নবম-দশম

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহসী জননী বাংলা

সাহসী জননী বাংলা কামাল চৌধুরী লেখক পরিচিতি : নাম কামাল চৌধুরী জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯৫৭ সালের ২৮শে জানুয়ারি। জন্মস্থান : কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিজয়করা গ্রাম। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : আহমদ হোসেন চৌধূুরী। মাতার নাম : বেগম তাহেরা হোসেন। শিক্ষা ও পেশা ১৯৭৩ সালে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও ১৯৭৫ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া ২০০৬ সালে গারো জনগোষ্ঠীর মাতৃসূত্রীয় আবাস প্রথা নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত আছেন। সাহিত্যিক পরিচয় তাঁর কবিতা বাঙালির আবহমান জীবনচর্চা, সংগ্রাম ও মানবীয় বোধের উৎসারণ, সেই সঙ্গে শিল্পিত প্রকরণের উজ্জ্বল প্রকাশ। শব্দ ও ছন্দ সচেতন এবং নিরীক্ষাপ্রবণ ধারায় তিনি বাংলা কবিতায় পরিস্রুত ধারার অন্যতম প্রধান প্রতিনিধি। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : মিছিলের সমান বয়সী, টানাপোড়েনের দিন, এই পথ এই কোলাহল, এসেছি নিজের ভোরে, ধূলি ও সাগর দৃশ্য, হে মাটি পৃথিবীপুত্র, পান্থশালার ঘোড়া ইত্যাদি। কিশোর কবিতা : আপন মনের পাঠশালাতে। পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভ‚ষিত হয়েছেন। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. বাঙালির হাতে কী উঠেছে? ছ ক. কাস্তে খ. গ্রেনেড গ. জাল ঘ. লাঠি ২. ‘নীলকমলেরা’ কারা? ঝ ক. প্রহরীরা খ. সাহসীরা গ. হৃদয়বান ব্যক্তিগণ ঘ. মুক্তিযোদ্ধাগণ উদ্দীপকটি পড়ো প্রশ্নের উত্তর দাও : বিদেশি সেনার কামানেÑবুলেটে বিদ্ধ নারী শিশু আর যুবক-জোয়ান বৃদ্ধ শত্র“ সেনারা হত্যার অভিযানে Ñ মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ উত্থানে। ৩. উদ্দীপকে ‘জননী সাহসী বাংলা’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? র. মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ রর. সাধারণ মানুষের অসহায়ত্ব ররর. দীর্ঘশ্বাস নিচের কোনটি সঠিক? চ ক. র খ. রর গ. ররর ঘ. রর ও ররর ৪. উদ্দীপকের অনুভব ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার কোন পঙ্ক্তির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? জ ক. তোদের রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিয়েছি নয় মাসে খ. বুড়িগঙ্গা পদ্মা নদীতীর/ডাকাত পড়েছে গ্রামে গ. ভোজ হবে আজ প্রতিশোধে/যার সঙ্গে যে রকম, সে রকম খেলবে বাঙালি ঘ. সাহসী জননী বাংলা, বুকে চাপা মৃতের আগুন           সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর যখন হানাদারবধ সংগীতে ঘৃণার প্রবল মন্ত্রে জাগ্রত স্বদেশের তরুণ হাতে নিত্য বেজেছে অবিরাম মেশিনগান, মর্টার গ্রেনেড। ক. মধ্যরাতে কারা এসেছিল? ১ খ. বর্ণমালা পথে পথে তেপান্তরে ঘুরেছিল কেন? ২ গ. উদ্দীপকের অনুভব ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার অনুভবের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণÑব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকের ভাবনা ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার সামগ্রিক পরিচয় নয়Ñ মূল্যায়ন করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ.  মধ্যরাতে হানাদাররা এসেছিল। ১ এর খ নং প্র. উ.  বর্ণমালা পথে পথে তেপান্তরে ঘুরেছিল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করার জন্য।  পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের মায়ের ভাষা বাংলা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। ’৫২ সালে এদেশের দামাল ছেলেরা এই অপতৎপরতা রুখে দিয়েছিল। ভাষা আন্দোলনের এই সংগ্রামী চেতনা মুক্তিযুদ্ধেও গৌরবের বিজয় এনে দিয়েছিল। ১ এর গ নং প্র. উ.  উদ্দীপকে উল্লিখিত হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ পরিচালনার অনুভবের সাথে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতা সাদৃশ্যপূর্ণ।  ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কবি কামাল চৌধুরী আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বীরত্বপূর্ণ ভ‚মিকার কথা তুলে ধরেছেন। কবি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে হানাদারদের রক্তাক্ত হাত আমরা মুচড়ে দিয়েছি। ডাকাতরূপী হানাদারদের মোকাবেলা করেছি, তাদের মেরে নাস্তানাবুদ করেছি, কান কেটে দিয়েছি। কবির এই বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। হানাদারদের এভাবেই সমুচিত জবাব দিয়ে স্বাধীনতার পতাকাকে বাঙালি উড়িয়ে দিয়েছে পত পত করে।  উদ্দীপকে হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে দেশের তরুণরা কীভাবে ভ‚মিকা রেখেছিল তা-ই বলা হয়েছে। হানাদারদের নির্মম নির্যাতনে মানুষের মনে যে ঘৃণার জন্ম হয়েছিল সেই ঘৃণার প্রবল মন্ত্র তাদের সাহসী করে তুলেছিল। হাতে তুলে নিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ারÑ মেশিনগান, মর্টার, গ্রেনেড। তাই দেখা যাচ্ছে কবিতায় অনুভবের সাথে উদ্দীপকের অনুভব খুবই সাদৃশ্যপূর্ণ। ১ এর ঘ নং প্র. উ.  উদ্দীপকে হানাদারদের মোকাবেলায় কেবল যুদ্ধ করার কথাই বলা হয়েছে। ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার মতো মুক্তিযুদ্ধের বিস্তারিত পটভ‚মি তুলে ধরে নি।  সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কবি কামাল চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বীরত্বপূর্ণ ভ‚মিকার কথা উল্লেখ করেছেন। বাঙালি জাতির ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে প্রতিরোধ ও সংগ্রামের ঐতিহ্য। যারা বাঙালিকে ভেতো ও ভীতু বলে অভিহিত করেছিল তাদের মিথ্যাচারের সমুচিত জবাব দেওয়া হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। সংগ্রাম আর রক্তদানের ইতিহাস জাতি হিসেবে আমাদের গৌরবান্বিত করেছে। বাঙালি অসীম সাহসিকতায় হানাদারদের রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিয়ে এই মাটিতে স্বাধীনতার পতাকাকে উড়িয়ে দিয়েছে।  উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনী এদেশের মানুষের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন চালিয়েছিল। তাদের প্রতি প্রবল ঘৃণায় এদেশের তরুণরা প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দেশমাতৃকাকে রক্ষার জন্য তরুণরা জীবন বাজি রেখে এগিয়ে এসেছিল। তারা হাতে নিয়েছিল মেশিনগান, মর্টার, গ্রেনেড।  সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহসিকতায় মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ যুদ্ধ অত্যন্ত বলিষ্ঠতার সাথে উচ্চারিত হয়েছে। আর উদ্দীপকে কেবল হানাদারদের বধ করার জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কবিতায় সকল বাধাবিঘœ অতিক্রম করে বাঙালির বিজয় ছিনিয়ে আনার গৌরবকে তুলে ধরা হয়েছে। বাঙালির সংগ্রামের এক সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। অতীতের সেসব সংগ্রামের ইতিহাস প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে। কবিতায় বর্ণিত যুদ্ধকালীন এই সামগ্রিকতা উদ্দীপকে তুলে ধরা হয়নি। কাজেই উদ্দীপকের ভাবনা ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার সামগ্রিক পরিচয় নয়, খণ্ডচিত্র মাত্র। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর লক্ষ লক্ষ হা-ঘরে দুর্গত ঘৃণ্য যম-দূত-সেনা এড়িয়ে সীমান্তপারে ছোটে, পথে পথে অনশনে অন্তিম যন্ত্রণা রোগে ত্রাসে সহস্রের অবসান, হন্তারক বারুদে বন্দুকে মূর্ছিত-মৃতের দেহ বিদ্ধ করে, হত্যা-ব্যবসায়ী বাংলাদেশ-ধ্বংস-কাব্যে জানে না পৌঁছল জাহান্নামে এ জন্মেই; বাংলাদেশ অনন্ত অক্ষত মূর্তি জাগে \ ক. মুক্তিযুদ্ধকালে কোটি বাঙালি দীর্ঘ নয় মাস কোন প্রতিবেশী রাষ্ট্রে নির্বাসিত জীবন যাপনে বাধ্য হয়? ১ খ. ‘তোদের রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিয়েছি নয় মাসে’Ñ কথাটি বুঝিয়ে লেখো। ২ গ. উদ্দীপকে প্রথম পাঁচ চরণে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকের শেষ বাক্যটি ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার মূলভাবকেই তুলে ধরেছেÑ কথাটি বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. মুক্তিযুদ্ধকালে কোটি বাঙালি দীর্ঘ নয় মাস প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে নির্বাসিত জীবন যাপনে বাধ্য হয়। খ. বাঙালির রক্তে পাকবাহিনীর যে হাত রঞ্জিত হয়েছে অসীম সাহসী বাঙালি তা মুচড়ে প্রতিশোধ গ্রহণ করেছে।  মুক্তিযুদ্ধের নয়টি মাস দেশজুড়ে নারকীয় গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। লাখো শহিদের রক্তে তাদের হাত কলঙ্কিত হয়। বাঙালির সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে তাদের সেই কলঙ্কিত হাত মুচড়ে যায়। তারা পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য নয়। গ. উদ্দীপকের প্রথম পাঁচ চরণে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বর্ণিত শত্রæসেনাদের নির্মমতার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।  ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে এদেশের অসংখ্য মানুষ ভিটেমাটি ছাড়া হয়। তারা হানাদার বাহিনীর ভয়ে দেশে আশ্রয় নেয়। শত্রæর এই অসুরিক আচরণ বাঙালি জাতিকে প্রতিরোধ সংগ্রামে বাধ্য করেছিল। ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বাঙালির এই সংগ্রামী দিকটি বর্ণিত হয়েছে।  উদ্দীপকের প্রথম পাঁচ

