উপর রাগ করতে না পারার কারণ, বিড়ালের- চ অধিকার খ দুর্দশা গ ক্ষুৎপিপাসা ঘ দারিদ্র্য ২. ‘বিড়ালের প্রতি পুরুষের ন্যায় আচরণ করাই বিধেয়’ বলতে কোন ধরনের আচরণকে বোঝানো হয়েছে? চ প্রথাগত খ স্বাভাবিক গ স্বভাববিরুদ্ধ ঘ অস্বাভাবিক ক্স নিচের কবিতাংশটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : দেখিনু সেদিন রেলে, কুলি বলে এক বাবু সাব তার ঠেলে দিলে নিচে ফেলে! চোখ ফেটে এল জল, এমনি করে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল? ৩. কবিতাংশে “বিড়াল” প্রবন্ধের যে চেতনার প্রকাশ ঘটেছে তা হলোÑ র. শ্রেণিবৈষম্য রর. সাম্যবাদিতা ররর. মানবিকতা নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঝ র, রর ও ররর ৪. উক্ত চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে নিচের কোন বাক্যে? ক অতএব পুরুষের ন্যায় আচরণ করাই বিধেয় ছ তোমরা মনুষ্য, আমরা বিড়াল, প্রভেদ কী? গ পরোপকারই পরম ধর্ম ঘ খাইতে পাইলে কে চোর হয়? মাস্টার ট্রেইনার কর্তৃক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ক লেখক পরিচিতি : (বোর্ড বই থেকে) ৫. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পেশাগত জীবনে কী ছিলেন? ক আইনজীবী খ শিক্ষক গ প্রকৌশলী ঝ ম্যাজিস্ট্রেট ৬. কোন পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে বঙ্কিমচন্দ্রের সাহিত্য জীবনের সূচনা ঘটে? ক বঙ্গদর্শন ছ সংবাদ প্রভাকর গ তত্ত¡বোধনী ঘ সমাচার ৭. বঙ্কিমচন্দ্রের গ্রন্থসংখ্যা কত? ক ৩৩টি ছ ৩৪টি গ ৩৫টি ঘ ৩৬টি ৮. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোন পত্রিকা সম্পাদনা করেন? চ বঙ্গদর্শন খ বেঙ্গল গেজেট গ দিগ্দর্শন ঘ সংবাদ প্রভাকর ৯. বঙ্কিমচন্দ্র কোথায় মৃত্যুবরণ করেন? ক ঢাকায় খ খুলনায় গ বরিশালে ঝ কলকাতায় ১০. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকাটি কত সালে প্রথম প্রকাশিত হয়? ক ১৮৭০ খ ১৮৭১ জ ১৮৭২ ঘ ১৮৭৩ ১১. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? চ ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ জুন খ ১৮৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ জুন গ ১৮৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ জুন ঘ ১৮৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ জুন ১২. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন? ক সুবারিপুর খ পশ্চিমগাঁও জ কাঁঠালপাড়া ঘ আমপাড়া ১৩. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের গ্রামটি কোন জেলায় অবস্থিত? চ চব্বিশ পরগনা খ বর্ধমান গ মেদিনীপুর ঘ মুর্শিদাবাদ ১৪. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন? ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় গ করাচি বিশ্ববিদ্যালয় ঘ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ১৫. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে বিএ পাস করেন? ক ১৮৫৭ সালে ছ ১৮৫৮ সালে গ ১৮৫৯ সালে ঘ ১৮৬০ সালে ১৬. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পিতার নাম কী? চ যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় খ রাধারমন চট্টোপাধ্যায় গ শীর্ষেন্দ চট্টোপাধ্যায় ঘ বিমল চট্টোপাধ্যায় ১৭. কত সালে ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা প্রকাশিত হয়? ক ১৮৫০ খ ১৮৫১ জ ১৮৫২ ঘ ১৮৫৩ ১৮. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস কোনটি? চ দুর্গেশনন্দিনী খ আনন্দপাঠ গ চন্দ্রশেখর ঘ শকুন্তলা ১৯. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ইংরেজি উপন্যাসটির নাম কী? চ জধলসড়যড়হং ডরভব খ ঝঁষঃধহম’ধং ফৎবধস গ ঈরারষরুধঃরড়হ ঘ ঈড়হয়ঁবংঃ ড়ভ যধঢ়ঢ়রহবংং ২০. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? ক ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই এপ্রিল খ ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দের ৬ই এপ্রিল গ ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই এপ্রিল ঝ ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই এপ্রিল ২১. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপাধি কী? ক পলি­কবি খ বিদ্রোহী কবি জ সাহিত্যসম্রাট ঘ ছন্দের জাদুকর ২২. নিচের কোনটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? চ বাংলা ভাষায় প্রথম শিল্পসম্মত উপন্যাস রচয়িতা খ বাংলা ভাষায় প্রথম শিল্পসম্মত কাব্য রচয়িতা গ বাংলা ভাষায় প্রথম শিল্পসম্মত নাটক রচয়িতা ঘ বাংলা ভাষায় প্রথম শিল্পসম্মত প্রবন্ধ রচয়িতা ২৩. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পিতা পেশায় কি ছিলেন? ক ব্যবসায়ী খ পুলিশ গ বিচার পতি ঝ ডেপুটি কালেক্টর খ মূল পাঠ : (বোর্ড বই থেকে) ২৪. বিড়ালটি কমলাকান্তের হাতে যষ্টি দেখে ভয় পেল না কেন? ক অতিমাত্রায় সাহসী ছিল বলে খ যষ্টির আঘাতে ব্যথা পাবে না বলে জ কমলাকান্ত সম্পর্কে জানত বলে ঘ ক্ষুধা নিবারণ হয়ে গিয়েছিল বলে ২৫. ‘অতএব পুরুষের ন্যায় আচরণ করাই বিধেয়।’Ñ এখানে ‘পুরুষের ন্যায় আচরণ’ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? চ ক্রোধে গর্জে ওঠা খ উচ্চ বাক্য করা গ সজোরে হুংকার দেয়া ঘ ধৈর্য ধরে থাকা ২৬. ‘বিড়াল’ গল্পে কে শয়নগৃহে ছিল? ক মঙ্গলা খ প্রসন্ন জ কমলাকান্ত ঘ নেপোলিয়ন ২৭. কমলাকান্ত চারপায়ীর উপর বসে হুঁকা হাতে কী করছিল? ক দুধ খাচ্ছিল ছ ঝিমাচ্ছিল গ ঘুমাচ্ছিল ঘ গান করছিল ২৮. দেয়ালের উপর কীসের ছায়া প্রেতবৎ নাচছিল? ক চারপায়ীর ছ ক্ষুদ্র আলোর গ কমলাকান্তের ঘ ভাঙা যষ্টির ২৯. কমলাকান্ত কীসের উপর ঝিমাচ্ছিল? ক কেদারার খ মাদুরের জ চারপায়ীর ঘ সোফার ৩০. কে দুগ্ধ রেখে গিয়েছিল? চ প্রসন্ন খ মঙ্গলা গ কমলাকান্ত ঘ ওয়েলিংটন ৩১. দুধের মালিক কে? ক কমলাকান্ত খ বিড়াল গ প্রসন্ন ঝ মঙ্গলা ৩২. মঙ্গলা কে? ক প্রসন্নের স্বামী ছ একটি গাভী গ মার্জারের বাবা ঘ কমলাকান্তের বাবা ৩৩. কমলাকান্ত কী হাতে বিড়ালের দিকে তেড়ে গিয়েছিল? চ ভাঙা লাঠি খ ঠেঙা লাঠি গ ইট ঘ পাথর ৩৪. কার কথা ভারি সোশিয়ালিস্টিক? ক কমলাকান্তের খ নেপোলিয়নের জবিড়ালের ঘ প্রসন্নের ৩৫. প্রবন্ধে ‘বিড়াল’ কাদের প্রতিনিধি? ক চোরের ছ ক্ষুধিতের গ সাধুর ঘ বিচারকের ৩৬. বিড়াল দুধ খেয়ে ফেললেও কমলাকান্ত রাগ করেনি কেন? চ দুধে দু’জনেরই সমান অধিকার খ বিড়ালের মতো তুচ্ছ প্রাণীর সঙ্গে রাগ করা লজ্জাজনক গ বিড়ালের ভয় ঘ বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা ৩৭. প্রসন্ন কর্তৃক দোহনকৃত দুধ কার? ক বিড়ালের ছ মঙ্গলার গ কমলাকান্তের ঘ নেপোলিয়নের ৩৮. বিজ্ঞ চতুষ্পদের কাছে শিক্ষা লাভ ব্যতীত মানুষের জ্ঞানোন্নতির উপায়ান্তর দেখে না কে? ক কমলাকান্ত ছ বিড়াল গ নেপোলিয়ন ঘ প্রসন্ন ৩৯. বিজ্ঞ চতুষ্পদের কাছে কী ব্যতীত মানুষের জ্ঞানোন্নতির উপায়ান্তর নেই? ক আফিং খাওয়া ছ শিক্ষালাভ গ চুরি শেখা ঘ হুঁকাটানা ৪০. বিড়াল কার জ্ঞানোন্নতির উপায়ান্তর দেখে না? চ মানুষের খ মার্জারের গ আফিংখোরের ঘ অধার্মিকের ৪১. যাঁরা চোরের নামে শিহরিয়া ওঠেন, তাঁরা অনেকে চোর অপেক্ষা কেমন? ক বক ধার্মিক ছ অধার্মিক গ আফিংখোর ঘ পরোপকারী ৪২. ‘সংসারে ক্ষীর, সর, দুগ্ধ, দধি, মৎস্য, মাংস সকলই তোমরা খাইবে’Ñ এখানে ‘তোমরা’ কারা? ক বিড়ালরা ছ মানুষেরা গ অধার্মিকরা ঘ চোরেরা ৪৩. ‘আমরা কিছু পাইব না কেন?’Ñ এখানে ‘আমরা’ কারা? চ বিড়ালেরা খ মানুষরা গ ধনীরা ঘ চোরেরা ৪৪. যাঁরা চোরের নামে শিহরিয়া ওঠেন, তাঁরা অনেকে কী অপেক্ষাও অধার্মিক? ক বিড়াল খ মানুষ গ ধার্মিক ঝ চোর ৪৫. যাঁরা সাধু তাঁরা চোরের নামে কী করেন? চ শিহরিয়া ওঠেন খ পাষাণবৎ হন গ প্রেতবৎ নাচেন ঘ ঝিমাতে থাকেন ৪৬. আহারাভাবে বিড়ালের উদর কীরূপ? ক বিনত ছ কৃশ গ ফুলা ঘ লোমশ ৪৭. আহারাভাবে বিড়ালের জিহŸা কীরূপ হয়েছে? ক কৃশ ছ ঝুলে পড়েছে গ বিনত ঘ ফেলো ৪৮. বিড়ালের লাঙ্গুল আহারাভাবে কীরূপ ধারণ করেছে? ক কৃশ খ বাঁকা জ বিনত ঘ মোট ৪৯. আহারাভাবে বিড়ালের দাঁত পরিণতি কোনটি হয়েছে? ক কৃশ হয়েছে খ ঝুলে পড়েছে গ বিনত হয়েছে

এইচএসসি বাংলা বিড়াল বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি বাংলা নেকলেস সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

