পঞ্চম শ্রেণি

৫ম শ্রেণির গণিত ২য় অধ্যায় সমাধান (অনুশীলনী-ভাগ)

৫ম শ্রেণির গণিত ২য় অধ্যায় সমাধান (অনুশীলনী-ভাগ)

পঞ্চম/ ৫ম শ্রেণির গণিত ২য় অধ্যায় সমাধান দেখতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন। এখানে ৫ম শ্রেণির গণিত ২য় অধ্যায় ভাগ অনুশীলনীর সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে পঞ্চম শ্রেণির গণিতের সকল অধ্যায়ের অনুশীলনীর সমাধান সহ ৫ম শ্রেণির গণিত ২য় অধ্যায় সৃজনশীল, ৫ম শ্রেণির গণিত অনুশীলনী ২ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর লিংক শেয়ার করা হয়েছে। ৫ম শ্রেণির গণিত অনুশীলনী ২ ভাগ সমাধান ১. ভাগ কর : (১) ৫৭২৪৯ ÷ ২২৮ (২) ৪৩৯৩২ ÷ ৫২৩ (৩) ৩২৬৩৭ ÷ ৩০৩ (৪) ২০৩৮৭ ÷ ৪০৬ (৫) ৫৩৩৫২ ÷ ৭০২ (৬) ৪৯৮০০ ÷ ২৩০ (৭) ৫৪০০১ ÷ ৯০৭ (৮) ৩০০০০ ÷ ৪২০ (৯) ১২৩০০ ÷ ৩০০ (১০) ৩৫০০০ ÷ ৭০০ (১১) ৪৮০০০ ÷ ৮০০ (১২) ৭৩৩০০ ÷ ৬০০ সমাধান : ২. সঠিক কি না যাচাই কর : (১) ২৯৮৪৫ ÷ ২৯৩ এর ভাগফল ১০১ ভাগশেষ ২৮২ (২) ৩৯৪৯৩ ÷ ৩২১ এর ভাগফল ১২৩ ভাগশেষ ১০ (৩) ৯৭৫০০ ÷ ১৮৬ এর ভাগফল ৫২৩ ভাগশেষ ২২২ সমাধান :                   ১০১ (১) ২৯৩) ২৯৮৪৫                   ২৯৩                         ৫৪৫                         ২৯৩                                ২৫২ ∴ ২৯৮৪৫ ÷ ২৯৩ এর ভাগফল ১০১ ভাগশেষ এবং ২৫২। সুতরাং ২৯৮৪৫ ÷ ২৯৩ এর ভাগফল ১০১ ভাগশেষ ২৮২ সঠিক নয়। উত্তর : সঠিক নয়।                    ১২৩ (২) ৩২১) ৩৯৪৯৩                  ৩২১                    ৭৩৯                    ৬৪২                       ৯৭৩                       ৯৬৩                           ১০ ∴ ৩৯৪৯৩ ÷ ৩২১ এর ভাগফল ১২৩ এবং ভাগশেষ ১০ সুতরাং ৩৯৪৯৩ ÷ ৩২১ এর ভাগফল ১২৩ ভাগশেষ ১০ সঠিক। উত্তর : সঠিক। (৩) আমরা জানি, ভাগশেষ < ভাজক এখানে, ভাগশেষ, ভাজক অপেক্ষা বড়। সুতরাং ৯৫৭০০ ÷ ১৮৬ এর ভাগফল ৫২৩ এবং ভাগশেষ ২২২ সঠিক নয়। উত্তর : সঠিক নয়। ৩. ভাগ কর : (১) ৬৯৫ ÷ ১০ (২) ২৮২০ ÷ ১০ (৩) ৬২৩৫ ÷ ১০০ (৪) ৯৪০০ ÷ ১০০ (৫) ৫৪৮২৬ ÷ ১০০ (৬) ৮৫২০০ ÷ ১০০ সমাধান : ৪. কোনো বাড়িতে ৯৮০০০ গ্রাম চাল আছে। তাদের যদি প্রতিদিন ৬৫০ গ্রাম চাল লাগে, তবে কততম দিনে চাল শেষ হবে? (উত্তর ক্রমবাচক সংখ্যায়) সমাধান : আমরা যদি ৯৮০০০ গ্রামকে ৬৫০ গ্রাম দ্বারা ভাগ করি, তাহলে ৯৮০০০ ÷ ৬৫০। ∴ ভাগফল ১৫০, ভাগশেষ ৫০০। ১৫০তম দিন পরে ৫০০ গ্রাম চাল অবশিষ্ট থাকবে। ∴ ১৫০ + ১ = ১৫১ তম দিনে চাল শেষ হবে। উত্তর : ১৫১তম দিনে। ৫. একটি বই তৈরি করতে ১২৮ তা কাগজ লাগে। ৬০০০০ তা কাগজ দিয়ে কয়টি বই তৈরি করা যাবে? সমাধান : আমরা যদি ৬০০০০ তা কাগজকে ১২৮ তা কাগজ দিয়ে ভাগ করি, তাহলে ৬০০০০ ÷ ১২৮ ∴ ভাগফল ৪৬৮, ভাগশেষ ৯৬। ৪৬৮টি বই তৈরি করার পরেও ৯৬ তা কাগজ থেকে যাবে। সুতরাং ৪৬৮টি বই তৈরি করা যাবে। উত্তর : ৪৬৮টি। ৬. একটি কোম্পানির ব্যবসায় ৯৫২০০ টাকা লাভ হলো এবং তা কর্মচারীদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলো। যদি প্রত্যেক কর্মচারী ৮০০ টাকা করে পান, তাহলে কর্মচারীর সংখ্যা কত? সমাধান : আমরা যদি ৯৫২০০ টাকাকে ৮০০ টাকা দ্বারা ভাগ করি, তাহলে ৯৫২০০ ÷ ৮০০। ∴ ভাগফল ১১৯। সুতরাং, কর্মচারীর সংখ্যা ১১৯ জন। উত্তর : ১১৯ জন। ৭. একজন লোক প্রতি মাসে ৮৫০ টাকা করে সঞ্চয় করেন। কততম মাসে তার সঞ্চিত টাকা ৫০০০০ অতিক্রম করবে? (উত্তর ক্রমবাচক সংখ্যায়) সমাধান : আমরা যদি ৫০০০০ টাকাকে ৮৫০ টাকা দ্বারা ভাগ করি, তাহলে ৫০০০০ ÷ ৮৫০ ∴ ভাগফল ৫৮, ভাগশেষ ৭০০। ৫৮তম মাসে সঞ্চয় করার পরেও ৭০০ টাকা বাকি থাকবে। সুতরাং ৫৮ + ১ = ৫৯তম মাস পর সঞ্চিত টাকা ৫০০০০ অতিক্রম করবে। উত্তর : ৫৯তম মাসে। ৮. একটি বাক্সে ২৫০টি বস্তু প্যাকেট করা যায়। এরকম ৪৩৫৪৮টি বস্তু প্যাকেট করার জন্য কয়টি বাক্স প্রয়োজন? সমাধান : আমরা যদি ৪৩৫৪৮টি বস্তুকে ২৫০টি বস্তু দ্বারা ভাগ করি, তাহলে ৪৩৫৪৮ ÷ ২৫০। ∴ ভাগফল ১৭৪, ভাগশেষ ৪৮। ১৭৪টি বাক্স প্যাকেট করার পরেও ৪৮টি বস্তু বাকি থাকবে। মোট বাক্স প্রয়োজন (১৭৪ +১) = ১৭৫টি উত্তর : ১৭৫টি বাক্স। 🔶🔶 পঞ্চম শ্রেণির গণিত সকল অধ্যায় 🔶🔶 পঞ্চম শ্রেণির সকল বিষয়  

৫ম শ্রেণির গণিত ২য় অধ্যায় সমাধান (অনুশীলনী-ভাগ) Read More »

৫ম শ্রেণির গণিত ১ম অধ্যায় সমাধান (অনুশীলনী-গুণ)

৫ম শ্রেণির গণিত ১ম অধ্যায় সমাধান (অনুশীলনী-গুণ)

