নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহসী জননী বাংলা
সাহসী জননী বাংলা কামাল চৌধুরী লেখক পরিচিতি : নাম কামাল চৌধুরী জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯৫৭ সালের ২৮শে জানুয়ারি। জন্মস্থান : কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিজয়করা গ্রাম। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : আহমদ হোসেন চৌধূুরী। মাতার নাম : বেগম তাহেরা হোসেন। শিক্ষা ও পেশা ১৯৭৩ সালে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও ১৯৭৫ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া ২০০৬ সালে গারো জনগোষ্ঠীর মাতৃসূত্রীয় আবাস প্রথা নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত আছেন। সাহিত্যিক পরিচয় তাঁর কবিতা বাঙালির আবহমান জীবনচর্চা, সংগ্রাম ও মানবীয় বোধের উৎসারণ, সেই সঙ্গে শিল্পিত প্রকরণের উজ্জ্বল প্রকাশ। শব্দ ও ছন্দ সচেতন এবং নিরীক্ষাপ্রবণ ধারায় তিনি বাংলা কবিতায় পরিস্রুত ধারার অন্যতম প্রধান প্রতিনিধি। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : মিছিলের সমান বয়সী, টানাপোড়েনের দিন, এই পথ এই কোলাহল, এসেছি নিজের ভোরে, ধূলি ও সাগর দৃশ্য, হে মাটি পৃথিবীপুত্র, পান্থশালার ঘোড়া ইত্যাদি। কিশোর কবিতা : আপন মনের পাঠশালাতে। পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভ‚ষিত হয়েছেন। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. বাঙালির হাতে কী উঠেছে? ছ ক. কাস্তে খ. গ্রেনেড গ. জাল ঘ. লাঠি ২. ‘নীলকমলেরা’ কারা? ঝ ক. প্রহরীরা খ. সাহসীরা গ. হৃদয়বান ব্যক্তিগণ ঘ. মুক্তিযোদ্ধাগণ উদ্দীপকটি পড়ো প্রশ্নের উত্তর দাও : বিদেশি সেনার কামানেÑবুলেটে বিদ্ধ নারী শিশু আর যুবক-জোয়ান বৃদ্ধ শত্র“ সেনারা হত্যার অভিযানে Ñ মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ উত্থানে। ৩. উদ্দীপকে ‘জননী সাহসী বাংলা’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? র. মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ রর. সাধারণ মানুষের অসহায়ত্ব ররর. দীর্ঘশ্বাস নিচের কোনটি সঠিক? চ ক. র খ. রর গ. ররর ঘ. রর ও ররর ৪. উদ্দীপকের অনুভব ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার কোন পঙ্ক্তির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? জ ক. তোদের রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিয়েছি নয় মাসে খ. বুড়িগঙ্গা পদ্মা নদীতীর/ডাকাত পড়েছে গ্রামে গ. ভোজ হবে আজ প্রতিশোধে/যার সঙ্গে যে রকম, সে রকম খেলবে বাঙালি ঘ. সাহসী জননী বাংলা, বুকে চাপা মৃতের আগুন সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর যখন হানাদারবধ সংগীতে ঘৃণার প্রবল মন্ত্রে জাগ্রত স্বদেশের তরুণ হাতে নিত্য বেজেছে অবিরাম মেশিনগান, মর্টার গ্রেনেড। ক. মধ্যরাতে কারা এসেছিল? ১ খ. বর্ণমালা পথে পথে তেপান্তরে ঘুরেছিল কেন? ২ গ. উদ্দীপকের অনুভব ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার অনুভবের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণÑব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকের ভাবনা ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার সামগ্রিক পরিচয় নয়Ñ মূল্যায়ন করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. মধ্যরাতে হানাদাররা এসেছিল। ১ এর খ নং প্র. উ. বর্ণমালা পথে পথে তেপান্তরে ঘুরেছিল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করার জন্য। পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের মায়ের ভাষা বাংলা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। ’৫২ সালে এদেশের দামাল ছেলেরা এই অপতৎপরতা রুখে দিয়েছিল। ভাষা আন্দোলনের এই সংগ্রামী চেতনা মুক্তিযুদ্ধেও গৌরবের বিজয় এনে দিয়েছিল। ১ এর গ নং প্র. উ. উদ্দীপকে উল্লিখিত হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ পরিচালনার অনুভবের সাথে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতা সাদৃশ্যপূর্ণ। ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কবি কামাল চৌধুরী আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বীরত্বপূর্ণ ভ‚মিকার কথা তুলে ধরেছেন। কবি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে হানাদারদের রক্তাক্ত হাত আমরা মুচড়ে দিয়েছি। ডাকাতরূপী হানাদারদের মোকাবেলা করেছি, তাদের মেরে নাস্তানাবুদ করেছি, কান কেটে দিয়েছি। কবির এই বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। হানাদারদের এভাবেই সমুচিত জবাব দিয়ে স্বাধীনতার পতাকাকে বাঙালি উড়িয়ে দিয়েছে পত পত করে। উদ্দীপকে হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে দেশের তরুণরা কীভাবে ভ‚মিকা রেখেছিল তা-ই বলা হয়েছে। হানাদারদের নির্মম নির্যাতনে মানুষের মনে যে ঘৃণার জন্ম হয়েছিল সেই ঘৃণার প্রবল মন্ত্র তাদের সাহসী করে তুলেছিল। হাতে তুলে নিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ারÑ মেশিনগান, মর্টার, গ্রেনেড। তাই দেখা যাচ্ছে কবিতায় অনুভবের সাথে উদ্দীপকের অনুভব খুবই সাদৃশ্যপূর্ণ। ১ এর ঘ নং প্র. উ. উদ্দীপকে হানাদারদের মোকাবেলায় কেবল যুদ্ধ করার কথাই বলা হয়েছে। ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার মতো মুক্তিযুদ্ধের বিস্তারিত পটভ‚মি তুলে ধরে নি। সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কবি কামাল চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বীরত্বপূর্ণ ভ‚মিকার কথা উল্লেখ করেছেন। বাঙালি জাতির ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে প্রতিরোধ ও সংগ্রামের ঐতিহ্য। যারা বাঙালিকে ভেতো ও ভীতু বলে অভিহিত করেছিল তাদের মিথ্যাচারের সমুচিত জবাব দেওয়া হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। সংগ্রাম আর রক্তদানের ইতিহাস জাতি হিসেবে আমাদের গৌরবান্বিত করেছে। বাঙালি অসীম সাহসিকতায় হানাদারদের রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিয়ে এই মাটিতে স্বাধীনতার পতাকাকে উড়িয়ে দিয়েছে। উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনী এদেশের মানুষের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন চালিয়েছিল। তাদের প্রতি প্রবল ঘৃণায় এদেশের তরুণরা প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দেশমাতৃকাকে রক্ষার জন্য তরুণরা জীবন বাজি রেখে এগিয়ে এসেছিল। তারা হাতে নিয়েছিল মেশিনগান, মর্টার, গ্রেনেড। সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহসিকতায় মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ যুদ্ধ অত্যন্ত বলিষ্ঠতার সাথে উচ্চারিত হয়েছে। আর উদ্দীপকে কেবল হানাদারদের বধ করার জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কবিতায় সকল বাধাবিঘœ অতিক্রম করে বাঙালির বিজয় ছিনিয়ে আনার গৌরবকে তুলে ধরা হয়েছে। বাঙালির সংগ্রামের এক সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। অতীতের সেসব সংগ্রামের ইতিহাস প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে। কবিতায় বর্ণিত যুদ্ধকালীন এই সামগ্রিকতা উদ্দীপকে তুলে ধরা হয়নি। কাজেই উদ্দীপকের ভাবনা ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার সামগ্রিক পরিচয় নয়, খণ্ডচিত্র মাত্র। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর লক্ষ লক্ষ হা-ঘরে দুর্গত ঘৃণ্য যম-দূত-সেনা এড়িয়ে সীমান্তপারে ছোটে, পথে পথে অনশনে অন্তিম যন্ত্রণা রোগে ত্রাসে সহস্রের অবসান, হন্তারক বারুদে বন্দুকে মূর্ছিত-মৃতের দেহ বিদ্ধ করে, হত্যা-ব্যবসায়ী বাংলাদেশ-ধ্বংস-কাব্যে জানে না পৌঁছল জাহান্নামে এ জন্মেই; বাংলাদেশ অনন্ত অক্ষত মূর্তি জাগে \ ক. মুক্তিযুদ্ধকালে কোটি বাঙালি দীর্ঘ নয় মাস কোন প্রতিবেশী রাষ্ট্রে নির্বাসিত জীবন যাপনে বাধ্য হয়? ১ খ. ‘তোদের রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিয়েছি নয় মাসে’Ñ কথাটি বুঝিয়ে লেখো। ২ গ. উদ্দীপকে প্রথম পাঁচ চরণে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকের শেষ বাক্যটি ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার মূলভাবকেই তুলে ধরেছেÑ কথাটি বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. মুক্তিযুদ্ধকালে কোটি বাঙালি দীর্ঘ নয় মাস প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে নির্বাসিত জীবন যাপনে বাধ্য হয়। খ. বাঙালির রক্তে পাকবাহিনীর যে হাত রঞ্জিত হয়েছে অসীম সাহসী বাঙালি তা মুচড়ে প্রতিশোধ গ্রহণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের নয়টি মাস দেশজুড়ে নারকীয় গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। লাখো শহিদের রক্তে তাদের হাত কলঙ্কিত হয়। বাঙালির সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে তাদের সেই কলঙ্কিত হাত মুচড়ে যায়। তারা পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য নয়। গ. উদ্দীপকের প্রথম পাঁচ চরণে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বর্ণিত শত্রæসেনাদের নির্মমতার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে এদেশের অসংখ্য মানুষ ভিটেমাটি ছাড়া হয়। তারা হানাদার বাহিনীর ভয়ে দেশে আশ্রয় নেয়। শত্রæর এই অসুরিক আচরণ বাঙালি জাতিকে প্রতিরোধ সংগ্রামে বাধ্য করেছিল। ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বাঙালির এই সংগ্রামী দিকটি বর্ণিত হয়েছে। উদ্দীপকের প্রথম পাঁচ
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহসী জননী বাংলা Read More »