নেকলেস লেখক পরিচিতি নাম প্রকৃত নাম : গী দ্য মোপাসাঁ ছদ্মনাম : ঐবহৎর-জবহৎর-অষনবৎঃ-এুঁ ফব গধঁঢ়ধংংধহঃ জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ৫ আগস্ট, ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ জন্মস্থান : নর্মান্ডি, ফ্রান্স। বংশ পরিচয় পিতার নাম : গুস্তাভ দ্যা মোপাসাঁ মাতার নাম : লরা লি পয়টিভিন শিক্ষাজীবন নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল, ১৮৬৭ খ্রিষ্টাব্দ। সাহিত্য-অভিভাবক পারিবারিক বন্ধু ঔপন্যাসিক গুস্তাভ ফ্লবেয়ার। পেশা/কর্মজীবন সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চা। কাব্যচর্চা দিয়ে শুরু, গল্পকার হিসেবে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন। তাঁর বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষতার তুলনা বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে বিরল। অসাধারণ সংযম ও বিস্ময়কর জীবনবোধে তাঁর রচনা তাৎপর্যপূর্ণ। মৃত্যু ৬ জুলাই, ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দ।  অনুবাদক পরিচিতি নাম পূর্ণেন্দু দস্তিদার। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ২০ জুন, ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : ধলঘাট, পটিয়া, চট্টগ্রাম। বংশ পরিচয় পিতার নাম : চন্দ্রকুমার দস্তিদার মাতার নাম : কুমুদিনী দস্তিদার পেশা/ কর্মজীবন আইনজীবি, লেখক ও রাজনীতিবিদ। বিশেষ কর্ম মাষ্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহে অংশ গ্রহণ ও কারাবরণ। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘কবিয়াল রমেশ শীল’, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রামে’, ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’। অনুবাদ : ‘শেখভের গল্প’ ‘মোপাসাঁর গল্প’। মৃত্যু ৯ মে, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দ (মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে ভারতে যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন।) গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। মেধাবী রুবিনার বাবা খুব সামান্য বেতনে চাকরি করেন। তার সহপাঠীরা সকলেই অবস্থাপন্ন পরিবারের। সহপাঠীদের পোশাক, জীবনাচরণের সঙ্গে রুবিনার কিছুতেই খাপ খায় না। তবু তা নিয়ে সে মোটেই হীনমন্যতায় ভোগে না। তার ধনী সহপাঠীরাও রুবিনার বাহ্যিক চাকচিক্যের চেয়ে তার মেধাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়। নিজের কঠোর পরিশ্রমে রুবিনা পরীক্ষায় খুব ভালো ফল করে। আজ তিনি একজন বড় কর্মকর্তা। ক. বন্দুক কিনতে মসিঁয়ে কত ফ্রঁাঁ সঞ্চয় করেছিল? খ. মাদাম লোইসেল আমন্ত্রণ-লিপিখানা টেবিলের উপর নিক্ষেপ করেন কেন? গ. রুবিনার সঙ্গে মাদাম লোইসেলের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি বর্ণনা কর। ঘ. পারস্পরিক সাদৃশ্য থাকা সত্তে¡ও জীবন পরিণতিতে দুজনের জীবন ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত।Ñ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর  চারশ ফ্রঁাঁ সঞ্চয় করেছিল।  শিক্ষামন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার মতো কোনো ভালো পোশাক বা জড়োয়া গহনা মাদাম লোইসেলের ছিল না বলে আমন্ত্রণ লিপিখানা টেবিলের উপর নিক্ষেপ করে।  রুবিনার সঙ্গে মাদাম লোইসেলের সাদৃশ্যপূর্ণ দিক হলো কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা।  পরিশ্রমই মানুষের জীবনে সাফল্য বয়ে আনে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই নিজ শক্তি সম্পর্কে মানুষ সজাগ হয়। এর মধ্যদিয়ে মানুষ দুঃখ, যন্ত্রণাকে জয় করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়।  ‘নেকলেস’ গল্পে প্রথম জীবনে মাদাম লোইসেল একজন উচ্চাভিলাষী নারী ছিল। কিন্তু ভাগ্য তাকে এই উচ্চাভিলাষী জীবনের আকাক্সক্ষা থেকে বিচ্যুত করেছে। সংসারে যখন প্রবল দারিদ্র্য উপস্থিত, তখন সে তাকে জয় করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে। শেষ পর্যন্ত সে সফল হয়েছে। উদ্দীপকের রুবিনাও কঠোর পরিশ্রমী। নিজের দারিদ্র্য নিয়ে সে কখনো হীনæ্যতায় ভোগে না; বরং কঠোর পরিশ্রম করে সফলতার দিকে ধাবিত হয়।  কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতায় সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকের রুবিনার সাফল্য ও মাদাম লোইসেলের সাফল্য ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত।  দুঃখ, দারিদ্র্য ব্যর্থতাকে জয় করার একমাত্র উপায় হলো পরিশ্রম। আলস্য জীবনের করুণ পরিণতিকেই ডেকে আনে। পক্ষান্তরে পরিশ্রম বয়ে আনে সৌভাগ্য ও সফলতা।  ‘নেকলেস’ গল্পে মাদাম লোইসেল দারিদ্র্য ও দেনার দায় থেকে মুক্তির জন্য কঠোর পরিশ্রম শুরু করে। তারা বাসা বদল করে, দাসীকে বিদায় করে, ঘরের সবকাজ সে একে করে। এভাবে দশ বছর পর তারা তাদের দেনা পরিশোধ করে এবং কিছু সঞ্চয়ও করতে সমর্থ হয়। উদ্দীপকের রুবিনাও কঠোর পরিশ্রমী। নিজের মেধা ও পরিশ্রমই তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এ দিয়েই শেষ পর্যন্ত সে সফল হয়।  উদ্দীপকের রুবিনা ও ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেল উভয়েই পরিশ্রমী। রুবিনা নিজ পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয় আর মাদাম লোইসেল দেনার দায় থেকে মুক্তি পায় এই পরিশ্রমের বিনিময়ে। তার সাদৃশ্য থাকলেও তাদের জীবন পরিণতি ভিন্ন।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। ধনাঢ্য ব্যবসায়ী মিরাজ সাহেব ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়ে হারিয়ে ফেললেন সমস্ত বিষয় সম্পত্তি। এমনকি তাদের রাজপ্রাসাদের মতো বাড়িও উঠল নিলামে। কিন্তু সাহস ও মনোবল দিয়ে তিনি টিকে রইলেন কঠোর পরিশ্রম করে। শুরু করলেন নতুন ব্যবসা। শোধ করতে লাগলেন ব্যাংক ঋণ। এত বড় বিপদে একমাত্র মনোবল ও সাহসই তাঁকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। ক. লোইসেল ও তার স্ত্রী ঋণ শোধের জন্য কত বছর কষ্ট করেছিল? খ. ‘সামান্য একটি বস্তুতে কী করে একজন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে আবার বাঁচতেও পারে।’Ñ ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের সিরাজ সাহেবের মনোভাব কীভাবে ‘নেকলেস’ গল্পে প্রতিফলিত হয়েছে? Ñব্যাখ্যা কর। ঘ. “প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও ‘নেকলেস’ গল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উদ্দীপকে উপস্থিত।”Ñ বিশ্লেষণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  লোইসেল ও তার স্ত্রী ঋণ শোধের জন্য দশ বছর কষ্ট করেছিল।  সামান্য একটি বিষয় মানুষের জীবনের উত্থান-পতনের কারণ হতে পারে।  লোভ-লালসা, প্রভৃতি খারাপ রিপু দ্বারা তাড়িত হয়ে মানুষ নিজের ধ্বংসের পথ সুগম করে। এসব খারাপ পথ পরিহার করে সততা, ন্যায়, নিষ্ঠা, দৃঢ়তার সাথে অগ্রসর হলে মানুষের যেকোনো কাজে বিজয় সুনিশ্চিত। এজন্যই বলা হয়েছে যে, সামান্য একটি বস্তুতে একজন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে আবার বাঁচতেও পারে। কেননা, অন্যায়ের পথ মানুষের ধ্বংস সাধন করে আর ন্যায়ের পথ মানুষের উন্নতি ঘটায়।  মি. লোইসেলের গহনাটি ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে উদ্দীপকের মিরাজ সাহেবের মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে।  মানুষের জীবনে বড় হওয়া এবং পৃথিবীতে ভালোভাবে টিকে থাকার জন্য মনোবল ও সাহস থাকা খুব জরুরি। এ দুটি থাকলে মানুষ যেকোনোভাবে জীবনের সমস্ত দুর্দশা কাটিয়ে উঠে উন্নতির পথে অগ্রসর হতে পারে।  উদ্দীপকের মিরাজ সাহেবের দুর্দিনে মনোবল অটুট রেখে সব কিছু নতুন করে শুরু করার মতো উদ্যম দেখানো হয়েছে। তিনি তার এই মনোবলের জন্যই বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। তা ছাড়াও সমস্ত সমস্যা সমাধানে এগিয়ে যাওয়ার মতো সাহসও পেয়েছিলেন। তেমনি মাদাম লোইসেলের বান্ধবীর হারটি নতুন করে কিনে দিয়ে মি. লোইসেল বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। সে সময় যদি তিনি মনোবল ও সাহসের মাধ্যমে পথ না চলতেন তাহলে সকল সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারতেন না। দেরি হলেও সমস্ত দুঃখ কষ্টকে পেছনে ফেলে মি. লোইসেলের সামনে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে উদ্দীপকের মিরাজ সাহেবের মনোভাব তুলে ধরা হয়েছে।  প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও নতুন করে সব কিছু শুরু করার বিষয়টি উদ্দীপক ও ‘নেকলেস’ গল্প দু’জায়গাতেই উপস্থিত, আর এখানেই উদ্দীপক ও ‘নেকলেস’ গল্পের মিল রয়েছে।  ‘নেকলেস’ গল্পে বান্ধবীর হারিয়ে যাওয়া হারটি ফেরত দেয়ার পরিস্থিতি না থাকলেও লোইসেল পরিবার যথাসাধ্য চেষ্টা করে। নিজেদের যা ছিল তা ছাড়া কিছু ঋণও করে। কিন্তু কোনোক্রমেই নিজেদের আত্মমর্যাদা তারা ভূলুণ্ঠিত হতে দেন নি। এই ঘটনার পর ঋণ পরিশোধের জন্য লোইসেল পরিবারকে অনেক কষ্ট করতে হয়। জীবনের বিলাসিতা বর্জন করে তারা নিজেকে শুধু কাজে মনোনিবেশ করে। আর এভাবে এক সময় তারা তাদের সমস্ত ঋণ পরিশোধ করে, কিছু সঞ্চয় করতেও সমর্থ হয়। শুধু অটুট মনোবলের কারণেই তারা এ অসাধ্য সাধন করতে পেরেছিল।  উদ্দীপকে দেখা যায়, অনেক ধনী থাকা সত্তে¡ও