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহসী জননী বাংলা Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো

স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো নির্মলেন্দু গুণ লেখক পরিচিতি : নাম নির্মলেন্দু গুণ জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯৪৫ সাল। জন্মস্থান : নেত্রকোনা জেলার কাশবন গ্রাম। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : সুখেন্দু প্রকাশ গুণ। মাতার নাম : বীণাপানি গুণ। শিক্ষাজীবন ১৯৬২ সালে সিকেপি ইনস্টিটিউশন, বারহাট্টা থেকে মাধ্যমিক, ১৯৬৪ সালে নেত্রকোনা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেন। পেশা সাংবাদিকতা। সাহিত্যিক পরিচয় তাঁর কবিতায় প্রতিবাদী চেতনা, সমকালীন সামাজিক-রাজনৈতিক জীবনের ছবি যেমন প্রখর, কবিতা-নির্মাণে শিল্প সৌন্দর্যের প্রতিও তিনি তেমনি সজাগ। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : প্রেমাংশুর রক্ত চাই, বাংলার মাটি বাংলার জল, চাষাভ‚ষার কাব্য, পঞ্চাশ সহ¯্র বর্ষ। ছোটগল্প : আপন দলের মানুষ। ছোটদের উপন্যাস : কালোমেঘের ভেলা, বাবা যখন ছোট ছিলেন। পুরস্কার ও সম্মাননা একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, কবি হাসান হাফিজুর রহমান স্মৃতি স্বর্ণপদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভ‚ষিত হন। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. করুণ কেরানি কাদেরকে বলা হয়েছে? জ ক. আবেগে করুণ খ. স্বভাবে করুণ গ. করুণভাবে জীবনযাপনকারী ঘ. চাকরিজীবী ২. ‘গণসূর্যের মঞ্চ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? জ ক. আলোচিত মঞ্চ খ. উদ্দীপ্ত মঞ্চ গ. নেতার মঞ্চ সূর্যের মতো ঘ. বিপ−বী মঞ্চ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : মনে আমার ঝলসে ওঠে একাত্তরের কথা, পাখির ডানায় লিখেছিলাম প্রিয় স্বাধীনতা। ৩. উদ্দীপকে ‘স্বাধীনতা এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’Ñ কবিতার কোন দিককে প্রতিফলিত করেছে? র. স্বাধীনতার কথা রর. মুক্তির কথা ররর. আকাক্সক্ষার কথা নিচের কোনটি সঠিক? ছ ক. র খ. রর গ. ররর ঘ. র ও ররর [বিশেষ দ্রষ্টব্য: সঠিক উত্তর ক ও খ] ৪. উদ্দীপকে প্রতিফলিত ভাবনাটি ‘স্বাধীনতা’ এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলোÑ কবিতার কোন পঙ্ক্তির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ঝ ক. মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ খ. কবির বিরুদ্ধে কবি গ. আমাদের স্বাধীনতা প্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল ঘ. সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের             সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দুলিতেছে তরী ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ, ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ? কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ। ক. সব স্মৃতি মুছে দিতে কী উদ্যত? ১ খ. ‘ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হৃদয় মাঠখানি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২ গ. উদ্দীপকটি ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’Ñ কবিতার কোন দিককে উন্মোচিত করেছেÑ ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘স্বাধীনতা’ এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’Ñ কবিতার সমগ্র ভাবকে ধারণ করেনিÑ মূল্যায়ন করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ.  সব স্মৃতি মুছে দিতে উদ্যত হয়েছে কালো হাত। ১ এর খ নং প্র. উ.  ‘ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হৃদয় মাঠখানি’Ñ বলতে রেসকোর্স ময়দানকে বোঝানো হয়েছে, যেখানে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন।  ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। সেই ভাষণে ধ্বনিত হয়েছিল বাঙালির মুক্তির চূড়ান্ত দিক নির্দেশনা। কবি তাই এ স্থানটিকে ঢাকার হৃদয় মাঠ বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু স্মৃতিময় এ স্থানটি এখন খেলনা, বাগান ইত্যাদিতে সজ্জিত। কবি মনের ঢাকার হৃদয় মাঠ খানিকে এভাবেই সুকৌশলে ঢেকে দিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। ১ এর গ নং প্র. উ.  উদ্দীপকটিতে ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় বর্ণিত স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার দৃঢ় সংকল্পের দিকটি উন্মোচিত করেছে।  পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের নাগপাশ থেকে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু লক্ষ জনতার মাঝে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য তিনি প্রেরণা জুগিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে ভাষণ ছিল কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের প্রতিধ্বনি। জনগণের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় সিক্ত সেদিনের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যেন কবিতার মতো প্রতিটি শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন। তাঁর তেজোদ্দীপ্ত ভাষণই স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ দেখিয়েছিল। রেসকোর্স ময়দানের সে ভাষণের মহিমা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য কবি নির্মলেন্দু গুণ ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতাটি লিখেছেন।  উদ্দীপকটিতে কবি একটি দিকনির্দেশনাহীন পথহারা জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়েছেন। টালমাটাল ও হতাশাগ্রস্ত জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনি জোয়ানদের এগিয়ে আসতে বলেছেন। জোওয়ানরা যদি হাল না ধরে তবে উদ্ধারের আশা নেই। দেশ জাতির স্বার্থে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়দীপ্ত আহŸান জানিয়েছে উদ্দীপকটি। আলোচ্য ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার দৃঢ় সংকল্পের কথা যেভাবে ব্যক্ত হয়েছে উদ্দীপকেও তার প্রতিধ্বনি রয়েছে। ১ এর ঘ নং প্র. উ.  ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন দিক আলোচিত হলেও উদ্দীপকে শুধু নেতৃত্বহীন জাতিকে নেতৃত্বদানের জন্য এগিয়ে আসার আহŸান জানানো হয়েছে।  মহান স্বাধীনতা আমাদের গৌরবের অর্জন। এই স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর ভ‚মিকা ছিল অসামান্য। ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে এক সোচ্চার প্রতিবাদ। নির্যাতিত নিষ্পেষিত বাঙালির পক্ষে তিনি গর্জে উঠেছিলেন। রেসকোর্সের ভাষণে তিনি হৃদয়ের সবটুকু আবেগ দিয়ে বাঙালির মনোভাবকে সঠিকভাবে ব্যক্ত করতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সাহসী উচ্চারণে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় কবি বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের প্রেক্ষাপট ও ফলাফল তুলে ধরেছেন।  উদ্দীপকে একটি হতাশাগ্রস্ত জাতির মধ্যে সাহস সঞ্চারের চেষ্টা করা হয়েছে। উদ্দীপকের জাতির সঠিক নেতৃত্ব নেই। তারা দিকভ্রষ্ট। জোয়ানদের আহŸান জানানো হয়েছে জাতির হাল ধরার জন্য, ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের জন্য। দিকনির্দেশনাবিহীন জাতি অসহায় নিঃস্ব। তাদের উদ্ধারের জন্য একজন দক্ষ নাবিক প্রয়োজন। উদ্দীপকে এই দক্ষ নাবিকের অন্বেষণ করা হয়েছে, যে জাতিকে সমূহ বিপদ থেকে উদ্ধার করবে।  আলোচ্য ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় আমরা দেখি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে দেশপ্রেম জাগ্রত করা ঐতিহাসিক রেসকোর্সের বর্ণনা, লক্ষ লক্ষ জনতার অংশগ্রহণ, বঙ্গবন্ধুর পরিচয়, ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে। কিন্তু উদ্দীপকে শুধু নেতৃত্বহীন জাতিকে নেতৃত্ব প্রদানের আহŸান জানানো হয়েছে। কবিতায় বর্ণিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য মানুষের আকুলতার স্বরূপ। বাংলার মানুষের মক্তিসংগ্রামের ইতিহাস। স্বাধীনতাবিরোধীদের অপতৎপরতা ইত্যাদি বিষয়ও কবিতায় ঠাঁই পেয়েছে। ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মর্মার্থ নতুন প্রজন্মকে জানানোর কথা বলেছেন কবি। কিন্তু উদ্দীপকে শুধু একজন দক্ষ নেতার অনুসন্ধান করা হয়েছে। তাই উদ্দীপকটি কবিতার সমগ্রতাকে ধারণ করেনি। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর পৃথিবীর ইতিহাসে যে কয়জন মানবতাবাদী গণতন্ত্রপ্রেমী মহান রাষ্ট্রনায়ক জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁদের মধ্যে বিশিষ্টতম হলেন আব্রাহাম লিংকন। একটা সময় আমেরিকায় কালোদের মানুষ মনে করা হতো না। তাদেরকে হাটে-বাজারে-বন্দরে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করা হতো পোষা প্রাণীর মতো। এমন নিষ্ঠুরতা দেখে তিনি এই অমানবিক ব্যবসার বিরুদ্ধে ক্রীতদাসদের চেতনা জাগিয়ে তুলেছিলেন। প্রতিবাদে কাঁপিয়ে তুলেছিলেন গোটা আমেরিকা। তিনি বজ্রকণ্ঠে বলেছিলেন “দেশের অর্ধেক মানুষ যখন ক্রীতদাস তখন স্বাধীনতা এক নির্মম রসিকতার নামান্তর”। তাঁর এই বক্তব্যে উদ্বেল হয়ে উঠেছিল আমেরিকার জনগণ। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আমেরিকার ১৬তম প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব আব্রাহাম লিংকনের হাতেই তুলে দিয়েছিলেন জনগণ। ক. কী লেখা হবে বলে লক্ষ লক্ষ বিদ্রোহী শ্রোতা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে? ১ খ. ‘জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকত’ বলতে কী বোঝানো

