রসায়ন

রসায়ন

বিভিন্ন এসিডের নাম, সংকেত ও অ্যানায়ন

মাধ্যমিক পড়ুয়া অর্থাৎ নবম/দশম শ্রেণির এবং এইচএসসি সহ অনার্স ও মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন এসিডের নাম, সংকেত ও অ্যানায়ন জানার প্রয়োজন পড়ে। পাঠ্যবইয়ে সকল এসিডের নাম একত্রে পাওয়া যায়না। তাই শিক্ষার্থীদের সকল এসিডের নামগুলো জানতে সমস্যা হয়। এখানে বিভিন্ন এসিডের নাম ও সংকেত এক পলকে দেখে নিতে নিচের পোস্টটি পড়ুন। বিভিন্ন এসিডের নাম ও সংকেত 👉সাইট্রিক এসিড→C6H8O7 👉অক্সালিক এসিড→HOOC-COOH 👉সালফিউরিক এসিড→H2SO4 👉পাইরুভিক এসিড→C3H4O3 👉কার্বলিক এসিড→C6H6O 👉কার্বনিক এসিড→H2CO3 👉টারটারিক এসিড→C4H6O6 👉ল্যাকটিক এসিড→CH3-CH(OH)COOH 👉ফসফরিক এসিড→H3PO4 👉ক্লোরিক এসিড→HClO3 👉থায়োয়ানিক এসিড→HCNS 👉থায়োসালফিউরিক এসিড→H2S2O3 👉নাইট্রিক এসিড→HNO3 👉নাইট্রাস এসিড→HNO2 👉পাইরোবোরিক এসিড→H2B4O7 👉পাইরো সালফিউরিক এসিড→H2S2O7 👉পারম্যাঙ্গানিক এসিড→HMnO4 👉পারক্লোরিক এসিড→HClO4 👉ফসফরাস এসিড→H3PO3 👉বোরিক এসিড→H3BO3 👉সায়ানিক এসিড→HCNO 👉সালফিউরাস এসিড→H2SO3 👉সিলিকিক এসিড→H2SiO3 👉অলিক এসিড→C17H35COOH 👉অ্যাসিটিক এসিড→CH3COOH 👉পাইরোভিক এসিড→CH3-CO-COOH 👉ফরমিক এসিড→HCOOH 👉স্টিয়ারিক এসিড→C17H35COOH 👉H2SO3 sulfurous acid 👉HClO4 perchloric acid 👉HClO3 chloric acid 👉HClO2 chlorous acid 👉HClO hypochlorous acid 👉H3PO4 phosphoric acid 👉H3PO3 phosphorous acid 👉H2CO3 carbonic acid 👉HF hydrofluoric acid 👉HCl hydrochloric acid 👉HBr hydrobromic acid 👉HI hydroiodic acid 👉HC2H3O2 acetic acid এসিডের অ্যনায়ন সমূহ SO42- sulfate ion SO32- sulfite ion ClO4– perchlorate ion ClO3– chlorate ion ClO2– chlorite ion ClO– hypochlorite ion NO3– nitrate ion NO2– nitrite ion PO43- phosphate ion PO33- phosphite ion HSO4– hydrogen sulfate ion HCO3– hydrogen carbonate ion CO32- carbonate ion H2PO4– dihydrogen phosphate ion C2H3O2– acetate ion HPO42- hydrogen phosphate ion আরো পড়ুনঃ HNO₃ ও H₃PO₄ এসিড দুটির মধ্যে কোনটি তীব্র এসিড? HI, HBr, HCl, ও HF এর মধ্যে কোনটি শক্তিশালী এসিড ও কোনটি দুর্বল এসিড? দুর্বল এসিড ও শক্তিশালী এসিড চেনার সহজ উপায়। এসিড ও ক্ষারক চেনার সহজ উপায় এসিড কাকে বলে? এসিড চেনার সহজ উপায় কী? এসিড কোনগুলো?  

বিভিন্ন এসিডের নাম, সংকেত ও অ্যানায়ন Read More »

টেস্টিং সল্ট বলতে কী বোঝায়?

অনেকেই হয়তো জানেন খাবারে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করে খাবারকে স্বুসাদু করা হয়। কিন্তু অনেনেই জানেন না এই টেস্টিং সল্প কী বা কাকে বলে? আজকে আমরা টেস্টিং সল্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। টেস্টিং সল্ট কী? টেস্টিং সল্ট এর রাসায়নিক নাম মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট(MSG) বা  অথবা সোডিয়াম গ্লুটামেট অথাৎ সোডিয়াম লবণের গ্লুটামিক অ্যাসিড। এর রাসায়নিক সংকেত C5H8NO4Na। টেস্টিং সল্ট বা টেস্টিং লবণ বা উদ্দীপক বিষ (এক্সাইটোটক্সিন) নামেও পরিচিত।  কিছু খাবারে এটা এমনিতেই থাকে যথা: পনির, টমেটো ইত্যাদি। এটি সাধারণত খাবাবের স্বাদ বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়ে। এটির কোনো দ্বাদ নাই কিন্তু এটি খাবারের মিশলে স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন ধরনের কেনা খাবারে এগুলো অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। এগুলো খেলে মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে।  

টেস্টিং সল্ট বলতে কী বোঝায়? Read More »

যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রনের কাকে বলে এবং এদের মধ্যে পার্থক্য

যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রনের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কি অনেকেরই ধারণা নাই। আজকে যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রন এক নয় কেন এই বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো এবং সেই সাথে যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রনের সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের উত্তর জানবো ও যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রন ব্যাখ্যা করবো। যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রনের মধ্যে পার্থক্য যোজনী যোজ্যতা ইলেকট্রন কোনো মোৗল বা যৌগমূলক অন্য পরমাণুর সাথে যুক্ত হওয়ার সময় যে কয়টি পরমাণু ত্যাগ, গ্রহণ বা শেয়ার করে সেটাই তার যোজনী কোন পরমাণুর শেষ কক্ষপথে যে কয়টি ইলেকট্রন থাকে সেটাই তার যোজ্যতা ইলেকট্রন। একই মৌল বা যৌগমূলকের যোজনী একাধিক হতে পারে। একটি মৌলের যোজ্যতা ইলেকট্রন একটিই হয়। এটা মৌল ও যৌগমূলক উভয়ের হতে পারে। এটা শুধুমাত্র মৌলের হয়ে থাকে। যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রন এক নয় কেন? উত্তরঃ কোনো মোৗল বা যৌগমূলক অন্য পরমাণুর সাথে যুক্ত হওয়ার সময় যে কয়টি পরমাণু ত্যাগ, গ্রহণ বা শেয়ার করে সেটাই তার যোজনী অন্যদিকে কোন পরমাণুর শেষ কক্ষপথে যে কয়টি ইলেকট্রন থাকে সেটাই তার যোজ্যতা ইলেকট্রন তাই যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রন এক নয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে একই হতে পারে। নিচে এই বিষয়ের উদাহরণ দেওয়া হলো। অক্সিজেনের যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রন ভিন্ন কেন? উত্তরঃ অক্সিজেনের ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরুপ O(8) = 2, 6 উপরের ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যাচ্ছে অক্সিজেনের শেষ কক্ষপথে ৬টি ইলেকট্রন রয়েছে অর্থাৎ এর যোজ্যতা ইলেকট্রন ৬। কিন্তু অক্সিজেন অন্য পরমাণুর সাথে যুক্ত হওয়ার সময় ২টি ইলেকট্রন গ্রহণ করে অথবা ২ টি ইলেকট্রন শেয়ার করে এজন্য এর যোজনী ২। তাই অক্সিজেনের যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রন একই নয় । নাইট্রোজেনের যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রন ভিন্ন কেন? উত্তরঃ নাইট্রোজেনের ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরুপ N(7) = 2, 5 উপরের ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যাচ্ছে নাইট্রোজেনের শেষ কক্ষপথে ৫টি ইলেকট্রন রয়েছে অর্থাৎ এর যোজ্যতা ইলেকট্রন ৫। কিন্তু নাইট্রোজেন অন্য পরমাণুর সাথে যুক্ত হওয়ার সময় ৩,৫টি ইলেকট্রন শেয়ার করে এজন্য এর যোজনী ৩,৫। তাই নাইট্রোজেনের যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রন ভিন্ন। কোন মৌলটির যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রন সমান? উত্তরঃ যে সকল মৌলের শেষ কক্ষপথে ১, ২ অথবা ৩টি করে ইলেকট্রন বিদ্যমান সে সকল মৌলের যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রন সমান। যেমন: সোডিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরুপ Na(11) = 2, 8, 1 সোডিয়ামের শেষ কক্ষপথে ১টি ইলেকট্রন আছে তাই এর যোজ্যতা ইলেকট্রন ১ অপরদিতে সোডিয়াম বিক্রিয়ার সময় ১টি ইলেকট্রন ত্যাগ করে অর্থাৎ এর যোজনী ১। তাই সোডিয়াম মৌলটির যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রন সমান। ক্লোরিনের cl যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রন ভিন্ন কেন? উত্তরঃ ক্লোরিনের ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরুপ Cl(17) = 2, 8, 7 উপরের ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যাচ্ছে ক্লোরিনের শেষ কক্ষপথে 7 টি ইলেকট্রন রয়েছে অর্থাৎ এর যোজ্যতা ইলেকট্রন 7। কিন্তু ক্লোরিনের অন্য পরমাণুর সাথে যুক্ত হওয়ার সময় 1 টি ইলেকট্রন গ্রহণ করে অথবা 1 টি ইলেকট্রন শেয়ার করে এজন্য এর যোজনী 1। তাই ক্লোরিনের যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রন ভিন্ন। আরো পড়ুনঃ যোজ্যতা ইলেকট্রন কাকে বলে বা যোজ্যতা ইলেকট্রন কী  

যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রনের কাকে বলে এবং এদের মধ্যে পার্থক্য Read More »