এইচএসসি বাংলা নেকলেস সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি বাংলা মহাজাগতিক কিউরেটর সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

মহাজাগতিক কিউরেটর মুহম্মদ জাফর ইকবাল লেখক পরিচিতি নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর, ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ। জন্মস্থান : সিলেট শহর। পৈতৃক নিবাস : নেত্রকোনা জেলা পিতৃ-পরিচয় পিতার নাম : ফয়জুর রহমান আহমেদ। শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক : এসএসসি (১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে) জিলা স্কুল, বগুড়া। উচ্চমাধ্যমিক : এইচএসসি (১৯৭০) খ্রিস্টাব্দে, ঢাকা কলেজ। উচ্চতর শিক্ষা : স্নাতক সম্মান (পদার্থ বিজ্ঞান), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দ)। স্নাতকোত্তর (তাত্তি¡ক পদার্থবিজ্ঞান), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ)। ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। পেশা/কর্মজীবন রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট, ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন; যুক্তরাষ্ট্র; অধ্যাপক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট। সাতিহ্যকর্ম কিশোর উপন্যাস ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘আমার বন্ধু রাশেদ’, এবং ‘আমি তপু’ অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা। মহাকাশে মহাত্রাস, টুকুনজিল, নিঃসঙ্গ গ্রহচারী, একজন অতিমানবী, ফোবিয়ানের যাত্রীসহ অনেক পাঠকপ্রিয় সায়েন্স ফিকশন বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির তিনি ¯্রষ্টা। পুরস্কার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (২০০৪ খ্রিষ্টাব্দ)। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। একদিন সকালে কাজলের বাড়ির পাশে একটি বানর বিদ্যুৎ স্পষ্ট হয়ে মারা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই জায়গা অন্য বানরেরা ঘিরে ধরে যেন বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ফেলবে ওরা। ওই দিনই কলেজে যাবার পথে কাজল দেখল, কয়েকটি ছেলে একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছে। আশে-পাশে অনেক মানুষ থাকলেও কেউ প্রতিবাদ করছেন না। কাজল সঙ্গের বন্ধুদের নিয়ে প্রতিরোধ করতে এগিয়ে গেল। ক. ‘মহাজাগিতক কিউরেটর’ কোন জাতীয় রচনা? খ. মহাজাগিতক কিউরেটরদ্বয়ের মানুষ বাদ দিয়ে নমুনা হিসেবে পিঁপড়া সংগ্রহের কারণ কী? গ. উপগ্রহে থেকে যাওয়া তিনজনের কথা বিপ্লবদের মনে না পড়ার কারণটি ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ঘ. ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পের পিঁপড়া আর উপগ্রহের অদ্ভুত প্রাণিগুলো যেন একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ- তুমি কি মন্তব্যটির সাথে একমত? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর। ১ ২ ৩ ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর  ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পটি মানবকল্যাণধর্মী রচনা।  মহাজাগতিক কিউরেটরদ্বয় মানুষ বাদ দিয়ে শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিমান প্রাণির নমুনা হিসেবে পিঁপড়া সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। কেননা পিঁপড়া পৃথিবীর কারো কোনো ক্ষতি করে না।  পৃথিবীতে বুদ্ধিমান প্রাণি হিসেবে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে মানুষ। এদের সামাজিক ব্যবস্থা আছে, শহর-বন্দর নগর তৈরি করেছে, চাষাবাদ ও পশুপালন করছে। কিন্তু এরা বাতাসের ওজোন স্তর দূষিত করেছে, গাছপালা কেটে সাবাড় করে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করেছে। নিউক্লিয়ার বোমা ফেলছে একে অন্যের ওপর। কিন্তু পিঁপড়া পরিশ্রমী, সুশৃঙ্খলা, সামাজিক সুবিবেচক ও পরোপকারী। পিঁপড়া পৃথিবীর কোনো ক্ষতি করে না। তাই কিউরেটরদ্বয় মানুষের পরিবর্তে পিঁপড়ার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।  মানুষের আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থবাদী ভাবনার কারণেই উপগ্রহে থেকে যাওয়া তিনজনের কথা বিপ্লবদের মনে পড়েনি।  মানুষ নিজেদের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণি মনে করলেও তারা আসলে সংকীর্ণমনা, স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিক। নিজেদের প্রয়োজনে জঘন্য-হীন কাজ করতেও তারা এতটুকু দ্বিধা করে না। এমনকি অন্য অনেকের জীবন বিপন্ন হলেও তারা বিন্দুমাত্র কুণ্ঠিত হয় না।  উদ্দীপকের বিপ্লব স্বপ্ন দেখে যে, সে তার পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে নভোযানে চলতে চলতে একসময় একটা উপগ্রহে গিয়ে থামে। তারা এটা দেখতে নেমে যায়। কিছুদূর যাওয়ার পর ধারালো দাঁতওয়ালা অসংখ্য অদ্ভুত প্রাণি তাদেরকে আক্রমণ করে। তিনজন কোনোরকমে দৌড়ে গিয়ে নভোযানে উঠে। কিন্তু অন্য তিনজন ওখানেই রয়ে যায়। তাদের অবস্থা কী হবে এসব না ভেবেই ওরা চলে আসে। তারা এতটাই স্বার্থপর যে নিজেদের বাঁচাতেই ব্যস্ত ছিল। ওদের কথা মনেই পড়েনি। ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পেও দেখা যায়, মানুষ কতটা স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিক। তারা নিজেদের ঘৃণ্য স্বার্থে একে অন্যের ওপর নিউক্লিয়ার বোমা ফেলে, যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। সুতরাং, উপগ্রহে থেকে যাওয়া তিনজনের কথা বিপ্লবদের মনে না পড়ার কারণ মানুষের স্বার্থপর আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব।  ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পের পিঁপড়া আর উপগ্রহের অদ্ভুত প্রাণিগুলো যেন একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ- কথাটির সাথে আমি একমত পোষণ করি।  একই ধরনের বা সমপর্যায়ের বা একই বেশিষ্ট্যের প্রাণি পৃথিবীর মতো অন্য গ্রহে থাকা অস্বাভাবিক নয়। এরকম পৃথিবীর কিছু প্রাণির মধ্যেও দেখা যায়। আক্রান্ত হলে অন্যেরা তাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসে। অর্থাৎ তাদের মধ্যে পারস্পরিক আন্তরিকতা, দলবদ্ধতা ও পরোপকারিতার মনোভাব সক্রিয়, যাকে বলা হয়েছে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।  ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পে দেখা যায়, অনন্ত জগতের কোনো এক গ্রহ থেকে আসা দুজন কিউরেটর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাণি পর্যবেক্ষণ করে পিঁপড়াকেই শ্রেষ্ঠ মনে করলো। কেননা পিঁপড়া দলবদ্ধ, সামাজিক, সুবিবেচক ও পরোপকারী। তারা আক্রান্ত হলে এক সাথে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অন্যদিকে অন্য গ্রহের অদ্ভুত প্রাণিগুলোও সংঘবন্ধ, তারাও হুমকি মনে করেই অন্য গ্রহের প্রাণিদের আক্রমণ করছে। সমগোত্রীয়দের প্রতি তাদের প্রাণের টানেই তারা এটি করেছে। আবার বিপ্লবরা যখন তাদের একটা প্রাণিকে ধরে নিয়ে যায়, তখন তাকে উদ্ধার করার জন্য দলবেঁধে সবাই ছুটে আসে।  সুতরাং, পৃথিবীর পিঁপড়া আর ভিন্ন গ্রহের প্রাণির মধ্যে পারস্পরিক মমত্ববোধ, দায়িত্ববোধ এবং পরোপকারিতার দিক থেকে একই রকম অর্থাৎ মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। পত্রিকায় প্রকাশ বরগুনার তালতলীর সুন্দরবচন অংশে এবং লাউয়াছড়ার সংরক্ষিত উদ্যানে একধরনের নির্মম হিংস্র মানুষ বিশেষ প্রক্রিয়ার বৃক্ষের গোড়া পুড়িয়ে বৃক্ষ হত্যা করছে। ক. পৃথিবীতে কোন প্রাণি সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে? খ. দেখেছ বাতাসে কত দূষিত পদার্থ?