বাংলা

ষষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২

ষষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২

ষষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ পোস্টে সবাইকে স্বাগতম। সকলকে স্বাগতম আজকে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর বাংলা তৃতীয় সপ্তাহ দেখবো। ষষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ প্রিয় ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা জানো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর তোমাদের তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন গুলো প্রকাশ করেছে। সেই প্রশ্নের আলোকে তোমাদের আজকে বাংলা এসাইনমেন্ট তৃতীয় সপ্তাহ ২০২২ এর নমুনা উত্তর প্রদান করা হবে। ষষ্ঠ শ্রেণির তৃতীয় সপ্তাহ বাংলা এসাইনমেন্ট ২০২২ এর উত্তর প্রত্যাশী শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা যদি তৃতীয় সপ্তাহের প্রশ্ন গুলো না দেখে থাকো তবে নিচে দেওয়া ছবিটি থেকে তোমাদের তৃতীয় সপ্তাহ বাংলা প্রশ্ন গুলো দেখে নাও। ষষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ উত্তর অ্যাসাইনমেন্ট শুরু অ্যাসাইনমেন্ট শেষ ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা উপরে তোমাদের তৃতীয় সপ্তাহের যে বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর গুলো দেখলে সেগুলো তোমাদের খাতায় যথাযথভাবে লিখলে তোমরা সম্পূর্ণ নাম্বার পাবে বলে আমরা আশাবাদী। সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর গুলো পেতে আমাদের নিচের পেজটি তোমরা লাইক দিবে এবং আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করবে। আরো পড়ুনঃ ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৭ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৮ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৯ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ১০ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ষষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৭ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৮ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৯ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের ব্যসসায় ‍উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ১০ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের ব্যসসায় ‍উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৯ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ১০ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৯ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ১০ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২   রিলেটেড কি ওয়ার্ড ষষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা ষষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর ইংরেজি ৩য় সপ্তাহ ষষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর বাংলা ১ম সপ্তাহ ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ষষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর গণিত ২০২১ ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত অ্যাসাইনমেন্ট উওর ষষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর বিজ্ঞান ষষ্ঠ শ্রেণির প্রথম অধ্যায়ের গণিত অ্যাসাইনমেন্ট

ষষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা কাকতাড়ুয়া

কাকতাড়–য়া সেলিনা হোসেন  লেখক পরিচিতি : নাম সেলিনা হোসেন। জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৪ই জুন। জন্মস্থান রাজশাহী। পারিবারিক পরিচয় পিতার নাম মোশাররফ হোসেন ও মায়ের নাম মরিয়মন্নেসা বকুল। তিনি পিতা-মাতার চতুর্থ সন্তান। শিক্ষা ও পেশা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনে বাংলা একাডেমির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে লেখালেখি, নারী উন্নয়ন ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন। সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় লেখালেখির সূচনা। তাঁর উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্ব›দ্ব-সংকটের সামগ্রিকতা। ভাষা-আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তাঁর লেখায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বড়দের জন্য প্রকাশিত উপন্যাসের সংখ্যা তেত্রিশ, ছোটদের পঁচিশ। ইংরেজি, রুশ, ফরাসি, হিন্দি, জাপানি, কোরিয়ান, ফিনিশ, উর্দু, আরবি, মারে, মালায়াম ইত্যাদি বেশ কয়েকটি ভাষায় তাঁর বেশ কিছু গল্প ও উপন্যাস অনূদিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’, ‘নীল ময়ূরের যৌবন’, ‘গায়ত্রী সন্ধ্যা’, ‘পূর্ণছবির মগ্নতা’, ‘যমুনা নদীর মুশায়েরা’, ‘ভ‚মি ও কুসুম’। পুরস্কার ও সম্মাননা একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। এছাড়া আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন ‘সুরমা চৌধুরী আন্তর্জাতিক স্মৃতি পুরস্কার’ (ভারত)। ২০১০ সালে কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধিতে ভ‚ষিত করে। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. বুধার কয় ভাইবোন কলেরায় মারা যায়? ছ ক. ৩ জন খ. ৪ জন গ. ৫ জন ঘ. ৬ জন ২. চঞ্চু কথার অর্থ কী? জ ক. পা খ. পাখা গ. ঠোঁট ঘ. কান ৩. হরিকাকুর সঙ্গে বুধার কোথায় দেখা হয়েছিল? চ ক. জামতলায় খ. ফসলের মাঠে গ. বাজারে ঘ. রাস্তায় ৪. শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছিল কে? ছ ক. মতিউর খ. আহাদ মুন্সি গ. হাশেম মিয়া ঘ. হরিবাবু ৫. নিজের বোঝা নিজে বইব। বুধা এ বক্তব্যে ফুটে ওঠেÑ ছ ক. সাহস খ. আত্মবিশ্বাস গ. স্বনির্ভরতা ঘ. দেশপ্রেম ৬. বিদেশি মানুষ এবং নিজেদের মানুষ সবার ওপর বুধার ঘৃণা বাড়তে থাকে কেন? ছ ক. যুদ্ধ করার জন্য খ. অত্যাচার করার জন্য গ. বিরোধিতা করার জন্য ঘ. গণহত্যার জন্য নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭ ও ৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ‘কবর’ নাটকে বর্ণিত ইন্সপেক্টর হাফিজ ভাই শহিদদের একটা গণকবরে মাটি চাপা দিতে চাইলে গোরখুঁড়েরা আপত্তি জানায়। তাদের বক্তব্য, ‘মুসলমানের লাশ দাফন নাই, কাফন নাই তার ওপর আলাদা একটা কবর পাবে না তা হতে পারে না কভি নেহি।’ ৭. উদ্দীপকের গোরখুঁড়েদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্রটি হলো- জ ক. আহাদ মুন্সি খ. মতিউর গ. বুধা ঘ. কুদ্দুস ৮. এরূপ সাদৃশ্যের কারণ হলো ছ ক. দেশপ্রেম খ. প্রতিবাদী মনোভাব গ. সচেতনতা ঘ. প্রতিশোধ স্পৃহা ৯. ‘আমরা লড়াই না করলে গ্রামটা একদিন ভ‚তের বাড়ি হবে’। কেন ভ‚তের বাড়ি হবে? ঝ র. গণহত্যার কারণে রর. লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় ররর. গ্রামটি জনশূন্য হওয়ায় নিচের কোনটি সঠিক? ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ১০. যুদ্ধে শত্রæরা কখন হেরে যায়? চ ক. সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে খ. আধুনিক অস্ত্র থাকলে গ. উন্নত প্রশিক্ষণ থাকলে ঘ. সৈন্যসংখ্যা বেশি হলে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পাকসেনারা থানায় ঘাঁটি স্থাপন করলে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে। সবাই পালাতে শুরু করলে কলিমদ্দি দফাদার ভিন্ন পরিকল্পনা করেন। তিনি পাকসেনাদের ঘায়েল করার জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন। আর গোপনে সব খবর পৌঁছে দেন, প্রস্তুত থাকতে বলেন। একদিন সুযোগমতো পাকসেনাদের গ্রামে এনে ভাঙা পুলের গোড়ায় দাঁড় করিয়ে কলিমদ্দি দফাদার তা পার হতে গিয়ে পরিকল্পনামাফিক জলে পড়ে যান। সাথে সাথে গর্জে ওঠে ওৎ পেতে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র। আর খতম হয় সব কজন পাকসেনা। ক. বুধা প্রায়ই কী সাজত? ১ খ. ‘আধা-পোড়া বাজারটার দিকে তাকিয়ে ওর চোখ লাল হতে থাকে’। কেন? ২ গ. উদ্দীপকের কলিমদ্দি দফাদারের সাথে ‘কাকতাড়–য়া’ উপন্যাসের সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্রটি ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়–য়া’ উপন্যাসের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে কি? যুক্তিসহ প্রমাণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ বুধা প্রায়ই কাকতাড়–য়া সাজত। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ হানাদাররা আগুন দিয়ে বাজারটা পুড়িয়ে দিয়েছিল বলে প্রতিশোধের প্রতিজ্ঞায় ‘আধ-পোড়া বাজারটার দিকে তাকিয়ে বুধার চোখ লাল হতে থাকে’।  কোনো অন্যায় বা নির্মমতা দেখলে বুধার খুব রাগ হয়। রেগে গেলে তার চোখ লাল হতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধকালে পাকহানাদার বাহিনী একদিন বুধাদের গ্রামে ঢুকে বহু মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে। তারা আদিম নৃশংসতায় আগুন দিয়ে বাজারটা পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় বুধা দারুণ ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠে। হানাদারদের প্রতি তার প্রবল ঘৃণা সৃষ্টি হয়। এর প্রতিশোধ গ্রহণ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় সে। বুধার লাল চোখ সেই অনুভ‚তিই প্রকাশ করে। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ সুকৌশলে শত্রæ নিধনের দিক থেকে উদ্দীপকের কলিমদ্দি দফাদারের সাথে ‘কাকতাড়–য়া’ উপন্যাসের বুধা চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ।  ‘কাকতাড়–য়া’ উপন্যাসের বুধা পিতৃমাতৃহীন অনাথ কিশোর হলেও সে ছিল মেধাবী ও কৌশলী। শক্তি দিয়ে যে কাজটি করা যায় না বুদ্ধি দিয়ে সে কাজটি অনায়াসে করা যায়। বুধার বুদ্ধিমত্তা আমাদের সে কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। সে সুকৌশলে একাধিক রাজাকারের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মিলিটারিদের বাংকারে মাইন পুঁতে রেখেছিল।  উদ্দীপকের কলিমদ্দি দফাদার পাকসেনাদের ঘায়েল করার জন্য কৌশলী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি পাকসেনাদের সাথে মিশে গিয়ে তাদেরকেই নাস্তানাবুদ করেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন একজন মুক্তিসংগ্রামী। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে হাত মিলিয়ে তিনি হানাদার নিধনে ভ‚মিকা রাখেন। ‘কাকতাড়–য়া’ উপন্যাসের বুধাও তেমনি নানা কৌশলে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছিল। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটি ‘কাকতাড়–য়া’ উপন্যাসের খণ্ডিত অংশের ধারক।  আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে রচিত ‘কাকতাড়–য়া’ উপন্যাস। লেখক সেলিনা হোসেন অপরিসীম মমতায় রচনা করেছেন দেশপ্রেমের এই অনবদ্য কাহিনি। উপন্যাসটি রচিত হয়েছে বুধা চরিত্রকে ঘিরে। উপন্যাসে মূলত বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের কাহিনি বর্ণিত হলেও পাশাপাশি প্রতিফলিত হয়েছে গ্রামীণ জীবন, সুখ-দুঃখ, ব্যথা-বেদনায় ভরা নিম্নবিত্ত ও দারিদ্র্যক্লিষ্ট মানুষের ইতিবৃত্ত।  উদ্দীপকে কলিমদ্দি দফাদার কীভাবে পাকসেনাদের নিজ বুদ্ধিবলে পরাস্ত করেছেন সেই দিকটি আলোচিত হয়েছে। তিনি পাকসেনাদের সাথে বন্ধুত্বের অভিনয় করে তাদের সাথে মিশেছেন। এরপর সুযোগ বুঝে মুক্তিসেনাদের মাধ্যমে হানাদারদের শায়েস্তা করেন। ‘কাকতাড়–য়া’ উপন্যাসের বুধা চরিত্রের মাঝেও এই একই চেতনা রয়েছে। কিন্তু উপন্যাসটির পরিধি আরও বিস্তৃত।  ‘কাকতাড়–য়া’ উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ দিনগুলোর বর্ণনার পাশাপাশি গ্রামীণ জীবনের খুঁটিনাটি, প্রেম-ভালোবাসা, মায়া-মমতার গভীর বন্ধন, আত্মমর্যাদা ও স্বাধীনতার অনুভ‚তি ইত্যাদি প্রকাশিত হয়েছে। শত্রæর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য বুধার দিন দিন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ওঠার কথা বলা হয়েছে। শত্রæর বাংকারে মাইন পুঁতে তাদের ধ্বংস করে দিয়েছে। এছাড়াও রয়েছে হানাদারদের বিরুদ্ধে বাঙালির ঐক্যবদ্ধ চেতনার স্বরূপ। কিন্তু উদ্দীপকে কেবল মুক্তিযুদ্ধে কলিমদ্দি দফাদারের ভ‚মিকার একটি বিশেষ মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে। তাই এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়–য়া’ উপন্যাসের আংশিক ভাব ধারণ করে। ৭ই মার্চের ভাষণ শুনে গর্জে ওঠে কলেজপড়–য়া আবু সাঈদ। ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। তাঁর নেতৃত্বে একের পর এক গেরিলা আক্রমণে অতিষ্ঠ পাকসেনারা। অপারেশন জ্যাকপটের সফল অভিযানের পর পাকসেনারা আবু সাঈদের গ্রামে আক্রমণ করে। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। আর যাকে যেখানে

