নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহসী জননী বাংলা

সাহসী জননী বাংলা
কামাল চৌধুরী
লেখক পরিচিতি :
নাম কামাল চৌধুরী
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯৫৭ সালের ২৮শে জানুয়ারি।
জন্মস্থান : কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিজয়করা গ্রাম।
পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : আহমদ হোসেন চৌধূুরী।
মাতার নাম : বেগম তাহেরা হোসেন।
শিক্ষা ও পেশা ১৯৭৩ সালে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও ১৯৭৫ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া ২০০৬ সালে গারো জনগোষ্ঠীর মাতৃসূত্রীয় আবাস প্রথা নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত আছেন।
সাহিত্যিক পরিচয় তাঁর কবিতা বাঙালির আবহমান জীবনচর্চা, সংগ্রাম ও মানবীয় বোধের উৎসারণ, সেই সঙ্গে শিল্পিত প্রকরণের উজ্জ্বল প্রকাশ। শব্দ ও ছন্দ সচেতন এবং নিরীক্ষাপ্রবণ ধারায় তিনি বাংলা কবিতায় পরিস্রুত ধারার অন্যতম প্রধান প্রতিনিধি।
উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : মিছিলের সমান বয়সী, টানাপোড়েনের দিন, এই পথ এই কোলাহল, এসেছি নিজের ভোরে, ধূলি ও সাগর দৃশ্য, হে মাটি পৃথিবীপুত্র, পান্থশালার ঘোড়া ইত্যাদি।
কিশোর কবিতা : আপন মনের পাঠশালাতে।
পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভ‚ষিত হয়েছেন।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর

১. বাঙালির হাতে কী উঠেছে? ছ
ক. কাস্তে খ. গ্রেনেড
গ. জাল ঘ. লাঠি
২. ‘নীলকমলেরা’ কারা? ঝ
ক. প্রহরীরা খ. সাহসীরা
গ. হৃদয়বান ব্যক্তিগণ ঘ. মুক্তিযোদ্ধাগণ
উদ্দীপকটি পড়ো প্রশ্নের উত্তর দাও :
বিদেশি সেনার কামানেÑবুলেটে বিদ্ধ
নারী শিশু আর যুবক-জোয়ান বৃদ্ধ
শত্র“ সেনারা হত্যার অভিযানে Ñ
মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ উত্থানে।
৩. উদ্দীপকে ‘জননী সাহসী বাংলা’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে?
র. মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ
রর. সাধারণ মানুষের অসহায়ত্ব ররর. দীর্ঘশ্বাস
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক. র খ. রর
গ. ররর ঘ. রর ও ররর
৪. উদ্দীপকের অনুভব ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার কোন পঙ্ক্তির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? জ
ক. তোদের রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিয়েছি নয় মাসে
খ. বুড়িগঙ্গা পদ্মা নদীতীর/ডাকাত পড়েছে গ্রামে
গ. ভোজ হবে আজ প্রতিশোধে/যার সঙ্গে যে রকম, সে রকম খেলবে বাঙালি
ঘ. সাহসী জননী বাংলা, বুকে চাপা মৃতের আগুন

 

 

 

 

 

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

যখন হানাদারবধ সংগীতে
ঘৃণার প্রবল মন্ত্রে জাগ্রত
স্বদেশের তরুণ হাতে
নিত্য বেজেছে অবিরাম
মেশিনগান, মর্টার গ্রেনেড।
ক. মধ্যরাতে কারা এসেছিল? ১
খ. বর্ণমালা পথে পথে তেপান্তরে ঘুরেছিল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের অনুভব ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার অনুভবের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণÑব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের ভাবনা ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার সামগ্রিক পরিচয় নয়Ñ মূল্যায়ন করো। ৪
১ এর ক নং প্র. উ.
 মধ্যরাতে হানাদাররা এসেছিল।
১ এর খ নং প্র. উ.
 বর্ণমালা পথে পথে তেপান্তরে ঘুরেছিল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করার জন্য।
 পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের মায়ের ভাষা বাংলা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। ’৫২ সালে এদেশের দামাল ছেলেরা এই অপতৎপরতা রুখে দিয়েছিল। ভাষা আন্দোলনের এই সংগ্রামী চেতনা মুক্তিযুদ্ধেও গৌরবের বিজয় এনে দিয়েছিল।
১ এর গ নং প্র. উ.
 উদ্দীপকে উল্লিখিত হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ পরিচালনার অনুভবের সাথে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতা সাদৃশ্যপূর্ণ।
 ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কবি কামাল চৌধুরী আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বীরত্বপূর্ণ ভ‚মিকার কথা তুলে ধরেছেন। কবি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে হানাদারদের রক্তাক্ত হাত আমরা মুচড়ে দিয়েছি। ডাকাতরূপী হানাদারদের মোকাবেলা করেছি, তাদের মেরে নাস্তানাবুদ করেছি, কান কেটে দিয়েছি। কবির এই বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। হানাদারদের এভাবেই সমুচিত জবাব দিয়ে স্বাধীনতার পতাকাকে বাঙালি উড়িয়ে দিয়েছে পত পত করে।
 উদ্দীপকে হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে দেশের তরুণরা কীভাবে ভ‚মিকা রেখেছিল তা-ই বলা হয়েছে। হানাদারদের নির্মম নির্যাতনে মানুষের মনে যে ঘৃণার জন্ম হয়েছিল সেই ঘৃণার প্রবল মন্ত্র তাদের সাহসী করে তুলেছিল। হাতে তুলে নিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ারÑ মেশিনগান, মর্টার, গ্রেনেড। তাই দেখা যাচ্ছে কবিতায় অনুভবের সাথে উদ্দীপকের অনুভব খুবই সাদৃশ্যপূর্ণ।
১ এর ঘ নং প্র. উ.
 উদ্দীপকে হানাদারদের মোকাবেলায় কেবল যুদ্ধ করার কথাই বলা হয়েছে। ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার মতো মুক্তিযুদ্ধের বিস্তারিত পটভ‚মি তুলে ধরে নি।
 সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কবি কামাল চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বীরত্বপূর্ণ ভ‚মিকার কথা উল্লেখ করেছেন। বাঙালি জাতির ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে প্রতিরোধ ও সংগ্রামের ঐতিহ্য। যারা বাঙালিকে ভেতো ও ভীতু বলে অভিহিত করেছিল তাদের মিথ্যাচারের সমুচিত জবাব দেওয়া হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। সংগ্রাম আর রক্তদানের ইতিহাস জাতি হিসেবে আমাদের গৌরবান্বিত করেছে। বাঙালি অসীম সাহসিকতায় হানাদারদের রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিয়ে এই মাটিতে স্বাধীনতার পতাকাকে উড়িয়ে দিয়েছে।
 উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনী এদেশের মানুষের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন চালিয়েছিল। তাদের প্রতি প্রবল ঘৃণায় এদেশের তরুণরা প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দেশমাতৃকাকে রক্ষার জন্য তরুণরা জীবন বাজি রেখে এগিয়ে এসেছিল। তারা হাতে নিয়েছিল মেশিনগান, মর্টার, গ্রেনেড।
 সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহসিকতায় মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ যুদ্ধ অত্যন্ত বলিষ্ঠতার সাথে উচ্চারিত হয়েছে। আর উদ্দীপকে কেবল হানাদারদের বধ করার জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কবিতায় সকল বাধাবিঘœ অতিক্রম করে বাঙালির বিজয় ছিনিয়ে আনার গৌরবকে তুলে ধরা হয়েছে। বাঙালির সংগ্রামের এক সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। অতীতের সেসব সংগ্রামের ইতিহাস প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে। কবিতায় বর্ণিত যুদ্ধকালীন এই সামগ্রিকতা উদ্দীপকে তুলে ধরা হয়নি। কাজেই উদ্দীপকের ভাবনা ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার সামগ্রিক পরিচয় নয়, খণ্ডচিত্র মাত্র।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

