বাংলা

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা অভাগীর স্বর্গ

অভাগীর স্বর্গ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়  লেখক পরিচিতি : নাম শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই সেপ্টেম্বর। জন্মস্থান : পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রাম। শিক্ষা আর্থিক সংকটের কারণে এফ.এ শ্রেণিতে পড়ার সময় ছাত্রজীবনের অবসান ঘটে। ব্যক্তিজীবন কৈশোরে অস্থির স্বভাবের কারণে তিনি কিছুদিন ভবঘুরে জীবনযাপন করেন। ১৯০৩ সালে ভাগ্যের অন্বেষণে বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) যান এবং রেঙ্গুনে (বর্তমান ইয়াংগুন) অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের অফিসে কেরানি পদে চাকরি করেন। এখানেই তাঁর সাহিত্যসাধনার শুরু হয়। সাহিত্যিক পরিচয় মূল পরিচয় কথাসাহিত্যিক হিসেবে। উপন্যাস ও গল্প রচনার পাশাপাশি তিনি কিছু প্রবন্ধ রচনা করেন। বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক। উল্লেখযোগ্য রচনা উপন্যাস : বিরাজ বৌ, দেবদাস, পরিণীতা, পল্লিসমাজ, বৈকুণ্ঠের উইল, শ্রীকান্ত, চরিত্রহীন, দত্তা, গৃহদাহ, দেনা পাওনা, পথের দাবী, শেষ প্রশ্ন। গল্পগ্রন্থ : বড়দিদি, রামের সুমতি, বিন্দুর ছেলে, মেজদিদি, পণ্ডিতমশাই, ছবি। পুরস্কার ১৯২০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী পদক এবং ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধি লাভ করেন। মৃত্যু ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই জানুয়ারি কলকাতায়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. কোন নদীর তীরে শ্মশান ঘাট অবস্থিত? ছ ক. শঙ্খ খ. গরুড় গ. গড়াই ঘ. পদ্মা ২. রসিক বেল গাছটি কী কাজে ব্যবহার করতে চেয়েছিল? চ ক. অভাগীর শবদাহ খ. ঘরবাড়ি তৈরি গ. রান্নার কাঠ সংগ্রহ ঘ. কাঙালীর জন্য উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : তর্করতœ কহিলেন ধার নিবি শুধবি কীভাবে? গফুর বলিল, যেমন করে পারি শুধব বাবা ঠাকুর, তোমাকে ফাঁকি দেব না। ৩. তর্করতœ অভাগীর স্বর্গ গল্পের কোন্ চরিত্রের প্রতিনিধি? ঝ ক. ঠাকুর দাস মুখুয্যে খ. রসিক দুলে গ. দারোয়ানজী ঘ. অধর ৪. এই প্রতিনিধিত্বের কারণ হলো Ñ র. উভয়েই জমিদারের প্রতিনিধি রর. জমিদারের গোমস্তা ররর. জমিদার ও ব্রাহ্মণ নিচের কোনটি সঠিক? চ ক. র খ. রর গ. ররর ঘ. রর ও ররর               সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর এই নিষ্ঠুর অভিযোগে গফুর যেন বাক্রোধ হইয়া গেল। ক্ষণেক পরে ধীরে ধীরে কহিল, কাহন খানেক খড় এবার ভাগে পেয়েছিলাম। কিন্তু গেল সনের বকেয়া বলে কর্তামশায় সব ধরে রাখলেন? কেঁদে কেটে হাতে পায়ে পড়ে বললাম, বাবু মশাই, হাকিম তুমি, তোমার রাজত্ব ছেড়ে আর পালাব কোথায়? আমাকে পণদশেক বিচুলি না হয় দাও। চালে খড় নেই। বাপ বেটিতে থাকি, তাও না হয় তালপাখার গোঁজাগাঁজা দিয়ে এ বর্ষাটা কাটিয়ে দেব, কিন্তু না খেতে পেয়ে আমার মহেশ যে মরে যাবে। ক. কাঙালীর বাবার নাম কী? ১ খ. ‘তোর হাতের আগুন যদি পাই, আমিও সগ্যে যাব’ উক্তিটি ব্যাখ্যা করো। ২ গ. উদ্দীপকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের যে সমাজচিত্রের ইঙ্গিত রয়েছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. কাঙালীর সঙ্গে উদ্দীপকের গফুরের সাদৃশ্য থাকলেও কাঙালী সম্পূর্ণরূপে গফুরের প্রতিনিধিত্ব করে না Ñ মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ কাঙালীর বাবার নাম রসিক বাঘ। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ ‘তোর হাতের আগুন যদি পাই, আমিও সগ্যে যাব’Ñ মা গভীর ধর্মবিশ্বাস থেকে কাঙালীকে এ উক্তিটি করেছিল।  মুখুয্যে বাড়ির গৃহকর্ত্রীর মৃত্যুর পর সৎকারের দৃশ্য দেখে অভাগীর ভেতরে এক ধরনের ভাবানুভ‚তির সৃষ্টি হয়। মৃতের শবযাত্রার আড়ম্বরতা ও সৎকারের ব্যাপকতা দেখে অভাগী বিস্মিত হয়। ভাবে, তার মৃত্যুর সময় স্বামীর পায়ের ধূলি নিয়ে মৃত্যুর পর পুত্র কাঙালী মুখাগ্নি করলে সেও স্বর্গে যাবে। তাই অভাগী তার সেই শেষ ইচ্ছার কথাই সন্তানের কাছে বলে। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বর্ণিত সামন্তবাদী সমাজচিত্রের ইঙ্গিত রয়েছে।  ‘অভাগীর স্বর্গ’ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অসামান্য সৃষ্টি। এখানে অভাগী ও কাঙালীর জবানিতে বর্ণভেদ প্রথা ও দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত মানুষের গভীর আর্তনাদ ও সমাজপতিদের নির্মম নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠেছে। নীচু জাতের দরিদ্র অভাগীর মৃত্যুর পর তার সৎকারের জন্য সামান্য একটু কাঠ তারা পায়নি। কাঙালী জমিদারের গোমস্তা অধর রায়ের কাছে গেলে তাকে সেখান থেকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। অন্য সমাজপতিররাও করে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য। এভাবে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বারবার সমান্তবাদী সমাজের নির্মমতা প্রকাশ পেয়েছে।  উদ্দীপকের গফুর দারিদ্র্যের নির্মম কষাঘাতে জর্জরিত। যেখানে বাপ-বেটির অন্ন জোটে না সেখানে অবলা প্রাণী মহেশকে খাওয়াবে কী? মহেশকে বাঁচানোর জন্য পণদশেক বিচুলির জন্য গফুর কর্তামশাইয়ের পায়ে পড়ে কাকুতি মিনতি করেছে। এই কর্তাবাবুদের প্রবল প্রতিপত্তি থাকা সত্তে¡ও গফুরদের কষ্টে ও বুকফাটা আহাজারিতে তাদের প্রাণ কাঁদেনি। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য সে সমাজে সুস্পষ্ট দেয়াল তুলে দিয়েছিল। এই বৈষম্যপূর্ণ সমাজের চিত্র ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে আরো বিস্তৃতভাবে আলোচিত হয়েছে। তাই বলা যায়, সামন্তবাদের নির্মম রূপ উদ্দীপকের সাথে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের সমাজব্যবস্থাকে সাদৃশ্যময় করে তুলেছে। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ কাঙালী ও গফুর উভয়েই শোষিত শ্রেণির প্রতিনিধি হলেও উভয়ের হৃদয়-বেদনার মাঝে গুণগত পার্থক্য রয়েছে।  ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে কাঙালী নিম্নবর্ণের হওয়ার কারণে সমাজপতিরা তার মৃত মায়ের সৎকারে কাঠ ব্যবহার করতে দেয়নি। অভাগী ছেলের হাতের আগুন পেয়ে স্বর্গে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা নিম্নবর্ণের হওয়ার কারণে কাঙালী বারবার ধরনা দিয়েও একটু কাঠ জোগাড় করতে পারেনি। শেষমেশ নদীর চরে অভাগীকে পুঁতে ফেলতে হয়েছে। এতে কাঙালীর কিশোর হৃদয়ে কঠিন আঘাত লেগেছে।  উদ্দীপকে দরিদ্র গফুর ভাগে যেটুকু খড় পেয়েছিল কর্তামশাই গতবারের পাওনার অজুহাতে তা কেড়ে নিয়েছে। বাপ-বেটি না হয় তালপাখার গোঁজাগাজাঁ দিয়ে বর্ষাটা কাটিয়ে দিতে পারবে। কিন্তু মহেশের কী হবে? মহেশ যে না খেয়ে মরে যাবে। এই মানসিক দুর্ভাবনায় আচ্ছন্ন গফুর। দরিদ্র ও মুসলমান হওয়ার কারণেই তার প্রতি জমিদারদের এমন ব্যবহার। সে সমাজে যেন তার মতো গরিবের বাঁচবার অধিকারই নেই।  ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে কাঙালীকে মৃত মায়ের সৎকারের জন্য কাঠ দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে গলাধাক্কা । এমন অত্যাচার করা হয়েছে শুধু নীচু জাতের মানুষ হওয়ার অজুহাতে। মাতৃহারা আশ্রয়হীন একটি শিশুর কাকুতি মিনতি সমাজপতিদের মনে কোনো আবেদন সৃষ্টি করেনি। অন্যদিকে গরিব মুসলমান হওয়ার কারণে কর্তাবাবুরা নানা ছুতানাতায় গফুরকে বঞ্চিত করেছে। তবে এখানে গফুর ও কাঙালীর মধ্যে মানসিক যন্ত্রণা ও বেদনার গুণগত পার্থক্য বিদ্যমান। একজন মায়ের সৎকারে কাঠ জোগাড় করতে পারেনি অন্যজন একটি অবোধ প্রাণীর জন্য খড় সংগ্রহ করতে পারেনি। একজনের মাঝে লক্ষ করা যায় মাতৃভক্তি, অন্যজনের মাঝে প্রাণীপ্রীতি। দশ বছরের মা-মরা মেয়ে রাবেয়া গৃহকর্মীর কাজ করে নিজের এবং অসুস্থ বাবার অন্ন সংস্থান করে। চিকিৎসার অভাবে রাবেয়াকে ছেড়ে একদিন বাবা ইহধাম ত্যাগ করেন। দাফন কাফনের খরচ এবং কবরের জায়গা না থাকায় রাবেয়া গাঁয়ের মোড়লের সহযোগিতা চেয়ে খালি হাতে ফিরে আসে। অনন্যোপায় হয়ে বাবার মৃতদেহের পাশে বসে কাঁদতে থাকে। প্রতিবেশী মনসুর এ খবর পেয়ে রাবেয়ার পাশে দাঁড়ায় এবং যাবতীয় ব্যবস্থা করে। ক. গ্রামের শ্মশানটি কোন নদীর তীরে অবস্থিত? ১ খ. “তোর হাতের আগুন যদি পাই বাবা, বামুন মার মত আমিও সগ্যে যেতে পাবো।”Ñ উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো। ২ গ. উদ্দীপকে মনসুর এবং ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের গোমস্তা অধর রায় একে অন্যের বিপরীতÑ ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকে ফুটে ওঠা বিষয়টি ছাড়াও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে অন্যান্য বিষয়ের আলোচনা রয়েছেÑ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা অভাগীর স্বর্গ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বইপড়া