যোজ্যতা ইলেকট্রন কাকে বলে বা যোজ্যতা ইলেকট্রন কী

আমরা অনেকেই জানি না যোজ্যতা ইলেকট্রন কাকে বলে বা যোজ্যতা ইলেকট্রন কী?। আজকে আমরা এই যোজ্যতা ইলেকট্রন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো এবং সেই সাথে যোজ্যতা ইলেকট্রন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেখবো। যোজ্যতা ইলেকট্রন কাকে বলে? উত্তরঃ কোনো পরমাণুর শেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন হচ্ছে তার যোজ্যতা ইলেকট্রন। অর্থাৎ পরমাণুর শেষ কক্ষপথে যে কয়টি ইলেকট্রন থাকবে তাকেই সেই মৌলের যোজ্যতা ইলেকট্রন বলে। নিচে কতগুলো প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে এর উদাহরণ দেওয়া হলো। অক্সিজেনের যোজ্যতা ইলেকট্রন কত বা কয়টি? উত্তরঃ অক্সিজেনের ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরুপ O(8) = 2, 6 যেহেতু অক্সিজেনের শেষ কক্ষপথে ৬টি ইলেকট্রন আছে তাই যোজ্যতা ইলেকট্রন ৬। ক্লোরিন cl এর যোজ্যতা ইলেকট্রন কত? উত্তরঃ ক্লোরিন পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরুপ Cl(17) = 2, 8, 7 যেহেতু Cl এর শেষ কক্ষপথে ৭ টি ইলেকট্রন আছে তাই যোজ্যতা ইলেকট্রন ৭। cu এর যোজ্যতা ইলেকট্রন কত? উত্তরঃ কপার পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরুপ Cu(29) = 2, 8, 18, 1 যেহেতু Cu এর শেষ কক্ষপথে 1 টি ইলেকট্রন আছে তাই যোজ্যতা ইলেকট্রন 1।   আরো পড়ুনঃ যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রনের কাকে বলে এবং এদের মধ্যে পার্থক্য

যোজ্যতা ইলেকট্রন কাকে বলে বা যোজ্যতা ইলেকট্রন কী Read More »