লক্ষ লক্ষ হা-ঘরে দুর্গত
ঘৃণ্য যম-দূত-সেনা এড়িয়ে সীমান্তপারে ছোটে,
পথে পথে অনশনে অন্তিম যন্ত্রণা রোগে ত্রাসে
সহস্রের অবসান, হন্তারক বারুদে বন্দুকে
মূর্ছিত-মৃতের দেহ বিদ্ধ করে, হত্যা-ব্যবসায়ী
বাংলাদেশ-ধ্বংস-কাব্যে জানে না পৌঁছল জাহান্নামে
এ জন্মেই;
বাংলাদেশ অনন্ত অক্ষত মূর্তি জাগে \
ক. মুক্তিযুদ্ধকালে কোটি বাঙালি দীর্ঘ নয় মাস কোন প্রতিবেশী রাষ্ট্রে নির্বাসিত জীবন যাপনে বাধ্য হয়? ১
খ. ‘তোদের রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিয়েছি নয় মাসে’Ñ কথাটি বুঝিয়ে লেখো। ২
গ. উদ্দীপকে প্রথম পাঁচ চরণে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের শেষ বাক্যটি ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার মূলভাবকেই তুলে ধরেছেÑ কথাটি বিশ্লেষণ করো। ৪
২ নং প্র. উ.
ক. মুক্তিযুদ্ধকালে কোটি বাঙালি দীর্ঘ নয় মাস প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে নির্বাসিত জীবন যাপনে বাধ্য হয়।
খ. বাঙালির রক্তে পাকবাহিনীর যে হাত রঞ্জিত হয়েছে অসীম সাহসী বাঙালি তা মুচড়ে প্রতিশোধ গ্রহণ করেছে।
 মুক্তিযুদ্ধের নয়টি মাস দেশজুড়ে নারকীয় গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। লাখো শহিদের রক্তে তাদের হাত কলঙ্কিত হয়। বাঙালির সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে তাদের সেই কলঙ্কিত হাত মুচড়ে যায়। তারা পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য নয়।
গ. উদ্দীপকের প্রথম পাঁচ চরণে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বর্ণিত শত্রæসেনাদের নির্মমতার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।
 ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে এদেশের অসংখ্য মানুষ ভিটেমাটি ছাড়া হয়। তারা হানাদার বাহিনীর ভয়ে দেশে আশ্রয় নেয়। শত্রæর এই অসুরিক আচরণ বাঙালি জাতিকে প্রতিরোধ সংগ্রামে বাধ্য করেছিল। ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বাঙালির এই সংগ্রামী দিকটি বর্ণিত হয়েছে।
 উদ্দীপকের প্রথম পাঁচ চরণে বাঙালির ওপর শত্রæসেনার অসুরিক আচরণের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাতের অন্ধকারে নিরীহ বাঙালির ওপর নির্মম নৃশংসতা চালায়। তাদের আক্রমণে অনেকে শহিদ হয়। এতে জীবন বাঁচানোর তাগিদে অনেকেই ভিটেমাটি ছেড়ে আশ্রয় নেয় ভারতে। অসহায় বাঙালি জাতির এই বর্ণনা ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কবি সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আর কবিতার এই দিকটি উদ্দীপকের প্রথম পাঁচ চরণে সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার মূলকথা হলো সমস্ত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, যা উদ্দীপকের শেষ চরণে ফুটে উঠেছে।
 বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে বীর বাঙালিরা শত্রæসেনার নৃশংসতাকে প্রতিরোধ করেছিল। তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। সকলে সমন্বিত সংহতিতে পরাভ‚ত করেছিল অশুভ শক্তিকে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের এই গর্বিত দিকটি ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কবি তুলে ধরতে চেয়েছেন।
 উদ্দীপকের শেষ চরণে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে নানা বাধা-বিপত্তি অতিক্রমের ইতিহাস লুক্কায়িত রয়েছে। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ ইতিহাসে নানা সংগ্রাম প্রতিরোধের ঘটনা রয়েছে। যুগে যুগে এ সকল প্রতিরোধে বাঙালিরা তাদের দৃঢ় সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। শত্রæর বিপক্ষে লড়াই করে তারা ছিনিয়ে এনেছে তাদের কাক্সিক্ষত স্বপ্ন। ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বাঙালির এই দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। আর উদ্দীপকের শেষ চরণের মর্মার্থও এ রকমই।
 ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বীর বাঙালি শত্রæ সেনাকেও পরাজিত করে ফিরে এসেছে দেশমাতৃকার ক্রোড়ে। ফলে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ। বাঙালির সংগ্রামী এই ইতিহাসই হলো কবিতার মূল কথা। আর উদ্দীপকের শেষ চরণে এই স্বাধীন বাংলার অভ্যুদয়ের দিকটিই প্রকাশিত হয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের শেষ চরণটি ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার মূলভাবকেই তুলে ধরেছে।
“একবার মরে ভুলে গেছে আজ মৃত্যুর ভয় তারা।
শাবাশ বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়;
জ্বলে-পুড়ে-মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়।”
ক. কার্তুজ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ‘এসেছি আবার ফিরে…… রাতজাগা নির্বাসন শেষে’Ñ চরণটি বুঝিয়ে লেখো। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের ভাবনা ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার সামগ্রিক পরিচয় নয়।Ñ মূল্যায়ন করো। ৪
৩ নং প্র. উ.
ক. কার্তুজ শব্দের অর্থ বন্দুকের টোঁটা।
খ. হানাদারদের আক্রমণের শিকার ঘরছাড়া মানুষদের নিজ আবাসস্থলে বিজয়ীর বেশে ফিরে আসার কথা বলা হয়েছে আলোচ্য চরণে।
 ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি নরপশুরা এদেশেবাসীর ওপর ঘৃণ্যতম বর্বরতা চালায়। প্রাণভয়ে নিজ বাড়িঘর ছেড়ে দেশের ভেতরেই বা প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে নির্বাসিত হয় অসংখ্য মানুষ। সে অবস্থাতেই তারা গড়ে তোলে সমবায়ী প্রতিরোধ। নির্ঘুম রাতগুলো উৎসর্গ করে দেশমাতার মুক্তির লক্ষ্যে। এক সময় শত্রæকে পরাভ‚ত করে তারা নিজ দেশে ফিরে আসে বীরের বেশে। আলোচ্য পঙ্ক্তিতে এ বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।
গ. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় হানাদারদের অত্যাচারকে রুখে দিতে বাঙালির যে অদম্য চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তারই সন্ধান পাওয়া যায় উদ্দীপক কবিতাংশে।
 কামাল চৌধুরী রচিত ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বাঙালির সুদৃঢ় মানসিক শক্তির পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। শত্রæরা বাঙালিকে ভেতো ও ভীতু বলে অবজ্ঞা করেছিল। বাঙালির ওপর তারা ব্যাপক নিষ্ঠুরতা চালিয়েছিল। কিন্তু বাঙালি জাতি তাদের শৌর্যের মহিমায় সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে জয় লাভ করে।
 উদ্দীপক কবিতাংশে বর্ণিত হয়েছে বাঙালির বীরত্বগাথা। অপশক্তির অন্যায়ের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রবল প্রতিবাদ করেছে। বাঙালির অসাধারণ জাগরণ বিশ্ববাসীকে অবাক করেছে। শত্রæর অত্যাচারের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে উদ্দীপক কবিতাংশে, যা ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায়ও একইভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার আংশিক ভাব ধারণে সক্ষম হয়েছে।
 বাঙালির শৌর্য-বীর্যের স্তুতিতে পরিপূর্ণ কামাল চৌধুরী রচিত ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতাটি। অসীম সাহসিকতা বুকে নিয়ে তারা শত্রæর মোকাবেলা করে। বাঙালির ঐক্যের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয় পাক হানাদাররা। অবশেষে সব বাধাবিঘœ দূর করে স্বাধীনতার পতাকা মুক্ত বাতাসে উড়িয়ে দেয় বাঙালি।
 উদ্দীপকে আমরা বাঙালির অপ্রতিরোধ্য চেতনার পরিচয় পাই। বারবার অত্যাচারিত হতে হতে বাঙালি সব ভয় ভুলে গেছে। শত্রæ নিধনে তারা আজ প্রবল পরাক্রমশালী। শত অন্যায়-অবিচারেও তারা শত্রæর কাছে হার মানবে না। ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় এ দিকগুলো ছাড়াও রয়েছে বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়ের পথে নানা রকম ঘটনার অনুভ‚তি।
 ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির ইতিহাসের উজ্জ্বলতম অধ্যায়। পাকবাহিনীর হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞের বিপরীতে বাংলার মানুষ জেগে উঠেছিল অমিত শক্তি সঞ্চয় করে। পাকবাহিনীর অত্যাচারের নানা দিক ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার বিভিন্ন চরণে যেভাবে বারবার এসেছে উদ্দীপক কবিতাংশে তেমনটা লক্ষ করা যায় না। এছাড়াও কবিতার ভাষা আন্দোলনের কথা, যুদ্ধের সময় হতভাগ্য মানুষের দেশ ছাড়ার বাস্তবতা এবং শত্রæমুক্ত মাতৃভ‚মিতে সদর্প প্রত্যাবর্তনের কথা বলা হয়েছে, যা আলোচ্য উদ্দীপক কবিতাংশে পাওয়া যায় না। তাই উদ্দীপকটিকে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার সামগ্রিক পরিচয় বলা যায় না।