বইপড়া প্রমথ চৌধুরী লেখক পরিচিতি : নাম প্রমথ চৌধুরী জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই আগস্ট। জন্মস্থান : যশোর। পৈতৃক নিবাস পাবনা জেলার হরিপুর গ্রাম। শিক্ষা ১৮৯০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর বিলেত (ইংল্যান্ড) থেকে ব্যারিস্টারি পাস করেন। কর্মজীবন ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন। সাহিত্যিক পরিচয় মূলত প্রাবন্ধিক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও সাহিত্যের নানা শাখায় তাঁর বিচরণ ছিল। তাঁর নেতৃত্বে বাংলা সাহিত্যে নতুন গদ্যধারা সূচিত হয়। বাংলা সাহিত্যে প্রথম স্যাটায়ারিস্ট বা বিদ্রূপাত্মক প্রবন্ধ রচয়িতা। ‘সবুজপত্র’ নামক সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন। বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষারীতি প্রবর্তনে এ পত্রিকাটি অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করে। সাহিত্যিক ছদ্মনাম ঊীরবল উল্লেখযোগ্য রচনা বীরবলের হালখাতা, রায়তের কথা, প্রবন্ধ সংগ্রহ, সনেট পঞ্চাশৎ, পদচারণ, চার-ইয়ারি কথা, আহুতি, নীললোহিত। মৃত্যু ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দের ২রা সেপ্টেম্বর কলকাতায়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক লাইব্রেরিকে কিসের ওপর স্থান দিয়েছেন? ছ ক. হাসপাতালের খ. স্কুল-কলেজের গ. অর্থ-বিত্তের ঘ. জ্ঞানী মানুষের ২. স্বশিক্ষিত বলতে বোঝায় Ñ চ ক. সৃজনশীলতা অর্জন খ. বুদ্ধির জাগরণ গ. সার্টিফিকেট অর্জন ঘ. উচ্চ শিক্ষা অর্জন উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : ‘পড়িলে বই আলোকিত হয় না পড়িলে বই অন্ধকারে রয়।’ ৩. উদ্দীপকটির ভাবার্থ নিচের কোন চরণে বিদ্যমান? জ ক. জ্ঞানের ভাণ্ডার যে ধনের ভাণ্ডার নয় খ. শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না গ. সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত ঘ. আমাদের বাজারে বিদ্যাদাতার অভাব নেই ৪. উদ্দীপকটির ভাবার্থ ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে ভাবকে নির্দেশ করে Ñ চ ক. জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে মৌলিকত্ব অর্জন খ. শিক্ষাযন্ত্রের মাধ্যমে বিকশিত হওয়া গ. শিক্ষকের মাধ্যমে বিকশিত হওয়া ঘ. শিক্ষিত হয়ে চাকরি অর্জন                       সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর জাতীয় জীবনধারা গঙ্গা-যমুনার মতোই দুই ধারায় প্রবাহিত। এক ধারার নাম আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার, আরেক ধারার নাম আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থ বৃদ্ধি। একদিকে যুদ্ধবিগ্রহ, মামলা-ফ্যাসাদ প্রভৃতি কদর্য দিক, অপরদিকে সাহিত্য, শিল্প, ধর্ম প্রভৃতি কল্যাণপ্রদ দিক। একদিকে শুধু কাজের জন্য কাজ। অপরদিকে আনন্দের জন্য কাজ। একদিকে সংগ্রহ, আরেক দিকে সৃষ্টি। যে জাতি দ্বিতীয় দিকটির প্রতি উদাসীন থেকে শুধু প্রথম দিকটির সাধনা করে, সে জাতি কখনও উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না। ক. ‘ভাঁড় ও ভবানী’ অর্থ কী? ১ খ. অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম দিকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে দিকটিকে ইঙ্গিত করে তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকে পরমার্থ বৃদ্ধির প্রতি যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের মতকে সমর্থন করে Ñ মন্তব্যটির বিচার করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ.  ‘ভাঁড় ও ভবানী’ অর্থ রিক্ত বা শূন্য। ১ এর খ নং প্র. উ.  ‘অন্তনির্হিত শক্তি’ বলতে ভেতরের বা অভ্যন্তরীণ শক্তিকে বোঝায়। এটি হচ্ছে নিজের মনকে গড়ে তোলার শক্তি।  প্রতিটি মানুষের মাঝেই নিহিত রয়েছে সুপ্ত শক্তি। প্রকৃত শিক্ষার ছোঁয়ায় তা জাগ্রত হয়। স্বশিক্ষিত ব্যক্তিরা নিজের ভেতরের এই শক্তিকে আবিষ্কার করতে পারেন। এই শক্তিই অন্তর্নিহিত শক্তি, যা মানুষের মানসিক শক্তির পরিচায়ক। ১ এর গ নং প্র. উ.  উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম দিকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে অর্থ উপার্জনের নিমিত্তে বিদ্যাচর্চার দিকটিকে ইঙ্গিত করে।  ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক প্রমথ চৌধুরী স্বেচ্ছায় বই পড়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। আমাদের সমাজব্যবস্থা আমাদের সেই সুযোগটি দেয় না। অর্থ উপার্জনের চিন্তায় আমরা সবাই মশগুল। তাই যে বই পড়লে পেশাগত উপকার হবে বলে আমরা ভাবি, শুধু সেই বই-ই পড়ি। এভাবে বই পড়াতে নেই কোনো আনন্দ। আর এই চর্চার ফলে জাতি হিসেবে আমরা হয়ে উঠছি অন্তঃসারশূন্য।  উদ্দীপকে বলা হয়েছে, জাতীয় জীবনধারা গঙ্গা-যমুনার মতোই দুই ধারায় প্রবাহিত। একটি আত্মরক্ষা বা স্বার্থ প্রসার অন্যটি আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থ বৃদ্ধি। একটি কদর্য আর আরেকটি কল্যাণের দিক। একদিকে কাজের জন্য কাজ, অন্যদিকে আনন্দের জন্য কাজ। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে বর্ণিত অর্থ উপার্জনের জন্য বই পড়ার প্রবণতার মিল রয়েছে উদ্দীপকের বক্তব্যের সঙ্গে। ১ এর ঘ নং প্র. উ.  ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক সৃজনশীল সাহিত্যচর্চার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন, যা উদ্দীপকে উল্লিখিত পরমার্থ অর্জনের নামান্তর।  ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক প্রমথ চৌধুরী তাঁর প্রবন্ধে আমাদের পাঠচর্চার প্রতি অমনোযোগের সমালোচনা করেছেন। উদর পূর্তির জন্য কেবল গৎবাঁধা বই পড়ি আমরা। এ কারণেই জাতি হিসেবে আমরা নিরানন্দ ও নির্জীব হয়ে পড়েছি। মনের শক্তিকে আবিষ্কারের জন্য আমাদের প্রয়োজন স্বেচ্ছায় স্বচ্ছন্দচিত্তে সাহিত্যচর্চা করা। নিয়মিত লাইব্রেরিতে গমনের মাধ্যমেই এটি করা সম্ভব।  উদ্দীপকে জাতীয় জীবনধারার দুটি দিকের কথা বলা হয়েছে। একটি আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার অন্যটি আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থ বৃদ্ধি। এখানে উল্লিখিত পরমার্থ অর্জনই জীবনের শ্রেষ্ঠ সাধনা। অর্থলাভের মধ্য দিয়ে শুধু আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না। জীবনের কদর্য দিকের পরিবর্তে সাহিত্য, শিল্প, ধর্ম প্রভৃতি কল্যাণকর দিক অর্জন করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমেই উঁচু জীবনের অধিকারী হওয়া যায়।  জীবনে পরমার্থ অর্জনের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে বই। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে সে কথাই বলা হয়েছে। আমাদের শিক্ষিত শ্রেণি নিতান্ত বাধ্য না হলে বই পড়ে না। পড়ে না এতে উদরপূর্তি হয় না বলে। পরীক্ষা পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক কথা নয়। প্রকৃত শিক্ষিত হতে হলে জীবনের পরম সত্য বা পরমার্থকে উপলব্ধি করতে হবে এবং তা অর্জন করতে হবে। শিক্ষিত হতে হলে মনের প্রসার দরকার। এই প্রসারতার জন্যই বই পড়া আবশ্যক। এ কারণেই প্রমথ চৌধুরী স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে বই পড়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে পরমার্থ বৃদ্ধির প্রতি যে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের মতকে সমর্থন করে।           গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সৌমিকের পত্রিকার সাহিত্যের পাতাগুলোর প্রতি আগ্রহ বেশি। মামার সাথে বইমেলায় গিয়ে অবসরকালীন বিনোদনের জন্য সে কয়েকটি বই কিনে নেয়। মামা তাকে বলেন, জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে হলে বই পড়ার বিকল্প নেই। সৌমিকের বই পড়ার আগ্রহ দেখে মামা তাকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে ভর্তি করে দেন। ক. সুশিক্ষিত লোক মাত্রই কী? ১ খ. মনের হাসপাতাল বলতে কী বোঝায়? ২ গ. উদ্দীপকের মূলভাব ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কোন দিকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. ‘উদ্দীপকটির মূলভাব মূলত ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের মূলভাবের অংশবিশেষকে প্রস্ফুটিত করে।”Ñ বক্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত। খ. লাইব্রেরিতে স্বচ্ছন্দচিত্তে সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে আমাদের মানসিক শক্তি গড়ে ওঠে বলে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী লাইব্রেরিকে মনের হাসপাতাল বলেছেন।  প্রমথ চৌধুরীর মতে, কেবল উদরপূর্তি হলেই আমাদের মন ভরে না। আর মনের দাবি মেটাতে না পারলে আমাদের আত্মা বাঁচে না। মনকে সতেজ ও সরাগ রাখতে না পারলে আমাদের প্রাণ নির্জীব হয়ে পড়ে। এ জন্যই প্রয়োজন লাইব্রেরি। লাইব্রেরিতে আমরা স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে সাহিত্যচর্চা করতে পারি। এতে আমাদের মন সুস্থ ও সতেজ থাকে। এ কারণেই লেখক লাইব্রেরিকে মনের হাসপাতাল বলেছেন। গ. উদ্দীপকের