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা আমার পরিচয়

আমার পরিচয় সৈয়দ শামসুল হক  কবি পরিচিতি : নাম সৈয়দ শামসুল হক জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে ডিসেম্বর। জন্মস্থান : কুড়িগ্রাম। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : ডা. সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন। মাতার নাম : সৈয়দা হালিমা খাতুন। শিক্ষা ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বেশ কিছুদিন পড়াশোনা করেন। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্য : একদা এক রাজ্যে, বৈশাখে রচিত পঙ্ক্তিমালা, অগ্নি ও জলের কবিতা, রাজনৈতিক কবিতা। গল্প : শীত বিকেল, রক্তগোলাপ, আনন্দের মৃত্যু, জলেশ্বরীরর গল্পগুলো। উপন্যাস : বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ। নাটক : পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, নূরুলদীনের সারা জীবন, ঈর্ষা। শিশুতোষ গ্রন্থ : সীমান্তের সিংহাসন। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. আমার পরিচয় কবিতায় উলে−খিত নদীর সংখ্যা কত? ছ ক. ১২০০ খ. ১৩০০ গ. ১৪০০ ঘ. ১৫০০ ২. ‘আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে’ Ñ এখানে ‘চর্যাপদের অক্ষরগুলো’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ঝ ক. অতীত ঐতিহ্য খ. সাংস্কৃতিক রূপ গ. ঐতিহাসিক পটভূমি ঘ. সাংস্কৃতিক পরিচয় নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : উপমহাদেশে শাসন ব্যবস্থার μমবিকাশ সম্বন্ধে পড়াতে গিয়ে জনাব মো. কামরুজ্জামান ধারাবাহিকভাবে পাল, সেন, মোগল, পাঠান ইত্যাদি শাসকগোষ্ঠীর শাসনকাল ও শাসন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময়কালের স্থাপত্যের নিদর্শনস্বরূপ বেশকিছু বিষয়ের উলে−খ করেন। ৩. উদ্দীপকের সাথে ‘আমার পরিচয়’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে Ñ র. জাতিগত পরিচয়ের রর. ঐতিহাসিক পরিচয়ের ররর. সাংস্কৃতিক বিবর্তন ধারার নিচের কোনটি সঠিক? ঝ ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. এরূপ সাদৃশ্যের কারণ কী? চ ক. সামগ্রিকতা খ. পটভূমি গ. ঐক্যসূত্র ঘ. ঐতিহ্য সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অনুচ্ছেদগুলো পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ইংরেজ শাসকদের কাছ থেকে উপমহাদেশের মুক্তির জন্য মহাত্মা গান্ধী এক সময় এদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেন। নানাভাবে তাদের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত করার চেষ্টা করেন। এরই ধারাবাহিক ফসল স্বদেশী আন্দোলন, অহিংস আন্দোলন ইত্যাদি। কালের বিবর্তনে জন্ম পাকিস্তান ও ভারত নামক দুটি পৃথক রাষ্ট্রের এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের। ক. বৌদ্ধবিহার কোথায় অবস্থিত? ১ খ. “আমি তো এসেছি ‘কমলার দীঘি’, ‘মহুয়ার পালা’ থেকে” Ñ একথা দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? ২ গ. উদ্দীপকটি ‘আমার পরিচয়’ কবিতার সাথে যেদিক দিয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘আমার পরিচয়’ কবিতার খণ্ডাংশ মাত্র, পূর্ণচিত্র নয় Ñ যুক্তিসহ লেখো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ বৌদ্ধবিহার পাহাড়পুরে অবস্থিত। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ “আমি তো এসেছি ‘কমলার দীঘি’ ‘মহুয়ার পালা’ থেকে” বলতে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিকাশধারার কথা বলা হয়েছে।  বাঙালি জাতি সাংস্কৃতিক বিকাশ ও বিবর্তনের পথ ধরেই এই অবস্থানে এসেছে। ‘কমলার দীঘি’ ও ‘মহুয়ার পালা’ হচ্ছে মৈয়মনসিংহ গীতিকার পালা। এতে বাঙালির আবহমান জীবনধারার চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। সেই সংস্কৃতির ধারাবাহিকতার পথ ধরেই বাঙালি আজকের অবস্থানে এসেছে। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ আন্দোলন-সংগ্রাম ও বিবর্তনের ধারায় যে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছে তার প্রকাশ ঘটেছে উদ্দীপক ও ‘আমার পরিচয়’ কবিতায়।  বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ লাভ করেছে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। তিতুমীর-হাজী শরিয়ত উল্লাহ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর পর্যন্ত অসংখ্য বিপ্লবী তাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁদের সেই কীর্তি আমাদের গৌরবোজ্জ্বল পরিচয় বহন করে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা পেয়েছি স্বাধীন স্বদেশ। সৈয়দ শামসুল হক তার ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় গভীর মমত্বের সাথে চিত্রিত করেছেন আমাদের সংগ্রামী ইতিহাসের পটভ‚মি।  উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে ইংরেজবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামের কথা। মহাত্মা গান্ধী উপমহাদেশের মানুষের মাঝে মুক্তির চেতনা ও দেশপ্রেম জাগ্রত করেন। সেই ধারাবাহিকতায় স্বদেশি আন্দোলন, অহিংস আন্দোলনের মতো ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটে। তারই পথ ধরে পাকিস্তান, ভারত পরে স্বাধীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। উদ্দীপকে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে সেই বিষয়টি মুখ্য হয়ে উঠেছে। উদ্দীপকের এই দিকটি আমার পরিচয় কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় বাঙালি জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার সামগ্রিক ইতিহাস বর্ণিত হলেও উদ্দীপকে শুধু মানুষের মুক্তিসংগ্রামের কথা বলা হয়েছে।  সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় বাঙালি জাতীয় পরিচয় ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা অত্যন্ত মমতার সাথে তুলে ধরেছেন। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে বাঙালি জাতি কীভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে সেই ইতিহাস-ঐতিহ্য অত্যন্ত চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। চর্যাপদের সময় থেকে শুরু করে আজকের সাহিত্য চেতনা কীভাবে বিকাশ লাভ করেছে তারও সাক্ষ্য দেয় কবিতাটি। ‘আমার পরিচয়’ কবিতা মূলত বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিচয়।  ইংরেজদের শোষণ-নির্যাতনে উপমহাদেশের মানুষ পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়েছিল। তখন এই অঞ্চলের শান্তির প্রতীক মহাত্মা গান্ধী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি সবার মাঝে দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত করেছিলেন। সে কারণেই স্বদেশি আন্দোলন ও ‘অহিংস আন্দোলন’ নামে গুরুত্বপূর্ণ জাগরণের সূচনা ঘটে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীন রাষ্ট্র ভারত, পাকিস্তান পরবর্তীতে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের এই ইতিহাস ছাড়াও ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় রয়েছে আরো অনেক বিষয়।  স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে এক সমৃদ্ধ ইতিহাস। পুরো পথটি মানুষের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের মহিমায় পূর্ণ। আর যুগে যুগে মানুষের সেই অবিনাশী চেতনা গঠিত হয়েছে গৌরবময় সাংস্কৃতিক চর্চার দ্বারা। আমাদের এসবই ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় উঠে এসেছে। কিন্তু আমাদের সাংস্কৃতিক জীবনবোধের পরিচয় আলোচ্য উদ্দীপকে অনুপস্থিত। ‘আমার পরিচয়’ ও উদ্দীপক পর্যালোচনা করলে পাই, উদ্দীপকে শুধু বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের কথাই বলা হয়েছে। সাংস্কৃতিক বিকাশ ও বিবর্তনের দিকসমূহ সেখানে আলোচিত হয়নি। তাই উদ্দীপকটি ‘আমার পরিচয়’ কবিতার খণ্ডাংশ মাত্র, পূর্ণচিত্র নয়। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর একসাথে আছি, একসাথে বাঁচি। আজও একসাথে থাকবই সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে, সাম্যের ছবি আঁকবই। বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান। ক. বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম নিদর্শনের নাম কী? ১ খ. এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে। ব্যাখ্যা করো। ২ গ. উদ্ধৃত প্রথম চরণ দুটির সাথে দ্বিতীয় চরণ দুটির সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় চরণ দুটির মূলভাব ‘আমার পরিচয়’ কবিতার সমগ্র মূলভাবকে ধারণ করে। উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন চর্যাপদ। খ. বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবিস্মরণীয় ভ‚মিকার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে আলোচ্য চরণে।  ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সব কিছুই তুলে ধরা হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে কবি এখানে স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রনায়ক ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ‚মিকার কথাও তুলে ধরেছেন। তাঁরই নেতৃত্বেই আমরা অর্জন করি স্বাধীন স্বদেশ। তাঁর সেই মহান কীর্তি স্মরণ করে বলা হয়েছে, ‘এসেছে বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে’। গ. উদ্দীপকে উদ্ধৃত প্রথম ও দ্বিতীয় চরণদ্বয়ে বাঙালির ঐক্যবদ্ধতার আকাক্সক্ষা প্রকাশ পেয়েছে, যা ‘আমার পরিচয়’ কবিতাতেও লক্ষণীয়।  সৈয়দ শামসুল হক রচিত ‘আমার পরিচয়’ কবিতাটি বাঙালি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক অনন্য আখ্যান। ইতিহাসের নানা ভাঙা-গড়ার খেলা বাঙালি জাতিতে