দুঃসাহসী এক বিপ্লবী বাঙালি ছিলেন সূর্যসেন। ব্রিটিশদের শাসন শোষণ থেকে স্বদেশকে মুক্ত করার বাসনায় তিনি সশস্ত্র সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেন। চট্টগ্রামকে ব্রিটিশ শাসনমুক্ত করার জন্য গড়ে তোলেন ‘চট্টগ্রাম বিপ্লবী বাহিনী’। ১৯৩০ সালে চট্টগ্রামকে ইংরেজমুক্ত করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। কিন্তু বেশিদিন তা রক্ষা করতে পারেন নি। ১৯৩৩ সালে তিনি গ্রেফতার হন। চরম নির্যাতনের পর তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয়।
ক. ‘কার্তুজ’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. সাহসী জননী বাংলার বুকে চাপা মৃতের আগুন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার বৈসাদৃশ্য তুলে ধরো। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকের প্রকাশিত চেতনাই ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার মূলভাব’ – উক্তিটির যথার্থতা বিচার করো। ৪
৪ নং প্র. উ.
ক. ‘কার্তুজ’ শব্দের অর্থ বন্দুকের টোটা।
খ. হানাদার বাহিনীর গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিশোধ নেওয়ার সুপ্ত বাসনায় সাহসী জননী বাংলার বুকে চাপা মৃতের আগুন জ্বলে।
ক্ষ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পরিণত হয় লাশের দেশে। সমস্ত দেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে পাকিস্তানি যুদ্ধবাজ সেনাবাহিনী। স্বজনহারা, গৃহহারা বাঙালি বুকে পাথর বেঁধে অপেক্ষা করে এর সমুচিত জবাব ফিরিয়ে দিতে তাদের মনের ভেতরের প্রতিশোধের ছাইচাপা আগুন জ্বলে। এই প্রসঙ্গটিই উঠে এসেছে আলোচ্য চরণে।
গ. দেশের স্বাধীনতা অর্জনে সাফল্যের দিক বিবেচনায় উদ্দীপকটি ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
 ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় উল্লেখিত হয়েছে বাঙালির বীরত্বের কথা। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক-হানাদার বাহিনী এদেশের মানুষের ওপর পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ ও নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিল। তাদের বর্বরোচিত আচরণের প্রতিবাদে মুক্তিকামী মানুষ গর্জে উঠেছিল। তাদের বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছিল প্রবল প্রতিরোধ। এই সংগ্রামী চেতনা ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশের মানুষের মনে। তাই তারা যুদ্ধ করেছিল জীবন বাজি রেখে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে প্রিয় মাতৃভ‚মিকে স্বাধীন করেছিল।
 উদ্দীপকে আমরা লক্ষ করি, এই মাটির এক সাহসী সন্তান সূর্যসেন তাঁর বাহিনী নিয়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ইংরেজদের শাসন-শোষণ থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য প্রাণপণ লড়াই করেন। চট্টগ্রামকে তিনি সাময়িকভাবে ব্রিটিশ শাসনমুক্ত করেন। ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামে চূড়ান্ত বিজয় লাভের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সূর্যসেন তাঁর আন্দোলনকে সম্পূর্ণরূপে সফল করতে পারেননি।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতা উভয় ক্ষেত্রে স্বাধীনতার চেতনাই প্রকাশিত হয়েছে।
 ‘সাহসী জননীর কবিতায় মুক্তযুদ্ধে বাঙালি সাহসী ভ‚মিকার উল্লেখ করা হয়েছে। দানবতুল্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালির রক্তে তাদের হাত রঞ্জিত করেছিল। বাঙালিকে তার অধিকার না দিয়ে তাদের ওপর পৈশাচিক আক্রমণ চালিয়েছিল। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাঙালিও একদিন গর্জে ওঠে, অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে হানাদারদের পরাজিত করে ও দেশ থেকে বিতাড়িত করে। দেশপ্রেমে উজ্জীবিত জনতার প্রবল প্রতিরোধের কথাই কবিতার বর্ণিত হয়েছে।
 উদ্দীপকে বর্ণিত সূর্যসেন ছিলেন এক বীর বাঙালি। চট্টগ্রাম অঞ্চলে তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। তিনি এক বিপ্লবী বাহিনী গঠন করে চট্টগ্রামকে ইংরেজ মুক্ত করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ইংরেজরা তাঁকে গ্রেফতার করে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দিয়েছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামের যে মহান প্রেরণা তিনি দিয়ে গেছেন ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায়ও তার পরিচয় পাই আমরা।
 আলোচ্য কবিতাটি মূল্যায়ন করলে আমরা পাই, কবিতার মূলবক্তব্যে স্থান পেয়েছে দেশপ্রেমের চেতনায় সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও প্রতিরোধ যুদ্ধ। আর উদ্দীপকেও উল্লেখিত হয়েছে একই দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সূর্যসেনের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে আত্মদানের ঐতিহাসিক ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধ ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ছিল বাঙালির ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার আন্দোলন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সূর্যসেনের মতো আরো বহু মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। একসময় ব্রিটিশরা এদেশ ছেড়ে চলে যেতেও বাধ্য হয়েছে। আবার সেই চেতনাকে ধারণ করেই বাঙালি এদেশকে পাক-হানাদারমুক্ত করেছিল। তাই এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতাতে একই চেতনা প্রকাশিত হয়েছে।
জয় বাংলা বাংলার জয়
হবে হবে হবে, হবে নিশ্চয়