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা কাকতাড়ুয়া Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা নাটক বহিপীর

বহিপীর সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ লেখক পরিচিতি : নাম সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ । জন্ম ও জন্মস্থান ১৯২০ (মতান্তরে ১৯২২) সালের ১৫ই আগস্ট; চট্টগ্রামের ষোলশহর। পারিবারিক পরিচয় পিতার নাম সৈয়দ আহমাদউল্লাহ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। মায়ের নাম নাসিম আরা খাতুন। তিনি ছিলেন উচ্চশিক্ষিতা ও সংস্কৃতিমনা। শিক্ষা ও পেশা ১৯৩৯ সালে কুড়িগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৪১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে ডিস্টিঙ্কশনসহ বিএ ডিগ্রি পাস করেন এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে এমএ ক্লাস পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। পেশাগত জীবনের শুরু ‘দৈনিক স্টেটসম্যান’ পত্রিকায় সাংবাদিকতা দিয়ে। কিছুদিন কাজ করেছেন বেতারে, তারপর তৎকালীন পাকিস্তান দূতাবাসে। সর্বশেষ কাজ করেছেন ইউনেস্কো সদর দপ্তরে। বিশেষ অবদান বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে প্যারিসে থেকে বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করেন। উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম প্রথম গল্পগ্রন্থ : ‘নয়নচারা’ (১৯৪৫)। পরবর্তী গল্পগ্রন্থ : ‘দুই তীর ও অন্যান্য গল্প’ (১৯৬৫)। উপন্যাস : ‘লালসালু’ (১৯৪৯), ‘চাঁদের অমাবস্যা’ (১৯৬৪), ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ (১৯৬৮)। নাটক : ‘বহিপীর’ (১৯৬০), ‘সুড়ঙ্গ’ (১৯৬৪), ‘তরঙ্গভঙ্গ’ (১৯৬৫)। পুরস্কার ও সম্মাননা সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘পিইএন পুরস্কার’ (১৯৫৫), ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ (১৯৬১), ‘আদমজী পুরস্কার’ (১৯৬৫) ও ‘একুশে পদক’ (মরণোত্তর, ১৯৮৪) লাভ করেন। মৃত্যু ১৯৭১ সালের ১০ই অক্টোবর প্যারিসে। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. এমন ঝড় কখনো দেখিনিÑ উক্তিটি কার? চ ক. হাশেমের খ. তাহেরার গ. খোদেজার ঘ. বহিপীরের ২. ‘এক আধটু ঠাট্টা-মস্করা করতেও শুরু করেছে’Ñ কারা এ কাজটি করতে শুরু করেছে? জ ক. মাঝিরা খ. সহপাঠীরা গ. গ্রামের লোকেরা ঘ. যাত্রীরা ৩. নদীতে খালি কী দেখতে পায় তাহেরা? ঝ ক. নৌকা খ. বজরা গ. পদ্ম পলাশ ঘ. কচুরিপানা ৪. কথ্যভাষা সম্পর্কে বহিপীরের মত হলো,Ñ এটি র. মাঠ ঘাটের ভাষা রর. স্রষ্টার বাণী বহন করার উপযুক্ত ররর. খোদার বাণী বহন করার অনুপযুক্ত নিচের কোনটি সঠিক? ঝ ক. র খ. রর গ. র ও রর ঘ. র ও ররর উদ্দীপকটি পড়ে ৫ ও ৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : তামশু মহাজনের জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। সে কারণে তাঁর মনে শান্তি নেই। বাড়িতে না জানিয়ে তিনি জমি রক্ষার জন্য কোর্টে যান। এসব খরচ যোগানোর অর্থ যোগাড়ের জন্য তিনি বিপথ অবলম্বন করতে গিয়ে বোধোদয় হয়। ৫. উদ্দীপকের তামশু মহাজনের সাথে বহিপীর নাটকের যে চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণÑ জ ক. হকিকুল্লাহ খ. হাশেম আলি গ. হাতেম আলি ঘ. জমিদার গিন্নি ৬. কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে উভয় চরিত্র সাদৃশ্যপূর্ণ? চ ক. জমিদারিত্ব রক্ষার জন্য কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন খ. পীর সাহেবের প্রতারণার শিকার গ. সন্তান হারানোর জন্য কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন ঘ. বজরায় দুর্ঘটনার শিকার উদ্দীপকটি পড়ে ৭ ও ৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : মাতবর ধূর্ত প্রকৃতির লোক। বয়স হয়েছে অথচ স্বভাব বদলায় নি। বুড়ো বয়সে কলিমুদ্দির মেয়েকে বিয়ে করার ব্যবস্থা করে। কিন্তু মেয়েটি বিয়ের রাতেই রাজেনের সাথে পালালে মাতবর তা মেনে নেয়। ৭. উদ্দীপকের শেষ অবস্থা মোকাবেলার মাধ্যমে বহিপীর নাটকের কোন চরিত্রের মিল আছে? চ ক. বহিপীর খ. হাশেম আলি গ. হাতেম আলি ঘ. হকিকুল্লাহ ৮. শেষ অবস্থার মোকাবেলায় উভয় চরিত্রে যে বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করে তা হলোÑ র. বুদ্ধিমত্তা রর. বাস্তবজ্ঞানসম্পন্ন ররর. মানবিক চেতনা নিচের কোনটি সঠিক? ঝ ক. র খ. রর গ. র ও রর ঘ. র ও ররর উদ্দীপকটি পড়ে ৯ ও ১০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : আব্দুল্লাহ গ্রামের স্কুলে মাস্টারি করেন। গ্রামের মানুষ তাকেও পীর মনে করেন। কারণ তাঁর বাবাও পীর ছিলেন। সে কারণে গ্রামের একজন বয়স্ক লোক তাঁর পায়ে সালাম করতে যান। কিন্তু আব্দুল্লাহ এসবে বিশ্বাস করেন না। সেজন্য তিনি সালাম করতে না দিলে বয়স্ক লোক মনে করেন বেহেস্তের চাবিটা একটুর জন্য ফসকে গেল। ৯. উদ্দীপকের আব্দুল্লাহর কার্যক্রমে ‘বহিপীর’ নাটকের বিপরীত বৈশিষ্ট্যের চরিত্রটি হলোÑ চ ক. হাশেম আলি খ. হাতেম আলি গ. হকিকুল্লাহ ঘ. বহিপীর ১০. বহিপীর নাটকের বিপরীতে কার্যক্রমে আব্দুল্লাহ চরিত্রে প্রকাশিত দিকটি হলোÑ জ ক. ধূর্ততা খ. ধৈর্যশীলতা গ. কুসংস্কারমুক্ত ঘ. ভণ্ডামি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর আজাদের বাবা নামকরা পীর ছিলেন। কিন্তু আজাদ লেখাপড়া শিখেছেন। শহরে চাকরি করেন। দীর্ঘদিন পর গ্রামে বেড়াতে আসেন। গ্রামের মুরুব্বি তার কাছে এসে তাকে সালাম করতে যায়। আজাদ সাহেব নিজেই তাকে সালাম করেন, কিন্তু মুরুব্বি এ ঘটনায় নিজেকে পাপী মনে করেন। আরেক জন তার কাছে পানি পড়া নিতে আসে। তাকে আজাদ সাহেব বোঝানোর চেষ্টা করেন। ক. বহিপীর নাটকের ১ম সংলাপটি কার? ১ খ. বিয়ে হলো তগদিরের কথা – এ কথাটি বুঝিয়ে বলো। ২ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত গ্রামের মানুষগুলোর কার্যক্রমে ‘বহিপীর’ নাটকে প্রতিফলিত সমাজের কোন চিত্রকে ইঙ্গিত করে তা তুলে ধরো। ৩ ঘ. উদ্দীপকের আজাদ চরিত্রটি ‘বহিপীর’ নাটকের বহিপীরের মতো ধর্মব্যবসায়ী নয় – মন্তব্যটি বিচার করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ বহিপীর নাটকের ১ম সংলাপটি হাশেমের। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ বিয়ের ব্যাপারটি মানুষের ইচ্ছায় নয় বরং দৈব নির্দেশে হয়। জমিদারপতœী খোদেজা তাহেরাকে এভাবে বোঝানোর জন্য আলোচ্য উক্তিটি করেছিলেন।  একজন বুড়ো মানুষের সাথে তাহেরার বিয়ে হওয়ায় সে বাড়ি ছেড়ে পালায়। নৌকায় আশ্রয়প্রার্থী তাহেরাকে বোঝানোর জন্য খোদেজা বলে ‘বিয়ে হলো তকদিরের কথা’। এতে মানুষের কোনো হাত নেই। এতে তৎকালীন সময়ে নারীর সবকিছু মাথা পেতে নেওয়ার প্রবণতাই ব্যক্ত হয়েছে। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে বর্ণিত গ্রামের মানুষগুলোর কার্যক্রমে ‘বহিপীর’ নাটকে প্রতিফলিত ধর্মীয় কুসংস্কারে আচ্ছন্ন সমাজের চিত্রকে ইঙ্গিত করে।  ‘বহিপীর’ নাটকে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ধর্মীয় কুসংস্কারের বিষয়টি চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। ধর্মীয় কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে এবং সওয়াবের আশায় এক শ্রেণির মানুষ বহিপীরের সব কথা মান্য করে চলে। পীরের সেবায় সর্বস্ব ত্যাগ করার মনোবৃত্তি পোষণ করে। তারা পীরকে অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী মনে করে। বহিপীরের প্রতি অন্ধভক্তির কারণে তাহেরার মা-বাবা তাকে একজন বুড়ো পীরের কাছে সঁপে দিতে কুণ্ঠাবোধ করেন না।  উদ্দীপকে পীরের প্রতি সীমাহীন অন্ধবিশ্বাসের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। আজাদের বাবা নামকরা পীর হলেও আজাদ শিক্ষিত ও আধুনিক মানুষ। তিনি দীর্ঘদিন পর গ্রামে এলে গ্রামের মুরব্বি তাকে সালাম করতে চান। পীরের ছেলে বলে তাঁকে বিশেষ মর্যাদা দেন। কিন্তু আজাদ সাহেব নিজেই তাঁকে সালাম করেন। এতে মুরব্বি লোকটির মনে অপরাধবোধ বোধ জাগ্রত হয় এবং নিজেকে পাপী মনে করেন। কেউ আবার তার কাছে পানি পড়া নিতে আসে। সুতরাং উদ্দীপক এবং আলোচ্য ‘বহিপীর’ নাটকে উভয় ক্ষেত্রেই আমরা পীরের প্রতি অযৌক্তিক অন্ধভক্তির দিকটি লক্ষ করি। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকের আজাদ একজন আধুনিক চিন্তাচেতনার মানুষ। পীরের সন্তান হলেও তিনি বহিপীরের মতো ধর্ম পুঁজি করে নিজের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেননি।  ‘বহিপীর’ নাটকে বহিপীর একজন ধর্মব্যবসায়ী পীর। ধর্মকে ব্যবহার করে তিনি হয়েছেন প্রচুর অর্থ-বিত্তের মালিক। চাইলে ধনী মুরিদেরা তার কাছে টাকা-পয়সাসহ সর্বস্ব তুলে দেয়। মানুষকে ধোঁকা দিয়ে তিনি নিজের আখের গুছিয়ে নেন।  উদ্দীপকে আজাদ সাহেব ইচ্ছে করলে বাবার মতো পীর হতে পারতেন। কিন্তু তিনি শিক্ষিত আধুনিক মানুষ হিসেবে কুসংস্কারমুক্ত। যে কারণে বাবার বয়সী একজন বৃদ্ধ মুরব্বির সালাম গ্রহণ না করে নিজেই