দশম শ্রেণির রসায়ন ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর ২০২২

দশম শ্রেণির রসায়ন ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর ২০২২

দশম শ্রেণির রসায়ন ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর ২০২২ পোস্টে সকলকে স্বাগতম। ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা নিশ্চয়ই এটা ভেবেই আজকের পোস্টে প্রবেশ করেছে এখানে ৫ম সপ্তাহে রসায়ন এসাইনমেন্ট এর উত্তর দেওয়া আছে। তোমরা ঠিক জায়গাতেই এসেছো। দশম শ্রেণির রসায়ন ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ প্রিয় ১০ম শ্রেণীর রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট প্রত্যাশী শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা ইতোমধ্যে ২০২২ সালে চারটি এসাইনমেন্ট এর উত্তর লিখে ফেলেছ। এটি তোমাদের ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট। এই প্রথম সপ্তাহে তোমাদের দশম শ্রেণীর জন্য দুইটি অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে। তোমরা যদি ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ এর পিডিএফ প্রশ্ন গুলো নামিয়ে থাকো তাহলে তোমরা দেখবে সেখানে দশম শ্রেণীর জন্য চারটি বিষয়ে লেখা আছে। কিন্তু এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই কারন তোমাদের চারটি অ্যাসাইনমেন্ট তিন বিভাগে আলাদা করে ভাগ করা। অর্থাৎ ইংরেজি বিষয়টি তোমাদের সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের লিখতে হবে। অন্যদিকে রসায়ন শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য, ভূগোল ও পরিবেশ মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য, ব্যবসায় উদ্যোগ বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য। ১০ম শ্রেণির রসায়ন ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট তোমরা যারা ১০ম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তারা নিশ্চয় আজকের এই পোস্ট এ প্রবেশ করেছে। তোমাদের আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই তোমরা রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট লেখার আগে অবশ্যই প্রশ্ন গুলো ভালো করে পড়ে নেবে। যেহেতু তোমরা অনলাইন থেকে অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান নমুনা উত্তর নিয়ে থাকো তাই অবশ্যই তোমাদেরকে প্রতিটা প্রশ্ন যাচাই করে এর উত্তর গুলো সঠিক কিনা তা দেখে তারপর অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে। সমাধান ডটনেট সাইটে ২০২১ সাল থেকে সকল অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। তোমরা নিশ্চয়ই অবগত এবং আমাদের সাইটে কোন আলতু ফালতু পোস্ট করা হয় না। যদি পোস্ট করা হয় তার উত্তর অবশ্যই সেখানে থাকবে। তোমরা গুগোল সার্চ অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবে যেখানে উত্তর দেয়ার কথা বলা থাকলেও ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যাবে সেখানে উত্তর নেই। কিন্তু তোমরা যদি সমাধান ডটনেট সাইটে সরাসরি প্রবেশ করো তাহলে দেখবে আমরা কত সুন্দর করে অ্যাসাইনমেন্ট গুলো সাজিয়ে রেখেছি তোমরা খুব সহজেই তোমাদের প্রথম সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট খুঁজে নিতে পারবে সেই সাথে সকল সপ্তাহের সকল অ্যাসাইনমেন্ট পেয়ে যাবে। প্রিয় দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা কি পোস্ট করতে করতে অধৈর্য হয়ে গেছো। আর তোমাদের সাথে বেশি বকবক করব না চলো আমরা ৫ম সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নগুলো দেখে নিই। দশম শ্রেণির রসায়ন ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন উপরের প্রশ্ন গুলো দেখে তোমরা হয়তো একটু আঁতকে উঠতে পারো কারন সেখানে কতগুলো বিক্রিয়া কথা বলা হয়েছে। রসায়ন বিষয়টিকে যারা ভয় পাও তাদের উদ্দেশ্যে বলবো এখানে ভয় পাওয়ার কিছু নেই খুব সহজে কয়েকটি বিক্রিয়া দেখিয়ে আজকের অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। তাহলে আর দেরি কেন চলো আমরা সেই কাঙ্খিত ৫ম সপ্তাহের দশম শ্রেণীর রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ এর উত্তর দেখে নিই। দশম শ্রেণির রসায়ন ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর   অ্যাসাইনমেন্ট শুরু ”পদার্থের পরিবর্তন, রাসায়নিক বিক্রিয়ার শ্রেণীবিভাগ” ”ক” প্রশ্নের উত্তর মোমের দহন একই সাথে ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন। ব্যাখ্যাঃ মম একটি