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা আমার পরিচয় Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা

তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা শামসুর রাহমান লেখক পরিচিতি : নাম শামসুর রাহমান জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯২৯ সালের ২৪ অক্টোবর। জন্মস্থান : ঢাকা। পৈতৃক নিবাস নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার পাড়াতলী গ্রামে। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : মোখলেসুর রহমান চৌধুরী মাতার নাম : আমেনা খাতুন শিক্ষাজীবন ১৯৪৫ সালে ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক ও ১৯৪৭ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পেশা সাংবাদিকতা। সাহিত্যিক পরিচয় একনিষ্ঠভাবে কাব্য সাধনায় নিয়োজিত ছিলেন। কবিতায় মধ্যবিত্ত নাগরিক জীবনের প্রত্যাশা, হতাশা, বিচ্ছিন্নতা, বৈরাগ্য ও সংগ্রাম এবং অতি আধুনিক কাব্যধারার বৈশিষ্ট্য সার্থকভাবে প্রকাশ পেয়েছে। উপমা ও চিত্রকল্পে তিনি প্রকৃতিনির্ভর এবং বিষয় ও উপাদানে শহরকেন্দ্রিক। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে, রৌদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত নীলিমা, নিরালোকে দিব্যরথ, নিজ বাসভ‚মে, বন্দী শিবির থেকে, দুঃসময়ে মুখোমুখি, ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা, এক ধরনের অহংকার, আদিগন্ত নগ্ন পদধ্বনি, আমি অনাহারী, বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে, দেশদ্রোহী হতে ইচ্ছে করে, বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়, গৃহযুদ্ধের আগে, হৃদয়ে আমার পৃথিবীর আলো, হরিণের হাড়, মানব হৃদয়ে নৈবেদ্য সাজাই ইত্যাদি। পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভ‚ষিত হন। মৃত্যু ২০০৬ সালের ১৭ই আগস্ট। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. দানবের মতো চিৎকার করতে করতে কী এসেছিল? ছ ক. পাকসেনা খ. ট্যাঙ্ক গ. হরিদাসী ঘ. স্বাধীনতা ২. ‘তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা ছাত্রাবাস বস্তি উজাড় হলো Ñ ‘ছাত্রাবাস বস্তি উজাড় হলো’ এ পঙ্ক্তিতে কিসের চিত্র আছে? ছ ক. স্বাধীনতার সুর খ. ধ্বংসের চিত্র গ. গণ-আন্দোলনের রূপ ঘ. মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩, ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : চিনতে নাকি সোনার ছেলে ক্ষুদিরামকে চিনতে? রুদ্ধশ্বাসে প্রাণ দিল যে ম্কুত বাতাস কিনতে? ৩. উদ্দীপকের ক্ষুদিরাম ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় কাদের প্রতিনিধিত্ব করে? ছ র. মুক্তিযোদ্ধাদের রর. আপামর জনসাধারণের ররর. আত্মত্যাগী মানুষদের নিচের কোনটি সঠিক? ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. এরূপ প্রতিনিধিত্বের কারণ কী? ছ ক. ঐক্যচেতনা খ. স্বাজাত্যবোধ গ. দেশপ্রেম ঘ. সাহসিকতা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকেই শাসকগোষ্ঠী শুরু করে নানা বৈষম্যনীতি। তারা পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু এদেশের ছাত্র-শিক্ষকসহ আপামর জনতা এর বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, বিসর্জন দেয় বুকের তাজা রক্ত। ক. কার সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল? ১ খ. জলপাই রঙের ট্যাংককে কবি দানব বলেছেন কেন? ২ গ. উদ্দীপকের যে ভাবটি ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় পাওয়া যায় তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় বর্ণিত দিকগুলোর একটিমাত্র দিক উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে। মন্তব্যটির যথার্থতা বিশে−ষণ করো। ৩ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ হরিদাসীর সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ শহরে জলপাই রঙের ট্যাংক কামানের গোলার শব্দে চিৎকার করতে করতে এসেছিল বলে একে দানব বলা হয়েছে।  ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের ওপর যে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিল তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। তারা নির্বিচারে ছাত্র, যুবক, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বহু মানুষকে হত্যা করে। রাস্তায় নামায় জলপাই রঙের ট্যাংক। ছাত্রাবাস, বস্তি ট্যাংকের কামানের গোলায় ধ্বংস করে দেয়। জলপাই রঙের ট্যাংকের ধ্বংসলীলা প্রত্যক্ষ করে কবি তাই তাকে দানব বলেছেন। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে উল্লিখিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রামের বিষয়টি ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় প্রতিফলিত।  স্বাধীনতাকামী বাঙালি কখনও পরাজয় মানেনি। অন্যায় জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে তারা সব সময়ই সোচ্চার থেকেছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর বাঙালি হানাদার পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বাঙালির সেই বীরত্বগাথাই ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় চিত্রিত হয়েছে। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির আত্মত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।  উদ্দীপকে আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। একদিকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যনীতি অন্যদিকে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ায় ষড়যন্ত্রে বাঙালি বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এই অন্যায়কে রুখে দেওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে তারা অংশগ্রহণ করে। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে তারা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করে। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে উভয় ক্ষেত্রেই বাঙালি ঐক্যবদ্ধভাবে পাকবাহিনীকে মোকাবেলা করেছে। তারা জান দিয়েছে কিন্তু মান দেয়নি। এই ভাবটি তুলে ধরার দিক থেকে উদ্দীপকটি ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার সাথে সম্পর্কিত। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে কেবল ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় উল্লিখিত হানাদার পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের কথাই আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু কবিতায় রয়েছে আমাদের স্বাধীনতা চেতনার স্বরূপ, যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত।  পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালির স্বাধীনতা হরণ করেছিল। গণতান্ত্রিক সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল। ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় এই স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিকামী মানুষের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের চিত্রই অঙ্কন করা হয়েছে। হরিদাসী-সাকিনা বিবির মতো অনেক নারী তাদের সর্বস্ব হারিয়েছে। হায়েনাদের রাইফেল, মেশিনগানের গুলিতে প্রাণ দিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ। বাঙালি স্বাধীনতার জন্য কীভাবে প্রত্যাশায় থেকেছে, আত্মত্যাগ করেছে ও চড়ামূল্য পরিশোধ করেছে তার এক করুণ চিত্র বর্ণনা করা হয়েছে কবিতায়। দীর্ঘ নয় মাসের ভয়াবহ যুদ্ধ শেষে বাঙালি জয় লাভ করে ও স্বাধীনতার লাল সূর্যটি ছিনিয়ে আনে।  উদ্দীপকে ভাষা আন্দোলনে বাঙালির সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তানিরা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ছাত্র-শিক্ষক-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে সে ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিয়েছিল। সে সংগ্রামেও জেল-জুলুমসহ বহু রক্ত ঝরেছিল। বেশ কয়েকজন সাহসী প্রাণকে তাদের জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছিল।  কবিতা ও উদ্দীপক বিবেচনা করলে আমরা দেখি, কবিতায় স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালির ঐক্যবদ্ধ লড়াইসহ ত্যাগ তিতিক্ষার করুণ চিত্র বিবৃত হয়েছে। তাছাড়া রয়েছে স্বাধীনতার জন্য মানুষের ব্যাকুল প্রতীক্ষার স্বরূপ। বাংলার জনতা দেশকে শত্রæমুক্ত করার প্রত্যয়েই হাসিমুখে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল। উদ্দীপকের ঘটনাটিতে অধিকার আদায়ের সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার বিশেষ অনুভ‚তি এখানে অনুপস্থিত। তাই বলা বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার খণ্ডিত ভাবের ধারক। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ভাষার দাবিকে ভ‚লুন্ঠিত করার জন্য পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি তারিখে পূর্ববাংলায় ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু এদেশের ছাত্রসমাজ প্রতিবাদমুখর হয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন চত্বর থেকে মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ এবং গুলি চালায়। এতে সালাম, বরকত, রফিকসহ অনেকে শহিদ হয়। অবশেষে সর্বস্তরের জনগণ এ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ক. কার ফুসফুস এখন পোকার দখলে? ১ খ. শহরের বুকে জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক এলো কেন? ২ গ. উদ্দীপকে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছেÑ ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. ফুটে ওঠা দিকটি ছাড়াও ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় আরও নানা দিক রয়েছেÑ মন্তব্যের যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. রুস্তম শেখের ফুসফুস এখন পোকার দখলে। খ. স্বাধীনতাকামী