পঞ্চম/ ৫ম শ্রেণির গণিত ১ম অধ্যায় সমাধান (গুণ) পোস্টে আপনাকে স্বাগতম। এখানে পঞ্চম শ্রেণির গণিত প্রশ্ন উত্তর সহ ৫ম শ্রেণির গণিত ১ম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, ৫ম শ্রেণির গণিত ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও সমাধান এবং পঞ্চম শ্রেণির গণিত সমাধান pdf পেয়ে যাবেন। ৫ম শ্রেণির গণিত ১ম অধ্যায় গুণ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর ১. গুণ কর : (১) ১২৩ × ৩২১ (২) ৪৯৮ × ৫৭৬ (৩) ৪০৮ × ২০৩ (৪) ৩২৬৭ × ২৪৫ (৫) ৮৯৭৬ × ৯৫৬ (৬) ৩০২৮ × ৪১৭ (৭) ২৯০৬ × ৮০১ (৮) ৪০০৭ × ৮০৯ (৯) ৭০১০ × ১৪০ সমাধান : ২. গুণ কর : (১) ৪৩০ × ৫০০ (২) ৮০০ × ৯০০ (৩) ৪৩২০ × ১৯০ (৪) ৬১৫০ × ৮২০ (৫) ৩৪০০ × ৭০০ (৬) ৬০০০ × ৯০০ সমাধান : (১) ৪৩ × ৫ = ২১৫ ৪৩০ × ৫ = ২১৫০ ৪৩০ × ৫০০ = ২১৫০০০ উত্তর: ২১৫০০০। (২) ৮ × ৯ = ৭২ ৮০০ × ৯ = ৭২০০ ৮০০ × ৯০০ = ৭২০০০০ উত্তর: ৭২০০০০। (৩) ৪৩২ × ১৯ = ৮২০৮ ৪৩২০ × ১৯ = ৮২০৮০ ৪৩২০ × ১৯০ = ৮২০৮০০ উত্তর: ৮২০৮০০। (৪) ৬১৫ × ৮২ = ৫০৪৩০ ৬১৫০ × ৮২ = ৫০৪৩০০ ৬১৫০ × ৮২০ = ৫০৪৩০০০ উত্তর: ৫০৪৩০০০। (৫) ৩৪ × ৭ = ২৩৮ ৩৪০০ × ৭ = ২৩৮০০ ৩৪০০ × ৭০০ = ২৩৮০০০০ উত্তর: ২৩৮০০০০। (৬) ৬ × ৯ = ৫৪ ৬০০০ × ৯ = ৫৪০০০ ৬০০০ × ৯০০ = ৫৪০০০০০ উত্তর: ৫৪০০০০০। ৩. সহজ পদ্ধতিতে গুণ কর : (১) ৯৯৯ × ৪৫ (২) ৯৯০ × ৬০ (৩) ৯৯০ × ৩৬০ (৪) ৯৯০০ × ৪০০ (৫) ১০১ × ২৩ (৬) ১১০ × ২৯০ (৭) ১০০১ × ৭৮ (৮) ১০১০ × ৫৬০ (৯) ১১০০ × ৯০০ সমাধান : (১) ৯৯৯ × ৪৫ = (১০০০ – ১) × ৪৫ = ১০০০ × ৪৫ – ১ × ৪৫ = ৪৫০০০ – ৪৫ = ৪৪৯৫৫ উত্তর: ৪৪৯৫৫। (২) ৯৯০ × ৬০ = (১০০০ – ১০) × ৬০ = ১০০০ × ৬০ – ১০ × ৬০ = ৬০০০০ – ৬০০ = ৫৯৪০০ উত্তর: ৫৯৪০০। (৩) ৯৯০ × ৩৬০ = (১০০০ – ১০) × ৩৬০ = ১০০০ × ৩৬০ – ১০ × ৩৬০ = ৩৬০০০০ – ৩৬০০ = ৩৫৬৪০০ উত্তর: ৩৫৬৪০০। (৪) ৯৯০০ × ৪০০ = (১০০০০ – ১০০) × ৪০০ = ১০০০০ × ৪০০ – ১০০ × ৪০০ = ৪০০০০০০ – ৪০০০০ = ৩৯৬০০০০ উত্তর: ৩৯৬০০০০। (৫) ১০১ × ২৩ = (১০০ + ১) × ২৩ = ১০০ × ২৩ + ১ × ২৩ = ২৩০০ + ২৩ = ২৩২৩ উত্তর: ২৩২৩। (৬) ১১০ × ২৯০ = (১০০ + ১০) × ২৯০ = ১০০ × ২৯০ + ১০ × ২৯০ = ২৯০০০ + ২৯০০ = ৩১৯০০ উত্তর: ৩১৯০০। (৭) ১০০১ × ৭৮ = (১০০০ + ১) × ৭৮ = ১০০০ × ৭৮ + ১ × ৭৮ = ৭৮০০০ + ৭৮ = ৭৮০৭৮ উত্তর: ৭৮০৭৮। (৮) ১০১০ × ৫৬০ = (১০০০ + ১০) × ৫৬০ = ১০০০ × ৫৬০ + ১০ × ৫৬০ = ৫৬০০০০ + ৫৬০০ = ৫৬৫৬০০ উত্তর: ৫৬৫৬০০। (৯) ১১০০ × ৯০০ = (১০০০ + ১০০) × ৯০০ = ১০০০ × ৯০০ + ১০০ × ৯০০ = ৯০০০০০ + ৯০০০০ = ৯৯০০০০ উত্তর: ৯৯০০০০। ৪. খালিঘরে সংখ্যা বসাও : ৫. গ্রামবাসীরা গ্রামের রাস্তা মেরামতের জন্য টাকা তোলার সিদ্ধান্ত নিলেন। গ্রামে ৩২৪টি পরিবার আছে। প্রত্যেক পরিবার যদি ২৫০ টাকা করে জমা দেয়, তাহলে সর্বমোট কত টাকা হবে? সমাধান : গ্রামে পরিবার আছে : ৩২৪টি প্রত্যেক পরিবার জমা দেয় : ২৫০ টাকা মোট জমা হবে : (৩২৪ × ২৫০) টাকা এখানে, ৩২৪ × ২৫০ ১৬২০০ ৬৪৮০০ ৮১০০০ উত্তর: ৮১০০০ টাকা। 🔶🔶 পঞ্চম শ্রেণির গণিত সকল অধ্যায় 🔶🔶 পঞ্চম শ্রেণির সকল বিষয়  

৫ম শ্রেণির গণিত ১ম অধ্যায় সমাধান (অনুশীলনী-গুণ) Read More »