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা নাটক বহিপীর Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহসী জননী বাংলা

সাহসী জননী বাংলা কামাল চৌধুরী লেখক পরিচিতি : নাম কামাল চৌধুরী জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯৫৭ সালের ২৮শে জানুয়ারি। জন্মস্থান : কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিজয়করা গ্রাম। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : আহমদ হোসেন চৌধূুরী। মাতার নাম : বেগম তাহেরা হোসেন। শিক্ষা ও পেশা ১৯৭৩ সালে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও ১৯৭৫ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া ২০০৬ সালে গারো জনগোষ্ঠীর মাতৃসূত্রীয় আবাস প্রথা নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত আছেন। সাহিত্যিক পরিচয় তাঁর কবিতা বাঙালির আবহমান জীবনচর্চা, সংগ্রাম ও মানবীয় বোধের উৎসারণ, সেই সঙ্গে শিল্পিত প্রকরণের উজ্জ্বল প্রকাশ। শব্দ ও ছন্দ সচেতন এবং নিরীক্ষাপ্রবণ ধারায় তিনি বাংলা কবিতায় পরিস্রুত ধারার অন্যতম প্রধান প্রতিনিধি। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : মিছিলের সমান বয়সী, টানাপোড়েনের দিন, এই পথ এই কোলাহল, এসেছি নিজের ভোরে, ধূলি ও সাগর দৃশ্য, হে মাটি পৃথিবীপুত্র, পান্থশালার ঘোড়া ইত্যাদি। কিশোর কবিতা : আপন মনের পাঠশালাতে। পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভ‚ষিত হয়েছেন। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. বাঙালির হাতে কী উঠেছে? ছ ক. কাস্তে খ. গ্রেনেড গ. জাল ঘ. লাঠি ২. ‘নীলকমলেরা’ কারা? ঝ ক. প্রহরীরা খ. সাহসীরা গ. হৃদয়বান ব্যক্তিগণ ঘ. মুক্তিযোদ্ধাগণ উদ্দীপকটি পড়ো প্রশ্নের উত্তর দাও : বিদেশি সেনার কামানেÑবুলেটে বিদ্ধ নারী শিশু আর যুবক-জোয়ান বৃদ্ধ শত্র“ সেনারা হত্যার অভিযানে Ñ মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ উত্থানে। ৩. উদ্দীপকে ‘জননী সাহসী বাংলা’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? র. মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ রর. সাধারণ মানুষের অসহায়ত্ব ররর. দীর্ঘশ্বাস নিচের কোনটি সঠিক? চ ক. র খ. রর গ. ররর ঘ. রর ও ররর ৪. উদ্দীপকের অনুভব ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার কোন পঙ্ক্তির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? জ ক. তোদের রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিয়েছি নয় মাসে খ. বুড়িগঙ্গা পদ্মা নদীতীর/ডাকাত পড়েছে গ্রামে গ. ভোজ হবে আজ প্রতিশোধে/যার সঙ্গে যে রকম, সে রকম খেলবে বাঙালি ঘ. সাহসী জননী বাংলা, বুকে চাপা মৃতের আগুন           সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর যখন হানাদারবধ সংগীতে ঘৃণার প্রবল মন্ত্রে জাগ্রত স্বদেশের তরুণ হাতে নিত্য বেজেছে অবিরাম মেশিনগান, মর্টার গ্রেনেড। ক. মধ্যরাতে কারা এসেছিল? ১ খ. বর্ণমালা পথে পথে তেপান্তরে ঘুরেছিল কেন? ২ গ. উদ্দীপকের অনুভব ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার অনুভবের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণÑব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকের ভাবনা ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার সামগ্রিক পরিচয় নয়Ñ মূল্যায়ন করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ.  মধ্যরাতে হানাদাররা এসেছিল। ১ এর খ নং প্র. উ.  বর্ণমালা পথে পথে তেপান্তরে ঘুরেছিল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করার জন্য।  পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের মায়ের ভাষা বাংলা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। ’৫২ সালে এদেশের দামাল ছেলেরা এই অপতৎপরতা রুখে দিয়েছিল। ভাষা আন্দোলনের এই সংগ্রামী চেতনা মুক্তিযুদ্ধেও গৌরবের বিজয় এনে দিয়েছিল। ১ এর গ নং প্র. উ.  উদ্দীপকে উল্লিখিত হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ পরিচালনার অনুভবের সাথে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতা সাদৃশ্যপূর্ণ।  ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কবি কামাল চৌধুরী আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বীরত্বপূর্ণ ভ‚মিকার কথা তুলে ধরেছেন। কবি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে হানাদারদের রক্তাক্ত হাত আমরা মুচড়ে দিয়েছি। ডাকাতরূপী হানাদারদের মোকাবেলা করেছি, তাদের মেরে নাস্তানাবুদ করেছি, কান কেটে দিয়েছি। কবির এই বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। হানাদারদের এভাবেই সমুচিত জবাব দিয়ে স্বাধীনতার পতাকাকে বাঙালি উড়িয়ে দিয়েছে পত পত করে।  উদ্দীপকে হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে দেশের তরুণরা কীভাবে ভ‚মিকা রেখেছিল তা-ই বলা হয়েছে। হানাদারদের নির্মম নির্যাতনে মানুষের মনে যে ঘৃণার জন্ম হয়েছিল সেই ঘৃণার প্রবল মন্ত্র তাদের সাহসী করে তুলেছিল। হাতে তুলে নিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ারÑ মেশিনগান, মর্টার, গ্রেনেড। তাই দেখা যাচ্ছে কবিতায় অনুভবের সাথে উদ্দীপকের অনুভব খুবই সাদৃশ্যপূর্ণ। ১ এর ঘ নং প্র. উ.  উদ্দীপকে হানাদারদের মোকাবেলায় কেবল যুদ্ধ করার কথাই বলা হয়েছে। ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার মতো মুক্তিযুদ্ধের বিস্তারিত পটভ‚মি তুলে ধরে নি।  সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় কবি কামাল চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বীরত্বপূর্ণ ভ‚মিকার কথা উল্লেখ করেছেন। বাঙালি জাতির ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে প্রতিরোধ ও সংগ্রামের ঐতিহ্য। যারা বাঙালিকে ভেতো ও ভীতু বলে অভিহিত করেছিল তাদের মিথ্যাচারের সমুচিত জবাব দেওয়া হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। সংগ্রাম আর রক্তদানের ইতিহাস জাতি হিসেবে আমাদের গৌরবান্বিত করেছে। বাঙালি অসীম সাহসিকতায় হানাদারদের রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিয়ে এই মাটিতে স্বাধীনতার পতাকাকে উড়িয়ে দিয়েছে।  উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনী এদেশের মানুষের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন চালিয়েছিল। তাদের প্রতি প্রবল ঘৃণায় এদেশের তরুণরা প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দেশমাতৃকাকে রক্ষার জন্য তরুণরা জীবন বাজি রেখে এগিয়ে এসেছিল। তারা হাতে নিয়েছিল মেশিনগান, মর্টার, গ্রেনেড।  সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহসিকতায় মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ যুদ্ধ অত্যন্ত বলিষ্ঠতার সাথে উচ্চারিত হয়েছে। আর উদ্দীপকে কেবল হানাদারদের বধ করার জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কবিতায় সকল বাধাবিঘœ অতিক্রম করে বাঙালির বিজয় ছিনিয়ে আনার গৌরবকে তুলে ধরা হয়েছে। বাঙালির সংগ্রামের এক সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। অতীতের সেসব সংগ্রামের ইতিহাস প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে। কবিতায় বর্ণিত যুদ্ধকালীন এই সামগ্রিকতা উদ্দীপকে তুলে ধরা হয়নি। কাজেই উদ্দীপকের ভাবনা ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার সামগ্রিক পরিচয় নয়, খণ্ডচিত্র মাত্র। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর লক্ষ লক্ষ হা-ঘরে দুর্গত ঘৃণ্য যম-দূত-সেনা এড়িয়ে সীমান্তপারে ছোটে, পথে পথে অনশনে অন্তিম যন্ত্রণা রোগে ত্রাসে সহস্রের অবসান, হন্তারক বারুদে বন্দুকে মূর্ছিত-মৃতের দেহ বিদ্ধ করে, হত্যা-ব্যবসায়ী বাংলাদেশ-ধ্বংস-কাব্যে জানে না পৌঁছল জাহান্নামে এ জন্মেই; বাংলাদেশ অনন্ত অক্ষত মূর্তি জাগে \ ক. মুক্তিযুদ্ধকালে কোটি বাঙালি দীর্ঘ নয় মাস কোন প্রতিবেশী রাষ্ট্রে নির্বাসিত জীবন যাপনে বাধ্য হয়? ১ খ. ‘তোদের রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিয়েছি নয় মাসে’Ñ কথাটি বুঝিয়ে লেখো। ২ গ. উদ্দীপকে প্রথম পাঁচ চরণে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকের শেষ বাক্যটি ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার মূলভাবকেই তুলে ধরেছেÑ কথাটি বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. মুক্তিযুদ্ধকালে কোটি বাঙালি দীর্ঘ নয় মাস প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে নির্বাসিত জীবন যাপনে বাধ্য হয়। খ. বাঙালির রক্তে পাকবাহিনীর যে হাত রঞ্জিত হয়েছে অসীম সাহসী বাঙালি তা মুচড়ে প্রতিশোধ গ্রহণ করেছে।  মুক্তিযুদ্ধের নয়টি মাস দেশজুড়ে নারকীয় গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। লাখো শহিদের রক্তে তাদের হাত কলঙ্কিত হয়। বাঙালির সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে তাদের সেই কলঙ্কিত হাত মুচড়ে যায়। তারা পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য নয়। গ. উদ্দীপকের প্রথম পাঁচ চরণে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বর্ণিত শত্রæসেনাদের নির্মমতার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।  ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে এদেশের অসংখ্য মানুষ ভিটেমাটি ছাড়া হয়। তারা হানাদার বাহিনীর ভয়ে দেশে আশ্রয় নেয়। শত্রæর এই অসুরিক আচরণ বাঙালি জাতিকে প্রতিরোধ সংগ্রামে বাধ্য করেছিল। ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বাঙালির এই সংগ্রামী দিকটি বর্ণিত হয়েছে।  উদ্দীপকের প্রথম পাঁচ