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা আমি কোনো আগন্তুক নই

আমি কোনো আগন্তুক নই আহসান হাবীব কবি পরিচিতি : নাম আহসান হাবীব জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯১৭ সালে ২রা জানুয়ারি। জন্মস্থান : পিরোজপুর জেলার শঙ্করপাশা গ্রাম। শিক্ষাজীবন ব্রজমোহন কলেজ, বরিশাল থেকে আইএ পাস করেন। কর্মজীবন কর্মজীবনে ছিলেন সাংবাদিক । উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : ছায়াহরিণ, সারাদুপুর, আশায় বসতি, মেঘ বলে চৈত্রে যাবো; প্রথম কাব্যগ্রন্থ- রাত্রিশেষ। শিশুতোষ গ্রন্থ : ছুটির দিন দুপুরে। কিশোর পাঠ্য উপন্যাস : রানী খালের সাঁকো। পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক। মৃত্যু ‘দৈনিক বাংলা’ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক থাকাকালে ১৯৮৫ সালের ১০ই জুলাই। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. আহসান হাবীব কার চিরচেনা স্বজন? ছ ক. পাখির খ. কদম আলীর গ. জোনাকির ঘ. জমিলার মা’র ২. কবি বৈঠায় লাঙলে হাত রাখতে বলেছেন কেন? ছ ক. শপথ নেয়ার জন্য খ. পরশ অনুভব করার জন্য গ. কবিকে খুঁজে পাবার জন্য ঘ. অস্তিত্ব প্রমাণ করার জন্য নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : রিপভ্যান উইংকল দীর্ঘ বিশ বছর পর তার গাঁয়ে ফিরে এলে তাকে কেউ চিনতে পারেনি। সবাই তার দিকে উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। অবশেষে তার স্বজন টম এলে সব শঙ্কার অবসান ঘটে। ৩. উদ্দীপকের টমের সাথে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে Ñ র. জমিলার মা’র রর. কদম আলীর ররর. অবোধ বালকের নিচের কোনটি সঠিক? জ ক. র খ. রর গ. র ও রর ঘ. রর ও ররর ৪. এরূপ সাদৃশ্যের কারণ কী? ছ ক. বার্ধক্য খ. চিরচেনা গ. পরিচিত ঘ. স্বাজাত্যবোধ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ খেত ভালোবেসে জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙায়; হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে; হয়তো শুনিবে এক ল²ীপেঁচা ডাকিতেছে শিমুলের ডালে; হয়তো খইয়ের ধান ছড়াতেছে শিশু এক উঠানের ঘাসে; রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেঁড়া পালে ডিঙা বায়; রাঙা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে দেখিবে ধবল বক; আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভিড়ে। ক. বিস্তর জোনাকি কোথায় দেখা যায়? ১ খ. ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ Ñ কবি একথা বলেছেন কেন? ২ গ. উদ্দীপকে ফুটে ওঠা চিত্রের সাথে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকের সাথে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার চেতনাগত বৈসাদৃশ্যই বেশি Ñ যুক্তিসহ বিশে−ষণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ বিস্তর জোনাকি বাঁশবাগানে দেখা যায়। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’-কবি এ কথা বলেছেন এটি বোঝাতে যে, তিনি বাইরে থেকে আসা কোনো মানুষ নন।  কবি এ মাটির সন্তান। এ জনপদের মানুষ তাঁর চিরচেনা। জন্মভ‚মির সাথে তিনি গভীরভাবে সম্পর্কিত। তাই তিনি কবিতায় বারবার উচ্চারণ করেছেন এদেশে তিনি কোনো আগুন্তক নন। কবির এই বক্তব্য গভীর দেশপ্রেমের পরিচায়ক। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে ফুটে ওঠা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।  কবি আহসান হাবীব তাঁর ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় দেশের প্রতি গভীর মমত্ববোধের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনবদ্য বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবে নীল আসমান, জমিনের ফুল, জোনাকি, পুকুর, মাছরাঙার কথা বলেছেন। পাখি, কার্তিকের ধান কিংবা শিশিরের সাথে কবির ব্যাপক জানাশোনা। যে লাঙল জমিতে ফসল ফলায় সেই লাঙল আর মাটির গন্ধ লেগে আছে তার হাতে-শরীরে। ধূ-ধূ নদীর কিনার, ধানখেত আর গ্রামীণ জনপদের সাথে তার জীবন বাঁধা। জারুল, জামরুল, ঝাঁকড়া ডুমুরের ডাল, জল, বাতাস সবই সাক্ষ্য দেয় কবি এ মাটির সন্তান।  উদ্দীপকেও রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক মনোরম দৃশ্যকল্প। উদ্দীপকের কবি এক নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে তার অস্তিত্ব জানান দিয়েছেন। কবি মৃত্যুর পর যেন আবার ফিরে আসতে চান এই সৌন্দর্যের লীলাভ‚মিতে। বাংলার নদী, মাঠ, খেত, উড়ন্ত সুদর্শন, ল²ীপেঁচার ডাক, কবিকে মুগ্ধ করে। উঠানের ঘাসে শিশুর ধান ছড়ানো, রূপসার ঘোলা জলে ছেঁড়া পালে কিশোরের ডিঙা বাওয়া, ধবল বকের নীড়ে ছুটে যাওয়া বর্ণনা আমাদের বিমোহিত করে। উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায়ও লক্ষণীয়। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি নিজের মাটিতে অস্তিত্বের জানান দিয়েছেন। অন্যদিকে উদ্দীপকের কবি মৃত্যুর পরে এই বাংলায় আবার ফিরে আসার কামনা ব্যক্ত করেছেন। তাই উভয়ের মাঝে চেতনাগত বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।  মাতৃস্নেহে লালিত ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি সকলের কাছে তাঁর অস্তিত্বের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি বাইরে থেকে আসা কোনো মানুষ নন। তিনি এ মাটিরই সন্তান। নদী, গাছপালা, বাতাস, মাটি সবকিছুই তার সাক্ষী। এদেশের মাছরাঙা, জোনাকি, ধানের মঞ্জরী মানুষ সবকিছু কবিকে যেমন চেনে, কবিও তেমনি সবকিছুকে চেনেন। জন্মভ‚মির সৌন্দর্যে মুগ্ধ কবি কবিতায় তাঁর শেকড়ের সন্ধান করেছেন।  উদ্দীপকের কবি মৃত্যুর পর আবার এই বাংলায় ফিরে আসতে চান। কারণ তিনি বাংলার রূপে মুগ্ধ। এ দেশের নদী, মাঠ, ফসলের খেত, পাল তোলা নৌকাসহ দৃষ্টিনন্দন সব কিছুই কবির মনে গভীর অনভ‚তি জাগিয়ে তোলে। কবি তাই মরণের পর এই প্রকৃতির বুকে মিশে থাকতে চান। আবার তিনি দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অবগাহন করতে চান। কবির এই মনোভাব দেশপ্রেম থেকে জাত।  ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবির জন্মভ‚মিতে কবির অস্তিত্ব বিদ্যমান। তিনি প্রকৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গের মতোই মিলেমিশে আছেন। তিনি নিজ পরিবেশে থেকে দেশকে ভালোবেসে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। অন্যদিকে উদ্দীপকের কবি মরণের পর আবার এই প্রিয় বাংলায় ফিরে আসতে চান। তিনি কল্পনার জগতে ভালোবাসার জাল বিস্তার করেছেন। তাই চেতনাগত দিক থেকে উদ্দীপক ও কবিতায় বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর   আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই, আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই। আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন, আমি বাংলায় বাঁধি সুরÑ আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর। ক. মাছরাঙা কাকে চেনে? ১ খ. কদম আলী অকাল বার্ধক্যে নত কেন? ২ গ. উদ্দীপক কবিতাংশটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কোন চেতনাকে ধারণ করে? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার মূলভাবের সম্পূর্ণ প্রকাশক কি? তোমার মতামত দাও। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. মাছরাঙা কবিকে চেনে। খ. অভাব ও পুষ্টিহীনতায় কদম আলী অকাল বার্ধক্যে নত।  ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কদম আলী গ্রামীণ সমাজের অভাবী মানুষের প্রতিনিধি। সংসারের অভাবের কারণে তাঁর মতো মানুষদের ঠিকমতো আহার জোটে না। ফলে শরীরের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হয় না। আর এ কারণেই কদম আলী অকাল বার্ধক্যে নত। গ. উদ্দীপক কবিতাংশটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বর্ণিত জন্মভ‚মির সাথে মানুষের গভীর সম্পর্কের চেতনাকে ধারণ করে।  জন্মভ‚মির সাথে মানুষের আজীবনের সম্পর্ক। এটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি গভীরভাবে ব্যক্ত করেছেন। কবি এদেশে বাস করে আপন সত্তায় সমগ্র দেশকে ধারণ করেছেন। এদেশের মাঠ-ঘাট, ফুল-ফল, মানুষ, পাখি, গাছপালা, মানুষ জন সবকিছুকেই কবি একান্ত আপনার করে নিয়েছেন। সকলের সাথে তিনি গভীর বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। জন্মভ‚মির সাথে গভীর সম্পর্কের