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ১২ বাংলাদেশ ও বিশ্ব

অধ্যায় ১২ বাংলাদেশ ও বিশ্ব  অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান  অল্পকথায় উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ জাতিসংঘের প্রশাসনিক শাখার নাম লেখ। উত্তর : জাতিসংঘের প্রশাসনিক শাখাগুলো হলো : ১. সাধারণ পরিষদ, ২. নিরাপত্তা পরিষদ, ৩. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, ৪. আন্তর্জাতিক আদালত, ৫. সচিবালয় ও ৬. অছি পরিষদ। প্রশ্ন \ ২ \ জাতিসংঘের চারটি উন্নয়নমূলক সংস্থার নাম লেখ। উত্তর : জাতিসংঘের চারটি উন্নয়নমূলক সংস্থা হলো : ১. ইউনিসেফ, ২. বিশ্বব্যাংক, ৩. ইউএনডিপি ও ৪. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রশ্ন \ ৩ \ সার্কের চারটি উদ্দেশ্য লেখ। উত্তর : সার্কের চারটি উদ্দেশ্য হলো : ১. সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থার দ্রæত উন্নয়ন করা। ২. দেশগুলোকে বিভিন্ন বিষয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করা। ৩. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করার মাধ্যমে দেশগুলোর উন্নয়ন সাধন করা। ৪. সদস্য দেশগুলোর স্বাধীনতা রক্ষা ও ভৌগোলিক সীমা মেনে চলা।  প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ জাতিসংঘ কেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? উত্তর : দুটি বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে বিশ্বের তৎকালীন নেতারা বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য একটি নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠন করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গড়ে উঠে জাতিসংঘ। ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ জন্মলাভ করে। প্রশ্ন \ ২ \ ইউনিসেফের কয়েকটি কাজ বর্ণনা কর। উত্তর : ইউনিসেফ এর পুরো নাম জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে এর সদর দপ্তর অবস্থিত। ইউনিসেফ ১. শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা, ২. গ্রামে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, ৩. স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা তৈরি, ৪. মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষা, ৫. শিশুদের বিভিন্ন প্রতিষেধক টিকা দান ইত্যাদি কাজ করে। প্রশ্ন \ ৩ \ বাংলাদেশের উত্তরে অবস্থিত সার্কের দুটি ছোট দেশ সম্পর্কে লেখ। উত্তর : বাংলাদেশের উত্তরে সার্কের দুটি দেশ হলো : নেপাল ও ভুটান। নেপাল : বিশ্বের একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র। এটিকে ‘হিমালয় কন্যা’ বলা হয়। এদেশে ‘মাউন্ট এভারেস্ট’ রয়েছে যার উচ্চতা ৮,৮৫০ মিটার। সার্কের সদর দপ্তর নেপালের কাঠমন্ডুতে। ভুটান : ১৯৪৯ সালে ব্রিটেনের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। রাষ্ট্রীয় নাম দি কিংডম অব ভুটান। ভাষা দোজংখা। মুদ্রা ‘গুলট্রাম’। অধিকাংশ লোক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। জাতীয় খেলা তীরন্দাজী।  বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর  যোগ্যতাভিত্তিক ১. বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে বিশ্বের সুনাম কুড়িয়েছে। এর শান্তিরক্ষা বাহিনী জাতিসংঘের কোন শাখার অধীনে? ক. সাধারণ পরিষদ খ. অছি পরিষদ গ. নিরাপত্তা পরিষদ চ ঘ. সচিবালয় ২. বাংলাদেশের উপক‚লীয় অঞ্চলে প্রতিবছরই বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে। ফলে এদেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে কোন সংস্থার নিকট থেকে আমরা সহযোগিতা পেয়ে থাকি? ক. ইউনেস্কো খ. ইউএনডিপি গ. খাদ্য ও কৃষি সংস্থা চ ঘ. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩. বাংলাদেশের সাথে মায়ানমারের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ ধরনের বিভিন্ন বিরোধ মীমাংসার জন্য বাংলাদেশের করণীয় হলোÑ ক. অছি পরিষদে মামলা করা খ. নিরাপত্তা পরিষদে মামলা করা গ. সাধারণ পরিষদে মামলা করা ঘ. আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করা চ ৪. বাংলাদেশ কোন সংস্থার নিকট থেকে শিক্ষা, যোগাযোগ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে? ক. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খ. বিশ্বব্যাংক চ গ. ইউনেস্কো ঘ. ইউনিসেফ ৫. খাসিয়াদের এলাকায় একটি সংস্থা শিশু উন্নয়নের কাজ করে। এক্ষেত্রে কোন নামটি গ্রহণযোগ্য? ক. ইউনিসেফ খ. ইউনেস্কো চ গ. ইউএনডিপি ঘ. সার্ক ৬. বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে বিশ্বের সুনাম অর্জন করেছে। এই শান্তিরক্ষা বাহিনী জাতিসংঘের কোন শাখার অধীন? ক. সাধারণ পরিষদ খ. সচিবালয় গ. অছি পরিষদ ঘ. নিরাপত্তা পরিষদ চ ৭. বাংলাদেশের সুন্দরবন, ষাটগম্বুজ মসজিদ, পাহাড়পুরসহ প্রতœতাত্তি¡ক নির্দশন রক্ষায় কোন সংস্থা সহযোগিতা করছে? ক. সার্ক খ. জাতিসংঘ গ. ইউএনডিপি ঘ. ইউনেস্কো চ ৮. জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে দশটি দেশকে নির্বাচন করে। এসকল অস্থায়ী সদস্যদের মেয়াদ কত বছর? ক. দুই বছর চ খ. এক বছর গ. তিন বছর ঘ. পাঁচ বছর ৯. বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কীভাবে দায়িত্ব পালন করে বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে? ক. নিষ্ঠা ও দ্রæততার সাথে খ. ধৈর্য ও বীরত্বের সাথে গ. নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সাথেচ ঘ. ধৈর্য ও ঐকান্তিকতার সাথে ১০. একটি রাষ্ট্রে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদ কীভাবে ভ‚মিকা পালন করে? ক. সামরিক শক্তির ব্যবহার করে চ খ. সচিব নিয়োগ করে গ. বোমা বর্ষণ করে ঘ. গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে ১১. বিশ্বের দেশগুলোর জন্য কী প্রয়োজন বলে তুমি মনে কর? ক. ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্ব চ খ. বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা গ. স¤প্রীতি ও সহযোগিতা ঘ. ভ্রাতৃত্ব ও স¤প্রীতি ১২. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে কেন? ক. কৃষি উন্নয়ন খ. শিল্প উন্নয়ন গ. স্বাস্থ্য উন্নয়ন চ ঘ. জলবায়ু নিয়ে কাজ করতে ১৩. জাতিসংঘের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সংস্থা রয়েছে। তন্মধ্যে নিচের কোন সংস্থাটি বিশ্বের শিশুদের উন্নয়নে কাজ করে? ক. ইউএনডিপি খ. ইউনিসেফ চ গ. ইউনেস্কো ঘ. ইউএনএফপিএ ১৪. ইউএনডিপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কেন? ক. শিশু অধিকার রক্ষায় খ. পরিবেশ উন্নয়নে চ গ. নারী অধিকার রক্ষায় ঘ. যুদ্ধ বন্ধ করতে ১৫. ২০০৬ সালেও দেশটি সার্কের সদস্য ছিল না। বর্তমানে সদস্য। এই সদস্য রাষ্ট্র কোনটি? ক. বাংলাদেশ খ. ভারত গ. নেপাল ঘ. আফগানিস্তান চ ১৬. আফগানিস্তান একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার সর্বশেষ সদস্য রাষ্ট্র। এ সংস্থাটি গঠিত হয় কোন তারিখে? ক. ৮ই ডিসেম্বর চ খ. ৯ই ডিসেম্বর গ. ১০ই ডিসেম্বর ঘ. ৯ই মার্চ ১৭. ঋঅঙ-এর সদর দপ্তর দেখতে হলে আরিফকে কোন দেশে যেতে হবে? ক. ডেনমার্ক খ. জার্মান গ. ইতালিচ ঘ. কানাডা ১৮. বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে কত সালে? ক. ১৯৭১ খ. ১৯৭২ গ. ১৯৭৩ ঘ. ১৯৭৪ চ ১৯. বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে তোমাদের বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এক্ষেত্রে কত তারিখে অনুষ্ঠানটি হবে? ক. ৭ই মার্চ খ. ৭ই আগস্ট গ. ৭ই জুন ঘ. ৭ই এপ্রিল চ ২০. বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার লক্ষ্যে কোনটির কোনো বিকল্প নেই? ক. ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের খ. বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের চ গ. সমস্যা ও সমাধানের ঘ. উৎসাহ ও আগ্রহের ২১. জাতিসংঘের উন্নয়নমূলক সংস্থাটি ইউএনডিপি কোন ক্ষেত্রে কাজ করছে? ক. বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির উন্নয়ন খ. শিশুদের পুষ্টিহীনতা দূর গ. পরিবেশ উন্নয়ন চ ঘ. রোগ ব্যাধি থেকে রক্ষা ২২. তোমার ছোট ভাই প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। তুমি পঞ্চম শ্রেণিতে। তোমাদের জন্য জাতিসংঘের কোন সংস্থা কাজ করবে? ক. টঘউচ খ. ঋঅঙ গ. টঘওঈঊঋ চ ঘ. ডঞঙ ২৩. বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তির জন্য সশস্ত্রবাহিনী প্রেরণ করলেও কাদের নিজস্ব কোনো সামরিক বাহিনী নেই? ক. বাংলাদেশের খ. সার্কের গ. জাতিসংঘের চ ঘ. যুক্তরাষ্ট্রের ২৪. ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ গঠিত হয়। এর বর্তমান মহাসচিব দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। তার নাম কী? ক. ট্রিগভেলি খ. বান কি মুন চ গ. কফি আনান ঘ. কুট ওয়াল্ড হেইম ২৫. বাংলাদেশ দুইবার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হয়। এ সদস্যপদ ছিল ক. স্থায়ী খ. অস্থায়ী চ

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ১২ বাংলাদেশ ও বিশ্ব Read More »

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ১১ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী

অধ্যায় ১১ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী  অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান  অল্পকথায় উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পোশাকের উদাহরণ দাও। উত্তর : পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পোশাকের উদাহরণ : ১. ত্রিপুরা মেয়েদের ‘রিনাই’ ও ‘রিসা’। ২. খাসি ছেলেদের ‘ফুংগ মারুং’। ৩. ম্রো মেয়েদের ‘ওয়াংলাই’। ৪. গারো নারীদের ‘দকবান্দা’ বা ‘দকসারি’। ৫. ওঁরাও পুরুষদের ধুতি। প্রশ্ন \ ২ \ পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী উৎসবের উদাহরণ দাও। উত্তর : পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী উৎসবের উদাহরণ : ১. খাসিদের ‘ফসলহানি’। ২. ম্রোদের জন্ম, বিয়ে, মৃত্যু ইত্যাদিকে ঘিরে উৎসব। ৩. গারোদের ঐতিহ্যবাহী উৎসব ‘ওয়াংগালা’। ৪. ওঁরাওদের প্রধান উৎসবের নাম ‘ফাগুয়া’। ৫. ত্রিপুরাদের নববর্ষের উৎসব। প্রশ্ন \ ৩ \ পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী খাদ্যের উদাহরণ দাও। উত্তর : পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী খাদ্যের উদাহরণ : ১. খাসিদের পান-সুপারি এবং চা। ২. ম্রোদের নাপ্পী। ৩. ওঁরাওদের খাবার ভুট্টা। ৪. গারোদের বাঁশের কোড়ল দিয়ে তৈরি করা খাবার। ৫. ত্রিপুরাদের শূকরের মাংস।  প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতি আমরা কীভাবে গণতান্ত্রিক মনোভাব প্রকাশ করতে পারি? উত্তর : আমাদের আশপাশে বসবাসকৃত ক্ষুদ্র ও বৃহত্তর বহু জাতিসত্তার মানুষের সাথে আমরা সবাই একসাথে লেখাপড়া ও খেলাধুলা করব। পরস্পর পরস্পরকে বিভিন্নভাবে জানার চেষ্টা করব এবং সবাই সবার উৎসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করব। একে অন্যের ঐতিহ্য সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা জানাব। কোনো জাতির মানুষকে ছোট করে না দেখে সকলকে ভালোবাসতে পারলে সকল জাতির চোখে সকলকে ভালোবাসতে পারলে সকল জাতির মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ বজায় থাকে। এভাবে শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শনের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকারকে স্বীকার করে নিয়ে এবং কার্যত তাদের প্রাধান্য দিয়ে আমরা তাদের প্রতি গণতান্ত্রিক মনোভাব প্রকাশ করতে পারি। প্রশ্ন \ ২ \ তিনটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ধর্ম সম্পর্কে লেখ। উত্তর : গারো : গারোদের আদি ধর্মের নাম সাংসারেক। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ গারো খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী। ত্রিপুরা : ত্রিপুরারা সনাতন ধর্মের অনুসারী। তবে বেশিরভাগই হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং শিব ও কালী পূজা করেন। নিজস্ব কিছু দেব-দেবীর উপাসনাও তারা করেন। যেমন- গ্রামের সকল লোকের মঙ্গলের জন্য তারা ‘কের’ পূজা করেন। খাসি : খাসিরা বিভিন্ন দেবতার পূজা করেন। তাদের প্রধান দেবতার নাম উবøাই নাংথউ যাকে তারা পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা মনে করেন। প্রশ্ন \ ৩ \ কোনো একজন মানুষ যে ভিন্ন গোষ্ঠীর তা তুমি কীভাবে বুঝবে? উত্তর : ভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষকে যেভাবে চেনা যাবে তা হলো : ১. ভাষার মাধ্যমে; ২. সমাজ ব্যবস্থা ও ধর্মের মাধ্যমে; ৩. এলাকা বা অঞ্চলের মাধ্যমে; ৪. পোশাক ও উৎসবের মাধ্যমে; ৫. খাদ্য ধরনের মাধ্যমে ইত্যাদি।  বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর  যোগ্যতাভিত্তিক ১. বান্দরবান শহরের কাছে চিম্বুক পাহাড়ে গেলে তুমি কোন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ দেখতে পাবে? ক. ওঁরাও খ. রাজবংশী গ. মালপাহাড়ি ঘ. ম্রো চ ২. অতীতে সিলেট অঞ্চলে জয়ন্তা ও জৈন্তিয়া নামে একটি রাজ্য ছিল। উক্ত রাজ্যে আগে কোন ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বাস করত বলে ধারণা করা হয়? ক. খাসি চ খ. ম্রো গ. গারো ঘ. রাখাইন ৩. কে মুরং বিয়ে করে তাদের সমাজব্যবস্থা অনুযায়ী স্ত্রীর সাথে শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। কে মুরং