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বইপড়া Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা খলিফা হযরত উমর (রা) অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা খলিফা হযরত উমর (রা) অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

খলিফা হযরত উমর (রা) অনুশীলনীরপ্রশ্নওউত্তর ১। শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি এবং শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করি। কুস্তিগির কোষমুক্ত যোদ্ধা সুবক্তা বিস্মিত সালাত ব্যাকুল ফারুক স্বীয় সংমিশ্রণ পুষ্প দিরহাম বায়তুলমাল জবাবদিহি পত্র উত্তর : প্রদত্ত শব্দ অর্থ বাক্য কুস্তিগির কুস্তি বিদ্যায় পারদর্শী প্রথম জীবনে উমর (রা) ছিলেন নামকরা কুস্তিগির। কোষমুক্ত খাপ থেকে বের করে আনা উমর (রা) কোষমুক্ত তরবারি নিয়ে দৌড়াচ্ছিলেন। যোদ্ধা যুদ্ধ করেন যিনি সংগ্রামী জনতা কারো কাছে মাথা নতো করে না। সুবক্তা ভালোবক্তা, যিনি গুছিয়ে বলতে পারেন উমর (রা) ছিলেন একজন সুবক্তা। বিস্মিত হতবাক ভগ্নিপতির দৃঢ়তা দেখে উমর (রা) বিস্মিত হন। সালাত নামাজ সালাত কায়েম করা ফরয। ব্যাকুল অস্থির আযানের ধ্বনিতে মুমিনগণ ব্যাকুল হন। ফারুক সত্য-মিথ্যায় পার্থক্যকারী উমর (রা) ফারুক উপাধিতে ভূষিত হন। স্বীয় নিজ স্বীয় মর্যাদা রক্ষা করা উচিত। সংমিশ্রণ একত্রীকরণ, মেশানো উমর (রা) এর চরিত্রে কঠোরতা ও কোমলতার সংমিশ্রণ ছিলো। পুষ্প ফুল জীবন পুষ্প শয্যা নয়। দিরহাম তৎকালীন আরবি মূদ্রা উমর (রা) কোষাগার থেকে দুই দিরহাম গ্রহণ করতেন। বায়তুল মাল সরকারি কোষাগার বায়তুল মালের অর্থ গরিবদের কল্যাণে ব্যয় করা উচিত। জবাবদিহি কৈফিয়ত দেওয়া খলিফা ওমর সাধারণ জনগণের কাছেও জবাবদিহি করতেন। পত্র চিঠি প্রাচীনকালে পত্র যোগাযোগের প্রচলন ছিলো বেশি ২। ডান দিক থেকে ঠিক শব্দ বেছে নিয়ে খালি জায়গায় লিখি। ক. হযরত উমর (রা) ছিলেন —। খ. একদিন তিনি এক – সঙ্গী নিয়ে – যাচ্ছিলেন। গ. হযরত উমর (রা) পবিত্র – নগরীতে – বংশে জন্মগ্রহণ করেন। ঘ. তাঁর মাতার নাম – ও পিতার নাম -। ঙ. তিনি মানুষের দুঃখকষ্টে ছিলেন – মতো কোমল। মক্কা, কুরাইশ হানতামাহ্, খাত্তাব ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা। ক্রীতদাস, জেরুযালেম ফুলের উত্তর : ক. হযরত উমর (রা) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা। খ. একদিন তিনি এক ক্রীতদাস সঙ্গী নিয়ে জেরুযালেম যাচ্ছিলেন। গ. হযরত উমর (রা) পবিত্র মক্কা নগরীতে কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। ঘ. তাঁর মাতার নাম হানতামাহ্ ও পিতার নাম খাত্তাব । ঙ. তিনি মানুষের দুঃখকষ্টে ছিলেন ফুলের মতো কোমল। ৩। ডান দিক থেকে শব্দ বেছে নিয়ে বাঁ দিকের শব্দের সঙ্গে মিল করি। শিক্ষা নির্জনে শত্র“ বাণিজ্য সুনাম মিত্র ব্যবসা বদনাম প্রকাশ্যে মহৎ কাজ উত্তর : শিক্ষা মহৎ কাজ ব্যবসা বাণিজ্য শত্র“ মিত্র প্রকাশ্যে নির্জনে সুনাম বদনাম ৪। বাক্য গঠন করি খলিফা, চরিত্র, তরবারি, নিখুঁত, শান্তি, কোমল, কঠোর, দরদি, আদর্শ, কোষাগার। উত্তর : প্রদত্ত শব্দ বাক্য খলিফা হযরত উমর (রা) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা। চরিত্র উত্তম চরিত্রের লোককে সবাই ভালোবাসে। তরবারি কোষমুক্ত তরবারি নিয়ে উমর (রা) বের হয়েছিলেন। নিখুঁত বিচার ব্যবস্থা নিরপেক্ষ ও নিখুঁত হওয়া উচিত। শান্তি ইসলাম শান্তির ধর্ম। কোমল অসহায়দের প্রতি হযরত উমরের মন ছিল বড়ই কোমল। কঠোর অন্যায়কে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। দরদি দেশের শাসকদের দরদি হওয়া উচিত। আদর্শ খলিফা উমর (রা) ছিলেন একজন আদর্শ শাসক। কোষাগার রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা অপচয় করা উচিত নয়। ৫. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি। প্রশ্ন-ক. হযরত উমর (রা) কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? উত্তর : হযরত উমর (রা) পবিত্র মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন প্রশ্ন-খ. তাঁর মাতাপিতার নাম কি? উত্তর : হযরত উমর (রা) এর পিতার নাম খাত্তাব ও মাতার নাম হানতামাহ্। প্রশ্ন-গ. তিনি কীভাবে মুসলমান হলেন? উত্তর : হযরত উমর (রা) ইসলামের প্রতি বোন ও ভগ্নিপতির দৃঢ়তা দেখে বিস্মিত হয়ে যান। এতে তাঁর মানসিক পরিবর্তন ঘটে। তিনি মুসলমান হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন এবং নবি করিম (স) এর দরবারে গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। প্রশ্ন-ঘ. হযরত মুহাম্মদ (স), উমর (রা) কে কী উপাধি দিয়েছিলেন? উত্তর : হযরত মুহাম্মদ (স) খলিফা উমরকে ‘ফারুক’ উপাধি দিয়েছিলেন। প্রশ্ন-ঙ. হযরত উমর (রা) এর বিচার ব্যবস্থা কেমন ছিল? উত্তর : খলিফা উমর (রা) এর বিচার ব্যবস্থা ছিল নিরপেক্ষ ও নিখুঁত। আইনের ছোখে উঁচু-নীচু, ধনী-গরিব, আপন-পর কোনো ভেদাভেদ ছিল না। প্রশ্ন-চ. প্রজাদের প্রতি হযরত উমর (রা) এর ভালোবাসার একটি উদাহরণ দাও। উত্তর : প্রজাদের প্রতি হযরত উমর (রা) ভালবাসা ছিল অকৃত্রিম। প্রজাদের দুঃখ কষ্টের কথা অবহিত হওয়ার জন্য তিনি গভীর রাতে মহল­ায় মহল­ায় ঘুরে বেড়াতেন। একদিন ক্ষুধার্ত শিশুদের কান্নার আওয়াজ শুনে তিনি নিজের কাঁধে আটার বস্তা বহন করে তাদের তাঁবুতে নিয়ে যান। প্রশ্ন-ছ. হযরত উমর (রা) এর উপদেশগুলো কী কী? উত্তর : খলিফা হযরত উমর (রা) দেওয়া উপদেশগুলো হলো : ‘আগে আগে সালাম দেওয়া। কোনো কাজ করার আগে অভিজ্ঞ লোকদের পরামর্শ নেওয়া। যে কোনো কাজ মনোযোগ দিয়ে করা। সবার প্রতি সুবিচার করা।’ ৬. হযরত উমর (রা) সম্পর্কে ৫টি বাক্য লিখি ও পড়ি। ……………………………………………………………. ……………………………………………………………. ……………………………………………………………. ……………………………………………………………. ……………………………………………………………. উত্তর : হযরত উমর (রা) সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য হলো : ১. হযরত উমর (রা) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা। ২. মহানবি (স) হযরত উমরকে ‘ফারুক’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ৩. দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রা) ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ শাসক হিসেবে সমাদৃত। ৪. প্রথম জীবনে হযরত উমর (রা) ছিলেন ইসলামের ঘোরতর বিরোধী। ৫. হযরত উমর (রা) ছিলেন ন্যায় বিচারক। খলিফা হযরত উমর (রা)  মডেল টেস্ট প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর লেখো। হযরত উমর (রা.) প্রথমে ছিলেন ইসলামের ঘোরতর বিরোধী। মহানবি (স) কে হত্যা করার জন্য তিনি কোষমুক্ত তরবারি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। পথিমধ্যে জানতে পারেন যে, তাঁর বোন ফাতিমা ও ভগ্নিপতি সাঈদ মুসলমান হয়ে গেছেন। এতে তিনি ক্রোধে অস্থির হয়ে বোনের বাড়িতে উপস্থিত হন। তিনি ইসলামের প্রতি বোন ও ভগ্নিপতির দৃঢ়তা দেকে বিস্মিত হয়ে যান। তাঁর মানসিক পরিবর্তন ঘটে। তিনি মুসলমান হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন এবং নবি করিম (স) এর দরবারে গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মুসলমান হয়ে তিনি দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা দিলেন, ‘আর গোপনে নয়, এবার প্রকাশ্যে কাবা ঘরের সামনে সালাত আদায় করব।’ মহানবি (স) খুশি হয়ে তাঁকে উপাধি দেন ‘ফারুক’ অর্থাৎ সত্য ও মিথ্যার প্রভেদকারী। হযরত উমর (রা.) একদিকে ছিলেন কোমল, অন্যদিকে ছিলেন কঠোর। তিনি মানুষের দুঃখ কষ্টে ছিলেন ফুলের মতো কোমল। দেশের মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা অবহিত হওয়ার জন্য তিনি গভীর রাতে মহল­ায় মহল­ায় ঘুরে বেড়াতেন। ক্ষুধার্ত শিশুদের কান্নার আওয়াজ শুনে তিনি নিজের কাঁধে আটার বস্তা বহন করে নিয়ে তাদের তাঁবুতে যেতেন। তিনি সহধর্মিণী উম্মে কুলসুমকে নিয়ে এক বেদুইনের ঘরে যান, তার অসুস্থ স্ত্রীকে সাহায্য করার জন্য। খলিফা উমর (রা.) এর বিচার ব্যবস্থা ছিল নিরপেক্ষ ও নিখুঁত। আইনের চোখে উঁচু-নিচু, ধনী-গরিব, আপন-পর কোনো ভেদাভেদ ছিল না। গুরুত্বর অপরাধে নিজের ছেলে আবু শাহ্মাকে তিনি কঠোর শাস্তি দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ তিনি সাহাবিদের সাথে পরামর্শ করে সম্পাদন করতেন। ১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো : র. হযরত উমর রা. ছিলেন ইসলামের -। ক. প্রথম খলিফা √খ. দ্বিতীয় খলিফা গ. তৃতীয় খলিফা ঘ. চতুর্থ খলিফা রর. হযরত উমর (রা.) প্রথমে কিসের বিরোধী ছিলেন? ক. বোনের খ. ভগ্নিপতির গ. মক্কার √ঘ. ইসলামের ররর. কখন স্বাধীনভাবে কাবা ঘরের সামনে সালাত আদায় করা