হাইড্রোকার্বন অর্থাৎ কার্বন ও হাইড্রোজেন দিয়ে গঠিত। মোমকে যখন পড়ানো হয় অর্থাৎ দহন করা হয় তখন কার্বন বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও কিছু পরিমান কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন করে সেইসাথে জলীয়বাষ্প উৎপন্ন হয়। অর্থাৎ এখানে যেহেতু কার্বন থেকে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয় তাই এটি একটি রাসায়নিক পরিবর্তন। অন্যদিকে কিছু পরিমাণ মোম তাপে গলে গিয়ে নিচে জমা হয় যেহেতু এক্ষেত্রে মোমের কোনো পরিবর্তন হয় না তাই এটি একটি ভৌত পরিবর্তন। অতএব বলা যেতে পারে মোমের দহন একই সাথে ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন। ”খ” প্রশ্নের উত্তর নিম্নে উল্লেখিত সকল পরিবর্তনগুলো বিবেচনায় নিয়ে বিক্রিয়ার শ্রেণি আলোচনা করা হলোঃ মোমের দহন বিক্রিয়াঃ মোম + O2 = CO2 + H2O + তাপ + আলো বিক্রিয়ার ধরন ব্যাখ্যাঃ উক্ত বিক্রিয়াটি হলো দহন বিক্রিয়া। কারণ কোন যৌগের সাথে O2 বিক্রিয়া করে একাধিক যৌগ উৎপন্ন হলে তাকে দহন বিক্রিয়া বলে। মোমের দহনে তেমনটাই ঘটেছে। আবার মোমের দহনে উৎপন্ন A গ্যাসটি হলো কার্বন ডাই অক্সাইড। কার্বন ডাই অক্সাইড এর মধ্যে চুন চালনা করলে ক্যালসিয়াম কার্বনেট উৎপন্ন হয়। বিক্রিয়াটি নিম্নরূপঃ CaO +CO2  = CaCO3 বিক্রিয়ার ধরন ব্যাখ্যাঃ উক্ত বিক্রিয়াটি হলো সংযোজন বিক্রিয়া কারণ একাধিক যৌগ বিক্রিয়া করে যদি তা একটি যৌগ সৃষ্টি করে ভাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে। উক্ত বিক্রিয়ায় এমনটাই ঘটেছে। উক্ত বিক্রিয়া থেকে B যৌগটি পাই। তা হলো CaCO3 এবং এই যৌগের সাথে HCl বিক্রিয়া করলে বিক্রিয়াটি হবে নিল্লরূপঃ CaCO3 + HCl = CaCl2 +CO2 + H2O বিক্রিয়ার ধরণ ব্যাখ্যাঃ উক্ত বিক্রিয়াটি হলো দ্বিবিযোজন বিক্রিয়া। কারণ যে বিক্রিয়ায় এ যৌগ বিয়োজিত হয়ে একাধিক নতুন যৌগ তৈরি করে ভাকে দ্বিবিয়োজন বলে। সে অনুযায়ী এটি দ্বিবিয়োজন বিক্রিয়া। “গ” প্রশ্নের উত্তর “খ” হতে পাই, A ও B যৌগগুলো হলো যথাক্রমে CO2 ও CaCO3  । নিম্নে CO2 ও CaCO3) এর C এর জারন মান নির্ণয় করা হলোঃ CO2  এ C জারণ মানঃ ধরি, C এর জারণ সংখ্যা =x তাহলে, x + (-2)×2 = ০ বা, x -4 = ০ বা, x  = +4 এখানে C এর জারশ মান = +4 CaCO3 এ C জারণ মানঃ ধরি. C এর জারণ সংখ্যা =x তাহলে, 2+x+(-2)×3=0 বা, 2+x-6=0 বা, x-4=0 বা, x=+4 এখানে C এর জারণ মান =+4 (ঘ নং প্রশ্নের উত্তর) রেডক্স ও ননরেডক্স বিক্রিয়া সনাক্তকরণঃ রেডক্স বিক্রিয়াঃ যে বিক্রিয়ায় একই সাথে জারণ ও বিজারণ সংঘটিত হয় সেই বিক্রিয়াকে রেডক্স বা জারণ- বিজারণ বিক্রিয়া বলে। নল রেডক্স বিক্রিয়া: যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একাধিক বিক্রিয়ক থেকে উৎপাদ গঠনকালে বিক্রিয়ক মৌলসমূহের মধ্যে ইলেকট্রন আদান প্রদান ঘটে না, সেই বিক্রিয়াটিকে নন রেডক্স বিক্রিয়া বলে। উক্ত বিক্রিয়াগুলো রেডক্স নাকি নন রেডক্স তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ মোমের সাথে বিক্রিয়াঃ মোম + O2 = CO2 + H2O উপরোক্ত বিক্রিয়াটি হলো রেডক্স বিক্রিয়া। কারণ এখানে ইলেকট্রন আদান প্রদান ঘটেছে আবার বিক্রিয়াটি দহন বিক্রিয়া হওয়ায় এটি রেউক্স যা। CaO ও CO2 বিক্রিয়ার্টি নিমরূপঃ CaO +CO2  = CaCO3 উপরোক্ত বিক্রিয়াটি হলো রেডক্স বিক্রিয়া। কারণ এখানে ইলেকট্রনের আদান-প্রদান ঘটেছে। আবার উক্ত বিক্রিয়াটি সংযোজন বিক্রিয়া হওয়ার এটি রেডক্স বিক্রিয়া। CaCO3 ও HCl। বিক্রিয়াটি নিম্নরূপঃ CaCO3 + HCl = CaCl2 +CO2 + H2O উপরোক্ত বিক্রিয়াটি হলো নন রেডক্স বিক্রিয়া। কারণ এখানে ইলেকট্রনের আদান-প্রদান ঘটেনি। আবার উক্ত বিক্রিয়াি দ্বিবিয়োজন বিক্রিয়া হওয়ায় এটি রেডক্স বিক্রিয়া। অ্যাসাইনমেন্ট শেষ যদি তোমাদের আজকে এই দশম শ্রেণীর ৫ম সপ্তাহের রসায়ন এসাইনমেন্ট এর উত্তরটি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্টে একটি ধন্যবাদ জানাতে ভুলো না যেন। এবং সকল অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর পেতে নিচের ফেসবুক পেইজে একটি লাইক দিয়ে রাখ। আরো পড়ুনঃ  ⇒ সকল সপ্তাহের সকল অ্যাসাইনমেন্ট ⇒ ৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট ⇒ ৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ⇒ ৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের ব্যবসায় উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট ⇒ ৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট ⇒ ১০ম শ্রেণির ৫ম