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা আমি কোনো আগন্তুক নই Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বৃষ্টি

বৃষ্টি র্ফরুখ আহমদ  কবি পরিচিতি : নাম র্ফরুখ আহমদ জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯১৮ সালের ১০ই জুন। জন্মস্থান : মাগুরা জেলার মাঝআই গ্রামে। শিক্ষাজীবন উচ্চমাধ্যমিক-কলকাতা রিপন কলেজ, উচ্চতর শিক্ষা- দর্শনে অনার্স, স্কটিশ চার্চ কলেজ। কর্মজীবন ঢাকা বেতারের স্টাফ রাইটার পদে নিয়োজিত ছিলেন (১৯৪৭-১৯৭২)। মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকায় সম্পাদকীয় বিভাগে কাজ করেছেন। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : সাত সাগরের মাঝি, সিরাজাম্-মুনীরা, নৌফেল ও হাতেম, মুহূর্তের কবিতা, হাতেমতায়ী। শিশুতোষ গ্রন্থ : পাখির বাসা, নতুন লেখা, হরফের ছড়া, ছড়ার আসর। বিশেষ অবদান ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি করলেও পরবর্তীকালে ধর্মীয় আদর্শ ও ঐতিহ্যের অনুপ্রেরণায় সাহিত্য রচনায় ব্রতী হন। পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আদমজী পুরস্কার, একুশে পদকসহ অনেক পুরস্কারে ভ‚ষিত হন। মৃত্যু ১৯৭৪ সালে ১৯শে অক্টোবর।   বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. কবি বিদ্যুৎকে কার সঙ্গে তুলনা করেছেন? ছ ক. কন্যার খ. পরি গ. আলোর ঘ. বৃষ্টির ২. রুগ্ণ বৃদ্ধ ভিখারির রগ-ওঠা হাতের মতন রুক্ষ মাঠ আসমান’ Ñ এ চিত্রকল্পে কী ফুটে উঠেছে? ঝ ক. বুভুক্ষ মাঠের চিত্র খ. বর্ষায় বাংলার প্রকৃতি গ. বৃষ্টিহীন মাঠের রূপ ঘ. প্রকৃতির বৈরিতা ৩. ‘আজিকার রোদ ঘুমায়ে পড়িছে ঘোলাটে মেঘের আড়ে’ Ñ এ বক্তব্যের বিপরীত ভাব রয়েছে যে বাক্যেÑ র. বর্ষণমুখর দিনে অরণ্যের কেয়া শিহরায় রর. রৌদ্র-দগ্ধ ধানক্ষেত আজ তার স্পর্শ পেতে চায় ররর. দু-পাশে আবাদি গ্রামে, বৃষ্টি এলো পুবের হাওয়ায়। নিচের কোনটি সঠিক? ছ ক. র খ. রর গ. র ও রর ঘ. রর ও ররর ৪. এরূপ বৈপরীত্যের কারণ কী? ছ ক. বর্ষণহীনতা খ. বর্ষণের আকাক্সক্ষা গ. মেঘের তীব্রতা ঘ. জলের প্রত্যাশা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর কেউবা রঙিন কাঁথায় মেলিয়া বুকের স্বপনখানি, তারে ভাষা দেয় দীঘল সূতার মায়াবী আখর টানি। আজিকে বাহিরে শুধু μন্দন ছলছল জলধারে বেণু-বনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে। ক. ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কোন কোন নদীর কথা উলে−খ রয়েছে? ১ খ. রৌদ্র-দগ্ধ ধানক্ষেত আজ বৃষ্টির স্পর্শ পেতে চায় কেন ? ২ গ. ‘বেণু-বনে বায়ু নীড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে।’ Ñ উদ্দীপকের এ বক্তব্যের সাথে ‘বৃষ্টি’ কবিতার সাদৃশ্যের দিকটি তুলে ধরো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘বৃষ্টি’ কবিতার একটা বিশেষ ভাব প্রকাশ করে মাত্র, সমগ্র ভাব নয় Ñ তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ ‘বৃষ্টি’ কবিতায় পদ্মা ও মেঘনা নদীর কথা উল্লেখ রয়েছে। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ প্রচণ্ড খরা থেকে বাঁচতে আর ফসলের সম্ভারে ভরিয়ে দিতে রৌদ্রদ্বগ্ধ ধানখেত আজ বৃষ্টির স্পর্শ পেতে চায়।  ভীষণ রোদে মাঠ, ঘাট, ধানখেত যখন শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায় তখন বৃষ্টি আসে আশীর্বাদ হয়ে। মাঠ-ঘাট-ধানখেত শুধু নয়, বৃষ্টির পরশে মানুষের মনও রসসিক্ত হয়ে ওঠে। রুক্ষ প্রকৃতিতে বৃষ্টি আসে প্রাণের শিহরণ নিয়ে। তীব্র রোদে ধানখেত হয়ে ওঠে রুক্ষ ও কঠিন। বৃষ্টির ছোঁয়া পেলে এই র্ক্ষু প্রকৃতিতে প্রাণের সঞ্চার হবে তাই রৌদ্রদগ্ধ ধানখেত আজ বৃষ্টির স্পর্শ পেতে চায়। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ ‘বেণু-বনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে’ উদ্দীপকের এ বক্তব্যের সাথে ‘বৃষ্টি’ কবিতায় উল্লিখিত নিঃসঙ্গ নির্জন জীবনের বিরহী চেতনার দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।  গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের পর বর্ষার প্রবল বৃষ্টি প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগিয়ে তোলে। বৃষ্টির হিমেল পরশে বন-বনানীর মতো মানুষের মনও সংবেদনশীল ও রসসিক্ত হয়ে ওঠে। মনে জেগে ওঠে সুখময় অতীতের নানা স্মৃতি। ভালো লাগা ভালোবাসার আলপনা মনে মনে আঁকতে থাকে। আবার নিঃসঙ্গ নির্জন মানুষের মনে জাগিয়ে তোলে বিরহের সুর।  