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা খলিফা হযরত উমর (রা) অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা লিপির গল্প অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা লিপির গল্প অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

লিপির গল্প অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. জেনে নিই। লিপির গল্পটিতে ভাষার প্রতীকচিহ্ন হিসেবে বর্ণমালা কীভাবে আস্তে আস্তে একটি রূপ পায় তার একটি ধারণা কথোপকথনের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে লিপিমালা আবিষ্কারের তথ্য জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। অভ্যাস সাক্ষর বন্ধন বঙ্গলিপি রূপান্তর উত্তর : শব্দ অর্থ অভ্যাস – স্বভাব। সাক্ষর – অক্ষরজ্ঞান, বর্ণ চেনে এমন। বন্ধন – বাঁধন। বঙ্গলিপি – বাংলা ভাষার অক্ষর, বর্ণ বা হরফ। রূপান্তর – পরিবর্তন। ৩. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। অভ্যাস বন্ধন সাক্ষর রূপান্তর বঙ্গলিপি। ক. …………. লোকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। খ. চা খাওয়ার সময় বাবার পত্রিকা পড়ার ……….। গ. বাক্যটি সাধু থেকে চলিত ভাষায় ……….. কর। ঘ. বাংলা লিপির পুরানো নাম ……….। ঙ. মানুষের সাথে মানুষের ………… দৃঢ় হোক। উত্তর : ক. সাক্ষর লোকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। খ. চা খাওয়ার সময় বাবার পত্রিকা পড়ার অভ্যাস। গ. বাক্যটি সাধু থেকে চলিত ভাষায় রূপান্তর কর। ঘ. বাংলা লিপির পুরানো নাম বঙ্গলিপি। ঙ. মানুষের সাথে মানুষের বন্ধন দৃঢ় হোক। ৪. শূন্যস্থান পূরণ করি। তুমি খুব — প্রশ্ন করেছ। আবার নতুন করে নতুন — বানাতে হতো। লিপিকে কেউ বলেন — । বঙ্গলিপি থেকেই — এসেছে। উত্তর : সুন্দর, গল্প, লিখন পদ্ধতি, বাংলা লিপি। ৫. নিচের শব্দগুলো দিয়ে বিপরীত শব্দ লিখি ও বাক্য রচনা করি। বিলুপ্ত – ……………………… শিক্ষক – ……………………… আনন্দ – ……………………… চিন্তা – ……………………… আবিষ্কার – ……………………… সাক্ষর – ……………………… প্রাচীন – ……………………… উত্তর : শব্দ বিপরীত বাক্য বিলুপ্ত – উদ্ভব – অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ডেঙ্গু মশার উদ্ভব ঘটে। শিক্ষক – ছাত্র – আমি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। আনন্দ – বেদনা – অসুস্থ লোকটি বেদনায় কাতরাচ্ছে। চিন্তা – নিশ্চিন্ততা – নিশ্চিন্ততার সাথে সে ঘুমুতে গেল। আবিষ্কার – ধ্বংস – পৃথিবীতে অনেক সভ্যতা ধ্বংস হয়েছে গিয়েছে। সাক্ষর – নিরক্ষর – লোকটি একেবারে নিরক্ষর। প্রাচীন – আধুনিক – আমরা আধুনিক যুগে বাস করছি। ৬. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি। ক) লিপি বলতে কী বুঝি? উত্তর : লিপি মানে লেখা। কোনো শব্দ শুনে বা জিনিস দেখে তা সম্পর্কে চিন্তা করে মনের কথা লেখা। মনের কথাকে রেখার বন্ধনে বন্দি করে রাখার ফন্দিই হলো লিপি। লিপির মাধ্যমে আমরা মনের ভাব প্রকাশ ও সংরক্ষণ করি। খ) লিপি তৈরির চিন্তা এলো কীভাবে? উত্তর : এখন থেকে প্রায় ছয়-সাত হাজার বছর আগে মানুষ লিখতে-পড়তে জানত না। তখন তারা বাচ্চাদের বানিয়ে বানিয়ে নানা রকম গল্প শোনাত। একসময়ে তারা গল্পগুলো ভুলে যেত। ভুলে গেলে আবার নতুন করে গল্প বানাতে হতো। তাই ভুলে যাওয়ার বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য লিপি তৈরির চিন্তা মাথায় এল। গ) লিপি আবিষ্কারকদের নাম লিখি। উত্তর : প্রাগৈতিহাসিককালে কে, কখন, কীভাবে লিপি আবিষ্কার করেছিলেন তার কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। আধুনিককালে যাঁরা এ বিষয়ে কাজ করেছেন তাঁদের মধ্যে কোরিয়ার রাজা সে জং এবং ইউরোপের এক ধর্মযাজক সন্ত সিরিল-এর নাম জানা যায়। ঘ) বাংলা লিপি কীভাবে এলো? উত্তর : বাংলা লিপি কে প্রচলন করেছেন তা জানা যায় নি। প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি থেকে অশোক লিপি, অশোক লিপি থেকে কুটিল লিপি এবং কুটিল লিপি থেকে বঙ্গলিপি রূপান্তরিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এই বঙ্গলিপিই বাংলা লিপির পুরনো নাম। ঙ) কখন থেকে মানুষের সভ্যতার পথে নতুন যাত্রা শুরু হলো? উত্তর : মানুষ যেদিন লিপি দিয়ে কথাকে বন্দি করে রাখতে শিখল, সেদিন থেকেই মানুষের সভ্যতার পথে নতুন যাত্রা শুরু হলো। ৭. বুঝিয়ে বলি। শূন্যে মিলিয়ে যাওয়া কথাকে রেখার বন্ধনে বন্দি করার ফন্দি হলো লিপি। উত্তর : অনেক আগে মানুষ গল্পের মাধ্যমে কথাকে মনে রাখত। তখন লিপি ছিল না। ফলে গল্প ভুলে গেলে কথাও হারিয়ে যেত। তখন আবার গল্প বানাতে হতো। এই হারিয়ে যাওয়া কথাকে ধরে রাখার জন্য লিপির আবিষ্কার হয়েছে। লিপির মাধ্যমে মানুষের মনের কথাকে লিখে রাখা হয়। ফলে কথা হারিয়ে যায় না। এ জন্য বলা হয়েছে শূন্যে মিলিয়ে যাওয়া কথাকে রেখার বন্ধনে বন্দি করার ফন্দি হলো লিপি। ৬. কর্ম-অনুশীলন। নাটিকাটি শিক্ষকের সহায়তায় অভিনয় করি। উত্তর : শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে নিজেরা কর। লিপির গল্প অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ। ১) শিক্ষকের শোনানো লিপির গল্পটি ছিল- ছ ক সম্পূর্ণ সত্য খ খানিকটা অনুমান গ সম্পূর্ণ মিথ্যা ঘ পুরোপুরি বানানো ২) লিপির গল্প মানে কী? ঝ ক কথা বলার ইতিহাস খ লেখার নিয়মকানুন গ কথা বলার নিয়মকানুন ঘ লেখার ইতিহাস ৩) কতদিন আগে মানুষ লেখা বা পড়া কিছুই জানত না? ঝ ক একশ-দুইশ বছর আগে খ এক-দুই হাজার বছর আগে গ তিন-পাঁচ হাজার বছর আগে ঘ ছয়-সাত হাজার বছর আগে 🟥 ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর। কোরিয়ার রাজা তা কেউ জানেনা ছয়-সাত হাজার বছর আগে কুটিল লিপি থেকে লিপির সংখ্যা কত সে জং বঙ্গলিপির রূপান্তর ঘটে ব্রাহ্মণী লিপি থেকে কোনো বর্ণমালা ছিল না উত্তর : কোরিয়ার রাজা – সে জং ছয়-সাত হাজার বছর আগে – কোনো বর্ণমালা ছিল না লিপির সংখ্যা কত – তা কেউ জানে না বঙ্গলিপির রূপান্তর ঘটে – কুটিল লিপি থেকে 🟥 নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ। বর্নমালা, রুপান্তর, প্রতœতাত্তিক, মহেঞ্জদারো, পদ্ধতি। উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান বর্নমালা – বর্ণমালা রুপান্তর – রূপান্তর প্রতœতাত্তিক – প্রতœতাত্তি¡ক মহেঞ্জদারো – মহেঞ্জোদারো পদ্দতি – পদ্ধতি 🟥 নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ। রাত, চাঁদ, নতুন, অক্ষর, পাহাড়। উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক শব্দ রাত – নিশি, রাত্রি। চাঁদ – শশী, সুধাকর। নতুন – নব, নবীন। অক্ষর – হরফ, বর্ণ। পাহাড় – পর্বত, গিরি। 🟥 নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। ক) লিপির আর কী কী নাম আছে? উত্তর : লিপিকে কেউ বলেন ‘লিখন পদ্ধতি’, কেউ বা ‘বর্ণমালা’, কেউ নাম দিয়েছেন ‘হরফ’, কেউ বলেন ‘অক্ষর’, কেউ বা আবার ‘অ্যালফাবেট’। খ) লিপি নিয়ে বর্তমানে কারা, কী ধরনের কাজ করছেন? উত্তর : প্রাচীন যেসব লিপির নমুনা পাওয়া গেছে যেমন- মহেঞ্জোদারোর লিপি, মিশরীয় লিপি ইত্যাদি নিয়ে কাজ করছেন ভাষাবিজ্ঞানী ও প্রতœতাত্তি¡কেরা। তাঁরা এ লিপিগুলোর পাঠ উদ্ধারের জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। 🟥 বুঝিয়ে লেখ শূন্যে মিলিয়ে যাওয়া কথাকে রেখার বন্ধনে বন্দি করার ফন্দি হলো লিপি। উত্তর : আলোচ্য অংশটুকু ‘লিপির গল্প’ নামক রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে মানুষের মনে লিপির ভাবনা আসার কারণটি তুলে ধরা হয়েছে। আমরা যে কথা বলি তা অদৃশ্য। তাই আমাদের বলা কথাগুলো একসময় হারিয়ে যায়। মনের কথাকে লিখে রাখার জন্য মানুষ যে কৌশল আবিষ্কার করে তার নামই লিপি। লিপির গল্প মডেল টেস্ট নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। শূন্যে মিলিয়ে যাওয়া কথাকে রেখার বন্ধনে বন্দি করার ফন্দিই হলো লিপি। এখন যন্ত্রের বাক্সে কথাকে বন্দি করে রাখা হয়, তখন