দশম শ্রেণির রসায়ন ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর ২০২২ Read More »

নবম শ্রেণির রসায়ন ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২

নবম শ্রেণির রসায়ন ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২

নবম শ্রেণির রসায়ন ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ পোস্টে সকল শিক্ষার্থীদের স্বাগতম। আজ আমরা তোমাদের ৫ম সপ্তাহের রাসয়ন অ্যাসাইনমেন্ট ৯ম শ্রেণি প্রদান করবো। তোমরা যদি করোনাকালীন সময়ে তোমাদের বাসায় রসায়ন বিজ্ঞান ভালো করে পড়ে থাকো তাহলে তোমাদের এই অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে সমস্যা হবেনা। আর যারা রাসয়ন বিষয়টি ভালো করে পড়েছো তাদের জন্য আজকের ৫ম সপ্তাহের রসায়ন এসাইনমেন্টটি সহজ হতে চলেছে। রসায়ন ৫ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ এর উত্তর লেখার আগে তোমরা নিশ্চয় প্রশ্নগুলো পড়ে নিতে চাইবে। তোমাদের অনেকের বিদ্যালয় থেকে হয়তো এখনো ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নগুলে দেয়নি। কিন্তু এটা নিয়ে তোমাদের কোনো চিন্তা নাই। আমরা তোমদের অ্যাসাইনমেন্ট লেখার সুবিধার্তে এখানে ৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ এর প্রশ্নগুলো প্রদান করবো। নিচের দেওয়া প্রশ্নটি তোমরা জুম করে পড়ে নাও। ৯ম শ্রেণির রসায়ন ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ প্রশ্ন উপরের প্রশ্নগুলে পড়ে তোমরা বুঝতেই পারছো ৫ম সপ্তাহে তোমাদের যে রসায়ন প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে তা অনেক সহজ ও মজাদার। এখানে তামাদের পটাশিয়াম ও অক্সিজেন দিয়ে যৌগ গঠন করতে হবে, ইলেকট্রন বিন্যাস করতে হবে। এদের যৌগ ডায়াগ্রাম চিত্র একে দেখাতে হবে। সেই সাথে এটির পোলার দ্রাবকে দ্রবণীয়তা দেখাতে হবে। চলো আমরা নিচে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেখে নিই। নবম শ্রেণির রসায়ন ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান অ্যাসাইনমেন্ট শুরু ”ক” প্রশ্নের উত্তর চারটি শক্তিস্তর আছে এবং শেষ শক্তিস্তরে একটি ইলেকটন আছে এমন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস হচ্ছে 2,8,8,1 অর্থাৎ মৌলটি হচ্ছে পটাশিয়াম (K) এবং দুইটি শক্তিস্তর আছে এবং শেষ শক্তিস্তরে ৬টি ইলেকট্রন থকালে তার ইলেকট্রন বিন্যাস হবে 2,6 অর্থাৎ মৌলটি হচ্ছে অক্সিজেন (O) ”খ” প্রশ্নের উত্তর অক্সিজেন (O) ও পটাশিয়াম (K) মৌল দুটির পর্যায় সারণিতে অবস্থানঃ পটাশিয়ামের (K) ইলেকট্রন বিন্যাস নিন্মরুপঃ K(19) = 1s22s22p63s23p64s1 পটাশিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে বলা যায় পটাশিয়ামের অবস্থান ৪র্থ পর্যায়ের ১ম গ্রুপে। অক্সিজেনের (O) ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরুপঃ O(8) = 1s22s22p4 অক্সিজেনের ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে বলা যায় অক্সিজেনের অবস্থান ২য় পর্যায়ের ১৬ নং গ্রুপে। ”গ” প্রশ্নের উত্তর উদ্দীপকে উল্লেখিত মৌল দুটি হল পটাশিয়াম এবং অক্সিজেন।মৌল দুইটির ইলেকট্রন বিন্যাসের মাধ্যমে জানা যায় যে পটাশিয়াম ধাতু এবং অক্সিজেন অধাতু।বন্ধন গঠনকালে পটাশিয়াম তার সর্ববহিঃস্থ স্তরের একটি ইলেকট্রন দান করে ধনাত্মক আয়নে পরিণত হয় এরং পটাশিয়াম তার নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় আর্গন গ্যাসের ইলেকট্রন কাঠামো অর্জন করে অপরদিকে একটি অক্সিজেন দুটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আয়নে পরিণত হয়। এবং তার নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় নিয়ন গ্যাসের ইলেকট্রন কাঠামো অর্জন করে। ধনাত্মক আধান বিশিষ্ট পটাশিয়াম এবং ঋণাত্মক আধান বিশিষ্ট অক্সিজেনের সাথে আয়নিক বন্ধন বিশিষ্ট পটাশিয়াম অক্সাইড যৌগ গঠন করে। রাসয়নিক বিক্রয়াঃ 4K              → 4K++4e– O2 + 4e–  → 2O2- 4k+O2 → 2K2O ডায়াগ্রাম চিত্রের সাহায্যে দেখানো হলো   “ঘ” প্রশ্নের উত্তর আমরা জানি, আয়নিক যৌগ কিভাবে পানিতে দ্রবীভূত হয়, যেহেতু পটাশিয়াম অক্সাইড একটি আয়নিক যৌগ।সুতরাংএটি পানিতে দ্রবীভূত হবে। পানির অণুতে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন পরমাণুর মধ্যবর্তী শেয়ারকৃত ইলেকট্রনকে উভয় পরমাণুর নিউক্লিয়াস আকর্ষণ করে।এই আকর্ষণ করার ক্ষমতা H পরমাণুর তুলনায় O পরমাণুর বেশি থাকে। যার ফলে অক্সিজেন আংশিক ঋণাত্মক প্রান্তে ও হাইড্রোজেন আংশিক ধনাত্মক প্রান্তে পরিণত হয়। K2O আয়নিক যৌগে ধনাত্মক K+ ও খনাত্বক O2- প্রান্ত থাকে। ধনাত্মক K+ প্রান্ত পানির O2- প্রান্ত দ্বারা আকর্ষিত হয় এবং ঋনাত্বক O2- প্রান্ত পানির ধনাত্মক H+ প্রান্ত দ্বারা আকর্ষিত হয়।আকর্ষণের কারণে K2O এর ধনাত্মক ও ঋনাত্বক প্রান্ত পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পানির পোলার অণুর বিপরীত প্রান্ত দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে ‘এবংপানিতে দ্রবীভূত হয়।   অ্যাসাইনমেন্ট শেষ উপরের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তরটি তোমাদের ভালে লাগলে তোমরা কমেন্টে একটি ধন্যবাদ জানিও। সেই সাথে আমাদের ফেজবুক পেজে একটি লাইক দিয়ে রাখো যাতে তোমরা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তরগুলো পেয়ে যাবে। আরো পড়ুনঃ  ⇒ সকল সপ্তাহের সকল অ্যাসাইনমেন্ট ⇒ ৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট ⇒ ৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ⇒ ৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের ব্যবসায় উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট ⇒ ৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট ⇒ ১০ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট ⇒ ১০ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ⇒ ১০ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের ব্যবসায় উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট ⇒ ১০ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট

নবম শ্রেণির রসায়ন ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১১তম অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন ১১তম অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ১১তম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন -1 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : মার্চ-জুন মাসে বাংলাদেশে সংরক্ষণের অভাবে প্রচুর পরিমাণে আলু নষ্ট হয়। আলু থেকে নিচের বিক্রিয়ায় ইথানল উৎপন্ন করা যায়। স্টার্চ এনজাইম (ডায়াসটেজ ও ম্যালটেজ) ≡≡ H2O→ গøুকোজ এনজাইম (জাইমেজ)≡-→ ইথানল ক. পেট্রোলিয়ামের প্রধান উপাদান কী? খ. অ্যালকেন অপেক্ষা অ্যালকিন সক্রিয় কেন? ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের বিক্রিয়া ব্যবহার করে আলু থেকে মিথেন প্রস্তুতির বর্ণনা দাও। ঘ. অতিরিক্ত আলুকে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা বিশ্লেষণ কর। ⇔ 1নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. পেট্রোলিয়ামের প্রধান উপাদান হাইড্রোকার্বন। খ. অ্যালকেন একক বন্ধন ও অ্যালকিন দ্বিবন্ধন দ্বারা গঠিত বলে অ্যালকেন অপেক্ষা অ্যালকিন সক্রিয়। অ্যালকেনসমূহ কার্বন-কার্বন ও কার্বন-হাইড্রোজেন শক্তিশালী একক সমযোজী বন্ধনের মাধ্যমে গঠিত। যা ভেঙে সহজে অন্য বন্ধন গঠন করে না বলে এরা সাধারণত অন্য মৌল বা যৌগের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না। কারণে অ্যালকেনসমূহ কম সক্রিয় যৌগ। অন্যদিকে অ্যালকিনসমূহের অণুতে কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন বিদ্যমান। এ দ্বিবন্ধনের প্রথমটি সিগমা বন্ধন যা শক্তিশালী হলেও দ্বিতীয় বন্ধনটি প্রথম বন্ধন অপেক্ষা দুর্বল পাই () বন্ধন যার ভাঙন সহজেই ঘটে। এ কারণেই অ্যালকিন রাসায়নিকভাবে অ্যালকেন অপেক্ষা সক্রিয়। গ. উদ্দীপকের বিক্রিয়ায় স্টার্চ থেকে গøুকোজ ও গøুকোজকে জাইমেজ নামক এনজাইমের উপস্থিতিতে ইথানলে রূপান্তরিত করা হয়। আলুতে প্রচুর পরিমাণ স্টার্চ রয়েছে। এ স্টার্চ থেকে আমরা উদ্দীপকের বিক্রিয়া ব্যবহার করে ইথানল পেতে পারি। ইথানলকে এসিডযুক্ত পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট অথবা পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্বারা জারিত করলে প্রথমে ইথান্যাল (অ্যাসিটালডিহাইড) ও পরে ইথানয়িক এসিড উৎপন্ন হয়। K2Cr2O7 + H2SO4→K2SO4 + Cr2(SO4)3 + H2O + [O] CH3CH2OH + [O]→CH3CHO + H2O ইথানল                          ইথান্যাল CH3CHO+[O]→CH3 COOH ইথানয়িক এসিড এভাবে উৎপন্ন ইথানয়িক এসিডকে NaOH এর সাথে মিশ্রিত করলে সোডিয়াম ইথানোয়েট উৎপন্ন হয়। CH3COOH + NaOH→CH3COONa + H2O সোডিয়াম ইথানয়েট এই সোডিয়াম ইথানয়েটকে (CH3COONa) সোডালাইম (NaOH + CaO এর মিশ্রণ) সহ উত্তপ্ত করলে মিথেন ( CH4) পাওয়া যায়। বিক্রিয়া : CH3COONa (NaOH + CaO) ≡ সোডালাইম →CH4 + Na2CO3(CaO) এভাবে আমরা আলু থেকে মিথেন ( CH4) প্রস্তুত করতে পারি। ঘ. আলু আমাদের দেশের অন্যতম প্রধান খাদ্য। এটি শর্করা নামক পুষ্টিগুণের অন্যতম উৎস। এদেশে আলুর ফলনও হয় প্রচুর। বাংলাদেশের মানুষের শর্করা চাহিদা পূরণ করার পরও অনেক আলু রয়ে যায় প্রতিবছর। ফলে সংরক্ষণের অভাবে প্রচুর পরিমাণ আলু নষ্ট হয়ে যায়। অথচ অতিরিক্ত আলুর নানাবিধ ব্যবহার করা সম্ভব। বিশেষ করে আলু থেকে ইথানল, মিথেন ইত্যাদি গ্যাস তৈরি করে আমাদের প্রয়োজনীয় জ্বালানির চাহিদা মেটানো যায়। অর্থাৎ অতিরিক্ত আলুকে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার সম্ভব। অতিরিক্ত আলুতে বিদ্যমান স্টার্চ থেকে আমরা নিম্নলিখিত উপায়ে ইথানল প্রস্তুত করতে পারি। 2 (C6H10O5)হ + nH2O ডায়াসটেজ-→ C12H22O11 স্টার্চ                         মল্টোজ ম্যালটেজ এনজাইম মল্টোজকে গøুকোজে এবং জাইমেজ নামক এনজাইম গøুকোজকে ফারমেন্ট করে ইথানলে পরিণত করে। বিক্রিয়া : C12H22O11+ H2O ম্যালটেজ-→ C6H12O6 মল্টোজ গøুকোজ C6H12O6 জাইমেজ-→ CH3CH2OH + 2CO2 গøুকোজ ইথানল আলু থেকে এভাবে গাঁজন প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত ইথানল জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে মোটর ইঞ্জিন, বিমান, বাস, ট্রাক, কলকারখানায় বিকল্প জ্বালানিরূপে ব্যবহার করা যায়। পেট্রোলের সাথে (1০-2০%) ইথানল মিশ্রিত করে গ্যাসহোল (এধংড়যড়ষ) নামক জ্বালানি তৈরি করা যায় যাকে জ্বালানিরূপে ব্যবহার করা সম্ভব। CH3CH2OH + O2 → 2CO2 + 6H2O + তাপশক্তি। অ্যালকোহল