উদ্দীপকে বর্ষার দিনের একটি রূপচিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। বর্ষার দিনে পল্লিবধূরা নিবিষ্ট মনে নকশিকাঁথায় ফুল তোলে। বাইরে অঝোর ধারায় চলে বর্ষণ। গৃহবধূরা যেন সুতার টানে টানে মনের স্বপ্ন বুনতে থাকে। এমন দিনে প্রিয়জনের কথা মনে পড়ে যায়। প্রিয়জনের অনুপস্থিতি তখন মনকে বিষণœ করে। বিরহ বেদনা আরো বাড়িয়ে দেয়। কাজেই বৃষ্টির প্রবল বর্ষণের সময় মানুষের মনে কল্পনার ডানা মেলে। মনে এক অনির্বচনীয় অনুভ‚তি জাগে। উদ্দীপকে যেভাবে বলা হয়েছে ‘মন যেন চায় কারে’। অর্থাৎ প্রিয়জনের বিরহ মনকে আবিষ্ট করে। তাই ‘বেনু-বনে বায়ু নাড়ে, এলোকেশ, মন যেন চায় কারে’ উদ্দীপকের এ বক্তব্য ‘বৃষ্টি’ কবিতায় উল্লিখিত নিঃসঙ্গ নির্জন জীবনের বিরহী চেতনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘বৃষ্টি’ কবিতায় উল্লিখিত পুরনো দিনের স্মৃতি ও বিরহী হৃদয়ের ভাবটি উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে। কবিতার সমগ্র ভাবটি প্রকাশিত হয়নি।  গ্রীষ্মের কঠিন দাবদাহে প্রকৃতি অনেকটা বিবর্ণ হয়ে পড়ে। বর্ষার বৃষ্টিধারা বিবর্ণ পল্লি প্রকৃতিকে সজীব করে তোলে। টানা বর্ষণে মাঠ-ঘাট, খাল-বিল, নদী-নালা ভরে যায়। তৃষ্ণাকাতর মাঠ-ঘাট ও বনে দেখা দেয় প্রাণের জোয়ার। বৃষ্টি কবিতায় অঙ্কিত হয়েছে বাংলার সামগ্রিক জীবন ও প্রকৃতি। বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টি আবাদি জমিতে আনে গৌরবের ফসল। এ সময় মেঘ ও বিদ্যুতের চমক যেন আকাশে খেলা করে। মানুষের মনে জাগিয়ে তোলে পুরনো স্মৃতি। মনকে কখনও করে বিষণœ। একাকী জীবনে বাড়ায় বিরহ।  উদ্দীপকে আমরা লক্ষ করি বর্ষণমুখর দিনে গৃহবধূরা তাদের অবসর কাটাতে নকশীকাঁথা সেলাই করে। এই সেলাইয়ের মধ্য দিয়ে যেন তারা স্বপ্নের জাল বুনতে থাকে। বাইরে তুমুল বৃষ্টি পড়ে। আশপাশের সবকিছু মিলে যেন জলাধারে পরিণত হয়। এমনি দিনে মনে পড়ে প্রিয়জনের কথা। মন যেন প্রিয়জনের সান্নিধ্য লাভে ব্যাকুল হয়ে উঠে।  আলোচ্য ‘বৃষ্টি’ কবিতা পর্যালোচনা করলে আমরা পাই, কবিতায় বর্ষণের সৌন্দর্য, এর ব্যাপকতা, বর্ষার কল্যাণকামিতা, মানবমনে বর্ষার প্রভাবসহ যাবতীয় বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু উদ্দীপকে কেবল বর্ষণসিক্ত দিনে মানবমনের অনুভ‚তির দিকটি আলোচনা করা হয়েছে। কাজেই উদ্দীপকে ‘বৃষ্টি’ কবিতার সমগ্র ভাব প্রকাশিত হয়নি বরং বিশেষভাব প্রকাশিত হয়েছে মাত্র। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর   ‘গুরু গুরু ডাকে মেঘ ঘনঘটা চারিদিকে আজ টুপটাপ বৃষ্টি ঝরে অঝোর ধারায় নিজেকে হারিয়ে খুঁজি কিছু নাহি পাই খুলেছি হৃদয় বাতায়ন ফেলে সব কাজ। [য.বো. ১৫] ক. বর্ষার প্রাণ কী? ১ খ. বৃষ্টির দিন একাকী জীবনে বিরহ বাড়ায় কেন? ২ গ. “খুলেছি হৃদয় বাতায়ন ফেলে সব কাজ’Ñ উদ্দীপকের এ বক্তব্যের সাথে ‘বৃষ্টি’ কবিতার মিল কিসে? ব্যাখ্যা দাও। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘বৃষ্টি’ কবিতার মূলভাবের প্রতিনিধিত্ব করছেÑ মূল্যায়ন করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. বর্ষার প্রাণ হলো বৃষ্টি। খ. বৃষ্টির দিন মন স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে বলে একাকী জীবনে বিরহ বাড়ে।  বৃষ্টির দিনে সংবেদনশীল মানুষ রসসিক্ত হয়ে পড়ে। অতীতের নানা সুখময় স্মৃতি মনের কোণে উঁকি দেয়। একাকী মানুষ তার আনন্দ বা কষ্টের অনুভ‚তিগুলো সম্পর্কে কথা বলার জন্য কাউকে খুঁজে পায় না। তাই বৃষ্টির দিনে সঙ্গীহীন মানুষের মনে সঙ্গীর জন্য ব্যাকুলতা তৈরি হয়। মন বিরহী হয়ে ওঠে। গ. বৃষ্টিমুখর দিনে প্রকৃতির পাশাপাশি মানুষের মনও রসসিক্ত হয়ে ওঠে- ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বর্ণিত এ দিকটির সাথে প্রশ্নোক্ত বক্তব্যের মিল রয়েছে।  প্রকৃতিতে বর্ষা আসে প্রাণস্পন্দন নিয়ে। বর্ষায় বৃষ্টিতে সিক্ত হয়ে প্রকৃতি যেমন রসসিক্ত হয়ে ওঠে, মানুষের মনও তাই। মানুষ এমন দিনে উদাসী হয়ে পড়ে। মানুষের মনকে পুরনো স্মৃতিতে আসক্ত করে ফেলে। এই বৃষ্টি মানুষের মনকে সাময়িক মোহাবিষ্ট করে ফেলে।

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বৃষ্টি Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা পল্লিজননী