Ñ এর কারণ দর্শাও। গ. উদ্দীপকের বৃক্ষ হত্যার সাথে ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পের প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সম্পর্ক নির্ণয় কর। ঘ. ‘মানুষ স্বেচ্ছা ধ্বংস সাধনে সাংঘাতিক সক্রিয়’- কথাটার সাথে একমত হলে, তোমার যুক্তি উপস্থাপন কর। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  পৃথিবী মানুষ সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।  ‘দেখেছ বাতাসে কত দূষিত পদার্থ?Ñ কিউরেটরদের একজন পৃথিবীর বাতাসের দিকে তাকিয়ে চমকে ওঠে, কেননা তা ভয়াবহ রকমের ক্ষতিকর।  বাতাস শুধু ধূলাবালি ধোঁয়ায় দূষিত নয়। এর সাথে মিশে আছে এমন তেজস্ক্রিয় পদার্থ, যা থেকে এমন রশ্মির বিকিরণ ঘটে, যা অস্বচ্ছ পদার্থের মধ্য দিয়ে দেখা যায়। এসব দূষিত ও তেজস্ক্রিয় পদার্থ বাতাসের ওজোন স্তর ক্রমশ শেষ করে দিচ্ছে। অথচ ওজোন স্তর হলো বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগে গ্যাসে পূর্ণ একটি বিশেষ স্তর, যা আমাদের সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। নির্মমভাবে বিস্তীর্ণ এলাকার গাছ কেটে ধ্বংস করার ফলে বাতাস ক্রমশ উষ্ণ ও দূষিত হয়েছে। দূষণ ও ওজোন স্তরের ক্ষতির জন্য মানুষই সম্পূর্ণভাবে দায়ী।  উদ্দীপকের বৃক্ষ হত্যার সাথে ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পের প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কেননা বৃক্ষের সাথে প্রাণিসহ প্রকৃতির অনেক কিছু সম্পর্কিত।  ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পে কিউরেটরেরা বাতাসে দূষিত পদার্থ ও তেজস্ক্রিয় পদার্থের ভয়াবহ অবস্থান দেখে ভীষণ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার প্রয়োজনে এমন সব কাজ করছে, যা পৃথিবীকে ধ্বংসের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। বিশেষ করে পৃথিবীর বিস্তীর্ণ এলাকার গাছ ধ্বংস করার ফলে গাছের শিকড়, বাকলের রস, পাতা, ফুল ও ফল খেয়ে যেসব প্রাণি বাঁচে, সেগুলো ক্রমশ বিলুপ্ত হচ্ছে। কারণ পরাগায়নের অভাবে আগের মতো ফল ধরছে না। বনে যারা বাস করতো, তাদের অস্তিত্ব আজ নড়বড়ে হয়ে গেছে। এছাড়া জ্বালানি,

এইচএসসি বাংলা মহাজাগতিক কিউরেটর সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি বাংলা রেইনকোট সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

রেইনকোট আখতারুজ্জামান ইলিয়াস লেখক পরিচিতি নাম আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। জন্ম ও পরিচয় জন্ম তারিখ : ১২ জানুয়ারি, ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে। জন্মস্থান : গোটিয়া, সাঘাটা, গাইবান্ধা। পিতৃ পরিচয় পিতার নাম : বি. এম ইলিয়াস। মাতার নাম : মরিয়ম ইলিয়াস। শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক : ম্যাট্রিক (১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে), বগুড়া জিলা স্কুল। উচ্চমাধ্যমিক : ইন্টারমিডিয়েট (১৯৬১), ঢাকা কলেজ। উচ্চতর : বিএ সম্মান, বাংলা (১৯৬৩); এমএ (১৯৬৪), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মজীবন ও পেশা প্রভাষক : করটিয়া সাদত কলেজ, টাংগাইল; জগন্নাথ কলেজ, ঢাকা। সহযোগী অধ্যাপক : বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ কলেজ। উপপরিচালক : প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধ্যাপক : বাংলা বিভাগ, ঢাকা কলেজ। সাহিত্য সাধনা গল্পগ্রন্থ : অন্য ঘরে অন্যস্বর, খোঁয়ারি, দুধভাতে উৎপাত, দোজখের ওম, জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল। উপন্যাস : চিলে কোঠার সেপাই, খোয়াবনামা। প্রবন্ধ গ্রন্থ : সংস্কৃতির ভাঙা সেতু। পুরস্কার ও সম্মাননা হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৭৭), বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭), প্রফুল­ কুমার সরকার স্মৃতি আনন্দ পুরস্কার (১৯৯৬), সাদাত আলী আকন্দ পুরস্কার (১৯৯৬), কাজী মাহবুব উল­াহ স্বর্ণপদক ইত্যাদি। ইন্তেকাল মৃত্যু তারিখ : ৪ জানুয়ারি, ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। ক. “রেইনকোট” গল্পে মিলিটারি ক্যাম্প কোথায় স্থাপন করা হয়? খ. দেশে একটা কলেজেও শহিদ মিনার অক্ষত নেই। গ. চিত্রে “রেইনকোট” গল্পের যেদিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. চিত্রিত দিকটি “রেইনকোট” গল্পের খণ্ডাংশ মাত্র-বিশ্লেষণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর  কলেজের জিমন্যাশিয়ামে।  শহিদ মিনার বাঙালি জাতির স্বাধিকার চেতনার উৎস এবং পাকিস্তানের আদর্শের পরিপন্থী বলেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশের সব কলেজ থেকে শহিদ মিনার ভেঙ্গে ফেলে।  ১৯৫২ সালের ভাষা-আন্দোলনে শহিদের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মাণ করা হয়েছিল শহিদ মিনার, যা চিরকালই বাঙালির স্বাধিকার চেতনার উৎস। এছাড়া পাক-সরকার শহিদ মিনারকে পাকিস্তানের আদর্শের পরিপন্থী মনে করত। তাই পাকিস্তানকে বাঁচাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সব কলেজ থেকে শহিদ মিনার ভেঙ্গে দিয়েছিল ।  চিত্রে ‘রেইনকোট’ গল্পের পাকিস্তানিদের বর্বরতার দিকটি ফুটে উঠেছে।  শোষকশ্রেণির মানুষেরা চিরকালই অসহায়-দুর্বলের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রাখতে নির্মম নির্যাতন চালায়। এক্ষেত্রে তাদের মধ্যে সামান্যতম মানবতার ছোঁয়ামাত্র দেখা যায় না। বরং মধ্যযুগীয় কায়দায় তারা দুর্বলের ওপর চালায় নির্মম নির্যাতন, যা সহ্য করা ছাড়া দুর্বলের আর কিছুই করার থাকে না।  চিত্রে পাকিস্তান সেনাদের বর্বর অত্যাচারের দিকটি প্রত্যক্ষ করা যায়। তারা পাঁচজন মিলে একজন নিরীহ মানুষের ওপর চালিয়েছে নির্মম নির্যাতন। শুধু তাই নয়, তারা তাকে শেয়াল-কুকুরের মতো টেনে-হেঁচড়ে নিয়ে যায়। অন্যদিকে ‘রেইনকোট’ গল্পেও নুরুল হুদার জবানিতে পাকিস্তানিদের বর্বরতার কথা বর্ণিত হয়েছে। মিলিটারিদের নির্যাতনের ভয়ে সে নিজেই নানা সময় পালিয়ে বেড়িয়েছে নানা স্থানে। এছাড়া তার মতো হাজারো অসহায় বাঙালির ওপর পাকিস্তানিবাহিনী চালিয়েছিল অত্যাচারের স্টিম রোলার। সুতরাং বলা যায়, চিত্রে ‘রেইনকোট’ গল্পের পাকিস্তানিদের বর্বর অত্যাচারের দিকটি ফুটে উঠেছে।  আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত ‘রেইনকোট’ গল্পে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বহুমুখী উপস্থাপন বর্তমান। উদ্দীপকে বর্ণিত মুক্তিযুদ্ধের যে চিত্র রয়েছে তা গল্পটির খণ্ডাংশ।  ‘রেইনকোট’ গল্পে লেখক নুরুল হুদার চিন্তারাজি এবং অন্যান্য চরিত্রের কথোপকথনের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একটি সামগ্রিক চিত্র উন্মোচনের প্রয়াস চালিয়েছেন। যদিও লেখকের মূল লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। অর্থাৎ, একজন মুক্তিযোদ্ধার ব্যবহৃত রেইনকোট কীভাবে ভীরু, দুর্বলচিত্ত, পলায়নপর রসায়নের শিক্ষক নুরুল হুদাকে একজন মানসিক যোদ্ধায় পরিণত করেÑসেটিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন লেখক। অন্যদিকে উদ্দীপকের বর্ণনায় আমাদের যুদ্ধের একটি খণ্ড চিত্র রয়েছে।  উদ্দীপকে পশ্চিম, থেকে আসা পাকিস্তানি নরঘাতকদের অগ্নিসংযোগ এবং নরহত্যার বিষয়টি ব্যক্ত হয়েছে। পাকিস্তানি- বাহিনী এদেশের গ্রামে গ্রামে আগুন জ্বালিয়ে অট্টহাসিতে মেতে উঠেছিল। মার কোল থেকে শিশুকে কেড়ে নিয়ে চালিয়েছিল গণহত্যা, এমনকি পিতার সামনে মেয়েকে কেটে রক্তস্নান করেছে। অর্থাৎ, উদ্দীপকের মূল লক্ষ্য অগ্নিসংযোগ এবং গণহত্যার বিষয়টিতে নিবিষ্ট, যা ‘রেইনকোট’ গল্পটিতে আংশিক প্রতিনিধিত্ব করে।  ‘রেইনকোট’ গল্পটিতে মুক্তিযুদ্ধের যে বহু বিচিত্র চিত্র রয়েছে উদ্দীপকে তা মেলে না। উদ্দীপকে আছে কেবল গল্পে বর্ণিত পাকবাহিনীর নরহত্যার বিষয়টি। তাই বলা যায়, “উদ্দীপকটি ‘রেইনকোট’ গল্পটির খন্ডাংশ সম্পূর্ণ নয়।”   অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। ছোট্ট শুভ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ক্রিকেট খেলায় হাত ধরে মাঠে ঢোকার সুযোগ পায়। জাতীয় সঙ্গীত পর্ব সমাপ্ত হলে শচীন অটোগ্রাফসহ নিজের ক্যাপটি শুভকে উপহার দেন। উপহারটি পেয়ে শুভ বিস্মিত হয়ে যায়। সে সিদ্ধান্ত নেয় বড় হয়ে একজন ক্রিকেটার হবে। ক. নুরুল হুদাকে রেইনকোটটি কে পরতে বলে? খ. রেইনকোট খুলে ফেললেও নুরুল হুদার শরীরে তার ওম লেগে থাকার কারণ কী? গ. উদ্দীপকের শুভ এবং ‘রেইনকোট’ গল্পের নুরুল হুদার ভাবনার মাঝে বৈসাদৃশ্য দেখাও। ঘ. “উদ্দীপকের শুভর কাছে ক্যাপ এবং ‘রেইনকোট’ গল্পে নুরুল হুদার কাছে রেইনকোট জীবনের পালাবদলকারী চেতনার প্রতীক হিসেবে দেখা দিয়েছে।”Ñ উক্তিটির স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  আসমা পরতে বলে।  মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয় বলে রেইনকোট খুলে ফেললেও নুরুল হুদার শরীরে তার ওম লেগে থাকে।  ‘রেইনকোট’ গল্পে বৃষ্টির দিনে নুরুল হুদা কলেজের উদ্দেশে যাওয়ার সময় স্ত্রী আসমা তাকে মিন্টুর রেইনকোটটি পরে যেতে বলেন। মিন্টু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার রেইনকোট নুরুল হুদাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করে। তাইতো পাকসেনাদের অত্যাচারের একপর্যায়ে যখন তার শরীর থেকে রেইনকোটটি খুলে ফেলে তখনও তার মনে হয়, রেইনকোটের ওম তার শরীরে লেগে আছে।  আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত ‘রেইনকোট’ গল্পে নুরুল হুদা মিন্টুর রেইনকোটের সংস্পর্শে এসে চিন্তা-চেতনায় একজন মানসিক মুক্তিযোদ্ধায় পরিণত হয়েছেন। উদ্দীপকের শুভও শচীনের ক্যাপ পেয়ে নির্ধারণ করেছে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।  ‘রেইনকোট’ গল্পে মিন্টুর রেইনকোট পরার পর নানারকমের ভাবনা আসে নুরুল হুদার মনে। হানাদারবাহিনীর নির্যাতন এবং রাজাকারদের বর্বরতার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ পায় তার সেই ভাবনার আড়ালে। এভাবে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতি ঘৃণা এবং মিন্টুর মতো মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সহানুভূতি তাকে ক্রমান্বয়ে মানসিক যোদ্ধায় পরিণত করে। তাই পাকিস্তানিদের নির্যাতন সহ্য করেও তিনি বলেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। উদ্দীপকে শুভও শচীনের ক্যাপটি উপহার পেয়ে ক্রিকেটার হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।  উদ্দীপকের শুভ এবং গল্পের নুরুল হুদা উভয়ই একটি বিশেষ বস্তুকে কেন্দ্র করে নতুন চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছে। কিন্তু নুরুল হুদা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মতো একটা সংগ্রামী চেতনায় জেগে উঠেছে, যেখানে শুভর জাগরণ ব্যক্তিকেন্দ্রিক, সে বড় হয়ে একজন ক্রিকেটার হতে চেয়েছে।  ‘রেইনকোট’ গল্পে নুরুল হুদার পরিহিত রেইনকোট যেমন জীবনের পালাবদলকারী চেতনার প্রতীক। তেমনি উদ্দীপকে শচীনের ক্যাপটিও শুভর চেতনার পালাবদল ঘটিয়েছে।  ‘রেইনকোট’ গল্পে মিন্টুর রেইনকোট নুরুল হুদাকে একজন ভীরু দুর্বলচিত্ত মানুষ থেকে সাহসী মানুষে পরিণত করেছে। তিনি পরিণত হয়েছেন মানসিক যোদ্ধায়। স্বীকার করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি। অর্থাৎ, একজন মুক্তিযোদ্ধার রেইনকোট তার ভাবনায় এনেছে নতুন চেতনা। শচীনের ক্যাপও এমন পালাবদল এনেছে শুভর ভাবনায়।  উদ্দীপকের ছোট্ট শুভ সুযোগ পায় টেন্ডুলকারের হাত ধরে মাঠে প্রবেশের। জাতীয় সঙ্গীত পর্বের পর শচীন তাকে ক্যাপ উপহার দিলে শুভর চেতনায় পালাবদল ঘটে। সে সিদ্ধান্ত নেয় বড় হয়ে ক্রিকেটার হবে। অর্থাৎ, এতদিন শুভ যা ভেবেছিল নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে, ক্যাপটি সেই ভাবনাকে আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছে। উদ্দীপকের শুভর কাছে

এইচএসসি বাংলা রেইনকোট সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি বাংলা জাদুঘরে কেন যাব সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

জাদুঘরে কেন যাব আনিসুজ্জামান লেখক পরিচিতি নাম আনিসুজ্জামান জন্ম ও পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮ ফেব্র“য়ারি, ১৯৩৭ জন্মস্থান : কলকাতা, ভারত। পিতৃ ও মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : ডা. এ.টি.এম. মোয়াজ্জম মাতার নাম : সৈয়দা খাতুন শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক : প্রবেশিকা, প্রিয়নাথ স্কুল, ঢাকা, ১৯৫১ সাল। উচ্চ মাধ্যমিক : আইএ, জগন্নাথ কলেজ, ঢাকা, ১৯৫৩ সাল। উচ্চতর ডিগ্রি : বিএ (অনার্স), এমএ (বাংলা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; পিএইচডি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিদেশে উচ্চতর শিক্ষা : শিকাগো ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মজীবন ও পেশা অধ্যাপক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক। সাহিত্যকর্ম গবেষণা ও প্রবন্ধ গ্রন্থ : ‘মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য, ‘মুসলিম বাংলার সাময়িক পত্র, ‘স্বরূপের সন্ধানে, ‘আঠারো শতকের চিঠি, ‘পুরোনো বাংলা গদ্য, ‘বাঙালি নারী; সাহিত্যে ও সমাজে, ‘বাঙালি সংস্কৃতি ও অন্যান্য, ‘ইহজাগতিকতা ও অন্যান্য, ‘সংস্কৃতি ও সংস্কৃতি সাধক, ‘চেনা মানুষের মুখ ইত্যাদি। : মানসী, সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালি, ক্ষণিকা, নৈবেদ্য, গীতাঞ্জলি, বলাকা, পূরবী, পুনশ্চ, বিচিত্রা, সেঁজুতি, জন্মদিনে, শেষলেখা বিশেষ উলে­খযোগ্য। বিশেষ কৃতিত্ব উচ্চমানের গবেষণা ও সাবলীল গদ্য রচনার জন্য খ্যাতি অর্জন। পদক ও পুরস্কার সাহিত্য ও গবেষণায় কৃতিত্বের জন্য তিনি ‘একুশে পদক’ ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ‘আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডি.লিট ও ভারত সরকার প্রদত্ত ‘পদ্মভূষণ’ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। ফ্রান্সের লোকদের দেশাত্মজ্ঞান অমনি করেই হয় বলে তাদের দেশাত্মবোধ আপনা আপনিই জন্মায়। শৈশব থেকেই তারা পথ চলতে চেনে তাদের জাতীয় পূর্ব-পুরুষদের, যাদের নিয়ে তাদের ইতিহাস লেখা হয়েছে। আর দেশের প্রতি জেলার প্রতি পর্বতের নামÑযাদের কোলে তাদের অখণ্ড জাতি লালিত হয়েছে। স্বদেশকে চেনে বলেই তারা বিশ্বকেও চিনতে পারে। ক. পৃথিবীর প্রথম জাদুঘর স্থাপিত হয়েছিল কোথায়? খ. জাদুঘর কীভাবে গড়ে ওঠে? গ. অনুচ্ছেদের সঙ্গে ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের যে সাদৃশ্য লক্ষ করা যায় তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. সাদৃশ্যগত দিকটি ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের বিষয়বস্তুর সঙ্গে কতটুকু সম্পর্কিত? যাচাই কর। ১ ২ ৩ ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর  পৃথিবীর প্রথম জাদুঘর স্থাপিত হয়েছিল মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায়।  বিত্তশালী ব্যক্তি বা পরিবারের উদ্যোগে জাদুঘরের উৎপত্তি হয়।  কৌতূহলী, রুচিসম্পন্ন ও বিদগ্ধ ব্যক্তি বা পরিবারের উদ্যোগে নানা দু®প্রাপ্য ও চমকপ্রদ বস্তু সংগৃহীত হয়ে থাকে। ক্রমান্বয়ে জনগণের চাহিদা আর সমাজ, সরকার তথা রাষ্ট্রের অর্থানুকূল্যে, পৃষ্ঠপোষকতায় কোনো একটি জাদুঘর গড়ে ওঠে।  আত্মপরিচয় লাভের ক্ষেত্র হিসেবে অনুচ্ছেদের সঙ্গে ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।  ‘দেশ’ শব্দটি ক্ষেত্রবিশেষে রাষ্ট্র, সরকার, সমাজ ও জাতি ইত্যাদির সমার্থক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে বিশ্বের যেকোনো স্থানেই দেশ বা রাষ্ট্র সর্বপ্রধান রাজনৈতিক সংগঠন। আর আত্মপরিচয় লাভ হলো জাতীয়তাবাদ, যা দেশ বা রাষ্ট্রের অন্যতম গৌণ উপাদান।  অনুচ্ছেদে ফ্রান্সে লোকদের দেশাত্মজ্ঞান ও দেশাত্মবোধ জাগ্রত হওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, শৈশব থেকেই তারা পথ চলতে চেনে তাদের জাতীয় পূর্বপুরুষদের নিয়ে, যাদের নিয়ে তাদের ইতিহাস লেখা হয়েছে। আর দেশের প্রতি জেলার প্রতি পর্বতের নামÑযাদের কোলে তাদের অখণ্ড জাতি লালিত হয়েছে, তাদের নাম।  