কোটি প্রাণ একসাথে জেগেছে অন্ধ রাতে
নতুন সূর্য ওঠার এই তো সময়।
ক. বাঙালিরা হানাদারদের কী কেটে দিয়েছে? ১
খ. জাগে, নীলকমলেরা জাগেÑ কেন? ২
গ. উদ্দীপকের শেষ চরণের ভাবটি ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার সাথে কীভাবে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘হবে হবে হবে, হবে নিশ্চয়’- এমন প্রত্যয়ের কারণ ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪
৫ নং প্র. উ.
ক. বাঙালিরা হানাদারদের কান কেটে দিয়েছে।
খ. দেশমাতৃকাকে শত্রæর কবল থেকে মুক্ত করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের আত্মত্যাগের স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য চরণে।
ক্ষ ‘নীলকমল’ শব্দটির শাব্দিক অর্থ ‘নীল রঙের পদ্ম’। কিন্তু ‘‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় নীলকমল বলতে রূপকথার রাজকুমারদের বোঝানো হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ নামক বাংলার রূপকথার রাজকুমার হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। জন্মভ‚মির স্বাধীনতার জন্য তাঁরা দীর্ঘদিন রাত জেগে কাটিয়েছেন। বিপুল বিক্রমে রুখে দিয়েছেন শত্রæবাহিনীর আগ্রাসন।
গ. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় যুদ্ধ শেষে পূর্ণভাবে স্বাধীনতা প্রাপ্তির কথা বলা হলেও উদ্দীপকে কেবল স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত হয়েছে।
 মুক্তিযুদ্ধ আমাদের এক গৌরবের ইতিহাস। ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বাঙালি কীভাবে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল সেই প্রেক্ষাপটই তুলে ধরা হয়েছে। বাংলার মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে জীবন-মরণ যুদ্ধ করে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে চির প্রত্যাশিত স্বাধীনতা অর্জন করে।
 উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে বাঙালির দীর্ঘদিনের শোষণ, বঞ্চনা, নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে মুক্তির প্রত্যাশা। এদেশের কোটি মানুষ জেগে উঠেছে মুক্তিসংগ্রামের চেতনায়। উদ্দীপকে সেই স্বাধীনতাকামী মানুষের হৃদয়ে জেগে থাকা মুক্তির বাসনায় স্বরূপ ফুটে উঠেছে। স্বাধীনতা যেন প্রভাতের লাল সূর্যের মতো এখনই উদিত হবে। অন্যদিকে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনীকে বিপুল বিক্রমে সম্পূর্ণরূপে পরাভ‚ত করার কথা বলা হয়েছে। তাই উদ্দীপকের শেষ চরণের ভাবটি ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. উদ্দীপকে ‘হবে হবে হবে, হবে নিশ্চয়’ বলতে স্বাধীনতা বিজয়ের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা বলা হয়েছে। ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় এই প্রত্যয়ের পূর্ণতা লাভ লক্ষ করা যায়।
 ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতাটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত হানাদাররা বাঙালিকে ভীতু ও ভেতো বলে অবজ্ঞা, অবহেলা করেছিল। সেই বাঙালি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে যে, তারা বীরের জাতি। শত্রæর অমানবিক আরচণ, পৈশাচিক উল্লাস আর নৃশংসতায় বাঙালি দমে যায়নি বরং তাদের সমূলে উৎপাটন করেছে। বীর জাতি বিজয়ের পতাকা উড়িয়ে ফিরে এসেছে দেশের মাটিতে।
 উদ্দীপকের কবিতাংশে ব্যক্ত হয়েছে স্বাধীনতা অর্জনের একান্ত প্রত্যাশার কথা। আশা করা হয়েছে বাংলার নিশ্চিত জয় হবে। এবং তা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে উচ্চারিত হয়েছে। দেশের কোটি মানুষ যখন দেশ মাতৃকার স্বাধীনতার জন্য এক হয়েছে তখন স্বাধীনতার সূর্য উদিত হতে বাধ্য। ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায়ও আমরা এই সত্য লক্ষ করি।
 আলোচ্য কবিতাংশ ও ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতা পর্যালোচনা করলে আমরা পাই, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ইচ্ছা ও আকাক্সক্ষাকে কখনই চেপে রাখা যায় না। তা ছাই চাপা আগুনের মতো জ্বলে ওঠে। মুক্তযুদ্ধে এদেশের মানুষ পাক-হানাদার বাহিনীর অত্যাচার, নির্যাতন, নির্বিচার হত্যার সমুচিত জবাব দিয়েছে। চরম প্রতিশোধ নিয়েছে। লক্ষ মানুষের আত্মদান ও ত্যাগের বিনিময়ে দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করেছে। দেশপ্রেমের চেতনায় গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। তাদের মধ্যে সীমাহীন সাহস ও আত্মপ্রত্যয় সৃষ্টি হয়েছে। আলোচ্য উদ্দীপকেও সেই প্রত্যয়ের কথাই ব্যক্ত হয়েছে। গোটা বাঙালির অন্তরেই ধ্বনি হয়েছিল স্বাধীনতার জয়গান। যুদ্ধের শুরু থেকেই তারা যেন বিজয়ের সুগন্ধ পেয়ে গিয়েছিল। এ কারণেই তাদের হৃদয়ের আত্মবিশ্বাস হয়ে উঠেছিল পাহাড়সম।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১. আমরা পাকিস্তানি হানাদারদের রক্তাক্ত হাত কয় মাসে মুচড়ে দিয়েছি?
উত্তর : আমরা পাকিস্তানি হানাদারদের রক্তাক্ত হাত নয় মাসে মুচড়ে দিয়েছি।
২. বাঙালিরা কিসে মাত হবে বলে পাকিস্তানিরা ভেবেছিল?
উত্তর : বাঙালিরা অস্ত্রে মাত হবে বলে পাকিস্তানিরা ভেবেছিল।
৩. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বাংলাদেশকে কিসের দেশ বলা হয়েছে?
উত্তর : সাহসী জননী বাংলা কবিতায় বাংলাদেশকে চির কবিতার দেশ বলা হয়েছে।
৪. অ আ ক খ বর্ণমালা পথে পথে তেপান্তরে ঘুরে শেষে কী হয়ে গেল?
উত্তর : অ আ ক খ বর্ণমালা পথে পথে তেপান্তরে ঘুরে শেষে ঘৃণার কার্তুজ হয়ে গেল।
৫. সাহসী জননী বাংলার বুকে কিসের আগুন?