কোন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অন্তর্গত? ক. চাকমা খ. ম্রো গ. ফরম ঘ. গারো চ ৪. নারীরা মাথায় ফুল দিয়ে সেজে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে। এতে কোন উৎসবের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে? ক. ফাগুয়া খ. সাংগ্রেন গ. বিশু চ ঘ. ওয়াংগালা ৫. রিঝুর পরীক্ষার জন্য সে ‘বিশু’ উৎসবে তেমন বেশি সময় কাটাতে পারেনি। রিঝু কোন উপাজাতির অন্তর্ভুক্ত? ক. গারো খ. ভালোবাসা গ. শ্রদ্ধা ঘ. ত্রিপুরা চ ৬. বিজু এমন একটি রাজ্যের নাম জানে যেখানে অতীতে খাসিরা বাস করত। রাজ্যটি হচ্ছে ক. জয়ন্তা খ. অজন্তা গ. অবেং ঘ. মারুং চ ৭. তোমরা একের অন্যের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে কী জানাবে? ক. সম্মান খ. ভালোবাসা গ. শ্রদ্ধা চ ঘ. হিংসা ৮. গারো সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। কোন সমাজের প্রভাবে তাদের আচরণ ও অনুশীলন পরিবর্তিত হচ্ছে? ক. খাসি খ. বাঙালিচ গ. চাকমা ঘ. মালপাহাড়ি ৯. ধ্রæবদের বাড়ি সিলেট জেলায় অবস্থিত। তাদের এলাকায় কোন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে? ক. গারো খ. খাসিচ গ. ম্রো ঘ. ত্রিপুরা ১০. রূপালী খাসি জাতিসত্তার সদস্য। চার বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। খাসি সমাজের নিয়ম অনুসারে পারিবারিক সম্পত্তি বণ্টন করা হলে ক. রূপালী বেশিরভাগের উত্তরাধিকারী হবে চ খ. বড় বোন বেশিরভাগের উত্তরাধিকারী হবে গ. দ্বিতীয় বোন বেশিরভাগের উত্তরাধিকারী হবে ঘ. তৃতীয় বোন বেশিরভাগের উত্তরাধিকারী হবে ১১. তিশমার পরিবারের ছেলেরা ফুংগ মারুং নামক পোশাক পরিধান করে। তিশমার পরিবারের ক্ষেত্রে কোনটি প্রযোজ্য? ক. মারমা পরিবার খ. গারো পরিবার গ. খাসি পরিবার চ ঘ. চাকমা পরিবার ১২. ম্রো সমাজে শিশুদের ৩ বছর হলে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের কানেই ছিদ্র করে দেয়া হয়। এর কারণ কী? ক. এটি একটি রীতি চ খ. এটি ধর্মীয়ভাবে স্বীকৃত গ. এটি গুরুজনদের আদেশ ঘ. এটি উৎসবের অংশ ১৩. বাংলাদেশের কোন ক্ষুদ্র জাতিসত্তা গ্রামের সকল লোকের মঙ্গলের জন্য ‘কের’ পূজা করেন? ক. মারমা খ. সাঁওতাল গ. ওঁরাও ঘ. ত্রিপুরা চ ১৪. মনখেমে ভাষাভাষীরা সিলেটে বসবাস করে। তাদের প্রধান দেবতার নামÑ ক. মন থেমে খ. উবøাই নাংথউ চ গ. তোরাই ঘ. ফুংগ মারুং ১৫. ত্রিপুরা উপজাতি মেয়েদের বংশ পরিচয় নির্ধারিত হয় কীভাবে? ক. এলাকা রীতি অনুযায়ী খ. স্বামীর গোষ্ঠী অনুযায়ী গ. পিতার গোষ্ঠী অনুযায়ী ঘ. মাতার গোষ্ঠী অনুযায়ী চ ১৬. খাসিরা অতিথিদের পান-সুপারি দিয়ে আপ্যায়ন করে কেন? ক. পান-সুপারিকে পবিত্র মনে করে চ খ. দাম কম বলে গ. সহজে পাওয়া যায় বলে ঘ. প্রধান খাদ্য বলে ১৭. গারো সমাজের মতোই পরিবারের ছোট মেয়ে প্রচুর সম্পত্তির অধিকারী হলো সেজুতি। তার জনগোষ্ঠী কিসের চাষ করে? ক. জুম খ. পান চ গ. ধান ঘ. মৌমাছি ১৮. ওঁরাওদের ভাষা দুইটি। একটি সাদ্রি। অপরটি ক. মনখেমে খ. কুড়–খ চ গ. মৈতৈ ঘ. অবেৎ ১৯. আবির ময়মনসিংহে গিয়ে দেখতে পেল সেখানে সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। সে কোন জনগোষ্ঠীর দেখা পেল? ক. গারোচ খ. ম্রো গ. ওঁরাও ঘ. ত্রিপুরা ২০. নববর্ষের প্রথম দিনে মানিয়া বিশু উৎসব পালন করে। সে কোন জনগোষ্ঠীর লোক? ক. চাকমা খ. ওঁরাও গ. ত্রিপুরাচ ঘ. খাসি ২১. মাতৃতান্ত্রিক সমাজ বলতে তুমি কী বুঝবে? ক. পিতা পরিবারের প্রধান খ. মা পরিবারের প্রধানচ গ. বড় ভাই পরিবারের প্রধান ঘ. বড় বোন পরিবারের প্রধান ২২. বিনয় ত্রিপুরা পার্বত্য চট্টগ্রামে বাস করেন। বিনয় কোন ধর্মের অনুসারী? ক. সাংসারক খ. সনাতন চ গ. খ্রিষ্ট ঘ. বৌদ্ধ ২৩. বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, হালুয়াঘাটে কোন উপজাতি সম্পদ্রায়ের বসবাস? ক. গারো চ খ. খাসি গ. ম্রো ঘ. ত্রিপুরা ২৪. পাংখুয়া উবøাই নাংথউ-এর পূজা করে। তার ভাষার নাম কী? ক. মনপুরা খ. মনেপড়ে গ. মনখেমে চ ঘ. মনযেয়ে  সাধারণ ২৫. কোন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মেয়েরা ‘কাজিম পিন’ নামক বøাউজ ও লুঙ্গি পরে? ক. খাসি চ খ. ম্রো গ. গারো ঘ. ত্রিপুরা ২৬. ওঁরাওদের প্রধান খাবার কোনটি? ক.