অনুচ্ছেদের দেশাত্মবোধ বা জাতীয়তাবাদী চেতনার বিষয়টি ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক তুলে ধরেছেন। পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর মোনায়েম খানের জাদুঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকে কেন্দ্র করে আলোচনার কোনো এক প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক বলেন, জাদুঘরকে যদি তিনি আত্মপরিচয় লাভের ক্ষেত্র হিসেবে দেখে থাকেন, তাহলে মোটেই ভুল করেন নি। অল্প বয়সে লেখক যখন প্রথম ঢাকা জাদুঘরে গিয়েছিলেন, অতটা সচেতনভাবে না হলেও তিনিও এক ধরনের আত্মপরিচয়ের সূত্র সেখানে খুঁজে পেয়েছিলেন।  সাদৃশ্যগত দিকটি ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের বিষয়বস্তুর সঙ্গে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত।  জাদুঘর হচ্ছে এমন এক সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান যেখানে মানবসভ্যতা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক নিদর্শন সংগ্রহ করে রাখা হয় প্রদর্শন ও গবেষণার জন্য। অর্থাৎ, জাদুঘর কেবল বর্তমান প্রজন্মের কাছে নিদর্শনগুলো প্রদর্শন করে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যেও সেগুলো সংরক্ষণ করে রাখে। সংগৃহীত নিদর্শনগুলোকে জাদুঘরে যথাযথভাবে পরিচিতিমূলক বিবরণসহ এমন আকর্ষণীয়ভাবে প্রদর্শন করা হয়, যেন তা থেকে দর্শকরা অনেক কিছু জানতে পারেন, পাশাপাশি আনন্দও পান।  অনুচ্ছেদে ফ্রান্সের লোকদের দেশাত্মজ্ঞান ও দেশাত্মবোধ জাগ্রত হওয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, শৈশব থেকেই তারা পথ চলতে চেনে তাদের জাতীয় পূর্বপুরুষদের নিয়ে, যাদের নিয়ে তাদের ইতিহাস লেখা হয়েছে। আর দেশের প্রতি জেলার প্রতি পর্বতের নামÑযাদের কোলে তাদের অখণ্ড জাতি লালিত হয়েছে। স্বদেশকে চেনে বলেই তারা বিশ্বকেও চিনতে পারে। স্বদেশকে চেনার, দেশাত্মবোধ তথা জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশ্ব নাগরিক হয়ে ওঠার দীক্ষা ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে উলি­খিত হয়েছে। ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে লেখক দেশকে জানা এবং দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হওয়ার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনায় বলেন, অল্প বয়সে তিনি যখন প্রথম ঢাকা জাদুঘরে যান, তখন অতটা সচেতনভাবে না হলেও এক ধরনের আত্মপরিচয়ের সূত্র সেখানে খুঁজে পান। মুদ্রা এবং অস্ত্রশস্ত্র দেখে বাংলায় মুসলিম শাসন সম্পর্কে কিছু ধারণা হয়েছিল। ঈসা খাঁর কামানের গায়ে লেখা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন।  প্রবন্ধের এক অংশে লেখক বলেন যে, জাদুঘরে যখন তিনি অন্য জাতির অনুরূপ কীর্তির সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করেন, তখন তার বৃহত্তর মানবসমাজে উত্তরণ হয়। যা উদ্দীপকের সাথে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করে। সুতরাং সাদৃশ্যগত দিকটি ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের বিষয়বস্তুর সাথে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। নালন্দা মহাবিহার হলো ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। সম্রাট কুমারগুপ্তের রাজত্বকালে (৪১৫-৪৫৫) খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠানটির বিকাশ ঘটে। প্রথম দিকে ভারতীয় বৌদ্ধদের বৌদ্ধদর্শন আলোচিত হলেও কালক্রমে এখানে চীন, গ্রিস ও পারস্যের শিক্ষার্থীরা জ্ঞান লাভ করতেন। ফলে এটি বৌদ্ধ বিহার থেকে ক্রমান্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। ক. আলেকজান্দ্রিয়ায় পৃথিবীর প্রথম জাদুঘর স্থাপিত হয়েছিল কোন শতাব্দীতে? খ. আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘর কেমন ছিল? গ. উদ্দীপকের নালন্দা মহাবিহার ও ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে বর্ণিত আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘরের মধ্যে বৈসাদৃশ্য তুলে ধর। ঘ. ‘কিছু পার্থক্য সত্তে¡ও নালন্দা মহাবিহার ও আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘরের প্রাচীনত্ব ও উৎপত্তিগত দিক মূলত একই,Ñউক্তিটির যৌক্তিকতা বিচার কর। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  আলেকজান্দ্রিয়ায় পৃথিবীর প্রথম জাদুঘর স্থাপিত হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে।  আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘর আজকের দিনের আধুনিক জাদুঘরের তুলনায় একটু ভিন্ন প্রকৃতির ছিল।  পৃথিবীর প্রথম এই জাদুঘর। অর্থাৎ, আলেকজান্দ্রিয়া ছিল নিদর্শন-সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগার, ছিল উদ্ভিদ উদ্যান ও উন্মুক্ত চিড়িয়াখানা। তবে এটা নাকি ছিল মুখ্যত দর্শন চর্চার কেন্দ্র।  পৃথিবীর দুটি প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্তে¡ও উদ্দীপকের নালন্দা মহাবিহার ও ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে বর্ণিত আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘরের মধ্যে যথেষ্ট বৈসাদৃশ্য লক্ষণীয়।  প্রাচীনত্বের দিক দিয়ে আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘর এবং নালন্দা মহাবিহারের মিল বর্তমান। কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, প্রতিষ্ঠানের ধরনের দিক দিয়ে এগুলোর মধ্যে যথেষ্ট ভিন্নতা রয়েছে।  আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘরটি জাদুঘর হলেও নালন্দা মহাবিহার একটি বিশ্ববিদ্যালয়। আলেকজান্দ্রিয়া মিশরে অবস্থিত এবং তা স্থাপন করেন আলেকজান্ডার দি গ্রেট। অন্যদিকে নালন্দা মহাবিহার ভারতের বিহারে অবস্থিত আর এর প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট কুমারগুপ্ত। নালন্দা মহাবিহার ক্রমান্বয়ে বৌদ্ধ বিহার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। যেখানকার মূলপাঠ্য বৌদ্ধ দর্শন। অন্যদিকে আলেকজান্দ্রিয়া জাদুঘর আসলেই একটি জাদুঘর

এইচএসসি বাংলা জাদুঘরে কেন যাব সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি বাংলা বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

বায়ান্নর দিনগুলো শেখ মুজিবুর রহমান লেখক পরিচিতি নাম শেখ মুজিবুর রহমান। ডাক নাম : খোকা। উপাধি বঙ্গবন্ধু, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, জাতির জনক। পিতৃ ও মাতৃ পরিচয় পিতা : শেখ লুৎফর রহমান মাতা : সায়েরা খাতুন। জন্ম পরিচয় জন্মতারিখ : ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মস্থান : বৃহত্তর ফরিদপুর, বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায়। শিক্ষাজীবন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অধ্যয়ন করেন। রাজনৈতিক জীবন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৩ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন, নির্বাচন পরবর্তী অসহযোগ আন্দোলন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। সাহিত্য সাধনা অসমাপ্ত আত্মজীবনী। পুরস্কার ১৯৭৩ সালে ‘জুলিও কুরি’ পদকে ভূষিত হন। ইন্তেকাল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে শহীদ হন। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। বর্ণবাদ, বৈষম্য আর নিপীড়নের কারণে শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এক সময় ফুঁসে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কালো মানুষগুলো। এদের পুরোধা ছিলেন নেলসন ম্যান্ডেলা। আন্দোলন নস্যাৎ করতে শুরু হয় নির্যাতন। তাঁকে পুরে দেয়া হয় জেলে। সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় তাঁকে। পাথর ভাঙার মতো সীমাহীন পরিশ্রমের কাজ করতে গিয়ে একসময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু এ সময় এ পাষাণ হৃদয়ের মানুষগুলোর পাশাপাশি কিছু ভালো মনের মানুষও ছিলেন সেখানে যাদের ভালোবাসা, মমত্ববোধ আর সেবায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। অবশেষে দীর্ঘ ২৭ বছর কারাভোগের পর তাঁর মুক্তি মেলে। ক. “বায়ান্নর দিনগুলো” রচনায় বর্ণিত মহিউদ্দিন সাহেব কোন রোগে ভুগছিলেন? খ. ‘মানুষের যখন পতন আসে তখন পদে পদে ভুল হতে থাকে’ লেখক এ কথা বলেছিলেন কেন? গ. উদ্দীপকের নেলসন ম্যান্ডেলার সাথে “বায়ান্নর দিনগুলো” রচনায় লেখকের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি তুলে ধর। ঘ. প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও চেতনাগত ঐক্যই নেলসন ম্যান্ডেলা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে একসূত্রে গেঁথেছে উদ্দীপক ও “বায়ান্নর দিনগুলো” রচনার আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর  প্লুরিসিস রোগে ভুগছিলেন।  