উত্তর : সাহসী জননী বাংলার বুকে চাপা মৃতের আগুন।
৬. বুড়িগঙ্গা, পদ্মার নদীতীরের গ্রামে কী পড়েছে?
উত্তর : বুড়িগঙ্গা, পদ্মার নদীতীরের গ্রামে ডাকাত পড়েছে।
৭. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় মধ্যরাতে কাদের আসার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় মধ্যরাতে হানাদারদের আসার কথা বলা হয়েছে।
৮. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কাদের জেগে থাকার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় নীলকমলদের জেগে থাকার কথা বলা হয়েছে?
৯. কবিতার হাতে কী?
উত্তর : কবিতার হাতে রাইফেল।
১০. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতা কিসে ভোজ হওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় প্রতিশোধে ভোজ হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
১১. হিন্দু পুরাণ মতে দেবতাদের শত্রæ কারা?
উত্তর : হিন্দু পুরাণ মতে দেবতাদের শত্রæ অসুররা।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১. ‘তোদের অসুর নৃত্য…. ঠা ঠা হাসি …. ফিরিয়ে দিয়েছি’Ñ চরণটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : পাকিস্তানি হানাদারদের নিষ্ঠুরতার জবাব বাঙালি কড়ায় গণ্ডায় বুঝিয়ে দিয়েছে-এ অনুভ‚তি প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য চরণে।
 মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাঙালির ওপর অমানবিক অত্যাচার নির্যাতন চালায়। অসুর নৃত্য, ঠা ঠা হাসি ইত্যাদির প্রতীকে কবিতায় তাদের সেই ধ্বংসলীলাকেই নির্দেশ করা হয়েছে। কিন্তু বাঙালি চুপচাপ নির্যাতন সহ্য করেনি। বরং প্রতিশোধের প্রবল মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। রক্ষক্ষয়ী যুদ্ধে পাকবাহিনীর শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে। ফলে শত্রæদের ছোড়া তীরে অবশেষে তারা নিজেরাই বিদ্ধ হয়েছে।
২. কবি বাংলাদেশকে ‘চির কবিতার দেশ’ বলেছেন কেন?
উত্তর : বাংলাদেশে কবিতার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য নির্দেশ করতে কবি কামাল চৌধুরী ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বাংলাদেশকে ‘চির কবিতার দেশ’ বলেছেন।
 বাংলাদেশ শিল্প-সংস্কৃতির অন্যতম তীর্থভ‚মি। কবিতার ঐশ্বর্যে এদেশের সংস্কৃতি পরিপূর্ণ। এদেশে রয়েছে কবিতার সমৃদ্ধ এক ঐতিহ্য। কবিতার জন্য বাংলা ও বাঙালি জাতি পৃথিবীখ্যাত। তাই ‘কবিতার দেশ’ বললে যেন বাংলাদেশকেই বোঝানো হয়। আলোচ্য কবিতায় এই উপমা প্রদানের মাধ্যমে কবি সেই চেষ্টাই করেছেন।
৩. ‘কিন্তু কী ঘটল শেষে, কে দেখাল মহা প্রতিরোধ’Ñ কবি এ কথা বলেছেন কেন?
উত্তর : পাকবাহিনীর অবমূল্যায়নের সমুচিত জবাব বাঙালি দিয়েছিল সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ার মাধ্যমেÑ এ প্রসঙ্গটিই উঠে এসেছে আলোচ্য চরণে।
 পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠীর ধারণা ছিল বাঙালি একটি মেরুদণ্ডহীন ভীতু জাতি। অন্যায়, অবিচার তারা সবসময় মুখ বুঝে সইবে। ভেবেছিল অস্ত্রের জোরে ধ্বংস-মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে বাঙালিকে শৃঙ্খলিত করে রাখা যাবে। কিন্তু তাদের সে ভাবনা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয়। বাঙালির বিপুল বিক্রমের সামনে তাদের সমস্ত শক্তি তুচ্ছ প্রমাণিত হয়। তাই কবি উষ্মাভরে তাদের কাছে আলোচ্য প্রশ্নটি ছুড়ে দিয়েছেন।
৪. ‘শেষে হয়ে গেল ঘৃণার কার্তুজ’Ñ কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : ভাষা আন্দোলন থেকে প্রেরণা নিয়ে বাঙালি স্বাধীনতার সংগ্রামে দ্বিগুণ দৃঢ়তার সাথে ঝাঁপিয়ে পড়েÑ আলোচ্য চরণটির মমার্থ এটিই।
 ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাঙালির ইতিহাসের অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালি প্রথম পাকিস্তানিদের অত্যাচার-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। সেই ধারাবাহিকতার চূড়ান্ত লগ্ন উপস্থিত হয় ১৯৭১ সালে। ১৯৫২ থেকে জমতে থাকা সমস্ত অন্যায়ের জবাবে মহা বিস্ফোরণ ঘটে যায় বাঙালির মাঝে। ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত স্মৃতি তাদের প্রতিশোধস্পৃহাকে আরো শানিত করে।
৫. ‘অ আ ক খ বর্ণমালা পথে পথে তেপান্তরে ঘুরে’Ñ কথাটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি পরবর্তী সময়ে বাঙালির সমস্ত আন্দোলন সংগ্রামে প্রেরণার বাতিঘর হিসেবে কাজ করেছেÑ আলোচ্য চরণটিতে এটিই বলা হয়েছে।
 বাঙালির বীরত্ব আর শৌর্যের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালির প্রতিবাদের প্রথম স্তম্ভ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। এর মাধ্যমেই বাঙালির মাঝে স্বাধিকার চেতনার বীজ বপন হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আগ পর্যন্ত তারা নিরন্তর নানা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে চলেছে। আর সেই পথে প্রেরণা জুগিয়েছে ভাষার জন্য বাঙালির সুমহান আত্মত্যাগ।
৬. কবিতার হাতে রাইফেলÑ কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে কবিতার প্রেরণাদাত্রীর ভ‚মিকায় আবির্ভূত হওয়ার কথা বলা হয়েছে আলোচ্য চরণে।
 কবিতা বাঙালির জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ১৯৭১ সালে বাঙালি কবিরা তাঁদের কবিতাকে শত্রæর বিরুদ্ধে প্রতিশোধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। কবিতাতে উঠে এসেছিল বাঙালির প্রতিরোধ ও মুক্তির কথা। এ কারণেই রূপকার্থে আলোচ্য কথাটি বলা হয়েছে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