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহসী জননী বাংলা Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো

স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো নির্মলেন্দু গুণ লেখক পরিচিতি : নাম নির্মলেন্দু গুণ জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯৪৫ সাল। জন্মস্থান : নেত্রকোনা জেলার কাশবন গ্রাম। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : সুখেন্দু প্রকাশ গুণ। মাতার নাম : বীণাপানি গুণ। শিক্ষাজীবন ১৯৬২ সালে সিকেপি ইনস্টিটিউশন, বারহাট্টা থেকে মাধ্যমিক, ১৯৬৪ সালে নেত্রকোনা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেন। পেশা সাংবাদিকতা। সাহিত্যিক পরিচয় তাঁর কবিতায় প্রতিবাদী চেতনা, সমকালীন সামাজিক-রাজনৈতিক জীবনের ছবি যেমন প্রখর, কবিতা-নির্মাণে শিল্প সৌন্দর্যের প্রতিও তিনি তেমনি সজাগ। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : প্রেমাংশুর রক্ত চাই, বাংলার মাটি বাংলার জল, চাষাভ‚ষার কাব্য, পঞ্চাশ সহ¯্র বর্ষ। ছোটগল্প : আপন দলের মানুষ। ছোটদের উপন্যাস : কালোমেঘের ভেলা, বাবা যখন ছোট ছিলেন। পুরস্কার ও সম্মাননা একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, কবি হাসান হাফিজুর রহমান স্মৃতি স্বর্ণপদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভ‚ষিত হন। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. করুণ কেরানি কাদেরকে বলা হয়েছে? জ ক. আবেগে করুণ খ. স্বভাবে করুণ গ. করুণভাবে জীবনযাপনকারী ঘ. চাকরিজীবী ২. ‘গণসূর্যের মঞ্চ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? জ ক. আলোচিত মঞ্চ খ. উদ্দীপ্ত মঞ্চ গ. নেতার মঞ্চ সূর্যের মতো ঘ. বিপ−বী মঞ্চ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : মনে আমার ঝলসে ওঠে একাত্তরের কথা, পাখির ডানায় লিখেছিলাম প্রিয় স্বাধীনতা। ৩. উদ্দীপকে ‘স্বাধীনতা এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’Ñ কবিতার কোন দিককে প্রতিফলিত করেছে? র. স্বাধীনতার কথা রর. মুক্তির কথা ররর. আকাক্সক্ষার কথা নিচের কোনটি সঠিক? ছ ক. র খ. রর গ. ররর ঘ. র ও ররর [বিশেষ দ্রষ্টব্য: সঠিক উত্তর ক ও খ] ৪. উদ্দীপকে প্রতিফলিত ভাবনাটি ‘স্বাধীনতা’ এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলোÑ কবিতার কোন পঙ্ক্তির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ঝ ক. মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ খ. কবির বিরুদ্ধে কবি গ. আমাদের স্বাধীনতা প্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল ঘ. সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের             সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দুলিতেছে তরী ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ, ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ? কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ। ক. সব স্মৃতি মুছে দিতে কী উদ্যত? ১ খ. ‘ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হৃদয় মাঠখানি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২ গ. উদ্দীপকটি ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’Ñ কবিতার কোন দিককে উন্মোচিত করেছেÑ ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘স্বাধীনতা’ এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’Ñ কবিতার সমগ্র ভাবকে ধারণ করেনিÑ মূল্যায়ন করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ.  সব স্মৃতি মুছে দিতে উদ্যত হয়েছে কালো হাত। ১ এর খ নং প্র. উ.  ‘ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হৃদয় মাঠখানি’Ñ বলতে রেসকোর্স ময়দানকে বোঝানো হয়েছে, যেখানে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন।  ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। সেই ভাষণে ধ্বনিত হয়েছিল বাঙালির মুক্তির চূড়ান্ত দিক নির্দেশনা। কবি তাই এ স্থানটিকে ঢাকার হৃদয় মাঠ বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু স্মৃতিময় এ স্থানটি এখন খেলনা, বাগান ইত্যাদিতে সজ্জিত। কবি মনের ঢাকার হৃদয় মাঠ খানিকে এভাবেই সুকৌশলে ঢেকে দিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। ১ এর গ নং প্র. উ.  উদ্দীপকটিতে ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় বর্ণিত স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার দৃঢ় সংকল্পের দিকটি উন্মোচিত করেছে।  পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের নাগপাশ থেকে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু লক্ষ জনতার মাঝে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য তিনি প্রেরণা জুগিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে ভাষণ ছিল কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের প্রতিধ্বনি। জনগণের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় সিক্ত সেদিনের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যেন কবিতার মতো প্রতিটি শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন। তাঁর তেজোদ্দীপ্ত ভাষণই স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ দেখিয়েছিল। রেসকোর্স ময়দানের সে ভাষণের মহিমা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য কবি নির্মলেন্দু গুণ ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতাটি লিখেছেন।  উদ্দীপকটিতে কবি একটি দিকনির্দেশনাহীন পথহারা জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়েছেন। টালমাটাল ও হতাশাগ্রস্ত জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনি জোয়ানদের এগিয়ে আসতে বলেছেন। জোওয়ানরা যদি হাল না ধরে তবে উদ্ধারের আশা নেই। দেশ জাতির স্বার্থে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়দীপ্ত আহŸান জানিয়েছে উদ্দীপকটি। আলোচ্য ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার দৃঢ় সংকল্পের কথা যেভাবে ব্যক্ত হয়েছে উদ্দীপকেও তার প্রতিধ্বনি রয়েছে। ১ এর ঘ নং প্র. উ.  ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন দিক আলোচিত হলেও উদ্দীপকে শুধু নেতৃত্বহীন জাতিকে নেতৃত্বদানের জন্য এগিয়ে আসার আহŸান জানানো হয়েছে।  মহান স্বাধীনতা আমাদের গৌরবের অর্জন। এই স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর ভ‚মিকা ছিল অসামান্য। ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে এক সোচ্চার প্রতিবাদ। নির্যাতিত নিষ্পেষিত বাঙালির পক্ষে তিনি গর্জে উঠেছিলেন। রেসকোর্সের ভাষণে তিনি হৃদয়ের সবটুকু আবেগ দিয়ে বাঙালির মনোভাবকে সঠিকভাবে ব্যক্ত করতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সাহসী উচ্চারণে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় কবি বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের প্রেক্ষাপট ও ফলাফল তুলে ধরেছেন।  উদ্দীপকে একটি হতাশাগ্রস্ত জাতির মধ্যে সাহস সঞ্চারের চেষ্টা করা হয়েছে। উদ্দীপকের জাতির সঠিক নেতৃত্ব নেই। তারা দিকভ্রষ্ট। জোয়ানদের আহŸান জানানো হয়েছে জাতির হাল ধরার জন্য, ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের জন্য। দিকনির্দেশনাবিহীন জাতি অসহায় নিঃস্ব। তাদের উদ্ধারের জন্য একজন দক্ষ নাবিক প্রয়োজন। উদ্দীপকে এই দক্ষ নাবিকের অন্বেষণ করা হয়েছে, যে জাতিকে সমূহ বিপদ থেকে উদ্ধার করবে।  আলোচ্য ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় আমরা দেখি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে দেশপ্রেম জাগ্রত করা ঐতিহাসিক রেসকোর্সের বর্ণনা, লক্ষ লক্ষ জনতার অংশগ্রহণ, বঙ্গবন্ধুর পরিচয়, ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে। কিন্তু উদ্দীপকে শুধু নেতৃত্বহীন জাতিকে নেতৃত্ব প্রদানের আহŸান জানানো হয়েছে। কবিতায় বর্ণিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য মানুষের আকুলতার স্বরূপ। বাংলার মানুষের মক্তিসংগ্রামের ইতিহাস। স্বাধীনতাবিরোধীদের অপতৎপরতা ইত্যাদি বিষয়ও কবিতায় ঠাঁই পেয়েছে। ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মর্মার্থ নতুন প্রজন্মকে জানানোর কথা বলেছেন কবি। কিন্তু উদ্দীপকে শুধু একজন দক্ষ নেতার অনুসন্ধান করা হয়েছে। তাই উদ্দীপকটি কবিতার সমগ্রতাকে ধারণ করেনি। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর পৃথিবীর ইতিহাসে যে কয়জন মানবতাবাদী গণতন্ত্রপ্রেমী মহান রাষ্ট্রনায়ক জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁদের মধ্যে বিশিষ্টতম হলেন আব্রাহাম লিংকন। একটা সময় আমেরিকায় কালোদের মানুষ মনে করা হতো না। তাদেরকে হাটে-বাজারে-বন্দরে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করা হতো পোষা প্রাণীর মতো। এমন নিষ্ঠুরতা দেখে তিনি এই অমানবিক ব্যবসার বিরুদ্ধে ক্রীতদাসদের চেতনা জাগিয়ে তুলেছিলেন। প্রতিবাদে কাঁপিয়ে তুলেছিলেন গোটা আমেরিকা। তিনি বজ্রকণ্ঠে বলেছিলেন “দেশের অর্ধেক মানুষ যখন ক্রীতদাস তখন স্বাধীনতা এক নির্মম রসিকতার নামান্তর”। তাঁর এই বক্তব্যে উদ্বেল হয়ে উঠেছিল আমেরিকার জনগণ। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আমেরিকার ১৬তম প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব আব্রাহাম লিংকনের হাতেই তুলে দিয়েছিলেন জনগণ। ক. কী লেখা হবে বলে লক্ষ লক্ষ বিদ্রোহী শ্রোতা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে? ১ খ. ‘জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকত’ বলতে কী বোঝানো