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ১১ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী Read More »

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ১০ গণতান্ত্রিক মনোভাব

অধ্যায় ১০ গণতান্ত্রিক মনোভাব  অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান  অল্পকথায় উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ বিদ্যালয়ে এমন দুইটি কাজের কথা উল্লেখ কর যেখানে গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উত্তর : বিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা হয়, এমন দুইটি কাজ হলো : শ্রেণিকক্ষ সাজানোর ব্যাপারে : শ্রেণির বিভিন্ন কাজ যেমন : চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ গোছানো ইত্যাদি সম্পর্কে সব সহপাঠীর সাথে আলোচনা করে করব। বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে : সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বনভোজন ইত্যাদির ব্যাপারেও আমরা সবাই মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। প্রশ্ন \ ২ \ বাড়িতে এমন দুইটি কাজের কথা উল্লেখ কর যেখানে গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উত্তর : বাড়িতে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একে অপরের মতামত শোনা প্রয়োজন। বাড়িতে গণতান্ত্রিক চর্চা হয় এমন দুইটি কাজ হলো : ১. কোথাও বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে : কোনো জায়গা বেড়াতে যাওয়ার ব্যাপারে একে অপরের মতামত নিতে পারি। ২. ঘরের বা বাড়ির কোনো জিনিস কেনার ব্যাপারে : বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র লাগে। তবে কোনটি বেশি প্রয়োজন তা সকলের মতামত নিয়ে যেটি সিদ্ধান্ত হবে সেটি কিনতে হবে। প্রশ্ন \ ৩ \ বিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের চারটি ধাপ উল্লেখ কর। উত্তর : বিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের চারটি ধাপ হলো : ১. সবার মতামত নেওয়া। ২. প্রত্যেকের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া ও শ্রদ্ধা করা। ৩. অধিকাংশের মতামতকে বিবেচনা করা। ৪. চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।  প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় কীভাবে অর্জিত হয়েছিল? উত্তর : মুক্তিযুদ্ধ আমাদের স্বাধীন একটি দেশ উপহার দিয়েছে, সেই সাথে দিয়েছে গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ। ’৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘন্টা বাজিয়ে দেয় পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী। এ প্রেক্ষাপটে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জনপ্রতিনিধিরাই স্বাধীন সরকার গঠন করে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু সরকারও সাংবিধানিকভাবে গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করে। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় অর্জিত হয়েছিল। প্রশ্ন \ ২ \ কর্মক্ষেত্রে কীভাবে গণতন্ত্রের চর্চা করা যায়? উত্তর : আমরা বিভিন্ন ধরনের কর্মের সাথে জড়িত। এক্ষেত্রে গণতন্ত্র চর্চার জন্য সর্বস্তরের সহকর্মীদের সাথে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা উচিত। এর ফলে সকলেই সকলের গুরুত্ব বুঝতে পারবে ও নিজেদের মত প্রকাশে উৎসাহিত হবে। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের সেবা আরও ভালোভাবে সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারবে। এতে প্রতিষ্ঠানের সুনাম যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি জনগণও উপকৃত হবে। প্রশ্ন \ ৩ \ তোমার পাড়ায় গণতন্ত্রের চর্চা করা প্রয়োজন কেন? উত্তর : মানুষ সামাজিক জীব। তাই মানুষ একে অপরের সাথে মিলেমিলে বসবাস করে। পাড়ায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে। তখন সকলের মতামতের ভিত্তিতে সমাধান করতে হয়। যেমন: এলাকায় একটি নতুন রাস্তা তৈরি করা হবে। কিন্তু প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা জায়গায় রাস্তা চায়। এমন অবস্থায় গণতান্ত্রিক উপায়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।  বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর  যোগ্যতাভিত্তিক ১. পরিবার গণতন্ত্র চর্চার উৎকৃষ্ট স্থান। আমরা পরিবারে গণতন্ত্র চর্চা করতে পারিÑ ক. পরিবারের কথা না শুনে খ. নিজের মতামত চাপিয়ে দিয়ে গ. সবার মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে চ ঘ. পরিবারের সাথে ঝগড়া না করে ২. দেশের উন্নয়নে কী ধরনের নাগরিক প্রয়োজন? ক. শিক্ষিত চ খ. নিরক্ষর গ. ব্যবসায়ী ঘ. রাজনৈতিক নেতা ৩. নিজ নিজ শ্রেণিকক্ষ পরিস্কার রাখার কাজে সবাই সমানভাবে অংশগ্রহণ করবে। কারণÑ ক. সকলেই একই ক্লাসে পড়ে বলে খ. সকলে সমান বেতন ও ফি পরিশোধ করে বলে গ. শ্রেণিশিক্ষক সকলকেই সমান চোখে দেখেন বলে ঘ. সকলেই এর সুফল ভোগ করবে বলে চ ৪. তোমাদের শ্রেণিতে দলনেতা নির্বাচন করতে চাও। এক্ষেত্রে কার মতামতকে বেশি গুরুত্ব দিবে? ক. ধনী খ. মেয়েদের গ. শিক্ষকের ঘ. সকলের চ ৫. প্রকৃত গণতন্ত্র দেশের জন্য খুবই কল্যাণকর। আমরা দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারিÑ ক. মানুষের কুৎসা রটিয়ে খ. মত প্রকাশের সুযোগ দিয়ে চ গ. রাজনীতিতে অংশ নিয়ে ঘ. সরকারের সমালোচনা করে ৬. জাতীয় নির্বাচনে আমাদের কেমন পার্থী নির্বাচিত করা উচিত? ক. ধনী খ. গরিব গ. সৎ চ ঘ. ব্যবসায়ী ৭. কালমেঘা এলাকার জনগণ শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে আগ্রহী। এ উদ্দেশ্যে তাদের কেমন মনোভাব সম্পন্ন হতে হবে? ক. গণতান্ত্রিক চ খ. একনায়কতান্ত্রিক গ. রাজতান্ত্রিক ঘ. স্বৈরতান্ত্রিক ৮. আমরা স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগত কাজে কোন ধরনের কাজ করলে সঠিক লাভবান হব? ক. একক কাজ খ. দলগত কাজ চ গ. যৌথ কাজ ঘ. সবগুলো ৯. রাকিব ও রিয়া এবার ছুটিতে কোথায় বেড়াতে যাবে তা নিয়ে বাবা-মার সাথে আলোচনা করেছে। তাদের ঐ আচরণের সাথে মিল রয়েছেÑ ক. স্কুলে গণতান্ত্রিক মনোভাবের চর্চা খ. বাড়িতে গণতান্ত্রিক মনোভাবের চর্চা চ গ. সমাজে গণতান্ত্রিক মনোভাবের চর্চা ঘ. রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক মনোভাবের চর্চা ১০. কোনো কাজ করতে গেলে তুমি নিচের কোনটিকে অধিক কার্যকর মনে কর? ক. শিক্ষকের সিদ্ধান্ত খ. নিজের সিদ্ধান্ত গ. প্রিয় বন্ধুর সিদ্ধান্ত ঘ. দলগত সিদ্ধান্ত চ ১১. পঞ্চম শ্রেণিতে শ্রেণিনেতা নির্বাচন করা হবে। এক্ষেত্রে কোন পদ্ধতিটি তুমি সমর্থন করবে? ক. শিক্ষকের মতে নির্বাচন খ. একজনের মতে নির্বাচন গ. গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনচ ঘ. ইচ্ছেমত নির্বাচন ১২. তোমার শ্রেণিতে নেতা নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কোন সিদ্ধান্ত বেশি উপযোগী বলে মনে কর? ক. অধিকাংশের মতামত চ খ. শিক্ষকের নিজস্ব পছন্দ গ. মেধাবী শিক্ষার্থী হওয়া ঘ. দুষ্ট শিক্ষার্থী হওয়া চ ১৩. আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি কোনটি? ক. সংবিধানচ খ. গণতন্ত্র গ. সমাজতন্ত্র ঘ. রাজতন্ত্র ১৪. আমরা গণতান্ত্রিক আচরণ করব কেন? ক. নিজের স্বার্থের জন্য খ. কোনো উদ্দেশ্যে নয় গ. স্বৈরাচারী শাসনের জন্য ঘ. গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য চ ১৫. আমরা বাড়িতে যেকোনো কাজে কী রকম মনোভাব দেখাব? ক. গণতান্ত্রিক মনোভাব চ খ. একনায়কতান্ত্রিক মনোভাব গ. তাচ্ছিল্যের মনোভাব ঘ. কোনোটিই নয় ১৬. আমরা বিভিন্ন কাজের সিদ্ধান্ত কীসের ভিত্তিতে গ্রহণ করব? ক. নিজস্ব মতের ভিত্তিতে খ. বন্ধুদের মতের ভিত্তিতে গ. আত্মীয়স্বজনের মতের ভিত্তিতে ঘ. অধিকাংশের মতের ভিত্তিতে চ ১৭. শ্রেণিনেতাকে আমরা বিভিন্ন কাজে সহায়তা করব কেন? ক. আমাদের সহপাঠী খ. আমাদের নির্বাচিত নেতা চ গ. লেখাপড়ায় ভালো ঘ. শিক্ষক পছন্দ করেন ১৮. তোমাদের শ্রেণিতে লায়লা দলনেতা নির্বাচিত হয়েছে, এ ক্ষেত্রেÑ ক. অধিকাংশ শিক্ষার্থী লায়লাকে দলনেতা বানাতে চেয়েছে চ খ. অন্য কেউ দলনেতা হতে চায়নি গ. শিক্ষক লায়লাকে বেশি পছন্দ করেন ঘ. লায়লা জোর করে দলনেতা হয়েছে ১৯. সবার মতকে সম্মান করা এবং অধিকাংশের মত অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া কীসের মূলকথা? ক. রাজতন্ত্রের খ. নিয়মতন্ত্রের গ. সমাজতন্ত্রের ঘ. গণতন্ত্রের চ ২০. স¤প্রতি তোমার ক্লাসে শ্রেণিনেতা নির্বাচন হয়েছে। শ্রেণিনেতা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট যে পেয়েছে তাকে কী করা হলো? ক. প্রধান শ্রেণিনেতা চ খ. দ্বিতীয় শ্রেণিনেতা গ. অবহেলা করা ঘ. এড়িয়ে চলা ২১. ঝিনুর, মা, বাবা ও ভাইয়া সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল, আগামী শীতকালীন ছুটিতে তারা কক্সবাজার বেড়াতে যাবে। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনটিকে সমর্থন করছে? ক. তাদের বাড়িতে গণতন্ত্রের চর্চা হয় চ খ. গণতন্ত্র সমর্থন করে না গ. সবাই নিজের মত