 সাধারণ বহুনির্বাচনি
১. কামাল চৌধুরী কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? ছ
ক ১৯৪৭ সালে খ ১৯৫৭ সালে
গ ১৯৬৭ সালে ঘ ১৯৭৭ সালে
২. কামাল চৌধুরীর জন্মস্থান কোনটি? চ
ক কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম খ মানিকগঞ্জের ঘিওর
গ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান ঘ নওগাঁর নিয়ামতপুর
৩. কামাল চৌধুরী কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন? জ
ক নিমতা খ চুরুলিয়া
গ বিজয়করা ঘ গোদনাইল
৪. কামাল চৌধুরীর বাবার নাম কী? ঝ
ক আকরাম হোসেন চৌধুরী
খ আফজাল হোসেন চৌধুরী
গ আফসান হোসেন চৌধুরী
ঘ আহমদ হোসেন চৌধুরী
৫. কামাল চৌধুরীর মায়ের নাম কী? চ
ক তাহেরা হোসেন খ জাকিয়া হোসেন
গ রাবেয়া হোসেন ঘ খাদিজা হোসেন
৬. কামাল চৌধুরী কত সালে এসএসসি পাস করেন? জ
ক ১৯৫৭ সালে খ ১৯৬৫ সালে
গ ১৯৭৩ সালে ঘ ১৯৭৭ সালে
৭. কামাল চৌধুরী কোন স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন? জ
ক পোগোজ হাই স্কুল খ ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল
গ গোদনাইল হাই স্কুল ঘ সিকেপি ইনস্টিটিউশন
৮. কামাল চৌধুরী কোন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন? ছ
ক জগন্নাথ কলেজ খ ঢাকা কলেজ
গ নেত্রকোণা কলেজ ঘ রিপন কলেজ
৯. কামাল চৌধুরী কত সালে এইচএসসি পাস করেন? জ
ক ১৯৭১ সালে খ ১৯৭৩ সালে
গ ১৯৭৫ সালে ঘ ১৯৭৭ সালে
১০. কামাল চৌধুরী কোথা থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন? চ
ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
খ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
গ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
ঘ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
১১. কামাল চৌধুরী কোন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন? ঝ
ক বাংলা খ ইংরেজি
গ দর্শন ঘ সমাজবিজ্ঞান
১২. কামাল চৌধুরী কত সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন? জ
ক ২০০১ সালে খ ২০০৪ সালে
গ ২০০৬ সালে ঘ ২০১০ সালে
১৩. কামাল চৌধুরী কোন জনগোষ্ঠীর জীবনধারার ওপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন? ছ
ক সাঁওতাল খ গারো
গ মনিপুরী ঘ চাকমা
১৪. বর্তমানে কামাল চৌধুরী কোন পেশায় নিয়োজিত আছেন? চ
ক সরকারি চাকরি খ সাংবাদিকতা
গ ব্যবসা ঘ চিকিৎসা
১৫. কোনটি কামাল চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ? চ
ক এসেছি নিজের ভোরে
খ বাংলার মাটি বাংলার জল
গ পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
ঘ বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে
১৬. কোনটি কামাল চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ? চ
ক হে মাটি পৃথিবীপুত্র
খ পঞ্চাশ সহস্রবর্ষ
গ গৃহযুদ্ধের আগে
ঘ মুহূর্তের কবিতা
১৭. কোনটি কামাল চৌধুরী রচিত কিশোর কাব্য? ছ
ক আপন দলের মানুষ
খ আপন মনের পাঠশালাতে
গ এই পথ এই কোলাহল
ঘ কালোমেঘের ভেলা
১৮. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় শত্রæদের তাণ্ডবকে কিসের সাথে তুলনা করা হয়েছে? ঝ
ক পশুর নৃত্য খ দেবতা নৃত্য
গ মানব নৃত্য ঘ অসুর নৃত্য
১৯. আমরা শত্রæদের কী মুচড়ে দিয়েছি? জ
ক রক্তাক্ত কান খ রক্তাক্ত পা
গ রক্তাক্ত হাত ঘ রক্তাক্ত নাক
২০. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বাংলাদেশকে কী বলা হয়েছে? চ
ক চির কবিতার দেশ খ চির দারিদ্র্যের দেশ
গ চির গানের দেশ ঘ চির সংঘাতের দেশ
২১. হানাদাররা ভেবেছিল বাংলাদেশ কিসে মাত হবে? জ
ক কবিতায় খ ভোজে
গ অস্ত্রে ঘ অর্থে
২২. বাঙালি কেমন জাতি? ছ
ক আর্য খ অনার্য
গ শ্বেতাঙ্গ ঘ কৃষ্ণাঙ্গ
২৩. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় উল্লিখিত বাঙালির দৈহিক বৈশিষ্ট্য কোনটি? চ
ক খর্বদেহ খ দীর্ঘকায়
গ ক্ষীণকায় ঘ স্ফীতোদর
২৪. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বাঙালির কোনটি খাওয়ার কথা বলা হয়েছে? ছ
ক রক্ত খ ভাত
গ পানি ঘ রুটি
২৫. পাকিস্তানি হানাদাররা বাঙালিকে কী ভেবেছিল? জ
ক সাহসী খ প্রত্যয়ী
গ ভীতু ঘ সৃজনশীল
২৬. বাঙালি কী দেখাল? ছ
ক তারা প্রচণ্ড ভীতু
খ তারা প্রতিরোধ করতে জানে
গ তারা অস্ত্রে মাত হয়
ঘ তারা ভাত খায়
২৭. উদ্বাস্তু আশ্রয়হীন ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কোনটি সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে? ছ
ক বাঙালি জাতি খ বাংলা বর্ণমালা
গ মধ্যরাতের হানাদার ঘ বঙ্গজননী
২৮. বাংলা বর্ণমালা মাতৃ অপমানে কিসে পরিণত হলো? ছ
ক বাঘের থাবায় খ ঘৃণার কার্তুজে
গ মৃতের আগুনে ঘ উদ্বাস্তু আশ্রয়হীনে
২৯. সাহসী জননী বাংলার বুকে কিসের আগুন? জ
ক চাপা ঘৃণার আগুন খ চাপা স্বপ্নের আগুন
গ চাপা মৃতের আগুন ঘ চাপা কবিতার আগুন
৩০. বুড়িগঙ্গা, পদ্মার তীরবর্তী গ্রামে কী পড়েছে? জ
ক বাজ খ বৃষ্টি
গ ডাকাত ঘ তুষার
৩১. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কখন গ্রামে হানাদার আসার কথা বলা হয়েছে? জ
ক গোধূলী লগ্নে খ ভোরবেলায়
গ মধ্যরাতে ঘ ভরদুপুরে
৩২. শত্রæদের প্রতিরোধের জন্য কারা জাগে? ঝ
ক লালকমলেরা খ কালোকমলেরা
গ সবুজকমলের ঘ নীলকমলেরা
৩৩. কবিতার হাতে কী? ছ
ক গ্রেনেড খ রাইফেল
গ স্টেনগান ঘ ছুরি
৩৪. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় হাতে কী ওঠার কথা বলা হয়েছে? ঝ
ক রাইফেল খ স্টেনগান
গ ছুরি ঘ গ্রেনেড
৩৫. ভোজ হবে আজÑকিসে? ঝ
ক গুরুপাকে খ ঘৃণায়
গ লঘুপাকে ঘ প্রতিশোধে
৩৬. বাঙালি হানাদারদের কী কেটে দিয়েছে? ছ
ক নাক খ কান
গ হাত ঘ গলা
৩৭. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কী শেষে ফেরার কথা বলা হয়েছে? ছ
ক দীর্ঘ অনীহা খ রাতজাগা নির্বাসন
গ বহুমাত্রিক শোষণ ঘ নাতিদীর্ঘ অপেক্ষা
৩৮. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কী উড়িয়ে উড়িয়ে ফেরার কথা বলা হয়েছে? জ
ক রক্তাক্ত শার্ট খ সাদা পতাকা
গ স্বাধীনতা ঘ খুশির বেলুন
৩৯. স্বাধীনতা উড়িয়ে উড়িয়ে কোথায় ফেরার কথা বলা হয়েছে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায়? চ
ক জননী বঙ্গে খ নিজ গৃহে
গ শত্রæভ‚মিতে ঘ পদ্মা নদীতীরে