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা আমার পরিচয়

আমার পরিচয় সৈয়দ শামসুল হক  কবি পরিচিতি : নাম সৈয়দ শামসুল হক জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে ডিসেম্বর। জন্মস্থান : কুড়িগ্রাম। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : ডা. সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন। মাতার নাম : সৈয়দা হালিমা খাতুন। শিক্ষা ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বেশ কিছুদিন পড়াশোনা করেন। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্য : একদা এক রাজ্যে, বৈশাখে রচিত পঙ্ক্তিমালা, অগ্নি ও জলের কবিতা, রাজনৈতিক কবিতা। গল্প : শীত বিকেল, রক্তগোলাপ, আনন্দের মৃত্যু, জলেশ্বরীরর গল্পগুলো। উপন্যাস : বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ। নাটক : পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, নূরুলদীনের সারা জীবন, ঈর্ষা। শিশুতোষ গ্রন্থ : সীমান্তের সিংহাসন। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. আমার পরিচয় কবিতায় উলে−খিত নদীর সংখ্যা কত? ছ ক. ১২০০ খ. ১৩০০ গ. ১৪০০ ঘ. ১৫০০ ২. ‘আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে’ Ñ এখানে ‘চর্যাপদের অক্ষরগুলো’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ঝ ক. অতীত ঐতিহ্য খ. সাংস্কৃতিক রূপ গ. ঐতিহাসিক পটভূমি ঘ. সাংস্কৃতিক পরিচয় নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : উপমহাদেশে শাসন ব্যবস্থার μমবিকাশ সম্বন্ধে পড়াতে গিয়ে জনাব মো. কামরুজ্জামান ধারাবাহিকভাবে পাল, সেন, মোগল, পাঠান ইত্যাদি শাসকগোষ্ঠীর শাসনকাল ও শাসন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময়কালের স্থাপত্যের নিদর্শনস্বরূপ বেশকিছু বিষয়ের উলে−খ করেন। ৩. উদ্দীপকের সাথে ‘আমার পরিচয়’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে Ñ র. জাতিগত পরিচয়ের রর. ঐতিহাসিক পরিচয়ের ররর. সাংস্কৃতিক বিবর্তন ধারার নিচের কোনটি সঠিক? ঝ ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. এরূপ সাদৃশ্যের কারণ কী? চ ক. সামগ্রিকতা খ. পটভূমি গ. ঐক্যসূত্র ঘ. ঐতিহ্য সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অনুচ্ছেদগুলো পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ইংরেজ শাসকদের কাছ থেকে উপমহাদেশের মুক্তির জন্য মহাত্মা গান্ধী এক সময় এদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেন। নানাভাবে তাদের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত করার চেষ্টা করেন। এরই ধারাবাহিক ফসল স্বদেশী আন্দোলন, অহিংস আন্দোলন ইত্যাদি। কালের বিবর্তনে জন্ম পাকিস্তান ও ভারত নামক দুটি পৃথক রাষ্ট্রের এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের। ক. বৌদ্ধবিহার কোথায় অবস্থিত? ১ খ. “আমি তো এসেছি ‘কমলার দীঘি’, ‘মহুয়ার পালা’ থেকে” Ñ একথা দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? ২ গ. উদ্দীপকটি ‘আমার পরিচয়’ কবিতার সাথে যেদিক দিয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘আমার পরিচয়’ কবিতার খণ্ডাংশ মাত্র, পূর্ণচিত্র নয় Ñ যুক্তিসহ লেখো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ বৌদ্ধবিহার পাহাড়পুরে অবস্থিত। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ “আমি তো এসেছি ‘কমলার দীঘি’ ‘মহুয়ার পালা’ থেকে” বলতে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিকাশধারার কথা বলা হয়েছে।  বাঙালি জাতি সাংস্কৃতিক বিকাশ ও বিবর্তনের পথ ধরেই এই অবস্থানে এসেছে। ‘কমলার দীঘি’ ও ‘মহুয়ার পালা’ হচ্ছে মৈয়মনসিংহ গীতিকার পালা। এতে বাঙালির আবহমান জীবনধারার চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। সেই সংস্কৃতির ধারাবাহিকতার পথ ধরেই বাঙালি আজকের অবস্থানে এসেছে। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ আন্দোলন-সংগ্রাম ও বিবর্তনের ধারায় যে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছে তার প্রকাশ ঘটেছে উদ্দীপক ও ‘আমার পরিচয়’ কবিতায়।  বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ লাভ করেছে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। তিতুমীর-হাজী শরিয়ত উল্লাহ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর পর্যন্ত অসংখ্য বিপ্লবী তাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁদের সেই কীর্তি আমাদের গৌরবোজ্জ্বল পরিচয় বহন করে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা পেয়েছি স্বাধীন স্বদেশ। সৈয়দ শামসুল হক তার ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় গভীর মমত্বের সাথে চিত্রিত করেছেন আমাদের সংগ্রামী ইতিহাসের পটভ‚মি।  উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে ইংরেজবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামের কথা। মহাত্মা গান্ধী উপমহাদেশের মানুষের মাঝে মুক্তির চেতনা ও দেশপ্রেম জাগ্রত করেন। সেই ধারাবাহিকতায় স্বদেশি আন্দোলন, অহিংস আন্দোলনের মতো ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটে। তারই পথ ধরে পাকিস্তান, ভারত পরে স্বাধীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। উদ্দীপকে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে সেই বিষয়টি মুখ্য হয়ে উঠেছে। উদ্দীপকের এই দিকটি আমার পরিচয় কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় বাঙালি জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার সামগ্রিক ইতিহাস বর্ণিত হলেও উদ্দীপকে শুধু মানুষের মুক্তিসংগ্রামের কথা বলা হয়েছে।  সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় বাঙালি জাতীয় পরিচয় ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা অত্যন্ত মমতার সাথে তুলে ধরেছেন। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে বাঙালি জাতি কীভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে সেই ইতিহাস-ঐতিহ্য অত্যন্ত চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। চর্যাপদের সময় থেকে শুরু করে আজকের সাহিত্য চেতনা কীভাবে বিকাশ লাভ করেছে তারও সাক্ষ্য দেয় কবিতাটি। ‘আমার পরিচয়’ কবিতা মূলত বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিচয়।  ইংরেজদের শোষণ-নির্যাতনে উপমহাদেশের মানুষ পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়েছিল। তখন এই অঞ্চলের শান্তির প্রতীক মহাত্মা গান্ধী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি সবার মাঝে দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত করেছিলেন। সে কারণেই স্বদেশি আন্দোলন ও ‘অহিংস আন্দোলন’ নামে গুরুত্বপূর্ণ জাগরণের সূচনা ঘটে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীন রাষ্ট্র ভারত, পাকিস্তান পরবর্তীতে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের এই ইতিহাস ছাড়াও ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় রয়েছে আরো অনেক বিষয়।  স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে এক সমৃদ্ধ ইতিহাস। পুরো পথটি মানুষের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের মহিমায় পূর্ণ। আর যুগে যুগে মানুষের সেই অবিনাশী চেতনা গঠিত হয়েছে গৌরবময় সাংস্কৃতিক চর্চার দ্বারা। আমাদের এসবই ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় উঠে এসেছে। কিন্তু আমাদের সাংস্কৃতিক জীবনবোধের পরিচয় আলোচ্য উদ্দীপকে অনুপস্থিত। ‘আমার পরিচয়’ ও উদ্দীপক পর্যালোচনা করলে পাই, উদ্দীপকে শুধু বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের কথাই বলা হয়েছে। সাংস্কৃতিক বিকাশ ও বিবর্তনের দিকসমূহ সেখানে আলোচিত হয়নি। তাই উদ্দীপকটি ‘আমার পরিচয়’ কবিতার খণ্ডাংশ মাত্র, পূর্ণচিত্র নয়। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর একসাথে আছি, একসাথে বাঁচি। আজও একসাথে থাকবই সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে, সাম্যের ছবি আঁকবই। বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান। ক. বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম নিদর্শনের নাম কী? ১ খ. এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে। ব্যাখ্যা করো। ২ গ. উদ্ধৃত প্রথম চরণ দুটির সাথে দ্বিতীয় চরণ দুটির সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় চরণ দুটির মূলভাব ‘আমার পরিচয়’ কবিতার সমগ্র মূলভাবকে ধারণ করে। উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন চর্যাপদ। খ. বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবিস্মরণীয় ভ‚মিকার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে আলোচ্য চরণে।  ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সব কিছুই তুলে ধরা হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে কবি এখানে স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রনায়ক ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ‚মিকার কথাও তুলে ধরেছেন। তাঁরই নেতৃত্বেই আমরা অর্জন করি স্বাধীন স্বদেশ। তাঁর সেই মহান কীর্তি স্মরণ করে বলা হয়েছে, ‘এসেছে বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে’। গ. উদ্দীপকে উদ্ধৃত প্রথম ও দ্বিতীয় চরণদ্বয়ে বাঙালির ঐক্যবদ্ধতার আকাক্সক্ষা প্রকাশ পেয়েছে, যা ‘আমার পরিচয়’ কবিতাতেও লক্ষণীয়।  সৈয়দ শামসুল হক রচিত ‘আমার পরিচয়’ কবিতাটি বাঙালি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক অনন্য আখ্যান। ইতিহাসের নানা ভাঙা-গড়ার খেলা বাঙালি জাতিতে

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা আমার পরিচয় Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা

তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা শামসুর রাহমান লেখক পরিচিতি : নাম শামসুর রাহমান জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯২৯ সালের ২৪ অক্টোবর। জন্মস্থান : ঢাকা। পৈতৃক নিবাস নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার পাড়াতলী গ্রামে। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : মোখলেসুর রহমান চৌধুরী মাতার নাম : আমেনা খাতুন শিক্ষাজীবন ১৯৪৫ সালে ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক ও ১৯৪৭ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পেশা সাংবাদিকতা। সাহিত্যিক পরিচয় একনিষ্ঠভাবে কাব্য সাধনায় নিয়োজিত ছিলেন। কবিতায় মধ্যবিত্ত নাগরিক জীবনের প্রত্যাশা, হতাশা, বিচ্ছিন্নতা, বৈরাগ্য ও সংগ্রাম এবং অতি আধুনিক কাব্যধারার বৈশিষ্ট্য সার্থকভাবে প্রকাশ পেয়েছে। উপমা ও চিত্রকল্পে তিনি প্রকৃতিনির্ভর এবং বিষয় ও উপাদানে শহরকেন্দ্রিক। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে, রৌদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত নীলিমা, নিরালোকে দিব্যরথ, নিজ বাসভ‚মে, বন্দী শিবির থেকে, দুঃসময়ে মুখোমুখি, ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা, এক ধরনের অহংকার, আদিগন্ত নগ্ন পদধ্বনি, আমি অনাহারী, বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে, দেশদ্রোহী হতে ইচ্ছে করে, বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়, গৃহযুদ্ধের আগে, হৃদয়ে আমার পৃথিবীর আলো, হরিণের হাড়, মানব হৃদয়ে নৈবেদ্য সাজাই ইত্যাদি। পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভ‚ষিত হন। মৃত্যু ২০০৬ সালের ১৭ই আগস্ট। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. দানবের মতো চিৎকার করতে করতে কী এসেছিল? ছ ক. পাকসেনা খ. ট্যাঙ্ক গ. হরিদাসী ঘ. স্বাধীনতা ২. ‘তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা ছাত্রাবাস বস্তি উজাড় হলো Ñ ‘ছাত্রাবাস বস্তি উজাড় হলো’ এ পঙ্ক্তিতে কিসের চিত্র আছে? ছ ক. স্বাধীনতার সুর খ. ধ্বংসের চিত্র গ. গণ-আন্দোলনের রূপ ঘ. মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩, ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : চিনতে নাকি সোনার ছেলে ক্ষুদিরামকে চিনতে? রুদ্ধশ্বাসে প্রাণ দিল যে ম্কুত বাতাস কিনতে? ৩. উদ্দীপকের ক্ষুদিরাম ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় কাদের প্রতিনিধিত্ব করে? ছ র. মুক্তিযোদ্ধাদের রর. আপামর জনসাধারণের ররর. আত্মত্যাগী মানুষদের নিচের কোনটি সঠিক? ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. এরূপ প্রতিনিধিত্বের কারণ কী? ছ ক. ঐক্যচেতনা খ. স্বাজাত্যবোধ গ. দেশপ্রেম ঘ. সাহসিকতা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকেই শাসকগোষ্ঠী শুরু করে নানা বৈষম্যনীতি। তারা পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু এদেশের ছাত্র-শিক্ষকসহ আপামর জনতা এর বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, বিসর্জন দেয় বুকের তাজা রক্ত। ক. কার সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল? ১ খ. জলপাই রঙের ট্যাংককে কবি দানব বলেছেন কেন? ২ গ. উদ্দীপকের যে ভাবটি ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় পাওয়া যায় তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় বর্ণিত দিকগুলোর একটিমাত্র দিক উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে। মন্তব্যটির যথার্থতা বিশে−ষণ করো। ৩ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ হরিদাসীর সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ শহরে জলপাই রঙের ট্যাংক কামানের গোলার শব্দে চিৎকার করতে করতে এসেছিল বলে একে দানব বলা হয়েছে।  ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের ওপর যে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিল তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। তারা নির্বিচারে ছাত্র, যুবক, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বহু মানুষকে হত্যা করে। রাস্তায় নামায় জলপাই রঙের ট্যাংক। ছাত্রাবাস, বস্তি ট্যাংকের কামানের গোলায় ধ্বংস করে দেয়। জলপাই রঙের ট্যাংকের ধ্বংসলীলা প্রত্যক্ষ করে কবি তাই তাকে দানব বলেছেন। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে উল্লিখিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রামের বিষয়টি ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় প্রতিফলিত।  স্বাধীনতাকামী বাঙালি কখনও পরাজয় মানেনি। অন্যায় জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে তারা সব সময়ই সোচ্চার থেকেছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর বাঙালি হানাদার পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বাঙালির সেই বীরত্বগাথাই ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় চিত্রিত হয়েছে। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির আত্মত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।  উদ্দীপকে আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। একদিকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যনীতি অন্যদিকে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ায় ষড়যন্ত্রে বাঙালি বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এই অন্যায়কে রুখে দেওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে তারা অংশগ্রহণ করে। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে তারা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করে। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে উভয় ক্ষেত্রেই বাঙালি ঐক্যবদ্ধভাবে পাকবাহিনীকে মোকাবেলা করেছে। তারা জান দিয়েছে কিন্তু মান দেয়নি। এই ভাবটি তুলে ধরার দিক থেকে উদ্দীপকটি ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার সাথে সম্পর্কিত। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে কেবল ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় উল্লিখিত হানাদার পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের কথাই আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু কবিতায় রয়েছে আমাদের স্বাধীনতা চেতনার স্বরূপ, যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত।  পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালির স্বাধীনতা হরণ করেছিল। গণতান্ত্রিক সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল। ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় এই স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিকামী মানুষের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের চিত্রই অঙ্কন করা হয়েছে। হরিদাসী-সাকিনা বিবির মতো অনেক নারী তাদের সর্বস্ব হারিয়েছে। হায়েনাদের রাইফেল, মেশিনগানের গুলিতে প্রাণ দিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ। বাঙালি স্বাধীনতার জন্য কীভাবে প্রত্যাশায় থেকেছে, আত্মত্যাগ করেছে ও চড়ামূল্য পরিশোধ করেছে তার এক করুণ চিত্র বর্ণনা করা হয়েছে কবিতায়। দীর্ঘ নয় মাসের ভয়াবহ যুদ্ধ শেষে বাঙালি জয় লাভ করে ও স্বাধীনতার লাল সূর্যটি ছিনিয়ে আনে।  উদ্দীপকে ভাষা আন্দোলনে বাঙালির সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তানিরা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ছাত্র-শিক্ষক-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে সে ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিয়েছিল। সে সংগ্রামেও জেল-জুলুমসহ বহু রক্ত ঝরেছিল। বেশ কয়েকজন সাহসী প্রাণকে তাদের জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছিল।  কবিতা ও উদ্দীপক বিবেচনা করলে আমরা দেখি, কবিতায় স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালির ঐক্যবদ্ধ লড়াইসহ ত্যাগ তিতিক্ষার করুণ চিত্র বিবৃত হয়েছে। তাছাড়া রয়েছে স্বাধীনতার জন্য মানুষের ব্যাকুল প্রতীক্ষার স্বরূপ। বাংলার জনতা দেশকে শত্রæমুক্ত করার প্রত্যয়েই হাসিমুখে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল। উদ্দীপকের ঘটনাটিতে অধিকার আদায়ের সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার বিশেষ অনুভ‚তি এখানে অনুপস্থিত। তাই বলা বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার খণ্ডিত ভাবের ধারক। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ভাষার দাবিকে ভ‚লুন্ঠিত করার জন্য পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি তারিখে পূর্ববাংলায় ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু এদেশের ছাত্রসমাজ প্রতিবাদমুখর হয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন চত্বর থেকে মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ এবং গুলি চালায়। এতে সালাম, বরকত, রফিকসহ অনেকে শহিদ হয়। অবশেষে সর্বস্তরের জনগণ এ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ক. কার ফুসফুস এখন পোকার দখলে? ১ খ. শহরের বুকে জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক এলো কেন? ২ গ. উদ্দীপকে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছেÑ ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. ফুটে ওঠা দিকটি ছাড়াও ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় আরও নানা দিক রয়েছেÑ মন্তব্যের যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. রুস্তম শেখের ফুসফুস এখন পোকার দখলে। খ. স্বাধীনতাকামী

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা Read More »

Scroll to Top