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা লিপির গল্প অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পাহাড়পুর অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

পাহাড়পুর অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। বিহার সুপ্রাচীন ভিক্ষু স্ত‚প বিশাল প্রাণকেন্দ্র দুর্লভ মানত আবিষ্কার স্নানঘাট ধর্মচর্চা উত্তর : শব্দ অর্থ বিহার – বৌদ্ধমঠ। সুপ্রাচীন – পুরাতন (পুরনো), বহুকাল আগের। ভিক্ষু – বৌদ্ধদের মধ্যে যাঁরা সংসারত্যাগী সন্ন্যাসী (যাঁরা সংসার করেন না); তাঁদের পরনে থাকে কাষাই (গেরুয়া) রঙের লম্বা কাপড়, মাথা থাকে মোড়ানো এবং চলাফেরা খাওয়া-দাওয়া সবকিছুতেই থাকে আলাদা বৈশিষ্ট্য। স্তূপ – ঢিবি, ঢিবির মতো বৌদ্ধদের সমাধি। বিশাল – অনেক বড়, প্রকাণ্ড, বিস্তীর্ণ। প্রাণকেন্দ্র – প্রধান জায়গা। দুর্লভ – যা সহজে লাভ করা যায় না বা পাওয়া যায় না। মানত – কারো মনের ইচ্ছা পূরণ হলে সৃষ্টিকর্তাকে উদ্দেশ করে কিছু দেবার প্রতিজ্ঞা। আবিষ্কার – উদ্ভাবন, নতুন কিছু তৈরি। স্নানঘাট – গোসল করার জায়গা। ধর্মচর্চা – ধর্ম বিষয়ে জ্ঞানলাভ ও অনুশীলন করা। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। প্রাণকেন্দ্র স্ত‚প দুর্লভ বিশাল বিহার সুপ্রাচীন ক) পাহাড়পুর ছাড়াও আমাদের দেশে আরও ………. রয়েছে। খ) আমাদের দেশে ………. মঠ রয়েছে। গ) টেবিলের উপর ধুলোবালি পড়ে ময়লার ………. হয়ে আছে। ঘ) আকাশ অনেক ……….। ঙ) ঢাকা বাংলাদেশের ……….। চ) জাদুঘরে অনেক ………. জিনিস দেখতে পাওয়া যায়। উত্তর : ক) বিহার; খ) সুপ্রাচীন; গ) স্তূপ; ঘ) বিশাল; ঙ) প্রাণকেন্দ্র; চ) দুর্লভ। ৩. ঠিক উত্তরটিতে টিক (√) চিহ্ন দিই। ক. বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ভিক্ষুগণ থাকতেন – ১. বৌদ্ধবিহারে √ ২. পাহাড়পুরে ৩. বদলগাছিতে ৪. জামালপুরে খ. আলেকজান্ডার কানিংহাম এই পুরাকীর্তি আবিষ্কার করেন – ১. ১৭৭৯ সালে ২. ১৮৭৯ সালে √ ৩. ১৯৭৯ সালে ৪. ১৬৭৯ সালে গ. বিহার এলাকাটি বিস্তৃত – ১. ৫০ একর জুড়ে ২. ৪০ একর জুড়ে √ ৩. ৬০ একর জুড়ে ৪. ৩০ একর জুড়ে ৪. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি। ক) পাহাড়পুর নামটা কীভাবে হলো? উত্তর : পাহাড়পুর বিহারটি একসময় খালি পড়ে থাকে। অনেকে মনে করেন এ সময় যুগ যুগ ধরে উড়ে আসা ধুলাবালি ও মাটি এটির চারদিকে জমতে থাকে। একসময় মাটির স্তূপে ঢাকা পড়ে এটি পাহাড়ের মতো হয়ে যায়। সেই থেকে এর নাম হয় পাহাড়পুর। খ) এখানে কত বছর আগে কারা থাকতো? উত্তর : পাহাড়পুরে প্রায় ১৪০০ বছর আগে বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ থাকতেন। গ) বিহারটির মাঝখানে কী কী আছে? উত্তর : পাহাড়পুরে বৌদ্ধবিহারের মাঝখানে মূল দরজার পরেই একটি বড় হলঘর ও দুটি ছোট হলঘর রয়েছে। এছাড়া চারদিকে দেয়ালের ভিতরে সুন্দর সারবাঁধা ১৭৭টি ছোট ছোট ঘর রয়েছে। ঘ) বৌদ্ধ বিহারটির মাটি ও দেয়াল কোন রঙের এবং কী দিয়ে তৈরি? উত্তর : বৌদ্ধ বিহারটির মাটি ও দেয়াল লালচে রঙের এবং পোড়ামাটি দিয়ে তৈরি। ৫. বাম পাশের শব্দাংশের সাথে ডান পাশের ঠিক শব্দাংশ মিলিয়ে বাক্য পড়ি ও লিখি। পাহাড়পুর একটি সুপ্রাচীন ১৭৭টি ছোট ঘর। ভিক্ষুগণ সেখানে সোমপুর মহাবিহার। মাটির স্তূপে ঢাকা পড়ে বৌদ্ধবিহার। পাহাড়পুরের আরেক নাম সন্ধ্যাবতীর ঘাট। ভিতরে সুন্দর সার বাঁধা পাহাড় হয়ে যায়। বিহারের দক্ষিণ কোণে রয়েছে ধর্মচর্চা করতেন। উত্তর : শব্দ বাক্য পাহাড়পুর একটি সুপ্রাচীন – বৌদ্ধবিহার। ভিক্ষুগণ সেখানে – ধর্মচর্চা করতেন। মাটির স্তূপে ঢাকা পড়ে – পাহাড় হয়ে যায়। পাহাড়পুরের আরেক নাম – সোমপুর মহাবিহার। ভিতরে সুন্দর সার বাঁধা – ১৭৭টি ছোট ঘর। বিহারের দক্ষিণ কোণে রয়েছে – সন্ধ্যাবতীর ঘাট। ৬. বাক্য রচনা করি। ভিক্ষু, ধর্মচচা, আবিষ্কার, প্রাণকেন্দ্র, স্নানঘাট। উত্তর : শব্দ বাক্য ভিক্ষু – ভিক্ষুগণ বিহারে থাকতেন। ধর্মচর্চা – বিহারগুলোতে ধর্মচর্চা করা হতো। আবিষ্কার – বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন জিনিস আবিষ্কার করেন। প্রাণকেন্দ্র – ঢাকা বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র। স্নানঘাট – সাহেলা স্নানঘাটে স্নান করতে গিয়েছে। ৭. কথাগুলো বুঝে নিই। উড়ে-আসা – বাতাসের সঙ্গে যা কিছু উড়ে আসতে পারে তাকে বলে উড়ে-আসা, যেমন উড়ে-আসা গাছের পাতা, উড়ে-আসা পাখি ইত্যাদি। পাড়ি দেওয়া – এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পৌঁছানো বা পার হওয়াকে বলা হয় পাড়ি দেওয়া। যেমন- সাত সমুদ্র পাড়ি দেওয়া সবার কাজ নয়। দুর্লভ জিনিসপত্র – যেসকল জিনিস সহজে লভ্য বা পাওয়া যায় না তাকেই দুর্লভ জিনিসপত্র বলে। ৮. কর্ম-অনুশীলন। ক. পাহাড়পুর পাঠে যেসব স্থান ও ব্যক্তির নাম আছে সেসব নামের একটি তালিকা তৈরি করি। আমার তালিকাটি পাশের বন্ধুর সাথে মিলিয়ে নিই। উত্তর : নিচের ছকে পাঠে উল্লিখিত স্থান ও ব্যক্তির নামের তালিকা তুলে ধরা হলো : স্থানের নাম ব্যক্তির নাম কুমিল্লা, পাহাড়পুর, ময়নামতি, শালবন বিহার, হিমালয় পর্বত, সোমপুর বিহার, রাজশাহী, নওগাঁ, বদলগাছি, সন্ধ্যাবতীর ঘাট। আলেকজান্ডার কানিংহাম, রাজা দ্বিতীয় ধর্মপাল। খ. ময়নামতির ‘শালবন বিহার’ দিয়ে ৫টি বাক্য লিখি। উত্তর : ময়নামতির ‘শালবন বিহার’ দিয়ে নিচে পাঁচটি বাক্য লেখা হলো – (১) শালবন বিহার কুমিল্লার ময়নামতিতে অবস্থিত। (২) শালবন বিহারে একসময় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা থাকতেন। (৩) শালবন বিহারে বিদ্যাচর্চার ব্যবস্থা ছিল। (৪) শালবন বিহারে পোড়ামাটির ফলকের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। (৫) শালবন বিহারে অনেক প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন পাওয়া গেছে। পাহাড়পুর অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ। ১) সোমপুর বিহার প্রায় কত বছর আগের তৈরি? জ ক ১০০০ বছর খ ১২০০ বছর গ ১৪০০ বছর ঘ ১৬০০ বছর ২) হিমালয় হলো একটি বিশাল- ছ ক বিহার খ পর্বত গ নদী ঘ দালান ৩) সোমপুর বিহার যে গ্রামে অবস্থিত তার নাম কী? জ ক সোমপুর খ বদলগাছি গ পাহাড়পুর ঘ ময়নামতি ৪) সোমপুর বিহারের দালানটি কত একর জায়গার উপর? ছ ক ১৬ একর খ ২৭ একর গ ৩৪ একর ঘ ৪০ একর ৫) সোমপুর বিহার নির্মাণ করান- ঝ ক আলেকজান্ডার কানিংহাম খ বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ গ রাজা প্রথম ধর্মপাল ঘ রাজা দ্বিতীয় ধর্মপাল ৬) সোমপুর বিহারে কত সংখ্যক মানুষের থাকার ব্যবস্থা ছিল? ঝ ক ৩০০ জন খ ৫০০ জন গ ৬০০ জন ঘ ৮০০ জন ৭) সোমপুর বিহার কিসের প্রাণকেন্দ্র ছিল? চ ক উচ্চশিক্ষার খ ব্যবসায়-বাণিজ্যের গ প্রাথমিক শিক্ষার ঘ রাজনীতি চর্চার ৮) ‘সন্ধ্যাবতীর ঘাট’ কোথায় অবস্থিত? জ ক সোমপুর বিহারের উত্তর-পূর্ব কোণে খ সোমপুর বিহারের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণে গ সোমপুর বিহারের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে ঘ সোমপুর বিহারের উত্তর-পশ্চিম কোণে 🟥 ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর। পাহাড়পুর একটি পোড়ামাটির ফলকের চিত্র মন্দিরের গায়ে আছে সুপ্রাচীন বৌদ্ধবিহার সোমপুর বিহার পূর্ব-পশ্চিমে মূল দরজা বিহারের উত্তর দিকের ঠিক মাঝখানে ৯১৯ ফুট বিস্তৃত উত্তর : পাহাড়পুর একটি – সুপ্রাচীন বৌদ্ধবিহার সোমপুর বিহার পূর্ব-পশ্চিমে – ৯১৯ ফুট বিস্তৃত মন্দিরের গায়ে আছে – পোড়ামাটির ফলকের চিত্র বিহারের উত্তর দিকের ঠিক মাঝখানে – মূল দরজা 🟥 নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। সুপ্রাচীন, শিষ্য, প্রার্থনা, দুর্লভ, মূর্তি। উত্তর : শব্দ বাক্য সুপ্রাচীন – মহাস্থানগড় সুপ্রাচীন কালের একটি স্থাপনা। শিষ্য – কবির স্যারের শিষ্যরা তাঁকে সালাম দিল। প্রার্থনা – আমরা সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করি। দুর্লভ – হীরা একটি দুর্লভ রতœ। মূর্তি – মাটি দিয়ে নানা রকম মূর্তি তৈরি হয়। 🟥 নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ। বোদ্ধ, স্তুপ, শিস্য, দূর্লভ, প্রাথনা। উত্তর :

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পাহাড়পুর অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বীরপুরুষ অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বীরপুরুষ অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

বীরপুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. জেনে নিই। ক) শিশুরা কল্পনা করতে ভালোবাসে। এই কবিতাটিও তেমনি এক ছোট্ট শিশুর কল্পনা। কল্পনায় সে মায়ের সঙ্গে দূর দেশে যায়। পথে সে ডাকাতদের মোকাবেলা করে, বীরের মতো লড়াই করে মাকে রক্ষা করে। ২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি, অর্থ বলি এবং নতুন বাক্য লিখি। টগবগিয়ে রাঙা পাট জোড়াদিঘি স্মরণ বেয়ারা (বেহারা) থরোথরো ঝনঝনিয়ে দুর্দশা সোঁতা উত্তর : শব্দ অর্থ বাক্য টগবগিয়ে – পানি ফুটবার মতো শব্দ করে, ধাবমান ঘোড়ার পায়ের শব্দ করে। – পানি টগবগিয়ে ফুটছে। ঘোড়া টগবগিয়ে ছুটছে। রাঙা – রঙিন। – পূর্ব আকাশ রাঙা হয়ে উঠেছে। পাট – আকাশের পশ্চিম দিকের শেষ ভাগে, অস্তাচল, যেখানে সূর্য ডোবে। – ‘সূর্য নামে পাটে’ (সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়েছে)। জোড়াদিঘি – যেখানে পাশাপাশি দুটি দিঘি রয়েছে। – জোড়াদিঘির পাড়ে মাথা উঁচু করে আছে একটি তালগাছ। স্মরণ – মনে করা। – দূরে গেলে মাকে স্মরণ করি। বেয়ারা (বেহারা) – যারা কাঁধে পালকি বহন করেন। – বেয়ারাগুলো দুপুর রোদে ঘেমে নেয়ে উঠেছে। থরোথরো – প্রচণ্ড কম্পন। – ডাকাতের ভয়ে গ্রামবাসীরা থরোথরো কাঁপছে। ঝনঝনিয়ে – ঝনঝন শব্দে। – কাঁসার থালাটা মাটিতে পড়ে ঝনঝনিয়ে উঠল। দুর্দশা – খারাপ অবস্থা, কষ্ট। – গরিব লোকের দুর্দশার শেষ নেই। সোঁতা – ক্ষীণ স্রোত বা প্রবাহ। – মরা নদীর সোঁতা দূরে মিলিয়ে গেছে। ৩. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি। ক) খোকা মাকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছে? উত্তর : খোকা মাকে নিয়ে অনেক দূর বিদেশে যাচ্ছে। খ) মা ও খোকা কীভাবে যাচ্ছে? উত্তর : মা পালকি চড়ে, দরজা দুটো একটু ফাঁক করে যাচ্ছে। খোকা রাঙা ঘোড়ায় চড়ে টগবগিয়ে ধুলো উড়িয়ে মায়ের পালকির পাশে পাশে যাচ্ছে। গ) তারা কখন জোড়াদিঘির ঘাটে পৌছাল? এমন সময় কী ঘটল? উত্তর : সূর্য পাটে নেমে যখন সন্ধ্যা হলো তখন তারা জোড়াদিঘির ঘাটে পেঁৗঁছাল। তারা যখন সেখানে পৌঁছাল তখন চারদিক ছিল জনমানবহীন। হঠাৎ ‘হাঁরে রে-রে-রে-রে’ হাঁক ছেড়ে একদল ডাকাত তাদের আক্রমণ করল। ঘ) বেয়ারারা কোথায় পালাল? উত্তর : বেয়ারারা ডাকাতের ভয়ে পালকি ছেড়ে পাশের কাঁটাবনে গিয়ে পালাল। ঙ) ‘ভাগ্যে খোকা সঙ্গে ছিল’- মা একথা বললেন কেন? উত্তর : ডাকাতদের সাথে সাহসিকতার সাথে লড়াই করে খোকা মাকে রক্ষা করে। খোকা না থাকলে ডাকাতদল সবার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ত এবং সবাইকে অনেক দুর্দশার শিকার হতে হতো। মা তাই খোকার সাথে থাকাকে সৌভাগ্য বলে মনে করেছেন। চ) বীরপুরুষ কে? সে কাদের হারিয়ে বীরপুরুষ হলো? উত্তর : ‘বীরপুরুষ’ কবিতার খোকা হলো বীরপুরুষ। ভয়ংকর একদল ডাকাত খোকাদের আক্রমণ করেছিল। খোকা তাদের হারিয়ে বীরপুরুষ হলো। ৪. নিচের শব্দগুলোর মধ্যে অর্থের পার্থক্য জেনে নিই ও শব্দ দিয়ে তৈরি বাক্যগুলো শুদ্ধ উচ্চারণে পড়ি। কাটা – অঘ্রাণ মাসে ধান কাটা শেষ হয়েছে। কাঁটা – চোরাকাঁটায় মাঠ ভরে আছে। কোন – তুমি কোন কাজ করবে? কোণ – ঘরের কোণে বসে থাকলে চলবে না, কাজে নেমে পড়ো। ৫. বিপরীত শব্দ জেনে নিই ও বাক্য তৈরি করি। ভয় – সাহস, সাহসের কাছে সবাই পরাজিত হয়। বিদেশ – স্বদেশ, ………………………..। দূরে – কাছে, ………………………..। সকাল – সন্ধ্যা, ………………………..। আলো – আঁধার, অন্ধকার ………………………..। উত্তর : মূলশব্দ বিপরীত শব্দ বাক্য ভয় – সাহস, সাহসের কাছে সবাই পরাজিত হয়। বিদেশ – স্বদেশ, রাতুল স্বদেশ ফিরে এলো। দূরে – কাছে, আমার কাছে বসো। সকাল – সন্ধ্যা, সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। আলো – আঁধার, অন্ধকার অন্ধকারে সাবধানে পা বাড়াও। ৬. ‘বীরপুরুষ’ কবিতায় ‘ধূ-ধূ’ শব্দ আছে, এরকম আরও শব্দের ব্যবহার জেনে নিই। ধূ-ধূ – চারদিকে মানুষজন নেই, গ্রামটা যেন ধূ-ধূ করছে। হু-হু – হু-হু করে হাওয়া বইছে। সোঁ-সোঁ – সোঁ-সোঁ করে বাতাস ছুটেছে। ঝনঝন – কাচের আয়নাটা ঝনঝন করে ভেঙে গেল। ভনভন – ময়লা জায়গাটায় ভনভন করে মাছি উড়ছে। ৭. কবিতাটি স্পষ্ট ও শুদ্ধ উচ্চারণে স্বাভাবিক গতিতে আবৃত্তি করি। উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবিতাটি প্রথমে কবির নামসহ মুখস্থ করে নাও। তারপর শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে আবৃত্তি কর। ৮. কর্ম-অনুশীলন। আমি যদি বীরপুরুষ হতাম তাহলে কী করতাম তা লিখে জানাই। উত্তর : আমি যদি বীরপুরুষ হতাম তাহলে- ক) গরিব মানুষদের অধিকার আদায়ে কাজ করতাম। খ) সমাজ থেকে সব অন্যায় ও অত্যাচার দূর করতাম। গ) দরিদ্র শিশুরা যাতে স্কুলে যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতাম। বীরপুরুষ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ। ১) মা কিসে চড়ে যাচ্ছিলেন? ছ ক ঘোড়ার পিঠে খ পালকিতে গ হাতির পিঠে ঘ নৌকায় ২) ঘোড়ার খুরের আঘাতে কী উড়ে আসে? জ ক মাটি খ কাদা গ ধুলো ঘ পানি ৩) জোড়াদিঘির মাঠটি ছিল- ছ ক কোলাহলপূর্ণ খ নির্জন গ আলোকিত ঘ মানুষে ভরা ৪) বেয়ারাগুলো কী করেছিল? ঝ ক মাকে পাহারা দিয়েছিল খ ডাকাতদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল গ খোকার যুদ্ধ দেখছিল ঘ ভয়ে পালিয়েছিল 🟥 নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। পালকি, সূর্য, স্মরণ। উত্তর : শব্দ বাক্য পালকি – নতুন বউ পালকি চড়ে যাচ্ছে। সূর্য – সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে। স্মরণ – বীরশ্রেষ্ঠদের আমরা চিরদিন স্মরণ করব। 🟥 নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন কর। স্ত, ন্ধ, স্ম, চ্ছ। উত্তর : স্ত = স + ত – সস্তা ন্ধ = ন + ধ – প্রবন্ধ স্ম = স + ম – স্মৃতি চ্ছ = চ + ছ – স্বেচ্ছা 🟥 নিচের শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ করে লেখ। রাঙ্গা, স্নরণ, দূর্দশা, ক্ষিণ, সোতা। উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান রাঙ্গা – রাঙা স্নরণ – স্মরণ দূর্দশা – দুর্দশা ক্ষিণ – ক্ষীণ সোতা – সোঁতা 🟥 নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। ক) জোড়াদিঘির মাঠে কিছু ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল না কেন? উত্তর : জোড়াদিঘির মাঠে অন্ধকারের কারণে ভালোভাবে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। খ) ঢাল তলোয়ার কেমন শব্দে বাজে? উত্তর : ঢাল তলোয়ার ঝনঝন শব্দে বাজে। বীরপুরুষ মডেল টেস্ট নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। সন্ধে হলো, সূর্য নামে পাটে, এলেম যেন জোড়াদিঘির মাঠে। এমন সময় ‘হাঁরে রে রে রে রে রে’ ওই-যে কারা আসতেছে ডাক ছেড়ে? তুমি ভয়ে পালকিতে এক কোণে ঠাকুর-দেবতা স্মরণ করছ মনে, আমি যেন তোমায় বলছি ডেকে, ‘আমি আছি, ভয় কেন, মা, করো!’ ছুটিয়ে ঘোড়া গেলেম তাদের মাঝে, ঢাল তলোয়ার ঝনঝনিয়ে বাজে, কী ভয়ানক লড়াই হলো মা যে শুনে তোমার গায়ে দেবে কাঁটা। কত লোক যে পালিয়ে গেল ভয়ে, কত লোকের মাথা পড়ল কাটা। ১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ। ১) সূর্য কখন অস্ত যায়? (ক) সকালে (খ) সন্ধ্যায় (গ) ভোরে (ঘ) রাতে ২) খোকা মাকে- (ক) অভয় দেয় (খ) ভয় দেখায় (গ) পালাতে বলে (ঘ) লুকিয়ে রাখে ৩) খোকা কী ছুটিয়ে লড়াই করতে গেল? (ক) হাতি (খ) ঘোড়া (গ) গাড়ি (ঘ) বাঘ ৪) কী শুনলে

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বীরপুরুষ অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা ঘুরে আসি সোনারগাঁও অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা ঘুরে আসি সোনারগাঁও অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