৪০. ‘তোদের অসুর নৃত্য’Ñ চরণে তোদের বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? জ
ক মুক্তিযোদ্ধাদের খ তরুণদের
গ পাকিস্তানিদের ঘ ব্রিটিশদের
৪১. ‘ঠা ঠা হাসি …… ফিরিয়ে দিয়েছি’Ñ কথাটির মর্মার্থ কী? জ
ক বাঙালি হাশিখুশি জাতি
খ বাঙালি অতিথিপরায়ণ নয়
গ বাঙালি প্রতিশোধ নিয়েছে
ঘ বাঙালি সহনশীলতা দেখিয়েছে
৪২. হিন্দু পুরাণ মতে কে দেবতাদের শত্রæ? ছ
ক মুনি খ অসুর
গ ব্রহ্মা ঘ মানুষ
৪৩. অসুর বলতে কী বোঝায়? ছ
ক দেবতা খ দানব
গ সিদ্ধ পুরুষ ঘ কাপুরুষ
৪৪. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় ‘অসুর নৃত্য’ বলতে রূপকার্থে কোনটিকে বোঝানো হয়েছে? ছ
ক দানবদের নাচকে
খ হানাদারদের ধ্বংসলীলাকে
গ বাঙালির প্রতিশোধ মত্ততাকে
ঘ হানাদারদের বেহাল দশাকে
৪৫. পাকিস্তানি বাহিনীর হাত রক্তাক্ত হয়েছিল কেন? চ
ক বাঙালি নিধনের কারণে খ অন্তর্দ্ব›েদ্বর কারণে
গ পশুহত্যার কারণে ঘ যুদ্ধে অদক্ষতার কারণে
৪৬. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার কোন চরণে প্রতিশোধস্পৃহার প্রকাশ ঘটেছে? জ
ক জাগে, নীলকমলেরা জাগে
খ ভেবেছিলি অস্ত্রে মাত হবে
গ তোদের রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিয়েছি
ঘ মধ্যরাতে হানাদার আসে
৪৭. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কবি বাংলাদেশকে কী বলে সম্বোধন করেছেন? জ
ক চির সংঘাতের দেশ খ চিরশান্তির দেশ
গ চির কবিতার দেশ ঘ চিরনিদ্রার দেশ
৪৮. আর্যগণ ভারতে আসার আগে এ অঞ্চলে বসবাসকারী জাতিগুলো কী নামে পরিচিত? ছ
ক ব্রাহ্মণ খ অনার্য
গ ভেড্ডী ঘ দ্রাবিড়
৪৯. কবি কামাল চৌধুরী বাঙালিকে কোনটি বলেছেন? ছ
ক আর্য জাতি খ অনার্য জাতি
গ উদ্যমহীন জাতি ঘ দরিদ্র জাতি
৫০. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বাঙালির কোন পরিচয় পাওয়া যায়? ছ
ক ভীতু মানসিকতার খ সংগ্রামী মানসিকতার
গ কোমল মানসিকতার ঘ যুদ্ধবাজ মানসিকতার
৫১. ভাষা আন্দোলনের সাথে কোন সালটি জড়িত? ছ
ক ১৯৪৭ খ ১৯৫২
গ ১৯৬৯ ঘ ১৯৭১
৫২. বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার পথে সংগ্রামের প্রাথমিক প্রেরণা কোনটি ছিল? জ
ক গণ-অভ্যুত্থান খ সিপাহি আন্দোলন
গ ভাষা আন্দোলন ঘ দেশবিভাগ
৫৩. ‘কার্তুজ’ শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে? ছ
ক কাটিজ খ কারটিজ
গ করটিজ ঘ কুর্তা
৫৪. কার্তুজ কী? চ
ক বন্দুকের টোটা খ গুলির খোসা
গ গ্রেনেডের চাবি ঘ রাইফেলের হাতল
৫৫. ‘নীলকমল’ বলতে কী বোঝায়? চ
ক নীল রঙের পদ্ম খ নীল রঙের শাপলা
গ নীল রঙের গোলাপ ঘ নীল রঙের ডালিয়া
৫৬. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় ‘নীলকমল’ বলতে রূপকার্থে কাদের বোঝানো হয়েছে? চ
ক মুক্তিযোদ্ধাদের খ রাজাকারদের
গ হানাদারদের ঘ শিশুদের
৫৭. বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম যদি একটি রূপকথার গল্প হয় তবে এর রাজকুমার কারা? ছ
ক তরুণরা খ মুক্তিযোদ্ধারা
গ রাজাকাররা ঘ বায়োজ্যেষ্ঠরা
৫৮. ‘জাগে, নীলকমলেরা জাগে’Ñ চরণটির ভাবার্থ কী? চ
ক মুক্তিযোদ্ধাগণ বিনিদ্র রাত কাটান
খ হানাদাররা মধ্যরাতে হানা দেয়
গ বাঙালির চোখে ঘুম নেই
ঘ শিশুরা ঘুমুতে চায় না
৫৯. ‘কবিতার হাতে রাইফেল’Ñ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? জ
ক স্বাধীনতার সংগ্রামে নারীর অংশগ্রহণ
খ মুক্তিযোদ্ধাদের কাব্যচর্চা আগ্রহ
গ কবিতার মাধ্যমে প্রতিরোধ ও মুক্তির কথা প্রকাশ
ঘ হানাদারদের কাব্যপ্রীতি
৬০. মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তিশালী আক্রমণের ইঙ্গিত করতে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কোনটি ব্যবহৃত হয়েছে? জ
ক জাগে নীলকমলেরা জাগে
খ কবিতার হাতে রাইফেল
গ এবার বাঘের থাবা
ঘ ডাকাত পড়েছে গ্রামে
৬১. রাতজাগা নির্বাসন শেষে বাঙালি কী লাভ করেছে? ছ
ক পরাধীনতার শেকল খ স্বাধীনতার সূর্য
গ মায়ের ভাষা বাংলা ঘ অসুর নৃত্য
৬২. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতাটি কামাল চৌধুরীর কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত? ঝ
ক মিছিলের সমান বয়সী খ এসেছি নিজের ভোরে
গ হে মাটি পৃথিবীপুত্র ঘ ধূলি ও সাগর দৃশ্য
৬৩. সাহসী জননী বাংলা কবিতাটি কামাল চৌধুরীর কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে? চ
ক কবিতাসংগ্রহ খ পান্থশালার ঘোড়া
গ এই পথ এই কোলাহল ঘ টানাপোড়েনের দিন
৬৪. মুক্তিযুদ্ধের সময় গ্রামবাংলার মানুষ অশুভ শক্তিকে কীভাবে পরাভ‚ত করে? ছ
ক সারল্যের শক্তিতে খ সমন্বিত সংহতিতে
গ প্রযুক্তির সাহায্যে ঘ দৈব ক্ষমতাবলে
৬৫. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় গ্রামবাংলায় জনসাধারণের সমন্বিত প্রতিরোধের কথা প্রকাশিত হয়েছে কোন বাক্যে? ছ
ক জাগে, নীলকমলেরা জাগে
খ ভাই বোনকে ঘুমায়
গ বাঙালি অনার্য জাতি
ঘ বুকে চাপা মৃতের আগুন
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক
৬৬. কামাল চৌধুরীর কবিতায় লক্ষণীয়Ñ
র. বাঙালির আবহমান জীবনচর্চার কথা
রর. বাঙালির সংগ্রামের চিত্র
ররর. মানবীয় বোধের প্রকাশ
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৭. কামাল চৌধুরীর কাব্যচর্চার বৈশিষ্ট্যÑ
র. নিরীক্ষাপ্রবণতা
রর. ঐতিহ্যপ্রিয়তা
ররর. শব্দ ও ছন্দ ব্যবহারে সচেতনতা
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৮. পাকিস্তানি হানাদারদের নিধনযজ্ঞের উন্মত্ততা প্রকাশক হলোÑ
র. ঠা ঠা হাসি
রর. রক্তাক্ত হাত
ররর. অসুর নৃত্য
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৯. পাকিস্তানি হানাদাররা ভেবেছিলÑ
র. বাঙালি প্রতিরোধ গড়তে জানে না
রর. বাঙালি ভাত খায় না
ররর. বাঙালির বুকে তেজ নেই
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭০. বাঙালি অনার্য জাতি, খর্বদেহ ……. ভাত খায়, ভীতুÑ পাকিস্তানিদের এমন ধারণা পোষণের কারণ কী?
র. বাঙালিকে অবমূল্যায়ন
রর. নিজেদের শক্তিমত্তায় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস
ররর. বাঙালির অসহায়ত্বের ইতিহাস
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭১. প্রতিশোধের নেশায় বাঙালি হানাদারদেরÑ
র. রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিয়েছে