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ১০ গণতান্ত্রিক মনোভাব Read More »

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৯ আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য

অধ্যায় ৯ আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য  অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান  অল্পকথায় উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ সমাজের প্রতি আমাদের চারটি কর্তব্য উল্লেখ কর। উত্তর : সমাজের প্রতি আমাদের চারটি কর্তব্য হলো : ১. সবাই মিলেমিশে থেকে সমাজকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করে রাখা। ২. সমাজে বিভিন্ন ধরনের সম্পদ (যেমন : রাস্তাঘাট, পুল-সেতু, যানবাহন, গাছপালা, খেত, পুকুর, পার্ক, ক্লাব ইত্যাদি) সংরক্ষণ করে রাখা। ৩. সমাজের বিভিন্ন নিয়মকানুন ও আচার-আচরণ মেনে চলা। ৪. সমাজের শান্তি নষ্ট হয়- এ ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকা। প্রশ্ন \ ২ \ রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের চারটি কর্তব্য উল্লেখ কর। উত্তর : নাগরিক হিসেব রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। তার মধ্যে চারটি উল্লেখযোগ্য কর্তব্য হলো : ১. রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা : নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা আমাদের অন্যতম প্রধান কর্তব্য। আমরা রাষ্ট্রের শাসন মেনে চলব। ২. আইন মেনে চলা : দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অন্যান্য বিভিন্ন কারণে সরকার আইন প্রণয়ন করে। এসব আইন মেনে চলা নাগরিক হিসেবে আমাদের কর্তব্য। ৩. নিয়মিত কর প্রদান : রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। নাগরিকদের দেওয়া কর থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাজ করে। তাই নিয়মিত কর দেওয়া নাগরিকদের কর্তব্য। ৪. ভোটদান : ভোট দেওয়া নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আমাদের দেশে ১৮ বছর বয়স হলে নাগরিকরা ভোট দিতে পারে। ভোটের মাধ্যমে নাগরিকরা রাষ্ট্রের শাসনকাজে অংশগ্রহণ করে। প্রশ্ন \ ৩ \ প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সের চারটি সরঞ্জামের নাম লিখ। উত্তর : প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সের চারটি সরঞ্জাম হলো : ১. জীবাণুনাশক ঔষুধ। ২. কাঁচি। ৩. তুলা। ৪. টেপ।  প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ অপরিচিত মানুষের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে তোমার বন্ধুকে কী বলবে? উত্তর : আমাদের অপরিচিত ব্যক্তির সাথে কোথাও যাওয়া উচিত নয়। অপরিচিত কেউ কোনো কিছু খেতে দিলে খাওয়া উচিত নয়। যদি কোনো অপরিচিত ব্যক্তি কোথাও যাওয়া বা খাওয়ার জন্য জোর করে তাহলে আশেপাশের লোকদের জানানো উচিত। বাড়িতে অপরিচিত লোকদের ডাকে পরিচয় না জেনে ঘরের দরজা না খোলা। তাহলে অনেক বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। প্রশ্ন \ ২ \ বাড়িতে কীভাবে নিরাপদ থাকা যায় সে সম্পর্কে তোমার বন্ধুকে কী বলবে? উত্তর : বাড়িতে নিরাপদে থাকার জন্য আমাদের নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন : দা, ছুরি, কাঁচি দিয়ে যাতে হাত, পা না কাটে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে ও সতর্ক থাকতে হবে। বাড়িতে কেউ যাতে ভুল ওষুধ ও কীটনাশক না খেতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক করতে হবে। গ্যাসের চুলা থেকে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। মাটির চুলা থেকে যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে, চুলার আগুন নিভিয়ে রাখতে হবে। প্রশ্ন \ ৩ \ রাস্তায় কীভাবে নিরাপদ থাকা যায় সে সম্পর্কে তোমার বন্ধুকে কী বলবে? উত্তর : রাস্তায় দিন দিন দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। এসব দুর্ঘটনা এড়াতে যা করা উচিত তা হলো : একটু কষ্ট হলেও হেঁটে ওভারব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হওয়া উচিত। রাস্তার উপর আড়াআড়ি সাদা দাগকে জেব্রাক্রসিং বলে। এ জেব্রাক্রসিং দিয়ে দু’পাশে ভালো করে দেখে নিয়ে রাস্তা পার হওয়া উচিত। রাস্তার মাঝখান দিয়ে না হেঁটে ফুটপাথ দিয়ে হাঁটা উচিত। ট্রাফিক নিয়ম মেনে রাস্তায় চলাচল করা উচিত।  বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর  যোগ্যতাভিত্তিক ১. স্কুল মাঠে ফুটবল খেলার সময় তোমার একজন বন্ধু সামান্য আঘাত পেয়েছে। তুমি তখন কী করবে? ক. তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেবচ খ. তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব গ. শিক্ষককে বিষয়টি জানা ঘ. তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাব ২. অপরিচিত ব্যক্তি তোমাকে কিছু খেতে দিলে তুমি কী করবে? ক. ছোট ভাইকে নিয়ে খাব খ. কৌশলে এড়িয়ে যাব চ গ. খাবারটি অন্য শিশুকে দেব ঘ. বন্ধুদেরকে নিয়ে খাব ৩. বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ব্যবহারে আমাদের যতœশীল হওয়া প্রয়োজন কেন? ক. এটি আমাদের দায়িত্বচ খ. শিক্ষককে খুশি করার জন্য গ. পিতামাতাকে খুশি করার জন্য ঘ. শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য ৪. তোমার বয়স ১০ বছর। আর কত বছর পর তুমি ভোট দিতে পারবে? ক. ৬ খ. ৭ গ. ৮ চ ঘ. ৯ ৫. স্কুলের মাঠে খেলতে গিয়ে তোমার বোন গুরুতর আঘাত পেয়েছে। তুমি কী করবে? ক. ঝাঁড়ফুক দেয়া লোকের কাছে নিয়ে যাব খ. আমি নিজেই তার চিকিৎসার চেষ্টা করব গ. তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব ঘ. প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ডাক্তারের কাছে নেব চ ৬. তোমার এক সহপাঠী স্কুলে টিফিন আনতে ভুলে গেছে। তুমি কী করবে? ক. তাকে প্রতিদিন টিফিন আনতে বলব খ. নিজ টিফিন তার সাথে ভাগ করে খাব চ গ. নিজ টিফিন খেয়ে নেব ঘ. বিষয়টি এড়িয়ে যাব ৭. রাস্তা পারাপারের জন্য আইন মেনে চলার প্রধান কারণÑ ক. যানজট এড়ানো খ. দুর্ঘটনা এড়ানো চ গ. জরিমানা এড়ানো ঘ. দ্রæত রাস্তা পার হওয়া ৮. তুমি ও তোমার ছোটভাই বাড়িতে বসে আছ, সে সময়ে তোমার ছোটভাই এর ডায়রিয়া শুরু হলো। তুমি সর্বপ্রথম কী করবে? ক. হাসপাতালে নিয়ে যাব খ. ওরস্যালাইন খেতে দেব চ গ. প্রতিবেশীদের খবর দেব ঘ. পিতামাতাকে খবর দেব ৯. তোমার প্রতিবেশী একজন মুক্তিযোদ্ধা বর্তমানে অসুস্থ এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল। এখন তুমি কী করবে? ক. বিষয়টি এড়িয়ে যাব খ. সাহায্যের উদ্যোগ নেব চ গ. শিক্ষকের সাহায্য চাইব ঘ. নিজ বাড়িতে নিয়ে আসব ১০. তোমার একজন বন্ধু প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় তোমার চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে। তুমি কী করবে? ক. তাকে বকা দেব খ. তাকে ঈর্ষা করব গ. তাকে বিদ্রƒপ করব ঘ. তাকে অভিনন্দিত করব চ ১১. একজন নাগরিক কীভাবে শাসন কাজে অংশগ্রহণ করেন? ক. ভোটদানের মাধ্যমে চ খ. শিক্ষা লাভের মাধ্যমে গ. কর প্রদানের মাধ্যমে ঘ. দরিদ্রদেরকে সাহায্য করার মাধ্যমে ১২. প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক রাখার প্রধান কারণ হলো ক. আমরা একই এলাকায় বাস করি বলে খ. আমাদের ব্যবহার ভলো হওয়া উচিত বলে গ. তাদের সাথে আমাদের প্রতিদিন দেখা হয় বলে ঘ. আমরা অসুবিধায় পড়লে তারা এগিয়ে আসেন বলে চ ১৩. তোমার বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে একটা সাঁকো ভেঙে গেছে। এক্ষেত্রে তুমি কী করবে? ক. অন্য বিদ্যালয়ে যাব খ. বড়দের সহায়তায় মেরামত করব চ গ. বিকল্প পথে বিদ্যালয়ে যাব ঘ. মেরামতের জন্য নিজেই অর্থ সংগ্রহ করব ১৪. দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কী ধরনের লোককে ভোট দেওয়া উচিত? ক. সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি চ খ. ধনী ও নামকরা ব্যক্তি গ. নিজ দলের লোক ঘ. প্রভাবশালী ব্যক্তি ১৫. রাস্তায় চলার সময় একজন অপরিচিত ব্যক্তি চকোলেট দিয়ে তোমার সাথে খাতির জমাতে চাইল। তুমি কী করবে? ক. আমি চকোলেটটি নেব খ. আমি চকোলেটটি নেব না চ গ. আমি চকোলেটটি ফেলে দেব ঘ. আমি চকোলেটি নেব এবং পরে খাব ১৬. তুমি দেশসেবার জন্য তোমাকে প্রস্তুত করতে চাও। সেক্ষেত্রে তোমাকে কীভাবে

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৯ আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য Read More »