পল্লিজননী জসীমউদ্দীন লেখক পরিচিতি : নাম জসীমউদ্দীন জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯০৩ সালের ৩০শে অক্টোবর। জন্মস্থান : মাতুলালয়, ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রাম । কর্মজীবন শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে সরকারি তথ্য ও প্রচার বিভাগ উচ্চপদে যোগ দেন। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থÑ নকশী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, বালুচর, মাটির কান্না, এক পয়সার বাঁশি। সাহিত্য বৈশিষ্ট্য পল্লির মানুষের আশা-স্বপ্ন-আনন্দ বেদনার আবেগঘন চিত্র ফুটিয়ে তোলা। পল্লিকবি নামে খ্যাত। পুরস্কার ও সম্মাননা একুশে পদক, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি লাভ করেন। মৃত্যু ১৯৭৬ সালের ১৪ই মার্চ ঢাকায়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. বাঁশবনে বসে কোন পাখি ডাকে? ছ ক. কোকিল খ. কানাকুয়ো গ. হুতুম ঘ. দোয়েল ২. নিচের কোন চিত্রটি সন্তানের অমঙ্গলের প্রতীক? জ ক. নিবু নিবু দীপ খ. ঘোর-আন্ধার গ. হুতুমের ডাক ঘ. ঝড়ের কাঁপন নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : যতদিন যায়, দুর্ভোগ তার ততই বাড়িয়া যায় জীবন-প্রদীপ নিভিয়া আসিছে অস্ত রবির প্রায়। ৩. উপরের চিত্রকল্পে প্রকাশ পেয়েছে ‘পলি−জননী’ কবিতারÑ চ ক. সন্তানের মুমূর্ষু অবস্থা খ. অকৃত্রিম মাতৃস্নেহ গ. আরোগ্য লাভের আকুতি ঘ. রোগমুক্তির লক্ষণ ৪. উদ্দীপকে ফুটে ওঠা দিকটি নিচের যে চরণে বিদ্যমান তা হলোÑ র. ঘরের চালেতে হুতুম ডাকিছে অকল্যাণ এ সুর মরণের দূত এলো বুঝি হায়, হাঁকে মায়, দূরÑদূর। রর. নামাজের ঘরে মোমবাতি মানে, দরগায় মানে দান, ছেলেরে তাহার ভালো করে দাও কাঁদে জননীর প্রাণ। ররর. পার্শ্বে জ্বলিয়া মাটির প্রদীপ বাতাসে জমায় খেল; আঁধারের সাথে যুঝিয়া তাহার ফুরায়ে এসেছে তেল। নিচের কোনটি সঠিক? ছ ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর                                       সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর বাদশা বাবর কাঁদিয়া ফিরিছে, নিদ নাহি চোখে তাঁর পুত্র তাঁহার হুমায়ুন বুঝি বাঁচে না এবার আর। চারিধারে তাঁর ঘনায়ে আসিছে মরণ অন্ধকার। ক. ‘পলি−জননী’ কবিতায় ছেলে মাকে কী যতœ করে রাখার কথা বলেছে? ১ খ. ‘আজও রোগে তার পথ্য জোটেনি’ Ñ পথ্য না জোটার কারণ কী? ২ গ. উদ্দীপক কবিতাংশে ‘পলি−জননী’ কবিতার যে দিকটি প্রতিফলিত তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. প্রতিফলিত দিকটিই ‘পলি−জননী’ কবিতার সামগ্রিক ভাবকে ধারণ করে কি ? যুক্তিসহ প্রমাণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ ‘পল্লিজননী’ কবিতায় ছেলে মাকে তার লাটাই যতœ করে রাখার কথা বলেছে। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ দারিদ্র্যের কারণে মা তার রুগ্ণ ছেলের পথ্য জোটাতে পারেনি।  ‘পল্লিজননী’ কবিতায় গ্রামের দুরন্ত ছেলেটি অসুস্থ হয়ে বিছানায় ছটফট করছে। তার মা দারিদ্র্যপীড়িত এক গ্রামীণ নারী। সামর্থ্য না থাকায় অসহায় মা আনন্দ আয়োজন দূরে থাক ওষুধ-পথ্য পর্যন্ত জোটাতে পারেনি। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ ‘পল্লিজননী’ কবিতায় বর্ণিত মৃত্যুপথযাত্রী সন্তানের জন্য করুণ অভিব্যক্তির দিকটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।  কবি জসীমউদ্দীনের ‘পল্লিজননী’ কবিতায় এক রুগ্ণ সন্তানের শিয়রে বসা মমতাময়ী মায়ের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সন্তানের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য, ওষুধ ও পথ্য জোগাড় করতে না পারার গভীর মনঃকষ্ট কবিতায় উল্লেখ করা হয়েছে। মা পুত্রকে আদর করে আর সান্ত্বনা দিতে থাকে। রোগমুক্তির জন্য মানত করে। মায়ের মনে পুত্র হারানোর শঙ্কা জেগে ওঠে।  উদ্দীপকে উল্লিখিত বাদশা বাবর তাঁর অসুস্থ পুত্রের জন্য ব্যগ্র ব্যাকুল। সন্তানের জন্য দুশ্চিন্তায় তাঁর চোখে ঘুম নেই। পুত্র হুমায়ুন বুঝি আর বাঁচবে না। মরণ অন্ধকার তাকে ঘিরে ধরেছে। বাদশা বাবর কেঁদে ফিরছেন কীভাবে পুত্রকে ভালো করা যায়। সন্তানের কষ্টে কোনো পিতা-মাতাই স্থির থাকতে পারে না। উদ্দীপকের কবিতাংশে সেই মনঃকষ্টই ব্যক্ত হয়েছে ‘পল্লিজননী’ কবিতায়। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ অবস্থানগত বৈসাদৃশ্য বিবেচনায় উদ্দীপকটি ‘পল্লিজননী’ কবিতার সামগ্রিক ভাবকে ধারণ করে না।  ‘পল্লিজননী’ কবিতায় রুগ্ণ শিশুর শিয়রে বসে থাকা এক মায়ের মনঃকষ্ট ও গভীর মর্মবেদনা প্রকাশ পেয়েছে। দারিদ্র্যের কারণে মমতাময়ী মা তার সন্তানের জন্য ওষুধ-পথ্য জোগাড় করতে পারেনি। সারা রাত জেগে বুকের মানিককে আদর আর প্রবোধ দেন। পুত্র হারানোর শঙ্কায় আতঙ্কিত মা দরগায় মানত করে। আল্লাহ রসুল ও পীরের কাছে সন্তানকে ভালো করে দেওয়ার জন্য কাকুতি-মিনতি করে। মাটির প্রদীপের মতো তার জীবন প্রদীপও যেন নিভে যাচ্ছে। অসহায় মায়ের হৃদয় বিদীর্ণ হয়ে যাচ্ছে রুগ্ণ ছেলের জন্য।  উদ্দীপকে একজন পরাক্রমশালী বাদশাহ বাবর তাঁর ভীষণ অসুস্থ সন্তান হুমায়ুনের জন্য কাতর হয়ে পড়েছেন। মৃত্যুপথযাত্রী সন্তানের করুণ অবস্থা দেখে পিতার অন্তর গুমরে কেঁদে উঠেছে। সন্তানের জীবনে যেন মরণ অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে। পুত্র হুমায়ুনকে বুঝি আর বাঁচানো যাচ্ছে না। সন্তানের জীবন বাঁচাতে বাদশা বাবরের মনঃকষ্ট ও তীব্র ব্যাকুলতাই প্রকাশ পেয়েছে। ‘পল্লিজননী’ কবিতায়ও এ বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু উদ্দীপক ও কবিতার মাঝে পারিপার্শ্বিতার ভিন্নতা লক্ষ করা যায়।  ‘পল্লিজননী’ কবিতায় রুগ্ণ শিশুর জীবন বাঁচতে দরিদ্র অসহায় দুঃখিনী মায়ের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে উদ্দীপকেও মৃত্যুপথযাত্রী পুত্রের জীবন বাঁচাতে এক পিতা ব্যগ্র ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন। কিন্তু কবিতার পল্লিজননী আর উদ্দীপকের বাদশাহ বাবরের আর্থিক অবস্থার চিত্র সম্পূর্ণই বিপরীত। পল্লিজননীর পুত্র সুচিকিৎসা পায়নি হতদরিদ্র হওয়ায়। কিন্তু উদ্দীপকের বাদশাহপুত্র হুমায়ুনের ক্ষেত্রে এটি ঘটার সুযোগ নেই। আবার ‘পল্লিজননী’ কবিতার প্রেক্ষাপট রচিত হয়েছে গ্রামীণ পরিবেশে। প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গের বর্ণনায় কবিতাটি নিবিড়তা লাভ করেছে। উদ্দীপক কবিতাংশটিতে এ বিষয়গুলো পাওয়া যায় না। তাই উদ্দীপকটি কবিতার মূলভাব ধারণে সক্ষম হলেও সমগ্র অংশের ধারক নয়।           গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর   শহরের এক উন্নতমানের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে রকিবের। ঘণ্টায় ঘণ্টায় ডাক্তার, নার্সের নিশ্চিত উপস্থিতি, পর্যাপ্ত ওষুধ-পথ্য কোনো কিছুই মায়ের মনকে শান্ত করতে পারছে না। রকিবের মাথার পাশে এক মনে তসবি জপছেন মা। তাঁর মনে হাজারো আশা ও আশঙ্কা উঁকি মারছে। ক. ‘আড়ং’ শব্দের অর্থ কী? ১ খ. মা নামাজের ঘরে মোমবাতি আর দরগায় দান মানেন কেন? ২ গ. উদ্দীপকের রকিবের সাথে ‘পল্লিজননী’ কবিতার অসুস্থ শিশুটির অবস্থার বৈসাদৃশ্য দেখাও। ৩ ঘ. গ্রামীণ ও শহুরে দুই মায়ের আশা ও আশঙ্কা একই অনুভ‚তিতে গাঁথাÑ মূল্যায়ন করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. ‘আড়ং’ শব্দের অর্থ মেলা। খ. সন্তানের আরোগ্য কামনায় মা নামাজের ঘরে মোমবাতি আর দরগায় দান মানেন।  ‘পল্লিজননী’ কবিতায় বর্ণিত জননীর সন্তান অত্যন্ত অসুস্থ। পল্লিজননীর সার্মথ্য নেই ছেলের জন্য ওষুধ-পথ্য জোগাড় করার। অলৌকিকভাবে তার সন্তান রোগমুক্ত হবে এই ভরসায় থাকেন দরিদ্র মাতা। তাই তিনি নামাজের ঘরে মোমবাতি আর দরগায় দান দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন। গ. উদ্দীপকের রাকিব অসুস্থাবস্থায় উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পেলেও ‘পল্লিজননী’ কবিতার অসুস্থ শিশুটির ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটেনি।  কবি জসীমউদ্দীন রচিত ‘পল্লিজননী’ কবিতায় এক দুঃখিনী পল্লিজননী ও তাঁর অসুস্থ সন্তানের মাঝে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে। ছেলেটি অনেক দিন থেকেই অসুস্থ। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে তার মা তার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পথ্যের ব্যবস্থা করতে পারেনি।  উদ্দীপকে দেখা যায়, অসুস্থ রাকিব চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে তার জন্য

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা পল্লিজননী Read More »

Scroll to Top