রর. কান কেটে দিয়েছে
ররর. উদ্বাস্তু, আশ্রয়হীন করেছে
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭২. ভাষা আন্দোলনÑ
র. বাঙালির ইতিহাসের তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়
রর. স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রেরণার বাতিঘর
ররর. বাঙালির সংগ্রামমুখরতার অনন্য স্বাক্ষর
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৩. পাকিস্তানি সেনাদের অত্যাচারী চরিত্র বোঝাতে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় যে উপমা ব্যবহার করা হয়েছেÑ
র. ডাকাত রর. অনার্য
ররর. অসুর
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৪. ‘নীলকমল’ বলতে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বোঝানো হয়েছেÑ
র. রূপকথার রাজকুমারদের রর. রূপকথার রাজাদের
ররর. মুক্তিযোদ্ধাদের
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৫. ‘কবিতার হাতে রাইফেল’ চরণটিতে বোঝানো হয়েছেÑ
র. কবিতায় মুক্তিসংগ্রামের প্রসঙ্গ
রর. মুক্তিযুদ্ধে নারীদের বীরত্বপূর্ণ অংশগ্রহণের কথা
ররর. কবিতাকে যুদ্ধ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের কথা
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৬. স্বাধীনতাযুদ্ধে শত্রæকে পরাভ‚ত করার মন্ত্র ছিল বাঙালির মনেরÑ
র. প্রবল ঘৃণা রর. কাব্যময় স্নিগ্ধতা
ররর. সাহসের ইস্পাতদৃঢ়তা
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৭. স্বর্ণশ্যাম বুক ছিঁড়ে অস্ত্র হাতে নামে সান্ত্রী কাপুরুষ।’Ñ বাক্যটিতে উল্লিখিত সান্ত্রী কাপুরুষদের কার্যকলাপ ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় যেভাবে এসেছেÑ
র. অসুর নৃত্য
রর. গ্রেনেড উঠেছে হাতে
ররর. রক্তাক্ত হাত
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭৮ ও ৭৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
১৯৭১ সালের একটি দিন। পাকিস্তানি হানাদাররা আক্রমণ করেছে কাজলডাঙা গ্রাম। সামনে যে পড়ল সে-ই হলো লাশ। ঘরবাড়ি পুড়ল আগুনে। হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে গর্জে উঠল রাইফেল। ঘণ্টাখানেক পর কয়েকটা লাশ পেছনে ফেলে পাকিস্তানিদের বাকি সদস্যরা প্রাণ নিয়ে পিছু হঠল।
৭৮. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার যে বিষয়টি উদ্দীপকে প্রতিফলিতÑ
র. শত্রæবাহিনীর নির্মমতা রর. মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধ
ররর. হতভাগ্য বাঙালির নির্বাসিত জীবনযাপন
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৯. কবিতার যে চরণে উক্ত ভাব প্রকাশিতÑ
র. এসেছি আবার ফিরে…. রাতজাগা নির্বাসন শেষে
রর. জাগে, নীলকমলেরা জাগে
ররর. কান কেটে দিয়েছি তাদের
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮০ ও ৮১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
লক্ষ লক্ষ হা-ঘরে দুর্গত
ঘৃণ্য যম-দূত-সেনা এড়িয়ে সীমান্তপারে ছোটে
পথে পথে অনশনে অন্তিম যন্ত্রণা রোগে ত্রাসে
সহস্রের অবসান, হন্তারক বারুদে বন্দুকে
মূর্ছিত-মৃতের দেহ বিদ্ধ করে
৮০. উদ্দীপক কবিতাংশের ঘৃণ্য যম-দূত-সেনা ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কী নামে অভিহিত হয়েছে? জ
ক নীলকমল খ বাঘ
গ অসুর ঘ অনার্য
৮১. উদ্দীপক কবিতাংশে প্রকাশিত ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার ভাব হলোÑ
র. পাক হানাদারদের বর্বরতা
রর. অত্যাচারের শিকার বাঙালির নির্বাসনে বাধ্য হওয়া
ররর. বাঙালির প্রতিরোধ অভিযান
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮২. উক্ত ভাব কবিতার যে চরণে উপস্থিতÑ
র. গ্রেনেড উঠেছে হাতে
রর. রাতজাগা নির্বাসন শেষে
ররর. বুকে চাপা মৃতের আগুন
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৩ ও ৮৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
বাংলাদেশ রক্তে ভেজা মৌন এক অন্ধকার
বাংলাদেশ শপথ নেয় তীক্ষè এক স্বাধীনতার
বাংলাদেশ বিশাল এক অগ্নিব্যুহ প্রজ্জ্বলিত
বাংলাদেশ মিছিল কাঁপা ¯েøাগান দেওয়া আন্দোলিত।
৮৩. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার যে দিকটি উদ্দীপক কবিতাংশে প্রতিফলিতÑ চ
ক বাঙালির প্রতিরোধ খ বাংলা ভাষার মহিমা
গ পাকবাহিনী কর্তৃক বাঙালির অবমূল্যায়ন
ঘ স্বাধীনতার আনন্দ
৮৪. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার যে পঙ্ক্তিতে উক্ত ভাব প্রতিফলিতÑ
র. ভেবেছিলি অস্ত্রে মাত হবে
রর. গ্রেনেড উঠেছে হাতে ররর. ভাইবোন কে ঘুমায়?
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৫ ও ৮৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
কলমের সাথে আজ
কবির দুর্জয় হাতে নির্ভুল স্টেনগান কথা বলে।
৮৫. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার কোন চরণটির সাথে উদ্দীপক কবিতাংশটি সাদৃশ্যপূর্ণ? ঝ
ক মধ্যরাতে হানাদার আসে খ খেলেছি, মেরেছি সুখে
গ জাগে, নীলকমলেরা জাগে
ঘ কবিতার হাতে রাইফেল
৮৬. উক্ত সাদৃশ্যÑ
র. যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে কবিতার ব্যবহার বর্ণনায়
রর. স্বাধীনতা সংগ্রামে সৃজনশীল মানুষদের অবদান বর্ণনায়
ররর. হানাদার বাহিনী প্রতিরোধে বাঙালির সাহসিকতা বর্ণনায়
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৭ ও ৮৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
গানে আর ভিন্ন কি সুরের ব্যঞ্জনা?
যখন হানাদারবধ সংগীতে
ঘৃণার প্রবল মন্ত্রে জাগ্রত
স্বদেশের তরুণ হাতে
নিত্য বেজেছে অবিরাম
মেশিনগান, মর্টার গ্রেনেড।
৮৭. ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার সাথে উদ্দীপক কবিতাংশের মিল কিসেÑ
র. শত্রæর প্রতি প্রবল ঘৃণায় রর. প্রতিশোধের প্রবল মন্ত্রে
ররর. মুক্তিযোদ্ধাদের মানসিক দৃঢ়তায়
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৮. কবিতার যে চরণে উক্ত সাদৃশ্য প্রতীয়মানÑ
র. কে দেখাল মহা প্রতিরোধ
রর. এবার বাঘের থাবা
ররর. মধ্যরাতে হানাদার আসে
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 

This Post Has One Comment

  1. Marie

    Where’s the Ans?

Leave a Reply