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৮ নারী-পুরুষ সমতা

অধ্যায় ৮ নারী-পুরুষ সমতা  অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান  অল্পকথায় উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ নারী নির্যাতনের দুটি কারণ উল্লেখ কর। উত্তর : নারীরা সমাজে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়ে থাকে। নিচে নারী নির্যাতনের দুটি কারণ তুলে ধরা হলো : ১. নারী নির্যাতনের মূল কারণ হচ্ছে পুরুষের তুলনায় নারীদের বা শিক্ষার হার কম এবং সামাজিক মর্যাদার নিম্নমান। ২. বিভিন্ন কুসংস্কারের কারণে নারীরা নির্যাতিত হয়ে থাকে। প্রশ্ন \ ২ \ নারী নির্যাতনের দুটি কুফল উল্লেখ কর। উত্তর : নারী নির্যাতন একটি সামাজিক সমস্যা। নারী নির্যাতনের কুফল ব্যাপক। নিম্নে নারী নির্যাতনের প্রধান দুইটি কুফল আলোচনা করা হলো : ১. নারী নির্যাতনের ফলে নির্যাতিত নারীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। ২. নির্যাতিত নারী সময়মতো কোনো কাজ করতে পারে না। ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় ও শিক্ষাজীবন ব্যাহত হয়। প্রশ্ন \ ৩ \ বেগম রোকেয়া সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ। উত্তর : নারী-পুরুষ সমতা ও নারী শিক্ষার বিষয়ে সমাজকে সচেতন করতে বেগম রোকেয়া অসামান্য অবদান রাখেন। নারী শিক্ষার প্রসারে বেগম রোকেয়া ১৯০৫ সালে ভাগলপুরে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই মেয়েরা ধীরে ধীরে শিক্ষার আলো পেতে থাকে।  প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত কত? উত্তর : বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে ছেলেমেয়েকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছে। জাতির উন্নয়নের স্বার্থে তা জরুরি। বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে এ বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বর্তমানে প্রাথমিক স্তরে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশ আশানুরূপ। প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত ৮১ ঃ ৮৪। প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা সফলভাবে সমাপ্ত করে এমন ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত কত? উত্তর : প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির অনুপাত অত্যন্ত আশাপ্রদ। কিন্তু এরপরে বেশ বড় সংখ্যায় কিছু ছাত্র-ছাত্রী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত না করেই ঝরে পড়ে। যারা পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ হয় তাদের সবার ফলাফল আবার ভালো নয়। প্রাথমিক শিক্ষা সফলভাবে সমাপ্তকারী ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত অবশ্য সমান সমান ৫০ ঃ ৫০। প্রশ্ন \ ৩ \ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য কী? উত্তর : ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিনটিতে নারীর অধিকার নিশ্চিতসহ নানা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। দৈনন্দিন জীবনের সকল স্তরে নারীর সমতার দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে বিশ্বব্যাপী ‘উৎসাহমূলক পরিবর্তন’ এর দাবী জানানো হয়। নারী-পুরুষ পারিবারিক, সামাজিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমতার অনগ্রসরতাকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসাই নারী দিবসের কাম্য। সুতরাং সমাজে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম।  বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর  যোগ্যতাভিত্তিক ১. আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয় কেন? ক. নারীশিক্ষার জন্য খ. নারীদের বেতন বৃদ্ধির জন্য গ. নারীদের চাকরি দেওয়ার জন্য ঘ. নারী-পুরুষের বৈষম্য হ্রাসের জন্য চ ২. একই পরিবারে ছেলে এবং মেয়ে সন্তানদের মধ্যে সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন কেন? ক. উভয়কেই খুশি রাখার জন্য খ. উভয়েই একই পরিবারের সদস্য বলে গ. পরিবারে উভয়েরই সমান অবদান থাকে বলে ঘ. উভয়েরই সমান অধিকার রয়েছে বলে চ ৩. আগের দিনে মেয়েশিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি না করার কারণ হিসেবে নিচের কোনটি অধিক উপযোগী? ক. রাজনৈতিক বাধা খ. সামাজিক বাধা চ গ. অর্থনৈতিক বাধা ঘ. ধর্মীয় বাধা ৪. আমাদের দেশে কারা শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত? ক. শিশুরা খ. বৃদ্ধরা গ. ছেলেরা ঘ. মেয়েরা চ ৫. জামির ও লোপা একই অফিসে একই পদে চাকরি করে। তাদের সুযোগ সুবিধা একই রকম। এর কারণ হলোÑ ক. নারী অগ্রাধিকার খ. নারী-পুরুষের সমতা চ গ. নারী-পুরুষের বৈষম্য ঘ. পুরুষ অগ্রাধিকার ৬. বেগম রোকেয়ার মতে, নারী জাতির দুঃখদুর্দশা দূর করতে কোনটি অপরিহার্য? ক. পর্দা খ. বিয়ে গ. রান্নাবান্না ঘ. শিক্ষা চ ৭. ছোটবেলা থেকে কাউকে ছেলে বা কাউকে মেয়ে এভাবে না দেখে কী হিসেবে দেখতে হবে? ক. বন্ধু খ. সহকর্মী গ. ভাইবোন ঘ. মানুষ চ ৮. নারী নির্যাতনের উদাহরণ কোনটি? ক. সংসার করা খ. স্ত্রীকে চাকরিতে দেওয়া গ. সংসারের কাজ করানো চঘ. স্ত্রীর গায়ে হাত তোলা ৯. বর্তমানে নানা উপায়ে যৌতুক আদান-প্রদান করা হয়। যেমন ক. বিয়েতে পণ গ্রহণ খ. স্ত্রীকে চাকরিতে দেওয়া গ. স্ত্রীর নিকট টাকা চাওয়া ঘ. স্ত্রীর অলঙ্কার বিক্রি করা চ ১০. নারী-পুরুষের সমতা বলতে কী বোঝায়? ক. সুযোগ-সুবিধার ভিন্নতা খ. সমান সুযোগ-সুবিধা চ গ. সুযোগ-সুবিধার বণ্টন ঘ. সুযোগ-সুবিধার আনুপাতিক হার ১১. নারী জাগরণের হাতিয়ারস্বরূপ কোনটি? ক. সম্পদ খ. প্রতিভা গ. শিক্ষা চ ঘ. প্রশিক্ষণ ১২. ১৮৫৭ সালের ৮ই মার্চ নারী শ্রমিকের কত ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেন? ক. সাত খ. আট চ গ. নয় ঘ. দশ ১৩. নারী-পুরুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবধান কমাতে ১৯৭৭ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী কী পালিত হচ্ছে? ক. সামাজিক দিবস খ. অর্থনৈতিক দিবস গ. আন্তর্জাতিক নারী দিবসচ ঘ. অধিকার দিবস ১৪. কোন সংস্থার মতে, বাংলাদেশে প্রতি ঘণ্টায় একজন নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে? ক. ইউনিসেফ খ. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চ গ. বিশ্বশ্রম সংঘ ঘ. ইউনিস্কো ১৫. ১৯০৮ সালে কোন শহরে হাজার হাজার নারী শ্রমিক প্রতিবাদ সমাবেশ করে? ক. লন্ডন খ. নিউইয়র্ক চ গ. বার্লিন ঘ. মস্কো ১৬. বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ অনুযায়ী ছাড়া নারী জাতির দুঃখদুদর্শা দূর হবে না? ক. বিয়ে ছাড়া খ. পর্দা ছাড়া গ. রান্না ছাড়া ঘ. শিক্ষা ছাড়া চ ১৭. আমাদের সমাজে নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণÑ ক. বেকারত্ব ও কুসংস্কার খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা চ গ. বাল্য বিবাহ ও বহুবিবাহ ঘ. পণপ্রথা ও পর্দা প্রথা ১৮. বিশ্বব্যাপী ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে থেকে পালিত হয়ে আসছে? ক. ১৮৫৭ সাল খ. ১৯০৮ সাল গ. ১৯৭৭ সাল চ ঘ. ১৯৩৭ সাল ১৯. নারী পুরুষের কীসের ব্যবধান কমাতে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস? ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিকচ খ. সামাজিক ও রাজনৈতি গ. অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ঘ. শিক্ষা ও শ্রম ২০. শতবর্ষ আগে এদেশে নারী-পুরুষের অধিকারে বিস্তর ব্যবধান ছিল। সে সময় নারী-পুরুষের সমতা বিষয়ে কে বলে গেছেন? ক. কারা জেটকিন খ. কাজী নজরুল ইসলাম গ. সুফিয়া কামাল চঘ. বেগম রোকেয়া ২১. বেগম রোকেয়ার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে কারা ধীরে ধীরে শিক্ষার আলো পেতে থাকে? ক. ছেলেরা খ. যুবকেরা গ. বয়স্করা চঘ. মেয়েরা  সাধারণ ২২. “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর”Ñউক্তিটি করেছেন? ক. বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন খ. কবি নজরুল ইসলাম চ গ. সুফিয়া কামাল ঘ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৩. কোন দিন আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়? ক. ৮ই জানুয়ারি খ. ৮ই ফেব্রæয়ারি গ. ৮ই মার্চ চ ঘ. ৮ই এপ্রিল ২৪. বেগম রোকেয়া কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? ক. ১৯২২ খ. ১৯৩২ চ গ. ১৯৪২ ঘ. ১৯৫২ ২৫. জার্মান নারী সমাজতাত্তি¡কের নাম কী? ক. ক্লারা জেটকিন চ খ. কারা জেকসন গ. হিলারী ক্লিনটন ঘ. কারা জাইকা ২৬. একটা সময়ে বিদ্যালয়ে কাদের সংখ্যা কম ছিল? ক. শিক্ষার্থীদের খ. শিক্ষকদের গ. মেয়েদের চ ঘ.

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৮ নারী-পুরুষ সমতা Read More »

Scroll to Top