ঘুরে আসি সোনারগাঁও অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। ঐতিহাসিক গম্বুজ বঙ্গদেশ স্থাপত্য নিদর্শন শাসনকর্তা অঞ্চল সমৃদ্ধ প্রসিদ্ধ মসলিন বিলিতি অভ‚তপূর্ব অস্তগামী স্মৃতি লোকশিল্প বিস্মিত বাহার ম্যাপ কদর খ্যাত। উত্তর : শব্দ অর্থ ঐতিহাসিক – ইতিহাসসংক্রান্ত। গম্বুজ – চূড়া। বঙ্গদেশ – বাংলাদেশ, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগের অবিভক্ত বাংলা অঞ্চল। স্থাপত্য – ভবনকেন্দ্রিক শিল্পকর্ম। নিদর্শন – দৃষ্টান্ত। শাসনকর্তা – প্রধান শাসক। অঞ্চল – এলাকা। সমৃদ্ধ – উন্নত। প্রসিদ্ধ – বিখ্যাত। মসলিন – বিখ্যাত বস্ত্র, একসময় বাংলাদেশে তৈরি হতো। বিলিতি – বিলাত বা ইংল্যান্ডের কোনো কিছু। অভূতপূর্ব – পূর্বে যা দেখা যায়নি বা ঘটেনি। অস্তগামী – পশ্চিম দিকে ঢলে পড়েছে। স্মৃতি – স্মরণ। লোকশিল্প – সর্বসাধারণের জন্য শিল্প, গ্রামীণ জীবনের শিল্প। বিস্মিত – অবাক হওয়া। বাহার – শোভা, সৌন্দর্য। ম্যাপ – মানচিত্র কদর – মান্য, সম্মান, খাতির। খ্যাত – সুপরিচিত, বিখ্যাত। ২. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি। ক) সোনারগাঁও কোথায় অবস্থিত? উত্তর : ঢাকার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলায় সোনারগাঁও অবস্থিত। ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ২৭ কিলোমিটার। খ) গোয়ালদি মসজিদ কী জন্যে বিখ্যাত? উত্তর : মোগল স্থাপত্যশৈলীর চমৎকার নিদর্শন হিসেবে গোয়ালদি মসজিদ বিখ্যাত। গ) পানাম নগর কী জন্য প্রসিদ্ধ? উত্তর : সোনারগাঁওয়ের সবচেয়ে সমৃদ্ধ নগর ছিল পানাম। এ নগরের প্রাচীন দালানগুলোর স্থাপত্যশৈলী অভ‚তপূর্ব। পানাম ছিল এক বিরাট বাণিজ্যিক শহর। আমাদের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে পানাম নগর প্রসিদ্ধ। ঘ) লোকশিল্প কাকে বলে? উত্তর : গ্রামীণ মানুষের তৈরি শৌখিন জিনিসপত্রকে লোকশিল্প বলা হয়। কাঠের তৈরি জিনিস, মুখোশ, মৃৎপাত্র, মাটির পুতুল ইত্যাদি আমাদের দেশের লোকশিল্পের উদাহরণ। ঙ) লোকশিল্প জাদুঘর কেন দরকার? উত্তর : লোকশিল্প একটি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। এই ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করার জন্যই লোকশিল্প জাদুঘর দরকার। চ) জাদুঘর বলতে কী বুঝি? উত্তর : যে স্থানে একটি দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের যাবতীয় নিদর্শন সংরক্ষিত থাকে তাকেই জাদুঘর বলা হয়। ছ) সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা কে? উত্তর : সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা শিল্পী জয়নুল আবেদীন। ৩. ঠিক উত্তরটিতে টিক (√) চিহ্ন দিই। ক. ঘুরে আসি সোনারগাঁও গল্পে শিক্ষা সফরে সবাই কোথায় যাচ্ছিল- ১. যাত্রাবাড়ি ২. সোনারগাঁও √ ৩. পাহাড়পুর ৪. চট্টগ্রাম খ. লোকশিল্প জাদুঘরের প্রবেশ পথটি কেমন? ১. দারুণ কারুকাজ করা √ ২. সাধারণ ৩. অনেক পুরানো ৪. নতুন গ. মসলিন কাপড়ের জন্য প্রসিদ্ধ স্থান- ১. নারায়ণগঞ্জ ২. সোনারগাঁও √ ৩. গুলিস্তান ৪. নওগাঁ ঘ. ঢাকার আগে সোনারগাঁও ছিল- ১. পূর্ব বাংলার রাজধানী ২. দক্ষিণ বাংলার রাজধানী ৩. দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার রাজধানী √ ৪. উত্তর বাংলার রাজধানী ঙ. দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার শাসনকর্তা ছিলেন- ১. ঈশা খাঁ √ ২. তিতুমীর ৩. আলীবর্দি খাঁ ৪. নবাব আহসানউল্লাহ চ. ঢাকা থেকে সোনারগাঁওয়ের দূরত্ব- ১. ২৭ কিমি √ ২. ২২ কিমি ৩. ২৫ কিমি ৪. ২৮ ৪. বাম পাশের শব্দাংশের সাথে ডান পাশের ঠিক শব্দাংশ মিলিয়ে পড়ি ও লিখি। সমৃদ্ধ এলাকা গোয়ালদি প্রাচীন মসজিদ লোকশিল্পের প্রতিষ্ঠাতা মসলিন কাপড় সোনারগাঁও এর শাসনকর্তা জয়নুল আবেদীন জগৎ জোড়া খ্যাত ঈশা খাঁ ছিলেন পানাম নগর উত্তর : সমৃদ্ধ এলাকা – পানাম নগর প্রাচীন মসজিদ – গোয়ালদি মসলিন কাপড় – জগৎ জোড়া খ্যাত জয়নুল আবেদীন – লোকশিল্পের প্রতিষ্ঠাতা ঈশা খাঁ ছিলেন – সোনারগাঁও এর শাসনকর্তা ৫. আমার নিজের গ্রাম বা শহরের কথা সংক্ষেপে বর্ণনা করি। উত্তর : ‘আমার শহর’ আমার শহরের নাম চাঁদপুর। শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা আর মেঘনা নদী। আমার শহরটি খুব ছিমছাম ও পরিচ্ছন্ন। কোলাহল বা যানবাহনের ভিড় খুব একটা দেখা যায় না। সড়কপথ, রেলপথ বা নদীপথ এই তিনটি উপায়েই চাঁদপুর শহরে আসা যায়। শহরটি নদীবন্দর ও ইলিশ মাছের জন্য প্রসিদ্ধ। ৬. একই অর্থ বোঝায় এরকম কয়েকটি শব্দ শিখি। ফুল – পুষ্প, কুসুম, মঞ্জরী, প্রসূন, পুষ্পক। পানি – জল, বারি, সলিল, নীর, অম্বু। পৃথিবী – জগৎ, ধরণী, ধরিত্রি, ভুবন, বসুন্ধরা। নদী – তটিনী, গাং, প্রবাহিণী, কল্লোলিনী। পতাকা – কেতন, ঝাণ্ডা, নিশান, বৈজয়ন্তী, ধ্বজা। ৭. বিপরীত শব্দ লিখি। সকাল বিকাল যাওয়া …………….. আনন্দ …………….. মিষ্টি …………….. রোদ …………….. প্রথম …………….. উত্তর : মূলশব্দ বিপরীত শব্দ সকাল বিকাল যাওয়া আসা আনন্দ বেদনা মিষ্টি তেতো রোদ বৃষ্টি প্রথম শেষ ৮. কর্ম-অনুশীলন। ক. মনে কর, একজন বিদেশির সাথে তোমার পরিচয় হয়েছে। যিনি আগে কখনো বাংলাদেশে আসেননি। তিনি বাংলাদেশের আচার, অনুষ্ঠান, সংস্কৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানার জন্য কোথায় যাবেন, তা তোমার কাছে জানতে চাইলেন। সেক্ষেত্রে তুমি তাকে কোথায় যাওয়ার পরামর্শ দেবে এবং কেন? উত্তর : আমি উক্ত বিদেশিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা জাদুঘরগুলোতে যাওয়ার পরামর্শ দেব। জাদুঘরগুলোতেই বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও ইতিহাস ঐতিহ্যের যাবতীয় নিদর্শন সংরক্ষিত রয়েছে। তাই এগুলোর ভ্রমণের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন। খ. নিচের যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে ৮টি বাক্য লিখি। সোনারগাঁও জাদুঘর স্মৃতিসৌধ শহিদ মিনার উত্তর : সোনারগাঁও সোনারগাঁও প্রাচীন বাংলার এক সমৃদ্ধ নগরীর নাম। এক সময় এটি ছিল দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার রাজধানী। এর অবস্থান ঢাকার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলায়। এ নগরীর শাসক ছিলেন ঈশা খাঁ। সোনারগাঁওয়ের তৈরি মসলিনের ছিল বিশ্বজোড়া খ্যাতি। বহু প্রাচীন দালান ও সংস্কৃতির নিদর্শন রয়েছে এখানে। সোনারগাঁওয়ের লোকশিল্প জাদুঘর আমাদের সেই গৌরবের অতীতকে স্মরণ করিয়ে দেয়। সোনারগাঁও আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। জাদুঘর জাদুঘর যেন এক রহস্যপুরী। জাদুঘর বলতে আমরা বুঝি একটি বিশেষ সংগ্রহশালাকে। এখানে একটি দেশের শিল্প-সংস্কৃতি, ইতিহাস ঐতিহ্যের যাবতীয় নিদর্শন সংরক্ষিত থাকে। আমাদের জাতীয় জাদুঘর ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত। সেখানে শত শত বছরের পুরনো ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, প্রতœতাত্তি¡ক নানা নিদর্শন রয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানে প্রতœতাত্তি¡ক জাদুঘর স্থাপিত হয়েছে। এসব জাদুঘরে গিয়ে আমরা ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করতে পারি। তাই আমাদের উচিত জাদুঘর পরিদর্শন করা। স্মৃতিসৌধ বাঙালি জাতির জীবনে মুক্তিযুদ্ধ এক বিরাট ঘটনা। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে ধরে রাখতে নির্মিত হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এটি ঢাকার সাভারে অবস্থিত। এই স্মৃতিসৌধ আমাদের গর্ব। আমাদের সংগ্রামী ইতিহাসের সাক্ষী। লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা। স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধের সেই শহিদদের স্মৃতিকেই মনে করিয়ে দেয়। স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে আমরা স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। শহিদ মিনার বায়ান্ন সালের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য নির্মিত হয়েছে শহিদ মিনার। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে অবস্থিত। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এই অঞ্চলের মানুষের ওপর উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। ছাত্র-জনতা এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। একুশে ফেব্রæয়ারি সরকারের নিষেধ অমান্য করে ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’- সেøাগান দিয়ে মিছিল বের করে। পুলিশ মিছিলে গুলি চালালে শহিদ হন অনেকে। তাঁদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে মাতৃভাষা বাংলার অধিকার। একুশে ফেব্রæয়ারি শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে আমরা ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। ঘুরে আসি সোনারগাঁও অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ। ১) সবাই কোন মাসে শিক্ষাসফরে যায়? চ ক জানুয়ারি খ ফেব্রæয়ারি গ নভেম্বর ঘ ডিসেম্বর ২) হাসান স্যারের নির্দেশ শুনে সবাই কীভাবে

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা ঘুরে আসি সোনারগাঁও অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

Scroll to Top