বিশ্বের ইতিহাসে কোনো শাসকই ভাষার জন্য আন্দোলনকারীদের হত্যা করেনি। অথচ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এ কাজ করে অপরিণামদর্শিতার প্রমাণ দিয়েছে। এজন্যই লেখক বলেছিলেন, “মানুষের যখন পতন আসে তখন পদে পদে ভুল হতে থাকে।”  পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যখন বার বার ঘোষণা করছিল উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা তখন বাঙালিরা প্রতিবাদ করে। ২১শে ফেব্র“য়ারি আন্দোলনের প্রস্তুতি নিলে শাসকগোষ্ঠী ১৪৪ ধারা জারি করে। বাঙালিরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করলে পুলিশ মিছিলে গুলি করে কয়েকজনকে হত্যা করে। ফলে এ আন্দোলন আরো চরম আকার ধারণ করে। সাধারণ জনগণ আন্দোলনে সমর্থন ও যোগদান করে। রাজবন্দিদের মুক্তি চেয়ে স্লোগান দেয়া হয়। রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, শ্লোগান দেয়া হয়। অবশেষে শাসকগোষ্ঠী রাজবন্দিদের মুক্তি ও বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। অর্থাৎ, লেখক প্রমাণ করেছেন, মানুষ হত্যা ছিল শাসকগোষ্ঠীর ভুলÑ যার জন্য তাদের পতন হয়।  ‘বায়ান্নর দিনগুলো’র লেখক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাসকদের শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বন্দি হন এবং কিছু মানবিক মানুষের সহযোগিতা ও ভালোবাসা পান। যেটি নেলসন ম্যান্ডেলার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।  ‘বায়ান্নর দিনগুলো’তে শেখ মুজিবের জেলজীবন ও মুক্তি লাভের স্মৃতি বিবৃত হয়েছে। তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী লেখকসহ অনেককে রাজবন্দি হিসেবে জেলে বন্দি করে। এমতাবস্থায় লেখক অনশন করেন। ক্রমশ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন সিভিল সার্জনসহ বেশকিছু আমলা তাকে অনশন ভাঙতে বোঝান এবং মমত্ববোধ ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেন। অবশেষে দুই বছর তিনমাস পর তাঁর মুক্তি মেলে।  উদ্দীপকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা নেলসন ম্যান্ডেলার কারাজীবন বর্ণিত হয়েছে। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন নস্যাৎ করতে শাসকগোষ্ঠী ম্যান্ডেলাকে জেলে পাঠায় এবং নির্যাতন করে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কিছু ভালো মনের মানুষের ভালোবাসা ও সেবা পান। এরপর ২৭ বছর কারাভোগের অবসান ঘটে। শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন, কারাভোগ, বন্দি অবস্থায় সেবা পাওয়া এবং দীর্ঘদিন পর মুক্তির বিষয়গুলো উদ্দীপকের ম্যান্ডেলা এবং ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ এর লেখকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।  নেলসন ম্যান্ডেলা ও বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনের প্রেক্ষাপট যথাক্রমে বর্ণবৈষম্য ও ভাষার দাবি-এদিক থেকে তাদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। কিন্তু শাসকের শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনের দিক থেকে দু’জনের মধ্যেই ঐক্য পরিলক্ষিত হয়।  ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান ভৌগোলিক ও ভাষাগত দিক থেকে আলাদা হয়ে পড়ে। যেহেতু শাসকগোষ্ঠী ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি তাই তারা উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার ঘোষণা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলন চরমে ওঠে। এ সময় শাসক গোষ্ঠী অনেক রাজনীতিবিদকে কারাবন্দি করে। শেখ মুজিবও ছিলেন রাজবন্দিদের অন্যতম। তাঁকে প্রায় সাতাশ-আটাশ মাস কারাভোগ করতে হয়।  উদ্দীপকে নেলসন ম্যান্ডেলার ২৭ বছর কারাভোগের উলে­খ করা হয়েছে। তিনি কারাভোগ করেছেন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন করে। কারাভোগ অবস্থায় তাঁকে পাথর ভাঙার মতো পরিশ্রমী কাজও করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি সেখানে অনেকের সেবা, ভালোবাসা ও মমতা পেয়েছেন। এরপর তিনি মুক্তিও পেয়েছেন।  উদ্দীপকের নেলসন ম্যান্ডেলা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিষয়ভিত্তিক দিক থেকে পার্থক্য থাকলেও কর্মকাণ্ড ও ঘটনার দিক থেকে তাদের মধ্যে সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। দু’জনই শোষকের বিরুদ্ধে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য বন্দি হন। কারা অভ্যন্তরে অনেকের সেবা-সহযোগিতা পান এবং দীর্ঘদিন পর মুক্তি পান।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। রানা প্লাজা ধসের পর ক্ষতিগ্রস্ত কিছু শ্রমিক তাদের ক্ষতিপূরণের জন্য আন্দোলন করে আসছিল। পুলিশ এদের লাঠিপেটা করে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়। এর মধ্যে শ্রমিক নেতা সাঈদও ছিল। সাঈদ জেলহাজতেই অনশন করে এবং বাইরে আন্দোলন ক্রমশ প্রকট আকার ধারণ করে। অবশেষে প্রশাসন সাঈদকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। ক. জেলের ভেতর শেখ মুজিবের সঙ্গে কে ছিলেন? খ. “আপনাদের সাথে আমাদের মনোমালিন্য হয় নাই।”কাদের সাথে, কেন মনোমালিন্য হয়নি? গ. উদ্দীপকের সাঈদের সাথে ‘বায়ান্নর দিনগুলো’র কোন চরিত্রটির সাদৃশ্য রয়েছে তা বর্ণনা কর। ঘ. ‘দাবি আদায়ে আন্দোলনের বিকল্প নেই’Ñ উদ্দীপক ও ‘বায়ান্নর দিনগুলো’র আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  জেলের ভেতর শেখ মুজিবের সাথে মহিউদ্দিন আহমদ ছিলেন।  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহিউদ্দিন আহমদের সাথে জেল কর্তৃপক্ষের কোনো মনোমালিন্য হয়নি।  ভাষা আন্দোলনের জন্য শেখ মুজিব ও মহিউদ্দিনকে রাজবন্দি করা হয়। জেলের ভেতর তারা অনশন ধর্মঘট করলে সুপারিনটেনডেন্ট ও ডেপুটি জেলার তাদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন। তখন তারা সুপারিনটেনডেন্ট ও ডেপুটি জেলারকে বলেন, আপনাদের বিরুদ্ধে তো অনশন করছি না। সরকার বিনা অপরাধে বছরের পর বছর আটকে রাখছে, তারই প্রতিবাদ করার জন্য অনশন করছি। সরকারের হুকুমেই আপনাদের চলতে হয়। আপনাদের সাথে তাই আমাদের কোনো মনোমালিন্য নেই।  উদ্দীপকের সাঈদের সাথে ‘বায়ান্নর দিনগুলো’র শেখ মুজিবের চরিত্রটির সাদৃশ্য রয়েছে।  ভাষা-আন্দোলন শুরু হলে শেখ মুজিবুর রহমান রাজবন্দি হিসেবে আটক হন। এরপর তিনি সরকারের অন্যায়ের প্রতিবাদে অনশন ধর্মঘট করেন, ঢাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হয় এবং কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। এদিকে বঙ্গবন্ধুর অনশন চলতেই থাকে। এরপর মুক্তির আদেশ এলে তিনি অনশন ভঙ্গ

এইচএসসি বাংলা বায়ান্নর দিনগুলো সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি বাংলা জীবন ও বৃক্ষ সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

জীবন ও বৃক্ষ মোতাহের হোসেন চৌধুরী লেখক পরিচিতি নাম মোতাহের হোসেন চৌধুরী জন্ম ও পরিচয় জন্ম সাল : ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ জন্মস্থান : কুমিল­া। পৈতৃক নিবাস : নোয়াখালি জেলার কাঞ্চনপুর গ্রাম। শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক : ম্যাট্্িরক, ইউসুফ হাইস্কুল, কুমিল­া। উচ্চ মাধ্যমিক : আইএ, ভিক্টোরিয়া কলেজ। উচ্চতর শিক্ষা : বিএ, ভিক্টোরিয়া কলেজ; এমএ (বাংলা ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পেশা ও কর্মজীবন সহকারী শিক্ষক- ইউসুফ হাইস্কুল, কুমিল­া; প্রভাষক- ইসলামিয়া কলেজ, কলকাতা; অধ্যাপকÑবাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ; অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্বÑ ঢাকার মুসলিম সাহিত্য সমাজের (১৯২৬) মুক্তবুদ্ধি চর্চা আন্দোলন। সাহিত্য কর্ম ‘প্রবন্ধ গ্রন্থ : সংস্কৃতি কথা। অনুবাদ গ্রন্থ : ‘সভ্যতা’ (ক্লাইভ বেলের সিভিলাইজেশনের অনুবাদ); ‘সুখ’ (বার্ট্রান্ড রাসেলের ঈড়হয়ঁবংঃ ড়ভ ঐধঢ়ঢ়রহবংং-এর পরারষরুধঃরড়হ-এর অনুবাদ।) ইন্তেকাল মৃত্যু তারিখ : ১৮ সেপ্টম্বর, ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দ। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। এই যে বিটপি শ্রেণি হেরি সারি সারিÑ কি আশ্চর্য শোভাময় যাই বলিহারি। কেহবা সরল সাধু হৃদয় যেমন, ফলভারে নত কেহ গুণীর মতন। এদের স্বভাব ভালো মানবের চেয়ে, ইচ্ছা যার দেখ দেখ জ্ঞানচক্ষে চেয়ে। যখন মানবকুল ধনবান হয়, তখন তাদের শির সমুন্নত রয়। কিন্তু ফলশালী হলে এই তরুগণ, অহংকারে উচ্চ শির না করে কখন। ফলশূন্য হলে সদা থাকে সমুন্নত, নিচ প্রায় কার ঠাঁই নহে অবনত। ক. মোতাহের হোসের চৌধুরী কোন আন্দোলনের কাণ্ডারি ছিলেন? খ. কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নদীকেই মনুষ্যত্বের প্রতীক করতে চেয়েছেন কেন? গ. ‘বৃক্ষের দিকে তাকালে জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি সহজ হয়’Ñ প্রবন্ধের এ উক্তিটি উদ্দীপকে কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখা কর। ঘ. ‘উদ্দীপকের ‘বৃক্ষ’ এবং ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের ‘বৃক্ষ’ কি একসূত্রে গাঁথা?’Ñ তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  মোতাহের হোসেন চৌধুর ‘বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন’ নামে এক যুগান্তকারী আন্দোলনের কাণ্ডারি ছিলেন।  নদীর গতিতে মনুষ্যত্বের দুঃখ অনেক বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলেই কবি নদীকেই মনুষ্যত্বের প্রতীক করতে চেয়েছেন।  কোনো মানুষ কেবল জন্মগ্রহণ করলেই মানুষ হয় না; তাকে মনুষ্যত্ব অর্জন করতে হয়। এই মনুষ্যত্ব অর্জন মোটেই সহজ কোনো বিষয় নয়। নদীকে যেমন বাঁকে-বাঁকে বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে চলতে হয়, তেমনি অনেক বাধা ডিঙিয়ে মানুষকে মনুষ্যত্ব অর্জন করতে হয়। মনুষ্যত্ব অর্জনের সঙ্গে নদীর পথ পেরোনোর বিষয়টি অনেক বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ বলেই কবি নদীকেই মনুষ্যত্বের প্রতীক করতে চেয়েছেন।  বৃক্ষ ফলবান হলে নতমস্তিষ্কে থাকে আর ফলশূন্য হলে থাকে সদা সমুন্নত; যা মানজীবনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্যÑ এভাবেই উদ্দীপকে আলোচ্য উক্তিটি প্রতিফলিত হয়েছে।  মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। মানুষ তার মনুষ্যত্বের জন্য সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে বিবেচ্য। পরার্থে জীবন উৎসর্গ করার মধ্যেই মানবজীবনের প্রকৃত সার্থকতা নিহিত। বিত্তশালী হলেও অহংকার না করে সকলের সঙ্গে বৃক্ষের জীবনকে সাদৃশ্যময় করে তোলা হয়েছে উদ্দীপকে। সরল সাধু বা গুণীরা মূলত ফলভারে নত বৃক্ষের মতোই। ফলশালী বৃক্ষ যেমন অহংকার না করে নতশিরে থাকে মানুষের জীবনার্থও তাই হওয়া উচিত। ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধেও প্রাবন্ধিক একই ধরনের মন্তব্য করে বলেছেন বৃক্ষের দিকে তাকালেই মানবজীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি সহজ হয়। কেননা, বৃক্ষ কেবল মাটি থেকে রস গ্রহণ করে নিজের প্রয়োজনই মেটায় না, তাকে অপরের জন্য ফুল আর ফলও ধরাতে হয়। এভাবে পরার্থে জীবনকে বিলিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়েই জীবনের তাৎপর্য অনুভূত হয়। উদ্দীপকের কবিতাতেও একইভাবে বিত্তশালী হয়েও অহংকার না করে নত থাকায় জীবনের তাৎপর্যকে উপলব্ধির বিষয়টি এসেছে। এভাবেই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।  উদ্দীপকের ‘বৃক্ষ এবং ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের ‘বৃক্ষ’ একই সূত্রে গাঁথা।  মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য হলো মনুষ্যত্ব অর্জন করে পরার্থে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া। বৃক্ষও নিজেকে পরিপুষ্ট করে অন্যের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার জন্য। এ জন্যই ‘বৃক্ষ’ কবিতা এবং ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধে মানুষকে বৃক্ষ থেকে শিক্ষা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।  পরার্থে আত্মনিবেদিত সুকৃতিময় সার্থক বিবেকবোধসম্পন্ন মানবজীবনের মহত্তম প্রত্যাশা থেকেই লেখক মানুষের জীবন কাঠামোকে বৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন বৃক্ষের বিকাশ, পরিপূর্ণতা ও সার্থকতার পেছনে রয়েছে তার নীরব সাধনা। বৃক্ষ ফুলে-ফলে পরিপূর্ণতা পেয়ে সে সব কিছু অন্যকে দান করে সার্থকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে। মানবজীবনের স্বার্থকতার জন্যও তার নিজের সাধনা তেমনই হওয়া উচিত বলে ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে। অন্যদিকে উদ্দীপকের কবিতাতেও একইভাবে মানবজীবনের উদ্দেশ্যের কথা বলা হয়েছে। প্রকৃত সরলমনা সাধু মানুষদের তুলনা করা হয়েছে ফলভারে নত বৃক্ষের সঙ্গে। বলা হয়েছে, বৃক্ষের যে, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সেই বৈশিষ্ট্যে মানুষকে গুণান্বিত হতে। আর এতেই রয়েছে জীবনের প্রকৃত সার্থকতা।  উদ্দীপকের কবিতায় যেমন প্রকৃত মানবজীবনের সঙ্গে বৃক্ষকে তুলনা করা হয়েছে, ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধেও একই বিষয় এসেছে। মূলত ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে উভয় রচনাতেই মানবজীবনের সঙ্গে বৃক্ষের জীবন সাধনাকে সাদৃশ্যপূর্ণ করা হয়েছে। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের ‘বৃক্ষ’ এবং ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধে বৃক্ষ একই সূত্রে গাঁথা।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। সিরাজের অল্প বয়সে মা মারা যায়। কেউ তাকে আদর-যতœ করেনি। স্কুলেও তাকে কখনো পাঠায়নি। সে টোকাই ছেলেদের সাথে ঘুরে-ফিরে বড় হয়ে উঠেছে। সে টাকা পেলে বোমাবাজি, খুনখারাবি সবকিছুই করতে পারে। সে পেশিশক্তির পূজারি। সে ভালো মানুষের সংস্রববঞ্চিত, তার কাছে দয়া-মায়া মানসিক গুণাবলি অনর্থক বিষয়। প্রেম-সৌন্দর্য বঞ্চিত একটা দানব ছাড়া সে আর অন্য কিছু নয়। ক. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর জন্ম কত সালে? খ. মানুষের জন্য সমাজের কাজ কী? বুঝিয়ে বল। গ. উদ্দীপকের সাথে ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের কোন অংশের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা দাও। ঘ. ‘প্রেম-সৌন্দর্য বঞ্চিত মানুষ নিষ্ঠুর ও দানব প্রকৃতির হয়।’Ñমূল্যায়ন কর। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  মোতাহের হোসেন চৌধুরীর জন্ম ১৯০৩ সালে।  মানুষের জন্য সমাজের কাজ হলো টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি বড় করে তোলা এবং বিকশিত জীবনের আগ্রহ জাগিয়ে তোলা।  মানুষ পৃথিবীতে আর দশটি প্রাণীর মতো নয়। তাকে বিকশিত জীবনে উত্তীর্ণ হতে হলে সমাজের অনেক রকম দায়বদ্ধতার সম্মুখীন হতে হয়। অনুক‚ল পরিবেশ ব্যতিরেকে মানুষ মানুষের মতো মার্জিত ও পরিশীলিত হয়ে উঠতে পারে না। মানুষকে বাইরে থেকে ও ভেতর থেকে মানুষ হওয়ার জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করা সমাজের বড় কাজ। তাহলে মানুষ সুন্দর সভ্য সহমর্মী সমাজের সদস্য হয়ে গড়ে উঠবে। এ কাজটি মানুষের জন্য করে দিতে সমাজ অঙ্গীকারাবদ্ধ।  উদ্দীপকের সাথে ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের প্রেম-সৌন্দর্য বঞ্চিত মানুষের অমানবিক কদর্য চরিত্রের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।  মানুষকে মানুষ হওয়ার জন্য সমাজে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হয়। প্রেম-প্রীতি-স্নেহ-মমতা ইত্যাদি মানবিক গুণ মানুষ সুষ্ঠু- সুস্থ সামাজিক পরিবেশ থেকে লাভ করে। প্রেম-স্নেহবঞ্চিত মানবশিশুকে আকারে মানুষের মতো দেখালেও কখনো কখনো তার ভেতর অন্যরকম হিংস্র পশু জন্ম নেয়।  উদ্দীপকে দেখা যায়, শৈশবে মাতৃহারা, সমাজের আদর-স্নেহ-মমতাবঞ্চিত সিরাজ টাকার বিনিময়ে সব ধরনের অপকর্ম দ্বিধাহীনচিত্তে করে। সমাজ তার ওপর নজর দেয়নি। সমাজ তার যথাযথ দায়িত্ব পালন করেনি। ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের প্রথমাংশে দেখা যায়, স্বপ্রাণ বুদ্ধি ও জবরদস্তিপ্রিয় মানুষে সংসার তথা সমাজ ভরে ওঠে। তারা সমাজকে এবং সমাজের মানুষকে পদে পদে বিঘœ সৃষ্টি করে পেছনে ঠেলে দেয়। তারা অন্যের

এইচএসসি বাংলা জীবন ও বৃক্ষ সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

Scroll to Top