থেকে আমরা প্রচুর তাপশক্তি পাই। আবার, ‘গ’ থেকে দেখা যায় আলু থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস মিথেনও উৎপাদন করা যায়। তাই অতিরিক্ত আলু থেকে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প ব্যবহার করার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশ্ন -2 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : পর্যায়ক্রমে একটি গ্যাসকে র থেকে ররর বিক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন পদার্থে পরিণত করা হয়। i. 2 CH4 15০০0C-→ HC ≡ CH + H2 ii. HC ≡ CH + HCl -→ CH2 = CHCl iii. nCH2 = CHCl ≡-→ – CH2 – CH । Cln ক. হাইড্রোকার্বন কাকে বলে? খ. বেনজিন অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন কেন? গ. রর নং বিক্রিয়াটি কোন ধরনের বিক্রিয়া? ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকের প্রথম বিক্রিয়ক গ্যাসটির ব্যবহার বহুমুখীকরণের সম্ভাবনা বিশ্লেষণ কর। ⇔ 2নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. হাইড্রোজেন ও কার্বন দ্বারা গঠিত দ্বিমৌল যৌগসমূহকে হাইড্রোকার্বন বলা হয়। খ. বেনজিন একটি ছয় সদস্যের সমতলীয় চক্রিয় যৌগ। এর অণুতে একান্তর দ্বিবন্ধন বিদ্যমান। অর্থাৎ, কার্বন-কার্বন একটি একক বন্ধন এবং একটি দ্বিবন্ধন থাকে। আমরা জানি, অ্যারোমেটিক যৌগসমূহ সাধারণত 5, 6 বা 7 সদস্যের সমতলীয় চক্রিয় যৌগ। এ কারণেই বেনজিন একটি অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন। গ. (রর) নং বিক্রিয়াটি একটি সংযোজন বিক্রিয়া। যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো যৌগ তার সরলতম উপাদানসমূহের প্রত্যক্ষ সংযোগে সৃষ্টি হয়, তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলা হয়। যেমন : উদ্দীপকে প্রদত্ত (রর) নং বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ : CH ≡ CH + HCl -→ H2C = CHCl (অ্যাসিটিলিন) (ভিনাইল ক্লোরাইড) এ বিক্রিয়ায় অ্যাসিটিলিনের (HC ≡ CH) সাথে HCl এর প্রত্যক্ষ সংযোগে ভিনাইল ক্লোরাইড (H2C = CHCl) উৎপন্ন হয়েছে। এখানে HCl এর ঐ+ ও Cl- অংশ দুটি ত্রিবন্ধনযুক্ত কার্বন দুটির প্রত্যেকটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ফলে ত্রিবন্ধনের একটি বন্ধন ভেঙে গিয়ে দ্বিবন্ধনে পরিণত হয়েছে। অতএব, (রর) নং বিক্রিয়াটি একটি সংযোজন বিক্রিয়া। ঘ. উদ্দীপকের প্রথম বিক্রিয়ক গ্যাসটি মিথেন ( CH4)। মিথেনের বহুমুখী ব্যবহার নিচে আলোচনা করা হলো : 1. মিথেনকে বায়ুর উপস্থিতিতে দহন করলে CO2, H2O ও প্রচুর পরিমাণ তাপশক্তি উৎপন্ন হয়, যা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। 2. মিথেন থেকে প্রাপ্ত মিথাইল ক্লোরাইড (CH3Cl) শিল্পক্ষেত্রে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য যেমন : অ্যালকোহল, অ্যালডিহাইড, জৈব এসিড প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয়। ডাইক্লোরোমিথেন (CH2Cl2) রং শিল্পে দ্রাবক হিসেবে, ক্লোরোফরম (CHCl3) কে চেতনানাশক হিসেবে এবং কার্বন টেট্রাক্লোরাইড (CCl4) কে ড্রাইওয়াশের দ্রাবক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কারণ, টেট্রাক্লোরোমিথেন গ্রিজ ও ময়লাকে সহজে দ্রবীভ‚ত করতে পারে। 3. মিথেন থেকে অন্য সকল শ্রেণির জৈব যৌগ যেমন : অ্যালকিন, অ্যালকাইন, অ্যালডিহাইড, অ্যালকোহল, জৈব এসিড ইত্যাদি প্রস্তুত করা সম্ভব। 4. মিথেন থেকে উৎপন্ন মিথানল একটি বিষাক্ত পদার্থ। ঔষধ ও খাদ্যশিল্প ব্যতীত অন্য শিল্পে ব্যবহৃত রেকটিফাইড স্পিরিটে সামান্য মিথানল যোগে বিষাক্ত করা হয় যার নাম মেথিলেটেড স্পিরিট। এটি কাঠ এবং ধাতুর তৈরি আসবাবপত্র বার্নিশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 5. মিথানলকে (CH3OH) শক্তিশালী জারক দ্বারা জারিত করলে ফরমালডিহাইড উৎপন্ন হয় যার (3০-4০%) জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয় যা জৈব বস্তু সংরক্ষণ কাজে ব্যবহৃত হয়। 6. মিথেন ( CH4) থেকে প্রাপ্ত মিথান্যাল (HCHO) এর জলীয় দ্রবণকে অতি নিম্ন চাপে উত্তপ্ত করলে ডেরলিন (উবৎষরহ) নামক শক্ত পলিমার উৎপন্ন হয়। ডেরলিন পলিমার দিয়ে চেয়ার, ডাইনিং টেবিল, বালতি জাতীয় দ্রব্য তৈরি করা হয় যা পূর্বে কাঠ ও ধাতু দিয়ে তৈরি করা হতো। 7. ফরমালডিহাইড (মিথান্যাল) ও

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১১তম অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর Read More »

Scroll to Top